instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
230
19.6k
output
stringlengths
40
405
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
খুব শীগগরিই এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেবে ব্রিটেনের সরকার। এই ঘোষণার সাথে সাথে বায়ু দূষণ কমাতে ৩ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি তহবিল ঘোষণা করবেন মন্ত্রীরা যেখানে ডিজেল চালিত গাড়ির দূষণ ঠেকানোর জন্য ২২৫ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ থাকবে। এছাড়া পরবর্তীতে বায়ু দূষণ ঠেকাতে কী কৌশল গ্রহণ করবে সেই পরিকল্পনার বিস্তারিতও ঘোষণা দেবে ব্রিটিশ সরকার। ওই ঘোষণায় বিশুদ্ধ বায়ু সংক্রান্ত কৌশল ও বৈদ্যুতিক গাড়ির বিষয়ে যে সরকারের উৎসাহ রয়েছে সেটিও উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ব্রিটেনের আদালত দেশটিতে দূষণকারী গাড়ির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং বায়ুদূষণ ঠেকাতে কী পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তা জানাতে সরকারকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। আদালতের ওই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সরকার তাদের নতুন নীতির ঘোষণা দেবে বলে জানা যাচ্ছে। বায়ু দূষণ ঠেকানোর লক্ষ্যে এর আগে ব্রিটেন সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল, বিচারকরা সেটিকে অপর্যাপ্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:
New diesel and petrol cars and vans will be banned in the UK from 2040 in a bid to tackle air pollution, the government has announced.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
নারীরা তাদের নিজস্ব পরিচয় প্রকাশের অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু করেন তিন বছর আগে। ডাক্তার তার কোভিড-১৯ শনাক্ত করেছেন। রাবিয়ার অনেক জ্বর, সারা শরীরে ব্যথা। রাবিয়া বাসায় ফিরে তার স্বামীর হাতে পেসক্রিপশনটা দিলেন, যাতে স্বামী তার জন্য ওষুধগুলো কিনে আনতে পারেন। স্বামীর চোখে পড়ল প্রেসক্রিপশনে রাবিয়ার নাম লেখা। ক্রোধে উন্মাদ হয়ে গেলেন স্বামী। বাইরের ''একজন অপরিচিত পুরুষের কাছে'' তার নাম প্রকাশ করার জন্য তাকে পেটাতে লাগলেন। আফগানিস্তানের সমাজে এটাই দস্তুর। 'বাইরের অপরিচিত' মানুষের কাছে মেয়েরা তাদের নাম গোপন রাখতে বাধ্য হন পরিবারের চাপে। এমনকি ডাক্তারের কাছেও নাম বলা যাবে না। কিন্তু কিছু কিছু নারী এখন এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। মুখ খুলেছেন সাহার সামেত। তিনি মনে করেন একজন নারীর পরিচয় প্রকাশ তার একটা মৌলিক অধিকার। হোয়্যারইজমাইনেম? আন্দোলন সমস্যার শুরু হয় একজন কন্যা সন্তানের জন্মের সময় থেকেই। বহু বছর পর্যন্ত তার কোন নামই থাকে না। তাকে নাম দিতেই গড়িয়ে যায় বছরের পর বছর। একটি মেয়ের যখন বিয়ে হয়, বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে কোথাও তার নাম উল্লেখ করা হয় না। সে অসুস্থ হলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনেও প্রায়শই তার নাম উল্লেখ করা হয় না। সে যখন মারা যায়, তখন তার মৃত্যু সনদেও তার নাম লেখা হয় না। এমনকি কবরের স্মৃতিফলকেও সে নামহীনই থেকে যায়। সে কারণেই আন্দোলনে নেমেছেন কিছু নারী। তারা চাইছেন তাদের নাম প্রকাশের স্বাধীনতা। তাদের আন্দোলনের নাম তারা দিয়েছেন ''হোয়্যারইজমাইনেম?'' - আমার নাম কোথায়? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং পোস্টারে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন আন্দোলনকারী নারীরা। 'আমার ভাই, আমার পিতা এবং আমার হবু স্বামীর সম্মান' আরেকজন নারী - তিনিও হেরাত প্রদেশের বাসিন্দা। বিবিসিকে বলেন তিনিও তার নাম পরিচয় গোপন রাখতে চান। তিনি অবশ্য পুরুষদের এই আচরণের পক্ষে। হোয়্যারইজমাইনেম আন্দোলনকারীরা তাদের প্রচারণায় ব্যবহার করছেন লালেহ ওসমানি নামে এক নারীর নাম তিনি বলেন: ''কেউ যখন আমাকে আমার নাম জিজ্ঞেস করে, তখন আমাকে ভাবতে হয় আমার ভাই, আমার বাবা বা আমার হবু স্বামীর সম্মান রক্ষার কথা। তখন আমি নাম বলতে চাই না।'' ''আমি আমার পরিবারকে কষ্ট দেব কেন? আমার নাম বলে লাভটা কী হবে? ''আমি চাই আমাকে আমার বাবার কন্যা বলে পরিচয় দেয়া হোক, আমার ভাইয়ের বোন বলা হোক। এবং ভবিষ্যতে আমি চাই আমার পরিচয় দেয়া হোক আমার স্বামীর স্ত্রী নামে, তারপর আমার ছেলের মা - এই নামে।'' বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী আফগান নারীর সতীত্ব পরীক্ষার পদ্ধতি বাতিলের আহবান আফগান যে নারীকে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে রয়েছেন আফগান সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত রচয়িতা ঘেজাল এনায়েত (বামে), তার হাতে হোয়্যারইজমাইনেম আন্দোলনের পোস্টার। এই কাহিনিগুলো অবাক করার মত, কিন্তু এটাই আফগানিস্তানে নারীদের স্বাভাবিক চিত্র। মেয়েরা তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার করলে সমাজ তাকে ভ্রূকুটি করে। এমনকি আফগানিস্তানের অনেক জায়গায় মেয়েদের নাম ব্যবহার করাকে পরিবারের জন্য অপমানজনক মনে করা হয়। বহু আফগান পুরুষ তাদের বোন, স্ত্রী বা মায়ের নাম প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেন না, কারণ বাইরে তাদের নাম বলা লজ্জার এবং অসম্মানজনক। নারীদের সাধারণত পরিচয় দেয়া হয় পরিবারের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের সাথে তার সম্পর্কের সূত্র ধরে - যেমন অমুকের মা, অমুকের বোন বা অমুকের মেয়ে। আফগান আইন অনুযায়ী শিশুর জন্ম সনদে শুধু বাবার নাম নথিভূক্ত করার বিধান আছে। স্বামী 'অনুপস্থিত' এতে ব্যবহারিক কারণে নানা সমস্যা তো হয়ই, পাশাপাশি মানসিক দিক দিয়ে এর একটা প্রভাব থাকে। ফরিদা সাদাতের বিয়ে হয়েছিল শিশু বয়সে। তার প্রথম সন্তানের যখন জন্ম হয়, তখন তার বয়স ছিল ১৫। পরে স্বামীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ফরিদা তার চার সন্তানকে নিয়ে জার্মানি চলে যান। তিনি বলছেন যে তার সন্তানদের দৈনন্দিন জীবনে, তাদের বেড়ে ওঠার সময় তার স্বামী শারীরিক এবং মানসিকভাবে অনুপস্থিত ছিলেন। তাই ফরিদা মনে করেন "আমার সন্তানদের পরিচয়পত্রে" আমার স্বামীর নাম থাকার কোন অধিকার তার নেই। ফরিদা সাদাত থাকেন জার্মানিতে। তিনি চান না তাকে ছেড়ে যাওয়া স্বামীর নাম তার সন্তানদের পরিচয়পত্রে থাকুক ''আমি একাই আমার সন্তানদের বড় করেছি। আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দিতে চাননি, যাতে আমি আবার বিয়ে করতে না পারি।" ''এখন আমি চাই না তার নাম আমার সন্তানদের পরিচয়পত্রে থাকুক। আফগানিস্তানে অনেক পুরুষ আছেন, আমার সাবেক স্বামীর মত, যাদের অনেক স্ত্রী আছেন। তারা সন্তানদের দেখেনও না।" ''আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টর প্রতি আমার অনুরোধ তিনি যেন আইন বদলান, যাতে সন্তানদের জন্ম সনদে এবং তাদের পরিচয়পত্রে মায়ের নামও নথিভূক্ত করার বিধান থাকে।'' আন্দোলন শুরু হয়েছে লালেহ ওসমানী বলছেন হোয়্যারইজমাইনেম আন্দোলন তিনি শুরু করেন যাতে মেয়েরা তাদের এই ''মৌলিক অধিকার'' আবার ফিরে পায় ''এ রকম চলতে পারে না," তিন বছর আগে এমনটা মনে হয়েছিল ২৮ -ছর বয়স্ক আফগান নারী লালেহ ওসমানীর। লালেহ ওসমানীও হেরাতের বাসিন্দা। তিনি এই প্রথায় ত্যক্তবিরক্ত হয়ে শুরু করেছিলেন হোয়্যারইজমাইনেম? আন্দোলন, যাতে নারীরা এই ''মৌলিক অধিকার'' আবার ফিরে পেতে পারেন। বিবিসির আফগান বিভাগকে লালেহ ওসমানী বলেন, তিনি এবং তার বান্ধবীরা আফগান নারীদের সামনে একটা প্রশ্নই রাখতে চেয়েছিলেন - আর তা হল, কেন আফগান নারীদের তাদের পরিচয় প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। ''আমাদের আন্দোলনের ফলে সন্তানের জন্ম সনদে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নামও যাতে নথিভূক্ত করা যায়, তার জন্য আফগান সরকারকে রাজি করানোর পথে আমরা এক ধাপ এগিয়েছি।'' তিনি মনে করেন, বিবিসির আফগান বিভাগ বিষয়টি নিয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রচার করেছে তার ফলে আফগানিস্তান সংসদের প্রতিনিধি সভার সদস্য মারিয়াম সামা সংসদে এই আন্দোলনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। মারিয়াম সামা আবেদন করেছেন যাতে সন্তানের জন্ম সনদে মায়ের নাম নথিভূক্ত করার বিধান আনা হয়। তিনি এ নিয়ে টুইট করেছেন। এবং বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার পক্ষে সমর্থনও দেখা যাচ্ছে। মারিয়াম সামা সংসদে এই আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেছেন বিরোধিতা বিবিসিকে দেয়া মিস ওসমানীর সাক্ষাৎকার যখন ফেসবুকে পোস্ট করা হয়, তখন তাকে সমর্থন করে কিছু কিছু মন্তব্য আসলেও অনেক মন্তব্য ছিল খুবই সমালোচনামূলক। কেউ কেউ তার আন্দোলন নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন, কেউ মস্করা করে লিখেছেন এরপর হয়ত মিস ওসমানী আন্দোলন করবেন যাতে সন্তানের জন্ম সনদে সব আত্মীয়-স্বজনের নাম নথিভূক্ত করা হয়। কেউ কেউ বলেছেন পরিবারের মধ্যে শান্তি বজায় রাখাটা অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। "আপনি কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবেন, সেটা আগে ভাবুন'' - ফেসবুকে একজন লিখেছেন। বেশ কিছু পুরুষ এমন মন্তব্য করেছেন যে লালেহ ওসমানী নিজে জানেন না তার সন্তানের পিতা কে, তাই তিনি সন্তানের পরিচয়পত্রে নিজের নাম রাখতে চান। মিস ওসমানী বলেন, আফগানিস্তানের তরুণ প্রজন্ম, যারা অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত ও সচেতন, তারা যে এমন ''কুৎসিত মন্তব্য'' করতে পারে, সেটা দেখে তিনি হতাশ। তারকা সমর্থন আফগানিস্তানের তারকা ও বিশিষ্ট কিছু মানুষ এই আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক ফারহাদ দারিয়া এবং সঙ্গীত রচয়িতা আরিয়ানা সাঈদ প্রথম থেকেই এই আন্দোলনের পক্ষে আছেন। ফারহাদ দারিয়া থাকেন আমেরিকায়। তিনি বলছেন কারও মা, বোন, কন্যা বা স্ত্রী সেটা পরিবারে একজন নারীর স্থানকে বোঝায়। সেটা ওই নারীর পরিচিতি নয়। "পুরুষ যখন একজন নারীর নিজস্ব পরিচিতিকে অস্বীকার করে, তখন সেই নারীরাও বিশ্বাস করতে শুরু করে তাদের আলাদা কোন পরিচয় থাকতে পারে না।'' আরিয়ানা সাঈদ আফগানিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় একজন গায়িকা এবং নারী আন্দোলনের একজন প্রবক্তা। তিনি বিবিসিকে বলেন যে, তিনি এই আন্দোলনের পেছনে আছেন। তবে তার ভয় এই আন্দোলনকে তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘ ও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। আফগানিস্তানের যেসব তারকা শিল্পী এই আন্দোলনের পেছনে আছেন তাদের একজন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আরিয়ানা সাঈদ 'সে নারীকে সূর্য এবং চন্দ্রও দেখেনি' ''আফগানিস্তানের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের পরিচিতিকে স্বীকৃতি না দেবার প্রধান কারণ হল, পুরুষরা তাদের 'সম্মান রক্ষায়' নারীদের সারা শরীর ঢেকে রাখতেই শুধু বাধ্য করেন না, তারা চান মেয়েদের নামও ঢেকে রাখতে,'' বলছেন আফগান সমাজবিজ্ঞানী আলী কাভে। তিনি আরো বলেন: ''আফগান সমাজে, তারাই আদর্শ নারী যাদের কখনও চোখে দেখা যায়নি, যাদের কণ্ঠ কখনও শোনা যায়নি। প্রবাদ আছে: 'সে নারীকে সূর্য এবং চন্দ্রও দেখেনি' ''যেসব পুরুষ সবচেয়ে কঠিন এবং কঠোর, সমাজে তারাই সবচেয়ে সম্মানিত। তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা যদি স্বাধীন হয়, তাহলে সে নারীকে ব্যভিচারিণী এবং অসম্মানিত বলেই বিবেচনা করা হয়।'' আফগান চিকিৎসক শাকারদক্ত জাফারী মনে করেন এই আন্দোলনের জন্য সরকারের সহায়তার প্রয়োজন আফগান চিকিৎসক শাকারদক্ত জাফারী, যিনি থাকেন ইংল্যান্ডের সারে এলাকায়, তিনি মনে করেন আফগান নারীকে তার নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরতে হলে তার আর্থিক, সামাজিক ও মানসিক স্বাধীনতারও প্রয়োজন। "আফগানিস্তানে যেসব পুরুষ নারীদের তার পরিচয় প্রকাশ করতে দেয় না, সরকারকে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে,'' তিনি বলছেন। প্রায় দুই দশক আগে তালেবান প্রশাসনের পতন ঘটার পর থেকে আফগানিস্তানে নারীদের প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা হচ্ছে দেশের ভেতর থেকে এবং বাইরে থেকেও। ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হবার আগে তালেবান নারীদের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল কিন্তু তারপরেও রাবিয়ার মত নারীরা স্বামীদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন চিকিৎসকের কাছে নিজের নাম বলার কারণে। ডা. জাফারী মনে করেন, আফগানিস্তানের মত খুবই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যেখানে নাগরিক সংগ্রাম দিয়ে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সফল হওয়া কঠিন, সেখানে এই বৈষম্য দূর করতে হলে সরকারেই এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের নাম প্রকাশের অধিকারের বিষয়টি আফগান সংসদে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু হোয়্যারইজমাইনেম? বা আমার নাম কোথায় নামের এই আন্দোলন নিয়ে রাজনীতিকরা কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তার ওপরই নির্ভর করবে এই আন্দোলনের ভবিষ্যত।
A woman from western Afghanistan - we will call her Rabia - was suffering from severe fever, so she went to see a doctor. The doctor's diagnosis was Covid-19.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে সৌদি সমর্থনপুষ্ট ইয়েমেনি বাহিনী সৌদি আরবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনার ওপর নাটকীয় হামলার পর তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। সৌদি আরবের এই তেলস্থাপনাগুলো গোটা বিশ্বের তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে খু্বই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো যে কতটা নাজুক অবস্থায় আছে, এই হামলা সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে বিমান হামলা চালাচ্ছে সৌদি আরব, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের মদত আছে। সৌদি আরবের এসব বিমান সরবরাহ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। বহু দিন ধরে সৌদি আরব হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিপক্ষও যে পাল্টা হামলার ক্ষমতা রাখে, সৌদি তেল স্থাপনার ওপর এই আঘাত তারই প্রমাণ। তবে এই ঘটনা সেই পুরোনো বিতর্ককে আবার উস্কে দিয়েছে- হুথি বিদ্রোহীদের ইরান কী পরিমাণ সামরিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে? মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এমনিতেই অস্থিতিশীল। সেখানে এই সর্বশেষ ঘটনা যেন পুরো অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। কিন্তু এই হামলা একই সঙ্গে ইরানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এবং কৌশলের ব্যর্থতাও ফুটিয়ে তুলেছে। সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে নানা দাবি এবং পাল্টা দাবির মধ্যে অনেক তথ্য এখনো অজানা। হামলার পর জ্বলছে সৌদি তেল স্থাপনা হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের বিভিন্ন টার্গেটে আগেও ড্রোন এবং মিসাইল হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ড্রোন হামলা থেকে তারা খুব সীমিত সাফল্যই পেয়েছে। তবে এবারের যে হামলা সেটা এমন মাত্রার যে তার সঙ্গে আগেরগুলোর কোন তুলনাই চলে না। বহুদূর থেকে যেরকম ব্যাপক মাত্রায় যে ধরণের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে, তার নজির নেই। মিসাইল না ড্রোন এই হামলার ব্যাপারে আরেকটি প্রশ্নের উত্তর অমীমাংসিত। হামলায় কি 'আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল' (ইউএভি) ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি নতুন কোন ধরণের মিসাইল। যদি মিসাইল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সৌদি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেন তার সংকেত পেল না? আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে হামলার পেছনে ইরাকের কোন ইরানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠী ছিল, নাকি স্বয়ং ইরানই জড়িত? মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও কিন্তু কোন সময় নষ্ট না করে সরাসরি তেহরানের দিকে আঙ্গুল তুলছেন এই ঘটনার জন্য। ঘটনার ব্যাপারে কোন গোয়েন্দা তথ্যের জন্য পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করেননি। কয়েকঘন্টা পর অবশ্য মার্কিন সূত্রগুলো দাবি করতে থাকে মোট ১৭টি স্থানে এই ড্রোন হামলা হয় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই এসব হামলা হয়েছে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে। যুক্তরাষ্ট্র বলতে চাইছে এই হামলা হয়েছে ইরান বা ইরাকের দিক থেকে, দক্ষিণের ইয়েমেন থেকে নয়। যুক্তরাষ্ট্র বলছে তারা এই হামলা ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য জানাবে। হামলায় ব্যবহৃত যেসব ড্রোন টার্গেট পর্যন্ত যেতে পারেনি, সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। যেসব সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা হয়েছে কোন দিক থেকে হামলা ২০০৮ সালে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলেছিল, হুথি বিদ্রোহীদের কাসেফ-ওয়ান ড্রোনের সঙ্গে ইরানের আবাবিল-টি ড্রোনের ব্যাপক সাদৃশ্য আছে। জাতিসংঘের দলটি তাদের রিপোর্টে বলেছিল, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, ইরান সেটি ভঙ্গ করেছে এবং হুথি বিদ্রোহীদের নানা রকম অস্ত্র সরবরাহ করেছে। কাসেফ-ওয়ান কিংবা আবাবিল-টি ড্রোন বড়জোর ১০০ বা ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে পারে। ইয়েমেনের সীমান্ত থেকে খুরাইস তেল ক্ষেত্রের দূরত্ব প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার। যেসব টার্গেটে হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এই তেলক্ষেত্রই ইয়েমেনের সবচেয়ে কাছে। ইরানি সামরিক সরঞ্জাম কতটা পাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা কাজেই ইয়েমেনের দিক থেকে যদি এই হামলা হয়ে থাকে, তাহলে এবারের ড্রোনগুলো নিশ্চিতভাবেই একেবারে ভিন্ন ডিজাইনের, যেগুলো অনেক বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে এবং অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। ইরান এবং সম্ভবত হুথি বিদ্রোহীদেরও হয়তো আরও দূরপাল্লার ড্রোন আছে। কিন্তু এপর্যন্ত ইয়েমেনের যুদ্ধে সেধরণের ড্রোনের ব্যবহার দেখা যায়নি। আরেকটা জল্পনা হচ্ছে, হামলায় হয়তো ক্রুজ মিসাইলও ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। হয়তো ইরাক বা ইরান থেকে এই ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। কিন্তু এই দাবির পক্ষে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের দরকার হবে। সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি কতটা কিন্তু শেষ বিচারে এসব খুঁটি-নাটি তথ্যের কোন মানে দাঁড়ায় না। কারণ কূটনৈতিক ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব ইরানের নির্মম শত্রু। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে মনস্থির করে ফেলেছে। পারস্য উপসাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলার জন্য তারা ইরানকেই দোষী করছে। সৌদি বিমান হামলার বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে অসন্তোষ বাড়ছে ইরান তাদের একটি তেলবাহী জাহাজ জিব্রালটারে আটক হওয়ার পর পাল্টা একটি ব্রিটিশ জাহাজ জব্দ করে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, সৌদি আরবের তেল স্থাপনার বিরুদ্ধে হুথি বিদ্রোহীদের যত হামলা, তার সবকটিতে ইরানের হাতের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ ব্যাপারে তারা কী করবে বা কী করার ক্ষমতা রাখে? এর উত্তর হচ্ছে, সম্ভবত খুব বেশি কিছু করার ক্ষমতা নেই। আরও পড়ুন: সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা: ইরানকে দায়ী করলো যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন হামলা কিসের ইঙ্গিত ইয়েমেনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এমনিতেই শক্তভাবে সৌদি আরবের পক্ষে। কিন্তু এই যুদ্ধের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসে অতটা উৎসাহ নেই। কংগ্রেসে এমন মত প্রবল হচ্ছে যে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে এই সৌদি বিমান হামলার কোন মানে নেই। একটা গরীব দেশের ওপর এই হামলা এক বড় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। ট্রাম্প প্রশাসন যদিও সৌদি আরবের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন জোগাচ্ছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কথা বলছে, বাস্তবে তেহরানের কাছে তারা কিন্তু নানা ধরণের বার্তা দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি যুদ্ধের ঝুঁকি নেবেন? একদিকে মনে হচ্ছে মি. ট্রাম্প যেন ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটা মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চান। তিনি মাত্রই তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে বরখাস্ত করেছেন। জন বোল্টন হচ্ছেন সেরকম একজন কট্টরপন্থী, যিনি কিনা যে কোন পন্থায় ইরানের রাষ্ট্রক্ষমতায় পালাবদলের পক্ষে। ইরান এবং হুথি বিদ্রোহীরা যুদ্ধে যে ধরণের কৌশল নিয়েছে, সেটা শক্তিমানের বিরুদ্ধে দুর্বলের লড়াইয়ের চিরাচরিত কৌশল। বেশিরভাগ কৌশল যেন রুশদের কাছ থেকে ধার করা- যে কোন কিছু অস্বীকার করা, ছায়াযুদ্ধ, সাইবার হামলা এবং প্রপাগান্ডা যুদ্ধ। তেহরান ভালো করেই জানে, মিস্টার ট্রাম্প মুখে যত কথাই বলুন, আসলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন কোন যুদ্ধে জড়াতে চান না, বরং যুদ্ধ থেকে বের করে আনতে চান। এর ফলে ইরানই বরং এখন পাল্টা সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু যে কোন মূহুর্তে যে কারও একটা ভূল হিসেবের কারণে একটা সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে, যেটা আসলে কেউই চায় না।
The Houthis say they did it; the United States insists that it was Iran; the Iranians deny any involvement.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
আরোহীরা এভারেস্টে আরোহণ করছেন। কিন্তু এবছর, শুধু এই বসন্ত মওসুমে, ইতোমধ্যেই এভারেস্টে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, কিম্বা নিখোঁজ হয়ে গেছেন। এছাড়াও এবার রেকর্ড সংখ্যক আরোহীকে এভারেস্টে উঠার অনুমতি দিয়েছে নেপাল সরকার। তাদের সংখ্যা ৩৮১। তার অর্থ এই মওসুমে প্রায় ৬০০ মানুষ এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করবে। কারণ আরোহীদের সাথে গাইড ছাড়া আরো কিছু কর্মকর্তাও রয়েছেন। এসব মৃত্যুর জন্যে এভারেস্টে আরোহীদের ভিড় লেগে যাওয়াকে দায়ী করা হলেও বিবিসির পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিক নাভীন সিং খাদকা আরো চারটি কারণের কথা উল্লেখ করছেন: ১. খারাপ আবহাওয়া আরোহীদের অনেকেই মে মাসের শুরু থেকে এভারেস্টের বেইস ক্যাম্পে জড়ো হতে শুরু করে। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবের কারণেও কর্তৃপক্ষের মধ্যে এভারেস্টে আরোহণের বিষয়ে কিছু শঙ্কা ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের পরের কয়েকদিন নেপালের হিমালয়ে আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়। ফলে নেপাল সরকারকে অন্তত দু'দিনের জন্যে এভারেস্টে আরোহণের সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিতে হয়। ঝড়ো বাতাসে কমপক্ষে ২০টি তাবু উড়ে যায়। এছাড়াও খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার পর বেশ কয়েকজন আরোহী, যারা ইতোমধ্যেই অনেক উপরের দিকে উঠে গিয়েছিলেন, তারা বেইস ক্যাম্পে নেমে আসেন। এই খারাপ আবহাওয়ার কারণে আরোহীরা যেসব দড়ি ধরে উপরের দিকে উঠেন সেগুলো স্থাপন করতেও দেরি হয়ে হয়ে যায়। ব্রিটিশ আরোহী রবিন হেইনেস ফিশার, নিহতদের একজন। কিন্তু এর মধ্যে বেইস ক্যাম্পে আরোহীদের ভিড় বাড়তে থাকে। নেপাল ও চীনের সীমান্তের মাঝখানে এই এভারেস্ট। চীনা দিক থেকেও এই পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করা যায়। চীন সরকারের পক্ষ থেকে এবার খুব কম সংখ্যক আরোহীকে পর্বতারোহণের অনুমতি দেওয়া হয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দড়ি বসানোর কাজ শেষ হয়। তার পর আরোহণের উপযোগী আবহাওয়া ছিল ১৯ এবং ২০শে মে। কিন্তু পর্বতারোহীদের খুব কম সংখ্যক দলই সেসময় উপরে উঠার সিদ্ধান্ত নেয়। বেশিরভাগ আরোহীই ২২ থেকে ২৪শে মে পর্যন্ত দিনগুলোকে বেছে নেয় আরোহণের জন্যে। এই সময়েও আবহাওয়া ভাল থাকার পূর্বাভাস ছিল। ২. ভিড় সামলানোর অব্যবস্থাপনা এবারের এতো প্রাণহানির জন্যে পর্বতারোহণ বিশেষজ্ঞরা অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, আরোহীরা যখন পরের সময়টিকে বেছে নেয় তখনই সেখানে ঝামেলা তৈরি হয়। দিনটি ছিল ২৩শে মে। এই একদিনেই সর্বোচ্চ সংখ্যক আরোহী- ২৫০ জনেরও বেশি- সেদিন চূড়ার অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে। তখন এতোই ভিড় লেগে যায় যে উঠা ও নামার পথে আরোহীদেরকে চূড়ার নিচের ক্যাম্পে কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়। তাদের অনেকেই ততোক্ষণে ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং তাদের সিলিন্ডারের অক্সিজেনও ফুরিয়ে যেতে শুরু করে। নেপালের পর্বতারোহণ আইন অনুসারে অভিযানকারী দলগুলোর সাথে লিয়াঁজো অফিসারকেও থাকতে হয়। এজন্যে এবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ৫৯ জনকে। কিন্তু তাদের মাত্র পাঁচজন শেষ পর্যন্ত আরোহণের চূড়ান্ত পর্বে আরোহীদের সাথে ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাদের কয়েকজন বেইস ক্যাম্পে অবস্থানের পর বাড়িতেও ফিরে গেছেন। এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণে আরোহীদের ভিড়। আরো পড়তে পারেন: এভারেস্টে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে যা বললো নেপাল হিমালয়ের চূড়ায় পর্বতারোহীর এত ভিড় যে কারণে পবর্তারোহীদের জন্য কতটা প্রাণঘাতী মাউন্ট এভারেস্ট? এই লিয়াঁজো অফিসাররা হলেন সরকারি কর্মকর্তা যাদের পর্বতারোহণের কোন অভিজ্ঞতা নেই। ফলে এভারেস্টের উচ্চতায় অবস্থান করতে তাদের অসুবিধা হচ্ছিল। এভারেস্ট বেইস ক্যাম্পের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, এই লিয়াঁজো অফিসাররা যদি আরোহীদের সাথে থাকতেন, ভিড় সামাল দিতেন, তাহলে এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। "আমরা আরোহীদেরকে বিভিন্ন সময়ে আরোহণের জন্যে ভাগ করে দিতে পারতাম। ফলে প্রথম দফায়, ১৯ ও ২০শে মে, আরো বেশি আরোহীকে আরোহণ করতে দেখা যেত। এবং দ্বিতীয় দফার উপরেও এতো চাপ তৈরি হতো না," বলেন তিনি। তারা বলছেন, এই লিয়াঁজো অফিসারদের উপস্থিত না থাকাও নেপালের পর্বতারোহণ কর্তৃপক্ষের জন্যে গত কয়েক বছর ধরেই বড় রকমের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পর্বতারোহণ শাখার প্রধান মীরা আচার্য বলেছেন, যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাদের ৮০ শতাংশ এবার বেইস ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। "আমি স্বীকার করছি তাদের বেশিরভাগই খুব বেশি সময় সেখানে ছিলেন না। এবিষয়ে আমরা অবহিত আছি এবং এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।" "আমরা তো মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোতেও আরোহীদের মৃত্যুর কথা শুনি। শুধু এভারেস্টের কথা আলাদা করে বলা হচ্ছে কেন?" তার প্রশ্ন। ৩. অনভিজ্ঞ আরোহী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই সাথে অনভিজ্ঞ আরোহীর সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। এবার কোন কোন দলের সাথে ছিল একজন মাত্র শেরপা গাইড। "যখন কোন আরোহী এরকম বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন তখন একজন শেরপা তাকে খুব বেশি সাহায্য করতে পারবে না। কারণ নিজেকেও তো বাঁচতে হবে।" মৃত্যুর জন্যে ভিড় দায়ী- এই বক্তব্য অস্বীকার করছে নেপাল সরকার। অনেক পর্বতারোহী যারা সফলভাবে এভারেস্ট থেকে নেমে এসেছেন তারা বলছেন, অক্সিজেনের অভাবে অনেক আরোহীর কষ্ট হচ্ছিল। লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করার জন্য তাদের অক্সিজেন শেষ হয়ে আসছিল। "এরা নতুন আরোহী। তারা খুব দ্রুত উপরে উঠেই নেমে যেতে চায়। অন্যান্য শিখরে উঠার সাথে যে এভারেস্টে আরোহণের একটা তফাৎ আছে সেটা তারা জানে না," বলেন অ্যালান আর্নেট, যিনি একজন অভিজ্ঞ আরোহী। অভিজ্ঞ আরোহীরা বলছেন, আরোহণের ব্যাপারে এখন কিছু শর্ত আরোপ করার সময় এসেছে। যেমন যাদের ৬,০০০ মিটার উপরে উঠার অভিজ্ঞতা আছে শুধু তাদেরকেই এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি দিতে হবে। ৪. অপারেটরদের প্রতিযোগিতা এভারেস্টে আরোহণের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন কিছু অপারেটরও। তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। নতুন অপারেটররা আরোহীদের কাছ থেকে কম অর্থ নিচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতার কারণে পুরনো অনেক প্রতিষ্ঠানও তাদের ফি কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছেন। ন্যাশনাল মাউন্টেন গাইডস এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট টিশেরিং পাণ্ডে ভোট বলেছেন, "এর ফলে এসব সংস্থা অনভিজ্ঞ লোকজনকে নিয়োগ দিচ্ছে গাইড হিসেবে। ফলে খারাপ পরিস্থিতিতে তারা আসলে তাদের মক্কেলকে খুব একটা সহযোগিতা করতে পারে না।" "প্রতিযোগিতাটা গুণগত মান বাড়ানোর জন্যে নয়, প্রতিযোগিতা হচ্ছে সংখ্যায়," বলেন তিনি। অপারেটররাও এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তারা বলছেন, তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বাড়ানো দরকার। অপারেটর সমিতির প্রধান ডাম্বার পারাজুলি বলেছেন, "আরোহীসহ আমাদের আরো দর্শনার্থী প্রয়োজন। আমরা যেভাবে ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকি ঠিক সেভাবেই এই আরোহীদেরকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটাই আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।" প্রথম তোলা ভিডিও ছবিতে এভারেস্ট পর্বত চূড়া আরো পড়তে পারেন: 'নুসরাত হত্যা ছিল মিলিটারি প্লানের মত নিখুঁত' ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: দলে তুরুপের তাস হবেন যারা পিরিয়ডের সময় স্যানিটারি প্যাডের বিকল্প কী আছে বাজারে? ব্যর্থতা কাটিয়ে জীবনে সফল হওয়ার আট মূলমন্ত্র
Over the past two decades, the average annual death rate of climbers on Mount Everest has remained at about six.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে ইরান। উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শেষ দিনগুলোতে তিনি হয়তো ইরানের ওপর "সর্বোচ্চ চাপ" তৈরি করবেন। শুধু তাই নয় ইরানের বেসামরিক পরমাণু কেন্দ্র এবং অন্যান্য জায়গাতেও তিনি হামলা চালাতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। গত নভেম্বর মাসে ওয়াশিংটন থেকে পাওয়া বিভিন্ন খবরে এধরনের ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছিল যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়তো এধরনের সামরিক পথ বেছে নিতে পারেন। এবিষয়ে তিনি তার সিনিয়র উপদেষ্টাদের মতামতও জানতে চেয়েছিলেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে তিনি ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পক্ষের যে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল তাতে আমেরিকাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। সেরকম হলে ইরানের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং চুক্তি মেনে চলার শর্তে ইরানকে তখন অর্থও দিতে হবে। তাহলে কি বলা যায় যে ইরান এখন হামলার হাত থেকে বেঁচে গেছে? এক কথায় বললে, না। ইরান নিয়ে ইসরায়েল এখনও প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন। ইরানের বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচিই শুধু নয়, তেহরানের পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টাও তাদের উদ্বেগের কারণ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গান্টজ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেছেন: "এটা পরিষ্কার যে ইসরায়েলকে সামরিক বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। এজন্য সম্পদ ও বিনিয়োগের প্রয়োজন এবং তার জন্য আমি কাজ করছি।" যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়াতে থাকে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ঘোষিত শত্রু ইসরায়েল। ইসরায়েল মনে করে ইরানের হাতে যদি পরমাণু অস্ত্র চলে আসে সেটা তাদের অস্তিত্বের জন্যই বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। একারণে তারা বিশ্বের প্রতি আহবান জানিয়েছে দেরি না করে ইরানকে এখনই থামাতে। ইরান সবসময়ই বলে আসছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে জ্বালানি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। তবে সম্প্রতি দেশটি যে হারে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে সেটি ২০১৫ সালের চুক্তিকে লঙ্ঘন করছে এবং তা নিয়েই নতুন করে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর আগে ১৯৮১ সালে ইসরায়েল সন্দেহ করেছিল যে ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন পরমাণু অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছেন। পরে 'অপারেশন ব্যাবিলন' নামের অভিযানে এফ ফিফটিন ও এফ সিক্সটিন যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়ে ইরাকের অসিরাক পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এর ২৬ বছর পর ২০০৭ সালে তারা সিরিয়াতেও অভিযান চালিয়েছে যার নাম ছিল অপারেশন আউটসাইড দ্য বক্স। ওই অভিযানে তারা দেইর আল-জুরের কাছে মরুভূমিতে স্থাপিত গোপন একটি প্লুটোনিয়াম চুল্লি ধ্বংস করে দিয়েছিল সেটি চালু করার আগেই। আরো পড়তে পরেন: চুক্তি লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের পরিমাণ বাড়াতে চায় ইরান পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলো ইরান ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা? ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, সামরিক হামলার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। দৃষ্টির বাইরে কিন্তু ইরান আক্রমণের জন্য খুব একটা সহজ টার্গেট নয়। প্রথমত দূরত্ব, সেখানে পৌঁছানো এবং তার পর দেশটির শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাড়া ইসরায়েল সেখানে কতোটা সফলভাবে আক্রমণ করতে পারবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এছাড়াও বাইডেন প্রশাসন এধরনের হামলায় অংশগ্রহণ করতে অনিচ্ছুক। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং কোন উপসাগরীয় আরব দেশ থেকে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানো হতে পারে এই আশঙ্কায় তেহরান তাদের কিছু কিছু কেন্দ্র পাহাড়ের তলায় মাটির নিচে লুকিয়ে ফেলার জন্য অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং এবিষয়ে তারা অনেক কাজও করেছে। ইরানের পরমাণু শিল্প, যদিও তারা এর প্রকৃত উদ্দেশ্য গোপন রেখে বলে যে এই কর্মসূচি বেসামরিক, তারপরেও তাদের এই কর্মসূচি ইরানের সামরিক ও নিরাপত্তা কাঠামোর সাথে জড়িত। সত্যি কথা বলতে, এধরনের হামলার ব্যাপারে ইরানি লোকজন এতো দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে যে এখন মাটির নিচে তৈরি করা এসব স্থাপনা টার্গেটও করাও বেশ কঠিন হবে। তা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা তিনটি দিক থেকে হামলার শিকার হতে পারে। শারীরিক হামলা "ইরানের স্থাপনাগুলো অজেয় নয়," বলেন মার্ক ফিৎসপ্যাট্রিক, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বা আইআইএসএসের একজন গবেষক, একই সাথে তিনি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ। "নাতাঞ্জে যে স্থাপনাটি আছে সেখানে বাঙ্কার ধংস করে দেওয়ার বোমা দিয়ে নিখুঁতভাবে হামলা চালানো যেতে পারে। এজন্য হয়তো দুটো নিখুঁত আঘাতের দরকার: প্রথম আঘাতে একটা বড় গর্ত তৈরি হবে এবং পরের হামলায় এর ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্পর্শকাতর সব যন্ত্রপাতি এমনভাবে নাড়িয়ে দেওয়া হবে যে সেগুলো আর কাজ করতে পারবে না।" স্যাটেলাইট থেকে তোলা পাহাড়ি এলাকা যেখানে নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ইরান অনেক বড় একটি দেশ এবং তার পারমাণবিক স্থাপনা বিভিন্ন জায়গায় ভূগর্ভে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বছর আটেক আগে ২০১২ সালে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে ফর্দোতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের স্থাপনাটি একটি পর্বতের অন্তত ২৬০ ফুট গভীরে। যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত শক্তিশালী বাঙ্কার-বাস্টিং বোমা দিয়ে নিখুঁতভাবে হামলা চালিয়েও এটি হয়তো ধ্বংস করা অসম্ভব। "ফর্দো স্থাপনাটি মাটির এতো গভীরে যে সেটি বাঙ্কার-বাস্টার প্রতিরোধ করতে পারবে। কিন্তু কোন নাশকতা তো তারা ঠেকাতে পারবে না," বলেন মার্ক ফিৎসপ্যাট্রিক। "এর প্রবেশ মুখ এবং ভেতরে ঢোকার পথে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্থাপনাটি কয়েক মাসের জন্য অকেজো করে দেওয়া যায়।" তবে এধরনের স্থাপনায় পৌঁছাতে হলে সম্ভবত দুই দফায় হামলা চালাতে হবে। প্রথমে ইরানের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়তে হবে। সেটা করতে হবে ইরানকে লুকিয়ে অথবা তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিয়ে। ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার ব্যাপারে ইরান প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে বাভার-৩৭৩। এটি রাশিয়ার এস-৩০০ প্রতিরোধী ব্যবস্থার মতো। এই ব্যবস্থা ৩০০ কিলোমিটার দূরের কোন বিমান চিহ্নিত করে সেটিকে মাটিতে নামিয়ে দিতে পারে। ইরানের ওপর আংশিক সফল হামলার পরিণতি হতে পারে এরকম- ভূপাতিত বিমানের পাইলটকে আটক করে তাকে ইরানি টেলিভিশনে হাজির হওয়া, হামলাকারীরা যা কখনোই চাইবে না। মানুষ দিয়ে আক্রমণ এধরনের হামলা ইতোমধ্যেই চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানের ভেতরে গুপ্তচরদের ব্যতিক্রমী ও অত্যন্ত শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তাদের কাছে এতোটাই তথ্য আছে যে ইরানের শীর্ষস্থানীয় একজন বিজ্ঞানী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন ফখরিজাদে ২৭শে নভেম্বর যখন প্রহরায় থাকা একটি গাড়ির বহর নিয়ে রাজধানী তেহরানের একটি নির্জন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল এবং হামলাকারীরা নিখুঁতভাবে জানতো তিনি কোন সময়ে কোন পথ ধরে যাচ্ছেন। সেদিন তার ওপর কিভাবে হামলা চালানো হয়েছিল সেবিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন খবর পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানী ফখরিজাদে: ইরানে যাকে পরমাণু কর্মসূচির জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইরান দাবি করছে যে একটি রিমোট স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত মেশিনগান দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে যা একটি পিক-আপ ট্রাকের ওপর বসানো ছিল। অন্যান্য সূত্রের বিশ্বাস যে মোসাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গুপ্তচর তার ওপর হামলা চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেছে। তবে যেভাবেই হোক, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির জনক হিসেবে পরিচিত এবং গোপনে পরমাণু কর্মসূচি চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা যাকে দায়ী করে সেই ফখরিজাদেকে হত্যা করা হয়েছে। এই হামলার নেপথ্যে কারা আছে সেবিষয়ে ইসরায়েল কোন মন্তব্য করেনি। এই হত্যাকাণ্ডের আগে ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইরানে চারজন শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানীকে ইরানের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। তাদের কাউকে কাউকে হত্যা করা হয়েছে গাড়ি-বোমা ফাটিয়ে। এসব ঘটনায় ইসরায়েল জড়িত কিনা সেবিষয়ে ইসরায়েল কখনও মন্তব্য করেনি, আবার কখনও অস্বীকারও করেনি। তবে এসব হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে ইরানের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা সত্ত্বেও হত্যাকারীরা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে। সাইবার হামলা সাইবার জগতেও অঘোষিত এক যুদ্ধ চলছে, যার একদিকে ইরান আর অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সৌদি আরব। ইরানের যে নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে সেন্ট্রিফিউজ সমৃদ্ধ করা হয় সেখানকার কম্পিউটারে ২০১০ সালে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এক ভাইরাস বা ম্যালাওয়্যার দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। ওই ভাইরাসের কোডনেম ছিল স্টাক্সনেট। এর ফলাফল ছিল বিশৃঙ্খলা, সেন্ট্রিফিউজগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে ঘুরতে থাকে এবং তার ফলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ কয়েক বছর পিছিয়ে যায়। ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে খবরে ফলাও করে বলা হলেও ধারণা করা হয় যে স্টাক্সনেট তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। সাথে সাথেই পাল্টা হামলা চালায় ইরান। তাদের তৈরি ম্যালাওয়্যার দিয়ে তারা সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরমকোর নেটওয়ার্কের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করে। এর ফলে ৩০,০০০ কম্পিউটার অচল হয়ে পড়ে এবং সৌদি আরবের তেল উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়ে যায়। ইরানের তৈরি ওই ভাইরাসটির নাম ছিল শামুন। এরপরেও এধরনের হামলা অব্যাহত থেকেছে। ২০২০ সালে নাতাঞ্জে নাশকতা চালানো হয়েছিল। ঝুঁকি রয়েই গেছে ইরান ও বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে ২০১৫ সালে যে আন্তর্জাতিক চুক্তি সই হয়েছিল তাতে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল যে এর ফলে তার প্রতিপক্ষ দেশগুলোর আর সামরিক হামলার কথা বিবেচনা করতে হবে না। কিন্তু এই চুক্তির ব্যাপারে ইসরায়েল এবং সৌদি আরব সবসময় সন্দিহান ছিল। তারা মনে করতো এই চুক্তি অনেক বেশি নমনীয় ও সাময়িক। কারণ এই চুক্তিতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়নি। এখনও তারা চায় না জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এনিয়ে তাদের উদ্বেগ দূর না করেই এই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা হোক। উপসাগরীয় এলাকার কোন দেশও আরো একটি যুদ্ধ দেখতে চায় না। এমনকি ২০১৯ সালে সৌদি আরবে তেলের অবকাঠামোর ওপর যে ক্ষেপণাস্ত্র চালানো হয়েছিল এবং যার জন্যে ইরানকে দায়ী করা হয়, তার বিরুদ্ধেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই সন্দেহ যতদিন থাকবে ততদিন তাদের স্থাপনার ওপর সামরিক আক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাবে।
The end of the Trump era has caused a collective but cautious sigh of relief in Iran.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সুশান্ত সিং রাজপুত। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। রোববার মুম্বাইয়ে বান্দ্রার নিজ বাড়ি থেকে তার গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিবিসি হিন্দি প্রতিবেদককে এই খবর নিশ্চিত করেছেন মুম্বাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার শর্মা। জানা গেছে, বাড়ির গৃহপরিচারিকা তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। মি. সিং বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। তার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক জানিয়ে টুইট করেছেন। শোক প্রকাশ করেছেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার, কারান জোহর, ঋত্বিক রোশান, অনুরাগ কাশ্যপসহ অনেকে। ২০১৩ সালে বড় পর্দায় ক্যরিয়ার শুরু করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। শুরুতে ছোট পর্দার মাধ্যমে মিডিয়ে জগতে পা রাখলেও পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে বেশ সফলতার পরিচয় দিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। ২০১৩ সালে 'কাই পো চে' দিয়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করা মি. সিং আমির খানের সুপারহিট ছবি 'পিকেতে'ও কাজ করেছিলেন। তবে তিনি সবার নজরে এসেছেন 'এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি' বায়োপিক চলচ্চিত্রে মূখ্য চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। এছাড়া 'ডিটেকটিভ বোমকেশ বক্সি', 'শুধ দেশি রোমান্স' এবং 'কেদারনাথ' চলচ্চিত্রে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। সবশেষ 'ছিচোড়ে' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন তরুণ এই অভিনেতা। এই চলচ্চিত্রের মূখ্য বার্তাই ছিল আত্মহত্যার বিরুদ্ধে, জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়াকে ঘিরে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শোক জানিয়ে টুইট। ১৯৮৬ সালের ২১শে জানুয়ারী ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনায় এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করলেও অভিনয় ও নাচের প্রতি ঝোঁক থাকায় মাঝ পথেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনায় ইতি টানেন। ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকেই মিডিয়া জগতে তিনি পা রেখেছিলের ব্যাকআপ নৃত্যশিল্পী হিসেবে। এরপরে তিনি 'কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল' নামে একটি সোপ অপেরায় প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। এরপরে 'পাবিত্রা রিশতা' সিরিয়ালে মি. সিং-এর অভিনয় তাকে ছোটপর্দায় জনপ্রিয় করে তোলে। পরবর্তীতে তিনি নৃত্যের রিয়েলিটি শো 'জারা নাচে কে দিখা' এবং 'ঝালাক দিখলা জা'তেও অংশ নেন। তবে বড় পর্দায় আসার পর তার ক্যারিয়ারের গ্রাফ ওপরের দিকেই যেতে থাকে। সুশান্ত সিং রাজপুত। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে 'পাবিত্রা রিশতা' সিরিয়ালের সহ-অভিনেতা অঙ্কিতা লোখাণ্ডের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে পরে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদের খবর পাওয়া যায়। মি. সিং চলচ্চিত্র জগতে সাফল্য অর্জনের পর থেকে দুজনের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, কিছুদিন আগে সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার ২৮ বছর বয়সী দিশা স্যালিয়ানও একটি বহুতল ভবন থেকে নীচে পড়ে মারা যান। আগে বলা হয়েছিল যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কিন্তু পরে খবর পাওয়া যায় যে মিস স্যালিয়ান নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তার মৃত্যুতে মি. সিং ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক সংবাদ। দিশার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। তোমার আত্মা শান্তি পাক।" গত তেশরা জুন নিজের এক কোটি দুই লাখ ফলোয়ারের ইন্সটাগ্রামে তিনি তার প্রয়াত মা'কে নিয়ে সবশেষ পোস্টটি দিয়েছিলেন। মা'কে নিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের সবশেষ পোস্ট। সুশান্ত সিং রাজপুতের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: নিষিদ্ধ ইরানি পরিচালকের যে সিনেমা পুরষ্কার জিতলো ধর্মীয় কোন্দলে আটকে গেছে পাকিস্তানের যে সিনেমা
A rising star in Bollywood, Sushant Singh Rajput, has been found dead in his apartment in Mumbai.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরে গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে) এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একটি সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ''বিষয়টি ছিল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। তারা চাইছিল যে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাটি পুরোপুরি তুলে নেয়া হোক, যা আমরা করতে পারি না।'' ধারণা করা হচ্ছিল, এই দুজনের বৈঠকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে অগ্রগতির খবর আসবে। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প জানান, তৃতীয় সম্মেলনের কোন পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। উত্তর কোরিয়ার ইয়াংবিয়ন পারমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার বদলে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি করছেন মি. কিম, কিন্তু যার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত নয়, বলছেন মি. ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের কর্মসূচীর তালিকায় ছিল একটি যৌথ সমঝোতা স্বাক্ষর কর্মসূচী এবং দুই নেতার দুপুরের হালকা লাঞ্চ। কিন্তু দুটোই শেষপর্যন্ত বাতিল হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র চায়, যেকোনো নিষেধাজ্ঞা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আগে সবরকম পারমাণবিক কর্মসূচী বর্জন করতে হবে উত্তর কোরিয়াকে, কিন্তু এটি উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি কঠিন শর্ত। আরো পড়ুন: ভিয়েতনামে ট্রাম্প-কিম বৈঠক: জেনে রাখতে পারেন যেসব তথ্য ভিয়েতনামে কিম-ট্রাম্প বৈঠক: নকল কিম বহিষ্কার উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ যেভাবে বেঁচে আছেন একটি সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ''বিষয়টি ছিল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। তারা চাইছিল যে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাটি পুরোপুরি তুলে নেয়া হোক, যা আমরা করতে পারি না।'' এই ব্যর্থতাকে নিজ স্টাইলে সমঝোতা তৈরিকারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি ব্যর্থতা বলে মনে করা হচ্ছে, যিনি তার ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের স্বীকারোক্তির পর নিজ দেশেও সংকটে আছেন। তবে হ্যানয় বৈঠকে কোন সমঝোতা না হলেও এটিকে দুই দেশের নেতৃত্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসাবেই দেখা হচ্ছে। ২০১৭ সালে এই দুই নেতা পরস্পরকে উদ্দেশ্য করে হুমকি ছুড়ে দিয়েছিলেন। কিম জং-আনকে ''ছোট্ট রকেট ম্যান'' বলে ডেকেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে মি. ট্রাম্পকে ''মানসিক বিকারগ্রস্ত আর ভীমরতিগ্রস্ত ব্যক্তি'' বলে বর্ণনা করেছিলেন মি. কিম। হ্যানয়ে বৈঠকের পর মি. ট্রাম্প বলেছেন, মি. কিম একজন ভদ্রলোক এবং তাদের সম্পর্ক বেশ শক্ত। এই সম্মেলনের আগে ধারণা করা হচ্ছিল যে, ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অবসানের বিষয়ে একটি রাজনৈতিক ঘোষণা আসবে। কোনো শান্তি চুক্তি ছাড়াই ওই যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প-কিম জং আন: শত্রু না বন্ধু? বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: আলোচনার কেন্দ্রে যে পাইলট উত্তেজনা-সংঘাতের পর কাশ্মীরের সর্বশেষ যে অবস্থা ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা যা হতে পারে ৮০৭ রান, ৪৬ ছক্কা: বিশ্ব ক্রিকেটে এমন ম্যাচ আর কয়টি আছে?
A summit between Donald Trump and the North Korean leader Kim Jong-un ended without agreement after the US refused North Korean demands for sanctions relief, the US president has said.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ফেডেরিকা মঘেরিনি বলেন যে, ইরান যে পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে তা আবার সংশোধনযোগ্য। সোমবার ফেডেরিকা মঘেরিনি বলেন, "ইরানকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি তারা যাতে তাদের পদক্ষেপের সংশোধন করে আবার আগের মতোই চুক্তির শর্ত অনুসরণ করে।" চুক্তি ভেঙ্গে গত মে মাস থেকে ইরান ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়িয়েছে, যা পারমাণবিক চুল্লিতে জ্বালানি হিসেবে এবং সম্ভবত পারমাণবিক বোমা বানাতেও ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে একতরফা ভাবে নিজেদের প্রত্যাহার করে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে এমন পদক্ষেপ নেয় তেহরান। ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনি এই চুক্তি লঙ্ঘন করলো ইরান। আরো পড়তে পারেন: ইরান কেন ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়েছে? ইরানের ওপর 'গুরুতর' নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ট্রাম্পের 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প সংকট তৈরি হয়েছে যুক্তরাজ্য এবং ইরানের মধ্যেও। চলতি মাসে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিরিয়ায় তেল পাঠানোর অভিযোগে ইরানের একটি তেল ট্যাংকার ব্রিটেন আটক করার পর এই সংকট তৈরি হয়। যদিও এই অভিযোগ নাকচ করেছে ইরান। পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, নিজেদের উপর আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে পরমাণু কর্মসূচী কমিয়ে নেয়ার কথা জানায় ইরান। এই নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে মিজ মঘেরিনি বলেন, "বাস্তবিকপক্ষে এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার সবগুলোই সংশোধনযোগ্য।" তিনি বলেন, চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের কেউই মনে করে না যে, চুক্তির যে অংশ লঙ্ঘিত হয়েছে তা গুরুতর। আর তাই তারা এ নিয়ে নতুন করে কোন বিতর্কে যাবে না, যাতে আরো বেশি নিষেধাজ্ঞার মুখে না পড়ে দেশটি। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে, ইরানের সাথে সংকট সহজ করে পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেন ইউরোপিয় ইউনিয়নভূক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এর আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, চুক্তি টিকিয়ে রাখার খুব 'ছোট একটি সম্ভাবনা' রয়েছে। "পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে ইরানের এখনো অনেক সময় প্রয়োজন," তিনি বলেন। বৈঠকের আগে প্রকাশিত এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি চুক্তির পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানান দেন। ইরানের পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখা দরকার কেন? বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিবেদক ফ্র্যাংক গার্ডনার বলেন, ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি নাও করে, কিন্তু যেকোন সময় অস্ত্র তৈরি করতে পারে এমন সক্ষমতায় পৌঁছায় তাহলে সেটিকেও এর প্রতিবেশী দেশগুলো নিজেদের উপর বেশ বড় মাপের হুমকি হিসেবেই দেখবে। এ ধরণের অবস্থায় এসব দেশ নিজেরাও একটি করে পরমাণু অস্ত্র রাখতে চাইবে। এক বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রতিপক্ষ সৌদি আরব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ ইরানকে সহ্য করবে করবে না তারা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। আর এ কারণেই, ব্রাসেলসের কূটনীতিকদের মতে, পরমাণু অস্ত্র সংগ্রহের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। তাহলে বাস্তবে এর অবস্থা কেমন দাঁড়াবে? বিবিসির প্রতিবেদক মিস্টার গার্ডনার বলেন, খুব সম্ভবত, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং মিশর এমন শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশ হতে চাইবে, যা দিয়ে একটি পুরো শহর ধ্বংস করা সম্ভব। আর এটি হবে বিশ্বের এমন একটি অঞ্চলে যেখানে গত টানা ৭১ বছর ধরে সংঘাত চলছে। সর্বশেষ, ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত করেও তাহলে আশঙ্কা রয়েছে যে, হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনের কাছে এটি দিয়ে দিতে পারে। আর একারণেই উপসাগরীয় অঞ্চলের বাসিন্দা না হলেও ইরানের পরমাণু চুক্তি যে কারো জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তিটি নিয়ে কেন অনিশ্চয়তা? ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার শাসনামলে চুই করা চুক্তিটি থেকে এক তরফা ভাবে বের হয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চুক্তিতে সই করা অন্যইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফদেশগুলো মিস্টার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এবং জানায় যে তারা চুক্তিতে অটল থাকবে। দ্য মেইলে গত রবিবার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের ফাঁস হওয়া এক মেমো প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয় যে, মিস্টার ওবামার প্রতি আক্রোশের কারণেই পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছেন মিস্টার ট্রাম্প। চলতি মাসের শুরুর দিকে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা নিশ্চিত করে যে, ইউরেনিয়াম মজুদের ক্ষেত্রে চুক্তিতে থাকা নির্ধারিত মাত্রা অতিক্রম করেছে ইরান। ইরান জানায়, মিস্টার ট্রাম্প চুক্তি বাতিল করার পর দেশটির উপর আবারো নিষেধাজ্ঞা বহালের প্রতিক্রিয়ায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
Iran's recent breaches of the 2015 nuclear deal are not significant and can be reversed, the European Union's foreign policy chief says.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
মোবাইল অ্যাপ দিয়ে উইগরদের ওপর নজরদারি করছে চীন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলছে, তারা এই অ্যাপটির প্রযুক্তি পরীক্ষা করে বের করেছে - কিভাবে গণ-নজরদারির এই ব্যবস্থা কাজ করে। যারা 'সরকারের অনুমতি না নিয়ে হজ করতে গেছে', যারা 'খুব বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে', যাদের 'কোনো পরিচিতজন বিদেশে থাকে', যারা 'লোকজনের সাথে বেশি মেলামেশা করে না' এবং 'বাড়ির সামনের দরজা দিয়ে কম বের হয়' - এরকম লোকদের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। মানবাধিকার গ্রুপগুলোর মতে, চীনে উইগর মুসলিমরা তীব্র নিপীড়নের শিকার। জাতিসংঘ বলেছে, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট আছে যে প্রায় ১০ লাখ উইগরকে শিনজিয়াংএ বন্দীশিবিরে আটক রাখা হয়েছে। চীন এই কেন্দ্রগুলোকে 'পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র' হিসেবে অভিহিত করে থাকে। উইগরদের নিত্যদিনের আচরণ এবং গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ সহ উইগরদের নিত্যদিনের আচরণ এবং গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনা কর্মকর্তারা '৩৬ ধরণের লোকের ওপর' নজর রাখা এবং তাদের তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য অ্যাপটিকে কাজে লাগাচ্ছে। রিপোর্টে কোন বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নি - তবে, এই ৩৬ ধরণের লোকের মধ্যে 'বেসরকারি ইমাম' এবং যারা 'ওয়াহাবি ইসলাম অনুসরণ করে' তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: শক্তিশালী হচ্ছে ফণী, ৫-৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা বিএনপি সংসদে কতটা বিরোধী ভূমিকা রাখতে পারবে? ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: জার্সি নিয়ে অন্তরালে কী ঘটেছিল? চীনা কর্মকর্তারা '৩৬ ধরণের লোকের ওপর' নজর রাখছে' সংগ্রহ করা তথ্যগুলো শিনজিয়াং প্রদেশের গণ নজরদারির প্রধান ব্যবস্থা আই জে ও পি-তে পাঠানো হয়। তারা রাস্তার চেকপয়েন্ট, পেট্রোল পাম্প, স্কুল ইত্যাদি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং কোন রকম অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে তার ওপর নজরদারি করে। শিনজিয়াং চীনের একটি অর্ধস্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল এবং এর অধিবাসীদের প্রায় ৪৫ শতাংশ উইগর মুসলিম। আরো পড়তে পারেন: চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে
Chinese police are using a mobile app to keep data on millions of ethnic Uighurs in Xinjiang province, according to Human Rights Watch (HRW).
