instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
230
19.6k
output
stringlengths
40
405
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনী জানায় ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর তার ভাড়াটে সৈন্যদের আটক করে বিগত শতকে লাতিন আমেরিকার দেশে দেশে রাষ্ট্রনায়কদের হত্যা, অপহরণের নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। গত মে মাসের ঘটনা যেন অবিকল সেরকমই আরেক ষড়যন্ত্র। উনিশশো একষট্টি সালে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সরকারকে উ‌ৎখাতের জন্য যে ব্যর্থ অভিযান চালানো হয়, সেটি 'বে অব পিগস অভিযান' নামে পরিচিত। পুরোপুরি মার্কিন অর্থ সহায়তায় এবং মদতে সেই অভিযানটি চালানো হয়েছিল। একজন বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, গত মে মাসে অপারেশন গিডিওন নামের অভিযানটি এতটাই কাঁচা ছিল যে, তার তুলনায় কিউবায় বে অপ পিগস অপারেশনকে মনে হবে যেন 'ডি ডে অভিযান‌'(দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের বাহিনীর বিরুদ্ধে মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত আচমকা আক্রমণের অংশ হিসেবে হাজার হাজার সৈন্যের ফ্রান্সের নর্মান্ডি উপকূলে অবতরণ)। অপারেশন গিডিওন হচ্ছে ঔদ্ধত্য, আনাড়িপনা আর বিশ্বাসঘাতকতার এক বিস্ময়কর কাহিনী। ভেনেজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনী উপকূলীয় শহর মাকাটোতে আট জনকে গুলি করে হত্যা করে। আটক করে আরও কয়েক ডজন লোক। এরা এখন কারাকাসে জেলখানায় বন্দী। অল্প কজন পালিয়ে যেতে পেরেছিল। তখন সারা পৃথিবী ব্যস্ত ছিল করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে। তাই এই ঘটনা যতটা গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল, গণমাধ্যমের ততটা মনোযোগ পায়নি লাতিন আমেরিকার বাইরে। এই ব্যর্থ অভিযানের কেন্দ্রে ছিলেন মার্কিন স্পেশাল ফোর্সেসের এক সাবেক সৈনিক জর্ডান গাউড্রু্। সিলভারকর্পের এক প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জর্ডান গাউড্রুকে। জর্ডান গাউড্রু তিনবার ব্রোঞ্জ পদক জয়ী মার্কিন সেনা। যুদ্ধ করেছেন আফগানিস্তানে এবং ইরাকে। দক্ষ শ্যুটার। একই সঙ্গে প্রাথমিক জরুরী চিকিৎসা দেয়ার প্রশিক্ষণও তার আছে। অপারেশন গিডিওন শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে তাকে গর্বের সঙ্গে বলতে শোনা যায়, "কলম্বিয়ার সীমান্ত থেকে আমরা এক দুঃসাহসিক উভচর অভিযান শুরু করেছি। আমাদের লোকজন একজন ক্রমাগত লড়াই করে চলেছে। ভেনেজুয়েলার দক্ষিণে, পশ্চিমে এবং পূর্বে আমাদের ইউনিটগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে।" এই দাবির মধ্যে কোন সত্যতা ছিল না। ভেনেজুয়েলায় তাদের কিছু সমর্থককে হয়তো আভাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের এই অভিযানে আসলে ছিল ষাট জনেরও কম পুরুষ আর একজন মাত্র নারী। তাদের অস্ত্রশস্ত্র ছিল খুবই কম। আর যখন এই দাবি তিনি করছেন, ততক্ষণে তাদের অভিযানে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, শুরু হয়ে গেছে রক্তারক্তি। জর্ডান গাউড্রু ২০১৮ সালে 'সিলভারকর্প ইউএসএ' নামে একটি বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানি গড়ে তোলেন। এটির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গেলে দেখা যায় দুর্ধর্ষ সব সামরিক তৎপরতার ছবি। রানিং মেশিনের ওপর জর্ডান গাউড্রুর দৌড়ানোর ছবিও সেখানে আছে। দু'হাজার উনিশ সালের ফেব্রুয়ারীতে তার কোম্পানিটিকে একটি কনসার্টের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এই কনসার্টটি হচ্ছিল কলম্বিয়ার ভেনেজুয়েলা সীমান্তে। কনসার্টটির স্পন্সর ছিল রিচার্ড ব্র্যানসন। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি তখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। খাদ্য সঙ্কটে মানুষ দিশেহারা। মৌলিক সেবা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে কলম্বিয়া চলে যাচ্ছে। কনসার্টটির উদ্দেশ্য ছিল ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা, যাতে সেদেশে মানবিক ত্রাণ পাঠানো যায়। জর্ডান গাউড্রু তখন তার কোম্পানির ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করে লেখেন, "ভেনেজুয়েলার সীমান্তে আমরা বিশৃঙ্খলা সামাল দিচ্ছি যখন কীনা এক স্বৈরশাসক শঙ্কা নিয়ে তাকিয়ে আছে।" স্বৈরশাসক বলতে এখানে তিনি ইঙ্গিত করছিলেন নিকোলাস মাদুরোকে। সিলভারকর্পের ভিডিওতে জর্ডান গাউড্রুকে দেখা যাচ্ছে নানা ভূমিকায় ভেনেজুয়েলার বহুধা বিভক্ত বিরোধী রাজনৈতিক শিবির তখন এক ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই কনসার্টের আগে নিজেকে ভেনেজুয়েলার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করেছেন বিরোধী নেতা হুয়ান গোয়াইদো। প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ৫০টির বেশি দেশ হুয়ান গুয়াইদোর প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। হুয়ান গুয়াইদো আশা করছিলেন, রিচার্ড ব্র্যানসনের স্পন্সর করা কনসার্ট যে ত্রাণ বহর পাঠানোর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিল, সেটি তাকে ক্ষমতায় বসাতে সাহায্য করবে। কিন্তু এই ত্রাণ বহর সীমান্তেই থামিয়ে দেয়া হয়। সেখানে সহিংসতা শুরু হয়। এপ্রিলের শেষে যে বিদ্রোহের চেষ্টা হয়েছিল, সেটাও বিফল হয়। কাজেই হুয়ান গুয়াইদোর সমর্থকরা তখন ছক কাটতে থাকেন, কিভাবে আচমকা সামরিক অভিযান চালিয়ে নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়। হুয়ান গুয়াইদো এজন্যে প্রথম প্রশিক্ষণ শিবিরটি স্থাপন করা হয় জুন মাসে কলম্বিয়ার মাইকাও শহরে। ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্টের এক নির্বাসিত সদস্য হারনান এইলম্যান গত মাসে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার আগে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের বর্ণনা দিয়েছিলেন বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে। "সেখানে লোকজন শারীরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল, নানা ধরণের জ্ঞান অর্জন করছিল। কিন্তু আমাদের অনেক অর্থনৈতিক সঙ্কট ছিল। মাঝে মধ্যে আমরা দিনে মাত্র দু'বার খাবার দিতে পারতাম। আমরা যেখানে যখন সম্ভব চাঁদা তুলছিলাম। আমি আমার গাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করে দিয়েছিলাম।" এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে প্রচুর অর্থের দরকার ছিল। তখন সামনে এগিয়ে আসলেন জর্ডান গাউড্রু। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ততদিনে ভেনেজুয়েলার নির্বাসিত বিরোধী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলেছেন। জুলাই মাসে কলম্বিয়া সফরে গেলেন জর্ডান গাউড্রু। সেখানে তার পরিচয় হলো জেনারেল ক্লাইভার আলকালার সঙ্গে, যিনি এই প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা। জেনারেল ক্লাইভার আলকালা প্রেসিডেন্ট মাদুরোর পূর্বসুরি ইউগো শ্যাভেজের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তখন তিনি দেশ থেকে পালিয়ে নির্বাসনে যান। প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সরাতে হাত মেলালেন এই দুজন। জেনারেল ক্লাইভার আলকালা হারনান এইলম্যান এই সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করছিলেন। "আমরা আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বললাম। আমরা ভেনেজুয়েলার ক্ষমতার শীর্ষের কিছু ব্যক্তিকে একটা অভিযান চালিয়ে ধরে ফেলবো, তারপর যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেব। তখন হুয়ান গুয়াইদো অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন, তারপর ভেনেজুয়েলায় নির্বাচন হবে।" জর্ডান গাউড্রু বললেন, অর্থ জোগাড় করার দায়িত্ব তার। এর পরবর্তী বৈঠকগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে। এবারের বৈঠকে হুয়ান গুয়াইদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিশনের লোকজনও ছিল। এই কমিশনে কাজ ছিল কিভাবে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে ফেলে দেয়া যায়, গোপনে তার নানা উপায় খুঁজে বের করা। "আমরা প্রায় ২২ ধরণের সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করলাম। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ পরিকল্পনাতেই ছিল শক্তি প্রয়োগের কথা," বলছেন ভেনেজুয়েলার এক কট্টর দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক কৌশলবিদ জে. জে. রেনডন। জে জে রেনডন "আমরা সিলভারকর্প ছাড়া আর কোন সামরিক ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলিনি। তবে আমরা তাদের যাচাই করে দেখেছি। এমনকি আমরা ফরেন লিজিয়নের কথাও ভেবে দেখেছি।" জর্ডান গাউড্রু বলেছিলেন এরকম একটা সামরিক অভিযানের পেছনে অর্থ ঢালতে রাজী অনেক ব্যবসায়ী। তারা ভেবেছিল, প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে অপসারণের পর হুয়ান গুয়াইদো যখন ক্ষমতায় আসবেন, তখন তারা ব্যবসায়িক ফায়দা তুলতে পারবেন। দু'হাজার উনিশ সালের ১৬ই অক্টোবর একটি চুক্তি সই করা হলো। এতে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে ধরা‌‌/আটক করা/ক্ষমতা থেকে সরানোর কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে তার জায়গায় হুয়ান গুয়াইদোকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট পদে বসানো। এই কাজের জন্য জর্ডান গাউড্রুকে শুরুতে দেয়া হবে দেড় মিলিয়ন বা পনের লাখ ডলার। কাজ শেষে পাবেন বিশ কোটি ডলার। কারাকাসে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে যারা জানতেন, তারা ছিলেন উল্লসিত। "বহু বছর ধরে আমরা ছিলাম একা। আমাদের লড়তে হচ্ছিল নিজেদের অর্থে, রাজনৈতিক ব্যবস্থা থেকে আমরা কোন সমর্থন পাচ্ছিলাম না," বলছিলেন ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ডের নির্বাসিত সাবেক ক্যাপ্টেন হাভিয়ের নিয়েতো। তার বিরুদ্ধে একবার ইউগো শ্যাভেজকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠে। এজন্যে তাকে জেলও খাটতে হয়। "কিন্তু এবার আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম। কারণ এই পরিকল্পনায় জে. জে. রেনডন, হুয়ান গোয়াইদো আর তার টিমের সমর্থন ছিল।" কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই বিবাদ শুরু হয়ে গেল। জর্ডান গাউড্রু তার পনের লাখ ডলার পাওনা দাবি করলেন। কমিশন তার আগে দেখতে চাইলো, যারা এই ষড়যন্ত্রে অর্থ জোগাবে, তারা কারা এবং এর প্রমাণ। কিন্তু জর্ডান গাউড্রু কোন প্রমাণ দেখাতে পারলেন না। মায়ামিতে জে. জে. রেনডনের সাগর তীরের এক বাড়িতে একটি বৈঠক শেষ হলো বেশ বাজেভাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক সমাবেশে নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন করছেন জর্ডান গাউড্রু। জে. জে. রেনডন জানান, জর্ডান গাউড্রুর মেজাজ খিঁচড়ে গেল, সে খুব অশ্রদ্ধা দেখাতে শুরু করলো অন্যদের প্রতি। "গত বছরের ৮ই নভেম্বর আমাদের শেষ বৈঠকটি ছিল বেশ অস্বস্তিকর। তখন আমি বললাম, আমাদের কোন কিছুই আসলে আগাচ্ছে না। আমি চাই তুমি আমার বাড়ি থেকে চলে যাও।" মি. রেনডন বলছেন, এসব সত্ত্বেও তিনি জর্ডান গাউড্রুকে ৫০,০০০ ডলার দিলেন তার খরচ মেটানোর জন্য। হুয়ান গুয়াইদোর প্রেসিডেনশিয়াল কমিশনের কাছে তখন জর্ডান গাউড্রুর সঙ্গে করা চুক্তিটির আর কোন মূল্য নেই। কিন্তু জর্ডান গাউড্রু তা মনে করে না। তারা তখন কলম্বিয়ায় তিনটি প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছে। জর্ডান গাউড্রুর রিক্রুট করা মার্কিন স্পেশাল ফোর্সেসের দু'জন সেনা এ বছরের জানুয়ারিতে কলম্বিয়ায় এসে পৌঁছালো। এদের একজন লুক ডেনম্যান। ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। সামরিক বাহিনী ছেড়ে ড্রাইভারের কাজ করার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সামরিক জীবন তিনি ছাড়তে পারলেন না। লুক ডেনম্যান ডেনম্যানের বোন সারাহ ব্লেক জানান, সামরিক বাহিনীর দিনগুলো খুব মিস করছিলেন লুক। "আমার মনে হয় সে আসলেই সামরিক বাহিনীতে লোকজনের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠ বন্ধন , সেটা খুব মিস করতো। কারণ ওরা একসঙ্গে থাকে, ঘুমায়, নিশ্বাস নেয়, নিজের জীবন দিয়ে একে অন্যকে বিশ্বাস করে। জর্ডান ছিল তার দলের জরুরী চিকিৎসা কর্মী। লুক এদেরকে তার ভাইয়ের মতো করে ভাবতো। খুবই বিশ্বাস করতো।" "আমরা যেটা জানি, জর্ডান একদিন লুককে ফোন দিয়েছিল এবং বুঝিয়েছিল, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ তারা করতে যাচ্ছে। এই কাজ করতে পারলে ভেনেজুয়েলার মানুষের জীবন পাল্টে দেয়া সম্ভব হবে। লুক আমার বাবাকে ফোন করে জানিয়েছিল ও একটা চাকরি নিতে যাচ্ছে এবং এটা তার জীবনের সবচেয়ে অর্থপূর্ণ একটি কাজ হতে যাচ্ছে।" সারাহ ব্লেকের বিশ্বাস, তার ভাইকে জর্ডান গাউড্রু ভুল বুঝিয়েছিল। লুক ডেনম্যান এখন কারাকাসের জেলখানায় বন্দী। "ওরা আমার ভাইকে জানিয়েছিল এটি মার্কিন সরকারের মদতপুষ্ট একটি অভিযান।" আইরান বেরি কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিল যে ভেনেজুয়েলানরা, তাদেরও বিশ্বাস ছিল যে মার্কিন সরকারের মদতে এই অভিযান চালানো হবে। অপর ভাড়াটে মার্কিন সেনা, আইরান বেরির বিশ্বাসও ছিল তাই। কিন্তু আসলে এর কোন সত্যতা ছিল না। চলতি বছরের মার্চ মাসেও এই অভিযানের জন্য কোন ভালো তহবিল পাওয়া গেল না। যদিও দুজন ভাড়াটে মার্কিন সেনা এই অভিযানে যুক্ত হয়েছে, ২০ জনের মতো ভেনেজুয়েলান তখন দল ছেড়ে চলে গেছে। কারও কারও প্রশিক্ষণ শিবিরের জীবন খুব কষ্টকর বলে মনে হচ্ছিল। কেউ কেউ সন্দেহ করছিল, এই পুরো পরিকল্পনার মধ্যে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সমর্থকরাও ছদ্মবেশে ঢুকে গেছে। তখন সবকিছু ভন্ডুল হওয়ার উপক্রম হলো। এরপর ২৩শে মার্চ কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ একটা লরিভর্তি সামরিক সরঞ্জাম আটক করলো। এর মধ্যে অনেক অ্যাসল্ট রাইফেলও ছিল। তিনদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট ফর জাস্টিস জেনারেল ক্লাইভার আলকালার বিরুদ্ধে মাদক-সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনলো। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হলো। আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলা নিয়ে কেন এতো আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ভেনেজুয়েলা সংকট কোনদিকে মোড় নিচ্ছে? ভেনেজুয়েলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি ভেনেজুয়েলায় কি অভ্যুত্থান হচ্ছে? পরিস্থিতি ঘোলাটে জেনারেল ক্লাইভার আলকালা আত্মসমর্পন করলেন। তবে এর আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করলেন, ভেনেজুয়েলায় যেসব অস্ত্রশস্ত্র ধরা পড়েছে, সেগুলো ভেনেজুয়েলার মানুষের সম্পদ। তিনি আরও দাবি করলেন যে হুয়ান গুয়াইদো, জে. জে. রেনডন এবং মার্কিন উপদেষ্টাদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, এই অস্ত্রের চালান তারই অংশ। তবে হুয়ান গুয়াইদোর প্রেসিডেনশিয়াল কমিশন বললো, কথিত এই চুক্তি আর কার্যকর নেই। হারনান এইলম্যান বিবিসিকে বলেন, তার মনে হলো এরমধ্যে কোন একটা ঘাপলা আছে। তার মতে, জেনারেল আলকালাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল যাতে তাদের অভিযানটিকে ব্যর্থ করে দেয়া যায়। কয়েকটি সূত্রের মতে, বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এবং কলম্বিয়া - উভয় দেশের সরকারই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিল। তারা ভেবেছিল, জেনারেল আলকালাকে সরিয়ে দেয়া হলে অন্যরাও প্রশিক্ষণ শিবির থেকে চলে যাবে। কিন্তু তারা আসলে যায়নি। আলকালা যখন চলে গেলেন, তখন তার জায়গায় অভিযানের দায়িত্ব নিলেন আন্তনিও সেকুই। তিনি ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ডের এক সাবেক ক্যাপ্টেন। ভেনেজুয়েলার কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সংস্থার উচ্চপর্যায়ে একসময় কাজ করেছেন। কিন্তু জর্ডান গাউড্রু কোথায় তখন ? তিনি তখন কলম্বিয়ায় নেই… "২০২০ সালের ২৮শে মার্চ কিউরাকাউতে আমাদের রেসকিউ এন্ড কোঅর্ডিনেশন সেন্টারে সাহায্য চেয়ে একটি জরুরী বিপদ সংকেত আসলো একটি প্রমোদতরীতে থাকা কিছু লোকের কাছ থেকে। আমরা সাথে সাথে সেখানে একটি উড়োজাহাজ পাঠালাম", বলছেন ডাচ-ক্যারিবিয়ান কোস্টগার্ডের একজন মুখপাত্র শ্যালিক ক্লিমেন্ট। এই প্রমোদতরীর নাম সিলভারপয়েন্ট। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এটির মালিক ছিল জর্ডান গাউড্রোর কোম্পানি সিলভারকর্প ইউএসএ। তবে শেষ পর্যন্ত ডাচ ক্যারিবিয়ান কোস্টগার্ডের উড়োজাহাজের সাহায্য দরকার হয়নি তাদের। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির কোস্টগার্ড সেটির কাছ দিয়ে যাওয়া একটি ট্যাংকারকে অনুরোধ করে ঐ প্রমোদতরী থেকে দুই মার্কিন নাগরিককে উদ্ধার করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসতে। এদের একজন কি জর্ডান গাউড্রু? সিলভারপয়েন্ট নামের প্রমোদতরীটিতে কি অস্ত্র বহন করে কলম্বিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? মায়ামির কোস্টগার্ড এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, তারা বলেছে উত্তর দেবে এফবিআই। কিন্তু এফবিআই এসব প্রশ্নের উত্তরে কোন মন্তব্য করেনি। এই প্রমোদতরীটি কোথায় আছে, কেউ জানে না। তবে আমরা যতদূর জানি, জর্ডান গাউড্রু কলম্বিয়ায় আর ফিরে যায়নি। করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর তিনি মায়ামিতেই আটকে পড়েন। তবে জর্ডান গাউড্রু যদি সেই প্রমোদতরীর দুই আমেরিকানের একজন হতেন, তাহলো হয়তো অপারেশন গিডিওনের সেদিনই মৃত্যুঘণ্টা বেজে যেত। এর কারণ এই নয় যে এই সাবেক সৈনিক, যিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করতেন, তিনি আর তার সৈনিকদের আর নেতৃত্বে দিতে পারতেন না। কারণটা ছিল ভিন্ন। ভেনেজুয়েলায় তখন যেন একটা বিরাট বোমা ফেটেছে, ফাঁস হয়ে গেছে এই ষড়যন্ত্রের বৃত্তান্ত। ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট মাদুরোর পর দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি মনে করা হয় যাকে, সেই ডিওসডাডো ক্যাবেলো ২৮শে মার্চ তার নিজের সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ভয়ংকর কিছু তথ্য ফাঁস করলেন। কলম্বিয়ায় নির্বাসিত ভেনেজুয়েলানদের ক্যাম্পগুলোর কিছু তথ্য তুলে ধরলেন, সেখানে ছিল ষড়যন্ত্রে যুক্ত তিন আমেরিকানের নাম। পুরো ষড়যন্ত্রটি উন্মোচিত হয়ে গেল। তবে ততদিনে এই ক্যাম্পগুলোতে যেসব লোক ছিলেন, তারা সেখান থেকে অন্যত্র সরে গেছেন। তারা একটি প্রত্যন্ত উপকূলীয় এলাকা গুয়াজিরে এমন এক জায়গায় গেলেন, যার সঙ্গে আছে ভেনেজুয়েলার সীমান্ত। নিকোলাস মাদুরোর সরকার যে এই ষড়যন্ত্রের কথা জেনে গেছে, সেটা কি তারা টের পেয়েছিলেন? ভেনেজুয়েলার লোকজন নিজেদের মধ্যে খুব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখে। তবে এই ক্যাম্পে কেবল দায়িত্বে থাকা লোকদের কাছেই মোবাইল ফোন ছিল। একটি সূত্র বলছে, অধিনায়ক আন্তনিও সেকুই জানতেন ক্যাবেলোর টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সব ফাঁস করে দেয়া হয়েছে। নিকোলাস মাদুরোর সরকারের মন্ত্রীরা এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছিলেন, সেসবও তিনি জানতেন। তবে এরপরও এই বলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তার সমর্থকদের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছিলেন যে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। এই অভিযান যে এখন বানচাল হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, সেটা জর্ডান গাউড্রু কি জানতেন? সেটা স্পষ্ট নয়। তিন আমেরিকানের একজনও স্প্যানিশ ভাষা জানতো না। একটি সূত্র বলছে, কলম্বিয়ায় লুক ডেনম্যান এবং আইরান বেরির কাছে একটি স্যাটেলাইট ফোন ছিল। তারা গাউড্রুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। জর্ডান গাউড্রু তাদের বলতো, আরও অনেক সাবেক মার্কিন সেনা এই অভিযানে অংশ নিতে আসবে। আর জর্ডান গাউড্রু যদি সত্যিই জেনে গিয়ে থাকে যে নিকোলাস মাদুরোর সরকার তাদের ষড়যন্ত্রের খবর পেয়ে গেছে, হয়তো সেটি তিনি তার বন্ধুদের বলেননি। সূত্র বলছে, আর্থিক সঙ্কটের কারণে তার মনোযোগ বিক্ষিপ্ত ছিল। কলম্বিয়ায় যে অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়ে গিয়েছিল, সেটির জন্য তখনো তার ৩০,০০০ ডলার দেনা ছিল। এপ্রিলের শেষে তার আইনজীবীরা হুয়ান গুয়াইদোর কমিশনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে ১৫ লাখ ডলার ফি পরিশোধের দাবি জানায়। ঘটনা যেরকমই হোক, 'অপারেশন গিডিওনে'র বিস্তারিত যে নিকোলাস মাদুরোর সরকারের হাতে পৌঁছে গেছে, সেটা বিদ্রোহীরা জানুক বা না জানুক, এই অভিযানটি যে একেবারেই লাগামহীন তা স্পষ্ট। অভিযানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্রের মতে, বিদ্রোহীরা উভচর তরীতে করে ভেনেজুয়েলার উপকূলে গিয়ে নামার পর কয়েকদিন কিছু গোপন আস্তানায় থাকার কথা ছিল। এরপর তারা রাজধানী কারাকাসের দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা। রাজধানীতেও তারা কয়েকদিন ঘাপটি মেরে থাকবে। এরপর লক্ষ্যে হামলা চালাবে। তাদের টার্গেট: প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, সামরিক বন্দীশালা এবং ভেনেজুয়েলার গোয়েন্দা সংস্থার সদর দফতর। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এবং তার ঘনিষ্ঠ শীর্ষ ব্যক্তিদের আটক করা তাদের লক্ষ্য। এখানে ভুল হওয়ার কোন কি সুযোগ আছে? দেখা গেল, সব হিসেব-নিকেশই আসলে ভুল ছিল। শুক্রবার, ১লা মে সন্ধ্যে ছয়টায় ১১ জনকে বহনকারী একটি নৌকা কলম্বিয়ার উপকূল থেকে ভেনেজুয়েলার দিকে যাত্রা শুরু করলো। তাদের কাছে ছিল আটটি রাইফেল। দশ মিনিট পর দ্বিতীয় একটি নৌকা ছাড়লো। এটিতে ছিল ৪৭ জন। আর ছিল দুটি রাইফেল। ক্যারিবিয়ান সাগর ধরে এক ঘন্টা চলার পরই একটি নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেল। অথচ তখনো বহু ঘণ্টার পথ বাকী। সমূদ্র অশান্ত। অনেকে এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে গেছে। ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় শহর মাকাটোতে তখন নিকোলাস মাদুরোর সশস্ত্র বাহিনী অপেক্ষা আছে। ৩রা মে, রোববার ভোরে যখন আটজনকে বহনকারী একটি নৌকা সেখানে পৌঁছালো, তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল ভয়াবহ পরিণতি। দ্বিতীয় নৌকাটি ছিল অনেক পেছনে। তখন এটির জ্বালানি প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। সিদ্ধান্ত নেয়া হলো বেশিরভাগ লোককে তীরে নামিয়ে দেয়া হবে যাতে তারা পালাতে পারে। অধিনায়ক আন্তনিও সেকুই, দুই আমেরিকান এবং অন্য কজন নৌকায় থেকে গেল। তারা শীঘ্রই ধরা পড়লো। ধরা পড়ার পর লুক এবং আইরান কিছু কিছু ভাষ্যকার অপারেশন গিডিওনের নাম দিয়েছেন ‌'বে অব পিগলেটস'। অন্যরা একে স্রেফ 'পাগলামি' বা 'উদ্ভট' বলে বর্ণনা করেছেন। হাভিয়ের নিয়েতো, যিনি কীনা একজন সাবেক সৈনিক, কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন এরকম একটি উদ্ভট পরিকল্পনা, যেখানে মৃত্যু বা ধরা পড়ার সম্ভাবনা একেবারে নিশ্চিত? "ওরা হয়তো কিছু একটা করার চেষ্টা করে মরতে চেয়েছিল। ওরা যদি কলম্বিয়ায় থাকতো, সেখানে কোন কাজ পেত না, তাদের বাঁচার জন্য কোন টাকা ছিল না। কাজেই তাদের হয় কোন গেরিলা গোষ্ঠীতে যোগ দিতে হতো বা কোন মাদক পাচারকারীর দলে", বলছেন তিনি। "এটা শুনতে পাগলামি মনে হবে। কিন্তু এরকম একটা হতাশাজনক পরিস্থিতিতে বেশিরভাগই হয়তো ভেবেছে আমি কলম্বিয়ায় এরকম কোন দলে যোগ দেয়ার চাইতে বরং ভেনেজুয়েলার জেল থাকবো।" কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সেসের দুজন উচ্চ প্রশিক্ষিত সৈনিক কেন এই একই কাজ করবেন, যে দেশটি তাদের নয়, সেরকম একটি দেশ 'মুক্ত' করতে নৌকায় উঠবেন, সেটার ব্যাখ্যা কী? এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দেখাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো এরকম একটি বেপরোয়া অভিযানে এদেরকে যে লোক ঠেলে দিয়েছিল, সেই জর্ডান গাউড্রুর কী হলো? তেসরা মে অভিযান সম্পর্কে এক রেকর্ড করা ভিডিওতে জর্ডান গাউড্রু জানিয়েছিলেন, ভেনেজুয়েলা জুড়ে বিদ্রোহ শুরু হতে যাচ্ছে। অথচ তখন কিন্তু পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে তাদের অভিযান বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কিন্তু তারপরও এক ডিজিটাল টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে গিয়ে গাউড্রু দাবি করেন, তিনি ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদোর প্রেসিডেনশিয়াল কমিশনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন এবং সেই চুক্তি এখনো বৈধ, হুয়ান গুয়াইদো নিজে এতে সই করেছেন। "আমার কাছে এর অডিও পর্যন্ত আছে… আমার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট গুয়াইদোর কথাবার্তার রেকর্ড আছে", দাবি করেছিলেন তিনি। হুয়ান গুয়াইদো অবশ্য দাবি করেন রেকর্ড করা কথা তার নয় এবং তিনি কোনদিন জর্ডান গাউড্রুর সঙ্গে কথা বলেন নি, বা চুক্তি করেননি। অপারেশন গিডিওন ব্যর্থ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অবশ্য ভেনেজুয়েলার বিরোধীদল দাবি করলো এটা ছিল একটা 'ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন‍', অর্থাৎ বিরোধী দলকে দোষ দেয়ার জন্য নিকোলাস মাদুরোর সরকারই এই অভিযান সাজিয়েছে। তবে নিকোলাস মাদুরোর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হোর্হে আরিয়াজা বলেন, "এটা একটা কৌতুক। নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর একটা চাল। গত ২০ বছরে তারা যে কত কী করেছে- সব ধরণের আগ্রাসন, কিন্তু তারা কখনোই নিজেদের কাজের দায়িত্ব নেয় না। তারা সবসময় বলবে এটা সরকারের দোষ, এটা স্বৈরতন্ত্র, এটা স্বৈরাচারের কাজ।" তাহলে এই ঢাল-তলোয়ারবিহীন বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল কে? আন্তনিও সেকুইকে নিয়ে অনেক গুজব ভেসে বেড়ায়। যিনি জেনারেল ক্লাইভার আলকালার পর অভিযানের নেতৃত্ব পান। তবে কলম্বিয়ায় নির্বাসিত এক এক বিদ্রোহী এ নিয়ে সন্দিহান। "আমরা জানি যে আন্তনিও সেকুইর সঙ্গে একসময় ভেনেজুয়েলার সরকারের ভালো সম্পর্ক ছিল। কাজেই তাকে সন্দেহ করা হয়। কিন্তু সেই অভিযানে প্রথম নৌকাতে থাকা তার চাচাতো ভাইও কিন্তু নিহত হয়েছিলেন। তিনি কি তার পরিবারের একজনকে উৎসর্গ করবেন ? সেটা নিশ্চয়ই খুব খারাপ হবে…।" হোর্হে আরিয়াজাও একথা অস্বীকার করলেন যে আন্তনিও সেকুই মাদুরো সরকারের হয়ে কাজ করছিলেন। "এসব মিথ্যে কথা," বলছেন তিনি। "এটা ভেনেজুয়েলার অনুচরদের কাজ নয়। এটা আসলে কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর কিছু লোকের কাজ। তারা চায়নি কলম্বিয়া আর ভেনেজুয়েলার মধ্যে কোন যুদ্ধ হোক।" মাকাটোতে হামলা ব্যর্থ করে দেয়ার পর ভেনেজুয়েলার স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোরা ভেনেজুয়েলার রাজনীতি খুব জটিল। এখানে অর্থ দিয়ে আনুগত্য কেনা যায়। এই রাজনীতি খুবই সহিংস। এখানে রাজনীতিতে মেরুকরণ খুবই তীব্র। বিরোধী শিবিরের কিছু লোক মনে করে, এটা হতে পারে, জর্ডান গাউড্রু হয়তো নিকোলাস মাদুরোর সরকারের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তবে হোর্হে আরিয়াজা একথা শুনে বিরক্ত হলেন। "একজন মার্কিন ভাড়াটে সেনা, যাকে কিনা টাকা দেয়া হয়েছে মাদুরোকে খুন করার জন্য, তিনি কিভাবে আবার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সঙ্গে হাত মেলাবেন?" অপারেশন গিডিওনের অনেক হিসেবই আসলে মিলে না। ৬০ বছর আগে বে অব পিগস অভিযান নিয়ে যেমন এখনো জল্পনার শেষ নেই, তেমনি এটি নিয়েও অনেক গল্প শোনা যাবে। জর্ডান গাউড্রুর কী হয়েছিল? তার খবর আর পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত চলছে কীনা- সেটা এফবিআই স্বীকার বা অস্বীকার, কোনটাই করছে না।
On Sunday 3 May, the government of Nicolas Maduro announced Venezuela's armed forces had repelled an armed incursion. Operation Gideon was a deeply flawed coup attempt. But what would compel exiled Venezuelans and former US Special Forces soldiers to join a plan that, from the outset, looked like a suicide mission?
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু এর আগে হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হচ্ছিলো, উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নিলে তাদের মধ্যে কোনো বৈঠক হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা না করেই মি. ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টই উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে সাক্ষাৎ করেন নি। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং আনের সাথে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। এর আগে মি. ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি স্যারাহ স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার এই মন্তব্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। তিনি আরো বলেন, "সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না পাওয়া পর্যন্ত এধরনের কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে না।" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন এই ঘোষণা দেন তখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন আফ্রিকা সফর করছেন। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, মি. কিমের সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে।" "আমি এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছি। আমাদের মধ্যে ভালো কথাবার্তা হয়েছে।" এরপর শনিবার মি. টিলারসন কেনিয়ায় তার পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি বাতিল করে দেন। কূটনীতিকরা জানান যে উত্তর কোরিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে কয়েকদিন ধরে কাজ করার পর তিনি খুব একটা সুস্থ বোধ করছিলেন না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটে উত্তর কোরিয়ার প্রশংসা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যারা সম্প্রতি মি. কিমের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়া এবং এব্যাপারে তারা অঙ্গীকারও করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে দেখা করার আগেই তারা যে এটা শুরু করবেন এরকম কিছু উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়নি। বরং আলোচনার স্বার্থে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা আপাতত বন্ধ করার বিষয়টি তারা বুঝতে পেরেছে। মি. ট্রাম্পও টুইট করে বলেছেন, আলোচনার সময় উত্তর কোরিয়া পরমাণু পরীক্ষা না চালানোর কথা দিয়েছে এবং তিনি তাদের এই কথাকে বিশ্বাসও করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার উপর তারা তাদের চাপ অব্যাহত রাখবেন। এবিষয়ে মি. ট্রাম্প চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সাথে কথাও বলেছেন। তারা দু'জনেই একমত হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা আপাতত বহাল রাখার ব্যাপারে। চীনা সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, এবিষয়ে চীনের ভূমিকা যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেটা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমে কোন ধরনের বৈঠকের কথাই উল্লেখ করা হয়নি। পর্ণ অভিনেত্রীর অভিযোগ: বিপদে পড়বেন ট্রাম্প ? বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ভয় কি কাটলো এবার? শাহিরা ইউসুফ: ব্রিটেনের প্রথম হিজাবধারী মডেল রুশ গুপ্তচর হত্যা চেষ্টা: নার্ভ এজেন্টের সন্ধান মিলেছে তবে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার দূতের একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যাতে তাদের 'সর্বোচ্চ নেতার সাহসী সিদ্ধান্তের' অগ্রগতির কথা স্বীকার করা হয়েছে। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, "কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।" দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের প্রাথমিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসের মধ্যেই এই বৈঠক হতে পারে। তবে এখনও আলোচনার দিন তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করা হয়নি। তবে সম্ভাব্য স্থান হিসেবে দুটো জায়গার কথা বলা হচ্ছে- দুই কোরিয়ার সীমান্তে সৈন্যমুক্ত এলাকা অথবা চীনের রাজধানী বেইজিং। দুই কোরিয়ার মধ্যে প্রথমে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা। পরে উত্তর কোরিয়ার কিম জং আন তার নববর্ষের বার্তায় আকস্মিকভাবে এই আলোচনার প্রস্তাব করেন। এরপর উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকসে তাদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠায় অংশগ্রহণের জন্যে। কোথায় হতে পারে এই বৈঠক অলিম্পিকসের পর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দল পিয়ং ইয়ং-এ গিয়ে মি. কিমের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তারপর ওই দলটি ওয়াশিংটনে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তাদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করার জন্যে। হোয়াইট হাউজে বৈঠক শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য, দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করতে মি. কিম প্রস্তুত রয়েছেন এবং পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার ব্যাপারেও তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগেও যখন উত্তর কোরিয়ার সাথে শান্তি আলোচনা হয়েছে তখন দেশটি তাদের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রেখেছিলো। এবং আলোচনায় তারা যা চাইছিলো সেসব না পেয়ে হতাশ হওয়ার পরেই তারা আবার পরীক্ষা চালাতে শুরু করে। অনেকে এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন হয়তো এর মধ্য দিয়ে 'উত্তর কোরিয়ার পাতা ফাঁদে' পা দিতে যাচ্ছে।
President Trump has tweeted that a deal with North Korea is "very much in the making", a day after revealing he had agreed to meet its leader Kim Jong-un.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
কিম জং আন এবং ভ্লাদিমির পুতিন করমর্দন করছেন। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর নগরী ভ্লাদিভস্তকের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরের রাস্কি দ্বীপে দুই নেতার এই বৈঠক হয়। ক্রেমলিন বলেছে, দুই নেতা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করবেন এবং মিস্টার কিম যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর রুশ সহায়তা চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা কোনও সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় । কিন্তু রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে উদ্বোধনী বক্তব্যে রুশ ও উত্তর কোরীয় নেতা দু'দেশের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করেন । মিস্টার পুতিন বলেন, তিনি কোরিয়ান অঞ্চলে বিরাজমান উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চান। "আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনার এই রাশিয়া সফরের ফলে কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি কিভাবে সমাধান করতে পারি, এবং চলমান প্রক্রিয়ায় রাশিয়া কিভাবে ইতিবাচক উপায়ে ভূমিকা রাখতে পারে তা ভালোভাবে অনুধাবনে আমাদের সাহায্য করবে।" পুতিন-কিম শীর্ষ বৈঠক: কার স্বার্থ কোথায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরোধে শেষ ট্রাম্প-কিম বৈঠক কিম-ট্রাম্প বৈঠক: প্রাপ্তি কী, জিতলেন কে? দুই নেতার এটাই প্রথম সাক্ষাত মিস্টার কিম বলেছেন, তিনি আশা করেন "দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকর বৈঠক হবে যাদের দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস রয়েছে"। উত্তর কোরীয় নেতা বুধবার পৌঁছানোর পর তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের সাথে আন্তরিকভাবে সৌজন্য বিনিময় করেন। দুই নেতার সম্মেলন সম্পর্কে এখনো যা জানা যাচ্ছে? রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ক্রেমলিন বিশ্বাস করে উত্তর কোরিয়ায় ছয়-জাতি আলোচনা যা বর্তমানে স্থগিত আছে, সেটাই এই উপদ্বীপের পরমাণু অস্ত্র বিষয়ক সমস্যাকে সমাধানের একমাত্র কার্যকরী উপায়। ২০০৩ সালে সেই আলোচনা শুরু হয়েছিল, যাতে দুই কোরিয়া ছাড়াও চীন, জাপান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছিল। "এছাড়া আর কোনও কার্যকরী আন্তর্জাতিক মেকানিজম এই মুহূর্তে নেই," বুধবার সাংবাদিকদের বলেন মিস্টার পেসকভ। "কিন্তু অন্যদিকে অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যখন তারা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের এবং দুই কোরিয়ার সমস্যা দূর করার সত্যিকার লক্ষ্য নিয়ে এগুবে তার মধ্যেই সমস্ত প্রচেষ্টার মাহাত্ম্য নিহিত রয়েছে।" রাস্কি আইল্যান্ডে দুই নেতার বৈঠক হয়। দুই দেশের চাওয়া কী? গত ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকার সাথে পরমাণু আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর এই সফরকে উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তাদের যে শক্তিশালী বন্ধু রয়েছে সেটা তুলে ধরা সম্ভব হবে। উত্তর কোরিয়া হ্যানয়ের আলোচনা ভেস্তে যাবার জন্য জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে দোষারোপ করেছে। এই মাসের শুরুতে পিয়ংইয়ং এর পক্ষ থেকে মিস্টার পম্পেওকে "ফালতু বক্তব্যের" অভিযোগ তুলে তাকে আলোচনার বাইরে রাখার জন্য এবং তার জায়গায় "অধিকতর সচেষ্ট" কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়। পিয়ংইয়ং এর অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ যে কেবল আমেরিকার ওপর নির্ভর করছে না- সেটি তুলে ধরারও একটি সুযোগ এই বৈঠক। মিস্টার কিম নিজ দেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে মস্কোর ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করবেন বলেও মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সম্মেলন রাশিয়ার জন্যও একটি সুযোগ নিয়ে এসেছে যেখানে তারা দেখাতে পারবে যে কোরীয় উপদ্বীপে তারাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়নক। প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তর কোরীয় নেতার সাথে সাক্ষাতের জন্য বেশ আগে থেকে আগ্রহী ছিলেন। এমনকি ট্রাম্প-কিম বৈঠকের সময় ক্রেমলিন কিছুটা সাইড-লাইনে থাকা সত্ত্বেও। মিস্টার কিম নিজের সাঁজোয়া ট্রেনে করে পৌঁছান ভ্লাদিভস্তকে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া কতটা ঘনিষ্ঠ? স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন তার কমিউনিস্ট মিত্র উত্তর কোরিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সামরিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে, মতাদর্শিক এবং কৌশলগত কারণে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং উত্তর কোরিয়া প্রধান মিত্র হিসেবে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের অধীনে রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং ২০১৪ সালে তিনি সোভিয়েত-যুগ পরবর্তী উত্তর কোরিয়ার অধিকাংশ ঋণ সংকট মোকাবেলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন। যদিও উত্তর কোরিয়ার ওপর বর্তমানে রাশিয়ার কতটা প্রভাব আছে, তা নিয়ে তর্ক করা যেতে পারে, তবে দেশটিকে অন্যতম বিদেশী শক্তিগুলোর একটি বলে মনে করে এই কম্যুনিস্ট রাষ্ট্রটি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভিয়েতনামে কিম-ট্রাম্প বৈঠক: নকল কিম বহিস্কার কিম জং-আনের অনুকরণকারীদের বিচিত্র জীবন
North Korean leader Kim Jong-un is preparing for his first-ever summit with Russian President Vladimir Putin.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
গত বছর আগস্টে গ্যালাক্সি নোট সেভেন লঞ্চ হওয়ার পরপরই তাতে আগুন ধরে যাওয়ার বেশ কটি ঘটনা ঘটে। এক বিবৃতিতে কোম্পানি বলছে, ফোনের সফটওয়ার বা হার্ডওয়ার কোনটিই নয় বরং ব্যাটারি গরম হয়ে গিয়ে তাতে আগুন ধরে যাচ্ছিলো। ব্যাটারির ডিজাইন এবং নির্মাণেই মূল সমস্যা ছিলো। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়ে এই ভুলের দায় স্বীকার করে বলছে ব্যাটারি নির্মাতার বিরুদ্ধে তারা কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে না। এই ফোনের ব্যাটারি নির্মাতা স্যামসাং-এর মালিকানাধীন একটি কোম্পানি স্যামসাং এসডিআই এবং চীনা নির্মাতা এমপেরেক্স টেকনোলজি। গত বছর আগস্টের শেষের দিকে স্যামসাং-এর স্মার্টফোন গ্যালাক্সি নোট সেভেন বাজারে আসার পর বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল কাস্টমারদের কাছে। বিশ্ব বাজার থেকে ২৫ লাখ ফোন প্রত্যাহার করা হয়েছিলো। বলা হচ্ছিলো এটি বাজারের সেরা এন্ড্রয়েড ফোন এবং আই-ফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু বাজারে ছাড়ার পরপরই এই ফোনে আগুন ধরে যাওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোন পকেটে থাকা অবস্থায় আগুন লাগার ঘটনা স্বভাবতই বেশ উদ্বিগ্ন করে তোলে ব্যবহারকারীদের। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর কোম্পানিটি এর বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দেয় এবং বিশ্ব বাজার থেকে ২৫ লাখ ফোন প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করে ৫০০ কোটি ডলারের লোকসান হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানির। ফোনটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর মার্কিন অ্যাভিয়েশন অথরিটি এবং বেশ কয়েকটি বিমান কোম্পানি এই মডেলের সেট নিয়ে বিমানে ওঠা নিষিদ্ধ করে দেয়। তবে কিছু ক্রেতা এখনো এটি ব্যবহার করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আরো পড়ুন:অন্যের হয়ে কারাভোগ, প্রতারণার মামলা
Samsung's probe into its Galaxy Note 7 fiasco has found that the overheating and burning of the phones was caused by faults with their batteries.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
দোকানে পোশাক দেখছেন এক নারী কিন্তু হালের এসব পোশাকই গ্রিন হাউস গ্যাস নি:সরণ, পানি এবং বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। সৃষ্টি করে মাত্রাতিরিক্ত বর্জ্য এবং অন্যান্য দেশে এগুলো পাঠানো হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা তেমন ব্যবহার উপযোগী থাকে না। যুক্তরাজ্যের পরিবেশগত অডিট কমিটি দেশটির সরকারের কাছে এই শিল্প বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। পরিবেশ এবং শ্রম বিষয়ক ১৮টি সুপারিশ করেছে তারা। সরকার বলছে, এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে তারা। তবে ক্ষতিকর এমন শপিং করার অভ্যাস কমিয়ে আনতে কি করা যায় সে বিষয়ে টেকসই ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো হলো: ১. কম কেনাই বেশি কেনা পরিবেশবাদী আন্দোলনকারী ও টলি ডলি নামে নৈতিক ফ্যাশন বিষয়ক ব্লগার টলমিয়া গ্রেগরি বলেন, "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, কম কিনতে হবে।" তিনি বলেন, "নির্দিষ্ট কোন অনুষ্ঠান যেমন রাতে পরার কিংবা ছুটির দিনে পরার আলাদা আলাদা পোশাক কেনার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আইএস ছেড়ে আসা ব্রিটিশ যুবক মিডিয়াকে যা বললেন এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ট্রাম্প অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন এত প্রধানমন্ত্রী নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন টলেমিয়া গ্রেগরি "প্রথম দিকে মানুষ একে আক্রমণাত্মক মনে হতে পারে," তিনি বলেন। "কিন্তু এই চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাব্য সব ধরণের চেষ্টা করতে হবে আমাদের। মাথায় রাখতে হবে যে এটা একটা ভালো উদ্যোগ।" একই কথা বলেছেন সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ফ্যাশনের উপযোগিতা, নকশা এবং ফ্যাশন বিষয়ক অধ্যাপক কেট ফ্লেচার। তিনি বলেন, "কম পোশাক কেনা মোটেও দেহের প্রতি মারাত্মক কোন অবিচার বা বঞ্চনা নয়।" তিনি পরামর্শ দেন, "নিজের ওয়্যারড্রোবে যেসব পোশাক আছে সেগুলোই আগে লক্ষ্য করুন। কারণ ওগুলোই আপনার জীবনমান নির্ধারণ করে।" তিনি বলেন, "আমরা অনেক সময় এমন পোশাক কিনি যা আমাদের তুষ্ট করার পরিবর্তে অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।" "কেনাকাটা করার সময় মানুষ অত্যন্ত তৃপ্তি লাভ করে। কিন্তু পরক্ষণেই ওই কেনা বস্তু বা পোশাকের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে," তিনি বলেন। "কেনাকাটা নিয়ে মানুষ কতটা সুখী এমন এক গবেষণায় দেখা যায়, মৌলিক চাহিদা মেটার পরে অন্যসব কেনা কাটা মানুষের কল্যাণে তেমন কোন কাজে আসে না।" তিনি বলেন, পোশাকের ব্র্যান্ডগুলোর অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব তথ্যকে অগ্রাহ্য করে। "আমরা আসলে যা দেখি তা হচ্ছে, অতিরিক্ত পাওয়ার বিষয়টি মানুষের কল্যাণের বোধকে কমিয়ে দেয়।" "এটা একাকীত্ব এবং উচ্চ মাত্রার অবসাদ ডেকে আনে। এটা আমাদের সুখ কেড়ে নিচ্ছে এবং একাকী করে তুলছে," তিনি বলেন। ২. সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাক কিনুন মিস ফ্লেচার-যিনি টেকসই ফ্যাশন নিয়ে একাধিক বই লিখেছেন তিনি বলেন, "জনপ্রিয় ফ্যাশনের শহরগুলো বা হাই স্ট্রিট কেনা কাটার জন্য খুব সুনির্দিষ্ট পরিসর দিয়ে থাকে যার মধ্য থেকেই মানুষ আগ্রহ নিয়ে কেনাকাটা করে।" "আপনার রুচি যদি আসলেই নতুনত্ব, আধুনিকতা, পরিবর্তন এবং বৈচিত্র্যের উপর নির্ভরশীল হয় তাহলে, আপনার ওয়্যারড্রোব আর সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাক কেনাতেই আপনি এগুলো অনেক বেশি পরিমাণে খুঁজে পাবেন।" ফ্রান্সেসকা উইলো ফ্রান্সেসকা উইলো, ইথিক্যাল ইউনিকর্ন নামে নিজের ফ্যাশন ব্লগের এই লেখিকা বলেন, "প্রথমেই খুঁজে দেখার জন্য সেকেন্ড হ্যান্ডই সবচেয়ে ভালো অপশন। কারণ এটি ইতোমধ্যে অস্তিত্ব রয়েছে এমন জিনিসের উপযোগিতা বাড়িয়ে দেয়।" তিনি বলেন, "অনেকেই চ্যারিটি শপগুলোকে কৌশলে এড়িয়ে যান। কারণ তারা জানেন যে তারা আসলে কি চাইছেন। কিন্তু ডি-পপ এবং ভিনটেডের মতো সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্যের অ্যাপগুলো আপনার পোশাক নির্বাচনের জন্য আসলেই সহায়ক।" ৩. প্রাকৃতিক উপাদান বাছাই করুন টেকসই বিষয়ক ব্লগাররা বলেন, "যেকোন মূল্যে" নতুন সিনথেটিক উপাদান দিয়ে তৈরি পোশাক কেনা বন্ধ করতে হবে। মিস উইলো বলেন, "আমি হেম্প, লিনেন এবং জৈব সুতি বস্ত্র যা গ্লোবাল অরগানিক টেক্সটাইল স্ট্যান্ডার্ডের অনুমোদনের আওতায় পড়ে এমন পোশাক নিখুঁত না হলেও কিনি।" আরো পড়তে পারেন: জেনে নিন ফ্যাশন কিভাবে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাচ্ছে পরিবেশ-বান্ধব থেকেও যেভাবে হবেন স্টাইল আইকন নজরকাড়া, নাটকীয় আর কিছুটা অদ্ভুত সব পোশাকে তারকারা তিনি আরো বলেন, "আমাদের উচিত কাপড়ের দীর্ঘস্থায়ীত্ব বাড়ানো। এটা নির্ভর করে কিভাবে আপনি কাপড়ের যত্ন নিচ্ছেন তার উপর। নির্দেশিকা দেখে এবং সে অনুযায়ী ধৌত করলে কাপড় টেকসই হয়।" "বেশিরভাগ মানুষই বেশি গরম পানিতে কাপড় ধুয়ে থাকেন। অথচ ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করলে জ্বালানিও কম ব্যয় করতে হয়।" তিনি বলেন, "আপনার কাছে থাকা সিনথেটিক কাপড় ধৌত করতে হলে তার সাথে আলাদা ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে যাতে এর থেকে বের হওয়া ক্ষুদ্র তন্তুগুলো জলজ পরিবেশকে দূষিত না করে।" ব্যাগ কোন সমাধান নয়। তবে এটি আমাদের সৃষ্ট সমস্যাকে কিছুটা হলেও কমাতে সাহায্য করতে পারে। ৪. যাচাই করুন মিস উইলও বলেন, যেকোনো ব্র্যান্ড থেকে নতুন কাপড় কেনার আগে সেগুলো কোথায় এবং কারা বানিয়েছে সে বিষয়ে মানুষের প্রশ্ন করা উচিত। "ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনুমোদন পাওয়া ব্র্যান্ডগুলোর কাপড়ই কেনা উচিত। কারণ তারা অন্তত ন্যায্য মজুরীর বিষয়টি নিশ্চিত করে," তিনি বলেন। তিনি বলেন, অনেক ব্লগ রয়েছে যেগুলোতে এ ধরণের ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে যা আপনার সহায়ক হতে পারে। "অনেক ক্রেতার কাছেই ঝামেলার মনে হতে পারে। সত্যি করে বলতে গেলে ভোক্তাদেরকে আসলেই অনেক কাজ করতে হবে এগুলো মানতে হলে। আর এজন্যই আমাদের প্রক্রিয়া এবং নীতিগত পরিবর্তন দরকার।" "কিন্তু নিজের থেকেই এই পরিবর্তন শুরু করাটা সহজ। দক্ষ হয়ে উঠুন, তাহলে আপনি নিজেই এই অভ্যাস তৈরি করতে পারবেন। যা আপনাকে তৃপ্তি দেবে," তিনি বলেন।
A lot of us love a bargain outfit - we buy fast, we buy cheap and we too often wear things once and then throw them out.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বারাণসীর এই শ্মশানঘাটে এখন রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা শবদাহ চলছে শুধু বারণসী শহরে নয়, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের প্রত্যন্ত গ্রামেও। চিকিৎসা ছাড়াই ঘরে বসে ঐ সব গ্রামের বাসিন্দারা মারা যাচ্ছেন। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এই অঞ্চলের ক্রুদ্ধ বাসিন্দাদের অনেকে এখন খোলাখুলি প্রশ্ন করছেন এই চরম দু:সময়ে তাদের এমপি নরেন্দ্র মোদী- ভারতের প্রধানমন্ত্রী - লাপাত্তা কেন। কোভিডের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ২,২০,০০০। কোভিডে সবচেয়ে বিপর্যস্ত এলাকাগুলোর অন্যতম বারাণসীতে হাসপাতাল অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে, রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে বেড পাচ্ছেন না, অক্সিজেন নেই, অ্যাম্বুলেন্স নেই। এমনকি কোভিড টেস্টের ফলাফল পেতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। গত দশদিনে, বারাণসী এবং আশপাশের অঞ্চলের ওষুধের দোকানগুলোতে ভিটামিন, জিংক বা প্যারাসিটামলের মত মামুলি ওষুধ পর্যন্ত মিলছে না। ''হাসপাতালে একটা জায়গা এবং অক্সিজেনের জন্য সাহায্য চেয়ে মিনিটে মিনিটে টেলিফোন আসছে,'' নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন স্থানীয় একজন ডাক্তার। ''খুব সাধারণ ওষুধও দোকানে পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে অনেক রোগী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও খাচ্ছেন।'' ক্ষুব্ধ মানুষজন বলছেন যে মানুষটিকে ভোট দিয়ে তারা এলাকার এমপি নির্বাচিত করেছিলেন সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিকে পা পর্যন্ত মাড়াচ্ছেন না। আরও পড়তে পারেন: ২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদী বারাণসীর এমপি কীভাবে হলো এই ট্রাজেডি? বারাণসী শহরের বাসিন্দারা বলছেন মার্চে প্রথম অশনি সঙ্কেত দেখা দিতে শুরু করে। দিল্লি এবং মুম্বাইতে সংক্রমণ বাড়ার পর ঐসব শহরে যখন বিধিনিষেধ আরোপ শুরু হয়, হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক ভিড় উপচে পড়া বাসে, ট্রাকে, ট্রেনে করে বারাণসী এবং আশপাশের গ্রামগুলোতে তাদের বাড়িতে ফিরে আসে। অনেক মানুষ আবার ২৯শে মার্চ হোলি উদযাপনের জন্যও আসে। এরপর ১৮ই এপ্রিল গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতেও শত শত মানুষ দিল্লি, মুম্বাই থেকে হাজির হয়। বিশেষজ্ঞরা বার বার সাবধান করলেও কেউ তাদের কথায় কান দেয়নি। এখন তার পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে বারাণসী অঞ্চলকে। উত্তর প্রদেশ রাজ্যে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাজ্যের কমপক্ষে ৭০০ শিক্ষক। সংক্রমণ বাড়া শুরু হলে বারাণসীর হাসপাতালগুলো দ্রুত কোভিড রোগীতে ভরে যায়। ফলে সিংহভাগ মানুষকে এখন নিজ দায়িত্বে এই মহামারি সামলাতে হচ্ছে। শহরের ২৫ বছরের ব্যবসায়ী রিশাব জৈন বিবিসিকে বলেন তার ৫৫ বছরের পিসি অসুস্থ হয়ে পড়লে অক্সিজেন সিলিন্ডার রি-ফিল করে আনতে তাকে প্রতিদিন ৩০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে। ''সিলিন্ডারে অক্সিজেন ৮০ শতাংশ কমে গেলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়তাম। যখন হাসপাতালে কোনো জায়গা পেলাম না, পরিবারের সবাই টেলিফোন করে করে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড়ের চেষ্টা শুরু করি। ১২/১৩ ঘণ্টা ধরে ২৫টি নম্বরে ফোন করেও কোন লাভ হয়নি। পরে সোশ্যাল মিডিয়া এবং জেলা প্রশাসনের সাহায্যে একটি হয়। পিসি এখন ভালো হয়ে উঠছেন।'' করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই উত্তর প্রদেশ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। ১৯শে এপ্রিল নয়ডায় একটি ভোট কেন্দ্রের দৃশ্য। ভোটের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাজ্যে কয়েকশ শিক্ষক কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে ১৯শে এপ্রিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট বারাণসী এবং উত্তর প্রদেশের আরো চারটি শহরে এক সপ্তাহের লক-ডাউন দেওয়ার আদেশ দেয়। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে কান দেয়নি, বরঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে ঐ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে তারা। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল - ''তাদেরকে জীবন বাঁচানোর সাথে জীবিকাও বাঁচাতে হবে।'' কিন্তু সমালোচকরা এখন বলছেন সরকার জীবন ও জীবিকা কোনোটাই বাঁচাতে পারছে না। বারাণসী জেলা প্রশাসন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কিছু সময়ের জন্য কারফিউ জারি করছে। আতঙ্কে অনেক দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে হাজার হাজার মানুষের কাজ নেই, এবং ভাইরাস এখনও ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত্যু চাপা দেয়া হচ্ছে? বারাণসীতে সরকারি হিসাবে মোট রোগীর সংখ্যা ৭০,৬১২, আর মৃত্যুর সংখ্যা ৬৯০। কিন্তু সংক্রমণের সংখ্যার ৬৫ শতাংশই রেকর্ড করা হয়েছে পহেলা এপ্রিল থেকে। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন মারা যাছে ১০ থেকে ১১ জন। রোববারের মৃতের সংখ্যা ছিল ১৯। কিন্তু সেখানে যাদের সাথেই বিবিসি কথা বলেছে তারা বলেছে সরকারের এই পরিসংখ্যান পুরোপুরি ভুয়া, বানোয়াট, অসত্য। শহরের মনিকার্নিক ঘাটের কাছে বহুদিনের পুরনো এক বাসিন্দা বললেন গত এক মাস ধরে শ্মশান ঘাটে বিরতিহীনভাবে মরদেহ পোড়ানোর কাজ চলছে। ''যেদিকে তাকাবেন অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ এবং মরদেহ''। আগে, বারাণসীর দুটো প্রধান শ্মশান ঘাটে দিনে ৮০ থেকে ৯০টি দাহ হতো। কিন্তু, ঐ বাসিন্দার কথায়, গত এক মাস ধরে দিনে ৩০০-৪০০ দাহ হচ্ছে। ভিড়ে টাসা ট্রেনে করে মুম্বাই দিল্লি থেকে হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক গ্রামে ফিরে গেছে “হঠাৎ দাহ বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? মানুষ কি অন্য কোনো কারণে বেশি মরছে? মৃত্যুর কারণ হিসাবে অধিকাংশ সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কি করে এমনকি কম বয়সীদেরও হঠাৎ এত বেশি সংখ্যায় হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে?” সম্প্রতি বারাণসীর একজন বাসিন্দার তোলা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে শ্মশান ঘাটে যাওয়ার একটি সরু রাস্তার দুই ধারে এক কিলোমিটার পর্যন্ত সার ধরে রাখা রয়েছে মরদেহ। গত দশদিনে নগর প্রশাসন নতুন দুটো শ্মশান তৈরি করেছে। সেগুলোও রাতদিন ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত বলে খবর রয়েছে। গ্রামে গ্রামে ছড়িয়েছে ভাইরাস এই ট্রাজেডি এখন শুধু বারণসী শহরে সীমাবদ্ধ নেই। আশপাশের ছোট ছোট শহর ছাড়িয়ে এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি। বারাণসীর অদূরে ১১০টি গ্রামের একটি ব্লক রয়েছে যার মোট জনসংখ্যা ২৩০,০০০। চিরাবগাঁও নামে ঐ ব্লকের প্রধান সুধীর সিং পাপ্পু বিবিসিকে জানান গত কয়েকদিনে তার ব্লকের প্রতিটি গ্রামে পাঁচ থেকে ১০ জন মানুষ মারা গেছে। কোনো কোনো গ্রামে, তিনি বলেন, মৃত্যুর এই সংখ্যা ১৫ থেকে ৩০। “এই ব্লকে কোনো হাসপাতাল নেই। অক্সিজেন নেই, ওষুধ নেই,” সুধীর সিং বলেন। “সরকারি হাসপাতালে কোনো জায়গা নেই, বেসরকারি হাসপাতালের কাছে গেলে রোগীর অবস্থা দেখার আগেই দুই থেকে পাঁচ লাখ রুপি অগ্রিম চাইছে। আমাদের কোথাও আর যাওয়ার জায়গা নেই।” বারাণসীর কাছে আইধে নামের একটি গ্রামের বাসিন্দা কমল কান্ত পাণ্ডে বিবিসিকে বলেন, তার মনে হচ্ছে গ্রামের পরিস্থিতি এখন শহরের চেয়েও খারাপ। তিনি বলেন, “আমার গ্রামের ২৭০০ বাসিন্দার সবাইকে যদি আপনি টেস্ট করেন, কমপক্ষে অর্ধেক লোক পজিটিভ হবে। গ্রামের বহু মানুষ কাশিতে ভুগছে, গায়ে জ্বর, পিঠে ব্যথা, শরীর দুর্বল, খাবারের কোনো গন্ধ-স্বাদ তারা পাচ্ছে না।” আইধে গ্রামে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর কথা সরকারি পরিসংখ্যানে জায়গা পাচ্ছে না। “কারণ গ্রামে কোনো টেস্টিংই হচ্ছে না,'' বলেন মি পাণ্ডে যিনি নিজেও কোভিডে ভুগে সবে সেরে উঠেছেন। “আপনি ভাবতে পারেন এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা! সেই জায়গাতেও আমরা শ্বাস নেওয়ার জন্য কষ্ট করছি।“ বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিন উদযাপন। গত সাত বছর ধরে বারাণসী মোদীর সংসদীয় আসন 'মোদী গা ঢাকা দিয়েছেন' নরেন্দ্র মোদী প্রায়ই বলেন বারণসী, এখানকার মানুষ এবং গঙ্গা নদীর সাথে তার ''বিশেষ সম্পর্ক''। কিন্তু করোনাভাইরাসের তোড়ে যখন শহরের দুর্গতি চরমে দাঁড়ায়, তারপর তাকে তার এই নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায়নি। অথচ এই শহরের বাসিন্দারা দেখেছেন তাদের এমপি ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ১৭ বার পশ্চিমবঙ্গে গেছেন। শহরের ক্ষুব্ধ একজন রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে ১৭ই এপ্রিল বারাণসীর কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা সভা ছিল ''একটি প্রহসন''।“প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী গা ঢাকা দিয়েছেন। তারা বারাণসীকে ত্যাগ করেছেন, এখানকার মানুষকে তাদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন,'' বলেন ঐ রেস্তোরা মালিক। ''স্থানীয় বিজেপি নেতারাও গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের ফোন বন্ধ। অথচ এই সময় হাসপাতালে বেডের জন্য, অক্সিজেনের জন্য তাদের সাহায্য প্রয়োজন। পুরো অচলাবস্থা চলছে এখানে। মানুষজন ভীষণ রেগে আছে।'' ''সমস্ত দায় প্রধানমন্ত্রীর, আর কারো নয়,'' বিবিসিকে বলেন বিরোধী দল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা গৌরব কাপুর। ''তাকে এই দায় নিতে হবে। গত দেড় মাস বারাণসীতে এবং ভারতে যত মৃত্যু হয়েছে তার দায় প্রধানমন্ত্রীর।'' শহরের অনেক বাসিন্দার মত মি. কাপুরও ব্যক্তিগতভাবে কোভিডের শিকার। ১৫ দিন আগে তিনি তার এক চাচা এবং এক চাচীকে হারিয়েছেন। তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ভাই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। শুক্রবার সাক্ষাৎকারের জন্য ফোন করলে তিনি জানান, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বাড়ির একটি ঘরে তিনি আইসোলেশনে আছেন। বারাণসীর অবস্থা খুব শিগ্রি ভালো হওয়ার কোনো লক্ষণ তো নেইই, বরঞ্চ আরো খারাপ হচ্ছে। শহরের পরিস্থিতি সঙ্গিন। সেই সাথে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের গ্রামে-গঞ্জে যেখানে চিকিৎসা সুবিধা নেই বললেই চলে। “ছোট ছোট গঞ্জের ডাক্তাররা আমাকে বলছেন সেখানে এমনকি অক্সিমিটার পর্যন্ত নেই। সুতরাং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে অনেক মানুষ ঘুমের মধ্যে মারা যাচ্ছে,“ বিবিসিকে বলেন বারাণসী শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। ''আমার স্ত্রী এবং ছেলের যখন কোভিড হলো, আমরা ডাক্তারকে জানালাম। তিনি যা করতে বলেছেন, তা করেছি। কিন্তু গ্রামের একজন নিরক্ষর মানুষের কী হবে? সেখানে কোনো ডাক্তারও নেই। আপনি জানেন সে কীভাবে বেঁচে আছে? ভগবানের দয়ায়।''
The region around Varanasi, one of the holiest cities in the world for Hindus, is among the worst affected by the second wave of coronavirus sweeping India.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বরখাস্তকৃত এফবিআই প্রধান জেমস কোমি। হোয়াইট হাউজ বলছে, মি. ট্রাম্প অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের স্পষ্ট সুপারিশের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন মি. কোমি। নির্বাচনের আগেও তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইলের বিষয়ে তদন্তকে কেন্দ্র করে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের কাছে দেয়া বক্তব্যে মি. কোমি ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে খবর বের হয়। মি. কোমির উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, বিচার বিভাগের সাথে তিনি একমত যে মি. কোমি এফবিআইকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম নন এবং সেখানে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। তবে আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, মি. কোমির বরখাস্তের বিষয়ে তাদেরকে আগে থেকে কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। মি. কোমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার যোগাযোগের বিষয়ে একটি তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য মি. কোমিকে দায়ী করেছিলেন মিসেস ক্লিনটন। মার্কিন রাজনীতিবিষয়ক সংবাদ সংস্থা, পলিটিকোর প্রতিবেদক ড্যানিয়েল লিপম্যান বিবিসিকে বলেন, মি. কোমির পরিবর্তে কে আসবেন, তার ওপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছে। "ওয়াশিংটনের সবাই এখন ভাবছে, এফবিআইয়ের নতুন পরিচালক কি ট্রাম্পকে জবাবদিহিতার মুখে নিতে পারবেন এবং তার রুশ সম্পর্কের অভিযোগের বিষয়ে কি একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করতে পারবেন? যদি এখন ট্রাম্পের নিজের কোন লোককে বসানো হয়... তাহলে অনেক আমেরিকান এখন এফবিআইকে যতটা অবিশ্বাস করে, তার চেয়ে আরো বেশি করবে"। ৫৬ বছর বয়স্ক মি. কোমিকে চার বছর আগে এফবিআই-এর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং তার মেয়াদ শেষ হতে আরো ৬ বছর বাকি ছিল। নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের কিছুদিন আগে হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারির বিষয়ে নতুন তথ্য দিয়ে তিনি ব্যাপক আলোচিত হন। যদিও পরবর্তীতে সেটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল না বলে প্রমাণিত হয়। সেসময় ডেমোক্র্যাটরা তার কড়া সমালোচনা করে। কিছুদিন আগে মিসেস ক্লিনটনও তার পরাজয়ের পেছনে মি. কোমির সেই ভূমিকাকে একটি বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
US President Donald Trump told Russian officials that firing FBI director James Comey eased "great pressure" on him, US media report.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
সাম্প্রতিক খবরের ছবিগুলো নিয়েই ফটোশপ করা হয়েছে ট্রাম্পকে। মি: ট্রাম্পের বিরোধীরা তাঁর হাতের সাইজ নিয়ে মন্তব্য করলে এর প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর থেকেই ট্রাম্পকে নিয়ে নানা কৌতুক বানানো হচ্ছে, এমনকি তাঁর প্রশাসনের কজনকে নিয়ে বানানো হয়েছে হাস্যরসাত্মক ভিডিও-যেগুলো জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। তবে এখন কিছু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দিয়েছে নতুন রূপ। মি: ট্রাম্পের আকৃতি একদম ক্ষুদ্র বানিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ছবি, ইন্টারনেটে যা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতাসম্পন্ন ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের অনেক নেতাদের তুলনায় লম্বা, এমনকি বারাক ওবামার থেকেও ট্রাম্প এক ইঞ্চি বেশি লম্বা। কিন্তু যে ছবিগুলো প্রকাশ পেয়েছে তাতে ট্রাম্পকে অন্যদের তুলনায় ক্ষুদ্রাকৃতির ব্যক্তি হিসেবে দেখা যাচ্ছে। মি: ট্রাম্পের অফিশিয়াল এ ছবিগুলো ফটোশপের মাধ্যমে পরিবর্তন করে রেডিট ব্যবহারকারীরা চাইছে প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া। তবে এখন পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। মি: ট্রাম্পের মেয়ে টিফানির সঙ্গে ছবি, দেখা যাচ্ছে একটি শিশুতোষ ড্রইং হাতে নিয়ে ট্রাম্প খুব খুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে ট্রাম্পকে দেখা গেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, বর্তমান ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেসহ বিভিন্ন নেতার সঙ্গে। সব ছবিতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখানো হয়েছে খুবই ক্ষুদ্র আকারে। এর মধ্যে একটি ছবিতে তাকে দেখানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বারাক ওবামার সঙ্গে হোয়াইট হাউজে আলাপরত অবস্থায়। সেখানে বারাক ওবামা একটি সোফায় বসে আছেন। তার পাশের সোফায় দুই হাত এক করে বসে আছেন ছোট্ট আকারের একজন ট্রাম্প। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে দু'হাতে আঁকড়ে ধরে আছেন। স্মিত হাসি নিয়ে মি: ট্রাম্পের দিকে তাকিয়ে আছেন ভ্লাদিমির পুতিন। রেডিট ব্যবহারকারীরা 'টিনি ট্রাম্প' নামে একটি ট্রেন্ডিং চালু করেছে যেখানে ক্ষুদ্রাকৃতির ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব ছবিগুলো দেখা যাবে। রিভলিউশন৪৮৬ নামের এক ব্যবহারকারী ছবিগুলো পোস্ট দিয়ে লিখেছেন "ট্রাম্প কিভাবে সাড়া দেয় সেটি দেখার জন্য আমি খুব উত্তেজনার মধ্যে আছি"। কিন্তু তার মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে আরেকজন লিখেছেন "আমি বুঝতে পারছি না এর মধ্যে মজার কী আছে! ছোট হাতের বিষয় ঠিক ছিল, কিন্তু এসব ছবি নির্বোধের মতো কাজ"। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ওই বৈঠকের ছবিগুলো নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের শেয়ার করা ছবি- প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের কোলে শিশু ডোনাল্ড ট্রাম্প কাঁদছে। সিঁড়ি দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নেমে আসছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে। এখানে মেলানিয়ার কোমর সমান উঁচু মি: ট্রাম্প। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারী এই ব্যক্তি মি: ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন এই ব্যবহারকারী ট্রাম্পকে ছবি থেকে এভাবে কেটেছেন কারণ তাঁর ভাষায় 'ট্রাম্প কখনও কেন্দ্র থাকার ব্যক্তি বলে তাঁর মনে হয়নি' হোয়াইট হাউজের সাবেক একজন স্টাফের সন্তান সেলফি তুলছে। তখন দু'হাতে ট্রাম্পকে উঁচু করে ধরে রেখেছেন বারাক ওবামা। ব্যবহারকারী টাইম ম্যাগাজিনের কাভার বদলে সেখানে ট্রাম্পকে রেখে বুঝাতে চেয়েছে-তিনি এমন এক চেয়ারে বসে আছেন যেটি তার জন্য খুবই বড় ডোনাল্ড ট্রাম্প একজনের হাত ধরে আছেন দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে হাসছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
US President Donald Trump is one of the most famous men in the world right now.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
এনসিবির অফিসে রিয়া চক্রবর্তী পৌঁছলে সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক হুড়োহুড়ি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় সংবাদমাধ্যমে, বিশেষ করে কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে রিয়া চক্রবর্তীকে নিয়ে যে ধরনের কভারেজ দেয়া হচ্ছে, তাতে সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষতা যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, তেমনই বিচারের দায়িত্ব সঙ্গতভাবে আইনের হাতে তুলে দিতে তাদের ব্যর্থতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের অংশ হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার ভারতের নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো এনসিবি যখন মিস চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠায়, তখন তিনি সেখানে পৌঁছলে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক হুড়োহুড়ি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তিনি সাংবাদিকদের ঘেরাও-এর মধ্যে পড়ে যেভাবে হয়রানির শিকার হন তার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বলিউড তারকা ও চলচ্চিত্র নিমার্তারা মিস চক্রবর্তীর প্রতি ভারতীয় সাংবাদিকদের আচরণের বিরুদ্ধে সরব হন। এনসিবি দফতরের বাইরে করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার এবং রিয়া চক্রবর্তীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাও। 'সাংবাদিকতার পক্ষে একটা অশনিসঙ্কেত' মি. রাজপুতকে ১৪ই জুন মুম্বাইতে তার ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ বলে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সিবিআই মি. রাজপুতের বান্ধবী রিয়া এবং তার পরিবার ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করে। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী তিনি দোষী কিনা তা নিয়ে আদালতের বিচার এখনও শুরুই হয়নি। এমনকী তদন্তের কাজ যখন প্রাথমিক পর্যায়ে তখনই সুশান্ত সিং রাজপুতকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেবার দায়ে মিস চক্রবর্তীকে রীতিমতো দোষী বানিয়ে ফেলেছে সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি এক শ্রেণির গণমাধ্যমও। টেলিভিশনের উপস্থাপকরা তাকে "ধান্দাবাজ" নারী বলে বর্ণনা করেছেন, যিনি "ডাইনি বিদ্যায় পারদর্শী" এবং বলেছেন "সুশান্তকে তিনি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন"। সিবিআই-য়ের হাতে এই মামলার তদন্তভার তুলে দেবার পর একটি টিভি চ্যানেলের সুপরিচিত একজন উপস্থাপক বলেন, "এটা ভারতের ইতিহাসে একটা অসামান্য মুহূর্ত"। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন শিখা মুখার্জি। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তার চল্লিশ বছরের সাংবাদিক জীবনে তিনি টিভি চ্যানেলগুলোকে "এভাবে একজনকে দোষী প্রমাণ করার জন্য উঠে-পড়ে লাগতে দেখেননি"। তিনি বলছেন প্রায় প্রতিদিন সংবাদ শিরোনাম হচ্ছেন রিয়া চক্রবর্তী। তার ব্যক্তিগত জীবন এবং প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে যাবতীয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয় চ্যানেলগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরছে এবং সেসব নিয়ে টিভিতে প্রকাশ্যে কাটাছেঁড়া চলছে, সেগুলো মুখরোচক আলোচনা আর বিতর্কের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। "যেখানে পুলিশ, সিবিআই এবং বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে, সেখানে সাংবাদিক হিসাবে আমার কাজ হবে তদন্তে কী বেরিয়ে আসছে তা রিপোর্ট করা। তা না করে চ্যানেলগুলো নিজেদের আঁচ অনুমান, বা শোনা কথার ভিত্তিতে তথ্য দিচ্ছে, নানা অভিযোগ এনে সাজিয়ে গুছিয়ে এমনভাবে তথ্য পরিবেশন করছে যাতে মনে হবে সুশান্তের মৃত্যুর জন্য রিয়াই দায়ী। "আমি বলব চ্যানেলগুলো খুবই ম্যানিপুলেটিভ কভারেজ দিচ্ছে, মানুষকে ভাবতে প্রভাবিত করছে যে রিয়া দোষী। এটা তো সংবাদ মাধ্যমের কাজ হতে পারে না," বলছেন শিখা মুখার্জি। তিনি বলছেন রিয়া চক্রবর্তী যদি দোষী হয়, সেটা তদন্তের ভিত্তিতে আদালতে প্রমাণিত হতে হবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: গ্রেপ্তার হলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে তোপের মুখে বান্ধবী রিয়া বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ভারতে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের উদীয়মান একজন তারকা ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের সম্পাদক অনিন্দ্য জানা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন রিয়া চক্রবর্তীকে দোষী প্রমাণিত করার মধ্যে দিয়ে কিছু টিভি চ্যানেল "তাদের রাজনৈতিক প্রভুদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।" "সামনে বিহারের নির্বাচন এবং সুশান্ত সিং রাজপুত বিহারের ভূমিপুত্র। বিহারের ক্ষমতাসীন দল কেন্দ্রে বিজেপির শরিক এবং সেখানে নির্বাচনী প্রচারে মি. রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে," বলছেন মি. জানা। "এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত কদর্য" বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলছেন "রিয়া চক্রবর্তী দোষী কি দোষী না সেটা তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু উইচহান্ট করে সেটা যেভাবে মিডিয়া ট্রায়ালের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেটা সাংবাদিকতার পক্ষে একটা অশনিসঙ্কেত। " যেটা পদ্ধতিগতভাবে ঘটছে সেটা রিপোর্ট করা সাংবাদিকের কাজ, তিনি বলছেন। কিন্তু যেটা আপত্তিজনক, সেটা হল তদন্তকে কোনও একটা পথে ঠেলে নিয়ে যেতে জেনেশুনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। ''খানিকটা নীতিনৈতিকতা রেখে খবরকে খবর হিসাবে তুলে ধরার যে সাংবাদিকতা, রিয়া চক্রবর্তীর খবর নিয়ে সংবাদমাধ্যমের আচরণ সেই সাংবাদিকতার জন্য শুভ সংবাদ বহন করে আনছে না।" অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইতোমধ্যেই মিস চক্রবর্তীকে "স্বার্থান্বেষী", "মাফিয়া চক্রের হোতা" এবং "ধনী পুরুষ ধরার যৌন ছিপ" বলে তকমা দিয়েছে। বলিউডে ক্ষোভ বলিউড তারকারা সংবাদমাধ্যমের এই আচরণকে "ন্যাক্কারজনক এবং জঘন্য" বলে মন্তব্য করেছেন। অভিনেত্রী তাপসী পান্নু তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "এই সাংবাদিকরা একজন মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার হিংস্রভাবে কেড়ে নিয়েছে, সে দোষী প্রমাণিত হবার আগেই "। "আমি আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করি এরা প্রত্যেকে যেন কর্মফল ভোগ করে, সবচেয়ে নিচু মানবিকতার যে দৃষ্টান্ত আমরা এদের মধ্যে দেখছি, ঈশ্বর যেন এদের প্রত্যেকের ঠিকানা খুঁজে, তাদের শাস্তি দেন।" ভারতীয় প্রযোজকদের গিল্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, "একজন তরুণ তারকার মর্মান্তিক মৃত্যুকে হাতিয়ার করে, গোটা চলচ্চিত্র শিল্প ও এর সাথে জড়িতদের সম্মান ধুলায় টেনে নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে"। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে সিনেমা জগতকে বাইরের মানুষের কাছে একটা "কলঙ্কময় অন্ধকার জগত হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে যা শুধুই নির্যাতন আর অপরাধের একটা জগত "। তেলেগু সিনেমার একজন অভিনেত্রী লক্শমি মাঞ্চু টুইট বার্তায় "এই আক্রমণ" বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন মিস চক্রবর্তী এবং তার পরিবার এই "তথাকথিত মিডিয়া বিচারের" মুখোমুখি হয়ে কীভাবে জীবন কাটাচ্ছেন সেটা তিনি অনুমান করতে পারছেন। অভিনেত্রী ভিদ্যা বালান বলেছেন এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে রাজপুতের "মর্মান্তিক মৃত্যু" এখন একটা "মিডিয়া সার্কাসে" পরিণত হয়েছে। "রিয়াকে যেভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, একজন নারী হিসাবে তা আমাকে ব্যথিত করেছে। আমরা জানি 'আপনি যতক্ষণ না দোষী প্রমাণিত হচ্ছেন- আপনি নির্দোষ' কিন্তু এখানে যেটা হচ্ছে সেটা হল 'আপনি এখন দোষী- যতক্ষণ না প্রমাণিত হচ্ছে আপনি নির্দোষ'।" অভিনেত্রী দিয়া মির্জা টুইট করে বলেছেন, "সংবাদমাধ্যম এভাবে শকুনের মত আচরণ করছে কেন? অভিনেত্রী দিয়া মির্জা টুইটারে বলেছেন, "সংবাদমাধ্যম এভাবে শকুনের মত আচরণ করছে কেন? রিয়াকে কেন তারা সময় দিতে চান না?" আরেক অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করও বলেছেন, "সংবাদমাধ্যমকে ধিক্কার। আর আমরা যারা এসব সংবাদ গিলছি আমাদেরও লজ্জা পাওয়া উচিত।" বিচারের দায়িত্ব সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কারণ এখনও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, কিন্তু মামলা আদালত পর্যন্ত পৌঁছনর আগেই সংবাদ মাধ্যম তাকে দোষী রায় দিয়ে দিয়েছে, বিবিসিকে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন উর্ধ্বতন আইনজীবী মিনাক্ষী অরোরা। "এটা পুরো সংবাদমাধ্যমে বিচার চলছে। এই বিচারের দায়িত্ব কী মিডিয়ার নাকি আদালতের? মিডিয়া তাকে ইতোমধ্যেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে- যেটা আইনত খুবই অন্যায়।" আরেকজন আইনজীবী পায়েল চাওলা বিবিসিকে বলেছেন: "সংবাদমাধ্যমে, টিভিতে এধরনের রিপোর্টিং খুবই সমস্যার। এর মধ্যে দিয়ে দেখা গেছে একজন নারীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জনসমক্ষে কাটাছেঁড়া করা কত সহজ।" সাংবাদিক শিখা মুখার্জি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "এটা ভারতীয় সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বড় প্রতিফলন। মেয়েদের বিশেষ ভাবে দেখার মানসিকতা আমাদের সংস্কৃতির একটা অঙ্গ।" তবে তিনি বলছেন, মি. রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় রিয়া চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে তাকে মিডিয়াতে হেনস্থা করার সুযোগটা কোন চ্যানেল কত বড় করে নেবে তার যেন প্রতিযোগিতা চলছে। ভারতে করোনাভাইরাস, অর্থনীতি এসব খবর পেছনে পড়ে গেছে। "চ্যানেলগুলোতে খবর এখন শুধু রিয়া চক্রবর্তী!" বলছেন শিখা মুখার্জি। পুলিশ এবং অর্থ বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা রিয়া চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করেছে শুধু নারী বলে নয়, যে কোন অভিযুক্তের প্রকৃত বিচারের ভার আইনের হাতে তুলে দেবার আগেই সংবাদমাধ্যমের বিচারের একটা কাঠগড়া তৈরি করা, আর জনতার হাতে তার বিচার করার দায়িত্ব তুলে দেয়ার এই প্রবণতা সংবাদ মাধ্যমের জন্য যে বিরাট একটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় একথা অনেক বিশ্লেষকই বলছেন। মিস চাওলা বলছেন মিস চক্রবর্তী ন্যায় বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এই "অন্যায় মিডিয়া ট্রায়ালের" বিষয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিচারও চেয়েছেন। অবৈধ মাদকের সাথে যোগাযোগের অভিযোগে তাকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করার আগে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে একটি বিবৃতিও দিয়েছিলেন।
