id
string
title
string
context
string
question
string
answers
sequence
977
null
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঘন ঘন ভারতরত্ন প্রদান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বদের উপেক্ষা করার অভিযোগ একাধিকবার উত্থাপিত হয়েছে। ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে করেন। সেই হিসেবে, ১৯৫৫ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (১৯৪৭-৬৪) ও ১৯৭১ সালে অপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (১৯৬৬-৭৭, ১৯৮০-৮৪) বিরুদ্ধে নিজেদের ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (১৯৮৪-৮৯) চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম. জি. রামচন্দ্রনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করেন। তার এই সিদ্ধান্ত ১৯৮৯ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ও বল্লভভাই প্যাটেলের আগে রামচন্দ্রনকে ভারতরত্ন প্রদান করা নিয়েও সমালোচনা হয়। উল্লেখ্য, আম্বেডকর ও প্যাটেলকে যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। রবি শংকরের বিরুদ্ধে ভারতরত্নের জন্য তদ্বির করার অভিযোগ ওঠে। ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক কে. কামরাজকে ভারতরত্ন প্রদান ১৯৭৭ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের বিরুদ্ধে দলিতদের প্রভাবিত করার জন্য আম্বেডকরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। কয়েকজনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের পরে তাদের ভারতরত্ন প্রদান করার জন্য সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।
কোন সালে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমজি রামচন্দ্রনকে ভারতরত্ন প্রদান করা হয়?
{ "text": [ "১৯৮৮" ], "answer_start": [ 463 ] }
978
null
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঘন ঘন ভারতরত্ন প্রদান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বদের উপেক্ষা করার অভিযোগ একাধিকবার উত্থাপিত হয়েছে। ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে করেন। সেই হিসেবে, ১৯৫৫ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (১৯৪৭-৬৪) ও ১৯৭১ সালে অপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (১৯৬৬-৭৭, ১৯৮০-৮৪) বিরুদ্ধে নিজেদের ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (১৯৮৪-৮৯) চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম. জি. রামচন্দ্রনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করেন। তার এই সিদ্ধান্ত ১৯৮৯ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ও বল্লভভাই প্যাটেলের আগে রামচন্দ্রনকে ভারতরত্ন প্রদান করা নিয়েও সমালোচনা হয়। উল্লেখ্য, আম্বেডকর ও প্যাটেলকে যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। রবি শংকরের বিরুদ্ধে ভারতরত্নের জন্য তদ্বির করার অভিযোগ ওঠে। ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক কে. কামরাজকে ভারতরত্ন প্রদান ১৯৭৭ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের বিরুদ্ধে দলিতদের প্রভাবিত করার জন্য আম্বেডকরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। কয়েকজনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের পরে তাদের ভারতরত্ন প্রদান করার জন্য সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।
কোন সালে মাদার তেরেসা নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
979
null
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঘন ঘন ভারতরত্ন প্রদান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বদের উপেক্ষা করার অভিযোগ একাধিকবার উত্থাপিত হয়েছে। ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে করেন। সেই হিসেবে, ১৯৫৫ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (১৯৪৭-৬৪) ও ১৯৭১ সালে অপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (১৯৬৬-৭৭, ১৯৮০-৮৪) বিরুদ্ধে নিজেদের ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (১৯৮৪-৮৯) চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম. জি. রামচন্দ্রনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করেন। তার এই সিদ্ধান্ত ১৯৮৯ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ও বল্লভভাই প্যাটেলের আগে রামচন্দ্রনকে ভারতরত্ন প্রদান করা নিয়েও সমালোচনা হয়। উল্লেখ্য, আম্বেডকর ও প্যাটেলকে যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। রবি শংকরের বিরুদ্ধে ভারতরত্নের জন্য তদ্বির করার অভিযোগ ওঠে। ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক কে. কামরাজকে ভারতরত্ন প্রদান ১৯৭৭ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের বিরুদ্ধে দলিতদের প্রভাবিত করার জন্য আম্বেডকরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। কয়েকজনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের পরে তাদের ভারতরত্ন প্রদান করার জন্য সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।
কোন সালে মাদার তেরেসাকে ভারতরত্ন দেওয়া হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
980
null
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঘন ঘন ভারতরত্ন প্রদান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বদের উপেক্ষা করার অভিযোগ একাধিকবার উত্থাপিত হয়েছে। ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে করেন। সেই হিসেবে, ১৯৫৫ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (১৯৪৭-৬৪) ও ১৯৭১ সালে অপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (১৯৬৬-৭৭, ১৯৮০-৮৪) বিরুদ্ধে নিজেদের ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (১৯৮৪-৮৯) চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম. জি. রামচন্দ্রনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করেন। তার এই সিদ্ধান্ত ১৯৮৯ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ও বল্লভভাই প্যাটেলের আগে রামচন্দ্রনকে ভারতরত্ন প্রদান করা নিয়েও সমালোচনা হয়। উল্লেখ্য, আম্বেডকর ও প্যাটেলকে যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। রবি শংকরের বিরুদ্ধে ভারতরত্নের জন্য তদ্বির করার অভিযোগ ওঠে। ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক কে. কামরাজকে ভারতরত্ন প্রদান ১৯৭৭ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের বিরুদ্ধে দলিতদের প্রভাবিত করার জন্য আম্বেডকরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। কয়েকজনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের পরে তাদের ভারতরত্ন প্রদান করার জন্য সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।
ভারতরত্ন প্রদানের ব্যাপারে জওহরলাল নেহেরুর বিরুদ্ধে কোন সালে অভিযোগ আনা হয়েছিল?
{ "text": [ "১৯৫৫" ], "answer_start": [ 278 ] }
981
null
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঘন ঘন ভারতরত্ন প্রদান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বদের উপেক্ষা করার অভিযোগ একাধিকবার উত্থাপিত হয়েছে। ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে করেন। সেই হিসেবে, ১৯৫৫ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (১৯৪৭-৬৪) ও ১৯৭১ সালে অপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (১৯৬৬-৭৭, ১৯৮০-৮৪) বিরুদ্ধে নিজেদের ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (১৯৮৪-৮৯) চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম. জি. রামচন্দ্রনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করেন। তার এই সিদ্ধান্ত ১৯৮৯ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ও বল্লভভাই প্যাটেলের আগে রামচন্দ্রনকে ভারতরত্ন প্রদান করা নিয়েও সমালোচনা হয়। উল্লেখ্য, আম্বেডকর ও প্যাটেলকে যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। রবি শংকরের বিরুদ্ধে ভারতরত্নের জন্য তদ্বির করার অভিযোগ ওঠে। ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক কে. কামরাজকে ভারতরত্ন প্রদান ১৯৭৭ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের বিরুদ্ধে দলিতদের প্রভাবিত করার জন্য আম্বেডকরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। কয়েকজনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের পরে তাদের ভারতরত্ন প্রদান করার জন্য সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।
ভীমরাও রামজি আম্বেদকর কে কোন সালে ভারতরত্ন প্রদান করা হয়?
{ "text": [ "১৯৯০" ], "answer_start": [ 891 ] }
982
null
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঘন ঘন ভারতরত্ন প্রদান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বদের উপেক্ষা করার অভিযোগ একাধিকবার উত্থাপিত হয়েছে। ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে করেন। সেই হিসেবে, ১৯৫৫ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (১৯৪৭-৬৪) ও ১৯৭১ সালে অপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (১৯৬৬-৭৭, ১৯৮০-৮৪) বিরুদ্ধে নিজেদের ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (১৯৮৪-৮৯) চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম. জি. রামচন্দ্রনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করেন। তার এই সিদ্ধান্ত ১৯৮৯ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ও বল্লভভাই প্যাটেলের আগে রামচন্দ্রনকে ভারতরত্ন প্রদান করা নিয়েও সমালোচনা হয়। উল্লেখ্য, আম্বেডকর ও প্যাটেলকে যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। রবি শংকরের বিরুদ্ধে ভারতরত্নের জন্য তদ্বির করার অভিযোগ ওঠে। ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক কে. কামরাজকে ভারতরত্ন প্রদান ১৯৭৭ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের বিরুদ্ধে দলিতদের প্রভাবিত করার জন্য আম্বেডকরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে। কয়েকজনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের পরে তাদের ভারতরত্ন প্রদান করার জন্য সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।
বল্লভভাই প্যাটেল কে কোন সালে ভারতরত্ন প্রদান করা হয়?
{ "text": [ "১৯৯১" ], "answer_start": [ 898 ] }
983
null
বিশেষ করে বাংলাদেশে, শুখা মরসুমে খরা ও বর্ষাকালে বন্যা একটি প্রধান সমস্যা। গাঙ্গেয় বদ্বীপে অনেক বড় নদী রয়েছে। এগুলি হয় উপনদী নয় শাখানদী। এই সব নদনদী একটি জটিল নদীজালিকা সৃষ্টি করে রেখেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র এদের মধ্যে বৃহত্তম নদী। দুই নদীই একাধিক শাখানদীতে বিভক্ত হয়েছে, আবার শাখানদীগুলিও পরস্পর মিলিত হয়েছে। তবে এই নদীজালিকাগুলিতেও মাঝে মাঝে ভৌগোলিক পরিবর্তন দেখা যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর আগে ভাগীরথী-হুগলি শাখানদীটিই ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ। পদ্মা ছিল একটি ছোট শাখানদী মাত্র। তবে গঙ্গা বঙ্গোপসাগরে মিলিত হত আধুনিক হুগলি নদীর পথে নয়, আদিগঙ্গার মাধ্যমে। দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভাগীরথী-হুগলি ও পদ্মার আকার প্রায় একই হয়ে দাঁড়ায়। ষোড়শ শতাব্দীর পরে পদ্মা আকার বৃদ্ধি পায় এবং তা গঙ্গার মূল প্রবাহপথে পরিণত হয়। মনে করা হয়, ভাগীরথী-হুগলির প্রবাহপথটি ক্রমে ক্রমে পলি পড়ে রুদ্ধ হয়ে যায়। সেই জন্যই গঙ্গার মূল প্রবাহ পদ্মার পথে সরে গিয়েছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে পদ্মাই গঙ্গার মূল প্রবাহপথ হয়ে দাঁড়ায়। গঙ্গার মূল প্রবাহপথ পদ্মায় সরে যাওয়ার ফলে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পৃথকভাবে বঙ্গোপসাগরে না মিশে একসঙ্গে মিলিত হয়। গঙ্গা ও মেঘনার বর্তমান সঙ্গমস্থলটি দেড়শো বছর আগে গঠিত হয়েছে। আঠারো শতকের শেষাশেষি নিম্ন ব্রহ্মপুত্রেরও প্রবাহপথে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গঙ্গার সঙ্গে এর সম্পর্কটিই যায় বদলে। ১৭৮৭ সালের বিধ্বংসী বন্যা তিস্তা নদীর প্রবাহপথটি ঘুরে যায়। এই নদী আগে গঙ্গা-পদ্মার উপনদী ছিল। ১৭৮৭ সালের বন্যার পর নদীটি গতিপথ পালটে পূর্বদিকে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রে পড়ে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ দক্ষিণে সরে আসে এবং একটি নতুন নদীপথের সৃষ্টি হয়। ব্রহ্মপুত্রের এই নতুন প্রধান গতিপথটির নাম হয় যমুনা নদী। এটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা-পদ্মায় মিলিত হয়। আগে ব্রহ্মপুত্রের গতি ছিল কিঞ্চিৎ পূর্বমুখী। তা ময়মনসিংহ শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে মিশত।
ঐতিহাসিক ওয়ারী-বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
984
null
বিশেষ করে বাংলাদেশে, শুখা মরসুমে খরা ও বর্ষাকালে বন্যা একটি প্রধান সমস্যা। গাঙ্গেয় বদ্বীপে অনেক বড় নদী রয়েছে। এগুলি হয় উপনদী নয় শাখানদী। এই সব নদনদী একটি জটিল নদীজালিকা সৃষ্টি করে রেখেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র এদের মধ্যে বৃহত্তম নদী। দুই নদীই একাধিক শাখানদীতে বিভক্ত হয়েছে, আবার শাখানদীগুলিও পরস্পর মিলিত হয়েছে। তবে এই নদীজালিকাগুলিতেও মাঝে মাঝে ভৌগোলিক পরিবর্তন দেখা যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর আগে ভাগীরথী-হুগলি শাখানদীটিই ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ। পদ্মা ছিল একটি ছোট শাখানদী মাত্র। তবে গঙ্গা বঙ্গোপসাগরে মিলিত হত আধুনিক হুগলি নদীর পথে নয়, আদিগঙ্গার মাধ্যমে। দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভাগীরথী-হুগলি ও পদ্মার আকার প্রায় একই হয়ে দাঁড়ায়। ষোড়শ শতাব্দীর পরে পদ্মা আকার বৃদ্ধি পায় এবং তা গঙ্গার মূল প্রবাহপথে পরিণত হয়। মনে করা হয়, ভাগীরথী-হুগলির প্রবাহপথটি ক্রমে ক্রমে পলি পড়ে রুদ্ধ হয়ে যায়। সেই জন্যই গঙ্গার মূল প্রবাহ পদ্মার পথে সরে গিয়েছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে পদ্মাই গঙ্গার মূল প্রবাহপথ হয়ে দাঁড়ায়। গঙ্গার মূল প্রবাহপথ পদ্মায় সরে যাওয়ার ফলে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পৃথকভাবে বঙ্গোপসাগরে না মিশে একসঙ্গে মিলিত হয়। গঙ্গা ও মেঘনার বর্তমান সঙ্গমস্থলটি দেড়শো বছর আগে গঠিত হয়েছে। আঠারো শতকের শেষাশেষি নিম্ন ব্রহ্মপুত্রেরও প্রবাহপথে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গঙ্গার সঙ্গে এর সম্পর্কটিই যায় বদলে। ১৭৮৭ সালের বিধ্বংসী বন্যা তিস্তা নদীর প্রবাহপথটি ঘুরে যায়। এই নদী আগে গঙ্গা-পদ্মার উপনদী ছিল। ১৭৮৭ সালের বন্যার পর নদীটি গতিপথ পালটে পূর্বদিকে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রে পড়ে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ দক্ষিণে সরে আসে এবং একটি নতুন নদীপথের সৃষ্টি হয়। ব্রহ্মপুত্রের এই নতুন প্রধান গতিপথটির নাম হয় যমুনা নদী। এটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা-পদ্মায় মিলিত হয়। আগে ব্রহ্মপুত্রের গতি ছিল কিঞ্চিৎ পূর্বমুখী। তা ময়মনসিংহ শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে মিশত।
ব্রম্মপুত্রের কোন সংযোগস্থল হিন্দুদের জন্য পবিত্র ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
985
null
বিশেষ করে বাংলাদেশে, শুখা মরসুমে খরা ও বর্ষাকালে বন্যা একটি প্রধান সমস্যা। গাঙ্গেয় বদ্বীপে অনেক বড় নদী রয়েছে। এগুলি হয় উপনদী নয় শাখানদী। এই সব নদনদী একটি জটিল নদীজালিকা সৃষ্টি করে রেখেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র এদের মধ্যে বৃহত্তম নদী। দুই নদীই একাধিক শাখানদীতে বিভক্ত হয়েছে, আবার শাখানদীগুলিও পরস্পর মিলিত হয়েছে। তবে এই নদীজালিকাগুলিতেও মাঝে মাঝে ভৌগোলিক পরিবর্তন দেখা যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর আগে ভাগীরথী-হুগলি শাখানদীটিই ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ। পদ্মা ছিল একটি ছোট শাখানদী মাত্র। তবে গঙ্গা বঙ্গোপসাগরে মিলিত হত আধুনিক হুগলি নদীর পথে নয়, আদিগঙ্গার মাধ্যমে। দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভাগীরথী-হুগলি ও পদ্মার আকার প্রায় একই হয়ে দাঁড়ায়। ষোড়শ শতাব্দীর পরে পদ্মা আকার বৃদ্ধি পায় এবং তা গঙ্গার মূল প্রবাহপথে পরিণত হয়। মনে করা হয়, ভাগীরথী-হুগলির প্রবাহপথটি ক্রমে ক্রমে পলি পড়ে রুদ্ধ হয়ে যায়। সেই জন্যই গঙ্গার মূল প্রবাহ পদ্মার পথে সরে গিয়েছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে পদ্মাই গঙ্গার মূল প্রবাহপথ হয়ে দাঁড়ায়। গঙ্গার মূল প্রবাহপথ পদ্মায় সরে যাওয়ার ফলে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পৃথকভাবে বঙ্গোপসাগরে না মিশে একসঙ্গে মিলিত হয়। গঙ্গা ও মেঘনার বর্তমান সঙ্গমস্থলটি দেড়শো বছর আগে গঠিত হয়েছে। আঠারো শতকের শেষাশেষি নিম্ন ব্রহ্মপুত্রেরও প্রবাহপথে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গঙ্গার সঙ্গে এর সম্পর্কটিই যায় বদলে। ১৭৮৭ সালের বিধ্বংসী বন্যা তিস্তা নদীর প্রবাহপথটি ঘুরে যায়। এই নদী আগে গঙ্গা-পদ্মার উপনদী ছিল। ১৭৮৭ সালের বন্যার পর নদীটি গতিপথ পালটে পূর্বদিকে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রে পড়ে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ দক্ষিণে সরে আসে এবং একটি নতুন নদীপথের সৃষ্টি হয়। ব্রহ্মপুত্রের এই নতুন প্রধান গতিপথটির নাম হয় যমুনা নদী। এটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা-পদ্মায় মিলিত হয়। আগে ব্রহ্মপুত্রের গতি ছিল কিঞ্চিৎ পূর্বমুখী। তা ময়মনসিংহ শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে মিশত।
ব্রহ্মপুত্রের প্রধান পথ কে কোন নদী বলা হয় ?
{ "text": [ "যমুনা নদী" ], "answer_start": [ 1503 ] }
986
null
বিশেষ করে বাংলাদেশে, শুখা মরসুমে খরা ও বর্ষাকালে বন্যা একটি প্রধান সমস্যা। গাঙ্গেয় বদ্বীপে অনেক বড় নদী রয়েছে। এগুলি হয় উপনদী নয় শাখানদী। এই সব নদনদী একটি জটিল নদীজালিকা সৃষ্টি করে রেখেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র এদের মধ্যে বৃহত্তম নদী। দুই নদীই একাধিক শাখানদীতে বিভক্ত হয়েছে, আবার শাখানদীগুলিও পরস্পর মিলিত হয়েছে। তবে এই নদীজালিকাগুলিতেও মাঝে মাঝে ভৌগোলিক পরিবর্তন দেখা যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর আগে ভাগীরথী-হুগলি শাখানদীটিই ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ। পদ্মা ছিল একটি ছোট শাখানদী মাত্র। তবে গঙ্গা বঙ্গোপসাগরে মিলিত হত আধুনিক হুগলি নদীর পথে নয়, আদিগঙ্গার মাধ্যমে। দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভাগীরথী-হুগলি ও পদ্মার আকার প্রায় একই হয়ে দাঁড়ায়। ষোড়শ শতাব্দীর পরে পদ্মা আকার বৃদ্ধি পায় এবং তা গঙ্গার মূল প্রবাহপথে পরিণত হয়। মনে করা হয়, ভাগীরথী-হুগলির প্রবাহপথটি ক্রমে ক্রমে পলি পড়ে রুদ্ধ হয়ে যায়। সেই জন্যই গঙ্গার মূল প্রবাহ পদ্মার পথে সরে গিয়েছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে পদ্মাই গঙ্গার মূল প্রবাহপথ হয়ে দাঁড়ায়। গঙ্গার মূল প্রবাহপথ পদ্মায় সরে যাওয়ার ফলে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পৃথকভাবে বঙ্গোপসাগরে না মিশে একসঙ্গে মিলিত হয়। গঙ্গা ও মেঘনার বর্তমান সঙ্গমস্থলটি দেড়শো বছর আগে গঠিত হয়েছে। আঠারো শতকের শেষাশেষি নিম্ন ব্রহ্মপুত্রেরও প্রবাহপথে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গঙ্গার সঙ্গে এর সম্পর্কটিই যায় বদলে। ১৭৮৭ সালের বিধ্বংসী বন্যা তিস্তা নদীর প্রবাহপথটি ঘুরে যায়। এই নদী আগে গঙ্গা-পদ্মার উপনদী ছিল। ১৭৮৭ সালের বন্যার পর নদীটি গতিপথ পালটে পূর্বদিকে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রে পড়ে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ দক্ষিণে সরে আসে এবং একটি নতুন নদীপথের সৃষ্টি হয়। ব্রহ্মপুত্রের এই নতুন প্রধান গতিপথটির নাম হয় যমুনা নদী। এটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা-পদ্মায় মিলিত হয়। আগে ব্রহ্মপুত্রের গতি ছিল কিঞ্চিৎ পূর্বমুখী। তা ময়মনসিংহ শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে মিশত।
দ্বাদশ শতাব্দীর আগে গঙ্গার প্রধান শাখার নাম কী ছিল ?
{ "text": [ "ভাগীরথী-হুগলি" ], "answer_start": [ 392 ] }
987
null
বিশেষ করে বাংলাদেশে, শুখা মরসুমে খরা ও বর্ষাকালে বন্যা একটি প্রধান সমস্যা। গাঙ্গেয় বদ্বীপে অনেক বড় নদী রয়েছে। এগুলি হয় উপনদী নয় শাখানদী। এই সব নদনদী একটি জটিল নদীজালিকা সৃষ্টি করে রেখেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র এদের মধ্যে বৃহত্তম নদী। দুই নদীই একাধিক শাখানদীতে বিভক্ত হয়েছে, আবার শাখানদীগুলিও পরস্পর মিলিত হয়েছে। তবে এই নদীজালিকাগুলিতেও মাঝে মাঝে ভৌগোলিক পরিবর্তন দেখা যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর আগে ভাগীরথী-হুগলি শাখানদীটিই ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ। পদ্মা ছিল একটি ছোট শাখানদী মাত্র। তবে গঙ্গা বঙ্গোপসাগরে মিলিত হত আধুনিক হুগলি নদীর পথে নয়, আদিগঙ্গার মাধ্যমে। দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভাগীরথী-হুগলি ও পদ্মার আকার প্রায় একই হয়ে দাঁড়ায়। ষোড়শ শতাব্দীর পরে পদ্মা আকার বৃদ্ধি পায় এবং তা গঙ্গার মূল প্রবাহপথে পরিণত হয়। মনে করা হয়, ভাগীরথী-হুগলির প্রবাহপথটি ক্রমে ক্রমে পলি পড়ে রুদ্ধ হয়ে যায়। সেই জন্যই গঙ্গার মূল প্রবাহ পদ্মার পথে সরে গিয়েছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে পদ্মাই গঙ্গার মূল প্রবাহপথ হয়ে দাঁড়ায়। গঙ্গার মূল প্রবাহপথ পদ্মায় সরে যাওয়ার ফলে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পৃথকভাবে বঙ্গোপসাগরে না মিশে একসঙ্গে মিলিত হয়। গঙ্গা ও মেঘনার বর্তমান সঙ্গমস্থলটি দেড়শো বছর আগে গঠিত হয়েছে। আঠারো শতকের শেষাশেষি নিম্ন ব্রহ্মপুত্রেরও প্রবাহপথে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গঙ্গার সঙ্গে এর সম্পর্কটিই যায় বদলে। ১৭৮৭ সালের বিধ্বংসী বন্যা তিস্তা নদীর প্রবাহপথটি ঘুরে যায়। এই নদী আগে গঙ্গা-পদ্মার উপনদী ছিল। ১৭৮৭ সালের বন্যার পর নদীটি গতিপথ পালটে পূর্বদিকে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রে পড়ে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ দক্ষিণে সরে আসে এবং একটি নতুন নদীপথের সৃষ্টি হয়। ব্রহ্মপুত্রের এই নতুন প্রধান গতিপথটির নাম হয় যমুনা নদী। এটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা-পদ্মায় মিলিত হয়। আগে ব্রহ্মপুত্রের গতি ছিল কিঞ্চিৎ পূর্বমুখী। তা ময়মনসিংহ শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে মিশত।
আগে ব্রহ্মপুত্র কোন শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে মিশত?
