instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 230
19.6k
| output
stringlengths 40
405
|
---|---|---|
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | দুটি দুর্ঘটনার পর ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন বন্ধ রয়েছে। দুটো বিমান দুর্ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরেও বোয়িং কোম্পানি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি অব্যাহত রেখেছিল। প্রতিষ্ঠানটি এখন জানিয়েছে আগামী জানুয়ারি মাসে তারা উৎপাদন বন্ধ রাখবে। ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৩০০'র বেশি যাত্রী নিহত হয়। বোয়িং আশা করেছিল যে চলতি বছরের শেষের দিকে এই বিমান আবারো উড্ডয়ন করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এটা পরিষ্কার করে বলেছিল যে এতো তাড়াতাড়ি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমানকে পুনরায় সনদ দেয়া হবে না। সিয়াটলে অবস্থিত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক। বোয়িং কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানকে নিরাপদে আকাশে ফিরেয়ে আনার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।" গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে বলা হয়েছিল যে ইথিওপিয়ায় প্রথম দুর্ঘটনার পর আরো একটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির এক বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে, বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেল বিমানের ডিজাইনে যদি পরিবর্তন না করা হয় তাহলে এর মেয়াদকালে এক ডজনেরও বেশি বিমান বিধ্বস্ত হতে পারে। কিন্তু তারপরেও ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ইথিওপিয়ায় দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটার আগে পর্যন্ত ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ করা হয়নি। ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি বন্ধ রাখার কারণে এরই মধ্যে সংস্থাটি নয় বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত সোমবার বোয়িং-এর শেয়ারের দাম ৪% পর্যন্ত পড়ে গেছে। বোয়িং বলছে, তাদের কাছে ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের ৪০০ উড়োজাহাজ জমা রয়েছে। এসব উড়োজাহাজ ক্রেতাদের কাছে তুলে দেবার বিষয়টিতে তারা বেশি মনোযোগ দেবে। বিশ্বের বহু এয়ারলাইন্স ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজের জন্য বোয়িং-এর কাছে অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু সেগুলো ক্রেতাদের কাছে সেসব উড়োজাহাজ তুলে দেয়া হয়নি, কারণ বোয়িং-এর প্রকৌশলীরা ম্যাক্স ৭৩৭ উড়োজাহাজের সফটওয়্যার ঠিক করছেন। আরো পড়ুন: অগ্নিকাণ্ড: নজর শুধু গার্মেন্টসে, বাকি সব উপেক্ষিত বিক্ষোভের জন্য মুসলিমদের প্রতি ইঙ্গিত নরেন্দ্র মোদির পিজ্জা খাবার পর ক্যালোরি কমাতে কতক্ষণ হাঁটতে হবে? নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত আসামের যেসব হিন্দু-মুসলিম | Boeing will temporarily halt production of its troubled 737 Max airliner in January, the manufacturer said. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | তিনি জীবনের সাতটি দশক কাটিয়েছেন তাঁর স্ত্রী, যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছায়ায়। তবে তাঁর ছিল এমন এক ব্যক্তিত্বের ছটা, যে কারণে তাকে কেবল একজন স্বামী বলে বর্ণনা করা ঠিক হবে না। ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের পেছনের এই লোকটি কে, এবং কীভাবে তিনি রানিকে বিয়ে করেছিলেন? স্বামী, কিন্তু রাজা কখনোই নন প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো: ডিউক, যিনি প্রিন্স ফিলিপ নামেও পরিচিত ছিলেন, কখনোই আসলে রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারের লাইনে ছিলেন না। তাঁর বড় ছেলেই রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী। প্রিন্স ফিলিপ কখনোই রাজার উপাধি ধারণ করেন নি। এর কারণ, যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, একজন নারী যদি রাজাকে বিয়ে করেন, তিনি আলংকারিকভাবে রানি উপাধি পান, কিন্তু একজন পুরুষ যখন সিংহাসনে থাকা রানিকে বিয়ে করেন, তিনি কখনো রাজার উপাধি ব্যবহার করতে পারেন না। যিনি সিংহাসনে আসীন সত্যিকারের রাজা, এই উপাধি কেবল তার। রানি এবং প্রিন্স ফিলিপের চার সন্তান: প্রিন্স চার্লস (৭২), প্রিন্সেস অ্যান (৭০), প্রিন্স এ্যান্ড্রু (৬১) এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড (৫৭)। এই চারজন যখন তরুণ ছিলেন, তখন প্রিন্স ফিলিপের ইচ্ছেটাই বেশিরভাগ সময় প্রাধান্য পেত, যেটা তারা নিজেরাই বলেছেন। রাজপরিবারের জীবনীকার ইংগ্রিড সেওয়ার্ড প্রিন্স এ্যান্ড্রুকে উদ্ধৃত করে বলেন, তাদের শৈশবে তারা দরদ শিখেছেন রানির কাছ থেকে, আর দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা শিখেছেন প্রিন্স ফিলিপের কাছ থেকে। তবে প্রিন্স এ্যান্ড্রু একথাও মনে করতে পারেন, কিভাবে তাদের বাবা তাদের ঘুম পাড়ানোর আগে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতেন, অথবা বাচ্চারা যখন রুডইয়ার্ড কিপলিং এর 'জাস্ট সো স্টোরিজ' পড়তো, সেটা শুনতেন। যে দীর্ঘজীবন তিনি পেয়েছিলেন, সেই সময়কালে তিনি তার আট নাতি-নাতনিকে বেড়ে উঠতে দেখেছেন, দশ জন প্রপৌত্র-প্রপৌত্রীর জন্ম দেখেছেন। কোথায় তার জীবন শুরু হয়েছিল? প্রিন্স ফিলিপের জন্ম ১৯২২ সালের ১০ই জানুয়ারী গ্রিসের এক দ্বীপ কর্ফুতে। তিনি ছিলেন গ্রীসের প্রিন্স এ্যান্ড্রু এবং ব্যাটেনবার্গের প্রিন্সেস এলিসের কনিষ্ঠতম সন্তান এবং একমাত্র পুত্র। বাবা-মায়ের দিকের এই বংশধারার ফলে তিনি ছিলেন একইসঙ্গে গ্রিস এবং ডেনমার্কের রাজকুমার। কিন্তু এর পরের বছরেই গ্রিসে এক অভ্যুত্থানের পর তাদের পরিবার সেদেশ থেকে বিতাড়িত হয়। গ্রিস থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর প্রিন্সেস অ্যালিসের সঙ্গে শিশু প্রিন্স ফিলিপ একটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ তাদের নিরাপদে ইতালি নিয়ে যায়। ফল রাখার এক বাক্সের মধ্যে তৈরি করা বিছানায় বহন করা হয় শিশু ফিলিপকে। কীভাবে তিনি বেড়ে উঠেছেন? ফিলিপের শৈশব ছিল কিছুটা ছন্নছাড়া, একের পর এক বিয়োগান্তক ঘটনার পরিণামে। ১৯৩০ সালে, যখন তার বয়স মাত্র ৮ বছর, তখন তার মাকে মানসিক রোগীদের এক চিকিৎসা কেন্দ্রে রাখা হয়, কারণ তার একের পর এক নার্ভাস ব্রেকডাউন হচ্ছিল। এর পরবর্তী বছরগুলোতে ফিলিপ তার বাবা-মাকে কমই দেখেছেন। তার বাবা এক প্রেমিকাকে নিয়ে চলে যান ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরাতে। তাঁর মায়ের দিকের আত্মীয়রা এসময় ফিলিপের লালন-পালনের দায়িত্ব নেন। পরে তিনি তাদের মাউন্টব্যাটেন নামই যুক্ত করেন নিজের নামের শেষে। ব্যাটেনবার্গ নামটিই ইংরেজিতে হয়ে যায় মাউন্টব্যাটেন। তার কৈশোর কেটেছে স্কটল্যাণ্ডের এক বোর্ডিং স্কুলে। এটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান শিক্ষক ছিলেন ইহুদী শিক্ষাব্রতী কার্ট হান। নাৎসীদের নিন্দা করায় জার্মানি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই স্কুলটি ফিলিপের জীবনকে একটা ছাঁচের মধ্যে নিয়ে আসলো, তাকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করলো। স্কুলের নিয়মকানুন ছিল বেশ কড়া। সকালে ঘুম থেকে উঠতে হতো বেশ তাড়াতাড়ি এবং উঠেই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় স্নান করতে হতো। এরপর দৌড়ের মতো নানা রকম শরীরচর্চা। প্রধান শিক্ষক কার্ট হানের ধারণা ছিল, বয়ঃসন্ধিকালের "বিষাক্ত আবেগ" ঠেকাতে এটা খুব প্রয়োজন। স্কটল্যাণ্ডের যে বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছেন প্রিন্স ফিলিপ ১৯৩৭ সালে প্রিন্স ফিলিপের চার বোনের একজন, সিসিল এক বিমান দুর্ঘটনায় তার জার্মান স্বামী, শাশুড়ি এবং দুই সন্তান সহ মারা যান। সিসিল তার কিছু আগে নাৎসী পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন, যে দলটি পুরো জার্মান রাষ্ট্র পুরোপুরি তাদের কব্জায় নিয়ে গেছে। ফিলিপের বয়স তখন ১৬ বছর। ডার্মস্ট্যাড শহরের রাস্তা দিয়ে তার বোনের কফিনের পেছনে যখন তিনি হাঁটছিলেন, তখন দুপাশের জনতা 'হেইল হিটলার' স্যালুট দিচ্ছিল। প্রিন্স ফিলিপ পরে এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, তখন আসলে এটাই ঘটেছিল। "আমাদের পরিবার ভেঙে গেছে, আমার মা ছিলেন অসুস্থ, আমার বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে, এবং আমার বাবা তখন ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে। আমাকে এই সবকিছু মেনে নিতে হচ্ছিল।" ফিলিপের সঙ্গে রানির প্রণয় হলো কিভাবে? প্রিন্স ফিলিপ যখন স্কুল ছাড়লেন, তখন ব্রিটেনের সঙ্গে জার্মানির যুদ্ধ শুরু হওয়ার উপক্রম। তিনি ডার্টমুথের রয়্যাল নেভাল কলেজে যোগ দিলেন। সেখানে তিনি তার ক্লাসের সেরা ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করলেন। ১৯৩৯ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জ যখন সেখানে এক সরকারি সফরে গেলেন, তখন প্রিন্স ফিলিপের ওপর দায়িত্ব পড়লো রাজার দুই মেয়ে, প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্সেস মার্গারেটের দেখাশোনা করার। তাদের গভর্নেস মেরিয়ন ক্রফোর্ড পরে তার স্মৃতিচারণে বলেছেন, তখন প্রিন্স ফিলিপ নিজেকে বেশ একটু জাহির করছিলেন। ১৩ বছর বয়সী প্রিন্সেস এলিজাবেথের মনে তিনি বেশ ভালো ছাপ রাখতে সক্ষম হন। গর্ডনস্টাউন স্কুলে প্রিন্স ফিলিপের এক বিরল ছবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রিন্স ফিলিপ বেশ কৃতিত্বের সঙ্গে লড়াই করেন। তিনি ভারত মহাসাগরে প্রথম বারের মতো লড়াই প্রত্যক্ষ করেন। ১৯৪২ সালের অক্টোবরে তার বয়স যখন মাত্র ২১ বছর, তখন তিনি রাজকীয় নৌবাহিনীর কনিষ্ঠতম এক ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট। কিশোরী রাজকুমারী এলিজাবেথ এবং নৌবাহিনীর অফিসার ফিলিপের মধ্যে পত্র-যোগাযোগ ছিল। ১৯৪৩ সালের ক্রিসমাসের সময়টা প্রিন্স ফিলিপ রাজপরিবারের সঙ্গে কাটান। এসময় রাজকুমারী এলিজাবেথের টেবিলে শোভা পাচ্ছিল প্রিন্স ফিলিপের ইউনিফর্ম পরা ছবি। এর মাধ্যমে যেন তিনি তার মনের পছন্দ তুলে ধরছিলেন। কিন্তু রাজপরিবারের অনেকের মধ্যে সংশয় ছিল। অনেকে অবজ্ঞাভরে বলছিল, "প্রিন্স ফিলিপ বেশ রুক্ষ, ব্যবহার জানে না, অশিক্ষিত এবং সে স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে না।" তবে প্রিন্স ফিলিপের জীবনীকার ফিলিপ এইডের মতে, ১৯৪৬ সালে যেসব চিঠি প্রিন্স ফিলিপ লেখেন, তাতে একজন উৎসাহী তরুণ যেন জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পেয়েছেন এমন ধারণাই পাওয়া যায়। তিনি তার ভাবী শাশুড়িকে লিখেছিলেন, "আমি জানি, আমার জীবনে ভালো যত কিছু ঘটেছে, তার সবকিছুর উপযুক্ত আমি নই। যুদ্ধ থেকে বেঁচে এসে বিজয় দেখা, বিশ্রামের সুযোগ পাওয়া এবং নিজেকে নতুন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া, এরপর পুরোপুরি প্রেমে পড়া- এতকিছুর পর নিজের ব্যক্তিগত এবং বিশ্বের তাবৎ সমস্যাকে একেবারেই ক্ষুদ্র মনে হয়।" ১৯৪৭ সালে বিয়ের আগে বাগদানের পর বাকিংহাম প্রাসাদের বাইরে রানি এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ রাজা জর্জ তার মেয়ের সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের বিয়ের অনুমতি দিলেন। কিন্তু এজন্যে প্রিন্স ফিলিপকে ব্রিটেনের নাগরিকত্ব নিতে হলো, তার বিদেশি খেতাব বর্জন করতে হলো এবং চার্চ অব ইংল্যান্ডের অনুসারী হতে হলো। ১৯৪৭ সালের ২০শে নভেম্বর, তাদের বিয়ের দিনে, তাকে ডিউক অব এডিনবারা খেতাব দেয়া হলো। বাকী জীবন তিনি এই নামেই পরিচিত হয়েছেন। বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ২৬, তার স্ত্রীর বয়স ২১। এই দম্পতির কাঁধে রাজকীয় দায়িত্ব এসে পড়ার আগে তারা মাত্র চার বছরের কিছু বেশি সময় পেয়েছিলেন। ততদিনে তাদের দুটি সন্তান হয়েছে। ১৯৫২ সালে কেনিয়ায় তারা যখন এক শিকার অভিযানে ছিলেন, তখন খবর এসে পৌঁছালো রাজা ষষ্ঠ জর্জ, এলিজাবেথের পিতা, ৫৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। এই মুহূর্তটি, যখন ডিউক অব এডিনবারা উপলব্ধি করলেন যে, তার স্ত্রী এখন রানি হতে যাচ্ছেন, তার স্মৃতিচারণ করেছেন ডিউকের বন্ধু কমান্ডার মাইকেল পার্কার। "তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তার মাথার ওপর অর্ধেক পৃথিবী ভেঙ্গে পড়েছে। জীবনে আর কোন মানুষের জন্য আমার জীবনে আর এতটা করুণা হয়নি। তিনি বেশ জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিলেন। তিনি স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছিলেন, তাদের যে সরল সুখী দাম্পত্য জীবনের বুঝি এখানেই শেষ।" প্রিন্স ফিলিপ নৌবাহিনীতে আরও উচ্চপদে যাওয়ার যেসব আকাঙ্ক্ষা লালন করছিলেন, সেগুলো বাদ দিতে হলো। নতুন রানি এলিজাবেথ এখন তার স্বামীকে সারাক্ষণ তার পাশে-পাশে চান। শিশুপুত্র চার্লস এবং কন্য অ্যানের সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ, ১৯৫০ সালে। ডিউক অব এডিনবারাকে