Bollywood actress Rhea Chakraborty has been sent to jail by India's narcotics control authority for allegedly buying drugs for her actor-boyfriend Sushant Singh Rajput.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
আহত একজনকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছেন জরুরি দায়িত্বে নিয়োজত কর্মীরা এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন নিশ্চিত করেছিলেন যে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় অন্তত ২০ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি দেশটির ইতিহাসের "কালো দিনগুলোর" একটি। পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনজন পুরুষ এবং একজন নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে আরও হামলাকারী পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন আটককৃতদের একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একজন "মৌলবাদী, অতি-ডানপন্থী সহিংস সন্ত্রাসী" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর আগে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, নিউজিল্যান্ডের অন্যতম বড় এই শহরটির পরিস্থিতিকে পুলিশ "সংকটময় ঘটনা" হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করেছে। আল নূর মসজিদ ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার পর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশী নিহত বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত তিনজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন বলে সেখানে বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দূতাবাসের অনারারী কনসাল শফিকুর রহমার ভুইয়া বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনজন বাংলাদেশীর পরিচয় সম্পর্কেই তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। এছাড়া মসজিদে হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন বলে বাংলাদেশের দূতাবাস এখন পর্যন্ত খবর পেয়েছে। এদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান মি. ভুইয়া। এছাড়া, হামলার ঘটনার পর দু'জন বাংলাদেশী নিখোঁজ ছিলেন, তবে এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন বলে দূতাবাস নিশ্চিত হয়েছে। আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে অনেক মুসলমান জড়ো হয়েছিলেন। এমন সময়ে সেখানে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আল নূর নামের ওই মসজিদটি ডিন অ্যাভিনিউতে অবস্থিত এবং এটি হ্যাগলি পার্কের মুখোমুখি। এই মসজিদেই জুম্মার নামাজ পড়তে পাওয়ার কথা ছিল নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিরাপদে রয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। হ্যাগলি পার্কেই অনুশীলন করছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানেই বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড দলের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের টুইটার পেইজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয় দুই দলের সম্মতিতে ১৬ই মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টটি বাতিল করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ দলে ক্রিকেটাররাও লিখেছেন এই হামলার ঘটনার পর। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, "ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় আল্লাহ আজ আমাদের রক্ষা করেছেন...আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান।" বিবিসি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সদস্যরা খুব অল্পের জন্য ওই গোলাগুলির ঘটনা এড়াতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের ওপেনার তামিম ইকবাল ফেসবুকে লিখেছেন "পুরো দল বন্দুকধারীদের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে!!! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো, এবং সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।" বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেছেন, বাসে করে দলের বেশিরভাগ সদস্যই মসজিদে গিয়েছিল এবং ঠিক যখন হামলার ঘটনাটি ঘটে তারা মসজিদের ভেতর প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন,"তারা নিরাপদে আছেন, কিন্তু মানসিকভাবে তারা ধাক্কা খেয়েছেন। আমরা তাদেরকে হোটেল থেকে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।" ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব খেলোয়াড়রা নিরাপদ আছেন জানিয়ে দলের টুইটার পেজ থেকে পোস্ট দেয়া হয়। ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খবর সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিক মোহাম্মদ ইসাম টুইটারে লিখেছেন, "তারা (ক্রিকেট দল) হ্যাগলি পার্কের কাছে একটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা থেকে বাঁচতে পেরেছেন।" শহরের পরিস্থিতি ক্রাইস্টচার্চের সব স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা একজন বন্দুকধারীর হাত থেকে নিজেদের জীবন বাঁচার জন্য প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছিলেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। মোহন ইব্রাহীম নামে একজন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড সংবাদপত্রকে বলেছেন, "শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম এটা হয়তো বৈদ্যুতিক শকের কোনও ব্যাপার, কিন্তু একটু পরেই সবাই দৌড়াতে শুরু করলো"। বন্দুকধারীর হামলার পর পুলিশ একে "সংকটময় ঘটনা" বলে সতর্ক করেছে। "এখনো ভেতরে আমার বন্ধুরা রয়েছে" এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, "আমি আমার বন্ধুদের ডাকতে থাকি কিন্তু সেখানে অনেকেই আছে, কারও কথা শুনতে পারিনি। আমার বন্ধু বেঁচে আছে কি-না সেটা নিয়ে আমি আমি ভীত।" শহরতলীর লিনউড এলাকার আরও একটি মসজিদ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ক্যাথেড্রাল স্কয়ারে হাজার খানেক শিশুর জলবায় পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে শোভাযাত্রা হওয়ার কথা ছিল, সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করছেন। পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে এবং রাস্তায় নামতে নিষেধ করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত স্কুলও বন্ধ থাকবে বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন।
Forty-nine people have been killed and 48 wounded in shootings at two mosques in Christchurch, New Zealand, in the nation's deadliest attack.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
জে৩৫ নামের তিমি মাছটিকে দেখা যায় তার শাবককে বহন করতে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের তিমি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা বলছেন, "তিমিটির বিষাদ ভ্রমণ শেষ হয়েছে এবং তার আচরণ উল্লেখযোগ্যভাবে বিচিত্র।" এই ধরণের তিমি মাছ সাধারণত সপ্তাহখানেক ধরে মৃত সন্তান বহন করে থাকে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই তিমিটি এক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে। মা তিমিটি গত কয়েকদিনেই সারাবিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তিমি গবেষণা কেন্দ্র শনিবার এক বিবৃতিতে বলে, "সমুদ্রতট থেকে নেয়া টেলিফটো ডিজিটাল চিত্র থেকে ধারণা করা যায় যে মা তিমিটি শারীরিকভাবে সুস্থ অবস্থাতেই রয়েছে।" "মৃত তিমিটির দেহ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যবর্তী স্যালিশ সাগরে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তিমির দেহের 'নেক্রপসি' (পশুর ময়নাতদন্ত) করার সুযোগ হয়তো পাবেন না গবেষকরা।" ভ্যাঙ্কুভার উপকূলে মা তিমিটিকে মৃত শাবক বহন করে নিয়ে যেতে দেখা যায় ২৪শে জুলাই। ঐদিনই শাবকটি মারা যায় বলে ধারণা করা হয়। তবে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই এই ধরণের তিমিকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ধরণের তিমির প্রধান খাবার চিনুক স্যামন মাছ, যার সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক কমে গেছে। আরো পড়তে পারেন: চীন ১০ লাখ উইগুর মুসলিমকে আটকে রেখেছে? ভারতে অ্যাডল্ফ হিটলার কেন ঘৃণিত নন? পঁচিশ বছর ধরে পেঁচার খোঁজে গুপ্তধন সন্ধানীরা
A killer whale has stopped carrying her dead newborn calf after at least 17 days, during which she covered 1,000 miles (1,600km), scientists say.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বন্দরনগর হুদাইদায় হুথি বিদ্রোহী ও সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যে আবারো যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইয়েমেনের সরকার সমর্থিত বাহিনী ও হুথি বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক সংঘাতের পর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধ বিমান থেকে আবারো বোমা হামলা করা হয়েছে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে। তিন বছর যাবত চলতে থাকা এই যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশ্যে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু করার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ। এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে এবং লক্ষাধিক ইয়েমেনিকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আরো পড়ুন: ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে? বাংলাদেশের যে নারী বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ইয়েমেন? দুই পক্ষের সাম্প্রতিক সমঝোতা হুথি বিদ্রোহীদের সুপ্রিম রেভোলুশনারি কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলি আল-হুথি সম্প্রতি তার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, জাতিসংঘের অনুরোধে হুথি বিদ্রোহীরা জোটের সেনাদের বিরুদ্ধে ড্রোন এবং মিসাইল আক্রমণ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। ঐ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হুথি বিদ্রোহীরা আরো দীর্ঘ সময় হামলা বন্ধ রাখতে পারে যদি 'সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট শান্তি চায়।' লোহিত সাগরের বন্দর নগর হুদাইদায় হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের নেতৃত্বে তৈরি সামরিক জোট। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনার প্রচেষ্টাকে তারা সাধুবাদও জানায়। ইয়েমেনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস আশা প্রকাশ করেন যে এ বছরের শেষদিকে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হবে। সেপ্টেম্বরে প্রথম দফা শান্তি আলোচনায় উপস্থিত থাকতে সক্ষম হয়নি হুথি বিদ্রোহীরা। জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় চলছে ইয়েমেনে। কেন গুরুত্বপূর্ণ এই যুদ্ধ? হুদাইদায় চলতে থাকা সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে চলমান এই সংঘর্ষ বন্ধের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইয়েমেনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ তাদের জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের আমাদানির জন্য হুদাইদা বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। জাতিসংঘ এর আগে সতর্ক করেছে যে, এই সংঘাতে আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি হতে পারে; পাশাপাশি লক্ষাধিক দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। কীভাবে শুরু হলো যুদ্ধ? ২০১৪ সালে শিয়া মতাবলম্বী হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের সেসময়কার নতুন প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদি'র দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে উত্তরাঞ্চলের প্রদেশ সাদা এবং আশেপাশের কয়েকটি এলাকার দখল নেয়। পরবর্তীতে বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা'র নিয়ন্ত্রন নেয় এবং প্রেসিডেন্ট হাদিকে দেশান্তরী হতে বাধ্য করে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব সহ আটটি সুন্নি মুসলিম আরব দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সেনাবাহিনী জোট গঠন করে আক্রমণ শুরু করলে যুদ্ধের তীব্রতা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। ইয়েমেনে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের পেছনে কারণ কী? সাধারণ মানুষদের কী মূল্য দিতে হচ্ছে? সংক্ষেপে, ইয়েমেনের পরিস্থিতি হলো, যেমনটা জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়। গত তিনবছরে ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। দেশটির ৭৫ শতাংশ মানুষের জরুরী মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। অন্তত সোয়া কোটি মানুষের বেচে থাকার জন্য জরুরী খাদ্য সহায়তা দরকার। প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের জানা নেই, তাদের পরবর্তী বেলার খাবার জুটবে কিনা। পাঁচ বছরের নীচের ৪ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। দেশটিতে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে, কলেরা আর ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচ বছরের নীচের ৪ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। আরো পড়তে পারেন: ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে এলে অসুবিধা কোথায়? সাপের বিষ শরীরে নিয়ে ডায়েরি লিখে গেছেন যিনি
Fighting between Yemeni pro-government forces and Houthi rebels in the city of Hudaydah has reportedly subsided, after a ceasefire came into effect overnight.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
একক দেশ হিসেবে করোনাভাইরাস সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় ১৯ লাখ। পুরো বিশ্বে যত মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৩০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবে অনুযায়ী দেশটিতে এখন মৃতের সংখ্যা ১০০২৭৬ জন। গত ২১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বিশ্বজুড়ে এখনো পর্যন্ত ৫৬ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে প্রায় তিন লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার। বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপেল বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে যত মানুষ মারা গেছে, সেটি গত ৪৪ বছর যাবৎ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ইরাক এবং আফগানিস্তান সংঘাতের সময় আমেরিকার নিহত সৈন্যের সমান। আমেরিকার ২০টি অঙ্গরাজ্যে নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এসব অঙ্গরাজ্য হচ্ছে - নর্থ ক্যারোলাইনা, উইসকনসিন এবং আরকানসাস। শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস এবং ওয়াশিংটনের মতো শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো বেশি। তবে নিউইয়র্ক শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। সেখানে এখন মৃত্যুর হার কমে এসেছে। নিউইয়র্কে এখনো পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১০০০। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কিন্তু মি. ট্রাম্প পাল্টা দাবি করেন, তার প্রশাসন যদি পদক্ষেপ না নিতো তাহলে মৃতের সংখ্যা এখনকার চেয়ে ২৫ গুণ বেশি হতে পারতো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে মি: ট্রাম্প বিষয়টিকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেন। তিনি একটি মৌসুমি ফ্লু হিসেবে বর্ণনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে আগে পদক্ষেপ নিলে মৃতের সংখ্যা ৩৬০০০ কম হতে পারতো।
The US has passed 100,000 deaths in the coronavirus outbreak in less than four months.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
জ্বালানি তেলের উৎপাদন এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমানো হয়েছে এ যাবৎকালে তেলের উৎপাদন কমানোর এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড। পয়লা মে থেকে এটি কার্যকর হবে। রোববারে এক ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনার পর এ চুক্তি হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনায় ওপেক প্লাস অর্থাৎ ওপেক ও সহযোগী দেশসমূহ এই চুক্তির পরিকল্পনার কথা জানায়, কিন্তু সে সময় মেক্সিকো এতে ভেটো দেয়। নতুন চুক্তির ব্যাপারে ওপেক এখনো ঘোষণা দেয়নি, কিন্তু সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনেকেই আলাদা আলাদা করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এখন কেবল এটুকু নিশ্চিত করা করা হয়েছে যে, ওপেক ও এর সহযোগী দেশগুলো তেলের উৎপাদন দিনে ৯৭ লক্ষ ব্যারেল কমিয়ে দেবে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? এদিকে, সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি এক ডলার করে বেড়েছে। হালকা অপরিশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি প্রায় ৩৩ মার্কিন ডলারে উঠেছে, আর সেই সঙ্গে মার্কিন বাজারে ব্যারেল প্রতি ২৪.১৫ ডলারে উঠেছে দাম। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কুয়েতের জ্বালানি মন্ত্রী ডা. খালেদ আলী মোহাম্মেদ আল-ফাদহেল টুইট করে চুক্তির ব্যাপারে জানিয়েছেন। অন্যদিকে সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস রোববার ভিন্ন ভিন্নভাবে চুক্তির খবর নিশ্চিত করেছে। ডা. আল-ফাদহেলে টুইটে বলা হয়েছে, "আল্লাহর অসীম রহমতে শুক্রবার রাত থেকে চলা আলোচনার পরে, আমরা এখন এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে সম্মত হয়েছি। আগামী মে মাসের প্রথম দিন থেকে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো দৈনিক প্রায় এক কোটি ব্যারেল কম তেল উৎপাদন করবে।" করোনাভাইরাস মহামারি আকারে দেখা দেবার ফলে সারা বিশ্বে ৩০০ কোটির বেশি মানুষ লকডাউনে থাকায় গত কয়েকমাসে জ্বালানি তেলের চাহিদা এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে। এর আগে মার্চ মাসে তেলের দাম গত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নামে। এর মূল কারণ ছিল সৌদি আরব এবং রাশিয়ার মত ভিন্নতার কারণে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে একমত হতে পারছিল না। কিন্তু এপ্রিলের দুই তারিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে মত ভিন্নতার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। এদিকে, ওপেক প্লাসভুক্ত দেশের এই চুক্তির বাইরেও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল এবং নরওয়েও মে মাস থেকে তেলের উৎপাদন পাঁচ শতাংশ হ্রাস করবে। তবে চুক্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দৈনিক উৎপাদন কমানো হবে প্রতিদিন ৮০ লাখ ব্যারেল করে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কমানো হবে ৬০ লাখ ব্যারেল করে।
Opec producers and allies have agreed a record oil deal that will slash global output by about 10% after a slump in demand caused by coronavirus lockdowns.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
১৯৮০ সালে তিব্বতের মালভূমিতে বৈশিয়া কার্স্ট গুহাতে পাওয়া যায় ডেনিসোভা প্রজাতির চোয়ালের হাড়। চরম প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা একমাত্র বর্তমান মানব প্রজাতি- হোমো স্যাপিয়েন্স-এর সাথেই এটি যুক্ত ছিল। আধুনিক মানুষের প্রাচীন এই পূর্বপুরুষ থেকে একটি জিন বর্তমান প্রজাতিতে এসেছে যার মাধ্যমে আধুনিক মানুষ অনেক উঁচু কোনও স্থানে টিকে থাকার ক্ষমতা পেয়েছে। এ নিয়ে নিবন্ধের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী 'নেচার'-এ। ডেনিসোভানরা ছিল মনুষ্য প্রজাতিগুলোর মধ্যে একটি রহস্যময় প্রজাতি, যারা এখনকার আধুনিক মানুষের আগে এশিয়ায় বসবাস করতো। ধারণা করা হয়, হাজার বছর আগে তারা পৃথিবীর অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে পর্যন্ত সাইবেরিয়ার ডেনিসোভা গুহাতে পাওয়া জীবাশ্ম থেকে হাড় ও দাঁতের কিছু নমুনায় এই প্রজাতি সম্পর্কে জানা যায়। আরও পড়তে পারেন: নিজের গর্ভে নাতনির জন্ম দিলেন মার্কিন নারী ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে উড়িষ্যায় আতঙ্ক, সতর্কতা 'আমার স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন ছিল একটা যুদ্ধের মতো' বৈশিয়া কার্স্ট গুহা। কিন্তু সেখান থেকে পাওয়া ডিএনএ থেকে জানা যায় যে এরা মানবজাতির একটি স্বতন্ত্র শাখা ছিল। এখন বিজ্ঞানীরা অন্য একটি সাইট থেকে প্রথম ডেনিসোভা জীবাশ্ম চিহ্নিত করলো। ১৯৮০ সালে তিব্বতের মালভূমিতে ৩,২৮০ মিটার উচ্চতায় বৈশিয়া কার্স্ট গুহাতে পাওয়া যায় নিচের ডেনিসোভা প্রজাতির নিচের চোয়ালের হাড়। কার্বন টেস্টের বদলে ইউরেনিয়াম-সিরিজ ডেটিং করা হয় অস্থিগুলোর বয়স বের করার জন্যে। চোয়ালের হাড়গুলো প্রায় ১,৬০,০০০ বছরের পুরনো বলে জানা যায়। এই গবেষণাপত্রের সহ-লেখক যিনি জার্মানির লিপজিগের বিবর্তনবাদী নৃতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউটে কাজ করেন, জিন জ্যাকস হাবলিন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এতটা উঁচুতে মানুষের আদি প্রজাতির বসবাসের প্রমাণ পাওয়াতে। তিনি বলেন, "যখন আমরা বর্তমান মানুষের আদি প্রজাতি নিয়েনডারথাল বা ডেনিসোভা নিয়ে গবেষণা করেছি তখন দেখা গেছে যে তাদের চরম পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা বেশি ছিলনা।" তিব্বত মালভূমিতে পাওয়া ডেনিসোভান সাইট সম্পর্কে মি. হাবলিন বলেন, "এটি একটি মালভূমি এবং অবশ্যই সেখানে বাস করার মতো প্রচুর সম্পদ ছিল, আর তারা শুধু মাঝে মাঝে আসতো এমনও নয়।" জিয়াংলা রিভার ভ্যালি, যেখানে বৈশিয়া কার্স্ট গুহা অবস্থিত। গবেষকরা এই জীবাশ্মে সংরক্ষিত কোনও ডিএনএ-র খোঁজ পাচ্ছিলেন না। তখন তারা ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রোটিন সংগ্রহ করেন। সেই কৌশলকে বলা যেতে পারে প্রাচীন প্রোটিন বিশ্লেষণ। গবেষণা পত্রটির আরেক লেখক ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেনের ফ্রিডো ওয়েলকার বলেন, "আমাদের প্রোটিন বিশ্লেষণ থেকে পাওয়া তথ্য বলে যে, নিচের চোয়ালের হাড়টি হোমিনিন গোত্রের কারো যারা ডেনিসোভা গুহা থেকে প্রাপ্ত ডেনিসোভানদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ছিল।" এই আবিষ্কারটির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায় যে, ডেনিসোভা গুহাবাসীদের এমন একটি জিন ছিল যা জাইপোক্সিয়া বা অধিকতর উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাবের বিরুদ্ধে কাজ করে। এতদিন এটি ঘিরে একটি রহস্য ছিল কেননা সাইবেরিয়ার গুহাটি সমুদ্র সমতল থেকে মাত্র ৭০০ মিটার উচ্চতায়। এখনকার দিনে শেরপা, তিব্বতি এবং এ অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী জনগোষ্ঠীরও একই ধরনের জিনগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা কি-না হোমোসাপিয়েন্সরা হাজার হাজার বছর আগে ডেনিসোভানদের সাথে মিশে গিয়ে অর্জন করেছিল। প্রকৃতপক্ষে এই জিনগত বৈচিত্র্যটি ইতিবাচক প্রাকৃতিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এসেছে।
Scientists have found evidence that an ancient species of human called Denisovans lived at high altitudes in Tibet.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
দিল্লির দাঙ্গার পুড়েছিল মিস্টার মুনাজিরের দোতলা বাড়িও, যেটি তিনি কিনেছিলেন সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে। শুরুতে, লাখ লাখ অন্য দরিদ্র অভিবাসীর মতোই ভারতের বর্ধনশীল রাজধানীর এক কোনায় তারপুলিনে ঘেরা এক ছোট ঘরে থাকতেন মুনাজির। একটি পুস্তক বাঁধাইয়ের দোকানে কাজ নিয়ে তিনি চলে যান খাজুরি খাস এলাকায়। এলাকাটি দিল্লির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এখানকার শিক্ষাদীক্ষার হার ভারতের জাতীয় গড়েরর তুলনায় অনেক কম। বই বাঁধাইয়ের দোকান যখন বন্ধ হয়ে গেল, মিস্টার মুনাজির তখন নিজেই কিছু করার কথা চিন্তা করলেন। ছোট একটি গাড়ি কিনলেন, সাথে কিনলেন চাল আর মুরগি। শুরু করলেন বাড়িতে বানানো বিরিয়ানি বিক্রির ব্যবসা। তার ব্যবসা টিকেও গেল-"আমি নায়ক হয়ে গেলাম, সবাই আমার বিরিয়ানি পছন্দ করতো"। মুনাজির প্রায় ১৫ কেজি বিরিয়ানি রান্না করতেন যা বিক্রি করে দিনপ্রতি অন্তত ৯০০ রুপি লাভ হতো। সবকিছুই ভাল যাচ্ছিল। প্রায় তিন বছর আগে, নিজের ও ভাইয়ের সঞ্চয় মিলিয়ে ২৪ লাখ রুপি দিয়ে একটি বাড়ি কেনেন মুনাজির। তার ভাই একজন গাড়িচালক। সরু এক গলিতে ম্যাড়মেড়ে এক দোতলা বাড়ি। বাড়ির প্রতি তলায় দুটি করে কামরা। জানালার বালাই নেই। একটি করে ছোট রান্নাঘর আর একটি করে বাথরুম। দুটি পরিবারের জন্য খুবই ছোট, কিন্তু বাড়িতো! দিল্লির গুমোট গ্রীষ্মের হাত থেকে বাঁচতে তারা শীতাতপ যন্ত্রও লাগিয়েছিলেন বাড়িটিতে। মুনাজির বলেন, "এটা ছিল একটি নীড়, যেটি আমি আমার স্ত্রী আর ছয় সন্তানের জন্য সারা জীবনের কষ্টের সঞ্চয় দিয়ে কিনেছিলাম।" "সারাজীবন শুধু এই একটি মাত্র জিনিস চেয়েছি এবং এই একটি স্বপ্নই আমার বাস্তব হয়েছিল।" কিন্তু গত সপ্তাহের মঙ্গলবারের এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে তার সেই স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। নিজের পুড়ে যাওয়া বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ মুনাজির আর তার ছেলে। মিস্টার মুনাজিরের বাড়ি লুট করে আগুন দিয়েছিল একদল মুখোশ আর হেলমেট পরা মানুষ। যাদের হাতে ছিল লাঠি, হকিস্টিক, পাথর আর পেট্রোল ভর্তি বোতল। কণ্ঠে ছিলো শ্লোগান ছিল, "জয় শ্রী রাম"। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শুরু হওয়া দিল্লিতে কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহতম প্রাণঘাতী ধর্মীয় দাঙ্গায় খাজুরি খাস ছিন্ন ভিন্ন জনপদে পরিণত হয়েছে। সেখানে কাউকে হত্যা করা হয়নি। কিন্তু তিন দিন ধরা জ্বলা আগুন আর নৃশংসতায় দিল্লির উত্তর-পূর্বের ওই এলাকায় ৪০টি প্রাণ নিঃশেষ হয়েছে, শত শত মানুষ আহত হয়েছেন এবং অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। আর প্রমাণ মিলছে যে, পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল এই দাঙ্গায়। নথিবদ্ধ প্রমাণাদি বলছে যে, সেখানে কিছু পুলিশ দাঙ্গাকারীদের সহায়তা করছিল বা বিষয়টিকে পুরোপুরি এড়িয়ে গেছে। খাজুরি খাস এলাকায় প্রায় ২০০টির মতো বাড়ি ও দোকান ছিল, যার এক পঞ্চমাংশের মালিক ছিল মুসলমানেরা। যারা জানেন না, তাদের পক্ষে দেখে বোঝা কঠিন ছিলো, গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা ছোট ঘরগুলোর কোনটি মুসলমানের আর কোনটি তাদের হিন্দু প্রতিবেশীর। কোথাও কোথাও দুই ধর্মের দুই প্রতিবেশীর বাড়ির ছিলো একই দেয়াল। কোথাও কোথাও জোড়া লাগানো টানা ছাদ। তারপরও খুব সহজেই শুধুমাত্র মুসলিমদের বাড়ি আর দোকানগুলোতেই হামলা করেছিল দুষ্কৃতিকারীরা। এখন অক্ষত দাঁড়িয়ে থাকা রং করা তকতকে হিন্দুদের বাড়ির পাশেই চোখে পড়ে মুসলমানদের কালি-ঝুলি মাখা, ভাঙাচোরা বাড়ি। মুসলমানদের মুরগি, মুদি পণ্য, মোবাইল ফোন আর মানি ট্রান্সফারের দোকান, কোচিং সেন্টার আর একটি সোডা কারাখানা আগুন দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছে। আর এগুলোর পাশে থাকা হিন্দুদের দোকানগুলোতে এখন ঝাঁপ খুলতে শুরু করেছে। খাজুরি খাস এলাকায় বড় ধরণের ক্ষতি করা হয়েছিল দাঙ্গার সময়। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এখন একমাত্র মিলটি হচ্ছে, তারা একই রাস্তায় যাতায়াত করে যার উপর ছড়ানো ছিটানো সহিংসতার ছাপ: ভাঙা কাঁচের টুকরো, পুড়ে যাওয়া গাড়ি, ছিঁড়ে ফেলা স্কুলের বই আর নষ্ট হয়ে যাওয়া রুটি। ধ্বংস্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে ডাকতে থাকা কয়েকটি ছাগলই সেখানে একমাত্র প্রাণের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। "আমি জানি না যে দাঙ্গাকারীরা ভেতরের নাকি বাইরের। আমরা তাদের মুখ দেখিনি। কিন্তু স্থানীয় কারো সহায়তা ছাড়া তারা আমাদের বন্ধ ঘর দেখেও কিভাবে শনাক্ত করলো?" প্রশ্ন মুনাজিরের। রাতারাতিই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাহাড় সমান অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। মিস্টার মুনাজিরের পুড়ে যাওয়া বাড়ির ঠিক উল্টোদিকের দোতলা বাড়িটির মালিক এখজন হিন্দু। তার পেশা পান বিক্রি করা। তার সাথে থাকা দুই ছেলে সরকারি পরিবহন কোম্পানিতে চাকরি করেন। মিস্টার মুনাজির বলেন, বছরের পর বছর ধরে শান্তিতেই পাশাপাশি বাস করে আসছিলেন তারা। "এমনকি আমি তার বাড়িতে ভাড়া থেকেছি। তিনি বেরিয়ে এসে দাঙ্গাকারীদের সাথে কথা বলে বোঝাতে পারতেন," মিস্টার মুনাজির বলেন। "হয়তো আমার বাড়িটা বেঁচে যেতো।" সেই দুর্ভাগ্যের সকালে ভয়ের ঠাণ্ডা স্রোত নেমে গিয়েছিলো মিস্টার মুনাজিরের শিরদাঁড়া বেয়ে। তিনি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছিলেন। স্থানীয় এক হিন্দু স্কুল শিক্ষক অস্ত্রধারীদের শান্ত করে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন। "চিন্তা করবেন না, কিছু হবে না। বাড়ি যান," উদ্বিগ্ন মুসলিমদের তিনি একথা বলছিলেন। এক হিন্দু যুবক দাঙ্গাকারীদের অন্য আরেকটি লেনে প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু দাঙ্গাকারীরা তার কথা শোনেনি আর এর পরপরই তারা ভাঙচুর শুরু করে। আর তখন মিস্টার মুনাজির তার বাড়ি যান এবং প্রধান ফটক দরজা বন্ধ করে দেন। অনেকে এলাকায় শুধু মুসলিমদের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। দাঙ্গাকারীরা তার দরজা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল আর তখনই তাদের নজরে আসে কয়েক বাড়ির পরে থাকা মসজিদ। তাই তারা আপাতত দরজা ভাঙা বাদ দিয়ে মসজিদ লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকে। মিস্টার মুনাজির বলেন, ছয় ঘণ্টা পর পুলিশ আসে। তারা মুসলিম বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছিল দাঙ্গাকারীদের চোখের সামনে দিয়েই, আর দাঙ্গাকারীরা তাদের চর-থাপ্পড় ও পাথর মারছিল। পুলিশের সাথে সদ্যই ধর্মীয় সহিংসতার জেরে শরণার্থীতে পরিণত হওয়া মুসলমানেরা বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে দাঙ্গাকারীরা তাদের বাড়িতে ঢুকে লুটপাট শুরু করে এবং লুটপাট শেষে আগুন দিতে থাকে। "তুমি ভাগ্যবান যে তুমি বেঁচে গেছো," মিস্টার মুনাজিরকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছিল। "তুমি যেখানে চাও, আমরা তোমাকে সেখানেই নিয়ে যাবো।" আরো পড়তে পারেন: দাঙ্গা কবলিত এলাকা থেকে ৪০ জন উদ্ধার করেছিলেন মুস্তারি খাতুন। রাস্তার শেষের দিকে মুসলিম অধ্যুষিত এক এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি যেতে চান তিনি। সেখানে পৌঁছে দেখেন এরই মধ্যে শরণার্থীতে ভরে উঠেছে বাড়িটি। ছোট তিনটি কক্ষে আশেপাশের ১১টি পরিবারের ৭০ জন নারী, পুরুষ আর শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে এক যুবতী মা ছিলেন যিনি তার ছয় দিন বয়সী শিশুকে কোমরে বেঁধে প্রাণ বাঁচাতে তিন তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। তাদের সবার বাড়ি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে কয়েক জনকে পুলিশ সেখানে নিয়ে এসেছে, আর কমপক্ষে ৪০ জনকে উদ্ধার করেছে ওই ভবনের মুসলিম নারীরা যা অসাধারণ সাহসের প্রতীক। "আমি এখনো ভাবি যে পুলিশ কেন ওই এলাকায় গিয়ে আমাদের বাড়িগুলো রক্ষা করলো না। তারা কেন আরো বাহিনীর সাহায্য চাইলো না? এটা কি ইচ্ছাকৃত ছিল নাকি তাদের আর কোন বাহিনী ছিল না?" এমন প্রশ্ন করছিলেন দিল্লিতে চাকরীর খোঁজে আসা বিক্ষিপ্ত এক যুবক প্রকৌশলী। তিনটি ছোট ঘরে বাস করছে ৭০ জনেরও বেশি শরণার্থী। আর এজন্যই খাজুরি খাসের ৭০ জন বাসিন্দা তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য মুস্তারি খাতুনের কাছে কৃতজ্ঞ। যিনি ভোর বেলা সাহস করে প্রধান রাস্তা পার হয়ে, দাঙ্গা কবলিত এলাকায় গিয়ে মুসলিম নারী আর শিশুদের উদ্ধার করে নিয়ে এসে আশ্রয় দিয়েছেন। উত্তেজিত দাঙ্গাকারীদের তোয়াক্কা না করে "চার-পাঁচবার" তিনি ওই এলাকায় গিয়েছেন এবং তাদের উদ্ধার করে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে থাকা নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দিয়েছেন। নারী আর শিশুরা বের হওয়ার জন্য নিরাপদ জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত এক ছাদ থেকে আরেক ছাদে লাফিয়ে লাফিয়ে পার করেছে। পুলিশের চেয়েও বেশি জীবন বাঁচিয়েছেন মিসেস খাতুন। "এখন থেকে আমাদের নিজেরাই নিজেদেরকে বাঁচাতে হবে। দিল্লি আর আমাদের রক্ষা করবে না," তিনি বলেন। তার কণ্ঠে দমে যাওয়া নয় বরং প্রতিরোধের স্বর। দিল্লি সহিংসতা: 'পুলিশকে আগুন দিতে দেখেছি: বিবিসিকে ভুরা খান
Mohammad Munazir arrived in Delhi decades ago, escaping poverty in his native state of Bihar where his landless father worked on other people's farms for a pittance.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। দেশটির জনসংখ্যার বিশাল অংশ বাস করে জনাকীর্ণ শহরগুলোতে। ভারত করোনাভাইরাসের বিশ্বের একটা হটস্পট হয়ে উঠবে এটা প্রথম থেকেই আশংকা করা হচ্ছিল। কিন্তু দেশটিতে করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যান নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে, কারণ ভারতে যথেষ্ট পরীক্ষা হচ্ছে না, এবং দেশটিতে অস্বাভাবিক কম মৃত্যু হারে বিজ্ঞানীরা বিভ্রান্ত। ভারতে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ে যে পাঁচটি বিষয় জানা যাচ্ছে। ১. ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে ভারতে সম্প্রতি পরপর বেশ কয়েকদিন আক্রান্তের সংখ্যা চূড়ায় পৌঁছনর রেকর্ড হয়েছে। ভারতে শনাক্ত রোগীর সবোর্চ্চ সংখ্যা ছিল জুন মাসে। কঠোর লকডাউনের পর সবকিছু খুলে দেবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই উচ্চ হার দেখা যায়। ৮ই জুলাই পর্যন্ত ভারতে নিশ্চিত কোভিড শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪১৭। কিন্তু দেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণের হারের প্রকৃত চিত্র স্পষ্ট নয়, বলছেন ভাইরোলজিস্ট শাহীদ জামিল। মে মাসে ভারত সরকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ২৬ হাজার নমুনা নেয়, যার মধ্যে ০.৭৩ শতাংশ নমুনায় ভাইরাস পাওয়া যায়। কিছু বিশেষজ্ঞ নমুনার সংখ্যা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কিন্তু ড. জামিলের মত অন্য কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, সারা দেশ থেকে সংগ্রহ করা এই নমুনাগুলোই দেশব্যাপী একটা সার্বিক চিত্র তৈরি করার একমাত্র ভিত্তি। "এই নমুনার ফলাফল যদি সারা দেশের জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে বলতে হবে মে মাসের মাঝামাঝি ভারতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল এক কোটি," ড. জামিল বলেন। ভারতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা যেহেতু প্রতি বিশ দিনে বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে, সেই হিসাব ধরলে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা দেশটিতে দাঁড়ায় তিন থেকে চার কোটির মধ্যে। নিশ্চিত বলে শনাক্ত এবং সত্যিকার সংক্রমিতের মধ্যে হিসাবের যে ফারাক তা প্রত্যেক দেশেই আছে- তবে তা বেশি-কম। এর ফারাক কমানোর একমাত্র পথ হল টেস্টিং। "আপনি যত বেশি টেস্ট করবেন, তত বেশি লোক শনাক্ত হবে।" ভারতে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে সেটাই হয়েছে- সরকার টেস্ট বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যাও হঠাৎ লাফিয়ে বেড়েছে। ভারতে ১৩ই মার্চ থেকে মোট টেস্ট হয়েছে এক কোটির বেশি। কিন্তু এর অর্ধেকের বেশি হয়েছে পয়লা জুনের পর। ২.ভারত যথেষ্ট টেস্ট করছে না ভারতে আক্রান্ত রোগী সংখ্যার হিসাবে খুবই বেশি, কিন্তু মাথা পিছু হিসাবে দেখলে তা অপেক্ষাকৃত কমই। বিশ্বে আক্রান্তের যে সংখ্যা তা মাথা পিছু হিসাবে ভারতের চেয়ে গড়ে তিন গুণ বেশি। তবে ড. জামিল বলছেন ভারতে আক্রান্তের মাথা পিছু হিসাব কম তার কারণ ভারতে টেস্টের সংখ্যা খুবই কম। অন্য যেসব দেশে মাথা পিছু শনাক্তের হার বেশি, ভারতের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে তারা পরীক্ষা করছে অনেক বেশি। উপরের চার্টে তুলনামূলক হিসাবে দেখানো হয়েছে যেসব দেশে মাথা পিছু হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানে টেস্টিংএর হারও মাথা পিছু হিসাবে বেশি। ভারতের ক্ষেত্রে মাপের হিসাবে এই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় চোখেই পড়ে না কারণ টেস্টিংয়ের হার সেখানে এতই কম। এখানে আরেকটা জিনিস গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল কত টেস্ট হচ্ছে শুধু সেটা নয়, কাদের টেস্ট করা হচ্ছে। প্রথম দিকে ভারত জোর দিয়েছিল শুধু তাদেরই মধ্যে টেস্ট সীমিত রাখতে, যাদের আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি এবং তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছে। এর বাইরের জনগোষ্ঠীকে তারা টেস্টের আওতায় আনেনি। বলা হচ্ছে ভারতে টেস্টিং হচ্ছে খুবই সীমিত পরিসরে সংক্রমণ যখন দ্রুত ছড়াতে শুরু করে তখন টেস্ট এবং ট্রেস আর কাজ করে না, বলছেন হিমাংশু তেয়াগি এবং আদিত্য গোপালন, যারা কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা কৌশল নিয়ে কাজ করেছেন। তারা বলছেন এই পর্যায়ে টেস্টিং, ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাহায্য করে, কিন্তু যাদের মধ্যে ভাইরাস থাকলেও শনাক্ত হয়নি, তাদের আর খুঁজে বের করা যায় না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভারতে কাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে? বিভিন্ন দেশের মধ্যে তুলনা করার ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা আছে। কোন কোন দেশ কত লোককে পরীক্ষা করা হচ্ছে সেটার হিসাব দেয়। আবার কোন দেশ হিসাব দেয় তাদের মোট পরীক্ষার সংখ্যা কত। ভারতের হিসাবে থাকে মোট পরীক্ষার সংখ্যা। সেখানে ভারতের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা বেশি আসে। কারণ বেশিরভাগ লোককে ভারতে পরীক্ষা করা হয় একাধিকবার। বিজ্ঞানীরা একজন শনাক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে কত টেস্ট করা হয়েছে সেটার হিসাবের ওপর জোর দিতে চান। টেস্টের পরিসর যত ব্যাপক করা যাবে, তত পজিটিভ শনাক্তের হার কমবে। সে কারণে নিউজিল্যান্ড এবং তাইওয়ানে এই হার ১%এর অনেক কম। ভারতের পজিটিভ রোগীর হার এপ্রিলে ছিল ৩.৮% এখন জুলাইয়ে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৪%। এটা ক্রমশ বাড়ছে। এর কারণ টেস্ট এখন ব্যাপক পরিসরে হচ্ছে না। টেস্ট হচ্ছে শুধু সীমিত পরিসরে উচ্চ ঝুঁকিরএকটা জনগোষ্ঠীর এবং তাদের কন্ট্যাক্টে আসা কিছু লোকের। ৩. ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার হার সন্তোষজনক তথ্য উপাত্তে দেখা যাচ্ছে যে ভারতে যাদের ভাইরাসের শনাক্ত হচ্ছে তারা সেরে উঠছে দ্রুত। সুস্থ হবার হার মৃত্যু হারের থেকে বেশি। এটা গুরুত্বপূর্ণ বলছেন ড. জামিল, কারণ এতে বোঝা যায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর কতটা চাপ পড়ছে। বর্তমানে সেরে ওঠার হার শনাক্ত ও মৃত্যু হারের থেকে অনেক উপরে। আর বেশি মানুষের সেরে ওঠার অর্থ স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর বেশি চাপ। টেস্টিং কম হওয়ার একটা অর্থ হল নতুন সংক্রমণ নথিভুক্ত হচ্ছে কম এবং ধীরে। আর নতুন সংক্রমণ নথিভুক্ত কম হলে স্বভাবতই সুস্থ হওয়ার হার বেড়ে যাবে। বিশ্বের যেসব দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেসব দেশের তুলনায় ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার গ্রাফের ঊর্ধ্বমুখী চিত্র অনেক ইতিবাচক। এটা ধারণা দেয় যে আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে কোভিড রোগীরা সুস্থ হচ্ছে সংখ্যায় বেশি এবং দ্রুত। আমেরিকায় যেখানে এই হার ২৭%, ভারতের ক্ষেত্রে সেই হার ৬০%। তবে এখানেও তুলনা করার ক্ষেত্রে একটা সমস্যা হল তথ্য সংকলন পদ্ধতি এবং সেরে ওঠার সংজ্ঞা নিয়ে। ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার তথ্য দেখা হয় যখন কেউ পরীক্ষায় কোভিড শনাক্ত হচ্ছে এবং তার কয়েক সপ্তাহ পর আবার পরীক্ষা করে সে নেগেটিভ হচ্ছে। কিন্তু কোন কোন দেশে যেসব শনাক্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এবং পুরো সুস্থ হচ্ছে শুধু তাদেরই এই পরিসংখ্যানে ধরা হয়। আরও বলা হচ্ছে ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান ভাল তার একটা কারণ ভারত মৃত্যুর যে সংখ্যা দিচ্ছে তা অনেক কম। ৪. ভারতে মৃত্যু হার খুবই নিচু ভারতে কোভিড-১৯এ এ পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ২০,১৬০। সংখ্যা দিয়ে হিসেব করলে ভারতের স্থান আসবে বিশ্ব মানচিত্রে আট নম্বরে। কিন্তু জনসংখ্যার প্রতি দশলাখের হিসাবে এই হার আসলে কম। "এটা পশ্চিম ইউরোপে মৃত্যুর হারের তুলনায় খুবই নগণ্য," বলছেন ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের অর্থনীতিবিদ শামিকা রাভি। তবে ভারতে মৃত্যুর হার নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করেন ভারত এই সংখ্যা সম্ভবত কমিয়ে বলছে । তবে ড. রাভি মনে করেন সেটা সম্ভব নয়। "ভারতে মৃত্যুর হার যদি বেশি হতো, কোন তথ্য দিয়ে তা গোপন রাখা সম্ভব হতো না। কারণ ইউরোপ আর ভারতের মধ্যে মৃত্যুর হারের তফাৎটা ব্যাপক।" ভারতে মৃত্যুর হার ওই এলাকার অন্যান্য দেশের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেমন পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়া। এর পেছনে নানা তত্ত্ব আছে। যার মধ্যে একটা হল পশ্চিমে যেসব দেশ বেশিরকম আক্রান্ত, সেসব দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে, ওই এলাকার দেশগুলোতে এর থেকে কম শক্তির ভাইরাসে মানুষ আগে আক্রান্ত হয়েছে- ফলে তাদের হয়ত কিছুটা ইমিউনিটি থাকতেও পারে, এবং এসব দেশে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ অপেক্ষাকৃত তরুণ। ড. জামিল বলছেন, "এসব দেশে নানাধরনের জীবাণু এত বেশি যে মানুষের শরীরে যে কোন ভাইরাস প্রতিরোধের শক্তি হয়ত পশ্চিমের মানুষের চেয়ে স্বাভাবিকভাবে বেশি। তবে ভারতে মৃত্যু হার কেন কম তার আসল কারণ আমাদের জানা নেই।" ৫. ভারতের প্রত্যেক রাজ্য আলাদা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতই করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যান ভারতের একেক রাজ্যে একেক রকম। ভারতের শনাক্ত রোগীর ৬০ শতাংশই দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং তামিল নাডুতে। ভারতের এক রাজ্যে আক্রান্তের হার যখন কমে, তখন আবার দেখা যায় অন্য রাজ্যে তা ঊর্ধ্বমুখী। দক্ষিণে কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানায় আক্রান্ত সম্প্রতি বেড়েছে। দক্ষিণেরই অন্ধ্র প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বরাবরই উপরের দিকে ভারত সরকার এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভাইরাস মোকাবেলা করেছে এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেই কৌশল এখন বদলানো দরকার। ড. জামিল বলছেন ভারতের উচিত হবে "রাজ্য ভিত্তিক মোকাবেলা কৌশল" নির্ধারণ করা। তিনি মনে করেন প্রতিটা রাজ্যে স্থানীয় ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, এবং স্থানীয় বাস্তবতার নিরীখে ভাইরাস মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। তার মতে, আবার দেশ জুড়ে আরেকটা লকডাউন দিলে তা আরও কম ফল দেবে। । করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে
The coronavirus took hold slowly in India, but six months after its first confirmed infection it has overtaken Russia to record the world's third largest caseload.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
মি. ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মূলধারার মিডিয়াকে পাশ কাটিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই তার কথা বলতেন বেশি ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে জানুয়ারি মাসে মি. ট্রাম্পের সমর্থকরা তাণ্ডব চালানোর পর সামাজিক মাধ্যমের বিশাল প্রতিষ্ঠান ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ফক্স নিউজ চ্যানেলের নতুন সংবাদকর্মী লারা ট্রাম্প বেশ কিছু বিষয়ে মি. ট্রাম্পের যে সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন, সেটি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। এরপর ফেসবুক তাকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে যে ইমেল পাঠায় সেটির ছবি তুলে লারা সেটিও পোস্ট করেন। ''ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠে কোন কিছু এইসব প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা হলে তা সরিয়ে ফেলা হবে এবং ভবিষ্যতে এধরনের কার্যকলাপ এই অ্যাকাউন্টের ওপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা জারি করবে," লেখা হয়েছে ফেসবুক থেকে ''ক্যাটেলিন'' নামের একজনের কাছ থেকে আসা একটি ইমেলে। আরও পড়তে পারেন: মি. ট্রাম্পের পুত্র এরিকের স্ত্রী লারা ট্রাম্প, এর পর ভিডিও প্ল্যাটফর্ম রাম্বল-এ তার নিজস্ব অনলাইন শো 'দ্য রাইট ভিউ'তে তার এই সাক্ষাতকারটি পোস্ট করেন এবং তার ফেসবুক পেজে রাম্বল-এর লিংক জুড়ে দেন। "আর এভাবেই আমরা জর্জ অরওয়েলের নাইনটিন এইটি ফোর-এর কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছি। দারুণ!'' তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মন্তব্য করেন লারা ট্রাম্প। ইংরেজ ঔপন্যাসিক জর্জ অরওয়েলের সামাজিক পটভূমিতে লেখা বিখ্যাত উপন্যাস নাইনটিন এইটি ফোর-এর বিষয়বস্তু ছিল সমাজের ওপর একনায়কতন্ত্র, রাষ্ট্রের গণ নজরদারি এবং সরকারি প্রচারণার যাঁতাকলের প্রভাব। দীর্ঘদিন ট্রাম্পের সমর্থক এবং ফক্স টিভি নিউজের উপস্থাপক শন হ্যানিটি এক টুইট বার্তায় এই পদক্ষেপকে "চরম সেন্সরশিপ'' বলে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ: গুগল, ফেসবুক, টুইটার কতটা ক্ষমতাধর? ক্যাপিটলে দাঙ্গার এক দিন পর ৭ই জানুয়ারি ফেসবুক মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এধরনের অ্যাকাউন্টে বিতর্কিত কন্টেন্ট বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্তর বিষয়ে বিধান দেবার জন্য ফেসবুকের একটি নবগঠিত বোর্ড এখন মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। সেসময় এই সিদ্ধান্তের পক্ষ সমর্থন করে ফেসবুকের প্রধান মার্ক যাকারবার্গ বলেছিলেন: ''বর্তমান সময় প্রেসিডেন্টকে আমাদের সেবা ব্যবহার করতে দেয়ার ঝুঁকি এককথায় খুবই বেশি বলে আমরা মনে করছি।" টুইটার এবং ইউটিউবও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
Facebook has removed a video of former US President Donald Trump from the page of his daughter-in-law Lara Trump.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ইতালিতে অবৈধভাবে খৎনা করানো নিয়ে অনেকের উদ্বেগ রয়েছে। জানা গেছে, মৃত শিশুটির ভাইকেও একই সাথে খৎনা করানো হয়, তবে সে হাসপাতালে সেরে উঠছে। শিশু দু'টির নাম প্রকাশ করা হয় নি। ঘটনাটি ঘটেছে রোমের উত্তর-পশ্চিমে মন্টেরন্ডো উপশহরে। তাদের মা নাইজেরিয়ান, এবং তিনি নিজে একজন ক্যাথলিক খৃস্টান হলেও নাইজেরিয়ার প্রচলিত ইসলামী রীতি অনুযায়ী সন্তানদের খৎনা করানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ইতালির সংবাদ মাধ্যম বলছে, এ ব্যাপারে ৬৬ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। যে ডাক্তার ওই খৎনা করিয়েছিলেন, তিনি লিবিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান বলে জানানো হয়। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পুলিশ এখন তার ডাক্তারি পড়াশোনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের মা নাইজেরিয়ান মহিলাটির নিজদেশে আরো পাঁচ সন্তান রয়েছে। একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইতালিতে প্রতি বছর পাঁচ হাজার খৎনা করানো হয় এবং তার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি করানো হয় অবৈধভাবে। কিন্তু এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঘটনা খুব বিরল। বিবিসি বাংলায় আরো খবর ইসির বৈঠক থেকে ওয়াকআউট ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের হিন্দু ভোটারদের ঘিরেই নাসিরনগরে যত সমীকরণ লম্বা চুলদাড়ি, নীল চোখ - এই কি যীশুর আসল চেহারা? ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে এখন যা বলছেন অঞ্জনা "এটা এমন এক শোকাবহ ঘটনা যা আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছে" - ফেসবুকে এক বার্তায় বলেছে আর্চি নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যাদের পরিচালিত অভিবাসী কেন্দ্রে ওই ঘটনাটি ঘটে। সারা ইউরোপ জুড়েই ছেলেদর খৎনা বৈধ, কিন্তু ইতালির সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে খৎনা করানোর ব্যবস্থা নেই। বেসরকারি ক্লিনিকে এটা করাতে গেলে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এ কারণে দরিদ্র পরিবারগুলো অনেক সময়ই অদক্ষ লোকদের দিয়ে এ কাজ করায় - যাতে ২০ থেকে ৫০ ইউরো খরচ হয়। বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মিশেল রবার্টস বলছেন, খৎনা করানো একটি সরল ডাক্তারি প্রক্রিয়া তবে এতে যে কোন ঝুঁকি নেই তা নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এটা করানোর পরামর্শ দেন। তা ছাড়া এটা করালে কিছু ক্ষেত্রে যৌনমিলনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি কমে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: আইসল্যান্ডে কেন খৎনা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে সিয়েরা লিওনের নারী 'হাজাম' মেমিনাতুর কথা ওয়েলসে মেয়েদের খৎনার ঘটনা ধরা পড়েছে ১২৩টি
A two-year-old boy has died from blood loss following a failed circumcision at a migrant centre in Italy.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ওকসানা যোটোভার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর যেমন সমালোচনা শুরু হয়েছে, তেমনি অনেকে সমর্থনও করছেন লেন্ট হচ্ছে ইস্টার সানডের আগে খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি ধর্মীয় প্রক্রিয়া, যে সময় অনেকে উপবাস করেন এবং বিলাসী দ্রব্য ব্যবহার এড়িয়ে চলেন। ওই যাজকের স্ত্রী, ওকসানা যোটোভা ম্যাগনিটোগোরস্ক শহরের একটি সৌন্দর্য চর্চা কেন্দ্র পরিচালনা করেন। সম্প্রতি তিনি 'মিস সেনসুয়ালিটি' পুরস্কার পান। তবে তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন, যখন রাশিয়ার পিকাবু নামের একটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যে, তিনি একজন অর্থোডক্স যাজকের স্ত্রী। যখন গীর্জার লোকজন এই তথ্যটি জানতে পারে, সঙ্গে সঙ্গে যাজক সের্গেই যোটভকে ম্যাগনিটোগোরস্ক ক্যাথেড্রাল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং ৬৫ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে বদলি করা হয়, যেখানে জনসংখ্যা মাত্র ৪ হাজার। আর্চপ্রিস্ট ফিওডর সাপ্রিকিন বলেছেন, ''একজন যাজকের স্ত্রীর এভাবে একটি অনুষ্ঠানে নিজেকে খোলামেলাভাবে তুলে ধরাটা একটি বড় পাপ''। দুইশো বছরে তৈরি আর আগুনে ছারখার কয়েক ঘণ্টায় চাঁদ দেখা: বিজ্ঞানকে কেন কাজে লাগাচ্ছে না মুসলিমরা ডাক্তাররা যে শিক্ষা পেলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সের্গেই যোটভকে এই কাঠের ব্রিজ পার হয়ে নতুন কর্মস্থলে যেতে হবে তিনি রায় দিয়েছেন, যতদিন না তার স্ত্রী প্রায়শ্চিত্ত না করবেন, ততদিন আর ওই যাজককে পুনর্বহাল করা হবে না। ''তিনি কেমন যাজক, যে তার নিজের পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না? তিনি কিভাবে একটি ধর্মীয় সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করবেন?'' তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনাটি রাশিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। দেশটির অনেক সংবাদ মাধ্যম এবং অনলাইন ফোরামে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। একজন লিখেছেন, ''এই হলো ব্যাপার, যা এই যাজকের স্ত্রীর সম্পর্কে জানা উচিত। এবং যাজকের ব্যাপারেও। তারা বয়ান করে এক জিনিস আর প্রাকটিস করে অন্য জিনিস।'' তবে অনেকে চার্চের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন এবং এই যুগলের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। ''কেন তিনি নিজের জীবন উপভোগ করতে পারবেন না? এখনো কি এমন মানুষ আছে যারা বিশ্বাস করে যাজকরা সব অন্যায়ের ঊর্ধ্বে? তারাও সাধারণ মানুষ, যারা ভালো একটি চাকরি করছেন।'' পিকাবুর একজন মন্তব্যকারী, যেখানে সবচেয়ে বেশি লাইক পড়েছে। আরেকজন প্রশ্ন তুলেছেন, ''সমস্যাটা কোথায়? বাইবেলে কোথায় বলা আছে যে, একজন যাজকের সুন্দরী স্ত্রী থাকতে পারবে না?'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আওয়ামী লীগ: অন্য দল থেকে আসা কর্মিদের তালিকা হচ্ছে খেলার জগতে 'সবচেয়ে দুর্দান্তভাবে' ঘুরে দাঁড়ালেন যিনি
An Orthodox priest in Russia's Urals region has been posted to a remote village as punishment for his wife's participation in a local beauty pageant during Lent.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
আবিষ্কার হওয়া মাথার খুলি তৈরি করেছেন এক শিল্পী। আনামেনসিস দেখতে কেমন ছিলো তিনি সেটি তৈরির চেষ্টা করেছেন। নতুন এই নমুনাটির বিশ্লেষণ, এপ প্রজাতির বানর থেকে মানুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিবর্তন প্রক্রিয়ার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। নতুন মতবাদ বলছে, লুসি নামে এপ প্রজাতির বানর থেকে প্রথম মানুষের উৎপত্তি হওয়ার যে মতবাদ প্রচলিত আছে তা আবার বিবেচনা করার অবকাশ আছে। ন্যাচার জার্নালে এই আবিষ্কারটি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ইথিওপিয়ার আফার রাজ্যের মিল্লা জেলার মিরো দোরা এলাকায় মাথার খুলিটি খুঁজে পান অধ্যাপক ইয়োহানেস হাইলি সেলাইসি। আরো পড়তে পারেন: মানুষ কখন ও কেন কথা বলতে শিখলো? মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশু বেশি জন্মায় কেন? মানুষ কী করে অন্য প্রাণীর দুধ খেতে শিখলো? যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োর ক্লিভল্যান্ড মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি-এর সাথে যুক্ত এই বিজ্ঞানী বলেছেন, তিনি সাথে সাথেই জীবাশ্মটির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। "আমি নিজেই নিজেকে বলি, আমি যা দেখছি সেটি কি আসলেই সত্যি? তারপর হঠাৎই আমি লাফিয়ে উঠি এবং বুঝতে পারি যে, এটিই আমার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল," তিনি বিবিসি নিউজকে বলেন। অধ্যাপক হাইলি সেলাইসি বলেন, মানুষের পূর্বপুরুষ হিসেবে পরিচিত এপ প্রজাতির এ পর্যন্ত পাওয়া নমুনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে এটি। ওই প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম অস্ট্রালোপিথিকুস আনামেনসিস- সবচেয়ে পুরনো অস্ট্রালোপিথিসিন যা প্রায় ৪২ লাখ বছর আগে পৃথিবীতে বাস করতো। ধারণা করা হয় যে, এ. আনামেনসিস ছিল আরো উন্নত প্রজাতি যা অস্ট্রালোপিথিকুস আফারেনসিস নামে পরিচিত তার সরাসরি বংশধর। এই উন্নত প্রজাতিটি প্রাথমিক মানুষের প্রথম জেনাস বা বর্গ বা দল যা হোমো নামে পরিচিত ছিল, তাদের পূর্বজ। বর্তমানে বেঁচে থাকা মানুষের বর্গকেও হোমো বলা হয়। নতুন পাওয়া মাথার খুলির বিভিন্ন দিক থেকে তোলা ছবি। ১৯৭৪ সালে আবিষ্কার হওয়া প্রথম আফারেনসিস কংকাল নিয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছিলো। তার নাম দেয়া হয়েছিলো লুসি। বিটলসের বিখ্যাত গান 'লুসি ইন দ্য স্কাই উইথ ডায়মন্ডস' খননের সাইটে বাজার সময় কংকালটি আবিষ্কার করা হয়েছিলো বলে সেটির এমন নাম দিয়েছিলেন গবেষকরা। 'প্রথম এপটি হেটেছিলো,' লুসিকে এভাবে বর্ণনা করার পর তা পুরো পৃথিবীর মনোযোগ কেড়েছিল। লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সাথে জড়িত অধ্যাপক ফ্রেড স্পুর ন্যাচার জার্নালে একটি মন্তব্যে লিখেছেন, "দেখে মনে হচ্ছে, মানুষের বির্বতনের আরেক আইকন হতে যাচ্ছে এই আনামেনসিস।" এটি এতো গুরুত্ব পাওয়ার কারণ হচ্ছে, আমরা বলতে পারি যে, আনামেনসিস এবং আফারেনসিস প্রায় সমসাময়িক ছিল। আগের ধারণা অনুযায়ী, পূর্বেরটি সরাসরি একটি সরল প্রক্রিয়ায় বিবর্তিত হয়ে পরেরটিতে পরিণত হয়নি। নতুন এই ধারণাটি সামনে আসে আগের বিবর্তনের ধারণাটির পুনর্ব্যাখ্যা থেকে। নতুন জীবাশ্মটিতে আগে আবিষ্কার হওয়া ৩৯ লাখ বছর পুরনো মাথার খুলির অবশিষ্টাংশের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওই অবশিষ্টাংশকে আনামেনসিস নামে ধরা হয়েছিলো। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি আসলে আফারেনসিসের দেহাবশেষের অংশ। তার মানে হচ্ছে, এই প্রজাতির ইতিহাস আরো গভীর। বর্তমানে ধারণা করা হচ্ছে যে, দুটি প্রজাতিই একসাথে বেঁচেছিলো প্রায় এক লক্ষ বছর ধরে। যা ধারণা করা হচ্ছে তা হল-আনামেনসিসের ছোট একটি দল অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে পড়ে এবং সময়ের সাথে সাথে স্থানীয় পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে এগুলো বিবর্তিত হয়ে আফারেনসিসে পরিণত হয়। আনামেনসিস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই দুই প্রজাতি কিছু সময়ের জন্য হলে একই সময়ে বেঁচেছিলো। নতুন এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাহলে এটি ধারণা দেয় যে, এপ প্রজাতির সাথে অন্য আরো উন্নত প্রজাতিরও আসলে সমসাময়িক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এর ফলে প্রথম মানুষ হওয়ার বিবর্তনের অনেক গুলো উপায় আমাদের সামনে চলে আসে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, যদিও এই ধারণা লুসি থেকে মানুষের হোমো বর্গের সৃষ্টি হওয়ার মতবাদকে বাতিল করে দেয় না, কিন্তু এটি এই ধারণার সাথে আরো কয়েকটি প্রজাতির নাম সংশ্লিষ্ট করেছে। অধ্যাপক হাইলি সেলিইসি একমত প্রকাশ করেন যে, কোন প্রজাতি মানুষের পূর্ব-পুরুষ তা নিয়ে 'সব ধরণের পণ এখন বন্ধ' হয়ে গেলো। তিনি বর্ণনা করেন: "দীর্ঘ সময় ধরে, মানুষের পূর্ব পুরুষ হিসেবে আফারেনসিসের নাম আসতো সবার আগে, কিন্তু আসলে আগের সেই অবস্থানে নেই আমরা। এখন আমাদেরকে ওই সময়ে বেঁচে থাকা সব প্রজাতিকেই বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে যে আসলে প্রথম মানুষের সাথে কোনটির সবচেয়ে বেশি মিল ছিল।" প্রথম মানুষের পূর্বজ লুসি নামে পরিচিত এপের দেহাবশেষ 'মিসিং লিংক' এই শব্দ দুটিকে যখন নৃবিজ্ঞানীরা কারো কাছ থেকে বিশেষ করে সাংবাদিকদের কাছে থেকে শোনেন, তখন তারা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েন। কারণ, তারা এটি এমন একটি জীবাশ্মকে ব্যাখ্যা করতে এই শব্দ ব্যবহার করছে যা অর্ধেক এপ এবং অর্ধেক মানুষ। ন্যাচার জার্নালের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক ড. হেনরি গি- আমার "কলিজা বের করে পেঁয়াজ, বরলটি বিন আর এক গ্লাস ক্লারেটের সাথে খেয়ে ফেলার" হুমকি দিয়েছিল। সেসময় পুরনো একটি আবিষ্কার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করছিলাম আমি। অবশ্য হেনরির খেপে যাওয়ার অনেক কারণও ছিল। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, মানব বিবর্তন চক্রের অনেক সূত্র রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগেরই এখনো কোন সন্ধান মেলেনি। আনামেনসিস হচ্ছে সম্প্রতি আবিষ্কার হওয়া সূত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নতুন যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আধুনিক মানুষের বিবর্তন ব্যাখ্যা করার আসলে সরল কোন রেখা নেই। সত্য এর চেয়েও আরো অনেক জটিল এবং মজার। এটি বিবর্তনের এমন গল্প বলে, যা বিভিন্ন পরিবেশে মানুষের পূর্বপুরুষের বিভিন্ন "প্রোটোটাইপ" নিয়ে "পরীক্ষা করে"। আর এটা ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন প্রজাতি যা জলবায়ু পরিবর্তন, বাসস্থান এবং খাদ্য সংকটের চাপ উপেক্ষা করে টিকে থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষে রূপান্তরিত হওয়ার পক্ষে শক্ত কোন বৈশিষ্ট্য সামনে তুলে ধরতে না পারে। অধ্যাপক হাইলি সেলাইসি মানব বিবর্তন নিয়ে কাজ করা গুটি কয়েক আফ্রিকান বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন। এখন তিনি বেশ পরিচিতি পেলেও এই অধ্যাপক স্বীকার করেছেন যে, যোগ্য আফ্রিকান গবেষকদের জন্য পশ্চিমা ভিত্তিক অর্থায়নকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে গবেষণার তহবিল পাওয়া বেশ দুঃসাধ্য। "আমাদের উদ্ভবের সাথে জড়িত বেশিরভাগ জীবাশ্মই আফ্রিকায় পাওয়া যায়। আর আমার মনে হয়, আফ্রিকানরা তাদের নিজেদের মহাদেশে থাকা এসব সম্পদ ব্যবহারে সক্ষমতা পাওয়া উচিত যাতে নৃ-বিজ্ঞানের মৌল ও জীবাশ্ম বিষয়ক শাখা পালায়েও-অ্যানথ্রপলজিতে তারা তাদের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে পারে। এ খাতে তাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হল অর্থায়ন," তিনি বলেন।
Researchers have discovered a nearly complete 3.8-million-year-old skull of an early ape-like human ancestor in Ethiopia.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
''আমার ধারণা, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার সামাজিক মাধ্যমে ফিরে আসবেন, তবে এবার তার নিজস্ব প্লাটফর্ম নিয়ে,'' জ্যাসন মিলার ফক্স নিউজকে বলেছেন। তিনি বলেছেন, মি. ট্রাম্পের এই প্লাটফর্ম সামাজিক মাধ্যমে 'হটেস্ট টিকেট' বা অত্যন্ত জনপ্রিয় হবে। সেটি পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দেবে বলে তিনি মনে করেন। জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়াবহ সহিংসতার পর থেকে মি. ট্রাম্পের টুইটার এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠান দুইটি। ছয়ই জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের ওই হামলায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। এর কয়েকদিন পরে, টুইটার ঘোষণা করে, সহিংসতায় আরও উস্কানি দেয়ার আশঙ্কায় মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট- 'অ্যাট রিয়েল ডোনাল্ড ট্রাম্প' স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রচলিত গণমাধ্যম এড়িয়ে সরাসরি সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য টুইটার ব্যবহার করে আসছিলেন মি. ট্রাম্প। টুইটারে প্রায় ৯ কোটি অনুসারী ছিল সাবেক এই প্রেসিডেন্টের। আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ভবিষ্যতের বিষয়ে যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রাম্প সমর্থকরা যেভাবে ঢুকে পড়ে ক্যাপিটল ভবনে আমেরিকার কোন প্রেসিডেন্ট সবচেয়ে বেশি মিথ্যাচারী ছিলেন ক্যাপিটল হিল হামলা: 'যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলো দাঙ্গাকারীরা' রক্ষণশীলদের অনেকেই এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমর্থক। কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? এটা আসলে এখনো জানা যায়নি। মি. মিলার এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি শুধুমাত্র বলেছেন, ''প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি করবেন, সেটা সবাইকে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।'' ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই উপদেষ্টা বলেছেন, মি. ট্রাম্প তার এই নতুন প্রকল্প নিয়ে এর মধ্যেই ফ্লোরিডায় তার রিসোর্টে বেশ কয়েকটি টিমের সঙ্গে 'বড় ধরনের' কয়েকটি বৈঠক করেছেন। বেশ কয়েকটি কোম্পানি সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে মি. মিলার জানিয়েছেন। ''নতুন এই প্ল্যাটফর্ম হবে বিশাল বড়,'' তিনি বলছেন। কারণ তার মতে, মি. ট্রাম্প ''অসংখ্য মানুষকে সেখানে টেনে নিয়ে আসতে পারবেন। কেন ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছিল? ক্যাপিটল হিলে হামলা চালাতে সমর্থকদের আহবান জানানোর পর জানুয়ারি মাসে প্রথমে ১২ ঘণ্টার জন্য তার টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়। গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়ের স্বীকৃতি দিতে যখন কংগ্রেসের অধিবেশন চলছিল, সেই সময় হাজার হাজার সমর্থক সেই ভবনে হামলা করে। টুইটার তখন মি. ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তাদের নীতি ভঙ্গ করলে তার একাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার পর দুইটি টুইট করেন মি. ট্রাম্প। এরপর টুইটার ঘোষণা দেয় যে, তার এসব টুইট তাদের সহিংসতা বিরোধী নীতির লঙ্ঘন। মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে ফেসবুক, গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচ এবং স্ন্যাপচ্যাট। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কীভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সার্চ ইঞ্জিন গুগলের মাগুরায় বেনামী চিঠিতে 'ইসলামের দাওয়াত', কী ব্যবস্থা জানতে চেয়েছে আদালত অনলাইন ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা নিয়ে শংকা বিমান ভ্রমণে করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করতে চাপ
Former US President Donald Trump will soon return to social media "with his own platform", his adviser has said.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বুলগেরিয়ায় প্রায় তিন লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে যেসব দেশ তাদের টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক এবং নরওয়ে। গতকাল থাইল্যাল্ডে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ডেনমার্ক ও নরওয়েসহ কয়েকটি দেশে রক্ত জমাট বাধার মতো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার খবর আসার কারণে থাইল্যান্ড তাদের এই টিকা দেবার কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র শুক্রবার জানান রক্ত জমাট বাঁধার সাথে এই ভ্যাকসিনের কোন সম্পর্ক নেই। মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা "খুবই ভাল ভ্যাকসিন" এবং এর ব্যবহার বন্ধ করা উচিত নয়। ইউরোপের প্রায় পঞ্চাশ লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণ করেছেন। ইউরোপে ভ্যাকসিন নেবার পর রক্ত জমাট বাঁধা বা "থ্রম্বোএমবলিক ইভেন্ট"এর লক্ষণ পাওয়া গেছে মাত্র প্রায় ৩০টি ক্ষেত্রে। ইতালিতে ৫০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস হয়ে মারা গেছেন এমন খবরও এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এই সব খবর তদন্ত করে দেখছে। মিস হ্যারিস বলেছেন নিরাপত্তা নিয়ে এধরনের যে কোন প্রশ্ন উঠলেই হু সবসময়ই সেটা তদন্ত করে দেখে। তবে এই টিকার সাথে যেসব স্বাস্থ্য সমস্যার খবর দেয়া হয়েছে তার কোন যোগাযোগ আগে জানা যায়নি, তিনি বলেন। ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং থাইল্যান্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া স্থগিত করার পর একই সিদ্ধান্ত নেয় বুলগেরিয়া। ইতালি এবং অস্ট্রিয়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই টিকার নির্দিষ্ট কিছু ব্যাচ ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও পড়তে পারেন: অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার থেকে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর দেয়া হয়েছে টিকার সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে "ইউরোপীয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে সবরকম সন্দেহ যতক্ষণ না নাকচ করে দিচ্ছে, ততক্ষণ টিকাদান বন্ধ রাখার নির্দেশ আমি দিয়েছি," বলেছেন বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসফ। ইউরোপীয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারা ইতোমধ্যেই বলেছে যে এই টিকা থেকে রক্ত জমাট বাঁধার কোন কারণ তারা পায়নি। তারা আরও বলেছে যে যারা এই ভ্যাকসিন নিয়েছে তাদের মধ্যে যে সংখ্যক মানুষের এই লক্ষণ দেখা গেছে তা সাধারণ জনসংখ্যার অনুপাতে বেশি নয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময় এই টিকা নিরাপদ কি না তা নিয়ে ব্যাপক পরিসরে গবেষণা ও পরীক্ষা চালানো হয়েছে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া এবং মেক্সিকোসহ অন্যান্য দেশ জানিয়েছে তারা ভ্যাকসিন দেবার কর্মসূচি স্থগিত করছে না। যোগাযোগের কোন তথ্য প্রমাণ নেই বিশ্লেষণ - মিশেল রবার্টস, বিবিসি নিউজ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে বিশাল সংখ্যক মানুষকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, সেখানে ভ্যাকসিনের সাথে যোগসূত্র নেই এমন কারণে কারো কারো অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দান স্থগিত করার কারণ এটা নয় এই ভ্যাকসিন অনিরাপদ। অল্প কিছু মানুষ সম্প্রতি টিকা নেবার পর কেন তাদের রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে বিশেষজ্ঞদের তা খতিয়ে দেখতে সময় দেবার জন্য টিকাদান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। টিকা নেবার অল্পক্ষণের মধ্যে যদি কারো কোন অসুস্থতা দেখা যায়, তাহলে এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক যে ওই ভ্যাকসিনের সাথে এর কোনরকম সম্পর্ক আছে কি না। তবে এই লক্ষণের সাথে ভ্যাকসিনের কোন সম্পর্ক আছে বা এর জন্য এই টিকা দায়ী এন কোন ইঙ্গিত বা তথ্যপ্রমাণ নেই। ব্রিটেনে, এক কোটি ১০ লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছে এবং এই টিকা নেওয়ার কারণে অতিরিক্ত মৃত্যুর বা রক্ত জমাট বাঁধার কোন ঘটনা ঘটেনি। ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার নিরাপদ বলে একে সমর্থন করেছে এবং বলেছে এই টিকার সুফল খুবই স্পষ্ট। কোভিড প্রাণঘাতী হতে পারে এবং ভ্যাকসিন প্রাণ বাঁচাতে পারে। জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেন্স স্পাহন বলেছেন যেসব দেশ এই টিকা দেবার কর্মসূচি স্থগিত করেছে, তাদের পদক্ষেপের সাথে তিনি একমত নন। "আমরা এই টিকা সম্পর্কে যতটা জানি, তাতে ঝুঁকির থেকে এই ভ্যাকসিনের উপকারিতা অনেক বেশি," তিনি বলেছেন। ইউরোপে টিকাদান কর্মসূচি আংশিকভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহে বিলম্বের কারণে হোঁচট খাবার পর যখন গতি পেতে শুরু করেছে তখন কিছু দেশ সাময়িকভাবে টিকা কার্যক্রম স্থগিত করাটা একটা ধাক্কা। ইউরোপে টিকাদান নিয়ে সবশেষ ঘটনায় অস্ট্রিয়ার চাান্সেলার সেবাস্টিয়ান কুর্জ অভিযোগ করেছেন যে ইইউ তার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাস টিকার ন্যায্য বন্টন করছে না। তিনি বলেছেন জনসংখ্যার হিসাবে টিকা বন্টনের বিষয়টিতে ইইউর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতৈক্য হয়েছিল। তিনি বলেছেন ইউরোপীয় কমিশনের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে ভ্যাকসিন কেনার বদলে ইউরোপের কোন কোন দেশ এখন টিকা উৎপাদনকারীদের সাথে সরাসরিভাবে যোগাযোগ করে আলাদা চুক্তি করছে। জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানুয়ারি মাসে স্বীকার করেছিল যে, দেশটি গত সেপ্টেম্বর মাসে তিন কোটি ফাইজার বায়োনটেক টিকা কেনার আলাদা চুক্তি সই করেছে। ইউরোপে করোনার পরিস্থিতি সম্প্রতি কয়েক মাসে ইউরোপে সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর এখন আবার ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড এবং তুরস্কে গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে। পুরো ইতালিতে ৩ থেকে ৫ই এপ্রিল ইস্টারের সময় দেশটিতে সবচেয়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হচ্ছে। পুরো দেশ এই তিনদিন সম্পূর্ণ লকডাউনে থাকবে। ইতালির বেশিরভাগ জায়গায় সোমবার থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের ''নতুন ঢেউ'' আসার পর সংক্রমণ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। ইতালিতে মোট মৃত্যুর সংখা সোমবার এক লাখে পৌঁছেছে। ব্রিটেনের পর ইতালিতেই কোভিড-১৯এ সর্বাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন ভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Countries should not stop using AstraZeneca's Covid-19 vaccine over fears it causes blood clots as there is no indication this is true, the World Health Organization says.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
চীনা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওয়েইবোতে এই পোস্টে পাশাপাশি দুটি ছবি ব্যবহার করা হয়। একটিতে দেখা যাচ্ছে চীনে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। আর পাশের ছবিতে দেখা যায় ভারতে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া মানুষের মরদেহ চিতায় দাহ করা হচ্ছে। এই ছবির নীচে লেখা ছিল: "চীনে জ্বালানো আগুন বনাম ভারতে জ্বালানো আগুন।" শনিবার বিকেলে এই পোস্টটি দেয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে এটি ডিলিট করা হয়। বলা হচ্ছে এই পোস্টটি দেয়া হয়েছিল এমন এক অ্যাকাউন্ট থেকে, যেটি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত। পার্টির সেন্ট্রাল পলিটিক্যাল এন্ড লিগ্যাল এফেয়ার্স কমিশনের অ্যাকাউন্ট এটি। ওয়েইবোতে এই অ্যাকাউন্ট ফলো করে লাখ লাখ মানুষ। ওয়েইবো চীনের খুবই জনপ্রিয় এক মাইক্রোব্লগিং সাইট। তবে এই পোস্টটি নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়। এই পোস্টের স্ক্রিনশট ব্যবহার করে অনেকে এটিকে 'অসঙ্গত' বলে মন্তব্য করেন। কেউ লিখেছেন, "চীনের বরং উচিৎ ভারতের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করা।" চীনের একটি পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের প্রধান সম্পাদক হু শিজিন লিখেছেন, "এসময় মানবতাবাদের ব্যানারটিই উঁচুতে তুলে ধরুন, ভারতের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করুন এবং চীনা সমাজকে সুদৃঢ়ভাবে উচ্চতর নৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করান।" চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোভিড-১৯ সংকট নিয়ে শোকবার্তা পাঠালেন, তার একদিন পর ওয়েইবোতে এই পোস্টটি প্রকাশ হয়। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের সম্পর্কে সম্প্রতি কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। মিস্টার শি শোকবার্তায় বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে এবং যে কোন অতিরিক্ত সাহায্য দিতে চীন প্রস্তুত। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে ভারত এখন হিমসিম খাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা এবং অক্সিজেনের তীব্র সংকট চলছে, তার মধ্যেই সেখানে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রবিবার ভারতে করোনাভাইরাসে ৩ হাজার ৬৮৯ জন মারা গেছে, যা মহামারি শুরু হওয়ার পর এযাবতকালের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর আগের দিন জানানো হয়েছিল, ভারতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে চার লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সেটিও ছিল এক বিশ্ব রেকর্ড। কোন দেশে এক দিনে চার লাখের বেশি মানুষের আক্রান্ত হওয়ার এটাই প্রথম। আরও পড়ুন: ভারতে কোভিড সুনামি: বাংলাদেশ ও বাকি বিশ্বের জন্য অর্থ কী? নিহত চীনা সৈন্যদের 'কলঙ্ক' দেওয়ায় ব্লগার গ্রেফতার চীনের বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিক অপহরণের অভিযোগ; উত্তেজনা বৃদ্ধি ভারতকে বাদ রেখে চীনের টিকা স্টোরেজ উদ্যোগে বাংলাদেশের সম্মতি