{ "text": [ "ময়মনসিংহ" ], "answer_start": [ 1610 ] }
988
null
বিশেষ করে বাংলাদেশে, শুখা মরসুমে খরা ও বর্ষাকালে বন্যা একটি প্রধান সমস্যা। গাঙ্গেয় বদ্বীপে অনেক বড় নদী রয়েছে। এগুলি হয় উপনদী নয় শাখানদী। এই সব নদনদী একটি জটিল নদীজালিকা সৃষ্টি করে রেখেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র এদের মধ্যে বৃহত্তম নদী। দুই নদীই একাধিক শাখানদীতে বিভক্ত হয়েছে, আবার শাখানদীগুলিও পরস্পর মিলিত হয়েছে। তবে এই নদীজালিকাগুলিতেও মাঝে মাঝে ভৌগোলিক পরিবর্তন দেখা যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর আগে ভাগীরথী-হুগলি শাখানদীটিই ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ। পদ্মা ছিল একটি ছোট শাখানদী মাত্র। তবে গঙ্গা বঙ্গোপসাগরে মিলিত হত আধুনিক হুগলি নদীর পথে নয়, আদিগঙ্গার মাধ্যমে। দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভাগীরথী-হুগলি ও পদ্মার আকার প্রায় একই হয়ে দাঁড়ায়। ষোড়শ শতাব্দীর পরে পদ্মা আকার বৃদ্ধি পায় এবং তা গঙ্গার মূল প্রবাহপথে পরিণত হয়। মনে করা হয়, ভাগীরথী-হুগলির প্রবাহপথটি ক্রমে ক্রমে পলি পড়ে রুদ্ধ হয়ে যায়। সেই জন্যই গঙ্গার মূল প্রবাহ পদ্মার পথে সরে গিয়েছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে পদ্মাই গঙ্গার মূল প্রবাহপথ হয়ে দাঁড়ায়। গঙ্গার মূল প্রবাহপথ পদ্মায় সরে যাওয়ার ফলে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পৃথকভাবে বঙ্গোপসাগরে না মিশে একসঙ্গে মিলিত হয়। গঙ্গা ও মেঘনার বর্তমান সঙ্গমস্থলটি দেড়শো বছর আগে গঠিত হয়েছে। আঠারো শতকের শেষাশেষি নিম্ন ব্রহ্মপুত্রেরও প্রবাহপথে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গঙ্গার সঙ্গে এর সম্পর্কটিই যায় বদলে। ১৭৮৭ সালের বিধ্বংসী বন্যা তিস্তা নদীর প্রবাহপথটি ঘুরে যায়। এই নদী আগে গঙ্গা-পদ্মার উপনদী ছিল। ১৭৮৭ সালের বন্যার পর নদীটি গতিপথ পালটে পূর্বদিকে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রে পড়ে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ দক্ষিণে সরে আসে এবং একটি নতুন নদীপথের সৃষ্টি হয়। ব্রহ্মপুত্রের এই নতুন প্রধান গতিপথটির নাম হয় যমুনা নদী। এটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা-পদ্মায় মিলিত হয়। আগে ব্রহ্মপুত্রের গতি ছিল কিঞ্চিৎ পূর্বমুখী। তা ময়মনসিংহ শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে মিশত।
গঙ্গা এবং মেঘনার বর্তমান সঙ্গম কত বছর আগে গঠিত হয়েছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
989
null
বিশেষ করে বাংলাদেশে, শুখা মরসুমে খরা ও বর্ষাকালে বন্যা একটি প্রধান সমস্যা। গাঙ্গেয় বদ্বীপে অনেক বড় নদী রয়েছে। এগুলি হয় উপনদী নয় শাখানদী। এই সব নদনদী একটি জটিল নদীজালিকা সৃষ্টি করে রেখেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র এদের মধ্যে বৃহত্তম নদী। দুই নদীই একাধিক শাখানদীতে বিভক্ত হয়েছে, আবার শাখানদীগুলিও পরস্পর মিলিত হয়েছে। তবে এই নদীজালিকাগুলিতেও মাঝে মাঝে ভৌগোলিক পরিবর্তন দেখা যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর আগে ভাগীরথী-হুগলি শাখানদীটিই ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ। পদ্মা ছিল একটি ছোট শাখানদী মাত্র। তবে গঙ্গা বঙ্গোপসাগরে মিলিত হত আধুনিক হুগলি নদীর পথে নয়, আদিগঙ্গার মাধ্যমে। দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভাগীরথী-হুগলি ও পদ্মার আকার প্রায় একই হয়ে দাঁড়ায়। ষোড়শ শতাব্দীর পরে পদ্মা আকার বৃদ্ধি পায় এবং তা গঙ্গার মূল প্রবাহপথে পরিণত হয়। মনে করা হয়, ভাগীরথী-হুগলির প্রবাহপথটি ক্রমে ক্রমে পলি পড়ে রুদ্ধ হয়ে যায়। সেই জন্যই গঙ্গার মূল প্রবাহ পদ্মার পথে সরে গিয়েছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে পদ্মাই গঙ্গার মূল প্রবাহপথ হয়ে দাঁড়ায়। গঙ্গার মূল প্রবাহপথ পদ্মায় সরে যাওয়ার ফলে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পৃথকভাবে বঙ্গোপসাগরে না মিশে একসঙ্গে মিলিত হয়। গঙ্গা ও মেঘনার বর্তমান সঙ্গমস্থলটি দেড়শো বছর আগে গঠিত হয়েছে। আঠারো শতকের শেষাশেষি নিম্ন ব্রহ্মপুত্রেরও প্রবাহপথে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গঙ্গার সঙ্গে এর সম্পর্কটিই যায় বদলে। ১৭৮৭ সালের বিধ্বংসী বন্যা তিস্তা নদীর প্রবাহপথটি ঘুরে যায়। এই নদী আগে গঙ্গা-পদ্মার উপনদী ছিল। ১৭৮৭ সালের বন্যার পর নদীটি গতিপথ পালটে পূর্বদিকে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রে পড়ে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ দক্ষিণে সরে আসে এবং একটি নতুন নদীপথের সৃষ্টি হয়। ব্রহ্মপুত্রের এই নতুন প্রধান গতিপথটির নাম হয় যমুনা নদী। এটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা-পদ্মায় মিলিত হয়। আগে ব্রহ্মপুত্রের গতি ছিল কিঞ্চিৎ পূর্বমুখী। তা ময়মনসিংহ শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে মিশত।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে কোন নদী গঙ্গার প্রধান প্রবাহ পথ হয়ে দাঁড়ায়?
{ "text": [ "পদ্মাই" ], "answer_start": [ 876 ] }
990
null
বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে ৪,০০০ বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয়, এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।
বৃহত্তর বাংলায় সভ্যতা কবে শুরু হয়েছিল?
{ "text": [ "৪,০০০ বছর আগে" ], "answer_start": [ 43 ] }
991
null
বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে ৪,০০০ বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয়, এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব কে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
992
null
বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে ৪,০০০ বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয়, এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।
খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে কোন কোন অঞ্চল নিয়ে মগধের রাজ্য গঠিত হয়েছিল ?
{ "text": [ "বাংলা ও বিহার" ], "answer_start": [ 630 ] }
993
null
বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে ৪,০০০ বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয়, এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।
বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
994
null
বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে ৪,০০০ বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয়, এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।
গ্রীক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই অঞ্চল কবে বিদ্যমান ছিল বলে জানা যায় ?
{ "text": [ "খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ" ], "answer_start": [ 354 ] }
995
null
বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে ৪,০০০ বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয়, এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।
সিয়ামের বর্তমান নাম কি ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
996
null
বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে ৪,০০০ বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয়, এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।
কোন যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সিরাজদৌল্লাকে পরাজিত করে ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
997
null
বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে ৪,০০০ বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয়, এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।
খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে মহাবীর এবং গৌতম বুদ্ধের সময়ে ভারতের প্রধান রাজ্য কয়টি ছিল ?
{ "text": [ "চারটি" ], "answer_start": [ 755 ] }
998
null
বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে ৪,০০০ বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয়, এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।
কত সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লা পরাজিত হন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
999
null
বেশিরভাগ মিঠা পানি, প্রায় ৬৮.৭%, উপস্থিত রয়েছে বরফ হিসাবে আইস ক্যাপে এবং হিমবাহ রূপে। পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর গড় লবণাক্ততা হল প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ প্রতি কিলোগ্রাম লবণাক্ত পানিতে (৩.৫% লবণ)। এই লবণের বেশিরভাগ পানিতে সংযুক্ত হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার ফলে বা নির্গত হয়েছে ঠান্ডা আগ্ন্যেয় শীলা থেকে। মহাসাগরগুলি দ্রবীভূত বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসগুলোর একটি আধারও বটে, যেগুলো অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন জলজ জীবন ধারণের জন্য। সাগরের পানি বিশ্বের জলবায়ুর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে, যেখানে এটি কাজ করে একটি বৃহৎ তাপীয় আধার হিসাবে। মহাসাগরের তাপমাত্রার বণ্টনের ক্ষেত্রে যে কোন পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন করতে পারে, উদাহারণস্বরূপ এল নিনো। বায়ুমণ্ডল গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মণ্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জড়ো হতে দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমণ্ডল সাধারণ অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে, একে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বা আবহমণ্ডল বলে। এই বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এছাড়ও তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়ায়) ভূপৃষ্টকে উওপ্ত রাখে এবং দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস রোধ করে। ৮.৫ কি.মি. উচ্চতা স্কেলযুক্ত বায়ুমণ্ডল পৃথিবী পৃষ্ঠে গড় বায়ুমণ্ডলীয় চাপ প্রয়োগ করছে ১০১.৩২৫ কিলো প্যাসকেল। এটা গঠিত হয়েছে ৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২১% অক্সিজেন দ্বারা, এর সাথে সামান্য পরিমাণে রয়েছে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদান। ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন হয় অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে, যার মান হতে পারে মেরু অংশে ৮ কি.মি. ও নিরক্ষরেখার ক্ষেত্রে ১৭ কি.মি.। তবে এই মানের কিছু বিচ্যুতি হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে। পৃথিবীর জীবমণ্ডল উল্লেখযোগ্যভাবে এটির বায়ুমণ্ডলের পরির্তন সাধন করেছে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উৎপাদন বিকাশ লাভ করে ২.৭ বিলিয়ন বছর আগে, গঠন করে আজকের মূল নাইট্রোজেন-অক্সিজেন বায়ুমণ্ডল। এর ফলশ্রুতিতে বায়ুজীবী জীবদের বিকাশ লাভ তরান্বিত হয় এবং পরোক্ষভাবে, এটি ওজোন স্তর গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, এটির কারণ হল পরবর্তীতে ঘটা বায়ুমণ্ডলীয় O2 থেকে O3 তে পরিবর্তন। ওজন স্তর সৌর বিকিরণের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকিয়ে দিয়ে, ভূমিতে প্রাণের বিকাশে সহায়তা করে। অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় কর্মকাণ্ড যা জীবন ধারণের জন্য জরুরি তার মধ্যে রয়েছে জলীয় বাষ্পের সঞ্চালন, অতিপ্রয়োজনীয় গ্যাসগুলির সরবরাহ, ছোট উল্কাপিন্ড পৃথিবী পৃষ্ঠে আঘাত হানার পূর্বে তা পুড়িয়ে ফেলা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। সর্বশেষ কর্মকান্ডটি পরিচিত গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া নামে: বায়ুমণ্ডলের চিহ্নিত কিছু গ্যাসীয় অণু ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিকীর্ণ তাপ শক্তি শোষন করে পুনরায় বায়ুমণ্ডলের অভ্যন্তরে বিকিরিত করে, বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, এবং ওজন হল বায়ুমণ্ডলের মূল গ্রীনহাইজ গ্যাস। এই তাপ ধারণের ঘটনাটি না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হত −১৮ °সে, বিপরীত দিকে বর্তমান তাপমাত্রা হল +১৫ °সে, এবং এটা এর বর্তমান অবস্থায় না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটত না। মে ২০১৭ সালে, কক্ষপথে থাকা একটি স্যাটেলাইট থেকে এক মিলিয়ন মাইল দূরে হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়, পরে জানা যায় বায়ুমণ্ডলে থাকা বরফ স্ফটিক থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এটি ঘটেছিল। আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই, ধীরে ধীরে পাতলা এবং হালকা হয়ে বহিঃমহাকাশের সাথে মিশে গেছে। বায়ুমণ্ডলের তিন চতুর্থাংশের ভর রয়েছে এটির মোট অংশের প্রথম ১১ কিমি (৬.৮ মা) এর মধ্যে। এর সবচেয়ে নিচের স্তরটির নাম হল ট্রপোস্ফিয়ার। সূর্য থেকে আসা তাপের প্রভাবে এই স্তরটি এবং এর নিচে থাকা ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়, ফলশ্রুতিতে বাতাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এই নিম্ন ঘনত্বের বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং এটির জায়গা দখল করে ঠান্ডা, উচ্চ ঘনত্বের বাতাস। ফলে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়, যা তাপমাত্রার পুনঃবিন্যাস করে আবহাওয়া ও জলবায়ুকে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত করে। মূল বায়ুপ্রবাহের ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অয়ন বায়ু (Trade Wind), নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩০° অক্ষাংশ নিচে এবং পশ্চিমা বায়ু (westerlies) মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর ৩০° থেকে ৬০° এর মধ্যে। মহাসাগরীয় স্রোত জলবায়ু নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, থার্মোহ্যালাইন প্রবাহ (thermohaline circulation) যা তাপ শক্তিকে বিতরণ করে নিরক্ষীয় সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঠান্ডা মেরু অঞ্চলে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় তা কিছু বিন্যাস অনুসরন করে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত হয়। যখন বায়ুমণ্ডলীয় পরিবেশ গরম, আদ্রর্তাযুক্ত বাতাসকে, উপরের দিকে উঠার সুযোগ করে দেয়, তখন এই পানি ঘনীভূত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠের দিকে অধ:ক্ষিপ্ত ভাবে পতিত হয়। বেশির ভাগ পানি এরপর নিম্নভূমির দিকে ধাবিত হয় নদী নালার মাধ্যমে এবং সাগরে পুনরায় পৌছায় কিংবা এটি জমা হয় কোন হ্রদে। ভূমিতে জীবন ধারণের জন্য এই পানি চক্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং কোন একটি ভূতত্ত্বিক সময়ের মধ্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন গঠনের ভূমিক্ষয়ের জন্য এটি মূল কারণ। বৃষ্টিপাত পতনের বিন্যাস পরিবর্তিত হয় ব্যাপক ভাবে, যার মাত্রা হতে পারে প্রতি বছর কয়েক মিটার থেকে এক মিলিমিটারের থেকেও কম। বায়ুপ্রবাহ, অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য ও তাপমাত্রার পার্থক্য - নির্ধারন করে কোন অঞ্চলে পতিত হওয়া গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। পৃথিবী পৃষ্ঠে সৌর শক্তির পরিমাণ কমতে থাকে অক্ষাংশের মান বাড়তে থাকার সাথে সাথে। উচ্চ অক্ষাংশে, সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় নিম্ন কোণে, এবং এটিকে পার করতে হয় বায়ুমণ্ডলের পুরু স্তর। ফলাফলস্বরূপ, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রতি ডিগ্রী অক্ষাংশ পরিবর্তনে সমুদ্র সমতল থেকে গড় বার্ষিক বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ০.৪ °C (০.৭ °F)।
কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা কে কি বলে?
{ "text": [ "আবহাওয়া" ], "answer_start": [ 1828 ] }
1000
null
বেশিরভাগ মিঠা পানি, প্রায় ৬৮.৭%, উপস্থিত রয়েছে বরফ হিসাবে আইস ক্যাপে এবং হিমবাহ রূপে। পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর গড় লবণাক্ততা হল প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ প্রতি কিলোগ্রাম লবণাক্ত পানিতে (৩.৫% লবণ)। এই লবণের বেশিরভাগ পানিতে সংযুক্ত হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার ফলে বা নির্গত হয়েছে ঠান্ডা আগ্ন্যেয় শীলা থেকে। মহাসাগরগুলি দ্রবীভূত বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসগুলোর একটি আধারও বটে, যেগুলো অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন জলজ জীবন ধারণের জন্য। সাগরের পানি বিশ্বের জলবায়ুর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে, যেখানে এটি কাজ করে একটি বৃহৎ তাপীয় আধার হিসাবে। মহাসাগরের তাপমাত্রার বণ্টনের ক্ষেত্রে যে কোন পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন করতে পারে, উদাহারণস্বরূপ এল নিনো। বায়ুমণ্ডল গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মণ্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জড়ো হতে দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমণ্ডল সাধারণ অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে, একে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বা আবহমণ্ডল বলে। এই বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এছাড়ও তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়ায়) ভূপৃষ্টকে উওপ্ত রাখে এবং দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস রোধ করে। ৮.৫ কি.মি. উচ্চতা স্কেলযুক্ত বায়ুমণ্ডল পৃথিবী পৃষ্ঠে গড় বায়ুমণ্ডলীয় চাপ প্রয়োগ করছে ১০১.৩২৫ কিলো প্যাসকেল। এটা গঠিত হয়েছে ৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২১% অক্সিজেন দ্বারা, এর সাথে সামান্য পরিমাণে রয়েছে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদান। ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন হয় অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে, যার মান হতে পারে মেরু অংশে ৮ কি.মি. ও নিরক্ষরেখার ক্ষেত্রে ১৭ কি.মি.। তবে এই মানের কিছু বিচ্যুতি হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে। পৃথিবীর জীবমণ্ডল উল্লেখযোগ্যভাবে এটির বায়ুমণ্ডলের পরির্তন সাধন করেছে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উৎপাদন বিকাশ লাভ করে ২.৭ বিলিয়ন বছর আগে, গঠন করে আজকের মূল নাইট্রোজেন-অক্সিজেন বায়ুমণ্ডল। এর ফলশ্রুতিতে বায়ুজীবী জীবদের বিকাশ লাভ তরান্বিত হয় এবং পরোক্ষভাবে, এটি ওজোন স্তর গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, এটির কারণ হল পরবর্তীতে ঘটা বায়ুমণ্ডলীয় O2 থেকে O3 তে পরিবর্তন। ওজন স্তর সৌর বিকিরণের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকিয়ে দিয়ে, ভূমিতে প্রাণের বিকাশে সহায়তা করে। অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় কর্মকাণ্ড যা জীবন ধারণের জন্য জরুরি তার মধ্যে রয়েছে জলীয় বাষ্পের সঞ্চালন, অতিপ্রয়োজনীয় গ্যাসগুলির সরবরাহ, ছোট উল্কাপিন্ড পৃথিবী পৃষ্ঠে আঘাত হানার পূর্বে তা পুড়িয়ে ফেলা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। সর্বশেষ কর্মকান্ডটি পরিচিত গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া নামে: বায়ুমণ্ডলের চিহ্নিত কিছু গ্যাসীয় অণু ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিকীর্ণ তাপ শক্তি শোষন করে পুনরায় বায়ুমণ্ডলের অভ্যন্তরে বিকিরিত করে, বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, এবং ওজন হল বায়ুমণ্ডলের মূল গ্রীনহাইজ গ্যাস। এই তাপ ধারণের ঘটনাটি না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হত −১৮ °সে, বিপরীত দিকে বর্তমান তাপমাত্রা হল +১৫ °সে, এবং এটা এর বর্তমান অবস্থায় না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটত না। মে ২০১৭ সালে, কক্ষপথে থাকা একটি স্যাটেলাইট থেকে এক মিলিয়ন মাইল দূরে হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়, পরে জানা যায় বায়ুমণ্ডলে থাকা বরফ স্ফটিক থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এটি ঘটেছিল। আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই, ধীরে ধীরে পাতলা এবং হালকা হয়ে বহিঃমহাকাশের সাথে মিশে গেছে। বায়ুমণ্ডলের তিন চতুর্থাংশের ভর রয়েছে এটির মোট অংশের প্রথম ১১ কিমি (৬.৮ মা) এর মধ্যে। এর সবচেয়ে নিচের স্তরটির নাম হল ট্রপোস্ফিয়ার। সূর্য থেকে আসা তাপের প্রভাবে এই স্তরটি এবং এর নিচে থাকা ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়, ফলশ্রুতিতে বাতাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এই নিম্ন ঘনত্বের বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং এটির জায়গা দখল করে ঠান্ডা, উচ্চ ঘনত্বের বাতাস। ফলে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়, যা তাপমাত্রার পুনঃবিন্যাস করে আবহাওয়া ও জলবায়ুকে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত করে। মূল বায়ুপ্রবাহের ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অয়ন বায়ু (Trade Wind), নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩০° অক্ষাংশ নিচে এবং পশ্চিমা বায়ু (westerlies) মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর ৩০° থেকে ৬০° এর মধ্যে। মহাসাগরীয় স্রোত জলবায়ু নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, থার্মোহ্যালাইন প্রবাহ (thermohaline circulation) যা তাপ শক্তিকে বিতরণ করে নিরক্ষীয় সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঠান্ডা মেরু অঞ্চলে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় তা কিছু বিন্যাস অনুসরন করে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত হয়। যখন বায়ুমণ্ডলীয় পরিবেশ গরম, আদ্রর্তাযুক্ত বাতাসকে, উপরের দিকে উঠার সুযোগ করে দেয়, তখন এই পানি ঘনীভূত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠের দিকে অধ:ক্ষিপ্ত ভাবে পতিত হয়। বেশির ভাগ পানি এরপর নিম্নভূমির দিকে ধাবিত হয় নদী নালার মাধ্যমে এবং সাগরে পুনরায় পৌছায় কিংবা এটি জমা হয় কোন হ্রদে। ভূমিতে জীবন ধারণের জন্য এই পানি চক্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং কোন একটি ভূতত্ত্বিক সময়ের মধ্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন গঠনের ভূমিক্ষয়ের জন্য এটি মূল কারণ। বৃষ্টিপাত পতনের বিন্যাস পরিবর্তিত হয় ব্যাপক ভাবে, যার মাত্রা হতে পারে প্রতি বছর কয়েক মিটার থেকে এক মিলিমিটারের থেকেও কম। বায়ুপ্রবাহ, অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য ও তাপমাত্রার পার্থক্য - নির্ধারন করে কোন অঞ্চলে পতিত হওয়া গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। পৃথিবী পৃষ্ঠে সৌর শক্তির পরিমাণ কমতে থাকে অক্ষাংশের মান বাড়তে থাকার সাথে সাথে। উচ্চ অক্ষাংশে, সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় নিম্ন কোণে, এবং এটিকে পার করতে হয় বায়ুমণ্ডলের পুরু স্তর। ফলাফলস্বরূপ, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রতি ডিগ্রী অক্ষাংশ পরিবর্তনে সমুদ্র সমতল থেকে গড় বার্ষিক বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ০.৪ °C (০.৭ °F)।
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উৎপাদন কত বছর আগে বিকশিত হয়েছিল?
{ "text": [ "২.৭ বিলিয়ন" ], "answer_start": [ 1989 ] }
1001
null
বেশিরভাগ মিঠা পানি, প্রায় ৬৮.৭%, উপস্থিত রয়েছে বরফ হিসাবে আইস ক্যাপে এবং হিমবাহ রূপে। পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর গড় লবণাক্ততা হল প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ প্রতি কিলোগ্রাম লবণাক্ত পানিতে (৩.৫% লবণ)। এই লবণের বেশিরভাগ পানিতে সংযুক্ত হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার ফলে বা নির্গত হয়েছে ঠান্ডা আগ্ন্যেয় শীলা থেকে। মহাসাগরগুলি দ্রবীভূত বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসগুলোর একটি আধারও বটে, যেগুলো অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন জলজ জীবন ধারণের জন্য। সাগরের পানি বিশ্বের জলবায়ুর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে, যেখানে এটি কাজ করে একটি বৃহৎ তাপীয় আধার হিসাবে। মহাসাগরের তাপমাত্রার বণ্টনের ক্ষেত্রে যে কোন পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন করতে পারে, উদাহারণস্বরূপ এল নিনো। বায়ুমণ্ডল গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মণ্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জড়ো হতে দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমণ্ডল সাধারণ অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে, একে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বা আবহমণ্ডল বলে। এই বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এছাড়ও তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়ায়) ভূপৃষ্টকে উওপ্ত রাখে এবং দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস রোধ করে। ৮.৫ কি.মি. উচ্চতা স্কেলযুক্ত বায়ুমণ্ডল পৃথিবী পৃষ্ঠে গড় বায়ুমণ্ডলীয় চাপ প্রয়োগ করছে ১০১.৩২৫ কিলো প্যাসকেল। এটা গঠিত হয়েছে ৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২১% অক্সিজেন দ্বারা, এর সাথে সামান্য পরিমাণে রয়েছে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদান। ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন হয় অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে, যার মান হতে পারে মেরু অংশে ৮ কি.মি. ও নিরক্ষরেখার ক্ষেত্রে ১৭ কি.মি.। তবে এই মানের কিছু বিচ্যুতি হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে। পৃথিবীর জীবমণ্ডল উল্লেখযোগ্যভাবে এটির বায়ুমণ্ডলের পরির্তন সাধন করেছে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উৎপাদন বিকাশ লাভ করে ২.৭ বিলিয়ন বছর আগে, গঠন করে আজকের মূল নাইট্রোজেন-অক্সিজেন বায়ুমণ্ডল। এর ফলশ্রুতিতে বায়ুজীবী জীবদের বিকাশ লাভ তরান্বিত হয় এবং পরোক্ষভাবে, এটি ওজোন স্তর গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, এটির কারণ হল পরবর্তীতে ঘটা বায়ুমণ্ডলীয় O2 থেকে O3 তে পরিবর্তন। ওজন স্তর সৌর বিকিরণের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকিয়ে দিয়ে, ভূমিতে প্রাণের বিকাশে সহায়তা করে। অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় কর্মকাণ্ড যা জীবন ধারণের জন্য জরুরি তার মধ্যে রয়েছে জলীয় বাষ্পের সঞ্চালন, অতিপ্রয়োজনীয় গ্যাসগুলির সরবরাহ, ছোট উল্কাপিন্ড পৃথিবী পৃষ্ঠে আঘাত হানার পূর্বে তা পুড়িয়ে ফেলা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। সর্বশেষ কর্মকান্ডটি পরিচিত গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া নামে: বায়ুমণ্ডলের চিহ্নিত কিছু গ্যাসীয় অণু ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিকীর্ণ তাপ শক্তি শোষন করে পুনরায় বায়ুমণ্ডলের অভ্যন্তরে বিকিরিত করে, বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, এবং ওজন হল বায়ুমণ্ডলের মূল গ্রীনহাইজ গ্যাস। এই তাপ ধারণের ঘটনাটি না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হত −১৮ °সে, বিপরীত দিকে বর্তমান তাপমাত্রা হল +১৫ °সে, এবং এটা এর বর্তমান অবস্থায় না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটত না। মে ২০১৭ সালে, কক্ষপথে থাকা একটি স্যাটেলাইট থেকে এক মিলিয়ন মাইল দূরে হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়, পরে জানা যায় বায়ুমণ্ডলে থাকা বরফ স্ফটিক থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এটি ঘটেছিল। আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই, ধীরে ধীরে পাতলা এবং হালকা হয়ে বহিঃমহাকাশের সাথে মিশে গেছে। বায়ুমণ্ডলের তিন চতুর্থাংশের ভর রয়েছে এটির মোট অংশের প্রথম ১১ কিমি (৬.৮ মা) এর মধ্যে। এর সবচেয়ে নিচের স্তরটির নাম হল ট্রপোস্ফিয়ার। সূর্য থেকে আসা তাপের প্রভাবে এই স্তরটি এবং এর নিচে থাকা ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়, ফলশ্রুতিতে বাতাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এই নিম্ন ঘনত্বের বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং এটির জায়গা দখল করে ঠান্ডা, উচ্চ ঘনত্বের বাতাস। ফলে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়, যা তাপমাত্রার পুনঃবিন্যাস করে আবহাওয়া ও জলবায়ুকে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত করে। মূল বায়ুপ্রবাহের ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অয়ন বায়ু (Trade Wind), নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩০° অক্ষাংশ নিচে এবং পশ্চিমা বায়ু (westerlies) মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর ৩০° থেকে ৬০° এর মধ্যে। মহাসাগরীয় স্রোত জলবায়ু নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, থার্মোহ্যালাইন প্রবাহ (thermohaline circulation) যা তাপ শক্তিকে বিতরণ করে নিরক্ষীয় সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঠান্ডা মেরু অঞ্চলে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় তা কিছু বিন্যাস অনুসরন করে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত হয়। যখন বায়ুমণ্ডলীয় পরিবেশ গরম, আদ্রর্তাযুক্ত বাতাসকে, উপরের দিকে উঠার সুযোগ করে দেয়, তখন এই পানি ঘনীভূত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠের দিকে অধ:ক্ষিপ্ত ভাবে পতিত হয়। বেশির ভাগ পানি এরপর নিম্নভূমির দিকে ধাবিত হয় নদী নালার মাধ্যমে এবং সাগরে পুনরায় পৌছায় কিংবা এটি জমা হয় কোন হ্রদে। ভূমিতে জীবন ধারণের জন্য এই পানি চক্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং কোন একটি ভূতত্ত্বিক সময়ের মধ্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন গঠনের ভূমিক্ষয়ের জন্য এটি মূল কারণ। বৃষ্টিপাত পতনের বিন্যাস পরিবর্তিত হয় ব্যাপক ভাবে, যার মাত্রা হতে পারে প্রতি বছর কয়েক মিটার থেকে এক মিলিমিটারের থেকেও কম। বায়ুপ্রবাহ, অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য ও তাপমাত্রার পার্থক্য - নির্ধারন করে কোন অঞ্চলে পতিত হওয়া গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। পৃথিবী পৃষ্ঠে সৌর শক্তির পরিমাণ কমতে থাকে অক্ষাংশের মান বাড়তে থাকার সাথে সাথে। উচ্চ অক্ষাংশে, সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় নিম্ন কোণে, এবং এটিকে পার করতে হয় বায়ুমণ্ডলের পুরু স্তর। ফলাফলস্বরূপ, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রতি ডিগ্রী অক্ষাংশ পরিবর্তনে সমুদ্র সমতল থেকে গড় বার্ষিক বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ০.৪ °C (০.৭ °F)।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর সৌর বিকিরণের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকে দেয়?
