id
string
title
string
context
string
question
string
answers
sequence
1677
null
২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, মুম্বইয়ের জনসংখ্যা ১১,৯১৪,৩৯৮। ২০০৮ সালের ওয়ার্ল্ড গেজেটিয়ার-এর প্রাককলন অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা ১৩,৬৬২,৮৮৫ এবং মুম্বমুম্বনগরীয় এলাকার জনসংখ্যা ২১,৩৪৭,৪১২। এই শহরের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২,০০০ জন। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বৃহত্তর মুম্বই অর্থাৎ বৃহন্মুম্বই পৌরসংস্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় সাক্ষরতার হার ৭৭.৪৫ শতাংশ যা জাতীয় গড় অর্থাৎ ৬৪.৮ শতাংশের চেয়ে বেশি। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে দ্বীপশহরে ৭৭৪ জন, উপনগরে ৮২৬ এবং সামগ্রিকভাবে ৮১১ জন নারী। জাতীয় লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষের ৯৩৩ জন নারীর তুলনায় অবশ্য মুম্বইয়ের লিঙ্গানুপাত পরিসংখ্যান পশ্চাদবর্তী। এই নিম্ন লিঙ্গানুপাতের কারণ এই যে, শহরে প্রচুর পুরুষ কাজের সন্ধানে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। ২০০৮ সালে মুম্বই শহরের অপরাধের হার ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ওই বছরের হিসেব অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্তকরণের হার সারা দেশের মধ্যে মুম্বইতেই সবচেয়ে কম। এই শহরের সাধারণ অপরাধগুলি হল হত্যা, হত্যার চেষ্টা, অপরাধমূলক গণহত্যা, পণপ্রথা জনিত কারণে মৃত্যু, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও ডাকাতি। মুম্বই শহরের প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলি হল হিন্দু (৬৭.৩৯%), মুসলমান (১৮.৫৬%), বৌদ্ধ (৫.২২%), জৈন (৩.৯৯%), খ্রিষ্টান (৩.২২%) ও শিখ (০.৫৮%); পারসি ও ইহুদিরা জনসংখ্যার অবশিষ্টাংশ। মুম্বইয়ের ভাষাগত জনপরিসংখ্যান নিম্নরূপ: মহারাষ্ট্রীয় (৬০%), গুজরাতি (১৯%), এবং অবশিষ্টাংশ ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত। মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরনো মুসলমান সম্প্রদায়গুলি হল দাউদি বোহরা, খোজা ও কোঙ্কণি মুসলমান।
2001 সালের আদমশুমারি অনুসারে বৃহত্তর মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) আওতাধীন অঞ্চলের সাক্ষরতার হার কত?
{ "text": [ "৭৭.৪৫ শতাংশ" ], "answer_start": [ 347 ] }
1678
null
২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, মুম্বইয়ের জনসংখ্যা ১১,৯১৪,৩৯৮। ২০০৮ সালের ওয়ার্ল্ড গেজেটিয়ার-এর প্রাককলন অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা ১৩,৬৬২,৮৮৫ এবং মুম্বমুম্বনগরীয় এলাকার জনসংখ্যা ২১,৩৪৭,৪১২। এই শহরের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২,০০০ জন। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বৃহত্তর মুম্বই অর্থাৎ বৃহন্মুম্বই পৌরসংস্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় সাক্ষরতার হার ৭৭.৪৫ শতাংশ যা জাতীয় গড় অর্থাৎ ৬৪.৮ শতাংশের চেয়ে বেশি। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে দ্বীপশহরে ৭৭৪ জন, উপনগরে ৮২৬ এবং সামগ্রিকভাবে ৮১১ জন নারী। জাতীয় লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষের ৯৩৩ জন নারীর তুলনায় অবশ্য মুম্বইয়ের লিঙ্গানুপাত পরিসংখ্যান পশ্চাদবর্তী। এই নিম্ন লিঙ্গানুপাতের কারণ এই যে, শহরে প্রচুর পুরুষ কাজের সন্ধানে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। ২০০৮ সালে মুম্বই শহরের অপরাধের হার ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ওই বছরের হিসেব অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্তকরণের হার সারা দেশের মধ্যে মুম্বইতেই সবচেয়ে কম। এই শহরের সাধারণ অপরাধগুলি হল হত্যা, হত্যার চেষ্টা, অপরাধমূলক গণহত্যা, পণপ্রথা জনিত কারণে মৃত্যু, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও ডাকাতি। মুম্বই শহরের প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলি হল হিন্দু (৬৭.৩৯%), মুসলমান (১৮.৫৬%), বৌদ্ধ (৫.২২%), জৈন (৩.৯৯%), খ্রিষ্টান (৩.২২%) ও শিখ (০.৫৮%); পারসি ও ইহুদিরা জনসংখ্যার অবশিষ্টাংশ। মুম্বইয়ের ভাষাগত জনপরিসংখ্যান নিম্নরূপ: মহারাষ্ট্রীয় (৬০%), গুজরাতি (১৯%), এবং অবশিষ্টাংশ ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত। মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরনো মুসলমান সম্প্রদায়গুলি হল দাউদি বোহরা, খোজা ও কোঙ্কণি মুসলমান।
মুম্বাইয়ে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?
{ "text": [ "প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২,০০০ জন" ], "answer_start": [ 206 ] }
1679
null
২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, মুম্বইয়ের জনসংখ্যা ১১,৯১৪,৩৯৮। ২০০৮ সালের ওয়ার্ল্ড গেজেটিয়ার-এর প্রাককলন অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা ১৩,৬৬২,৮৮৫ এবং মুম্বমুম্বনগরীয় এলাকার জনসংখ্যা ২১,৩৪৭,৪১২। এই শহরের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২,০০০ জন। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বৃহত্তর মুম্বই অর্থাৎ বৃহন্মুম্বই পৌরসংস্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় সাক্ষরতার হার ৭৭.৪৫ শতাংশ যা জাতীয় গড় অর্থাৎ ৬৪.৮ শতাংশের চেয়ে বেশি। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে দ্বীপশহরে ৭৭৪ জন, উপনগরে ৮২৬ এবং সামগ্রিকভাবে ৮১১ জন নারী। জাতীয় লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষের ৯৩৩ জন নারীর তুলনায় অবশ্য মুম্বইয়ের লিঙ্গানুপাত পরিসংখ্যান পশ্চাদবর্তী। এই নিম্ন লিঙ্গানুপাতের কারণ এই যে, শহরে প্রচুর পুরুষ কাজের সন্ধানে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। ২০০৮ সালে মুম্বই শহরের অপরাধের হার ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ওই বছরের হিসেব অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্তকরণের হার সারা দেশের মধ্যে মুম্বইতেই সবচেয়ে কম। এই শহরের সাধারণ অপরাধগুলি হল হত্যা, হত্যার চেষ্টা, অপরাধমূলক গণহত্যা, পণপ্রথা জনিত কারণে মৃত্যু, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও ডাকাতি। মুম্বই শহরের প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলি হল হিন্দু (৬৭.৩৯%), মুসলমান (১৮.৫৬%), বৌদ্ধ (৫.২২%), জৈন (৩.৯৯%), খ্রিষ্টান (৩.২২%) ও শিখ (০.৫৮%); পারসি ও ইহুদিরা জনসংখ্যার অবশিষ্টাংশ। মুম্বইয়ের ভাষাগত জনপরিসংখ্যান নিম্নরূপ: মহারাষ্ট্রীয় (৬০%), গুজরাতি (১৯%), এবং অবশিষ্টাংশ ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত। মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরনো মুসলমান সম্প্রদায়গুলি হল দাউদি বোহরা, খোজা ও কোঙ্কণি মুসলমান।
2008 সালে মুম্বাই শহরে অপরাধের হার কত বৃদ্ধি পায়?
{ "text": [ "৫.৪ শতাংশ" ], "answer_start": [ 728 ] }
1680
null
২০০২ সালের পূর্বাবধি ভারতের সাধারণ নাগরিকবৃন্দ জাতীয় ছুটির দিনগুলি ছাড়া অন্য সময়ে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী ছিলেন না। শিল্পপতি নবীন জিন্দাল পতাকাবিধি ভঙ্গ করে তার কার্যালয় ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন করলে পতাকাটি বাজেয়াপ্ত হয় এবং তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে এই ধরনের বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জিন্দাল দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার বক্তব্য ছিল, পূর্ণ মর্যাদা ও যথাযথ ব্যবহারবিধি অনুসরণ করে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন তার নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে; কারণ এটি দেশের প্রতি তার ভালবাসা ব্যক্ত করার একটি উপায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের হস্তান্তরিত হলে সর্বোচ্চ আদালত ভারত সরকারকে এই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি স্থাপনের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট জাতীয় পতাকাবিধি সংস্কার করেন এবং ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংশোধিত বিধি চালু হয়। এই নতুন পতাকাবিধি অনুযায়ী মর্যাদা, গৌরব ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে যে কোনো নাগরিক বছরের যে কোনো দিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন। অন্যদিকে ভারতীয় সংঘ বনাম যশোবন্ত শর্মা মামলায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকাবিধি বিধিবদ্ধ আইন না হলেও এই বিধির বিধিনিষেধগুলি জাতীয় পতাকার গৌরবরক্ষার্থে অবশ্য পালনীয়। জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকার পরম অধিকার নয়; এটি অর্জিত অধিকার এবং সংবিধানের ৫১ ক ধারা অনুযায়ী এটি মান্য করা উচিত। ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা "মর্যাদা, আনুগত্য ও সম্মান" ("dignity, loyalty and respect") সহকারে হওয়া উচিত। "প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০" ("The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950") অনুসারে জারি করা "ভারতীয় পতাকা বিধি – ২০০২" ("Flag Code of India – 2002") পতাকার প্রদর্শনী ও ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারি বিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকা কখনই মাটি বা জল স্পর্শ করবে না; এটিকে টেবিলক্লথ হিসেবে বা কোনো প্লাটফর্মের সম্মুখে আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না; জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আবরিত করা যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, উর্দি বা সাজপোষাক হিসেবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা উর্দি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেন। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এছাড়াও বালিশের কভার বা গলায় বাঁধার রুমালে জাতীয় পতাকা বা অন্য কোনো প্রতীকচিহ্ন অঙ্কণ করা নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে উলটো অবস্থায় পতাকা উত্তোলন, কোনো তরলে ডোবানো বা উত্তোলনের আগে ফুলের পাপড়ি ছাড়া অন্য কিছু তাতে বাঁধা বা পতাকাগাত্রে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ। জাতীয় পতাকার ব্যবহার ও প্রদর্শনী সংক্রান্ত একাধিক প্রথা অনুসৃত হয়ে থাকে। বহির্দ্বারে আবহাওয়া ব্যতিরেকে সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সূর্যাস্তের সময় তা নামিয়ে ফেলা হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। জাতীয় পতাকা কখনই উলটো অবস্থায় বর্ণনা করা, প্রদর্শিত করা, বা উত্তোলন করা অনুচিত। প্রথা অনুসারে পতাকাটিকে ৯০ ডিগ্রির বেশি আবর্তিত করা যায় না। কোনো ব্যক্তি যেন পতাকাকে উপর থেকে নিচে ও বাঁদিক থেকে ডান দিকে বইয়ের পাতার মতো "পড়তে" পারেন এবং আবর্তিত হওয়ার পরও যেন এই বৈশিষ্ট্যের ব্যতয় না হয়। ছেঁড়া বা নোংরা অবস্থায় পতাকার প্রদর্শনী অপমানজনক। পতাকাদণ্ড বা উত্তোলন রজ্জুর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; এগুলিকেও যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হয়। কোনো পোডিয়ামের পশ্চাত-দেওয়ালে দুটি পরস্পর অভিমুখী পতাকাদণ্ডে গেরুয়া ডোরাটি উপরে রেখে আনুভূমিকভাবে পতাকাদুটিকে পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। ক্ষুদ্রাকার পতাকাদণ্ডে পতাকা প্রদর্শিত করলে দণ্ডটিকে দেওয়ালে কৌণিকভাবে স্থাপন করে তাকে রুচিসম্মতভাবে ঝোলাতে হবে। পরস্পর আড়াআড়ি দুটি পতাকাদণ্ডের উপর দুটি জাতীয় পতাকা একত্রে প্রদর্শিত হলে দণ্ডদুটির অভিমুখ পরস্পরের দিকে রাখতে হবে এবং পতাকাদুটি পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। জাতীয় পতাকা টেবিল, লেকটার্ন, পোডিয়াম বা ভবনের আচ্ছাদনরূপে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি প্রদর্শনীর খাতিরে রেলিং-এ ঝোলানোও নিষিদ্ধ। বহির্দ্বারে অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত হওয়ার সময় পতাকা উড্ডয়নের একাধিক রীতি অনুসৃত হয়। বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয় পতাকার সম্মানের প্রতি। এর অর্থ লাতিন বর্ণমালা অনুযায়ী বর্ণানুক্রমে যখন একাধিক দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় তখন অন্যান্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) রাখা হয় জাতীয় পতাকাকে। সকল পতাকা যেন সম আকারের এবং কোনো পতাকা যেন ভারতীয় পতাকার চেয়ে বড় না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা হয়। প্রত্যেক দেশের পতাকা পৃথক পৃথক পতাকাদণ্ডে থাকে। একই দণ্ডে একটি পতাকার তলায় অন্য একটি পতাকার প্রদর্শনী নিষিদ্ধ। অনুমতিক্রমে স্বাভাবিক দেশভিত্তিক বর্ণানুক্রমিক পতাকার সারির শুরুতে ও শেষে ভারতের পতাকা রাখা যায়। যদি আবদ্ধ বৃত্তে একাধিক জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী করতে হয়, তবে বৃত্তটি ভারতের পতাকা দিয়ে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে শুরু করতে হয়; অন্যান্য পতাকা ভারতীয় পতাকার পরে থাকবে এবং শেষ পতাকাটি ভারতীয় পতাকার শেষে থাকে। ভারতের জাতীয় পতাকা সর্বাগ্রে উত্তোলিত ও সর্বশেষে অবনমিত হয়। পরস্পর আড়াআড়িভাবে অন্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রদর্শিত হওয়ার সময় ভারতের জাতীয় পতাকা সম্মুখভাগে ও অন্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) স্থাপিত হয়। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের পতাকার ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকার উভয় দিকেই রাখা যায়। সাধারণভাবে সম্মুখ অভিমুখে সর্ব দক্ষিণে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। কর্পোরেট পতাকা বা বিজ্ঞাপন ব্যানার জাতীয় অন্যান্য পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত করতে হলে, পতাকাবিধি অনুযায়ী, পতাকাগুলিকে পৃথক পৃথক দণ্ডে স্থাপন করার নিয়ম আছে; ভারতের জাতীয় পতাকা সে ক্ষেত্রে এগুলির মধ্যস্থলে অথবা দর্শকের দৃষ্টি থেকে সর্ববামে অথবা পতাকামণ্ডলীতে অন্য পতাকার তুলনায় অন্তত এক পতাকা-প্রস্থ উচ্চতায় প্রদর্শিত হয়।
কত সাল পর্যন্ত ভারতের সাধারণ নাগরিকরা জাতীয় ছুটির দিন ছাড়া জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী ছিলেন না?
{ "text": [ "২০০২ সালের পূর্বাবধি" ], "answer_start": [ 0 ] }
1681
null
২০০২ সালের পূর্বাবধি ভারতের সাধারণ নাগরিকবৃন্দ জাতীয় ছুটির দিনগুলি ছাড়া অন্য সময়ে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী ছিলেন না। শিল্পপতি নবীন জিন্দাল পতাকাবিধি ভঙ্গ করে তার কার্যালয় ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন করলে পতাকাটি বাজেয়াপ্ত হয় এবং তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে এই ধরনের বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জিন্দাল দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার বক্তব্য ছিল, পূর্ণ মর্যাদা ও যথাযথ ব্যবহারবিধি অনুসরণ করে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন তার নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে; কারণ এটি দেশের প্রতি তার ভালবাসা ব্যক্ত করার একটি উপায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের হস্তান্তরিত হলে সর্বোচ্চ আদালত ভারত সরকারকে এই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি স্থাপনের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট জাতীয় পতাকাবিধি সংস্কার করেন এবং ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংশোধিত বিধি চালু হয়। এই নতুন পতাকাবিধি অনুযায়ী মর্যাদা, গৌরব ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে যে কোনো নাগরিক বছরের যে কোনো দিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন। অন্যদিকে ভারতীয় সংঘ বনাম যশোবন্ত শর্মা মামলায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকাবিধি বিধিবদ্ধ আইন না হলেও এই বিধির বিধিনিষেধগুলি জাতীয় পতাকার গৌরবরক্ষার্থে অবশ্য পালনীয়। জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকার পরম অধিকার নয়; এটি অর্জিত অধিকার এবং সংবিধানের ৫১ ক ধারা অনুযায়ী এটি মান্য করা উচিত। ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা "মর্যাদা, আনুগত্য ও সম্মান" ("dignity, loyalty and respect") সহকারে হওয়া উচিত। "প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০" ("The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950") অনুসারে জারি করা "ভারতীয় পতাকা বিধি – ২০০২" ("Flag Code of India – 2002") পতাকার প্রদর্শনী ও ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারি বিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকা কখনই মাটি বা জল স্পর্শ করবে না; এটিকে টেবিলক্লথ হিসেবে বা কোনো প্লাটফর্মের সম্মুখে আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না; জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আবরিত করা যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, উর্দি বা সাজপোষাক হিসেবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা উর্দি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেন। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এছাড়াও বালিশের কভার বা গলায় বাঁধার রুমালে জাতীয় পতাকা বা অন্য কোনো প্রতীকচিহ্ন অঙ্কণ করা নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে উলটো অবস্থায় পতাকা উত্তোলন, কোনো তরলে ডোবানো বা উত্তোলনের আগে ফুলের পাপড়ি ছাড়া অন্য কিছু তাতে বাঁধা বা পতাকাগাত্রে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ। জাতীয় পতাকার ব্যবহার ও প্রদর্শনী সংক্রান্ত একাধিক প্রথা অনুসৃত হয়ে থাকে। বহির্দ্বারে আবহাওয়া ব্যতিরেকে সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সূর্যাস্তের সময় তা নামিয়ে ফেলা হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। জাতীয় পতাকা কখনই উলটো অবস্থায় বর্ণনা করা, প্রদর্শিত করা, বা উত্তোলন করা অনুচিত। প্রথা অনুসারে পতাকাটিকে ৯০ ডিগ্রির বেশি আবর্তিত করা যায় না। কোনো ব্যক্তি যেন পতাকাকে উপর থেকে নিচে ও বাঁদিক থেকে ডান দিকে বইয়ের পাতার মতো "পড়তে" পারেন এবং আবর্তিত হওয়ার পরও যেন এই বৈশিষ্ট্যের ব্যতয় না হয়। ছেঁড়া বা নোংরা অবস্থায় পতাকার প্রদর্শনী অপমানজনক। পতাকাদণ্ড বা উত্তোলন রজ্জুর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; এগুলিকেও যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হয়। কোনো পোডিয়ামের পশ্চাত-দেওয়ালে দুটি পরস্পর অভিমুখী পতাকাদণ্ডে গেরুয়া ডোরাটি উপরে রেখে আনুভূমিকভাবে পতাকাদুটিকে পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। ক্ষুদ্রাকার পতাকাদণ্ডে পতাকা প্রদর্শিত করলে দণ্ডটিকে দেওয়ালে কৌণিকভাবে স্থাপন করে তাকে রুচিসম্মতভাবে ঝোলাতে হবে। পরস্পর আড়াআড়ি দুটি পতাকাদণ্ডের উপর দুটি জাতীয় পতাকা একত্রে প্রদর্শিত হলে দণ্ডদুটির অভিমুখ পরস্পরের দিকে রাখতে হবে এবং পতাকাদুটি পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। জাতীয় পতাকা টেবিল, লেকটার্ন, পোডিয়াম বা ভবনের আচ্ছাদনরূপে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি প্রদর্শনীর খাতিরে রেলিং-এ ঝোলানোও নিষিদ্ধ। বহির্দ্বারে অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত হওয়ার সময় পতাকা উড্ডয়নের একাধিক রীতি অনুসৃত হয়। বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয় পতাকার সম্মানের প্রতি। এর অর্থ লাতিন বর্ণমালা অনুযায়ী বর্ণানুক্রমে যখন একাধিক দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় তখন অন্যান্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) রাখা হয় জাতীয় পতাকাকে। সকল পতাকা যেন সম আকারের এবং কোনো পতাকা যেন ভারতীয় পতাকার চেয়ে বড় না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা হয়। প্রত্যেক দেশের পতাকা পৃথক পৃথক পতাকাদণ্ডে থাকে। একই দণ্ডে একটি পতাকার তলায় অন্য একটি পতাকার প্রদর্শনী নিষিদ্ধ। অনুমতিক্রমে স্বাভাবিক দেশভিত্তিক বর্ণানুক্রমিক পতাকার সারির শুরুতে ও শেষে ভারতের পতাকা রাখা যায়। যদি আবদ্ধ বৃত্তে একাধিক জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী করতে হয়, তবে বৃত্তটি ভারতের পতাকা দিয়ে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে শুরু করতে হয়; অন্যান্য পতাকা ভারতীয় পতাকার পরে থাকবে এবং শেষ পতাকাটি ভারতীয় পতাকার শেষে থাকে। ভারতের জাতীয় পতাকা সর্বাগ্রে উত্তোলিত ও সর্বশেষে অবনমিত হয়। পরস্পর আড়াআড়িভাবে অন্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রদর্শিত হওয়ার সময় ভারতের জাতীয় পতাকা সম্মুখভাগে ও অন্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) স্থাপিত হয়। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের পতাকার ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকার উভয় দিকেই রাখা যায়। সাধারণভাবে সম্মুখ অভিমুখে সর্ব দক্ষিণে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। কর্পোরেট পতাকা বা বিজ্ঞাপন ব্যানার জাতীয় অন্যান্য পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত করতে হলে, পতাকাবিধি অনুযায়ী, পতাকাগুলিকে পৃথক পৃথক দণ্ডে স্থাপন করার নিয়ম আছে; ভারতের জাতীয় পতাকা সে ক্ষেত্রে এগুলির মধ্যস্থলে অথবা দর্শকের দৃষ্টি থেকে সর্ববামে অথবা পতাকামণ্ডলীতে অন্য পতাকার তুলনায় অন্তত এক পতাকা-প্রস্থ উচ্চতায় প্রদর্শিত হয়।
কখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়?