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
হিয়ারিং এইড লাগানো কান, হুইলচেয়ার, কৃত্রিম অঙ্গ, গাইড কুকর এসবের মতো আরও বেশকটি নতুন ইমোজির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের আনুষ্ঠানিক তালিকায় এসব ইমোজির অন্তর্ভূক্তি মানে হলো এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধ নাগাদ অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারকীর তাদের ব্যবহারের সুযোগ পেতে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে এমন দাতব্য সংস্থা স্কোপ এর কর্মকর্তা ফিল টালবট বলেন, "সামাজিক মাধ্যম অত্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য নতুন এসব ইমোজির বিষয়টি দারুণ"। তিনি মনে করেন, "এতদিন পর্যন্ত প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি ব্যাপকভাবে উপেক্ষিত হয়েছে"। প্রতিবন্ধী-থিম নিয়ে নতুন ইমোজি তিনি আরো বলেন, "আমরা গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের সকল ক্ষেত্রে অক্ষমতা এবং প্রতিবন্ধী মানুষদের আরো বড় পরিসরে প্রতিনিধিত্ব দেখতে চাই" সর্বেমোট ২৩০টি নতুন ইমোজি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে। কম্পিউটার প্রস্তুতকারক, সফটওয়্যার ডেভলপার এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক একটি গ্রুপ দ্বারা বিষয়টি পরিচালিত হচ্ছে, যারা নিশ্চিত করে যে বিভিন্ন ডিভঅইস এবং অ্যাপস এর ব্যবহারকারীরা যেন একে অপরকে ইমোজি পাঠাতে পারে। অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট, স্যামসাং, ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ইউনিকোডের ডিজাইনগুলো তাদের নিজেদের পছন্দমত নিয়ে নিতে পারবে কিন্তু প্রতিটি পণ্যের বৈশিষ্ট্য একটি অন্যটির থেকে আলাদা হতে হবে। নারী এবং পুরুষের ছবিসহ ইমোজি রয়েছে যেখানে তাদের হাতের একটি আঙ্গুল তাদের মুখ ও কানের বরাবর নড়তে দেখা যায় যেটিকে অ্যামরিকান সাইন ল্যাংগুয়েজে বধিরদের চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে অ্যাপল কোম্পানি আমেরিকার অন্ধ এবং বধিরদের জাতীয় সংস্থার সাথে পরামর্শ করে ১৩টি অঙ্কনচিত্র জমা দিয়েছিল যার ওপর ভিত্তি করে এসব ইমোজি তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীত্বের শিকার মানুষদের প্রতিনিধিত্বের জন্য নতুন নতুন ইমোজি তৈরির জন্য গতবছর অ্যাপলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়ার পর ইউনিকোড ঘোষণা দিয়েছিল যে, প্রতিবন্ধীদের জন্য নতুন ইমোজি আনা হবে। সারাবিশ্বে প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন মানুষ কোন না কোন প্রতিবন্ধীত্বের শিকার বলে ধরে নেয়া হয়। রক্তের ফোঁটা-মেয়েদের ঋতুস্রাবের প্রতীক ঋতুস্রাবের ইমোজি এই ইমোজি ভাণ্ডারের উল্লেখযোগ্য আরেকটি সংযোজন হচ্ছে -একফোঁটা রক্তচিহ্ন যার মধ্য দিয়ে ঋতুস্রাব বোঝানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মেয়েদের আলোচনার পথ সুগম করা হচ্ছে। পিরিয়ড কালীন ইমোজি কি হতে পারে সে সম্পর্কে মেয়েদের অধিকার বিষয়ক দাতব্য সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে ২০১৭ সালে অনলাইনে ভোট নেয় । সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছিল রক্তমাথা একজোড়া প্যান্ট কিন্তু ইউনিকোড কনসোর্টয়াম থেকে তা প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং তারা একফোঁটা রক্তচিহ্নকে প্রতীকি হিসেবে বেছে নেয়। এই সংস্থাটির গার্লস রাইট বিভিাগের প্রধান লুসি রাসেল বলেন, বছরের পর বছর ধরে পিরিয়ড বিষয়ে আমরা নিশ্চুপ এবং নিরুত্তাপ ছিলাম। তার মতে, কোন একটি ইমোজি এই সম্যা দূর করতে পারবে না কিন্তু এটি আলাপ আলোচনাকে বদলাতে সহায্য করতে পারে। ঋতুস্রাবকে ঘিরে আওয়াজ তোলার মধ্য দিয়ে এই বিষযে লজ্জার অবসান ঘটাতে হবে-এই তাগিদ থেকেই এই ইমোজির সংযোজন। নতুন যুক্ত হওয়া ইমোজিতে রয়েছে এমন নানা বৈচিত্র অন্যান্য যেসব নতকুন ইমোজি যুক্ত হলো--- •শাড়ি •ব্যালে সু •রিকশা • মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ ধরনের খাবার ইত্যাদি
The introduction of dozens of new accessibility-themed emojis has been welcomed by disability rights campaigners.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
হরমুজ প্রণালী গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রপথ। যেখানে এই ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রপথ। এই পথটি হরমুজ প্রণালী হিসেবে পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্য থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় তেল রপ্তানি করা হয় হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল যায় এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং অন্যান্য জায়গায়। হরমুজ প্রণালীর একদিকে আছে আরব দেশগুলো। এসব দেশের মধ্যে আমেরিকার মিত্র দেশগুলো রয়েছে। হরমুজ প্রণালীর অন্য পাশে রয়েছে ইরান। হরমুজ প্রণালীর সবচেয়ে সংকীর্ণ যে অংশ সেখানে ইরান এবং ওমানের দূরত্ব মাত্র ২১ মাইল। এই প্রণালীতে জাহাজ চলাচলের জন্য দুটো লেন রয়েছে এবং প্রতিটি লেন দুই মাইল প্রশস্ত। হরমুজ প্রণালী সংকীর্ণ হতে পারে। কিন্তু জ্বালানী তেল বহনের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ চলাচল করার জন্য হরমুজ প্রণালী যথেষ্ট গভীর এবং চওড়া। পৃথিবীতে যে পরিমাণ জ্বালানী তেল রপ্তানি হয়, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ হরমুজ প্রণালী দিয়ে যায়। এই প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন এক কোটি ৯০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি হয়। আরও পড়তে পারেন: তেলের ট্যাংকারে হামলার পেছনে ইরানের হাত? ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাতঙ্ক, মক্কায় হবে জরুরী বৈঠক হরমুজ প্রণালী দিয়ে পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ হয় মালাক্কা প্রণালী দিয়ে জ্বালানী তেল রপ্তানি হয় এক কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল এবং সুয়েজ খাল দিয়ে প্রতিদিন ৫৫ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি হয়। হরমুজ প্রণালী হচ্ছে ইরানের জ্বালানী তেল রপ্তানির প্রধান রুট। ইরানের অর্থনীতির জন্য এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের মোট রপ্তানি আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ আসে জ্বালানী তেল রপ্তানির মাধ্যমে। ২০১৭ সালে ইরান ৬৬০০ কোটি ডলারের তেল রপ্তানি করেছে। ইরানের উপর আমেরিকা নতুন করে যে অবরোধ দিয়েছে তাতে তারা মোটেও খুশি নয়। ইরান বলেছে, তাদের তেল রপ্তানিতে আমেরিকা যদি বাধা দেয়, তাহলে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে কোন তেল রপ্তানি করা যাবেনা। ইরান বলেছে, হরমুজ প্রণালী দিয়ে যত তেল পরিবহন করা হবে সেটি তারা বন্ধ করে দেবে। ১৯৮০'র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় এ ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ইরাক এবং ইরান পরস্পরের তেল রপ্তানি বন্ধ করতে চেয়েছিল। তখন জ্বালানী তেল বহনকারী ২৪০টি তেলের ট্যাংকার আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৫৫টি ডুবে গিয়েছিল। ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে চায় তাহলে সেটির কিছু নেতিবাচক দিক আছে। হরমুজ প্রণালী অশান্ত হয়ে উঠলে পৃথিবীজুড়ে জ্বালানী তেলের দাম বাড়বে।
Iran says it "categorically rejects" US claims that it is behind attacks on two oil tankers in the Gulf of Oman.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জনপ্রিয় কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়াহ কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে 'জোক' বা তামাশা করা তার উচিত হয়নি। নোয়াহ একজন দক্ষিণ আফ্রিকান কমেডিয়ান, রেডিও ও টেলিভিশন উপস্থাপক এবং অভিনেতা। বর্তমানে তিনি মার্কিন কেবল টেলিভিশন চ্যানেল কমেডি সেন্ট্রালের রাতের ভুয়া সংবাদের অনুষ্ঠান 'দ্য ডেইলি শো উপস্থাপনা করেন। দ্য ডেইলি শো অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, দু'দেশের (ভারত ও পাকিস্তানের) মধ্যে একটি যুদ্ধ হবে 'খুবই আমোদের বিষয়" বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, "এটি হতে যাচ্ছে যেকোন সময়ের তুলনায় দীর্ঘতম যুদ্ধ---আরেকটি ড্যান্স নাম্বার।" একথা বলার সময় পাঞ্জাবি গান গেয়ে বলিউড নায়কের ভঙ্গিমায় নেচে দেখাচ্ছিলেন নোয়াহ। আর এই মন্তব্যের কারণে ভারতে তীব্র সমালোচনার শিকার হন তিনি। টু্ইটারে বহু ভারতীয় বিষয়টি নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ইতোমধ্যে দুইটি যুদ্ধ এবং কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজের বলে দাবী করে আসছে এবং উভয়ই কাশ্মীরের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বিতর্কের সূত্রপাত দ্য ডেইলি শোতে গত সপ্তাহে হাজির হয়ে নোয়াহর করা ঐ মন্তব্যকে অনলাইনে 'বর্ণবাদী' এবং 'অসহিষ্ণু' বলে সমালোচনা করেছেন বহু মানুষ। আরো পড়তে পারেন: ইমরান বনাম মোদী: কৌশলের লড়াইতে জিতলেন কে? ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? যেভাবে কাশ্মীরে আটক হয়েছিলেন ভারতীয় পাইলট ভারত ও পাকিস্তানে আটকে পড়া মানুষের আত্মীয় পরিজন যারা দেশের বাইরে অপেক্ষা করছেন, বিশেষ করে ভারতীয় অ্যামেরিকান নাগরিকেরা, নোয়াহর মন্তব্যকে রীতিমত আপত্তিকর বলে বর্ণনা করেছেন। বলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী ট্রেভরের সমালোচনা করেন। যুদ্ধের মত সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মজা করার কারণে এর আগেও নোয়াহ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। নোয়াহর দুঃখপ্রকাশ টুইটারে এক পোস্টে নোয়াহ বলেছেন, "আমার মন্তব্যে আপনারা আহত হয়েছেন, সেজন্য আমি দুঃখিত। আমার উদ্দেশ্য মোটেই তা ছিল না।" নোয়াহ বলেছেন, কমেডি করে তিনি 'কষ্ট, যন্ত্রণা ও অস্বস্তি মোকাবেলা' করেন। তিনি জানান, "আমার মাকে যখন মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, আমি সেটা নিয়েও কমেডি করেছি।" তবে, তার করা কমেডি ভারত পাকিস্তান উত্তেজনার মতই অনলাইনে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, সেটা দেখে তিনি অভিভূত বলেও মন্তব্য করেছেন। পাল্টাপাল্টি অনলাইন যুদ্ধ নোয়াহর মন্তব্যে অনেকে যেমন প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তেমনি অনেকে আবার বলেছেন যে তার বক্তব্য নিয়ে এত মাতামাতি করাও ছিল 'অপ্রয়োজনীয়'। সেই সঙ্গে অনেকেই ঐ দিনের শোটিকে উপভোগ্য ছিল বলেও রায় দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে টুইটারেই ভারতকে নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক বেশি চলে। যেকারণে নোয়াহর এই বিষয়টি নিয়েও এখানেই আলোচনা বেশি হয়েছে। আর রাজনীতি নিয়ে ব্যঙ্গ করার চল ভারতে তেমন একটা নেই। যে কারণে তার ওপর ক্ষেপেও গেছেন দেশটির অনেকে। ফেসবুকে 'হিউম্যানস অব হিন্দুত্ব' নামে একটি পেজ রীতিমত নোয়ার বিরুদ্ধে অনলাইনে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এদিকে, ভারতীয় বিমান বাহিনীকে সমর্থন করে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর পাকিস্তানে তার বিরুদ্ধে নানা প্রচারণা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিসেফের 'গুডউইল অ্যাম্বাসেডর' পদ থেকে প্রিয়াঙ্কাকে সরিয়ে দেবার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। কাশ্মীর সংকট কীভাবে বাড়লো ২৬শে ফেব্রুয়ারি ভারত তাদের ভাষায় পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারত শাসিত কাশ্মীরে এক আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪০জন ভারতীয় সেনা নিহত হবার ঘটনার জবাব হিসেবে ভারত ঐ হামলা চালায়। আরো দেখুন: কাশ্মীরের উভয় প্রান্তের দৃশ্য বিবিসির চোখে
Comedian Trevor Noah has said he is sorry for making jokes about the sharp rise in tensions between India and Pakistan over disputed Kashmir.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
নাসার মহাকাশযান থেকে পাঠানো নতুন ছবিতে ভারতের চন্দ্রযান অবতরণের সম্ভাব্য স্থান দেখানো হয়েছে। নাসার একটি মহাকাশযান থেকে পাওয়া ছবিতে ভারতের চন্দ্রযান বিক্রমের যেখানে অবতরণ করার কথা ছিল সেই ল্যান্ডিং সাইটটি দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ছবিগুলো নেয়া হয়েছে বিকেলবেলা, যার কারণে সেগুলো তেমন স্পষ্ট নয়। ভারত সফলভাবে চাঁদে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হতে পারতো। মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে ২০শে অগাস্ট এবং ৭ই সেপ্টেম্বর ভারতের সময় সন্ধ্যা নাগাদ চাঁদের বুকে অবতরণ করার কথা ছিল। এর একমাস আগে সেটি পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। বিক্রম নামের এই অবতরণকারী যানটি চাঁদে নামার কয়েক মুহূর্ত আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা ছিল। শুক্রবার নাসা মহাকাশযানটির অবতরণের লক্ষ্যস্থলটির ছবি টুইট করে। নাসা বলছে যে, অবতরণের লক্ষ্যস্থলটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে প্রয় ৬০০ কিলোমিটার বা ৩৭০ মাইল দূরে। যেটি আপাতত একটি প্রাচীন অংশ বলে মনে হয়। নাসা বলছে, ১৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের কক্ষপথের ওপর দিয়ে তাদের মহাকাশযানটি যাবার সময় উচ্চ রেজলিউশনের ছবি তুলে রাখে। তবে মহাকাশযানের চিত্র তুলতে পারেনি সেটি। নাসার ব্যাখ্যা, ছবি তোলার সময়টি ছিল সন্ধ্যা। আর প্রাচীন সেই ভূখণ্ডটির বেশিরভাগ অংশই ছায়ায় আচ্ছন্ন ছিল। ধারনা করা হচ্ছে 'বিক্রম' সেই দীর্ঘ ছায়ার মধ্যে রয়েছে। অক্টোবরে আবারো একই পথে নাসার স্যাটেলাইটটি সেখান দিয়ে যাবে এবং যাবার সময় নতুনভাবে ছবি তুলে ল্যান্ডারটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করবে। ২০০৮ সালে ভারত চন্দ্রযান- ১ এর রাডারের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের সন্ধানে বিস্তৃত অনুসন্ধান চালিয়েছিল। কী ছিল এই মিশনে? চন্দ্রযান- ২ ছিল ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো পরিচালিত সবচেয়ে জটিল কোনো মিশন। ইসরো প্রধান কে শিভান এটি উৎক্ষেপণের পর জুলাই মাসে বলেন, "এটি একটি ঐতিহাসিক যাত্রার কেবল শুরু।" ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি বিশ্লেষণ করার জন্যে ২৭ কেজি ওজনের একটি মুন রোভার বহন করছিল। রোভারটির নামকরণ সংস্কৃত ভাষায় করা হয় 'প্রজ্ঞান'। এটির ক্ষমতা ছিল ১৪ দিনে ল্যান্ডার থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে পরিভ্রমণ করে চন্দ্রপৃষ্ঠের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠানো। এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে ভূমিকম্প, পানির উপস্থিতি ও অন্যান্য খনিজের সন্ধান। ভারতের চন্দ্র অভিযানের ঘটনা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল। কেন মিশনটি তাৎপর্যপূর্ণ? বিজ্ঞান লেখক পল্লব বাগলার মতে, চাঁদে সফল অবতরণে এর আগে মাত্র তিনটি দেশের কৃতিত্ব রয়েছে। সেক্ষেত্রে সফল হলে এটি হতো ইসরোর জন্যে প্রযুক্তিগত প্রভূত অর্জন। তিনি আরো বলেন যে, এটি ভবিষ্যতে ভারতের মঙ্গলগ্রহে মিশন চালানোর পথ অবারিত করতো এবং মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতো। এছাড়া ভারতের মহাকাশ অভিযান ইতিহাসে এ ধরনের মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন দু'জন নারী। প্রোজেক্ট পরিচালক মুথায়া ভানিথা এবং মিশন পরিচালক রিতু কারিধাল। এটিও একধরনের জাতিগত গর্বের বিষয়। জুলাই মাসে উপগ্রহটির উৎক্ষেপণ টেলিভিশন এবং ইসরোর অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার হয়। আর মিশনটি বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছিল, কেননা এর খরচ ছিল অত্যন্ত কম। এর চেয়ে অ্যাভেঞ্জার সিরিজের সবশেষ সিনেমা অ্যাভেঞ্জার এন্ড গেমের বাজেটও প্রায়েই দ্বিগুনের বেশি ছিল। প্রথম চন্দ্র অভিযান নিয়ে যে ১০টি তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই আরো খবর: ইমরান 'উস্কানি দিচ্ছেন'- ভারতের তীব্র প্রতিক্রিয়া বহু সৌদি সৈন্য আটকের দাবি হুতি বিদ্রোহীদের 'রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার সমস্যা'
India's Moon rover, which lost contact moments before it was to touch down on the lunar surface earlier this month, had a "hard landing", Nasa has said.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বিদ্যুৎ না থাকায় আটকে যায় ট্রেন। ফলে অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে যায়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বেশ দ্রুততার সাথে ১৫ মিনিটের মধ্যে উৎপাদনে ফিরে আসে। কিন্তু ট্রেন নেটওয়ার্ক সচল হতে কয়েক ঘণ্টার সময় লেগে যায়। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ট্রেন নেটওয়ার্কের সিগন্যাল এবং অভ্যন্তরীণ সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ ট্রেন লাইনে ফিরে আসলেও ততক্ষণে যাত্রীরা গরমে অস্থির হয়ে যায়। ট্রেনের ভেতরে দমবন্ধ করা পরিস্থিতির তৈরি হয়। যেসব ট্রেনে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে সেগুলো হচ্ছে জার্মানির তৈরি। ২০১৪ সালে এসব ট্রেন ব্রিটেনের রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হয়। বিদ্যুৎ চলে যাবার পর এসব ট্রেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাটারির সাহায্যে জরুরী সিস্টেম চালু রেখেছে। আরো পড়তে পারেন: শ্রীনগরে হাজার লোকের বিক্ষোভের ছবি বিবিসির হাতে 'আসুন নতুন জম্মু-কাশ্মীর, নতুন লাদাখ' গড়ি: মোদী বিদ্যুৎ থেকে বাসা বাড়িতে আগুন লাগছে কেন? ট্রেন থেকে বের হয়ে হাঁটতে শুরু করেন অনেক যাত্রী। কিন্তু বিদ্যুৎ ফিরে আসার পর ট্রেনগুলো পুনরায় চালু করা এতো সহজ ছিলনা। চালকরা দেখতে পান, কোন কোন ক্ষেত্রে ট্রেনের কম্পিউটার সিস্টেম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেটি ঠিক করার জন্য টেকনিশিয়ান আনতে হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল কিংস ক্রস স্টেশনে। কয়েক ঘণ্টার জন্য সব ট্রেনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একজন যাত্রী বিবিসিকে বলেন, তিনি যে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেটি এডিনবার্গ থেকে লন্ডনের কিংস ক্রস স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাতে ১৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। সাধারণত এটি পাঁচ ঘণ্টারও কম সময় লাগে। " মানুষজন নিজেরাই ট্রেন থেকে বের হয়ে যাবার হুমকি দিচ্ছিল। পাঁচ ঘণ্টা আগেই খাবার শেষ হয়ে যায়, " বলছিলেন সে যাত্রী। বিদ্যুৎ না থাকার সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে ব্রিটেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ বিতরণ এলাকায়। এর ফলে পাঁচ লক্ষ মানুষের উপর প্রভাব পড়েছে। এছাড়া লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে তিন লক্ষ মানুষের উপর প্রভাব ফেলেছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। নর্দার্ন পাওয়ার গ্রিড বলছে, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে নিউক্যাসেল এয়ারপোর্ট এবং শহরের মেট্রো ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়েছে। এছাড়া উত্তর-পূর্ব লন্ডনে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেনে আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। কেন বিদ্যুৎ বিপর্যয়? কারিগরি ত্রুটির কারণে বেডফোর্ডশায়ারে একটি গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র শুক্রবার বিকেল ৪:৫৮ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নিউ হর্নসি উপকূলে আরেকটি বায়ু চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিকল হয়ে যায়। সে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির টারবাইন ঘুরতে থাকলে সেখানকার বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আসছিলো না। প্রায় একই সময়ে দুটো বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। এটিকে বেশ বিরল ঘটনা বলে উল্লেখ করেন জ্বালানী বিশেষজ্ঞ ডেভিড হান্টার। তিনি বলেন, তদন্ত করলে হয়তো দেখা যেতে পারে যে একটির সাথে আরেকটির কোন সম্পর্ক নেই এবং ঘটনাটি কাকতালীয়। বায়ু-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি দায়ী? কিংস ক্রস স্টেশনের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। যেদিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিপর্যয় ঘটে সেদিন বেশ বাতাস ছিল। ব্রিটেনের জাতীয় গ্রিডের পরিচালক ডানকান বার্ট বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাবার সাথে বাতাসের বেগ পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানী - যেমন বায়ু-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র - জাতীয় গ্রিডের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। মি: হান্টার বলেন, "গ্যাস এবং কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধিকতর সুবিধা আছে। যখন একটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন আরেকটি সে ঘাটতি পূরণ করে।" সেক্ষেত্রে বায়ু-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র ততটা কার্যকরী নয়। তিনি বলেন, জাতীয় গ্রিড এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর সাথে বেশি করে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। কিন্তু শুক্রবারের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সাথে এর কোন সম্পর্ক আছে কিনা সেটি এখনো বলার সময় আসেনি। জাতীয় গ্রিডের কিছু অংশ কেন বন্ধ হলো? ব্রিটেনের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের প্রবাহ সবসময় থাকতে হয় ৫০ হার্টস। যখন যোগান কমে যায় এবং চাহিদা বাড়ে, তখন বিদ্যুতের প্রবাহ ৪৮.৯ হার্টসে নেমে আসে। এটা গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে অনেক নিচে। মি: হান্টার বলেন, এ পরিস্থিতি বিপদজনক হতে পারে। এর ফলে ব্রিটেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে।
When two power stations disconnected from the National Grid for 15 minutes, rail travellers ended up stranded for hours.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা করোনাভাইরাসের অন্যতম প্রধান উপসর্গ। গবেষণায় বলা হচ্ছে যে ইতালিতে ৪৯% রোগী তাদের ঘ্রাণশক্তি ও স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা ফিরে পেয়েছেন আর ৪০% বলেছেন যে তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে ১০% বলেছেন যে সুস্থ হওয়ার পরেও তাদের এই উপসর্গ একই রকমের রয়ে গেছে অথবা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারিতে যতো সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন সেই হিসেবে লাখ লাখ মানুষ দীর্ঘ মেয়াদে এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। ঘ্রাণশক্তি ও স্বাদ পাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা কিম্বা এর মধ্যে কোন ধরনের পরিবর্তনকে এখন করোনাভাইরাসের অন্যতম প্রধান উপসর্গ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এই উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিজেকে পরিবারের আর সকলের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা ও টেস্টিং-এর পরামর্শ দিচ্ছেন। থেরাপির মাধ্যমে ঘ্রাণশক্তি ফিরে পাওয়ার চিকিৎসা করানো হয়। গবেষকদের আন্তর্জাতিক দলটি ১৮৭ জন ইতালিয় নাগরিক, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ওপর এই গবেষণাটি চালিয়েছেন। এই রোগীরা গুরুতরভাবে আক্রান্ত হননি, ফলে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর পরই তাদের প্রত্যেককে ঘ্রাণশক্তি ও স্বাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। একই প্রশ্ন করা হয়েছিল এক মাস পরেও। যাদের উপসর্গ গুরুতর ছিলো দেখা গেছে যে স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা ও ঘ্রাণশক্তি ফিরে পেতে তাদের বেশি সময় লেগেছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন গবেষকদের একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ক্লেয়ার হপকিন্স বলেছেন, তাদের দলটি এখন যেসব রোগীর দেহে উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী ছিলো, তাদের ওপরে গবেষণা চালাচ্ছেন। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, “যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে বলা যায় অধিকাংশ মানুষ স্বাদ ও গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা ফিরে পাবেন তবে, কারো কারো ক্ষেত্রে উন্নতি হবে ধীর গতিতে।” “যারা দ্রুত গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা ফিরে যাচ্ছেন তাদের শুধু নাকের কোষগুলো আক্রান্ত হয়েছিল। আর যাদের সময় লাগছে ভাইরাসের আক্রমণে হয়তো তাদের স্নায়ুকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এসব স্নায়ু কোষ মেরামত হতে কিম্বা পুনরায় তৈরি হতে বেশি সময় লাগবে।” আরেকজন বিজ্ঞানী ড. জশুয়া লেভি বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে এতো ব্যাপক সংখ্যক লোক আক্রান্ত হচ্ছেন যে বহু মানুষকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও এবিষয়ে হয়তো চিকিৎসা করাতে হবে।” তিনি বলেন, যারা দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যায় ভুগবেন তারা ঘ্রাণশক্তি সংক্রান্ত থেরাপির কথা বিবেচনা করতে পারেন।
Almost 90% of people who lost their sense of smell or taste while infected with Covid-19 improved or recovered within a month, a study has found.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সুইৎজারল্যান্ডে নিকাব-বিরোধী প্রচারাভিযানে "উগ্র ইসলাম প্রতিহত করার" শ্লোগান দেয়া হয় গণভোটের সরকারি ফলাফলে দেখা যায়, সামান্য ব্যবধানে এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদিত হয়। নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ৫১.২% এবং বিপক্ষে ৪৮.৮% ভোট পড়েছে। দক্ষিণপন্থী সুইস পিপলস পার্টি এই গণভোটের প্রস্তাব করেছিল এবং তাদের প্রচারাভিযানে নিকাব-পরা মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে "উগ্র ইসলাম প্রতিহত করার" শ্লোগান দেয়া হয়েছিল। ইউরোপের অনেক দেশেই মুখ-ঢাকা ইসলামিক পোশাক একটি বিতর্কিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফ্রান্সে ২০১১ সালে প্রকাশ্যে পুরো-মুখঢাকা নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া ও বুলগেরিয়াও প্রকাশ্যস্থানে মুখ-ঢাকা পোশাক পরার ওপর পূর্ণ বা আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। জার্মানির ব্যাভারিয়া রাজ্যেও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে। সুইৎজারল্যান্ডের এই নিষেধাজ্ঞা অবশ্য করোনাভাইরাসের জন্য ফেসমাস্ক পরার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। 'অন্ধকার দিন' দেশটির একটি প্রধান ইসলামিক গোষ্ঠী বলেছে, বোরকা-নিকাব নিষিদ্ধের এ দিনটি "মুসলিমদের জন্য একটি অন্ধকার দিন।" "আজকের এই সিদ্ধান্ত পুরো ক্ষতকে আবার উন্মুক্ত করেছে, আইনী অসাম্যকে আরো সম্প্রসারিত করেছে, এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের একঘরে করে রাখার স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে" - একথা বলা হয় সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমসের এক বিবৃতিতে। এতে আরো যোগ করা হয় যে তারা এ সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: এবার বুরকা ও নিকাব নিষিদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রিয়ায় ব্রিটেনে বোরকা নিষিদ্ধ করার অঙ্গীকার ইউকিপের পরীক্ষার হলে নিকাব-বোরকা নিষিদ্ধ শ্রীলঙ্কায় ফ্রান্সে যে মুসলিম বিদ্বেষের জেরে স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ হয়েছিল মুসলিমদের বোরকা বা নিকাব ইউরোপের অনেক দেশেই বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে সুইৎজারল্যান্ডের এ নিষেধাজ্ঞার কিছু সমর্থক এব্যাপারে বলেছিলেন, এটা নারীর সমানাধিকারের জন্য উপকারী হবে । কিন্তু সরকার বলেছিল, একজন নারী কি পোশাক পরবে তা ঠিক করা রাষ্ট্রের কাজ নয়। নিকাব পরেন মাত্র ৩০ জন জার্মানির লুসার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, সুইৎজারল্যান্ডে প্রায় কেউই বোরকা পরেন না, এবং দেশটির প্রায় ৪ লক্ষ মুসলিমের মধ্যে মাত্র ৩০ জনের মত নারী নিকাব পরে থাকেন। সুইৎজারল্যান্ডে ৮৬ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৫ শতাংশ মুসলিম এবং তাদের বেশিরভাগই তুরস্ক, বসনিয়া ও কসোভো থেকে আসা। সুইস গণভোটে এর আগেও ইসলাম একটি ইস্যু হয়ে উঠেছিল। ২০০৯ সালে এক গণভোটে সেদেশের জনগণ সরকারি পরামর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে মসজিদের মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। এই প্রস্তাবটিও তুলেছিল এসভিপি। তাদের যুক্তি ছিল, মসজিদের মিনার ইসলামিকরণের একটি চিহ্ন। বিভিন্নমুখী প্রতিক্রিয়া সুইৎজারল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন সদস্য সানিচা আমেতি বিবিসিকে বলেন, এই গণভোটের প্রচারে যেভাবে মুসলিম নারীদের তুলে ধরা হয় - তা তাকে বিচলিত করেছে। তিনি বলেন, "সুইৎজারল্যান্ডে অনেক মুসলিম এতে অপমানিত বোধ করবে, তারা ভাববে তারা এ সমাজের অংশ নয়। আমরা দেখতে এসব নারীর মতো নই।" তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্য অনেকে এ নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করেন। বোরকা-নিকাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে ডেনমার্কে বিক্ষোভ বার্ন শহরের ইমাম মুস্তাফা মেমেতি বিবিসিকে বলেন, এই প্রচারাভিযানের পেছনে হয়তো ইসলামভীতির মানসিকতা কাজ করেছে, কিন্তু তিনি এই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করেন - কারণ এটা সুইৎজারল্যান্ডের মুসলিম নারীদের মুক্তির সহায়ক হবে। ভোটের আগে এসভিপি দলের এমপি ওয়াল্টার ওবম্যান মুসলিমদের মুখঢাকা পোশাককে "উগ্র রাজনৈতিক ইসলামের প্রতীক" বলে বর্ণনা করে বলেন, ইউরোপে ক্রমাগত এর প্রভাব বাড়ছে এবং সুইৎজারল্যান্ডে এর কোন স্থান নেই। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বলেছে। সংগঠনটি একে একটি "বিপজ্জনক নীতি" হিসেবে চিহ্নিত করে বলছে, এটি "নারীর অধিকার, মত প্রকাশ ও ধর্মের স্বাধীনতার লংঘন।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: 'আমি আর বেঁচে থাকতে চাইনি'- অপরা-র সাথে সাক্ষাৎকারে মেগান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম নারী স্নাতক কাদম্বিনী তালেবান হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, মার্কিন সতর্কতা বাংলাদেশে নারীবাদীদের নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয় কেন?
Switzerland has narrowly voted in favour of banning face coverings in public, including the burka or niqab worn by Muslim women.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
গ্রিসের একটি ল্যাবরেটরিতে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস পরীক্ষা করছেন চীনের যে শহর থেকে বিশ্বের ১৮৫টি দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে, ওই গবেষণাগারটি সেই উহান শহরেই অবস্থিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই ভাইরাস একটি ল্যাবরেটরি থেকে বেরিয়ে গেছে এমন অসমর্থিত রিপোর্ট তার সরকার খতিয়ে দেখছে। বর্তমান মহামারির পটভূমিতে এই ল্যাবরেটরি থেকে জীবাণু বেরিয়ে আসার অভিযোগ বা জল্পনা আসলে কতটা সঠিক? ওই তারবার্তাগুলোয় কী আছে? ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্র ওইসব কূটনৈতিক তারবার্তা থেকে পাওয়া তথ্য প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে যে ২০১৮ সালে আমেরিকার বিজ্ঞান বিষয়ক কূটনীতিকদের চীনের ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কয়েকবার সফরে পাঠানো হয়। ওই কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনে দু'টি সতর্কবার্তা পাঠান যাতে ওই ল্যাবরেটরিতে নিরাপত্তার অভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পত্রিকায় আরও বলা হয়, ওই কর্মকর্তারা উহান ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি (ডাব্লিউআইভি) নামে ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দুর্বলতার ব্যাপারে চিন্তিত, এবং এ ব্যাপারে তারা আরও সাহায্য চেয়ে তারবার্তা পাঠান। এতে আরও বলা হয় ওই ল্যাবরেটরিতে বাদুড়ের করোনাভাইরাস নিয়ে যে গবেষণা চলছে তার থেকে সার্সের মত মহামারির ঝুঁকি নিয়ে ওই কূটনীতিকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ওই তারবার্তাগুলোকে কেন্দ্র করে আমেরিকান সরকারে সম্প্রতি আলোচনা শুরু হয়েছে যে বিশ্বের বর্তমান এই মহামারির কারণ উহানের ওই ল্যাবরেটরি অথবা সেখানকার অন্য আর কোন ল্যাবরেটরির ভাইরাস কি-না। পাশাপাশি আমেরিকার ফক্স সংবাদ চ্যানেলও এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল ওই ল্যাবরেটরি বলে একটি তত্ত্ব তুলে ধরেছে। এই প্রাদুর্ভাবের খবর জানা যায় গত বছরের শেষ দিকে, যখন শুরুতে বলা হয় এই ভাইরাস উহানের একটি খাবারের বাজার থেকে এসেছে। কিন্তু অনলাইনে এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা চললেও কোন ল্যাবরেটরি থেকে Sars-CoV-2 ভাইরাস (যার থেকে কোভিড-১৯ রোগ হয়) দুর্ঘটনাবশত বেরিয়ে গেছে, এর পক্ষে কোন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। ল্যাবরেটরিগুলোতে কীধরনের নিরাপত্তা ব্যবহার করা হয়? যেসব গবেষণাগারে ভাইরাস এবং জীবাণু নিয়ে কাজ করা হয়, সেখানে বিএসএল মানদণ্ডের নিরাপত্তা ব্যবহার করা হয়। বিএসএল দিয়ে জীবাণু বিষয়ক নিরাপত্তার মান বোঝানো হয়। এই মানদণ্ডের চারটি ধাপ আছে। এগুলো নির্ভর করে কী ধরনের জীবাণুর রসায়ন নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে এবং সেগুলো আলাদা অবস্থায় নিরাপদে রাখতে ক'ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিএসএল-১ ধাপটি সবচেয়ে নিচু মাত্রার এবং ব্যবহার করা হয় সেইসব ল্যাবরেটরিতে যেখানে পরিচিত সেইসব জীবাণু নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, যেসব জীবাণু মানুষের জন্য ঝুঁকির নয়। সর্বোচ্চ ধাপ অর্থাৎ বিএসএল-৪ ব্যবহার করা হয় সেইসব গবেষণাগারে যেখানে এমন জীবাণু নিয়ে কাজ করা হচ্ছে যার ক্ষেত্রে চরম সতর্কতার প্রয়োজন। অর্থাৎ চরম বিপদজনক জীবাণু যার মোকাবেলায় টিকা বা চিকিৎসা প্রায় নেই। যেমন ইবোলা, মারবার্গ ভাইরাস - এবং আমেরিকা ও রাশিয়ায় শুধুমাত্র দুটো ল্যাবরেটরিতে গুটিবসন্তের ক্ষেত্রে। একই বিএসএল মান আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহার করা হয়, যদিও দেশ ভেদে সামান্য কিছু তফাৎ থাকতে পারে। "যেমন রাশিয়ায় সর্বোচ্চ সুরক্ষাসম্পন্ন গবেষণাগারকে বিএসএল-১ হিসাবে চিহ্ণিত করা হয়। আর সবচেয়ে কম মাত্রার সুরক্ষা যেসব গবেষণাগারে প্রয়োজন, সেগুলো বিএসএল-৪ হিসাবে চিহ্ণিত করা হয় - একেবারে বিপরীত নম্বরের খাতিরে, কিন্তু যে ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়, তা মানের ক্ষেত্রে একেবারে এক," বলছেন লন্ডনে কিংস কলেজের জৈব নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. ফিলিপা লেন্তজস্। হাঙ্গেরির এই ল্যাবরেটরির মত গবেষণাগারগুলি চার ধাপ বিশিষ্ট উঁচু নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, কিন্তু নির্ধারিত মান কোনরকম চুক্তির মাধ্যমে বলবৎ করা হয়নি। "এগুলো তৈরি করা হয়েছে কাজের পরিবেশ নিরাপদ রাখার স্বার্থে, যাতে ল্যাবরেটরিতে যারা কাজ করছেন তারা নিজেরা সংক্রমিত না হন এবং তাদের আত্মীয় বন্ধুবান্ধবদের সংক্রমিত না করেন, এবং যাতে করে ল্যাবরেটরি থেকে জীবাণু দুর্ঘটনাবশত বাইরে চলে না যায়," বলছেন ড. লেন্তজস্। তবে তিনি বলছেন: "কেউ যদি আন্তর্জাতিক পার্টনারশিপে কোন একটা প্রকল্পে কাজ করে, তাহলে সেই প্রকল্পের অধীন ল্যাবরেটরিগুলোকে একটা নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যদি সেই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক অর্থ সাহায্যের ব্যাপার থাকে।" উহানের ডাব্লিউআইভি আমেরিকার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অনুদান নিয়ে কাজ করছিল। আর সে কারণেই ওই তারবার্তায় উহানের গবেষণা কেন্দ্রকে আরও সহায়তা দেবার সুপারিশ করা হয়েছিল। তারবার্তায় কী ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার কথা বলা হয়েছিল? আসলে, ওয়াশিংটন পোস্টের খবর থেকে সেটা জানা যায়নি। তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে জৈব কোন পদার্থ নিয়ে ল্যাবরেটরিতে কাজ করার নিরাপত্তা লংঘনের ঘটনা ঘটতে পারে বেশ কয়েকটি উপায়ে। ড. লেন্তজস্-এর মতে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে: "ওই গবেষণাগারে কাদের প্রবেশাধিকার আছে, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ, তথ্য নথিভুক্ত করার পদ্ধতি, সাইন বসানো, জীবাণুর নমুনার হিসাব রাখা, দুর্ঘটনা ঘটলে তা জানানোর পদ্ধতি এবং আপদকালীন ব্যবস্থা - এসবের মাধ্যমে।" এই মহামারির প্রথম দিকে বলা হয় উহানে সামুদ্রিক মাছের বাজার থেকে কয়েক জন সংক্রমিত হয়েছে কূটনৈতিক তারে উদ্বেগ প্রকাশ কতটা অস্বাভাবিক ব্যাপার? দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। ২০১৪ সালে ওয়াশিংটনে একটি গবেষণা কেন্দ্রের কাছে একটি কার্ডবোর্ড বাক্সে গুটিবসন্তের জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল, যেগুলো ভুলে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনী ২০১৫ সালে দুর্ঘটনাবশত দেশের প্রায় দশটি ল্যাবরেটরিতে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে জীবন্ত অ্যানথ্র্যাক্স জীবাণুর নমুনা পাঠিয়েছিল। অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যায় কম ধাপের সুরক্ষা সম্বলিত অনেক ল্যাবে - যেগুলো খবরে আসে না। কিন্তু বিএসএল-৪ অর্থাৎ সবোর্চ্চ নিরাপত্তার ল্যাবরেটরির সংখ্যা পৃথিবীতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম - উইকিপিডিয়ার হিসাবে মাত্র ৫০টি, আর উহানের ওই গবেষণা কেন্দ্র তার একটি। এই গবেষণা কেন্দ্রগুলো তৈরি করতে হয় খুবই সতর্ক ব্যবস্থা নিয়ে - খু্বই উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে। কারণ এগুলোতে এমন জীবাণু নিয়ে কাজ হয়, যেগুলো বিজ্ঞানের নিরীখে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জীবাণু। ফলে এসব ল্যাবরেটরিতে নিরাপত্তার মান রাখতে হয় খুবই উঁচু। কাজেই এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে পান থেকে চূণ খসলে তা নিয়ে তৈরি হয় উদ্বেগ। বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক কোভিড-১৯ সংক্রমণের মানচিত্র করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় আগেও তো ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস বাইরে চলে আসার কথা এসেছে? হ্যাঁ। নভেল করোনাভাইরাসের খবর জানার সঙ্গে সঙ্গেই জল্পনা শুরু হয় এর উৎস নিয়ে। যদিও এসব উৎস সম্পর্কিত তথ্য ছিল অসমর্থিত। জানুয়ারি মাসে অনলাইনে যে তত্ত্বটি ভাইরাল হয়, তাতে বলা হয় এই ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে ল্যাবরেটরিতে জীবাণু অস্ত্রে ব্যবহারের জন্য। তবে বিজ্ঞানীরা এই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, প্রাণী থেকে, খুব সম্ভবত বাদুড় থেকে, এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। মৌলিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজেও ল্যাবরেটরিতে ভাইরাস তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমন কোন জীবাণুর আচরণ নিয়ে গবেষণার কাজে - যেখানে বিজ্ঞানীরা দেখতে চান ভবিষ্যতে কোন জীবাণুর জেনেটিক গঠন কীভাবে বদলাতে পারে, যাতে করে তা প্রতিরোধের উপায় বের করা যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের জিনোম নিয়ে একটি গবেষণার রিপোর্টে - যেটি মার্চ মাসে আমেরিকায় প্রকাশিত হয় - কোন ল্যাবরেটরিতে এ রকম জীবাণু তৈরির কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। "যেসব জিনোম তথ্য আমাদের হাতে আছে তার থেকে পরিস্কারভাবে বলা যায়, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে, কোন ল্যাবে নয়," বলেন ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন, যিনি এই নতুন ভাইরাসের কথা প্রকাশ পাওয়ার সময় ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ সেন্টারে গবেষক ছিলেন। এরপর অভিযোগ আসে ল্যাব থেকে এই ভাইরাস দুর্ঘটনাবশত বাইরে চলে এসেছে। উহানে সামুদ্রিক মাছের বাজার, যেখান থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে বলা হচ্ছে, তার খুব কাছেই উহানের অন্তত দুটি গবেষণা কেন্দ্র আছে, যেখানে সংক্রামক রোগ নিয়ে গবেষণার কাজ হয়। ফলে এই দু'য়ের যোগাযোগ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এই ভাইরাসের সূত্রপাত বন্যপ্রাণী - সম্ভবত বাদুড় থেকে বলেই বিজ্ঞানীদের ধারণা উহানের ডাব্লিইআইভি কেন্দ্রটিতে বাদুড়ের করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল - সেটা সবাই জানে। এই গবেষণার কাজ পুরোপুরি বৈধ ছিল এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে এই গবেষণার খবর ছাপাও হয়েছে। ২০০০-এর দশকে সার্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ে চীনের অভিজ্ঞতার পর এই গবেষণায় আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। ড. লেন্তজস্ বলছেন, এই ভাইরাসের উৎস কোথায় তা "খু্বই কঠিন প্রশ্ন"। তিনি আরও বলেছেন যে, "পর্দার আড়ালে জৈব নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা অনেক কথাবার্তা বলেছেন, এবং সামুদ্রিক মাছের বাজার থেকে এই ভাইরাস এসেছে বলে চীন খুবই জোর দিয়ে যে দাবি করেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।" কিন্তু এই মুহূর্তে এমন কোনই তথ্যপ্রমাণ নেই যে উহানের কোন গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই Sars-CoV-2- ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা অনেকবার বলেছেন "নতুন করোনাভাইরাস কোন ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছে এমন কোন তথ্যপ্রমাণ নেই।" ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে করোনাভাইরাস মহামারির মোকাবেলা করেছে তা নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস ছেড়ে দেবার তত্ত্বটি আমেরিকান সরকার অনুসন্ধান করে দেখছে। চীনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলা হয়েছে আমেরিকার পক্ষ থেকে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যা জানে সে বিষয়ে "সত্য কথা বলা উচিত" বেইজিং কর্তৃপক্ষের। চীন ও আমেরিকার এই বাকযুদ্ধের মধ্যেই এই ভাইরাস কোথা থেকে এলো, তা নিয়ে ঔৎসুক্য যেমন থেমে নেই, তেমনি উত্তর খুঁজতে বিজ্ঞানের কাজও এগিয়ে চলেছে।
In April, US State Department cables came to light showing embassy officials were worried about biosecurity at a virus lab in Wuhan, China. The lab is in the same city where the coronavirus outbreak was first detected.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বৈরুতের রাস্তায় অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন নারীরা কিন্তু তাতেও শান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা। তারা দেশের রুগ্ন অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকারত্ব এবং দুর্নীতির অবসান চান। বিক্ষোভকারীরা দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। ধর্মের ভিত্তিতে ক্ষমতার ভাগাভাগির যে ব্যবস্থা দেশটিতে এখন রয়েছে, সেটির পরিবর্তন চায় তারা। দাবানল এবং হোয়্যাটসঅ্যাপ ট্যাক্স লেবাননের জন্য অক্টোবর মাস বেশ ঘটনাবহুল ছিল। সরকারও একের পর এক সমস্যা নিয়ে নাকাল হচ্ছিল। শুরুতে লেবাননের আমদানিকারকরা অভিযোগ করেন, দেশটির বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। ফলে লেবানিজ পাউন্ড ডলারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছে না। গম এবং জ্বালানি আমদানিকারকরা যখন দাবি তোলেন যে তাদের ডলারে অর্থ শোধ করতে হবে, তখন দেশটির পেট্রল স্টেশন এবং বেকারি শিল্প ধর্মঘটে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই বৈরুতের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ ১৪ই অক্টোবর দেশটির পশ্চিমে পাহাড়ি এলাকায় শুরু হয় ভয়ানক দাবানল, এবং দেখা যায় আগুন নেভানোর জন্য লেবাননের যথেষ্ট অর্থ ও সরঞ্জামাদি নেই। সে সময় পার্শ্ববর্তী সাইপ্রাস, গ্রীস এবং জর্ডান আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে। দেশটির সামাজিক মাধ্যমে তখন সরকারের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, দেশের দাঙ্গা পুলিশের গাড়ি কিংবা জল কামান কখনো বিকল হয় না, তাহলে অগ্নি-নির্বাপণ হেলিকপ্টার কেন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিকল হয়ে গেলো? এর কয়েকদিন পরেই সরকার তামাক, পেট্রল এবং হোয়্যাটসঅ্যাপ-এর মতো মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে ভয়েস কলের ওপর কর বাড়িয়ে দেয়। সরকার প্রস্তাব করেছে, হোয়্যাটসঅ্যাপস ব্যবহার করতে মাসে ছয় মার্কিন ডলার দিতে হবে। এই ঘোষণার পরই বৈরুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ লেবাননে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সরকার কর প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে বছরের পর বছর ধরে চলা অসন্তোষ নতুন করে উঠে আসে। পরদিন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগের দাবিতে লেবাননের হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে যোগ দেয়। মূলত তখন থেকেই লক্ষ-লক্ষ মানুষ বিক্ষোভে সামিল হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট এবং ব্যাংকসমূহ বন্ধ রয়েছে। এই জনরোষের কারণ কী? লেবানন তার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এখন। দেশটির ঋণের ভার ক্রমে বাড়ছে, তবু আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে সরকার নানান অর্থনৈতিক সংস্কার করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষেরা বলছেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং দেশের অর্থনৈতিক নীতি-নির্ধারণীর বলি হিসেবে তারা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। জিডিপি ও বৈদেশিক ঋণের অনুপাতের হিসাবে লেবানন এই মূহুর্তে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ঋণগ্রস্ত দেশ। দেশটির সরকারি হিসাবে দেখা যায়, তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ৩৭ শতাংশ, সার্বিক বেকারত্বের হার ২৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, দেশটির এক তৃতীয়াংশ জনগণ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। সেই সঙ্গে সম্প্রতি দেশটিতে মুদ্রার আরেক দফা অবমূল্যায়ন হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন সব বয়সী মানুষ এছাড়া সাধারণ সেবা পেতেও ভোগান্তির শেষ নেই। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ ঘাটতি, বিশুদ্ধ পানির অভাব, ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবার অভাব এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধের পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশটির অবকাঠামো পুনর্গঠন শেষ হয়নি। এর মধ্যে পার্শ্ববর্তী সিরিয়া থেকে দশ লাখের বেশি শরণার্থী এসেছে দেশটিতে। এই সব কিছু মিলিয়ে দেশটিতে একটু-একটু করে অসন্তোষ তৈরি। সরকার কেন সমস্যা সমাধান করতে পারছে না? বিশ্লেষকেরা মনে করেন এর পেছনে বড় কারণ ধর্মীয় বিভেদ। লেবাননে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮টি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে---চারটি মুসলিম, ১২টি খ্রিস্টান, দ্রুজ সম্প্রদায় এবং ইহুদি ধর্মমত। ১৯৪৩ সালের এক জাতীয় ঐকমত্য অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি পদ সংখ্যাগুরু ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত হবে। আরো পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে কি নতুন করে আরব বসন্ত শুরু হচ্ছে? দুনিয়া জুড়ে দেশে দেশে কেন এত বিক্ষোভ? রাষ্ট্রপতি সবসময় হবেন একজন ম্যারোনাইট খিস্ট্রান অর্থাৎ বিশেষ গোষ্ঠীর সিরিয় খ্রিস্টান। পার্লামেন্টের স্পীকার হবেন একজন শিয়া মুসলিম এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন একজন সুন্নি মুসলমান। পার্লামেন্টের ১২৮টি আসনও সমানভাবে খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। ১৯৮৯ সালে গৃহযুদ্ধ অবসানের পরেও এই ব্যবস্থা বহাল আছে। দেশটির এই ধর্মীয় বৈচিত্র্যের কারণে প্রায়শই অন্য দেশের টার্গেট হয়ে ওঠে লেবানন। যেমন লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হেযবোল্লাকে ইরান পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, যে গোষ্ঠীটি মূলত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সরাসরি জড়িত। হেযবোল্লা লেবাননের ক্ষমতা কাঠামোতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করতে গিয়ে, প্রায়শই সুশাসনের ব্যপারে ছাড় দিতে হয় রাজনৈতিক নেতাদের। সুশাসন ছাড়া দারিদ্র দূরীকরণ, দুর্নীতি রোধ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। বিক্ষোভ কি নতুন? লেবাননে বিক্ষোভ নতুন নয়। কিন্তু শেষবার এরকম বড় বিক্ষোভ হয়েছিল ২০০৫ সালে বোমা হামলায় সাদ হারিরির বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি নিহত হবার পর। কিন্তু এবারের আন্দোলন কিছুটা ব্যতিক্রমী। এবারের আন্দোলন একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে এসেছে, এবং তাদের নির্দিষ্ট কোন নেতা নেই। কেবল সরকারের কাছ থেকে জবাবদিহিতার দাবি তুলছেন না তারা, নিজ নিজ ধর্মীয় ধর্মীয় গোষ্ঠীকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
For weeks, Lebanon has been rocked by anti-government protests, the largest the country has seen in more than a decade.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
কিম জং আন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় মি. ট্রাম্প বলেছেন, দুই নেতাই চেষ্টা করবেন যেন এ বৈঠকটি বিশ্বশান্তির জন্য একটা অনন্য মুহূর্ত হয়ে ওঠে। শীর্ষ বৈঠকটির লক্ষ্য হবে ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে আনা, এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির একটা সম্ভাব্য সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করা। উত্তর কোরিয়ার হাতে আটক থাকা তিনজন আমেরিকানের মুক্তির কয়েক ঘন্টা পরই মি. ট্রাম্পের দিক থেকে এ ঘোষণা এলো। উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও স্থগিত করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন এর জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপকেই বার বার কৃতিত্ব দিয়েছে । তবে উত্তর কোরিয়া বলেছে, তাদের প্রশাসন এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করছে বলেই তাদের অবস্থানের এ পরিবর্তন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সিরিয়ায় তীব্র আকার নিয়েছে 'ইসরায়েল-ইরান' যুদ্ধ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের যে সাতটি তথ্য না জানলেই নয় বাংলাদেশে কেন এত বেশি বজ্রপাত হয়? মালয়েশিয়া নির্বাচন: মাহাথিরের জয়ের রহস্য এর আগে উত্তর কোরিয়ায় আটক থাকা তিন আমেরিকান নাগরিকের মুক্তির পর তাদের ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অ্যান্ড্রুজ বিমান ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মিস্টার ট্রাম্প কিম হাক সং, টনি কিম এবং কিম ডং চোলকে "দারুণ মানুষ" বলে অভিহিত করেন। তাদের মুক্তির পেছনে ভূমিকা রাখাকে তিনি সম্মানের বলেও উল্লেখ করেন। মুক্তি পাওয়া তিনজনের দু'জন উত্তর কোরিয়ায় ইভানজেলিকাল খ্রিস্টানদের প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কাজ করতেন। তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন একজন খ্রিস্টান যাজক। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও'র পিয়ংইয়ং সফরকালে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
US President Donald Trump will meet North Korean leader Kim Jong-un in Singapore on 12 June, he has said.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
কিন্তু প্রশ্ন আসে, ইন্টারনেটের এই যুগে আজকাল মানুষ যেভাবে, ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে শুরু করে কোথায় ছুটি কাটাতে যাবে সে সম্পর্কেও অনলাইনে পোস্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে, তখন কি আসলে এভাবে ক্ষণিক সময়ের জন্য হলেও সবার পক্ষে বেনামী হওয়া সম্ভব? এই মন্তব্যটিও অ্যান্ডি ওয়ারহলের 'ফিফটিন মিনিটস অব ফেম' লাইনটির মতো অনেক ধরণের অর্থবোধক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন ভক্ত এবং সমালোচকরা। তবে ২১ শতকে কোন কিছু গোপন রাখা যে রীতিমতো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মন্তব্যটি সেই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। "বর্তমানে আমাদের কাছে অনেক ধরণের ডিজিটাল ডিভাইস রয়েছে যাতে অনেক ধরণের সেন্সর বসানো থাকে। এই সেন্সরগুলো আমাদের সম্পর্কে অনেক বেশি তথ্য ধারণ করতে পারে," বলেন অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ভিক্টর মায়ের-শোয়েনবের্গের। আরো পড়তে পারেন: ফোনে আপনার কথা কি ব্যবসায়ীরা শুনে ফেলছে সিনেটরের মাথায় ডিম ভেঙ্গে ভাইরাল 'ডিম বালক' ফোরজি সেবার নামে যা দেওয়া হচ্ছে তা 'স্রেফ প্রতারণা' আর এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যারিয়ারবিল্ডার নামে একটি নিয়োগ সংস্থার জরিপ মতে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৭০ ভাগ কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্লেষণ করে চাকরি প্রার্থীদের বাছাই করে। আর ৪৮% কোম্পানি তাদের বর্তমান কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ডে নজর রাখে। এছাড়া, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো, ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলে খোঁজ-খবর করতে পারে। 'রেপুটেশন ডিফেন্স বা সম্মান বাঁচানোর প্রতিরক্ষা' নামে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী থাকলেও এগুলো ব্যাঙ্কসির দৃষ্টিভঙ্গি '১৫ মিনিটের জন্য সবাই বেনামী হবে' তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে কি? এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কোম্পানি, ক্রেতাদের ক্রয় অভ্যাস, রাজনৈতিক মতাদর্শের মডেল তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে। অনেক সময় এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও সহায়তা নেয়া হয়। এ থেকে বাঁচার একটি উপায় হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রোফাইল ডিলিট বা মুছে ফেলা। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর অনেকেই এ কাজটি করেছিলেন। ওই ঘটনায় ৮ কোটি ৭০ লাখের মতো মানুষের ফেসবুকের তথ্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সুবিধার জন্য গোপনে ব্যবহার করা হয়েছিলো। ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার অন্যতম একটি উপায় যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা কিন্তু এর ফলে, অন্যান্য কোম্পানির হাতে থাকা তথ্যের মুছে ফেলার ক্ষেত্রে এটি তেমন কোন কাজে আসবে না। সৌভাগ্যবশত, বিশ্বের অনেক দেশে এ বিষয়ে সহায়তার জন্য আইন রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ তথ্য সুরক্ষা নীতি বা (GDPR) অনুযায়ী, "রাইট টু বি ফরগটেন বা বিস্মৃত হওয়ার অধিকার" রয়েছে- অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি চাইলে তার নিজের ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলতে পারেন। যুক্তরাজ্যে এই বিষয়টি দেখে থাকে তথ্য কমিশনারের কার্যালয়। বিবিসি-কে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর নিজের সব তথ্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে মুছে ফেলার ৫৪১টি আবেদন জমা পড়েছে। যে সংখ্যা এর আগের বছর ছিলো ৪২৫ টি এবং ২০১৬-১৭ সালে ছিলো ৩০৩টি। তবে ব্রিটিশ তথ্য কমিশনারের কার্যালয় (আইসিও) দাবি করে, এই প্রকৃত সংখ্যা আসলে আরো বেশি। কারণ, ওই সব আবেদনের বিষয়েই তালিকায় উল্লেখ করা হয়, যেগুলোর তথ্য মুছে ফেলতে অসম্মতি জানানোর পর এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আইসিও'র কর্মকর্তা সুজান গর্ডন বলেন, এটা আসলে পরিষ্কারভাবে বলা যায় না। "কেউ যদি মনে করে যে কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা তার সম্পর্কিত কোন তথ্য আর কাজে লাগবে না, তখন সে তার ওই তথ্য মুছে ফেলার অধিকারকে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে জিডিপিআর।" "যাই হোক এই অধিকার আসলে শর্তহীন নয়। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে এটি অন্য কোন বা কারো অধিকার ও স্বার্থ বিরোধী কিনা সেটারও ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা।" "বিস্মৃত হওয়ার অধিকার" ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে ২০১৪ সালে এবং এর ফলে ব্যাপক হারে তথ্য মুছে ফেলার আবেদন আসতে শুরু করে। সর্ব প্রথম এ ধরণের আবেদন করেন সাবেক এক রাজনীতিবিদ যিনি পুনঃনির্বাচন করতে চেয়েছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিলো। কিন্তু এধরণের সব আবেদন অনুমোদিত হয়নি। এক্ষেত্রে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো যাদের টাকা রয়েছে তারা নিজেদের সহায়তায় বিশেষজ্ঞ ভাড়া করে। অনলাইন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার সেবা দিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান এই সুনাম প্রতিরক্ষা বা 'রেপুটেশন ডিফেন্স' নিয়ে পুরো একটি শিল্পখাত তৈরি হয়েছে। অনেক ফার্ম রয়েছে যারা টাকার বিনিময়ে তথ্য মুছে ফেলার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি প্রস্তুত রয়েছে। আর উদাহরণস্বরূপ, এরা সার্চ ইঞ্জিন থেকে খারাপ সংবাদ মুছে ফেলার কাজও করে। এ ধরণের একটি প্রতিষ্ঠান, ডিফেন্স ডিফেন্ডার ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায় যে, তাদের কাছে অন্তত ১০ লাখ গ্রাহক রয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছেন ধনী ব্যক্তি, পেশাজীবী এবং প্রধান নির্বাহীরা। প্রতিষ্ঠানটির একেকটি প্যাকেজ সেবার জন্য ৫ হাজার পাউন্ড বা সাড়ে ৫ হাজার ডলার নিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের গ্রাহকদের তথ্য খোঁজার ফল গুগল সার্চে পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহার করে। আর এর ফলে গুগলে অনুসন্ধান করলে ওই গ্রাহকদের সম্পর্কিত নেতিবাচক তথ্য কম আর ইতিবাচক তথ্য বেশি থাকে। "এই প্রযুক্তি, অনুসন্ধান করার ফলাফলে ওয়েবসাইটগুলোকে ক্রমানুসারে সাজাতে, গুগল কি ধরণের তথ্যের উপর গুরুত্ব দেয় তার উপর ফোকাস করে," বলেন মহাব্যবস্থাপক টনি ম্যাকক্রিস্টাল। "সাধারণত দুটি বিষয়কে গুগল গুরুত্ব দিয়ে থাকে, একটি ওয়েব অ্যাসেটের বিশ্বাসযোগ্যতা ও কর্তৃত্ব এবং অপরটি হচ্ছে, তথ্য অনুসন্ধানের ফলের সাথে ব্যবহারকারীরা কিভাবে সংশ্লিষ্ট হয় তা গুগল যেভাবে লক্ষ্য করে সেটি।" "আমরা গুগলকে দেখাতে চাই যে, আমরা যে সাইটগুলোর উন্নতি করতে চাই সেগুলো নিয়ে মানুষের অনেক বেশি আগ্রহ রয়েছে এবং এগুলো বেশ সচলও বটে। তা সে আমাদের তৈরি করা নতুন কোন ওয়েবসাইটই হোক কিংবা এরইমধ্যে গুগলের সার্চে ইঞ্জিনে থাকা যেকোন ওয়েবসাইটই হোক না কেন। আর যে সাইটগুলো বাতিল করতে চাই সেগুলো সম্পর্কে আসলেই মানুষের তেমন কোন আগ্রহ থাকে না।" নিজেদের তৈরি করা লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১২ মাসের সময় সীমা নির্ধারণ করেছে এই ফার্ম বা প্রতিষ্ঠানগুলো। "এটা উল্লেখযোগ্য ভাবে কার্যকর," তিনি বলেন। "৯২% মানুষই গুগলের প্রথম পাতাটি কখনো না দেখে চলে যায় না। আর ৯৯% এরও বেশি মানুষ কখনো গুগলের দ্বিতীয় পাতার পরে আর দেখে না।" অধ্যাপক মায়ের শোয়েনবের্গের বলেন, এ ধরণের সুনাম রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান গুলো যদি আসলেই কার্যকর হয় তাহলে "এটা বোঝা কঠিন যে এর থেকে কেন শুধু বিত্তবানরাই লাভবান হবে, সাধারণ মানুষ কেন কোন সুবিধা পাবে না।" অ্যান্ডি ওয়ারহল একসময় ধারণা করে বলেছিলেন যে, সবাই ১৫ মিনিটের জন্য বিখ্যাত হবে তাহলে আমরা কি আসলেই কখনো অনলাইনের উপাত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারবো? "সাধারণভাবে বলতে গেলে, না," বলেন ডিলিট-মি প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী রব শ্যাভেল। এই প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন সবার জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার, তথ্য কেনা-বেচাকারী এবং সার্চ ওয়েবসাইট থেকে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলতে কাজ করে। "ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারকারী সকল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের পরিচালনা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে বাধ্য না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইন্টারনেট থেকে পুরোপুরি কারো সব ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলা সম্ভব নয়।" "ভোক্তার ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে সংগ্রহ, বিনিময় এবং বিক্রি হবে সে সম্পর্কে বলার মতো অধিকার প্রতিষ্ঠায় শক্ত কোন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে বিদ্যমান গোপনীয়তার ভারসাম্যের অভাবকে কখনোই সামনে আনা যাবে না।" বিবিসি বাংলায় আরও খবর: আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী নাগরিকত্ব হারানো চার হতভাগ্যের বয়ান বিবিসির কাছে গর্ভেই নির্ধারিত হয়ে যায় সন্তানের ব্যক্তিত্ব
"In the future, everyone will be anonymous for 15 minutes." So said the artist Banksy, but following the rush to put everything online, from relationship status to holiday destinations, is it really possible to be anonymous - even briefly - in the internet age?