A social media post from an account linked to the Chinese Communist Party has sparked controversy for appearing to mock India over its coronavirus crisis.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
আমেরিকায় করোনাভাইরাস মহামারি তুলনামূলকভাবে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের জন্য বেশি আতংকের হওয়ার পরেও জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বহু শহরে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন আফ্রিকান আমেরিকানরা। নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় শহর বাফেলোতে দুজন পুলিশ অফিসারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একটি ভিডিওতে তাদের একজন শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা গেছে, যার পর তদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর নিউ ইয়র্ক শহরে, ছুটে পালানো বিক্ষোভকারীদের প্রতি পুলিশের নির্দয় আচরণের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। মিনিয়াপোলিসে যেখানে জর্জ ফ্লয়েড পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান, সেই শহরে তার স্মরণে একটি অনুষ্ঠান শেষ হবার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এসব পুলিশি নির্মমতার ঘটনা ঘটে। জর্জ ফ্লয়েডের ওপর নির্যাতনের ভিডিও ছবি একটা আলোড়ন ফেলে দেয় এবং এর থেকেই আমেরিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন শহরে আফ্রিকান আমেরিকানদের ওপর পুলিশের আচরণ এবং বর্ণবৈষম্য নিয়ে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গত আট দিন ধরে যেসব প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে তার একটা বড় অংশই ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু কিন্তু কোন কোন বিক্ষোভে সহিংসতা ও দাঙ্গা হয়েছে এবং বেশ কিছু শহরে এ কারণে কারফিউ জারি করতে হয়েছে। অন্য একটি ঘটনায় অ্যারিজোনার পুলিশ আরেকজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান ডিওন জনসনের মৃত্যুর বিস্তারিত প্রকাশ করেছে। ২৫শে মে তারিখে যেদিন জর্জ ফ্লয়েড মারা যান, সেই একই দিনে অ্যারিজোনার ফিনিক্স শহরে মারা যান মি. জনসন। মি. জনসনকে ওই রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয় তার গাড়ি যান চলাচল আংশিকভাবে বাধাগ্রস্ত করছিল এবং তাকে গাড়ির চালকের আসনে ''অচেতন অবস্থায় দেখা যায়''। ''সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মোকাবেলার সময় পুলিশের সাথে তার ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় এবং সশস্ত্র পুলিশ সদস্য তার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়,'' পুলিশ জানায়। পুলিশের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং এবং পরিবহন দপ্তরের রেকর্ড করা ঘটনার ভিডিও যখন পরিবারের হাতে দেয়া হয় তখনই পুলিশের এই বিবৃতি প্রকাশ হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রে কেন কিছু প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয় আমেরিকায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার খতিয়ান বিক্ষোভের মুখে ঘণ্টা খানেক বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে কারফিউ অমান্য করে চলছে বিক্ষোভ আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্যের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৯৬৩ সালে আলাবামায় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ওপর পুলিশের কুকুর লেলিয়ে দেবার দৃশ্য ভিডিওগুলোতে কী দেখা গেছে? বাফেলোর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, পুলিশ যখন কারফিউ বলবৎ করছিল তখন ৭৫ বছর বয়স্ক একজন পুরুষ পুলিশের দিকে এগিয়ে যান। পুলিশ তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে এগিয়ে যায়। ধাক্কায় ভদ্রলোক মাটিতে পড়ে যান এবং মাথায় আঘাত পান। দেখা যায় ওই বৃদ্ধ মাটিতে পড়ে আছেন এবং তার কান থেকে গলগল করে রক্ত বেরচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং হাসপাতালে নেয়ার পর দেখা যায় তার মাথায় মারাত্মক আঘাত লেগেছে। বাফেলো পুলিশ বিভাগ থেকে প্রথমে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছিল তাতে বলা হয়, ওই ব্যক্তি "'হোঁচট খান'' এবং ''বিক্ষোভকারীদের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তির সময়'' তিনি মাটিতে পড়ে যান। এই বিবৃতি সোসাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভে আরও মাত্রা যোগ করেছে। পুলিশের একজন মুখপাত্র জেফ রিনোল্ডো পরে বলেন, যে অফিসাররা ওই বিবৃতি দিয়েছিলেন তারা ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন না। তিনি আরও জানান যখন এই ভিডিও প্রকাশ পায় যাতে দেখা যায় দুজন পুলিশ অফিসার ওই বৃদ্ধ বিক্ষোভকারীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে তখন তাদের বেতন না দিয়ে বরখাস্ত করা হয়। সেই একই দিন সন্ধ্যায়, নিউ ইয়র্ক শহরে একজন সরবরাহ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় শহরে কারফিউ শুরু হবার ২৭ মিনিট পর। অথচ ওই চালক ছিলেন জরুরি সেবা কর্মী এবং কারফিউয়ের আওতার বাইরে। টুইটারে পোস্ট করা ঐ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ম্যানহাটান থেকে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে। তার সাইকেলের পাশে সরবরাহ করার জিনিসের বাক্স রাখা আছে। নিউ ইয়র্ক পুলিশ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল জরুরি সেবা কর্মীরা কারফিউয়ের আওতার বাইরে থাকবে। শহরের উইলিয়ামসবার্গ এলাকায় তোলা আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ধরছে, এদের মধ্যে অন্তত একজন বিক্ষোভকারীকে মাটিতে ফেলে তাকে গ্রেপ্তার করার দৃশ্য ভিডিওটিতে ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ভিডিওতে দেখা গেছে এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে আছেন, তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জবাবে কী বলছে? বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়মো পুলিশের পক্ষ সমর্থন করে বলেছেন তারা "বিনা কারণে" কোন নাগরিককে মারধর করেনি, এবং তিনি বলেছেন ''তারা যদি তা করে থাকে সেটা অন্যায়''। শহরের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেছেন কর্তৃপক্ষ যা করছে তার ''সবই করা হচ্ছে বিক্ষোভ দমনের প্রয়োজন থেকে''। আমেরিকায় বর্ণ বৈষম্যের দীর্ঘ ইতিহাসের মধ্যেই নিহিত আছে আজকের আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি পুলিশের নির্মমতার বীজ তবে তাদের ওই বক্তব্যের পর রাতের বেলা যা ঘটেছে গভর্নর এবং মেয়র দুজনেই তার নিন্দা করেছেন। মি. কুওমো এক টুইট বার্তায় বাফেলোর ঘটনাকে ''পুরোপুরি অযৌক্তিক এবং খুবই ন্যাক্কারজনক'' বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ''পুলিশ আইন প্রয়োগ করবে- তার অপব্যবহার করবে না''। ইতোমধ্যে মেয়র ডে ব্লাসিও বলেছেন জরুরি সরবরাহ কর্মীকে গ্রেপ্তারের ভিডিও দেখার পর তিনি শহরের পুলিশ বিভাগের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার প্রেক্ষাপট জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে যে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে তা দমনে পুলিশ কারফিউ জারি করার সময়ে এসব ঘটনা ঘটেছে। মিনিয়াপোলিস শহরে ২৫শে মে তারিখে ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েড জাল নোট ব্যবহার করে সিগারেট কিনছিলেন কি না পুলিশ তা তদন্ত করতে গিয়ে তাকে আটক করে। এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায় একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে এবং সেসময় মি. ফ্লয়েডকে মাটিতে শুইয়ে ফেলে ওই পুলিশ অফিসার বেশ কয়েক মিনিট ধরে তার হাঁটু দিয়ে মি. ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে আছে। যদিও মি. ফ্লয়েড বারবার কাতরাতে কাতরাতে বলছেন তিনি নি:শ্বাস নিতে পারছেন না। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকার বহু শহরে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও। বুধবার অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং ব্রিটেনে বিক্ষোভ হয়েছে। ব্রিটেনে লন্ডনের কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেছে। অস্ট্রেলিয়ারে সিডনি শহরে শনিবার ৬ই জুন যে বিক্ষোভ হবার কথা আছে, করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশংকা থেকে, পুলিশ তা নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। কয়েক হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নিতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জর্জ ফ্লয়েডের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর আগেও সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের নির্মমতার শিকার হয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল মিসৌরির ফার্গুসনে মাইকেল ব্রাউনের মৃত্যু, নিউ ইয়র্কে এরিক গার্নার ও আরও বেশ কিছু কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের মৃত্যুর যার ফলশ্রুতিতে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে গতি পেয়েছে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' আন্দোলন - কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনেরও দাম আছে। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু বহু মানুষের মধ্যে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য ও বর্ণ বৈষম্য নিয়ে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে সামনে নিয়ে এসেছে। এই বিক্ষোভের মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে তাদের চরম হতাশা। ২০১৪ সালে অবৈধভাবে সিগারেট বিক্রির অভিযোগে আটকের পর নিউ ইয়র্ক পুলিশের বর্বরতার শিকার হয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান এরিক গার্নার বেশ কিছু শহরে কারফিউ জারি করার পরেও মি. ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে এমনকী বৃহস্পতিবারেও। মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েডের স্মরণসভায় যোগ দেন কয়েকশ মানুষ। তারা ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড নীরবতা পালন করেন। অভিযোগ করা হয় যে শহরের পুলিশ ৮মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে মি. ফ্লয়েডকে মাটিতে শুইয়ে তার গলা চেপে ধরেছিল। জর্জ ফ্লয়েডেরএকজন আইনজীবী ওই স্মরণ অনুষ্ঠানে বলেন, ''বর্ণবাদের মহামারি''তে মি. ফ্লয়েডকে প্রাণ দিতে হয়েছে। যাজক রেভারেন্ড আল শার্পটন মি. ফ্লয়েডের জীবন সম্পর্কে বলার সময় বলেন আমাদের এখন মাথা তুলে বলার সময় এসেছে: ''আমাদের গলার ওপর থেকে আপনাদের হাঁটু তুলে নিন"।
Several videos of police brutality have emerged during protests over the death of African American George Floyd.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার টিমেরই সাবেক দু'জন সদস্য আইন ভঙ্গ করার কারণে বড় রকমের সমস্যায় পড়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মি. ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন। মি. কোহেন এখন তারই সাবেক বসের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন যে নির্বাচনে অর্থ খরচ করার বিষয়ে যেসব আইন আছে মি. ট্রাম্প তা ভঙ্গ করেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে মি. ট্রাম্প বলেছেন, মি কোহেন এখন "গল্প" বানাচ্ছেন। মি. কোহেন আদালতে বলেছেন, মি. ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে তাকে বলেছিলেন লোকজনের মুখ বন্ধ করার জন্যে তাদেরকে অর্থ দিতে। আরো পড়তে পারেন: কক্সবাজারে মানুষজনের মনে চাপা ক্ষোভ মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড় করানোর আহ্বান গোপনে হজ পালন করেন যেসব মুসলিম সর্বশেষ এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বলা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত কি তাকে সংসদীয় বিচারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া বা ইমপিচ করা হতে পারে? কিন্তু এই ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের অর্থ কী আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেলায় এর সম্ভাবনা কতোটুকু? ইমপিচমেন্ট কি? যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের ঘটনা বিরল। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, যেখানে আইন তৈরি করা হয়, তারা দেশটির প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বলা আছে, বেশ কিছু অপরাধের জন্যে প্রেসিডেন্টকেও তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া অর্থাৎ তাকে ইমপিচ করা যেতে পারে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে: "রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ঘুষ নেওয়া অথবা অন্য কোন বড় ধরনের কিম্বা লঘু অপরাধ।" ইমপিচ কিভাবে করা হয়? সেনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ মিলে গঠিত কংগ্রেস। এটি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে অবস্থিত। ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ বা হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস থেকে। এটি মার্কিন কংগ্রেসের একটি অংশ। এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যে এটি সেখানে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হতে হবে। আর সেটা পাস হলে পরের ধাপে বিচার অনুষ্ঠিত হবে সেনেটে, যেটা কংগ্রেসের দ্বিতীয় অংশ। এটা অনেকটা আদালত কক্ষের মতো, যেখানে সেনেটররা বিচারক বা জুরি হিসেবে কাজ করবেন। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট দোষী কি নির্দোষ। প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিতে হলে এই সেনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সেনেটরকে ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিতে হবে। এরকম কী আগে হয়েছে? যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মাত্র দু'জন প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তারা হলেন বিল ক্লিনটন (বামে) এবং এন্ড্রু জনসন (ডানে)। কিন্তু তাদের কাউকেই দোষী সাব্যস্ত করে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ যে প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তিনি বিল ক্লিনটন। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। মি. ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যে ভোট পড়েছিল প্রতিনিধি পরিষদে। এর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছিল ১৮৬৮ সালে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জনসনের বিরুদ্ধেও ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু মি. ক্লিনটন কিম্বা মি. জনসন তাদের কাউকেই সেনেটে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। সুতরাং, ইমপিচমেন্টের অর্থ এটা নয় যে এর প্রক্রিয়া শুরু হলেই প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোন প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমেন্টের কারণে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। রিচার্ড নিক্সন। তবে একজন প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তিনি রিচার্ড নিক্সন। ১৯৭৪ সালে তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। ধারণা করা হয়, প্রক্রিয়াটি শুরু হলে তাকে হয়তো প্রেসিডেন্টের পদ থেকে শেষ পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হতো। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কি ইমপিচ করা হতে পারে? ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, তার বিরুদ্ধে গল্প রটানো হচ্ছে। বর্তমানে এরকম কোন সম্ভাবনা নেই। হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ ও সেনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্য সংখ্যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দল ডেমোক্র্যাটির পার্টির সদস্য সংখ্যার চাইতেও বেশি। ফলে প্রচুর রিপাবলিকানকে,আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভে ২৫ জন রিপাবলিকান সদস্যকে এবং সেনেটে ১৭ জনকে তাদের নেতার বিরুদ্ধে ভোট দিতে হবে এই প্রক্রিয়া শুরু করা এবং তাকে ইমপিচ করার জন্যে। (শুধু তাই নয়, এই হিসেব তখনই সম্ভব হবে যখন, যারা রিপাবলিকান নয় তাদের সবাইকেও ইমপিচ করার পক্ষে ভোট দিতে হবে।) তবে যাই হোক, যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন আসছে। মধ্যবর্তী নির্বাচন। এবছরের শেষের দিকে। ওই নির্বাচনের ফলাফল হয়তো বর্তমানের এই হিসেব নিকেশকে বদলে দিতে পারে। ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল ভবন। আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ কংগ্রেসের সদস্যদের নির্বাচন করবেন। হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের সবকটি অর্থাৎ ৪৩৫টি আসনে এবং সেনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে হবে এই নির্বাচন। নির্বাচনের ফলাফল কী হয় সেটা দেখতে হবে- হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলতে পারে রিপাবলিকানরা। সেনেটেও এরকম ঘটতে পারে। যদি এরকম কিছু হয় তাহলে ডেমোক্র্যাটরা হয়তো দেখতে পারেন যে কংগ্রেসের তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য রয়েছে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যে, যদি তারা সেটি চায়। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দিলে কী হবে? মি. ট্রাম্পকে যদি শেষ পর্যন্ত ইমপিচ করা হয় তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
US President Donald Trump's health is the main news for many of Sunday's papers.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
আরামকো হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক কোম্পানি। আরামকো হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক কোম্পানি। সংবাদ মাধ্যমে এমন রিপোর্ট বেরিয়েছে যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান চাইছিলেন, আরামকোর দাম ২ লক্ষ কোটি ডলার পর্যন্ত উঠুক । কিন্তু ১ লাখ ৭০ হাজার কোটির 'ভ্যালুয়েশন' স্পষ্টতই তার বেশ কিছুটা নিচে। আরামকো তাদের ১ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ২ হাজার ৫শ কোটি ডলার আয় করতে চাইছে, এবং এই শেয়ার বিক্রির প্রাথমিক তথ্য দিয়ে একটি প্রসপেক্টাস বের করা হয়েছে। এতে প্রতিটি শেয়ারের দাম ধরা হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ রিয়াল পর্যন্ত অর্থাৎ ৮ থেকে সাড়ে ৮ মার্কিন ডলার। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: যে কোম্পানির হাতে ঝুলছে সৌদি আরবের ভাগ্য তেল থেকে সরে যাচ্ছে সৌদি অর্থনীতি সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে আরামকোর তেল স্থাপনা খুচরো বিনিয়োগকারী ব্যক্তি থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠানও এ শেয়ার কেনার সুযোগ পাবে। প্রসপেক্টাসে বলা হয়, সৌদি আরবের রাস্তার লোক বা বিধবা মহিলাও এ শেয়ার কিনতে পারবে, এবং এই প্রথম স্থানীয় লোকেরা দেশটির সবচেয়ে ধনী কোম্পানির অংশীদার হবার সুযোগ পাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে শেয়ার কেনার সুযোগ এখনও উন্মুক্ত করা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, এটিই হতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ। এর আগে ২০১৪ সালে চীনা ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা শেয়ার ছেড়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার তুলে নতুন রেকর্ড গড়েছিল, তবে আরামকো হয়তো সে রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। আরামকোর তেল স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে আরামকো কোম্পানির আইপিওর মূল্য ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি ডলার। সৌদি যুবরাজ সালমান চাইছেন, আরামকোর শেয়ার বিক্রি করে তোলা অর্থ জ্বালানি ছাড়া অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে সৌদি অর্থনীতিকে বহুমুখী করতে। আরামকো গত বছর ১১ হাজার ১শ কোটি ডলার নেট মুনাফা করেছে, তবে এ বছর প্রথম নয় মাসে মুনাফা কমে ৬ হাজার ৮শ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। আরামকোর প্রসপেক্টাসে বিনিয়োগের ঝুঁকি হিসেবে সন্ত্রাসী হামলা থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার উল্লেখ করা হয়েছে। আরো পড়ুন: হোলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ২৭শে নভেম্বর লাভের জন্য আগাম পেঁয়াজ তুলছেন কৃষকেরা
Saudi Arabia has placed a preliminary valuation on state oil company Aramco of between $1.6tn (£1.22tn) and $1.7tn.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
চীনের সারভেইল্যান্স বিমান। রবিবারের অভিযানে ১৫টি বিমান অংশ নেয় এবং এর পরই একই রকম একটি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। যার পরে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ওয়াশিংটন। তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ হিসেবে গণ্য করে চীন। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ানের প্রতি জো বাইডেনের কতটুকু সমর্থন আছে সেটিই পরীক্ষা করে দেখছে চীন। মি. বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের করা প্রথম মন্তব্যে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, দেশটিকে নিজেদের প্রতিরক্ষায় সহায়তার বিষয়ে "দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ" রয়েছে তারা। সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চল এবং দেশটি নিয়ন্ত্রিত প্রাতাস দ্বীপের মাঝের জলসীমা দিয়ে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে চীন। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, শনিবার তাদের দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশ প্রতিরক্ষা এলাকায় চীনের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম আটটি বোমারু বিমান, চারটি ফাইটার জেট এবং একটি সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান প্রবেশ করে। আরো পড়ুন: রবিবারের অভিযানে ১২টি ফাইটার, দুটি সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান এবং একটি পরিদর্শনের কাজে ব্যবহৃত বিমান ছিল বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। দুটি ক্ষেত্রেই, তাইওয়ানের বিমান বাহিনী বিমানগুলোকে সতর্ক করে সরিয়ে দিয়েছে এবং সেগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে চীনের শিয়াই বিমান ঘাটি থেকে আকাশে উড়ছে দুটি যুদ্ধবিমান। এটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের কয়েকদিনের মধ্যেই এই মহড়া অনুষ্ঠিত হল। তিনি মানবাধিকার, বাণিজ্য হংকং ও তাইওয়ানের মতো ইস্যুগুলোতে চীনের উপর চাপ অব্যাহত রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ইস্যুগুলো দুই দেশের ক্রমে খারাপ হতে থাকা সম্পর্কে কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে। ট্রাম্পের প্রশাসন তাইপেই-এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে এবং চীনের কড়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ওই অঞ্চলগুলোতে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে। তার বিদায়ের কয়েক দিন আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকান এবং তাইওয়ানিদের মধ্যে যোগাযোগের উপর আরোপিত কড়াকড়ি প্রত্যাহার করেন। চীন ও তাইওয়ান ইস্যুতে নতুন প্রশাসনের নীতি কী হয় সেটি এখনো দেখার বাকি হলেও মি. প্রাইস বলেছেন যে, দ্বীপটির সাথে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে তারা। "বেইজিংকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যাতে তাইওয়ানের উপর সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ দেয়া বন্ধ করে এবং এর পরিবর্তে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে কার্যকরী আলোচনায় অংশ নেয়।" গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা দ্বীপটির ডি-ফ্যাক্টো অ্যাম্বাসেডর সিয়াও বি-খিম'কে মি. বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যাকে তাইওয়ানের প্রতি নতুন প্রশাসনের সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন চীনকে বাস্তবতা মেনে নিয়ে তাইওয়ানকে শ্রদ্ধার চোখে দেখার জানিয়েছেন। তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির শীর্ষ এক আইনপ্রণেতা লো চিন-চেং বলেন, চীনের এই পদক্ষেপ দ্বীপটিকে সমর্থন দেয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে নিবৃত করার প্রচেষ্টার অংশ। "এটা বাইডেন প্রশাসনকে একটি বার্তা দিচ্ছে," বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি একথা বলেন। প্রেক্ষাপট ১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে চীন এবং তাইওয়ানের আলাদা সরকার রয়েছে। তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড সীমিত করতে দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করে আসছে চীন। আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে দুই পক্ষই প্রতিযোগিতা করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তেজনা বেড়েছে এবং দ্বীপটিকে আবারো নিয়ন্ত্রণে পেতে শক্তি ব্যবহারের বিষয়টিও বাদ দেয়নি চীন। যদিও হাতে গোনা কয়েকটি দেশ তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে, এর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অনেক দেশের সাথেই দৃঢ় বাণিজ্যিক এবং অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। যেমন, অন্য দেশগুলোর মতোই তাইপেই-য়ের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই কিন্তু মার্কিন একটি আইনে দ্বীপটিকে নিজেদের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করার কথা বলা রয়েছে।
Taiwan has reported a "large incursion" by Chinese warplanes for the second day running, a show of force that coincides with the first days of US President Joe Biden's term of office.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ভ্যাটিকানে পোপের সঙ্গে সাক্ষাতকালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জি-৭ সম্মেলন পরবর্তী সফরের অংশ হিসেবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সোমবার ভ্যাটিকান সফরে যান এবং পোপের সঙ্গে দেখা করেন। ১৮৮০ সালের দিকে কানাডার আদিবাসীদের প্রায় দেড় লাখ শিশুকে সরকার পরিচালিত আবাসিক স্কুলে নিয়ে আসা হয়েছিল। কানাডার মূল সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য সেসব শিশুদের নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভাষা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছিল। এক শতাব্দিরও বেশি সময় কানাডা সরকার স্কুলগুলোতে অর্থায়ন করলেও এগুলো পরিচালনা করতো ক্যাথলিক গির্জা। সবশেষ স্কুলটি ১৯৯৬ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এসব স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীই শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে কানাডার 'ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলেশন কমিশন'এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আদিবাসী শিশুদের তাদের বাবা-মা ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে সাংস্কৃতিক গণহত্যা চালানো হয়েছিল। সেই কমিশন পোপের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার দাবিসহ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছিল। সোমবার পোপের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, 'আদিবাসীদের প্রকৃত সমন্বয়ের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকদের সামনে এগিয়ে যাওয়াটা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ আমি পোপকে সে বিষয়ে বলেছি। ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে তিনি কিভাবে সহযোগিতা করতে পারবেন সে বিষয়েও আমি আলাপ করেছি"। পোপ ফ্রান্সিসকে আদিবাসীদের কাছে ক্ষমা চাইবার জন্য কানাডায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। যদিও কানাডায় পোপের সফর ও ট্রুডোর অনুরোধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভ্যাটিকান থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে এটি নিশ্চিত যে পোপ ফ্রান্সিস ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মধ্যেকার ৩৬ মিনিট দীর্ঘ এই বৈঠকে দুজনেই ছিলেন বেশ 'আন্তরিক'। আরো পড়ুন: ‘আমরাতো নি:স্ব হয়ে গেলাম, ঘরবাড়ি সব গেল’ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়টি হঠাৎ নৌকায় উঠে জেলেকে জাপটে ধরলো হাঙ্গর ‘নোংরা যুদ্ধে’র শর্ত মেনেই কাশ্মীরে লড়বে ভারত
Canadian Prime Minister Justin Trudeau has asked Pope Francis to apologise for the role of the Catholic Church in a Canadian school system where indigenous children were abused for decades.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
দেশের ভেতরে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও বিদেশফেরতদের মাধ্যমে এসব দেশে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়া চীনে জানুয়ারির পর থেকে মঙ্গলবার প্রথমবারের মত অভ্যন্তরীনভাবে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে সম্প্রতি চীনে ফিরে এসেছেন এমন মানুষদের মধ্যে ৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার তথ্য জানিয়েছে চীন। দক্ষিণ কোরিয়ায় মঙ্গলবার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২ জনে। তবে এদের মধ্যে কতজন ভাইরাস বিদেশ থেকে বহন করে নিয়ে এসেছেন, তা পরিস্কার নয়। দেগু'র একটি নার্সিং হোমে ৭৪ জন রোগীর মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত করা গেছে। বুধবার সিঙ্গাপুর নতুন ৪৭ জনের মধ্যে সংক্রমণের তথ্য জানায় - যাদের মধ্যে ৩৩ জনের দেহে বাইরে থেকে ভাইরাস এসেছে। ওই ৩৩ জনের মধ্যে ৩০ জনই বিদেশে সংক্রমিত হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। চীনে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে যার সবগুলোই হুবেই প্রদেশে এবং অধিকাংশই উহান শহরে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস এই তিনটি দেশই অভ্যন্তরীন সংক্রমণের ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে। তবে বিশ্বের অন্য জায়গায় ভাইরাস প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের দেশেও প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছে তারা। বর্তমানে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে মূল আশঙ্কা তৈরি হলেও এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ঘটনায় বোঝা যায় যে এখানে প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মালয়েশিয়ার সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বুধবার মানুষকে অনুরোধ করেনযেন তারা 'ঘরে থাকেন এবং নিজের ও নিজের পরিবারের সুরক্ষা' নিশ্চিত করেন। মালয়েশিয়া ৭১০ জনের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যাদের অনেকেই ফেব্রুয়ারিতে রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি তাবলিগের একটি আন্তর্জাতিক জমায়েত থেকে সংক্রমিত হয়েছেন। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাসচিব নূর হিশাম আবদুল্লাহ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, "আমরা যদি 'কি আসে যায়' মানসিকতা পোষণ করি এবং তৃতীয় দফায় ভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, তাহলে সুনামির চেয়ে বড় দুর্যোগ শুরু হতে পারে।" সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গেছে, যার মধ্যে ৮০% এর বেশিই ইউরোপে ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যার অনেকাংশই এশিয়ার মধ্যে পড়ে। বিবিসি দক্ষিণ কোরিয়া সংবাদদাতা লরা বিকারের বিশ্লেষণ: এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া যেভাবে মহামারি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে তা যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে। সংক্রমণের উৎস খুঁজে বের করা, বহু মানুষকে একসাথে পরীক্ষা করা এবং আক্রান্তদের দ্রুত আলাদা করার মত পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। এ মাসের শুরুতে প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি চূড়ান্ত খারাপ অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থার তুলনায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কমছিল। বুধবার এই সংখ্যা বাড়ার আগের চারদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমছিল। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সন্তুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। মানুষের কাছে তারা অনুরোধ করছেন যেন গির্জা, নার্সিং হোম বা ইন্টারনেট ক্যাফের মত জমায়েতে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। হাঙ্গেরিতে এক ফেন্সিং প্রতিযোগিতা থেকে ফেরার পর তিনজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গেছে। ঐ ফেন্সিং টিমের ২৬ জন অ্যাথলিট এবং কোচকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
South Korea, China and Singapore are among the Asian countries facing a second coronavirus wave, fuelled by people importing it from outside.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
আই এস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। এসডিএফের একজন শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা পোলাট ক্যান দাবি করেছেন, ইসলামিক স্টেটের এই নেতা কোথায় অবস্থান করছেন সেটা খুঁজে বের করতে তাদের সোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার পরেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ বাহিনী সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে আল-বাগদাদিকে হত্যার অভিযান চালায়। এই অভিযানের সময় আল-বাগদাদি নিজের শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেন। কুর্দি বাহিনীর এই দাবিকে ততোটা গুরুত্ব দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ২৭শে অক্টোবর আইএস নেতাকে হত্যা করার কথা ঘোষণা করেন, তখন তিনি বলেছিলেন, কুর্দি বাহিনী এমন তথ্য সরবরাহ করেছিল যা তাদেরকে এই অভিযান চালাতে সাহায্য করেছে, তবে এই অভিযানে তাদের কোন সামরিক ভূমিকা ছিলো না। মি. ক্যান সোমবার এক টুইটার বার্তায় দাবি করেন, এই অভিযানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এসডিএফের। "আল-বাগদাদির কাছে পৌঁছানো, তিনি যেখানে আছেন সেই জায়গাটিকে শনাক্ত করা - এধরনের সব গোয়েন্দা তৎপরতাই সম্ভব হয়েছে আমাদের কাজের ফলে। আমাদের গোয়েন্দা সূত্রগুলো অভিযান সমন্বয়ের সাথে জড়িত ছিল, উপর থেকে বোমা ফেলা, তাতে অংশ নেয়াসহ এই অভিযান সফল করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের বাহিনী কাজ করেছে," বলেন তিনি। মি. ক্যান তার টুইটে লিখেছেন, "আমাদের নিজেদের সোর্স - যিনি আল-বাগদাদির কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন - তার একটি আন্ডারওয়্যার চুরি করে নিয়ে এসেছিলেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য, যাতে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় যে তিনিই আল-বাগদাদি।" তিনি আরো বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের নেতা কোথায় আছেন সেটা খুঁজে বের করতে এসডিএফ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর সাথে ১৫ই মে'র পর থেকে কাজ করে আসছিল। এক পর্যায়ে এসডিএফের গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে আল-বাগদাদি ইদলিব প্রদেশের বারিশা গ্রামে লুকিয়ে আছেন। এসডিএফ উপদেষ্টার টুইট। আরো পড়তে পারেন: কোরান শিক্ষক, ফুটবলার, খলিফা - বাগদাদির বিচিত্র জীবন 'আল-বাগদাদি কুকুরের মত মারা গেছে' - ডোনাল্ড ট্রাম্প বাগদাদির মৃত্যুর পর সিরিয়ায় আইএসের ভবিষ্যত কী? মি. ক্যান বলেন, তাদের সোর্স এও জানতে পেরেছিল যে আইএস নেতা জারাবলুসের নতুন একটি গোপন আস্তানায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াই-এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র বাহিনী এসডিএফ। কিন্তু এমাসেরই শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলেই তুরস্কের সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় ঢুকে এসডিএফের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সুযোগ পায়। অভিযান সম্পর্কে কী জানি? আল-বাগদাদিকে হত্যার এই অভিযান সম্পর্কে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্র বাহিনীকে আগেই জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে রয়েছে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তৎপর তুর্কী, ইরাকি ও কুর্দি বাহিনী এবং রাশিয়া যারা ইদলিব প্রদেশের আকাশে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। মার্কিন সৈন্যরা সেখানে পৌঁছেই আল-বাগদাদিকে আত্মসমর্পণের আহবান জানায়। আল-বাগদাদি তখন একটি সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যায়। বারিশা গ্রামের দুটি বাড়ি ধ্বংস করা হয় মার্কিন বিমান হামলায় মার্কিন সৈন্যরা তখন দরজা দিয়ে ভেতরে না ঢুকে দেয়ালে গর্ত তৈরি করেন। তারা মনে করেছিলেন দরজায় বোমা পাতা থাকতে পারে। এক পর্যায়ে পলায়নপর আল-বাগদাদি নিজের শরীরে বেঁধে রাখা আত্মঘাতী ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটান এবং সুড়ঙ্গের ভেতরেই মারা যান। মি. ট্রাম্প বলেছেন, বিশেষ বাহিনী দেহাবশেষ নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা চালায় এবং ফলাফল থেকে আল-বাগদাদির পরিচয় সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হয়। অভিযানের সময় সৈন্যদের সাথে কারিগরি লোকজনও ছিলো যারা তাদের সাথে করে আল-বাগদাদির ডিএনএ নিয়ে গিয়েছিল। খবরে বলা হচ্ছে, কারো মুখ দেখে তাকে চিহ্নিত করার প্রযুক্তি ও ডিএনএ পরীক্ষার ছোট্ট একটি যন্ত্র হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যেতে পারে। কারিগরি লোকজন হেলিকপ্টারে করে আল-বাগদাদির ছিন্নভিন্ন দেহের কিছু অংশ সাথে করে নিয়ে এসেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জেনারেল মাইক মাইলে সোমবার বলেছেন, আমেরিকান কর্মকর্তারা তার দেহাবশেষের 'অন্তিম ব্যবস্থা' সম্পন্ন করেছে। এর বিস্তারিত তিনি আর কিছু বলেন নি। আরো পড়তে পারেন: সরকারের কিছু করার থাকবে না, সাকিব প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী গরুগুলোর গলায় বোমা বেঁধে দেয়া হচ্ছে কেন? মাদ্রাসার ছদ্মবেশে নির্যাতন কেন্দ্র : ভয়ঙ্কর সব তথ্য
The Kurdish-led Syrian Democratic Forces (SDF) have said their spy stole Abu Bakr al-Baghdadi's underwear which was then DNA tested and used to prove his identity before he was killed.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
তিউনিসিয়ায় যেরকম অকপটে নারীরা তাদের ওপর নিপীড়নের কাহিনী প্রকাশ করতে শুরু করেছেন, তা অভূতপূর্ব। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক নারী তাদের নিজেদের যৌন নির্যাতন ও হয়রানির কাহিনী প্রকাশ করছেন আরবিতে 'এনা জেডা' হ্যাশট্যাগে, ইংরেজিতে যার মানে হচ্ছে 'মি-টু।' সেখান থেকেই তিউনিসিয়ায় শুরু হয়েছে এক অভূতপূর্ব আন্দোলন। হস্তমৈথুনরত যে পুরুষের ছবি নিয়ে এত হৈচৈ, তিনি একজন সদ্য নির্বাচিত এমপি জোওহেইর মাখলুফ। তবে গাড়িতে বসে হস্তমৈথুনের কথা অস্বীকার করে মিস্টার মাখলুফ বলছেন, তিনি একজন ডায়াবেটিক রোগী, সে সময় তিনি আসলে একটি বোতলে প্রস্রাব করছিলেন। কিন্তু এই কথা মানতে মানতে নারাজ বিক্ষুব্ধ নারীরা। তারা 'এনা জেডা' লেখা টি-শার্ট পরে পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভ করে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন। একজন এমপি হিসেবে জোওহেইর মাখলুফ কিছু সুরক্ষা পান। কিন্তু তারপরও এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এমপি জোওহেইর মাখলুফের এই হস্তমৈথুনের ছবিটি তোলেন এক ছাত্রী। তিনি অভিযোগ করেন যে, এই এমপি তাকে হয়রানি করছিলেন। শিশু যৌন নির্যাতন এবং অজাচার 'হ্যাশট্যাগ- এনা জেডা' প্রতিবাদের সূচনা করে আসওয়াত নিসা বা 'নারীদের কন্ঠ' নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা ফেসবুকে এই নামে একটি ক্লোজড গ্রুপ খোলে যাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীরা এখানে তাদের অভিজ্ঞতা নিরাপদে বলতে পারেন। এই গ্রুপটির একজন মডারেটর রানিয়া সাইদ বলেন, "শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন এবং অজাচারের (ইনসেস্ট) ঘটনা কিন্তু আমরা যতটুকু স্বীকার করতে চাই তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যাপক।" "অনেক পরিবারই আসলে এই বিষয়গুলো গোপন করছে। অনেক পরিবার জানেই না কিভাবে এই সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়।" এমপির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে তিউনিসিয়া জুড়ে বিক্ষোভ এই ফেসবুক গ্রুপে এখন যোগ দিয়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। গ্রুপে যোগ দেয়ার জন্য আরও অনেকের আবেদন এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায়। ধর্ষণ, স্বামী কর্তৃক ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির আরও গাদা গাদা অভিযোগ এই গ্রুপে তুলে ধরেছেন নারীরা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, মিডিয়ার লোকজন থেকে শুরু করে পরিবারের আত্মীয়স্বজন - কেউ বাদ নেই। কেবল যে নারীরাই অভিযোগ করছেন তা নয়, অনেক পুরুষও তাদের অভিযোগ তুলে ধরেছেন এখানে। ফেসবুক গ্রুপে নারীদের এই বিপুল অংশগ্রহণ অবাক করেছে আসওয়াত নিসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতাদের। "শুরুতে বিশেষ করে নারীরা তাদের চাচা, ভাই, প্রতিবেশি থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ের দোকানিদের ব্যাপারে কত রকমের অভিযোগ যে করেছে", বলছেন রানিয়া সাইদ। 'আমার মা সাহায্য করেনি' আসওয়াত নিসা গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ হলো ৩৬ বছরের এক নারীর সঙ্গে, যিনি ১৪ বছর বয়সে নিজের খালুর হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হন। নিজের বাবার হাতে মার খাওয়ার পর তিনি তার খালা-খালুর কাছে চলে গিয়েছিলেন। "হ্যাশট্যাগ এনা জেডা": তিউনিসিয়ার মি-টু আন্দোলন "ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল আমাকে মুখে চুমু খাওয়া কিংবা আমার স্তনে হাত দেয়ার মাধ্যমে।" "প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি তিনি কী করছেন। কারণ তখনো আমার যৌন চেতনা সেভাবে তৈরি হয়নি। আমার সঙ্গে এ নিয়ে কেউ কথাও বলেনি।" কয়েক সপ্তাহ ধরে এরকমটাই চলছিল। তারপর একরাতে তিনি মেয়েটির ঘরে ঢুকলেন। "তিনি আমার ওপর চেপে বসলেন। আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলেন। আমি চিৎকার করা শুরু করলাম। তিনি ভয় পেয়ে গেলেন। কারণ আমার খালা পাশের ঘরেই ঘুমাচ্ছিলেন।" এই নারী পরে তার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকে ব্যাপারটা জানিয়েছিলেন, কিন্তু তারা সবাই ব্যাপারটাকে এই বলে উড়িয়ে দিলেন যে এটা তার প্রতি খালুর বেশি আদর স্নেহের লক্ষণ। "আমার নিজের মা আমাকে বললেন, আমার জীবনেও আছে এমন ঘটনা। আমার মনে হয় না খুব খারাপ কিছু তোমার বেলায় ঘটেছে।" ভয়ে তিনি এই ঘটনা নিয়ে কারও কাছে আর অভিযোগ করেন নি। "যদি আমি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতাম, তাহলে হয়তো আমাদের পুরো পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট করে দিতাম, আমি সেটার দায়ভার নিতে চাইনি।" বৈরি সমাজ-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই নারীদের সুরক্ষায় আইন তৈরির জন্য নারী অধিকার কর্মীদের বিক্ষোভ ২০১৭ সালে তিউনিসিয়ার পার্লামেন্টে এক যুগান্তকারী আইন তৈরি করা হয়, যার উদ্দেশ্য নারীকে সহিংসতা থেকে রক্ষা করা। তখন পর্যবেক্ষকরা বলেছিলেন, পুরো অঞ্চলে তিউনিসিয়ার এই আইনটি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রগতিশীল একটি আইন। কারণ এতে একবার যদি কোন নারী কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, পরে তিনি অভিযোগের ব্যাপারে মত বদলালেও তদন্ত চলতেই থাকে। তবে ফাদুয়া ব্রাহেন নামের একজন আইনজীবী বলছেন, আইনটি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি অন্তর্ববর্তীকালীন পর্যায়ে আছে। তার মতে, তিউনিসিয়ায় যৌন হয়রানির কোন অভিযোগ আদালত পর্যন্ত আসার আগে বৃহত্তর সমাজের দিক থেকে এবং সাংস্কৃতিভাবে যে প্রতিকুল অবস্থার মুখে পড়তে হয়, তা এই আইনকে একটা পরিহাসে পরিণত করেছে। তবে হ্যাশট্যাগ-এনা জেডা যেটা করেছে, তা হলো যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা অকপটে বলার একটা সুযোগ করে দিয়েছে, যে ধরণের নির্যাতনের কথা তিউনিসিয়ায় স্বীকারই করা হয়না।
Photos of a man allegedly masturbating in a car outside a high school in Tunisia have prompted an outpouring of stories by women about the sexual abuse and harassment they have experienced.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ওয়াশিংটন ডিসিতে আগামী ২০শে জানুয়ারির আগে কড়া নিরাপত্তা খবর পাওয়া যাচ্ছে যে আগামী ২০ শে জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের আগেই ওয়াশিংটন ডিসি এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোর রাজধানীতে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলার পর থেকেই জো বাইডেনের শপথ গ্রহণকে সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় পুলিশ সহ ৫ জন নিহত হয়। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ৬ই জানুযারির মতো নিরাপত্তা বেষ্টনী লঙ্ঘনের ঘটনা আর ঘটতে পারবে না। কি ধরণের সশস্ত্র বিক্ষোভের পরিকল্পনা হচ্ছে? ট্রাম্প-সমর্থক এবং উগ্র-ডানপন্থী অনলাইন নেটওয়ার্কগুলো বিক্ষোভের একাধিক তারিখ ঘোষণা করেছে। এর একটিতে বলা হয়, আগামী ১৭ই জানুয়ারি আমেরিকার বিভিন্ন শহরে "সশস্ত্র বিক্ষোভের" ডাক দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিন অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি পদযাত্রা হবে। আরো পড়তে পারেন: ক্যাপিটল হিলে হামলার পর কী হবে জো বাইডেনের অভিষেকের দিন ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেন, 'দুর্দান্ত সমর্থকদের' প্রশংসাও করলেন ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে এফবিআইয়ের একটি অভ্যন্তরীণ বুলেটিন যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ সহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে সতর্কবাণী দেয়া হয়, একটি গোষ্ঠী সারা দেশে ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় আদালত ভবনগুলোতে 'স্টর্মিং' বা জোর করে ঢুকে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ট্রাম্পকে কোনভাবে মেয়াদ শেষের আগেই সরিয়ে দিলে এটা করা হবে, আর তা না হলে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিনে এ ঘটনা ঘটানো হবে। অভিষেক হবে ২০শে জানুয়ারি। ৬ই জানুয়ারি সহিংসতা হয়েছে বহু শহরেই উল্লেখ্য গত ৬ই জানুয়ারি ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনের সহিংসতার ঘটনাই সংবাদ মাধ্যমে বেশি প্রচার পেয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের আরো নানা জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছিল তবে তা ছিল ছোট আকারের। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম বলছে, ফেডারেল কর্তৃপক্ষ এর মধ্যেই স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বলে দিয়েছে যেন তারা রাষ্ট্রীয় ভবনগুলোয় নিরাপত্তা জোরদার করে। সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প 'বিপর্যয়ের হুমকি এড়ানোর জন্য' ওয়াশিংটন ডিসিতে আগামী ২৪শে জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। রাজধানীতে এর পর ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে এবং আরো ৫ হাজার সেনা প্রয়োজনে মোতায়েনের জন্য তৈরি থাকবে।
The FBI has warned of possible armed protests across the US as Trump supporters and far-right groups call for demonstrations before Joe Biden is sworn in as president.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
যাত্রীদের তাপামাত্রা পরীক্ষা করার জন্য অপেক্ষা করছেন ইমিগ্রেশন ও চেকপয়েন্টে থাকা কর্মীরা তারা কীভাবে এই কাজ করছেন? বিশ্বের বাকি জায়গাগুলো কী এই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে দেরি করে ফেলেছে? জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে চীনের গুয়াংশি শহর থেকে ২০ জন পর্যটকের একটি দল চীনা নববর্ষ উদযাপনের জন্য সিঙ্গাপুর সফর করে। দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কয়েকটি জায়গা ভ্রমণ করে তারা। তারা চীনা প্রথাগত একটি ওষুধের দোকানও ভ্রমণ করেছিলেন যেখানে কুমিরের তেল ও বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ বিক্রি করা হয়। চীনের মূল ভূখণ্ডের পর্যটকদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় দোকান। একজন বিক্রয়কর্মী ঐ দলটিকে তাদের দোকানের জিনিসপত্র দেখান। এমনকি তাদের হাতে ঔষধি তেলও মালিশ করে দেন। ঐ চীনা দলটি তাদের ভ্রমণ শেষ করে চীনে ফেরত যায়, তবে ফেলে রেখে যায় অদৃশ্য কিছু জিনিস। আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস 'সুনামিতে' ভারতে ৩০ কোটি আক্রান্ত হতে পারে করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস আতঙ্কে প্রাণহীন বিশ্বের শহর-জনপদ কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় চীনা ঔষধের দোকান থেকে সিঙ্গাপুরের প্রাদুর্ভাব শুরু হয় ঔষধের দোকান ঐ সময়ে সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল ১৮ জনের মধ্যে, যেগুলোর সবগুলোই চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ সিঙ্গাপুরের সরকার জানায় যে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যেও ভাইরাস ছড়িয়েছে, যার প্রথম গুচ্ছটি ইয়ং থাই হ্যাং চাইনিজ ঔষধের দোকানে ছিল। প্রথম দুইজন অসুস্থ হওয়া ব্যক্তি ছিলেন স্থানীয় একজন ট্যুর গাইড ও একজন বিক্রয়কর্মী। ঐ একটি দোকান থেকে নয় জন সংক্রমিত হয়, যার মধ্যে বিক্রয়কর্মীর স্বামী, তার ছয় মাস বয়সী সন্তান এবং তাদের ইন্দোনেশিয়ান গৃহকর্মী ছিলেন। ঐ দোকানের আরো দু'জন কর্মীর মধ্যেও ভাইরাস ছড়ায়। তাদের সবাই এখন সুস্থ আছেন। তবে পরিস্থিতি আরো অনেক ভয়াবহ হতে পারতো যদি সিঙ্গাপুরের কার্যকর কন্টাক্ট ট্রেসিং বা সংস্পর্শের ইতিহাস নির্ণয় করার পদ্ধতি না থাকতো। ভাইরাসটি একজন থেকে কীভাবে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমিত হয় তা নির্ণয় করা, ঐ ব্যক্তিদের শনাক্ত করা, তাদের এবং ভাইরাস ছড়ানোর আগে তাদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে কার্যকর ভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয় এই পদ্ধতিতে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দৌলতদিয়ার যৌনপল্লী ২০দিনের জন্য লকডাউন করোনাভাইরাস: মক্কা-মদিনায় মসজিদ চত্বরে নামাজ স্থগিত বাংলাদেশে জুমার নামাজের সুন্নত ও নফল নামাজ বাসায় পড়ার অনুরোধ এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৬ হাজার মানুষকে কন্টাক্ট ট্রেস করা হয়েছে মাউন্ট এলিজাবেথ নভেনা হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এভং সিঙ্গাপুর সরকারের উপদেষ্টা লেয়ং হো নাম মন্তব্য করেন, "আমাদের অবস্থা উহানের মত হয়ে যেত। হাসপাতালগুলো উপচে পড়তো।" ১৬ই মার্চ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ২৪৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গেছে যার মধ্যে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। সংক্রমিতদের প্রায় ৪০% মানুষের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা যাওয়ার আগেই স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয় পরীক্ষা করতে এবং নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে। ১৬ই মার্চ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে মোট ৪ হাজার মানুষ ভাইরাস আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে এসেছিল বলে নিশ্চিত করা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের তদন্ত এবং পুরনো ধাঁচের গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে এই মানুষগুলোকে শনাক্ত করা গেছে, অনেক সময়ই যার শুরু হয়েছে একটি টেলিফোনের মাধ্যমে। অচেনা একজনের ফোন এক ছুটির শনিবার সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ব্রিটিশ যোগব্যায়ামের শিক্ষক মেলিসার (আসল নাম নয়) কাছে একটি ফোন আসে, যেখান থেকে তিনি জানতে পারেন যে তিনি ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। অচেনা একটি নম্বর থেকে তাকে ফোন করে এই তথ্য জানানোর সময় সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে প্রশ্নও করা হয়। "আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কি বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিটে বকেটি ট্যাক্সিতে ছিলেন? আমি কিছুটা ভয় পেয়ে যাই, ঠিকমতো চিন্তাও করতে পারছিলাম না।" মেলিসা জানান যে তিনি ঐ ট্যাক্সিতে ছিলেন এবং বলেন যে ঐ ট্যাক্সি ভ্রমণের সময়টা ছিল মাত্র ছয় মিনিট। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কন্টাক্ট ট্রেসের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা তিনি আজ পর্যন্ত জানেন না যে ঐ ট্যাক্সির চালক সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, নাকি ঐ ট্যাক্সির সেবা নেয়া কোনো যাত্রী সংক্রমিত হয়েছিলেন। তিনি শুধু জানেন যে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা তাকে ফোন করে তাকে ঘরে কোয়ারেন্টিন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পরের দিন মেলিসা বুঝতে পারেন যে স্বাস্থ্য বিভাগ নির্দেশনার ব্যাপারে আসলে কতটা গুরুত্ব আরোপ করেছেন। পরেরদিন তার বাসার সামনে জ্যাকেট ও সার্জিক্যাল মাস্ক পড়ে তিনজন চলে আসে। মেলিসা বলেন, "সেটা অনেকটা সিনেমার মত ছিল। তারা আমাকে একটি চুক্তিপত্র দেয়। যেটি আসলে ছিল একটি কোয়ারেন্টিন থাকার আদেশ, যেখানে বলা ছিল যে আপনি আপনার বাসার বাইরে যেতে পারবেন না, অন্যথায় জেল ও জরিমানা হবে। সেটি আসলে একটি আইনি নোটিশ ছিল।" "তারা আমাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে আপনি বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। আমিও জানতাম যে আমি চুক্তি ভঙ্গ করবো না। আমি জানি যে এমন একটি দেশে আমি থাকি যেখানে তারা আপনাকে যা বলে আপনার তাই করতে হবে।" দুই সপ্তাহ পরে যখন মেলিসার দেহে কোভিড-১৯'এর কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি, তখন তাকে বাসা থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। সিঙ্গাপুরে অধিকাংশ মানুষই কাউকে না কাউকে চেনে যাদের এভাবে কন্টাক্ট ট্রেস করা হয়েছে। প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৮ হাজার মানুষ থাকা সিঙ্গাপুর বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। এরকম জায়গায় শনাক্ত না হওয়া একটি সংক্রমণের গুচ্ছ থেকে ব্যাপকভাবে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর যে ধরণের চাপ তৈরি হতে পারে তা অকল্পনীয়। ঝুঁকিতে থাকা প্রত্যেককে খুঁজে বের করে বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া সিঙ্গাপুরের হাতে তেমন কোনো পথও খোলা ছিল না। জানুয়ারির শেষদিক থেকে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয় কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের উদ্দেশ্যে ধাঁধাঁর উত্তরের খোঁজে গোয়েন্দারা সিঙ্গাপুরের যেই কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হয়, তার একটি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। ঐ হাসপাতালের যে তিনজন কন্টাক্ট ট্রেসিং করেন বা ভাইরাস সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসতে পারেন এমন মানুষদের খুঁজে বের করেন, কনসেসাও এডউইন ফিলিপ তাদের মধ্যে একজন। হাসপাতালে আসা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন এবং কোথায় কোথায় গিয়েছেন, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে তার দল। তিনি জানান, "আমরা যখন পরীক্ষার পর কাউকে পজিটিভ পাই তখন সব কাজ বাদ দিয়ে রাত ৩টা পর্যন্ত তার সাথে কথা বলি। পরেরদিন সকালে আবারো সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়।" ঐ তথ্য তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে, এরপর পদক্ষেপ নেয়া হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এডউইন ফিলিপ বলেন, "প্রথম তথ্যটি ছাড়া বাকিগুলোর যোগসূত্র মেলানো সম্ভব না। এটি অনেকটা ধাঁধাঁর মত, সবগুলো টুকরো আপনাকে মেলাতে হবে।" ঐ কাজের জন্য নিয়োজিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যেসব দল কাজ করে, সেরকম একটি দলের নেতৃত্ব দেন জুবাইদা সাইদ। তথ্য একত্রিত করার ক্ষেত্রে অনেকসময়ই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তার দল। অনেক সময়ই আক্রান্তরা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত শারীরিক অবস্থায় থাকেন না যা তাদের কাজকে আরো কঠিন করে তোলে। তখন শুরু হয় তৃতীয় ধাপের কাজ। এ ধরণের কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সহায়তাও নেয় সিঙ্গাপুর। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার লিয়াম ঘিম হুয়া ইমেইল করে বিবিসিকে জানান, "তথ্য আদান প্রদানের জন্য পুলিশ ও মন্ত্রণালয় নিয়মিত টেলি-কনফারেন্স করে।" "গড়ে ৩০ থেকে ৫০ জন অফিসার প্রতিদিন কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য নিয়োজিত থাকেন। কোনো কোনো দিন এই দায়িত্বে ১০০ জন অফিসারও থাকেন।" জুলির (ডানপ্রান্তে) সংস্পর্শে আসা কেউই ভাইরাস সংক্রমিত হননি পুলিশ তাদের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশিই এই কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজ করে থাকে। সিঙ্গাপুরের অপরাধের হার কম থাকার কারণে একসাথে দুই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ বিভাগ। এই কাজে তদন্ত বিভাগ কখনো কখনো মাদক বিভাগ ও গোয়েন্দা বিভাগেরও সহায়তা নিয়ে থাকে। সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্য চিত্রায়ন এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে অচেনা কন্টাক্টদের শনাক্ত করা হয়। এই পদ্ধতির কার্যকারিতা জুলির ঘটনা দিয়েই বোঝা যায়। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে জ্বর জ্বর ভাব নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। জুলি ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন, এই তথ্য চিকিৎসকরা তাকে জানানোর এক ঘণ্টার মধ্যেই কর্মকর্তারা কাজ করা শুরু করে দেয় কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের। "হাসপাতালের বিছানায় থাকার সময়ই আমি প্রথম ফোনটি পাই", বলেন জুলি। এরপর শুরু হয় আগের সাতদিন তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছেন এবং কার কার সংস্পর্শে এসেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রশ্ন। "আমি কার সাথে ছিলাম, কী করছিলাম সেগুলো সহ যাদের সাথে ছিলাম তাদের সাথে যোগাযোগের পন্থাও তারা জানতে চায় আমার কাছে।" কর্মকর্তারা বিশেষ করে জানতে চাইতেন ২ মিটার দূরত্বে অন্তত ৩০ মিনিট ধরে কার কার সাথে তিনি সময় যাপন করেছেন। "কারো সাথে যদি আমার ধাক্কা লেগে যায় সেবিষয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা ছিল না। যাদের সাথে কিছুক্ষণ সময় পার করেছি, তাদের বিষয়ে জানতে চাইছিল তারা।" জুলি কন্টাক্ট ট্রেস করা কর্মকর্তার সাথে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে কথা বলেন। ফোন রাখার পর দেখা যায় তিনি ৫০ জনকে শনাক্ত করেছেন যাদের সবার সাথে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রত্যেককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের আদেশ দেয়া হয়। ঐ ৫০ জনের একজনের মধ্যেও ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেনি। গির্জায় এক ব্যক্তির তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন এক স্বেচ্ছাসেবী কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের 'নিখুঁত পদ্ধতি' কন্টাক্ট ট্রেসিং নতুন কোনো বিষয় নয় - যেসব রোগী তাদের অসুস্থতা অন্যের মধ্যে ছড়িয়েছে, এমন ব্যক্তিদের কয়েক দশক ধরেই শনাক্ত করা হয়ে আসছে। তবে সিঙ্গাপুর এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে যেভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে, তার প্রশংসা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারি বিষয়ের বিশেষজ্ঞরাও। তারা বলেছেন সিঙ্গাপুরের নেয়া পদক্ষেপ কন্টাক্ট ট্রেসিং করার 'প্রায় নিখুঁত পদ্ধতি।' প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার আগেই যে সিঙ্গাপুর কন্টাক্ট ট্রেসিং শুরু করেছে, সেবিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাদের প্রশংসা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ যেটা করেনি, মানুষের মধ্যে যেন কন্টাক্ট ট্রেসিং না হয় তা নিশ্চিত করতে আগে আগেই কন্টাক্ট ট্রেসিং শুরু করে সিঙ্গাপুর। "আপনি যদি কন্টাক্ট ট্রেসিং করতে দেরি করে ফেলেন তাহলে তা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ তখন এটি অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে", বলেন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সিওসি ওয়াইলস। কিন্তু সিঙ্গাপুর যতটা নিখুঁতভাবে রোগী শনাক্ত করেছে, তা অনেক দেশের পক্ষেই করা সম্ভব হবে না। বিবিসিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় যে সিঙ্গাপুরের যেরকম নজরদারির ব্যবস্থা, তা বিশ্বের খুব বেশি দেশের নেই। তবে এটি সম্ভব হয়েছে জনসাধারণের সহযোগিতামূলক মনোভাবের কারণে। সরকার থেকে ফোন করে যখন সহায়তা চাওয়া হয়, তখন সবাই সহায়তা করেছে। আপনিও এসব ভুল করছেন না তো? সিঙ্গাপুরের সংক্রামক রোগ বিষয়ক আইন অনুযায়ী পুলিশ যখন তথ্য সংগ্রহ করতে চায়, তখন তাদের সহায়তা না করা বেআইনি। এই অপরাধের জন্য জরিমানা ১০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার (৬ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার) বা ছয়মাসের জেল - অথবা দু'টিই। কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের সময় পুলিশকে নিজেদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়ার দায়ে এরই মধ্যে দু'জন চীনা নাগরিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহ জুড়ে তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া বিগ ডেটা, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও বহু মানুষের পরীক্ষা চালানোর মত পদক্ষেপ নিয়ে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন মাত্রায় সফলতা লাভ করেছে। এশিয়ার অন্যান্য ঘনবসতিপূর্ণ, জনবহুল ও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোর জন্য বিষয়টি ভিন্ন। তাদের জন্য এটি খুঁজে বের করা অনেকটা খড়ের গাদায় সুঁই খুঁজে বের করার মত। তাদের কোনো ধারণাই নেই পরবর্তী ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি দেশের কোথা থেকে আসবে। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি বিষয়ের শিক্ষক জেমস ক্যাবট্রি বলেন, "যেসব সমাজে বিশেষজ্ঞ ও সরকারের ওপর মানুষের ভরসা থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করার মত সামর্থ্য থাকে, সেসব দেশ ভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বেশি সফল হয়েছে।" "যে কারণে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের মত দেশ ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি সফল হয়েছে।" সরকার কি তথ্য গোপন করছে? কখন আপনি হাল ছাড়বেন? ৫ই মার্চ সিঙ্গাপুর তাদের দেশে সংক্রমণের সবচেয়ে বড় গুচ্ছের তথ্য জানায়। ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে একটি কমিউনিটি ক্লাবে আয়োজিত এক চীনা নববর্ষ ডিনারে কয়েকশো অতিথি ছিলেন - যেই একটি পার্টি থেকে ৪৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়। এরপর তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বড় সংখ্যক মানুষের মধ্যে একসাথে সংক্রমণ ছড়ানোর ফলে আশঙ্কা করা হয় যে কন্টাক্ট ট্রেসিং দ্রুত অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এরকম সময় স্কুল বন্ধ করা বা লকডাউনের মত কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। সিঙ্গাপুরে প্রতিদিন ভাইরাস শনাক্তের নতুন ঘটনাও বেড়ে গেছে, যার অধিকাংশই বিদেশ থেকে আসা। যেমন ১৮ই মার্চ সিঙ্গাপুর নতুন ৪৭ জনের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের খবর জানায়। ঐ ৪৭ জনের মধ্যে ৩৩ জনই বিদেশ থেকে এসেছেন এবং অধিকাংশই বিদেশ থেকে ফেরা সিঙ্গাপুরের নাগরিক। তবে সরকার বলছে এখনও কন্টাক্ট ট্রেসিং যথেষ্ট সময়োপযোগী, কারণ কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে এই মহামারির বিভিন্ন ধাপে কী কৌশল অবলম্বন করা হবে, তা ঠিক করতে পারে সরকার।
In Singapore, one of the first places hit by coronavirus, detectives are tracking down potential positive cases to try to stay one step ahead of the virus. How did they do this and is it too late for the rest of the world?
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
নিহিলানন্দের ফেসবুক পাতায় তার ছবি এবং নানা প্রশ্ন মামলাকারী ব্যক্তির নাম রাফায়েল স্যামুয়েল। তিনি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা এবং একজন ব্যবসায়ী। তিনি বিবিসিকে বলেন, এভাবে পৃথিবীতে সন্তান নিয়ে আসা অন্যায়, কারণ তাদেরকে সারা জীবন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মি. স্যামুয়েল বলেন, তিনি বোঝেন যে সন্তানের জন্ম হবার আগে তাদের সম্মতি নেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তার পরও তিনি জোর দিয়ে বলেন - "আমার জন্মগ্রহণের সিদ্ধান্ত তো আমি নেই নি।" "যেহেতু আমি কাউকে বলি নি যে আমার জন্ম দাও - তাই আমাদের জীবনযাপন করার জন্য সারা জীবন ধরে খরচ যুগিয়ে যাওয়া উচিত", বলেন তিনি। মি. স্যামুয়েল যা বলছেন, তার মূল নিহিত রয়েছে এক দার্শনিক তত্ত্বে - যাকে বলে এ্যান্টি-ন্যাটালিজম। এর মূল কথা হলো, মানুষের জীবন যেহেতু দু:খ-দুর্দশায় ভরা, তাই মানবজাতির উচিত সন্তান জন্মদান বা বংশবৃদ্ধি একেবারেই বন্ধ করে দেয়া। রাফায়েল স্যামুয়েল বলছেন, এর ফলে পৃথিবী থেকে পর্যায়ক্রমে মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে, এবং তা এই গ্রহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটা ব্যাপার হবে। তার কথা, "মানবজাতির কোন দরকারই নেই। কারণ এত মানুষ দু:খকষ্টের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে। মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেই বরং এই পৃথিবী এবং অন্যান্য প্রাণীরা সুখে জীবন কাটাতে পারবে। মানুষের দুর্ভোগেরও এতে অবসান হবে।" এক বছর আগে মি. স্যামুয়েল একটি ফেসবুক পাতা শুরু করেন। পেজটির নাম 'নিহিলানন্দ' (Nihilanand). এই পেজে মি. স্যামুয়েলের একটি ছবি আছে - যাতে তার মুখে নকল দাড়ি লাগানো, চোখও ঢেকে রাখা আছে একটা ঢাকনা দিয়ে। নিহিলানন্দ মনে করেন পৃথিবীতে মানুষের কোন প্রয়োজন নেই সাথে আছে 'এ্যান্টি-ন্যাটালিস্ট' বার্তা: "জোর করে একটি শিশুকে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসার অর্থ কি এই নয় যে তাকে অপহরণ, দাসবৃত্তি এবং একটা কেরিয়ারের আবর্তের মধ্যে ফেলে দেয়া হলো?" "আপনার পিতামাতা আপনাকে এনেছেন একটি খেলনা বা কুকুরের পরিবর্তে। তাদের কাছে আপনি কোনভাবেই ঋণী নন। আপনি বরং তাদের বিনোদন।" মি. স্যামুয়েল বলছেন, তার মনে পড়ে যে মাত্র পাঁচ বছর বয়েস থেকেই তার মনে এসব ভাবনা আসতে শুরু করেছিল। "আমি একটি স্বাভাবিক শিশুই ছিলাম। একদিন আমার মন ভালো ছিল না, আমি স্কুলে যেতে চাইনি। কিন্তু আমার বাবা-মা আমাকে স্কুলে যাবার জন্য জোর করতে লাগলেন। তখন আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা আমাকে জন্ম দিলে কেন? আমার বাবা কোন জবাব দিতে পারলেন না।" "আমার মনে হয় তিনি যদি উত্তর দিতে পারতেন - তাহলে আমি এভাবে ভাবতে শুরু করতাম না।" সেই থেকে মি. স্যামুয়েলের মাথায় এই চিন্তা ঘুরপাক খেতে লাগলো, এবং তা একটা দর্শনের রূপ নিল। তখন তিনি তার বাবা-মাকে এটা বলার সিদ্ধান্ত নিলেন। রাফায়েল স্যামুয়েল, মুখে নকল দাড়ি মি. স্যামুয়েলের বাবা-মা দু'জনেই আইনজীবী। তিনি বলছেন, তার বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক তার খুবই ভালো। তার কথায়, তার মা ছেলের এই ভাবনার প্রতি 'খুব ভালোভাবেই সাড়া দিয়েছেন' এবং বাবা-ও এখন এটা নিয়ে 'আগ্রহ দেখাতে' শুরু করেছেন। "মা বলেছেন, যদি কোনভাবে জন্মের আগে তার ছেলের সাথে তার দেখা হতো - তাহলে তিনি নিশ্চয়ই তাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসতেন না।" মি. স্যামুয়েল বলছেন, তার মা এখন ছেলের ভাবনার যুক্তিটা উপলব্ধি করতে পারছেন। "মা আমাকে বলেছেন, তিনি যখন আমার মা হন তখন তার বয়েস ছিল কম, এবং এর যে কোন বিকল্প থাকতে পারে - তাও তার জানা ছিল না। কিন্তু আমার যুক্তিটা ঠিক সেখানেই। আমি বলতে চাই, প্রত্যেকেরই সে বিকল্প আছে।" মি. স্যামুয়েলের মা এ ব্যাপারে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, তার ছেলে যে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে সক্ষম একজন যুবক হয়ে উঠেছে - তাতে তিনি গর্বিত। নিহিলানন্দের ফেসবুক পাতায় বার্তা মি. স্যামুয়েল বলেন, তিনি যে তার বাবা-মাকে আদালতে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন - তার কারণ হলো তার এই বিশ্বাস, যে মানুষ না থাকলে এই পৃথিবী অনেক সুন্দর একটি জায়গা হতো। ছ'মাস আগে এই মামলা করার সিদ্ধান্তের কথা মি. স্যামুয়েল তার মা-কে জানান, ব্রেকফাস্টের টেবিলে বসে। তার মা তখন বলেছিলেন, ঠিক আছে, মামলা করো, কিন্তু এটা সহজ হবে বলে মনে করো না। আদালতে তোমাকে আমি ধসিয়ে দেবো। মি. স্যামুয়েল এখন একজন আইনজীবী খুঁজছেন - তবে এখনো পান নি। "আমি জানি, বিচারক এ মামলা খারিজ করে দেবেন কারণ এরকম মামলা কেউই শুনতে চাইবেন না। কিন্তু আমি আমার পয়েন্ট তুলে ধরার জন্যই মামলাটি করতে চাই।'' ফেসবুকে তার নানা পোস্টও বেশ সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুরকমই আছে। তবে বেশির ভাগই নেতিবাচক, অনেকে ক্ষিপ্ত হন, গালাগালি করেন। তিনি বলেন, অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন যে আপনি আত্মহত্যা করুন। অনেক মা এতে উদ্বিগ্ন হয়েছেন যে তাদের ছেলেমেয়েরা এসব পোস্ট দেখলে কি ঘটতে পারে। "অবশ্য অনেকেই আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন তবে তাদের কথা আমি প্রকাশ্যে বলতে চাই না।" মি. স্যামুয়েল বলেন, তিনি প্রচার পাবার জন্য এটা করছেন না। "আমি শুধু মানুষকে আমার ভাবনার কথাটা জানাতে চাই। এটা খুবই সহজ বার্তা তা হলো : সন্তান জন্ম দিতে না চাওয়াটায় কোন অন্যায় নেই।" তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি জন্ম নেয়ার জন্য দু:খিত কিনা। "আমি ভাবি আমার জন্ম না হলেই ভালো হতো। এর অর্থ এই নয় যে আমি জীবনে অসুখী। আমার জীবন সুন্দর, কিন্তু এ জীবন না থাকলেই বরং ভালো হতো।" "ব্যাপারটা এরকম যে এখানে একটা সুন্দর ঘর আছে, কিন্তু আমি সেই ঘরে থাকতে চাই না।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: শেষ ঘাঁটিগুলো ছেড়ে পালাচ্ছে আইএস যোদ্ধারা 'সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কোচিং অবৈধ' 'অনেক কবি-লেখক বলেছেন, বইটি প্রকাশ করো না'
A 27-year-old Indian man plans to sue his parents for giving birth to him without his consent.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, এর ফলে আরো বেশি মুসলমান নারী পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী হবে বলে তারা আশা করছে। সদ্য নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কনস্টেবল জিনা আলি হবেন প্রথম পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার পোশাকের সঙ্গে হিজাব পরবেন। পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের বহুজাতি গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে সেবা নিশ্চিত করাই তাদের উদ্দেশ্য। এর ফলে আরো বেশি মুসলমান নারী পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী হবে বলে তারা আশা করছে। এর আগে ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তাদের পুলিশ সদস্যরা চাইলে ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব পরতে পারবে। ২০১৬ সালে একই রকম সিদ্ধান্ত নেয় স্কটল্যান্ডের পুলিশ। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার মাহা শুক্কুর তার পোশাকের সঙ্গে হিজাব পরেন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন কেন এত জনপ্রিয়? নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, সেকেন্ডারি পুলিশ স্কুল পরিদর্শনের পর পুলিশ কর্মকর্তাদের সুপারিশের পর ২০১৮ সাল থেকেই ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব সংযুক্ত করার ব্যাপারে কাজ শুরু করে। নিজের পোশাকের অংশ হিসাবে প্রথম হিসাব ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন কনস্টেবল আলী। এরপর এই পোশাকের চালু করার কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কনস্টেবল আলী ফিজিতে জন্মগ্রহণ করার পর শিশু অবস্থায় নিউজিল্যান্ডে চলে আসেন। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের তথ্য অনুযায়ী, ক্রাইস্ট চার্চ সন্ত্রাসী হামলার পরে তিনি পুলিশে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ''আমি উপলব্ধি করতে শুরু করলাম, মানুষকে সহায়তা করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে আরও বেশি মুসলমান নারীদের অংশগ্রহণ করা উচিত,'' তিনি বলছেন। ''নিউজিল্যান্ড পুলিশ বাহিনীতে আমার পোশাকের অংশ হিসাবে হিজাব তুলে ধরতে পারায় আমার খুব ভালো লাগছে,'' তিনি বলছেন। ''আমার বিশ্বাস, এটা দেখে এখন আরও বেশি মুসলমান নারী পুলিশে যোগ দিতে চাইবেন।'' তিনি বলছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সাকিবের পূজায় যোগ দেয়া নিয়ে যা বলছেন কলকাতার আয়োজকরা বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল অনন্য যেসব কারণে শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর 'কী বা করার ছিল' সাকিব আল হাসানের?