{ "text": [ "সূর্যোদয়ের সময়" ], "answer_start": [ 2475 ] }
1682
null
২০০২ সালের পূর্বাবধি ভারতের সাধারণ নাগরিকবৃন্দ জাতীয় ছুটির দিনগুলি ছাড়া অন্য সময়ে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী ছিলেন না। শিল্পপতি নবীন জিন্দাল পতাকাবিধি ভঙ্গ করে তার কার্যালয় ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন করলে পতাকাটি বাজেয়াপ্ত হয় এবং তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে এই ধরনের বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জিন্দাল দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার বক্তব্য ছিল, পূর্ণ মর্যাদা ও যথাযথ ব্যবহারবিধি অনুসরণ করে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন তার নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে; কারণ এটি দেশের প্রতি তার ভালবাসা ব্যক্ত করার একটি উপায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের হস্তান্তরিত হলে সর্বোচ্চ আদালত ভারত সরকারকে এই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি স্থাপনের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট জাতীয় পতাকাবিধি সংস্কার করেন এবং ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংশোধিত বিধি চালু হয়। এই নতুন পতাকাবিধি অনুযায়ী মর্যাদা, গৌরব ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে যে কোনো নাগরিক বছরের যে কোনো দিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন। অন্যদিকে ভারতীয় সংঘ বনাম যশোবন্ত শর্মা মামলায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকাবিধি বিধিবদ্ধ আইন না হলেও এই বিধির বিধিনিষেধগুলি জাতীয় পতাকার গৌরবরক্ষার্থে অবশ্য পালনীয়। জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকার পরম অধিকার নয়; এটি অর্জিত অধিকার এবং সংবিধানের ৫১ ক ধারা অনুযায়ী এটি মান্য করা উচিত। ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা "মর্যাদা, আনুগত্য ও সম্মান" ("dignity, loyalty and respect") সহকারে হওয়া উচিত। "প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০" ("The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950") অনুসারে জারি করা "ভারতীয় পতাকা বিধি – ২০০২" ("Flag Code of India – 2002") পতাকার প্রদর্শনী ও ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারি বিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকা কখনই মাটি বা জল স্পর্শ করবে না; এটিকে টেবিলক্লথ হিসেবে বা কোনো প্লাটফর্মের সম্মুখে আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না; জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আবরিত করা যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, উর্দি বা সাজপোষাক হিসেবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা উর্দি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেন। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এছাড়াও বালিশের কভার বা গলায় বাঁধার রুমালে জাতীয় পতাকা বা অন্য কোনো প্রতীকচিহ্ন অঙ্কণ করা নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে উলটো অবস্থায় পতাকা উত্তোলন, কোনো তরলে ডোবানো বা উত্তোলনের আগে ফুলের পাপড়ি ছাড়া অন্য কিছু তাতে বাঁধা বা পতাকাগাত্রে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ। জাতীয় পতাকার ব্যবহার ও প্রদর্শনী সংক্রান্ত একাধিক প্রথা অনুসৃত হয়ে থাকে। বহির্দ্বারে আবহাওয়া ব্যতিরেকে সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সূর্যাস্তের সময় তা নামিয়ে ফেলা হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। জাতীয় পতাকা কখনই উলটো অবস্থায় বর্ণনা করা, প্রদর্শিত করা, বা উত্তোলন করা অনুচিত। প্রথা অনুসারে পতাকাটিকে ৯০ ডিগ্রির বেশি আবর্তিত করা যায় না। কোনো ব্যক্তি যেন পতাকাকে উপর থেকে নিচে ও বাঁদিক থেকে ডান দিকে বইয়ের পাতার মতো "পড়তে" পারেন এবং আবর্তিত হওয়ার পরও যেন এই বৈশিষ্ট্যের ব্যতয় না হয়। ছেঁড়া বা নোংরা অবস্থায় পতাকার প্রদর্শনী অপমানজনক। পতাকাদণ্ড বা উত্তোলন রজ্জুর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; এগুলিকেও যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হয়। কোনো পোডিয়ামের পশ্চাত-দেওয়ালে দুটি পরস্পর অভিমুখী পতাকাদণ্ডে গেরুয়া ডোরাটি উপরে রেখে আনুভূমিকভাবে পতাকাদুটিকে পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। ক্ষুদ্রাকার পতাকাদণ্ডে পতাকা প্রদর্শিত করলে দণ্ডটিকে দেওয়ালে কৌণিকভাবে স্থাপন করে তাকে রুচিসম্মতভাবে ঝোলাতে হবে। পরস্পর আড়াআড়ি দুটি পতাকাদণ্ডের উপর দুটি জাতীয় পতাকা একত্রে প্রদর্শিত হলে দণ্ডদুটির অভিমুখ পরস্পরের দিকে রাখতে হবে এবং পতাকাদুটি পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। জাতীয় পতাকা টেবিল, লেকটার্ন, পোডিয়াম বা ভবনের আচ্ছাদনরূপে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি প্রদর্শনীর খাতিরে রেলিং-এ ঝোলানোও নিষিদ্ধ। বহির্দ্বারে অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত হওয়ার সময় পতাকা উড্ডয়নের একাধিক রীতি অনুসৃত হয়। বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয় পতাকার সম্মানের প্রতি। এর অর্থ লাতিন বর্ণমালা অনুযায়ী বর্ণানুক্রমে যখন একাধিক দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় তখন অন্যান্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) রাখা হয় জাতীয় পতাকাকে। সকল পতাকা যেন সম আকারের এবং কোনো পতাকা যেন ভারতীয় পতাকার চেয়ে বড় না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা হয়। প্রত্যেক দেশের পতাকা পৃথক পৃথক পতাকাদণ্ডে থাকে। একই দণ্ডে একটি পতাকার তলায় অন্য একটি পতাকার প্রদর্শনী নিষিদ্ধ। অনুমতিক্রমে স্বাভাবিক দেশভিত্তিক বর্ণানুক্রমিক পতাকার সারির শুরুতে ও শেষে ভারতের পতাকা রাখা যায়। যদি আবদ্ধ বৃত্তে একাধিক জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী করতে হয়, তবে বৃত্তটি ভারতের পতাকা দিয়ে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে শুরু করতে হয়; অন্যান্য পতাকা ভারতীয় পতাকার পরে থাকবে এবং শেষ পতাকাটি ভারতীয় পতাকার শেষে থাকে। ভারতের জাতীয় পতাকা সর্বাগ্রে উত্তোলিত ও সর্বশেষে অবনমিত হয়। পরস্পর আড়াআড়িভাবে অন্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রদর্শিত হওয়ার সময় ভারতের জাতীয় পতাকা সম্মুখভাগে ও অন্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) স্থাপিত হয়। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের পতাকার ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকার উভয় দিকেই রাখা যায়। সাধারণভাবে সম্মুখ অভিমুখে সর্ব দক্ষিণে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। কর্পোরেট পতাকা বা বিজ্ঞাপন ব্যানার জাতীয় অন্যান্য পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত করতে হলে, পতাকাবিধি অনুযায়ী, পতাকাগুলিকে পৃথক পৃথক দণ্ডে স্থাপন করার নিয়ম আছে; ভারতের জাতীয় পতাকা সে ক্ষেত্রে এগুলির মধ্যস্থলে অথবা দর্শকের দৃষ্টি থেকে সর্ববামে অথবা পতাকামণ্ডলীতে অন্য পতাকার তুলনায় অন্তত এক পতাকা-প্রস্থ উচ্চতায় প্রদর্শিত হয়।
বিশেষ ক্ষেত্রে কোথায় রাতে জাতীয় পতাকা উড়ানোর রীতি আছে?
{ "text": [ "সরকারি ভবনে" ], "answer_start": [ 2573 ] }
1683
null
২০০২ সালের পূর্বাবধি ভারতের সাধারণ নাগরিকবৃন্দ জাতীয় ছুটির দিনগুলি ছাড়া অন্য সময়ে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী ছিলেন না। শিল্পপতি নবীন জিন্দাল পতাকাবিধি ভঙ্গ করে তার কার্যালয় ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন করলে পতাকাটি বাজেয়াপ্ত হয় এবং তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে এই ধরনের বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জিন্দাল দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার বক্তব্য ছিল, পূর্ণ মর্যাদা ও যথাযথ ব্যবহারবিধি অনুসরণ করে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন তার নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে; কারণ এটি দেশের প্রতি তার ভালবাসা ব্যক্ত করার একটি উপায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের হস্তান্তরিত হলে সর্বোচ্চ আদালত ভারত সরকারকে এই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি স্থাপনের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট জাতীয় পতাকাবিধি সংস্কার করেন এবং ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংশোধিত বিধি চালু হয়। এই নতুন পতাকাবিধি অনুযায়ী মর্যাদা, গৌরব ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে যে কোনো নাগরিক বছরের যে কোনো দিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন। অন্যদিকে ভারতীয় সংঘ বনাম যশোবন্ত শর্মা মামলায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকাবিধি বিধিবদ্ধ আইন না হলেও এই বিধির বিধিনিষেধগুলি জাতীয় পতাকার গৌরবরক্ষার্থে অবশ্য পালনীয়। জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকার পরম অধিকার নয়; এটি অর্জিত অধিকার এবং সংবিধানের ৫১ ক ধারা অনুযায়ী এটি মান্য করা উচিত। ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা "মর্যাদা, আনুগত্য ও সম্মান" ("dignity, loyalty and respect") সহকারে হওয়া উচিত। "প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০" ("The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950") অনুসারে জারি করা "ভারতীয় পতাকা বিধি – ২০০২" ("Flag Code of India – 2002") পতাকার প্রদর্শনী ও ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারি বিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকা কখনই মাটি বা জল স্পর্শ করবে না; এটিকে টেবিলক্লথ হিসেবে বা কোনো প্লাটফর্মের সম্মুখে আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না; জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আবরিত করা যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, উর্দি বা সাজপোষাক হিসেবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা উর্দি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেন। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এছাড়াও বালিশের কভার বা গলায় বাঁধার রুমালে জাতীয় পতাকা বা অন্য কোনো প্রতীকচিহ্ন অঙ্কণ করা নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে উলটো অবস্থায় পতাকা উত্তোলন, কোনো তরলে ডোবানো বা উত্তোলনের আগে ফুলের পাপড়ি ছাড়া অন্য কিছু তাতে বাঁধা বা পতাকাগাত্রে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ। জাতীয় পতাকার ব্যবহার ও প্রদর্শনী সংক্রান্ত একাধিক প্রথা অনুসৃত হয়ে থাকে। বহির্দ্বারে আবহাওয়া ব্যতিরেকে সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সূর্যাস্তের সময় তা নামিয়ে ফেলা হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। জাতীয় পতাকা কখনই উলটো অবস্থায় বর্ণনা করা, প্রদর্শিত করা, বা উত্তোলন করা অনুচিত। প্রথা অনুসারে পতাকাটিকে ৯০ ডিগ্রির বেশি আবর্তিত করা যায় না। কোনো ব্যক্তি যেন পতাকাকে উপর থেকে নিচে ও বাঁদিক থেকে ডান দিকে বইয়ের পাতার মতো "পড়তে" পারেন এবং আবর্তিত হওয়ার পরও যেন এই বৈশিষ্ট্যের ব্যতয় না হয়। ছেঁড়া বা নোংরা অবস্থায় পতাকার প্রদর্শনী অপমানজনক। পতাকাদণ্ড বা উত্তোলন রজ্জুর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; এগুলিকেও যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হয়। কোনো পোডিয়ামের পশ্চাত-দেওয়ালে দুটি পরস্পর অভিমুখী পতাকাদণ্ডে গেরুয়া ডোরাটি উপরে রেখে আনুভূমিকভাবে পতাকাদুটিকে পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। ক্ষুদ্রাকার পতাকাদণ্ডে পতাকা প্রদর্শিত করলে দণ্ডটিকে দেওয়ালে কৌণিকভাবে স্থাপন করে তাকে রুচিসম্মতভাবে ঝোলাতে হবে। পরস্পর আড়াআড়ি দুটি পতাকাদণ্ডের উপর দুটি জাতীয় পতাকা একত্রে প্রদর্শিত হলে দণ্ডদুটির অভিমুখ পরস্পরের দিকে রাখতে হবে এবং পতাকাদুটি পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। জাতীয় পতাকা টেবিল, লেকটার্ন, পোডিয়াম বা ভবনের আচ্ছাদনরূপে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি প্রদর্শনীর খাতিরে রেলিং-এ ঝোলানোও নিষিদ্ধ। বহির্দ্বারে অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত হওয়ার সময় পতাকা উড্ডয়নের একাধিক রীতি অনুসৃত হয়। বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয় পতাকার সম্মানের প্রতি। এর অর্থ লাতিন বর্ণমালা অনুযায়ী বর্ণানুক্রমে যখন একাধিক দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় তখন অন্যান্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) রাখা হয় জাতীয় পতাকাকে। সকল পতাকা যেন সম আকারের এবং কোনো পতাকা যেন ভারতীয় পতাকার চেয়ে বড় না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা হয়। প্রত্যেক দেশের পতাকা পৃথক পৃথক পতাকাদণ্ডে থাকে। একই দণ্ডে একটি পতাকার তলায় অন্য একটি পতাকার প্রদর্শনী নিষিদ্ধ। অনুমতিক্রমে স্বাভাবিক দেশভিত্তিক বর্ণানুক্রমিক পতাকার সারির শুরুতে ও শেষে ভারতের পতাকা রাখা যায়। যদি আবদ্ধ বৃত্তে একাধিক জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী করতে হয়, তবে বৃত্তটি ভারতের পতাকা দিয়ে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে শুরু করতে হয়; অন্যান্য পতাকা ভারতীয় পতাকার পরে থাকবে এবং শেষ পতাকাটি ভারতীয় পতাকার শেষে থাকে। ভারতের জাতীয় পতাকা সর্বাগ্রে উত্তোলিত ও সর্বশেষে অবনমিত হয়। পরস্পর আড়াআড়িভাবে অন্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রদর্শিত হওয়ার সময় ভারতের জাতীয় পতাকা সম্মুখভাগে ও অন্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) স্থাপিত হয়। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের পতাকার ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকার উভয় দিকেই রাখা যায়। সাধারণভাবে সম্মুখ অভিমুখে সর্ব দক্ষিণে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। কর্পোরেট পতাকা বা বিজ্ঞাপন ব্যানার জাতীয় অন্যান্য পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত করতে হলে, পতাকাবিধি অনুযায়ী, পতাকাগুলিকে পৃথক পৃথক দণ্ডে স্থাপন করার নিয়ম আছে; ভারতের জাতীয় পতাকা সে ক্ষেত্রে এগুলির মধ্যস্থলে অথবা দর্শকের দৃষ্টি থেকে সর্ববামে অথবা পতাকামণ্ডলীতে অন্য পতাকার তুলনায় অন্তত এক পতাকা-প্রস্থ উচ্চতায় প্রদর্শিত হয়।
কত সালে সরকার পোশাক বা ইউনিফর্ম হিসাবে পতাকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য নিয়ম সংশোধন করেন ?
{ "text": [ "২০০৫" ], "answer_start": [ 1849 ] }
1684
null
২০০২ সালের পূর্বাবধি ভারতের সাধারণ নাগরিকবৃন্দ জাতীয় ছুটির দিনগুলি ছাড়া অন্য সময়ে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী ছিলেন না। শিল্পপতি নবীন জিন্দাল পতাকাবিধি ভঙ্গ করে তার কার্যালয় ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন করলে পতাকাটি বাজেয়াপ্ত হয় এবং তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে এই ধরনের বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জিন্দাল দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার বক্তব্য ছিল, পূর্ণ মর্যাদা ও যথাযথ ব্যবহারবিধি অনুসরণ করে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন তার নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে; কারণ এটি দেশের প্রতি তার ভালবাসা ব্যক্ত করার একটি উপায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের হস্তান্তরিত হলে সর্বোচ্চ আদালত ভারত সরকারকে এই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি স্থাপনের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট জাতীয় পতাকাবিধি সংস্কার করেন এবং ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংশোধিত বিধি চালু হয়। এই নতুন পতাকাবিধি অনুযায়ী মর্যাদা, গৌরব ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে যে কোনো নাগরিক বছরের যে কোনো দিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন। অন্যদিকে ভারতীয় সংঘ বনাম যশোবন্ত শর্মা মামলায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকাবিধি বিধিবদ্ধ আইন না হলেও এই বিধির বিধিনিষেধগুলি জাতীয় পতাকার গৌরবরক্ষার্থে অবশ্য পালনীয়। জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকার পরম অধিকার নয়; এটি অর্জিত অধিকার এবং সংবিধানের ৫১ ক ধারা অনুযায়ী এটি মান্য করা উচিত। ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা "মর্যাদা, আনুগত্য ও সম্মান" ("dignity, loyalty and respect") সহকারে হওয়া উচিত। "প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০" ("The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950") অনুসারে জারি করা "ভারতীয় পতাকা বিধি – ২০০২" ("Flag Code of India – 2002") পতাকার প্রদর্শনী ও ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারি বিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকা কখনই মাটি বা জল স্পর্শ করবে না; এটিকে টেবিলক্লথ হিসেবে বা কোনো প্লাটফর্মের সম্মুখে আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না; জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আবরিত করা যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, উর্দি বা সাজপোষাক হিসেবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা উর্দি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেন। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এছাড়াও বালিশের কভার বা গলায় বাঁধার রুমালে জাতীয় পতাকা বা অন্য কোনো প্রতীকচিহ্ন অঙ্কণ করা নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে উলটো অবস্থায় পতাকা উত্তোলন, কোনো তরলে ডোবানো বা উত্তোলনের আগে ফুলের পাপড়ি ছাড়া অন্য কিছু তাতে বাঁধা বা পতাকাগাত্রে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ। জাতীয় পতাকার ব্যবহার ও প্রদর্শনী সংক্রান্ত একাধিক প্রথা অনুসৃত হয়ে থাকে। বহির্দ্বারে আবহাওয়া ব্যতিরেকে সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সূর্যাস্তের সময় তা নামিয়ে ফেলা হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। জাতীয় পতাকা কখনই উলটো অবস্থায় বর্ণনা করা, প্রদর্শিত করা, বা উত্তোলন করা অনুচিত। প্রথা অনুসারে পতাকাটিকে ৯০ ডিগ্রির বেশি আবর্তিত করা যায় না। কোনো ব্যক্তি যেন পতাকাকে উপর থেকে নিচে ও বাঁদিক থেকে ডান দিকে বইয়ের পাতার মতো "পড়তে" পারেন এবং আবর্তিত হওয়ার পরও যেন এই বৈশিষ্ট্যের ব্যতয় না হয়। ছেঁড়া বা নোংরা অবস্থায় পতাকার প্রদর্শনী অপমানজনক। পতাকাদণ্ড বা উত্তোলন রজ্জুর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; এগুলিকেও যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হয়। কোনো পোডিয়ামের পশ্চাত-দেওয়ালে দুটি পরস্পর অভিমুখী পতাকাদণ্ডে গেরুয়া ডোরাটি উপরে রেখে আনুভূমিকভাবে পতাকাদুটিকে পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। ক্ষুদ্রাকার পতাকাদণ্ডে পতাকা প্রদর্শিত করলে দণ্ডটিকে দেওয়ালে কৌণিকভাবে স্থাপন করে তাকে রুচিসম্মতভাবে ঝোলাতে হবে। পরস্পর আড়াআড়ি দুটি পতাকাদণ্ডের উপর দুটি জাতীয় পতাকা একত্রে প্রদর্শিত হলে দণ্ডদুটির অভিমুখ পরস্পরের দিকে রাখতে হবে এবং পতাকাদুটি পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। জাতীয় পতাকা টেবিল, লেকটার্ন, পোডিয়াম বা ভবনের আচ্ছাদনরূপে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি প্রদর্শনীর খাতিরে রেলিং-এ ঝোলানোও নিষিদ্ধ। বহির্দ্বারে অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত হওয়ার সময় পতাকা উড্ডয়নের একাধিক রীতি অনুসৃত হয়। বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয় পতাকার সম্মানের প্রতি। এর অর্থ লাতিন বর্ণমালা অনুযায়ী বর্ণানুক্রমে যখন একাধিক দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় তখন অন্যান্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) রাখা হয় জাতীয় পতাকাকে। সকল পতাকা যেন সম আকারের এবং কোনো পতাকা যেন ভারতীয় পতাকার চেয়ে বড় না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা হয়। প্রত্যেক দেশের পতাকা পৃথক পৃথক পতাকাদণ্ডে থাকে। একই দণ্ডে একটি পতাকার তলায় অন্য একটি পতাকার প্রদর্শনী নিষিদ্ধ। অনুমতিক্রমে স্বাভাবিক দেশভিত্তিক বর্ণানুক্রমিক পতাকার সারির শুরুতে ও শেষে ভারতের পতাকা রাখা যায়। যদি আবদ্ধ বৃত্তে একাধিক জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী করতে হয়, তবে বৃত্তটি ভারতের পতাকা দিয়ে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে শুরু করতে হয়; অন্যান্য পতাকা ভারতীয় পতাকার পরে থাকবে এবং শেষ পতাকাটি ভারতীয় পতাকার শেষে থাকে। ভারতের জাতীয় পতাকা সর্বাগ্রে উত্তোলিত ও সর্বশেষে অবনমিত হয়। পরস্পর আড়াআড়িভাবে অন্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রদর্শিত হওয়ার সময় ভারতের জাতীয় পতাকা সম্মুখভাগে ও অন্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) স্থাপিত হয়। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের পতাকার ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকার উভয় দিকেই রাখা যায়। সাধারণভাবে সম্মুখ অভিমুখে সর্ব দক্ষিণে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। কর্পোরেট পতাকা বা বিজ্ঞাপন ব্যানার জাতীয় অন্যান্য পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত করতে হলে, পতাকাবিধি অনুযায়ী, পতাকাগুলিকে পৃথক পৃথক দণ্ডে স্থাপন করার নিয়ম আছে; ভারতের জাতীয় পতাকা সে ক্ষেত্রে এগুলির মধ্যস্থলে অথবা দর্শকের দৃষ্টি থেকে সর্ববামে অথবা পতাকামণ্ডলীতে অন্য পতাকার তুলনায় অন্তত এক পতাকা-প্রস্থ উচ্চতায় প্রদর্শিত হয়।
মিছিলে জাতীয় পতাকার অবস্থান কোথায় হওয়া উচিত ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1685
null
২০০২ সালের পূর্বাবধি ভারতের সাধারণ নাগরিকবৃন্দ জাতীয় ছুটির দিনগুলি ছাড়া অন্য সময়ে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী ছিলেন না। শিল্পপতি নবীন জিন্দাল পতাকাবিধি ভঙ্গ করে তার কার্যালয় ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন করলে পতাকাটি বাজেয়াপ্ত হয় এবং তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে এই ধরনের বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জিন্দাল দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার বক্তব্য ছিল, পূর্ণ মর্যাদা ও যথাযথ ব্যবহারবিধি অনুসরণ করে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন তার নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে; কারণ এটি দেশের প্রতি তার ভালবাসা ব্যক্ত করার একটি উপায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের হস্তান্তরিত হলে সর্বোচ্চ আদালত ভারত সরকারকে এই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি স্থাপনের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট জাতীয় পতাকাবিধি সংস্কার করেন এবং ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংশোধিত বিধি চালু হয়। এই নতুন পতাকাবিধি অনুযায়ী মর্যাদা, গৌরব ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে যে কোনো নাগরিক বছরের যে কোনো দিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন। অন্যদিকে ভারতীয় সংঘ বনাম যশোবন্ত শর্মা মামলায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকাবিধি বিধিবদ্ধ আইন না হলেও এই বিধির বিধিনিষেধগুলি জাতীয় পতাকার গৌরবরক্ষার্থে অবশ্য পালনীয়। জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকার পরম অধিকার নয়; এটি অর্জিত অধিকার এবং সংবিধানের ৫১ ক ধারা অনুযায়ী এটি মান্য করা উচিত। ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা "মর্যাদা, আনুগত্য ও সম্মান" ("dignity, loyalty and respect") সহকারে হওয়া উচিত। "প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০" ("The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950") অনুসারে জারি করা "ভারতীয় পতাকা বিধি – ২০০২" ("Flag Code of India – 2002") পতাকার প্রদর্শনী ও ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারি বিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকা কখনই মাটি বা জল স্পর্শ করবে না; এটিকে টেবিলক্লথ হিসেবে বা কোনো প্লাটফর্মের সম্মুখে আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না; জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আবরিত করা যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, উর্দি বা সাজপোষাক হিসেবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা উর্দি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেন। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এছাড়াও বালিশের কভার বা গলায় বাঁধার রুমালে জাতীয় পতাকা বা অন্য কোনো প্রতীকচিহ্ন অঙ্কণ করা নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে উলটো অবস্থায় পতাকা উত্তোলন, কোনো তরলে ডোবানো বা উত্তোলনের আগে ফুলের পাপড়ি ছাড়া অন্য কিছু তাতে বাঁধা বা পতাকাগাত্রে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ। জাতীয় পতাকার ব্যবহার ও প্রদর্শনী সংক্রান্ত একাধিক প্রথা অনুসৃত হয়ে থাকে। বহির্দ্বারে আবহাওয়া ব্যতিরেকে সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সূর্যাস্তের সময় তা নামিয়ে ফেলা হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। জাতীয় পতাকা কখনই উলটো অবস্থায় বর্ণনা করা, প্রদর্শিত করা, বা উত্তোলন করা অনুচিত। প্রথা অনুসারে পতাকাটিকে ৯০ ডিগ্রির বেশি আবর্তিত করা যায় না। কোনো ব্যক্তি যেন পতাকাকে উপর থেকে নিচে ও বাঁদিক থেকে ডান দিকে বইয়ের পাতার মতো "পড়তে" পারেন এবং আবর্তিত হওয়ার পরও যেন এই বৈশিষ্ট্যের ব্যতয় না হয়। ছেঁড়া বা নোংরা অবস্থায় পতাকার প্রদর্শনী অপমানজনক। পতাকাদণ্ড বা উত্তোলন রজ্জুর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; এগুলিকেও যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হয়। কোনো পোডিয়ামের পশ্চাত-দেওয়ালে দুটি পরস্পর অভিমুখী পতাকাদণ্ডে গেরুয়া ডোরাটি উপরে রেখে আনুভূমিকভাবে পতাকাদুটিকে পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। ক্ষুদ্রাকার পতাকাদণ্ডে পতাকা প্রদর্শিত করলে দণ্ডটিকে দেওয়ালে কৌণিকভাবে স্থাপন করে তাকে রুচিসম্মতভাবে ঝোলাতে হবে। পরস্পর আড়াআড়ি দুটি পতাকাদণ্ডের উপর দুটি জাতীয় পতাকা একত্রে প্রদর্শিত হলে দণ্ডদুটির অভিমুখ পরস্পরের দিকে রাখতে হবে এবং পতাকাদুটি পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। জাতীয় পতাকা টেবিল, লেকটার্ন, পোডিয়াম বা ভবনের আচ্ছাদনরূপে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি প্রদর্শনীর খাতিরে রেলিং-এ ঝোলানোও নিষিদ্ধ। বহির্দ্বারে অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত হওয়ার সময় পতাকা উড্ডয়নের একাধিক রীতি অনুসৃত হয়। বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয় পতাকার সম্মানের প্রতি। এর অর্থ লাতিন বর্ণমালা অনুযায়ী বর্ণানুক্রমে যখন একাধিক দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় তখন অন্যান্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) রাখা হয় জাতীয় পতাকাকে। সকল পতাকা যেন সম আকারের এবং কোনো পতাকা যেন ভারতীয় পতাকার চেয়ে বড় না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা হয়। প্রত্যেক দেশের পতাকা পৃথক পৃথক পতাকাদণ্ডে থাকে। একই দণ্ডে একটি পতাকার তলায় অন্য একটি পতাকার প্রদর্শনী নিষিদ্ধ। অনুমতিক্রমে স্বাভাবিক দেশভিত্তিক বর্ণানুক্রমিক পতাকার সারির শুরুতে ও শেষে ভারতের পতাকা রাখা যায়। যদি আবদ্ধ বৃত্তে একাধিক জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী করতে হয়, তবে বৃত্তটি ভারতের পতাকা দিয়ে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে শুরু করতে হয়; অন্যান্য পতাকা ভারতীয় পতাকার পরে থাকবে এবং শেষ পতাকাটি ভারতীয় পতাকার শেষে থাকে। ভারতের জাতীয় পতাকা সর্বাগ্রে উত্তোলিত ও সর্বশেষে অবনমিত হয়। পরস্পর আড়াআড়িভাবে অন্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রদর্শিত হওয়ার সময় ভারতের জাতীয় পতাকা সম্মুখভাগে ও অন্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) স্থাপিত হয়। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের পতাকার ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকার উভয় দিকেই রাখা যায়। সাধারণভাবে সম্মুখ অভিমুখে সর্ব দক্ষিণে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। কর্পোরেট পতাকা বা বিজ্ঞাপন ব্যানার জাতীয় অন্যান্য পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত করতে হলে, পতাকাবিধি অনুযায়ী, পতাকাগুলিকে পৃথক পৃথক দণ্ডে স্থাপন করার নিয়ম আছে; ভারতের জাতীয় পতাকা সে ক্ষেত্রে এগুলির মধ্যস্থলে অথবা দর্শকের দৃষ্টি থেকে সর্ববামে অথবা পতাকামণ্ডলীতে অন্য পতাকার তুলনায় অন্তত এক পতাকা-প্রস্থ উচ্চতায় প্রদর্শিত হয়।
কোন সময় জাতীয় পতাকা অবতরণ করা হয় ?