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
হামলার পর আহত নারী নারীর পরিবার অভিযোগ করেছে, স্ত্রীর গর্ভের সন্তান ছেলে কি-না, তা দেখতে চেয়েই স্বামী তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালিয়েছিল। এই দম্পতির এরই মধ্যে পাঁচটি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং পরিবার বলছে যে একটি পুত্র সন্তানের জন্য স্বামী ওই নারীর ওপর চাপ দিচ্ছিল। পুরুষটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি স্ত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন যে এটা ছিল একটি দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের বাদাউন জেলায়। পুলিশে একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন যে ওই নারী রাজধানী দিল্লিতে হাসপাতালে রয়েছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল। ওই নারীর বোন বিবিসি হিন্দিকে বলেন, তার বোন ও বোনের স্বামীর মধ্যে ছেলে সন্তান নিয়ে নিয়মিত ঝগড়া হতো। তার ভাই জানাচ্ছেন, হামলার পর ওই নারীর অবস্থা খুবই আশংকাজনক হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাকে রোববার দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। স্বামী দাবি করছেন যে তিনি তার স্ত্রীর ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালাননি। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, তিনি কাস্তেটা তার স্ত্রীর দিকে ছুঁড়েছিলেন, কিন্তু বুঝতে পারেননি যে সেটি তার পেটে গিয়ে লাগবে এবং স্ত্রী গুরুতর আহত হবে। ''আমার পাঁচটা মেয়ে সন্তান আছে। একটা ছেলে মারা গেল। আমি জানি সন্তান ঈশ্বরের দান। এখন যা হবার সেটাই হবে।'' পুলিশ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। আরও পড়তে পারেন: কন্যা ভ্রূণ হত্যার প্রতিবাদে ভারতে আগে বিক্ষোভও হয়েছে ভারতীয় দম্পতিদের মধ্যে ছেলে সন্তানের আকাঙ্ক্ষার ফলে দেশটিতে নারী ও পুরুষের সংখ্যায় ভারসাম্যের অভাব রয়েছে। সংখ্যার অনুপাতে মেয়ের তুলনায় ছেলে বেশি ভারতে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ-র জুন মাসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে ভারতে প্রায় চার কোটি ৬০ লাখ মেয়ে 'নিখোঁজ' হয়ে গেছে। প্রতি বছর দেশটিতে গর্ভপাত ঘটিয়ে ৪৬ লাখ কন্যা ভ্রূণ নষ্ট করে ফেলা হয় এবং জন্মের পর কন্যা শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা করার কারণে জন্মের পর কন্যা শিশুমৃত্যুর হার খুবই বেশি। ভারত সরকারের ২০১৮ সালে প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলে সন্তান চেয়ে মেয়ে হয়েছে এমন ''অবাঞ্ছিত'' মেয়ে শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ১০ লাখ। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা ওই রিপোর্টে দেখা যায় যে বহু দম্পতি একটি ছেলে সন্তান না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চা নিতেই থাকে। দিল্লিতে বিবিসির ভারতীয় নারী ও সমাজ বিষয়ক সম্পাদক গীতা পাণ্ডে বলছেন ভারতীয় সমাজে পুত্র সন্তানের প্রতি পক্ষপাত দীর্ঘদিনের একটা সংস্কৃতি। তিনি বলেন, পরিবারগুলোর এখনও বিশ্বাস যে ছেলে সন্তান পরিবারকে আর্থিকভাবে দেখবে, বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মার দেখাশোনা করবে এবং বংশ পরিচয় বাঁচিয়ে রাখবে। অন্যদিকে, মেয়েরা বিয়ে করে পরের বাড়ি চলে যাবে এবং তার সাথে সাথে বাবা-মাকে মেয়ের বিয়ের সময় বিশাল যৌতুকের বোঝা বইতে হবে। নারীর অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় এবং ছেলে সন্তানের আকাঙ্ক্ষা সমাজে এত প্রবল হবার কারণে ভারতে গত কয়েক বছরে নারী-পুরুষ সংখ্যার অনুপাত ব্যাপকভাবে ওলট-পালট হয়ে গেছে। কয়েক কোটি কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে - হয় গর্ভে থাকা অবস্থায় গর্ভপাত করে ভ্রূণ হত্যা করা হয়েছে, নয়তো জন্মের পর মেয়েদের ইচ্ছা করে অবহেলা করে মেরে ফেলা হয়েছে। গীতা পাণ্ডে বলছেন, ১৯৬১ সালে ভারতে সাত বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রতি ১০০০ ছেলে শিশুর বিপরীতে ছিল ৯৭৬টি মেয়ে শিশু। ২০১১ সালে চালানো সর্বশেষ আদম শুমারীতে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৪, অর্থাৎ মেয়ের সংখ্যা আরও কমেছে। এ বিষয় নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন, তারা এটাকে "গণহত্যা" বলে থাকেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই কন্যা ভ্রূণ-হত্যা এবং শিশু-হত্যার সংস্কৃতিকে দেশের জন্য "জাতীয় লজ্জা" বলে বর্ণনা করেছিলেন এবং মেয়েদের বাঁচাতে একটা "জিহাদের" ডাক দিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও "ছেলে চাই" এই মনোভাব বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন এবং "পুত্র সন্তানের আশায় কন্যা সন্তানকে হত্যা না করার'' কথা বলেছেন। পাঁচ বছর আগে তিনি ''বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও'' উদ্যোগও চালু করেছিলেন। কিন্তু গীতা পাণ্ডে বলছেন এসব কোন উদ্যোগই আসলে কাজ করেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় সংস্কৃতিতে ছেলে-মেয়ে- থেকে-বেশি-আকাঙ্ক্ষিত -- সমাজের এই মনোভাব যতদিন না দূর হবে, যতদিন সমাজ মেয়ে সন্তানকে ছেলে সন্তানের মত একই দৃষ্টিতে দেখার মানসিকতা অর্জন না করবে, ততদিন ভারতীয় সমাজে মেয়েরা এভাবেই অবহেলা, বঞ্চনা ও মৃত্যুর শিকার হবে।
Police in India say a pregnant woman whose belly was allegedly cut open with a sickle by her husband has given birth to a stillborn boy.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ঐতিহাসিক এক ভোটাভুটির মাধ্যমে সেনেট দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্টকে না সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে এই মুক্তি পেয়েছেন তিনি। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেটে ঐ বিচার প্রক্রিয়ায় মি. ট্রাম্পকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া না দেয়ার বিষয়ে ভোট দেন সেনেটররা। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার পদচ্যুতির বিষয়ে ৫২-৪৮ ভোটে জিতেছেন মি. ট্রাম্প। অন্যদিকে, কংগ্রেসের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে প্রেসিডেন্টের পদ হারানোর সম্ভাবনা খারিজ হয়েছে ৫৩-৪৭ ভোটে। কোন কারণে মি. ট্রাম্প ভোটে হেরে গেলে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হতো। এর আগে ডিসেম্বরে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নভেম্বরের নির্বাচনে মি. ট্রাম্প হবেন প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যিনি অভিশংসিত হয়েছেন। ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া মি. ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন। তার নির্বাচনী প্রচারণা দল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "মি. ট্রাম্প পুরোপুরি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন এবং এখন আমেরিকার জনগণের নিজ কাজে মন দেবার সময় হয়েছে।" "অকর্মণ্য ডেমোক্র্যাটরা জানে তারা মি. ট্রাম্পকে হারাতে পারবে না, সেজন্য তারা তাকে ইমপিচ করেছিল।" বিবৃতিতে বলা হয়, অভিশংসন প্রক্রিয়া ডেমোক্র্যাটদের প্রচারণার একটি কৌশলমাত্র। একে আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে 'ধাপ্পাবাজি'র একটি বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এদিকে এ সপ্তাহে অ্যামেরিকান ভোটারদের মধ্যে মি. ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৪৯ শতাংশে উঠেছে, যা এ যাবতকালে তার জনপ্রিয়তার হারে সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার এ ব্যপার নিয়ে মি. ট্রাম্পের বক্তব্য দেবার কথা রয়েছে। ইমপিচমেন্ট ভোট কেমন হলো উটাহর সেনেটর মিট রমনি ছিলেন একমাত্র রিপাবলিকান যিনি দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মি. ট্রাম্পের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে ডেমোক্র্যাটদের নিরাশ করেছেন অন্য দুইজন মধ্যপন্থী রিপাবলিকান সেনেটর---মেইনের সুসান কলিনস এবং আলাস্কার লিসা মারকাওস্কি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও তারা নিজের পক্ষ ত্যাগ করেননি। কয়েকজন রিপাবলিকান সেনেটর সাম্প্রতিক সময়ে মি. ট্রাম্পের আচরণের সমালোচনা করলেও, তাদের বক্তব্য হচ্ছে সেটা ইমপিচ করার পর্যায়ে যায়নি। প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেবার জন্য সেনেটের ১০০ আসনের মধ্য থেকে দুই তৃতীয়াংশ ভোট পড়ার দরকার হতো। ডেমোক্র্যাটদের প্রতিক্রিয়া ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যরা বলেছেন, এর ফলে মি. ট্রাম্প আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, "মি. ট্রাম্প অ্যামেরিকার গণতন্ত্রের জন্য সব সময় একটি 'হুমকি' হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং রিপাবলিকান সেনেটররা আইন না থাকার ব্যাপারটিকে সাধারণ ব্যাপার বানিয়ে ফেলেছেন।" সেনেটে ডেমোক্র্যাট দলীয় নেতা চাক শুমার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এ যাত্রা রেহাই পেলেও সবাই জানেন তার ত্রুটিসমূহ। মি. ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যিনি ইমপিটমেন্ট বা অভিশংসিত হয়েছেন। মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? এই অভিশংসনকে কেন্দ্র করে মার্কিন জনগণের মধ্যে গভীর বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন রাজনীতিবিদেরা। কিন্তু মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। এরপর তাকে ইমপিচ করার উদ্যোগ নেয় ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। সেখানে অভিশংসিত হওয়ার পর এবার সেনেটে চূড়ান্ত বিচারের মুখোমুখি হন মি. ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোন প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমেন্টের কারণে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে ১৯৯৮ সালে ইমপিচ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তার আগে ১৮৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জনসনের বিরুদ্ধেও ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু মি. ক্লিনটন কিম্বা মি. জনসন তাদের কাউকেই সেনেটে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।
President Donald Trump has been found not guilty in his impeachment trial, ending a bid to remove him from office that bitterly divided the US.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বার্লিন দেয়ালের ওপর উঠে সেটি ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন পূর্ব জার্মানির বাসিন্দারা এর একটি হলো বার্লিন দেয়ালের পতন, যা সাড়া জাগিয়েছিল। আমলাতান্ত্রিক একটি দুর্ঘটনায় ওই দেয়ালটি আংশিক ভেঙ্গে পড়ে, কিন্তু এটির পুরোপুরি পতন হয় বিপ্লবীদের এক বিশাল জনস্রোতের কারণে। এর মাধম্যে সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন কম্যুনিস্ট ব্লকের পতনের শুরু করে এবং নতুন এক বিশ্বের সূচনা করে। কীভাবে দেয়ালটি ভেঙ্গে ফেলা হয়? ঘটনাটি ছিল ১৯৮৯ সালের ৯ই নভেম্বর। এর পাঁচ দিন আগে থেকে বিশাল এক প্রতিবাদ সমাবেশের অংশ হিসাবে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ দেয়ালের পূর্ব দিকে জড়ো হয়েছিল, যে দেয়ালটি পশ্চিম জার্মানি থেকে কম্যুনিস্ট শাসিত পূর্ব জার্মানিকে আলাদা করে রেখেছিল। সীমান্তের কড়াকড়ি তুলে দিয়ে এবং পূর্ব জার্মানির বাসিন্দাদের ভ্রমণ সহজ করে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন পূর্ব জার্মানির নেতারা। তবে সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দেয়ার কোন উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। এসব ছিল ছোট পরিবর্তন । কিন্তু যেভাবে সেটি বাস্তবায়ন করা হয়, তার পরিণতি হয়েছিল ব্যাপক। ব্যাপক উন্নয়ন সম্পর্কে ব্রায়ান হ্যানরাহানের প্রতিবেদনের কারণে বার্লিন দেয়ালের দ্রুত পতন শুরু হয়। আরো পড়ুন: বার্লিন প্রাচীর পার হওয়ার কাহিনী জার্মানিতে বার্লিন প্রাচীর পতনের রজত জয়ন্তী মের্কেল: ধর্মযাজকের কন্যা থেকে 'ইউরোপের সম্রাজ্ঞী' নতুন আইনের বিস্তারিত ঘোষণা দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় গুন্টার স্কোহবোস্কিকে। কিন্তু নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের আগে তার সেই ঘোষণা পড়ার সময় ছিল না। তিনি যখন প্রথমবারের মতো ঘোষণাগুলো পড়তে শুরু করেন তখন সাংবাদিকরা হতবাক হয়ে যান। তিনি ঘোষণা করেন , ''দেশের বাইরে ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য এখন থেকে আর কোন পূর্বশর্ত প্রযোজ্য হবে না, ''। বিস্মিত সাংবাদিকরা আরো বিস্তারিত জানার জন্য তখন হৈচৈ শুরু করেছেন। হাতের নোটগুলো উল্টাতে উল্টাতে মি. স্কোহবোস্কি জানালেন, তিনি যতটা জানেন, তাতে অবিলম্বে এই ব্যবস্থা কার্যকর হতে যাচ্ছে। আসলে পরদিন থেকে ওই ব্যবস্থা চালু করার কথা ছিল, যেখানে ভিসার জন্য আবেদনের বিস্তারিত বলা হবে। পূর্ব জার্মানির বাসিন্দারা যখন পশ্চিম জার্মানিতে প্রবেশ করেন, তখন আবেগঘন পরিবেশের তৈরি হয়। কিন্তু খবরটি দ্রুত টেলিভিশনে ছড়িয়ে পড়ে এবং পূর্ব জার্মানির বাসিন্দারা বিপুল সংখ্যায় সীমান্তে জড়ো হতে শুরু করেন। ওই সন্ধ্যায় সীমান্তের দায়িত্বে থাকা একজন প্রহরী হারাল্ড জাগের ২০০৯ সালে ডার স্পিগেল পত্রিকাকে বলেছেন যে, তিনি বিহ্বলতার সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনটি দেখছিলেন এবং এরপরে দেখতে পেলেন যে, মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। মি. জাগের আতঙ্কিত হয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন করলেন। কিন্তু তারা সীমান্তের গেট খুলে দেয়া অথবা জনতাকে ঠেকিয়ে রাখতে গুলি করা- কোন নির্দেশই দিলেন না। হাতেগোনা কয়েকজন প্রহরীকে নিয়ে শতশত বিক্ষুব্ধ জনতাকে ঠেকাতে অবশ্য শক্তি প্রয়োগ করেও কোন কাজ হতো না। ''ধাক্কাধাক্কি করতে গিয়ে বা সেখানে কোন আতংক ছড়িয়ে পড়লে গুলি চালানো ছাড়াই মানুষজন আহত অথবা নিহত হতে পারতো,'' তিনি ডের স্পিগেলকে বলেছেন। ''এ কারণে আমি আমার লোকজনকে আদেশ দিলাম, ব্যারিয়ারটি খুলে দাও।'' আনন্দ আর কান্না করতে করতে হাজার হাজার মানুষ সেখান দিয়ে ছুটে গেলেন, যে দৃশ্য দেখে সারা পৃথিবীর মানুষের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। অনেকে বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ গেট বেয়ে ওপরে ওঠেন, হাতুড়ি আর কুঠার দিয়ে দেয়ালটি ভাঙ্গতে শুরু করেন। এর মাধ্যমে যেন উত্তাল একটি বছর শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছিল। কেন বার্লিনের দেয়ালের পতন হলো? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার সাবেক মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপ বিভক্ত হয়ে যায়। পশ্চিম থেকে পূর্বের দেশগুলোর মধ্যে ধীরে-ধীরে অভেদ্য একটি পর্দা তৈরি করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। পরাজিত জার্মানি ভাগ হয়ে যায় দখলদার দেশগুলোর মধ্যে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে। দেশটির পূর্ব অংশ নিয়ন্ত্রণ করে সোভিয়েতরা। পূর্ব জার্মানি, যার আনুষ্ঠানিক নাম ছিল জার্মান ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, তখন পশ্চিম ইউরোপে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বিস্তারের কেন্দ্রে পরিণত হয়। তবে বার্লিন ভাগ হয়ে যায় চারটি ভাগে। পশ্চিম অংশে ছিল ব্রিটিশ, ফরাসি এবং আমেরিকান অঞ্চল, আর পূর্ব অংশে ছিল সোভিয়েত এলাকা। পশ্চিম বার্লিন পরিণত হয় চারদিকে কম্যুনিস্ট পূর্ব জার্মানি ঘেরা একটি দ্বীপে। আংশিক অবাধ নির্বাচনে সফল হয় পোল্যান্ডের সলিডারিটি মুভমেন্ট দেয়ালটি অবশ্য নির্মিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে, কারণ তখন পূর্ব বার্লিন থেকে অনেক মানুষ পশ্চিম বার্লিনে চলে যাচ্ছিল। ১৯৮০র দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে এবং ব্যাপক খাদ্য সংকট শুরু হয়। ইউক্রেনের চেরনোবিলে ১৯৮৬ সালে যখন একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রিয়্যাক্টর বিস্ফোরণ হয়, তখন থেকেই আসলে কম্যুনিস্ট ব্লকের পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে ক্ষমতায় আসেন তুলনামূলকভাবে তরুণ নেতা মিখাইল গর্বাচফ, যিনি 'গ্লাসনস্ত' ও 'পেরস্ত্রইকা' নামের সংস্কার নীতি শুরু করেন যার অর্থ হলো 'কথা বলার স্বাধীনতা' এবং 'পুনর্গঠন'। কিন্তু তিনি যা ভেবেছিলেন, তার চেয়েও অনেক দ্রুত গতিতে ঘটনা ঘটতে শুরু করলো। বিপ্লবী স্রোত কম্যুনিস্ট এলাকাগুলোয় এর মধ্যেই সংস্কার আন্দোলন নাড়াচাড়া করতে শুরু করেছে। পোল্যান্ডে কয়েক বছরের আন্দোলন এবং ধর্মঘটের ফলে ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টি দেশটিতে নিষিদ্ধ সলিডারিটি ট্রেড ইউনিয়নকে আইনি স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ওই সলিডারিটি ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয় সরকার এবং সেই বছরের গ্রীষ্মে আংশিক মুক্ত নির্বাচনে তারা পার্লামেন্টে বেশ কিছু আসন দখল করে। যদিও কোটার কারণে কম্যুনিস্টরা বেশ কিছু আসন ধরে রেখেছে, কিন্তু যেখানেই দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছে, সেখানেই আসন দখল করে নিয়েছে ইউনিয়ন। সে বছর মার্চে হাঙ্গেরিতেও গণতন্ত্রের দাবিতে বিশাল সমাবেশ হয়। দীর্ঘদিনের লৌহ শাসন শেষে প্রথমবারের মতো মে মাসে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে থাকা হাঙ্গেরির ১৫০ মাইল লম্বা কাঁটাতারের বেড়া ছিঁড়ে ফেলা হয়। এর আগে হাঙ্গেরিতে ১৯৫৬ সালের বিপ্লবের চেষ্টা নিষ্ঠুরভাবে দমন করে সোভিয়েত, কিন্তু এবারের আন্দোলন সফলতার মুখ দেখে। অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করে পূর্ব জার্মানির অনেক বাসিন্দা আর আবেগ সামলে রাখতে পারেননি অগাস্ট মাসে বিপ্লবের স্রোতে সত্যি সত্যিই আবার পথপ্রান্তরে যেন জ্বলজ্বল করতে শুরু করে। এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার ২০ লাখ মানুষ তথাকথিত 'সিংগিং রেভুলেশন' নামে মনে রাখার মতো বিশাল একটি সমাবেশ করে। এতে তারা বাল্টিক দেশগুলো জুড়ে স্বাধীনতার দাবিতে ৩৭০ মাইল লম্বা মানব বন্ধন তৈরি করে। যেসব দেশ তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। অগাস্টের সেই উত্তাপের মধ্যেই পশ্চিম সীমান্তের দেশ অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয় হাঙ্গেরি, যার ফলে পূর্ব জার্মানির শরণার্থীরা আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হয়। এসব দেশে শাসন ব্যবস্থা এমন ছিল যেন গলায় দড়ি পড়িয়ে রাখার মতো। চেকোস্লোভাকিয়ায় ১৯৬৮ সালের স্বাধীনতার চেষ্টা নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়, যা বাসিন্দাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ তৈরি করে। পূর্ব জার্মানির বাসিন্দারা কঠোর নিয়মকানুন ছাড়া শুধু প্রতিবেশী সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোয় ভ্রমণ করতে পারতেন। সেখানে গিয়ে শত মানুষ পশ্চিম জার্মানির দূতাবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এবং ট্রেনে করে পশ্চিম জার্মানিতে চলে যেতেন। এই স্রোত সামলাতে অক্টোবর নাগাদ চেকোস্লোভাকিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় পূর্ব জার্মানি। কিন্তু ততক্ষণে পূর্ব জার্মানির ভেতরেই বিপ্লব ছড়িয়ে পড়েছে। চেকোস্লোভাকিয়ার প্রাগে ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন পাঁচ লাখের বেশি মানুষ পূর্ব জার্মানির বিদ্রোহীরা লেইপজিগ শহরের কেন্দ্রে স্বাধীনতার দাবিতে জড়ো হওয়া একটি বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে এর সূচনা হয়। পূর্ব জার্মানির ৪০ বর্ষপূর্তি উদযাপনের যখন আর কয়েকদিন বাকি, সেই তেসরা অক্টোবর ৭০ হাজার মানুষ লেইপজিগের রাস্তায় নেমে আসে। পশ্চিম জার্মানিতে অবাধ নির্বাচনের আহবান জানানো হচ্ছিল আর পূর্ব জার্মানির নেতা সংস্কারের আলোচনা শুরু করেছিলেন নতুন কম্যুনিস্ট নেতা ইগণ করেনয। কিন্তু কেউই জানতেন না যে, বার্লিন দেয়ালের পতনের বাকি আছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে নতুন একটি আইন গ্রহণ করা হয়, যার ফলে প্রেসিডেন্ট পদে সরাসরি নির্বাচন করা যাবে এবং পার্লামেন্ট নির্বাচনে একাধিক দল অংশ নিতে পারবে। সে বছর ৩১ শে অক্টোবর পূর্ব জার্মানিতে গণতন্ত্রপন্থীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখে পৌঁছে যায়। মি. করেনয একটি বৈঠক করার জন্যে মস্কোয় যান। তিনি সম্প্রতি বিবিসিকে বলেছেন, তাকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল যে, জার্মানির পুনর্মিলনের বিষয়টি এজেন্ডায় নেই। পূর্ব জার্মানিতে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার একমাস পরে, ৪ নভেম্বর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পূর্ব জার্মানির কেন্দ্রস্থল অ্যালেক্সান্ডার প্লাটযে সমবেত হয়। এর তিনদিন পরে সরকার পদত্যাগ করে। কিন্তু তখনো গণতন্ত্র চালু করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না এবং ইগণ করেনয কম্যুনিস্ট পার্টির প্রধান হিসাবেই দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাকে সেই দায়িত্বে বেশিদিন থাকতে হয়নি। পাঁচদিন পরে মি. স্কোহবোস্কির সেই বিশ্ব পাল্টানো সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। কেন সোভিয়েত ইউনিয়ন শক্তি প্রয়োগ করেনি? ১৯৮৯ সালের শুরুর দিকে, চীনের বেইজিং তিয়েনানমেন স্কোয়ারে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ হয়, যেটি বড় ধরণের সামরিক অভিযান চালিয়ে দমন করা হয়। আগের বেশ কয়েকটা বিপ্লবের চেষ্টা সামরিক শক্তি দিয়ে দমন করেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন। তাহলে এবার কেন নয়? সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেতরেই, এটা করা হয়েছে। সোভিয়েত রিপাবলিক অফ জর্জিয়ায় ২১জন গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু অন্য কোন কম্যুনিস্ট ব্লকে এমনটা করা হয়নি। প্রতিবেশী দেশগুলোয় সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমন এবং রাজনৈতিক বিপ্লবের চেষ্টা নসাৎ করার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচফ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক মুখপাত্র গেনাডে গেরাসিমোভ মার্কিন টেলিভিশনকে বলেছেন, '' আমরা এখন 'ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা মতবাদের' (সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিবেশী দেশগুলোর নিজেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া) কথা জানি। তিনি বলতেন, আমি এটা আমার মতো করে করেছি। সুতরাং প্রতিটা দেশের অধিকার কাছে তাদের নিজেদের পথ বেছে নেয়ার।'' পূর্ব ইউরোপে গণতন্ত্রের জন্য বিপ্লবে শুধু রোমানিয়ানদের প্রাণ দিতে হয়েছে ইউরোপের ইতিহাসের নতুন অধ্যায় তেসরা ডিসেম্বর, মি. গর্বাচেভ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশ মাল্টায় পাশাপাশি বসে একটি বিবৃতি ঘোষণা করেন, যেখানে বলা হয় যে, দুই দেশের মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধে অবসান হতে চলেছে। কিন্তু ১৯৮৯ সালের বিপ্লবের তখনো সমাপনী হয়নি। প্রাগের ছাত্ররা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যার পর শুরু হয় ভেলভেট বিপ্লব। তারা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চেকোস্লোভাকিয়ার কম্যুনিস্ট সরকারকে উৎখাত করে। রোমানিয়ায় সহিংসতার মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ শেষ হয় এবং কম্যুনিস্ট স্বৈরশাসক নিকোলাই চসেস্কুর পতন ঘটায়। বিক্ষুব্ধ জনতা প্রাসাদে হামলা করার পর তিনি পালিয়ে যান এবং নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। তবে পরে তিনি এবং তার স্ত্রী এলেনা ধরা পড়েন এবং ক্রিসমাসের দিনে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অন্যত্র রক্তপাতহীন বিপ্লব হলেও রোমানিয়ায় ওই বিপ্লবের আগে পরে একহাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ১৯৮৯ সালের পরে এসব ঘটনার পরে সোভিয়েত ইউনিয়নের কী হলো? ১৯৯০ সালে লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং এস্তোনিয়া তাদের নতুন পাওয়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যবহার করে কম্যুনিস্ট সরকারকে সরিয়ে দেয় এবং স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু মি. গর্বাচফ সর্বশেষ একটি দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত নিলেন। সংস্কারের উদ্দেশ্যে তিনি ১৫টি সোভিয়েত রিপাবলিকের নেতাদের একসঙ্গে ডেকে পাঠালেন। কট্টরপন্থীরা তার সংস্কার কার্যক্রম ঠেকাতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। ১৯৯১ সালের অগাস্টে ক্রাইমিয়ায় ছুটিতে থাকার সময় এই চেষ্টা করা হয় এবং তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। তবে গণতন্ত্রপন্থী শক্তিগুলো রাশিয়ার বরিস ইয়েলৎসিনের পেছনে জড়ো হওয়ায় তিনদিনের মধ্যে সেই অভ্যুত্থান ভণ্ডুল হয়ে যায়। কিন্তু এটা ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের মৃত্যুর ঘণ্টা বাজার শুরু এবং এরপর একের পর এক এর রিপাবলিকগুলো স্বাধীনতা ঘোষণা করতে শুরু করে। সেই বছরের শেষে শেষবারের মতো ওড়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতাকা।
World events often move fast, but it is hard to match the pace and power of change in 1989.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ম্যান্ডি মাহানি কিন্তু নতুন একটি জরিপ বলছে, আক্রান্তদের অনেকে এ ধরণের শব্দে গর্বিত বা আনন্দিত হওয়ার পরিবর্তে মনঃক্ষুণ্ণ হন। যুক্তরাজ্যের ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর জরিপ চালিয়ে দেখতে পেয়েছে, 'ক্যান্সার আক্রান্ত' বা 'শিকার' শব্দগুলোও তারা খুব অপছন্দ করেন। দাতব্য সংস্থাটি বলছে, এটি প্রমাণ করে যে, খুব সাধারণ শব্দও কতটা বিভেদ সৃষ্টিকারী হতে পারে। কেউ ক্যান্সার সনাক্ত হওয়ার পর সেটিকে যুদ্ধ বা লড়াই বলে বর্ণনা করা, তিনি মারা গেলে যুদ্ধে হেরে গেছেন বলা- অপছন্দনীয় বাক্যগুলোর অন্যতম। গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের শব্দ সম্বলিত লেখা সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক বলে ক্যান্সারের রোগীরা মনে করেন। ক্যান্সারে শনাক্ত হওয়া বা চিকিৎসাকে সহজ এবং বাস্তব শব্দে বর্ণনা করাকেই এই ব্যক্তিরা পছন্দ করেন বলে জরিপে বেরিয়ে এসেছে। আরো পড়ুন: ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন উপায় 'ভার্চুয়াল টিউমার' কীভাবে বাঁধাকপি ক্যান্সার ঠেকাতে পারে বাংলাদেশেও কেন মেয়েদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে? স্তন ক্যান্সারে ভোগা ৪৭ বছরের ম্যান্ডি মাহানি বলছেন, ''আমি মনে করে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এখনো যেসব শব্দ বলা হয়, তার বেশিরভাগই নেতিবাচক-সাহসী, লড়াকু, যোদ্ধা, টিকে যাওয়ার মতো শব্দ নতুন সনাক্ত হওয়া রোগীদের মনের ওপর অত্যন্ত চাপ তৈরি করে।'' কেউ মারা যাওয়ার পর লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার মতো শব্দেও তার আপত্তি রয়েছে। ''এর মানে যেন আপনি লড়াই করেননি বা হাল ছেড়ে দিয়েছেন।'' বরং তার পরিবর্তে তিনি সহজ শব্দ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। যেমন তার ক্ষেত্রে তিনি শুনতে পছন্দ করবেন যে, 'তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারের সঙ্গে বাস করছেন।' ''আমি কোন সাহসী ব্যক্তি নই বা কারো জন্য উদাহরণ নই। আমি শুধু যে কয়েকটা দিন বাকি আছে, সেটা ভালো ভাবে বেঁচে থাকতে চাই।'' ক্রেইগ টোলে তবে ৩১ বছর বয়সী ক্রেইগ, ২০১৬ সালে যার থাইরয়েড ক্যান্সার সনাক্ত হয়েছে, তিনি বলছেন, যুদ্ধ, সংগ্রাম বা লড়াইয়ের মতো কোন কোন শব্দ তাকে অনুপ্রাণিত করে। ''ব্যক্তিগতভাবে এসব শব্দ আমাকে উৎসাহ যোগায়। তখন আমাকে ভাবতে সহায়তা করে যে, ক্যান্সার আমার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, যেটির সঙ্গে আমাকে লড়তে হবে।'' ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্টের কর্মকর্তা কারেন রবার্টস বলছেন, ''এই জরিপের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, সাধারণ শব্দগুলোই কতটা বিভক্তি সৃষ্টিকারী হতে পারে। ''এ বিষয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে আমরা এই মানুষের কাছে এই বার্তাটি দিতে চাইছি যেন, তারা যেন আলাপের সময় এমন শব্দ বাছাই করেন, যা তারা শুনতে পছন্দ করেন এবং তাদের জন্য কোনরকম ক্ষতিকর না হয়। ম্যান্ডি বলছেন, ''এর মানে এই নয় যে, কাউকে একটা পাঠ্যবই মুখস্থ করে আসতে হবে আর সেগুলোই বলতে হবে। আমি বলবো, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো।'' ''তবে কথা বলতে হলে যা সত্যি, সেভাবেই বললে ভালো।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নেপালের রিপোর্টে দায়ী ইউএস বাংলার পাইলট সোশাল মিডিয়াকে কেন যুক্তরাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কিভাবে দেখছেন ডাক্তাররা বেওয়ারিশ লাশের কেন পরিচয় মেলে না
Fighter, warrior, hero - some of the terms you might see used to describe people with cancer.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক চুক্তি সম্পাদনে মি. ট্রাম্প তার সাফল্য তুলে ধরলেও জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই বলেছেন তারা মনে করছেন মি. বাইডেন মি. ট্রাম্পের চেয়ে ভাল প্রেসিডেন্ট হবেন। জরিপ গবেষণা সংস্থা ইউগভ এবং সৌদি মালিকানাধীন সংবাদপত্র আরব নিউজের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেক এই মত ব্যক্ত করেছেন। বাকি অর্ধেকের মধ্যে ৪০% উত্তরদাতা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার জন্য মি. বাইডেন বেশি উপযুক্ত এবং ১২% প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভাল মনে করছেন। অনলাইনে গত মাসে মধ্য প্রাচ্যের ১৮টি দেশে এই জরিপ চালানো হয়। জরিপের শিরোনাম ছিল - আরবরা কী চাইছেন? জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা তার প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাট প্রাথী জো বাইডেন কেউই দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে জনপ্রিয় বলে বিবেচিত হননি। তবে তারা সামান্য এগিয়ে রেখেছেন মি. বাইডেনকে। মূলত, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটি পছন্দ করেননি জরিপে অংশ গ্রহণকারীদের ৮৯%। তবে ইরাক এবং ইয়েমেনের মানুষ পছন্দ করেছেন মি. ট্রাম্পকে। তারা মনে করছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়াসহ অন্যান্য কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন মি. ট্রাম্প যেটা তারা সমর্থন করেছেন। ইরাকে অংশ গ্রহণকারীদের প্রায় ৫৭% বলেছেন, এ বছরের গোড়ার দিকে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড-এর নেতা জেনারেল কাশেম সোলেইমানিকে হত্যা করার আমেরিকান সিদ্ধান্তকে তারা অনুমোদন করেন। অন্যদিকে, সিরিয়ার ঠিক একই সংখ্যক মানুষ অর্থাৎ ৫৭% বলেছেন, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধী। মধ্য প্রাচ্যের অনেক তরুণ মধ্য প্রাচ্য ছেড়ে চলে যেতে আগ্রহী বলে জরিপে উঠে এসেছে- বিশেষ করে লেবাননের তরুণরা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি মি. বাইডেন ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ওবামার শাসনামলে হোয়াইট হাউসে আট বছর কাজ করেছেন। জরিপে অংশ গ্রহণকারীদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ওই প্রশাসন সম্পর্কে তাদের কী মতামত। উত্তরদাতারা মি. বাইডেন সম্পর্কেও তেমন উৎসাহ দেখাননি। এদের অধিকাংশই বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা তার সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর দেননি এবং তাদের জন্য তিনি তেমন কিছুই করেননি। তারা বলেছেন, মি. বাইডেন যদি নির্বাচিত হন, তারা আশা করবেন তিনি মি. ওবামার নীতি থেকে দূরে থাকবেন। তিনি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবেন। যদিও এই জরিপে হস্তক্ষেপের কোন ঘটনাই ঘটেনি, তবু এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, যাদের সাথে সহযোগিতায় এই জরিপ চালানো হয়েছে তারা হল সৌদি আরবের রিয়াদ ভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান আরব নিউজ এবং এই সংবাদমাধ্যম, অনুমোদিত সরকারি সম্পাদকীয় নীতিমালা মেনে কাজ করে থাকে। সৌদি আরব ওই অঞ্চলে ইরানের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং ইরানের সাথে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি সম্পাদনের জন্য সৌদি নেতৃত্ব কখনও প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ক্ষমা করেনি। আরও পড়তে পারেন: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন, এবং আরও কঠোর পারমাণবিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জারি করেন। একই সাথে ইরানের উপর পারমাণবিক এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণাও দেন মি: ট্রাম্প। মি. ওবামার সময় করা চুক্তির সমালোচকদের মধ্যে ছিলেন সৌদি নেতারা। তাদের যুক্তি ছিল ইরানের ক্ষমতাশালী নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি গড়ে তোলার জন্য, উপসগরীয় এলাকায় গোপন ও বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য এবং মধ্য প্রাচ্যে একটা আগ্রাসী নীতি চালু রাখার পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে, যে অর্থ দেশটির ব্যয় করা উচিত মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য। ইসরায়েলের ব্যাপারে আমেরিকান নীতির প্রতি ফিলিস্তিনের মানুষের যে ঐতিহাসিক অনাস্থা রয়েছে সেটা বিবেচনায় নিলে ফিলিস্তিনী যারা এই জরিপে অংশ নিয়েছেন তাদের উত্তর কিছুটা অবাক হবার মতই। জরিপের ফিলিস্তিনী উত্তরদাতারা বলেছেন, একটা শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তারা আমেরিকার আরও বেশি ভূমিকা নেবার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। এই জরিপ চালানো হয়েছে বহু মানুষকে বিস্মিত করে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই। আমেরিকা নির্বাচন ২০২০: যে প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকেন আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে আরও পড়তে পারেন: অগ্রাধিকার জরিপে প্রশ্ন ছিল আমেরিকার অভিবাসন নীতি নিয়ে। যারা জরিপে অংশ নিয়েছেন তাদের প্রায় ৭৫% আশা করছেন হোয়াইট হাউসে প্রশাসনের দায়িত্বে যিনি আসবেন তিনি আরবদের আমেরিকায় যাওয়া আরও সহজ করে দেবেন। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গেছে আরব তরুণদের তুলনামূলকভাবে বড় একটা অংশ মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাইরে চলে যেতে আগ্রহী। বিশেষ করে লেবানন থেকে, যেখানে দুর্নীতির কারণে এবং অর্থনীতি ভেঙে পড়ায় বহু মানুষ তাদের ভবিষ্যত নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ইসলামী কট্টরপন্থা দমন আমেরিকার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশ্নের উত্তরে মাত্র ২৪% বলেছেন, এটাকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। ৪৪% মনে করেন আরব-ইসরায়েলী দ্বন্দ্বের সমাধানকে আমেরিকার আরও বেশি অগ্রাধিকার দেয়া উচিত আর ৩৭%-এর মত হল আমেরিকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এখন করোনাভাইরাসের মোকাবেলা করা। জরিপে আরও যেসব বিষয় নিয়ে মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ঐ অঞ্চলে সুশাসনের অভাব এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা। ২০১১য় এইসব ক্ষেত্রে জন অসন্তোষের জেরেই জন্ম নিয়েছিল আরব বসন্ত নামে পরিচিত প্রতিবাদ আন্দোলন।
Neither of the two US presidential candidates will be good for the Middle East and North Africa - so says a recent survey of Arabs in the region.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ধারণা করা হয়, তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল দশ লাখ মানুষ ওই বিক্ষোভের সময়কার একটি ছবি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রতীকী ছবিগুলোর একটি হয়ে উঠেছিল - যাতে দেখা যাচ্ছিল, সেনা ট্যাংকের সামনে একা দাঁড়িয়ে আছেন একজন আন্দোলনকারী। কি কারণে বিক্ষোভ? ১৯৮০'র দশকে চীন অনেক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। বেসরকারি কোম্পানি এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন দিতে শুরু করেছিল ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টি। নেতা ডেং শিয়াওপিং আশা করছিলেন, এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরো বাড়বে এবং মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি হবে। তবে এই পদক্ষেপের ফলে দুর্নীতিও বাড়ছিল, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক উদারতার আশাও তৈরি হয়েছিল। চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির মধ্যেও বিভেদ তৈরি হয়েছিল। একটি পক্ষ চাইছিল দ্রুত পরিবর্তন, আরেকটি পক্ষ চাইছিল যেন বরাবরের মতোই রাষ্ট্রের কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে। আশির দশকের মাঝামাঝিতে ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। এদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন যারা একটা সময় বিদেশে কাটিয়েছেন এবং নতুন চিন্তাভাবনা ও উন্নত জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। আরো পড়ুন: যে ব্যক্তিকে ছয় বছর বয়স থেকে আটকে রেখেছে চীন মোবাইল অ্যাপ দিয়ে উইগরদের ওপর নজরদারি করছে চীন চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ: জুতার দাম যেভাবে বাড়বে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের আন্দোলনকারী কীভাবে বিক্ষোভ দানা বেঁধে ওঠে? আরো বেশি রাজনৈতিক স্বাধীনতার দাবিতে ১৯৮৯ সালের বসন্তে বিক্ষোভ আরো জোরালো হয়ে উঠছিল। সেটি আরো জোরালো হয় হু ইয়াওবাং নামের একজন রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে, যিনি কিছু অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের বিষয় দেখভাল করতেন। রাজনৈতিক বিরোধীদের কারণে দুই বছর আগে দলের শীর্ষ পর্যায়ের পদ থেকে তাকে নীচে নামিয়ে দেয়া হয়। হু'র শেষকৃত্যানুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। এপ্রিল মাসের ওই অনুষ্ঠানে তারা জড়ো হয়ে বাকস্বাধীনতা এবং কম সেন্সরশিপের দাবি জানাতে থাকেন। এর পরের কয়েক সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে জড়ো হতে শুরু করে। সেই সংখ্যা একপর্যায়ে দশ লাখে পৌঁছেছিল বলে ধারণা করা হয়। ওই স্কোয়ারটি হচ্ছে বেইজিংয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত স্থাপনা। এটি মাও সেতুং-এর সমাধিস্থলের কাছাকাছি, যিনি আধুনিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা। সেই সঙ্গে কম্যুনিস্ট পার্টির সভাস্থল গ্রেট হল অব দি পিপলেরও কাছাকাছি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কী ধরণের পুরুষ পছন্দ বাংলাদেশের মেয়েদের? মাঝরাতে রান্নাঘরের মেঝেতে কুমির দেখলেন যে নারী দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করছে কেনিয়া ট্রাম্প আর সাদিক খানের মধ্যে এই বাকযুদ্ধ কেন? ডেং শিয়াওপিং (বামে), সঙ্গে হু ইয়াওবাং চীনের সরকারের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? প্রথমদিকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোন পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। কিভাবে এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা নিয়ে মতভিন্নতা ছিল দলের নেতাদের মধ্যে। অনেকে কিছুটা ছাড় দেয়ার পক্ষে ছিলেন, আবার অনেকে ছিলেন কঠোর পন্থা বেছে নেয়ার পক্ষে। এই বিতর্কে শেষপর্যন্ত কট্টরপন্থীদের জয় হয়। মে মাসের শেষ দুই সপ্তাহে বেইজিংয়ে মার্শাল ল' জারি করা হয়। ৩রা ও ৪ঠা জুনে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের দিকে এগোতে শুরু করে সৈনিকরা। ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য তারা গুলি করে, বাধা ভেঙেচুরে এবং বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করে। ৫ই জুনের একটি ছবিতে দেখা যায়, স্কোয়ারের দিকে এক সাড়ি ট্যাংকের যাত্রাপথে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একা একজন ব্যক্তি ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটি কে? ৫ই জুনের একটি ছবিতে দেখা যায়, স্কোয়ারের দিকে এক সাড়ি ট্যাংকের যাত্রাপথে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একা একজন ব্যক্তি। তার হাতে দুটি শপিং ব্যাগ দেখা যায়। তিনি হেঁটে ট্যাংকগুলোকে অতিক্রম করতে বাধা দিচ্ছেন বলে ধারণ করা চিত্রে দেখা যায়। দুইজন ব্যক্তি এর পর তাকে সরিয়ে নিয়ে যান। পরে তার কি হয়েছে, তা আর জানা যায়নি। কিন্তু তিনি বিক্ষোভের এক প্রতীক হয়ে ওঠেন। ওই বিক্ষোভে কতজন মারা যান? কারো জানা নেই, সেই বিক্ষোভে আসলে কতজন মারা গেছে। ১৯৮৯ সালে জুনের শেষ নাগাদ, চীনের সরকার জানিয়েছিল যে, বেসামরিক ব্যক্তি এবং নিরাপত্তা কর্মী মিলিয়ে বিক্ষোভে দুইশোজন নিহত হয়েছে। অনেকে ধারণা করেন, সেখানে কয়েকশত থেকে শুরু করে কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ কূটনৈতিক বার্তার প্রকাশ করা হলে জানা যায়, সে সময় চীনে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার অ্যালান ডোনাল্ড বার্তা পাঠিয়েছিলেন যে, সেখানে ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। তিয়েনআনমেন স্কয়ারের ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করা চীনে অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয় চীনের মানুষ কি জানে সেখানে কী ঘটেছিল? তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করা চীনে অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাবলী নিয়ে বক্তব্য বা পোস্ট ইন্টারনেট থেকে নিয়মিত সরিয়ে নেয়া হয়, যা দেশটির সরকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং দেশটির যে তরুণ প্রজন্ম কখনো বিক্ষোভ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যায়নি, তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের সেদিনকার ঘটনা সম্পর্কে তারা খুব কমই জানে।
Thirty years ago, Beijing's Tiananmen Square became the focus for large-scale protests, which were crushed by China's Communist rulers.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং কট্টরপন্থী ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে মন্তব্য করায় ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর 'মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা' করানো প্রয়োজন বলে কটাক্ষ করেছেন মি. এরদোয়ান। ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং কট্টরপন্থী ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে মন্তব্য করায় এমানুয়েল ম্যাক্রঁর 'মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা' করানো প্রয়োজন বলে কটাক্ষ করেছেন মি. এরদোয়ান। ইসলামের নবীকে নিয়ে ক্লাসে কার্টুন দেখানোয় এক ফরাসী শিক্ষককে হত্যা করার প্রেক্ষিতে এই বিষয়ে মন্তব্য করেন মি ম্যাক্রঁ। এ সপ্তাহের শুরুতে এক বক্তব্যে তিনি বলেন যে 'ফ্রান্স কার্টুন প্রত্যাহার করবে না।' ইসলামের নবীর ছবি বা প্রতিকৃতি তৈরি করা মুসলিমদের ধর্মানুভূতিতে গুরুতর আঘাত করতে পারে কারণ ইসলামের নবী বা আল্লাহকে চিত্রিত করা ইসলামের ধর্মীয় আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। কিন্তু ফরাসী জাতীয়তাবাদের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি। রাষ্ট্রের বক্তব্য, কোনো একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের অনুভূতির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাক স্বাধীনতা খর্ব করা জাতীয় ঐক্য ক্ষুণ্ণ করে। ফরাসী জাতীয়তাবাদী চেতনা রক্ষার উদ্দেশ্যে শিক্ষক হত্যার আগে থেকেই শুরু হওয়া মি ম্যাক্রঁর এ ধরণের প্রচারণার প্রতিক্রিয়া শনিবার এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন: "ম্যাক্রঁর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন।" "একজন রাষ্ট্রনায়ককে এর চেয়ে বেশি কী বলা যায়, যিনি বিশ্বাসের স্বাধীনতার বিষয়টি বোঝেন না এবং তার দেশে বসবাসরত ভিন্ন বিশ্বাসের লাখ লাখ মানুষের সাথে এই ব্যবহার করেন?" মি এরদোয়ান প্রশ্ন তোলেন: "ম্যাক্রঁ নামক ব্যক্তির ইসলাম এবং মুসলিমদের নিয়ে সমস্যাটা কোথায়?" মি. এরদোয়ানের এই ধরণের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফরাসী প্রেসিডেন্ট অফিসের এক কর্মকর্তা জানান যে, ফ্রান্সে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। কর্মকর্তাটি এএফপিকে বলেন: "প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। অতিরিক্ত মন্তব্য ও অভদ্রতা কোনো পন্থা নয়। এরদোয়ান যেন তার নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন করেন, আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি। তার এই অবস্থান সবদিক থেকেই বিপদজনক।" আরো পড়তে পারেন: নবীর কার্টুন দেখানো শিক্ষকের শিরশ্ছেদ নিয়ে উত্তাল ‘ধর্মনিরপেক্ষ‘ ফ্রান্স শার্লি এব্দো বিতর্কিত কার্টুন আবার ছেপেছে কিশোরীর ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যে ফ্রান্সে তুলকালাম নেটোর দুই সদস্য দেশ ফ্রান্স ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে এই সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব ছাড়াও দুই দেশ নানা ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুতে বিপরীতমুখী অবস্থানে ২০০২ সালে ইসলামি রাজনৈতিক আদর্শের দল একে পার্টি তুরস্কের ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসলামকে তুরস্কের মূলধারার রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছেন মি এরদোয়ান। নেটোর দুই সদস্য দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে এই সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব ছাড়াও দুই দেশ নানা ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুতে বিপরীতমুখী অবস্থানে ছিল। নেটো জোটে এক দেশ আরেক দেশের মিত্র হলেও সিরিয়া ও লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ, নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলকে ঘিরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের যুদ্ধ নিয়ে দুই দেশের অবস্থান আলাদা। ১৬ই অক্টোবর ফরাসী স্কুল শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যার অভিযোগে দুই জন শিক্ষার্থীসহ সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ছুরি হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই মি. প্যাটির হত্যাকারী ১৮ বছর বয়সী আবদুল্লাহ আনজরভকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। ২০১৫ সালে ফরাসী ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর অফিসে হামলায় কার্টুানিস্ট সহ ১২ জন মারা যায়। ইসলামের নবীকে নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করার জেরে জঙ্গিরা প্রতিষ্ঠানটির অফিসে হামলা করে। এই মাসের শুরুতে ম্যাক্রঁ ইসলামকে 'সঙ্কটাপন্ন ধর্ম' হিসেবে মন্তব্য করেন এবং ফ্রান্সে 'ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ' দমন করতে আরো কঠিন আইন প্রণয়নের ঘোষণা দেন। ফ্রান্সের প্রায় ১০% নাগরিক মুসলিম, যা ইউরোপের অন্য যে কোনো দেশের মুসলিম জনসংখ্যার তুলনায় বেশি। মুসলিমদের অনেকে অভিযোগ তুলেছেন যে মি ম্যাক্রঁ ইসলাম ধর্মকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন এবং তার এই ধরণের মন্তব্য মানুষের মধ্যে ইসলাম ভীতিকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে।
France has recalled its ambassador to Turkey for consultations after President Recep Tayyip Erdogan insulted his French counterpart Emmanuel Macron.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
হুমকি ইমেইল ও ফোন পেয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারাহ হেউইট-ক্লার্কসন বার্মিংহামের ওই বিদ্যালয় প্রধান সারাহ হেউইট-ক্লার্কসনের কাছে পাঠানো মেসেজ বা বার্তাগুলো নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গত সাত সপ্তাহ ধরে অ্যান্ডারটন পার্ক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরে নিয়মিতভাবে সাপ্তাহিক বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন অভিভাবকেরা। তারই অংশ হিসেবে সোমবারে কয়েকশো শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে আসতে দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ে প্রতিবাদকারীদের বিচরণ ঠেকাতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য আলাদা একটা স্থান রাখার কথা বলেছেন বার্মিংহামের সংসদ সদস্য জেস ফিলিপ্স। চলমান এই প্রতিবাদকে 'আক্রমণাত্মক' বলে বর্ণনা করেছেন অ্যান্ডারটন পার্ক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিজ হেউইট-ক্লার্কসন। মূলত, শুধু মুসলিম বাবা-মায়েরাই এই বিক্ষোভ করছেন বলে জানানো হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের ক্রস-ড্রেসিং এবং সমকামের প্রসঙ্গটি ওই বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত থাকায় মুসলিম অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হন। বিক্ষোভকারীদের নেতা এই পাঠ্য বিষয়বস্তুকে 'সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং' বলে ব্যাখ্যা করেছেন। আরো পড়তে পারেন: ভারতের দ্রুততম নারীর স্পষ্ট ঘোষণা- তিনি সমকামী সমকামিতা ভারতে আর অপরাধ নয়: সুপ্রিম কোর্ট অ্যঅন্ডারটন পার্ক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরে তাদের কার্যক্রমের সমর্থন জানিয়েছেন অনেক মানুষ মুসলিম অভিভাবকেরা শুধু বার্মিংহামের এই বিদ্যালয়ের পাঠ্য বিষয়বস্তুর বিরোধিতাই করছেন না, একই রকম শিক্ষার বিরোধিতা করে তারা ইংল্যান্ডের বহু স্কুলে চিঠি পাঠিয়েছেন। মিজ হেউইট-ক্লার্কসন বিক্ষোভকারীদের প্রসঙ্গে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে আসলে যা চলছে তা 'অত্যন্ত উচ্চকিত, খু্‌বই আক্রমণাত্মক এবং ক্লান্তিকর।' তিনি একের পর এক অভিভাবকদের সাথে বৈঠক করে যাচ্ছেন। এই মে থেকে জুনের শেষ নাগাদ অন্তত ১২টি বৈঠক অভিভাবকদের সাথে তার করার কথা বলে জানিয়েছেন এই প্রধান শিক্ষিকা। মিজ. হেউইট-ক্লার্কসনকে 'ইসলামোফোবিক' বা 'ইসলাম ভীতিতে' আক্রান্ত বলে কোনো কোনো অভিভাবক দাবী করলেও সেটিকে তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। বরং 'সব মানুষের সমান অধিকারে' বিশ্বাসী বলে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের নীতি অনুযায়ী, আগামী ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'রিলেশানশিপ্স এডুকেশন' বা মানবীয় সম্পর্কের বিবিধ ধরণ বাধ্যতামূলকভাবে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। অ্যান্ডারটন পার্ক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন শাকিল আফসার। যদিও তার কোনো সন্তান এই স্কুলে পড়ে না। কিন্তু তিনি মনে করেন যে, অ্যান্ডারটন পার্ক স্কুলে এলজিবিটি বা সমকামিতার প্রতি শিশুদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অভিভাবকেরা যে এই পাঠ্যসূচী পছন্দ করছেন না সেই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিতেই প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীকে তাদের পরিবার সোমবারে বিদ্যালয়ে আসতে দেননি বলেও উল্লেখ করেছেন মি. আফসার। তবে, স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ৭০০ জন স্কুলে অংশ নিয়েছে। বিদ্যালয়ের বহিঃপ্রাঙ্গনে স্থানীয় এমপি মিজ. ফিলিপ্সের সাথে মত ভিন্নতার প্রেক্ষিতে মি. আফসারের এক প্রকার বচসাও হয়। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের বহিঃপ্রাঙ্গনে যে 'বিশৃঙ্খল' পরিস্থিতি বিরাজ করছে তারা সেদিকে খেয়াল রাখছে। মিজ ফিলিপ্স বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা নিজের ইচ্ছামাফিক 'ইকুয়ালিটি' বা সমতার ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করতে পারেন না। এই বিক্ষোভের সবচেয়ে 'বাজে দিক' হিসেবে তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের নামে বিক্ষোভকারীরা আসলে 'শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সুনাম' বিনষ্ট করেছেন। তাই, ৭০০ শিশুর সুরক্ষার কথা বিবেচেনা করে তিনি একটি 'এক্সক্লুশান এরিয়া' বা প্রতিবাদ প্রদর্শনের জন্য একটি আলাদা স্থান নির্ধারণের কথা বলেছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এই বিক্ষোভের বিরুদ্ধে পাবলিক স্পেসেস প্রটেকশান অর্ডার (পিএসপিও) বা জনপরিসর সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয়া যাবে কিনা সেই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখতে নিজের অফিসকে তাগিদ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলের নেতা ইয়ান ওয়ার্ড। মি. ওয়ার্ড বলেছেন, যদি পিএসপিও-কে প্রয়োগের বিধি না থাকে তাহলে তারা বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজবেন। কারণ বাধা-বিঘ্ন মুক্তভাবে শিক্ষার্থীদের এবং অ্যান্ডারটন স্কুলের কর্তৃপক্ষের বিদ্যালয়ে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। যারা আন্দোলন করছেন তাদের বিষয়ে ইঙ্গিত করে ইয়ান ওয়ার্ড বলেছেন, অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ের কারিকুলাম বা পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তনের দাবী জানানো এক জিনিস। কিন্তু অন্যের অধিকার কেড়ে নেয়া বা সমাজে ঘৃণা ছড়ানো বা ভুল তথ্য ছড়ানো একেবারেই ভিন্ন প্রসঙ্গ। পিএসপিও প্রয়োগ হবে কিনা এই নিয়ে কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এজন্য পাবলিক কনসাল্টেশান প্রয়োজন এবং সেই মতের উপরে ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, এক্ষেত্রে পুলিশ সামনে থেকে নেত্বৃত্ব দেবে। আরো পড়তে পারেন: চীনে যৌন দাসত্বে বাধ্য করা হচ্ছে যে নারীদের ভিক্টোরিয়ান যুগে ধর্মান্তরিত তিন ব্রিটিশ মুসলিম যে পাঁচ কারণে হুয়াওয়েকে নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বিগ্ন
A head teacher at a primary school giving lessons on LGBT equality has received threatening emails and phone calls.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ভারতে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় কোবরার দংশনে গবেষণার জরিপে বলা হয়েছে সাপের কামড়ে মৃতের প্রায় অর্ধেকের বয়স ৩০ থেকে ৬৯এর মধ্যে, এবংএক চতুর্থাংশ শিশু। ভারতে সর্পদংশনে বেশির ভাগ মানুষ মারা যায় কোবরা (ভারতীয় গোখরা) , রাসেলস ভাইপার এবং ক্রেইৎস (কালাচ) প্রজাতির সাপের কামড়ে। বাদবাকি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে অন্যান্য অন্তত ১২টি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় যেসব এলাকায় দ্রুত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। বর্ষাকালে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই সময় সাপ বাইরে বেরিয়ে আসে বেশি। আর সাপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কামড় দেয় পায়ে। ই-লাইফ নামেএকটি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি চালিয়েছিলেন যৌথভাবে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। ভারতে অসময়ে মৃত্যুর ওপর চালানো মিলিয়ন ডেথ টাডি নামে বিশালএক জরিপ থেকেও তথ্য নেয়া হয়েছে এই গবেষণার কাজে। রাসেলস ভাইপার ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় খুবই বিষধর প্রজাতির সাপ। এই অঞ্চলে এই সাপ দেখা যায় খুবই বেশি। এরা সাধারণত ইঁদুর জাতীয় প্রাণী খায়। কাজেই শহরাঞ্চলে এবং গ্রামেও মানুষের বাসার আশেপাশেই তাদের ঘোরাফেরা বেশি। ভারতীয় ক্রেইৎ প্রজাতির সাপ আছে নানাধরনের। ক্রেইৎ ভারতীয় উপমহাদেশে খুবই বিষধর প্রজাতির সাপ ভারতীয় ক্রেইৎ সাপ সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায় না। কিন্তু রাতের বেলা তারা হিংস্র হয়ে ওঠে। এই সাপ দৈর্ঘে প্রায় পাঁচ ফুট ৯ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। ভারতীয় কোবরা বা গোখরা সাপ সাধারণত কামড়ায় অন্ধকারের পর। গোখরার কামড়ে শরীরের ভেতর রক্তক্ষরণ হয়। ফলে এই সাপ কামড়ালে সাথে সাথে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: সাপের কামড়: কত ভয়ানক হুমকি? স্বেচ্ছায় ২০০ বিষধর সাপের কামড় খেয়েছেন যিনি অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া গেল তিন-চোখওয়ালা সাপ এই জরিপে আরও দেখা গেছে ২০০১ সালে থেকে ২০১৪ পর্যন্ত, সাপের কামড়ে মারা যাবার ৭০% ঘটনা ঘটেছে ভারতের আটটি রাজ্যে- বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা,উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাটে। বলা হয় ভারতে মানুষের ৭০ বছর বয়স পুরো হবার আগে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রতি ২৫০ জনে প্রায় একজনের। কিন্তু নতুন এই জরিপে বলা হচ্ছে কোন কোন এলাকায় এই ঝুঁকি এখন বেড়ে প্রতি ১০০জনে একজন হয়েছে। গবেষকরা বলছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন গ্রামে কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষ। তারা বর্ষা মরশুমে সর্প দংশনের বড় ঝুঁকিতে থাকেন। বিশ্বে সাপ কামড়ানোর খতিয়ান ৫৪ লাখ মানুষ আনুমানিক হিসাবে প্রতিবছর সাপের কামড়ের শিকার হয় ১ লাখ মানুষ প্রতি বছর সাপের কামড়ে মারা যায় ৪ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে পঙ্গু বা অঙ্গবিকৃতির শিকার হয় কী করা সম্ভব? তারা বলছেন এসব এলাকায় "সচেতনতা বাড়ানো, শিক্ষা এবং কিছু সহজ পদ্ধতি শেখানোর" কর্মসূচি নেয়া উচিত। তাদের "সাপ থেকে নিরাপদ" থেকে কৃষিকাজ করার সহজ কিছু পদ্ধতি শেখানো সম্ভব, যেখানে তারা রবারের তৈরি বুট পরে মাঠে যেতে পারেন, হাতে গ্লাভস পরতে পারেন কৃষিকাজের সময় এবং ঝুঁকি কমাতে হাতে টর্চ রাখতে পারেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে সাপের কামড়ের বিষয়টিকে এখন তারা "বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার" দিচ্ছে। সংস্থাটি বলছে সাপের দংশন থেকে যেসব জটিলতা তৈরি হয়, তা বিচার করলে দেখা যায় সাপে কামড়ানোর বিষয়টি ট্রপিকাল এলাকার রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উপেক্ষিত একটি স্বাস্থ্য ঝুঁকি। প্রতি বছর পৃথিবীতে ৮১ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। প্রায় তিনগুণ মানুষ প্রাণে বেঁচে যান কিন্তু সাপের কামড় থেকে স্থায়ীভাবে তারা নানা কারণে পঙ্গু হয়ে যান। সাপের পেট থেকে গিলে খাওয়া তোয়ালে যেভাবে বের করলেন ডাক্তাররা
An estimated 1.2 million people have died from snake bites in India in the past 20 years, a new study has found.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ঝো লো, নাজিব রাজাক ও রোসমা মনসুর মি. রাজাকের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত আনা দুর্নীতির সাতটি অভিযোগেই তিনি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। এই দুর্নীতি বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিগুলোর অন্যতম, যার জাল জড়িয়ে পড়েছিল এশিয়া থেকে হলিউড পর্যন্ত । ওয়ান মালয়েশিয়ান ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ বা ওয়ানএমডিবি একটি রাষ্ট্রীয় তহবিল, যা গঠন করা হয় ২০০৯ সালে যখন নাজিব রাজাক দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে এই প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। মালয়েশিয়ার জনগণকে সাহায্য করার জন্য গঠিত এই তহবিল থেকে কয়েকশ কোটি ডলার অর্থ হাওয়া হয়ে যায়, বিশ্ব অর্থনীতির কালো গহ্বরে কোথায় হারিয়ে যায় সেই বিপুল পরিমাণ অর্থ। আমেরিকান এবং মালয়েশীয় কৌঁসুলিরা বলেছেন, এই অর্থ কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তির পকেটে গেছে। এছাড়াও তা দিয়ে কেনা হয়েছে বিলাসবহুল ভবন, ব্যক্তিগত জেটবিমান, ভ্যান গগ এবং মনে-র মত বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্ম এবং নির্মাণ করা হয়েছে হলিউডের ব্লকবাস্টার হিট ছবি। কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, তহবিল থেকে সরানো হয়েছে সাড়ে চারশো কোটি ডলার, যা গেছে বিভিন্ন ব্যক্তির পকেটে। এই ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অন্তত ছয়টি দেশ। বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেনের সন্ধানে তদন্ত চালানো হয়েছে সুইস ব্যাংক থেকে শুরু করে যেসব বিভিন্ন দ্বীপ রাষ্ট্র কর মওকুফের স্বর্গরাজ্য সেসব দ্বীপের ব্যাংকগুলোতে এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মূল কেন্দ্রে। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকা চরিত্র এবং গল্পের প্লট ধারাবাহিক রোমহর্ষক কাহিনির মত মুখরোচক। আন্তর্জাতিক পরিসরে যেসব ক্ষমতাশালী এই অর্থে লাভবান হয়েছেন বলে অভিযোগ, তাদের কাছে কীভাবে এই অর্থ পৌঁছল তার ওপর ধৈর্য্য ধরে নজর রেখেছিলেন যেসব সাংবাদিক - তাদের রিপোর্টে উঠে এসেছে এই রোমাঞ্চকর গল্প। নাজিব রাজাক গল্পের মূল নায়ক মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ২০০৯ সালে "দৃঢ় এবং সাহসী" পদক্ষেপ নিয়ে তিনি একটি রাষ্ট্রীয় তহবিল গঠন করেছিলেন। একসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা এই ব্যক্তির ওই সাহসী পদক্ষেপই নয় বছর পর তাকে কালিমালিপ্ত করে এবং তার রাজনৈতিক পতনের কারণ হয়। নাজিব রাজাককে বুঝতে হলে তার শিকড়ের দিকে আগে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। তিনি মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী আবদুল রাজাকের বড় ছেলে এবং দেশটির তৃতীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাইপো। রাজনৈতিক পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। ২০০৯ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হন, এবং মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে ৫০ বছরের ওপর আধিপত্য করা দলের প্রধানের দায়িত্ব নন, তখন কেউই বিস্মিত হয়নি। বরং সবাই জানত রাজনৈতিক বংশ পরম্পরায় এটাই ছিল তার ভবিতব্য। একটা সময়ে মি. নাজিব এবং বারাক ওবামা একসাথে গল্প খেলতেন মি. নাজিব তার মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষা শেষ করেন যুক্তরাজ্যের নামকরা বেসরকারি স্কুল মালর্ভান কলেজে। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পখাতের অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন। ইসলামের "মধ্যপন্থা"কে গুরুত্ব দিয়ে তার কথাবার্তার কারণে তিনি ডেভিড ক্যামেরন এবং বারাক ওবামার মত পশ্চিমা নেতাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। জুলাইয়ের ২৮ তারিখে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রথম সাতটি দুর্নীতির মামলায় ক্ষমতা অপব্যবহারের দায়ে তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এবং অর্থ সাদা করা ও বিশ্বাস ভঙ্গের দায়ে ছয়টি মামলার প্রত্যেকটির জন্য ১০ বছর করে তাকে জেল দেয়া হয়। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ডেভিড ক্যামেরন ও নাজিব রাজাক সবগুলো কারাদণ্ডাদেশ একসাথে প্রযোজ্য হবে, তবে আপিল না করা পর্যন্ত এসব সাজা খাটা স্থগিত রাখা হচ্ছে। "সব সাক্ষ্যপ্রমাণ বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছে," কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে বলেছেন বিচারক মোহামেদ নাজলান মোহামেদ ঘাজালি। মি. নাজিব রায়ের পর সাংকাদিকদের বলেছেন, "আমি অবশ্যই রায়ে সন্তুষ্ট নই।" "এটাই চূড়ান্ত রায় নয়, আপিল প্রক্রিয়ার পথ রয়েছে এবং আমাদের আশা আপিলে আমরা সফল হব," তিনি বলেন। রোসমা মনসুর নাজিব রাজাকের স্ত্রী রোসমা মনসুরের খরচের অভ্যাসকে তুলনা করা হয় ফিলিপিন্সের ইমেলডা মার্কোস আর ফ্রান্সের রানি মারি আন্তোনেতের সাথে। তার স্বামী ক্ষমতা হারানোর পর ৬৭ বছর বয়স্ক রোসমা মনসুরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও কর ফাঁকি দেবার জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়। তিনি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। মালয়েশিয়ায় তার বিলাসবহুল জীবন নিয়ে ঠাট্টামস্করা করা হয়। সাধারণ মানুষকে যে দুমুঠো খাবারের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় সে বিষয়ে তার কোন ধারণাই নেই বলে কড়া সমালোচনা আছে। ২০১৮ সালে তার ও তার স্বামীর নামে কিছু ভবনে পুলিশের অভিযান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরাট আলোড়ন ফেলে। তখন এরকম ছবি দেখা যায় যে সুপারমার্কেটে বাজার করার ট্রলি ভর্তি হয়ে আছে ৫০০টি দামী হাতব্যাগ, শত শত ঘড়ি আর ২৭কোটি ৩০ লক্ষ ডলার মূল্যের ১২ হাজার বিভিন্ন রকম গহনায়। এসব ছবি দেখে মালয়েশিয়ার মানুষের মনে আর সন্দেহ থাকে না যে নাজিব রাজাক পরিবার চরম বিলাসী জীবন যাপন করছে। "তিনি অভদ্র নন, কিন্তু বন্ধুসুলভ বা মিশুকেও নন। মানুষ হিসাবে তিনি দাম্ভিক, উদ্ধত," বলেছেন মালয়েশিয়ায় রয়টার্স বার্তা সংস্থার সাংবাদিক রোজানা লতিফ। "যেসব দিন রোসমাকে জেরার জন্য ডাকা হতো, সেসব দিন তিনি কী পরে আসছেন, কোন হাতব্যাগ নিয়ে আসছেন," এসব জল্পনা থাকত তুঙ্গে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুলিশ রোসমা মনসুর আর নাজিব রাজাককে ২০১৮র নভেম্বর থেকে পুলিশের জব্দ করা শতশত হ্যান্ডব্যাগ, ঘড়ি, ঘড়ির অনুষঙ্গ এবং চশমা সশরীরে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়। এইসব জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, কারণ ওয়ানএমডিবি দুর্নীতির সাথে জড়িত অবৈধ অর্থ দিয়ে বা অসৎ উপায়ে এসব জিনিসের মালিক তারা হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তাদের আইনজীবী অনুরোধ জানানোর পর মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট এসব জিনিস তাদের দেখার অনুমতি দেয়। কিন্তু তারা এখন যুক্তি দেখাচ্ছেন, যে মোড়কের বা বাক্সের ভেতরে জিনিসগুলো ছিল সেগুলো খুলে ফেলার কারণে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এবং এর ফলে এগুলো কীভাবে তারা পেয়েছিলেন সেটা প্রমাণ করা তাদের জন্য কঠিন এবং সেটা বিশ্বাসযোগ্য করাও এখন শক্ত হবে। তারা এমন কথাও বলছেন এসব জিনিস মূল প্যাকেট বা বাক্স থেকে বের করে ফেলায় সেগুলো এখন নষ্টও হয়ে যেতে পারে। ঝো লো কর্মব্যস্ত দ্বীপ পেনাং-এর বাসিন্দা চীনা বংশোদ্ভুত মালয়েশীয় অর্থব্যবসায়ী লো তায়েক ঝো সকলের কাছে বেশি পরিচিত ঝো লো নামে। মালয়েশিয়ান এবং আমেরিকান তদন্তকারীরা বলেছেন এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির মূল হোতা তিনিই। এই রাষ্ট্রীয় তহবিল সংশ্লিষ্ট কোন পদে তিনি কখনই ছিলেন না। কিন্তু এর কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। এই দুর্নীতি নিয়ে ২০১৮ সালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বই 'বিলিয়ন ডলার হোয়েল'-এর লেখক সাংবাদিক ব্র্যাডলি হোপ আর টম রাইট বলেছেন ঝো লো ছিলেন ঝানু ব্যবসায়ী আর তার পরিচিত বিশিষ্ট মানুষের গণ্ডীটা ছিল বিশাল। এ বইয়ে তারা লিখেছেন সে কারণেই কীভাবে তিনি এই দুর্নীতির জাল এতটা ছড়াতে সফল হয়েছিলেন। "ঝো লো এই ওয়ানএমডিবি ঘটনার সবচেয়ে বড় ওস্তাদ, সব নাটের রহস্যময় গুরু," বিবিসিকে বলেছেন মি. হোপ। "গোড়া থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে এই তহবিলের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের মাঝে যোগাযোগের সূত্র হলেন ঝো লো এবং এই গোটা কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রকল্পের সমস্ত খুঁটিনাটি একমাত্র যে একজন ব্যক্তির নখদর্পণে ছিল তিনি হলেন ঝো লো।" আমেরিকান কৌঁসুলিরা বলছেন মি. লো রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সাথে তার যোগাযোগ ব্যবহার করে কোটি কোটি ডলার ঘুষের বিনিময়ে এই ওয়ানএমডিবি প্রকল্পের জন্য ব্যবসা নিয়ে আসতেন। তারা বলছেন আমেরিকার অর্থ ব্যবস্থার মাধ্যমে কয়েকশ কোটি ডলার ধোলাই করা হয়েছে এবং সেই অর্থ ব্যবহার করে কেনা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামী কিছু বিলাসবহুল ভবন, বিখ্যাত বহুমূল্য চিত্রকর্ম এবং তৈরি করা হয়েছে হলিউডের বিশাল বাজেটের ছবি। ঝো লোর বিলাসবহুল ২৫ কোটি ডলার মূল্যের বিশাল প্রমোদতরী ব্যবসার সাথে জাঁকজমকপূর্ণ বিনোদনকে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়ানোর জন্য সুপরিচিত ছিলেন ঝো লো। বিশাল অর্থব্যয়ে চোখ ধাঁধানো পার্টির আয়োজন, আরব রাজপরিবারের উঁচু মহলের সাথে ঘনিষ্ঠতা আর প্রথম সারির তারকাদের সাথে দহরম-মহরম তাকে দ্রুত সাফল্যের শিখরে উঠতে সাহায্য করেছিল। ২০১২ সালে আমেরিকার লাস ভেগাসে আয়োজিত ঝো লোর এক জন্মদিনের পার্টিতে এমন একটা কেক তৈরি করা হয়েছিল যে কেক-এর মধ্যে থেকে হঠাৎ আর্বিভূত হয়ে অতিথিদের চমকে দিয়েছিলেন আমেরিকান তারকা ব্রিটনি স্পিয়ারস্। এই দুই সাংবাদিক তাদের বইয়ে এমন আভাসও দিয়েছেন যে, একটা সময়ে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ নগদ অর্থ ছিল এই ব্যক্তির হাতে। কিন্তু নাজিব রাজাকের সরকার পতন মি. লো-র জন্য চরম দুসংবাদ ছিল। তিনি ক্ষমতা হারানোর পর মি. লো-র বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আনা হয় এবং পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ তাকে খুঁজছে। বর্তমানে তিনি পলাতক- তিনি কোথায় আছেন কেউ জানে না, কিন্তু তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিবৃতির মাধ্যমে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন। তার আইনজীবীরা বলছেন মালয়েশিয়াতে মি. লো ন্যায় বিচার পাবেন না। "ঝো লো খুবই উদ্যমী ছিলেন। একদিকে তিনি যেমন কোন কাজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করতেন, অন্যদিকে তেমনি আবার খুবই গা-ছাড়া ভাব ছিল তার। অন্যের অর্থ দিয়ে দ্রুত নিজের একটা সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাই তার তড়িঘড়ি পরিকল্পনা আর সাফল্যের জন্য ব্যস্ততা শেষ পর্যন্ত টেকসই হয়নি," বলেন সাংবাদিক ও লেখক মি. হোপ। টিমোথি লেইসনার দক্ষ জার্মান ব্যাঙ্কার- বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্সের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। যখন এই সংস্থা এশিয়ায় তাদের ব্যবসা প্রসারিত করে, সেসময় এশিয়ায় সংস্থাটির শীর্ষ প্রতিনিধি ছিলেন মি. লেইসনার। ২০০৮-এর অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর, টিমোথি লেইসনার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়- বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় যেসব আর্থিক চুক্তি করেছিলেন, তার থেকে ব্যাঙ্কটি বিশাল পরিমাণ রাজস্ব লাভ করেছিল এবং ফলশ্রুতিতে মি. লেইসনারের পদোন্নতি হয়েছিল। তিনি গোটা এলাকায় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যবসা এসেছিল যখন তার সাথে পরিচয় হয় ঝো লো-র। যিনি ওয়ানএমডিবি প্রকল্পের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী খেলোয়াড় ছিলেন বলে অভিযোগ। বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স প্রথমদিকে মি. লো-র অর্থের উৎস সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে তাকে ক্লায়েন্ট হিসাবে নাকচ করে দিয়েছিল। কিন্তু আমেরিকান অভিযোগ অনুযায়ী, ক্ষমতাশালী রাজনীতিকদের সাথে মি. লো-র যোগাযোগ ব্যবহার করে মি. লেইসনার এবং গোল্ডম্যান স্যাক্সের আরেকজন ব্যাঙ্কার রজার ই্যং সংস্থাটির জন্য বড় ব্যবসা জোগাড় করেন। ব্যাঙ্কটি ২০১২ এবং ২০১৩য় ওয়ানএমডিবি তহবিলের জন্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের তিনটি বন্ড বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয় যার জন্য তারা ফি বাবদ আয় করেছিল ৬০ কোটি ডলার। অর্থ ধোলাইয়ের ষড়যন্ত্রে অংশ নেবার এবং বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে দুর্নীতি বিরোধী আইন ভাঙার দায়ে আনা আমেরিকান অভিযোগে মি. লেইসনার দোষ স্বীকার করেন। মালয়েশিয়াতেও মি. লেইসনার, মি. ই্যং এবং গোল্ডম্যানের ১৭জন সাবেক ও বর্তমান ব্যাঙ্কারকে অভিযুক্ত করা হয়। ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়। জুলাই ২০২০য়ে গোল্ডম্যান স্যাক্স এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে তাদের ভূমিকার জন্য মালয়েশীয় সরকারের সাথে ৩৯০ কোটি ডলারের একটি আপোষরফা করে। দেশটির রাষ্ট্রীয় তহবিলের জন্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহের সময় বিনিয়োগকারীদের ভুল তথ্য দেয়ার যে অভিযোগ মালয়েশীয় সরকার এনেছিল সেই মামলায় এই অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে গোল্ডম্যান। তারকারা মিরান্ডা কার, প্যারিস হিলটন ও লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও লোকে বলে অর্থ কথা বলে, কিন্তু তারকারা কি অর্থের বিনিময়ে আরো জোর গলায় কথা বলেন? মালয়েশিয়ার ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির সাথে জড়িয়ে নেই শুধু ক্ষমতাশালী রাজনীতিক আর অর্থ ব্যবসায়ীরা। পলাতক ব্যবসায়ী ঝো লো প্রায়ই হলিউডের প্রথম সারির তারকাদের সাথে পার্টি করে বেড়াতেন। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্য এখনও পর্যন্ত অনিয়মের কোনরকম অভিযোগই আনা হয়নি। কিন্তু মি. লো-র সাথে তাদের সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে। লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওর সেই ছবিটি অভিনেতা লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও-র সাথে ঝো লো (ডানে) - ২০১৩-র ৯ই ডিসেম্বর প্যারিসে 'দ্য উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট' চলচ্চিত্রের বিশ্ব প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে অস্কার খ্যাত তারকা ডিক্যাপ্রিও ২০১৩ সালের ছবি 'দ্য উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট'এ অভিনয় করেছিলেন, যেটির সহ-প্রযোজক ছিলেন এবং অর্থ দিয়েছিলেন রোসমা মনসুরের ছেলে ও নাজিব রাজাকের সৎ-ছেলে রিজা আজিজ। লোভ ও দুর্নীতি নিয়ে তৈরি এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ডিক্যাপ্রিও গৌরবময় গোল্ডেন গ্লোব সবসেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। তিনি পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে মি. আজিজ এবং মি. লো-কে ধন্যবাদ জানান। আমেরিকান কৌঁসুলিরা বলেছেন এই দুর্নীতির অর্থ দিয়ে ছবিটি বানানো হয়েছিল। প্রযোজক কোম্পানি রেড গ্র্যানাইট আমেরিকান সরকারকে দেওয়ানি মামলায় ছয় কোটি ডলার দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে। তারা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে ২০১৯ সালে মি. আজিজকে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং অর্থ সাদা করার পাঁচটি অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে তছরুপ করা প্রায় ২৫ কোটি ডলার তাকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তিনি অবশ্য সবগুলো অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। ডিক্যাপ্রিও, ইতোমধ্যে আমেরিকান কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম, যেটি মি. লো তাকে উপহার দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেটি ফিরিয়ে দিয়েছেন। সঙ্গীতশিল্পী বন্ধু কাসিম ডিন এবং আলিসিয়া কিইস সঙ্গীতশিল্পী বন্ধু কাসিম ডিন এবং আলিসিয়া কিইস-এর সঙ্গে ঝো লো উচ্চাকাঙ্ক্ষী রেকর্ড প্রযোজক এবং তার সুপারতারকা স্ত্রী একসময় ঝো লোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তার বহুল আলোচিত সব জমকালো পার্টিতে মি. লো-র সাথে তাদের ফটো প্রায়ই দেখা যেত। লাস ভেগাসে মি. লো-র ৩১ বছরের যে জন্মদিনের পার্টিতে কেক ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স, সেই পার্টিতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মি. ডিন। বলা হয় শিল্পকলা মহলের বিত্তশালীদের সাথে মি. লো-র পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী। এই পরিচয়ের সূত্রেই মি. লো ভ্যান গগের একটি এবং মনে-র দুটি চিত্রকর্ম কিনেছিলেন ওয়ানএমডিবি তহবিলের অর্থ ব্যবহার করে। প্যারিস হিটলনের সাথে পার্টি বিত্তশালী আরেক নারী, এই হোটেল মালিকও ছিলেন মি. লো-র ঘনিষ্ঠ মহলের আরেকজন। তাদের আলাপ ২০০৯য়ে। পাপারাৎসি ফটোগ্রাফারদের তোলা ছবিতে দুজনকে অনেকবার একসাথে দেখা গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা পার্টিতে। জুয়ার টেবিল থেকে শুরু করে বিখ্যাত সব স্কি রিসোর্টের বরফ ঢাকা ঢালে। দুজনের একসাথে বেশ কিছু সেলফি ছবিও দেখা গেছে। মিরান্ডা কার এবং এলভা সিয়াও-র সাথে ঘনিষ্ঠতা এদের একজন অস্ট্রেলিয়ান সুপারমডেল এবং অন্যজন তাইওয়ানের গায়িকা ও নায়িকা। দুজনেই একসময় ছিলেন ঝো লো-র বান্ধবী। মিরান্ডা বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে উচ্চ আয়ের মডেল। তার সাথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রমোদতরীতে ১০দিন ধরে ঘুরে বেড়ানো এবং পরপর বেশ কিছুদিন ঘনিষ্ঠ মেলামেশার পর মি. লো তাকে যেসব উপহার দেন তা চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবার মত। যেমন দশ লাখ ডলার মূল্যের একটা বিশাল পিয়ানো বাদ্যযন্ত্র, যেটি কাঁচের মত স্বচ্ছ অ্যাক্রিলিক দিয়ে তৈরি অর্থাৎ যেটার মধ্যে দিয়ে দেখা যায়। এছাড়াও ১১ ক্যারেট হীরার নেকলেস ও দুল। মিস কার অবশ্য পরে আমেরিকান কৌঁসুলিদের কাছে কয়েক কোটি ডলার মূল্যের গহনা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বিলিয়ন ডলার হোয়েল বইতে বলা হয়েছে, মি. লো তাইওয়ানী গায়িকা এলভাকে দুবাইয়ে ১০ লাখ ডলার খরচ করে ছুটি কাটাতে নিয়ে যান, সেখানে ব্যক্তিগত সমুদ্র সৈকতে বসে তারা নৈশ ভোজ করতেন। সাংবাদিকরা সাংবাদিক ব্র্যাডলি হোপ, ক্লেয়ার রিউকাসেল- ব্রাউন এবং টম রাইট এই বিশাল দুর্নীতির কথা ও এর ব্যাপকতা কখনই মানুষ জানতে পারত না, যদি না বেশ কিছু সাংবাদিক বছরের পর বছর এই কেলেঙ্কারির অনুসন্ধানে লেগে না থাকতেন। তারা একটার পর একটা খবরের বোমা ফাটিয়েছেন এবং তাদের ধৈর্য ও চাপ এই তহবিলের কাজকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে বাধ্য করেছে। ক্লেয়ার রিউকাসেল-ব্রাউন, দ্য সারাওয়াক রিপোর্ট প্রায় এক যুগ আগে মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভুত এই ব্রিটিশ সাংবাদিক মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী রাজনীতিকদের নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। বাচ্চাদের রাতে ঘুম পাড়িয়ে তিনি লন্ডনে তার রান্নাঘরে তথ্য অনুসন্ধানের কাজে বসতেন। তার সারাওয়াক রিপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রথমদিকে তিনি নজর দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার একটি রাজ্যে কিছু অস্বচ্ছ কাজকর্মের ঘটনা ওপর। এরপর ওয়ানএমডিবি-র প্রথমদিকে যখন সারাওয়াকে একটি চুক্তি সম্পাদন করা হয়, তখন তিনি ওই চুক্তির দিকে নজর দেন, কারণ তার মনে হয়েছিল এতে "খুবই সন্দেহজনক একটা সংস্থা" জড়িত আছে। এরপর, ২০১৩-র শেষ দিকে একজন তাকে গোপনে জানায় নাজিব রাজাকের সৎ-ছেলে হলিউডের 'দ্য উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট' ছায়াছবিটি প্রযোজনা করেছেন। "তখনই আমি খোঁজখবর করতে শুরু করি," তিনি বলেন। "আমার শুধু মনে হয়েছিল এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা স্টোরি।" এরপর আর্থিক লেনদেনের খোঁজ নিতে নিতে যেসব তথ্য তিনি পেলেন এবং খবর করলেন, মালয়েশিয়ার পাঠক সেসব গোগ্রাসে পড়েছিল। মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ মিডিয়া এই খবর হয় করতে সক্ষম ছিল না নয় করতে চায়নি। রিউকাসেল-ব্রাউন ২০১৫র গোড়ার দিকে সুইজারল্যান্ডের একজন হুইসল ব্লোয়ার জাভিয়ের জাস্টোর কাছ থেকে ২ লাখেরও বেশি পৃষ্ঠার কিছু দলিল পান এবং তার ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ তোলেন ওয়ানএমডিবি-র এক চুক্তি মোতাবেক ঝো লো নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৭০ কোটি ডলার জমা পড়েছে। এর কয়েক মাস পর "চাঞ্চল্যকর তথ্য!" শিরোনামে তিনি বিস্তারিত তথ্য ফাঁস করে খবর করেন ২০১৩ সালে ওই ৭০ কোটি ডলার জমা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ তার ওয়েবাসইট ব্লক করে দেয় এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য শমন জারি করে। "সারা পৃথিবী থেকে লোকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাকে তথ্য দিচ্ছিল। অবশ্যই সেগুলো সঠিক কিনা সেটা সাংবাদিক হিসাবে যাচাই করে দেখা আমার দায়িত্ব ছিল," তিনি বলেন। "এই অভিযোগ নিয়ে ঘটনা যখন তুঙ্গে, তখন লন্ডনে আমাকে ধরার জন্য গুণ্ডা লাগানো হয়, তারা আমাকে অনুসরণ করত, আমার ছবি তুলত... আমাকে পুলিশে খবর দিতে হয়েছিল।" টম রাইট ও ব্র্যাডলি হোপ, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই দুই সাংবাদিক তাদের বই বিলিয়ন ডলার হোয়েল-এ ঝো লো-র কার্যকলাপের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিস্তারিত তুলে ধরেন। বইটি মালয়েশিয়ায় রেকর্ড বিক্রি হয়। তারা দুজনে কয়েক বছর ধরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জন্য ওয়ানএমডিবির আর্থিক লেনদেনের খবর নিয়ে অনসুন্ধানমূলক সাংবাদিকতা করছিলেন। "কিন্তু সাধারণত ২০০০ শব্দের বেশি খবর লিখলে কেউ তা পড়ে না। এই শব্দসীমা বজায় রাখতে গিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর খুঁটিনাটি আমাদের বাদ দিতে হচ্ছিল," মি. হোপ বলেন। "আমরা জানতাম এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ফলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু বিশেষ করে ঝো লো-র সম্পর্কে এত সাড়া জাগানো তথ্য ছিল তা আর্থিক কেলেঙ্কারির থেকেও বেশি রসালো।" মি. হোপ বলেন এই কেলেঙ্কারি মালয়েশিয়ার জন্য যে কী বিশাল এই বই তারই দলিল। "দেশটিতে এই আর্থিক অনিয়ম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। কিন্তু বইয়ে আমরা যেভাবে তথ্য উপাত্ত দিয়ে এই দুর্নীতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছি, তাতে স্পষ্ট বলা যায় ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে বড় একটা আর্থিক দুর্নীতি।" এই বই প্রকাশের পর ঝো লো-কে ধরার জন্য বিশ্ব জুড়ে একটা চাপ তৈরি হয়। দ্য এজ, মালয়েশিয়া ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি ২০১৫ সালে যখন খবরের শিরোনামে তখন মালয়েশিয়ার ভেতরে আপনি যদি শুধুই মালয়েশীয় পত্রিকা পড়তেন বা শুধু দেশের টিভি চ্যানেলে খবর শুনতেন তাহলে আপনার মনে হতো কিছুই হয়নি, সব ঠিকঠাক আছে। মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ সাংবাদিক ও সম্পাদকরা দ্রুত বুঝে গিয়েছিলেন যে দেশের রাষ্ট্রীয় ফান্ড নিয়ে এই কেলেঙ্কারির খবর নিয়ে বেশি ঘাঁটালে বিপদ আছে এবং এ খবর প্রচার করলে তাদের কাজ করার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবার ঝুঁকি আছে। কিন্তু গুটিকয় যেসব সংবাদমাধ্যম এই খবর দেয়া থেকে বিরত হয়নি তাদের মূল্য দিতে হয়েছে। এদের একটি দ্য এজ মিডিয়া গ্রুপ। তাদের সংবাদপত্রগুলো ওয়ানএমডিবির কার্যকলাপ নিয়ে তদন্তের খবর ছেপেছে এবং "জন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে সংবাদ প্রচারের" কারণ দেখিয়ে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। সেসময় সংবাদপত্রের প্রকাশক হো কে টাট বলেছিলেন, "আমাদের মুখ বন্ধ করতেই শুধু আমাদের কাগজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।"
