Datasets:
author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৪, ১৮:৫১ | ১২ জানুয়ারি ২০১৪, ২২:৩০ | সরকার | null | ৪৯ মন্ত্রীর দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/121771 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভায় ৪৮ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী আজ রোববার শপথ নিয়েছেন।সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৯ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর মধ্যে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। মন্ত্রীদশম জাতীয় সংসদে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাঁরা এবার নতুন মুখ, তাঁদের মধ্যে আনিসুল হক আইন ও বিচার, তোফায়েল আহমেদ বাণিজ্য, আমির হোসেন আমু শিল্প, মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ধর্ম, কামরুল ইসলাম খাদ্য, আসাদুজ্জামান নূর সংস্কৃতি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পরিবেশ ও বন, রাশেদ খান মেনন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধ, ছায়েদুল হক মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ, এমাজউদ্দিন প্রাং বস্ত্র ও পাট, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পানিসম্পদ, আ হ ম মুস্তফা কামাল পরিকল্পনা, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, সৈয়দ মহসিন আলী সমাজকল্যাণ, শামসুর রহমান শরীফ ভূমি, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। যাঁরা আগের মন্ত্রণালয়েরই দায়িত্বে বহাল আছেন তাঁরা হলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, মতিয়া চৌধুরী কৃষি, নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা, হাসানুল হক ইনু তথ্য, ওবায়দুল কাদের যোগাযোগ, মুজিবুল হক রেল, খন্দকার মোশাররাফ হোসেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শাজাহান খান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবার পেয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। প্রতিমন্ত্রীপ্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে মুজিবুল হক চুন্নু শ্রম ও কর্মসংস্থান, ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এম এ মান্নান অর্থ, মির্জা আজম বস্ত্র ও পাট, প্রমোদ মানকিন সমাজকল্যাণ, বীর বাহাদুর উ শৈ সিং পার্বত্য চট্টগ্রাম, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ, বীরেন শিকদার যুব ক্রীড়া, আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্র, শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ভূমি,ইসমত আরা সাদেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মেহের আফরোজ মহিলা ও শিশু, মসিউর রহমান রাঙ্গা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য ও পরিবার, নসরুল হামিদ বিপু, জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। উপমন্ত্রী: আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পানিসম্পদ ও আরিফ খান জয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। | 42,879 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৭ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৮ | ফেনী,অপরাধ | 0 | ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত না দেওয়ায় অনুষ্ঠান পণ্ড! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/700417 | ফেনী সরকারি কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠান (ওরিয়েন্টেশন) পণ্ড করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কলেজ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।অভিযোগ পাওয়া গেছে, ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত না দেওয়ায় দলটির কর্মীরা অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেন।২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠান ছিল গতকাল। সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সেলিনা হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ মো. আবু নাসের ভূঞা। এ ছাড়া সব বিভাগের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলেন, কোরআন তিলাওয়াত ও গীতাপাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেওয়ার আগেই পেছন থেকে চেয়ার ছুড়ে মারা হয়। ভাঙচুর শুরু হয় একের পর এক চেয়ার। মুহূর্তে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীকে জানান। দুপুর ১২টার দিকে সাংসদ ও ফেনী পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন কলেজ পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন শেষে সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটা সবাইকে বুঝিয়ে বলে এসেছি, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই অনুষ্ঠানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মনোনিবেশ, বই, সিলেবাসসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি পণ্ড হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। জনে জনে দাওয়াত দেওয়া সম্ভব নয়।’কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তপুর দাবি, তিনি ঘটনার সময় কলেজে ছিলেন না। পরে কলেজে গিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার কথা শুনেছেন। | 179,679 |
মংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জুন ২০১৫, ০১:৫৮ | ০৬ জুন ২০১৫, ০১:৫৯ | মোংলা,বাগেরহাট,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | সাতক্ষীরা থেকে উদ্ধার করা কুমির সুন্দরবনে অবমুক্ত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/546496 | সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা কুমিরটি ওই দিন বিকেলে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও কুমির লালন-পালন কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে। তিন দিন ধরে কুমিরটি দেবহাটা গ্রামের একটি পুকুরে অবস্থান করছিল। খুলনার বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বনপ্রহরী আজাদ কবির জানান, সুন্দরবন-সংলগ্ন দেবহাটা এলাকার আবদুল ছালেকের বাড়ির পুকুরে গত মঙ্গলবার থেকে একটি কুমির ভাসতে দেখেন বাড়ির ও আশপাশের লোকজন। পরে আবদুল ছালেক বিষয়টি বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানান। এরপর ফরেস্ট রেঞ্জের লুৎফর পারভেজ ও তিনি বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুকুরে জাল টেনে কুমিরটিকে উদ্ধার ও বিকেলে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও কুমির লালন-পালন কেন্দ্রে ছেড়ে দেন। | 144,842 |
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:০২ | ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:০৩ | বাঞ্ছারামপুর,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1010985 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের দরিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা যুবলীগ। গতকাল সকালে উপজেলা সদরে এসব কর্মসূচি থেকে প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বাঞ্ছারামপুর আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। গত বুধবার রাতে খাল্লা গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুলের ঘরে ঢুকে উপর্যুপরি গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। | 261,163 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২৬ আগস্ট ২০১৪, ০০:০৭ | ২৬ আগস্ট ২০১৪, ০০:০৭ | আরব বিশ্ব | 0 | ফিলিস্তিনিদের অস্ত্র দেবে তেহরান | http://www.prothom-alo.com/international/article/300904 | ফিলিস্তিনিদের অস্ত্র দেওয়ার কাজে গতি বাড়াবে তেহরান। ইরানের আকাশসীমায় ইসরায়েলি চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) মোতায়েন করার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইরানের একজন সামরিক কমান্ডার গতকাল সোমবার এ কথা বলেছেন।এদিকে গাজার বিভিন্ন এলাকায় গতকালও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আরও চার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ১৯ আগস্ট অস্ত্রবিরতি ভেঙে পড়ার পর ৩৫০টির বেশি ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০৬ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটল। একই সময়ে গাজা থেকে অন্তত ৬৫০টি রকেট ইসরায়েলে ছোড়া হয়েছে, যার মধ্যে একটির আঘাতে এক ইসরায়েলি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ডের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তাদের বিমানবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আমির আলী হাজিজেদাহ বলেন, ‘আমরা পশ্চিম তীরকে (ফিলিস্তিনের) অস্ত্রসজ্জিত করার কাজে গতি বাড়াব এবং যেকোনো ধরনের জবাব দেওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে।’ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৮ জুলাই বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর গাজা শাসনকারী ইসলামপন্থী গ্রুপ হামাস ও ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলের ভেতরে যেসব রকেট নিক্ষেপ করেছে, তার প্রযুক্তি ইরান সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে তেহরান।ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অস্ত্র দেওয়ার গতি আরও বাড়ানো হবে বলে ইরানের এ হুমকির এক দিন আগে দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড জানায়, তারা ইরানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া একটি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। স্টিলথ প্রযুক্তির ‘হার্মেস’ ড্রোনটি ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের কাছে ভূপাতিত করা হয়। ড্রোনটির খণ্ডগুলো অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।মিসরের নতুন প্রস্তাব: মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল-হামাস অস্ত্রবিরতির জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে আট বছর ধরে অবরুদ্ধ গাজার বেশ কিছু ক্রসিং খুলে দেওয়া এবং ত্রাণ ও নির্মাণসামগ্রী যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা গতকাল এ কথা জানান। ইসরায়েল মানলে হামাসসহ ফিলিস্তিনিরাও এ ধরনের প্রস্তাব মানবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। | 88,191 |
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪৫ | ১৫ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪৬ | সিরাজগঞ্জ,দুর্ঘটনা | 0 | সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিশুসহ তিনজনের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1146251 | সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বগুড়া-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের শিয়ালকোল এলাকার শিলন্দায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।সিরাজগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জ শহর থেকে নলকাগামী একটি অটোরিকশা শিলন্দা পৌঁছালে পেছনদিক থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস সেটিকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এতে অটোরিকশার যাত্রীরা ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে পাঁচ মাসের একটি শিশু ও এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় অপর দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের আর একজন মারা যায়। তবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।এ দুর্ঘটনার পর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। | 311,514 |