{ "text": [ "সূর্যাস্তের সময়" ], "answer_start": [ 2515 ] }
1686
null
২০০২ সালের পূর্বাবধি ভারতের সাধারণ নাগরিকবৃন্দ জাতীয় ছুটির দিনগুলি ছাড়া অন্য সময়ে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী ছিলেন না। শিল্পপতি নবীন জিন্দাল পতাকাবিধি ভঙ্গ করে তার কার্যালয় ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন করলে পতাকাটি বাজেয়াপ্ত হয় এবং তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে এই ধরনের বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জিন্দাল দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার বক্তব্য ছিল, পূর্ণ মর্যাদা ও যথাযথ ব্যবহারবিধি অনুসরণ করে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন তার নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে; কারণ এটি দেশের প্রতি তার ভালবাসা ব্যক্ত করার একটি উপায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের হস্তান্তরিত হলে সর্বোচ্চ আদালত ভারত সরকারকে এই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি স্থাপনের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট জাতীয় পতাকাবিধি সংস্কার করেন এবং ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংশোধিত বিধি চালু হয়। এই নতুন পতাকাবিধি অনুযায়ী মর্যাদা, গৌরব ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে যে কোনো নাগরিক বছরের যে কোনো দিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন। অন্যদিকে ভারতীয় সংঘ বনাম যশোবন্ত শর্মা মামলায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকাবিধি বিধিবদ্ধ আইন না হলেও এই বিধির বিধিনিষেধগুলি জাতীয় পতাকার গৌরবরক্ষার্থে অবশ্য পালনীয়। জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকার পরম অধিকার নয়; এটি অর্জিত অধিকার এবং সংবিধানের ৫১ ক ধারা অনুযায়ী এটি মান্য করা উচিত। ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা "মর্যাদা, আনুগত্য ও সম্মান" ("dignity, loyalty and respect") সহকারে হওয়া উচিত। "প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০" ("The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950") অনুসারে জারি করা "ভারতীয় পতাকা বিধি – ২০০২" ("Flag Code of India – 2002") পতাকার প্রদর্শনী ও ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারি বিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকা কখনই মাটি বা জল স্পর্শ করবে না; এটিকে টেবিলক্লথ হিসেবে বা কোনো প্লাটফর্মের সম্মুখে আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না; জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আবরিত করা যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, উর্দি বা সাজপোষাক হিসেবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা উর্দি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেন। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এছাড়াও বালিশের কভার বা গলায় বাঁধার রুমালে জাতীয় পতাকা বা অন্য কোনো প্রতীকচিহ্ন অঙ্কণ করা নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে উলটো অবস্থায় পতাকা উত্তোলন, কোনো তরলে ডোবানো বা উত্তোলনের আগে ফুলের পাপড়ি ছাড়া অন্য কিছু তাতে বাঁধা বা পতাকাগাত্রে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ। জাতীয় পতাকার ব্যবহার ও প্রদর্শনী সংক্রান্ত একাধিক প্রথা অনুসৃত হয়ে থাকে। বহির্দ্বারে আবহাওয়া ব্যতিরেকে সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সূর্যাস্তের সময় তা নামিয়ে ফেলা হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। জাতীয় পতাকা কখনই উলটো অবস্থায় বর্ণনা করা, প্রদর্শিত করা, বা উত্তোলন করা অনুচিত। প্রথা অনুসারে পতাকাটিকে ৯০ ডিগ্রির বেশি আবর্তিত করা যায় না। কোনো ব্যক্তি যেন পতাকাকে উপর থেকে নিচে ও বাঁদিক থেকে ডান দিকে বইয়ের পাতার মতো "পড়তে" পারেন এবং আবর্তিত হওয়ার পরও যেন এই বৈশিষ্ট্যের ব্যতয় না হয়। ছেঁড়া বা নোংরা অবস্থায় পতাকার প্রদর্শনী অপমানজনক। পতাকাদণ্ড বা উত্তোলন রজ্জুর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; এগুলিকেও যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হয়। কোনো পোডিয়ামের পশ্চাত-দেওয়ালে দুটি পরস্পর অভিমুখী পতাকাদণ্ডে গেরুয়া ডোরাটি উপরে রেখে আনুভূমিকভাবে পতাকাদুটিকে পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। ক্ষুদ্রাকার পতাকাদণ্ডে পতাকা প্রদর্শিত করলে দণ্ডটিকে দেওয়ালে কৌণিকভাবে স্থাপন করে তাকে রুচিসম্মতভাবে ঝোলাতে হবে। পরস্পর আড়াআড়ি দুটি পতাকাদণ্ডের উপর দুটি জাতীয় পতাকা একত্রে প্রদর্শিত হলে দণ্ডদুটির অভিমুখ পরস্পরের দিকে রাখতে হবে এবং পতাকাদুটি পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হবে। জাতীয় পতাকা টেবিল, লেকটার্ন, পোডিয়াম বা ভবনের আচ্ছাদনরূপে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি প্রদর্শনীর খাতিরে রেলিং-এ ঝোলানোও নিষিদ্ধ। বহির্দ্বারে অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত হওয়ার সময় পতাকা উড্ডয়নের একাধিক রীতি অনুসৃত হয়। বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয় পতাকার সম্মানের প্রতি। এর অর্থ লাতিন বর্ণমালা অনুযায়ী বর্ণানুক্রমে যখন একাধিক দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় তখন অন্যান্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) রাখা হয় জাতীয় পতাকাকে। সকল পতাকা যেন সম আকারের এবং কোনো পতাকা যেন ভারতীয় পতাকার চেয়ে বড় না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা হয়। প্রত্যেক দেশের পতাকা পৃথক পৃথক পতাকাদণ্ডে থাকে। একই দণ্ডে একটি পতাকার তলায় অন্য একটি পতাকার প্রদর্শনী নিষিদ্ধ। অনুমতিক্রমে স্বাভাবিক দেশভিত্তিক বর্ণানুক্রমিক পতাকার সারির শুরুতে ও শেষে ভারতের পতাকা রাখা যায়। যদি আবদ্ধ বৃত্তে একাধিক জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী করতে হয়, তবে বৃত্তটি ভারতের পতাকা দিয়ে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে শুরু করতে হয়; অন্যান্য পতাকা ভারতীয় পতাকার পরে থাকবে এবং শেষ পতাকাটি ভারতীয় পতাকার শেষে থাকে। ভারতের জাতীয় পতাকা সর্বাগ্রে উত্তোলিত ও সর্বশেষে অবনমিত হয়। পরস্পর আড়াআড়িভাবে অন্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রদর্শিত হওয়ার সময় ভারতের জাতীয় পতাকা সম্মুখভাগে ও অন্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) স্থাপিত হয়। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের পতাকার ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকার উভয় দিকেই রাখা যায়। সাধারণভাবে সম্মুখ অভিমুখে সর্ব দক্ষিণে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের রীতি আছে। কর্পোরেট পতাকা বা বিজ্ঞাপন ব্যানার জাতীয় অন্যান্য পতাকার সঙ্গে একযোগে প্রদর্শিত করতে হলে, পতাকাবিধি অনুযায়ী, পতাকাগুলিকে পৃথক পৃথক দণ্ডে স্থাপন করার নিয়ম আছে; ভারতের জাতীয় পতাকা সে ক্ষেত্রে এগুলির মধ্যস্থলে অথবা দর্শকের দৃষ্টি থেকে সর্ববামে অথবা পতাকামণ্ডলীতে অন্য পতাকার তুলনায় অন্তত এক পতাকা-প্রস্থ উচ্চতায় প্রদর্শিত হয়।
যদি সব পতাকা একই ফ্ল্যাগ পোলে প্রদর্শিত হয় তাহলে ভারতীয় পতাকা কোথায় থাকবে ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1687
null
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিষ্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মুঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ হয় জাহাঙ্গীর নগর। বাংলায় ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়। তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয়; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরিতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়। পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে।
মুঘল দের হাতে আসার পর বাংলাদেশের রাজধানী কোথায় স্থাপিত হয়েছিল?
{ "text": [ "ঢাকায়" ], "answer_start": [ 1180 ] }
1688
null
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিষ্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মুঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ হয় জাহাঙ্গীর নগর। বাংলায় ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়। তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয়; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরিতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়। পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে।
কত সালে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ?
{ "text": [ "১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে" ], "answer_start": [ 2560 ] }
1689
null
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিষ্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মুঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ হয় জাহাঙ্গীর নগর। বাংলায় ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়। তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয়; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরিতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়। পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে।
১২০৫-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজা লক্ষ্মণ সেনকে কে পরাজিত করে সেন বংশের অবসান ঘটায়?
{ "text": [ "ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার" ], "answer_start": [ 930 ] }
1690
null
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিষ্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মুঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ হয় জাহাঙ্গীর নগর। বাংলায় ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়। তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয়; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরিতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়। পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে।
পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান, মুজিবকে কোন তারিখে গ্রেপ্তার করেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1691
null
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিষ্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মুঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ হয় জাহাঙ্গীর নগর। বাংলায় ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়। তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয়; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরিতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়। পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে।
1970 সালে তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1692
null
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিষ্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মুঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ হয় জাহাঙ্গীর নগর। বাংলায় ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়। তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয়; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরিতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়। পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে।
বাংলার শাসন ব্যাবস্থা কবে মুঘল দের হাতে এসেছিল?
{ "text": [ "ষোড়শ শতকে" ], "answer_start": [ 1062 ] }
1693
null
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিষ্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মুঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ হয় জাহাঙ্গীর নগর। বাংলায় ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়। তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয়; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরিতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়। পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে।
প্রত্নতাত্বিক প্রমানের ভিত্তিতে বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি কত বছর আগে গড়ে উঠেছিলো?
{ "text": [ "প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে" ], "answer_start": [ 115 ] }
1694
null
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিষ্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মুঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ হয় জাহাঙ্গীর নগর। বাংলায় ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়। তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয়; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরিতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়। পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে।
দ্বাদশ শতকে বাংলায় কারা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন করেন?
{ "text": [ "সুফি ধর্মপ্রচারকদের" ], "answer_start": [ 744 ] }
1695
null
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে তাদের প্রধান হাতিয়ার করে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই মোদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য প্রধামনন্ত্রী মনমোহন সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০০৬ মুম্বই বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের অনুমতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান। এই সময় তিনি ২০০১ ভারতীয় সংসদ আক্রমণের প্রধান অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদন্ডের বার বার দাবী জানাতে থাকেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বএ মুম্বই শহরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিরিখে মোদী গুজরাটের ১,৬০০ কিমি (৯৯০ মা) লম্বা সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোদী মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ২,০৬৩ দিন থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদের রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২২টি আসন দখল করে জয়ী হন এবং মোদী তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদ লাভ করেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদী ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের ব্যাপারে নজর দেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ১১৩,৭৩৮টি ছোট বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৬০টি তহসিলে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এরফলে গুজরাটে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। তুলা চাষের বৃদ্ধি এবং শুষ্ক মৃত্তিকাকে চাষের উপযোগী করে তোলায় গুজরাটের কৃষির বৃদ্ধির হার ২০০৭ সালের মধ্যে ৯.৬% এবং ২০১০ সালের মধ্যে বার্ষিক কৃষির বৃদ্ধির হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০.৯৭% হয়ে যায়। এই সময়কালে মোদী সরকার গুজরাটের সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে সক্ষম হন। মোদি বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃষকদের অনেকটাই প্রাধান্য দেন। রাজ্যে জ্যোতি গ্রাম যোজনা নামক প্রকল্পের ব্যাপক প্রয়োগ হয়, এই প্রকল্প অনুসারে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে কৃষি বিদ্যুৎ সংযোগগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের খরচ কমাতে চাষের চাহিদা অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সরবরাহের নীতি প্রচলিত হয়। প্রথম দিকে চাষীরা প্রতিবাদ করলেও নতুন নিয়মে বিদ্যুতের সরবরাহের ফলে লাভের মুখ দেখলে সেই প্রতিবাদ স্তিমিত হয়ে পড়ে। একতি সমীক্ষায় দেখা যায়, সমবায় খামার ও বৃহৎ চাষীরা এই প্রকল্পে লাভবান হলেও ক্ষুদ্র চাষী ও কৃষিমজুরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোদীর তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক-সিটি প্রকল্পে অগ্রগতি ঘটে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে গিফট-১ ও গিফট-২ নামক দুইটি উচ্চ অট্টালিকার নির্মাণ সম্পন্ন হয়। মোদীর সরকার ভাইব্র্যান্ট গুজরাট স্লোগানের মাধ্যমে গুজরাটকে একটি চলমান উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও সমালোচকরা গুজরাট মানবোন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার দিকে আঙুল তুলেছেন। এই রাজ্য দারিদ্র্যে দেশের মধ্যে ত্রয়োদশ, শিক্ষায় একুশতম, পাঁচ বছরের নীভে ৪৪.৭% শিশু গড় ওজনের থেকে কম ওজনবিশিষ্ট এবং ২৩% অপুষ্টির শিকার। এর বিপরীতে গুজরাট রাজ্য সরকার দাবী করে যে এই রাজ্যে মহিলা শিক্ষার হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি, স্কুলছুট ছাত্রের হার ২০০১ সালের হিসেব অনুযায়ী ২০% থেকে কমে ২০১১ সালের মধ্যে ২% হারে নেমে এসেছে, মাতৃমৃত্যুর হার ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩২% কমেছে। রাষ্ট্রবৈজ্ঞানিক ক্রিষ্টোফ জেফারলটের মতে গুজরাটের উন্নয়ন শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ, অপরদিকে গ্রামীণ ও নিম্নবর্গের মানুষেরা আরো বেশি করে পিছিয়ে পড়েছেন। তার মতে মোদীর শাসনকালে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মোদী প্রশাসনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন, যদিও অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পনগরিয়া এবং জগদীশ ভগবতী মত প্রকাশ করেন যে গুজরাটের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সামাজিক সূচকগুলি দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে২০১১ সালের শেষের দিকে মোদী গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকটে পৌছুতে সদ্ভাবনা মিশনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার উপবাস অনশন করেন। এই অনশন গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার জন্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমেদাবাদ শহরে তিন দিনের অনশন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়, যার পর তিনি ছাব্বিশটি জেলা ও আটটি শহরে ছত্রিশ বার অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, তবুও এই কর্মসূচী মুসলিম সম্প্রদায় ভালো ভাবে নিতে পারেননি। সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ নামক এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক এক সভায় মোদীকে মুসলিমদের টুপি দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গোধরা শহরে অনশনের সময় মোদী বিরোধী এক মোর্চা সংগঠিত করার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই কর্মসূচী একটি জনমোহিনী কর্মসূচী হিসেবে অনেকের নিকট সমালোচিত হলেও মোদী নিজে তা অস্বীকার করেন। ২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদী মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮৬,৩৭৩ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২১শে মে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনন্দীবেন পটেলকে বেছে নেওয়া হয়।
২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কটি আসন জিতেছে ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1696
null
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে তাদের প্রধান হাতিয়ার করে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই মোদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য প্রধামনন্ত্রী মনমোহন সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০০৬ মুম্বই বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের অনুমতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান। এই সময় তিনি ২০০১ ভারতীয় সংসদ আক্রমণের প্রধান অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদন্ডের বার বার দাবী জানাতে থাকেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বএ মুম্বই শহরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিরিখে মোদী গুজরাটের ১,৬০০ কিমি (৯৯০ মা) লম্বা সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোদী মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ২,০৬৩ দিন থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদের রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২২টি আসন দখল করে জয়ী হন এবং মোদী তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদ লাভ করেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদী ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের ব্যাপারে নজর দেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ১১৩,৭৩৮টি ছোট বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৬০টি তহসিলে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এরফলে গুজরাটে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। তুলা চাষের বৃদ্ধি এবং শুষ্ক মৃত্তিকাকে চাষের উপযোগী করে তোলায় গুজরাটের কৃষির বৃদ্ধির হার ২০০৭ সালের মধ্যে ৯.৬% এবং ২০১০ সালের মধ্যে বার্ষিক কৃষির বৃদ্ধির হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০.৯৭% হয়ে যায়। এই সময়কালে মোদী সরকার গুজরাটের সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে সক্ষম হন। মোদি বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃষকদের অনেকটাই প্রাধান্য দেন। রাজ্যে জ্যোতি গ্রাম যোজনা নামক প্রকল্পের ব্যাপক প্রয়োগ হয়, এই প্রকল্প অনুসারে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে কৃষি বিদ্যুৎ সংযোগগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের খরচ কমাতে চাষের চাহিদা অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সরবরাহের নীতি প্রচলিত হয়। প্রথম দিকে চাষীরা প্রতিবাদ করলেও নতুন নিয়মে বিদ্যুতের সরবরাহের ফলে লাভের মুখ দেখলে সেই প্রতিবাদ স্তিমিত হয়ে পড়ে। একতি সমীক্ষায় দেখা যায়, সমবায় খামার ও বৃহৎ চাষীরা এই প্রকল্পে লাভবান হলেও ক্ষুদ্র চাষী ও কৃষিমজুরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোদীর তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক-সিটি প্রকল্পে অগ্রগতি ঘটে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে গিফট-১ ও গিফট-২ নামক দুইটি উচ্চ অট্টালিকার নির্মাণ সম্পন্ন হয়। মোদীর সরকার ভাইব্র্যান্ট গুজরাট স্লোগানের মাধ্যমে গুজরাটকে একটি চলমান উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও সমালোচকরা গুজরাট মানবোন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার দিকে আঙুল তুলেছেন। এই রাজ্য দারিদ্র্যে দেশের মধ্যে ত্রয়োদশ, শিক্ষায় একুশতম, পাঁচ বছরের নীভে ৪৪.৭% শিশু গড় ওজনের থেকে কম ওজনবিশিষ্ট এবং ২৩% অপুষ্টির শিকার। এর বিপরীতে গুজরাট রাজ্য সরকার দাবী করে যে এই রাজ্যে মহিলা শিক্ষার হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি, স্কুলছুট ছাত্রের হার ২০০১ সালের হিসেব অনুযায়ী ২০% থেকে কমে ২০১১ সালের মধ্যে ২% হারে নেমে এসেছে, মাতৃমৃত্যুর হার ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩২% কমেছে। রাষ্ট্রবৈজ্ঞানিক ক্রিষ্টোফ জেফারলটের মতে গুজরাটের উন্নয়ন শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ, অপরদিকে গ্রামীণ ও নিম্নবর্গের মানুষেরা আরো বেশি করে পিছিয়ে পড়েছেন। তার মতে মোদীর শাসনকালে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মোদী প্রশাসনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন, যদিও অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পনগরিয়া এবং জগদীশ ভগবতী মত প্রকাশ করেন যে গুজরাটের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সামাজিক সূচকগুলি দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে২০১১ সালের শেষের দিকে মোদী গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকটে পৌছুতে সদ্ভাবনা মিশনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার উপবাস অনশন করেন। এই অনশন গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার জন্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমেদাবাদ শহরে তিন দিনের অনশন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়, যার পর তিনি ছাব্বিশটি জেলা ও আটটি শহরে ছত্রিশ বার অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, তবুও এই কর্মসূচী মুসলিম সম্প্রদায় ভালো ভাবে নিতে পারেননি। সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ নামক এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক এক সভায় মোদীকে মুসলিমদের টুপি দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গোধরা শহরে অনশনের সময় মোদী বিরোধী এক মোর্চা সংগঠিত করার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই কর্মসূচী একটি জনমোহিনী কর্মসূচী হিসেবে অনেকের নিকট সমালোচিত হলেও মোদী নিজে তা অস্বীকার করেন। ২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদী মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮৬,৩৭৩ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২১শে মে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনন্দীবেন পটেলকে বেছে নেওয়া হয়।
২০০৭ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধান অস্ত্র কি ছিল ?
{ "text": [ "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে" ], "answer_start": [ 87 ] }
1697
null
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে তাদের প্রধান হাতিয়ার করে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই মোদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য প্রধামনন্ত্রী মনমোহন সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০০৬ মুম্বই বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের অনুমতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান। এই সময় তিনি ২০০১ ভারতীয় সংসদ আক্রমণের প্রধান অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদন্ডের বার বার দাবী জানাতে থাকেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বএ মুম্বই শহরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিরিখে মোদী গুজরাটের ১,৬০০ কিমি (৯৯০ মা) লম্বা সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোদী মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ২,০৬৩ দিন থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদের রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২২টি আসন দখল করে জয়ী হন এবং মোদী তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদ লাভ করেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদী ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের ব্যাপারে নজর দেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ১১৩,৭৩৮টি ছোট বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৬০টি তহসিলে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এরফলে গুজরাটে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। তুলা চাষের বৃদ্ধি এবং শুষ্ক মৃত্তিকাকে চাষের উপযোগী করে তোলায় গুজরাটের কৃষির বৃদ্ধির হার ২০০৭ সালের মধ্যে ৯.৬% এবং ২০১০ সালের মধ্যে বার্ষিক কৃষির বৃদ্ধির হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০.৯৭% হয়ে যায়। এই সময়কালে মোদী সরকার গুজরাটের সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে সক্ষম হন। মোদি বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃষকদের অনেকটাই প্রাধান্য দেন। রাজ্যে জ্যোতি গ্রাম যোজনা নামক প্রকল্পের ব্যাপক প্রয়োগ হয়, এই প্রকল্প অনুসারে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে কৃষি বিদ্যুৎ সংযোগগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের খরচ কমাতে চাষের চাহিদা অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সরবরাহের নীতি প্রচলিত হয়। প্রথম দিকে চাষীরা প্রতিবাদ করলেও নতুন নিয়মে বিদ্যুতের সরবরাহের ফলে লাভের মুখ দেখলে সেই প্রতিবাদ স্তিমিত হয়ে পড়ে। একতি সমীক্ষায় দেখা যায়, সমবায় খামার ও বৃহৎ চাষীরা এই প্রকল্পে লাভবান হলেও ক্ষুদ্র চাষী ও কৃষিমজুরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোদীর তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক-সিটি প্রকল্পে অগ্রগতি ঘটে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে গিফট-১ ও গিফট-২ নামক দুইটি উচ্চ অট্টালিকার নির্মাণ সম্পন্ন হয়। মোদীর সরকার ভাইব্র্যান্ট গুজরাট স্লোগানের মাধ্যমে গুজরাটকে একটি চলমান উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও সমালোচকরা গুজরাট মানবোন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার দিকে আঙুল তুলেছেন। এই রাজ্য দারিদ্র্যে দেশের মধ্যে ত্রয়োদশ, শিক্ষায় একুশতম, পাঁচ বছরের নীভে ৪৪.৭% শিশু গড় ওজনের থেকে কম ওজনবিশিষ্ট এবং ২৩% অপুষ্টির শিকার। এর বিপরীতে গুজরাট রাজ্য সরকার দাবী করে যে এই রাজ্যে মহিলা শিক্ষার হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি, স্কুলছুট ছাত্রের হার ২০০১ সালের হিসেব অনুযায়ী ২০% থেকে কমে ২০১১ সালের মধ্যে ২% হারে নেমে এসেছে, মাতৃমৃত্যুর হার ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩২% কমেছে। রাষ্ট্রবৈজ্ঞানিক ক্রিষ্টোফ জেফারলটের মতে গুজরাটের উন্নয়ন শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ, অপরদিকে গ্রামীণ ও নিম্নবর্গের মানুষেরা আরো বেশি করে পিছিয়ে পড়েছেন। তার মতে মোদীর শাসনকালে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মোদী প্রশাসনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন, যদিও অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পনগরিয়া এবং জগদীশ ভগবতী মত প্রকাশ করেন যে গুজরাটের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সামাজিক সূচকগুলি দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে২০১১ সালের শেষের দিকে মোদী গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকটে পৌছুতে সদ্ভাবনা মিশনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার উপবাস অনশন করেন। এই অনশন গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার জন্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমেদাবাদ শহরে তিন দিনের অনশন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়, যার পর তিনি ছাব্বিশটি জেলা ও আটটি শহরে ছত্রিশ বার অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, তবুও এই কর্মসূচী মুসলিম সম্প্রদায় ভালো ভাবে নিতে পারেননি। সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ নামক এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক এক সভায় মোদীকে মুসলিমদের টুপি দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গোধরা শহরে অনশনের সময় মোদী বিরোধী এক মোর্চা সংগঠিত করার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই কর্মসূচী একটি জনমোহিনী কর্মসূচী হিসেবে অনেকের নিকট সমালোচিত হলেও মোদী নিজে তা অস্বীকার করেন। ২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদী মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮৬,৩৭৩ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২১শে মে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনন্দীবেন পটেলকে বেছে নেওয়া হয়।
২০১২ সালে গুজরাটে কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1698
null
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে তাদের প্রধান হাতিয়ার করে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই মোদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য প্রধামনন্ত্রী মনমোহন সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০০৬ মুম্বই বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের অনুমতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান। এই সময় তিনি ২০০১ ভারতীয় সংসদ আক্রমণের প্রধান অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদন্ডের বার বার দাবী জানাতে থাকেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বএ মুম্বই শহরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিরিখে মোদী গুজরাটের ১,৬০০ কিমি (৯৯০ মা) লম্বা সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোদী মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ২,০৬৩ দিন থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদের রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২২টি আসন দখল করে জয়ী হন এবং মোদী তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদ লাভ করেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদী ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের ব্যাপারে নজর দেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ১১৩,৭৩৮টি ছোট বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৬০টি তহসিলে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এরফলে গুজরাটে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। তুলা চাষের বৃদ্ধি এবং শুষ্ক মৃত্তিকাকে চাষের উপযোগী করে তোলায় গুজরাটের কৃষির বৃদ্ধির হার ২০০৭ সালের মধ্যে ৯.৬% এবং ২০১০ সালের মধ্যে বার্ষিক কৃষির বৃদ্ধির হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০.৯৭% হয়ে যায়। এই সময়কালে মোদী সরকার গুজরাটের সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে সক্ষম হন। মোদি বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃষকদের অনেকটাই প্রাধান্য দেন। রাজ্যে জ্যোতি গ্রাম যোজনা নামক প্রকল্পের ব্যাপক প্রয়োগ হয়, এই প্রকল্প অনুসারে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে কৃষি বিদ্যুৎ সংযোগগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের খরচ কমাতে চাষের চাহিদা অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সরবরাহের নীতি প্রচলিত হয়। প্রথম দিকে চাষীরা প্রতিবাদ করলেও নতুন নিয়মে বিদ্যুতের সরবরাহের ফলে লাভের মুখ দেখলে সেই প্রতিবাদ স্তিমিত হয়ে পড়ে। একতি সমীক্ষায় দেখা যায়, সমবায় খামার ও বৃহৎ চাষীরা এই প্রকল্পে লাভবান হলেও ক্ষুদ্র চাষী ও কৃষিমজুরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোদীর তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক-সিটি প্রকল্পে অগ্রগতি ঘটে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে গিফট-১ ও গিফট-২ নামক দুইটি উচ্চ অট্টালিকার নির্মাণ সম্পন্ন হয়। মোদীর সরকার ভাইব্র্যান্ট গুজরাট স্লোগানের মাধ্যমে গুজরাটকে একটি চলমান উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও সমালোচকরা গুজরাট মানবোন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার দিকে আঙুল তুলেছেন। এই রাজ্য দারিদ্র্যে দেশের মধ্যে ত্রয়োদশ, শিক্ষায় একুশতম, পাঁচ বছরের নীভে ৪৪.৭% শিশু গড় ওজনের থেকে কম ওজনবিশিষ্ট এবং ২৩% অপুষ্টির শিকার। এর বিপরীতে গুজরাট রাজ্য সরকার দাবী করে যে এই রাজ্যে মহিলা শিক্ষার হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি, স্কুলছুট ছাত্রের হার ২০০১ সালের হিসেব অনুযায়ী ২০% থেকে কমে ২০১১ সালের মধ্যে ২% হারে নেমে এসেছে, মাতৃমৃত্যুর হার ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩২% কমেছে। রাষ্ট্রবৈজ্ঞানিক ক্রিষ্টোফ জেফারলটের মতে গুজরাটের উন্নয়ন শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ, অপরদিকে গ্রামীণ ও নিম্নবর্গের মানুষেরা আরো বেশি করে পিছিয়ে পড়েছেন। তার মতে মোদীর শাসনকালে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মোদী প্রশাসনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন, যদিও অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পনগরিয়া এবং জগদীশ ভগবতী মত প্রকাশ করেন যে গুজরাটের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সামাজিক সূচকগুলি দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে২০১১ সালের শেষের দিকে মোদী গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকটে পৌছুতে সদ্ভাবনা মিশনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার উপবাস অনশন করেন। এই অনশন গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার জন্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমেদাবাদ শহরে তিন দিনের অনশন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়, যার পর তিনি ছাব্বিশটি জেলা ও আটটি শহরে ছত্রিশ বার অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, তবুও এই কর্মসূচী মুসলিম সম্প্রদায় ভালো ভাবে নিতে পারেননি। সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ নামক এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক এক সভায় মোদীকে মুসলিমদের টুপি দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গোধরা শহরে অনশনের সময় মোদী বিরোধী এক মোর্চা সংগঠিত করার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই কর্মসূচী একটি জনমোহিনী কর্মসূচী হিসেবে অনেকের নিকট সমালোচিত হলেও মোদী নিজে তা অস্বীকার করেন। ২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদী মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮৬,৩৭৩ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২১শে মে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনন্দীবেন পটেলকে বেছে নেওয়া হয়।
আফজল গুরু কোন অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন ?
