id
string
title
string
context
string
question
string
answers
sequence
1577
null
১৯২১ সালের ১৬ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী সুভাষচন্দ্র বসু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ভারতের বোম্বেতে পাড়ি দেন এবং অবিলম্বে গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন করেন। সেসময়, ৫১ বছর বয়স্ক গান্ধী, অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যা পূর্ববর্তী বছর ভারতের সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। গান্ধী বোম্বেতে অবস্থান করছিলেন এবং সেদিন বিকেলেই বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন। অনেক বছর পরে এক লেখায় এই সাক্ষাতের বিবরণে লেখেন, তিনি গান্ধীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন। তার মতে গান্ধীর লক্ষ্য অস্পষ্ট ও তা অর্জনের জন্য তার পরিকল্পনা সুচিন্তিত ছিল না। গান্ধী এবং বসু প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের উপায় সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন। গান্ধী অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে ছিলেন আপোষহীন। তবে বসুর মতে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো উপায়ই গ্রহণযোগ্য ছিল। তারা পরিণতির প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন। সুভাষচন্দ্র বসু একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঐতিহাসিক গর্ডনের মতে, "গান্ধী অবশ্য বসুকে বাংলায় কংগ্রেস ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের নেতা সি আর দাশের পথে পরিচালিত করেন এবং তার মধ্যে বসু তার কাঙ্ক্ষিত নেতা খুঁজে পান। " দাস গান্ধীর চেয়ে বেশি নমনীয় ও চরমপন্থার প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল ছিলেন, যা সেসময় বাংলায় বসুর মত আদর্শবাদী তরুণদের আকৃষ্ট করেছিল। দাস, বসুকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান। বসু পরবর্তী প্রায় ২০ বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি স্বরাজ পত্রিকা চালু করেন এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার গুরু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন বাংলায় আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের মুখপাত্র। ১৯২৩ সালে বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একইসাথে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি চিত্তরঞ্জন দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত "ফরওয়ার্ড" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বসু কলকাতা পৌরসংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে মান্দালয়ের কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হন। ১৯২৭ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন এবং জওহরলাল নেহেরু সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বসু কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক সভার আয়োজন করেন। তার সবচেয়ে স্মরণীয় ভূমিকা ছিল কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে। এর কিছুদিন পরে, সুভাষচন্দ্র বসুকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য জেলে পাঠানো হয়। এরপর ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সুভাষচন্দ্র বসু ইউরোপ ভ্রমণ করেন।
কত সালে বোস নিখিল ভারত যুব কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন?
{ "text": [ "সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি" ], "answer_start": [ 1517 ] }
1578
null
১৯২১ সালের ১৬ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী সুভাষচন্দ্র বসু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ভারতের বোম্বেতে পাড়ি দেন এবং অবিলম্বে গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন করেন। সেসময়, ৫১ বছর বয়স্ক গান্ধী, অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যা পূর্ববর্তী বছর ভারতের সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। গান্ধী বোম্বেতে অবস্থান করছিলেন এবং সেদিন বিকেলেই বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন। অনেক বছর পরে এক লেখায় এই সাক্ষাতের বিবরণে লেখেন, তিনি গান্ধীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন। তার মতে গান্ধীর লক্ষ্য অস্পষ্ট ও তা অর্জনের জন্য তার পরিকল্পনা সুচিন্তিত ছিল না। গান্ধী এবং বসু প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের উপায় সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন। গান্ধী অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে ছিলেন আপোষহীন। তবে বসুর মতে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো উপায়ই গ্রহণযোগ্য ছিল। তারা পরিণতির প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন। সুভাষচন্দ্র বসু একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঐতিহাসিক গর্ডনের মতে, "গান্ধী অবশ্য বসুকে বাংলায় কংগ্রেস ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের নেতা সি আর দাশের পথে পরিচালিত করেন এবং তার মধ্যে বসু তার কাঙ্ক্ষিত নেতা খুঁজে পান। " দাস গান্ধীর চেয়ে বেশি নমনীয় ও চরমপন্থার প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল ছিলেন, যা সেসময় বাংলায় বসুর মত আদর্শবাদী তরুণদের আকৃষ্ট করেছিল। দাস, বসুকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান। বসু পরবর্তী প্রায় ২০ বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি স্বরাজ পত্রিকা চালু করেন এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার গুরু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন বাংলায় আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের মুখপাত্র। ১৯২৩ সালে বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একইসাথে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি চিত্তরঞ্জন দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত "ফরওয়ার্ড" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বসু কলকাতা পৌরসংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে মান্দালয়ের কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হন। ১৯২৭ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন এবং জওহরলাল নেহেরু সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বসু কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক সভার আয়োজন করেন। তার সবচেয়ে স্মরণীয় ভূমিকা ছিল কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে। এর কিছুদিন পরে, সুভাষচন্দ্র বসুকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য জেলে পাঠানো হয়। এরপর ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সুভাষচন্দ্র বসু ইউরোপ ভ্রমণ করেন।
16 জুলাই, 1921 সুভাষচন্দ্র বসু ইংল্যান্ড থেকে ভারতের কোথায় ফিরে আসেন?
{ "text": [ "বোম্বেতে" ], "answer_start": [ 78 ] }
1579
null
১৯২১ সালের ১৬ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী সুভাষচন্দ্র বসু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ভারতের বোম্বেতে পাড়ি দেন এবং অবিলম্বে গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন করেন। সেসময়, ৫১ বছর বয়স্ক গান্ধী, অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যা পূর্ববর্তী বছর ভারতের সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। গান্ধী বোম্বেতে অবস্থান করছিলেন এবং সেদিন বিকেলেই বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন। অনেক বছর পরে এক লেখায় এই সাক্ষাতের বিবরণে লেখেন, তিনি গান্ধীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন। তার মতে গান্ধীর লক্ষ্য অস্পষ্ট ও তা অর্জনের জন্য তার পরিকল্পনা সুচিন্তিত ছিল না। গান্ধী এবং বসু প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের উপায় সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন। গান্ধী অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে ছিলেন আপোষহীন। তবে বসুর মতে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো উপায়ই গ্রহণযোগ্য ছিল। তারা পরিণতির প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন। সুভাষচন্দ্র বসু একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঐতিহাসিক গর্ডনের মতে, "গান্ধী অবশ্য বসুকে বাংলায় কংগ্রেস ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের নেতা সি আর দাশের পথে পরিচালিত করেন এবং তার মধ্যে বসু তার কাঙ্ক্ষিত নেতা খুঁজে পান। " দাস গান্ধীর চেয়ে বেশি নমনীয় ও চরমপন্থার প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল ছিলেন, যা সেসময় বাংলায় বসুর মত আদর্শবাদী তরুণদের আকৃষ্ট করেছিল। দাস, বসুকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান। বসু পরবর্তী প্রায় ২০ বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি স্বরাজ পত্রিকা চালু করেন এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার গুরু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন বাংলায় আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের মুখপাত্র। ১৯২৩ সালে বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একইসাথে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি চিত্তরঞ্জন দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত "ফরওয়ার্ড" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বসু কলকাতা পৌরসংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে মান্দালয়ের কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হন। ১৯২৭ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন এবং জওহরলাল নেহেরু সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বসু কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক সভার আয়োজন করেন। তার সবচেয়ে স্মরণীয় ভূমিকা ছিল কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে। এর কিছুদিন পরে, সুভাষচন্দ্র বসুকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য জেলে পাঠানো হয়। এরপর ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সুভাষচন্দ্র বসু ইউরোপ ভ্রমণ করেন।
সুভাষচন্দ্র বসু ইংল্যান্ড থেকে ভারতে কবে ফিরে আসেন?
{ "text": [ "১৯২১ সালের ১৬ জুলাই" ], "answer_start": [ 0 ] }
1580
null
১৯২১ সালের ১৬ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী সুভাষচন্দ্র বসু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ভারতের বোম্বেতে পাড়ি দেন এবং অবিলম্বে গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন করেন। সেসময়, ৫১ বছর বয়স্ক গান্ধী, অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যা পূর্ববর্তী বছর ভারতের সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। গান্ধী বোম্বেতে অবস্থান করছিলেন এবং সেদিন বিকেলেই বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন। অনেক বছর পরে এক লেখায় এই সাক্ষাতের বিবরণে লেখেন, তিনি গান্ধীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন। তার মতে গান্ধীর লক্ষ্য অস্পষ্ট ও তা অর্জনের জন্য তার পরিকল্পনা সুচিন্তিত ছিল না। গান্ধী এবং বসু প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের উপায় সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন। গান্ধী অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে ছিলেন আপোষহীন। তবে বসুর মতে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো উপায়ই গ্রহণযোগ্য ছিল। তারা পরিণতির প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন। সুভাষচন্দ্র বসু একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঐতিহাসিক গর্ডনের মতে, "গান্ধী অবশ্য বসুকে বাংলায় কংগ্রেস ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের নেতা সি আর দাশের পথে পরিচালিত করেন এবং তার মধ্যে বসু তার কাঙ্ক্ষিত নেতা খুঁজে পান। " দাস গান্ধীর চেয়ে বেশি নমনীয় ও চরমপন্থার প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল ছিলেন, যা সেসময় বাংলায় বসুর মত আদর্শবাদী তরুণদের আকৃষ্ট করেছিল। দাস, বসুকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান। বসু পরবর্তী প্রায় ২০ বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি স্বরাজ পত্রিকা চালু করেন এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার গুরু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন বাংলায় আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের মুখপাত্র। ১৯২৩ সালে বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একইসাথে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি চিত্তরঞ্জন দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত "ফরওয়ার্ড" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বসু কলকাতা পৌরসংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে মান্দালয়ের কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হন। ১৯২৭ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন এবং জওহরলাল নেহেরু সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বসু কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক সভার আয়োজন করেন। তার সবচেয়ে স্মরণীয় ভূমিকা ছিল কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে। এর কিছুদিন পরে, সুভাষচন্দ্র বসুকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য জেলে পাঠানো হয়। এরপর ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সুভাষচন্দ্র বসু ইউরোপ ভ্রমণ করেন।
16 জুলাই, 1921 সুভাষচন্দ্র বসু যখন ইংল্যান্ড থেকে ভারতের বোম্বেতে ফিরে আসেন তখন তার বয়স কত?
{ "text": [ "২৪ বছর" ], "answer_start": [ 21 ] }
1581
null
১৯২১ সালের ১৬ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী সুভাষচন্দ্র বসু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ভারতের বোম্বেতে পাড়ি দেন এবং অবিলম্বে গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন করেন। সেসময়, ৫১ বছর বয়স্ক গান্ধী, অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যা পূর্ববর্তী বছর ভারতের সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। গান্ধী বোম্বেতে অবস্থান করছিলেন এবং সেদিন বিকেলেই বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন। অনেক বছর পরে এক লেখায় এই সাক্ষাতের বিবরণে লেখেন, তিনি গান্ধীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন। তার মতে গান্ধীর লক্ষ্য অস্পষ্ট ও তা অর্জনের জন্য তার পরিকল্পনা সুচিন্তিত ছিল না। গান্ধী এবং বসু প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের উপায় সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন। গান্ধী অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে ছিলেন আপোষহীন। তবে বসুর মতে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো উপায়ই গ্রহণযোগ্য ছিল। তারা পরিণতির প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন। সুভাষচন্দ্র বসু একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঐতিহাসিক গর্ডনের মতে, "গান্ধী অবশ্য বসুকে বাংলায় কংগ্রেস ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের নেতা সি আর দাশের পথে পরিচালিত করেন এবং তার মধ্যে বসু তার কাঙ্ক্ষিত নেতা খুঁজে পান। " দাস গান্ধীর চেয়ে বেশি নমনীয় ও চরমপন্থার প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল ছিলেন, যা সেসময় বাংলায় বসুর মত আদর্শবাদী তরুণদের আকৃষ্ট করেছিল। দাস, বসুকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান। বসু পরবর্তী প্রায় ২০ বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি স্বরাজ পত্রিকা চালু করেন এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার গুরু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন বাংলায় আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের মুখপাত্র। ১৯২৩ সালে বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একইসাথে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি চিত্তরঞ্জন দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত "ফরওয়ার্ড" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বসু কলকাতা পৌরসংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে মান্দালয়ের কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হন। ১৯২৭ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন এবং জওহরলাল নেহেরু সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বসু কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক সভার আয়োজন করেন। তার সবচেয়ে স্মরণীয় ভূমিকা ছিল কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে। এর কিছুদিন পরে, সুভাষচন্দ্র বসুকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য জেলে পাঠানো হয়। এরপর ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সুভাষচন্দ্র বসু ইউরোপ ভ্রমণ করেন।
দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল-এ তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের কোন্ সময়কার কথা তুলে ধরে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1582
null
১৯২১ সালের ১৬ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী সুভাষচন্দ্র বসু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ভারতের বোম্বেতে পাড়ি দেন এবং অবিলম্বে গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন করেন। সেসময়, ৫১ বছর বয়স্ক গান্ধী, অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যা পূর্ববর্তী বছর ভারতের সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। গান্ধী বোম্বেতে অবস্থান করছিলেন এবং সেদিন বিকেলেই বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন। অনেক বছর পরে এক লেখায় এই সাক্ষাতের বিবরণে লেখেন, তিনি গান্ধীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন। তার মতে গান্ধীর লক্ষ্য অস্পষ্ট ও তা অর্জনের জন্য তার পরিকল্পনা সুচিন্তিত ছিল না। গান্ধী এবং বসু প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের উপায় সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন। গান্ধী অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে ছিলেন আপোষহীন। তবে বসুর মতে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো উপায়ই গ্রহণযোগ্য ছিল। তারা পরিণতির প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন। সুভাষচন্দ্র বসু একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঐতিহাসিক গর্ডনের মতে, "গান্ধী অবশ্য বসুকে বাংলায় কংগ্রেস ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের নেতা সি আর দাশের পথে পরিচালিত করেন এবং তার মধ্যে বসু তার কাঙ্ক্ষিত নেতা খুঁজে পান। " দাস গান্ধীর চেয়ে বেশি নমনীয় ও চরমপন্থার প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল ছিলেন, যা সেসময় বাংলায় বসুর মত আদর্শবাদী তরুণদের আকৃষ্ট করেছিল। দাস, বসুকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান। বসু পরবর্তী প্রায় ২০ বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি স্বরাজ পত্রিকা চালু করেন এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার গুরু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন বাংলায় আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের মুখপাত্র। ১৯২৩ সালে বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একইসাথে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি চিত্তরঞ্জন দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত "ফরওয়ার্ড" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বসু কলকাতা পৌরসংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে মান্দালয়ের কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হন। ১৯২৭ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন এবং জওহরলাল নেহেরু সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বসু কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক সভার আয়োজন করেন। তার সবচেয়ে স্মরণীয় ভূমিকা ছিল কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে। এর কিছুদিন পরে, সুভাষচন্দ্র বসুকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য জেলে পাঠানো হয়। এরপর ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সুভাষচন্দ্র বসু ইউরোপ ভ্রমণ করেন।
কত সালে সুভাষচন্দ্র বসু ইউরোপ ভ্রমণ করেন?
{ "text": [ "১৯৩০ এর দশকে" ], "answer_start": [ 2432 ] }
1583
null
১৯৩৪ সালে লবণ সত্যাগ্রহ বন্ধ করলে তিনি ও বীঠলভাই প্যাটেল ইউরোপ থেকে বোস প্যাটেল ইস্তাহার দেন। বীঠল ভাই প্যাটেল তাঁর সম্পত্তির চার ভাগের তিন ভাগ নেতাজিকে দান করেন,পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই বল্লভ ভাই প্যাটেল তা অস্বীকার করে এবং তাঁকে জালিয়াত সহ নানা খারাপ আখ্যা দেন। কুড়ি বছরের মধ্যে সুভাষচন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ভিয়েনাতে তিনি তার প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কলের সঙ্গে পরিচিত হন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন। ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সম্পর্কে তার মতামতে বলেন যে "রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ এবং একটি সমাজতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার দ্বিমাত্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্রন্টে সংগঠিত হওয়া উচিত। " ১৯৩৮ সাল অবধি বসু জাতীয় পর্যায়ের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করতে সম্মত হন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ সহ শর্তহীন স্বরাজের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এর ফলে তার সাথে মোহনদাস গান্ধীর সংঘাত সৃষ্টি হয়, যিনি প্রকৃতপক্ষে বসুর সভাপতি পদের বিরোধিতা করেন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটি বিভক্ত হয়ে যায়। বসু ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু গান্ধী বসুকে তার নিজস্ব পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় বসু ও নেহেরুর মধ্যেও বিভক্তি তৈরী হয়। বসু একটি স্ট্রেচারে করে ১৯৩৯ সালের কংগ্রেস সভায় হাজির হন। তিনি গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। মুথুরামালিঙ্গম থেভার আন্তঃকংগ্রেস বিতর্কে বসুকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তার জন্য দক্ষিণ ভারতের সকল ভোট বসুর পক্ষে যায়। যাইহোক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গান্ধী নেতৃত্বাধীন দলের বিভিন্ন কৌশলের কারণে, বসু কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৩৯ সালের ২২ জুন বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক সংগঠিত করেন মূলত বামপন্থী রাজনৈতিকদের মজবুত করার লক্ষ্যে কিন্তু এর প্রধান শক্তি ছিল তার নিজের রাজ্য বাংলায়। শুরু থেকে বসুর একনিষ্ঠ সমর্থক, মুথুরামালিঙ্গম থেভার ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেন। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বসু যখন মাদুরাই গিয়েছিলেন তখন তার অভ্যর্থনার উদ্দেশ্যে মুথুরামালিঙ্গম একটি বিশাল র‍্যালির আয়োজন করেন। মাদুরাই যাওয়ার পথে সুভাষচন্দ্র বসু, মুথুরামালিঙ্গমের আমন্ত্রণে ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে সমর্থন সংগ্রহে, মাদ্রাজ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিন দিন অতিবাহিত করেন। তার চিঠিপত্র প্রকাশ করে যে, ব্রিটিশ পরাধীনতার প্রতি তার স্পষ্ট অপছন্দ সত্ত্বেও, তিনি তাদের পদ্ধতিগত এবং নিয়মানুগ দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনের প্রতি তাদের দৃঢ় শৃঙ্খলামূলক মনোভাব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির বিভিন্ন নেতা ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ যেমন লর্ড আরউইন, জর্জ ল্যান্সবারি, ক্লিমেন্ট এটলি, আর্থার গ্রীনউড, হ্যারল্ড লাস্কি, জে বি এস হ্যালডেন, আইভর জেনিংস, গিলবার্ট মারে, জর্জ ডগলাস হাওয়ার্ড কোল, স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস‌ ইত্যাদির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মত বিনিময় করেন। তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, স্বাধীন ভারতের অন্তত দুই দশক পর্যন্ত তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের অনুরূপ সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রয়োজন।
কত সালে নেতাজি সুভাষকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়েছিল ?
{ "text": [ "১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে" ], "answer_start": [ 373 ] }
1584
null
১৯৩৪ সালে লবণ সত্যাগ্রহ বন্ধ করলে তিনি ও বীঠলভাই প্যাটেল ইউরোপ থেকে বোস প্যাটেল ইস্তাহার দেন। বীঠল ভাই প্যাটেল তাঁর সম্পত্তির চার ভাগের তিন ভাগ নেতাজিকে দান করেন,পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই বল্লভ ভাই প্যাটেল তা অস্বীকার করে এবং তাঁকে জালিয়াত সহ নানা খারাপ আখ্যা দেন। কুড়ি বছরের মধ্যে সুভাষচন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ভিয়েনাতে তিনি তার প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কলের সঙ্গে পরিচিত হন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন। ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সম্পর্কে তার মতামতে বলেন যে "রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ এবং একটি সমাজতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার দ্বিমাত্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্রন্টে সংগঠিত হওয়া উচিত। " ১৯৩৮ সাল অবধি বসু জাতীয় পর্যায়ের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করতে সম্মত হন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ সহ শর্তহীন স্বরাজের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এর ফলে তার সাথে মোহনদাস গান্ধীর সংঘাত সৃষ্টি হয়, যিনি প্রকৃতপক্ষে বসুর সভাপতি পদের বিরোধিতা করেন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটি বিভক্ত হয়ে যায়। বসু ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু গান্ধী বসুকে তার নিজস্ব পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় বসু ও নেহেরুর মধ্যেও বিভক্তি তৈরী হয়। বসু একটি স্ট্রেচারে করে ১৯৩৯ সালের কংগ্রেস সভায় হাজির হন। তিনি গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। মুথুরামালিঙ্গম থেভার আন্তঃকংগ্রেস বিতর্কে বসুকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তার জন্য দক্ষিণ ভারতের সকল ভোট বসুর পক্ষে যায়। যাইহোক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গান্ধী নেতৃত্বাধীন দলের বিভিন্ন কৌশলের কারণে, বসু কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৩৯ সালের ২২ জুন বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক সংগঠিত করেন মূলত বামপন্থী রাজনৈতিকদের মজবুত করার লক্ষ্যে কিন্তু এর প্রধান শক্তি ছিল তার নিজের রাজ্য বাংলায়। শুরু থেকে বসুর একনিষ্ঠ সমর্থক, মুথুরামালিঙ্গম থেভার ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেন। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বসু যখন মাদুরাই গিয়েছিলেন তখন তার অভ্যর্থনার উদ্দেশ্যে মুথুরামালিঙ্গম একটি বিশাল র‍্যালির আয়োজন করেন। মাদুরাই যাওয়ার পথে সুভাষচন্দ্র বসু, মুথুরামালিঙ্গমের আমন্ত্রণে ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে সমর্থন সংগ্রহে, মাদ্রাজ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিন দিন অতিবাহিত করেন। তার চিঠিপত্র প্রকাশ করে যে, ব্রিটিশ পরাধীনতার প্রতি তার স্পষ্ট অপছন্দ সত্ত্বেও, তিনি তাদের পদ্ধতিগত এবং নিয়মানুগ দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনের প্রতি তাদের দৃঢ় শৃঙ্খলামূলক মনোভাব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির বিভিন্ন নেতা ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ যেমন লর্ড আরউইন, জর্জ ল্যান্সবারি, ক্লিমেন্ট এটলি, আর্থার গ্রীনউড, হ্যারল্ড লাস্কি, জে বি এস হ্যালডেন, আইভর জেনিংস, গিলবার্ট মারে, জর্জ ডগলাস হাওয়ার্ড কোল, স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস‌ ইত্যাদির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মত বিনিময় করেন। তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, স্বাধীন ভারতের অন্তত দুই দশক পর্যন্ত তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের অনুরূপ সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রয়োজন।
১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময় কনজারভেটিভ পার্টির কর্মকর্তারা সুভাষচন্দ্র বসুর সাথে কেন দেখা করতে অস্বীকার করেছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1585
null
১৯৩৪ সালে লবণ সত্যাগ্রহ বন্ধ করলে তিনি ও বীঠলভাই প্যাটেল ইউরোপ থেকে বোস প্যাটেল ইস্তাহার দেন। বীঠল ভাই প্যাটেল তাঁর সম্পত্তির চার ভাগের তিন ভাগ নেতাজিকে দান করেন,পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই বল্লভ ভাই প্যাটেল তা অস্বীকার করে এবং তাঁকে জালিয়াত সহ নানা খারাপ আখ্যা দেন। কুড়ি বছরের মধ্যে সুভাষচন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ভিয়েনাতে তিনি তার প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কলের সঙ্গে পরিচিত হন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন। ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সম্পর্কে তার মতামতে বলেন যে "রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ এবং একটি সমাজতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার দ্বিমাত্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্রন্টে সংগঠিত হওয়া উচিত। " ১৯৩৮ সাল অবধি বসু জাতীয় পর্যায়ের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করতে সম্মত হন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ সহ শর্তহীন স্বরাজের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এর ফলে তার সাথে মোহনদাস গান্ধীর সংঘাত সৃষ্টি হয়, যিনি প্রকৃতপক্ষে বসুর সভাপতি পদের বিরোধিতা করেন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটি বিভক্ত হয়ে যায়। বসু ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু গান্ধী বসুকে তার নিজস্ব পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় বসু ও নেহেরুর মধ্যেও বিভক্তি তৈরী হয়। বসু একটি স্ট্রেচারে করে ১৯৩৯ সালের কংগ্রেস সভায় হাজির হন। তিনি গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। মুথুরামালিঙ্গম থেভার আন্তঃকংগ্রেস বিতর্কে বসুকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তার জন্য দক্ষিণ ভারতের সকল ভোট বসুর পক্ষে যায়। যাইহোক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গান্ধী নেতৃত্বাধীন দলের বিভিন্ন কৌশলের কারণে, বসু কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৩৯ সালের ২২ জুন বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক সংগঠিত করেন মূলত বামপন্থী রাজনৈতিকদের মজবুত করার লক্ষ্যে কিন্তু এর প্রধান শক্তি ছিল তার নিজের রাজ্য বাংলায়। শুরু থেকে বসুর একনিষ্ঠ সমর্থক, মুথুরামালিঙ্গম থেভার ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেন। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বসু যখন মাদুরাই গিয়েছিলেন তখন তার অভ্যর্থনার উদ্দেশ্যে মুথুরামালিঙ্গম একটি বিশাল র‍্যালির আয়োজন করেন। মাদুরাই যাওয়ার পথে সুভাষচন্দ্র বসু, মুথুরামালিঙ্গমের আমন্ত্রণে ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে সমর্থন সংগ্রহে, মাদ্রাজ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিন দিন অতিবাহিত করেন। তার চিঠিপত্র প্রকাশ করে যে, ব্রিটিশ পরাধীনতার প্রতি তার স্পষ্ট অপছন্দ সত্ত্বেও, তিনি তাদের পদ্ধতিগত এবং নিয়মানুগ দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনের প্রতি তাদের দৃঢ় শৃঙ্খলামূলক মনোভাব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির বিভিন্ন নেতা ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ যেমন লর্ড আরউইন, জর্জ ল্যান্সবারি, ক্লিমেন্ট এটলি, আর্থার গ্রীনউড, হ্যারল্ড লাস্কি, জে বি এস হ্যালডেন, আইভর জেনিংস, গিলবার্ট মারে, জর্জ ডগলাস হাওয়ার্ড কোল, স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস‌ ইত্যাদির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মত বিনিময় করেন। তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, স্বাধীন ভারতের অন্তত দুই দশক পর্যন্ত তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের অনুরূপ সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রয়োজন।
১৯৩৯ সালের কংগ্রেস সভায় কাকে হারিয়ে সুভাষ চন্দ্র বসু পুনরায় সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন ?