{ "text": [ "ওজন স্তর" ], "answer_start": [ 2237 ] }
1002
null
বেশিরভাগ মিঠা পানি, প্রায় ৬৮.৭%, উপস্থিত রয়েছে বরফ হিসাবে আইস ক্যাপে এবং হিমবাহ রূপে। পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর গড় লবণাক্ততা হল প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ প্রতি কিলোগ্রাম লবণাক্ত পানিতে (৩.৫% লবণ)। এই লবণের বেশিরভাগ পানিতে সংযুক্ত হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার ফলে বা নির্গত হয়েছে ঠান্ডা আগ্ন্যেয় শীলা থেকে। মহাসাগরগুলি দ্রবীভূত বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসগুলোর একটি আধারও বটে, যেগুলো অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন জলজ জীবন ধারণের জন্য। সাগরের পানি বিশ্বের জলবায়ুর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে, যেখানে এটি কাজ করে একটি বৃহৎ তাপীয় আধার হিসাবে। মহাসাগরের তাপমাত্রার বণ্টনের ক্ষেত্রে যে কোন পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন করতে পারে, উদাহারণস্বরূপ এল নিনো। বায়ুমণ্ডল গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মণ্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জড়ো হতে দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমণ্ডল সাধারণ অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে, একে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বা আবহমণ্ডল বলে। এই বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এছাড়ও তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়ায়) ভূপৃষ্টকে উওপ্ত রাখে এবং দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস রোধ করে। ৮.৫ কি.মি. উচ্চতা স্কেলযুক্ত বায়ুমণ্ডল পৃথিবী পৃষ্ঠে গড় বায়ুমণ্ডলীয় চাপ প্রয়োগ করছে ১০১.৩২৫ কিলো প্যাসকেল। এটা গঠিত হয়েছে ৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২১% অক্সিজেন দ্বারা, এর সাথে সামান্য পরিমাণে রয়েছে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদান। ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন হয় অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে, যার মান হতে পারে মেরু অংশে ৮ কি.মি. ও নিরক্ষরেখার ক্ষেত্রে ১৭ কি.মি.। তবে এই মানের কিছু বিচ্যুতি হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে। পৃথিবীর জীবমণ্ডল উল্লেখযোগ্যভাবে এটির বায়ুমণ্ডলের পরির্তন সাধন করেছে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উৎপাদন বিকাশ লাভ করে ২.৭ বিলিয়ন বছর আগে, গঠন করে আজকের মূল নাইট্রোজেন-অক্সিজেন বায়ুমণ্ডল। এর ফলশ্রুতিতে বায়ুজীবী জীবদের বিকাশ লাভ তরান্বিত হয় এবং পরোক্ষভাবে, এটি ওজোন স্তর গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, এটির কারণ হল পরবর্তীতে ঘটা বায়ুমণ্ডলীয় O2 থেকে O3 তে পরিবর্তন। ওজন স্তর সৌর বিকিরণের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকিয়ে দিয়ে, ভূমিতে প্রাণের বিকাশে সহায়তা করে। অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় কর্মকাণ্ড যা জীবন ধারণের জন্য জরুরি তার মধ্যে রয়েছে জলীয় বাষ্পের সঞ্চালন, অতিপ্রয়োজনীয় গ্যাসগুলির সরবরাহ, ছোট উল্কাপিন্ড পৃথিবী পৃষ্ঠে আঘাত হানার পূর্বে তা পুড়িয়ে ফেলা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। সর্বশেষ কর্মকান্ডটি পরিচিত গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া নামে: বায়ুমণ্ডলের চিহ্নিত কিছু গ্যাসীয় অণু ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিকীর্ণ তাপ শক্তি শোষন করে পুনরায় বায়ুমণ্ডলের অভ্যন্তরে বিকিরিত করে, বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, এবং ওজন হল বায়ুমণ্ডলের মূল গ্রীনহাইজ গ্যাস। এই তাপ ধারণের ঘটনাটি না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হত −১৮ °সে, বিপরীত দিকে বর্তমান তাপমাত্রা হল +১৫ °সে, এবং এটা এর বর্তমান অবস্থায় না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটত না। মে ২০১৭ সালে, কক্ষপথে থাকা একটি স্যাটেলাইট থেকে এক মিলিয়ন মাইল দূরে হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়, পরে জানা যায় বায়ুমণ্ডলে থাকা বরফ স্ফটিক থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এটি ঘটেছিল। আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই, ধীরে ধীরে পাতলা এবং হালকা হয়ে বহিঃমহাকাশের সাথে মিশে গেছে। বায়ুমণ্ডলের তিন চতুর্থাংশের ভর রয়েছে এটির মোট অংশের প্রথম ১১ কিমি (৬.৮ মা) এর মধ্যে। এর সবচেয়ে নিচের স্তরটির নাম হল ট্রপোস্ফিয়ার। সূর্য থেকে আসা তাপের প্রভাবে এই স্তরটি এবং এর নিচে থাকা ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়, ফলশ্রুতিতে বাতাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এই নিম্ন ঘনত্বের বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং এটির জায়গা দখল করে ঠান্ডা, উচ্চ ঘনত্বের বাতাস। ফলে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়, যা তাপমাত্রার পুনঃবিন্যাস করে আবহাওয়া ও জলবায়ুকে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত করে। মূল বায়ুপ্রবাহের ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অয়ন বায়ু (Trade Wind), নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩০° অক্ষাংশ নিচে এবং পশ্চিমা বায়ু (westerlies) মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর ৩০° থেকে ৬০° এর মধ্যে। মহাসাগরীয় স্রোত জলবায়ু নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, থার্মোহ্যালাইন প্রবাহ (thermohaline circulation) যা তাপ শক্তিকে বিতরণ করে নিরক্ষীয় সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঠান্ডা মেরু অঞ্চলে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় তা কিছু বিন্যাস অনুসরন করে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত হয়। যখন বায়ুমণ্ডলীয় পরিবেশ গরম, আদ্রর্তাযুক্ত বাতাসকে, উপরের দিকে উঠার সুযোগ করে দেয়, তখন এই পানি ঘনীভূত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠের দিকে অধ:ক্ষিপ্ত ভাবে পতিত হয়। বেশির ভাগ পানি এরপর নিম্নভূমির দিকে ধাবিত হয় নদী নালার মাধ্যমে এবং সাগরে পুনরায় পৌছায় কিংবা এটি জমা হয় কোন হ্রদে। ভূমিতে জীবন ধারণের জন্য এই পানি চক্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং কোন একটি ভূতত্ত্বিক সময়ের মধ্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন গঠনের ভূমিক্ষয়ের জন্য এটি মূল কারণ। বৃষ্টিপাত পতনের বিন্যাস পরিবর্তিত হয় ব্যাপক ভাবে, যার মাত্রা হতে পারে প্রতি বছর কয়েক মিটার থেকে এক মিলিমিটারের থেকেও কম। বায়ুপ্রবাহ, অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য ও তাপমাত্রার পার্থক্য - নির্ধারন করে কোন অঞ্চলে পতিত হওয়া গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। পৃথিবী পৃষ্ঠে সৌর শক্তির পরিমাণ কমতে থাকে অক্ষাংশের মান বাড়তে থাকার সাথে সাথে। উচ্চ অক্ষাংশে, সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় নিম্ন কোণে, এবং এটিকে পার করতে হয় বায়ুমণ্ডলের পুরু স্তর। ফলাফলস্বরূপ, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রতি ডিগ্রী অক্ষাংশ পরিবর্তনে সমুদ্র সমতল থেকে গড় বার্ষিক বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ০.৪ °C (০.৭ °F)।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের শতকরা ভাগ হার কত?
{ "text": [ "৭৮%" ], "answer_start": [ 1522 ] }
1003
null
বেশিরভাগ মিঠা পানি, প্রায় ৬৮.৭%, উপস্থিত রয়েছে বরফ হিসাবে আইস ক্যাপে এবং হিমবাহ রূপে। পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর গড় লবণাক্ততা হল প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ প্রতি কিলোগ্রাম লবণাক্ত পানিতে (৩.৫% লবণ)। এই লবণের বেশিরভাগ পানিতে সংযুক্ত হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার ফলে বা নির্গত হয়েছে ঠান্ডা আগ্ন্যেয় শীলা থেকে। মহাসাগরগুলি দ্রবীভূত বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসগুলোর একটি আধারও বটে, যেগুলো অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন জলজ জীবন ধারণের জন্য। সাগরের পানি বিশ্বের জলবায়ুর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে, যেখানে এটি কাজ করে একটি বৃহৎ তাপীয় আধার হিসাবে। মহাসাগরের তাপমাত্রার বণ্টনের ক্ষেত্রে যে কোন পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন করতে পারে, উদাহারণস্বরূপ এল নিনো। বায়ুমণ্ডল গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মণ্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জড়ো হতে দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমণ্ডল সাধারণ অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে, একে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বা আবহমণ্ডল বলে। এই বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এছাড়ও তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়ায়) ভূপৃষ্টকে উওপ্ত রাখে এবং দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস রোধ করে। ৮.৫ কি.মি. উচ্চতা স্কেলযুক্ত বায়ুমণ্ডল পৃথিবী পৃষ্ঠে গড় বায়ুমণ্ডলীয় চাপ প্রয়োগ করছে ১০১.৩২৫ কিলো প্যাসকেল। এটা গঠিত হয়েছে ৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২১% অক্সিজেন দ্বারা, এর সাথে সামান্য পরিমাণে রয়েছে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদান। ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন হয় অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে, যার মান হতে পারে মেরু অংশে ৮ কি.মি. ও নিরক্ষরেখার ক্ষেত্রে ১৭ কি.মি.। তবে এই মানের কিছু বিচ্যুতি হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে। পৃথিবীর জীবমণ্ডল উল্লেখযোগ্যভাবে এটির বায়ুমণ্ডলের পরির্তন সাধন করেছে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উৎপাদন বিকাশ লাভ করে ২.৭ বিলিয়ন বছর আগে, গঠন করে আজকের মূল নাইট্রোজেন-অক্সিজেন বায়ুমণ্ডল। এর ফলশ্রুতিতে বায়ুজীবী জীবদের বিকাশ লাভ তরান্বিত হয় এবং পরোক্ষভাবে, এটি ওজোন স্তর গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, এটির কারণ হল পরবর্তীতে ঘটা বায়ুমণ্ডলীয় O2 থেকে O3 তে পরিবর্তন। ওজন স্তর সৌর বিকিরণের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকিয়ে দিয়ে, ভূমিতে প্রাণের বিকাশে সহায়তা করে। অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় কর্মকাণ্ড যা জীবন ধারণের জন্য জরুরি তার মধ্যে রয়েছে জলীয় বাষ্পের সঞ্চালন, অতিপ্রয়োজনীয় গ্যাসগুলির সরবরাহ, ছোট উল্কাপিন্ড পৃথিবী পৃষ্ঠে আঘাত হানার পূর্বে তা পুড়িয়ে ফেলা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। সর্বশেষ কর্মকান্ডটি পরিচিত গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া নামে: বায়ুমণ্ডলের চিহ্নিত কিছু গ্যাসীয় অণু ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিকীর্ণ তাপ শক্তি শোষন করে পুনরায় বায়ুমণ্ডলের অভ্যন্তরে বিকিরিত করে, বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, এবং ওজন হল বায়ুমণ্ডলের মূল গ্রীনহাইজ গ্যাস। এই তাপ ধারণের ঘটনাটি না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হত −১৮ °সে, বিপরীত দিকে বর্তমান তাপমাত্রা হল +১৫ °সে, এবং এটা এর বর্তমান অবস্থায় না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটত না। মে ২০১৭ সালে, কক্ষপথে থাকা একটি স্যাটেলাইট থেকে এক মিলিয়ন মাইল দূরে হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়, পরে জানা যায় বায়ুমণ্ডলে থাকা বরফ স্ফটিক থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এটি ঘটেছিল। আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই, ধীরে ধীরে পাতলা এবং হালকা হয়ে বহিঃমহাকাশের সাথে মিশে গেছে। বায়ুমণ্ডলের তিন চতুর্থাংশের ভর রয়েছে এটির মোট অংশের প্রথম ১১ কিমি (৬.৮ মা) এর মধ্যে। এর সবচেয়ে নিচের স্তরটির নাম হল ট্রপোস্ফিয়ার। সূর্য থেকে আসা তাপের প্রভাবে এই স্তরটি এবং এর নিচে থাকা ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়, ফলশ্রুতিতে বাতাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এই নিম্ন ঘনত্বের বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং এটির জায়গা দখল করে ঠান্ডা, উচ্চ ঘনত্বের বাতাস। ফলে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়, যা তাপমাত্রার পুনঃবিন্যাস করে আবহাওয়া ও জলবায়ুকে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত করে। মূল বায়ুপ্রবাহের ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অয়ন বায়ু (Trade Wind), নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩০° অক্ষাংশ নিচে এবং পশ্চিমা বায়ু (westerlies) মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর ৩০° থেকে ৬০° এর মধ্যে। মহাসাগরীয় স্রোত জলবায়ু নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, থার্মোহ্যালাইন প্রবাহ (thermohaline circulation) যা তাপ শক্তিকে বিতরণ করে নিরক্ষীয় সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঠান্ডা মেরু অঞ্চলে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় তা কিছু বিন্যাস অনুসরন করে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত হয়। যখন বায়ুমণ্ডলীয় পরিবেশ গরম, আদ্রর্তাযুক্ত বাতাসকে, উপরের দিকে উঠার সুযোগ করে দেয়, তখন এই পানি ঘনীভূত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠের দিকে অধ:ক্ষিপ্ত ভাবে পতিত হয়। বেশির ভাগ পানি এরপর নিম্নভূমির দিকে ধাবিত হয় নদী নালার মাধ্যমে এবং সাগরে পুনরায় পৌছায় কিংবা এটি জমা হয় কোন হ্রদে। ভূমিতে জীবন ধারণের জন্য এই পানি চক্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং কোন একটি ভূতত্ত্বিক সময়ের মধ্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন গঠনের ভূমিক্ষয়ের জন্য এটি মূল কারণ। বৃষ্টিপাত পতনের বিন্যাস পরিবর্তিত হয় ব্যাপক ভাবে, যার মাত্রা হতে পারে প্রতি বছর কয়েক মিটার থেকে এক মিলিমিটারের থেকেও কম। বায়ুপ্রবাহ, অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য ও তাপমাত্রার পার্থক্য - নির্ধারন করে কোন অঞ্চলে পতিত হওয়া গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। পৃথিবী পৃষ্ঠে সৌর শক্তির পরিমাণ কমতে থাকে অক্ষাংশের মান বাড়তে থাকার সাথে সাথে। উচ্চ অক্ষাংশে, সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় নিম্ন কোণে, এবং এটিকে পার করতে হয় বায়ুমণ্ডলের পুরু স্তর। ফলাফলস্বরূপ, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রতি ডিগ্রী অক্ষাংশ পরিবর্তনে সমুদ্র সমতল থেকে গড় বার্ষিক বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ০.৪ °C (০.৭ °F)।
বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আসা কোন্ রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবন রক্ষা করে?
{ "text": [ "অতিবেগুনি" ], "answer_start": [ 1211 ] }
1004
null
বেশিরভাগ মিঠা পানি, প্রায় ৬৮.৭%, উপস্থিত রয়েছে বরফ হিসাবে আইস ক্যাপে এবং হিমবাহ রূপে। পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর গড় লবণাক্ততা হল প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ প্রতি কিলোগ্রাম লবণাক্ত পানিতে (৩.৫% লবণ)। এই লবণের বেশিরভাগ পানিতে সংযুক্ত হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার ফলে বা নির্গত হয়েছে ঠান্ডা আগ্ন্যেয় শীলা থেকে। মহাসাগরগুলি দ্রবীভূত বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসগুলোর একটি আধারও বটে, যেগুলো অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন জলজ জীবন ধারণের জন্য। সাগরের পানি বিশ্বের জলবায়ুর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে, যেখানে এটি কাজ করে একটি বৃহৎ তাপীয় আধার হিসাবে। মহাসাগরের তাপমাত্রার বণ্টনের ক্ষেত্রে যে কোন পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন করতে পারে, উদাহারণস্বরূপ এল নিনো। বায়ুমণ্ডল গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মণ্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জড়ো হতে দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমণ্ডল সাধারণ অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে, একে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বা আবহমণ্ডল বলে। এই বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এছাড়ও তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়ায়) ভূপৃষ্টকে উওপ্ত রাখে এবং দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস রোধ করে। ৮.৫ কি.মি. উচ্চতা স্কেলযুক্ত বায়ুমণ্ডল পৃথিবী পৃষ্ঠে গড় বায়ুমণ্ডলীয় চাপ প্রয়োগ করছে ১০১.৩২৫ কিলো প্যাসকেল। এটা গঠিত হয়েছে ৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২১% অক্সিজেন দ্বারা, এর সাথে সামান্য পরিমাণে রয়েছে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদান। ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন হয় অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে, যার মান হতে পারে মেরু অংশে ৮ কি.মি. ও নিরক্ষরেখার ক্ষেত্রে ১৭ কি.মি.। তবে এই মানের কিছু বিচ্যুতি হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে। পৃথিবীর জীবমণ্ডল উল্লেখযোগ্যভাবে এটির বায়ুমণ্ডলের পরির্তন সাধন করেছে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উৎপাদন বিকাশ লাভ করে ২.৭ বিলিয়ন বছর আগে, গঠন করে আজকের মূল নাইট্রোজেন-অক্সিজেন বায়ুমণ্ডল। এর ফলশ্রুতিতে বায়ুজীবী জীবদের বিকাশ লাভ তরান্বিত হয় এবং পরোক্ষভাবে, এটি ওজোন স্তর গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, এটির কারণ হল পরবর্তীতে ঘটা বায়ুমণ্ডলীয় O2 থেকে O3 তে পরিবর্তন। ওজন স্তর সৌর বিকিরণের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকিয়ে দিয়ে, ভূমিতে প্রাণের বিকাশে সহায়তা করে। অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় কর্মকাণ্ড যা জীবন ধারণের জন্য জরুরি তার মধ্যে রয়েছে জলীয় বাষ্পের সঞ্চালন, অতিপ্রয়োজনীয় গ্যাসগুলির সরবরাহ, ছোট উল্কাপিন্ড পৃথিবী পৃষ্ঠে আঘাত হানার পূর্বে তা পুড়িয়ে ফেলা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। সর্বশেষ কর্মকান্ডটি পরিচিত গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া নামে: বায়ুমণ্ডলের চিহ্নিত কিছু গ্যাসীয় অণু ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিকীর্ণ তাপ শক্তি শোষন করে পুনরায় বায়ুমণ্ডলের অভ্যন্তরে বিকিরিত করে, বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, এবং ওজন হল বায়ুমণ্ডলের মূল গ্রীনহাইজ গ্যাস। এই তাপ ধারণের ঘটনাটি না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হত −১৮ °সে, বিপরীত দিকে বর্তমান তাপমাত্রা হল +১৫ °সে, এবং এটা এর বর্তমান অবস্থায় না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটত না। মে ২০১৭ সালে, কক্ষপথে থাকা একটি স্যাটেলাইট থেকে এক মিলিয়ন মাইল দূরে হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়, পরে জানা যায় বায়ুমণ্ডলে থাকা বরফ স্ফটিক থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এটি ঘটেছিল। আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই, ধীরে ধীরে পাতলা এবং হালকা হয়ে বহিঃমহাকাশের সাথে মিশে গেছে। বায়ুমণ্ডলের তিন চতুর্থাংশের ভর রয়েছে এটির মোট অংশের প্রথম ১১ কিমি (৬.৮ মা) এর মধ্যে। এর সবচেয়ে নিচের স্তরটির নাম হল ট্রপোস্ফিয়ার। সূর্য থেকে আসা তাপের প্রভাবে এই স্তরটি এবং এর নিচে থাকা ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়, ফলশ্রুতিতে বাতাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এই নিম্ন ঘনত্বের বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং এটির জায়গা দখল করে ঠান্ডা, উচ্চ ঘনত্বের বাতাস। ফলে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়, যা তাপমাত্রার পুনঃবিন্যাস করে আবহাওয়া ও জলবায়ুকে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত করে। মূল বায়ুপ্রবাহের ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অয়ন বায়ু (Trade Wind), নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩০° অক্ষাংশ নিচে এবং পশ্চিমা বায়ু (westerlies) মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর ৩০° থেকে ৬০° এর মধ্যে। মহাসাগরীয় স্রোত জলবায়ু নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, থার্মোহ্যালাইন প্রবাহ (thermohaline circulation) যা তাপ শক্তিকে বিতরণ করে নিরক্ষীয় সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঠান্ডা মেরু অঞ্চলে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় তা কিছু বিন্যাস অনুসরন করে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত হয়। যখন বায়ুমণ্ডলীয় পরিবেশ গরম, আদ্রর্তাযুক্ত বাতাসকে, উপরের দিকে উঠার সুযোগ করে দেয়, তখন এই পানি ঘনীভূত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠের দিকে অধ:ক্ষিপ্ত ভাবে পতিত হয়। বেশির ভাগ পানি এরপর নিম্নভূমির দিকে ধাবিত হয় নদী নালার মাধ্যমে এবং সাগরে পুনরায় পৌছায় কিংবা এটি জমা হয় কোন হ্রদে। ভূমিতে জীবন ধারণের জন্য এই পানি চক্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং কোন একটি ভূতত্ত্বিক সময়ের মধ্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন গঠনের ভূমিক্ষয়ের জন্য এটি মূল কারণ। বৃষ্টিপাত পতনের বিন্যাস পরিবর্তিত হয় ব্যাপক ভাবে, যার মাত্রা হতে পারে প্রতি বছর কয়েক মিটার থেকে এক মিলিমিটারের থেকেও কম। বায়ুপ্রবাহ, অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য ও তাপমাত্রার পার্থক্য - নির্ধারন করে কোন অঞ্চলে পতিত হওয়া গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। পৃথিবী পৃষ্ঠে সৌর শক্তির পরিমাণ কমতে থাকে অক্ষাংশের মান বাড়তে থাকার সাথে সাথে। উচ্চ অক্ষাংশে, সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় নিম্ন কোণে, এবং এটিকে পার করতে হয় বায়ুমণ্ডলের পুরু স্তর। ফলাফলস্বরূপ, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রতি ডিগ্রী অক্ষাংশ পরিবর্তনে সমুদ্র সমতল থেকে গড় বার্ষিক বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ০.৪ °C (০.৭ °F)।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের শতকরা ভাগ হার কত?
{ "text": [ "২১%" ], "answer_start": [ 1541 ] }
1005
null
বেশিরভাগ মিঠা পানি, প্রায় ৬৮.৭%, উপস্থিত রয়েছে বরফ হিসাবে আইস ক্যাপে এবং হিমবাহ রূপে। পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর গড় লবণাক্ততা হল প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ প্রতি কিলোগ্রাম লবণাক্ত পানিতে (৩.৫% লবণ)। এই লবণের বেশিরভাগ পানিতে সংযুক্ত হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার ফলে বা নির্গত হয়েছে ঠান্ডা আগ্ন্যেয় শীলা থেকে। মহাসাগরগুলি দ্রবীভূত বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসগুলোর একটি আধারও বটে, যেগুলো অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন জলজ জীবন ধারণের জন্য। সাগরের পানি বিশ্বের জলবায়ুর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে, যেখানে এটি কাজ করে একটি বৃহৎ তাপীয় আধার হিসাবে। মহাসাগরের তাপমাত্রার বণ্টনের ক্ষেত্রে যে কোন পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন করতে পারে, উদাহারণস্বরূপ এল নিনো। বায়ুমণ্ডল গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মণ্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জড়ো হতে দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমণ্ডল সাধারণ অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে, একে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বা আবহমণ্ডল বলে। এই বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এছাড়ও তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়ায়) ভূপৃষ্টকে উওপ্ত রাখে এবং দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস রোধ করে। ৮.৫ কি.মি. উচ্চতা স্কেলযুক্ত বায়ুমণ্ডল পৃথিবী পৃষ্ঠে গড় বায়ুমণ্ডলীয় চাপ প্রয়োগ করছে ১০১.৩২৫ কিলো প্যাসকেল। এটা গঠিত হয়েছে ৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২১% অক্সিজেন দ্বারা, এর সাথে সামান্য পরিমাণে রয়েছে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদান। ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন হয় অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে, যার মান হতে পারে মেরু অংশে ৮ কি.মি. ও নিরক্ষরেখার ক্ষেত্রে ১৭ কি.মি.। তবে এই মানের কিছু বিচ্যুতি হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে। পৃথিবীর জীবমণ্ডল উল্লেখযোগ্যভাবে এটির বায়ুমণ্ডলের পরির্তন সাধন করেছে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উৎপাদন বিকাশ লাভ করে ২.৭ বিলিয়ন বছর আগে, গঠন করে আজকের মূল নাইট্রোজেন-অক্সিজেন বায়ুমণ্ডল। এর ফলশ্রুতিতে বায়ুজীবী জীবদের বিকাশ লাভ তরান্বিত হয় এবং পরোক্ষভাবে, এটি ওজোন স্তর গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, এটির কারণ হল পরবর্তীতে ঘটা বায়ুমণ্ডলীয় O2 থেকে O3 তে পরিবর্তন। ওজন স্তর সৌর বিকিরণের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকিয়ে দিয়ে, ভূমিতে প্রাণের বিকাশে সহায়তা করে। অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় কর্মকাণ্ড যা জীবন ধারণের জন্য জরুরি তার মধ্যে রয়েছে জলীয় বাষ্পের সঞ্চালন, অতিপ্রয়োজনীয় গ্যাসগুলির সরবরাহ, ছোট উল্কাপিন্ড পৃথিবী পৃষ্ঠে আঘাত হানার পূর্বে তা পুড়িয়ে ফেলা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। সর্বশেষ কর্মকান্ডটি পরিচিত গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া নামে: বায়ুমণ্ডলের চিহ্নিত কিছু গ্যাসীয় অণু ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিকীর্ণ তাপ শক্তি শোষন করে পুনরায় বায়ুমণ্ডলের অভ্যন্তরে বিকিরিত করে, বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, এবং ওজন হল বায়ুমণ্ডলের মূল গ্রীনহাইজ গ্যাস। এই তাপ ধারণের ঘটনাটি না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হত −১৮ °সে, বিপরীত দিকে বর্তমান তাপমাত্রা হল +১৫ °সে, এবং এটা এর বর্তমান অবস্থায় না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটত না। মে ২০১৭ সালে, কক্ষপথে থাকা একটি স্যাটেলাইট থেকে এক মিলিয়ন মাইল দূরে হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়, পরে জানা যায় বায়ুমণ্ডলে থাকা বরফ স্ফটিক থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এটি ঘটেছিল। আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই, ধীরে ধীরে পাতলা এবং হালকা হয়ে বহিঃমহাকাশের সাথে মিশে গেছে। বায়ুমণ্ডলের তিন চতুর্থাংশের ভর রয়েছে এটির মোট অংশের প্রথম ১১ কিমি (৬.৮ মা) এর মধ্যে। এর সবচেয়ে নিচের স্তরটির নাম হল ট্রপোস্ফিয়ার। সূর্য থেকে আসা তাপের প্রভাবে এই স্তরটি এবং এর নিচে থাকা ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়, ফলশ্রুতিতে বাতাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এই নিম্ন ঘনত্বের বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং এটির জায়গা দখল করে ঠান্ডা, উচ্চ ঘনত্বের বাতাস। ফলে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়, যা তাপমাত্রার পুনঃবিন্যাস করে আবহাওয়া ও জলবায়ুকে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত করে। মূল বায়ুপ্রবাহের ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অয়ন বায়ু (Trade Wind), নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩০° অক্ষাংশ নিচে এবং পশ্চিমা বায়ু (westerlies) মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর ৩০° থেকে ৬০° এর মধ্যে। মহাসাগরীয় স্রোত জলবায়ু নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, থার্মোহ্যালাইন প্রবাহ (thermohaline circulation) যা তাপ শক্তিকে বিতরণ করে নিরক্ষীয় সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঠান্ডা মেরু অঞ্চলে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় তা কিছু বিন্যাস অনুসরন করে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত হয়। যখন বায়ুমণ্ডলীয় পরিবেশ গরম, আদ্রর্তাযুক্ত বাতাসকে, উপরের দিকে উঠার সুযোগ করে দেয়, তখন এই পানি ঘনীভূত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠের দিকে অধ:ক্ষিপ্ত ভাবে পতিত হয়। বেশির ভাগ পানি এরপর নিম্নভূমির দিকে ধাবিত হয় নদী নালার মাধ্যমে এবং সাগরে পুনরায় পৌছায় কিংবা এটি জমা হয় কোন হ্রদে। ভূমিতে জীবন ধারণের জন্য এই পানি চক্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং কোন একটি ভূতত্ত্বিক সময়ের মধ্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন গঠনের ভূমিক্ষয়ের জন্য এটি মূল কারণ। বৃষ্টিপাত পতনের বিন্যাস পরিবর্তিত হয় ব্যাপক ভাবে, যার মাত্রা হতে পারে প্রতি বছর কয়েক মিটার থেকে এক মিলিমিটারের থেকেও কম। বায়ুপ্রবাহ, অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য ও তাপমাত্রার পার্থক্য - নির্ধারন করে কোন অঞ্চলে পতিত হওয়া গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। পৃথিবী পৃষ্ঠে সৌর শক্তির পরিমাণ কমতে থাকে অক্ষাংশের মান বাড়তে থাকার সাথে সাথে। উচ্চ অক্ষাংশে, সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় নিম্ন কোণে, এবং এটিকে পার করতে হয় বায়ুমণ্ডলের পুরু স্তর। ফলাফলস্বরূপ, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রতি ডিগ্রী অক্ষাংশ পরিবর্তনে সমুদ্র সমতল থেকে গড় বার্ষিক বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ০.৪ °C (০.৭ °F)।
পৃথিবীর মহাসাগরের প্রতি কেজি লবণ জলেতে গড় লবণাক্ততা প্রায় কত?