New Zealand Police have introduced a hijab into their official uniform to encourage more Muslim women to join.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সেনেটে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের একটি সমঝোতায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে 'সহিংসতায় উস্কানি' দেয়ার অভিযোগে অভিশংসন আর্টিকেলটি সোমবার সেনেটে পাঠাবে ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু ফেব্রুয়ারির আট তারিখের আগে এই বিষয়ে শুনানি শুরু হবে না। কারণ মি. ট্রাম্পের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য তার আইনজীবীদের দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে গত ৬ই জানুয়ারির ভয়াবহ সহিংসতার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্টকে দায়ী করছে ডেমোক্র্যাটরা। ক্যাপিটলে সহিংসতার জন্য গত সপ্তাহে মি. ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত করেছে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। ফলে এখন সেনেটে তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেক্ষেত্রে তিনি হবেন সেনেটে বিচার হওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম ব্যক্তি। এর আগে আর কোন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে ভবিষ্যতে আর কোন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। আরও পড়তে পারেন: ট্রাম্পের অভিশংসন: এরপর কী ঘটবে? ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডব এবং 'ব্র্যাণ্ড আমেরিকার' সর্বনাশ কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন শুরু হবার সময়ে সমর্থকদের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের এই বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ঠিক প্রায় এক বছর পরে, যখন সেনেট তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার আর কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার মতো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। জো বাইডেন এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার জন্য ইউক্রেনের ওপর চাপ দেয়ার অভিযোগ ওঠায় সেবার তাকে অভিশংসিত করেছিল হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। মি. ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত বুধবার এবং তিনি জো বাইডেনের অভিষেকের আগেই ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে গেছেন। সেনেটের ডেমোক্র্যাট শীর্ষ নেতা চাক শুমার শুক্রবার বলেছেন যে, অভিশংসনের নিবন্ধটি সোমবার সেনেটে তুলে ধরা হবে। 'ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের ব্যাপারে একটি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে সেনেট। এটা হবে পুরাদস্তুর নিরপেক্ষ বিচার কার্যক্রম,'' সেনেটে বলেছেন মি. শুমার। ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণের কারণে তার অভিশংসন প্রক্রিয়া চলছে। সেই সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের কাছে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যেন তারা 'শান্তিপূর্ণ ও দেশপ্রেমিক' ভাবে তাদের কণ্ঠ তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন যেন তার 'ভয়াবহভাবে লড়াই করেন'। সেনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেলের অফিস জানিয়েছে, বিচার কার্যক্রম শুরুর আগে মি. ট্রাম্পকে আরো কিছু সময় দেয়ার জন্য তিনি যে অনুরোধ করেছিলেন, মি. শুমার সেই অনুরোধ রক্ষা করায় তিনি খুশী হয়েছেন। এখন সেনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার কার্যক্রম শুরু হবে নয়ই ফেব্রুয়ারি। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হলেও সেটা সেনেটে শুনানির পর দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পাস হতে হবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: গ্রামীন এলাকায় বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিং, লেনদেন কীভাবে হয়? কার্টুন, বাউল গান এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভয়ের সংস্কৃতির অভিযোগ কেন উঠছে যে নারীরা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘পুরুষ কেন ধর্ষণ করে’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে কিভাবে
Donald Trump faces trial in the Senate after becoming the first US president to be charged with misconduct in office for a second time.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘে দেয়া এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার যুক্তি তুলে বলেছে নিজেদের রক্ষা করার জন্যই এ কাজ করা হয়েছে। সোলেইমানি হত্যার জবাবে গত মঙ্গলবার ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে একের পর এক মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। যদিও এতে আমেরিকান সৈন্যদের কোন ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। ইরানও জাতিসংঘে বলেছে যে নিজেদের রক্ষার জন্যই এ মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। চিঠিতে কী বলা হয়েছে? জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্র্যাফট বলেছেন, ইরানের দ্বারা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা যাতে হুমকির মুখে না পড়ে এবং উত্তেজনা যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে তৈরি আছে। যুক্তরাষ্ট্রের চিঠিতে বলা হয়, সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড সঠিক পদক্ষেপ ছিল। জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারায় বলা হয়েছে, কোন রাষ্ট্র যদি নিজেদের রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয় তাহলে সেটি দ্রুত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করতে হবে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সৈন্য এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারা উল্লেখ করে ইরানও চিঠির মাধ্যমে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তখত রাভানচি এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ইরান কোন যুদ্ধ কিংবা উত্তেজনা বাড়াতে চায়না। মার্কিন ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট এবং যথাযথ সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত। " এই অভিযান ছিল সুনির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে সামরিক ছাড়া কোন বেসামরিক মানুষ এবং তাদের সম্পদের কোন ক্ষতি হয়নি," চিঠিতে জানিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রদূত। আরো খবর: বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স ফেরত দেবে না ইরান ‘বাতাস দিয়ে খাদ্য’ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা জেএনইউ নিয়ে দীপিকার 'স্ট্যান্ড' কেন ব্যতিক্রমী? ১০ হাজার উট মেরে ফেলবে অস্ট্রেলিয়া
The US says it is "ready to engage without preconditions in serious negotiations" with Iran following the countries' exchange of hostilities.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পক্ষে ও বিপক্ষে প্রতিবাদ করছে মানুষ তবে ক্ষমতাসীন দল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও এর ফলে পুরো ভারতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন কাশ্মীর নিয়ে বিতর্ক? কাশ্মীর হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি এলাকা যেটিকে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে। একসময় জম্মু ও কাশ্মীর হিসেবে পরিচিত রাজ্যটি ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে উপমহাদেশের স্বাধীনতা লাভের সময় ভারতের সাথে যুক্ত হয়। ভারত ও পাকিস্তান এই অঞ্চলের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে কয়েকবার যুদ্ধে জড়ালেও শেষপর্যন্ত দুই দেশই সেখানকার ভিন্ন ভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। তিন দশক ধরে ভারত শাসিত অংশে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ ও বিদ্রোহের কারণে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বর্তমান অবস্থা কী? কাশ্মীরে যে কিছু একটা হতে চলেছে, অগাস্টের প্রথম কয়েকদিনে সেরকম একটা আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। ঐ অঞ্চলে ১০ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়, হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান একটি তীর্থযাত্রার অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়, স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়, পর্যটকদের ফিরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দী করা হয়। আরো পড়তে পারেন: কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিল ভারত সরকার কাশ্মীরের জন্য বিশেষ আইন কেন বিতর্কিত? আদালতে যাবে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত? কাশ্মীরের সাথে গত তিন দশক ভারতের সম্পর্ক অস্থিতিশীল অনুমান করা হচ্ছিল, ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫এ - যা ঐ রাজ্যের মানুষকে বিশেষ কিছু সুবিধা দেয় - তা বিলোপ করা হবে। এরপর ভারত সরকারের ঘোষণা সবাইকে চমকে দেয়, যখন তারা অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রায় সম্পূর্নভাবে বিলোপের ঘোষণা দেয় যেটির একটি অংশ অনুচ্ছেদ ৩৫এ - যেটিকে গত ৭০ বছর ধরে ভারতের সাথে কাশ্মীরের জটিল সম্পর্কের মূল ভিত্তি হিসেবে মনে করা হয়। অনুচ্ছেদ ৩৭০ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? এই অনুচ্ছেদটি রাজ্যটিকে বিশেষ ধরণের স্বায়ত্বশাসন ভোগ করার অধিকার দেয়, যা রাজ্যটিকে নিজস্ব সংবিধান, আলাদা পতাকা এবং আইন তৈরি করার অনুমোদন দেয়। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বিষয়ক ব্যাপারের নিয়ন্ত্রণ থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। ফলস্বরুপ জম্মু ও কাশ্মীর নাগরিকত্ব, সম্পদের মালিকানা এবং মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত আইন নিজেরা তৈরি করার ক্ষমতা রাখতো। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মানুষকে জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কেনা এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা থেকেও বিরত রাখতে পারতো ঐ অনুচ্ছেদের বদৌলতে। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ব্রিটিশ শাসনের অধীন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সাথে যোগ দেয়া একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য ছিল কাশ্মীর; আর সংবিধানের বিধানটি ভারতের সাথে কাশ্মীরের আশঙ্কাজনক সম্পর্কের বিষয়টিরই একটি প্রতিফলন। কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার কেন এই অনুচ্ছেদ বিলোপ করলো? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি দীর্ঘসময় ধরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর বিরোধিতা করে আসছে। ঐ অনুচ্ছেদের বিলোপ দলের ২০১৯ সালের নির্বাচনি তফসিলের অংশও ছিল। কাশ্মীরকে একত্রিত করা এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সাথে সমতা আনার জন্য ঐ অনুচ্ছেদের বিলোপ প্রয়োজন বলে যুক্তি দিয়ে আসছিল তারা। এপ্রিল-মে মাসে হওয়া সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর সরকার তাদের ঐ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে একটুও দেরি করেনি। ঐ অনুচ্ছেদ বিলোপের সমালোচকরা ভারতের অর্থনৈথিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে যাওয়ার সাথে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন। তাদের যুক্তি, এর ফলে সরকার একটি বিকল্প পথ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ার বিষয়টি থেকে মানুষের মনোযোগ সরিয়ে নিতে পেরেছে। অনেক কাশ্মীরি মনে করেন, কাশ্মীরের বাইরের মানুষকে সেখানকার জমি কেনার বৈধতা প্রদান করে বিজেপি আসলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের জনতাত্বিক বৈশিষ্ট্য বদলাতে চায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র সোমবারের ঘোষণা অধিকাংশ ভারতীয়কে অবাক করলেও, এত বড় মাপের একটি সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের নিশ্চিতভাবে যথেষ্ট পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হয়েছে। কাশ্মীর ও পাকিস্তান সংক্রান্ত ইস্যুতে মি. মোদি'র অবস্থান শক্ত - এই বিষয়টি প্রচার করতে চাওয়ার অভিপ্রায়ের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তটি। আরো পড়তে পারেন: সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ভারত শাসিত কাশ্মীর 'আরো দুটি মিসাইলের পরীক্ষা' চালালো উত্তর কোরিয়া 'থানার বাইরেই ভাইয়ের কান্না শুনতে পাইতেছিলাম' কী আছে এই কাশ্মীর সঙ্কটের মূলে যা দুই দেশকে বারবার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে? আসলে কী পরিবর্তন হয়েছে? কাশ্মীরের এখন থেকে আলাদা কোনো সংবিধান থাকবে না এবং তারা ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী শাসিত হবে - যা ভারতের অন্যান্য সকল রাজ্যের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। ভারতের সব আইন কাশ্মীরিদের জন্যও প্রযোজ্য হবে এবং ঐ রাজ্যের বাইরের মানুষও এখন থেকে সেখানে সম্পত্তির মালিকানা নিতে পারবে। সরকার বলছে, এর ফলে ঐ অঞ্চল সমৃদ্ধি লাভ করবে। সংসদে মি. শাহ বলেন, "অনুচ্ছেদ ৩৫এ এবং ৩৭০ রাজ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে জানাতে চাই আমি।" "মূলত ঐ আইনের জন্যই গণতন্ত্র কখনো পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি, রাজ্যে দূর্নীতি বেড়েছে এবং কোনো উন্নয়ন হয়নি।" রাজ্যটিকে দু'টি ছোট এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করার জন্যও কাজ করছে সরকার। একটি অঞ্চলে একসাথে থাকবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু। অন্য অংশটিতে থাকবে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ লাদাখ, যে অঞ্চলটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিকভাবে তিব্বতের সাথে বেশি জড়িত। বিরোধী দল কংগ্রেসের একজন সিনিয়র নেতা পি. চিদাম্বরম বলেছেন এই সিদ্ধান্ত একটি 'বিপজ্জনক পদক্ষেপ' এবং এর ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে বলে সংসদে সতর্কবার্তা দেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে কার্যত অচলাবস্থা জারি রয়েছে এই সিদ্ধান্তের বৈধতা কতটা? ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, অনুচ্ছেদ ৩৭০ শুধুমাত্র 'রাজ্য সরকারের' সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে পরিবর্তন করা যাবে। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্য সরকার বলতে আসলে কিছু নেই বললেই চলে। গত বছরের জুনে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে কেন্দ্রের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়। এর অর্থ, কেন্দ্র সরকারের শুধুমাত্র ঐ রাজ্যে আইন বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা গভর্নরের অনুমোদন প্রয়োজন হতো। সরকার বলছে, এই পরিবর্তন আনা তাদের সাংবিধানিক আওতার মধ্যে এবং অতীতেও কেন্দ্রীয় সরকার এধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের ভিন্নরকম মতামত রয়েছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ এ জি নুরানি বিবিসি হিন্দিকে বলেন, "এটা সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত। ৩৭০ ধারার আইনী দিকটা পরিষ্কার। কেউ এটার বিলোপ ঘটাতে পারে না।" আরেকজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুভাষ কাশ্যপ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন যে এই নির্দেশ 'সংবিধান সম্মত' এবং এর কোনো 'আইনী বা সাংবিধানিক ত্রুটি নেই।' বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনী চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারে, তবে কাশ্মীর ইস্যুটি ভারতের জন্য খুবই সংবেদনশীল। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে কোনো রাজনৈতিক দলকে 'ভারতবিরোধী' হিসেবে চিহ্নিত করা হতে পারে - কাজেই বিরোধী দলগুলো নিশ্চিতভাবেই এ ধরণের কোনো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সচেতন থাকবে। অরাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষেও তাই এধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
India's BJP-led government is hailing its decision to strip the state of Jammu and Kashmir of autonomy after seven decades, characterising it as the correction of a "historical blunder". The BBC's Geeta Pandey in Delhi explains why this has happened and why it's important.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তা চেয়েছেন পালিয়ে আসা দুই বোন ওয়াফা এবং তার বড় বোন, ২৮ বছরের মাহা আল-সুবায়ি এখন জর্জিয়ায় রাষ্ট্রীয় একটি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন। টুইটারে জর্জিয়াসিস্টারস একাউন্ট থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন এই দুই সৌদি বোন। তারা জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন, তাদের তৃতীয় কোন নিরাপদ দেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। সৌদি আরব থেকে তারা প্রথমে জর্জিয়ায় এসেছেন, কারণ এখানে আসতে সৌদিদের ভিসা লাগে না। ''আপনাদের সাহায্য দরকার, আমরা নিরাপত্তা চাই, আমরা এমন একটি দেশে যেতে চাই, যারা আমাদের গ্রহণ করবে এবং আমাদের অধিকার রক্ষা করবে,'' বলছেন ওয়াফা। তাদের দেখে বোঝা যায় যে, দুইজনেই মনঃকষ্টে এবং ভয়ে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে তাদেরকে জর্জিয়ার অভিবাসন দপ্তরে নিয়ে কর্মকর্তারা। আরো পড়ুন: যে কারণে সৌদি আরব ছাড়তে চান অনেক তরুণী ‘আমাকে সৌদি আরব ছাড়তে হয়েছিল যে কারণে’ আশ্রয় চান ব্যাংককে আটকে পড়া সৌদি তরুণী জর্জিয়ার একটি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন দুই বোন স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই দুই বোন বলেছেন যে, তারা জর্জিয়াতে নিরাপদ বোধ করছেন না। কারণ এখানে সহজেই তাদের পুরুষ আত্মীয়রা খুঁজে বের করতে পারবেন। ''জর্জিয়া ছোট একটি দেশ এবং আমাদের পরিবারের যে কেউ এখানে আসতে পারে এবং আমাদের ধরে ফেলতে পারে,'' আশংকা প্রকাশ করেছে ওয়াফা। কিন্তু কেন তারা সৌদি আরবে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন? এর জবাবে ওয়াফা বলছেন, ''কারণ আমরা নারী।''আমাদের দেশে আমাদের পরিবার প্রতিদিন আমাদের হুমকি দেয়।'' তার বোন মাহা জানিয়েছেন, এর প্রমাণও তাদের কাছে রয়েছে। চরম রক্ষণশীল এই রাজতন্ত্রের দেশটি থেকে নারীদের পালিয়ে আসার সর্বশেষ উদাহরণ এই দুই বোন। দেশটিতে এখনো মেয়েদের কাজ করা বা ভ্রমণ করতে হলে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। এ বছরের জানুয়ারি মাসে সৌদি আরব থেকে পালিয়ে আসা ১৮ বছর বয়সী কিশোরী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন যখন তিনি ফেরত পাঠানো ঠেকাতে থাইল্যান্ডের একটি হোটেলে নিজেকে আটকে টুইটারে সাহায্য চান। তাকে আশ্রয় দিয়েছে কানাডা। গত মার্চ মাসে সহিংসতা এবং দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে সৌদি দুই বোন পালিয়ে যান এবং হংকংয়ে ছয়মাস লুকিয়ে থাকেন। পরে তারা মানবিক ভিসা পেয়েছেন। ''সৌদি আরবে নারীদের জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে পুরুষরা'' বলেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্য প্রাচ্য বিষয়ক পরিচালক সারাহ লেহ হুইটসন। তিনি বলছেন, ''জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার বোনদের অধিকারকে সম্মান জানাবে, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত এবং ভালো ব্যবস্থা। কিন্তু সৌদি আরবের নিয়মকানুনের কারণে নারীরা যে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, সেটার দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। সেই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার সৌদি নারীদের অর্থবহ এবং কার্যকরী সহায়তা দেয়া প্রয়োজন।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'ধর্ম অবমাননা', তোপের মুখে অস্ট্রিয়া প্রবাসী ব্লগার ভারতের নির্বাচনে বাংলাদেশে যে প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে ধর্ম কেন এবার গুরুত্ব পাচ্ছে ? যৌন নির্যাতন: শিশুদের কীভাবে সচেতন করবেন
"We have to cover our face, we have to cook...like slaves. We don't want this, we want real life, our life," says 25-year-old Wafa, the latest woman to flee Saudi Arabia with her sister.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী রেস্টুরেন্ট, হোটেল, সেবা খাতে এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় দক্ষতাহীন কোনো অভিবাসী চাকরি করতে পারবেন না। নিয়োগকারীদের প্রতি তারা আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ইউরোপ থেকে আসা 'সস্তা শ্রমিক' এর ওপর নির্ভর না করে কর্মী ধরে রাখা এবং অটোমেশন প্রযুক্তি উন্নয়নের ওপর জোর দেন। স্বরাষ্ট্র অধিদপ্তর জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও এর বাইরের যেসব নাগরিক যুক্তরাজ্যে আসতে চায়, তাদের ৩১শে ডিসেম্বর ইউকে-ইইউ ফ্রি মুভমেন্ট বন্ধ হওয়ার পর একই মাপকাঠিতে যাচাই করা হবে। লেবার পার্টি বলেছে এর ফলে তৈরি হওয়া 'প্রতিকূল পরিস্থিতি'র কারণে শ্রমিক পাওয়া কঠিন হবে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিতি প্যাটেল বলেছেন যে এই নতুন ব্যবস্থার কারণে 'সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও শ্রেষ্ঠরাই যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ পাবেন।' সরকার বলছে তারা সার্বিকভাবে যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের আগমন কমানোর চেষ্টা করছে। নিজেদের নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী একটি 'পয়েন্টভিত্তিক' অভিবাসন ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় তারা। নতুন এই ব্যবস্থা অনুযায়ী, যেসব বিদেশী কর্মী যুক্তরাজ্যে আসতে চায় তাদের ইংরেজি বলতে পারতে হবে এবং 'অনুমোদিত স্পন্সরের' অধীনে দক্ষতা সম্পন্ন কোনো চাকরিতে নিয়োগ পেতে হবে। তা নিশ্চিত করতে পারলে তারা ৫০ পয়েন্ট পাবে। 'খাপ খাওয়ানো ও সমন্বয়' যুক্তরাজ্যে কাজ করার অনুমতি পেতে হলে সব মিলিয়ে অভিবাসীদের ৭০ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে হবে, যার মধ্যে যোগ্যতা, বেতন ও যেই খাতে কর্মীর অভাব রয়েছে এমন কোনো খাতে কাজ করলেও পয়েন্ট পাওয়া যাবে। তবে সরকার জানিয়েছে তারা কম দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকদের অভিবাসনের জন্য পথ তৈরি করবে না। ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাধাহীন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টির সাথে 'খাপ খাইয়ে ও সমন্বয়' করে নেয়। সরকার জানিয়েছে, "নিয়োকর্তারা যুক্তরাজ্যের অভিবাসন পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল না থেকে যেন কর্মী ধরে রাখা, উৎপাদনশীলতা ও প্রযুক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগ করে তা গুরুত্বপূর্ন।" সরকার মনে করে নতুন কর্মী না বাড়িয়ে যেই ৩২ লাখ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নাগরিক যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি চেয়েছে তাদের দিয়ে শ্রমজাবারের চাহিদা মেটানো যেতে পারে। পাশাপাশি, কৃষিখাতে মৌসুমি শ্রমিক আসার অনুমোদিত পরিমাণ চারগুণ পরিমানে বাড়িয়ে ১০ হাজার করতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়া 'ইয়ুথ মোবিলিটি অ্যাগ্রিমেন্ট' এর অধীনে প্রতিবছর ২০ হাজার তরুণ যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ পাবে। আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন ব্রিটেনে আশ্রয় চায় কত মানুষ? ভিন্ন মহাদেশে আশ্রয় শিবিরের চিন্তা ইউরোপে শরণার্থী, অভিবাসী, আশ্রয় প্রার্থী - দেশ ত্যাগ করা মানুষের ভিন্ন নামকরণ কেন? সরকার জানিয়েছে তারা কম দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিকদের অভিবাসনের জন্য পথ তৈরি করবে না সিবিআই এই প্রস্তাবের অনেকগুলোর সমর্থন করলেও তারা মনে করে কিছু প্রতিষ্ঠান 'তাদের ব্যবসা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী কীভাবে পাওয়া যাবে, তা চিন্তা করে হিমশিম খাবে।' এই প্রতিষ্ঠানের মহাসচিব ক্যারোলিন ফেয়ারবেয়ার্ন বলেছেন: "ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো জানে যে বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ দেয়া এবং কর্মীদের দক্ষতা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে বিনিয়োগের মধ্যে কোনো একটি করলে হবে না - অর্থনীতির উন্নয়নে দুটিই একাধারে চালাতে হবে।" রয়্যাল কলেজ অব নার্সিং আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে এই প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়নে 'জনগণের স্বাস্থ্য ও সেবার চাজিদা পূরণ হবে না।' সেবাখাতের সাথে জড়িত ইউনিসনের সহ সম্পাদক ক্রিস্টিনা ম্যাকেনা বলেছেন এ ধরণের প্রস্তাব 'সেবা খাতের জন্য বিধ্বংসী।' যুক্তরাজ্যের হোমকেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কম দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের জন্য সুযোগ কমিয়ে দেয়ার প্রস্তাবকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতীয় কৃষক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিনেট ব্যাটার্স 'ব্রিটেনের খাদ্য ও কৃষি খাতে প্রয়োজনীয়তা' নির্ণয়ে ব্যর্থ হওয়ায় 'গুরুতর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন। আর খাদ্য ও পানীয় বিষয়ক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে নতুন এই প্রস্তাবের অধীনে মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ, বেকিং, পনির ও পাস্তা তৈরিকারী শ্রমিকরা অন্তর্ভূক্ত থাকবে না। সরকারের নতুন অভিবাসন নীতির অধীনে দক্ষ কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কম দক্ষ শ্রমিক দেশের ভেতরে প্রবেশের হার কমানোয় সমন্বয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা অভিবাসীদের জন্য কিছু নিয়শ শিথিল হবে। যেমন শ্রমিকদের দক্ষতার নির্ধারিত মান না থাকা এবং সর্বনিম্ন বেতনের হার কম হওয়া। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলো থেকে যারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে চাইবেন তাদের জন্য নিয়ম কঠিন হবে। দর্শনার্থীরা ভিসা ছাড়া ছয়মাসের জন্য থাকতে পারবেন, তবে কাজ করতে পারবেন না। যাদের দক্ষতা রয়েছে তাদের চাকরির অনুমোদন নিয়ে আসতে হবে এবং অভিবাসনের প্রয়োজনীয় ৭০ পয়েন্ট পেতে হবে। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, সেবা খাতে এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় দক্ষতাহীন কোনো অভিবাসী চাকরি করতে পারবেন না। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সব অভিবাসী অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রিটেনে থাকার অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত আয় সংক্রান্ত সুবিধা ছাড়া অন্য কোনো সুবিধা পাবেন না। বর্তমানে ইউরেপীয় ইউনিয়নের নাগরিকরা যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সুবিধা চাইতে পারেন যতদিন তারা 'অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয়' থাকেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকরা সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হন যখন তাদের যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়, যা সাধারণত পাঁচ বছরের মধ্যেই হয়ে থাকে। যুক্তরাজ্যে আসতে চাওয়া দক্ষ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার পাউন্ড থেকে নামিয়ে ২৫ হাজার ৬০০ পাউন্ড করা হবে। অভিবাসন বিষয়ক পরামর্শ দেয়া সংস্থা মাইগ্রেশন অ্যাডভাইসরি কমিটি'র তালিকায় এ মুহুর্তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মেডিকাল প্র্যাকটিশনার, নার্স, সাইকোলজিস্ট ও ব্যালে নৃত্যশিল্পীদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। নতুন প্রস্তাবের অধীনে, যুক্তরাজ্যে আসা দক্ষ কর্মীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়ার বিষয়টি থাকবে না। শ্রমিকদের দক্ষতার সংজ্ঞাও পরিবর্তন করা হবে। যারা এ-লেভেল পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে তাদের স্বীকৃতি দেয়া হবে, যেটি আগে স্নাতক পর্যায়ে দেয়া হতো। তবে দক্ষ শ্রমিকের তালিকা থেকে হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ওয়েটারের চাকরি বাদ গিয়ে কাঠমিস্ত্রী, রাজমিস্ত্রী ও দক্ষ শিশু অভিভাবকের পদ যুক্ত হবে। যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা করতে চাইলে বিদেশি ছাত্রদের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়া লাগবে, ইংরেজি জানা লাগবে এবং তারা নিজেরা নিজেদেরআর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারবে, এমন সক্ষমতা দেখাতে হবে।
Low-skilled workers would not get visas under post-Brexit immigration plans unveiled by the government.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বেলারুশের সরকার যেরকম নিষ্ঠুরভাবে এই বিক্ষোভ দমন করছে, তা জনগণকে সাংঘাতিক বিচলিত করেছে। গত রোববার আটক করা হয়েছিল ২৫ বছর বয়সী এক তরুণকে। বন্দী অবস্থায় মারা গেছে এই তরুণ। তার মা জানিয়েছেন, পুলিশের একটি গাড়িতে তার ছেলেকে কয়েক ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল। এ সপ্তাহে মিনস্কে আমার বাড়ির খুব কাছের একটি রাস্তা হয়ে উঠেছিল পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মূল কেন্দ্র। সেখানে স্টান গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। দাঙ্গা পুলিশ যখন লোকজনকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছিল, তখন তারা চিৎকার করছিল। লোকজন এত জোরে চিৎকার দিচ্ছিল যে, তার নিচে গ্রেনেড ফাটার শব্দ পর্যন্ত চাপা পড়ে যাচ্ছিল। বিদ্রোহ এবং ক্ষোভ বেলারুশের এবারের এসব বিক্ষোভে যেভাবে মানুষ অংশ নিচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। বহু নগরী, শহর এবং গ্রামে পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা গত রোববারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী সভেতলানা টিখানোভস্কায়াকেই বিজয়ী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে। আমি আমার জানালা দিয়ে দেখেছি, নিচের রাস্তা দিয়ে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দৌড়ে যাচ্ছে। একটু দম নিয়ে তারা আবার পুলিশের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ফিরে আসছে। এই বিক্ষোভ চলছে এখন প্রতি রাতে। আমার নারী প্রতিবেশিরা তাদের স্বামী এবং ছেলেদের এই বিক্ষোভে যোগ দেয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছিল। পরিবারের প্রিয়জনদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। কেবল যে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তা নয়, যারা বিক্ষোভে যায়নি, তাদেরও ধরা হচ্ছে। যেমন আমার এক বন্ধুর ছেলে, যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার, তাকে ধরা হয় নির্বাচনের আগে। তিন রাত তাকে একটি সেলে আটকে রাখা হয়। দক্ষিণ বেলারুশের গোমেলে আটক অবস্থায় যার মৃত্যু ঘটে, সেই আলেক্সান্ডার ভিখর তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার মা। মিনস্কের একটি বন্দীশালায় আটক বিক্ষোভকারীদের খবর নিতে বাইরে উদ্বিগ্ন বাব-মায়েদের ভিড় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তারা যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে তা যথেষ্ট। এই সংঘাত ১০০ জন পুলিশ যে আহত হয়েছে এবং ২৮ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে সেটি মনে করিয়ে দিচ্ছে তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এমন অনেক ঘটনা আছে, যেখানে ড্রাইভাররা ট্রাফিক পুলিশের উপর গাড়ি তুলে দেয়ার চেষ্টা করেছে। তখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাদের থামানোর জন্য অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছে। বেলারুশের মানুষ এখন ভীষণ ক্ষুব্ধ পুলিশ, কর্তৃপক্ষ এবং সর্বোপরি প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেংকোর উপর। এখানে আমি যত জনের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের কেউ পুলিশ যা করছে তা সমর্থন করে না। লোকজন যখন টেলিভিশনে বেলারুশের প্রেসিডেন্টকে কথা বলতে দেখে, তখন তারা তাকে বিদ্রুপ করে। এরপর বেলারুশে কী ঘটবে, সে সম্পর্কে তিনি কী ভাবেন এবং কীভাবে তিনি নিজেকে রক্ষা করবেন, সেটা নিয়ে তারা জল্পনা-কল্পনা করে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে শ্লোগান আমার এক বন্ধু মিনস্ক শহরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কাজটা এখন কঠিন। কারণ শহরের কেন্দ্রস্থলে কয়েকটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমার বন্ধু যখন এ নিয়ে প্ল্যাটফর্মে মেট্রো কর্মীদের কাছে অভিযোগ করলেন, তখন তারা এর জন্য ক্ষমা চাইলেন। তারা এজন্যে দোষারোপ করলেন মিস্টার লুকাশেংকোকে। আরও পড়ুন: মদের আসরেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার চুক্তি? রাশিয়ায় ক্ষমতার ২০ বছর যেভাবে কেটেছে পুতিনের. ট্রাম্প কি নেটোকে বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন? পশ্চিমা জোট নেটোর সাথে রাশিয়ার বিরোধের কারণ কী? মিস্টার লুকাশেংকো বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগকেই বেকার এবং অতীতে অপরাধী ছিল বলে দাবি করেছেন। তিনি এদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে যাকে পাচ্ছে , তাকেই পাকড়াও করে নিয়ে আসছে। বিশেষ করে তরুণদের। এটি মানুষকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। বেলারুশের মানুষ এখন তাদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করছে, শ্লোগান দিচ্ছে, পুলিশ দেখলে গালি দিয়ে তাদের চলে যেতে বলছে। আর পুলিশ তখন লোকজনের বাড়ির বারান্দা লক্ষ্য করেও রাবার বুলেট ছুঁড়ছে। রাস্তায় এখন দাঙ্গা পুলিশের দিকে ছুটে গিয়ে মহিলারা তাদের অনুরোধ করছেন সভ্য আচরণ করার জন্য, কাকুতি-মিনতি করছেন মানুষের ওপর হামলা বন্ধ করার জন্য। একটি আর্মার্ড কারের ভেতর বসে আছে বেলারুশের নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য বেলারুশে এর আগেও মানুষের আন্দোলন দমন করা হয়েছে। তবে ২০০৬ এবং ২০১০ সালের সেসব বিক্ষোভ তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল। কিন্তু এবার যেরকম নির্দয়ভাবে বিক্ষোভ দমন করা হচ্ছে, তা আঁতকে উঠার মতো। এমনটি এর আগে দেখা যায়নি। রাস্তায় যারা বিক্ষোভকারী এবং পথচারীদের ওপর হামলা করছে, তাদের পরণে কালো পোশাক, মুখে মুখোশ। তাদের পোশাকে কোন ব্যাজ নেই, তারা কোন পরিচিত বাহিনীর ইউনিফর্ম পরেনি। বিবিসির একটি টিমও এরকম ঘটনার শিকার হয়েছে। যদিও মানুষ এখনো এসবের পরোয়া করছে না, তারপরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। বেলারুশের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে সেখানে দ্রব্যমূল্য আরও বাড়বে। সেখানে এমনিতেই মানুষের আয় বেশি নয়। আর কেউ এই বিক্ষোভে সমর্থন দিলে, তার চাকুরি হারানোরও ঝুঁকি আছে।. নেতৃত্ববিহীন বিরোধী শিবির তবে তরুণ বিক্ষোভকারীরা মরিয়া, তাদের মধ্যে কোন ভয় যেন কাজ করছে না। এরা মূলত বেলারুশের সাধারণ মানুষ।এরা বিরোধী দলের পোড় খাওয়া কর্মী নয়, যাদের এর আগের বিক্ষোভগুলিতে দেখা গিয়েছিল। এদের কোন নেতা নেই। বেলারুশের আগের বিরোধী দলগুলো শেষ হয়ে গেছে। যারা প্রেসিডেন্ট লুকাশেংকোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল বা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিল, তারা হয় জেলখানায়, নয়তো দেশ থেকে পালিয়ে প্রবাসে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছে। যে নতুন প্রজন্মের বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছে, এখনো পর্যন্ত তাদের কোন পরিষ্কার দাবি বা রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। তাদের একমাত্র শ্লোগান: 'দূর হও', 'বেলারুশ দীর্ঘজীবি হোক', 'বন্দীদের মুক্তি দাও'। সভেতলানা টিখানোভস্কায়া নিজে কোন বিরোধী নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সাধারণ গৃহিনী। কিন্তু তিনি যেরকম সোজাসাপ্টা ভঙ্গীতে পথে নেমেছিলেন, তা আসলে মানুষের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পেরেছিল। কিন্তু তাকেও দেশ ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু এখনো বেলারুশে নেতৃত্ব আছে, সংগঠন আছে। একটি ক্রাউডফান্ডিং উদ্যোগে এপর্যন্ত দশ লাখ ডলার চাঁদা উঠেছে। এই অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে আন্দোলনে আহত এবং গ্রেফতার হওয়া লোকজনের জন্য। এ থেকে আইনজীবিদের ফি এবং জরিমানাও মেটানো হবে। বুধবার রাতে বিক্ষোভ কিছুটা শান্ত ছিল। বেলারুশের মানুষ এখন তাদের কর্মস্থল থেকে বেরিয়ে ধর্মঘটে যাওয়ার কথা ভাবছে। কিছু কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এরই মধ্যে ধর্মঘট শুরু করেছেন। তারা এই সহিংসতার অবসান চান। তারা সভেতলানা টিখানোভস্কায়াকে নির্বাচনে বিজয়ী বলে স্বীকার করে নেয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
Seeing police brutality up close has shocked Belarusians, first during the street clashes with protesters and then as accounts spread of cruelty towards those taken to detention centres.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সুনামিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পালু শহরে সরকারি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করছেন, মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে। কারণ, অনেক মানুষ এখনো নিখোঁজ। এছাড়া চরম ক্ষতিগ্রস্থ ডঙ্গালা নামে একঠি শহরে উদ্ধারকর্মীরা এখনো যেতে পারেনি। ঐ শহরে প্রায় তির রাখ মানুষ বসবাস করে। পালু শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে নিহতদের বেশিরভাগই সুলাওয়েসির পালু শহরের বাসিন্দা, যেখানে প্রায় তিন মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। স্থানীয় বিমানবন্দর অংশত ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে ইন্দোনেশিয়ার কিছু সামরিক বিমান সেখানে অবতরণ করতে পেরেছে। সুলাওয়েসি দ্বীপ থেকে অল্প দূরে সাগরের প্রায় দশ কিলোমিটার গভীরে শুক্রবার এই ভূমিকম্প হয়েছিল। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। সুনামি যখন আঘাত হানে, তখন লোকজন কিভাবে প্রাণভয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল, তার অনেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর অনেক শক্তিশালী আফটার-শক পালু শহরকে কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। সুনামি যখন আঘাত করে তখন অনেকেই সাগরতীরে বেড়াচ্ছিলেন শত শত ঘরবাড়ী ভেঙ্গে পড়েছে। অনেক হাসপাতাল, হোটেল এবং শপিং সেন্টারও ধসে গেছে। উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় অভিযান ঠিকমত চালানো যাচ্ছে না। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা বলছে, বহু লোক এই ভূমিকম্পে নিহত এবং আহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সংস্থার মুখপাত্র সুতপো পারো নাগরোহো শনিবার জানান , সর্বশেষ যে তথ্য তাদের কাছে আছে, সে অনুযায়ী ৩৮৪ জন নিহত হয়েছে, নিখোঁজ আছে আরও ২৯ জন। এরা সবাই পালু শহরের একটি এলাকার মানুষ। এছাড়া আরও ৫৪০ জন আহত হয়েছে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, সাগর তীর বরাবর নিহতদের অনেকের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। যখন সুনামি আঘাত হানে, তখন সাগরতীরেই অনেকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অনেকে প্রায় ছয় মিটার উঁচু পর্যন্ত গাছে আশ্রয় নিয়ে জীবন বাঁচিয়েছে। খোলা জায়গায় আহতদের চিকিৎসা চলছে ভূমিকম্প এবং সুনামিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পালু এবং ডংগালা শহরে প্রায় ছয় লাখ মানুষ থাকে। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বলেছেন, উদ্ধার অভিযানে সাহায্য করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠানো হচ্ছে। ২০০৪ সালে এশিয়ায় যে ভয়ংকর সুনামি হয়েছিল, তখন ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপেই নিহত হয়েছিল এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। ইন্দোনেশিয়া খুবই ভূমিকম্প প্রবণ দেশ, পুরো প্রশান্ত মহাসাগর ঘিরে ভূমিকম্প প্রবণ যে বৃত্ত বা যেটি রিং অব ফায়ার নামে পরিচিত, তার উপরই দেশটি। বিশ্বের সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর অর্ধেকই সেখানে। পালু শহরটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মাত্র গত মাসেই ইন্দোনেশিয়ার লম্বক দ্বীপে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, সেখানে নিহত হয় ৪৬০ জন।
At least 832 people were killed in the devastating earthquake and tsunami that hit the Indonesian island of Sulawesi, the national disaster agency says.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
দিল্লির প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছে স্বাস্থ্যকর্মীরা ভারত জুড়ে দুমাস ধরে যখন কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছিল তখন দিল্লির কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর সুযোগ হাতছাড়া করেছেন বলেই মনে হয়। এরজন্য দায়ী করা হচ্ছে বেশ কয়েকটি বিষয়কে। প্রথমত, কন্টাক্ট ট্রেসিং এর কোন ব্যবস্থা না রাখা; দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং তৃতীয়ত, ব্যক্তি খাতের স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব। এর পাশাপাশি ভারতের রাজধানীতে ফেডারেল সরকারের সঙ্গে রাজ্য কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক বিবাদকেও এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ভারতের অনেক ছোট ছোট শহর দিল্লির তুলনায় অনেক ভালোভাবে করোনাভাইরাসের মোকাবেলা করেছে। যেমন ধরা যাক দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোরের কথা। সেখানে কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হয়। দক্ষিণ ভারতের আরেকটি নগরী চেন্নাইও বেশ এগিয়ে আছে দিল্লি তুলনায়। সেখানে সংক্রমণ বেশ ছড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কিন্তু দিল্লি এবং মুম্বাই, দুটি শহরেই ভাইরাস সবচেয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে। এই দুটি শহরেই সংক্রমনের হার খুবই বেশি। ভারতের সব নামী-দামী সরকারি হাসপাতাল এই দুই শহরে। অথচ এসব বড় বড় হাসপাতাল এখন করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। দিল্লির ক্ষমতায় আছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এ বছরের শুরুতে দলটি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিশেষ করে জনসেবা এবং স্বাস্থ্যসেবার মত কাজে সাফল্যের জন্য। তাহলে ভুলটা কোথায় হয়েছিল? যথেষ্ট পরীক্ষা এবং ট্রেসিং এর ব্যবস্থা না রাখা জুন মাসের শুরু থেকে দিল্লিতে সংক্রমনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কেবল এ মাসেই ৫০ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ সংক্রমনের ঘটনা ধরা পড়েছে দিল্লিতে। এর একটা কারণ হয়তো দিল্লিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। এটি করা হচ্ছে একটি নতুন রেপিড টেস্টিং কিট দিয়ে, মাত্র আধ ঘন্টার মধ্যেই পরীক্ষার ফল জানা যায়। করোনাভাইরাসর বিস্তার ঠেকানোর সুযোগ দিল্লি হাতছাড়া করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট কে শ্রীনাথ রেড্ডি বলছেন, টেস্টিং কোন মহৌষধ নয়। মিস্টার রেড্ডি ভারতের ন্যাশনাল কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের একজন সদস্য। ‍“আপনাকে টেস্টিং অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সেটা করতে হবে বিচার বিবেচনা করে, লক্ষণ দেখে এবং এর একটা পরিস্কার ভিত্তি থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, এটা কেবল তখনই করা সম্ভব যখন কনট্যাক্ট ট্রেসিং এর ব্যবস্থা থাকবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে ভারতের কন্টাক্ট ট্রেসিং এর ওপর। তারা দেখেছে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে প্রতিটি কনফার্মড করোনাভাইরাস কেসের জন্য গড়পড়তা ২০টি কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করা হয়েছে। যখন কর্নাটকের মত কোন কোন রাজ্যে কন্টাক্ট ট্রেসিং করা হচ্ছিল ৯৩ জন পর্যন্ত, সেখানে দিল্লিতে করা হয়েছে মাত্র ৯ জন। এ মাসের শুরুর দিকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সেখানে সংক্রমনের সংখ্যা এত বেশি যে করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীদের সরাসরি সংস্পর্শে আসা নিকটজনদেরই কেবল পরীক্ষা করা হচ্ছিল। কিন্তু অনেক মানুষ টুইটারে এমন অভিযোগ করেছেন যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের পরিবারের সদস্যদের পর্যন্ত টেস্ট করা হয়নি। তাদের এলাকাগুলোতে সংক্রমন প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। “আমি এমন অনেক ঘটনা জানি যেখানে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে এমন লোকদের পরিবারগুলোর সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করা হয়নি”, বলছিলেন অল ইন্ডিয়া ড্রাগ একশন নেটওয়ার্ক নামে একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়াচডগ-এর সদস্য মালিনি আইসোলা। মিস্টার কেজরিওয়ালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বন্দ্বকেও দায়ী করা হচ্ছে পরিস্থিতির অবনতির জন্য। অনেক ক্ষেত্রেই এসব পরিবারের সদস্যদের টেস্ট পর্যন্ত করা হয়নি। টেস্ট তখনই করা হয়েছে যখন বারবার সরকারের কাছে এ নিয়ে তারা আবেদন নিবেদন করেছে। দিল্লির কর্তৃপক্ষ এখন বেশ উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছেন। দিল্লির প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ বাসিন্দাকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে। প্রতিদিন দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৬ হাজার মানুষকে বাছাই করা হবে। আর লোকজন সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলছে কিনা সেটি পুলিশ এবং ড্রোন ব্যবহার করে নিশ্চিত করা হবে। দিল্লির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা যে এখন প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে সেজন্য সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দোষারোপ করছেন যে গতিতে নগরীতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল সেটিকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পদক্ষেপগুলো আসলে নেয়া উচিত ছিল অনেক আগে, যখন লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি ছিল। যদি তখন এই কাজ করা হতো তাহলে হয়তো সরকারের পক্ষে অনেক দ্রুত এবং বেশ বিচক্ষণ ভাবে পদক্ষেপ নেয়া সহজ হতো। সরকার পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে ব্যর্থ দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের একজন ভাসকুলার সার্জন ডক্টর আমবারিশ সাত্ত্বিক মনে করেন, ভারতে করোনাভাইরাস রোগটিকে একটি গ্লানিকর বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। এটিকে জনস্বাস্থ্যের বিষয় হিসেবে গণ্য না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সমস্যা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারত এখনও সরকারিভাবে কম্যুনিটি সংক্রমণের কথা অস্বীকার করছে। দিল্লিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষাকে খুবই সীমিত করে রাখা হয়েছিল। কেউ যখন এই পরীক্ষায় পজিটিভ বলে প্রমাণিত হবেন, তারপর কি হবে সেটা নিয়ে কোন সঠিক তথ্য ছিল না। আর করোনাভাইরাস পজিটিভ প্রমানিত হলে সরকার ধরে নিয়ে নিম্নমানের কোন জায়গায় নিয়ে কোয়ারেন্টাইনের জন্য আটকে রাখবে এমন ভয় লোকজন কোন পরীক্ষাই করাতে চায়নি। “যদি আপনাকে পুলিশ ফোন করে, যদি আপনাকে ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেইলেন্স অফিসার ফোন করে বলে, আপনাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে কোয়ারেনটাইনের জন্য, তখন কে যাবে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করাতে”, বলছেন ডক্টর সাত্ত্বিক। “এরকম অবস্থায় আপনি হয়তো বরং অপেক্ষা করবেন, কারণ এই পুরো প্রক্রিয়াটা তো একটা শাস্তির মত ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।” ভারতের চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত খাত একটা বিরাট ভূমিকা পালন করে। অথচ করোনাভাইরাস মোকাবেলার পুরো দায়িত্বটা এসে পড়েছে সরকারি খাতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর। সরকারি স্বাস্থ্য সেবা খাতে জনবলের ঘাটতি আছে। সরকারের ল্যাবরেটরী এবং হাসপাতালগুলোতে সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে। ফলে বহু মানুষ, যাদের হয়তো লক্ষণ ছিল, তারা পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর পরিবর্তে ঘরে থাকাটাই শ্রেয় বলে ভেবেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লির হাসপাতালগুলোর যে অব্যবস্থাপনা এবং বিশৃঙ্খলার কথা প্রচার পেয়েছে, তা মানুষের উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। “এই ভয় আর এই স্টিগমার কারণে করোনাভাইরাস মহামারী যেন আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছে”, বলছেন প্রফেসর রেড্ডি। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল ব্যক্তি খাতের চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা, যাতে করে করোনাভাইরাসের টেস্টিং এবং হাসপাতালে বেশি রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু দিল্লির সরকার আসলে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি, কিভাবে পরীক্ষা করা হবে তার নিয়ম কানুন এসব নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা চালিয়ে অনেক সময় নষ্ট করেছেন। প্রফেসর রেড্ডি বলছেন, সরকার আরো বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল ক্লিনিক্যাল সার্ভিস, বিশেষ করে টেস্টিং এবং হাসপাতালে চিকিৎসা এসবের ব্যবস্থা করার জন্য। এর ফলে মৌলিক জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কাজগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। দিল্লিতে ক্ষমতার দুটি কেন্দ্র আরেকটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দিল্লির প্রশাসনিক ব্যবস্থা। যদিও এই রাজ্যটি পরিচালনা করেন মিস্টার কেজরিওয়াল এবং তার সরকার, কিন্তু দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর, যিনি ফেডারেল সরকারের প্রতিনিধি, তারও কিছু ক্ষমতা আছে। এই দ্বৈত প্রশাসনিক ব্যবস্থার কারণে বেশ কিছু পরস্পরবিরোধী নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, যেগুলো আবার পরে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। অনেক সময় এরকম নির্দেশ জারি করা এবং প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেছে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। মিস্টার কেজরিওয়ালের সঙ্গে ভারতের ফেডারেল সরকারের সম্পর্ক যে খুব ভাল ছিল না এটা তারই প্রমাণ। প্রফেসর রেড্ডি বলেন, “আমরা একটা সিদ্ধান্ত থেকে আরেকটা সিদ্ধান্তের মধ্যে এভাবে দোল খেতে পারিনা, যখন কিনা এরকম জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার মধ্যে খাবি খাওয়ার পরিবর্তে রাজধানী শহর হিসেবে দিল্লির একটা আলাদা মনোযোগ পাওয়া উচিৎ ছিল।” তবে প্রফেসর রেড্ডি বলছেন, কোনো মহামারী মোকাবেলার ক্ষেত্রেই সময় চলে গেছে, একথা বলার সুযোগ নেই। “এই মহামারি ঠেকাতে আপনাকে এখনো বেশ শক্ত একটা প্রচেষ্টা নিতে হবে। আপনাকে সেটা করতেই হবে।” আরও পড়তে পারেন: দশগুণ ভাড়া, ফ্লাইট কম, রিটার্ন টিকেটেও সিট নেই যেভাবে এক কোটি ছাড়িয়ে গেলো করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নানা অভিযোগের জবাব কী? রেলে বিক্রি করা হবে ৫০% টিকেট, পহেলা জুন থেকে চলবে বিমান সৌদি আরবে এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে বাংলাদেশের সাথে কুয়েতের কেন বিমান চলাচল স্থগিত
With more than 77,000 cases of Covid-19, India’s capital, Delhi, has become the country’s biggest hotspot. The BBC's Aparna Alluri explains how this appears to be an opportunity missed.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্ট স্পিকার অ্যাসিস্টের রয়েছে নারীকণ্ঠ। এই নারী সাহায্যকারীদের এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন তারা গ্রাহকদের নির্দেশ শুনতে বাধ্য এবং তাদের পরিতৃপ্ত করতে অধীর থাকে। এর মাধ্যমে মূলত নারীকে আজ্ঞাবহ বা অধীনস্থ ভাবার যে প্রচলিত ধারণা রয়েছে সেটাকেই আরও বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়। একে বেশ উদ্বেগজনক হিসেবে গবেষণায় বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষ এসব কণ্ঠ সহায়কদের প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন জিজ্ঞেস করছে। আরও পড়তে পারেন: প্রযুক্তি ব্যবহার করে কি ধানের দাম বাড়ানো যাবে? যে পাঁচ কারণে হুয়াওয়েকে নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বিগ্ন 'ইসরায়েলি' প্রযুক্তি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি গ্রাহকদের তাচ্ছিল্য ও অসম্মানজনক কথার প্রতিক্রিয়ায় এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন নারী কণ্ঠ যেভাবে নিষ্প্রভ, কৈফিয়তমূলক, ক্ষমা প্রার্থনামূলক বা কথাটি এড়িয়ে যাওয়ার মতো করে জবাব দেয়, তাতেই এই বৈষম্য আরও স্পষ্ট হয়। এ কারণে প্রযুক্তি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের যন্ত্রের ডিফল্ট কণ্ঠ সহায়ক হিসেবে - এই নারী কণ্ঠ তৈরি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনটি। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন ইউনেস্কোর গবেষণায় শিরোনাম করা হয়েছে যে, "যদি আমি পারতাম, আমি লজ্জায় লাল হতাম।" এই লাইনটি ধার করা হয়েছে অ্যাপেলের জনপ্রিয় কণ্ঠ সহায়ক সিরির কাছ থেকে। গ্রাহকের যৌন উত্তেজক কথার প্রতিক্রিয়ায় সিরি এই জবাবটি দিয়েছিল। হেই গুগল বললেই গুগলের নারী কণ্ঠের সহায়ক অ্যাকটিভ হয়ে যায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, "অ্যাপল ও আমাজনের মতো কোম্পানিগুলো ব্যাপকভাবে পুরুষ প্রকৌশলী দল দ্বারা চলছে। সেখানে কর্মরত প্রকৌশলীরা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এআই সিস্টেমগুলোকে এমনভাবে তৈরি করেছে, যেন তাদের নারী কণ্ঠের ডিজিটাল সহায়কগুলো মৌখিক গালিগালাজকেও স্বাগত জানায়। এসব কথার জবাবে তারা অনেক সময় প্রেমের ভান করে (ফ্লার্টেশন)। এমন যে, পারলে আমাকে ধর (ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান)। "বেশিরভাগ ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট নারী কণ্ঠের হওয়ায় এটি ইঙ্গিত করে যে , নারীরা সাহায্য করতে বাধ্য/অনুগত, একটি বোতামের স্পর্শেই বা 'হেই' বা 'ওকে' এর মতো মৌখিক আদেশেই তাদের যেকোনো সময় পাওয়া যায়। গ্রাহকের চাহিদামত আদেশ পালনের বাইরে এই নারী সহকারীর কোন ক্ষমতা নেই। এই নারীকণ্ঠ গ্রাহকের প্রতিটি নির্দেশকে সম্মান জানায় ও যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেয় সব ধরণের বৈরিতা উপেক্ষা করেই। - বলছে গবেষণা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারতের ভোটের ফল জানতে দেরী হবে কেন? সৌম্য কি বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে সমস্যার সমাধান? মানুষের মৃতদেহ থেকে জৈব সার তৈরি হবে আমেরিকায় পাকিস্তানে শত শত শিশু কেন এইচআইভিতে আক্রান্ত? ০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১০ কোটি স্মার্ট স্পিকার বিক্রি হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, এই বিষয়টি অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। কেননা এসব ভয়েজ অ্যাসিসটেন্টদের এমন ভাবা হয় যে সেই নারীরা তাদের আজ্ঞাবহ এবং যেকোনো খারাপ ব্যবহারের ব্যাপারে তারা সহনশীল। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস ধারণা করছে, ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১০ কোটি স্মার্ট স্পিকার বিক্রি হয়েছিল - স্মার্ট স্পিকারে এমন হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয় যেন গ্রাহকরা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের সাথে কথা বলতে পারেন। এবং, গবেষণা সংস্থা গার্টনারের মতে, ২০২০ সালের মধ্যে কিছু মানুষ তাদের সঙ্গীদের চাইতে ভয়েস সহায়কগুলোর সাথে বেশি কথাবার্তা বলবে। প্রতিবেদনটির মতে, ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টরা এখন প্রতি মাসে আনুমানিক একশ কোটি কাজ পরিচালনা করে এবং এসব সহায়কের একটি বড় অংশই নারী কণ্ঠের। যার মধ্যে চীনের প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা ডিজাইন করা ডিভাইসও রয়েছে। অনেকে এই ভয়েজ অ্যাসিসটেন্টের মাধ্যমে তাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে পারেন। মাইক্রোসফটের ভিডিও গেম হালোতে সিনথেটিক বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন নারী সহায়ক ছিল, যার নাম ছিল কোর্টানা। এই কোর্টানা নিজেকে একজন বস্ত্রহীন ও ইন্দ্রিয় উদ্দীপক নারী হিসেবে উপস্থাপন করতো। যদিও অ্যাপলের সিরি বলতে বোঝানো হয়েছে একজন "সুন্দরী নারী যিনি আপনাকে নর্সে বিজয়ের পথে নেতৃত্ব দেবেন"। এদিকে গুগল সহকারীর নাম অনেকটা লিঙ্গ-নিরপেক্ষ। তবে এর ডিফল্ট ভয়েস হিসেবে নারীকণ্ঠই দেয়া রয়েছে। প্রতিবেদনটিতে প্রযুক্তি ডেভেলপারদের আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে একটি নিরপেক্ষ লিঙ্গের যন্ত্র তৈরি করেন। এবং এই কণ্ঠ সহায়কগুলোকে এমনভাবে প্রোগ্রামিং করেন যেন লিঙ্গভিত্তিক অপমানকে নিরুৎসাহিত করা যায়। সেইসঙ্গে ব্যবহারকারীদের সাথে মিথস্ক্রিয়া শুরুর আগে এই প্রযুক্তিকে অ-মানব হিসাবে ঘোষণা করার জন্য ডেভেলপারদের আহ্বান জানানো হয়েছে। ভাষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ এবং শব্দ ডিজাইনারদের একটি দল, আসল কণ্ঠস্বর থেকে তৈরি একটি লিঙ্গহীন ডিজিটাল ভয়েজের ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। যেটার নাম রাখা হয়েছে "কিউ"। বেশিরভাগ ভয়েজ অ্যাসিসট্যন্টের নারীকণ্ঠ ব্যবহার করা হয়। ডিজিটাল দক্ষতায় যে বিশ্বব্যাপী বড় ধরণের জেন্ডার গ্যাপ বা নারী-পুরুষ বৈষম্য রয়ে গেছে সেই বিষয়টিও গবেষণা প্রতিবেদনে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে উত্তর আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে নারী ও মেয়েদের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার তুলনামূলক কম দেখা যায়। এছাড়া ইউরোপের মেয়েদের আইসিটির ওপর পড়াশোনা করার হারও কমে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির গবেষণার সঙ্গে নারীদের সংশ্লিষ্টতা ছিল মাত্র ১২%।
AI-powered voice assistants with female voices are perpetuating harmful gender biases, according to a UN study.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বন্যায় আটকে পড়া এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধার কর্মীরা মূলত অতিবৃষ্টির কারণেই সেখানে এই বন্যা দেখা দিয়েছে। কেরালা ছাড়াও ভারতের আরও কিছু রাজ্যে মৌসুমী বৃষ্টির কারণে বন্যা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারত জুড়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা নয়শোর বেশি বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। তবে বন্যার চেহারা সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে কেরালায়। কেবল গত ৩৬ ঘন্টাতেই সেখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৬০ জনের। দুই লক্ষেরও বেশী মানুষ গৃহহীন। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও বিমান বাহিনীকে উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে। মালয়লিরা তাঁদের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ওনাম পালন না করে বন্যার্তদের সাহায্যে করছেন। কেরালায় কেন দুযোর্গ ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে কেরালাতেই সব থেকে বৃষ্টিপাত হয় প্রতিবছর। কিন্তু গত প্রায় দশদিন ধরে একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে সেখানে। কেরালার গত একশো বছরের ইতিহাসে এরকম বন্যায় হয়নি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলছেন গত এক শতাব্দীর মধ্যে এরকম বন্যা সেখানে হয় নি। শুক্রবার রাজধানী থিরুভনন্তপুরমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন যে রাজ্যের ১৪টির মধ্যে একটি বাদে বাকি ১৩টি জেলাই বন্যার কবলে পড়েছে। রাজ্য জুড়েই চূড়ান্ত সতকর্তা জারি করা হলেও সবথেকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে আলাপুঝা, থ্রিসুর আর এর্ণাকুলাম জেলাগুলিতে। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই কেরালায় পৌঁছচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেড় হাজারেরও বেশী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে গোটা রাজ্যে। উত্তর পরুভার এলাকার একটি কলেজের ত্রাণ শিবিরে পরিবার সহ আশ্রয় নিয়েছেন মি. বিজু। অন্যান্য খবর: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং হলে গ্রাহক কী করবেন? মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রশিক্ষণ চীনে? আজিজ খান যেভাবে বাংলাদেশের ডলার বিলিওনিয়ার টেলিফোনে তিনি বিবিসিকে বলছিলেন "আরও প্রায় হাজার চারেক লোকের সঙ্গে একটি কলেজে আছি। গ্রামে একটি নদী রয়েছে, সেখানে অনেক মানুষ আটকিয়ে রয়েছেন। আমাদের শিবিরে প্রায় হাজারখানেক শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ রয়েছেন, কিন্তু পাণীয় জল, খাবার কিছুই প্রায় নেই। বিদ্যুৎও নেই।" সরকার বলছে রাজ্যের ৮০টি বাঁধ খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে তারা। উদ্ধার কাজে সেনা, বিপর্যয মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গেই পৌঁছিয়েছে নৌবাহিনী আর উপকূলরক্ষীবাহিনীর বেশ কয়েকটি জাহাজ। নামানো হয়েছে প্রায় ২০০ নৌকা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিপর্যয় মোবাকিলা বাহিনীর আরও সদস্য পৌঁছচ্ছেন সেরাজ্যে। কেরালার বহু শহর এখন পানির নীচে বন্যাকবলিত এলাকাগুলি থেকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে মানুষকে উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। কোচি শহরের সাংবাদিক অনুভা জর্জ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি নিয়মিত শুনতে পাচ্ছেন হেলিকপ্টার উড়ে যাচ্ছে বাড়ির ওপর দিয়ে। মিজ জর্জের কথায়, "জনজীবন একেবারে স্তব্ধ। মাঝে মাঝেই শোনা যাচ্ছে বেশ নিচু দিয়ে হেলিকপ্টার উড়ে যাচ্ছে সবথেকে বন্যাকবলিত এলাকাগুলো থেকে মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে। দোকানপাট বন্ধ। কোচিতে মেট্রো রেল বন্ধ। ট্রেন চলছে না। রাজ্যের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ওনাম। এই সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মধ্য প্রাচ্য থেকে আসেন, তারা আটকে পড়েছেন।" এই বিপর্যয়ের মধ্যে কেরালার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তাঁরা এবছর ওনাম উৎসব পালন করবেন না। সেই টাকা বন্যার্তদের সাহয্যের জন্য তাঁরা রিলিফ ফান্ডে জমা দিচ্ছেন। স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা চাদা তুলছে। অর্থ সাহায্য করছে অতি প্রভাবশালী মালয়লাম সিনেমা জগতও। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী কর্ণাটকেরও বেশ কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ী এলাকাগুলোতে ধস নামছে।
At least 324 people have been killed in flooding in the southern Indian state of Kerala in what local officials say is the worst flooding in 100 years.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
উদ্ধার করা একটি টিকটিকি মৃত প্রাণীগুলোর বেশিরভাগ দমবন্ধ হয়ে মরে গেছে। তাদের কাপড়ের পুতুলের পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে সেলাই করে দেয়া হয়েছিল। এ তথ্য জানানো হয়েছে কোলোন বন বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে। বিপন্ন প্রজাতির শিংওয়ালা টিকটিকি, অ্যালিগেটর এবং এক বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপ জার্মাানিতে চোরাই পথে চালান দেয়া হচ্ছিল একজন বেসরকারি খদ্দেরের জন্য। বিপন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং পশুপাখি সংরক্ষণের চেষ্টায় কাজ করছে সাইটস নামে আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ঝুঁকিতে থাকা বেশ কিছু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর যে তালিকা তৈরি করেছে মেক্সিকো থেকে পাচার করা এই প্রাণীগুলো সেই তালিকায় রয়েছে। আরও পড়তে পারেন: এই কাপড়ের পুতুলেগুলোর মধ্যে সেলাই করে সরীসৃপগুলো পাঠানোর চেষ্টার ফলে সেগুলো দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে জার্মান কর্মকর্তারা এখন ডিএনএ নমুনা ব্যবহার করে এই সরীসৃপগুলো কোথা থেকে এসেছে তার খোঁজ করার চেষ্টা করছে। তাদের জঙ্গল থেকে ধরে চালান দেয়া হয়েছে নাকি কোথাও এই প্রজাতির প্রাণীগুলো খাঁচায় রেখে প্রজনন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের জন্ম দেয়া হয়েছে কর্মকর্তারা সেটা জানার লক্ষ্যে কাজ করছেন। দুটি পার্সেলে করে এই চালান পাঠানো হয়েছে, যার একটি ৩০শে অক্টোবর এবং অন্যটি ৮ই নভেম্বর বিমানবন্দরে জব্দ করা হয়। জার্মানির শুল্ক বিভাগ মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ এবং জার্মানির বন শহরের আলেকজান্ডারে কোয়েনিগ গবেষণা যাদুঘরের জীববিজ্ঞানীদের সাথে একযোগে কাজ করছে। পুলিশ চোরাচালানকারীদের ধরতে পারলে তাদের জরিমানা করা হবে। যে ১৬টি প্রজাতির সরীসৃপ বেঁচে রয়েছে তাদের মেক্সিকোর অরণ্যে তাদের নিজস্ব বাসস্থানে ফিরিয়ে দেয়া হতে পারে। এই সরীসৃপগুলোর উৎস সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী চুরি করে তার থেকে অবৈধ কোন পণ্য যারা উৎপাদন করে, বনের এই যাদুঘরের জীববিজ্ঞানীরা মূলত সেগুলো নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করেন। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সাপের চামড়ার ব্যাগ বা পশুর লোমের তৈরি পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী। আন্তর্জাতিক সংস্থা সাইটসের (কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশানাল ট্রেড ইন এনডেনজার্ড স্পিসিস) ১৯৭৩ সালের সনদে সই করেছিল ১৮২টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যে সনদ ছিল প্রায় ৬হাজার প্রজাতির প্রাণী এবং ৩০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ সংরক্ষণের অঙ্গীকারনামা।
German airport customs officers have found 26 rare reptiles - 10 of them dead - smuggled inside parcels of toys and sweets from Mexico.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
বায়ুদূষণ মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ এর মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটেছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে এক চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ ছিল দূষণজনিত। দূষণ থেকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে বাংলাদেশে। তালিকায় এরপর আছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। দূষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ধরনের প্রভাব ফেলেছে বায়ু-দূষণ। দূষণজনিত মৃত্যুর দুই তৃতীয়াংশের পেছনে রয়েছে বায়ু-দূষণ। দূষণজনিত মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম ব্রুনেই আর সুইডেনে। দূষণজনিত মৃত্যুর বেশিরভাগ হয়েছে দূষণের কারণে সংক্রামক নয় এমন রোগে, যার মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ফুসফুসের ক্যান্সার। ''দূষণের চ্যালেঞ্জ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের থেকেও বেশি। দূষণ জনস্বাস্থ্যের নানা দিকের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে,'' বলছেন এই গবেষণায় জড়িত একজন বিজ্ঞানী, প্রফেসর ফিলিপ ল্যান্ড্রিগান, যিনি নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই-এ ইকান স্কুল অফ মেডিসিনে কাজ করেন। বায়ু-দূষণ যা সবচেয়ে বড় ঝুঁকি তাতে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে ৬৫ লাখ মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে বাইরে থেকে আসা দূষণ যেমন গ্যাস, বাতাসে দূষণ-কণা এবং ঘরের ভেতর কাঠ ও কাঠকয়লা জ্বালানোর ধোঁয়া। এরপর যেটি সবেচেয়ে বেশি ঝুঁকি সৃষ্টি করছে সেটি হল পানি দূষণ, যার থেকে মৃত্যু হয়েছে ১৮ লাখ মানুষের। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে দূষণ থেকে মারা গেছে ৮ লাখ মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোতে। আর এর মধ্যে দূষণের একটা ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে যেসব দেশে যেমন ভারতে যে দেশ তালিকায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। চীনও রয়েছে এই তালিকায় ১৬তম স্থানে। ১৮৮টি দেশে দূষণের এই জরিপ ও গবেষণা চালানো হয়েছে। গবেষণা যারা চালিয়েছেন তার বলছেন উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্থান তালিকায় ৫৫ নম্বরে এবং সেখানে ডিজেল থেকে দূষণের শিকার হচ্ছে বহু মানুষ। তারা আরও বলেছেন অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোতে দূষণে মৃত্যুর হার বেশি এবং ধনী দেশগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। দুবছর ধরে চলা এই গবেষণায় বলা হয়েছে দূষণের সঙ্গে দারিদ্র, অস্বাস্থ্য এবং সামাজিক অবিচারের বিষয়গুলোও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
Pollution has been linked to nine million deaths worldwide in 2015, a report in The Lancet has found.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
আজিজ খান: বাংলাদেশের প্রথম ডলা বিলিওনিয়ার স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সেটি খুব অস্থির এক সময়। চারিদিকে নানা বিশৃঙ্খলা। সেসময় খুব কম মানুষের মধ্যেই ব্যবসা-বাণিজ্যের ঝোঁক ছিল। মুহাম্মদ আজিজ খান তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই ছাত্র অবস্থাতেই আরও কিছু বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঝুঁকে পড়লেন ব্যবসার দিকে। "আমি ব্যবসা শুরু করি ১৯৭৩ সালে পুরোনো ঢাকায়। বাবার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেছিলাম। মাত্র এক বছরের মধ্যেই ব্যবসা করে সেই টাকা বাবাকে ফেরত দেই। তাই আমি অনেক সময় মজা করে বলি যে আমি ক্যাপিটাল বা পুঁজি ছাড়াই ব্যবসা করে আজকের পর্যায়ে এসেছি।" পুরোনো ঢাকায় তাঁর প্রথম ব্যবসা ছিল পিভিসি সামগ্রীর। "আমার ব্যবসায়িক পার্টনার আগে থেকেই ব্যবসায় ছিলেন। পুরোনো ঢাকার চকবাজারে গিয়ে ব্যবসা শুরু করি। সেখানে পিভিসি বা পলি ভিনাইল ক্লোরাইডের ব্যবসায় নামি। এরপর একসময় চিটাগুড়ের ব্যবসাও করেছি। বাংলাদেশ থেকে আমিই প্রথম চিটাগুড় রপ্তানি করি।" তখন তিনি দিনে ব্যবসা করেন, আর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনষ্টিটিউটে এমবিএর কোর্স করেন। এভাবে ব্যবসা আর পড়ালেখা- দুটিই পাশাপাশি চলতে থাকে। "পুরনো ঢাকায় যাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতাম, তাদের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোও আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। প্রথম শুরু করেছিলাম ট্রেডিং দিয়ে। তারপর ইনফ্রাস্ট্রাকচারে যাই। সেখান থেকেই ব্যবসা করতে করতে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছি।" ফোর্বসের তালিকা ফোর্বসের হিসেবে আজিজ খানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ ৯১০ মিলিয়ন ডলার। মিস্টার খান সেই অর্থে বাংলাদেশের প্রথম ডলার বিলিওনিয়ার, অর্থাৎ ডলারের হিসেবে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম 'শত কোটিপতি'। ফোর্বসের এই তালিকা প্রকাশের পর তার সম্পর্কে বিপুল কৌতুহল তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। কে তিনি? কীভাবে তিনি এত বড় ব্যবসায়ীতে পরিণত হলেন? বিবিসি বাংলার তরফ থেকে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত মিস্টার খানের সঙ্গে যোগাযোগের পর তিনি এ নিয়ে কথা বলতে রাজী হলেন। হংকং এর এক বিমানবন্দরের লাউঞ্জ থেকে যাত্রাপথে তিনি টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন তার ব্যবসায়িক জীবনের কাহিনী। ফোর্বস তার সম্পদের যে হিসেবে দিয়েছে সেটা কি সঠিক? হিসেবটা কমবেশি ঠিকই আছে বলে মনে করেন তিনি। "ফোর্বস ম্যাগাজিন যেভাবে আমাদের মূল্যায়ন করেছেন, সেটা তাদের সিস্টেমে তারা করেছেন। আমরা এখনো সিঙ্গাপুরের বাজারে তালিকাভুক্ত নই। যদি হতাম, তাহলে আমাদের ইকুইটির বাজার মূল্য হতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। সেটাকেই তারা হয়তো নয়শো দশ মিলিয়ন ডলার হিসেব করেছে।" "আমরা মনে করি এই মূল্যায়ন ঠিকই আছে। এটা কিন্তু আমার মূল্যায়ন নয়। এটা আমাদের পরিবারের মূল্যায়ন। পরিবারে আমার ভাই-বোনরা আছেন, মেয়েরা আছেন। ভাইদের মধ্যে অবশ্য ফারুক খান, ফিরোজ খান এবং ইমরান খান আমাদের ব্যবসায় নেই।" সামিট গ্রুপের এই যে বিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য, কী কী আছে তাতে? কোন কোন খাতে তারা ব্যবসা করছেন? "মূলত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও বন্দর খাতে এবং ইন্টারনেট যোগাযোগের মূল কাঠামো ফাইবার অপটিক খাতেই আমাদের বিনিয়োগ। এছাড়া বাংলাদেশে হোটেল খাতে, এবং শপিং মলেও আমরা বিনিয়োগ করছি।" বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিনিয়োগকারী মিস্টার খানের সামিট গ্রুপ বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ কত বড় তার একটা ধারণা দিলেন তিনি। "বাংলাদেশে আমাদের এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ বারো হাজার হতে তের হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে।আগামী তিন চার বছরে আরও ২৫ হাজার কোটি টাকা আমরা বিনিয়োগ করতে পারবো।" বিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগ বাংলাদেশে এখন যত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, তার প্রায় পনের শতাংশ আসে সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। সামিট বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী। "এই মূহুর্তে আমাদের মোট উৎপাদন ক্ষমতায় এক হাজার নয়শো পঞ্চাশ মেগাওয়াট। আরও ৫৮০ মেগাওয়াটের কাজ চলছে। ২০২০ বা ২০২১ সাল নাগাদ শেষ হবে। পাইপলাইনে আছে আরও ২৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প। এর পাশাপাশি কাজ চলছে একটি এলএনজি টার্মিনালের।" বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সামিট গ্রুপ যে এত বেশি ব্যবসা বাণিজ্য করছে সেটা সরকারের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতার কারণেই সম্ভব বলে অনেকে মনে করেন। মুহাম্মদ আজিজ খানের একজন ভাই অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ফারুক খান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং সরকারের একজন সাবেক মন্ত্রী। বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের ১৫ শতাংশ আসে সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আজিজ খান অবশ্য দৃঢ়তার সাথে একথা অস্বীকার করলেন যে সরকারের কাছ থেকে তারা কোন অন্যায্য সুবিধা নিয়েছেন। "বাংলাদেশের সব সরকারের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক ছিল। বর্তমানেও খুব ভালো সম্পর্ক। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি ১৯৯৮ সাল হতে। তখন থেকে যত সরকার এসেছে, সবার সঙ্গেই আমাদের ভালো সম্পর্ক। কোন সরকারের সময় কমবেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। কোন সরকারের সময় বেড়েছে, কোন সরকারের সময় কমেছে। কিন্তু আনুপাতিক হারে আমরা সবসময় ১৫-২০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম।" মিস্টার খানের মতে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেয়। সেটারই সুফল পেয়েছেন তারা। অন্যান্য খবর: বিশ্ববিদ্যালয়ের শ'খানেক শিক্ষার্থী যে কারণে আটক বাজপেয়ীর আমলে কেমন ছিল ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক যেসব ছবির মাধ্যমে আলোড়ন তোলেন শহিদুল আলম "আমার মনে হয় তারা সময়োপযোগী এবং খুব ভালো কাজ করেছে। বিদ্যুৎ খুব জরুরী অবকাঠামো। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন তিন হাজার তিনশো মেগাওয়াট থেকে এখন পনেরো হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কোন অন্যায্য সুবিধা নেইও নি, পাইও নি। আমরা আমাদের মেরিটের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেই কাজ পেয়েছি।" সামিট গ্রুপের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। মিস্টার খান নিজেও স্থায়ীভাবে সিঙ্গাপুরেই থাকেন। কেন তিনি সিঙ্গাপুরকে তার ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন? "দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ফাইন্যান্সিয়াল ক্যাপিটাল কিন্তু সিঙ্গাপুর। তাদের ক্রেডিট রেটিং খুব ভালো। সেখানে কোম্পানি খুললে আমার ব্যবসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা সহজ। বাংলাদেশের তুলনায় সিঙ্গাপুরে ব্যাংক ঋণের সুদ অনেক কম। বাংলাদেশে যদি সুদের হার হয় ছয় শতাংশ, সিঙ্গাপুরে সেটা চার শতাংশ। আমাদের ব্যবসাটা ক্যাপিটাল ইনটেনসিভ। যেখানে বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট, সেখানে কিন্তু এই দুই শতাংশ বিরাট ব্যাপার। এই দুই শতাংশ কম হারে যে আমরা ঋণ পাই, সেটার কারণেই আমরা সর্বনিম্ন দরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি।" শিল্প সংগ্রাহক ব্যবসা-বাণিজ্যের বাইরে মুহাম্মদ আজিজ খানের আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় শিল্প সংগ্রাহকদের একজন। তার সংগ্রহে আছে বাংলাদেশের সব নামকরা শিল্পীদের শিল্পকর্ম। আজিজ খান: 'সরকারের কাছ থেকে অন্যায্য ব্যবসায়িক সুবিধা নেই নি' শিল্প জগতের সঙ্গে তার যোগাযোগটা ছাত্র জীবন থেকেই। "শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ছেলে মইনুল আবেদীন আমার সঙ্গে পড়তো। সেই সুবাদে তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল। আমাদের বাড়িতে সেভাবে শিল্পের চর্চা ছিল না। জয়নুল আবেদীনকে দেখেই এই জগতের সঙ্গে পরিচয়।" তবে নিজে শিল্প জগতের কেউ না হলেও নিজের তৈরি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বন্দর, সেগুলোকে তিনি নিজের 'শিল্পকর্ম' বলে গণ্য করেন। 'সেখানে গিয়ে সময় কাটাতে আমি আনন্দ পাই।" বাংলাদেশ এক সময় বিশ্বের দরিদ্রতম একটি দেশ বলে পরিচিত ছিল। সেই দেশে ব্যবসা করে তিনি বাংলাদেশের প্রথম ডলার বিলিওনিয়ার হয়েছেন। এই বিষয়টি বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে কী কোন ইঙ্গিত দেয়? আজিজ খানের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি কেবল খুব দ্রুত গতিতে চলা শুরু করেছে। এটার গতি আরও দ্রুততর হবে। বাংলাদেশ আগামী দু-তিন বছরে দশ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছাবে। "বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের ৩৪ কোটি হাত কিন্তু কাজ খুঁজছে। প্রতিটি লোক কাজ চায়। প্রত্যেকটা লোক কাজ করে খেতে চায়। কেউ ভিক্ষার হাত বাড়াতে চায় না। আমরা যদি কেবল ভৌত অবকাঠামো এবং সামাজিক অবকাঠামো, বিশেষ করে সময়োপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারি, বাংলাদেশ কিন্তু বিশ্বের অন্যতম ভালো দেশ হিসেবে, সোনার বাংলা হিসেবে উঠে দাঁড়াবে।" তার মানে বাংলাদেশে তার মতো আরও ডলার বিলিওনিয়ার তৈরি হওয়ার সুযোগ আছে? "নিশ্চয়ই আছে। ১৭ কোটি মানুষের সবকিছু হওয়ার সুযোগ আছে।"
Indian business tycoon Mukesh Ambani has topped the list of billionaires from the country in the Forbes magazine's annual list of the world's richest billionaires.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ভারতের বিভিন্ন শহরে রোববার মানুষ তাদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিকিৎসাকর্মীদের সম্মানে হাততালি দিয়েছে। কিন্তু এই উদ্বেগপূর্ণ সময়ের মধ্যে মানুষ আশার আলোও দেখার চেষ্টা করছেন নানা খবরের মধ্যে। ১. দূষণ কমছে করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে লকডাউন অবস্থা জারি করার ফলে দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। চীন এবং উত্তর ইতালিতে গাড়ি চলাচল ও কলকারখানার কাজ কমে যাওয়ায় বাতাসে নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান যা উষ্ণায়ন ঘটায় তার মাত্রা ব্যাপক হারে কমে গেছে। নিউ ইয়র্কেও গবেষকরা বিবিসিকে বলেছেন প্রাথমিক গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মূলত গাড়ি থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে বিমান সংস্থাগুলো গণহারে বিমান চলাচল বাতিল করে দেয়ায় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘর থেকে কাজ করার কারণে বিশ্বজুড়ে দূষণের মাত্রা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২. খাল পরিষ্কার হচ্ছে একইভাবে, ইতালিতে ভেনিস শহরের বাসিন্দারা বলছেন ওই শহরের মধ্যে দিয়ে যে বিখ্যাত খাল বয়ে গেছে, যে খালের শাখাপ্রশাখার ওপর গোটা ভেনিস শহর দাঁড়িয়ে, সেই খালের পানির মানে ব্যাপক উন্নতি দেখছেন তারা। খালের পানি এখন অনেক পরিষ্কার। উত্তর ইতালির যেসব রাস্তার উপরে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণগুলো অবস্থিত, সেগুলো এখন করোনা উৎকণ্ঠার কারণে জনশূণ্য। ভেনিসে যেহেতু খালই যাতায়াতের পথ তাই খালের ব্যবহার উল্লেখেযোগ্য হারে কমে গেছে। ফলে পানির ভাসমান কণাগুলো নিচে থিতিয়ে পড়ে পানি পরিষ্কার হয়ে গেছে। সাধারণত খালের পানি সেখানে খুবই ঘোলা থাকে। এখন পানি এতই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ হয়েছে যে এমনকী সেখানে মাছের আনাগোনা চোখে দেখা যাচ্ছে। ভেনিসে খালের পানি লকডাউনের পর আশ্চর্যরকম পরিস্কার হয়ে গেছে। ৩. মানুষ সহাযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে পাগলের মত বাজার করে মানুষের জিনিস মজুত করার, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য মারামারি করার নানা ঘটনা খবর হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এর উল্টো দিকে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক মানুষের মধ্যে পরোপকারের যে মানসিকতা তৈরি হয়েছে, তারা দয়ার হাত বাড়িয়ে দিতেও যে শিখেছে সেসব ঘটনাও খবরে এসেছে। নিউ ইয়র্কে দুই ব্যক্তি ৭২ ঘন্টার মধ্যে ১৩০০ স্বেচ্ছাসেবক জোগাড় করেছেন যারা বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে। ব্রিটেনেও বৃদ্ধ ও অসুস্থদের খাবার ও ওষুধ পৌঁছতে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে কয়েক হাজার মানুষ। একইধরনের দলবদ্ধ গোষ্ঠিকে দেখা গেছে কানাডায় মানুষের সাহায্যে পথে নামতে। অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনসহ পশ্চিমের বেশ কয়েকটি দেশে বড় বড় বিপনিবিতানে বৃদ্ধ মানুষদের বাজার করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে, যখন তারা ছাড়া আর কেউ বাজার করতে পারবেন না। যাতে তারা ধাক্কাধাক্কি এড়িয়ে শান্তিতে বাজার করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপনি বিতানগুলো এখন শুধু প্রবীণদের কেনাকেটার জন্য বাজারে আলাদা এক ঘন্টা সময় আলাদা করে দিয়েছে। প্রবীণ জনগোষ্ঠির জন্য অর্থ সাহায্য করা, তাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়ামের ব্যাপারে নানা উপদেশ পরামর্শ ও সাহায্য দেয়া এবং যারা পরিবারের সবার থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অর্থাৎ আইসোলেশনে দিন কাটাচ্ছেন তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য পৃথিবীর নানা দেশে নানাধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অনেক দোকানপাটে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবার পর সেগুলো খাদ্য বন্টনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ৪. সবাই একই নৌকায় সচরাচর কর্মস্থল আর দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছিল। নিজের পরিবারের ভালমন্দের বাইরে ভাবার কারও সময় ছিল না। এখন এই করোনাভাইরাসের ছোবল সবার ওপর এসে পড়ায় সবার মনেই কাজ করছে একইধরনের উদ্বেগ, একইধরনের ভয়। সারা বিশ্বের সব মানুষের সামনে এখন একটাই সমস্যা- একটাই উদ্বেগ- আমার সামনে কী? আর এই একই শত্রু সবাইকে সমান তারে বেঁধে দিয়েছে। ইতালিতে গোটা দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছে, যখন শ'য়ে শ'য়ে মানুষ প্রতিদিন ভাইরাসে প্রাণ হারাচ্ছেন, যখন মানুষের আর কোথাও যাবার নেই, তখন সেখানে বাড়ির বারান্দায় বারান্দায় শোনা যাচ্ছে নিজেদের উদ্দীপ্ত করার জন্য মানুষ গান গাইছেন। করোনাভাইরাস: মানুষের মনোবল চাঙ্গা করতে, মন খুশি রাখতে ইতালিয়রা গানবাজনার পথ নিয়েছেন। দক্ষিণ স্পেনে একজন শরীরচর্চ্চাা বিষয়ক শিক্ষক একটি অ্যাপার্টমেন্ট বাড়ির মাঝামাঝি নিচু একটি ছাদ থেকে ব্যায়াম শেখানোর ক্লাস শুরু করেছেন, যাতে ওই বহুতল ভবন কমপ্লেক্সে যারা নিজেদের আইসোলেট করে রেখেছেন, তারা তাদের ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ওই ক্লাসে যোগ দিতে পারেন। বহু মানুষ তাদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বেশি বেশি কথা বলছেন- ফোন করে, বা ভিডিওর মাধ্যমে তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন আগের তুলনায় অনেক বেশি, কারণ অনেকের হাতে এখন অফুরন্ত সময়। অনেকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে গড়ে তুলেছেন ক্লাবঘর, সেখানে ফোনের মাধ্যমে চলছে তাদের ভার্চুয়াল আড্ডা। শিবচরের এক প্রবাসী যেভাবে ছয়জনকে সংক্রমিত করেন করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কি যথেষ্ট ভেন্টিলেটর আছে করোনাভাইরাস: শঙ্কায় আর হয়রানির মুখে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না দ্রুত ফুরিয়ে আসছে চিকিৎসা সামগ্রী, নিউ ইয়র্কে মারাত্মক পরিস্থিতির আশঙ্কা করোনাভাইরাস মানুষের সঙ্গে মানুষের নতুন যোগাযোগের সূত্রই শুধু গড়ে তোলেনি, যেসব ডাক্তার, নার্স, ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মানুষের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন যারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করছেন, মানুষ তাদের কাজকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করতে শুরু করেছে। ইউরোপের নানা দেশের মানুষ ইতোমধ্যেই বাড়ির বারান্দায়, ঘরের জানালায় সমবেত হয়ে তাদের করতালি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ৫. সৃজনশীলতার নতুন জোয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়ার পর অনেকেই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সৃজনশীল হবার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ তাদের শখের খবর শেয়ার করছে। যেমন বই পড়া, কেক পাউরুটি বেক করা, উল বোনা, ছবি আঁকা। একইধরনের শখ যাদের আছে তারা সেসব নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছেন। অনলাইনে বই পড়ার ক্লাব খুলেছে কেউ, ইনস্টাগ্রামে রান্না শেখানোর নানা আয়োজন চোখে পড়ছে। ঘরে আটকে আছে যারা, তারা নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করে নিজেদের সময় কাটাচ্ছে। করোনাভাইরাস লকডাউনে শিশুদের ব্যস্ত রাখার জন্য বাবামায়েদের সাহায্য করতে তৈরি হয়েছে ফেসবুক গ্রুপ। আমেরিকার টেনেসিতে একজন চারুকলার শিক্ষক স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া শিশুদের জন্য ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে সৃজনশীল নানা কাজ শেখানোর ক্লাস করছেন। ইউরোপের বেশ কিছু বিখ্যাত আর্ট গ্যালারি চিত্রকলা অনুরাগীদের জন্য বড় বড় চিত্রকলা যাদুঘরের ছবি দেখার জন্য অনলাইনে ভার্চুয়াল ট্যুর-এর ব্যবস্থা করেছে। কাজেই আপনি যদি চিত্রকলার সমঝদার হন, ঘরে বসেই অনলাইনে ঘুরে দেখতে পারবেন প্যারিসের লুভ যাদুঘর বা ভাটিকানের স্থাপত্যকর্ম। সিডনির তারাঘর বা অবজারভেটরিও, যারা ঘরে আইসোলেশনে আটকে আছেন, তাদের জন্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে অনলাইনে রাতের তারাভরা আকাশ দেখার ব্যবস্থা।
We appreciate that these are dark times for people around the world, as the coronavirus continues to spread. Numbers of infections and fatalities are rising, cities and even countries are shutting and many people are being forced into isolation. But amid all the worrying news, there have also been reasons to find hope.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সৌদি আরবে সাধারণত শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দেশটিতে ৩৭ জন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। সৌদি আরবে সাধারণত শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর দেহ ক্রুশবিদ্ধ করে রাখার প্রচলনও রয়েছে। আরো পড়ুন: খুনের দায়ে সৌদি রাজপুত্রের মৃত্যুদন্ড কার্যকর যে কারণে সৌদি আরব ছাড়তে চান অনেক তরুণী খাসোগজি হত্যার কথা স্বীকার করেছে সৌদি আরব তবে তা কম শোনা যায়। ২০১৮ সালে এক নারীকে ছুরি মেরে হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টা ও আরও এক ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টার দায়ে একইভাবে একজনকে ক্রুশবিদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। ৩৭ জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে যার বয়স গ্রেফতারের সময় ১৭ বছর ছিল বলে জানাচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঐ ব্যক্তিরা "উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করতো এবং তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি করেছিলো।" শুধু এ বছরই দেশটি ১০৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছিল এবং বেশ কিছু নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলো বলে সরকারের দিক থেকে অভিযোগ রয়েছে। সৌদি রাজধানী রিয়াদ ছাড়াও মক্কা ও মদিনাতেও এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৪ জন সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলো। সৌদি সরকার সাধারণত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে না। তবে সেখানে এর সংখ্যা অনেক। অ্যামনেস্টির হিসেবে, শুধু এ বছরই দেশটি ১০৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। সম্প্রতি ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে গিয়ে গৃহকর্তাকে হত্যার দায়ে ফিলিপাইনের একজন নারী শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি আরব। দেশটিতে খুনের দায়ে এমনকি এক রাজপুত্রেরও মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। অন্যান্য খবর: বারাক ওবামাকে হত্যার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল যারা রপ্তানি বাড়ছে কিন্তু দাম বাড়ায়নি বিদেশী ক্রেতারা শ্রীলংকায় সামাজিক মাধ্যম কেন বন্ধ করা হলো?