রাজশাহী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ০২:২৯ | ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৩০ | রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ | null | সমাবর্তনের নিবন্ধন ফি নিয়ে আপত্তি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1014565 | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন। সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন ফি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। মানবিক দিক বিবেচনা করে ফি কমানোর দাবি তাঁদের।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-১৪ সময়কালে পিএইচডি, এমফিল ও স্নাতকোত্তর এবং এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারীরা এ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন। ৩ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন শুরু। দশম সমাবর্তন আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়ার কথা বলা হলেও গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটা পর্যন্ত সেখানে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এ বছর নিবন্ধন ফি ৩ হাজার ৫৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘সমাবর্তন একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয়। সবাই চায় সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন সমাপ্তির সনদ গ্রহণ করতে। কিন্তু এই ফির কারণে অনেকেই এবারের সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে না। কারণ, আমি ২০১৪ সালে মাস্টার্স শেষ করেছি; আমি জানি, আমার অনেক বন্ধু এই টাকা দিয়ে সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে না।’মার্কেটিং বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাওন কাইয়ুম বলেন, ‘ক্যাম্পাস জীবনে দেখেছি, একটু চাঁদা বেশি হলে অনেক বন্ধুই পিকনিকে যেতে পারত না। নানা অজুহাত দিয়ে কাটিয়ে দিত। এই সমাবর্তনেও তেমনটাই হবে। আমার বেকার বন্ধুরা এত টাকা দিয়ে সমাবর্তনে আসতে পারবে না, লজ্জায় হয়তো টাকার সমস্যার কথা বলতেও পারবে না।’জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক বলেন, গত বছরও একই পরিমাণ ফি ছিল। সবকিছুর দাম বাড়লেও ফি বাড়ানো হয়নি। এটা কমানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাউকে জোর করছি না। কেউ না পারলে আসবে না।’ | 262,491 |
এএফপি, মার্কা, রয়টার্স | sports | খেলা | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:২৬ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:২৬ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | এনরিকে তবু স্বপ্ন দেখেন | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1082479 | বার্সেলোনা কি চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিতে পারবে? এমন এক জরিপ চালালে ‘হ্যাঁ’ বাক্সে ভোট দেওয়ার লোক কজন পাওয়া যাবে? লুইস এনরিকে অন্তত আছেন। চারদিকে ‘গেল গেল’ রব। বার্সেলোনার বিদায়ঘণ্টা শুনতে পাচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ। সমর্থকেরা বিমর্ষ। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে প্রথম লেগে ৪ বা তার চেয়ে বেশি গোলে পিছিয়ে থাকা কোনো দলের পরের রাউন্ডে যাওয়ার রেকর্ড নেই। কোচ লুইস এনরিকে তবু স্বপ্ন দেখেন—নিজেদের মাঠে ভালো কিছু উপহার দিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেবে বার্সেলোনা!পিএসজির কাছে ৪-০ গোলের হারে এলোমেলো হয়ে পড়েছে বার্সেলোনা। হতাশা লুকাতে পারেননি এনরিকেও। এর বহিঃপ্রকাশ তিনি করেন ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টিভি থ্রির এক সাংবাদিকের ওপর রেগে গিয়ে, ‘আপনার এই সুর আমার ভালো লাগছে না। আমরা প্রত্যেকবার জয়ের পর যে আচরণটা পাই, আজ (পরশু) হারের পরও একই আচরণ আশা করি।’ম্যাচটির পর থেকেই বার্সেলোনার হারের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে চারদিকে। সাধারণ সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবল-পণ্ডিতদের অনেকেই দুষছেন এনরিকের কৌশলকে। ম্যাচটিতে বার্সার সেরা তারকা মেসি ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। ইংল্যান্ডের সাবেক দুই তারকা ফুটবলার রিও ফার্ডিনান্ড আর স্টিভেন জেরার্ড মেসির এই নিষ্প্রভ হয়ে থাকাকেই হারের কারণ মনে করেন। শিষ্যদের প্রতি অভিযোগ বা অনুযোগ নেই এনরিকের। দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন আস্তুরিয়ান এই কোচ, ‘সহজ বিষয় নিয়ে আর সময় নষ্ট না করি—ফুটবল-রোমাঞ্চকর এক খেলা এবং এখানে জটিলতা সব সময়ই থাকে। দায় সব আমার।’বার্সেলোনা শেষ ষোলোর বাধা পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারেনি এ ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছে ২০০৭ সালে। সেবার লিভারপুলের কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা। এই পরিসংখ্যানই হয়তো স্বপ্ন দেখাচ্ছে এনরিকেকে, ‘আমাদের জন্য কাজটা এখন কঠিন। আমরা দ্বিতীয় লেগ আমাদের স্টেডিয়ামে খেলব। আর সত্যি আমাদের বীরত্বপূর্ণ ফুটবল খেলতে হবে। কিন্তু স্বপ্ন কেন দেখব না?’ফুটবলে শেষ বলে কিছু নেই। আর বার্সেলোনার আক্রমণত্রয়ী মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ জ্বলে উঠলে কী হতে পারে, তা-ও সবার জানা। উনাই এমেরিও তাই দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি নিয়ে সতর্ক, ‘পরের ম্যাচটি নিয়ে আমি খুব সতর্ক। একইভাবে চেষ্টা করে যেতে হবে আমাদের।’ বার্সার মাঠ কাম্প ন্যুতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি হবে আগামী ৮ মার্চ। | 294,035 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১২ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১৪ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | দুই শিশুর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1085439 | চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এসব কর্মসূচিতে এলাকার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ অংশ নেয়।১২ ফেব্রুয়ারি খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী ভবানীপুর-ফতেপুর মহল্লার মিলন রানার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৭) এবং আবদুল মালেকের মেয়ে মেহজাবিন আক্তার (৬)। দুই দিন পর প্রতিবেশী ইয়াসিন আলীর পুত্রবধূ লাকী আক্তারের ঘর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ওই দুই শিশুর লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় লাকী আক্তার গত বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বর্ণালংকারের জন্য শিশুদের হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।কর্মসূচি উপলক্ষে গতকাল পৌর এলাকার রাজারামপুর হামিদুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ১০টায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি-সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে মানববন্ধন করে।কর্মসূচিতে নিহত সুমাইয়া খাতুন ও মেহজাবিন আক্তারের স্কুল নামোশংকরবাটী ছোটমণি বিদ্যানিকেতনসহ এলাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। বেলা পৌনে ১১টা থেকে হওয়া দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত সুমাইয়ার বাবা মিলন রানা ও মা কুলসুম বেগম, মেহজাবিনের বাবা আবদুল মালেক, পৌরসভার নারী কাউন্সিলর সিদ্দিকা সিরাজুম মনিরা, সাবেক কাউন্সিলর শরিফা খাতুন, ছোটমণি বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলাম প্রমুখ। | 295,719 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২০:৩৫ | ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০৬ | মাশরাফি বিন মুর্তজা,দেশের ক্রিকেট | null | ফিরছেন মাশরাফি, ২৮ সদস্যের দল ঘোষণা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/50690 | সর্বশেষ ওয়ানডেটি খেলেছিলেন গত বছরের ডিসেম্বরে। ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফরেও দলে ছিলেন না দলের প্রধান পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে সব ঠিক থাকলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটাতেই আবার দলে ফিরতে পারেন এই ডানহাতি পেসার। আজ ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঘোষিত ২৮ সদস্যের প্রাথমিক দলে জায়গা করে নিয়েছেন মাশরাফি।দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে কাটাতে হলেও আবার যে ফেরার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটার ইঙ্গিত বেশ ভালোমতোই দিয়েছেন মাশরাফি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনে মোহামেডানের হয়ে তিন ম্যাচ খেলে নিয়েছেন সাতটি উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন আল আমিন। চার ম্যাচে ১৪টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন আবাহনীর এই ডানহাতি পেসার।প্রাথমিক এই দল ঘোষণা ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী কমিটির সভায়। গ্রহণ করা হয়েছে প্রধান নির্বাচক আকরাম খানের পদত্যাগপত্র। অন্যদিকে নির্বাচক কমিটির সদস্য মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটির জন্য জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমানকে।২৮ সদস্যের প্রাথমিক দল: মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, এনামুল হক, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াস, জিয়াউর রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, জহুরুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক, নাঈম ইসলাম, সোহাগ গাজী, রুবেল হোসেন, মুমিনুল হক, শামসুর রহমান, মার্শাল আইয়ুব, রবিউল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, মেহরাব হোসেন, সাজেদুল ইসলাম, আল আমিন, এনামুল হক (জুনিয়র), সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুক্তার আলি ও নূর হোসেন। | 19,457 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১২ মার্চ ২০১৭, ০৪:৩৩ | ১২ মার্চ ২০১৭, ০৪:৩৫ | খেলা | 0 | সেই দিল্লিতে এমন বিদায় সিদ্দিকুরের! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1105489 | ২০১৩ সালে দিল্লি হিরো ইন্ডিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন সিদ্দিকুর রহমান। যেটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় এশিয়ান ট্যুর জয়। অথচ এবার সেই টুর্নামেন্টেই দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু করেন কাট মিসের শঙ্কা নিয়ে! শেষ পর্যন্ত কাট এড়াতে পারলেন না সিদ্দিকুর। দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা পরশু শেষ করতে পারেননি বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে। মাত্র ৮ হোলের খেলা শেষ করে ফিরে যেতে হয়েছিল পরশু। কাল সকালে খেলতে শুরু করে বাকি হোলগুলোয় মোটেও ভালো করতে পারেননি। দুই রাউন্ড মিলিয়ে পারের চেয়ে ১১ শট বেশি খেলেছেন সিদ্দিকুর। ৯৮তম হয়ে ছিটকে গেছেন টুর্নামেন্ট থেকে। আর পারের চেয়ে ৬ শট কম খেলে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন স্পেনের কার্লোস পিগেম, ইংল্যান্ডের এডি পেপরেল এবং ভারতের শিবশঙ্কর প্রাসাদ চৌরাসিয়া। | 301,881 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২২ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৩ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ১৩:৫৯ | ফুটবল,ব্রাজিল,নেইমার | 0 | নেইমারের দশ নম্বর জার্সি কার গায়ে? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1584697 | চোটের কারণে ব্রাজিলের হয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারবেন না ব্রাজিলের দশ নম্বর জার্সিধারী তারকা নেইমার। নেইমার যেহেতু নেই, ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী দশ নম্বর জার্সিটা কে পরবেন এই দুই ম্যাচে? ব্রাজিলের কোচ তিতে পছন্দ করেছেন এসি মিলানের তরুণ মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতাকে।যুগে যুগে কিংবদন্তি অনেক খেলোয়াড় ব্রাজিলের দশ নম্বর জার্সির জৌলুশ বাড়িয়েছেন। পেলে, রোনালদিনহো, জিকো, কাকা, রিভালদো, জাইর, রিভেলিনো, জুনিনহোর মতো তারকার পথ ধরে গত কয়েক বছর ধরে এই জার্সিটা এখন নেইমারের সম্পত্তি। কিন্তু পায়ের চোটের কারণে নেইমার এখন মাঠের বাইরে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী দশ নম্বর জার্সি পরার সম্মান পেতে যাচ্ছেন লুকাস পাকেতা।কিন্তু কে এই পাকেতা? ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের অন্যতম সেরা উদীয়মান তারকা তিনি। রোমারিও, জিকো, লিওনিদাস, বেবেতো, গারসন, জাইরের মতো বিশ্ব কাঁপানো ব্রাজিল তারকারা যে ক্লাব থেকে উঠে এসেছেন, সেই ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে উঠে এসেছেন পাকেতাও। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা এই উদীয়মান তারকাকে এর মধ্যেই 'নতুন কাকা' হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। ফলে ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে গত জানুয়ারিতে ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে এই তারকাকে নিয়ে এসেছে ইতালিয়ান পরাশক্তি এসি মিলান, যে এসি মিলানে থেকেই কাকা বিশ্বসেরা হয়েছিলেন। এসি মিলানে দুর্দান্ত খেলার সুবাদে ব্রাজিল দলেও ডাক পাচ্ছেন এখন। সেই পাকেতার গায়েই এবার দশ নম্বর জার্সি চাপাচ্ছেন কোচ তিতে।সামনের জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি হিসেবে পানামা ও চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে এই সপ্তাহে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে ব্রাজিল। নেইমারের অনুপস্থিতিতে এই দুই ম্যাচের জন্য দশ নম্বর জার্সি পরার অধিকার পেলেন পাকেতা।এত বড় দায়িত্ব চেপেছে কাঁধে, পাকেতা নিজে কি ভাবছেন এই জার্সি পরা নিয়ে? 'দশ নম্বর জার্সি পরতে পারাটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। তবে আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে জানি। রোনালদিনহো, পেলে, জিকোর মতো খেলোয়াড়েরা এই জার্সি পরেছেন। সেই জার্সির দায়িত্ব এখন আমার কাঁধে দেওয়া হয়েছে। আশা করি, আমি আমার ওপর রাখা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারব। দশ নম্বর জার্সির একটা আলাদা ওজন আছে। কিন্তু ভুলে যাওয়া চলবে না, ব্রাজিলের জার্সিরই একটা আলাদা ওজন আছে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই জার্সি। নম্বর সেখানে কোনো ব্যাপার না।' | 394,812 |