{ "text": [ "৩৫ গ্রাম" ], "answer_start": [ 132 ] }
1006
null
বৈদিক সংহিতায় তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, তপস্যার (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে (৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। সিন্ধু সভ্যতার (৩৩০০–১৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বিভিন্ন প্রত্নস্থলে পাওয়া সিলমোহরে ধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছে। পুরাতত্ত্ববিদ গ্রেগরি পোসেলের মতে, এই ভঙ্গিমাটি "যোগের পূর্বসূরি এক ধর্মীয় আচারের রূপ"। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহর এবং পরবর্তীকালের যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটি সংযোগ সূত্রের কথা অনুমান করেছেন। কিন্তু এর কোনো স্পষ্ট প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ধ্যানের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়ার পদ্ধতি হিন্দুধর্মের শ্রামণিক ও ঔপনিষদ ধারায় বর্ণিত হয়েছে। প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতে ধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও ওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ তিনি ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরাল ধারাটির উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেননি। তার মতে, উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন, নাসদীয় সূক্ত এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিক যুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়। এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভূত – এই উভয় প্রকার ধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়। হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদে। উক্ত গ্রন্থে "যোগ" শব্দটির অর্থ ইন্দ্রিয় সংযোগ ও মানসিক প্রবৃত্তিগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়া। যোগ ধারণার বিবর্তন যে সকল গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে, সেগুলি হল মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ (৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ, ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ও পতঞ্জলির যোগসূত্র (১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। হিন্দু দর্শনে যোগদর্শন ছয়টি মূল দার্শনিক শাখার একটি।
"ধ্যান" সম্পর্কে প্রথম কোন গ্রন্থে বর্ণনা করা হয়েছে ?
{ "text": [ "শ্রামণিক ও ঔপনিষদ" ], "answer_start": [ 591 ] }
1007
null
বৈদিক সংহিতায় তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, তপস্যার (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে (৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। সিন্ধু সভ্যতার (৩৩০০–১৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বিভিন্ন প্রত্নস্থলে পাওয়া সিলমোহরে ধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছে। পুরাতত্ত্ববিদ গ্রেগরি পোসেলের মতে, এই ভঙ্গিমাটি "যোগের পূর্বসূরি এক ধর্মীয় আচারের রূপ"। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহর এবং পরবর্তীকালের যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটি সংযোগ সূত্রের কথা অনুমান করেছেন। কিন্তু এর কোনো স্পষ্ট প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ধ্যানের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়ার পদ্ধতি হিন্দুধর্মের শ্রামণিক ও ঔপনিষদ ধারায় বর্ণিত হয়েছে। প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতে ধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও ওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ তিনি ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরাল ধারাটির উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেননি। তার মতে, উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন, নাসদীয় সূক্ত এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিক যুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়। এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভূত – এই উভয় প্রকার ধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়। হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদে। উক্ত গ্রন্থে "যোগ" শব্দটির অর্থ ইন্দ্রিয় সংযোগ ও মানসিক প্রবৃত্তিগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়া। যোগ ধারণার বিবর্তন যে সকল গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে, সেগুলি হল মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ (৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ, ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ও পতঞ্জলির যোগসূত্র (১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। হিন্দু দর্শনে যোগদর্শন ছয়টি মূল দার্শনিক শাখার একটি।
পতঞ্জলীর দর্শন কোন মুখী ছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1008
null
বৈদিক সংহিতায় তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, তপস্যার (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে (৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। সিন্ধু সভ্যতার (৩৩০০–১৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বিভিন্ন প্রত্নস্থলে পাওয়া সিলমোহরে ধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছে। পুরাতত্ত্ববিদ গ্রেগরি পোসেলের মতে, এই ভঙ্গিমাটি "যোগের পূর্বসূরি এক ধর্মীয় আচারের রূপ"। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহর এবং পরবর্তীকালের যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটি সংযোগ সূত্রের কথা অনুমান করেছেন। কিন্তু এর কোনো স্পষ্ট প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ধ্যানের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়ার পদ্ধতি হিন্দুধর্মের শ্রামণিক ও ঔপনিষদ ধারায় বর্ণিত হয়েছে। প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতে ধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও ওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ তিনি ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরাল ধারাটির উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেননি। তার মতে, উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন, নাসদীয় সূক্ত এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিক যুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়। এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভূত – এই উভয় প্রকার ধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়। হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদে। উক্ত গ্রন্থে "যোগ" শব্দটির অর্থ ইন্দ্রিয় সংযোগ ও মানসিক প্রবৃত্তিগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়া। যোগ ধারণার বিবর্তন যে সকল গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে, সেগুলি হল মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ (৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ, ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ও পতঞ্জলির যোগসূত্র (১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। হিন্দু দর্শনে যোগদর্শন ছয়টি মূল দার্শনিক শাখার একটি।
সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের প্রাপ্ত মোহরে কিসের ছবি পাওয়া গেছে ?
{ "text": [ "ধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি" ], "answer_start": [ 208 ] }
1009
null
বৈদিক সংহিতায় তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, তপস্যার (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে (৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। সিন্ধু সভ্যতার (৩৩০০–১৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বিভিন্ন প্রত্নস্থলে পাওয়া সিলমোহরে ধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছে। পুরাতত্ত্ববিদ গ্রেগরি পোসেলের মতে, এই ভঙ্গিমাটি "যোগের পূর্বসূরি এক ধর্মীয় আচারের রূপ"। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহর এবং পরবর্তীকালের যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটি সংযোগ সূত্রের কথা অনুমান করেছেন। কিন্তু এর কোনো স্পষ্ট প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ধ্যানের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়ার পদ্ধতি হিন্দুধর্মের শ্রামণিক ও ঔপনিষদ ধারায় বর্ণিত হয়েছে। প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতে ধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও ওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ তিনি ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরাল ধারাটির উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেননি। তার মতে, উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন, নাসদীয় সূক্ত এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিক যুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়। এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভূত – এই উভয় প্রকার ধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়। হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদে। উক্ত গ্রন্থে "যোগ" শব্দটির অর্থ ইন্দ্রিয় সংযোগ ও মানসিক প্রবৃত্তিগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়া। যোগ ধারণার বিবর্তন যে সকল গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে, সেগুলি হল মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ (৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ, ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ও পতঞ্জলির যোগসূত্র (১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। হিন্দু দর্শনে যোগদর্শন ছয়টি মূল দার্শনিক শাখার একটি।
যোগ শাখা কোন শাখার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1010
null
বৈদিক সংহিতায় তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, তপস্যার (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে (৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। সিন্ধু সভ্যতার (৩৩০০–১৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বিভিন্ন প্রত্নস্থলে পাওয়া সিলমোহরে ধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছে। পুরাতত্ত্ববিদ গ্রেগরি পোসেলের মতে, এই ভঙ্গিমাটি "যোগের পূর্বসূরি এক ধর্মীয় আচারের রূপ"। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহর এবং পরবর্তীকালের যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটি সংযোগ সূত্রের কথা অনুমান করেছেন। কিন্তু এর কোনো স্পষ্ট প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ধ্যানের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়ার পদ্ধতি হিন্দুধর্মের শ্রামণিক ও ঔপনিষদ ধারায় বর্ণিত হয়েছে। প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতে ধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও ওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ তিনি ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরাল ধারাটির উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেননি। তার মতে, উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন, নাসদীয় সূক্ত এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিক যুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়। এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভূত – এই উভয় প্রকার ধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়। হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদে। উক্ত গ্রন্থে "যোগ" শব্দটির অর্থ ইন্দ্রিয় সংযোগ ও মানসিক প্রবৃত্তিগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়া। যোগ ধারণার বিবর্তন যে সকল গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে, সেগুলি হল মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ (৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ, ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ও পতঞ্জলির যোগসূত্র (১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। হিন্দু দর্শনে যোগদর্শন ছয়টি মূল দার্শনিক শাখার একটি।
"যোগ" শব্দটি প্রথম কোথায় উল্লেখ করা হয়েছে ?
{ "text": [ "কঠোপনিষদে" ], "answer_start": [ 1421 ] }
1011
null
বৈদিক সংহিতায় তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, তপস্যার (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে (৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। সিন্ধু সভ্যতার (৩৩০০–১৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বিভিন্ন প্রত্নস্থলে পাওয়া সিলমোহরে ধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছে। পুরাতত্ত্ববিদ গ্রেগরি পোসেলের মতে, এই ভঙ্গিমাটি "যোগের পূর্বসূরি এক ধর্মীয় আচারের রূপ"। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহর এবং পরবর্তীকালের যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটি সংযোগ সূত্রের কথা অনুমান করেছেন। কিন্তু এর কোনো স্পষ্ট প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ধ্যানের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়ার পদ্ধতি হিন্দুধর্মের শ্রামণিক ও ঔপনিষদ ধারায় বর্ণিত হয়েছে। প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতে ধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও ওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ তিনি ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরাল ধারাটির উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেননি। তার মতে, উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন, নাসদীয় সূক্ত এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিক যুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়। এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভূত – এই উভয় প্রকার ধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়। হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদে। উক্ত গ্রন্থে "যোগ" শব্দটির অর্থ ইন্দ্রিয় সংযোগ ও মানসিক প্রবৃত্তিগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়া। যোগ ধারণার বিবর্তন যে সকল গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে, সেগুলি হল মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ (৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ, ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ও পতঞ্জলির যোগসূত্র (১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। হিন্দু দর্শনে যোগদর্শন ছয়টি মূল দার্শনিক শাখার একটি।
তপস্যার কথা কোন গ্রন্থে কথিত আছে ?
{ "text": [ "বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে" ], "answer_start": [ 73 ] }
1012
null
বৈদিক সংহিতায় তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, তপস্যার (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে (৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। সিন্ধু সভ্যতার (৩৩০০–১৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বিভিন্ন প্রত্নস্থলে পাওয়া সিলমোহরে ধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছে। পুরাতত্ত্ববিদ গ্রেগরি পোসেলের মতে, এই ভঙ্গিমাটি "যোগের পূর্বসূরি এক ধর্মীয় আচারের রূপ"। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহর এবং পরবর্তীকালের যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটি সংযোগ সূত্রের কথা অনুমান করেছেন। কিন্তু এর কোনো স্পষ্ট প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ধ্যানের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়ার পদ্ধতি হিন্দুধর্মের শ্রামণিক ও ঔপনিষদ ধারায় বর্ণিত হয়েছে। প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতে ধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও ওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ তিনি ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরাল ধারাটির উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেননি। তার মতে, উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন, নাসদীয় সূক্ত এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিক যুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়। এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভূত – এই উভয় প্রকার ধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়। হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদে। উক্ত গ্রন্থে "যোগ" শব্দটির অর্থ ইন্দ্রিয় সংযোগ ও মানসিক প্রবৃত্তিগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়া। যোগ ধারণার বিবর্তন যে সকল গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে, সেগুলি হল মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ (৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ, ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ও পতঞ্জলির যোগসূত্র (১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। হিন্দু দর্শনে যোগদর্শন ছয়টি মূল দার্শনিক শাখার একটি।
গ্রেগরি পোসেল কে ছিলেন?
{ "text": [ "পুরাতত্ত্ববিদ" ], "answer_start": [ 251 ] }
1013
null
বৈদিক সাহিত্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উল্লেখ পাওয়া যায়। ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণ (খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ) অনুসারে, অন্ধ্র জাতি উত্তর ভারত পরিত্যাগ করে দক্ষিণ ভারতে চলে গিয়েছিল। তেলুগু ভাষার মূল উৎসটি দেখা যায় গুন্টুর জেলার কাছে পাওয়া শিলালিপি এবং খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর রেনাতি চোল রাজাদের শিলালিপিতে। প্রাচীন সাতবাহন রাজারা অন্ধ্র শাসন করতেন। পুরাণে সাতবাহনদের "অন্ধ্রভৃত্য" নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পুরাণে ৩০ জন অন্ধ্র রাজার নাম পাওয়া যায়। এঁদের অনেকের মুদ্রা ও শিলালিপিও পাওয়া গিয়েছে। সাতবাহনদের রাজধানী ছিল অমরাবতী। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে অন্ধ্রপ্রদেশ মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন হলে সাতবাহনরা স্বাধীনতা লাভ করে। সিমুক (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০–২০৭ অব্দ)খ্রিস্টপূর্ব ২৩০ অব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর সিমুক সাতবাহন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অধুনা মহারাষ্ট্র ভূখণ্ড ও মালওয়া সহ মধ্যপ্রদেশ ভূখণ্ডের একাধিক অংশও জয় করেন। তিনি শ্রীকাকুলামে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর রাজা হন তারই ভাই কানহা (বা কৃষ্ণ) (খ্রিস্টপূর্ব ২০৭–১৮৯ অব্দ)। তিনি অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ জয় করেন। সাকর্ণী(খ্রিস্টপূর্ব ১৮০–১২৪ অব্দ)তার উত্তরসূরি সাতকর্ণী ছিলেন সাতবাহন সাম্রাজ্যের সপ্তম শাসক। কথিত আছে, তিনি ৫৬ বছর রাজত্ব করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ২২০ অব্দে সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পর অন্ধ্র ইক্ষ্বাকু রাজবংশ, পল্লব রাজবংশ, আনন্দ গোত্রিকা রাজবংশ, রাষ্ট্রকূট রাজবংশ, বিষ্ণুকুণ্ডী রাজবংশ, পূর্ব চালুক্য রাজবংশ ও চোল রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেছিল।
ইক্ষ্বাকু রাজবংশ কোন অংশে শাসন করত ?
{ "text": [ "অন্ধ্রপ্রদেশ ভূখণ্ডের" ], "answer_start": [ 1005 ] }
1014
null
বৈদিক সাহিত্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উল্লেখ পাওয়া যায়। ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণ (খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ) অনুসারে, অন্ধ্র জাতি উত্তর ভারত পরিত্যাগ করে দক্ষিণ ভারতে চলে গিয়েছিল। তেলুগু ভাষার মূল উৎসটি দেখা যায় গুন্টুর জেলার কাছে পাওয়া শিলালিপি এবং খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর রেনাতি চোল রাজাদের শিলালিপিতে। প্রাচীন সাতবাহন রাজারা অন্ধ্র শাসন করতেন। পুরাণে সাতবাহনদের "অন্ধ্রভৃত্য" নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পুরাণে ৩০ জন অন্ধ্র রাজার নাম পাওয়া যায়। এঁদের অনেকের মুদ্রা ও শিলালিপিও পাওয়া গিয়েছে। সাতবাহনদের রাজধানী ছিল অমরাবতী। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে অন্ধ্রপ্রদেশ মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন হলে সাতবাহনরা স্বাধীনতা লাভ করে। সিমুক (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০–২০৭ অব্দ)খ্রিস্টপূর্ব ২৩০ অব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর সিমুক সাতবাহন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অধুনা মহারাষ্ট্র ভূখণ্ড ও মালওয়া সহ মধ্যপ্রদেশ ভূখণ্ডের একাধিক অংশও জয় করেন। তিনি শ্রীকাকুলামে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর রাজা হন তারই ভাই কানহা (বা কৃষ্ণ) (খ্রিস্টপূর্ব ২০৭–১৮৯ অব্দ)। তিনি অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ জয় করেন। সাকর্ণী(খ্রিস্টপূর্ব ১৮০–১২৪ অব্দ)তার উত্তরসূরি সাতকর্ণী ছিলেন সাতবাহন সাম্রাজ্যের সপ্তম শাসক। কথিত আছে, তিনি ৫৬ বছর রাজত্ব করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ২২০ অব্দে সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পর অন্ধ্র ইক্ষ্বাকু রাজবংশ, পল্লব রাজবংশ, আনন্দ গোত্রিকা রাজবংশ, রাষ্ট্রকূট রাজবংশ, বিষ্ণুকুণ্ডী রাজবংশ, পূর্ব চালুক্য রাজবংশ ও চোল রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেছিল।
পুরাণে কত জন অন্ধ্র রাজার নাম উল্লেখ আছে ?
{ "text": [ "৩০ জন" ], "answer_start": [ 401 ] }
1015
null
বৈদিক সাহিত্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উল্লেখ পাওয়া যায়। ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণ (খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ) অনুসারে, অন্ধ্র জাতি উত্তর ভারত পরিত্যাগ করে দক্ষিণ ভারতে চলে গিয়েছিল। তেলুগু ভাষার মূল উৎসটি দেখা যায় গুন্টুর জেলার কাছে পাওয়া শিলালিপি এবং খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর রেনাতি চোল রাজাদের শিলালিপিতে। প্রাচীন সাতবাহন রাজারা অন্ধ্র শাসন করতেন। পুরাণে সাতবাহনদের "অন্ধ্রভৃত্য" নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পুরাণে ৩০ জন অন্ধ্র রাজার নাম পাওয়া যায়। এঁদের অনেকের মুদ্রা ও শিলালিপিও পাওয়া গিয়েছে। সাতবাহনদের রাজধানী ছিল অমরাবতী। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে অন্ধ্রপ্রদেশ মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন হলে সাতবাহনরা স্বাধীনতা লাভ করে। সিমুক (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০–২০৭ অব্দ)খ্রিস্টপূর্ব ২৩০ অব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর সিমুক সাতবাহন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অধুনা মহারাষ্ট্র ভূখণ্ড ও মালওয়া সহ মধ্যপ্রদেশ ভূখণ্ডের একাধিক অংশও জয় করেন। তিনি শ্রীকাকুলামে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর রাজা হন তারই ভাই কানহা (বা কৃষ্ণ) (খ্রিস্টপূর্ব ২০৭–১৮৯ অব্দ)। তিনি অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ জয় করেন। সাকর্ণী(খ্রিস্টপূর্ব ১৮০–১২৪ অব্দ)তার উত্তরসূরি সাতকর্ণী ছিলেন সাতবাহন সাম্রাজ্যের সপ্তম শাসক। কথিত আছে, তিনি ৫৬ বছর রাজত্ব করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ২২০ অব্দে সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পর অন্ধ্র ইক্ষ্বাকু রাজবংশ, পল্লব রাজবংশ, আনন্দ গোত্রিকা রাজবংশ, রাষ্ট্রকূট রাজবংশ, বিষ্ণুকুণ্ডী রাজবংশ, পূর্ব চালুক্য রাজবংশ ও চোল রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রথম ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত রাজবংশের নাম কি ?
{ "text": [ "ইক্ষ্বাকু" ], "answer_start": [ 1241 ] }
1016
null
বৈদিক সাহিত্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উল্লেখ পাওয়া যায়। ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণ (খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ) অনুসারে, অন্ধ্র জাতি উত্তর ভারত পরিত্যাগ করে দক্ষিণ ভারতে চলে গিয়েছিল। তেলুগু ভাষার মূল উৎসটি দেখা যায় গুন্টুর জেলার কাছে পাওয়া শিলালিপি এবং খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর রেনাতি চোল রাজাদের শিলালিপিতে। প্রাচীন সাতবাহন রাজারা অন্ধ্র শাসন করতেন। পুরাণে সাতবাহনদের "অন্ধ্রভৃত্য" নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পুরাণে ৩০ জন অন্ধ্র রাজার নাম পাওয়া যায়। এঁদের অনেকের মুদ্রা ও শিলালিপিও পাওয়া গিয়েছে। সাতবাহনদের রাজধানী ছিল অমরাবতী। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে অন্ধ্রপ্রদেশ মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন হলে সাতবাহনরা স্বাধীনতা লাভ করে। সিমুক (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০–২০৭ অব্দ)খ্রিস্টপূর্ব ২৩০ অব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর সিমুক সাতবাহন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অধুনা মহারাষ্ট্র ভূখণ্ড ও মালওয়া সহ মধ্যপ্রদেশ ভূখণ্ডের একাধিক অংশও জয় করেন। তিনি শ্রীকাকুলামে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর রাজা হন তারই ভাই কানহা (বা কৃষ্ণ) (খ্রিস্টপূর্ব ২০৭–১৮৯ অব্দ)। তিনি অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ জয় করেন। সাকর্ণী(খ্রিস্টপূর্ব ১৮০–১২৪ অব্দ)তার উত্তরসূরি সাতকর্ণী ছিলেন সাতবাহন সাম্রাজ্যের সপ্তম শাসক। কথিত আছে, তিনি ৫৬ বছর রাজত্ব করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ২২০ অব্দে সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পর অন্ধ্র ইক্ষ্বাকু রাজবংশ, পল্লব রাজবংশ, আনন্দ গোত্রিকা রাজবংশ, রাষ্ট্রকূট রাজবংশ, বিষ্ণুকুণ্ডী রাজবংশ, পূর্ব চালুক্য রাজবংশ ও চোল রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেছিল।
কোন সাহিত্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উল্লেখ আছে ?
{ "text": [ "বৈদিক সাহিত্যে" ], "answer_start": [ 0 ] }
1017
null
বৈদিক সাহিত্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উল্লেখ পাওয়া যায়। ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণ (খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ) অনুসারে, অন্ধ্র জাতি উত্তর ভারত পরিত্যাগ করে দক্ষিণ ভারতে চলে গিয়েছিল। তেলুগু ভাষার মূল উৎসটি দেখা যায় গুন্টুর জেলার কাছে পাওয়া শিলালিপি এবং খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর রেনাতি চোল রাজাদের শিলালিপিতে। প্রাচীন সাতবাহন রাজারা অন্ধ্র শাসন করতেন। পুরাণে সাতবাহনদের "অন্ধ্রভৃত্য" নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পুরাণে ৩০ জন অন্ধ্র রাজার নাম পাওয়া যায়। এঁদের অনেকের মুদ্রা ও শিলালিপিও পাওয়া গিয়েছে। সাতবাহনদের রাজধানী ছিল অমরাবতী। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে অন্ধ্রপ্রদেশ মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন হলে সাতবাহনরা স্বাধীনতা লাভ করে। সিমুক (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০–২০৭ অব্দ)খ্রিস্টপূর্ব ২৩০ অব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর সিমুক সাতবাহন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অধুনা মহারাষ্ট্র ভূখণ্ড ও মালওয়া সহ মধ্যপ্রদেশ ভূখণ্ডের একাধিক অংশও জয় করেন। তিনি শ্রীকাকুলামে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর রাজা হন তারই ভাই কানহা (বা কৃষ্ণ) (খ্রিস্টপূর্ব ২০৭–১৮৯ অব্দ)। তিনি অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ জয় করেন। সাকর্ণী(খ্রিস্টপূর্ব ১৮০–১২৪ অব্দ)তার উত্তরসূরি সাতকর্ণী ছিলেন সাতবাহন সাম্রাজ্যের সপ্তম শাসক। কথিত আছে, তিনি ৫৬ বছর রাজত্ব করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ২২০ অব্দে সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পর অন্ধ্র ইক্ষ্বাকু রাজবংশ, পল্লব রাজবংশ, আনন্দ গোত্রিকা রাজবংশ, রাষ্ট্রকূট রাজবংশ, বিষ্ণুকুণ্ডী রাজবংশ, পূর্ব চালুক্য রাজবংশ ও চোল রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেছিল।
কারা অন্ধ্রপ্রদেশ শাসন করত ?