A Saudi prisoner has been executed and crucified, according to a statement by the country's state media.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বিল গেটসকে নিয়ে ছড়ানো হয়েছে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। সম্মেলনে তিনি বললেন,“আগামী কয়েক দশকের মধ্যে যদি কোন কিছুর কারণে এক কোটি মানুষ মারা যায়, সেটি কোন যুদ্ধের ফলে নয়, বরং কোন সংক্রামক ভাইরাসের কারণে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।” তার এই দূরদর্শী বক্তব্য সেসময় বিবিসি সহ কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রচার পেয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ তার কথায় খুব একটা কান দেননি। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির পর তার সেই বক্তৃতা লোকে শুনেছে অন্তত ৬ কোটি ৪০ লক্ষ বার। বেশিরভাগ মানুষের আগ্রহ বিল গেটস কি বলেছেন সেটাতে নয়, কেন তিনি এমনটি বলেছিলেন, সে বিষয়ে। বিল গেটসকে নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। অনেকের অভিযোগ, বিল গেটস আসলে বিশ্বের এলিট বা সুবিধাভোগী শ্রেণীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য কিছু মানুষের বিশ্বাস, বিল গেটস আসলে পৃথিবীকে জনশূন্য করার চেষ্টা করছেন। আবার অন্য একদল আছেন, যাদের অভিযোগ, বিল গেটস টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করছেন। কেউ কেউ আরও একধাপ এগিয়ে অভিযোগ তুলছেন, বিল গেটস সব মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দিতে চান। ‘জাদুর পুতুল‌’ বিল গেটস রোরি স্মিথ ‘ফার্স্ট ড্রাফট নিউজ’ নামের এক ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারি ওয়েবসাইটে কাজ করেন। তিনি বলছেন, বিল গেটসকে নিয়ে বহু রকমের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হয়েছে। ‍“তিনি এমন এক জাদুর পুতুল, যাকে নানা ধরণের গোষ্ঠী তাদের হরেক রকমের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে খুঁচিয়ে চলেছে। আর তিনি যে জাদুর পুতুলে পরিণত হয়েছেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে করতে তিনি এর প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।” গরীব দেশগুলোর জনস্বাস্থ্যের জন্য শত কোটি ডলারের তহবিল জোগাচ্ছেন বিল গেটস করোনাভাইরাসের সঙ্গে বিল গেটসকে জড়িয়ে যেসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হয়েছে, সেগুলো গত ফেব্রুয়ারি হতে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে টেলিভিশন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তত ১২ লক্ষ বার উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমীক্ষাটি চালিয়েছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং জিগনাল ল্যাবস। এরকম ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো সাধারণত ফেসবুক গ্রুপে ছড়ানো হয়, এরপর সেগুলো শেয়ার করা হয় লক্ষ লক্ষ বার। ফার্স্ট ড্রাফট নিউজ দেখেছে, টিকটক নামের চীনা ভাইরাল ভিডিও সাইটটি এধরণের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নতুন আখড়া হয়ে উঠেছে। বিল গেটসকে নিয়ে যতরকমের আজগুবি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব চালু আছে, তা নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে বিবিসির এন্টি-ডিসইনফরমেশন বা ভুয়া তথ্য বিরোধী টিম। বিল গেটস কেন টার্গেট মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, যিনি কীনা তার নিজের এবং স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের জনস্বাস্থ্যের জন্য শত শত কোটি ডলার ঢেলেছেন, তিনি কিভাবে কোভিড-১৯ ষড়যন্ত্র তত্ত্বকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলেন? ইউনিভার্সিটি অব মায়ামির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক জোসেফ উসিনস্কি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সম্পর্কে বেশ কিছু বই লিখেছেন। তার মতে, বিল গেটস ধনী এবং বিখ্যাত বলেই ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। ‌“বেশিরভাগ ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আসলে ক্ষমতাবান লোকদের নিয়েই, তাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক কোন কিছুর অভিযোগ আনা হয়‌”, বলছেন তিনি। “আর ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো প্রায় একই রকম, শুধু নামগুলো বদলে যায়।” “বিল গেটসের আগে ছিল জর্জ সোরোস, কিংবা রথচাইল্ডস বা রকেফেলারদের নাম।” বেশিরভাগ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মৃত্যু ঘটে আসলে খুব বেশি ডালপালা গজাবার আগেই। তবে কিছু টিকে থাকে। সাধারণত যেসব তত্ত্বে ভিলেনরা থাকে খুব বড় কেউ এবং যে ইস্যুতে মানুষের খুব বেশি আগ্রহ থাকে, সেরকম ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো বেশ দীর্ঘ আয়ু পায়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বিল গেটসের করোনাভাইরাস টিকা কারখানা কেন শেষ পর্যন্ত কাজে লাগবে না করোনাভাইরাস: বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে ভাইরাসের মতোই দরিদ্র দেশগুলো কি করোনাভাইরাসের টিকা পাবে? বিল গেটসকে নিয়ে ছড়ানো এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কোন প্রমাণ নেই জোসেফ উসিনস্কি বলেন, “ধনী লোকজন এবং বড় কর্পোরেশনগুলোর বিরুদ্ধে মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের এই যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, এর কারণ এরকম আশংকা আমাদের মধ্যে আছে।” “এরকম ভয় বা আশংকা আসলে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের এক বিরাট মশলা।” জোসেফ উসিনস্কি মনে করেন এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই, কিন্তু তারপরও মানুষ এগুলো বিশ্বাস করতে পছন্দ করে। যুক্তরাষ্ট্রের এক চতুর্থাংশ মানুষ এবং ৪৪ শতাংশ রিপাবলিকান বিশ্বাস করে বিল গেটস কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহার করে মানুষের চামড়া নিচে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দিতে চায়। এই জরিপটি চালিয়েছিল ইয়াহু নিউজ এবং ইউগভ। কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্বে হয়তো একদানা সত্য আছে, যেটিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ফাঁদা হয়েছে। যেমন, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গত বছর একটি গবেষণার জন্য তহবিল দিয়েছিল, যেটি চালিয়েছিল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। কোন রোগীর টিকা নেয়ার রেকর্ড বা ইতিহাস বিশেষ কোন রঙের প্যাটার্নের মধ্যে সংরক্ষণ করা যায় কীনা, সেটা দেখা ছিল এই গবেষণার লক্ষ্য। সাদা চোখে এটি দেখা যাবে না এবং এটি টিকা দেয়ার সময় একসঙ্গে মানুষের চামড়ার নীচে ঢুকিয়ে দেয়া যাবে। ষড়যন্ত্র তত্ত্বের শুরুটা কিভাবে তা অনুমান করা কঠিন। কিন্তু ইন্টারনেট অনেক সহজ করে দিয়েছে এরকম আজগুবি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বহু মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি। “ইন্টারনেট যুগের আগে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তাদের নিজেদের মধ্যেই আবদ্ধ থাকতো, কিন্তু এখন ইন্টারনেটের বদৌলতে ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তার মানুষ, ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে দ্রুত এসব ছড়িয়ে যাচ্ছে। কাজেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এখন ইন্টারনেটের আগের জমানার চেয়ে অনেক বেশি মূলধারায় চলে আসার সুযোগ পাচ্ছে।” তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্ব মহামারির সময় আরও বেশি বাড়ছে, কারণ মানুষ এখন মনস্তাত্ত্বিকভাবে অনেক বেশি নাজুক অবস্থায় আছে। তার মতে মানুষ এরকম সংকটের সময় সবার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কোন কিছুর অর্থ বোঝার চেষ্টা করে। “যে কোন তথ্য পেলেই আমরা তার মানে বোঝার চেষ্টা করি, আর তখনই শুরু হয় গুজব ছড়ানোর কাজ। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তখন এই শূন্যস্থান পূরণ করতে থাকে, বিশেষ করে বিল গেটস জাতীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।” বিবিসিকে বিল গেটস বলেছিলেন মানুষ যদি এরকম একটা ষড়যন্ত্রের কথা শোনে এবং লোকে টিকা নিতে না চায় তখন তো এই রোগে মানুষ মরা অব্যাহত থাকবে। বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় এপর্যন্ত ৩০ কোটি ডলার দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। একের পর এক মিথ্যে প্রচার আর ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মুখেও এই ফাউন্ডেশন তাদের কাজের নিয়ে খুবই আশাবাদী। বিবিসির কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বলেছে, “আমাদের সম্পর্কে অনলাইনে যেসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে এবং এর ফলে জনস্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হতে পারে সেটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।” “এরকম একটা সময়, যখন বিশ্ব এক অভূতপূর্ব স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সংকটের মুখে, তখন কিছু লোক যে এভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে, তা খুবই পীড়াদায়ক। অথচ এখন আমাদের সবার উচিত মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সহযোগিতা করা। কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে যে ভালো কাজটা এখন আমরা সবাই করতে পারি তা হলো সঠিক তথ্য প্রচার করা।” বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলেন, তাকে ঘিরে যে এতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে সেটি জেনে তিনি বিস্মিত। “এরকম পাগলামি যে চলছে, তা আসলেই যন্ত্রণাদায়ক। আমরা যখন টিকা তৈরি করবো, আমরা চাই মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগ মানুষ এই টিকা নিক। এখন যদি তারা এরকম একটা ষড়যন্ত্রের কথা শোনে এবং লোকে টিকা নিতে না চায় তখন তো এই রোগে মানুষ মরা অব্যাহত থাকবে।” “আমি একরকম বিস্মিত যে, এসব আমাকে ঘিরেই বলা হচ্ছে। আমরা তো কেবল অর্থ দিচ্ছি, চেক লিখছি.. হ্যাঁ, আমরা চাই শিশুদের যেন রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু এর সঙ্গে তো মাইক্রোচিপ বা সেরকম কিছুর সম্পর্ক নেই। এসব শুনলে মাঝে-মাঝে হাসি পায়।”
In 2015, an unassuming-looking Bill Gates came on stage at the TED conference in Vancouver to issue a dire warning.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
সৌদি আরবের একটি তেল স্থাপনা সৌদি আয়ের ৭০% আসে জ্বালানি তেল থেকে। তবে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই সংস্কার পরিকল্পনার একটি অংশ হচ্ছে রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত তেল সংস্থা আরামকো`র শেয়ার বিক্রি করে একটি আর্থিক তহবিল গড়ে তোলা। এই পরিকল্পনা সম্পর্কে ঘোষণা করতে গিয়ে উপ-যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মন্তব্য করেন তার দেশ তেল সম্পর্কে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সৌদি নিউজ চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে ভিশন-২০৩০ সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে তার দেশের তেলের ওপর নির্ভরশীলতার অবসান ঘটবে। * সৌদি সংস্কার পরিকল্পনায় যা থাকছে:
The Saudi cabinet has approved sweeping economic reforms aimed at moving the country away from its dependence on oil profits.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
নির্মল পুরজা মাত্র দুই সপ্তাহে বিশ্বের ছয়টি শীর্ষ পর্বতে আরোহণ করেছেন সর্বশেষ তিনজন পর্বতারোহী পর্বতারোহণের ধকল সামলাতে না পেরে মারা গেছেন। মাত্র কয়েকদিন আগেই রেকর্ড সংখ্যক পর্বতারোহী উঠেছেন হিমালয়ের চুড়ায়। যদিও পর্বতারোহণে আগ্রহীদের অনুমতি দেবার হার কমানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই আহ্বান জানিয়ে আসছে পরিবেশবাদী বেশ কিছু গ্রুপ। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি মৃত্যুর পর নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন হিমালয় চূড়ায় ভিড় বাড়ছে? কেন এভারেস্ট এবং হিমালয়ের অন্য শৃঙ্গ-গুলোয় ভিড় বাড়ছে? গত সপ্তাহে যখন প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে, সে সময়ই নির্মল পুরজা নামে একজন পর্বতারোহীর তোলা এক ছবিতে দেখা যায়, হিমালয়ের শীর্ষে আরোহণের দীর্ঘ সারি, যেখানে পর্বত চূড়ার বিপজ্জনক ও কঠিন পরিবেশে মানুষ কষ্ট করে ওপরে উঠছে। ২০১২ সালে তোলা একজন জার্মান পর্বতারোহীর সেই ছবি মিঃ পুরজার ওই ছবি সারা পৃথিবীর নজর কাড়ে যখন সাতজন পর্বতারোহীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১২ সালেও একজন জার্মান পর্বতারোহীর তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছিল চূড়ায় ওঠার দীর্ঘ সারি। ভিড় বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের কাছে পর্বতারোহণের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তাদের সকলের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ যেমন নেই, অনেকেরই আবার সেই শারীরিক সামর্থ্যও নেই। আর এমন প্রস্তুতি-হীন অবস্থায় যারা আসে, নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে তারা তাদের শেরপার জীবনও বিপন্ন করে তোলে। এমন ভিড় কি স্বাভাবিক? গাইডদের হিসেব অনুযায়ী, হ্যাঁ। পর্বতারোহণের মৌসুমে এমনই ভিড় হয় সেখানে। সঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে তার ওপরেও নির্ভর করে ভিড় কেমন হবে। অর্থাৎ যদি শীর্ষে চড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পান পর্বতারোহীরা তাহলে এত ভিড় হয় না। এভারেস্টের উচ্চতা ২৯ হাজার ফুটের চেয়েও বেশি কিন্তু যদি দুই বা তিনদিনের মধ্যে চূড়ায় উঠতে হয়, তাহলে ভিড় যেমন বেশি হয়, তেমনি বিপদের শঙ্কাও বাড়ে। কারণ কোন কোন শৃঙ্গ এমন ভয়াল যে তাতে যে কোন দুর্ঘটনার মুখে পড়েন পর্বতারোহীরা। এ মৌসুমে বিশ্বের স্বচ্ছ পর্বতের চূড়ায় আরোহণের জন্য নেপাল ৩৮১টি পারমিট দিয়েছে। প্রতিটি পারমিট অর্থাৎ প্রতিজন পর্বতারোহীকে এজন্য ১১ হাজার মার্কিন ডলার গুনতে হয়েছে। এভারেস্টে এই ভিড় কতটা বিপজ্জনক? ১৯৯২ সালে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছিলেন মিঃ দুজমোভিত বলছেন যে, এটা যথেষ্টই বিপজ্জনক। কারণ যারা লাইনের পেছনে অপেক্ষা করতে থাকে, তাদের অক্সিজেনের ঘাটতি হবার সম্ভাবনা থাকে। আরো পড়ুন: পবর্তারোহীদের জন্য কতটা প্রাণঘাতী মাউন্ট এভারেস্ট? এভারেস্টে ওঠার বেস ক্যাম্প কেন বন্ধ করলো চীন এবং যখন বাতাসের গতিবেগ অনেক বেশি থাকে, তখন অক্সিজেন ছাড়া নিঃশ্বাস নেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন দ্রুত শরীরের তাপমাত্রা নেমে যেতে শুরু করে। অনেকে এ থেকেই প্রথমে অসুস্থ হয়, পরে কেউ কেউ মারাও গেছেন। এভারেস্টে মৃত্যুর হার কেমন? রেকর্ড বলছে এই পর্বতশৃঙ্গ জয় করতে গিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় তিন শত মানুষ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যদিও এই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে, তবে মৃত্যুর হার- অর্থাৎ যারা বেস ক্যাম্পের ওপরে আরোহণের সময়ে মারা গেছেন তাদের অনুপাত শতকরা এক শতাংশ। ২০১০ সাল পর্যন্ত, এভারেস্টে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭২ জন। এসব মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটেছে তুষার ধস বা পতনের কারণে, আর এসব কারণ লাশ উদ্ধারেও বাধা সৃষ্টি করে। এসব মৃত্যুর কারণ কী? একজন পর্বতারোহী পর্বত আরোহণ সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যার কারণে মারা যেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেস, যার ফলে মাথা ঘোরা, বমি এবং মাথা ব্যথা হবে একজন পর্বতারোহীর। পেশাদার পর্বতারোহীদের মতে এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহণ হিমালয়ের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। এক্ষেত্রে প্রচলিত রুট ব্যবহারের পরামর্শ দেন তারা। কারণ সে পথে পর্বতারোহণের জন্য প্রচুর অবকাঠামো রয়েছে, বিশ্রামের জায়গা আছে। আর বিপদে পড়লে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধারের সুবিধাও রয়েছে। যে কারণে এসব রুটে কোন পর্বতারোহী বিপদে পড়লেও মারা পড়ার সুযোগ কম।
Three more climbers have died on Mount Everest, taking the death toll to seven in a week - more than the total for the whole of last year.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
২০১১ সালের ভিডিওটিতে দেখা যায় ঐ নারীরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গাইছের শাস্তি পাওয়া ওমর খান, সাবির এবং সাহির নামের ঐ তিন ব্যক্তি নিহত হওয়া তিন নারীর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০১১ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের ভিডিওটিতে ঐ তিন নারীকে গান গাইতে ও হাততালি দিতে দেখা যায়। সেই ভিডিও প্রকাশের জের ধরে ঐ তিন নারীকে হত্যা করা হয়। তাদের মৃতদেহ কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেসময় ঐ নারীদের সাথে থাকা দুইজন পুরুষ এখনো পলাতক। ঐ ঘটনার সাথে জড়িত আরো দু'জন নারীর ভাগ্যে কী হয়েছে - তা এখনো জানা যায়নি। ঐ হত্যাকাণ্ডের পর সহিংস সংঘাতে আরো চারজন নিহত হয়। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনওয়ালা প্রদেশের একটি আদালত পাঁচজন পুরুষকে এ ঘটনার অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছে। কেন হত্যা করা হয়েছিল ঐ নারীদের? সেসময় কী হয়েছিল, সেবিষয়ে বিস্তারিত নির্ভুলভাবে জানা যায়নি। ২০১১ সালে একটি ভিডিও বের হয়, যেখানে দেখা যায় কয়েকজন নারী - যাদের নাম বাজীগা, সিরিন জান, বেগম জান এবং আমিনা - একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গাইছেন এবং হাততালি দিচ্ছেন। শাহিন নামের ১৮ বছরের কম বয়সী একজন নারীও সেখানে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঐ ভিডিওতে একজন পুরুষকেও নাচতে দেখা যায় - যদিও ঐ পুরুষ আর নারীদের কখনোই এক ফ্রেমে দেখা যায়নি। ভিডিওটি ধারণ করছিলেন আরেকজন পুরুষ। শুধুমাত্র এটুকুই ছিল ঐ তিন নারীর দোষ, যার জন্য তাদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় তাদের পরিবারের সদস্যরাই। উত্তর কোহিস্তানের দূর্গম অঞ্চলের মানুষ পরিবারের সম্মানের সাথে জড়িত বিষয়গুলোর সুরাহা করে রক্তের বিনিময়েই। স্থানীয় প্রথা অনুযায়ী, কোন নারীর বিরুদ্ধে বিবাহরীতির পরিপন্থী কোনো কার্যক্রমে জড়ানোর অভিযোগ উঠলে - সেটি যত তুচ্ছই হোক না কেন - তার পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ঐ নারীকে হত্যা করে, পরে অভিযুক্ত পুরুষকে হত্যা করে। যেই পুরুষকে হত্যা করা হবে, তার পরিবারও রীতি মোতাবেক বাধা দিতে পারবে না। অর্থাৎ, প্রকাশিত হওয়া ঐ ভিডিওতে যতজনকে দেখা গিয়েছিল, তাদের সবারই জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে। আরো পড়তে পারেন: ভিন্ন বর্ণে বিয়ে: মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারলো বাবা ভিন্ন বর্ণের মধ্যে বিয়ে করে পালিয়ে বেড়ানো যাদের নিয়তি আফজাল কোহিস্তানি দাবি করেছিলেন যে তার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে কীভাবে জানা গেল এই ঘটনা? এই ঘটনা জানাজানি হয় ২০১২ সালে, যখন ভিডিওর সাথে জড়িত দু্ই ব্যক্তির একজনের ভাই আফজাল কোহিস্তানি তার ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে রীতি লঙ্ঘন করে নারীদের হত্যার অভিযোগ তোলেন। বিচারের দাবিতে আফজাল কোহিস্তানির করা ক্যাম্পেইন সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সুপ্রিম কোর্ট হত্যাকাণ্ডের একটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তকারীরা ঐ দুর্গম গ্রামে পৌঁছানোর জন্য দুই দিন পাহাড়ি পথে ট্রেক করেন এবং স্থানীয়দের বক্তব্য নেন। সেসময় স্থানীয়রা তাদেরকে তিনজন নারীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানালেও পরে ঐ দাবি ভুল প্রমাণিত হয়। অবশেষে ২০১৯ সালে ঐ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা করতে সক্ষম হয়। বাজিগা'র বাবা সাবির, সিরিন জানের বাবা সাহির এবং বেগম জানের ভাই ওমর খানকে এখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু যেই আফজাল কোহিস্তানি ঐ ঘটনায় মুখ খুলেছিলেন, তিনি এই জীবিত থাকাকালীন এই শাস্তি দেখে যেতে পারেননি। মুখ খোলার কারণে ২০১৩ সালে তার তিন ভাইকে হত্যা করা হয়, তার বাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়। সেসময় এসব হত্যার দায়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হলে পরে সবাই নির্দোষ প্রমাণিত হন। এবছরের মার্চেও উত্তর-পশ্চিমের শহর অ্যাবেটাবাদে গুলি করে হত্যা করা হয় আফজাল কোহিস্তানিকে। তার মুত্যুর পর অ্যাক্টিভিস্টরা প্রশ্ন তোলে যে কেন তাকে যথাযথ নিরাপত্তা দেয়া হলো না যখন তিনি হামলাকারীদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিলেন। তার অন্য ভাইয়েরা এখনো পলাতক রয়েছেন। 'অনার কিলিং' কী? পরিবারের সদস্যদের অসম্মানের কারণ হতে পারে, এমন কাজে জড়িত থাকার দায়ে একই পরিবারের কোন সদস্যকে হত্যা করার প্রথা 'অনার কিলিং'। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, যেসব কারণে সাধারণত অনার কিলিংয়ের ঘটনা ঘটে থাকে, সেগুলো হলো: তবে এসব কারণ ছাড়াও হত্যার ঘটনা ঘটার নজির রয়েছে। পোশাক পরার ক্ষেত্রে অসঙ্গতি অথবা অবাধ্য ব্যবহার করার অভিযোগেও হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
Three men have been given life sentences in connection with one of Pakistan's most notorious "honour killing" cases.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
নোবেল কমিটি বলেছে, এই দুই বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে নিখুঁতভাবে জিনোম সম্পাদনার কাজটি সম্ভব করেছে, যার ফলে ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি তৈরি হবে। নোবেল কমিটি বলেছে, এই দুই বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে নিখুঁতভাবে জিনোম সম্পাদনার কাজটি সম্ভব করেছে, যার ফলে ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি তৈরি হবে। এর ফলে জন্মসূত্রে পাওয়া বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের সুযোগও তৈরি হবে। জিনোম সম্পাদনা কি অর্থ বহন করে? এটা কীভাবেই বা করা হয়? জিন বা জিনোম কী? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্ণনা অনুযায়ী, প্রতিটি জীবন্ত প্রাণীর বংশাণুর বা বংশগতির মৌলিক আণবিক একক হচ্ছে জিন। সন্তান বা উত্তরসূরী পিতা-মাতার কাছ থেকেই একটি করে জিন পায়। ডিএনএ-র (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড) নির্দিষ্ট স্থানে এই জিন বা বংশাণু অবস্থান করে। জীবজগতের বংশগতির ধারক ও বাহক হচ্ছে এই ডিএনএ। ডিএনএ-র মাধ্যমেই জীবের বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়। সন্তান যে তার বাবা মায়ের মতো দেখতে হয়, সেটাও এই জিনের কারণে। জিনোম বলতে আসলে কোন জীবের সামগ্রিক ডিএনএকে বোঝায়। একে সহজভাবে বলা চলে জীবনের নীলনকশা বা কোন জীবের জীবন-বিধান। জীবের বৃদ্ধি, প্রজনন, পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়া সহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে জিনোম । যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হিউম্যান জিনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণী কিংবা উদ্ভিদ এই ডিএনএ বা জিনোমে গঠিত হয়েছে। ফলে ডিএনএ বা জিনোমের সামান্য পরিবর্তন করে জীব বা প্রাণীর জীবন চক্রের বড় ধরণের পরিবর্তন করা সম্ভব। তবে জিনোমের পুরোটাই জিন নয়, বরং জিন-এর একটি অংশ মাত্র। জিন বলতে জিনোমের সেই অংশকে বোঝানো হয়, যা নির্দিষ্ট কোন প্রোটিন তৈরির কোড ধারণ করে। যেমন, মানুষের শরীরে তিন বিলিয়ন জোড়া বেইসের মধ্যে জিন রয়েছে মাত্র ২০ হাজারের মতো। এই জিনগুলো সম্মিলিতভাবে মানবের সকল বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। আরো পড়ুন: জিনগত পরিবর্তন-ঘটানো মানবশিশু তৈরি করা কি উচিত? পাঁচটি বিশেষ ক্ষমতা যা শুধু কিছু মানুষের আছে জিনোম সিকোয়েন্সিং: শিশু রোগ নির্ণয়ে ‘বিপ্লব’ আসছে বংশগত রোগ দূর করতে জিন এডিটিং, মানুষের হাতই যখন চাবি জিনোম সিকোয়েন্সিং করে কী লাভ? যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হিউম্যান জেনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, কোন জীবের শরীরের বিষয় জানতে, তার ক্রুটি শনাক্ত বা দূর করতে হলে আগে তার জিন সম্পর্কে জানতে হবে। আর জিন সম্পর্কে জানতে বা শনাক্ত করার জন্য প্রথমে তার জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে। জিনোম সিকোয়েন্সিং করার অর্থ হলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডিএনএ অণুর ভেতর বেইসগুলো কিভাবে আছে তা বের করা। বর্তমানে আধুনিক মেশিনের সাহায্যে দ্রুত সেটা করা হয়। এটা করে জীব বা প্রাণীর ভেতরের জীবন নকশা বের করা হয়। ফলে এরপর বিজ্ঞানীরা সেই জিনোমে বা ডিএনএ-তে পরিবর্তন এনে ক্ষতিকর উপাদান বা ঝুঁকি হ্রাস করার চেষ্টা করতে পারেন। দুই বিজ্ঞানীর আবিষ্কার আসলে কী? ফরাসী গবেষক এমানুয়েল শাপেনটিয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার ডুডনা এই ডিএনএ সম্পাদনার সূক্ষ্মতম কৌশল আবিষ্কার করেছেন। তারা যে পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে, সেটি হলো ক্রিসপার-ক্যাস নাইন পদ্ধতি। এটি নিখুঁতভাবে জিনোম সম্পাদনার কাজটি সম্ভব করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে প্রথম এই আবিষ্কার উন্মুক্ত করা হয়। সেখানে বলা হয়, টেস্ট টিউবে ক্যাস নাইন নামের একটি ব্যাকটেরিয়াল এনজাইম টেস্টটিউবে কোষের বাইরে থাকা ডিএনএ কেটে আলাদা করে ফেলতে পারে। সেটাকে যদি চাহিদা মতো নকশায় ক্রিসপার মলিকিউলের সঙ্গে আরএনএ সেগমেন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে সেটা ডিএনএ-র ক্ষতিকর অংশ শনাক্ত করে সেটাকে আলাদা করে ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীদের জন্য কোন জীব বা প্রাণীর ডিএনএ পরিবর্তন, কোন অংশ বাদ দেয়া, নতুন অংশ সংযোজন করা অথবা জিনোমোর নির্দিষ্ট অংশ পরিবর্তন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটা দ্রুত, কম খরচের, অনেক বেশি নির্ভুল এবং জিনোম সম্পাদনার অন্যান্য প্রযুক্তির তুলনায় অনেক বেশি দক্ষ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জিন এডিটিং নিয়ে আছে নীতি ও নৈতিকতার প্রশ্ন এই আবিষ্কার কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? আশা করা হচ্ছে, এর ফলে ক্যান্সারের মতো জটিল ব্যাধির চিকিৎসায় নতুন উপায় তৈরি হবে। জন্মসূত্রে মানুষের পাওয়া অনেক রোগব্যাধি আগেভাগে ডিএনএ বা জিনোম সম্পাদনার মাধ্যমে আগে থেকেই দূর করে দেয়া সম্ভব হবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এভাবে জিনোম সম্পাদনা করে ক্ষতিকর অংশ বাদ দিতে পারলে থ্যালাসেমিয়া, মানসিক ব্যাধি, টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, সিস্টিক ফাইব্রোসিস বা ক্যান্সারের মতো বংশগত অনেক রোগ আগেভাগেই রেহাই দেয়া সম্ভব হবে। যেমন ক্রিসপার-ক্যাস নাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব ভ্রূণে থাকা একটি নির্দিষ্ট অংশ কেটে বাদ দেয়ার চেষ্টা করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। ওই অংশটি ক্ষতিকর থ্যালাসেমিয়া রোগের জন্য দায়ী বলে বলা হয়েছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০১৬ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো 'স্পটি ভেড়া' জন্ম দিয়েছেন চীনের বিজ্ঞানীরা, যার শরীর পশম অনেকটা গরু ও স্পটি কুকুরের মতো। এখানে আণবিক কাঁচি ব্যবহার করে এক প্রাণীর ডিএনএ কেটে অন্য প্রাণীতে যুক্ত করা হয়েছিল। জিনোম সম্পাদনা নিয়ে আশঙ্কা তবে এই পদ্ধতির গবেষণা নিয়ে বিতর্ক আছে এই কারণে যে, অনেকের আশঙ্কা, এর ফলে বাবা-মা নিজেদের ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে সন্তান জন্ম দিতে চাইতে পারেন। ফলে স্বাভাবিকতা ব্যাহত হবে। এছাড়া ভ্রূণের পরিবর্তন করা হলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে যে, জিনোম সম্পাদনা করে মানুষের উচ্চতা বা বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়গুলো যদি নির্ধারণ করে দেয়া হয়, সেটা নৈতিকভাবে ঠিক হবে কিনা। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জিন পরিবর্তন করে রোগব্যাধি দূর করার বিষয়টি এখনো প্রমাণিত নয়। এখনো এ নিয়ে গবেষণা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং পুরোপুরি নিরাপদ বা কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি। এসব কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই এখনো জিনোম সম্পাদনা নিষিদ্ধ।
Two scientists have been awarded the 2020 Nobel Prize in Chemistry for developing the tools to edit DNA.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
২০১৪ সালে আইক্লাউড হ্যাক করে চুরি করা জেনিফার লরেন্সের নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। রায়ান কলিনস নামের ৩৬ বছর বয়স্ক এই ব্যক্তি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। তিনি ৬ শ'রও অধিক মানুষের নাম এবং পাসওয়ার্ড চুরি করেন। তার চৌর্যবৃত্তির শিকার যারা হয়েছেন তারমধ্যে নামজাদা অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স, কেট আপটন, স্কারলেট জোহানসনের এবং ক্রিস্টেন ডান্‌স্টকে তিনি প্রতারণামূলক ই-মেইলও পাঠিয়েছেন। মি. কলিনস এদেরকে গুগুল কিংবা অ্যাপলের কর্মী সেজে ই-মেইল করতেন। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন তারকার ছবি চুরির এই ঘটনা 'সেলেবগেট' নামে পরিচয় পায়। ছবি চুরির শাস্তি পেলেও ছবি ফাঁসের কোন অভিযোগ আনা হয়নি মি. কলিনসের বিরুদ্ধে। যদিও আইক্লাউড হ্যাক করে চুরি করা জেনিফার লরেন্সের নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগ আছে, যা ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
A Pennsylvania court has sentenced a man to 18 months in jail for hacking into the accounts of celebrities and stealing nude photos and videos.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
জম্মুর যাযাবর সম্প্রদায় এও বলা হয়েছে চার্জশীটে, যে ইসলাম ধর্মাবলম্বী যাযাবর সম্প্রদায়কে হিন্দু প্রধান এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আর তাদের মনে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য ঐ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অপহরণ, ধর্ষণ আর হত্যার ঐ মামলায় আট জন অভিযুক্তের মধ্যে চার জন পুলিশ কনস্টেবল বা কর্মকর্তা। এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের মুক্তির দাবীতে আর গোটা ঘটনা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবীতে জম্মু অঞ্চলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ দেখিয়েছে, রাস্তায় নেমেছিলেন জম্মু বার এসোসিয়েশনের সদস্যরা। ধৃতদের মুক্তির দাবী ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে একটি আট বছরের কন্যা শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার যে মামলার তদন্ত করছিল সেই রাজ্যের পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ, তারা আদালতের কাছে চার্জশীট পেশ করেছে। তদন্তে ঘটনার যে বিবরণ উঠে এসেছে, তা এক কথায় বীভৎসতার চূড়ান্ত পর্যায়।নিয়ে ওই সব বিক্ষোভে দেখা গেছে ভারতের জাতীয় পতাকাও। কী অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশীটে? জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ বলছে, আট বছরের ঐ কন্যা শিশুকে জম্মু-র কাঠুয়া জেলায় তার বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। যাযাবর গুজ্জর জাতি-গোষ্ঠী শিশুটিকে এবছরের ১০ই জানুয়ারি অপহরণ করা হয়, যখন সে পোষা ঘোড়া আর ভেড়াগুলিকে চড়াতে নিয়ে গিয়েছিল। পরের দিন তার পরিবার হীরানগর থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করে। সাত দিন পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় কাঠুয়া জেলারই বসানা গ্রামে। জম্মু উপত্যকা। ঘটনাটি নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষোভ বিক্ষোভ বাড়তে থাকে, একসময়ে বিষয়টি পৌঁছায় রাজ্য বিধানসভায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার কথা ঘোষণা করেন। তদন্তের শুরুতেই দেখা যায় যে ওই কন্যা শিশুর খোঁজ করতে পুলিশ কর্মীরা যখন জঙ্গলে গিয়েছিলেন, তার মধ্যেই এমন দুজন ছিলেন, যারা মৃতদেহটির পোশাক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর আগে একবার জলে ধুয়ে নিয়েছিল। সন্দেহ বাড়ায় তাদের জেরা শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ঐ দুজন পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনেই ওই হীরানগর থানায় কর্মরত ছিলেন। তল্লাশি চালিয়ে বসানা গ্রামের একটি মন্দির থেকে কিছু চুল খুঁজে পান তদন্তকারীরা। তাঁদের সন্দেহ হয় যে ঐ চুল অপহৃত কন্যা শিশুটির হতে পারে। চার্জশীটে বলা হয়েছে, ওই মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন সাঞ্জি রাম নামে যে ব্যক্তি, তিনিই নিজের পুত্র আর ভাইপোর সঙ্গে ওই কন্যা শিশুকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। গুজ্জর সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করাই উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। চার্জশীটে বলা হয়েছে, স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে এরকম একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে বাকারওয়াল বা যাযাবর সম্প্রদায়ের ওই মানুষরা গরু জবাই করে আর মাদকের কারবার করে। এ নিয়ে এর আগে দুই তরফেই পুলিশের কাছে বহু অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ জমা হয়েছে। চার্জশীটে পুলিশ এটাও উল্লেখ করেছে যে ধর্ষণের আগে ঐ মন্দিরে কিছু পুজোও করা হয়। ৬০ বছর বয়সী সাঞ্জি রাম, তার ছেলে বিশাল আর নাবালক ভাইপো, চার পুলিশ কর্মী এবং আরেক ব্যক্তি গোটা ঘটনায় সরাসরি যুক্ত। ঐ কন্যা শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে আসার পরে তাকে মাদক খাইয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল। তার মধ্যেই তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে যে নাবালক রয়েছে, সে তার চাচাতো দাদা সাঞ্জি রামের ছেলে বিশালকে উত্তর প্রদেশের মীরঠ শহর থেকে ডেকে আনে ফোন করে যাতে, সে-ও ওই কন্যা শিশুটিকে ধর্ষণ করতে পারে। জ্ম্মু পুলিশের টহল চার্জশীটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, টানা ধর্ষণ করার পরে যখন অভিযুক্তরা ঠিক করে যে এবার ওই কন্যা শিশুটিকে মেরে ফেলার সময় হয়েছে, তখন একজন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী অন্যদের বলে, "এখনই মেরো না। দাঁড়াও। আমি ওকে শেষবারের মতো একবার ধর্ষণ করে নিই।" তারপরে ওই পুলিশ কর্মী নিজে চেষ্টা করে কন্যা শিশুটিকে হত্যা করতে, কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। শেষে নাবালক অভিযুক্তই ওই কন্যা শিশুকে হত্যা করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় একটা পাথর দিয়ে। ময়নাতদন্তে জানা গেছে যে ওই কন্যা শিশুটিকে মাদকের বড়ি খাইয়ে তারপরে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে যখন একের পর এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হতে থাকেন, তখন থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ। প্রথমে স্থানীয় একটি সদ্য গঠিত হিন্দু সংগঠন বিক্ষোভে নামে। সেখানে হাজির ছিলেন বিজেপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী। তাদেরই একজন, বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক ও বিধানসভার সদস্য অশোক কউল বিবিসির প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, "এলাকার মানুষের সঙ্গে তো থাকতেই হবে। তবে দলের তরফে এই ঘটনার নিন্দা তো করাই হয়েছে। আর আমরা চাইছি কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো - সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক।" বিজেপিও জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে সরকারের অংশীদার। ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঐরকম একটি বিক্ষোভ মিছিলের ছবি রয়েছে বিবিসির কাছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মিছিলকারীদের হাতে রয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। ওই বিক্ষোভ মিছিলের পরে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি টুইট করে মন্তব্য করেছিলেন, "ধর্ষণের অভিযোগে ধৃতদের পক্ষ নিয়ে মিছিল হচ্ছে দেখে আমি হতবাক হয়ে যাচ্ছি। এই সব বিক্ষোভে আবার জাতীয় পতাকা রয়েছে! আমি আতঙ্কিত। এটাতো জাতীয় পতাকার অবমাননা।" এর পরেই অবশ্য বিজেপির নেতৃত্ব ওইসব বিক্ষোভ থেকে নিজের দলের লোকদের সরিয়ে নেন। তবে এবার বিক্ষোভে নামে আইনজীবীরা। গ্রেপ্তারীর প্রতিবাদে জম্মুতে যে হরতাল হয়েছিল ১১ই এপ্রিল, তাতে যুক্ত হয়ে রাস্তায় নেমেছিল বার এসোসিয়েশন। তবে সব আইনজীবী বা বার এসোসিয়েশন যে এই ঘটনায় ধৃতদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন, এমনটা নয়। ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা যাতে চার্জশীট পেশ না করতে পারেন, তার জন্য রীতিমতো ঘেরাও চলতে থাকে। আদালত চত্বরেই চলতে থাকে স্লোগান। শেষমেশ অনেক রাতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা চার্জশীট জমা করতে সক্ষম হন। ওই কন্যা শিশুর পিতা বিবিসিকে বলেছেন, "যখন দেখছিলাম মেয়ের ওপরে অত্যাচারীদের সমর্থনে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল হচ্ছে, মনে হল আমার মেয়েটা আরও একবার ধর্ষিতা হল।" 'ঘোড়াগুলো ফিরল, মেয়েটা আর ফিরল না' ওই কন্যা শিশুর মা বিবিসিকে জানিয়েছেন, "আমরা তো জীবজন্তু পালন করেই জীবনযাপন করি। ছয়মাস জম্মুতে বাকিটা কাশ্মীরে থাকি আমরা। নদনদীর কাছাকাছি। মেয়েটা জন্তুগুলোকে ভীষণ ভালবাসত। ১০ তারিখ দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বলল, আমি জঙ্গলে যাই - ঘোড়াগুলোকে নিয়ে আসি। ঘোড়াগুলো তো ফিরে এসেছে, মেয়েটা আর ফিরল না।"
India's top court has ruled that the trial of eight men accused of the rape, torture and murder of an eight-year-old Muslim girl must be moved out of the state of Jammu and Kashmir.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ভাইরাস ছড়ানোর জন্য যেসব প্রাণীকে সন্দেহ করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে প্যাঙ্গোলিন ধরুন, চীনের কোন এলাকায় আকাশে উড়ে বেড়াতে বেড়াতে বাদুড় মলত্যাগ করলো, যা পড়ছে বনের মধ্যে। এখন কোন বন্যপ্রাণী ধরা যাক প্যাঙ্গোলিন, পাতার মধ্যে খাবার অর্থাৎ পতঙ্গের খোঁজে গন্ধ শুকতে শুকতে ঐ বাদুড়ের বিষ্ঠা থেকে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে পড়তে পারে। নভেল ভাইরাসটি বন্যপ্রাণীর মধ্যে ছড়ায়। আক্রান্ত একটি প্রাণীকে ধরার পর সেটি প্রথম মানুষের মধ্যে আসে, এরপর সেটি যায় পশুপাখি বিক্রি হয় এমন একটি বাজারের কর্মীদের মধ্যে। আর এভাবেই একটি বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার এ চক্রটি প্রমাণের জন্য বিজ্ঞানীরা ভাইরাস আক্রান্ত প্রাণী খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাস লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক অ্যান্ড্রু কানিংহ্যাম বলেন, "কোন ঘটনার ধারাক্রম খুঁজে বের করাটা কিছুটা গোয়েন্দা গল্পের মত।" এতে কিছু বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে বাদুড়ের কয়েকটি প্রজাতি, যারা বিভিন্ন ধরণের করোনাভাইরাসের বাহক হতে পারে তাদেরকে চিহ্নিত করে অনুসন্ধান চালানো হবে। এই 'ছড়িয়ে পড়া' ঘটনাক্রম সম্পর্কে আমরা কতটা জানি? বিজ্ঞানীরা যখন একজন রোগীর শরীর থেকে নতুন ভাইরাসের কোড শনাক্ত করতে সক্ষম হন, তখন থেকেই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য সন্দেহের তীর ছোটে বাদুড়ের দিকে। স্তন্যপায়ী এই প্রাণী দল বেধে থাকে, অনেক দুর পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে, এবং পৃথিবীর সব অংশেই তাদের বিচরণ আছে। তারা প্রায় কখনোই অসুস্থ হয় না, কিন্তু দূর দূরান্ত পর্যন্ত রোগের জীবাণু ছড়ায়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক কেইট জোনস বলেন, বাদুড় দীর্ঘক্ষণ ওড়ার ক্ষমতা রাখে এবং ডিএনএ'র ক্ষতি সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও অন্য পাখিদের চেয়ে তারা বেশি সক্ষম এমন কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীনেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন "হয়ত এর মাধ্যমে অনেক ভাইরাসের মধ্যে থেকেও তারা কম অসুস্থ হয়। কিন্তু এটি এখনো পর্যন্ত একটি ধারণামাত্র।" সন্দেহ নেই বাদুড়ের জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে ভাইরাসের হার বৃদ্ধি ঘটে। ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের অধ্যাপক জোনাথন বল বলছেন, স্তন্যপায়ী প্রাণী হবার কারণে মানুষের মধ্যে সরাসরি অথবা মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কোন প্রাণীর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে বাদুড়। কিন্তু ধাঁধাঁর দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে, কে সেই রহস্যময় প্রাণী যে নিজের শরীরে সেই ভাইরাসকে ডিমে তা দেয়ার মত পুষেছে এবং উহানের সেই বাজারে পৌঁছে দিয়েছে। আর এক্ষেত্রে সন্দেহভাজন প্রাণীটি হচ্ছে প্যাঙ্গোলিন। বলা হয় পিপড়া খেকো, শক্ত আঁশযুক্ত এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া প্রাণী, এবং প্রায় বিলুপ্তির পথে। সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় চীনে বন্যপ্রাণী বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ তৈরিতে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ব্যবহার হয় বলে এশিয়া জুড়ে এর কদর। তাছাড়া অনেকেই প্যাঙ্গোলিনের মাংস খেতে পছন্দ করে। প্যাঙ্গোলিনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, এবং যে ধরণের নমুনা পাওয়া গেছে তার সঙ্গে নভেল হিউম্যান ভাইরাসের খুবই মিল রয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ বলছেন। তাহলে এমন কি হতে পারে যে মানুষের মধ্যে ছড়ানোর আগে বাদুড়ের ভাইরাস এবং প্যাঙ্গোলিনের ভাইরাস পরস্পরের মধ্যে জেনেটিক্স বিনিময় করেছে? বিশেষজ্ঞরা এখুনি কোন উপসংহারে পৌছুতে রাজি নন। এছাড়া প্যাঙ্গোলিনের ওপর করা গবেষণার ফলাফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি, কারণ সেগুলো যাচাই করা প্রায় অসম্ভব। উটের মত প্রাণীও নভেল করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে অধ্যাপক কানিংহ্যাম বলছেন, কত প্যাঙ্গোলিনের ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এখানে। কারণ গবেষণার জন্য কি একাধিক বুনো প্যাঙ্গোলিনকে পরীক্ষা করা হয়েছে, নাকি, বন্দি থাকা পোষা প্যাঙ্গোলিনের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। প্যাঙ্গোলিন এবং অন্যান্য বুনো জানোয়ার, বিশেষ করে বাদুড়, চীনের মাংসের বাজারে নিয়মিত বিক্রি হয়। যে কারণে এক প্রাণী থেকে দ্রুত আরেক প্রাণীর মধ্যে ভাইরাস ছড়ানো সম্ভব, যা পরবর্তীতে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে উহানের সেই বাজারটি বন্ধ আছে। সেখানে বন্য প্রাণী বিক্রির একটি আলাদা সেকশন রয়েছে, যেখানে জীবিত ও জবাই করা প্রাণীর মাংস, যেমন উট, কোয়ালা এবং পাখির মাংস বিক্রি হয়। ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বিক্রি হওয়া বাদুড় দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দোকানে জ্যান্ত নেকড়ে কুকুরছানা, সিকাডাস নামে এক জাতের পোকা, বিচ্ছু, কাঠবিড়ালি, ইদুর, শিয়াল, সজারু, কচ্ছপ, গন্ধগোকুল, গুই-সাপ এবং কুমির বিক্রি হয়। যতদূর জানা যাচ্ছে, বাদুড় ও প্যাঙ্গোলিনের বিক্রি নিষিদ্ধের তালিকায় রাখা হয়নি, কিন্তু চীনে কর্তৃপক্ষকে বের করতে হবে ঐ বাজারে কী কী প্রাণী বিক্রি করা হয়েছে। কারণ অধ্যাপক বল মনে করেন, একবার যদি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাহলে একই ঘটনা পুনরায় ঘটা সম্ভব। "যে কারণে এটা জানা খুবই জরুরি যে ঠিক কোন প্রাণী থেকে এটা ছড়াচ্ছে।" বিজ্ঞানীরা মনে সাম্প্রতিক সময়ের অনেকগুলো ভাইরাস ছড়িয়েছে প্রাণী থেকে, যেমন ইবোলা, সার্স ভাইরাস এইচআইভি এবং নতুন করোনাভাইরাস---এর সব কয়টি এসেছে বুনো প্রাণী থেকে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: বিশ্ব-মহামারী কি এখন খুবই সন্নিকটে? করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য মাস্ক পরে কি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়? এবং যদি ঝুঁকির জায়গাটি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে মানুষ সংক্রামিত হবার আগেই রোগ প্রতিরোধের জন্য শক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এদিকে প্রাণী সংরক্ষণবিদেরা পড়েছেন দোটানায়, তারা বলছেন বাদুড়ের মত প্রাণী যেমন ভাইরাসের বাহক আবার ইকো-সিস্টেম অর্থাৎ প্রতিবেশের জন্য বাদুড় অত্যাবশ্যক একটি প্রাণী। ২০০৩-০৪ সালে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর চীনের বাজারে বন্যপ্রাণী বিক্রির ওপর একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অচিরেই চীন, ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রি শুরু হয়। চীনে আবারো খাবার, পশম বা লোম এবং ওষুধ বানানোর কাজে ব্যবহৃত হয় এমন প্রাণীর বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। ঠিক কোন প্রাণী থেকে আর কিভাবে এ রোগ আক্রমণ করে তার নিখুঁত অনুসন্ধান কতটা সম্ভব হবে আমরা জানি না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে আরো বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেবার আগে এই ভাইরাসের ব্যাপারে সব জেনে নেয়া প্রয়োজন।
The race is on to find out how the deadly coronavirus jumped from animals to humans. Helen Briggs looks at how scientists are trying to trace the source of the outbreak.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বিক্ষোভাকরীদের মিছিল করে ওয়াশিংটনে কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ যাবার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা "ঘরে ফিরে যান''। টুইটার বলছে "@realDonaldTrump অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট গুলো গভীর পর্যবেক্ষণ এবং সেটাকে ঘিরে যে প্রেক্ষাপট তৈরি" হয়েছে তার ভিত্তিতে তারা এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি টুইটার কর্তৃপক্ষ ১২ ঘণ্টার জন্য অচল করে রেখেছিল এর আগে। টুইটার তখন সতর্ক করে বলেছিল, তারা মি. ট্রাম্পকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করবে যদি তিনি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মনীতি ভঙ্গ করেন। ট্রাম্পের টুইট অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার প্রতিক্রিয়ায় তার ২০২০ সালের ক্যাম্পেইন উপদেষ্টা জ্যাসন মিলার টুইট করেছেন "জঘন্য, আপনি যদি ভাবেন তারা পরবর্তীতে আপনার দিকে আসবে না তাহলে আপনি ভুল করছেন"। শুক্রবারে সার্চ ইঞ্জিন গুগল- সম্পূর্ণ মুক্ত মতামতের প্লাটফর্ম 'পার্লার' স্থগিত করে, যেটা ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল। গুগল বলেছে "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে যেসব পোষ্ট, তেমন কিছু পার্লার অ্যাপ এ অনবরত পোষ্ট করা হচ্ছে সে সম্পর্কে আমরা সতর্ক আছি"। মি. ট্রাম্পের টুইটার ব্লক করে দেয়া হয় শুক্রবার। ক্যাপিটলের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা তিনি বুধবার বেশ কিছু টুইট করেন যেখানে ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের "দেশপ্রেমিক" বলা হয়েছিল। অনলাইন ভিত্তিক বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ফেসবুক বলেছে তারা মি. ট্রাম্পকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। জনপ্রিয় গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইস্ট ট্রাম্পকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এই চ্যানেল ব্যবহার করে তিনি তার সমাবেশ সম্প্রচার করতেন। টুইটারে সরব ছিলেন ট্রাম্প স্ন্যাপচ্যাট থেকে নিষিদ্ধ তিনি। ট্রাম্পের মেমোরিবিলিয়া বিক্রি করে এমন দুইটি অনলাইন স্টোরকে এ সপ্তাহে নিষিদ্ধ করেছে ই-কর্মাস কোম্পানি শপিফাই। ট্রাম্প টুইটারে তার প্রতিপক্ষদের অপমান করতেন, মিত্রদের উৎসাহিত করতেন, কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি করতেন, এবং তার ক্ষোভ প্রকাশ করতেন। তিনি প্রায়ই ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটার অর্থাৎ বড় অক্ষর ব্যবহার করতেন। এবং তার তার পয়েন্টটা নজরে আনার জন্য বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহার করতেন। যদিও সমালোচকরা বলেন তার সেইসব পোষ্ট ছিল ভুল-তথ্য প্রবাহ, এই মাধ্যম ব্যবহার করে তিনি মূলধারার গণমাধ্যমকে পাশ কাটিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তার ৮৯ মিলিয়ন অনুসারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন। তার টুইট ভুল বানানের জন্য পরিচিত ছিল। কী ঘটেছিল? কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলের ভেতরে ট্রাম্প সমর্থক বিক্ষোভকারী আমেরিকার আইন-প্রণেতারা বুধবার যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে। রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হবার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা গেছে। দুপুরের পরই আমেরিকার রাজধানীতে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায় - শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে। ওই দিনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা'র অভিযোগে এক তরুণ কারাগারে দুই প্রেমিকাকে একই সঙ্গে বিয়ে করলেন ছত্তিশগড়ের যুবক আবু বাকার বা'আসিরের মুক্তি কি ইন্দোনেশিয়ায় উগ্রপন্থা আবার উস্কে দেবে?
