author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
-1 | opinion | মতামত | ০৮ আগস্ট ২০১৬, ০১:১৭ | ০৮ আগস্ট ২০১৬, ০১:১৭ | মতামত,সম্পাদকীয়: | 0 | বিসিএসে সময় ক্ষয় | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/939040 | সরকারি চাকরির প্রতি অনেকেরই আশায় গুড়ে বালি করে দিচ্ছে বিসিএসের মাত্রাতিরিক্ত দীর্ঘসূত্রতা। গত এক যুগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে চাকরিতে যোগদানের গেজেট প্রকাশের মধ্যে সময়ের ব্যবধান গড়ে প্রায় দুই বছরের কিছু কম। এর মধ্যে ৩৪তম বিসিএসের এই প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগেছে তিন বছর চার মাস। বিসিএসের এই সময়জটের কারণে হাজারো তরুণের স্বর্ণ সময় জীবন থেকে হারিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তাই আমরা বলতে চাই, যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়।প্রতিবছর গড়ে প্রায় দুই লাখ তরুণ-তরুণী বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁরা জাতির শিক্ষিত ও মেধাবী অংশ। একে তো শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যার কারণে সাধারণ মানের উচ্চশিক্ষা অর্জন করতেই তাঁদের বয়স হয়ে যায় ২৪-২৫ বছর। অন্যদিকে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বয়সসীমা ৩০ বছর। এ অবস্থায় একটি বিসিএসের জন্যই তাঁদের প্রায় দুই বছর সময় খোয়ানো মানে অমনোনীত পরীক্ষার্থীদের জন্য একাধিকবার বিসিএস দেওয়া ও জীবনের আরও অনেক সুযোগ ক্রমেই কমে আসা। এদিকে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় চার মাস হয়ে গেলেও এখনো ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়নি। প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশের ছয় মাস পেরোলেও ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা এখনো শুরুই হয়নি। এভাবে মূল্যবান সময়ের অপচয়ে কেবল বিসিএসপ্রত্যাশী তরুণেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হন না, অপচয় হয় শিক্ষিত শ্রমশক্তিরও। এ বিষয়ে রোববারের প্রথম আলোর সংবাদে কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। হাতে পরীক্ষার খাতা দেখা, পরীক্ষকদের গাফিলতি এবং কোটার হিসাবনিকাশে ত্রুটিবিচ্যুতি সংশোধন করতে গিয়ে এ বিলম্ব হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এগুলো কি অলঙ্ঘনীয় কোনো সমস্যা? যথাসময়ে পরীক্ষা ও ফল প্রকাশিত হলে একদিকে উত্তীর্ণ তরুণদের যেমন কর্মজীবন শুরু হতে পারে, অন্যদিকে অনুত্তীর্ণ তরুণেরাও পরেরবারের জন্য অথবা অন্য কোনো পরিকল্পনা নিয়ে জীবনে অগ্রসর হতে পারবেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতায় হাজারো তরুণের জীবন ব্যর্থ হতে দেওয়া যায় না। | 247,799 |
তৌহিদা শিরোপা | entertainment | বিনোদন | ০১ জুন ২০১৮, ০৮:০৯ | ০১ জুন ২০১৮, ০৮:১৩ | সংগীত | null | স্যমন্তক সবখানে! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1500471 | ঢাকার মানুষের আতিথেয়তা, আন্তরিকতায় কতটা মুগ্ধ হয়েছেন, তা ঢাকা থেকে ফিরে কলকাতায় গিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন। মাঝে কিছুদিন কেটে গেছে। এত দিনে ভালো লাগার রেশ কেটে যাওয়ারই কথা! তা যে একদমই কমেনি, বরং ঢাকার খাবার, মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার কথা দিয়ে কলকাতার ‘ফার্স্ট ফ্লাশ’ নামের ক্যাফেতে শুরু হলো সংগীতশিল্পী স্যমন্তক সিনহার সঙ্গে আলাপচারিতা।এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছিলেন। গানের বন্ধু সাহানা বাজপেয়ী আসার উপলক্ষ ও স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝরের গানের কাজের জন্য তিনি কলকাতা থেকে ঢাকা চলে আসেন। ঢাকার বেঙ্গল বইয়ে সাহানা বাজপেয়ীর সঙ্গে গানের সন্ধ্যায় স্যমন্তকও তাঁর এ দেশের ভক্তদের নিরাশ করেননি। শ্রোতাদের অনুরোধে দুটি গান গেয়ে শোনান। গান শেষে সাড়া দেখে বোঝা গেছে ঢাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা।বাংলাদেশের প্রতি একধরনের আত্মিক টান আছে স্যমন্তকের। ‘আমি যখন স্কুলে পড়ি, তখন থেকে ব্যান্ডসংগীতের দিকে ঝোঁক। গিটার শিখেছি। বাংলাদেশের শিল্পী জেমসের ভীষণ ভক্ত আমি। সাউন্ডটেক থেকে যে ক্যাসেটগুলো বের হতো, সেগুলো কিনে শুনতাম।’ শুনছিলাম স্যমন্তকের কথা।ছোটবেলা থেকে গানের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। তাঁর বাবা শখে গান গাইতেন। বাবার কণ্ঠে, সুন্দর গায়কিতে বাড়িতে শুনেছেন দেবব্রত বিশ্বাসের রবীন্দ্রসংগীত, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানগুলো। আর ক্লাস এইটে কি নাইনে পড়ার সময় থেকে পাড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বন্ধুরা মিলে গাইতেন। তবে সব সময়ই গান শুনলে কিশোর স্যমন্তকের শরীর-মনে আলোড়িত হতো।কলেজে পড়ার সময় তাঁর এক দাদা বিশ্বসংগীতের সঙ্গে পরিচয় করালেন। জন ডেনভার, বব ডিলান, পিট সিগার, স্করপিয়নস, পিংক ফ্লয়েড, মহীনের ঘোড়াগুলি শুনে স্যমন্তক ভাবলেন, তিনি তো এমন গানই করতে চান। আর সে সময় কলকাতায় ক্যাকটাস, ফসিলস ব্যান্ড নিজেদের মেলে ধরছে। এসব আর বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় কলেজে পড়ার সময় এমটি স্পেসেস নামে একটি ব্যান্ড গড়ে তোলেন। নিজেরা গান তৈরি করতেন। সেই এমটি স্পেসেস অবশ্য এমটি (শূন্য) হয়ে গেছে। স্যমন্তক ছাড়া বাকিরা অন্য পেশায় চলে গেলেন। স্যমন্তক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপন—এগুলোতে গেয়ে চলেছেন তখন। হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করে কিছুদিন চাকরি করেছিলেন। স্যমন্তক অবশ্য বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁকে দিয়ে চাকরি হবে না। সংগীতই তাঁর সব।এরপর ২০০৯ সালের দিকে কলকাতার বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র একদিন স্যমন্তককে তাঁর স্টুডিওতে ডাকেন। ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসায় ঋতুপর্ণ ঘোষের চিত্রনাট্যে, অভিনেতা প্রসেনজিতের প্রযোজনায় দেবজ্যোতি মিশ্রের সংগীতায়োজনে ‘গানের ওপারে’ নামে একটি টিভি ধারাবাহিকে গান গাইতে বলা হলো। যদিও তখন এত কিছু জানতেন না স্যমন্তক। তাঁকে গাইতে বলা হলো, তিনি গাইলেন। গানের ওপারের নায়ক গোরার কণ্ঠে যে রবীন্দ্রসংগীতগুলো শুনতে পেয়েছিল সবাই, সেগুলোর নেপথ্যের কণ্ঠশিল্পী ছিলেন স্যমন্তক। গানের ওপারে তাঁকে নতুনভাবে মানুষের সামনে নিয়ে এল। শুধু তা-ই নয়, তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রসংগীতগুলো এই প্রজন্মের তরুণেরা, বয়োজ্যেষ্ঠরা পছন্দ করলেন। জনপ্রিয়তা স্যমন্তককে আরও দায়িত্বশীল করে দিয়েছিল। গান নিয়ে আরও সিরিয়াস হলেন। ২০১৪ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের চার্লস ওয়ালেস বৃত্তি নিয়ে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও সাউন্ড প্রোডাকশন বিষয়ে পড়াশোনা করতে গেলেন লন্ডনে। কলকাতায় গানবাজনা সাত মাস বন্ধ থাকলেও লন্ডনে নতুন করে বিশ্বসংগীতের সন্ধান পেলেন যেন। সেখানকার অনেক বড় বড় সংগীতজ্ঞের সঙ্গে কাজ করার সুযোগও হলো স্যমন্তকের। লন্ডনে যাওয়ার আগে ও পরের বিষয়টি এমন—আগে নিজের লেখা গান, সুর যেভাবে করতে চাইতেন, অনেক সময় অন্যরা তা বুঝতেন না। এখন যেহেতু নিজেই কাজটি পারেন, ফলে মনের মতো করে গান তৈরি হয়।রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে নিরীক্ষা করলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অনেককে। এ বিষয়ে স্যমন্তকের মন্তব্য কী? বেশ ব্যাখ্যা করে বললেন, যেহেতু কপিরাইটের সমস্যা নেই, তাই নিরীক্ষা করা যেতে পারে। শিল্পীর স্বাধীনতা আছে। মূল সুর, কথা ঠিক রেখে সংগীতায়োজনে কিছুটা নিরীক্ষা করলে কখনো ভালো হবে, কখনো অত ভালো হবে না। সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে নিতে হবে। আর গানের ওপারেতে আমি যেভাবে গান গেয়েছিলাম, সেটি সিরিয়ালের প্রয়োজনে করেছি।‘গানের ওপারে’র কারণে অনেকে মনে করতেন, স্যমন্তক শুধু রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। নিজের মৌলিক গান দিয়ে ১৫-২০টির মতো সিনেমায় প্লেব্যাক করে নিজের শিল্পীসত্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ২০১০ সাল থেকে ‘স্যমন্তক অ্যান্ড মেটস’ নামে নতুন ব্যান্ড তৈরি করেছেন। নতুন সংগীতায়োজনে ‘স্যমন্তক অ্যান্ড মেটস’ পুরোনো দিনের বাংলা গান যেমন, ‘আমি যামিনী তুমি শশী হে’, ‘কী নামে ডেকে বলব তোমাকে’ এবং বেশ কয়েকটি লোকগীতির মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন। জনপ্রিয়তা পেয়েছে গানগুলো। আর স্যমন্তকের লেখা ও সুর করা মৌলিক গান তো আছেই। তাঁর ভাষায়, মূলত মৌলিক গানই আমি করতে চাই। এ ছাড়া বন্ধুদের অনেকের লেখা গান, কবিতায় মিউজিক কম্পোজ করছি, সংগীতায়োজন করছি, গাইছি।নানা ধরনের গান শুনতে, গানের কথা লিখতে বেশি ভালোবাসেন। কবির সুমন, অঞ্জন দত্ত, মৌসুমী ভৌমিক, অর্ণব, রূপম ইসলাম ও সাহানা বাজপেয়ীর গান তাঁর প্রিয়। এখন পর্যন্ত নিজের কোন গান সবচেয়ে প্রিয়? ঝটপট উত্তরে বললেন, পরবাসে। এটা একটু অন্য ধরনের গান। সম্পর্কের অন্ধকার দিকটা কিছুটা আছে, কোথাও আত্মোপলব্ধি খুঁজে পাই…।একটু হেসে বললেন, ‘আমি একটু কষ্টের গান গাইতে পছন্দ করি। যুগে যুগে কষ্টের গানগুলো মানুষের মনে থেকে গেছে।’স্যমন্তক এখন রবীন্দ্রভারতীতে রবীন্দ্রসংগীতের ওপর স্নাতকোত্তর করছেন। আর পুরোদমে চলছে কাজ। ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ নামে একটি সিনেমার মিউজিক করছেন, একই সঙ্গে সাহানা বাজপেয়ীর একটি একক গান, স্যমন্তকের নিজের একক গানের কাজ, বাংলাদেশের এনামুল করিম নির্ঝরের লেখা গান গাইছেন, মিউজিক করছেন। চলছে বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী জয়িতার নিজের লেখা গানের সংগীতায়োজনের কাজও।ব্যক্তি স্যমন্তক রাস্তায় হাঁটতে, চায়ের দোকানে চা খেতে, সাঁতার কাটতে, ঘুরতে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। যদিও সেসব আড্ডায় মিতভাষী স্যমন্তক বেশির ভাগ সময় ভালো শ্রোতা হিসেবে থাকেন। আর বাড়িতে পিমপমের সঙ্গে (স্যমন্তকের পোষা প্রাণী) কাটানো সময়গুলো উপভোগ করেন। মা-বাবার একমাত্র সন্তান স্যমন্তক প্রচুর বই পড়েন, সিনেমা দেখেন। সঙ্গে সব সময় বই থাকে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মিলান কুন্ডেরা রয়েছেন প্রিয় লেখকের তালিকায়।ভক্তদের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন না? ‘আমার ভক্তরা খুব ভালো। আমাকে বিব্রত করে না।’ স্যমন্তকের ভক্তদের জন্য জানিয়ে রাখি, তিনি সহজে বিরক্তও হন না, রেগেও যান না।জানতে চাই, চারজন সদস্যের ‘স্যমন্তক অ্যান্ড মেটস’-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? ‘নতুন নতুন ধরনের গান করতে চাই। তবে এটা ঠিক, কোনো কিছু জীবনে অত পরিকল্পনা করে করিনি। সবকিছুই হুট করে হয়েছে।’এক কাপ চা শেষ হয়ে দ্বিতীয় কাপের চাও শেষের দিকে। আমাদের আলাপচারিতাতেও রাশ টানতে হলো। গানের স্যমন্তক দুই বাংলা ও সারা বিশ্বে গানপ্রিয় মানুষের কাছে আরও যেতে চান। ঢাকাবাসীকে সুযোগ পেলেই গান শোনাতে আসবেন—তাঁর প্রিয় খাবার বিরিয়ানি খেতেও! আর তাঁকে তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইটে গেলে তো নাগালেই পেয়ে যাবেন। সুরের আগুন ছড়িয়ে দিতে স্যমন্তক আছেন সবখানে। | 365,823 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:১৭ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৪৮ | নির্বাচন কমিশন,সিইসি,সরকার,উপজেলা নির্বাচন,উপজেলা পরিষদ নির্বাচন,ইভিএম | null | উপজেলার তফসিল ঘোষণা ৩ ফেব্রুয়ারি, প্রথম ধাপে ভোট ৮ অথবা ৯ মার্চ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1575696 | পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের তফসিল আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার মোট পাঁচ ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ভোট গ্রহণ হতে পারে আগামী ৮ অথবা ৯ মার্চ।আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি আরও জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি কমিশনের বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হবে।ইসির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ হবে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ এবং পঞ্চম ধাপে হবে রমজানের পরে।জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল বিএনপি বর্জন করেছে। উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। এ অবস্থায় ইসি কি একতরফা নির্বাচনের দিকে যাবে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, উপজেলার মেয়াদ মে মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। কে নির্বাচনে এল, আর কে এল না, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচন বিভাগ ওয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। মেয়াদ পরে উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে যেসব উপজেলার নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে না, সেগুলোর নির্বাচন পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।ইসি সচিবালয় থেকে আরও জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য নির্বাচনের বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে শুরুতে এই নির্বাচনে বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তাভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ইসি সেই চিন্তা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ, ইসির জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো হয়নি। সব কটি আসনেরই কম-বেশি কেন্দ্রে ইভিএম বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে ইসি উপজেলা নির্বাচনে শুধু জেলার সদর উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। | 387,763 |
বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ মে ২০১৭, ০১:৩৮ | ৩১ মে ২০১৭, ০১:৪০ | বেড়া,পাবনা,অপরাধ | 0 | বেড়ায় দরপত্র নিয়ে দ্বন্দ্বে আ.লীগ কর্মী নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1199856 | পাবনার বেড়া উপজেলায় দরপত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে এক পক্ষের হামলায় আলীম খাঁ নামে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। গত সোমবার রাতে বেড়া পৌরসভার নতুনপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত আলীম খাঁর (৩৫) বাড়ি পৌরসভার হাতিগাড়া মহল্লায়। আহত মিলন মাহমুদ (৩২) ও দুলাল হোসেনের (৩২) বাড়ি একই এলাকায়। তাঁরা তিনজনই আওয়ামী লীগের কর্মী। এ ঘটনায় আলীমের ভাই শফিকুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার এক ঠিকাদারসহ ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বেড়া উপজেলা পরিষদের বাসাবাড়ি মেরামত ও দেয়াল নির্মাণের জন্য সম্প্রতি দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্রে অংশগ্রহণ নিয়ে পৌরসভার বাসিন্দা ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম ও আলীম খাঁরলোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সোমবার দরপত্রের লটারি হয়। এতে সিরাজগঞ্জের দুই ঠিকাদার নির্বাচিত হন। এর জের ধরে সোমবার দুপুরের দিকে আলীম খাঁর লোকজন শফিকুলকে মারধর করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। রাত সোয়া নয়টার দিকে আলীম তাঁর দুই সঙ্গী মিলন ও দুলালকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। নতুনপাড়া মহল্লায় পৌঁছালে ১৫-২০ জন তাঁদের ওপর হামলা চালায় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত তিনজনকে দ্রুত সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে আলীমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে বাকি দুজনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।বেড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁরা দলীয় সমর্থক এটা ঠিক। তবে ঘটনার সঙ্গে দলীয় বিষয় যুক্ত নয়। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়।’বেড়া মডেল থানার ওসি আবদুল মোতালেব বলেন, ‘শুনেছি, শত্রুতার জেরে এবং দরপত্রকে কেন্দ্র করে হামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।’ | 320,565 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ মার্চ ২০১৬, ০১:১৩ | ০৬ মার্চ ২০১৬, ০১:১৫ | ফেনী,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ছাগলনাইয়ায় হঠাৎ অসুস্থ ১৩ মাদ্রাসাছাত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/790051 | ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের নিজপানুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১১ জন শিক্ষার্থী গতকাল শনিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন।মাদ্রাসা সূত্র জানায়, গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তার হঠাৎ অচেতন হয়ে শ্রেণিকক্ষে পড়ে যায়। এরপর অষ্টম শ্রেণির তাসানুর নাহার, নুসরাত জাহান, আরমা সুলতানা ও রাজিয়া সুলতানা তানজিনা; সপ্তম শ্রেণির জান্নাতুন নাঈমা, সালমা আক্তার, ইসরাত জাহান, সাফিয়া আক্তার ও আসমাউল হুসনা; চতুর্থ শ্রেণির আয়শা আক্তারও অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। মাদ্রাসার শিক্ষকেরা তাদের ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে নুসরাত জাহান, আরমানা সুলতানা ও আয়শা আক্তারকে ফেনী সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।নিজপানুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক মো. ইউনুছ জানান, ক্লাস শুরুর আগে একটি মেয়ে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তাকে দেখতে গিয়ে অন্যরাও একের পর এক অজ্ঞান হয়ে যায়।ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জোনায়েদ মাহমুদ খান বলেন, এটি গণমনস্তাত্ত্বিক রোগ বলে ধারণা করা হচ্ছে। | 208,217 |
নুরুন্নবী চৌধুরী | education | শিক্ষা | ৩০ মার্চ ২০১৪, ০০:১৯ | ৩০ মার্চ ২০১৪, ০১:২২ | মেধাবী,স্বপ্ন নিয়ে | null | মজিলা নিয়ে মালিহা | http://www.prothom-alo.com/education/article/180435 | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি নিয়েই পড়শোনা আর গবেষণায় ব্যস্ত থাকেন—এমন ধারণার ব্যতিক্রমও কিন্তু আছে। এ ব্যতিক্রমের তালিকায় আছেন মালিহা মমতাজ ইসলাম। চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। তাঁর ব্যতিক্রমটা হলো, সিএসইতে পড়াশোনার পাশাপাশি পেইন্টিংও করেন তিনি! আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করাটা মালিহার শখের মধ্যে অন্যতম। নিজের চিন্তাশক্তি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন নানা চিত্র। এর পাশাপাশি মালিহা যে কাজে ইতিমধ্যে বেশ ভালোভাবে জড়িয়ে আছেন সেটি হচ্ছে মজিলা ফায়ারফক্স। জনপ্রিয় ব্রাউজার ফায়ারফক্স নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান মজিলা ফাউন্ডেশনের নানা ধরনের কাজ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও হয়। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী ভিত্তিতে মজিলার স্বেচ্ছাসেবকেরা (মজিলিয়ান) মুক্ত ওয়েবের বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেন সবার মাঝে। আমরা যে বাংলায় ফায়ারফক্স দেখি কিংবা ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্টফোনে বাংলা দেখব, তার কাজও করেন মজিলিয়ানরা।কাজের ধারাবাহিকতায় মালিহা সম্প্রতি মজিলা বাংলাদেশের ১১তম প্রতিনিধি (মজিলা রেপস) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণত যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে মজিলার নানা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, অনুষ্ঠানের আয়োজন, নেতৃত্ব দেন তাঁরাই মজিলা রেপস হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন। চুয়েটে মালিহার হাত ধরেই ফায়ারফক্স ক্লাবের শুরু হয় এবং তিনি ফায়ারফক্স স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ শুরু করেন। এ ক্লাবের প্রধান হিসেবে ক্যাম্পাসে অ্যাপস তৈরি কর্মশালাসহ নানা আয়োজন করে যাচ্ছেন তিনি। মেয়েদের নিয়ে কাজ করার ব্যাপারেও বেশ আগ্রহী তিনি। মজিলার নারীদের নিয়ে রয়েছে উইমেন অ্যান্ড মজিলা (ডব্লিউওএমওজেড) কার্যক্রম। মালিহা বাংলাদেশের এ কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নিজের ক্যাম্পাসের পাশাপাশি চট্টগ্রামের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও নানা আয়োজন করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, ‘ওপেন সোর্সে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আর সেটি করতে নিজের ক্যাম্পাসে জুনিয়র মেয়েদের নিয়েও নানা কাজ করে যাচ্ছি।’এ তো গেল ক্যাম্পাসের আয়োজনের খবর। ডব্লিউওএমওজেড টেক ফেস্ট নামের বিশেষ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন মালিহা। পাশাপাশি নারীদের নিয়ে জাতীয়ভাবে অ্যাপাথন নামের আয়োজন করার ইচ্ছার কথা বললেন তিনি। তাঁর মতে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, আগ্রহ আর ইচ্ছাশক্তি একসঙ্গে হলে দারুণ কিছু করা সম্ভব। ভবিষ্যতে গ্রাফিক্স অ্যানিমেশনকেই পেশা হিসেবে নিতে চান মালিহা। কাজ করে যেতে চান দেশের জন্য। বিশেষ করে নারীদের জন্য। | 62,158 |
ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ অক্টোবর ২০১৭, ১০:২০ | ২৮ অক্টোবর ২০১৭, ১০:২১ | দুর্ঘটনা | 0 | আহত আনসার সদস্যের মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1352976 | আনসারের এক সদস্যকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।মারা যাওয়া আনসার সদস্যের নাম হারুনুর রশিদ (৩০)। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হারুনুর রশিদকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন এক পথচারী। পরীক্ষা শেষে হারুনুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।পথচারীর ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরার রানি মহল সিনেমা হলের কাছের সড়কের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন হারুনুর রশিদ।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, হারুনুর রশিদ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে থাকতে পারেন। ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। | 342,699 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ মে ২০১৫, ০১:১১ | ০৭ মে ২০১৫, ০৪:২২ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | সাঁকোতে কষ্টে পারাপার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/521035 | নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। মানুষ উঠলেই দুলতে থাকে। তার পরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই সাঁকো পািড় দেন হাজারো মানুষ। এই চিত্র বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের। এখানকার ফারির খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় গত তিন বছর ধরে এভাবেই যাতায়াত করছেন তিন গ্রামের মানুষ। এই তিন বছরে সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে একজনের মৃত্যু এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ জানান, ২০১০ সালের দিকে চাক সম্প্রদায়ের লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে বান্দরবান জেলা পরিষদ ফারির খালের ওপর একটি সেতু তৈরি করে। ২০১২ সালের ২৬ জুন প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের পানিতে সেতুটি ধসে পড়ে। এরপর ধসে পড়া সেতুর সঙ্গে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে লোকজন ঝঁুকি নিয়ে চলাচল করছেন। গত ৯ এপ্রিল রাতে সাঁকো পারাপার করতে গিয়ে খালে পড়ে মারা যান স্থানীয় হেডম্যানপাড়ার বাসিন্দা মাং ওয়াই চাক। অন্য সময় সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন নারী-শিশু। তবে খালের ওপর আরেকটি বিকল্প সেতু তৈরির চেষ্টা চলছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, খালের এক পাশে পড়ে আছে ভাঙা সেতুর কিছু অংশ। ভাঙা ওই অংশের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। এর ওপর দিয়ে পার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকোতে একসঙ্গে দু্জনের বেশি উঠলেই দোলনার মতো দুলতে থাকে। এ জন্য এক পাশে লোক উঠলে অপর পাশে অপেক্ষায় থাকতে হয়।নিহত মং ওয়াই চাকের ছেলে অংজারী চাক জানান, সাঁকো দিয়ে দিনের বেলায় যেখানে পারাপার করতে সমস্যা, সেখানে শত শত মানুষকে রাতের অন্ধকারে ঝঁুকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হচ্ছে। বৃষ্টির সময় সাঁকো পারাপারে পা পিছলে অনেকে খালের পানিতে পড়ে আহত হয়।স্থানীয় লোকজন জানায়, সেতুর দক্ষিণ পাশে চাক হেডম্যানপাড়া, উত্তর পাশে মধ্যম চাকপাড়া ও উপর চাকপাড়া। এই তিন গ্রামে চাক সম্প্রদায়ের চার হাজার মানুষের বসতি। গ্রামের পাশে রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন কয়েক হাজার একরের শতাধিক রাবার বাগান। সাঁকোর ওপর দিয়ে দৈনিক কয়েক শ শ্রমিক রাবার বাগানে যাতায়াত করেন। কিন্তু তার পরও সাঁকোটি তৈরির গরজ কেউ অনুভব করছেন না।স্থানীয় বাসিন্দা উ চাহা চাক জানান, গত ২৩ এপ্রিলের বৃষ্টিতে খালের পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁশের সাঁকোর একটি অংশ বিলীন হয়। পরে কোনোমতে সাঁকোটি জোড়া লাগানো হলেও এখনো ভাঙা অংশ নড়বড়ে। তাই বর্ষা শুরুর আগে সাঁকোটি সংস্কার জরুরি। না হলে কয়েক শ শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে মৌজা হেডম্যান মংছানু চাক বলেন, ভাঙা সেতুর পাশে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সম্প্রতি চাক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদ ও পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো সাড়া মেলেনি। | 137,109 |
অনলাইন ডেস্ক | economy | অর্থনীতি | ১১ মার্চ ২০১৪, ১৭:১২ | ১১ মার্চ ২০১৪, ১৭:১২ | বাণিজ্য সংবাদ | 0 | মোবাইল লেনদেনে ‘পে ইম’ আসছে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/166239 | ব্যাংকিং শিল্পে আসছে মোবাইল লেনদেন ব্যবস্থা ‘পে ইম’। চলতি বছরের শেষ দিকে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন এই ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা নিজের মুঠোফোনের মাধ্যমে আরও সহজে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অর্থ আদান-প্রদান ও বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ করতে পারবেন। গতকাল সোমবার এমন তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।পেমেন্টস কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী আদ্রিয়ান কামেলার্ড বলেন, নতুন এই ব্যবস্থা গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা দেবে। এর মাধ্যমে বন্ধুর জন্য সিনেমার টিকিট ও হোটেলের বিল পরিশোধ এমনকি সহকর্মীর জন্মদিনের উপহারও কেনা যাবে। আদ্রিয়ান আরও বলেন, ‘পে ইম হলো মুঠোফোন ব্যবহার করে অর্থ পরিশোধ। এর মানে আপনি সহজে ও নির্ভরযোগ্য উপায়ে মুঠোফোনের কেবল একটি নম্বরের মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদান করবেন। এই সেবায় প্রত্যেক ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে গ্রাহকের মুঠোফোনের লিঙ্ক থাকবে। কয়েক লাখ লোক চলতি বছরই এই সেবার আওতায় আসবেন।’ পরবর্তী সময় এই সেবার বিস্তৃতির চিন্তাভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।এ বছরের মধ্যে ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড, বার্কলেস, কামবারল্যান্ড বিল্ডিং সোসাইটি, এইচএসবিসি, লয়েডস ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বড় ব্যাংক গ্রাহকদের এই সেবা প্রদান করবে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক তাদের ৯০ শতাংশ গ্রাহককে এই সেবা প্রদানে ইচ্ছুক।বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থ পাঠাতে গ্রাহককে প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপসে লগ ইন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পাস কোড লাগবে। এরপর প্রাপকের নাম অথবা মুঠোফোন নম্বর লিখতে হবে। প্রাপকের নাম লেখার পর পাঠানো টাকার পরিমাণ লিখে একটি রেফারেন্স দিয়ে সেন্ড বাটন চাপতে হবে। তখন মোবাইল ফোনে একটি বার্তা পৌঁছে যাবে। তবে নিরাপত্তার জন্য অর্থ লেনদেনে অ্যাপস পাস কোড প্রয়োজন হবে। | 57,372 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ জুলাই ২০১৫, ১৫:০৭ | ১৪ জুলাই ২০১৫, ১৫:৩৪ | সরকার | null | দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল: আসাদুজ্জামান খান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/577987 | সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন বলেই পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, এর ফলে তাঁর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল।আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ নেবেন। প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রীর আমন্ত্রণ পাওয়ায় আসাদুজ্জামানও শপথ নেবেন।আসাদুজ্জামান খান বলেন, তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে নিয়েছেন। তিনি আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে পারবেন। গতকাল সোমবার রাত আটটা ১০ মিনিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাঁকে ফোন করে শপথের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। | 152,682 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ জুন ২০১৬, ০২:১৩ | ০৩ জুন ২০১৬, ০২:১৪ | রাজধানীর চারপাশ,নারায়ণগঞ্জ | 0 | মৃত্যুবার্ষিকীতে কর্মসূচি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/876622 | বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তারাব পৌর যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও তবারক বিতরণ। তারাব পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পৌর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার আলম, কলেজশিক্ষক আলমগীর কবির প্রমুখ। এ সময় বক্তারা খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে রূপগঞ্জ তথা নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া ওরফে দিপুর নেতৃত্বে কাজ করার আহ্বান জানান। | 228,784 |
-1 | sports | খেলা | ২১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩৫ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩৫ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | মরিনহোকে ঈর্ষা করতেন বেনিতেজ! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/718096 | ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি—ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগের ডাগ-আউটে অস্থিরতাটা যেন সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। হঠাৎ করেই শুরু হয়েছে কোচদের পালাবদলের হাওয়া। ইংল্যান্ডে এর মধ্যেই হোসে মরিনহো বিদায় নিয়েছেন। বায়ার্নেও পেপ গার্দিওলার বিদায়টা এখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ রাফায়েল বেনিতেজ কি ঈশান কোণে মেঘ দেখতে পাচ্ছেন? এর মধ্যে ইন্টার মিলানের সাবেক খেলোয়াড় মার্কো মাতেরাজ্জি দাবি করছেন, বেনিতেজ নাকি মরিনহোকে ঈর্ষা করতেন!বেনিতেজ-মরিনহোর মধ্যে সম্ভবত কাকতালীয় একটা যোগ আছে। মরিনহো যখন শিরোপাত্রয়ী জিতে পাঁচ বছর আগে ইন্টার ছাড়লেন, বেনিতেজ তাঁর জায়গা নিলেন। আবার দুই মৌসুম আগে চেলসিতে বেনিতেজের উত্তরসূরি হলেন মরিনহো। ইন্টারে দুজনকেই কাছ থেকে দেখেছেন মাতেরাজ্জি। মরিনহোর প্রশংসায় যতটা পঞ্চমুখ, বেনিতেজের নিন্দায় ততটাই মুখর ইতালির সাবেক ডিফেন্ডার, ‘বেনিতেজ নিজের ছায়াকেও ভয় পেতেন। মরিনহোকে তিনি ঈর্ষা করতেন। আমার সাফল্যের সব ছবি ক্লাবের একটা জায়গায় ঝুলিয়ে রেখেছিলাম। বেনিতেজ সেগুলো সরিয়ে ফেলতে বাধ্য করেন।’ মাতেরাজ্জি এরপর যা বলেছেন, সেটা বেনিতেজের জন্য আরও অপমানকর, ‘২০১০ সালে বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পরেই আমি মরিনহোকে বলেছিলাম, আপনি লোকটা খুব খারাপ। বেনিতেজের অধীনে আমাদের রেখে যাচ্ছেন। সেটার জন্য আমি আপনাকে কখনোই ক্ষমা করব না।’এ মুহূর্তে মরিনহো সম্ভবত ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময়টাই কাটাচ্ছেন। তবে মাতেরাজ্জির স্থির বিশ্বাস, চেলসির মাত্রই সাবেক হয়ে যাওয়া কোচ নিজেকে শিগগিরই ফিরে পাবেন, ‘মৌ (মরিনহো) এখনো বিশ্বের সেরা কোচ। তৃতীয় মৌসুমের অভিশাপ ফালতু কথা। পোর্তোতে তৃতীয় মৌসুমে তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন।’ মার্কা, গোলডটকম। | 185,354 |
-1 | sports | খেলা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:১২ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:১৩ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | ফুটবল নয়... | http://www.prothom-alo.com/sports/article/777796 | টুইটার-ইনস্টাগ্রামে দানি আলভেজকে যাঁরা অনুসরণ করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটা জানেন। বার্সার এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দারুণ ফ্যাশনসচেতন। নিত্যনতুন পোশাক পরে কয়েক দিন পর পর সেলফি পোস্ট না করলে তাঁর চলেই না! আলভেজ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ফুটবল ছাড়ার পর ফ্যাশনজগতেই ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। শুধু পোশাক নয়, সংগীতের প্রতি তাঁর বেশ আগ্রহ আছে। ইউটিউবে গানের বেশ কিছু ভিডিও আছে তাঁর। আর আছে রসনাবিলাস। এই দুটিতেও ফুটবলের পর ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু ফুটবলে থাকতে চান না কেন? আর এখনই বা অবসরের কথা আসছে কেন? আলভেজ অবশ্য প্রথম প্রশ্নের উত্তর দেননি। আর দ্বিতীয় প্রশ্নটা তো উঠবেই, আলভেজের বয়স হয়ে গেছে ৩২, মেঘে মেঘে বেলা তো কম হলো না! ফিফাডটকম। | 204,416 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:১৮ | ২২ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:১৯ | চুয়াডাঙ্গা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | শতবর্ষ উপলক্ষে উৎসব | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/746986 | ‘উৎসের টানে, উৎসব প্রাণে’ স্লোগান নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা বহুমুখী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় শতবর্ষ উদ্যাপন করছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল আটটায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে উৎসবের শুভ সূচনা হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার। এ ছাড়া শেষ দিনে মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ ছাড়া নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | 194,607 |