{ "text": [ "প্রাচীন সাতবাহন রাজারা" ], "answer_start": [ 298 ] }
1018
null
বৈদিক সাহিত্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উল্লেখ পাওয়া যায়। ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণ (খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ) অনুসারে, অন্ধ্র জাতি উত্তর ভারত পরিত্যাগ করে দক্ষিণ ভারতে চলে গিয়েছিল। তেলুগু ভাষার মূল উৎসটি দেখা যায় গুন্টুর জেলার কাছে পাওয়া শিলালিপি এবং খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর রেনাতি চোল রাজাদের শিলালিপিতে। প্রাচীন সাতবাহন রাজারা অন্ধ্র শাসন করতেন। পুরাণে সাতবাহনদের "অন্ধ্রভৃত্য" নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পুরাণে ৩০ জন অন্ধ্র রাজার নাম পাওয়া যায়। এঁদের অনেকের মুদ্রা ও শিলালিপিও পাওয়া গিয়েছে। সাতবাহনদের রাজধানী ছিল অমরাবতী। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে অন্ধ্রপ্রদেশ মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন হলে সাতবাহনরা স্বাধীনতা লাভ করে। সিমুক (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০–২০৭ অব্দ)খ্রিস্টপূর্ব ২৩০ অব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর সিমুক সাতবাহন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অধুনা মহারাষ্ট্র ভূখণ্ড ও মালওয়া সহ মধ্যপ্রদেশ ভূখণ্ডের একাধিক অংশও জয় করেন। তিনি শ্রীকাকুলামে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর রাজা হন তারই ভাই কানহা (বা কৃষ্ণ) (খ্রিস্টপূর্ব ২০৭–১৮৯ অব্দ)। তিনি অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ জয় করেন। সাকর্ণী(খ্রিস্টপূর্ব ১৮০–১২৪ অব্দ)তার উত্তরসূরি সাতকর্ণী ছিলেন সাতবাহন সাম্রাজ্যের সপ্তম শাসক। কথিত আছে, তিনি ৫৬ বছর রাজত্ব করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ২২০ অব্দে সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পর অন্ধ্র ইক্ষ্বাকু রাজবংশ, পল্লব রাজবংশ, আনন্দ গোত্রিকা রাজবংশ, রাষ্ট্রকূট রাজবংশ, বিষ্ণুকুণ্ডী রাজবংশ, পূর্ব চালুক্য রাজবংশ ও চোল রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেছিল।
পুরাণে সাতবাহনদের কি বলা হয়েছে ?
{ "text": [ "অন্ধ্রভৃত্য" ], "answer_start": [ 358 ] }
1019
null
বৈদিক সাহিত্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উল্লেখ পাওয়া যায়। ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণ (খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ) অনুসারে, অন্ধ্র জাতি উত্তর ভারত পরিত্যাগ করে দক্ষিণ ভারতে চলে গিয়েছিল। তেলুগু ভাষার মূল উৎসটি দেখা যায় গুন্টুর জেলার কাছে পাওয়া শিলালিপি এবং খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর রেনাতি চোল রাজাদের শিলালিপিতে। প্রাচীন সাতবাহন রাজারা অন্ধ্র শাসন করতেন। পুরাণে সাতবাহনদের "অন্ধ্রভৃত্য" নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পুরাণে ৩০ জন অন্ধ্র রাজার নাম পাওয়া যায়। এঁদের অনেকের মুদ্রা ও শিলালিপিও পাওয়া গিয়েছে। সাতবাহনদের রাজধানী ছিল অমরাবতী। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে অন্ধ্রপ্রদেশ মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন হলে সাতবাহনরা স্বাধীনতা লাভ করে। সিমুক (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০–২০৭ অব্দ)খ্রিস্টপূর্ব ২৩০ অব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর সিমুক সাতবাহন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অধুনা মহারাষ্ট্র ভূখণ্ড ও মালওয়া সহ মধ্যপ্রদেশ ভূখণ্ডের একাধিক অংশও জয় করেন। তিনি শ্রীকাকুলামে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর রাজা হন তারই ভাই কানহা (বা কৃষ্ণ) (খ্রিস্টপূর্ব ২০৭–১৮৯ অব্দ)। তিনি অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ জয় করেন। সাকর্ণী(খ্রিস্টপূর্ব ১৮০–১২৪ অব্দ)তার উত্তরসূরি সাতকর্ণী ছিলেন সাতবাহন সাম্রাজ্যের সপ্তম শাসক। কথিত আছে, তিনি ৫৬ বছর রাজত্ব করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ২২০ অব্দে সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পর অন্ধ্র ইক্ষ্বাকু রাজবংশ, পল্লব রাজবংশ, আনন্দ গোত্রিকা রাজবংশ, রাষ্ট্রকূট রাজবংশ, বিষ্ণুকুণ্ডী রাজবংশ, পূর্ব চালুক্য রাজবংশ ও চোল রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেছিল।
সাতবাহনদের রাজধানী কি ছিল ?
{ "text": [ "অমরাবতী" ], "answer_start": [ 506 ] }
1020
null
ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদের সাহস দেখে আশ্চর্য হয়েছিলো। ভাইসরয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে নিয়োগ করে মামলাটি তদন্ত করবার জন্যে। এক মাসের মধ্যে সি.আই.ডি সূত্র বের করে ফেলে এবং প্রায় সব বিপ্লবীদের একরাতেই গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫ তারিখ সকালবেলা পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিস গ্রেপ্তার করে কিন্তু আসফাক ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যার খোঁজ পুলিস পায় না। আসফাক লুকিয়ে পড়েন এবং বারাণসী যাত্রা করেন, সেখান থেকে বিহার গমন করেন এবং সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে দশ মাস কাজ করেন। তিনি বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মূর্ত সহায়তার জন্য লালা হর দয়ালের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করবেন তা বের করতে দিল্লি যান, সেখানে তিনি তার একজন পাঠান বন্ধুর সহায়তা নেন এবং সেই বন্ধুটিই বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে জানিয়ে দেয় এবং আসফাককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তাসাদ্দুক হোসেন, তৎকালীন পুলিস সুপার বিসমিল এবং আসফাকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভূমিকা দেখাতে চেষ্টা করে। সে আরো "বিসমিলের" বিরুদ্ধে আসফাককে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করে কিন্তু আসফাক ছিলেন দৃঢ়চেতা ভারতীয় যিনি এস.পি. তাসাদ্দুক হোসেনকে এই বলে বিস্মিত করেন, ""খান সাহেব! , আমি পণ্ডিত রাম প্রসাদকে আপনার চেয়ে ভাল জানি, আপনি যেমন বলেছেন তিনি এমন ব্যক্তি নন কিন্তু এমনকি আপনি সঠিক হলেও আমি নিশ্চিত যে একজন হিন্দু হিসেবে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের চেয়ে অনেক ভাল হবেন, যাদের [ব্রিটিশদের] কাছে আপনি চাকরের মতো সেবা করছেন।
ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় বিপ্লবীদের কি দেখে বিস্মিত হয়েছিল?
{ "text": [ "বিপ্লবীদের সাহস" ], "answer_start": [ 14 ] }
1021
null
ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদের সাহস দেখে আশ্চর্য হয়েছিলো। ভাইসরয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে নিয়োগ করে মামলাটি তদন্ত করবার জন্যে। এক মাসের মধ্যে সি.আই.ডি সূত্র বের করে ফেলে এবং প্রায় সব বিপ্লবীদের একরাতেই গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫ তারিখ সকালবেলা পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিস গ্রেপ্তার করে কিন্তু আসফাক ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যার খোঁজ পুলিস পায় না। আসফাক লুকিয়ে পড়েন এবং বারাণসী যাত্রা করেন, সেখান থেকে বিহার গমন করেন এবং সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে দশ মাস কাজ করেন। তিনি বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মূর্ত সহায়তার জন্য লালা হর দয়ালের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করবেন তা বের করতে দিল্লি যান, সেখানে তিনি তার একজন পাঠান বন্ধুর সহায়তা নেন এবং সেই বন্ধুটিই বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে জানিয়ে দেয় এবং আসফাককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তাসাদ্দুক হোসেন, তৎকালীন পুলিস সুপার বিসমিল এবং আসফাকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভূমিকা দেখাতে চেষ্টা করে। সে আরো "বিসমিলের" বিরুদ্ধে আসফাককে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করে কিন্তু আসফাক ছিলেন দৃঢ়চেতা ভারতীয় যিনি এস.পি. তাসাদ্দুক হোসেনকে এই বলে বিস্মিত করেন, ""খান সাহেব! , আমি পণ্ডিত রাম প্রসাদকে আপনার চেয়ে ভাল জানি, আপনি যেমন বলেছেন তিনি এমন ব্যক্তি নন কিন্তু এমনকি আপনি সঠিক হলেও আমি নিশ্চিত যে একজন হিন্দু হিসেবে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের চেয়ে অনেক ভাল হবেন, যাদের [ব্রিটিশদের] কাছে আপনি চাকরের মতো সেবা করছেন।
কে আসফাকুল্লাহ খানের ভাই ছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1022
null
ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদের সাহস দেখে আশ্চর্য হয়েছিলো। ভাইসরয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে নিয়োগ করে মামলাটি তদন্ত করবার জন্যে। এক মাসের মধ্যে সি.আই.ডি সূত্র বের করে ফেলে এবং প্রায় সব বিপ্লবীদের একরাতেই গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫ তারিখ সকালবেলা পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিস গ্রেপ্তার করে কিন্তু আসফাক ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যার খোঁজ পুলিস পায় না। আসফাক লুকিয়ে পড়েন এবং বারাণসী যাত্রা করেন, সেখান থেকে বিহার গমন করেন এবং সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে দশ মাস কাজ করেন। তিনি বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মূর্ত সহায়তার জন্য লালা হর দয়ালের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করবেন তা বের করতে দিল্লি যান, সেখানে তিনি তার একজন পাঠান বন্ধুর সহায়তা নেন এবং সেই বন্ধুটিই বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে জানিয়ে দেয় এবং আসফাককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তাসাদ্দুক হোসেন, তৎকালীন পুলিস সুপার বিসমিল এবং আসফাকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভূমিকা দেখাতে চেষ্টা করে। সে আরো "বিসমিলের" বিরুদ্ধে আসফাককে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করে কিন্তু আসফাক ছিলেন দৃঢ়চেতা ভারতীয় যিনি এস.পি. তাসাদ্দুক হোসেনকে এই বলে বিস্মিত করেন, ""খান সাহেব! , আমি পণ্ডিত রাম প্রসাদকে আপনার চেয়ে ভাল জানি, আপনি যেমন বলেছেন তিনি এমন ব্যক্তি নন কিন্তু এমনকি আপনি সঠিক হলেও আমি নিশ্চিত যে একজন হিন্দু হিসেবে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের চেয়ে অনেক ভাল হবেন, যাদের [ব্রিটিশদের] কাছে আপনি চাকরের মতো সেবা করছেন।
1925 সালের 26 সেপ্টেম্বর সকালে, পন্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও একমাত্র কাকে পুলিশ খুঁজে পায়নি?
{ "text": [ "আসফাক" ], "answer_start": [ 335 ] }
1023
null
ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদের সাহস দেখে আশ্চর্য হয়েছিলো। ভাইসরয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে নিয়োগ করে মামলাটি তদন্ত করবার জন্যে। এক মাসের মধ্যে সি.আই.ডি সূত্র বের করে ফেলে এবং প্রায় সব বিপ্লবীদের একরাতেই গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫ তারিখ সকালবেলা পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিস গ্রেপ্তার করে কিন্তু আসফাক ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যার খোঁজ পুলিস পায় না। আসফাক লুকিয়ে পড়েন এবং বারাণসী যাত্রা করেন, সেখান থেকে বিহার গমন করেন এবং সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে দশ মাস কাজ করেন। তিনি বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মূর্ত সহায়তার জন্য লালা হর দয়ালের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করবেন তা বের করতে দিল্লি যান, সেখানে তিনি তার একজন পাঠান বন্ধুর সহায়তা নেন এবং সেই বন্ধুটিই বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে জানিয়ে দেয় এবং আসফাককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তাসাদ্দুক হোসেন, তৎকালীন পুলিস সুপার বিসমিল এবং আসফাকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভূমিকা দেখাতে চেষ্টা করে। সে আরো "বিসমিলের" বিরুদ্ধে আসফাককে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করে কিন্তু আসফাক ছিলেন দৃঢ়চেতা ভারতীয় যিনি এস.পি. তাসাদ্দুক হোসেনকে এই বলে বিস্মিত করেন, ""খান সাহেব! , আমি পণ্ডিত রাম প্রসাদকে আপনার চেয়ে ভাল জানি, আপনি যেমন বলেছেন তিনি এমন ব্যক্তি নন কিন্তু এমনকি আপনি সঠিক হলেও আমি নিশ্চিত যে একজন হিন্দু হিসেবে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের চেয়ে অনেক ভাল হবেন, যাদের [ব্রিটিশদের] কাছে আপনি চাকরের মতো সেবা করছেন।
১৯২৫ সালে ভারতে ব্রিটিশ ভাইসরয় কেসটি তদন্তের জন্য কাকে নিয়োগ করেন?
{ "text": [ "ইয়ার্ডকে" ], "answer_start": [ 72 ] }
1024
null
ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদের সাহস দেখে আশ্চর্য হয়েছিলো। ভাইসরয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে নিয়োগ করে মামলাটি তদন্ত করবার জন্যে। এক মাসের মধ্যে সি.আই.ডি সূত্র বের করে ফেলে এবং প্রায় সব বিপ্লবীদের একরাতেই গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫ তারিখ সকালবেলা পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিস গ্রেপ্তার করে কিন্তু আসফাক ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যার খোঁজ পুলিস পায় না। আসফাক লুকিয়ে পড়েন এবং বারাণসী যাত্রা করেন, সেখান থেকে বিহার গমন করেন এবং সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে দশ মাস কাজ করেন। তিনি বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মূর্ত সহায়তার জন্য লালা হর দয়ালের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করবেন তা বের করতে দিল্লি যান, সেখানে তিনি তার একজন পাঠান বন্ধুর সহায়তা নেন এবং সেই বন্ধুটিই বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে জানিয়ে দেয় এবং আসফাককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তাসাদ্দুক হোসেন, তৎকালীন পুলিস সুপার বিসমিল এবং আসফাকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভূমিকা দেখাতে চেষ্টা করে। সে আরো "বিসমিলের" বিরুদ্ধে আসফাককে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করে কিন্তু আসফাক ছিলেন দৃঢ়চেতা ভারতীয় যিনি এস.পি. তাসাদ্দুক হোসেনকে এই বলে বিস্মিত করেন, ""খান সাহেব! , আমি পণ্ডিত রাম প্রসাদকে আপনার চেয়ে ভাল জানি, আপনি যেমন বলেছেন তিনি এমন ব্যক্তি নন কিন্তু এমনকি আপনি সঠিক হলেও আমি নিশ্চিত যে একজন হিন্দু হিসেবে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের চেয়ে অনেক ভাল হবেন, যাদের [ব্রিটিশদের] কাছে আপনি চাকরের মতো সেবা করছেন।
১৯২৫ সালে কাকে ব্রিটিশ সরকার ফৈজাবাদ জেলে পাঠায় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1025
null
ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদের সাহস দেখে আশ্চর্য হয়েছিলো। ভাইসরয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে নিয়োগ করে মামলাটি তদন্ত করবার জন্যে। এক মাসের মধ্যে সি.আই.ডি সূত্র বের করে ফেলে এবং প্রায় সব বিপ্লবীদের একরাতেই গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫ তারিখ সকালবেলা পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিস গ্রেপ্তার করে কিন্তু আসফাক ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যার খোঁজ পুলিস পায় না। আসফাক লুকিয়ে পড়েন এবং বারাণসী যাত্রা করেন, সেখান থেকে বিহার গমন করেন এবং সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে দশ মাস কাজ করেন। তিনি বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মূর্ত সহায়তার জন্য লালা হর দয়ালের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করবেন তা বের করতে দিল্লি যান, সেখানে তিনি তার একজন পাঠান বন্ধুর সহায়তা নেন এবং সেই বন্ধুটিই বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে জানিয়ে দেয় এবং আসফাককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তাসাদ্দুক হোসেন, তৎকালীন পুলিস সুপার বিসমিল এবং আসফাকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভূমিকা দেখাতে চেষ্টা করে। সে আরো "বিসমিলের" বিরুদ্ধে আসফাককে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করে কিন্তু আসফাক ছিলেন দৃঢ়চেতা ভারতীয় যিনি এস.পি. তাসাদ্দুক হোসেনকে এই বলে বিস্মিত করেন, ""খান সাহেব! , আমি পণ্ডিত রাম প্রসাদকে আপনার চেয়ে ভাল জানি, আপনি যেমন বলেছেন তিনি এমন ব্যক্তি নন কিন্তু এমনকি আপনি সঠিক হলেও আমি নিশ্চিত যে একজন হিন্দু হিসেবে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের চেয়ে অনেক ভাল হবেন, যাদের [ব্রিটিশদের] কাছে আপনি চাকরের মতো সেবা করছেন।
বিপ্লবী আসফাক আত্মগোপনে বারাণসী থেকে কোথায় চলে যান?
{ "text": [ "বিহার" ], "answer_start": [ 442 ] }
1026
null
ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদের সাহস দেখে আশ্চর্য হয়েছিলো। ভাইসরয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে নিয়োগ করে মামলাটি তদন্ত করবার জন্যে। এক মাসের মধ্যে সি.আই.ডি সূত্র বের করে ফেলে এবং প্রায় সব বিপ্লবীদের একরাতেই গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫ তারিখ সকালবেলা পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিস গ্রেপ্তার করে কিন্তু আসফাক ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যার খোঁজ পুলিস পায় না। আসফাক লুকিয়ে পড়েন এবং বারাণসী যাত্রা করেন, সেখান থেকে বিহার গমন করেন এবং সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে দশ মাস কাজ করেন। তিনি বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মূর্ত সহায়তার জন্য লালা হর দয়ালের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করবেন তা বের করতে দিল্লি যান, সেখানে তিনি তার একজন পাঠান বন্ধুর সহায়তা নেন এবং সেই বন্ধুটিই বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে জানিয়ে দেয় এবং আসফাককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তাসাদ্দুক হোসেন, তৎকালীন পুলিস সুপার বিসমিল এবং আসফাকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভূমিকা দেখাতে চেষ্টা করে। সে আরো "বিসমিলের" বিরুদ্ধে আসফাককে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করে কিন্তু আসফাক ছিলেন দৃঢ়চেতা ভারতীয় যিনি এস.পি. তাসাদ্দুক হোসেনকে এই বলে বিস্মিত করেন, ""খান সাহেব! , আমি পণ্ডিত রাম প্রসাদকে আপনার চেয়ে ভাল জানি, আপনি যেমন বলেছেন তিনি এমন ব্যক্তি নন কিন্তু এমনকি আপনি সঠিক হলেও আমি নিশ্চিত যে একজন হিন্দু হিসেবে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের চেয়ে অনেক ভাল হবেন, যাদের [ব্রিটিশদের] কাছে আপনি চাকরের মতো সেবা করছেন।
বিপ্লবী আসফাক বিহারের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে কত মাস কাজ করেন?
{ "text": [ "দশ মাস" ], "answer_start": [ 498 ] }
1027
null
ব্রিটিশরা এর প্রতিশোধ নিতে ৬০,০০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সরকার গান্ধীর সাথে সমঝোতা করতে লর্ড এডওয়ার্ড আরউইনকে প্রতিনিধি নিয়োগ করে। গান্ধী-আর উইন প্যাক্টস হয় ১৯৪১ সালের মার্চ মাসে সরকার সকল গণ অসহযোগ আন্দোলন বন্ধের বিনিময় সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়। এছাড়াও গান্ধীকে গোল টেবিল বৈঠকের জন্য লন্ডনে আমন্ত্রণ জাননো হয। সেখানে তিনি একাই কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন। আলোচনা ভারতীয় যুবরাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অনুষ্ঠিত হয় - যা গান্ধী ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের নিরাশ করে। লর্ড আরউইনের স্থলাভিষিক্ত লর্ড উইলিংডন জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গান্ধী পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তাকে সম্পূর্ণরূপে তার অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পদ্ধতিটি অবশ্য সফল হয়নি। ১৯৩২ সালে দলিত নেতা বি আর আম্বেদকারের প্রচেষ্টার ভিত্তিতে সরকারি নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃম্শ্যদের জন্য আলাদা ইলেকটোরেট আয়োজন করে। এর প্রতিবাদে গান্ধী ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ দিনের অনশন পালন করেন এবং এতে সরকার বাধ্য হয়ে দলিত ক্রিকেটার ও পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতা পালওয়াঙ্কার বালুর মধ্যস্থতায় আরও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা প্রদান করে। এরপরই গান্ধী হরিজন ("ঈশ্বরের সন্তান") নাম দিয়ে দলিত, অস্পৃশ্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এক নতুন অগ্রযাত্রার সূচনা করেন। ১৯৩৩ সালের ৮ মে তিনি হরিজন আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে ২১ দিনের জন্য আত্মশুদ্ধি অনশন করেন।
১৯৩২ সালে কার প্রচেষ্টায় সরকারি নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃম্শ্যদের জন্য আলাদা ইলেকটোরেট আয়োজন করা হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1028
null
ব্রিটিশরা এর প্রতিশোধ নিতে ৬০,০০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সরকার গান্ধীর সাথে সমঝোতা করতে লর্ড এডওয়ার্ড আরউইনকে প্রতিনিধি নিয়োগ করে। গান্ধী-আর উইন প্যাক্টস হয় ১৯৪১ সালের মার্চ মাসে সরকার সকল গণ অসহযোগ আন্দোলন বন্ধের বিনিময় সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়। এছাড়াও গান্ধীকে গোল টেবিল বৈঠকের জন্য লন্ডনে আমন্ত্রণ জাননো হয। সেখানে তিনি একাই কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন। আলোচনা ভারতীয় যুবরাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অনুষ্ঠিত হয় - যা গান্ধী ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের নিরাশ করে। লর্ড আরউইনের স্থলাভিষিক্ত লর্ড উইলিংডন জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গান্ধী পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তাকে সম্পূর্ণরূপে তার অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পদ্ধতিটি অবশ্য সফল হয়নি। ১৯৩২ সালে দলিত নেতা বি আর আম্বেদকারের প্রচেষ্টার ভিত্তিতে সরকারি নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃম্শ্যদের জন্য আলাদা ইলেকটোরেট আয়োজন করে। এর প্রতিবাদে গান্ধী ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ দিনের অনশন পালন করেন এবং এতে সরকার বাধ্য হয়ে দলিত ক্রিকেটার ও পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতা পালওয়াঙ্কার বালুর মধ্যস্থতায় আরও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা প্রদান করে। এরপরই গান্ধী হরিজন ("ঈশ্বরের সন্তান") নাম দিয়ে দলিত, অস্পৃশ্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এক নতুন অগ্রযাত্রার সূচনা করেন। ১৯৩৩ সালের ৮ মে তিনি হরিজন আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে ২১ দিনের জন্য আত্মশুদ্ধি অনশন করেন।
গান্ধীজিকে গোলটেবিল বৈঠকের জন্য কোথায় আমন্ত্রণ করা হয়েছিল ?
{ "text": [ "লন্ডনে" ], "answer_start": [ 300 ] }
1029
null
ব্রিটিশরা এর প্রতিশোধ নিতে ৬০,০০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সরকার গান্ধীর সাথে সমঝোতা করতে লর্ড এডওয়ার্ড আরউইনকে প্রতিনিধি নিয়োগ করে। গান্ধী-আর উইন প্যাক্টস হয় ১৯৪১ সালের মার্চ মাসে সরকার সকল গণ অসহযোগ আন্দোলন বন্ধের বিনিময় সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়। এছাড়াও গান্ধীকে গোল টেবিল বৈঠকের জন্য লন্ডনে আমন্ত্রণ জাননো হয। সেখানে তিনি একাই কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন। আলোচনা ভারতীয় যুবরাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অনুষ্ঠিত হয় - যা গান্ধী ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের নিরাশ করে। লর্ড আরউইনের স্থলাভিষিক্ত লর্ড উইলিংডন জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গান্ধী পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তাকে সম্পূর্ণরূপে তার অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পদ্ধতিটি অবশ্য সফল হয়নি। ১৯৩২ সালে দলিত নেতা বি আর আম্বেদকারের প্রচেষ্টার ভিত্তিতে সরকারি নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃম্শ্যদের জন্য আলাদা ইলেকটোরেট আয়োজন করে। এর প্রতিবাদে গান্ধী ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ দিনের অনশন পালন করেন এবং এতে সরকার বাধ্য হয়ে দলিত ক্রিকেটার ও পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতা পালওয়াঙ্কার বালুর মধ্যস্থতায় আরও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা প্রদান করে। এরপরই গান্ধী হরিজন ("ঈশ্বরের সন্তান") নাম দিয়ে দলিত, অস্পৃশ্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এক নতুন অগ্রযাত্রার সূচনা করেন। ১৯৩৩ সালের ৮ মে তিনি হরিজন আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে ২১ দিনের জন্য আত্মশুদ্ধি অনশন করেন।
কোন সালে মহাত্মা গান্ধীকে তিনবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1030
null
ব্রিটিশরা এর প্রতিশোধ নিতে ৬০,০০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সরকার গান্ধীর সাথে সমঝোতা করতে লর্ড এডওয়ার্ড আরউইনকে প্রতিনিধি নিয়োগ করে। গান্ধী-আর উইন প্যাক্টস হয় ১৯৪১ সালের মার্চ মাসে সরকার সকল গণ অসহযোগ আন্দোলন বন্ধের বিনিময় সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়। এছাড়াও গান্ধীকে গোল টেবিল বৈঠকের জন্য লন্ডনে আমন্ত্রণ জাননো হয। সেখানে তিনি একাই কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন। আলোচনা ভারতীয় যুবরাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অনুষ্ঠিত হয় - যা গান্ধী ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের নিরাশ করে। লর্ড আরউইনের স্থলাভিষিক্ত লর্ড উইলিংডন জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গান্ধী পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তাকে সম্পূর্ণরূপে তার অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পদ্ধতিটি অবশ্য সফল হয়নি। ১৯৩২ সালে দলিত নেতা বি আর আম্বেদকারের প্রচেষ্টার ভিত্তিতে সরকারি নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃম্শ্যদের জন্য আলাদা ইলেকটোরেট আয়োজন করে। এর প্রতিবাদে গান্ধী ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ দিনের অনশন পালন করেন এবং এতে সরকার বাধ্য হয়ে দলিত ক্রিকেটার ও পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতা পালওয়াঙ্কার বালুর মধ্যস্থতায় আরও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা প্রদান করে। এরপরই গান্ধী হরিজন ("ঈশ্বরের সন্তান") নাম দিয়ে দলিত, অস্পৃশ্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এক নতুন অগ্রযাত্রার সূচনা করেন। ১৯৩৩ সালের ৮ মে তিনি হরিজন আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে ২১ দিনের জন্য আত্মশুদ্ধি অনশন করেন।
কংগ্রেস পার্টি ফেডারেশন স্কিমের ক্ষমতা মেনে নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হলে কে দল থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1031
null
ব্রিটিশরা এর প্রতিশোধ নিতে ৬০,০০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সরকার গান্ধীর সাথে সমঝোতা করতে লর্ড এডওয়ার্ড আরউইনকে প্রতিনিধি নিয়োগ করে। গান্ধী-আর উইন প্যাক্টস হয় ১৯৪১ সালের মার্চ মাসে সরকার সকল গণ অসহযোগ আন্দোলন বন্ধের বিনিময় সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়। এছাড়াও গান্ধীকে গোল টেবিল বৈঠকের জন্য লন্ডনে আমন্ত্রণ জাননো হয। সেখানে তিনি একাই কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন। আলোচনা ভারতীয় যুবরাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অনুষ্ঠিত হয় - যা গান্ধী ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের নিরাশ করে। লর্ড আরউইনের স্থলাভিষিক্ত লর্ড উইলিংডন জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গান্ধী পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তাকে সম্পূর্ণরূপে তার অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পদ্ধতিটি অবশ্য সফল হয়নি। ১৯৩২ সালে দলিত নেতা বি আর আম্বেদকারের প্রচেষ্টার ভিত্তিতে সরকারি নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃম্শ্যদের জন্য আলাদা ইলেকটোরেট আয়োজন করে। এর প্রতিবাদে গান্ধী ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ দিনের অনশন পালন করেন এবং এতে সরকার বাধ্য হয়ে দলিত ক্রিকেটার ও পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতা পালওয়াঙ্কার বালুর মধ্যস্থতায় আরও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা প্রদান করে। এরপরই গান্ধী হরিজন ("ঈশ্বরের সন্তান") নাম দিয়ে দলিত, অস্পৃশ্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এক নতুন অগ্রযাত্রার সূচনা করেন। ১৯৩৩ সালের ৮ মে তিনি হরিজন আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে ২১ দিনের জন্য আত্মশুদ্ধি অনশন করেন।
১৯৩০ সালে ডাণ্ডি অভিযানের পর গান্ধীজির সাথে আলোচনার জন্য ব্রিটিশ সরকার কাকে নিয়োগ করেন ?
