id
int64 1
264
| question
stringlengths 13
860
| answer
stringlengths 3
2.12k
|
---|---|---|
201 | "রানার" কবিতা থেকে একটি অংশ নিচে উদ্ধৃত করা হল।
রানার! রানার!
এ বোঝা টানার দিন কবে শেষ হবে?
রাত শেষ হয়ে সূর্য উঠবে কবে?
ঘরেতে অভাব; পৃথিবীটা তাই মনে হয় কালো ধোঁয়া,
পিঠেতে টাকার বোঝা, তবু এই টাকাকে যাবে না ছোঁয়া,
রাত নির্জন, পথে কত ভয়, তবুও রানার ছোটে,
দস্যুর ভয়, তারো চেয়ে ভয় কখন সূর্য ওঠে।
উদ্ধৃত অংশটি ব্যাখ্যা কর। | রানারের জীবনে প্রাত্যহিক দারিদ্রের সাথে সংগ্রাম। ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত শরীরে সে চিঠির বোঝা বয়ে নিয়ে যায়। তার অভাব, দারিদ্র্য ও অর্থসংকট-জর্জরিত সংসারে পৃথিবীটা অনেকটা বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার মতন মনে হয়। তার পিঠের ভারী বস্তায় কেমালমাত্র চিঠি নয়, তাতে মানি অর্ডারের টাকাও বোঝাই করা। অথচ সেই টাকা সে কখনও ছুঁয়ে দেখতে পারে না বা দেখে না, এমনই তার নির্ভরযোগ্যতা। নির্জন, নিশীথ রাতে যখন সে অর্থবোঝাই বস্তা নিয়ে ছুটে চলে, নিশাচর ওর দস্যুর ভয় তাকে তাড়া করে। কিন্তু ডাকাতের চেয়েও তার বড় ভয় সূর্যালোকের, কারণ ভোরের সূর্য ওঠার আগেই তাকে শহরে পৌঁছাতে হবে। |
202 | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা "রানার" কবিতা থেকে একটি অংশ নিচে উদ্ধৃত করা হল। ব্যাখ্যা কর।
কত চিঠি লেখে লোকে—
কত সুখে, প্রেমে, আবেগে, স্মৃতিতে, কত দুঃখে ও শোকে।
এর দুঃখের চিঠি পড়বে না জানি কেউ কোনো দিনও,
এর জীবনের দুঃখ কেবল জানবে পথের তৃণ,
এর দুঃখের কথা জানবে না কেউ শহরে ও গ্রামে,
এর কথা ঢাকা পড়ে থাকবেই কালো রাত্রির খামে। | রানার সংবাদবাহক। তার পিঠে বস্তাভর্তি চিঠি, সেই চিঠি কতরকমের মানুষই না লিখে থাকে। কোথাও সুখ-দুঃখ, কোথাও বা প্রেম-আবেগ-অনুভূতির নানা বৃত্তান্ত বর্ণিত এই সমস্ত চিঠিতে। কিন্তু রানারের দুঃখের সংবাদ কি কেউ কোনদিন পাবে? তার দুঃখের, সংগ্রামের চিঠি কি সে কোনদিন লিখবে বা কেউ তা পড়বে? রানার বহু গ্রাম-শহর-প্রান্তর ঘুরে সংবাদ বিতরণ করে। কিন্তু তার নিজের দুঃখের কথা বার্তাপ্রাপকরা কেউ জানবে না, এমনই তার জীবন। রানারের জীবনের দুঃখের কথা সদাই রাতের অন্ধকারে ও পথের ধুলো ও ঘাসে ঢাকা পড়ে থাকবে। একটি অপ্রেরিত চিঠির মতনই তার লড়াইয়ের কাহিনী সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাবে। |
203 | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা "রানার" কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশটি ব্যাখ্যা কর।
দরদে তারার চোখ কাঁপে মিটিমিটি,—
এ-কে যে ভোরের আকাশ পাঠাবে সহানুভূতির চিঠি—
রানার ! রানার ! কি হবে এ বোঝা ব’য়ে?
কি হবে ক্ষুধার ক্লান্তিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে?
রানার ! রানার ! ভোর তো হয়েছে—আকাশ হয়েছে লাল
আলোর স্পর্শে কবে কেটে যাবে এই দুঃখের কাল? | রানারের নিত্য অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য অগুণিত মানুষ চিঠি আদানপ্রদান করতে পারে। কিন্তু রানারকে চিঠি লেখার মতন কেউ নেই, সে কাউকে চিঠি পাঠাবে তেমনও কেউ নেই। একমাত্র রাতের আকাশের জাজ্বল্যমান নক্ষত্রপুঞ্জ, যারা রানানের রোজকার পথের সাক্ষী ও সহযাত্রী, কেবল সেই তারাই যেন রানারকে বার্তা পাঠায়। দিনের আকাশে তারাদের দেখা যায়না। তাই তারাদের মিটিমিটি ঝলকে যেন তাদের সহানুভূতি প্রকাশ পায়, যেন সেই সহানুভূতির ফলস্বরূপ রাতের আঁধার দীর্ঘস্থায়ী হয়।
এক একই রুটিনমাফিক রানারের জীবন কেটে যায়, ক্ষুধা ও ক্লান্তিতে একটু একটু করে ক্ষয়ে যায়। প্রতিদিন রাতের ঘন অন্ধকার কেটে ভোর হয়, সূর্য ওঠে, সূর্যের আলোয় পৃথিবী ভরে ওঠে, হেসে ওঠে। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও রানারের জীবনে কোন পরিবর্তন আসেনা, তার সংসার ও জীবন সেই পুরাতন দুঃখ, অভাব, ও কান্নার অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। |
204 | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা "রানার" কবিতার অন্তিম স্তবকটি নিচে উদ্ধৃত করা হল। এই অংশটি ব্যাখ্যা কর।
রানার ! গ্রামের রানার !
সময় হয়েছে নতুন খবর আনার;
শপথের চিঠি নিয়ে চলো আজ
ভীরুতা পিছনে ফেলে—
পৌঁছে দাও এ নতুন খবর,
অগ্রগতির ‘মেলে’,
দেখা দেবে বুঝি প্রভাত এখুনি—
নেই, দেরি নেই আর,
ছুটে চলো, ছুটে চলো আরো বেগে
দুর্দম, হে রানার॥ | রানার গ্রামের একজন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। দুঃখ-কষ্ট-দারিদ্রের সাথে প্রতিদিন লড়াই করে সে ছুটে চলে, বস্তাবোঝাই চিঠিপত্র নিয়ে সে ছুটে যায় শহরে, গন্তব্যে। সে সংবাদবাহক—তার পরিশ্রমের ফলেই নতুন খবর দূরদূরান্তে পৌঁছে যায়। কিন্তু এ সংবাদ কেবল আক্ষরিক অর্থে সংবাদ নয়। চিঠির খামে বন্ধ করা, কালির অক্ষরে লেখা, বস্তায় ভর্তি করা এ যেন দেশ, জাতি ও সমাজের অগ্রগতির সমাজ। সেই অর্থে রানার হল অগ্রগতির মেল বা যান। আর রানারের চিঠি পৌঁছে দেয়া যেন সেই অগ্রগতির বাহনকে নিত্য চালিয়ে নিয়ে চলার শপথ।
অপরদিকে রানারের শহরে পৌঁছানও গভীর অর্থ বহন করে। এ শুধু তার গন্তব্যে পৌঁছানো নয়, এ এক নতুন দিনের দিকে, নতুন যুগের দিকে ছুটে চলা। সেইদিন—যেদিন পরিশ্রমী শ্রমজীবী মানুষদের অবস্থার পরিবর্তন হবে, অগ্রগতি হবে—দূরে নয়, তাই রানারকে আরো জোরে ছুটে যেতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে প্রতিশ্রুত, সাম্যের নবপ্রভাতের দিকে। |
205 | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা "রানার" কবিতায় কোন কোন আলোর উৎসের কথা বলা হয়েছে? | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা "রানার" কবিতায় বিভিন্ন আলোর উৎসের কথা বলা হয়েছে, যেমন:
- "অবাক রাতের তারারা, আকাশে মিট্মিট্ করে চায়;"—এখানে রাতের আকাশের তারাদের মিট্মিট্ করা আলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
- "হাতে লন্ঠন করে ঠন্ঠন্, জোনাকিরা দেয় আলো"—এখানে লণ্ঠন কাঁচে ঘেরা একটি বহনযোগ্য আলোর উৎস। সাধারণত তেল ও সলতে দিয়ে জ্বলে। এছাড়া জোনাকির আলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
- "রানার ! রানার ! ভোর তো হয়েছে – আকাশ হয়েছে লাল"—ঊষার আলোকে ভোরের আকাশ লাল হয়ে ওঠে। অর্থাৎ এখানে সূর্য্যের আলোর কথা বলা হয়েছে। |
206 | "রানার" কবিতায় কোন কোন শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে? | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা "রানার" কবিতায় বিভিন্ন শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন:
- ঘন্টার ঝুম্ঝুম্ আওয়াজ
- লণ্ঠনের ঠন্ঠন্ আওয়াজ
- রানারের ক্লান্তশ্বাস, যা আকাশ ছুঁয়ে গেছে |
207 | "মাভৈঃ, রানার ! এখনো রাতের কালো।"
"মাভৈঃ" কথাটির অর্থ কি? রানারকে মাভৈঃ কেন বলা হয়েছে? | "মাভৈঃ" কথাটির অর্থ হল নির্ভয় হও।
রাতের অন্ধকার কাটেনি, এখনও ভোর হয়নি। অর্থাৎ ভোরের আগেই রানার শহরে পৌঁছাতে পারবে। তাই রানারকে মাভৈঃ অর্থাৎ নির্ভয় হয়ে এগিয়ে যেতে বলা হয়েছে। |
208 | "রানার" কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত? | "রানার" কবিতাটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের "ছাড়পত্র" কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত। ছাড়পত্র কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। |