অনলাইন ডেস্ক | education | শিক্ষা | ২৭ জুন ২০১৯, ১৩:১৫ | ২৭ জুন ২০১৯, ১৩:১৭ | শিক্ষা | 0 | ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এক্সিবিশন অনুষ্ঠিত | http://www.prothom-alo.com/education/article/1601372 | ঢাকার গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বল রুমে গত ২১ জুন এইচ অ্যান্ড আই কাউন্সিলের আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এক্সিবিশন-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়।এই শিক্ষামেলায় অংশ নেয় ৬টি দেশের স্বনামধন্য ১২টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি। বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের উপস্থিতিতে মেলা জমে উঠেছিল। বিভিন্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এই মেলা থেকে সহজেই তথ্য পান অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।মেলায় এসে যে সব শিক্ষার্থী আবেদন করেন, তাঁদের জন্য আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে বিমান টিকিট ও স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে এইচ অ্যান্ড আই কাউন্সিলের অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁরা বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। | 407,719 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৩ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৪ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,অপরাধ | 0 | চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/444598 | টানা অবরোধ ও হরতালে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ষোলশহর এলাকায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে সকালে ষোলশহরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কার্যালয়ের গাড়ি পার্কিং করার জায়গা থেকে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। অন্য দিনের মতো গতকালও দিনের বিভিন্ন সময় জিইসি, বাদামতলী, আন্দরকিল্লাহসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজট দেখা গেছে। বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয়েছে। স্বাভাবিক ছিল ট্রেন চলাচল। মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে পরিবহনশ্রমিকেরা জানিয়েছেন।চট্টগ্রাম বন্দরে পুরোদমে পণ্য ওঠানো-নামানো হয়েছে। বন্দর সূত্র জানায়, গত বুধবার সকাল সাতটা থেকে গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪১৮টি কনটেইনার খালাস করেছে আমদানিকারকেরা। সাড়ে তিন হাজারের বেশি ট্রাকে করে এসব মাল ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হয়।চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ষোলশহরে শিক্ষা বোর্ডে ককটেল ফাটানো এবং বিমান কার্যালয়ের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে দুটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। | 113,025 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৪:১৫ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৫:৫০ | আইন ও বিচার | null | ব্লগার ওয়াশিকুর হত্যায় অভিযোগপত্র | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/619132 | ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান ওরফে বাবু হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আজ মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।ডিএমপির মুখপাত্র ও যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম আজ এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে কথা বলেন তিনি।ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্রভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, জুনায়েদ ওরফে তাহের ও হাসিব আবদুল্লাহ। এঁদের মধ্যে জিকরুল্লাহ, আরিফুল ও সাইফুল কারাগারে আছেন। এতে জুনায়েদ ও হাসিবকে পলাতক দেখানো হয়েছে।ডিএমপির মুখপাত্রের ভাষ্য, ওয়াশিকুর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হাসিব। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। লেখালেখির কারণেই তাঁরা ওয়াশিকুরকে হত্যা করেছেন। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।চলতি বছরের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের দক্ষিণ বেগুনবাড়ীতে প্রকাশ্যে ওয়াশিকুরকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পালানোর সময় ধরা পড়েন জিকরুল্লাহ ও আরিফুল।ওয়াশিকুর হত্যার পরদিন ৩১ মার্চ তাঁর ভগ্নিপতি মনির হোসেন বাদী হয়ে জিকরুল্লাহ ও আরিফুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তভার ডিবিকে দেওয়া হয়।মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সদস্যের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুজন হিজড়াসহ অন্তত ১০ জনকে এই মামলায় সাক্ষী করা হচ্ছে।মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগে গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল এই হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁর জবানবন্দি ও তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, হাসিব ও সাইফুলের পরিকল্পনা এবং নির্দেশনায় জিকরুল্লাহ, আরিফুল ও জুনায়েদ সরাসরি হত্যায় অংশ নেন। এর মধ্যে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ধরা পড়েন। তাঁরা মাদ্রাসার ছাত্র। আর জুনায়েদ পালিয়ে যান। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, জুনায়েদ রাজধানীর একটি মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জে।গ্রেপ্তারের পর জিকরুল্লাহ ও আরিফুল পুলিশকে বলেছিলেন, মাসুম নামের এক বড় ভাই হত্যার আগের দিন তাঁদের নিয়ে হাতিরঝিলে বৈঠক করেন। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে, মাসুমের প্রকৃত নাম হাসিব।জিকরুল্লাহ ও আরিফুল রিমান্ডে ডিবিকে বলেছিলেন, সাইফুল বেগুনবাড়িতে ওয়াশিকুরের বাসার পাশে তাঁদের জন্য ঘর ভাড়া করে দিয়েছিলেন। এর আগে যাত্রাবাড়ী এলাকায় তাঁরা ভাড়া বাসায় থাকতেন।ওয়াশিকুর হত্যার পাঁচ দিন আগেই ধারালো অস্ত্রসহ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাইফুল। পরে হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলায় সাইফুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এডিসি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ডে আরও চার-পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। পরে নাম-পরিচয় পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।ওয়াশিকুর (২৭) তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে মতিঝিলে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন। একটি ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে কিছুদিন লিখলেও তিনি মূলত ফেসবুকে কয়েকটি নামে নানা ধরনের লেখা প্রকাশ করতেন।আরও পড়ুন:আবার ব্লগার হত্যাব্লগার ওয়াশিকুর হত্যায় অভিযোগপত্র দিচ্ছে ডিবি | 164,784 |
-1 | opinion | মতামত | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৬ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৬ | চিঠিপত্র,মতামত | 0 | মধ্যরাতের অশ্বারোহী | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/436759 | ধারণা করি, জাতি আজ শ্রদ্ধেয় ব্যারিস্টার ইশতিয়াক, অ্যাডভোকেট শামসুল হক চৌধুরী ও কবি-সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদের খুব অভাববোধ করছে। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দুই নেত্রীকে তাঁরাই একসঙ্গে রাজপথে হাঁটাতে পেরেছিলেন। বিনিময়ে আমাদের অনেক ত্যাগের ও সাধের গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। মধ্যরাতের অশ্বারোহী ফয়েজ আহমেদ আর নেই। দুই নেত্রীও এক মেরুতে নেই। তাঁদের অবস্থান বিপরীতমুখী। প্রতিনিয়তই দুজন দুজনকে পরাজিত করার খেলায় মত্ত। একজন অপরজনকে অবরোধ করেন। অপরজন পুরো দেশ অবরুদ্ধ করেন। এ যেন শিল-পাটার ঘষাঘষি, যাতে জনগণ নামের মরিচের প্রাণ যায়।আমরা সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত সত্যিকারের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। সে জন্য দরকার অহিংসা, সমঝোতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা। কিন্তু বেদনাদায়ক সত্য, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে এসব নির্বাসনে গেছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে তা মহা সমস্যার রূপ নিয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ ৪৩ বছর ধরে স্বপ্ন দেখছে আর দুঃস্বপ্নে ঘুম ভাঙছে। স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য চাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ, সমঝোতা ও সহযোগিতা। বিশেষ করে, বড় দুই দল ও দুই নেত্রীর মধ্যে। কেউ কি মধ্যরাতের অশ্বারোহী হবেন?আরেফিন সুমন, ঢাকা। | 110,973 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:০১ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:০১ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,রাজনীতি | 0 | ‘কর্মীরা একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1053727 | দলকে শক্তিশালী, গতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ করার কথা সবাই কেবল মুখেই বলেন। অনেকেই পদে থাকলেও দায়িত্ব পালন করেন না, সভা-সমাবেশেও আসেন না। তাঁদের চিহ্নিত করে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ‘স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায়’ আয়োজিত সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের নেতারা এসব কথা বলেন।গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের শহীদ মিনারের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর কমিটির সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের কম উপস্থিতি দেখে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন। তবু অনেকে এসেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ।’বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি নগরের লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ হবে বলে জানান মহিউদ্দিন চৌধুরী। সেখানে অবশ্যই কর্মীদের নিয়ে ওয়ার্ড নেতাদের অংশ নিতে নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি আসলাম। মিটিংয়ের সামনে বসে বসে পা নাড়ালাম, তা হবে না। অনেক সহ্য করেছি। আর তো পারি না।’সমাবেশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘স্বাধীনতার সুফল সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ, গতিশীল ও শক্তিশালী করার কথা সবাই মুখে বলেন। কিন্তু এর জন্য কাজের কাজ করা যেটি প্রয়োজন, সেটি করতে পারি নাই।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনেকে পদ নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু দায়িত্ব পালন করেন না। সভা-সমাবেশে আসেন না। আমাদেরও পদ আছে, দায়িত্ব আছে। কিন্তু তারপরও প্রতিটি সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছি। পদ অলংকৃত করবেন। দলের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সংগঠনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন না। এটি তো হতে পারে না। এটি সংগঠনের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। নগর থেকে তৃণমূলে থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ে এমন লোক আছেন। পদের প্রতি সুবিচার করুন। অন্যথায় সসম্মানে অব্যাহতি নিন।’নিষ্ক্রিয় নেতাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানিয়ে মেয়র নাছির বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে কার্যকর কমিটির সভা ডাকব। যাঁরা পদ নিয়ে দায়িত্ব পালন করেননি, তাঁদের চিহ্নিত করব। পদ থেকে বঞ্চিত করব। যাঁরা সংগঠনের জন্য সময় দেন, ত্যাগী; তাঁদের মূল্যায়ন করা হবে।’নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘দলে কিছু রাজনৈতিক নেতা আছেন, যাঁরা নিজের দল বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত যেদিকে আছে সেদিকে উঁকি মারেন। অন্য দলকে নয়, নিজের দলকে ভালোবাসুন।’