{ "text": [ "পট্টভি সীতারামাইয়াকে" ], "answer_start": [ 1360 ] }
1586
null
১৯৩৪ সালে লবণ সত্যাগ্রহ বন্ধ করলে তিনি ও বীঠলভাই প্যাটেল ইউরোপ থেকে বোস প্যাটেল ইস্তাহার দেন। বীঠল ভাই প্যাটেল তাঁর সম্পত্তির চার ভাগের তিন ভাগ নেতাজিকে দান করেন,পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই বল্লভ ভাই প্যাটেল তা অস্বীকার করে এবং তাঁকে জালিয়াত সহ নানা খারাপ আখ্যা দেন। কুড়ি বছরের মধ্যে সুভাষচন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ভিয়েনাতে তিনি তার প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কলের সঙ্গে পরিচিত হন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন। ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সম্পর্কে তার মতামতে বলেন যে "রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ এবং একটি সমাজতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার দ্বিমাত্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্রন্টে সংগঠিত হওয়া উচিত। " ১৯৩৮ সাল অবধি বসু জাতীয় পর্যায়ের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করতে সম্মত হন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ সহ শর্তহীন স্বরাজের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এর ফলে তার সাথে মোহনদাস গান্ধীর সংঘাত সৃষ্টি হয়, যিনি প্রকৃতপক্ষে বসুর সভাপতি পদের বিরোধিতা করেন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটি বিভক্ত হয়ে যায়। বসু ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু গান্ধী বসুকে তার নিজস্ব পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় বসু ও নেহেরুর মধ্যেও বিভক্তি তৈরী হয়। বসু একটি স্ট্রেচারে করে ১৯৩৯ সালের কংগ্রেস সভায় হাজির হন। তিনি গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। মুথুরামালিঙ্গম থেভার আন্তঃকংগ্রেস বিতর্কে বসুকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তার জন্য দক্ষিণ ভারতের সকল ভোট বসুর পক্ষে যায়। যাইহোক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গান্ধী নেতৃত্বাধীন দলের বিভিন্ন কৌশলের কারণে, বসু কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৩৯ সালের ২২ জুন বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক সংগঠিত করেন মূলত বামপন্থী রাজনৈতিকদের মজবুত করার লক্ষ্যে কিন্তু এর প্রধান শক্তি ছিল তার নিজের রাজ্য বাংলায়। শুরু থেকে বসুর একনিষ্ঠ সমর্থক, মুথুরামালিঙ্গম থেভার ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেন। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বসু যখন মাদুরাই গিয়েছিলেন তখন তার অভ্যর্থনার উদ্দেশ্যে মুথুরামালিঙ্গম একটি বিশাল র‍্যালির আয়োজন করেন। মাদুরাই যাওয়ার পথে সুভাষচন্দ্র বসু, মুথুরামালিঙ্গমের আমন্ত্রণে ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে সমর্থন সংগ্রহে, মাদ্রাজ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিন দিন অতিবাহিত করেন। তার চিঠিপত্র প্রকাশ করে যে, ব্রিটিশ পরাধীনতার প্রতি তার স্পষ্ট অপছন্দ সত্ত্বেও, তিনি তাদের পদ্ধতিগত এবং নিয়মানুগ দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনের প্রতি তাদের দৃঢ় শৃঙ্খলামূলক মনোভাব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির বিভিন্ন নেতা ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ যেমন লর্ড আরউইন, জর্জ ল্যান্সবারি, ক্লিমেন্ট এটলি, আর্থার গ্রীনউড, হ্যারল্ড লাস্কি, জে বি এস হ্যালডেন, আইভর জেনিংস, গিলবার্ট মারে, জর্জ ডগলাস হাওয়ার্ড কোল, স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস‌ ইত্যাদির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মত বিনিময় করেন। তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, স্বাধীন ভারতের অন্তত দুই দশক পর্যন্ত তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের অনুরূপ সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রয়োজন।
সুভাষ চন্দ্র বসুকে ১৯২০খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪০খ্রিষ্টাব্দ মধ্যে এই বিশ বছরে মোট কত বার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ?
{ "text": [ "১১ বার" ], "answer_start": [ 295 ] }
1587
null
১৯৩৪ সালে লবণ সত্যাগ্রহ বন্ধ করলে তিনি ও বীঠলভাই প্যাটেল ইউরোপ থেকে বোস প্যাটেল ইস্তাহার দেন। বীঠল ভাই প্যাটেল তাঁর সম্পত্তির চার ভাগের তিন ভাগ নেতাজিকে দান করেন,পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই বল্লভ ভাই প্যাটেল তা অস্বীকার করে এবং তাঁকে জালিয়াত সহ নানা খারাপ আখ্যা দেন। কুড়ি বছরের মধ্যে সুভাষচন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ভিয়েনাতে তিনি তার প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কলের সঙ্গে পরিচিত হন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন। ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সম্পর্কে তার মতামতে বলেন যে "রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ এবং একটি সমাজতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার দ্বিমাত্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্রন্টে সংগঠিত হওয়া উচিত। " ১৯৩৮ সাল অবধি বসু জাতীয় পর্যায়ের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করতে সম্মত হন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ সহ শর্তহীন স্বরাজের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এর ফলে তার সাথে মোহনদাস গান্ধীর সংঘাত সৃষ্টি হয়, যিনি প্রকৃতপক্ষে বসুর সভাপতি পদের বিরোধিতা করেন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটি বিভক্ত হয়ে যায়। বসু ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু গান্ধী বসুকে তার নিজস্ব পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় বসু ও নেহেরুর মধ্যেও বিভক্তি তৈরী হয়। বসু একটি স্ট্রেচারে করে ১৯৩৯ সালের কংগ্রেস সভায় হাজির হন। তিনি গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। মুথুরামালিঙ্গম থেভার আন্তঃকংগ্রেস বিতর্কে বসুকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তার জন্য দক্ষিণ ভারতের সকল ভোট বসুর পক্ষে যায়। যাইহোক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গান্ধী নেতৃত্বাধীন দলের বিভিন্ন কৌশলের কারণে, বসু কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৩৯ সালের ২২ জুন বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক সংগঠিত করেন মূলত বামপন্থী রাজনৈতিকদের মজবুত করার লক্ষ্যে কিন্তু এর প্রধান শক্তি ছিল তার নিজের রাজ্য বাংলায়। শুরু থেকে বসুর একনিষ্ঠ সমর্থক, মুথুরামালিঙ্গম থেভার ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেন। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বসু যখন মাদুরাই গিয়েছিলেন তখন তার অভ্যর্থনার উদ্দেশ্যে মুথুরামালিঙ্গম একটি বিশাল র‍্যালির আয়োজন করেন। মাদুরাই যাওয়ার পথে সুভাষচন্দ্র বসু, মুথুরামালিঙ্গমের আমন্ত্রণে ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে সমর্থন সংগ্রহে, মাদ্রাজ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিন দিন অতিবাহিত করেন। তার চিঠিপত্র প্রকাশ করে যে, ব্রিটিশ পরাধীনতার প্রতি তার স্পষ্ট অপছন্দ সত্ত্বেও, তিনি তাদের পদ্ধতিগত এবং নিয়মানুগ দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনের প্রতি তাদের দৃঢ় শৃঙ্খলামূলক মনোভাব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির বিভিন্ন নেতা ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ যেমন লর্ড আরউইন, জর্জ ল্যান্সবারি, ক্লিমেন্ট এটলি, আর্থার গ্রীনউড, হ্যারল্ড লাস্কি, জে বি এস হ্যালডেন, আইভর জেনিংস, গিলবার্ট মারে, জর্জ ডগলাস হাওয়ার্ড কোল, স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস‌ ইত্যাদির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মত বিনিময় করেন। তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, স্বাধীন ভারতের অন্তত দুই দশক পর্যন্ত তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের অনুরূপ সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রয়োজন।
১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময় কোন দলের রাজনীতিবিদরা সুভাষচন্দ্র বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1588
null
১৯৩৪ সালে লবণ সত্যাগ্রহ বন্ধ করলে তিনি ও বীঠলভাই প্যাটেল ইউরোপ থেকে বোস প্যাটেল ইস্তাহার দেন। বীঠল ভাই প্যাটেল তাঁর সম্পত্তির চার ভাগের তিন ভাগ নেতাজিকে দান করেন,পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই বল্লভ ভাই প্যাটেল তা অস্বীকার করে এবং তাঁকে জালিয়াত সহ নানা খারাপ আখ্যা দেন। কুড়ি বছরের মধ্যে সুভাষচন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ভিয়েনাতে তিনি তার প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কলের সঙ্গে পরিচিত হন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন। ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সম্পর্কে তার মতামতে বলেন যে "রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ এবং একটি সমাজতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার দ্বিমাত্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্রন্টে সংগঠিত হওয়া উচিত। " ১৯৩৮ সাল অবধি বসু জাতীয় পর্যায়ের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করতে সম্মত হন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ সহ শর্তহীন স্বরাজের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এর ফলে তার সাথে মোহনদাস গান্ধীর সংঘাত সৃষ্টি হয়, যিনি প্রকৃতপক্ষে বসুর সভাপতি পদের বিরোধিতা করেন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটি বিভক্ত হয়ে যায়। বসু ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু গান্ধী বসুকে তার নিজস্ব পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় বসু ও নেহেরুর মধ্যেও বিভক্তি তৈরী হয়। বসু একটি স্ট্রেচারে করে ১৯৩৯ সালের কংগ্রেস সভায় হাজির হন। তিনি গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। মুথুরামালিঙ্গম থেভার আন্তঃকংগ্রেস বিতর্কে বসুকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তার জন্য দক্ষিণ ভারতের সকল ভোট বসুর পক্ষে যায়। যাইহোক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গান্ধী নেতৃত্বাধীন দলের বিভিন্ন কৌশলের কারণে, বসু কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৩৯ সালের ২২ জুন বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক সংগঠিত করেন মূলত বামপন্থী রাজনৈতিকদের মজবুত করার লক্ষ্যে কিন্তু এর প্রধান শক্তি ছিল তার নিজের রাজ্য বাংলায়। শুরু থেকে বসুর একনিষ্ঠ সমর্থক, মুথুরামালিঙ্গম থেভার ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেন। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বসু যখন মাদুরাই গিয়েছিলেন তখন তার অভ্যর্থনার উদ্দেশ্যে মুথুরামালিঙ্গম একটি বিশাল র‍্যালির আয়োজন করেন। মাদুরাই যাওয়ার পথে সুভাষচন্দ্র বসু, মুথুরামালিঙ্গমের আমন্ত্রণে ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে সমর্থন সংগ্রহে, মাদ্রাজ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিন দিন অতিবাহিত করেন। তার চিঠিপত্র প্রকাশ করে যে, ব্রিটিশ পরাধীনতার প্রতি তার স্পষ্ট অপছন্দ সত্ত্বেও, তিনি তাদের পদ্ধতিগত এবং নিয়মানুগ দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনের প্রতি তাদের দৃঢ় শৃঙ্খলামূলক মনোভাব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির বিভিন্ন নেতা ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ যেমন লর্ড আরউইন, জর্জ ল্যান্সবারি, ক্লিমেন্ট এটলি, আর্থার গ্রীনউড, হ্যারল্ড লাস্কি, জে বি এস হ্যালডেন, আইভর জেনিংস, গিলবার্ট মারে, জর্জ ডগলাস হাওয়ার্ড কোল, স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস‌ ইত্যাদির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মত বিনিময় করেন। তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, স্বাধীন ভারতের অন্তত দুই দশক পর্যন্ত তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের অনুরূপ সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রয়োজন।
কত সালে লবণ সত্যাগ্রহ বন্ধ করা হয়েছিল ?
{ "text": [ "১৯৩৪ সালে" ], "answer_start": [ 0 ] }
1589
null
১৯৩৪ সালে লবণ সত্যাগ্রহ বন্ধ করলে তিনি ও বীঠলভাই প্যাটেল ইউরোপ থেকে বোস প্যাটেল ইস্তাহার দেন। বীঠল ভাই প্যাটেল তাঁর সম্পত্তির চার ভাগের তিন ভাগ নেতাজিকে দান করেন,পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই বল্লভ ভাই প্যাটেল তা অস্বীকার করে এবং তাঁকে জালিয়াত সহ নানা খারাপ আখ্যা দেন। কুড়ি বছরের মধ্যে সুভাষচন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ভিয়েনাতে তিনি তার প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কলের সঙ্গে পরিচিত হন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন। ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সম্পর্কে তার মতামতে বলেন যে "রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ এবং একটি সমাজতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার দ্বিমাত্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্রন্টে সংগঠিত হওয়া উচিত। " ১৯৩৮ সাল অবধি বসু জাতীয় পর্যায়ের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করতে সম্মত হন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ সহ শর্তহীন স্বরাজের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এর ফলে তার সাথে মোহনদাস গান্ধীর সংঘাত সৃষ্টি হয়, যিনি প্রকৃতপক্ষে বসুর সভাপতি পদের বিরোধিতা করেন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটি বিভক্ত হয়ে যায়। বসু ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু গান্ধী বসুকে তার নিজস্ব পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় বসু ও নেহেরুর মধ্যেও বিভক্তি তৈরী হয়। বসু একটি স্ট্রেচারে করে ১৯৩৯ সালের কংগ্রেস সভায় হাজির হন। তিনি গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। মুথুরামালিঙ্গম থেভার আন্তঃকংগ্রেস বিতর্কে বসুকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তার জন্য দক্ষিণ ভারতের সকল ভোট বসুর পক্ষে যায়। যাইহোক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গান্ধী নেতৃত্বাধীন দলের বিভিন্ন কৌশলের কারণে, বসু কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৩৯ সালের ২২ জুন বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক সংগঠিত করেন মূলত বামপন্থী রাজনৈতিকদের মজবুত করার লক্ষ্যে কিন্তু এর প্রধান শক্তি ছিল তার নিজের রাজ্য বাংলায়। শুরু থেকে বসুর একনিষ্ঠ সমর্থক, মুথুরামালিঙ্গম থেভার ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেন। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বসু যখন মাদুরাই গিয়েছিলেন তখন তার অভ্যর্থনার উদ্দেশ্যে মুথুরামালিঙ্গম একটি বিশাল র‍্যালির আয়োজন করেন। মাদুরাই যাওয়ার পথে সুভাষচন্দ্র বসু, মুথুরামালিঙ্গমের আমন্ত্রণে ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে সমর্থন সংগ্রহে, মাদ্রাজ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিন দিন অতিবাহিত করেন। তার চিঠিপত্র প্রকাশ করে যে, ব্রিটিশ পরাধীনতার প্রতি তার স্পষ্ট অপছন্দ সত্ত্বেও, তিনি তাদের পদ্ধতিগত এবং নিয়মানুগ দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনের প্রতি তাদের দৃঢ় শৃঙ্খলামূলক মনোভাব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির বিভিন্ন নেতা ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ যেমন লর্ড আরউইন, জর্জ ল্যান্সবারি, ক্লিমেন্ট এটলি, আর্থার গ্রীনউড, হ্যারল্ড লাস্কি, জে বি এস হ্যালডেন, আইভর জেনিংস, গিলবার্ট মারে, জর্জ ডগলাস হাওয়ার্ড কোল, স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস‌ ইত্যাদির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মত বিনিময় করেন। তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, স্বাধীন ভারতের অন্তত দুই দশক পর্যন্ত তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের অনুরূপ সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রয়োজন।
সুভাষচন্দ্র বসু কোন সালে বিবাহিত হন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1590
null
১৯৪১ সালে অমর্ত্য সেন তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় এ। দেশ ভাগের পরে তারা ভারতে চলে এলে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ওই বছরই তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে পড়তে যান। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে বি.এ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বছরই তিনি ক্যামব্রিজ মজলিসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ট্রিনিট্রি কলেজে স্নাতকের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশের সাথে দেখা করেন। তিনি অমর্ত্য সেনের সাথে মিলিত হয়ে অভিভূত হন এবং পরবর্তীকালে কলকাতা ফিরে এসে তৎলালীন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুনা সেনের কাছে অমর্ত্য সেনের জন্য সুপারিশ করেন। ত্রিগুনা সেন তখন জাতীয় কাউন্সিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন। ক্যামব্রিজের টিনিট্রি কলেজে পি.এইচ.ডি ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়ে দুই বছরের ছুটিতে কলকাতা ফিরলে সাথে সাথে ত্রিগুনা সেন তাকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন।
অমর্ত্য সেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কত বছর শিক্ষকতা করেছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1591
null
১৯৪১ সালে অমর্ত্য সেন তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় এ। দেশ ভাগের পরে তারা ভারতে চলে এলে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ওই বছরই তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে পড়তে যান। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে বি.এ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বছরই তিনি ক্যামব্রিজ মজলিসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ট্রিনিট্রি কলেজে স্নাতকের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশের সাথে দেখা করেন। তিনি অমর্ত্য সেনের সাথে মিলিত হয়ে অভিভূত হন এবং পরবর্তীকালে কলকাতা ফিরে এসে তৎলালীন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুনা সেনের কাছে অমর্ত্য সেনের জন্য সুপারিশ করেন। ত্রিগুনা সেন তখন জাতীয় কাউন্সিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন। ক্যামব্রিজের টিনিট্রি কলেজে পি.এইচ.ডি ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়ে দুই বছরের ছুটিতে কলকাতা ফিরলে সাথে সাথে ত্রিগুনা সেন তাকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন।
পিএইচডি ডিগ্রির জন্য অমর্ত্য সেন কোথায় ভর্তি হন?
{ "text": [ "ক্যামব্রিজের টিনিট্রি কলেজে" ], "answer_start": [ 833 ] }
1592
null
১৯৪১ সালে অমর্ত্য সেন তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় এ। দেশ ভাগের পরে তারা ভারতে চলে এলে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ওই বছরই তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে পড়তে যান। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে বি.এ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বছরই তিনি ক্যামব্রিজ মজলিসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ট্রিনিট্রি কলেজে স্নাতকের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশের সাথে দেখা করেন। তিনি অমর্ত্য সেনের সাথে মিলিত হয়ে অভিভূত হন এবং পরবর্তীকালে কলকাতা ফিরে এসে তৎলালীন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুনা সেনের কাছে অমর্ত্য সেনের জন্য সুপারিশ করেন। ত্রিগুনা সেন তখন জাতীয় কাউন্সিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন। ক্যামব্রিজের টিনিট্রি কলেজে পি.এইচ.ডি ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়ে দুই বছরের ছুটিতে কলকাতা ফিরলে সাথে সাথে ত্রিগুনা সেন তাকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন।
অমর্ত্য সেন কোথায় তার শিক্ষা শুরু করেন?
{ "text": [ "সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয়" ], "answer_start": [ 47 ] }
1593
null
১৯৪১ সালে অমর্ত্য সেন তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় এ। দেশ ভাগের পরে তারা ভারতে চলে এলে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ওই বছরই তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে পড়তে যান। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে বি.এ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বছরই তিনি ক্যামব্রিজ মজলিসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ট্রিনিট্রি কলেজে স্নাতকের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশের সাথে দেখা করেন। তিনি অমর্ত্য সেনের সাথে মিলিত হয়ে অভিভূত হন এবং পরবর্তীকালে কলকাতা ফিরে এসে তৎলালীন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুনা সেনের কাছে অমর্ত্য সেনের জন্য সুপারিশ করেন। ত্রিগুনা সেন তখন জাতীয় কাউন্সিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন। ক্যামব্রিজের টিনিট্রি কলেজে পি.এইচ.ডি ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়ে দুই বছরের ছুটিতে কলকাতা ফিরলে সাথে সাথে ত্রিগুনা সেন তাকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন।
ভারতের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান কে ছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1594
null
১৯৪১ সালে অমর্ত্য সেন তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় এ। দেশ ভাগের পরে তারা ভারতে চলে এলে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ওই বছরই তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে পড়তে যান। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে বি.এ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বছরই তিনি ক্যামব্রিজ মজলিসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ট্রিনিট্রি কলেজে স্নাতকের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশের সাথে দেখা করেন। তিনি অমর্ত্য সেনের সাথে মিলিত হয়ে অভিভূত হন এবং পরবর্তীকালে কলকাতা ফিরে এসে তৎলালীন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুনা সেনের কাছে অমর্ত্য সেনের জন্য সুপারিশ করেন। ত্রিগুনা সেন তখন জাতীয় কাউন্সিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন। ক্যামব্রিজের টিনিট্রি কলেজে পি.এইচ.ডি ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়ে দুই বছরের ছুটিতে কলকাতা ফিরলে সাথে সাথে ত্রিগুনা সেন তাকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন।
অমর্ত্য সেন কত সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন?
{ "text": [ "১৯৫৩" ], "answer_start": [ 167 ] }
1595
null
১৯৪১ সালে অমর্ত্য সেন তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় এ। দেশ ভাগের পরে তারা ভারতে চলে এলে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ওই বছরই তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে পড়তে যান। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে বি.এ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বছরই তিনি ক্যামব্রিজ মজলিসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ট্রিনিট্রি কলেজে স্নাতকের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশের সাথে দেখা করেন। তিনি অমর্ত্য সেনের সাথে মিলিত হয়ে অভিভূত হন এবং পরবর্তীকালে কলকাতা ফিরে এসে তৎলালীন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুনা সেনের কাছে অমর্ত্য সেনের জন্য সুপারিশ করেন। ত্রিগুনা সেন তখন জাতীয় কাউন্সিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন। ক্যামব্রিজের টিনিট্রি কলেজে পি.এইচ.ডি ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়ে দুই বছরের ছুটিতে কলকাতা ফিরলে সাথে সাথে ত্রিগুনা সেন তাকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন।
অমর্ত্য সেন কলকাতায় ফেরার সময় প্রশান্ত চন্দ্র মহলানোবিস তাকে কার কাছে সুপারিশ করেছিলেন?
{ "text": [ "ত্রিগুনা সেনের" ], "answer_start": [ 696 ] }
1596
null
১৯৪১ সালে অমর্ত্য সেন তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় এ। দেশ ভাগের পরে তারা ভারতে চলে এলে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ওই বছরই তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে পড়তে যান। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে বি.এ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বছরই তিনি ক্যামব্রিজ মজলিসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ট্রিনিট্রি কলেজে স্নাতকের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশের সাথে দেখা করেন। তিনি অমর্ত্য সেনের সাথে মিলিত হয়ে অভিভূত হন এবং পরবর্তীকালে কলকাতা ফিরে এসে তৎলালীন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুনা সেনের কাছে অমর্ত্য সেনের জন্য সুপারিশ করেন। ত্রিগুনা সেন তখন জাতীয় কাউন্সিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন। ক্যামব্রিজের টিনিট্রি কলেজে পি.এইচ.ডি ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়ে দুই বছরের ছুটিতে কলকাতা ফিরলে সাথে সাথে ত্রিগুনা সেন তাকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন।
অমর্ত্য সেন কোন সালে সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুলে তার শিক্ষা শুরু করেন?
{ "text": [ "১৯৪১" ], "answer_start": [ 0 ] }
1597
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
কোন সালে ভারত বিভক্ত হয়?
{ "text": [ "১৯৪৭" ], "answer_start": [ 0 ] }
1598
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
সদ্য স্বাধীন ভারতে চণ্ডীগড় কিসের প্রতীক ছিল?
{ "text": [ "আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির" ], "answer_start": [ 654 ] }
1599
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
হরিয়ানা রাজ্যটি কবে জন্মগ্রহণ করেছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1600
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
পাঞ্জাবের পুরনো রাজধানী কি?
{ "text": [ "লাহোর" ], "answer_start": [ 89 ] }
1601
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
পাঞ্জাবের প্রধান ভাষা কি?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1602
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
ভারত বিভক্তির সময় কোন রাজ্য ভারত ও পাকিস্তানে অর্ধেক ভাগে বিভক্ত হয়েছিল?
{ "text": [ "পাঞ্জাব" ], "answer_start": [ 26 ] }
1603
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু কে ছিলেন?
{ "text": [ "ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী" ], "answer_start": [ 544 ] }
1604
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
১৯৬৬র ১লা নভেম্বর ভারতে কোন রাজ্যটির জন্মগ্রহণ হয়েছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1605
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
1950 সালে নরউইকির অকাল মৃত্যুর কারণে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য কাকে ডাকা হয়েছিল ?
{ "text": [ "লে কর্বুসিয়ার" ], "answer_start": [ 921 ] }
1606
null
১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময় পাঞ্জাব রাজ্যটিও ভারত ও পকিস্তানে আধাআধি ভাগ হয়। পুরাতন রাজধানী লাহোর পাকিস্তানের অংশে পড়লে ভারতীয় অংশটির জন্য এক নতুন রাজধানীর প্রয়োজন হয়। তদানীন্তন পাঞ্জাবের বর্তমান শহরগুলিকে রাজধানী হবার মত বিবেচনা না হওয়ায় একটি নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের সবকটি শহর প্রকল্পগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় দ্রুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার কারণ হলঃ প্রথমতঃ এর অবস্থান দিল্লীর কাছে এবং অস্থির রাজ্য পাঞ্জাবের জন্য দ্রুত প্রশানিক কার্য নির্বাহের প্রয়োজনীয়তা ছিল; দ্বিতীয়ত এর উপর তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত নেকনজর ছিল। নতুন ভারতের দ্রষ্টা নেহরুর চোখে চণ্ডীগড় ছিল আধুনিকমনস্কতা ও প্রগতির প্রতিমূর্তি -- নেহরুর ভাষায় "দেশের অতীত প্রথার দাসত্ব শৃঙ্খল হতে মুক্ত, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতীক" ("unfettered by the traditions of the past, a symbol of the nation's faith in the future.")। ফরাসি বংশোদ্ভুত সুয়েডিয়-জাত নগর-স্থপতি লে কর্বুসিয়ার চণ্ডীগড়ের পরিকল্পনা শেষ করেন ১৯৫০ সালে। কিন্তু আসলে লে কর্বুসিয়ার ছিলেন শহরটির দ্বিতীয় রূপকার। শহরটির প্রথম "মাস্টার প্ল্যান" খসড়া করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ আলবার্ট মেয়ার যিনি পোল্যান্ডীয় স্থপতি ম্যাথিউ নরউইকির সংগে কাজ করছিলেন।
১৯৮৫ সালে হরচাঁদ সিংহ লংওয়াল কোন দলের সন্ত ছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1607
null
১৯৪৭ সালে সত্যজিৎ রায় ও চলচ্চিত্র জগতের অন্যান্য ব্যক্তিত্বেরা এই সোসাইটি স্থাপন করেন। ১৯৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নন্দনে "পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র" স্থাপন করে। এরপর ১৯৯৫ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। কলকাতার অনেক ভবন ও স্থাপনা গথিক, ব্যারোক, রোমান, প্রাচ্য, ও মুঘল স্থাপত্য সহ অন্যান্য ইন্দো-ইসলামীয় শৈলীর মোটিফ দ্বারা সজ্জিত। ঔপনিবেশিক যুগের অনেক উল্লেখযোগ্য ভবনই সুসংরক্ষিত এবং "ঐতিহ্যবাহী ভবন" হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আবার অনেক ভবনই আজ কালের গহ্বরে বিলীয়মান। গোর্খা যুদ্ধের (১৮১৪-১৬) স্মৃতিতে নির্মিত অক্টারলোনি মনুমেন্ট (১৮৪৮) মিশরীয়, সিরীয় ও তুর্কি স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ দেখা যায়। ১৯৬৯ সালে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। তাই এখন এটি "শহীদ মিনার" নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ গ্রিকো-রোমান স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। কলকাতায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের কেডলস্টন হলের আদলে নির্মিত। কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনটি বেলজিয়ামের ইপ্রেসের ক্লথ হলের আদলে নির্মিত। কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার হল ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সর্বজনীন নথিপত্রের অভিলেখাগার। এই গ্রন্থাগারে বাইশ লক্ষেরও বেশি বই সংগৃহীত রয়েছে। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ও অন্যান্য শিল্প প্রদর্শশালায় নিয়মিত শিল্প প্রদর্শনী আয়োজিত হয়ে থাকে। কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয় হল এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর। ১৮১৪ সালে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাস ও ভারতীয় শিল্পকলার এক বিরাট সংগ্রহ সংরক্ষিত আছে। কলকাতার আর একটি উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থল হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এটি ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্যের সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। সৌধটি বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে নির্মিত। এর মধ্যে ইতালীয় রেনেসাঁ, ইন্দো-সারাসেনীয় ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর ও প্রদর্শশালা। কলকাতার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলি হল রাজ্য পুরাতত্ত্ব সংগ্রহালয় বেহালা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশুতোষ সংগ্রহশালা, স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নেতাজি ভবন ইত্যাদি। কলকাতার কালীঘাটের পট চিত্রকলা ভারতীয় শিল্পের একটি স্বতন্ত্র ঘরানা। কালীঘাট মন্দিরের কাছে উনিশ শতকে এই চিত্রশিল্প বিকাশ লাভ করেছিল। সেই সময় তীর্থযাত্রীরা স্মারক হিসেবে এই ছবিগুলি কিনে নিয়ে যেত। হিন্দু দেবদেবী, পৌরাণিক ঘটনাবলি ও সমসাময়িক নানা ঘটনাকে এক বিশেষ ধরনের ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাই ছিল এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য। বিশ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে "বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট" চিত্রশিল্পের বিশেষ এক ঘরানার জন্ম হয়। এই শিল্পকলার পুরোধাপুরুষ ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ক্যালকাটা স্কুল অফ আর্টের প্রভাবে মুঘল চিত্রকলা ও পাশ্চাত্য শিল্পীরীতির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা চিত্রকলার এই নিজস্ব ঘরানাটির জন্ম দেন। পরবর্তীকালে গণেশ পাইন, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীরা এই ঘরানার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। কলকাতার উৎসবগুলি প্রকৃতিগতভাবে দুই প্রকার। যথা: ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। কলকাতার জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দু উৎসবগুলি এই শহরে সর্বাধিক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা কলকাতার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজা শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণও বটে। হিন্দুদের অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা, পৌষ সংক্রান্তি, সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা, পয়লা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও বিশ্বকর্মা পূজা;এবং অবাঙালি হিন্দুদের উৎসবগুলির মধ্যে দীপাবলি, ধনতেরস ও ছটপূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি উৎসবগুলির মধ্যে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, মহরম, শবেবরাত ইত্যাদি; খ্রিষ্টান উৎসবগুলির মধ্যে বড়দিন ও গুড ফ্রাইডে; বৌদ্ধ উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা; জৈন উৎসব মহাবীর জয়ন্তী এবং শিখ উৎসব গুরু নানক জয়ন্তীও মহাসমারোহে পালিত হয়। কলকাতার ধর্মনিরপেক্ষ উৎসবগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান হল আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পঁচিশে বৈশাখ। এছাড়া কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, নান্দীকারের জাতীয় নাট্যমেলা, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ছোটো বইমেলা ইত্যাদিও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কলকাতার চায়নাটাউনে প্রবাসী চীনাদের চৈনিক নববর্ষ উৎসবও কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য উৎসব। প্রতি বছর জুন মাসে কলকাতায় সমকামীদের গৌরব পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়; কলকাতার এই পদযাত্রা ভারতের প্রথম গৌরব পদযাত্রা। কলকাতার বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত ও মাছ। এর সঙ্গে রসগোল্লা ও সন্দেশ নামে দুই ধরনের মিষ্টি ও মিষ্টি দই বাঙালিরা বিশেষ পছন্দ করে। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ ইলিশ দিয়ে রান্না করা বিভিন্ন রকম পদও বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। পথখাদ্যের মধ্যে বেগুনি, রোল (চিকেন, মাটন, এগ বা সবজি), ফুচকা বিশেষ জনপ্রিয়। চায়নাটাউনের চীনা খাবারও বেশ জনপ্রিয়। কলকাতার অধিবাসীদের মধ্যে মিষ্টি খাবার চল বেশি। বিশেষত সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টির বিশেষ চাহিদা দেখা যায়। কলকাতার পুরুষদের মধ্যে পাশ্চাত্য পোশাক পরার চল থাকলেও মহিলাদের মধ্যে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার্স, জিনস প্রভৃতি পরতে অভ্যস্ত। তবে উৎসবে অনুষ্ঠানে ধুতি-পাঞ্জাবি অথবা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরার চলই বেশি।
ভারতের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি কোথায় অবস্থিত ?
{ "text": [ "আলিপুরে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার" ], "answer_start": [ 965 ] }
1608
null
১৯৪৭ সালে সত্যজিৎ রায় ও চলচ্চিত্র জগতের অন্যান্য ব্যক্তিত্বেরা এই সোসাইটি স্থাপন করেন। ১৯৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নন্দনে "পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র" স্থাপন করে। এরপর ১৯৯৫ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। কলকাতার অনেক ভবন ও স্থাপনা গথিক, ব্যারোক, রোমান, প্রাচ্য, ও মুঘল স্থাপত্য সহ অন্যান্য ইন্দো-ইসলামীয় শৈলীর মোটিফ দ্বারা সজ্জিত। ঔপনিবেশিক যুগের অনেক উল্লেখযোগ্য ভবনই সুসংরক্ষিত এবং "ঐতিহ্যবাহী ভবন" হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আবার অনেক ভবনই আজ কালের গহ্বরে বিলীয়মান। গোর্খা যুদ্ধের (১৮১৪-১৬) স্মৃতিতে নির্মিত অক্টারলোনি মনুমেন্ট (১৮৪৮) মিশরীয়, সিরীয় ও তুর্কি স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ দেখা যায়। ১৯৬৯ সালে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। তাই এখন এটি "শহীদ মিনার" নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ গ্রিকো-রোমান স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। কলকাতায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের কেডলস্টন হলের আদলে নির্মিত। কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনটি বেলজিয়ামের ইপ্রেসের ক্লথ হলের আদলে নির্মিত। কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার হল ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সর্বজনীন নথিপত্রের অভিলেখাগার। এই গ্রন্থাগারে বাইশ লক্ষেরও বেশি বই সংগৃহীত রয়েছে। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ও অন্যান্য শিল্প প্রদর্শশালায় নিয়মিত শিল্প প্রদর্শনী আয়োজিত হয়ে থাকে। কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয় হল এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর। ১৮১৪ সালে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাস ও ভারতীয় শিল্পকলার এক বিরাট সংগ্রহ সংরক্ষিত আছে। কলকাতার আর একটি উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থল হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এটি ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্যের সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। সৌধটি বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে নির্মিত। এর মধ্যে ইতালীয় রেনেসাঁ, ইন্দো-সারাসেনীয় ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর ও প্রদর্শশালা। কলকাতার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলি হল রাজ্য পুরাতত্ত্ব সংগ্রহালয় বেহালা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশুতোষ সংগ্রহশালা, স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নেতাজি ভবন ইত্যাদি। কলকাতার কালীঘাটের পট চিত্রকলা ভারতীয় শিল্পের একটি স্বতন্ত্র ঘরানা। কালীঘাট মন্দিরের কাছে উনিশ শতকে এই চিত্রশিল্প বিকাশ লাভ করেছিল। সেই সময় তীর্থযাত্রীরা স্মারক হিসেবে এই ছবিগুলি কিনে নিয়ে যেত। হিন্দু দেবদেবী, পৌরাণিক ঘটনাবলি ও সমসাময়িক নানা ঘটনাকে এক বিশেষ ধরনের ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাই ছিল এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য। বিশ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে "বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট" চিত্রশিল্পের বিশেষ এক ঘরানার জন্ম হয়। এই শিল্পকলার পুরোধাপুরুষ ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ক্যালকাটা স্কুল অফ আর্টের প্রভাবে মুঘল চিত্রকলা ও পাশ্চাত্য শিল্পীরীতির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা চিত্রকলার এই নিজস্ব ঘরানাটির জন্ম দেন। পরবর্তীকালে গণেশ পাইন, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীরা এই ঘরানার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। কলকাতার উৎসবগুলি প্রকৃতিগতভাবে দুই প্রকার। যথা: ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। কলকাতার জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দু উৎসবগুলি এই শহরে সর্বাধিক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা কলকাতার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজা শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণও বটে। হিন্দুদের অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা, পৌষ সংক্রান্তি, সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা, পয়লা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও বিশ্বকর্মা পূজা;এবং অবাঙালি হিন্দুদের উৎসবগুলির মধ্যে দীপাবলি, ধনতেরস ও ছটপূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি উৎসবগুলির মধ্যে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, মহরম, শবেবরাত ইত্যাদি; খ্রিষ্টান উৎসবগুলির মধ্যে বড়দিন ও গুড ফ্রাইডে; বৌদ্ধ উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা; জৈন উৎসব মহাবীর জয়ন্তী এবং শিখ উৎসব গুরু নানক জয়ন্তীও মহাসমারোহে পালিত হয়। কলকাতার ধর্মনিরপেক্ষ উৎসবগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান হল আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পঁচিশে বৈশাখ। এছাড়া কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, নান্দীকারের জাতীয় নাট্যমেলা, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ছোটো বইমেলা ইত্যাদিও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কলকাতার চায়নাটাউনে প্রবাসী চীনাদের চৈনিক নববর্ষ উৎসবও কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য উৎসব। প্রতি বছর জুন মাসে কলকাতায় সমকামীদের গৌরব পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়; কলকাতার এই পদযাত্রা ভারতের প্রথম গৌরব পদযাত্রা। কলকাতার বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত ও মাছ। এর সঙ্গে রসগোল্লা ও সন্দেশ নামে দুই ধরনের মিষ্টি ও মিষ্টি দই বাঙালিরা বিশেষ পছন্দ করে। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ ইলিশ দিয়ে রান্না করা বিভিন্ন রকম পদও বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। পথখাদ্যের মধ্যে বেগুনি, রোল (চিকেন, মাটন, এগ বা সবজি), ফুচকা বিশেষ জনপ্রিয়। চায়নাটাউনের চীনা খাবারও বেশ জনপ্রিয়। কলকাতার অধিবাসীদের মধ্যে মিষ্টি খাবার চল বেশি। বিশেষত সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টির বিশেষ চাহিদা দেখা যায়। কলকাতার পুরুষদের মধ্যে পাশ্চাত্য পোশাক পরার চল থাকলেও মহিলাদের মধ্যে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার্স, জিনস প্রভৃতি পরতে অভ্যস্ত। তবে উৎসবে অনুষ্ঠানে ধুতি-পাঞ্জাবি অথবা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরার চলই বেশি।
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে কলকাতা শহরে চিত্রকলার কোন স্কুলের জন্ম হয় ?
{ "text": [ "বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট" ], "answer_start": [ 2266 ] }
1609
null
১৯৪৭ সালে সত্যজিৎ রায় ও চলচ্চিত্র জগতের অন্যান্য ব্যক্তিত্বেরা এই সোসাইটি স্থাপন করেন। ১৯৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নন্দনে "পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র" স্থাপন করে। এরপর ১৯৯৫ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। কলকাতার অনেক ভবন ও স্থাপনা গথিক, ব্যারোক, রোমান, প্রাচ্য, ও মুঘল স্থাপত্য সহ অন্যান্য ইন্দো-ইসলামীয় শৈলীর মোটিফ দ্বারা সজ্জিত। ঔপনিবেশিক যুগের অনেক উল্লেখযোগ্য ভবনই সুসংরক্ষিত এবং "ঐতিহ্যবাহী ভবন" হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আবার অনেক ভবনই আজ কালের গহ্বরে বিলীয়মান। গোর্খা যুদ্ধের (১৮১৪-১৬) স্মৃতিতে নির্মিত অক্টারলোনি মনুমেন্ট (১৮৪৮) মিশরীয়, সিরীয় ও তুর্কি স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ দেখা যায়। ১৯৬৯ সালে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। তাই এখন এটি "শহীদ মিনার" নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ গ্রিকো-রোমান স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। কলকাতায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের কেডলস্টন হলের আদলে নির্মিত। কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনটি বেলজিয়ামের ইপ্রেসের ক্লথ হলের আদলে নির্মিত। কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার হল ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সর্বজনীন নথিপত্রের অভিলেখাগার। এই গ্রন্থাগারে বাইশ লক্ষেরও বেশি বই সংগৃহীত রয়েছে। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ও অন্যান্য শিল্প প্রদর্শশালায় নিয়মিত শিল্প প্রদর্শনী আয়োজিত হয়ে থাকে। কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয় হল এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর। ১৮১৪ সালে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাস ও ভারতীয় শিল্পকলার এক বিরাট সংগ্রহ সংরক্ষিত আছে। কলকাতার আর একটি উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থল হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এটি ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্যের সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। সৌধটি বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে নির্মিত। এর মধ্যে ইতালীয় রেনেসাঁ, ইন্দো-সারাসেনীয় ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর ও প্রদর্শশালা। কলকাতার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলি হল রাজ্য পুরাতত্ত্ব সংগ্রহালয় বেহালা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশুতোষ সংগ্রহশালা, স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নেতাজি ভবন ইত্যাদি। কলকাতার কালীঘাটের পট চিত্রকলা ভারতীয় শিল্পের একটি স্বতন্ত্র ঘরানা। কালীঘাট মন্দিরের কাছে উনিশ শতকে এই চিত্রশিল্প বিকাশ লাভ করেছিল। সেই সময় তীর্থযাত্রীরা স্মারক হিসেবে এই ছবিগুলি কিনে নিয়ে যেত। হিন্দু দেবদেবী, পৌরাণিক ঘটনাবলি ও সমসাময়িক নানা ঘটনাকে এক বিশেষ ধরনের ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাই ছিল এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য। বিশ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে "বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট" চিত্রশিল্পের বিশেষ এক ঘরানার জন্ম হয়। এই শিল্পকলার পুরোধাপুরুষ ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ক্যালকাটা স্কুল অফ আর্টের প্রভাবে মুঘল চিত্রকলা ও পাশ্চাত্য শিল্পীরীতির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা চিত্রকলার এই নিজস্ব ঘরানাটির জন্ম দেন। পরবর্তীকালে গণেশ পাইন, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীরা এই ঘরানার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। কলকাতার উৎসবগুলি প্রকৃতিগতভাবে দুই প্রকার। যথা: ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। কলকাতার জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দু উৎসবগুলি এই শহরে সর্বাধিক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা কলকাতার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজা শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণও বটে। হিন্দুদের অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা, পৌষ সংক্রান্তি, সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা, পয়লা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও বিশ্বকর্মা পূজা;এবং অবাঙালি হিন্দুদের উৎসবগুলির মধ্যে দীপাবলি, ধনতেরস ও ছটপূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি উৎসবগুলির মধ্যে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, মহরম, শবেবরাত ইত্যাদি; খ্রিষ্টান উৎসবগুলির মধ্যে বড়দিন ও গুড ফ্রাইডে; বৌদ্ধ উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা; জৈন উৎসব মহাবীর জয়ন্তী এবং শিখ উৎসব গুরু নানক জয়ন্তীও মহাসমারোহে পালিত হয়। কলকাতার ধর্মনিরপেক্ষ উৎসবগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান হল আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পঁচিশে বৈশাখ। এছাড়া কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, নান্দীকারের জাতীয় নাট্যমেলা, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ছোটো বইমেলা ইত্যাদিও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কলকাতার চায়নাটাউনে প্রবাসী চীনাদের চৈনিক নববর্ষ উৎসবও কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য উৎসব। প্রতি বছর জুন মাসে কলকাতায় সমকামীদের গৌরব পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়; কলকাতার এই পদযাত্রা ভারতের প্রথম গৌরব পদযাত্রা। কলকাতার বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত ও মাছ। এর সঙ্গে রসগোল্লা ও সন্দেশ নামে দুই ধরনের মিষ্টি ও মিষ্টি দই বাঙালিরা বিশেষ পছন্দ করে। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ ইলিশ দিয়ে রান্না করা বিভিন্ন রকম পদও বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। পথখাদ্যের মধ্যে বেগুনি, রোল (চিকেন, মাটন, এগ বা সবজি), ফুচকা বিশেষ জনপ্রিয়। চায়নাটাউনের চীনা খাবারও বেশ জনপ্রিয়। কলকাতার অধিবাসীদের মধ্যে মিষ্টি খাবার চল বেশি। বিশেষত সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টির বিশেষ চাহিদা দেখা যায়। কলকাতার পুরুষদের মধ্যে পাশ্চাত্য পোশাক পরার চল থাকলেও মহিলাদের মধ্যে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার্স, জিনস প্রভৃতি পরতে অভ্যস্ত। তবে উৎসবে অনুষ্ঠানে ধুতি-পাঞ্জাবি অথবা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরার চলই বেশি।
বোরখা কোন ধর্মের মেয়েরা পরেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1610
null
১৯৪৭ সালে সত্যজিৎ রায় ও চলচ্চিত্র জগতের অন্যান্য ব্যক্তিত্বেরা এই সোসাইটি স্থাপন করেন। ১৯৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নন্দনে "পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র" স্থাপন করে। এরপর ১৯৯৫ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। কলকাতার অনেক ভবন ও স্থাপনা গথিক, ব্যারোক, রোমান, প্রাচ্য, ও মুঘল স্থাপত্য সহ অন্যান্য ইন্দো-ইসলামীয় শৈলীর মোটিফ দ্বারা সজ্জিত। ঔপনিবেশিক যুগের অনেক উল্লেখযোগ্য ভবনই সুসংরক্ষিত এবং "ঐতিহ্যবাহী ভবন" হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আবার অনেক ভবনই আজ কালের গহ্বরে বিলীয়মান। গোর্খা যুদ্ধের (১৮১৪-১৬) স্মৃতিতে নির্মিত অক্টারলোনি মনুমেন্ট (১৮৪৮) মিশরীয়, সিরীয় ও তুর্কি স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ দেখা যায়। ১৯৬৯ সালে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। তাই এখন এটি "শহীদ মিনার" নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ গ্রিকো-রোমান স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। কলকাতায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের কেডলস্টন হলের আদলে নির্মিত। কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনটি বেলজিয়ামের ইপ্রেসের ক্লথ হলের আদলে নির্মিত। কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার হল ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সর্বজনীন নথিপত্রের অভিলেখাগার। এই গ্রন্থাগারে বাইশ লক্ষেরও বেশি বই সংগৃহীত রয়েছে। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ও অন্যান্য শিল্প প্রদর্শশালায় নিয়মিত শিল্প প্রদর্শনী আয়োজিত হয়ে থাকে। কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয় হল এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর। ১৮১৪ সালে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাস ও ভারতীয় শিল্পকলার এক বিরাট সংগ্রহ সংরক্ষিত আছে। কলকাতার আর একটি উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থল হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এটি ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্যের সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। সৌধটি বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে নির্মিত। এর মধ্যে ইতালীয় রেনেসাঁ, ইন্দো-সারাসেনীয় ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর ও প্রদর্শশালা। কলকাতার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলি হল রাজ্য পুরাতত্ত্ব সংগ্রহালয় বেহালা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশুতোষ সংগ্রহশালা, স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নেতাজি ভবন ইত্যাদি। কলকাতার কালীঘাটের পট চিত্রকলা ভারতীয় শিল্পের একটি স্বতন্ত্র ঘরানা। কালীঘাট মন্দিরের কাছে উনিশ শতকে এই চিত্রশিল্প বিকাশ লাভ করেছিল। সেই সময় তীর্থযাত্রীরা স্মারক হিসেবে এই ছবিগুলি কিনে নিয়ে যেত। হিন্দু দেবদেবী, পৌরাণিক ঘটনাবলি ও সমসাময়িক নানা ঘটনাকে এক বিশেষ ধরনের ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাই ছিল এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য। বিশ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে "বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট" চিত্রশিল্পের বিশেষ এক ঘরানার জন্ম হয়। এই শিল্পকলার পুরোধাপুরুষ ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ক্যালকাটা স্কুল অফ আর্টের প্রভাবে মুঘল চিত্রকলা ও পাশ্চাত্য শিল্পীরীতির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা চিত্রকলার এই নিজস্ব ঘরানাটির জন্ম দেন। পরবর্তীকালে গণেশ পাইন, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীরা এই ঘরানার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। কলকাতার উৎসবগুলি প্রকৃতিগতভাবে দুই প্রকার। যথা: ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। কলকাতার জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দু উৎসবগুলি এই শহরে সর্বাধিক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা কলকাতার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজা শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণও বটে। হিন্দুদের অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা, পৌষ সংক্রান্তি, সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা, পয়লা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও বিশ্বকর্মা পূজা;এবং অবাঙালি হিন্দুদের উৎসবগুলির মধ্যে দীপাবলি, ধনতেরস ও ছটপূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি উৎসবগুলির মধ্যে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, মহরম, শবেবরাত ইত্যাদি; খ্রিষ্টান উৎসবগুলির মধ্যে বড়দিন ও গুড ফ্রাইডে; বৌদ্ধ উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা; জৈন উৎসব মহাবীর জয়ন্তী এবং শিখ উৎসব গুরু নানক জয়ন্তীও মহাসমারোহে পালিত হয়। কলকাতার ধর্মনিরপেক্ষ উৎসবগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান হল আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পঁচিশে বৈশাখ। এছাড়া কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, নান্দীকারের জাতীয় নাট্যমেলা, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ছোটো বইমেলা ইত্যাদিও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কলকাতার চায়নাটাউনে প্রবাসী চীনাদের চৈনিক নববর্ষ উৎসবও কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য উৎসব। প্রতি বছর জুন মাসে কলকাতায় সমকামীদের গৌরব পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়; কলকাতার এই পদযাত্রা ভারতের প্রথম গৌরব পদযাত্রা। কলকাতার বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত ও মাছ। এর সঙ্গে রসগোল্লা ও সন্দেশ নামে দুই ধরনের মিষ্টি ও মিষ্টি দই বাঙালিরা বিশেষ পছন্দ করে। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ ইলিশ দিয়ে রান্না করা বিভিন্ন রকম পদও বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। পথখাদ্যের মধ্যে বেগুনি, রোল (চিকেন, মাটন, এগ বা সবজি), ফুচকা বিশেষ জনপ্রিয়। চায়নাটাউনের চীনা খাবারও বেশ জনপ্রিয়। কলকাতার অধিবাসীদের মধ্যে মিষ্টি খাবার চল বেশি। বিশেষত সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টির বিশেষ চাহিদা দেখা যায়। কলকাতার পুরুষদের মধ্যে পাশ্চাত্য পোশাক পরার চল থাকলেও মহিলাদের মধ্যে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার্স, জিনস প্রভৃতি পরতে অভ্যস্ত। তবে উৎসবে অনুষ্ঠানে ধুতি-পাঞ্জাবি অথবা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরার চলই বেশি।
কলকাতার জাদুঘরটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?
{ "text": [ "১৮১৪" ], "answer_start": [ 495 ] }
1611
null
১৯৪৭ সালে সত্যজিৎ রায় ও চলচ্চিত্র জগতের অন্যান্য ব্যক্তিত্বেরা এই সোসাইটি স্থাপন করেন। ১৯৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নন্দনে "পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র" স্থাপন করে। এরপর ১৯৯৫ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। কলকাতার অনেক ভবন ও স্থাপনা গথিক, ব্যারোক, রোমান, প্রাচ্য, ও মুঘল স্থাপত্য সহ অন্যান্য ইন্দো-ইসলামীয় শৈলীর মোটিফ দ্বারা সজ্জিত। ঔপনিবেশিক যুগের অনেক উল্লেখযোগ্য ভবনই সুসংরক্ষিত এবং "ঐতিহ্যবাহী ভবন" হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আবার অনেক ভবনই আজ কালের গহ্বরে বিলীয়মান। গোর্খা যুদ্ধের (১৮১৪-১৬) স্মৃতিতে নির্মিত অক্টারলোনি মনুমেন্ট (১৮৪৮) মিশরীয়, সিরীয় ও তুর্কি স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ দেখা যায়। ১৯৬৯ সালে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। তাই এখন এটি "শহীদ মিনার" নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ গ্রিকো-রোমান স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। কলকাতায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের কেডলস্টন হলের আদলে নির্মিত। কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনটি বেলজিয়ামের ইপ্রেসের ক্লথ হলের আদলে নির্মিত। কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার হল ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সর্বজনীন নথিপত্রের অভিলেখাগার। এই গ্রন্থাগারে বাইশ লক্ষেরও বেশি বই সংগৃহীত রয়েছে। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ও অন্যান্য শিল্প প্রদর্শশালায় নিয়মিত শিল্প প্রদর্শনী আয়োজিত হয়ে থাকে। কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয় হল এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর। ১৮১৪ সালে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাস ও ভারতীয় শিল্পকলার এক বিরাট সংগ্রহ সংরক্ষিত আছে। কলকাতার আর একটি উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থল হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এটি ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্যের সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। সৌধটি বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে নির্মিত। এর মধ্যে ইতালীয় রেনেসাঁ, ইন্দো-সারাসেনীয় ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর ও প্রদর্শশালা। কলকাতার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলি হল রাজ্য পুরাতত্ত্ব সংগ্রহালয় বেহালা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশুতোষ সংগ্রহশালা, স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নেতাজি ভবন ইত্যাদি। কলকাতার কালীঘাটের পট চিত্রকলা ভারতীয় শিল্পের একটি স্বতন্ত্র ঘরানা। কালীঘাট মন্দিরের কাছে উনিশ শতকে এই চিত্রশিল্প বিকাশ লাভ করেছিল। সেই সময় তীর্থযাত্রীরা স্মারক হিসেবে এই ছবিগুলি কিনে নিয়ে যেত। হিন্দু দেবদেবী, পৌরাণিক ঘটনাবলি ও সমসাময়িক নানা ঘটনাকে এক বিশেষ ধরনের ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাই ছিল এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য। বিশ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে "বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট" চিত্রশিল্পের বিশেষ এক ঘরানার জন্ম হয়। এই শিল্পকলার পুরোধাপুরুষ ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ক্যালকাটা স্কুল অফ আর্টের প্রভাবে মুঘল চিত্রকলা ও পাশ্চাত্য শিল্পীরীতির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা চিত্রকলার এই নিজস্ব ঘরানাটির জন্ম দেন। পরবর্তীকালে গণেশ পাইন, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীরা এই ঘরানার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। কলকাতার উৎসবগুলি প্রকৃতিগতভাবে দুই প্রকার। যথা: ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। কলকাতার জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দু উৎসবগুলি এই শহরে সর্বাধিক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা কলকাতার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজা শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণও বটে। হিন্দুদের অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা, পৌষ সংক্রান্তি, সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা, পয়লা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও বিশ্বকর্মা পূজা;এবং অবাঙালি হিন্দুদের উৎসবগুলির মধ্যে দীপাবলি, ধনতেরস ও ছটপূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি উৎসবগুলির মধ্যে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, মহরম, শবেবরাত ইত্যাদি; খ্রিষ্টান উৎসবগুলির মধ্যে বড়দিন ও গুড ফ্রাইডে; বৌদ্ধ উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা; জৈন উৎসব মহাবীর জয়ন্তী এবং শিখ উৎসব গুরু নানক জয়ন্তীও মহাসমারোহে পালিত হয়। কলকাতার ধর্মনিরপেক্ষ উৎসবগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান হল আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পঁচিশে বৈশাখ। এছাড়া কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, নান্দীকারের জাতীয় নাট্যমেলা, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ছোটো বইমেলা ইত্যাদিও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কলকাতার চায়নাটাউনে প্রবাসী চীনাদের চৈনিক নববর্ষ উৎসবও কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য উৎসব। প্রতি বছর জুন মাসে কলকাতায় সমকামীদের গৌরব পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়; কলকাতার এই পদযাত্রা ভারতের প্রথম গৌরব পদযাত্রা। কলকাতার বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত ও মাছ। এর সঙ্গে রসগোল্লা ও সন্দেশ নামে দুই ধরনের মিষ্টি ও মিষ্টি দই বাঙালিরা বিশেষ পছন্দ করে। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ ইলিশ দিয়ে রান্না করা বিভিন্ন রকম পদও বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। পথখাদ্যের মধ্যে বেগুনি, রোল (চিকেন, মাটন, এগ বা সবজি), ফুচকা বিশেষ জনপ্রিয়। চায়নাটাউনের চীনা খাবারও বেশ জনপ্রিয়। কলকাতার অধিবাসীদের মধ্যে মিষ্টি খাবার চল বেশি। বিশেষত সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টির বিশেষ চাহিদা দেখা যায়। কলকাতার পুরুষদের মধ্যে পাশ্চাত্য পোশাক পরার চল থাকলেও মহিলাদের মধ্যে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার্স, জিনস প্রভৃতি পরতে অভ্যস্ত। তবে উৎসবে অনুষ্ঠানে ধুতি-পাঞ্জাবি অথবা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরার চলই বেশি।
এশিয়ার প্রাচীনতম জাদুঘর কোনটি ?
{ "text": [ "কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয়" ], "answer_start": [ 1217 ] }
1612
null
১৯৪৭ সালে সত্যজিৎ রায় ও চলচ্চিত্র জগতের অন্যান্য ব্যক্তিত্বেরা এই সোসাইটি স্থাপন করেন। ১৯৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নন্দনে "পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র" স্থাপন করে। এরপর ১৯৯৫ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। কলকাতার অনেক ভবন ও স্থাপনা গথিক, ব্যারোক, রোমান, প্রাচ্য, ও মুঘল স্থাপত্য সহ অন্যান্য ইন্দো-ইসলামীয় শৈলীর মোটিফ দ্বারা সজ্জিত। ঔপনিবেশিক যুগের অনেক উল্লেখযোগ্য ভবনই সুসংরক্ষিত এবং "ঐতিহ্যবাহী ভবন" হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আবার অনেক ভবনই আজ কালের গহ্বরে বিলীয়মান। গোর্খা যুদ্ধের (১৮১৪-১৬) স্মৃতিতে নির্মিত অক্টারলোনি মনুমেন্ট (১৮৪৮) মিশরীয়, সিরীয় ও তুর্কি স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ দেখা যায়। ১৯৬৯ সালে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। তাই এখন এটি "শহীদ মিনার" নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ গ্রিকো-রোমান স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। কলকাতায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের কেডলস্টন হলের আদলে নির্মিত। কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনটি বেলজিয়ামের ইপ্রেসের ক্লথ হলের আদলে নির্মিত। কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার হল ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সর্বজনীন নথিপত্রের অভিলেখাগার। এই গ্রন্থাগারে বাইশ লক্ষেরও বেশি বই সংগৃহীত রয়েছে। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ও অন্যান্য শিল্প প্রদর্শশালায় নিয়মিত শিল্প প্রদর্শনী আয়োজিত হয়ে থাকে। কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয় হল এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর। ১৮১৪ সালে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাস ও ভারতীয় শিল্পকলার এক বিরাট সংগ্রহ সংরক্ষিত আছে। কলকাতার আর একটি উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থল হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এটি ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্যের সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। সৌধটি বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে নির্মিত। এর মধ্যে ইতালীয় রেনেসাঁ, ইন্দো-সারাসেনীয় ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর ও প্রদর্শশালা। কলকাতার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলি হল রাজ্য পুরাতত্ত্ব সংগ্রহালয় বেহালা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশুতোষ সংগ্রহশালা, স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নেতাজি ভবন ইত্যাদি। কলকাতার কালীঘাটের পট চিত্রকলা ভারতীয় শিল্পের একটি স্বতন্ত্র ঘরানা। কালীঘাট মন্দিরের কাছে উনিশ শতকে এই চিত্রশিল্প বিকাশ লাভ করেছিল। সেই সময় তীর্থযাত্রীরা স্মারক হিসেবে এই ছবিগুলি কিনে নিয়ে যেত। হিন্দু দেবদেবী, পৌরাণিক ঘটনাবলি ও সমসাময়িক নানা ঘটনাকে এক বিশেষ ধরনের ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাই ছিল এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য। বিশ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে "বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট" চিত্রশিল্পের বিশেষ এক ঘরানার জন্ম হয়। এই শিল্পকলার পুরোধাপুরুষ ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ক্যালকাটা স্কুল অফ আর্টের প্রভাবে মুঘল চিত্রকলা ও পাশ্চাত্য শিল্পীরীতির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা চিত্রকলার এই নিজস্ব ঘরানাটির জন্ম দেন। পরবর্তীকালে গণেশ পাইন, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীরা এই ঘরানার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। কলকাতার উৎসবগুলি প্রকৃতিগতভাবে দুই প্রকার। যথা: ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। কলকাতার জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দু উৎসবগুলি এই শহরে সর্বাধিক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা কলকাতার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজা শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণও বটে। হিন্দুদের অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা, পৌষ সংক্রান্তি, সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা, পয়লা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও বিশ্বকর্মা পূজা;এবং অবাঙালি হিন্দুদের উৎসবগুলির মধ্যে দীপাবলি, ধনতেরস ও ছটপূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি উৎসবগুলির মধ্যে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, মহরম, শবেবরাত ইত্যাদি; খ্রিষ্টান উৎসবগুলির মধ্যে বড়দিন ও গুড ফ্রাইডে; বৌদ্ধ উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা; জৈন উৎসব মহাবীর জয়ন্তী এবং শিখ উৎসব গুরু নানক জয়ন্তীও মহাসমারোহে পালিত হয়। কলকাতার ধর্মনিরপেক্ষ উৎসবগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান হল আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পঁচিশে বৈশাখ। এছাড়া কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, নান্দীকারের জাতীয় নাট্যমেলা, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ছোটো বইমেলা ইত্যাদিও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কলকাতার চায়নাটাউনে প্রবাসী চীনাদের চৈনিক নববর্ষ উৎসবও কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য উৎসব। প্রতি বছর জুন মাসে কলকাতায় সমকামীদের গৌরব পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়; কলকাতার এই পদযাত্রা ভারতের প্রথম গৌরব পদযাত্রা। কলকাতার বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত ও মাছ। এর সঙ্গে রসগোল্লা ও সন্দেশ নামে দুই ধরনের মিষ্টি ও মিষ্টি দই বাঙালিরা বিশেষ পছন্দ করে। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ ইলিশ দিয়ে রান্না করা বিভিন্ন রকম পদও বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। পথখাদ্যের মধ্যে বেগুনি, রোল (চিকেন, মাটন, এগ বা সবজি), ফুচকা বিশেষ জনপ্রিয়। চায়নাটাউনের চীনা খাবারও বেশ জনপ্রিয়। কলকাতার অধিবাসীদের মধ্যে মিষ্টি খাবার চল বেশি। বিশেষত সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টির বিশেষ চাহিদা দেখা যায়। কলকাতার পুরুষদের মধ্যে পাশ্চাত্য পোশাক পরার চল থাকলেও মহিলাদের মধ্যে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার্স, জিনস প্রভৃতি পরতে অভ্যস্ত। তবে উৎসবে অনুষ্ঠানে ধুতি-পাঞ্জাবি অথবা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরার চলই বেশি।
আলিপুরের জাতীয় গ্রন্থাগারে কত পরিমাণ বই সংগৃহীত রয়েছে ?
{ "text": [ "বাইশ লক্ষেরও বেশি" ], "answer_start": [ 1083 ] }
1613
null
১৯৪৭ সালে সত্যজিৎ রায় ও চলচ্চিত্র জগতের অন্যান্য ব্যক্তিত্বেরা এই সোসাইটি স্থাপন করেন। ১৯৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নন্দনে "পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র" স্থাপন করে। এরপর ১৯৯৫ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। কলকাতার অনেক ভবন ও স্থাপনা গথিক, ব্যারোক, রোমান, প্রাচ্য, ও মুঘল স্থাপত্য সহ অন্যান্য ইন্দো-ইসলামীয় শৈলীর মোটিফ দ্বারা সজ্জিত। ঔপনিবেশিক যুগের অনেক উল্লেখযোগ্য ভবনই সুসংরক্ষিত এবং "ঐতিহ্যবাহী ভবন" হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আবার অনেক ভবনই আজ কালের গহ্বরে বিলীয়মান। গোর্খা যুদ্ধের (১৮১৪-১৬) স্মৃতিতে নির্মিত অক্টারলোনি মনুমেন্ট (১৮৪৮) মিশরীয়, সিরীয় ও তুর্কি স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ দেখা যায়। ১৯৬৯ সালে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। তাই এখন এটি "শহীদ মিনার" নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ গ্রিকো-রোমান স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। কলকাতায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের কেডলস্টন হলের আদলে নির্মিত। কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনটি বেলজিয়ামের ইপ্রেসের ক্লথ হলের আদলে নির্মিত। কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার হল ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সর্বজনীন নথিপত্রের অভিলেখাগার। এই গ্রন্থাগারে বাইশ লক্ষেরও বেশি বই সংগৃহীত রয়েছে। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ও অন্যান্য শিল্প প্রদর্শশালায় নিয়মিত শিল্প প্রদর্শনী আয়োজিত হয়ে থাকে। কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয় হল এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর। ১৮১৪ সালে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাস ও ভারতীয় শিল্পকলার এক বিরাট সংগ্রহ সংরক্ষিত আছে। কলকাতার আর একটি উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থল হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এটি ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্যের সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। সৌধটি বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে নির্মিত। এর মধ্যে ইতালীয় রেনেসাঁ, ইন্দো-সারাসেনীয় ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর ও প্রদর্শশালা। কলকাতার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলি হল রাজ্য পুরাতত্ত্ব সংগ্রহালয় বেহালা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশুতোষ সংগ্রহশালা, স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নেতাজি ভবন ইত্যাদি। কলকাতার কালীঘাটের পট চিত্রকলা ভারতীয় শিল্পের একটি স্বতন্ত্র ঘরানা। কালীঘাট মন্দিরের কাছে উনিশ শতকে এই চিত্রশিল্প বিকাশ লাভ করেছিল। সেই সময় তীর্থযাত্রীরা স্মারক হিসেবে এই ছবিগুলি কিনে নিয়ে যেত। হিন্দু দেবদেবী, পৌরাণিক ঘটনাবলি ও সমসাময়িক নানা ঘটনাকে এক বিশেষ ধরনের ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাই ছিল এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য। বিশ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে "বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট" চিত্রশিল্পের বিশেষ এক ঘরানার জন্ম হয়। এই শিল্পকলার পুরোধাপুরুষ ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ক্যালকাটা স্কুল অফ আর্টের প্রভাবে মুঘল চিত্রকলা ও পাশ্চাত্য শিল্পীরীতির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা চিত্রকলার এই নিজস্ব ঘরানাটির জন্ম দেন। পরবর্তীকালে গণেশ পাইন, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীরা এই ঘরানার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। কলকাতার উৎসবগুলি প্রকৃতিগতভাবে দুই প্রকার। যথা: ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। কলকাতার জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দু উৎসবগুলি এই শহরে সর্বাধিক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা কলকাতার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজা শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণও বটে। হিন্দুদের অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা, পৌষ সংক্রান্তি, সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা, পয়লা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও বিশ্বকর্মা পূজা;এবং অবাঙালি হিন্দুদের উৎসবগুলির মধ্যে দীপাবলি, ধনতেরস ও ছটপূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি উৎসবগুলির মধ্যে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, মহরম, শবেবরাত ইত্যাদি; খ্রিষ্টান উৎসবগুলির মধ্যে বড়দিন ও গুড ফ্রাইডে; বৌদ্ধ উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা; জৈন উৎসব মহাবীর জয়ন্তী এবং শিখ উৎসব গুরু নানক জয়ন্তীও মহাসমারোহে পালিত হয়। কলকাতার ধর্মনিরপেক্ষ উৎসবগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান হল আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পঁচিশে বৈশাখ। এছাড়া কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, নান্দীকারের জাতীয় নাট্যমেলা, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ছোটো বইমেলা ইত্যাদিও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কলকাতার চায়নাটাউনে প্রবাসী চীনাদের চৈনিক নববর্ষ উৎসবও কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য উৎসব। প্রতি বছর জুন মাসে কলকাতায় সমকামীদের গৌরব পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়; কলকাতার এই পদযাত্রা ভারতের প্রথম গৌরব পদযাত্রা। কলকাতার বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত ও মাছ। এর সঙ্গে রসগোল্লা ও সন্দেশ নামে দুই ধরনের মিষ্টি ও মিষ্টি দই বাঙালিরা বিশেষ পছন্দ করে। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ ইলিশ দিয়ে রান্না করা বিভিন্ন রকম পদও বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। পথখাদ্যের মধ্যে বেগুনি, রোল (চিকেন, মাটন, এগ বা সবজি), ফুচকা বিশেষ জনপ্রিয়। চায়নাটাউনের চীনা খাবারও বেশ জনপ্রিয়। কলকাতার অধিবাসীদের মধ্যে মিষ্টি খাবার চল বেশি। বিশেষত সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টির বিশেষ চাহিদা দেখা যায়। কলকাতার পুরুষদের মধ্যে পাশ্চাত্য পোশাক পরার চল থাকলেও মহিলাদের মধ্যে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার্স, জিনস প্রভৃতি পরতে অভ্যস্ত। তবে উৎসবে অনুষ্ঠানে ধুতি-পাঞ্জাবি অথবা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরার চলই বেশি।
কলকাতার মহিলারা কোন ধরনের বস্ত্র পরেন ?
{ "text": [ "ঐতিহ্যবাহী পোশাক" ], "answer_start": [ 4457 ] }
1614
null
১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য নাথুরাম গডসের হাতে মহাত্মা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর আরএসএস-এর অনেক বিশিষ্ট নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সেই বছরই ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই পটেল সংগঠন হিসেবে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন গডসে দাবি করেছিল যে, সে ১৯৪৬ সালেই সংগঠনের সদস্যপদ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু প্যাটেল মন্তব্য করেছিলেন যে, "গান্ধীর মৃত্যুর পর আরএসএস-এর লোকজন উল্লাসে মেতে ওঠে ও মিষ্টি বিতরণ করে। "ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত আরএসএস নেতাদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ১৯৪৮ সালের অগস্ট মাসে মুক্তিলাভের পর গোলওয়ালকর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে আরএসএস-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখে। নেহেরু জানান, সেই ব্যাপারটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এরপর গোলওয়ালকর বিষয়টি নিয়ে বল্লভভাই পটেলের সঙ্গে আলোচনা করে। তখন পটেল নিষেধাজ্ঞা তোলার চূড়ান্ত প্রাক্-শর্ত হিসেবে দাবি করেন যে, আরএসএস-কে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত সংবিধান গ্রহণ করতে হবে ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পটেল এই সংবিধানে আরএসএস-কে যে কয়েকটি বিষয় উল্লেখের নির্দেশ দেন সেগুলি ছিল ভারতের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য, ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে মেনে নেওয়া, সংগঠনের সভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া, অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগঠনটিকে গণতান্ত্রিক করে তোলা, শিশুদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার আগে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নেওয়া এবং সহিংসতা ও গোপনীয়তা বর্জন করা। এই দাবিগুলির বিরুদ্ধে গোলওয়ালকর এক বিরাট বিক্ষোভের আয়োজন করে। সেই সময় আবার তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। পরে আরএসএস একটি সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সেই সংবিধানে পটেলের কোনও দাবিই মানা হয়নি। আরেকবার বিক্ষোভ সংগঠনের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সংগঠনের পরিচালক নির্বাচন এবং শিশুদের সদস্যপদ দানের বিষয় দু’টি ছাড়া বাকি সব দাবিই আরএসএস-এর সংবিধানের একটি সংশোধনীর মাধ্যমে মেনে নেওয়া হয়। যদিও সংগঠনের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিষয়টি যা এই সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছিল তা একটি ‘নির্লক্ষ্য পত্র’ই থেকে যায়।
কবে ভারত সরকার একটি বিবৃতি জারি করে আরএসএসের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ?
{ "text": [ "৪ ফেব্রুয়ারি" ], "answer_start": [ 185 ] }
1615
null
১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য নাথুরাম গডসের হাতে মহাত্মা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর আরএসএস-এর অনেক বিশিষ্ট নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সেই বছরই ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই পটেল সংগঠন হিসেবে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন গডসে দাবি করেছিল যে, সে ১৯৪৬ সালেই সংগঠনের সদস্যপদ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু প্যাটেল মন্তব্য করেছিলেন যে, "গান্ধীর মৃত্যুর পর আরএসএস-এর লোকজন উল্লাসে মেতে ওঠে ও মিষ্টি বিতরণ করে। "ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত আরএসএস নেতাদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ১৯৪৮ সালের অগস্ট মাসে মুক্তিলাভের পর গোলওয়ালকর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে আরএসএস-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখে। নেহেরু জানান, সেই ব্যাপারটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এরপর গোলওয়ালকর বিষয়টি নিয়ে বল্লভভাই পটেলের সঙ্গে আলোচনা করে। তখন পটেল নিষেধাজ্ঞা তোলার চূড়ান্ত প্রাক্-শর্ত হিসেবে দাবি করেন যে, আরএসএস-কে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত সংবিধান গ্রহণ করতে হবে ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পটেল এই সংবিধানে আরএসএস-কে যে কয়েকটি বিষয় উল্লেখের নির্দেশ দেন সেগুলি ছিল ভারতের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য, ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে মেনে নেওয়া, সংগঠনের সভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া, অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগঠনটিকে গণতান্ত্রিক করে তোলা, শিশুদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার আগে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নেওয়া এবং সহিংসতা ও গোপনীয়তা বর্জন করা। এই দাবিগুলির বিরুদ্ধে গোলওয়ালকর এক বিরাট বিক্ষোভের আয়োজন করে। সেই সময় আবার তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। পরে আরএসএস একটি সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সেই সংবিধানে পটেলের কোনও দাবিই মানা হয়নি। আরেকবার বিক্ষোভ সংগঠনের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সংগঠনের পরিচালক নির্বাচন এবং শিশুদের সদস্যপদ দানের বিষয় দু’টি ছাড়া বাকি সব দাবিই আরএসএস-এর সংবিধানের একটি সংশোধনীর মাধ্যমে মেনে নেওয়া হয়। যদিও সংগঠনের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিষয়টি যা এই সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছিল তা একটি ‘নির্লক্ষ্য পত্র’ই থেকে যায়।
নাথুরাম গডসে কোন সংগঠনের সদস্য ছিলেন?
{ "text": [ "আরএসএস" ], "answer_start": [ 39 ] }
1616
null
১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য নাথুরাম গডসের হাতে মহাত্মা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর আরএসএস-এর অনেক বিশিষ্ট নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সেই বছরই ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই পটেল সংগঠন হিসেবে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন গডসে দাবি করেছিল যে, সে ১৯৪৬ সালেই সংগঠনের সদস্যপদ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু প্যাটেল মন্তব্য করেছিলেন যে, "গান্ধীর মৃত্যুর পর আরএসএস-এর লোকজন উল্লাসে মেতে ওঠে ও মিষ্টি বিতরণ করে। "ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত আরএসএস নেতাদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ১৯৪৮ সালের অগস্ট মাসে মুক্তিলাভের পর গোলওয়ালকর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে আরএসএস-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখে। নেহেরু জানান, সেই ব্যাপারটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এরপর গোলওয়ালকর বিষয়টি নিয়ে বল্লভভাই পটেলের সঙ্গে আলোচনা করে। তখন পটেল নিষেধাজ্ঞা তোলার চূড়ান্ত প্রাক্-শর্ত হিসেবে দাবি করেন যে, আরএসএস-কে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত সংবিধান গ্রহণ করতে হবে ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পটেল এই সংবিধানে আরএসএস-কে যে কয়েকটি বিষয় উল্লেখের নির্দেশ দেন সেগুলি ছিল ভারতের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য, ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে মেনে নেওয়া, সংগঠনের সভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া, অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগঠনটিকে গণতান্ত্রিক করে তোলা, শিশুদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার আগে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নেওয়া এবং সহিংসতা ও গোপনীয়তা বর্জন করা। এই দাবিগুলির বিরুদ্ধে গোলওয়ালকর এক বিরাট বিক্ষোভের আয়োজন করে। সেই সময় আবার তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। পরে আরএসএস একটি সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সেই সংবিধানে পটেলের কোনও দাবিই মানা হয়নি। আরেকবার বিক্ষোভ সংগঠনের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সংগঠনের পরিচালক নির্বাচন এবং শিশুদের সদস্যপদ দানের বিষয় দু’টি ছাড়া বাকি সব দাবিই আরএসএস-এর সংবিধানের একটি সংশোধনীর মাধ্যমে মেনে নেওয়া হয়। যদিও সংগঠনের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিষয়টি যা এই সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছিল তা একটি ‘নির্লক্ষ্য পত্র’ই থেকে যায়।
গডসে কত সালে সংগঠন ত্যাগ করার দাবি করেছিলেন ?
{ "text": [ "১৯৪৬" ], "answer_start": [ 364 ] }
1617
null
১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য নাথুরাম গডসের হাতে মহাত্মা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর আরএসএস-এর অনেক বিশিষ্ট নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সেই বছরই ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই পটেল সংগঠন হিসেবে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন গডসে দাবি করেছিল যে, সে ১৯৪৬ সালেই সংগঠনের সদস্যপদ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু প্যাটেল মন্তব্য করেছিলেন যে, "গান্ধীর মৃত্যুর পর আরএসএস-এর লোকজন উল্লাসে মেতে ওঠে ও মিষ্টি বিতরণ করে। "ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত আরএসএস নেতাদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ১৯৪৮ সালের অগস্ট মাসে মুক্তিলাভের পর গোলওয়ালকর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে আরএসএস-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখে। নেহেরু জানান, সেই ব্যাপারটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এরপর গোলওয়ালকর বিষয়টি নিয়ে বল্লভভাই পটেলের সঙ্গে আলোচনা করে। তখন পটেল নিষেধাজ্ঞা তোলার চূড়ান্ত প্রাক্-শর্ত হিসেবে দাবি করেন যে, আরএসএস-কে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত সংবিধান গ্রহণ করতে হবে ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পটেল এই সংবিধানে আরএসএস-কে যে কয়েকটি বিষয় উল্লেখের নির্দেশ দেন সেগুলি ছিল ভারতের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য, ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে মেনে নেওয়া, সংগঠনের সভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া, অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগঠনটিকে গণতান্ত্রিক করে তোলা, শিশুদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার আগে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নেওয়া এবং সহিংসতা ও গোপনীয়তা বর্জন করা। এই দাবিগুলির বিরুদ্ধে গোলওয়ালকর এক বিরাট বিক্ষোভের আয়োজন করে। সেই সময় আবার তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। পরে আরএসএস একটি সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সেই সংবিধানে পটেলের কোনও দাবিই মানা হয়নি। আরেকবার বিক্ষোভ সংগঠনের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সংগঠনের পরিচালক নির্বাচন এবং শিশুদের সদস্যপদ দানের বিষয় দু’টি ছাড়া বাকি সব দাবিই আরএসএস-এর সংবিধানের একটি সংশোধনীর মাধ্যমে মেনে নেওয়া হয়। যদিও সংগঠনের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিষয়টি যা এই সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছিল তা একটি ‘নির্লক্ষ্য পত্র’ই থেকে যায়।
আরএসএস সংবিধানে আরো স্পষ্টভাবে কিসের গ্রহণযোগ্যতা এবং সম্মান উল্লেখ করা হয়েছে ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1618
null
১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য নাথুরাম গডসের হাতে মহাত্মা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর আরএসএস-এর অনেক বিশিষ্ট নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সেই বছরই ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই পটেল সংগঠন হিসেবে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন গডসে দাবি করেছিল যে, সে ১৯৪৬ সালেই সংগঠনের সদস্যপদ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু প্যাটেল মন্তব্য করেছিলেন যে, "গান্ধীর মৃত্যুর পর আরএসএস-এর লোকজন উল্লাসে মেতে ওঠে ও মিষ্টি বিতরণ করে। "ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত আরএসএস নেতাদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ১৯৪৮ সালের অগস্ট মাসে মুক্তিলাভের পর গোলওয়ালকর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে আরএসএস-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখে। নেহেরু জানান, সেই ব্যাপারটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এরপর গোলওয়ালকর বিষয়টি নিয়ে বল্লভভাই পটেলের সঙ্গে আলোচনা করে। তখন পটেল নিষেধাজ্ঞা তোলার চূড়ান্ত প্রাক্-শর্ত হিসেবে দাবি করেন যে, আরএসএস-কে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত সংবিধান গ্রহণ করতে হবে ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পটেল এই সংবিধানে আরএসএস-কে যে কয়েকটি বিষয় উল্লেখের নির্দেশ দেন সেগুলি ছিল ভারতের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য, ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে মেনে নেওয়া, সংগঠনের সভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া, অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগঠনটিকে গণতান্ত্রিক করে তোলা, শিশুদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার আগে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নেওয়া এবং সহিংসতা ও গোপনীয়তা বর্জন করা। এই দাবিগুলির বিরুদ্ধে গোলওয়ালকর এক বিরাট বিক্ষোভের আয়োজন করে। সেই সময় আবার তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। পরে আরএসএস একটি সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সেই সংবিধানে পটেলের কোনও দাবিই মানা হয়নি। আরেকবার বিক্ষোভ সংগঠনের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সংগঠনের পরিচালক নির্বাচন এবং শিশুদের সদস্যপদ দানের বিষয় দু’টি ছাড়া বাকি সব দাবিই আরএসএস-এর সংবিধানের একটি সংশোধনীর মাধ্যমে মেনে নেওয়া হয়। যদিও সংগঠনের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিষয়টি যা এই সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছিল তা একটি ‘নির্লক্ষ্য পত্র’ই থেকে যায়।
মহাত্মা গান্ধীকে কে হত্যা করেছিলেন?
{ "text": [ "নাথুরাম গডসে" ], "answer_start": [ 53 ] }
1619
null
১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য নাথুরাম গডসের হাতে মহাত্মা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর আরএসএস-এর অনেক বিশিষ্ট নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সেই বছরই ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই পটেল সংগঠন হিসেবে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন গডসে দাবি করেছিল যে, সে ১৯৪৬ সালেই সংগঠনের সদস্যপদ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু প্যাটেল মন্তব্য করেছিলেন যে, "গান্ধীর মৃত্যুর পর আরএসএস-এর লোকজন উল্লাসে মেতে ওঠে ও মিষ্টি বিতরণ করে। "ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত আরএসএস নেতাদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ১৯৪৮ সালের অগস্ট মাসে মুক্তিলাভের পর গোলওয়ালকর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে আরএসএস-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখে। নেহেরু জানান, সেই ব্যাপারটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এরপর গোলওয়ালকর বিষয়টি নিয়ে বল্লভভাই পটেলের সঙ্গে আলোচনা করে। তখন পটেল নিষেধাজ্ঞা তোলার চূড়ান্ত প্রাক্-শর্ত হিসেবে দাবি করেন যে, আরএসএস-কে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত সংবিধান গ্রহণ করতে হবে ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পটেল এই সংবিধানে আরএসএস-কে যে কয়েকটি বিষয় উল্লেখের নির্দেশ দেন সেগুলি ছিল ভারতের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য, ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে মেনে নেওয়া, সংগঠনের সভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া, অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগঠনটিকে গণতান্ত্রিক করে তোলা, শিশুদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার আগে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নেওয়া এবং সহিংসতা ও গোপনীয়তা বর্জন করা। এই দাবিগুলির বিরুদ্ধে গোলওয়ালকর এক বিরাট বিক্ষোভের আয়োজন করে। সেই সময় আবার তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। পরে আরএসএস একটি সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সেই সংবিধানে পটেলের কোনও দাবিই মানা হয়নি। আরেকবার বিক্ষোভ সংগঠনের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সংগঠনের পরিচালক নির্বাচন এবং শিশুদের সদস্যপদ দানের বিষয় দু’টি ছাড়া বাকি সব দাবিই আরএসএস-এর সংবিধানের একটি সংশোধনীর মাধ্যমে মেনে নেওয়া হয়। যদিও সংগঠনের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিষয়টি যা এই সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছিল তা একটি ‘নির্লক্ষ্য পত্র’ই থেকে যায়।
১৯৪৮ সালে কোন কোর্ট অভিযুক্ত আরএসএস নেতাদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে মুক্ত করে?
{ "text": [ "সুপ্রিম কোর্ট" ], "answer_start": [ 520 ] }
1620
null
১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য নাথুরাম গডসের হাতে মহাত্মা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর আরএসএস-এর অনেক বিশিষ্ট নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সেই বছরই ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই পটেল সংগঠন হিসেবে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন গডসে দাবি করেছিল যে, সে ১৯৪৬ সালেই সংগঠনের সদস্যপদ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু প্যাটেল মন্তব্য করেছিলেন যে, "গান্ধীর মৃত্যুর পর আরএসএস-এর লোকজন উল্লাসে মেতে ওঠে ও মিষ্টি বিতরণ করে। "ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত আরএসএস নেতাদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ১৯৪৮ সালের অগস্ট মাসে মুক্তিলাভের পর গোলওয়ালকর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে আরএসএস-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখে। নেহেরু জানান, সেই ব্যাপারটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এরপর গোলওয়ালকর বিষয়টি নিয়ে বল্লভভাই পটেলের সঙ্গে আলোচনা করে। তখন পটেল নিষেধাজ্ঞা তোলার চূড়ান্ত প্রাক্-শর্ত হিসেবে দাবি করেন যে, আরএসএস-কে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত সংবিধান গ্রহণ করতে হবে ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পটেল এই সংবিধানে আরএসএস-কে যে কয়েকটি বিষয় উল্লেখের নির্দেশ দেন সেগুলি ছিল ভারতের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য, ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে মেনে নেওয়া, সংগঠনের সভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া, অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগঠনটিকে গণতান্ত্রিক করে তোলা, শিশুদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার আগে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নেওয়া এবং সহিংসতা ও গোপনীয়তা বর্জন করা। এই দাবিগুলির বিরুদ্ধে গোলওয়ালকর এক বিরাট বিক্ষোভের আয়োজন করে। সেই সময় আবার তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। পরে আরএসএস একটি সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সেই সংবিধানে পটেলের কোনও দাবিই মানা হয়নি। আরেকবার বিক্ষোভ সংগঠনের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সংগঠনের পরিচালক নির্বাচন এবং শিশুদের সদস্যপদ দানের বিষয় দু’টি ছাড়া বাকি সব দাবিই আরএসএস-এর সংবিধানের একটি সংশোধনীর মাধ্যমে মেনে নেওয়া হয়। যদিও সংগঠনের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিষয়টি যা এই সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছিল তা একটি ‘নির্লক্ষ্য পত্র’ই থেকে যায়।
১৯৪৮ সালে কে একটি সংগঠন হিসেবে আরএসএস -কে নিষিদ্ধ করেছিলেন?
{ "text": [ "বল্লভভাই পটেল" ], "answer_start": [ 252 ] }
1621
null
১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত ভারত সমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে চলে। স্বাধীনতা-উত্তর যুগের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারতে যে আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়। বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর সরকারি কর্তৃত্ব শিথিল করা হয়। এর ধনাত্মক প্রভাবে মার্চ ১৯৯১ সালে ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে। যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের মোট স্থুল আভ্যন্তরীক উৎপাদন বা জিডিপি ১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) পরিমাপে ৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতের মাথাপিছু আয় ৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে ২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ ; ইতিমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।
কোন সালে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয় ?
{ "text": [ "১৯৯১ সালে" ], "answer_start": [ 291 ] }
1622
null
১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত ভারত সমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে চলে। স্বাধীনতা-উত্তর যুগের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারতে যে আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়। বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর সরকারি কর্তৃত্ব শিথিল করা হয়। এর ধনাত্মক প্রভাবে মার্চ ১৯৯১ সালে ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে। যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের মোট স্থুল আভ্যন্তরীক উৎপাদন বা জিডিপি ১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) পরিমাপে ৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতের মাথাপিছু আয় ৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে ২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ ; ইতিমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।
১৯৫০ থেকে ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত, ভারত কোন অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে?
{ "text": [ "সমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের" ], "answer_start": [ 42 ] }
1623
null
১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত ভারত সমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে চলে। স্বাধীনতা-উত্তর যুগের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারতে যে আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়। বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর সরকারি কর্তৃত্ব শিথিল করা হয়। এর ধনাত্মক প্রভাবে মার্চ ১৯৯১ সালে ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে। যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের মোট স্থুল আভ্যন্তরীক উৎপাদন বা জিডিপি ১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) পরিমাপে ৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতের মাথাপিছু আয় ৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে ২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ ; ইতিমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।
ভারতের প্রধান কৃষিজ ফসল গুলি কি কি?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1624
null
১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত ভারত সমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে চলে। স্বাধীনতা-উত্তর যুগের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারতে যে আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়। বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর সরকারি কর্তৃত্ব শিথিল করা হয়। এর ধনাত্মক প্রভাবে মার্চ ১৯৯১ সালে ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে। যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের মোট স্থুল আভ্যন্তরীক উৎপাদন বা জিডিপি ১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) পরিমাপে ৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতের মাথাপিছু আয় ৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে ২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ ; ইতিমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।
ভারতের শ্রমশক্তির কত শতাংশ কৃষি ও সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যাবহার করা হয়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1625
null
১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত ভারত সমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে চলে। স্বাধীনতা-উত্তর যুগের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারতে যে আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়। বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর সরকারি কর্তৃত্ব শিথিল করা হয়। এর ধনাত্মক প্রভাবে মার্চ ১৯৯১ সালে ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে। যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের মোট স্থুল আভ্যন্তরীক উৎপাদন বা জিডিপি ১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) পরিমাপে ৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতের মাথাপিছু আয় ৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে ২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ ; ইতিমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।
বিগত দুই দশকে ভারতের জিডিপি কত?
{ "text": [ "৫.৭ শতাংশ" ], "answer_start": [ 1442 ] }
1626
null
১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত ভারত সমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে চলে। স্বাধীনতা-উত্তর যুগের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারতে যে আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়। বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর সরকারি কর্তৃত্ব শিথিল করা হয়। এর ধনাত্মক প্রভাবে মার্চ ১৯৯১ সালে ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে। যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের মোট স্থুল আভ্যন্তরীক উৎপাদন বা জিডিপি ১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) পরিমাপে ৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতের মাথাপিছু আয় ৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে ২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ ; ইতিমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।
সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর বেসরকারীকরণের কারণে কি হয়?
{ "text": [ "রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়" ], "answer_start": [ 757 ] }
1627
null
১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত ভারত সমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে চলে। স্বাধীনতা-উত্তর যুগের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারতে যে আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়। বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর সরকারি কর্তৃত্ব শিথিল করা হয়। এর ধনাত্মক প্রভাবে মার্চ ১৯৯১ সালে ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে। যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের মোট স্থুল আভ্যন্তরীক উৎপাদন বা জিডিপি ১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) পরিমাপে ৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতের মাথাপিছু আয় ৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে ২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ ; ইতিমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।
ভারত কোন দশকে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করতো?
{ "text": [ "১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০" ], "answer_start": [ 0 ] }
1628
null
১৯৫৪ সালে এই সম্মাননার বৈশিষ্ট্য ছিল একটি ১ ৩⁄৮ ইঞ্চি (৩৫ মিমি) ব্যাস-বিশিষ্ট গোলাকার সোনার পদক। এই পদকের সামনের দিকে কেন্দ্রে সূর্যের একটি প্রতিকৃতি অঙ্কিত থাকত। তার উপরে দেবনাগরী হরফে "ভারতরত্ন" শব্দটি রুপোর গিল্টিতে এবং নিচের দিকে শিরোমাল্য খোদিত থাকত। পিছনের দিকে কেন্দ্রে প্ল্যাটিনামে খচিত ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং তার নিচে রুপোর গিল্টিতে ভারতের জাতীয় নীতিবাক্য "সত্যমেব জয়তে" দেবনাগরী লিপিতে খোদিত থাকত। এক বছর পর পদকের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবর্তিত নকশাতেই বর্তমান পদকটি দেওয়া হয়। বর্তমান পদকটি একটি অশ্বত্থ পাতার আকৃতিবিশিষ্ট। এটির দৈর্ঘ্য ২ ৫⁄১৬ ইঞ্চি (৫৯ মিমি), প্রস্থ ১ ৭⁄৮ ইঞ্চি (৪৮ মিমি) এবং স্থূলতা ১⁄৮ ইঞ্চি (৩.২ মিমি)। পদকটিতে প্ল্যাটিনামের বেড় দেওয়া থাকে। সামনের দিকে প্ল্যাটিনামে নির্মিত সূর্যের প্রতিক চিহ্নটি বর্তমান। এটির ব্যাস৫⁄৮ ইঞ্চি (১৬ মিমি)। সূর্যের রশ্মিগুলির দৈর্ঘ্য ৫⁄৬ ইঞ্চি (২১ মিমি) থেকে ১⁄২ ইঞ্চি (১৩ মিমি) পর্যন্ত (সূর্যের কেন্দ্র থেকে)। সামনের দিকে ১৯৫৪ সালের পদকটির মতোই "ভারতরত্ন" কথাটি খচিত। অন্যদিকে প্রথম পদকটির মতোই ভারতের জাতীয় প্রতীক ও "সত্যমেব জয়তে" কথাটি খোদিত।
১৯৫৪ সালে ব্যাবহৃত বৃত্তাকার সোনার পদকটির ব্যাস কত ছিল?
{ "text": [ "১ ৩⁄৮ ইঞ্চি" ], "answer_start": [ 42 ] }
1629
null
১৯৫৪ সালে এই সম্মাননার বৈশিষ্ট্য ছিল একটি ১ ৩⁄৮ ইঞ্চি (৩৫ মিমি) ব্যাস-বিশিষ্ট গোলাকার সোনার পদক। এই পদকের সামনের দিকে কেন্দ্রে সূর্যের একটি প্রতিকৃতি অঙ্কিত থাকত। তার উপরে দেবনাগরী হরফে "ভারতরত্ন" শব্দটি রুপোর গিল্টিতে এবং নিচের দিকে শিরোমাল্য খোদিত থাকত। পিছনের দিকে কেন্দ্রে প্ল্যাটিনামে খচিত ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং তার নিচে রুপোর গিল্টিতে ভারতের জাতীয় নীতিবাক্য "সত্যমেব জয়তে" দেবনাগরী লিপিতে খোদিত থাকত। এক বছর পর পদকের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবর্তিত নকশাতেই বর্তমান পদকটি দেওয়া হয়। বর্তমান পদকটি একটি অশ্বত্থ পাতার আকৃতিবিশিষ্ট। এটির দৈর্ঘ্য ২ ৫⁄১৬ ইঞ্চি (৫৯ মিমি), প্রস্থ ১ ৭⁄৮ ইঞ্চি (৪৮ মিমি) এবং স্থূলতা ১⁄৮ ইঞ্চি (৩.২ মিমি)। পদকটিতে প্ল্যাটিনামের বেড় দেওয়া থাকে। সামনের দিকে প্ল্যাটিনামে নির্মিত সূর্যের প্রতিক চিহ্নটি বর্তমান। এটির ব্যাস৫⁄৮ ইঞ্চি (১৬ মিমি)। সূর্যের রশ্মিগুলির দৈর্ঘ্য ৫⁄৬ ইঞ্চি (২১ মিমি) থেকে ১⁄২ ইঞ্চি (১৩ মিমি) পর্যন্ত (সূর্যের কেন্দ্র থেকে)। সামনের দিকে ১৯৫৪ সালের পদকটির মতোই "ভারতরত্ন" কথাটি খচিত। অন্যদিকে প্রথম পদকটির মতোই ভারতের জাতীয় প্রতীক ও "সত্যমেব জয়তে" কথাটি খোদিত।
বর্তমানে ব্যাবহৃত ভারতরত্ন পদকটি কিসের মত দেখতে?
{ "text": [ "অশ্বত্থ পাতার" ], "answer_start": [ 513 ] }
1630
null
১৯৫৪ সালে এই সম্মাননার বৈশিষ্ট্য ছিল একটি ১ ৩⁄৮ ইঞ্চি (৩৫ মিমি) ব্যাস-বিশিষ্ট গোলাকার সোনার পদক। এই পদকের সামনের দিকে কেন্দ্রে সূর্যের একটি প্রতিকৃতি অঙ্কিত থাকত। তার উপরে দেবনাগরী হরফে "ভারতরত্ন" শব্দটি রুপোর গিল্টিতে এবং নিচের দিকে শিরোমাল্য খোদিত থাকত। পিছনের দিকে কেন্দ্রে প্ল্যাটিনামে খচিত ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং তার নিচে রুপোর গিল্টিতে ভারতের জাতীয় নীতিবাক্য "সত্যমেব জয়তে" দেবনাগরী লিপিতে খোদিত থাকত। এক বছর পর পদকের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবর্তিত নকশাতেই বর্তমান পদকটি দেওয়া হয়। বর্তমান পদকটি একটি অশ্বত্থ পাতার আকৃতিবিশিষ্ট। এটির দৈর্ঘ্য ২ ৫⁄১৬ ইঞ্চি (৫৯ মিমি), প্রস্থ ১ ৭⁄৮ ইঞ্চি (৪৮ মিমি) এবং স্থূলতা ১⁄৮ ইঞ্চি (৩.২ মিমি)। পদকটিতে প্ল্যাটিনামের বেড় দেওয়া থাকে। সামনের দিকে প্ল্যাটিনামে নির্মিত সূর্যের প্রতিক চিহ্নটি বর্তমান। এটির ব্যাস৫⁄৮ ইঞ্চি (১৬ মিমি)। সূর্যের রশ্মিগুলির দৈর্ঘ্য ৫⁄৬ ইঞ্চি (২১ মিমি) থেকে ১⁄২ ইঞ্চি (১৩ মিমি) পর্যন্ত (সূর্যের কেন্দ্র থেকে)। সামনের দিকে ১৯৫৪ সালের পদকটির মতোই "ভারতরত্ন" কথাটি খচিত। অন্যদিকে প্রথম পদকটির মতোই ভারতের জাতীয় প্রতীক ও "সত্যমেব জয়তে" কথাটি খোদিত।
১৯৫৪ সালে ভারতরত্ন পদকে কোন লিপিতে ভারতরত্ন শব্দটি লেখা ছিল?
{ "text": [ "দেবনাগরী" ], "answer_start": [ 170 ] }
1631
null
১৯৫৪ সালে এই সম্মাননার বৈশিষ্ট্য ছিল একটি ১ ৩⁄৮ ইঞ্চি (৩৫ মিমি) ব্যাস-বিশিষ্ট গোলাকার সোনার পদক। এই পদকের সামনের দিকে কেন্দ্রে সূর্যের একটি প্রতিকৃতি অঙ্কিত থাকত। তার উপরে দেবনাগরী হরফে "ভারতরত্ন" শব্দটি রুপোর গিল্টিতে এবং নিচের দিকে শিরোমাল্য খোদিত থাকত। পিছনের দিকে কেন্দ্রে প্ল্যাটিনামে খচিত ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং তার নিচে রুপোর গিল্টিতে ভারতের জাতীয় নীতিবাক্য "সত্যমেব জয়তে" দেবনাগরী লিপিতে খোদিত থাকত। এক বছর পর পদকের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবর্তিত নকশাতেই বর্তমান পদকটি দেওয়া হয়। বর্তমান পদকটি একটি অশ্বত্থ পাতার আকৃতিবিশিষ্ট। এটির দৈর্ঘ্য ২ ৫⁄১৬ ইঞ্চি (৫৯ মিমি), প্রস্থ ১ ৭⁄৮ ইঞ্চি (৪৮ মিমি) এবং স্থূলতা ১⁄৮ ইঞ্চি (৩.২ মিমি)। পদকটিতে প্ল্যাটিনামের বেড় দেওয়া থাকে। সামনের দিকে প্ল্যাটিনামে নির্মিত সূর্যের প্রতিক চিহ্নটি বর্তমান। এটির ব্যাস৫⁄৮ ইঞ্চি (১৬ মিমি)। সূর্যের রশ্মিগুলির দৈর্ঘ্য ৫⁄৬ ইঞ্চি (২১ মিমি) থেকে ১⁄২ ইঞ্চি (১৩ মিমি) পর্যন্ত (সূর্যের কেন্দ্র থেকে)। সামনের দিকে ১৯৫৪ সালের পদকটির মতোই "ভারতরত্ন" কথাটি খচিত। অন্যদিকে প্রথম পদকটির মতোই ভারতের জাতীয় প্রতীক ও "সত্যমেব জয়তে" কথাটি খোদিত।
বর্তমান ভারতরত্ন পদকটির পুরুত্ব কত?
{ "text": [ "১⁄৮ ইঞ্চি" ], "answer_start": [ 618 ] }
1632
null
১৯৫৪ সালে এই সম্মাননার বৈশিষ্ট্য ছিল একটি ১ ৩⁄৮ ইঞ্চি (৩৫ মিমি) ব্যাস-বিশিষ্ট গোলাকার সোনার পদক। এই পদকের সামনের দিকে কেন্দ্রে সূর্যের একটি প্রতিকৃতি অঙ্কিত থাকত। তার উপরে দেবনাগরী হরফে "ভারতরত্ন" শব্দটি রুপোর গিল্টিতে এবং নিচের দিকে শিরোমাল্য খোদিত থাকত। পিছনের দিকে কেন্দ্রে প্ল্যাটিনামে খচিত ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং তার নিচে রুপোর গিল্টিতে ভারতের জাতীয় নীতিবাক্য "সত্যমেব জয়তে" দেবনাগরী লিপিতে খোদিত থাকত। এক বছর পর পদকের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবর্তিত নকশাতেই বর্তমান পদকটি দেওয়া হয়। বর্তমান পদকটি একটি অশ্বত্থ পাতার আকৃতিবিশিষ্ট। এটির দৈর্ঘ্য ২ ৫⁄১৬ ইঞ্চি (৫৯ মিমি), প্রস্থ ১ ৭⁄৮ ইঞ্চি (৪৮ মিমি) এবং স্থূলতা ১⁄৮ ইঞ্চি (৩.২ মিমি)। পদকটিতে প্ল্যাটিনামের বেড় দেওয়া থাকে। সামনের দিকে প্ল্যাটিনামে নির্মিত সূর্যের প্রতিক চিহ্নটি বর্তমান। এটির ব্যাস৫⁄৮ ইঞ্চি (১৬ মিমি)। সূর্যের রশ্মিগুলির দৈর্ঘ্য ৫⁄৬ ইঞ্চি (২১ মিমি) থেকে ১⁄২ ইঞ্চি (১৩ মিমি) পর্যন্ত (সূর্যের কেন্দ্র থেকে)। সামনের দিকে ১৯৫৪ সালের পদকটির মতোই "ভারতরত্ন" কথাটি খচিত। অন্যদিকে প্রথম পদকটির মতোই ভারতের জাতীয় প্রতীক ও "সত্যমেব জয়তে" কথাটি খোদিত।
ভারতরত্নে কি নীতিবাক্য লেখা রয়েছে?
{ "text": [ "সত্যমেব জয়তে" ], "answer_start": [ 366 ] }
1633
null
১৯৫৪ সালে এই সম্মাননার বৈশিষ্ট্য ছিল একটি ১ ৩⁄৮ ইঞ্চি (৩৫ মিমি) ব্যাস-বিশিষ্ট গোলাকার সোনার পদক। এই পদকের সামনের দিকে কেন্দ্রে সূর্যের একটি প্রতিকৃতি অঙ্কিত থাকত। তার উপরে দেবনাগরী হরফে "ভারতরত্ন" শব্দটি রুপোর গিল্টিতে এবং নিচের দিকে শিরোমাল্য খোদিত থাকত। পিছনের দিকে কেন্দ্রে প্ল্যাটিনামে খচিত ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং তার নিচে রুপোর গিল্টিতে ভারতের জাতীয় নীতিবাক্য "সত্যমেব জয়তে" দেবনাগরী লিপিতে খোদিত থাকত। এক বছর পর পদকের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবর্তিত নকশাতেই বর্তমান পদকটি দেওয়া হয়। বর্তমান পদকটি একটি অশ্বত্থ পাতার আকৃতিবিশিষ্ট। এটির দৈর্ঘ্য ২ ৫⁄১৬ ইঞ্চি (৫৯ মিমি), প্রস্থ ১ ৭⁄৮ ইঞ্চি (৪৮ মিমি) এবং স্থূলতা ১⁄৮ ইঞ্চি (৩.২ মিমি)। পদকটিতে প্ল্যাটিনামের বেড় দেওয়া থাকে। সামনের দিকে প্ল্যাটিনামে নির্মিত সূর্যের প্রতিক চিহ্নটি বর্তমান। এটির ব্যাস৫⁄৮ ইঞ্চি (১৬ মিমি)। সূর্যের রশ্মিগুলির দৈর্ঘ্য ৫⁄৬ ইঞ্চি (২১ মিমি) থেকে ১⁄২ ইঞ্চি (১৩ মিমি) পর্যন্ত (সূর্যের কেন্দ্র থেকে)। সামনের দিকে ১৯৫৪ সালের পদকটির মতোই "ভারতরত্ন" কথাটি খচিত। অন্যদিকে প্রথম পদকটির মতোই ভারতের জাতীয় প্রতীক ও "সত্যমেব জয়তে" কথাটি খোদিত।
১৯৫৪ সালে ভারতরত্ন পদকটিতে সূর্যের চিহ্ন কোথায় ছিল?
{ "text": [ "কেন্দ্রে" ], "answer_start": [ 117 ] }
1634
null
১৯৫৪ সালে এই সম্মাননার বৈশিষ্ট্য ছিল একটি ১ ৩⁄৮ ইঞ্চি (৩৫ মিমি) ব্যাস-বিশিষ্ট গোলাকার সোনার পদক। এই পদকের সামনের দিকে কেন্দ্রে সূর্যের একটি প্রতিকৃতি অঙ্কিত থাকত। তার উপরে দেবনাগরী হরফে "ভারতরত্ন" শব্দটি রুপোর গিল্টিতে এবং নিচের দিকে শিরোমাল্য খোদিত থাকত। পিছনের দিকে কেন্দ্রে প্ল্যাটিনামে খচিত ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং তার নিচে রুপোর গিল্টিতে ভারতের জাতীয় নীতিবাক্য "সত্যমেব জয়তে" দেবনাগরী লিপিতে খোদিত থাকত। এক বছর পর পদকের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবর্তিত নকশাতেই বর্তমান পদকটি দেওয়া হয়। বর্তমান পদকটি একটি অশ্বত্থ পাতার আকৃতিবিশিষ্ট। এটির দৈর্ঘ্য ২ ৫⁄১৬ ইঞ্চি (৫৯ মিমি), প্রস্থ ১ ৭⁄৮ ইঞ্চি (৪৮ মিমি) এবং স্থূলতা ১⁄৮ ইঞ্চি (৩.২ মিমি)। পদকটিতে প্ল্যাটিনামের বেড় দেওয়া থাকে। সামনের দিকে প্ল্যাটিনামে নির্মিত সূর্যের প্রতিক চিহ্নটি বর্তমান। এটির ব্যাস৫⁄৮ ইঞ্চি (১৬ মিমি)। সূর্যের রশ্মিগুলির দৈর্ঘ্য ৫⁄৬ ইঞ্চি (২১ মিমি) থেকে ১⁄২ ইঞ্চি (১৩ মিমি) পর্যন্ত (সূর্যের কেন্দ্র থেকে)। সামনের দিকে ১৯৫৪ সালের পদকটির মতোই "ভারতরত্ন" কথাটি খচিত। অন্যদিকে প্রথম পদকটির মতোই ভারতের জাতীয় প্রতীক ও "সত্যমেব জয়তে" কথাটি খোদিত।
ভারতরত্নে কত সাল থেকে রৌপ্য গিল্ডের পরিবর্তে পালিশ করা ব্রোঞ্জ ব্যবহার করা হয়েছে ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1635
null
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হলে মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুর শহরে প্রশিক্ষণের পর তাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদী গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য কখনো শিখ, কখনো বয়স্ক ব্যক্তির ছদ্মবেশে গোপণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরীকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। এই সময় তিনি গুজরাটী ভাষায় সংঘর্ষ্ মা গুজরাট (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তার ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান।
শঙ্কর সিং কী কারণে পার্টি ত্যাগ করেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1636
null
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হলে মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুর শহরে প্রশিক্ষণের পর তাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদী গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য কখনো শিখ, কখনো বয়স্ক ব্যক্তির ছদ্মবেশে গোপণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরীকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। এই সময় তিনি গুজরাটী ভাষায় সংঘর্ষ্ মা গুজরাট (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তার ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান।
কবে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন ?
{ "text": [ "১৯৯৫" ], "answer_start": [ 1385 ] }
1637
null
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হলে মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুর শহরে প্রশিক্ষণের পর তাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদী গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য কখনো শিখ, কখনো বয়স্ক ব্যক্তির ছদ্মবেশে গোপণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরীকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। এই সময় তিনি গুজরাটী ভাষায় সংঘর্ষ্ মা গুজরাট (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তার ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান।
শংকর সিং কবে পার্টি ত্যাগ করেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1638
null
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হলে মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুর শহরে প্রশিক্ষণের পর তাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদী গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য কখনো শিখ, কখনো বয়স্ক ব্যক্তির ছদ্মবেশে গোপণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরীকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। এই সময় তিনি গুজরাটী ভাষায় সংঘর্ষ্ মা গুজরাট (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তার ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান।
কোন শহরে প্রশিক্ষণের পর মোদীকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয় ?
{ "text": [ "নাগপুর" ], "answer_start": [ 108 ] }
1639
null
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হলে মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুর শহরে প্রশিক্ষণের পর তাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদী গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য কখনো শিখ, কখনো বয়স্ক ব্যক্তির ছদ্মবেশে গোপণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরীকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। এই সময় তিনি গুজরাটী ভাষায় সংঘর্ষ্ মা গুজরাট (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তার ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান।
কোন সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে যোগ দেন ?
{ "text": [ "১৯৭১" ], "answer_start": [ 0 ] }
1640
null
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হলে মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুর শহরে প্রশিক্ষণের পর তাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদী গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য কখনো শিখ, কখনো বয়স্ক ব্যক্তির ছদ্মবেশে গোপণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরীকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। এই সময় তিনি গুজরাটী ভাষায় সংঘর্ষ্ মা গুজরাট (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তার ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান।
শঙ্কর সিং পার্টির সম্পাদক হিসেবে কবে নির্বাচিত হন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1641
null
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হলে মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুর শহরে প্রশিক্ষণের পর তাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদী গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য কখনো শিখ, কখনো বয়স্ক ব্যক্তির ছদ্মবেশে গোপণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরীকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। এই সময় তিনি গুজরাটী ভাষায় সংঘর্ষ্ মা গুজরাট (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তার ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান।
মোদী কার নেতৃত্বে জরুরি আন্দোলনে যোগ দেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1642
null
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হলে মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুর শহরে প্রশিক্ষণের পর তাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদী গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য কখনো শিখ, কখনো বয়স্ক ব্যক্তির ছদ্মবেশে গোপণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরীকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। এই সময় তিনি গুজরাটী ভাষায় সংঘর্ষ্ মা গুজরাট (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তার ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান।
কোন সালে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিল ?
{ "text": [ "১৯৮৫" ], "answer_start": [ 935 ] }
1643
null
১৯৭৬ সালে, এক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে, অ্যাথলেটিক্স কোচ ও এম নাম্বিয়ার প্রথম উষাকে লক্ষ্য করেন। ২০০০ সালে রেডিফ.কম-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "উষা সম্পর্কে, প্রথম দর্শনে, আমাকে প্রভাবিত করেছিল, তার সুষম আকৃতি এবং দ্রুত হাঁটার শৈলী। আমি জানতাম সে খুব ভাল দৌড়বিদ হতে পারবে। " সেই বছরেই তিনি ঊষাকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। খুব দ্রুত ফলও মিলতে থাকে এবং ১৯৭৮ সালে কোল্লামে জুনিয়রদের আন্তঃ-রাজ্য প্রতিযোগিতায় তিনি ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৬০ মিটার উল্লঙ্ঘন দৌড় এবং উচ্চ লম্ফে চারটি স্বর্ণ পদক, দীর্ঘ লম্ফএ রৌপ্য পদক এবং ৪ x ১০০ মিটার রিলেতে ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ৬টি পদক জয় করেন। সে বছরের কেরালা রাজ্য কলেজ মিটে তিনি ১৪টি পদক জয় করেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় গেম এবং ১৯৮০ সালের জাতীয় আন্তঃ-রাজ্য মিটে অনেক রেকর্ড তৈরি করে একাধিক পদক জয় করেন। তিনি ১৬ বছর বয়সে, ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে আত্মপ্রকাশ করলেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি, ১০০ মিটার দৌড়ের হিটে পঞ্চম হয়ে বাদ পড়েন.১৯৮১ সালে বেঙ্গালুরুর সিনিয়র আন্তঃ-রাজ্য মিটে, ১০০ মিটারে ১১.৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে এবং ২৪.৬ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে নতুন দিল্লি এশিয়ান গেমসে, তিনি ১০০ মিটার এবং ২০০মিটারে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন, ১১.৯৫ সেকেন্ড এবং ২৫.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। জামশেদপুরে ১৯৮৩ সালের ওপেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আবার ২০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ড গড়েন ২৩.৯ সেকেন্ডের এবং ৫৩.৬ সেকেন্ডে ৪০০ মিটারের নতুন জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। একই বছরে মাদিনাত আল-কুয়েতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপএ তিনি ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। .ঊষার সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। তিনি নতুন দিল্লি আন্তঃ রাজ্য মিটে এবং মুম্বাই ওপেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করেছিলেন। তবে মস্কো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার খারাপ ফলাফল হওয়ায়, তিনি ৪০০ মিটার হার্ডলসে মনোনিবেশ করেন। দিল্লির অলিম্পিক ট্রায়ালে তিনি এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এম. ডি. বালসাম্মাকে হারিয়ে গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। অন্য প্রাক-অলিম্পিক ট্রায়ালে, তিনি ৫৫.৭ সেকেন্ডে আমেরিকান শীর্ষ স্পিন্টার জুডি ব্রাউনকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি হিটে ৫৬.৮১ সেকেন্ড এবং সেমিফাইনালে ৫৫.৫৪ সেকেন্ড সময় করে, নতুন কমনওয়েলথ রেকর্ড স্থাপন করেন এবং গেমসের ফাইনালে প্রবেশ করেন। ফাইনালে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ৫৫.৪২ সেকেন্ড সময় করে এবং ব্রোঞ্জ পদকপজয়ীর কাছে সেকেন্ডের এক শতাংশ সময়ে পরাজিত হন।
জামশেদপুর ওপেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে চারশো মিটার দৌড়ে পি টি ঊষার জাতীয় রেকর্ড কত ছিল ?
{ "text": [ "৫৩.৬ সেকেন্ডে" ], "answer_start": [ 1264 ] }
1644
null
১৯৭৬ সালে, এক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে, অ্যাথলেটিক্স কোচ ও এম নাম্বিয়ার প্রথম উষাকে লক্ষ্য করেন। ২০০০ সালে রেডিফ.কম-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "উষা সম্পর্কে, প্রথম দর্শনে, আমাকে প্রভাবিত করেছিল, তার সুষম আকৃতি এবং দ্রুত হাঁটার শৈলী। আমি জানতাম সে খুব ভাল দৌড়বিদ হতে পারবে। " সেই বছরেই তিনি ঊষাকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। খুব দ্রুত ফলও মিলতে থাকে এবং ১৯৭৮ সালে কোল্লামে জুনিয়রদের আন্তঃ-রাজ্য প্রতিযোগিতায় তিনি ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৬০ মিটার উল্লঙ্ঘন দৌড় এবং উচ্চ লম্ফে চারটি স্বর্ণ পদক, দীর্ঘ লম্ফএ রৌপ্য পদক এবং ৪ x ১০০ মিটার রিলেতে ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ৬টি পদক জয় করেন। সে বছরের কেরালা রাজ্য কলেজ মিটে তিনি ১৪টি পদক জয় করেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় গেম এবং ১৯৮০ সালের জাতীয় আন্তঃ-রাজ্য মিটে অনেক রেকর্ড তৈরি করে একাধিক পদক জয় করেন। তিনি ১৬ বছর বয়সে, ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে আত্মপ্রকাশ করলেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি, ১০০ মিটার দৌড়ের হিটে পঞ্চম হয়ে বাদ পড়েন.১৯৮১ সালে বেঙ্গালুরুর সিনিয়র আন্তঃ-রাজ্য মিটে, ১০০ মিটারে ১১.৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে এবং ২৪.৬ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে নতুন দিল্লি এশিয়ান গেমসে, তিনি ১০০ মিটার এবং ২০০মিটারে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন, ১১.৯৫ সেকেন্ড এবং ২৫.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। জামশেদপুরে ১৯৮৩ সালের ওপেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আবার ২০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ড গড়েন ২৩.৯ সেকেন্ডের এবং ৫৩.৬ সেকেন্ডে ৪০০ মিটারের নতুন জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। একই বছরে মাদিনাত আল-কুয়েতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপএ তিনি ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। .ঊষার সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। তিনি নতুন দিল্লি আন্তঃ রাজ্য মিটে এবং মুম্বাই ওপেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করেছিলেন। তবে মস্কো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার খারাপ ফলাফল হওয়ায়, তিনি ৪০০ মিটার হার্ডলসে মনোনিবেশ করেন। দিল্লির অলিম্পিক ট্রায়ালে তিনি এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এম. ডি. বালসাম্মাকে হারিয়ে গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। অন্য প্রাক-অলিম্পিক ট্রায়ালে, তিনি ৫৫.৭ সেকেন্ডে আমেরিকান শীর্ষ স্পিন্টার জুডি ব্রাউনকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি হিটে ৫৬.৮১ সেকেন্ড এবং সেমিফাইনালে ৫৫.৫৪ সেকেন্ড সময় করে, নতুন কমনওয়েলথ রেকর্ড স্থাপন করেন এবং গেমসের ফাইনালে প্রবেশ করেন। ফাইনালে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ৫৫.৪২ সেকেন্ড সময় করে এবং ব্রোঞ্জ পদকপজয়ীর কাছে সেকেন্ডের এক শতাংশ সময়ে পরাজিত হন।
পি টি ঊষা কত সালে এন নাম্বিয়ার নজরে এসেছিলেন ?
{ "text": [ "১৯৭৬" ], "answer_start": [ 0 ] }
1645
null
১৯৭৬ সালে, এক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে, অ্যাথলেটিক্স কোচ ও এম নাম্বিয়ার প্রথম উষাকে লক্ষ্য করেন। ২০০০ সালে রেডিফ.কম-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "উষা সম্পর্কে, প্রথম দর্শনে, আমাকে প্রভাবিত করেছিল, তার সুষম আকৃতি এবং দ্রুত হাঁটার শৈলী। আমি জানতাম সে খুব ভাল দৌড়বিদ হতে পারবে। " সেই বছরেই তিনি ঊষাকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। খুব দ্রুত ফলও মিলতে থাকে এবং ১৯৭৮ সালে কোল্লামে জুনিয়রদের আন্তঃ-রাজ্য প্রতিযোগিতায় তিনি ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৬০ মিটার উল্লঙ্ঘন দৌড় এবং উচ্চ লম্ফে চারটি স্বর্ণ পদক, দীর্ঘ লম্ফএ রৌপ্য পদক এবং ৪ x ১০০ মিটার রিলেতে ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ৬টি পদক জয় করেন। সে বছরের কেরালা রাজ্য কলেজ মিটে তিনি ১৪টি পদক জয় করেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় গেম এবং ১৯৮০ সালের জাতীয় আন্তঃ-রাজ্য মিটে অনেক রেকর্ড তৈরি করে একাধিক পদক জয় করেন। তিনি ১৬ বছর বয়সে, ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে আত্মপ্রকাশ করলেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি, ১০০ মিটার দৌড়ের হিটে পঞ্চম হয়ে বাদ পড়েন.১৯৮১ সালে বেঙ্গালুরুর সিনিয়র আন্তঃ-রাজ্য মিটে, ১০০ মিটারে ১১.৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে এবং ২৪.৬ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে নতুন দিল্লি এশিয়ান গেমসে, তিনি ১০০ মিটার এবং ২০০মিটারে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন, ১১.৯৫ সেকেন্ড এবং ২৫.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। জামশেদপুরে ১৯৮৩ সালের ওপেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আবার ২০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ড গড়েন ২৩.৯ সেকেন্ডের এবং ৫৩.৬ সেকেন্ডে ৪০০ মিটারের নতুন জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। একই বছরে মাদিনাত আল-কুয়েতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপএ তিনি ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। .ঊষার সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। তিনি নতুন দিল্লি আন্তঃ রাজ্য মিটে এবং মুম্বাই ওপেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করেছিলেন। তবে মস্কো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার খারাপ ফলাফল হওয়ায়, তিনি ৪০০ মিটার হার্ডলসে মনোনিবেশ করেন। দিল্লির অলিম্পিক ট্রায়ালে তিনি এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এম. ডি. বালসাম্মাকে হারিয়ে গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। অন্য প্রাক-অলিম্পিক ট্রায়ালে, তিনি ৫৫.৭ সেকেন্ডে আমেরিকান শীর্ষ স্পিন্টার জুডি ব্রাউনকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি হিটে ৫৬.৮১ সেকেন্ড এবং সেমিফাইনালে ৫৫.৫৪ সেকেন্ড সময় করে, নতুন কমনওয়েলথ রেকর্ড স্থাপন করেন এবং গেমসের ফাইনালে প্রবেশ করেন। ফাইনালে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ৫৫.৪২ সেকেন্ড সময় করে এবং ব্রোঞ্জ পদকপজয়ীর কাছে সেকেন্ডের এক শতাংশ সময়ে পরাজিত হন।
১৯৮৪ সালে অলিম্পিক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
{ "text": [ "লস অ্যাঞ্জেলেস" ], "answer_start": [ 1442 ] }
1646
null
১৯৭৬ সালে, এক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে, অ্যাথলেটিক্স কোচ ও এম নাম্বিয়ার প্রথম উষাকে লক্ষ্য করেন। ২০০০ সালে রেডিফ.কম-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "উষা সম্পর্কে, প্রথম দর্শনে, আমাকে প্রভাবিত করেছিল, তার সুষম আকৃতি এবং দ্রুত হাঁটার শৈলী। আমি জানতাম সে খুব ভাল দৌড়বিদ হতে পারবে। " সেই বছরেই তিনি ঊষাকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। খুব দ্রুত ফলও মিলতে থাকে এবং ১৯৭৮ সালে কোল্লামে জুনিয়রদের আন্তঃ-রাজ্য প্রতিযোগিতায় তিনি ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৬০ মিটার উল্লঙ্ঘন দৌড় এবং উচ্চ লম্ফে চারটি স্বর্ণ পদক, দীর্ঘ লম্ফএ রৌপ্য পদক এবং ৪ x ১০০ মিটার রিলেতে ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ৬টি পদক জয় করেন। সে বছরের কেরালা রাজ্য কলেজ মিটে তিনি ১৪টি পদক জয় করেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় গেম এবং ১৯৮০ সালের জাতীয় আন্তঃ-রাজ্য মিটে অনেক রেকর্ড তৈরি করে একাধিক পদক জয় করেন। তিনি ১৬ বছর বয়সে, ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে আত্মপ্রকাশ করলেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি, ১০০ মিটার দৌড়ের হিটে পঞ্চম হয়ে বাদ পড়েন.১৯৮১ সালে বেঙ্গালুরুর সিনিয়র আন্তঃ-রাজ্য মিটে, ১০০ মিটারে ১১.৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে এবং ২৪.৬ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে নতুন দিল্লি এশিয়ান গেমসে, তিনি ১০০ মিটার এবং ২০০মিটারে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন, ১১.৯৫ সেকেন্ড এবং ২৫.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। জামশেদপুরে ১৯৮৩ সালের ওপেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আবার ২০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ড গড়েন ২৩.৯ সেকেন্ডের এবং ৫৩.৬ সেকেন্ডে ৪০০ মিটারের নতুন জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। একই বছরে মাদিনাত আল-কুয়েতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপএ তিনি ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। .ঊষার সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। তিনি নতুন দিল্লি আন্তঃ রাজ্য মিটে এবং মুম্বাই ওপেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করেছিলেন। তবে মস্কো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার খারাপ ফলাফল হওয়ায়, তিনি ৪০০ মিটার হার্ডলসে মনোনিবেশ করেন। দিল্লির অলিম্পিক ট্রায়ালে তিনি এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এম. ডি. বালসাম্মাকে হারিয়ে গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। অন্য প্রাক-অলিম্পিক ট্রায়ালে, তিনি ৫৫.৭ সেকেন্ডে আমেরিকান শীর্ষ স্পিন্টার জুডি ব্রাউনকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি হিটে ৫৬.৮১ সেকেন্ড এবং সেমিফাইনালে ৫৫.৫৪ সেকেন্ড সময় করে, নতুন কমনওয়েলথ রেকর্ড স্থাপন করেন এবং গেমসের ফাইনালে প্রবেশ করেন। ফাইনালে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ৫৫.৪২ সেকেন্ড সময় করে এবং ব্রোঞ্জ পদকপজয়ীর কাছে সেকেন্ডের এক শতাংশ সময়ে পরাজিত হন।
কেরালা স্টেট কলেজ মিটে পি টি ঊষা কতগুলি পদক জিতেছিলেন ?
{ "text": [ "১৪" ], "answer_start": [ 626 ] }
1647
null
১৯৭৬ সালে, এক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে, অ্যাথলেটিক্স কোচ ও এম নাম্বিয়ার প্রথম উষাকে লক্ষ্য করেন। ২০০০ সালে রেডিফ.কম-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "উষা সম্পর্কে, প্রথম দর্শনে, আমাকে প্রভাবিত করেছিল, তার সুষম আকৃতি এবং দ্রুত হাঁটার শৈলী। আমি জানতাম সে খুব ভাল দৌড়বিদ হতে পারবে। " সেই বছরেই তিনি ঊষাকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। খুব দ্রুত ফলও মিলতে থাকে এবং ১৯৭৮ সালে কোল্লামে জুনিয়রদের আন্তঃ-রাজ্য প্রতিযোগিতায় তিনি ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৬০ মিটার উল্লঙ্ঘন দৌড় এবং উচ্চ লম্ফে চারটি স্বর্ণ পদক, দীর্ঘ লম্ফএ রৌপ্য পদক এবং ৪ x ১০০ মিটার রিলেতে ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ৬টি পদক জয় করেন। সে বছরের কেরালা রাজ্য কলেজ মিটে তিনি ১৪টি পদক জয় করেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় গেম এবং ১৯৮০ সালের জাতীয় আন্তঃ-রাজ্য মিটে অনেক রেকর্ড তৈরি করে একাধিক পদক জয় করেন। তিনি ১৬ বছর বয়সে, ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে আত্মপ্রকাশ করলেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি, ১০০ মিটার দৌড়ের হিটে পঞ্চম হয়ে বাদ পড়েন.১৯৮১ সালে বেঙ্গালুরুর সিনিয়র আন্তঃ-রাজ্য মিটে, ১০০ মিটারে ১১.৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে এবং ২৪.৬ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে নতুন দিল্লি এশিয়ান গেমসে, তিনি ১০০ মিটার এবং ২০০মিটারে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন, ১১.৯৫ সেকেন্ড এবং ২৫.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। জামশেদপুরে ১৯৮৩ সালের ওপেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আবার ২০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ড গড়েন ২৩.৯ সেকেন্ডের এবং ৫৩.৬ সেকেন্ডে ৪০০ মিটারের নতুন জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। একই বছরে মাদিনাত আল-কুয়েতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপএ তিনি ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। .ঊষার সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। তিনি নতুন দিল্লি আন্তঃ রাজ্য মিটে এবং মুম্বাই ওপেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করেছিলেন। তবে মস্কো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার খারাপ ফলাফল হওয়ায়, তিনি ৪০০ মিটার হার্ডলসে মনোনিবেশ করেন। দিল্লির অলিম্পিক ট্রায়ালে তিনি এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এম. ডি. বালসাম্মাকে হারিয়ে গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। অন্য প্রাক-অলিম্পিক ট্রায়ালে, তিনি ৫৫.৭ সেকেন্ডে আমেরিকান শীর্ষ স্পিন্টার জুডি ব্রাউনকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি হিটে ৫৬.৮১ সেকেন্ড এবং সেমিফাইনালে ৫৫.৫৪ সেকেন্ড সময় করে, নতুন কমনওয়েলথ রেকর্ড স্থাপন করেন এবং গেমসের ফাইনালে প্রবেশ করেন। ফাইনালে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ৫৫.৪২ সেকেন্ড সময় করে এবং ব্রোঞ্জ পদকপজয়ীর কাছে সেকেন্ডের এক শতাংশ সময়ে পরাজিত হন।
কোন সালে জাতীয় গেমসে একাধিক পদক জিতেছিলেন পি টি ঊষা?
{ "text": [ "১৯৭৯" ], "answer_start": [ 644 ] }
1648
null
১৯৭৬ সালে, এক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে, অ্যাথলেটিক্স কোচ ও এম নাম্বিয়ার প্রথম উষাকে লক্ষ্য করেন। ২০০০ সালে রেডিফ.কম-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "উষা সম্পর্কে, প্রথম দর্শনে, আমাকে প্রভাবিত করেছিল, তার সুষম আকৃতি এবং দ্রুত হাঁটার শৈলী। আমি জানতাম সে খুব ভাল দৌড়বিদ হতে পারবে। " সেই বছরেই তিনি ঊষাকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। খুব দ্রুত ফলও মিলতে থাকে এবং ১৯৭৮ সালে কোল্লামে জুনিয়রদের আন্তঃ-রাজ্য প্রতিযোগিতায় তিনি ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৬০ মিটার উল্লঙ্ঘন দৌড় এবং উচ্চ লম্ফে চারটি স্বর্ণ পদক, দীর্ঘ লম্ফএ রৌপ্য পদক এবং ৪ x ১০০ মিটার রিলেতে ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ৬টি পদক জয় করেন। সে বছরের কেরালা রাজ্য কলেজ মিটে তিনি ১৪টি পদক জয় করেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় গেম এবং ১৯৮০ সালের জাতীয় আন্তঃ-রাজ্য মিটে অনেক রেকর্ড তৈরি করে একাধিক পদক জয় করেন। তিনি ১৬ বছর বয়সে, ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে আত্মপ্রকাশ করলেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি, ১০০ মিটার দৌড়ের হিটে পঞ্চম হয়ে বাদ পড়েন.১৯৮১ সালে বেঙ্গালুরুর সিনিয়র আন্তঃ-রাজ্য মিটে, ১০০ মিটারে ১১.৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে এবং ২৪.৬ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে নতুন দিল্লি এশিয়ান গেমসে, তিনি ১০০ মিটার এবং ২০০মিটারে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন, ১১.৯৫ সেকেন্ড এবং ২৫.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। জামশেদপুরে ১৯৮৩ সালের ওপেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আবার ২০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ড গড়েন ২৩.৯ সেকেন্ডের এবং ৫৩.৬ সেকেন্ডে ৪০০ মিটারের নতুন জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। একই বছরে মাদিনাত আল-কুয়েতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপএ তিনি ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। .ঊষার সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। তিনি নতুন দিল্লি আন্তঃ রাজ্য মিটে এবং মুম্বাই ওপেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করেছিলেন। তবে মস্কো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার খারাপ ফলাফল হওয়ায়, তিনি ৪০০ মিটার হার্ডলসে মনোনিবেশ করেন। দিল্লির অলিম্পিক ট্রায়ালে তিনি এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এম. ডি. বালসাম্মাকে হারিয়ে গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। অন্য প্রাক-অলিম্পিক ট্রায়ালে, তিনি ৫৫.৭ সেকেন্ডে আমেরিকান শীর্ষ স্পিন্টার জুডি ব্রাউনকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি হিটে ৫৬.৮১ সেকেন্ড এবং সেমিফাইনালে ৫৫.৫৪ সেকেন্ড সময় করে, নতুন কমনওয়েলথ রেকর্ড স্থাপন করেন এবং গেমসের ফাইনালে প্রবেশ করেন। ফাইনালে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ৫৫.৪২ সেকেন্ড সময় করে এবং ব্রোঞ্জ পদকপজয়ীর কাছে সেকেন্ডের এক শতাংশ সময়ে পরাজিত হন।
কোন সালের জাকার্তা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পি টি ঊষা মোট ছয়টি পদক জিতেছিলেন?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1649
null
১৯৭৬ সালে, এক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে, অ্যাথলেটিক্স কোচ ও এম নাম্বিয়ার প্রথম উষাকে লক্ষ্য করেন। ২০০০ সালে রেডিফ.কম-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "উষা সম্পর্কে, প্রথম দর্শনে, আমাকে প্রভাবিত করেছিল, তার সুষম আকৃতি এবং দ্রুত হাঁটার শৈলী। আমি জানতাম সে খুব ভাল দৌড়বিদ হতে পারবে। " সেই বছরেই তিনি ঊষাকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। খুব দ্রুত ফলও মিলতে থাকে এবং ১৯৭৮ সালে কোল্লামে জুনিয়রদের আন্তঃ-রাজ্য প্রতিযোগিতায় তিনি ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৬০ মিটার উল্লঙ্ঘন দৌড় এবং উচ্চ লম্ফে চারটি স্বর্ণ পদক, দীর্ঘ লম্ফএ রৌপ্য পদক এবং ৪ x ১০০ মিটার রিলেতে ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ৬টি পদক জয় করেন। সে বছরের কেরালা রাজ্য কলেজ মিটে তিনি ১৪টি পদক জয় করেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় গেম এবং ১৯৮০ সালের জাতীয় আন্তঃ-রাজ্য মিটে অনেক রেকর্ড তৈরি করে একাধিক পদক জয় করেন। তিনি ১৬ বছর বয়সে, ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে আত্মপ্রকাশ করলেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি, ১০০ মিটার দৌড়ের হিটে পঞ্চম হয়ে বাদ পড়েন.১৯৮১ সালে বেঙ্গালুরুর সিনিয়র আন্তঃ-রাজ্য মিটে, ১০০ মিটারে ১১.৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে এবং ২৪.৬ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে নতুন দিল্লি এশিয়ান গেমসে, তিনি ১০০ মিটার এবং ২০০মিটারে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন, ১১.৯৫ সেকেন্ড এবং ২৫.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। জামশেদপুরে ১৯৮৩ সালের ওপেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আবার ২০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ড গড়েন ২৩.৯ সেকেন্ডের এবং ৫৩.৬ সেকেন্ডে ৪০০ মিটারের নতুন জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। একই বছরে মাদিনাত আল-কুয়েতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপএ তিনি ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। .ঊষার সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। তিনি নতুন দিল্লি আন্তঃ রাজ্য মিটে এবং মুম্বাই ওপেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করেছিলেন। তবে মস্কো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার খারাপ ফলাফল হওয়ায়, তিনি ৪০০ মিটার হার্ডলসে মনোনিবেশ করেন। দিল্লির অলিম্পিক ট্রায়ালে তিনি এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এম. ডি. বালসাম্মাকে হারিয়ে গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। অন্য প্রাক-অলিম্পিক ট্রায়ালে, তিনি ৫৫.৭ সেকেন্ডে আমেরিকান শীর্ষ স্পিন্টার জুডি ব্রাউনকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি হিটে ৫৬.৮১ সেকেন্ড এবং সেমিফাইনালে ৫৫.৫৪ সেকেন্ড সময় করে, নতুন কমনওয়েলথ রেকর্ড স্থাপন করেন এবং গেমসের ফাইনালে প্রবেশ করেন। ফাইনালে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ৫৫.৪২ সেকেন্ড সময় করে এবং ব্রোঞ্জ পদকপজয়ীর কাছে সেকেন্ডের এক শতাংশ সময়ে পরাজিত হন।
1985 সালের জাকার্তা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পি টি ঊষা মোট কয়টি পদক জিতেছিলেন?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1650
null
১৯৮৪ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত গ্রুপ অফ টোয়েন্টিফোরের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৯৫ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি সার্ক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেছিলেন। ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে তার পরিবর্তে আসেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ. কে. অ্যান্টনি। এই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে তাঁর নাম সাময়িকভাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু পদটি নিছক আনুষ্ঠানিক হওয়ায়, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তার অবদান ও কার্যকরিতার কথা মাথায় রেখে তাঁর নাম বিবেচনা থেকে প্রত্যাহৃত হয়। বিদেশ মন্ত্রকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কৃতিত্বগুলি হল প্রথমে মার্কিন সরকারের সঙ্গে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই ও পরে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফিকেশন ট্রিটি সই না করেই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপের থেকে অসামরিক পরমাণু বাণিজ্যের অনুমতি আদায়। ২০০৭ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। নিজের দলে প্রণব মুখোপাধ্যায় এক ব্যতিক্রমী সম্মানের অধিকারী। অন্যান্য গণমাধ্যমে তার এই সম্মানকে "a reputation as a number-crunching politician with a phenomenal memory and an unerring survival instinct" বলে উল্লেখ করা হয়। সনিয়া গান্ধী অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজনীতিতে যোগদান করতে সম্মত হলে প্রণব মুখোপাধ্যায় তার প্রধান সহায়কের ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন সমস্যা সনিয়ার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে সমাধান করতেন, তার উল্লেখ করে তিনি সনিয়াকে সাহায্য করতেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও প্রজ্ঞা তাকে সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংহের ঘনিষ্ঠ করে তোলে। ২০০৪ সালে দল ক্ষমতায় এলে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সম্মানজনক দায়িত্বটি পান। ২০০৫ সালে পেটেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাসের ক্ষেত্রে তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। যদিও এই বিলটি সরাসরি তার মন্ত্রক বা তার দায়িত্ব তালিকাভুক্ত ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী হলেও একজন বাস্তববাদী। রিডিফকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাকে তার সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন:মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় সরকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় পুনরায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পান। উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে তিনি এই মন্ত্রকেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই তিনি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে তিনি কয়েকটি কর সংস্কারের প্রস্তাব রাখেন। যেমন, 'অস্বস্তিকর' ফ্রিঞ্জ বেনেফিট ট্যাক্স ও কমোডিটিজ ট্র্যানজাকশান ট্যাক্সের অবলোপন ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন যে অর্থমন্ত্রক শীঘ্রই গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নামে একটি কর চালু করবে। এই করের কাঠামোটির প্রশংসা করেন বিভিন্ন কর্পোরেট কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদগণ। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ আইন, শিশুকন্যাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি। এছাড়াও অর্থবরাদ্দ করেন জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি, বিদ্যুদয়ন প্রকল্প, এবং জওহরলাল নেহেরু জাতীয় নগরোন্নয়ন মিশনের মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতেও।
২০১২ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ৭১ শতাংশের বেশি ভোটে কাকে পরাজিত করে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1651
null
১৯৮৪ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত গ্রুপ অফ টোয়েন্টিফোরের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৯৫ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি সার্ক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেছিলেন। ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে তার পরিবর্তে আসেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ. কে. অ্যান্টনি। এই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে তাঁর নাম সাময়িকভাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু পদটি নিছক আনুষ্ঠানিক হওয়ায়, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তার অবদান ও কার্যকরিতার কথা মাথায় রেখে তাঁর নাম বিবেচনা থেকে প্রত্যাহৃত হয়। বিদেশ মন্ত্রকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কৃতিত্বগুলি হল প্রথমে মার্কিন সরকারের সঙ্গে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই ও পরে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফিকেশন ট্রিটি সই না করেই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপের থেকে অসামরিক পরমাণু বাণিজ্যের অনুমতি আদায়। ২০০৭ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। নিজের দলে প্রণব মুখোপাধ্যায় এক ব্যতিক্রমী সম্মানের অধিকারী। অন্যান্য গণমাধ্যমে তার এই সম্মানকে "a reputation as a number-crunching politician with a phenomenal memory and an unerring survival instinct" বলে উল্লেখ করা হয়। সনিয়া গান্ধী অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজনীতিতে যোগদান করতে সম্মত হলে প্রণব মুখোপাধ্যায় তার প্রধান সহায়কের ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন সমস্যা সনিয়ার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে সমাধান করতেন, তার উল্লেখ করে তিনি সনিয়াকে সাহায্য করতেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও প্রজ্ঞা তাকে সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংহের ঘনিষ্ঠ করে তোলে। ২০০৪ সালে দল ক্ষমতায় এলে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সম্মানজনক দায়িত্বটি পান। ২০০৫ সালে পেটেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাসের ক্ষেত্রে তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। যদিও এই বিলটি সরাসরি তার মন্ত্রক বা তার দায়িত্ব তালিকাভুক্ত ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী হলেও একজন বাস্তববাদী। রিডিফকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাকে তার সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন:মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় সরকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় পুনরায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পান। উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে তিনি এই মন্ত্রকেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই তিনি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে তিনি কয়েকটি কর সংস্কারের প্রস্তাব রাখেন। যেমন, 'অস্বস্তিকর' ফ্রিঞ্জ বেনেফিট ট্যাক্স ও কমোডিটিজ ট্র্যানজাকশান ট্যাক্সের অবলোপন ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন যে অর্থমন্ত্রক শীঘ্রই গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নামে একটি কর চালু করবে। এই করের কাঠামোটির প্রশংসা করেন বিভিন্ন কর্পোরেট কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদগণ। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ আইন, শিশুকন্যাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি। এছাড়াও অর্থবরাদ্দ করেন জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি, বিদ্যুদয়ন প্রকল্প, এবং জওহরলাল নেহেরু জাতীয় নগরোন্নয়ন মিশনের মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতেও।
কবে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1652
null
১৯৮৪ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত গ্রুপ অফ টোয়েন্টিফোরের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৯৫ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি সার্ক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেছিলেন। ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে তার পরিবর্তে আসেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ. কে. অ্যান্টনি। এই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে তাঁর নাম সাময়িকভাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু পদটি নিছক আনুষ্ঠানিক হওয়ায়, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তার অবদান ও কার্যকরিতার কথা মাথায় রেখে তাঁর নাম বিবেচনা থেকে প্রত্যাহৃত হয়। বিদেশ মন্ত্রকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কৃতিত্বগুলি হল প্রথমে মার্কিন সরকারের সঙ্গে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই ও পরে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফিকেশন ট্রিটি সই না করেই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপের থেকে অসামরিক পরমাণু বাণিজ্যের অনুমতি আদায়। ২০০৭ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। নিজের দলে প্রণব মুখোপাধ্যায় এক ব্যতিক্রমী সম্মানের অধিকারী। অন্যান্য গণমাধ্যমে তার এই সম্মানকে "a reputation as a number-crunching politician with a phenomenal memory and an unerring survival instinct" বলে উল্লেখ করা হয়। সনিয়া গান্ধী অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজনীতিতে যোগদান করতে সম্মত হলে প্রণব মুখোপাধ্যায় তার প্রধান সহায়কের ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন সমস্যা সনিয়ার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে সমাধান করতেন, তার উল্লেখ করে তিনি সনিয়াকে সাহায্য করতেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও প্রজ্ঞা তাকে সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংহের ঘনিষ্ঠ করে তোলে। ২০০৪ সালে দল ক্ষমতায় এলে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সম্মানজনক দায়িত্বটি পান। ২০০৫ সালে পেটেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাসের ক্ষেত্রে তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। যদিও এই বিলটি সরাসরি তার মন্ত্রক বা তার দায়িত্ব তালিকাভুক্ত ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী হলেও একজন বাস্তববাদী। রিডিফকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাকে তার সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন:মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় সরকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় পুনরায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পান। উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে তিনি এই মন্ত্রকেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই তিনি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে তিনি কয়েকটি কর সংস্কারের প্রস্তাব রাখেন। যেমন, 'অস্বস্তিকর' ফ্রিঞ্জ বেনেফিট ট্যাক্স ও কমোডিটিজ ট্র্যানজাকশান ট্যাক্সের অবলোপন ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন যে অর্থমন্ত্রক শীঘ্রই গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নামে একটি কর চালু করবে। এই করের কাঠামোটির প্রশংসা করেন বিভিন্ন কর্পোরেট কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদগণ। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ আইন, শিশুকন্যাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি। এছাড়াও অর্থবরাদ্দ করেন জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি, বিদ্যুদয়ন প্রকল্প, এবং জওহরলাল নেহেরু জাতীয় নগরোন্নয়ন মিশনের মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতেও।
কত সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন?
{ "text": [ "২০০৭ সালে" ], "answer_start": [ 881 ] }
1653
null
১৯৮৪ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত গ্রুপ অফ টোয়েন্টিফোরের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৯৫ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি সার্ক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেছিলেন। ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে তার পরিবর্তে আসেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ. কে. অ্যান্টনি। এই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে তাঁর নাম সাময়িকভাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু পদটি নিছক আনুষ্ঠানিক হওয়ায়, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তার অবদান ও কার্যকরিতার কথা মাথায় রেখে তাঁর নাম বিবেচনা থেকে প্রত্যাহৃত হয়। বিদেশ মন্ত্রকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কৃতিত্বগুলি হল প্রথমে মার্কিন সরকারের সঙ্গে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই ও পরে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফিকেশন ট্রিটি সই না করেই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপের থেকে অসামরিক পরমাণু বাণিজ্যের অনুমতি আদায়। ২০০৭ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। নিজের দলে প্রণব মুখোপাধ্যায় এক ব্যতিক্রমী সম্মানের অধিকারী। অন্যান্য গণমাধ্যমে তার এই সম্মানকে "a reputation as a number-crunching politician with a phenomenal memory and an unerring survival instinct" বলে উল্লেখ করা হয়। সনিয়া গান্ধী অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজনীতিতে যোগদান করতে সম্মত হলে প্রণব মুখোপাধ্যায় তার প্রধান সহায়কের ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন সমস্যা সনিয়ার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে সমাধান করতেন, তার উল্লেখ করে তিনি সনিয়াকে সাহায্য করতেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও প্রজ্ঞা তাকে সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংহের ঘনিষ্ঠ করে তোলে। ২০০৪ সালে দল ক্ষমতায় এলে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সম্মানজনক দায়িত্বটি পান। ২০০৫ সালে পেটেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাসের ক্ষেত্রে তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। যদিও এই বিলটি সরাসরি তার মন্ত্রক বা তার দায়িত্ব তালিকাভুক্ত ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী হলেও একজন বাস্তববাদী। রিডিফকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাকে তার সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন:মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় সরকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় পুনরায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পান। উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে তিনি এই মন্ত্রকেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই তিনি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে তিনি কয়েকটি কর সংস্কারের প্রস্তাব রাখেন। যেমন, 'অস্বস্তিকর' ফ্রিঞ্জ বেনেফিট ট্যাক্স ও কমোডিটিজ ট্র্যানজাকশান ট্যাক্সের অবলোপন ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন যে অর্থমন্ত্রক শীঘ্রই গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নামে একটি কর চালু করবে। এই করের কাঠামোটির প্রশংসা করেন বিভিন্ন কর্পোরেট কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদগণ। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ আইন, শিশুকন্যাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি। এছাড়াও অর্থবরাদ্দ করেন জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি, বিদ্যুদয়ন প্রকল্প, এবং জওহরলাল নেহেরু জাতীয় নগরোন্নয়ন মিশনের মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতেও।
কোন্ সময়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় সার্ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন?
{ "text": [ "১৯৯৫ সালের মে থেকে নভেম্বর" ], "answer_start": [ 122 ] }
1654
null
১৯৮৪ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত গ্রুপ অফ টোয়েন্টিফোরের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৯৫ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি সার্ক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেছিলেন। ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে তার পরিবর্তে আসেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ. কে. অ্যান্টনি। এই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে তাঁর নাম সাময়িকভাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু পদটি নিছক আনুষ্ঠানিক হওয়ায়, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তার অবদান ও কার্যকরিতার কথা মাথায় রেখে তাঁর নাম বিবেচনা থেকে প্রত্যাহৃত হয়। বিদেশ মন্ত্রকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কৃতিত্বগুলি হল প্রথমে মার্কিন সরকারের সঙ্গে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই ও পরে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফিকেশন ট্রিটি সই না করেই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপের থেকে অসামরিক পরমাণু বাণিজ্যের অনুমতি আদায়। ২০০৭ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। নিজের দলে প্রণব মুখোপাধ্যায় এক ব্যতিক্রমী সম্মানের অধিকারী। অন্যান্য গণমাধ্যমে তার এই সম্মানকে "a reputation as a number-crunching politician with a phenomenal memory and an unerring survival instinct" বলে উল্লেখ করা হয়। সনিয়া গান্ধী অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজনীতিতে যোগদান করতে সম্মত হলে প্রণব মুখোপাধ্যায় তার প্রধান সহায়কের ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন সমস্যা সনিয়ার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে সমাধান করতেন, তার উল্লেখ করে তিনি সনিয়াকে সাহায্য করতেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও প্রজ্ঞা তাকে সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংহের ঘনিষ্ঠ করে তোলে। ২০০৪ সালে দল ক্ষমতায় এলে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সম্মানজনক দায়িত্বটি পান। ২০০৫ সালে পেটেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাসের ক্ষেত্রে তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। যদিও এই বিলটি সরাসরি তার মন্ত্রক বা তার দায়িত্ব তালিকাভুক্ত ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী হলেও একজন বাস্তববাদী। রিডিফকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাকে তার সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন:মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় সরকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় পুনরায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পান। উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে তিনি এই মন্ত্রকেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই তিনি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে তিনি কয়েকটি কর সংস্কারের প্রস্তাব রাখেন। যেমন, 'অস্বস্তিকর' ফ্রিঞ্জ বেনেফিট ট্যাক্স ও কমোডিটিজ ট্র্যানজাকশান ট্যাক্সের অবলোপন ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন যে অর্থমন্ত্রক শীঘ্রই গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নামে একটি কর চালু করবে। এই করের কাঠামোটির প্রশংসা করেন বিভিন্ন কর্পোরেট কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদগণ। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ আইন, শিশুকন্যাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি। এছাড়াও অর্থবরাদ্দ করেন জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি, বিদ্যুদয়ন প্রকল্প, এবং জওহরলাল নেহেরু জাতীয় নগরোন্নয়ন মিশনের মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতেও।
কেউ কেউ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অর্থমন্ত্রিত্বে কিসের জন্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1655
null
১৯৮৪ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত গ্রুপ অফ টোয়েন্টিফোরের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৯৫ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি সার্ক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেছিলেন। ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে তার পরিবর্তে আসেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ. কে. অ্যান্টনি। এই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে তাঁর নাম সাময়িকভাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু পদটি নিছক আনুষ্ঠানিক হওয়ায়, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তার অবদান ও কার্যকরিতার কথা মাথায় রেখে তাঁর নাম বিবেচনা থেকে প্রত্যাহৃত হয়। বিদেশ মন্ত্রকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কৃতিত্বগুলি হল প্রথমে মার্কিন সরকারের সঙ্গে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই ও পরে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফিকেশন ট্রিটি সই না করেই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপের থেকে অসামরিক পরমাণু বাণিজ্যের অনুমতি আদায়। ২০০৭ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। নিজের দলে প্রণব মুখোপাধ্যায় এক ব্যতিক্রমী সম্মানের অধিকারী। অন্যান্য গণমাধ্যমে তার এই সম্মানকে "a reputation as a number-crunching politician with a phenomenal memory and an unerring survival instinct" বলে উল্লেখ করা হয়। সনিয়া গান্ধী অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজনীতিতে যোগদান করতে সম্মত হলে প্রণব মুখোপাধ্যায় তার প্রধান সহায়কের ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন সমস্যা সনিয়ার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে সমাধান করতেন, তার উল্লেখ করে তিনি সনিয়াকে সাহায্য করতেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও প্রজ্ঞা তাকে সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংহের ঘনিষ্ঠ করে তোলে। ২০০৪ সালে দল ক্ষমতায় এলে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সম্মানজনক দায়িত্বটি পান। ২০০৫ সালে পেটেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাসের ক্ষেত্রে তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। যদিও এই বিলটি সরাসরি তার মন্ত্রক বা তার দায়িত্ব তালিকাভুক্ত ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী হলেও একজন বাস্তববাদী। রিডিফকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাকে তার সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন:মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় সরকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় পুনরায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পান। উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে তিনি এই মন্ত্রকেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই তিনি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে তিনি কয়েকটি কর সংস্কারের প্রস্তাব রাখেন। যেমন, 'অস্বস্তিকর' ফ্রিঞ্জ বেনেফিট ট্যাক্স ও কমোডিটিজ ট্র্যানজাকশান ট্যাক্সের অবলোপন ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন যে অর্থমন্ত্রক শীঘ্রই গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নামে একটি কর চালু করবে। এই করের কাঠামোটির প্রশংসা করেন বিভিন্ন কর্পোরেট কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদগণ। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ আইন, শিশুকন্যাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি। এছাড়াও অর্থবরাদ্দ করেন জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি, বিদ্যুদয়ন প্রকল্প, এবং জওহরলাল নেহেরু জাতীয় নগরোন্নয়ন মিশনের মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতেও।
কত সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংকের সাথে যুক্ত চব্বিশ জন দলের সভাপতিত্ব করেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1656
null
১৯৮৪ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত গ্রুপ অফ টোয়েন্টিফোরের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৯৫ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি সার্ক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেছিলেন। ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে তার পরিবর্তে আসেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ. কে. অ্যান্টনি। এই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে তাঁর নাম সাময়িকভাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু পদটি নিছক আনুষ্ঠানিক হওয়ায়, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তার অবদান ও কার্যকরিতার কথা মাথায় রেখে তাঁর নাম বিবেচনা থেকে প্রত্যাহৃত হয়। বিদেশ মন্ত্রকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কৃতিত্বগুলি হল প্রথমে মার্কিন সরকারের সঙ্গে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই ও পরে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফিকেশন ট্রিটি সই না করেই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপের থেকে অসামরিক পরমাণু বাণিজ্যের অনুমতি আদায়। ২০০৭ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। নিজের দলে প্রণব মুখোপাধ্যায় এক ব্যতিক্রমী সম্মানের অধিকারী। অন্যান্য গণমাধ্যমে তার এই সম্মানকে "a reputation as a number-crunching politician with a phenomenal memory and an unerring survival instinct" বলে উল্লেখ করা হয়। সনিয়া গান্ধী অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজনীতিতে যোগদান করতে সম্মত হলে প্রণব মুখোপাধ্যায় তার প্রধান সহায়কের ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন সমস্যা সনিয়ার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে সমাধান করতেন, তার উল্লেখ করে তিনি সনিয়াকে সাহায্য করতেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও প্রজ্ঞা তাকে সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংহের ঘনিষ্ঠ করে তোলে। ২০০৪ সালে দল ক্ষমতায় এলে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সম্মানজনক দায়িত্বটি পান। ২০০৫ সালে পেটেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাসের ক্ষেত্রে তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। যদিও এই বিলটি সরাসরি তার মন্ত্রক বা তার দায়িত্ব তালিকাভুক্ত ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী হলেও একজন বাস্তববাদী। রিডিফকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাকে তার সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন:মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় সরকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় পুনরায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পান। উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে তিনি এই মন্ত্রকেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই তিনি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে তিনি কয়েকটি কর সংস্কারের প্রস্তাব রাখেন। যেমন, 'অস্বস্তিকর' ফ্রিঞ্জ বেনেফিট ট্যাক্স ও কমোডিটিজ ট্র্যানজাকশান ট্যাক্সের অবলোপন ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন যে অর্থমন্ত্রক শীঘ্রই গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নামে একটি কর চালু করবে। এই করের কাঠামোটির প্রশংসা করেন বিভিন্ন কর্পোরেট কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদগণ। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ আইন, শিশুকন্যাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি। এছাড়াও অর্থবরাদ্দ করেন জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি, বিদ্যুদয়ন প্রকল্প, এবং জওহরলাল নেহেরু জাতীয় নগরোন্নয়ন মিশনের মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতেও।
২০০৪ সালে কংগ্রেসের কোন সিনিয়র নেতা প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন ?
{ "text": [ "প্রণব মুখোপাধ্যায়" ], "answer_start": [ 10 ] }
1657
null
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে কেশুভাই পটেলের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ভূজ ভূমিকম্পে প্রশাসনিক দুর্বলতার অভিযোগ ওঠে। এর ফলে পার্টির জাতীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে হিসেবে তুলে ধরে। পার্টির বরিষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আডবাণী মোদীর অনভিজ্ঞতার ওপর চিন্তিত থাকলেও মোদী পটেলের সহায়ক হিসেবে গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকারীকরণ ও বিশ্বায়নবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে বেসরকারীকরণের নীতি গ্রহণ করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি গোধরা শহরের নিকটে বহু হিন্দু তীর্থযাত্রী ও শতশত যাত্রীসহ একটি ট্রেন আগুনে পুড়ে গেলে প্রায় ৬০ জন্মের মৃত্যু ঘটে। উগ্র মুসলিমদের দ্বারা এই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এরকম খবর ছড়ালে, গুজরাট জুড়ে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। এই দাঙ্গায় ৯০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং কয়েক হাজার ব্যক্তি আহত হন। মোদী সরকার বড় সহরগুলিতে কারফু জারী করে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেয় এবং দাঙ্গা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী ডাকা হয়। এতৎসত্ত্বেও মানবাধিকার সংগঠনগুলি, বিরোধী দল এবং সংবাদপত্রের কিছু অংশ গুজরাট সরকারের দাঙ্গাবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করে। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদীর নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করা হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় রাজ্য সরকারকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার নয়টি কেস সম্বন্ধে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে সরকার নতুন করে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকান্ডে মৃত এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া জাফরি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করলে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বিশেষ তদন্তকারী দলকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই তদন্তকারী দল মোদীকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে মে মাসে তাদের এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন যে তারা এই অভিযোগের সত্যতার কোনক্রমেই প্রমাণ পাননি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে রাজু রামচন্দ্রন ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে তার অন্তিম প্রতিবেদনে বলেন যে মোদীকে সাক্ষ্য প্রমাণের সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এই মামলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে পাঠিয়ে দেন এবং বিশেষ তদন্তকারী দলকে রামচন্দ্রনের প্রতিবেদন পরীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেন। বিশেষ তদন্তকারী দল এই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে কারণ এই প্রতিবেদনে মিথ্যে তথ্যপ্রমাণের ওপর সাজানো সঞ্জীব ভট্টের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করা হয়েছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে তদন্তকারী দল এই অনুসন্ধান বন্ধ করার আর্জি জানালে জাকিয়া জাফরি এর প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের করেন যা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে এই মর্মে গৃহীত হয় না যে মোদীর বিরুদ্ধে কোন রকম সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মায়া কোদনানি নামক মোদী মন্ত্রিসভার একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার সময় নারোদা পাটিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও কোদনানির মৃত্যুদন্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে স্থির করা হলেও পরে মোদী সরকার ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার কারাদন্ডের আর্জি জানান। দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এমনকি কেন্দ্রে তেলুগু দেশম পার্টি ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কঝগম নামক ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বন্ধু দলও এই মত প্রকাশ করে। বিরোধীরা এই বিষয়ে লোকসভা অচল রাখে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোয়াতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় মোদী তার ইস্তফা দিতে চাইলে পার্টি তা গ্রহণ করেনি। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই মোদীর মন্ত্রিসভা একটি জরুরীকালীন সভার সিদ্ধান্তে গুজরাটের রাজ্যপালের নিকট ইস্তফা পেশ করলে বিধানসভা ভেঙ্গে যায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২৭টি আসন দখল করে। এই নির্বাচনের প্রচারকার্যে মোদী মুসলিম বিরোধী প্রচার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন। মোদীর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে তিনি হিন্দুত্ব থেকে সরে এসে গুজরাটের উন্নয়নের দিকে জোর দেন। তার এই সিদ্ধান্তে গুজরাটে ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রভাব হ্রাস পায়। মোদী তার মন্ত্রিসভা থেকে গোর্ধান জাদাফিয়া এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরিয়ে দেন। ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে মোদী তাদের রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদত্ত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গান্ধীনগরে দুইশোটি বেআইনি মন্দির নির্মাণকে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ জারী করেন। তিনি গুজরাটকে শিল্পে বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেন।
কোন সালে কেশুভাই প্যাটেলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে ?
{ "text": [ "২০০১" ], "answer_start": [ 0 ] }
1658
null
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে কেশুভাই পটেলের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ভূজ ভূমিকম্পে প্রশাসনিক দুর্বলতার অভিযোগ ওঠে। এর ফলে পার্টির জাতীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে হিসেবে তুলে ধরে। পার্টির বরিষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আডবাণী মোদীর অনভিজ্ঞতার ওপর চিন্তিত থাকলেও মোদী পটেলের সহায়ক হিসেবে গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকারীকরণ ও বিশ্বায়নবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে বেসরকারীকরণের নীতি গ্রহণ করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি গোধরা শহরের নিকটে বহু হিন্দু তীর্থযাত্রী ও শতশত যাত্রীসহ একটি ট্রেন আগুনে পুড়ে গেলে প্রায় ৬০ জন্মের মৃত্যু ঘটে। উগ্র মুসলিমদের দ্বারা এই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এরকম খবর ছড়ালে, গুজরাট জুড়ে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। এই দাঙ্গায় ৯০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং কয়েক হাজার ব্যক্তি আহত হন। মোদী সরকার বড় সহরগুলিতে কারফু জারী করে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেয় এবং দাঙ্গা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী ডাকা হয়। এতৎসত্ত্বেও মানবাধিকার সংগঠনগুলি, বিরোধী দল এবং সংবাদপত্রের কিছু অংশ গুজরাট সরকারের দাঙ্গাবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করে। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদীর নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করা হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় রাজ্য সরকারকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার নয়টি কেস সম্বন্ধে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে সরকার নতুন করে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকান্ডে মৃত এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া জাফরি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করলে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বিশেষ তদন্তকারী দলকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই তদন্তকারী দল মোদীকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে মে মাসে তাদের এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন যে তারা এই অভিযোগের সত্যতার কোনক্রমেই প্রমাণ পাননি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে রাজু রামচন্দ্রন ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে তার অন্তিম প্রতিবেদনে বলেন যে মোদীকে সাক্ষ্য প্রমাণের সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এই মামলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে পাঠিয়ে দেন এবং বিশেষ তদন্তকারী দলকে রামচন্দ্রনের প্রতিবেদন পরীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেন। বিশেষ তদন্তকারী দল এই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে কারণ এই প্রতিবেদনে মিথ্যে তথ্যপ্রমাণের ওপর সাজানো সঞ্জীব ভট্টের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করা হয়েছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে তদন্তকারী দল এই অনুসন্ধান বন্ধ করার আর্জি জানালে জাকিয়া জাফরি এর প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের করেন যা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে এই মর্মে গৃহীত হয় না যে মোদীর বিরুদ্ধে কোন রকম সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মায়া কোদনানি নামক মোদী মন্ত্রিসভার একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার সময় নারোদা পাটিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও কোদনানির মৃত্যুদন্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে স্থির করা হলেও পরে মোদী সরকার ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার কারাদন্ডের আর্জি জানান। দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এমনকি কেন্দ্রে তেলুগু দেশম পার্টি ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কঝগম নামক ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বন্ধু দলও এই মত প্রকাশ করে। বিরোধীরা এই বিষয়ে লোকসভা অচল রাখে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোয়াতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় মোদী তার ইস্তফা দিতে চাইলে পার্টি তা গ্রহণ করেনি। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই মোদীর মন্ত্রিসভা একটি জরুরীকালীন সভার সিদ্ধান্তে গুজরাটের রাজ্যপালের নিকট ইস্তফা পেশ করলে বিধানসভা ভেঙ্গে যায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২৭টি আসন দখল করে। এই নির্বাচনের প্রচারকার্যে মোদী মুসলিম বিরোধী প্রচার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন। মোদীর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে তিনি হিন্দুত্ব থেকে সরে এসে গুজরাটের উন্নয়নের দিকে জোর দেন। তার এই সিদ্ধান্তে গুজরাটে ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রভাব হ্রাস পায়। মোদী তার মন্ত্রিসভা থেকে গোর্ধান জাদাফিয়া এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরিয়ে দেন। ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে মোদী তাদের রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদত্ত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গান্ধীনগরে দুইশোটি বেআইনি মন্দির নির্মাণকে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ জারী করেন। তিনি গুজরাটকে শিল্পে বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেন।
কবে নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ?
{ "text": [ "২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর" ], "answer_start": [ 440 ] }
1659
null
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে কেশুভাই পটেলের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ভূজ ভূমিকম্পে প্রশাসনিক দুর্বলতার অভিযোগ ওঠে। এর ফলে পার্টির জাতীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে হিসেবে তুলে ধরে। পার্টির বরিষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আডবাণী মোদীর অনভিজ্ঞতার ওপর চিন্তিত থাকলেও মোদী পটেলের সহায়ক হিসেবে গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকারীকরণ ও বিশ্বায়নবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে বেসরকারীকরণের নীতি গ্রহণ করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি গোধরা শহরের নিকটে বহু হিন্দু তীর্থযাত্রী ও শতশত যাত্রীসহ একটি ট্রেন আগুনে পুড়ে গেলে প্রায় ৬০ জন্মের মৃত্যু ঘটে। উগ্র মুসলিমদের দ্বারা এই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এরকম খবর ছড়ালে, গুজরাট জুড়ে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। এই দাঙ্গায় ৯০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং কয়েক হাজার ব্যক্তি আহত হন। মোদী সরকার বড় সহরগুলিতে কারফু জারী করে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেয় এবং দাঙ্গা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী ডাকা হয়। এতৎসত্ত্বেও মানবাধিকার সংগঠনগুলি, বিরোধী দল এবং সংবাদপত্রের কিছু অংশ গুজরাট সরকারের দাঙ্গাবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করে। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদীর নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করা হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় রাজ্য সরকারকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার নয়টি কেস সম্বন্ধে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে সরকার নতুন করে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকান্ডে মৃত এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া জাফরি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করলে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বিশেষ তদন্তকারী দলকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই তদন্তকারী দল মোদীকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে মে মাসে তাদের এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন যে তারা এই অভিযোগের সত্যতার কোনক্রমেই প্রমাণ পাননি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে রাজু রামচন্দ্রন ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে তার অন্তিম প্রতিবেদনে বলেন যে মোদীকে সাক্ষ্য প্রমাণের সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এই মামলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে পাঠিয়ে দেন এবং বিশেষ তদন্তকারী দলকে রামচন্দ্রনের প্রতিবেদন পরীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেন। বিশেষ তদন্তকারী দল এই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে কারণ এই প্রতিবেদনে মিথ্যে তথ্যপ্রমাণের ওপর সাজানো সঞ্জীব ভট্টের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করা হয়েছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে তদন্তকারী দল এই অনুসন্ধান বন্ধ করার আর্জি জানালে জাকিয়া জাফরি এর প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের করেন যা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে এই মর্মে গৃহীত হয় না যে মোদীর বিরুদ্ধে কোন রকম সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মায়া কোদনানি নামক মোদী মন্ত্রিসভার একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার সময় নারোদা পাটিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও কোদনানির মৃত্যুদন্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে স্থির করা হলেও পরে মোদী সরকার ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার কারাদন্ডের আর্জি জানান। দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এমনকি কেন্দ্রে তেলুগু দেশম পার্টি ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কঝগম নামক ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বন্ধু দলও এই মত প্রকাশ করে। বিরোধীরা এই বিষয়ে লোকসভা অচল রাখে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোয়াতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় মোদী তার ইস্তফা দিতে চাইলে পার্টি তা গ্রহণ করেনি। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই মোদীর মন্ত্রিসভা একটি জরুরীকালীন সভার সিদ্ধান্তে গুজরাটের রাজ্যপালের নিকট ইস্তফা পেশ করলে বিধানসভা ভেঙ্গে যায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২৭টি আসন দখল করে। এই নির্বাচনের প্রচারকার্যে মোদী মুসলিম বিরোধী প্রচার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন। মোদীর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে তিনি হিন্দুত্ব থেকে সরে এসে গুজরাটের উন্নয়নের দিকে জোর দেন। তার এই সিদ্ধান্তে গুজরাটে ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রভাব হ্রাস পায়। মোদী তার মন্ত্রিসভা থেকে গোর্ধান জাদাফিয়া এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরিয়ে দেন। ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে মোদী তাদের রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদত্ত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গান্ধীনগরে দুইশোটি বেআইনি মন্দির নির্মাণকে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ জারী করেন। তিনি গুজরাটকে শিল্পে বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেন।
2007 সালে ভাইব্রেন্ট গুজরাট বিধানসভা নির্মাণে কত বিনিয়োগ করা হয়েছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1660
null
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে কেশুভাই পটেলের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ভূজ ভূমিকম্পে প্রশাসনিক দুর্বলতার অভিযোগ ওঠে। এর ফলে পার্টির জাতীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে হিসেবে তুলে ধরে। পার্টির বরিষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আডবাণী মোদীর অনভিজ্ঞতার ওপর চিন্তিত থাকলেও মোদী পটেলের সহায়ক হিসেবে গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকারীকরণ ও বিশ্বায়নবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে বেসরকারীকরণের নীতি গ্রহণ করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি গোধরা শহরের নিকটে বহু হিন্দু তীর্থযাত্রী ও শতশত যাত্রীসহ একটি ট্রেন আগুনে পুড়ে গেলে প্রায় ৬০ জন্মের মৃত্যু ঘটে। উগ্র মুসলিমদের দ্বারা এই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এরকম খবর ছড়ালে, গুজরাট জুড়ে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। এই দাঙ্গায় ৯০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং কয়েক হাজার ব্যক্তি আহত হন। মোদী সরকার বড় সহরগুলিতে কারফু জারী করে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেয় এবং দাঙ্গা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী ডাকা হয়। এতৎসত্ত্বেও মানবাধিকার সংগঠনগুলি, বিরোধী দল এবং সংবাদপত্রের কিছু অংশ গুজরাট সরকারের দাঙ্গাবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করে। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদীর নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করা হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় রাজ্য সরকারকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার নয়টি কেস সম্বন্ধে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে সরকার নতুন করে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকান্ডে মৃত এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া জাফরি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করলে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বিশেষ তদন্তকারী দলকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই তদন্তকারী দল মোদীকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে মে মাসে তাদের এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন যে তারা এই অভিযোগের সত্যতার কোনক্রমেই প্রমাণ পাননি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে রাজু রামচন্দ্রন ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে তার অন্তিম প্রতিবেদনে বলেন যে মোদীকে সাক্ষ্য প্রমাণের সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এই মামলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে পাঠিয়ে দেন এবং বিশেষ তদন্তকারী দলকে রামচন্দ্রনের প্রতিবেদন পরীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেন। বিশেষ তদন্তকারী দল এই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে কারণ এই প্রতিবেদনে মিথ্যে তথ্যপ্রমাণের ওপর সাজানো সঞ্জীব ভট্টের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করা হয়েছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে তদন্তকারী দল এই অনুসন্ধান বন্ধ করার আর্জি জানালে জাকিয়া জাফরি এর প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের করেন যা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে এই মর্মে গৃহীত হয় না যে মোদীর বিরুদ্ধে কোন রকম সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মায়া কোদনানি নামক মোদী মন্ত্রিসভার একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার সময় নারোদা পাটিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও কোদনানির মৃত্যুদন্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে স্থির করা হলেও পরে মোদী সরকার ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার কারাদন্ডের আর্জি জানান। দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এমনকি কেন্দ্রে তেলুগু দেশম পার্টি ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কঝগম নামক ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বন্ধু দলও এই মত প্রকাশ করে। বিরোধীরা এই বিষয়ে লোকসভা অচল রাখে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোয়াতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় মোদী তার ইস্তফা দিতে চাইলে পার্টি তা গ্রহণ করেনি। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই মোদীর মন্ত্রিসভা একটি জরুরীকালীন সভার সিদ্ধান্তে গুজরাটের রাজ্যপালের নিকট ইস্তফা পেশ করলে বিধানসভা ভেঙ্গে যায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২৭টি আসন দখল করে। এই নির্বাচনের প্রচারকার্যে মোদী মুসলিম বিরোধী প্রচার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন। মোদীর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে তিনি হিন্দুত্ব থেকে সরে এসে গুজরাটের উন্নয়নের দিকে জোর দেন। তার এই সিদ্ধান্তে গুজরাটে ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রভাব হ্রাস পায়। মোদী তার মন্ত্রিসভা থেকে গোর্ধান জাদাফিয়া এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরিয়ে দেন। ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে মোদী তাদের রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদত্ত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গান্ধীনগরে দুইশোটি বেআইনি মন্দির নির্মাণকে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ জারী করেন। তিনি গুজরাটকে শিল্পে বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেন।
কবে অনেক হিন্দু তীর্থযাত্রী এবং শত শত যাত্রী নিয়ে একটি ট্রেনে গোধরা শহরের কাছে আগুন ধরে যায় এবং তাতে ৬০টি লোক মারা যায় ?
{ "text": [ "২০০২ খ্রিষ্টাব্দে" ], "answer_start": [ 657 ] }
1661
null
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে কেশুভাই পটেলের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ভূজ ভূমিকম্পে প্রশাসনিক দুর্বলতার অভিযোগ ওঠে। এর ফলে পার্টির জাতীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে হিসেবে তুলে ধরে। পার্টির বরিষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আডবাণী মোদীর অনভিজ্ঞতার ওপর চিন্তিত থাকলেও মোদী পটেলের সহায়ক হিসেবে গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকারীকরণ ও বিশ্বায়নবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে বেসরকারীকরণের নীতি গ্রহণ করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি গোধরা শহরের নিকটে বহু হিন্দু তীর্থযাত্রী ও শতশত যাত্রীসহ একটি ট্রেন আগুনে পুড়ে গেলে প্রায় ৬০ জন্মের মৃত্যু ঘটে। উগ্র মুসলিমদের দ্বারা এই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এরকম খবর ছড়ালে, গুজরাট জুড়ে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। এই দাঙ্গায় ৯০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং কয়েক হাজার ব্যক্তি আহত হন। মোদী সরকার বড় সহরগুলিতে কারফু জারী করে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেয় এবং দাঙ্গা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী ডাকা হয়। এতৎসত্ত্বেও মানবাধিকার সংগঠনগুলি, বিরোধী দল এবং সংবাদপত্রের কিছু অংশ গুজরাট সরকারের দাঙ্গাবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করে। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদীর নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করা হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় রাজ্য সরকারকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার নয়টি কেস সম্বন্ধে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে সরকার নতুন করে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকান্ডে মৃত এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া জাফরি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করলে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বিশেষ তদন্তকারী দলকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই তদন্তকারী দল মোদীকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে মে মাসে তাদের এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন যে তারা এই অভিযোগের সত্যতার কোনক্রমেই প্রমাণ পাননি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে রাজু রামচন্দ্রন ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে তার অন্তিম প্রতিবেদনে বলেন যে মোদীকে সাক্ষ্য প্রমাণের সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এই মামলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে পাঠিয়ে দেন এবং বিশেষ তদন্তকারী দলকে রামচন্দ্রনের প্রতিবেদন পরীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেন। বিশেষ তদন্তকারী দল এই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে কারণ এই প্রতিবেদনে মিথ্যে তথ্যপ্রমাণের ওপর সাজানো সঞ্জীব ভট্টের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করা হয়েছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে তদন্তকারী দল এই অনুসন্ধান বন্ধ করার আর্জি জানালে জাকিয়া জাফরি এর প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের করেন যা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে এই মর্মে গৃহীত হয় না যে মোদীর বিরুদ্ধে কোন রকম সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মায়া কোদনানি নামক মোদী মন্ত্রিসভার একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার সময় নারোদা পাটিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও কোদনানির মৃত্যুদন্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে স্থির করা হলেও পরে মোদী সরকার ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার কারাদন্ডের আর্জি জানান। দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এমনকি কেন্দ্রে তেলুগু দেশম পার্টি ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কঝগম নামক ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বন্ধু দলও এই মত প্রকাশ করে। বিরোধীরা এই বিষয়ে লোকসভা অচল রাখে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোয়াতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় মোদী তার ইস্তফা দিতে চাইলে পার্টি তা গ্রহণ করেনি। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই মোদীর মন্ত্রিসভা একটি জরুরীকালীন সভার সিদ্ধান্তে গুজরাটের রাজ্যপালের নিকট ইস্তফা পেশ করলে বিধানসভা ভেঙ্গে যায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২৭টি আসন দখল করে। এই নির্বাচনের প্রচারকার্যে মোদী মুসলিম বিরোধী প্রচার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন। মোদীর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে তিনি হিন্দুত্ব থেকে সরে এসে গুজরাটের উন্নয়নের দিকে জোর দেন। তার এই সিদ্ধান্তে গুজরাটে ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রভাব হ্রাস পায়। মোদী তার মন্ত্রিসভা থেকে গোর্ধান জাদাফিয়া এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরিয়ে দেন। ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে মোদী তাদের রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদত্ত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গান্ধীনগরে দুইশোটি বেআইনি মন্দির নির্মাণকে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ জারী করেন। তিনি গুজরাটকে শিল্পে বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেন।
কত সালে ভাইব্রেন্ট গুজরাট বিধানসভা নির্মাণে 6.6 ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ করা হয়েছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1662
null
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে কেশুভাই পটেলের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ভূজ ভূমিকম্পে প্রশাসনিক দুর্বলতার অভিযোগ ওঠে। এর ফলে পার্টির জাতীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে হিসেবে তুলে ধরে। পার্টির বরিষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আডবাণী মোদীর অনভিজ্ঞতার ওপর চিন্তিত থাকলেও মোদী পটেলের সহায়ক হিসেবে গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকারীকরণ ও বিশ্বায়নবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে বেসরকারীকরণের নীতি গ্রহণ করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি গোধরা শহরের নিকটে বহু হিন্দু তীর্থযাত্রী ও শতশত যাত্রীসহ একটি ট্রেন আগুনে পুড়ে গেলে প্রায় ৬০ জন্মের মৃত্যু ঘটে। উগ্র মুসলিমদের দ্বারা এই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এরকম খবর ছড়ালে, গুজরাট জুড়ে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। এই দাঙ্গায় ৯০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং কয়েক হাজার ব্যক্তি আহত হন। মোদী সরকার বড় সহরগুলিতে কারফু জারী করে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেয় এবং দাঙ্গা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী ডাকা হয়। এতৎসত্ত্বেও মানবাধিকার সংগঠনগুলি, বিরোধী দল এবং সংবাদপত্রের কিছু অংশ গুজরাট সরকারের দাঙ্গাবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করে। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদীর নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করা হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় রাজ্য সরকারকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার নয়টি কেস সম্বন্ধে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে সরকার নতুন করে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকান্ডে মৃত এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া জাফরি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করলে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বিশেষ তদন্তকারী দলকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই তদন্তকারী দল মোদীকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে মে মাসে তাদের এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন যে তারা এই অভিযোগের সত্যতার কোনক্রমেই প্রমাণ পাননি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে রাজু রামচন্দ্রন ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে তার অন্তিম প্রতিবেদনে বলেন যে মোদীকে সাক্ষ্য প্রমাণের সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এই মামলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে পাঠিয়ে দেন এবং বিশেষ তদন্তকারী দলকে রামচন্দ্রনের প্রতিবেদন পরীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেন। বিশেষ তদন্তকারী দল এই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে কারণ এই প্রতিবেদনে মিথ্যে তথ্যপ্রমাণের ওপর সাজানো সঞ্জীব ভট্টের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করা হয়েছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে তদন্তকারী দল এই অনুসন্ধান বন্ধ করার আর্জি জানালে জাকিয়া জাফরি এর প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের করেন যা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে এই মর্মে গৃহীত হয় না যে মোদীর বিরুদ্ধে কোন রকম সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মায়া কোদনানি নামক মোদী মন্ত্রিসভার একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার সময় নারোদা পাটিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও কোদনানির মৃত্যুদন্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে স্থির করা হলেও পরে মোদী সরকার ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার কারাদন্ডের আর্জি জানান। দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এমনকি কেন্দ্রে তেলুগু দেশম পার্টি ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কঝগম নামক ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বন্ধু দলও এই মত প্রকাশ করে। বিরোধীরা এই বিষয়ে লোকসভা অচল রাখে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোয়াতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় মোদী তার ইস্তফা দিতে চাইলে পার্টি তা গ্রহণ করেনি। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই মোদীর মন্ত্রিসভা একটি জরুরীকালীন সভার সিদ্ধান্তে গুজরাটের রাজ্যপালের নিকট ইস্তফা পেশ করলে বিধানসভা ভেঙ্গে যায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২৭টি আসন দখল করে। এই নির্বাচনের প্রচারকার্যে মোদী মুসলিম বিরোধী প্রচার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন। মোদীর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে তিনি হিন্দুত্ব থেকে সরে এসে গুজরাটের উন্নয়নের দিকে জোর দেন। তার এই সিদ্ধান্তে গুজরাটে ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রভাব হ্রাস পায়। মোদী তার মন্ত্রিসভা থেকে গোর্ধান জাদাফিয়া এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরিয়ে দেন। ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে মোদী তাদের রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদত্ত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গান্ধীনগরে দুইশোটি বেআইনি মন্দির নির্মাণকে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ জারী করেন। তিনি গুজরাটকে শিল্পে বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেন।
উগ্র মুসলিমদের দ্বারা অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এরকম খবর ছড়ালে, গুজরাট জুড়ে মুসলিম বিরোধী কি শুরু হয়ে যায় ?
{ "text": [ "দাঙ্গা" ], "answer_start": [ 898 ] }
1663
null
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে কেশুভাই পটেলের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ভূজ ভূমিকম্পে প্রশাসনিক দুর্বলতার অভিযোগ ওঠে। এর ফলে পার্টির জাতীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে হিসেবে তুলে ধরে। পার্টির বরিষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আডবাণী মোদীর অনভিজ্ঞতার ওপর চিন্তিত থাকলেও মোদী পটেলের সহায়ক হিসেবে গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকারীকরণ ও বিশ্বায়নবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে বেসরকারীকরণের নীতি গ্রহণ করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি গোধরা শহরের নিকটে বহু হিন্দু তীর্থযাত্রী ও শতশত যাত্রীসহ একটি ট্রেন আগুনে পুড়ে গেলে প্রায় ৬০ জন্মের মৃত্যু ঘটে। উগ্র মুসলিমদের দ্বারা এই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এরকম খবর ছড়ালে, গুজরাট জুড়ে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। এই দাঙ্গায় ৯০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং কয়েক হাজার ব্যক্তি আহত হন। মোদী সরকার বড় সহরগুলিতে কারফু জারী করে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেয় এবং দাঙ্গা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী ডাকা হয়। এতৎসত্ত্বেও মানবাধিকার সংগঠনগুলি, বিরোধী দল এবং সংবাদপত্রের কিছু অংশ গুজরাট সরকারের দাঙ্গাবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করে। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদীর নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করা হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় রাজ্য সরকারকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার নয়টি কেস সম্বন্ধে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে সরকার নতুন করে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকান্ডে মৃত এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া জাফরি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করলে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বিশেষ তদন্তকারী দলকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই তদন্তকারী দল মোদীকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে মে মাসে তাদের এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন যে তারা এই অভিযোগের সত্যতার কোনক্রমেই প্রমাণ পাননি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে রাজু রামচন্দ্রন ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে তার অন্তিম প্রতিবেদনে বলেন যে মোদীকে সাক্ষ্য প্রমাণের সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এই মামলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে পাঠিয়ে দেন এবং বিশেষ তদন্তকারী দলকে রামচন্দ্রনের প্রতিবেদন পরীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেন। বিশেষ তদন্তকারী দল এই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে কারণ এই প্রতিবেদনে মিথ্যে তথ্যপ্রমাণের ওপর সাজানো সঞ্জীব ভট্টের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করা হয়েছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে তদন্তকারী দল এই অনুসন্ধান বন্ধ করার আর্জি জানালে জাকিয়া জাফরি এর প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের করেন যা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে এই মর্মে গৃহীত হয় না যে মোদীর বিরুদ্ধে কোন রকম সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মায়া কোদনানি নামক মোদী মন্ত্রিসভার একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার সময় নারোদা পাটিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও কোদনানির মৃত্যুদন্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে স্থির করা হলেও পরে মোদী সরকার ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার কারাদন্ডের আর্জি জানান। দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এমনকি কেন্দ্রে তেলুগু দেশম পার্টি ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কঝগম নামক ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বন্ধু দলও এই মত প্রকাশ করে। বিরোধীরা এই বিষয়ে লোকসভা অচল রাখে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোয়াতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় মোদী তার ইস্তফা দিতে চাইলে পার্টি তা গ্রহণ করেনি। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই মোদীর মন্ত্রিসভা একটি জরুরীকালীন সভার সিদ্ধান্তে গুজরাটের রাজ্যপালের নিকট ইস্তফা পেশ করলে বিধানসভা ভেঙ্গে যায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২৭টি আসন দখল করে। এই নির্বাচনের প্রচারকার্যে মোদী মুসলিম বিরোধী প্রচার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন। মোদীর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে তিনি হিন্দুত্ব থেকে সরে এসে গুজরাটের উন্নয়নের দিকে জোর দেন। তার এই সিদ্ধান্তে গুজরাটে ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রভাব হ্রাস পায়। মোদী তার মন্ত্রিসভা থেকে গোর্ধান জাদাফিয়া এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরিয়ে দেন। ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে মোদী তাদের রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদত্ত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গান্ধীনগরে দুইশোটি বেআইনি মন্দির নির্মাণকে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ জারী করেন। তিনি গুজরাটকে শিল্পে বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেন।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে বিজেপির কোন সিনিয়র নেতা মোদীর অভিজ্ঞতার অভাব নিয়ে চিন্তিত কিন্তু গুজরাটের উপ -মুখ্যমন্ত্রী হতে অস্বীকার করেন ?
{ "text": [ "লাল কৃষ্ণ আডবাণী" ], "answer_start": [ 294 ] }
1664
null
২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ। আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়; যদিও গুজরাট বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাট টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
দর্পণ অ্যাকাডেমি অব পারফর্মিং আর্টস কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1665
null
২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ। আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়; যদিও গুজরাট বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাট টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
1949 সালে মৃণালিনী সারাভাই দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দর্পণ একাডেমি অব পারফর্মিং আর্টস কোথায় তালিকাভুক্ত?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1666
null
২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ। আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়; যদিও গুজরাট বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাট টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
আহমেদাবাদের সবচেয়ে প্রাচীন গবেষণাকেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি কে প্রতিষ্ঠা করেন?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1667
null
২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ। আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়; যদিও গুজরাট বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাট টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
আমেদাবাদের স্বাক্ষরতার হার ২০০১ সালে কত ছিল ?
{ "text": [ "৭৯.৮৯%" ], "answer_start": [ 36 ] }
1668
null
২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ। আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়; যদিও গুজরাট বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাট টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
গুজরাট বিদ্যাপীঠ কত সালের ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিণত হয় ?
{ "text": [ "১৯৬৩" ], "answer_start": [ 428 ] }
1669
null
২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ। আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়; যদিও গুজরাট বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাট টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
বিক্রম সারাভাই কোন সালে ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করেন?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1670
null
২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ। আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়; যদিও গুজরাট বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাট টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
দর্পণ অ্যাকাডেমি অব পারফর্মিং আর্টস কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1671
null
২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ। আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়; যদিও গুজরাট বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাট টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
২০১১ সালে আমেদাবাদের স্বাক্ষরতার হার কত ছিল ?
{ "text": [ "৮৯.৬২ শতাং" ], "answer_start": [ 79 ] }
1672
null
২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ। আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়; যদিও গুজরাট বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাট টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
গুজরাট বিদ্যাপীঠ কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
{ "text": [ "মহাত্মা গান্ধী" ], "answer_start": [ 320 ] }
1673
null
২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, মুম্বইয়ের জনসংখ্যা ১১,৯১৪,৩৯৮। ২০০৮ সালের ওয়ার্ল্ড গেজেটিয়ার-এর প্রাককলন অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা ১৩,৬৬২,৮৮৫ এবং মুম্বমুম্বনগরীয় এলাকার জনসংখ্যা ২১,৩৪৭,৪১২। এই শহরের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২,০০০ জন। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বৃহত্তর মুম্বই অর্থাৎ বৃহন্মুম্বই পৌরসংস্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় সাক্ষরতার হার ৭৭.৪৫ শতাংশ যা জাতীয় গড় অর্থাৎ ৬৪.৮ শতাংশের চেয়ে বেশি। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে দ্বীপশহরে ৭৭৪ জন, উপনগরে ৮২৬ এবং সামগ্রিকভাবে ৮১১ জন নারী। জাতীয় লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষের ৯৩৩ জন নারীর তুলনায় অবশ্য মুম্বইয়ের লিঙ্গানুপাত পরিসংখ্যান পশ্চাদবর্তী। এই নিম্ন লিঙ্গানুপাতের কারণ এই যে, শহরে প্রচুর পুরুষ কাজের সন্ধানে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। ২০০৮ সালে মুম্বই শহরের অপরাধের হার ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ওই বছরের হিসেব অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্তকরণের হার সারা দেশের মধ্যে মুম্বইতেই সবচেয়ে কম। এই শহরের সাধারণ অপরাধগুলি হল হত্যা, হত্যার চেষ্টা, অপরাধমূলক গণহত্যা, পণপ্রথা জনিত কারণে মৃত্যু, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও ডাকাতি। মুম্বই শহরের প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলি হল হিন্দু (৬৭.৩৯%), মুসলমান (১৮.৫৬%), বৌদ্ধ (৫.২২%), জৈন (৩.৯৯%), খ্রিষ্টান (৩.২২%) ও শিখ (০.৫৮%); পারসি ও ইহুদিরা জনসংখ্যার অবশিষ্টাংশ। মুম্বইয়ের ভাষাগত জনপরিসংখ্যান নিম্নরূপ: মহারাষ্ট্রীয় (৬০%), গুজরাতি (১৯%), এবং অবশিষ্টাংশ ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত। মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরনো মুসলমান সম্প্রদায়গুলি হল দাউদি বোহরা, খোজা ও কোঙ্কণি মুসলমান।
ইহুদি সম্প্রদায়ের লোকজন কত বছর আগে ভারতে চলে এসেছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1674
null
২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, মুম্বইয়ের জনসংখ্যা ১১,৯১৪,৩৯৮। ২০০৮ সালের ওয়ার্ল্ড গেজেটিয়ার-এর প্রাককলন অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা ১৩,৬৬২,৮৮৫ এবং মুম্বমুম্বনগরীয় এলাকার জনসংখ্যা ২১,৩৪৭,৪১২। এই শহরের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২,০০০ জন। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বৃহত্তর মুম্বই অর্থাৎ বৃহন্মুম্বই পৌরসংস্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় সাক্ষরতার হার ৭৭.৪৫ শতাংশ যা জাতীয় গড় অর্থাৎ ৬৪.৮ শতাংশের চেয়ে বেশি। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে দ্বীপশহরে ৭৭৪ জন, উপনগরে ৮২৬ এবং সামগ্রিকভাবে ৮১১ জন নারী। জাতীয় লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষের ৯৩৩ জন নারীর তুলনায় অবশ্য মুম্বইয়ের লিঙ্গানুপাত পরিসংখ্যান পশ্চাদবর্তী। এই নিম্ন লিঙ্গানুপাতের কারণ এই যে, শহরে প্রচুর পুরুষ কাজের সন্ধানে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। ২০০৮ সালে মুম্বই শহরের অপরাধের হার ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ওই বছরের হিসেব অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্তকরণের হার সারা দেশের মধ্যে মুম্বইতেই সবচেয়ে কম। এই শহরের সাধারণ অপরাধগুলি হল হত্যা, হত্যার চেষ্টা, অপরাধমূলক গণহত্যা, পণপ্রথা জনিত কারণে মৃত্যু, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও ডাকাতি। মুম্বই শহরের প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলি হল হিন্দু (৬৭.৩৯%), মুসলমান (১৮.৫৬%), বৌদ্ধ (৫.২২%), জৈন (৩.৯৯%), খ্রিষ্টান (৩.২২%) ও শিখ (০.৫৮%); পারসি ও ইহুদিরা জনসংখ্যার অবশিষ্টাংশ। মুম্বইয়ের ভাষাগত জনপরিসংখ্যান নিম্নরূপ: মহারাষ্ট্রীয় (৬০%), গুজরাতি (১৯%), এবং অবশিষ্টাংশ ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত। মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরনো মুসলমান সম্প্রদায়গুলি হল দাউদি বোহরা, খোজা ও কোঙ্কণি মুসলমান।
মুম্বাইয়ের প্রাচীনতম মুসলিম সম্প্রদায়গুলির একটির নাম কি?
{ "text": [ "দাউদি বোহরা" ], "answer_start": [ 1320 ] }
1675
null
২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, মুম্বইয়ের জনসংখ্যা ১১,৯১৪,৩৯৮। ২০০৮ সালের ওয়ার্ল্ড গেজেটিয়ার-এর প্রাককলন অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা ১৩,৬৬২,৮৮৫ এবং মুম্বমুম্বনগরীয় এলাকার জনসংখ্যা ২১,৩৪৭,৪১২। এই শহরের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২,০০০ জন। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বৃহত্তর মুম্বই অর্থাৎ বৃহন্মুম্বই পৌরসংস্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় সাক্ষরতার হার ৭৭.৪৫ শতাংশ যা জাতীয় গড় অর্থাৎ ৬৪.৮ শতাংশের চেয়ে বেশি। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে দ্বীপশহরে ৭৭৪ জন, উপনগরে ৮২৬ এবং সামগ্রিকভাবে ৮১১ জন নারী। জাতীয় লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষের ৯৩৩ জন নারীর তুলনায় অবশ্য মুম্বইয়ের লিঙ্গানুপাত পরিসংখ্যান পশ্চাদবর্তী। এই নিম্ন লিঙ্গানুপাতের কারণ এই যে, শহরে প্রচুর পুরুষ কাজের সন্ধানে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। ২০০৮ সালে মুম্বই শহরের অপরাধের হার ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ওই বছরের হিসেব অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্তকরণের হার সারা দেশের মধ্যে মুম্বইতেই সবচেয়ে কম। এই শহরের সাধারণ অপরাধগুলি হল হত্যা, হত্যার চেষ্টা, অপরাধমূলক গণহত্যা, পণপ্রথা জনিত কারণে মৃত্যু, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও ডাকাতি। মুম্বই শহরের প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলি হল হিন্দু (৬৭.৩৯%), মুসলমান (১৮.৫৬%), বৌদ্ধ (৫.২২%), জৈন (৩.৯৯%), খ্রিষ্টান (৩.২২%) ও শিখ (০.৫৮%); পারসি ও ইহুদিরা জনসংখ্যার অবশিষ্টাংশ। মুম্বইয়ের ভাষাগত জনপরিসংখ্যান নিম্নরূপ: মহারাষ্ট্রীয় (৬০%), গুজরাতি (১৯%), এবং অবশিষ্টাংশ ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত। মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরনো মুসলমান সম্প্রদায়গুলি হল দাউদি বোহরা, খোজা ও কোঙ্কণি মুসলমান।
পূর্ব ভারতীয় ক্যাথলিকরা কাদের দ্বারা ধর্মান্তরিত হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1676
null
২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, মুম্বইয়ের জনসংখ্যা ১১,৯১৪,৩৯৮। ২০০৮ সালের ওয়ার্ল্ড গেজেটিয়ার-এর প্রাককলন অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা ১৩,৬৬২,৮৮৫ এবং মুম্বমুম্বনগরীয় এলাকার জনসংখ্যা ২১,৩৪৭,৪১২। এই শহরের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২,০০০ জন। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বৃহত্তর মুম্বই অর্থাৎ বৃহন্মুম্বই পৌরসংস্থার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় সাক্ষরতার হার ৭৭.৪৫ শতাংশ যা জাতীয় গড় অর্থাৎ ৬৪.৮ শতাংশের চেয়ে বেশি। লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে দ্বীপশহরে ৭৭৪ জন, উপনগরে ৮২৬ এবং সামগ্রিকভাবে ৮১১ জন নারী। জাতীয় লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষের ৯৩৩ জন নারীর তুলনায় অবশ্য মুম্বইয়ের লিঙ্গানুপাত পরিসংখ্যান পশ্চাদবর্তী। এই নিম্ন লিঙ্গানুপাতের কারণ এই যে, শহরে প্রচুর পুরুষ কাজের সন্ধানে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। ২০০৮ সালে মুম্বই শহরের অপরাধের হার ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ওই বছরের হিসেব অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্তকরণের হার সারা দেশের মধ্যে মুম্বইতেই সবচেয়ে কম। এই শহরের সাধারণ অপরাধগুলি হল হত্যা, হত্যার চেষ্টা, অপরাধমূলক গণহত্যা, পণপ্রথা জনিত কারণে মৃত্যু, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও ডাকাতি। মুম্বই শহরের প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলি হল হিন্দু (৬৭.৩৯%), মুসলমান (১৮.৫৬%), বৌদ্ধ (৫.২২%), জৈন (৩.৯৯%), খ্রিষ্টান (৩.২২%) ও শিখ (০.৫৮%); পারসি ও ইহুদিরা জনসংখ্যার অবশিষ্টাংশ। মুম্বইয়ের ভাষাগত জনপরিসংখ্যান নিম্নরূপ: মহারাষ্ট্রীয় (৬০%), গুজরাতি (১৯%), এবং অবশিষ্টাংশ ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত। মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরনো মুসলমান সম্প্রদায়গুলি হল দাউদি বোহরা, খোজা ও কোঙ্কণি মুসলমান।
2001 সালের আদমশুমারি অনুসারে মুম্বাইয়ের জনসংখ্যা কত?
{ "text": [ "১১,৯১৪,৩৯৮" ], "answer_start": [ 47 ] }