209 | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকান্ত ভট্টাচার্য , জীবনানন্দ দাশ ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ও মৃত্যু কোন সালে? একটা টেবিল আকারে দেখাও। | অবশ্যই! নিচের টেবিলে তথ্য পেশ করা হল।
| কবি | জন্ম (খৃস্টাব্দ) | মৃত্যু (খৃস্টাব্দ) |
| :-------- | -------: | -------: |
| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | ১৮৬১ | ১৯৪১ |
| সুকান্ত ভট্টাচার্য | ১৯২৬ | ১৯৪৭ |
| জীবনানন্দ দাশ | ১৮৯৯ | ১৯৫৪ |
| কাজী নজরুল ইসলাম | ১৮৯৯ | ১৯৭৬ | |
210 | গুগল পিক্সেল ৯ প্রো ও অ্যাপল আইফোন ১৬-এর বৈশিষ্ট্যগুলির তুলনা করুন। | অবশ্যই! নিচের টেবিলে গুগল পিক্সেল ৯ অ্যাপল আইফোন ১৬-র তুলনা দেখান হল।
| বৈশিষ্ট্য | গুগল পিক্সেল প্রো ৯ (Google Pixel 9 Pro) | অ্যাপল আইফোন ১৬ (Apple iPhone 16) |
| :-------- | :------- | :------- |
| সিপিইউ | অক্টা কোর প্রসেসর | অক্টা কোর প্রসেসর |
| র্যাম | ১২ জিবি | ৮ জিবি |
| সামনের ক্যামেরা | ৫০ এমপি | ১২ এমপি |
| অভ্যন্তরীণ মেমরি | ২৫৬ জিবি | ১২৮ জিবি |
| ব্যাটারি | ৫০০০ mAh, লি-পো ব্যাটারি | ৩৫৬১ mAh, লি-আয়ন ব্যাটারি |
| ওএস | অ্যান্ড্রয়েড v14 | iOS v18 |
| প্রদর্শন | ৬.১ ইঞ্চি, ১৪৪০ x ৩১২০ পিক্সেল, ১৪৪ Hz | ৬.১২ ইঞ্চি, ১২০০ x ২৬০০ পিক্সেল, ১২০ Hz |
| দাম | ৯৪,৯৯০ টাকা | ৮২,৯০০ টাকা | |
211 | মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান ও ওয়ানপ্লাস ৭টি-র কিছু স্পেসিফিকেশন নিচে দেখানো হল।
| স্পেসিফিকেশন | মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান (Motorola Edge 50 Fusion) | ওয়ানপ্লাস ৭টি (OnePlus 7T) |
| :-------- | :------- | :------- |
| সিপিইউ | ২.৪ GHz, অক্টা কোর প্রসেসর | ২.৯৬ GHz, অক্টা কোর প্রসেসর |
| র্যাম | ৮ জিবি | ৮ জিবি |
| সামনের ক্যামেরা | ৩২ এমপি | ১৬ এমপি |
| অভ্যন্তরীণ মেমরি | ১২৮ জিবি | ১২৮ জিবি |
| ব্যাটারি | ৫০০০ mAh, লি-আয়ন ব্যাটারি | ৩৮০০ mAh, লি-পো ব্যাটারি |
| ওএস | অ্যান্ড্রয়েড v14 | অ্যান্ড্রয়েড v10, v11-এ আপগ্রেডযোগ্য |
| স্ক্রিন | ৬.৬৭ ইঞ্চি, ১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল, ১৪৪ Hz | ৬.৫৫ ইঞ্চি, ১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল, ১২০ Hz |
| দাম | ২৪,৮১০ টাকা | ২৯,৬৮৯ টাকা |
এর ভিত্তিতে প্রশ্নগুলির উত্তর দিন:
১) কোন ফোনের সিপিইউ ভাল?
২) কোন ফোনের ক্যামেরা ভাল?
৩) কোন ফোনটি সস্তা?
৪) কোন ফোনের সাইজ ছোট?
৫) অ্যান্ড্রয়েড v15 কোন ফোনে আছে? | প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী:
১) ওয়ানপ্লাস ৭টি ফোনে ২.৯৬ GHz, অক্টা কোর প্রসেসর সিপিইউ আছে। অন্যদিকে মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান ফোনের সিপিইউ হল ২.৪ GHz, অক্টা কোর প্রসেসর। দুটি ফোনের প্রসেসরেই ৮টা কোর আছে। কিন্তু ওয়ানপ্লাস ৭টি ফোনের সিপিইউ ক্লক স্পিড ২.৯৬ GHz, যা মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান ফোনের থেকে বেশি। অতএব কেবলমাত্র সিপিইউ স্পীডের ভিত্তিতে, ওয়ানপ্লাস ৭টি ফোন তুলনামূলকভাবে ভাল।
২) মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান ফোনের সামনের ক্যামেরার রেজোলিউশন ৩২ এমপি। অন্যদিকে ওয়ানপ্লাস ৭টি ফোনে ১৬ এমপি সামনের ক্যামেরা আছে। পেছনের ক্যামেরার তথ্য দেওয়া নেই। অতএব কেবলমাত্র সামনের ক্যামেরার ভিত্তিতে,মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান ফোন তুলনামূলকভাবে ভাল।
৩) মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান ফোনের দাম ২৪,৮১০ টাকা। দামের নিরিখে এটি ওয়ানপ্লাস ৭টি ফোনের থেকে সস্তা।
৪) ফোন, ল্যাপটপ, ও টিভির সাইজ স্ক্রিনের কোনাকুনিভাবে মাপা হয়। সেই অনুযায়ী ওয়ানপ্লাস ৭টি, যার স্ক্রিন সাইজ ৬.৫৫ ইঞ্চি, মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান ফোনের থেকে ছোট।
৫) তথ্য অনুযায়ী এই দুটি ফোনের কোনটাতেই অ্যান্ড্রয়েড v15 নেই। |
212 | মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান ও ওয়ানপ্লাস ৭টি-র কিছু স্পেসিফিকেশন নিচে দেওয়া হল।
| স্পেসিফিকেশন | মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান (Motorola Edge 50 Fusion) | ওয়ানপ্লাস ৭টি (OnePlus 7T) |
| :-------- | :------- | :------- |
| সিপিইউ | ২.৪ GHz, অক্টা কোর প্রসেসর | ২.৯৬ GHz, অক্টা কোর প্রসেসর |
| র্যাম | ৮ জিবি | ৮ জিবি |
| সামনের ক্যামেরা | ৩২ এমপি | ১৬ এমপি |
| অভ্যন্তরীণ মেমরি | ১২৮ জিবি | ১২৮ জিবি |
| ব্যাটারি | ৫০০০ mAh, লি-আয়ন ব্যাটারি | ৩৮০০ mAh, লি-পো ব্যাটারি |
| ওএস | অ্যান্ড্রয়েড v14 | অ্যান্ড্রয়েড v10, v11-এ আপগ্রেডযোগ্য |
| স্ক্রিন | ৬.৬৭ ইঞ্চি, ১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল, ১৪৪ Hz | ৬.৫৫ ইঞ্চি, ১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল, ১২০ Hz |
| দাম | ২৪,৮১০ টাকা | ২৯,৬৮৯ টাকা |
প্রশ্ন: কোন ফোনটিতে তুলনামূলকভাবে ঘনঘন চার্জ দিতে হতে পারে? | প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, মটোরোলা এজ ৫০ ফিউজান ফোনের ব্যাটারী ক্ষমতা হল ৫০০০ mAh বা মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার। অন্যদিকে ওয়ানপ্লাস ৭টি ফোনে ৩৮০০ mAh ব্যাটারী আছে। কেবলমাত্র এই তথ্যের ভিত্তিতে, ওয়ানপ্লাস ৭টি তুলনামূলকভাবে ঘনঘন চার্জ দিতে হতে পারে। |
213 | CSV ফরম্যাটে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হল। একটি টেবিল হিসাবে প্রদর্শন করুন।
"দিন","পরিস্থিতি","উচ্চ তাপমাত্রা (°সে)","নিম্ন তাপমাত্রা (°সে)","আর্দ্রতা (%)","বাতাস (কিমি/ঘন্টা)"
"শনিবার","আংশিক মেঘলা",২৯,২১,৬০,১৯
"রবিবার","রৌদ্রোজ্জ্বল",২৮,২১,৭১,২০
"সোমবার","বজ্রঝড়",২৫,২১,৭২,২৩
"মঙ্গলবার","আংশিক মেঘলা",২৩,২১,৬৮,২৫
"বুধবার","বজ্রঝড়",২২,২১,৬৮,২৪
"বৃহস্পতিবার","রৌদ্রোজ্জ্বল",২৪,২১,৬৯,২৪
"শুক্রবার","আংশিক মেঘলা",২৭,২০,৭২,২৫ | অবশ্যই! প্রদত্ত তথ্য নিচের টেবিলে দেখানো হল।
| দিন | পরিস্থিতি | উচ্চ তাপমাত্রা (°সে) | নিম্ন তাপমাত্রা (°সে) | আর্দ্রতা (%) | বাতাস (কিমি/ঘন্টা) |
| :-------- | :------- | -------: | --------: | -------: | -------: |
| শনিবার | আংশিক মেঘলা | ২৯ | ২১ | ৬০ | ১৯ |
| রবিবার | রৌদ্রোজ্জ্বল | ২৮ | ২১ | ৭১ | ২০ |
| সোমবার | বজ্রঝড় | ২৫ | ২১ | ৭২ | ২৩ |
| মঙ্গলবার | আংশিক মেঘলা | ২৩ | ২১ | ৬৮ | ২৫ |
| বুধবার | বজ্রঝড় | ২২ | ২১ | ৬৮ | ২৪ |
| বৃহস্পতিবার | রৌদ্রোজ্জ্বল | ২৪ | ২১ | ৬৯ | ২৪ |
| শুক্রবার | আংশিক মেঘলা | ২৭ | ২০ | ৭২ | ২৫ | |
214 | সিএসভি (CSV) ফরম্যাটে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হল। তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখুন।
"দিন","পরিস্থিতি","উচ্চ তাপমাত্রা (°সে)","নিম্ন তাপমাত্রা (°সে)","আর্দ্রতা (%)","বাতাস (কিমি/ঘন্টা)"
"শনিবার","আংশিক মেঘলা",২৯,২১,৬০,১৯