সমাবেশে উপস্থিত থাকা সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সাবিহা মুছাকে ধন্যবাদ দিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, ‘৫ জানুয়ারি অনেকেই রক্ত দিয়ে অনেককে এমপি বানিয়েছেন। কিন্তু আজকের সমাবেশে একজন এমপির উপস্থিতি পেয়েছি। তাঁকে ধন্যবাদ।’সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না এসে দেশে অসাংবিধানিক সরকার নিয়ে আসতে চেয়েছিল। তারা দেশকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল।নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নগর কমিটির সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, উপপ্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ বাচ্চু প্রমুখ। | 280,742 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২১:৪৩ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২১:৪৬ | এশিয়া | null | সোনার সিংহাসন ও ভদকার বোতল | http://www.prothom-alo.com/international/article/156517 | আফগানিস্তানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। পিছিয়ে নেই ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এ মাধ্যমগুলোকে রীতিমতো যুদ্ধের ময়দানে পরিণত করা হয়েছে।এসব যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকেরা একে-অপরকে বাক্যবাণে জর্জরিত করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, বরং নানা ধরনের ছবি আপলোড করেও বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আজ বুধবার বিবিসির ম্যাগাজিনে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।আফগানিস্তানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম পদপ্রার্থী হলেন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহর প্রদেশের গভর্নর গুল আঘা শেরজাই। নগর পুনর্গঠনের মহা প্রকল্প হাতে নেওয়ার সুবাদে ইতিমধ্যেই লোকজন আদর করে তাঁর নাম দিয়েছে ‘বুলডোজার’। যেসব ভোটার লিখতে বা পড়তে পারেন না, তাঁরা যাতে ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে সহজেই তাঁর মার্কা শনাক্ত করতে পারেন, সেজন্য তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রতীকও নিয়েছেন ‘বুলডোজার’।গত জানুয়ারি মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে শেরজাইয়ের একটি ছবি প্রচার করা হয়। ছবিটি তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরুর অনুষ্ঠানের একটি ছবি। ছবিতে দেখা যায়, গুল আঘা শেরজাই একটি সোনার সিংহাসনে বসে আছেন। পাশে ছোট আরেকটি রুপার চেয়ারে বসে আছেন এক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।এক ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয় বরং বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান চলছে।’আরও একটি ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। সেটি হলো সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর একটি ছবি। ছবিটিতে দেখা যায়, চেয়ারে বসে এক সহকর্মীর সঙ্গে খোশগল্পে মেতে আছেন তিনি। ছবিটিকে প্রথম দর্শনে একটি সাদামাটা ছবি বলেই মনে হবে। তবে একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, তাঁদের মাঝখানে যে টেবিলটি রয়েছে তাতে বেশ বড়োসড়ো সাইজের দুটো ভদকার বোতল রাখা। তবে এটি ফটোশপ প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি সাবেক অর্থমন্ত্রী আশরাফ ঘানি আহমাদজাই। ফেসবুকে দেওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফের দিকে পশ্চািদক দিয়ে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করছেন।এ তো গেল ছবিবিষয়ক বিতর্ক। প্রতিদ্বন্দ্বীকে ধরাশায়ী করতে ফেসবুকের আরও বহুমুখী ব্যবহার করছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আবদুল্লাহর নির্বাচনী স্লোগান হলো, ‘পুরুষেরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।’ (Men keep their promises) সমালোচকদের দাবি, এ স্লোগান নারী জাতির প্রতি অবমাননাকর।সমালোচনার আগে এই স্লোগান লেখা পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল কাবুলসহ অন্যান্য শহরের দেয়ালগুলো। তবে এই সমালোচনা ওঠার পরপরই সেগুলো গায়েব হয়ে যায়।এ ছাড়া পোস্টার কিংবা সমাবেশের বক্তৃতার ভাষার বানান ভুল নিয়েও নানা ধরনের হাস্যরসের সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে ফেসবুকের একটি বার্তায় এক ব্যক্তি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নিজের প্রচার চালানোর জন্য প্রতিপক্ষকে খাটো করা ঠিক কাজ নয়। | 54,171 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ মে ২০১৭, ০০:৪০ | ১১ মে ২০১৭, ০০:৪৪ | ভাষা প্রতিযোগ | 0 | উৎসবের নানা রং | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1176396 | মা তোমাকে খুব ভালোবাসিচট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষা প্রতিযোগের একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের অনুভূতি লেখার ক্যানভাস। ‘অনুভূতি লেখো মায়ের ভাষায়’ শিরোনামের ক্যানভাসে উৎসবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির কথা লিখেছে শিক্ষার্থীরা। এই ক্যানভাসে ফুটে ওঠে ভাষা প্রতিযোগসহ নানা ধরনের বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুভূতি। তবে উৎসবের শেষ সময় পর্যন্ত চোখে পড়েছে ক্যানভাসে বেশ বড় করে লেখা একটি বাক্য। ‘মা তোমাকে খুব ভালোবাসি’ বাক্যটি লিখে কোনো এক শিক্ষার্থী ঠিকই বুঝিয়ে দিয়েছে মা, মাটি ও মাতৃভূমির প্রতি তার ভালোবাসা ও মমত্ববোধের কথা।নাছোড়বান্দামালিহা তারান্নুম আশকা ২২ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়া শেষ করে বন্ধুদের নিয়ে প্রথম আলোর অফিসে যায় নিবন্ধন করার জন্য। অফিসে গিয়ে জানতে পারে, নিম্নমাধ্যমিক ক্যাটাগরির নিবন্ধনের নির্দিষ্ট কোটা শেষ। মন খারাপ করে বাসায় ফিরে তার আব্বুকে বিষয়টি জানায়। মেয়ের আগ্রহ দেখে তিনি বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরাও তাকে না করে দেন। সব শুনে মালিহার মন খারাপ হয়ে যায়, তার ভাবনায় শুধু ভাষা প্রতিযোগে অংশগ্রহণ করা। ৩১ মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাবাকে নিয়ে ফেনী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে হাজির মালিহা। দেখা করেন প্রথম আলোর প্রতিনিধির সঙ্গে। তিনি মালিহার এত আগ্রহ দেখে অতিরিক্ত একটি পরীক্ষার হলে ভাষা প্রতিযোগে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন।ভাষা প্রতিযোগের আঞ্চলিক উৎসবে সাধারণত জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় বন্ধুসভার শিল্পীরা অথবা স্থানীয় কোনো শিল্পীগোষ্ঠী। কিন্তু এই দৃশ্য একটু ভিন্ন। ফেনীতে যারা জাতীয় সংগীত গাইল, তারা ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই স্কুলেই হয়েছে অনুষ্ঠান। | 316,835 |
মিজানুর রহমান খান, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৫৫ | ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ১২:০৮ | নির্বাচন,একাদশ সংসদ নির্বাচন,নির্বাচন কমিশন | null | ঘটনা ঘটলেও তদন্ত কমিটি করেনি ইসি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1565963 | নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও এখনো নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।নির্বাচনী আইনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। রাজনৈতিক দলগুলো গত কয়েক দিনে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও কোনো ঘটনারই তদন্ত হতে পারছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম প্রথম আলোকে বলেন, এখনো তদন্ত কমিটির কাজ শুরু না হলেও আইনের লঙ্ঘন ঘটছে, তা বলা যায় না। এ কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচন কমিশন ১৪ নভেম্বর ৩০০ আসনের জন্য ১২২টি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকেও। নিম্ন ‘দেওয়ানি আদালতসমূহে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ছুটি হওয়ার পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাথে পরামর্শক্রমে’ কমিটি গঠনের কথা ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রাহমান প্রথম আলোকে বলেন, ছুটি শুরু হবে ১ ডিসেম্বর। ওই চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে কমিটি গঠনের তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি কেন ছুটি শুরু হওয়ার আগে এবং হাইকোর্ট বিভাগের সঙ্গে কেন পরামর্শ করার কথা নির্দিষ্ট করেছে তার সদুত্তর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলেও পাওয়া যায়নি।১৪ নভেম্বরের চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ ক–এর বিধান অনুযায়ী, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের’ লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করার বিধান রয়েছে।আচরণবিধির ছয় দফায় ‘নির্বাচনপূর্ব সময়’–এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময় অর্থ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন কিংবা কোনো শূন্য আসনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত সময়কাল।অন্যদিকে একই বিধিমালার ১৭ বিধিতে ‘নির্বাচনপূর্ব অনিয়মের’ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আচরণ বিধিমালার যেকোনো বিধানের লঙ্ঘন ‘নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম’ হিসেবে গণ্য হবে এবং ওই অনিয়মের দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল প্রতিকার চেয়ে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি বা কমিশন বরাবর দরখাস্ত পেশ করতে পারবে।এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কোনো ক্ষেত্রেই নিজেরা বিচার বা শাস্তি দিতে পারবে না। তারা কমিশনের কাছে সুপারিশ করবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, আচরণবিধির লঙ্ঘন বিচার বিভাগীয় কমিটি দেখবে না, দেখবেন নির্বাহী হাকিমেরা এবং সেটা তাঁরা দেখছেন। তবে তাঁর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন দুই নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম। তাঁরা বলেন, আচরণবিধির লঙ্ঘন দেখার দায়িত্ব বিচার বিভাগীয় নির্বাচনী তদন্ত কমিটির। আবার নির্বাহী হাকিমেরাও তা দেখতে পারবেন।অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুই নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব বলেন, মনোনয়ন কেনা নিয়ে শোডাউন বা অন্যবিধ যা ঘটেছে, তা আচরণবিধির আওতায় তদন্তযোগ্য নয়। কারণ, আচরণবিধিতে মননোয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়ে কিছু বলা নেই। প্রার্থীদের বিষয়ে বলা আছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি প্রথম আলোকে বলেছেন, এটা ঠিক যে আচরণবিধিতে ফরম কেনার বিষয়টি নেই। কিন্তু আচরণবিধির শিরোনামে শুধু প্রার্থীর বিষয়ে নয়, রাজনৈতিক দলের কথাও বলা আছে। সুতরাং ফরম সংগ্রহ পর্বটি রাজনৈতিক দলের আচরণের মধ্যে পড়ে।তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে জেসমিন টুলি বলেন, কমিটি কবে কাজ শুরু করবে, আইনে তা নির্দিষ্ট না থাকলেও কমিটির কাজ এখনো শুরু না হওয়ায় আইনের ‘পরোক্ষ লঙ্ঘন’ ঘটছে। তিনি ব্যাখ্যা দেন যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার কারণে এই কমিটির কার্যক্রম আগে ততটা প্রাধান্য পায়নি। এবারের পরিস্থিতির কারণে একটা ভিন্নমাত্রা তৈরি হয়েছে। | 383,025 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০১:২৪ | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০১:২৭ | মহানগর,খুলনা,খুলনা বিভাগ | 0 | ৬০ ভাগ নলকূপে পানি না পাওয়ার শঙ্কা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/489064 | গ্রীষ্মকাল না আসতেই খুলনা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক এলাকার ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। এতে গ্রীষ্মকালে নগরের ৬০ ভাগ নলকূপে পানি না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকার মানুষ এখনই পানির অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে।খুলনা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, নগরের ১৫ লাখ মানুষের প্রতিদিনের পানির চাহিদা ২৪ কোটি লিটার। এর পুরোটাই ভূ-গর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ওয়াসা ৮৩টি উৎপাদক নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে। বাকিটা নগরবাসী হস্তচালিত নলকূপ ও নলকূপে পাম্প লাগিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে উত্তোলন করে।