এখন থেকে রানির সঙ্গী বলে ঘোষণা করা হলো। তার প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে তার স্ত্রীকে সব কাজে সহযোগিতা-সমর্থন দেয়া। তবে প্রিন্স ফিলিপ চেয়েছিলেন রাজপরিবার তার নামের শেষাংশ, মাউন্টব্যাটেন ব্যবহার করুক। ১৯৫০ এর দশকে এটা নিয়ে বেশ দীর্ঘ বিতর্ক চলে। কিন্তু রানি এলিজাবেথ তার হাউস অব উইন্ডসরের নামই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। প্রিন্স ফিলিপ বেশ ক্ষোভের সঙ্গে বলেছিলেন, "এই দেশে আমিই একমাত্র ব্যক্তি, নিজের ছেলে-মেয়েদেরকে নিজের নাম দেয়ার অধিকার যার নেই। আমি যেন একটা অ্যামিবা।" রাজপ্রাসাদে তার জন্য যে সীমিত ভূমিকা নির্ধারিত ছিল, তিনি সেটার মধ্যে জীবনের কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বাকিংহ্যাম প্যালেসের যে আড়ষ্ট পরিবেশ, সেখানে তিনি নতুন বাতাস সঞ্চারের জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রিন্স ফিলিপ রাজপরিবারকে কিভাবে বদলে দিয়েছেন? গ্রিস থেকে যে তাদের পুরো পরিবারকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, সেটি প্রিন্স ফিলিপ কখনো ভুলতে পারেন নি। তিনি বিশ্বাস করতেন, রাজতন্ত্রকে টিকে থাকতে হলে ক্রমাগত খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তিনি এমন কিছু মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করলেন, যেখানে রানি সমাজের বিভিন্ন পটভূমির মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা রাজভৃত্যদের মাথার চুল রঙ করার রীতি তিনি বন্ধ করলেন। এবং তিনি যখন জানতে পারলেন যে, রাজপ্রাসাদে কেবল রাজপরিবারের সদস্যদের রান্নার জন্য দ্বিতীয় একটি রান্নাঘর চালু আছে, সেটি তিনি বন্ধ করে দিলেন। বাকিংহাম প্রাসাদে ডিনারের আয়োজন এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন ছিল আরও ব্যক্তিগত এবং এতে নানা ধরণের গ্যাজেটের প্রতি তার শিশুসুলভ আগ্রহেরই প্রতিফলন ছিল। অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে ১৯৪৯ সালে যখন তারা ক্লারেন্স হাউসে থাকতে আসেন, তখন তিনি সেখানে এমন অনেক যন্ত্রপাতি বসিয়েছিলেন যাতে শ্রম বাঁচবে। এর মধ্যে ছিল এমন একটি যন্ত্র, যেটি লাগানো হয়েছিল তার কাপড়ের আলমারিতে। এই যন্ত্রের বোতাম টেপার সঙ্গে সঙ্গে আলমারি থেকে একটা স্যুট বেরিয়ে আসবে। ১৯৬৯ সালে 'রয়্যাল ফ্যামিলি' নামে এক যুগান্তকারী টেলিভিশন ডকুমেন্টারি বেশ সাড়া ফেলেছিল। ডিউক এই টিভি ডকুমেন্টারির কাজে সহায়তা করেন। এতে দেখা গিয়েছিল, রানি তার ঘোড়াকে গাজর খাওয়াচ্ছেন, টিভি দেখছেন এবং বালমোরাল প্রাসাদের বারবিবিকিউ পার্টিতে সালাদ নিয়ে আলাপ করছেন, আর পাশে প্রিন্সেস অ্যান সসেজ রান্না করছেন। বাকিংহাম প্রাসাদে প্রিন্স ফিলিপ ইন্টারকম বসান, যাতে করে তার হাতে লেখা চিঠি নিয়ে রাজভৃত্যদের বারে বারে রানির কাছে দৌড়াতে না হয়। প্রিন্স ফিলিপ তার নিজের ব্যাগ নিজেই বহন করতেন এবং নিজের রুমে নিজের ব্রেকফাস্ট নিজেই বানাতেন। সেখানে একটি ইলেকট্রিক ফ্রাইং প্যান ছিল। কিন্তু ঘরে গন্ধ হচ্ছে বলে রানি আপত্তি করার পর সেটা তাকে বন্ধ করতে হয়। 'রয়্যাল ফ্যামিলি' ডকুমেন্টারির একটি দৃশ্য। এটি তৈরিতে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ তিনি সময় কাটাতেন কীভাবে? ব্রিটিশ ইতিহাসে প্রিন্স ফিলিপ হচ্ছেন কোন রানির সবচেয়ে দীর্ঘসময়ের সঙ্গী। তিনি মোট ২২ হাজার ১৯১টি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি যখন ২০১৭ সালে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অবসরে গেলেন, তখন তিনি ৭৮০টির বেশি সংস্থা বা সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক, প্রেসিডেন্ট বা সদস্য। রানি যখন কমনওয়েলথের কোন দেশ বা অন্য কোথাও রাষ্ট্রীয় সফরে যেতেন, তাকে সাথে যেতে হতো। তিনি ১৪৩টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি ফরাসী এবং জার্মান, এই দুটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তবে তার সবচেয়ে বড় উত্তরাধিকার হিসেবে থেকে যাবে 'ডিউক অব এডিনবারা' পুরস্কার। তার সাবেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুর্ট হানের তাগিদে তিনি ১৯৫৬ সালে এই এটি চালু করেন। ১৪ হতে ২৫ বছর বয়সীরা স্বেচ্ছা-সেবামূলক কাজ, শারীরিক দক্ষতা অর্জন এবং পর্বতারোহণ বা পালতোলা নৌকায় অভিযানে গিয়ে এই পুরস্কার পেতে পারে। ২০১৬ সালে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিশ্বের ১৩০টি দেশের ১৩ লাখ তরুণ-তরুণী। অবসর সময়ে তিনি খেলাধুলা করতেন, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ। তিনি তার স্কুল গর্ডনস্টাউনে পালতোলা নৌকা চালাতে শেখেন এবং যুক্তরাজ্যের আইল অব ওয়াইটে যে রেগাটা হয়, সেটিতে নিয়মিত অংশ নিতেন। তিনি ঘোড়ার শকট চালাতে পছন্দ করতেন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি ছিলেন যুক্তরাজ্যের সেরা চার জন পোলো খেলোয়াড়ের একজন। তিনি পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনের পক্ষেও কাজ করেছেন। ১৯৬১ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড-লাইফ ফান্ডের (ইউকে) প্রেসিডেন্ট হন। তবে সেবছরই ভারত সফরে গিয়ে একটি শিকার করার বাঘের সঙ্গে তোলা তার ছবি ফাঁস হওয়ার পর তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। জয়পুরের মহারাজা এবং মহারানির সঙ্গে রানিএলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ। ১৯৬১ সালে এই বাঘ শিকার নিয়ে সমালোচিত হন তিনি। তার নিজের এবং স্ত্রীর দৃষ্টিতে তিনি: ব্রিটিশ জীবনে তার অবদান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর অকপটে তিনি জবাব দিয়েছিলেন: "আমার যা সেরা, সেটাই আমি করার চেষ্টা করেছি। অনেকে মনে করেন, যার করেছি, ঠিকই করেছি। অনেকে তা মনে করে না। আপনি কী করতে পারেন? আমি যেভাবে কাজ করি, সেটা তো আমি বদলাতে পারবো না। এটাই আমার স্টাইল।" তবে প্রিন্স ফিলিপ বার বার বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন তার খোলামেলা মন্তব্য বা অসংবেদনশীল বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে। একবার ১৯৮৬ সালে চীন সফরে গিয়ে তিনি সেখানে একদল ব্রিটিশ ছাত্রকে বলেন, "এখানে বেশিদিন থাকলে তোমাদেরও কিন্তু চেরা চোখ হয়ে যাবে।" সমালোচকরা মনে করেন তিনি বেশি বেফাঁস কথা বলেন আর তিনি একেবারেই সেকেলে। তবে যারা তার পক্ষে, তারা যুক্তি দেন যে, তিনি ভিন্ন যুগের মানুষ, একটু রসিকতা করার চেষ্টা করেন। যারা ভেতরের খবর জানেন, তাদের মতে, এই হাস্যরসই আসলে প্রিন্স ফিলিপ এবং রানিকে এক করে রেখেছিল। তবে তিনি নিজে বলেছেন, এক্ষেত্রে সব কৃতিত্ব আসলে রানির সহনশীলতার। প্রিন্স ফিলিপ এবং রানি এলিজাবেথ। ২০০৭ সালের ছবি। রানির সব বক্তৃতা একসময় শুরু হতো, "আমার স্বামী এবং আমি…" এই বলে। এটা নিয়ে ১৯৬০ এর দশকে বেশ রঙ্গ-রসিকতা হতো। এরপর তিনি এই কথা বলা বন্ধ করে দেন। তবে আবেগটা থেকে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি কেবলই "আমি।" তাদের বিয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে রানি তার স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন এভাবে: "বেশিরভাগ সময়, আমার মনে হয়, প্রিন্স ফিলিপকে কেবল আমার বক্তৃতা শুনতে হয়। তবে আমরা কোন বক্তৃতার আগে এটা নিয়ে বেশ আলোচনা করি, এবং আপনারা নিশ্চয়ই ধারণা করতে পারেন, তার মতামত আমার বক্তৃতায় সোজাসুজিই প্রতিফলিত হয়। "তিনি এমন একজন, যিনি সহজে নিজের প্রশংসা গ্রহণ করেন না, কিন্তু সোজা কথায় বলতে গেলে, তিনিই আমার জীবনের সাহস, এত বছর ধরে তিনি এবং তার পুরো পরিবার আমার পাশে আছেন। এই দেশ এবং বিশ্বের আরও অনেক দেশের অনেক ঋণ তার কাছে, তিনি যতটা দাবি করেন, বা যতটা আমরা জানি, তার চেয়ে অনেক বেশি।" | The Duke of Edinburgh, arguably the world's most famous husband, has died at the age of 99. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ইনকা ওলাদিরান বলেন, বাড়ির মালিকরা আশা করেন প্রতিটি মেয়ের একজন পুরুষসঙ্গী থাকবে যার ফলে একা মেয়েদের পক্ষে বাসা ভাড়া পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অনুফানমিলোলার বয়স ৩০। পেশাজীবনে ইতোমধ্যে সফলতা পেয়েছেন। খুব সহজেই তিনি একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু পাঁচ মাস ধরে বাসা খুঁজে না পেয়ে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে এক বান্ধবীর বাসার সোফা। ভালো একটা চাকরি পেয়ে সে লেগোস থেকে আবেওকুটা তে চলে আসে। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পরেও মধ্যবিত্ত বা একটু বিত্তবানদের এলাকাতে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে পারেননি।কারণ একটাই তিনি একা থাকবেন ঐ বাসাতে। অনেক বাড়িওয়ালা মনে করেন মেয়েরা যথেষ্ট অর্থ থাকে না বিল পরিশোধ করার অনুফানমিলোলা বলছিলেন "প্রথম প্রশ্ন যে আমারকে শুনতে হয় সেটা হল আমি কি বিবাহিত? আমি বলি না,তারপর প্রশ্ন করা হয় কেন আমি বিয়ে করিনি। আমি বিভ্রান্ত হই। একটা বাসা ভাড়া নেয়ার সাথে বিয়ের কী সম্পর্ক?" আমরা ভদ্র লোককে বাসা ভাড়া দিতে চাই অনুফানমিলোলা বলছিলেন, এই বৈষম্য ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বিবিসিকে তিনি বলেন " ৯৯% বাড়ীর মালিক যাদের সাথে আমি সাক্ষাত করেছি, তারা কেউ আমাকে বাসা ভাড়া দেয়নি, কারণ আমি একা নারী। অনেক মালিক এবং এজেন্ট আমাকে বলেছে তুমি কি তোমার পুরুষ-সঙ্গী বা স্বামীকে আনতে পারবে? এই ধরণের অ্যাপার্টমেন্টে আমরাই চাই না কোন পুরুষ আসুক, আমরা চাই একজন ভদ্র মানুষকে ভাড়া"। পুরুষদের বেশি অর্থ আছে সিলভিয়া অয়িনডা রিটেইল সেক্টরের একজন প্রডাক্ট ম্যানেজার। ৩১ বছরে তার বাগদান হয়। কিন্তু প্রতি বাড়ীওয়ালা তাকে বলেন আগে তার হবু স্বামীকে আনতে হবে তারপর তারা অ্যপার্টমেন্ট দেখাবে। নাইজেরিয়াতে একটা কথা প্রচলিত আছে 'স্মল গার্ল, বিগ গড'। বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া এবং ক্রেতাই পুরুষ। কারণ তাদের তুলনামূলক বেশি অর্থ আছে। এই কথার অর্থ অনেকটা এমন, যারা সিঙ্গেল মেয়ে তাদের অর্থের যোগানদাতা থাকে। তারা বেশির ভাগই হয় বৃদ্ধ লোক। মিজ অয়িনডা বলছিলেন, বাড়ির মালিকরা মনে করেন বেশির ভাগ তরুণী যারা একা থাকে তাকে ঐরকম। কোলম্যান ওয়াফোর একটি বাড়ির মালিক এবং বেশ কিছু সম্পত্তির মালিক। তিনি বলছিলেন, তিনি এক্ষেত্রে বৈষম্য করেন না। কিন্তু তার বেশির ভাগ ভাড়াটিয়া এবং ক্রেতাই পুরুষ। কারণ তাদের তুলনামূলক বেশি অর্থ আছে। তিনি বিবিসিকে বলেন "বেশির ভাগ একা মেয়েরা হয় তাদের বাবা মা অথবা পুরুষসঙ্গী ওপর নির্ভরশীল। আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না এক বছর পর কী হবে। এবং প্রতিটা বাড়িওয়ালা চায় কোন ঝামেলা ছাড়া মাসের ভাড়া পাবে আর সময়মত কন্ট্রাক্ট নবায়ন করবে"। তিনি বলছিলেন, বেশির ভাগ একলা মেয়েরা কোন কাজ করে না। এখানে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি। এটাই এখানকার পরিস্থিতি। | Many landlords in Nigeria suspect single women of being prostitutes, making it difficult for them to rent apartments. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ক্রিস্টান ধর্মাবলম্বী শামা (বামে) এবং শেজাদ (ডানে) কোরান অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হন এবং উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে প্রাণ হারান ২০১৪ সালে। "এখনও আমার মনে হয় আমি জেলে আছি। আপনি এখনও আমার পায়ে ক্ষত দেখতে পাবেন, যে ক্ষত হয়েছে আমার পায়ে শেকল বেঁধে রাখার কারণে।" মুসলিমদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেবার কারণে সাঈমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া রায় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তিনি বলছেন তিনি খ্রিস্টান বলে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে অনেকসময় খেতে দিত না। "ওরা বলত, 'তুমি আমাদের ধর্মকে অপমান করেছ'," তিনি বিবিসিকে বলেন। তার বিরুদ্ধে কোরানকে খাটো করা এবং কোরান ব্যবহার করে ঝাড়ফুঁক করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে সাঈমার দাবি ছিল তার মুসলিম প্রতিবেশির বাচ্চাদের সঙ্গে তার নিজের বাচ্চার ছোটখাট ঝগড়াঝাঁটির পর ওই মুসলিম প্রতিবেশিরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, পাকিস্তানে ব্যক্তিগত কলহের শোধ নিতে ব্লাসফেমি আইন বা ধর্মদ্রোহিতা আইন প্রায়ই ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তানি দণ্ডবিধিতে নবীর অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্তর মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, এবং "অন্য কোন ধর্ম"র অবমাননায় দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ পাঞ্জাবে পুলিশের একজন মুখপাত্র এবছর ধর্মদ্রোহিতা আইনে নথিভুক্ত মামলার পরিসংখ্যান দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে অধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সোসাল জাস্টিসের হিসাব অনুযায়ী ১৯৮৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অন্তত ১,৪৭২ জনের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর এই ধর্মদ্রোহিতা আইন সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করা হচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ব্লাসফেমির জন্য পাকিস্তান ছাড়তে হয়েছিল যাদের এক বালতি পানি, ব্লাসফেমি এবং আসিয়া বিবির ফাঁসি আসিয়া বিবি এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে মামলা। ২০১০ সালে ধর্মদ্রোহিতার দায়ে আসিয়া বিবিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল এবং সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাকে খালাস দেয়। আদালতের রায়ের পর ক্রুদ্ধ প্রতিবাদ হয় পাকিস্তানের পথেঘাটে এবং তার মুক্তির বিরোধিতা করে আনা চূড়ান্ত আইনী চ্যালেঞ্জের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ এক অজ্ঞাত স্থানে তাকে নিয়ে যায় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। কোন কোন রিপোর্ট বলছে পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহিতা আইনে মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত রয়েছেন আরও প্রায় ৪০জন, যারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে ধর্মদ্রোহিতার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কাউকে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় নি। কিন্তু অভিযুক্ত অন্তত ৭০ জন ক্রুদ্ধ জনতার হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর রয়েছে। সাঈমা বলছেন কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। তিনি নিজের নাম বদলে ফেলেছেন। "আমি এমনকী আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করতে যাই না, যদি তারাও কোন বিপদে পড়েন," সাঈমা বিবিসিকে বলেন। সেন্টার ফর লিগ্যাল এইড অ্যাসিসটেন্ট নামে লাহোরে একটি আইনী সহায়তা কেন্দ্রের প্রধান জোসেফ ফ্রান্সিস। এই কেন্দ্র ধর্মদ্রোহিতা আইনে অভিযুক্তদের হয়ে মামলা লড়ে। মি: ফ্রান্সিস বলছেন প্রায় ১২০টি ধর্মদ্রোহিতার মামলায় তিনি জিতেছেন এবং যারা মুক্তি পেয়েছে তাদের বেশিরভাগই এখন বিদেশে থাকেন। "একবার ধর্মদ্রোহিতা আইনে অভিযুক্ত হলে এরপর পাকিস্তানে বসবাস করা সেই ব্যক্তির পক্ষে অসম্ভব। একমাত্র টিঁকে থাকা সম্ভব যদি তার ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা যায়। " মি: ফ্রান্সিস বলছেন যেমনটা আসিয়া বিবির ঘটনায় দেখা গেছে যে নিম্ন আদালতে এধরনের মামলায় অভিযুক্তদের প্রায়ই দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে আপিলের পর উচ্চ আদালতে সেসব মামলায় তারা খালাস হয়ে যায়। তিনি বলছেন এটা হয় কারণ বিচারিক আদালতে ধর্মীয় দলগুলো বিচারকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপের মুখে রাখে। আসিয়া বিবিকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নেন গুলাম মুস্তাফা চৌধুরী (মাঝখানে) এরকম একজন আইনজীবী গুলাম মুস্তাফা চৌধুরী যার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবশ্য এ অভিযোগ জোরের সঙ্গে অস্বীকার করেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, "আমাদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র হলেন নবী। আমরা যা করি তা সবই করি তার সম্মান রক্ষায়।" ব্যক্তিগত কলহ ও বিবাদ মেটানোর অস্ত্র হিসাবে এই ধর্মদ্রোহিতা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। "আমি কখনও ব্যক্তিগত স্বার্থে কাউকে এই আইন ব্যবহার করতে দেখিনি। আসিয়া বিবির মামলায় এমন কোন কারণ দেখাতে পারবেন?" "কোন মুসলমান কখনও ইসলামকে ব্যবহার করে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনবে না। হয়ত চুরি, ডাকাতি, অপহরণের ক্ষেত্রে মানুষ ভুল করে কারো বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে পারে, কিন্তু নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কেউ একাজ করবে না।" তার উল্টো অভিযোগ, এসব অভিযুক্তরা বিদেশে আশ্রয় পাবার চেষ্টায় ধর্মকে অবমাননার পথ নেয় এবং ইসলাম-বিরোধীদের চোখে 'হিরো' হয়ে উঠতে চায়। তিনি বলেন আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই উচ্চ আদালত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দোষীদের খালাস করে দিচ্ছে। গুলাম মুস্তাফা চৌধুরী আসিয়া বিবির মামলায় গ্রামের মৌলবীদের পক্ষ নিয়ে মামলা লড়েন। সুপ্রিম কোর্টে আসিয়া বিবির আপিল শুনানিতে তিনি বলেন পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহিতার সব মামলায় দেখা গেছে অভিযুক্তরা একইধরনের অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেছে। তার বক্তব্য খ্রিস্টান নেতারা এদের শিখিয়ে দেয় কীধরনের মন্তব্য করলে তাদের বিদেশে আশ্রয় পাওয়া এবং বিদেশি সমর্থন পাওয়া সহজ হবে। আসিয়া বিবিকে মুক্তি দেবার পর রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় মি: চৌধুরীর এই দাবি যুক্তিগ্রাহ্য না হলেও পাকিস্তানের মানুষের কাছে এই যুক্তি খুবই গ্রহণযোগ্য, কারণ তাদের অনেকেই মনে করে দেশের ভেতরে ও বাইরে অসাম্প্রদায়িক মহলের চাপে পাকিস্তানে ইসলাম বিপন্ন। মি: চৌধুরী নিজেকে দেখেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহম্মদ আলি জিন্নাহর আদর্শের একজন উত্তরসূরী হিসাবে। মি: জিন্নাহ ছিলেন একজন আইনজীবী। অন্যদিকে পাকিস্তানে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রাটিক অ্যালায়েন্স আসিয়া বিবির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে পাকিস্তানে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার সংজ্ঞা নিয়ে অনেক জটিলতাও রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এই আইন সংস্কার বা এই আইন প্রত্যাহারের কোন সম্ভাবনাও খুবই ক্ষীণ। আইনজীবী গুলাম মুস্তাফা চৌধুরী সহ পাকিস্তানের একটা বড় অংশ মনে করে দেশে এই আইনের প্রয়োজন আছে। এই আইন না থাকলে সহিংসতার আশংকা বাড়বে অনেক বেশি। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে চার বছর কারাগারে কাটানো সাঈমা বলছেন এই অভিযোগ তার জীবনকে ছারখার করে দিয়েছে। "বেঁচে থাকাটা মৃত্যুর মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকে আসে - কী ঘটেছিল তা জানতে চায়। আমার এটুকুই ভাল লাগে যে আমার কথা ওরা শুনছে। কিন্তু তারপর কি? সবই আগের মত। জীবনের কিছুই তো বদলায় না।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ভারতে ইভিএম নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ ও অবিশ্বাস কেমন ছিল প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শৈশব? প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে যে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন সাংবাদিক | Saima - not her real name- still hasn't recovered from her four years in solitary confinement in a small Pakistani prison cell. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ছবির ডান দিকের কোণায় লাল বৃত্ত দিয়ে চিহ্নিত কিম ইয়ং-চোলকে দেখা যাচ্ছে গত শুক্রবার খবর বেরোয় যে কিম ইয়ং-চোলকে শাস্তি হিসেবে শ্রম শিবিরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমে দেখানো হয় যে তিনি একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে বসে আছেন। তার সাথে একই সারিতে কিম জং আন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা আছেন। ছবিতে কিম ইয়ং-চোলের মুখের একাংশ তার দু-হাতে আড়াল করা, কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অন্যান্য কয়েকজন তাকে সনাক্ত করেছেন। সাবেক গুপ্তচর প্রধান কিম ইয়ং-চোলকে সেদেশের সর্বময় ক্ষমতাসম্পন্ন নেতা কিম জং-আনেরর ডান হাত বলে মানা হতো। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে হোয়াইট হাউসে কিম ইয়ং-চোল উত্তর কোরিয়া বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বিবিসির কাছে বলেছেন, কিম ইয়ং-চোল যে ক্ষমতাশালী কোন পদে বহাল আছেন - ছবি দেখে এটা তার কাছে বিশ্বাস্য বলেই মনে হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড্র ট্রাম্পের সাথে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। এর পর দক্ষিণ কোরিয়ান এক পত্রিকায় অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে তার নিখোঁজ হবার খবর বেরোয় । সাথে আরো জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে উত্তর কোরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত কিম হায়ক-চোলকে হত্যা করা হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার পদচ্যুত কর্মকর্তাদের শাস্তির এসব খবর খুব একটা নির্ভরযোগ্য নয়। অতীতে নানা জনের নামে এরকম খবর বেরুনোর পরে তাদেরকে আবার জীবিত অবস্থায় দেখা গেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হরিণ শিকার রোধে সুন্দরবনে সতর্কতা: কতটা কাজ হবে? ট্রাম্প আর সাদিক খানের মধ্যে এই বাকযুদ্ধ কেন? বাংলাদেশে যেখানে জমজমাট কাঁকড়ার ব্যবসা ঈদের ছুটিতে ব্যাংক, বুথ, কার্ড কতটা নিরাপদ? | A North Korean official who was reported to be in a labour camp attended a weekend concert alongside Kim Jong-un, state media said. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | সিস্টার জেরার্ড ফার্নান্দেজ, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের বন্ধু। এই নান হলেন সিস্টার জেরার্ড ফার্নান্ডেজ এবং কয়েদি হলেন টান মুই চু। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের মামলায় টান মুই চু'র ফাঁসির আদেশ হয়। সিস্টার জেরার্ড এক সময় টান মুই চু'কে স্কুলে পড়িয়েছেন। সিস্টার জেরার্ড বলছেন, টান ছিলেন এক সাদাসিধে মেয়ে। ধর্মপরায়ণ এক পরিবার থেকে তিনি কনভেন্ট স্কুলে পড়তে এসেছিলেন। টান ও তার স্বামী এড্রিয়ান লিম, এবং স্বামীর রক্ষিতা হো কাহ্ হং এর বিরুদ্ধে দুটি শিশুকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং তাদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। "টান জীবনে বড় ধরনের ভুল করেছিল," বলছেন স্বল্পভাষী এই ৮১-বছর বয়সী সন্ন্যাসিনী, "তার খবরটা প্রথম শোনার পর আমার খুব খারাপ লেগেছিল। তখনই আমার মনে হয়েছিল যে করেই হোক তার সাথে দেখা করতে হবে।" এরপর বেশ কয়েক বছর ধরে সিস্টার জেরার্ড টান মুই চু'র সাথে দেখা করার জন্য কারাগারে যান। দু'জনে গভীর রাত পর্যন্ত একত্রে উপাসনা করেন। সিস্টার জেরার্ড বলছেন, এর মাধ্যমে দু'জনের মধ্যে একটা আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়। দু'জন পরস্পরকে আরো ভালভাবে বুঝতে পারেন। "তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম, এবং সে-ও জানতো সে আমার সাথে মন খুলে কথা বলতে পারতো," বলছেন তিনি, "আমার মনে হয় তার মনের ভেতরের কারাগার থেকে সে মুক্তি পেয়েছিল।" সিঙ্গাপুরে খুন এবং মাদক-সম্পর্কিত অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। টান মুই চু'র ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয় ১৯৮৮ সালের ২৫শে নভেম্বর। তার সাথে সিস্টার জেরার্ডের দেখা হয়েছিল সেদিন সকালে। "একটা লোক সারা জীবনে অনেক খারাপ কাজ করলেও, তার জীবনের দাম কিন্তু তার চেয়েও অনেক বেশি," বলছেন সিস্টার জেরার্ড, "পাপ যত বড়ই হোক না কেন মর্যাদা নিয়ে মৃত্যুর অধিকার সব মানুষের রয়েছে।" জীবনের শেষ সকালে টান মুই চু একটি নীল রঙের পোশাক পরেন। তার জুতার রঙও ছিল নীল। "সে দিন সে ছিল বেশ শান্ত," বলছেন সিস্টার জেরার্ড। এরপর এই দুই নারী হাতে হাত ধরে ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। "সে যখন ফাঁসির মঞ্চের ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছিল, তার পায়ের শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। ফাঁসি কাঠের লিভারটি যখন টেনে ধরা হলো আর ট্র্যাপ ডোরটি যখন ঘটাং করে খুলে দেয়া হলো, সেটা আমি অনুভব করতে পারছিলাম। ঠিক তখনই আমি টের পেলাম সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।" সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে একটু দূরে এই বিশাল চাঙ্গি কারাগার। দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধী এবং মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কয়েদিদের এখানে রাখা হয়। এই কারাগারেই টান মুই চু'র মতো আরো ১৮ জন কয়েদিকে সিস্টার জেরার্ড ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে গেছেন। "মৃত্যুদণ্ডের বাস্তবতা আসলে কেউই সহজে স্বীকার করে নিতে পারে না," বলছেন তিনি। "নিজের ভাগ্যকে মেনে নিতে সময় লাগে। আর এটা স্বীকার করে নিতেও অনেক বেদনা তৈরি হয়।" সিস্টার জেরার্ড গত ৪০ বছরে ধরে কারাগারের বন্দীদের সাথে কাজ করছেন। তিনি মনে করেন ঈশ্বরই তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। সিস্টার জেরার্ড ফার্নান্দেজ, ৮১, সিঙ্গাপুরের টোয়া পেও খ্রিস্টান মঠে বাস করেন। এই প্রসঙ্গে অন্যান্য খবর: সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর একজনকে 'ক্রুশবিদ্ধ' শ্রীলংকায় কেন হঠাৎ দুইজন জল্লাদ নিয়োগ? "ফাঁসির আসামীর অনেক ধরনের মানসিক