US President Donald Trump's Twitter account is "permanently suspended... due to the risk of further incitement of violence", the company says.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি পড়ছেন কিম জং-আন। ওই চিঠিকে 'চমৎকার' বলে বর্ণনা করেছেন মি. কিম এবং বলেছেন, 'চিঠির কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়বস্তু নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন'। মি. ট্রাম্পের 'অসাধারণ' সাহসেরও প্রশংসাও করেছেন তিনি। এ মাসের শুরুর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে, কিম জং-আনের কাছ থেকে তিনি একটি সুন্দর চিঠি পেয়েছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি কখন আর কীভাবে মি. কিমের কাছে পৌঁছানো হয়েছে, তা পরিষ্কার করা হয়নি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনামে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং-আনের বৈঠকটি কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা স্থগিত হয়ে রয়েছে। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, মি. ট্রাম্প এবং মি. কিমের ওই বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যাওযার পর এটাই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি বলে মনে করা যায়। তবে দুই নেতাই বেশ কয়েকটি চিঠি আদান-প্রদান করেছেন। চিঠির এই সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামনের সপ্তাহেই সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরো পড়ুন: কারা সাহায্য করছে উত্তর কোরিয়াকে 'নিখোঁজ' কিম ইয়ং-চোলকে জীবিত দেখা গেছে পুতিন-কিম শীর্ষ বৈঠক: কার স্বার্থ কোথায় ডোনাল্ড ট্রাম্প-কিম জং আন: শত্রু না বন্ধু? যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, উত্তর কোরিয়াকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী ত্যাগ করতে হবে। তবে উত্তর কোরিয়ার দাবি, আগে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। তবে গত কয়েকমাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকবার কিম জং-আনের ব্যাপারে আন্তরিক মনোভাব দেখিয়েছেন। এ মাসের শুরুর দিকে তিনি রিপোর্টারদের কাছে বলেন যে উত্তর কোরিয়ায় কিম জং-আনের নেতৃত্বের বিষয়টি বিশেষভাবে অর্থবহ। গত মে মাসে জাপান সফরের সময় কিম জং-আনকে 'খুব চালাক একজন ব্যক্তি' বলে বর্ণনা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়া থেকে অনেক ভালো কিছু আসবে বলে তিনি আশা করেন বলে জানিয়েছিলেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ইরানের ওপর 'গুরুতর' নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ট্রাম্পের ইরানে মার্কিন হামলার পরিণতি কী হতে পারে? মাদ্রাসা নয়, সাধারণ শিক্ষা থেকেই জঙ্গি হয়েছে বেশি অ্যালার্জির কারণে আজ আমি বিউটি ফার্মের মালিক
North Korean leader Kim Jong-un has received a personal letter from US President Donald Trump.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
পুরুষের শুক্রকীটে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে কাজ করবে এই বড়ি দিনে একটি করে খেতে হবে এই বড়ি। এতে আছে এক ধরণের হরমোন - যা পুরুষের দেহে শুক্রকীটের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে কাজ করবে। পুরুষদের জন্য বর্তমানে কনডম এবং ভ্যাসেকটমি ছাড়া আর কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেই। কিন্তু এন্ডোক্রিন ২০১৯ নামের সেই সম্মেলনে আরো বলা হয়, এ বড়ি বাজারে আসতে এক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এত সময় লাগবে কেন? যুক্তরাজ্যে মেয়েদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি চালু হয়েছিল ৫০ বছরেরও বেশি আগে। কিন্তু পুরুষদের বড়ি চালু করতে এত সময় লাগছে কেন? অনেকে বলেন, পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি চালু করার ক্ষেত্রে 'সামাজিক ও বাণিজ্যিক ইচ্ছার ঘাটতি' আছে। কিন্তু একাধিক জনমত জরিপে দেখা গেছে যে অনেক পুরুষই বলেছেন যে যদি এরকম বড়ি পাওয়া যায় - তাহলে তারা তা ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করবেন। কিন্তু পুরুষটি যে বড়ি খেয়েছেন - সে কথা কি তার নারী সঙ্গিনী বিশ্বাস করবেন? সেটা আরেকটা কঠিন প্রশ্ন। পুরুষদের জন্য বর্তমানে কনডম এবং ভ্যাসেকটমি ছাড়া আর কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেই। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: জমিয়ে রাখা শুক্রাণু থেকে যমজ শিশুর জন্ম ভারতে পুরুষের শুক্রাণু কমে যাচ্ছে, ‘বিলুপ্ত হতে পারে মানুষ’ 'আমি ৮০০ সন্তানের পিতা', বলছেন এক শুক্রাণ-দাতা' যুক্তরাজ্যে ২০১১ সালে চালানো এ্যাংগলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটির একটি জরিপ বলছে, ১৩৪ জন নারী উত্তরদাতার মধ্যে ৭০ জনই বলেছেন, তাদের মনে এই উদ্বেগ কাজ করবে যে তাদের পুরুষ সঙ্গীটি হয়তো বড়ি খেতে ভুলে যাবেন। তা ছাড়া জীববৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জও আছে। পুরুষদের জন্য হর্মোনভিত্তিক একটি বড়ি তৈরি করার সময় বিজ্ঞানীদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে - তার যৌন অনুভূতি বা পুরুষাঙ্গের উত্থানশক্তি কমে না যায়। শুক্রকীট উৎপাদন সন্তান জন্মদানের ক্ষমতাসম্পন্ন পুরুষের অন্ডকোষে নতুন শুক্রকীট প্রতিনিয়তই তৈরি হতে থাকে, এবং এ উৎপাদন পরিচালনা করে নানা রকম হর্মোন। পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি তৈরি করতে হলে এমনভাবে এ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে - যাতে হর্মোনের স্তর কমে গিয়ে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেয়। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএ বায়োমেড - যারা নতুন এই বড়ি তৈরি করেছে - তারা বলছে তারা হয়তো এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গবেষকরা বলছেন, তারা ৪০ জনের ওপর প্রথম পর্বের পরীক্ষা চালিয়েছেন, এবং তারা আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন। তারা পরীক্ষায় দেখেছেন, যারা ২৮ দিন ধরে ইলেভেন বেটা এম এন টিডিসি নামের ওই বড়িটি খেয়েছেন - তাদের হর্মোনের স্তর কমেছে, এবং বড়ি খাওয়া ছেড়ে দেবার পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। এদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল খুবই কম এবং মৃদু। পাঁচ জন তাদের যৌন ইচ্ছে কমে যাবার কথা বলেছেন, দুজন বলেছেন পুরুষাঙ্গের উত্থান শক্তি কিছুটা কমে যাবার কথা। তবে তাদের যৌন ক্রিয়াশীলতা কমে যায় নি, কেউই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে বড়ি খাওয়া বন্ধ করেন নি, এবং সবার দেহেই এটি 'নিরাপদ' বলে উত্তীর্ণ হয়েছে। গবেষক প্রফেসর ক্রিস্টিনা ওয়াং এবং তার সহযোগীরা এ ফলাফল নিয়ে উল্লসিত, কিন্তু সতর্ক। প্রফেসর ওয়াং বলছেন, আমাদের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে এই বড়ি শুক্রকীট উৎপাদন কমাবে কিন্তু যৌন ইচ্ছা আগের মতই থাকবে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া হিসেবে এটা কতটা কার্যকর হবে তা জানতে হলে আরো বড় আকারে এবং দীর্ঘ সময় নিয়ে আরো পরীক্ষা চালাতে হবে। তিনি বলছিলেন, পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্য নানা উপায়ও পরীক্ষা করছেন তিনি। অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো - এ ধরণের গবেষণা এবং ওষুধ তৈরিতে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো কতটা আগ্রহ দেখায়। কারণ এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সমস্যা রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ৭১-এর স্বাধীনতার ঘোষণা যৌন শিক্ষা: বাংলাদেশে কী পড়ানো হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে বাটলারকে আশউইনের 'মানকড়' আউট সঠিক নাকি ভুল? 'প্রাণ বাঁচাতে নামিয়ে ফেলেছিলাম বাংলাদেশের পতাকা' 'গণতন্ত্রের শর্তগুলো ভিত্তি পায়নি ৪৮ বছরেও'
A birth control pill for men has passed initial human safety tests, experts at a leading medical conference have heard.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
গত জুনে এখানে বিস্ফোরণে ২৫ জন আহত হয় কারণ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় এর আগে নানা সময়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটলেও এবার যে রীতিমত ঘরের দুয়ারে। সুইডেনের পুলিশ নজিরবিহীন এ সব ঘটনার তদন্ত করছে, তবে বিস্ময়ের বিষয় হলো চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশটিতে অন্তত ৯৭টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বোমা স্কোয়াডকে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। "আমি এখানে বড় হয়েছি এবং আপনি অনুভব করবেন যে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠছে," বলছিলেন জোয়েল নামে এক তরুণ। তার ঘরের সামনের দরজা বিস্ফোরণে উড়ে গেছে আর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে জানালাগুলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যে দেশে এমপিদের সুযোগ সুবিধা না পাওয়াটাই রীতি রোহিঙ্গা: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার অভিযোগ কেন? কে এই ভারতের বিতর্কিত প্রত্নতত্ত্ববিদ কে কে মুহাম্মদ? কে দায়ী? ২০১৮ সালে দেশটিতে ১৬২টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এবং শুধু মাত্র গত দু মাসেই অন্তত ত্রিশবার বোমা স্কোয়াডকে ডাকা হয়েছে। সুইডেনের ন্যাশনাল অপারেশন্স ডিপার্টমেন্টের ইন্টেলিজেন্স বিভাগের প্রধান লিন্ডা এই স্ট্রাফ বলছেন, ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভস ও হ্যান্ড গ্রেনেড এসব বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছে। তার মতে হামলাগুলো সন্ত্রাসী গ্যাংগুলো করেছে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য। "এটি একটি মারাত্মক অবস্থা। কিন্তু সাধারণ মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়, কারণ তারা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা"। এসব সন্ত্রাসী দলগুলোর সাথে বোঝাপড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের অপরাধ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত দল পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে সুইডিশ মিলিটারি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় আছে, যাদের আফ্রিকা ও আফগানিস্তানে বিস্ফোরক নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। "এটা সুইডেনে নতুন এবং সেজন্য আমরা সারা বিশ্ব থেকেই জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করছি," বলছিলেন ম্যাটস লভনিং, ন্যাশনাল অপারেশন্স কমিটির প্রধান। তবে অপরাধ বিশেষজ্ঞ আমির রোস্তামি এটিকে তুলনা করেছেন মেক্সিকোর পরিস্থিতির সাথে যেখানে গ্যাং কালচার মহামারির মতো। "কিন্তু এটি নজিরবিহীন ঘটনা সেসব দেশের জন্য যেখানে কোনো যুদ্ধ নেই বা সন্ত্রাসের দীর্ঘ কোনো ইতিহাস নেই," তিনি বলছিলেন। এই ভবনটিতেও হামলা হয়েছে। এর কাছেই একটি স্কুল আছে কোন এলাকাগুলোতে বিস্ফোরণ? বেশিরভাগ বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো হয়েছে স্টকহোম, গুটেনবার্গ ও মালমো শহরের শহরতলী এলাকায়, যেখানে মূলত নিম্ন আয়ের লোকজন বসবাস করে। এ মাসে মালমো শহরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্টকহোমের উত্তরে শহরতলীর একটি এলাকা ব্রম্মায় আবাসিক এলাকায় একটি বিস্ফোরণে একটি ফ্ল্যাটের প্রবেশপথ ধ্বংস হয়ে যায়, জানালাগুলো উড়ে যায় ও গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। আবার ঐতিহাসিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শহর লান্ড-এ একটি মুদি দোকানে হামলার ঘটনায় ২০ বছর বয়সী একজনকে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। লিনকোপিংয়ে ফ্ল্যাটে হামলার ঘটনায় ২৫ জন আহত হয়েছে। সোডেরমালমে একসময় শ্রমজীবী মানুষ বসবাস করতো যা পরে নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়। সেখানেই যে ভবনে বিস্ফোরণ হয় তা ছিলো একটি স্কুলের কাছে। "ঘটনার পরপরই যখন পুলিশ আশেপাশের রাস্তা বন্ধ করে দিলো তখন আমি বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম। সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম," বলছিলেন মালিন ব্রাডশো, যিনি কাছেই বসবাস করেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি এবং পুলিশও কোনো মন্তব্য করেনি। জুনের হামলা গুরুত্ব পেয়েছে দেশটির গণমাধ্যমে সুইডেনের ক্রিমিনাল গ্যাং কারা? পুলিশের মতে অনেক সময় একই গ্যাং একাধিক ঘটনায় জড়িত এবং এগুলোর সাথে মাদক পাচারের জড়িত। সুইডেনে ২০১৮ সালে ৪৫টি রক্তক্ষয়ী বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে, অথচ ২০১১ সালে এমন ঘটনা ঘটেছে ১৭টি। কিন্তু তারা কেনো বিস্ফোরক ব্যবহারও বাড়িয়েছে তার কারণ এখনো অজানা। সুইডেনের পুলিশ সন্দেহভাজন বা সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের রেকর্ড সংরক্ষণ বা প্রকাশ করেনা। "তারা সুইডেনেই বেড়ে উঠেছে। দুর্বল আর্থসামাজিক অবস্থান থেকে সবাই উঠে এসেছে। অনেকেই সম্ভবত দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের অভিবাসী," বলছিলেন লিন্ডা এইচ স্ট্রাফ। রক্ষণশীল লেখক মিরা অক্ষয় বলছেন তারা একই এলাকার এবং অনেকটা একই মানসিকতার। যা তাদের এক করতে সহায়তা করে। তারা ঠিক সুইডেনের সাথে অংশ হতে পারেনি। যদিও ব্রাডশ বিশ্বাস করেন মূলত অর্থনৈতিক কারণই প্রধানত অপরাধ বাড়ার জন্য দায়ী। কর্তৃপক্ষ কি করছে? পুলিশ বলছে তারা জড়িতদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে কিন্তু ২০১৮ সালের ঘটনার প্রতি দশজনের একজনের শাস্তি হয়েছে। ন্যাশনাল অপারেশন্স ডিপার্টমেন্ট পুলিশের সাথে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করছে। সন্দেহভাজনদের খুঁজে পেতে আরও শক্তি বাড়ানোর কথা বলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সোডেরমালম শহরের অধিবাসী আন্দ্রে হেরডেন্ট বলছেন, জোর দিতে হবে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর।
When three explosions took place in one night across different parts of Stockholm last month, it came as a shock to residents. There had been blasts in other city suburbs, but never on their doorstep.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
মারওয়া এলসলেহডার মিশরের প্রথম নারী ক্যাপ্টেন সুয়েজ খালে জাপানী মালিকানার বিশাল এক জাহাজ আড়াআড়িভাবে আটকে পড়ায় মালবাহী জাহাজ চলাচলে বিরাট অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ২৩শে মার্চ বিশ হাজার কন্টেইনার ভর্তি এভার গিভেন নামের বিশাল জাহাজটির মাথা সুয়েজ খালের তীরে বালিতে আটকে যায়। এরপর লোহিত সাগরে ২০০র বেশি জাহাজের বিশাল জট তৈরি হয়, এবং অনেক জাহাজ আফ্রিকা ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হয়। কয়েকদিনের জন্য থমকে যায় জাহাজ চলাচল। কিন্তু মিজ এলসেলেহদার তার মোবাইল ফোনে দেখতে পান, তাকে এজন্য দায়ী করে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। "আমি বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যাই", বলছিলেন ২৯ বছর বয়সী মারওয়া। তিনি মিশরের প্রথম নারী ক্যাপ্টেন। সেই সময়ে মিজ এলসলেহডার মিশরের মেরিটাইম সেফটি কর্তৃপক্ষের আইডা ফোর নামে জাহাজে ফার্স্ট মেট হিসেবে কাজ করছেন। ঘটনার সময় জাহাজটি ছিল সুয়েজ খাল থেকে কয়েক শত মাইল দূরে আলেকজান্দ্রিয়ায়। জাহাজটি মিশরের সমুদ্র নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন। এটি লোহিত সাগরে একটি বাতিঘরের জন্য সরবরাহ পৌঁছে দেবার কাজ করে। এছাড়া আরব লীগ পরিচালিত আরব অ্যাকাডেমি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টের নবীন ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হয়। আরো পড়তে পারেন: সুয়েজ খালের বিকল্প নিয়ে ফের কথা, আলোচনায় ইসরায়েল রুট সুয়েজ আটকানো জাহাজের ভারতীয় নাবিকরা কি কড়া শাস্তির মুখে? সুয়েজ খালে জাহাজটি ভেসেছে, কিন্তু কতটা মূল্য দিতে হলো সুয়েজ খালের দানব জাহাজটিকে যেভাবে সরানো হলো ঘটনার সময় মারওয়া এলসেলেহদারের জাহাজ কয়েক শত মাইল দূরে ছিল এই জটিলতায় মিজ এলসেলেহদারের নাম এলো কোথা থেকে? যে খবরটির মাধ্যমে সুয়েজ খালের অচলাবস্থার সাথে মারওয়া এলসেলেহদারের জড়িত বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে সেটি একটি ভুয়া বা অসত্য সংবাদ নিবন্ধ। মূলত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভুয়া এক সংবাদ শিরোনামের স্ক্রিনশটে ওই অচলাবস্থার জন্য মিজ এলসেলেহদারকে দায়ী করা হয়। আর তারই কল্যাণে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুতই। ভুয়া যে সংবাদ শিরোনামের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, সেটি আরব নিউজে প্রকাশিত কোন প্রতিবেদন। ওই খবরে প্রকাশিত বানানো বা ডক্টরড ছবিটি নেয়া হয়েছে আরব নিউজে ২২শে মার্চ প্রকাশিত এক আসল খবর থেকে। সেখানে মিশরের প্রথম নারী জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে মিজ এলসেলেহদারের ওপর একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। টুইটারে সেই ছবি বহুবার শেয়ার করা হয়েছে। এমনকি টুইটারে মারওয়া এলসেলেহদারের নামে থাকা অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট থেকেও ওই ভুয়া খবর ছড়ানো হয় যে তিনি এভার গিভেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিবিসিকে মিজ এলসেলেহদার বলেছেন, তার কোন ধারণাই নেই কে কোথা থেকে আর কেন এই ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া জাহাজ নিয়ে কেন গোটা বিশ্বের মাথাব্যথা তিনি বলেন, "আমার মনে হয় আমি এই খাতে একজন সফল নারী, সেজন্য আমাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। অথবা হয়তো আমি একজন মিশরীয় সেজন্যও হতে পারে, কিন্তু আমি নিশ্চিত না কেন এমনটা হয়েছে।" তবে তিনি সুয়েজ খালের ওই জটিলতায় কোনভাবে যুক্ত ছিলেন না। ঘটনার সময় তার জাহাজ ছিল সুয়েজ খাল থেকে কয়েক শত মাইল দূরে আলেকজান্দ্রিয়ায়। তবে কাজ করতে গিয়ে এবারই প্রথম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন এমন নয়। তিনি এক ক্ষেত্রে তিনি কাজ করছেন, যা ঐতিহাসিকভাবে পুরুষ নিয়ন্ত্রিত। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের হিসাব অনুযায়ী এই মূহুর্তে বিশ্বের সমুদ্রযানগুলোতে মাত্র দুই শতাংশ নারী কাজ করছেন। মারওয়া এলসেলেহদার ২০১৫ সাল থেকে আইডা ফোর জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করছেন। নিয়োগের সময় তিনি ছিলেন সবচাইতে কমবয়সী এবং প্রথম নারী মিশরীয় ক্যাপ্টেন। এমনকি তিনি যখন আরব লীগের বিশ্ববিদ্যালয় আরব অ্যাকাডেমি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টে ভর্তির আবেদন করেন, তখনও সেখানে মেয়েদের পড়ার অনুমতি ছিল না। তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় যাবার পর তৎকালীন মিশরীয় প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের অনুমোদনে তিনি অ্যাকাডেমিতে পড়ার সুযোগ পান। ফলে যখন সুয়েজ খালে অচলাবস্থার জন্য তাকে দায়ী করা হলো, তখন তিনি ভয় পেয়ে গেলেন। কারণ এটি তার কাজের ওপর প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, "ভুয়া খবরটি ছিল ইংরেজিতে প্রকাশিত, যে কারণে এটা অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আমি খুব চেষ্টা করছি ওই নিবন্ধে কী আছে তা না ভাবার। কারণ এর ফলে আমার সুনামের ওপর প্রভাব পড়ছিল। এবং আমি জানি আমার বহু চেষ্টার ফল হিসেবেই আমি আজকের জায়গায় এসেছি।" তিনি বলছিলেন, নিবন্ধে তার সম্পর্কে অত্যন্ত নেতিবাচক এবং রূঢ় মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষ এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যও পেয়েছেন। "যত সমর্থন আর ভালোবাসা আমি পেয়েছি আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার ওপরই নজর দেব। সে জন্যই আমার সব ক্ষোভ এখন কৃতজ্ঞতায় রূপ নিয়েছে।" সামনের মাসেই মারওয়া এলসেলেহদারের ফাইনাল পরীক্ষা, যা পাস করার পর তিনি ফুল র‍্যাঙ্ক ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
Last month, Marwa Elselehdar noticed something strange.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
২০১৫ সালে তার প্রথম স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। কথা গুলো বলছিলেন লিয ও'রিয়ারডান। নিজের স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ার পর যিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে পেশায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি তা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। ২০১৫ সালে ৪০ বছর বয়সে তাকে মাস্টেক্টমি করতে হয় (অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্তন অপসারণ) এবং গত মে মাসে এই রোগের পুনরাবির্ভাব ঘটায় ভুগতে হয়েছে। ডক্টর ও'রিয়ারডান ভেবেছিলেন তিনি কুড়ি বছর ধরে সার্জন হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন কিন্তু কেবল দুয়েক বছর কাজ করতে পেরেছেন তিনি। ক্যান্সারের দ্বিতীয় দফায় আক্রমণ তার কাঁধের নাড়া-চাড়াতে বাধাগ্রস্ত করে এবং "মানসিকভাবে ভীষণ কঠিন" সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার আগে ডক্টর ও'রিয়ারডান চাকার মতো অনুভব করেন এবং সেটি সিস্ট-এর দিকে যাচ্ছিল, যেখানে মাত্র ছয়মাস আগের এক মোমোগ্রাম রিপোর্টে তার স্তন সম্পূর্ণ সুস্থ বলে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু আরেকটি চাকার পিণ্ড তৈরি হলে তার মার অনুরোধে তিনি স্ক্যানিং এর মধ্য দিয়ে যান। সাফোকের বাসিন্দা জানতেন তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য কি চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রথমে সে "আতঙ্কগ্রস্ত" হয়ে পড়ে এবং নানারকম প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরতে থাকে। বর্তমানে তিনি ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পর লোকজন যেন কাজে ফিরে যেতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। "আমি স্ক্যান দেখেছি এবং জানতাম আমার স্তন অপসারণ করে ফেলতে হবে, এটাও জানাতাম আমার সম্ভবত কেমোথেরাপি প্রয়োজন হবে কারণ আমি বয়সে তরুণ ছিলাম এবং আমার দশ বছর বেচে থাকার সম্ভাবনা কতটা সম্পর্কেও ভালো ধারনা ছিল। এবং সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে মাথার মধ্যে এতসব চিন্তার ঘুরপাক খাচ্ছিল"। তার মাথায় দুশ্চিন্তা ভর করে "কিভাবে স্বামীর সাথে এবং বাবা-মায়ের সাথে বিষয়টি শেয়ার করবেন তা নিয়ে। একজন ক্যান্সার সার্জন হিসেবে নিজের পথচলা থামিয়ে দিয়ে কেবলমাত্র একজন রোগী হিসেবে পরিণত হওয়া কতটা সম্ভব?" যদিও সে নিজেই জানতো ক্যান্সার আক্রান্তের শরীরের ভেতরে কী ঘটে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার অভিজ্ঞতা কতটা ভয়াবহ সে সম্পর্কে তা তো কোন ধারনা ছিলনা। লিয ও'রিয়াডান এবং তার স্বামী ডার্মট ২০১৭ সালে রাইড লন্ডন ১০০ সম্পন্ন করার পর। "কারো ব্রেস্ট ক্যান্সার আছে এটা তাদের বলা যে কেমন- তা আমি জানি। কিন্তু আমি জানতাম না যে ঠোঁট চেপে, চোখের জল লুকানো, ক্লিনিক থেকে বেরোনো, অপেক্ষা-গার পেরিয়ে, হাসপাতাল করিডর পেরিয়ে গাড়ি পর্যন্ত কোনরকমে পৌঁছানো এবং তারপর হাউমাউ করে কান্না।" স্বামী ডার্মটের সাথে আলাপ করার পর সে সিদ্ধান্ত নেয় নিজের ১৫০০ টুইটার ফলোয়ারের মাঝে বিষয়টি ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, যারা তাকে পছন্দ করতো বেকিং, ট্রায়াথলন এবং তার পেশার জন্য।। "কিভাবে ক্যান্সারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে সেটা আমাকে বললো স্বয়ং আমার রোগীরা। যখন আপনি উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড নিচ্ছেন তখন ভোররাত তিনটার সময়েও কেউ একজন জেগে আছে আপনার সাথে কথা বলার জন্য"। ক্যান্সার আক্রান্ত আরো যারা চিকিৎসা পেশা সংক্রান্ত ব্যক্তিরা আছেন তাদের সাথে সামাজিক মাধ্যম তাকে যুক্ত রাখে এবং এরপর থেকে এই রোগের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলেন। তার ক্যান্সারের প্রথম দফা চিকিৎসা শেষে ডক্টর ও'রিয়ারডান সার্জন হিসেব ইপসউইচ হাসপাতালে কাজে ফিরে যান । তিনি জানান যে, তিনি অনুধাবন করতে পারেননি যে এটা "ইমোশনালি কতটা চ্যালেঞ্জিং" হবে। তিনি ভেবেছিলেন ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি হয়তো লোকজনকে ভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারবেন। নরম টিস্যুগুলির ফাইব্রোসিস এবং টিথারিং তার কাঁধের নড়াচড়া কমিয়ে করে দেয় "এটা ছিলো আমার দ্বারা সবচেয়ে কঠিন কাজ। যখন আপনি কাউকে একটি খারাপ খবর জানাচ্ছেন এবং কোনো নারীকে বলছেন যে তাদের শরীরে ক্যান্সার রয়েছে, এটা যেকোনভাবেই খুবই কঠিন। কিন্তু আমি স্মরণ করতে পারি যখন আমরা খবরটা শুনছিলাম এবং প্রচণ্ড কাঁপছিলাম তখন আমাকে এবং আমার স্বামীকে কেমন দেখাচ্ছিল তা আমি পরিষ্কার দেখতে পাই। "আপনাকে এমন কারো সাথে যুক্ত থাকতে হবে যারা একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে-কিন্তু আমি পারিনি কারণ তারা ছিল আমারই রোগী"। তিনি আরো বলেন " আমার মাস্টেক্টমির পর প্রচণ্ড ব্যথা এবং মাঝে মাঝে অপারেশন করছিলাম। কারণ আমি খুবই সতর্ক ছিলাম এই ভেবে যে আমি হয়তো তাদের ব্যথার কারণ হবো যেটা আমার আছে এবং সে কারণে আমি সার্জারি করতে চাচ্ছিলাম না্ এটা ছিল খুব খুব কঠিন"। ২০১৮ সালে ডক্টর ও'রিয়ারডানের ক্যান্সার আবার ফিরে আসে। প্রচণ্ড ব্যথার কারণে তার পুনর্গঠিত স্তন অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেয়ার আগ দিয়ে করা এক স্ক্যানে তা ধরা পড়ে। তিনি জানান দ্বিতীয়বারের মতো তার ক্যারিয়ার এগিয়ে নেয়ার জন্য সব ধরনের সহায়তার চেষ্টা করেছেন তার নিয়োগ-দাতা। এর ফলে একই জায়গায় দ্বিতীয় ডোজ রেডিওথেরাপি দেয়া হয় "যা বিরলভাবে সম্পন্ন করা হয়"। তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল যে পরবর্তীতে সে হয়তো তার বাহু ঠিকভাবে নাড়াচাড়া করতে পারবে না -কিন্তু যদি সে সার্জারি না করতো, তাহলে তার ফলাফল হতো শূন্য। আর চূড়াত পরিণতি হয়েছিল আরো ক্ষতিকর। নরম টিস্যুগুলির ফাইব্রোসিস এবং টিথারিং তার কাঁধের নড়াচড়া কমিয়ে করে দেয় এবং তার মানে দাঁড়ায় তার বাহুর শক্তি কমে গেছে। তিনি জানান দ্বিতীয়বারের মতো তার ক্যারিয়ার এগিয়ে নেয়ার জন্য সব ধরনের সহায়তার চেষ্টা করেছেন তার নিয়োগ-দাতা। অস্ত্রোপচারের আগে হাত পরিস্কার করছেন। "আমি ইনটেনসিভ ফিজিওথেরাপি নিয়েছি, একজন অর্থোপেডিক সার্জনের সাথে দেখা করি কারণ আমার অনেককিছু বলার ছিল, " আমার জীবনের ২০ বছর যে কাজে আমি সময় দিয়েছি, ডিগ্রী এবং পিএইচডি, পরীক্ষার পর পরীক্ষা এবং নিজের প্রিয় বিষয়ে একজন সুদক্ষ পেশাজীবী হওয়ার জন্য বিভিন্ন কোর্স-সবকিছুর পরও সেটা আমি আবার সে কাজটি করতে পারছি না"। দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ করতে পারছিলাম কিন্তু নিরাপদে অস্ত্রোপচার- সেটি আর কখনোই হচ্ছে না-বলেন ও'রিয়ারডান। আগের চেয়ে এখন ক্যান্সার ফিরে আসার ঝুঁকি আরো বেশি। মজার ব্যাপার হল, সে এখন ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পর লোকজন যেন কাজে ফিরে যেতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। তার স্বামী একজন কনসাল্ট্যান্ট সার্জন। ও'রিয়ারডান বলেন তিনি যথেষ্ট সৌভাগ্যের অধিকারী যে তার সচ্ছলতা রয়েছে এবং বেতনভোগী হিসেবে কাজ করতে হয়না। গতবছর নিজের একটি প্রতিমূর্তি উদ্বোধন করেন ডক্টর ও'রিয়ারডান। সম্প্রতি তিনি সামাজিক উদ্যোগ ওয়ার্কিং উইথ ক্যান্সারের একজন স্বেচ্ছাসেবী অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৭ সালে কাজে ফেরার সময় তাকে উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছে তারা। তবে নানারকম শারীরিক জটিলতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে তাকে-"আমি এখনও খুব ক্লান্তিতে ভুগি এবং আমার মস্তিষ্ককে আবারো কাজে ফেরানোর চেষ্টা করছি"। নিজ অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, "আমি আগে কখনো বুঝতে পারিনি যে কারো ক্যান্সার হলে তাহলে আপনাকে আইনগত-ভাবে অক্ষম হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা হবে ইকুয়ালিটি অ্যাক্ট অনুসারে এবং আপনার নিয়োগ-দাতাকে আপনাকে কাজে ফেরানোর জন্য যুক্তিসঙ্গত সমন্বয় সাধন করতে হবে।" ২০১৭ সালে স্যাফর্ডশায়ারে হাফ আয়রনম্যান এ অংশ নেন তিনি। বহু মানুষ ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তাদের জীবন ফিরে পেতে মরীয়া হয়ে ওঠে, কিন্তু সঠিক উপায় খুঁজে বের করা অকল্পনীয় কঠিন হতে পারে এবং অনেক নিয়োগ কর্তৃপক্ষ জানে না কিভাবে ক্যান্সার পেশেন্টকে সাহায্য করতে পারে বা কি করা উচিত"। তিনি জানান ওয়ার্কিং উইথ ক্যান্সারের বেশিরভাগ প্রশিক্ষকের শরীরে ক্যান্সার রয়েছে এবং তারা জানে অধিকার সম্পর্কে, এবং কর্মী এবং নিয়োগ-দাতাদের তারা তৈরি করে। একজন পরামর্শক হিসেবে প্রতিবছর শত নারীকে স্তন ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন করছেন চিকিৎসক ও'রিয়ারডান। তিনি বলছেন, "আমার বই, ব্লগ, বিভিন্ন আলাপ-আলোচনায় এবং অ্যাম্বাসেডর হিসেবে শত শত, হাজার হাজার নারীকে সাহায্য করতে পারি"। ক্যান্সার আক্রান্তদের যত্ন বিষয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন ওরিয়ারডান।
"Like many women, I did not check my breasts. I thought, 'it's not going to happen to me - I'm a breast cancer surgeon'."
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
চীন জুড়ে বহু শহরে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে আর দেশটিতে নতুন এ করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এখন চার হাজারেরও বেশি। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রমণ কিংবা চলাচলে আরও বাধানিষেধ আরোপ করেছে চীন সরকার। উহান শহর, যেখান থেকে প্রথম এ ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছ, সেই শহরটি কার্যত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওদিকে চীনের বাইরেও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ও জার্মানিতে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। পুরো চীন জুড়ে বহু শহরে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? ভাইরাসটি এমন সময়ে ছড়ানো শুরু করলো যখন চীনা নববর্ষ পালিত হতে যাচ্ছে যে সময়টিতে লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর, আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ব্যাপক ভ্রমণ করে থাকে। তবে ভাইরাস সংক্রমণ যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য চীন সরকার নববর্ষের ছুটি তিনদিন বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও কয়েকজনের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটি তার নাগরিকদের চীনা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছে, বিশেষ করে উহান যেই প্রদেশে সেই হুবেই ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। আরও কিছু দেশ জরুরি প্রয়োজন না হলে নাগরিকদের চীন ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে আর কিছু দেশ উহানে আটকে পড়া তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে চীনের বাইরে এখনো কারও মারা যাওয়ার খবর আসেনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আমরা পুরো অবরুদ্ধ: উহান থেকে বাংলাদেশি ছাত্রী উহানের বাংলাদেশিদের বিচলিত না হবার আহ্বান যে দশটি রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা চীনে করোনাভাইরাস কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে?
Iran has confirmed almost 6,000 coronavirus infections and 145 deaths as the number of cases worldwide passed 100,000, officials say.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
কেরালার সবরিমালা মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। শুক্রবার এক রায়ে এই মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকার দিয়েছে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট সেজন্যই পেরিয়ার ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভেতরে, এক পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত ওই মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের প্রবেশাধিকার ছিল না। তবে ওই মন্দিরটি ছাড়াও ভারতে এমন আরও কিছু মন্দির রয়েছে, যেখানে নারীদের প্রবেশাধিকার নেই। যেমন বিশ্বের সবথেকে ধনী মন্দির বলে পরিচিত, কেরালার রাজ্যেরই শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দির বা মহারাষ্ট্রের ত্রিম্বকেশ্বর মন্দির, রাজস্থানের পুষ্করে অবস্থিত কার্তিকেয় মন্দির, মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের মহালক্ষ্মী মন্দির বা তামিলনাডুর তালাওয়াডির মল্লিকার্জুনস্বামী মন্দির - এগুলিতেও নারীদের প্রবেশাধিকার নেই। আবার এমন কয়েকটি মন্দির রয়েছে, যেখানে পুরুষরা প্রবেশ করতে পারেন না। যেমন বিশাখাপতনমের কাছে কামাখ্যা মন্দিরে মাসের কয়েকটি বিশেষ দিনে পুরুষদের প্রবেশাধিকার নেই। পুষ্করের ভগবান ব্রহ্মার মন্দিরে বিবাহিত পুরুষরা যেতে পারেন না। কন্যাকুমারীর দেবী কন্যাকুমারী মন্দিরে ঢুকতে পারেন না বিবাহিত পুরুষরা। বিশ্বের সবথেকে ধনী মন্দির বলে পরিচিত কেরালার শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দির। এখানেও নারীদের প্রবেশাধিকার নেই যেসব মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকার নেই, সেগুলিতে মূলত ঈশ্বর ব্রহ্মচারী বা চিরকুমার হিসাবে পূজিত হন। সবরিমালার আরাধ্য দেবতা আয়াপ্পা যেমন ব্রহ্মচারী এবং চিরকুমার, তেমনই তাঁর কাছে মকর সংক্রান্তির দিনে যে বিশেষ পুজো দিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়, তাঁদেরও পুজোর আগে ৪১ দিন ধরে ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়। তাঁরা নিরামিষ খাবার খান, কালো পোষাক পড়েন, দাড়ি কাটেন না এবং কোনওরকমের নারী সাহচর্য করেন না। ঘটনাচক্রে আয়াপ্পা মন্দিরের কাছেই একটি মন্দির রয়েছে, যেখানে মালিকাপুরাত্থাম্মা নামের এক দেবীর পুজো হয়। বহু মানুষ এটা বিশ্বাস করেন যে মালিকাপুরাত্থাম্মা আয়াপ্পাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আয়াপ্পা ব্রহ্মচারী হওয়ায় সেটা সম্ভব হয় নি। তাই মালিকাপুরাত্থাম্মা আয়াপ্পার মন্দিরের কাছেই চির-অপেক্ষায় রয়েছেন। আবার আয়াপ্পার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল ভাভর নামের এক মুসলিমের। তাই ওই মন্দিরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সেই দরগা। শীর্ষ আদালত শুক্রবারএক রায়ে এই মন্দিরের বহু শতাব্দী ধরে চলে আসা নিয়ম বদল করে নারীদের প্রবেশাধিকার দিয়েছে। কিন্তু অনেক নারী নিজেরাই চান না ঋতুযোগ্যা হওয়ার পরে ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে। "কোনও মালয়ালি নারীই চাইবেন না অনুশাসন ভেঙ্গে মন্দিরে প্রবেশ করতে। যতই সুপ্রীম কোর্ট রায় দিক, এটা আমাদের বিশ্বাস," স্মিতা মেনন, কোচি শহরের বাসিন্দা । কোচি শহরে একটি জনসংযোগ এজেন্সি চালান স্মিতা মেনন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন, "কোনও মালয়ালি নারীই চাইবেন না অনুশাসন ভেঙ্গে মন্দিরে প্রবেশ করতে। যতই সুপ্রীম কোর্ট রায় দিক, এটা আমাদের বিশ্বাস। এর সঙ্গে ঋতুমতী হওয়ার কোনও যোগ নেই। ওই মন্দিরটি তো আসলে ব্রহ্মচর্য পালনের পীঠস্থান। সেখানে যাওয়ার আগে সব রকম জাগতিক বিষয়গুলিকে সরিয়ে রাখেন পুরুষরা, এবং আমরা সেই সময়ে স্বামী বা বাবাকে সবরকমের সাহায্য করি। তাই ব্রহ্মচর্য পালনের এই ধারাটিকে আমরা নষ্ট হতে দিতে চাই না।" আগে শনি শিঙ্গনাপুর নামের যে মন্দিরে নারীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হত না, অথবা নাসিকের ত্রিম্বকেশ্বর মন্দিরে, যেখানে এখনও গর্ভগৃহে নারীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নিষেধটা আসে নারীদের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার কারণে - কখনও সেটা প্রজনন বা কখনও ঋতুস্রাবের সঙ্গে সংযুক্ত বলে যুক্তি দেখানো হয় প্রাচীনকাল থেকেই। হিন্দু মন্দিরগুলিতে নারীদের প্রবেশাধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছে মহারাষ্ট্রের একটি সংগঠন ভূমাতা ব্রিগেড। সংগঠনটির প্রধান তৃপ্তি দেশাই বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "এইসব নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ঋতুমতী হওয়ার কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি নেই। এটা নারীদের প্রতি বৈষম্য। একবিংশ শতাব্দীতে যখন মেয়েরা যুদ্ধবিমান চালায়, দেশ শাসন করে, মহাকাশে পাড়ি দেয়, সেই সময়ে তারা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে না এটা হতে পারে না। তাদেরও তো পুজো করার অধিকার রয়েছে।" সুপ্রীম কোর্টও বলেছে ঋতুযোগ্যা নারীদের সবরিমালা মন্দিরে প্রবেশ না করতে দেওয়ার অর্থ তাদের ধর্মপালনের অধিকারে হস্তক্ষেপ। তবে হিন্দু পুরাণ বিশেষজ্ঞ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী বলছিলেন পুরাণের সঙ্গে এই সব নিয়মের কোনও সংঘাত থাকা উচিত নয়। "শাস্ত্র তো তৈরী হয়েছে তৎকালীন সমাজ থেকে। সেই সময়ে সমাজে যা নিয়মকানুন ছিল, সেগুলোরই সংকলন এই শাস্ত্র। তখনকার সমাজ সেইভাবেই পরিচালিত হত। সেই সময়ে যদি সমাজ পুরুষতান্ত্রিক থেকে থাকে, সেটা তো বর্তমান যুগে মানার প্রয়োজন নেই। এখন তো সমাজ পরিচালনার জন্য পার্লামেন্টের তৈরী করা আইন কানুন রয়েছে, তাই এখন সেইসব আধুনিক আইন অনুযায়ীই সমাজ চলবে! তাই দুটোর মধ্যে তো কোনও সংঘাত হওয়ারই কথা নয়," বলছিলেন অধ্যাপক ভাদুড়ী। তাঁর ব্যাখ্যা, প্রাচীনকালে একভাবে সমাজ চলত বলেই যে বর্তমানকালে দাঁড়িয়ে সেটার ভাল-মন্দ বিচার করতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। ঘটনাচক্রে, সুপ্রীম কোর্টের যে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সবরিমালা মন্দিরে ঋতুযোগ্যা নারীদের প্রবেশাধিকার দিয়েছে, তার মধ্যে একমাত্র নারী বিচারক ইন্দু মালহোত্রা সংখ্যালঘু রায়টি লিখেছেন। তাঁর মতে, ধর্মপালনের বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করাই উচিত নয়।
India's Supreme Court has said women can no longer be barred from entering the Sabarimala temple, considered to be one of the holiest for Hindus.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
হিন্দুরা বিশ্বাস করে গঙ্গার জলে স্নান করলে পাপমোচন করা যায় এখন মনে হচ্ছে সেই আশংকাই সত্যি হয়েছে। কুম্ভ মেলা থেকে ফিরে আসা লোকজনকে পরীক্ষা করে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ছে এবং তারা যে সম্ভবত আরও লোকজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিয়েছে - সেরকম খবর আসছে ভারতের অনেক এলাকা থেকে। মাহান্ত শংকর দাস হরিদ্বারে এই উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন ১৫ই মার্চ। তখন ভারতের অনেক অংশেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার চারদিন পর, এপ্রিলের ৪ তারিখে ৮০ বছর বয়সী এই হিন্দু পুরোহিত কোভিড পজিটিভ বলে পরীক্ষায় ধরা পড়লেন, এবং তাঁকে একটি তাবুতে ফিরে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হলো। কিন্তু একাকী আলাদা থাকার পরিবর্তে মাহান্ত শংকর দাস তার ব্যাগ গুছিয়ে একটি ট্রেন ধরলেন এবং প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বারাণসী পৌঁছালেন। সেখানে স্টেশনে তার ছেলে নগেন্দ্র পাঠক তাকে নিতে আসলেন এবং তারা আরও কিছু লোকের সঙ্গে একটি ট্যাক্সি শেয়ারে ভাড়া করে ২০ কিলোমিটার দূরের জেলা মির্জাপুরে তাদের গ্রামে পৌঁছালেন। মাহান্ত দাস সম্প্রতি তাঁর বাড়ি থেকে টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলার সময় আমাকে জানালেন, তিনি বেশ "সুস্থ এবং সবল" আছেন, এবং বাড়ি ফিরে আসার পর থেকে কোয়ারেন্টিনে থাকছেন। মাহান্ত দাস দাবি করছেন, তার কাছ থেকে কেউ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তার ছেলে এবং গ্রামের আরও কিছু মানুষের মধ্যে কোভিডের উপসর্গ দেখা গেল। তার ছেলে নগেন্দ্র পাঠক জানালেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, কিন্তু গত দুই সপ্তাহে গ্রামে জ্বর এবং কাশির উপসর্গ নিয়ে ১৩ জন মারা গেছে। এই গ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মাহান্ত দাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকতে পারে, আবার এটা নাও হতে পারে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। যাত্রীর ভিড়ে ঠাসা একটি ট্রেনে ভ্রমণ করে, শেয়ারের ট্যাক্সিতে চড়ে তিনি হয়তো পথে পথে অনেক জায়গায় ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছেন। এপ্রিল মাসে হরিদ্বারে কুম্ভ মেলায় যোগ দেন ৯০ লাখের বেশি তীর্থযাত্রী রোগতত্ত্ববিদ ডাঃ ললিত কান্ত বলছেন, "মাস্ক না পরে তীর্থযাত্রীদের বড় বড় দল যখন নদীর তীরে দাঁড়িয়ে গঙ্গার বন্দনা করছে", তখন আসলে এটি দ্রুত ভাইরাস ছড়ানোর এক আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। "আমরা জানি যে গির্জায় কিংবা মন্দিরে যখন সমবেত মানুষ এক সঙ্গে কোরাসে গান গায়, সেটি তখন একটি 'সুপার-স্প্রেডার ইভেন্টে' পরিণত হয়।" হরিদ্বারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে ২,৬৪২ জন তীর্থযাত্রী কোভিড-পজিটিভ বলে ধরা পড়েছিল, যাদের মধ্যে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় নেতাও ছিলেন। উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, নেপালের সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ এবং সাবেক রাণী কমল শাহ এই কুম্ভমেলা থেকে ফিরে আসার পর পরীক্ষা করে তারাও কোভিডে আক্রান্ত বলে জানা গেছে। বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক শ্রাবণ রাঠোরও এই কুম্ভমেলা থেকে ফেরার কদিন পর মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে মারা যান। মেলায় যোগ দিতে যাওয়া আরেকটি দলের নয় জন হিন্দু ঋষি মারা যান। কুম্ভ মেলা থেকে ফেরা তীর্থযাত্রীরা অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন আশংকার মধ্যে কয়েকটি রাজ্য তাদের জন্য ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের বিধান চালু করে। যারা কুম্ভ মেলায় যাওয়ার খবর চেপে যাওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়। কোন কোন রাজ্যে এদের জন্য আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু খুব কম রাজ্যেই আসলে কুম্ভ মেলায় যাওয়া লোকজনের কোন তালিকা আছে এবং কোন রাজ্যেই এমন নিশ্ছিদ্র কোন ব্যবস্থা নেই যেটি দিয়ে তাদের সীমান্ত দিয়ে কে ঢুকছে আর কে বেরুচ্ছে সেটার ওপর নজর রাখা যাবে। গত দু'সপ্তাহ ধরে ভারতের সমস্ত জায়গা থেকেই এমন খবর আসতে শুরু করেছে যে কুম্ভ মেলা থেকে ফিরে আসা লোকজনকে পরীক্ষা করে কোভিডের সংক্রমণ ধরা পড়ছে: "এটা একটা ভয়ংকর বিপর্যয় ডেকে এনেছে", বলছেন ডাঃ কান্ত। "আর এই সংখ্যাগুলো আসলে ভাসমান বরফখন্ডের চূড়া মাত্র। এই তীর্থযাত্রীরা যখন দলবেঁধে ভিড়ের মধ্যে ট্রেনে-বাসে ভ্রমণ করছে, তখন কিন্তু তারা সংক্রমণের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। আমি কোন দ্বিধা ছাড়াই বলতে পারি, ভারতে যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এত বাড়ছে, তার একটা প্রধান কারণ এই কুম্ভ মেলা। মাহান্ত দাসকে আমি যখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, ভারতে যখন প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে, হাসপাতালগুলোতে বেড খালি নেই বলে এবং অক্সিজেন ও ঔষধের সংকটের কারণে রোগীদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে- তখন কুম্ভ মেলা বাতিল করাটাই ভালো ছিল কীনা- তখন তিনি ক্ষেপে গেলেন। "সরকার যে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন করছে, নির্বাচনী সভা করছে, সেটা তাহলে কীভাবে ঠিক হচ্ছে? আমাদের মতো ধর্মপ্রাণরা একসঙ্গে হলে সেটার বেলাতেই কেন শুধু ভুল ধরা হচ্ছে?" কুম্ভ মেলায় যোগ দেয়া অন্তত নয়জন হিন্দু ঋষিরও কোভিড ধরা পড়েছে সমালোচকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে এই কুম্ভ মেলা বাতিল করতে চান নি, তার কারণ এটি করলে তিনি সম্ভবত মাহান্ত দাসের মতো ধর্মীয় নেতাদের দিক থেকে তোপের মুখে পড়তেন। এই হিন্দু পুরোহিত, ঋষি এবং গুরুরা বিজেপির বড় সমর্থক। তারা নির্বাচনের সময় হিন্দু ভোট জোগাড় করে দিতে বড় ভূমিকা রাখে। কুম্ভ মেলার জন্য ১২ই এপ্রিল ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক দিন। সেদিন গঙ্গা নদীতে স্নান করেছেন তিরিশ লাখের বেশি মানুষ। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই গঙ্গাস্নানের মাধ্যমে তারা মোক্ষলাভ করবেন। আর সেদিন ভারতে ১ লাখ ৬৮ হাজার মানুষের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের সংখ্যার দিক থেকে সেদিন ভারত ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আরও পড়ুন: কুম্ভ মেলাকে কিছুটা সীমিত করা হয়েছিল এর আরও এক সপ্তাহ পরে, যখন সেখানে অংশগ্রহণকারী একটি গ্রুপের একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা মারা যান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তখন হিন্দু ঋষিদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন উৎসবের কলেবর কমিয়ে প্রতীকী-ভাবে এটি উদযাপন করেন। গত সপ্তাহে কুম্ভ মেলার আয়োজকরা জানিয়েছিলেন, ৯১ লাখ তীর্থযাত্রী এবার হরিদ্বারে গিয়েছিলেন। অথচ উত্তরাখণ্ডে হাইকোর্ট বলেছিল, একটা ভয়ংকর মহামারির মধ্যে এই মেলার আয়োজন করতে দিয়ে এই রাজ্যটি সবার হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। মেলার শুরু থেকেই এমন আশংকা ছিল যে এটির আয়োজন করা মানে অনেক ঝুঁকি ডেকে আনা। মার্চের শুরুতেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন যে, "এক নতুন এবং অনেক বেশি সংক্রামক ধরণের করোনাভাইরাস ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে।" তারা আরও বলেছিলেন, লাখ লাখ মানুষকে মাস্ক ছাড়া এরকম এক উৎসবে সমবেত হতে দেয়া মোটেই বাস্তব-বুদ্ধিসম্মত কাজ হবে না। উত্তরাখণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত আমাকে বলেছিলেন, তিনি শুরু থেকেই কুম্ভ মেলাকে সীমিত আকারে প্রতীকী ভাবে আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিলেন, কারণ বিশেষজ্ঞরা তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, এই মহামারি "খুব সহসা থামবে না।" কুম্ভ মেলায় শঙ্খ বাজাচ্ছেন এক নাগা সাধু "এই উৎসবে মানুষ তো শুধু ভারত থেকে আসে না, অন্যান্য দেশ থেকেও আসে। আমার আশংকা ছিল, অনেক সুস্থ মানুষ হরিদ্বারে আসবে তারপর এখান থেকে সংক্রমণ নিয়ে যাবে সমস্ত জায়গায়।" কিন্তু এই উৎসব শুরুর মাত্র ক'দিন আগে তাকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে তার জায়গায় বসানো হয় তিরাত সিং রাওয়াতকে, যিনি একবার মন্তব্য করেছিলেন, "মা গঙ্গার আশীর্বাদ থাকলে কোন করোনা হবে না।" নতুন মুখ্যমন্ত্রী বললেন, কুম্ভমেলায় আসতে "কাউকে বাধা দেয়া হবে না", মেলায় যোগ দিতে কোন কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে না এবং নিরাপত্তার নিয়মগুলো মেনে চললেই যথেষ্ট। কিন্তু যখন লাখ লাখ মানুষ আসতে শুরু করলো, তখন কর্মকর্তারা এসব নিয়ম মানতে আর মানুষকে বাধ্য করতে পারলেন না। হরিদ্বারের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শম্ভু কুমার ঝা আমাকে জানিয়েছিলেন যে, সেখানে জনতাকে সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল, কারণ লোকজন কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে সেখানে আসেনি। আর ধর্মবিশ্বাস পালনের জন্য যারা বহুদূরের পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে এসেছিলেন, এদেরকে তারা ফিরিয়েও দিতে পারছিলেন না। "কেউ একটা ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে চাইলে আপনি তো তাকে ফাঁসিতে ঝোলাতে পারেন না, পারেন কি?" বলেছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেছিলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের এবং হাইকোর্টের জারি করা কিছু নিয়ম-কানুন আছে এবং সাধ্যমত সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।" উত্তরাখণ্ডের একটি থিংক ট্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অনুপ নওটিয়াল বলেন, "এরকম বিপুল জনতাকে সামলাতে এই নিয়ম-কানুনগুলো মানতে বাধ্য করানো প্রায় অসম্ভব। কাগজে-কলমে এগুলো দেখতে খুব ভালো মনে হবে, কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব।" উত্তরাখণ্ডে গত বছরের ১৫ই মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহ করছেন। তিনি জানান, তীর্থযাত্রীরা যখন কুম্ভ মেলায় আসতে শুরু করেছিল, তখন ১৪ থেকে ২০শে মার্চের মধ্যে ৫৫৭টি সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর অতি দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে থাকে। কুম্ভ মেলার শেষ সপ্তাহে ২৫ এপ্রিল হতে ১ মে পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৫৮১টি সংক্রমণ ধরা পড়ে। "এর মধ্যে সবই যে কুম্ভ মেলা থেকে হয়েছে সেটা বললে ভুল বলা হবে, কিন্তু সংক্রমণ যে খুব বেশি বাড়লো, তার সঙ্গে মেলার সম্পর্ক আছে।" ডাঃ কান্তকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই কুম্ভ মেলা হতে দিয়ে ভারতের যে ক্ষতি হয়ে গেছে, এরপর এখন ভারত কী করতে পারে। তিনি বললেন, "কেউ একজন বলেছিলেন, পূণ্যার্থীরা এই করোনাভাইরাসকে ঈশ্বরের প্রসাদ হিসেবে নিয়ে যাবে এবং সবার মধ্যে বিলিয়ে দেবে। তীর্থযাত্রীরা যে এই সংক্রমণ সর্বত্র বহন করে নিয়ে গেল, সেটা আসলেই এক ট্র্যাজিক ঘটনা।" "এই ভুল সংশোধন করার জন্য করার মতো কিছু আছে বলে আমি ভাবতে পারছি না। আমাদের জাহাজ সাগরের অনেক গভীরে ভেসে গেছে। আমরা এখন আর নিরাপদে বন্দরে ফিরে আসতে পারবো না। এটা খুবই দুঃখজনক এক ঘটনা। আমি এখন কেবল প্রার্থনা করছি, লোকজনের অসুস্থতা যেন অল্পের ওপর দিয়ে যায় এবং তারা যেন সুস্থ হয়ে উঠে।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর:
When millions of devout Hindus gathered last month in the Himalayan town of Haridwar to participate in the Kumbh Mela festival even as India battled a devastating second wave of coronavirus, many feared that it would turn out to be a "super-spreader event".
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
জীবিত প্রাণী বিক্রি হয় যেসব বাজারে, সেসব বাজার থেকে মানবদেহে নতুন ধরণের রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবানা বেশি থাকে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরকমও ধারণা করা হচ্ছে যে উহান অঞ্চলের সেরকমই একটি বাজার থেকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাস যেন আরো বেশি ছড়িয়ে না পড়তে পারে তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত ব্যবসা বন্ধ করেছে চীন, তবে সংরক্ষণবাদীরা মনে করেন এই পদক্ষেপ নেয়া যথেষ্ট নয়। তাদের বক্তব্য, বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত বাণিজ্য স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হলে তা মানুষের স্বাস্থ্যজনিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর অবৈধ চোরাকারবার বন্ধ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ক্যাম্পেইনাররা মনে করেন, ঐতিহ্যগতভাবে চীনা ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর দেহের অংশ ব্যবহার হওয়ায় এবং চীনাদের খাবার হিসেবে বিভিন্ন রকম বন্যপ্রাণীর চাহিদা থাকায় বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের নিয়ে বাণিজ্য বেড়ে চলেছে। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? 'সংক্রমণের অন্যতম প্রধান উৎস' মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণের ৭০ শতাংশের বেশি ধরণের সংক্রমণই বিভিন্ন প্রাণী থেকে - বিশেষ করে বন্যপ্রাণী থেকে - শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন নতুন করোনাভাইরাস বাদুর থেকে ছড়ানোর বড় একটি সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার আগে এই ভাইরাস অন্য কোনো অচেনা প্রাণীর মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) ও মিডল ইস্ট রেস্পিরেটরি সিনড্রোমের (মার্স) পেছনে থাকা ভাইরাসও বাদুর থেকে এসেছে বলেই ধারণা করা হয়। আরো পড়তে পারেন: অন্য প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়াচ্ছে কেন? করোনাভাইরাসের খবর ফাঁসকারী সেই চীনা ডাক্তার মারা গেছেন করোনাভাইরাস: বিয়ে বাতিল, শ্রেণীকক্ষ খালি, পাল্টে গেছে জীবন সদা পরিবর্তনশীল করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? চীনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈধ ও অবৈধ বন্যপ্রাণীর বাজার রয়েছে তবে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার আগে সেগুলো সিভেট জাতীয় বিড়াল এবং উটের মধ্যে ছড়ায় বলে অনুমান করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের ডক্টর বেন এমব্রেক বলেন, "এমন ধরণের বন্যপ্রাণী ও তাদের বাসস্থানের সংস্পর্শে আমরা আসছি, যেগুলোর সাথে একসময় মানুষের কোনো সম্পর্কই ছিল না।" "হঠাৎই আমরা এমন সব ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছি যেগুলো আসাদের জন্য একেবারেই নতুন।" "আর সম্পূর্ণ অচেনা এসব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আর পরজীবীর কারণে অনেকরকম নতুন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মধ্যে", বলেন ডক্টর এমব্রেক। ভূ-পৃষ্ঠে থাকা প্রায় ৩২ হাজার জাতের মেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে এক গবেষণায় জানা যায় যে এসব প্রাণীর ২০ শতাংশই বৈধ বা অবৈধভাবে বৈশ্বিক বন্যপ্রাণী বাজারে বেচাকেনা হয়ে থাকে। সংরক্ষণবাদী গ্রুপ ডব্লিউডব্লিউএফ'এর এক গবেষণায় উঠে আসে, বৈশ্বিক বন্যপ্রাণী বাজারে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়, টাকার অঙ্কের হিসেবে মাদক ব্যবসা, মানব পাচার ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের পরেই যা বিশ্বব্যাপী অবৈধ ব্যবসার তালিকায় চতুর্থ সর্বোচ্চ। চীনের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এই বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত ব্যবসা। বহু প্রাণী বিলুপ্তপ্রায় হওয়ার কারণ হিসেবে এই বাণিজ্যকে দায়ী মনে করা হয়। ডক্টর এমব্রেক মনে করেন, করোনাভাইরাসের মত প্রাণঘাতী রোগ যেন ভবিষ্যতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে এখনই বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত বাণিজ্য বন্ধ করা উচিত। "জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ মেয়াদে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত বাণিজ্য বন্ধ করা উচিত। কারণ আমরা জানি যে প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানোর মত ভয়াবহ কোনো ঘটনা আবারো ঘটতে পারে।" চীনের এক বন্যপ্রাণীর বাজারে ময়ুর বিক্রি করছেন এক ব্যক্তি তবে চীনের সরকারের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা যে অস্থায়ী হবে, তা নিশ্চিত করেছে তারা। তিনটি চীনা সংস্থার যৌথভাবে প্রকাশিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, "চীনে মহামারী অবস্থা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরণের বন্যপ্রাণী বিক্রি, স্থানান্তর ও পোষা নিষিদ্ধ থাকবে।" ২০০২ সালে সার্স ছড়িয়ে পড়ার পর বেইজিং একই ধরণের একটি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল। তবে সংরক্ষণবাদীরা বলছেন, সেসময় নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ নজরদারিতে কিছুটা ঢিল দেয় এবং বন্যপ্রাণীর বাণিজ্যও ধীরে ধীরে শুরু হয়ে যায়। করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন পরিস্থিতির পরিবর্তন? চীনে বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি হয়তো পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাকৃতিক ও জীববৈচিত্র বিষয়ক একটি বৈশ্বিক বৈঠক আয়োজন করতে যাচ্ছে বেইজিং, যেটিকে বলা হয় কনভেনশন অন বায়োলজিকাল ডাইভার্সিটি। ১৯৯২ সালে স্বাক্ষরিত এই সম্মেলনটির মূল লক্ষ্য বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টার গভার্নমেন্টাল সাইন্স পলিসি প্ল্যাটফর্ম অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস'এর এক গবেষণায় উঠে আসে যে প্রায় ১০ লাখের মত প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। চীনের বাজারে বিক্রি হওয়া সিভেট জাতীয় বিড়াল থেকে সার্স ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছিল বলে ধারণা করা হয় শুধু নিজেদের দেশের অভ্যন্তরের বন্যপ্রাণীদের ঝূঁকির মধ্যে ফেলছে তাই নয়, দেশের বাইরের জীববৈচিত্র্যকেও ঝুঁকিতে ফেলছে বলে চীনের বিরুদ্ধে সমালোচনা হচ্ছে। অন্যতম বিশ্বশক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী অবকাঠামো নির্মাণে চীনের নেয়া বেল্ট অ্যন্ড রোড উদ্যোগের সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, চীন প্রাকৃতিক সম্পদ যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছে। যদিও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের প্রচারণা চালানোর সময় বারবার 'টেকসই' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। সম্প্রতি চীনেয় রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমগুলোর সম্পাদকীয়তেও তাদের দেশের নিয়ন্ত্রণহীন বন্যপ্রাণী বাজারের সমালোচনা করা হয়েছে। সংরক্ষণবাদীরা বলছেন জীববৈচিত্র রক্ষার বিষয়ে চীন যে আসলেই ইচ্ছুক, তা এই করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর ফলে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছে তারা। উদাহরণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরছেন চীনে হাতির দাঁত আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সফলভাবে বাস্তবায়নের বিষয়টি। আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর অনেকবছর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগের পর চীন সরকার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বন্যপ্রাণীর দেহের অংশ দিয়ে তৈরি করা পণ্যের বিষয়ে এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা শুধু চীনে নয়, সারা বিশ্বে বাস্তবায়ন করা উচিত।
Campaigners have urged China to apply a permanent ban on the wildlife trade following the coronavirus outbreak.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
নির্বাচনের ফল আসতে শুরু করার পর দিল্লিতে কংগ্রেস সমর্থকদের উল্লাস বিজেপি রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারাতে চলেছে। দুটি রাজ্যেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ভালো ফল করছে। আরেকটি রাজ্য মধ্যপ্রদেশে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। অন্যদিকে মিজোরাম এবং তেলেঙ্গানায় এগিয়ে রয়েছে দুটি আঞ্চলিক দল। ভারতের এই নির্বাচনের ওপর অনেকেই নজর রাখছেন। কারণ আর কয়েক মাস পরেই ভারতে জাতীয় নির্বাচন হতে চলেছে। ভারতের জনমতের অবস্থা সম্পর্কে এই নির্বাচনের ফল সম্পর্কে মোটামুটি একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মুখে পড়েছে ছত্তিশগড় রাজ্যে। গত ১৫ বছর ধরে একটানা এই রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। সেখানে বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস। ভারতীয় সময় বিকেল পৌণে চারটা পর্যন্ত পাওয়া ফল থেকে দেখা যাচ্ছে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস এগিয়ে আছে ৬১ আসনে, আর বিজেপি ২০ টিতে। রাজস্থানে ৯৭টি আসনে এগিয়ে আছে কংগ্রেস, আর বিজেপি ৭৫টিতে। অন্যান্য দল এগিয়ে আছে ২৭টি আসনে। এ রাজ্যে বিজেপি গত ৫ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল। তবে সবথেকে আগ্রহের জন্ম দিয়েছে হিন্দি বলয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মধ্যপ্রদেশের ভোট গণনা। সেখানে সকালের দিকে কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে থাকলেও বেলা যত বেড়েছে, ততই কমেছে কংগ্রেস আর বিজেপির মধ্যে আসনের ফারাক। কোনও সময়ে বিজেপি কিছুটা এগিয়ে গেছে, কখনও আবার কংগ্রেস। তেলেঙ্গানায় বিপুল বিজয় পেয়েছে আঞ্চলিক দল টিআরএস বিকেল পৌণে চারটায় কংগ্রেস ১০8টি আসনে আর বিজেপি ১১২টি আসনে এগিয়ে আছে। অন্যান্য দলগুলি এগিয়ে আছে ১৩টি আসনে। তবে গণনা শেষ হতে আরও দেরী হবে বলেই নির্বাচন কমিশনের সূত্রগুলি জানাচ্ছে। আরও পড়ুন: মোদীকে কতটা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন রাহুল গান্ধী? ভারতে ইভিএম নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ ও অবিশ্বাস মোদির কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলল কর্নাটক? দক্ষিণ ভারতের নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানায় মেয়াদ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগেই ভোট হচ্ছে। সেখানে রাজ্য গঠনের জন্য দীর্ঘ আন্দোলনে সফল হওয়ার পরে ক্ষমতায় রয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। তারা এবারও ভোটে স্পষ্ট জয়ের দিকে এগোচ্ছে। আর উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরামে স্থানীয় দল মিজো ন্যাশানাল ফ্রন্ট সরকার গড়ার পথে এগোচ্ছে। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই ছিল শেষ বড় নির্বাচন। তাই এটাকে সেমিফাইনাল বলেই মনে করা হচ্ছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ এর ফাইনালের আগে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ জুটি বেশ চাপে পড়ে গেলেন নিশ্চিতভাবেই।
India's main opposition BJP is set to form governments in three crucial states after winning absolute majorities in assembly elections.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা বলছে, স্থূলতার শিকার সাত বছরের শিশুরা আবেগজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে (প্রতীকী ছবি) লিভারপুল গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, স্থূলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং পুরো শৈশব জুড়ে এটি বাড়তে থাকে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি আবেগজনিত সমস্যায় ভোগে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। যদিও ঠিক কী কারণে এটি ঘটেছে, তা এই গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তবে দরিদ্রতার কারণে উভয় সমস্যা বেড়ে যায় বলে তারা বলছেন। গ্লাসগোয় ইউরোপিয়ান কংগ্রেস অন ওবেসিটিতে (ইসিও) এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। আরো পড়ুন: যেভাবে কমানো হচ্ছে শিশুদের স্থূলতা বিশ্বজুড়ে শিশুদের মধ্যে ‘ওবেসিটি’ ছড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে মোটা হয়েও আপনি অপুষ্টিতে ভুগছেন? মায়ের মাসিকের সাথে ছেলের বয়ঃসন্ধিকালের সম্পর্ক মিষ্টি কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? যুক্তরাজ্যে ২০০০ এবং ২০০২ সালে জন্ম নেওয়া ১৭ হাজারের বেশি শিশুর ওপর গবেষণা করা হয়। সেখানে পরিসংখ্যানগত মডেলিং করে স্থূলতার সঙ্গে মানসিক সমস্যার সম্পর্কের বিষয়টি যাচাই করা হয়। শিশুদের উচ্চতা ও ওজনের বাইরে তাদের তিন, পাঁচ, সাত, ১১ এবং ১৪ বছর বয়সের আচরণ সম্পর্কে অভিভাবকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে সাত বছরের কম শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা পাওয়া যায়নি। 'খাবার কম খেলেই সমাধান নয়' ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুলের জ্যেষ্ঠ মনোবিদ্যা প্রভাষক ড. শার্লট হার্ডম্যান বলেছেন, গবেষণায় তারা দেখতে পেয়েছেন যে, শৈশব জুড়ে স্থূলতা এবং আবেগজনিত সমস্যা যেন 'হাতে হাত ধরে' বেড়ে ওঠে। যারা সন্তানদের স্থূলতা জনিত বিষয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাদের জন্য এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি বলছেন। ''অনেকে মনে করেন, কম খেলে এবং বেশি পরিশ্রম করলেই এটা সমাধান হয়ে যাবে-কিন্তু এটা তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল,'' বলছে ড. হার্ডম্যান। ''স্থূলতা এবং আবেগজনিত সমস্যা একটি অন্যটির সঙ্গে মিশে আছে।'' তিনি বলছেন, এখন এটা সবাই জানে যে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে স্থূলতা এবং মানসিক সমস্যার যোগাযোগ রয়েছে, কিন্তু একই বিষয় দেখা যাচ্ছে শিশুদের ক্ষেত্রেও। ''সাত বছর বয়স থেকে মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্থূলতা একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে।'' যেহেতু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি বেড়ে যায়, তাই এর কারণ বের করা জরুরি বলে গবেষকরা বলছেন। কারণ এর ওপর নির্ভর করবে তাদের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের বিষয়টি, তিনি বলছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কতদিন থাকবে দাবদাহ, যা বলছে আবহাওয়া অফিস যে ব্যক্তিকে ছয় বছর বয়স থেকে আটকে রেখেছে চীন ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ফরহাদ ও তাসকিন বাংলাদেশে চীনা ভাষা ইদানিং কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
Obese seven-year-olds are at greater risk of suffering emotional problems, such as anxiety and low mood, when they reach 11, a large UK study suggests.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
আমেরিকান দূত হাদি আমর-কে এলাকায় পাঠানো হয়েছে দুই পক্ষকে ''একটা স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছনর লক্ষ্যে কাজ করার'' অনুরোধ জানাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েল তাদের অধিকার কতটা কায়েম করতে সক্ষম হয়েছে, এই সংঘাতের মধ্যে দিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এই সংঘাত আবার মনে করিয়ে দিয়েছে যে সেখানে দানা বাঁধা অসন্তোষের জেরে এবারের যুদ্ধ শুরু হলেও এটা আরও ব্যাপকভিত্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু নিয়ে লড়াই। এবং অগ্নিগর্ভ এই পরিস্থিতি একসময় থিতিয়ে গেলেও দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের প্রশ্নে বাইডেন প্রশাসনকে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। আর ঠিক এই সম্ভাবনাটাই এড়াতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার শীর্ষ উপদেষ্টারা। তারা এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তাদের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার এখন অন্য ক্ষেত্রে। মধ্যপ্রাচ্যে যে শান্তি উদ্যোগে আমেরিকা নেতৃত্ব দিয়েছিল, তাদের খোঁড়া সেই কবর নিয়ে এ পর্যন্ত বাইডেন প্রশাসন বিশেষ কথাবার্তা বলেনি। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্র নীতিতে যে রকম নির্লজ্জভাবে ইসরায়েল-পন্থী মনোভাবের প্রতিফলন ছিল খুব একটা জানান না দিয়ে বদলানোর চেষ্টা করছে বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু সেখানে সফল হতে গেলে ফিলিস্তিনের সাথে ভেঙে পড়া সম্পর্ক মেরামতের বিষয়ে তার প্রশাসনকে মনোযোগী হতে হবে, এবং ইসরায়েলের সাথে দীর্ঘস্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটা সফল ও কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রতি মৌখিকভাবে তার প্রশাসনের সমর্থন প্রকাশ করতে হবে। ফিলিস্তিন ইসরায়েল সঙ্কট নিয়ে নতুন করে শান্তি আলোচনার পথে হাঁটতে এই মুহূর্তে আগ্রহী নন প্রেসিডেন্ট বাইডেন তবে বাইডেন প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী ইসরায়েল ফিলিস্তিন নিয়ে নতুন দফা আলোচনার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, এবং তাই তারা আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির মূল ফোকাস এখন চীন ইস্যুতে সরিয়ে নিয়ে বদ্ধপরিকর। আরও পড়তে পারেন: গৎ বাঁধা প্যাটার্ন এই সপ্তাহে প্রশাসনের ফোকাস আবার মধ্য প্রাচ্যের দিকে ঘুরে গেছে দেশটির পররাষ্ট্র নীতির একটা গৎ বাঁধা প্যাটার্ন মেনে। প্রেসিডেন্ট এবং তার পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আবার আমেরিকার চিরাচরিত ভাষায় কথা বলেছেন। তারা জোর দিয়ে বলেছেন ফিলিস্তিনি রকেট হামলার মুখে ইসরায়েলের আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার রয়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বাড়তে থাকা মি. ব্লিঙ্কেন উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তিনি দুই পক্ষের হামলাকারীদের মধ্যে "একটা পরিষ্কার পার্থক্য রয়েছে" উল্লেখ করে বলেছেন "একটি হল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন যারা বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করছে এবং ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে"। ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে গাযা ভূখন্ড থেকে নিক্ষেপ করা রকেট বিধ্বস্ত করার লক্ষ্যে হামাসের দিক থেকে ছোঁড়া অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্রের জবাব দিতে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণকে মি. বাইডেন "খুব বাড়াবাড়ি প্রতিক্রিয়া" বলে মনে করছেন না। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, তার এই যুক্তি ইসরায়েলের হামলা চালানোর জন্য একটা প্রচ্ছন্ন সবুজ সঙ্কেত, যদিও আমেরিকা দু পক্ষের প্রতিই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। আরব গাল্ফ স্টেটস্ ইনস্টিটিউট-এর হুসেইন ইবিশ বলছেন, ওয়াশিংটন সবসময় প্রথমেই ইসরায়েলকে এধরনের রকেট হামলা মোকাবেলায় একটা "সম্পূর্ণ স্বাধীনতা" দিয়ে দেয়, "যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের মনে হয় যে জঙ্গীদের অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিতে ইসরায়েলের যা করণীয় ছিল সেটা তারা যথেষ্ট পরিমাণে করার সুযোগ পেয়েছে"। কূটনৈতিক স্তরে পুনরায় যোগাযোগ? বাইডেন প্রশাসন এ সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়টি উত্থাপন করতে বাধা দিয়েছে এই যুক্তি দেখিয়ে যে এ সম্পর্কে কোন বিবৃতি বা প্রকাশ্য বৈঠকের প্রসঙ্গ পর্দার আড়ালে চালানো কূটনীতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। নিরাপত্তা পরিষদে সচরাচর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনা ঠেকাতে আমেরিকা একাই লড়াই করে থাকে। তবে আমেরিকা রবিবার পরিষদের এক জরুরি অধিবেশনে সম্মতি দিয়েছে। তবে বাইডেন প্রশাসনকে কূটনৈতিক পর্যায়ে তাদের ভূমিকা তুলে ধরার জন্য দ্রুত মাঠে নামতে হচ্ছে। বিশেষ করে এমন একটা সময় যখন এর জন্য তাদের পুরো কোন টিম তৈরি নেই, এমনকি ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূত হিসাবে তারা কাউকে মনোনয়নও করেনি। মি. ব্লিঙ্কেন এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসরায়েলে পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের সাথে ফোনে কথাবর্তা বলছেন। আরব দেশগুলোর প্রতি জরুরি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা মিশরের নেতৃত্বে আঞ্চলিকভাবে একটা পদক্ষেপের রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করে। আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন বিষয়ে তার শীর্ষ কর্মকর্তা হাদি আমরকে ঐ এলাকায় পাঠিয়েছেন। কিন্তু মি. আমর মধ্য-মাপের একজন কূটনীতিক। আগের প্রশাসনে যে পদমর্যাদার বিশেষ দূতরা এই দৌত্যকাজ করেছেন - তিনি পদমর্যাদায় তাদের সমকক্ষ নন। "পর্দার আড়ালে যে আসলেই কোনরকম অর্থবহ কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যেত যদি একজন আরও সিনিয়র কাউকে এই কাজে নিযুক্ত করা হতো," বলছেন ইসরায়েলে আমেরিকার সাবেক একজন রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল কুর্টৎজার। ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হওয়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের সামনে এক ফিলিস্তিনি জেরুসালেমের জন্য লাল রেখা গাযায় বিমান হামলা বিধ্বংসী হলেও সেটা পরিচিত একটা দৃশ্য। কিন্তু জেরুসালেমের যে অসন্তোষের স্ফুলিঙ্গ থেকে এই যুদ্ধের দাবানল তৈরি হয়েছে - তা নতুন। জেরুসালেম শহরের দখল ইসরায়েল নেয় ১৯৬৭ সালে। ফিলিস্তিনিরা দাবি করে শহরের পূর্বাঞ্চলটা তাদের। শহরের ওই অংশ দুই পক্ষের জন্যই পবিত্র স্থান এবং এই অংশ নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। শহরের এই অংশের ভবিষ্যত কী হবে সেটাই ছিল আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল বিষয়। কিন্তু ইসরায়েলের দক্ষিণপন্থী সরকার এবং তাদের সাথে ইহুদি বসতিস্থাপনকারী দলগুলো ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে হঠাতে কাজ করে চলেছে। ট্রাম্প প্রশাসনও সেই তৎপরতাকে নির্লজ্জভাবে সমর্থন করেছে, ফলে তা আরও প্রকাশ্য হয়েছে। গাযা ভূখন্ড থেকে চালানোর রকেট হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলের আশকেলন-এ ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবন পরিদর্শন করছে ইসরায়েলি সৈন্যরা পরিস্থিতি যে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে তার কোন সতর্ক সঙ্কেত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের টিম লক্ষ্য করেনি, বলছেন হুসেইন ইবিশ। "ইসরায়েলি সরকার এবং বসতিস্থাপনকারী গোষ্ঠী তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার অভিযান চালাতে সেখানে যে উস্কানিমূলক পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা ঠেকাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।" বসতিস্থাপনকারীরা বেশ কিছু ফিলিস্তিনি পরিবারকে উৎখাত করার অভিযান চালালে একের পর এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। এরপর আল-আকসা মসজিদে রমজানের সময় ইসরায়েলি পুলিশের বাড়াবাড়ি ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভকে আরও বাড়িয়েছে, পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলেছে। যে পাহাড়ের ওপর আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত তা ইহুদি এবং মুসলমান উভয়ের জন্যই পবিত্র স্থান। মুসলিম এলাকার মধ্যে দিয়ে ডানপন্থী ইহুদি জাতীয়তাবাদীদের মিছিলের পরিকল্পনাও ক্ষোভে আরও ইন্ধন যুগিয়েছে, যদিও সেই পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়। এই ঘটনার জেরে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত নাগরিকদের মধ্যেও প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে এবং এর ফলে ইসরায়েলের যেসব শহরে আরব ও ইহুদি জনগোষ্ঠী একসাথে বসবাস করে সেখানে প্রতিবাদ উদ্বেগজনক দাঙ্গায় রূপ নেয়, যা ছিল নজিরবিহীন। বাইডেন প্রশাসনের উচিত জেরুসালেমে লাল রেখা টেনে দেয়া, বলছেন ড্যানিয়েল কুর্টৎজার। তাদের ইসরায়েলি সরকারকে বলতে হবে "এখানে থামতে হবে!" আর বেশিদূর যাওয়া যাবে না। পূর্ব জেরুসালেমে উস্কানিমূলক কোন কাজের জন্য সীমা বেঁধে দিতে হবে, তিনি বলছেন। "তাদের বলতে হবে আমরা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি, কিন্তু এধরনের কাজ বন্ধ করতে হবে।" মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর দু'পক্ষকেই জেরুসালেমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল। তবে এরপরই হামাসের রকেট আক্রমণ আমেরিকার সুর বদলে দেয়। মি. ব্লিঙ্কেন বলেন, "ইসরায়েলের রাস্তায় সহিংসতা নিয়ে" তিনি উদ্বিগ্ন, বলছেন মি. ইবিশ। "কিন্তু তখনও তীব্র এই লড়াই শুরু হয়নি।" মানবাধিকার প্রশ্নে অবস্থান? বাইডেন প্রশাসন বার্তা দিয়ে এসেছে যে, তাদের পররাষ্ট্র নীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। এটা এই প্রশাসনের জন্য আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে, কারণ ইসরায়েল, গাযা এবং পশ্চিম তীরে তারা এই মূল্যবোধ সমানভাবে প্রয়োগ করতে কি সমর্থ হবে? সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলোতে মি. ব্লিঙ্কেন বারবার বলেছেন ফিলিস্তিনিদের এবং ইসরায়েলিদের "স্বাধীনতা, সম্মানবোধ, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি সর্ব ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাওয়া উচিত"। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের খালেদ এল গিনডি বলছেন তাদের এই ফর্মূলা "নতুন এবং উল্লেখযোগ্য", কিন্তু একইসাথে অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর: "এটা কি বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবং বর্তমান সময়ে প্রযোজ্য?" তিনি প্রশ্ন তুলছেন। "নাকি এটা যখন দুই রাষ্ট্রের ভবিষ্যত অবস্থান চূড়ান্ত হবে তখন প্রযোজ্য হবে? এটা বর্তমানে কার্যকর নয়, কাজেই আমরা জানিনা এটা কখন কীভাবে প্রয়োগ করার ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। আসলেই আমরা জানি না।" এই চারটি মূল্যবোধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে ব্যাপক অসমতা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বামপন্থীরা দেখেছেন বলে বলছেন, তা নিয়ে তাদের মধ্যে সমালোচনা বাড়ছে। তবে রাজনীতিতে তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির কী প্রভাব পড়বে তা স্পষ্ট নয়। নতুন এই আইন প্রণেতারা, যারা দলের ইসরায়েল-পন্থী মতাদর্শের বিরুদ্ধে, তারা হয়ত মি. বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ করবেন না। তবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড ব্যবহারের ব্যাপারে তারা যে অন্তত চাপ দিচ্ছেন সেটা দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলের জন্য সামরিক খাতে বরাদ্দ ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক সহায়তাকে এই কাজে একটা দাবার ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করার আহ্বান তারা প্রশাসনের প্রতি জানাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার হাউসে ভাষণ দেবার সময় এরা কেউ কেউ এটাকে একটা গোষ্ঠীর প্রতি ন্যায় বিচারের ইস্যু হিসাবে তুলে ধরেছেন। মি. কুর্টৎজার বলছেন, "বাইডেন প্রশাসন চাইবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বর্তমান এই লড়াই শেষ হয়ে যাক, জেরুসালেমের পরিস্থিতি যেটাকে স্বাভাবিক বলে সাধারণ সময়ে ধরে নেয়া হয়, সেই অবস্থা ফরে আসুক। তারপর তারা কী করণীয় তা নিয়ে ভাববেন।" তবে গাযার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে এ সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বাইরে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ করেছে। তাদের সমাবেশ থেকে উচ্চকিত স্লোগান উঠেছে "নো জাস্টিস - নো পিস (বিচার নেই - শান্তি নেই)"। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এই স্লোগান অব্যাহত থাকলে ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংকটকে বাইডেন প্রশাসন বেশিদিন দূরে ঠেলে রাখতে পারবে বলে মনে হয় না।
Israel's air strikes on the militant Hamas movement in Gaza have forced the Middle East on to Joe Biden's agenda amid new questions about how his emphasis on human rights applies to Palestinians.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
অভিভাবকদের সাথে শিশু উমা লুইস, ম্যাথিউ এলেজ ও এলিয়ট ডোহার্টি এবং দাদি সিসিল এলেজ সিসিল এলেজ তার সমকামী পুত্র ম্যাথিউ এলেজ এবং তার স্বামী এলিয়ট ডোহার্টির কন্যা সন্তান উমা লুইসের জন্ম দিয়েছেন। মিসেস এলেজ বলেন তার ছেলে এবং মি. ডোহার্টি যখন তাকে জানায় যে তারা সংসার শুরু করতে চায়, তখন তিনিই তাদের এই প্রস্তাব দেন। মিসেস এলেজ বিবিসিকে বলেন দু'বছর আগে তিনি যখন এই প্রস্তাব দেন তখন তার পরিবারের সদস্যরা এটিকে গুরুত্বের সাথে নেয়নি। "শুরুতে তারা সবাই এই পরিকল্পনা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল।" কিন্তু পরবর্তীতে মি এলেজ এবং মি. ডোহার্টি যখন সন্তানের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেন, তখন একজন চিকিৎসকের পরামর্শে মত পরিবর্তন হয় তাদের। সারোগেট মা হওয়ার জন্য মিসেস এলেজের একটি ইন্টারভিউ নেয়া হয় এবং অনেকগুলো পরীক্ষা করা হয়। প্রক্রিয়ায় মি. এলেজ শুক্রাণু প্রদান করেন এবং ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয় মি. ডোহার্টির বোন লেয়া'র কাছ থেকে। আরো পড়ুন: যে যমজ শিশুর বাবা দুইজন ভিন্ন মানুষ কানাডায় নারীরা কেন অন্যের বাচ্চা জন্ম দিচ্ছেন? কেনিয়ায় বদলে যাচ্ছে সন্তান জন্মদানের সামাজিক প্রথা মি ডোহার্টির বোন এবং ডিম্বাণু দান করা লেয়া ইরিবে (বামে), মি ডোহার্টি, মিসেস এলেজ এবং মি. এলেজ (ডানে) নরসুন্দরের কাজ করা মি. ডোহার্টি বলেন সাধারণ যুগলদের জন্য আইভিএফ বা তৃতীয় একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়ার চিন্তা করা সাধারণত অনেকগুলো পছন্দের শেষ পছন্দ হলেও তাদের মত সমকামী যুগলের জন্য নিজেদের সন্তান পাওয়ার এটিই 'একমাত্র আশা।' স্কুলশিক্ষক মি. এলেজ বলেন, "আমার সবসময়ই জানতাম নিজেদের সন্তান চাইলে আমাদের ভিন্নধর্মী কিছু ভাবতে হবে।" অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর মিসেস এলেজের অধিকাংশ অভিজ্ঞতা ইতিবাচকই ছিল বলে জানান তিনি। তবে মি. এলেজের অন্য দুই ভাইবোন শুরুতে তাদের মা'র গর্ভবতী হওয়ার খবর শুনে কিছুটা চমকে গিয়েছিল বলে জানান মিসেস এলেজ। "সবাই যখন পুরো বিষয়টি জানতে পারে তখন থেকে আমাকে সর্বোচ্চ সমর্থন করে এসেছে তারা।" তবে এই ঘটনার ফলে নেব্রাস্কায় এলজিবিটি সম্প্রদায়ের সাথে হওয়া বৈষম্যমূলক আচরণের বিষয়টি অনেকটাই প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মোকাব্বিরের শপথ, চাপ বাড়ছে বিএনপির ভেতরেও ভারতের স্যাটেলাইট ধ্বংস পরীক্ষা নিয়ে নাসার শঙ্কা ঢাবি ছাত্রাবাসে উত্তেজনা, ভিপি অবরুদ্ধ ফোর্বসের তালিকায় আসা দুই বাংলাদেশী তরুণ কারা ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিলেও ঐ রাজ্যে যৌনতাকে কেন্দ্র করে বৈষম্য রোধ করার কোনো আইন এখনো নেই। প্রাচীন এক আইন অনুযায়ী, ২০১৭ পর্যন্ত নেব্রাস্কা রাজ্যে সমকামী পুরুষ ও নারী যুগলের জন্য সন্তান দত্তক নেয়া নিষিদ্ধ ছিল। মিসেস এলেজ বলেন, নিজের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচের জন্য তার বীমা প্রতিষ্ঠানের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে হয় তাকে। তিনি যদি তার নিজের সন্তান জন্ম দিতেন, তাহলে বীমা প্রতিষ্ঠান তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচ বহন করতো, কিন্তু এক্ষেত্রে শেষপর্যন্ত বীমা প্রতিষ্ঠান খরচ বহন করেনি। আরেকটি আইন অনুযায়ী, সন্তানের জন্মদাত্রীকে মা হিসেবে চিহ্নিত করায় সদ্যজাত উমা'র মা হিসেবে তার জন্ম সনদে দেয়া হয়েছে মিসেস এলেজের নাম, এবং পিতার নাম হিসেবে জায়গা পেয়েছে তারই পুত্র মি. এলেজের নাম। মি. এলেজের স্বামী মি. ডোহার্টির নাম বাদ দেয়া হয়েছে জন্ম সনদ থেকে। মি এলেজ বলেন, "আমাদের পথে কী পরিমাণ বাধা ছিল, তার একটি ক্ষুদ্র উদাহরণ এটি।" চারবছর আগে স্কুট ক্যাথলিক হাই স্কুলের শিক্ষক মি. এলেজ যখন স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান যে তিনি মি. ডোহার্টিকে বিয়ে করতে চান, তখন তাকে চাকরীচ্যুত করা হয়। এনিয়ে সে সময় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছিল।