{ "text": [ "ভারতীয় সংসদ আক্রমণের" ], "answer_start": [ 455 ] }
1699
null
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে তাদের প্রধান হাতিয়ার করে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই মোদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য প্রধামনন্ত্রী মনমোহন সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০০৬ মুম্বই বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের অনুমতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান। এই সময় তিনি ২০০১ ভারতীয় সংসদ আক্রমণের প্রধান অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদন্ডের বার বার দাবী জানাতে থাকেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বএ মুম্বই শহরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিরিখে মোদী গুজরাটের ১,৬০০ কিমি (৯৯০ মা) লম্বা সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোদী মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ২,০৬৩ দিন থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদের রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২২টি আসন দখল করে জয়ী হন এবং মোদী তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদ লাভ করেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদী ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের ব্যাপারে নজর দেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ১১৩,৭৩৮টি ছোট বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৬০টি তহসিলে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এরফলে গুজরাটে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। তুলা চাষের বৃদ্ধি এবং শুষ্ক মৃত্তিকাকে চাষের উপযোগী করে তোলায় গুজরাটের কৃষির বৃদ্ধির হার ২০০৭ সালের মধ্যে ৯.৬% এবং ২০১০ সালের মধ্যে বার্ষিক কৃষির বৃদ্ধির হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০.৯৭% হয়ে যায়। এই সময়কালে মোদী সরকার গুজরাটের সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে সক্ষম হন। মোদি বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃষকদের অনেকটাই প্রাধান্য দেন। রাজ্যে জ্যোতি গ্রাম যোজনা নামক প্রকল্পের ব্যাপক প্রয়োগ হয়, এই প্রকল্প অনুসারে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে কৃষি বিদ্যুৎ সংযোগগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের খরচ কমাতে চাষের চাহিদা অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সরবরাহের নীতি প্রচলিত হয়। প্রথম দিকে চাষীরা প্রতিবাদ করলেও নতুন নিয়মে বিদ্যুতের সরবরাহের ফলে লাভের মুখ দেখলে সেই প্রতিবাদ স্তিমিত হয়ে পড়ে। একতি সমীক্ষায় দেখা যায়, সমবায় খামার ও বৃহৎ চাষীরা এই প্রকল্পে লাভবান হলেও ক্ষুদ্র চাষী ও কৃষিমজুরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোদীর তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক-সিটি প্রকল্পে অগ্রগতি ঘটে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে গিফট-১ ও গিফট-২ নামক দুইটি উচ্চ অট্টালিকার নির্মাণ সম্পন্ন হয়। মোদীর সরকার ভাইব্র্যান্ট গুজরাট স্লোগানের মাধ্যমে গুজরাটকে একটি চলমান উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও সমালোচকরা গুজরাট মানবোন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার দিকে আঙুল তুলেছেন। এই রাজ্য দারিদ্র্যে দেশের মধ্যে ত্রয়োদশ, শিক্ষায় একুশতম, পাঁচ বছরের নীভে ৪৪.৭% শিশু গড় ওজনের থেকে কম ওজনবিশিষ্ট এবং ২৩% অপুষ্টির শিকার। এর বিপরীতে গুজরাট রাজ্য সরকার দাবী করে যে এই রাজ্যে মহিলা শিক্ষার হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি, স্কুলছুট ছাত্রের হার ২০০১ সালের হিসেব অনুযায়ী ২০% থেকে কমে ২০১১ সালের মধ্যে ২% হারে নেমে এসেছে, মাতৃমৃত্যুর হার ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩২% কমেছে। রাষ্ট্রবৈজ্ঞানিক ক্রিষ্টোফ জেফারলটের মতে গুজরাটের উন্নয়ন শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ, অপরদিকে গ্রামীণ ও নিম্নবর্গের মানুষেরা আরো বেশি করে পিছিয়ে পড়েছেন। তার মতে মোদীর শাসনকালে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মোদী প্রশাসনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন, যদিও অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পনগরিয়া এবং জগদীশ ভগবতী মত প্রকাশ করেন যে গুজরাটের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সামাজিক সূচকগুলি দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে২০১১ সালের শেষের দিকে মোদী গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকটে পৌছুতে সদ্ভাবনা মিশনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার উপবাস অনশন করেন। এই অনশন গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার জন্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমেদাবাদ শহরে তিন দিনের অনশন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়, যার পর তিনি ছাব্বিশটি জেলা ও আটটি শহরে ছত্রিশ বার অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, তবুও এই কর্মসূচী মুসলিম সম্প্রদায় ভালো ভাবে নিতে পারেননি। সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ নামক এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক এক সভায় মোদীকে মুসলিমদের টুপি দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গোধরা শহরে অনশনের সময় মোদী বিরোধী এক মোর্চা সংগঠিত করার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই কর্মসূচী একটি জনমোহিনী কর্মসূচী হিসেবে অনেকের নিকট সমালোচিত হলেও মোদী নিজে তা অস্বীকার করেন। ২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদী মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮৬,৩৭৩ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২১শে মে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনন্দীবেন পটেলকে বেছে নেওয়া হয়।
২০০৭ সালে গুজরাট বিধানসভায় বিজেপি কতগুলি আসন লাভ করে ?
{ "text": [ "১২২টি" ], "answer_start": [ 906 ] }
1700
null
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে তাদের প্রধান হাতিয়ার করে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই মোদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য প্রধামনন্ত্রী মনমোহন সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০০৬ মুম্বই বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের অনুমতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান। এই সময় তিনি ২০০১ ভারতীয় সংসদ আক্রমণের প্রধান অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদন্ডের বার বার দাবী জানাতে থাকেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বএ মুম্বই শহরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিরিখে মোদী গুজরাটের ১,৬০০ কিমি (৯৯০ মা) লম্বা সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোদী মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ২,০৬৩ দিন থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদের রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২২টি আসন দখল করে জয়ী হন এবং মোদী তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদ লাভ করেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদী ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের ব্যাপারে নজর দেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ১১৩,৭৩৮টি ছোট বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৬০টি তহসিলে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এরফলে গুজরাটে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। তুলা চাষের বৃদ্ধি এবং শুষ্ক মৃত্তিকাকে চাষের উপযোগী করে তোলায় গুজরাটের কৃষির বৃদ্ধির হার ২০০৭ সালের মধ্যে ৯.৬% এবং ২০১০ সালের মধ্যে বার্ষিক কৃষির বৃদ্ধির হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০.৯৭% হয়ে যায়। এই সময়কালে মোদী সরকার গুজরাটের সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে সক্ষম হন। মোদি বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃষকদের অনেকটাই প্রাধান্য দেন। রাজ্যে জ্যোতি গ্রাম যোজনা নামক প্রকল্পের ব্যাপক প্রয়োগ হয়, এই প্রকল্প অনুসারে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে কৃষি বিদ্যুৎ সংযোগগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের খরচ কমাতে চাষের চাহিদা অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সরবরাহের নীতি প্রচলিত হয়। প্রথম দিকে চাষীরা প্রতিবাদ করলেও নতুন নিয়মে বিদ্যুতের সরবরাহের ফলে লাভের মুখ দেখলে সেই প্রতিবাদ স্তিমিত হয়ে পড়ে। একতি সমীক্ষায় দেখা যায়, সমবায় খামার ও বৃহৎ চাষীরা এই প্রকল্পে লাভবান হলেও ক্ষুদ্র চাষী ও কৃষিমজুরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোদীর তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক-সিটি প্রকল্পে অগ্রগতি ঘটে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে গিফট-১ ও গিফট-২ নামক দুইটি উচ্চ অট্টালিকার নির্মাণ সম্পন্ন হয়। মোদীর সরকার ভাইব্র্যান্ট গুজরাট স্লোগানের মাধ্যমে গুজরাটকে একটি চলমান উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও সমালোচকরা গুজরাট মানবোন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার দিকে আঙুল তুলেছেন। এই রাজ্য দারিদ্র্যে দেশের মধ্যে ত্রয়োদশ, শিক্ষায় একুশতম, পাঁচ বছরের নীভে ৪৪.৭% শিশু গড় ওজনের থেকে কম ওজনবিশিষ্ট এবং ২৩% অপুষ্টির শিকার। এর বিপরীতে গুজরাট রাজ্য সরকার দাবী করে যে এই রাজ্যে মহিলা শিক্ষার হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি, স্কুলছুট ছাত্রের হার ২০০১ সালের হিসেব অনুযায়ী ২০% থেকে কমে ২০১১ সালের মধ্যে ২% হারে নেমে এসেছে, মাতৃমৃত্যুর হার ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩২% কমেছে। রাষ্ট্রবৈজ্ঞানিক ক্রিষ্টোফ জেফারলটের মতে গুজরাটের উন্নয়ন শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ, অপরদিকে গ্রামীণ ও নিম্নবর্গের মানুষেরা আরো বেশি করে পিছিয়ে পড়েছেন। তার মতে মোদীর শাসনকালে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মোদী প্রশাসনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন, যদিও অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পনগরিয়া এবং জগদীশ ভগবতী মত প্রকাশ করেন যে গুজরাটের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সামাজিক সূচকগুলি দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে২০১১ সালের শেষের দিকে মোদী গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকটে পৌছুতে সদ্ভাবনা মিশনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার উপবাস অনশন করেন। এই অনশন গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার জন্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমেদাবাদ শহরে তিন দিনের অনশন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়, যার পর তিনি ছাব্বিশটি জেলা ও আটটি শহরে ছত্রিশ বার অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, তবুও এই কর্মসূচী মুসলিম সম্প্রদায় ভালো ভাবে নিতে পারেননি। সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ নামক এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক এক সভায় মোদীকে মুসলিমদের টুপি দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গোধরা শহরে অনশনের সময় মোদী বিরোধী এক মোর্চা সংগঠিত করার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই কর্মসূচী একটি জনমোহিনী কর্মসূচী হিসেবে অনেকের নিকট সমালোচিত হলেও মোদী নিজে তা অস্বীকার করেন। ২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদী মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮৬,৩৭৩ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২১শে মে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনন্দীবেন পটেলকে বেছে নেওয়া হয়।
২০০৮ সালে মুম্বই জঙ্গি হামলার নিরিখে মোদী কোথাকার নিরাপত্তার জন্যে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ?
{ "text": [ "সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা" ], "answer_start": [ 651 ] }
1701
null
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে তাদের প্রধান হাতিয়ার করে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই মোদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য প্রধামনন্ত্রী মনমোহন সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০০৬ মুম্বই বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের অনুমতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান। এই সময় তিনি ২০০১ ভারতীয় সংসদ আক্রমণের প্রধান অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদন্ডের বার বার দাবী জানাতে থাকেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বএ মুম্বই শহরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিরিখে মোদী গুজরাটের ১,৬০০ কিমি (৯৯০ মা) লম্বা সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোদী মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ২,০৬৩ দিন থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদের রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২২টি আসন দখল করে জয়ী হন এবং মোদী তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদ লাভ করেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদী ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের ব্যাপারে নজর দেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ১১৩,৭৩৮টি ছোট বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৬০টি তহসিলে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এরফলে গুজরাটে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। তুলা চাষের বৃদ্ধি এবং শুষ্ক মৃত্তিকাকে চাষের উপযোগী করে তোলায় গুজরাটের কৃষির বৃদ্ধির হার ২০০৭ সালের মধ্যে ৯.৬% এবং ২০১০ সালের মধ্যে বার্ষিক কৃষির বৃদ্ধির হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০.৯৭% হয়ে যায়। এই সময়কালে মোদী সরকার গুজরাটের সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে সক্ষম হন। মোদি বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃষকদের অনেকটাই প্রাধান্য দেন। রাজ্যে জ্যোতি গ্রাম যোজনা নামক প্রকল্পের ব্যাপক প্রয়োগ হয়, এই প্রকল্প অনুসারে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে কৃষি বিদ্যুৎ সংযোগগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের খরচ কমাতে চাষের চাহিদা অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সরবরাহের নীতি প্রচলিত হয়। প্রথম দিকে চাষীরা প্রতিবাদ করলেও নতুন নিয়মে বিদ্যুতের সরবরাহের ফলে লাভের মুখ দেখলে সেই প্রতিবাদ স্তিমিত হয়ে পড়ে। একতি সমীক্ষায় দেখা যায়, সমবায় খামার ও বৃহৎ চাষীরা এই প্রকল্পে লাভবান হলেও ক্ষুদ্র চাষী ও কৃষিমজুরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোদীর তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক-সিটি প্রকল্পে অগ্রগতি ঘটে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে গিফট-১ ও গিফট-২ নামক দুইটি উচ্চ অট্টালিকার নির্মাণ সম্পন্ন হয়। মোদীর সরকার ভাইব্র্যান্ট গুজরাট স্লোগানের মাধ্যমে গুজরাটকে একটি চলমান উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও সমালোচকরা গুজরাট মানবোন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার দিকে আঙুল তুলেছেন। এই রাজ্য দারিদ্র্যে দেশের মধ্যে ত্রয়োদশ, শিক্ষায় একুশতম, পাঁচ বছরের নীভে ৪৪.৭% শিশু গড় ওজনের থেকে কম ওজনবিশিষ্ট এবং ২৩% অপুষ্টির শিকার। এর বিপরীতে গুজরাট রাজ্য সরকার দাবী করে যে এই রাজ্যে মহিলা শিক্ষার হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি, স্কুলছুট ছাত্রের হার ২০০১ সালের হিসেব অনুযায়ী ২০% থেকে কমে ২০১১ সালের মধ্যে ২% হারে নেমে এসেছে, মাতৃমৃত্যুর হার ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩২% কমেছে। রাষ্ট্রবৈজ্ঞানিক ক্রিষ্টোফ জেফারলটের মতে গুজরাটের উন্নয়ন শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ, অপরদিকে গ্রামীণ ও নিম্নবর্গের মানুষেরা আরো বেশি করে পিছিয়ে পড়েছেন। তার মতে মোদীর শাসনকালে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মোদী প্রশাসনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন, যদিও অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পনগরিয়া এবং জগদীশ ভগবতী মত প্রকাশ করেন যে গুজরাটের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সামাজিক সূচকগুলি দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে২০১১ সালের শেষের দিকে মোদী গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকটে পৌছুতে সদ্ভাবনা মিশনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার উপবাস অনশন করেন। এই অনশন গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার জন্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমেদাবাদ শহরে তিন দিনের অনশন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়, যার পর তিনি ছাব্বিশটি জেলা ও আটটি শহরে ছত্রিশ বার অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, তবুও এই কর্মসূচী মুসলিম সম্প্রদায় ভালো ভাবে নিতে পারেননি। সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ নামক এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক এক সভায় মোদীকে মুসলিমদের টুপি দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গোধরা শহরে অনশনের সময় মোদী বিরোধী এক মোর্চা সংগঠিত করার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই কর্মসূচী একটি জনমোহিনী কর্মসূচী হিসেবে অনেকের নিকট সমালোচিত হলেও মোদী নিজে তা অস্বীকার করেন। ২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদী মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮৬,৩৭৩ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২১শে মে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনন্দীবেন পটেলকে বেছে নেওয়া হয়।
২০১০ সালে গুজরাটে বার্ষিক কৃষি বৃদ্ধির হার কত ছিল ?
{ "text": [ "১০.৯৭%" ], "answer_start": [ 1434 ] }
1702
null
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ। সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি। অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশি। ২০১১-এর আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০০.৩। জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী: যেখানে ০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশ। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৭১.৫ বছর। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি। বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিভিন্ন উপজাতি এবং বিহারী বংশোদ্ভূত। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা ও মারমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় বার্মা থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪ শতাংশ শহরে বাস করে; বাকি ৭৮.৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক গড়ে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৫শ মার্কিন ডলারের বেশি। আর্সেনিকজনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে, তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম ধর্মে (৮৬.৬ শতাংশ); এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১২.১ শতাংশ), বৌদ্ধ ধর্ম (০.৬ শতাংশ), খ্রিষ্ট ধর্ম (০.৪ শতাংশ), এবং অন্যান্য (০.৩ শতাংশ)। মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাদর্শী। ইসলাম হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ও দাপ্তরিক রাষ্ট্রধর্ম, যা হল মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশ। দেশটি অধিকাংশ বাঙালি মুসলিমের আবাসস্থল, যা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। অধিকাংশ বাংলাদেশি মুসলিম হল সুন্নি, এরপর রয়েছে শিয়া ও আহমাদিয়া। এর প্রায় চার শতাংশ হল উপাধিবিহীন মুসলিম। বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ-বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা এবং দেশটি হল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাধিক্যের দেশ। এই অঞ্চলে সুফিবাদের সুদীর্ঘ পরম্পরা রয়েছে। বাংলাদেশে মুসলিমদের বৃহত্তম সমাবেশ হয় তাবলীগ জামাআত আয়োজিত বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমায়, যা হজের পর মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত। হিন্দুধর্ম হল জনসংখ্যার দিক থেকে মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ; এদের অধিকাংশ বাঙালি হিন্দু, এবং কিছু অংশ হল সংখ্যালঘু নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশি হিন্দুগণ হল নেপাল ও ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী সমভাবে ও বহুলভাবে বিস্তৃত, যারা আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম পাহড়ি এলাকায় সংখ্যাধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু সম্প্রদায় হল মুসলিমদের পর ঢাকার দ্বিতীয়-বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। বৌদ্ধধর্ম হল দেশটির তৃতীয়-বৃহত্তম ধর্ম, শতাংশের দিক থেকে ০.৬ শতাংশ। আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশী বৌদ্ধগণ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীদের (বিশেষত চাকমা, মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী) মধ্যে অধিক ও উপকূলীয় চট্টগ্রামে ব্যাপকসংখ্যক বৌদ্ধ বাস করে। খ্রিষ্টধর্ম হল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম, সংখ্যায় ০.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও সকল ধর্মের মানুষের সমান স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সাংবিধানিক-ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
কারা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতিগত গোষ্ঠী ?
{ "text": [ "অধিকাংশ বাঙালি" ], "answer_start": [ 2599 ] }
1703
null
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ। সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি। অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশি। ২০১১-এর আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০০.৩। জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী: যেখানে ০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশ। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৭১.৫ বছর। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি। বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিভিন্ন উপজাতি এবং বিহারী বংশোদ্ভূত। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা ও মারমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় বার্মা থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪ শতাংশ শহরে বাস করে; বাকি ৭৮.৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক গড়ে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৫শ মার্কিন ডলারের বেশি। আর্সেনিকজনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে, তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম ধর্মে (৮৬.৬ শতাংশ); এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১২.১ শতাংশ), বৌদ্ধ ধর্ম (০.৬ শতাংশ), খ্রিষ্ট ধর্ম (০.৪ শতাংশ), এবং অন্যান্য (০.৩ শতাংশ)। মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাদর্শী। ইসলাম হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ও দাপ্তরিক রাষ্ট্রধর্ম, যা হল মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশ। দেশটি অধিকাংশ বাঙালি মুসলিমের আবাসস্থল, যা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। অধিকাংশ বাংলাদেশি মুসলিম হল সুন্নি, এরপর রয়েছে শিয়া ও আহমাদিয়া। এর প্রায় চার শতাংশ হল উপাধিবিহীন মুসলিম। বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ-বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা এবং দেশটি হল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাধিক্যের দেশ। এই অঞ্চলে সুফিবাদের সুদীর্ঘ পরম্পরা রয়েছে। বাংলাদেশে মুসলিমদের বৃহত্তম সমাবেশ হয় তাবলীগ জামাআত আয়োজিত বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমায়, যা হজের পর মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত। হিন্দুধর্ম হল জনসংখ্যার দিক থেকে মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ; এদের অধিকাংশ বাঙালি হিন্দু, এবং কিছু অংশ হল সংখ্যালঘু নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশি হিন্দুগণ হল নেপাল ও ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী সমভাবে ও বহুলভাবে বিস্তৃত, যারা আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম পাহড়ি এলাকায় সংখ্যাধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু সম্প্রদায় হল মুসলিমদের পর ঢাকার দ্বিতীয়-বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। বৌদ্ধধর্ম হল দেশটির তৃতীয়-বৃহত্তম ধর্ম, শতাংশের দিক থেকে ০.৬ শতাংশ। আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশী বৌদ্ধগণ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীদের (বিশেষত চাকমা, মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী) মধ্যে অধিক ও উপকূলীয় চট্টগ্রামে ব্যাপকসংখ্যক বৌদ্ধ বাস করে। খ্রিষ্টধর্ম হল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম, সংখ্যায় ০.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও সকল ধর্মের মানুষের সমান স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সাংবিধানিক-ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
কোন ভাষা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা ?