পঞ্চগড় প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জুন ২০১৬, ১৬:১৮ | ২৫ জুন ২০১৬, ১৬:২২ | পঞ্চগড়,রাজশাহী বিভাগ,সরকার | 0 | নেপালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্বিতীয় দফায় চাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/898798 | ২০১৫ সালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের জনসাধারণের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ সহায়তা হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানোর কার্যক্রম আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে।জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগের সহযোগিতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় এই চাল পাঠানো হচ্ছে। তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে এই চাল ভারতের ফুলবাড়িতে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে নেপালি ট্রাকে করে কাঁকরভিটা সীমান্ত দিয়ে নেপালে পাঠানো হচ্ছে।সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চাল পাঠানো কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. গিয়াসউদ্দিন আহমদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মতিউর রহমান, সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদেক সারোয়ার ও সদর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দ্বিতীয়বারের মতো নেপালে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানোর কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। গত বছর পঞ্চগড় জেলা থেকেই ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানো হয়। ট্রাকে করে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর হয়ে শিলিগুড়ি দিয়ে নেপালের কাঁকরভিটা সীমান্তে নেওয়া হয়। সেখানে নেপাল সরকারের পক্ষে ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করা হয়। এবার পঞ্চগড় থেকে সাড়ে চার হাজার এবং দিনাজপুর থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানো হচ্ছে। আজ পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলা থেকে ২০টি ট্রাকে ৫০০ মেট্রিক টন চাল পাঠানো হয়েছে। প্রতিদিন এ দুই জেলা থেকে ২০টি ট্রাকে ৫০০ মেট্রিক টন করে চাল পাঠানো হবে। এসব চাল বাংলাদেশ সরকারের খরচে নেপাল পাঠানো হচ্ছে।তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের জনসাধারণের জন্য গত বছর ৫ মে প্রথম চালের চালান পাঠানো হয়। | 235,385 |
-1 | opinion | মতামত | ০৪ মার্চ ২০১৮, ১১:৪০ | ০৪ মার্চ ২০১৮, ১১:৪১ | সম্পাদকীয়: | null | হাওরে বাঁধ নির্মাণ | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1443131 | গত বছর প্রবল অকালবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চলে ব্যাপক ফসলহানির ধকল ওই অঞ্চলের কৃষকেরা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এবারও তাঁদের ফসল রক্ষা পাবে কি না, এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ফসল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ এবং সংস্কারকাজের অর্ধেকও শেষ হয়নি। তাই হাওরাঞ্চলের কৃষকদের মনে ফসলহানির শঙ্কা বাড়ছে, বাড়ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ। বড় হাওরগুলোর পারে কৃষকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের লেদারবন্দ হাওরপারে গত বুধবার তেমনই একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সেখানে কৃষকেরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন এবং বাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।হাওরাঞ্চলে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ ১০ ডিসেম্বর শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার বাধ্যতামূলক নিয়ম রয়েছে। এই সময়সীমা ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে, কিন্তু পাউবো কর্তৃপক্ষ বলছে, এর মধ্যে মাত্র ৬৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। অবশ্য বেসরকারি সূত্রগুলো বলছে, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি কাজ হয়নি। কোনো বছরই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয় না বলে সময়সীমা বাড়ানো হয়। শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করা হলে মান ভালো হয় না, অনেক বাঁধের নাজুক অংশ সামান্য পানির তোড়েই ভেঙে যায়। ফলে হাওরে পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হয়।স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাওরের পানি নেমে যেতে দেরি হওয়ায় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতেও দেরি হয়েছে। এটা একটা বাস্তব সমস্যা বটে, কিন্তু এই সমস্যারও অন্তত কিছুটা সমাধানের চেষ্টা করা যায়। অনেক জলকপাট অকেজো হয়ে আছে, সেগুলো মেরামত করে পানি বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু সে রকম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। প্রাকৃতিকভাবে পানি নেমে যাওয়া পর্যন্ত হাত গুটিয়ে বসে থাকার অর্থ দুর্ভাগ্য মেনে নেওয়া, এটা সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।আসলে হাওরে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজে যাঁরা নিয়োজিত, তাঁদের কড়া জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকা উচিত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা না হলে তার যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে, ব্যাখ্যা বাস্তব যুক্তিসম্পন্ন না হলে দায়িত্বশীলদের শাস্তি পেতে হবে। তা ছাড়া, শুধু বাঁধ নির্মাণ করলেই চলবে না, নির্মাণকাজের গুণগত মানও নিশ্চিত করা জরুরি। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী কৃষকেরা অভিযোগ করেন, অনেক বাঁধে নামকাওয়াস্তে মাটি ফেলা হয়, বাঁধটি মজবুত করার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি কাজগুলো করা হয় না। এই সমস্ত কিছুর ওপর যথার্থ তদারকি দরকার। | 356,908 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৭:৩০ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৭:৩১ | রাজনীতি | null | স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মালিক-শ্রমিকপক্ষের বৈঠক চলছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/50358 | পোশাকশিল্পে অসন্তোষ নিয়ে এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষের নেতারা। সেখানে নৌপরিবহনমন্ত্রী ও গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শাজাহান খানও উপস্থিত আছেন।আজ বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শুরু হয়েছে। এর আগে শ্রম মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।কয়েক দিন ধরে বেতন নিয়ে শ্রমিকদের তীব্র আন্দোলনের মুখে এই বৈঠক হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। | 19,209 |
নাইস নূর | entertainment | বিনোদন | ০১ এপ্রিল ২০১৪, ১২:২৪ | ০১ এপ্রিল ২০১৪, ১২:২৭ | আলাপন | 0 | অভিনেত্রী না হলে ব্যবসায়ী হতাম: ঈশানা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/182164 | মডেল ও অভিনয়শিল্পী ঈশানা। বিজ্ঞাপন, নাটক, টেলিফিল্ম ও একাধিক মেগা সিরিয়ালে অভিনয়ের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। একের পর এক চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাবও আসছে তাঁর কাছে। সাম্প্রতিক কাজ এবং ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলছেন ঈশানা।বৈশাখ উপলক্ষে কী কাজ করলেন?পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিটিভির জন্য ‘বিশ বাইশ’ নামে একটি একক নাটকের পাশাপাশি ‘ইনবক্স’, ‘চিলে কোঠার রোদ্দুর’ ও ‘প্রেমের এনকাউন্টার’ নামের তিনটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছি। এগুলোতে আমার সহ-অভিনেতা নাইম, সজল, কল্যাণ ও আনিসুর রহমান মিলন।পয়লা বৈশাখ উদযাপনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা?তেমন কোনো পরিকল্পনা এখনো করিনি। সকালবেলায় আব্বু-আম্মু আর বোনের সঙ্গেই সময় কাটবে আমার। শাড়ি পরতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিকেল হলেই লাল-সাদা শাড়ি পরে ঘুরতে বের হব। এটা নিশ্চিত। কুমিল্লায় দাদু ও নানুবাড়িতে বেড়াতে যাব বলেও ঠিক করেছি।সিরিয়ালের কাজের খবর কী?এ মুহূর্তে তিনটি সিরিয়ালের কাজ হাতে আছে। ‘সখী ভালোবাসা কারে কয়’, ‘শূন্য থেকে শুরু’ এবং আরেকটি কমেডি সিরিয়ালে অভিনয় করছি।কোনো বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করতে চান?সমরেশ মজুমদারের ‘গর্ভধারিণী’ উপন্যাসের জয়িতা চরিত্রের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। কখনো সুযোগ পেলে আমি অবশ্যই চরিত্রটিতে অভিনয় করব।চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন?এখন নাটকের চেয়ে চলচ্চিত্রের কাজের প্রস্তাবই বেশি পাচ্ছি। তবে এখনো আমি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য কোনো পরিকল্পনা করিনি। যদি আমার মনের মতো কোনো গল্প পাই, তাহলে ভেবে দেখতে পারি। আমার পরিবারের সদস্যদের অনুমতি পেলেই কেবল চলচ্চিত্রে অভিনয় করব।নিজের অভিনীত প্রথম নাটক দেখে অনুভূতি কেমন ছিল?আমার অভিনীত প্রথম নাটক ‘ফিরিয়ে দিলাম পৃথিবী’। নাটকটিতে আমার সহ-অভিনেতা ছিলেন সজল। ‘ফিরিয়ে দিলাম পৃথিবী’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। নিজের অভিনীত প্রথম নাটক দেখে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করেছিল, যা বলে বোঝাতে পারব না।অভিনেত্রী না হলে কী হতেন?আমি আসলে কখনো ভাবিনি মডেল বা অভিনেত্রী হব। আমার করপোরেট চাকরি কিংবা ব্যবসা করার ইচ্ছে ছিল। অভিনেত্রী না হলে ব্যবসায়ী হতাম। ইচ্ছেটি এখনো আছে।মডেলিং ও অভিনয়ের বাইরে আর কী করছেন?মডেলিং ও অভিনয়ের বাইরে আমি ভালো নাচ জানি। এখন ছোট পর্দায় বিভিন্ন নাচের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছি।পড়ালেখার খবর কী?একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ছি। | 62,503 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ২৩:১৮ | ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ২৩:৫৪ | -1 | null | অবসরপ্রাপ্ত উপসচিবকে তুলে নিয়ে গেছে র্যাব | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1567308 | একজন অবসরপ্রাপ্ত উপসচিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-২ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম নেয়ামৎউল্লাহ ভূঁইয়া। বুধবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল; তবে তাঁকে আটক বা গ্রেপ্তার দেখায়নি র্যাব।স্বজনেরা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাদাপোশাকে তিন ব্যক্তি নেয়ামৎউল্লাহ ভূঁইয়ার ধানমন্ডির বাসায় যান। তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ নেয়ামৎউল্লাহর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি স্বজনদের জানান, আগন্তুকেরা র্যাব-২ থেকে এসেছেন। কিছুক্ষণ পর তাঁরা নেয়ামৎউল্লাহকে নিয়ে চলে যান। যাওয়ার আগে তাঁরা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়ামৎউল্লাহকে নেওয়া হচ্ছে। তিন-চার ঘণ্টা পর তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। রাত দুইটা নাগাদ আবারও একজন আসেন ও বাসা থেকে তাঁর মুঠোফোন, ল্যাপটপ ও মনিটর নিয়ে চলে যান। তখনো তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, কয়েক ঘণ্টা পর ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু বুধবার রাত নয়টা পর্যন্ত তিনি ফেরেননি।এ বিষয়ে র্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপরাধ সম্পর্কে জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আটক বা গ্রেপ্তার নন। ঠিক কয়টা নাগাদ তাঁকে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাত দুইটার দিকে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে পারছেন না। কারণ, অভিযানটি পরিচালনা করেছে র্যাব-২।কোনো অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব আটক-গ্রেপ্তার বা নিয়ে যাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে ধানমন্ডি থানা কিছু জানে না বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ। নেয়ামৎউল্লাহর ফেসবুকে তাঁর লেখা কিছু ছড়া রয়েছে। স্বরচিত ওই ছড়াগুলো নির্বাচন ও সুশাসন নিয়ে। | 383,885 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৫ মার্চ ২০১৭, ২০:০৩ | ১৫ মার্চ ২০১৭, ২০:১৬ | বলিউড | 0 | যিনি সালমানের সুপারস্টার! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1108849 | বলিউডের তিন খানের ঝোলা ভর্তি ছবি। তারপরেও বলা মুশকিল, কে আসলে এগিয়ে, তাঁদের মধ্যে কে সুপারস্টার। এমনকি নিজেরা বলতে পারেন না সে কথা। সম্প্রতি সালমান বললেন তাঁর ‘সুপারস্টার’-এর নাম। খানদের কেউ তিনি নন। তিনি হলেন খ্যাতিমান অভিনেত্রী শ্রীদেবী।এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উন্মোচন করা হয় শ্রীদেবীর ‘মম’ ছবির পোস্টার। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন সালমান খান। তাঁকে ‘স্টার অব দ্য মিলেনিয়াম’ সম্বোধন করা হলে উপস্থাপক মনিশ পলের কথা কেড়ে নেন সালমান। বলেন, বলিউড দর্শকদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন শ্রীদেবী। উপহার দিয়েছেন বহু ব্যবসাসফল ছবি। শ্রীদেবী সম্পর্কে সালমান বলেন, ‘আমির, শাহরুখ, অক্ষয় কুমার আর আমি অনেক ছবি করেছি। আমির একাই করেছে ৫০টির মতো। তাঁর হাতে অনেক সময়। বছরে মাত্র একটি ছবি করেন তিনি। শাহরুখ একশরও বেশি ছবি করেছে। সব মিলিয়ে আমরা প্রায় আড়াই শ থেকে ২শ ৭৫টি ছবিতে অভিনয় করেছি। অথচ সিনেপাড়ায় আছেন এক কিংবদন্তি, যিনি একাধারে মেধাবী, পরিশ্রমী, নিবেদিতপ্রাণ এবং পেশাদার শিল্পী। ইতিমধ্যে ৩শ ছবি করে ফেলেছেন তিনি। আমাদের কাজের সঙ্গে তাঁর কাজের কোনো তুলনা হয় না। তিনি আর কেউ নন, শ্রীদেবী।’‘মম’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। পরিচালনা করেছেন রবি উদ্ধার। শ্রীদেবী ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী, অক্ষয় খান্না, সুশান্ত সিং, অমৃতা পুরি প্রমুখ। শ্রীদেবীর সন্তানদের চরিত্রে অভিনয় করেছে পাকিস্তানি শিশুশিল্পী আদনান সিদ্দিকী ও সজল আলী। ছবিটি মুক্তি পাবে এ বছরের ১৪ জুলাই মাসে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। | 302,777 |
বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ মে ২০১৭, ০১:৫৩ | ২৪ মে ২০১৭, ০১:৫৩ | -1 | 0 | দুই দপ্তরের ঠেলাঠেলিতে শুরু হয়নি গম কেনা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1190811 | রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামে এখনো গম কেনা শুরু হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে কৃষকেরা উৎপাদিত গম কম দরে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ নিয়ে কৃষকেরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর রংপুরের তারাগঞ্জে শুরু হয়েছে সরকারি গুদামে গম কেনা। গতকাল মঙ্গলবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।বদরগঞ্জে সরকারিভাবে গম ক্রয় শুরু না করার কারণ জানতে চাইলে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরস্পরের ওপর দায় চাপান। কবে নাগাদ ক্রয় অভিযান শুরু হবে, তাও নিশ্চিত করে জানাতে পারছেন না খাদ্য কর্মকর্তা। সারা দেশে গত ১৮ এপ্রিল থেকে ক্রয় অভিযান শুরু হয়। চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। ২৮ টাকা কেজি দরে কৃষকের কাছ থেকে সরকার ওই গম ক্রয় করছে। বদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সরকারিভাবে এবার ৩১৭ টন গম ক্রয় করা হবে। আমরুলবাড়ি গ্রামের গমচাষি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘গম কাটার পর থাকি শোনোচি সরকার ২৮ টাকা কেজি দামে কিনবে। বাচ্চায় (কেনার অপেক্ষায়) থাকতে থাকতে তাক বাজারোত ১৭ টাকা কেজি দামোত বেচেয়া ধানের আবাদোত নাগাইনো। হামার গ্রামোত কোনো কেষকের ঘরোত এ্যালা গম নাই।’ কালুপাড়া ইউনিয়নের মোকরেরপাড়া গ্রামের কৃষক আজাদুল হক বলেন, ‘আমরা ধারদেনা করে গম চাষ করি। জমি থেকে কাটা-মাড়াইয়ের পর তা বিক্রি করে সংসার ও পরবর্তী আবাদে লাগাই। এত দিন সরকার গম কেনে নাই। কৃষকেরা উৎপাদিত গম বাজারে কম দামে বিক্রি করেছেন। সেই গম ব্যবসায়ীরা কিনে মজুত করে রেখেছেন। সরকারি লোকজন এখন কৃষকের কথা বলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত করে ওই গম বেশি দামে গোডাউনে কিনবে। এতে লাভবান হবেন গোডাউনের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা। দুর্ভাগা কৃষকের করার কিছুই থাকবে না।’ আসমতপাড়া গ্রামের কৃষক বরকত উল্ল্যাহ অভিযোগ করেন, ‘কৃষকেরা কখনোই খাদ্য অফিসে ধান-গম বিক্রি করতে পারে নাই, পারবেও না। বিক্রি করতে গেলেই নানান ফ্যাকড়া বের করে গোডাউনের অফিসাররা।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের দুজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ‘এখন কৃষকের ঘরে গম নেই। খাদ্য অফিস চাচ্ছে কৃষি দপ্তর থেকে গমচাষির তালিকা। গত বছর সঠিক তালিকা তৈরি করে খাদ্য অফিসে দেওয়া হয়েছিল। এতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর নাম বাদ যাওয়ায় তাঁরা আমাদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন।’ আরেকজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে গম কিনে মজুত করে রাখছেন ব্যবসায়ীরা। পরে তাঁরা কৃষকের নামে-বেনামে এই গম বেশি দামে খাদ্যগুদামে বিক্রি করবেন রাজনৈতিক নেতা ও গুদামের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে। উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক ও গম ক্রয় কমিটির সদস্যসচিব মকবুল হোসেন বলেন, গমচাষিদের তালিকা দেওয়ার জন্য প্রতিদিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বলা হচ্ছে। তিনি তা না দেওয়ায় ক্রয় অভিযান শুরু করা যাচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান বলেন, ‘৯৫ ভাগ চাষির ঘরে এখন গম নেই। তবু প্রকৃত গমচাষিদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে তালিকা খাদ্য বিভাগে জমা দেওয়া হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃষকেরা একটি ফসল বিক্রি করে টাকা পরের ফসল আবাদে লাগান। এ কারণে তাঁরা উৎপাদিত ফসল ঘরে বেশি দিন মজুত রাখতে পারেন না। শুরুতেই গম ক্রয়ের উদ্যোগ নিলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন। এদিকে শেষপর্যন্ত তারাগঞ্জে গম সংগ্রহের অভিযান উদ্বোধন করা হয়েছে। ৪ মে প্রথম আলোর বিশাল বাংলায় ‘তারাগঞ্জে শুরু হয়নি গম কেনা, কৃষক লোকসানে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর গম কেনা শুরু করা হলো। ইউএনও জিলুফা সুলতানা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এবার ২৮ টাকা কেজি দরে ১২৫ মেট্রিক টন গম কেনা হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি গম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল বাতেন বলেন, একজন কৃষক খাদ্যগুদামে ৫০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত গম দিতে পারবেন। সরকারি মূল্যে গুদামে গম বিক্রি করতে গেলে কৃষককে (কৃষি কার্ডের ভিত্তিতে) সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে গুদামে আসতে হবে। | 319,343 |
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:১৬ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:১৮ | সোনারগাঁ,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/446257 | নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সুখেরটেক গ্রামের ব্যবসায়ী রুহুল জামিল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন এলাকার সর্বস্তরের নারী-পুরুষ। গত শুক্রবার এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সুখেরটেক গ্রামের জনতা বাজারের পাশে সুখেরটেক, ললাটি, বাঘুরী, কুশাবসহ পাঁচ গ্রামের কয়েক শ নারী-পুরুষ দলমত-নির্বিশেষে গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলুল হক, ব্যবসায়ী রুহুল জামিলের মা রওশন বানু, স্ত্রী সালমা নিঝুম, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন, গোলাম কিবরিয়া, ব্যবসায়ী মোতালিব মিয়া, স্কুলশিক্ষক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।গত ২৬ জানুয়ারি রুহুল জামিলকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। | 113,623 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা ও যশোর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ মার্চ ২০১৫, ০০:১৮ | ২৫ মার্চ ২০১৫, ০০:১৯ | বিশাল বাংলা,যশোর,অপরাধ | 0 | দরপত্র জমায় ক্ষমতাসীনের বাধা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/485485 | ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকার দুটি কাজের দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যশোর ও খুলনায় গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।যশোরে বোমা হামলা ও মারধর করে অন্য ঠিকাদারদের দরপত্র জমা দিতে বাধা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের ১০ কোটি টাকার কাজ করাতে এই দরপত্র আহ্বান করা হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এমএম কলেজে দুটি ভবন নির্মাণের জন্য মাস খানেক আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়। গতকাল বেলা ১টা ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। শহরের শিক্ষা ভবনে দরপত্র জমার দেওয়ার বাক্স রাখা হয়।প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে যশোর সদর আসনের সাবেক সাংসদ খালেদুর রহমানের ছেলে হাবিব হাসান এসআরএমএমসি জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দরপত্র জমা দিতে যান। এ সময় রাস্তায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন তাঁকে মারধর করেন। হাবিবের লোকজন পালিয়ে শিক্ষা ভবনে গেলে তাঁদের সেখানেও ধাওয়া করা হয়। এ সময় শিক্ষা ভবনের সামনে, ফায়ার সার্ভিস মোড় ও খালেদুর রহমানের বাড়ির পাশে ১০-১৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।হাবিবের ভাই মাশুক হাসান বলেন, সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন চাকলাদারের লোকজন দরপত্র জমা দিতে বাধা দিয়েছে। তাঁর (মাশুক) ভাইকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে এ রকম তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।এ বিষয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন চাকলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঈন উদ্দীন বলেন, মোট ২৪টি দরপত্র বিক্রি হয়। শেষ সময় পর্যন্ত দুই ধরনের তিনটি করে মোট ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’খুলনা ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পের ১৫ কোটি টাকার কাজের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে যুবলীগ নেতাদের বাধার কারণে অনেক ঠিকাদার তা জমা দিতে পারেননি। প্রকল্পের আওতায় পানির পাম্প, পানির বোতল উৎপাদন ও ভবনের জন্য নকশা তৈরি, যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং ভবন নির্মাণের জন্য গত ১২ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ কাজের জন্য নয়জন ঠিকাদার শিডিউল কেনেন। কিন্তু গতকাল শেষ দিনে দরপত্র জমা দিয়েছে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াসার একটি সূত্র জানায়, অন্য ঠিকাদারেরা যাতে দরপত্র জমা দিতে না পারেন, সে জন্য গতকাল সকাল ১০টা থেকে ওয়াসার প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে যুবলীগ নেতারা অবস্থান নেন। বেলা ১১টার দিকে ঢাকার টেকনোপ্লাস কনসালটেন্সি ও প্যারাগন এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দরপত্র জমা দিতে আসেন। যুবলীগ নেতারা প্যারাগন এন্টারপ্রাইজের ইমতিয়াজ আহমেদকে ধরে আইনজীবী সমিতির ভবনে নিয়ে আটকে রাখেন।টেকনোপ্লাস কনসালটেন্সির ব্যবস্থাপক আলী বাদশা বলেন, ‘দরপত্র জমা দিতে এসে এখন জীবন হাতে নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুবলীগ নেতাদের কাছে অনেক অনুরোধ করে ইমতিয়াজকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।’এ বিষয়ে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ বলেন, দরপত্র জমাদান প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ রাখা হয়েছে। ঠিকাদারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ কেউ করেনি। | 125,971 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০৭ আগস্ট ২০১৩, ০৩:২৩ | ০৭ আগস্ট ২০১৩, ০৩:২৫ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | এভাবে ‘জিতেও’ খুশি কুক | http://www.prothom-alo.com/sports/article/36244 | ২০০৯ সালে ওভালে উড়েছে কনফেত্তি, পুড়েছে বাজি। ২০১১-১২-তে মেলবোর্ন আর সিডনিতে গ্রায়েম সোয়ানের নেতৃত্বে ছিল ‘স্প্রিঙ্কলার’ নাচ। আর এবার? বদ্ধ ঘরে পুরস্কার বিতরণী, পরস্পর পিঠ চাপড়ে দেওয়া, ড্রেসিংরুমে শ্যাম্পেনের ছিপি খোলা—উদ্যাপন বলতে এটুকুই। বড় পর্দায় যখন ফুটে উঠল ‘ইংল্যান্ড রিটেইন দ্য অ্যাশেজ’, দিনের শুরুতে টইটম্বুর গ্যালারিতে তখন গুটিকয় দর্শক। তাঁরাও উদ্যাপনের মতো অবস্থায় নেই, বৃষ্টিতে সিক্ত অপেক্ষার অবসান দলের সাফল্যে সিক্ত হয়ে—এই যা। দ্য টাইমস-এ মাইকেল আথারটন লিখলেন, ‘এমনকি অ্যালিস্টার কুকের মতো নিরস চরিত্রও হয়তো স্রেফ প্রতিপক্ষ আর ম্যাচ অফিশিয়ালদের সঙ্গে হাত মেলানোর চেয়ে নাটকীয় কিছু পছন্দ করতেন।’ শুধু অস্ট্রেলিয়ার স্বপ্ন নয়, বৃষ্টিতে ভেসে গেছে ৫৭ বছর পর ইংল্যান্ডের টানা তিনটি অ্যাশেজ ধরে রাখার উদ্যাপনও। তবে আথারটন যা-ই বলুন, অ্যালিস্টার কুকের কিন্তু কোনো আক্ষেপ নেই! পুরো খেলা হলে অস্ট্রেলিয়ার জয় ঠেকানো মুশকিল হতো, এটা হয়তো কুকের ভেতরের কথা। বাইরের কথা, প্রথম তিন টেস্টে অ্যাশেজ ধরে রাখতে পেরেই উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা উঠতেই বললেন, ‘১৪ দিন আগে যদি আপনি আমাকে বলতেন যে শেষ দিনটা বৃষ্টিতে ভেসে যাবে কিন্তু আপনারা অ্যাশেজ ধরে রাখবেন, আমি সেটা লুফে নিতাম। ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে কাটানোর জন্য সময়টা এখন দারুণ। এখন আমরা চাই সিরিজ জিততে।’ বৃষ্টি না হলে ইংল্যান্ড ড্র করতে পারত কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে না কোনো দিন। তবে উদাহরণ দেখিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বুঝিয়ে দিলেন তাঁদের দিকটা, ‘জানি না, বৃষ্টি ছাড়া আমরা পারতাম কি না। কিন্তু গত বছর দুয়েকে এমন অবস্থায় পড়ে আমরা বেশ কবারই উতরে গেছি দারুণভাবে। নিউজিল্যান্ডে (গত মার্চে) ম্যাট প্রায়র শেষ দিনে অসাধারণ ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করেছে, নাগপুরে (গত ডিসেম্বরে) শেষ ইনিংসে দেড় শ ওভার ব্যাটিং করে আমরা মাত্র তিন উইকেটে (আসলে চার) হারিয়েছিলাম। এমন পরিস্থিতিকে জয় করার অভিজ্ঞতা তাই আমাদের ছিল।’ তা লড়াইয়ের ইতিহাস কুক যতই শোনান, ম্যানচেস্টারের বৃষ্টিকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারেনই না ইংলিশরা। ১৮৮৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটাই ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। সেই থেকেই ওল্ড ট্রাফোর্ডের চিরসঙ্গী বৃষ্টি, ম্যানচেস্টারের আবহাওয়াকে গালমন্দ চলে নিত্যই। এবার সেটিই এসেছে ইংল্যান্ডের জন্য আশীর্বাদ হয়ে। সোয়ান স্বভাবসুলভ রসিকতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য বেছে নিলেন টুইটারকে, ‘ম্যানচেস্টারের বৃষ্টিকে অনেকবার অভিশাপ দিয়েছি। কিন্তু আজ আমি ওকে বাড়ি নিয়ে আমার দাদিমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এবং ওকে বিয়ে করব!’ ম্যাচ শেষের ঘোষণা আসা মাত্রই সোয়ানের মতো টুইটারে উচ্ছ্বাস ফুটে উঠেছে বর্তমান-সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটারদের। প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করা কেভিন পিটারসেনের টুইট, ‘অ্যাশেজ থাকছে...ওয়াও! কী যে এক অনুভূতি...তিন টেস্টেই অ্যাশেজ ধরে রাখা অসাধারণ এক কীর্তি।’ অ্যাশেজ-সাফল্যে ইংলিশ ক্রীড়ার সোনালি সময়ে যোগ হলো নতুন পালক। ২০১২ অলিম্পিকে ইংল্যান্ডের সাফল্য, এবার অ্যান্ডি মারের উইম্বলডন জয়, ক্রিস ফ্রুমের ট্যুর ডি ফ্রান্স জয়, ব্রিটিশ ও আইরিশ লায়ন্সের অস্ট্রেলিয়া বিজয়ের পর কুকদের এই সাফল্য। তবু একটা আক্ষেপের জায়গা মনে করিয়ে দিলেন একসময়কার ক্রিকেটার ও ফুটবল ‘গ্রেট’ গ্যারি লিনেকার, ‘ব্রিটিশ ক্রীড়ার সাম্প্রতিক সাফল্যে আরেকটি সংযোজন অ্যাশেজ। কত সহজেই না আজকাল সাফল্য ধরা দিচ্ছে, তবে পা মাটিতেই রাখার জন্য চিরন্তন সেই ফুটবলের ওপর আমরা অনায়াসেই ভরসা রাখতে পারি!’ ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর বড় কোনো শিরোপা জেতেনি ইংল্যান্ড ফুটবল দল। তবে সেই ভাবনা লিনেকার বা জেরার্ড-রুনি-হজসনদের। কুকদের ভাবনায় এখন সিরিজ জয়। সেটা হতে পারে শুক্রবার শুরু চেস্টার-লি-স্ট্রিট টেস্টেই! এএফপি, রয়টার্স, ওয়েবসাইট। | 7,994 |
জামিল খান, মস্কো থেকে | international | আন্তর্জাতিক | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:০৩ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫০ | ইউরোপ | 0 | রাশিয়াকে নিয়ে ভয় নেই: রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/international/article/1159981 | ভয় না পেয়ে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের কাজ শুরু করা উচিত ব্রাসেলসের। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকর কৌশল তৈরিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও রাশিয়াকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রাশিয়াকে নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই।গতকাল বুধবার মস্কোর রেডিসন রয়্যাল হোটেলের কনগ্রেস পার্কে শুরু হওয়া দুই দিনের ষষ্ঠ মস্কো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগু ওই মন্তব্য করেন।রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের টানাপোড়েনের সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রুশ ফোবিয়া ছড়ানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছে আধুনিক ইউরোপ। ইইউয়ের অবাস্তব ধারণা হলো, রাশিয়া গোটা ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ইউরোপীয় ভূখণ্ডে শান্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে রাশিয়ার আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন সেরগেই শোইগু। দুই পক্ষের জাতীয় নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে নতুন প্রস্তাবে সাড়া দিতে রাশিয়া প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।সেরগেই বলেন, ‘শান্তি ও উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন সব সমস্যাকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে।’রাশিয়া-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে আশার কথাও জানান রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাশিয়াকে নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছুটা হলেও পরিবর্তন ঘটেছে। মস্কোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করা ছাড়া সম্পর্ক উন্নয়নে বিকল্প কোনো পথ নেই। ইইউয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে এ–সংক্রান্ত বিবৃতি আমরা আজকাল প্রায়ই শুনতে পাই।’আধুনিক বিশ্বে জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করে সেরগেই শোইগু আরও বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যতম কাজ হচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠী নির্মূল করা। এর বাস্তব উদাহরণ হলো সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও জাবহাত আন নুসরা (নুসরা ফ্রন্ট) জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযান। সিরিয়া সংকটে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতাকে ইতিবাচক দিক হিসেবে উল্লেখ করলেও রাশিয়া ও ন্যাটো জোটের মধ্যে শীতল সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেরগেই শোইগু। রাশিয়া-ন্যাটো সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পেছনে রাশিয়া দায়ী নয়। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভয়ানক তথ্যযুদ্ধ চালানো হচ্ছে। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে সামরিক বেষ্টনী তৈরি করে ন্যাটো বিপজ্জনক কৌশলগত নকশা তৈরি করছে। উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তব্য দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরোভ, রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাতরুশেভ ও রুশ গোয়েন্দা সংস্থার (এফএসবি) পরিচালক আলেক্সান্দর বোর্তনিকভ।আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের মতবিনিময়ের জন্য ২০১২ সাল থেকে মস্কোয় নিরাপত্তা সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বছর বিশ্বের ৮৩টি দেশের ৭০৮ জন প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নিতে মস্কোয় এসেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্র প্রধানসহ জাতিসংঘ, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, কমনওয়েলথভুক্ত স্বাধীন দেশ এবং সিএসটিও জোটের প্রতিনিধিরা। সম্মেলনে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) আমছা আমিন।সম্মেলনের শেষ দিনে জঙ্গিবাদ ও মধ্যপ্রাচ্যে উগ্রপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, তথ্যপ্রবাহে নিরাপত্তা জোরদার, রকেটবিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ মধ্য এশিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। | 313,907 |