ও ধর্মীয় সাহায্যের প্রয়োজন হয়," তিনি বলছেন। "আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে ক্ষমা চাইতে পারলে, আর মনের ক্ষত পুষিয়ে নিতে পারলে - তারা মৃত্যুর পর আরো ভাল কোন জায়গায় যেতে পারবে।" বেশ কয়েক বছর পর আরেকজন পুরুষ বন্দি সিস্টার জেরার্ডের সাথে যোগাযোগ করেন। "তিনি আমাকে বলছিলেন কারাগারে আমার উপস্থিতি তার মনে শান্তি এনে দিয়েছিল।" সিস্টার জেরার্ড বলছেন, কয়েদিদের ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়াকে তিনি অত্যন্ত সম্মানের কাজ বলে মনে করেন। "জীবনের চরম মুহূর্তে কেউ যখন তাদের মনের গভীর দু:খগুলো ভাগ করে নেন এবং তাদের হৃদয়ে আমাকে স্থান দেন, তখন সেটা হয় ভালবাসা আর আস্থার সর্বোচ্চ প্রতীক," বলছেন তিনি। ঐ কয়েদির একটা কথা সিস্টার জেরার্ডের মনে এখনও গেঁথে আছে: "সকালেই আমার সাথে ঈশ্বরের দেখা হবে। তখন তাকে আমি আপনার কথা জানাবো।" সিঙ্গাপুরের কারা প্রশাসনের অধীনে ১৪টা কারাগার ও মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দিদের সহায়তার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই ধরনের সেবা। "সিস্টার জেরার্ড একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমাদের সাথে ৪০ বছর ধরে কাজ করছেন," একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলছিলেন, "তার নিষ্ঠা, আবেগ, তার ত্যাগী মনোভাব আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে।" মৃত্যুদণ্ডের ইস্যু নিয়ে সিঙ্গাপুরে বিতর্ক রয়েছে। এখানকার অধিবাসীদের মতামতও বিভক্ত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই ধনী নগর-রাষ্ট্রটি নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং অপরাধের নিম্ন মাত্রা নিয়ে গর্বিত। চাঙ্গি কারাগারে আটক বন্দিরা। সরকার যদিও ২০১২ সালে মৃত্যুদণ্ডের আইনে কিছু পরিবর্তন এনেছে, কিন্তু সরকারি হিসেবেই দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে জনমত জরিপগুলো বলছে, কঠোর আইন-প্রয়োগের প্রশ্নে বড় ধরনের জনসমর্থন রয়েছে। "মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে জনসমর্থন সাধারণত বেশি," বলছেন কার্সটেন হান। 'উই বিলিভ ইন সেকেন্ড চান্স' নামে এক প্রতিষ্ঠানের তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের পক্ষে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। "মৃত্যুদণ্ডকে দেখা হয় অপরাধ ঠেকানোর উপায় হিসেবে," বলছেন মিজ হান, "এই ধরনের কঠোর আইন-প্রয়োগের প্রতি সিঙ্গাপুরবাসীদের সমর্থনের পেছনে বহু কারণ রয়েছে। কিন্তু এনিয়ে মুক্ত ও খোলাখুলি আলোচনা হয় কমই।" আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মৃত্যুদণ্ডের ঘোর বিরোধী। এর একজন কর্মকর্তা ফিল রবার্টসন বলছেন, "সহজাতভাবেই এটা এক নিষ্ঠুর প্রথা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের খোলাখুলি বরখেলাপ।" "অন্যান্য দেশগুলো যখন একের পর এক মৃত্যুদণ্ড প্রথা রদ করে দিচ্ছে তখন সিঙ্গাপুরের ক্ষমতাসীন পিপলস্ অ্যাকশন পার্টি এই প্রথা চালিয়ে যেতে পারে না।" "কাউকে মেরে ফেলার ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপের পেছনে আসলে কোন যুক্তি নেই।" সম্ভবত সেই কারণেই সিস্টার জেরার্ড ফার্নান্দেজ নিজেও মৃত্যুদণ্ডর বিপক্ষে, কারণ "এটা মানুষের জীবন কেড়ে নেয়।" "প্রতিটা জীবনই অত্যন্ত মূল্যবান," বলছেন তিনি, "আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু তবুও আমি আশা করবো কোন এক সময় মৃত্যুদণ্ড প্রথা উঠে যাবে।" বিবিসি বাংলায় আরও খবর: গণহারে শ্রমিক ফিরে আসার নেপথ্যে কি সৌদি 'ফ্রি ভিসা' অধ্যক্ষকে পানিতে নিক্ষেপ: যা ঘটেছিল সেদিন ভারতের সাথে চুক্তি: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বিএনপি | In 1981 a Catholic nun from Singapore began writing letters to a female inmate on death row. It became an exchange that would last seven years. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | তুরস্কের তেল অনুসন্ধান জাহাজ ওরুচ রেইসকে পাহারা দিচ্ছে যুদ্ধজাহাজ নতুন যেসব অস্ত্র গ্রিস কিনবে তার মধ্যে রয়েছে ১৮টি ফরাসী রাফালে যুদ্ধবিমান, চারপি ফ্রিগেট এবং চারটি নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলেছেন, এ ছাড়াও আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশটির সেনাবাহিনীতে আরো ১৫ হাজার সৈন্য যোগ করা হবে। গ্রিস যেসব অস্ত্র কিনবে তার মধ্যে আরো রয়েছে নৌবাহিনীর জন্য টর্পেডো, ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র এবং বিমান বাহিনীর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র গত দু দশকের মধ্যে এটিই হবে গ্রিসের সবচেয়ে বড় আকারের অস্ত্র ক্রয়। সম্প্রতি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্যাসের মজুত অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে যে কারণে চলছে গ্রিস-তুরস্ক দ্বন্দ্ব লিবিয়া ঘিরে তুরস্ক আর ফ্রান্সের বিতণ্ডা এখন তুঙ্গে তুরস্ক কি আমেরিকার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে? গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলছেন, "আমাদের সময় এসেছে সশস্ত্রবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার। এবারের অস্ত্র ক্রয় এমন একটি কর্মসূচি যা দেশের জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করবে।" তুরস্ক সম্প্রতি গ্রীক দ্বীপ কাস্তেলোরিজোর জলসীমার কাছে তেল অনুসন্ধানী গবেষণা জাহাজ পাঠায়, যে এলাকাটি দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কের সামান্য দুরে। এর জবাবে গ্রিস কয়েকটি ইইউ দেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সাথে নিয়ে সেখানে এক নৌ মহড়া চালায়। ভূমধ্যসাগরের এই এলাকাটিতে তেল অনুসন্ধান নিয়েই তুরস্ক-গ্রিস বিবাদ তুরস্কের সাথে এই বিবাদে গ্রিসকে সমর্থন দিচ্ছে ফ্রান্স। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেছেন, তুরস্ক "যে আচরণ করছে তা অগ্রহণযোগ্য" এবং তার সাথে স্পষ্ট ও শক্ত আচরণ করা জরুরি। তুরস্ক ও গ্রিস - উভয় দেশই নেটো জোটের সদস্য। তা ছাড়া গ্রিস ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য আর তুরস্কের ইইউ সদস্য হবার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। এ দুটি দেশের মধ্যে বিভক্ত দ্বীপ সাইপ্রাস, অভিবাসী সমস্যা নিয়ে বহুকাল ধরেই উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি তুরস্ক ইস্তাম্বুলের হাইয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে পরিণত করে - যা একসময় কয়েক শতাব্দী ধরে খ্রিস্টান অর্থোডক্স গির্জা ছিল। এ পদক্ষেপের কড়া বিরোধিতা করেছিল গ্রিস। আরো পড়তে পারেন: এরদোয়ান: আরব দেশে তিনি কেন এতো জনপ্রিয়? হাইয়া সোফিয়া মসজিদে ৮৬ বছর পর জুম্মার নামাজ জাদুঘর না মসজিদ? হাইয়া সোফিয়ার ভবিষ্যৎ তুরস্কের আদালতে | Greece has announced a significant weapons purchase as tensions with neighbouring Turkey rise. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রবিবার সিবিএস নিউজকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে মি. বাইডেন এমন বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, আমেরিকা যদি আগে তাদের ওপর থেকে সমস্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, তবেই তেহরান চুক্তিতে ফিরবে। ২০১৫ সালের চুক্তিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার পরিবর্তে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছিল, যার কারণে ইরান তাদের বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় করে। ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়ে চলছে এবং বলছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। এই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রিয়্যাক্টর জ্বালানী তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে তবে এই একই জিনিষ পারমাণবিক বোমা তৈরিতেও ব্যবহার হয়। কেন পরমাণু চুক্তি ভেঙে গেল? ২০১৫ সালের যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং যুক্তরাজ্যের সাথে ইরানের একটি পরমাণু চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী- তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে আনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের পারমানবিক প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করতে দেবে বলে একমত হয়েছিল। এর বিনিময়ে তেহরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হয়। আরও পড়তে পারেন: ইয়েমেন যুদ্ধে সমর্থন প্রত্যাহার বাইডেনের, কিছু অস্ত্র বিক্রি বন্ধ অভ্যন্তরীন সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কা বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে সতর্কতা জারি প্রথম ফোনালাপে পুতিনের সাথে যে কথা হলো প্রেসিডেন্ট বাইডেনের তবে মি. ট্রাম্প ইরানকে নতুন একটি চুক্তিতে আসার জন্য আলোচনা করতে চাপ দেয় এবং এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে, মি. ট্রাম্প ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। মি. ট্রাম্প তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য নজরদারি রাখতে চেয়েছিলেন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উৎপাদনও থামিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইরান তা প্রত্যাখ্যান করে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে, এটি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের শুদ্ধতার মাত্রা ৩.৬৭%-এর চেয়ে বাড়িয়ে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং এই বছরের জানুয়ারিতে ঘোষণা করেছে যে তারা ২০% পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রেখেছে। অস্ত্র তৈরি করতে ৯০% বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সাংবাদিক, বাইডেনকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, তিনি তেহরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেবেন কি না। মি. বাইডেন এক কথায় জবাব দিয়েছেন, "না" এদিকে, আলী খামেনি বলেছেন যে এই চুক্তির আওতায় ইরানকে সব শর্তে ফিরিয়ে আনতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে "সমস্ত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নিতে হবে", ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি রবিবার এ সংক্রান্ত খবর প্রচার করেছে। "আমরা তাদের সবকিছু মূল্যায়ন করব, এবং আমরা যদি দেখি যে তারা এই বিষয়ে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করছে, তাহলে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে ফিরে যাব," তিনি আরও বলেন, "এটাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, যা বদলাবে না এবং সমস্ত ইরানি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।" বাইডেন আর কী বললেন? প্রেসিডেন্ট বাইডেন সিবিএসের সাথে ওই সাক্ষাৎকারে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে বেইজিংয়ের সাথে ওয়াশিংটনের সরাসরি দ্বন্দ্বের দিকে যাওয়ার কোন কারণ নেই, তবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দুটি দেশই চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে। মি. বাইডেন বলেছেন যে তিনি গত মাসে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে তার কোন কথা হয়নি এবং তিনি বেইজিংয়ের প্রতি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেননি। "তিনি খুব বুদ্ধিমান, তিনি খুব কঠোর," মি. বাইডেন, মি. শি সম্পর্কে বলেছেন, "তাঁর অস্থিমজ্জার কোথাও গণতন্ত্রের প্রথমে অক্ষরটিও নেই।" | US President Joe Biden says he will not lift economic sanctions against Iran until it complies with the terms agreed under a 2015 nuclear deal. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ভারতে নারীর ১৮ এবং পুরুষের ২১ বছর হলেই তারা বিয়ে করতে পারেন। এই নারী ছেলেটির চেয়ে তিন বছরের বড়। অর্থাৎ তার বয়স এখন ২০। ভারতে অল্পবয়সীকে মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগে পুরুষ স্বামীকে গ্রেফতারের খবর হরহামেশা পাওয়া গেলেও কম বয়সী ছেলেকে বিয়ে করার অভিযোগে কোন নারীকে গ্রেফতারের ঘটনা বিরল। এই দম্পতির একমাত্র কন্যার বয়স পাঁচ মাস। নারীকে গ্রেফতার করার কারণে তাদের বাচ্চাটিও গত দুসপ্তাহ ধরে জেলখানায় রয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই কিশোরের মায়ের পক্ষ থেকে তাদের কাছে অভিযোগ দায়েরের পর তারা ওই নারীকে গ্রেফতার করেছেন। আটক নারীর বিরুদ্ধে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: যে রায়ের পর নড়েচেড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকার দলীয় প্রার্থীদের মাথ্যাব্যথার কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা? সংসদ নির্বাচন: সব দল সমান সুযোগ পাচ্ছে কি? কিন্তু ওই নারী বলেছেন, তাদের দু'জনের সম্মতিতে এই বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী প্রাপ্তবয়স্ক নয়- এই অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন। তবে ভারতীয় আইনে ছেলে মেয়ে দুজনের ক্ষেত্রেই যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে অনুমতি দিতে তাকে ১৮ বছর বয়সী হতে হবে। আর বিয়ের জন্যে নারীকে হতে হবে ১৮, পুরুষকে ২১। ফলে এই মামলায় অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে শিশু বিবাহ আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের একজন বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, ওই কিশোরের মা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে বলেছিলেন যে ওই নারী ও তার পরিবার তার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। তিনি জানান, এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর অভিযুক্ত নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। | Police in the Indian city of Mumbai have arrested a 20-year-old woman for marrying a 17-year-old boy. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | শিশু অপহরণ থেকে সতর্ক করতে পাকিস্তানে এই ভিডিওটি তৈরি হলেও, ভারতে এটি বিকৃত আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গবেষণা বলছে, অনেক ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদ চাঙ্গা করতে পারে এরকম আবেগকে প্রকৃত খবরের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সোশাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে বামপন্থীদের চেয়ে ডানপন্থী নেটওয়ার্কগুলো অনেক বেশি সংগঠিত। এমনও দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে সোশাল মিডিয়াতে যেসব নেটওয়ার্ক কাজ করছে তারা যেসব ভুয়া খবর প্রচার করছে, সেই একই খবর প্রচার করছে ফেইক নিউজের অন্যান্য উৎসগুলোও। ভারত, কেনিয়া এবং নাইজেরিয়াতে ভুয়া খবরের ওপর বড় ধরনের গবেষণা চালিয়ে এসব জানা গেছে। এই গবেষণায় যারা অংশ নিয়েছেন, তারা এক সপ্তাহ ধরে তাদের ফোন বিবিসিকে দেখতে দিয়েছেন। তারা কী ধরনের খবর শেয়ার করছেন, কাদের সাথে শেয়ার করছেন এবং কতোবার শেয়ার করছেন বিবিসির গবেষকরা সেসব পর্যালোচনা করে দেখেছেন। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল বিকৃত তথ্য এবং ভুয়া খবর সারা বিশ্বে মানুষের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে সেটা অনুসন্ধান করে দেখা। এই তিনটি দেশেই দেখা গেছে, মূলধারার সংবাদ মাধ্যমের ওপর জনগণের অনাস্থার কারণে তারা বিকল্প জায়গা থেকে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এসব তথ্য যাচাই বাছাই করার কথা তারা ভেবেও দেখেনি। তার আগেই তারা এসব খবর শেয়ার করেছে। তারা মনে করেছে, এই খবরটি যতো বেশি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে ততোই হয়তো তার ভেতর থেকে প্রকৃত খবরটি বেরিয়ে আসতে পারে। পাশাপাশি এসব মানুষের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস খুব তীব্র যে কোনটা আসল খবর আর কোনটা ভুয়া খবর সেটা তারা চিহ্নিত করতে পারে। ২০১৮ সালে যেভাবে ডিজিটাল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে তাতে এই সমস্যার আরো অবনতি হয়েছে। . আরো পড়তে পারেন: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যা গুজবে কান দিয়ে কেন মানুষ পিটিয়ে মারা হচ্ছে? ভুয়া খবরের দায়ে ভারতে প্রশ্নের মুখে হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে যখন জীবনমৃত্যুর কারণ বানোয়াট খবর বিবিসির গবেষণায় যারা অংশ নিয়েছেন, দেখা গেছে, কোনটা আসল খবর আর কোনটা ভুয়া খবর সেসব যাচাই করার ব্যাপারে তারা খুব কমই সচেষ্ট ছিলেন। এসব ভুয়া খবরের উৎস কী- সে বিষয়েও তাদের তেমন একটা মাথাব্যথা ছিল না। বরং খবরটি কতোখানি সঠিক সেটা যাচাই করতে গিয়ে তারা অন্য কিছু বিবেচনা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ফেসবুকের কোন একটি পোস্টে কত মন্তব্য পড়েছে, কী ধরনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে অথবা কে এই খবরটি দিয়েছে ইত্যাদি। তারা মনে করেন, নিজেদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবরা হোয়াটসঅ্যাপে যেসব খবর শেয়ার করছেন, সেগুলো যাচাই না করেই সরাসরি বিশ্বাস করার মতো। হোয়াটসঅ্যাপে এরকম ভুয়া গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। ছেলেধরার ভুয়া ভিডিও তারা তাদের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করেছে এগুলো যাচাই না করেই। তারা মনে করেছেন, পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করার জন্যে এসব খবর শেয়ার করা তার দায়িত্ব ছিল। বিবিসির অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, সোশাল মিডিয়া ও বার্তা আদান প্রদানের অ্যাপগুলো থেকে গুজব ছড়িয়ে পড়ার কারণে গত বছর অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে। কিন্তু আফ্রিকায় চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার পেছনে জাতীয়তার পরিচয় অতোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। ছেলেধরা সংক্রান্ত এধরনের খবরাখবর ভারতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেনিয়াতে দেখা গেছে, এর পেছনে বড় কারণ ছিল অর্থ কিম্বা প্রযুক্তি। সেখানে হোয়াটসঅ্যাপে যতো খবর শেয়ার করা হয়েছে তার এক তৃতীয়াংশ ছিল এসংক্রান্ত খবর। কিন্তু নাইজেরিয়াতে সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাস সম্পর্কিত খবরাখবর প্রচুর পরিমাণে শেয়ার করা হয়েছে। এই দুটো দেশেই বেশি শেয়ার হয়েছে স্বাস্থ্য সম্পর্কে আতঙ্কিত হওয়ার ভুয়া খবর। গবেষকরা এই তিনটি দেশে চালানো জরিপে অংশগ্রহণকারী ৮০ জন ব্যক্তির সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন। সোশাল মিডিয়াতে তারা কীভাবে খবর শেয়ার করেন, এই খবরগুলোকে কতোটা গুরুত্বের সাথে নেন- এসব বিষয়ে তাদের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। ভারতে টুইটারে ও ফেসবুকে যেসব ভুয়া খবর ছড়িয়েছে, সেগুলোর পেছনে রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেটাও বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গবেষকরা। এজন্যে ভারতে ১৬,০০০ টুইটার এবং ৩,০০০ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, সেখানে উগ্র-ডানপন্থী খবরাখবর অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: নির্বাচনের তারিখ পেছালো কমিশন আয়কর সম্পর্কে যেসব তথ্য না জানলেই নয় মাশরাফির সিদ্ধান্ত নিয়ে যত আলোচনা-সমালোচনা | A rising tide of nationalism in India is driving ordinary citizens to spread fake news, according to BBC research. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ইতালিতে সব ধরণের স্কুল, ব্যায়ামাগার, জাদুঘর, নাইটক্লাব, এবং অন্যান্য জনসমাগম স্থান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি সুরক্ষা সংস্থার হিসাবে, একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২৫%। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮৮৩ থেকে বেড়ে ৭৩৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। রবিবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কতা গ্রহণের মধ্যেই প্রাণহানি ও আক্রান্তের এই সংখ্যা বাড়লো। নতুন জারি করা কোয়ারেন্টিন নিয়ম অনুযায়ী ১৪টি প্রদেশের এক কোটি ৬০ লাখ মানুষকে ভ্রমণ করতে হলে বিশেষ অনুমতি লাগবে। প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কন্টে দেশ জুড়ে সব ধরণের স্কুল, ব্যায়ামাগার, জাদুঘর, নাইটক্লাব, এবং অন্যান্য জনসমাগম স্থান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। আগামী ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। নতুন করে সংখ্যা বাড়ার কারণে গত ডিসেম্বরে সংক্রমণ শুরু হওয়া চীনের বাইরে ইতালিতেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। আক্রান্তের দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকেও পেছনে ফেলেছে ইতালি যেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩১৩ জন। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধানও রয়েছেন। সালভাতোর ফারিনা বলেন, তিনি সেরে উঠছেন এবং নিজে থেকেই আইসোলেশনে রয়েছেন। নতুন করে চালু হওয়া কোয়ারেন্টিনের কঠোর পদক্ষেপ দেশটির মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের উপর প্রভাব ফেলেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলে যা দেশটির অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে যেভাবে হাত ধুতে হবে লম্বার্ডিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বড় ধরণের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় ওই এলাকায় এক কোটির মতো মানুষ বাস করে। সেখানে আক্রান্তদের হাসপাতালের করিডরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। "আমরা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চাই। আমরা বুঝি যে, এই ব্যবস্থার কারণে ছোট-বড় নানা ধরণের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে," শনিবার মধ্যরাতে কড়াকড়ি আরোপের সময় দেয়া ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী কন্টে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মানুষ নির্বিঘ্নে লম্বার্ডিতে প্রবেশ বা বেরিয়ে যেতে পারবে না। ওই এলাকার প্রধান শহর মিলান। একই ধরণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আরো ১৪টি প্রদেশে: মদেনা, পারমা, পিয়াচেনসা, রেজিও এমিলিয়া, রিমিনি, পেজারো এন্ড উরবিনো, আলেসান্দ্রিয়া, আস্তি, নভারা, ভেরবানো কুজিও ওসোলা, ভারসেই, পাদুয়া, ত্রেবিসো ও ভেনিস। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর। রোববার আক্রান্ত এসব এলাকায় কিছু যান চলাচল ছিল। কিছু নিয়মিত ফ্লাইট বাতিল করা হলেও মিলানের মালপেনসা ও লিনাতে বিমানবন্দরে এখনো কিছু ফ্লাইট চলাচল করছে। আরো পড়তে পারেন: যাই হোক, ইতালির জাতীয় বিমান সংস্থা অলইতালিয়া বলেছে, সোমবার থেকে মালপেনসা থেকে সব ধরণের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হবে এবং লিনাতে শুধু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু থাকবে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রোম থেকে পরিচালিত হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম ঘেব্রেয়েসাস ইতালির এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। রবিবার পর্যন্ত ইতালির উত্তরাঞ্চলে ৫০ হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে সরকার দেশের সব স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। অন্যান্য স্থানের অবস্থা কেমন? বিশ্ব জুড়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক লাখ সাত হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৩৬০০ জন। বেশিরভাগ প্রাণহানি হয়েছে চীনে। কিন্তু রবিবার দেশটি জানিয়েছে যে, জানুয়ারির পর থেকে গতকাল দেশটিতে সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে দেশটিতে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে কমে আসছে। ইরান যেখানে চীনের পর সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব আক্রান্ত দেশ, সেখানে ১৯৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ৬৫৬৬ জন সংক্রমিত হয়েছে। তবে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা এর চেয়ে আরো বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিবার এক সরকারি কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু উত্তরাঞ্চলীয় গিলান প্রদেশেই ২০০ জন মারা গেছে। কিন্তু পরে এই সংখ্যা সরিয়ে নেয়া হয়। ফ্রান্সে, পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যেও ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, জাতীয় পরিষদের আরো দুই সদস্য নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট চার জন নির্বাহী সংক্রমণের শিকার হলো। এছাড়া রবিবার ফ্রান্সে ১১২৬ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে, যা একদিনে ১৯% বেশি এবং ইউরোপে ইতালির পর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। এক সাথে এক হাজারের বেশি মানুষ জমায়েত হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। অন্যান্য খবর •যুক্তরাজ্যে ৬০ বছর বয়সী একজন মারা গেছে। এ নিয়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় ব্যক্তি মারা গেল দেশটিতে। ওই ব্যক্তির আরো উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল এবং তিনি নর্থ ম্যানচেস্টার জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। তিনি সম্প্রতি ইতালি ভ্রমণ করে ফিরেছিলেন। •মিশর, কুয়েত এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৯টি দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। এসব দেশের নাগরিকদেরও সৌদিতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও ক্লাস বন্ধ করা হয়েছে। •পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, একটি স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তির পর ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে সাক্ষাতের কারণে নিজে থেকেই বাড়িতেই আইসোলেশনে যাচ্ছেন তিনি। •গত সপ্তাহ কনজারভেটিভ পলিটিকাল অ্যাকশন কনফারেন্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির সাথে হাত মেলানোর পর নিজে থেকে আইসোলেশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন সিনেটর টেড ক্রুজ। •সান ফ্রান্সিস-কোতে নোঙর করে রাখা গ্র্যান্ড প্রিন্সেস প্রমোদ জাহাজটি সোমবার অকল্যান্ডে পৌঁছাবে। •যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনে ১৪ জন আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭০ জনেরও বেশি মানুষকে কোভিড-১৯ এর কারণে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। অন্যান্য যেসব দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে সেগুলো হলো: জার্মানি(৯৩৯), স্পেন(৫৮৯), যুক্তরাজ্য(২৭৩), নেদারল্যান্ডস(২৬৫)। আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, মালদ্বীপ, মাল্টা ও প্যারাগুয়ে-তে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের খরব নিশ্চিত করা হয়েছে। | The number of people to have died from the coronavirus in Italy has shot up by 133 in a day to 366, officials say. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ঘটনাটি ঘটেছে পার্লামেন্ট হিল এলাকায়, যেখানে রয়েছে কুইবেকের পার্লামেন্ট ভবন। এ হামলায় আরো কমপক্ষে পাঁচজন আহতও হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার পরে মধ্য কুড়ির এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ এলাকাবাসীকে ঘরে থাকবার অনুরোধ জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ওল্ড কিবেক এলাকায়। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটার কিছু পরে পার্লামেন্ট হিল এলাকায় প্রথম হামলার খবর আসে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর সংবাদদাতারা টুইটারে ছবি প্রকাশ করে বলছেন, কিবেকের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়। আরো পড়ুন: ফ্রান্সে নবীর কার্টুন ও 'অবমাননা': ঢাকায় ইসলামপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ ফ্রান্স হামলা: হামলাকারী কয়েক দিন আগে তিউনিসিয়া থেকে এসেছিল ফ্রান্সে 'সন্ত্রাসী হামলা', তিনজন ছুরিকাঘাতে নিহত | At least two people have been stabbed to death in the Canadian city of Quebec by a man armed with a sword and dressed in medieval clothing, police say. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | কিন্তু এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্ব নারীদের আবিষ্কারক চিন্তার পুরোপুরি এখনো ব্যবহার করতে পারছে না। যুক্তরাজ্যের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি বিষয়ক দপ্তর (আইপিও) এর এক গবেষণা বলছে, সারা বিশ্বে পেটেন্ট আবেদনের মাত্র ১৩% আসে নারীদের কাছ থেকে। কিন্তু এক সময়, প্রতি সাত জন আবিষ্কারকের মধ্যে এক জনই ছিলেন নারী। এবং যদিও এখন পেটেন্ট আবেদনে নারীদের হার বাড়ছে তবুও এই বিষয়ে লিঙ্গ সমতা আনা ২০৭০ সালের আগে সম্ভব নয়। তাহলে, আবিষ্কারের দুনিয়ায় নারীদের সংখ্যা এতো কম কেন? গবেষকরা বলছেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতে যা একত্রে সংক্ষেপে স্টেম নামে পরিচিত তাতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরণের ফাঁক থাকাটাই এর জন্য দায়ী। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বিষয়ক আইনি প্রতিষ্ঠান পাওয়েল এন্ড গিলবার্টের অংশীদার পেনি গিলবার্টের মতে, এটা একটি পাইপলাইন ইস্যু মাত্র। আরো পড়ুন: চারবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এক নারীর রেকর্ড চারবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এক নারীর রেকর্ড আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী "আমরা যদি নারীদের পেটেন্ট আবেদন বাড়াতে দেখতে চাই, তাহলে আরো বেশি নারীকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্টেম বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে এবং তাদেরকে গবেষণাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে," তিনি বলেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের স্টেম শিল্পের কর্মীদের মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ নারী। এছাড়া মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খুব কম সংখ্যক মেয়ে এবং নারীরা এ ধরণের বিষয়ে পড়াশুনা করে। যদিও এই বৈষম্য দূর করে ভারসাম্যের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্টেমের দুই-তৃতীয়াংশ এখনো পুরুষ সাধারণত, কোন কিছুর আবিষ্কারককেই সেই পণ্যের পেটেন্ট দেয়া হয়। যা ওই পণ্যের আবিষ্কারক বা মালিকদের তাদের পণ্য অন্যদের ব্যবহার করতে দেয়ার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ দেয়। একটি "আবিষ্কার" এর পেটেন্ট পাওয়ার যোগ্য হতে হলে, নতুন একটি ব্যবহারযোগ্য চিন্তা থাকতে হবে- যা ওই ক্ষেত্রে একজন দক্ষ মানুষের জানা থাকবে না। কোন একক ব্যক্তি বা আবিষ্কারকের একটি দল এই আবেদন করতে পারবে। আবিষ্কারকদের মধ্যে লিঙ্গ সমতার পার্থক্য আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন নারীদের আবিষ্কারের বিষয়টি একটি পুরুষ-শাসিত দলে একমাত্র সদস্য হিসেবে কোন নারী থাকে। পেটেন্টের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই পুরুষদের দল কিংবা কোন একক পুরুষ আবিষ্কারকের দখলে। আর সেখানে মাত্র ৬% একক নারী আবিষ্কারক থাকেন। আবিষ্কারক কোন দলের সব সদস্য নারী-এমনটা দেখা যায় না বললেই চলে। আইপিওর মতে, নারীদের দলের আবিষ্কারক হিসেবে পেটেন্টের জন্য আবেদন করার হার মাত্র ০.৩%। তবে পেটেন্টের জন্য আবেদন করলেই যে নারীরা পেটেন্টের অনুমোদন পায় তা নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা পেটেন্ট আবেদন নিয়ে চালানো এক গবেষণা বলেন, কোন আবেদনে নারীর নাম থাকলে পেটেন্টের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনা কম থাকে। এবং অবশ্যই, আবিষ্কারের সাথে জড়িত সবাইকে তো আর পেটেন্ট দেয়া হয় না। বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বিষয়ক একটি সংস্থার আগের পরিচালিত একটি গবেষণা বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, নিজেদের গবেষণার জন্য পেটেন্টের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের সম্ভাবনা পুরুষের তুলনায় অর্ধেক কম। এতে বলা হয় যে, নারীরা পুরুষের মতো তার পণ্যকে বাণিজ্যিক করার বিষয়ে তেমন আগ্রহী নয়। বায়োটেক বা জৈবপ্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে বেশি লিঙ্গ সমতা রয়েছে ১৯৯১ সালে, আন সুকামোতো স্টেম সেলগুলি আলাদা করার একটি উপায় তৈরি করেন। তার উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্যান্সারের রোগীদের রক্ত-ব্যবস্থা বোঝার ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন ঘটেছিল এবং এটি রোগের প্রতিকার খুঁজে বের করাটাকে সম্ভব করতে যাচ্ছিল। ডাঃ সুকামোতো, যিনি বর্তমানে স্টেম সেল বৃদ্ধির বিষয়ে আরও গবেষণা করছেন, এটি ছাড়াও তিনি আরও সাতটি আবিষ্কারের সহ-পেটেন্টি ছিলেন। জৈবপ্রযুক্তি, ওষুধ এবং খাবারের মতো দরকারি পণ্য তৈরিতে জীবিত প্রাণীর ব্যবহারের গবেষণার খাতটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী আবিষ্কারক জড়িত। প্রায় 53% জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কিত পেটেন্টগুলিতে কমপক্ষে একজন নারী উদ্ভাবক রয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে, ফার্মাসিউটিক্যাল সম্পর্কিত পেটেন্টগুলির 52% এর মধ্যে কমপক্ষে একজন মহিলা উদ্ভাবক রয়েছে। এই তালিকার সবচেয়ে নিচে ছিল বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিষয়টি। প্রতি ১০টি পেটেন্ট আবেদনের মধ্যে কমপক্ষে একজন নারী আবিষ্কারক ছিল। ২০৭০ সাল নাগাদ সমতা গত ২০ বছরে নারী আবিষ্কারকদের পেটেন্ট গ্রহণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আইপিও বলছে, ১৯৯৮ সালে এই হার ৬.৮% থেকে বেড়ে ২০১৭ সালে এই হার দাঁড়ায় ১২.৭% এ। একই সময়ের মধ্যে, কোন পেটেন্ট আবেদন যাতে অন্তত একজন নারী আবিষ্কারক রয়েছেন, এমন আবেদনের সংখ্যা ১২% থেকে বেড়ে ২১% হয়। মিস গিলবার্ট বলেন, নারীদের শিক্ষাগত এবং পেশাগত পছন্দ নিয়ে যে সাধারণীকরণ প্রচলিত আছে তা দূর করতে হলে নারীদের স্টেম বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করতে উৎসাহিত করতে হবে। এ বিষয়ে নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ বাড়াতে হবে এবং নারী রোল মডেল তৈরি হলে তার যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। "আমাদের এই বিষয়টির প্রশংসা করতে হবে যে, ইতিহাসে মহান কিছু বিজ্ঞানী এবং আবিষ্কারক নারী ছিলেন-ম্যারি কুরি এবং রোলিন্দ ফ্রাঙ্কলিন থেকে শুরু করে গ্রেস হপার যিনি প্রোগ্রামিং আবিষ্কার করেছিলেন তিনি এবং কেবলারের আবিষ্কারক স্টিফানি কোলেকের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য," তিনি বলেন। "আমাদের উচিত তাদের গল্পগুলো সামনে নিয়ে আসা।" তালিকার শীর্ষে রাশিয়া ১৯৯৮ সালে যেখানে ৮% ছিল তা থেকে ২০১৭ সালে ১১% এ এসে ঠেকেছে এবং যদিও যুক্তরাজ্যে নারী আবিষ্কারকের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু অনেক দেশই আসলে এদিক থেকে যুক্তরাজ্যের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। গত ২০ বছর ধরে জমা পড়া পেটেন্ট আবেদনগুলোর মধ্যে ১৭% আবেদনে অন্তত এক জন নারী থাকায় এই তালিকায় সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি নারী আবিষ্কারক রয়েছেন। এই তালিকার ১০টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান রয়েছে ফ্রান্স। এর ঠিক বিপরীতে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি ২০টি পেটেন্ট আবেদনের মধ্যে একটিরও কম আবেদনে নারী আবিষ্কারক জড়িত থাকার তথ্য জানা যায়। কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল? সাধারণত পেটেন্ট আবেদনে আবিষ্কারকের লিঙ্গের উল্লেখ থাকে না।তাই আইপিও আবেদনে আবিষ্কারকের নামের প্রথম অংশ থেকে লিঙ্গ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এর জন্য ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিস যা বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর পেটেন্টের পরিসংখ্যানগত তথ্য রাখে তাদের সহায়তা নেয়। আবিষ্কারকের নামের সাথে তার লিঙ্গের মিল রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয় যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর এবং মার্কিন সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনের কাছ থেকে জন্ম বিষয়ক তথ্য থেকে। এসব তথ্যে জন্ম নেয়া শিশুর নাম, ছেলে এবং মেয়ে শিশুর সংখ্যার উল্লেখ থাকে। এছাড়া একই সাথে ফেসবুক প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে নামের সাথে লিঙ্গের মিল কতটা থাকে তা থেকেও তথ্য ও সহায়তা নেয়া হয় বড় তথ্য তালিকা তৈরির সময়। এক্ষেত্রে সেসব নামই নেয়া হয়েছে যেগুলো ৯৫% ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে ব্যক্তির লিঙ্গ নিশ্চিত করে। ছেলে বা মেয়ে যে কারো হতে পারে এমন নাম যেমন 'রবিন' তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ৭৫% ক্ষেত্রে নামের সাথে লিঙ্গের মিল পাওয়া গেছে। যদিও দেশ ভেদে এই সাফল্যের হারে পার্থক্য রয়েছে। ব্যবহৃত নামের তালিকা গুলোতে পশ্চিমা নামের দিকে ঝোঁক বেশি ছিল, যার কারণে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে সফলতার হার সবচেয়ে বেশি, যেখানে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনে এই হার সবচেয়ে কম। ১০০ নারী কী? বিবিসি ১০০ নারীর নামের তালিকায় প্রতি বছর বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী এবং অনুপ্রেরণায়ময় নারীর নাম এবং তাদের গল্প প্রকাশ করা হয়। #100Women এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে এই তালিকা পাওয়া সম্ভব। ভিডিও দেখুন: বাংলাদেশে বিজ্ঞান চর্চায় নারীদের যত চ্যালেঞ্জ বিজ্ঞান চর্চায় কতটা আগ্রহী নারীরা বিবিসি বাংলার অন্যন্য খবর: নতুন সৌদির ক্ষমতাধর নেতা এমবিএস লোকটি কেমন? সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার যত সুফল এবং কুফল নারীবিদ্বেষ ও বর্ণবাদ: গান্ধীর যতো বিতর্কিত দিক | It's easy to list some of the many everyday items invented and patented by women - the dishwasher, windscreen wipers, the board game Monopoly, to name but a few - but the world is still failing to take full advantage of women's innovative ideas, a report suggests. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | প্রচুর সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়ে থাকেন ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনে। তারা বলছেন, এরা মূলত দীর্ঘ সময় ধরে করা কাজের অতিরিক্ত চাপ থেকে অবসাদজনিত কারণে মারা গেছেন। দেশটির নির্বাচন কমিশন কেপিইউর একজন কর্মকর্তা ও মুখপাত্র আরিফ প্রিও সুসান্ত বলেছেন, কাজের চাপে তাদের আরো ১,৮৭৮ জন কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭ই এপ্রিল। এই ভোট গণনা ও নজরদারিতে সাহায্য করছে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। অত্যন্ত গরমের মধ্যে তাদেরকে সারা রাত ধরে কাজ করতে হচ্ছে। ২৬ কোটি মানুষের এই দেশটিতে এবারই প্রথমবারের মতো একসাথে প্রেসিডেন্ট, জাতীয় সাধারণ ও আঞ্চলিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। অর্থ সাশ্রয়ের লক্ষ্যেই এসব নির্বাচন এবার একসাথে আয়োজন করা হয়। ভোটারের সংখ্যা ১৯ কোটিরও বেশি। আর ভোট কেন্দ্র ছিল আট লাখেরও বেশি। নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটারদেরও ৮০ শতাংশেরও বেশি এবারের নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। বলা হচ্ছে, নির্বাচনী কাজের এসব কর্মীদের বেশিরভাগই অস্থায়ী কর্মী। ভোটারের সংখ্যা ১৯ কোটিরও বেশি। আর ভোট কেন্দ্র ছিল আট লাখেরও বেশি। আরো পড়তে পারেন: ইহুদিবিদ্বেষী খোলা চিঠির পর সিনাগগে বন্দুক হামলা হাত না থেকেও জিতে নিল হাতের লেখা প্রতিযোগিতা কতদিন থাকবে দাবদাহ, যা বলছে আবহাওয়া অফিস যে ব্যক্তিকে ছয় বছর বয়স থেকে আটকে রেখেছে চীন নির্বাচন কমিশন কেপিইউর মুখপাত্র বলছেন, তাদের মধ্যে ২৭২ জন মারা গেছে এবং অতিরিক্ত পরিমাণ কাজ-জনিত অসুস্থতাই তাদের মৃত্যুর কারণ। নিহত এসব কর্মীর পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। বলা হচ্ছে, এর পরিমাণ হতে পারে পরিবার-প্রতি দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার ডলার। এই অর্থ একজন কর্মীর এক বছরের সর্বনিম্ন মজুরির সমান। সমালোচকরা বলছেন, সবগুলো নির্বাচন একসাথে করে বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়নি সরকার। তারা বলছেন এতো বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্যে প্রয়োজনীয় লোকবলও কর্তৃপক্ষের ছিল না। এখনও ভোট গণনা শেষ হয়নি। নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ করে তারা আগামী ২২শে ফলাফল ঘোষণা করবেন। তবে তার আগে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রাবোভো সুবিয়ান্তো দুজনেই নিজেদেরকে বিজয়ী হিসেবে দাবি করছেন। | More than 270 election workers in Indonesia have died, mostly of fatigue-related illnesses caused by long hours of work counting millions of ballot papers by hand, an official says. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | উজ্জল লাল রঙয়ের এই আপেলটি রংয়ের কারণে ইনস্টাগ্রামেও জনপ্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে দুই দশক যাবত এই আপেলের জাতটি নিয়ে গবেষণা করার পর আপেলটি ব্যবসায়িকভাবে ওয়াশিংটন রাজ্যের কৃষকদের চাষ করার জন্য অনুমতি দেয়া হচ্ছে। শুধু ওয়াশিংটনের কৃষকরা আগামী দশ বছর এই জাতের আপেল চাষ করতে পারবে। ১৯৯৭ সালে ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি গবেষণামূলকভাবে এই আপেলটি প্রথমবার চাষ করে। নতুন ধরণের এই আপেলের চাষ ব্যবসায়িকভাবে শুরু করতে ১ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। আরো পড়ুন: বাঙালিদের কেন আপেল-স্ট্রবেরি না খেলেও চলবে? ৭০ দিন পর কাশ্মীরে ফের চালু হচ্ছে মোবাইল ফোন ধর্ষণকারী কোন ধর্মের, ভারতে বিতর্ক যখন তা নিয়ে কসমিক ক্রিস্প নামের এই আপেলের জাতটি হানি ক্রিস্প ও এন্টারপ্রাইজ, এই দুই ধরণের আপেলের সংমিশ্রণ। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এই আপেলটির চাষ ও বংশবৃদ্ধি বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করা একজন গবেষক কেট ইভান্স জানান এই আপেল ফ্রিজে থাকলে ১০ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত খাওয়ার যোগ্য থাকে এবং আপেলের স্বাদ ও অন্যান্য গুণাগুণও অক্ষুন্ন থাকে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখের বেশি কসমিক ক্রিস্প আপেলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং কঠোর লাইসেন্সিং পদ্ধতি দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ওয়াশিংটন বাদে দেশের অন্যান্য এলাকার কৃষকরা যেন এই জাতের আপেল চাষ করতে না পারে। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আপেল হয় ওয়াশিংটনে। ঐ এলাকার অন্যতম জনপ্রিয় আপেলের জাত গোল্ডেন ডেলিশাস এবং রেড ডেলিশাস। তবে সম্প্রতি পিঙ্ক লেডি ও রয়্যাল গালা জাতের আপেলও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কলার পর যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ফল আপেল। বিবিসি বাংলার আরো খবর: আপেল থেকে তৈরি কৃত্রিম কান | A new breed of apple that took two decades to develop and allegedly lasts for up to a year in the fridge goes on sale in the US on Sunday. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন (এটি ২০১৭ সালের আলোচনার ছবি)। এই পুঙ্গি রি কেন্দ্র থেকে ২০০৬ সালের পর কমপক্ষে ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ পরীক্ষার পর পুঙ্গি রি কেন্দ্রে পরপর অনেকগুলো ঘাত বা পরাঘাত সৃষ্টি হয়েছিল। ভূতাত্ত্বিকেরা বিশ্বাস করেন যে পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে থাকা পাহাড়ের ভেতরের একাংশ ধসে পড়ায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছিল। চীনা বিজ্ঞানীরা এমন এক সময় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের অবস্থা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করলেন, যখন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঐতিহাসিক বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন পারমাণবিক পরীক্ষা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে চীনা বিজ্ঞানীরা আশংকার ভিত্তি হিসেবে তাদের গবেষণার কথা বলছেন। তারা বলেছেন, সেপ্টেম্বরে পারমাণবিক পরীক্ষার সাড়ে আট মিনিট পরই পুঙ্গি রি কেন্দ্রের দিকে একটি স্থাপনা ধসে পড়ে। উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্ব পাহাড়ী অঞ্চলে এই পরীক্ষা কেন্দ্রটির অবস্থান। সেখানে পাহাড়ের নীচে সুড়ঙ্গ কেটে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হতো। তবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার এটিই কী কারণ, না-কি দেশটির কৌশলগত অনেক চিন্তা রয়েছে? এ নিয়ে অবশ্য অনেক আলোচনা চলছে। কিম জং-উন ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি তদারকি করছেন চীনা গবেষক দলের প্রধান ওয়েন লিয়ানজিং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, তাদের গবেষণার ভিত্তিতে প্রকাশিত নিবন্ধে উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রটির উপযোগিতা বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত তারা দেননি। তারা মনে করছেন, ধসের পর পরীক্ষা কেন্দ্রটি থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ছে কি-না, তা পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার পর একটি ভূকম্পন রেকর্ড করেছিল। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণার পিছনে অন্য কোন কারণ কি থাকতে পারে? উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মনে করেন, তাঁর দেশ পারমানবিক অস্ত্র্র তৈরিতে বিশ্বে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে। তবে এখন যে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈঠককে কেন্দ্র করে তিনি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে উত্তর কোরিয়া রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলে তিনি আশা করছেন। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, উত্তর কোরিয়া বিশ্বে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে, তবে এখন দু'টি ঐতিহাসিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশটি সেই অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক শুরু হয়েছে গুজরাতের হাজার হাজার কৃষক কেন স্বেচ্ছামৃত্যু চান? | Chinese scientists have concluded that North Korea's nuclear test site has partially collapsed, potentially rendering it unusable. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | এই প্রপাগান্ডা লাইব্রেরিতে আছে হাজার হাজার দলিল, ছবি এবং ভিডিও এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে আছে ৯০ হাজারের বেশি আইটেম। প্রতিমাসে প্রায় ১০,০০০ মানুষ এই ডিজিটাল লাইব্রেরির সাইটে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেটে যেন ক্রমাগত চরমপন্থী মতাদর্শের নানা বিষয় দেয়া যায়, এই লাইব্রেরি যেন সেই উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। কিন্তু এই লাইব্রেরিটি বন্ধ করা যাচ্ছে না, কারণ এর তথ্য কোন একটি জায়গায় সংরক্ষিত নয়। ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস-বিরোধী কর্তৃপক্ষকে এই অনলাইন লাইব্রেরির ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারপরও এটির কলেবর বেড়েই চলেছে। দু'হাজার উনিশ সালের অক্টোবরে ইসলামিক স্টেটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদী নিহত হওয়ার পর প্রথম এই লাইব্রেরির খোঁজ পাওয়া যায়। তখন ইসলামিক স্টেটের সমর্থনে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের নীচে এটির লিংক দেয়া থাকতো। এর ভিত্তিতেই গবেষকরা এই লাইব্রেরির সন্ধান পান। সেখানে নয়টি বিভিন্ন ভাষায় অনেক দলিল এবং ভিডিও রাখা ছিল। ২০০৫ সালে লন্ডনে বোমা হামলার বিষয়ে একটি গ্রাফিক চিত্র এর মধ্যে ছিল অনেক সন্ত্রাসবাদী হামলার বিস্তারিত তথ্য। যেমন, ২০১৭ সালের ২২শে মে ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় হামলা, ২০০৫ সালের ৭ই জুলাই লন্ডনে হামলা এবং ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার ঘটনা। আইএসডির ডেপুটি ডিরেক্টর মোস্তাফা আইয়াদ, যিনি এই লাইব্রেরির সন্ধান পান, তিনি বলেন, "একটা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করার জন্য যেসব বিষয় জানা দরকার, তার সবই সেখানে আছে। কীভাবে একজন ভালো সন্ত্রাসবাদী হতে হবে, তা শেখানোর সব কিছুই সেখানে আছে।" আইএসডি এই লাইব্রেরির নাম দেয় 'ক্যালিফেট ক্যাশে' বা খেলাফতের গুপ্ত ভান্ডার। আইএসডির গবেষকরা কয়েকমাস ধরে এটির ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। তারা বোঝার চেষ্টা করেছেন কিভাবে এটি তৈরি হয়েছে, কারা কীভাবে এটি চালায় এবং কারা এই সাইটে আসে। এই লাইব্রেরির তথ্য একটি কম্পিউটার সার্ভারে রাখা হয়নি। সব তথ্য ছড়ানো আছে এক বিকেন্দ্রীকৃত ব্যবস্থায়। যে কেউ অনলাইনে এগুলো শেয়ার করতে পারে বিভিন্ন জায়গায় রাখা সার্ভারের মাধ্যমে। যার ফলে এই সাইটটি বন্ধ করা সহজ নয়। এই অনলাইন তথ্যভান্ডারের সংগ্রহ বেড়েই চলেছে ইসলামিক স্টেটের এই তথ্য ভান্ডার যতক্ষণ অনলাইনে আছে, ততক্ষণ তার নতুন নুতন জিনিস দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। পপ সঙ্গীত তারকা ইসলামিক স্টেটের এসব বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট পেজেও যুক্ত করা হয়। বট একাউন্টের (স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম) মাধ্যমে এগুলি ছড়িয়ে দেয়া হয়। তাদের আরেকটি কৌশল হচ্ছে সেলিব্রেটি এবং নামকরা অ্যাথলীটদের টুইটার একাউন্ট টার্গেট করা। আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট আইএস'এর বিদেশি যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে কারা? ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঘটছে ইরাকে? যেমন পপ তারকা জাস্টিন বিবারের এক ভক্তের একাউন্ট হাইজ্যাক করে ইসলামিক স্টেট। এরপর তারা এই একাউন্ট ব্যবহার করে তাদের লাইব্রেরির জিনিসপত্র প্রচার করে। আরেক ঘটনায় ইসলামিক স্টেট এমন এক একাউন্ট তৈরি করে যেটি মনে হচ্ছে যেন ইংলিশ রাগবি দলের এক সমর্থকের একাউন্ট। এরপর তারা ইংলিশ রাগবি টিমের একাউন্টকে তাদের একাউন্টের ফলোয়ার বানাতে সক্ষম হয়। তবে ইসলামিক স্টেটের লাইব্রেরির সব জিনিস যে সহিংসতায় ভরা তা নয়। সেখানে ইসলামিক স্টেটের দর্শন, ধর্মীয় নানা বই আছে। ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠিত হলে সেটি দেখতে কেমন হবে, তার প্রপাগান্ডামূলক অনেক বিষয়ও রাখা আছে। গবেষকরা বলছেন, শামীমা বেগমের মতো যেসব মেয়ে পালিয়ে গিয়ে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গীদের বধু হয়েছে. তারা হয়তো এসব দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে। পপ তারকা জাস্টিন বিবারের এক ভক্তের টুইটার একাউন্ট হ্যাক করে এই ভিডিও পোস্ট করা হয় তবে ইসলামিক স্টেটের এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে যারা আকৃষ্ট হয়েছে তাদের বেশিরভাগ আসলে ১৮-২৪ বছর বয়সী আরব পুরুষ। এই সাইটে বেশিরভাগ ট্রাফিক এসেছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে, বিশেষ করে ইউটিউব থেকে। আইএসডি তাদের গবেষণায় দেখেছে, ইসলামিক স্টেটের এরকম গোপন তথ্যভান্ডার অভিনব কিছু নয়। অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চরমপন্থী গোষ্ঠীরও একই ধরণের ছোট ছোট তথ্য ভান্ডার আছে। এরাও বিকেন্দ্রীকৃত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এর জন্যে। গবেষকরা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষকেও তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্কের কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেন নি। তবে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং স্পেশালিস্ট অফিসাররা এখন ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছেন। | One of the largest collections of online material belonging to the group calling itself Islamic State has been discovered by researchers at the Institute of Strategic Dialogue (ISD). |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে তারা এই প্রস্তাব খোলা মনেই যাচাই করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরও যেসব সুবিধা ব্রিটেন নিতে চায় সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড টুস্কসহ ওই অঞ্চলের আরও বেশ কিছু নেতা। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে যা আছে বরিস জনসনের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ব্রেক্সিটের পরও উত্তর আয়ারল্যান্ড খাদ্য, শিল্পজাত পণ্য ও পশু সম্পদের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজার ব্যবস্থার মধ্যেই থাকবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের অন্য অংশের মতোই তারা শুল্ক ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবে। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমানার কী হবে সেটি আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বরিস জনসনের প্রস্তাব হল উত্তর আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ থাকতে চায় কিনা সে ব্যাপারে সেখানকার সংসদের, প্রতি চার বছর পরপর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকবে। বরিস জনসন ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ইইউ ছেড়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার নতুন প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও তিনি বলছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে তাতে ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বরিস জনসন বলেছেন ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে নতুন সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই ইইউ কর্তৃপক্ষের সাথে দ্বিমত ঘোচাতে তিনি সত্যিকার অর্থেই চেষ্টা করেছেন। আরো পড়ুন: বরিস জনসন: ব্রিটেনের বিতর্কিত নতুন প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট: এরপর কী হতে পারে? প্রধানমন্ত্রী জনসন এই তারিখের আগেই ইইউ ছেড়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করলেও যুক্তরাজ্যের এমপিরা পার্লামেন্টে এমন আইন পাশ করে ফেলতে পারেন যার ফলে তাকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে দেরি করতে হতে পারেন। যদি না তার আগেই তিনি সফল একটি চুক্তি করতে পারেন। যুক্তরাজ্য সরকার বলছে তারা ১৭ই অক্টোবরের মধ্যে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌছাতে চান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা যা বলছেন ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ইতিমধ্যেই বরিস জনসনের পরিকল্পনায় সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমানার বিষয়টি সমাধান করতে না পারা। তারা ইইউ একক ব্যাজার ব্যবস্থার জন্যেও হুমকি দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ব্রেক্সিট নিয়ে বিভক্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় লিখেছেন তিনি আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, "বরিস জনসনের প্রতি আমার বার্তা হল, আমরা প্রস্তাব খোলা মনেই যাচাই করবো কিন্তু সন্তুষ্ট নই।" ইইউ ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীরা এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যাঁ ক্লদ জাংকার বলেছেন, যুক্তরাজ্যে চুক্তির ব্যাপারে বেশ এগোলেও আরও অনেক কাজ বাকি। এই মুহূর্তে বরিস জনসনের প্রস্তাব মানার বিপক্ষে তিনি। আর ইইউ ব্রেক্সিট বিষয়ক সমন্বয়ক গাই ভারহফস্টাডা সরাসরি বলেছেন এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। ইইউ পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট কমিটি বলেছে আগে যা কথা হয়েছে নতুন পরিকল্পনা তার ধারে কাছেও নেই। অন্যান্য খবর: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া যেভাবে বদলে দিচ্ছে জীবন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে ভারতের ট্রেন | European Council President Donald Tusk has hinted that the UK should stay in the EU, after the prime minister's Brexit deal was rejected in parliament. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | শেখ আহমেদ আল তায়েব ২০১০ সাল থেকে মিশরের আল আজহার এর প্রধান ইমাম হিসেবে রয়েছেন। এই প্রধান ইমাম বা গ্র্যান্ড ইমাম হচ্ছেন শেখ আহমেদ আল-তাইয়েব। তাঁকে সেখানে সুন্নী ইসলামের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বলেছেন, কোরান সঠিকভাবে না বুঝে প্রায়শই এই বহুবিবাহের বিষয়টি অনুশীলন করা হয়। তিনি তাঁর সাপ্তাহিক টেলিভিশন আনুষ্ঠানে এই ফতোয়া দেন। পরে তিনি টুইটারেও একই বক্তব্য তুলে ধরেন। তাঁর এই ফতোয়া নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। মিশরে সেই বিতর্কের মুখে আল আজহার নামের ইসলামিক প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেয়। সেই ব্যাখ্যায় বলা হয়, প্রধান ইমাম বহুবিবাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। তিনি বিবাহ নিয়ে ভুল অনুশীলনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। একইসাথে বিতর্কের মুখে শেখ আহমেদ আল-তায়েবও তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেননি। আরও পড়ুন: কাদের চোখ খুলেছেন, তবে পুরোপুরি শঙ্কা মুক্ত নন ইমরান বনাম মোদী: কৌশলের লড়াইতে জিতলেন কে? 'মুসলিম বিরোধী পোস্টার':ক্ষুব্ধ মার্কিন কংগ্রেস সদস্য তিনি তাঁর নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বলেছেন যে, একটি বিবাহ করাই ছিল নিয়ম এবং বহু বিবাহ হচ্ছে ব্যতিক্রম। তিনি আরও বলেছেন, যারা স্ত্রী থাকা সত্বেও বহুবিবাহের পক্ষে থাকেন বা সেটাকেই নিয়ম মনে করেন, তারা সকলেই ভুল। বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে মিশরের এই ইমাম কোরান থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, "একজন মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন। কিন্তু তাকে একাধিক স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য ন্যায্যতার শর্ত মেনে চলতে হবে।যদি সেই ন্যায্যতা না থাকে, তাহলে একাধিক স্ত্রী বা বহুবিবাহ নিষিদ্ধ।" তিনি মনে করেন, একাধিক স্ত্রী রেখে ন্যায্যতা রাখা সম্ভব নয়। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কারের যে আন্দোলন, তাকে সমর্থন করেন মিশরের এই ইমাম। টুইটারে তিনি বলেছেন, "সমাজের অর্ধেক নারী। ফলে তারাই সমাজের অর্ধেকের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা যদি তাদের যত্ন বা সন্মান না করি, তাহলে এটি কেবল এক পায়ে হেঁটে যাওয়া।" মিশরে নারীদের জন্য যে জাতয়ি কাউন্সিল রয়েছে, তারা এই ইমামের বক্তব্যের ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। | The grand imam of Egypt's top Islamic institution, al-Azhar, has said polygamy can be an "injustice for women and children". |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, প্লাজমা থেরাপির চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ কমতে পারে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের রক্ত থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্লাজমা দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রেই এর মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি মানুষের ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ কমতে পারে। এর একদিন আগেই এফডিএ-র বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন যে, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে টিকার অবমুক্তি আর চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন দেয়া নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ করেছিলেন। হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয় দফার দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার আগে আগে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের আগের দিন এই ঘোষণা এলো। রবিবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ''অনেক দিন ধরে এটি আমি চাইছিলাম। চীনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এরকম একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা দিতে পেরে আমি আনন্দিত, এটি আমাদের অসংখ্য জীবন বাঁচাবে।'' একে একটি শক্তিশালী পদ্ধতি বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে কোভিড-১৯ থেকে যারা সুস্থ হয়েছেন, তাদের প্লাজমা দান করতে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান। খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) বলছে, প্রাথমিক গবেষণা দেখা যাচ্ছে যে, হাসপাতালে ভর্তির প্রথম তিনদিনের মধ্যে রক্তের প্লাজমা দিতে পারলে সেটি মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে পারছে এবং রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, সাম্প্রতিক কয়েক মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, এটি একটি নিরাপদ পদ্ধতি। যেকোনো ঝুঁকির তুলনায় এর উপকারিতা অনেক বেশি বলে তারা জানিয়েছে। ''দেখা যাচ্ছে এটা একটা নিরাপদ পদ্ধতি। আমাদের এ নিয়ে কোন আপত্তি নেই এবং নিরাপত্তার ইস্যুতে এখানে আমরা কোন ঝুঁকি দেখছি না,'' রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন এফডিএ-র জীববিজ্ঞান মূল্যায়ন এবং গবেষণা বিভাগের পরিচালক পিটার মার্কস। তবে হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যান্থনি ফাউচির মতো বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর রক্ত যেভাবে অন্যদের বাঁচাতে পারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর রক্ত দিয়ে চিকিৎসার পরিকল্পনা করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কীভাবে কাজ করবে প্লাজমা থেরাপি? 'প্লাজমা থেরাপি' নিয়ে বাংলাদেশে কী হচ্ছে, 'প্রটোকল' কী বলছে 'কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি'র সাফল্য নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই কয়েকটি শর্ত মেনে করোনাভাইরাস রোগীদের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করার অনুমতি দিয়েছে এফডিএ। বিশেষ করে যারা গুরুতর অসুস্থ অথবা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিতে চান তাদের ক্ষেত্রে। এ বছরের শুরুর দিকে গিলেড সাইন্স কোম্পানিকে করোনাভাইরাস রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। এদিকে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেসরা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকার জরুরি অনুমোদন দেয়ার কথা ভাবছে হোয়াইট হাউজ। ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউজ। তবে অ্যাস্ট্রোজেনেকার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বছরের শেষদিক ছাড়া এই টিকার কার্যকর ফলাফল পাওয়া সম্ভব হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এন্ড মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রেই এক লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। পৃথিবীতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আট লাখের বেশি মানুষ। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষ। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জন আর কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৩,৯৪১ জন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইারসের টিকা তৈরিতে কেন এই প্রতিযোগিতা হজমশক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় কী কী? বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গায় যেভাবে থাকে মানুষ সামাজিক মাধ্যমে নারী ও শিশুদের ছবিতে কারা, কেন খারাপ মন্তব্য করে? | The US Food and Drug Administration (FDA) has given emergency authorisation to use plasma to treat Covid patients. |
End of preview. Expand
in Dataset Viewer.
README.md exists but content is empty.
- Downloads last month
- 35