Malaysia's former prime minister, Najib Razak, has been charged with 21 counts of money laundering, in a case linked to a multi-million dollar corruption scandal.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
অবসর জীবনে অনেকেরই সময় কাটানোর প্রধান মাধ্যম হয় টিভি সাড়ে তিন হাজার পূর্ণ বয়স্ক মানুষ- যাদের বয়স ৫০ এর বেশি, তাদের ওপর চালানো হয় গবেষণাটি। ছয় বছর ধরে চালানো পরীক্ষায় দেখা গেছে যারা টেলিভিশন কম দেখে তাদের তুলনায় যারা বেশি সময় কাটায় টিভি দেখে, তাদের অন্তত দ্বিগুণ ভার্বাল মেমরি বা স্মৃতির যে অংশটি ভাষার সাথে জড়িত তা হ্রাস পেয়েছে । এমনিতেই বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের স্মৃতিশক্তি বা মেমোরি দুর্বল হতে থাকে। কিন্তু এই ব্যাপারটি আরো দ্রুত ঘটে যখন বেশি মাত্রায় টেলিভিশন দেখা হয়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে। তবে গবেষকরা নিশ্চিত হতে পারেননি যে, টেলিভিশনই অধিক হারে স্মৃতি লোপ পাবার প্রধান কারণ। তারা বলছেন যে, অনেক বেশি সময় টেলিভিশন দেখাটা মস্তিষ্কের জন্য আরো উত্তেজনাকর কাজ যেমন: পড়া বা শরীরচর্চা থেকে মানুষকে বিরত রাখে। বৈজ্ঞানিক রিপোর্টে দেখা যায়, যারা দৈনিক সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি সময় ধরে টেলিভিশন দেখেছেন, তাদের ক্ষেত্রে ৮% থেকে ১০% পর্যন্ত ভার্বাল মেমোরি হ্রাস পেয়েছে। আর যাদের টেলিভিশন দেখার সময়সীমা এর চাইতে কম, তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের স্মৃতি হ্রাসের হার ৪% থেকে ৫%। তবে সাবলীলভাবে ভাষা ব্যবহারে টেলিভিশন দেখার প্রভাবের কোনো প্রমাণ মেলেনি। ইউসিএল ইন্সটিটিউট অব এপিডেমিওলজি এন্ড হেলথ কেয়ার-এর ড. ডেইজি ফ্যানকোর্ট বলছেন যে, টেলিভিশন দেখার সময়ে শিক্ষা এবং বিনোদনের ব্যবস্থা থাকতে পারে। তার বক্তব্য, "সামগ্রিকভাবে পঞ্চাশোর্দ্ধ মানুষজনের টেলিভিশন দেখার পাশাপাশি অন্যান্য বিপরীতধর্মী কার্যকলাপের সামঞ্জস্য রাখা উচিৎ।" ইংল্যান্ডে এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা একটি তালিকা থেকে ১০টি বিশেষ শব্দ কত ভালোভাবে মনে করতে পারে তারই পরীক্ষা নেয়া হয়। একইসাথে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে প্রতিদিন তারা কতক্ষণ টেলিভিশন দেখেন। সেটা ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৪-১৫ সালের মধ্যে। গবেষণাটিতে স্মৃতি হ্রাসের অন্যান্য ব্যাখ্যাও গ্রহণ করা হয়। জানতে চাওয়া হয় তাদের জীবন যাপন পদ্ধতি, বিভিন্ন আচরণ সম্পর্কে -যেমন কতটা সময় তারা বসে কাটায় বা কতটা শরীর চর্চা করে ইত্যাদি। যদিও, গবেষণাটিতে অংশগ্রহণকারীরা টেলিভিশনে কীধরনের অনুষ্ঠান দেখেন তা জানতে চাওয়া হয়নি। তবে, কিছু কিছু অনুষ্ঠান বা টেলিভিশনে দেখানো বিষয় মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা হ্রাসে প্রভাব ফেলে, এমনটা বলা হয়েছে। "বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পছন্দ করেন ধারাবাহিক নাটক ধরনের অনুষ্ঠান, যা কিনা একধরনের চাপ সৃষ্টি করে। কেননা তারা ঐসব অনুষ্ঠানের চরিত্রের সাথে নিজেরা খুব বেশি একাত্ববোধ করে," বলছিলেন ইউসিএল এর প্রফেসর অ্যান্ড্রু স্টেপটো। এ ধরনের পরিস্থিতি মস্তিষ্কের স্মৃতিধারণ ক্ষমতার ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যার কারণে স্মৃতিলোপ পেতে পারে, এমনটাই মনে করেন মি. স্টেপটো। আতঙ্কিত হবার কিছু নেই লন্ডন কিংস কলেজের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির প্রফেসর ডেম টিল উইকস মনে করেন যে, গবেষণার সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দিতে সহায়ক হতে পারেন একজন নিষ্ক্রিয় টিভি পর্যবেক্ষক। তিনি বলেন, "আমরা জানি না এখনো এমন অনেক কিছুই আছে। যেমন আমরা জানি না যে কীধরনের অনুষ্ঠান দেখে স্মৃতি লোপ পেতে পারে, বা জানি না যে টিভি আমরা একা দেখছি কিনা বা টিভি গুগলবক্স-এর মতো প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত কিনা। আবার এও বলতে পারছি না যে আচরণের পরিবর্তন এনে স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে তোলা সম্ভব কিনা।" প্রফেসর উইকস তাই মনে করেন যে, এই গবেষণাটি আমাদের স্ক্রিন টাইম বা বেশি সময় ধরে টিভি দেখার প্রতি সতর্ক করে দেয়। তবে আতঙ্কিত হবার আগে এ নিয়ে আরো অনেক গবেষণার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেন তিনি। সেই সাথে টিভি দেখার সময়সীমাও আরো ভালো ভাবে পরিমাপ করার তাগিদ দেন। ইউনিভার্সিটি অব সারের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির প্রভাষক ড. বব প্যাটন বলছেন, বয়স্ক ব্যক্তিদের অবশ্যই বেশি সময় ধরে টেলিভিশন দেখার ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তার বক্তব্য, "সাধারণ ধারনা হলো টিভি আমাদের ব্রেনকে নষ্ট করছে না। তবে অবশ্যই পঞ্চাশের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকমাত্রায় টিভি দেখা কিছু না কিছু পরিবর্তন আনছে।"
Watching television for more than three-and-a-half hours a day could leave adults with a deteriorating memory, a study suggests.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
নতুন এই ভিডিও সার্ভিসের নাম দেয়া হয়েছে 'ওয়াচ'। বলা হচ্ছে ইউটিউব এবং টিভি নেটওয়ার্কের সঙ্গে পাল্লা দেবে ফেসবুকের নতুন এই সার্ভিসটি। এই ওয়াচ ট্যাবের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নতুন ধরনের টিভি শো দেখতে পারবেন, এগুলোর মধ্যে কিছু থাকবে -সোশ্যাল নেটওয়ার্কের অর্থায়নে তৈরি শো। ওয়াচ নামের এই ভিডিও ট্যাবটি 'পার্সোনালাইজ'ও করা যাবে যেন ব্যবহারকারীরা নতুন শো দেখতে পারেন, তাদের বন্ধুরা কী দেখছেন তার ওপর ভিত্তি করে নতুন নতুন শো-ও আবিষ্কার করতে পারবেন তারা। নিজের ফেসবুক পোস্টে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন "একটি শো দেখা মানে শুধুমাত্র দেখেই বসে থাকলাম তা নয়। এটি একটা অভিজ্ঞতা শেয়ারের সুযোগ এবং এক ধরনের মনোভাব বা চিন্তাভাবনা ধারণ করা মানুষকে একত্রিত করারও একটি ক্ষেত্র হতে পারে এটি"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মার্কিন ঘাঁটিতে ‘চলতি মাসেই হামলা’: উত্তর কোরিয়া ‘প্রতি মাসে এক-দুই হাজার করে জমিয়েছি হজের জন্য’ 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' প্রসূতি মৃত্যু বন্ধে বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিনব পদ্ধতি
Facebook has begun rolling out a new feature on its social network which allows users to stream live video.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
এমন প্রতিবাদ দেখতে হয়েছে সৌদি যুবরাজকে লস এঞ্জেলসের পুরো সফরেই নানা ধরনের প্রতিবাদ দেখতে হয়েছে তাকে। বিশেষ করে ইয়েমেন আর নারী স্বাধীনতার ইস্যুতে। তাঁর উদ্যোগেই প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর পর সৌদি আরবে উন্মুক্ত হচ্ছে পশ্চিমা সিনেমা। ব্ল্যাক প্যানথার মুভির মাধ্যমে শিগগিরই পশ্চিমা সিনেমার যাত্রা শুরু হচ্ছে সৌদি আরবের সিনেমা হলে। মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএস নামে পরিচিত, রাতের খাবার খেয়েছেন মিডিয়া মুগল রূপার্ট মারডকের বাড়িতে। সেখানে স্টুডিও প্রধানরা ছাড়াও ছিলেন দ্যা রক খ্যাত অভিনেতা ডুয়াইন ডগলাস জনসন। আরো পড়ুন: 'ব্ল্যাক প্যানথার' দিয়ে খুলছে সৌদি সিনেমা হল সৌদি আরবে কি পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সৌদি আরবের বিনোদন নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন হলিউডের অনেকেই ডিনারের পর ফেসবুক পোস্টে দ্যা রক লিখেন সৌদি আরবে তার অসংখ্য তরুণ ভক্ত আছে জেনে তিনি আনন্দিত। "আমি আমার প্রথম সৌদি আরব সফরের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি নিশ্চিত সেখানকার চমৎকার টেকিলা (এক ধরনের অ্যালকোহল) রয়্যাল হাইনেস ও পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করবো"। কিন্তু টেকিলা ও দ্যা রক সৌদি আরবে ? অ্যালকোহল সৌদি আরবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। সৌদি যুবরাজের সফরসঙ্গীরা এবার পুরো হোটেলটিই নিয়ে নিয়েছিলো যেখানে সঙ্গীত থেকে খাবার তালিকা সবকিছুতেই ছিলো সৌদি আমেজ। একটা সম্মেলনও হয়েছে যেখানে মূলত আলোচনা হয়েছে সৌদি আরবে বিনোদনের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেখানে হলিউডের সাথে সংশ্লিষ্ট বহু ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। নিউইয়র্কের একটি কফি শপে সৌদি যুবরাজ একদল অধিকার কর্মী অবশ্য ইয়েমেন ও নারী ইস্যুতে সৌদি অবস্থানের প্রতিবাদ করেছে সেখানে। তবে এটিও ঠিক হলিউড এবার প্রত্যক্ষ করেছে ৩২ বছর বয়সী যুবরাজের নির্দেশনায় পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত একটি সৌদি আরবকে। ফলস্বরূপ সৌদিরা এখন আশা করতেই পারেন যে হলিউডের সুপার ডুপার সিনেমাগুলো শিগগিরই তারা দেখতে পারবেন সেখানে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সিনেমা চেইন এএমসি সৌদি আরবে ৩০টির মতো সিনেমা হল খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। সৌদি আরবের বিনোদন কর্তৃপক্ষ তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেছে সেখানে তাদের মূল বিষয় ছিলো পরিবর্তন। তারা বলছেন ৭০ভাগ সৌদি নাগরিকের বয়স ত্রিশের কোঠায় এবং তারা বিনোদনের জন্য ক্ষুধার্ত। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: সৌদি যুবরাজ যে কারণে ইসরায়েলিদের মাতৃভূমির পক্ষে সুপারস্টার সালমান খানের বেলায় ভিন্ন বিচার? সিরিয়া থেকে কেন সৈন্য ফেরাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র? ইয়েমেনে শিশু হত্যা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে প্রতিবাদকারীদের পক্ষ থেকে
Saudi Arabia's Crown Prince Mohammed bin Salman was given a king's welcome in Hollywood this week.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
প্রতিবাদকারীরা ঢাল দিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করছে। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর এটাই সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। জাতিসংঘ বলছে,দেশজুড়ে বিক্ষোভের সময় আরো ৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। ইয়াঙ্গন, বাগো ও দাওয়েই-এর মত অন্তত তিনটি শহরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সেখানেও বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টানগান ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সেদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানানোর পর তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অং সান সু চি-কে হটিয়ে সেনাবাহিনী ১লা ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। দিনে দিনে এই প্রতিবাদের মাত্রা আরো তীব্র হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ ফেসবুকের পর মিয়ানমারে ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারও বন্ধ করা হলো আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই বিক্ষোভ দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো শনিবার থেকে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করে। তারা প্রচুর সংখ্যক প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করেছে। সোশাল মিডিয়াতে এসব বিক্ষোভের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে - যাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের লাঠিপেটা করছে। ঘটনাস্থলে থাকা বিবিসির একজন সাংবাদিক বলেছেন, তিনি মারাত্মকভাবে আহত বেশ কিছু লোকের ছবি দেখেছেন।
Police have fired on protesters in Myanmar killing at least 18, the UN human rights office says, on the deadliest day of anti-coup rallies.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ভারত সরকারের দাবি প্রতিবেশী দেশগুলোতে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী তারা নাগরিকত্বের পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তাদের প্রমাণ করতে হবে যে তারা মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা আফগান বংশোদ্ভূত। ভারত সরকারের যুক্তি যে এসব দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমছে, কারণ তারা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের কারণে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু এই আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এতে সব সংখ্যালঘুকে নাগরিকত্বের সুযোগের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংখ্যালঘুদের অবস্থা আসলে কেমন? - বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে বিবিসি নিউজের 'রিয়েলিটি চেক' টিম। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন থামেনি বলেই এই বিল' নাগরিকত্ব বিল নিয়ে জ্বলছে আসাম; নিহত ২ নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ভারতে তীব্র প্রতিবাদ, বন্‌ধ পাকিস্তানে দিওয়ালী উৎসব উদযাপন অমুসলিমদের সংখ্যা কত? ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, পাকিস্তানের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৯৫১ সাল থেকে নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। কারণ ১৯৪৭ এর পর থেকেই পাকিস্তান থেকে অমুসলিমদের ব্যাপক অভিবাসন হয়েছে ভারতে। মিস্টার শাহ বলেন, ১৯৫১ সালে পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছিলো জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ, যা তার মতে নির্যাতন নিপীড়নের কারণে আরও কমেছে। কিন্তু মিস্টার শাহের দেয়া সংখ্যা চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত কারণ এটি সঠিক নয়। যে পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছেম, তা ছিল তখনকার পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান মিলে। বরং আদম শুমারি বলছে পশ্চিম পাকিস্তানের হিন্দু জনগোষ্ঠী সংখ্যা খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি। তবে আদম শুমারি অনুযায়ী ১৯৫১ সালের তুলনায় বাংলাদেশের অমুসলিম জনসংখ্যা অনেকটাই কমেছে। পাকিস্তানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ে ১৯৫১ সালে ২২ বা ২৩ শতাংশের জায়গায় ২০১১ সালে সেটি এখন মোট জনসংখ্যার আট শতাংশের মতো। সুতরাং বাংলাদেশে অমুসলিম জনগোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও পাকিস্তানে এই হ্রাসের হার কম ও কিছুটা স্থিতিশীল। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে আরও অমুসলিম সংখ্যালঘু আছে - যেমন খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি। পাকিস্তানে আহমদিয়ারাও আছেন যাদেরকে ১৯৭০০-এর দশকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে এবং দেশটিতে তাদের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। ফলে আহমদিয়ারাই পাকিস্তানে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। আফগানিস্তানে হিন্দু, শিখ, বাহাই এবং খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘুদের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর শূন্য দশমিক তিন শতাংশ মাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের হিসেব মতে, ২০১৮ সালে মাত্র সাতশো' শিখ ও হিন্দু আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে সংঘাতের কারণে। বাংলাদেশে হোলি উৎসব অমুসলিমদের সরকারি মর্যাদা কেমন? ভারত সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধন বিলে বলা হয়েছে, "পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সংবিধানে একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্রধর্ম আছে। ফলে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনেকে ধর্ম বিশ্বাসের কারণে নিপীড়নের শিকার হন"। এটা সত্যি যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং আফগানিস্তানও একটি ইসলামিক রাষ্ট্র। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। দেশটি ১৯৭১ সালে আবির্ভূত হয়েছিলো ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধান নিয়ে। কিন্তু ১৯৮৮ সালে ইসলামকে করা হয় রাষ্ট্রধর্ম। একটি দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে ২০১৬ সারে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখার কথা বলেছে। যদিও তিনটি দেশের সংবিধানেই অমুসলিমদের সব অধিকার ও বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকই গুরুত্বপূর্ণ পদও পেয়েছেন, যার মধ্যে প্রধান বিচারপতির পদও রয়েছে। দিল্লির একটি ক্যাম্পে পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের একটি দল সংখ্যালঘুরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে? বাস্তবে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ব্লাসফেমি আইনের কথা উল্লেখ করে বলছে যে আইনটি সুনির্দিষ্ট নয় এবং পুলিশ ও বিচারবিভাগ প্রায়ই এটি প্রয়োগ করে, যার ফলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন। ভারতে গিয়েছেন এমন পাকিস্তানী হিন্দুদের কয়েকজন সাম্প্রতিক কালে বিবিসিকে বলছেন যে তারা সামাজিক ও ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হন, বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে হয়রানি করা হয়। কিন্তু এটাও সত্যি যে ভারতের নাগরিকত্ব বিলে আহমদিয়াদের রাখা হয়নি। যদিও এরা মুসলিমদের দ্বারা বৈষম্যের শিকার হন বলে অভিযোগ আছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ব্লাসফেমি আইনে বেশি মামলা হয়েছ মুসলিম ও আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে - হিন্দু বা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে নয়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী কমে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের বাড়িঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। কখনো আবার তাদের সম্পদ দখলের জন্য তাদের জোর করে বাড়িঘর ত্যাগ করতে বাধ্য করার চেষ্টা হয়েছে। হিন্দুরা অনেক সময় ধর্মীয় জঙ্গিদেরও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তবে বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ভারতের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, "সংখ্যালঘু নির্যাতনের দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে নেই"। জাতিসংঘের ডেটা বলছে, ভারতে শরণার্থীর সংখ্যা বেড়ে ২০১৬-১৯ সালে ১৭ শতাংশ হয়েছে। চলতি বছর অগাস্টে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থায় তালিকাবদ্ধ শরণার্থীদের বড় অংশ এসেছে তিব্বত ও শ্রীলংকা থেকে।
India's parliament has passed a bill which offers amnesty to non-Muslim illegal immigrants from three neighbouring countries.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
কু ক্লাক্স ক্লান: প্রকাশ্যেই সভা সমাবেশ করতে পারে এরা। রবার্ট বোওয়ার্স নামের যে লোক এই হামলা চালায়, তাকে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী আদর্শে বিশ্বাসী বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। হামলার আগে সে এই বলে চিৎকার করছিল যে সব ইহুদীকে মরতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ইহুদীদের ওপর এটি এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়ংকর হামলা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে নামকরা রাজনীতিক এবং আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামে 'পত্র বোমা' পাঠানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরেক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীকে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বর্ণবিদ্বেষী শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে বলে মনে করছে মানবাধিকার এবং নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো। এই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা কারা? তারা আসলে কী চায়? অল্ট রাইটের এক কর্মীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা। অল্টারনেটিভ রাইট (অল্ট রাইট) অল্টারনেটিভ রাইট বা অল্ট রাইট আন্দোলন শুরু হয় মূলত রাজনৈতিক শুদ্ধাচার বা পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের বিরুদ্ধে আন্দোলন হিসেবে। পলিটিক্যাল কারেক্টনেসকে এরা সহ্যই করতে পারে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এরা খুবই পছন্দ করে। সমালোচকদের ধারণা, এই গোষ্ঠীটির মূল আদর্শ আসলে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ, ইসলাম বিদ্বেষ, ইহুদী বিদ্বেষের মতো অভিযোগ উঠে, তখন তার পক্ষে এগিয়ে এসেছিল এই অল্ট রাইট আন্দোলন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরে এই আন্দোলনের নিন্দা করে বলেছিলেন, তিনি এদের সঙ্গে একমত নন। অন্যান্য খবর: পুলিশের মাঝে জাঙ্গিয়া পরা ব্যক্তিটি আসলে কে? বিপিএল ২০১৯- এর নিলাম: কে কোন দলে পরিবহন ধর্মঘটে রাস্তায় অটোরিকশাও চলতে পারছে না মূলত শ্বেতাঙ্গ পরিচয় এবং 'পশ্চিমা সভ্যতা'কে রক্ষার কথা বলে অল্ট রাইট। তবে এর বিরোধীরা মনে করেন, অল্ট রাইট আসলে একটি বর্ণবাদী, পুরুষতান্ত্রিক এবং ইহুদী বিদ্বেষী আন্দোলন। সাদা ইউনিফর্ম পরা কু ক্লাক্স ক্লানের সদস্যরা। কৃষ্ণাঙ্গদের পুড়িয়ে মারতো এরা। কু ক্লাক্স ক্লান যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কুখ্যাত শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী গোষ্ঠী। সংক্ষেপে কেকেকে নামে পরিচিত। ১৮৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সাবেক কনফেডারেট অফিসাররা এই গোষ্ঠী গঠন করে। পরের দশকগুলোতে অবশ্য এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যেই। কেকেকে এখন নানাভাবে বিভক্ত। কিন্তু তারা কৃষ্ণাঙ্গ, ইহুদী, অভিবাসী থেকে শুরু করে সমকামী- সবার বিরুদ্ধেই বৈষম্যে বিশ্বাসী। কু ক্লাক্স ক্লানের সদস্যরা সাদা কস্টিউম পরে এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তারা অশ্বেতাঙ্গদের হত্যা করে। নাৎসী স্যালুট দিচ্ছে একটি নাৎসাবাদী গোষ্ঠীর একজন সদস্য। নব্য নাৎসীবাদী গোষ্ঠী এই গোষ্ঠীর সদস্যরাও মূলত ইহুদী বিদ্বেষী। নাৎসী জার্মানী এবং এডলফ হিটলারের আদর্শকে তারা পছন্দ করে। ইউরোপের বহু দেশে যদিও এ ধরনের সংগঠন এবং আদর্শ নিষিদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে তা নয়। মার্কিন সংবিধানের ফার্স্ট অ্যামেন্টডমেন্ট সেখানে এরকম চরম মতাদর্শ প্রচারকেও সুরক্ষা দেয়। ইলিনয় রাজ্যের একটি ইহুদী অধ্যূষিত শহরের ভেতর দিয়ে একবার একটি নাৎসীবাদী গোষ্ঠী মিছিল করতে গেলে সেটি আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত তখন মিছিল করার অধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল মার্কিন সংবিধানের ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্টের কথা উল্লেখ করে।
A man suspected of killing 11 people in a synagogue in Pittsburgh has been charged with murder - in what is believed to be the worst anti-Semitic attack in recent US history.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে এটি এখন একটি "আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জনস্বাস্থ্য সংকট।" জেনিভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গিব্রাইয়াসুস এই জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তবে সীমান্ত বন্ধ করে দেবার ব্যাপারে এখনই কিছু বলা হয়নি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে তার সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কবার্তা হিসেবে ঘোষণাটি এসেছে। এমন সতর্কবার্তা এর আগে এ পর্যন্ত চারবার দিয়েছে সংস্থাটি। তার একটি ছিল পশ্চিম আফ্রিকাতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চলা ইবোলার প্রাদুর্ভাবে এগারো হাজার মানুষের মৃত্যুর পর। ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে এ পর্যন্ত ১৬০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান মি. গিব্রাইয়াসুস সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, "বিশ্ববাসীর নজর দেয়ার সময় এসেছে।" এই ঘোষণার ফলে সেটি হয়ত কিছুটা সম্ভব হবে বলে তিনি নিজেই মন্তব্য করেছেন। টেড্রোস আধানম গিব্রাইয়াসুস বলছেন, "বিশ্ববাসীর নজর দেয়ার সময় এসেছে।" কতটা ভয়াবহ এই প্রাদুর্ভাব? এবার ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে যে ইবোলা ভাইরাসের যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেটি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ। এর শুরু ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে। দেশটির দুটি প্রদেশে প্রথম এটি দেখা দেয়। এ পর্যন্ত আড়াই হাজার ব্যক্তি এতে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনভাগের দুইভাগই মারা গেছেন। প্রতিদিন ১২ জন করে নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। ইবোলার লক্ষণ কী? ইবোলা একটি ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হলে খুব হঠাৎ করে জ্বর দেখা দেয়। খুব দুর্বল লাগে। আরো পুড়ন: 'অন্য বছরের চেয়ে এবারে জটিলতাগুলো অনেক বেশি' ডিআর কঙ্গোর ভয়ংকর বিষধর সাপের মুখোমুখি মাংসপেশি খুব ব্যথা হতে থাকে। গলায়ও খুব ব্যথা হয়। এর পরবর্তী ধাপ হল বমি ও ডাইরিয়া দেখা দেয়। শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্তপাত হতে থাকে। সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তির কেটে যাওয়া ত্বক, তার মুখ, নাক, বমি, রক্ত, মল বা শরীরের অন্য ধরনের তরল কোন পদার্থের সংস্পর্শে এলে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মীদের অবিশ্বাস করছেন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অনেকেই। কেন এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না? আফ্রিকাতে নানা দেশে চলমান রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংঘাতের কারণে ইবোলার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু এ বছরের জানুয়ারি থেকেই ইবোলা চিকিৎসা কেন্দ্র বা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর ১৯৮টি হামলা হয়েছে যাতে সাতজন নিহত হয়েছে এবং ৫৮ জন আহত হয়েছে। আর একটি সমস্যা হল স্বাস্থ্যকর্মীদের অবিশ্বাস করছেন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অনেকেই। আর চিকিতসার সময় অসুস্থ ব্যক্তিদের আলাদা করে রাখা হয়, যার ফলে তারা চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাতে সংক্রমিত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সংক্রমিত হয়েছেন এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়াও একটি বড় সমস্যা। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে গত বিশ বছরে এসেছে সাতটি নতুন রোগ সার্ফিং-এর নতুন স্বর্গ হতে পারে যে সমুদ্রতট এমন অনেক রোগীও পাওয়া গেছে যারা কখনো কোন ইবোলা রোগীর সংস্পর্শ আসেননি। চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা এমএসএফ-এর কর্মকর্তা ট্রিশ নিউপোর্ট বলেছেন, "প্রাদুর্ভাব শুরুর এক বছর ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে কিন্তু পরিস্থিতির কোন উন্নত এখনো দেখা যাচ্ছে না।" তিনি আরও বলছেন, "এখানে দীর্ঘ সহিংসতা আর সংঘাতের কারণে জটিল এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যার কারণে বিদেশী কাউকে অবিশ্বাস করার একটা প্রবণতা রয়েছে।" এটি কি অন্যান্য দেশেও ছড়াতে পারে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এটি ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা খুবই বেশি। রোগটির প্রতিষেধক ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর। উগান্ডায় ইতিমধ্যেই রোগটি কয়েকজনের মধ্যে সনাক্ত হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে রুয়ান্ডা কারণ দেশটির সাথে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর সীমান্তবর্তী অঞ্চল গোমা'তে ইবোলা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনই সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। এই রোগের প্রতিষেধক রয়েছে রোগটির প্রতিষেধক রয়েছে এবং সেটি ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর। দেড় লাখের বেশি মানুষকে সেই প্রতিষেধক দেয়াও হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জনগোষ্ঠীর সকলকে সেটি দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র যারা কোন ইবোলা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন অথবা তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদেরকে ওই প্রতিষেধক দেয়া হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকাতে এর আগেরবারের মহামারী যখন চলছিলো তখন এই রোগের প্রতিষেধক প্রস্তুত হয়েছে। এবারের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সবার জন্য সেটি সহজলভ্য করা হয়েছে। অন্যান্য খবর: 'আয়শার পক্ষে দাঁড়াননি বরগুনার কোন আইনজীবী' 'দুধে সহজে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবো না' ভিনগ্রহের প্রাণী দেখতে আমেরিকায় ফেসবুক ইভেন্ট
The World Health Organization has declared the Ebola crisis in the Democratic Republic of Congo a "public health emergency of international concern".
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্তম্ভের একটি অনেকটা 'মি-টু' আন্দোলনের অনুকরণে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের এই আন্দোলন চালাচ্ছেন 'মস্ক-মি-টু' হ্যাশট্যাগে। মিসরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নারীবাদী লেখিকা এবং সাংবাদিক মোনা এলতাহাউই প্রথম তার অভিজ্ঞতার কথা এভাবে জানান। ২০১৩ সালে হজ করতে গিয়ে তিনি যৌন হেনস্থার শিকার হন। মূলত তাঁর উদ্যোগেই #মস্ক-মি-টু আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় টুই্টারে এই হ্যাশট্যাগটি দু হাজার বারের বেশি রি-টুইট করা হয়েছে। ফার্সি ভাষায় টু্‌ইটারে এটি এখন শীর্ষ দশটি ট্রেন্ডের একটি। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কিভাবে ভিড়ের মধ্যে তাদের গায়ে হাত দেয়া হয়েছে বা ধাক্কা দেয়া হয়েছে, ইচ্ছে করে শরীরে শরীর ঘষা হয়েছে, তার বর্ণনা তুলে ধরেছেন অনেক মহিলা। মুসলিমদের কাছে হজ হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্তম্ভের একটি। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজে যাওয়া কর্তব্য বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর প্রায় বিশ লাখ মুসলিম সৌদি আরবে হজ করতে যান। মক্কা নগরীকে ঘিরে বিশাল জনসমাগম হয়। ইসলামে নারীকে পর্দা মেনে চলতে বলা হয়। প্রকাশ্যে চলাফেরার সময় মাথা এবং শরীর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হয়। কিন্তু ইসলামের বিধান মেনে পোশাক পরার পরও তারা যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা পান না বলে অভিযোগ করেন ইরান, সৌদি আরব, মিশর এবং আফগানিস্তানের মতো রক্ষণশীল মুসলিম দেশের নারীরা। 'মস্ক-মি-টু' হ্যাশট্যাগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক নারী অভিযোগ করছেন, এমনকি সবচেয়ে ধর্মীয় স্থানে পর্যন্ত তারা রেহাই পাচ্ছেন না। পুরো মাথা শরীর ঢেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সময় তাদের সঙ্গে এধরণের আচরণ করা হচ্ছে। ফারানাক আমিদি নামে একজন লিখেছেন, "মস্ক-মি-টু আন্দোলন আবারও প্রমান করেছে যে মেয়েরা পোশাকে কতটা রক্ষণশীল তার সঙ্গে যৌন হয়রানির কোন সম্পর্ক নেই। মেয়েরা কি পরছে সেটা নয়, পুরুষদের আসলে মেয়েদের কি চোখে দেখার এবং কি আচরণের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, তার সঙ্গেই এর সম্পর্ক।" রুবাহদখত নামে একজন লিখেছেন, সৌদি আরবের মদিনায় এক যুবক আমার শরীর স্পর্শ করেছিল। তখন আমার বয়স ছিল ১৫। আর লোকটির বয়স হবে বিশের কোঠায়। আমি ভেবেছিলাম মদিনা একটি নিরাপদ নগরী। কিন্তু আমি আসলে ভুল জানতাম। আমি এ ঘটনা কখনোই ভুলবো না এবং ক্ষমা করতে পারবো না।" ইরানের অনেক নারী এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছেন যে হিজাব পরলে সেটা তাদের যৌন হামলা থেকে সুরক্ষা দেয়। ইরানে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। ইরানের অনেক শহরে এমন পোস্টার সাঁটা আছে যেখানে পর্দা বিহিন নারীকে মোড়ক খোলা ক্যান্ডি বা ললিপপের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যা মাছি আকর্ষণ করছে। ইরানের প্রায় সব সরকারি অফিস বা ভবনে এরকম একটি শ্লোগান লেখা আছে, "হিজাব কোন বিধিনিষেধের সীমা নয়, এটি আপনার সুরক্ষা।" Iran's hijab protests: The Girls of Revolution Street সম্প্রতি ইরানে বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ শুরু হয়, তাতে অংশ নেয়ায় ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তেহরানে এক নারী প্রকাশ্যে তার মাথার হিজাব খুলে ফেলে এই প্রতিবাদ শুরু করেন। এটির নাম দেয়া হয়েছে 'দ্য গার্লস অব রেভ্যুলেশন স্ট্রীট'। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'মস্ক-মি-টু'র বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন অনেকে। তারা মার্কিন লেখিকা মোনা এলতাহাউইর সমালোচনা করছেন এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক শুরু জন্য।
Muslim women are using #MosqueMeToo to share their experiences of sexual harassment during the Hajj pilgrimage and other religious settings.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে তাবরেজ আনসারিকে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে দেখা যায় ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ ঝাড়খন্ডে ২৪ বছর বয়সী তাবরেজ আনসারি নির্যাতিত হওয়ার কয়েকদিন পর মারা যান। তাবরেজ আনসারির বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ এনে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তাবরেজকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে যেখানে দেখা যায় যে তাকে হিন্দু দেবতাদের নাম নিতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং তিনি জীবন ভিক্ষা চাচ্ছেন। তাবরেজের পরিবারের অভিযোগ, আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরও পুলিশ তাকে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করেনি। আরো পড়ুন: কী দাঁড়াতে পারে ভারতে মুসলিমদের পরিণতি? লোকসভায় কেন বিজেপির কোনও মুসলিম এমপি নেই? বেদের মেয়ে জোৎস্নার নায়িকা ভারতীয় না বাংলাদেশী বিবিসি'কে তার স্ত্রী শাহিস্তা পারভিন জানান, মিঃ আনসারিকে সারারাত একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা হয় এবং পরদিন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের চারদিন পর তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মিজ পারভিন বলেন, হিন্দু দেবতাদের প্রশংসা করতে অস্বীকৃতি জানানোর পরই তাকে নির্যাতন করা শুরু হয়। তবে ঝাড়খন্ডের পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত কয়েকবছরে ঝাড়খন্ডে বেশ কয়েকটি গনপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।
Indian police have arrested five people after a Muslim man was beaten to death by a mob.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
নটরডাম ক্যাথেড্রালে আগুন লাগার পর গির্জাটি দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতক ধরে নির্মাণ করা হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর মূল কাঠামো এবং দুটো বেল টাওয়ার রক্ষা করা গেছে বলে জানান কর্মকর্তারা। প্রাচীন গোথিক ভবনটিকে রক্ষার জন্য দমকল কর্মীরা ব্যাপক চেষ্টা চালালেও এর উঁচু মিনার এবং ছাদ ধ্বসে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো পরিষ্কার নয়, তবে কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান সংস্কার কাজের সাথে কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে। ক্ষয়িষ্ণু ভবনটি রক্ষার জন্য গতবছর ফ্রান্সের ক্যাথলিক চার্চ তহবিলের আহ্বান করেছিল। যেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় সময় সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন লাগে এবং দ্রুত তা ছাদে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাথিড্রালের ছাদে যখন আগুন জ্বলতে থাকে এবং ভবনের জানালা ধ্বংস করে দেয় তখন প্রকাণ্ড জোরে শব্দ শোনা যায়। উচু মিনার খসে পড়ার আগে তা কাঠের তৈরি কাঠামো ধংস করে । একটি বেল টাওয়ার ধ্বসের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৫০০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করে। চার ঘণ্টা পরে অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর প্রধান জ্যঁ-ক্লদে গ্যালেট বলেন, প্রধান কাঠামোটি পুরোপুরি ধ্বংসের কবল থেকে 'রক্ষা করা গেছে এবং সংরক্ষিত' আছে। ক্যাথেড্রালের শিল্পকর্ম সংরক্ষণ এবং এর উত্তরাংশে টাওয়ার রক্ষার জন্য রাতভর সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়। ক্যাথেড্রালের আশেপাশের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন, আগুনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করবার জন্য। অনেককে প্রকাশ্যে কাঁদতে দেখা যায়, একই সময়ে অন্যরা দুঃখ করছিলেন, কেউবা প্রার্থনা করছিলেন। রাজধানীর অনেক গির্জায় বেল বাজাতে শোনা যায়। প্যারিসের মেয়র একে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকল ক্যাথলিক এবং ফরাসি নাগরিকের জন্য তার সমবেদনার কথা জানান। তিনি বলেন, "আমাদের এই অংশটি পুড়তে দেখে আমার দেশের আর সবার মত আমিও আজকের রাতে অত্যন্ত ব্যথিত"। মিস্টার ম্যাক্রো বলেন, "আমরা একত্রে পুনরায় তৈরি করবো নটরডাম"। তিনি ফায়ার ফাইটারদের চুড়ান্ত সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। মিস্টার ম্যাক্রো এর আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ টেলিভিশন বক্তৃতা দেয়ার কথা থাকলেও অগ্নিকাণ্ডের কারণে তা বাতিল করেছেন বলে এলিজি প্রাসাদ কর্মকর্তারা জানান। ইতিহাসবিদ কামিলি পাস্কাল ফরাসি গণমাধ্যম বিএফএমটিভিকে বলেন, আগুন ধ্বংস করে দিচ্ছে "অমূল্য ঐতিহ্য"। ৮০০বছর ধরে এই ক্যাথেড্রাল প্যারিসে দাঁড়িয়ে ছিল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে খুশির এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় নটরডামের ঘণ্টাধ্বনি তাকে স্মরনীয় করে রেখেছে। প্যারিসের মেয়র অ্যানি হিদালগো সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা যে সীমানা বেষ্টনী তৈরি করে দিয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা যেন তা মান্য করে। "ভেতরে প্রচুর সংখ্যক শিল্পকর্ম রয়েছে...এটা একটা সত্যিকারের ট্রাজেডি", তিনি সাংবাদিকদের বলেন। একটি দেশের প্রতীক বিবিসি ওয়ার্ল্ড অনলাইনের হেনরি আস্টয়ের-এর বিশ্লেষণ অনুসারে, নটরডামের মত অন্য কোন নিদর্শন বা জায়গা ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনা। জাতীয় প্রতীক হিসেবে এর কাছাকাছি প্রতিদ্বন্দ্বী আইফেল টাওয়ার। ১২০০ শতক থেকে প্যারিসে দাড়িয়ে ছিল নটরডাম। । ভিক্টর হুগোর 'দ্য হাঞ্চব্যাক অব নটরডাম' ফরাসিদের কাছে নটরডাম ডি প্যারিস হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছিল। এই ক্যাথেড্রালটি সর্বশেষ বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের সময় । বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আওয়ামী লীগ: অন্য দল থেকে আসা কর্মিদের তালিকা হচ্ছে চাঁদ দেখা: বিজ্ঞানকে কেন কাজে লাগাচ্ছে না মুসলিমরা ডাক্তাররা যে শিক্ষা পেলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন বন্ধ হওয়ার মুখে ভারতের জেট এয়ারওয়েজ? নটরডাম ক্যাথেড্রাল নটরডাম সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য •প্রতিবছর নটরডাম ক্যাথেড্রাল দেখতে এক কোটি ৩০ লাখ দর্শনার্থী ( ১৩ মিলিয়ন) আসেন। •এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটিজে সাইট যা ১২ এবং ১৩ শতক জুড়ে নির্মিত হয়েছিল এবং বর্তমানে এর বড় ধরনের সংস্কারকাজ চলছিল • সংস্কার কাজের জন্য ঢোকার মুখের বেশ কয়েকটি প্রতিমা সরানো হয়েছিলো। • ভবনের ছাদের বেশিরভাগই ছিল কাঠ দিয়ে তৈরি, যা আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে দুই বিশ্বযুদ্ধের ধকল থেকে এটি টিকে গিয়েছিল। এই ক্যাথেড্রালে প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থী ভিড় করেন। একটি জাতির অটলতার প্রতিমূর্তির এভাবে পুড়তে এবং মিনার চোখের সামনে গুড়িয়ে যেতে দেখা যেকোনো ফরাসি নাগরিকের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। প্রত্যক্ষদর্শী সামান্থা সিলভা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, "আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব দেশের বাইরে থাকে এবং যখনই তারা আসে প্রতিবার আমি তাদের বলি নটরডাম বেরিয়ে এসো"। ''অনেকবার আমি সেখানে গেছি, কিন্তু কখনোই একরকম মনে হয়নি। এটা প্যারিসের সত্যিকারের প্রতীক"। বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া প্রাচীন এই স্থাপনায় আগুনের ঘটনায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছেন যে, "সম্ভবত উড়ন্ত জল-কামান" এই আগুন নেভাতে কার্যকর হতে পারে। জার্মান চ্যাঞ্চেলর এঙ্গেলা মের্কেল ফ্রান্সের জনগণের প্রতি তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন এবং নটরডামকে "ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতির প্রতীক" বলে অভিহিত করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এক টুইটে লিখেছেন, " ফ্রান্সের জনগণের সাথে এবং জরুরি পরিষেবাগুলির সাথে যারা নটরডাম ক্যাথেড্রালে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আজ রাতে তাদের প্রতি আমার সমবেদনা"। ভ্যাটিক্যান থেকে বলা হচ্ছে, এই অগ্নিকাণ্ডের খবর তাদের শোকাহত এবং ব্যথিত করেছে এবং তারা ফরাসি ফায়ার সার্ভিসের জন্য প্রার্থনা করছে। একটি জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র নটরডাম ক্যাথেড্রালের পাথরে ফাটল দেখা দেয়ার পর ভবনের সংস্কার কাজ চলছিল। অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস তদন্ত শুরু করেছে।
A major fire has engulfed the medieval cathedral of Notre-Dame in Paris, one of France's most famous landmarks.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
"এক সোমবার দুধওয়ালার জন্য বাড়ির দরজায় অপেক্ষা করছিলেন বৃদ্ধাটি। সেসময়েই অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর নজরে পড়েন তিনি।" (***সতর্কতা: এই প্রতিবেদনের কিছু অংশ আপনার মানসিক আঘাতের কারণ হতে পারে। ) দিল্লির নারী কমিশনের প্রধান সোয়াতি মালিওয়াল বলেন, "এক সোমবার দুধওয়ালার জন্য বাড়ির দরজায় অপেক্ষা করছিলেন বৃদ্ধাটি। সেসময়েই অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর নজরে পড়েন তিনি।" "লোকটি তাকে বলে, দুধওয়ালা আজ আসবে না। সে বৃদ্ধাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় যেখানে গিয়ে দুধ পেতে পারেন তিনি"। বৃদ্ধাটি তার কথায় ভরসা করে সঙ্গে যেতে সম্মত হয়। লোকটি তাকে নিকটবর্তী এক খামারবাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানেই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে। "বৃদ্ধাটি চিৎকার করে কাঁদছিলেন। ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুনয় করছিলেন। বলছিলেন আমি তোমার দাদির মত। কিন্তু এসবে কান না দিয়ে নির্দয় নির্যাতন অব্যহত রাখে ধর্ষণকারী।" বলছিলেন সোয়াতি মালিওয়াল। আশেপাশের গ্রামে যারা কান্নার শব্দ শোনেন তারা দৌঁড়ে এসে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন এবং ধর্ষণকারীকে পুলিশে দেন। গত মঙ্গলবার মিজ মালিওয়াল ওই বৃদ্ধাকে দেখতে যান। তার বর্ণনায় বৃদ্ধার সাথে দেখা হওয়ার ঘটনাটি ছিল 'হৃদয় ভেঙ্গে' যাওয়ার মত। "বৃদ্ধাটির হাতে চামড়া কোঁচকানো। তার সাথে যা হয়েছে তা শুনলে আপনি আঘাত পাবেন। তার মুখে ও শরীরে এখনো আঁচড়ের দাগ পষ্ট। তিনি আমাকে বলেছেন তার যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্তপাতও হয়েছিল। ভয়াবহ এক মানসিক যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে তার।" অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন মিজ মালিওয়াল। অভিযুক্তকে 'অমানুষ' বলে বর্ণনা করেন তিনি। "আমি দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং শহরের লেফটেন্যান্ট-গভর্ণরেক লিখবো যাতে, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং ছয় মাসের মধ্য অপরাধীকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয়।" ২০১২ সাল থেকে ভারতজুড়ে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন একটা বড় ইস্যুতে পরিণত হয়। ওই সময় দিল্লিতে এক ছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা খুব আলোচিত হয় যেটি পরে পরিচিত হয় দিল্লির নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলা নামে। চলতি বছরের মার্চ মাসে এই মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে ফাঁসি দেয়া হয়। নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, 'কোনো বয়সের মেয়েরা এখন নিরাপদ নন'। যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থা নেয়া হলেও অপরাধের ঘটনা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে ২০১৮ সালে ৩৩ হাজার ৯৭৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ দিল্লিতে প্রতি ১৫ মিনিটে একটি ধর্ষণ হয়েছে। কিন্তু অধিকারকর্মী ও আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। ধর্ষণের সব খবর গণমাধ্যমে আসেও না, শুধুমাত্র নৃশংস ও সাড়া জাগানো ঘটনাগুলোর জায়গা হয় সংবাদপত্রে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ভারতে হাসপাতালে নেয়ার পথে এক কোভিড-১৯ রোগীকে ধর্ষণ করেছে অ্যাম্বুলেন্সের চালক। গত মাসে ১৩ বছর বয়সী এক মেয়ের ক্ষত-বিক্ষত লাশ আখ ক্ষেতে পাওয়া যায়। তার পিতার অভিযোগ ছিল, মেয়েটির চোখ উপড়ে নেয়া হয়েছিল এবং জিভ ছিড়ে ফেলা হয়েছিল। গত জুলাই মাসে ছয় বছর বয়েসী একটা মেয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ধর্ষণকারী তার চোখের এমন মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি করেছিল যাতে মেয়েটি তাকে চিনতে না পারে। নারী অধিকার কর্মী ইয়োগিতা ভায়ানা বলেন, কোনো বয়সের মেয়েরা এখন নিরাপদ নন। ভারতের বেসরকারি সংস্থা পিপল এগেইনস্ট রেইপে কাজ করেন মিজ ভায়ানা। তিনি বলেন "আমি এক মাস বয়সী শিশু এবং ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকেও দেখেছি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন"। ২০১২ সালের চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনার পর নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন, যোগ করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড, দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ধর্ষণের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার তারা বলছেন তাতে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। ২০১৩ সালে ভারতে একটি কঠোর ধর্ষণবিরোধী আইন পাশ হয় যেখানে মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজারও বিধান রয়েছে। মিজ ভায়ানা বলছেন, "সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিৎ নারী ও শিশুদের সুরক্ষা দেয়া।" "আমরা শুধুই বাহ্যিক বিষয়টা ভাবি। কিন্তু মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপকতা আরো বেশি।" এই নারী অধিকার কর্মী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ১০০টিরও বেশি চিঠি পাঠিয়েছেন কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। তার মনে প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী মোদী এটা নিয়ে কথা বলেন না কেন। যখন বিরোধী দলে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী, তখন নির্বাচনের প্রচারনায় দিল্লিকে ধর্ষণের রাজধানী বলেন। ২০১৪ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর ধর্ষণ নির্মূল করার কথা বলেন। মোদী ঘোষণা দেন, সব মা-বাবার উচিৎ পুত্র সন্তানকে এসব বিষয়ে উপদেশ দেয়া। কিন্তু মিজ ভায়ানা বলেন, "এখনো যখন এমন সব ধর্ষণের কাহিনি শুনি, মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে যায়।" "প্রতি ঘরে ঘরে মেয়েরা ঘর থেকে বের হলে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়, কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে, কখন ফিরবে। এমনকি পৌঁছানোর পর জানাতেও হয়। কিন্তু একই ঘটনা ছেলেদের সাথে একইভাবে হয় না। যে লোকটা ধর্ষণ করছে সেও কারো না কারো ছেলে।" ইয়োগিতা ভায়ানা বলেন, এখানে কোনো জাদুটোনা নেই যে রাতারাতি এই নির্যাতন বন্ধ হয়ে যাবে। "একটা বড় পরিবর্তন দরকার, পুলিশ, আইন, আরো ভালো ফরেনসিক উপাদান।" তবে তার মতে সবার আগে যেটা প্রয়োজন সেটা সচেতনতা। মানসিকতা না বদলালে এই ধরনের অপরাধ কমবে না। "সরকার থেকে আসলে দৃশ্যমান কোনো প্রচেষ্টা নেই। হোক দিল্লি কিংবা কেন্দ্র।"
Tens of thousands of rapes are reported in India every year, but some stand out for being deeply disturbing.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
রুশিদা হকের ১৫ বছর বয়সী ছেলে দুটি পা হারিয়েছে। তাঁর ভাষায় 'এমনভাবে বেঁচে থাকার দরকার কী ছিল?' ১৫ বছর বয়সী মিয়ানমারের এক কিশোরের চিকিৎসা চলছে বাংলাদেশের এক হাসপাতালে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে দুটো পা হারিয়েছে এই কিশোর । একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরেক নারী, যিনি জানিয়েছেন সীমান্তে গুলি খাওয়ার পর মাইনের ওপর আছড়ে পড়েন তিনি। নব্বইয়ের দশকে ওই এলাকায় মাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল, কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর নিষিদ্ধ এ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন পুঁতেছে বলে অভিযোগ তুলে বাংলাদেশি বিভিন্ন সূত্র এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো। যদিও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন সোমবার বলেছেন, 'মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর-নির্মম অভিযান চলছে'। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন যে সেখানে যে হামলা চালানো হচ্ছে তা পাঠ্য বইয়ের জন্য 'জাতিগত নিধন' এর একটি অন্যতম উদাহরণ হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আহত রোহিঙ্গাদের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে, একটি হাসপাতালে ঘুরের বিবিসির রিতা চক্রবর্তী দেখেছেন বেশিরভাগই সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। অনেকের দেহের নানা জায়গায়, কেউ হাত আবার কেউবা পা হারিয়েছেন। ১৫ বছর বয়সী আজিজু হক, তার দুই পা হারিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, সাথে আছে তার মা। আজিজুর ভাইও অন্যএক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে, তারও একই অবস্থা-জানালেন তাদের মা রুশিদা হক। "তাদের দেহের ক্ষত এতটাই যে আমার কাছে সেটা মৃত মানুষের মতোই। ওপরওয়ালা যদি তাদের নিয়ে যেত তাহলে ভালো হতো। ছেলেগুলো আমার অনেক কষ্ট করছে" বিবিসিকে বলেন রুশিদা হক। বিস্ফোরণে আজিজু হকের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে, দুটো পা নেই,এছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। আজিজুকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছে ডাক্তাররা। কিন্তু তাকে বাঁচানোর আশা ক্ষীণ বলে জানা যাচ্ছে। কারণ আজিজুরের রক্তের গ্রুপ বিরল, ওই গ্রুপের রক্ত কোনো ব্লাড ব্যাংকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কদিন রক্তদাতা পাওয়া গেলেও এখন আর কোনো দাতারও সন্ধান মিলছে না। অন্যদিকে আহত আরেক নারী সাবেকুর নাহার বিবিসিকে বলেন, মিয়ানমারে তাদের সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ্য করে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর তিন ছেলেকে নিয়ে নিজ গ্রাম থেকে পালান তিনি। যখন সীমান্ত পার হচ্ছিলেন তখনই গুলির আঘাতে মাইনের ওপর পড়ে যান। আমাদের গুলি ছুঁড়লো,এবং তারা মাইনও পুঁতে রেখেছিল সেটার ওপর পড়লাম" বলেন ৫০ বছর বয়সী সাবেকুর নাহার। ছোটখাট দেখতে সাবেকুরের দেহেও নানা ক্ষত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো কে জ্বালিয়ে দিচ্ছে?
The BBC has spoken to Rohingya Muslims maimed after apparently stepping on landmines as they fled Myanmar (Burma).
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন বাইক নুরিল মাকনুন বাইক নুরিল মাকনুন নামের ঐ নারীর বিরুদ্ধে 'অশালীন' জিনিসপত্র ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে ইন্দোনেশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট। ফোনালাপটি ছড়িয়ে পড়ার পর ২০১৫ সালে ঐ নারীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন তার বস। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। লম্বক দ্বীপের মাতারাম শহরের একটি স্কুলে কাজ করতেন নুরিল, যেখানকার প্রধান শিক্ষক তাকে ফোন করে যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলতেন বলে অভিযোগ করেন নুরিল। নুরিল একদিনের ফোনালাপ রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেন, যেখানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আপত্তিকর এবং অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে স্কুলের অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যেও রেকর্ডিংটি ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং পরে তা স্থানীয় শিক্ষা বিভাগের কাছেও পৌঁছে যায়। সামাজিক মাধ্যমেও কিছুদিনের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক - আদালতের নথি অনুযায়ী ঐ রেকর্ডিং ছড়িয়ে পড়ার পরপরই যার চাকরি চলে যায় - তার আর নুরিলের ফোনালাপ ছড়িয়ে দেয়ার কারণে পুলিশের কাছে নুরিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আরো পড়তে পারেন: 'ফ্ল্যাটের সবাইকে ধর্ষণ করে উচিত শিক্ষা দাও' 'তিনি আমার পছন্দের নন': প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প 'ছাদ দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল' নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার ইলেকট্রনিক ইনফরমেশন ও ট্রানসেকশন আইনে নুরিলকে 'শালীনতা লঙ্ঘন' করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। নিজের পক্ষে নতুন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় এই রায়ের বিরুদ্ধে করা নুরিলের আবেদনও গত বৃহস্পতিবার নাকচ করে দেয় আদালত। "তার (নুরিলের) জুডিসিয়াল রিভিউ বাতিল করা হয়েছে কারণ তার অপরাধ আইনত এবং নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে", সংবাদ সংস্থা এএফপি'কে জানায় আদালতের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ। এছাড়া ৫০ কোটি রুপিয়া (৩৫ হাজার ২০০ ডলার) অঙ্কের জরিমানার শাস্তিও অক্ষুন্ন রেখেছে আদালত। নুরিল বলেছেন, তিনি রেকর্ডিংটি ছড়াননি। তার এক বন্ধু ফোন থেকে ঐ রেকর্ডিংটি নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন নুরিল। নুরিলের আইনজীবী, জোকো জুমাদি, বিবিসি'কে বলেন তার মক্কেল আদালতের 'রায় মেনে নিতে প্রস্তুত' কিন্তু তিনি আশা করেন যে যৌন হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ করার কারণে 'আইনগতভাবে শাস্তি পাওয়ার ঘটনা' এরপরে ইন্দোনেশিয়ায় আর কারো সাথে যেন না ঘটে। আদালতের শেষ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ না থাকলেও নুরিলের আইনজীবীরা বলেছেন যে নুরিল দেশের প্রেসিডেন্ট জোকো ইয়োদোদো'র কাছে রাজক্ষমা প্রার্থনা করবেন। এই ঘটনা ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক জনরোষ তৈরি করেছে। এই রায় যৌন হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য ভীতিকর একটি বার্তা দিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে মানাবধিকার সংস্থাগুলো। 'লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশন ফর দ্য প্রেস' সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আদে ওয়াহিউদিন রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেন, "আমার এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত, কারণ এর ফলে যৌন অপরাধ সংঘটনকারীরা ভুক্তভোগীদের দোষারোপ করার চেষ্টা করবে।"
Indonesia's top court has rejected an appeal by a woman who was sentenced to six months in prison for recording and sharing a phone conversation she had with her boss to prove that he was sexually harassing her.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
গুজরাটের আহমেদাবাদে তথাকথিত লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে এক সমাবেশ, ২০১৮ প্রধানত হিন্দু-মুসলিম এসব দম্পতি যখন বিয়ে করতে গিয়ে পরিবার ও সমাজের কাছ থেকে বাধার সম্মুখীন হন তখন এরা ধানাক নামে এই এনজিও‘র কাছে সাহায্য চাইতে আসেন। এসব দম্পতির বয়স সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর। তারা চান ধানাক যেন তাদের বাবা-মার সাথে কথা বলে তাদের রাজি করায়। এতে ব্যর্থ হলে, আইনি সহযোগিতা চায় তারা। ধানাকের কাছে যারা আসেন, তাদের ৫২ শতাংশ হিন্দু নারী যারা মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করতে চান। আর ৪২ শতাংশ মুসলিম নারী যারা হিন্দু প্রেমিককে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। “হিন্দু পরিবার বলুন আর মুসলিম পরিবারই বলুন তারা কেউই চায় না তাদের সন্তানরা অন্য ধর্মের কাউকে বিয়ে করুক,“ বিবিসিকে বলেন ধানাকের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ ইকবাল। “বিয়ে ঠেকাতে পরিবারগুলো যে কোনো পন্থা নিতে প্রস্তুত। তারা এমনকি তাদের নিজেদের মেয়ের দুর্নাম ছড়াতেও পেছপা হয় না, যাতে মেয়ের প্রেমিক পিছিয়ে যায়। তথাকথিত এই লাভ-জিহাদ এই ধরণের আন্তঃ-ধর্ম প্রেম আটকানোর আরেক চেষ্টা।“ কট্টর হিন্দু দলগুলো বেশ অনেকদিন ধরে এই লাভ-জিহাদ তত্ত্ব ছড়িয়ে বলছে মুসলিম পুরুষরা হিন্দু নারীদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে প্রেমের ছল দেখিয়ে তাদের বিয়ে করে। এই তত্ত্ব এখন সত্যিকার অর্থেই ভারতের ভিন্ন ধর্মের নারী পুরুষের মধ্যে প্রেম চরম হুমকিতে ফেলেছে। গত সপ্তাহে, উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পুলিশ হিন্দু এক নারীকে ধর্মান্তর করার চেষ্টার অভিযোগে এক মুসলিম যুবককে আটক করে। ‘লাভ-জিহাদ‘ অর্থাৎ ধর্মান্তর বন্ধে ঐ রাজ্যে নতুন যে আইন হয়েছে তার আওতায় এটাই ছিল প্রথম গ্রেপ্তার। হিন্দু-জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি শাসিত আরো অন্তত চারটি রাজ্য এই আইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।বিজেপির নেতারা বলছেন “প্রতারণা“ বন্ধে এই আইন দরকার। টার্গেট মুসলিম পুরুষ “যখন কোনো মুসলিম নারী হিন্দু কোনো পুরুষকে বিয়ে করে তখন হিন্দু এই গোষ্ঠীগুলো তাকে দেখায় প্রেম হিসাবে। যখন তার উল্টোটা ঘটে তখন সেটা হয়ে যায় প্রতারণা-জবরদস্তি,“ বলছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক চারু গুপ্তা যিনি গবেষণা করে ‘মিথ অব লাভ জিহাদ‘ নামে একটি বই লিখেছেন। ভারতে ধর্মীয় বিদ্বেষের বিরুদ্ধে দিল্লিতে মুসলিম নারীদের একটি সমাবেশ ভারতের বিরাট অংশে প্রেম এখনও বিপজ্জনক। পিতৃতান্ত্রিকতার জগদ্দল পাথর, বৃহত্তর পরিবার, ধর্ম, জাত এবং পারিবারিক সম্মানের মত বিষয় নারী পুরুষের প্রেম-প্রণয়কে নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। তারপরও এখনও গ্রাম বা ছোটো শহরেও অনেক সাহসী নারী পুরুষ শত শত বছরের এসব সামাজিক-পারিবারিক বাধা অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করে। মোবাইল ফোন, সস্তা মোবাইল ডেটা এবং সোশাল মিডিয়ার সুযোগ নিয়ে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে নারী পুরুষরা বেশি করে এক অন্যের কাছে আসছে, প্রেমে পড়ছে। লেখক অরুন্ধতী রয় তার বুকার পুরস্কার বিজয়ী ‘গড অব স্মল থিংস‘ বইতে যে লাভ-ল‘র (প্রেমের আইন) কথা বলেছিলেন - অর্থাৎ কাকে ভালোবাসা যাবে, কীভাবে যাবে এবং কতটা যাবে তার সামাজিক রীতি-মানদণ্ড - তা ভাঙ্গার চেষ্টা করে এসব বিদ্রোহী নারী-পুরুষ। ভারতে নারী-পুরুষের বিয়ে, পরিবারের ঠিক করা বিয়ে, একই ধর্ম-সম্প্রদায় এবং একই জাতের বিয়ের জয়-জয়াকার। এখনও ৯০ শতাংশেরও বেশি বিয়ের পাত্র-পাত্র ঠিক করে পরিবার। ভিন্ন ধর্মের নারী পুরুষের মধ্যে বিয়ের ঘটনা বিরল। এক সমীক্ষা বলছে এরকম বিয়ের সংখ্যা মোট বিয়ের দুই শতাংশ। লাভ-জিহাদ তত্ত্বের ইতিহাস অনেকে বিশ্বাস করেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলগুলো রাজনৈতিক ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে সময়ে সময়ে এই লাভ-জিহাদের ধুয়ো তোলে। ভারতে ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে বিয়ের বিরোধিতার ইতিহাস বহু পুরনো। এ নিয়ে ঐতিহাসিক নানা তথ্য প্রমাণ রয়েছে। ১৯২০ এবং ১৯৩০ এর দশকে উদ্ভূত সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে উত্তর ভারতের কোথা কোথাও হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলো মুসলিম যুবকদের দ্বারা হিন্দু নারী “অপহরণের“ এক প্রচারণা শুরু করেছিল। মুসলিম পুরুষের বিয়ে করা হিন্দু স্ত্রীদের উদ্ধারের দাবি তোলা হয়েছিল। উত্তর প্রদেশে সে সময় মুসলিমদের দ্বারা হিন্দু নারীদের তথাকথিত অপহরণ বন্ধে হিন্দু একটি সংগঠন তৈরি হয়েছিল। ১৯২৪ সালে কানপুর শহরে একজন মুসলিম সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক হিন্দু নারীকে “অপহরণ এবং জোর করে ধর্মান্তর“ করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ঐ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে ঐ নারীকে “উদ্ধারের“ দাবি উঠেছিল। ইংরেজ শাসনামলেও হিন্দু নারীদের অপহরণ নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়েছে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, যারা এখন প্রধান বিরোধী দল, তারা একটি প্রস্তাব পাশ করেছিল যাতে বলা ছিল - “যে সব নারীদের অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে তাদেরকে বাড়িয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। দলবদ্ধ ধর্মান্তরকরণ অবৈধ এবং মানুষকে তার নিজের পছন্দের জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দিতে হবে।“ ১৯৪৭ সালে যখন ভারত ভাগের সময় ১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছি। দেড় কোটি মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়িতে হয়েছিল কারণ বহু মুসলিম পাকিস্তানে চলে যায়, অন্যদিকে হিন্দু এবং শিখরা ভারতে চলে আসে। দেশভাগের সময় সেই সহিংসতার প্রধান বলি হতে হয়েছিল নারীদের। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ আরো গভীর হয়। আরও পড়তে পারেন: তথাকথিত 'লাভ জিহাদ' এর বিরুদ্ধে ভারতে আইন করা হচ্ছে 'লাভ জিহাদ' : যোগীর আনা অর্ডিন্যান্সের তুলনা হিটলারের আইনের সঙ্গে ভারতে হিন্দু নারীর মুসলিম স্বামীদের হত্যার হুমকি কেরালার বিয়ে 'লাভ জিহাদ' কিনা - শুনবে আদালত লাভ জিহাদ ও রাজনীতি সাম্প্রতিক সময়ে যে কোনো নির্বাচনের আগে কট্টর হিন্দু গোষ্ঠীগুলো লাভ-জিহাদের ধুয়ো তুলে ভোটার মেরুকরণের চেষ্টা করছে। ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশে রাজ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় নগ্নভাবে এটি করা হয়েছে। ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম এক যুবককে বিয়ে করায় কারাগারে যেতে হয়েছিল হাদিয়া জাহানকে। ২০১৮ সালে একটি আদালত তাকে মুক্তি দিয়ে স্বামীর সাথে থাকার অনুমতি দেয় অধ্যাপক গুপ্তা বলেন, হিন্দু গোষ্ঠীগুলো পোস্টার, গুজব, কানকথা ব্যবহার করে “মুসলিম পুরুষদের দ্বারা হিন্দু নারীদের তথাকথিত অপহরণ, ধর্মান্তর, ধর্ষণ, জবরদস্তি করে বিয়ে“ ঠেকানোর “সুপরিকল্পিত প্রোপাগান্ডা“ শুরু করেছে। কট্টর হিন্দু সংগঠন আরএসএস, যাদেরকে বিজেপির আদর্শিক অভিভাবক বলে মনে করা হয় - তারা তাদের মুখপাত্র সাময়িকীতে “লাভ জিহাদের“ নানা কাহিনী প্রচার করেছে। “লাভ ফর এভার, লাভ জিহাদ নেভার“ (ভালবাসা চলবে কিন্তু লাভ জিহাদ কখনই চলবে না) স্লোগান তুলতে অনুসারীদের উৎসাহিত করেছে। শুধু যে মুসলিম পুরুষদের মোটা দাগে একই ব্রাকেটে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে তাই নয়। সেইসাথে হিন্দু নারীদের লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তর করার “আন্তর্জাতিক ইসলামি চক্রান্ত“ তুলে ধরা হচ্ছে। এমন প্রচারণাও চালানো হচ্ছে যে বিদেশ থেকে মুসলিম যুবকদের টাকা পাঠানো হচ্ছে যাতে তারা সুন্দর পোশাক পরে, দামি গাড়ি কিনে এবং উপহার দিয়ে হিন্দু নারীদের আকৃষ্ট করতে পারে। উত্তর প্রদেশে বিজেপির একজন মুখপাত্র বলেন, “গ্লোবাল জিহাদের অংশ হিসাবে দুর্বল অসহায় হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে।'' অধ্যাপক গুপ্তা বলেন, “নারীদের নামে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের পেছনে মানুষ জড়ো করার চেষ্টা চলছে।“ গবেষক এবং পর্যবেক্ষকরা বলছেন লাভ-জিহাদ নিয়ে অতীতে এবং বর্তমানের প্রচারণার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। তবে বর্তমানে যে প্রচারণা তা অনেক শক্তিশালী কারণ এর পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। “স্বাধীনতার আগে এসব প্রচারণা শুধু সংবাদপত্রের ভেতরের পাতাতেই সীমিত থাকতো। মূলধারার রাজনৈতিক কোনো দল বা নেতা এসব গুজব কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেন না। এখন এসব গুজব এবং প্রচারণা মিডিয়ার প্রথম পাতার খবর এবং রাষ্ট্র এসব আইন তৈরি এবং প্রয়োগের প্রধান উদ্যোক্তা,“ বলছিলেন অধ্যাপক গুপ্তা। অনেকে বলেন অনেক সময় দম্পতিরা ধর্মীয় বিয়ের পথ নেয় কারণ তারা ভারতের স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট এড়াতে চায়। এই বিশেষ আইনে ভিন্ন ধর্মের নারী পুরুষের বিয়ের অনুমোদন থাকলেও বিয়ের আগে সরকারি কর্তৃপক্ষকে এক মাসের নোটিস দিতে হয় যেখানে দম্পতিদের নাম ঠিকানা থাকে। ফলে এই দম্পতিরা ভয় পায় যে পরিবার জেনে গিয়ে বিয়ে আটকে দেবে। শুধু ভিন্ন ধর্মের বলে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে তাদের জীবন সঙ্গী পছন্দের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ভয়ের একটি সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে যেখানে বাবা-মা বা সরকারি কর্তৃপক্ষকে এই অধিকার হরণের আইনি অধিকার দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, এটাও সত্যি যে ভারতে এখন অধিক সংখ্যায় নারী-পুরুষ জাত ধর্ম অস্বীকার করে প্রেমের সম্পর্কে জড়াচ্ছে এবং পরিবারকে ত্যাগ করছে। এদের অনেকেই সরকারেরই তৈরি সেফ-হাউজে আশ্রয় নিচ্ছে। ধানাকের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ ইকবালের কথায় “ভারতে প্রেম ভালবাসা খুবই জটিল এবং কঠিন ব্যাপার। “