প্রতিনিধি, হ্যানোভার, জার্মানি | international | আন্তর্জাতিক | ২১ মার্চ ২০১৯, ২১:১১ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ১৩:৩৬ | ইউরোপ,জার্মানি,রাজনীতি | 0 | ইইউ নির্বাচন থেকে বাদ পড়লেন ভিক্টর অরবান | http://www.prothom-alo.com/international/article/1584630 | হাঙ্গেরীয় প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তাঁর অতি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতিদান পেয়েছেন। গতকাল বুধবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পিপলস পার্টির জোট (ইপিপি) তাদের বিশেষ সম্মেলনে ভিক্টর অরবানের পার্টির সদস্যপদ স্থগিত করেছে।আগামী ২৩ থেকে ২৬ মে অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের আগে ইইউ পার্লামেন্টের সব থেকে বৃহৎ সংসদীয় জোট ইউরোপীয় পিপলস পার্টি জোট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ভিক্টর অরবানের ফিদেজ দল, পিপলস পার্টি জোটের সঙ্গে ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এখন ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি বেলজিয়ামের হারম্যান ভন রোম্পুর নেতৃত্বে একটি কমিশন ভিক্টর অরবানের ফিদেজ দলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর তদন্ত করবে।হাঙ্গেরী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হলেও বেশ কিছুদিন থেকে ভিক্টর অরবান ও তাঁর ফিদেজ দল ইইউবিরোধী প্রচার চালাচ্ছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি জঁ ক্লঁদ জাঙ্কারের বিরুদ্ধে একটি অপমানজনক পোস্টার হাঙ্গেরীজুড়ে লাগানো হয়েছিল। এর আগে ইইউর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামান্যসংখ্যক শরণার্থী নিতেও অস্বীকার করেছিল ভিক্টর অরবানের সরকার। তখন মুসলিম শরণার্থীদের ‘আগ্রাসী মুসলিম’ বলে সম্বোধন করেছিল অরবানের সরকার।ইউরোপীয় পিপলস পার্টি জোটের ১৯৪ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৯০ জন প্রতিনিধি গতকাল বুধবার ভিক্টর অরবানের ফিদেজ পার্টির সদস্যপদ স্থগিত করার পক্ষে ভোট দেয়। এর আগে ইউরোপীয় পিপলস পার্টির সমন্বয়ক ম্যানফ্রেড ভেবার হাঙ্গেরি সফর করে প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানকে তাঁদের জোটে থাকার বিষয়ে তিনটি শর্তারোপ করেছিলেন। কিন্তু ওই শর্তগুলো পূরণে ব্যর্থ হন ভিক্টর।১৯৭৯ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলোতে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট চালু হয়। প্রতি ৫ বছর অন্তর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ইইউ সদস্যভুক্ত ২৮ দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে বর্তমানে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যসংখ্যা ৭৫১ জন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই মুহূর্তে ২১৭ সদস্যের সব থেকে বড় সংসদীয় দল হলো ইউরোপীয় পিপলস পার্টি। মূলত বিভিন্ন সদস্য দেশের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক দলের সদস্যরা এই দলভুক্ত। ১৮৭ আসন নিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংসদীয় দল হলো ইউরোপীয় সোশ্যাল ডেমোক্রেট দলীয় জোট। | 394,642 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪০ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪২ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | সেই নেপালে কলসিন্দুরের মেয়েরা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/715315 | গত এপ্রিলে নেপালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের ভয়াল স্মৃতিটা এখনই মুছে যাওয়ার নয়। সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গটা তুলতেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী বলল, ‘ভয় যেটুকু ছিল সেটুকুও মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছি। আমাদের মাথায় এখন শুধুই ফাইনাল।’এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলের আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল গত ২৫ এপ্রিল। কিন্তু ওই দিনের ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে ফাইনালটি স্থগিত করে দেয় এএফসি। পুনর্নির্ধারিত ম্যাচটি খেলতে আজ আবার নেপালে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইনালে খেলবে স্বাগতিক নেপালের সঙ্গে।আঠারো সদস্যের বাংলাদেশ দলের ১০ জনই ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের। বাকিদের মধ্যে টাঙ্গাইলের কৃষ্ণা, রুমা, জোছনা, মৌসুমী, রাজশাহীর নার্গিস, সাতক্ষীরার রাজিয়া, রাঙামাটির মনিকা, রংপুরের স্বপ্না। এপ্রিলের পর থেকে অবশ্য এরা সবাই খেলার মধ্যে ছিল। দেশে ফিরে সবাই খেলেছে জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪ ও আন্তস্কুল টুর্নামেন্ট, জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। এরপর এসএ গেমসের ক্যাম্প শুরু হয় নভেম্বরে, সেখানেও ছিল ৯ জন ফুটবলার। এই ফাইনালের জন্য ১ ডিসেম্বর থেকেই হয়েছে আলাদা ক্যাম্প। যাওয়ার আগে সাবিনা, মিরোনাদের নিয়ে গড়া জাতীয় দলকে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে হারিয়েছে এই মেয়েরা! সব মিলিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই নেপাল যাত্রা করছে বাংলাদেশ। শিরোপাতেই চোখ কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের, ‘আমাদের মেয়েরা খেলার মধ্যেই ছিল, তাই আশা করছি নেপালের সঙ্গে ফাইনালেও ভালো খেলব। চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরব।’প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে দারুণ খেলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ভুটানকে হারায় ১৬-০ গোলে, শক্তিশালী ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। এরপর সেমিফাইনালে ইরানকে ২-০ গোলে হারিয়ে ওঠে ফাইনালে।এএফসি এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও নেপালকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ প্রস্তাবে সম্মত হয়নি, মাঠে খেলেই শিরোপা আনতে চায়। কাল সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের মহিলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও এএফসি সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ বললেন, ‘দুই মাস আগে চীনে এএফসির এক সভায় যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে চেয়েছিল ওরা। কিন্তু আমি রাজি হইনি। আমি চাই আমার মেয়েরা খেলেই শিরোপা আনুক।’ | 184,418 |
মো. মাহবুবুর রহমান | education | শিক্ষা | ২৭ জুলাই ২০১৪, ০০:১২ | ২৭ জুলাই ২০১৪, ০০:১৪ | পড়াশোনা | 0 | বাংলা ২য় পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/278116 | বঙ্গানুবাদ প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা ২য় পত্র থেকে বঙ্গানুবাদ দেওয়া হলো। 33.Man cannot live alone. So he likes to keep company. He cannot do without the help of other even for a day. For this reason men have been living together for many days. This is called social life. None can act according to his sweet will in society. বঙ্গানুবাদ: মানুষ একাকী জীবন যাপন করতে পারে না। তাই সে সঙ্গী রাখতে পছন্দ করে। অন্যের সহযোগিতা ছাড়া এক দিনও সে চলতে পারে না। এ কারণেই মানুষ বহুদিন থেকে একত্রে বসবাস করে আসছে। একেই বলে সমাজজীবন। সমাজে কেউ তার খেয়াল-খুশিমতো আচরণ করতে পারে না। 34.No man can live alone. When we are children the family protects us. When we grow up, we need the help of all the people around us. If we try to live alone, our lives are no other than those of animals. Our father and mothers, our teachers, our government, all these train us to do our duty. বঙ্গানুবাদ: কোনো মানুষ একাকী জীবন যাপন করতে পারে না। আমরা যখন শিশু, পরিবার আমাদের রক্ষা করে। আমরা যখন বেড়ে উঠি, আমাদের চারপাশের লোকজনের সাহায্য আমাদের দরকার হয়। যদি আমরা একাকী জীবনযাপনের চেষ্টা করি, তাহলে আমাদের জীবন পশুর জীবনের চেয়ে আলাদা কিছু হবে না। আমাদের পিতা-মাতা, আমাদের শিক্ষকমণ্ডলী, আমাদের সরকার—এরা সবাই আমাদের নিজেদের কর্তব্যকাজ করার জন্য শিক্ষা দেয়। 35.Man is the architect of his own life. If he makes proper division of his time and does his duties accordingly, he is sure to prosper in life. But, if he does otherwise, he is sure to repent when it is too late and he will have to drag a miserable existence from day to day. বঙ্গানুবাদ: মানুষ নিজেই তার জীবনের স্থপতি। সে যদি তার সময়কে সঠিকভাবে ভাগ করে নেয় এবং সেই অনুসারে নিজ কর্তব্য সম্পন্ন করে, তবে সে নিঃসন্দেহে জীবনে উন্নতি করবে। কিন্তু সে যদি অন্যথা করে, তবে তাকে অনুতাপ করতে হবে, যখন তার হাতে আর সময় থাকবে না এবং তাকে একটি দুর্দশাগ্রস্ত অস্তিত্ব দিন দিন বয়ে বেড়াতে হবে। 36.Milk is an ideal food. It is called an ideal food because it contains all the vitamins in it. We get milk from the cow. We have to rear cows if we want to get pure milk. Cows stand incomparable in point of preservation of health. বঙ্গানুবাদ: দুধ একটি আদর্শ খাদ্য। একে আদর্শ খাদ্য বলা হয়, কেননা এতে সব খাদ্যপ্রাণ থাকে। গাভী থেকে আমরা দুধ পাই। যদি আমরা খাঁটি দুধ পেতে চাই, তাহলে আমাদের গাভী লালন-পালন করতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে গাভীর দুধ অতুলনীয়। 37.Most people do not get enough nutrition from what they eat. Many children become blind because they do not get enough nutrition. Diarrhoea is a very common disease. This is because many people usually suffer from diarrhoeas. বঙ্গানুবাদ: অধিকাংশ লোক যা খায়, তা থেকে যথেষ্ট পুষ্টি পায় না। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে বহু শিশু অন্ধ হয়ে যায়। ডায়রিয়া একটি সাধারণ রোগ। কারণ, অনেক লোক সচরাচর এ রোগে ভোগে।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালমো. মাহবুবুর রহমান, সহকারী শিক্ষক | 81,222 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৬, ০৯:৩৮ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৬, ১০:০৮ | রাজধানী,দুর্ঘটনা | 0 | মিরপুরে ২ পোশাকশ্রমিক দগ্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/743407 | রাজধানীর মিরপুরে অ্যাকটিভ ডাইং ফ্যাক্টরি নামের একটি পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে দুজন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।দগ্ধ শ্রমিকেরা হলেন স্বপন (২২) ও আরিফ (২৪)। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বলেন, স্বপনের শরীরের ৯৫ শতাংশ ও আরিফের ৯০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।হাসপাতালের ক্যাম্প পরিদর্শক মোজাম্মেল হক এ ঘটনার কথা জানেন বলে জানিয়েছেন। | 193,316 |
প্রথম আলো ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৩ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০২ | ১৩ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৫১ | জীবনধারা,গবেষণা | 0 | মহাকাশযানের নতুন নকশা | http://www.prothom-alo.com/technology/article/191167 | প্রথমবারের মতো কোনো গ্রহাণুর পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে ২০১৮ সালে একটি মহাকাশযান পাঠানো হবে। উচ্চাভিলাষী ওই অভিযানের জন্য মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) একটি নতুন মহাকাশযানের নকশা অনুমোদন করেছে। বিশেষজ্ঞদের একটি দল ওই যানটি নির্মাণ, উড্ডয়ন ও অবতরণব্যবস্থা এবং যাত্রার জন্য সহায়ক যাবতীয় প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করবে। এ কর্মসূচির নির্বাহী কর্মকর্তা গর্ডন জনস্টন বলেন, নকশা চূড়ান্তকরণের পর কাঙ্ক্ষিত নভোযানটি নির্মাণের কাজ এখন শুরু করা হবে। ওসিরিস-রেক্স নামের নভোযানটি ২০১৬ সালে যাত্রা করে বেনু নামের একটি গ্রহাণুতে পৌঁছাবে ২০১৮ সালে। আর সেখান থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাতে পারবে ২০২৩ সালে। এতে থাকবে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের উপযোগী পাঁচটি যন্ত্রপাতি। পিটিআই। | 65,696 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ১১ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৩২ | ১১ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৩২ | ইউরোপ | 0 | বাবা–মেয়ের দ্বন্দ্ব | http://www.prothom-alo.com/international/article/500185 | ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা জ্যঁ-মারি লো পেন এবং তাঁর মেয়ে ও দলটির বর্তমান প্রধান মারিন লো পেনের মধ্যে পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিরোধ ক্রমে বেশি তিক্ত হচ্ছে। মারিন দল ও নিজের ক্ষতি করছেন বলে অভিযোগ তাঁর বাবা ৮৬ বছর বয়সী লো পেনের। তিনি মেয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর ইহুদি নিধনযজ্ঞ নিয়ে লো পেনের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যকে ঘিরে বাবা-মেয়ের ওই বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়।এএফপি | 130,558 |
আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:১৯ | ২২ মে ২০১৮, ১৭:৩৩ | অপরাধ,মাদক,ইয়াবা,কক্সবাজার,মাদক মানে বিষ | null | ‘বাবা’র ছড়াছড়ি যে শহরে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1405486 | কক্সবাজার শহরের পূর্ব রাখাইনপাড়া। গত শনিবার দুপুরে সেখানে রাস্তার পাশের একটি গলির মুখে আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর মধ্যবয়সী এক নারী পাশে এসে দাঁড়ান। ক্ষীণ স্বরে বলেন, ‘বাবা’ লাগবে? সবুজ গোলাপি লাল সব আছে। ১০০ টাকা লাগবে। নিলে জলদি করতে হবে, বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না জানিয়ে দেন ওই নারী। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি বলেন, এখানে দাঁড়িয়ে কাজ কী, সব জায়গায় তো ‘বাবা’র ছড়াছড়ি।ঝামেলা এড়াতে মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা বড়িকে এখন কক্সবাজার শহরে বাবা নামে বিক্রি করেন। শহরের অন্তত ২২টি স্থানে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ও পুরিয়া (হেরোইনের সঙ্গে নেশা-জাতীয় বড়ি মিশিয়ে তৈরি করা হয়)। এই প্রতিবেদক শনিবার বেলা সোয়া দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত মাদকের জন্য পরিচিত শহরের তিনটি এলাকায় সোয়া তিন ঘণ্টা অবস্থান করেন।পূর্ব রাখাইনপাড়ায় মাদক কেনার প্রস্তাব পাওয়ার পর সেখান থেকে ৩০০ গজ দূরে বাজারঘাটার পৌরসভা মার্কেট-সংলগ্ন রাখাইনপাড়ায় যান এই প্রতিবেদক। রাস্তায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর এক ব্যক্তি পাশে দাঁড়িয়ে জানতে চান কারও জন্য অপেক্ষা করছি কি না। তিনি বলেন, স্থানীয় দুজন মাদক ব্যবসায়ী আপনার (প্রতিবেদক) পরিচয় জানেন। কেউ মাদক কেনার জন্য প্রস্তাব নিয়ে আসবে না। তিনি বলেন, এই গলিতে সব সময় ইয়াবা বিক্রি চলে। এখানে রাস্তার পাশের কয়েকটি টং দোকানে (চায়ের দোকান) গাঁজা-হেরোইনও বিক্রি হয়। ইয়াবায় আসক্ত ওই তরুণদের অনেকে শহরের অলিগলিতে চুরি-ছিনতাইয়েও জড়িত।রাখাইনপাড়ায় ঘণ্টাখানেক কাটিয়ে বিকেল চারটার দিকে হেঁটে ৩০০ গজ দূরে বড়বাজারের একটি গলির মুখে গিয়েই এক ব্যক্তিকে ঘিরে তিন-চারজন যুবকের জটলা দেখা গেল। পরে দেখা গেল ঘটনাটি মাদক বেচাকেনার নয়। চারজনই একসঙ্গে চলে গেল। ধরা পড়ার ভয়ে সাধারণত মাদকের ক্রেতা-বিক্রেতা একসঙ্গে যান না। সেখানে বসা এমন একজন পরিচিত যুবককে খুঁজে বের করে তাঁর কাছে মাদক বিক্রেতাদের তথ্য জানতে চাইলাম। ওই যুবক দেখিয়ে দিলেন লুঙ্গি ও শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে। পরে জানা গেল তাঁর নাম আবদুল জব্বার। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ম্যানেজ (ব্যবস্থা) করেই এসব চলে।’শহরে মাদক বিক্রির জন্য পরিচিত তিনটি এলাকা ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, অপরিচিত মুখ (পর্যটক), ১৬-১৭ বছরের কিশোর থেকে শুরু করে ৩৫-৩৭ বছরের তরুণদের কাছেই মূলত ইয়াবা ও পুরিয়া বিক্রি করা হয়। বিক্রেতারা বলেন, অপরিচিত কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট গলিতে এলে তিনি মাদকসেবী কি না, তা সহজেই ধরতে পারেন তাঁরা। এলাকায় ওই ব্যক্তির অবস্থান ও আচরণ বুঝেই মাদক কেনার প্রস্তাব দেন তাঁরা। বেশির ভাগ সময়েই তাঁদের (মাদক বিক্রেতা) ধারণা ঠিক হয়। নিয়মিত মাদক না নিলেও কক্সবাজারে বেড়াতে এসে শখ করে বা কৌতূহলবশত অনেকে ইয়াবা কিনতে আসেন। তাঁদের কাছ থেকে দাম বেশি রাখা হয়।প্রথম আলোর অনুসন্ধান, কক্সবাজার জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শহরের বাজারঘাটা, পূর্ব রাখাইনপাড়া, পশ্চিম রাখাইনপাড়া, বৈদ্যঘোনার মোড়, পাহাড়তলী, ইসলামপুর খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কলাতলীর মোড়, সুগন্ধা পয়েন্ট, ঝাউবাগান, হোটেল গেস্টহাউস এলাকা, হলিডের মোড়, বাহারছড়া মোড়, ঝাউতলা, কবরস্থান সড়ক, সমিতি বাজার, রুমালিয়াছড়া, গোলদীঘিরপাড়, লালদীঘিরপাড়, হাসপাতাল সড়ক, টেকপাড়া, বার্মিজ মার্কেট এলাকাসহ ২২টি স্থানে মাদকের বেচাকেনা চলে। দুই শতাধিক ব্যক্তি এসব এলাকায় খুচরা পর্যায়ে মাদক বিক্রি করেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন নারী।রাখাইনপাড়ায় মাদক বিক্রির রীতিমতো হাট বসে বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ কিছু ক্রেতাকে ধরলেও মূল হোতারা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মেয়রের দাবি, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বড়বাজারের পূর্ব ও পশ্চিম রাখাইনপাড়া, টেকপাড়ার হিন্দুপাড়া ও হাঙ্গরপাড়ায় ইয়াবা বেচাকেনা বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু কিছু হয়নি।এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক মাঈন উদ্দিন বলেন, শহরের কয়েকটি এলাকা থেকে মাদকের আখড়া উচ্ছেদ করেছেন তাঁরা। মাদকের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযান চলবে।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৮২ হাজার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই ইয়াবায় আসক্ত।শহরের বাইপাস সড়কের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র নোঙর-এর নির্বাহী পরিচালক দিদারুল আলম রাশেদ বলেন, গত ১০ বছরে ইয়াবায় আসক্ত প্রায় ৫ হাজার ব্যক্তি তাঁদের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। তাঁদের অনেকে এখন স্বাভাবিক জীবন কাটচ্ছেন। তাঁদের নিরাময় কেন্দ্রে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন ইয়াবায় আসক্ত ৫০ ব্যক্তি।কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে নৌপথে এবং উখিয়া থেকে স্থল ও নৌপথে অবৈধভাবে প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান ঢুকছে এই তথ্য এখন আর অস্বীকার করেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। গত শুক্রবার মাত্র ২০ ঘণ্টার মধ্যেই টেকনাফ ও কক্সবাজারে র্যাব এবং বিজিবির পৃথক অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা। কক্সবাজার হয়েই ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। | 350,971 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ জুন ২০১৫, ০১:১৫ | ০২ জুন ২০১৫, ০১:১৭ | -1 | 0 | মৃত্যুবার্ষিকী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/543463 | জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মাহবুবুল আলম তারার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২ জুন। এ উপলক্ষে তাঁর গ্রামের বাড়ি ফেনীর মাহবুবুল হক উচ্চবিদ্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে এক নাগরিক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। দুটি অনুষ্ঠানেই তাঁর আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত থাকতে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি। | 144,122 |
টিপু সুলতান ও প্রশান্ত কর্মকার, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩৫ | ২১ আগস্ট ২০১৮, ১২:৫০ | ২১ আগস্ট হামলা,অপরাধ | 0 | ৪১ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1554497 | বিচার শেষ পর্যায়ে। সেপ্টেম্বরে রায় হতে পারে।এখন চলছে সর্বশেষ আসামি বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।১৪ বছর আগে এই দিনে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। ওই ঘটনায় করা দুই মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ৪১ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে।রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা মনে করছেন, আগামী মাসে মামলার রায় হতে পারে। এখন সর্বশেষ আসামি লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে।ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিশেষ এজলাসে সপ্তাহে তিন দিন করে মামলার কার্যক্রম চলছে। মামলায় মোট সাক্ষী করা হয় ৪৯১ জনকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ২২৫ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে। আসামিপক্ষে হাজির করা হয় ১২ জন সাক্ষী। এই মামলায় তারেক রহমান ও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলছে।এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে। এখন আসামি বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ এক বা দুই দিন আইনগত জবাব দেবে। রাষ্ট্রপক্ষ যেদিন শেষ করবে, আইন অনুযায়ী ওই দিনই আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করবেন। রেজাউর রহমান বলেন, ‘বাবরের বাকি যুক্তিতর্ক যদি চার থেকে সাত কার্যদিবসে শেষ হয়, তাহলে সেপ্টেম্বরে রায় হবে বলে আশা করছি।’এর আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে তারেক, বাবর, পিন্টুসহ ৪১ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মানুষ হত্যা, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, পরিকল্পনা ও সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকি আটজনের বিরুদ্ধে আনা হয় কর্তব্যকাজে অবহেলা, আলামত নষ্ট, তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা এবং আসামিকে দেশত্যাগের সহযোগিতা করার অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন সাবেক আইজিপিসহ পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তা ও তিনজন তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সিআইডির সাবেক কর্মকর্তা। এই আটজনের পাঁচ থেকে সাত বছর কারাদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে ২২ জন নিহত হন। আহত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শতাধিক ব্যক্তি।বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বাস্তবে এই ঘটনার কোনো তদন্ত হয়নি বা তদন্ত করতে চায়নি। উল্টো তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে নানা চেষ্টা করা হয়। আদালতে সাজানো জবানবন্দি আদায় করে ‘জজ মিয়ার গল্প’ হাজির করা হয়েছিল। ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে এই ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু করে। সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল কবীর ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি ২০০৮ সালের জুনে বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তাঁর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন এবং নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে বলা হয়, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড এসেছিল পাকিস্তান থেকে। গ্রেনেড সরবরাহকারী হিসেবে তাজউদ্দিনের নাম আসে।অবশ্য এই হামলার পরের বছর ২০০৫ সালের ১ অক্টোবর হুজির অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানকে ঢাকার বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর বিভিন্ন মামলায় ১২০ দিন রিমান্ডে ছিল হান্নান। তখন টিএফআই (টাস্ক ফোর্স ফর ইন্টারোগেশন) সেলে মুফতি হান্নান যে জবানবন্দী দেন তাতে অন্যান্য হামলার পাশাপাশি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনাও বিস্তারিত বলেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন সরকার ২১ আগস্টের হামলা ছাড়া বাকি ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক আদায় করে। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২১ আগস্ট হামলার বিষয়ে মুফতি হান্নান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।সম্পূরক অভিযোগপত্রতত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই মামলার বিচার শুরু হয়। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষ মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করে। আদালতের অনুমোদনের পর সিআইডির কর্মকর্তা আবদুল কাহ্হার আকন্দ অধিকতর তদন্ত করে ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। তাতে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের নেতা মুজাহিদসহ ৩০ জনকে নতুন করে আসামি করা হয়। এ নিয়ে হত্যা মামলায় মোট আসামি হয় ৫২ জন এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ৪১ জন।এর মধ্যে আসামি মুফতি হান্নান ও তাঁর সহযোগী শরীফ শাহেদুল ইসলাম এবং জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। ফলে এখন হত্যা মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯। আর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আসামি ৩৮ জন।তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগসম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয় আদালতে গ্রেনেড হামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় দফা দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে। তাতে বলা হয়, ২০০৪ সালের প্রথম দিকে বনানীর হাওয়া ভবনে গিয়ে তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে পরিচিত হন। তখন মুফতি হান্নান শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যাসহ বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা চান। তারেক রহমান উপস্থিত সবার সামনে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এরপর ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে মুফতি হান্নান ও তাঁর সহযোগীরা জানতে পারেন যে সিলেটে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকার মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সমাবেশ করবে। তখন তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, সেখানে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর আক্রমণ করবেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মুফতি হান্নান আগস্টের মাঝামাঝি একদিন হরকাতুল জিহাদের নেতা মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা তাজউদ্দিনসহ আল মারকাজুল ইসলামের একটি মাইক্রোবাসে করে হাওয়া ভবনে যান। তাঁরা সেখানে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামী নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, এনএসআইয়ের (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা) তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার আবদুর রহিম, ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (পরে মেজর জেনারেল) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হামলা করে হত্যা করার সহযোগিতা চান। তারেক রহমান সবার সামনে মুফতি হান্নান ও তাঁর সহযোগীদের সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।পলাতক ১৮, কারাগারে ২৩ জনএই মামলায় তারেকসহ ১৮ জন আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। পলাতক বাকি চারজনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির অভিযোগ নেই, তাই তাঁদের জন্য রাষ্ট্রের মাধ্যমে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই। এই চারজন হলেন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন উদ্দিন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান খান। এই মামলায় বাবর, পিন্টুসহ ২৩ জন আসামি কারাগারে আছেন। পুলিশের সাবেক ছয়জন কর্মকর্তা এবং খালেদা জিয়ার ভাগনে সাইফুল ইসলাম ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান জামিনে আছেন। | 374,359 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০২ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০২ | খবরাখবর,বিজ্ঞান-প্রযুক্তি | 0 | উইকি এডুকেশন ফাউন্ডেশনের প্রথম নির্বাহী পরিচালক | http://www.prothom-alo.com/technology/article/149650 | উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘উইকিপিডিয়া এডুকেশন ফাউন্ডেশনের (ডব্লিউইএফ)’ প্রথম নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ফ্রাঙ্ক সুলেনবার্গ। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ছিলেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন তিনি। সম্পূর্ণ অলাভজনক সংস্থা হিসেবে ২০১১ সাল থেকে কাজ শুরু করে ডব্লিউইএফ। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার শিক্ষার্থীদের জন্য শুরু হয় ডব্লিউইএফ কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনার অংশ হিসেবে উইকিপিডিয়াতে অবদান রাখতে পারে, সেটিই এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। দায়িত্ব পেয়ে ফ্রাঙ্ক সুলেনবার্গ জানান, ‘আরো ভালোভাবে কাজ করার জন্য আমরা শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার উদ্যোগ নেব। যাতে করে এর মাধ্যমে উইকিপিডিয়ার পাঠকেরা আরও উন্নত এবং মানসম্পন্ন তথ্য পেতে পারেন। —উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনর ওয়েবসাইট | 52,421 |
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা | entertainment | বিনোদন | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০৫ | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০৮ | টেলিভিশন | null | চ্যানেলের হাতে নেই টিভি নাটক | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1590217 | টিভি চ্যানেল নয়, আসছে ঈদের বেশির ভাগ নাটক ও টেলিছবি নির্মিত হচ্ছে বিজ্ঞাপন এজেন্সির তত্ত্বাবধানে। এরই মধ্যে বেশির ভাগ টেলিভিশন চ্যানেলের চাংক কিনে নিয়েছে এজেন্সিগুলো। কদিন আগে বেশ কয়েকজন টেলিভিশন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য। সামনে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। খেলাপ্রেমী বেশির ভাগ টেলিভিশন দর্শকের নজর থাকবে সেদিকেই। এই সময়েই চলবে ঈদের অনুষ্ঠানমালাও। এ কারণে বেশির ভাগ টেলিভিশন চ্যানেল ব্যবসায়িক ঝুঁকির মধ্যে যেতে চাইছে না। ব্যবসায়িক দিক চিন্তা করে চ্যানেলগুলো এজেন্সির হাতেই দিচ্ছে ঈদের অনুষ্ঠানের বেশির ভাগ দায়িত্ব।এই দিক থেকে এগিয়ে আছে প্রথম সারির বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি। চ্যানেলটির অনুষ্ঠানপ্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ বলেন, ‘আমাদের বাংলা ছবি এবং টেলিছবির চাংক ফাঁকা রয়েছে। বাকিগুলো এজেন্সির কাছে দিয়েছি।’এনটিভির চাংক কিনে নিয়েছে বঙ্গ বিডি। তাদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে এনটিভির ঈদ ধারাবাহিক ও একক নাটকগুলো। তবে মোস্তফা কামাল সৈয়দ বলেন, ‘এজেন্সি মূলত অর্থের অংশটুকু দেখভাল করবে। নাটকের গল্প, অভিনয়শিল্পী, পরিচালকসহ সবকিছুই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করবে।’ এ সম্পর্কে বঙ্গ বিডির পরিচালক মুশফিক রহমান বলেন, ‘এবারই আমাদের প্রথম চাংক কেনার অভিজ্ঞতা। তাই পুরো ব্যাপারটি এখন পরিকল্পনাধীন। এক সপ্তাহের মধ্যেই সবকিছু চূড়ান্ত হবে। এ ছাড়া নাগরিক টিভির একটি চাংক লভ্যাংশ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে নিয়েছি।’এজেন্সি ও টেলিভিশন চ্যানেল মিলে নাটক-টেলিছবি নির্মাণের কথা থাকলেও বেশির ভাগ সময় উল্টোটাই ঘটে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক টেলিভিশন কর্মকর্তা এমনটাই বলেছেন। তিনি বলেন, অনেক সময় নিজেদের পছন্দমতো নাটক বানিয়ে একদম শেষ মুহূর্তে চ্যানেলের কাছে জমা দেন। এর ফলে প্রিভিউ বা সংশোধনের সুযোগ থাকে না। তাই এজেন্সি যে রকম দেয়, সেভাবেই প্রচার করতে হয়।এ প্রসঙ্গে নাগরিক টিভির অনুষ্ঠানপ্রধান কামরুজ্জামান বাবু বলেন, ঈদ সামনে রেখে এজেন্সিগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। এজেন্সিকে দায়িত্ব দিলে নিশ্চিত হওয়া যায়। তারা মূলত নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট চাংক কিনে নেয়। তারপর এজেন্সি একটা ব্র্যান্ডিং হিসেবে স্পনসর প্রতিষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে নাটক প্রচার করে। এতে উভয় পক্ষই লাভবান হয়।তবে অনেক চ্যানেল এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত হলেও এটিএন বাংলা ঈদের অনুষ্ঠান প্রচার করছে ভিন্ন প্রক্রিয়ায়। তারা টেলিছবি ও নাটক প্রচার করবে ‘শেয়ারিং’ পদ্ধতিতে। এটিএন বাংলার উপদেষ্টা (অনুষ্ঠান) নওয়াজীশ আলী খান জানান, তাঁরা মূলত চুক্তি করছেন পরিচালকদের সঙ্গে। যাঁরা অনেক দিন ধরে এটিএন বাংলার সঙ্গে কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গেই চূড়ান্ত করেছেন বেশির ভাগ নাটক। তিনি জানান, নাটকের ‘টাইটেল’ ও ‘পাওয়ারড বাই’ ক্যাটাগরি ছাড়া নাটকের ফাঁকে প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলো অর্ধেক-অর্ধেক শেয়ার করেন সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও এটিএন বাংলা। এতে টেলিছবির ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচারিত হবে ১৫-১৮ মিনিট এবং নাটকের মধ্যে ১০-১২ মিনিট। তাঁরা কোনো এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত হবেন কি না—এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনই চূড়ান্ত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আলোচনা চলছে।জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে অনেক টিভি ব্যবসায়িক ঝুঁকিতে যেতে চাইছে না। তবে চ্যানেলের কর্মকর্তারা চাইছেন এজেন্সি দায়িত্ব নিলেও দর্শকদের কথা মাথায় রেখে সেরা অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে। তবে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ঈদ অবধি। | 399,175 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ২০:১৯ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ২০:২২ | বলিউড | 0 | যৌন হেনস্তাকারীর আত্মহত্যার চেষ্টা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1561912 | কাওয়ান এন্টারটেইনমেন্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘সেলিব্রিটি ম্যানেজার’ অনির্বাণ দাস ব্লার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে যৌন হেনস্তার কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কোনো প্রতিবাদ করেননি, এমনকি কোনো বিবৃতিও দেননি। এবার জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুম্বাইর নভি এলাকার পুরোনো ভাসি ব্রিজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু বাধা টপকানোর সময় সেখানে দ্রুত পুলিশ এসে তাঁকে ধরে ফেলে। এর ফলে আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাঁর। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের কাছে অনির্বাণ দাস ব্লা খুবই ক্ষমতাধর একজন ব্যক্তির নাম। কাওয়ান এন্টারটেইনমেন্ট এখন হৃতিক রোশন, রনবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন, সোনম কাপুর, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, প্রিতম, মহেশ বাবু, রানা দাগ্গুবতিসহ আরও অনেক জনপ্রিয় সেলিব্রিটির মার্কেটিং ও তাঁদের ব্যবস্থাপনার কাজ করছে। আর এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন অনির্বাণ দাস ব্লা। তিনি এই সেলিব্রিটিদের ম্যানেজার।‘#মি টু’ আন্দোলনে যখন অনেক নারী তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা আর কঠিন দিনগুলোর কথা তুলে ধরছেন, তখন এই অনির্বাণ দাস ব্লার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার কয়েকটি অভিযোগ এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেহেতু সেলিব্রিটিদের পাশাপাশি তাঁকেও সবাই ‘সেলিব্রিটি ম্যানেজার’ হিসেবেই গুরুত্ব দেন, তাই এই সুযোগকে নাকি তিনি কাজে লাগিয়ে অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। অনেক মেয়েকেই চলচ্চিত্রে সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন করেছেন। তাঁর মধ্য থেকে কয়েকজন এখন মুখ খুলেছেন।কাওয়ান এন্টারটেইনমেন্ট থেকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে, নিরাপদ কর্মপরিবেশের জন্য কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই অনির্বাণ দাস ব্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে কাওয়ান এন্টারটেইনমেন্ট থেকে পদত্যাগ করার জন্য বলেন প্রতিষ্ঠানটির অন্য অংশীদারেরা। এমনকি যে সেলিব্রিটিদের ব্যবস্থাপনার কাজ তিনি দেখাশোনা করছিলেন, তাঁরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অনেকেই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অথবা বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ শোনা যাবে, যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের সঙ্গে কেউ কাজ করবেন না।মাত্র অল্প দিনের মধ্যে সম্মানহানি, চাকরি হারানো, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে অপদস্থ হওয়া—সবকিছু মিলিয়ে অনির্বাণ দাস ব্লা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে তিনি আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথকে বেছে নেন। | 379,970 |