{ "text": [ "বাংলা" ], "answer_start": [ 62 ] }
1704
null
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ। সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি। অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশি। ২০১১-এর আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০০.৩। জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী: যেখানে ০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশ। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৭১.৫ বছর। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি। বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিভিন্ন উপজাতি এবং বিহারী বংশোদ্ভূত। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা ও মারমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় বার্মা থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪ শতাংশ শহরে বাস করে; বাকি ৭৮.৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক গড়ে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৫শ মার্কিন ডলারের বেশি। আর্সেনিকজনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে, তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম ধর্মে (৮৬.৬ শতাংশ); এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১২.১ শতাংশ), বৌদ্ধ ধর্ম (০.৬ শতাংশ), খ্রিষ্ট ধর্ম (০.৪ শতাংশ), এবং অন্যান্য (০.৩ শতাংশ)। মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাদর্শী। ইসলাম হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ও দাপ্তরিক রাষ্ট্রধর্ম, যা হল মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশ। দেশটি অধিকাংশ বাঙালি মুসলিমের আবাসস্থল, যা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। অধিকাংশ বাংলাদেশি মুসলিম হল সুন্নি, এরপর রয়েছে শিয়া ও আহমাদিয়া। এর প্রায় চার শতাংশ হল উপাধিবিহীন মুসলিম। বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ-বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা এবং দেশটি হল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাধিক্যের দেশ। এই অঞ্চলে সুফিবাদের সুদীর্ঘ পরম্পরা রয়েছে। বাংলাদেশে মুসলিমদের বৃহত্তম সমাবেশ হয় তাবলীগ জামাআত আয়োজিত বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমায়, যা হজের পর মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত। হিন্দুধর্ম হল জনসংখ্যার দিক থেকে মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ; এদের অধিকাংশ বাঙালি হিন্দু, এবং কিছু অংশ হল সংখ্যালঘু নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশি হিন্দুগণ হল নেপাল ও ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী সমভাবে ও বহুলভাবে বিস্তৃত, যারা আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম পাহড়ি এলাকায় সংখ্যাধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু সম্প্রদায় হল মুসলিমদের পর ঢাকার দ্বিতীয়-বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। বৌদ্ধধর্ম হল দেশটির তৃতীয়-বৃহত্তম ধর্ম, শতাংশের দিক থেকে ০.৬ শতাংশ। আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশী বৌদ্ধগণ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীদের (বিশেষত চাকমা, মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী) মধ্যে অধিক ও উপকূলীয় চট্টগ্রামে ব্যাপকসংখ্যক বৌদ্ধ বাস করে। খ্রিষ্টধর্ম হল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম, সংখ্যায় ০.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও সকল ধর্মের মানুষের সমান স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সাংবিধানিক-ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
২০০৯ সালে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার কত ছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1705
null
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ। সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি। অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশি। ২০১১-এর আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০০.৩। জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী: যেখানে ০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশ। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৭১.৫ বছর। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি। বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিভিন্ন উপজাতি এবং বিহারী বংশোদ্ভূত। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা ও মারমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় বার্মা থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪ শতাংশ শহরে বাস করে; বাকি ৭৮.৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক গড়ে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৫শ মার্কিন ডলারের বেশি। আর্সেনিকজনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে, তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম ধর্মে (৮৬.৬ শতাংশ); এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১২.১ শতাংশ), বৌদ্ধ ধর্ম (০.৬ শতাংশ), খ্রিষ্ট ধর্ম (০.৪ শতাংশ), এবং অন্যান্য (০.৩ শতাংশ)। মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাদর্শী। ইসলাম হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ও দাপ্তরিক রাষ্ট্রধর্ম, যা হল মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশ। দেশটি অধিকাংশ বাঙালি মুসলিমের আবাসস্থল, যা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। অধিকাংশ বাংলাদেশি মুসলিম হল সুন্নি, এরপর রয়েছে শিয়া ও আহমাদিয়া। এর প্রায় চার শতাংশ হল উপাধিবিহীন মুসলিম। বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ-বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা এবং দেশটি হল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাধিক্যের দেশ। এই অঞ্চলে সুফিবাদের সুদীর্ঘ পরম্পরা রয়েছে। বাংলাদেশে মুসলিমদের বৃহত্তম সমাবেশ হয় তাবলীগ জামাআত আয়োজিত বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমায়, যা হজের পর মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত। হিন্দুধর্ম হল জনসংখ্যার দিক থেকে মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ; এদের অধিকাংশ বাঙালি হিন্দু, এবং কিছু অংশ হল সংখ্যালঘু নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশি হিন্দুগণ হল নেপাল ও ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী সমভাবে ও বহুলভাবে বিস্তৃত, যারা আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম পাহড়ি এলাকায় সংখ্যাধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু সম্প্রদায় হল মুসলিমদের পর ঢাকার দ্বিতীয়-বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। বৌদ্ধধর্ম হল দেশটির তৃতীয়-বৃহত্তম ধর্ম, শতাংশের দিক থেকে ০.৬ শতাংশ। আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশী বৌদ্ধগণ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীদের (বিশেষত চাকমা, মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী) মধ্যে অধিক ও উপকূলীয় চট্টগ্রামে ব্যাপকসংখ্যক বৌদ্ধ বাস করে। খ্রিষ্টধর্ম হল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম, সংখ্যায় ০.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও সকল ধর্মের মানুষের সমান স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সাংবিধানিক-ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
কারা নেপাল এবং ভারতের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু সম্প্রদায় ?
{ "text": [ "বাংলাদেশে" ], "answer_start": [ 62 ] }
1706
null
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ। সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি। অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশি। ২০১১-এর আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০০.৩। জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী: যেখানে ০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশ। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৭১.৫ বছর। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি। বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিভিন্ন উপজাতি এবং বিহারী বংশোদ্ভূত। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা ও মারমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় বার্মা থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪ শতাংশ শহরে বাস করে; বাকি ৭৮.৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক গড়ে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৫শ মার্কিন ডলারের বেশি। আর্সেনিকজনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে, তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম ধর্মে (৮৬.৬ শতাংশ); এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১২.১ শতাংশ), বৌদ্ধ ধর্ম (০.৬ শতাংশ), খ্রিষ্ট ধর্ম (০.৪ শতাংশ), এবং অন্যান্য (০.৩ শতাংশ)। মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাদর্শী। ইসলাম হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ও দাপ্তরিক রাষ্ট্রধর্ম, যা হল মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশ। দেশটি অধিকাংশ বাঙালি মুসলিমের আবাসস্থল, যা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। অধিকাংশ বাংলাদেশি মুসলিম হল সুন্নি, এরপর রয়েছে শিয়া ও আহমাদিয়া। এর প্রায় চার শতাংশ হল উপাধিবিহীন মুসলিম। বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ-বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা এবং দেশটি হল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাধিক্যের দেশ। এই অঞ্চলে সুফিবাদের সুদীর্ঘ পরম্পরা রয়েছে। বাংলাদেশে মুসলিমদের বৃহত্তম সমাবেশ হয় তাবলীগ জামাআত আয়োজিত বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমায়, যা হজের পর মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত। হিন্দুধর্ম হল জনসংখ্যার দিক থেকে মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ; এদের অধিকাংশ বাঙালি হিন্দু, এবং কিছু অংশ হল সংখ্যালঘু নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশি হিন্দুগণ হল নেপাল ও ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী সমভাবে ও বহুলভাবে বিস্তৃত, যারা আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম পাহড়ি এলাকায় সংখ্যাধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু সম্প্রদায় হল মুসলিমদের পর ঢাকার দ্বিতীয়-বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। বৌদ্ধধর্ম হল দেশটির তৃতীয়-বৃহত্তম ধর্ম, শতাংশের দিক থেকে ০.৬ শতাংশ। আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশী বৌদ্ধগণ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীদের (বিশেষত চাকমা, মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী) মধ্যে অধিক ও উপকূলীয় চট্টগ্রামে ব্যাপকসংখ্যক বৌদ্ধ বাস করে। খ্রিষ্টধর্ম হল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম, সংখ্যায় ০.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও সকল ধর্মের মানুষের সমান স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সাংবিধানিক-ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
কোন দেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ ?
{ "text": [ "বাংলাদেশ" ], "answer_start": [ 61 ] }
1707
null
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ। সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি। অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশি। ২০১১-এর আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০০.৩। জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী: যেখানে ০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশ। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৭১.৫ বছর। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি। বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিভিন্ন উপজাতি এবং বিহারী বংশোদ্ভূত। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা ও মারমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় বার্মা থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪ শতাংশ শহরে বাস করে; বাকি ৭৮.৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক গড়ে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৫শ মার্কিন ডলারের বেশি। আর্সেনিকজনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে, তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম ধর্মে (৮৬.৬ শতাংশ); এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১২.১ শতাংশ), বৌদ্ধ ধর্ম (০.৬ শতাংশ), খ্রিষ্ট ধর্ম (০.৪ শতাংশ), এবং অন্যান্য (০.৩ শতাংশ)। মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাদর্শী। ইসলাম হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ও দাপ্তরিক রাষ্ট্রধর্ম, যা হল মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশ। দেশটি অধিকাংশ বাঙালি মুসলিমের আবাসস্থল, যা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। অধিকাংশ বাংলাদেশি মুসলিম হল সুন্নি, এরপর রয়েছে শিয়া ও আহমাদিয়া। এর প্রায় চার শতাংশ হল উপাধিবিহীন মুসলিম। বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ-বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা এবং দেশটি হল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাধিক্যের দেশ। এই অঞ্চলে সুফিবাদের সুদীর্ঘ পরম্পরা রয়েছে। বাংলাদেশে মুসলিমদের বৃহত্তম সমাবেশ হয় তাবলীগ জামাআত আয়োজিত বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমায়, যা হজের পর মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত। হিন্দুধর্ম হল জনসংখ্যার দিক থেকে মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ; এদের অধিকাংশ বাঙালি হিন্দু, এবং কিছু অংশ হল সংখ্যালঘু নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশি হিন্দুগণ হল নেপাল ও ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী সমভাবে ও বহুলভাবে বিস্তৃত, যারা আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম পাহড়ি এলাকায় সংখ্যাধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু সম্প্রদায় হল মুসলিমদের পর ঢাকার দ্বিতীয়-বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। বৌদ্ধধর্ম হল দেশটির তৃতীয়-বৃহত্তম ধর্ম, শতাংশের দিক থেকে ০.৬ শতাংশ। আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশী বৌদ্ধগণ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীদের (বিশেষত চাকমা, মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী) মধ্যে অধিক ও উপকূলীয় চট্টগ্রামে ব্যাপকসংখ্যক বৌদ্ধ বাস করে। খ্রিষ্টধর্ম হল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম, সংখ্যায় ০.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও সকল ধর্মের মানুষের সমান স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সাংবিধানিক-ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
২০০৫ সালে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার কত ছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1708
null
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ। সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি। অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশি। ২০১১-এর আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০০.৩। জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী: যেখানে ০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশ। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৭১.৫ বছর। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি। বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিভিন্ন উপজাতি এবং বিহারী বংশোদ্ভূত। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা ও মারমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় বার্মা থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪ শতাংশ শহরে বাস করে; বাকি ৭৮.৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক গড়ে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৫শ মার্কিন ডলারের বেশি। আর্সেনিকজনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে, তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম ধর্মে (৮৬.৬ শতাংশ); এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১২.১ শতাংশ), বৌদ্ধ ধর্ম (০.৬ শতাংশ), খ্রিষ্ট ধর্ম (০.৪ শতাংশ), এবং অন্যান্য (০.৩ শতাংশ)। মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাদর্শী। ইসলাম হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ও দাপ্তরিক রাষ্ট্রধর্ম, যা হল মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশ। দেশটি অধিকাংশ বাঙালি মুসলিমের আবাসস্থল, যা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। অধিকাংশ বাংলাদেশি মুসলিম হল সুন্নি, এরপর রয়েছে শিয়া ও আহমাদিয়া। এর প্রায় চার শতাংশ হল উপাধিবিহীন মুসলিম। বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ-বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা এবং দেশটি হল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাধিক্যের দেশ। এই অঞ্চলে সুফিবাদের সুদীর্ঘ পরম্পরা রয়েছে। বাংলাদেশে মুসলিমদের বৃহত্তম সমাবেশ হয় তাবলীগ জামাআত আয়োজিত বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমায়, যা হজের পর মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত। হিন্দুধর্ম হল জনসংখ্যার দিক থেকে মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ; এদের অধিকাংশ বাঙালি হিন্দু, এবং কিছু অংশ হল সংখ্যালঘু নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশি হিন্দুগণ হল নেপাল ও ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী সমভাবে ও বহুলভাবে বিস্তৃত, যারা আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম পাহড়ি এলাকায় সংখ্যাধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু সম্প্রদায় হল মুসলিমদের পর ঢাকার দ্বিতীয়-বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। বৌদ্ধধর্ম হল দেশটির তৃতীয়-বৃহত্তম ধর্ম, শতাংশের দিক থেকে ০.৬ শতাংশ। আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশী বৌদ্ধগণ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীদের (বিশেষত চাকমা, মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী) মধ্যে অধিক ও উপকূলীয় চট্টগ্রামে ব্যাপকসংখ্যক বৌদ্ধ বাস করে। খ্রিষ্টধর্ম হল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম, সংখ্যায় ০.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও সকল ধর্মের মানুষের সমান স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সাংবিধানিক-ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
কোন ধৰ্ম বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং সরকারী রাষ্ট্রধর্ম ?
{ "text": [ "ইসলাম" ], "answer_start": [ 2328 ] }
1709
null
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার পৌর এলাকার জনসংখ্যা ৪৪৮৬৬৭৯ এবং কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১,৪১,১২,৫৩৬। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১৯ জন নারী। এই হার জাতীয় লিঙ্গানুপাত হারের তুলনায় কম; তার কারণ, অনেক উপার্জনশীল পুরুষ তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের গ্রামে রেখে শহরে কাজ করতে আসেন। কলকাতার সাক্ষরতার হার ৮৮.৩৩ শতাংশ; যা জাতীয় সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশের তুলনায় বেশি। নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ী কলকাতা পৌরসংস্থা অধিভুক্ত এলাকার বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশ; যা ভারতের দশ লক্ষাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট মহানগরগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। বাঙালিরা কলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী; মারোয়াড়ি ও বিহারি সম্প্রদায় শহরের উল্লেখযোগ্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (২০ শতাংশ)। এছাড়াও কলকাতা প্রবাসী চীনা, তামিল, নেপালি, ওড়িয়া, তেলুগু, অসমীয়া, গুজরাটি, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, আর্মেনিয়ান, তিব্বতি, মহারাষ্ট্রীয়, পাঞ্জাবি, পারসি প্রভৃতি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসভূমি। কলকাতার প্রধান ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি; এছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া ও ভোজপুরি ভাষাও শহরের একাংশের বাসিন্দাদের দ্বারা কথিত হয়ে থাকে। জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যার ৭৭.৬৮ শতাংশ হিন্দু, ২০.২৭ শতাংশ মুসলিম, ০.৮৮ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং ০.৪৬ শতাংশ জৈন; অবশিষ্ট শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি ও জরথুস্ট্রীয় সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অত্যন্ত অল্প। শহরের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ২,০১১টি নথিভুক্ত এবং ৩,৫০০টি অনথিভুক্ত (মূলত দখলদার) বস্তিতে বাস করেন। ২০০৪ সালে দেশের ৩৫টি মহানগরের মধ্যে কলকাতায় সংঘটিত বিশেষ ও স্থানীয় আইনের আওতাভুক্ত অপরাধের হার ৬৭.৬ শতাংশ।
কলকাতার কোন্ এলাকাটি এশিয়ার বৃহত্তম নিষিদ্ধ পল্লী গুলির মধ্যে একটি?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1710
null
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার পৌর এলাকার জনসংখ্যা ৪৪৮৬৬৭৯ এবং কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১,৪১,১২,৫৩৬। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১৯ জন নারী। এই হার জাতীয় লিঙ্গানুপাত হারের তুলনায় কম; তার কারণ, অনেক উপার্জনশীল পুরুষ তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের গ্রামে রেখে শহরে কাজ করতে আসেন। কলকাতার সাক্ষরতার হার ৮৮.৩৩ শতাংশ; যা জাতীয় সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশের তুলনায় বেশি। নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ী কলকাতা পৌরসংস্থা অধিভুক্ত এলাকার বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশ; যা ভারতের দশ লক্ষাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট মহানগরগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। বাঙালিরা কলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী; মারোয়াড়ি ও বিহারি সম্প্রদায় শহরের উল্লেখযোগ্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (২০ শতাংশ)। এছাড়াও কলকাতা প্রবাসী চীনা, তামিল, নেপালি, ওড়িয়া, তেলুগু, অসমীয়া, গুজরাটি, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, আর্মেনিয়ান, তিব্বতি, মহারাষ্ট্রীয়, পাঞ্জাবি, পারসি প্রভৃতি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসভূমি। কলকাতার প্রধান ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি; এছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া ও ভোজপুরি ভাষাও শহরের একাংশের বাসিন্দাদের দ্বারা কথিত হয়ে থাকে। জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যার ৭৭.৬৮ শতাংশ হিন্দু, ২০.২৭ শতাংশ মুসলিম, ০.৮৮ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং ০.৪৬ শতাংশ জৈন; অবশিষ্ট শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি ও জরথুস্ট্রীয় সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অত্যন্ত অল্প। শহরের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ২,০১১টি নথিভুক্ত এবং ৩,৫০০টি অনথিভুক্ত (মূলত দখলদার) বস্তিতে বাস করেন। ২০০৪ সালে দেশের ৩৫টি মহানগরের মধ্যে কলকাতায় সংঘটিত বিশেষ ও স্থানীয় আইনের আওতাভুক্ত অপরাধের হার ৬৭.৬ শতাংশ।
কলকাতায় কথিত প্রধান ভাষা কি?
{ "text": [ "বাংলা ও ইংরেজি" ], "answer_start": [ 880 ] }
1711
null
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার পৌর এলাকার জনসংখ্যা ৪৪৮৬৬৭৯ এবং কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১,৪১,১২,৫৩৬। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১৯ জন নারী। এই হার জাতীয় লিঙ্গানুপাত হারের তুলনায় কম; তার কারণ, অনেক উপার্জনশীল পুরুষ তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের গ্রামে রেখে শহরে কাজ করতে আসেন। কলকাতার সাক্ষরতার হার ৮৮.৩৩ শতাংশ; যা জাতীয় সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশের তুলনায় বেশি। নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ী কলকাতা পৌরসংস্থা অধিভুক্ত এলাকার বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশ; যা ভারতের দশ লক্ষাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট মহানগরগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। বাঙালিরা কলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী; মারোয়াড়ি ও বিহারি সম্প্রদায় শহরের উল্লেখযোগ্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (২০ শতাংশ)। এছাড়াও কলকাতা প্রবাসী চীনা, তামিল, নেপালি, ওড়িয়া, তেলুগু, অসমীয়া, গুজরাটি, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, আর্মেনিয়ান, তিব্বতি, মহারাষ্ট্রীয়, পাঞ্জাবি, পারসি প্রভৃতি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসভূমি। কলকাতার প্রধান ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি; এছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া ও ভোজপুরি ভাষাও শহরের একাংশের বাসিন্দাদের দ্বারা কথিত হয়ে থাকে। জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যার ৭৭.৬৮ শতাংশ হিন্দু, ২০.২৭ শতাংশ মুসলিম, ০.৮৮ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং ০.৪৬ শতাংশ জৈন; অবশিষ্ট শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি ও জরথুস্ট্রীয় সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অত্যন্ত অল্প। শহরের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ২,০১১টি নথিভুক্ত এবং ৩,৫০০টি অনথিভুক্ত (মূলত দখলদার) বস্তিতে বাস করেন। ২০০৪ সালে দেশের ৩৫টি মহানগরের মধ্যে কলকাতায় সংঘটিত বিশেষ ও স্থানীয় আইনের আওতাভুক্ত অপরাধের হার ৬৭.৬ শতাংশ।
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী কলকাতায় কত শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন?
{ "text": [ "৭৭.৬৮ শতাংশ" ], "answer_start": [ 1025 ] }
1712
null
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার পৌর এলাকার জনসংখ্যা ৪৪৮৬৬৭৯ এবং কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১,৪১,১২,৫৩৬। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১৯ জন নারী। এই হার জাতীয় লিঙ্গানুপাত হারের তুলনায় কম; তার কারণ, অনেক উপার্জনশীল পুরুষ তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের গ্রামে রেখে শহরে কাজ করতে আসেন। কলকাতার সাক্ষরতার হার ৮৮.৩৩ শতাংশ; যা জাতীয় সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশের তুলনায় বেশি। নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ী কলকাতা পৌরসংস্থা অধিভুক্ত এলাকার বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশ; যা ভারতের দশ লক্ষাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট মহানগরগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। বাঙালিরা কলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী; মারোয়াড়ি ও বিহারি সম্প্রদায় শহরের উল্লেখযোগ্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (২০ শতাংশ)। এছাড়াও কলকাতা প্রবাসী চীনা, তামিল, নেপালি, ওড়িয়া, তেলুগু, অসমীয়া, গুজরাটি, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, আর্মেনিয়ান, তিব্বতি, মহারাষ্ট্রীয়, পাঞ্জাবি, পারসি প্রভৃতি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসভূমি। কলকাতার প্রধান ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি; এছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া ও ভোজপুরি ভাষাও শহরের একাংশের বাসিন্দাদের দ্বারা কথিত হয়ে থাকে। জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যার ৭৭.৬৮ শতাংশ হিন্দু, ২০.২৭ শতাংশ মুসলিম, ০.৮৮ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং ০.৪৬ শতাংশ জৈন; অবশিষ্ট শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি ও জরথুস্ট্রীয় সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অত্যন্ত অল্প। শহরের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ২,০১১টি নথিভুক্ত এবং ৩,৫০০টি অনথিভুক্ত (মূলত দখলদার) বস্তিতে বাস করেন। ২০০৪ সালে দেশের ৩৫টি মহানগরের মধ্যে কলকাতায় সংঘটিত বিশেষ ও স্থানীয় আইনের আওতাভুক্ত অপরাধের হার ৬৭.৬ শতাংশ।
2004 সালে কলকাতা পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে কটি মামলা নথিভুক্ত করেছে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1713
null
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার পৌর এলাকার জনসংখ্যা ৪৪৮৬৬৭৯ এবং কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১,৪১,১২,৫৩৬। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১৯ জন নারী। এই হার জাতীয় লিঙ্গানুপাত হারের তুলনায় কম; তার কারণ, অনেক উপার্জনশীল পুরুষ তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের গ্রামে রেখে শহরে কাজ করতে আসেন। কলকাতার সাক্ষরতার হার ৮৮.৩৩ শতাংশ; যা জাতীয় সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশের তুলনায় বেশি। নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ী কলকাতা পৌরসংস্থা অধিভুক্ত এলাকার বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশ; যা ভারতের দশ লক্ষাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট মহানগরগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। বাঙালিরা কলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী; মারোয়াড়ি ও বিহারি সম্প্রদায় শহরের উল্লেখযোগ্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (২০ শতাংশ)। এছাড়াও কলকাতা প্রবাসী চীনা, তামিল, নেপালি, ওড়িয়া, তেলুগু, অসমীয়া, গুজরাটি, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, আর্মেনিয়ান, তিব্বতি, মহারাষ্ট্রীয়, পাঞ্জাবি, পারসি প্রভৃতি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসভূমি। কলকাতার প্রধান ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি; এছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া ও ভোজপুরি ভাষাও শহরের একাংশের বাসিন্দাদের দ্বারা কথিত হয়ে থাকে। জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যার ৭৭.৬৮ শতাংশ হিন্দু, ২০.২৭ শতাংশ মুসলিম, ০.৮৮ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং ০.৪৬ শতাংশ জৈন; অবশিষ্ট শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি ও জরথুস্ট্রীয় সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অত্যন্ত অল্প। শহরের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ২,০১১টি নথিভুক্ত এবং ৩,৫০০টি অনথিভুক্ত (মূলত দখলদার) বস্তিতে বাস করেন। ২০০৪ সালে দেশের ৩৫টি মহানগরের মধ্যে কলকাতায় সংঘটিত বিশেষ ও স্থানীয় আইনের আওতাভুক্ত অপরাধের হার ৬৭.৬ শতাংশ।
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী কলকাতায় কত শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন?
{ "text": [ "২০.২৭ শতাংশ মুসলিম" ], "answer_start": [ 1045 ] }
1714
null
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার পৌর এলাকার জনসংখ্যা ৪৪৮৬৬৭৯ এবং কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১,৪১,১২,৫৩৬। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১৯ জন নারী। এই হার জাতীয় লিঙ্গানুপাত হারের তুলনায় কম; তার কারণ, অনেক উপার্জনশীল পুরুষ তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের গ্রামে রেখে শহরে কাজ করতে আসেন। কলকাতার সাক্ষরতার হার ৮৮.৩৩ শতাংশ; যা জাতীয় সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশের তুলনায় বেশি। নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ী কলকাতা পৌরসংস্থা অধিভুক্ত এলাকার বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশ; যা ভারতের দশ লক্ষাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট মহানগরগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। বাঙালিরা কলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী; মারোয়াড়ি ও বিহারি সম্প্রদায় শহরের উল্লেখযোগ্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (২০ শতাংশ)। এছাড়াও কলকাতা প্রবাসী চীনা, তামিল, নেপালি, ওড়িয়া, তেলুগু, অসমীয়া, গুজরাটি, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, আর্মেনিয়ান, তিব্বতি, মহারাষ্ট্রীয়, পাঞ্জাবি, পারসি প্রভৃতি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসভূমি। কলকাতার প্রধান ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি; এছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া ও ভোজপুরি ভাষাও শহরের একাংশের বাসিন্দাদের দ্বারা কথিত হয়ে থাকে। জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যার ৭৭.৬৮ শতাংশ হিন্দু, ২০.২৭ শতাংশ মুসলিম, ০.৮৮ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং ০.৪৬ শতাংশ জৈন; অবশিষ্ট শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি ও জরথুস্ট্রীয় সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অত্যন্ত অল্প। শহরের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ২,০১১টি নথিভুক্ত এবং ৩,৫০০টি অনথিভুক্ত (মূলত দখলদার) বস্তিতে বাস করেন। ২০০৪ সালে দেশের ৩৫টি মহানগরের মধ্যে কলকাতায় সংঘটিত বিশেষ ও স্থানীয় আইনের আওতাভুক্ত অপরাধের হার ৬৭.৬ শতাংশ।
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী কলকাতায় জনসংখ্যার দিক থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ কারা ?