{ "text": [ "লর্ড এডওয়ার্ড আরউইনকে" ], "answer_start": [ 89 ] }
1032
null
ব্রিটিশরা এর প্রতিশোধ নিতে ৬০,০০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সরকার গান্ধীর সাথে সমঝোতা করতে লর্ড এডওয়ার্ড আরউইনকে প্রতিনিধি নিয়োগ করে। গান্ধী-আর উইন প্যাক্টস হয় ১৯৪১ সালের মার্চ মাসে সরকার সকল গণ অসহযোগ আন্দোলন বন্ধের বিনিময় সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়। এছাড়াও গান্ধীকে গোল টেবিল বৈঠকের জন্য লন্ডনে আমন্ত্রণ জাননো হয। সেখানে তিনি একাই কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন। আলোচনা ভারতীয় যুবরাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অনুষ্ঠিত হয় - যা গান্ধী ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের নিরাশ করে। লর্ড আরউইনের স্থলাভিষিক্ত লর্ড উইলিংডন জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গান্ধী পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তাকে সম্পূর্ণরূপে তার অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পদ্ধতিটি অবশ্য সফল হয়নি। ১৯৩২ সালে দলিত নেতা বি আর আম্বেদকারের প্রচেষ্টার ভিত্তিতে সরকারি নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃম্শ্যদের জন্য আলাদা ইলেকটোরেট আয়োজন করে। এর প্রতিবাদে গান্ধী ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ দিনের অনশন পালন করেন এবং এতে সরকার বাধ্য হয়ে দলিত ক্রিকেটার ও পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতা পালওয়াঙ্কার বালুর মধ্যস্থতায় আরও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা প্রদান করে। এরপরই গান্ধী হরিজন ("ঈশ্বরের সন্তান") নাম দিয়ে দলিত, অস্পৃশ্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এক নতুন অগ্রযাত্রার সূচনা করেন। ১৯৩৩ সালের ৮ মে তিনি হরিজন আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে ২১ দিনের জন্য আত্মশুদ্ধি অনশন করেন।
১৯৩০ সালে ডাণ্ডি অভিজানের প্রতিশোধ নিতে ব্রিটিশরা কতজনকে গ্রেপ্তার করে ?
{ "text": [ "৬০,০০০ ব্যক্তিকে" ], "answer_start": [ 27 ] }
1033
null
ভক্তি বলতে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তের অচলা প্রেম, তার মাধ্যমে অংশগ্রহণ এবং একটি ব্যক্তিগত আকাঙ্খার প্রকাশ যা ঈশ্বরের নির্দেশিত পথে ভক্তকে পরিচালিত করে। ভক্তি-মার্গ হল আধ্যাত্মিকতা এবং বিকল্প অনেক সম্ভাব্য পথের একটি যার মাধ্যমে মোক্ষ লাভ করা যায়। অন্য পথগুলো হল জ্ঞানের পথ, কর্ম-পথ , রজ-মার্গ (চিন্তা ও ধ্যানের পথ).ভক্তি বিভিন্ন উপায়ে চর্চা করা হয়, মন্ত্র আবৃত্তি থেকে শুরু করে ধ্যান নাম জপ ইত্যাদি। যে কেউ বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে তা করতে পারে, অথবা একটি মন্দিরে মূর্তি অথবা একটি দেবতার পবিত্র প্রতীকীর সামনেও তা করতে পারে। সমসাময়িক হিন্দুধর্মে উপাসনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল হিন্দু মন্দির এবং গার্হস্থ্য আসনকক্ষ। বিশেষ বিশেষ অনুস্ঠানে মন্দিরগুলোতে ভক্তরা ভিড় করেন, কিন্তু অতি সাধারণভাবে বাড়ির বিশেষ অংশে রাখা ঠাকুরঘরে মূর্তি বা গুরুর সামনে বসে প্রার্থনা, পূজা অচর্না করা হয়। প্রত্যাহিক পূজার একটি পদ্ধতি হল আরতি কীর্ত্তন ও ধূপ দ্বীপ প্রজ্জলণ। ধূপ-দ্বীপের মাধ্যমে ঈশ্বরের স্তুতি পূর্বক গান গেয়ে পূজাকর্ম সম্পাদন করা হয়। উল্লেখযোগ্য আরতি গানগুলো হল ওম জয় জগদীশ হরে যা একটি বিষ্ণু প্রার্থনা আর সুখকর্তা দুখকর্তা যা একটি গণেশ প্রার্থনা। আবার উপাসনার মাধ্যমে ঈশ্বরের মূর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন মহাপুরুষ বা অবতারেরও স্তুতি করা হয় উদাহরণস্বরূপ, হনুমানের আরতি করা হয় যেখানে হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একজন ভক্ত (হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একটি সরূপ)। অনেক মন্দিরে যেমন বালাজি মন্দিরে মূল দেবতা হল একটি বিষ্ণু অবতার। স্বামীনারায়ন মন্দিরে এবং বাড়ির পূজায় স্বামীনারায়নের আরতি করা হয় যাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মানা হয়। মূল নিবন্ধ: হিন্দু উৎসবহিন্দু উৎসব (সংস্কৃত: उत्सव; আক্ষরিক অর্থে: উত্তরণ) প্রতীকী ধর্মানুষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সুন্দরভাবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে ধর্মের পথে চালিত করে। হিন্দুধর্মে সারা বছর ধরে অনেক উৎসব রয়েছে। হিন্দু দেওয়ালপঞ্জিকাতে সাধারণত তাদের তারিখ নির্ধারিত থাকে।
আধ্যাত্মিকতা এবং বিকল্প সম্ভাবনার মাধ্যমে মোক্ষ অর্জনের অনেকগুলি সম্ভাব্য উপায়গুলির মধ্যে একটি উপায়ের নাম কি ?
{ "text": [ "ভক্তি-মার্গ" ], "answer_start": [ 145 ] }
1034
null
ভক্তি বলতে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তের অচলা প্রেম, তার মাধ্যমে অংশগ্রহণ এবং একটি ব্যক্তিগত আকাঙ্খার প্রকাশ যা ঈশ্বরের নির্দেশিত পথে ভক্তকে পরিচালিত করে। ভক্তি-মার্গ হল আধ্যাত্মিকতা এবং বিকল্প অনেক সম্ভাব্য পথের একটি যার মাধ্যমে মোক্ষ লাভ করা যায়। অন্য পথগুলো হল জ্ঞানের পথ, কর্ম-পথ , রজ-মার্গ (চিন্তা ও ধ্যানের পথ).ভক্তি বিভিন্ন উপায়ে চর্চা করা হয়, মন্ত্র আবৃত্তি থেকে শুরু করে ধ্যান নাম জপ ইত্যাদি। যে কেউ বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে তা করতে পারে, অথবা একটি মন্দিরে মূর্তি অথবা একটি দেবতার পবিত্র প্রতীকীর সামনেও তা করতে পারে। সমসাময়িক হিন্দুধর্মে উপাসনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল হিন্দু মন্দির এবং গার্হস্থ্য আসনকক্ষ। বিশেষ বিশেষ অনুস্ঠানে মন্দিরগুলোতে ভক্তরা ভিড় করেন, কিন্তু অতি সাধারণভাবে বাড়ির বিশেষ অংশে রাখা ঠাকুরঘরে মূর্তি বা গুরুর সামনে বসে প্রার্থনা, পূজা অচর্না করা হয়। প্রত্যাহিক পূজার একটি পদ্ধতি হল আরতি কীর্ত্তন ও ধূপ দ্বীপ প্রজ্জলণ। ধূপ-দ্বীপের মাধ্যমে ঈশ্বরের স্তুতি পূর্বক গান গেয়ে পূজাকর্ম সম্পাদন করা হয়। উল্লেখযোগ্য আরতি গানগুলো হল ওম জয় জগদীশ হরে যা একটি বিষ্ণু প্রার্থনা আর সুখকর্তা দুখকর্তা যা একটি গণেশ প্রার্থনা। আবার উপাসনার মাধ্যমে ঈশ্বরের মূর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন মহাপুরুষ বা অবতারেরও স্তুতি করা হয় উদাহরণস্বরূপ, হনুমানের আরতি করা হয় যেখানে হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একজন ভক্ত (হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একটি সরূপ)। অনেক মন্দিরে যেমন বালাজি মন্দিরে মূল দেবতা হল একটি বিষ্ণু অবতার। স্বামীনারায়ন মন্দিরে এবং বাড়ির পূজায় স্বামীনারায়নের আরতি করা হয় যাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মানা হয়। মূল নিবন্ধ: হিন্দু উৎসবহিন্দু উৎসব (সংস্কৃত: उत्सव; আক্ষরিক অর্থে: উত্তরণ) প্রতীকী ধর্মানুষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সুন্দরভাবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে ধর্মের পথে চালিত করে। হিন্দুধর্মে সারা বছর ধরে অনেক উৎসব রয়েছে। হিন্দু দেওয়ালপঞ্জিকাতে সাধারণত তাদের তারিখ নির্ধারিত থাকে।
হিন্দু উৎসবগুলি কিসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ?
{ "text": [ "প্রতীকী ধর্মানুষ্ঠান" ], "answer_start": [ 1466 ] }
1035
null
ভক্তি বলতে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তের অচলা প্রেম, তার মাধ্যমে অংশগ্রহণ এবং একটি ব্যক্তিগত আকাঙ্খার প্রকাশ যা ঈশ্বরের নির্দেশিত পথে ভক্তকে পরিচালিত করে। ভক্তি-মার্গ হল আধ্যাত্মিকতা এবং বিকল্প অনেক সম্ভাব্য পথের একটি যার মাধ্যমে মোক্ষ লাভ করা যায়। অন্য পথগুলো হল জ্ঞানের পথ, কর্ম-পথ , রজ-মার্গ (চিন্তা ও ধ্যানের পথ).ভক্তি বিভিন্ন উপায়ে চর্চা করা হয়, মন্ত্র আবৃত্তি থেকে শুরু করে ধ্যান নাম জপ ইত্যাদি। যে কেউ বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে তা করতে পারে, অথবা একটি মন্দিরে মূর্তি অথবা একটি দেবতার পবিত্র প্রতীকীর সামনেও তা করতে পারে। সমসাময়িক হিন্দুধর্মে উপাসনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল হিন্দু মন্দির এবং গার্হস্থ্য আসনকক্ষ। বিশেষ বিশেষ অনুস্ঠানে মন্দিরগুলোতে ভক্তরা ভিড় করেন, কিন্তু অতি সাধারণভাবে বাড়ির বিশেষ অংশে রাখা ঠাকুরঘরে মূর্তি বা গুরুর সামনে বসে প্রার্থনা, পূজা অচর্না করা হয়। প্রত্যাহিক পূজার একটি পদ্ধতি হল আরতি কীর্ত্তন ও ধূপ দ্বীপ প্রজ্জলণ। ধূপ-দ্বীপের মাধ্যমে ঈশ্বরের স্তুতি পূর্বক গান গেয়ে পূজাকর্ম সম্পাদন করা হয়। উল্লেখযোগ্য আরতি গানগুলো হল ওম জয় জগদীশ হরে যা একটি বিষ্ণু প্রার্থনা আর সুখকর্তা দুখকর্তা যা একটি গণেশ প্রার্থনা। আবার উপাসনার মাধ্যমে ঈশ্বরের মূর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন মহাপুরুষ বা অবতারেরও স্তুতি করা হয় উদাহরণস্বরূপ, হনুমানের আরতি করা হয় যেখানে হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একজন ভক্ত (হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একটি সরূপ)। অনেক মন্দিরে যেমন বালাজি মন্দিরে মূল দেবতা হল একটি বিষ্ণু অবতার। স্বামীনারায়ন মন্দিরে এবং বাড়ির পূজায় স্বামীনারায়নের আরতি করা হয় যাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মানা হয়। মূল নিবন্ধ: হিন্দু উৎসবহিন্দু উৎসব (সংস্কৃত: उत्सव; আক্ষরিক অর্থে: উত্তরণ) প্রতীকী ধর্মানুষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সুন্দরভাবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে ধর্মের পথে চালিত করে। হিন্দুধর্মে সারা বছর ধরে অনেক উৎসব রয়েছে। হিন্দু দেওয়ালপঞ্জিকাতে সাধারণত তাদের তারিখ নির্ধারিত থাকে।
বালাজি মন্দিরে প্রধান দেবতা কে ?
{ "text": [ "বিষ্ণু" ], "answer_start": [ 966 ] }
1036
null
ভক্তি বলতে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তের অচলা প্রেম, তার মাধ্যমে অংশগ্রহণ এবং একটি ব্যক্তিগত আকাঙ্খার প্রকাশ যা ঈশ্বরের নির্দেশিত পথে ভক্তকে পরিচালিত করে। ভক্তি-মার্গ হল আধ্যাত্মিকতা এবং বিকল্প অনেক সম্ভাব্য পথের একটি যার মাধ্যমে মোক্ষ লাভ করা যায়। অন্য পথগুলো হল জ্ঞানের পথ, কর্ম-পথ , রজ-মার্গ (চিন্তা ও ধ্যানের পথ).ভক্তি বিভিন্ন উপায়ে চর্চা করা হয়, মন্ত্র আবৃত্তি থেকে শুরু করে ধ্যান নাম জপ ইত্যাদি। যে কেউ বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে তা করতে পারে, অথবা একটি মন্দিরে মূর্তি অথবা একটি দেবতার পবিত্র প্রতীকীর সামনেও তা করতে পারে। সমসাময়িক হিন্দুধর্মে উপাসনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল হিন্দু মন্দির এবং গার্হস্থ্য আসনকক্ষ। বিশেষ বিশেষ অনুস্ঠানে মন্দিরগুলোতে ভক্তরা ভিড় করেন, কিন্তু অতি সাধারণভাবে বাড়ির বিশেষ অংশে রাখা ঠাকুরঘরে মূর্তি বা গুরুর সামনে বসে প্রার্থনা, পূজা অচর্না করা হয়। প্রত্যাহিক পূজার একটি পদ্ধতি হল আরতি কীর্ত্তন ও ধূপ দ্বীপ প্রজ্জলণ। ধূপ-দ্বীপের মাধ্যমে ঈশ্বরের স্তুতি পূর্বক গান গেয়ে পূজাকর্ম সম্পাদন করা হয়। উল্লেখযোগ্য আরতি গানগুলো হল ওম জয় জগদীশ হরে যা একটি বিষ্ণু প্রার্থনা আর সুখকর্তা দুখকর্তা যা একটি গণেশ প্রার্থনা। আবার উপাসনার মাধ্যমে ঈশ্বরের মূর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন মহাপুরুষ বা অবতারেরও স্তুতি করা হয় উদাহরণস্বরূপ, হনুমানের আরতি করা হয় যেখানে হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একজন ভক্ত (হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একটি সরূপ)। অনেক মন্দিরে যেমন বালাজি মন্দিরে মূল দেবতা হল একটি বিষ্ণু অবতার। স্বামীনারায়ন মন্দিরে এবং বাড়ির পূজায় স্বামীনারায়নের আরতি করা হয় যাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মানা হয়। মূল নিবন্ধ: হিন্দু উৎসবহিন্দু উৎসব (সংস্কৃত: उत्सव; আক্ষরিক অর্থে: উত্তরণ) প্রতীকী ধর্মানুষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সুন্দরভাবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে ধর্মের পথে চালিত করে। হিন্দুধর্মে সারা বছর ধরে অনেক উৎসব রয়েছে। হিন্দু দেওয়ালপঞ্জিকাতে সাধারণত তাদের তারিখ নির্ধারিত থাকে।
হিন্দু উৎসবগুলো কীভাবে পালন করা হয় ?
{ "text": [ "প্রার্থনা, পূজা অচর্না" ], "answer_start": [ 738 ] }
1037
null
ভক্তি বলতে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তের অচলা প্রেম, তার মাধ্যমে অংশগ্রহণ এবং একটি ব্যক্তিগত আকাঙ্খার প্রকাশ যা ঈশ্বরের নির্দেশিত পথে ভক্তকে পরিচালিত করে। ভক্তি-মার্গ হল আধ্যাত্মিকতা এবং বিকল্প অনেক সম্ভাব্য পথের একটি যার মাধ্যমে মোক্ষ লাভ করা যায়। অন্য পথগুলো হল জ্ঞানের পথ, কর্ম-পথ , রজ-মার্গ (চিন্তা ও ধ্যানের পথ).ভক্তি বিভিন্ন উপায়ে চর্চা করা হয়, মন্ত্র আবৃত্তি থেকে শুরু করে ধ্যান নাম জপ ইত্যাদি। যে কেউ বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে তা করতে পারে, অথবা একটি মন্দিরে মূর্তি অথবা একটি দেবতার পবিত্র প্রতীকীর সামনেও তা করতে পারে। সমসাময়িক হিন্দুধর্মে উপাসনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল হিন্দু মন্দির এবং গার্হস্থ্য আসনকক্ষ। বিশেষ বিশেষ অনুস্ঠানে মন্দিরগুলোতে ভক্তরা ভিড় করেন, কিন্তু অতি সাধারণভাবে বাড়ির বিশেষ অংশে রাখা ঠাকুরঘরে মূর্তি বা গুরুর সামনে বসে প্রার্থনা, পূজা অচর্না করা হয়। প্রত্যাহিক পূজার একটি পদ্ধতি হল আরতি কীর্ত্তন ও ধূপ দ্বীপ প্রজ্জলণ। ধূপ-দ্বীপের মাধ্যমে ঈশ্বরের স্তুতি পূর্বক গান গেয়ে পূজাকর্ম সম্পাদন করা হয়। উল্লেখযোগ্য আরতি গানগুলো হল ওম জয় জগদীশ হরে যা একটি বিষ্ণু প্রার্থনা আর সুখকর্তা দুখকর্তা যা একটি গণেশ প্রার্থনা। আবার উপাসনার মাধ্যমে ঈশ্বরের মূর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন মহাপুরুষ বা অবতারেরও স্তুতি করা হয় উদাহরণস্বরূপ, হনুমানের আরতি করা হয় যেখানে হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একজন ভক্ত (হনুমান নিজেই ঈশ্বরের একটি সরূপ)। অনেক মন্দিরে যেমন বালাজি মন্দিরে মূল দেবতা হল একটি বিষ্ণু অবতার। স্বামীনারায়ন মন্দিরে এবং বাড়ির পূজায় স্বামীনারায়নের আরতি করা হয় যাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মানা হয়। মূল নিবন্ধ: হিন্দু উৎসবহিন্দু উৎসব (সংস্কৃত: उत्सव; আক্ষরিক অর্থে: উত্তরণ) প্রতীকী ধর্মানুষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সুন্দরভাবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে ধর্মের পথে চালিত করে। হিন্দুধর্মে সারা বছর ধরে অনেক উৎসব রয়েছে। হিন্দু দেওয়ালপঞ্জিকাতে সাধারণত তাদের তারিখ নির্ধারিত থাকে।
হিন্দু মন্দিরগুলিতে বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কারা ভিড় করে থাকেন ?
{ "text": [ "ভক্তরা" ], "answer_start": [ 640 ] }
1038
null
ভারত উপমহাদেশে মুঘলরা অনন্য স্থাপত্য শৈলী দান করেছে। এসময়ে নির্মিত অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাজমহল মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যান্য বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ ও লাহোর দুর্গ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল যেমন আগ্রা, আওরঙ্গবাদ, দিল্লি, ঢাকা, ফতেহপুর সিক্রি, জয়পুর, লাহোর, কাবুল, শেখপুরে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘলদের অবদান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থায় অনেক ক্ষুদ্র রাজ্য পরস্পর নিকটে আসে। পারস্যের শিল্প ও সংস্কৃতি ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়। আরব ও তুর্কীয় অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে নতুন বাণিজ্য রুট চালু হয়। মুঘল রান্না ভারত উপমহাদেশের একটি বিশেষত্ব। ভারতীয় স্থাপত্য যেমন রাজপুত ও শিখ শাসকদের প্রাসাদে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাগান তৈরিতে মুঘলদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মুঘল সাম্রাজ্যের অংশসমূহ বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত হলেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফারসি প্রধান এবং সরকারি ভাষা হলেও পরবর্তী সময়ে উর্দু অভিজাত শ্রেণীর ভাষা হয়ে উঠে। উর্দু ভাষা ফারসি ও আরবি প্রভাবিত এবং তা নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়।
উর্দু ভাষা কোন লিপিতে লেখা আছে ?
{ "text": [ "নাস্তালিক লিপিতে" ], "answer_start": [ 1086 ] }
1039
null
ভারত উপমহাদেশে মুঘলরা অনন্য স্থাপত্য শৈলী দান করেছে। এসময়ে নির্মিত অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাজমহল মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যান্য বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ ও লাহোর দুর্গ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল যেমন আগ্রা, আওরঙ্গবাদ, দিল্লি, ঢাকা, ফতেহপুর সিক্রি, জয়পুর, লাহোর, কাবুল, শেখপুরে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘলদের অবদান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থায় অনেক ক্ষুদ্র রাজ্য পরস্পর নিকটে আসে। পারস্যের শিল্প ও সংস্কৃতি ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়। আরব ও তুর্কীয় অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে নতুন বাণিজ্য রুট চালু হয়। মুঘল রান্না ভারত উপমহাদেশের একটি বিশেষত্ব। ভারতীয় স্থাপত্য যেমন রাজপুত ও শিখ শাসকদের প্রাসাদে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাগান তৈরিতে মুঘলদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মুঘল সাম্রাজ্যের অংশসমূহ বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত হলেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফারসি প্রধান এবং সরকারি ভাষা হলেও পরবর্তী সময়ে উর্দু অভিজাত শ্রেণীর ভাষা হয়ে উঠে। উর্দু ভাষা ফারসি ও আরবি প্রভাবিত এবং তা নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়।
কোন জাতি ভারতীয় উপমহাদেশে অনন্য স্থাপত্যশৈলী প্রদান করেছে?
{ "text": [ "মুঘল" ], "answer_start": [ 14 ] }
1040
null
ভারত উপমহাদেশে মুঘলরা অনন্য স্থাপত্য শৈলী দান করেছে। এসময়ে নির্মিত অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাজমহল মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যান্য বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ ও লাহোর দুর্গ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল যেমন আগ্রা, আওরঙ্গবাদ, দিল্লি, ঢাকা, ফতেহপুর সিক্রি, জয়পুর, লাহোর, কাবুল, শেখপুরে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘলদের অবদান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থায় অনেক ক্ষুদ্র রাজ্য পরস্পর নিকটে আসে। পারস্যের শিল্প ও সংস্কৃতি ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়। আরব ও তুর্কীয় অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে নতুন বাণিজ্য রুট চালু হয়। মুঘল রান্না ভারত উপমহাদেশের একটি বিশেষত্ব। ভারতীয় স্থাপত্য যেমন রাজপুত ও শিখ শাসকদের প্রাসাদে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাগান তৈরিতে মুঘলদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মুঘল সাম্রাজ্যের অংশসমূহ বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত হলেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফারসি প্রধান এবং সরকারি ভাষা হলেও পরবর্তী সময়ে উর্দু অভিজাত শ্রেণীর ভাষা হয়ে উঠে। উর্দু ভাষা ফারসি ও আরবি প্রভাবিত এবং তা নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়।
হিন্দি কোন ভাষা দ্বারা প্রভাবিত?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1041
null
ভারত উপমহাদেশে মুঘলরা অনন্য স্থাপত্য শৈলী দান করেছে। এসময়ে নির্মিত অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাজমহল মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যান্য বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ ও লাহোর দুর্গ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল যেমন আগ্রা, আওরঙ্গবাদ, দিল্লি, ঢাকা, ফতেহপুর সিক্রি, জয়পুর, লাহোর, কাবুল, শেখপুরে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘলদের অবদান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থায় অনেক ক্ষুদ্র রাজ্য পরস্পর নিকটে আসে। পারস্যের শিল্প ও সংস্কৃতি ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়। আরব ও তুর্কীয় অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে নতুন বাণিজ্য রুট চালু হয়। মুঘল রান্না ভারত উপমহাদেশের একটি বিশেষত্ব। ভারতীয় স্থাপত্য যেমন রাজপুত ও শিখ শাসকদের প্রাসাদে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাগান তৈরিতে মুঘলদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মুঘল সাম্রাজ্যের অংশসমূহ বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত হলেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফারসি প্রধান এবং সরকারি ভাষা হলেও পরবর্তী সময়ে উর্দু অভিজাত শ্রেণীর ভাষা হয়ে উঠে। উর্দু ভাষা ফারসি ও আরবি প্রভাবিত এবং তা নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়।
মুঘল স্থাপত্যের একটি চমৎকার নিদর্শনের উদাহরণ কি?