রোজিনা ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ জুন ২০১৬, ০২:৪৬ | ১৪ জুন ২০১৬, ১১:০৬ | আইন ও বিচার | null | পালানোর আশঙ্কা করেছিল পুলিশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/887650 | নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি তারেক সাঈদ বিধিবহির্ভূতভাবে হাসপাতালে রয়েছেন। চিকিৎসার প্রয়োজন না থাকলেও তাঁকে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। সেখানে স্ত্রীসহ স্বজনেরা অবাধে যাতায়াত করছেন। এ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে তাঁর পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের এমন চিঠি পাওয়ার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।তারেক সাঈদ সরকারের একজন মন্ত্রীর জামাতা। তাঁকে এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কবে তাঁকে আবার বিএসএমএমইউতে নেওয়া হবে জানতে চাইলে কারা উপমহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিনক্ষণ এখন বলতে পারব না। তবে অসুস্থ হলেই নেওয়া হবে।’ তিনি কেন ঢাকা মেডিকেলে ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অসুস্থ ছিলেন, তাই আমরা পাঠিয়েছিলাম।’স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক সাঈদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শ্রেণিপ্রাপ্ত এই হাজতি ঢাকা মেডিকেলের পুরোনো ভবনের তৃতীয় তলায় ৪৩ নম্বর কেবিনে থাকা অবস্থায় সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তিনি তাঁকে পাহারা দিতেন। একদিন রাত সাড়ে সাতটায় আসামির স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রিফাত চৌধুরী একটি টিফিন বাটি ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ওই আসামির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেখা করা যাবে না জানালে রিফাত চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাঁর চাকরি শেষ করে দেবেন বলে হুমকি দেন।এসআইয়ের জিডির পর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ঘটনা তদন্ত করতে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে গোপনে ও প্রকাশ্যে আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তে তিনি জিডির অভিযোগের সত্যতা পান বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।ওসি আবু বকর গতকাল তাঁর দপ্তরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দিয়েছি। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষকে তারেক সাঈদের পলাতক হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছি।’ তিনি বলেন, পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী আসামির কোনো ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে পাঠানোর বিষয়ে চিঠি দিয়েছে।র্যা বের এই সাবেক কর্মকর্তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল এ বছরের ৩ জানুয়ারি। তখন প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, হাসপাতালে তারেক সাঈদকে দেখাশোনা করছেন তাঁরই এক ভাই। তিনি নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক। কেবিন ব্লকে নার্সরা যে কক্ষে থাকেন, সেখানে কোন কেবিন কার তত্ত্বাবধানে রোগী আছে, তার একটি তালিকা টাঙানো আছে। তবে তারেক যে ৪৩ নম্বর কেবিনে, সেই কেবিনের কোনো তথ্য ছিল না। তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র উপপরিচালক খাজা আবদুল গফুর বলেছিলেন, ‘যেসব রোগী গুরুতর অসুস্থ, তাঁদের আমরা কেবিনে রাখি না।’হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুকে ব্যথার অভিযোগ নিয়ে গত জানুয়ারিতে তারেক সাঈদ ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর তিনি বলেন, তাঁর পিঠে ব্যথা। এরপর তাঁকে ওই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ নেসার আলম গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ১০-১৫ দিন আগে তারেক সাঈদকে ঢাকা মেডিকেল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৩০ এপ্রিল ছয়জনের ও ১ মে অপর একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে এই হত্যার সঙ্গে র্যা ব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ ও আরও কয়েকজন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। ওই ঘটনার পর তিনি গ্রেপ্তার হন এবং সেনাবাহিনী থেকে চাকরি চলে যায়। এই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি তারেক সাঈদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা। | 232,000 |
জাহাঙ্গীর আলম, যশোর থেকে | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:১০ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:১৩ | যশোর,খুলনা বিভাগ,রাজনীতি | 0 | আ.লীগের প্রার্থী নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/703186 | যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় নেতা খুনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আছে সুশান্ত দাসের। তিনি ওই পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।অভয়নগরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা ওলিয়ার রহমান হত্যায় সরাসরি অংশ নেন আলামিন ফারাজী ওরফে সুমন। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আদালতে দেওয়া তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুশান্ত কুমার দাসের নাম এই হত্যায় উঠে আসে। স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর সকালে উপজেলা পরিষদের কাছে হত্যা করা হয় মোল্যা ওলিয়ার রহমানকে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুশান্ত দাস বলেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র। এটা মিথ্যা। আমি অপরাধী কি না, তা প্রশাসন বলতে পারবে। এ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত সন্দেহে ১০ থেকে ১২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের একজন বলেছেন, হত্যার পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে তিনজনের কথা হতো। জবানবন্দিতে যে এটা বলেছে, সে শেখ আবদুল ওহাবের (অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি) আত্মীয়।’এদিকে নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের ডাকা বৈঠকে জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও স্থানীয় সাংসদ রণজিৎ কুমার রায় ছাড়া অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নওয়াপাড়া পৌরসভায় ফারুক হোসেনকে সমর্থন দেওয়া হয়। | 180,505 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ মার্চ ২০১৫, ১৮:১১ | ২৩ মার্চ ২০১৫, ১৯:১৬ | অপরাধ,চট্টগ্রাম বিভাগ | null | বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ ‘জেএমবির কমান্ডার’ গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/484429 | চট্টগ্রামে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ এরশাদ হোসেন (২০) ওরফে শুভ ওরফে জয় ওরফে বিজয় নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) চট্টগ্রাম জেলার কমান্ডার। আজ সোমবার ভোরে নগরের আকবর শাহ থানার নিউ মনসুরাবাদ বাগানবাড়ি আবাসিক এলাকার এনআর গেটের একটি বাসা থেকে এরশাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি দিনাজপুরের বিরল থানার বালান্দর গ্রামের সরকারপাড়ায়। এরশাদও নিজেকে জেমএবির চট্টগ্রাম জেলার কমান্ডার দাবি করে আজ দুপুরে থানায় সাংবাদিকদের বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার নিয়ে ‘ইসলামিক ল অ্যান্ড ফোর্স হিন্দুস্থান’ নামের ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের জন্য তিনি কাজ করছেন। তাঁদের সঙ্গে হরকাতুল জিহাদ (হুজি), হিযবুত তাহরীর ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের যোগাযোগ রয়েছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কাছে তাঁরা গোপনে দাওয়াতি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশই তাঁদের টার্গেট। এদের প্রতিরোধে তাঁরা সামরিক শক্তি সঞ্চয় করছেন। এরশাদ তাঁর নেতা হিসেবে মো. ফারদিন নামের এক যুবকের নাম বললেও বর্তমান জেএমবির নেতৃত্ব ও ইসলামিক ল অ্যান্ড ফোর্স হিন্দুস্থান গঠনের নেতৃত্বে কে বা কারা রয়েছেন, তা জানাননি। ২০১১ সালে দিনাজপুরের বালান্দর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন জানিয়ে এরশাদ হোসেন সাংবাদিকদের আরও জানান, বগুড়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রংপুরে জেএমবির হয়ে কাজ করার পর ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে আসেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার জানান, এরশাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। তাঁর সহযোগীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, এরশাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করে আগামীকাল মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে। প্রতি মামলায় ১০দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। | 125,236 |
রবার্ট ফিস্ক | opinion | মতামত | ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:২৭ | ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৩৫ | আন্তর্জাতিক | 0 | কুর্দিরা আবারও প্রতারিত হবে | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1413831 | কর্নেল টমাস ভিয়েলকে এক অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করতে হয়েছে। সিরিয়াকে জাতিভিত্তিক দল-উপদলে বিভক্ত করার যে প্রচেষ্টা পশ্চিমারা হাতে নিয়েছে, তা ঘোষণা দেওয়ার দায় তাঁর ওপরই বর্তেছে। এই ব্যক্তি ক্যানসাস বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন মিলিটারি একাডেমির স্নাতক। এই ঘোষণার মর্ম তিনি বুঝুন আর না বুঝুন, তিনি বেশ খোলামেলাভাবে আরেকটি নতুন ও প্রধানত কুর্দি বাহিনীর জন্মের কথা বলেছেন, যারা কাগজে-কলমে সিরিয়ার শত শত বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে আছে। ৩০ হাজার সেনা নিয়ে গঠিত শক্তিশালী ‘বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স’ ইউফ্রেটিস নদীর দক্ষিণ পারের তল্লাশিচৌকি পাহারা দেবে। উল্লিখিত কর্নেলের কথা উদ্ধৃত করে বলতে হয়, ‘এমনভাবে এই বাহিনী গঠন করা হয়েছে যাতে এটি জনগণের সব অংশের প্রতিনিধিত্ব করে, লৈঙ্গিক ও জাতিগত-উভয় দিক থেকেই।’ অর্থাৎ কুর্দি সেনারা কুর্দি জনগণের নিরাপত্তা দেবে। অন্যদিকে তুরস্ক সীমান্তের পাশে আরব সেনারা অ-কুর্দি জনগণকে পাহারা দেবে। কিন্তু এর মাধ্যমে গৃহযুদ্ধকে আরও উসকে দেওয়া হবে।যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত যে কতটা দ্ব্যর্থবোধক, সেটা বোঝা যায় সিরিয়ার সরকার ও তুরস্কের মধ্যে তারা যে ক্ষণস্থায়ী ঐকমত্য গঠন করিয়েছিল, তা দিয়ে। সিরিয়ার সরকার একদিকে দেশটির প্রতি ইঞ্চি ভূমি আইএস, আল-কায়েদা এবং বিভিন্ন পশ্চিমা ও ইউরোপীয় বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করতে মরিয়া ছিল, যেখানে তুরস্ক সেই একই সময়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করতে চাইছিল। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই নতুন মার্কিন প্রক্সি ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’কে গলাটিপে শেষ করার অঙ্গীকার করেছেন। তুরস্ক মনে করে, এই নতুন বাহিনী ‘সন্ত্রাসী’ কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকের নিয়ন্ত্রণাধীন। আসাদ সরকার এই নতুন বাহিনীকে সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ আখ্যা দিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া দেশভাগের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।তবে তুরস্ক ও সিরিয়া উভয়ই ঠিক। আর রাশিয়ার তো ইউক্রেন ভাগ করার অভিজ্ঞতা আছে। সে কারণে তারা জানে, কীভাবে মার্কিনদের শঠতা ধরতে হয়। এর সূত্রপাত যুদ্ধের শুরুর দিকে। ওই সময় স্থানীয় কুর্দিদের ‘পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট’কে (ওয়াইপিজি) দামেস্কের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আইএস, আল-কায়েদা (পরবর্তীকালে নুসরা) ও অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে উৎসাহিত করেছে, যারা সিরিয়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। সিরিয়ার সেনাবাহিনী এই ওয়াইপিজিকে আত্মরক্ষার জন্য শত শত অস্ত্র দিয়েছে। এমনকি যুদ্ধের শুরুর দিকে আইএস ও আল-কায়েদা ‘সন্ত্রাসীদের’ প্রতিহত করার জন্য কুর্দিদের প্রশংসাও করেছে।এই কেবল তিন বছরের কিছু সময় আগের কথা, তুরস্কের কামিশলি সীমান্তে আমি এক সপ্তাহ সিরীয় বাহিনী ও তাদের কুর্দি ‘মিত্রদের’ সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। কুর্দিরা বরাবরের মতো উত্তরাঞ্চলে ‘ফেডারেল’ মধ্যাঞ্চল গঠনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে জানায়, সিরিয়া সরকারের হাতে তারা যেভাবে নির্যাতিত হয়েছে, সেটা তারা কখনো ভুলবে না। সিরিয়ার সেনাবাহিনী জোর দিয়ে বলেছে, তারা কখনো কুর্দিদের জন্য ‘জায়গা ছেড়ে’ দেবে না। কিন্তু এরপরই যুক্তরাষ্ট্র আইএসকে ধ্বংস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। একে একে তারা ইরাকের মসুল এবং সিরিয়ার ভেতরে আইএসের ঘাঁটি রাকায় হামলা চালাল।এরপর ওয়াশিংটন প্রথমবারের মতো আসাদ ও আইএসবিরোধী জঙ্গি দল ‘সিরিয়ান ডিফেন্স ফোর্স’ গঠন করে। অন্য সব গোষ্ঠীর মতো এরা জাতিগতভাবে ‘সিরীয়’ ছিল না। কারণ, এতে কুর্দিরাই বেশি ছিল। আবার সিরিয়া রাষ্ট্রকে ‘রক্ষা’ করার ইচ্ছাও এদের ছিল না। আর মার্কিনদের ‘বিমান’-সহায়তা ছাড়া তাদের ভিন্ন ‘শক্তি’ ছিল না। কিছুদিনের মধ্যেই দলটির আদ্যক্ষরা ‘এসডিএফ’ প্রণীত হলো। আর গণমাধ্যমও দ্রুত এর পাশে উদ্ধৃতি চিহ্ন দেওয়া বন্ধ করে দিল। এর মাধ্যমে তারা গোষ্ঠীটিকে মেকি ‘আইনি ভিত্তি’ দিল। এরপর দ্রুতই এর নাম হলো ‘মার্কিন-সমর্থিত এসডিএফ’। তারা সাহসের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধ চালিয়ে শেষমেশ গত অক্টোবরে রাকা দখল করল।কিন্তু সিরিয়ার সরকার রাকার মাত্র ১২ মাইল দূরে ছিল। তারা তত দিনে ইউফ্রেটিস নদীতীরবর্তী একটি কাদার দেয়ালঘেরা গ্রামে সমন্বয় কেন্দ্র তৈরি করে ফেলেছে, যেখানে সিরিয়ার সেনাবাহিনী, মার্কিন অস্ত্রে সজ্জিত কুর্দি যোদ্ধা ও রুশ বিমানবাহিনীর কর্নেলরা নিয়মিত সমবেত হতেন। রাকা পুনর্দখলের কয়েক দিন আগে আমার সঙ্গে তাদের সবার দেখা হয়েছে। সিরিয়ার সরকার তত দিনে রাকার পশ্চিমে আসাদপন্থী স্থানীয় সরকার বসিয়েছে। অন্য কথায়, মার্কিন অস্ত্রে সজ্জিত কুর্দিরা রাকার রাস্তা দখল করে রাখলেও সিরিয়া সেখানে তার সার্বভৌমত্ব বজায় রাখবে।এই অঞ্চলে অবশ্য অন্য জাতিগোষ্ঠীরও বসবাস আছে। সেখানে যেমন সুন্নি মুসলমান আছে, তেমনি আছে সিরকাসিয়ান খ্রিষ্টান, আর্মেনিয়ান, তুর্কমেন ও এমনকি চেচেনরা। সে কারণেই উল্লিখিত কর্নেল অঙ্গীকার করেছেন, ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে জাতিভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। ফলে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে, সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের দিন ফুরিয়ে এসেছে। তারা তো মার্কিনদের সহায়ক সেনা হিসেবে কাজ করেছে, তাই তাদের আরেকটি দ্ব্যর্থবোধক নাম ধারণ করে আবার আবির্ভূত হতে হবে। এবারও গণমাধ্যমে উদ্ধৃতি চিহ্ন ছাড়াই তাদের আদ্যক্ষরা প্রকাশ করবে। যারা তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের বেশ দূরে সিরিয়ার কিছু ভূমি দখলে রাখবে, যারা তুরস্কের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করতে পারবে না। এরা পুরোনো নাম এসডিএফের মতো শক্তির জন্য মার্কিন অস্ত্রের ওপর নির্ভর করবে। প্রয়োজনবোধে মার্কিনরা তাদের বিমান-সহায়তাও দেবে।এটা নিশ্চিত, কুর্দিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। নতুন ‘শক্তি’ তত দিনই টিকবে, যত দিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করবে, তাকে টিকিয়ে রাখার দরকার আছে। এরপর তাদের তুরস্ক ও সিরিয়ার দয়ার ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে, যারা আবার উভয়ে তাকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে। এরদোয়ান ও আসাদ বহুদিন ধরে রাষ্ট্রের শত্রুকে ‘সন্ত্রাসী’ মনে করেন। ব্যাপারটা হলো, সিরিয়া তার ভূখণ্ডে ছোটখাটো কুর্দি রাষ্ট্র সহ্য করতে পারবে না। তুরস্ক দক্ষিণ সীমান্তে এরূপ রাষ্ট্র সহ্য করতে পারবে না, তা সে নিজেকে যত ধর্মনিরপেক্ষ, উদার ও সমাজতন্ত্রী দাবি করুক না কেন।এখন এই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স যদি দাঁড়িয়ে যায় এবং এক মার্কিনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী থেকে আরেক গোষ্ঠীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে, তাহলে এরদোয়ান, আসাদ ও পুতিনকে আবারও সমস্বার্থে আলোচনায় বসতে হবে। আর সেটা হলো, সিরিয়ায় মার্কিন রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার অবসান ঘটানো।অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, দ্য ইনডিপেনডেন্ট থেকে নেওয়া।রবার্ট ফিস্ক: দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি। | 352,231 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ২০ নভেম্বর ২০১৫, ০০:১৪ | ২০ নভেম্বর ২০১৫, ০২:১৪ | খবর,প্রতিষ্ঠানের খবর | 0 | ফেনীর মহিপালে মেঘনা ব্যাংকের ২০তম শাখার উদ্বোধন | http://www.prothom-alo.com/economy/article/688816 | সম্প্রতি ফেনীর মহিপালে মেঘনা ব্যাংক লিমিটেডের ২০তম শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আলীম খান। আরও উপস্থিত ছিলেন অডিট কমিটির চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন, পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর আলম এবং ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি। | 176,096 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৩ আগস্ট ২০১৩, ২০:০০ | ০৩ আগস্ট ২০১৩, ২০:০৪ | যুক্তরাষ্ট্র | null | হরতাল সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ ওষ্ঠাগত | http://www.prothom-alo.com/international/article/34222 | ঘন ঘন দেশব্যাপী হরতাল আহ্বানকে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি বলে মন্তব্য করেছে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’। নিউজ করপোরেশনের মালিকানাধীন পত্রিকাটির আজ শনিবারের সংস্করণে বলা হয়, গত এপ্রিলে পোশাক কারখানা ধসের ঘটনায় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া বাংলাদেশের সামনে লাগাতার হরতাল ডাকার সংস্কৃতি নতুন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।‘কালচার অব মাস স্ট্রাইক্স সাফোকেটস বাংলাদেশেজ ইকোনমি’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, হরতাল নিয়ে অনেক দিন ধরে ধুঁকছে বাংলাদেশ। ভারতকে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধী সেই যে হরতাল ডাকা শুরু করেছিলেন, তার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে হরতাল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে পালিত হচ্ছে। শ্রমিক ও জনস্বার্থবিরোধী মতাদর্শের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ‘রাজনৈতিক দাবিদাওয়া আদায়ে বা সরকারকে লজ্জায় ফেলতে বাংলাদেশের যেকোনো দল চাইলেই হরতাল ডাকতে পারে।’ ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ বলছে, এ বছর বাংলাদেশ রানা প্লাজা ধস, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দেশটির তৈরি পোশাক খাত সুনাম ফিরিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। আর যুদ্ধাপরাধের বিচারে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দলটি ইতিমধ্যে কয়েক দফা হরতাল ডেকেছে।আসছে জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তাই সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের হরতালের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ১৭ দিন এবং শুধু ২০১২ সালে ২৯ দিন হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ থাকে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ কমে যায় এবং সহিংসতা এড়াতে অনেক মানুষ ঘরে বসে থাকে। এ বছর হরতাল-সংশ্লিষ্ট জটিলতায় কমপক্ষে ৮০ জন মানুষ নিহত হয়েছে। হরতালকারীরা শত শত বাস ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং জ্বালিয়ে দিয়েছে।বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) বরাত দিয়ে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ বলছে, এ বছর হরতালের কারণে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে, অর্থাত্ দৈনিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ কোটি ডলার। এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ পত্রিকাটিকে বলেন, ‘হরতালের সংস্কৃতি আমাদের সর্বনাশ করছে।’গ্যাপ ইনকরপোরেশনের মতো বিরাট বিরাট খুচরা পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সরবরাহকারী হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, সম্প্রতি এক হরতালের সময় প্রতিবাদীরা তাঁর কোম্পানির পণ্যবাহী একটি ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দিলে প্রায় আড়াই হাজারটি পোশাক পুড়ে যায়।পত্রিকাটি বলছে, ‘বেশি বেশি হরতাল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আশঙ্কার ব্যাপার। এমনিতে সস্তা শ্রমের দেশটি কারখানার ভঙ্গুর অবকাঠামো ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য যথেষ্ট দুর্নাম কামিয়েছে।’প্রতিবেদনে বলা হয়, এফবিসিসিআই এর আগে বহুবার সরকারকে হরতাল নিষিদ্ধের অনুরোধ জানালেও নেতারা তাতে রাজি হননি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন তারা ১৭০ দিন হরতাল পালন করেছিল। অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগ আবারও একই সংস্কৃতিতে ফিরে যাবে।সরকার দলীয় নেতারা মাঝেমধ্যে হরতালের নিন্দা জানাচ্ছেন বটে, কিন্তু সেটির লক্ষ্য শুধু বিরোধী দলকে হরতাল না ডাকার আহ্বানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। হরতাল নিষিদ্ধের কোনো কর্মসূচিই নেই।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এ বছরের শুরুর দিকে বলেছিলেন, ‘মতপ্রকাশের ও প্রতিবাদ করার অধিকার সংবিধানসম্মত। তাই আমি হরতাল নিষিদ্ধের পক্ষে নই।...তবে শক্তিশালী যুক্তি ও নৈতিক কারণ ছাড়া হরতাল ডাকা উচিত নয়।’বিরোধী দল মনে করছে, হরতাল নিষিদ্ধের মধ্য দিয়ে সরকার দমন-পীড়ন চালাতে চায়। বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘হরতাল ডাকার পেছনে কোন বিষয়গুলো কাজ করছে তা ব্যবসায়ী নেতাদের ভেবে দেখা উচিত। হরতাল নিষিদ্ধের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি না জানিয়ে তাঁদের উচিত সমস্যাগুলো সমাধান বাতলে দেওয়া।’পত্রিকাটি বলছে, রাজনৈতিক নেতারা অনেক যুক্তি দেখালেও হরতালের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। শাড়ির দোকানের কর্মচারী সেলিম আহমদ (৩৮) জানান, বেচাবিক্রি কম হলে তাঁরা অবকাশকালীন বোনাস (হলিডে বোনাস) পাবেন না। সাধারণত তাঁরা মাসে ২৫০ ডলারের মতো হলিডে বোনাস পান। হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সমস্যা হলো কেউ ছাড় দিতে চায় না। আমরা দুপক্ষের মাঝে চাপা পড়েছি।’ | 6,998 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:১৪ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:১৪ | বাণিজ্য,বিদেশের খবর | 0 | সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চায় এলডিসি | http://www.prothom-alo.com/economy/article/714013 | বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য স্বার্থ নিশ্চিত করতে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশকে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। কেনিয়ার নাইরোবিতে চলমান বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দশম বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল বুধবারের প্রথম কর্ম অধিবেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ আহ্বান জানান।উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চাই। “দেওয়ার” ইচ্ছা প্রকাশ আমাদের কোনো সহায়তা করে না।’বর্তমানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করছেন এবং সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গতকাল প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলনের চেয়ারপারসন এবং কেনিয়ার বাণিজ্য ও বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রী আমিনা মোহমেদ।তোফায়েল আহমেদ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর হিস্যা মাত্র ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া এলডিসি সদস্যদের জন্য শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।গত মঙ্গলবার শুরু হয় চার দিনের এই সম্মেলন। এতে ডব্লিউটিওর ১৬২টি সদস্য দেশের প্রায় ৬০০ সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। আফ্রিকার কোনো দেশে এটাই ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম সম্মেলন।এবারের সম্মেলনে মূলত আলোচ্য বিষয় চারটি। এগুলো হলো: কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা; ডব্লিউটিওর বিভিন্ন চুক্তিতে স্বচ্ছতার উদ্যোগ; স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সুবিধা এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহের (এলডিসি) বিশেষ কিছু ইস্যু। এসব নিয়েই বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা মত দেবেন এবং ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া ডব্লিউটিওর বাণিজ্যমন্ত্রী সম্মেলনে এবারই প্রথম লাইবেরিয়া ও আফগানিস্তানের জন্য বিশেষ অধিবেশন রয়েছে। দেশ দুটিকে এবারে ডব্লিউটিওর সদস্য করা হতে পারে।প্রথম দিনের আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক বরার্তো আজেভেদো বলেন, ‘ইস্যুগুলোকে যথাসম্ভব এগিয়ে নিতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তবে বেশ কিছু ইস্যু রয়েছে, যেগুলো এগিয়ে নেওয়া বেশ কঠিন। অনেক ইস্যুর অগ্রগতি প্রায় অসম্ভব। তবু আমরা বেশ আশাবাদী।’উদ্বোধনী অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আশা প্রকাশ করেন যে সম্মেলনে বহুপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে একগুচ্ছ বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত হবে। এসব চুক্তি হলে বিশ্বের গরিব মানুষ উপকৃত হবে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। এ রকম সফলতায় ১০১৫ সাল শেষ হবে।ওই অনুষ্ঠানে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা বলেন, ‘মানবতার যে সমস্যা চলমান রয়েছে, সেটাকে সামনে রেখে এ বছর আমরা সবাই অতুলনীয় সহযোগিতা দেখাচ্ছি। গত সেপ্টেম্বরে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) গৃহীত হয়েছে। সম্প্রতি প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চুক্তি হয়েছে। এগুলোই নাইরোবিতে একটি সফল সমঝোতার অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।’ তিনি সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদের কাছে আশা করেন, তাঁরা পারস্পরিক লাভবান হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবেন।ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক রবার্তো আজেভেদো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের প্রতি একটি সমঝোতা চুক্তির ব্যাপারে বেশি নজর দেওয়ার আহ্বান জানান। আর সেই চুক্তি থেকে যেন ডব্লিউটিওর সদস্যরা, বিশেষ করে এলডিসি সুবিধা পায়-এমন আশাবাদই ব্যক্ত করেন তিনি।প্যারিসে জলবায়ুসংক্রান্ত চুক্তির উদাহরণ টেনে আজেভেদো বলেন, ‘আমরা সেখানে ঐক্যবদ্ধ এক পৃথিবী দেখেছি, যা নাইরোবি সম্মেলনে বিশ্ব বাণিজ্য নিয়েও সুখবর আনার অনুপ্রেরণা দেবে।’ তিনি মনে করেন, কেনিয়া সম্মেলন হলো একটি মঞ্চ। এখন সবাইকে ‘দেওয়া’র সময় এসেছে।সূত্র: ডব্লিউটিওর ওয়েবসাইট | 184,256 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০৭ আগস্ট ২০১৪, ০০:২১ | ০৭ আগস্ট ২০১৪, ০০:২৫ | ভারত | 0 | প্রিয়াংকা আসছেন, রাহুল বাদ! | http://www.prothom-alo.com/international/article/284320 | কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াংকা গান্ধী শিগগিরই দলে সক্রিয় হচ্ছেন বলে প্রচারণা চালিয়ে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এলাহাবাদে পোস্টার লাগানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহর প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড় করাতে হলে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রিয়াঙ্কার কথাই ভাবতে হবে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেস কা মুন, প্রিয়াঙ্কা ইজ কামিং সুন’ (কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ মুখ প্রিয়াঙ্কা শিগগিরই রাজনীতিতে আসছেন)। পোস্টারে প্রিয়াঙ্কার পাশাপাশি তাঁর মা কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর ছবি থাকলেও স্থান পায়নি ভাই রাহুল গান্ধীর ছবি। পোস্টারে স্থানীয় কংগ্রেসের দুই তরুণ নেতা হাসিব আহমেদ ও শিরিশ চন্দ্র দুবের ছবি রয়েছে। পোস্টারে হাসিবের পরিচয় লেখা হয়েছে শহর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।ওই দুই তরুণ নেতার পক্ষে নতুন এই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। উভয়ই দাবি করেন, প্রিয়াঙ্কাই ১২৯ বছরের পুরোনো দল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এর আগেও তাঁরা এ ধরনের পোস্টার বের করেছিলেন। সেখানেও রাহুলের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছিল। | 83,207 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:৫৯ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:০২ | আইন ও বিচার | 0 | বরকল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে মার্কেট নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1061387 | চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বরকল এস. জেড উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠের ভেতর মার্কেট নির্মাণকাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।আজ মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।আদেশে মার্কেট নির্মাণের জন্য ভেঙে ফেলা স্কুলের সীমানা প্রাচীর অবিলম্বে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের ভেতরে থাকা খেলার মাঠের আকৃতি ও প্রকৃতি পরিবর্তন না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।রুলে স্কুলের ভেতর খেলার মাঠে বেআইনিভাবে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ রোধে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং ওই ব্যর্থতা সংবিধানের লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।স্থানীয় সরকার সচিব, পরিকল্পনা সচিব, শিক্ষাসচিব ও স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।স্কুলের খেলার মাঠ সংরক্ষণে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল সোমবার জনস্বার্থে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধা চন্দনাইশের বাসিন্দা আবুল কালাম চৌধুরী। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আশরাফুল হাদী ও কাজী আতাউল-আল-ওসমান।আশরাফুল হাদী প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলের খেলার মাঠে মার্কেট হলে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই মাঠটি মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং গ্রাউন্ড ছিল। সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে এর আকার-প্রকৃতি সংরক্ষণ করতে হবে এবং কোনোভাবেই তা বদলানো যাবে না। স্কুল ও মাঠের ভূমির মালিক শিক্ষা বিভাগ। তাদের অনুমতি ছাড়াই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি গত ডিসেম্বরে মার্কেট নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে। অথচ এ কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত এ আদেশ দেন। | 284,052 |
মনোয়ারুল হক | entertainment | বিনোদন | ১০ এপ্রিল ২০১৪, ০০:২৮ | ১০ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৩১ | আনন্দ,বিদেশের গান | 0 | ‘গোস্ট স্টোরিজ’ নিয়ে এল কোল্ডপ্লে | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/188635 | বিলবোর্ড শীর্ষ তালিকায় ভূতের গল্প শোনাতে এসেছে কোল্ডপ্লে। তাদের নতুন অ্যালবাম গোস্ট স্টোরিজ-এর ‘ম্যাজিক’ গানটি চার সপ্তাহ ধরে বিলবোর্ড হট রক গানের তালিকায় দশম স্থানে অবস্থান করছে।১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কথা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের নবীনবরণ সপ্তাহে ক্রিস মার্টিন ও জনি বাকল্যান্ডের পরিচয় ঘটে। তাঁরা সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরটি তাঁদের একসঙ্গে একটি গানের দল করার কথা ভাবতে ভাবতে কাটে। এরপর তাঁরা পেক্টোরালজ নামে একটি দল গড়েন। গাই বেরিম্যান নামের আরেক সহপাঠী তাঁদের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে যোগদান করেন।কিছুদিন পর তাঁরা দলের নাম বদলে স্টারফিশ রাখেন। সে সময় থেকেই শুরু হয় ছোট ক্লাবগুলোয় তাঁদের সংগীত পরিবেশন করা। ক্রিস মার্টিনের স্কুলজীবনের এক বন্ধু ফিল হার্ভেকে তাঁরা দলের ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দিতে অনুরোধ করেন। ফিল হার্ভে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের ক্লাসিকসের ছাত্র। এখন পর্যন্ত ফিল হার্ভে তাঁদের সঙ্গে দলের একজন সদস্যের মতোই আছেন।দলটির একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ আসে, যখন উইল চ্যাম্পিয়ন তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন। উইল পিয়ানো, গিটার, বেজ ও টিন হুইসেল বাজাতে বাজাতে শৈশব-কৈশোর পার করেন। তবে তিনি এই দলের সঙ্গে পারকাশন বাজাতে আসেন। এর পূর্ব অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। তবে তিনি খুব অল্প সময়েই ড্রামস বাজানো আয়ত্ত করে ফেলেন। এরপর তাঁরা আবারও দলের নাম পরিবর্তন করে কোল্ডপ্লে রাখেন। এটা ১৯৯৮ সালের কথা।এরপর অবশ্য টিম রাইস অক্সলিকে তাঁরা কি-বোর্ড বাজানোর জন্য প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হন। এতে অবশ্য ভালোই হয়েছে। কোল্ডপ্লের চার সদস্য সেই শুরু থেকে অপরিবর্তিত থেকে গেছেন। আর পঞ্চম সদস্যের মতোই আছেন ফিল হার্ভে।কোল্ডপ্লে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পায় ২০০০ সালে। তাদের ‘ইয়েলো’ গানটি সে সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। তৃতীয় অ্যালবাম এক্স অ্যান্ড ওয়াই ২০০৫ সালের বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত অ্যালবাম। দলটি এখন পর্যন্ত ২৫ বার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের জন্য মনোনীত হয়ে সাতবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয় করে।এ ছাড়া দলটি আটবার ব্রিট অ্যাওয়ার্ডস জয় করে, যার মধ্যে তিনবার ছিল সেরা ব্রিটিনা গ্রুপের জন্য অ্যাওয়ার্ড।দলটি পাঁচবার এমটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড জয় করে। এটি বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ৭০ মিলিয়ন অ্যালবাম বিক্রি করেছে। রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের পাঠকেরা ২০০৯ সালে ভোটের মাধ্যমে কোল্ডপ্লেকে ২০০০ সালের চতুর্থ সেরা দল হিসেবে নির্বাচিত করেন। এ ছাড়া এ দলের সদস্যরা অনেক সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত আছেন।কোল্ডপ্লেকে অল্টারনেটিভ রক ঘরানার দল বলা যায়। তবে হার্ড রকের সঙ্গে তুলনা করলে দলটি নিজেদের লাইমস্টোন রক বলতে পছন্দ করে। কোল্ডপ্লেকে শ্রোতাদের সামনে নতুন করে তুলে ধরার কিছু নেই। দলটি বাংলাদেশেও অত্যন্ত জনপ্রিয়।কোল্ডপ্লের সদস্যরাগাই বেরিম্যানবেজ, ব্যাকিং ভোকালস, কি-বোর্ড, হারমোনিকা, ম্যান্ডোলিন ও পারকাশন (১৯৯৭-বর্তমান)জনি বাকল্যান্ডলিড গিটার, ব্যাকিং ভোকালস, অ্যাকুইস্টিক গিটার ও হারমোনিকা (১৯৯৬-বর্তমান)ক্রিস মার্টিনলিড ভোকালস, পিয়ানো, রিদম গিটার ও কি-বোর্ড (১৯৯৬-বর্তমান)উইল চ্যাম্পিয়নড্রামস, ব্যাকিং ভোকালস, পিয়ানো, বেল ও অ্যাকুইস্টিক গিটার (১৯৯৭-বর্তমান)কোল্ডপ্লের যত অ্যালবামপ্যারাস্যুটস (২০০০)আ রাশ অব ব্লাড টু দ্য হেড (২০০২)এক্স অ্যান্ড ওয়াই (২০০৫)ভিভা লা ভিভা অর ডেথ অ্যান্ড অল হিজ ফ্রেন্ডস (২০০৮)মাইলো জাইলোটো (২০১১)গোস্ট স্টোরিজ (২০১৪)মনোয়ারুল হক | 64,940 |