Every year, some 1,000 interfaith couples get in touch with a Delhi-based support group and seek help.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
চীনের বোমারু বিমানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে কংগ্রেসের কাছে দেয়া এই রিপোর্টে পেন্টাগন বলছে, চীন তাদের বোমারু বিমানগুলোকে যেন আরও দূরে পাঠানো যায় সেই সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। চীন যে তাদের সামরিক ব্যয় এবং সামরিক সক্ষমতা ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে, পেন্টাগনের এই রিপোর্টে তা তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে চীনের বার্ষিক সামরিক ব্যয় ১৯০ বিলিয়ন ডলারের মতো। তবে এটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ। তবে পেন্টাগনের এই রিপোর্টের ব্যাপারে চীন এখনো কোন মন্তব্য করেনি। রিপোর্টে যা বলা হয়েছে পেন্টাগনের রিপোর্টটি মুলত চীনের সামরিক সক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্খার একটি মুল্যায়ন। এতে বলা হয়, "গত তিন বছরে পিপলস লিবারেশন আর্মি সাগরে নাটকীয়ভাবে তাদের বোমারু বিমানগুলোর বিচরণ এলাকা বাড়িয়েছে। বিশেষ করে সমূদ্রপথের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঞ্চলে। এর পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।" এতে বলা হয় চীন এর মাধ্যমে কি অর্জন করতে চাচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। চীন তাদের স্থল বাহিনীকেও পুনর্গঠন করছে যাতে তারা লড়াইয়ে জয়ী হতে পারে। পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়, "এসব সংস্কারের লক্ষ্য আরও গতিশীল এবং মারাত্মক এক স্থল বাহিনী তৈরি করা যা দিয়ে যৌথ অভিযানে তারা মূল শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।" আগামী দশ বছরে চীনের সামরিক ব্যয় ২৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। চীনের একটি বিমানবাহী সামরিক নৌবহর যেসব এলাকায় চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেভাবে চীনের শক্তি ও প্রভাব বাড়ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে সম্প্রতি উত্তেজনা অনেক বেড়েছে। আরও পড়ুন: দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সামরিক সংঘাত? চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশ চীন এবং অন্যান্য দেশ তাদের বলে দাবি করে। দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে যে তাদের নৌ চলাচলের অধিকার আছে, সেটা প্রমাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায়শই ঐ অঞ্চলের আকাশে তাদের বিমান পাঠায়। তবে চীন সেখানে সাগরের মাঝখানে কৃত্রিম দ্বীপ সৃষ্টি করে সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সময় সেখানে চীনের সামরিক বিমানও অবতরণ করেছে। চীন-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনার আরেকটি কারণ তাইওয়ান। চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। পেন্টাগনের রিপোর্টে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে, চীন হয়তো জোর করে তাইওয়ানকে তাদের অংশ করার একটি পরিকল্পনার প্রস্তুত রাখছে। চীনকে আস্থায় নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু তারপরও কিন্তু তারা তাইওয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
China's military "is likely training for strikes" against US and allied targets in the Pacific, a Pentagon report warns.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদি ব্রেক্সিট পিছিয়ে দিতে রাজি না হন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন পার্লামেন্টের সদস্যরা চুক্তি ছাড়া বেক্সিট এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দায়িত্ব দিয়ে একটি বিল রানীর অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার কথা রয়েছে ব্রিটেনের। তবে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, বেক্সিট পিছিয়ে দিতে বলার চেয়ে বরং তিনি খাদে পড়ে মারা যেতে চান। আইনি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, নতুন আইনটি মানতে অস্বীকার করলে প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে যেতে হতে পারে। এদিকে ব্রিটেনের নিয়োগ ও অবসর বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাম্বার রাড মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছে। তিনি বলেছেন, তিনি আর বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, একটি চুক্তির মাধ্যমৈ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা সরকারের প্রধান লক্ষ্য। মঙ্গলবার যে ২২জন টোরি এমপিকে বরখাস্ত করা হয়েছে, সেটি সভ্যতা এবং গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলে তিনি বর্ণনা করেছেন। আরো পড়ুন: ব্রেক্সিট: এরপর কী হতে পারে? ব্রিটেনের ওলট-পালট রাজনীতি নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ব্রেক্সিট চুক্তি না হলে কী ঘটতে পারে? ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস জনসনের দফায় দফায় পরাজয় ব্রেক্সিটের পক্ষে আর বিপক্ষের সমর্থকরা শনিবার ওয়েস্টমিনিস্টারে সমাবেশ করেছে, যাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট এড়াতে পাশ হওয়া আইনটির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে দরকার হলে আদালতে লড়াই করার জন্য আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী আর বিদ্রোহী সদস্যরা। ব্রেক্সিটের পক্ষে আর বিপক্ষের সমর্থকরা শনিবার ওয়েস্টমিনিস্টারে সমাবেশ করেছে, যাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একাধিক পার্টির এমপিদের সমর্থনে বিলে বলা হয়েছে, আগামী অক্টোবরের মধ্যে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তির ব্যাপারে পার্লামেন্ট সম্মত না হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বেক্সিট কার্যকর করার জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় চাইতে হবে। যদিও সরকার বলেছে যে, তারা আইন মেনে চলবে। তবে মি. জনসন বলেছেন, অযৌক্তিক দেরি করার জন্য ব্রাসেলসকে অনুরোধ করার জন্য একটি ধারণায় এই বিল তাকে বাধ্য করছে। ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, ব্রিটিশ জনগণ পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, তারা ব্রেক্সিট সম্পন্ন হয়েছে দেখতে চায়। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বিবিসি নিউজকে বলেছেন, আইনটি নিয়ে কোন আইনি ব্যবস্থায় যাচ্ছে না তার দল। তবে তারা এ ধরণের ব্যবস্থার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে এবং সেটি নিয়ে আলোচনা ও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ''আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পরিষ্কার বার্তা চাই যে, তিনি পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন,'' বলেছেন মি. করবিন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্দি বিনিময় ৭০ বছর পর প্রেম পত্র ফেরত পেল প্রেমিক-যুগল চাঁদের বুকে ভারতের অবতরণ কেন ব্যর্থ হলো? আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী
MPs, including Tories expelled from the party, are preparing legal action in case the PM refuses to seek a delay to Brexit.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনের ওপর টিকার প্রয়োগ শুরু হবে। এর মধ্যেই চার কোটি টিকার জন্য চাহিদা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, যা দিয়ে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। জনপ্রতি দুইটি করে ডোজ দেয়া হবে। খুব তাড়াতাড়ি এক কোটি টিকার ডোজ পাওয়া যাবে। টিকা যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দশকের বেশি সময় লেগে যায়, সেখানে মাত্র ১০ মাসে এই টিকার আবিষ্কারের প্রক্রিয়া শেষ করা হলো। বিবিসি বাংলার আরো খবর: করোনাভাইরাস ঠেকাতে ৯০% সফল যে টিকা, বলা হচ্ছে 'মাইলফলক' ঘটনা ভারতে ভ্যাকসিন মিলবে হাজার রুপিতে, বাংলাদেশে কত দাম হবে? রোগ প্রতিষেধক টিকা নিয়ে কেন এত শঙ্কা বিশ্বের সাতশ কোটি মানুষের কাছে কীভাবে করোনার টিকা পৌঁছন হবে? করোনা ভাইরাস: টিকা উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেয়া তুর্কী বংশোদ্ভূত জার্মান মুসলিম দম্পতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রয়োগ শুরু হলেও মানুষজনকে এখনো সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে এবং করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্য সতর্কতার নিয়মকানুন কড়াকড়িভাবে পালন করতে হবে। এর মানে হলো, এখনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে উপসর্গ দেখা গিলেই পরীক্ষা করাতে হবে এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে। এখনও পর্যন্ত ছটি দেশে ৪৩,৫০০ জনের শরীরে ফাইজার ও বায়োএনটেক টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং এতে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু দেখা যায়নি। সারা বিশ্বে বেশ কিছু টিকা তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তার মধ্যে এই প্রথম এই টিকাটির এরকম সাফল্যের কথা জানা গেল। এই টিকাটির ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য ভাইরাসটির জেনেটিক কোড শরীরে ইনজেক্ট করা হয়। আগের পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে টিকা দেওয়ার ফলে শরীরে এন্টিবডি এবং রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার আরও একটি অংশ যা টি সেল নামে পরিচিত সেটিও তৈরি হয়। তিন সপ্তাহ ব্যবধানে এই টিকার দুটো ডোজ দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্কে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সাত দিন পর ভাইরাসটি প্রতিরোধে মানবদেহে ৯০ শতাংশ সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ট্রাম্পেরই এক মিত্র বললেন, 'ফল পাল্টে দেয়ার মতো জালিয়াতি হয়নি' বিনিয়োগের বদলে নাগরিকত্ব: কোন দেশে বেশি যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা? নিজ সন্তানকে ৩০ বছর ফ্ল্যাটে বন্দী রাখার সন্দেহে মা আটক ফ্রান্সের ইমাম ও মুসলিমরা ফরাসী মূল্যবোধের সনদ নিয়ে কতটা চাপে
The UK has become the first country in the world to approve the Pfizer/BioNTech coronavirus vaccine, paving the way for mass vaccination.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
শিশুদের জঙ্গি সহিংসতার খবর কীভাবে দিবেন। সহিংস সন্ত্রাসী হামলা সংক্রান্ত খবর শিশুদের জানানোর ক্ষেত্রে সাধারণত অভিভাবকরা যেসব দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকেন - আমি কী খবরটা তাদের কাছ থেকে গোপন করবো? তাদেরকে খবরের বিষয়ে জানতে না দেয়ার চেষ্টা করাই কি সবচেয়ে সহজ পন্থা? নাকি ঠিক যা ঘটেছে তাই আমার সন্তানদের জানাবো? খবরের বিষয়ে কথা বলুন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এধরণের বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার চেয়ে শিশুদের সাথে খোলামেলাভাবে কথা বলাই বেশি কার্যকর। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন কয়েকজন শিশু। এছাড়াও অনেক শিশুই এই হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয়েছে। মনোবিজ্ঞানী এমা সাইট্রন, যিনি শিশুদের মানসিকতা ও মানসিক আঘাত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, মনে করেন এ ধরণের ঘটনা সম্পর্কে শিশুদের সাথে কথা বলার বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। "ঘটনা সম্পর্কে শিশুদেরকে জানানো, এবিষয়ে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া এবং তাদের কৌতুহল নিবৃত্ত করতে যা আলোচনা করা প্রয়োজন সেসম্পর্কে দ্বিধা করা উচিত নয়।" "তাদের পাশে থাকুন এবং তাদের আশ্বস্ত করুন, তাদের আলিঙ্গন করুন, তারা কাঁদলে প্রয়োজনে তাদের সাথে কাঁদতেও দ্বিধা করবেন না। যেভাবে তারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, ঠিক সেভাবেই তাদের সাথে ব্যবহার করুন।" মিজ. সাইট্রন বলেন, "আমাদের জানা প্রয়োজন শিশুরা এরকম একটা ঘটনা ঘটলে কী জানতে চায়, কী ধরণের প্রশ্নের উত্তর চায়।" আরো পড়তে পারেন: 'অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিলেন আমার স্ত্রী' অস্ত্র আইনের সংস্কার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন নয় মিনিট আগে হামলার তথ্য পাঠিয়েছিলেন ব্রেন্টন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে শিশুদের কাছ থেকে এরকম খবর গোপন করার চেষ্টা আসলে সময়োপযোগী কোনো পদক্ষেপ নয়। টেলিভিশন কি বন্ধ করে দেয়া উচিত? কোনো সহিংস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলে শিশুদের কাছে যেন সহিংসতার চিত্র না পৌঁছায়, সে উদ্দেশ্যে টেলিভিশন বা রেডিও বন্ধ করে দেয়া খবুই স্বাভাবিক একটি প্রতিক্রিয়া। তবে লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রির চিকিৎসক বার্নাডকা ডুবিকা মনে করেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে শিশুদের কাছ থেকে এরকম খবর গোপন করার চেষ্টা আসলে সময়োপযোগী কোনো পদক্ষেপ নয়। "বর্তমান যুগে অভিভাবকরা এধরণের খবর শিশুদের কাছ থেকে পুরোপুরি লুকিয়ে রাখতে পারবেন না। বাস্তবতা হলো, সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে শিশু আর তরুণরা ২৪ ঘন্টাই খবর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে।" মিজ. ডুবিকা বলেন শিশূদের কাছ থেকে অভিভাবকরা কোনো খবর গোপন করলে পরে যখন শিশুরা ঐ খবর সম্পর্কে জানতে পারে, তখন অভিভাবকরা তাদের (শিশুদের) শতভাগ সহায়তা করতে সক্ষম হয় না। রগরগে বিবরণ এড়িয়ে চলুন শিশুদের সাথে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা যেমন জরুরি, তেমনি তাদেরকে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়ার ক্ষেত্রেও অভিভাবকদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করেন মিজ সাইট্রন। "শিশুদের সহিংসতার ঘটনা জানানোর সময় রগরগে বিবরণ এড়িয়ে চলুন, এটা অপ্রয়োজনীয়।" "রক্তাক্ত ঘটনা, সহিংসতার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া, ছবি বা ভিডিও দেখে কীরকম অনুভূতির জন্ম নেয় - শিশুদের এমন বর্ণনা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। এধরণের বর্ণনা শিশুদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে।" মিজ সাইট্রন মনে করেন, শিশুদের মধ্যে যাদের বয়স একটু বেশি, অনলাইনে খবরের কতটুকু তাদের দেখা উচিত সেবিষয়ে তাদের (শিশুদের) সাথে প্রয়োজনে কিছুটা রুক্ষ আচরণও করতে পারে অভিভাবকরা। মিজ সাইট্রন বলেন, "আমাদের পরিবারের কমবয়সীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এটি খুবই জরুরি।" সঠিক ভাষার ব্যবহার মিজ সাইট্রন বলেন, এরকম সহিংস কোনো আক্রমণ বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের উচিত শিশুদের আলোচনার কেন্দ্রে গিয়ে আলোচনার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করা। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের (অভিভাবকদের) ধীর-স্থির থাকা এবং তাদের আশ্বস্ত করে, এমন ভাষা ব্যবহার করা উচিত। "সাধারণ কিছু কথা এরকম ক্ষেত্রে যা শিশুদের আশ্বস্ত করতে পারে। যেমন, 'এটি খুবই বিরল একটি ঘটনা' বা 'এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হবে'।" "আমরা চাই না আমাদের শিশুরা ঘরের বাইরে যেতে ভয় পাক। আমরা চাই না যে তারা বড় হয়ে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ভীতির সম্মুখীন হোক," বলেন মিজ. সাইট্রন। কিন্তু শিশুর জিজ্ঞেস করতে পারে - 'এমন ঘটনা কি আবার ঘটবে'? সেক্ষেত্রে কী করবেন? মিজ সাইট্রন বলেন, "এরকম ক্ষেত্রে শিশূদের সত্য বলা উচিত, কিন্তু পাশাপাশি তাদের আশ্বস্ত করাও জরুরি।" অর্থাৎ শিশুদের বোঝানো উচিত যে এমন ঘটনা আবারো ঘটতেই পারে কিন্তু সেটিও হবে খুবই অপ্রত্যাশিত। পাশাপাশি তাদের আশ্বস্ত করা প্রয়োজন যে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ব্যভস্থা আরো জোরদার থাকবে, সুতরাং এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আরো কম থাকবে। শিক্ষকদের ভূমিকা কী হওয়া প্রয়োজন? যুক্তরাজ্যের স্কুল ও কলেজের নেতৃবৃন্দের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব স্কুল অ্যান্ড কলেজ লিডার্সের সাধারণ সম্পাদক জেফ বার্টন মনে করেন, এরকম ঘটনার ক্ষেত্রে স্কুলগুলোর অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ প্রচার করা প্রয়োজন। অর্থাৎ সহিংস সন্ত্রাসী হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন স্কুল কর্তৃপক্ষের। কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত কি-না? মানসিক আঘাতের চিহ্নগুলো একেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে একেকভাবে প্রকাশ পায়। তবে মানসিক আঘাতের ক্ষেত্রে সাধারণত শিশুরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকে, সেগুলো হলো: তবে এরকম ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অতিরিক্ত চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক বার্নাডকা ডুবিকা। মিজ. ডুবিকা বলেন, "কিশোর-তরুণদের সিংহভাগই এরকম ঘটনার পর নিজেদের খাপ খাইয়ে নেবে এবং কিছুদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করবে।" আরো পড়তে পারেন: ক্রাইস্টচার্চ হামলা: প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়েছিলেন যারা ক্রাইস্টচার্চ হামলা: হতাহতদের সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে 'কী দেখেছি তা বর্ণনা করার মতো না'
News of a terrorist attack is always frightening, but for parents there is the added dilemma of what to say to their children.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বসানোর পর, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছে বেইজিং অভিযোগ করেছে, অর্থনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে এ নিয়ে অভিযোগও করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক তালিকায় যেসব চীনা পণ্য রয়েছে, তার একটি সিএফ মোটর সাইকেল। চীনের কোম্পানি 'সি এফ মোটো'র তৈরি করা একরকম বারো হাজার মোটর সাইকেল এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে। কিন্তু এখন তাদের এরকম বাণিজ্য অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে। সে কথাই বলছিলেন কোম্পানির অন্যতম ব্যবস্থাপক গাও চিং। ''অতিরিক্ত পঁচিশ শতাংশ ট্যাক্স অবশ্যই আমাদের ব্যবসায় অনেক প্রভাব ফেলবে। এটা আমাদের মুনাফা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।'' যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ কিভাবে আপনার ওপর প্রভাব ফেলবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য সি এফ মোটো আমেরিকানদের চাকরির সুযোগ নষ্ট করে দিচ্ছে। কিন্তু সেটা মনে করেন না গাও চিং। তিনি বলছেন, ''আপনি যদি আমাদের কারখানাটি ভালো করে দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন, যে আমরা আমাদের নিজেদের যোগ্যতাতেই এ পর্যন্ত এসেছি এবং টিকে রয়েছি। সেটা আমরা করেছি আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান মেনেই।'' কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটা মনে করেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, নিয়মনীতি ভেঙ্গে চীনের অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। তিনি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন চীনের প্রধান শিল্পনীতি নিয়ে, যাকে চীনারা বলছে 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ'। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ' নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটা রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে একটি বড় ধরণের পরিকল্পনা, যার উদ্দেশ্য বিশ্বের অর্থনীতিতে চীনের এক নম্বর হয়ে ওঠা। যার প্রধান উপাদান হবে রবোটিক্স এবং ইলেকট্রিক ভেহিকেলসের মতো প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া। সাংহাইয়ের কোম্পানি ফোরইয়া ইন্টেলিজেন্স রবোটিক্স ব্যবহার করে এমন একটি বিশেষ পোশাক তৈরির চেষ্টা করছে, যেটি মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া লোকজনকে হাটতে সহায়তা করবে। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা গু জিয়ে স্বীকার করেন, এটা হচ্ছে সেই ধরণের কোম্পানি, যাদের কথা চীনের 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ' শ্লোগানে বলা হচ্ছে। তার মতে, এই শ্লোগান নিয়ে অন্য দেশের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এই শ্লোগান হচ্ছে চীনের উন্নয়ন ধরে রাখার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মাত্র। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই উপকৃত হবে। তিনি বলছেন, ''চীন হচ্ছে একটি মানব শিশুর মতো। আপনি কখনোই একটি শিশুকে বড় হওয়া থেকে আটকে রাখতে পারবেন না। বরং সেখানে বাধা সৃষ্টি না করে, সেই উন্নয়নে সহযোগী হওয়া, অভিজ্ঞতা দিয়ে তাকে সঠিক পথ দেখানো ভালো, যার মাধ্যমে ভালো অংশীদার হওয়া সম্ভব।'' তবে এসবে সন্তুষ্ট নন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই মুহূর্তে তার শুল্ক তালিকায় রয়েছে সিএফ মোটোর মতো অনেক ভারী শিল্প পণ্য, যা এই কারখানায় তৈরি হয়। এখন চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে পাল্টা জবাব দিতে চাইছে। অন্যদিকে মি. ট্রাম্প চীনে তৈরি প্রায় সব পণ্যের ওপরই শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন। কয়েক দশকের বাণিজ্য সম্পর্কের পর বিশ্বের প্রধান দুই অর্থনীতির দেশ অনিশ্চিত এক বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে এগিয়ে চলেছে। সেখানে অর্থপূর্ণ আলোচনার কোন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। আর কোন পক্ষই যেন নিজেদের মধ্যকার এই দেয়াল ভাঙ্গতে প্রস্তুত নয়। আরও পড়তে পারেন: চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ভূমিকা রেখেছিলেন যে গোপন দূত অপরাধীদের 'স্বর্গরাজ্য' দক্ষিণ আফ্রিকার যে শহর খালেদার আইনজীবী কার্লাইলকে ঢুকতেই দিলো না দিল্লী 'বিরিয়ানি নিয়ে যুদ্ধে' উত্তপ্ত ভারতের দুই রাজ্য
Donald Trump has threatened to impose tariffs worth hundreds of billions of dollars on Chinese imports to the US as a trade war between the world's two largest economies began on Friday.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
হামিদা শহিদ দির একসময় ছিল তালেবানের শক্ত ঘাঁটি। সেখানে মেয়েদের অধিকার ছিল খুবই কম, তাদের এমনকি ভোট দিতেও দেয়া হতো না। গত বছরই দিরের এক কাউন্সিল নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। কারণ সেখানে কোন নারীই ভোট দেন নি। কমিশন তখন বলেছিল, কোন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে হলে ওই এলাকার অন্তত ১০ শতাংশ নারী ভোটারকে ভোট দিতেই হবে। হামিদা শহিদ তারই সুযোগ নিয়েছেন। তিনি সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের দল তেহরিক-এ-ইনসাফের টিকিটে দির আসনে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। "আমি ভাবলাম, একজন নারী যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে সে ভোট চাইতেও পারে" - বলছেন হামিদা শহিদ। এই প্রথম সেখানে একজন নারী নির্বাচনে প্রার্থী হলেন। দির এলাকার পুরুষরা এখনও অভ্যস্ত হচ্ছেন এই নতুন দৃশ্যে - ভোটের জন্য প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন একজন নারী। বিবিসির সুমায়লা জাফরি লিখছেন, হামিদা এখন বাড়ি থেকে বের হলেই তার পুরুষ সমর্থকরা শ্লোগান দেয়, 'পিটিআই জিন্দাবাদ' বলে। পিটিআই-এর পতাকার রঙের একটি স্কার্ফ দিয়েছে ভক্তেরা। সেটা পরে তিনি প্রচারাভিযানে যাচ্ছেন। সারা পাকিস্তানেরই সমস্যা পাকিস্তানে নারীদের ভোট দিতে না পারাটা শুধু যে দির-এর মতো প্রত্যন্ত এলাকারই সমস্যা - তা মোটেও নয়। নির্বাচনী প্রচারে হামিদা শহিদ: তার এলাকায় এটা এক নতুন দৃশ্য বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পাকিস্তানের এবারের নির্বাচন সর্ম্পকে যা জানা জরুরী ইমরান খান কি জয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে ডন পত্রিকার প্রধান বিতর্কে পাকিস্তানের সবখানেই এ সমস্যা আছে, আছে এমনকি পাঞ্জাবেও - যা দেশটির সবচেয়ে উন্নত প্রদেশ। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই নারীদের ভোট দেবার অধিকার আছে। কিন্তু সে অধিকার আইনে থাকা আর বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারা - দুটি আলাদা জিনিস। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম ধুরনাল। এ গ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস আছে - মেয়েদের ভোট দিতে না দেবার। এখানে ১৯৬২ সাল থেকেই এমনটা ঘটছে। পাকিস্তানের পুরুষরা অনেকেই মনে করে - তাদের সম্মানের সাথে নারীদের রক্ষা করাটা জড়িত। সেই বছর ভোটের দিন এ নিয়ে একটা গোলমাল হয়। পুরুষরা অপমানিত বোধ করে নারীদের ভোট দেয়া নিষিদ্ধ করে। অর্ধ শতাব্দীর বেশি পার হয়ে গেলেও এখনো সেই নিষেধাজ্ঞা রয়ে গেছে। এখানে সামাজিক চাপ এতই বেশি যে একজন তরুণী মেয়ে - যে ভোট দিতে ইচ্ছুক - সে তার পরিচয়ও প্রকাশ করতে দিতে চায় নি। চোখ ছাড়া তার মুখ পুরোটাই আবৃত। "আমার জীবনে আমি কোন নারীকে ভোট দিতে দেখিনি। পুরুষরা এ গ্রামের নারীদের ভোট কেন্দ্রে পাঠাতে চায় না। এটা একটা ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে" - তরুণীটি বললেন। বিভিন্ন এনজিও নারীদের মধ্যে কাজ করছে "এখানে একজন পুরুষেরও ক্ষমতা নেই এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর, কারণ তাকেও এ সমাজে টিকে থাকতে হবে।" এখানে স্থানীয় কিছু এনজিও মেয়েদের ভোট দিতে দেবার জন্য কাজ করছে। কিন্তু মেয়েদের সাথে এ নিয়ে কথা বলাটাও একটা কঠিন কাজ। স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম কাজি হাফিজ আলি, যিনি গ্রামের একজন প্রভাবশালী লোক, তিনি মেয়েদের ভোট দেবার ওপর কোন নিষেধাজ্ঞার কথা অস্বীকার করলেন, যদিও মেয়েদের মুখে শোনা যায় ভিন্ন কথা। এখানে ইমরান খানের পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন আম্মার ইয়াসির। তার একটি নির্বাচনী সভায় গিয়ে দেখা গেল সেটা এক পুরুষের জনসমুদ্র। আম্মার ইয়াসির মি. ইয়াসির বললেন, তিনি মেয়েদের ভোট দেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করেন না, কিন্তু এতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা কেউ করে নি। তিনি বলেন, তিনি নিজে এ নিয়ে স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেছেন, তারা ব্যাপারটি বিবেচনা করছেন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনও এ জন্য চেষ্টা করছে। গত বছরই নিয়ম করা হয়েছে যে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার অন্তত ১০ শতাংশ নারী ভোট না দিলে সে নির্বাচন বৈধ বলে গণ্য হবে না। পাকিস্তানের নির্বাচন হবে ২৫শে জুলাই। তার আগে এখন শুরু হয়েছে নারী ভোটারদের তালিকাভুক্ত করার অভিযান। নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা নিঘাত সিদিক অতিরিক্ত ৩০ লাখ নারী এবার ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু তার পরও মনে করা হয়, এখনো ৯০ লক্ষেরও বেশি নারী রয়ে গেছেন তালিকার বাইরে। নির্বাচন কমিশনের জেন্ডার সংক্রান্ত কর্মকর্তা নিঘাত সিদিক বলছেন, তাদের বার্তা লোকের মধ্যে পৌঁছেছে, অনেক নারীই এগিয়ে আসছেন - তারা ভোট দিতে চান। "আমরা নারী-পুরুষ সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। ১০ শতাংশ নারীর ভোট না পড়লে ওই আসনের ফলই ঘোষণা করা হবে না, এবং নতুন করে ভোটগ্রহণ করা হবে।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: হলি আর্টিজান: চার্জশিটে অভিযুক্ত ৮, নেতৃত্বে রোহান 'জিতলে আমি জার্মান, হারলে বিদেশি': ওজিল ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরকে 'নজিরবিহীন যুদ্ধের' হুঁশিয়ারি
Hameeda Shahid is making history. She is standing for parliament in a conservative tribal area of Pakistan which borders Afghanistan.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারীরা রাখছে অনবদ্য ভূমিকা। এমন সময় এই দিবসটি পালন হচ্ছে, যখন বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে এবং কর্মক্ষেত্রে সম মজুরির জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এছাড়া সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গিরও ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, বিজ্ঞাপনে নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, তা খুবই বৈষম্যমূলক এবং নারীর জন্য অবমাননাকর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক শেখ মাহমুদা সুলতানা মনে করেন “নারীর অবস্থান এবং বিজ্ঞাপনগুলোতে তাদের যেভাবে দেখানো হয় তা কোনওভাবেই যৌক্তিক নয়”। “আপনি দেখবেন বিজ্ঞাপনগুলোতে নারীদের অবস্থান মূলত অন্দরমহলে। খেয়াল করে যদি দেখি তাহলে আমরা দেখি নারীদের বড় একটা অংশ বাড়ির পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ব্যস্ত আছেন”। বাথরুম পরিস্কারের একটি বিজ্ঞাপনে নারী। “আক্ষরিক অর্থেই নারীদের বিজ্ঞাপনে মেঝে বা বাথরুম পরিস্কারের মধ্যেই আটকে রাখা হচ্ছে। নারী মডেলদের বেশিরভাগ অংশই দর্শকদের সামনে শারিরীকভাবে একদমই বাথরুমে অবস্থান করেন”-বলেন মিস সুলতানা। “এছাড়া একটি সম্মানজনক পরিসরে হয়তো তাদের দেখা যায় তা হলো বাড়ির রান্নাঘর বা ডাইনিং টেবিল । বাড়ির সদস্যদের কোনও একটি নির্দিষ্ট মসলা বা তেল দিয়ে রেঁধে খাইয়ে তারা অনেক প্রশংসা পান”। আর বিজ্ঞাপনে পুরুষদের অবস্থান নিয়ে শেখ মাহমুদা সুলতান বলেন "বেশিরভাগ সময় দেখা যায় বিজ্ঞাপনে পুরুষেেরা খাবার সামনে নিয়ে বসে আছেন, নারীটি দাড়িয়ে আছেন এবং তিনি খাবার বেড়ে দিচ্ছেন। নারী মূলত সেবা দিচ্ছেন"। "অন্যের জন্য কিছু করতেই তিনি সবসময় ব্যস্ত আছেন এমন একটি ভূমিকাতেই তাদের আটকে থাকতে দেখি। সেটাতো আসলে কোনভাবে যৌক্তিক হতে পারেনা"। তাহলে কি বিজ্ঞাপনে নারীর এমন উপস্থাপন সমাজে নারীর ভূমিকা নির্ধারণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে? শেখ মাহমুদা সুলতানা মনে করেন ‘এটি নেতিবাচক প্রভাবই’। বাংলাদেশের কৃষিকাজে নারীরা বড় একটি ভূমিকা পালন করছে। “কারণ গণমাধ্যম শেখানো ও প্রচারণার একটা ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমের বড় একটা কাজ হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। তো সেদিক থেকে দেখতে গেলে গণমাধ্যম নারীকে যেভাবে দেখাচ্ছে বা দেখতে শেখাচ্ছে সেখানে নারীর সত্যিকারের অবস্থান উঠে আসছেনা। সমাজ বিকাশে নারীর যে অবদান সেটা স্বীকৃতি যেমন পাচ্ছেনা আমরা ভোক্তা শ্রেণীও নারীকে সেভাবেই দেখতে শিখছি। এটাতো নেতিবাচকই। সেক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি কে নিয়ন্ত্রণ করবে? মিস সুলতানা বলেন “সরকারের এক্ষেত্রে বড় করণীয় আছে। যেমন একটি নীতিমালা হতে পারে। আর নীতিমালা হলে আমরা বুঝতে পারবো সরকার আসলেই নারীকে পণ্য হিসেবে দেখতে চাননা। যারা এ বিজ্ঞাপন নির্মাণের সাথে জড়িত তাদের নিয়ে সরকার বসতে পারেন, ভোক্তা শ্রেণীর সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। আলোচনা তৈরি হলে সরকারের প্রয়াস নির্মাতা শ্রেণীও হয়তো আন্তরিকভাবে নিবেন এবং বদল ঘটানোর ব্যাপারে আন্তরিক চেষ্টা করবেন”।
Marches to raise awareness of discrimination against women are taking place in cities around the world to mark International Women's Day.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
নিউ ইয়র্কের জাভিটন সেন্টারের গ্লাস সিলিং। মিসেস ক্লিটনের জন্য এক পরাজয়ের রাত। সমান যোগ্যতা থাকার পরও বিশেষভাবে নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোন মানুষের উন্নতির পথে তৈরি করা যে অদৃশ্য বাধা তাকেই ইংরেজিতে বলা হয় 'গ্লাস সিলিং'। ক্ষমতা এবং লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই শব্দটি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার রাতে মিসেস ক্লিনটন ছিলেন নিউ ইয়র্কের জাভিটস সেন্টারে। সেটাও কিন্তু কাকতালীয় ছিল না। কারণ, নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে বড় কাঁচের ছাদ বা গ্লাস সিলিং রয়েছে এই ভবনে। মিসেস ক্লিনটন ভোটে হেরে গেলেও বিশ্বব্যাপী সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন এমন নারীর সংখ্যা গত এক দশকে দ্বিগুণ হয়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে ক্ষমতাসীন ১৫ জন নারী নেতার মধ্যে আটজনই তাদের দেশের প্রথম নারী নেতা। কিন্তু এর পরও জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১০%-এরও কম দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন নারীরা। গবেষণায় দেখা গেছে, নারী নেতৃত্ব মহিলাদের অনু কিন্তু প্রশ্ন হলো, যেখানে নারী নেতৃত্ব রয়েছে সেখানে নারীদের অবস্থার কি উন্নতি হয়েছে? ভারতের স্থানীয় রাজনীতিতে যে কোটা ব্যবস্থা রয়েছে তার থেকে এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। ভারতে ২০১২ সালের হাজার হাজার তরুণ এবং তাদের বাবা-মায়ের ওপর এক গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা গিয়েছে, গ্রামের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার সাথে নারী নেতৃত্বের একটা সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। জরিপে যখন দম্পতিকে জিজ্ঞেস করা হয়, শিক্ষা এবং চাকরির বিবেচনায় তারা প্রথম সন্তান হিসেবে কাকে বেছে নেবেন? বেশিরভাগ উত্তরদাতা বলেছিলেন তারা ছেলে সন্তান কামনা করেন। কিন্তু যেসব গ্রামে অন্তত দুটি নির্বাচনে নারী নেতৃত্ব ছিল সেখানে ছেলে শিশু এবং মেয়ে শিশুর মধ্যে এই বিভেদ ২৫% কমে গিয়েছে বলে ঐ জরিপে উঠে আসে। সুইটজারল্যান্ডে ২০১২ সালে আরেকটি গবেষণা চালানো হয়। এতে জানা যায়, উপযুক্ত নারী আদর্শ থাকলে তা অন্য নারীদেরও প্রেরণা যোগায়। হিলারি ক্লিনটন এবং আঙ্গেলা মার্কেল (ডানে)। এরা দুজনেই বহু নারীকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এই গবেষণায় একদল ছাত্র- ছাত্রীকে চারটি দলে ভাগ করে একটি ঘরে ঢোকানো হয়। একটি ঘরে ছিল জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের ছবি। আরেকটি ঘরে ছিল তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ছবি। অন্য একটি ঘরে ছিল বিল ক্লিনটনের ছবি। শেষ ঘরে কোন ছবি ছিল না। এই গবেষণায় দেখা যায়, সফল নারী নেতৃত্বের ছবি ছাত্রীদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে। পুরুষ নেতার ছবি দেখে ছাত্রীরা খুব একটা অনুপ্রাণিত বোধ করেননি। গবেষণার ফলাফলে মন্তব্য করা হয়: "রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব শুধু সমতার আকাঙ্ক্ষাই বাড়ায় না, নারী নেতৃত্বের কারণে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা আরও বাড়ে।" নারীদের আরো বেশি হারে রাজনীতিতে আসার সঙ্গে সার্বিকভাবে নারী-পুরুষের সমতার একটা যোগাযোগ রয়েছে বলেও বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম লিঙ্গ বৈষম্যের ওপর যে রিপোর্ট তৈরি করে তার ভিত্তি হচ্ছে চারটি: স্বাস্থ্য ও অকাল মৃত্যু রোধের হার, শিক্ষায় সাফল্য, অর্থনীতিতে যোগদান এবং রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে লিঙ্গ বৈষম্য সবচেয়ে কম ছিল যেসব দেশে - আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড এবং নরওয়ে - সেখানে ক্ষমতায় ছিল নারী নেতৃত্ব। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব দেশে নারীরা রাজনীতিতে জড়িত বেশি সেসব দেশের নারীদের সার্বিক উন্নতিও বেশি হয়। নারী নেতৃত্বের সাথে দেশের নারীদের জীবনমানের সার্বিক উন্নতির সরাসরি যোগাযোগ প্রমাণ করা বেশ কঠিন কাজ। এর পেছনে প্রধান কারণ হলো, গত কয়েক দশকে প্রায় সব দেশেই জীবন-মানের কিছু উন্নতি ঘটেছে, তা সে দেশের ক্ষমতায় নারী নেতৃত্ব থাকুক বা নাই থাকুক। দ্বিতীয় কারণটি হলো, অনেক দেশেই নারী নেতৃত্ব ক্ষমতায় রয়েছে অল্পদিন হলো। ফলে তাদের কারণেই বাকি নারীদের উন্নতি হয়েছে তা প্রমাণ করাও মুশকিল। তবে প্রমাণ দিয়ে যে কথাটি বলা যায় তা হলো, যেখানে নারীরা ঐ গ্লাস সিলিং ভাঙতে পেরেছেন, সেখানে অন্য নারীও অনুপ্রাণিত হয়েছেন বেশি। আর সে সব দেশে নারীদের জীবনের মানও বদলেছে গেছে বেশি।
"I can't believe we just put the biggest crack in that glass ceiling yet... if there are any girls out there that stayed up late to watch - I may become the next woman president, but one of you is next." The words of Hillary Clinton on becoming the Democrat nominee in July 2016.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন টু্‌ইটার আমেরিকার ২০২০ নির্বাচনে নাক গলাচ্ছে। মি. ট্রাম্প কোনরকম তথ্যপ্রমাণ না দিয়ে টুইট করেছিলেন: ''ডাকযোগে পাঠানো ব্যালটপত্রে যে ব্যাপক কারচুপি হবে এটা অস্বীকার করার কোন পথই নেই।'' টুইটার এই পোস্টের সাথে একটি সতর্কবার্তা জুড়ে দিয়েছে এবং এটির সাথে একটি পেজ যুক্ত করে দিয়েছে যাতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই দাবি "ভিত্তিহীন"। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর উত্তর আবার টুইট করে বলেছেন সামাজিক মাধ্যমের এই বিশাল প্রতিষ্ঠানটি ''বাক স্বাধীনতার পুরো কণ্ঠরোধ করছে''। কয়েক বছর ধরেই টুইটারের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিতর্কিত টুইট পোস্ট করা নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। এসব টুইটে মি. ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে অনেক কিছু উড়িয়ে দিয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এ মাসে টুইটার বিভ্রান্তিমূলক তথ্য বিষয়ে তাদের নতুন নীতিমালা চালু করেছে। টুইটারে মি. ট্রাম্পের অনুসারীর সংখ্যা ৮ কোটির বেশি। তবে সম্প্রতি মি. ট্রাম্প তার রাজনৈতিক সহযোগী লোরি ক্লাউসুটিসের মৃত্যু নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে টুইট করেছিলেন যেখানে তার মৃত্যুর জন্য একজন সুপরিচিত সমালোচককে তিনি দায়ী করেছেন- সেই পোস্টটি নিয়ে টুইটার কোন সতর্কবার্তা দেয়নি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ট্রাম্প বলছেন আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত 'সম্মানের' করোনাভাইরাস নয়, চীন এখন আমেরিকার মূল টার্গেট যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে - ট্রাম্প টুইটার কী বলছে? মি. ট্রাম্প পোস্টাল ব্যালট নিয়ে যে টুইট করেছেন টুইটার সংস্থা তার সঙ্গে একটি নীল রংয়ের বিস্ময়বোধক চিহ্ণ জুড়ে দিয়েছে সতর্কবার্তা হিসাবে এবং সেইসঙ্গে একটি লিংক দিয়েছে যাতে পাঠকদের বলা হয়েছে ''মেল-ইন-ব্যালট বা ডাকে পাঠানো ব্যালট নিয়ে তথ্য যাচাই করে নিন''। এই লিংক পাঠকদের নিয়ে যাচ্ছে একটি পাতায় যেখানে মি. ট্রাম্পের দাবিকে বর্ণনা করেছে ''ভিত্তিহীন'' বলে এবং সেখানে সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবরের কথা তুলে ধরা হয়েছে। মহামারির কারণে আমেরিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ডাকযোগে ভোট দেবার জন্য চাপ বাড়ছে, কারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে শংকিত বোধ করছেন সংক্রমণের ভয়ে। একটি গবেষণা সংস্থার সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে আমেরিকার ৬৬% মানুষ করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছে না। তার টুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও লিখেছেন: ''মেল বক্সে ডাকাতি করা হবে, ব্যালটে কারচুপি হবে, এমনকী অবৈধভাবে সেগুলো ছাপানো হবে এবং জাল সই দেয়া হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার গর্ভনর লক্ষ লক্ষ মানুষকে ব্যালটপত্র পাঠাচ্ছেন।'' টুইটার তাদের পাতায় ''আপনার যা জানা প্রয়োজন'' এই শিরোনামে লিখেছে যে, ''মি. ট্রাম্প ভুয়া দাবি করেছেন ডাকে পাঠানো ব্যালটের মাধ্যমে 'একটা কারচুপির নির্বাচন' হবে।'' ''তথ্য যাচাইকারীরা বলছেন ভোট কারচুপির সাথে ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানোর কোন যোগাযোগ আছে এমন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি,'' তারা বলছেন। টুইটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের সাইটে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিলে তারা সতর্কবার্তা দিয়ে লেবেলের ব্যবহার আরও বাড়াবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এধরনের পদক্ষেপ তারা নিয়েছে দেরি করে। মি. ট্রাম্প ফেসবুকেও ডাকযোগে ভোটের কাগজ সম্পর্কে একই দাবি করেছেন। কিন্তু ফেসবুকে তথ্য যাচাইয়ের ব্যাপারে কোন সতর্ক বার্তা দেয়া হয়নি। মি. ট্রাম্প উত্তরে কী বলছেন? মি. ট্রাম্প এর উত্তরে আমেরিকার নির্বাচনে নাক গলানোর জন্য টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এবছর তেসরা নভেম্বর আমেরিকায় নির্বাচন হবার কথা। তিনি বলেছেন, ''টুইটার বাক স্বাধীনতার পুরো কণ্ঠরোধ করছে, এবং, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি এটা হতে দেব না।'' ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অনুসারীদের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে প্রায়ই টুইটার ব্যবহার করেন। মি. ট্রাম্প এ যাবৎ ৫২ হাজারের বেশি টু্‌ইট করেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তার মত পৌঁছে দেবার জন্য তিনি প্রায়ই টুইটার ব্যবহার করেন। তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য টুইটার ব্যবহার করেন - উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনকে লক্ষ্য করে পোস্ট দেয়া থেকে শুরু করে আমেরিকায় তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমকে তিনি খুবই বেশি পছন্দ করেন। ২০১৭ সালে লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে লক্ষ্য করে তিনি মুসলিম বিদ্বেষী টুইট করেছিলেন। বিবিসির উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা অ্যান্টনি জার্চার তখন বলেছিলেন এর মূল লক্ষ্য ছিল আমেরিকাবাসীকে হুঁশিয়ার করে দেশের ভেতরে আসলে একটা রাজনৈতিক বার্তা দেয়া। বিবিসির প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্লেষক জোয়ি টমাস বলছেন মি. টাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, রাজনীতিক ও অন্যান্য ব্যক্তিত্বকে ঘায়েল করতে এতদিন টুইটারকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আসলেও এখন তিনি খোদ এই প্ল্যাটফর্মকে ঘায়েল করার লড়াইয়ে নামবেন। আমেরিকায় অনেক মানুষই কোভিড সংক্রমেণর কারণে ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদিও বলেছেন টুইটারের "এই বাক স্বাধীনতা হরণের নীতি তিনি বরদাস্ত করবেন না" কিন্তু বিবিসির বিশ্লেষক বলছেন টু্‌ইটার একটি বেসরকারি সংস্থা এবং তাদের মাধ্যম নিয়ে তাদের নিজস্ব নীতি প্রণয়নের অধিকার তাদের আছে। কিন্তু সমস্যা হল টুইটার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বা অন্য কোন বিশ্ব নেতার টুইট নিয়ে এধরনের কোন পদক্ষেপ আগে কখনও নেয়নি। অন্যদিকে মি. ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্যের একটা আকর্ষণ রয়েছে তার অনুসারী এবং অন্য টু্ইটার ব্যবহারকারীদের কাছেও। ফলে টুইটার প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের যে বিরাট পাঠককূল আছে সেটাও হারাতে আগ্রহী হবে না। বিবিসির জোয়ি টমাস বলছেন তাদের এই নতুন সর্তকবার্তা দেয়ার পদ্ধতি দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখার একটা নীতি হতে পারে, যেখানে মি. ট্রাম্পের মত বিশ্ব নেতারা অবাধে তাদের মন্তব্য করতে পারবেন, পাঠকও সেগুলো পড়ার সুযোগ পাবে, অন্যদিকে টু্‌ইটারও ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে পাঠকদের হুঁশিয়ার করে দেবার দায়িত্বটাও পালন করতে পারবে।
A post by US President Donald Trump has been given a fact-check label by Twitter for the first time.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ: কিম জং আন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প হাত মেলাচ্ছেন মি. ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার গ্যারান্টির বিনিময়ে কিম জং আন পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার অঙ্গীকার করেছেন। দুই নেতার স্বাক্ষরিত দলিলে মি. কিম কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এর পর এক নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প এমন কিছু খুঁটিনাটি প্রকাশ করেন - কাগজপত্রে যার উল্লেখ নেই। সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক একান্ত বৈঠকের পর মি. ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা 'একটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন পরীক্ষা ক্ষেত্র' ধ্বংস করতে রাজি হয়েছেন, এবং এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করে সামরিক মহড়া চালানো বন্ধ করবে। তিনি এসব যুদ্ধের মহড়াকে 'ব্যয়বহুল এবং উস্কানিমূলক' বলেও বর্ণনা করেন। কেউ কেউ অবশ্য এই মহড়া বন্ধের অঙ্গীকারকে 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড় দিয়েছে' বলে চিত্রিত করতে চাইছেন। তবে এই প্রথম ক্ষমতাসীন অবস্থায় কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং উত্তর কোরিয়ার নেতার বৈঠক হলো - যারা কিছুকাল আগেও পরস্পরের উদ্দেশ্যে অপমানকর ব্যঙ্গবিদ্রুপ ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন। কি ঐকমত্য হলো? শীর্ষ বৈঠকের পর চুক্তি স্বাক্ষর করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং আন শীর্ষ বৈঠকের মূল বিষয় ছিল: পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং উত্তেজনা হ্রাস। স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয় - দুই দেশ নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা করবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে। মি. কিম কোরিয়ান উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ রূপে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার জন্য তার অবিচল এবং দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। কিভাবে এটা করা হবে তা স্পষ্ট করা হয় নি বলে কোন কোন বিশ্লেষক মতামত দিয়েছেন। তাদের কথা : মাত্র দেড় পৃষ্ঠার এই দলিলটি অস্পষ্ট এবং 'এর ভেতরে কিছু নেই।' তবে পরে সংবাদ সম্মেলনে মি, ট্রাম্প বলেন, পরমাণূ অস্ত্র ত্যাগের ব্যাপারটি যেন যাচাই করে দেখা যায় - তাতে মি. কিম রাজী হয়েছেন। মি ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আপাতত: বলবৎ থাকবে, তবে মি. কিম অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলে পরে তা তুলে নেয়া হতে পারে। এই বৈঠকের পর দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, এর মধ্যে দিয়ে শীতল যুদ্ধের যুগের শেষ সংঘাতের অবসান হলো। একে আরো স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়া এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও । চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, এখন উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা যেতে পারে। তবে ইরান বলেছে, এমনও হতে পারে যে মি. ট্রাম্প দেশে ফিরে যাবার আগেই এ চুক্তি বাতিল করে দিতে পারেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: কিম জং আনের এই সুদর্শন দেহরক্ষীরা কারা সরকারি হাসপাতালে খালেদা জিয়ার আপত্তি কেন? মরে যাচ্ছে আফ্রিকার হাজার বছরের প্রাচীন গাছগুলো যেখানে একজনের অপরাধের দায় গোটা সম্প্রদায়ের
US President Donald Trump says his historic talks with North Korean leader Kim Jong-un that ended in a joint agreement were "tremendous".
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
''মাস্ক পড়া খুব ভালো একটা ব্যাপার,'' বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সময় ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যেখানে তিনি আহত সৈনিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ''আমি বরাবরই মাস্কের বিরুদ্ধে, কিন্তু আমার মতে, সেটার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় এবং জায়গা রয়েছে,''হোয়াইট হাউজ থেকে বের হওয়ার সময় তিনি বলেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তিনি মাস্ক পরবেন না। মাস্ক পরার জন্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়ে তিনি ব্যাঙ্গও করেছেন। তবে শনিবার তিনি বলেছেন, ''আমি মনে করি, যখন আপনি হাসপাতালে থাকবেন, বিশেষ করে এরকম নির্দিষ্ট অংশে, যখন আপনার অনেক সৈনিক এবং মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যাদের কেউ কেউ মাত্রই অপারেশন টেবিল থেকে ফিরেছেন, তখন মাস্ক পরা খুব ভালো একটা ব্যাপার।'' গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় মি. ট্রাম্প বলেছিলেন, ''আমি পুরোপুরি মাস্কের পক্ষে।'' তিনি আরও যোগ করেন যে, মাস্ক পরলেও তাকে দেখতে অনেকটা 'লোন রেঞ্জারের' মতো লাগে। লোন রেঞ্জার হচ্ছেন আমেরিকান কল্পকাহিনীর একজন নায়ক, যিনি তার আদিবাসী আমেরিকান বন্ধু টোনটোর সঙ্গে মিলে পশ্চিমা আমেরিকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন। তবে গত এপ্রিল মাসে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য সবার জন্য জনসম্মুখে মাস্ক পরার সুপারিশ করে, মি. ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি সেটা করবেন না। ''আমি এটা করবো বলে মনে হয় না,'' তিনি তখন বলেছিলেন। ''মুখে মাস্ক পরে আমি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরশাসক, রাজা, রানীদের স্বাগত জানাচ্ছি- এমনটা দেখা যাবে বলে আমি মনে করি না।'' গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু খবরে বলা হয়েছে, জনসম্মুখে মাস্ক পরার জন্য বারবার তাকে অনুরোধ করেছেন তাঁর সহকারীরা। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ লুইজিয়ানা রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিকে ইন্ডিয়ানা রাজ্যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে কারণ তার স্বজনরা জানিয়েছেন, মহামারীর কারণে তাকে শেষ দেখার জন্য তারা আসতে পারছেন না। ড্যানিয়েল লি নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ সোমবার কার্যকর করার কথা ছিল। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
US President Donald Trump has held his first campaign rally since the US coronavirus lockdown began, in front of a smaller than expected crowd.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
অভিষেক অনুষ্ঠানে রাজকীয় পোশাকে সম্রাট নারুহিতো তার পিতা সাবেক সম্রাট আকিহিতো স্বাস্থ্যগত কারণে সিংহাসন ত্যাগ করার পর এ বছর মে মাস থেকেই ৫৯ বছর বয়স্ক সম্রাট নারুহিতোর শাসনকাল শুরু হয়েছিল, তবে মঙ্গলবার তার আনুষ্ঠানিক অভিষেক হলো। টোকিও রাজপ্রাসাদে এই অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস সহ কয়েকশ' বিদেশী অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সাড়ে ছয় মিটার উঁচু তাকামিকুরা সিংহাসনে বসা সম্রাট নারুহিতোর পোশাক ছিল হলুদ ও কমলা রঙের। টোকিওর রাজপ্রাসাদে সিংহাসনে নারুহিতো তার স্ত্রী সম্রাজ্ঞী মাসাকো ১২ স্তরের কাপড়ের তৈরি একটি পোশাক পরেন। তিনি বসা ছিলেন অপেক্ষাকৃত ছোট আরেকটি সিংহাসনে। সম্রাট তার সিংহাসনে আরোহণের ঘোষণা পাঠ করার পর প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পড়েন, এবং 'সম্রাট দীর্ঘজীবী হোন' বলে হাঁক দেন। টোকিওর রাজপ্রাসাদ ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম জাপানের সম্রাটের অভিষেক অনুষ্ঠান হলো। তবে সাম্প্রতিক ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের সম্মান দেখাতে রাস্তায় রাজকীয় শোভাযাত্রার কর্মসূচি বাদ দেয়া হয়। শিন্টো ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী এই সিংহাসনে আরোহণের অনুষ্ঠানগুলো হয়। সম্রাজ্ঞী মাসাকো সম্রাটের তিন সম্পদ: আয়না, তলোয়ার ও মূল্যবান পাথর এর কেন্দ্রস্থলে আছে জাপানের সম্রাটের তিনটি সম্পদ - অতি প্রাচীন তিনটি রাজকীয় সামগ্রী, যা রাজকীয় ক্ষমতার প্রতীক। এগুলো হচ্ছে একটি আয়না, একটি তলোয়ার এবং একটি মূল্যবান পাথর। প্রাচীন তলোয়ার এবং রত্ন অভিষেক অনুষ্ঠানে রাখা ছিল, তবে তা দেখানো হয় না। আরো পড়ুন: ২০০ বছরে প্রথম সিংহাসন ছাড়ছেন কোন জাপান সম্রাট মাত্র একটি শব্দে যেভাবে জাপানকে বর্ণনা করা হয় তিন সম্পদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে - যা কাউকে দেখানো হয় না রহস্য ও গোপনীয়তা এই তিনটি রহস্যময় বস্তু কীভাবে জাপানের সম্রাটের রাজকীয় ঐশ্বর্যের মর্যাদা পেলো - সেই ইতিহাস কঠোর গোপনীয়তায় ঘেরা। শিন্টো ধর্মমতে অতীত এবং মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তারকারী অশরীরী আত্মার সাথে সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি রাজকীয় সম্পদ এরই একটা অংশ। মনে করা হয়, জাপানের সম্রাটরা ঈশ্বরের বংশধর এবং দেবতারাই এগুলো তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছেন। এগুলো এতই পবিত্র যে জাপানের বিভিন্ন মন্দিরে সর্বদা লোকচক্ষুর অন্তরালে এসব রাখা হয়। ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লসসহ রাজকীয় অতিথিরা "এগুলো কখন তৈরি হয়েছিল তা কেউ জানে না, এমনকি সম্রাটও কখনো এগুলো দেখেন নি" - বলেন জাপানের নাগোইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিদেয়া কাওয়ানিশি। সম্রাট নারুহিতোর অভিষেকেও এগুলো দেখা যায় নি, পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় তার অবিকল নকল। এমনকি সেই নকল সামগ্রীগুলোও কাউকে দেখানো হয় না। পবিত্র আয়না 'ইয়াতা নো কাগামি' মনে করা হয় এই আয়না এক হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো, এবং এটি রাখা হয়েছে ইসে জিঙ্গু মন্দিরে। সম্রাটের রাজকীয় ধনরত্নের মধ্যে এটিই সবচেয়ে মূল্যবান। পবিত্র আয়না জাপানী উপকথায় বলা হয়, আয়নার স্বর্গীয় ক্ষমতা আছে এবং তা সত্য প্রকাশ করতে পারে। জাপানের প্রাচীন ইতিহাস অনুযায়ী ইয়াতা নো কাগামি নামের এই আয়না তৈরি করেছিলেন দেবতা ইশিকোরিদোম। এর সাথে জড়িয়ে আছে সূর্যের দেবী আমাতেরাসুর নাম। কুসানাগি নোৎসুরুগি: পবিত্র তলোয়ার এর অর্থ হচ্ছে 'ঘাস কাটা তলোয়ার' এবং সম্ভবত এটা রাখা আছে নাগোইয়ার আৎসুতা মন্দিরে। তলোয়ার একে ঘিরে কাহিনি রয়েছে যে আটটি মাথাওয়ালা এক মানুষখেকো সাপের লেজে এই তলোয়ার ছিল। সমুদ্র ও ঝড়ের দেবতা সুসানু ওই সাপকে কৌশলে মদ্যপান করিয়ে মাতাল করে তাকে হত্যা করেন, এবং তার লেজ কেটে ভেতর থেকে ওই তরবারি বের করেন। গুজব রয়েছে আসল তলোয়ারটি দ্বাদশ শতাব্দীতে এক যুদ্ধের সময় সমুদ্রে পড়ে হারিয়ে গেছে। ইয়াসাকানি নো মাগাতামা : পবিত্র রত্ন ইতিহাসবিদরা বলেন, এখন যেটি আছে তা নকল। তারও একটি নকল রাজার অভিষেকে ব্যবহৃত হয়। ১৯৮৯ সালে সম্রাট আকিহিতোকে একটি বাক্সে করে এই তলোয়ার দেয়া হয়েছিল বলে জানা যায়, কিন্তু তা কখনো খোলা হয় নি। ইয়াসাকানি নো মাগাতামা : পবিত্র রত্ন মাগাতামা হচ্ছে এক রকম খোদাইয়ের কাজ করা ছিদ্রবিশিষ্ট পাথর - যা দিয়ে মালা বানানো যায়। খ্রীষ্টপূর্ব ১০০ সাল থেকে জাপানে এরকম পাথর তৈরি হতো। বলা হয়, ইয়াসাকানি নো মাগাতামা হচ্ছে এমন একটি নেকলেসের অংশ যা দেবী আমে-নো-উজুমের জন্য বানিয়েছিলেন তামানুয়া-নো-মিকোতো। বলা হয় এটি সবুজ জেড পাথরের তৈরি, এবং রাজকীয় ধনরত্নের মধ্যে এটিই একমাত্র -যার আসলটিই এখনো টিকে আছে। সূর্যের দেবী আমাতেরাসু: প্রাচীন জাপানী চিত্র এটি রাখা আছে টোকিওর রাজকীয় প্রাসাদে। জাপানের সম্রাটরা আমাতেরাসুর বংশধর বলে মানা হলেও, তারা এখন নিজেদেরকে দেবতা বলে দাবি করেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর জাপানের সম্রাট হিরোহিতো তার দেবতার মর্যাদা ত্যাগ করেছিলেন। অধ্যাপক কাওয়ানিশি বলেন, জাপানের কিছু লোক এখনো মনে করেন যে সম্রাটের এই তিনটি জিনিসের স্বর্গীয় শক্তি আছে, তবে অন্য অনেকেই এগুলোকে রাজকীয় অলংকার বলেই মনে করেন। এগুলোর গুরুত্ব এখানেই যে তারা সম্রাটের মহিমার সাথে সম্পর্কিত এবং এ পরিবারের প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতীক। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে ভোলায় হিন্দুদের বাড়ি, মন্দিরে হামলার ঘটনাও ঘটেছিল ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ষড়যন্ত্রের অংশ - পাপন
Japan's Emperor Naruhito has formally proclaimed his ascension to the throne in an elaborate ceremony.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনের হত্যার পর পাকিস্তানে আমেরিকান-বিরোধী বিক্ষোভ। তিনি যে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তাকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিহাদি দল বলে বিবেচনা করা হতো। এক সময় এই সংগঠনে হাজার হাজার যোদ্ধা ছিল। এক সময় এই সংগঠন আর্থিক ক্ষমতার দিক দিয়ে ছিল অনেক শক্তিশালী। কিন্তু এর দল-নেতার মৃত্যু আর ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর উত্থানের সাথে সাথে আল-কায়েদার ক্ষমতা এবং প্রভাব অনেকখানি কমে গিয়েছে বলে মনে করা হয়। তাহলে প্রশ্ন হলো এই দলটি এখন কত প্রভাবশালী? বিশ্ব নিরাপত্তার প্রতি আল-কায়েদা এখন কত বড় হুমকি? নি:শব্দ প্রত্যাবর্তন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আইএস সংবাদের শিরোনাম দখল করে রাখলেও, আল-কায়েদা গোপনে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার কৌশল অবলম্বন করেছে এবং সমমনা আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলির সাথে জোট তৈরি করছে। ইউএস ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স জোট তার সর্ব-সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলছে, "আল-কায়েদার শীর্ষ নেতারা এই সংগঠনের বিশ্বব্যাপী কাঠামো জোরদার করছে এবং পশ্চিমা দেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে।" যেসব দেশে তৎপর আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের হুমকির ওপর জাতিসংঘ এ বছরের গোড়ার দিকে তার একটি রিপোর্টে বলছে, আল-কায়েদা "আগের চেয়েও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে …সংগঠনটি এখনও অনেক অঞ্চলে তৎপর রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটা নিজেকে আরও বেশি করে পরিচিত করতে চাইছে।'' গত ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেনের গোয়েন্দা প্রধান অ্যালেক্স ইয়াংও আল-কায়েদার পুনরুত্থানের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলেন। সহযোগী দলগুলোর নেটওয়ার্ক মার্কিন বাহিনীর ক্রমাগত ড্রোন হামলা, এর শীর্ষ নেতাদের হত্যা এবং ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ - এসব কারণে আল-কায়েদাকে নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হচ্ছে। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এবং পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ায় এটা সফলভাবে কতগুলো 'শাখা' বা সহযোগী সংগঠনের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। এই সহযোগী সংগঠনগুলো হচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু জঙ্গি দল যারা কোন দেশের মধ্যে গোপনে তৎপর এবং যারা আল-কায়েদার নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে। আইএস যেমনটা করছে, আল-কায়েদা কখনই স্থানীয় জনগণের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করেনি। এর নতুন একটি কৌশল হচ্ছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে আত্মনিয়োগ করা। আল-কায়েদার অনুগত আল-শাবাব সোমালিয়ায় নিয়মিতভাবে হামলা চালায়। আরো পড়তে পারেন: আইএস জঙ্গিরা কি বাংলাদেশে ফেরত আসছে? নিরাপদ পানি: গণশুনানিতে ওয়াসা এমডির পদত্যাগ দাবি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ঠেকানোর পথ খুঁজছে রেলওয়ে গত ২০১৩ সালে আল-কায়েদা যে ''জিহাদের সাধারণ নিয়মাবলী'' প্রকাশ করেছিল তাতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ঐ দলিলে আরও বেশি সংযত আচরণের কথা বলা হয়েছিল এবং সমাজকে সাথে নিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। তাদের যোদ্ধাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তারা এমন কিছু যেন না করে "যাতে তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়।" "আল-কায়েদা এখন দুর্নীতি আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার মতো বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছে," বলছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পেমব্রোক কলেজের শিক্ষক ড. এলিজাবেথ কেনডাল, "বিশ্বব্যাপী জিহাদের এজেন্ডায় তারা এসব বিষয় ঢুকিয়ে দিয়েছে।" "এর মধ্য দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে মানুষের সামনে 'উদ্ধারকর্তা' হিসেবে হাজির হচ্ছে এবং আইএস-এর নিষ্ঠুরতার বিপরীতে 'ভাল জিহাদি' হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছে।" আল-কায়েদা তার শাখাগুলোর মাধ্যমে তাদের হামলার সংখ্যাও বাড়িয়ে দিয়েছে। দা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আল-কায়েদা তার সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশে মোট ৩১৬টি হামলা পরিচালনা করেছিল। আল-কায়েদার শাখা আল-কায়েদা ইন দ্যা ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম) প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালে। আলজেরিয়া-ভিত্তিক একটি জঙ্গি দল এটা চালু করে। আলজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে এটি সাহেল এবং পশ্চিম আফ্রিকার দিকে সরে যায়। আল-কায়েদা ইন দ্যা অ্যারাবিক পেনিনসুলা (একিউএপি) প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। ইয়েমেন এবং সৌদি আরবে তৎপর দুটি আন্তর্জাতিক জিহাদি নেটওয়ার্ক এক হয়ে এই সংগঠনটির জন্ম দেয়। আল-কায়েদা ইন দ্যা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে তৎপর। এটি ২০১৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) আল-কায়েদার একটি সহযোগী সংগঠন। মালি এবং পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন মিলে এটি তৈরি করেছে। আল-শাবাব সোমালিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকাতে তৎপর। এটি ২০১২ সালে আল-কায়েদার প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেছে। হায়াত তাহ্‌রির আল-শাম (এইচটিএস) তৈরি হয়েছে সিরিয়ার কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে। এইচটিএস এখন উত্তর সিরিয়ার ইডলিব প্রদেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। আল-কায়েদা ইন ইজিপ্ট মিশরের সিনাই মালভূমিতে সক্রিয়। আল-কায়েদার সমর্থক বেশ কয়েকটি দল মিলে এই গোষ্ঠীটি তৈরি হয়েছে। হামজা বিন লাদেনের অবস্থান কেউ জানে না। ভবিষ্যতের নেতৃত্ব? গত ২০১৫ সালে আল-কায়েদার বর্তমান নেতা আইমান আল-জোয়াহিরি এক তরুণকে বিন-লাদেনের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের গোষ্ঠী থেকে আসা ''একটি সিংহ'' হিসেবে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। ঐ তরুণের নাম হামজা বিন লাদেন। তিনি ওসামা বিন লাদেনের এক ছেলে। মনে করা হচ্ছে তিনিই আল-কায়েদার ভবিষ্যৎ নেতা। মার্কিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হামজাকে বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছে। আল-কায়েদাপন্থী ওয়েবসাইটগুলোতে ৩০-বছর বয়সী হামজা বিন লাদেনকে উঠতি তারকা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। লন্ডনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজের লিনা খতিবের মতে, "আইএস খিলাফতের পতনের পর আল-কায়েদা তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে।" "তারা এখন বেশি নির্ভর করছে এমন এক নেতার ওপর যিনি কৌশলে দক্ষ। আল-কায়েদার নেতার পদে তার বাবার উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে এটা হামজাকে বেশ সাহায্য করছে।"
Al-Qaeda leader Osama Bin Laden has been killed by US forces at his compound in north-west Pakistan.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
পার্কার সোলার প্রোবের উৎক্ষেপণ নির্ধারিত সময়ের একদিন পর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল নাসার নভোযানটি উৎক্ষেপণ করা হলো। এটি সূর্যের ৬০ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে গিয়ে পৌঁছাবে এবং সূর্যের এত কাছাকাছি এর আগে কোন যানই যেতে পারে নি। সূর্যের যে উজ্জ্বল আলোকছটার অংশটি সূর্যগ্রহণের সময় দেখা যায় - যাকে বলে 'করোনা', এই যানটি তার ভেতর দিয়ে উড়ে যাবে। বলা হচ্ছে, ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে প্রোবের। চারটি ডেল্টা-ফোর রকেট দিয়ে উপগ্রহটি মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে 'প্রোব' কে উৎক্ষেপণের কথা ছিল শনিবার সকালে। তবে শেষ মূহুর্তে বাড়তি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তা ১৪ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবিশ্বাস্য গতির নভোযান সাত বছর ধরে সূর্যের চারদিকে ২৪ বার প্রদক্ষিণ করবে এই স্যাটেলাইট। সে সময় এটির গতি হবে ঘণ্টায় কমপক্ষে ৬৭০,০০০ কিলোমিটার। ৬০ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে। এই প্রকল্পের অন্যতম বিজ্ঞানী ড. নিকি ফক্স বলেছেন, "আমি বুঝতে পারছি ৬০ লাখ কিমি দূরত্বকে কখনই নিকট দূরত্ব বলে মনে হবেনা, কিন্তু যদি ধরে নেয়া হয় ভূপৃষ্ঠ এবং সূর্যের দূরত্ব এক মিটার, তাহলে প্রোব সূর্য থেকে মাত্র ৪ সেমি দূরে থাকবে।" উৎক্ষেপণের জন্য তৈরি পার্কার সোলার প্রোব প্রোব যে গতিতে চলবে তা নজিরবিহীন। ড ফক্স বলছেন,"এত দ্রুতগতির কোনো কিছু আগে তৈরি হয়নি। সূর্যের চারদিকে এটি প্রতি ঘণ্টায় ৬৯০,০০০ কিমি পর্যন্ত গতিতে ঘুরবে। অর্থাৎ এই গতিতে নিউইয়র্ক থেকে টোকিও যেতে লাগবে এক মিনিটেরও কম সময়।" বলা হচ্ছে, মনুষ্য-বিহীন এই নভোযান, যেটি একটি স্যাটেলাইটের মত কাজ করবে, তা সূর্যের যতটা কাছে যাবে এর আগে মানুষের তৈরি কোন যান এত কাছে যায়নি। সূর্যের চারদিকে উজ্জ্বল আভাযুক্ত যে এলাকা, যেটি 'করোনা' নামে পরিচিত, সরাসরি সেখানে গিয়ে ঢুকবে এই স্যাটেলাইট। তারপর সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে করতে বোঝার চেষ্টা করবে এই নক্ষত্রের আচরণ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: স্মৃতিতে নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ভিএস নাইপল নিরাপদ সড়ক:শৃঙ্খলা ফেরাতে যেসব বাধার মুখে পুলিশ তুরস্কে কম খরচে বেড়ানোর আসল সময় এখন তাপ থেকে রক্ষায় পুরু কম্পোজিট কার্বনে মোড়া থাকবে পার্কারের যন্ত্রপাতি কেন এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ? সূর্য কীভাবে কাজ করে, তা বুঝতে সাহায্য করবে পার্কার নামের এই স্যাটেলাইট। সূর্য তার বৈদ্যুতিক বিভিন্ন কণা এবং চৌম্বক শক্তি দিয়ে পৃথিবীকে সবসময় প্রভাবিত করছে। এই 'সোলার উইন্ড' বা সূর্য থেকে নিঃসরিত বাতাসের প্রভাবে উত্তর মেরুর আকাশে তৈরি হয় অদ্ভুত সুন্দর রংচঙে আলোর খেলা। কিন্তু সূর্যের কিছু প্রবাহ পৃথিবীর চৌম্বক শক্তির ভারসাম্য বিঘ্নিত করে ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে, মহাকাশে স্যাটেলাইটগুলো কক্ষচ্যুত হতে পারে, এমনকি বৈদ্যুতিক গ্রিড বিকল হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা সেই সব বিপদ আগে থেকে বোঝার চেষ্টা করছেন। পার্কার আগাম তথ্য দিয়ে এ কাজে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে। কেন সূর্যের এত কাছাকাছি যাওয়া দরকার? উৎক্ষেপণের পর মেঘের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে প্রোব 'করোনা' বা সূর্যের চারদিকের উজ্জ্বল আভাযুক্ত যে এলাকা সেটির অদ্ভুত আচরণ বিজ্ঞানীদের কাছে বড় রহস্য। সূর্যপৃষ্ঠের চেয়ে করোনার তাপমাত্রা বেশী। সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রা যেখানে ৬,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত, করোনা অঞ্চলের তাপমাত্রা কয়েক মিলিয়ন ডিগ্রি হতে পারে। কেন এই ফারাক - তার সুনির্দিষ্ট উত্তর এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। এছাড়া, সূর্য থেকে নিঃসরিত বাতাস যখন করোনায় প্রবেশ করে, তখন তার গতি হঠাৎ তীব্রভাবে বেড়ে যায়। এই গরম বাতাস তখন প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ কিমি বেগে সোলার সিস্টেমের ভেতর দিয়ে ধেয়ে চলে। পার্কার করেনার বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের বিভিন্ন তথ্য পাঠাতে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যের আলো থেকে শক্তি নিয়ে টিকে থাকবে পার্কার কীভাবে টিকে থাকবে পার্কার? এখন থেকে ৬০ বছর আগে প্রথম সূর্যের কাছাকাছি নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সূর্যের কাছে পাঠানোর জন্য যে ধরণের নভোযান তৈরির প্রয়োজন সেই প্রযুক্তি এতদিন পরে বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। সোলার চালিত এই নভোযানের যন্ত্রপাতি থাকবে ৪.৫ ইঞ্চি পুরু কম্পোজিট কার্বনের আবরণে দিয়ে মোড়া। ফলে ভেতরের তাপমাত্রা সবসময় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে থাকবে। রক্ষা পাবে ভেতরের যন্ত্রপাতি এবং কম্প্যুটার।
Just weeks after making the closest ever flyby of the Sun, Nasa's Parker Solar Probe is sending back its data.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা হাতে উদযাপন করছেন মেক্সিকো সমর্থকরা। বুধবার জার্মানির বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়া ২-০ গোলে জয় পাওয়ার ফলে সুইডেনের কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও পরের পর্ব নিশ্চিত করে মেক্সিকো। ম্যাচশেষে মেক্সিকো সিটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসে বিপুল সংখ্যক মানুষ মেক্সিকোর পরের রাউন্ডে উত্তরণ উদযাপন করে। সেখানে জড়ো হওয়া মানুষ কোরিয়ানদের 'ভাই' বলে শ্লোগান দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া আর মেক্সিকোর মিশ্র পতাকা, বন্ধুত্ব ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পোস্ট আর টুইট, এমনকি কোরিয়ান পপ সঙ্গীত বা কে-পপ শোনার প্রতিজ্ঞা করেও অনলাইনে পোস্ট দেন মেক্সিকানরা। মেক্সিকোর একটি পানশালায় ২২ বছর বয়সী সেসিলিয়া গঞ্জালেজ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, "ধন্যবাদ কোরিয়া। আমি জানিও না দেশটি কোথায় কিন্তু তোমাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।" রাশিয়ার একটি বিশ্বকাপ পার্কে সুইডেন আর মেক্সিকোর সমর্থকরা একসাথে 'বিদায় জার্মানি' স্লোগান দিয়ে তাঁদের দলের পরের পর্বে যাওয়া উদযাপন করেন। দক্ষিণ কোরিয়া আর মেক্সিকোর মিশ্র একটি পতাকার ছবি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। জার্মানিকে হারানোয় অনেক দক্ষিণ কোরিয়ানও ইন্টারনেটে তাদের আনন্দ প্রকাশ করেন। বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে দক্ষিণ কোরিয়া খালি হাতে বিদায় নিলেও, রাশিয়ায় খেলা দেখতে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ান সমর্থকরা হয়তো দেশে ফেরার আগে পাবেন বেশকিছু মেক্সিকান বন্ধু।
Mexican football fans have been wildly cheering another team - South Korea.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
অ্যামনেস্টি বলছে, আরসা হিন্দুদের ওপর আক্রমণের সময় শিশুদেরকেও রেহাই দেয়নি এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি বা আরসা নামে পরিচিত। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরসা রাখাইনে একটি অথবা দু'টি গণহত্যা চালিয়ে শিশুসহ ৯৯জন হিন্দুকে হত্যা করেছে। তবে আরসা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আরো পড়ুন: সশস্ত্র রোহিঙ্গা মুসলিম গোষ্ঠী 'আরসা'র নেপথ্যে কারা? পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা হিন্দু শরণার্থীরা কী বলছেন? রাখাইনে হিন্দুদের গণকবর আরসা তার নেতা আতা উল্লাহকে নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছিল তবে অ্যামনেস্টি বলেছে, গত অগাস্টে বার্মিজ বাহিনীর বিরুদ্ধে আরসা'র বিদ্রোহের প্রথম দিনেই হিন্দুদের হত্যার এই ঘটনা ঘটে। বার্মিজ বাহিনীর বিরুদ্ধেও রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন এবং গণহত্যা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে গত অগাস্ট থেকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। অবশ্য বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে কয়েকশ হিন্দুও রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাটি এর আগে রোহিঙ্গা মুসলামানদের উপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলা এবং নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছিল। এখন সংস্থাটি রাখাইনের বাসিন্দা হিন্দুদের উপর রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরলো। অ্যামনেস্টি বলেছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের সাথে কথা বলে এবং রাখাইন থেকে তারা আরসা'র হাতে হিন্দুদের নির্বিচারে হত্যার তথ্য প্রমাণ পেয়েছে। এর ভিত্তিতে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৬শে অগাস্ট সকালে আরসা সদস্যরা রাখাইনের মংডু'র উত্তরাঞ্চলের আহ নুক খা মং সেইক গ্রামে হিন্দুদের উপর আক্রমণ চালায়। কালো পোশাকের সশস্ত্র লোকজনের সাথে স্থানীয় সাধারণ রোহিঙ্গারা মিলে গ্রামটিতে হিন্দু নারী, পুরুষ এবং শিশুদের ঘিরে ফেলে নির্যাতন চালায়। তারা এই গ্রাম থেকে ৫৩ জন হিন্দুকে ধরে অন্য জায়গায় নিয়ে হত্যা করে। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে আরেকটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আরসা সদস্যরা শিশুসহ আটজন হিন্দু নারীকে তুলে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের চাপ দিয়েছিল। একপর্যায়ে ঐ হিন্দু নারীরা তাদের শিশুদের নিয়ে আরসা সদস্যদের সাথে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।অবশ্য পরে তারা আবার মিয়ানমারে ফিরে যায়। যে গ্রামে আরসা সদস্যরা হিন্দুদের উপর নির্যাতন গণহত্যা চালিয়েছে, সেই গ্রামের একজন নারী অ্যামনেস্টিকে বলেছেন, "হামলাকারিদের হাতে ছুরি এবং লোহা রড ছিল। তারা আমাদের হাত চোঁখ বেঁধে রাখতো।" আরসার হাতে থেকে বেঁচে ফেরা হিন্দু নারীদের কয়েকজন তাদের আত্নীয় স্বজনকে মেরে ফেলতে দেখেছেন। অ্যামনেস্টি বলেছে, রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী যেমন মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে, আরসার বর্বরতাও তার থেকে কম কিছু নয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিদেশি সামরিক দূতরা কেন রোহিঙ্গা শিবিরে যাচ্ছেন ‘রোহিঙ্গা সঙ্কটের যাদুকরী সমাধান নেই’- রুশ প্রতিনিধি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ কি করতে পারে?