"রবিবার","রৌদ্রোজ্জ্বল",২৮,২১,৭১,২০
"সোমবার","বজ্রঝড়",২৫,২১,৭২,২৩
"মঙ্গলবার","আংশিক মেঘলা",২৩,২১,৬৮,২৫
"বুধবার","বজ্রঝড়",২২,২১,৬৮,২৪
"বৃহস্পতিবার","রৌদ্রোজ্জ্বল",২৪,২১,৬৯,২৪
"শুক্রবার","আংশিক মেঘলা",২৭,২০,৭২,২৫ | আগামী সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস এইরূপ।
শনিবার আকাশে আংশিক মেঘলা থাকবে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা থাকবে ৬০%।
রবিবার আকাশে পরিষ্কার থাকবে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে প্রায় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে প্রায় ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা থাকবে ৭১% এবং বাতাসের গতিবেগ হবে ২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
সোমবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় হতে পারে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা থাকবে ৭২% এবং বাতাসের গতিবেগ হবে প্রায় ২৩ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
মঙ্গলবারের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। এদিন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে হবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা থাকবে ৬৮% এবং বাতাসের গতিবেগ হবে ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
বুধবার আবারও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় হতে পারে। প্রত্যাশিত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা থাকবে ৬৮%। প্রায় ২৪ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে বাতাস বইবে।
বৃহস্পতিবার আকাশে রোদ থাকবে। বৃহস্পতিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা থাকবে ৬৯% এবং বাতাসের গতিবেগ হবে ২৪ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
শুক্রবার আকাশ আবার আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা থাকবে ৭২% এবং ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে বাতাস বইবে। |
215 | নিচে সিএসভি (CSV) ফরম্যাটে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হল:
"দিন","পরিস্থিতি","উচ্চ তাপমাত্রা (°সে)","নিম্ন তাপমাত্রা (°সে)","আর্দ্রতা (%)","বাতাস (কিমি/ঘন্টা)"
"শনিবার","আংশিক মেঘলা",২৯,২১,৬০,১৯
"রবিবার","রৌদ্রোজ্জ্বল",২৮,২১,৭১,২০
"সোমবার","বজ্রঝড়",২৫,২১,৭২,২৩
"মঙ্গলবার","আংশিক মেঘলা",২৩,২১,৬৮,২৫
"বুধবার","বজ্রঝড়",২২,২১,৬৮,২৪
"বৃহস্পতিবার","রৌদ্রোজ্জ্বল",২৪,২১,৬৯,২৪
"শুক্রবার","আংশিক মেঘলা",২৭,২০,৭২,২৫
তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দিন:
(১) আগামী সপ্তাহে ক'দিন ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে?
(২) সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত হতে পারে? | প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে:
(১) রবিবার ও বুধবার অর্থাৎ দুইদিন বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
(২) শনিবারের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ—২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস—হবে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছে। অপরদিকে শুক্রবারের ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে বলে আশা করা হয়েছে। |
216 | "দিন","পরিস্থিতি","উচ্চ তাপমাত্রা (°সে)","নিম্ন তাপমাত্রা (°সে)","আর্দ্রতা (%)","বাতাস (কিমি/ঘন্টা)"
"শনিবার","আংশিক মেঘলা",২৯,২১,৬০,১৯
"রবিবার","রৌদ্রোজ্জ্বল",২৮,২১,৭১,২০
"সোমবার","বজ্রঝড়",২৫,২১,৭২,২৩
"মঙ্গলবার","আংশিক মেঘলা",২৩,২১,৬৮,২৫
"বুধবার","বজ্রঝড়",২২,২১,৬৮,২৪
"বৃহস্পতিবার","রৌদ্রোজ্জ্বল",২৪,২১,৬৯,২৪
"শুক্রবার","আংশিক মেঘলা",২৭,২০,৭২,২৫
প্রশ্ন: উপরের সিএসভি (CSV) তথ্য অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহের গড় আদ্রতা কত হবে বলে আশা করা যায়? | উত্তর: সিএসভি (CSV) ফরম্যাটে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে, আগামী সপ্তাহের গড় আদ্রতা হল: (৬০ + ৭১ + ৭২ + ৬৮ + ৬৮ + ৬৯ + ৭২) / ৭ = ৬৮.৫৭%। |
217 | নিচে কয়েকটি ল্যাপটপের নাম দেওয়া হল:
HP প্যাভিলিয়ন 15-eg2009TU ল্যাপটপ (12th জেন কোর i5/ 8জিবি / 512জিবি এসএসডি/ Win11 Home)
₹৪৩,৫৯৪
Acer Aspire 3 A324-51 ল্যাপটপ (12th জেন কোর i3/ 8জিবি / 512জিবি এসএসডি/ Win11)
₹৩১,৯৯০
Lenovo ThinkBook 15 G5 21JFA02KIN ল্যাপটপ (AMD Ryzen 5 7530U/16জিবি / 512 জিবি এসএসডি/ Win11)
₹৪৪,৯৯৯
Asus Vivobook 15 2023 X1504VA-NJ321WS ল্যাপটপ (13th জেন কোর i3/ 8জিবি / 512জিবি এসএসডি/ Win11)
₹৩৮,৯৯০
এগুলির মধ্যে কোনটার দাম সবথেকে কম? কোনটায় এএমডি সিপিইউ আছে? | প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে, Acer Aspire 3 A324-51 ল্যাপটপের দাম সবথেকে কম—৩১,৯৯০ টাকা। অন্যদিকে, Lenovo ThinkBook 15 G5 21JFA02KIN ল্যাপটপে এএমডি সিপিইউ আছে। |
218 | এর উপর ভিত্তি করে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন:
Asus Vivobook 16X 2023 K3605ZU-MB741WS ল্যাপটপ (12th Gen Core i7/ 16GB/ 512GB SSD/ Win11 Home/ 6GB গ্রাফিক্স)
বৈশিষ্ট্য:
12th জেন Intel Core i7 12650H
১০টি কোর (6P + 4E), 16টি থ্রেড
১৬ জিবি ডিডিআর৪ র্যাম
৫১২ জিবি এসএসডি
৬ জিবি NVIDIA Geforce RTX 4050
১৬ ইঞ্চি, ১৯২০ x ১২০০ পিক্সেল
উইন্ডোজ ১১ওএস
১ বছরের ওয়ারেন্টি | Asus Vivobook 16X 2023 K3605ZU-MB741WS হল একটি শক্তিশালী ল্যাপটপ যা নির্মাতা এবং গেমারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য ১৬টি থ্রেড সহ একটি ১২তম জেনারেশন ইন্টেল কোর i7 (12th Gen Core i7) প্রসেসর, মসৃণ কর্মক্ষমতার জন্য ১৬ জিবি ডিডিআর৪ র্যাম (16GB DDR4 RAM) এবং দ্রুত স্টোরেজের জন্য একটি ৫১২ জিবি এসএসডি রয়েছে। NVIDIA GeForce RTX 4050 গ্রাফিক্স কার্ড সৃজনশীল কাজ এবং আধুনিক গেমের দাবিদার হ্যান্ডেল করে। ১৯২০ x ১২০০ রেজোলিউশনের ১৬-ইঞ্চি ডিসপ্লে যথেষ্ট ওয়ার্কস্পেস এবং স্পষ্টতা প্রদান করে, যখন Windows 11 আপনাকে সর্বশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে আপ-টু-ডেট রাখে। এই ল্যাপটপটি মনের শান্তির জন্য এক বছরের ওয়ারেন্টি সহ আসে। |
219 | তথ্য অনুযায়ী একটি বর্ণনা লিখুন:
Samsung Galaxy F34 5G
ভারতে Samsung Galaxy F34 5G এর দাম ₹১২,৯৯৯ থেকে শুরু
বৈশিষ্ট্য
ডুয়াল সিম, 3G, 4G, 5G, VoLTE, Wi-Fi, NFC
Exynos 1280, Octa Core, 2.4 GHz প্রসেসর
6 GB RAM, 128 GB অন্তর্নির্মিত
25W দ্রুত চার্জিং সহ 6000 mAh ব্যাটারি
6.5 ইঞ্চি, 1080 x 2340 px, ওয়াটার ড্রপ নচ সহ 120 Hz ডিসপ্লে
50 MP + 8 MP + 2 MP ট্রিপল রিয়ার এবং 13 MP ফ্রন্ট ক্যামেরা
মেমরি কার্ড (হাইব্রিড), 1 TB পর্যন্ত
অ্যান্ড্রয়েড v13 | Samsung Galaxy F34 5G হল একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন যা শক্তিশালী সংযোগের বিকল্প এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি প্রদান করে।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
- নেটওয়ার্ক এবং কানেক্টিভিটি: এটি ডুয়াল সিম, 3G, 4G, এবং অতি দ্রুত ডেটা গতির জন্য সর্বশেষ 5G সহ বিস্তৃত নেটওয়ার্ক সমর্থন করে৷ LTE নেটওয়ার্কে স্পষ্ট ভয়েস কলের জন্য এতে VoLTE, ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের জন্য Wi-Fi এবং যোগাযোগহীন অর্থপ্রদানের জন্য NFC রয়েছে।
- প্রসেসর এবং পারফরম্যান্স: ফোনটি Samsung এর নিজস্ব Exynos 1280 প্রসেসর দ্বারা চালিত, একটি অক্টা-কোর চিপ, 2.4 GHz ক্লক স্পিড সহ। এটি দৈনন্দিন কাজ এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য মসৃণ কর্মক্ষমতা প্রদান করা উচিত।
- মেমরি এবং স্টোরেজ: এটি মসৃণ অ্যাপ স্যুইচিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য ৬ জিবি র্যাম এবং আপনার অ্যাপ, ফটো, ভিডিও এবং অন্যান্য ফাইলের জন্য ১২৮ জিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সহ আসে। এছাড়াও একটি মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট রয়েছে যা আপনাকে ১ টিবি পর্যন্ত স্টোরেজ প্রসারিত করতে দেয়।
- ব্যাটারি: ফোনটিতে একটি বিশাল ৬০০০ mAh ব্যাটারি রয়েছে, যা একক চার্জে দুর্দান্ত ব্যাটারি লাইফ অফার করবে। এটি ২৫ ওয়াট দ্রুত চার্জিংকেও সমর্থন করে, তাই প্রয়োজনে আপনি দ্রুত ব্যাটারি টপ আপ করতে পারেন।
- ডিসপ্লে: F34 5G-তে একটি ধারালো ১০৮০ x ২৩৪০ পিক্সেল রেজোলিউশনের সাথে একটি বড় ৬.৫-ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং আরও প্রতিক্রিয়াশীল এবং দৃশ্যত আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতার জন্য একটি মসৃণ ১২০ Hz রিফ্রেশ রেট রয়েছে। ডিসপ্লেতে একটি ওয়াটারড্রপ নচ রয়েছে যাতে সামনের দিকের ক্যামেরা রয়েছে।
- ক্যামেরা: ফোনটিতে ৫০ এমপি প্রধান সেন্সর, একটি ৮ এমপিআল্ট্রাওয়াইড সেন্সর এবং একটি ২ এমপি গভীরতা সেন্সর সহ একটি ট্রিপল-লেন্স রিয়ার ক্যামেরা সিস্টেম রয়েছে৷ এই সেটআপটি আপনাকে ভাল মানের ফটো এবং ভিডিও ক্যাপচার করার অনুমতি দেবে৷ সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য এটিতে একটি ১৩ এমপি ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরাও রয়েছে।
- সফ্টওয়্যার: ফোনটি সর্বশেষ Android 13 অপারেটিং সিস্টেমে চলে, যা সর্বশেষ বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতাগুলিতে অ্যাক্সেস প্রদান করে।
সামগ্রিকভাবে, Samsung Galaxy F34 5G 5G সংযোগ, একটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, একটি ভাল ক্যামেরা সিস্টেম এবং সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড সফ্টওয়্যার সহ একটি ভাল বৃত্তাকার মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন খুঁজছেন তাদের জন্য একটি ভাল বিকল্প বলে মনে হচ্ছে। ভারতে ১২,৯৯৯ টাকা এর প্রারম্ভিক মূল্য, এটিকে বাজেট-সচেতন 5G স্মার্টফোন বিভাগে একটি আকর্ষণীয় বিকল্প করে তোলে। |
220 | ১-২টি অনুচ্ছেদে বর্ণনা করুন:
Samsung T5450 2023 সংস্করণ 43 ইঞ্চি ফুল এইচডি স্মার্ট এলইডি টিভি (UA43T5450AKXXL)
Samsung T5450 2023 সংস্করণ 43 ইঞ্চি ফুল HD স্মার্ট LED টিভি (UA43T5450AKXXL) ভারতে দাম ₹২৬,৯৯০ থেকে শুরু।
বৈশিষ্ট্য
32 in, LED টিভি
ফুল এইচডি, 1920 x 1080 পিক্সেল
ওয়াইফাই
আধু নিক টিভি
2 স্পিকার, 20 W আউটপুট
2টি HDMI পোর্ট, 1টি USB পোর্ট
অ্যাপ্লিকেশন এবং গেম সমর্থন করে
পর্দা মিরর | স্যামসুং T5450 2023 সংস্করণ হল একটি ৪৩-ইঞ্চি ফুল এইচডি (১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেল) এলইডি স্মার্ট টিভি যারা বাজেট-বান্ধব বিকল্প খুঁজছেন তাদের জন্য। ভারতে মূল্য ₹২৬,৯৯০ থেকে শুরু, এটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করে৷ এই স্মার্ট টিভি আপনাকে Wi-Fi এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ করতে এবং বিনোদনের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ এবং গেম অ্যাক্সেস করতে দেয়। স্ক্রিন মিররিং কার্যকারিতা সহ, আপনি আপনার সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিভাইসগুলি থেকে বড় স্ক্রিনে ওয়্যারলেসভাবে সামগ্রী ভাগ করতে পারেন৷ এটি সেট-টপ বক্স বা গেমিং কনসোলগুলির মতো বাহ্যিক ডিভাইসগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য দুটি HDMI পোর্ট এবং মিডিয়া প্লেব্যাকের জন্য একটি একক USB পোর্টের সাথে আসে। টিভিতে দুটি বিল্ট-ইন স্পিকার রয়েছে যার মোট আউটপুট ২০ ওয়াট। |
221 | ঠিক দুটি অনুচ্ছেদে নিম্নলিখিত তথ্যের ভিত্তিতে একটি বর্ণনা লিখুন:
ভারতে Voltas WST75UBLSS ৭.৫ কেজি ওয়াশারের দাম ₹৫,৩০০ থেকে শুরু।
~বৈশিষ্ট্য
ওয়াশার
সেমি অটোমেটিক, টপ লোড
৭.৫ কেজি
পালসেটর
প্লাস্টিকের টব
শুধুমাত্র ঘুর্ণন
১ বছর, পণ্যের উপর ব্যাপক ওয়ারেন্টি, মোটরের উপর ৫ বছরের ওয়ারেন্টি | Voltas WST75UBLSS হল একটি বাজেট-বান্ধব ওয়াশিং মেশিন বিকল্প যারা তাদের লন্ড্রির প্রয়োজনের জন্য একটি মৌলিক সমাধান খুঁজছেন। ভারতে মূল্য ৫,৩০০ টাকা থেকে শুরু, এই ৭.৫ কেজি ক্ষমতার ওয়াশারটি একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় টপ লোড মডেল।
এটি একটি পালসেটর ওয়াশিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করে এবং স্থায়িত্বের জন্য একটি প্লাস্টিকের টব বৈশিষ্ট্যযুক্ত। যদিও এটি কাপড় শুকানোর জন্য একটি স্পিন চক্র অফার করে, সেখানে কোন স্বয়ংক্রিয় ধোয়ার চক্র নেই। এই মডেলটি সম্পূর্ণ পণ্যের উপর একটি আদর্শ ১-বছরের ওয়ারেন্টি এবং অতিরিক্ত মানসিক শান্তির জন্য মোটরটিতে একটি আশ্বস্ত ৫-বছরের ওয়ারেন্টি সহ আসে৷ |
222 | দুর্গাপুরের স্থপতি কে? | দুর্গাপুরের স্থপতি জোসেফ অ্যালেন স্টেইন এবং বেঞ্জামিন পোল্ক। ১৯৫৫ সালে এই দুই মার্কিন স্থপতি দুর্গাপুর শহরের পরিকল্পনা করেন। |
223 | কোন এশিয়ান হাইওয়ে ভারতের সঙ্গে কোনকোন দেশের সংযোগ স্থাপন করে? | এশিয়ান হাইওয়ে ১ (AH১) ভারতকে স্থলপথে কোরিয়া, চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরানের, জাপান ও তুরস্কের সাথে সংযুক্ত করে। এশিয়ান হাইওয়ে ১ দুর্গাপুরের মধ্য দিয়ে যায়৷ |
224 | দুর্গাপুরে বাস টার্মিনাস কোথায় আছে? | দুর্গাপুরের রেলওয়ে স্টেশন, প্রান্তিকা এবং সিটি সেন্টারে বাস টার্মিনাস রয়েছে। শহরের মধ্যে, দুর্গাপুর স্টেশন থেকে মিনি বাস চলাচল করে। স্টেশন থেকে প্রান্তিকা, সিটি সেন্টার এবং শহরের মধ্যে অন্যান্য বিভিন্ন রুট হয়ে। এছাড়া বাস টার্মিনাসগুলি থেকে দূরপাল্লার বাসও চলাচল করে। |
225 | দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড কবে শুরু হয়? এটা কি এখনও কার্যকরী? | দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল) দুর্গাপুর শহরের প্রথম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ১৯৫০ এর দশকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৯৬০ সালে এটি চালু হয়। সমগ্র দুর্গাপুর শহর ও আশেপাশের অঞ্চলে ডিপিএল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পায়।
২০১৯ সালে থেকে দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের পশ্চিমবঙ্গ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের 100% মালিকানাধীন। বর্তমানে ডিপিএল-এর আটটি উৎপাদন উনিটের মধ্যে মাত্র দুটি চালু রয়েছে। |