A 61-year-old Nebraskan woman has told of her joy after giving birth to her own grandchild, acting as the surrogate for her son and his husband.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ইরানের ছোঁড়া মিসাইলেই কি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে? ধারণা করা হচ্ছে যে, গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক অভিযোগ আনা হবে। ফ্লাইট পিএস-৭৫২ বুধবার তেহরান থেকে উড্ডয়নের পর পরই ভূপাতিত করা হয় যাতে ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়। ইরান বলে যে, ভুল করে বিমানটি ভূপাতিত করা হয় এবং এ ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটকের কথাও জানায় দেশটি। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, তার দেশের তদন্ত পর্যবেক্ষণ করবে একটি 'বিশেষ আদালত'। এক ভাষণে তিনি বলেন, "এটি নিয়মিত এবং সাধারণ কোন ঘটনা হবে না। পুরো বিশ্ব এই আদালতের উপর নজর রাখবে।" মিস্টার রুহানি জোর দিয়ে বলেন যে, 'মর্মান্তিক ঘটনা'র জন্য কোন একজন ব্যক্তিকে দোষারোপ করা উচিত নয়। বিমান ভূপাতিত করার ঘটনাকে অমার্জনীয় ভুল বলে উল্লেখ করেছেন মিস্টার রূহানি "এর পেছনে শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না যিনি ট্রিগার চেপেছেন, বরং অন্য যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাও দায়ী," তিনি বলেন। ইরান প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করেছিল যে বিমানটি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে, কিন্তু পরে স্বীকার করে নেয় যে যাত্রীবাহী জেটটি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শিকার হয়েছে। ভিডিওটি যখন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তখন বিশ্লেষকরা বলেন যে, এটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের শিকার হয়েছে। কাকে গ্রেফতার করা হয়েছে? ইরানের গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলছে যে, ইরানের এলিট রেভল্যুশনারি গার্ড, গত সপ্তাহে বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে এমন একজন ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে। কিন্তু লন্ডনভিত্তিক ইরানের একজন সাংবাদিক যিনি প্রাথমিকভাবে ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন যে, তার সূত্র নিরাপদে রয়েছে এবং ইরানী কর্তৃপক্ষ ভুল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে মঙ্গলবার, ইরানের বিচারবিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেইন এসমাইলি বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। "অবৈধভাবে সভা-সমাবেশ করার" অভিযোগে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে- সম্প্রতি হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভের স্পষ্ট উল্লেখ এটি। এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় যে, ২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে বিমানটিকে লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সংবাদপত্রটি বলে যে, এর থেকেই বোঝা যায় যে কেন বিমানের ট্রান্সপন্ডার কাজ করছিল না, কারণ প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটির মাধ্যমে এটি অচল করে দেয়া হয়েছিল। অন্যান্য দেশ কী বলছে? যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিবিসিকে মঙ্গলবার বলেন, বিমান বিধ্বস্ত করে 'ভয়ানক ভুল' করার কথা যে ইরান স্বীকার করেছে তাতে তিনি 'খুশি' হয়েছেন। "এটা ভাল যে তারা ক্ষমা চেয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় যে বিষয় তা হচ্ছে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা শান্ত হোক," তিনি বলেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত ফ্লাইট পিএস৭৫২ এর নিহত আরোহী এবং ক্রুদের "মরদেহগুলোকে সম্মানের সাথে" হস্তান্তর করা। মিস্টার জনসন বলেন যে, ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত ফ্লাইট পিএস-৭৫২ এর নিহত আরোহী এবং ক্রুদের "মরদেহগুলোকে সম্মানের সাথে" হস্তান্তর করা, যার মধ্যে তিন জন ব্রিটিশ নাগরিকও রয়েছেন। আরো পড়ুন: ইরান হামলা: সঙ্কটে কে জিতলো কে হারলো ইরানের কাছ থেকে জবাব আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রুডো সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড কেন আইএস-এর জন্য সুখবর যে কারণে ইরান-আমেরিকা সংকটের সমাধান নেই ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিস্তাইকো সোমবার বলেছিলেন, এ ঘটনার আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করতে বিমানে থাকা নিহত নাগরিকদের ৫ দেশ যথা- কানাডা, ইউক্রেন, আফগানিস্তান, সুইডেন এবং অন্য আরেকটি দেশ বৃহস্পতিবার লন্ডনে সাক্ষাৎ করবে। তিনি বলেন, "দুঃখ ভারাক্রান্ত দেশগুলোর" ঠিক করা উচিত যে তারা একক এবং যৌথভাবে কী কী পদক্ষেপ নেবে যাতে এ ঘটনায় জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনা যায় এবং স্বজনহারা পরিবারগুলোকে কিভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া যায়।" কানাডার পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের প্রধান ক্যাথি ফক্স বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োজনের বাইরে গিয়েও বিমান ভূপাতিতের তদন্তে আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে দেশটি। এই ঘটনায় কানাডার ৫৭ জন নাগরিক নিহত হয়েছে।
Iran says it has arrested the person who filmed the footage showing a Ukrainian passenger plane being shot down by a missile.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
তেহরান তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেহরান তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখা হবে বলে তিনি জানান। "আমরা অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি," সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মি. ট্রাম্প। "(কিছু) ক্ষেত্রে খুব দ্রুত তা করা হবে।" পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির সীমা লঙ্ঘন সম্পর্কিত ইরানের ঘোষণা আসার পরই এমন কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সীমা বিষয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে ইরানের চুক্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। সে অনুযায়ী কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হয়েছিল ও ইরানকে তেল রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছর চুক্তিটি প্রত্যাহার করে এবং নিষেধাজ্ঞাও জারি করে। যার ফলে ইরান আবারো অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয় এবং তার মুদ্রার মান হ্রাস পায়। "যদি ইরান একটি সমৃদ্ধ জাতি হতে চায়... তবে সেটি আমার কাছে ঠিক আছে," বলেছেন মি. ট্রাম্প। "কিন্তু, তারা তা কখনোই হতে পারবে না যদি না তারা পাঁচ-ছয় বছর ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে থাকে।" ২০১৬ সালের নির্বাচনী স্লোগানের মত করে তিনি বলেন, "ইরানকে আবার মহান বানান।" এসব কথার পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবার টুইট করে দেশটির ওপর 'বাড়তি কঠোর নিষেধাজ্ঞা' জারির ঘোষণা দেন, যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। আরো পড়ুন: ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী ইরানে আক্রমণের অনুমোদন দিয়েও পিছু হটলেন ট্রাম্প ইরানে মার্কিন হামলার পরিণতি কী হতে পারে? হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? মানচিত্রে ওমান উপসাগর এলাকা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কিভাবে ইরানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে? গত বছর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ফলে ইরানের বিশেষ করে জ্বালানী, শিপিং এবং আর্থিক খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিদেশী বিনিয়োগ কমে যায় ও তেল রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো দেশটির সাথে বাণিজ্য থেকে বিরত থাকলেও অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। এর ফলে বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ঘাটতি দেখা যায়, বিশেষ করে প্রভাব পরে শিশুদের ব্যবহার্য দ্রব্যে। স্থানীয় মুদ্রার দাম পড়ে যাওয়ায় দেশে উৎপাদিত খাদ্যে প্রভাব পড়ে, দাম বেড়ে যায় মাংস বা ডিমের মতো খাদ্য সামগ্রীর। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মাদ্রাসা নয়, সাধারণ শিক্ষা থেকেই জঙ্গি হয়েছে বেশি এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ট্রাম্প আইএস ছেড়ে আসা ব্রিটিশ যুবক মিডিয়াকে যা বললেন নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন ইরানি বাহিনী আমেরিকান একটি ড্রোন ভূপাতিত করার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরো বেড়েছে কী হতে পারে এরপর? দুইটি দেশের মধ্যের উত্তেজনা যখন ক্রমশই বাড়ছিল ঠিক তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাটি এল। আকাশসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ইরান গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়ে দিয়েছিল। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশোনারি গার্ড কর্পস বা আইআরজিসি বলছে, এই ড্রোন ভূপাতিত করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে 'পরিষ্কার' বার্তা পাঠানো হলো যে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা যাবে না। তবে মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষের দাবি, মানুষবিহীন ঐ উড়োজাহাজটি হরমুজ প্রণালীতে আন্তর্জাতিক সীমানাতেই ছিল। তারপর থেকেই দুটো দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে। আইআরজিসি'র উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা আমির আলি হাজিজাদেহ বলেন, "৩৫ জনকে বহনকারী একটি সামরিক বিমান সেসময় ঐ ড্রোনের খুব কাছেই ছিল, যেটিকে আমরা সহজেই গুলি করতে পারতাম। কিন্তু তা আমরা করিনি।" মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেসময় বলেছিলেন, তিনি ইরানের সাথে যুদ্ধ চান না, কিন্তু সংঘাত বেধে গেলে, ইরানকে 'নিশ্চিহ্ন' করে দেওয়া হবে।
The US will impose "major" additional sanctions on Iran in a bid to prevent the country obtaining nuclear weapons, President Donald Trump says.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
'স্টুপিড মহিলা' বলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তবে মি. করবিন বলছেন, তিনি এরকম কোন শব্দ বলেননি। বরং তিনি বলেছেন, ''স্টুপিড পিপল।'' যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ বা নারীদের প্রতি বিদ্রূপমূলক ভাষা ব্যবহারের তিনি সবসময়েই বিরোধী বলে জানাছেন মি: করবিন। এই অভিযোগ ওঠার পর হাউজ অফ কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলছেন, ঘটনাটি তিনি দেখতে পাননি এবং সব এমপিকে বক্তব্যের ভিত্তিতে গ্রহণ করা উচিত। তবে কনজারভেটিভ এমপিরা বলছেন, তারা মি. করবিনের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এবং তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন। কমন্সে দেয়া বক্তব্যে মি. করবিন বলেছেন, ''আজ প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় আমি তাদের কথাই বলছিলাম, যারা দেশের এই সংকট নিয়ে চলা একটি বিতর্ককে কৌতুকে পরিণত করতে চাইছে, তাদেরকেই আমি 'স্টুপিড পিপল' বলেছি।'' ''মি. স্পিকার, আমি প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে 'স্টুপিড উইমেনের' মতো শব্দ ব্যবহার করিনি'' বলছেন মি: করবিন। তবে তার এই বক্তব্যের জবাবে কনজারভেটিভ এমপি র‍্যাচেল ম্যাকলিন বলছেন, ''ঠোঁটের ভাষা পড়ে দেখুন, আমি তাকে (মি:করবিনকে) বিশ্বাস করি না।'' অভিযোগটি ওঠার পর হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলেছেন, মি: করবিনের বিরুদ্ধে যে আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি সেই ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেছেন, যেখানে মাইক্রোফোনে কোনো শব্দ আসেনি এবং সেটা দেখে সহজেই বুঝতে পারা যায় যে, কেন বিরোধী নেতার শব্দকে 'স্টুপিড ওম্যান' হিসাবেও বর্ণনা করা যায়।'' আদালতে যারা ঠোঁটের ভাষা অনুবাদের কাজ করেন, এমন একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন স্পিকার। তাকে ওই ভিডিওটি দেখানো হয়েছে, তবে এখনো কোন উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ''কারো পক্ষেই শতভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না, এমনকি পেশাদার ঠোঁটের ভাষা বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও নয়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই আমি একজন সম্মানিত সদস্যের বক্তব্যকেই গ্রহণ করবো, যা আসলে করা উচিত।'' ''এটাই হবে যৌক্তিক পদক্ষেপ যদিও হাউজও এমনটা করে'' বলছেন মি: বারকো। তিনি বলেছেন, মি: করবিন পুরো সময়ে বসেই ছিলেন এবং হাউজকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেননি, তাই তার বক্তব্য 'অন রেকর্ড' হিসাবে গ্রহণীয় হবে না। এর আগের একটি ঘটনায় স্পিকার জন বারকোর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল যে, তিনি টোরি এমপি ভিকি ফোর্ডকে 'স্টুপিড ওম্যান' বলেছেন। ফলে সংসদ সদস্যরা স্পিকারের নিজের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। মি: বারকোকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে কমন্স এমপি অ্যান্ড্রিয়া লেডসোম বলেছেন যে, এ বছরের শুরুর দিকের ওই ঘটনার জন্য তিনি এখনো ক্ষমা চাননি। জবাবে স্পিকার বলেছেন, এর মধ্যেই ওই ঘটনা নিয়ে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। মিজ লেডসোম বলছেন, মি: করবিনের বিবৃতির পর দর্শক এবং এমপিদের পক্ষে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে। টেরেসা মে মিস্টার করবিনকে বলছেন, "আপনার পেছনে তাকিয়ে দেখুন, তারা আপনার কাজে মুগ্ধ নন এবং দেশের লোকজনও নয়। '' কিভাবে এই ঘটনার শুরু হয়েছিল? টেরেসা মের বেক্সিট চুক্তি নিয়ে জেরেমি করবিনের সঙ্গে প্রথম সংঘাত শুরু হয় গত সপ্তাহ থেকে, যখন ভোটাভুটি পিছিয়ে দেয়াকে স্বার্থপর কৌশল বলে মন্তব্য করে মিসেস মে'কে 'ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী' বলে অভিহিত করেছিলেন জেরেমি করবিন। এর পাল্টা আঘাত করতে গিয়ে মিসেস মে বলেন, তিনি (জেরেমি করবিন) তার প্রতিশ্রুত অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেননি এবং এরপরে যা করেছেন তাও অকার্যকর। ''আজি জানি এটা হচ্ছে কৌতুক-নাট্যের সময়....''এমপিদের তিনি বলেন, ''তিনি কি অনাস্থা ভোট আনবেন? ওহ, তিনি আনবেন'' আবার পেছনের টোরি এমপিদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ''ওহ না, তিনি আনবেন না।'' তখন তিনি লেবার নেতার দিকে তাকিয়ে বলেন, ''আপনার পেছনে তাকিয়ে দেখুন, তারা আপনার কাজে মুগ্ধ নন এবং দেশের লোকজনও নয়। '' এ সময় জেরেমি করবিনকে নিশ্বাস ফেলার সঙ্গে কিছু একটা বলতে দেখা যায়। এই অভিযোগের বিষয়ে টোরি এমপি পল স্কুলি মিসেস মের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ''আমি মনে করি, হাউজের প্রত্যেক সদস্যের, বিশেষ করে যখন নারীদের ভোটাধিকারের শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে, তখন সবার নারীদের রাজনীতিতে আসাকে উৎসাহিত করা উচিত এবং যথাযথ ভাষা ব্যবহার করা উচিত।'' প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বের পরেও এই বিতণ্ডা চলতে থাকে এবং বেশ কয়েকজন নারী কনজারভেটিভ এমপি তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। স্পিকারের বিরুদ্ধেও দ্বৈতনীতি অবলম্বনের অভিযোগ তুলেছেন কোন কোন এমপি সাবেক মন্ত্রী অ্যানা সুবরি স্পিকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ তুলে বলেন, যদি লেবার পার্টির কোন নারী এমপির বিরুদ্ধে কনজারভেটিভ পার্টির কোনো এমপি এরকম মন্তব্য করতেন, তাহলে মি: বারকো আরো দ্রুত ব্যবস্থা নিতেন। প্রবীণ লেবার এমপি মার্গারেট বেকেট বলছেন, এই অভিযোগটি হচ্ছে দলীয় রাজনীতি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক এমপি ভিরা হবহাউজ বলছেন, ''দেশের সব জায়গা থেকেই আজকের এই ঘটনাটি তরুণী মেয়েরা দেখেছে এবং এতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না, যদি এরপরে তাদের অনেকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে জেরেমি করবিনের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত।'' আরও পড়তে পারেন: অন্যেরা ব্যর্থ হলেই শুধু সেনাবাহিনী 'এ্যাকশনে যাবে' 'আতঙ্কের মধ্যে আছি' - সহিংসতায় উদ্বিগ্ন ভোটাররা ভোটের লড়াইয়ে হাতিয়ার বাংলাদেশের শিশুরা
Labour leader Jeremy Corbyn has denied calling Theresa May a "stupid woman" during Prime Minister's Questions.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে বেশি বর্তমানে ১২% নারীর ক্যান্সারের কারণ হিসেবে ধূমপানকে এবং ৭% নারীর ক্যান্সারের কারণ হিসেবে অতিরিক্ত ওজনকে চিহ্নিত করা হয়। তবে ধূমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকায় এবং নারীদের মধ্যে স্থূলতার হার বাড়তে থাকায় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে যে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ধূমপানকে ছাড়িয়ে ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হবে অতিরিক্ত ওজন। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র এক ধারণা অনুযায়ী ২০৩৫ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের ১০% (প্রায় ২৫ হাজার জন) এর ক্যান্সারের কারণ হবে ধূমপান এবং ৯% নারীর (প্রায় ২৩ হাজার জন) ক্যান্সারের কারণ হবে অতিরিক্ত ওজন। আর এই ধারা বজায় থাকলে, ২০৪৩ সালের মধ্যে ধূমপানের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর চেয়ে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বেশি থাকবে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে দিশেহারা রোগীরা ক্যান্সারের সতর্ক সংকেত, যা উপেক্ষা করা উচিত নয় ক্যান্সার চিকিৎসায় সাহায্য করবে স্বর্ণ: গবেষণা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে বেশি ঝুঁকিতে নারীরা পুরুষদের মধ্যেও স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন বেশ সাধারণ একটি বিষয়। তবে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে বেশি। কারণ অতিরিক্ত ওজনের ফলে অন্ত্র, গল ব্লাডার, কিডনি, লিভার, স্তন, জরায়ু ও থাইরয়েডের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর নারীদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সার হবার প্রবণতা বেশি থাকে। ফলে অতিরিক্ত ওজন হলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে নারীদের মধ্যে। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, গত এক দশকে যুক্তরাজ্যের শিশুদের মধ্যেও স্থূলতার হার বেড়েছে। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ লিন্ডা বওল্ড বলেন শৈশবে অতিরিক্ত ওজন যাদের ছিল, প্রাপ্তবয়স্ক থাকাকালীন তাদের দৈহিকভাবে স্থূল হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি থাকে। ক্যান্সার সেল 'পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই' মিজ বওল্ড বলেন, "স্থূলতা আর ক্যান্সারের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে এবং শিশুদের এ সম্পর্কে সচেতন করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন এখনই।" মিজ. বওল্ড জানান 'কম স্বাস্থ্যকর' খাবারের বিজ্ঞাপনে মূল্য প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ এবং রাত ৯টার আগে টেলিভিশনে জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মত নীতি প্রণয়ন করার বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। তিনি বলেন বছরের পর বছর ধূমপানের কারণে হওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রচারসহ সিগারেটের ওপর শুল্ক আরোপ, তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা সহ বিভিন্ন নীতি যে কাজে এসেছে, তার প্রমাণ হলো গত কয়েক দশকে যুক্তরাজ্যের মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে ধূমপানের পরিমাণ কমে যাওয়া। মিজ বওল্ড বলেন, "ধূমপানের পর এবার ক্যান্সারের আরেক প্রধান কারণের বিরুদ্ধেও আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচনে রাজি ড. কামাল এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন মাত্রা
Obesity is set to overtake smoking as the biggest preventable cause of cancer in UK women by 2043, a Cancer Research UK report predicts.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হলো এতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইভেন্ট আইস হকি বা বরফের উপরে হকি খেলার ইভেন্টে আছে তাতে দুই দেশ যৌথভাবে দল গঠন করবে। তবে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য কালক্ষেপন করছে কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে। ৯ থেকে ২৫শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অলিম্পিকের এই আসর দক্ষিণ কোরিয়ায় হবে। উত্তর ও দক্ষিণের সহযোগিতামূলক এই অভিনব সম্পর্ককে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্যাঙ কিইয়ুঙ-ওয়াহ। মিজ কিইয়ুঙ-ওয়াহ এখান বলছেন, সব মিলিয়ে এটি একটি ইতিবাচক প্রতিযোগিতা। আমি মনে করি এই আয়োজনের প্রতিটি বিষয়ই অত্যন্ত মনোযোগের সাথে আমাদের সম্পন্ন করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্যাঙ কিইয়ুঙ-ওয়াহ আমরা আশাবাদী যে, সব কিছু আমরা চমৎকারভাবে সামলে নেবো। এটি খেলার জন্য ইতিবাচক হবে, দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য ইতিবাচক হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও এটি ইতিবাচক বার্তা দেবে। সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে, কয়েকশ লোকের একটি প্রতিনিধি দল উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণে যাবে। সেই টিমে থাকবেন ২৩০ জন চিয়ারলিডার, ১৪০ জন অর্কেস্ট্রা বাদক এবং ৩০জন তায়েকোয়ান্দ অ্যাথলেট। এই ডেলিগেশন কোরীয় সীমান্ত অতিক্রমের অনুমতি পেয়েছে। অর্থাৎ গত দুই বছরেরও বেশি সময় পর এই প্রথম আন্ত-সীমান্ত খুলে দেয়া হবে অলিম্পিকের আসরে অংশগ্রহণকে উপলক্ষ করেই।
North and South Korea have agreed to march together under a single "unified Korea" flag at next month's Winter Olympics in the South.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
মালয়েশিয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন মুহিদ্দিন ইয়াসিন। বেশ কয়েক সপ্তাহজুড়ে অনিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে টালমাটাল অবস্থার পর মালয়েশিয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন মুহিদ্দিন ইয়াসিন। রাজনীতিতে তার যাত্রা ছিল সাধাসাধি। ২০১৬ সালে ক্ষমতা হারানো ইউনাইটেড মালেজ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন বা ইউএনএমও থেকে বের করে দেয়া হয় তাকে। এরপর তিনি মালয়েশিয়ার দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী রাজনৈতিক মাহাথির মোহাম্মদ এবং আনোয়ার ইব্রাহিমের সাথে হাত মেলান। যার ফলশ্রুতিতে গড়ে ওঠে বেশ কয়েকটা জাতিসত্তা ও দলের সংমিশ্রণে 'পাকাটান হারাপান' নামে একটি দল। মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সেসময় যে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছিল সেটি তারা কাজে লাগিয়েছিলেন। ইউএনএমও'র নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আসীন বারিসান ন্যাশনাল জোটের পতন ঘটিয়ে দেন তারা। কিন্তু রাজনীতি উত্থান, পতন, মারপ্যাঁচের খেলা। গত কয়েক সপ্তাহে সেই খেলা বেশ ভালই দেখিয়েছেন মুহিদ্দিন ইয়াসিন। ৩০ জন এমপি নিয়ে সরকার থেকে বের হয়ে যান এবং তার পুরনো দলের সাথে জোট গড়ে তুলে পুরোপুরি পট পরিবর্তন করে দেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাজনৈতিক রূপান্তরের মাধ্যমে দেশটিতে যে নবযুগের সূচনা হয়েছিল, মুহিদ্দিন ইয়াসিনের দাবার গুটির চাল তা চুরমার করে দেয়। রাজনীতিতে নতুন মোড় মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। "আমি ব্যর্থতার জন্য আমি দু:খিত। আমি চেষ্টা করেছি, আমি সত্যিই ওদের থামাতে চেষ্টা করেছি", এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন সাঈদ সাদিক, তরুণ রাজনৈতিক যিনি ২০১৮ সালে নির্বাচনে জিতে সবাইতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাকে বলা হচ্ছিল পরিবর্তনের প্রতীক। মুহিদ্দিন ইয়াসিনের দলের সদস্য সাঈদ সাদিক এখন তার সাথে আবার যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। মুহিদ্দিন ইয়াসিন যেভাবে সরকার গঠন করেছেন তাকে পেছনের দরজার কারসাজি বলে সমালোচনা করে তার সরকারকে আখ্যা দেয়া হচ্ছে 'ব্যাকডোর গভর্নমেন্ট '। আইনজীবী ও অ্যাক্টিভিস্ট ফাদিয়া নাদওয়া বলেছিলেন, "পুরো বিশ্বাসঘাতকতা। জনগণ এর জন্য আপনারা দয়া করে ভোট দেবেন না।" বলা হচ্ছিল 'পাকাটান হারাপান' এক অনন্য জোট যাতে ছিল আনোয়ার ইব্রাহিমের সংস্কারপন্থী দল কিদালিন, মালয়েশিয়ার চীনা জাতিগোষ্ঠীর দল দ্যা ড্যাপ এবং ইউএনএমও বিরোধী দুটি মালে জাতিগোষ্ঠীর দল আমানাহ এবং বারসাতু। শেষ দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ঝানু রাজনীতিবিদ মাহাথির মুহাম্মদ। তার পৃষ্ঠপোষকতার কারণে ক্ষমতাসীন দলকে বর্জনের শক্তি পেয়েছিল মালে জাতিগোষ্ঠী। মালয়েশিয়ার সুশীল সমাজের গঠিত বেশ কিছু সংস্থার সমর্থনও পেয়েছিল 'পাকাটান হারাপান'। আরো পড়ুন: মাহাথিরের হঠাৎ পদত্যাগ, বাদ পড়বেন আনোয়ার? মাহাথিরকে টপকে যেভাবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন মুহিইদ্দিন মালয়েশিয়ার ইউএনএমও দলের দীর্ঘ ষাট বছরের ক্ষমতাকালীন দেশটিতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিপক্ষে ছিলেন সেখানকার সুশীল সমাজ। কিন্তু ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত কেউই নিশ্চিত ছিলেন না যে 'বারিসান' জোটকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে। তবে এক ধরনের উত্তেজনার পরিবেশ অনুভূত হচ্ছিল। মাহাথির মোহাম্মদ তার প্রচারণায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ও তার স্ত্রী রোজমাহকে রীতিমতো 'চোর জুটি' বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রভাবশালী রাজনৈতিক মাহাথির মোহাম্মদের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। দেশটিতে জীবনধারণের খরচ বৃদ্ধি পাওয়া বিশেষ করে পণ্য বিক্রির উপরে একটি বিশেষ কর আরোপ করার বিষয়টি বিরোধীরা খুব ব্যবহার করেছেন। সাধারণত সরকারপন্থী মালে জাতিগোষ্ঠীর ভোট পাকাটান, বারিসান ও ইসলামিক পার্টির মধ্যে তিনভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। ভোটকেন্দ্রে তখন অনেকেই ইউএমএনও দলের কার্ড দেখালেও তারা বিরোধীদের ভোট দেবে জানাচ্ছিল। সেসময় বুঝেছিলাম বাতাস কোনদিকে বইছে। পরদিন নাজিব রাজাক যখন হারলেন তখন আনন্দমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তিনি তার দলের হেরে যাওয়া প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দুই বছরের পাকাটান সরকারে পতন হল কেন? পাকাটান জোটের যাত্রা যে কিছুটা অস্বস্তির হবে সেটি বোঝাই যাচ্ছিল। বিশেষ করে মাহাথির মোহাম্মদ এবং আনোয়ার ইব্রাহিমরে মধ্যে ৩০ বছরের একটি জটিল ইতিহাস রয়েছে। আনোয়ার ইব্রাহিম একসময় ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদের শিষ্য। মনে করা হতো তিনিই হবেন মাহাথির মোহাম্মদের উত্তরসূরি। কিন্তু মি. ইব্রাহিম তার পাঁচ বছরের কারাবাসের জন্য মাহাথির মোহাম্মদকে দায়ী করে থাকেন। কিন্তু পাকাটান জোটের জন্য তারা দুজন বিভেদ ভুলে আবার একত্রিত হন। তারা একমত হন যে মাহাথির মোহাম্মদ নির্বাচনী প্রচারণার নেতৃত্ব দেবেন, জয়ী হলে প্রথম দুই বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন এবং তারপর আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। মালয়েশিয়ার বাদশাহ আব্দুল্লাহ মি. মুহিদ্দিন ইয়াসিনকে নতুন সরকার গঠনের আহবান জানান। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় সেটি হবে সিনেয়ে কথাবার্তা হয়নি। একই সাথে দেশটিতে চলমান বৈরী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেবো পাকাটান জোট সেনিয়ে তাদের মতবিভেদ ছিল। "অনেক দেশের মতো আমাদের মধ্যেও একধরনের অসন্তোষের সমস্যা রয়েছে," বলছিলেন মারদেকা সেন্টার ফর অপিনিয়ন রিসার্চ সংস্থার ইব্রাহিম সুফিয়ান। "আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আছে কিন্তু জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বাড়েনি। বিশেষ করে মালে জনগোষ্ঠী ও তরুণ প্রজন্মের।", তিনি ব্যাখ্যা করছিলেন। "আবার ভাল বেতন মেলে যথেষ্ট পরিমাণে তেমন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছিল না। জোটের সামনে সেটি একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তারা যখন ক্ষমতা নেয় তখন তারা আবিষ্কার করে যে সব তহবিল শূন্য এবং তাদের বিশাল অংকের ঋণের বোঝা টানতে হবে।" ১৯৫৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে মালয়েশিয়াকে সবসময় বলা হয়ে থাকে নানা জাতিসত্তার দেশ। মালে উপদ্বীপ ও বোর্নিও অঞ্চলের কয়েকটি আদিবাসী গোষ্ঠী আর মালে জাতিগোষ্ঠীকে বলা হয় 'বুমিপুতেরা' যারা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ। সংখ্যালঘুদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হচ্ছে ব্রিটিশ আমলে মালয়েশিয়ায় আসা চীনা বংশোদ্ভূতরা। ১৯৬৯ সালে এক দাঙ্গার পর তৎকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে রাষ্ট্রীয় নীতিমালাগুলো 'বুমিপুতেরা' বিশেষ করে মালে সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতমূলক হওয়া জরুরী। ইউএমএনও দলটি নিজেদেরকে মালে জাতিগোষ্ঠীর অভিভাবক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। চীনাদের তুলনায় মালে জাতিগোষ্ঠী ছিল অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া। ১৯৮০ ও ৯০-এর দশক পর্যন্ত মাহাথির মুহাম্মদের ২২ বছরের শাসনকালে এই নিতির ব্যত্যয় হয়নি। রাজনীতি উত্থান, পতন, মারপ্যাঁচের খেলা। তাদের জন্য হাতে নেয়া হয়েছিল বড় তহবিলের নানা রকম রপ্তানিমুখি প্রকল্প। কিন্তু বড় সমস্যা ছিল স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি। কিন্তু মালেরা তাদের প্রতি সরকারি উদারতা চলমান থাকবে বরে আশা করে আসছিল। বেশ ভাল চীনা অংশীদারিত্ব সম্বলিত পাকাটান জোট হয়ত সেই উদারতায় রাশ টেনে ধরতে পারে তেমন আশংকা তৈরি হয়েছিলে মালেদের মধ্যে তাই পাকাটানদের প্রতি তাদের সমর্থনেও ক্ষয়ের লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। কুয়ালামপুর শহরের কাছে নিম্ন আয়ের মানুষদের আবাসস্থল গোমবাক এলাকায় সংক্ষিপ্ত সফরে গিয়ে পাকাটান সম্পর্কে তাদের মনের ধোঁয়াশা কেটে যাওয়ার একটি চিত্র পাওয়া গেল। ছোট একটি ক্যাফের মালিক মোহাম্মদ আমিন বলছিলেন তার মতো মালেদের আগের মতো দেখভাল করা হচ্ছে না। এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ তারমিজি বলছিলেন, দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে গরীবদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যদিও বিশাল অংকের অর্থ তহবিল এধার ওধার হওয়ার খবরে ইউএমএনও'র সুখ্যাতি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে অর্থের একটি অংশের গন্তব্য ছিল নাজিব রাজাকের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। কিন্তু পাকাটান সম্পর্কে মালেদের মধ্যে যে হতাশা তৈরি হচ্ছিল আর অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়টি কাজে লাগাতে মোটেও দেরি করেন নি ইউএমএনও। পাকাটান ইতিমধ্যেই জোহর অঞ্চলে ছয়টি উপ নির্বাচনের পাঁচটিতেই হেরেছে। তবে সংকট শুরু হয় ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে। মাহাথির মোহাম্মদের এই দফায় প্রধানমন্ত্রীত্বের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আনোয়ার ইব্রাহিমের সমর্থকেরা উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান। নাজিব রাজাক যখন হারলেন তখন আনন্দমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। মাহাথির মোহাম্মদ তাতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে অবশ্য মি. আনোয়ারের সমর্থকেরা পিছু হটেন। কিন্তু পাকাটান জোটের মধ্যে বিভেদ ও উত্তেজনা বাড়তে থাকায় এক পর্যায়ে মুহিদ্দিন ইয়াসিন ৩০ জন এমপি নিয়ে জোট সরকার থেকে বের হয়ে আবার পুরনো দলে যোগ দেন। গত চল্লিশ বছর ধরে মানুষজন যেভাবে ভেবেছে, এবারো অনেকে মনে করেছে মাহাথির মুহাম্মদই পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন। কিন্তু তিনি নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়ে সবাইকে হতবিহবল করে দেন। মাহাথির মুহাম্মদের প্রতি যদিও অনেকে সমর্থন দিয়েছেন এমনকি আনোয়ার ইব্রাহিমও। তবে মুহিদ্দিন ইয়াসিনের ভূমিকাকে তিনি জোটের মধ্যে অভ্যুত্থান বলে আখ্যা দেন। তবে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে ৯৪ বছর বয়সী ঝানু রাজনীতিবিদ মাহাথির মোহাম্মদ হিসেবে কিছু গোলমাল করেছেন। সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে মালয়েশিয়ার বাদশাহ আব্দুল্লাহ মি. মুহিদ্দিন ইয়াসিনকে নতুন সরকার গঠনের আহবান জানান। এরপরই তিনি মুহিদ্দিন ইয়াসিন দেশটির অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মাহাথির মোহাম্মদ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন এবং পরবর্তী সংসদ অধিবেশন শুরু হলে নতুন সরকারের পতনের জন্য কাজ করবেন। কিন্তু রাজপ্রাসাদের সমর্থন মুহিদ্দিন ইয়াসিনের জন্য এখন বড় আশীর্বাদ। অন্যদিকে মাহাথির মুহাম্মদের সাথে মালয়েশিয়ার সুলতানদের বিবাদের ইতিহাস রয়েছে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাদশাহ আব্দুল্লাহ'র বাবার সময়ে মাহাথির মুহাম্মদ রাজপরিবারের ক্ষমতা সীমিত করার সাংবিধানিক পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন, বলছিলেনে নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইভ কেসলার। হয়ত বাদশাহ আব্দুল্লাহ'র সিদ্ধান্ত সেকারণেই মুহিদ্দিন ইয়াসিনের পক্ষে প্রভাবিত হয়েছে। মি. কেসলার বলছেন, "স্মৃতি ও মনের ক্ষোভ এত দ্রুত মিলিয়ে যায় না।" সব মিলিয়ে দুই বছর পর মুহিদ্দিন ইয়াসিনের সাথে হাত মিলিয়ে আবারও ক্ষমতায় ইউনাইটেড মালেজ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন। আনোয়ার ইব্রাহিমের যেমন আবারও আশাভঙ্গ হল তেমনি মাহাথির মোহাম্মদের সামনেও আর কোন রাস্তা খোলা আছে বলে মনে হচ্ছে না। অন্যান্য খবর: যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস পাকিস্তানে 'বাঙালি হওয়া একটা অপরাধ' কেন পুতিনকে প্রয়োজন এরদোয়ানের?
It was seen as a historic turning point - an election that overturned a party which had been in power for more than 60 years. But less than two years later, the new government is out, and the old ruling party back in power. So why did a coalition whose victory had ignited such hopes for change in Malaysia collapse so quickly?
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
তেল আবিবের কাছে ইয়েহুদে একটি বিধ্বস্ত বাড়ি পরিদর্শন করছে ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা এদিকে লোড শহরে ইসরায়েলি আরবদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর ইসরায়েলি ওই শহরটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, গাযার ১৩ তলা ভবনটির ওপর হামলার দেড় ঘণ্টা আগে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছিল ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, এর আগের রকেট হামলার জবাব দিতে তারা গাযায় ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা করছে। এই বছরের সবচেয়ে বড় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। জেরুজালেমে কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনার রেশ ধরে এই সহিংসতার শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেম এবং অন্যান্য এলাকা লক্ষ্য করে শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করে। ইসরায়েলে চালানো হামলায় অন্তত তিনজন ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আর ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস "রেড লাইন অতিক্রম করে ফেলেছে" এবং ইসরায়েল "শক্তভাবে" এর জবাব দিয়েছে। গত কয়েক দিনে জেরুজালেমে যে সহিংসতা হচ্ছে, সেটা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক। গাযার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হামাস বলছে, জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি 'আগ্রাসন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের' জবাব দিতেই ওই হামলা করা হয়েছে। আল-আকসা মসজিদ এলাকাটি মুসলমান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বী - উভয়ের কাছেই পবিত্র স্থান। সোমবার সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়। ২০১৭ সালের পর গত কয়েকদিন ধরে জেরুজালেমে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হচ্ছে। জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করবে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা, এমন হুমকির কারণে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। শহরের আরব বাসিন্দাদের এলাকায় গত এক মাস ধরেই পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে রয়েছে। আরও পড়ুন: জেরুজালেমে কেন প্রার্থনার স্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব? আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল জেরুজালেম রাজধানীর স্বীকৃতি পেলে বিপদ কোথায়? আরব-ইসরায়েল সংঘাত শুরু যে ৬৭ শব্দের অনুচ্ছেদে গাযায় বিমান হামলায় নিহত ২০, উত্তেজনা কমাতে বিশ্ব নেতাদের আহ্বান দক্ষিণ গাযা উপত্যাকা রাফা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা চালায় সর্বশেষ হামলা সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে হামাস বলছে, 'শত্রুরা আবাসিক এলাকায় হামলা করার পাল্টা জবাব দিতে' তারা তেল আবিব এবং এর আশেপাশের এলাকায় রকেট নিক্ষেপ করেছে। তেল আবিব থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে রাতের আকাশে রকেটের ঝলকানি দেখা গেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মিসাইলের আঘাতে এসব রকেটের বেশ কিছু আকাশেই বিস্ফোরিত হয়েছে। তেল আবিবের কাছে রিশন লেযিওন শহরে ৫০ বছর বয়সী একজন নারী নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হোলন শহরতলীতে একটি খালি বাসে রকেট বিস্ফোরিত হয়েছে। সেখানে একটি শিশু এবং দুইজন নারী আহত হয়েছেন। রয়টার্স জানাচ্ছে, সাইরেন বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তেল আবিবে পথচারীরা দ্রুত আশ্রয় খুঁজে নেয় এবং রেস্তোরাগুলোয় রাতের খাবারের আয়োজন বাতিল হয়ে যায়। বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে লম্বা সময়ের জন্য সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ইলাত এবং আশকেলন শহরের মধ্যে জ্বালানী সরবরাহের একটি পাইপলাইনেও রকেট হামলা করা হয়েছে। গাযার বহুতল হানাদি টাওয়ার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেয়ার পর এসব রকেট হামলা চালানো হয়। ওই ভবনটিতে হামাসের একটি কার্যালয় ছিল, যা তাদের রাজনৈতিক নেতারা ব্যবহার করতেন। তবে ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেও সেখানে হতাহতের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা যাচ্ছে, সেখানে আরেকটি বহুতল ভবনও ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যদিও হামলা চালানোর আগে সতর্ক করা হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার 'মাত্র শুরু এখন।'' ''সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোয় কড়া আঘাত করা হচ্ছে এবং এ রকম আঘাত চলবে, কারণ তারা ইসরায়েলে হামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদের জন্য শান্তি এবং নীরবতা ফিরিয়ে আনব।'' হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ বলেছেন, ইসরায়েল যদি (সহিংসতা) আরও বাড়াতে চায়, তাহলে জবাব দেওয়ার জন্য তারাও প্রস্তুত রয়েছে। ''যদি (ইসরায়েল) আরও বাড়াতে চায়, আমরা সেজন্য প্রস্তুত রয়েছি আর তারা যদি বন্ধ করতে চায়, আমরা সেজন্যও প্রস্তুত আছি,'' বলেন তিনি। এই সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার একান্ত আলোচনায় বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করবে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা, এ রকম হুমকির কারণে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে সহিংসতার পেছনের কারণ ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকেই পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। পুরো শহরকে তারা নিজেদের রাজধানী বলে মনে করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ দেশ তাতে স্বীকৃতি দেয়নি। ফিলিস্তিনিরা দাবি করে, পূর্ব জেরুজালেম হবে তাদের স্বাধীন দেশের রাজধানী। ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে, কারণ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় প্রতিদিনই কলহ তৈরি হচ্ছে। জাতিসংঘ ইসরায়েলের প্রতি আহবান জানিয়েছে যেন যেকোনো ধরনের উচ্ছেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয় এবং ''বিক্ষোভকারীদের প্রতি যেন সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়''। জোর করে বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহবান জানিয়েছে আরব লীগ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি থাকবে ঈদের দিনেও চীনা রকেটের পৃথিবীতে পড়া নিয়ে কেন এত তোলপাড় সাজাভোগের মধ্যেই যেভাবে বিদেশে গিয়েছিলেন আ স ম রব
Palestinian militants say they fired 130 missiles at the Israeli city of Tel Aviv after an Israeli air strike felled a tower block in the Gaza Strip.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
নিজের নব-তারুণ্যের দিনগুলোতে থিও ফন এইজ্ক সবসময় উড়ার স্বপ্ন দেখতেন। প্রায় একই রকম কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ডাচ নৌবাহিনীর তরুণ থিও ফন এইজ্ক। তবে, মি. মেয়েরের সাথে এইজ্কের ফারাক হচ্ছে, নিজের কাহিনী নিজ মুখে বলার জন্য তিনি এখনো বেঁচে রয়েছেন। থিও ফন এইজ্কের ছোট্ট বাড়িটি যেন একটা আশ্চর্য খনি। ঝাড়ুর ওপর বসে থাকা খেলনার ডাইনি থেকে শুরু করে ওপরের তাকে রাখা চীনামাটির বিড়াল পরিবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। পাশেই কয়েকটা খুলি দাঁত কেলিয়ে আছে।— কী নেই সেখানে! তবে, এইজ্কের বাসার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু ওই কফি টেবিলটা— যেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সযত্নে রাখা পুরনো পত্রিকার কিছু ক্লিপিং। ১৯৬৪ সালের সেসব পত্রিকার শিরোনামে লেখা রয়েছে এক তরুণ নাবিকের কথা — যে কিনা উড়োজাহাজ চুরি করে মাল্টা থেকে লিবিয়ার বেনগাজীতে পালিয়ে এসেছিল। বয়সের ভারে সব চুল সাদা হয়ে যাওয়া ফন এইজ্ক পত্রিকার সেই সব ছবির দিকে তাকিয়ে হাস্যজ্জ্বলভাবে বলেন, "এটা আমি! ছবির ওই আমিটার বয়স তখন মোটে ২১"! তার স্ত্রীও পাশে থেকে এসব কথা-বার্তা শুনছিলেন আর মাঝে-মাঝে কৌতুক ভরে অংশও নিচ্ছিলেন আলাপে। তার দিকে ইঙ্গিত করে বলছেন, "কি বেয়াড়া রে বাবা! ভালো যে তোমার সাথে তখন পরিচয় হয়নি আমার।" নিজের নব-তারুণ্যের দিনগুলোতে থিও ফন এইজ্ক সবসময় উড়ার স্বপ্ন দেখতেন। সত্যি বলতে সেই সাত বছর বয়স থেকেই তার ছিল উড়বার সাধ। কিন্তু বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়ে পাইলট হবার মতন ভালো রেজাল্ট তার ছিল না। তখন হঠাৎ একদিন সে জানতে পেলো, ডাচ নৌবাহিনীতে নবিশ হিসেবে ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে লোক নিচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীরা এখানে ভালো করতে পারলে তারা বৈমানিকের প্রশিক্ষণ পাবে। ব্যাস! বৈমানিকের প্রশিক্ষণ পাবার সুযোগ আছে জেনেই নৌবাহিনীর ইলেকট্রিক-মিস্ত্রির তালিকায় নাম লিখিয়ে নিলেন ১৯ বছর বয়সী এইজ্ক। চুক্তি ছিল পরবর্তী ৮ বছর সে নৌবাহিনীতেই থাকবে। থিও ফন এইজ্কের সাম্প্রতিক ছবি। তিনি প্রশিক্ষণে ভালো করেন। বৈমানিকের ট্রেনিং পাবার জন্যও মনোনীত হন। সেসময় ১৯৬৪ সালের শুরুর দিকেই, তার লগবুকে যোগ হয়েছে ৪০ ঘণ্টা উড়ার খতিয়ান। এমন সময় একদিন এক পার্টিতে তার কমান্ডিং অফিসার বিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের অনুভূতি ও মতামত জানাতে বলেন। এইজ্ক তখন রাখঢাক না রেখে বলেছিলেন যে, প্রশিক্ষণের জন্য ছোটো-ছোট বিমান না দিয়ে সাবমেরিন বিধ্বংস গ্রুমান ট্র্যাকার বিমানে করে প্রশিক্ষণ দিলে আরও ভালো হয়। কিন্তু ঠিক এর পরদিনই এইজ্কের বিপত্তির শুরু। হঠাৎ করেই তার রেজাল্ট কার্ডে কমলা রঙের দাগ দেয়া হল। এর অর্থ হচ্ছে, তার রেজাল্ট এতই খারাপ যে, ফেল করার আশঙ্কা রয়েছে। এটা দেখে সে ক্ষেপে গেলো। শিক্ষক আসার আগেই ক্লাসের ব্ল্যাকবোর্ডে ট্রেনিং নিয়ে কড়া মন্তব্য লিখে রাখল। এর শাস্তি হিসেবে তাকে সপ্তাহান্তের জন্য নিজস্ব জেলে পুরে দিলো নৌবাহিনী। কিন্তু সুযোগ বুঝে সে জেল থেকে পালাল। পালানোর পর তাকে বৈমানিকের প্রশিক্ষণ থেকে বহিষ্কার করা হল। আরও পড়তে পারেন: প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় মিয়ানমারে বিমান আছড়ে পড়ার মুহূর্ত পাখির ধাক্কায় ভুট্টা ক্ষেতে রুশ বিমান রানওয়ে চিহ্নিত করে বিমান অবতরণ করালো অটোপাইলট উড়ন্ত বিমান থেকে মৃতদেহ পড়লো বাড়ির বাগানে বেনগাজিতে এইজ্কের একক ভ্রমনের তথ্য রয়েছে লগ বুকে। কিন্তু এইজ্ক দমে গেলেন না। তাকে যেন বৈমানিকের প্রশিক্ষণে আবারো ফিরিয়ে নেয়া হয় সেই লক্ষ্যে আবেদন-নিবেদন করতে লাগলেন। এই নিয়ে অফিসে আবেদন করতে গেলে অসাবধানে তাকে ভুল কাগজ ধরিয়ে দিয়ে ছিল। কয়েকমাস পর অফিস থেকে বলা হল, ভুল পদ্ধতিতে আবেদন করায় তার অনুরোধ বিবেচনা হয়নি। ততদিনে অনেক সময় চলে গেছে। তাই, পুনরায় আবেদনের সুযোগও নেই। অথচ চুক্তি মোতাবেক নৌবাহিনীতে তখনো তার আরও ছয় বছর বাকি। এই পুরোটা সময় তাকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হয়েই কাটাতে হবে। কিন্তু এভাবে এইজ্ক চাকরিতে থাকবেন না। তাই, চাকরি থেকে অব্যাহতি চাইলেন। কিন্তু বিধি বাম! তাকে অব্যাহতি দেয়া হল না। বারংবার অব্যাহতির আবেদন করলেও প্রতিবারই তিনি প্রত্যাখ্যাত হলেন। তার সাথে যা করা হয়েছে সেটি মোটেও ন্যায়সঙ্গত হয়নি বলেই মনে করতেন এইজ্ক। তাই, এই নিয়ে এইজ্ক ক্ষুব্ধ ছিলেন এবং নৌবাহিনী থেকে পালাবার ফন্দি আঁটতে শুরু করেন। বিমান চুরি করে পালাতে গিয়ে নিখোঁজ হন মার্কিন অফিসার সার্জেন্ট পল মেয়ের। পালানোর একমাত্র রাস্তা হিসেবে এইজ্ক দেখলেন, গ্রুমান ট্র্যাকার প্লেন। কিন্তু সেটাতে তিনি তখনো কোনোদিন চড়েননি। তবে, এইজ্ক দমে যাবার পাত্র নন। গ্রুমান ট্র্যাকার প্লেনের হ্যান্ডবুক নিয়ে সকাল-বিকাল পড়তে লাগলেন। তার অন্য সহকর্মীরা যখন পার্টিতে যায় অথবা বিশ্রাম নেয় এইজ্ক তখন পড়েন। পড়ে পড়ে বোঝার চেষ্টা করেন গ্রুমান ট্র্যাকার প্লেনের নাড়ী-নক্ষত্র। একদিকে, এইজ্ক হ্যান্ডবুক পড়েন। অন্যদিকে, গ্রুমান ট্রেকার প্লেনের অভিজ্ঞ পাইলটদের সাথে আলাপের ছলে জেনে নেন, কিভাবে ইঞ্জিন স্টার্ট দেয়া হয়, কিভাবে বিমান অবতরণ করা হয় সেইসব বৃত্তান্ত। কিন্তু এইজ্কের মনে একটা সন্দেহ ছিল। সেটি হচ্ছে, সে যেখানে আছে সেখান থেকে উড়ে গন্তব্যে পৌঁছানো মুস্কিল। একটু হলেই হয়তো গিয়ে ঠেকতে হবে রাজনৈতিক বিবাদে ভরা তৎকালীন পূর্ব জার্মানিতে। এমন সময়, একদিন, থিও ফন এইজ্কের সামনে যেন সৌভাগ্যের দুয়ার খুলে গেলো। হঠাৎ তখন ব্রিটিশ আর্মির সাথে মাল্টায় দুই মাসের একটা অনুশীলনের সুযোগ এলো। সুযোগ বুঝে, স্বেচ্ছাসেবীদের দলে ঢুকে গেলেন এইজ্ক। কেননা, তিনি ভেবে দেখলেন, মাল্টা থেকে বিমান নিয়ে পালানো সহজ। মাল্টায় অনুশীলনে গিয়েও তিনি নিয়মিত পড়তে থাকলেন বিমানের হ্যান্ডবুক। পড়তে পড়তে প্রায় আত্মস্থ করে নিলেন খুঁটি-নাটি। পাশাপাশি, বিমানের মেকানিক্স বা মিস্ত্রীদের কাজ-কর্ম খুব চৌকসভাবে লক্ষ্য করতে থাকলেন। গ্রুমান ট্র্যাকার অবশেষে, অনুশীলন শেষ হল। যে যার ঘাঁটিতে ফিরে যাবার আগে এক সন্ধ্যায় হল বিদায়ী অনুষ্ঠান। সেখানে সবাই প্রচুর পানাহার করলেও এইজ্ক রইলেন শান্ত। কেননা ঠিক পরদিন ভোরেই তিনি পালাবেন। পরদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে ধার করে একটা সাইকেল নিয়ে এইজ্ক রানওয়েতে এলেন। এইজ্ক বলছিলেন, "পালাতে যাবার সময় সার্জেন্ট মেয়ের গার্ডকে নিজের নাম বলেছিলেন ক্যাপ্টেন এপস্টেইন। আর আমি প্রহরীকে বললাম, আমার নাম জানসেন। আমার সম্পর্কে প্রহরীর কোনও ধারণাই ছিল না। সে আমাকে বিমানের হ্যাঙ্গারের দরজা খুলতে সাহায্য করলো।" অতি নিখুঁতভাবে চুরির পরিকল্পনা এঁটেছিলেন এইজ্ক। প্রহরীর পিস্তল ও সাইকেল তালা মেরে রেখেছিলেন। তার অফিসের টেলিফোনের সাথে যে মাইক্রোফোন ছিল, সেটিকেও সরিয়ে রেখেছিলেন। সেই রোমাঞ্চকর দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে এইজ্ক বলছিলেন, "তো আমি ইঞ্জিন চালু করলাম। রেডিও অন করলাম। আমার নাম কী? আমি কী করছি— ইত্যাদি কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে জানতে চাইছিল। কিন্তু আমি কোনও উত্তরই দিইনি। আমি উড়াল দিলাম।" ডাচ নৌবাহিনীর সেই গ্রুমান ট্র্যাকার সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমানে তখন দুইটি টর্পেডো ছিল। টর্পেডোগুলো নিয়ে তিনি মোটেই ভাবছিলেন না। কারণ তিনি শুধু ভাবছিলেন, "নৌবাহিনীতে আমি আর কিছুতেই ফিরে যাবো না"। এইজ্ক বলছিলেন, "ভূমধ্যসাগরের বুক ৫ হাজার ফিট উপর দিয়ে আমি উড়ছিলাম। আমি বুঝতে পারি, কেমন ছিল সার্জেন্ট মেয়েরের অনুভূতি!" ডয়েচ সংবাদপত্রে থিও ফন এইজ্কের এই কাণ্ড নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছিল। পালানোর সময়ে ককপিটে সার্জেন্ট মেয়ের তার নব বিবাহিতা স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। তিনি নিজের মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করছিলেন। অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর আগে এইজ্ক ককপিট থেকে কাউকে ফোন করেননি। কিন্তু তার বেশ কিছুদিন আগেই তিনি তার মাকে রূপোর একটা ক্রস উপহার পাঠিয়েছিলেন। এইজ্ক বলছিলেন, "এটা দেখে মা নিশ্চয়ই অনুমান করেছিলেন যে, আমি কিছু একটা করতে যাচ্ছি।" সেদিন সাড়ে ৫ ঘণ্টা উড়লেন ২১ বছর বয়সী থিও ফন এইজ্ক। অবতরণ করলেন বেনগাজিতে। মিলিটারি বিমান দেখে যে ব্যক্তিটি প্রথম এগিয়ে এসেছিলেন সৌভাগ্যক্রমে সে ছিল ডাচ প্রবাসী। তার কাছে নিজের পুরো কাহিনী বললেন এইজ্ক। ইউরোপে ফিরে গেলে নিশ্চিত জেল। তাই স্বদেশী সেই ডাচ ব্যক্তির পরামর্শে লিবিয়ার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন এইজ্ক। স্বদেশী সেই ডাচ ব্যক্তির পরামর্শে লিবিয়ার পুলিশের কাছে এইজ্ক এটাও বললেন যে, সে ইউরোপের উদার যৌন আচরণ ও সমকামিতার বিরোধী। ফলে, এইজ্ক রাজনৈতিক আশ্রয় ও সুরক্ষা পেলো। নেদারল্যান্ডসে ফেরার পর থিও ফন এইজ্ক। অবশেষে, ডাচ রাষ্ট্রদূতের সাথে অনেক আলাপ-আলোচনা ও দেন-দরবারের পর এই সিদ্ধান্ত হল যে, নেদারল্যান্ডেই ফিরে যাবেন এইজ্ক। তবে ছল করে পালিয়ে আসার কারণে তাকে সেদেশে মাত্র ১২ মাস জেল খাটতে হবে। এর বিনিময়ে নৌবাহিনী থেকে সে পাবে সম্মানজনক প্রস্থান। থিও ফন এইজ্ক বলছিলেন, "আমি যা চেয়েছিলাম তা পেয়েছি। আমি নৌবাহিনী থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম, পেয়েছি। এবং যা করেছি তার জন্য আমার কোনও অনুতাপ নেই।"
For two years the BBC's Emma Jane Kirby has been investigating the story of Sgt Paul Meyer, a homesick American mechanic who stole a plane from a US airbase in England in 1969, to fly home to his wife in Virginia. The story resonated with Dutch reader Theo Van Eijck, who says he too stole a plane while serving in the forces. But he survived to tell the tale.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে আরব এমপিরা কনেসেটের আরব এমপিরা এর ক্রুদ্ধ প্রতিবাদ জানিয়ে বিলের কপি ছিঁড়েছেন, কালো পতাকা উড়িয়েছেন। পিএলও-র মুখপাত্র হানান আশরাবি এর তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, এই আইন ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে বর্ণবিভেদ, বৈষম্য, জাতিগত শুদ্ধি অভিযান এবং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বকে লাইসেন্স দিয়েছে। ইসরায়েলের জনসংখ্যার ২০ শতাংশই হচ্ছে আরব সংখ্যালঘু। তারা মনে করছে, ইসরায়েল যে তাদেরকে দ্বিতীয় নাগরিকে পরিণত করছে - এটি তার আরেকটি প্রমাণ । ইসরায়েলের জনসংখ্যা ৯০ লাখ, এর মধ্যে ২০ শতাংশ হচ্ছে আরব - যাদের অনেকেই নিজেদের ফিলিস্তিনি বলে পরিচয় দেন। ইসরায়েল রাষ্ট্রের আইনে তারা সমান অধিকার ভোগ করেন, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তাদের অভিযোগ যে তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আবাসনের ক্ষেত্রে তারা ইহুদি ইসরায়েলিদের চেয়ে কম সুবিধা পেয়ে থাকে। নাগরিক গ্রুপগুলো এই আইনের কঠোর নিন্দা করেছে। ইসরায়েলি পার্লামেন্টের আরব এমপি সহ কিছু সমালোচক একে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের সময়কার বর্ণবৈষম্যমূলক শাসন বা অ্যাপার্থাইড-এর সাথে তুলনা করেছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: জেরুসালেম ইস্যুতে মুসলিমদের সংহতি কতটা বাড়বে? জেরুজালেম রাজধানীর স্বীকৃতি পেলে বিপদ কোথায়? হারাম আল-শরিফ কেন এত স্পর্শকাতর একটি স্থান? অসলো শান্তি চুক্তি: কীভাবে সম্ভব হয়েছিল? জেরুসালেমে আল-আকসা সংলগ্ন ডোম অব দ্য রক ইসরায়েলি নেতারা এটা করলেন কেন? ইসরাযেলকে ইহুদি রাষ্ট্র ঘোষণা রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত। এর আগে কখনো আইনে পরিণত করা হয় নি। কিছু ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ মনে করেন, ইহুদিদের রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার যে আদি মূলনীতি - সেগুলো এখন হুমকির মুখে পড়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ব্যাপারটা অপ্রাসঙ্গিক বা অচল হয়ে পড়তে পারে। অনেকে ইসরায়েলি আরবদের উচ্চ জন্মহার নিয়ে ভীত। অনেকে মনে করেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার যদি শেষ পর্যন্ত 'দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান' ছাড়া অন্য কোন রকম মডেলে সমাধান হয় - তখন ইসরায়েলের ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। একারণেই এরা দাবি করছিলেন, ইসরায়েল রাষ্ট্রের ইহুদি চরিত্র আইন করে সুরক্ষিত করা হোক। ইসরায়েল ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর কি প্রভাব পড়বে? অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু একাধিকার বলেছেন যে ফিলিস্তিনিদের সাথে শান্তি চুক্তি হতে হলে তাদেরকে ইসরায়েলকে একটি 'ইহুদি রাষ্ট্র' হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, এবং ফিলিস্তিনিরা যে এ স্বীকৃতি দিচ্ছে না - এটাই শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা। । কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি কখনোই ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন না। তার যুক্তি ফিলিস্তিনিরা অনেক আগেই ইসরায়েল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, এর চেয়ে বেশি কিছু তাদের কাছ থেকে আশা করা উচিত নয়। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বলে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে মার্কিন দূতাবাস নিয়ে যাবার ঘোষণার তীব্র সমালোচনা হয়েছে। সমালোচকরা বলেছেন, এর মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়াকে গুরুতর সংকটে ফেলে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কোন আলোচনাই হচ্ছে না, এবং শান্ত্রি প্রক্রিয়া এখন কার্যত মৃত বলে অনেকে বলে থাকেন। এ অবস্থায় ইসরায়েল যথন নিজেকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে বসলো - তার কি প্রভাব শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর পড়ে, তা দেখার বিষয়। জেরুসালেমে ওয়েস্টার্ন ওয়াল এলাকায় ইহুদিদের প্রার্থনা ইসরায়েলে-ফিলিস্তিন শান্তি-আলোচনার এক প্রধান বাধা জেরুসালেম শহরের মর্যাদা এবং ইহুদি বসতি স্থাপনের প্রশ্নগুলো। কিন্তু নতুন আইনে 'সম্পূর্ণ এবং একত্রিত' জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক আইনেরও বিরোধী - যাতে পূর্ব জেরুসালেমকে অধিকৃত এলাকা হিসেবে দেখা হয়। এ আইনের এক পূর্বতন খসড়ায় একটি ধারায় এমন সব বসতি তৈরির কথা ছিল - যাতে শুধু ইহুদিরাই থাকতে পারবে। এমন কিছু ইহুদি জনগোষ্ঠী আছে - যারা তাদের পাড়ায় ফিলিস্তিনিরা জমি কিনলে তাতে আপত্তি করে। 'নেশন স্টেট বিলের চুড়ান্ত খসড়ায় তাদের দাবি মানা না হলেও 'ইহুদি বসতি গড়ে তোলাকে উৎসাহিত করার' কথা বলা হয়। ফলে এটা স্পষ্ট যে আগামী দিনের শান্তি আলোচনায় এ বিষয়গুলো নতুন বিতর্ক তৈরি করবে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েল যে ধরণের শাসনব্যবস্থা চালু করেছে - তাকে সমালোচকরা প্রায়ই অ্যাপার্থেইড-এর সাথে তুলনা করেন। ইসরায়েল অবশ্য জোর দিয়ে তা অস্বীকার করে থাকে। ২০১১ সাল থেকেই এ আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে, এবং এতে বহু সংশোধনীও এসেছে। বৈষম্যমূলক বলে সমালোচিত অংশগুলো বাদ দেয়া হয়েছে বা এর ভাষাগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকট কি বাড়ছে? গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার পর হোয়াটসএ্যাপে কড়াকড়ি 'কীভাবে আবিষ্কার করলাম যে আমার স্বামীর আরেকটি স্ত্রী আছে'
Israel's parliament has passed a controversial law characterising the country as principally a Jewish state, fuelling anger among its Arab minority.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
একদম বাবার মতই দেখতে ছিলেন তিনি। সেজন্যে তাতে অনেকেই ডাকতেন ফিদেলিটো নামে। ফিদেল অ্যাঞ্জেল ক্যাস্ত্রো ডিয়াজ-বালার্টকে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বলা হচ্ছে তিনি বিষন্নতায় ভুগছিলেন। ফিদেল অ্যাঞ্জেল ক্যাস্ত্রো ডিয়াজ-বালার্ট ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রোর প্রথম সন্তান। তাকে আদর করে ফিদেলিটো বা 'ছোট্ট ফিদেল' বলে ডাকা হতো, কারণ তার চেহারা সঙ্গে বাবার চেহারার অনেক মিল ছিলো। তিনি পেশায় ছিলেন একজন নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট। পড়াশোনা করেছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে। ফিদেলিটো ছিলেন কিউবার পরমাণু কর্মসূচীর প্রধান কিউবার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র 'গ্রানমা'র খবরে বলা হয়, গত কয়েক মাস ধরেই ফিদেল ক্যাস্ত্রো ডিয়াজ-বালার্ট তীব্র বিষন্নতায় ভুগছিলেন। তাকে একদল চিকিৎসক এজন্যে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। কিন্তু গতকাল সকালে তিনি আত্মহত্যা করেন। এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে কিউবার বিপ্লবের নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো মারা যান।কিউবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই খবর প্রচারিত হওয়ার পর সাধারণ কিউবানরা তা শুনে বিস্মিত হন। ক্যাস্ত্রো পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিউবায় বেশ গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তার মৃত্যুর খবর প্রচারের আগে পর্যন্ত অনেকে জানতেনই না যে তিনি মানসিক বিষন্নতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি কিউবার সরকারের 'একাডেমি অব সায়েন্সের' একজন উপদেষ্টা ছিলেন। আরও পড়ুন: ইতিহাসের সাক্ষী: কিউবাতে ক্ষমতায় ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮০ সাল হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি কিউবার পরমাণু কর্মসূচীর নেতৃত্ব দেন। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর কিউবার এই পরমাণু কর্মসূচী বন্ধ হয়ে যায়। ফিদেল ক্যাস্ত্রো ডিয়াজ-বালার্টের জন্ম ১৯৪৯ সালে। কিউবার বিপ্লবের আগে সেসময়ের এক নামকরা রাজনীতিত মির্টা ডিয়াজ-বালার্টকে বিয়ে করেছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। তাদের বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। সেই স্ত্রীর গর্ভে জন্ম হয় ফিদেলিটোর। বাবা ফিদেল ক্যাস্ত্রোর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে ছেলে ফিদেলিটো (মাঝখানে) যখন ১৯৫৯ সালে বিপ্লবের মাধ্যমে বাতিস্তা সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো, তখন মির্টা ডিয়াজ-বালার্ট এবং তাদের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পালিয়ে যায়। বাবা-মায়ের যখন বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তখন ফিদেলিটো তার শৈশবের কিছু সময় যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন। কিন্তু ফিদেল ক্যাস্ত্রো তাকে কিউবায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। কেন ফিদেলিটোর মায়ের দিকের অনেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কিউবার সরকারের এত কঠোর সমালোচক, সেটার কারণ এ থেকেই বোঝা যায়। ফিদেলিটোর এক মামাতো ভাই মারিও ডিয়াজ-বালার্ট এখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সদস্য। ফিদেলিটো নিজে কিউবার বিপ্লবের প্রতি এবং তার বাবার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাবান ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নাকি বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিলেন। বিশেষ করে কিউবার জ্বালানি খাতের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যেভাবে তার মতামতকে আর আমলে নেয়া হচ্ছিল না, সে কারণে। হিলটন হোটেল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী প্যারিস হিলটন হাভানায় এক অনুষ্ঠানে ফিদেলিটোর সঙ্গে সেলফি তুলছেন। তার এক সাবেক সহকর্মী জোনাথান বেনজামিন আলভারাডো রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ফিদেলিটো নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে যেসব পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছিলেন, সেগুলো কিউবার রাষ্ট্রীয় নীতিতে সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছিল না। সেজন্যেই হয়তো ফিদেলিটো কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ফিদেলিটোর শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন তার পরিবারই করবেন, তবে এর বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি। ফিদেল ক্যাস্ত্রো ২০১৬ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান।
The 68-year-old son of Cuba's former leader Fidel Castro has killed himself in Havana, according to Cuban state media.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
লাইন অফ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে ভারতীয় সেনাদের অবস্থান। ভারতীয় গোলার আঘাতে পাকিস্তানের তিনজন নারী ও একটি শিশু মারা গেছে। আহত হয়েছেন ১১ জন। অন্যদিকে, পাকিস্তানি বাহিনীর ছোঁড়া গোলায় পাঁচজন ভারতীয় সৈনিকের আহত হওয়ারও খবর এসেছে। মঙ্গলবার ভোররাতে পাকিস্তানের আকাশ সীমার প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে ১২টি যুদ্ধ বিমান বোমাবর্ষণ করে জঙ্গী সংগঠন জৈশ-ই-মুহম্মদের একটি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবী করেছে ভারত। ভারতীয় বিমানবাহিনী যে পাকিস্তানের আকাশসীমার ভেতরে ঢুকে পড়েছিল, তা স্বীকার করলেও পাকিস্তানী বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী পাল্টা ধাওয়া করলে জঙ্গলের ওপরে বোমা ফেলে চলে যায় ভারতীয় বিমানগুলি। এতে কোনও প্রাণহানি হয়নি বলেও দাবী করে পাকিস্তান। ওই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের নিয়ন্ত্রণ রেখার দুপাশে উত্তেজনা শুরু হয়। বেশ কয়েকটি সেক্টরে গোলাগুলি বিনিময় হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কেন এই বিরোধ বালাকোট হামলা: কতো দূর গড়াতে পারে উত্তেজনা পাহাড়ি এলাকা বালাকোট তার নিসর্গ দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। কী জানা যাচ্ছে সংঘর্ষের বিষয়ে? পাকিস্তান থেকে বিবিসি-র সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ওই এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি সব সরকারী স্কুল কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কোটলি সেক্টরে ভারতীয় বাহিনীর ছোঁড়া গোলায় চারজন নিহত হন। এছাড়াও রাওয়াকোট, ভাঁওর, চাকৌতে মেশিনগান থেকে গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারা মর্টারও ছোঁড়ে বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ভারতও অভিযোগ করছে যে পাকিস্তানই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, "কাশ্মীরের আখনুর, নৌশেরা সেক্টরগুলিতে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই সংঘর্ষ বিরতির চুক্তি ভেঙ্গেছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাও উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।" কাশ্মীর বিভক্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এল ও সি দিয়ে এইসব গোলা বিনিময়ের ঘটনায় ১১ জন ভারতীয় সেনাসদস্য আহত হয়েছে। তাদের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভারতের দিকেও পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখার পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় সব স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রীনগর থেকে বিবিসি সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, উত্তর কাশ্মীরের উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার দুদিক থেকেই ব্যাপক গোলাগুলি চলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আবার সোফিয়ানে সন্দেহভাজন জৈশ-ই-মুহম্মদ সদস্যদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি এনকাউন্টার হয়েছে যাতে দুজন জৈশ জঙ্গী মারা গেছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বালাকোট হামলা : এখনও পর্যন্ত কী জানি, কী জানি না বালাকোটে ভারতের বোমা বর্ষণ: কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? বাংলাদেশ-মিয়ানমার সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে ভারতের বোমা বর্ষণ
Indian and Pakistani troops have clashed near the Line of Control in the disputed Kashmir region.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অধ্যাপনা করেছেন স্টিভেন হকিং ওয়েস্টমিনস্টার চার্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দুনিয়াজুড়ে বিখ্যাত এই দুই বিজ্ঞানীর কাছেই সমাহিত করা হবে স্টিভেন হকিং এর দেহভস্ম। পদার্থ বিজ্ঞানী প্রফেসর হকিং কয়েক দশক ধরে মটর নিউরন সিন্ড্রোমে ভুগছিলেন। গত ১৪ই মার্চ তিনি ৭৬ বছর বয়সে মারা যান। বিজ্ঞানী হকিং-এর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১শে মার্চ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেট সেন্ট ম্যারি চার্চে তার শেষকৃত্যু অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গনভিল ও কেইয়াস কলেজে স্টিভেন হকিং ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অধ্যাপনা করতেন গ্রেট সেন্ট ম্যারি গির্জাটি তার খুব কাছেই। আরো পড়ুন: স্টিভেন হকিং: রসিক এবং খেয়ালী এক বিজ্ঞানী হকিং দেখিয়েছিলেন অচল শরীর কোন সমস্যা নয় স্টিভেন হকিং: ছবিতে বর্ণাঢ্য জীবন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে সমাহিত হবে স্টিভেন হকিং এর দেহভস্ম ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে এ বছরের শেষের দিকে এক থ্যাঙ্কস গিভিং অনুষ্ঠানে চিরবিদায় জানানো হবে এই বিজ্ঞানীকে। শেষকৃত্যের কথা জানাতে গিয়ে কলেজের ওয়েবসাইটে প্রফেসর হকিং-এর সন্তান লুসি, রবার্ট ও টিম লিখেছেন, "আমাদের পিতা ক্যামব্রিজে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাস ও কাজ করেছেন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় ও এই শহরের অবিচ্ছেদ্য অংশ।" "একারণেই আমরা এই শহরে তার শেষকৃত্য আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই শহরকে তিনি খুব ভালোবাসতেন। এই শহরটিও তাকে খুব ভ।লোবাসতো। আমাদের পিতার জীবন ও কর্ম অনেকের কাছে অনেক কিছু। তাদের মধ্যে ধর্ম বিশ্বাসী যেমন আছেন তেমনি আছেন অবিশ্বাসীও। সেকারণে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানটি হবে সনাতন ও ইনক্লুসিভ।" যেদিন স্টিভেন হকিং এর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয় সেদিন তার গনভিল ও কেইয়াস কলেজের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছিলো ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের ডিন ড. জন হল বলেছেন, সতীর্থ বিজ্ঞানীদের পাশে স্টিভেন হকিংকে সমাহিত করা খুবই যুৎসই। তিনি জানান, স্যার আইজ্যাক নিউটনকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে সমাহিত করা হয়েছিলো ১৭২৭ সালে। আর চার্লস ডারউইনকে করা হয় আইজ্যাক নিউটনের পাশে ১৮৮২ সালে। তিনি বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি জীবন ও মহাবিশ্বের রহস্যময় অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ধর্ম ও বিজ্ঞান বিষয়ে একসাথে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।" আরো পড়ুন: সন্ত্রাস-বিরোধী নাগরিক হোন: ব্রিটিশ পুলিশ মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগে সু চি'র কী লাভ? বিদেশীদের যৌন কাজের টার্গেট হচ্ছে রোহিঙ্গা মেয়েরা
The ashes of Professor Stephen Hawking will be interred next to the grave of Sir Isaac Newton at Westminster Abbey, it has been revealed.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
নাতানজ পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রের স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি। এই সাইটটি পরমাণু সমৃদ্ধকরণে সক্ষম বলে ধারণা করা হয়। আগামী দুই মাসে ইরানের উপর থেকে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে সরকার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী সম্মত ৩.৬৭% এর পরিবর্তে ২০% বেশি ইউরেনিয়াম উৎপাদন করবে বলে জানানো হয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, তিনি এই আইন প্রয়োগের বিরোধিতা করেন। ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার ঘটনার পর এই পদক্ষেপ আসলো। গত শুক্রবার রাজধানী তেহরানের বাইরে রাস্তার পাশে রহস্যমূলক এক হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয় মোহসেন ফখরিযাদেকে। ইরান বিশ্বাস করে যে, ইসরায়েল এবং একটি নির্বাসিত একটি বিরোধী গোষ্ঠী রিমোট-কন্ট্রোলের মাধ্যমে পরিচালিত অস্ত্র ব্যবহার করে ফখরিযাদেকে গুলি করেছে। তবে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জনসমক্ষে এখনো কোন মন্তব্য করেনি ইরান। ইরানের পরমাণু কর্মসূচীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ফখরিযাদের। তবে দেশটির সরকার বারবারই বলে আসছে যে তাদের পরমাণু কর্মযজ্ঞ পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। পরমাণু অস্ত্র যাতে উৎপাদন করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বরাবরই নানা ধরণের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়ে আসছে দেশটি। ইরানের নতুন আইন পরমাণু কর্মসূচীতে কতটা প্রভাব ফেলবে? ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদিত আইন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয় দেশগুলোকে দুই মাস সময় দেয়া হবে দেশটির তেল এবং অর্থনৈতিক খাতের উপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে সরে আসলে ওই নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনঃআরোপ করা হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা না হলে সরকার ইউরেনিয়াম উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়াবে এবং উন্নত সেন্ট্রিফিউজ বসাবে যা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে কাজ করবে। দেশটির নাতান্জ এবং ফর্দো পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রে এসব পদক্ষেপ নেয়া হবে। এই উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে জাতিসংঘের পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকারও বন্ধ করে দেয়া হবে। "আজ এক চিঠিতে নতুন আইন কার্যকর করতে প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানিয়েছেন পার্লামেন্টের স্পীকার," বুধবার এক প্রতিবেদনে এমন খবর দিয়েছিল ইরানের ফার্স সংবাদ সংস্থা। আইনটি অনুমোদনের আগে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেছেন, তার সরকার এই প্রস্তাবের সাথে একমত নয়। একে "কূটনীতির জন্য ক্ষতিকর" বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তার সরকার নতুন পাস করা আইনের বিষয়ে সম্মত নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে আসেন এবং তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য বলেছেন যে তিনি চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনবেন এবং তেহরান যদি "পরমাণু চুক্তির শর্ত কঠোরভাবে মেনে চলে" তাহলে নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করা হবে। মি. বাইডেন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০শে জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, তিনি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, "বিষয়টি অবশ্যই কঠিন" কিন্তু "বিশ্বের ওই অংশে আমাদের সর্বশেষ যে কাজটি করতে হবে তা হল পরমাণু সক্ষমতা তৈরি।" চুক্তি অনুযায়ী পরমাণু উৎপাদনের মাত্রা ৩.৬৭% এ সীমিত রাখার শর্ত ২০১৯ সালের জুলাইতে ভঙ্গ করেছে ইরান এবং এর পর থেকে এই হার ৪.৫% এই স্থিতিশীল রয়েছে। নিম্ন মাত্রায় পরমাণু উৎপাদন যাতে মূলত ৩-৫ শতাংশ ইউরেনিয়াম-২৩৫ থাকে, তা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অস্ত্র তৈরি করতে হলে ৯০ শতাংশের বেশি ইউরেনিয়াম থাকতে হবে। পরমাণু বোমা তৈরির কর্মকাণ্ডকে ঢাকতেই ইরান পরমাণু কর্মসূচী পরিচালনা করতো- এমন সন্দেহ থেকে ২০১০ সালে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৫ সালের চুক্তিটি ছিল এই কর্মসূচীকে সীমিত করা এবং তা নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
Iran has moved to stop UN inspections of its nuclear sites and step up uranium enrichment under a new law approved by its parliament.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের সেই বিতর্কিত বৈঠক। কোন পক্ষেই একজন নারীও বৈঠকে ছিলেন না। এই বৈঠকের আলোচ্যসূচীতে ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছানোর আগেই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ইরান যদি কখনো পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রেও পরিণত হয়, সৌদি আরব তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নামবে না। আরো পড়ুন: নতুন পাঁচ 'স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায়' বাংলাদেশ স্বৈরশাসন প্রশ্নে জার্মান সমীক্ষা প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ ফ্রান্সে সুপারমার্কেটে জিম্মি সংকট, নিহত ৩ আর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসও সৌদি আরবে সামরিক সাহায্য বন্ধের প্রস্তাবটি প্রত্যাখানের মাধ্যমে সৌদি যুবরাজের অবস্থানের প্রতি তাদের সায় জানিয়েছে। প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল ইয়েমেনে সৌদি আরব যে যুদ্ধ চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের বৈঠকের আলোচ্যসূচীতে যত গুরুত্বপর্ণ বিষয়ই থাক, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বৈঠকটি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি কারণে। হোয়াইট হাউসের ঐ বৈঠকে টেবিলের বিপরীত দিকে দুই নেতা যাদের নিয়ে বৈঠক করছেন, তাদের সবাই পুরুষ, কোন পক্ষেই একজনও নারী কর্মকর্তা নেই। তবে বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে কোন নারী দেখা না গেলেও ভিড় করা সাংবাদিকদের মধ্যে একজন নারী সাংবাদিককে দেখা যাচ্ছে। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটাই বিতর্ক সৃষ্টি করেছে যে টুইটারে এটি নিয়ে এক পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে দশ হাজার বার। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার টিমে নারীদের অনুপস্থিতির জন্য এবারই যে প্রথম সমালোচনার মুখে পড়েছেন তা নয়। এর আগেও এ নিয়ে তাঁর সমালোচনা হয়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে একটি ছবি একই ভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ঐ ছবিতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি বিলে সই করছেন, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোকে গর্ভপাত এবং এ সংক্রান্ত কর্মসূচীর জন্য তহবিল দেয়া বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আর ছবিতে যারা তাকে ঘিরে রেখেছেন, তাদের সবাই পুরুষ। একজন নারীকেও সেখানে দেখা যাচ্ছে না। সমালোচকরা তখন বলেছিলেন, মেয়েদের শরীরের ব্যাপারে এরকম গুরুতর একটি সিদ্ধান্ত যারা নিচ্ছেন, তারা সবাই পুরুষ! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উর্ধ্বতন উপদেষ্টাদের একজন, তার কন্যা ইভাংকা ট্রাম্প অবশ্য আগে সৌদি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু গত ২০শে মার্চ হোয়াইট হাউসের বৈঠকে তাঁকেও দেখা যায়নি। সৌদি আরবের ব্যাপার অবশ্য একেবারেই ভিন্ন। একেবারেই রক্ষণশীল একটি দেশ এটি। কিন্তু মোহাম্মদ বিন সালমান নিজেকে একজন সংস্কারপন্থী হিসেবে দেখাতে চাইছেন। বিশেষ করে মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। গত বছর সৌদি রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার পর তিনি মেয়েদের পক্ষে বিশেষ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত সিদ্ধান্তটি হচ্ছে মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া। সৌদি আরবে তিনি মেয়েদের জন্য ফুটবল খেলা দেখার সুযোগও খুলে দিয়েছেন। অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া মেয়েদের ব্যবসাও করতে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সৌদি আরব এখনো বহূদূরে। হোয়াইট হাউসের ছবিটি তারই একটি উদাহারণ। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ সৌদি আরবের পক্ষে এমন যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছেন যে এই একটি মাত্র ছবিকে সৌদি আরবে নারী-পুরুষের অসাম্যের প্রমাণ হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। আরো পড়ুন: হেফাজতে মৃত্যু, কিছু প্রশ্ন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়বদ্ধতা এর পর কোন প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে চলেছে? শোক সইতে পারলেন না ক্যাপ্টেন আবিদের স্ত্রী
Saudi Crown Prince Mohammed bin Salman's meeting with President Donald Trump was notable for many reasons.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
তালেবান নেতারা একাধিক বিয়ে করেন ধর্ম অনুসারে মুসলমান পুরুষরা চারটা বিয়ে করতে পারে। আর পাকিস্তান,আফগানিস্তান এবং কিছু মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বহুবিবাহ এখনো বৈধ। কিন্তু তালেবানের সূত্রগুলো বিবিসিকে বলেছে, এই বহুবিবাহ করতে যেয়ে কমান্ডারদের অধিক অর্থের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। এর কারণ - অনেক আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের পাশতুন আদিবাসী পরিবারে বিয়ে করতে হলে কনে পক্ষকে চড়া মূল্য দিতে হয়। এই ডিক্রি এমন এক মুহূর্তে জারি করা হল যে সময়টা তালেবান এবং দেশটির জন্য রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর। দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে জঙ্গি গ্রুপটি সরকারের সাথে আলোচনারত রয়েছে। সূত্র বলছে, তালেবানের শীর্ষ-নেতারা তাদের সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে. তারা বহুগামিতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য অর্থ জোগাড় করার উদ্যোগ নিয়েছে। বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতাদের একাধিক স্ত্রী আছে। তবে যারা আগে থেকেই বহুবিবাহে আছে তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন ডিক্রি প্রযোজ্য হবে না। ডিক্রিতে কী বলা হচ্ছে: আফগান তালেবান নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহর নামে ইস্যু করা এই ডিক্রিতে বলা হয়েছে - দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বিয়েকে নিষিদ্ধ করছে না। তবে বিবাহ উৎসবে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করা হচ্ছে, তাতে করে তালেবানদের যারা প্রতিপক্ষ তাদের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে সমালোচনা করার জন্য। "যদি সব নেতৃত্ব এবং কমান্ডাররা বহুগামিতা এড়িয়ে চলেন, তাহলে তাদের অবৈধ দুর্নীতিতে জড়াতে হবে না," বলা হয়েছে ডিক্রিতে। তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। বহুবিবাহ যেসব পুরুষরাই করতে পারবে যাদের কোন সন্তান নেই, বা যাদের আগের কোন বিয়ে সম্পর্ক থেকে ছেলে সন্তান নেই, অথবা যারা একজন বিধবাকে বিয়ে করছে, কিংবা যারা একের অধিক স্ত্রীর ভরণপোষণ করতে পারবে। ডিক্রিতে বলা হয়েছে এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ বহুবিবাহ করতে চান, তাহলে বিয়ের আয়োজনের আগেই তাকে তার সরাসরি ঊর্ধ্বতন নেতার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীদের কিছু বলার থাকে না তালেবানের সোর্স বিবিসিকে জানিয়েছে, এই চিঠিটা আফগানিস্তান, পাকিস্তান তালিবানের সর্বস্তরে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বহুগামিতা কতটা বিস্তার লাভ করেছে? আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের পাশতুন সমাজে বহুগামিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মেয়েদের আসলে তেমন কিছুই বলার থাকে না যে তারা কাকে, কখন বিয়ে করবে। গ্রামীণ পুরুষতান্ত্রিক পাশতুন সমাজে বিয়ের পর বাচ্চা না থাকা বিশেষ করে ছেলে সন্তান না থাকাকে আরেকটি বিয়ে করার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়। আরেকটা কারণ হল সংসারে ঝগড়া-বিবাদ, যার জন্য কেবল স্ত্রীকেই দায়ী করা হয়। একজন বিধবাকে তার মারা যাওয়া স্বামীর ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। এতে করে বিধবা এবং পরিবারের সম্মান দুটোই রক্ষা পায়। যদিও যে ব্যক্তির সাথে বিয়ে দেয়া হচ্ছে তিনি আগে থেকেই বিবাহিত হতেই পারেন। আর যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের জন্য বহুগামিতা একটা মর্যাদার ব্যাপার। এইসব বিয়েতে 'ওয়ালওয়ার' বা কনের মূল্য নামে এক প্রথা রয়েছে, যার ফলে কনের পরিবার মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেয়ার বিনিময়ে অর্থ পায়। এদিকে অর্থনৈতিক চাপ এবং সামাজিক আচরণ পরিবর্তনের সাথে সাথে সম্প্রতি কয়েক দশক ধরে বহুগামিতাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে এই ধারণাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে "পুরুষের অভিলাষ" নামে বলছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় আফগান অ্যাকটিভিস্ট রিটা আনওয়ারি। ইসলাম পুরুষদের একাধিক বিয়ে করার অনুমোদন দিয়েছে তবে "কিছু নির্দিষ্ট শর্তে" বলছিলেন মিস আনওয়ারি। যেমন "যদি স্ত্রী অসুস্থ থাকে এবং বাচ্চাদের যত্ন নিতে না পারে। এবং সেখানেও "নির্দিষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ আদেশ রয়েছে"। তিনি বলেন, "দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকের দিনে পুরুষেরা তার শক্তির এবং ক্ষমতার জোড়ে তাদের অভিলাষ পূর্ণ করার জন্য সব নিয়মকানুন ভুলে বসে আছে"। "এক ব্যক্তির একাধিক বিয়ে করা সম্পূর্ণ ভুল যদি সে সব স্ত্রীকে সমানভাবে আর্থিক, শারীরিক, মানসিকভাবে যত্ন নিতে না পারে"। তালেবান যোদ্ধাদের ছবি তালেবান নেতাদের বহুবিবাহ: বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতার একাধিক বিয়ে রয়েছে। আফগানিস্তানে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মৃত মোল্লা মোহাম্মদ ওমর এবং তার উত্তরসূরি মোল্লাহ আখতার মানসুর তাদের দুইজনেরই তিনজন স্ত্রী ছিলেন। তালেবানের বর্তমান প্রধান মোল্লা হাইবাতুল্লাহ দুইটা স্ত্রী। যখন বিবিসির পক্ষ থেকে তালেবানের সূত্রকে জিজ্ঞেস করা হয় - কোন তালেবান নেতার একাধিক স্ত্রী আছে? সূত্র থেকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছে - "কার নেই?" এখন কেন বহুগামিতাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে? অনেক বছর ধরে আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা বলে আসছেন, যখন তালেবান নেতারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছেন সেখানে সৈনিকরা একেবারে দিন আনে দিন খায় অবস্থায় দিন কাটায়। গতবছর ডাভোস ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি একটা প্যানেল আলোচনায় বলেছিলেন, "ভাল খবর হল তালেবান যোদ্ধারা যুদ্ধ করতে করতে এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং এখন তারা চতুর্থ এবং পঞ্চম স্ত্রীর সাথে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন।" তালেবান নেতাদের জন্য কনের মূল্য আর্থিক বিবেচনায় উদ্বেগের হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে, একটা বিয়ের জন্য তারা ২৬ হাজার পাউন্ড থেকে এক লক্ষ পাউন্ড খরচ করছে। এই অর্থ তারা সংগঠনটির ফান্ড থেকে নিচ্ছে অথবা বিতর্কিত উপায়ে অর্থ জোগাড় করছে।
The leader of the Taliban in Afghanistan has issued a decree urging the group's leaders and commanders to forego taking multiple wives, which he said was inviting "criticism from our enemies".