{ "text": [ "বাঙালিরা" ], "answer_start": [ 532 ] }
1715
null
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার পৌর এলাকার জনসংখ্যা ৪৪৮৬৬৭৯ এবং কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১,৪১,১২,৫৩৬। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১৯ জন নারী। এই হার জাতীয় লিঙ্গানুপাত হারের তুলনায় কম; তার কারণ, অনেক উপার্জনশীল পুরুষ তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের গ্রামে রেখে শহরে কাজ করতে আসেন। কলকাতার সাক্ষরতার হার ৮৮.৩৩ শতাংশ; যা জাতীয় সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশের তুলনায় বেশি। নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ী কলকাতা পৌরসংস্থা অধিভুক্ত এলাকার বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশ; যা ভারতের দশ লক্ষাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট মহানগরগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। বাঙালিরা কলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী; মারোয়াড়ি ও বিহারি সম্প্রদায় শহরের উল্লেখযোগ্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (২০ শতাংশ)। এছাড়াও কলকাতা প্রবাসী চীনা, তামিল, নেপালি, ওড়িয়া, তেলুগু, অসমীয়া, গুজরাটি, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, আর্মেনিয়ান, তিব্বতি, মহারাষ্ট্রীয়, পাঞ্জাবি, পারসি প্রভৃতি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসভূমি। কলকাতার প্রধান ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি; এছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া ও ভোজপুরি ভাষাও শহরের একাংশের বাসিন্দাদের দ্বারা কথিত হয়ে থাকে। জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যার ৭৭.৬৮ শতাংশ হিন্দু, ২০.২৭ শতাংশ মুসলিম, ০.৮৮ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং ০.৪৬ শতাংশ জৈন; অবশিষ্ট শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি ও জরথুস্ট্রীয় সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অত্যন্ত অল্প। শহরের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ২,০১১টি নথিভুক্ত এবং ৩,৫০০টি অনথিভুক্ত (মূলত দখলদার) বস্তিতে বাস করেন। ২০০৪ সালে দেশের ৩৫টি মহানগরের মধ্যে কলকাতায় সংঘটিত বিশেষ ও স্থানীয় আইনের আওতাভুক্ত অপরাধের হার ৬৭.৬ শতাংশ।
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী কলকাতার সাক্ষরতার হার কত?
{ "text": [ "৮৮.৩৩ শতাংশ" ], "answer_start": [ 322 ] }
1716
null
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জুলাই , সোমবার,মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যা ভারতীয় প্রমাণ সময় ৭:৪৫ নাগাদ তার মৃত্যু ঘটে। কালামের মৃতদেহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে শিলং থেকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানে নতুন দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তিন বাহিনীর প্রধান কালামের মরদেহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর জাতীয় পতাকায় ঢেকে কালামের দেহ ১০, রাজাজি মার্গে তার দিল্লির বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ভারত সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যুতে তার সম্মানে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে বলেন যে, কালামের মৃত্যু দেশের বিজ্ঞান জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, কারণ তিনি ভারতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ও পথ দেখিয়েছিলেন।
২০১৫ সালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1717
null
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জুলাই , সোমবার,মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যা ভারতীয় প্রমাণ সময় ৭:৪৫ নাগাদ তার মৃত্যু ঘটে। কালামের মৃতদেহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে শিলং থেকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানে নতুন দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তিন বাহিনীর প্রধান কালামের মরদেহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর জাতীয় পতাকায় ঢেকে কালামের দেহ ১০, রাজাজি মার্গে তার দিল্লির বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ভারত সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যুতে তার সম্মানে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে বলেন যে, কালামের মৃত্যু দেশের বিজ্ঞান জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, কারণ তিনি ভারতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ও পথ দেখিয়েছিলেন।
কে শোক প্রকাশ করে প্রার্থনা করেছিলেন যে এ. পি. জে. আবদুল কালাম কেবল একজন বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ বা রাজনীতিকই নন, তিনি একজন আন্তরিক ভদ্রলোক, একজন সরল এবং নম্র মানুষ ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1718
null
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জুলাই , সোমবার,মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যা ভারতীয় প্রমাণ সময় ৭:৪৫ নাগাদ তার মৃত্যু ঘটে। কালামের মৃতদেহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে শিলং থেকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানে নতুন দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তিন বাহিনীর প্রধান কালামের মরদেহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর জাতীয় পতাকায় ঢেকে কালামের দেহ ১০, রাজাজি মার্গে তার দিল্লির বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ভারত সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যুতে তার সম্মানে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে বলেন যে, কালামের মৃত্যু দেশের বিজ্ঞান জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, কারণ তিনি ভারতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ও পথ দেখিয়েছিলেন।
এ. পি. জে. আবদুল কালামের মৃতদেহ কোন বিমানে করে গুয়াহাটি থেকে দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয় ?
{ "text": [ "সি-১৩০ হারকিউলিস" ], "answer_start": [ 437 ] }
1719
null
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জুলাই , সোমবার,মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যা ভারতীয় প্রমাণ সময় ৭:৪৫ নাগাদ তার মৃত্যু ঘটে। কালামের মৃতদেহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে শিলং থেকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানে নতুন দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তিন বাহিনীর প্রধান কালামের মরদেহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর জাতীয় পতাকায় ঢেকে কালামের দেহ ১০, রাজাজি মার্গে তার দিল্লির বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ভারত সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যুতে তার সম্মানে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে বলেন যে, কালামের মৃত্যু দেশের বিজ্ঞান জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, কারণ তিনি ভারতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ও পথ দেখিয়েছিলেন।
কোন হাসপাতালে এ. পি. জে. আবদুল কালামের মৃত্যু ঘটে ?
{ "text": [ "বেথানী" ], "answer_start": [ 231 ] }
1720
null
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জুলাই , সোমবার,মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যা ভারতীয় প্রমাণ সময় ৭:৪৫ নাগাদ তার মৃত্যু ঘটে। কালামের মৃতদেহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে শিলং থেকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানে নতুন দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তিন বাহিনীর প্রধান কালামের মরদেহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর জাতীয় পতাকায় ঢেকে কালামের দেহ ১০, রাজাজি মার্গে তার দিল্লির বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ভারত সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যুতে তার সম্মানে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে বলেন যে, কালামের মৃত্যু দেশের বিজ্ঞান জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, কারণ তিনি ভারতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ও পথ দেখিয়েছিলেন।
এ. পি. জে. আবদুল কালামের স্মরণে কত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয় ?
{ "text": [ "সাত দিনের" ], "answer_start": [ 1014 ] }
1721
null
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জুলাই , সোমবার,মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যা ভারতীয় প্রমাণ সময় ৭:৪৫ নাগাদ তার মৃত্যু ঘটে। কালামের মৃতদেহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে শিলং থেকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানে নতুন দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তিন বাহিনীর প্রধান কালামের মরদেহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর জাতীয় পতাকায় ঢেকে কালামের দেহ ১০, রাজাজি মার্গে তার দিল্লির বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ভারত সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যুতে তার সম্মানে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে বলেন যে, কালামের মৃত্যু দেশের বিজ্ঞান জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, কারণ তিনি ভারতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ও পথ দেখিয়েছিলেন।
এ. পি. জে. আবদুল কালাম কত তারিখে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ?
{ "text": [ "২৭শে জুলাই" ], "answer_start": [ 19 ] }
1722
null
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জুলাই , সোমবার,মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যা ভারতীয় প্রমাণ সময় ৭:৪৫ নাগাদ তার মৃত্যু ঘটে। কালামের মৃতদেহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে শিলং থেকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানে নতুন দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তিন বাহিনীর প্রধান কালামের মরদেহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর জাতীয় পতাকায় ঢেকে কালামের দেহ ১০, রাজাজি মার্গে তার দিল্লির বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ভারত সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যুতে তার সম্মানে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে বলেন যে, কালামের মৃত্যু দেশের বিজ্ঞান জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, কারণ তিনি ভারতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ও পথ দেখিয়েছিলেন।
এ. পি. জে. আবদুল কালামের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কী বক্তব্য রেখেছিলেন ?
{ "text": [ "এক অপূরণীয় ক্ষতি" ], "answer_start": [ 1147 ] }
1723
null
২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী, ১৯৩ টি সার্বভৌম রাষ্ট্র রয়েছে পৃথিবীতে যা জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত, এছাড়াও দুটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও ৭২ টি নির্ভরশীল অঞ্চল এবং সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র রয়েছে। পৃথিবীতে কখনই একটি একক সার্বভৌম সরকার তৈরি হয়নি যার পুরো বিশ্বের উপর কর্তৃত ছিল, যদিও বা কিছু জাতি-রাষ্ট্র বিশ্ব আধিপত্যের জন্য যুদ্ধ করেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্ব ব্যাপী আন্ত-রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসাবে কাজ করে, এটা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশগুলো মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে নিয়ে, সশস্ত্র বিরোধ যাতে না ঘটে। ইউএন প্রধানত আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের ফোরাম হিসাবে কাজ করে। যদি সদস্য রাষ্ট্র সমূহ সম্মতি প্রদান করে, এটি সশস্ত্র হস্তক্ষেপের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম মানুষ হলেন ইউরি গ্যাগারিন, ১২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে। ৩০ জুলাই ২০১০ (2010-07-30)-এর হিসাব অনুযায়ী, সর্বমোট, প্রায় ৪৮৭ জন মানুষ মহাকাশে ও পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন, এবং, এদের মধ্যে, বার জন চাঁদের মাটিতে হেঁটেছেন।
জাতিসংঘ কি ধরনের সংগঠন হিসেবে কাজ করে ?
{ "text": [ "বিশ্ব ব্যাপী আন্ত-রাষ্ট্রীয় সংস্থা" ], "answer_start": [ 371 ] }
1724
null
২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী, ১৯৩ টি সার্বভৌম রাষ্ট্র রয়েছে পৃথিবীতে যা জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত, এছাড়াও দুটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও ৭২ টি নির্ভরশীল অঞ্চল এবং সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র রয়েছে। পৃথিবীতে কখনই একটি একক সার্বভৌম সরকার তৈরি হয়নি যার পুরো বিশ্বের উপর কর্তৃত ছিল, যদিও বা কিছু জাতি-রাষ্ট্র বিশ্ব আধিপত্যের জন্য যুদ্ধ করেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্ব ব্যাপী আন্ত-রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসাবে কাজ করে, এটা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশগুলো মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে নিয়ে, সশস্ত্র বিরোধ যাতে না ঘটে। ইউএন প্রধানত আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের ফোরাম হিসাবে কাজ করে। যদি সদস্য রাষ্ট্র সমূহ সম্মতি প্রদান করে, এটি সশস্ত্র হস্তক্ষেপের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম মানুষ হলেন ইউরি গ্যাগারিন, ১২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে। ৩০ জুলাই ২০১০ (2010-07-30)-এর হিসাব অনুযায়ী, সর্বমোট, প্রায় ৪৮৭ জন মানুষ মহাকাশে ও পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন, এবং, এদের মধ্যে, বার জন চাঁদের মাটিতে হেঁটেছেন।
২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বে সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংখ্যা কয়টি?
{ "text": [ "১৯৩" ], "answer_start": [ 24 ] }
1725
null
২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী, ১৯৩ টি সার্বভৌম রাষ্ট্র রয়েছে পৃথিবীতে যা জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত, এছাড়াও দুটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও ৭২ টি নির্ভরশীল অঞ্চল এবং সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র রয়েছে। পৃথিবীতে কখনই একটি একক সার্বভৌম সরকার তৈরি হয়নি যার পুরো বিশ্বের উপর কর্তৃত ছিল, যদিও বা কিছু জাতি-রাষ্ট্র বিশ্ব আধিপত্যের জন্য যুদ্ধ করেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্ব ব্যাপী আন্ত-রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসাবে কাজ করে, এটা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশগুলো মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে নিয়ে, সশস্ত্র বিরোধ যাতে না ঘটে। ইউএন প্রধানত আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের ফোরাম হিসাবে কাজ করে। যদি সদস্য রাষ্ট্র সমূহ সম্মতি প্রদান করে, এটি সশস্ত্র হস্তক্ষেপের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম মানুষ হলেন ইউরি গ্যাগারিন, ১২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে। ৩০ জুলাই ২০১০ (2010-07-30)-এর হিসাব অনুযায়ী, সর্বমোট, প্রায় ৪৮৭ জন মানুষ মহাকাশে ও পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন, এবং, এদের মধ্যে, বার জন চাঁদের মাটিতে হেঁটেছেন।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে থাকা মানুষরা কতদিন অন্তর পরিবর্তিত হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1726
null
২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী, ১৯৩ টি সার্বভৌম রাষ্ট্র রয়েছে পৃথিবীতে যা জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত, এছাড়াও দুটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও ৭২ টি নির্ভরশীল অঞ্চল এবং সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র রয়েছে। পৃথিবীতে কখনই একটি একক সার্বভৌম সরকার তৈরি হয়নি যার পুরো বিশ্বের উপর কর্তৃত ছিল, যদিও বা কিছু জাতি-রাষ্ট্র বিশ্ব আধিপত্যের জন্য যুদ্ধ করেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্ব ব্যাপী আন্ত-রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসাবে কাজ করে, এটা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশগুলো মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে নিয়ে, সশস্ত্র বিরোধ যাতে না ঘটে। ইউএন প্রধানত আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের ফোরাম হিসাবে কাজ করে। যদি সদস্য রাষ্ট্র সমূহ সম্মতি প্রদান করে, এটি সশস্ত্র হস্তক্ষেপের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম মানুষ হলেন ইউরি গ্যাগারিন, ১২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে। ৩০ জুলাই ২০১০ (2010-07-30)-এর হিসাব অনুযায়ী, সর্বমোট, প্রায় ৪৮৭ জন মানুষ মহাকাশে ও পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন, এবং, এদের মধ্যে, বার জন চাঁদের মাটিতে হেঁটেছেন।
ইউরি গ্যাগারিন কত সালে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন?
{ "text": [ "১৯৬১" ], "answer_start": [ 772 ] }
1727
null
২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী, ১৯৩ টি সার্বভৌম রাষ্ট্র রয়েছে পৃথিবীতে যা জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত, এছাড়াও দুটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও ৭২ টি নির্ভরশীল অঞ্চল এবং সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র রয়েছে। পৃথিবীতে কখনই একটি একক সার্বভৌম সরকার তৈরি হয়নি যার পুরো বিশ্বের উপর কর্তৃত ছিল, যদিও বা কিছু জাতি-রাষ্ট্র বিশ্ব আধিপত্যের জন্য যুদ্ধ করেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্ব ব্যাপী আন্ত-রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসাবে কাজ করে, এটা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশগুলো মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে নিয়ে, সশস্ত্র বিরোধ যাতে না ঘটে। ইউএন প্রধানত আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের ফোরাম হিসাবে কাজ করে। যদি সদস্য রাষ্ট্র সমূহ সম্মতি প্রদান করে, এটি সশস্ত্র হস্তক্ষেপের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম মানুষ হলেন ইউরি গ্যাগারিন, ১২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে। ৩০ জুলাই ২০১০ (2010-07-30)-এর হিসাব অনুযায়ী, সর্বমোট, প্রায় ৪৮৭ জন মানুষ মহাকাশে ও পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন, এবং, এদের মধ্যে, বার জন চাঁদের মাটিতে হেঁটেছেন।
৩০ জুলাই, ২০১০ পর্যন্ত, মোট কত জন মানুষ মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন?
{ "text": [ "৪৮৭" ], "answer_start": [ 844 ] }
1728
null
২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী, ১৯৩ টি সার্বভৌম রাষ্ট্র রয়েছে পৃথিবীতে যা জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত, এছাড়াও দুটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও ৭২ টি নির্ভরশীল অঞ্চল এবং সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র রয়েছে। পৃথিবীতে কখনই একটি একক সার্বভৌম সরকার তৈরি হয়নি যার পুরো বিশ্বের উপর কর্তৃত ছিল, যদিও বা কিছু জাতি-রাষ্ট্র বিশ্ব আধিপত্যের জন্য যুদ্ধ করেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্ব ব্যাপী আন্ত-রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসাবে কাজ করে, এটা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশগুলো মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে নিয়ে, সশস্ত্র বিরোধ যাতে না ঘটে। ইউএন প্রধানত আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের ফোরাম হিসাবে কাজ করে। যদি সদস্য রাষ্ট্র সমূহ সম্মতি প্রদান করে, এটি সশস্ত্র হস্তক্ষেপের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম মানুষ হলেন ইউরি গ্যাগারিন, ১২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে। ৩০ জুলাই ২০১০ (2010-07-30)-এর হিসাব অনুযায়ী, সর্বমোট, প্রায় ৪৮৭ জন মানুষ মহাকাশে ও পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন, এবং, এদের মধ্যে, বার জন চাঁদের মাটিতে হেঁটেছেন।
পৃথিবীকে প্রদক্ষিনকারী প্রথম ব্যক্তির নাম কি?
{ "text": [ "ইউরি গ্যাগারিন" ], "answer_start": [ 746 ] }
1729
null
২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী, ১৯৩ টি সার্বভৌম রাষ্ট্র রয়েছে পৃথিবীতে যা জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত, এছাড়াও দুটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও ৭২ টি নির্ভরশীল অঞ্চল এবং সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র রয়েছে। পৃথিবীতে কখনই একটি একক সার্বভৌম সরকার তৈরি হয়নি যার পুরো বিশ্বের উপর কর্তৃত ছিল, যদিও বা কিছু জাতি-রাষ্ট্র বিশ্ব আধিপত্যের জন্য যুদ্ধ করেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্ব ব্যাপী আন্ত-রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসাবে কাজ করে, এটা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশগুলো মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে নিয়ে, সশস্ত্র বিরোধ যাতে না ঘটে। ইউএন প্রধানত আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের ফোরাম হিসাবে কাজ করে। যদি সদস্য রাষ্ট্র সমূহ সম্মতি প্রদান করে, এটি সশস্ত্র হস্তক্ষেপের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম মানুষ হলেন ইউরি গ্যাগারিন, ১২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে। ৩০ জুলাই ২০১০ (2010-07-30)-এর হিসাব অনুযায়ী, সর্বমোট, প্রায় ৪৮৭ জন মানুষ মহাকাশে ও পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন, এবং, এদের মধ্যে, বার জন চাঁদের মাটিতে হেঁটেছেন।
মিশন অ্যাপোলো 13 কোন সালে হয়েছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1730
null
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তা আরও বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়। সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাতম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বছরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তিন পদ্ধতি প্রচলিত। প্রথমত সাধারণ পদ্ধতির স্কুলগুলোতে সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসৃত হয়। এসব স্কুলে শিক্ষাপ্রদানের ভাষা বাংলা। দ্বিতীয়ত রয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত সংখ্যক হলেও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলগুলো প্রসিদ্ধ। তৃতীয়ত রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। শেষোক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা। তবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, ব্যবসায় ইত্যাদি সকল বিষয়ও পাঠ্য। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি, ৮৩টি বেসরকারি এবং দুটো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় বৃহত্তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) প্রাচীনতম। এছাড়াও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-র একটি অঙ্গসংগঠন, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপমহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এশিয়ার ১৪টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফ্যাকাল্টির সদস্যবৃন্দ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স এবং ডুয়েট দেশের ছয়টি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক উল্লেখযোগ্য। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮টি। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি দুরূহ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে পরিচিত শিশুরা বিশ্ব ব্যাংকের জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে। ৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে। ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন ভিটামিন এ এবং প্রতি দুইজনের একজন রক্তস্বল্পতাজনিত রোগে ভুগছে। তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী) উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশে ২০০৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে সাক্ষরতার হার কত শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে?
{ "text": [ "২৬.১০ শতাংশ" ], "answer_start": [ 173 ] }
1731
null
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তা আরও বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়। সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাতম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বছরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তিন পদ্ধতি প্রচলিত। প্রথমত সাধারণ পদ্ধতির স্কুলগুলোতে সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসৃত হয়। এসব স্কুলে শিক্ষাপ্রদানের ভাষা বাংলা। দ্বিতীয়ত রয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত সংখ্যক হলেও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলগুলো প্রসিদ্ধ। তৃতীয়ত রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। শেষোক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা। তবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, ব্যবসায় ইত্যাদি সকল বিষয়ও পাঠ্য। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি, ৮৩টি বেসরকারি এবং দুটো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় বৃহত্তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) প্রাচীনতম। এছাড়াও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-র একটি অঙ্গসংগঠন, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপমহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এশিয়ার ১৪টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফ্যাকাল্টির সদস্যবৃন্দ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স এবং ডুয়েট দেশের ছয়টি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক উল্লেখযোগ্য। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮টি। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি দুরূহ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে পরিচিত শিশুরা বিশ্ব ব্যাংকের জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে। ৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে। ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন ভিটামিন এ এবং প্রতি দুইজনের একজন রক্তস্বল্পতাজনিত রোগে ভুগছে। তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী) উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশে কত পরিমাণ হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হয়েছে ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1732
null
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তা আরও বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়। সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাতম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বছরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তিন পদ্ধতি প্রচলিত। প্রথমত সাধারণ পদ্ধতির স্কুলগুলোতে সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসৃত হয়। এসব স্কুলে শিক্ষাপ্রদানের ভাষা বাংলা। দ্বিতীয়ত রয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত সংখ্যক হলেও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলগুলো প্রসিদ্ধ। তৃতীয়ত রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। শেষোক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা। তবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, ব্যবসায় ইত্যাদি সকল বিষয়ও পাঠ্য। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি, ৮৩টি বেসরকারি এবং দুটো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় বৃহত্তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) প্রাচীনতম। এছাড়াও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-র একটি অঙ্গসংগঠন, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপমহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এশিয়ার ১৪টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফ্যাকাল্টির সদস্যবৃন্দ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স এবং ডুয়েট দেশের ছয়টি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক উল্লেখযোগ্য। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮টি। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি দুরূহ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে পরিচিত শিশুরা বিশ্ব ব্যাংকের জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে। ৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে। ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন ভিটামিন এ এবং প্রতি দুইজনের একজন রক্তস্বল্পতাজনিত রোগে ভুগছে। তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী) উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশে ২০১০ সালের হিসেব অনুসারে মহিলাদের সাক্ষরতার হার কত ছিল?
{ "text": [ "৫২.২ শতাংশ" ], "answer_start": [ 229 ] }
1733
null
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তা আরও বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়। সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাতম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বছরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তিন পদ্ধতি প্রচলিত। প্রথমত সাধারণ পদ্ধতির স্কুলগুলোতে সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসৃত হয়। এসব স্কুলে শিক্ষাপ্রদানের ভাষা বাংলা। দ্বিতীয়ত রয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত সংখ্যক হলেও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলগুলো প্রসিদ্ধ। তৃতীয়ত রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। শেষোক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা। তবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, ব্যবসায় ইত্যাদি সকল বিষয়ও পাঠ্য। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি, ৮৩টি বেসরকারি এবং দুটো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় বৃহত্তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) প্রাচীনতম। এছাড়াও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-র একটি অঙ্গসংগঠন, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপমহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এশিয়ার ১৪টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফ্যাকাল্টির সদস্যবৃন্দ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স এবং ডুয়েট দেশের ছয়টি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক উল্লেখযোগ্য। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮টি। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি দুরূহ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে পরিচিত শিশুরা বিশ্ব ব্যাংকের জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে। ৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে। ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন ভিটামিন এ এবং প্রতি দুইজনের একজন রক্তস্বল্পতাজনিত রোগে ভুগছে। তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী) উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশে ২০১৬ সালের হিসেব অনুসারে পুরুষদের সাক্ষরতার হার কত ছিল?
{ "text": [ "৭৫.৬২ শতাংশে" ], "answer_start": [ 322 ] }
1734
null
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তা আরও বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়। সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাতম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বছরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তিন পদ্ধতি প্রচলিত। প্রথমত সাধারণ পদ্ধতির স্কুলগুলোতে সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসৃত হয়। এসব স্কুলে শিক্ষাপ্রদানের ভাষা বাংলা। দ্বিতীয়ত রয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত সংখ্যক হলেও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলগুলো প্রসিদ্ধ। তৃতীয়ত রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। শেষোক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা। তবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, ব্যবসায় ইত্যাদি সকল বিষয়ও পাঠ্য। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি, ৮৩টি বেসরকারি এবং দুটো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় বৃহত্তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) প্রাচীনতম। এছাড়াও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-র একটি অঙ্গসংগঠন, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপমহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এশিয়ার ১৪টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফ্যাকাল্টির সদস্যবৃন্দ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স এবং ডুয়েট দেশের ছয়টি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক উল্লেখযোগ্য। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮টি। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি দুরূহ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে পরিচিত শিশুরা বিশ্ব ব্যাংকের জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে। ৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে। ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন ভিটামিন এ এবং প্রতি দুইজনের একজন রক্তস্বল্পতাজনিত রোগে ভুগছে। তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী) উন্নীত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রকের মতে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার কত ছিল?
{ "text": [ "৭২.৯" ], "answer_start": [ 132 ] }
1735
null
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তা আরও বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়। সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাতম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বছরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তিন পদ্ধতি প্রচলিত। প্রথমত সাধারণ পদ্ধতির স্কুলগুলোতে সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসৃত হয়। এসব স্কুলে শিক্ষাপ্রদানের ভাষা বাংলা। দ্বিতীয়ত রয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত সংখ্যক হলেও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলগুলো প্রসিদ্ধ। তৃতীয়ত রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। শেষোক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা। তবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, ব্যবসায় ইত্যাদি সকল বিষয়ও পাঠ্য। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি, ৮৩টি বেসরকারি এবং দুটো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় বৃহত্তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) প্রাচীনতম। এছাড়াও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-র একটি অঙ্গসংগঠন, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপমহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এশিয়ার ১৪টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফ্যাকাল্টির সদস্যবৃন্দ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স এবং ডুয়েট দেশের ছয়টি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক উল্লেখযোগ্য। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮টি। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি দুরূহ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে পরিচিত শিশুরা বিশ্ব ব্যাংকের জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে। ৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে। ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন ভিটামিন এ এবং প্রতি দুইজনের একজন রক্তস্বল্পতাজনিত রোগে ভুগছে। তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী) উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে মাতৃ মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে কত ছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1736
null
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তা আরও বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়। সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাতম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বছরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তিন পদ্ধতি প্রচলিত। প্রথমত সাধারণ পদ্ধতির স্কুলগুলোতে সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসৃত হয়। এসব স্কুলে শিক্ষাপ্রদানের ভাষা বাংলা। দ্বিতীয়ত রয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত সংখ্যক হলেও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলগুলো প্রসিদ্ধ। তৃতীয়ত রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। শেষোক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা। তবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, ব্যবসায় ইত্যাদি সকল বিষয়ও পাঠ্য। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি, ৮৩টি বেসরকারি এবং দুটো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় বৃহত্তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) প্রাচীনতম। এছাড়াও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-র একটি অঙ্গসংগঠন, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপমহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এশিয়ার ১৪টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফ্যাকাল্টির সদস্যবৃন্দ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স এবং ডুয়েট দেশের ছয়টি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক উল্লেখযোগ্য। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮টি। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি দুরূহ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে পরিচিত শিশুরা বিশ্ব ব্যাংকের জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে। ৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে। ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন ভিটামিন এ এবং প্রতি দুইজনের একজন রক্তস্বল্পতাজনিত রোগে ভুগছে। তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী) উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশে শিক্ষার মোট কয়টি পদ্ধতি আছে?
{ "text": [ "তিন" ], "answer_start": [ 953 ] }
1737
null
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তা আরও বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়। সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাতম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বছরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তিন পদ্ধতি প্রচলিত। প্রথমত সাধারণ পদ্ধতির স্কুলগুলোতে সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসৃত হয়। এসব স্কুলে শিক্ষাপ্রদানের ভাষা বাংলা। দ্বিতীয়ত রয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত সংখ্যক হলেও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলগুলো প্রসিদ্ধ। তৃতীয়ত রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। শেষোক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা। তবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, ব্যবসায় ইত্যাদি সকল বিষয়ও পাঠ্য। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি, ৮৩টি বেসরকারি এবং দুটো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় বৃহত্তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) প্রাচীনতম। এছাড়াও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-র একটি অঙ্গসংগঠন, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপমহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এশিয়ার ১৪টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফ্যাকাল্টির সদস্যবৃন্দ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স এবং ডুয়েট দেশের ছয়টি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক উল্লেখযোগ্য। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮টি। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি দুরূহ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে পরিচিত শিশুরা বিশ্ব ব্যাংকের জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে। ৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে। ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন ভিটামিন এ এবং প্রতি দুইজনের একজন রক্তস্বল্পতাজনিত রোগে ভুগছে। তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী) উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে কত ছিল ?
{ "text": [ "৪৩%" ], "answer_start": [ 3969 ] }
1738
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতে প্রথম দ্রুত ট্রানজিট সিস্টেম মেট্রো একবারে কত কিলোমিটারের যাত্রা করে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1739
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০১৭ সালে কত যাত্রী বহন করেছিল?
{ "text": [ "১৭.১ মিলিয়ন" ], "answer_start": [ 965 ] }
1740
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
28 নভেম্বর 2017, তে মিয়াপুর থেকে নাগোলে 30 কিলোমিটার বিস্তৃত মোট 24 টি স্টেশনের উদ্বোধন কার দ্বারা হয়েছিল ?
{ "text": [ "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী" ], "answer_start": [ 1869 ] }
1741
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতে প্রথম দ্রুত ট্রানজিট সিস্টেম মেট্রো নির্মাণ করতে কত ব্যয় হয়েছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1742
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৫ সালে এল অ্যান্ড টি মেট্রো রেল হায়দ্রাবাদ লিমিটেড (এল.টি.এম.আর এইচ.এল) এসএপি এসিই এর কোন্ বিভাগে পুরস্কার পায়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1743
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরের প্রতি বছর কত মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে?
{ "text": [ "প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন" ], "answer_start": [ 631 ] }
1744
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কটি কার্গো টার্মিনাল আছে?
{ "text": [ "একটি" ], "answer_start": [ 473 ] }
1745
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৭ এর ফলাফল অনুযায়ী ভারতের ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দরের নাম কি ?
{ "text": [ "রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর" ], "answer_start": [ 808 ] }
1746
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কটি যাত্রী টার্মিনাল আছে?
{ "text": [ "একটি" ], "answer_start": [ 473 ] }
1747
null
২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়। হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হল শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ট এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফথান্স কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিয়াগো ও এয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম। ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে। হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত, যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে। মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কটি রানওয়ে আছে?
{ "text": [ "দুটি" ], "answer_start": [ 522 ] }
1748
null
২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ আদি হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা একাধিক বৃহৎ নগর কেন্দ্রে গড়ে তুলেছিল। এই ধরনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নগর হল আধুনিক পাকিস্তানের হরপ্পা, গনেরিওয়ালা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং ভারতের ধোলাভিরা, কালিবঙ্গান, রাখিগড়ি, রুপার, লোথাল ইত্যাদি। সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির অববাহিকায় মোট ১,০৫২টি প্রাচীন নগর ও বসতি অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিন্ধু সভ্যতায় এক অভিজাত ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন নগরাঞ্চলীয় সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এই শহরগুলিই ছিল এই অঞ্চলের প্রাচীনতম নগরব্যবস্থা। নগর পরিকল্পনার উচ্চমান দেখে অনুমিত হয় নগরোন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে এই অঞ্চলের মানুষের যথেষ্ট জ্ঞান ছিল এবং এখানে একটি দক্ষ পৌর সরকারেরও অস্তিত্ব ছিল। এই সরকারব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসচেতনতা যেমন গুরুত্ব পেত, তেমনি নাগরিকদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজর রাখা হত। হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং রাখিগড়ির যে অংশে খননকার্য চলেছে, সেই অংশের নগরোন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তর্গত ছিল বিশ্বের প্রথম নগরাঞ্চলীয় নিকাশি ব্যবস্থা। শহরে বাড়ির মধ্যে স্বতন্ত্র কূপ থেকে জল তোলা হত; কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক বাড়ি একটি সার্বজনীন কূপ থেকেও জল নিত। স্নানের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি থেকে নালিপথে বর্জ্যজল ঢাকা নর্দমার দিকে পাঠানো হত। এই ঢাকা নর্দমাগুলি শহরের প্রধান প্রধান রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত ছিল। বাড়ির দরজা থাকত অভ্যন্তরীণ অঙ্গন বা ছোটো ছোটো গলির দিকে। এই অঞ্চলের কোনো কোনো গ্রামের গৃহনির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে আজও হরপ্পার গৃহনির্মাণ পদ্ধতির কিছু রীতি বিদ্যমান রয়েছে। এই অঞ্চলের জলনিকাশি ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও পাকিস্তানে আবিষ্কৃত যে কোনো প্রাচীন সভ্যতার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। পোতাঙ্গন, শস্যাগার, গুদাম, ইষ্টকনির্মিত অঙ্গন ও রক্ষাপ্রাচীরগুলি হরপ্পার উন্নত স্থাপত্যকলার পরিচায়ক।
মেসোপটেমিয়া বা প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় কি ধরনের পরিকাঠামো পাওয়া গিয়েছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1749
null
২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ আদি হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা একাধিক বৃহৎ নগর কেন্দ্রে গড়ে তুলেছিল। এই ধরনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নগর হল আধুনিক পাকিস্তানের হরপ্পা, গনেরিওয়ালা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং ভারতের ধোলাভিরা, কালিবঙ্গান, রাখিগড়ি, রুপার, লোথাল ইত্যাদি। সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির অববাহিকায় মোট ১,০৫২টি প্রাচীন নগর ও বসতি অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিন্ধু সভ্যতায় এক অভিজাত ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন নগরাঞ্চলীয় সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এই শহরগুলিই ছিল এই অঞ্চলের প্রাচীনতম নগরব্যবস্থা। নগর পরিকল্পনার উচ্চমান দেখে অনুমিত হয় নগরোন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে এই অঞ্চলের মানুষের যথেষ্ট জ্ঞান ছিল এবং এখানে একটি দক্ষ পৌর সরকারেরও অস্তিত্ব ছিল। এই সরকারব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসচেতনতা যেমন গুরুত্ব পেত, তেমনি নাগরিকদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজর রাখা হত। হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং রাখিগড়ির যে অংশে খননকার্য চলেছে, সেই অংশের নগরোন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তর্গত ছিল বিশ্বের প্রথম নগরাঞ্চলীয় নিকাশি ব্যবস্থা। শহরে বাড়ির মধ্যে স্বতন্ত্র কূপ থেকে জল তোলা হত; কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক বাড়ি একটি সার্বজনীন কূপ থেকেও জল নিত। স্নানের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি থেকে নালিপথে বর্জ্যজল ঢাকা নর্দমার দিকে পাঠানো হত। এই ঢাকা নর্দমাগুলি শহরের প্রধান প্রধান রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত ছিল। বাড়ির দরজা থাকত অভ্যন্তরীণ অঙ্গন বা ছোটো ছোটো গলির দিকে। এই অঞ্চলের কোনো কোনো গ্রামের গৃহনির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে আজও হরপ্পার গৃহনির্মাণ পদ্ধতির কিছু রীতি বিদ্যমান রয়েছে। এই অঞ্চলের জলনিকাশি ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও পাকিস্তানে আবিষ্কৃত যে কোনো প্রাচীন সভ্যতার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। পোতাঙ্গন, শস্যাগার, গুদাম, ইষ্টকনির্মিত অঙ্গন ও রক্ষাপ্রাচীরগুলি হরপ্পার উন্নত স্থাপত্যকলার পরিচায়ক।
কত খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ, হরপ্পা সভ্যতার বেশ কয়েকটি বড় নগর কেন্দ্রে বিকশিত হয়েছিল?
{ "text": [ "২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ" ], "answer_start": [ 0 ] }
1750
null
২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ আদি হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা একাধিক বৃহৎ নগর কেন্দ্রে গড়ে তুলেছিল। এই ধরনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নগর হল আধুনিক পাকিস্তানের হরপ্পা, গনেরিওয়ালা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং ভারতের ধোলাভিরা, কালিবঙ্গান, রাখিগড়ি, রুপার, লোথাল ইত্যাদি। সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির অববাহিকায় মোট ১,০৫২টি প্রাচীন নগর ও বসতি অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিন্ধু সভ্যতায় এক অভিজাত ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন নগরাঞ্চলীয় সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এই শহরগুলিই ছিল এই অঞ্চলের প্রাচীনতম নগরব্যবস্থা। নগর পরিকল্পনার উচ্চমান দেখে অনুমিত হয় নগরোন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে এই অঞ্চলের মানুষের যথেষ্ট জ্ঞান ছিল এবং এখানে একটি দক্ষ পৌর সরকারেরও অস্তিত্ব ছিল। এই সরকারব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসচেতনতা যেমন গুরুত্ব পেত, তেমনি নাগরিকদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজর রাখা হত। হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং রাখিগড়ির যে অংশে খননকার্য চলেছে, সেই অংশের নগরোন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তর্গত ছিল বিশ্বের প্রথম নগরাঞ্চলীয় নিকাশি ব্যবস্থা। শহরে বাড়ির মধ্যে স্বতন্ত্র কূপ থেকে জল তোলা হত; কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক বাড়ি একটি সার্বজনীন কূপ থেকেও জল নিত। স্নানের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি থেকে নালিপথে বর্জ্যজল ঢাকা নর্দমার দিকে পাঠানো হত। এই ঢাকা নর্দমাগুলি শহরের প্রধান প্রধান রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত ছিল। বাড়ির দরজা থাকত অভ্যন্তরীণ অঙ্গন বা ছোটো ছোটো গলির দিকে। এই অঞ্চলের কোনো কোনো গ্রামের গৃহনির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে আজও হরপ্পার গৃহনির্মাণ পদ্ধতির কিছু রীতি বিদ্যমান রয়েছে। এই অঞ্চলের জলনিকাশি ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও পাকিস্তানে আবিষ্কৃত যে কোনো প্রাচীন সভ্যতার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। পোতাঙ্গন, শস্যাগার, গুদাম, ইষ্টকনির্মিত অঙ্গন ও রক্ষাপ্রাচীরগুলি হরপ্পার উন্নত স্থাপত্যকলার পরিচায়ক।
অভিজাত এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত নগর সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায় এমন একটি সভ্যতার নাম কি?
{ "text": [ "সিন্ধু সভ্যতায়" ], "answer_start": [ 344 ] }
1751
null
২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ আদি হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা একাধিক বৃহৎ নগর কেন্দ্রে গড়ে তুলেছিল। এই ধরনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নগর হল আধুনিক পাকিস্তানের হরপ্পা, গনেরিওয়ালা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং ভারতের ধোলাভিরা, কালিবঙ্গান, রাখিগড়ি, রুপার, লোথাল ইত্যাদি। সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির অববাহিকায় মোট ১,০৫২টি প্রাচীন নগর ও বসতি অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিন্ধু সভ্যতায় এক অভিজাত ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন নগরাঞ্চলীয় সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এই শহরগুলিই ছিল এই অঞ্চলের প্রাচীনতম নগরব্যবস্থা। নগর পরিকল্পনার উচ্চমান দেখে অনুমিত হয় নগরোন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে এই অঞ্চলের মানুষের যথেষ্ট জ্ঞান ছিল এবং এখানে একটি দক্ষ পৌর সরকারেরও অস্তিত্ব ছিল। এই সরকারব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসচেতনতা যেমন গুরুত্ব পেত, তেমনি নাগরিকদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজর রাখা হত। হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং রাখিগড়ির যে অংশে খননকার্য চলেছে, সেই অংশের নগরোন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তর্গত ছিল বিশ্বের প্রথম নগরাঞ্চলীয় নিকাশি ব্যবস্থা। শহরে বাড়ির মধ্যে স্বতন্ত্র কূপ থেকে জল তোলা হত; কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক বাড়ি একটি সার্বজনীন কূপ থেকেও জল নিত। স্নানের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি থেকে নালিপথে বর্জ্যজল ঢাকা নর্দমার দিকে পাঠানো হত। এই ঢাকা নর্দমাগুলি শহরের প্রধান প্রধান রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত ছিল। বাড়ির দরজা থাকত অভ্যন্তরীণ অঙ্গন বা ছোটো ছোটো গলির দিকে। এই অঞ্চলের কোনো কোনো গ্রামের গৃহনির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে আজও হরপ্পার গৃহনির্মাণ পদ্ধতির কিছু রীতি বিদ্যমান রয়েছে। এই অঞ্চলের জলনিকাশি ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও পাকিস্তানে আবিষ্কৃত যে কোনো প্রাচীন সভ্যতার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। পোতাঙ্গন, শস্যাগার, গুদাম, ইষ্টকনির্মিত অঙ্গন ও রক্ষাপ্রাচীরগুলি হরপ্পার উন্নত স্থাপত্যকলার পরিচায়ক।
মহেঞ্জোদারো কোন দেশে অবস্থিত?
{ "text": [ "পাকিস্তানের" ], "answer_start": [ 138 ] }
1752
null
২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ আদি হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা একাধিক বৃহৎ নগর কেন্দ্রে গড়ে তুলেছিল। এই ধরনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নগর হল আধুনিক পাকিস্তানের হরপ্পা, গনেরিওয়ালা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং ভারতের ধোলাভিরা, কালিবঙ্গান, রাখিগড়ি, রুপার, লোথাল ইত্যাদি। সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির অববাহিকায় মোট ১,০৫২টি প্রাচীন নগর ও বসতি অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিন্ধু সভ্যতায় এক অভিজাত ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন নগরাঞ্চলীয় সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এই শহরগুলিই ছিল এই অঞ্চলের প্রাচীনতম নগরব্যবস্থা। নগর পরিকল্পনার উচ্চমান দেখে অনুমিত হয় নগরোন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে এই অঞ্চলের মানুষের যথেষ্ট জ্ঞান ছিল এবং এখানে একটি দক্ষ পৌর সরকারেরও অস্তিত্ব ছিল। এই সরকারব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসচেতনতা যেমন গুরুত্ব পেত, তেমনি নাগরিকদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজর রাখা হত। হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং রাখিগড়ির যে অংশে খননকার্য চলেছে, সেই অংশের নগরোন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তর্গত ছিল বিশ্বের প্রথম নগরাঞ্চলীয় নিকাশি ব্যবস্থা। শহরে বাড়ির মধ্যে স্বতন্ত্র কূপ থেকে জল তোলা হত; কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক বাড়ি একটি সার্বজনীন কূপ থেকেও জল নিত। স্নানের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি থেকে নালিপথে বর্জ্যজল ঢাকা নর্দমার দিকে পাঠানো হত। এই ঢাকা নর্দমাগুলি শহরের প্রধান প্রধান রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত ছিল। বাড়ির দরজা থাকত অভ্যন্তরীণ অঙ্গন বা ছোটো ছোটো গলির দিকে। এই অঞ্চলের কোনো কোনো গ্রামের গৃহনির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে আজও হরপ্পার গৃহনির্মাণ পদ্ধতির কিছু রীতি বিদ্যমান রয়েছে। এই অঞ্চলের জলনিকাশি ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও পাকিস্তানে আবিষ্কৃত যে কোনো প্রাচীন সভ্যতার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। পোতাঙ্গন, শস্যাগার, গুদাম, ইষ্টকনির্মিত অঙ্গন ও রক্ষাপ্রাচীরগুলি হরপ্পার উন্নত স্থাপত্যকলার পরিচায়ক।
সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলিতে মোট কয়টি প্রাচীন শহর এবং বসতি পাওয়া গেছে?
{ "text": [ "১,০৫২টি" ], "answer_start": [ 287 ] }
1753
null
২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ আদি হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা একাধিক বৃহৎ নগর কেন্দ্রে গড়ে তুলেছিল। এই ধরনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নগর হল আধুনিক পাকিস্তানের হরপ্পা, গনেরিওয়ালা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং ভারতের ধোলাভিরা, কালিবঙ্গান, রাখিগড়ি, রুপার, লোথাল ইত্যাদি। সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির অববাহিকায় মোট ১,০৫২টি প্রাচীন নগর ও বসতি অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিন্ধু সভ্যতায় এক অভিজাত ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন নগরাঞ্চলীয় সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এই শহরগুলিই ছিল এই অঞ্চলের প্রাচীনতম নগরব্যবস্থা। নগর পরিকল্পনার উচ্চমান দেখে অনুমিত হয় নগরোন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে এই অঞ্চলের মানুষের যথেষ্ট জ্ঞান ছিল এবং এখানে একটি দক্ষ পৌর সরকারেরও অস্তিত্ব ছিল। এই সরকারব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসচেতনতা যেমন গুরুত্ব পেত, তেমনি নাগরিকদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজর রাখা হত। হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং রাখিগড়ির যে অংশে খননকার্য চলেছে, সেই অংশের নগরোন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তর্গত ছিল বিশ্বের প্রথম নগরাঞ্চলীয় নিকাশি ব্যবস্থা। শহরে বাড়ির মধ্যে স্বতন্ত্র কূপ থেকে জল তোলা হত; কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক বাড়ি একটি সার্বজনীন কূপ থেকেও জল নিত। স্নানের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি থেকে নালিপথে বর্জ্যজল ঢাকা নর্দমার দিকে পাঠানো হত। এই ঢাকা নর্দমাগুলি শহরের প্রধান প্রধান রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত ছিল। বাড়ির দরজা থাকত অভ্যন্তরীণ অঙ্গন বা ছোটো ছোটো গলির দিকে। এই অঞ্চলের কোনো কোনো গ্রামের গৃহনির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে আজও হরপ্পার গৃহনির্মাণ পদ্ধতির কিছু রীতি বিদ্যমান রয়েছে। এই অঞ্চলের জলনিকাশি ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও পাকিস্তানে আবিষ্কৃত যে কোনো প্রাচীন সভ্যতার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। পোতাঙ্গন, শস্যাগার, গুদাম, ইষ্টকনির্মিত অঙ্গন ও রক্ষাপ্রাচীরগুলি হরপ্পার উন্নত স্থাপত্যকলার পরিচায়ক।
বন্দর, শস্যাগার, গুদাম, ইটের তৈরি আঙ্গিনা এবং দুর্গের প্রাচীর এগুলি কোন সভ্যতার উন্নত স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1754
null
২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ আদি হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা একাধিক বৃহৎ নগর কেন্দ্রে গড়ে তুলেছিল। এই ধরনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নগর হল আধুনিক পাকিস্তানের হরপ্পা, গনেরিওয়ালা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং ভারতের ধোলাভিরা, কালিবঙ্গান, রাখিগড়ি, রুপার, লোথাল ইত্যাদি। সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির অববাহিকায় মোট ১,০৫২টি প্রাচীন নগর ও বসতি অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিন্ধু সভ্যতায় এক অভিজাত ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন নগরাঞ্চলীয় সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এই শহরগুলিই ছিল এই অঞ্চলের প্রাচীনতম নগরব্যবস্থা। নগর পরিকল্পনার উচ্চমান দেখে অনুমিত হয় নগরোন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে এই অঞ্চলের মানুষের যথেষ্ট জ্ঞান ছিল এবং এখানে একটি দক্ষ পৌর সরকারেরও অস্তিত্ব ছিল। এই সরকারব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসচেতনতা যেমন গুরুত্ব পেত, তেমনি নাগরিকদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজর রাখা হত। হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়ো এবং রাখিগড়ির যে অংশে খননকার্য চলেছে, সেই অংশের নগরোন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তর্গত ছিল বিশ্বের প্রথম নগরাঞ্চলীয় নিকাশি ব্যবস্থা। শহরে বাড়ির মধ্যে স্বতন্ত্র কূপ থেকে জল তোলা হত; কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক বাড়ি একটি সার্বজনীন কূপ থেকেও জল নিত। স্নানের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি থেকে নালিপথে বর্জ্যজল ঢাকা নর্দমার দিকে পাঠানো হত। এই ঢাকা নর্দমাগুলি শহরের প্রধান প্রধান রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত ছিল। বাড়ির দরজা থাকত অভ্যন্তরীণ অঙ্গন বা ছোটো ছোটো গলির দিকে। এই অঞ্চলের কোনো কোনো গ্রামের গৃহনির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে আজও হরপ্পার গৃহনির্মাণ পদ্ধতির কিছু রীতি বিদ্যমান রয়েছে। এই অঞ্চলের জলনিকাশি ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও পাকিস্তানে আবিষ্কৃত যে কোনো প্রাচীন সভ্যতার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। পোতাঙ্গন, শস্যাগার, গুদাম, ইষ্টকনির্মিত অঙ্গন ও রক্ষাপ্রাচীরগুলি হরপ্পার উন্নত স্থাপত্যকলার পরিচায়ক।
২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ উল্লিখিত সভ্যতাটির নাম কি ?
{ "text": [ "আদি হরপ্পা সভ্যতা" ], "answer_start": [ 28 ] }
1755
null
৩। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কৃষিজীবীদের আয় সর্ব্বোচ্চ পরিমাণে নিয়ে যাওয়া। ৪। বিপণনে হস্তক্ষেপ ও রপ্তানি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির বর্ধিতকরণ। ৫। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বৃদ্ধি এবং৬। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা করা এবং খরা ও বন‍্যা ব‍্যবস্থাপনের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। সম্মুখগতি:উপরের লক্ষ‍্যমাত্রাগুলি পূরণের জন‍্য কৃষি বিভাগ কৃষি সম্পর্কিত অন‍্যান‍্য বিভাগের সঙ্গে যেমন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মৎস‍্য, কৃষি বিপণন, উদ‍্যানপালন, সমবায়, জলসম্পদ অনুসন্ধান, সেচ ও জলপথ, বন, রেশমশিল্প, খাদ‍্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীন ডব্লিউ বি সি এ ডি সি-র সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করে। সাম্প্রতিক কালে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রচেষ্টার প্রতি লক্ষ‍্য রেখে এবং তারা আরও বেশি প্রতিফল পান সেই উদ্দেশ‍্যে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যেমন উন্নততর অনুশীলন, উন্নতমানের কাঁচামাল, বিভিন্ন শস‍্যের উৎপাদন, কৃষি যন্ত্রায়ণে প্রথম পর্যায়ে ভরতুকি প্রদান, জল সংরক্ষণ ও জলবিভাজিকা ব‍্যবস্থাপনের মাধ‍্যমে সেচ ব‍্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিপণনজ্ঞানের প্রয়োগ; এছাড়া তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির কৃষকদের উন্নতি, কৃষিক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, এফ পি ও এবং এন জিও-গুলির সাহায‍্যে সাকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব আনয়ণ ইত‍্যাদি। এই বিভাগ আই সি টি ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত পোর্টাল মাটির কথা নিয়ে এসেছে, এই পোর্টাল কৃষকদের তাৎক্ষণিক সমস‍্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গতিশীল ভূমিকা পালন করে। কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব‍্য ও উপকরণ উভয়ের বিপণন ব‍্যবস্থার উন্নতির জন‍্য প্রয়োজন উপযুক্ত নীতি ও আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কাঠামো এবং শক্তিশালী সরকারি সহায়তা মূলক পরিষেবা। বাজার পরিকাঠামো, বাজার সংক্রান্ত তথ‍্য সরবরাহ এবং কৃষকদের বিপণন বিষয়ে পরামর্শদানে সক্ষম কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবাকে এই ধরনের সরকারি পরিষেবার অর্ন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কৃষিজ উৎপন্নের সহায়কমূল‍্য ও উৎপাদনশীলতা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সর্বস্তরে বিপণনের প্রশিক্ষণ এখন যুগের দাবি। কৃষক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে কৃষিজ উৎপন্ন দ্রব‍্যের বিপণনকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নবীন শিক্ষার্থী-সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ‍্য। বিগত শতকের সাতের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মূলতঃ ভূমি সংস্কার, কৃষি প্রকৌশলের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন, নিবিড় গবেষণা ও সরকারি সংস্থাগুলোর সদর্থক অংশগ্রহণের কারণে। কৃষি বিপণন হচ্চে একটা প্রক্রিয়া যার শুরু বিক্রয়য়োগ‍্য কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব্য উৎপাদনের সিদ্ধান্তের মধ‍্যে। প্রযুক্তি ও অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কার্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় দিকেরই বাজার কাঠামোর সকল দিক এর মধ‍্যে যুক্ত।
কৃষি পণ্যের বিপণনে মনোনিবেশ করার জন্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কি তৈরি করেছে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1756
null
৩। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কৃষিজীবীদের আয় সর্ব্বোচ্চ পরিমাণে নিয়ে যাওয়া। ৪। বিপণনে হস্তক্ষেপ ও রপ্তানি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির বর্ধিতকরণ। ৫। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বৃদ্ধি এবং৬। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা করা এবং খরা ও বন‍্যা ব‍্যবস্থাপনের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। সম্মুখগতি:উপরের লক্ষ‍্যমাত্রাগুলি পূরণের জন‍্য কৃষি বিভাগ কৃষি সম্পর্কিত অন‍্যান‍্য বিভাগের সঙ্গে যেমন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মৎস‍্য, কৃষি বিপণন, উদ‍্যানপালন, সমবায়, জলসম্পদ অনুসন্ধান, সেচ ও জলপথ, বন, রেশমশিল্প, খাদ‍্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীন ডব্লিউ বি সি এ ডি সি-র সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করে। সাম্প্রতিক কালে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রচেষ্টার প্রতি লক্ষ‍্য রেখে এবং তারা আরও বেশি প্রতিফল পান সেই উদ্দেশ‍্যে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যেমন উন্নততর অনুশীলন, উন্নতমানের কাঁচামাল, বিভিন্ন শস‍্যের উৎপাদন, কৃষি যন্ত্রায়ণে প্রথম পর্যায়ে ভরতুকি প্রদান, জল সংরক্ষণ ও জলবিভাজিকা ব‍্যবস্থাপনের মাধ‍্যমে সেচ ব‍্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিপণনজ্ঞানের প্রয়োগ; এছাড়া তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির কৃষকদের উন্নতি, কৃষিক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, এফ পি ও এবং এন জিও-গুলির সাহায‍্যে সাকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব আনয়ণ ইত‍্যাদি। এই বিভাগ আই সি টি ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত পোর্টাল মাটির কথা নিয়ে এসেছে, এই পোর্টাল কৃষকদের তাৎক্ষণিক সমস‍্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গতিশীল ভূমিকা পালন করে। কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব‍্য ও উপকরণ উভয়ের বিপণন ব‍্যবস্থার উন্নতির জন‍্য প্রয়োজন উপযুক্ত নীতি ও আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কাঠামো এবং শক্তিশালী সরকারি সহায়তা মূলক পরিষেবা। বাজার পরিকাঠামো, বাজার সংক্রান্ত তথ‍্য সরবরাহ এবং কৃষকদের বিপণন বিষয়ে পরামর্শদানে সক্ষম কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবাকে এই ধরনের সরকারি পরিষেবার অর্ন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কৃষিজ উৎপন্নের সহায়কমূল‍্য ও উৎপাদনশীলতা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সর্বস্তরে বিপণনের প্রশিক্ষণ এখন যুগের দাবি। কৃষক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে কৃষিজ উৎপন্ন দ্রব‍্যের বিপণনকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নবীন শিক্ষার্থী-সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ‍্য। বিগত শতকের সাতের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মূলতঃ ভূমি সংস্কার, কৃষি প্রকৌশলের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন, নিবিড় গবেষণা ও সরকারি সংস্থাগুলোর সদর্থক অংশগ্রহণের কারণে। কৃষি বিপণন হচ্চে একটা প্রক্রিয়া যার শুরু বিক্রয়য়োগ‍্য কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব্য উৎপাদনের সিদ্ধান্তের মধ‍্যে। প্রযুক্তি ও অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কার্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় দিকেরই বাজার কাঠামোর সকল দিক এর মধ‍্যে যুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গে আই সি টি ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত পোর্টাল কিসের কথা নিয়ে এসেছে ?
{ "text": [ "মাটির" ], "answer_start": [ 1232 ] }
1757
null
৩। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কৃষিজীবীদের আয় সর্ব্বোচ্চ পরিমাণে নিয়ে যাওয়া। ৪। বিপণনে হস্তক্ষেপ ও রপ্তানি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির বর্ধিতকরণ। ৫। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বৃদ্ধি এবং৬। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা করা এবং খরা ও বন‍্যা ব‍্যবস্থাপনের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। সম্মুখগতি:উপরের লক্ষ‍্যমাত্রাগুলি পূরণের জন‍্য কৃষি বিভাগ কৃষি সম্পর্কিত অন‍্যান‍্য বিভাগের সঙ্গে যেমন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মৎস‍্য, কৃষি বিপণন, উদ‍্যানপালন, সমবায়, জলসম্পদ অনুসন্ধান, সেচ ও জলপথ, বন, রেশমশিল্প, খাদ‍্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীন ডব্লিউ বি সি এ ডি সি-র সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করে। সাম্প্রতিক কালে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রচেষ্টার প্রতি লক্ষ‍্য রেখে এবং তারা আরও বেশি প্রতিফল পান সেই উদ্দেশ‍্যে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যেমন উন্নততর অনুশীলন, উন্নতমানের কাঁচামাল, বিভিন্ন শস‍্যের উৎপাদন, কৃষি যন্ত্রায়ণে প্রথম পর্যায়ে ভরতুকি প্রদান, জল সংরক্ষণ ও জলবিভাজিকা ব‍্যবস্থাপনের মাধ‍্যমে সেচ ব‍্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিপণনজ্ঞানের প্রয়োগ; এছাড়া তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির কৃষকদের উন্নতি, কৃষিক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, এফ পি ও এবং এন জিও-গুলির সাহায‍্যে সাকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব আনয়ণ ইত‍্যাদি। এই বিভাগ আই সি টি ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত পোর্টাল মাটির কথা নিয়ে এসেছে, এই পোর্টাল কৃষকদের তাৎক্ষণিক সমস‍্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গতিশীল ভূমিকা পালন করে। কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব‍্য ও উপকরণ উভয়ের বিপণন ব‍্যবস্থার উন্নতির জন‍্য প্রয়োজন উপযুক্ত নীতি ও আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কাঠামো এবং শক্তিশালী সরকারি সহায়তা মূলক পরিষেবা। বাজার পরিকাঠামো, বাজার সংক্রান্ত তথ‍্য সরবরাহ এবং কৃষকদের বিপণন বিষয়ে পরামর্শদানে সক্ষম কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবাকে এই ধরনের সরকারি পরিষেবার অর্ন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কৃষিজ উৎপন্নের সহায়কমূল‍্য ও উৎপাদনশীলতা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সর্বস্তরে বিপণনের প্রশিক্ষণ এখন যুগের দাবি। কৃষক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে কৃষিজ উৎপন্ন দ্রব‍্যের বিপণনকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নবীন শিক্ষার্থী-সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ‍্য। বিগত শতকের সাতের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মূলতঃ ভূমি সংস্কার, কৃষি প্রকৌশলের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন, নিবিড় গবেষণা ও সরকারি সংস্থাগুলোর সদর্থক অংশগ্রহণের কারণে। কৃষি বিপণন হচ্চে একটা প্রক্রিয়া যার শুরু বিক্রয়য়োগ‍্য কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব্য উৎপাদনের সিদ্ধান্তের মধ‍্যে। প্রযুক্তি ও অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কার্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় দিকেরই বাজার কাঠামোর সকল দিক এর মধ‍্যে যুক্ত।
WBCADC এটি কোন দপ্তরের অধীনে কাজ করে ?
{ "text": [ "পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন" ], "answer_start": [ 552 ] }
1758
null
৩। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কৃষিজীবীদের আয় সর্ব্বোচ্চ পরিমাণে নিয়ে যাওয়া। ৪। বিপণনে হস্তক্ষেপ ও রপ্তানি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির বর্ধিতকরণ। ৫। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বৃদ্ধি এবং৬। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা করা এবং খরা ও বন‍্যা ব‍্যবস্থাপনের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। সম্মুখগতি:উপরের লক্ষ‍্যমাত্রাগুলি পূরণের জন‍্য কৃষি বিভাগ কৃষি সম্পর্কিত অন‍্যান‍্য বিভাগের সঙ্গে যেমন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মৎস‍্য, কৃষি বিপণন, উদ‍্যানপালন, সমবায়, জলসম্পদ অনুসন্ধান, সেচ ও জলপথ, বন, রেশমশিল্প, খাদ‍্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীন ডব্লিউ বি সি এ ডি সি-র সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করে। সাম্প্রতিক কালে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রচেষ্টার প্রতি লক্ষ‍্য রেখে এবং তারা আরও বেশি প্রতিফল পান সেই উদ্দেশ‍্যে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যেমন উন্নততর অনুশীলন, উন্নতমানের কাঁচামাল, বিভিন্ন শস‍্যের উৎপাদন, কৃষি যন্ত্রায়ণে প্রথম পর্যায়ে ভরতুকি প্রদান, জল সংরক্ষণ ও জলবিভাজিকা ব‍্যবস্থাপনের মাধ‍্যমে সেচ ব‍্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিপণনজ্ঞানের প্রয়োগ; এছাড়া তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির কৃষকদের উন্নতি, কৃষিক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, এফ পি ও এবং এন জিও-গুলির সাহায‍্যে সাকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব আনয়ণ ইত‍্যাদি। এই বিভাগ আই সি টি ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত পোর্টাল মাটির কথা নিয়ে এসেছে, এই পোর্টাল কৃষকদের তাৎক্ষণিক সমস‍্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গতিশীল ভূমিকা পালন করে। কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব‍্য ও উপকরণ উভয়ের বিপণন ব‍্যবস্থার উন্নতির জন‍্য প্রয়োজন উপযুক্ত নীতি ও আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কাঠামো এবং শক্তিশালী সরকারি সহায়তা মূলক পরিষেবা। বাজার পরিকাঠামো, বাজার সংক্রান্ত তথ‍্য সরবরাহ এবং কৃষকদের বিপণন বিষয়ে পরামর্শদানে সক্ষম কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবাকে এই ধরনের সরকারি পরিষেবার অর্ন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কৃষিজ উৎপন্নের সহায়কমূল‍্য ও উৎপাদনশীলতা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সর্বস্তরে বিপণনের প্রশিক্ষণ এখন যুগের দাবি। কৃষক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে কৃষিজ উৎপন্ন দ্রব‍্যের বিপণনকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নবীন শিক্ষার্থী-সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ‍্য। বিগত শতকের সাতের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মূলতঃ ভূমি সংস্কার, কৃষি প্রকৌশলের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন, নিবিড় গবেষণা ও সরকারি সংস্থাগুলোর সদর্থক অংশগ্রহণের কারণে। কৃষি বিপণন হচ্চে একটা প্রক্রিয়া যার শুরু বিক্রয়য়োগ‍্য কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব্য উৎপাদনের সিদ্ধান্তের মধ‍্যে। প্রযুক্তি ও অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কার্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় দিকেরই বাজার কাঠামোর সকল দিক এর মধ‍্যে যুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদন বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন কবে প্রণয়ন হয়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1759
null
৩। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কৃষিজীবীদের আয় সর্ব্বোচ্চ পরিমাণে নিয়ে যাওয়া। ৪। বিপণনে হস্তক্ষেপ ও রপ্তানি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির বর্ধিতকরণ। ৫। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বৃদ্ধি এবং৬। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা করা এবং খরা ও বন‍্যা ব‍্যবস্থাপনের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। সম্মুখগতি:উপরের লক্ষ‍্যমাত্রাগুলি পূরণের জন‍্য কৃষি বিভাগ কৃষি সম্পর্কিত অন‍্যান‍্য বিভাগের সঙ্গে যেমন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মৎস‍্য, কৃষি বিপণন, উদ‍্যানপালন, সমবায়, জলসম্পদ অনুসন্ধান, সেচ ও জলপথ, বন, রেশমশিল্প, খাদ‍্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীন ডব্লিউ বি সি এ ডি সি-র সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করে। সাম্প্রতিক কালে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রচেষ্টার প্রতি লক্ষ‍্য রেখে এবং তারা আরও বেশি প্রতিফল পান সেই উদ্দেশ‍্যে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যেমন উন্নততর অনুশীলন, উন্নতমানের কাঁচামাল, বিভিন্ন শস‍্যের উৎপাদন, কৃষি যন্ত্রায়ণে প্রথম পর্যায়ে ভরতুকি প্রদান, জল সংরক্ষণ ও জলবিভাজিকা ব‍্যবস্থাপনের মাধ‍্যমে সেচ ব‍্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিপণনজ্ঞানের প্রয়োগ; এছাড়া তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির কৃষকদের উন্নতি, কৃষিক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, এফ পি ও এবং এন জিও-গুলির সাহায‍্যে সাকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব আনয়ণ ইত‍্যাদি। এই বিভাগ আই সি টি ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত পোর্টাল মাটির কথা নিয়ে এসেছে, এই পোর্টাল কৃষকদের তাৎক্ষণিক সমস‍্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গতিশীল ভূমিকা পালন করে। কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব‍্য ও উপকরণ উভয়ের বিপণন ব‍্যবস্থার উন্নতির জন‍্য প্রয়োজন উপযুক্ত নীতি ও আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কাঠামো এবং শক্তিশালী সরকারি সহায়তা মূলক পরিষেবা। বাজার পরিকাঠামো, বাজার সংক্রান্ত তথ‍্য সরবরাহ এবং কৃষকদের বিপণন বিষয়ে পরামর্শদানে সক্ষম কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবাকে এই ধরনের সরকারি পরিষেবার অর্ন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কৃষিজ উৎপন্নের সহায়কমূল‍্য ও উৎপাদনশীলতা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সর্বস্তরে বিপণনের প্রশিক্ষণ এখন যুগের দাবি। কৃষক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে কৃষিজ উৎপন্ন দ্রব‍্যের বিপণনকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নবীন শিক্ষার্থী-সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ‍্য। বিগত শতকের সাতের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মূলতঃ ভূমি সংস্কার, কৃষি প্রকৌশলের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন, নিবিড় গবেষণা ও সরকারি সংস্থাগুলোর সদর্থক অংশগ্রহণের কারণে। কৃষি বিপণন হচ্চে একটা প্রক্রিয়া যার শুরু বিক্রয়য়োগ‍্য কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব্য উৎপাদনের সিদ্ধান্তের মধ‍্যে। প্রযুক্তি ও অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কার্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় দিকেরই বাজার কাঠামোর সকল দিক এর মধ‍্যে যুক্ত।
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদন বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন কাদের দ্বারা প্রণয়িত হয়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1760
null
৩। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কৃষিজীবীদের আয় সর্ব্বোচ্চ পরিমাণে নিয়ে যাওয়া। ৪। বিপণনে হস্তক্ষেপ ও রপ্তানি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির বর্ধিতকরণ। ৫। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বৃদ্ধি এবং৬। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা করা এবং খরা ও বন‍্যা ব‍্যবস্থাপনের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। সম্মুখগতি:উপরের লক্ষ‍্যমাত্রাগুলি পূরণের জন‍্য কৃষি বিভাগ কৃষি সম্পর্কিত অন‍্যান‍্য বিভাগের সঙ্গে যেমন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মৎস‍্য, কৃষি বিপণন, উদ‍্যানপালন, সমবায়, জলসম্পদ অনুসন্ধান, সেচ ও জলপথ, বন, রেশমশিল্প, খাদ‍্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীন ডব্লিউ বি সি এ ডি সি-র সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করে। সাম্প্রতিক কালে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রচেষ্টার প্রতি লক্ষ‍্য রেখে এবং তারা আরও বেশি প্রতিফল পান সেই উদ্দেশ‍্যে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যেমন উন্নততর অনুশীলন, উন্নতমানের কাঁচামাল, বিভিন্ন শস‍্যের উৎপাদন, কৃষি যন্ত্রায়ণে প্রথম পর্যায়ে ভরতুকি প্রদান, জল সংরক্ষণ ও জলবিভাজিকা ব‍্যবস্থাপনের মাধ‍্যমে সেচ ব‍্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিপণনজ্ঞানের প্রয়োগ; এছাড়া তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির কৃষকদের উন্নতি, কৃষিক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, এফ পি ও এবং এন জিও-গুলির সাহায‍্যে সাকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব আনয়ণ ইত‍্যাদি। এই বিভাগ আই সি টি ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত পোর্টাল মাটির কথা নিয়ে এসেছে, এই পোর্টাল কৃষকদের তাৎক্ষণিক সমস‍্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গতিশীল ভূমিকা পালন করে। কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব‍্য ও উপকরণ উভয়ের বিপণন ব‍্যবস্থার উন্নতির জন‍্য প্রয়োজন উপযুক্ত নীতি ও আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কাঠামো এবং শক্তিশালী সরকারি সহায়তা মূলক পরিষেবা। বাজার পরিকাঠামো, বাজার সংক্রান্ত তথ‍্য সরবরাহ এবং কৃষকদের বিপণন বিষয়ে পরামর্শদানে সক্ষম কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবাকে এই ধরনের সরকারি পরিষেবার অর্ন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কৃষিজ উৎপন্নের সহায়কমূল‍্য ও উৎপাদনশীলতা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সর্বস্তরে বিপণনের প্রশিক্ষণ এখন যুগের দাবি। কৃষক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে কৃষিজ উৎপন্ন দ্রব‍্যের বিপণনকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নবীন শিক্ষার্থী-সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ‍্য। বিগত শতকের সাতের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মূলতঃ ভূমি সংস্কার, কৃষি প্রকৌশলের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন, নিবিড় গবেষণা ও সরকারি সংস্থাগুলোর সদর্থক অংশগ্রহণের কারণে। কৃষি বিপণন হচ্চে একটা প্রক্রিয়া যার শুরু বিক্রয়য়োগ‍্য কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব্য উৎপাদনের সিদ্ধান্তের মধ‍্যে। প্রযুক্তি ও অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কার্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় দিকেরই বাজার কাঠামোর সকল দিক এর মধ‍্যে যুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আয় নিশ্চিত করার জন্য কোন বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে ?
{ "text": [ "ভরতুকি প্রদান" ], "answer_start": [ 897 ] }
1761
null
৩। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কৃষিজীবীদের আয় সর্ব্বোচ্চ পরিমাণে নিয়ে যাওয়া। ৪। বিপণনে হস্তক্ষেপ ও রপ্তানি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির বর্ধিতকরণ। ৫। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বৃদ্ধি এবং৬। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা করা এবং খরা ও বন‍্যা ব‍্যবস্থাপনের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। সম্মুখগতি:উপরের লক্ষ‍্যমাত্রাগুলি পূরণের জন‍্য কৃষি বিভাগ কৃষি সম্পর্কিত অন‍্যান‍্য বিভাগের সঙ্গে যেমন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মৎস‍্য, কৃষি বিপণন, উদ‍্যানপালন, সমবায়, জলসম্পদ অনুসন্ধান, সেচ ও জলপথ, বন, রেশমশিল্প, খাদ‍্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীন ডব্লিউ বি সি এ ডি সি-র সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করে। সাম্প্রতিক কালে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রচেষ্টার প্রতি লক্ষ‍্য রেখে এবং তারা আরও বেশি প্রতিফল পান সেই উদ্দেশ‍্যে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যেমন উন্নততর অনুশীলন, উন্নতমানের কাঁচামাল, বিভিন্ন শস‍্যের উৎপাদন, কৃষি যন্ত্রায়ণে প্রথম পর্যায়ে ভরতুকি প্রদান, জল সংরক্ষণ ও জলবিভাজিকা ব‍্যবস্থাপনের মাধ‍্যমে সেচ ব‍্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিপণনজ্ঞানের প্রয়োগ; এছাড়া তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির কৃষকদের উন্নতি, কৃষিক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, এফ পি ও এবং এন জিও-গুলির সাহায‍্যে সাকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব আনয়ণ ইত‍্যাদি। এই বিভাগ আই সি টি ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত পোর্টাল মাটির কথা নিয়ে এসেছে, এই পোর্টাল কৃষকদের তাৎক্ষণিক সমস‍্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গতিশীল ভূমিকা পালন করে। কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব‍্য ও উপকরণ উভয়ের বিপণন ব‍্যবস্থার উন্নতির জন‍্য প্রয়োজন উপযুক্ত নীতি ও আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কাঠামো এবং শক্তিশালী সরকারি সহায়তা মূলক পরিষেবা। বাজার পরিকাঠামো, বাজার সংক্রান্ত তথ‍্য সরবরাহ এবং কৃষকদের বিপণন বিষয়ে পরামর্শদানে সক্ষম কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবাকে এই ধরনের সরকারি পরিষেবার অর্ন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কৃষিজ উৎপন্নের সহায়কমূল‍্য ও উৎপাদনশীলতা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সর্বস্তরে বিপণনের প্রশিক্ষণ এখন যুগের দাবি। কৃষক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে কৃষিজ উৎপন্ন দ্রব‍্যের বিপণনকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নবীন শিক্ষার্থী-সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ‍্য। বিগত শতকের সাতের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মূলতঃ ভূমি সংস্কার, কৃষি প্রকৌশলের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন, নিবিড় গবেষণা ও সরকারি সংস্থাগুলোর সদর্থক অংশগ্রহণের কারণে। কৃষি বিপণন হচ্চে একটা প্রক্রিয়া যার শুরু বিক্রয়য়োগ‍্য কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব্য উৎপাদনের সিদ্ধান্তের মধ‍্যে। প্রযুক্তি ও অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কার্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় দিকেরই বাজার কাঠামোর সকল দিক এর মধ‍্যে যুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদনে নেতৃত্ব দেওয়ার একটি কারণ কি ?
{ "text": [ "ভূমি সংস্কার" ], "answer_start": [ 2008 ] }
1762
null
৩। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কৃষিজীবীদের আয় সর্ব্বোচ্চ পরিমাণে নিয়ে যাওয়া। ৪। বিপণনে হস্তক্ষেপ ও রপ্তানি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির বর্ধিতকরণ। ৫। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বৃদ্ধি এবং৬। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা করা এবং খরা ও বন‍্যা ব‍্যবস্থাপনের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। সম্মুখগতি:উপরের লক্ষ‍্যমাত্রাগুলি পূরণের জন‍্য কৃষি বিভাগ কৃষি সম্পর্কিত অন‍্যান‍্য বিভাগের সঙ্গে যেমন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মৎস‍্য, কৃষি বিপণন, উদ‍্যানপালন, সমবায়, জলসম্পদ অনুসন্ধান, সেচ ও জলপথ, বন, রেশমশিল্প, খাদ‍্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীন ডব্লিউ বি সি এ ডি সি-র সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করে। সাম্প্রতিক কালে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রচেষ্টার প্রতি লক্ষ‍্য রেখে এবং তারা আরও বেশি প্রতিফল পান সেই উদ্দেশ‍্যে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যেমন উন্নততর অনুশীলন, উন্নতমানের কাঁচামাল, বিভিন্ন শস‍্যের উৎপাদন, কৃষি যন্ত্রায়ণে প্রথম পর্যায়ে ভরতুকি প্রদান, জল সংরক্ষণ ও জলবিভাজিকা ব‍্যবস্থাপনের মাধ‍্যমে সেচ ব‍্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিপণনজ্ঞানের প্রয়োগ; এছাড়া তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির কৃষকদের উন্নতি, কৃষিক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, এফ পি ও এবং এন জিও-গুলির সাহায‍্যে সাকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব আনয়ণ ইত‍্যাদি। এই বিভাগ আই সি টি ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত পোর্টাল মাটির কথা নিয়ে এসেছে, এই পোর্টাল কৃষকদের তাৎক্ষণিক সমস‍্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গতিশীল ভূমিকা পালন করে। কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব‍্য ও উপকরণ উভয়ের বিপণন ব‍্যবস্থার উন্নতির জন‍্য প্রয়োজন উপযুক্ত নীতি ও আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কাঠামো এবং শক্তিশালী সরকারি সহায়তা মূলক পরিষেবা। বাজার পরিকাঠামো, বাজার সংক্রান্ত তথ‍্য সরবরাহ এবং কৃষকদের বিপণন বিষয়ে পরামর্শদানে সক্ষম কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবাকে এই ধরনের সরকারি পরিষেবার অর্ন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কৃষিজ উৎপন্নের সহায়কমূল‍্য ও উৎপাদনশীলতা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সর্বস্তরে বিপণনের প্রশিক্ষণ এখন যুগের দাবি। কৃষক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে কৃষিজ উৎপন্ন দ্রব‍্যের বিপণনকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নবীন শিক্ষার্থী-সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ‍্য। বিগত শতকের সাতের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মূলতঃ ভূমি সংস্কার, কৃষি প্রকৌশলের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন, নিবিড় গবেষণা ও সরকারি সংস্থাগুলোর সদর্থক অংশগ্রহণের কারণে। কৃষি বিপণন হচ্চে একটা প্রক্রিয়া যার শুরু বিক্রয়য়োগ‍্য কৃষিখামারের উৎপন্ন দ্রব্য উৎপাদনের সিদ্ধান্তের মধ‍্যে। প্রযুক্তি ও অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কার্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় দিকেরই বাজার কাঠামোর সকল দিক এর মধ‍্যে যুক্ত।
বিগত শতকের সাতের দশক থেকে কোন রাজ্য কৃষি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে?
{ "text": [ "পশ্চিমবঙ্গ" ], "answer_start": [ 1947 ] }