-1 | sports | খেলা | ০৯ এপ্রিল ২০১৪, ০২:০৯ | ০৯ এপ্রিল ২০১৪, ০২:১২ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | একটি গোলের গল্প | http://www.prothom-alo.com/sports/article/188155 | একটা গোল খুব বেশি হলে কী করতে পারে? একটা ম্যাচে জয়, হয়তো কোনো রেকর্ড কিংবা একটা ট্রফি—এই তো। সে ট্রফি হতে পারে কোনো লিগের, কোনো মহাদেশীয় শিরোপা, এমনকি হয়তো বিশ্বকাপও। কিন্তু এ সবকিছুর মূল্য কি একটা জীবনের চেয়ে বেশি? একটা গোল কি পারে কোনো জীবন বাঁচাতে?পারে, যদি সেটি হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোল! সিনেমার গল্প নয়, এ একেবারে জীবন থেকে নেওয়া।ডেভিড পলেকজিক নামের এক পোলিশ কিশোর সাইকেল চালাতে গিয়ে আঘাত পেয়েছিল গাড়ির ধাক্কায়। সেই দুর্ঘটনা কিশোরকে ঠেলে দিল কোমায়। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসকের কাছে একটাই উপায় ছিল—শব্দ থেরাপি। পছন্দের শব্দগুলো নিয়মিত শুনিয়ে যেতে হবে কানের কাছে, সে শব্দ শুনে যদি চেতনা ফিরে পলেকজিকের।রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক ১৪ বছরের পলেকজিক ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অন্তঃপ্রাণ। বাবা-মা তাই ভাবলেন ছেলের কানের কাছে রোনালদোর ম্যাচের ধারাভাষ্য বাজালে কেমন হয়! গত নভেম্বরে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে পর্তুগাল-সুইডেন প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগ চলছিল। হাসপাতালের বিছানায় তখনো কোমায় পলেকজিক। রেডিওটা এনে রাখা হলো কানের কাছে। একটা করে গোল করে যান রোনালদো, ধারাভাষ্যকারের চিৎকার বাজে পলেকজিকের কানে। নিজের তৃতীয় গোলটা করে ওদিকে রোনালদো নিশ্চিত করলেন পর্তুগালের বিশ্বকাপ খেলা, এদিকে চোখ মেলে তাকাল পলেকজিক। শেষ গোলটা কোমা থেকে জাগিয়ে তুলেছে কিশোর পলেকজিককে!পোলিশ দৈনিক ফাকট-এ অবিশ্বাস্য এ ঘটনা ছাপা হওয়ার পর তা পৌঁছায় রোনালদোর কাছেও। আবেগাপ্লুত হয়ে যান রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। পলেকজিক এবং তার বাবা-মাকে আমন্ত্রণ জানান সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে রিয়াল-ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটা দেখার জন্য। পোলিশ কিশোরের কাছে এ তো স্বপ্নের চেয়েও বেশি!স্বচক্ষে রোনালদোর খেলা দেখাই হলো না শুধু, পলেকজিক পেল এর চেয়েও বড় কিছু। ম্যাচের পর তাকে ডেকে জড়িয়ে ধরেছেন রোনালদো, উপহার দিয়েছেন নিজের স্বাক্ষর করা জার্সি। রোনালদোর এমন মহানুভবতা আর ছেলে পলেকজিকের উচ্ছ্বাস কাঁদিয়েছে তার মা ইসাবেলাকেও, ‘কতবার সে (পলেকজিক) আমাদের বলেছে ওকে মাদ্রিদ নিয়ে যেতে। আমরা পারিনি। যখন রোনালদোর কাছ থেকে আমন্ত্রণ এল সে খুশিতে কান্না থামাতে পারছিল না। বিশ্বাস করতে পারছিল না এটা সত্যি। রোনালদো, আপনার হূদয় সত্যিই বিশাল। আমরা আপনার কাছে ঋণী।’গোল করে জীবনে কত পুরস্কার পেয়েছেন রোনালদো নিজেও। এর চেয়ে বড় কিছু কি কখনো পেয়েছেন? ওয়েবসাইট। | 64,536 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০২ আগস্ট ২০১৬, ০২:২৪ | ০২ আগস্ট ২০১৬, ০২:২৫ | খেলা,দেশের ক্রিকেট | 0 | এখনো অপেক্ষায় মুস্তাফিজ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/933223 | তিনের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। টনি কোচার, লেনার্ড ফাঙ্ক নাকি গ্রেগ হয়—কে করবেন তাঁর কাঁধের অস্ত্রোপচার? প্রথম দুজন ইংল্যান্ডের, শেষের জন অস্ট্রেলিয়ার। বিসিবি এই তিন বিশেষজ্ঞ শল্যবিদের কাছেই মুস্তাফিজের রিপোর্ট পাঠিয়ে অপেক্ষায় আছে তাদের মতামত জানার। অপেক্ষায় আছেন মুস্তাফিজও।বিসিবি আর মুস্তাফিজ আসলে পড়ে গিয়েছিলেন সাপ্তাহিক ছুটির ফাঁদে। রিপোর্টগুলো গত সপ্তাহে পাঠিয়ে দেওয়া হলেও শনি-রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন পড়ে যাওয়ায় কাল রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও তাঁদের কোনো মতামত পাওয়া যায়নি। মুস্তাফিজের অস্ত্রোপচার কোথায় হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। তবে এটুকু নিশ্চিত, ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের শল্যবিদ টনি কোচারের পর মুস্তাফিজ এবার তাঁর চোট পাওয়া বাঁ কাঁধটা দেখাবেন ইংল্যান্ডের আরেক বিশেষজ্ঞ লেনার্ড ফাঙ্ককেও। ম্যানচেস্টারভিত্তিক এই চিকিৎসক সম্পৃক্ত ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।মুস্তাফিজের বাঁ কাঁধের চোট সারাতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন কোচার। তবে বিসিবি চাইছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও দু-একজন বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে। সে কারণেই এই দেরি। অপেক্ষার সময়টা মুস্তাফিজের জন্য বিরক্তিকরই হওয়ার কথা। একে তো খেলতে পারছেন না, তার ওপর চোট-অস্ত্রোপচার নিয়ে টেনশন। ইংল্যান্ডে আছেনও একা। পরশু মুঠোফোনে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে ফোনে কথা বলে সেই টেনশনই কিছুটা কমাতে চেয়েছেন তিনি।বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী অবশ্য আশ্বস্ত করলেন, ‘আমরা কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামতের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি কাল-পরশুর (আজকাল) মধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে কোথায় অস্ত্রোপচার হবে।’ দ্রুততম সময়ে অস্ত্রোপচার করানোর পাশাপাশি বিসিবি দেখছে কার হাতে অস্ত্রোপচারটা ভালো হবে, সেটাও। অস্ট্রেলিয়ান গ্রেগ হয়ের নাম এসেছে এ কারণেই। এ ধরনের অস্ত্রোপচারে তাঁর সুনাম আছে। এর আগে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান এনামুল হকের কাঁধের অস্ত্রোপচার করেছিলেন তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে খুব বেশি সময় লাগলে মুস্তাফিজের শল্যবিদ বেছে নেওয়া হবে ইংল্যান্ড থেকেই। | 245,685 |
-1 | life-style | জীবনযাপন | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:০৫ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:০৫ | নকশা,খাবারদাবার | 0 | পাঁচ এলাকার পাঁচ পদ | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1092106 | শুঁটকি মাছের মুখরোচক খাবার বাঙালির প্রিয় তালিকায় রয়েছে। একেক অঞ্চলে শুঁটকির একেক ধরনের খাবারের চলও আছে। বাংলাদেশের পাঁচটি অঞ্চলে শুঁটকি মাছ রান্নার প্রণালি থাকছে আজ। রেসিপি দিয়েছেন জেবুন্নেসা বেগমনারকেল কাচকি শুঁটকি ভর্তা(নোয়াখালী)উপকরণ: কাচকি মাছের শুঁটকি আধা কাপ, কোরানো নারকেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টা ও লবণ সামান্য।প্রণালি: শুঁটকি, শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ টেলে নিতে হবে। শুঁটকি, পেঁয়াজ ও শুকনা মরিচ বেটে নিন। নারকেল বেটে একসঙ্গে মেশান, পরিমাণমতো লবণ দিয়ে মেখে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।দোমাছা(চট্টগ্রাম)উপকরণ: ছুরি মাছের শুঁটকি ১ কাপ, কোরাল চিংড়ি মাছ ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, গোটা রসুন কোয়া ৭-৮টি, পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ, টমেটোকুচি ১ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া দেড় চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টা ও ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ।প্রণালি: ছুরি মাছের শুঁটকি টুকরা করে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে ভেতরের কাটা বেছে নিন। চিংড়ি মাছের মাথা ফেলে ধুয়ে রাখুন। অথবা কোরাল মাছ নিলে ছোট ছোট করে কেটে তেলে পেঁয়াজ অল্প ভেজে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, রসুনবাটা, পেঁয়াজবাটা, লবণ ও টমেটোকুচি দিয়ে কষান। এবার শুঁটকি দিয়ে নাড়ুন। চিংড়ি অথবা কোরাল মাছের টুকরা ঢেলে কষান। অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতাকুচি দিয়ে নামিয়ে নিন। চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে লতি(বরিশাল)উপকরণ: মাথা ছাড়ানো চিংড়ির শুঁটকি আধা কাপ, কচুরলতি ৫০০ গ্রাম, রসুনবাটা দেড় চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ৯ টেবিল চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ।প্রণালি: চিংড়ি শুঁটকির মাথা ফেলে ধুয়ে রাখুন। কচুরলতির আঁশ ফেলে টুকরা করে নিন। তেলে পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচগুঁড়া ও চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে দিন। লতি সেদ্ধ হলে ধনেপাতা, মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন। নোনা ইলিশে বেগুন(চাঁদপুর)উপকরণ: নোনা ইলিশ ৪ টুকরা, বেগুন ৫০০ গ্রাম, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেল ১ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ ও রসুনবাটা১ চা-চামচ।প্রণালি: নোনা ইলিশ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। বেগুন টুকরা করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তেলে পেঁয়াজ অল্প ভেজে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও রসুনবাটা দিয়ে কষান। ইলিশ ও বেগুন ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন। বেগুন সেদ্ধ হলে জিরাগুঁড়া ও কাঁচা মরিচ দিন। নোনা ইলিশে পর্যাপ্ত লবণ থাকায় তরকারিতে লবণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।চ্যাপা শুঁটকি ভুনা(ময়মনসিংহ)উপকরণ: চ্যাপা শুঁটকি ৪টা, রসুনকুচি আধা কাপ, তেল ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো ও কাঁচামরিচ২-৩টি।প্রণালি: চ্যাপা শুঁটকি কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও শুঁটকি দিয়ে কষান। সামান্য পানি ও লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। তেল ওপরে উঠে এলে কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নামিয়ে নিন। গরম-গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। | 298,143 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ মার্চ ২০১৬, ১৮:১৯ | ২৮ মার্চ ২০১৬, ১৮:৪৪ | -1 | null | দুদক ক্ষমতাহীন নয়: চেয়ারম্যান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/812593 | দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুদক ক্ষমতাহীন নয়। দুদকের পর্যাপ্ত ক্ষমতা বা শক্তি রয়েছে, কিন্তু এই শক্তির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। রাজধানীতে দুদক কার্যালয়ে আজ সোমবার দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই দুর্নীতি দমন কমিশনকে ক্ষমতাহীন বলেন, আমি তা স্বীকার করি না।’ ‘সরষের ভেতরের ভূত’ তাড়াতে গণমাধ্যমের সহায়তা চান দুদক চেয়ারম্যান। দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ডের সভাপতি ও সমকাল–এর সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনে সফল হতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার আহ্বান জানান গোলাম সারওয়ার। এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে অনেক বক্তাই বলেছেন সরষের ভেতরেই ভূত আছে। আমিও অস্বীকার করছি না। এ ভূত আমি তাড়াবই, তবে এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।’ দুদক তথ্যপ্রমাণসহ মামলা করার পরও অভিযোগপত্র থেকে অনেককেই বাদ দেওয়া হয়—সাংবাদিকদের এমন বক্তব্যের জবাবে দুদক চেয়ারম্যানও একমত পোষণ করেন। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে যে সকল মামলা হবে, সেসব মামলায় অবশ্যই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, দুদক শুধু দুর্নীতি দমনের জন্য নয়, দুর্নীতি প্রতিরোধই হচ্ছে এর প্রধান কাজ। দুর্নীতি প্রতিরোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলপত্র তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মূল্যবোধ পৌঁছে দেওয়া।’ বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সমালোচনা আমাদের পরিশুদ্ধ করবে। আমি যে কাজের ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছি তা করতে চাই, ব্যর্থ হয়ে যেতে চাই না।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ডের সদস্য একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর।এবারের দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন মাছারাঙা টেলিভিশনের বদরুদ্দোজা বাবু, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের মুরছালিন হক জুনায়েদ এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আরটিভির ফখরুল ইসলাম। প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে সমকাল–এর হকিকত জাহান প্রথম পুরস্কার এবং সিলেটের ডাক পত্রিকার নুর আহমদ দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। | 214,724 |
সামিউল আজিজ | sports | খেলা | ১৯ মে ২০১৪, ১১:৪৩ | ১২ মে ২০১৮, ১৫:৪৩ | আন্তর্জাতিক ফুটবল,ইতিহাসের পৃষ্ঠায়,বিশ্বকাপ ফুটবল | null | আজ্জুরিস অব মুসোলিনি | http://www.prothom-alo.com/sports/article/220144 | যেন ক্রমশ প্রকাশ্য কোনো রোমাঞ্চকর উপন্যাস। বিশ্বকাপের আগের ১৯টি আসর নিয়ে কত গল্পগাথা। প্রথম আলো অনলাইনের নতুন এই ধারাবাহিকে ফিরে দেখা হবে বিশ্বকাপের আগের আসরগুলো। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ১৯৩৪ ইতালি বিশ্বকাপ—একনায়কেরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য কত কিছুই না করেন! কেউ কঠিন সব শাস্তির বিধান করেন, কেউ সামপ্রদায়িক তত্পরতা চালান, কেউ বা নিজের নামে তৈরি করেন স্থাপত্য। ইতালির ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক বেনিত্তো মুসোলিনির হাত থেকে রক্ষা পায়নি নিখাঁদ বিনোদনের ফুটবলও। নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির অনুষঙ্গ হিসেবে তিনি বেছে নেন বিশ্বকাপ ফুটবলকে। ফুটবল যে তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির দুর্দান্ত এক হাতিয়ার হবে—দূরদর্শী এই একনায়ক তা বুঝেছিলেন বেশ ভালোভাবেই। দুর্বল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও লোকসানের ঝক্কি মেনে নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপকে তিনি নিয়ে এসেছিলেন ইতালিতে। বিশ্বকাপ সেবারই প্রথম ডানা মেলল ইউরোপের আকাশে।১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপ মাঠে গড়িয়েছিল প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে ছাড়াই। এটিই তাই সেই একমাত্র বিশ্বকাপ, যেখানে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল খেলেনি। সেবার বিশ্বকাপ খেলতে উরুগুয়ের ইতালিতে না আসার ব্যাপারটি পুরোটাই ছিল ‘পাল্টা-প্রতিশোধ’। উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে ইউরোপীয় তথা ইতালীয়দের নাকউঁচু আচরণের প্রতিবাদস্বরূপ উরুগুয়ে বিশ্বকাপ বর্জনেরই সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাও প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তবে বিশ্বকাপে অংশ না নিয়ে নয়। দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়ে এই দেশ দুটি ইতালিতে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপকে এক অর্থে হেয়জ্ঞানই করেছিল।লাতিনদের এই আচরণের সুফল অবশ্য পেয়েছিল ইউরোপীয়রা। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা আটটি দলের সব কটিই ছিল স্বাগতিক মহাদেশের। ৩২টি দলের মধ্যে প্রথমবারের মতো হওয়া বিশ্বকাপের অঞ্চলভিত্তিক বাছাইপর্ব খেলা থেকে পার পায়নি স্বাগতিক ইতালিও। স্বাগতিক দলের বাছাইপর্ব খেলার দৃষ্টান্ত অবশ্য ওই একটাই। চূড়ান্ত পর্ব শুরুর তিন দিন আগে পর্যন্তও চলেছিল বাছাই, যুক্তরাষ্ট্র প্লে-অফে মেক্সিকোকে হারিয়ে ষোলোতম দল হিসেবে নাম লেখায় বিশ্বকাপে। ৩২ দেশের মধ্যে ইউরোপের বাইরের দেশ ছিল মোটে আটটি, চূড়ান্ত বাছাইকৃত ১৬ দেশের মধ্যে যার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় চারে।প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর জন্য প্রথম ম্যাচ থেকে শুরু করে এবার বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচই ছিল নকআউট। ‘জয় অথবা ক্ষয়’—এ ব্যাপারটি ছিল টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচেই। মুসোলিনি ফাঁকতালে নিজের চাল চেলে রেখেছিলেন আগেই। প্রতিটি ম্যাচের রেফারি ‘দ্য ডিক্টেটর’ নিজেই নির্ধারণ করেছিলেন। ফলাফল, ইতালির প্রতিটা ম্যাচই অভিযুক্ত ছিল বাজে রেফারিংয়ের অভিযোগে। সংবাদপত্রের ভাষায় ইতালির দলকে বলাই হচ্ছিল ‘আজ্জুরিস অব মুসোলিনি।’ তবে ৭-১ গোলে আগেরবারের সেমিফাইনালিস্ট যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দিয়ে আজ্জুরিদের শুরুটা মারদাঙ্গা ছিল এতে কোনো সন্দেহ নেই। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় সারির দল বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল নিজেদের প্রথম ম্যাচের পরেই।কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালি-স্পেন ম্যাচটি বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম রি-প্লেইড ম্যাচ। অর্থাত্ নির্দিষ্ট দিনে খেলাটির ফল নিষ্পত্তি না হওয়ায় তা গড়ায় দ্বিতীয় দিনে। তখনকার নিয়ম অনুসারে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও খেলার নিষপত্তি না হলে পরের দিন নতুন করে খেলাটি অনুষ্ঠিত হতো। প্রথম দিনে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকা ম্যাচটি পরের দিন ১-০ গোলে জিতে নেয় স্বাগতিকেরা। যদিও রেফারির বিপক্ষে অভিযোগ ছিল ইতালির পক্ষে বাঁশি বাজানোর। এ নিয়ে স্প্যানিশদের ক্ষোভের অন্ত ছিল না। ম্যাচ শেষে তারা রীতিমতো ফুঁসছিল। এই অভিযোগের পেছনে আছে যথেষ্ট মাল-মসলা। ওই ম্যাচের সুইডিশ রেফারিকে কোয়ার্টার ফাইনালের আগের দিন ডিনারে ডেকেছিলেন মুসোলিনি। এত মানুষ থাকতে রেফারির সঙ্গে কেন ডিনার করতে যাবেন ইতালির সর্বময় ক্ষমতাধর শাসক?ইতালির পক্ষে বাঁশি বাজানোর অভিযোগ উঠল সেমিফাইনালেও। অস্ট্রিয়ার জালে জড়ানো ইতালির একমাত্র গোলটি অফসাইড ছিল বলে মনে করেন সে সময়ের বড় বড় ফুটবলবোদ্ধা ও সাংবাদিকেরাও। ইতালির তাতে করে কী এসে-যায়। সমালোচকদের গুঞ্জন পেরিয়ে ঠিকই ফাইনালে ওঠে আজ্জুরিরা। অপর সেমিতে জার্মানিকে হারিয়ে ইতালির প্রতিপক্ষ হয় চেকোস্লোভাকিয়া।মুসোলিনির দল ন্যাশনাল ফ্যাসিস্ট পার্টির জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় আসরের ফাইনাল। ইতালির শিরোপা-স্বপ্নে হুমকি দিয়ে ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথাতেই এগিয়ে যায় চেকরা। যদিও ১০ মিনিট পরেই সমতা ফেরান ইতালির রাইমুন্দো অরসি। ইতালি আর্জেন্টিনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকতেই পারে এ ব্যাপারে। আগের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পক্ষে খেলা অরসি সেবার ইতালির পক্ষে খেলেছিলেন তাঁর দেশ প্রথম সারির দল না পাঠানোয়।প্রথমার্ধের বাকি সময়টা তো বটেই, দ্বিতীয়ার্ধ জুড়েও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি দুই দলের কোনোটিই। বিশ্বকাপের ইতিহাসে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো প্রথম ফাইনালটি অতিরিক্ত সময়ের পাঁচ মিনিটের মাথায়ই ইতালির এঞ্জেলো শিয়াভিওর গোলে জিতে নেয় ইতালি। বিশ্বকাপে সেই সঙ্গে আবারও জয়ী হলো স্বাগতিক দেশ। পাঁচ ম্যাচ খেলে ইতালি সবচেয়ে কমসংখ্যক তিনটি গোল খেয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ডও করে বসে। চেকোস্লোভাকিয়ার ওল্ডরিখ নেজেডলি পাঁচটি গোল করে হন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা।এখনো অনেকেই বলেন, ইতালি নয়, সেবার বিশ্বকাপ জিতেছিলেন মুসোলিনি। ১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপকে তাই মুসোলিনির বিশ্বকাপ আর চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে মুসোলিনির দল বললেও খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যায় না। | 74,355 |
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৬ | ০৯ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৭ | গাইবান্ধা,বিশাল বাংলা | 0 | ফাউন্ডেশনের সভা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/824134 | গাইবান্ধা নজরুল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভা হয়েছে। গাইবান্ধা ক্লিনিক মিলনায়তনে বিকেলে ওই সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজশিক্ষক ফেরদৌসি জাহান। বক্তব্য দেন কবি ইবনে সিরাজ, চিকিৎসক একরাম হোসেন, গাইবান্ধা নজরুল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা মঈনুল হক, সাধারণ সম্পাদক সরোজ দেব, সহসাধারণ সম্পাদক আফরুজা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক রানা পাপুল, প্রচার সম্পাদক হাসান ইকবাল, পাঠাগার সম্পাদক চিস্তী তৌহিদ প্রমুখ। সভায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তীতে নজরুল মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। | 218,730 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ আগস্ট ২০১৩, ০৩:০১ | ৩১ আগস্ট ২০১৩, ০৩:০২ | রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ | 0 | শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৮ কেজি সোনা আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/43445 | ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবার চোরাইপথে আসা সোনার চালান আটক করেছে শুল্ক বিভাগ। গতকাল শুক্রবার সকালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে আসা ১৮ কেজির সোনার চালান উড়োজাহাজ থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত যাত্রী বহনকারী বাসের ভেতর থেকে আটক করা হয়। শুল্ক বিভাগ জানায়, উদ্ধার করা সোনার মূল্য সাত কোটি টাকার মতো। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার রাশেদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারের ওই ফ্লাইটটি ওমানের রাজধানী মাসকট থেকে দুবাই হয়ে গতকাল ঢাকায় আসে। সেটি সকাল নয়টা সাত মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীদের একটি বাসে করে টার্মিনাল লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক গোয়েন্দারা ওই বাসে তল্লাশি চালান। বাসের চালকের পাশে একটি গর্তের ভেতর থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ১৫৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। বাসচালক কবির ফালানকে আটক করা হয়। বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বাসচালকের ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। বাসটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুল্ক আইনে একটি মামলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৫৭ কেজি সোনা আটক করা হয়েছে। ৬ জুলাই কুয়েত থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ থেকে ২৫ কেজি, ২৪ জুলাই কাঠমান্ডু থেকে বিমানের আরেকটি উড়োজাহাজের ভেতর থেকে ১২৪ কেজি এবং ২০ আগস্ট হংকং থেকে আসা বিমানের যাত্রী দীপক কুমার আচার্যের কাছ থেকে আট কেজি সোনা আটক করা হয়। | 13,159 |
অনলাইন ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২১ জুলাই ২০১৭, ১১:২২ | ২১ জুলাই ২০১৭, ১১:২৩ | ফ্রিল্যান্সিং | null | অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেবে ক্রিয়েটিভ ই-স্কুল | http://www.prothom-alo.com/technology/article/1259961 | অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং কোর্স চালু করছে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট। তাদের এ উদ্যোগের নাম ‘ক্রিয়েটিভ ই-স্কুল’। সম্প্রতি রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কোর্স চালুর ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ক্রিয়েটিভ আইটি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এবারে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করছে। শুরুতে ক্রিয়েটিভ-ই-স্কুলের অনলাইন প্রশিক্ষণে ১০০ জন শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অনলাইন প্রশিক্ষণে আগ্রহীদের আগামী ৩১ জুলাই এর মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে পারবেন (goo.gl/2dneZj) এই ঠিকানায়। | 327,664 |
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:০৭ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:০৮ | বগুড়া,শেরপুর,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | চাল উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/424384 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে লুট হওয়া চাল বগুড়ার শেরপুরে উদ্ধার হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উপজেলার মদনপুর এলাকার একটি গুদামঘর থেকে লুট হওয়া চালের ২৫২ বস্তা চাল উদ্ধার করে। এ সময় আন্তজেলা পণ্যবাহী ট্রাক ছিনতাইকারী দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) ও স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী তাপস কুমার মহন্তকে (৩০) আটক করা হয়। লুট হওয়া চালের মালিক রুহুল আমিন বলেন গত রোববার আশুগঞ্জ বাজার থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৩০০ বস্তা আতপ চাল ঢাকার বাবুবাজারে পৌঁছানোর জন্য একটি ট্রাক ভাড়া করেন। ট্রাক সময়মতো না পৌঁছালে তিনি আশুগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেন। তবে ট্রাক ও এর চালককে এখনো পাওয়া যায়নি। | 106,950 |
এস এম হাবিব উল্লাহ | education | শিক্ষা | ০৯ মে ২০১৭, ০০:০৪ | ০৯ মে ২০১৭, ০০:০৪ | পড়াশোনা | 0 | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি | http://www.prothom-alo.com/education/article/1101964 | বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরপ্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।অধ্যায়-৫৭৬। কোনো প্রোগ্রাম লেখার কাজ শেষ করার পর যে ত্রুটি থাকতে পারে—i. নির্বাহজনিত ত্রুটিii. যুক্তিসংক্রান্ত ত্রুটিiii. বিন্যাসগত বা ব্যাকরণজনিত ত্রুটিনিচের কোনটি সঠিক?ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii৭৭। ইন্টারপ্রিটার সম্পর্কে নিচের যে বিবরণ সঠিক—i. এটি একটি অনুবাদক প্রোগ্রামii. এটি উচ্চ স্তরের ভাষাকে যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তরিত করতে পারেiii. এর অনুবাদ করার পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া কম্পাইলারের মতোইনিচের কোনটি সঠিক?ক. i খ. i ও ii গ. iii ঘ. ii ও iii৭৮। 4GL সম্পর্কিত তথ্য—i. একে RAD টুল বলা হয়ii. এর সাহায্যে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায়iii. অপারেটিং সিস্টেম তৈরির জন্য ব্যবহূত হয়নিচের কোনটি সঠিক?ক. i খ. i ও iii গ. i ও ii ঘ. i, ii ও iii৭৯। ‘সি’ ভাষায় গাণিতিক অপারেটরের সাহায্যে—i. যোগ করা যায় ii. ছোট-বড় তুলনা করা যায়iii. ভাগশেষ নির্ণয় করা যায়নিচের কোনটি সঠিক?ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii৮০। অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ভাষা হলো—i. C ii. C++ iii. Javaনিচের কোনটি সঠিক?ক. i ও ii খ. ii ও iiiগ. i ও iii ঘ. i, ii ও iiiনিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮১ ও ৮২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ডেটা টাইপের জন্য বেশ সমৃদ্ধ। সাধারণত ডেটা টাইপ মেশিনের ওপর নির্ভরশীল। ANSI C-তে চার ধরনের ডেটা ব্যবহূত হয়।৮১। সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে long integer মেমোরিতে কত বাইট জায়গা নেয়?ক. ২ বাইট খ. ৪ বাইটগ. ৮ বাইট ঘ. ১৬ বাইট৮২। উদ্দীপকে উল্লিখিত ভাষায় কোন ধরনের অনুবাদক প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়?i. Compiler ii. Interpreter iii. Assemblerনিচের কোনটি সঠিক?ক. i খ. ii গ. iii ঘ. i, ii ও iiiনিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো এবং ৮৩ ও ৮৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।#include<stdio.h>main (){float x;print (“Enter the number”)scanf(“%d”,&x);}৮৩। প্রোগ্রামে ডিক্লেয়ার করা float x-এর x কী?ক. ভেরিয়েবল খ. ধ্রুবকগ. স্টেটমেন্ট ঘ. লাইব্রেরি ওয়ার্ড৮৪। প্রোগ্রামে লেখা ভুল d-এর পরিবর্তে যেটি ব্যবহার করা যেতে পারে—i. % f ii. % .2f iii. sনিচের কোনটি সঠিক?ক. i ও ii খ. i ও iiiগ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iiiবাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালউত্তর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঅধ্যায়-৫৭৬. ঘ ৭৭. খ ৭৮. ক ৭৯. খ ৮০. খ ৮১. খ ৮২. ক ৮৩. ক ৮৪. কমাস্টার ট্রেইনার, প্রভাষক, রাউজান কলেজ, চট্টগ্রাম | 316,477 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | education | শিক্ষা | ০২ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:৩০ | ০২ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:৩২ | -1 | 0 | নতুন বইয়ে বছর শুরু | http://www.prothom-alo.com/education/article/728653 | নতুন বই, মলাট-পাতায় পাতায় নতুনের ঘ্রাণ। এমন নতুন বই দিয়েই বছর শুরু করল সারা দেশের বিদ্যালয়পড়ুয়া কোটি শিক্ষার্থী। প্রায় সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসায় গতকাল শুক্রবার শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বিনা মূল্যের নতুন পাঠ্যবই।এ জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বিদ্যালয়গুলোতে লেগেছিল উৎসবের ছোঁয়া। খালি হাতে বিদ্যালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরেছে নতুন বই নিয়ে, হাসিমুখে। বছরের শুরুর দিনে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ দিবস। আগের দিন বৃহস্পতিবার গণভবনে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মূল উৎসব হয়েছে গতকাল। ‘নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকে ফুলের মতো ফুটব, বর্ণমালার গরব নিয়ে আকাশজুড়ে উঠব’ স্লোগান সামনে রেখে সারা দেশে স্কুল-মাদ্রাসায় হয় এই উৎসব।কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মিরপুরের ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই উৎসবের আয়োজন করে। সকালে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ছুটির দিনের শীতের সকালেও হাজারো শিক্ষার্থী বিদ্যালয় মাঠে বসে মাঝে মাঝেই হর্ষধ্বনি দিচ্ছে। তাদের অনেকের হাতে নতুন বইয়ের পাশাপাশি ছিল বেলুন বা জরির ফিতা। সারাক্ষণই তারা আনন্দে মেতে ছিল।সদ্য সপ্তম শ্রেণিতে ওঠা মুরসালিন হোসেন বলে, নতুন বই পড়ার আনন্দই অন্য রকম। ধানমন্ডি-২৭ নম্বরের বাসা থেকে সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যেই বই নিতে সে বিদ্যালয়ে চলে এসেছে।ওই স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তাসনিম বিনতে রাশেদের হাতে বই তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। উদ্বোধনের পর বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে যখন বিনা মূল্যে বই দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়, তখন শিক্ষার্থী ছিল আড়াই কোটির মতো। আর এখন শিক্ষার্থী বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। দেশের শিক্ষার্থীরা মেধার দিক দিয়ে দরিদ্র নয়। তারা আজ বিশ্ব জয় করতে সক্ষম। এ সময় আরও বক্তব্য দেন শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র পাল। এরপর শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মাঝে গিয়ে বেলুন উড়িয়ে দেন। শিক্ষার্থীরাও বই ওপরে তুলে ধরে। হাজারো শিক্ষার্থী নতুন বই উঁচু করে নাড়ানোর সময় ভিন্ন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ওই স্কুলে এই উৎসবে আশপাশের কয়েকটি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। মিরপুরের ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বয়সে ছোট হওয়ায় সেখানে হয় আরেক ধরনের আনন্দ। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালনের খবর পাওয়া গেছে। এসব উৎসবের উদ্বোধন করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।তবে রাজধানীতেই কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বই পায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ না হওয়ায় বই দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। আবার কেউ কেউ ছুটির দিনে উৎসব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দু-এক দিনের মধ্যে সবাই সব বই পেয়ে যাবে। এ বছর প্রাক্-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। তবে এবার প্রাথমিকের বইয়ের মান আগের মতো ভালো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েক দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তদন্তে যদি দেখা যায় মান খারাপ, তাহলে মুদ্রণকারীদের জরিমানা করা হবে। | 188,596 |