226 | দুর্গাপুরের কিছু বিখ্যাত পর্যটন স্পট কি কি? | দুর্গাপুরের কয়েকটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হল:
- দুর্গাপুর ব্যারেজ: প্রতি বর্ষায় দামোদর নদীর প্রবাহ পরিচালনার জন্য অধুনা বিখ্যাত দুর্গাপুর ব্যারেজ নির্মিত হয়েছিল। এটি দুর্গাপুর এবং বাঁকুড়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
- ভবানী পাঠকের টিলা: ভবানী পাঠকের টিলা দুর্গাপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ভবানী পাঠকের টিলা বর্তমানে সংরক্ষণ আইনের অধীনে একটি ঐতিহাসিক স্থান। এটি শহরের মূল অংশ থেকে দামোদর নদী পর্যন্ত বিস্তৃত।
- রাহরেশ্বর শিব মন্দির: দুর্গাপুরের প্রাচীনতম শিব মন্দিরগুলির মধ্যে একটি, রাহরেশ্বর শিব মন্দিরটিও একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই প্রাচীন মন্দিরটি এক সহস্রাব্দেরও বেশি সময় ধরে সেখানে রয়েছে। এটি ১২০০ সালে মহারাজা বল্লাল সেন দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
- রাম মন্দির: দুরপুরের বিধাননগরের রাম মন্দিরটি একটি সুন্দর স্থাপত্য এবং পরিবেশের জন্য জনপ্রিয়।
- দেউল পার্ক: দেউল পার্ক হল অজয় নদীর তীরে অবস্থিত একটি রিসর্ট। রিসোর্টটি শান্ত এবং শহরের কোলাহল থেকে দূরে আরামদায়ক পরিবেশ প্রদান করে।
- জংশন মল: দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে অবস্থিত, জংশন মল ২০১১ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। মলটির ছয়টি তলা রয়েছে। কেবলমাত্র দুর্গাপুর নয়, জংশন মল পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ও জেলাগুলিতেও জনপ্রিয়।
- শিব শক্তি ধাম: দুর্গাপুরে অন্ডাল বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত একটি সুন্দর মন্দির অবস্থিত। |
227 | খড়্গপুর শহরের নাম কীভাবে হয়? | কথিত যে মল্লভূম রাজবংশের দ্বাদশ রাজা খড়গ মল্লের কাছে বিজিত হওয়ার পরে খড়্গপুর তার নাম লাভ করে। |
228 | শিলিগুড়ির আবহাওয়া কেমন? দুটি বাক্যে উত্তর দাও। | শিলিগুড়ি আর্দ্র উপক্রান্তীয় জলবায়ুর অধীনে পড়ে। এখানে উষ্ণ গ্রীষ্ম, শীতল শীত এবং তীব্র বর্ষা দেখা যায়। |
229 | হলদিয়া কীভাবে রেলপথে সংযুক্ত? | হলদিয়া শহরের রেলওয়ে স্টেশনটি তার প্রতিবেশী অঞ্চলগুলির পাশাপাশি রাজ্য এবং দেশের কয়েকটি অংশকেও সংযুক্ত করে। তবে বেশিরভাগ অন্যান্য সংযোগের জন্য, মেচেদা স্টেশনে যেতে পারেন, যা হলদিয়া থেকে প্রায় ১.৫ ঘন্টা দূরে। এছাড়া হাওড়া স্টেশন বা খড়গপুর স্টেশনেও যাওয়া যায়। |
230 | হলদিয়া টাউনশিপ কোথায় অবস্থিত? | হলদিয়া কলকাতা থেকে প্রায় ১২৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, হলদি নদীর নিকটে অবস্থিত। |
231 | জীবনানন্দ দাশের "কোথাও চলিয়া যাবো একদিন" লেখ। | কোথাও চলিয়া যাবো একদিন
কোথাও চলিয়া যাব একদিন;—তারপর রাত্রির আকাশ
অসংখ্য নক্ষত্র নিয়ে ঘুরে যাবে কতকাল জানিব না আমি;
জানিব না কতকাল উঠানে ঝরিবে এই হলুদ বাদামী
পাতাগুলো-মাদারের ডুমুরের-সোঁদা গন্ধ-বাংলার শ্বাস
বুকে নিয়ে তাহাদের;—জানিব না পরথুপী মধুকূপী ঘাস
কত কাল প্রান-রে ছড়ায়ে রবে— কাঁঠাল শাখার থেকে নামি
পাখনা ডলিবে পেচাঁ এই ঘাসে-বাংলার সবুজ বালামী
ধানী শাল পশমিনা বুকে তার —শরতের রোদের বিলাস
কতো কাল নিঙড়াবে;—আচলে নাটোর কথা ভুলে গিয়ে বুঝি
কিশোরের মুখে চেয়ে কিশোরী করিবে তার মৃদু মাথা নিচু;
আসন্ন সন্ধ্যার কাক-করুণ কাকের দল খোড়া নীড় খুঁজি
উড়ে যাবে;-দুপুরে ঘাসের বুকে সিদুরের মতো রাঙা লিচু
মুখে গুজে পড়ে রবে—আমিও ঘাসের বুকে রবো মুখ গুজি;
মৃদু কাঁকনের শব্দ-গোরোচনা জিনি রং চিনিব না কিছু— |
232 | জীবনানন্দ দাশের "কোথাও চলিয়া যাবো একদিন" কবিতার একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা লেখ। | "কোথাও চলিয়া যাবো একদিন" কবিতায় "নির্জনতম কবি" জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতি ও সৌন্দর্য্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মুগ্ধতার প্রকাশ পায়। কবি একাকী জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে প্রকৃতির কোলে আশ্রয় নিতে চান। তিনি চান কোথাও দূরে চলে যেতে, যেখানে তিনি রাতের আকাশে অগণিত নক্ষত্র দেখতে পাবেন, বাংলার সবুজ মাঠ ও ধানক্ষেত উপভোগ করতে পারবেন। তার কল্পনায় সেখানে তিনি একজন কিশোরী ও কিশোরের মিলনের চিত্র ফুটে ওঠে। প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে ভুলে যাবেন পৃথিবীর কোলাহল—"আমিও ঘাসের বুকে রবো মুখ গুজি"।
অন্যভাবে দেখতে গেলে, এই কবিতায় যেন কালের নিত্যতা এবং জীবনের ক্ষণস্থায়ীতা প্রকাশ পায়। কবি যেন বলতে চান যে তার চিরবিশ্রামের পশ্চাতেও অনন্তকাল ধরে বাংলার সবুজ, মুগ্ধকর, অপরূপ প্রকৃতির শোভা বিদ্যমান থাকবে, সময়ের নিয়মে প্রকৃতি নিজের ছন্দে চলতে থাকবে। |
233 | জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতাটি লেখ। | বনলতা সেন
হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন। |
234 | জীবনানন্দ দাশের লেখা "বনলতা সেন" কবিতার প্রথম স্তবকটি দেওয়া হল:
হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।
প্রশ্ন: এখানে কোন কোন স্থান ও সাগরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে? | উত্তর: জীবনানন্দ দাশের লেখা "বনলতা সেন" কবিতার প্রথম স্তবকে বিভিন্ন স্থান ও সাগরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন:
- স্থান: সিংহল, মালয়, বিদর্ভ, ও নাটোর
- সমুদ্র: সিংহল সমুদ্র ও মালয় সাগর |
235 | কবি জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতার প্রথম স্তবকটি দেওয়া হল। এই স্তবকটির সারাংশ লেখ।
হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন। | "বনলতা সেন" কবিতার প্রথম স্তবকে কবি জীবনানন্দ দাশ তার দীর্ঘ যাত্রার বর্ণনা দেন। কবি হাজার বছর ধরে পৃথিবীর বুকে হেঁটে চলেছেন। তিনি সিংহল সমুদ্র থেকে মালয় সাগর অতিক্রম করেছেন। তার ভ্রমণ তাকে বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে নিয়ে গিয়েছে, তার যাত্রা বিস্তৃত সুদূর বিদর্ভ নগরেও। জীবনের প্রবল সমুদ্রে ঘেরা তিনি এক ক্লান্ত প্রাণ, এই যাত্রায় কেবল নাটোরের বনলতা সেন তাকে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল। |
236 | কবি জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল।
হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি;
এই পংক্তিগুলোয় কি বোঝানো হয়েছে? বিশ্লেষণ কর। | মনুষ্যজীবন ক্ষণস্থায়ী। অন্যদিকে জীবনের চলার পথ প্রায়শই দুরূহ। একজন মানুষ হাজার বাঁচার ধরে হাঁটতে পারেনা। সেই অর্থে কবি যখন বলেন "হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে", তিনি জীবনের দুর্গম পথে চলার তার নিজের অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। অন্যভাবে দেখতে গেলে, এই অভিজ্ঞতা হয়ত কেবল একজন মানুষের নয়, হয়ত এটা সমগ্র মানবজাতির যুগযুগ ধরে জীবনের পথে চলার ক্রমবর্ধমান, সমষ্টিগত অভিজ্ঞতা। তার যাত্রা সিংহল সমুদ্র থেকে মালয় সাগর, বহুদূর বিস্তৃত। তার যাত্রা রাতের অন্ধকারের মাঝে—যেন পথ চলতে চলতে ক্রমশই মানুষ সকল আশার আলো হারিয়ে ফেলে, একটি বৃত্তাকার পথে বারবার ঘুরতে থাকে। সিলভিয়া প্লাথ-এর "আ লাইফ" কবিতার একটি অংশ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে—"A woman is dragging her shadow in a circle"—যেন দুই কবির চিন্তায় কিছুটা মিল রয়েছে।