চলতি মৌসুমে ওয়াসা পরিচালিত গত কয়েক মাসের জরিপ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে নগরে পানির গড় স্তর ছিল ১৬ থেকে ১৯ ফুটের মধ্যে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা নেমে ১৯ থেকে ২৪ ফুটে দাঁড়ায়। আর মার্চের মাঝামাঝিতে তা কোথাও কোথাও ২৭ থেকে ২৮ ফুটে নেমেছে। ওয়াসার প্রকৌশলীরা বলছেন, এর মধ্যে বৃষ্টি না হলে আগামী এপ্রিলে কোথাও কোথাও পানির স্তর ৩০ ফুটের নিচে নেমে যেতে পারে।পানির স্তর পরিমাপের জন্য ওয়াসার নিয়মিত জরিপ এলাকা ৭০টি। এর মধ্যে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল বলছে, নগরের পিটিআই মোড়, নিরালা শিশুপার্ক, সোনাডাঙা ট্রাক টার্মিনাল, খালিশপুর ও মুজগুন্নী এলাকায় পানির স্তর গড়ে ২৫ ফুটে নেমে এসেছে। ২০ থেকে ২৪ ফুটের মধ্যে রয়েছে এমন এলাকার সংখ্যা ২০টিরও বেশি।এ বিষয়ে খুলনা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ডি কামালউদ্দিন বলেন, সাধারণত পানির স্তর ২৬ ফুটের নিচে নামলে হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। আর যদি তা ৩০ ফুটের নিচে নেমে যায়, তাহলে বাসা-বাড়িতে মোটর দিয়ে পানি ওঠানোও অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাঁর আশঙ্কা, বৃষ্টি না হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নগরের ৬০ ভাগ হস্তচালিত নলকূপ অকার্যকর হয়ে পড়বে। গত বছর এ সময়টায় বৃষ্টি না হওয়ায় নগরের ২৭টি এলাকায় পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে ছিল।নগরের শেখপাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মোটর দিয়ে এখনই তাঁরা পানি বেশি পাচ্ছেন না। পানি আসার গতিও ধীর। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে জানা যায়, কিছু কিছু হস্তচালিত নলকূপ দিয়ে পানি আসছে না।আসন্ন এই সংকট মোকাবিলায় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় পাম্প চালানো, ওয়াসার নিজস্ব ১০ হাজার হস্তচালিত নলকূপ মেরামত ও নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নতুন উৎপাদক নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টিকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখছি। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য মধুমতী নদী থেকে পানি এনে তা পরিশোধন করে নগরবাসীর মধ্যে সরবরাহের জন্য খুলনা ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প চলমান আছে।’ | 126,907 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জুলাই ২০১৩, ০২:১১ | ১১ জুলাই ২০১৩, ০২:১২ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | বাংলাদেশ-সংক্রান্ত তথ্য সঠিক: টিআইবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/22346 | বাংলাদেশ-সংক্রান্ত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন সঠিক বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বুধবার টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন খাত ও প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির অবস্থা সম্পর্কে উত্তরদাতারা যে ধারণা পোষণ করেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পুলিশ এবং রাজনৈতিক দল (৯৩% উত্তরদাতার মতে, এ দুটি প্রতিষ্ঠান কোনো না কোনো মাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত)। এর পরই রয়েছে বিচার বিভাগ (৮৯% উত্তরদাতা মনে করেন, এটি কোনো না কোনো মাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত)। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে ৯ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে এটিই উপস্থাপন করা হয়েছে। টিআই বাংলাদেশের ওয়েবসাইটেও এটি পাওয়া যাবে। প্রদত্ত তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, উত্তরদাতাদের মধ্যে পুলিশের ক্ষেত্রে ৬৪%, রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে ৪৫% এবং বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে ৫৩% মনে করেন যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে (বেশ বা খুব বেশি মাত্রায়) রয়েছে। ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনেও তা-ই বলা হয়েছে। কিন্তু টিআই তার ওয়েবসাইটে এগুলোকেই কেবল দুর্নীতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করায় সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে টিআইর সঙ্গে টিআইবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং বিষয়টি তারা অবিলম্বে সংশোধন করার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, টিআইবি প্রকাশিত ফলাফলের মধ্যে কোনো ভুলভ্রান্তির অবকাশ নেই। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতেই টিআইবি তার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। | 1,813 |
বান্দরবান প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ জুন ২০১৬, ০২:২৭ | ০৫ জুন ২০১৬, ০২:২৮ | বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিভাগ,নির্বাচন | 0 | বান্দরবান সদর ও আলীকদমের পাঁচ ইউনিয়নের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/878584 | বান্দরবান সদর উপজেলার একটি ও আলীকদমের চারটি ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে সরকারি দলের লোকজন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল সকাল থেকে বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলেছে। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে এ চিত্র পাল্টাতে থাকে। বেলা দেড়টায় ভোকেশনাল টেক্সটাইল স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারের দেখা পাওয়া যায়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আলীকদম উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে আলীকদম সদর ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। | 229,324 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১১:৫৫ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১১:৫৮ | বলিউড | null | ‘আমিরই সেরা’ বললেন শাহরুখ! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/95155 | দিন কয়েক আগে আমির, সালমান ও শাহরুখ এই তিন খানের মধ্যে সবচেয়ে বড় তারকা কে জানতে চাইলে সালমানকে তাঁর চেয়েও বড় তারকা বলেছিলেন আমির খান। সালমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও শাহরুখকে নিয়ে মন্তব্য করেননি আমির। কিন্তু সম্প্রতি উদারতার পরিচয় দিয়ে আমিরকে ভারতের সেরা অভিনয়শিল্পী বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন ‘বলিউড বাদশাহ’ শাহরুখ।এ প্রসঙ্গে শাহরুখের ভাষ্য, ‘আমির খান আমাদের দেশের সবচেয়ে ভালো অভিনয়শিল্পী। বরাবরই তিনি পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। সব সময় তাঁর কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি আমরা। তাঁর শারীরিক ও মানসিক শক্তির কোনো তুলনা হয় না। সত্যিই তাঁর কাজ আমার অনেক ভালো লাগে।’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে পিটিআই।শাহরুখ আরও বলেন, ‘আমির ‘‘ধুম ৩’’ ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে তাঁর শারীরিক অবয়বে যে ধরনের পরিবর্তন এনেছেন তা কেবল তাঁর মতো নিবেদিতপ্রাণ একজন অভিনেতার পক্ষেই সম্ভব। ছবিটির একটি দৃশ্যে দড়িতে ঝুলে যে ধরনের শারীরিক কসরত তিনি দেখিয়েছেন তা দেখে তাঁকে দক্ষ ক্রীড়াবিদ বলেই মনে হয়েছে। এমন কঠিন দৃশ্য এত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার বিষয়টি এক কথায় অসাধারণ। সত্যিই তাঁর কাজ দেখে অনেক কিছু শেখার আছে।’‘ধুম ৩’ ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ‘ডর’, ‘বাজিগর’ এবং ‘আনজাম’ ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও, অনেক দিন এ ধরনের চরিত্রে দেখা যায়নি শাহরুখকে।এ প্রসঙ্গে শাহরুখ বলেন, ‘অনেক দিন হয়ে গেল এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা হয়নি আমার। যদিও ‘‘ডন’’ সিরিজের ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু ডন চরিত্রটিকে সেই অর্থে নেতিবাচক বলা যায় না। আবারও খল চরিত্রে অভিনয় করতে চাই আমি। এমন চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে সানন্দেই রাজি হয়ে যাব। তবে সে ক্ষেত্রে ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। ১০০ কিংবা ২০০ কোটির ক্লাবে হয়তো ঠাঁই পাবে না ছবিটি।’প্রসঙ্গত, সবচেয়ে বড় তারকা কে? সম্প্রতি আমির খানকে এমন প্রশ্ন করলে জবাবে আমির বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে নিজের নামটি বলতে পারি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আমি ইতিবাচক চোখেই দেখি। তবে আমার ভাবনার সঙ্গে সবার তো মিল নাও থাকতে পারে। অন্যের অভিনয় দেখে মাঝেমধ্যে মুগ্ধ হয়ে ভাবি, সে কীভাবে এত ভালো অভিনয় করতে পারে! আমি কীভাবে আরও ভালো অভিনয় করতে পারব তা নিয়েও ভাবি।’ আমির আরও বলেছিলেন, ‘“মুন্নাভাই এমবিবিএস” দেখে সঞ্জয় দত্তের অভিনয় যেমন অসাধারণ লাগে, তেমনি রণবীর কাপুরের “বরফি” আমাকে মুগ্ধ করে। তবে যখন “দাবাং” দেখি, তখন আমার বন্ধু সালমানের অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। আমার চেয়ে সালমান নিঃসন্দেহে বড় তারকা। অভিনয় করতে তার যেন কিছুই করতে হয় না। তার মধ্যে যেন তারকাখ্যাতি ভরপুর। সালমানের অভিনয়ে সামান্য বেল্ট নাড়ানো কিংবা চশমা ঠিক করার স্টাইলই দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্য যথেষ্ট।’ সালমানের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই বলেও জানিয়েছিলেন আমির। | 34,472 |
-1 | sports | খেলা | ০৮ আগস্ট ২০১৬, ০২:৫২ | ০৮ আগস্ট ২০১৬, ০২:৫৩ | অলিম্পিক,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | শেষ আটে ব্রাজিলের মেয়েরা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/939613 | রিও অলিম্পিকে সোনা জয়ের পাশাপাশি আরেকটি লক্ষ্য ছিল তাঁদের—মেয়েদের ফুটবলকেও ব্রাজিলে সমান জনপ্রিয় করে তোলা। সে পথেই বেশ ভালোই এগোচ্ছেন মার্তা-ক্রিস্টিয়ানরা। টানা দুই জয় নিয়ে উঠে গেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। পরশু রিও ডি জেনিরোর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ব্রাজিল ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সুইডেনকে।চীনের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় দিয়ে অলিম্পিকযাত্রা শুরু হয়েছিল ব্রাজিলের। প্রথম ম্যাচে যা করেছেন ৯০ মিনিটে, পরশু মার্তারা তা করেছেন প্রথমার্ধে। বিয়াত্রিজ ও ক্রিস্টিয়ানের গোলের পর মার্তার পেনাল্টি গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিলের মেয়েরা। তবে মার্তা নন, এই ম্যাচে গোল করে ব্রাজিলের নায়িকা ক্রিস্টিয়ান। ব্যাক ফ্লিকে যে গোলটি করলেন, সেটি তাঁর ১৪তম গোল—অলিম্পিকে সর্বোচ্চ। ব্রাজিল গোলের ধারা টেনে নিয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধেও, বিয়াত্রিজ ও মার্তা করেছেন নিজেদের দ্বিতীয় গোল। ম্যাচের শেষ দিকে লোটা শেলিন সুইডেনের সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন।প্রথম ম্যাচে প্রায় অর্ধেক ফাঁকা গ্যালারির সামনেই চীনকে হারিয়েছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৬০ হাজার দর্শকের অলিম্পিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল প্রায় পূর্ণ। সব মিলিয়ে তাই নতুন এক চ্যালেঞ্জই দেখছেন ব্রাজিল কোচ ভাদাও, ‘প্রথম দিকে চাপটা শুধু ছিল ভালো খেলার আর মেয়েদের ফুটবলকে ভালোভাবে চেনানোর। এখন, এত ভালো খেলার পর, চাপটা বদলে যাচ্ছে। মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে যাওয়ায় এখন নতুন চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে।’মানুষের প্রত্যাশা স্বাভাবিকভাবেই অলিম্পিকের সোনা। ছেলে বা মেয়ে, ব্রাজিলের কোনো ফুটবল দলই কখনো জেতেনি এই আরাধ্য পদক। তবে এবারও কাজটা সহজ হচ্ছে না ব্রাজিলের জন্য। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও টানা তিনটি সোনাজয়ী যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। অধিনায়ক কার্লি লয়েডের গোলে ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অলিম্পিকে যেটি তাদের টানা ১৩তম জয়। দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছে কানাডার সঙ্গে। এএফপি। | 247,617 |