নাদিয়া নাহরিন | life-style | জীবনযাপন | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:২৭ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:২৭ | নকশা | 0 | হাতে তৈরি সাবান | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1327331 | প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি যেকোনো কিছুর চাহিদা একটু বেশিই। সেগুলো যদি হয় হাতে তৈরি, তবে আগ্রহের মাত্রা বেড়ে যায়। প্রতিদিন ব্যবহার করা সাবানের কথাই ধরা যাক। রাসায়নিক উপাদানে যন্ত্রে তৈরি সাবানের বাইরে হাতেও বানানো যায় সাবান। আর সেসবের আবেদন ও উপকারিতাও কম নয়।উদ্যোগের সূচনাভিন্ন ধরনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। মেনোনাইট সেন্ট্রাল কমিটি (এমসিসি) বাংলাদেশের অধীনে স্যাকরেড মার্ক এন্টারপ্রাইজের হাত ধরে এর সূচনা। হাতে তৈরি বিভিন্ন সাবানের সঙ্গে এখানে পুনরাবর্তন (রিসাইকেলিং) প্রক্রিয়ায় শাড়ি, কাঁথা, স্কার্ট তৈরি করা হয়। নারীদের ক্ষমতায়ন এবং একই সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণ—এই দুটো উদ্দেশ্যেই ময়মনসিংহে এমন উদ্যোগের সূচনা। বর্তমানে স্যাকরেড মার্ক এন্টারপ্রাইজ থেকেই হাতে তৈরি সাবান বাজারজাত করা হচ্ছে।বিভিন্ন ধরনের সাবাননবজাতক ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের জন্য পাওয়া যাবে হাতে তৈরি নানা রকম সাবান। এগুলোতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন উপাদান। স্যাকরেড মার্ক এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক ইশরাত জাহান বলেন, এ ধরনের সাবানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার। সাবান ছাড়াও এখানে তৈরি প্রতিটি জিনিস যেমন স্কার্ট, ফেসওয়াশ কিংবা পুনরাবর্তন করা উপাদানের কাঁথা, ব্যাগ কোনোটাতেই রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। এমনকি সাবানের যে প্যাকেট তৈরি হয়, তাতে হাতে তৈরি কাগজ এবং চা-পাতার গুঁড়া থেকে।লেমন গ্রাস, মধু, হলুদ, কমলা, আদা, নিমপাতা, রিঠা, নারকেল, ল্যাভেন্ডার, দারচিনি এবং চই মসলা—এসব উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় সাবানগুলো। কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে দু-তিন ধাপ পেরিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন হাতে তৈরি সাবান।মুখের ও শরীরের জন্যনারকেল তেল আপনার ত্বকের দাগ, বলিরেখা দূর করবে। এ ছাড়া অন্যান্য তেল যেমন ক্যাস্টর অয়েল বা জলপাই, সূর্যমুখী ত্বক পরিষ্কার, শুষ্কতা দূর করবে। মধু আপনার ত্বকের কোমলতা ধরে রাখবে।চুলের সাবানরিঠা, শিকাকাই, খয়ের ও ইউক্যালিপটাস তেল চুলের খুশকি দূর করে উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। এ ছাড়া অনেকের মাথার ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। রিঠা ও শিকাকাই এটি দূর করে। আর খদির আপনার চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখবে।শিশুদের সাবানশিশুর ত্বক আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাই ত্বকের নমনীয়তা যাতে বজায় থাকে সেটি খেয়াল রেখেই বেবি সোপ।যেখানে পাওয়া যাবেঅরণ্য, যাত্রা, আসাদ গেটের সোরস, প্রকৃতি, মডার্ন হারবাল, ফোক ইন্টারন্যাশনালের শোরুমে হ্যান্ড মেড এই সাবানগুলো ইভেন্ট অনুযায়ী পাওয়া যায়। এ ছাড়া এখান থেকেই কিনতে পারেন এই সাবান। সাধারণত স্যাকরেড মার্ক এন্টারপ্রাইজ থেকেই বাজারজাত করা হয় এই সাবান।সাবান তৈরির প্রক্রিয়াতিনটি ধাপে তৈরি হয় এই সাবান। মূলত ঠান্ডা প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় এই সাবান। এর অন্যতম কারণ হলো যাতে সাবানে ব্যবহৃত প্রতিটি উপাদান বজায় থাকে। এতে ব্যবহৃত গ্লিসারিন সাধারণত সাবানের ভেতরেই দেওয়া থাকে। ফলে ত্বকের কোমলতা বজায় থাকে। হাতে তৈরি সাবান তৈরি করতে সময় লাগে ২১ দিন।শুধু সাবানই নয়সাবান ছাড়াও রয়েছে হাতে তৈরি ফেসওয়াশ, শ্যাম্পু, বডিওয়াশ। এগুলো পাওয়া যায় চারকোনা বার হিসেবে।দরদামএকটি সাবানের দাম পড়বে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। চাইলে বক্স হিসেবেও কিনতে পারেন। দাম পড়বে ৫০০ টাকার ভেতরে।ত্বকের যত্নেস্যাকরেড মার্ক এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক ইশরাত জাহান দীপা বলেন, যেহেতু সাবানগুলোয় বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হয়, তাই প্রতিটি উপাদানের গুণাগুণ অনেক। সব ধরনের ত্বকের জন্যই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। কেননা পুরোটাই তৈরি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। | 338,918 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৫ মার্চ ২০১৪, ১৫:৫৭ | ২৫ মার্চ ২০১৪, ১৬:০৭ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | রেফারির সমালোচনা করায় রোনালদো-রামোসের শাস্তি? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/176887 | এল ক্লাসিকোতে হারার পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বেজায় খেপেছেন রেফারির ওপর। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড রেফারি আলবার্তো মায়েঙ্কোর ওপর ক্ষোভ উগরে বলেছেন, ‘এক ম্যাচে অনেক বেশি ভুল হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার ম্যাচে আরও ভালো রেফারিং হওয়া উচিত ছিল।’ শুধু রোনালদো নন, রেফারির সমালোচনায় মুখর রামোসও। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করার ঝাল বোধ হয় টের পেতে যাচ্ছেন রোনালদো ও রামোস।এরই মধ্যে দুই রিয়াল তারকার বিরূপ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কম্পিটিশন কমিটি অব স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে স্পেনের টেকনিক্যাল কমিটি অব রেফারিজ (সিটিএ)। আরএফইএফের একটি সূত্র স্প্যানিশ দৈনিক ‘মার্কা’কে নিশ্চিত করেছে, সংস্থাটি দুই খেলোয়াড়ের মন্তব্য তদন্ত করছে। যদি গুরুতর কিছু পাওয়া যায়, তাহলে দুঃসংবাদই অপেক্ষা করছে রিয়াল তারকাদ্বয়ের জন্য।ওদিকে রোনালদো মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাভি হার্নান্দেজ। বার্সার মধ্যভাগের এ ভরসা বলেছেন, ‘ক্রিস্টিয়ানোর দাবি ঠিক নয়। ওর সমালোচনা রূঢ়। বার্সা ভালো দল ছিল সেদিন। রিয়ালের চেয়ে আমরাই ভালো খেলেছি বলেই এ ফল এসেছে।’ বার্সার রক্ষণভাগের সেনানী পিকেও বলেছেন, ‘এত দারুণ একটা ম্যাচের পর রোনালদোর এ ধরনের অভিযোগ খুবই লজ্জার। রেফারিকে নিয়ে এভাবে কথা বলা একদমই ঠিক নয়। ম্যাচের চূড়ান্ত ফলে সে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।’ | 60,806 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ০৭ মে ২০১৪, ১২:২১ | ০৭ মে ২০১৪, ১২:৫৭ | -1 | null | শ্রীলঙ্কার এক গ্রামে মাছ-বৃষ্টি! | http://www.prothom-alo.com/international/article/210304 | গ্রামবাসী পথের ধারে, মাঠে মাছ কুড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। আকাশ থেকে ঝরে পড়া ছোট ছোট মাছের অনেকগুলো তখনো তাজা। কুড়ানো মাছভর্তি পাত্রে পানি ঢেলে দিতেই লাফিয়ে উঠল মাছ। রূপকথার গল্পের মতো মনে হলেও এমনটাই ঘটেছে শ্রীলঙ্কার চিলাও জেলার একটি গ্রামে। অস্বাভাবিক এই মাছ-বৃষ্টিতে দারুণ আনন্দিত গ্রামবাসী। এ নিয়ে গত সোমবার রীতিমতো উত্সবে মেতে ওঠেন তাঁরা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ঘরের চালে আকাশ থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দে তাঁরা বাইরে ছুটে আসেন। খোলা মাঠে, বাড়ির আশপাশে, রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মাছ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। ওই গ্রামের বাসিন্দারা সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কিলোগ্রামের মতো মাছ কুড়িয়েছেন বলে জানান। খাওয়ার উপযোগী এই মাছ-বৃষ্টিতে আনন্দ-ভোজ শুরু হয়ে যায় গ্রামটিতে। তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি লম্বা এই মাছগুলো শ্রীলংকায় পরিচিত।বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘মাছ-বৃষ্টি’ অস্বাভাবিক হলেও প্রকৃতিতে এটা ঘটে থাকে। মাছসমৃদ্ধ কোনো কম গভীরতার জলাশয়ের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্র বয়ে গেলে এমন জলঘূর্ণি ঘটতে পারে। এ সময় পানিতে থাকা মাছ, ব্যাঙসহ সবকিছুই ঘূর্ণিবায়ুর সঙ্গে আকাশে উঠে যায়। আকাশে উঠে যাওয়ার পর ঝড়ের সঙ্গে অনেকদূরে চলে যেতে পারে এসব জলজ প্রাণীও। এমনকি এই জলঘূর্ণি থেমে যাওয়ার পরও মেঘের স্তরের কারণে এরা সাময়িকভাবে আটকে থাকতে পারে ওপরেই। আর ঝড়, জলঘূর্ণি থেমে গেলে মেঘের ভেতর থেকে ঝরে পড়তে শুরু করে জলজপ্রাণীগুলো। সাধারণত মাছ-বৃষ্টি এমনই হয়।শ্রীলঙ্কায় এই মাছ-বৃষ্টি অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০১২ সালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ‘চিংড়ি-বৃষ্টি’ হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল। একই বছর শ্রীলঙ্কায় লাল ও হলুদ রঙের শিলাখণ্ডের অস্বাভাবিক শিলাবৃষ্টি হয় শ্রীলঙ্ককায়। ওই শিলাগুলো মহাকাশ থেকে পতিত বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। জলবায়ুর এই বিশেষ পরিবর্তন এবং শ্রীলঙ্কায় এই মাছ-বৃষ্টি ও মহাকাশের শিলাবৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করছেন মার্কিন ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। | 71,262 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০৬ জুলাই ২০১৫, ০১:০৬ | ০৬ জুলাই ২০১৫, ০১:০৮ | বিনোদন | 0 | abc আজকের আয়োজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/570586 | ‘সত্য বা রহস্য কাহিনি নিয়ে’এয়ারটেল প্রেজেন্টস কুয়াশাআরজে শারমীনের সঙ্গেরাত ১১টা ২০ মিনিটথেকে ২টাস্পিডব্রেকারেমি. নুডলস মিউজিক ডিসকোরাত ৮টা ১০ মিনিট থেকে ৮টা ৩০ | 150,734 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৪ জুলাই ২০১৮, ১৫:১৭ | ২৪ জুলাই ২০১৮, ১৭:০৪ | এশিয়া | 0 | লাওসে জলবিদ্যুৎ বাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে শত শত মানুষ নিখোঁজ | http://www.prothom-alo.com/international/article/1539046 | লাওসের আট্টাপু প্রদেশে জলবিদ্যুৎ বাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে শত শত মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। গতকাল সোমবার রাতের কোনো এক সময় বাঁধটি ভেঙে ছয়টি গ্রামে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম লাওস নিউজ এজেন্সির বরাতে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।লাওসের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, অনেকের প্রাণহানি ঘটেছে। শত শত মানুষ নিখোঁজ। ওই আকস্মিক বন্যায় ৬ হাজার ৬০০ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে।‘জাইপিয়ান-জে নাম নয়’ নামের বাঁধটি বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো কারণ জানা যায়নি।লাওসের প্রধানমন্ত্রী থংলুন সিসলথ সব সরকারি আলোচনা বাতিল করে কর্মকর্তাদের নিয়ে বন্যাদুর্গত সানম্যাক্সে জেলা ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন।স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সরকারসহ অন্যদের কাছে জরুরি সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছে। | 371,385 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৪৪ | ০৮ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৪৫ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ‘সমকালীন ভাবনা’ পাঠককে নানামুখী ভাবনায় ফেলবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/187291 | প্রবন্ধগ্রন্থ সমকালীন ভাবনায় সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান দেশের সমকালীন বিভিন্ন মর্মান্তিক ঘটনা, রাজনীতি ও এর অমানবিক দিক এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ভাবনা তুলে ধরেছেন। আলোচকেরা বলেছেন, বইটি সমাজ, মানুষ ও দেশ নিয়ে পাঠককে নানামুখী ভাবনায় ফেলবে।গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সমকালীন ভাবনা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, সাবেক বিমানবাহিনী-প্রধান এ জি মাহমুদসহ বিশিষ্ট আলোচকেরা এ কথা বলেন।সমকালীন ভাবনা বইয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ২৫টি প্রবন্ধ রয়েছে। এতে চীনসম্পর্কিত চারটি প্রবন্ধ আছে। লেখক বইয়ের শুরুটাও করেছেন চীনকে দিয়ে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। | 64,314 |
-1 | sports | খেলা | ১৩ নভেম্বর ২০১৫, ১২:৪৮ | ১৩ নভেম্বর ২০১৫, ১২:৫০ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | শনির দশা কাটছেই না আজমলের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/682390 | কদিন আগেই বোলিং অ্যাকশন-সংক্রান্ত বিষয়ে আইসিসির কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাঈদ আজমল। অভিযোগ করেছিলেন, বোলিং অ্যাকশনের বিষয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার নীতি একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম। এখানে থেমে গেলেও চলত, কিন্তু ভারতীয় অফস্পিনার হরভজন সিংকে ‘চাকার’ হিসেবে অভিহিত করেই আগুনে ঘি ঢেলেছেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) বিব্রত তাঁর এসব মন্তব্যে। আলটপকা মন্তব্যের জেরে আজমলের সঙ্গে চুক্তিই বাতিল করে দিয়েছে পিসিবি।অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য গত বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। অ্যাকশন শুধরে এ বছর এপ্রিলে ফিরেও এসেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু অ্যাকশনের পরিবর্তন বলের ধার কমে যাওয়ায় বাদ পড়তে হয়েছে পাকিস্তান দল থেকে। হতাশা থেকেই বোধ হয় আটত্রিশ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার পক্ষপাতিত্বের দায়ে অভিযুক্ত করেন আইসিসিকে। বলছিলেন, আইসিসি নাকি ইচ্ছে করেই পাকিস্তানি বোলারদের সঙ্গে এ রকম করছে। হরভজন সিংয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছিলেন বল ছোঁড়ার। কিন্তু আজমলের এসম মন্তব্য পছন্দ হয়নি পিসিবির। বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান জানিয়েছেন সাঈদের মন্তব্যে হতাশ ও বিব্রত হয়েই তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের বিষয়টিকে তিনি ‘ন্যূনতম শাস্তি’ হিসেবেই অভিহিত করেছেন।আজমলকে এখন লিখিতভাবে তাঁর মন্তব্যগুলোর ব্যাখ্যা দিতে হবে।শাহরিয়ার খান বলেন, ‘আজমল যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারে সে জন্য সম্ভব সব ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছিলাম। আমরা তাঁকে সহযোগিতা করেছি। তাঁর পাশে থেকেছি। সাকলাইন মুশতাকের মতো বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দিয়েছি তাঁর জন্য। তারপরেও সে উল্টোপাল্টা কথাবার্তা বলে আমাদের বিব্রত করেছে।’ সূত্র: ক্রিকইনফো | 173,831 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:২৪ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:০৭ | ফুটবল | null | ‘সাফল্যহীন’ ‘তারকাহীন’ ফুটবলে এত টাকা! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1435541 | বাংলাদেশের ফুটবলারদের দাম অনেকঅনেক ফুটবলারই ৩০-৪০ লাখ টাকা করে পানখেলোয়াড়-সংকটের কারণেই এমনটি হয়এ নিয়ে ক্ষোভ আছে ক্লাবগুলোর মধ্যেফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯৭। পেছনে যারা আছে, তারা বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ সেটি নয়; বরং তাদের ফুটবল কার্যত মৃত বলেই এর নিচে যাওয়া সম্ভব নয়। অথচ র্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে পড়ে থাকা এই দেশের ঘরোয়া ফুটবলেই টাকা বাতাসে উড়ে বেড়ায়। ‘তারকাশূন্য’ এ দেশের ফুটবলে খেলোয়াড়েরা দলবদলের বাজারে নিজেদের দর আকাশে তোলেন। ক্লাবগুলোও প্রতিযোগিতায় নামে কে কাকে কত দামে কিনতে পারবে, সেটি নিয়ে।দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত না হলেও নতুন মৌসুমের আগমনী সুর এরই মধ্যে বাজতে শুরু করে দিয়েছে। প্রতি মৌসুমের মতো এবারও দল গঠনের জন্য টাকার থলে নিয়ে বাজারে নেমে গেছে ক্লাবগুলো। খেলোয়াড়েরাও চড়াতে শুরু করেছেন নিজেদের দাম। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে আগের মৌসুমে ৫ লাখ টাকার খেলোয়াড়ও নিজেদের দাম হাঁকছেন ৪০ লাখ! ক্লাবগুলোর হাতেও বিকল্প নেই। হাতে গোনা ২০ জন মোটামুটি ‘ভালো’ ফুটবলার যদি নিজেদের এমন দাম হাঁকতে থাকেন, তাহলে বাধ্য হয়েই ক্লাবগুলোকে বেশি খরচ করতে হয়। ৫ লাখ টাকার ফুটবলারকে তাই ৪০ লাখ না দিলেও ২৫ লাখ তো দিতেই হয়!পুরো ব্যাপারেই অসম্ভব বিরক্ত ক্লাব-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। একটি ক্লাবের সভাপতি তো ক্ষোভের সঙ্গে বলেই বসলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে টাকা যেন তেজপাতা।’ তাঁর মতে, মানসম্মত খেলোয়াড় কম থাকার কারণেই এমনটি হচ্ছে।সদ্য স্বাধীনতা কাপে বিজয়ী আরামবাগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সুফিয়ান সুফিল এবার যোগ দিচ্ছেন প্রিমিয়ারে সদ্য নাম লেখানো বসুন্ধরা কিংসে। বড় ব্যবসায়িক গ্রুপ বসুন্ধরার মালিকানাধীন এই ক্লাবটি দল গঠনে নেমেছে টাকার থলে নিয়ে। সুফিলকে নাকি তারা নিয়েছে ৩৫ লাখ টাকায়। অথচ গত মৌসুমে তিনি আরামবাগে খেলেছিলেন ৬ লাখ টাকায়। সাইফ থেকে বসুন্ধরায় যাচ্ছেন আরেক আলোচিত ফুটবলার মতিন মিয়া। গত মৌসুমে সাইফে ১৫ লাখ টাকা পাওয়া এই ফুটবলারকেও ৩৫ লাখ দিচ্ছে বসুন্ধরা। সেই ক্লাব কর্তার সুরে অবশ্যই বলতে হয়, এ দেশের ফুটবলে টাকা সত্যিই ‘খুব সস্তা’।বিশ্বস্ত সূত্রের মতে, এবারের মৌসুমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হতে যাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডই। গত মৌসুমের প্রায় সব খেলোয়াড়কেই ধরে রেখেছে তারা। সঙ্গে সাইফ থেকে যোগ দিচ্ছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও উইঙ্গার জুয়েল রানা। সে তুলনায় বাজে অবস্থা চট্টগ্রাম আবাহনীর। লিগে তৃতীয় হওয়া এই দলটি এবার ভাঙা হাট। স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজ থেকে শুরু করে ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা—প্রায় সবাই নতুন ক্লাব খুঁজে নিচ্ছেন। মোহামেডান অবশ্য এখনো বাজারে নামেনি। তবে শোনা যাচ্ছে জাতীয় ফুটবল দলের সর্বশেষ অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম নাকি এবার মোহামেডানে খেলবেন।তবে দলবদলের বাজারে ভালো উদাহরণ হতে পারে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। বয়সভিত্তিক দল ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির সুফল তারা পাচ্ছে। সে কারণে তুলনামূলক যৌক্তিক অঙ্কেই তারা দল গঠন করতে পারছে। সাইফের এক কর্তা জানিয়েছেন, তাদের দুটি বয়সভিত্তিক দল থেকে ৮ ফুটবলারকে মূল দলে নেওয়া হচ্ছে। দলে যোগ দিচ্ছেন হালের তারকা জাফর ইকবাল। আরামবাগও ঠিক একই কাজ করতে যাচ্ছে। স্বাধীনতা কাপজয়ী প্রায় পুরো দলটাই তারা রেখে দিচ্ছে। যুব প্রকল্প থেকে আরও কয়েকজনকে নিলে অন্যদের চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো একটা দলই তারা গঠন করতে পারবেন বলে আশাবাদী আরামবাগের কর্তারা। এই মৌসুমে কোন খেলোয়াড় কোন দলেখেলোয়াড় দল পজিশনজুয়েল রানাআবাহনী লিমিটেডউইঙ্গারতপু বর্মনআবাহনী লিমিটেডসেন্টারব্যাকতৌহিদুল আলম সবুজবসুন্ধরা কিংসস্ট্রাইকারমিতুল হাসানবসুন্ধরা কিংসগোলরক্ষকমতিন মিয়াবসুন্ধরা কিংসফরোয়ার্ডসুফিয়ান সুফিলবসুন্ধরা কিংসউইঙ্গারজিয়াউর রহমানসাইফ স্পোর্টিংগোলরক্ষকজাফর ইকবালসাইফ স্পোর্টিংফরোয়ার্ডআরিফুল ইসলামশেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রসেন্টারব্যাকমোহাম্মদ সোহেলশেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রমিডফিল্ডারমামুনুল ইসলামমোহামেডান স্পোর্টিংমিডফিল্ডার | 355,567 |
এএফপি | international | আন্তর্জাতিক | ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ০২:০০ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:৩১ | এশিয়া | null | উত্তর কোরিয়ার সঙ্গ ছাড়ুন | http://www.prothom-alo.com/international/article/1377326 | উত্তর কোরিয়া এযাবৎকালের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর এশিয়ার নিভৃতকামী দেশটির সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে পরাশক্তি রাশিয়া এবং চীন এই আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না।বুধবার ভোরে জাপানের জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এরপর নিজেদের পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর গতকাল বৃহস্পতিবার জরুরি অধিবেশনে বসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার আহ্বানে এই বৈঠক বসে। সেখানে এই পরীক্ষার নিন্দা জানানো হয়। জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি পরিষদের অন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশে বলেন, উত্তর কোরিয়ার কার্যকলাপ বিশ্বকে ‘যুদ্ধের খুব কাছে’ নিয়ে যাচ্ছে। তিনি পিয়ংইয়ংকে বিশ্বের জন্য ধ্বংসাত্মক হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।নিকি হ্যালি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য সব কটি দেশের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জানান, সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে ফোন করেছেন। উত্তর কোরিয়া তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, চীন এই পদক্ষেপ নিলে তা হবে উত্তর কোরিয়াকে এক ঘরে করে ফেলার কার্যকরী পদক্ষেপ।নিকি হ্যালি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কখনো যুদ্ধ চায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে যদি যুদ্ধ বাধে, তবে উত্তর কোরিয়া পুরো ধ্বংস হয়ে যাবে।তবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার মার্কিন আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না রাশিয়া ও চীন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গতকাল বেলারুশের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখছি। আমরা বরাবরই বলে আসছি, অবরোধ এবং নিষেধাজ্ঞার চাপ কোনো কাজে আসেনি।’এদিকে চীনও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় তেল সরবরাহ বন্ধের ব্যাপারে তারা আগ্রহী নয়। | 346,575 |
-1 | opinion | মতামত | ২৫ জুন ২০১৮, ১১:০৫ | ২৫ জুন ২০১৮, ১১:০৫ | সম্পাদকীয়: | 0 | গাজীপুর সিটি নির্বাচন | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1517376 | রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। যে |প্রেক্ষাপটে নির্বাচনটি হচ্ছে, তাতে স্থানীয় সরকার সংস্থার এই নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু গাজীপুরবাসী নয়, সারা দেশের মানুষই তাকিয়ে আছে এই নির্বাচনের প্রতি।রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দল ও প্রার্থীরা স্বেচ্ছায় নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন, সেটি আশা করা যায় না। বরং সুযোগ পেলে তাঁরা জয়ী হওয়ার জন্য নানা অপকৌশল ও জোরজবরদস্তির আশ্রয় নিয়ে থাকেন। এই কাজে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যবহার করতেও দ্বিধা করেন না। অতএব, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী-প্রক্রিয়ার ওপর কঠোর নজর রাখা, যাতে কোনোভাবেই কোনো প্রার্থী কিংবা তাঁর সহযোগীরা নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করতে না পারেন।এখন দেখার বিষয়, কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সেই দায়িত্ব পালন করতে পারছে কি না। প্রথমেই তারা হোঁচট খেয়েছে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনটি করতে না পেরে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা না চেয়ে সরাসরি নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করা আইনের পরিপন্থী। অথচ গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে। পরে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও নির্বাচন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন। এটি মন্দের ভালো হলেও নির্বাচন কমিশনের কোনো কৃতিত্ব নেই। তারা ঢাকা উত্তরের স্থগিত হয়ে যাওয়া নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত জটিলতার কারণে মাসের পর মাস কোনো নির্বাচন আটকে থাকতে পারে না।সে যা-ই হোক, দ্বিতীয় দফা তফসিল অনুযায়ী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচন পুরোপুরি ভয়ভীতিহীন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে—সেটাই সবার প্রত্যাশা। কিন্তু জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণে প্রতিষ্ঠানটি কি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে? আশার কথা, খুলনায় নির্বাচনের প্রাক্কালে যেমন অস্থির ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ছিল, গাজীপুরে তেমনটি লক্ষ করা যায়নি। প্রার্থীরা মোটামুটি নির্বিঘ্নে প্রচারকাজ চালিয়েছেন; যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিল নির্বাচনী প্রচারে নিয়োজিত তাদের কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সার্বিক পরিবেশ এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধারণা করি।তবে শেষ ২৪ ঘণ্টা ও ভোট গ্রহণের সময়টি নিয়ে ভোটারদের ভয় ও শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সেই ভয় ও শঙ্কা দূর করা, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারেন। আগের কোনো কোনো নির্বাচনের মতো যেন শুনতে না হয়, ‘আপনাদের ভোটটি দেওয়া হয়ে গেছে।’যেকোনো নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রার্থী নিয়োজিত নির্বাচনী এজেন্টদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীর এজেন্টকে ভয়ভীতি দেখানো হলে কিংবা ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া না হলে বুঝতে হবে এর পেছনে কোনো অভিসন্ধি আছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সে ধরনের অভিসন্ধি যাতে কাজ করতে না পারে, সে জন্য কমিশনকে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি যাতে কোনো প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাত না করতে পারে, সে বিষয়েও তাদের সজাগ থাকতে হবে।সংশ্লিষ্টদের মনে রাখতে হবে, সব বাধা ও সংশয় অতিক্রম করে গাজীপুরে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তপূর্ণ নির্বাচন করাই এখন নির্বাচন কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। | 368,334 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:৩৩ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০৮:৫২ | অপরাধ,চট্টগ্রাম | null | ডিবি পরিচয়ে যেভাবে ডাকাতি করেন তাঁরা! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1400801 | তাঁরা ১১ জন। কোমরে পিস্তল ও হাতকড়া। পকেটে ওয়াকিটকি। মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা। গায়ে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জ্যাকেট। একজন আরেকজনকে সম্বোধন করেন স্যার বলে। দেখে কারও চেনার উপায় নেই এরা ভুয়া। চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ কয়েকটি স্থানে তাঁরা ঘুরে বেড়ান। কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুললে পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকার উৎস জানতে চান। একপর্যায়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। গন্তব্য ডিবি কার্যালয় নয়। নির্জন কোনো স্থান নিয়ে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন।এ ধরনের একটি ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ওই ১১ ভুয়া ডিবি পুলিশের সন্ধান পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির ব্যবহৃত একটি অটোরিকশা, দুটি মোটরসাইকেল, একটি ওয়াকিটকি, এক জোড়া হাতকড়া, দুটি জ্যাকেট, একটি খেলনা পিস্তল, ছিনতাই করা দুটি মুঠোফোন এবং সাড়ে ৩২ হাজার টাকা। গ্রেপ্তার ১১ জন হলেন কাইছার হামিদ (৩১), মামুন উদ্দিন (৩৫), হারাধন দাশ (৩৭), জাহেদুল আজম (৩৫), মো. শাহেদ রানা (৩১), শওকত আলী (৩২), সেলিম মাহমুদ (৪৪), রেজাউল করিম (৫১), মো. রুবেল (৩০), জাসেদুল করিম (৩৫) ও মো. মাসুদ (২৮)। এঁদের মধে৵ সেলিম জেলার রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর।নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের স্নাতক সম্মান শ্রেণির ছাত্র ইমতিয়াজ উদ্দিনকে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর নগরের লাভলেন এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে নামানো হয়। এরপর ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া কয়েকজন তাঁকে তল্লাশি করে। ইমতিয়াজ তাঁর মামার পাঠানো টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বাসায় ফিরছিলেন। একপর্যায়ে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার কথা বলে অটোরিকশায় করে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে নেওয়া হয়। টাকা ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে নামে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান আরও বলেন, গ্রেপ্তার ১১ জন এ পর্যন্ত সাত-আটটি এভাবে ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা এক বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কাউকে হয়রানি করলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে জানানোর জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াছ খান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান ওই ১১ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত আগামী রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন। | 350,094 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ জুলাই ২০১৫, ০২:১৪ | ২৮ জুলাই ২০১৫, ০২:১৫ | সরকার | 0 | উদ্যোগ না নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/586846 | নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একেবারেই উদ্যোগ নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, সদস্য ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।বর্তমানে দেশে ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে পুরোনো ৫২টির মধ্যে মাত্র ১১টি পূর্ণাঙ্গভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে গেছে। বাকিগুলোর মধ্যে কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস করলেও পূর্ণাঙ্গভাবে যেতে পারেনি। তবে অধিকাংশই উদ্যোগ নিয়েছে। এ নিয়ে গত রোববার প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো জমিও কেনেনি। অনেকে জমি কিনলেও নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে না কিনে ফাউন্ডেশনের নামে কিনেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে তিন দফায় সময় বাড়ানোর পর সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বরে।সভায় উপস্থিত ইউজিসির চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগামী ১৩ আগস্ট বৈঠক হবে বলেও জানান তিনি। | 155,505 |
বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ মে ২০১৫, ০০:৪১ | ০৩ মে ২০১৫, ০০:৪২ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | বাঘাইছড়িতে জনসংহতি সমিতির কমিটি গঠন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/517726 | রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় জনসংহতি সমিতির উপজেলা শাখার কমিটি ২৪ এপ্রিল গঠন করা হয়েছে। সারোয়াতলী ইউনিয়নের শিজক কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রভাত কুমার চাকমা সভাপতি, বড়ঋষি চাকমা সাধারণ সম্পাদক ও খোকন চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি উৎপলাÿ চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা, রাঙামাটির জেলা শাখার সহসভাপতি কিশোর কুমার চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক শরৎ জোতি চাকমা, রাঙামাটি জেলা শাখার যুব সমিতির সভাপতি সুনির্মল দেওয়ান প্রমুখ। | 136,094 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ২০ আগস্ট ২০১৩, ০১:২২ | ২০ আগস্ট ২০১৩, ০১:২৫ | খেলা,অ্যাথলেটিকস | 0 | সার্থকতা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/40576 | কেনিয়ার স্থানীয় ভাষায় ‘আসবেল’ শব্দের অর্থ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নামের সার্থকতা রেখেছেন আসবেল কিপরপ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুবার ১৫০০ মিটার জিতে এই কেনিয়ান প্রমাণ দিয়েছেন তিনি আসলেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। | 10,607 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১৫ মে ২০১৮, ১৫:১২ | ২৩ মে ২০১৮, ১০:৫০ | ফুটবল,আর্জেন্টিনা,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ | null | দিবালা টিকে গেলেও বাদ পড়ে যাবেন ইকার্দি? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1489556 | গত প্রায় ৫ বছরে আর্জেন্টিনার হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছেন। ইকার্দির ওপর আস্থা রাখতে পারেননি কোনো কোচই। সিরি ‘আ’তে এবার ২৮ গোল করেও চূড়ান্ত দলে জায়গা পাবেন কি না নিশ্চিত নয়মাউরো ইকার্দি খবরটা শুনে খুশি হবেন না কষ্ট পাবেন কে জানে। বিশ্বকাপ খেলা যেকোনো ফুটবলারের জন্য স্বপ্ন। গত বিশ্বকাপ খেলা হয়নি ২০১৩ সালে অভিষেক হয়েও। এবার প্রাথমিক দলে জায়গা করে নিয়েছেন। যদিও ৩৫ জনের দলটা ছোট হতেই সেই তালিকায় নিজেকে নাও খুঁজে পেতে পারেন। অথচ ইতালির ইন্টার মিলানের অধিনায়ক আছেন দারুণ ফর্মে। তবু ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপ হয়তো দর্শক হয়ে দেখতে হবে তাঁকে।প্রাথমিক দলে আক্রমণভাগে সাতজনকে রেখেছেন আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। ইকার্দি ছাড়াও তাতে আছেন পাওলো দিবালা, গঞ্জালো হিগুয়েইন, সার্জিও আগুয়েরো, লতারো মার্টিনেজ, দিয়েগো পেরোত্তি। অবশ্যই আছেন লিওনেল মেসি। ইকার্দি ছাড়াও চূড়ান্ত দলে জায়গা করে নেওয়া অনিশ্চিত আর্জেন্টিনার নতুন তারকা দিবালারও।অভিষেকের পর গত প্রায় ৫ বছরে আর্জেন্টিনার হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছেন। ইকার্দির ওপর আস্থা রাখতে পারেননি কোনো কোচই। এক সময় ধারণা করা হতো, কারণটা নৈতিক। জাতীয় দলের আরেক সতীর্থের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন বলে মেসিই নাকি তাঁকে চান না। তবে সাম্পাওলি বলেছেন, আর্জেন্টিনার খেলার ধরনের সঙ্গে ইকার্দি মানিয়ে নিতে পারেন না। এ কারণে সিরি তাতে ২৮ গোল করেও দর্শক হয়ে থাকতে হতে পারে তাঁকে।জুভেন্টাস তারকা দিবালারও চূড়ান্ত দলে জায়গা না পাওয়ার কারণ হতে পারে মেসি ও তাঁর খেলার ধরন ও পজিশন একই রকম। তবে মেসিকে গঞ্জালো হিগুয়েইনের ঠিক পেছনে খেলানোর পরিকল্পনা থাকলে ডান পাশের জায়গাটা দিবালা পেয়েও যেতে পারেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম এখনো আশা দেখাচ্ছে তাঁকে।৩৫ জনের দলে জায়গা করে নিতে পারেননি কার্লোস তেভেজ, ক্রানেভিতার ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের অ্যাঙ্গেল কোরেয়া। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া আছেন মিডফিল্ডারের তালিকায়। সেখানে অবশ্য জায়গা পাননি তাঁর পিএসজি সতীর্থ হাভিয়ের পাস্তোরে। চোটে থাকলেও জায়গা করে নিয়েছে লুকাস বিলিয়া। আগুয়েরোও চোটে আছেন। তবে সেরে উঠবেন বিশ্বকাপের আগেই।কয়েক দিনের মধ্যেই সাম্পাওলি ২৩ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে দেবেন। যদিও ব্রাজিল এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে তাদের চূড়ান্ত দল।গোলরক্ষক: সার্জিও রোমেরো, নাহুয়েল গুজমান, উইলি কাবায়েরো, ফ্রাঙ্কো আরমানি।ডিফেন্ডার: গ্যাব্রিয়েল মারকাদো, নিকোলাস থামেনি, ফেদেরিকো ফাজিো, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, মার্কোস রোহো, মার্কোস একুইনা, রামিরো ফিউনেস মরি, ক্রিসতিয়ান আনসালদি, এদুয়ার্দো সাওভিও, গারমান পেজ্জেয়া।মিডফিল্ডার: হাভিয়ের মাসচেরানো, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, এভার বানেগা, লুকাস বিলিয়া, ম্যানুয়েল লানজিনি, জিও লো চেলসো, রিকার্দো সেঞ্চুরিয়ন, গুইদো পিজারো, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, ম্যাক্সিমিলিয়ানো মেজা, এনজো পেরেজ, পাবলো পেরেজ, রদ্রিগো বাত্তালিয়া।ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি, সার্জিও আগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুয়েইন, পাওলো দিবালা, মাউরো ইকার্দি, ক্রিস্তিয়ান পাভোন, লতারো মার্টিনেজ, ডিয়েগো পেরেত্তি। | 363,992 |