"বনলতা সেন" কবিতার শুরুর এই অংশটি অনেকগুলি প্রশ্ন প্রকট করে। কেন কেউ হাজার বছর ধরে হেঁটে চলেছে? এই যাত্রার উদ্দেশ্য কি, গন্তব্য কোথায়? এই যাত্রার কি কোন শেষ নেই? এই প্রশ্নগুলির কোন সরাসরি উত্তর হয়ত পাওয়া যাবে না। |
237 | কবি জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল।
বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
এখানে কি বোঝানো হয়েছে? বিশ্লেষণ কর। | উপরোক্ত পংক্তিগুলোর মধ্য দিয়ে কবি জীবনানন্দ দাশের ইতিহাস চেতনা প্রকাশ পায়। কবি ঐতিহাসিক চরিত্র তথা নগরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।
বিম্বিসার প্রাচীন ভারতের রাজা, যার শাসন ও নীতি পরবর্তীকালে মৌর্য্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ভিত্তিভূমি হিসেবে কাজ করে। বিম্বিসার গৌতম বুদ্ধের সমকালীন ও বন্ধু ছিলেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং বিখ্যাত রাজগৃহ নগরী নির্মাণ করেন। ৪৯১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনের লোভে বিম্বিসার তার পুত্র অজাতশত্রুর দ্বারা হত হন। বিম্বিসারের মৃত্যুর আড়াই শতাব্দী পরে, ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ভারতীয় উপমহাদেশে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। চন্দ্রগুপ্তের পরে বিন্দুসার এবং তার পরে তার ছেলে সম্রাট অশোক মগধ সাম্রাজ্য শাসন করেন।
একদা দীপ্তমান বিম্বিসার ও অশোকের রাজসভা আজ অন্ধকারে ঢাকা পরে গেছে। একদা আসমুদ্রহিমাচল বিস্তৃত সাম্রাজ্য কালের স্রোতে ভেসে ইতিহাসের ধূসর পৃষ্ঠায় বন্দি। কবি যেন বলতে চেয়েছেন যে স্থান-কাল-কর্ম-পরাক্রম নির্বিশেষে একদিন সকলের চলার পথ শেষ হবে, সকলেই পৃথিবীর বুকে ফিরে যাবে। কবি যেন ইতিহাসের অতীতে মানবজাতির ভবিষ্যতের আবছা এক প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়েছেন। |
238 | কবি জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতার এই লাইন দুটি বিশ্লেষণ কর।
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন। | জীবনযাত্রা ঠিক যেমন সরলরেখায় চলে না, কবির পৃথিবীভ্রমণও তাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দিশায় নিয়ে গিয়েছে, কখনও স্থলে, কখনও জলে, ইতিহাসের অন্ধকারে ঢাকা সুপ্রাচীন রাজত্বে ও নগরে। এই সুদীর্ঘ যাত্রায় কবি ক্লান্ত। কিন্তু জীবনের নিত্য এই সমুদ্র মন্থনে যেন কেবলই হলাহল উপলব্ধ। শৈশব থেকে কৈশোর থেকে যৌবন—যেন অর্ধায়ু ব্যাতিত, সাংসারিক জালে জর্জরিত এই জীবনে সেই প্রতিশ্রুত অমৃত কোথায়? ঠিক তখনই কবি বনলতা সেন নাম্নী এক রহস্যময়ীর পরিচয় দেন।
এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা উদ্ধৃত করা যেতে পারে:
বহু দিন ধ'রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।
অর্থাৎ যদিও আমরা প্রায়শই দূরদূরান্তে সৌন্দর্য্যের সন্ধানে যাই, অনেক সময় ঘরের কাছে, চোখের সামনের সৌন্দর্য্য অদেখা রয়ে যায়। "রূপসী বাংলার কবি" জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতায় যেন তেমনই একটা ভাবাবেগ ফুটে উঠেছে।
কবি যখন দূরদূরান্তে দীর্ঘ যাত্রার ফলে ক্লান্ত, তখন তার নিজের বাংলাদেশের নাটোরের বনলতা সেন তাকে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল। অর্থাৎ বহির্বিশ্বে তিনি যা খুঁজে পাননি, তিনি তা পেয়েছেন তার সুপরিচিত সবুজ বাংলায়। কবিতার শুরুতে জীবনানন্দ দাশ যেন তার পাঠককে একটা অ্যাডভেঞ্চারে নিয়ে গিয়েছিলেন, যেন পাঠককে এক বিমূর্ততার জালে আছন্ন করেছিলেন। কিন্তু স্তবকের শেষে তিনি পাঠককে একটি কংক্রিট চিত্র উপহার দিয়েছেন—বনলতা সেন—যেন বহুদিনের চেনা পরিচিত পাড়া বা প্রতিবেশী পাড়ার কোন এক রমণী।
অথচ এখানে কবিতার শেষ নয়! শেষ নয় কবির যাত্রার। বনলতা সেন কবিকে মাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য শান্তি প্রদান করেছেন। একটি জাহাজ বিধ্বস্ত নাবিক যেমন তৎ খুঁজে পেলে খুশিতে, আনন্দে আপ্লুত হয়—কবিও যেন ঠিক তেমনই এক আবেগ অনুভব করেছেন। আবার ঠিক যেমন তৎ সেই হারিয়ে যাওয়া নাবিকের গন্তব্য নয়, সাময়িক বিরাম মাত্র, ঠিক তেমনই কবি যেন বোঝাতে চেয়েছেন যে বনলতা সেনের সাথে তার সাক্ষাৎও সম্ভবত ক্ষনিকের জন্য। |
239 | কবি জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতার এই লাইন দুটি বিশ্লেষণ কর।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; | "রূপসী বাংলার কবি" জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতায় প্রকৃতি ও নারীর সৌন্দর্য্যের অভিন্নতা খুঁজে পাওয়া যায়। বনলতা সেনের নান্দনিক সৌন্দর্য্য যেন ইতিহাসে আবৃত। মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত কাব্যে ঐতিহাসিক বিদিশা নগরীর উল্লেখ মেলে। বনলতা সেনের ঘন লম্বা কেশরাশি যেন সেই সুপ্রাচীন বিদিশা নগরীর অন্ধকার রাত্রির মতন কালো।
প্রাচীন কোশল রাজ্যের এক বিখ্যাত নগরী ছিল শ্রাবস্তী। গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে এই নগরীর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। শ্রাবস্তী তার কারুকার্যের জন্য বিখ্যাত ছিল, ভগ্নস্তূপে কিছু প্রাচীন দেওয়াল আজও দেখা যায়। আর সেই প্রাচীন শ্রাবস্তীর নিখুঁত কারুকার্যের মতনই সুন্দর বনলতা সেনের মুখমণ্ডল। সেই সৌন্দর্য্য যেন কালাতীত। সেই সৌন্দর্য্যে যেন সকলেই মুগ্ধ হয়।
বর্তমানে বিদিশা ও শ্রাবস্তী সম্পর্কে অনেকেই বিস্মৃত। অতএব কবিতার এই উপমাদুটির মাধ্যমে বনলতা সেনের রূপের এক রহস্যময় গভীরতা প্রকাশ পায়। |
240 | "বনলতা সেন" কবিতার এই অংশটি বিশ্লেষণ কর।
অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন। | উপরোক্ত পংক্তিগুলিতে কবি বনলতা সেনের সাথে তার সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা বর্ণনা অব্যাহত রাখেন।
হাজার বছরের যাত্রায় তিনি ক্লান্ত। সমুদ্রপথে ভ্রাম্যমাণ এক নাবিক, দীর্ঘ সফরের পারে যার জাহাজের হাল ভেঙে গেছে, যে দিশেহারা—কবির অবস্থাও ঠিক তেমনটাই। সেই দিকভ্রষ্ট, সর্বহারা, ছিন্নমূল নাবিকের চোখে একদিন যখন হঠাৎ স্থলরেখা ধরা পরে, যখন সে একদিন সবুজ ঘাসে পরিপূর্ণ এক আশ্চর্য্যজনক দারুচিনি দ্বীপ আবিষ্কার করে, তখন তার মন আনন্দে, উল্লাসে, আবেগে ভরে ওঠে। এক অন্ধকার রাতে বনলতা সেনের সাথে দেখা হওয়ার পরে কবির মনও যেন সেই নাবিকের ন্যায় উদ্ধারলাভের অনুভূতিতে নিমজ্জিত।
রহস্যময়ী সেই মানবী যেন কবির উদ্ধারকত্রি, যেন গভীর আঁধার থেকে কবিকে টেনে ডাঙায় তুলে নিয়ে এসেছেন। তার চোখে পাখির নীড়ের মতনই সরলতায় পূর্ণ। দিকভ্রষ্ট পাখিদের কাছে তাদের বাসা যেমন বাতিঘর, কবিও যেন ঠিক তেমন ভাবে বনলতা সেনের দৃষ্টিছায়ায় উদ্ধারলাভ করেছেন। দৃষ্টিপাতে সেই রহস্যময়ী কবিকে প্রশ্ন করেন—এতদিন কোথায় ছিলেন? কিন্তু পরক্ষণেই কবি যেন টের পান, ইনি তো কোন অপরিচিতা, রহস্যময়ী নন, ইনি তো নাটোরের বনলতা সেন! |