সুহাদা আফরিন | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১০:১৪ | ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১০:২৫ | -1 | 0 | কপিরাইটে আগ্রহ কম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1370891 | প্রচারণা, সচেতনতার অভাব ও বাধ্যতামূলক নয় বলে কপিরাইটে আগ্রহ নেই বেশির ভাগে সৃজনশীল মানুষের। সমস্যা হচ্ছে না বলে অনেকেই নিবন্ধন করান না। আবার অনেকে বিপদে পড়ে এসে নিজের কাজের কপিরাইট করিয়ে নিচ্ছেন। কপিরাইট অফিস বলছে, মানুষ এর মূল্যটাই বোঝে না।মেধাস্বত্বের মালিকানাই হচ্ছে কপিরাইট। সাহিত্য, নাট্য, সংগীত, রেকর্ড, শিল্প, চলচ্চিত্র, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সম্প্রচার, কম্পিউটার-সফটওয়্যার কর্ম, অর্থাৎ সৃজনশীল মৌলিক কাজের নিবন্ধন করিয়ে নেওয়াই হচ্ছে কপিরাইট। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস আছে। এটি আধা বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান। কপিরাইট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। তবে নিবন্ধন করা থাকলে মালিকানা নিয়ে আইনগত জটিলতা দেখা দিলে, ‘কপিরাইট নিবন্ধন সনদ’ আইনি সহায়তা পেতে সাহায্য করে।মেধাস্বত্ব নিবন্ধনের জন্য ফি এক হাজার টাকা। নিজের কাজের সিডি, স্ক্রিপ্ট বা বইয়ের দুই কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি আবেদন ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। অনলাইনেও আবেদন করা যাবে।কোনো লেখক বা প্রণেতার বই বা কোনো সৃষ্টকর্ম যদি কেউ নকল করে, তাহলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় প্রতিকার চাইতে পারবেন। শাস্তি হিসেবে কপিরাইট ভঙ্গকারীর চার বছরের জেল ও সর্বনিম্ন ছয় মাসের জেল হতে পারে। সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকার জরিমানা ও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও বিধান আছে। তবে চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এ শাস্তি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর ও সর্বনিম্ন এক বছর। আর সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ও সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা জরিমানা রয়েছে। দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারি বিচার হবে। জেলা জজ আদালতেও ক্ষতিপূরণ ও নিষেধাজ্ঞার প্রতিকার চাওয়া যাবে।১৯৬২ সালে কপিরাইট কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ পর্যন্ত মেধাস্বত্বের নিবন্ধন হয়েছে ১৫ হাজার। গত বছরে হয়েছে ৬৩১টি। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর আর চৌধুরী বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত কোনো নিবন্ধনই হয়নি। ফটোগ্রাফ নিবন্ধনে এত বছরে কেউ আসেনি। গত ১৩ নভেম্বর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আশফাক আহমেদ নিজের একটি ছবি নিবন্ধন করিয়ে নেন। আশফাক আহমেদ বলেন, কপিরাইট নিয়ে তেমন ধারণা ছিল না। তবে এর প্রয়োজন আছে।ছবি নিয়ে কাজ করে দৃক। দৃকের কিউরেটর এ এস এম রেজাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিবন্ধন জরুরি না। তবে করলে বাড়তি আইনগত সুবিধা পাওয়া যায়।চলচ্চিত্রে এখন পর্যন্ত ৭২টি নিবন্ধন হয়েছে। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার বলেন, কপিরাইট করা থাকলে পাইরেসি রোধেও আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ফিল্ম মেকাররা আগ্রহী না। কেন তা জানি না। আমি নিজেও করিনি। যেহেতু সমস্যা হয়নি। তাই হয়তো কেউ আগ্রহ বোধ করে না।’ তবে তিনি বলেন, সমস্যা হলে কপিরাইট করা থাকলে উপকার পাওয়া যায়। এটা নিয়ে এখনো সেভাবে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তবে কপিরাইট করা উচিত।গীতিকার কবির বকুল কপিরাইট বিষয়ে বললেন, সচেতনতার অভাব। তিনি বলেন, ‘ইউটিউব, রিংটোন ডাউনলোড থেকে শুরু করে যেসব ক্ষেত্রে গান ব্যবহার করা হয়, সেখানে রয়্যালটি নির্ধারণ করা থাকে না। অন্তত আমি পাইনি। এককালীন টাকা দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, একটি গানের প্রথম মালিকানা হলো গীতিকার ও সুরকারের। কিন্তু বাংলাদেশে এখন স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। গান করতে গেলে এখন আগেই চুক্তি করিয়ে নেওয়া হয়। এই গীতিকার বলেন, আইন সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার কারণেই হয়তো গানের ক্ষেত্রে অরাজকতা চলছে।সবচেয়ে বেশি কপিরাইট নিবন্ধন হয় সাহিত্যকর্ম। গত বছর হয়েছে ৩২২টি। লেখক হায়াৎ মামুদ বলেন, কপিরাইট আইন আছে। তবে অনেকেই এর ব্যাপারে তেমন সচেতন না। আরেকজন লেখক জ্যোতি প্রকাশ দত্ত বলেন, কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের ফলে কোনো প্রকাশকের শাস্তি হয়েছে কি না, জানা নেই। নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগটাও ঠিকমতো হতে হবে।কপিরাইট আইন সংশোধনের জন্য একটি খসড়া তৈরি হয়েছে। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর আর চৌধুরী বলেন, এ মাসের মধ্যেই খসড়াটি কেবিনেটে পাঠানো হবে। খসড়ায় তাঁরা টাস্কফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সুপারিশ রেখেছেন।নিবন্ধন কম হওয়ার কারণ হিসেবে এই রেজিস্ট্রার বলেন, সচেতনতা কম। এ ছাড়া প্রচারণার জন্য আলাদা কোনো বাজেটও নেই। যেহেতু এটা ঐচ্ছিক একটি বিষয়, তাই যাঁর স্বত্ব, তাঁর ওপর নির্ভর করে। | 345,553 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ আগস্ট ২০১৫, ০১:৫৯ | ০৫ আগস্ট ২০১৫, ০২:০০ | খবর,রাজনীতি | 0 | খালেদার সঙ্গে কুয়েতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/593917 | বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কুয়েতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলী আহমেদ ইব্রাহিম আল দাফারি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়।বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানায়, সাক্ষাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে বলে খালেদা জিয়া ও বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলী আহমেদ ইব্রাহিম আশা প্রকাশ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা কথা বলেন। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। | 157,649 |
সাউদাম্পটন থেকে প্রতিনিধি | sports | খেলা | ২৩ জুন ২০১৯, ২২:০৯ | ২৫ জুন ২০১৯, ১২:০০ | ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯,বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল,বাংলাদেশ ক্রিকেট,মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন | null | মিথ্যা খবর দিয়ে দলের ক্ষতি না-করার অনুরোধ বাংলাদেশ কোচের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1600780 | কাল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বারবার জানালেন, আজ ফিটনেস পরীক্ষা হবে সাইফউদ্দিনের। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পারলে তাঁর বিকল্পও দেখা হতে পারে বলে গুঞ্জন বেরোল। আজ দুপুরে রোজ বোলে স্টেডিয়ামে এসে যে ছবিটা দেখা গেল, তাতে গুঞ্জনটা গুঞ্জনই মনে হলো।রোজ বেলের পাশেই আরেকটি মাঠের নেটে সাইফউদ্দিন টানা ১৫টা বল করলেন। সেখানে কিছুটা সময় ব্যাটিং অনুশীলনও করলেন। সাইফউদ্দিন অনেকটা সেরে উঠেছেন। তবে কাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা খেলতে পারবেন কি না, সেটি বলার উপায় নেই। দলীয় সূত্রে জানা গেল, এখনো সাইফউদ্দিনের সম্ভাবনা ৫০-৫০। সাইফউদ্দিন অবশ্য ম্যাচটা খেলতে উন্মুখ। তবে ম্যাচের দিন সকালে তিনি কেমন অনুভব করেন, সেটির ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।গত দুদিনে বড় ঝড়ই গেল সাইফউদ্দিনের ওপর। খবর বেরিয়েছে, তিনি নাকি ‘বিগ ম্যাচ ফোবিয়া’ থেকে ইচ্ছে করে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর চোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। এ ধরনের খবরে মানসিকভাবে বড় ধাক্কাই খেয়েছেন বাংলাদেশ দলের তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার। যেভাবে খবরটি ছড়িয়েছে, সেটি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস। আজ সংবাদ সম্মেলনে সাইফউদ্দিনের চোট-প্রসঙ্গে রোডস যা বলেছেন, সেটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো এখানে—‘প্রথমে ওর শারীরিক অবস্থার কথা বলি। তার বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। ওর পিঠের ব্যথাটা ওকে ভোগাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ওর না খেলার এটাই আসল কারণ। সে বল করতে পারেনি। আপনি এমন কোনো বোলারকে দলে নিতে পারবেন না, যে বল করতে পারবে না। ওর মানসিক অবস্থা আমার মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ পত্রিকায় যেসব প্রতিবেদন এসেছে, সেগুলো সত্যি নয়। এমন কথাটা শোনা গেছে যে, সাইফউদ্দিনের বদলি ঠিক করতে আমার সঙ্গে মাশরাফির নাকি একটা বৈঠক হয়েছে, কিন্তু বৈঠকটা আসলে হয়নি। তাই আমার অনুরোধ থাকবে খেলোয়াড়দের সততা নিয়ে প্রশ্ন করার আগে সেটা সত্য কি না, সেই বিষয়টা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে নিতে। কারণ কোনো মিথ্যা খবর প্রকাশিত হলে সেটি সেই খেলোয়াড় কিংবা বাংলাদেশের জন্য ভালো নয়। এখানে বাংলাদেশ থেকে যে সাংবাদিকেরা এসেছেন, দলের সঙ্গে যে কর্মকর্তারা আছেন, সবাই মনেপ্রাণে চান আমরা যেন ভালো করি। কিন্তু এমন কিছু যদি লেখা হয়, যা সত্যি নয়, সেটা দলের ক্ষতি করতে পারে। আমি বিশ্বকাপ জিততে উন্মুখ। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের পাহাড় ডিঙাতে হবে। এর পথচলায় যদি এমন কিছু আসে, সেটা লেখার আগে দয়া করে একটু নিশ্চিত হয়ে নেবেন।’ | 407,056 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:৫০ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:৫১ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,রাজনীতি | null | জিয়ার নকল কবর সরাতে হবে: আ ক ম মোজাম্মেল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1037561 | মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয় সংসদের আঙিনা থেকে জিয়াউর রহমানের নকল কবর সরাতে হবে। সেখানে তাঁর মৃতদেহও নেই বলে দাবি করেন মন্ত্রী। জিয়াউর রহমান হত্যার বিচারও চান তিনি।আজ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন মাঠে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মঞ্চে’ আয়োজিত এক স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।আ ক ম মোজ্জামেল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবর মহান জাতীয় সংসদের আঙিনায় আছে। চারদিক থেকে আজ প্রশ্ন আসছে, সেখানে তাঁর লাশ আদৌ আছে কি না? সেখানে তাঁর লাশ নেই। হত্যাকারীরা তাঁকে হত্যা করে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে পুঁতে রেখেছিল। তারা কাঠের বক্স দিয়ে সেখানে সমাহিত করে আজকে নকল জিয়ার মাজার বানিয়েছে।জিয়াউর রহমানের মৃতদেহের ছবি দেখানোর চ্যালেঞ্জ দিয়ে অনুষ্ঠানে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যদি ছবি দেখাতে না পারেন, তাহলে ডিনএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুন, এটি জিয়াউর রহমানের লাশ। আর না হয় জিয়ার মাজার বলে এত বছর ধরে যে মিথ্যাচার করেছেন, তা ধোঁকাবাজি। তাই এ নকল কবর অবশ্য অবশ্যই সরাতে হবে। ভিন্ন কোনো পথ নেই।’স্বাধীনতাযুদ্ধে জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যুদ্ধ করতে চাননি বলে দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, জিয়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। তিনি ধর্মের নামে রাজনীতি করার জন্য জামায়াতকে নিয়ে এসেছিলেন।অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধার কবরগুলো একই নকশায় করা হবে। বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা হবে।আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন, রেজাউল করিম চৌধুরী, মহিউদ্দিন রাশেদ, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ আলী মিন্টু প্রমুখ।বক্তারা চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। | 272,927 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৩:২১ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৩:২২ | কুড়িগ্রাম,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | অসম্পূর্ণ সৃজনশীল পদ্ধতি বাতিলের দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/48330 | যথাযথ আয়োজন ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর (অনার্স) ডিগ্রি রেগুলেশন অ্যাক্ট-২০১০, অসম্পূর্ণ সৃজনশীল পদ্ধতি বাতিলসহ আট দফা দাবিতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকরিপি পেশ করা হয়েছে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কুড়িগ্রাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার এটি পেশ করা হয়।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে অসম্পূর্ণ সৃজনশীল (গ্রেডিং) পদ্ধতি চালুর পর থেকেই ফল বিপর্যয় ঘটেই চলছে। ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ৪৮ এবং দ্বিতীয় বর্ষে ৪৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন প্রায় অনিশ্চিত। এ কারণে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়বেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পদ্ধতি চালুর শুরুতেই সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যথাযথ আয়োজন ছাড়া অসম্পূর্ণ সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হলে ফল বিপর্যয় ঘটবে। এর দায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সংগঠক গৌতম কুমার জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রায় এক হাজার ৮০০ কলেজের ১২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিশ্চিতকরণে শিক্ষামন্ত্রীকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট উত্থাপিত আট দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। | 17,451 |