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
রুহুল্লাহ জাম: শনিবার ইরানে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, শনিবার রুহুল্লাহ জামকে ফাঁসি দেয়া হয়। এর আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখে। এটি পরিষ্কার নয় কিভাবে রুহুল্লাহ জামকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি ফ্রান্সে নির্বাসিত জীবনযাপন করছিলেন। বলা হচ্ছে, গত বছর তিনি ইরাকে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তাকে ধরা হয়েছিল। রুহুল্লাহ জাম আমাদনিউজ বলে একটি ওয়েবসাইট চালাতেন। ইরান সরকারের বিরোধী এই নিউজ ওয়েবসাইট বেশ জনপ্রিয় ছিল। ইরান সরকার অভিযোগ করেছিল, আমাদনিউজ ২০১৭-১৮ সালে দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ হয়, তাতে উস্কানি দিয়েছিল। মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে আমাদনিউজ যেসব সাংকেতিক বার্তা শেয়ার করতো, সেগুলো ফলো করতো প্রায় দশ লাখ মানুষ। এই নেটওয়ার্কে আমাদনিউজ ইরানে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের খবর ছাড়াও ইরানি কর্মকর্তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করতো। ইরান সরকার এই ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু পরে এটি আবার ভিন্ন-নামে আত্মপ্রকাশ করে। আরও পড়ুন: ইরানের এবারের বিক্ষোভ কেন আগের চেয়ে ভিন্ন ইরান-বিরোধী মুজাহিদিনরা কী করছে ইউরোপে? আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? ইরানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয় রুহুল্লাহ জামের বিরুদ্ধে রুহুল্লাহ জাম ছিলেন ইরানের সংস্কারপন্থী ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ আলি জামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে 'বিশ্বকে কলুষিত' করার অভিযোগ আনা হয়। এটি ইরানের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের একটি বলে বিবেচনা করা হয়। তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, রুহুল্লাহ জাম 'অন্যায্য বিচারের' শিকার হয়েছেন, কারণ তার বিচার করা হয়েছে 'জোর করে আদায় করা স্বীকারোক্তির' ভিত্তিতে। এ সপ্তাহের শুরুতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রুহুল্লাহ জামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিল। তারা এটিকে 'ইরানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত' বলে বর্ণনা করে। ফ্রান্স রুহুল্লাহ জামকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল। ২০০৯ সালে ইরানে যে বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, তারপর রুহুল্লাহ জামকে আটক করা হয়েছিল। ইরানের ইসলামিক রেভুলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এর আগে বলেছিল, তারা 'আধুনিক গোয়েন্দা তথ্য এবং উদ্ভাবনী কৌশল' প্রয়োগ করে রুহুলাহ জামকে আটক করে। আইআরজিসি অভিযোগ করে, রুহুল্লাহ জামকে পরিচালনা করতো ফ্রান্স, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থাগুলো। এসোসিয়েটেড প্রেস বার্তা সংস্থার মতে, রুহুল্লাহ জাম পরে টেলিভিশনে হাজির হয়ে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।
Iran has executed a journalist who was accused of using a messaging app to stir up dissent.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
‌ইরানের জাতীয় পতাকার একটি ম্যুরালের সামনে মাস্ক পরা ইরানী ব্যক্তি। সরকারের নিজস্ব রেকর্ডে দেখা গেছে যে, গত ২০শে জুলাই পর্যন্ত কোভিড ১৯ এর উপসর্গ নিয়ে প্রায় ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অথচ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন বলছে মৃতের সংখ্যা ১৪,৪০৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যাতেও রয়েছে গড়মিল। যতো সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গেছে সেটা সরকারি পরিসংখ্যানের প্রায় দ্বিগুণ। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮২৭ জন। কিন্তু গোপনীয় রেকর্ডে এই সংখ্যা আসলে ৪ লাখ ৫১ হাজার ২৪ জন। চীনের বাইরে যে দেশগুলোয় করোনাভাইরাস ব্যাপক ক্ষতি করেছে, তার মধ্যে ইরান অন্যতম। সাম্প্রতিক সপ্তাহে, দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। বিবিসির কাছে আসা মেডিকেল রেকর্ড এবং তালিকা অনুযায়ী, কোভিড -১৯ এ ইরানে প্রথম মৃত্যু হয়েছিল ২২ জানুয়ারি। যেটা কিনা দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রথম অফিসিয়াল কেস প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ হওয়ার প্রায় এক মাস আগের ঘটনা। ইরানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে অনেক পর্যবেক্ষক সরকারী পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায় থেকে আসা তথ্যের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা গিয়েছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন কর্তৃপক্ষ মুখ খুললেও পরিসংখ্যানবিদরা বিকল্প অনুমান দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শুরুতে কম দেখা গিয়েছিল। তবে বিবিসির তদন্তে জানা গেছে যে, ইরানের কর্তৃপক্ষ সকল আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও দৈনিক প্রকাশিত সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম দেখিয়েছে - যা এটাই ইঙ্গিত করে যে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা সংস্থার চাপে ছিল। মধ্য প্রাচ্যের সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হচ্ছে ইরান। 'সত্যের উপর আলোকপাত' অজ্ঞাতনামা একটি সূত্র বিবিসির কাছে এসব তথ্য পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ইরান জুড়ে থাকা বিভিন্ন হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রবেশের বিবরণ রয়েছে, নাম, বয়স, লিঙ্গ, লক্ষণ, এবং কী কারণে রোগীরা কতো সময় ধরে হাসপাতালে ছিলেন, সেই তথ্যও পাওয়া যায়। সূত্রটি বলেছে যে তারা এই তথ্য বিবিসির কাছে দিয়েছে যেন "সত্যের ওপর আলোকপাত করা হয়" এবং মহামারীকে ঘিরে "রাজনৈতিক খেলার" ইতি টানা হয়। এই সূত্রটি ইরানী সরকারী সংস্থার পক্ষে কাজ করে কিনা, বা তারা কীভাবে এই তথ্য পেয়েছে সেটা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। তবে এই তালিকায় থাকা কিছু বিবরণ বিবিসির কাছে আগে থেকেই থাকা কয়েকজন জীবিত এবং মৃত রোগীর তথ্যের সাথে মিলে যায়। সরকারী পরিসংখ্যান এবং এই রেকর্ডগুলোয় পাওয়া মৃত্যুর সংখ্যার মধ্যে যে পার্থক্য সেটার সাথে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেয়া সরকারী তথ্য এবং অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যায় যে অসামঞ্জস্যতা সেটাতেও মিল পাওয়া যায়। অতিরিক্ত মৃত্যুহার বলতে বোঝায়, "স্বাভাবিক" পরিস্থিতিতে যে হারে মৃত্যু হবে বলে ধারণা করা হয়, তার চাইতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হলে। ইরান করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফাঁস হওয়া তথ্যে কী আছে? রাজধানী তেহরানে সবচেয়ে বেশি অন্তত ৮,১২০ জন কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়ে না হলে এর লক্ষণ নিয়ে মারা গেছেন। তবে শুরুতে দেশটিতে ভাইরাসের প্রাথমিক কেন্দ্রস্থল ছিল কওম শহর। সেখানে আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছিল। সেখানে মারা গিয়েছিলেন মোট ১৪১৯ জন। আনুপাতিক হিসেবে কওম শহরের প্রতি এক হাজার লোকের মধ্যে একজন কোভিড -১৯ এ মারা গেছেন। এটি লক্ষণীয় যে, দেশজুড়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ১,৯১৬ জন ছিলেন ইরানের বাইরে অন্য দেশের নাগরিক। এটি উল্লেখযোগ্য হারে অভিবাসী এবং শরণার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যাকে ইঙ্গিত করে, যারা বেশিরভাগ প্রতিবেশী আফগানিস্তান থেকে এসেছে। ফাঁস হওয়া তথ্যগুলোয় শনাক্ত ও মৃত্যুর যে সংখ্যা পাওয়া গেছে সেটার সাথে সরকারী প্রতিবেদনে থাকা অসামঞ্জস্যতার মিল পাওয়া গেছে। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে এসে ইরানে লকডাউন কার্যকর করা হয়। সে সময় দেশটির নতুন বছর নওরোজের ছুটি চলছিল। এর থেকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করে। কিন্তু মে-মাসের শেষের দিকে সরকারী বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার সাথে সাথে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা আবার বাড়তে থাকে। ফাঁস হওয়া ওই তালিকা অনুযায়ী ইরানে কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২২শে জানুয়ারি, ইরানে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের প্রথম আক্রান্তের খবর প্রকাশ হয় এর প্রায় এক মাস পরে, ১৯শে ফেব্রুয়ারিতে। প্রথম মৃত্যু এবং সরকারি খবর প্রকাশের মধ্যে থাকা ২৮ দিনে অন্তত ৫২ জন মারা গিয়েছিলেন বলে সূত্র থেকে জানা যায়। আরও পড়তে পারেন: ইরান কি ইচ্ছে করেই মার্কিন সৈন্যদের টার্গেট করেনি? নতুন বিস্ফোরণের খবর অস্বীকার করছে ইরানের সরকার সোলেইমানি হত্যা ট্রাম্পকে নির্বাচনে সহায়তা করবে? তথ্য ফাঁসকারী যে চিকিৎসকরা এ বিষয়টি জানতেন তারা বিবিসিকে বলেছেন যে, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইরানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার চাপে ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বিবিসিকে বলেন যে মন্ত্রণালয় আসল তথ্য প্রকাশে "অস্বীকার করে"। তিনি বলেন, "প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে টেস্টিং কিট ছিল না এবং যখন তারা কিট পেল তখন সেগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করল না। নিরাপত্তা বিভাগের অবস্থানটা এমন ছিল, ইরানে যে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব আছে স্বীকার করা যাবে না।" কওম শহরের দুই সহোদর ডাক্তার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বাধ্য করেছিলেন যেন আক্রান্ত হওয়ার খবর সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়। ডাঃ মোহাম্মদ মোলায়ই এবং ডাঃ আলী মোলায়ই যখন তাদের আরেক ভাইকে হারান তখন, তারা জোর দেন যেন তাদের ভাইয়ের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়, ওই পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের ফল পজিটিভ আসে। কওম শহরের কামকার হাসপাতালে, যেখানে তাদের ভাই মারা গিয়েছিলেন, সেখানে অসংখ্য রোগী কোভিড -১৯ এর লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তারা সাধারণ চিকিৎসায় সেরে উঠছিলেন না। তবুও, তাদের কারও করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়নি। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক সেই চিকিৎসক বলেন: "তাদের ভাগ্য খারাপ ছিল। ভদ্রতা এবং প্রভাব দুটো থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের ভাইকে হারিয়েছে। ডাঃ মোলায়ই এর সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পরিচয় ছিল এবং তিনি হাল ছাড়েন নি।" ডঃ মোলায়ই তার প্রয়াত ভাইকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন এবং বিবৃতি দেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবশেষে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু হিসেবে তার ভাইয়ের তথ্য লিপিবদ্ধ করতে বাধ্য হয়। তবুও রাষ্ট্রীয় টিভি ডঃ মোলায়ইর সমালোচনা করে এবং তার ভাইয়ের ভিডিও কয়েক মাসের পুরানো বলে মিথ্যা দাবি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ইউক্রেনের বিমানটি ভূপাতিত করার পরে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ধামাচাপা কেন? ইরানে সংসদ নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লব দিবসের সময়ে এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতি সমর্থন আদায়ে এগুলো ছিল প্রধান কিছু সুযোগ। ভাইরাসের কারণে তারা এই সুযোগগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাইছিল না। ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অভিযোগ করেছিলেন যে, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য কেউ কেউ করোনাভাইরাসকে ব্যবহার করতে চাইছে। ওই নির্বাচনে খুব কম ভোট পড়ে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আঘাত হানার আগে থেকেই ইরান একের পর এক অভ্যন্তরীণ সংকটে জর্জরিত ছিল। ২০১৮ সালের নভেম্বরে, দেশটির সরকার এক রাতের মাথায় পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দেয়। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ হলে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আন্দোলন দমনে বেশ সহিংস অবস্থান নেয়। এতে কয়েকদিনে কয়েকশ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলায়মানি যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত হন। তিনি ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পরে অন্যতম শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। পেন্টাগন নিশ্চিত করে যে তারা জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করেছে তার হত্যাকাণ্ডে ইরান যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল সেটা অন্য আরেক সমস্যার সৃষ্টি করে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ভুল করে ইউক্রেনের একটি বিমানে মিসাইল নিক্ষেপ করে ভূপাতিত করে। তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করার কয়েক মিনিটের মধ্যে ওই হামলায় বিমানটিতে থাকা ১৭৬ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। ইরানি কর্তৃপক্ষ প্রথমে যা ঘটেছে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিন দিন পরে তারা সত্যি স্বীকার করতে বাধ্য হয়, যার ফলে দেশটির ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাক্তন এমপি ডাঃ নুরলদিন পিরমোয়াজ্জেন, যিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছিলেন, বিবিসিকে তিনি বলেন যে এমন প্রেক্ষাপটে আবার করোনাভাইরাস আঘাত হানার কারণে ইরান সরকার "উদ্বিগ্ন এবং সত্য প্রকাশে ভীত" হয় পড়ে। তিনি বলেন: "সরকার ভয় পেয়েছিল যে দরিদ্র ও বেকাররা রাস্তায় নেমে আসবে।" ডা. পিরমোয়াজ্জেন আরও বলেন, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা মেডেসি সান ফ্রতেয়া মধ্য প্রদেশ ইস্ফাহানে করোনাভাইরাস চিকিৎসা দিতে চেয়েছিল কিন্তু ইরান সরকার সেটা বন্ধ করে দেয়। এতে বোঝা যায় যে মহামারী মোকাবিলার ক্ষেত্রেও ইরানের সরকার নিরাপত্তা নিয়ে কতোটা শঙ্কায় ছিল। ইরানের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী (বামে) যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক মহড়া প্রদর্শন এবং করোনাভাইরাস আঘাত হানার আগে থেকেই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ইরান। ২০১৮ সালের মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসার পরে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই চিকিৎসক বলেন, "যারা দেশকে এই বিপর্যয়কর পর্যায়ে এনেছে তাদেরকে এজন্য ভুগতে হয় না। ভুগতে হয় এ দেশের দরিদ্র মানুষ এবং অসহায় রোগীদের। সাধারণ মানুষকে জীবন দিয়ে তাদেরকে মূল্য দিতে হচ্ছে।" "যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সরকার এই দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে আমরা চূর্ণ হয়ে যাচ্ছি।" স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে তারা যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সেখানে সব তথ্য "স্বচ্ছ" এবং "কোনও ক্রুটি নেই"।
The number of deaths from coronavirus in Iran is nearly triple what Iran's government claims, a BBC Persian service investigation has found.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
জাপানে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের অবকাশে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশে নিয়ে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই দিল্লি তা জোরালোভাবে অস্বীকার করে। এদিন মঙ্গলবার পার্লামেন্টেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী কখনওই এমন কোনও অনুরোধ জানাননি এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতেই কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান হতে হবে ভারতের এই অবস্থানেও কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবুও ভারতের বিরোধী দলগুলো নরেন্দ্র মোদীর নিজের মুখ থেকেই এর ব্যাখ্যা শোনার জন্য জেদ ধরে আছে। আরো পড়তে পারেন: মোদী এবার কিভাবে অর্থনীতি সামলাবেন ভারতে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ধারার সমাপ্তি ঘটাচ্ছেন মোদী? আবার মোদী সরকার: কী প্রত্যাশা হবে বাংলাদেশের? সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রাক্কালে ইন্দিরা গান্ধী ও জুলফিকার আলি ভুট্টো আসলে কাশ্মীর প্রশ্নে কোনও তৃতীয় পক্ষ নাক গলাতে পারবে না - শুধুমাত্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধানের পথ খুঁজতে হবে, এটাই দিল্লির বহু বছরের ঘোষিত অবস্থান। বাহাত্তরের সিমলা চুক্তি বা ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত এই অবস্থান থেকে ভারতের কোনও সরকার কখনোই সরে আসার ইঙ্গিত দেয়নি। সেই কারণেই যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে ইমরান খানকে পাশে নিয়ে মন্তব্য করেন যে দিনকয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে কাশ্মীর প্রশ্নে 'মিডিয়েশন বা আরবিট্রেশন করার জন্য' আর্জি জানিয়েছেন - ভারতে তার প্রতিক্রিয়া হয় বোমাবর্ষণের মতো। এদিন সকাল থেকেই ভারতের বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্টে এই ইস্যুতে তুমুল হইচই বাঁধিয়ে দেন। ওভাল অফিসে ইমরান খানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ২২শে জুলাই, ২০১৯ উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে রাজ্যসভায় বারবার বলতে শোনা যায়, "আপনারা কি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বেশি বিশ্বাস করেন?" "দয়া করে একটা জাতীয় ইস্যুকে রাজনৈতিক রঙ দেবেন না!" কিছুক্ষণ পরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে বিবৃতি দিয়ে বলেন, "আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই প্রধানমন্ত্রী মোদী কখনও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এরকম কোনও অনুরোধ জানাননি।" "আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার - পাকিস্তানের সঙ্গে সব অমীমাংসিত ইস্যু কেবলমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতেই মেটাতে হবে, আর সেটাও হবে তারা সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করলে তবেই।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে বন্যায় ১২ দিনে ৮৭ জনের মৃত্যু কাটা মাথা আতঙ্ক জেঁকে বসেছে প্রত্যন্ত গ্রামে বরগুনা হত্যাকাণ্ড: মাদক, রাজনীতি আর ক্ষমতার চক্র ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঘটনা হল, সপ্তাহদুয়েক আগে জাপানে জি-২০ সামিটে ট্রাম্প ও মোদীর সত্যিই একান্তে কথাবার্তা হয়েছিল। অতএব প্রধানমন্ত্রীর নিজের মুখ থেকে ব্যাখ্যা শোনার দাবিতে বিরোধী দলগুলো এরপরেও অটল থাকে। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ অন্য বিরোধী নেতাদের সাথে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, "ভারতের অবস্থান খুব ভাল করে জানা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন এই ধরনের একটা কথা বললেন সেটাই আমরা জানতে চাই।" "নিশ্চয় কোনও বিশেষ কারণেই তিনি এটা বলেছেন।" "আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করতে রাজি আছি। এটা বলছি না যে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন - কিন্তু তার পার্লামেন্টে এসে বিবৃতি দিতে অসুবিধা কোথায়?" কংগ্রেস নেতা ও ভারত শাসিত কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর অবশ্য বলেছেন, তার ধারণা ভালমতো না বুঝেই এবং কাশ্মীর ইস্যুতে সঠিকভাবে 'ব্রিফড' বা অবহিত না হয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই মন্তব্য করেছেন। দিল্লিতে বহু পর্যবেক্ষকেরও ধারণা অনেকটা সেরকমই। সিনিয়র কূটনৈতিক সংবাদদাতা দেবীরূপা মিত্র যেমন বিবিসিকে বলছিলেন, "কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় ভারতের কোনও লাভ নেই।" "ফলে মোদীর এই ধরনের ইউ টার্ন নেওয়ারও কোনও কারণই নেই।" কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ চলছে সত্তর বছরেরও বেশি সময় ধরে "তাই গোটা ব্যাপারটাই খুব ধন্দে ফেলার মতো।" "তবুও আমার ধারণা, বিভিন্ন দেশের অতিথি নেতাদের পাশে নিয়ে তাদের খুশি করে কথা বলাটা মার্কিন প্রেসিডেন্টের পুরনো অভ্যাস, আর এটাও সেই 'ট্রাম্প টেমপ্লেটে'রই অংশ।" বিতর্ক সামাল দিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য এর মধ্যেই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, কাশ্মীর একটি 'দ্বিপাক্ষিক ইস্যু' বলেই তারা মনে করে। অন্য দিকে ইমরান খানও মি ট্রাম্পের মন্তব্যকে লুফে নিতে দেরি করেননি। তবে দিল্লি ও ওয়াশিংটন যত দ্রুত সম্ভব এই অস্বস্তিকর বিতর্ককে ভুলে যাওয়ারই চেষ্টা চালাচ্ছে।
India has denied that PM Narendra Modi asked US President Donald Trump to mediate in the longstanding Kashmir conflict with Pakistan.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
একটা শিপিং কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করতে পারলে পাওয়া যাবে অনেক স্পর্শকাতর তথ্য কেউ একজন এই কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমে একটা ভাইরাস ঢুকিয়ে দিয়েছে। ফলে কোম্পানির ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের যে কোন ইমেল তারা মনিটর করতে পারে। এই শিপিং কোম্পানি যাদের কাছ থেকে জ্বালানি কেনে, তারা যখন জ্বালানির বিল পরিশোধ করছে, সেই বিল যে একাউন্ট নাম্বারে যাওয়ার কথা, ভাইরাসটি সেটি পরিবর্তন করে অন্য একাউন্ট নম্বরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এভাবে কয়েক মিলিয়ন ডলার হ্যাকাররা সরিয়ে নেয়ার পর বিষয়টি কোম্পানির নজরে আসে। কেবল মাঝারি সাইজের শিপিং কোম্পানি নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিপিং কোম্পানিগুলোর একটি, মায়েস্কও এখন এরকম হ্যাকিং নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বুঝতে পেরেছে, হ্যাকাররা চাইলে জাহাজ চলাচলের মতো ব্যাপারেও হ্যাকিং এর মাধ্যমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। আরো পড়ুন: প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রথম ধাপ, বেলফাস্টের নারীদের কথা বস্টনে বিক্ষোভে কোণঠাসা এক উগ্র ডানপন্থী সমাবেশ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সূর্যগ্রহণ: যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে উন্মাদনা হ্যাকাররা বড় শিপিং কোম্পানি মায়েস্ক-কে টার্গেট করেছিল। একটা জাহাজ কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমে হ্যাক করতে পারলে বিস্তর স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেয়া সম্ভব। একটা ঘটনার কথা জানাজানি হয়েছে ইতোমধ্যে। জলদস্যুরা একটা বিরাট বড় শিপিং কোম্পানির নেটওয়ার্ক হ্যাক করে জানার চেষ্টা করছিল যে জাহাজে তারা ডাকাতি করার পরিকল্পনা করছে সেটাতে কি মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে। একজন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ বলেন, জলদস্যুরা একটি জাহাজে উঠে বারকোড দেখেই তখন বুঝতে পারবে কোন কনটেইনারে কি মাল আছে। তখন তারা কেবল সেই মালামাল নিয়ে কেটে পড়বে। জাহাজ চলাচল এখন কম্পিউটার ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল কিন্ত কেবল মালামাল ভর্তি কনটেইনার নয়, পুরো জাহাজই এখন আসলে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ জাহাজ চলে এখন পুরোপুরি কম্পিউটার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। একটি জাহাজের কম্পিউটার ব্যবস্থা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেটিকে আর চালানো যাচ্ছিল না। ইলেকট্রনিক চার্ট ডিসপ্লের মতো স্পর্শকাতর নেভিগেশন সিস্টেম করাপ্ট হয়ে পড়েছিল। এমন আশংকা বাড়ছে যে হ্যাকাররা কম্পিউটার সিস্টেমে ভাইরাস ঢুকিয়ে দিয়ে পুরো জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। হ্যাকাররা জাহাজের নেভিগেশন সিস্টেমও হ্যাক করার চেষ্টা করছে। এমনকি হ্যাকাররা নেভিগেশন সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ দখল করে একটি জাহাজ যেখানে আছে, সেখান থেকে অনেক দূরবর্তী কোন স্থানে এটি অবস্থান করছে বলে দেখাতে পারে। বিশ্বে প্রায় ৫১ হাজার বাণিজ্যিক জাহাজ আছে, যেগুলো বিশ্ব বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ পরিবহন করে। কাজেই হ্যাকাররা যে এই জাহাজ চলাচল খাতকে টার্গেট করেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিবিসি বাংলার আরো খবর: 'জিন্নাহর আদর্শই এখনও পাকিস্তানের ভিত্তি' ধর্ষণের শিকার মেয়েটি এবং তার সন্তান কেমন আছে? ভারত কেন '৬২-র যুদ্ধে চীনের কাছে হেরে গিয়েছিল?
When staff at CyberKeel investigated email activity at a medium-sized shipping firm, they made a shocking discovery.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
চীনে খুচরা বিক্রেতাদের উপর প্রভাব পড়ছে কিন্তু এ সপ্তাহেই দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের এক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বেইজিং কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটা বাণিজ্য চুক্তিতে আসতে ক্রমাগত চাপের মুখে পড়ছে? ধীরগতির অর্থনীতি বাণিজ্য যুদ্ধ চীনের অর্থনীতিকে হয়ত মন্দার দিকে নিয়ে নিয়ে যাবে না কিন্তু এটা অবশ্যই পরিস্থিতিকে খারাপের দিকে নিয়ে যাবে। গ্রোথ ডাটা গত সপ্তাহে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ১৯৯০ সালের পর এটাই চীনে সবচেয়ে কম গ্রোথ রেট। চীন সরকার দেশটিকে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করতে চেয়েছে কিন্তু এটাও ততটা চিন্তার বিষয় না। যতটা না অন্য তথ্য গুলো দু:চিন্তার কারণ হচ্ছে। ক্রেতা বা ভোক্তাদের অনুভূতি এবং খুচরা বিক্রয় খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ছে। ছোট এবং মাঝারি ধরণের কোম্পানি গুলো কম অর্ডার এবং মজুদের ব্যাপারে সেই ধাক্কাটা বুঝতে পারছে। আর এই চাপটাই পড়ছে কমিউনিস্ট পার্টির উপর। প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং যে এই বিষয়ে খুব কম নজর দিয়েছেন সেটাই প্রতিফলিত হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এর বৈধতার ভিত্তি হল চীনকে শক্তিশালী রাখা। আরো পড়ুন: বাংলাদেশকে নিয়ে চীন-ভারত দ্বন্দ্ব: নেপথ্যে কী? ভারত ও চীনের সাথে কিভাবে ভারসাম্য করছে সরকার ভারতে আটকে পড়া চীনা সৈনিক দেশে ফিরলেন ৫৪ বছর পর চীনে আমেরিকার প্রতিষ্ঠান গুলো একটা চুক্তি চায় এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপের মধ্যে রয়েছে একটা চুক্তি করার জন্য। চীনে যেসব মার্কিন কোম্পানি রয়েছে তারা ট্রাম্প প্রশাসন তাদের ব্যবসার উপর যে শুল্ক আরোপ করেছে তার প্রভাব নিয়ে অভিযোগ করছে। কিন্তু তারা চাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন একটা ভালো চুক্তি করে। চীনে আমেরিকার প্রতিষ্ঠান গুলো একটা চুক্তি চায় ওয়াশিংটন ডিসির আকিন গাম্প নামে একটি ল ফার্মের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড পার্টনার স্টেফেন খো, বলেছেন "এই প্রশাসন শুল্কের মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতির স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে রাজি আছে"। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চুক্তি হলে সেটা সবার জন্য ভালো হবে। যতদিন এই পরাশক্তি একে অপরের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করতে থাকবে ততই ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে। কোম্পানি গুলো কম লাভ করবে। আর বিশ্ব অর্থনীতির গতি কমে যাবে। উভয় পক্ষই একটা চুক্তি করে সমাধানে আসতে এখন চাপের মধ্যে আছে। অন্যান্য খবর: সহিংস জিহাদের প্রতি আকর্ষণের পেছনে কী কাজ করে সুন্দরবনে স্যাটেলাইটযুক্ত কচ্ছপগুলো কিভাবে এলো? র
The US-China trade dispute is starting to have consequences.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এখনও তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে খুব একটা সচেতন নন সোশাল নেটওয়ার্কে যেসব তথ্য দেওয়া হচ্ছে সেগুলো কিভাবে অন্যদের সাথে শেয়ার করা হচ্ছে এবং কার সাথে শেয়ার করা হচ্ছে এসব নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর এসব ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেকটা জ্বালানীর মতো। এসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপনদাতারা এই মাধ্যমটিতে আসেন তাদের পন্য বা সেবার প্রচার চালাতে। ব্যক্তিগত তথ্যের উপর বিচার বিশ্লেষণ চালিয়ে তারা ফেসবুক ব্যবহাকারীদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতা ও ফেসবুক উভয়েই অর্থ আয় করে থাকে। আরো পড়ুন: ফেসবুকের ভুল স্বীকার করলেন জাকারবার্গ আপনার ফেসবুক ডিলিট করার কি সময় এসেছে? ব্রিটেনে মুসলিম-বিরোধী গোষ্ঠী ব্রিটেন ফার্স্টের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো ফেসবুক ফেসবুক ব্যবহকারীর লাইক, ডিসলাইক, জীবনধারা এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যেতে পারেএবং ফেসবুকের যে সেই ক্ষমতা রয়েছে সেটা নিয়ে কারো কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু বড় প্রশ্ন হচ্ছে- ফেসবুক কি ধরনের তথ্য শেয়ার করে থাকে, কাদের সাথে করে এবং ফেসবুক যাতে সেটা করতে না পারে সেজন্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিজেদের কি করার আছে? আপনি দেখতে হলিউডের কোন তারকার মতো? জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ফেসবুকের জরিপ থেকে তারা তথ্য নিয়েছেন। এধরনের কুইজ লিঙ্ক আমরা প্রায়শই দেখি আমাদের নিউজফিডে। এসব কুইজে আপনার কৌতুহল, ব্যক্তিত্ব কিম্বা সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করা হয়। আপনাকে দেখাতে চেষ্টা করা হয় আপনি যদি বিখ্যাত কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রী হতেন তাহলে আপনাকে কেমন দেখাতো। মনে রাখবেন এধরনের একটি কুইজে ক্লিক করলেই কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ওই লিঙ্কের লোকেরা দেখে ফেলতে পারেন। বলা হচ্ছে, ফেসবুকের এমন একটি কুইজ যার শিরোনাম ছিলো 'দিস ইজ ইয়্যুর ডিজিটাল লাইফ' সেখান থেকে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এধরনের অনেক কুইজে আশ্বস্ত করার চেষ্টা চলে যে সেখানে ক্লিক করলেও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ থাকবে। কিন্তু এধরনের গেইম বা কুইজ তৈরি করা হয় একারণেই যে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এগুলো দেখে উত্যক্ত হন। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় কাজ করে এরকম একটি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন বলছে, এসব কুইজ থেকে কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয় সেটা নির্ভর করে সেসময় ফেসবুকের টার্মস এন্ড কন্ডিশন কী ছিলো সেসবের উপর। তৃতীয় কোন পক্ষ যাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্যে ফেসবুক তার টার্মস এন্ড কন্ডিশনে কিছু পরিবর্তন এনেছে। ব্যবহারকারীর বন্ধুর কাছ থেকেও যাতে তারা তার সম্পর্কে তথ্য নিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও আছে। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কি ধরনের তথ্য পেয়েছিলো সেটা এখনও পরিস্কার নয়। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এখন সেটা অনুসন্ধান করে দেখছে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে কী করতে পারেন? এটা করার অর্থ হচ্ছে, আপনি ফেসবুক থেকে তৃতীয় কোন পার্টির সাইট ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে এটা খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে তখন আপনি অন্য কোন পক্ষ যাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সীমিত পরিসরে ব্যবহার করতে পারে এবং আপনিও তৃতীয় পার্টির সাইট ব্যবহার করতে পারেন, তারও উপায় আছে। ব্যক্তিগত এসব তথ্যকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট, যা ক্রমশ বড় হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে হলে আরো কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে: "আপনি যদি কোন খেলা খেলতে চান বা কোন কুইজে অংশ নিতে চান তাহলে সেটা ফেসবুকের মাধ্যমে না করে সরাসরি ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে করবেন," বলেছেন ইস্ট এংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক পল বের্নাল। "ফেসবুক লগ ইনের মাধ্যমে এসব করা খুব সহজ কিন্তু এটা করার অর্থ হলো যারা এসব অ্যাপ তৈরি করেছে তারা তখন আপনার প্রোফাইল থেকে ব্যক্তিগত তথ্য পেয়ে যাবেন। আর কীভাবে আপনি ফেসবুকের তথ্য রক্ষা করতে পারেন? আপনি যদি চান আপনার এসব ব্যক্তিগত তথ্য পুরোটাই গোপন থাকুক, তাহলে এর জন্যে একটাই উপায় আর সেটা হলো ড. বের্নালের মতে "ফেসবুক ছেড়ে চলে যাওয়া।" লোকজন যদি সেটা করতে শুরু করে তখনই ফেসবুক এব্যাপারে আরো বেশি সচেতন ও সক্রিয় হতে বাধ্য হবে। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর অনেকেই টুইটারে প্রচারণা চালাচ্ছেন হ্যাশট্যাগ দিয়ে। তারা বলছেন ডিলিট ফেসবুক কিম্বা বয়কট ফেসবুক। কিন্তু ড. বের্নাল মনে করেন বহু মানুষ যে ফেসবুক ছেড়ে চলে যাবে সেরকমটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। "বিশেষ করে যারা মনে করেন ফেসবুক তাদের জীবনেরই অংশ, তারা ফেসবুকে থেকেই যাবেন," বলেন তিনি। এসব তথ্য কতোদিন রাখা হয়? সোশাল মিডিয়া থেকে কি আপনি আপনার প্রোফাইল মুছে ফেলতে পারবেন? ইউরোপে তথ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীর তথ্য 'যতো দিন দরকার তারা ততোদিনই' সংরক্ষণে রাখতে পারবে। কিন্তু এই 'রাখতে পারবে' কথাটির অর্থ নানা রকম হতে পারে। ফেসবুকের ক্ষেত্রে এটা এরকম- যতোক্ষণ পর্যন্ত আপনি সেটা ডিলিট না করবেন ততক্ষণ সেটা ফেসবুকে থাকবে। এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য। ব্যবহাকারী চাইলে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিতে পারেন। যার অর্থ 'কিল' করা। কিন্তু ফেসবুক সবসময় চায় আপনি অ্যাকাউন্ট একেবারে বন্ধ না করে দিয়ে যেনো কিছু সময়ের জন্যে সোশাল নেটওয়ার্ক থেকে ব্রেক বা বিরতি নেন। তারা আপনাকে ফেসবুক ডিঅ্যাক্টিভেট করার পরামর্শ দেন যাতে আপনি আবার চাইলে ফেসবুকে ফিরে আসতে পারেন।
India has taken down the local website of Cambridge Analytica following allegations the company used personal data of 50 million Facebook members to influence the US presidential election.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে তালেবানকে সহায়তার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র তবে ঐতিহাসিকভাবেই পরস্পরের শক্র রাশিয়া আর তালেবান উভয়েই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু মার্কিন এই অভিযোগের সত্যতা কতটুকু? যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ আসলে কী? গত মার্চে বিবিসিকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানে মার্কিন কমান্ডার জেনারেল জন নিকলসন অভিযোগ করেন, তাজিকিস্তানের সীমান্ত এলাকা থেকে তালেবানের কাছে রাশিয়ান অস্ত্র চোরাচালান হয়ে আসছে। তার অভিযোগ, "এসব অস্ত্র আমরা সদরদপ্তরেও এনেছি, আফগান নেতারা আমাদের দিয়েছেন এবং তারা বলেছেন যে, রাশিয়ানরাই তালেবানদের দিয়েছে।" কয়েকজন আফগান পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, তালেবানদের কাছে রাশিয়ান সরঞ্জামের মধ্যে রাতের চশমা, ভারী মেশিনগান আর ছোট অস্ত্রও রয়েছে। আরও পড়ুন: মাশরাফির অবসর ভাবনা: ক্রিকেট নাকি রাজনীতি? চুরি যাওয়া পশুর বাহন যখন বিলাসবহুল শেভ্রলে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন জেনারেল জন নিকলসন কারা এর সঙ্গে একমত? গত একবছর ধরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করে আসছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল নিকলসন রাশিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ করেন যে, তালেবানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। এরপর বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা এই অভিযোগ তুলেছেন। তবে গত বছরের মে মাসে মার্কিন সিনেটে দেয়া একটি সাক্ষ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভিনসেন্ট আর স্টুয়ার্ড বলেছেন, "অস্ত্র সরবরাহ বা অর্থ লেনদেনের বাস্তব কোন তথ্যপ্রমাণ আমি পাইনি।" মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিস গত অক্টোবরে বলেছেন, তালেবানকে রাশিয়ার সাহায্য করার বিষয়ে আমি আরো তথ্যপ্রমাণ দেখতে চাই। যা এখন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে পরিষ্কার কিছু বোঝা যায় না। নেটো মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, "এসব দাবির সপক্ষে আমরা এখনো কোন প্রমাণ পাইনি বা নিশ্চিত তথ্য পাইনি।" আর এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তাজিকিস্তান। আফগান কর্মকর্তারা কি বলছেন এই দাবির বিষয়ে আফগান কর্মকর্তারাও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। কয়েকজন আফগান কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে, তালেবানদের রাশিয়া সাহায্য করছে। কিন্তু আফগানিস্তানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মুখপাত্র গত মে মাসে বলেছেন, এখনো এর পক্ষে কোন প্রমাণ নেই। গত অক্টোবরে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও দাবি করেন, রাশিয়ানদের কাছ থেকে অস্ত্র পাচ্ছে তালেবান। কিন্তু পরের মাসেই তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এই দাবিকে গুজব বলে নাকচ করে দিয়েছেন। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও দাবি করেন, রাশিয়ানদের কাছ থেকে অস্ত্র পাচ্ছে তালেবান রাশিয়া আর তালেবান কি বলছে মার্কিন এই দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে মস্কো আর তালেবান। মস্কো বলছে, আফগানিস্তানে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আর নেটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছে। তালেবানরা দাবি করেছে, তারা কোনও দেশ থেকেই কোনও সামরিক সহায়তা পায়না। রাশিয়া আর তালেবানের মধ্যে কি কোন সম্পর্ক আছে? তালেবানকে সামরিক কোন সাহায্য সহযোগিতা দেয়ার কথা নাকচ করেছে রাশিয়া, তবে তারা স্বীকার করেছে যে, তাদের মধ্যে যোগাযোগ আছে। তালেবান সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, সেই ২০০১ সাল থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে তালেবানের যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। গত তিন বছরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছে। অনেক তালেবান নেতা আশা করছিলেন যে, রাশিয়া থেকে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বা এমন অস্ত্র পাবে, যা হয়তো পুরো যুদ্ধে তাদের অবস্থানকে বদলে দেবে। যেমনটা যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিল আশির দশকে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগানদের লড়াইয়ের সময়। কিন্তু সেটা হয়তো হয়নি কারণ, এ ধরণের অস্ত্রের উৎস সহজেই সনাক্ত করা যায়। আর রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে এখনো ততটা খারাপ দিকে মোড় নেয়নি। ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে রেড আর্মির প্রত্যাহারের দৃশ্য তালেবান রাশিয়ার কাছ থেকে কি পেয়েছে তালেবানের জন্য অস্ত্রের চেয়েও বেশি দরকার একটি আঞ্চলিক শক্তির নৈতিক আর রাজনৈতিক সমর্থন। হালকা অস্ত্র হয়তো কালোবাজারেও কিনতে পাওয়া যায়, কিন্তু এই সমর্থন তো পাওয়া যাবে না। তালেবান কূটনীতিকরা চীন আর ইরানের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছে। রাশিয়া আর ইরান তালেবানকে সাহায্য করছে মানে হলো, তারা যে শুধুমাত্র পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল, সেই ধারণারও পরিবর্তন। শত্রু থেকে বন্ধু আফগানিস্তানের প্রতি রাশিয়ার মনোভাবের পরিবর্তন বেশ অবাক করার মতো। কারণ তালেবানের বেশিরভাগ সদস্যই সাবেক মুজাহিদিন, যারা একসময় সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এরপর তালেবানের বিরুদ্ধ বাহিনীকেও অর্থনৈতিক আর সামরিক সহায়তা দিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলা এবং আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের পর রাশিয়ার সঙ্গে নতুন সম্পর্কের সুযোগ পেয়েছে তালেবান। আফগানিস্তানে প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে আসছে তালেবান রাশিয়ার কি লাভ রাশিয়া-তালেবান সম্পর্কের তিনটা বড় কারণ আছে। প্রথম: রাশিয়ান কর্মকর্তারা বলছেন, তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার প্রধান কারণ হলো আফগানিস্তানে রাশিয়ান নাগরিক আর রাজনৈতিক অফিসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়: আফগানিস্তানের ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিস্তারের কারণে মস্কোর আশংকা তৈরি হয়েছে যে, তারা মধ্য এশিয়া আর রাশিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়ছে আফগান তালেবান এবং তারা প্রতিবেশী দেশগুলোকে আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের সশস্ত্র লড়াই আফগানিস্তানের মধ্যেই থাকবে। রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে যে, আফগানিস্তানে আইএস আরো শক্তিশালী হলে তারা সিরিয়ার মতো করে সেখানেও হস্তক্ষেপ করতে পারে। আর তৃতীয়: রাশিয়ান কর্মকর্তারা বলছেন, আফগান সংকটের সমাধান সামরিক পথে নয়, রাজনৈতিক পথেই হওয়া উচিত। তালেবানকে শান্তির পথে আনতে আলোচনার জন্যই তাদের এই যোগাযোগ বলে মস্কো দাবি করেছে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক সন্দেহভাজন তালেবান জঙ্গি আফগান সংকটের প্রভাব কি হতে পারে? প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া আফগানিস্তানে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতির প্রভাব ইউক্রেন, সিরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য ক্ষেত্রেও পড়তে শুরু করেছে। তালেবানদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আর নেটোকে খানিকটা অবজ্ঞাই করছে মস্কো। আবার ওয়াশিংটন আর ইসলামাবাদের মধ্যে যেমন দূরত্ব বাড়ছে, রাশিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক আর সামরিক সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। আর এই সবগুলো শক্তিরই আফগানিস্তানে নিজেদের স্বার্থ রয়েছে। ফলে অনেকের মধ্যে এই আশংকাও তৈরি হচ্ছে যে, আফগানিস্তান আবারো হয়তো আঞ্চলিক আর আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর খেলার মাঝে পড়তে যাচ্ছে। আরও পড়ুন: কে ছিলেন উইনি ম্যান্ডেলা? কেন বদলে দেওয়া হলো জেলার ইংরেজি বানান
The US accuses Russia of trying to destabilise Afghanistan by supporting the Taliban. Senior US officials have been saying for months that Moscow is even supplying the militants with weapons.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
শিনিজিয়াং-এ একজন মুসলিম আজান দিচ্ছেন প্রস্তাবটি ২৬৬-০ ভোটে পাস হয় যেখানে বিরোধী দলের সবাই এবং ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির কিছু অংশ ভোট দেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার মন্ত্রীসভার বেশির ভাগ সদস্য অবশ্য ভোটদানে বিরত ছিলেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডা হলো দ্বিতীয় দেশ যারা উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা আচরণকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিলো। আইনপ্রণেতারা একই সাথে একটি সংশোধনী পাশ করেছেন যেখানে 'চীন সরকার উইঘুর গণহত্যা অব্যাহত রাখলে' ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক বেইজিং থেকে সরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে আহবান জানানোর জন্য কানাডা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: উইঘুর নারীরা যেভাবে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন চীনের বন্দী শিবিরে চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে উইগর মুসলিম নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করছে চীন- রিপোর্ট মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনায় চীনে অস্থিরতা একটি বাজারে কয়েকজন উইঘুর মুসলিম তবে জাস্টিন ট্রুডো সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা আচরণকে গণহত্যা বলতে কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিলেন এবং বলেছেন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিষয়টি আরও যাচাই বাছাই করা দরকার। তার মন্ত্রীসভার মাত্র একজন সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গার্ন্যুয়েকে ভোটের সময় পার্লামেন্টে উপস্থিতি হতে দেখা গেছে। ভোটের আগে বিরোধী দলীয় নেতা ইরিন ও'টুল বলেছে এ পদক্ষেপ হলো একটি বার্তা দেয়া যে, "আমরা মানবাধিকার ও মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়াবো এমনকি কিছু অর্থনৈতিক সুযোগ ত্যাগ করে হলেও"। তিনি সম্প্রতি উইঘুরদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিবিসি নিউজকে চীনে নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করেন। তবে কানাডায় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন পার্লামেন্টের প্রস্তাব চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল। "আমরা এটি প্রত্যাখ্যান করছি কারণ এটি সত্যের বিরুদ্ধে। সেখানে গণহত্যার মতো কিছুই ঘটছেনা," কানাডার গণমাধ্যমকে বলছিলেন তিনি। অধিকার কর্মীরা মনে করেন চীন প্রায় দশ লাখ উইঘুরকে গত কয়েক বছর ধরে ক্যাম্পে আটক করে রেখেছে। বিবিসির এক অনুসন্ধানে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
Canada's House of Commons has voted overwhelmingly to declare China's treatment of its Uighur minority population a genocide.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
হংকং হাই স্পিড রেল স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসছে একটি মেয়ে, যার চোখে স্কি গগলস এবং শরীরে প্রতিরক্ষামূলক মুখোশ পরা। যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে যে সাম্প্রতিককালে চীনে সফরে গিয়েছেন,এমন বিদেশীদের তারা নিজ দেশে প্রবেশ করতে দেবে না। ডিসেম্বরে চীনে এই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এর আগে, রাশিয়া, জাপান, পাকিস্তান এবং ইতালিসহ কয়েকটি দেশ একই ধরণের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা এ জাতীয় পদক্ষেপ না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রধান শুক্রবার বলেছেন, "ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ভালোর চাইতে ক্ষতি বেশি করবে। কেননা এতে তথ্য ভাগাভাগি, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ এবং অর্থনীতির ক্ষতি হবে।" ডাব্লিউএইচও সীমান্ত পারাপারের আনুষ্ঠানিক স্থানগুলোয় স্ক্রিনিং ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়েছে। তারা সতর্ক করেছে যে, সীমান্ত বন্ধ করে দিলে যাত্রীরা অনানুষ্ঠানিকভাবে বা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তারকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে চীনও। ওইসব দেশের সরকার, স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ উপেক্ষা করছে বলেও তারা অভিযোগ করে। "ডব্লিউএইচও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপারিশ করলেও যুক্তরাষ্ট্র ঠিক তার উল্টোদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। যা কোন সদিচ্ছার পরিচয় নয়।" চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি কি? নতুন ভাইরাস, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৯-এনকভ নামে পরিচিত, এই ভাইরাসের প্রকোপে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩০৪জন। সমস্ত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চীনের মধ্যে এবং সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হুবেই প্রদেশে, ২৯৪ জন। এই প্রদেশ থেকেই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছিল। শনিবার হুবেইতে আরও ৪৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সারা চীন জুড়ে ২,৫৯০টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, এতে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪,৩৮০ জনে। চীনের বাইরে প্রায় ১০০জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোয় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং জার্মানিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। এদিকে হুবেই প্রদেশের কর্তৃপক্ষ ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চান্দ্র নববর্ষের ছুটি বাড়ি দিয়েছে এবং জন সমাবেশ নিরুৎসাহিত করার জন্য বিবাহ নিবন্ধন স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। চীন, ২৪শে জানুয়ারি থেকে চান্দ্র নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি উদযাপন শুরু করে এবং চীনা কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের ভ্রমণ স্থগিত করার জন্য ইতিমধ্যে এই ছুটির সময় বাড়িয়ে দিয়েছে যেন বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজে ফিরে যেতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় না যেতে পারে। হংকংয়ে হাসপাতালের কর্মীরা সোমবার থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে এই অঞ্চলটির সীমানা পুরোপুরি বন্ধ করে না দিলে ধর্মঘটে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের কারণে চাপা আতঙ্কের মধ্যে আছে সাধারণ মানুষ। হংকং সরকার ডাব্লিউএইচও-এর সুপারিশের উদ্ধৃতি দিয়ে তা করতে অস্বীকার করেছে। বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাসের এই প্রকোপ সার্সের রোগের প্রাদুর্ভাবকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৩ সালে এই সার্স ভাইরাস ২৪টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে নতুন ভাইরাসে মৃত্যুর হার সার্সের তুলনায় অনেক কম, যার ফলে কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে এটি তেমন মারাত্মক নয়। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা অনুসারে, সরকারি পরিসংখ্যানগুলোয় আক্রান্তের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে তার তুলনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কেন্দ্রস্থল উহান শহরে ৭৫ হাজার মানুষ সংক্রামিত হতে পারে। চীনে পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চীনের বাইরের দেশগুলি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে? সাম্প্রতিক দিনগুলোতে একের পর এক দেশ, চীনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে, এবং গত দুই সপ্তাহে যেসব বিদেশী নাগরিক চীনে ভ্রমণে গেছেন, তাদের সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। যেসব মার্কিন নাগরিককে হুবেই প্রদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যেখানে কিনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য আলাদা করে রাখা হবে। চীনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে যারা ফিরে আসছেন তাদেরও এই দুই সপ্তাহ ধরে নিজেদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার অনুমতি দেওয়া হবে। শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর বলেছে, ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যারা বিদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসবে, তাদের মধ্যে যাদেরকে পৃথক রাখা প্রয়োজন, এমন এক হাজার মানুষের জন্য পেন্টাগন আবাসনের ব্যবস্থা করবে। ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো এবং টেক্সাসের চারটি সামরিক ঘাঁটির প্রতিটিতে ২৫০টি করে কক্ষ সরবরাহ করা হবে। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে আরও এক ব্যক্তির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট জনে। একই ধরণের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়া অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, চীন থেকে আসা নিজস্ব নাগরিকদের তারা দুই সপ্তাহের জন্য আলাদা করে রাখবেন। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? এদিকে অনেক দেশের সরকার চীন থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। এরিমধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি ভারতীয়কে উহান থেকে ফিরিয়া আনা হয়েছে। শনিবার তারা দিল্লিতে পৌঁছায়, একই দিনে প্রায় ১০০জন জার্মান ফ্রাঙ্কফুর্টে আসেন। থাইল্যান্ডও সামনের কয়েকদিনের মধ্যে চীনের উহান শহর থেকে তার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন, রাশিয়া সোমবার ও মঙ্গলবার হুবেই প্রদেশ থেকে তাদের কয়েকশ নাগরিককে সরিয়ে নেবে। দেশটি চীনা নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে তারা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ওই মানুষদের দুই সপ্তাহের জন্য আলাদা করে রাখবে। করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন অন্যান্য সাম্প্রতিক ঘটনা: বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ঢাকার সিটি নির্বাচন কেমন হলো, বিবিসির চোখে অন্য প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়াচ্ছে কেন? 'আধো আলো-ছায়াতে আমি ওদের দেখেছি'
Countries around the world have closed their borders to arrivals from China, as officials work to control the rapid spread of the coronavirus.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে মারা যাবার ঝুঁকি সবচেয় বেশি দক্ষিণ এশীয়দের? বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের প্রতিক্রিয়া নিয়ে পৃথিবীতে যত জরিপ হয়েছে তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। জরিপে বলা হচ্ছে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দক্ষিণ এশীয়দের মারা যাবার সম্ভাবনা ২০ শতাংশ বেশি। ব্রিটেনের অন্য যেসব জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী আছে তাদের কারোরই মৃত্যুর সম্ভাবনা দক্ষিণ এশীয়দের চেয়ে বেশি নয়। এতে দেখা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার দরকার হয়েছে - তাদের প্রতি ১ হাজার দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে গড়ে ৩৫০ জন মারা যায়। কিন্তু শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই হার হচ্ছে গড়ে ২৯০ জন। একটা বড় কারণ ডায়াবেটিস শুধু তাই নয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার দরকার হচ্ছে – তাদের তুলনা করলেও বেশ কিছু গভীর পার্থক্য ধরা পড়েছে গবেষকদের চোখে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউয়েন হ্যারিসন বলছেন, “করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে দক্ষিণ এশীয়দের মারা যাবার ঝুঁকি নিশ্চিতভাবেই বেশি, কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর আমরা সেরকম প্রভাব দেখছি না।“ হাসপাতালে আসা কোভিড-১৯ আক্রান্ত দক্ষিণ এশীয়দের দিকে যদি আপনি তাকান – তাহলে দেখবেন শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম” – বলছেন অধ্যাপক হ্যারিসন। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িযে দেয় দক্ষিণ এশীয় রোগীদের বয়স গড়ে ১২ বছর কম, এটা একটা বিরাট পার্থক্য। তাদের মধ্যে ডেমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ), স্থূলতা বা ফুসফুসের রোগ দেখা যায় না। কিন্তু তাদের মধ্যে দেখা যায় ডায়াবেটিস আছে এমন লোক অনেক বেশি।“ দক্ষিণ এশীয় কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশেরই টাইপ ওয়ান বা টাইপ টু ডায়াবেটিস আছে বলে দেখা যায়। কিন্তু শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ২৫ শতাংশ। ডায়াবেটিস কেন করোনাভাইরাস রোগীদের বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে? ডায়াবেটিস একই সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, আবার সংক্রমিত হবার পর বাঁচার সম্ভাবনাও কমিয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে করোনাভাইরাস সংক্রমণে দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ানদের (বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি) ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি বলে ব্রিটেনে অন্য এক জরিপে দেখা গেছে। ইংল্যাণ্ডের জনস্বাস্থ্য দফতর পিএইচই-র জরিপে বলা হয় , এই দুটি স্বাস্থ্য সমস্যাই তাদের কোভিড সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ হবার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সবশেষ জরিপে যুক্তরাজ্যের ২৬০টি হাসপাতালে প্রায় ৩৫ হাজার কোভিড-১৯ রোগীর উপাত্ত পরীক্ষা করে বলা হয়, করোনাভাইরাসে মারা যাবার ঝুঁকির পেছনে একটা কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস। দক্ষিণ এশীয় করোনাভাইরাস রোগীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে তবে এটাই পূর্ণ চিত্র নয়, গবেষকরা বলছেন - দারিদ্র্য থেকে শুরু করে জিনগত পার্থক্য পর্যন্ত অন্য কারণগুলোও এটা ব্যাখ্যার জন্য দরকার হতে পারে। রিপোর্টে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হলে কাদেরকে এ টিকা নিতে হবে তা ঠিক করার ক্ষেত্রে, বয়স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত বিষয়ের পাশাপাশি হয়তো এখন জাতিগত পরিচয়ও বিবেচনায় নিতে হবে। জরিপে দেখা যায়, শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় ব্রিটেনের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর রোগীদের ইনটেনসিভ কেয়ার প্রয়োজন হবার সম্ভাবনাও বেশি। ভিটামিন ডি-র অভাব এবং হৃদরোগ কি কোভিড-১৯এ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়? কিছু জরিপে আভাস দেয়া হয় , যাদের দেহে ভিটামিন ডি-র অভাব এবং হৃদরোগের মতো সমস্যা আছে তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। কিন্তু লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে বলা হয়, কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান এবং অন্য জাতিগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এসব কারণ করোনাভাইরাসের বাড়তি ঝুঁকির ব্যাখ্যা দিতে পারছে না। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবার পেছনে ওজন, দারিদ্র্য, এবং এক বাড়িতে অনেক লোকের বসবাসের মতো অনেক কারণ সক্রিয়। করোনাভাইরাস: আমার কি ভিটামিন 'ডি' খাওয়া উচিত? বৃত্ত ছোট হয়ে আসছে, শঙ্কা কাটাতে অনেকে যা করছেন করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? করোনাভাইরাস: স্বাদ-গন্ধ কমলেই রেড অ্যালার্ট যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন গবেষক ড. জাহরা রাইসি-এস্টাব্র্যাগ এবং অধ্যাপক স্টেফেন পিটারসন বলছেন, এসব কারণ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এগুলো দিয়ে জাতিগত পার্থক্যের বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায় না। তারা বলেন, এগুলো বিবেচনায় নেবার পরও জাতিগত সংখ্যালঘুদের করোনাভাইরাস পজিটিভ হবার সম্ভাবনা শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে ৫৯ শতাংশ বেশি - এবং এর কারণ এখনো অজানা। দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বাংলাদেশিরা সম্প্রতি ইংল্যাণ্ডের জনস্বাস্থ্য দফতর পিএইচই-র এক জরিপে কোভিড-১৯ সংক্রমণে ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। জরিপের রিপোর্টে বলা হয়, বিশেষত বয়স্ক মানুষ ও পুরুষদের করোনাভাইরাসে মারা যাবার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি । কিন্তু বয়স ও লিঙ্গ বাদ দিলে কোভিড-১৯এ মারা যাবার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি হচ্ছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের। বলা হয়, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের কেসগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় – বয়স, লিঙ্গ, আর্থ-সামাজিক বঞ্চনা – এগুলোর প্রভাব বাদ দিলে দেখা যায়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের কোভিডে মৃত্যুর ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের দ্বিগুণ।‍“ রিপোর্টটি বলছে, ব্রিটেনের কৃষ্ণাঙ্গ, চীনা, ভারতীয়, পাকিস্তানি ও অন্যান্য এশীয়দের মতো জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর লোকদের করোনাভাইরাসে মারা যাবার ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গদের চাইতে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। এর আগে ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর ওএনএস এক জরিপে প্রায় একই রকম ফলাফলের কথা বলেছিল। তাতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় ১ দশমিক ৮ গুণ। সেই জরিপেও বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, বসবাসের পরিবেশ এবং পেশা – এ সবকিছুই এই উচ্চ মৃত্যুহারের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।
South Asian people are the most likely to die from coronavirus after being admitted to hospital in Great Britain, major analysis shows.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
দু'জনের চেহারার সাদৃশ্য সবাইকে আকৃষ্ট করেছিল। এ ঘটনার ১৭ বছর পর, হঠাৎই সেই চুরি যাওয়া শিশুটি নিজের আসল পরিচয় আবিষ্কার করে বসে। কেপ টাউনের জাওয়ান্সউইক উচ্চ বিদ্যালয়ে সেটি ছিল মিশেই সলোমনের শেষ বর্ষ । আর সেই ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সেখানে ভর্তি হলো ক্যাসিডি নার্স, যে কিনা ১৭ বছরের মিশেই-এর ৩ বছরের ছোট। কিন্তু অবিকল প্রায় তার মতোই দেখতে। দু'জনের চেহারার সাদৃশ্য সবাইকে আকৃষ্ট করেছিল। যদিও মিশেই সেটি নিয়ে তেমন একটা ভাবেনি। কিন্তু একদিন যখন দু'জনের একই করিডরে দেখা হলো তখন মিশেই হঠাৎ-ই তার প্রতি একধরনের ব্যাখ্যাতিত টান অনুভব করলো। "আমার যেন মনে হয়েছিল যে আমি তাকে চিনতাম," সে বলেছিল, "এটা আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল, কিন্তু জানি না কেন এমনটা অনুভব করছিলাম।" বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও মিশেই এবং ক্যাসিডি এরপর থেকে একসাথে অনেকটা সময় কাটাতে শুরু করে। যখন কেউ তাদের জিজ্ঞাসা করতো যে তারা সম্পর্কে বোন কিনা তখন তারা রসিকতা করে বলতো, "আমরা ঠিক জানি না- হয়তো অন্য জীবনে ছিলাম!" তারপর একদিন এই দুই মেয়ে একটি সেলফি তুললো এবং সেটি সবাইকে দেখালো। মিশেই-এর মা লাভোনা- যে তার মেয়েকে ডাকতেন 'প্রিন্সেস' বলে এবং বিভিন্ন জায়গায় সাথে করে নিয়ে যেতেন, তিনি বললেন যে দুটি মেয়ের চেহারাই একরকম। মিশেই এর বাবা মাইকেল জানালেন যে, তিনি তার মেয়ের বন্ধুটিকে চিনেছেন, তার বাবার একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে। কিন্তু ক্যাসিডির বাবা-মা'এর প্রতিক্রিয়া হলো ভিন্ন। তারা তীব্র দৃষ্টি তাকিয়ে ছিল ছবিটির দিকে। তারা ক্যাসিডিকে জানালেন যে মিশেই-এর কাছে তাদের একটি প্রশ্ন আছে। যখন মেয়ে দুটোর আবার দেখা হলো তখন ক্যাসিডি জানতে চাইলো, "তোমার জন্ম কি ১৯৯৭ এর ৩০ এপ্রিল?" মিশেই অবাক হলেও পরে স্বীকার করে যে সেটিই ছিল তার জন্মদিন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: মার্কিন সেনাদের গুলিতে নয়, আত্মঘাতী হলেন বাগদাদি ঈগল যেভাবে বাড়িয়ে দিলো বিজ্ঞানীর ফোন বিল 'মার্ডার করিনি, চুরিও না - কাজ করে খেতে এসেছি' 'মার্ডার করিনি, চুরিও না - কাজ করে খেতে এসেছি' ভারতে ১৩২টি গ্রামে কোন মেয়ে শিশু জন্মায়নি? মিশেই সলোমন সপ্তাহখানেক পর, অংক ক্লাশ থেকে মিশেইকে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে দু'জন সমাজকর্মী অপেক্ষায় ছিলেন। তারা মিশেইকে ১৭ বছর আগে কেপটাউনের এক হাসপাতাল থেকে জেফানি নার্স নামে ৩ দিন বয়সী এক শিশু অপহরণের গল্প বলেন। যে শিশুটির খোঁজ পরে আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা কেন মিশেই কে বলা হচ্ছে তা সে জানতে চায়। তখন সমাজকর্মীরা বলেন যে, তাদের কাছে এমনকিছু প্রমাণ এসেছে যে তাদের ধারনা হয়েছে মিশেই সেই হারিয়ে যাওয়া শিশু। মিশেই তখন তাদের বলেছিল যে, সমাজকর্মীরা যে হাসপাতালের কথা বলছেন তার জন্ম সেখানে নয়, তার জন্ম সনদেই তা উল্লেখ আছে। কিন্তু সমাজকর্মীরা জানালেন যে উল্লেখিত হাসপাতালে তার জন্মের কোনো উল্লেখ নেই। মিশেই-এর তখনো ধারনা ছিল যে কোথাও কোনো বড় ভুল রয়েছে, আর তাই সে ডিএনএ টেস্টে রাজি হয়। কিন্তু তার আশানুরূপ ফল মেলেনি। ডিএনএ টেস্টে প্রমাণিত হয়, ১৯৯৭ সালে গ্রুট শুর হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া জাফনি নার্স এবং মিশেই সলোমন একই ব্যক্তি। চুরি যাওয়া শিশুটি এবং যৌবনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো তরুণীর গল্প প্রায় দুই দশক পর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পুরো বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। আর মিশেই-এর জীবনও বদলে যায় তখনই। ১৮ বছর হতে তখন তার ৩ মাস বাকি, তাকে বলা হয়েছিল তার আগ পর্যন্ত সে একটি সেফ হোমে থাকবে। এরপর সে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় যাবে। এ সময় মিশেই আরো কষ্টকর খবর পেয়েছিল। লাভোনা সলোমন, যে নারীকে মা হিসেবে বিশ্বাস করে সে বড় হয়েছে- তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিশেই বলে, "এটি আমাকে মুষড়ে দেয়। তাকে আমার অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসার ছিল, কেন? কী হচ্ছে?" লাভোনা সলমনের সাথে নবজাতক মিশে তবে লাভোনার স্বামী মাইকেল- যাকে মিশেই এতদিন বাবা বলে জেনেছে, তাকে যখন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন মিশেই সেখানে ছিল। "তার মুখে যন্ত্রণার ছাপ দেখেছি, চোখে যেন রক্তক্ষরণ। আমি সত্যিই ভয় পেয়ে যাই," মিশেই বলে। মাইকেল বিস্মিত হয়ে মিশেই কে তার নিজের মেয়ে বলেই দাবি করেছিল। মিশেই কে তার জৈবিক বাবা-মা'এর কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া আনা হয়েছে এটি মাইকেল জানতেন না। সে পুলিশকে বলে যে, লাভোনা সে সময় গর্ভবতী হয়েছিল। কিন্তু পরে সে গর্ভপাতের ঘটনা লুকিয়ে রেখে হাসপাতাল থেকে জেফানি নার্সকে চুরি করে এনে নিজের সন্তান বলে দাবি করে। যদিও সেলেস্টে এবং মরণে নার্স দম্পতির এরপর তিনটি সন্তান জন্ম নেন, তারপরও তারা তাদের চুরি যাওয়া প্রথম সন্তান জেফানির খোঁজ কখনো ছাড়েননি। প্রতিবছরই তারা তার জন্মদিনটি পালন করতেন এমনকি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবার পরও। তবে তাদের চুরি যাওয়া শিশু বেশ কাছাকাছিই বড় হয়েছে। সলোমনদের বাসা নার্সদের বাসা থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। এখন, এক অসাধারণ ঘটনাক্রমে নার্স পরিবারের প্রার্থনা মঞ্জুর হয়েছে। সমাজকর্মীরা মিশেই কে একটি থানায় পুলিশের সামনে তার প্রকৃত বাবা-মা এর কাছে হস্তান্তর করে। "তারা আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল, চেপে ধরে কাঁদতে শুরু করে। কিন্তু কেন যেন আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলাম না। কি যেন একটা ঠিক ছিল না বলে মনে হয়েছে," বলছিল মিশেই। তার ভাষ্যমতে বিষয়টি দুঃখজনক হলেও আমার মনে হয়নি যে আমি আমার আসল বাবা-মা'কে কখনো অনুভব করতে পেরেছি। মিশেই তখন একধরনের মানসিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। যে বাবা-মা'এর তার হারিয়ে যাওয়া সময়কে পুষিয়ে দিতে মরিয়া- কিন্তু আসলে তারা মিশেই-এর কাছে অপরিচিত। আর অন্য যাদের সে সত্যিই ভালবেসেছিল- তারা বিধ্বস্ত এবং কারাগার সেখানে ছিল একটি বড় বাধা। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে কেপ টাউন হাইকোর্টে লাভোনার বিচার শুরু হয়। আট মাস বয়সী মিশের সাথে মাইকেল বিচারকালীন সময়ে সে নিজের অন্যায়কে অস্বীকার করে। বলে যে সে বারবার গর্ভপাতের স্বীকার হবার পর একটি শিশুকে দত্তক নেবার ব্যাপারে মরিয়া হয়ে ওঠে। সে সময় সিলভিয়া নামের একজন তাকে একটি শিশু দেবার ব্যাপারে জানায়। তবে সিলভিয়ার কোনো অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়নি। এরপর, প্রায় দুই দশক পরেও একজন মহিলা সাক্ষী দেন। তিনি মনে করতে পারেন যে, সেবিকার পোশাক পরিহিত এক নারী ঘুমন্ত সেলেস্টের পাশ থেকে একটি শিশুকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। তিনি লাভোনাকে সনাক্তও করেন। ফলে লাভোনার বিরুদ্ধে সকল প্রমাণই আদালত গ্রহণ করে। অপহরণ, জালিয়াতি ও শিশু আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২০১৬ সালে লাভোনা সলোমনের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। মিশেই-এর তখন মনে হয়েছিল যেন তারও মৃত্যু হয়েছে। কেননা যাকে সে এতদিন মা হিসেবে জেনেছে, তাকে ছাড়া তার পক্ষে কিভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব- এমনটাই ছিল তার অনুভূতি। সে বছরের শেষের দিকে মিশেই জেলখানায় লাভোনার সাথে দেখা করতে আসে। স্কুলে সমাজকর্মীদের আসার পর এই প্রথম দেখা হয় দু'জনের। "সেটা ছিল একটি জানালার ভেতর দিয়ে কথা বলার সুযোগ। আর যখন আমি আমার মা'কে কয়েদীদের পোশাকে দেখলাম, কান্না থামিয়ে রাখতে পারিনি।" মিশেই লাভোনার কাছে সেদিন সত্যটি জানতে চেয়েছিল। কেন সে তাকে হাসপাতাল থেকে এনেছিল। মিশেই-এর বহু প্রশ্নের জবাবে লাভোনা তাকে কেবল বলেছিল যে, একদিন সে তাকে সবকিছু বলবে। যাই হোক মিশেই কোনো ক্ষোভ পুষে রাখেনি। লাভোনা সলমন (মুখ ঢাকা) আদালতে "ক্ষমা করলে আসলে হৃদয় শান্ত হয়। জীবন থেমে থাকেনা। সে জানে যে আমি তাকে ক্ষমা করেছি এবং এখনো তাকেই ভালোবাসি," মিশেই বলে। নিজের আসল পরিচয় আবিষ্কারের চার বছরের বেশী হয়ে গেছে। ২০১৫ সালের এপ্রিলের শেষে যখন তার বয়স ১৮ বছর হয়, তখন সে তার প্রকৃত বাবা-মা'এর কাছে ফিরে যাবার কথা ভেবেছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিপরীত। "তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়, পারিবারিক বন্ধন এলোমেলো হয়ে পরে," মিশেই জানায়। আর তারপর সে সুস্পষ্টভাবে নিজের স্থিতিশীলতার কথা ভেবে মাইকেল- তার আগের বাবা'র কাছে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। সেটিই ছিল তার জন্যে নিরাপদ স্থান, তার প্রকৃত বাড়ি। মিশেই তার আসল পরিবারের সাথে সম্পর্ক ধরে রাখতে বেশ সংগ্রামই করেছে। সে এখনো লাভোনার সাথে জেলখানায় দেখা করতে ১২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসে। মিশেই এর নিজেরই এখন দুটো সন্তান রয়েছে। লাভোনা সলোমনের মুক্তি পেতে আরো ছয় বছর সময় বাকী। মিশেই বলে যে, সে প্রায়শই চায় যেন সময়টি 'তাড়াতাড়ি' শেষ হয়ে যায়। সে তার 'মা'-এর বাড়ি ফেরার জন্যে অপেক্ষায় আছে। আশ্চর্যজনকভাবে তার জন্মের সময়ের নাম 'জেফানি' আর 'মিশেই' নামের মধ্যে পরবর্তী নামটি বেছে নিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যে নারী তাকে আসলে চুরি করে এনেছিল, ভালোবাসা দিয়ে সেই তাকে জয় করে নিয়েছে।
In April 1997 a woman dressed in a nurse's uniform walked out of a Cape Town hospital carrying a three-day-old baby taken from the maternity ward as the baby's mother lay sleeping. It was only by chance, 17 years later, that the stolen child discovered her true identity.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
সামরিক ঘাঁটির বাইরে সেনা বাহিনীর পোশাক পরিহিত কয়েকজনকে পাশে নিয়ে বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে প্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় মি গুয়াইদো একটি সামরিক ঘাঁটির বাইরে সেনা বাহিনীর পোশাক পরিহিত কয়েকজনকে পাশে নিয়ে ঘোষণা করছেন যে সরকারকে উৎখাতের চূড়ান্ত পর্যায় শুরু হয়েছে। তিনি বলছেন, এখন তিনি সেনাবাহিনীর একটি অংশের সমর্থন পাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর বাকি সবাইকে তিনি তার পক্ষে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে নিকোলাস মাদুরোর সরকার বলছে ছোটোখাটো একটি সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, মি: গুয়াইদো এখন ঐ সেনা ছাউনি থেকে সরে গেছেন। কিন্তু টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে তার সমর্থকদের সাথে রাস্তায় সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়িকে মানুষের মিছিলে ভেতর চালিয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। সে সময় রাস্তায় বেশ ক'জনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। টুইটারে প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন তিনি সেনা কমান্ডারদের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা তাকে সমর্থন দিয়েছেন। সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার বিরুদ্ধে তিনি তার সমর্থকদের বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারাকাসের রাস্তায় বিরোধী সমর্থকদের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ সর্বশেষ পরিস্থিতি কী? মি: গুয়াইদোকে দেখা গেছে তিন মিনিটের একটি ভিডিওতে আরেকজন বিরোধী নেতা লিওপোল্দো লোপেজের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। ২০১৪ সালে সরকার বিরোধী এক বিক্ষোভে ইন্ধন জোগানোর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মি: লোপেজ গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন। মি: লোপেজ বলেছেন সেনা বাহিনীর সেইসব সদস্যরা তাকে মুক্তি দিয়েছে যারা মি: গুয়াইদোর প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে এবং এই ভিডিওতে মি: গুয়াইদো ঘোষণা করেছেন কারাকাসের "সাহসী সেনারা" তাকে সমর্থন করছেন। "ভেনেজুয়েলাবাসী- রাস্তায় নেমে আসুন...দখলের অবসান ঘটানোকে সমর্থন করুন- দখলদারিত্বে আমরা ফিরতে চাই না। জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভেনেজুয়েলার জনগণের সমর্থন তাদের পেছনে রয়েছে। আমাদের সংবিধান তাদের পক্ষে, ইতিহাস তাদের মনে রাখবে," বলেন মি: গুয়াইদো। বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জনাতান মার্কাস বলছেন ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি এখন অস্পষ্ট এবং অনিশ্চিত। তবে ম: গুয়াইদো ক্ষমতা হাতে নেবার সর্বসাম্প্রতিক এই উদ্যোগ নিয়ে তিনি যে কার্যত বিরাট একটা জুয়া খেলছেন সেটা স্পষ্ট। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ক্ষমতায় টিকে থাকার পেছনে মূল শক্তি ছিল তার প্রতি দেশটির সেনাবাহিনীর আনুগত্য। মি: মার্কাস বলছেন তাদের এই আনুগত্যে মৌলিক একটা পরিবর্তন ঘটে থাকলে অথবা সেনাবাহিনীর মধ্যে অন্তত বড়ধরনের একটা বিভক্তি ছাড়া বাইরে থেকে কোন ধরনের কূটনৈতিক চাপ মি: মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে বলে মনে হয় না।
Venezuelan opposition leader Juan Guaidó has vowed to end President Nicolás Maduro's rule amid an ongoing power struggle between the two men.