241 | জীবনানন্দ দাশ রচিত "বনলতা সেন" কবিতার শেষ স্তবকটি নিচে দেওয়া হল। এই অংশটি বিশ্লেষণ কর।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন। | মানুষের জীবনে সন্ধ্যা ঘনায়, যৌবন অতিক্রম করে বার্ধক্য আসে। জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতার শেষ স্তবকটির প্রতিটি পংক্তিতে সেই আসন্ন অন্ধকারের, অবসাদের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়।
রাত্রি আসে চোখের পলকে, শিশিরের মতন নিঃশব্দে। চিল তার ডানা থেকে রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে, যেন উষ্ণতা গোধূলির ধূসর অন্ধকারে হারিয়ে যায়। অবিরাম আকাশে উড়ে বেড়ানোর সমাপ্তি ঘটে। একদিকে সেই ঘুরে বেড়ানোয় আছে মুক্তি। মুক্তি সাংসারিক জীবন থেকে, অসুখী দাম্পত্যজীবন থেকে, বা অর্থ ও কর্মহীনতা থেকে। অন্যদিকে সেই অবিরাম যাত্রায় কষ্ট ও ক্লান্তিও ও আছে। বাসায় ফেরার এক উষ্ণটাও আছে।
সহস্রকাল ধরে পৃথিবীর বুকে মানুষ তার গল্প লিখে যাচ্ছে। একে একে স্তূপীভূত পাণ্ডুলিপির ভিড়ে গল্পের রং ফিকে হয়ে যায়। যুগযুগান্তর পরে স্মরণ করলে যেন সেই গল্পগুলো জোনাকির মতন ঝিলমিল করে জ্বলে ওঠে। দিনের শেষে যেমন সব পাখি বাসায় ফেরে, তেমনই সব গল্পেরও শেষ আছে। হিমবাহ হতে উৎপন্ন নদী আজীবন যাত্রার শেষে সমুদ্রে গিয়ে থামে। পার্থিব সববস্তুর লেনদেনই একদিন স্তব্ধ হয়—কেবল কালের অধরা অন্ধকার রয়ে যায়। কবি জানেন যে বনলতা সেনের সাথে তার ক্ষণিকের মিলনও মুছে যাবে। আসন্ন আঁধারে কবি হারিয়ে যাবেন, তার সময় শেষ হবে। আর হয়ত সময়ের ওপারে গিয়ে সুযোগ হবে বনলতা সেনেই সাথে মুখোমুখি বসবার, প্রাণ খুলে কথা বলার, অনন্তকাল ধরে কথা কথা বলার, সেই পাখির বাসার মতন চোখের উষ্ণতায় স্নাত হওয়ার।
একদিকে হয়ত এখানেই কবিতার ইতি। অন্যদিকে হয়ত এটি কবির হাজার বছরের যাত্রার আরেকটি দিনমাত্র। হয়ত আগামীকাল এই যাত্রা পুনরায় শুরু হবে। পাঠকের কাছে এর উত্তর নেই। পাঠক কেবল "দিনের শেষে ঘুমের দেশে"-র আঁধারে, এক অনিশ্চয়তা ও বিষন্নতায় হারিয়ে যান। |
242 | জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতায় surrealism বা পরাবাস্তবতার কিছু উদাহরণ দাও। | ১৯২০ সালে আন্দ্রে ব্রেটনের হাত ধরে পরাবাস্তববাদের উৎপত্তি। পরাবাস্তববাদের মূল লক্ষ্য হল সচেতন এবং অচেতন মনের দ্বন্দ্বগুলি অতিক্রম করা, যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা এবং বাস্তবতাকে প্রত্যাখ্যান করা, অবচেতন মনে যা লুকিয়ে আছে তা অন্বেষণ করা।
জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতায় surrealism বা পরাবাস্তবতার একাধিক দৃষ্টান্ত দৃশ্যমান, যেমন:
- "বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে/সেখানে ছিলাম আমি"
- "চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,"
- "মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য"
- "ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;"
- "পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন"
- "থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।"
প্রথম তিনটি উদাহরণে কবি নিজেকে হারানো, বিস্মৃত সভ্যতার মাঝে খুঁজে পেয়েছেন। বাস্তবে বা কোন যুক্তিসঙ্গত মানুষের কাছে এটা সম্ভব নয়। তেমনই অন্যান্য উদাহরণগুলিতে—রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলা, পৃথিবীর রং নিভে পাণ্ডুলিপি হওয়া ও অন্ধকারে মুখোমুখি বসা—অস্বাভাবিক চিত্রকল্প ও অযৌক্তিকতার প্রকাশ পায়।
আরও বিস্তার তথ্যের জন্য, এই গবেষণাপত্রটি দেখুন:
Jahan, S. (2018). Reading Jibanananda Das's "Banalata Sen" from a surrealistic perspective. IIUC Studies, 13, 83–92. https://doi.org/10.3329/iiucs.v13i0.37648 |
243 | কবি জীবনানন্দ দাশের কাব্যবৈশিষ্ট্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি বলে আখ্যায়িত করেছিলেন? সঠিক উত্তরটি লেখ।
ক) চিত্ররূপময়
খ) চিত্রকল্পময়
গ) নিসর্গচিত্রিত
ঘ) নির্জনতাময় | সঠিক উত্তরটি হল: ক) চিত্ররূপময়। |
244 | জীবনানন্দ দাশকে "নির্জনতম কবি" আখ্যা কে দিয়েছিলেন? সঠিক উত্তরটি লেখ।
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (খ) বুদ্ধদেব বসু (গ) প্রেমেন্দ্র মিত্র (ঘ) বিষ্ণু দে | সঠিক উত্তরটি হল: (খ) বুদ্ধদেব বসু। |
245 | ১৮৯৯ সালে জীবনানন্দ দাশ ছাড়াও আরেকজন কবি জন্মগ্রহন করেন, তিনি কে? প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নাও।
(১) সুকান্ত ভট্টাচার্য
(২) মহাকবি কালিদাস
(৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(৪) কাজী নজরুল ইসলাম | সঠিক উত্তর হল: (৪) কাজী নজরুল ইসলাম। |
246 | বনলতা সেন কবিতায় কতদিন ধরে পথ হাঁটছেন? প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নাও।
(১) একশ দিন (২) হাজার দিন (৩) একশ বছর (৪) হাজার বছর | সঠিক উত্তর হল: (৪) হাজার বছর। |
247 | জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতার দ্বিতীয় স্তবকটির লাইন নিচে ভিন্ন বা ভুল ক্রমে উপস্থাপন করা হয়েছে। সঠিক ক্রমে সাজিয়ে স্তবকটি লিখুন।
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন। | জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতার দ্বিতীয় স্তবকটি নিচে সঠিক ভাবে লেখা হল:
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন। |
248 | জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতা কোন কোন আলোর উৎসের কথা বলা হয়েছে? | "বনলতা সেন" কবিতায় দুটি আলোর উৎসের সন্ধান মেলে:
- "ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;": সূর্য্যের আলো
- "তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল": জোনাকির টিমটিম আলো |
249 | জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতায় কোন কোন শহর বা নগরীর কথা বলা হয়েছে? | প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, পরাবাস্তবতা ও ইতিহাস চেতনার পাশাপাশি "বনলতা সেন" কবিতায় জীবনানন্দ দাশের ভূগোল চেতনারও নিদর্শন মেলে। কবিতায় প্রাচীন ও বর্তমানের একাধিক দেশ, শহর বা নগরীর কথা বলা হয়েছে যথা:
- সিংহল বা বর্তমানের শ্রী লংকা
- বিদর্ভ নগর
- বাংলাদেশের নাটোর
- বিদিশা
- শ্রাবস্তী
এছাড়াও বিম্বিসার ও অশোক প্রসঙ্গে পরোক্ষভাবে প্রাচীনকালের কোশল ও মগধ রাজ্যের উল্লেখ মেলে। |
250 | জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতায় কোন কোন রঙের উল্লেখ পাওয়া যায়? | জীবনানন্দ দাশের লেখা "বনলতা সেন" কবিতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন রঙের উল্লেখ পাওয়া যায়, যেমন:
- "বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে" অর্থাৎ ধূসর রং
- "চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন" অর্থাৎ ফেনার সাদা রং
- "সবুজ ঘাসের দেশ"—এখানে সবুজ রং প্রতক্ষভাবে উল্লেখিত
- "পৃথিবীর সব রং"—এখানে সকল রঙের কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট রঙের কথা বলা হয়নি |