লন্ডন প্রতিনিধি | entertainment | বিনোদন | ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৪ | ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৬ | বিনোদন,বিদেশের গান | 0 | আলী জ্যাকোর ‘ওয়ার্কিং ম্যান’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1000749 | কিকবক্সার থেকে পাশ্চাত্য সংগীতে নাম লেখানো আলী জ্যাকো আবারও হাজির হয়েছেন তাঁর নতুন গান নিয়ে। নতুন গান ‘ওয়ার্কিং ম্যান’ মুক্তি পাচ্ছে মঙ্গলবার। এটি জ্যাকোর তৃতীয় একক গান। একই সঙ্গে অবমুক্ত হচ্ছে গানটির অডিও ও ভিডিও।সিলেটের ছাতকে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ নাগরিক আলী জ্যাকো বলেন, ‘আগের দুটি গান থেকে আমার এই গানটি পুরোপুরি আলাদা। বেশ জমজমাট একটা গান। আশা করি গানের কথা, সুর ও ভিডিও চিত্র সবার ভালো লাগবে।’ গানটির ভিডিও চিত্রে বিভিন্ন শ্রম ও পেশাজীবী মানুষকে দেখা যাবে। লন্ডনের বিভিন্ন এলাকায় গানটির ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন জ্যাকো নিজেই, সুর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংগীত পরিচালক দ্য ইয়শম্যান। অনলাইনে ইউটিউব, আইটিউন, অ্যামাজন, স্পোর্টিফাইসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া যাবে গানটি। এটি প্রকাশিত হচ্ছে জ্যাকোর নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিএ মিউজিক থেকে।গত বছরের নভেম্বরে ‘গিভ মাই লাভ আ ব্র্যান্ড নিউ নেম’ দিয়ে আলী জ্যাকো সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। এরপর গত ১৯ জুন বাবা দিবসে মুক্তি পায় তাঁর দ্বিতীয় একক গান ‘ইউ আর দ্য রিজন’। | 256,430 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০২ | ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০২ | বিনোদন | 0 | abc আজকের আয়োজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/413164 | বুদ্ধির বাত্তি জ্বালাওআশীফ এন্তাজ রবি ও রাজীব হাসানের সঙ্গেরাত ১১.২০ থেকে ২.০০হাওয়া বদলকথাবন্ধু শারমীন ওড. মাহবুব পিয়ালের সঙ্গেবেলা ২.০০ বিকেল ৫.০০ | 103,680 |
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মে ২০১৫, ০১:১৯ | ০৮ মে ২০১৫, ০১:২০ | ধুনট,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | সেতু হুমকিতে ফেলে বালু উত্তোলন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/521953 | বগুড়ার ধুনটে নিমগাছি বেড়েরবাড়ি এলাকায় বাঙ্গালী নদীর সেতুর নিচ থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র বসিয়ে বালু তুলছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা। এ কারণে সেতু ও আশপাশের বসতবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে কয়েকবার নিষেধ করলেও তিনি তা মানছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় চার বছর আগে নিমগাছি ও বেড়েরবাড়ির গ্রামের নিকট প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে বাঙ্গালী নদীর ওপর ২৮৬ মিটার দীর্ঘ একটি পাকা সেতু নির্মাণ করে। সেতুর দুই পাশে বেড়েরবাড়ি মৌজার প্রায় ছয় একর সরকারি বালুমহাল রয়েছে। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে প্রতিবছর এ বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন এ বছরও প্রায় সোয়া চার লাখ টাকায় এটি বার্ষিক ইজারা দিয়েছে। বেড়েরবাড়ি গ্রামের রায়হান আলীর নামে বালুমহালটি ইজারা নিয়েছে নিমগাছি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি সদস্য) নবাব আলী ও তাঁর ভাই বাটুল প্রামাণিক।সেতু ধসের আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, সেতু থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিটার দূর থেকে ইজারাদারকে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ওই ইজারাদার প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেতুর ১০০ মিটারের মধ্য থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এ জন্য বর্ষা মৌসুমে স্রোতে নদীর গভীরতা সৃষ্টি হয়ে সেতু ও আশপাশের বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়তে পারে।এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরও ইজারাদার নবাব আলী ও তাঁর লোকজন প্রশাসনের সেই নির্দেশ অমান্য করে সেতুর নিচ থেকে বালু তোলা অব্যাহত রেখেছেন।নিমগাছি গ্রামের আফছার আলী বলেন, ‘সেতু নিচোত লদি (নদী) থাইকা যে হারে বালু তোলা হচ্ছে, সে হারে বালু তুললে বর্ষার সময় সেতু থাকপারলয় (থাকবে না)। সেই হিনি হামাইগরে ও বাড়িঘর থাকপারলয়। হামারা তার জন্নি দরখাস্ত করছি। কিন্তু কোনো কাম হচ্ছে না।’বালু উত্তোলনকারী আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নবাব আলী বলেন, ‘সেতু থেকে ৫০০ মিটার দূরে বালু উত্তোলনের নির্দেশ আছে ঠিক। কিন্তু ৫০০ মিটার দূরে বালু না থাকায় সেতুর নিচ থেকে সামান্য কয়েক দিনের জন্য অল্প কিছু বালু তোলা হয়েছে। প্রশাসন তাতে বাধা দেওয়ায় সেতু থেকে এখন অনেক দূর সরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সামান্য বালু তোলায় সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না।’নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এভাবে বালু তোলার জন্য ইজারাদারকে নিষেধ করেও কোনো কাজ হয়নি। এ কারণে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে।’ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারাদারকে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউএনওসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি।ইউএনও হাফিজুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে বালুমহাল পরিদর্শন করে শ্যালো ইঞ্জিন সেতুর নিচ থেকে সরিয়ে দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল। এর পরও সেতুর নিচ থেকে বালু তোলার অভিযোগ পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 137,387 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১১ আগস্ট ২০১৪, ০১:২৩ | ১১ আগস্ট ২০১৪, ০১:২৪ | বিনোদন,টেলিভিশন | 0 | অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন নোবেল! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/288034 | রানওয়েতে বিমান ছুটছে। পেছন থেকে মোটরসাইকেলে চেপে বিমানের পিছু ধাওয়া করেছেন নোবেল। একপর্যায়ে বিমান ও মোটরসাইকেল খুব কাছাকাছি চলে আসে। দেখা দেয় দুর্ঘটনার আশঙ্কা। বিমানচালকের বুদ্ধিমত্তায় শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান নোবেল।ফেস নাটকের শুটিং করতে গিয়ে ব্যাংককের পাতায়া বিমানবন্দরের রানওয়েতে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন তিনি। নোবেল বলেন, ‘পরিচালকের কাছ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যটি বুঝে নেওয়ার পর আমি কাজ শুরু করি। দৃশ্যটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমি এতটাই মনোযোগী ছিলাম যে কখন বিমানের এত কাছাকাছি চলে এসেছি, তা টেরই পাইনি। ইউনিটের অনেকেই চিৎকার করে আমাকে সতর্কও করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিমানের শব্দ ও চরিত্রে ডুবে থাকায় তাদের চিৎকার আমি শুনতে পাইনি। শুটিং শেষে সবাই যখন আমার কাছে এসে ঘটনার বর্ণনা দিল, তখন বুঝেছি।’ নোবেল এয়ারটেল বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস (করপোরেট সেলস) হিসেবে কাজ করছেন।নোবেল বলেন, ‘ফেস আমার দ্বিতীয় ধারাবাহিক নাটক। প্রথম ধারাবাহিকে কাজ করেছিলাম প্রায় এক যুগ আগে। সাপ্তাহিক ছুটির সময় পরিবারকে বঞ্চিত করে ফেস ধারাবাহিকের কাজ করেছি।’আজ সোমবার থেকে এসএ টিভিতে ফেস ধারাবাহিকটির প্রচার শুরু হচ্ছে। এতে নোবেল একজন মাফিয়া সদস্যের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই নাটকের অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন তানিয়া আহমেদ, শাহেদ, তারিক আনাম খান, আবুল হায়াত, পিয়া বিপাশা। | 84,138 |
মো. তৌহিদ হোসেন | opinion | মতামত | ০৬ মার্চ ২০১৮, ২৩:৪৫ | ০৭ মার্চ ২০১৮, ০৯:০১ | বিতর্ক | null | কোটাব্যবস্থায় সংস্কার জরুরি | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1444991 | সরকারি চাকরিতে, আরও সঠিকভাবে বললে, বেসামরিক প্রশাসনের চাকরিতে একটা কোটাব্যবস্থা বিদ্যমান আছে। বিভাজনটা সবাই জানেন, তবু এখানে উল্লেখ করছি: বিজ্ঞাপিত পদের ৪৫ শতাংশ চাকরি দেওয়া হবে মেধার ভিত্তিতে। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যা এখন তাঁদের সন্তানসন্ততি, নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দকৃত। ১০ শতাংশ নারীর জন্য, ৫ শতাংশ উপজাতীয় কোটা, অবশিষ্ট ১০ শতাংশ জেলা কোটা। প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ কোটা আছে, তবে তা উল্লেখিত কোটাগুলোর কোনো অব্যবহৃত অংশ থেকে দিতে হবে। সমাজে প্রতিবন্ধীদের জীবন যেমন প্রান্তিক, কোটাব্যবস্থায়ও তাদের তেমনি প্রান্তিক অবস্থানে রাখা হয়েছে।কোটাব্যবস্থার পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর কথাবার্তা, মতামত, লেখালেখি হয়ে থাকে। বলা বাহুল্য, পক্ষে কম, অধিকাংশ মতামতই বিপক্ষে। নিদেনপক্ষে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার সংস্কার যে কাম্য, তা প্রায় সবাই স্বীকার করেন মুষ্টিমেয় প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী ছাড়া। কোটাব্যবস্থা তরুণসমাজের যে অংশের জন্য চাকরিপ্রাপ্তিকে অনেক কঠিন করে তুলেছে, তাদের মধ্যে এর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রবল ক্ষোভ। অনেকে বিষয়টিকে খুব সংবেদনশীল বিবেচনা করে চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করেন। আমার মনে হয়, এই বিতর্ক আজ এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন এবং কঠিন হলেও এর সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। মনে রাখতে হবে, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হবে না।কোটাব্যবস্থা আইনসিদ্ধ কি না-এ প্রশ্ন অনেক সময় উত্থাপিত হয়। এ ব্যাপারে আমাদের সংবিধান কী বলে? সংবিধানের ১৯ (১) ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্র প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে। ২৯ (১) ধারায় আবার বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে সব নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এর ব্যত্যয় করার ব্যবস্থাও আমাদের সংবিধানে আছে। সংবিধানের ২৯ (৩) ধারায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার এবং প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে তাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়াকে আইনসম্মত করা হয়েছে। বিদ্যমান কোটাব্যবস্থাকে সংবিধানের এই প্রভিশনের আলোকে বিচার করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে, কোটাব্যবস্থার সুবিধা যাদের আমরা দিচ্ছি, চূড়ান্ত বিচারে তারা অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে কি না।প্রথমেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তুলনামূলক অনগ্রসরতার মাপকাঠি কী হবে। আমার মনে হয়, যেকোনো জনগোষ্ঠীর সংখ্যার তুলনায় চাকরিতে বা লেখাপড়ায় তাদের তুলনামূলক প্রতিনিধিত্ব যদি কম থাকে, তবে তাদের ওই পরিমাণ অনগ্রসর হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কোটার লক্ষ্য যদি হয় অনগ্রসরদের এগিয়ে নিয়ে সামাজিক সমতাবিধান, তাহলে তুলনামূলক প্রতিনিধিত্ব অর্জন না করা পর্যন্ত তাদের ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থা বজায় রাখা আমাদের সংবিধানের আলোকে যথাযথ বলেই মনে হয়।নারী কোটা নিয়েই শুরু করা যাক। আজকাল প্রায়ই দেখি কেউ কেউ বলেন যে নারীরা তো কম মেধাবী নন, আর তা ছাড়া তাঁরা তো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বেশ ভালো করছেন, তাহলে আর এই কোটা রাখার যৌক্তিকতা কোথায়? এ কথা যাঁরা বলেন, তাঁদের সবিনয়ে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে দেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী। নিঃসন্দেহে নারীরা আগের তুলনায় অনেক ভালো করছেন, তাঁদের মেধা নিয়েও সন্দেহ করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ১০ শতাংশ কোটা থাকার পরও তাঁরা কোনো ক্যাডারেই অর্ধেক চাকরি পাননি। কোটা না থাকলে চিত্রটা কী হতো, তা অনুমান করা কঠিন নয়। নারী কোটা থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তর্ক তাই অর্থহীন। যে শুভদিনে আমাদের নারীরা কোটা ছাড়াই অর্ধেক চাকরি পাবেন, সেদিন থেকে নারী কোটা তুলে দেওয়া অবশ্যই যুক্তিযুক্ত হবে।৫ শতাংশ উপজাতি কোটা চালু হয়েছে সম্ভবত ১৯৯৭ সাল থেকে। বাংলাদেশের উপজাতি জনসংখ্যা সার্বিক জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি নয়। বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে নেই, তবে এটা দৃশ্যমান যে অনেক ক্যাডার চাকরিতেই উপজাতীয়দের সংখ্যা এখন ১ শতাংশের বেশি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখে কালক্রমে এই কোটা সর্বোচ্চ ২ শতাংশে সীমিত করা যায়।১০ শতাংশ জেলা কোটা আমার কাছে খানিকটা অদ্ভুতই মনে হয়। যে জেলা থেকে ক্যাডার পদে যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব আছে, তার কোটা থাকার যৌক্তিকতা কী, তা আমার বোধগম্য হয় না। প্রতিনিধিত্বের বিচারে তলানিতে পড়ে আছে যে জেলাগুলো, শুধু সেই জেলাগুলোকে জেলা কোটার আওতায় রাখা প্রয়োজন। সীমিতসংখ্যক এরূপ জেলার ক্ষেত্রে কোটা বজায় রাখলে সমতাসাধনের লক্ষ্য অর্জন অনেকটা সহজ হতে পারে।মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে সরাসরি ভুক্তভোগী ছাড়া সহজে কেউ কিছু বলতে চান না। সংবেদনশীল বিধায় বিষয়টি অনেকেই এড়িয়ে চলেন, পাছে তাঁদের প্রতি কোনোরূপ অসম্মান প্রকাশ পায়। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের চিরদিন পরম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। আমি নিশ্চিত, একজনও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ব্যক্তিগত লাভ বা পদ-পদবির আশায় যুদ্ধে নামেননি। আর তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের নিয়োগের যথার্থতা নিয়ে আলোচনা হলে তাতে তাঁদের অমর্যাদা হয়, আমার তা মনে হয় না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত অমর্যাদা যদি কিছুতে হয়ে থাকে তা হলো বরং গত কয়েক বছরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ কেলেঙ্কারি এবং তার মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা।যুদ্ধোত্তর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকর্তার অভাব ছিল। তড়িঘড়ি করে নামমাত্র পরীক্ষা নিয়ে বেশ একটা বড়সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাকে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (সংখ্যাটি সম্ভবত ১ হাজার ৩১৪ জন, যাঁদের বড় অংশকে পদায়ন করা হয়েছিল প্রশাসন ও পুলিশে)। আমার মনে হয় (আমার এই ধারণা ভুল হওয়াও সম্ভব) শূন্যপদ পূরণ ছাড়াও বিজয়ীর বেশে ফিরে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তত একাংশকে পুরস্কৃত করাও এই নিয়োগের পেছনে বিবেচ্য ছিল। আমলাতন্ত্রের পরিমণ্ডলে অনুগত একটি গ্রুপ সৃষ্টির লক্ষ্য থাকাও অসম্ভব নয়।যত দূর জানি, অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন এরূপ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমবেশি দুই লাখ। প্রকৃত সংখ্যাটা আমি জানি না, আমার জানামতে কেউ জানে না। এর মধ্যে বিরাটসংখ্যক ছিলেন ছাত্র, যাঁরা লেখাপড়ায় ফিরে গেছেন। অনেকে অবস্থাপন্ন ঘরের সন্তান, সরকারি চাকরিতে আগ্রহ ছিল না। অনেকের বয়স ছিল বেশি, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের মতো নয়। তাঁরা যদি সংখ্যায় মোটামুটি অর্ধেক হয়ে থাকেন, তো এরপর বাকি থাকে এক লাখ। সরকারের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা থেকে পিয়ন পর্যন্ত, সেই সঙ্গে পুলিশ আর সেনাবাহিনী মিলিয়ে এই এক লাখ মুক্তিযোদ্ধার সবাইকে পরিকল্পিতভাবে পর্যায়ক্রমে চাকরি দেওয়া সম্ভব ছিল। এটি হতে পারত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সার্বিক পুনর্বাসন প্রকল্প, যা একই সঙ্গে যুদ্ধোত্তর সদ্য স্বাধীন দেশটির সামাজিক স্থিতিশীলতায়ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারত। পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করছেন বা রিকশা চালাচ্ছেন, এমন খবর দেখার দুর্ভাগ্য আমাদের হয়েছে। উল্লিখিত কার্যক্রম নিলে হয়তো আমরা এরূপ অঘটনকে পাশ কাটাতে পারতাম।যাহোক, এই ‘মুক্তিযোদ্ধা ব্যাচ’-এর নিয়োগের পর যখন সিভিল সার্ভিসে নিয়মিত নিয়োগ শুরু হলো, তখন প্রতি ব্যাচে প্রতি ক্যাডারে মোট নিয়োগের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত হলো (মেধায় যে মুক্তিযোদ্ধারা চাকরি পাবেন, এই হিসাব তার বাইরে)। দুঃখজনক সত্য হলো, এই সুবিধা বহাল হলো যেদিন থেকে, সেদিন থেকেই শুরু হলো ভুয়া সনদ জোগাড়ের মাধ্যমে এর অপব্যবহার। অসংখ্যবার যাচাই-বাছাই করেও এর হাত থেকে আজও মুক্তি মেলেনি।এই কোটাব্যবস্থার কারণে পরীক্ষায় ভালো ফল করেও যাঁরা কাঙ্ক্ষিত ক্যাডারে স্থান পেতেন না, তাঁরা এতে ক্ষুব্ধ হতেন। অন্যরা ভাবতেন যে আর তো কটা দিন, মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির দরখাস্ত করার বয়স পার হয়ে গেলে বিষয়টা এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিষয়টা শেষ হলো না।এক সরকারি নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা পোষ্যদের এই বিশেষ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হলো। তাঁদের এবং সেই সঙ্গে সন্দেহজনক অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরাও এখন এই সুবিধা ভোগ করছেন। এর ফলে সমাজে একটি বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণির সৃষ্টি হয়েছে। জন্ম, বর্ণ বা বংশপরিচয় বিবেচনায় কাউকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে সংবিধানের নিষেধাজ্ঞা এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। এর ফলে যে দুর্নীতির একটি নতুন ক্ষেত্রও সৃষ্টি হয়েছে, এ ব্যাপারেও তেমন কোনো দ্বিমত নেই।আমার মনে হয়, সময় হয়েছে কোটাব্যবস্থা নিয়ে একটি যৌক্তিক পরিবর্তিত বিন্যাসে উপনীত হওয়ার পক্ষে খোলামেলা আলোচনা শুরু করার। অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা যদি কমবেশি দুই লাখ হয়ে থাকে, তখন তাঁরা ছিলেন মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। বৈবাহিক সূত্রে সম্ভবত সমসংখ্যক মানুষ তাঁদের পরিবারভুক্ত হয়েছেন। তাহলে সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে শূন্য দশমিক ৬। অর্থাৎ রাষ্ট্র ১ শতাংশের কম মানুষের ছেলেপুলে, নাতি-পুতিদের জন্য চাকরির ৩০ শতাংশ পদ নির্দিষ্ট করে রেখেছে (যে ছেলেপুলে, নাতি-পুতিদের কোনো ব্যক্তিগত অবদান নেই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধার পরিবারে জন্ম নেওয়া ছাড়া)। এরূপ প্রবল বৈষম্যমূলক একটি ব্যবস্থা প্রজাতন্ত্রের মূল চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।খোলামেলা আলোচনার লক্ষ্যে আমি একগুচ্ছ প্রস্তাব রাখছি: ক. চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করা হোক;খ. মেয়েদের কোটা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হোক। এই ব্যবস্থা তত দিন বহাল থাকবে, যত দিন না শুরুর পর্যায়ে তাদের নিয়োগ কমবেশি ৫০ শতাংশে পৌঁছায়;গ. মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বিশেষ সুবিধা হিসেবে বরাদ্দ করা হোক ৫ শতাংশ চাকরি। মেধায় যাঁরা আসবেন, তাঁরা এর বাইরে থাকবেন। নাতি-পুতিদের এই সুবিধা সম্পূর্ণ বাতিল করা হোক।ঘ. জেলা কোটা ১০ শতাংশের স্থলে ৬ শতাংশ বহাল থাকুক, তবে এই সুবিধার আওতায় থাকবে শুধু সেই সব জেলা, চাকরিরতদের মধ্যে যাঁদের প্রতিনিধিত্ব জনসংখ্যার অনুপাতের তুলনায় ৮০ শতাংশের কম।ঙ.৫ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ কোটা বরাদ্দ হোক উপজাতীয়দের জন্য। তাঁদের প্রকৃত সংখ্যার তুলনায় এটা যথেষ্ট;চ. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো প্রকারে প্রতিবন্ধী। তার মধ্যে ২-৪ শতাংশ মানুষ গুরুতর প্রতিবন্ধী। একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে তাদের জন্য ন্যূনতম ২ শতাংশ কোটা নির্দিষ্ট থাকুক, অন্যান্য কোটার অব্যবহৃত অংশ থেকে নয়।আমার এসব প্রস্তাবই যে সর্বোৎকৃষ্ট, এমন দাবি করার ধৃষ্টতা আমার নেই। এ নিয়ে চর্চা হোক, এই আমার প্রত্যাশা। আমি আশাবাদী, এর চেয়ে আরও ভালো সমাধান নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে।মো. তৌহিদ হোসেন: সাবেক পররাষ্ট্রসচিব | 357,041 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৫ নভেম্বর ২০১৫, ২৩:০৭ | ২৫ নভেম্বর ২০১৫, ২৩:১৯ | আইন ও বিচার,বলিউড | null | আমির খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/694267 | মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া বলিউড তারকা আমির খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। কানপুরের স্থানীয় একটি আদালতে আজ বুধবার আমিরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন আইনজীবী মনোজ কুমার দীক্ষিত। দ্য হিন্দু অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়। মনোজ কুমারের অভিযোগ, অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমির খানের মন্তব্য সমাজে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং এতে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর এ মামলার শুনানি হবে। আমির খান সম্প্রতি জানিয়েছেন, ভারতে চলমান অসহিষ্ণুতায় তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন। আমির খান বলেন, সন্তানদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে কিরণ তাঁকে দেশ ছাড়তে বলেছেন। এ প্রসঙ্গে আমির জানিয়েছেন, তিনি ভারতের এই ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি এই বিষয়টি লক্ষ্য করছেন যে এমন ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তিনি জানান, ইদানীং দৈনিক সংবাদপত্র পড়তেও তিনি ভয় পান। আমির খানের বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি সহমত প্রকাশ করেছেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান। আমির খান এ ব্যাপারে পাশে পেয়েছেন আরও অনেককে। আজ ভারতের সমাজবাদী দলের প্রধান মুলায়ম সিং যাদবও আমিরের পাশে দাঁড়িয়েছেন।আরও পড়ুনআমিরকে ভারত ছাড়ার কথা বলেন কিরণ! | 177,394 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০১ | ১৮ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৭ | মহানগর,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ছয় হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা আপত্তি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/195001 | সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ১৭টি নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে ছয় হাজার ১৯৫ কোটি টাকার নিরীক্ষা আপত্তি রয়েছে। এর মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেরই নিরীক্ষা আপত্তি রয়েছে দুই হাজার ১৫৬ কোটি টাকার।বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসব নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ অর্থবছরের ওপর এই ১৭টি নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি বার্ষিক নিরীক্ষা, ছয়টি বিশেষ নিরীক্ষা, দুটি ইস্যুভিত্তিক, একটি পারফরম্যান্স নিরীক্ষা ও দুটি হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন রয়েছে। এতে ২৮৫টি আপত্তি ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে।জানা গেছে, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের ২০১০-১১ অর্থবছরের নিরীক্ষায় সোনালী ব্যাংকের ৬৬৩ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ৭১৩ কোটি এবং জনতা ও রূপালী ব্যাংকের ৭৮০ কোটি টাকার আপত্তি তোলা হয়েছে। | 66,753 |
End of preview. Expand
in Dataset Viewer.
Bangla Newspaper Dataset
400k+ bangla news samples, 25+ categories
Source
Data collected from https://www.prothomalo.com/archive [Copyright owned by the actual source]
Github
Github repository (Bi-LSTM Baseline): https://github.com/zabir-nabil/bangla-news-rnn
Kaggle Version
Kaggle Dataset: https://www.kaggle.com/datasets/furcifer/bangla-newspaper-dataset
Inspiration
The dataset can be used for Bangla text classification and generation experiments.
Citation
BibTex
@misc{bangla_news,
title={Bangla Newspaper Dataset},
url={https://www.kaggle.com/dsv/1576225},
DOI={10.34740/KAGGLE/DSV/1576225},
publisher={Kaggle},
author={Zabir Al Nazi},
year={2020}
}
APA
Zabir Al Nazi. (2020). Bangla Newspaper Dataset [Data set]. Kaggle. https://doi.org/10.34740/KAGGLE/DSV/1576225
DOI
10.34740/kaggle/dsv/1576225
- Downloads last month
- 87