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মার্চ ২০১৬, ২১:৩৫ | ০৮ মার্চ ২০১৬, ২১:৫৭ | অপরাধ,লক্ষ্মীপুর | 0 | লক্ষ্মীপুরের নিখোঁজ ছয় ছাত্র চাঁদপুরে উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/792700 | লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের একটি মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ ছয় ছাত্রসহ এক শিক্ষককে চাঁদপুর থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধার করেছে পুলিশ। লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পুষ্প বরণ চাকমা বলেন, আজ বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ চাঁদপুর দক্ষিণ মতলব থানার পুলিশের সহযোগিতায় মতলবের গোবিন্দপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া ছাত্ররা হলো সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মো. রাসেল, আলতাফ হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ, হুমায়ুন কবিরের ছেলে জোবায়ের, হারুনুর রশিদের ছেলে মো. মুরাদ, জামাল হোসেনের ছেলে মো. রবিন এবং হাফেজ উল্যার ছেলে মো. মনির হোসেন। ছাত্রদের সবার বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। আর ছাত্রদের সঙ্গে উদ্ধার করা হয় শিক্ষক হাফেজ মো. হোসাইন ওরফে জসিমকে। রাত নয়টার দিকে তাদের চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্গাপুর গ্রামের রহমানিয়া তালিমুল কোরআন নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. হোসাইন মাদ্রাসার ছয় ছাত্রকে নিয়ে বাইরে বের হন। রাতে অটোরিকশায় করে তাদের চলে যেতে দেখেছেন বলে ওই মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম পুলিশকে জানান। পরে গতকাল সোমবার রাতে শিক্ষক মনিরুল চন্দ্রগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। | 208,640 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৯ জুলাই ২০১৩, ১৫:০৯ | ১৯ জুলাই ২০১৩, ১৫:১০ | হলিউড | 0 | পারিশ্রমিকের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রবার্ট ডাউনি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/26632 | গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পকেটে পুরেছেন ‘আয়রন ম্যান’ তারকা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। ৭৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে সম্প্রতি বিশ্বের সর্বাধিক আয়কারী তারকা অভিনেতা হিসেবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছেন তিনি। ২০১২ সালের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ে ৭৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন ৪৮ বছর বয়সী এ মার্কিন অভিনেতা। ৬০ ও ৫৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন যথাক্রমে চ্যানিং ট্যাটুম ও হিউ জ্যাকম্যান। ৫২ মিলিয়ন ডলার আয় করে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন মার্কিন অভিনেতা ও মডেল মার্ক ওহালবার্গ। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ‘ফিমেলফার্স্ট’। তালিকায় সেরা দশে ঠাঁই পাওয়া অন্য তারকারা হলেন ডুয়েন জনসন, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, অ্যাডাম স্যান্ডলার, টম ক্রুজ, ড্যাঞ্জেল ওয়াশিংটন ও লিয়াম নিসন | 3,469 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৩:০১ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ০৩:০২ | গাজীপুর,শ্রীপুর,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | বস্ত্র কারখানার কর্মীর লাশ উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/97666 | গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বস্ত্র কারখানার এক কারিগরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাঁর সহকর্মীকে আটক করেছে।নিহত সেন্টু মণ্ডল (৩৩) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মহাদেবপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের আবদুল গফুর মণ্ডলের ছেলে। তিনি মুলাইদের নোমান টেক্সটাইল মিলস কারখানায় মেকানিক্যাল ফোরম্যানের চাকরি করতেন।শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন ইসলাম জানান, মাথায় ইট দিয়ে থেঁতলে সেন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সেন্টুর কক্ষসঙ্গী ও সহকর্মী রেজাউল করিমকে (৩৪) আটক করা হয়েছে। | 35,374 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৪, ২১:১৯ | ২৩ এপ্রিল ২০১৪, ২১:২০ | -1 | 0 | শত মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের স্মরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/199645 | শত মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজা ধসে নিহত লোকজনকে স্মরণ করা হলো। আজ বুধবার রানা প্লাজা ধসের বার্ষিকীতে বিধ্বস্ত ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।কর্মসূচিতে সাংসদ ও নারীনেত্রী শিরিন আখতার সাভারে রানা প্লাজা ধসের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য সরকার, পোশাক কারখানার মালিক, জনগণ ও তৈরি পোশাক ক্রেতাদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান।আলোক প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ এনামুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া রানা প্লাজার বিভিন্ন পোশাক কারখানায় সে সময় কর্মরত শ্রমিকেরাও মোমবাতি জ্বালিয়ে মর্মান্তিক এ ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করেন। | 67,769 |
শাহদীন মালিক | opinion | মতামত | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:২৫ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৩:৩৮ | খোলা কলম,শাহদীন মালিক,রাজনীতি,লেখকের কলাম | null | নির্বাচন নিয়ে জটিলতা কি বাড়ল? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/44384 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন নির্বাচন হবে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে। কারণ হিসেবে বহু সংবাদমাধ্যম বলেছে সংবিধানে বলা আছে যে সরকারের মেয়াদ পূর্তির শেষ নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।স্পষ্টত সবাই ধরে নিচ্ছেন—ধারণা করছি খোদ প্রধানমন্ত্রীসহ যে সংবিধানের কোনো এক অনুচ্ছেদে বলা আছে এ দেশের সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। ২ সেপ্টেম্বর সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সূত্র ধরে প্রথম আলোসহ অন্য আরও যে তিনটি পত্রিকা পড়েছি, সবাই একই প্রতিবেদন করেছে। অর্থাৎ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।অধমের কাছে যে সংবিধান আছে সেটার চতুর্থ ভাগের শিরোনাম হলো ‘নির্বাহী বিভাগ’। এই চতুর্থ ভাগের শুরু ৪৮ অনুচ্ছেদ থেকে। ৪৮ থেকে ৫৪ অনুচ্ছেদ হলো রাষ্ট্রপতিসংক্রান্ত। তারপর নির্বাহী বিভাগসংক্রান্ত এই চতুর্থ ভাগের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ। এই দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে কুল্যে চারটি অনুচ্ছেদ—৫৫ থেকে ৫৮। এই চারটি অনুচ্ছেদের শিরোনাম হলো ‘প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা’।সংবিধানের ‘নির্বাহী বিভাগ’-সংক্রান্ত এই চতুর্থ ভাগে প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে ‘প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা’, তার ‘স্থানীয় শাসন’ (৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদ) আর আরও চারটা অনুচ্ছেদ (৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪) যেগুলোর বিষয়বস্তু হলো প্রতিরক্ষা বিভাগ, যুদ্ধ ঘোষণা ও অ্যাটর্নি জেনারেল। তারপর ৬৫ অনুচ্ছেদ থেকে সংবিধানের পঞ্চম ভাগ, অর্থাৎ ‘আইন সভা’ বা সংসদ।একদম অ আ ক খ র মতো বলছি তার কারণ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভাসংক্রান্ত যে চারটি অনুচ্ছেদ (৫৫ থেকে ৫৮) সেগুলোর কোথাও সরকারের বা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভার বা মন্ত্রীদের মেয়াদ পাঁচ বছর—এই বিধান তো খুঁজে পাইনি।বুঝিল কেমনে যে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর এবং সেই পাঁচ বছর শেষ হবে ২৪ জানুয়ারি, ২০১৪-তে।সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগ হলো বিচার বিভাগ নিয়ে। বিচার বিভাগের কোনো মেয়াদের কথা সংবিধানে বলা নেই। বলা আছে বিচারপতিদের অবসরের বয়সের কথা।মেয়াদ বলা আছে সংসদের বেলায়। ৭২(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে—‘রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙ্গিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবে।’অনেকটা একইভাবে রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ পাঁচ বছরে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। কিন্তু সরকারসংক্রান্ত এ ধরনের কোনো মেয়াদ সংবিধানে নির্দিষ্ট করা নেই। থাকতেও পারে না। কারণ, সংসদীয় ব্যবস্থায় বহু কারণেই সরকারের মেয়াদ সংসদের মেয়াদের থেকে কম হতে পারে। মন্ত্রিসভা বহু কারণে সংসদ নির্বাচনের দুই-তিন বছরের মাথায় বিলুপ্ত হতে পারে। নতুন সরকার—নতুন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত হতে পারে।প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেয়াদ কম হবে।সচিববর্গের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে হয়তো সংসদের মেয়াদকেন্দ্রিক আলোচনাই হয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমে সংবাদটা পরিবেশিত হয়েছে সরকারের মেয়াদকেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত হিসেবে।প্রায়ই মন্ত্রিপরিষদের সচিব মন্ত্রিসভা ও অন্যান্য বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব যদি সরকারের মুখপাত্রের ভূমিকা ক্রমাগতভাবে পালন করেন, তাহলে ধরেই নিতে হবে সিস্টেমে ভীষণ ওলটপালট হচ্ছে। পরিণতি—সরকার মনে করছে তার মেয়াদ পাঁচ বছর!!২.যেভাবেই হোক এখন এটা স্পষ্ট যে বর্তমান নবম সংসদ বহাল থেকে বা রেখে দশম সংসদের নির্বাচন হবে। বিএনপির যে গোটা তিরিশেক সংসদ সদস্য আছেন, তাঁরাও কি নিজ নিজ পদে থেকে নির্বাচন করবেন? আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন মহাজোটের সাংসদেরা যদি তাঁদের নিজ নিজ পদে থেকে নির্বাচন করেন এবং সেটা যদি অন্যায় হয়, তাহলে বিএনপির সাংসদদের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পদত্যাগ করা উচিত। অবশ্য এ দেশে স্বেচ্ছায় কেই-বা পদ ছাড়তে চায়। পদ আঁকড়ে ধরার যুক্তি তাঁরাও অতি সহজে দাঁড় করাতে পারবেন।তবে প্রধানমন্ত্রীর সচিব-বৈঠকের পর এটা স্পষ্ট যে সুষ্ঠু নির্বাচন আর সম্ভব নয়। অর্থাৎ যেহেতু বর্তমান নবম সংসদ ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকছে এবং সাংসদেরা নিজ পদে থেকে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে যে নির্বাচন যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন, সে নির্বাচন যুদ্ধে তাঁরা অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেন।এই অসম যুদ্ধে বিরোধী দলগুলো অবতীর্ণ না হওয়ার কথা। এমনিতে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে বিরোধীরা আপাতত অটল। তদুপরি শুধু দলীয় সরকার ছাড়াও সরকারি সাংসদদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে নামতে হয়, তাহলে তাদের সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটা বলাই বাহুল্য। নির্বাচন হবে একতরফা।আমাদের রাজনীতিতে তো যৌক্তিকতা ভেসে গেছে বহু আগে। আমরা যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নই, তাঁদের যৌক্তিকতা বিসর্জন দেওয়ার তো প্রয়োজন নেই। যেমন, ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করার পর এবং তার মধ্যে গোটা দুই দশক নেতৃত্বের পর্যায়ে থাকার পরও—রক্তের আত্মীয়তার কারণে পুত্রসম কারও কারও গুণগান গাইতে গাইতে মুখে ফেনা তুলে ফেলা।শেষ মুহূর্তের একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতে পারে ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশন সাত দিনে শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সংসদ ভেঙে দেওয়া। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের তৃতীয় অথবা সর্বশেষ চতুর্থ সপ্তাহে এই নবম জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া।বলা বাহুল্য, এতে বিরোধী দলের দাবি পূরণ হবে না। এ পর্যায়ে এসে বিরোধী দলও হয়তো আশা করে না যে সংবিধান সংশোধন করে তাদের সব দাবি এ সরকার মেনে নেবে।তবে সরকার সংসদ বহাল রেখে চরমভাবে অসম নির্বাচন পরিস্থিতি থেকে সরে আসতে পারে এই সেপ্টেম্বর মাসে সংসদ ভেঙে দিয়ে। দলীয় সরকার থাকবে, কিন্তু অন্তত দলীয় সংসদ তো থাকবে না।সংবিধান অনুযায়ী প্রতি নয়জন নির্বাচিত মন্ত্রীর জন্য একজন অনির্বাচিত ব্যক্তি মন্ত্রী হতে পারেন। সেই বিবেচনায় নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা যদি ১৮ জন নির্বাচিত ব্যক্তির সঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে দুজন অনির্বাচিত ব্যক্তি থাকতে পারেন, যাঁরা উভয়, বিশেষত বিরোধী দলের আস্থাভাজন হবেন। স্বরাষ্ট্র আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নির্বাচনকালীন সময়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ। ওই দুটো মন্ত্রণালয় যদি দলীয় মন্ত্রিসভার নাগালের বাইরে থাকে আর সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে কি জোড়াতালির অথচ মোটামুটি গ্রহণযোগ্য একটা ব্যবস্থা কি দাঁড় করানো যায়?৩.আজতক বলা হচ্ছে সিরিয়ায় এক লাখের বেশি নিরীহ নাগরিক নিহত হয়েছে সরকার আর বিরোধীদের লড়াইয়ের ফলে। ২০ লাখ লোক আশপাশের দেশে শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে আরও ৫০ লাখ লোক স্থানান্তরিত হয়েছে অর্থাৎ নিরাপত্তার খোঁজে শহর ছেড়ে গ্রামে বা নিজ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এভাবে মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সিরিয়াবাসী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাসায়নিক বোমায়ও নিরীহ নাগরিক নিহত হচ্ছে।সব পক্ষের ক্ষমতার নেশায় মত্ত আর ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে ঢাকা থেকে দামেস্কের দূরত্ব হয়তো অনেক বেশি। আমার কাছে অনেক কম। আর সময় তার থেকেও কম।ড. শাহদীন মালিক: অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট, অধ্যাপক ও পরিচালক, স্কুল অব ল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। | 14,248 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:৫২ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:৫৩ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | বার্সেলোনার লিগ শিরোপা আসলে কতটা অনিশ্চিত? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/826828 | পর পর দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই জমজমাট লা লিগা। বার্সেলোনার সঙ্গে দুইয়ে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্টের ব্যবধান এখন তিন, তিনে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান এখন চার। ম্যাচ বাকি আছে ছয়টি। কিন্তু সামনের ম্যাচগুলোতে কাদের পরীক্ষা বেশি কঠিন? বার্সেলোনার কাজটা যতটা সহজ মনে হচ্ছে, ততটা কি সহজ? বার্সেলোনার যে ছয়টি ম্যাচ বাকি, তার মধ্যে তিনটি নিজেদের মাঠে। আর বাকি তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে প্রথম ম্যাচটা ন্যু ক্যাম্পে, পরের ম্যাচটা অবশ্য দেপোর্তিভোর সঙ্গে। এই মৌসুমে ভ্যালেন্সিয়া নিজেদের মাঠে ঠেকিয়ে দিয়েছিল বার্সাকে, ১-১ গোলে ড্র করেছিল। আর দেপোর্তিভো তো গত ডিসেম্বরে ন্যু ক্যাম্পে এসে ২-২ গোলে ড্র করে গিয়েছিল। কাগজে কলমে যতটা সহজ দেখাচ্ছে, ম্যাচ দুইটি ততটা সহজ নাও হতে পারে। প্রথম দেখা দুই দলের বিপক্ষেই পুরো তিন পয়েন্ট যে বার্সা পায়নি। গত তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্টের মাত্র একটি পেয়ে লা লিগা ‘জমিয়ে তোলা’ বার্সা সামনেই এই দুই দলের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে, সেটিও তিন দিনের ব্যবধানে। ক্লান্তি যখন ভোগাতে পারে বার্সাকে। পয়েন্ট টেবিলের ১১ ও ১২ নম্বরে থাকা এই দুই দলের বিপক্ষে পরীক্ষায় উতরে গেলে বার্সাকে খেলতে হবে স্পোর্টিং গিহনের সঙ্গে। রেলিগেশন অঞ্চলে পড়ে থাকা গিহনের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ম্যাচটা কঠিন হওয়ার কথা নয়। নিজেদের মাঠে ১৬ ম্যাচের দশটিতে অপরাজিত রিয়াল বেটিস কি কঠিন পরীক্ষা নিতে পারবে বার্সার? বেটিস ম্যাচের পর কাতালুনিয়ান ডার্বিতে মুখোমুখি এসপানিওল। আর এই মৌসুমের শেষ ম্যাচটা বার্সা খেলবে গ্রানাডার সঙ্গে। এসপানিওল আর গ্রানাডা আছে ১৫ ও ১৭ নম্বরে। বার্সার মূল দুশ্চিন্তা তাই যতটা না প্রতিপক্ষ, তার চেয়ে বেশি মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্লান্তি পেয়ে বসা। গত মৌসুমে যে ক্লান্তিই কারণেই ছিটকে পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।অ্যাটলেটিকো-রিয়াল মাদ্রিদেরও খুব বড় কোনো প্রতিপক্ষ নেই। অ্যাটলেটিকোর কাজটা তুলনামূলক সহজ, তাদের চারটি ম্যাচই নিজেদের মাঠে। গ্রানাডা, মালাগা, রায়ো ভায়েকানো ও সেল্টা ভিগোর সঙ্গে খেলতে হবে নিজেদের মাঠে। দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ অ্যাথলেটিক বিলবাও ও লেভান্তের সঙ্গে। লেভান্তে পয়েন্ট টেবিলের ২০ নম্বর দল। তবে বরাবরই লড়াকু ক্লাব বিলবাও আছে ছয়ে। বলতে গেলে অ্যাটলেটিকোর এই একটাই বড় পরীক্ষা।রিয়ালের পথ সেই তুলনায় একটু কঠিন। রিয়ালের চারটি ম্যাচই প্রতিপক্ষের মাটিতে। গেটাফে, ভায়েকানো, সোসিয়েদাদ ও দেপোর্তিভোর মাঠে গিয়ে খেলতে হবে রোনালদোদের। নিজেদের মাঠে দুইটি ম্যাচও সহজ হবে না, প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল ও ভ্যালেন্সিয়া। | 219,129 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:০৩ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:০৫ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | চট্টগ্রামে বিজয় উৎসব শুরু হচ্ছে কাল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/708949 | চট্টগ্রাম নগরের ডিসি হিলে কাল শনিবার থেকে আট দিনব্যাপী বিজয় উৎসব শুরু হচ্ছে। উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘শুদ্ধ হোক নব প্রজন্ম, ভোরের বৃন্তে ফুটুক আলোর ফুল।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও উৎসব উদ্যাপন পরিষদের মহাসচিব চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। আয়োজকেরা জানান, শনিবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। আট দিনব্যাপী মেলায় প্রতিদিন আলোচনা সভার পাশপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে।সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব উদ্যাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক মিয়া বলেন, কোনো জাতির মুক্তিযুদ্ধ কখনো শেষ হয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে হলে সার্বক্ষণিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ারকে শাণিত রাখতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর হচ্ছে, তখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধ হয়নি বলে জঘন্য মিথ্যাচার করছে পাকিস্তান।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ, শৈবাল দাশ, আবিদা আজাদ, জেসমিন পারভীন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী প্রমুখ। | 182,476 |
অনলাইন বিনোদন | entertainment | বিনোদন | ০৯ আগস্ট ২০১৫, ১৪:৫৫ | ০৯ আগস্ট ২০১৫, ১৫:১৭ | বাংলা গান | null | বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এস আই টুটুলের গান | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/597907 | শোকের মাস আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত একটি গান গাইলেন এস আই টুটুল। গানটি লিখেছেন হুমায়ূন কবির, সুর করেছেন মইনুল ইসলাম খান। জাগরণ সাংস্কৃতিক চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রর তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই গানের মিউজিক ভিডিওটি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচার করা শুরু হয়েছে। পুরো আগস্ট মাস জুড়েই গানটি প্রচারিত হবে। গানটি প্রসঙ্গে টুটুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সবকিছুর ঊর্ধ্বে। তাকে নিয়ে লেখা ও সুর করা এই গানটি গাইতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’একই কথা বললেন মইনুল ইসলাম খান। তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। তিনি একটি সোনার বাংলা চেয়েছিলেন এবং বাঙালি জাতিকে তা দিয়েও গেছেন। এই গানটির মধ্যে সেই কথাগুলো উঠে এসেছে।’ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা এই গানটির লিরিকে ‘বঙ্গবন্ধু তুমি আমার সোনার বাংলাদেশ, ‘ভোরের শিশির মুক্ত বাতাস সবুজেরই রেশ, মানচিত্রে ছড়িয়ে আছে তোমার ছবির বেশ’- এমন একটি ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। | 158,616 |
কুষ্টিয়া অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১১:৪৫ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৫৯ | খুলনা বিভাগ,অপরাধ,কুষ্টিয়া | null | কুষ্টিয়ায় নবজাতক উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/684091 | কুষ্টিয়া সদরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নবজাতককে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।লাভলু নামে এক ব্যক্তি ওই নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর ভাষ্য, ঘটনাস্থলে মহাসড়কের পাশে তাঁর একটি দোকান আছে। সকালে তিনি তাঁর দোকানের পেছনের দিকে ওই নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি স্থানীয় নৈশপ্রহরী রেজাউল ও আনোয়ারা বেগম নামে এক নারীর সহায়তায় শিশুটিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, সকাল নয়টার দিকে শিশুবিশেষজ্ঞ আইয়ুব আলী ওই নবজাতকের চিকিৎসা শুরু করেন।পরে আইয়ুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, নবজাতকটি ছেলে। তার বয়স এক দিন হতে পারে। তার ওজন দুই পাউন্ড, যা খুবই কম। তার ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে। দ্রুত তাকে ইনকিউবেটরে রেখে উষ্ণতা দেওয়া দরকার। কিন্তু এই হাসপাতালের ইনকিউবেটরটি সচল নয়।খবর পেয়ে মেঘ নামের এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসেন জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান। দুজনে মিলে ওই নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা খারাপ হওয়ায় ওই ক্লিনিক থেকে নবজাতককে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাকে ফের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে।কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শিশুবিশেষজ্ঞ এ বি সিদ্দিকী পরীক্ষা করে নবজাতককে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখতে বলেন ওই চিকিৎসক। | 174,364 |
আনোয়ার হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৫০ | ১১ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৫২ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | 0 | বেলপ্রেমীদের জন্য সুখবর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/826279 | ফলের মধ্যে বেলের কদর বাঙালিদের কাছে কম না। কেননা বেলের আছে দারুণ গুণ। কোষ্ঠকাঠিন্যে বেলের উপকারিতার কথা কে না জানে। দারুণ খরায় বেলের শরবত উপাদেয়। পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেলের জুড়ি নেই। ‘ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়’ আর ‘বেল পাকলে কাকের কী?’ বেল নিয়ে এসব প্রবচনের সঙ্গেও বাঙালি বিশেষভাবে পরিচিত। বেলপ্রেমী বাঙালির সংখ্যাও অনেক। এবার বেলপ্রেমীদের জন্য রয়েছে সুখবর। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্ভাবিত বেলের একটি উন্নত জাত অবমুক্ত করেছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বারি বেল-১’।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে দীর্ঘ নয় বছরের গবেষণার পর জাতটি অবমুক্ত করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড। এর নিবন্ধন নম্বর-০৪ (৩২)-০৩/১৬।বারি বেল-১ উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, সারা বছর ফলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ২০০৬ সালে এই কেন্দ্রে মেলার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে ভালো মানের গুটি বেলের জাত নির্বাচন করা হয়। ২০০৭ সালে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জেরে বিভিন্ন স্থান থেকে ২২টি গুটি বেলের সায়ন (উপজোড়) অর্থাৎ কলম করার উপযোগী কচি ডগা সংগ্রহ করেন। পরে কেন্দ্রে জন্মানো রুট স্টকের ওপর কলম করেন এবং কেন্দ্রের মাঠে রোপণ করেন। এতে ফল ধরে মাত্র পাঁচ বছর পর। অথচ বীজের গাছ থেকে ফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৮ থেকে ১২ বছর।তিনি জানান, দুবছর আগে বেলের গুণাগুণ মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূল্যায়ন কমিটির কাছে পাঠানো হয়। ইনস্টিটিউটের একজন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার (উদ্যানতত্ত্ববিদ) নেতৃত্বে একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (রোগতত্ত্ববিদ), একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কীটতত্ত্ববিদ) ও বারির মহাপরিচালকের মনোনীত দুজন জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত কমিটির কাছে বেলটি উন্নতমানের ও সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপর বারির মহাপরিচালক কৃষি মন্ত্রণালয়ে জাতটি অবমুক্তির জন্য আবেদন জানান। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর জাতীয় বীজ বোর্ড জাতটি অবমুক্ত করে।বারি বেল-১-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন জানান, বেলটি মাঝারি আকারের। নিয়মিত ফলদানকারী। অর্থাৎ প্রতিবছরই ফল ধরে। গড় ওজন ৯০০ গ্রাম। কাঁচা বেলের রং সবুজ। তবে পাকা বেল দেখতে হালকা সবুজ থেকে হালকা হলুদ বর্ণের। মিষ্টতা (টিএসএস) ৩৫ ভাগ। ফলের খাদ্যোপযোগী অংশ ৭৮ ভাগ। একটি সাত বছর বয়সী গাছপ্রতি গড় ফলের সংখ্যা ৩৮টি এবং গড় ফলন ৩৪ কেজি। বাংলাদেশের যেকোনো জেলাতেই এই জাতটি চাষ করা যাবে। ফল আসতে সময় লাগবে পাঁচ বছর।চাষাবাদ পদ্ধতি: এই জাতটি কলমের মাধ্যমে জন্মানো যাবে। এতে করে ফলে মাতৃগাছের গুণাগুণ হুবহু অক্ষুণ্ন থাকবে। লাইন থেকে লাইন এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৬ থেকে ৮ মিটার হতে হবে।সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি ৫০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতায় গর্ত করতে হবে। গর্ত করার সময় গর্তের ওপরের অর্ধেক অংশের মাটি একপাশে এবং নিচের অর্ধেক অংশের মাটি অন্যপাশে রাখতে হবে। মাটি ওঠানোর পর ১০ দিন পর্যন্ত গর্তটিকে রোদে শুকাতে হবে। এরপর মাটির ওপরের অংশের সঙ্গে ১০ কেজি গোবর সার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম এমপি, ১৫০ গ্রাম জিপসাম, ৫০ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট এবং ১০ গ্রাম বোরিক অ্যাসিড ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। কলমের চারা জুন-জুলাই মাসে গর্তে রোপণ করতে হবে। রোপণের পর কলমের চারাটি সোজা করে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দিতে হবে। বৃষ্টি না হলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। | 219,298 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | life-style | জীবনযাপন | ০৩ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪৮ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:০৮ | সরকারি চাকরি,ব্যাংক,পেশা,চাকরির খবর | 0 | ৫ ব্যাংক নেবে ১২৭ কর্মকর্তা | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1546256 | রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার(আইটি)œপদে ১২৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।সোনালি ৪৫, রুপালি ৬৯, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১১, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১ এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনে ১ জন নেওয়া হবে। বেতন স্কেল ২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা। প্রার্থীকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইনফরমেশন সিস্টেমস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষায় ন্যূনতম দুটিতে প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ ২০ আগস্ট। | 372,505 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ আগস্ট ২০১৫, ১৩:২৪ | ০৮ আগস্ট ২০১৫, ১৩:৪৪ | -1 | 0 | ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এক ঘণ্টা অবরোধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/596902 | ফেনীতে সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে এক ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে তাঁরা অবরোধ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, অবরোধ চলাকালে মহাসড়কে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শ্রমিকেরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ এ সময় কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। অবরোধ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় দুপাশে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে এই মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গাছের গুঁড়ি সরিয়ে নিলে দুপুর ১২টার দিকে আবার গাড়ি চলাচল শুরু হয়। ফেনী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদের ভাষ্য, অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শর্টগানের গুলি চালিয়েছে। তবে কত রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে তা তিনি জানাননি। দেশের ২২টি মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করলেন অটোরিকশা চালক ও মালিকেরা। | 158,406 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৪০ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৪১ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,কক্সবাজার,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | তাঁরা দুজন ভাই বটে! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/426061 | বড় ভাই মনজুর আলম ট্রাকচালক। ছোট ভাই কামাল হোসেন তাঁর সহকারী। দুজনে কক্সবাজার থেকে ট্রাকে করে চট্টগ্রাম নগরে নিয়ে আসছিলেন এক হাজার ইয়াবা বড়ি। চাকার মাড গার্ডের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওই ইয়াবা। গতকাল শুক্রবার সকালে দুজনই পুলিশের অভিযানে ধরা পড়েছেন।বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নগরের কালামিয়া বাজারের লিজা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ইয়াবা বহনকারী ট্রাকটি থামানো হয়।ট্রাকচালক মনজু ও তাঁর ভাইকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁরা ইয়াবা বহনের বিষয়টি স্বীকার করেন। তাঁদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গাড়ির চাকার মাড গার্ডের ভেতর থেকে জব্দ করা হয় এক হাজার ইয়াবা বড়ি। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।এ ছাড়া গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের শাহ আমানত সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বদেপ কর্মকার নামের এক ব্যক্তিকে ৫০০ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। বাকলিয়া থানার ওসি জানান, এ ঘটনাতেও মামলা হয়েছে। | 107,488 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১৩ জুলাই ২০১৫, ১৯:১৯ | ১৩ জুলাই ২০১৫, ১৯:২২ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | ‘বড়’দের বিপক্ষে যত বড় জয় | http://www.prothom-alo.com/sports/article/577198 | বাংলাদেশের যেকোনো প্রতিপক্ষকে ‘বড়’ লেখার দিন আসলেই ফুরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের সামনে এখন কোনো দলই ঠিক বড় নয়। তবে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ‘অভিজাত’দের তালিকা করলে আটটি দলের নাম চলেই আসে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—ক্রিকেটের এই আটটি কুলীন দলের বিপক্ষেই এক বা একাধিক জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। এই জয়গুলোর অনেকগুলোই এসেছে বড় ব্যবধানে।রান, উইকেটের হিসাবের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জয় এসেছে হাতে বল রাখার হিসাবে। একটি কথা বলে দেওয়াই যায়, তিন ধরনের ব্যবধানের দিক দিয়েই বাংলাদেশের প্রাপ্ত জয়ের তালিকাটা দিনকে দিন বড়ই হচ্ছে। গতকালই যেমন বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ১৩৪ বল হাতে রেখে। শীর্ষ আট দলের বিপক্ষে বলের হিসাবে এটাই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।বলের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে ১৮০ বল হাতে রেখেই জিতেছিল বাংলাদেশ। বড় দলগুলোর বিপক্ষে ১০০-র বেশি বল হাতে রেখে জেতার ঘটনা এই দুটিই। গত এপ্রিলে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার পথে সিরিজের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৬৩ বল বাকি থাকতে। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাওয়াশ করার পথে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় আসে ৪০ ওভারেই। ৬০ বল বাকি থাকতে।বলের মতো রানের হিসাবেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১২ সালের নভেম্বরে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ হারায় ১৬০ রানে। শুধু ‘বড় দল’ নয়, কেনিয়া-স্কটল্যান্ডকে হিসাবে নিলেও সব দলের বিপক্ষেই এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। ১০০-র বেশি রানে আর কোনো বড় দলকে বাংলাদেশ হারাতে পারেনি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৭৯ রানে। মজার ব্যাপার হলো, ভারতের বিপক্ষেও সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়টা এসেছিল ঠিক ৭৯ রানেই। রানের হিসাবে বড় জয়ের তালিকায় এর পরেই আছে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই জয়টি। সেবার বাংলাদেশ জিতেছিল ৬৭ রানে। ৫০ রানের বেশি ব্যবধানে বড় দলগুলোকে আর দুবারই হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানকে (৬২ রানে) এবং ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ডমিনিকায় স্বাগতিকদের (৫২ রানে)।বাংলাদেশ এখনো সবগুলো উইকেট হাতে রেখে কোনো ম্যাচ জেতেনি। জিম্বাবুয়ে আর কেনিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেটের দুটো জয় আছে। তবে আমরা যেহেতু বড় দলের হিসাব খুঁজছি, তাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ৮ উইকেটের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশাপাশি পাকিস্তানও একবার করে এই ব্যবধানে হার মেনেছে বাংলাদেশের কাছে। সাত উইকেটের জয় আছে পাঁচটি। দুবার নিউজিল্যান্ড; বাকি তিন প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বলা বাহুল্য, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়টি গতকালকের। ভারতের বিপক্ষে গত সিরিজে ৬ উইকেটে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ।ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাধিক জয় থাকলেও মজার ব্যাপার হচ্ছে এর প্রতিটিই খুব সংগ্রাম করে পাওয়া। ২০১০ সালে ব্রিস্টলে ইংলিশদের বিপক্ষে পাওয়া প্রথম জয়টি ছিল মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে। গত মার্চে অ্যাডিলেডে বিশ্বকাপের শেষ আট নিশ্চিত করা জয়টি বাংলাদেশ পেয়েছিল ৯ রানে। ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের মাটিতে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেটে জিতেছিল ৬ বল হাতে রেখে।অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৫ সালের জুনে কার্ডিফে পাওয়া সেই বিখ্যাত জয়টি উইকেটের হিসাবে কিন্তু সহজ বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে। ৫ উইকেটে সেই জয়টি বাংলাদেশ অবশ্য তুলে নিয়েছিল ৪ বল বাকি থাকতে। | 152,408 |
-1 | opinion | মতামত | ১৬ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৮ | ১৬ অক্টোবর ২০১৪, ০০:০৮ | সম্পাদকীয়:,মতামত | null | বন্দরের গতিহীনতা | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/344380 | ২০১২ সালের কিয়োটো কনভেনশন প্রটোকলের আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৩-১৬ মেয়াদে কাস্টমস স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। এর সারকথা হলো পণ্য ওঠানো-নামানোয় গতি সঞ্চার করা। কিন্তু গত জুনে এনবিআর চট্টগ্রাম বন্দর এবং দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দরের পণ্য খালাসের যে শম্বুকচিত্র তুলে ধরেছে, তা উদ্বেগজনক। চট্টগ্রাম বন্দর—যেখান থেকে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয়, সেখানে আমদানি পণ্য খালাসে ১১ দিন নয় ঘণ্টা এবং বেনাপোলে পণ্য খালাসে পাঁচ দিন ১৮ ঘণ্টা সময় লাগে। সেকেলে ব্যবস্থাপনা এবং রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়মই যে এর কারণ, তা সহজে বোধগম্য।আমদানি পণ্য খালাস করতেই ১১ দিন ৯ ঘণ্টাএনবিআর কয়েক বছর ধরে আমাদের ধারণা দিয়ে চলেছে যে তারা তাদের এখতিয়ারভুক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে অটোমেশন চালু করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা খুবই অনিশ্চিত অবস্থায় রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী দুই বছর আগে কনটেইনার-সংক্রান্ত দলিলপত্র যাতে আর হাতে হাতে নিষ্পন্ন করতে না হয়, সে জন্য একটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তার অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য নয়। সমুদ্র ও স্থল—দুই ধরনেরই বন্দরসুবিধায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশ, এমনকি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও মালদ্বীপের চেয়েও ঢের পিছিয়ে আছে। ১৬০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৮তম, যা বন্দর পরিচালনায় তার দুর্দশাগ্রস্ততার নির্দেশক।আমরা মনে করি, এনবিআরের ওই স্ট্র্যাটেজিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও বেনাপোল বন্দরকে সচল ও গতিশীল করতে হলে পণ্য চালানের শতভাগ কায়িক যাচাই-বাছাই এবং ছাড়পত্র প্রদানসংবলিত বিদ্যমান ব্যবস্থা বদলে ফেলতে হবে। যত বেশি পর্যায়ে কায়িক যাচাই-বাছাই হবে, ততই দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতির ফাঁকফোকর সৃষ্টি হবে।সুতরাং, অনতিবিলম্বে সম্পর্ণূ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শুল্কায়নের ব্যবস্থা চালু করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ জন্য দরকার উচ্চপর্যায়ের বিশেষ রাজনৈতিক নজরদারি দরকার। কিন্তু মনে হচ্ছে, সেখানে বিরাট ঘাটতি চলছে। এর অবসান হোক। | 101,093 |
মো. জসিম উদ্দীন বিশ্বাস | education | শিক্ষা | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৩:২৩ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৩:২৪ | পড়াশোনা | 0 | ই ং রে জি ১ম প ত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/143155 | Cloze test without cluesপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ ইংরেজি প্রথম পত্রের ১০ নম্বর প্রশ্ন অর্থাৎ Cloze test without clues নিয়ে আলোচনা করব।Complete the following passage using suitable words. Use only one word for each gap.26. Our environment consists of air, water, soil, all living beings and objects, etc. The world (a) us is getting more and more (b) day by day. The cities are filled with (c) and smoke from motor vehicles, mills and factories. The rivers and (d) are polluted by industrial waste, chemicals and other poisons. The villages are also (e) affected in the same way. Many kinds of animals, birds and plants are on the verge of (f) . Any change in climate (g) our environment seriously. No development can be possible without (h) the environment from the (i) . We have also another kind of pollution called (j) pollution.Answer 26 : (a) around; (b) polluted; (c) fume/ dust/ waste/ dirt; (d) canals/ seas/ lakes/ water-body; (e) badly/ seriously/ greatly/ being/ severely; (f) death/ ruin/ extinction/ wane; (g) affects/ damages/ pollution/ pollutes/ harms; (h) saving/ preserving/ protecting/ purifying; (i) pollution; (j) noise/ sound.27.The UNESCO has (a) February 21st as the International Mother Language Day to be observed (b) in recognition of the sacrifices of the (c) for establishing the (d) place of Bangla. The proclamation came in the (e) of a resolution (f) adopted at the plenary of the UNESCO at its head quarters in Paris in November, 1999. The UNESCO in its (g) said, the recognition was given bearing in mind that to (h) mother tongues widely will not only add (i) in language and encourage multilingual education but also to develop fuller (j) about language and cultural traditions.Answer 27 : (a) announced/ declared; (b) globally; (c) martyrs; (d) rightful; (e) form; (f) unanimously; (g) resolution; (h) spread; (i) variety; (j) consciousness.# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল প্রভাষক, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা | 49,967 |
হাসান ইমাম | life-style | জীবনযাপন | ১১ এপ্রিল ২০১৭, ০৯:৪৩ | ১১ এপ্রিল ২০১৭, ০৯:৪৬ | রূপচর্চা | 0 | রূপচর্চায় ঘি ঢালুন | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1141941 | এখন থেকে নিয়মিত আপনার ত্বকে ঘি ঢালতে পারেন। কারণ, ত্বকের যত্নে ঘি ব্যবহার করলে পাবেন নানা সুবিধা। খাবারে ঘিয়ের ব্যবহার যেমন স্বাদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে, তেমনি উপকারী রূপচর্চাতেও। জেনে নিন রূপচর্চায় কেন ঘি ব্যবহার করবেন।ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারত্বকে আর্দ্রতা আনতে নানা ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। এবার ঘি ব্যবহার করে দেখুন। প্রাকৃতিকভাবেই আপনার ত্বক আর্দ্র হয়ে যাবে। কোনো কারণে যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, তাহলে খাদ্যতালিকায় ঘি রাখুন। ত্বকে নিয়মিত ঘি ব্যবহার করলেও হাতেনাতে ফল পাবেন কিছুদিনের মধ্যেই।ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেঘি ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘ই’ ও ‘কে’ সরবরাহ করে। ফলে ত্বক হয় আরও উজ্জ্বল। বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতেবয়সের কারণে শরীর ও ত্বক বুড়িয়ে যেতে থাকে। তবে প্রতিদিন যদি আপনার খাদ্যতালিকায় কিছুটা ঘি রাখেন, তাহলেই তার প্রভাব পড়বে ত্বকে। সমবয়সীদের তুলনায় আপনার ত্বক দেখাবে উজ্জ্বল। ঠোঁট কোমল ও গোলাপি রাখতেশুষ্ক ও ফাটা ঠোঁটের যন্ত্রণা এড়াতেও ঘি ব্যবহার করুন। ঠোঁট ভালো রাখার জন্য লিপবামের চেয়ে কার্যকর ঘি। অল্প একটু ঘি আঙুলে নিয়ে তারপর সেটা ঠোঁটে লাগান। কয়েকবার ব্যবহারের পরই দেখবেন, আপনার ঠোঁট কোমল হয়ে উঠবে আর ফুটিয়ে তুলবে গোলাপি আভা।চুলের স্বাস্থ্য ঠিকঠাকচুল নিয়ে তো কম নিরীক্ষা করি না আমরা। চুল মসৃণ, ঝলমলে আর শক্ত রাখতে ঘি দারুণ কার্যকর। কয়েক মাস নিয়মিত ঘি খেলে পরে এটা উপলব্ধি করবেন নিজেই। এমনকি চুল পড়াও কমিয়ে দেয় ঘি।সূত্র: ফেমিনা | 310,723 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৬ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৭ | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | অংশীদারদের পরিবারের ওপর পুলিশের হামলা? | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/96760 | নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে নিউ লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলস লিমিটেডের অংশীদারদের পরিবারের সদস্যদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বেলা দুইটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাহর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে ২০ জন আহত হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে নারীরা ঝাড়ুমিছিল করেন।মিলের অংশীদারেরা জানান, প্রায় ৭০০ কোটি টাকার নিউ লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলস লিমিটেড স্থানীয় জাতীয় পার্টির সাংসদ নাসিম ওসমানের যোগসাজশে পরিচালনা পর্ষদ ৩৫ কোটি টাকায় বিক্রির ষড়যন্ত্র করে। অংশীদারেরা শেয়ার হস্তান্তর না করায় মিলের চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অংশীদারদের হুমকি-ধামকি দেন এবং মিলের ভেতর থেকে ১৩০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেন।সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল মতিন জানান, পুলিশ নিউ লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলে আসামি ধরতে গেলে এলাকার লোকজন বাধা দেয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। অংশীদারদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। | 35,102 |
গাজীপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ মার্চ ২০১৬, ০১:৩৬ | ১২ মার্চ ২০১৬, ০১:৩৬ | গাজীপুর,আইন ও বিচার | 0 | পাওনা টাকা না পেয়ে ইউনুসকে হত্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/796204 | গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ভাঙারি ব্যবসায়ী ইউনুস আলীকে অপহরণ ও হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আমজাদ হোসেন গতকাল শুক্রবার গাজীপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আদালতে বলেন, পাওনা টাকা না দেওয়ায় ইউনুসকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়।পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইউনুস আলী দীর্ঘদিন ধরে কাপাসিয়ার সদর ইউনিয়নের কাপাসিয়া গ্রামে সপরিবারে বসবাস করছিলেন। তিনি কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন। গত বুধবার সকালে স্ত্রী শিউলী আক্তারকে নিয়ে কাপাসিয়া বাজারে যান ইউনুস। তাঁরা একসঙ্গে বাজার করার পর শিউলী বাড়ি ফিরে যান। ওই সময় দোকানে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা ইউনুসকে তুলে নিয়ে যায়। বেলা দুইটার দিকে ইউনুসের মুঠোফোন থেকে শিউলীকে ফোন দেয় দুর্বৃত্তরা। তারা ইউনুসকে তুলে নেওয়ার খবর জানিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।ইউনুসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুক্তিপণ দাবির কথা জেনে তিনি তাঁর বাবার মুঠোফোনে অনেকবার কল দিয়েছেন। কিন্তু কেউ ফোন ধরেনি। ওই দিন রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার দূরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসী।পুলিশ জানায়, দুর্বৃত্তরা ইউনুস আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। লাশটি ওই দিন রাতেই গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম বৃহস্পতিবার কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কাপাসিয়ার বানেরচালা এলাকার আমজাদ হোসেনকে (৪৮) গ্রেপ্তার করে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমূল হুদা বলেন, আমজাদ হোসেন স্বীকারোক্তিতে বলেন, তিনি ও তাঁর দুই সহযোগী ইউনুস আলী হত্যার ঘটনায় জড়িত। তাঁর (আমজাদ) এক বন্ধু ইউনুসের কাছে টাকা পাওনা ছিলেন। ওই টাকা দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দিচ্ছিলেন না ইউনুস। এ কারণে তাঁকে অপহরণ করে প্রথমে মুক্তিপণের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু বেশ কিছু সময় পার হওয়ার পরও টাকা পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে তাঁকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। | 210,047 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ আগস্ট ২০১৭, ১০:৫৮ | ০১ আগস্ট ২০১৭, ১১:১৮ | -1 | null | তোফা-তহুরার অস্ত্রোপচার চলছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1273351 | জোড়া লাগা যমজ শিশু তোফা ও তহুরাকে আলাদা করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের অস্ত্রোপচার শুরু হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফ উল হক শিশু দুটির অস্ত্রোপচারের বিষয়টি জানিয়েছেন।জন্মের পর থেকে ১০ মাস তোফা ও তহুরা একসঙ্গে বড় হয়েছে। পিঠের কাছ থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। দুজনের পায়খানার রাস্তা একটি। তবে জোড়া লাগা এই যমজের মাথা-হাত-পা আলাদা। এখন তারা আলাদা হবে।তোফা-তহুরা যেভাবে জোড়া লাগানো, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘পাইগোপেগাস’। শিশু দুটোর অস্ত্রোপচারে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১৬ জন সার্জন যুক্ত থাকবেন। তাদের আলাদা করার পর দুটো অপারেশন থিয়েটারে দুই দলে ভাগ হয়ে কাজ করবেন সার্জনরা। অস্ত্রোপচারে আনুমানিক সময় লাগতে পারে ছয় ঘণ্টা।শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘পাইগোপেগাস’ শিশু আলাদা করার ঘটনা এটি প্রথম হবে। এর আগে অন্যান্য হাসপাতালে তিন জোড়া শিশুকে অস্ত্রোপচার করে আলাদা করা হয়েছিল। তাদের ধরন ছিল আলাদা।তোফা-তহুরার মায়ের নাম শাহিদা এবং বাবার নাম রাজু মিয়া। তাঁরা গাইবান্ধায় থাকেন।আরও পড়ুন:তোফা–তহুরা আজ আলাদা হবে | 329,958 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৩:১৬ | ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৪৫ | আইন ও বিচার | null | শিশু হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1282751 | নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু রমজান সিকদারকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত লাশ গুমের অপরাধে প্রত্যেক আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ নং আদালতের বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম।সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শেরপুরের নকলা উপজেলার ধামনা ধনকুশা গ্রামের মৃত নেয়ামত আলীর ছেলে হামিদুল হক, হামিদুলের বোন আফরোজা ও ফুপাতো ভাই মো. রিপন।নিহত শিশু রমজান সিকদার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার মৃত ইসমাইল সিকদারের ছেলে। সে জালকুড়ি পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। রমজানের মা মার্জিয়া বেগম এ রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই রায়ে খুশি নই। আমরা আসামিদের ফাঁসি চেয়েছিলাম। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।’মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার ইসমাঈল হোসেনের ছেলে রমজানকে হামিদুল হক, রিপন এবং আফরোজা কৌশলে শেরপুরের নকলা এলাকায় অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে তারা মুঠোফোনে ইসমাঈল হোসেনের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় আসামিরা গলাটিপে রমজানকে হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলেন। এ ঘটনায় রমজানের মা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ওই আসামিদের গ্রেপ্তার করে এবং তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নকলা উপজেলার চাপা ঝুড়ি সেতু এলাকা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। | 331,591 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ অক্টোবর ২০১৩, ০৩:৪৫ | ০৭ অক্টোবর ২০১৩, ১০:০৬ | নারায়ণগঞ্জ,বিশাল বাংলা,ঢাকা বিভাগ,ঢাকা | null | যে ত্বকী ছড়িয়ে গেল সবখানেস | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/53734 | নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহামঞ্চদ ত্বকীর কবিতা ও তাকে নিয়ে বিভিন্ন কবির কবিতার সিডি যে ত্বকী ছড়িয়ে গেল সবখানের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্যায় নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মোড়ক উন্মোচন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।মেয়র বলেন, সনারায়ণগঞ্জের মানুষ এখন আর গডফাদারদের ভয় পায় না। শামীম ওসমান শনিবার রাইফেল ক্লাবে তাঁর ক্যাডারদের নিয়ে সভা করে দিন ঘোষণা করেছেন, কবে আমাদের মারবেন।সঅনুষ্ঠানে ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মীরা সন্ত্রাসের বিরুদে রাজপথে লড়াই করছেন। কোনো অপরাধী যখন বুঝতে পারে তার পতন আসন্ন, তখন সে চিৎকার করে অন্যদের ভয় দেখায়।অনুষ্ঠানে জেলা খেলাঘরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রদীপ ঘোষ, সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায় প্রমুখ বক্তব্য দেন।সিডিতে স্থান পাওয়া বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তি করেন দীপক ভৌমিক। অনুষ্ঠানে দীপকের কবিতার সিডি জাগছে বাংলাদেশ-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমি প্রযোজিত, অরিন্দম পাল ঝিনুকের নির্দেশনায় ত্বকীকে নিয়ে নির্মিত ১৮ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র আলোর মিছিল প্রদর্শন করা হয়। | 22,373 |
প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৫২ | ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:১৭ | নির্বাচন,রাজনীতি,একাদশ সংসদ নির্বাচন,আওয়ামী লীগ | null | কামরুলকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1567007 | ঢাকা-২ আসনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা। তাঁরা শাহীন আহমেদকে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।গত রোববার খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে ঢাকা-২ আসনে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। এর প্রতিবাদে গতকাল বেলা ১১টার দিকে শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কোনাখোলা এলাকায় ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। শত শত নেতা–কর্মী রাস্তার ওপর শুয়ে–বসে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা ঘণ্টাখানেক সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেন বলেন, এই আসনে আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থী শাহীন আহমেদ। তিনি তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের সুসংগঠিত করে দলকে শক্তিশালী করেছেন। তাই এই আসন থেকে দলের মনোনয়ন পাওয়ার দাবিদার একমাত্র শাহীন আহমেদ। তাঁরা খাদ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন মানেন না।মনোনয়নবঞ্চিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা ঢাকা–নবাবগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন।কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রোহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল আলী বলেন, ‘আমাদের নেতা শাহীন আহমেদ ২০১৪ সালে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু তখন তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দেওয়া হয়। এবারও শাহীন আহমেদ মনোনয়নপ্রত্যাশী। কিন্তু তাঁকে না দিয়ে এবারও কামরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অথচ শাহীন আহমেদ কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। এ জন্য তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত ছিল।’শাহীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত বছর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের একটা স্বপ্ন ছিল, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। কিন্তু খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলের নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এতে নেতা–কর্মীরা বিক্ষুব্ধ। আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অযোগ্য একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি নেতা–কর্মীরা মানতে পারছেন না। এ জন্য তাঁরা নানা কর্মসূচি পালন করছেন। আশা করব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের নেতা-কর্মীর দাবির বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকা-২ আসনের প্রার্থী পরিবর্তন করবেন।’কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, মনোনয়নবঞ্চিত শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। বিষয়টি শাহীন আহমেদকে জানানো হয়। পরে নেতা–কর্মীরা সড়ক থেকে সরে যান। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। | 383,813 |
মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন, প্রভাষক, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ফেনী | education | শিক্ষা | ০৬ জুলাই ২০১৩, ০০:১৯ | ০৬ জুলাই ২০১৩, ০০:২২ | পড়াশোনা | 0 | ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা | http://www.prothom-alo.com/education/article/19670 | বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ অর্থনীতি বিষয়ের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।৩৬২. ক্রমান্বয়ে কৃষি ও শিল্পের উন্নয়ন কোন ধরনের দেশের বৈশিষ্ট্য?i. উন্নত ii. উন্নয়নশীল iii. অনুন্নতনিচের কোনটি সঠিক?ক. i.খ. ii. গ. i. ও ii.ঘ. i. ও iii.সঠিক উত্তর: খ।৩৬৩. চেক, ব্যাংক ড্রাফট, প্রাইজবন্ড কোন ধরনের মুদ্রার উদাহরণ?ক. প্রকৃত মুদ্রার খ. প্রতীকি মুদ্রারগ. ঐচ্ছিক মুদ্রার ঘ. প্রামাণিক মুদ্রারসঠিক উত্তর: গ।৩৬৪. ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম কোন ধরনের ব্যাংক?ক. বিশেষায়িত ব্যাংকখ. বাণিজ্যিক ব্যাংকগ. আন্তর্জাতিক ব্যাংকঘ. কেন্দ্রীয় ব্যাংকসঠিক উত্তর: ঘ।৩৬৫. কোনটি সামাজিক সম্পদ?ক. বন্দর খ. হাসপাতালগ. রাস্তাঘাট ঘ. কৃষি যান্ত্রীকরণসঠিক উত্তর: খ।৩৬৬. বেকারি সামগ্রী উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হওয়া কোন ধরনের শিল্পের উদাহরণ?ক. কুটির শিল্প খ. ক্ষুদ্র শিল্পগ. মাঝারি শিল্প ঘ. বৃহদায়তন শিল্পসঠিক উত্তর: ক।৩৬৭. কৃষিতে আধুনিকায়ন বলতে বোঝায়—i. কৃষিতে যন্ত্রপাতির ব্যবহারii. বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির ব্যবহারiii. উফশী ও রাসায়নিক সারের ব্যবহারনিচের কোনটি সঠিক?ক. i.খ. ii.গ. iii. ঘ. i. ও iii.সঠিক উত্তর: ঘ।৩৬৮. গ্রাম্য মহাজন কোন ব্যাংকের উদাহরণ?ক. বাণিজ্যিক ব্যাংকখ. সমবায় ব্যাংকগ. সঞ্চয়ী ব্যাংকঘ. স্থানীয় ব্যাংকসঠিক উত্তর: ঘ।৩৬৯. বিস্তৃত বাজারের শর্ত—i. প্রচারণা ii. নিরাপত্তাiii. স্থানান্তরযোগ্যতানিচের কোনটি সঠিক?ক. i.খ. ii.গ. iii.ঘ. i, ii ও iii.সঠিক উত্তর: ঘ।৩৭০. যে সম্পদের মালিকানা কোনো একক দেশের নয়, কিন্তু সকল মানুষ সমভাবে ভোগ করার সুযোগ লাভ করে। এটি কোন ধরনের সম্পদ?ক. ব্যক্তিগত সম্পদখ. সমষ্টিগত সম্পদগ. জাতীয় সম্পদঘ. আন্তর্জাতিক সম্পদসঠিক উত্তর: ঘ।৩৭১. কোন অর্থ ব্যবস্থায় ধনতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য একসঙ্গে পরিলক্ষিত হয়?ক. ধনতান্ত্রিক খ. সমাজতান্ত্রিক গ. মিশ্র ঘ. ইসলামিসঠিক উত্তর: গ।# কাজল একজন কর্মক্ষম যুবক। তার কোনো জমিজমা নাই। সে গ্রামের একজন শিক্ষকের পরামর্শে স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ করে বাড়ির আঙিনায় নার্সারি তৈরি করে। এতে সে প্রচুর লাভবান হয়।৩৭২. কাজলের নার্সারি তৈরি কোন ধরনের কাজ?i. উন্নয়নমূলক ii. আত্মকর্মসংস্থানiii. গ্রামীণ উন্নয়ননিচের কোনটি সঠিক?ক. i. খ. ii. গ. iii. ঘ. i. ও iii.সঠিক উত্তর: খ।৩৭৩. কোন স্থানীয় ব্যাংক থেকে কাজল ঋণ গ্রহণ করে?ক. সমবায় ব্যাংক খ. কৃষি ব্যাংকগ. সোনালী ব্যাংক ঘ. গ্রামীণব্যাংকসঠিক উত্তর: ঘ।৩৭৪. কোন বছর বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়?ক. ১৯৭১ সালে খ. ১৯৭২ সালেগ. ১৯৭৩ সালে ঘ. ১৯৭৪ সালেসঠিক উত্তর: খ।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল | 685 |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি| | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জুন ২০১৫, ০০:৩৫ | ১৭ জুন ২০১৫, ০০:৩৬ | আদমদীঘি,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | বাজেট ঘোষণা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/555124 | বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভা মিলনায়তনে বাজেট পেশ করেন সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন। গত অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ আদায় হয়েছে বলে বাজেটে উল্লেখ করা হয়। | 145,881 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২৬ জুলাই ২০১৮, ১৬:৫৭ | ২৬ জুলাই ২০১৮, ১৭:৪৮ | আনন্দ,বলিউড | 0 | তারকাদের খানাপিনা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1540551 | বলিউডের তারকাদের কিছু পছন্দের রেস্তোরাঁ আছে, যেখানে সময়-সুযোগ পেলেই পরিবার-বন্ধুদের নিয়ে খেতে চলে যান সেখানে। সেসব জায়গায় সাধারণেরা গেলে কপালজোরে তাঁরাও পেয়ে যান সেইসব তারকার সাক্ষাৎ। এ রকম মুম্বাইয়ের চার রেস্তোরাঁয় সম্প্রতি ঢুঁ মেরেছেন আমাদের প্রতিনিধি দেবরতি ভট্টাচার্য। কোন তারকা কোন রেস্তোরাঁয় খেতে যান, কোথায় গিয়ে আড্ডা দিতে দিতে চায়ের কাপে ঝড় তোলেন, সব খবর বের করে আনলেন—তাজ ল্যান্ড এন্ডসআরব সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে পাঁচতারা হোটেল তাজ ল্যান্ড এন্ডস। বান্দ্রার এই পাঁচতারা হোটেলের দুটি রেস্তোরাঁ, যেখানে মাঝে মাঝেই দেখা যায় বলিউড তারকাদের। আমির খানের প্রিয় রেস্তোরাঁ আছে এই তাজ ল্যান্ডের ভেতরেই, এর নাম ‘মশলা বে’। সুযোগ পেলেই স্ত্রী কিরণ রাও ও ছেলে আজাদকে সঙ্গে করে পৌঁছে যান তাঁর প্রিয় ঠিকানায়। এই রেস্তোরাঁর এক কর্মী জানান, আমির এখানে আসেন মূলত ভারতীয় রসনার স্বাদ নিতে। আমির খানের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই রেস্তোরার রাঁধুনিরা অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করেন বিশেষ ভারতীয় পদ। তবে একই রেস্তোরাঁর চাইনিজ খাবারের ভক্ত বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। যদিও লাঞ্চ অথবা ডিনারে ‘মশলা বে’ থেকে প্রায়াই তন্দুরি-চিকেন খরিদ করেন শাহরুখ। কিন্তু বলিউডের কিং খানের হিসেবে তাজ ল্যান্ডের চাইনিজ রেস্তোরাঁ ‘মিং ইয়াং’-এর চীনা খাবারের স্বাদের সঙ্গে আর কিছুর তুলনা হয় না। এ রেস্তোরাঁটি তাঁর বাড়ি ‘মান্নাত’ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। তাজ কোলাবার কফি শপ ‘শামিয়ানা’র কফি বিশেষ পছন্দ শাহরুখের। তাজ ল্যান্ডের মিং ইয়াং চাইনিজ রেস্তোরাঁয় জন আব্রাহাম, রেখা, শহীদ কাপুরকেও মাঝেমধ্যেই দেখা যায় পরিবার অথবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে।পালি ভবনবান্দ্রার পালি নাকার কাছে ‘পালি ভবন’ রেস্তোরাঁ। বাইরে থেকে খুবই সাধারণ মনে হতে পারে রেস্তোরাঁটিকে। কিন্তু ‘পালি ভবন’-এর প্রতি বাঁকে বাঁকে আছে ভারতীয় ইতিহাসের হাতছানি। কয়েক যুগ আগে ফেলে আসা ইতিহাসের নানা দুষ্প্রাপ্য ছবি, স্মারক ও নানা জিনিস সযত্নে রাখা আছে এ ভবনের অলিতে-গলিতে। বলিউড তারকারা অনেক সময়ই এখানে আসেন অতীত স্মৃতিতে ডুবে প্রিয় খাবারের স্বাদ নিতে। বলিউডের ‘ধকধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিতের প্রিয় রেস্তোরাঁ এই পালি ভবন। তাঁর স্বামী শ্রীরাম নেনেকে নিয়ে তিনি প্রায়ই এখানে আসেন ‘প্যান ইন্ডিয়ান’ খাবার খেতে। মাধুরী বেশি পছন্দ করেন এখানকার মাছ। পালি ভবন-এর ম্যানেজার সানি দোদামানি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাধুরী দীক্ষিত মাছের প্রিপারেশন বেশি খান। তাঁর পছন্দের ডিশগুলো হলো আজওয়ানি রাওস টিক্কা, থেচা ফিশ টিক্কা, প্রন পেরিপেরি।’ সানি আরও বলেন, ‘আমাদের রেস্তোরাঁয় একাধিক বলিউড তারকা আসেন। তবে আমরা তারকাদের কখনোই বিশেষ কোনো সুবিধা দিই না। আর পাঁচজন কাস্টমারের মতোই দেখি তাঁদের।’ বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কেল খান্নারও খুব প্রিয় জায়গা পালি ভবন। সাইফ আলী খানও স্ত্রী কারিনাকে নিয়ে প্রায়ই হাত ধরাধরি করে চলে আসেন পালি ভবনে। বলিউডের এই ‘নবাব’ দম্পতি এ রেস্তোরাঁর নল্লি রোগানজোশ, স্কুইড মশালা, তন্দুরি স্যামন, পিঙ্ক পিপার অ্যান্ড ম্যাকরুট প্রন কারি পছন্দ করেন। ক্যাটরিনা কাইফ ও সোনম কাপুরকেও মাঝেমধ্যে এই রেস্তোরাঁয় আড্ডা জমাতে দেখা যায়।হাক্কাসনপশ্চিম বান্দ্রার এক অভিজাত রেস্তোরাঁ ‘হাক্কাসন’। ভারতের বাইরেও এ রেস্তোরাঁটির অনেক শাখা আছে। হাক্কাসন বিখ্যাত তার চাইনিজ, ক্যান্টনিজ ও এশিয়ান খাবারের জন্য। বলিউডের অনেক তারকারই প্রিয় ঠিকানা হাক্কাসন। কারণ এখানে তাঁরা নিভৃতে সময় কাটাতে পারেন। ছবির চিত্রনাট্যসহ সিনেমা-সংক্রান্ত নানান বিষয় নিয়ে এখানে তাঁরা আলোচনায় বসেন, আড্ডা জমান। এই রেস্তোরাঁয় বলিউডের বড় বড় ছবির ভাগ্য নির্ধারিত হয়! মুম্বাইয়ের হাক্কাসনের ম্যানেজার নাসির বলেন, ‘এখানে রোজই সিনেমার জগতের কেউ না কেউ আসেন। বলিউড তারকারা খুবই স্বাস্থ্যসচেতন। তাই তাঁদের চাহিদামতো “কাস্টমাইজড ডিশ” বানিয়ে দিই আমরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমির খান প্রায়ই এখানে আসেন। সঙ্গে থাকেন স্ত্রী কিরণ রাও। রণবীর কাপুরও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে আসেন এখানে। তাঁর বিশেষ বন্ধু পরিচালক আয়ান মুখার্জির সঙ্গে তিনি এখানে বেশি আসেন। আলিয়া ভাট তাঁর বোনের সঙ্গে আমাদের রেস্তোরাঁয় আসেন। তা ছাড়া শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্ত-মান্যতা, ক্যাটরিনা কাইফ, বরুণ ধাওয়ান ও তাঁর পরিবার, করণ জোহর, বিধু বিনোদ চোপড়া, ইমতিয়াজ আলী, ডায়না পেন্টি, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা আমাদের নিয়মিত অতিথি। শ্রীদেবী ও বনি কাপুর এখানে আগে প্রায়ই আসতেন।’ইনডিগো ক্যাফেআন্ধেরির অত্যন্ত ছিমছাম সাধারণ রেস্তোরাঁটি হলো ইনডিগো ক্যাফে। কিন্তু সাধারণ এই রেস্তোরাঁয় প্রায়ই দেখা যায় বলিউডের নামজাদা তারকাদের। এ রেস্তোরাঁটি তারকাদের মন জয় করেছে জিভে জল আনা ইউরোপিয়ান, কন্টিনেন্টাল খাবারের জন্য। এই রেস্তোরাঁর এক কর্মী বলেন, ‘মাধুরী দীক্ষিত মাঝে মাঝেই আমাদের রেস্তোরাঁয় আসেন। রণবীর কাপুরও পছন্দ করেন আমাদের এখানকার খাবার। তাপসী পান্নু তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে এখানে প্রায়ই আড্ডা জমান। তিনি এখানে এসে ইউরোপিয়ান খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাধুরী, রণবীর, তাপসী—তাঁদের পছন্দের খাবার হলো সিজার স্যালাদ, ডেইলি হাউস স্যালাদ, প্যান জেলা, ডেইলি মিড-ইস্টার্ন রোল, রোস্টেড মাশরুম অ্যান্ড টোফু বার্গার, লেমন বাটার ক্যালামারি।’ | 371,610 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০৭ মে ২০১৫, ০২:৪৬ | ০৭ মে ২০১৫, ০২:৪৭ | যুক্তরাজ্য | 0 | ব্রিটিশ স্কুলশিশুরাও ‘ভোট’ দেবে | http://www.prothom-alo.com/international/article/521521 | লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ শিক্ষার্থী জেফ্রে। তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। এই বয়সেই জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার পেয়েছে সে! আসলে তা নয়। আজ বৃহস্পতিবারের জাতীয় নির্বাচনে নয়, জেফ্রে ভোট দেবে তার স্কুলে আয়োজিত একটি ‘প্রতীকী’ নির্বাচনে। ‘ব্রিটিশ মূল্যবোধ’ এগিয়ে নিতেই এই আয়োজন। খবর এএফপির।দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের লিউয়িশামের একটি মাধ্যমিক স্কুলে চলছিল নির্বাচনের বিষয়বস্তুযুক্ত সমাবেশ। সেখানে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্কুলটির সহকারী প্রিন্সিপাল জিওফ রবার্টস বললেন, ‘যদিও এবারের নির্বাচনে বৈধভাবে ভোট দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বয়স তোমাদের হয়নি, কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনেই তোমরা ভোট দিতে পারবে। সুতরাং, একটা প্রস্তুতি হিসেবে আমরা একটি ব্যালট বাক্স ও কিছু ভোট বুথ পেতে যাচ্ছি। তোমরা তোমাদের পছন্দমতো দলকে ভোট দিতে পারবে।’এই ‘প্রতীকী’ ভোট অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবারই। ফল প্রকাশ হবে কাল শুক্রবার। একই দিন যুক্তরাজ্যবাসী জানতে পারবে এবারের জাতীয় নির্বাচনের ফলও, যেটাকে বলা হচ্ছে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ‘অনিশ্চিত ফলাফলের’ নির্বাচন।স্কুলটির ওই শিশু শিক্ষার্থীরা আগে দেশের রাজনীতি সম্পর্কে জানবে। এর পরই তারা ভোট দেবে। মার্গারেট থ্যাচার, টনি ব্লেয়ারসহ অতীতের নেতাদের সম্পর্কে পড়তে পড়তে ১৪ বছর বয়সী ফুয়াদ বলল, ‘আমরা অতীতের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে কথা বলছি। আলোচনা করছি একজন ভালো নেতাকে ভোট দেওয়ার গুরুত্ব কতটা, তা নিয়েও। কারণ, যুক্তরাজ্যে কী ঘটবে, সেই সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবেন।’জেফ্রে জানাল, সে লেবার পার্টিকে ভোট দিতে চায়। কারণ, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ (টিউশন ফি) কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ক্যামেরন সরকারের আমলে টিউশন ফি বেড়ে এক বছরে প্রায় নয় হাজারে পৌঁছে গেছে। নিজে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে, তখন টিউশন ফি কমানো হবে প্রত্যাশা করে সে বলল, ‘আমি আশা করছি, তখন এটা নয় হাজারের অনেক কম হবে।’২০১৪ সাল থেকে ব্রিটিশ মূল্যবোধ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোর একটা দায়িত্ব রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা বা এ-জাতীয় ভাবধারা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে সরকারি উদ্যোগের অংশ এটা। জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা জাতীয় সংগীত গাওয়া এর আওতাভুক্ত নয়। তবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা এগিয়ে নেওয়া এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও অন্য ধর্মবিশ্বাসের মানুষের প্রতি সহনশীলতা জাগিয়ে তুলতে প্রতিটি ব্রিটিশ স্কুলের জন্য এটা দরকার বলে মনে করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।স্কুলটির ভাইস প্রিন্সিপাল মারভিন চার্লস বলেন, ‘আমি মনে করি, একটি অভিন্ন সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই এই সরকারি কর্মসূচি। তারা মানুষের মাঝে আত্মপরিচয় বোধ ও দেশের সঙ্গে একাত্মতার অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে চায়।’ | 136,984 |