251 | বনলতা সেন কবিতায় কটা স্তবক ও পংক্তি আছে? | জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতায় তিনটি স্তবক আছে। প্রত্যেকটি স্তবকে ছয়টি পংক্তি আছে। অর্থাৎ কবিতায় মোট ১৮টা পংক্তি আছে। |
252 | বনলতা সেন কথাটা থাকেন? সঠিক উত্তরটি বেছে নিন।
(ক) বিদিশা (খ) নাটোর (গ) শ্রাবস্তী (ঘ) বৈশালী | সঠিক উত্তরটি হল: (খ) নাটোর |
253 | "বনলতা সেন" কবিতায় বনলতা সেনের নাম কতবার উল্লেখ করা হয়েছে? কোন কোন লাইনে? | "বনলতা সেন" কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ বনলতা সেনের নাম তিনবার উল্লেখ করেছেন। এই লাইনগুলি হল:
- প্রথম স্তবকের শেষ লাইন: "আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।"
- দ্বিতীয় স্তবকের অন্তিম পংক্তি: "পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।"
- তৃতীয় তথা অন্তিম স্তবকের শেষ লাইন: "থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।" |
254 | জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতায় কিছু সাধু ভাষার প্রয়োগ দেখা যায়। এটা যদি চলিত ভাষায় লেখা হত তাহলে কেমন দেখাত? | যেকোন কবিতার শব্দচয়ন অতি গুতুত্বপূর্ণ। শব্দচয়ন কবিতার অর্থ ও ছন্দ নির্ধারণ করে। একজন কবি গভীর চিন্তাভাবনার পরে তার কবিতা লেখেন। জীবনানন্দ দাশের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য, যিনি প্রায়শই কবিতার খসড়া সংশোধন করতেন। অতএব, কবিতার কথা বদলানো বুদ্ধিমান পদক্ষেপ নয়।
তবুও যুক্তির খাতিরে যদি নিতান্তই চলিত ভাষায় রূপান্তরিত করা হয়, তাহলে কবিতাটি খানিকটা এইরকম দেখতে হতে পারে।
হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হেঁটেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমাকে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারিয়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তাকে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসার বনলতা সেন। |
255 | বনলতা সেনের সৌন্দর্য্য বর্ণনা করতে কি কি উপমা ব্যবহার করা হয়েছে? বুলেট পয়েন্টের একটা তালিকা হিসাবে দেখান। | "বনলতা সেন" কবিতায় জীবনানন্দ দাশ একাধিক উপমা ব্যবহার করে বনলতা সেন নাম্নী রহস্যময়ী মানবীর সৌন্দর্য্য বর্ণনা করেছেন। এগুলি হল:
- চুল: বনলতা সেনের চুল বিদিশার নগরীর রাত্রির অন্ধকারের মতনই কালো
- মুখ: তার মুখের গঠন শ্রাবস্তীর বিখ্যাত কারুকার্যের মতনই অনুপম
- চোখ: তার চোখ পাখির শান্ত, উষ্ণ, অভয়দায়ক আশ্রয় |
256 | "আঠারো বছর বয়স" কবিতায় কটা স্তবক ও পংক্তি আছে? | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের "আঠারো বছর বয়স" কবিতায় ৮টা স্তবক আছে। প্রতি স্তবকে ৪টা পংক্তি আছে। অর্থাৎ কবিতায় মোট ৩২টা লাইন আছে। |
257 | "হে মহাজীবন" কবিতায় কটা স্তবক ও পংক্তি আছে? | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা "হে মহাজীবন" কবিতায় একটি স্তবক আছে। স্তবকটিতে ৮টা লাইন আছে। |
258 | "সোনার তরী" কবিতায় কতগুলো লাইন ও স্তবক আছে? | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা "সোনার তরী" কবিতায় ৬টি স্তবক আছে। প্রতি স্তবকে ৭টা লাইন আছে। অর্থাৎ কবিতায় মোট ৪২টা লাইন আছে। |
259 | নীচের টেবিলে কয়েকজন কবি এবং কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের নাম দেওয়া হয়েছে। তথ্যগুলি এমনভাবে সাজান যাতে টেবিলের প্রতিটি সারি কবি ও কাব্যগ্রন্থের সঠিক জুটি দেখায়।
| কবি | কাব্যগ্রন্থ |
| :-------- | :------- |
| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | ছাড়পত্র |
| কাজী নজরুল ইসলাম | উলঙ্গ রাজা |
| সুকান্ত ভট্টাচার্য | অগ্নিবীণা |
| নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | রূপসী বাংলা |
| জীবনানন্দ দাস | সোনার তরী | | অবশ্যই! নিচের টেবিলে কবি ও কাব্যগ্রন্থের সঠিক জুটি দেখান হল:
| কবি | কাব্যগ্রন্থ |
| :-------- | :------- |
| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | সোনার তরী |
| কাজী নজরুল ইসলাম | অগ্নিবীণা |
| সুকান্ত ভট্টাচার্য | ছাড়পত্র |
| নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | উলঙ্গ রাজা |
| জীবনানন্দ দাস | রূপসী বাংলা | |
260 | "উলঙ্গ রাজা" কবিতাটি কার লেখা? | "উলঙ্গ রাজা" কবিতাটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা। কবিতাটি "উলঙ্গ রাজা" নামক কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। |
261 | "উলঙ্গ রাজা" কোন ধরনের কবিতা? এর বিষয়বস্তু কি? অতিসংক্ষেপে উত্তর দিন। | "উলঙ্গ রাজা" কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা একটি সামাজিক কবিতা। এই কবিতায় "The Emperor's New Clothes" গল্পটি অন্যভাবে বর্ণিত করা হয়েছে এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তুলে ধরা হয়েছে।
এক আশ্চার্য্যজনক পোশাক পড়ে রাজা রাজপথে ভ্রমণে বেড়িয়েছেন। মন্ত্রী, সভাসদ, আমজনতা থেকে বুদ্ধিজীবী সকালেই রাজা ও তার অদ্ভুত পোশাক দেখে সাধু সাধু রব তুলেছেন। হাততালি দিয়ে সকলেই তাদের বিস্ময় ও আনন্দ প্রকাশ করছেন। অথচ কেউই বাস্তবস্থা রাজার নিকট প্রকাশ করছেন না—রাজা উলঙ্গ, তার পরনে কোন কাপড় নেই! না বলার কারণ অনেক—ভীতি, সংস্কার, স্বীয় চিন্তাভাবনার পরিত্যাগ, স্তাবকতা, কৃপাপ্রাথনা, এবং আরো অনেককিছু। কেবল একটি সরল, নিষ্পাপ শিশু নির্ভয়ে, জোর গলায় বলতে পারে,"রাজা, তোর কাপড় কোথায়?" দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমান সমাজে সেই শিশুটির দেখা মেলে না। |
262 | "উলঙ্গ রাজা" কবিতায় কটি স্তবক ও লাইন আছে? | "উলঙ্গ রাজা" কবিতায় ৪টি স্তবক আছে। প্রথম স্তবকে ১০টি লাইন আছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তবকে যথাক্রমে ৭টি ও ৬টি লাইন আছে। অন্তিম স্তবকে ১৪টি লাইন আছে। অর্থাৎ কবিতায় মোট ১০ + ৭ + ৬ + ১৪ = ৩৭টি লাইন। |
263 | এবার আমাদের পাড়ায় দূর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিন লাঞ্চ অর্থাৎ মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছি। এর উপযুক্ত মেনু কি হতে পারে বলতে পারবেন? | পাড়ার দূর্গাপুজোয় মধ্যাহ্নভোজন খুবই আনন্দদায়ক। নিচে তিনদিনের সম্ভাব্য মেনু প্রস্তাব করা হল। আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
- সপ্তমী: খিচুড়ি, বেগুনি, বাঁধাকপির তরকারি, টমেটোর চাটনি, পাঁপড় ও মিষ্টি
- অষ্টমী: লুচি, ছোলার ডাল, আলুরদম, বোঁদে, আনারসের চাটনি ও মিষ্টি
- নবমী: ভাত, মুগের ডাল, আলুপোস্ত, পনির, টমেটোর চাটনি, পাঁপড় ও আইসক্রিম |
264 | নবমীর দিন মধ্যাহ্নভোজের মেনু কি হতে পারে? আমিষ ও নিরামিষ দুটোই লাগবে। | অবশ্যই। দূর্গাপুজোয় নবমীর মধ্যাহ্নভোজনের সম্ভাব্য মেনু প্রস্তাব করা হল। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
- নিরামিষ মেনু: গরম ভাত, ঘি, আলু ভাজা, মুগের ডাল, আলু পোস্ত, ধোকার ডালনা, টমেটোর চাটনি, পাঁপড় ও মিষ্টি
- আমিষ মেনু: গরম ভাত, ঘি, আলু ভাজা, মুগের ডাল, আলু পোস্ত, চিকেন কারি, টমেটোর চাটনি, পাঁপড় ও মিষ্টি
ধোকার ডালনা ও চিকেন কারি ছাড়া আমিষ ও নিরামিষ মেনুতে একই আইটেম রয়েছে। তাছাড়া অনেকে মাছ পছন্দ করেন। আপনি চাইলে চিকেন কারির পরিবর্তে মাছের ঝোল ও যোগ করতে পারেন। |