{ "text": [ "তাজমহল" ], "answer_start": [ 137 ] }
1042
null
ভারত উপমহাদেশে মুঘলরা অনন্য স্থাপত্য শৈলী দান করেছে। এসময়ে নির্মিত অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাজমহল মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যান্য বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ ও লাহোর দুর্গ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল যেমন আগ্রা, আওরঙ্গবাদ, দিল্লি, ঢাকা, ফতেহপুর সিক্রি, জয়পুর, লাহোর, কাবুল, শেখপুরে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘলদের অবদান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থায় অনেক ক্ষুদ্র রাজ্য পরস্পর নিকটে আসে। পারস্যের শিল্প ও সংস্কৃতি ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়। আরব ও তুর্কীয় অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে নতুন বাণিজ্য রুট চালু হয়। মুঘল রান্না ভারত উপমহাদেশের একটি বিশেষত্ব। ভারতীয় স্থাপত্য যেমন রাজপুত ও শিখ শাসকদের প্রাসাদে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাগান তৈরিতে মুঘলদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মুঘল সাম্রাজ্যের অংশসমূহ বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত হলেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফারসি প্রধান এবং সরকারি ভাষা হলেও পরবর্তী সময়ে উর্দু অভিজাত শ্রেণীর ভাষা হয়ে উঠে। উর্দু ভাষা ফারসি ও আরবি প্রভাবিত এবং তা নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়।
বর্তমানে পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা কোনটি?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1043
null
ভারত উপমহাদেশে মুঘলরা অনন্য স্থাপত্য শৈলী দান করেছে। এসময়ে নির্মিত অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাজমহল মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যান্য বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ ও লাহোর দুর্গ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল যেমন আগ্রা, আওরঙ্গবাদ, দিল্লি, ঢাকা, ফতেহপুর সিক্রি, জয়পুর, লাহোর, কাবুল, শেখপুরে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘলদের অবদান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থায় অনেক ক্ষুদ্র রাজ্য পরস্পর নিকটে আসে। পারস্যের শিল্প ও সংস্কৃতি ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়। আরব ও তুর্কীয় অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে নতুন বাণিজ্য রুট চালু হয়। মুঘল রান্না ভারত উপমহাদেশের একটি বিশেষত্ব। ভারতীয় স্থাপত্য যেমন রাজপুত ও শিখ শাসকদের প্রাসাদে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাগান তৈরিতে মুঘলদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মুঘল সাম্রাজ্যের অংশসমূহ বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত হলেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফারসি প্রধান এবং সরকারি ভাষা হলেও পরবর্তী সময়ে উর্দু অভিজাত শ্রেণীর ভাষা হয়ে উঠে। উর্দু ভাষা ফারসি ও আরবি প্রভাবিত এবং তা নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়।
ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে আর কোন দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি জড়িত আছে ?
{ "text": [ "পারস্যের শিল্প ও সংস্কৃতি" ], "answer_start": [ 561 ] }
1044
null
ভারত উপমহাদেশে মুঘলরা অনন্য স্থাপত্য শৈলী দান করেছে। এসময়ে নির্মিত অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাজমহল মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যান্য বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ ও লাহোর দুর্গ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল যেমন আগ্রা, আওরঙ্গবাদ, দিল্লি, ঢাকা, ফতেহপুর সিক্রি, জয়পুর, লাহোর, কাবুল, শেখপুরে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘলদের অবদান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থায় অনেক ক্ষুদ্র রাজ্য পরস্পর নিকটে আসে। পারস্যের শিল্প ও সংস্কৃতি ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়। আরব ও তুর্কীয় অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে নতুন বাণিজ্য রুট চালু হয়। মুঘল রান্না ভারত উপমহাদেশের একটি বিশেষত্ব। ভারতীয় স্থাপত্য যেমন রাজপুত ও শিখ শাসকদের প্রাসাদে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাগান তৈরিতে মুঘলদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মুঘল সাম্রাজ্যের অংশসমূহ বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত হলেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফারসি প্রধান এবং সরকারি ভাষা হলেও পরবর্তী সময়ে উর্দু অভিজাত শ্রেণীর ভাষা হয়ে উঠে। উর্দু ভাষা ফারসি ও আরবি প্রভাবিত এবং তা নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়।
বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবহ স্থানগুলির মধ্যে যে কোন দুটি স্থানের নাম বল ?
{ "text": [ "হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি" ], "answer_start": [ 212 ] }
1045
null
ভারত মহাসাগরের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর একটি লবনাক্ত জলের সমুদ্র। পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ারকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের নীচে, যা দুর্দান্ত ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের অংশ এবং আস্তে আস্তে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্লেটটি সুন্দা ট্রেঞ্চে বার্মা মাইক্রোপ্লেটের সাথে দেখা করে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বার্মা মাইক্রোপ্লেটের অংশ আর ইন্ডিয়া প্লেট সুন্দা ট্রেঞ্চ বা জাভা ট্রেঞ্চে বার্মা প্লেটের নীচে পরিচালনা করে। এখানে, একে অপরের উপর দুটি প্লেটের চাপ চাপ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে মায়ানমারে আগ্নেয়গিরির মতো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয় এবং সুন্দা আর্ক নামে একটি আগ্নেয়গিরির চাপ তৈরি হয়। সুমাত্রা-আন্দামান ভূমিকম্প এবং এশিয়ান সুনামি এই অঞ্চলে চাপের ফলে একটি সাবমেরিন ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। সিলোন দ্বীপ এবং করোম্যান্ডেল উপকূল থেকে উপসাগরের মাথার দিকে প্রসারিত ৫০ মিটার জোন এবং দক্ষিণ দিকের দিকে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপকে আলিঙ্গন করা একটি স্ট্রিপ দিয়ে সমুদ্রের নীচে ১০০ ফুট লাইন দ্বারা আবদ্ধ; প্রায় ৫০ মি। এর বাইরে ৫০০মি ব্যাপী সীমা রয়েছে। গঙ্গার মুখের বিপরীতে, যদিও এই গভীরতার মধ্যে অন্তরগুলি বদ্বীপ প্রভাব দ্বারা খুব বেশি প্রসারিত হয়। সোয়াচ অফ ন গ্রাউন্ডটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা। এই উপত্যকার গভীরতম রেকর্ড করা অঞ্চলটি প্রায় ১৩৫০ মি। সাবমেরিন উপত্যকাটি বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা। বঙ্গোপসাগর জৈব বৈচিত্র্যে পূর্ণ, প্রবাল শৈবাল, মোহনা, মাছের জাল এবং নার্সারি অঞ্চল এবং ম্যানগ্রোভের মধ্যে বিভক্ত। বঙ্গোপসাগর বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানগুলির মধ্যে একটি। কেরিলিয়া জর্দোনি হ'ল বঙ্গোপসাগরের একটি সাগর সাপ।
আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কোন প্লেটের অংশ ?
{ "text": [ "বার্মা মাইক্রোপ্লেটে" ], "answer_start": [ 243 ] }
1046
null
ভারত মহাসাগরের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর একটি লবনাক্ত জলের সমুদ্র। পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ারকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের নীচে, যা দুর্দান্ত ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের অংশ এবং আস্তে আস্তে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্লেটটি সুন্দা ট্রেঞ্চে বার্মা মাইক্রোপ্লেটের সাথে দেখা করে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বার্মা মাইক্রোপ্লেটের অংশ আর ইন্ডিয়া প্লেট সুন্দা ট্রেঞ্চ বা জাভা ট্রেঞ্চে বার্মা প্লেটের নীচে পরিচালনা করে। এখানে, একে অপরের উপর দুটি প্লেটের চাপ চাপ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে মায়ানমারে আগ্নেয়গিরির মতো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয় এবং সুন্দা আর্ক নামে একটি আগ্নেয়গিরির চাপ তৈরি হয়। সুমাত্রা-আন্দামান ভূমিকম্প এবং এশিয়ান সুনামি এই অঞ্চলে চাপের ফলে একটি সাবমেরিন ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। সিলোন দ্বীপ এবং করোম্যান্ডেল উপকূল থেকে উপসাগরের মাথার দিকে প্রসারিত ৫০ মিটার জোন এবং দক্ষিণ দিকের দিকে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপকে আলিঙ্গন করা একটি স্ট্রিপ দিয়ে সমুদ্রের নীচে ১০০ ফুট লাইন দ্বারা আবদ্ধ; প্রায় ৫০ মি। এর বাইরে ৫০০মি ব্যাপী সীমা রয়েছে। গঙ্গার মুখের বিপরীতে, যদিও এই গভীরতার মধ্যে অন্তরগুলি বদ্বীপ প্রভাব দ্বারা খুব বেশি প্রসারিত হয়। সোয়াচ অফ ন গ্রাউন্ডটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা। এই উপত্যকার গভীরতম রেকর্ড করা অঞ্চলটি প্রায় ১৩৫০ মি। সাবমেরিন উপত্যকাটি বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা। বঙ্গোপসাগর জৈব বৈচিত্র্যে পূর্ণ, প্রবাল শৈবাল, মোহনা, মাছের জাল এবং নার্সারি অঞ্চল এবং ম্যানগ্রোভের মধ্যে বিভক্ত। বঙ্গোপসাগর বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানগুলির মধ্যে একটি। কেরিলিয়া জর্দোনি হ'ল বঙ্গোপসাগরের একটি সাগর সাপ।
বোতল নাক ডলফিনের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1047
null
ভারত মহাসাগরের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর একটি লবনাক্ত জলের সমুদ্র। পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ারকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের নীচে, যা দুর্দান্ত ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের অংশ এবং আস্তে আস্তে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্লেটটি সুন্দা ট্রেঞ্চে বার্মা মাইক্রোপ্লেটের সাথে দেখা করে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বার্মা মাইক্রোপ্লেটের অংশ আর ইন্ডিয়া প্লেট সুন্দা ট্রেঞ্চ বা জাভা ট্রেঞ্চে বার্মা প্লেটের নীচে পরিচালনা করে। এখানে, একে অপরের উপর দুটি প্লেটের চাপ চাপ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে মায়ানমারে আগ্নেয়গিরির মতো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয় এবং সুন্দা আর্ক নামে একটি আগ্নেয়গিরির চাপ তৈরি হয়। সুমাত্রা-আন্দামান ভূমিকম্প এবং এশিয়ান সুনামি এই অঞ্চলে চাপের ফলে একটি সাবমেরিন ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। সিলোন দ্বীপ এবং করোম্যান্ডেল উপকূল থেকে উপসাগরের মাথার দিকে প্রসারিত ৫০ মিটার জোন এবং দক্ষিণ দিকের দিকে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপকে আলিঙ্গন করা একটি স্ট্রিপ দিয়ে সমুদ্রের নীচে ১০০ ফুট লাইন দ্বারা আবদ্ধ; প্রায় ৫০ মি। এর বাইরে ৫০০মি ব্যাপী সীমা রয়েছে। গঙ্গার মুখের বিপরীতে, যদিও এই গভীরতার মধ্যে অন্তরগুলি বদ্বীপ প্রভাব দ্বারা খুব বেশি প্রসারিত হয়। সোয়াচ অফ ন গ্রাউন্ডটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা। এই উপত্যকার গভীরতম রেকর্ড করা অঞ্চলটি প্রায় ১৩৫০ মি। সাবমেরিন উপত্যকাটি বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা। বঙ্গোপসাগর জৈব বৈচিত্র্যে পূর্ণ, প্রবাল শৈবাল, মোহনা, মাছের জাল এবং নার্সারি অঞ্চল এবং ম্যানগ্রোভের মধ্যে বিভক্ত। বঙ্গোপসাগর বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানগুলির মধ্যে একটি। কেরিলিয়া জর্দোনি হ'ল বঙ্গোপসাগরের একটি সাগর সাপ।
সোয়াচ অফ ন গ্রাউন্ডটি বঙ্গোপসাগরের কত কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা?
{ "text": [ "১৪ কিলোমিটার" ], "answer_start": [ 1121 ] }
1048
null
ভারত মহাসাগরের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর একটি লবনাক্ত জলের সমুদ্র। পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ারকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের নীচে, যা দুর্দান্ত ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের অংশ এবং আস্তে আস্তে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্লেটটি সুন্দা ট্রেঞ্চে বার্মা মাইক্রোপ্লেটের সাথে দেখা করে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বার্মা মাইক্রোপ্লেটের অংশ আর ইন্ডিয়া প্লেট সুন্দা ট্রেঞ্চ বা জাভা ট্রেঞ্চে বার্মা প্লেটের নীচে পরিচালনা করে। এখানে, একে অপরের উপর দুটি প্লেটের চাপ চাপ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে মায়ানমারে আগ্নেয়গিরির মতো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয় এবং সুন্দা আর্ক নামে একটি আগ্নেয়গিরির চাপ তৈরি হয়। সুমাত্রা-আন্দামান ভূমিকম্প এবং এশিয়ান সুনামি এই অঞ্চলে চাপের ফলে একটি সাবমেরিন ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। সিলোন দ্বীপ এবং করোম্যান্ডেল উপকূল থেকে উপসাগরের মাথার দিকে প্রসারিত ৫০ মিটার জোন এবং দক্ষিণ দিকের দিকে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপকে আলিঙ্গন করা একটি স্ট্রিপ দিয়ে সমুদ্রের নীচে ১০০ ফুট লাইন দ্বারা আবদ্ধ; প্রায় ৫০ মি। এর বাইরে ৫০০মি ব্যাপী সীমা রয়েছে। গঙ্গার মুখের বিপরীতে, যদিও এই গভীরতার মধ্যে অন্তরগুলি বদ্বীপ প্রভাব দ্বারা খুব বেশি প্রসারিত হয়। সোয়াচ অফ ন গ্রাউন্ডটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা। এই উপত্যকার গভীরতম রেকর্ড করা অঞ্চলটি প্রায় ১৩৫০ মি। সাবমেরিন উপত্যকাটি বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা। বঙ্গোপসাগর জৈব বৈচিত্র্যে পূর্ণ, প্রবাল শৈবাল, মোহনা, মাছের জাল এবং নার্সারি অঞ্চল এবং ম্যানগ্রোভের মধ্যে বিভক্ত। বঙ্গোপসাগর বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানগুলির মধ্যে একটি। কেরিলিয়া জর্দোনি হ'ল বঙ্গোপসাগরের একটি সাগর সাপ।
স্পিনার ডলফিনের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1049
null
ভারত মহাসাগরের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর একটি লবনাক্ত জলের সমুদ্র। পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ারকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের নীচে, যা দুর্দান্ত ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের অংশ এবং আস্তে আস্তে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্লেটটি সুন্দা ট্রেঞ্চে বার্মা মাইক্রোপ্লেটের সাথে দেখা করে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বার্মা মাইক্রোপ্লেটের অংশ আর ইন্ডিয়া প্লেট সুন্দা ট্রেঞ্চ বা জাভা ট্রেঞ্চে বার্মা প্লেটের নীচে পরিচালনা করে। এখানে, একে অপরের উপর দুটি প্লেটের চাপ চাপ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে মায়ানমারে আগ্নেয়গিরির মতো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয় এবং সুন্দা আর্ক নামে একটি আগ্নেয়গিরির চাপ তৈরি হয়। সুমাত্রা-আন্দামান ভূমিকম্প এবং এশিয়ান সুনামি এই অঞ্চলে চাপের ফলে একটি সাবমেরিন ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। সিলোন দ্বীপ এবং করোম্যান্ডেল উপকূল থেকে উপসাগরের মাথার দিকে প্রসারিত ৫০ মিটার জোন এবং দক্ষিণ দিকের দিকে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপকে আলিঙ্গন করা একটি স্ট্রিপ দিয়ে সমুদ্রের নীচে ১০০ ফুট লাইন দ্বারা আবদ্ধ; প্রায় ৫০ মি। এর বাইরে ৫০০মি ব্যাপী সীমা রয়েছে। গঙ্গার মুখের বিপরীতে, যদিও এই গভীরতার মধ্যে অন্তরগুলি বদ্বীপ প্রভাব দ্বারা খুব বেশি প্রসারিত হয়। সোয়াচ অফ ন গ্রাউন্ডটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা। এই উপত্যকার গভীরতম রেকর্ড করা অঞ্চলটি প্রায় ১৩৫০ মি। সাবমেরিন উপত্যকাটি বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা। বঙ্গোপসাগর জৈব বৈচিত্র্যে পূর্ণ, প্রবাল শৈবাল, মোহনা, মাছের জাল এবং নার্সারি অঞ্চল এবং ম্যানগ্রোভের মধ্যে বিভক্ত। বঙ্গোপসাগর বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানগুলির মধ্যে একটি। কেরিলিয়া জর্দোনি হ'ল বঙ্গোপসাগরের একটি সাগর সাপ।
কেরিলিয়া জর্ডোনি কি ?
{ "text": [ "বঙ্গোপসাগরের একটি সাগর সাপ" ], "answer_start": [ 1500 ] }
1050
null
ভারত মহাসাগরের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর একটি লবনাক্ত জলের সমুদ্র। পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ারকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের নীচে, যা দুর্দান্ত ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের অংশ এবং আস্তে আস্তে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্লেটটি সুন্দা ট্রেঞ্চে বার্মা মাইক্রোপ্লেটের সাথে দেখা করে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বার্মা মাইক্রোপ্লেটের অংশ আর ইন্ডিয়া প্লেট সুন্দা ট্রেঞ্চ বা জাভা ট্রেঞ্চে বার্মা প্লেটের নীচে পরিচালনা করে। এখানে, একে অপরের উপর দুটি প্লেটের চাপ চাপ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে মায়ানমারে আগ্নেয়গিরির মতো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয় এবং সুন্দা আর্ক নামে একটি আগ্নেয়গিরির চাপ তৈরি হয়। সুমাত্রা-আন্দামান ভূমিকম্প এবং এশিয়ান সুনামি এই অঞ্চলে চাপের ফলে একটি সাবমেরিন ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। সিলোন দ্বীপ এবং করোম্যান্ডেল উপকূল থেকে উপসাগরের মাথার দিকে প্রসারিত ৫০ মিটার জোন এবং দক্ষিণ দিকের দিকে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপকে আলিঙ্গন করা একটি স্ট্রিপ দিয়ে সমুদ্রের নীচে ১০০ ফুট লাইন দ্বারা আবদ্ধ; প্রায় ৫০ মি। এর বাইরে ৫০০মি ব্যাপী সীমা রয়েছে। গঙ্গার মুখের বিপরীতে, যদিও এই গভীরতার মধ্যে অন্তরগুলি বদ্বীপ প্রভাব দ্বারা খুব বেশি প্রসারিত হয়। সোয়াচ অফ ন গ্রাউন্ডটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা। এই উপত্যকার গভীরতম রেকর্ড করা অঞ্চলটি প্রায় ১৩৫০ মি। সাবমেরিন উপত্যকাটি বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা। বঙ্গোপসাগর জৈব বৈচিত্র্যে পূর্ণ, প্রবাল শৈবাল, মোহনা, মাছের জাল এবং নার্সারি অঞ্চল এবং ম্যানগ্রোভের মধ্যে বিভক্ত। বঙ্গোপসাগর বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানগুলির মধ্যে একটি। কেরিলিয়া জর্দোনি হ'ল বঙ্গোপসাগরের একটি সাগর সাপ।
পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ারকে কী বলা হয় ?
{ "text": [ "টেকটোনিক প্লেট বলা হয়" ], "answer_start": [ 83 ] }
1051
null
ভারত মহাসাগরের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর একটি লবনাক্ত জলের সমুদ্র। পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ারকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের নীচে, যা দুর্দান্ত ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের অংশ এবং আস্তে আস্তে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্লেটটি সুন্দা ট্রেঞ্চে বার্মা মাইক্রোপ্লেটের সাথে দেখা করে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বার্মা মাইক্রোপ্লেটের অংশ আর ইন্ডিয়া প্লেট সুন্দা ট্রেঞ্চ বা জাভা ট্রেঞ্চে বার্মা প্লেটের নীচে পরিচালনা করে। এখানে, একে অপরের উপর দুটি প্লেটের চাপ চাপ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে মায়ানমারে আগ্নেয়গিরির মতো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয় এবং সুন্দা আর্ক নামে একটি আগ্নেয়গিরির চাপ তৈরি হয়। সুমাত্রা-আন্দামান ভূমিকম্প এবং এশিয়ান সুনামি এই অঞ্চলে চাপের ফলে একটি সাবমেরিন ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। সিলোন দ্বীপ এবং করোম্যান্ডেল উপকূল থেকে উপসাগরের মাথার দিকে প্রসারিত ৫০ মিটার জোন এবং দক্ষিণ দিকের দিকে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপকে আলিঙ্গন করা একটি স্ট্রিপ দিয়ে সমুদ্রের নীচে ১০০ ফুট লাইন দ্বারা আবদ্ধ; প্রায় ৫০ মি। এর বাইরে ৫০০মি ব্যাপী সীমা রয়েছে। গঙ্গার মুখের বিপরীতে, যদিও এই গভীরতার মধ্যে অন্তরগুলি বদ্বীপ প্রভাব দ্বারা খুব বেশি প্রসারিত হয়। সোয়াচ অফ ন গ্রাউন্ডটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা। এই উপত্যকার গভীরতম রেকর্ড করা অঞ্চলটি প্রায় ১৩৫০ মি। সাবমেরিন উপত্যকাটি বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা। বঙ্গোপসাগর জৈব বৈচিত্র্যে পূর্ণ, প্রবাল শৈবাল, মোহনা, মাছের জাল এবং নার্সারি অঞ্চল এবং ম্যানগ্রোভের মধ্যে বিভক্ত। বঙ্গোপসাগর বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানগুলির মধ্যে একটি। কেরিলিয়া জর্দোনি হ'ল বঙ্গোপসাগরের একটি সাগর সাপ।
বঙ্গোপসাগরের নীচে অবস্থিত ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেট কোন দিকে এগোচ্ছে ?
{ "text": [ "উত্তর পূর্ব" ], "answer_start": [ 185 ] }
1052
null
ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা নিয়ে গঠিত ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী। এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: আধাসামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়।
ভারত সরকারের সাম্প্রতিক কি কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান এবং চীনের সাথে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে?
{ "text": [ "প্রচেষ্টার" ], "answer_start": [ 24 ] }
1053
null
ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা নিয়ে গঠিত ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী। এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: আধাসামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়।
কোন সালে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অসামরিক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1054
null
ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা নিয়ে গঠিত ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী। এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: আধাসামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়।
কে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার?
{ "text": [ "রাষ্ট্রপতি" ], "answer_start": [ 458 ] }
1055
null
ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা নিয়ে গঠিত ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী। এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: আধাসামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়।
ভারতে কোন সংস্থা অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের জন্য দায়ী?
{ "text": [ "ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন" ], "answer_start": [ 628 ] }
1056
null
ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা নিয়ে গঠিত ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী। এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: আধাসামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়।
অর্থনৈতিক দিক থেকে, ভারত দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার মতন উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে কি ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখে?
{ "text": [ "সুসম্পর্ক" ], "answer_start": [ 202 ] }
1057
null
ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা নিয়ে গঠিত ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী। এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: আধাসামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়।
রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ইসরায়েল ভারতেকে প্রধানত কি সরবরাহ করে?
{ "text": [ "অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী" ], "answer_start": [ 544 ] }
1058
null
ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা নিয়ে গঠিত ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী। এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: আধাসামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়।
স্মাইলিং বুদ্ধা পারমাণবিক পরীক্ষা কত সালে সংঘটিত হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1059
null
ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা নিয়ে গঠিত ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী। এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: আধাসামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়।
ভারতকে কত তম পারমাণবিক শক্তির দেশ হিসেবে গন্য করা হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1060
null
ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পরে পটেল প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পটেল স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষে প্রায় ৫২২ টি রাজ্যকে ভারতের অধীনে এনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকার এই শাসকদের দুটি বিকল্প দিয়েছিল - তারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারে; বা তারা স্বাধীন থাকতে পারে। এই ধারা অসুবিধা বাড়িয়ে তোলে। কংগ্রেস এই ভয়ঙ্কর কাজটি সর্দার প্যাটেলকে অর্পণ করেছিলেন যিনি ১৯৪৭ সালের তিনি রাজ্যগুলোর সংহতকরণের জন্য তদারকি শুরু করেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ বাদে সকল রাজ্যকে সংহত করতে তিনি সফল হয়েছিলেন। অবশেষে তিনি তার তীব্র রাজনৈতিক বুদ্ধির সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন এবং জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ কে ভারতের অধীন করেছিলেন। আমরা যে ভারতকে আজ দেখতে পাচ্ছি তা হল সরদার বল্লভভাই পটেল যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তার ফল। পটেল ছিলেন ভারতের গণপরিষদের শীর্ষস্থানীয় সদস্য এবং ডাঃ বি.আর. আম্বেদকরকে তার পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা এবং ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি ছিলেন। গুজরাটের সৌরাষ্ট্রের সোমনাথ মন্দির পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা শুরু করার জন্য তিনি ব্যক্তিগত আগ্রহ নিয়েছিলেন।
পাকিস্তান কত সালে কাশ্মীর আক্রমণ করার চেষ্টা করে ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1061
null
ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পরে পটেল প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পটেল স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষে প্রায় ৫২২ টি রাজ্যকে ভারতের অধীনে এনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকার এই শাসকদের দুটি বিকল্প দিয়েছিল - তারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারে; বা তারা স্বাধীন থাকতে পারে। এই ধারা অসুবিধা বাড়িয়ে তোলে। কংগ্রেস এই ভয়ঙ্কর কাজটি সর্দার প্যাটেলকে অর্পণ করেছিলেন যিনি ১৯৪৭ সালের তিনি রাজ্যগুলোর সংহতকরণের জন্য তদারকি শুরু করেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ বাদে সকল রাজ্যকে সংহত করতে তিনি সফল হয়েছিলেন। অবশেষে তিনি তার তীব্র রাজনৈতিক বুদ্ধির সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন এবং জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ কে ভারতের অধীন করেছিলেন। আমরা যে ভারতকে আজ দেখতে পাচ্ছি তা হল সরদার বল্লভভাই পটেল যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তার ফল। পটেল ছিলেন ভারতের গণপরিষদের শীর্ষস্থানীয় সদস্য এবং ডাঃ বি.আর. আম্বেদকরকে তার পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা এবং ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি ছিলেন। গুজরাটের সৌরাষ্ট্রের সোমনাথ মন্দির পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা শুরু করার জন্য তিনি ব্যক্তিগত আগ্রহ নিয়েছিলেন।
বল্লভভাই প্যাটেল ভারতের কোন সংস্থার একজন শীর্ষস্থানীয় সদস্য ছিলেন ?