Rohingya Muslim militants in Myanmar killed dozens of Hindu civilians during attacks last August, according to an investigation by Amnesty International.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
কোভিড-নাইনটিনের একটি উপসর্গ কাশি। এজন্য কর্তৃপক্ষ এই রোগ থেকে সেরে উঠা লোকজনকে রক্ত দেওয়ার আহবান জানিয়েছে। এনএইচএস ব্লাড এন্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট বলছে, এই রক্ত দিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে তারা পরীক্ষা চালাবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছে, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেটা দিয়ে তারা রোগীর শরীরে থাকা ভাইরাসটি নির্মূল করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই এবিষয়ে বড় ধরনের গবেষণা শুরু হয়েছে। তাতে অংশ নিচ্ছে দেড় হাজারেরও বেশি হাসপাতাল। রক্তের এন্টিবডি দিয়ে ভাইরাসটি মোকাবেলা করা হবে। কীভাবে কাজ করবে? যখন একজন ব্যক্তি কোভিড-নাইনটিন রোগে আক্রান্ত হন তার শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করতে এন্টিবডি তৈরি করে। এই এন্টিবডি করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করে। সময়ের সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের তরল পদার্থ প্লাজমায় প্রচুর পরিমাণে এন্টিবডি তৈরি হয়। এনএইচএস ব্লাড এন্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট বলছে, তারা এখন প্লাজমার এই এন্ডিবডি ব্যবহারের পদ্ধতিটি কাজে লাগাতে চায়। কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-নাইনটিন থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত রক্ত অসুস্থ মানুষের শরীরে সঞ্চালিত করলে কতোটা কাজ হয় সেটা তারা এখন পরীক্ষা করে দেখবেন। সংস্থাটির দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “আমরা মনে করি কোভিড-নাইনটিন রোগীদের সম্ভাব্য চিকিৎসায় এটি হবে প্রাথমিক এক গবেষণা।” এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে বলা হয় কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। করোনাভাইরাস। “এই পরীক্ষায় দেখা হবে কনভালেসেন্ট প্লাজমা কোভিড-নাইনটিন রোগীর শরীরে সঞ্চালিত করার পর সেটি কতো দ্রুত তাকে সারিয়ে তুলতে পারে এবং এর ফলে তার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা কতোখানি বৃদ্ধি পায়।” তবে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে মানুষের দেহে এই পরীক্ষা চালানো হবে। এর ফলে রোগীর যাতে ক্ষতি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। এবিষয়ে কতো দ্রুত পরীক্ষা শুরু করা যায় তার জন্য সংস্থাটি সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। কোভিড-নাইনটিন রোগের চিকিৎসায় রক্তের প্লাজমার ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন গ্রুপ কাজ করছে। কার্ডিফে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অফ ওয়েলস এই সপ্তাহে ঘোষণা করেছে যে তারাও এই পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে চায়। এছাড়াও আরো কয়েকটি হাসপাতালে এই পরীক্ষা চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অ্যাকাডেমি অফ মেডিকেল সায়েন্সেসের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর স্যার রবার্ট লেকলার বলেছেন, তিনি চান করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ রোগী, যাদের আর কোনো চিকিৎসার উপায় নেই, তাদের শরীরে এই কনভালেসেন্ট প্লাজমা চিকিৎসা চালানো হোক। তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কিছু রোগীকে এই চিকিৎসা না দেওয়া যায় তাহলে সেটা হবে হতাশাজনক। এই কাজটা খুব দ্রুত শুরু করতে হবে।” তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা পরীক্ষা করে দেখার ব্যাপারে ব্রিটেন ইতোমধ্যে দেরি করে ফেলেছে। বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক কোভিড-১৯ সংক্রমণের মানচিত্র করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই প্লাজমা চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সারা দেশে কোভিড-নাইনটিন রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার ব্যক্তিদের রক্ত সংগ্রহ করতে শুরু করে। এবং এই সময়ের মধ্যে তারা প্রায় ছ’শো রোগীর ওপর এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন করেছে। মায়ো ক্লিনিকের প্রফেসর মাইকেল জয়নার এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, “প্রথম সপ্তাহে আমরা যা শিখেছি তা হলো এখানে বড় ধরনের কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি চোখে পড়েনি এবং রোগীর শরীরে অপ্রত্যাশিত কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।” “কিছু কিছু ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রার উন্নতি হওয়ার খবর পেয়েছি এবং রোগীরও কিছু উন্নতি হয়েছে। এগুলো আশাব্যাঞ্জক তবে এসব ফলাফল আরো গভীরভাবে যাচাই করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে,” বলেন তিনি। তিনি জানান, এই চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করার জন্য মোটামুটি প্রস্তুত। “প্লাজমার ব্যাপারে এখনও অনেক কিছুই আমরা বুঝি না। প্লাজমার মধ্যে আরো কী কী উপাদান আছে, সেখানে অ্যান্টিবডির মাত্রা কতোখানি, এবং আরো কিছু বিষয় হয়তো আগামীতে জানা যাবে।” “কিন্তু কখনো কখনো একজন চিকিৎসক হিসেবে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনাকে একটা উদ্যোগ নিতে হবে।” আগের মহামারির অভিজ্ঞতা অসুখ থেকে সেরা ওঠা রোগীর রক্তের ব্যবহার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন কিছু নয়। একশো বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সময়েও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি এবোলা ও সার্স রোগের চিকিৎসাতেও এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি প্রয়োগের ওপর এখনও পযন্ত ছোট খাটো কিছু পরীক্ষা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড-নাইনটিনের চিকিৎসায় এই প্লাজমা পদ্ধতি কতোটুকু কাজ করবে সেটা জানতে এনিয়ে আরো অনেক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য রক্ত দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই বহু মানুষ এগিয়ে এসেছে। কোভিড-নাইনটিন থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়া লোকের কাছ থেকে রক্তদানের আহবান জানানোর পর বিভিন্ন কেন্দ্র ও হাসপাতালে মানুষের হিড়িক পড়ে গেছে। নিউ ইয়র্ক ব্লাড সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসার ব্রুস সেকিস বলেছেন, “শত শত মানুষ আসছে রক্ত দিতে। আমরা মাত্র এক হাজার ইউনিট সংগ্রহ করতে পেরেছি।” “এই ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা যে সেরে ওঠার পর আক্রান্ত অন্য ব্যক্তিদের এভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন এটা খুবই হৃদয়গ্রাহী ব্যাপার।” তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন এটাও মনে রাখতে হবে যে এই প্লাজমা ‘ম্যাজিক বুলেট’ হিসেবে কাজ করবে না। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা যেখানে এতোটাই সীমিত সেখানে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার আগ পযন্ত কনভালেসেন্ট প্লাজমা পদ্ধতি কোভিড-নাইনটিন রোগ থেকে সেরে ওঠার ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সাহায্য করবে।
The UK is gearing up to use the blood of coronavirus survivors to treat hospital patients ill with the disease.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
লোগান পলের একটি বিতর্কিত ভিডিও ব্লগ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। ইউটিউবের চীফ এক্সিকিউটিভ সুজান ওজস্কি বলেছেন, কিছু ভিডিও ব্লগারের খুবই বাজে ধরণের আচরণ পুরো ভিডিও ব্লগার কমিউনিটির ক্ষতি করছে। সম্প্রতি একজন জনপ্রিয় ভিডিও ব্লগার লোগান পল একটি ভিডিওতে একজন আত্মহত্যাকারীর মৃতদেহ দেখানোর পর ইউটিউবের ব্যাপক সমালোচনা হয়। জাপানের একটি জঙ্গল, যেটি 'সুইসাইড জঙ্গল' বলে পরিচিত, সেখানে এই মৃতদেহ পড়েছিল। প্রতি বছর সেখানে অনেক মানুষ আত্মহত্যা করতে যায়। উল্লেখ্য জাপানের আত্মহত্যার হার খুব বেশি। এ ঘটনার পর অবশ্য ইউটিউব কর্তৃপক্ষ লোগান পলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয়। ইউটিউবে বিতর্কিত কোন ভিডিওর পাশে যেন বিজ্ঞাপন দেখা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে ইউটিউব তাদের 'এলগরিদম' ব্যবহার করছে। কিন্তু ইউটিউবে ভিডিও ব্লগিং করে তারকায় পরিণত হয়েছেন এমন অনেকে অভিযোগ করছেন, তাদের ভিডিওকে এখন ভুলবশত এই ক্যাটাগরিতে ফেলে বিজ্ঞাপন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী সুজান ওজস্কি তারা আরও অভিযোগ করছেন, ইউটিউবের নীতিমালায় স্বচ্ছতার অভাব আছে। তবে একটি ব্লগ পোস্টে ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী সুজান ওজস্কি বলেছেন, তিনি ইউটিউবের ব্যাপারে মানুষের যে আস্থা সেটা আরও বাড়াতে চান। তিনি বলেন, কিভাবে নানা সমস্যার আরও ভালো সমাধান খোঁজা যায়, তারা সেই চেষ্টা করছেন। এজন্যে ভিডিও পর্যালোচনার কাজটি এখন আরও বেশি মডারেটর নিয়োগের মাধ্যমে করার কথা ভাবা হচ্ছে। "কেউ বাজে কিছু করলে তার জন্য যেন পরিণতি ভোগ করতে হয় সে ধরণের নীতিমালা আমরা এখন তৈরি করছি।" ইউটিউব তাদের কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে চায়। সুজান ওজস্কি বলেন, "যদিও এরকম বাজে কাজের ঘটনা বিরল, কিন্তু তারপরও এটি ইউটিউবের সুনামের বড় ক্ষতি করতে পারে। ইউটিউবের একজন বড় তারকা হ্যাংক গ্রীন এক ব্লগ পোস্টে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
YouTube says it is developing new policies to deal with video-makers who damage the reputation of the website.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
মি: ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত পৃথিবীকে উত্তপ্ত গ্রহে পরিণত করবে বলে সতর্কও করে দিয়েছেন স্টিফেন হকিং। স্টিফেন হকিংয়ের ৭৫ তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিবিসির সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী বলেন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। " আমরা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের এমন এক পর্যায়ে আছি যা আরেকটু বেশি হলে সেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব নয়। ট্রাম্পের এমন ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত পৃথিবীকে আরেকটি ভেনাসের রূপান্তরিত করতে পারে, যেখানে থাকবে দুইশো পঞ্চাশ ডিগ্রি তাপমাত্রা এবং সালফিউরিক এসিডের বৃষ্টিপাত" বিবিসিকে বলেন স্টিফেন হকিং। জলবায়ু পরিবর্তনকে তিনি পৃথিবীতে বিদ্যমান 'সবচেয়ে বড় বিপদ' বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন। "জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের বড় বিপদগুলোর মধ্যে একটি এবং এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিলে আমরা ক্ষতি রোধ করতে পারি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রমাণ অস্বীকার করে এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবেশের ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আমাদের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবীটাকে বিপজ্জনক করে তুলেছেন।" এদিকে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচকদের প্যানেল আইপিসিসিতে পৃথিবীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ও এর সম্ভাব্য ঝুঁকি গুরুত্বের তুলে ধরা হয়েছে। আইপিসিসি লেখকদের মতে- "জলবায়ু পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট মাত্রাটি (অচলাবস্থান বা অপরিবর্তনীয় অবস্থার সর্বোচ্চ মান) নিশ্চিত করতে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে অচলাবস্থার দিকেই যাচ্ছে। যা মানুষ এবং প্রাকৃতিক কারণেই হচ্ছে।" আমরা কি কখনো আমাদের পরিবেশগত সমস্যা ও মানব সংঘাতের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হতে পারবো? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্টিফেন হকিং বলেন- "পৃথিবীতে আমাদের দিন হিসেবের।" "আমার মনে হয় বিবর্তন মানুষের মনের লোভ ও সহিংসতা জাগিয়ে তুলছে। মানব সংঘাত কমার কোনো লক্ষণ নে। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিকাশ এবং মারাত্মক অস্ত্রগুলো মানুষের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে যেকোনো সময়"। "মানবজাতির বেঁচে থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্বাধীনভাবে উপনিবেশ স্থাপন।" আরো পড়ুন: জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল মাথার খুলি দিয়ে নির্মিত ভবনের সন্ধান মিললো মেক্সিকোতে 'আমি তাঁকে জীবিত, অক্ষত ফেরত পেতে চাই'
Stephen Hawking says that US President Donald Trump's decision to pull out of the Paris climate agreement could lead to irreversible climate change.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সাগর সেজওয়ালের একটি ছবি ভারতে নির্যাতন ও বৈষম্যের হাত থেকে দলিত সদস্যকে রক্ষায় আইন থাকলেও সরকারি হিসেব অনুসারে শুধুমাত্র ২০১৬ সালে তাদের বিরুদ্ধে এরকম ৪০ হাজারেরও বেশি অপরাধের অভিযোগ পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে। অতীতে যেসব বিষয়কে কেন্দ্র করে সমাজের উচ্চ বর্ণের সাথে দলিত সমাজের সংঘর্ষ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে জমিজমা, বেতন ও মজুরি, পানি, বাড়িঘর ইত্যাদি। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে তরুণ দলিত প্রজন্মের মধ্যে আশা আকাঙ্ক্ষা তৈরি হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে এরকম কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো: মরদেহ পাওয়া যায় মাঠে সাগর সেজওয়াল ২৪ বছরের এক ছাত্র। পড়াশোনা করছিলেন নার্সিং বিষয়ে। এক বন্ধুর বিয়েতে অংশ নিতে ২০১৫ সালে গিয়েছিলেন শিরদি শহরে। এসময় তিনি তার দুই কাজিনকে সাথে নিয়ে একটি মদের দোকানে ঢুকেছিলেন। দোকানের ভেতরে থাকতেই তার একটি ফোন আসে। ফোনের রিং টোন ছিলো দলিত নেতা এবং এই সমাজের আইকন হিসেবে পরিচিত ড. বি আর আম্বেদকারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। সাগর সেজওয়ালের মা ও বোন পুলিশের কাছে করা অভিযোগে দেখা যায় যে, দোকানের বাইরে মদ্যপানরত আটজন পুরুষ এই রিং টোনে আপত্তি জানান। তারা তাকে তার ফোনের রিং টোন পরিবর্তন করতে বলেন। তখন ঝগড়াঝাঁটি এক পর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয় এবং হামলাকারীরা সেজওয়ালকে একটি বোতল দিয়ে আঘাত করে। তাকে ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। তারপর তাকে একটি মোটরবাইকে তুলে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়। আরো পড়ুন: প্রয়োজনে আসাদকে হত্যার ইঙ্গিত ইসরায়েলি মন্ত্রীর জানা যাবে বজ্রপাতের পূর্বাভাস মাহাথির কি পারবেন মালয়েশিয়ার ক্ষমতায় ফিরতে? পুলিশ জানায়, এর কয়েক ঘণ্টা পরে তারা সেজওয়ালের মৃতদেহ খুঁজে পান একটি মাঠের ভেতরে। ময়না তদন্তে দেখা গেছে, তার শরীরের হাড় বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। পুলিশের ধারণা, তাকে মাটিতে শুইয়ে শরীরের উপর মোটরবাইক উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। লাশ পাথরের খনিতে ২৫ বছর বয়সী মানিক ওদাগেকে স্টিলের একটি রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাটি ২০১৪ সালের। তার অপরাধ ছিলো যে তিনি ড. বি আর আম্বেদকারের জন্মবার্ষিকীতে বড় ধরনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনে শহরের। এই অঞ্চলে উচ্চবর্ণের বহু লোকের বাস। তাদের কেউ কেউ এধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে আপত্তিও জানিয়েছিলেন। মি. উদাগেকে অনুষ্ঠানের স্থান পরিবর্তনের জন্যেও তারা বারবার বলেছিলেন। কিন্তু যুবক উদাগে তাদের কথায় কান দেননি। মানিক ওদাগের ভাই ও মা তার পরিবার থেকে বলা হয়, চারজন পুরুষের একটি দল ১লা মে খুব সকালের দিকে তাদের বাড়িতে আসে এবং মি. উদাগেকে তুলে নিয়ে যায়। এর দু'দিন পর ৩রা মে পাথরের একটি খনিতে তার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিলো। অভিযুক্ত চারজনই উচ্চবর্ণের সদস্য। তাদের সবাই এখন জেলে। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন জানিয়েও তারা মুক্তি পান নি। কিন্তু মি. উদাগের ভাই বলেছেন, তারা এখনও ভয় ও আতঙ্কের ভেতরে বসবাস করেন। তিনি বলেন, যখনই তিনি ওই এলাকার ভেতর দিয়ে হেঁটে যান, তখনই তার ভেতরে একটা ভয় কাজ করতে থাকে। মরদেহ ঝুলছিল গাছে খাদরা গ্রামের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিতিন আগের মরদেহ একটি গাছ থেকে ঝুলছিল। ঘটনাটি ২০১৪ সালের ২৮শে এপ্রিলের। পুলিশের ভাষ্যমতে, নিতিনকে তার স্কুলে উচ্চবর্ণের একটি মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। তারপর মেয়েটির ভাইসহ তিনজন মিলে তাকে বেশ কয়েকবার হেনস্থা করেন কারণ তারা সন্দেহ করেছিলেন যে নিতিন মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। নিতিন আগের মা বাবা পুলিশ বলছে, প্রথমে নিতিনকে স্কুলে মারধর করা হয় তারপর মেয়েটির পরিবারের মালিকাধীন একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ বলছে, সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিশ্বাস নিতিনের মরদেহ পরে একটি গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এটা প্রমাণ করতে যে নিতিন আত্মহত্যা করেছেন। অভিযুক্ত ১৩ জন ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তারপর থেকেই নিতিনের পরিবার এই ঘটনার পুনর্বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। আত্মহত্যা বলে চালানো সঞ্জয় দানানের বয়স তখন ৩৮। তিনি কাজ করতেন একটি স্কুলে। ২০১০ সালে তার মরদেহ পাওয়া যায় স্কুলের কাছেই ঝুলন্ত অবস্থায়। তার পিতামাতার অভিযোগ যে স্কুলে বিরোধের কারণে উচ্চবর্ণের সহকর্মীরা তাকে হত্যা করেছে। পরে তারা ঘটনাটি এমনভাবে সাজিয়েছে যেন সেটাকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হয়। সঞ্জয় দানানের পিতা এই ঘটনায় পুলিশ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষকও ছিলেন। ছিলেন বোর্ড মেম্বার এবং অধ্যক্ষও। তারপর থেকেই তারা জামিনে রয়েছেন। পানি থেকে বঞ্চিত পানি তুলতে গিয়ে পিছলে পরে মাথায় আঘাত পান ১০ বছরের কিশোরী রাজশ্রী কাম্বলে। তার পিতা নামদেব কাম্বলে বলেন, তার কন্যা এখনও জীবিত থাকতো যদি তাদেরকে পানির সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করা না হতো। রাজশ্রীর পিতা নামদেব কাম্বলে ঘটনাটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের। খরার কারণে ওই গ্রামের কুয়ার পানি শুকিয়ে গিয়েছিল। মি. কাম্বলে জানান, তখন গ্রামের কাউন্সিল বিভিন্ন এলাকায় পানির সরবরাহ অব্যাহত রাখলেও দলিতরা যে এলাকায় থাকেন সেখানে পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা করেননি। কিন্তু পানি চেয়ে তাদের কাছে বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি জানান, গ্রামের মাতব্বরদের বিরুদ্ধে তিনি পুলিশের কাছে একটি মামলা দায়ের করতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি সেটা করতে পারেন নি। কুয়া খনন করায় হত্যা মাধুকর ঘাদজেকে হত্যা করা হয় কারণ ৪৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার নিজের জমিতে একটি কুয়া খনন করেছিলেন। অভিযোগ করা হয় যে তার জমির চারপাশে ছিল উচ্চবর্ণের ১২ জন সদস্যের জমি। তারাই তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। মাধুকর ঘাদজের ছেলে পুলিশের বক্তব্য: তিনি যখন কুয়া খনন করছিলে তখনই তাকে আঘাত করা হয়। পরে যখন তাকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে ডাক্তাররা জানান যে তিনি ইতোমধ্যে মারা গেছেন। মি. ঘাদজের স্ত্রী ও সন্তানের অভিযোগ স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষিত একটি পরিবারের উদ্যোগে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর তিন বছর পর অভিযুক্ত ১২ জনকেই খালাস করে দেন নিম্ন আদালত। কারণ যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এখন মুম্বাই-এর একটি আদালতে আপিলের শুনানি চলছে। শিরশ্ছেদের পর পুড়িয়ে হত্যা মাত্র একদিন পরেই রোহান কাকাদের বয়স হওয়ার কথা ছিল ১৯। ঘটনাটি ২০০৯ সালের। বাড়িতে ফেরার সময় তাকে হত্যা করা হয়। সময়মতো বাড়িতে ফিরে না আসায় তার পিতামাতা তার খোঁজ করতে থাকেন এবং কয়েক ঘণ্টা পর তাদের সন্তানের মস্তকহীন শরীর খুঁজে পান। দেখতে পান যে সেই মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রোহানের মা অভিযুক্তরা হলেন উচ্চ বর্ণের পাঁচজন সদস্য। বলা হচ্ছে, এই তরুণ তাদেরই কোন একজনের বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু কাকাদের পিতামাতার বক্তব্য, তাদের মধ্যে কোন প্রেম ছিল না। তারা বন্ধু ছিলো এবং মাঝে মধ্যে তাদের দেখা সাক্ষাৎ হতো। এর আড়াই বছর পর কাকাদের পিতা মারা যান। তার মা এখনও হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে লড়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু আদালত অভিযুক্ত সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।
A recent exhibition in the Indian city of Mumbai documented Dalit (formerly known as "untouchable") families that have lost a loved one because of discrimination and violence. The photographs by Sudharak Olwe capture the prejudice that remains a reality for millions of Dalits.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
খাসোগজি হত্যায় প্রথমবারের মত সৌদি আরবকে সরাসরি দোষারোপ করলেও এরদোয়ানের বিশ্বাস বাদশাহ সালমান এই ঘটনার সাথে জড়িত নন "খাসোগজিকে হত্যা করার নির্দেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে বলে আমরা জেনেছি" যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার একটি নিবন্ধে লিখেছেন মি: এরদোয়ান। তবে সেখানে তুরস্কের সাথে সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করে তিনি এমনটাও বলেছেন যে এই ঘটনায় বাদশাহ সালমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে হত্যা করা হয় জামাল খাসোগজিকে। তুরস্কের তদন্তকারীদের ধারণা তুরস্কের একজন নাগরিকের সাথে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে সৌদি দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় স্বেচ্ছায় দেশান্তরিত থাকা সাংবাদিক খাসোগজিকে। তাঁর মৃতদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন যে তাঁর ধারণা খাসোগজির মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে এসিডে গলিয়ে ফেলা হয়েছে। শুরুতে এই হত্যার কথা স্বীকার না করায় সৌদি আরবের সাথে তাদের মিত্র দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। পরবর্তীতে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ১৮ জনকে আটক করে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। তুরস্ক চায় এই ১৮জনকে যেন তাদের হাতে প্রত্যর্পণ করা হয়। আরো পড়তে পারেন: সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদকে কি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? খাসোগজি হত্যা ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি হারিয়ে যাওয়া সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচকরা ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌতি দূতাবাসে কী হয়েছিল তা এখনো পরিস্কার নয় এরদোয়ান কী বলেছেন? "সৌদি আরবে আটক হওয়া ১৮ জনের মধ্যেই হত্যাকারীরা রয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত" ওয়াশিংটন পোস্টে লিখেছেন এরদোয়ান। "আমরা এও জানি যে তারা শুধু একটি নির্দেশ পালন করছিল: খাসোগজিকে হত্যা করে পালিয়ে যাও। এবং খাসোগজিকে হত্যা করার এই নির্দেশটি যে সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে সে বিষয়েও আমরা নিশ্চিত।" "আর কখনো নেটো জোটভুক্ত কোনো দেশের মাটিতে এই ধরণের অপরাধ সংঘটিত করার সাহস যেন কেউ না পায়," বলেন মি: এরদোয়ান। "হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও কেউ যদি এ ধরণের কাজ করে থাকে, তাহলে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।" হত্যা সম্পর্কে আমরা কী জানি? খাসোগজি দূতাবাসের ভেতরেই মারা গেছেন বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করলেও তাঁর মৃতদেহ কোথায় এ প্রশ্নের জবাব বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছে তুরস্ক। এ সপ্তাহের শুরুতে একজন তুর্কি কৌসুলি বলেন যে তদন্তকারীদের বিশ্বাস, তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে প্রবেশের সাথে সাথেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খাসোগজিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর মৃতদেহ টুকরো করে ধ্বংসও করা হয় পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: সংলাপ: অসন্তুষ্ট বিএনপি এখন কী করবে? ঘরের বাইরে নারী কেন এত প্রশ্নের মুখে? সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যিনি এমবিএস নামে বেশি পরিচিত। খাসোগজি আসলে কে? একসময় সৌদি রাজপরিবারের উপদেষ্টা ছিলেন এই জামাল খাসোগজি। গত বছর দেশটির সরকারের সাথে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় এবং তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। তারপর থেকে সৌদি সরকার এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সমালোচক হিসেবে পরিচিত হতে শুরু করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে সৌদি সরকার - বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের - সমালোচনা করে নিয়মিত কলাম লিখতেন খাসোগজি; যা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান খুব একটা ভালভাবে নেননি।
Turkish President Recep Tayyip Erdogan has for the first time accused the Saudi government directly of murdering journalist Jamal Khashoggi.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
জর্জ ব্লেক ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থায় কাজ করলেও তিনি রাশিয়ার ডাবল এজেন্ট ছিলেন মি. ব্লেক ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা এম আই সিক্সে কাজ করলেও তিনি রাশিয়ার ডাবল এজেন্ট হয়ে কাজ করতেন। নয় বছর ধরে তিনি গোপনে রাশিয়ার কাছে তথ্য পাচার করেছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় লন্ডনে ১৯৬০ সালে। এর পর মি. ব্লেককে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু পাঁচ বছর পর ১৯৬৬ সালে কারাগার থেকে পালিয়ে তিনি রাশিয়ার চলে যেতে সক্ষম হন। কে এই জর্জ ব্লেক জর্জ ব্লেকের আসল নাম জর্জ বেহার। তার জন্ম ১৯২২ সালে, নেদারল্যান্ডসের রটারডামে। তার পিতা একজন স্প্যানিশ ইহুদি, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর হয়ে লড়াই করেছিলেন। তিনি পরে ব্রিটিশন নাগরিকত্ব পান। অন্যদিকে ব্লেক নিজে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কাজ করেন ডাচ প্রতিরোধ আন্দোলনের হয়ে। এর পর তিনি ব্রিটিশ-নিয়ন্ত্রিত ভূখন্ড জিব্রাল্টারে পালিয়ে যান। তার এসব অভিজ্ঞতার কারণে পরে তাকে ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থায় যোগ দেবার প্রস্তাব দেয়া হয়। জর্জ ব্লেক ১৯৫৩ সালে ১৯৯০ সালে বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকার দেন জর্জ ব্লেক। তাতে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে শীতল যুদ্ধের সময় তিনি অন্তত: ৫০০-রও বেশি পশ্চিমা গুপ্তচরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। তবে তার ওই বিশ্বাসঘাতকতার জন্য সেই এজেন্টদের ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন - একথা বলা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন। কীভাবে তার ডাবলএজেন্ট হবার কথা ফাঁস হলো মি. ব্লেকের পতনের সূচনা হয় এক পোলিশ এজেন্টের মাধ্যমে। মাইকেল গোলেনিয়েস্কি নামে ওই এজেন্ট তার এক রক্ষিতাসহ স্বপক্ষত্যাগ করে পশ্চিমা পক্ষে যোগ দেন। তিনিই জানিয়ে দেন যে ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থার ভেতরে একজন সোভিয়েত স্পাই ঢুকে বসে আছে। ব্লেককে তখন লন্ডনে ডেকে আনা হয়, এবং গ্রেফতার করা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে তথ্য পাচার করার পাঁচটি অভিযোগ স্বীকার করেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: গুপ্তচর কবুতর, কাক আর ডলফিনের কথা শুনেছেন? সৌদি গুপ্তচর সংস্থার নির্বাসিত কর্মকর্তা আল-জাবরি কার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন? নুর ইনায়েত খান: নাৎসীদের হাতে ধরা পড়া প্রথম মুসলিম নারী গুপ্তচর ইতিহাসের সাক্ষী: কীভাবে জেমস বন্ডকে সৃষ্টি করেছিলেন ইয়ান ফ্লেমিং চীনের পক্ষে গুপ্তরচরগিরির অভিযোগে নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার বিবিসির নিরাপত্তা সংবাদদাতা গর্ডন কোরেরা বলেন, স্নায়ুযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের গোপন কর্মকান্ড এবং এজেন্টদের সাথে প্রতারণা করে ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থার কাজের গুরুতর ক্ষতি করেছেন এই জর্জ ব্লেক। কারণ এতে সবার চোখে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে ব্রিটিশ রাষ্ট্রের একেবারে কেন্দ্রস্থলে এজেন্ট পরিচালনা করতে পেরেছে কেজিবি। তার জেল থেকে পালিয়ে যাওয়াটাও ব্রিটেনকে লজ্জায় ফেলেছিল। মি. ব্লেক কমিউনিজমের অধীনে জীবন কাটাবেন বলেই ঠিক করেছিলেন, কিন্তু তার জীবদ্দশাতেই সেই ব্যবস্থার বিলোপ ঘটে, ভেঙে পড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন। তবে রাশিয়াতে তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কেজিবির উত্তরাধিকারীরা তাকে একজন 'হিরো' হিসেবেই দেখতেন। ব্রিটেনের কারাগার থেকে তার পালানোর কাহিনি নিয়ে ১৯৯৫ সালে 'সেল মেটস' নামে একটি নাটক লেখা হয়েছিল। ২০১৫ সালে বিবিসি তাকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে।
George Blake, the former MI6 officer and one of the Cold War's most infamous double agents, has died aged 98, Russian media has reported.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
বারাক ওবামা শিকাগোতে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রায় সব বিবেচনাতেই আট বছর আগের তুলনায় আমেরিকা এখন ভাল ও শক্তিশালী দেশ। ৫৫ বছর বয়স্ক বারাক ওবামা ২০০৮ সালে আশা এবং পরিবর্তনের বার্তা দিয়ে আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি মি. ওবামার কিছু নীতিতে পরিবর্তন আনবেন। আগামী ২০শে জানুয়ারি মি. ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। ভাষণে প্রেসিডেন্ট ওবামা তার শাসনামলের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি কিউবার সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং সমকামী বিয়েকে বৈধতা প্রদান। ২০০৮ সালে শিকাগোতেই বিজয় র‍্যালি করেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এই ছবিটি সেই সময়েই তোলা। ২০১২ সালের বিজয় র‍্যালিও তিনি শিকাগোতে করেন। বিদায়ী ভাষণ দেয়া আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিনটন তাদের শেষ ভাষণ হোয়াইট হাউজে বসেই দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ওবামা দিলেন শিকাগো গিয়ে। এই ভাষণ দেয়ার জন্য শিকাগোকে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে মি. ওবামা বলেন, তিনি যেখান থেকে শুরু করেছিলেন সেখানেই শেষ করতে চেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৪৪৫তম বারের মত এয়ারফোর্স ওয়ান নামক বিমানটিতে করে শিকাগোতে যান মি. ওবামা। তার সাথে ছিলেন স্ত্রী ও কন্যা। ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন। ভাষণের শেষ ভাগে স্ত্রী, কন্যা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন-সহ তার প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ দেন মি. ওবামা। প্রায় কুড়ি হাজারের মতো দর্শক সরাসরি সামনে বসে এই ভাষণ দেখেন।
President Barack Obama has called on Americans to defend their democracy in his farewell speech in Chicago.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জনস্রোতের অংশ এই শিশু চলেছে বাবার ঘাড়ে চড়ে। এদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিশু, যাদের বাবা-মা নিজ দেশের দারিদ্র্য, অপরাধ, আর সহিংসতা থেকে শিশুদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। জাতিসংঘ বলছে, গোড়াতে এই বহরে লোক ছিল ১০০০ জন । এখন এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭,০০০ জনে। পর্যবেক্ষকরা একে 'জনস্রোত' বলে বর্ণনা করেছেন। ফটোসাংবাদিক এনকার্নি পিনদাদো গুয়াতেমালা-মেক্সিকো সীমান্ত থেকে এদের অনুসরণ করেন। এই দলটি গত ১৩ই অক্টোবর হন্ডুরাসের অপরাধ-জর্জরিত শহর সান পেদ্রো সুলা থেকে যাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে তারা পায়ে হেঁটে গুয়াতেমালার সীমান্ত অতিক্রম করে। এই বহরে একজন অভিবাসীর প্ল্যাকার্ডে লেখা: "অভিবাসন কোন অপরাধ নয়।" তাদের শেষ লক্ষ্য আমেরিকায় যাওয়া যেখানে, তারা বলছেন, অপরাধ জগত থেকে দূরে তারা নতুন করে জীবন শুরু করতে চান। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, তিনি এই কাফেলাকে কোনমতেই যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবেন না। আগামী ৬ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-মেয়াদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি এই ইস্যুটিকে রিপাবলিকান পার্টির স্বার্থে ব্যবহার করে ভোট চাইছেন। টুইটারে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, "যখনই দেখবেন কোন কাফেলা বা মানুষ অবৈধভাবে ঢুকছে বা ঢোকার চেষ্টা করছে, তখনই মনে রাখবেন যে ডেমোক্র্যাটরা দেশের অভিবাসন আইনে পরিবর্তন করতে দেয়নি।" আরেকটি পোস্টে মি. ট্রাম্প দাবি করেন যে "অপরাধী এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন" এই কাফেলায় যোগ দিয়েছে। যদিও তিনি এই কথার কোন ব্যাখ্যা দেননি। এই জনবহরে যে অভিবাসীরা রয়েছেন, তাদের একজন একটি প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। এতে লেখা ছিল "অভিবাসন কোন অপরাধ নয়।" হন্ডুরাস থেকে ৭০০০ মানুষের ঢল। এরা মেক্সিকোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এরা গত সপ্তাহে পায়ে হেঁটে গুয়াতেমালা পার হন এবং মেক্সিকোর সীমান্তে গিয়ে পৌঁছান। এই এই কাফেলার বেশিরভাগ যাত্রী এসেছেন হন্ডুরাস থেকে। অনেকের ব্যাক-প্যাকে হন্ডুরাসের পতাকা লাগানো ছিল। এরা যখন সীমান্তে বিভাজনকারী সেতুর কাছে এসে পৌঁছান তখন ওপারে অপেক্ষা করছিল মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর শতশত কর্মকর্তা এবং সেনা সদস্য। মেক্সিকোর সরকার এর আগে বলেছিল যে এই বহরে যাদের কাছে কোন পাসপোর্ট কিংবা সঠিক ভিসা নেই তাদের আটক করা হবে। তবে দিনের শেষে তারা শুধুমাত্র ৩০০ লোকের কাগজপত্র যাচাই করতে পেরেছিল। টিয়ার গ্যাসের শিকার বাবা ছেলে। ছয় দিন ধরে বিরতিহীন হাঁটার পর প্রচণ্ড গরমে কোন কোন যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সীমান্তের এপারে অপেক্ষমান এই অভিবাসীদের অনেকেই পুলিসের আচরণে ক্ষেপে ওঠেন। এরপর শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, ঢিল ছোঁড়া, এবং পুলিশের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ। এই হট্টগোলের মাঝে বেশ কিছু শিশু তাদের মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। টিয়ারগ্যাসের শিকার এই বাবা তার ছেলেকে কোলে নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন। সীমান্তে ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ৬০০ লোককে মেক্সিকোতে ঢুকতে দেয়া হয়। নদীপথে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছেন ক'জন অভিবাসী। বাকিরা ভিন্ন উপায়ে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন। কোন কোন অভিবাসীকে ভেলায় করে উদ্ধার করা হয়। যারা মেক্সিকোতে ঢুকতে পেরেছেন, তাদের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা যায়। তারা কাছের শহর সিউদাদ হিডালগো জড়ো হন। এসময় স্থানীয় লোকজন নাচগান করে তাদের স্বাগত জানায়। শহরে যে স্কয়ারে অভিবাসীরা রাত কাটান কিছু স্থানীয় বাসিন্দা তাদের জন্য খাবার, পানি এবং কাপড়চোপড় রেখে আসেন। তাপাচুরা শহরে রাত কাটাচ্ছেন অভিবাসীরা। ছবি তুলেছেন এনকার্নি পিনদাদো এবং সব ছবির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Thousands of migrants from Central America are crossing Mexico from south to north in the hope of reaching the United States.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিক্ষোভ দেশটির প্রধান ইন্টারনেট সেবাদাতাদের একটি, টেলিনর নিশ্চিত করছে, তাদেরকে 'পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত' গ্রাহকদেরকে ওই দুটি সাইটে ঢোকা থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে। 'স্থিতিশীলতা'র লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ফেসবুক ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভ্যুত্থানের নেতারা। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের আটক করার কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিক্ষোভ ক্রমেই দানা বাঁধছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকেরা শুক্রবার ইয়াঙ্গনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবং অং সাং সু চির পক্ষে শ্লোগান দেয়। তারা লাল রঙের রিবন পরে ছিল। লাল রং দেশটির নেত্রী অং সান সু চির দলের রং। সোমবার দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান হলে সু চি এবং অন্য নেতাদের আটক করা হয়। এর আগে সেনাবাহিনী ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির বা এনএলডি পার্টির একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আটক করে। মিজ সু চি কে সোমবারের পর আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। অং সান সু চি তার আইনজীবী বলছেন সোমবারের পর থেকে থেকে তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। এই আইনজীবী বলছেন তিনি সু চি এবং দেশটির প্রেসিডেন্টের নিঃশর্ত মুক্তি চান । কিন্তু তিনি তাদের সাথে দেখা করতে পারছেন না। মিয়ানমার যেটা বার্মা নামেও পরিচিত, দেশটিতে সোমবারে সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার পর শান্ত রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কয়েকশ ছাত্র-শিক্ষক জড়ো হয় দাগন ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গণে। তারা তিন আঙ্গুলের স্যালুট প্রদর্শন করছিল - এই স্যালুট এই এলাকার বিক্ষোভকারীরা রপ্ত করেছে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে। তারা মিজ সু চি পক্ষে স্লোগান দেয় এবং লাল পতাকা উড়ায়। বার্তা সংস্থা এএফপিকে মিন সিথু নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমরা আমাদের প্রজন্মকে এই ধরণের সেনাবাহিনীর একনায়কতন্ত্রের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে দিতে পারি না"। সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করা হলো কেন? পয়লা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান বহু মানুষ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছে। ফেসবুকে মিয়ানমারে তথ্য ও সংবাদের প্রাথমিক উৎস। কিন্তু তিন দিন পর ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নির্দেশ দেয়া হয় এই সামাজিক মাধ্যমটিকে ব্লক করবার। ওই নিষেধাজ্ঞার পর, হাজার হাজার ব্যবহারকারী টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে সরব হয়। তারা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধাচারণ করে হ্যাশট্যাগ চালু করে। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ আর কেউ এ দুটি প্লাটফর্মেও ঢুকতে পারছিল না। এ নিয়ে অভ্যুত্থানের নেতাদের কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য ছিল না। কিন্তু বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মন্ত্রনালয়ের একটি দলিল তারা দেখেছে, যেখানে বলা হয়েছে এই সামাজিক মাধ্যমদুটোকে ব্যবহার করা হচ্ছে 'মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়ে দিতে'। এই দলিলটি অবশ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এই সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে, নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর। টুইটারের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মানুষের কথা বলার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। ফেসবুক মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে 'মানুষের সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে, যাতে তারা পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে'। ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকেরই অধীনস্ত একটি প্রতিষ্ঠান। যে কারণে সামাজিক মাধ্যমে বিক্ষোভ বিবিসির বার্মিজ বিভাগের নেইয়েন চ্যান বলছেন সেনা অভ্যুত্থানের প্রথম ধাক্কাটা মানুষের কাছ দুর্বিসহ ছিল। কিন্তু মানুষ এখন বুঝতে পারছে, কী হয়েছে এবং তারা এখন একটা বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং সেনা কর্তৃপক্ষ যতটা শক্ত করে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে ঠিক সেভাবেই তাদের বিরুদ্ধে আরো মানুষ বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছে। বিবিসির ঐ সংবাদদাতা বলছেন এখানকার মানুষ খুব ভালোভাবেই জানে যে সেনাবাহিনী ধরপাকড় চালাতে পারে। তাই এখনো পর্যন্ত রাস্তায় নেমে বড় ধরণের বিক্ষোভ কেউ করেনি। কিন্তু তাদের কথা যাতে মানুষ জানতে পারে সেই কারণে তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। যে শিক্ষক শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন তিনি বলছেন এটা তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য করেছেন। "আমার ১৮ মাসের একটা সন্তান আছে। আমি সেনাশাসন এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বেড়ে উঠেছি। আমি প্রার্থনা করি আমার ছেলে একদম ভিন্ন রকম এক বার্মা কে বেড়ে উঠুক। এখন আমি নিশ্চিত না ভবিষ্যৎ কেমন হবে" বলছিলেন তিনি। মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ হয়েছে। যেটা সেনা অভ্যুত্থানের পর বড় আকারে হওয়া রাস্তার কোন বিক্ষোভ। কিছু শহর যেমন ইয়াগুনেরর বাসিন্দারা বাড়ীতে রাতের বেলা বিক্ষোভে শামিল হয়েছে, তারা থালা-বাসন বাজিয়ে এবং বিপ্লবী গান গেয়ে তারা এটা করেছে। এছাড়া দিনের বেলা ফ্ল্যাশমব হয়েছে। বিবিসি বার্মিজের সঙ্গে এক টেলিফোন কথোপকথনে ৭৯ বছর বয়সি এনএলডি পার্টির জ্যেষ্ঠ সমর্থক উইন থিয়েন বলেছেন তাকে রাজধানী নেপিডোতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটক করা হয়েছে। যার শান্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যদিও তিনি জানেন না তার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ। "আমি যা বলছি সেটা তারা পছন্দ করছে না, আমি যা বলছি এতে তারা ভীত হচ্ছে" বলছিলেন তিনি। রাখাইন স্টেটের ছবি এক নজরে মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ মিয়ানমার যার জনসংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লাখ। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং লাওসের সাথে সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের। ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক সরকার শাসন করেছে দেশটি। যার কারণে নিন্দা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে দেশটি। গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে বছরের পর বছর ধরে প্রচারণা চালিয়ে এসেছেন অং সান সু চি। ২০১০ সালে ধীরে ধীরে ক্ষমতা ছাড়তে শুরু করলেও সামরিক বাহিনীর হাতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে অং সান সু চির ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু দুই বছর পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর সামরিক বাহিনীর নির্মম অভিযানের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায় এবং এ বিষয়টি সু চি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরায়। তবে নিজের দেশে জনপ্রিয়ই ছিলেন সু চি এবং ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনেও তার দল বিপুল জয় পায়। কিন্তু এর পর আবারো দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে সামরিক বাহিনী। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঘিরে হতাশা, চীনের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ ন্যূনতম স্কোর থাকলেও ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন না সব শিক্ষার্থী করোনার টিকা নেবার পর কতজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় - কী বলছে ব্রিটেনের জরিপ এসএসসি-এইচএসসির সিলেবাস কমেছে ৫০ শতাংশ, কীভাবে বাস্তবায়ন হবে?
Donald Trump's ban from Facebook and Instagram has been upheld by Facebook's Oversight Board.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
স্কুলে গুলির ঘটনায় নিহত একমাত্র ছাত্র ১৮ বছর বয়সী কেন্ড্রিক ক্যাস্টিয়ো ঐ হামলায় আরো ৮ জন ছাত্র আহত হলেও ১৮ বছর বয়সী কেন্ড্রিক ক্যাস্টিয়ো বাদে আর কেউ নিহত হয়নি। দু'জন ছাত্র এই গুলির ঘটনায় জড়িত ছিলেন, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডেনভারের একটি শহরতলীতে অবস্থিত একটি স্কুলে এই গুলির ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৯ সালে ১১৫তম গুলির ঘটনা হিসেব মনে করা হচ্ছে এই হামলাকে। 'সে যদি লুকিয়ে থাকতো তাহলেই ভাল হতো' নিহত কেন্ড্রিকের সহপাঠী নুই গিয়াসোলি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমকে জানান যে তিনি যখন ব্রিটিশ সাহিত্য ক্লাসে ছিলেন তখন সন্দেহভাজন হামলাকারীদের একজন ক্লাসে ঢুকে বন্দুক বের করেন। কেন্ড্রিক বন্দুকধারীর দিকে ছুটে যান এবং, "আমাদের সবাইকে যথেষ্ট সুযোগ দেন যেন আমরা ডেস্কের নিচে নিরাপদে লুকাতে পারি বা ক্লাসরুমের বাইরে পালাতে পারি", বলেন নুই গিয়াসোলি। আরো পড়তে পারেন: ভেনেজুয়েলা নিয়ে কেন এতো আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ইয়াঙ্গুনে রাতে হাসপাতালে যেমন ছিল পরিস্থিতি ইয়াঙ্গুনে রাতে হাসপাতালে যেমন ছিল পরিস্থিতি হামলার পর স্কুলরে একজন কর্মী স্বান্তনা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। ডেনভার পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেন্ড্রিকের বাবা জন ক্যাস্টিয়ো বলেন, তার ছেলে যে বন্দুকধারীকে প্রতিহত করতে তার দিকে এগিয়ে যায়, এ ঘটনায় একেবারেই অবাক হননি তিনি। "আমি অবশ্যই চাইতাম সে যেন লুকিয়ে যেত," বলেন মি. ক্যাস্টিয়ো, "কিন্তু সেটি তার চরিত্র নয়।" "মানুষকে সাহায্য করা, মানুষকে রক্ষা করাই ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।" কেন্ড্রিক বাবা-মা'র একমাত্র সন্তান ছিল। মি. ক্যাস্টিয়ো বলেন, তিনি এবং তার স্ত্রী দু'জনেই 'মানসিক আচ্ছন্নতার' মধ্যে আছেন । দ্বিতীয় আরেকজন বন্দুকধারীকে প্রতিহত করার জন্য ব্রেন্ডান বিয়ালি নামের আরেকজন ছাত্রকে 'নায়ক' হিসেবে প্রশংসা করা হচ্ছে। গত মাসে নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীকে প্রতিহত করতে গিয়ে রাইলি হাওয়েল নামের ২১ বছর বয়সী এক ছাত্র মারা যান। গুলি চলার সময় স্কুলের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যেভাবে ঘটলো কলোরাডোর স্কুলে গুলির ঘটনা ডগলাস কাউন্টির শেরিফ টনি স্পারলক বলেন, হামলাটি স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দুইজন হামলাকারী যেই প্রবেশপথটি দিয়ে ঢুকে সেখানে কোনো মেটাল ডিটেক্টর ছিল না। তারা দু্টি আলাদা জায়গায় গুলি শুরু করেন। দু'জন সন্দেহভাজনই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। গুলি শুরু হওয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
A teenager died in a shooting at a Colorado high school - days before his graduation - while charging one of the attackers, his classmates say.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট ফেসবুক তিনি বলেছেন, কোন বক্তব্য 'আইনসম্মত ও বৈধ' কিনা সেটি বিচার করা ফেসবুকের মত কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ হতে পারে না। তবে একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করা হলে সেটি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করবে, বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে মি. জাকারবার্গ চীনের উদাহরণ দেন। জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক এক সম্মেলনে এ কথা বলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে মিথ্যা খবর ও গুজব ছড়ানো বন্ধের জন্য ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে ফেসবুকের নীতির কারণে সংস্থাটি ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে। মিউনিখে মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এবং পরের বছর সারা বিশ্বের জন্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে নতুন নীতিমালা চালু করে। নীতিমালার মধ্যে অন্যতম ছিল, নির্দিষ্ট ঐ প্রচারণার জন্য অর্থ প্রদানকারীর নাম-পরিচয় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করতে হয়, এবং ঐ অ্যাডের একটি কপি পাবলিকলি সার্চ করা যায় এমন ডাটাবেসে পরবর্তী সাত বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু এ সপ্তাহে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার তারকাদের স্পন্সর করা রাজনৈতিক পোষ্ট সংস্থাটির ডাটাবেসে আর সংরক্ষণ করা হবে না। তাছাড়া কোম্পানির নীতি অনুযায়ী রাজনীতিবিদদের পোষ্টগুলোর সত্যমিথ্যাও সবসময় যাচাই করা হয়না। যে কারণে ঐ সম্মেলনে মি. জাকারবার্গ আইন কঠোর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। আরো পড়তে পারেন: নেপালের ইজতেমায় কেন বাংলাদেশিদের যেতে বাধা ছেলের মৃত্যুশোক ভুলতে যিনি বেওয়ারিশ লাশ সৎকার করেন মাছশূন্য হতে পারে বঙ্গোপসাগর? "সমাজে সমতার ভারসাম্য রক্ষার কাজটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বদলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নেবে এমনটা চাইনা আমরা।" তার বদলে মি. জাকারবার্গ সরকারকেই সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত টেলিকম ও মিডিয়া কোম্পানি আইনের মিশেলে হতে পারে সেই আইন। "সে ধরণের একটি আইন প্রণয়ন হবার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু করতে থাকবো।" তবে মি. জাকারবার্গ স্বীকার করেন যে, ফেসবুকে রাশিয়ার মত বিভিন্ন রাষ্ট্রচালিত সংগঠিত 'তথ্য প্রচারণা' শনাক্ত করতে সংস্থাটির দেরি হয়েছিল। আবার অন্যদিকে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ও বিপজ্জনক কন্টেন্ট তৈরি করে তারাও নিজেদের পরিচয় গোপন করতে, আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে রাখার কাজে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে বলেও তিনি জানান। আর এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩৫ হাজার কর্মীর একটি দল রয়েছে ফেসবুকের, যাদের কাজ প্রতিটি কন্টেন্টের মূল্যায়ন এবং এর নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা। কৃত্রিম বুদ্ধির সাহায্যে সংস্থাটি প্রতিদিন দশ লাখের বেশি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে। "কন্টেন্ট রিভিউ করা জন্য এখন আমাদের যে বাজেট, তা ২০১২ সালে যখন আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হই সে সময় কোম্পানির মূল আয়ের চেয়ে বেশি। সে সময় আমাদের ব্যবহারকারী ছিল একশো কোটি মানুষের মত।" এদিকে, ভুয়া খবর, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রচারণা ইত্যাদি নিয়ে নানামুখী সমালোচনার মধ্যেই ফেসবুক এবং এর সহযোগী প্ল্যাটফর্মসমূহ যেমন মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং এ থেকে আয় বেড়ে চলছে। এ মাসের শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপ জানায় বিশ্বব্যাপী তাদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই শো কোটি মানুষ, যা পুরো বিশ্বে মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ।
Facebook boss Mark Zuckerberg has called for more regulation of harmful online content, saying it was not for companies like his to decide what counts as legitimate free speech.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
তিনি বলেন, তাঁর প্রাথমিক ইচ্ছা ছিল আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া। কিন্তু পরে তিনি ইরাক থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার মতো ভুল না করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা থাকবে এবং 'জয়ের জন্য লড়াই' চালিয়ে যেতে হবে। ফোর্ট মাইয়ার সেনা ঘাঁটি থেকে তিনি ওই ভাষণ দেন। সেনা ঘাঁটিতে দেয়া এই বক্তব্যে খুব বড় ঘোষণা আসবে বলা হলেও, আফগানিস্তানে মার্কিন কৌশলের বিস্তারিত কী হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, কিছু শর্তের ভিত্তিতে তারা কৌশল নির্ধারণ করবেন, তবে সেনা সরিয়ে নেয়ার কোনো সময়সীমা তিনি ঘোষণা করা হবে না। যদিও মি: ট্রাম্প বলেছেন এটা কোনো 'ফাঁকা বুলি' নয়। "আমেরিকা আফগান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে, দুই দেশের এ নিয়ে প্রতিশ্রুতি আছে। যতদূর অগ্রগতি হয় ততদূর কাজ করবো আমরা" বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে আফগানিস্তানে নতুন কত সেনা মোতায়েন করা হবে, সে সংখ্যা উল্লেখ করেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তবে এখন থেকেই নতুন কৌশল শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন করে আফগানিস্তানে আরো চার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এর আগে মার্কিন শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল জন নিকোলসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি অনুরোধ জানান, আফগানিস্তানে যেন চার হাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখোনে আট হাজার চারশো মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশের ক্রিকেটে সিলেকশন নিয়ে বিতর্ক কেন? নায়ক রাজ্জাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে তিনি 'নায়ক রাজ' হয়ে উঠলেন ২০৯০ সালের আগে এমন সূর্যগ্রহণ আর হবে না
President Donald Trump has said a hasty US withdrawal from Afghanistan would leave a vacuum for terrorists to fill.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বিবিসি টেলিভিশনে নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করেছেন রিটা চক্রবর্তী মেশিন-জেনারেটেড জার্নালিজম বা যান্ত্রিক উপায়ে সাংবাদিকতার বিষয়ে বিবিসি যত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। প্রায় ৭০০ প্রতিবেদনের প্রায় সবগুলোই লেখা হয়েছে ইংরেজিতে। শুধু ৪০টি লিখিত হয়েছে ওয়েলস এর ভাষায়। প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের আগে সেগুলো সম্পাদক হিসেবে পরীক্ষা করেছেন একজন মানুষ। এই প্রকল্পের প্রধান বলেছেন, এই প্রযুক্তির উদ্দেশ্য কর্মক্ষেত্রে মানুষকে প্রতিস্থাপন করা নয়। বরং কাজের পরিসর বাড়ানোই এই প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য। বিবিসি নিউজ ল্যাবের সম্পাদক রবার্ট ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, 'এটি হচ্ছে সাংবাদিকতার সেই দিক, যেটি মানুষের দ্বারা সম্ভব হয় না'। আরো পড়ুন: ব্রিটেনে ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর বরিস জনসন কি ব্রেক্সিট প্রধানমন্ত্রী হবেন? যুক্তরাজ্য নির্বাচন: ইসলাম ও ইহুদি বিদ্বেষ যখন ইস্যু ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট নিয়ে তৈরি হয়েছিল অচলাবস্থা 'গত রাতে প্রকাশিত প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার ফল নিয়ে আমরা, যন্ত্রের সহায়তায়, একটি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। শুধু, একটি নির্বাচনী এলাকা নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়নি কারণ সেখানে তখনো ভোট গণনা শেষ হয়নি। এই কাজটি [মানুষের দ্বারা] আগে কখনই সম্ভব হয়নি।' তথ্য-উপাত্ত নির্ভর প্রতিবেদনগুলোকে আরো দক্ষতার সাথে করার জন্য বেশ কিছু সংবাদ-প্রতিষ্ঠানই 'অটোমেটেড জার্নালিজম' বা যন্ত্রের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় সাংবাদিকতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। যে সব বিষয়ে প্রচুর সংখ্যা বা পরিসংখ্যান রয়েছে, যেমন- ফুটবল খেলার স্কোর বা কোনো কোম্পানির অর্থনৈতিক রিপোর্ট বা জাতীয় নির্বাচনের ফল, সেসব বিষয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় খুব দ্রুত প্রতিবেদন তৈরি করা যায়। নির্বাচনী ফলের উপরে ভিত্তি করে রাতারাতি বিবিসি ইংরেজিতে ৬৪৯টি প্রতিবেদন এবং ওয়েলস-এ ৪০টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'ভারতে অবৈধ বাংলাদেশিদের তালিকা চাইবে বাংলাদেশ' কেন গাজার খ্রিস্টানদের বেথলেহেম আসা নিষিদ্ধ হলো? ভালো ঘুমের জন্য নিজেকে তৈরি করবেন কীভাবে? জলবায়ু পরিবর্তন: যেভাবে লড়াই করছে সিলেটের নারীরা এক গভীর অনিশ্চিত, বৈরী এবং তিক্ত পরিস্থিতির মধ্যে ব্রিটেনের নির্বাচন হয়েছে ভক্সহল: যন্ত্র যেমনটি বলেছে ভক্সহলে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফ্লোরেন্স ইশালোমি। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, লেবার পার্টি আসনটি পেয়েছে। তবে, তাদের ভোট আগের চেয়ে কমেছে। নতুন এই এমপি লিবারেল ডেমোক্রেটের প্রার্থী সারা লিউসকে ১৯,৬১২ ভোটে পরাজিত করেছেন। এটি ২০১৭ সালে সাধারণ নির্বাচনে কেট হোইয়ের পাওয়া ২০,২৫০ ভোটের চেয়ে কম। এই আসনে ভোটের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির সারাহ বুল আর চতুর্থ স্থানে রয়েছেন গ্রিন পার্টির জ্যাকুলিন বন্ড। তবে, গত নির্বাচনের তুলনায় এবারে ভোটার উপস্থিতি ৩.৫ শতাংশ কম ছিল। ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেয়ার উপযোগী মোট ৬৩.৫% অর্থাৎ ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ বৃহস্পতিবারের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। ছয় জনের মধ্য থেকে মোট তিন জন প্রার্থী—জ্যাকুলিন বন্ড (গ্রিন), এন্ডু ম্যাকগিনিজ (দি ব্রেক্সিট পার্টি) এবং সালাহ ফয়সাল (ইন্ডিপেন্ডেন্ট) অন্তত ৫ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত ৫০০ পাউন্ড খুইয়েছেন। ভক্সহল সম্পর্কে উপরের এই প্রতিবেদনটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সহায়তায় তৈরি হয়। ২০২০ সালের ২১শে জানুয়ারির মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে হবে যুক্তরাজ্যকে মি. ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, এই প্রতিবেদনটিতে 'বিবিসি স্টাইল' এর প্রতিফলন রয়েছে। কারণ, যে ধরণের শব্দ-বন্ধ প্রতিবেদনে ব্যবহার করা হবে সেটি বিবিসির প্রতিবেদকরা আগে-ভাগেই যন্ত্রের মধ্যে প্রোগ্রাম করে রাখতে পারেন। 'একটি প্রতিবেদনের যত রকমের বিন্যাস বা কোণ থাকতে পারে, সাংবাদিক হিসেবে, তা হয়তো আপনি আগে-ভাগেই ভেবে নিতে চাইবেন।' তারপর আপনি একটি টেম্পলেট বানাবেন। এরপর নির্ধারিত ডাটা বা তথ্যের সাথে মিলিয়ে নিয়ে সেই যন্ত্র কিছু শব্দ বা শব্দ-বন্ধ বাছাই করে। ফলে, আপনি যা চান তার সবই 'হাউস স্টাইল' বা নির্ধারিত নীতি অনুসরণ করে লিখতে পারেন। বিবিসির বেলফাস্ট, কার্ডিফ, গ্লাসগো ও লন্ডনের সাংবাদিকেরা সংবাদগুলো প্রকাশ করার আগে খতিয়ে দেখেছেন। মি. ম্যাকেঞ্জির মতে, এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, এটি কোনো বিশ্লেষণ যোগ করতে পারে না। যেমন নির্বাচনী এলাকা 'কেনিংস্টন' নিয়ে প্রতিবেদনে সংবাদকর্মীরা আরেকটি প্রয়োজনীয় প্রসঙ্গ এনেছেন। 'এটি স্পষ্টতই এমন একটি প্রতিবেদন যেটি মূলত উপাত্ত নির্ভর। কিন্তু প্রযুক্তি কাউকে কোনো কিছুর ব্যাখ্যা দিতে পারে না।' বলছিলেন ম্যাকেঞ্জি। 'এই প্রতিবেদনগুলোর কোনোটিতে কোনো উদ্ধৃতি বা বক্তব্য নেই। কী হয়েছে বা কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ক কোনো ব্যাখ্যাও কোনো প্রতিবেদনে নেই। এটি হচ্ছে তথ্য-উপাত্তের উপরে ভিত্তিতে বানানো একটি লিখিত বিবরণ। ফলে, সাংবাদিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি বড় নেতিবাচক দিক।' বিবিসি সাংবাদিকতা নিয়ে ইতোমধ্যে বেশকিছু স্বয়ংক্রিয়-সাংবাদিকতার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে এবং স্থানীয় বেশ কিছু প্রতিবেদন তৈরি করেছে। 'তবে, সে যাই হোক, মানুষ যন্ত্রের কাছ থেকে ঠিক কী আশা করে তা বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে বিবিসি এখনো একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে' বলে মনে করেন মি. ম্যাকেঞ্জি।
For the first time, BBC News published a news story for every constituency that declared election results overnight - all written by a computer.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
করোনাভাইরাসের কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা যেন অনেক বেড়ে গেছে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত কয়েক মাসে আমাদের জীবনে যেসব নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে, তাতে আমাদের মানসিক দুশ্চিন্তা যেন অনেক বেড়ে গেছে। এক নতুন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অভিভাবকরা বিশেষ করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাদের সন্তানদের নিয়ে। কোনটাকে আমরা মানসিক দুশ্চিন্তা বলবো? আর এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় কী? মানসিক উৎকন্ঠা বা দুশ্চিন্তা কি? যখন বলা হয়, কেউ মানসিক উৎকন্ঠা বা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, তার মানে এটা মানসিক চাপ বা কোন কিছু নিয়ে চিন্তিত হওয়ার চাইতে বেশি কিছু। আমরা সবাই কমবেশি কোন না কোন বিষয়ে চিন্তায় থাকি, বা মানসিক চাপে ভুগি। এগুলো মানুষের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এরকম প্রতিক্রিয়া দেখানো ভালো। কিন্তু কেউ যখন সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন, যেটা রীতিমত ভীতিকর হয়ে উঠে এবং যা থেকে আর মুক্তি পাওয়া যায় না, তখন সেটাই আসলে মানসিক উৎকন্ঠা বা দুশ্চিন্তা। এই সমস্যা এতটাই তীব্র হয়ে উঠতে পারে যে এটি আপনার পুরো জীবন বিপর্যস্ত করে দিতে পারে, আপনার নিত্যদিনের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন তৈরি করতে পারে। এর ফলে আপনাকে সারাক্ষণই খুব চিন্তিত মনে হবে, আপনি ক্লান্তিতে ভুগবেন এবং কোন কিছুতেই মন বসাতে পারবেন না। আপনার ঘুমাতে অসুবিধা হবে এবং আপনি বিষন্ন বোধ করবেন। প্রায়শই এমন কিছু লক্ষণ চোখে পড়বে, যার প্রভাব শরীরেও পড়বে। যেমন হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, ঘন ঘন নিশ্বাস নেয়া, শরীর কাঁপা, ঘাম হওয়া, মাথা ঘোরা, ডায়ারিয়া এবং অসুস্থ বোধ করা। মানসিক উৎকন্ঠার অনেক রকমফের আছে। কারও ক্ষেত্রে এটা হয়তো খুবই মৃদু, কারও ক্ষেত্রে এটি খুবই তীব্র হয়ে উঠতে পারে। প্রতি দশ জনের একজন জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে মানসিক দুশ্চিন্তায় বা কোন ধরণের ফোবিয়া বা ভীতিতে আক্রান্ত হবেন। কিন্তু অনেকেই এরজন্য চিকিৎসকের কাছে যান না। কোথায় সাহায্য মিলবে? মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগা মানুষদের প্রথমেই উচিৎ নিজেই নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত করার চেষ্টা করা। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব সাইক্রিয়াট্রিস্টসের পরামর্শ হচ্ছে, নিজেকে নিজে সাহায্য করার কিছু কৌশল আছে, প্রথমে সেটাই চেষ্টা করা উচিৎ। যেমন: বিশেষজ্ঞরা বলেন, মদ পান এবং ধূমপান বন্ধ করলেও মানসিক উৎকন্ঠা অনেক কমে যায়। এরপরও যদি দুশ্চিন্তা দূর না হয়, তখন অনেক ধরণের আত্মোন্নয়নমূলক (সেলফ হেল্প) বই আছে, সেগুলোর সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এসব বইতে নানা ধরণের থেরাপির বর্ণনা আছে। যেমন, কগনিটিভ বিহ্যাভিয়ারাল থেরাপি (সিবিটি)। যুক্তরাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার (এনএইচএস) মাধ্যমেও এসব থেরাপি নেয়া যায়। আরও পড়ুন: ঢাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ যে কারণে বিষণ্ণতায় ভুগছে 'আমার বান্ধবী চায়না আমি তাকে নগ্ন অবস্থায় দেখি' করোনাভাইরাস: মানসিক চাপ কীভাবে কাটানো যেতে পারে? কেন রোগীকে সারারাত জেগে থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা সিবিটি থেরাপি মূলত দুশ্চিন্তায় ভোগা মানুষকে কথা বলে প্রশান্তি দেয়ার চেষ্টা । যখন কেউ খুব বড় ধরণের সমস্যার কারণে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকেন, তখন তার সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে সেগুলো মোকাবেলার পরামর্শ দেয়া হয়। যেসব শিশু মারাত্মক মানসিক দুশ্চিন্তা ভোগে, তাদের জন্যও এটা বেশ কার্যকরী। বাবা-মাকে এই থেরাপি শেখানো যায়, যাতে তারা তাদের সন্তানদের এটি দিতে পারেন। যুক্তরাজ্যে মানসিক দুশ্চিন্তা বিষয়ক একটি সংস্থা অ্যাংজাইটি-ইউকে'র নিকি লিডবেটার বলেন, কেউ যেন মানসিক দুশ্চিন্তা চেপে রেখে একা একা না ভোগেন, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার পরামর্শ হচ্ছে, এজন্যে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে লক্ষণগুলো তাকে বলা। "তবে সবার জন্য এটাই যে একমাত্র নিরাময়ের পথ, তা নয়", বলছেন তিনি। শিশু এবং তরুণরাও কি মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগে তরুণরা মানসিক দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হচ্ছে কীনা সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখা দরকার ক্যাথি ক্রেসওয়েল হচ্ছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্টাল ক্লিনিকাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক। তিনি বলছেন, "স্কুলের চাপ যেহেতু এখন নেই, তাই কেউ কেউ তাদের জীবন নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে, কেউ কেউ আবার বেশ ভালোই করছে।"‍ প্রফেসর ক্রেসওয়েল করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর যে লকডাউন জারি করা হয়, তার প্রথম মাসে শিশুদের এবং তাদের বাবা-মার ওপর একটি সমীক্ষা চালান। এতে তিনি দেখেছেন, প্রাথমিক স্কুলের শিশুদের মধ্যে দুশ্চিন্তা, নিরানন্দ এবং মন খারাপ থাকার ব্যাপারগুলো বেড়ে গেছে। তবে মাধ্যমিক স্কুলের ছেলে-মেয়েদের বেলায় এরকম আবেগজাত সমস্যা কম দেখা গেছে। এরা বলেছে, তাদের মনে বা ব্যবহারে সেরকম কোন পরিবর্তন ঘটেনি। তেরএবং ১৪ বছর বয়সীদের ওপর চালানো আরেকটি জরিপে এটার প্রতিফলন দেখা গেছে। এই জরিপে দেখা যায়, গত অক্টোবরে ছেলে-মেয়েরা যতটা দুশ্চিন্তায় ভুগতো, লকডাউনের মধ্যে তাদের মধ্যে ততটা দুশ্চিন্তা ছিল না। এর মানে হচ্ছে, বয়সভেদে শিশুদের মধ্যে দুশ্চিন্তায় ভোগার ব্যাপক তারতম্য ঘটে। দুশ্চিন্তায় ভোগা শিশুদের এবং তরুণ ছেলে-মেয়েদের সাহায্য করতে এনএইচএস পাঁচটি পরামর্শ দিচ্ছে অভিভাবকদের: কীভাবে মানসিক দুশ্চিন্তা শুরু হয় যে কোন কিছু থেকেই মানসিক দুশ্চিন্তার শুরু হতে পারে। স্বাস্থ্য বা টাকা-কড়ি থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে বা স্কুলে কোন পরিবর্তন। কারও সঙ্গে সম্পর্কও এর কারণ হতে পারে। এর যে কোনটাই একটা গভীর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় মানসিক দুশ্চিন্তার এরকম অনেক সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে। যেমন ভাইরাস নিয়ে ভয়, বাইরে যাওয়া নিয়ে ভয়, অন্যদের করোনাভাইরাস সংক্রমিত করার ভয়, মাস্ক পরা কিংবা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া- এরকম হাজারটা চিন্তার সঙ্গে ভবিষ্যতে কী অবস্থা দাঁড়াবে সেই চিন্তা তো আছেই। এসব দুশ্চিন্তাকে করোনা-অ্যাংজাইটি বলে নাম দিয়েছে দাতব্য সংস্থা অ্যাংজাইটি ইউকে। তারা বলছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে তাদের হেল্পলাইনে সাহায্য চেয়ে আসা কলের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এখন যারা সাহায্য চেয়ে কল করে, তাদের সমস্যাগুলো স্বাভাবিক সময়ের সমস্যার চেয়ে অনেক বেশি জটিল। কলগুলো অনেক দীর্ঘ, বলছে এই সংস্থাটি। মানসিক দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য চাইতে হবে পরিবার এবং বন্ধুদের কাছে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন এবং সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলার নানা বিধিনিষেধ মানুষের আগের রুটিনে অনেক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তারা তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের নিয়মিত দেখতে যেতে পারছে না। এর ফলে মানসিক দুশ্চিন্তা যারা ভুগছেন, তার অবস্থা আরও খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে। এর পাশাপাশি করোনাভাইরাসের ভয়ে অনেকে এই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য কারও সাহায্যও চাইছে না। এতে করে অনেকের অবস্থা গুরুতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। "কেউ যদি ভালো বোধ না করেন, তাহলে এই করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও কিন্তু তিনি সাহায্য চাইতে পারেন, বলছেন রয়্যাল কলেজ অব সাইক্রিয়াট্রিস্টের ড: বিলি বোলান্ড। ‍"যদি আপনার কোন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, দয়া করে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মানসিক স্বাস্থ্য সেবা যেটা আছে, সেটাকে ব্যবহার করুন। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের জন্য এনএইচএসের ১১১ অনলাইন বা টেলিফোন সার্ভিস ব্যবহার করুন।" কার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি? অ্যাংজাইটি বা মানসিক দুশ্চিন্তা খুব হামেশাই ঘটে এমন একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। আর এখন তো বহু মানুষ তাদের জীবন নিয়ে চিন্তিত। আপনার জীবনে যা ঘটেছে, হতে পারে সেটা বড় কোন পরিবর্তন বা নিষ্ঠুর কোন ঘটনা- সেটি আপনাকে মানসিক দুশ্চিন্তার দিকে ঠেলে দিতে পারে। আর কোন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে সেটা আপনাকে যে কোন বিষয়ে খুব দ্রুত দুশ্চিন্তায় ফেলে দিতে পারে। অনেক সময় এই বেশি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণ হয়তো উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আপনার জিন বা বংশগতি। টিনএজার এবং তরুণরা অনেক সময় বেশি দুশ্চিন্তায় ভোগে। যাদের বিশেষ ধরণের শিক্ষা চাহিদা থাকে বা যারা নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে আসা, তারা বেশ ঝুঁকিতে। তবে বিশেষজ্ঞদের মত হচ্ছে, শিশু এবং তরুণরা যে অনেক দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাস রুমের বাইরে রয়েছে, তার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আসলে কী হবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। প্রফেসর ক্রেসওয়েল বলেন, ‍"স্কুলের পরিবর্তিত রুটিনের সঙ্গে বা অনিশ্চয়তার সঙ্গে ছেলে-মেয়েরা কীভাবে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে, সেটার ওপর নজর রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"
Anxiety is one of the most common mental health problems experienced in the UK.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বাদুড় পৃথিবীতে রয়েছে পাঁচ কোটি বছরের ওপর মাস্কে মুখ ঢেকে, সারা গা ঢাকা পোশাক ও তিন পরতের দস্তানা পরে তিনি গুহার অন্ধকারে দড়ির মই বেয়ে নামেন। গুহার এক কুঠুরি থেকে আরেক কুঠুরিতে ঢুকতে তাকে রীতিমত কসরৎ করতে হয়। আফ্রিকার জিম্বাবোয়েতে এই গুহার ভেতরে সর্বত্র বাদুড়ের দুর্গন্ধ, মেঝেতে তাদের বিষ্ঠা জমে আছে পরতে পরতে। সেখান দিয়ে তাকে সন্তর্পণে হাঁটতে হয়। তাজা বরফের ওপর দিয়ে হাঁটলে পায়ের নিচে যেমন বরফ ভাঙে, তেমনি তার পায়ের চাপে বিষ্ঠার পরত ভাঙে গুহার মধ্যে। হঠাৎ হঠাৎ বাদুড়গুলো আচমকা ঘুম ভেঙে ডানা ঝাপটায়। ভেতরে উড়ে বেড়ায়। জিম্বাবোয়ের মানুষ বাদুড়কে ডাকেন ''ডানাওয়ালা ড্রাগন'', ''উড়ন্ত ইঁদুর'' বা শুধু ''শয়তান'' নামে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই স্তন্যপায়ী জীবটিকে বহু রোগের উৎস হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু এর ভিত্তি কতটা সঠিক? ছোট প্রজাতির বাদুড় সাধারণত বাস করে গুহার ভেতরে ড. বুওরগারেল ফরাসি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিরাড-এর জন্য ভাইরাস অনুসন্ধানীর কাজ করেন। তিনি কাজ করেন জিম্বাবোয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি এবং তার সহকর্মীরা জিম্বাবোয়েতে বাদুড়ের গুহা থেকে বাদুড়ের বিষ্ঠা এবং অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর গবেষণাগারে, বিজ্ঞানীরা বাদুড়ের ভাইরাস থেকে জিন আলাদা করেন এবং সেই জিনের গঠন ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করেন। তারা ইতোমধ্যেই বাদুড়ের শরীরে বিভিন্ন ধরনের করোনাভাইরাস আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সার্স এবং সার্স-কোভ-২ ভাইরাসও। বাদুড় যেসব ভাইরাসের বাহক সেগুলোর জিনগত গঠন এবং তার বৈচিত্র বোঝার জন্য বিশ্ব ব্যাপী যেসব গবেষণা চলছে তার অংশ হিসাবে কাজ করছেন ড. বুওরগারেল ও তার সহকর্মীরা। তাদের গবেষণার একটা লক্ষ্য হলো বাদুড়বাহী ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত বা অসুস্থ হলে কীভাবে তার মোকাবেলা করতে হবে সে বিষয়ে প্রস্তুত থাকা। "স্থানীয় মানুষ প্রায়শই বাদুড়দের বাসস্থান এই গুহাগুলোতে যায় বাদুড়ের বিষ্ঠা সংগ্রহ করতে। স্থানীয়রা ফসল ক্ষেতে সার হিসাবে এই বিষ্ঠা ব্যবহার করে। কাজেই এই বাদুড় কীধরনের জীবাণু বহন করে তা জানা একান্তই জরুরি। কারণ খাদ্যের মাধ্যমে এসব ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে কিনা তা জানার প্রয়োজন রয়েছে," বলছেন জিম্বাবোয়ে ইউনিভার্সিটির ড. এলিজাবেথ গোরি। আরও পড়তে পারেন: বাদুড়ের গুহায় ঢোকার সময় বিজ্ঞানীরা পুরো সুরক্ষা পোশাক পরেন। বাদুড় বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিত্তিহীন ভয় আর পৌরাণিক ধারণা থেকে কোনরকম ভাইরাস সংক্রমণ হলেই বাদুড়কে তার জন্য দায়ী করার একটা প্রবণতা রয়েছে। তারা বলছেন বাদুড় সম্পর্কে মানুষের সবচেয়ে বেশি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে এবং পৃথিবীতে বাদুড়ের মূল্যায়ন হয়েছে সবচেয়ে কম। তাদের মতে এই ভ্রান্ত ধারণার কারণে বাদুড় একটা বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। পুরাকাহিনি, গল্পগাঁথা ও নানা সংস্কারের কারণে বাদুড়কে দেখা হয় মানুষের জন্য একটা অভিশাপ বয়ে আনা প্রাণী হিসাবে। আর সংস্কৃতির শিকড়ে গেঁথে যাওয়া এসব ভয়ভীতি ও পৌরাণিক সংস্কার কোভিডের পর আরও তীব্র হয়েছে। বাদুড় সম্পর্কে কিছু তথ্য তথ্য সূত্র: ব্যাট কনজারভেশন ইন্টারন্যাশানাল যে করোনা ভাইরাস বিশ্ব ব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে সেই কোভিড-১৯এর সঠিক উৎস এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিজ্ঞানীদের একটা ব্যাপক অংশ এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, এই ভাইরাস কোন প্রাণী প্রজাতি থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে এবং সেই প্রাণী খুব সম্ভবত বাদুড়। তবে এর মানে এই নয় যে এর জন্য বাদুড়রা দায়ী। বাদুড় বিশেষজ্ঞ এবং বাদুড় সংরক্ষণকে জরুরি বলে মনে করেন যেসব বিশেষজ্ঞ তারা বলছেন এর জন্য দায়ী মানুষের আচরণ। বাদুড় মানুষকে এই ভাইরাস দেয়নি, তারা বলছেন মানুষ যেভাবে বন্য প্রাণীর স্বাভাবিক জীবন যাপনে হস্তক্ষেপ করছে সেটাই এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢোকার মূলে। মানুষ প্রকৃতি ধ্বংস করছে, বন্য প্রাণীর আবাসস্থলে হানা দিচ্ছে নানা কারণে এবং নতুন নতুন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে সে কারণেই - বলছেন এই বিশেষজ্ঞরা। নেচার সাময়িকীর এক নিবন্ধ বলছে, যখন বনাঞ্চল কেটে বা জমির ঘাস তুলে গরুর খাবার বানানো হয়, বা সয়াবীন চাষের জন্য অথবা রাস্তা ও বসতি নির্মাণের জন্য জমি ও জঙ্গল কেটে সাফ করা হয়, তখন বন্য প্রাণীদের স্বাভাবিক বাসস্থান ধ্বংস হয়, তারা মানুষ ও গবাদি পশুর কাছাকাছি এসে বাসা বাঁধতে বাধ্য হয় এবং এর ফলে এসব প্রাণীদেহ থেকে ভাইরাস মানুষের শরীরে সহজে ঢোকার সুযোগ তৈরি হয়। "এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে সম্ভাব্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোগগুলোর বাহক হিসাবে অন্যান্য অনেক প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বাদুড় অবশ্যই একটি,'' বলছেন পর্তুগালের পোর্তো বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকার্ডো রোশা। তবে তিনি বলছেন ১,৪০০ বা তার বেশি প্রজাতির বাদুড় রয়েছে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, পোষা জন্তু এবং ইঁদুর প্রজাতির বড় সংখ্যক পশুর শরীরের ভাইরাস থেকে মানুষের সংক্রমিত হওয়ার আশংকাও কিন্তু কোন অংশে কম নয়। কারণ এসব পশুপাখি মানুষের বাসস্থানের খুব কাছাকাছি থাকে। আরও পড়তে পারেন: ২০০০ সাল থেকে বোর্নিওতে ২০ হাজার বর্গ মাইল জঙ্গল কেটে ফেলা হয়েছে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন মানুষের শরীরে নতুন যেসব সংক্রমণ হচ্ছে তার প্রতি চারটির মধ্যে তিনটিরই উৎস কোন প্রাণী। ২০০২ সালে এই ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল, যখন চীনে রহস্যজনক রোগ সার্সের প্রাদুর্ভাব ঘটে। সার্সে বিশ্বে মারা গিয়েছিল প্রায় ৮০০ মানুষ। গবেষকরা ২০১৭ সালে চীনের ইউনান প্রদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুহার ভেতরে হর্স-শু ব্যাট নামে বিশেষ এক প্রজাতির বাদুড়ের আস্তানা খুঁজে পান। যাদের শরীরে মানুষের শরীরে পাওয়া সার্স ভাইরাসের জিন পাওয়া গিয়েছিল। এই বাদুড়ের নাকের উপরটা ঘোড়ার খুরের আকৃতির বলে এদের হর্স-শু বাদুড় বলা হয়। তখন ওই গবেষকরা হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন যে, একই ধরনের একটা রোগ আবার আসতে পারে এবং তাদের কথাই এখন সত্যি হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা যেটা বলার চেষ্টা করছেন সেটা হলো, এই রোগ ছড়ানোর জন্য পুরো দায় বাদুড় বা অন্য কোন প্রজাতির প্রাণীর ওপর চাপানোটা ঠিক নয়। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, কোভিড মহামারির পর সেটা মূল্যায়ন করা এখন সবচেয়ে জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে বলছেন ড. রোশা। তিনি বলছেন স্বাস্থ্যসম্মত একটা পরিবেশগত ভারসাম্য তৈরি করতে এবং মানুষের ভালোর জন্য পৃথিবীতে বাদুড়ের প্রয়োজন আছে। ভাইরাসের বাহক বলে তাদের নির্মূল করাটা মানবজাতির জন্য সঠিক হবে না। ফসলের ক্ষতি করে এমন পতঙ্গের শত্রু হলো বাদুড়। তারা উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে বহু প্রজাতির গাছের পরাগায়ন করে, যা ফসল ফলানোর জন্য জরুরি। বিশেষ করে ফলের গাছের বাদুড় পরাগায়ন না করলে সেসব গাছে ফল ধরবে না। এছাড়াও জঙ্গলে অনেক গাছের বীজ বাদুড় ছড়ায়, যা জঙ্গলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য আবশ্যিক। প্রাকৃতিক নিয়মে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে হলে বাদুড়ের প্রয়োজন। মেক্সিকোর একটা চুনাপাথরের গুহা থেকে বাদুড় বেরচ্ছে ব্রিটেনে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ডেভিড রবার্টসনও বলছেন, প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের জন্য শুধু বাদুড়কে দায়ী করে তাদের নিধনের কথা ভাবলে সেটা "নিতান্তই দু:খজনক পরিণতি" ডেকে আনবে। তিনি বলছেন পশুপাখির বাসভূমি মানুষ যাতে ধ্বংস না করে, তাদের কাছাকাছি আসার পথগুলো যদি মানুষ বন্ধ করে তবেই এধরনের সংক্রমণের পথ বন্ধ করা সম্ভব হবে। বাদুড় তার শরীরে এধরনের ভাইরাস বহন করছে বহু যুগ ধরে। তিনি বলছেন সার্স-কোভ-টু-র ভাইরাস বাদুড়ের শরীরে রয়েছে অনেক দশক ধরে, এবং সবসময়ই এই ভাইরাসের অন্য প্রাণীকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা ছিল, কিন্তু সম্প্রতি মানুষ যেহেতু প্রাণীর কাছাকাছি আসছে বেশি বা তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান নষ্ট করে দিচ্ছে তাই মানুষের জন্য সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর পর পেরু, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চীন এবং ইন্দোনেশিয়ায় বাদুড় নিধন অভিযান হয়েছে। কোথাও কোথাও বাদুড় মারার চেষ্টা হয়েছে, কোথাও কোথাও অনেক বাদুড় মেরে ফেলা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই মহামারির মধ্যে বাদুড় মারার অভিযানে হিতে বিপরীত হতে পারে এবং বাদুড়ের মধ্যে ভাইরাস থাকলে এসব অভিযানের মাধ্যমে তা পরিস্থিতি আরও বিপদজনক করে তুলতে পারে। উষ্ণমণ্ডলে ফলের গাছের বাদুড় তাদের শরীরের ভেতর অনেক সময় গাছের বীজ বহন করে এবং তা অনেক দূর দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয় ''সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, অনেক প্রজাতির বাদুড় এখন বিপন্ন এবং নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাবার ঝুঁকিতে রয়েছে। কাজেই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে মানুষ এখন তাদের মারতে শুরু করলে পরিবেশের বন্ধু হিসাবে তারা যে কাজগুলো করে সেগুলো পুরো হারিয়ে যাবে, যেটা মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য শুভ হবে না,'' বলছেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাগলাস ম্যাকফারলেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাদুড় আর মানুষ সহাবস্থান করেছে। পর্তুগালের কয়ম্ব্রা শহরের ১৮শ শতাব্দীতে তৈরি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে বাদুড় বাস করছে। তারা লাইব্রেরির পোকামাকড় খেয়ে বাঁচে। তারা যদি ওসব পোকা না খেত, লাইব্রেরির বহু প্রাচীন পুঁথি ও পাণ্ডুলিপি পোকায় খেয়ে শেষ করে দিতো। সন্ধ্যাবেলা যদি সেখানে যান, দেখবেন লাইব্রেরির জানালা দিয়ে বাদুড় বাইরে বেরিয়ে আসছে এবং পাথুরে রাস্তার ঢাল বেয়ে নিচে নেমে আসছে। রিকার্ডো রোশা বলছেন আমাদের মনে রাখতে হবে জটিল প্রাণী চক্রের সঙ্গে বাদুড়ও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় তাদেরও ভূমিকা আছে। "আমরা যদি সেই প্রাকৃতিক নিয়মকে উপেক্ষা করে তাকে অসুস্থ করে তুলি, তার মূল্য দিতে আমাদের অসুস্থ হতে হবে," তিনি বলছেন ইতিহাসের এই কঠিন সময়ে মহামারির এই বিপর্যয় থেকে আমাদের এখন এটা ভাবার সময় এসেছে।
Every now and then, Dr Mathieu Bourgarel seeks permission from the village elders to visit the sacred caves, bringing a gift to appease the spirits.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ফরাসী প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের পর বিশ্বের বাংলাদেশে মুসলিমদের বিক্ষোভ ফরাসী প্রেসিডেন্ট বুধবার ফ্রান্সের মুসলিম নেতাদের শীর্ষ সংগঠন ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথকে (সিএফসিএম) ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন এই সনদ মেনে নেয়ার জন্য। সিএফসিএম ইমামদের নিয়োগ এবং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে 'ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমাম' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে। এটি ইমামদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার এবং তাদের অনুমতিপত্র বাতিল করতে পারবে। এক মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীরা তিনটি হামলা চালানোর পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানালো ফ্রান্স। বিবিসি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ওই সনদটিতে এমন কথা থাকছে যে ইসলাম একটি ধর্ম এবং কোনও রাজনৈতিক ধারা নয়। মুসলিম গোষ্ঠীগুলোতে 'বিদেশি হস্তক্ষেপ'ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে সনদে। হামলাগুলোর মুখে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ফরাসী ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন। এসব হামলার মধ্যে ছিল একজন শিক্ষকের শিরশ্ছেদের ঘটনা, যিনি তার ক্লাসে আলোচনার সময় ইসলামের নবীর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। বুধবার এলিসি প্যালেসে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্দ দারমানিন আটজন সিএফসিএম নেতার সাথে বৈঠক করেন। আরো পড়তে পারেন: 'বয়কট ফ্রান্স' বাংলাদেশেও, ম্যাক্রঁর দেশ কি ইমেজ সংকটের মুখে ফ্রান্সের কাছে বাংলাদেশের চিঠি: কী বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সে নবীর কার্টুন ও 'অবমাননা': ঢাকায় ইসলামপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ নবীর কার্টুন দেখানো শিক্ষকের শিরশ্ছেদ নিয়ে উত্তাল ‘ধর্মনিরপেক্ষ‘ ফ্রান্স 'আমি কেন আর ফরাসি পণ্য ব্যবহার করছি না' ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে লা প্যারিসিয়েঁ পত্রিকা একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানায় যে, "[সনদে] দুইটি মূলনীতি পরিস্কারভাবে উল্লেখ করা থাকবে: রাজনৈতিক ইসলাম প্রত্যাখ্যান এবং যে কোনো ধরণের বিদেশি হস্তক্ষেপ।" ওই বৈঠকে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমামস প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ যাকে 'ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন, সেই বিষয়টি প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এসব পদক্ষেপের মধ্যে থাকছে একটি আইন প্রণয়ন, যার লক্ষ্য হবে মৌলবাদকে প্রতিহত করা। বুধবারে প্রকাশ করা এই নতুন কৌশলের মধ্যে রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মি. দারমানিন লা ফিগারো পত্রিকাকে বুধবার বলেন, "আমাদের শিশুদের ইসলামিস্টদের থাবা থেকে বাঁচাতে হবে।" প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি নিয়ে ৯ই ডিসেম্বর ফরাসী মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে। এ বছরের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ইসলামকে 'সঙ্কটাপন্ন' ধর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন এবং ম্যাগাজিনগুলোর ইসলামের নবীকে নিয়ে কার্টুন প্রকাশের অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। ইসলাম ধর্মে নবীকে চিত্রায়ন নিষিদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং অনেক মুসলমানই এটিকে অত্যন্ত অপমানজনক হিসেবে মনে করেন। ওই মন্তব্যগুলো করার পর থেকেই ফরাসী প্রেসিডেন্ট মুসলিম প্রধান অনেক দেশে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হন। অনেক জায়গাতেই বিক্ষোভকারীরা ফরাসী পণ্য বয়কট করার ডাক দেন। ফ্রান্সে জাতীয় পরিচয়ের কেন্দ্রে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি। স্কুল-সহ অন্যান্য জনসমাগমস্থলে বাকস্বাধীনতার বিষয়টি এরই একটি অংশ। একে ক্ষুন্ন করে কোনো একটি ধর্মীয় অনুভূতিকে সুরক্ষার চেষ্টা করাকে ফ্রান্সের জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী হিসেবে মনে করা হয়। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় মুসলমান বাস করে ফ্রান্সে।
French President Emmanuel Macron has asked Muslim leaders to agree a "charter of republican values" as part of a broad clampdown on radical Islam.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
বিজ্ঞানীরা বলছেন,মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার নতুন আবিষ্কৃত একটা অংশ সব ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে পারে কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির একটি গবেষক দল একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে যার ফলে প্রোস্টেট, স্তন,ফুসফুস এবং অন্যান্য ক্যান্সার সারিয়ে তুলতে পারে। তাদের এই গবেষণা নেচার ইমিউনোলজি ম্যাগাজিনে প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন যদিও এটা এখনো কোন রোগির শরীরে পরীক্ষা করা হয় নি কিন্তু সফল হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই কাজ এখনো প্রাথমিক ধাপে রয়েছে কিন্তু এটা খুব উত্তেজনাকর। গবেষকরা কী খুঁজে পেয়েছেন? আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আমাদের শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবে কাজ করে। কিন্তু এটা ক্যান্সারের কোষ বা সেল কেও আক্রমণ করে। বিজ্ঞানীরা খুঁজেছে 'অস্বাভাবিক' এবং পূর্বে অনাবিষ্কৃত পন্থা যেটা দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবে টিউমারের উপর আক্রমণ করে। টি-সেল ক্যান্সারের কোষকে আক্রমন করবে তারা বলছে, মানুষের রক্তে আছে একটি টি-সেল। এটা একটা রোগ প্রতিরোধক সেল বা কোষ যা দিয়ে শরীর পরীক্ষা করে পরিমাপ করতে পারে যে কোন ঝুঁকি আছে কিনা যেটা দুর করা দরকার। পার্থক্য হল এই কোষ টি বৃহৎ আকারে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে । গবেষক অধ্যাপক অ্যানড্রু সিওয়েল বিবিসিকে বলেছেন "এটাতে সব রোগিকে চিকিৎসা করার একটা সুযোগ রয়েছে"। তিনি আরো বলেন "আগে কেউ বিশ্বাস করেনি এটা সম্ভব হতে পারে। একটা কোষ দিয়ে সব ক্যান্সারের চিকিৎসার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। যেটাকে ইংরেজিতে বলে 'ওয়ান ইজ ফিটস্‌ অল' (one-size-fits-all)। কীভাবে এটা কাজ করে? টি-সেলের 'রিসেপ্টর' আছে। রিসেপ্টর হল একটা সেল বা কোষ যেটা আলো, তাপ বা অন্যান্য উদ্দীপক বস্তুর প্রতিক্রিয়া পাঠাতে পারে। এর ফলে তারা রাসায়নিকের মাত্রাটা দেখতে পারে। কার্ডিফের এই গবেষক দলটি রক্তের এই টি-সেল এবং তার রিসেপ্টর আবিষ্কার করেছে যেটা দিয়ে পরীক্ষাগারে বৃহৎ পরিসরে ক্যান্সারের সেল আবিষ্কার করা এবং ধ্বংস করতে পারে। এসব ক্যান্সারের মধ্যে রয়েছে ফুসফুস,ত্বক,রক্ত,কোলন,স্তন,হাড়,প্রোস্টেট, ওভারি, কিডনি এবং জরায়ুর ক্যান্সার। রোগীকে তার ক্যান্সারের টিউমার দেখাচ্ছেন একজন মার্কিন ডাক্তার। আরও পড়তে পারেন: প্রবাসেও কেন বাংলাদেশের রাজনীতি, দলাদলি বাংলাদেশে বড়ো হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ মাইকে আজানের অনুমতি দিল না এলাহাবাদ হাইকোর্ট জটিল হলেও এটা স্বাভাবিক টিস্যুকে প্রভাবিত করবেনা। তবে আসলেই এটা ঠিক কীভাবে কাজ করবে সেটা এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়। এই নির্দিষ্ট টি-সেলের রেসেপ্টর এমআরওয়ান নামে একটা অণুর সাথে মিথস্ক্রিয়া করানো হয়েছে যেটা মানুষের শরীরের প্রত্যেক সেলের উপরিভাগে থাকে। রিসার্চ ফেলো গ্যারি ডলটন বিবিসিকে বলেছেন "আমরাই প্রথম যারা বর্ণনা করছি একটি টি-সেল যেটা ক্যান্সার সেলের মধ্যে এমআরওয়ান খুঁজে পায়। এটা এর আগে করা হয়নি। এটা এবারই প্রথম"। এটা কেন তাৎপর্যপূর্ণ? টি-সেল থেরাপি আগে থেকেই রয়েছে। তবে ক্যান্সার প্রতিরোধক থেরাপির উন্নয়ন এই ক্ষেত্রে অন্যতম উত্তেজনাকর অগ্রগতি। অতি বিখ্যাত উদাহরণ হল সিএআর-টি। এটা হল একটা জীবিত ওষুধ যেটা রোগির টি-সেল খুঁজে বের করবে এবং ধ্বংস করবে। সিএআর-টি'র একটা নাটকীয় ফলাফল হতে পারে, যার ফলে যে রোগি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে পারতো তাকে আগেই পুরোপুরি সারিয়ে তুলবে। যাইহোক, এর লক্ষ্য ছিল খুবই নির্দিষ্ট এবং যেটা সীমিত সংখ্যার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কাজে লাগে। অন্যদিকে টি-সেলকে প্রশিক্ষণ দেয়ার একটা পরিষ্কার লক্ষ্য আছে যাতে ক্যান্সার ধরতে পারে। এবং এটা ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়াতে যতটা সফলতা পেয়েছে টিউমার থেকে যে ক্যান্সার হয় সেটাতে সফলতা আনতে ততটাই হিমশিম খাচ্ছে। গবেষকরা বলছেন তাদের টি-সেল রিসেপ্টর সার্বজনীন ক্যান্সারের চিকিৎসার প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব বাসিলের দুইজন গবেষক লুসিয়া মোরি এবং জিনারো ডি লিভেরো বলছেন এই গবেষণার "বড় সম্ভাবনা' আছে। কিন্তু এটা এতটাই প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে যে এটা সব ক্যান্সারে কাজ করবে সেটা এখনি বলা যাচ্ছে না। দ্যা ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার এর অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডেভিস বলছেন "এই মুহূর্তে এটা খুব প্রাথমিক গবেষণা। এবং রোগিদের জন্য সঠিক ওষুধ তৈরির কাছাকাছি পর্যায়ে নেই।
A newly-discovered part of our immune system could be harnessed to treat all cancers, say scientists.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
স্লোভাক পুলিশ প্রধান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো। বান্ডিল বান্ডিল ইউরোর নোট সামনে রেখে তিনি মঙ্গলবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং বলেছেন, সাংবাদিক ইয়েন কুচিয়াকের হত্যাকারীদের সম্পর্কে যারাই তথ্য দেবে, তাদের এই অর্থ পুরষ্কার দেয়া হবে। মি. কুচিয়াক, ২৭, এবং তার মেয়ে বন্ধু - দুজনকেই তাদের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের দু'জনের দেহে একটি করে গুলির ক্ষত রয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, স্লোভাকিয়ার রাজনৈতিক মহলের সাথে ইটালিয়ান এন্ড্রাঘেটা মাফিয়ার যোগসূত্র সম্পর্কে মি. কুচিয়াক একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে সে দেশের সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। এর আগে স্লোভাকিয়ার বিরোধীদলীয় কয়েকজন রাজনীতিক অভিযোগ করেছেন যে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে শাসকদল স্মের-এর যোগাযোগ রয়েছে। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, "কোন প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা ঠিক না। এটা রসিকতার ব্যাপার না।" সাংবাদিক ইয়েন কুচিয়াককে তার বাড়িতে গুলীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
Slovak Prime Minister Robert Fico has offered a one million euro ($1.2m) reward for anyone who comes forward with information about the murder of an investigative journalist.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সুখী দেশের তালিকায় ৯ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮-২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৪৯টি দেশে জরিপ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেনমার্ক রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এরপরেই রয়েছে সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশ আছে তালিকার ১০১ নম্বরে। এর আগের জরিপে ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৭তম। সে হিসেবে বাংলাদেশ র‍্যাংকিংয়ে ছয় ধাপ এগিয়েছে। তবে মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনে কতোটা সুখী সেটার গড় মূল্যায়ণে বাংলাদেশ তার প্রাপ্ত স্কোর অনুযায়ী তালিকার ৬৮ নম্বরে স্থান পেয়েছে। যা ২০১৭-২০১৯ সালের স্কোরের চাইতে ৯ ধাপ এগিয়ে এসেছে। অন্যদিকে আগের অবস্থান থেকে চার ধাপ পিছিয়েছে যুক্তরাজ্য। আগে তার অবস্থায় ১৩তে, থাকলেও ২০২০ সালের এই প্রতিবেদনে তা ১৭-তে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া তালিকার ১৯তম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। হ্যাপিনেস র‍্যাংকিং-এ শীর্ষ ১০ এর তালিকায় থাকা একমাত্র নিউজিল্যান্ডই একমাত্র অ-ইউরোপীয় দেশ। অ্যানালেটিক রিসার্চ গ্যালাপ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এবারে নবমবারের মতো হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশিত হল। মূলত ১৪৯টি দেশের মানুষজনকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে তাদের সুখ পরিমাপ করা হয়েছে। সুখের পরিমাপক হিসেবে, দেশটির সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, সামাজিক উদারতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি, গড় আয়ু এবং দুর্নীতির মাত্রা বিষয়গুলোকে সামনে রাখা হয়। তবে এবার সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারীতে মানুষের সার্বিক পরিস্থিতিকে। এসব মানদণ্ডে বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই রয়েছে লেসোথো, বোতসোয়ানা, রুয়ান্ডা এবং জিম্বাবুয়ে। মহামারির কারণে বিশ্বে মানুষে সুখের ওপরও এর প্রভাব পড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৪৯টি দেশের এক তৃতীয়াংশের মধ্যে "নেতিবাচক আবেগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।" তবে, ২২টি দেশের পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভাল হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশের মানুষ কি অসুখী হয়ে উঠছে? সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায়: অধ্যাপকের পরামর্শ রাগ এবং ঘৃণার প্রকাশ মানুষকে সুখী করে! পর পর চার বছর, সবচেয়ে সুখী দেশের শীর্ষ ফিনল্যান্ড। আগের বছরের র‌্যাঙ্কিংয়ের চেয়ে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থান বেশ ভালো। এরমধ্যে বাংলাদেশ যেমন আছে, তেমনি চীন ৯৪ তম থেকে ৮৪ তম স্থানে উঠে এসেছে। অর্থাৎ ১০ ধাপ এগিয়েছে। আবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অসুখী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের পরেই ভারতের অবস্থান। ১৪৯টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১৩৯তম অবস্থানে। ১২৯ তম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, সামরিক অভ্যুত্থান ও গণ আন্দোলনের জোয়ারে ভাসা মিয়ানমার আছে তালিকার ১২৬-এ এবং ১০৫ তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। "আশ্চর্যের বিষয় হল এই জরিপে অংশ নেয়া প্রত্যেকেই যখন তাদের নিজের জীবন দিয়ে সুখ মূল্যায়ন করলেও, তাদের গড় ভালো থাকা বা সুস্থ থাকার ব্যাপারটি কমেনি। জন হেলিওয়েল, এ কথা বলেছেন। এর একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে সাধারণ মানুষ হয়তো কোভিড -১৯ কে একটি সাধারণ রোগ হিসেবে মেনে নিয়েছে। এই সময়ে বাইরে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ার বিষয়টি প্রত্যেকে প্রভাবিত করেছে এবং এটি মানুষের সাথে মানুষের সংহতি এবং সহানুভূতির বাড়িয়ে তুলেছে। ফিনল্যান্ড "মহামারিকালীন জীবন ও জীবিকা রক্ষা সেইসঙ্গে পারস্পরিক আস্থার মানদণ্ডে সবচেয়ে উচ্চ অবস্থান অর্জন করেছে", প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে ৫৫ লাখ জনসংখ্যার নর্ডিক দেশটি মহামারিকালীন ইউরোপের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর চাইতে অনেক বেশি ভালভাবে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮০৫ জন। প্রতিবেদন অনুসারে, দশটি সুখী দেশ হল: ১. ফিনল্যান্ড ২. ডেনমার্ক ৩. সুইজারল্যান্ড ৪. আইসল্যান্ড ৫. নেদারল্যান্ডস ৬. নরওয়ে ৭. সুইডেন ৮. লুক্সেমবার্গ ৯. নিউজিল্যান্ড ১০. অস্ট্রিয়া
This year's happiest place on Earth is Finland, according to an annual UN report - toppling Norway from the top spot.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
এরই মধ্যে অনেকগুলো 'প্রথম'-এর মালিক হয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে এবার অনেক কিছুই 'প্রথমবারের' মত হচ্ছে, যা বিশ্ব দেখেনি আগে। যেমন: ১. সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট: গত জুন মাসে ৭০তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর মানে দাঁড়াচ্ছে তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়া সবচাইতে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। এর আগের রেকর্ডটি ছিল রোনাল্ড রিগ্যানের। ১৯৮১ সালে তিনি ৬৯ বছর বয়সে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বয়স নিয়ে কথা উঠতে পারে ভেবেই হয়তো ডাক্তারকে দিয়ে একটি চিঠি লিখিয়ে নিয়েছিলেন মি. ট্রাম্প, যেখানে ড. হ্যারল্ড বর্নস্টেইন তাকে বর্ণনা করেছেন, 'আমেরিকায় এ যাবৎ জয়লাভ করা সবচাইতে স্বাস্থ্যবান প্রেসিডেন্ট'। দেশটিতে এর আগে দায়িত্ব পালন করা ৪৪ জন প্রেসিডেন্টর বয়সের গড় ছিল ৫৫। সবচাইতে কম বয়স্ক প্রেসিডেন্ট ছিলেন থিওডোর রুজভেল্ট। যখন তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন তার বয়স ৪৩ হতে কয়েকদিন বাকী। আরো পড়ুন : ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভ বিবিসির টুইটার হ্যাক, ট্রাম্পকে গুলির খবর অভিষেকের জনসমাগম নিয়ে মিথ্যাচার করছে গণমাধ্যম: ট্রাম্প ভারতের রাজধানী দিল্লীতেও পালিত হয় মি. ট্রাম্পের ৭০তম জন্মদিন। ২. প্রথম বিলিওনেয়ার: ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রথম শত-কোটিপতি প্রেসিডেন্ট। ফোর্বসের হিসেবে তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ৩শ ৭০ কোটি ডলারের বেশী। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ধনী প্রেসিডেন্টই এসেছেন। আজকের ডলারের হিসেবে প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ডলারের মত। শত-কোটিপতি বলেই হয়তো মাত্র ১ ডলার মাসিক বেতন গ্রহণ করে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে যাচ্ছেন মি. ট্রাম্প। আরো পড়ুন: দুই ছেলে, স্ত্রী ও নাতির মৃত্যুর অনুমতি প্রার্থনা বান্ধবীর করা মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ক্রিকেটার সানি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের (বাঁয়ে) অনুসরণে মাসে এক ডলার বেতন নেবেন বলে ঘোষণা করেছেন মি. ট্রাম্প। ৩. ধনী মন্ত্রীসভা: মি. ট্রাম্প যখন একে একে তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের নাম প্রকাশ করতে শুরু করেন তখন তাদের 'মোটা মানিব্যাগ' অত্যন্ত দ্রুততার সাথেই ডেমোক্রেটদের ঘৃণা আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। ভাল হোক আর খারাপ হোক, আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসে এটাই হতে যাচ্ছে সবচাইতে সম্পদশালী প্রশাসন। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত উইলবার রসের নিজেরই আড়াইশো কোটি ডলারের সম্পদ হচ্ছে। তার একার সম্পদই ২০০১ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের পুরো মন্ত্রীসভার সদস্যদের মোট সম্পদের চাইতেও দশ গুন বেশী। অথচ সেসময় প্রেসিডেন্ট বুশের মন্ত্রীসভায় 'কোটিপতিদের সমাবেশ' বলে বর্ণনা করা হয়েছিল গণমাধ্যমে। এক হিসেবে জানা যাচ্ছে, মি. ট্রাম্পের মন্ত্রীসভায় যারা থাকবেন তাদের সকলের মিলিত সম্পদের পরিমাণ সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারের বেশী হবে। ৪. রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব: আমেরিকায় গত ষাট বছরের ইতিহাসে এমন একজন প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হননি যাদের অন্তত রাজ্য গভর্নর কিংবা কংগ্রেস সদস্য হিসেবে অভিজ্ঞতা নেই। সেই হিসেবে মি. ট্রাম্পের এবারের বিজয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর আগে তার এ ধরণের কোন অভিজ্ঞতা নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু ভোটার মনে করেন তার অভিজ্ঞতার অভাবই তাকে বেশী বিশ্বাসযোগ্য করেছে। এর আগে সর্বশেষ অভিজ্ঞতাবিহীন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোয়াইট আইসেনআওয়ার। তিনিও ১৯৫৩ সালে নির্বাচিত হবার আগে ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অ্যালাইড ফোর্সের সুপ্রিম কমান্ডার। ১৯২৯ থেকে ১৯৩৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করা হার্বার্ট হুভার ছিলেন একজন প্রকৌশলী এবং মানবতাবাদী। কিন্তু মি. ট্রাম্প বলছেন, ওয়াশিংটনের প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে তার পূর্বের যোগাযোগ না থাকাটাকে তিনি একটি 'সম্পদ' মনে করেন, 'ত্রুটি' নয়। ৫. ক্ষমতাধর সন্তান: জামাই জ্যারেড কুশনারকে মি. ট্রাম্প তার সিনিয়র উপদেষ্টা ঘোষণা করার পর বিরোধী শিবিরে স্বজনপ্রীতি বলে রব উঠেছে। কিন্তু অনেকে বলছেন, এই মনোনয়ন মাধ্যমে ৩৬ বছর বয়সী মি. কুশনার মার্কিন ইতিহাসের সবচাইতে ক্ষমতাধর জামাইতে পরিণত হয়েছেন। তবে তিনিই কিন্তু প্রথম নন, প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের মেয়ে ইলিয়ানরকে বিয়ে করেছিলেন তারই ট্রেজারি মন্ত্রী উইলিয়াম গিবস ম্যাকাডু। কিন্তু এই ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬৭ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্র স্বজনপ্রীতি-বিরোধী নীতি গ্রহণ করেনি। মেয়ে ইভাঙ্কা ও জামাই জ্যারেড কুশনারের সাথে মি. ট্রাম্প। তাছাড়া, মি. ম্যাকাডু প্রেসিডেন্টের মেয়েকে বিয়ে করার আগে থেকেই তার মন্ত্রী ছিলেন। এদিকে মি. ট্রাম্পের বড় মেয়ে এবং মি. কুশনারের স্ত্রী ইভাঙ্কাকেও বলা হচ্ছে আমেরিকার ইতিহাসের সবচাইতে প্রভাবশালী 'ফার্স্ট ডটার' হিসেবে। ৬. পোষা প্রাণী কই? ডোনাল্ড ট্রাম্পের এত প্রাচুর্যের মধ্যেও একটি জিনিসের অভাব হয়তো আপনার নজরে পড়বে, তার কোন পোষা প্রাণী নেই। এড় অর্থ দাঁড়াচ্ছে, গত এক শতাব্দীরও বেশী সময়ের ইতিহাসে মি. ট্রাম্পই হতে যাচ্ছেন প্রথম প্রেসিডেন্ট, হোয়াইট হাউজে যার কোন পোষা প্রাণী থাকবে না। প্রেসিডেনশিয়ল পেট মিউজিয়াম জানাচ্ছেন, প্রায় প্রত্যেক প্রেসিডেন্টেরই পোষা প্রাণী ছিল। জন এফ কেনেডির পোষা প্রাণীর সংগ্রহকে চিড়িয়াখানার সাথে তুলনা করা যেত। বারাক ওবামার পোষা কুকুর বো। ৭. মুক্ত বাণিজ্যের বিরোধীতা: ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য মুক্ত বাণিজ্যের কারণেই আমেরিকানদের আজ কাজ নেই। তার এই শ্লোগান ভোটারদের মধ্যে অনেকটা জাদুমন্ত্রের মত কাজ করেছে বলে মনে করেন অনেকে। কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য এটা একটা বিরল অবস্থান। এর আগে ১৯৩০ এর দশকে রিপাবলিকান হার্বার্ট হুবার এমন অবস্থান নিয়েছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে মি. ট্রাম্প ইকনমিস্টকে বলেছেন, চীন 'আমাদের মেরে ফেলছে'। তিনি এও বলেছেন, চীনাদের 'খেলা বন্ধ করবার জন্য' তিনি ১২% পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করতে প্রস্তুত আছেন। মেলানিয়া ট্রাম্প ৮. ফার্স্ট লেডি'র প্রথম: স্বামীর মত অনেক কিছুতেই প্রথম হতে যাচ্ছেন সাবেক মডেল মেলানিয়া ট্রাম্পও। স্লোভেনিয়া থেকে আসা প্রথম ফার্স্ট লেডি হতে যাচ্ছেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে তার আগে আমেরিকায় জন্ম না নেয়া একজন মহিলাই 'ফ্লোটাস' (ফার্স্ট লেডি অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস) হতে পেরেছেন, তিনি ষষ্ঠ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন কুইন্সি অ্যাডামসের স্ত্রী লুইসা অ্যাডামস। লন্ডনে জন্ম নেয়া মিসেস অ্যাডামস ফ্লোটাস ছিলেন ১৮২৫ থেকে ১৮২৯ সাল পর্যন্ত। প্রেসিডেন্টে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে প্রথম হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন মেলানিয়া ট্রাম্প। এর আগে একজন প্রেসিডেন্টেরই প্রথম স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়েছিল, তিনি রোনাল্ড রিগ্যান। তিনি অবশ্য অভিনেত্রী স্ত্রী জেন ওয়াইম্যানের থেকে আলাদা হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট হবার বহু আগে। স্লোভেনিয়ান, ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান ও সার্বিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারেন মিসেস ট্রাম্প। সম্ভবত বহু ভাষায় দক্ষ প্রথম ফ্লোটাস তিনি। তিনিই প্রথম কোন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী যার নিরাভরণ শরীরের ছবি ছাপা হয়েছে পত্রিকায়। মি. ট্রাম্প অবশ্য নিজেও একবার প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ হয়েছিলেন, সেটা ১৯৯০ সালের কথা।
Donald Trump is guaranteed to make history as the 45th president of the United States.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ম্যানাস আইল্যান্ডের শরণার্থী বাসিন্দা বেহরুজ বুচানি। জাহাজে চেপে যেসব অভিবাসী অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ২০১৩ সালের পর থেকে এদের আটক করে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে পাশের দ্বীপ নাউরু এবং পাপুয়া নিউ গিনির অধীন ম্যানাস আইল্যান্ডে। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দল উভয়েই অভিবাসীদের দ্বীপান্তরে পাঠানোর নীতিমালায় সমর্থন দিয়েছে। তবে অভিবাসীরা ভেবেছিলেন সে দেশের নির্বাচনের পর সরকারের নীতিমালায় পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। ম্যানাস আইল্যান্ডের বাসিন্দা রিফিউজিদের একজন ইরানি-কুর্দি সাংবাদিক বেহরুজ বুচানি। "ম্যানাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে," এক টুইট বার্তায় তিনি বলছেন, "আজও দু'জন লোক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।" মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই লোকটি সোমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আরও পড়তে পারেন: ধানের দাম: সংকট অনুমানে ব্যর্থ হয়েছে সরকার? যৌন মিলনের জন্য 'দ্রুত কাপড় না খোলায়' স্ত্রীকে ঘুষি ফিশ্চুলা প্রতিরোধ করতে যা করতে হবে আরেকজন অভিবাসকামী শরণার্থী আব্দুল আজিজ আদম লিখেছেন, "আমি আকুল আবেদন জানাচ্ছি (অস্ট্রেলিয়ার) সরকারের প্রতি, নাউরু/ম্যানাস আইল্যান্ডে কিছু একটা করুন।" তবে এখন পর্যন্ত মোট কতজন আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। ম্যানাস আইল্যান্ড পুলিশের কর্মকর্তা ডেভিড ইয়াপু বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, শুধু চলতি সপ্তাহান্তেই চারজন সুইসাইড করার চেষ্টা করেছে বলে তিনি জানেন। মি. বুচানি এবং অন্যান্য শরণার্থীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, গত শনিবার থেকে পাপুয়া নিউগিনিতে অন্তত ১২ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ঐ এলাকায় কাজ করছে এমন একটি এনজিও রিফিউজি অ্যাকশন কোয়ালিশনের কর্মকর্তা ইয়েন রিনটুল বলছেন, এদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার এই ঘটনার ওপর সরাসরি কোন মন্তব্য করেনি। তবে এক বিবৃতিতে তারা বলছে, নাউরু এবং পাপুয়া নিউ গিনিতে যেসব লোক রয়েছে তাদের স্বাস্থ্য এবং ভালমন্দের দিকে নজর রাখার দায়িত্বকে তারা গুরুত্বের সাথে নিয়ে থাকে। ম্যানাস আইল্যান্ডের একটি শরণার্থী কেন্দ্র। নির্বাচনের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদল লেবার পার্টি ঘোষণা করেছিল, তারা জয়লাভ করলে আটক হওয়া অভিবাসনকামীদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে তারা নিউজিল্যান্ডে বসবাসের জন্য পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। পাপুয়া নিউ গিনি এবং নাউরুতে এখন যারা আটক রয়েছে তাদের সামনে এখন তিনটি পথ খোলা: ১. ঐ দ্বীপেই স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়া ২. যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য সীমিত সুযোগের জন্য আবেদন করা, অথবা ৩ . নিজ দেশে ফিরে যাওয়া।
Several asylum seekers sent overseas by Australia have attempted suicide in recent days amid rising desperation since the nation's election, advocates say.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, তিনি চান মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে নভোচারী পাঠাবে। সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদের উল্টো-পিঠে চীনের চালানো রোবোটিক মিশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "আমরা এখন আবার একটা মহাকাশ-কেন্দ্রীক প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছি, ঠিক যেমনটি ছিলাম ১৯৬০-এর দশকে।" চাঁদে পুনরায় মানুষ পাঠানোর ব্যাপারে আগে থেকেই পরিকল্পনা রয়েছে নাসা'র। কিন্তু মি. পেন্স-এর ঘোষণার পর এর সময়সীমাকে আরও বেগবান করবে। অ্যালাব্যামার হান্টসভিলের ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের সভায় দেয়া এক বক্তৃতায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, "আগামী ৫ বছরের মধ্যে চাঁদে আবারো মার্কিন নভোচারী পাঠানোর বিষয়টি বর্তমান প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতির মধ্যেই রয়েছে।" "বিশ শতকে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদে পৌঁছাতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র, তেমনই একুশ শতকে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর ক্ষেত্রেও আমরাই হবো প্রথম জাতি।" নাসা এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে লক্ষ্যবস্তু করবে, যেটি স্থায়ী অন্ধকারাচ্ছন্ন চ্যালেঞ্জিং একটি অংশ। কিন্তু ওই অংশটি জমাট পানি বা বরফের একটি আধার, যাকে মহাকাশযানের জন্যে জ্বালানীতে রূপান্তর করতে চায় নাসা । ১৯৬৯ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করা প্রথম মানব নীল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, "এটা মানুষের জন্য ক্ষুদ্র পদক্ষেপ কিন্তু মানবজাতির জন্য বিশাল এক যাত্রা"। চাঁদের বুকে হেঁটে যাওয়া প্রথম মানুষ নীল আর্মস্ট্রং-এর সেই কথার পুনরাবৃত্তি করে মি. পেন্স বলেন, "পরবর্তী বিশাল পদক্ষেপের এখন এটাই সময়।" আরও পড়ুন: চাঁদের অদেখা অংশে চীনের অভিযান চাঁদের বুকে গাছের চারা গজিয়েছে চীন চাঁদের মালিকানা আসলে কার? নতুন সময়সীমা হবে খুবই চ্যালেঞ্জের। তিনি আরও বলেন, "যেকোনো মূল্যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মার্কিন মহাকাশচারীদের চাঁদে পাঠানোই হল এই পরবর্তী দীর্ঘ যাত্রা এবং সেখানে মার্কিন নভোচারীদের স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠার পর তাদের প্রস্তুতি হবে পরের গন্তব্য- মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে।" এর জবাবে ইউএস স্পেস এজেন্সির পরিচালক জিম ব্রাইডেনস্টাইন টুইট করে জানিয়েছেন: "চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হল। এখন কাজ শুরুর পালা।" গেটওয়ে নামে একটি স্পেস স্টেশন বানানো হবে প্রথমে চাঁদের কক্ষপথের কাছে ২০২৪ সালের মধ্যে, এরপর ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে নভোচারী পাঠানো হবে চাঁদে- নাসার পরিকল্পনা ছিল এমনটাই। কেউ কেউ মনে করছেন যে, এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন বেশ চ্যালেঞ্জিং। এই চন্দ্র অভিযানের পরিকল্পনার জন্যে দরকার একটি বিশাল ভারবহনে সক্ষম রকেট, যা চাঁদের গমন এবং অবতরণের জন্যে যে বিপুল জিনিস প্রয়োজন তা নিয়ে যাবে। নাসা এজন্যে নিজস্ব একটি লঞ্চার নির্মাণ করেছে, যা স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) নামে পরিচিত। কিন্তু প্রকল্পটির বিলম্ব ঘটছে এবং খরচ বেড়ে চলছে। মি. ব্রাইডেনস্টাইন প্রকল্প এগিয়ে নেবার জন্যে একটি কম শক্তিশালী বাণিজ্যিক রকেটের কথা ভেবেছিলেন। ২০২০ সালের মধ্যে মানববিহীন একটি ক্যাপসুলকে মহাশূন্যে নেবার জন্যে সেটি হতে পারে স্পেস এক্স বা বোয়িং-লকহেড মার্টিন যৌথ অংশীদার ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স দ্বারা নির্মিত রকেট। কিন্তু মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর নাসার পরিচালক বলছেন, তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে নাসা আগামী বছরের মধ্যে একটি সফল এসএলএস উৎক্ষেপণ দিতে পারবে। লকহেড মার্টিন নির্মিত অরিয়ন ক্যাপসুল হবে মহাকাশচারীদের চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবার প্রধান মহাকাশযান। কিন্তু সেইসব কিছু বানানোর কাজই এখনো শুরু হয়নি। মাইক পেন্স কেবল ঘোষণা দিয়েছেন তা-ই নয়, তিনি হুমকিও দিয়েছেন যে, যদি নাসা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তুত হতে না পারে, তবে বাণিজ্যিক লঞ্চিং সিস্টেম বা অন্য কোনও সহযোগী সন্ধান করা হবে।
US Vice-President Mike Pence has said he wants Nasa to return astronauts to the Moon within five years.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
প্রাভিনা প্যাটেল 'আমার কেমোথেরাপির কথাও গোপন করেছি"। এমন এক নারীর সঙ্গে বিবিসি কথা বলেছে যিনি তাঁর ক্যান্সার হবার খবরটি পরিবারকে জানানি, প্রতিক্রিয়ায় পরিবার কী করবে সেই ভয়ে। 'একা একাই কেমোথেরাপি' নিচ্ছেন তিনি এবং নিজের কষ্টটা নিজের মধ্যেই রাখছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত অনেক নারী দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসছেন। ফলে তাদের মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না, কিন্তু শুরুতেই যদি তারা সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতো তাহলে হয়তো তাদের মৃত্যু ঠেকানো যেত। এমন একটি ঘটনাও ঘটেছে -এক নারীর স্তন পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাবার পর সে চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু তাঁর ক্যান্তার পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং চিকিৎসা নিতে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। 'অন্ধকার দিন' প্রাভিনা প্যাটেল, বিবিসির ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ার অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন। ৩৬ বছর বয়সে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে তাঁর। এক রক্ষণশীল ভারতীয় কমিউনিটিতে বেড়ে উঠেছেন প্রাভিনা। যেখানে ক্যান্সারের মতো রোগের বিষয়ে কথা বলা লজ্জাজনক। প্রথম যখন তাঁর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়লো, তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই বিষয়টি গোপন করবেন তিনি। "আমার শুধু মনে হয়েছিল কেউ যদি জানে যে আমার ক্যান্সার হয়েছে, তারা ধরেই নেবে যে আমার মৃত্যু অবধারিত" বলেন তিনি। মানুষ তাকে নিয়ে সবসময় উদ্বেগ দেখাবে, তিনি 'খারাপ জীবনযাপন করছেন এবং ঈশ্বর তাঁকে শাস্তি দিচ্ছে' এ ধরনের মন্তব্যও শুনতে হতো প্রাভিনা প্যাটেলকে। চিকিৎসা গ্রহণের সময় মিস প্যাটেল এ অসুখের কথা গোপন রাখেন। তিনি বলেছেন কেমোথেরাপির সময় তিনি 'চরম একাকীত্বে' ভুগতেন। "কেমোথেরাপি আমি একা একাই নিয়েছি। আমার জীবনে অনেক অন্ধকার দিন রয়েছে" বলেন মিস প্যাটেল। গবেষক পূজা সাইনি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অন্তর্গত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বৈষম্য নিয়ে যে গবেষণারত দলটির প্রধান গবেষক পূজা সাইনি বলছেন, "এই ইস্যু নিয়ে পর্যালোচনা করে তিনি রীতিমতো অবাক হয়েছেন"। "এমন অনেক নারীর ফাইলও পেয়েছি যারা ডাক্তারের কাছে পর্যন্ত যান না। কারণ, তারা যদি চিকিৎসা নেন আর যদি চুল পড়ে যায় তাহলেতো মানুষ জেনে যাবে তার ক্যান্সার" বলেন মিস সাইনি। "এছাড়াও নারীদের মনে আরেকটা ভয় কাজ করে-সন্তানের ওপর হয়তো এর প্রভাব পড়বে। কেউ হয়তো তাঁর সন্তানকে বিয়ে করতে চাইবে না"। এই সমস্যাটা আসলে কতটা ব্যাপক ও বিস্তৃত সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা কঠিন। কারণ জাতিগত তথ্য ও মৃত্যুর হার নিয়ে খুব কম তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ২০১৪ সালে ব্রিজওয়াটার এনএইচএস তাদের গবেষণামূলক অনুসন্ধানে দেখে যে, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী এশিয়ান নারীদের বেঁচে থাকার হার তিন বছরে কমে গেছে। মিস সাইনি তাঁর গবেষণা প্রতিবেদনে বলছেন, পরিবারের পুরুষের প্রভাব এবং সমাজের প্রবীণদের চিন্তাভাবনার প্রভাব পড়ছে এই ইস্যুটিতে। "তারা যদি মনে করে নারীদের সঠিক চিকিৎসার মধ্যে যাওয়ার দরকার কী, তাহলেতো তাদেরও যাবার দরকার নেই" বলেন পূজা সাইনি। ক্যান্সার নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ান কমিউনিটিতে যে 'স্টিগমা' কাজ করে তার ভিন্ন ভিন্ন ধরনও রয়েছে। মিস প্যাটেল বলছেন, প্রলেপ পরীক্ষার জন্য মহিলারা যে যেতে চান না তার কারণ হলো তারা 'কলঙ্কিত' বা 'কলুষিত' হতে চান না অথবা 'তাকে আর বিশুদ্ধ ভাবা হবে না' এমনটাও তাঁরা চান না। প্রাভিনা প্যাটেল তাঁর কেমোথেরাপির কোর্স শেষ করেছেন এবং তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। চিকিৎসার সময় মিস প্যাটেল ও তাঁর স্বামীর মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। মিস প্যাটেলের মতে, সমাজে একজন নারীকে স্ত্রী হিসেবে যেমনটা ভাবা হয় তিনি হয়তো তেমন ছিলেন না। আরো পড়তে পারেন: ‘মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রির’ উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ মডেলকে অপহরণ একটি কনডম বাঁচাতে পারে নতুন মায়ের জীবন 'ইসলামপন্থী হলেই মনে করে ধর্মের কথাই শুধু বলবে' ক্যান্সার সাপোর্ট ম্যানেজার মধু আগারওয়াল বলছেন দক্ষিণ এশিয়ার অনেক নারী সময়ের পর চিকিৎসা নিতে আসেন। নারীরা যে অকারণে ভুগছেন তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের অনেকের আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকে না এবং ক্যান্সার নিয়ে তাদের সচেতনতাও কম। ন্যাশনাল স্ক্রিনিং স্ট্যাটিস্টিকসের হিসাব অনুযায়ী, এক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গরা যে পরিমাণ পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যান সেই তুলনায় তারা অনেক কম পরীক্ষা করান। ক্যান্সার সাপোর্ট ম্যানেজার মধু আগারওয়াল গত ৩০ বছর ধরে এ বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর মতে, কারণ ছাড়াই দক্ষিণ এশিয় নারীদের মৃত্যু হচ্ছে। "কোনো ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া, অসচেতনতা,খামখেয়ালিপনার কারণে রোগটা ছড়াচ্ছে। রোগ ছড়িয়ে গেলেতো চিকিৎসা করা কঠিন" বলেন তিনি। সমাজে এই ধারণাও রয়েছে যে ক্যান্সার ধরা পড়া মানেই আপনার মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু ঘটনাতো আসলে তা নয়। মধু আগারওয়াল তাঁর এক রোগীর বর্ণনা দিতে গিয়ে বলছিলেন যে ওই নারী যখন তাঁর কাছে আসে তখন তাঁর স্তন এক প্রকার 'পচে গিয়েছিল'। "আমার মনে আছে এমন দুর্গন্ধ আসছিল যে আপনি তার পাশে বসতে পারবেন না"-বলেন তিনি। ছোট ছোট সন্তান রেখে ওই ক্যান্সার আক্রান্ত নারী মারা যান। কারণ ওই নারীর সারা শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছিল-কোনো চিকিৎসাতেই তাকে ভালো করা সম্ভব ছিলনা -ব্যাখ্যা করে বলছিলেন মিস আগারওয়াল। সামিনা হুসেন বলেছেন ক্যান্সারের বিষয় লুকানোর জন্য তাঁকে হিজাব পরার পরামর্শ দিয়েছিলেন তার এক বোন। নিজেদের আশেপাশে ক্যান্সার নিয়ে এক ধরনের স্টিগমা কাজ করার কারণে তার কী প্রভাব পড়েছে রোগীদের ওপর এ ধরনের অনেক ঘটনাও শুনেছে বিবিসি। ক্যান্সারের বিষয়টা লুকানোর জন্য সামিনা হুসেন নামে একজনকে হিজাব পড়তে বলেছিলেন তাঁর এক বোন। অন্যদিকে আয়না বাটকে কেমোথেরাপি নিতে না করা হয় এই বলে যে 'ঈশ্বর তোমাকে এই রোগ দিয়েছেন"। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের স্ক্রিনিং ডিরেক্টর অ্যানে ম্যাকি বলছেন, মিস সাইনির গবেষণা প্রতিবেদনটি পুরোপুরি প্রকাশিত হলে সেটি তাদের কাজে আরো সহায়ক হবে। 'দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের সাহায্য প্রয়োজন এমন অনেক কারণ আমরা খুঁজে পেয়েছি। অন্য দেশের মানুষের মতো তাদেরও বাঁচার অধিকার আছে , আমাদেরও এ নিয়ে কিছু করতে হবে" বলেন তিনি।
A number of UK women from South Asian backgrounds who have cancer hide it because of a perceived stigma about the disease, the BBC has learned.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
মাউন্ট এভারেস্টে কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক এই পদক্ষেপ নিয়েছে কারণ ঐ স্থানে যে পরিমাণ ময়লা আবর্জনা জমেছে সেটা সরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ হল পর্যটকরা শুধুমাত্র একটি আশ্রম পর্যন্ত যেতে পারবে যেটা বেস ক্যাম্পের লেবেল থেকে ৫ হাজার দুইশ মিটার নীচে। বেশির ভাগ মানুষ পর্বতের উত্তরের দিক নেপাল দিয়ে আরোহন করে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চীনের দিক থেকে আরোহনের সংখ্যা বাড়ছে। চীনের যে বেস ক্যাম্প সেটা তিব্বতে অবস্থিত। পর্যটকরা এই পথে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন কারণ এখানে গাড়ী করে যাওয়া যায়। যেখানে নেপালের দিক দিয়ে উঠলে প্রায় দুই সপ্তাহ পায়ে হেঁটে উঠতে হয়। আরও পড়তে পারেন: চীন কি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ? অংক করে যেভাবে ঠিক হতো চীনা সম্রাটের শয্যাসঙ্গী মহাকাশ নিয়ে এতো মরিয়া কেন চীন? চাঁদের উল্টো পিঠ থেকে ছবি পেতে শুরু করেছে চীন সাধারণ পর্যটকদের রংবাক আশ্রম পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এই পর্বত বছরের পর বছর ধরে আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে। কারণ প্রতিবছর সেখানে যাওয়ার পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়ছে। চীনের মাউন্টেইনারিং অ্যাসোসিয়েশন বলছে ২০১৫ সালে এই বেস ক্যাম্প দিয়ে ৪০ হাজার লোক গেছে। অন্যদিকে নেপালের মিনিস্ট্রি অব ফরেস্ট এন্ড সয়েল কনজারভেশন বলছে ২০১৬-১৭ সালে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক গেছে যার সংখ্যা ৪৫ হাজার। সাধারণ পর্যটকরা রংবাক আশ্রম পর্যন্ত যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যেটা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার ওপরে। আর যেসব পর্বতারোহীর অনুমতিপত্র আছে তারা সর্বোচ্চ ক্যাম্প যেটা আট হাজার ৮৪৮ মিটার উপরে সে পর্যন্ত যেতে পারবে। জানুয়ারি মাসে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল তারা প্রতিবছর ৩শ জনকে অনুমতিপত্র দেবে। চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি একটা খবর ছড়িয়েছে যে তাদের বেস ক্যাম্প স্থায়ীভাবে পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং উচ্চতার কারণে পরিচ্ছন্নতার কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তবে সংবাদসংস্থা সিনহুয়া বলছে এই খবর কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। তিব্বতের কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে গত ডিসেম্বরে এই সংক্রান্ত ঘোষণা আসে। তারা উল্লেখ করেছিল তিন দফার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পর আট টন আবর্জনা পরিষ্কার করতে হয়েছে। যার মধ্যে মনুষ্য বর্জ্য এবং ফেলে যাওয়া নানা যন্ত্রপাতি ছিল। যেসব পর্বতারোহী মারা গেছে তাদের মৃতদেহ অপসারণের কাজ করা হবে এ বছর। কথিত আছে আট হাজার মিটার ওপরের স্থানকে 'ডেথ জোন' বলা হয় কারণ সেখানে বাতাস এত অল্প যে প্রাণ ধারণ করা কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং উচ্চতার কারণে এই সব মৃত দেহগুলো বছরের পর বছর কোন কোন সময় যুগের পর যুগ সেখানেই পড়ে থাকে।
China has closed the base camp on its side of Mount Everest to visitors who don't have climbing permits.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
সাম্প্রতিক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া তবে মিসাইলগুলো কী ধরণের- তা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ হুয়াংহে অঞ্চল থেকে উপদ্বীপ পার করে পূর্বে সমুদ্রের দিকে উৎক্ষেপণ করা হয় মিসাইলগুলো। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আলোচনা করছে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সোমবার শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়। আরো পড়তে পারেন: উত্তর কোরিয়া 'ছোট পরিসরের মিসাইল পরীক্ষা করছে' উত্তর কোরিয়ার ভেতরে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রকে 'ছোট' বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব কি নতুন পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতার মুখে? যৌথ সামরিক মহড়ায় সোলের দক্ষিণের একটি মার্কিন ঘাঁটি থেকে হেলিকপ্টার অংশ নেয় মূল মহড়া ১১ই অগাস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত ছোট পরিসরে মহড়া চলছে। উত্তর কোরিয়া এর আগে দাবি করেছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের মধ্যে হওয়া সমঝোতার লঙ্ঘন করে এই সামরিক মহড়া। মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়া এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে 'কূটকৌশলের মাধ্যমে' দু'দেশের সামরিক মহড়াকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার চেষ্টা করছে। ঐ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দু'দেশের 'আগ্রাসী চরিত্র' লুকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া আলোচনার সমঝোতার 'সরাসরি অস্বীকৃতি এবং ঘোরতর লঙ্ঘন' হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই সামরিক মহড়ার সমালোচনা করা হয় বিবৃতিতে। বিবৃতিতে সতর্কবার্তা দেয়া হয় যে, "আমরা এরই মধ্যে একাধিকবার সতর্ক করেছি যে, উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটাবে। এর ফলে আগে আমরা যেসব বড় পদক্ষেপ নিয়েছি, সেগুলোও পুনর্বিবেচনা করার মত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।" পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং একের পর এক মিসাইল পরীক্ষার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: কাশ্মীরের জন্য বিশেষ আইন কেন বিতর্কিত? মুসলিম-প্রধান কাশ্মীরের চরিত্র বদলানোই মূল লক্ষ্য? 'থানার বাইরেই ভাইয়ের কান্না শুনতে পাইতেছিলাম' ডেঙ্গু: কখন রোগকে মহামারী ঘোষণা করা হয়? জুন মাসে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক মিসাইল পরীক্ষাগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া যেসব মিসাইল পরীক্ষা করেছে সেগুলো ছোট পরিসরের ব্যালিস্টিক মিসাইল, যা ৩৭ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে ৪৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া যেসব মিসাইল পরীক্ষা করেছে তা নতুন ধরণের ছোট পরিসরের মিসাইল। গত শুক্রবার দু'টি মিসাইল জাপান সাগরে নিক্ষেপ করা হয় বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যুগ্ম প্রধান। তিনি বলেছেন, মিসাইলগুলো অনেক নীচ দিয়ে ভ্রমণ করেছে এবং প্রায় ২২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। বিশ্লেষকদের মতে, ঐ মিসাইলগুলো অতিরিক্ত দ্রুতগতিতে ভ্রমণ করেছে। বুধবার উত্তর কোরিয়া দু'টি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে যেগুলো ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে ২৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে জাপান সাগরে পড়ে। ২৫শে জুলাই উত্তর কোরিয়া আরো দু'টি মিসাইল নিক্ষেপ করে যেগুলোর একটি ৬৯০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের জুন মাসের সাক্ষাতের পর ২৫শে জুলাই প্রথম মিসাইল পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। জুন মাসের সাক্ষাতে দুই নেতা পরমাণু অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম বন্ধের আলোচনা নতুন করে শুরু করার বিষয়ে একমত হন। উত্তর কোরিয়া কেন খরার খবর লুকাচ্ছে
North Korea has fired two unidentified missiles, its fourth such launch in less than two weeks, South Korea's military has said.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
গির্জার ভেতর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বালি দ্বীপে ২০০৫ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর ইন্দোনেশিয়াতে এটাই এ ধরনের সবচেয়ে বড় হামলা। তবে এই হামলায় যে বিষয়টি অনেককেই বিস্মিত করছে তা হলো, মাত্র একটি পরিবারের সব সদস্য মিলে সমন্বিতভাবে এই হামলাগুলো চালিয়েছে। দুই বাচ্চাকে নিয়ে মা একটি গির্জায় হামলা চালায়। আর বাবা এবং তিন ছেলে আরো দুটি হামলায় অংশ নেয়। বলা হচ্ছে, পিতা বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে যান পেন্টেকোস্টাল গির্জার কাছে। তারপর হামলাটি চালানো হয়। পুলিশ বলছে, মায়ের সাথে ছিল তার দুই কন্যা। তাদের বয়স ৯ ও ১২। তারা তাদের শরীরে বোমা বেঁধে আরেকটি গির্জায় গিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেয়। ছেলেদের বয়স ১৬ এবং ১৮। তারা হামলা চালায় মোটর সাইকেলে করে। ইসলামিক স্টেট এসব হামলায় দায় স্বীকার করেছে। আরও পড়তে পারেন: কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ও সরকার মুখোমুখি কুকুরের প্রেমে ভারতে থেকে গেলেন ব্রিটিশ দম্পতি পিরামিডের নিচে হাজার বছর আগের নৌকার খোঁজে বাসে প্রকাশ্যে হস্তমৈথুনের অভিযোগে গ্রেফতার ইন্দোনেশিয়ায় ৯০ শতাংশ জনগণই মুসলিম । তবে সেদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ রয়েছে। সুরাবায়া নামে যে শহরের তিনটি গির্জায় এই আত্মঘাতী হামলা হয়েছে সেটি ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। প্রথম হামলাটি হয় স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শহরের সান্তা মারিয়া গির্জায়। পুলিশ জানিয়েছে, মোটর বাইক ব্যবহার করে ঐ হামলা চালানো হয়। দ্বিতীয় হামলাটির লক্ষ্য ছিল পেন্টেকোস্টাল নামে আরেকটি গির্জা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তৃতীয় গির্জাটিতে হামলা চালিয়েছে বোরখা পরা এক বা একাধিক নারী। বলা হচ্ছে, শহরের আরো কিছু গির্জায় হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সহনশীল হিসাবে ইন্দোনেশিয়ার সুনাম রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োকা উইদোদো আক্রান্ত গির্জাগুলো দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক খুঁজে বরে করে এই সমস্যার মূলোৎপাটনের জন্য তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সমাজের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের উচিৎ সন্ত্রাস এবং কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইতে সামিল হওয়া, কারণ 'এই সন্ত্রাস ধর্মের এবং ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী।' মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সহনশীল হিসাবে ইন্দোনেশিয়ার সুনাম রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কট্টর ইসলাম সেখানে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। এর আগে ইন্দোনেশিয়ায় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল ২০০৫ সালে হিন্দু অধ্যুষিত বালি দ্বীপে। সেসময় মারা গিয়েছিল বিদেশী পর্যটকসহ ২০ জন।
Suicide bombers have attacked three churches in Indonesia's second-largest city Surabaya, killing at least 11 people.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
হোপ হিকস কিন্তু হোপ হিকস বিশেষভাবে পরিচিত কোন ব্যক্তি নন। প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ৩১ বছর বয়সী সাবেক এই মডেল আলোচনার বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালকের পদে নিয়োগপ্রাপ্তির ১০ দিনের মাথায় অ্যান্থনি স্ক্যারামুচ্চি বরখাস্ত হলে হোপ হিকস সেই পদে নিয়োগ পান। রাজনীতিতে তার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, কিন্তু এর আগের পাঁচ বছর ধরে ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বেশ উত্থান পতন রয়েছে। এর আগে তাকে এক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার কিছুদিন পরে আবার অন্য দায়িত্বে ফিরে আসতে দেখা গেছে। তাহলে কীভাবে এরকম আলোচনার বাইরে থাকা একজন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাকরিগুলোর একটিতে নিয়োগ পেলেন? আরো পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্ত্রী মেলানিয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প: দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে কী হবে? নির্বাচনে কী ঘটবে? ২০১৮ সালে পদত্যাগ করলেও কিছুদিন পরে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের টিমে ফিরে আসে হোপ হিকস ইভাঙ্কা ট্রাম্পের মাধ্যমে আসা হোপ হিকসের জনসংযোগ পেশা শুরুর করার সময় যেসব প্রতিষ্ঠান তার গ্রাহক ছিল, তাদের একটি ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ফ্যাশন কোম্পানি। রালফ লরেন পোশাকের মডেলিংয়ের পাশাপাশি ইভাঙ্কা'স কাপড়-চোপড়ের মডেল হিসাবেও তিনি কাজ করেছেন। বড় মেয়ের সঙ্গে কাজ করার কারণে একসময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের নজরে আসেন। ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে নিজের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির জনসংযোগ কাজের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তাকে বেছে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন, হোপ অসাধারণ একজন কর্মী। হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসা ২০১৫ সালের প্রথম দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি সফরে যাওয়ার পর থেকে তিনি রাজনৈতিক আবহের মধ্যে ঢুকে যান। সেটা ছিল মি. ট্রাম্পের প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট পরিচালনায় হোপ হিকস সহায়তা করেন। তিনি যা বলতে চাইতেন, তাই তিনি করতেন এবং ট্রাম্পের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেটা করতে বলতেন। যখন প্রচারণা জমে ওঠে, তখন তার সামনে প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়, তিনি কি পূর্ণকালীন রাজনৈতিক প্রেস সচিব হিসাবে কাজ করবেন নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাজে ফিরে যাবেন? তিনি দ্বিতীয় বিকল্প বেছে নেন। কিন্তু পরবর্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার তাকে ব্যক্তিগতভাবে তার রাজনৈতিক দলে থাকার অনুরোধ করেন। সেই প্রস্তাবে তিনি রাজি হন। হোপ হিকসকে 'হোপি' বা হোপস্টার' বলেও ডাকেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নজরের বাইরে থাকার চেষ্টা হোক হিকস নিজে থেকে কখনো খুব একটা বক্তব্য দেন না, যদিও সাংবাদিকরা যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেন, তখন তিনি কাছাকাছিই থাকেন। যখন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার কাজ শুরু করেন, তখন তিনি নিজের টুইটার একাউন্ট মুছে ফেলেন। তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টও ব্যক্তিগত করে রাখা হয়। যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তিনি হোপ হিকসের জন্য নতুন একটি দায়িত্ব তৈরি করেন। সেটি হলো হোয়াইট হাউজের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক। তার কাজের ধরণটা হলো, প্রেসিডেন্টকে কোন কাজে বাধা দেয়া বা পরিবর্তনের চেষ্টা না করা, বরং শুধুমাত্র তিনি যা করতে চান, সেটাই করতে সহায়তা করা। পলিটিকোর একটি নিবন্ধ অনুযায়ী, ট্রাম্প পরিবারের একান্ত ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তির একজন হোপ হিকস। তিনি এমনকি ইহুদি ধর্মের বিশেষ খাবার, শাবাত ডিনারে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে অংশ নেন। ২০১৭ সালের মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, সেই সময় হাতেগোনা যে কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন, তাদের একজন ছিলেন হোপ হিকস। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: তুরস্ক কেন আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে এবং তারা কতো দূর যেতে পারে? রোহিঙ্গা কূটনীতি নিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগের বাকযুদ্ধ গণধর্ষণের তদন্ত ধামা চাপা দেওয়ার অভিযোগ 'স্বাদ গন্ধ চলে যাওয়া কোভিডের আরও স্পষ্ট ও নিশ্চিত লক্ষণ' ২০১৭ সালের মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, সেই সময় হাতেগোনা যে কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন, তাদের একজন ছিলেন হোপ হিকস। হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে......আবার ফিরে আসা ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কংগ্রেসে দেয়া সাক্ষ্যে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, মাঝেমাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে তিনি 'সাদা' মিথ্যা বলে থাকেন। পরদিন তিনি হোয়াইট হাউজ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপরের কিছুদিন তিনি ফক্স নিউজে কাজ করেন। তবে এই বছরের শুরুর দিকে আবার প্রেসিডেন্টর টিমে ফিরে আসেন। বিবিসির হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা টারা ম্যাককেলভি যেমন বলছেন, তার ফিরে আসার কারণ খুবই সহজ, 'তিনি প্রেসিডেন্টের অনেক গোপন তথ্য জানার পরেও, কথা বলেন খুবই সামান্য'।
President Donald Trump and first lady Melania contracted Covid-19 after his close aide Hope Hicks tested positive for the virus.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
যুক্তরাষ্ট্রে ইদানীং অনেক শিশুরা সপ্তাহে মাত্র দুই দিন স্কুলে আসে। বাকিদিনগুলো বাড়িতেই পড়ালেখা করে। দেশটির সরকারি স্কুলগুলো সামাজিক ন্যায় বিচারের বিষয়গুলি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পরায় অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আনছেন। এসব বেশি ঘটতে দেখা যাচ্ছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। যদি সেখানকার নাগরিকদের খুব বেশি সময় নেই সরকারের নীতি নিয়ে মাথা ঘামাবার। তবু সরকার বা রাজনীতির চেয়েও সেখানে যেটি প্রাধান্য পায় তা হল- ধর্ম। আরও পড়তে পারেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শ'খানেক শিক্ষার্থী যে কারণে আটক পাঠ্যবইয়ে ট্রাফিক নিয়মের পাঠ কতটা আছে? যে পীররা প্রভাবিত করেন পাকিস্তানের নির্বাচন টেক্সাসের অনেক বাবা-মা'য়েরাই হতাশ হয়ে যাচ্ছেন এই ভেবে যে, সেখানকার সরকারি স্কুলগুলো ধর্মের শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। টেক্সাসের রাজধানী অস্টিনের বাসিন্দা শ্যানন হেলমি বলছেন, "এখানকার সরকারি স্কুল বোর্ডের অধীনে ধর্ম যেন একটা নিষিদ্ধ বিষয় হয়ে গেছে।" মিজ. শ্যানন তার চারটি মেয়েকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন। বাসাতেই তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন রেজাইনা সিলিয়া'র অধীনে, যারা এমন গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থা করে থাকেন যিনি ক্যাথলিক পাঠ্যক্রম অনুসারে তাদের পড়াবেন। টেক্সাসের মা-বাবা এবং অনেক শিক্ষকদের আরও অভিযোগ রয়েছে যে, সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু আগ্রাসী উদারপন্থী বিষয়ের সূচনা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন মার্কিন অভিভাবকদের অভিযোগ এখনকার স্কুলগুলো খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি ভক্তি হারিয়েছে। ফলাফল দাঁড়িয়েছে যে, রাজ্যটির বাসিন্দারা সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে একধরনের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি ঝুঁকছে, অনেকটা খৃষ্টান ধর্মতত্ববিদ বা গ্রিক দার্শনিকদের মতো। "সেইসব বাবা-মা'য়েরা যারা কিনা ধর্মের বিষয়ে স্পর্শকাতর কিংবা রাজনৈতিকভাবে রক্ষণশীল তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব হোম স্কুলিং-এর দিকে ঝুঁকছেন। তারা ভাবছেন যে তাদের ছেলেমেয়েরা ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্কুলগুলিতে।" বলছিলেন রেজাইনা সিলিয়া-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কেরি বেকম্যান। তার মতে, "রক্ষণশীল বাবা-মা'য়েরা মনে করছেন যে তাদের মূল্যবোধগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে না প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায়।" রেজাইনা সিলিয়া'র পুরো দেশজুড়েই তাদের ব্যবস্থাপনা চলা স্কুল রয়েছে, যেখানে সপ্তাহে মাত্র দু'দিন শিক্ষার্থীরা যায়। আর বাকি দিনগুলো বাড়িতেই শিক্ষা চলে তাদের ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী। সরকারি স্কুল বোর্ডগুলোর নির্বাচন অনেকটা জাতীয় রাজনৈতিক নির্বাচনেরই বহি:প্রকাশ হয়ে গেছে, এমনটা মত অস্টিনের এক বাসিন্দা জন ডামের। তার তিনটি সন্তান রয়েছে এবং তিনি নিজেও সেখানকার স্কুল থেকেই স্নাতক ডিগ্রী নিয়েছেন। তার মতে শিক্ষার মূল বিষয় থেকে লক্ষ্য সরে গিয়ে সেটি অনেকবেশী রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রচারিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচ্যুসেটস অঙ্গরাজ্যের শিশুরা একটি কমিউনিটি প্লেইসে পাঠ নিচ্ছে। এই মতের বিরুদ্ধে যারা তারা বলছেন যে, রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ীই শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে এবং ধর্মের বিষয়ে এখানে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। অস্টিনের সরকারি স্কুলে ২৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন, দিনে দিনে সেখানে অবস্থা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ধর্মের নামে কোন শিক্ষা দেয়া দূরহ হয়ে পরছে। তার মতে এমনটা ঘটেছে অন্তত গত ১০ বছর ধরে। বাবা মায়েদের এমন উদ্বেগের ফল দাঁড়িয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে চার্টার স্কুলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেসব স্কুল সরকারের কাছ থেকে সহায়তা নেয় তবে পরিচালনা করে নিজেদের মতো করে। ২০১৫ সালে এমন স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাড়ায় ২.৮ মিলিয়নে, দেশটির জাতীয় শিক্ষা পরিসংখ্যান জানাচ্ছে এ তথ্য। আর সেই সাথে বাসায় থেকে শিক্ষা গ্রহণকারী ছেলেমেয়েদের সংখ্যা ২০১২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩% থেকে ৮%। যা কিনা বর্তমানে ৩.৫ মিলিয়ন। রেজাইনা সিলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা মেটাতে এখনো সম্ভব নয়। তারা একই ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা চালাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে। শিশুদের স্কুলে পাঠানোর যথেষ্ট সামাজিক উপকারিতা রয়েছে বলে মনে করেন এর সমর্থকরা। তবে আমেরিকার শিশুদের অধিকাংশই স্কুলেই শিক্ষা নিয়ে থাকে, যেসব স্কুলকে পাবলিক স্কুল বলা হয়। মার্কিন জাতীয় পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের শরতে ৫০.৭ মিলিয়ন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে। ছেলেমেয়েদের বাড়িতে যেভাবে শিক্ষা দেয়া হয়, তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। সমালোচকরা বলছেন যে, এভাবে যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তার গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এছাড়া শিশুরা সেখানে বেড়ে উঠছে তাদের সমবয়সীদের ছাড়াই। উভলিঙ্গ মানুষদের মূল সমাজের অন্তর্ভুক্তির বিষয় পাঠ্যক্রমে থাকার বিষয়টিও অনেক রক্ষণশীলদের অপছন্দনীয়। এমন বিষয় নিয়ে পড়ানোর বিষয়ে আপত্তি তুলে টেক্সাসে একজন ক্যাথলিক শিক্ষকের সরকারি স্কুল থেকে চাকরি ছেড়ে দেবার মতো ঘটনাও ঘটেছে। যেসব শিশু বাড়িতে পড়ালেখা করছে তাদের স্কুল থেকেও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। রক্ষণশীল বাবা-মায়েদের একটি বড় অংশ উভলিঙ্গদের বিষয়ে শিক্ষা ছাড়াও আপত্তি তুলেছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষায় সমকামী বিবাহ, লিঙ্গ ভূমিকা বা পরিবারের একাত্মতার বিষয়গুলি থাকা নিয়েও। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার, তাই এক্ষেত্রে সবার কথা ভেবে পাঠক্রম তৈরি করা উচিৎ বলে মত দিয়েছেন মিজ বেকম্যান।
The number of children taught at home in the US is steadily growing. What's behind parents' concerns with the education system?
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
কাবো ডেলগাডো প্রদেশে তিন বছর ধরে চলা সহিংস কর্মকাণ্ডে কয়েকশো' মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে কাবো ডেলগাডো প্রদেশের গ্রামবাসীদের 'নির্বিচারে হত্যা' করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। গ্রামবাসীরা জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিতে অস্বীকার করার পর তাদের অনেককে শিরশ্ছেদ করা হয়ে। কাবো ডেলগাডো প্রদেশে তিন বছর ধরে চলা সহিংস কর্মকাণ্ডে কয়েকশো' মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি কোন গোষ্ঠী। নিজেদের নাম 'আল-শাবাব' দাবি করা একটি গোষ্ঠী ওই এলাকায় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। গত মাসে তারা খুব সহজেই মোসিমবোয়া ডে পারায়া শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তবে এই গ্রুপটি একই নামের একটি বৃহত্তর সোমালি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি-না, তা পরিষ্কার নয়। ইসলামিক স্টেট সেন্ট্রাল আফ্রিকা প্রভিন্স নামে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একটি শাখা দাবি করেছে যে মোজাম্বিকে অতীতের বেশ কয়েকটি হামলা তারা চালিয়েছে। এই হামলাটি গত ৭ই এপ্রিল মাইডুম্বে জেলার শিটাক্সি গ্রামে সংঘটিত হয়, তবে গত মঙ্গলবার এসব হত্যাকাণ্ডের তথ্য জানা যায়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে? লকডাউন তুলে নেয়ার শর্ত কি পূরণ করতে পারছে বাংলাদেশ? দেড় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের ৫৫টি জেলায় ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস ‘হাসপাতালে বিছানার কাছেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাশ পড়ে ছিল’ ''সম্প্রতি অপরাধীরা গ্রামের কিছু তরুণকে তাদের দলে ভেড়াতে চেষ্টা করে, কিন্তু তাতে কিছু তরুণের পক্ষ থেকে বাধা আসে। এর ফলে অপরাধীরা রেগে গিয়ে নিষ্ঠুরভাবে ৫২ তরুণকে হত্যা করেছে'' - গণমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র অরল্যান্ডো মুডুমানে। কাবো ডেলগাডো অঞ্চলটি মোজাম্বিকের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকাগুলোর একটি - তবে এই এলাকায় উত্তোলন করা হয়নি, এমন সম্পদের মজুদ রয়েছে। ২০১০ সালে ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী রোভুমা বেসিনে বিশাল গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার করে মোজাম্বিক। তবে মোজাম্বিকের জাতীয় পুলিশ কমান্ডার বেরনার্ডিনো রাফায়েল দাবি করেছেন, ওই প্রদেশের কোন এলাকাই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে যায়নি।
More than 50 people have been beheaded in northern Mozambique by militant Islamists, state media report.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
গেটি ইমেজের এই ছবিটিকে 'ডিস্ট্র্যাকটেড বয়ফ্রেন্ড' বা 'বিভ্রান্ত ছেলেবন্ধু' মিম বলা হয়। নতুন নীতিমালায় (বিতর্কিত অনুচ্ছেদ ১৩ সহ) অনুমতি ছাড়া কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে কোনো কিছু ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তার দায়ভার নেবে। তবে মিম এবং জিআইএফ শেয়ার করা এই নতুন আইনের অন্তর্ভূক্ত হবে না। অনেক সঙ্গীতশিল্পী, চিত্র ও কারুশিল্পী মনে করেন এই নিয়ম বাস্তবায়ন হলে শিল্পীদের আর্থিক মূল্যায়ণ সঠিকভাবে হবে - কিন্তু অন্য অনেকেই মনে করে এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তৈরি করা কাজ, যেগুলোকে ইউজার-জেনারেটেড কন্টেন্ট বলা হয়, ধ্বংসের মুখে পড়বে। কপিরাইট হলো একজন ব্যক্তির আইনি অধিকার, যা ঐ ব্যক্তির তৈরি করা কোনো কাজ কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার হবে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, বর্তমান আইনের অধীনে শিল্পীদের ন্যায্য সম্মানীই দেয়া হচ্ছে। গুগল বলেছে, এই আইন 'ইউরোপের ডিজিটাল ও সৃজনশীল শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত' করবে। এই বিতর্কিত আইনটি পাস করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ইউরোপিয়ান সংসদের ৩৪৮ জন সাংসদ, আর এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৭৮ জন। বিতর্ক তৈরি হচ্ছে কী নিয়ে? আইনের যে দু'টি ধারা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হচ্ছে, সেগুলো অনুচ্ছেদ ১১ ও অনুচ্ছেদ ১৩ হিসেবে পরিচিত। যার কৈশোর কেটেছে ইউটিউবে ইউটিউবের ফুড চ্যানেলে বাঙালী ভোজন রসিকদের মেলা মেয়েদের চুম্বন করে ভারতীয় ইউটিউবার বিপাকে 'হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড': ইউটিউব মাতানো ফুটবল দল ইউটিউব কন্টেন্ট স্রষ্টারা কি প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশে 'কোনো মিম অবৈধ নয়', এই লেখাসহ বিতর্কিত নতুন আইনের বিরোধিতা করে জার্মানিতে হওয়া এক কর্মসূচীর একটি পোস্টার। বাংলাদেশের ইউটিউবাররা ক্ষতির মুখে পড়বেন? নতুন এই নীতিমালা বিভিন্ন মহলে বিতর্ক তৈরি করলেও তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া স্বপন মনে করেন এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। বিবিসি বাংলাকে মি. স্বপন বলেন, "আমি মনে করি এতদিন ইন্টারনেটে যতগুলো ভালো কাজ হয়েছে এটি তার মধ্যে একটি।" মি. স্বপন বলেন, "আমরা অনেক সময়ই আরেকজনের তৈরি করা গান বা ভিডিও শেয়ার না করে ডাউনলোড করে আপলোড করে দেই। এই আইন বলবৎ করা হলে সেই অরাজকতা থামবে এবং একইসাথে সৃজনশীল কাজ করা শিল্পীরা এই আইনের মাধ্যমে তাদের মেধাস্বত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।" তবে যেই ওয়েবসাইটগুলো ৩ বছরের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে, যাদের বার্ষিক আয় ১০ মিলিয়ন ইউরোর নিচে এবং মাসিক ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ নতুন ব্যবহারকারী নেই - সেসব ওয়েবসাইট এই আইনের আওতাধীন হবে না বলে জানান মি. স্বপন। কিন্তু এই আইন কার্যকর করার মাধ্যমে ইন্টারনেট ভিত্তিক মুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্য কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে? "এই আইনের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে গুগল এবং ইউটিউব। কারণ তারাই পৃথিবীতে ওপেন ইন্টারনেটের নামে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করছে - যেটি তাদের ব্যবসার মডেলের মধ্যেই পড়ে।" মি. স্বপন বলেন, "এখানে বলে রাখা ভাল যে উইকিপিডিয়াকে এই আইনের আওতায় রাখা হয়নি।" এই আইনের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করছে ইউটিউব। মি. স্বপন মনে করেন নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই এই আইনের বিরোধিতা করছে তারা। "যে ব্যক্তি নিজে কিছু তৈরি করছে, তার কন্টেন্ট তো বাধা দেয়া হচ্ছে না। যারা ঐ একই কন্টেন্ট নিয়ে আবারো পোস্ট করছে তাদের বাধা দেয়ার জন্য এই আইন।" তবে এই আইন কার্যকর হলে বাংলাদেশের অনেকেই ইউটিউব চ্যানেলে কন্টেন্ট তৈরি করে আয় করার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়বেন বলে মনে করেন মি. স্বপন। "বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যেখানে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কন্টেন্টকে সামান্য পরিবর্তন করে আবারো আপলোড দেয়া হয় এবং সেসব ভিডিও থেকে অনেকেই অর্থ উপার্জনও করছেন।" "নতুন আইন বলবৎ হলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তখন অরিজিনাল ভিডিওই শেয়ার করতে হবে।" বাংলাদেশের মত যেসব দেশ সদ্যই ডিজিটাল পথে হাঁটতে শুরু করেছে সেসব দেশে এই আইনের প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করেন মি. স্বপন। "যেহেতু আমাদের নিজেদের কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই এবং আমরা বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নির্ভরশীল, তাই আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিশাল একটা অংশ কপিরাইট করা কন্টেন্টের ওপরই নির্ভরশীল।" এই ব্যবহারকারীদের এখন নতুন নীতিমালার অধীনে আসতে হবে এবং কপিরাইট সংক্রান্ত আইনকে সম্মান করে চৌর্যবৃত্তির প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মি. স্বপন।
Copyright laws which critics say could change the internet have been voted in by the European Parliament.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
জাপানে আত্মহত্যার হার কমলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা প্রবল। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত প্রাথমিক থেকে হাইস্কুলের ২৫০ জন শিশু আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। ১৯৮৬ সালের পর থেকে জাপানে এত বিপুল সংখ্যক শিশু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। আত্মহত্যার আগে ঐসব শিশুরা যেসব সমস্যার কথা জানিয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক সমস্যা, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং বন্ধুদের কাছ থেকে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্য পূর্ণ ব্যবহার। তবে স্কুলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এসব ঘটনার ১৪০টিরই সঠিক কারণ তারা জানে না কারণ সেসব ক্ষেত্রে শিশুরা আত্মহত্যার আগে কোনো নোট রেখে যায়নি। আত্মহত্যা করা অধিকাংশ শিশুই হাই স্কুলের শিক্ষার্থী। ১৮ বছরের কম বয়সী জাপানি শিক্ষার্থীরা সাধারণত এসব স্কুলে পড়ে। ২০১৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা প্রবণ দেশগুলোর একটি ছিল জাপান; তবে এই প্রবণতা বন্ধ করতে জাপান সরকার বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় বলে উঠে আসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে। ২০০৩ সালে জাপানে মোট আত্মহত্যার ঘটনা ছিল ৩৪ হাজার ৫০০টি, যা কমে ২১ হাজারে নেমে আসে ২০১৭ সালে। কেন জাপানে আত্মহত্যার হার এত বেশি? ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জাপানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তুলনা করলে দক্ষিণ কোরিয়া বাদে অন্য কোনো দেশে আত্মহত্যার হার এত ব্যাপক নয়। ঐতিহাসিক ধারা আর্থ-সামাজিক এবং ঐতিহাসিক কারণে জাপানে মানুষের আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। টোকিও'র টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ওয়াতুরু নিশিদা বলেন, "বিষণ্ণতা এবং আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ বিচ্ছিন্নতা বা একা থাকার প্রবণতা।" "জাপানে একসময় বৃদ্ধ অভিভাবকদের দেখাশোনা করতো তাদের সন্তানরা, তবে বর্তমানে সেরকমটা হয় না বললেই চলে। বৃদ্ধাশ্রম বা হাসপাতালে একাকী মৃত্যুবরণের ঘটনা দিন দিন বাড়ছেই।" আরো পড়তে পারেন: প্রথম দেখায় প্রেম, সেদিন থেকেই শুরু নতুন ব্যবসা ব্রিটেনে কখনো না এলেও ব্রিটিশ সেনা হওয়া যাবে বাংলাদেশে মি-টু? মডেল প্রিয়তির অভিযোগে ফেসবুকে আলোড়ন জাপানে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত 'সম্মানজনক আত্মহত্যা'র ঐতিহ্যকে দায়ী মনে করেন অনেকে। জাপানে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত 'সম্মানজনক আত্মহত্যা'র ঐতিহ্যকেও দায়ী মনে করেন অনেকে। জাপানের সামুরাই যোদ্ধাদের আত্মহত্যা, যাকে 'সেপ্পুকু' বলা হতো অথবা ১৯৪৫ সালে তরুণ 'কামিকাজে' বিমানচালকদের আত্মহত্যার ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের মানসিকতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে বলে মনে করেন ঐ বিশেষজ্ঞরা। মি. নিশিদা বলেন, "জাপানে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে, আত্মহত্যা করা পাপ নয়।" জাপান হেল্পলাইনে কাজ করা কেন জোসেফ মন্তব্য করেন অনেকসময় বৃদ্ধ ব্যক্তিরা অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা এবং বীমা সংক্রান্ত জটিলতা থেকে রেহাই পেতে আত্মহত্যা করেন। জাপানে আত্মহত্যা সংক্রান্ত ঘটনায় বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো সহজেই বীমার অর্থ হস্তান্তর করে। মি. জোসেফ বলেন, "যখন আর কোনে উপায় থাকে না, তখন অনেকেই মনে করেন, আত্মহত্যা করলে সহজেই পরিবারের টাকা-পয়সা সংক্রান্ত জটিলতা দূর হবে।" অর্থনৈতিক চাপ জাপানে যে শুধু নি:সঙ্গ বৃদ্ধরাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, তা নয়। আত্মহত্যা করা মানুষের বয়স যাচাই করলে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আত্মহত্যাকারী ২০ থেকে ৪৪ বছর বয়সী পুরুষ। এসব আত্মহত্যার ঘটনা যাচাই করলে দেখা যায় যে তারা জীবন নিয়ে হতাশ ছিলেন এবং কারো কাছে সাহায্য চাইতে অপারগ ছিলেন। ১৯৯৮ সালে এশিয়ার অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর এ ধরণের আত্মহত্যার হার বেড়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর আবারও এই হার বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানে 'অনিশ্চিত চাকরি'র সংখ্যা বা তরুণদের স্বল্প মেয়াদী চুক্তিতে চাকরি দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। জাপানে এখনো অনেক বয়স্ক ব্যক্তিরা চাকরিক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং ব্যাপক সুবিধা পেলেও ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জাপানের তরুণদের প্রায় ৪০% স্থির চাকরি পান না। প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং প্রসার তরুণদের আরো বেশী সমাজবিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মানসিকতা ও প্রযুক্তি অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা ও অনিরাপত্তার পাশাপাশি অভিযোগ না করার মানসিকতার সংস্কৃতিও তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যা বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মি. নিশিদা বলেন, "রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ করার খুব একটা সুযোগ নেই জাপানের সমাজে।" "এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক সমাজ। তরুণদের একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হয়। তাদের সত্যিকার মনোভাব প্রকাশের কোনো সুযোগই থাকে না তাদের সামনে।" আর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দিনদিন প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং প্রসারের কারণে এই অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি তরুণদের সমাজ থেকে আরো বিচ্ছিন্ন করছে বলে মনে করেন তারা। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার এই প্রবণতার একটি বিশেষ নামও রয়েছে জাপানে; এটিকে বলা হয় 'হিক্কিমোরি'। জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, হিক্কিমোরি হলো সেসব ব্যক্তি যারা ৬ মাসের বেশি সময় ধরে নিজেদের বাড়ির বাইরে বের হয় নি এবং নিজেদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। জাপানের সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালে জাপানে হিক্কোমোরি হিসেবে বসবাসরত ব্যক্তির সংখ্যা ৭ লক্ষ। জাপান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, স্পেন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্সেও এই ধরণের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
Child suicides in Japan are the highest they have been in more than three decades, the country's education ministry says.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
মিশিগানের ক্রিশ্চিয়ান কনজারভেটিভ ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় মাইক পেন্স বলেছেন, আমেরিকায় ধর্ম বিশ্বাসীদের সংখ্যা আবারো বাড়তে শুরু করেছে। আমেরিকায় যদিও ধর্মবিশ্বাসের ব্যাপারটি কিছুদিন আগে থেকেই পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে, কিন্তু মি. পেন্স যেভাবে তা বর্ণনা করছেন, আসলেই ব্যাপারটা কি তাই? মাইক পেন্স কি বলেছেন? মিশিগানের ক্রিশ্চিয়ান কনজারভেটিভ ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় মাইক পেন্স বলেছেন, ''আমেরিকায় ধর্ম বিশ্বাসীদের সংখ্যা আবারো বাড়তে শুরু করেছে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আমাদের পুরো প্রশাসন সেসব নীতিতে কাজ করে, যা তোমরা এখানে শিখছ।'' তিনি বলেছেন, ''প্রতি সপ্তাহে যারা প্রার্থনা করে, চার্চে যায়, বাইবেল পড়ে এবং বিশ্বাস করে,- এরকম মানুষের হার কয়েক দশক ধরে একইরকম রয়েছে, যদিও আমেরিকায় জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে।'' এই জাতির প্রতিষ্ঠার সময় যে সংখ্যক মানুষ চার্চে যেতো, এখন জনসংখ্যার অনুপাতে তার চারগুণ বেশি মানুষ ধর্মকর্ম করে বলে তিনি বলছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী রক্ষণশীলদের সমর্থন পেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব পরিসংখ্যান থেকে কি বোঝা যায়? পিউ রিসার্চ সেন্টারের ধর্ম গবেষণা বিভাগের সহযোগী পরিচালক গ্রেগ স্মিথ বলছেন, মি. পেন্সের বক্তব্য আসলে কোন পরিসংখ্যান নির্ভর নয়। ''যেসব তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে, তাতে এমন কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায় না যে, আমেরিকায় ধর্ম বিশ্বাসীদের সংখ্যা বাড়ছে।'' ''বেশিরভাগ আমেরিকান বলে যে, তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, কিন্তু এই সংখ্যাও কমতির দিকে রয়েছে'', তিনি বলেন। মি. পেন্স যেমন বলেছেন যে, বর্তমান সময়ে অনেক বেশি আমেরিকান প্রার্থনার জন্য চার্চে যাচ্ছেন। কিন্তু পরিসংখ্যান তার এই দাবিকে সমর্থন করে না বলে বলছেন মি. স্মিথ। তিনি বলছেন, ''সংখ্যায় কম হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি যে, চোখে পড়ার মতো করেই ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের সংখ্যা আমেরিকায় কমে যাচ্ছে। ব্যক্তিজীবনের চেয়ে ধর্মকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা, প্রতিদিন প্রার্থনা করা, এমনকি নিয়মিতভাবে ধর্মবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া আমেরিকানের সংখ্যা কমতির দিকে রয়েছে।'' সোসিওলজিক্যাল সায়েন্সে ২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা এখনো গভীরভাবে ধর্মে বিশ্বাস করেন এবং চার্চে যান, তাদেরও প্রতি সপ্তাহেই চার্চে যাওয়ার প্রবণতা কমছে। মি. স্মিথ বলছেন, আমেরিকায় নিজেকে নাস্তিক বা ধর্মনিরপেক্ষ বলে চিহ্নিত করা মানুষের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে। ''নিজেকে একজন খৃষ্টান হিসাবে চিহ্নিত করা আমেরিকানের সংখ্যা কমছে, কারণ ধর্মনিরপেক্ষ বলে পরিচয় দেয়া আমেরিকানের সংখ্যা বাড়ছে" তিনি বলছেন। ১৯৯৬ সালে ৬৫ শতাংশ আমেরিকান নিজেকে শ্বেতাঙ্গ খৃষ্টান বলে পরিচয় দিতেন। এক দশক পরে সেই হার কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশে। গবেষকদের মতে, আমেরিকায় ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়ছে খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন কি করেছে? খৃষ্টান রক্ষণশীলদের মধ্যে মি. ট্রাম্প ভালো জনপ্রিয়, বিশেষ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে ধর্মবিশ্বাসী মাইক পেন্সকে নির্বাচিত করার পর। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যেও ধর্ম কেন্দ্রিক বেশি কিছু বিষয় জড়িত রয়েছে। যেমন তিনি অনেক রক্ষণশীল বিচারক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি ১৯৮৪ সালের একটি নীতি পুনর্বহাল করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গর্ভপাতে সহায়তা করবে, তারা মার্কিন সরকারের কোন তহবিল পাবে না। নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেয়া আরেকটি প্রতিশ্রুতি গত সোমবার বাস্তবায়ন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেটি হল জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া। অনেক খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী মনে করেন, ইসরায়েলের জন্য সমর্থনের বিষয়টি বাইবেলে লেখা রয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, ইহুদি মানুষের জন্য ইশ্বরই ইসরায়েল বরাদ্দ করেছেন। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর ওপর কতটা প্রভাব আছে আছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের? ক্রিশ্চিয়ান রক্ষণশীলদের কিছু জয় সত্ত্বেও, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিলম্ব গর্ভপাত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন। অথবা জনসন অ্যামেন্ডমেন্ট বাতিল করতে পারেননি, যেখানে বলা হয়েছে যে, চার্চের মতো অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক প্রার্থীদের সমর্থন করতে পারবে না। হার্ভাডের গবেষক ক্যাপার টের খুয়েলে বলছেন, ;;আমেরিকায় ধর্মের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাব বিশ্লেষণ নির্ভর করছে ধর্মবিশ্বাসকে আমরা কিভাবে ব্যাখ্যা করি।;; ''ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ঠিকই বলেছেন যে, আমেরিকার দশজনের ভেতর নয়জন ব্যাপকভাবে ঈশ্বর বা এ ধরণের কোন কিছুতে বিশ্বাস করেন। কিন্তু মি. পেন্স হচ্ছেন আমেরিকার সেই ৫৬ শতাংশ মানুষের একজন যাদের বাইবেলের প্রথাগত রক্ষণশীল ঈশ্বরে বিশ্বাস রয়েছে।'' ''কিন্তু এ ধরণের বিশ্বাসীদের সংখ্যা আমেরিকায় কমে আসছে,'' বলছেন মি. খুয়েরে। ''আমেরিকায় এখন প্রতি তিনজনের একজন ধর্মের ব্যাপারে আগ্রহী নয় আর প্রতিবছর আমেরিকায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার চার্চ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।''
US Vice-President Mike Pence has said "faith in America is rising once again" - thanks to President Donald Trump. America's religious climate has shifted in recent years, but has it been in the direction Mr Pence suggests?
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
মাধ্যাকর্ষণ ব্যবহার করে কৃত্রিম হিমবাহে বরফ জামিয়ে রাখা হয়। ভারতের উত্তরাঞ্চলে সুউচ্চ হিমালয়ের কোলে লাদাখের তীব্র জল সঙ্কট দূর করতে জড়ো হয়েছেন ১০ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। তারা তৈরি করছেন ৩০ মিটার উঁচু এক কৃত্রিম হিমবাহ। বসন্ত মৌসুম শুরু হলে এই বরফের স্তূপ আস্তে আস্তে গলতে থাকবে এবং কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ করবে। বছরের শুরুতে লাদাখে প্রবল জলসঙ্কট দেখা দেয়। সমস্যা থাকে পানীয় জলের, চাষবাসের। সেই সমস্যার সমাধানে অভিনব পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এই বরফের স্তূপের উদ্ভাবক ইঞ্জিনিয়ার সোনাম ওয়াংচুক। তার জন্ম লাদাখে। স্থানীয় মানুষদের নিত্যদিনের সমস্যার মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নতুন নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেন। তিনি বলেন, "নিউইয়র্ক বা নয়াদিল্লিতে বসে আমরা সমস্যার সমাধানের কথা ভাবি। কিন্তু তাতে লাভ কিছু হয় না। পাহাড়ের মানুষেরাই সব চাইতে ভালভাবে তাদের সমস্যার সমাধানের পথ বের করতে পারবেন।" মি. ওয়াংচুক জানান, একদিন একটি সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় এই কৃত্রিম হিমবাহ তৈরির ভাবনাটি তার মাথায় আসে। কৃত্রিম হিমবাহের উদ্ভাবক সোনাম ওয়াংচুক "সেতুর তলায় আমি বরফ দেখতে পাই। সমুদ্রতল থেকে যার উচ্চতা ছিল ৩০০০ মিটার (৯৮৪২ ফুট)। এই জায়গাটি ছিল উচ্চতার দিক থেকে সবচেয়ে নিচে। তবে একই সঙ্গে সব থেকে বেশি উষ্ণও। আর সেটি ছিল মে মাস।" "আমি ভেবেছিলাম সূর্যের রশ্মি সরাসরি বরফকে গলিয়ে দেবে। কিন্তু সূর্যের তাপ থেকে বাঁচাতে পারলে বরফটিকে জমিয়ে রাখা সম্ভব হবে।" এভাবেই ২০১৩ সালে তিনি এবং সেকমল অরটারনেটিভ স্কুলের ছাত্ররা লাদাখের এক গ্রাম ফিয়াঙে গিয়ে প্রথমবারের মতো এই বরফের আকৃতি তৈরির কাজ শুরু করেন। তারা একে বলেন 'বরফ-স্তূপ', কারণ তিব্বতি ধর্মীয় স্তূপের সঙ্গে এর অনেক মিল রয়েছে। এই কৃত্রিম হিমবাহ তৈরির নেপথ্যে প্রযুক্তিটি বেশ সরল। সাধারণভাবে মাটির নিচে পানির পাইপ পেতে দেয়া হয়। হিমবাহ গলে জল সেই পাইপ দিয়ে নিচে নেমে আসে। পাইপের শেষ অংশটি খাড়া করে রাখা হয়। উচ্চতা এবং অভিকর্ষ বলের তারতম্যের জন্য পাইপে চাপ তৈরি হয়। পাইপের শেষ প্রান্তটি ফোয়ারার আকার নেয়। এরপর জল জমে বরফ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে তা পিরামিডের আকার নেয়। মি. ওয়াংচুক বলেন, "আমরা জল জমিয়ে বরফ তৈরি করি। যা শীতকালে ব্যবহার করা হয় না। বিশেষ জ্যামিতিক আকারের জন্য বসন্তের শেষেও বরফই থেকে যায়, গলে যায়না। পরবর্তী সময়ে কৃত্রিম হিমবাহটি গলতে শুরু করলে সেই জল সেচের কাজে ব্যাবহার করা হয়"। মি. ওয়াংচুকের বিশ্বাস, এই বরফ-স্তূপের ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটা অধিকারবোধ তৈরি হবে। বরফ-স্তুপ তৈরির নকশা দেখছেন সোনাম ওয়াংচুক এবং তার সাথীরা। এই কৃত্রিম হিমবাহ নিয়ে ২০১৪ সালে কিছু প্রাথমিক পরীক্ষার পর স্থানীয় ফিয়াঙ মঠ এর সাথে জড়িত হয়। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা ২০টি বরফস্তূপ তৈরির অর্ডার দেয়। চাঁদা তোলার মাধ্যমে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ২০০ ডলার সংগৃহীত হয়। এই অর্থের মাধ্যমেই ২.৩ কি.মি. লম্বা পাইপ পাতা হয়। এর মাধ্যমেই কৃত্রিম হিমবাহের জল ফিয়াঙের গ্রামগুলিতে পৌঁছে যায়। মি. ওয়াংচুক দাবি করছেন এই পাইপ ৫০টিরও বেশী বরফ-স্তূপের জন্য জল সংগ্রহ করতে পারে। এই সাফল্যের পর মি. ওয়াংচুক সুইজারল্যান্ডে শীতকালীন শৈল নিবাস সেন্ট মরিৎজে একই পদ্ধতিতে বরফ-স্তূপ তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় সাফল্যের পর সুইস সরকার প্রকল্পটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুইস পর্বতমালার উপরিভাগের হিমবাহগুলি ক্রমশ গলছে। তা ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। মি. ওয়াংচুক বলছেন, "বরফ-স্তূপের প্রযুক্তির বিনিময়ে ফিয়াঙে টেকসই পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সুইস সরকারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে। ফিয়াঙের ধসে পড়া অর্থনীতির হালও ফিরবে।" ভবিষ্যত সম্পর্কে নিয়ে খুবই আশাবাদী মি. ওয়াংচুক। তিনি বলেছেন, "আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসাহী যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে চাই, যাতে এক সময়ে তারাও বরফ এবং গ্লেসিয়ার নিয়ে নানা ধরনের উদ্যোগ হাতে নিতে পারে।" লাদাখের জীবর বরফ গলা পানির ওপর নির্ভরশীল।
It's midnight at 3,500m (11,000ft) above sea level, the coldest time of the day, in one of the coldest places on the planet. In the middle of winter, temperatures here plunge to -30C (-22F).
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
দাহরানে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থা আরামকো নারীদের ড্রাইভিং শেখানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। দাহ্‌রানে সৌদি আরামকো ড্রাইভিং সেন্টারে ২০০ নারী ড্রাইভিং শিখছেন। তাদের প্রশিক্ষণ দেখতে গিয়েছিলেন রয়টার্সের ফটোগ্রাফার আহ্‌মেদ জাদাল্লাহ্‌ এবং সাংবাদিক রাইনা এল-গামাল। শিক্ষার্থীদের একজন মারিয়া আল-ফারাজ (নীচের ছবিতে বাঁয়ে)। সাথে ড্রাইভিং ইন্সট্রাকটার আহ্‌লাম আল-সোমালি। ড্রাইভিং প্রশিক্ষক আহলাম আল-সোমালির সাথে ছাত্রী মারিয়া আল-ফারাজ ড্রাইভিং শেখার পাশাপাশি, তিনি গাড়ির তেল পরীক্ষা করা, চাকা বদলানো এবং সিট বেল্ট ব্যবহারের গুরুত্ত্ব সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। দাহরানে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গাড়ির তেল পরীক্ষা করা হচ্ছে। ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গাড়ির চাকা বদলানো হচ্ছে। গাড়িতে সিট বেল্ট ব্যহারের গুরুত্ব বোঝানো হচ্ছে। দাহরানে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সিমুলেটার ব্যবহার করা হচ্ছে। সৌদি আরবে নারীদের জন্য গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের গুরুত্ব অপরিসীম। এর আগে গাড়ি চালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে তাদের গ্রেফতার, জরিমানাসহ শাস্তি দেয়া হতো। একা গাড়িতে চড়ার জন্য তাদের পরিবারের পুরুষদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হতো। সড়ক ব্যবহারের নিয়ম ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আর্কিটেক্ট আমিরা আব্দুলগাদার (নীচের ছবিতে) বলছেন, ২৪শে জুন যখন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে, তখন তিনি তার মাকে গাড়িতে বসিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন। চালকের আসনে সৌদি নারী। "চালকের আসনে বসা মানে নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে," বলছেন আমিরা আব্দুলগাদার, "আমি কখন কোথায় যাব, কখন কী করবো এবং কখন ফিরে আসবো, সেই সিদ্ধান্ত আমি নিজেই নিতে পারবো। "আমাদের প্রতিদিনের জীবনে গাড়ির প্রয়োজন রয়েছে। আমরা কাজ করছি, আমাদের সন্তান রয়েছে, আমাদের সামাজিক জীবন রয়েছে। তাই আমাদের বাইরে বেরনোর দরকার আছে। এটা আমার জীবনকে বদলে দেবে।" সড়ক ব্যবহারের নিয়মকানুন ব্যাখ্যা করছেন প্রশিক্ষক। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, আরামকো'র ৬৬,০০০ কর্মচারির মধ্যে ৫% নারী। এর মানে হল প্রায় ৩০০০ নারী তাদের ড্রাইভিং স্কুলে ভর্তি হবেন। দাহরানে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যদিও নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সৌদি আরবের প্রশংসা করা হচ্ছে, কিন্তু এ বিষয় নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। যারা এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলন করেছেন, তারা বলছেন টেলিফোনে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারা বিশ্বাসঘাতক এই অভিযোগে গত মে মাসে তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফটো তুলেছেন আহমেদ জাদাল্লাহ্‌
As Saudi Arabia prepares to end a driving ban for women on 24 June, state oil firm Aramco is offering to teach its female staff how to operate a car.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সঙ্গম উপভোগ না করা বা সঙ্গম করতে গিয়ে কষ্ট পাওয়ার এই ব্যাপারটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিসপ্যারেনিয়া নামে পরিচিত। ব্রিটিশ জার্নাল অব অবসটেট্রিস অ্যান্ড গাইনোকলোজি ১৬ থেকে ৭৪ বছর বয়সী ৭ হাজার মহিলার উপর এই সমীক্ষাটি চালায়। এদের সবারই রয়েছে নিয়মিত যৌন সম্পর্কের অভিজ্ঞতা। সঙ্গম উপভোগ না করা বা সঙ্গম করতে গিয়ে কষ্ট পাওয়ার এই ব্যাপারটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিসপ্যারেনিয়া নামে পরিচিত। এটা সব বয়সী নারীর ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। পঞ্চাশ এবং ষাট বছরের মাঝামাঝি বয়েসী নারীরা এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। আবার হতে পারে ১৬ থেকে ২৪ বছরের তরুণীদেরও। এটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন গবেষকরা। চিকিৎসায় এই সমস্যা ঠিক হতে পারে। গবেষণায় বেরিয়ে আসছে, একজন নারী নানা কারণে বেদনাদায়ক সঙ্গমের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটা হতে পারে শুষ্ক যোনি, সঙ্গম চলাকালে উদ্বিগ্ন থাকা কিংবা নিরানন্দ সঙ্গম। তবে যৌনবাহিত কিছু রোগের কারণেও এটা হতে পারে। গবেষণায় অংশ নেয়া কিছু নারী বলছেন, সঙ্গম তাদের এতই বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা দেয় যে তারা সঙ্গম করা থেকে বিরত থাকছেন। আরো পড়ুন: ট্রাম্পকে আলেপ্পোর টুইটার বালিকার খোলা চিঠি ডিসপ্যারেনিয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন গবেষকরা। (ছবিটি প্রতীকি) লন্ডনের ৬২ বছর বয়েসী ক্যারেন (ছদ্মনাম) বলছেন, ৪০ বছর বয়েস থেকে তার এই সমস্যাটা হচ্ছে। তিনি বলছেন, "আমার স্বামী যদিও আমার সমস্যাটা বুঝতে পারতেন, তারপরও তাকে এক পর্যায়ে ভয় পেতে শুরু করি আমি"। ক্যারেন আরেকটি সমস্যার কথা বলেন, কোন কিছু তার যোনিপথ দিয়ে প্রবেশ করানোর উপক্রম করলেই আপনাআপনি তার যোনিপথ সংকুচিত হয়ে যেত। এটা শুধু সঙ্গমের ক্ষেত্রেই নয়, কোন ডাক্তারি পরীক্ষা করতে গিয়েও এটা হত, বলছেন ক্যারেন। পরে তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন এবং ডাক্তার তাকে ঔষধ দেন। "মহিলাদের জানা দরকার এ ধরণের সমস্যার জন্য সাহায্য পাওয়ার উপায় আছে। কিন্তু সেটা যথাসময়ে করতে হবে", বলছেন ক্যারেন। "অনেক মহিলা এটা নিয়ে কথা বলতে চান না। আমরা সন্তান জন্ম দেয়ার সময়কার ঘটনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিস্তারিত আলাপ করি, কিন্তু আমাদের প্রজন্মের মহিলারা সঙ্গম এবং ঋতুস্রাব নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে আগ্রহী না। আমাদের কথা বলা উচিত"। প্রধান গবেষক ড. ক্রিস্টিন মিচেল বলছেন, শুধু বয়স্ক নারীরাই যে যৌন সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বিব্রত হন তা নয়, এই প্রবণতা সব বয়সের ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। এদিকে ক্যানাডায় ২শ জন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর উপর চালানো এক জরিপে দেখা গেছে তাদের অর্ধেকের ক্ষেত্রেই প্রথম সঙ্গমের অভিজ্ঞতা ছিল বেদনাদায়ক। ড. মিচেল এই পরিস্থিতি এড়াতে, তরুণ-তরুণীদের যৌন শিক্ষার মাধ্যমে প্রস্তুত করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।
Nearly one in 10 British women finds sex painful, according to a big study.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
তীব্র দুর্গন্ধের কারণে উদ্ধারকারীরা মুখে মাস্ক পরে শবাধারটির ঢাকনা খোলার চেষ্টা করছেন। এখবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে শবাধারটিকে ঘিরে ব্যাপক রহস্যের সৃষ্টি হয়। নানা রকমের জল্পনা কল্পনা ছড়িয়ে পড়তে থাকে চারদিকে। এমন কথাও শোনা যায় যে ওই শবাধারে কি তাহলে গ্রিক নেতা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের দেহাবশেষ রাখা আছে? এই প্রশ্নের যখন ডালপালা গজাতে শুরু করে তখনই শবাধারটি উন্মুক্ত করেন বিশেষজ্ঞরা। এর ভেতরে পাওয়া যায় তিনটি মানুষের কঙ্কাল। লাল-বাদামী নোংরা পানিতে এসব কঙ্কাল ডুবে আছে। শবাধারটির ভেতর থেকে তখন তীব্র কটু গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বাড়িঘর নির্মাণ কাজের সময় এই শবাধারটি পাওয়া যায়। এটি খোলার জন্যে তখন মিশরের সরকার প্রত্নতাত্ত্বিকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেয়। মিশরের একটি সংবাদ মাধ্যম আল-ওয়াতান বলছে, শবাধারটির ঢাকনা মাত্র দুই ইঞ্চি উপরে তোলার সাথে সাথেই এর ভেতর থেকে এমন কটু গন্ধ বেরিয়ে আসতে শুরু করে যে প্রত্নতত্ত্ববিদদের পক্ষে আর সেখানে থাকা সম্ভব হয়নি। পরে মিশরের সামরিক বাহিনীর প্রকৌশলীদের সাহায্য নিয়ে শবাধারটি উন্মুক্ত করা হয়। "আমরা সেখানে তিনজন মানুষের হাড়গোড় পেয়েছি। দেখে মনে হচ্ছে, একটি পরিবারের উদ্যোগেই নিহতদেরকে মমি করে এই শবাধারে রাখা হয়েছিল। তবে মমিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। দেহের মাংস পঁচে গলে রয়ে গেছে শুধু হাড়গুলো," বলেছেন প্রাচীন নিদর্শন সংক্রান্ত সুপ্রিম কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা ওয়াজিরি। শবাধারটির ভেতরে যে তিনটি কঙ্কাল পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে তারা প্রাচীন মিশরের সেনাবাহিনীর সদস্য। আরো পড়তে পারেন: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর ৫টি মন্ত্র পাকিস্তানের এবারের নির্বাচন সর্ম্পকে যা জানা জরুরী ভারতে বন্ধ হল স্যানিটারি পণ্যের উপর 'রক্ত কর' মিরপুরের বাড়িতে গুপ্তধন রহস্য: পুলিশের খোঁড়াখুঁড়ি মি. ওয়াজিরি বলেন, তিনি নিজেও শবাধারটির ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে দেখেছেন। কিন্তু তার কোন ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র আল-আহরাম বলছে, স্থানীয় লোকজনের মধ্যে একটা ভীতি তৈরি হয়েছে যে এই শবাধারটির ভেতরে এমন এক ধরনের গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে। এই আশঙ্কায় শবাধারটি যেখানে রাখা হয়েছে সেখান থেকে স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরকম প্রাচীন শবাধারে যে ধরনের গ্যাসের সৃষ্টি হয় তা নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা শোনা যায়। এমন কথাও বলা হয় যে শবাধারটি খোলার অভিশাপে লোকজনের মৃত্যুও হতে পারে। এর উদাহরণ হিসেবে বলা হয় ১৯২৩ সালের একটি ঘটনার কথা। সেবছর টোটেনখামুনের শবাধার উন্মুক্ত করার পরপরই লর্ড কারনার্ভন নামের এক ব্যক্তি, যিনি এই খননকাজে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছিলেন, তিনি বিষাক্ত একটি মশার কামড়ে মৃত্যুবরণ করেন। তখন থেকেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে শবাধারটির ভেতরে যে ধরনের ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়েছিল তার কারণেই লর্ড কারনার্ভনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এধরনের গুজব নাকচ করে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক এফ ডি উল্ফ মিলার বলেছেন, শবাধারের ভেতরে তৈরি ব্যাকটেরিয়া কিম্বা মোল্ডের কারণে আজ পর্যন্ত কোন প্রত্নতত্ত্ববিদ বা পর্যটকের খারাপ কিছু হয়েছে এরকম একটি উদাহরণও পাওয়া যাবে না।" এগুলো কাদের কঙ্কাল? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলেকজান্দ্রিয়ায় দু'হাজার বছরের পুরনো শবাধারটি থেকে যে তিনজনের কঙ্কাল পাওয়া গেছে তারা ফারাও আমলের সৈন্য হতে পারেন। তারা বলছেন, তিনটি কঙ্কালের একটির মাথার খুলিতে এমন একটি আঘাত আছে যা দেখে মনে হয় যে সেখানে তীরের আঘাত লেগেছিল। বিশাল এই শবাধারটির ওজন ২৭ টন। শবাধারটির উচ্চতা প্রায় সাড়ে ছয় ফুট। লম্বায় তিন মিটার। বলা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এরকম যতো শবাধার পাওয়া গেছে তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়। এর ওজন ২৭ টন। ৩২৩ খৃস্টপূর্বে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মৃত্যুর পর যে টলেমেইক যুগের শুরু হয়েছিল ধারণা করা হয় এই শবাধারটি সেই আমলের। বিশেষজ্ঞরা এখন এই শবাধারটির উপর গবেষণা করে বোঝার চেষ্টা করছেন এর ভেতরে যাদের কঙ্কাল পাওয়া গেছে তারা কোন সময়ের মানুষ এবং কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছিল।
Three weeks ago, archaeologists in Egypt found a massive black granite sarcophagus in Alexandria, untouched for 2,000 years - and fleet-footed rumour quickly got to work.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে সন্ত্রাসবাদ এবং সাইবার অপরাধ এতদিন, অন্তত সাম্প্রতিক অতীতে, গোয়েন্দাদের কাছে এ ধরনের হুঁশিয়ার করার মত রিপোর্টের বিষয়বস্তু হয়েছে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক- হয়তো বা মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও থেকে খবর পাওয়া গেছে যে সন্ত্রাসীরা নতুন কায়দায় একটা বিমান হামলার ছক কাটছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতে শুরু করেছে বহু পরীক্ষিত জাতীয় নিরাপত্তা যন্ত্রের চাকা। হামলা ঠেকাতে জাতীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এই চিত্রে অন্যরকম মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে। এখন গোয়েন্দা কর্মকর্তার আনা রিপোর্টে হয়ত থাকবে বহু দূরের কোন দেশে একটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে- এমন বিপদ সঙ্কেত। এমন রিপোর্ট যে সে দেশের সরকার এই রোগ সংক্রমণের বিষয়টা লুকাচ্ছে। প্রায় বিশ বছর আগে আমেরিকায় ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে জাতীয় নিরাপত্তার কেন্দ্রে চলে এসেছে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি। তবে এরপরেও নিরাপত্তা জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনেকেই যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে, 'নিরাপত্তার' সংজ্ঞা আরও বিস্তৃত করা উচিত। এখন করোনাভাইরাস সংকটের পটভূমিতে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে, জাতীয় নিরাপত্তার কেন্দ্রে বিবেচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভূক্ত করা উচিত কিনা। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেনে সবশেষ যখন পর্যালোচনা হয়, তখন আন্তর্জাতিক মহামারিকে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলোর তালিকায় শীর্ষে রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বা সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্রিটেনে তার কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছে সন্ত্রাসবাদ, যুদ্ধ এবং সাইবার হামলা। কিন্তু অনেক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এখন বলছেন তারা স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে সমানভাবে অগ্রাধিকার দেবার যে পরামর্শ দিয়েছিলেন তা তখন রাজনীতিকরা কানে তোলেননি। বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন এই ক্ষেত্রে 'লাল বাতির সতর্ক সঙ্কেত কিন্তু জ্বলতে শুরু করেছে'। তবে বিশ্ব জুড়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এবং গুপ্তচরদের এজন্য তাদের কাজ ও মানসিকতায় বড়ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। নীতি নির্ধারকদেরও অন্য দেশে স্বাস্থ্যখাতে পরিস্থিতি পরিবর্তনের বাস্তবতা বুঝতে পারতে হবে। জৈব-ঝুঁকি যুক্তরাজ্যে এমআইসিক্স এবং আমেরিকায় সিআইএ-র মত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যারা গুপ্তচর হিসাবে মানুষ নিয়োগ করে থাকে, তাদেরও ভবিষ্যতে ভাবতে হবে ঠিক কোথায় তারা কী ধরনের লোক নিয়োগ করবে যারা কী ঘটছে সে বিষয়ে ঠিকমত তথ্য সরবরাহ করতে পারবে। গোয়েন্দারা যেভাবে আড়ি পেতে কথাবার্তা শোনে তার ধরণও বদলাবে, কারণ তাদের ঠিক করতে হবে তারা কীধরনের তথ্য শুনতে চাইছে। এছাড়াও উপগ্রহ বা অন্যধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ধরনের গোয়েন্দা নজরদারি করা হয়, সেগুলোকেও হয়ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কবরস্থান, শশ্মান এসব জায়গায় কাজে লাগানো হবে। পারমাণবিক বস্তুর নিশানা পাওয়ার জন্য দূর নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব জিনিসের 'গন্ধ শোঁকার' যেসব কৌশল বর্তমানে আছে, এখন তার সঙ্গে যুক্ত করা হবে স্বাস্থ্য ও জৈব-ঝুঁকি খোঁজার কৌশল। তবে এসবই করা হবে মূলত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের চিরাচরিত প্রথা মেনে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স ভবিষ্যতে আসল পরিবর্তন আমরা দেখব আরও জটিল তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে। যেমন একটা জনগোষ্ঠির মধ্যে কোনধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে কিনা, তা বুঝতে বা খুঁজতে ব্যবহার করা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) বা প্রযুক্তির বুদ্ধি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: তাবলিগ জামাতের ঘটনা নিয়ে ভারতে ইসলাম বিদ্বেষের বিস্তার সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এলেন তিন করোনাভাইরাস রোগী করোনাভাইরাস: পহেলা বৈশাখের বাজারে ধস করোনাভাইরাস: ইসরায়েলে গোঁড়া ইহুদিদের এলাকা লকডাউন আমেরিকায় সিআইএর দপ্তরে ইতোমধ্যেই এ আই নিয়ে নানাধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলেছে। ফোনের মেটাডেটা (ফোনে সংরক্ষিত তথ্যভাণ্ডার), অনলাইনে ফোন ব্যবহারকারী কী খুঁজছে বা কী করছে সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হতে পারে। চার বছর আগে, সেসময় সিআইএ-র ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিভাগের পরিচালক আমাকে বলেছিলেন যে তারা এআই এবং 'আবেগ-অনুভূতি বিশ্লেষণ'-এর মত পদ্ধতি ব্যবহার করে একটা গোটা দেশের জনগোষ্ঠি পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে কীধরনের কাজ করছেন। তাদের কাজের লক্ষ্যটা ছিল মূলত কোন একটা ঘটনা ঘটার আগে সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আঁচ পাওয়া- যেমন কোথাও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার মত অবস্থা তৈরি হচ্ছে কিনা অথবা কোথাও একটা বিপ্লব হতে যাচ্ছে কিনা। বর্তমান দুনিয়ায় আমেরিকা আর চীনের মধ্যে ইতোমধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের একটা প্রতিযোগিতা চলছে। ওয়াশিংটনে অনেকেরই আশংকা যে আমেরিকা এই প্রতিযোগিতায় চীনের কাছে হয়ত হেরে যাবে, কারণ চীন তথ্য সংগ্রহ এবং তাদের প্রযুক্তি উন্নয়নে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতের তথ্য আদানপ্রদান তবে যে বিষয়টা এখনও অজানা সেটা হল করোনাভাইরাস মহামারির মত ভবিষ্যত মহামারি সম্পর্কে তথ্য আদানপ্রদানে দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে কীধরনের সহযোগিতা করবে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানোর ব্যাপারে দেখা গেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলোর সমন্বিতভাবে কাজ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে এধরনের ঝুঁকি মোকাবেলায় দেশগুলো তাদের গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করার ব্যাপারে কতটা খোলামেলা আচরণ করবে, নাকি সেক্ষেত্রে তাদের জাতীয়তাবাদী মনোভাব প্রাধান্য পাবে সেগুলো এখনও অনিশ্চিত। এমন আশংকাও উড়িয়ে দেয়া যায় না যে এরকম ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যতে দেশগুলো তাদের সীমানা বন্ধ করে দেবে এবং সমস্যা মোকাবেলা করবে অভ্যন্তরীন পর্যায়ে। তারা হয়ত তখন তাদের গোয়েন্দা নজরদারি কেন্দ্রীভূত করবে অন্য দেশ কীভাবে এই সঙ্কট মোকাবেলা করছে, তারা তথ্য লুকাচ্ছে কিনা, কিংবা তারা নতুন গবেষণায় সমাধান পেয়েছে কিনা সেসব জানতে। জীবাণু সংক্রান্ত গোয়েন্দাগিরি 'জীবাণু গোয়েন্দাগিরি'র ইতিহাস অনেকদিনের। শীতল যুদ্ধের সময় পাশ্চাত্ত্যের দেশগুলো এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন আপ্রাণ চেষ্টা করত জানার জন্য যে প্রতিপক্ষ কোন গোপন জীবাণু বা স্নায়ু বিকল করার উপাদান (নার্ভ এজেন্ট) তৈরি করছে কিনা। ভবিষ্যতে হয়ত এই গোয়েন্দাগিরিতে জোর দেয়া হবে মারণাস্ত্র তৈরির দিকে নয়, বরং জানার চেষ্টা হবে কে কোন্‌ ধরনের টিকা তৈরি করছে। অনেকদিন থেকেই মানুষের একটা আশংকা ছিল যে, সন্ত্রাসীরা বা কোন গোষ্ঠি হয়ত যে কোন সময় জীবাণু অস্ত্র ছেড়ে দিতে পারে। বর্তমান করোনা সঙ্কটের পর এই ধারণা আরও বদ্ধমূল হবে কারণ ইতোমধ্যেই কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে কোন কোন চরম দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠি ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাস ছড়ানোর কথা ভেবেছে। তবে আমেরিকার বিচার বিভাগ বলেছেন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ আনা যাবে। বর্তমান সঙ্কটের পর একটা প্রশ্ন সামনে আসতে পারে যে যেসব দেশের অভ্যন্তরীন নজরদারি ব্যবস্থা উন্নত তারা এধরনের ভাইরাসের বিস্তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে কতটা আগ্রহী বা উদ্যোগী হবে, যে তথ্য মানুষের চলাচল সীমিত করে এর আরও ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে কাজে লাগবে। সোজা কথায়, স্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দা নজরদারির জন্য দেশগুলোর ওপর ভবিষ্যতে দেশের ভেতরে যেমন, তেমনি বাইরেও আন্তর্জাতিক পরিসরে চাপ বাড়বে। মস্কোর পুলিশ কিছুদিনের মধ্যেই নাগরিকদের কাছে মোবাইলে তাদের কিউআর বারকোড চাইবে দেখার জন্য তাদের ঘর থেকে বেরনোর অনুমতি আছে কিনা। চীন স্মার্টেফানের ওপর নজরদারির জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার দিয়ে ইতোমধ্যেই একাজ করেছে। রাশিয়া সিসিটিভি এবং মুখ চেনার পদ্ধতি ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা লংঘনকারীদের ধরেছে। অন্যান্য অনেক দেশ 'ইলেকট্রনিক বেড়া' তৈরি করেছে যার মাধ্যমে তারা কোয়ারেন্টিন ভেঙে যারা চলে গেছে তাদের সম্পর্কে অন্য দেশের সাথে তথ্য আদানপ্রদান করেছে। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে কী করা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। কিন্তু নাগরিকের স্বাধীনতা নিয়ে যারা কাজ করে তারা এধরনের পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার যৌক্তিক হলেও, এ প্রযুক্তি হাতের কাছে থাকলে অন্য সময়ে কোন দেশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়াও ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য যথাযথ দক্ষতাসম্পন্ন লোকের প্রয়োজন থাকবে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি কাজ করতে হবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরও। অন্যদিকে সংগ্রহ করা তথ্যের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ রাজনীতিকদের কাছে কোনধরনের 'নিরাপত্তার' আলোকে উপস্থাপন করা হবে সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে। বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের জ্ন্য এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন এই সংক্রমণের ধাক্কা সরকারের প্রশাসন ও তার সামরিক শক্তিকে কতটা দুর্বল করে দিতে পারে এবং তার থেকে কে কোন্ দিক দিয়ে কীধরনের সুযোগ নিতে পারে। কিছু গোয়েন্দা সংস্থা এই ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ইতোমধ্যেই কিছু কাজ করেছে। যেমন জানা গেছে ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এক অভিযান চালিয়ে এক লাখ টেস্টিং কিট বিদেশ থেকে আনিয়েছে, কিন্তু পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেখানে নেই। আমেরিকার গোয়েন্দারা জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসেই এই ভাইরাস সম্পর্কে গোপন কিছু তথ্য নীতি নির্ধারকদের হাতে তুলে দিয়েছিল। চীন থেকে সংগ্রহ করা সেসব তথ্যে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে ইঙ্গিত করা হয়েছিল। কিন্তু খবরে জানা যায় হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ সেসব হুঁশিয়ারি আমলে নেয়নি। ফলে একটা বিষয় থেকেই যায় যে, গোয়েন্দারা যত ভালই গোপন তথ্য সরবরাহ করুক না কেন, ক্ষমতার শীর্ষে যারা আছে তারা এসব তথ্য কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে এবং তা কাজে লাগাচ্ছে তার ওপরই নির্ভর করে এসব তথ্য শেষ পর্যন্ত মানুষের কতটা উপকারে আসবে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি?
A senior intelligence officer rushes in to a meeting with the latest report and places it in front of anxious politicians and policymakers.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
হায়দ্রাবাদে এই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তেলেঙ্গানা পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক জিতেন্দ্র বিবিসিকে বলেছেন শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন জেল হেফাজতে থাকার পরে গত বুধবার ওই চারজনকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে। পরে আজ শুক্রবার অভিযুক্তদের অপরাধ সংগঠন স্থলে, যেখানে ওই পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্দেহভাজনরা এক পুলিশ কর্মকর্তার বন্দুক চুরি করে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের গুলি করা হয় বলে বিবিসি তেলেগুকে জানিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ২৭ বছর বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয় - এ ঘটনার তদন্তে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অভিযোগে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজনদের হত্যার খবর প্রকাশ হওয়ার পরে, ভুক্তভোগীর মা বিবিসিকে বলেছেন যে, "ন্যায়বিচার হয়েছে"। এদিকে, এই ঘটনা মানুষ আতশবাজির পুড়িয়ে উদযাপন করছে এবং কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পুলিশের প্রশংসা করছে। শুক্রবার কী হয়েছে? সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজনার বিবিসি তেলেগুকে বলেছেন, পুলিশ তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনা পুননির্মানের জন্য অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। তারা পুলিশ সদস্যদের বন্দুক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি করে বলে তিনি জানান। এতে আহত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। হায়দ্রাবাদে ওই পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পুলিশকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল - বিশেষত যখন ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অভিযোগ আনে। ধর্ষণ ও হত্যার ওই ঘটনার পরে কয়েক হাজার মানুষ হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে হায়দ্রাবাদ থানার সামনে বিক্ষোভ করে। দেশের অন্যান্য স্থানেও বিক্ষোভ ও মিছিল হয়েছে। ভারতীয় আইনে ধর্ষণের শিকার নারীদের নাম ব্যবহার করা যায়না। হায়দরাবাদের শাদনগরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা করে। ভুক্তভোগীর পরিবার কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? বিবিসি তেলেগুর দীপ্তি বাথিনী ভুক্তভোগীর পরিবারের বাড়িতে যান, যেখানে প্রতিবেশীদের এই ঘটনায় পটকা ফাটিয়ে এবং মিষ্টি বিতরণ করে উদযাপন করতে দেখা যায়। "আমি এই অনুভূতি ভাষায় বোঝাতে পারবো না। আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে আবার দুঃখও লাগছে কারণ আমার মেয়ে তো আর ঘরে ফিরবে না," ভুক্তভোগীর মা বলেছিলেন। "আমার মেয়ের আত্মা এখন শান্তিতে আছে। ন্যায়বিচার হয়েছে। আমি কখনই ভাবিনি যে আমরা ন্যায়বিচার পাব। আমার মেয়ের সাথে যা হয়েছে তা যেন অন্য কোনও মেয়ের সাথে না হয়।" নিহত ওই পশু চিকিৎসকের মায়ের দাবি ভারতে যেন যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের আইনটিকে আরও "কঠোর" করা হয়। "পুরুষরা যেন নারীদের দিকে তাকাতেও ভয় পায় - কারণ তাদের শাস্তি পেতে হবে।" ভুক্তভোগীর বোন জানিয়েছেন, পুলিশের এই ভূমিকা "খুবই অপ্রত্যাশিত"। "আমি আদালতের বিচারের প্রত্যাশা করছিলাম। এই ঘটনা আমার বোনকে ফিরিয়ে দেবে না, তবে এটি অনেক স্বস্তির। পুলিশের এমন পদক্ষেপের কারণে এখন থেকে কেউ আবার এই জাতীয় কিছু করার আগে দু'বার চিন্তা করবে," তিনি বলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়। ব্যাপক প্রতিক্রিয়া পুলিশের এমন পদক্ষেপের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে উদযাপন হয়েছে। অনেকে টুইটার এবং ফেসবুকে পুলিশের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছিলেন যে তারা "ন্যায়বিচার করেছেন"। ২০১২ সালে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি বাসে গণধর্ষণে যে মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিলেন, তার মাও অভিযুক্তদের এই হত্যার ঘটনার প্রশংসা করেন। তিনি এএনআই সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, "এই শাস্তির খবর পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। পুলিশ অনেক ভাল কাজ করেছে।" হত্যার ঘটনাস্থল থেকে বিবিসির তেলুগু সংবাদদাতা সতীশ বল্লা বলেছেন, সেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে, যার ফলে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনগুলি মহাসড়কে স্থবির হয়ে আছে। সেখান থেকে মানুষ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এর আগে সাধারণ মানুষ পুলিশের ওপর গোলাপের পাপড়ি ছেটায় এবং মিষ্টি বিতরণ করেন। প্রাক্তন বলিউড তারকা জয়া বচ্চন, যিনি এখন ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের এমপি, এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের "পিটিয়ে হত্যা" করা উচিত। "আমি জানি এটি শুনতে কঠোর মনে হচ্ছে, তবে এই ধরণের মানুষদের জনসমক্ষে প্রকাশ‍্যে পিটিয়ে হত্যা করা উচিত," পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। কংগ্রেস, বিজেপিসহ নানা দলের নেতা নেত্রী এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদরাও এই নির্মম গণধর্ষণ ও হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন এবং পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন। ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় সাইনা নেহওয়াল টুইট করে 'সালাম' জানিয়েছেন হায়দ্রাবাদ পুলিশকে। শনিবার দিল্লিতে বিক্ষোভকারীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তবে কয়েকজন, এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এবং পুলিশের সংস্কারের মূল স্থপতি প্রকাশ সিং বিবিসিকে বলেছন যে এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে এড়ানো যেতো। তিনি বলেন, "হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের যখন আদালতে বা অপরাধের জায়গায় নেওয়া হয়, তখন প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।" "তাদেরকে বের করার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। হাতকড়া পরাতে হবে এবং সঠিকভাবে তল্লাশি চালাতে হবে। কারণ পুলিশ যদি সতর্ক না হয় তাহলে যেকোন সময় যেকোন ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে।" তবে মিঃ সিং বলেছেন, ঘটনাটি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কিনা, সেটা এতো তাড়াতাড়ি বলা যাবেনা- ভারতে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড "এনকাউন্টার কিলিং" নামে পরিচিত। অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধী এভাবে পুলিশ এনকাউন্টারে অভিযুক্তদের মেরে ফেলার নিন্দা করেছেন। তিনি বলছেন, "আমি এই বন্দুক যুদ্ধের বিরোধিতা করি। এটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। আইন কেউই নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। বিচার হলে নিঃসন্দেহে এদের ফাঁসির সাজা হত। বিচারের আগেই যদি গুলি করে অভিযুক্তকে মেরে দেওয়া হয়, তাহলে আদালত, পুলিশ বা বিচার ব্যবস্থার দরকার কি?" প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তার কথায়, "মানুষ এই এনকাউন্টারের কারণে উৎসব পালন করছেন, কিন্তু এটা আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে একটা গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিল। গোটা দেশের ভাবা দরকার যে ফৌজদারি বিচার বিভাগ আর তদন্ত বিভাগকে কি করে শক্তিশালী করা যায়।" ভারতের সংসদেও এ নিয়ে বিতর্ক চলছে এখন। মানবাধিকার কর্মীরা প্রশ্ন তুলছেন পুলিশই যদি বিচার করে ফেলে, তাহলে আর আইন আদালতের প্রয়োজনটা কী! পুলিশ বলছে নিহতদের দেহের ময়না তদন্ত যেমন করা হচ্ছে, তেমনই গোটা বন্দুক যুদ্ধের তদন্তও করা হবে। ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার আলোচনার কেন্দ্রে থাকলেও দৃশ্যট পরিবর্তন হয়নি। কীভাবে পশুচিকিৎসকের হত্যার ঘটনা উদঘাটন হয়েছিল? দশ দিন আগে ভুক্তভোগী ওই নারী একজন ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টে যাওয়ার জন্য স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হন। পরে পরিবারকে ফোন দিয়ে তিনি জানান যে তার মোটরসাইকেলের টায়ারের হাওয়া বেরিয়ে গেছে। এবং একজন ট্রাক চালক তাকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, তিনি একটি টোল প্লাজার কাছে অপেক্ষা করছিলেন। এর পরে পরিবারের সদস্যরা তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং বৃহস্পতিবার সকালে ফ্লাইওভারের নিচে ওই নারীর মরদেহ খুঁজে পান এক দুধ বিক্রেতা। গত সপ্তাহে, তিন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ তারা নিখোঁজের খবর পুলিশকে দেয়ার পরও তারা কোন তাৎক্ষণিক কোন পদক্ষেপ নেননি। সরকারী সংস্থা জাতীয় মহিলা কমিশনকে স্বজনরা জানান যে, ওই কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদেরকে বলেছেন যে, তিনি পালিয়ে যেতে পারেন। আরও পড়তে পারেন: ধর্ষণকারীকে 'পিটিয়ে হত্যার' দাবি ভারতীয় এমপির ধর্ষণকারীকে 'পিটিয়ে হত্যার' দাবি ভারতীয় এমপির ধর্ষণকারী কোন ধর্মের, ভারতে বিতর্ক যখন তা নিয়ে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৯২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নারীরা কি ভারতে নিরাপদ? ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি বাসে এক মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর থেকে দেশটিতে নারীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিষয়টি কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৭ সালে ভারতে ধর্ষণের ৩৩ হাজার ৬৫৮টি মামলা পুলিশ রেজিস্ট্রি করেছে, এর অর্থ ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৯২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
Indian police have shot dead four men suspected of raping and killing a young female vet in Hyderabad last week.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
থাম লুয়াঙ গুহায় গত বছর উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় নেভি সিলের পেটি অফিসার বেইরুত পাকবারার রক্তে সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। থাম লুয়াং গুহায় গত বছর উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় তার রক্তে সংক্রমণের ওই ঘটনা ঘটে। থাইল্যান্ডের নেভি সিলের পেটি অফিসার বেইরুত পাকবারা এরপর থেকেই পর্যবেক্ষণে ছিলেন। শুক্রবার তিনি মারা যান। উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় আরেকজন উদ্ধারকর্মী সামান গুনান মারা যান। আরো পড়ুন: গুহা থেকে উদ্ধার শিশুরা জনসম্মুখে এসে যা জানালো থাই কিশোরদের উদ্ধারের পর কিছু প্রশ্ন এবং তার জবাব 'অবিশ্বাস্য সাহসী এবং শক্ত এই থাই শিশুরা' থাই গুহা: সবাইকে কিভাবে উদ্ধার করা হল? ২০১৮ সালের ২৩শে জুন একটি গুহা দেখতে দিয়ে আটকে পড়ে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ওয়াইল্ড বোরস ইয়ুথ ফুটবল টিমের ১২ সদস্য এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ সামান, সাবেক নেভি সিলের একজন ডুবুরি, একটি বাতাসের ট্যাংক দিয়ে ফেরত আসার সময় তার নিজের ট্রাংকের বাতাস ফুরিয়ে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরবর্তীতে গুহাটির প্রবেশ মুখে তার একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। সাতুন প্রদেশে বেইরুত পাকবারার গ্রামের বাড়িতে ইসলামিক রীতিনীতি অনুযায়ী তাকে দাফন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৩শে জুন একটি গুহা দেখতে দিয়ে আটকে পড়ে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ওয়াইল্ড বোরস ইয়ুথ ফুটবল টিমের ১২ সদস্য এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ। তারা গুহায় প্রবেশের পর বন্যার পানি এসে তাদের বের হবার পথ আটকে দেয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ঢাকা দক্ষিণে খোকন বাদ, তাপস আওয়ামী লীগের প্রার্থী যৌনকর্মীদের জন্য শ্রমশিবির বন্ধ করে দিচ্ছে চীন যে নভোযান হয়তো দু-তিন মাসেই নিয়ে যাবে মঙ্গল গ্রহে ভেসে আসা 'ভুতুড়ে নৌকায়' মানুষের দেহাবশেষ থাইল্যান্ডের উত্তর এলাকার চিয়াং রাই প্রদেশের ওই গুহাটি এ বছর নভেম্বরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক উদ্ধার অভিযানে ১৭দিন পরে তাদের সেই গুহা থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়, যে অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন ৯০জন ডুবুরি। সেই উদ্ধার অভিযান সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে জায়গা করে নেয়। থাইল্যান্ডের উত্তর এলাকার চিয়াং রাই প্রদেশের ওই গুহাটি এ বছর নভেম্বরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ধর্মযাজক, সরকারি কর্মকর্তা এবং পার্ক রেঞ্জাররা।
A member of the rescue team that saved 12 boys and their football coach from a flooded cave in Thailand last year has died from an infection he picked up during the operation, officials said.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ইরাকে প্রায় পাঁচ হাজার সৈন্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের যদিও এর মধ্যে মার্কিন একজন জেনারেলের একটি চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিলো, কারণ ওই চিঠিতে বলা হয়েছিলো যে মার্কিন সৈন্যরা ইরাক ছাড়ছে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, "ইরাকি এমপিরা মার্কিনীদের ইরাক ছাড়ার আহবান জানানোর পর সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে তার সৈন্যদের অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে"। এই বিভ্রান্তি তৈরি হয় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর আমেরিকান সৈন্যদের উদ্দেশ্য করে দেয়া হুমকির মধ্যেই। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়, যা ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। ইরানীরা এই হত্যাকাণ্ডের কঠিন প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে। চিঠিতে কী ছিলো? মনে হচ্ছে চিঠিটি পাঠিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইলিয়াম এইচ সিলি। তিনি ইরাকে মার্কিন ফোর্সের প্রধান। চিঠিটি তিনি পাঠিয়েছেন ইরাকে জয়েন্ট ফোর্সের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল আমিরের কাছে। এতে বলা হয়, "স্যার, ইরাকের সার্বভৌমত্ব এবং পার্লামেন্ট ও ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে কম্বাইন্ড জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স সামনের দিনগুলোতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাহিনীর অবস্থান নতুন করে সাজানো হবে"। চিঠিতে বলা হয় ইরাকের বাইরে নিরাপদে যাওয়ার জন্য এয়ার ট্রাফিক বাড়ানো সহ কিছু পদক্ষেপ 'ডার্কনেস আওয়ারে' করা হবে। এছাড়া বাগদাদে গ্রিন জোনে নতুন কোয়ালিশন ফোর্স আনা হচ্ছে বলে যে ধারনা তৈরি হয়েছে তাও দুর করা হয় এই চিঠিতে। কিভাবে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে ? মিস্টার এসপার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, "ইরাক ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চিঠির বিষয়ে আমি জানিনা। এটি কোথা থেকে এলো আমরা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি"। "কিন্তু ইরাক ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি"। পরে চেয়ারম্যান অফ দা জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিলে বলেন চিঠিটি ছিলো একটি 'ভুল'। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'ট্রাম্প ইরানে হামলা করলে সেটি হবে যুদ্ধাপরাধ' কাসেম সোলেইমানির মৃতদেহ ইরানে, জনতার ঢল সোলেইমানির জানাজায় কাঁদলেন আয়াতোল্লাহ খামেনি
US Defence Secretary Mark Esper has denied US troops are pulling out of Iraq, after a letter from a US general there suggested a withdrawal.