{ "text": [ "ভারতের গণপরিষদের" ], "answer_start": [ 790 ] }
1062
null
ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পরে পটেল প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পটেল স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষে প্রায় ৫২২ টি রাজ্যকে ভারতের অধীনে এনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকার এই শাসকদের দুটি বিকল্প দিয়েছিল - তারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারে; বা তারা স্বাধীন থাকতে পারে। এই ধারা অসুবিধা বাড়িয়ে তোলে। কংগ্রেস এই ভয়ঙ্কর কাজটি সর্দার প্যাটেলকে অর্পণ করেছিলেন যিনি ১৯৪৭ সালের তিনি রাজ্যগুলোর সংহতকরণের জন্য তদারকি শুরু করেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ বাদে সকল রাজ্যকে সংহত করতে তিনি সফল হয়েছিলেন। অবশেষে তিনি তার তীব্র রাজনৈতিক বুদ্ধির সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন এবং জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ কে ভারতের অধীন করেছিলেন। আমরা যে ভারতকে আজ দেখতে পাচ্ছি তা হল সরদার বল্লভভাই পটেল যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তার ফল। পটেল ছিলেন ভারতের গণপরিষদের শীর্ষস্থানীয় সদস্য এবং ডাঃ বি.আর. আম্বেদকরকে তার পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা এবং ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি ছিলেন। গুজরাটের সৌরাষ্ট্রের সোমনাথ মন্দির পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা শুরু করার জন্য তিনি ব্যক্তিগত আগ্রহ নিয়েছিলেন।
ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর কে প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ -প্রধানমন্ত্রী হন ?
{ "text": [ "পটেল" ], "answer_start": [ 27 ] }
1063
null
ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পরে পটেল প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পটেল স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষে প্রায় ৫২২ টি রাজ্যকে ভারতের অধীনে এনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকার এই শাসকদের দুটি বিকল্প দিয়েছিল - তারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারে; বা তারা স্বাধীন থাকতে পারে। এই ধারা অসুবিধা বাড়িয়ে তোলে। কংগ্রেস এই ভয়ঙ্কর কাজটি সর্দার প্যাটেলকে অর্পণ করেছিলেন যিনি ১৯৪৭ সালের তিনি রাজ্যগুলোর সংহতকরণের জন্য তদারকি শুরু করেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ বাদে সকল রাজ্যকে সংহত করতে তিনি সফল হয়েছিলেন। অবশেষে তিনি তার তীব্র রাজনৈতিক বুদ্ধির সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন এবং জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ কে ভারতের অধীন করেছিলেন। আমরা যে ভারতকে আজ দেখতে পাচ্ছি তা হল সরদার বল্লভভাই পটেল যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তার ফল। পটেল ছিলেন ভারতের গণপরিষদের শীর্ষস্থানীয় সদস্য এবং ডাঃ বি.আর. আম্বেদকরকে তার পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা এবং ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি ছিলেন। গুজরাটের সৌরাষ্ট্রের সোমনাথ মন্দির পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা শুরু করার জন্য তিনি ব্যক্তিগত আগ্রহ নিয়েছিলেন।
নেহেরু কোন অঞ্চলে শরণার্থী শিবির স্থাপন করেছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1064
null
ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পরে পটেল প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পটেল স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষে প্রায় ৫২২ টি রাজ্যকে ভারতের অধীনে এনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকার এই শাসকদের দুটি বিকল্প দিয়েছিল - তারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারে; বা তারা স্বাধীন থাকতে পারে। এই ধারা অসুবিধা বাড়িয়ে তোলে। কংগ্রেস এই ভয়ঙ্কর কাজটি সর্দার প্যাটেলকে অর্পণ করেছিলেন যিনি ১৯৪৭ সালের তিনি রাজ্যগুলোর সংহতকরণের জন্য তদারকি শুরু করেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ বাদে সকল রাজ্যকে সংহত করতে তিনি সফল হয়েছিলেন। অবশেষে তিনি তার তীব্র রাজনৈতিক বুদ্ধির সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন এবং জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ কে ভারতের অধীন করেছিলেন। আমরা যে ভারতকে আজ দেখতে পাচ্ছি তা হল সরদার বল্লভভাই পটেল যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তার ফল। পটেল ছিলেন ভারতের গণপরিষদের শীর্ষস্থানীয় সদস্য এবং ডাঃ বি.আর. আম্বেদকরকে তার পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা এবং ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি ছিলেন। গুজরাটের সৌরাষ্ট্রের সোমনাথ মন্দির পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা শুরু করার জন্য তিনি ব্যক্তিগত আগ্রহ নিয়েছিলেন।
পাটেল ব্যক্তিগত আগ্রহ নিয়ে গুজরাটের সৌরাষ্ট্রের কোন মন্দির কে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা শুরু করেন ?
{ "text": [ "সোমনাথ মন্দির" ], "answer_start": [ 993 ] }
1065
null
ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পরে পটেল প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পটেল স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষে প্রায় ৫২২ টি রাজ্যকে ভারতের অধীনে এনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকার এই শাসকদের দুটি বিকল্প দিয়েছিল - তারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারে; বা তারা স্বাধীন থাকতে পারে। এই ধারা অসুবিধা বাড়িয়ে তোলে। কংগ্রেস এই ভয়ঙ্কর কাজটি সর্দার প্যাটেলকে অর্পণ করেছিলেন যিনি ১৯৪৭ সালের তিনি রাজ্যগুলোর সংহতকরণের জন্য তদারকি শুরু করেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ বাদে সকল রাজ্যকে সংহত করতে তিনি সফল হয়েছিলেন। অবশেষে তিনি তার তীব্র রাজনৈতিক বুদ্ধির সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন এবং জম্মু ও কাশ্মীর, জুনাগড় ও হায়দরাবাদ কে ভারতের অধীন করেছিলেন। আমরা যে ভারতকে আজ দেখতে পাচ্ছি তা হল সরদার বল্লভভাই পটেল যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তার ফল। পটেল ছিলেন ভারতের গণপরিষদের শীর্ষস্থানীয় সদস্য এবং ডাঃ বি.আর. আম্বেদকরকে তার পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা এবং ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি ছিলেন। গুজরাটের সৌরাষ্ট্রের সোমনাথ মন্দির পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা শুরু করার জন্য তিনি ব্যক্তিগত আগ্রহ নিয়েছিলেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কতগুলি রাজ্যকে ভারতের নিয়ন্ত্রণে আনতে বল্লভভাই প্যাটেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ?
{ "text": [ "৫২২ টি" ], "answer_start": [ 127 ] }
1066
null
ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানকে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সম্মাননা প্রদানের বিরুদ্ধে একাধিকবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গেস্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে এই পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হলে, তিনি জানিয়ে দেন পুরস্কার নির্বাচক সমিতির কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানও করেন। পরে ১৯৯২ সালে তাকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সুভাষচন্দ্র বসুকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে১৯৯২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। "মরণোত্তর" সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, সম্মাননার তুলনায় মহত্তর কোনো ব্যক্তিত্বকে এই সম্মান প্রদান হাস্যকর এবং এর ফলে অতীত ও ভবিষ্যতের ভারতরত্ন প্রাপকদের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের অযৌক্তিক তুলনা শুরু হতে পারে। তাছাড়া মামলায় আরও জানানো হয় যে, ভারত সরকার সরকারিভাবে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর ঘটনাকে স্বীকার করে নেয়নি। মামলাকারী উক্ত তারিখের পর সুভাষচন্দ্র কোথায় ছিলেন সেই সম্পর্কে ১৯৫৬ সালের শাহনওয়াজ কমিটি ও ১৯৭০ সালে খোসলা কমিটির প্রতিবেদনও জনসমক্ষে আনার দাবি জানান।
সাংবিধানিক বিধান অনুসারে কার পরিচালনায় ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম প্রাপকদের নিবন্ধনে অন্তর্ভুক্ত হয়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1067
null
ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানকে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সম্মাননা প্রদানের বিরুদ্ধে একাধিকবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গেস্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে এই পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হলে, তিনি জানিয়ে দেন পুরস্কার নির্বাচক সমিতির কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানও করেন। পরে ১৯৯২ সালে তাকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সুভাষচন্দ্র বসুকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে১৯৯২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। "মরণোত্তর" সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, সম্মাননার তুলনায় মহত্তর কোনো ব্যক্তিত্বকে এই সম্মান প্রদান হাস্যকর এবং এর ফলে অতীত ও ভবিষ্যতের ভারতরত্ন প্রাপকদের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের অযৌক্তিক তুলনা শুরু হতে পারে। তাছাড়া মামলায় আরও জানানো হয় যে, ভারত সরকার সরকারিভাবে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর ঘটনাকে স্বীকার করে নেয়নি। মামলাকারী উক্ত তারিখের পর সুভাষচন্দ্র কোথায় ছিলেন সেই সম্পর্কে ১৯৫৬ সালের শাহনওয়াজ কমিটি ও ১৯৭০ সালে খোসলা কমিটির প্রতিবেদনও জনসমক্ষে আনার দাবি জানান।
ভারতের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কে ?
{ "text": [ "মৌলানা আবুল কালাম আজাদ" ], "answer_start": [ 148 ] }
1068
null
ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানকে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সম্মাননা প্রদানের বিরুদ্ধে একাধিকবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গেস্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে এই পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হলে, তিনি জানিয়ে দেন পুরস্কার নির্বাচক সমিতির কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানও করেন। পরে ১৯৯২ সালে তাকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সুভাষচন্দ্র বসুকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে১৯৯২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। "মরণোত্তর" সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, সম্মাননার তুলনায় মহত্তর কোনো ব্যক্তিত্বকে এই সম্মান প্রদান হাস্যকর এবং এর ফলে অতীত ও ভবিষ্যতের ভারতরত্ন প্রাপকদের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের অযৌক্তিক তুলনা শুরু হতে পারে। তাছাড়া মামলায় আরও জানানো হয় যে, ভারত সরকার সরকারিভাবে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর ঘটনাকে স্বীকার করে নেয়নি। মামলাকারী উক্ত তারিখের পর সুভাষচন্দ্র কোথায় ছিলেন সেই সম্পর্কে ১৯৫৬ সালের শাহনওয়াজ কমিটি ও ১৯৭০ সালে খোসলা কমিটির প্রতিবেদনও জনসমক্ষে আনার দাবি জানান।
খোলসা কমিটি কত সালে গঠিত হয় ?
{ "text": [ "১৯৭০" ], "answer_start": [ 1297 ] }
1069
null
ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানকে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সম্মাননা প্রদানের বিরুদ্ধে একাধিকবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গেস্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে এই পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হলে, তিনি জানিয়ে দেন পুরস্কার নির্বাচক সমিতির কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানও করেন। পরে ১৯৯২ সালে তাকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সুভাষচন্দ্র বসুকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে১৯৯২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। "মরণোত্তর" সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, সম্মাননার তুলনায় মহত্তর কোনো ব্যক্তিত্বকে এই সম্মান প্রদান হাস্যকর এবং এর ফলে অতীত ও ভবিষ্যতের ভারতরত্ন প্রাপকদের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের অযৌক্তিক তুলনা শুরু হতে পারে। তাছাড়া মামলায় আরও জানানো হয় যে, ভারত সরকার সরকারিভাবে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর ঘটনাকে স্বীকার করে নেয়নি। মামলাকারী উক্ত তারিখের পর সুভাষচন্দ্র কোথায় ছিলেন সেই সম্পর্কে ১৯৫৬ সালের শাহনওয়াজ কমিটি ও ১৯৭০ সালে খোসলা কমিটির প্রতিবেদনও জনসমক্ষে আনার দাবি জানান।
কোন তারিখে সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুকে ভারত সরকার সরকারিভাবে অস্বীকার করে ?
{ "text": [ "১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট" ], "answer_start": [ 1133 ] }
1070
null
ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানকে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সম্মাননা প্রদানের বিরুদ্ধে একাধিকবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গেস্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে এই পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হলে, তিনি জানিয়ে দেন পুরস্কার নির্বাচক সমিতির কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানও করেন। পরে ১৯৯২ সালে তাকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সুভাষচন্দ্র বসুকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে১৯৯২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। "মরণোত্তর" সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, সম্মাননার তুলনায় মহত্তর কোনো ব্যক্তিত্বকে এই সম্মান প্রদান হাস্যকর এবং এর ফলে অতীত ও ভবিষ্যতের ভারতরত্ন প্রাপকদের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের অযৌক্তিক তুলনা শুরু হতে পারে। তাছাড়া মামলায় আরও জানানো হয় যে, ভারত সরকার সরকারিভাবে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর ঘটনাকে স্বীকার করে নেয়নি। মামলাকারী উক্ত তারিখের পর সুভাষচন্দ্র কোথায় ছিলেন সেই সম্পর্কে ১৯৫৬ সালের শাহনওয়াজ কমিটি ও ১৯৭০ সালে খোসলা কমিটির প্রতিবেদনও জনসমক্ষে আনার দাবি জানান।
সাংবিধানিক বিধান অনুসারে, ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম কোথায় প্রকাশিত হতেই হবে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1071
null
ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানকে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সম্মাননা প্রদানের বিরুদ্ধে একাধিকবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গেস্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে এই পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হলে, তিনি জানিয়ে দেন পুরস্কার নির্বাচক সমিতির কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানও করেন। পরে ১৯৯২ সালে তাকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সুভাষচন্দ্র বসুকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে১৯৯২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। "মরণোত্তর" সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, সম্মাননার তুলনায় মহত্তর কোনো ব্যক্তিত্বকে এই সম্মান প্রদান হাস্যকর এবং এর ফলে অতীত ও ভবিষ্যতের ভারতরত্ন প্রাপকদের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের অযৌক্তিক তুলনা শুরু হতে পারে। তাছাড়া মামলায় আরও জানানো হয় যে, ভারত সরকার সরকারিভাবে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর ঘটনাকে স্বীকার করে নেয়নি। মামলাকারী উক্ত তারিখের পর সুভাষচন্দ্র কোথায় ছিলেন সেই সম্পর্কে ১৯৫৬ সালের শাহনওয়াজ কমিটি ও ১৯৭০ সালে খোসলা কমিটির প্রতিবেদনও জনসমক্ষে আনার দাবি জানান।
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কত সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত হন ?
{ "text": [ "১৯৯২" ], "answer_start": [ 447 ] }
1072
null
ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানকে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সম্মাননা প্রদানের বিরুদ্ধে একাধিকবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গেস্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে এই পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হলে, তিনি জানিয়ে দেন পুরস্কার নির্বাচক সমিতির কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানও করেন। পরে ১৯৯২ সালে তাকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সুভাষচন্দ্র বসুকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে১৯৯২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। "মরণোত্তর" সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, সম্মাননার তুলনায় মহত্তর কোনো ব্যক্তিত্বকে এই সম্মান প্রদান হাস্যকর এবং এর ফলে অতীত ও ভবিষ্যতের ভারতরত্ন প্রাপকদের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের অযৌক্তিক তুলনা শুরু হতে পারে। তাছাড়া মামলায় আরও জানানো হয় যে, ভারত সরকার সরকারিভাবে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর ঘটনাকে স্বীকার করে নেয়নি। মামলাকারী উক্ত তারিখের পর সুভাষচন্দ্র কোথায় ছিলেন সেই সম্পর্কে ১৯৫৬ সালের শাহনওয়াজ কমিটি ও ১৯৭০ সালে খোসলা কমিটির প্রতিবেদনও জনসমক্ষে আনার দাবি জানান।
১৯৯২ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের জনস্বার্থ মামলায় রায় দেওয়ার জন্য বিচারপতি সুজাতা ভি মনোহর এবং বিচারপতি জি বি পট্টনায়েকের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করেন কে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1073
null
ভারতীয় উপমহাদেশের সিংহভাগ নিয়ে গঠিত ভারতীয় ভূখণ্ডটি ভারতীয় টেকটোনিক পাত ও ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের মধ্যস্থিত একটি গৌণ পাতের উপর অবস্থিত। এই ভূখণ্ড গঠনের প্রধান ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয় আজ থেকে ৭৫ কোটি বছর পূর্বে, যখন দক্ষিণের অতিমহাদেশ গন্ডোয়ানার অংশ হিসাবে ভারতীয় উপমহাদেশ উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে শুরু করে। তৎকালীন অসংগঠিত ভারত মহাসাগরব্যাপী এই সরণ স্থায়ী হয় ৫০ কোটি বছর। এর পরে উপমহাদেশটির সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষ ঘটে এবং উপমহাদেশের পাতটি ইউরেশীয় পাতের তলায় অবনমিত হয়ে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতমালা হিমালয়ের উত্থান ঘটায়। এই পর্বতমালা বর্তমানে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক বেষ্টন করে আছে। উত্থানশীল হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশে অবস্থিত সমুদ্রে পাতসঞ্চরণের ফলে একটি বৃহৎ খাত সৃষ্টি হয়, এবং কালক্রমে নদীর পলি জমে এই খাতটি গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়। এই সমভূমির পশ্চিমে আরাবল্লী পর্বতশ্রেণী কর্তৃক বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করছে থর মরুভূমি। মূল ভারতীয় পাতটি আজ ভারতীয় উপদ্বীপ রূপে অবস্থান করছে। এটিই ভারতের প্রাচীনতম ও ভৌগোলিকভাবে সর্বাপেক্ষা দৃঢ় অংশ। উত্তরদিকে মধ্য ভারতে অবস্থিত সাতপুরা ও বিন্ধ্য পর্বতমালা পর্যন্ত এই উপদ্বীপ বিস্তৃত। এই সমান্তরাল পর্বতমালাদুটি পশ্চিমে গুজরাটের আরব সাগর উপকূল থেকে পূর্বে ঝাড়খণ্ডের কয়লা-সমৃদ্ধ ছোটনাগপুর মালভূমি পর্যন্ত ব্যাপ্ত। দক্ষিণে উপদ্বীপীয় ভূখণ্ডে দাক্ষিণাত্য মালভূমি বামে ও ডানে যথাক্রমে পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালাদ্বয় দ্বারা উপকূলীয় সমভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন। এই মালভূমিতেই ভারতের প্রাচীনতম প্রস্তরগঠনটি পরিলক্ষিত হয়; যার কিয়দংশের বয়স ১০০ কোটি বছরেরও বেশি। এইভাবে ভারত বিষুবরেখার উত্তরে ৬°৪৪' ও ৩৫°৩০' উত্তর অক্ষাংশ ও ৬৮°৭' ও ৯৭°২৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। ভারতীয় উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।
ভারতীয় নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট অনুযায়ী, মূল ভূখণ্ডের কত শতাংশ পাথুরে উপকূল এবং পাহাড়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1074
null
ভারতীয় উপমহাদেশের সিংহভাগ নিয়ে গঠিত ভারতীয় ভূখণ্ডটি ভারতীয় টেকটোনিক পাত ও ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের মধ্যস্থিত একটি গৌণ পাতের উপর অবস্থিত। এই ভূখণ্ড গঠনের প্রধান ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয় আজ থেকে ৭৫ কোটি বছর পূর্বে, যখন দক্ষিণের অতিমহাদেশ গন্ডোয়ানার অংশ হিসাবে ভারতীয় উপমহাদেশ উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে শুরু করে। তৎকালীন অসংগঠিত ভারত মহাসাগরব্যাপী এই সরণ স্থায়ী হয় ৫০ কোটি বছর। এর পরে উপমহাদেশটির সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষ ঘটে এবং উপমহাদেশের পাতটি ইউরেশীয় পাতের তলায় অবনমিত হয়ে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতমালা হিমালয়ের উত্থান ঘটায়। এই পর্বতমালা বর্তমানে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক বেষ্টন করে আছে। উত্থানশীল হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশে অবস্থিত সমুদ্রে পাতসঞ্চরণের ফলে একটি বৃহৎ খাত সৃষ্টি হয়, এবং কালক্রমে নদীর পলি জমে এই খাতটি গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়। এই সমভূমির পশ্চিমে আরাবল্লী পর্বতশ্রেণী কর্তৃক বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করছে থর মরুভূমি। মূল ভারতীয় পাতটি আজ ভারতীয় উপদ্বীপ রূপে অবস্থান করছে। এটিই ভারতের প্রাচীনতম ও ভৌগোলিকভাবে সর্বাপেক্ষা দৃঢ় অংশ। উত্তরদিকে মধ্য ভারতে অবস্থিত সাতপুরা ও বিন্ধ্য পর্বতমালা পর্যন্ত এই উপদ্বীপ বিস্তৃত। এই সমান্তরাল পর্বতমালাদুটি পশ্চিমে গুজরাটের আরব সাগর উপকূল থেকে পূর্বে ঝাড়খণ্ডের কয়লা-সমৃদ্ধ ছোটনাগপুর মালভূমি পর্যন্ত ব্যাপ্ত। দক্ষিণে উপদ্বীপীয় ভূখণ্ডে দাক্ষিণাত্য মালভূমি বামে ও ডানে যথাক্রমে পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালাদ্বয় দ্বারা উপকূলীয় সমভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন। এই মালভূমিতেই ভারতের প্রাচীনতম প্রস্তরগঠনটি পরিলক্ষিত হয়; যার কিয়দংশের বয়স ১০০ কোটি বছরেরও বেশি। এইভাবে ভারত বিষুবরেখার উত্তরে ৬°৪৪' ও ৩৫°৩০' উত্তর অক্ষাংশ ও ৬৮°৭' ও ৯৭°২৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। ভারতীয় উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণীর নাম কি?
{ "text": [ "হিমালয়ে" ], "answer_start": [ 514 ] }
1075
null
ভারতীয় উপমহাদেশের সিংহভাগ নিয়ে গঠিত ভারতীয় ভূখণ্ডটি ভারতীয় টেকটোনিক পাত ও ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের মধ্যস্থিত একটি গৌণ পাতের উপর অবস্থিত। এই ভূখণ্ড গঠনের প্রধান ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয় আজ থেকে ৭৫ কোটি বছর পূর্বে, যখন দক্ষিণের অতিমহাদেশ গন্ডোয়ানার অংশ হিসাবে ভারতীয় উপমহাদেশ উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে শুরু করে। তৎকালীন অসংগঠিত ভারত মহাসাগরব্যাপী এই সরণ স্থায়ী হয় ৫০ কোটি বছর। এর পরে উপমহাদেশটির সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষ ঘটে এবং উপমহাদেশের পাতটি ইউরেশীয় পাতের তলায় অবনমিত হয়ে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতমালা হিমালয়ের উত্থান ঘটায়। এই পর্বতমালা বর্তমানে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক বেষ্টন করে আছে। উত্থানশীল হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশে অবস্থিত সমুদ্রে পাতসঞ্চরণের ফলে একটি বৃহৎ খাত সৃষ্টি হয়, এবং কালক্রমে নদীর পলি জমে এই খাতটি গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়। এই সমভূমির পশ্চিমে আরাবল্লী পর্বতশ্রেণী কর্তৃক বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করছে থর মরুভূমি। মূল ভারতীয় পাতটি আজ ভারতীয় উপদ্বীপ রূপে অবস্থান করছে। এটিই ভারতের প্রাচীনতম ও ভৌগোলিকভাবে সর্বাপেক্ষা দৃঢ় অংশ। উত্তরদিকে মধ্য ভারতে অবস্থিত সাতপুরা ও বিন্ধ্য পর্বতমালা পর্যন্ত এই উপদ্বীপ বিস্তৃত। এই সমান্তরাল পর্বতমালাদুটি পশ্চিমে গুজরাটের আরব সাগর উপকূল থেকে পূর্বে ঝাড়খণ্ডের কয়লা-সমৃদ্ধ ছোটনাগপুর মালভূমি পর্যন্ত ব্যাপ্ত। দক্ষিণে উপদ্বীপীয় ভূখণ্ডে দাক্ষিণাত্য মালভূমি বামে ও ডানে যথাক্রমে পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালাদ্বয় দ্বারা উপকূলীয় সমভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন। এই মালভূমিতেই ভারতের প্রাচীনতম প্রস্তরগঠনটি পরিলক্ষিত হয়; যার কিয়দংশের বয়স ১০০ কোটি বছরেরও বেশি। এইভাবে ভারত বিষুবরেখার উত্তরে ৬°৪৪' ও ৩৫°৩০' উত্তর অক্ষাংশ ও ৬৮°৭' ও ৯৭°২৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। ভারতীয় উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।
হিমালয়ের উত্থান কিভাবে ঘটে?
{ "text": [ "ইউরেশীয় পাতের তলায় অবনমিত" ], "answer_start": [ 456 ] }
1076
null
ভারতীয় উপমহাদেশের সিংহভাগ নিয়ে গঠিত ভারতীয় ভূখণ্ডটি ভারতীয় টেকটোনিক পাত ও ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের মধ্যস্থিত একটি গৌণ পাতের উপর অবস্থিত। এই ভূখণ্ড গঠনের প্রধান ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয় আজ থেকে ৭৫ কোটি বছর পূর্বে, যখন দক্ষিণের অতিমহাদেশ গন্ডোয়ানার অংশ হিসাবে ভারতীয় উপমহাদেশ উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে শুরু করে। তৎকালীন অসংগঠিত ভারত মহাসাগরব্যাপী এই সরণ স্থায়ী হয় ৫০ কোটি বছর। এর পরে উপমহাদেশটির সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষ ঘটে এবং উপমহাদেশের পাতটি ইউরেশীয় পাতের তলায় অবনমিত হয়ে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতমালা হিমালয়ের উত্থান ঘটায়। এই পর্বতমালা বর্তমানে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক বেষ্টন করে আছে। উত্থানশীল হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশে অবস্থিত সমুদ্রে পাতসঞ্চরণের ফলে একটি বৃহৎ খাত সৃষ্টি হয়, এবং কালক্রমে নদীর পলি জমে এই খাতটি গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়। এই সমভূমির পশ্চিমে আরাবল্লী পর্বতশ্রেণী কর্তৃক বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করছে থর মরুভূমি। মূল ভারতীয় পাতটি আজ ভারতীয় উপদ্বীপ রূপে অবস্থান করছে। এটিই ভারতের প্রাচীনতম ও ভৌগোলিকভাবে সর্বাপেক্ষা দৃঢ় অংশ। উত্তরদিকে মধ্য ভারতে অবস্থিত সাতপুরা ও বিন্ধ্য পর্বতমালা পর্যন্ত এই উপদ্বীপ বিস্তৃত। এই সমান্তরাল পর্বতমালাদুটি পশ্চিমে গুজরাটের আরব সাগর উপকূল থেকে পূর্বে ঝাড়খণ্ডের কয়লা-সমৃদ্ধ ছোটনাগপুর মালভূমি পর্যন্ত ব্যাপ্ত। দক্ষিণে উপদ্বীপীয় ভূখণ্ডে দাক্ষিণাত্য মালভূমি বামে ও ডানে যথাক্রমে পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালাদ্বয় দ্বারা উপকূলীয় সমভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন। এই মালভূমিতেই ভারতের প্রাচীনতম প্রস্তরগঠনটি পরিলক্ষিত হয়; যার কিয়দংশের বয়স ১০০ কোটি বছরেরও বেশি। এইভাবে ভারত বিষুবরেখার উত্তরে ৬°৪৪' ও ৩৫°৩০' উত্তর অক্ষাংশ ও ৬৮°৭' ও ৯৭°২৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। ভারতীয় উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।
ভারতীয় নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট অনুযায়ী, মূল ভূখণ্ডের কত শতাংশ উপকূল বালুকাময় সৈকত নিয়ে গঠিত?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }