author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
বাসস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ জুলাই ২০১৬, ০১:১৯
২৮ জুলাই ২০১৬, ০১:২০
রাজধানী (জাতীয়),ঢাকা বিভাগ,খবর,সরকার
0
প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটি গঠন করে নির্মূল করতে হবে জঙ্গিবাদ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/927739
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শুধু আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কাউকে সঠিক পথে আনা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সচেতন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।শিক্ষামন্ত্রী গতকাল বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আলেমদের ভূমিকা’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছছীনের মহাসচিব শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম ছায়েফ উল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত সহ-উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন প্রমুখ।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জঙ্গি সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া গেছে। যাঁরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের বিপথগামী করছেন, সেসব শিক্ষককে নজরদারির আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।ইসলামের শিক্ষা তরুণ সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে উপস্থিত আলেমদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘মসজিদে খুতবায় অনেক ইমাম যে ধরনের বয়ান পেশ করেন, তা এ দেশের প্রচলিত সমাজব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই অপব্যাখ্যা পরিহার করে প্রচলিত দ্বীনি ব্যাখ্যা দিতে হবে।’ ব্যাপক জানাশোনা, সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান।
244,221
-1
sports
খেলা
২৭ মার্চ ২০১৬, ০০:৫৭
২৭ মার্চ ২০১৬, ০০:৫৯
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
0
সুয়ারেজ ১: ০ নেইমার
http://www.prothom-alo.com/sports/article/810916
কথা ছিল যিনি জিতবেন, তাঁকে বার্গার কিনে খাওয়াবেন পরাজিত জন। তবে ব্রাজিলের রেসিফেতে গতকাল ভোরে ম্যাচটা হয়ে যাওয়ার পর সেই বার্গারটা কারোরই খাওয়া হলো না। সুয়ারেজ-নেইমারের কেউই যে জিততে পারলেন না! ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটা ড্র হয়েছে ২-২ গোলে।জাতীয় দলে এসে প্রতিপক্ষ হয়ে গেলেও ক্লাব বার্সেলোনার তাঁরা প্রাণের বন্ধু। তো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটা সামনে রেখে দুই বন্ধু মজা করে এই বার্গার বাজি ধরেছিলেন। যে বাজির মীমাংসা করতে হলে এখন আরও একটা ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচের অপেক্ষায় থাকতে হবে।জিততে না পারলেও শুরুটা কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছিল নেইমারের দল ব্রাজিলের। প্রথম মিনিটেই উইলিয়ানের দারুণ এক ক্রসে শুয়ে পড়ে পা বাড়িয়ে বল জালে জড়ান বায়ার্ন মিউনিখ উইঙ্গার ডগলাস কস্তা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে নেইমারের পাসে ব্যবধান বাড়ান রেনাতো অগুস্তো। ব্রাজিল তখন এগিয়ে ২-০ গোলে।কিন্তু নাটকের তখনো অনেকটা বাকি ছিল! পাঁচ মিনিট পরেই এডিনসন কাভানির গোলে ব্যবধান ২-১ করে ফেলে উরুগুয়ে। বাকি গল্পটা সুয়ারেজের। ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েলিনিকে কামড়ে দিয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার প্রায় ২৫ মাস পর আবারও দেশের জার্সিটা গায়ে তোলার সুযোগ পেলেন। এমন একটা উপলক্ষকে স্মরণীয়ই করে রাখলেন সুয়ারেজ। ৪৮ মিনিটে বাঁ দিক থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান বার্সেলোনার উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। জাতীয় দলের হয়ে ৮৩তম ম্যাচে এটি তাঁর ৪৫ নম্বর গোল।এগিয়ে থেকেও জিততে না পারায় হতাশ কার্লোস দুঙ্গা। তবে প্রতিপক্ষ দুই স্ট্রাইকারের প্রশংসাও ছিল ব্রাজিল কোচের কণ্ঠে, ‘যে দলে কাভানি আর সুয়ারেজের মতো স্ট্রাইকার খেলে, তাদের বিপক্ষে জেতা সহজ নয় মোটেও।’ সুয়ারেজ অবশ্য প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় করে রাখতে পেরেই বেশি আপ্লুত, ‘এটা (গোল) আমার পরিবারের জন্য। আমি অনেক ভুগেছি, ওই সময়টা ওরা আমার পাশে ছিল।’এ ড্র দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া উরুগুয়েকে রাখল দ্বিতীয় স্থানে, সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ের। ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইকুয়েডর। এএফপি।
214,607
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ আগস্ট ২০১৮, ১২:২৫
১৭ আগস্ট ২০১৮, ১২:৫৯
আইন ও বিচার
null
কারণ, লুৎফুন্নাহারের গোলাপি সালোয়ার কামিজ আছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1554006
লুৎফুন্নাহার ওরফে লুমার দোষ, তাঁর একটি গোলাপি রঙের সালোয়ার-কামিজ আছে। একই রকম সালোয়ার-কামিজ পরে কেউ একজন আওয়ামী লীগ অফিসে শিক্ষার্থী খুন ও ধর্ষণের গুজব ছড়িয়েছিলেন। অজ্ঞাতনামা ওই নারীকে পাওয়া যায়নি। সেই নারী সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়েছেন লুৎফুন্নাহার।ইডেন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লুৎফুন্নাহার সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মঞ্চ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনে সরকারের অবস্থান ও ছাত্রলীগের হামলা নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। গোলাপি রঙের সালোয়ার-কামিজ পরে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়েছেন, টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাঁর সহযোদ্ধারা বলছেন, ৪ আগস্ট জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারপন্থী সংগঠনগুলোর হামলার সময় খুন ও ধর্ষণ নিয়ে একই রকম পোশাক পরে এক নারী ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা লুৎফুন্নাহারকে নিয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়াতে শুরু করেন। প্রতিটি ছবিতেই লুৎফুন্নাহারের পরনে ওই গোলাপি সালোয়ার-কামিজ।লুৎফুন্নাহার অবশ্য আগে থেকেই আশঙ্কা করছিলেন, তাঁকে ফাঁসানো হবে। ৭ আগস্ট ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি বলেন, ‘এক মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকার বাইরে আছি। অনলাইনে কখনো কোনো আজাইরা স্ট্যাটাস দিয়েছি কি না, মনে পড়ে না।...একটা যৌক্তিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় কত শত মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর ব্যর্থ চেষ্টায় তারা মত্ত। ছবি এডিট করতে হলেও যে ন্যূনতম জ্ঞানটুকু থাকা দরকার, সেটুকুও তাদের নেই।’খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার-সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর চাপে আসলে পুলিশ লুৎফুন্নাহারকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে গ্রেপ্তারে ঢাকা থেকে পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের একটি দল ও বেলকুচি থানা-পুলিশ অভিযান চালায়। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার গ্রামের বাড়ি থেকে তারা ঘুমন্ত লুৎফুন্নাহারকে তুলে আনে। ঢাকায় আসার পর পুলিশ নিশ্চিত হয় ভিডিওটি লুৎফুন্নাহারের নয়। পরে তাঁকে রমনা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।রমনা থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে পুলিশ বলেছে, ‘আসামির টাইমলাইনে পোস্টকৃত অশ্রাব্য স্ট্যাটাস দেখে যে কেউ নীতিভ্রষ্ট হতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’ ওই এজাহারে আরও বলা হয়েছে, গোপন তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে লুৎফুন্নাহার অনেক সক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের সাইবার অপরাধ বিভাগ মামলাটির তদন্ত করছে। সাইবার অপরাধের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, লুৎফুন্নাহার তাঁর জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়েছেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় একটি বিশেষ পক্ষকে/এস্টাবলিশমেন্টকে সমালোচনা করেছেন ও অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করেছেন। তাঁর বক্তব্য গুজবের পক্ষে উসকানিমূলক ছিল।তবে লুৎফুন্নাহারের ৪ তারিখের পোস্টে দেখা যায়, তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের ভূমিকার ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন।তাসনিম আটক পুলিশের ভুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। শামসুন্নাহার হলের আবাসিক ছাত্রী, স্লোগান একাত্তরের সাধারণ সম্পাদক তাসনিমকে কেন পুলিশ তুলে নিয়ে গেল, তার কোনো জবাব গতকাল পর্যন্ত পুলিশ দিতে পারেনি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর জন্য চারটি মেয়েকে খোঁজ করছে। তাসনিমকে ধরা হয়েছে ভুল করে। পরে পাঁচ ঘণ্টা আটকের পর তাসনিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়।জানতে চাইলে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, ফেসবুকে তাঁর কিছু পোস্ট ছিল। তবে তাঁর অপরাধের মাত্রা অত তীব্র ছিল না। সে জন্য মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরাধের মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একজন ছাত্রীকে তুলে আনার যৌক্তিকতা কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই কৈফিয়ত তিনি দিতে বাধ্য নন।
373,978
নাদিয়া মাহমুদ
life-style
জীবনযাপন
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৩৯
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫২
নকশা,ফ্যাশন
0
জামদানির জাদু
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/712633
‘আমি আনতে পারি আলতা, চুরি, ঢাকাই শাড়ি, গহনা; চাই কী তোমার বুঝিয়ে বলো না।’ ঢাকার কয়েকটি অঞ্চলে তৈরি জামদানি মোটিফে বোনা শাড়িই ঢাকাই শাড়ি নামে পরিচিত, যা আধুনিক কালে জামদানি শাড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিবেদনের প্রথম লাইনটি বাংলা চলচ্চিত্র সুতরাং-এর জনপ্রিয় একটি গান থেকে নেওয়া। গানটি ষাটের দশকের হলেও ঢাকাই বা জামদানি শাড়ির আবেদন মেয়েদের কাছে আজও অমলিন। এটাই জামদানির ‘জাদু’। এর বুননশৈলী ও সৌন্দর্য নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এর সঙ্গে বাঙালির ঐতিহ্য বা সংস্কৃতির সম্পর্ক আদিকালের।বাঙালির গর্বের মাস, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই জাতির জন্য আরও একটি বড় অর্জন আছে, যার সঙ্গে এই বুনন শিল্পরীতি জড়িত। ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর ইউনেসকোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জামদানির মেধা স্বত্বের (ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি) স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইউনেসকো কমিশনের অষ্টম অধিবেশনে ‘কনভেনশন ফর দ্য সেফগার্ডিং অব দ্য ইন্ট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’ বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। বিজয়ের মাসে এমন একটি স্বীকৃতি পাওয়া নিঃসন্দেহে গৌরবের। দেশীয় কোনো অনুষ্ঠান হোক কিংবা আন্তর্জাতিক—বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে এমন পোশাকের কথা ভাবতে গেলে সবার আগে জামদানির কথাই মনে পড়ে।অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী দেশীয় পোশাক পরতেই বেশি ভালোবাসেন, তাঁর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে জামদানি শাড়ি, তাই বেশির ভাগ অনুষ্ঠানে জামদানিতেই দেখা যায় তাঁকে। ‘আর কোনো পোশাক বাংলাদেশকে সেভাবে তুলে ধরতে পারে না, যেটি জামদানি পারে। এর সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টি জড়িত। এ ছাড়া ফ্যাশন বা আকর্ষণের কথা যদি বলি, তাহলেও আমার কাছে জামদানির ওপরে আর কিছু নেই। আমার মনে হয়, একজন বাঙালির জন্য এর চেয়ে অভিজাত পোশাক আর কিছু হতেই পারে না।’ এভাবেই জামদানির প্রতি নিজের ভালোলাগার কথা জানালেন রোকেয়া প্রাচী। ২০০৩ সালে যখন কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, তখনো তাঁর পরনে ছিল জামদানি। উৎসবের বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোতে একেক দিন একেক রঙের জামদানি পরেছিলেন বলে জানালেন।এখন কী ধরনের জামদানি চলছে? প্রশ্নটি শুনে টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের স্বত্বাধিকারী মুনিরা ইমদাদ বললেন, ‘জামদানিতে এখন এক রং বা দুই রঙের সমন্বয়ই বেশি চলছে। জরির কাজ থাকলে তা বিয়ে বা জমকালো কোনো দাওয়াতে পরা যেতে পারে, আবার পুরোটা কেবল সুতা দিয়ে তৈরি হলে তার সৌন্দর্যও আরেক রকম। এখন ছাই রং, বিস্কুট রং, চাপা সাদা, বেবি পিংক, পেস্তা, ফিরোজার মতো হালকা রঙের জামদানিও মানুষ বেশ পছন্দ করছেন।’মাঝে একটা সময় জামদানিতে এপ্লিক বা লেসের ব্যবহার করে নিরীক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটা অবশ্য খুব বেশি দিন চলেনি। বুননশিল্পী বা পৃষ্ঠপোষক কেউই যে জামদানির নকশায় নতুন কিছু যুক্ত করার পক্ষে নন, তা তাঁদের বক্তব্যেই স্পষ্ট। মুনিরা ইমদাদের মতে, ‘ঈশ্বর যদি কাউকে খুব সুন্দর চুল দেন, তাঁর তো পরচুলা পরার কোনো দরকার নেই। জামদানিতে যেকোনো “ভ্যালু অ্যাড” করার চেষ্টা রীতিমতো অনৈতিক।’আসলেই তো, যা এমনিতেই এত সমৃদ্ধ, তার ওপর নতুন করে মূল্য যোগ করার আর কী আছে? অবশ্য যুগের সঙ্গে সঙ্গে জামদানির নকশায় হালকা কিছু পরিবর্তন এসেছে, তবে জামদানির আসল চেহারা হারায়নি, পাল্টায়নি এর বুননকৌশলও। যেমন প্রাচীন আমলে ফুলেল মোটিফের নকশা বেশি দেখা যেত, এরপর কানবালা, ছোট বুটি, বরফি—নানা রকম মোটিফ এতে যুক্ত হয়েছে।ব্র্যাকের জ্যেষ্ঠ পরিচালক, এন্টারপ্রাইজেস তামারা হাসান আবেদ বললেন, ‘বর্তমানে জামদানিতে আদি মোটিফগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সঙ্গে খুবই সামান্যই ভিন্ন মোটিফ ব্যবহৃত হয়, যা জামদানির ঐতিহ্যবাহী মোটিফের ভিন্ন মাত্রা। রংয়ের মধ্যে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে হালকা রং, যেমন লাইট পিচ, লাইট পিংক, ক্রিম, বেজ, প্যাস্টেল শেড ইত্যাদি। আর অফ হোয়াইট শাড়ির চাহিদা তো সব সময় ছিল এবং আছে। তবে সময় অনুযায়ী শাড়ির কিছু রং পরিবর্তন হয়, যেমন শীতে গাঢ় রং, গরমের সময় হালকা রং, বৈশাখে লাল, সাদা ইত্যাদি।’ বর্তমানে বহুরঙা শাড়ির চল একদম নেই বললেই চলে। ক্রেতারা এখন এক রঙের বা টোনাল শাড়ি বেশি পছন্দ করছেন বলেই জানালেন তিনি।আড়ং-এর জামদানি কালেকশন সম্পর্কে তামারা জানালেন, আমরা জামদানির ঐতিহ্য এবং ক্রেতার রুচি বা চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েছি। জামদানি শাড়ির নান্দনিকতাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আড়ংয়ের সংগ্রহে। তিনি বলেন, ‘২০১০-এর স্টোরি অব প্রাইড নামক প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা প্রথম বাংলাদেশে দামি শাড়ির প্রচলন করে থাকি। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা হাই কাউন্ট সুতার শাড়ি বুনে থাকি। আর আমরা তরুণ প্রজন্মকে জামদানি শাড়ি পরতে অনুপ্রাণিত করি।’অনেক আগে থেকেই জামদানি তৈরির জন্য শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের পুরোনো সোনারগাঁ বিখ্যাত। রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জের প্রায় ১৫৫টি গ্রামে এ শিল্প এখনো চালু রয়েছে বলে জানালেন তামারা আবেদ।শত বছরের ধারাবাহিকতায় স্বকীয়তা বজায় রেখে বাংলার ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে জামদানি।একটা সময় বহু রঙের সুতার ব্যবহারে তৈরি জামদানি বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন আবার এর চল কমে গিয়ে এক রং বা দুটি বিপরীত রঙের সমন্বয়ে তৈরি জামদানি চলছে। রাসায়নিক রঙের পাশাপাশি ভেষজ রঙেরও ব্যবহার হচ্ছে জামদানিতে। একসময় কেবল শাড়ি ও উত্তরীয়তেই জামদানি নকশার কাজ হতো, এখন তরুণীদের কাছে জামদানির সালোয়ার-কামিজেরও কদর আছে। বললেন কুমুদিনীর হস্তশিল্প বিভাগের ব্যবস্থাপক সুখু বড়ুয়া।বুননশিল্পীদের অবদান অনস্বীকার্য২০১৩ সালের ২ থেকে ৭ ডিসেম্বর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ইউনেসকোর অষ্টম আন্তসরকার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনেই জামদানির মেধাস্বত্ব পায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে বাংলা ক্র্যাফটের সাবেক সভাপতি মালেকা খান জানান, এর আগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ফ্রান্সে বাংলােদশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেসকোতে স্থায়ী প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়। দলটিকে জামদানির মেধাস্বত্ব চেয়ে মনোনয়ন নথি প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ৪ ডিসেম্বর সেই সভায় আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের ঐতিহ্যবাহী জামদানিশিল্পের মেধাস্বত্ব অর্জন করি।’মালেকা খানের মতে, অর্জন যে সময়েই হোক, তা নিঃসন্দেহে আনন্দের। তবে ডিসেম্বর মাসের সঙ্গে আমাদের এমন এক বিজয়গাথা জড়িত যে এ সময় যেকোনো অর্জনে আনন্দের মাত্রা যেন দ্বিগুণ হয়ে ধরা দেয়; তা সে যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন। বিজয়ের মাসে জামদানির মেধাস্বত্বের স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের অর্জনের আনন্দকে তাই আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এর কৃতিত্ব তাঁদের, যাঁরা জামদানির নকশা ও বুননের সঙ্গে বংশপরম্পরায় যুক্ত। যেসব বুননশিল্পী যুগ যুগ ধরে এর বুননকৌশলে অসাধারণ সৃজনশীলতা ধরে রেখেছেন, তাঁদের সবাইকে জানাই অভিবাদন। এর পেছনে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। এ ছাড়া জামদানিকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে যাঁরা অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদেরও ধন্যবাদ। এখন আমাদের সবার দায়িত্ব হলো এই অনিন্দ্য বুননশিল্পকে সুরক্ষা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা।’গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতারী মমতাজের কাছ থেকে জানা গেল, ২০০৩ সালে ইউনেসকো সারা বিশ্বের বিপন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষার একটি উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগে বাংলাদেশেরও সম্মতি ছিল। আকতারী মমতাজ বললেন, ‘২০১৩ সালে ইউনেসকোর এই সম্মেলনে জামদানিকে বিশ্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগে সেখানে মনোনয়নপত্র উপস্থাপনের জন্য জামদানি বিষয়ে প্রচুর তথ্য জোগাড় করতে হয়ছে। অনেক গবেষণা, পরিশ্রম ও যুক্তি উপস্থাপন করে তবেই আমরা জামদানির মেধাস্বত্বের স্বীকৃতি অর্জন করতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি গৌরবের বিষয়। এখন পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশ থেকে বাউলগান আর জামদানির মেধাস্বত্বের স্বীকৃতি পেয়েছি।’
183,616
যশোর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ মার্চ ২০১৭, ০১:২৬
০৮ মার্চ ২০১৭, ০১:২৭
বিশাল বাংলা,যশোর,খুলনা বিভাগ
0
হীরকজয়ন্তী উৎসবের প্রস্তুতি চলছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1100707
যশোরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের হীরকজয়ন্তী উৎসবের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ২৩ মার্চ কলেজ ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এদিন নবীন-প্রবীণ ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে প্রিয় ক্যাম্পাস। শিক্ষামন্ত্রী উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মিজানুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ২০১৬ সালে ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে। উৎসবের জন্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে। অফিস সময়ে সরাসরি কলেজে ও কলেজের অনলাইনে নিবন্ধন করা হচ্ছে। চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। প্রাক্তনদের জন্য এক হাজার ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০ টাকা করে নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে নয়টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এরপর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর ঘুরবে। মধুমঞ্চে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণা করবেন। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের পর্দা নামবে।
300,742
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ জুন ২০১৫, ০১:৩৩
১৭ জুন ২০১৫, ০১:৩৪
মহানগর,সিলেট,সিলেট বিভাগ
0
সিলেটে আজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/555313
জেলা প্রশাসন: ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের সঙ্গে সিলেট বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তাদের অর্পিত সম্পত্তিবিষয়ক কর্মশালা, সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে, সকাল ১০টায়।
145,817
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২২
২০ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২৩
-1
0
জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান সংস্কৃতিসেবীদের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/103432
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ এবং জামায়াত-শিবিরকে রক্ষা করার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ২৩ জন বিশিষ্ট সংস্কৃতিসেবী।গতকাল বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে পাকিস্তান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যক্কারজনক ভূমিকার নিন্দা জানান। বিবৃতিতে জাতির এ সংকটে সব ভেদাভেদ ভুলে গি৭য়ে একাত্তরের চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানানো হয়।বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ, আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, নির্মলেন্দু গুণ, রবিউল হুসাইন, গোলাম কুদ্দুছ, ম. হামিদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
37,207
মামুনুর রশীদ, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:০১
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:১২
রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ
null
২২ একর লেক দখল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1555899
রূপনগর আবাসিক প্রকল্পের ২২ একর আয়তনের লেক পুরো ভরাট করে দখল করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে পুরো এলাকা।দখলের নেতৃত্বে রূপনগর থানা আ. লীগের সভাপতি রজ্জব হোসেন ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনদখলের নেতৃত্বে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আ. লীগের সভাপতি কাজী আবদুল হাইদখলের নেতৃত্বে রজ্জব হোসেন সাংসদ ইলিয়াস মোল্লাহ্ এবং আবদুল হাই সাংসদ আসলামুল হকের অনুসারী।মিরপুরে রূপনগর আবাসিক প্রকল্পের ২২ একরের একটি লেক পুরো ভরাট করে দখল করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। দখলের নেতৃত্বে আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রজ্জব হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবদুল হাই হারুন ও রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে টেনু।রজ্জব হোসেন ঢাকা-১৬ আসনের সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ এবং আবদুল হাই হারুন ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হকের অনুসারী।লেকটি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আছে। ১০ বছর ধরে এটি দখল হলেও দুবার অভিযান চালানো ছাড়া কিছুই করেননি।রূপনগর এলাকার ভূ-উপরিভাগের পানি ধরে রাখা এবং জলাবদ্ধতা যাতে না হয়, সে জন্য প্রকল্পে বিশাল এই লেকটি রাখা হয়। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লেকটি মিরপুর এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। নগর-নিসর্গের ক্ষেত্রেও তা যুক্ত করতে পারত ভিন্ন মাত্রা।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে কমবেশি দখল হলেও ২০০৯ সালের পর লেক দখল উৎসবে রূপ নেয়। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতা ছাড়া পুরো লেক দখল কোনোভাবেই সম্ভব হতো না বলে মনে করেন তাঁরা।১০১ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা রূপনগর আবাসিক প্রকল্পে ১ হাজার ২০০টি প্লট আছে। শিয়ালবাড়ী মোড় থেকে রূপনগর প্রধান সড়ক ধরে সামনে আধা কিলোমিটার এগিয়ে হাতের ডান পাশে লেকটির অবস্থান। দেখা যায়, লেকে গড়ে তোলা হয়েছে হাজার হাজার বস্তিঘর। আছে অন্যান্য স্থাপনাও।প্রায় এক সপ্তাহের সরেজমিন পরিদর্শনের সময় বস্তিবাসী, এলাকার বাসিন্দা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীসহ অন্তত ৮০ জনের সঙ্গে কথা হয়। স্থানীয় এসব ব্যক্তি জানান, ২০১২ সালে আরামবাগ ঈদগাহ ময়দান ও বঙ্গবন্ধু শিশু উদ্যানের নামে লেকের উত্তর-পূর্ব অংশ ভরাট করা শুরু হয়। সাংসদ ইলিয়াস মোল্লাহ্ এর উদ্বোধনও করেন। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা লেক দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও তা আর হয়নি।এসব কথার সূত্র ধরে উত্তর-পূর্ব কোণে আরামবাগ অংশে গিয়ে দেখা যায়, লেকের বিস্তীর্ণ অংশ ভরাট করে সেখানে একটি ঈদগাহ বানানো হচ্ছে। ঈদগাহ জামে মসজিদের নামফলকে লেখা, ‘১১ মে, ২০১৭। উদ্বোধন করেন সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্’। মসজিদ থেকে ভরাট করা অংশ পেরিয়ে লেকের ভেতরের অংশে গিয়ে দেখা যায়, ভরাট হতে বাকি আছে এমন অল্প কিছু জায়গায় বাঁশ ও বেড়া দিয়ে ঘর তোলার কাজ করছেন পাঁচ-ছয়জন। এই এলাকা পড়েছে ডিএনসিসির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, লেকের এই অংশ দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজ্জব হোসেন। সঙ্গে আছেন রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন ওরফে রবিন। তাঁরা লেকের ওপর গড়ে তোলা প্রায় ২ হাজার ঘর থেকে প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করেন। সে হিসাবে প্রতি মাসে ৬০ লাখ টাকা ভাড়া ওঠে।এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কয়েকবার রজ্জব হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। প্রতিবার তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা জানান, মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রজ্জব হোসেন গা ঢাকা দিয়ে আছেন।জানতে চাইলে সম্প্রতি মিরপুরে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসে সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ প্রথম আলোকে বলেন, লেকের যে অংশ ভরাট করে মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ বানানো হয়েছে, তা গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নয়; হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের। তারা যেহেতু এখানে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছে না, তাই এলাকার বাসিন্দাদের দাবির মুখে এই মাঠ বানানো হয়েছে।২০১২ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর আরামবাগ ঈদগাহ ময়দান ও বঙ্গবন্ধু শিশু উদ্যানের নামে লেক ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল—এই তথ্য জানালে সাংসদ বলেন, ‘তখন লেকের ওপর কিছু বস্তিঘর ছিল। তাতে আগুন লাগার পর এলাকাবাসী আর বস্তি রাখতে চাননি। আমারও তাতে সায় ছিল। সে সময় আরামবাগে একটি রাস্তা উন্নয়নের সময় তোলা মাটি লেকের ভেতরে ফেলা হয়। বাচ্চারা সেখানে খেলতে শুরু করে। পরিবেশ অধিদপ্তর বলল, এখানে কোনো খেলার মাঠ হবে না। কিন্তু আমরা তো আর বাচ্চাদের খেলার ব্যাপারে নিষেধ করতে পারি না।’প্রধান অভিযুক্ত রজ্জব হোসেনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াস মোল্লাহ্ বলেন, ‘এই এলাকায় আমাদের ৭৯ শতাংশ পৈতৃক সম্পত্তি আছে। রজ্জব সেগুলো দেখাশোনা করে। এর বাইরে সে আর কী করে, তা জানি না।’ তিনি বলেন, ‘লেক দখল করে খায় সবাই। নাম হয় হাজি রজ্জবের।’বস্তিবাসী ও স্থানীয় নেতারা জানান, লেকের পশ্চিম অংশে প্রায় দেড় হাজার ঘরের মালিক রমজান আলী মাতবর ও তাঁর ভাই ছাত্তার আলী মাতবর। এই অংশ নিয়ন্ত্রণ করেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবদুল হাই ওরফে হারুন। এতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবাশ্বের চৌধুরীর নীরব সমর্থন আছে। নীরব ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।জানতে চাইলে কাজী আবদুল হাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘লেকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আমি গত কয়েক বছরে পরিবেশ অধিদপ্তর, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশনে অন্তত ৫০টি দরখাস্ত দিয়েছি। সেই আমার বিরুদ্ধেই যদি এমন অভিযোগ ওঠে, তা দুঃখজনক।’ তাঁর দাবি, লোকে আসলে অন্য হারুনের কথা বলেছেন। তাঁদের একজন রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৯ নম্বর রোডে বাসিন্দা। আরেকজন থাকেন ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। এঁরা দুজনই লেক দখলে যুক্ত ও আওয়ামী লীগ করেন।আরেক অভিযুক্ত রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে টেনু বলেন, ‘আমি ২৫ বছর ধরে এই এলাকায় আছি। ছোটখাটো ব্যবসা করে খাই। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি নিজেই নিজের বিচার করব।’সাংসদ আসলামুল হক দেশের বাইরে থাকায় এই দখলদারদের বিষয়ে তাঁর অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি।বিশাল এই লেকের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন। তিনি বলেন, ‘একসময় এই লেক বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিরপুর সেনানিবাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। শীত মৌসুমে হাজার হাজার অতিথি পাখি ভিড় করত।’ তিনি বলেন, ‘লেকটি যে প্রক্রিয়ায় দখল হয়েছে, তাতে এই দায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।’লেক রক্ষা করতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অনেক আগেই লেকটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসাকে দেওয়া হয়েছে। কবে ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা দেখে বলতে হবে।’তবে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান লেক হস্তান্তরের প্রশ্নে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আইনগতভাবেই গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এটি করতে পারে না। কারণ, জলাশয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কখনোই ওয়াসার না। আমরা রূপনগর খালের দায়িত্ব নিয়েছি। লেকের না।’এরপর মিরপুর গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ডিভিশন-১-এর কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘১৯৮৭ সালে করা মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে রূপনগর আবাসিক এলাকার এই লেকটির আয়তন ২২ একরের (৬৬ বিঘা) কমবেশি। লেকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এর আগে দুবার অভিযান চালানো হয়। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত লেক রক্ষা করতে পারিনি।’ কারণ জানতে চাইলে এই প্রকৌশলী বলেন, ‘যাঁরা এই দখলদারির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা সবাই রাজনৈতিকভাবে খুব শক্তিশালী। কিছুদিন আগে আমাদের এক সার্ভেয়ারকে (জরিপকারক) বস্তির ভেতরে আটকে রেখেছিল কয়েক ব্যক্তি। পরে পুলিশ দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে।’সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘লেকটি রক্ষা করতে কেবল গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে এমন নয়। ঢাকার বুকে এমন একটি উন্মুক্ত জলাশয় বাঁচিয়ে রাখতে রাজউকেরও ভূমিকা আছে। রাজউক সেই ভূমিকা পালন করতে পারেনি। এই দুটো সংস্থাই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবার স্পষ্ট হলো, মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।’জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘লেকটি রক্ষার ব্যাপারে অবশ্যই রাজউকের ভূমিকা রাখা উচিত ছিল। কিন্তু গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা শুনেছি, লেকটি খুবই ছোট করে নিয়ে আসা হয়েছে। ওয়াসাও এটা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। বিষয়টি আমি দু-একটা মিটিংয়ে বলারও চেষ্টা করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘এবার বিষয়টি একটু গুরুত্ব দিয়ে দেখব। দেখি কী হয়।’
375,466
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
০৪ জুন ২০১৮, ১১:২৩
০৯ জুন ২০১৮, ১০:২০
ফুটবল,বিশ্বকাপ,বিশ্বকাপ ফুটবল,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮,বিচিত্র বিশ্বকাপ
null
বিশ্বকাপের জার্সির যত বিস্ময়কর গল্প
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1502466
হলুদ-নীল দেখলেই বলে দেওয়া যায় এটাই ব্রাজিল আর আকাশি-সাদা দেখলেই আর্জেন্টিনা। তবে এই জার্সির পেছনেও রয়েছে অনেক গল্প, ব্রাজিলের সাদা থেকে হলুদ হবার গল্প, কিংবা মেক্সিকোর দোকান থেকে কিনে আনা জার্সি গায়ে দিয়ে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত গোল দুটি করেছেন ম্যারাডোনা। বিশ্বকাপে দলগুলোর জার্সি নিয়ে এমন আরও চমকপ্রদ গল্প জানাচ্ছেন মৃণাল সাহা‘ভিভা উরুগুয়ে’প্রথম বিশ্বকাপের কথা। তখনো দলের পরিচায়ক হিসেবে জার্সি পরেই নামত খেলোয়াড়রা। পেছনে জার্সি নম্বর বা নাম কোনোটাই থাকতো না। সেই বিশ্বকাপে যুগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে বলিভিয়া মাঠে নামার পর দেখা গেল অদ্ভুত এক দৃশ্য। সবার পেছনেই কিছু না কিছু লেখা। বলিভিয়ার খেলোয়াড়দের জার্সিতে একেকটি বর্ণ সেলাই করে বসানো ৷ কারো জার্সিতে লেখা ‘ভি’, কারো জার্সিতে ‘আই’, কারো বা ‘ইউ’। একাদশ একসাথে দাঁড়াতেই সবার কাছে পরিষ্কার হলো ব্যাপারটা ৷ পুরো বাক্যটা হলো, ‘ভিভা উরুগুয়ে’ বাংলায় ‘উরুগুয়ে চিরজীবী হোক’। মূলত উরুগুয়েতে বসেছে প্রথম বিশ্বকাপ, এ উপলক্ষ্যেই প্রথম ম্যাচে অমন জার্সি পরে নেমেছে বলিভিয়া। পুরো ব্যাপারটা ছিল উরুগুয়েকে বিশ্বকাপের জন্য সম্মান জানানো৷তাপানুকূল জার্সি১৯৭০ সালের মেক্সিকোয় বিশ্বকাপ। প্রচণ্ড তাপমাত্রা আর আর্দ্রতার কারণে প্রতিটি দলের খেলাতে ব্যাঘাত ঘটতে শুরু হলো। ইংল্যান্ড অবশ্য তাদের সেই সমস্যার সমাধান নিজেরাই বের করে ফেললো। এমন জার্সি বানিয়ে ফেললো যাতে বাতাস খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে। মেক্সিকোর প্রচণ্ড গরম তাপমাত্রায় গাঢ় রঙের চেয়ে হালকা রং বেশি আরামদায়ক, সে হিসেবেই নিজেদের জার্সি নির্বাচন করেছিল ইংলিশরা। আগের বিশ্বকাপ জেতা লাল জার্সি না পরে মেক্সিকোতে তাদের মূল জার্সি হলো সাদা। দ্বিতীয় জার্সি হিসেবে বেছে নিল আকাশি-নীল রঙের, লাল জার্সি হলো তৃতীয় জার্সি। সমস্যাটা হয় চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। ইংল্যান্ড সে ম্যাচে গায়ে দিল আকাশি-নীল জার্সি, চেকরা সাদা। সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কোচ আলফ রামসে বলেছিলেন, ‘কাছাকাছি রং হওয়ায় ডাগ-আউটে বসে মাঠের রোদের মধ্যে আমি বুঝতে পারছিলাম না কোনটা আমার দলের খেলোয়াড় আর কোনটা প্রতিপক্ষের।’ রামসের চেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছিলেন টেলিভিশনের ধারাভাষ্যকার আর দর্শকেরা। প্রচন্ড রোদের মাঝে আকাশি-সাদা আর সাদার পার্থক্য করতে পারছিলেন না রঙিন টেলিভিশনের দর্শকেরাই। আর সাদা-কালো টেলিভিশনের দর্শকদের তো বোঝার উপায়ও ছিল না। সেবার একবারই লাল জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে সেই ম্যাচে পশ্চিম জার্মানির হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে।ধার করা জার্সি১৯৭৮ সালের আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের কথা। আর্জেন্টিনার মার দেল প্লাতায় ফ্রান্স-হাঙ্গেরি ম্যাচ শুরুর আগে হঠাৎ ফরাসি মিডফিল্ডার অঁরি মিশেলের খেয়াল হলো, হাঙ্গেরির খেলোয়াড়েরা সাদা জার্সি গায়ে ওয়ার্ম-আপ করছে। এই দৃশ্য অধিনায়ককে দেখানোর পরে, অধিনায়ক মারিয়াস ট্রেসর প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকার আন্দ্রাস তোরোসিককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কি সাদা পরে খেলবে? সাদা তো আমাদের পরার কথা।’ ‘না, সাদা তো আমাদের পরার কথা’-তোরোসিকের জবাব। দলের তত্ত্বাবধায়ককে ফ্রান্স অধিনায়ক ব্যাপারটা জানালেন। তখনই বের হয়ে এল সত্যটা, ফিফার নির্দেশনায় সেদিন হাঙ্গেরিকেই সাদা পরতে বলা হয়েছে। সে চিঠি ভালোমতো পড়া হয়নি তত্ত্বাবধায়কের। ফ্রান্স আবার আরেক নীল জার্সি রেখে এসেছে মূল ঘাটি বুয়েনস এইরেসে, প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে। ফ্রান্সের কর্মকর্তারা চলে গেলেন স্থানীয় ক্লাব অ্যাটলেটিকো কিম্বারলিতে। তাদের কাছ থেকে ধার করে নিয়ে এলেন তাদের সবুজ-সাদা জার্সি। তবে সমস্যা রয়েই গেল, মাত্র ১৬টি জার্সি তাদের কাছে রয়েছে, এমনকি সব নম্বরের ধারাবাহিকতাও নেই। সেদিন নিরুপায় হয়ে ফ্রান্স সে জার্সিতেই মাঠে নামল এবং ম্যাচটা জিতল ৩-১ গোলে। মজার ব্যাপার হলো তিন গোলের একটি দিয়েছিলেন ডমিনিক রস্তো, মিডফিল্ডার রস্তোর গায়ের জার্সির নম্বর ছিল ৭, শর্টসের ১৮!জুভেন্টাসের জন্য১৯৯০ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামল কোস্টারিকা, নিজেদের লাল-সাদা জার্সি ছাড়াই। অনেকেই অবাক, এই জার্সিতেই বিশ্বকাপের অভিষেকে জয় পেয়েছে তারা। ‘পয়া’ জার্সি বদলে সাদা-কালোর ডোরাকাটা জার্সি গায়ে দিয়ে মাঠে নামে কোস্টারিকা। কোস্টারিকার সেই দলের সদস্য আলেক্সান্দ্রে গুইমারেজ পরে অবশ্য রহস্যটা ফাঁস করেছেন। ইতালিতে হওয়া সেই বিশ্বকাপে কোস্টারিকার ম্যাচ ছিল তুরিনে। তুরিনের ক্লাব জুভেন্টাসের দর্শকদের সমর্থন পাওয়ার জন্যই কোস্টারিকার খেলোয়াড়দের জুভেন্টাসের জার্সি পরিয়ে মাঠে নামিয়ে দেন কোচ বোরা মিলুটিনোভিচ। আরেকটা উদ্দেশ্যও অবশ্য ছিল, কোস্টারিকার প্রাচীনতম ক্লাব সিএস লা লিবের্তাদোকে শ্রদ্ধা জানানো। হারিয়ে যেতে বসা সেই ক্লাবের জার্সিও ছিল সাদা-কালো। এত কিছু করেও অবশ্য লাভ হয়নি। সেদিন গ্যালারিতে জয়ের আনন্দ করেছিলেন ব্রাজিল ভক্তরাই, কোস্টারিকা ম্যাচ হেরে যায় ০-১ গোলে। তবে সেবার নকআউট পর্বে পৌছেছিল কোস্টারিকা।
366,149
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১২ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩৩
১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৫৪
ক্রিকেট,রোহিত শর্মা,টি টোয়েন্টি ক্রিকেট,পাকিস্তান,ভারত
null
রোহিত–মিতালিরা যেদিন সমানে সমান
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1564867
কাল মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। একই দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে ভারতের ছেলেরাচেন্নাইয়ে নেমেছিল রোহিত শর্মার দল। আর গায়নায় হারমনপ্রীত কাউরের দল। দুটি অঞ্চলের মধ্যে দূরত্ব ১৫ হাজার কিলোমিটারের কিছু বেশি। কিন্তু ক্রিকেটের কল্যাণে প্রথমবারের মতো দুটি দল নিজেদের লক্ষ্যকে একসূত্রে গেঁথে ফেলল।গায়নার প্রভিডেনস স্টেডিয়ামে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ভারতের মেয়েরা। আর চেন্নাইয়ে সিরিজের তৃতীয় ও সর্বশেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল রোহিত শর্মার দল। ভারতের ছেলে ও মেয়ে—উভয় দলই জিতেছে। একই দিনে ভারতের ছেলে ও মেয়েদের দলের জয় তুলে নেওয়ার নজির এর আগেও পাঁচবার দেখা গেছে। কাল ষষ্ঠবারের মতো তা দেখা গেলেও একটি জায়গায় কালকের জয়টি আগের পাঁচবারের চেয়ে আলাদা।চেন্নাইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৮১ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাড়া করতে নেমে ভারত জিতেছে ইনিংসের শেষ বলে। ৬ উইকেটের এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল রোহিতের দল। গায়নাতেও পরে ব্যাটিং করেছে ভারতের মেয়েরা। আগে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান ৭ উইকেটে ১৩৩ রান তুলেছিল। মিতালি রাজের ফিফটিতে এক ওভার হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জিতেছে ভারতের মেয়েরা। রোহিতের দল জিতেছে ৬ উইকেটে। জয়ে দুই দলের মধ্যে উইকেটসংখ্যার ব্যবধানটা আলাদা। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো একই দিনে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নেমে রান তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছে ভারতের ছেলে ও মেয়েদের দল।ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ে মোটামুটি সবাই রান পেলেও ফিফটি এসেছে একটি। ২৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নিকোলাস পুরান। ৩৭ বলে ৪৩ রান নিয়ে আরেক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন ড্যারেন ব্রাভো। তাড়া করতে নেমে শিখর ধাওয়ানের ৬২ বলে ৯২ রানের ইনিংসে জয়ের ভিত গড়েছে ভারত। শেষ বলে জিতলেও লক্ষ্যটা কঠিন ছিল না ভারতের জন্য। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৫ রানের লক্ষ্যটা সহজেই ছুঁয়েছেন ধাওয়ান ও পাণ্ডে।
382,234
মোছাব্বের হোসেন, গাজীপুর থেকে
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ মে ২০১৮, ১৭:৩০
১২ মে ২০১৮, ১৭:৫৪
নির্বাচন,গাজীপুর সিটি,গাজীপুর সিটি করপোরেশন
null
গাজীপুরে ভোট স্থগিতের পেছনে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আ.লীগের কোন্দল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1487506
গাজীপুরে রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আলোচনার মূল বিষয় এখন সিটি করপোরেশন নির্বাচন কেন স্থগিত হলো আর কেনইবা সেই স্থগিতাদেশকে স্থগিত করা হলো। স্থানীয় বিভিন্ন পেশার মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিয়েছিল হয়তো দলীয় প্রার্থী হেরে যাবেন এমন ভয় থেকে সরকার এখন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে চাইছে না। এ কারণে রিট করে আটকে দিয়েছে। আলোচনায় উদাহরণ টেনেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের ঘটনাকে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার পর গাজীপুরবাসীর সন্দেহের তির এখন সরকারের ওপর থেকে কিছুটা সরে গিয়ে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ওপর পড়েছে।নানা মহলের আলোচনায় এখন উঠে আসছে গাজীপুরে সরকারি দল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে সেখানকার রাজনীতিবিদ ও রাজনীতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন এমন ব্যক্তিরা বলেন, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় পেছনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কোন্দলই প্রধান কারণ। তবে এমন মতও আছে, নির্বাচন পিছিয়ে নেওয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মাঠের অবস্থা ভালো হবে। এতে সরকারই লাভবান হবে। তাঁরা বলছেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে যা হলো, তাকে কেবল স্থানীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল নয় বরং আওয়ামী লীগের জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক কৌশল।১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশে প্রথমে ভোট আটকে যাওয়া এবং পরে আপিল বিভাগ সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আবার ভোট উৎসব শুরু হয়েছে গাজীপুরে। তবে এখনো ভোটের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ হয়নি। রোজার ঈদের পর এই ভোট হতে পারে। বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে নানা আলোচনা থাকলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা শেষ মুহূর্তে ভোট বন্ধে একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। ষড়যন্ত্রের কথা আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বলা হলেও কারা এর পেছনে, সে ব্যাপারে দলটি কিছু বলতে চাইছে না। অন্যদিকে বিএনপি সরাসরি বলেছে, জিততে পারবে না জেনে সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে এমন কাজ করছে।যাঁর রিটের কারণে এই নির্বাচন বন্ধ হয়েছে, সেই শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি আরও বেশি সামনে এসেছে।গাজীপুর চৌরাস্তা মোড়ে কথা হয় ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরে। তিনি ৩৬ বছর ধরে হাজীপুরে পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারে ২৭ জন সদস্য। আগে তাঁরা চাঁদপুরের ভোটার ছিলেন। এখন গাজীপুরের ভোটার করেছি।’ তিনি আরও বলেন, হঠাৎ ভোট বন্ধ করে দেওয়া হলো। তখন মনে হয়েছিল নিশ্চই সরকারের কেউ পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে। না হলে এটি বন্ধ হলো কেন? আবার আদালতের রায়ে যখন এটি তুলে দেওয়া হলো, তখন মনে হলো এটি কি তাহলে গাজীপুরের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পক্ষের মধ্য বিরোধের কারণে হয়েছে?বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আজমত উল্লাহ একজন যোগ্য রাজনীতিবিদ। তাঁকে বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগের সমর্থন দেওয়ার পর তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা প্রকাশ্য এর বিরোধিতা না করলেও এতে তাঁদের মন খারাপ হওয়ার কথা। আমি মনে করি এর প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে। সে জন্য এলাকা নির্ধারণ নিয়ে সমস্যার কারণে প্রথমে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এলাকা নির্ধারণ নিয়ে সমস্যা থাকলে সেটা এত দিন চোখে পড়েনি? নির্বাচনের অল্প কিছুদিন আগেই এটি চোখে পড়ল কেন? কেন আগে এ বিষয়টি সামনে এল না?’গাজীপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মো. নূর বক্স মিয়ার বিশ্বাস, এখানে আওয়ামী লীগের কোন্দোলের কারণে নির্বাচন হবে কি হবে না, তা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছিল। গাজীপুর সদরে যাওয়ার পথে চৌরাস্তায় পান-সুপারির দোকানদার মো. আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজনদের মধ্যে গন্ডগোল আছে। তয় কেন নির্বাচন বন্ধ হইছিল, তা বলতে পারব না।’মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রবীণ নেতা আজমত উল্লাহ খান। তিনি এখন জাহাঙ্গীর আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজমত উল্লাহ মেয়র পদে নির্বাচন করেন। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, আজমত আওয়ামী লীগের পুরোনো নেতা। এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। তা ছাড়া আগামী নির্বাচনে সংসদ নির্বাচনে তাঁর এলাকা টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ হাসানই প্রার্থী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে আজমত উল্লাহর পক্ষের অনেকেই চাইবেন না গাজীপুরে তাঁদের নেতার রাজনীতি কোণঠাসা হয়ে পড়ুক। এ কারণে ওই পক্ষের কেউ আদালতে রিট করে থাকতে পারেন। তা ছাড়া দুই নেতার পক্ষে-বিপক্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারাও। তাঁদের মদদও থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।অবশ্য আজমত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দলের মধ্যে কোনো কোন্দল বা ঐক্যের সমস্যা নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ঐক্যের সমস্যা নেই। দলের প্রয়োজনে আমি যেকোনো কাজ করতে রাজি আছি।’একই কথা বললেন জাহাঙ্গীর আলমও। তাঁর মতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিব্রত করতে এমনটা করা হয়েছে। সরকার বা আওয়ামী লীগ এটা করেনি। এর পেছনে যুক্তি হলো আওয়ামী লীগের সব পর্যায় থেকে চাওয়া হয়েছে যেন নির্বাচন হয়। নির্বাচন ঘিরে একটা ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে জানান এই নেতা। তিনি বলেন, এটা কেটে গেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা পারেনি।নির্বাচন বন্ধ হওয়ার পর আবার তা করার ব্যাপারে আদালতের আদেশ নিয়ে আর কিছু ভাবতে চান না বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আপিল করেছি। রায় পেয়েছি। এতে সন্তুষ্ট। এখন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটাই আশা করি।’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়েছেন ভোট হোক। ভোটের মাঠে তাঁর অবস্থা ভালো।বিএনপির নেতাদের তির যখন আওয়ামী লীগের দিকে ছিল, তখন অবশ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তাঁদের প্রার্থীর অবস্থা ভালো। তাঁরা কেন নির্বাচন না হোক সেটা চাইবেন?
363,657
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ জুলাই ২০১৮, ২১:৩০
২৩ জুলাই ২০১৮, ২১:৩১
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,বিএনপি,রাজনীতি
null
কুষ্টিয়ার ওসি আ.লীগের চেয়েও ভয়ংকর সন্ত্রাসী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1538686
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওয়ামী লীগের চেয়েও একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী।আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-একাংশ (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) যৌথ উদ্যোগে ‘কুষ্টিয়ায় আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার প্রতিবাদ’ শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।গতকাল রোববার কুষ্টিয়ায় একটি মানহানি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে হামলার শিকার হন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ছাত্রলীগ এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকালই বিএনপি মহাসচিব এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেছিলেন, থানার ওসি মাহমুদুর রহমানকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন। তিনি ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করেন।একই প্রসঙ্গে আজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার আগে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। এরপরও আমাদের দুর্ভাগ্য, পুলিশের উপস্থিতিতে মাহমুদুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে আহত করা হয়েছে। এটা বর্তমানের নজিরবিহীন ঘটনা।’গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাঁরা ভাবেন, সরকার তাঁদের পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার স্বাধীন মতপ্রকাশের বিরোধী। ছদ্মবেশে বিভিন্ন পরিচয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। যার পূর্বশর্ত মুক্ত গণমাধ্যম ধ্বংস করতে হবে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করা হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। এখন তারা এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।সমাবেশে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।
371,231
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২২:৩৬
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২২:৩৮
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
ভারত নয়, নিউজিল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখছেন হ্যাডলি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/139447
সদ্যসমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে নাকাল করে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে নিউজিল্যান্ড দল। ব্ল্যাক ক্যাপসদের সাহস আরও বাড়িয়ে দিতেই কিনা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেকরা মেতেছেন দলের প্রশংসায়। রিচার্ড হ্যাডলিও মনে করেন, আসন্ন টেস্ট সিরিজে নিউজিল্যান্ডই এগিয়ে।যদিও টেস্ট র্যাঙ্কিং দেখে হ্যাডলিকে সমর্থন করা দুরূহ। কারণ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ভারত দুইয়ে আর নিউজিল্যান্ড আটে। কিন্তু নিজেদের সুসময়ে পরিসংখ্যান গৌণ হয়ে যায় অনেকটাই। কদিন আগে ভারতের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জয়ের পর নিউজিল্যান্ড উড়ছে আকাশে। ফলে আসন্ন টেস্ট সিরিজেও ব্ল্যাক ক্যাপসরা একই ধার বজায় রাখবে, এমনই মনে করেন নিউজিল্যান্ডের এ ক্রিকেট কিংবদন্তি।হ্যাডলি বলেন, ‘স্বীকার করা নেওয়া ভালো, ভারত খুবই ভালো দল। কিন্তু এখন ওদের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে থেকেই আমরা শুরু করব। কেননা এ মুহূর্তে আমরা দারুণ ফর্মে আছি।’ তবে ক্রিকেটের আসল পরীক্ষা টেস্টেই। সেটিই মনে করিয়ে দিলেন হ্যাডলি, ‘জানি টি-টোয়েন্টি ও একদিনের ম্যাচে আমরা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বী দল। এই দুই সংস্করণে যেকোনো দলকেই হারাতে পারি। কিন্তু টেস্ট এ দুইয়ের ওপরে। এখানেই তাদের আসল পরীক্ষা।’ দুই দলের প্রথম টেস্ট শুরু হবে অকল্যান্ডে, ৬ ফেব্রুয়ারি। এএফপি ।
48,633
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ মে ২০১৯, ১৬:২২
২১ মে ২০১৯, ১১:৪৮
আইন ও বিচার,আদালত,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ,অনলাইন গণমাধ্যম
0
‘ভুল–বোঝাবুঝি’ নিরসনে ব্যাখ্যা দেবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন: আইনমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1594959
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচারাধীন বিষয়ে সংবাদ না প্রকাশের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নির্দেশনা নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এটা নিরসনে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন শিগগিরই ব্যাখ্যা দেবেন।আজ সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ওই নির্দেশনা নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি আশা করছেন, শিগগিরই এ বিষয় নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির সমাধান হবে।গত ১৬ মে হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর সই করা নির্দেশনায় বলা হয়, ‘ইদানিং কোনো কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া তাদের চ্যানেলে এবং কোনো কোনো প্রিন্ট মিডিয়া তাদের পত্রিকায় বিচারাধীন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত। এমতাবস্থায়, বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করা হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’এই নির্দেশনার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তা প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে।
402,741
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫১
০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫৩
বিনোদন,বলিউড
0
‘কর্মমুখী’ প্রিয়াঙ্কা
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/706966
আমার এই কাজ করাতেই আনন্দ! প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলতেই পারেন। এই সময়ে বলিউডের সবচেয়ে ব্যস্ত তারকা প্রতিদিন যে রোজ ১৬ ঘণ্টা করে কাজ করছেন! দেশে ও দেশের বাইরে সমান ব্যস্ততায় কাটছে দিন। ক্লান্তপথিক প্রিয়াঙ্কা কিন্তু বলছেন, কাজের চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন।প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘সাফল্য কোনো গন্তব্য নয়...সাফল্য হলো অন্তহীন এক যাত্রা। আপনি ততক্ষণ পর্যন্তই সফল, যতক্ষণ একের পর এক সাফল্য পাচ্ছেন।’ কিন্তু এই অন্তহীন যাত্রার কড়া মাশুলও গুনছেন, ‘হ্যাঁ, টাকা বানাচ্ছি ঠিকই, কারণ আমি যা করি, সেটা কঠোর পরিশ্রম করেই করি। রাতে ঠিকমতো ঘুমাই না, দিনে ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। আমার জীবনে কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই, জন্মদিন নেই, দীপাবলির উৎসব নেই।’গান দিয়ে আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নজর কেড়েছেন। এরপর দারুণ সাড়া পেয়েছেন ‘কোয়ান্টিকো’ সিরিজেও। পরবর্তী গন্তব্য কি হলিউড? প্রিয়াঙ্কার উত্তর, ‘করতে হবেই এ জন্য করা, এটা আমি চাই না। কাউকে কিছু প্রমাণের তাগিদ নেই আমার। তখনই হলিউডে নাম লেখাব, যদি সেই ছবিটা আমাকে আগ্রহী করে তোলে।’ পিটিআই।
181,787
প্রথম আলো ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৬
০৬ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৭
-1
0
চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ে একজন নিহত, ফসলের ক্ষতি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/821395
চুয়াডাঙ্গায় কালবৈশাখীতে ঘরের দেয়ালে চাপা পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। ঝড়ে যশোরে নির্মাণাধীন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের টিনের চালা ভেঙে আট শ্রমিক আহত হয়েছেন। মেহেরপুরের গাংনীতে ঘরবাড়ি, ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঝড় আঘাত হানে। প্রথম আলোর আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: চুয়াডাঙ্গা: ঝড়ের সময় কাঁচা ঘরের দেয়ালে চাপা পড়ে মারা যাওয়া নারীর নাম মহিরণ (৫০)। তাঁর বাড়ি জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মাজহাদ গ্রামে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম জানান, ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক নির্মল কুমার দে বলেন, ‘আম, লিচু ও বোরো ধানখেতের বেশি ক্ষতি হয়েছে।’ এদিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে সদর উপজেলার ভুলটিয়া এলাকায় সড়কের ওপর গাছ পড়ে যানবাহন আটকে যায়। রাত আটটায় এ খবর লেখার সময় সড়ক থেকে গাছ সরানোর চেষ্টা চলছিল।মেহেরপুর: গাংনীর কয়েকজন বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার দিকে আকাশে কালো মেঘ জমে ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। আধা ঘণ্টার দমকা বাতাসে উড়ে যায় কয়েক শ ঘরবাড়ির টিনের ছাউনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছপালা। সড়কের পাশের গাছের পাশাপাশি বসতবাড়ির বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়ে ডালপালা। ২০টির বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে বলে পল্লী বিদ্যুৎ সূত্র জানিয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা জেলা। গাছপালা ভেঙে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী থেকে গাড়াডোব ও গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেড় ঘণ্টা পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গাছ সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ উজ জামান সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।যশোর: ঝড়ে নির্মাণাধীন যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের টিনের চালা ভেঙে আট শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া যশোর ও আশপাশের এলাকায় আরও অন্তত সাতজন আহত হন। আহত সবাইকে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে গোটা জেলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া যশোর-বেনাপোল, যশোর-খুলনা, যশোর-সাতক্ষীরা ও যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ায় ওই সব সড়কে যান চলাচল রাত ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ ছিল। যশোর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পরিমল কুমার কুণ্ডু বলেন, ঝড়ের কারণে গাছ পড়ে যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, গাছ সরিয়ে এসব সড়ক চলাচল উপযোগী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।যশোরের জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর বলেন, যশোরের প্রতিটি উপজেলায় ঝড়ে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করতে সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদারক করতে আট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত চালু করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হয়েছে।
217,649
পিয়ারা আক্তার
education
শিক্ষা
১৩ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩২
১৩ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩৪
পড়াশোনা
0
প্রাথমিক বিজ্ঞান
http://www.prothom-alo.com/education/article/600985
অধ্যায়-১২প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ প্রাথমিক বিজ্ঞানের অধ্যায়-১২ থেকে রচনামূলক প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।রচনামূলক প্রশ্ন:প্রশ্ন: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো ব্যাখ্যা করো।উত্তর: নানা কারণে পৃথিবীতে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণগুলো নিচে দেওয়া হলো:১. কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানো এবং কলকারখানা ও গাড়ির কালো ধোঁয়ার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাচ্ছে।২. বিদ্যুত্ উত্পাদনের জন্য জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ও তেল ব্যবহারের কারণে।৩. জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গিয়ে বনজঙ্গল ও গাছপালা উজাড় করার কারণে।৪. অধিক জনসংখ্যার নিঃসরিত শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে নিঃসরিত গ্যাসের কারণে।৫. চুলা ও ইটের ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে।প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে কী কী হতে পারে? আলোচনা করো।উত্তর: পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলে বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এভাবে তাপমাত্রা ও সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। সাগর থেকে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়তে পারে। এ ছাড়া প্রাকৃতি দুর্যোগ, যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘন ঘন ঘটতে পারে।প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করণীয় আলোচনা করো।উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করণীয় নিচে আলোচনা করা হলো:১. কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানো কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে।২. বনজঙ্গল উজাড় করা বন্ধ করতে হবে।৩. বেশি বেশি গাছপালা লাগাতে হবে।৪. কৃত্রিম বনজঙ্গল ও বনায়ন করতে হবে।৫. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।৬. সব জনসাধারণকে এর প্রভাব সম্পর্কে বোঝাতে হবে।প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে খাপ খাইয়ে চলা যেতে পারে তা আলোচনা করো।উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন উপায়ে টিকে থাকা যায়। নিচে দুটি পদক্ষেপের কথা আলোচনা করা হলো:১. বাংলাদেশে কিছু এলাকা বর্ষাকালে ডুবে থাকে। এ রকম জায়গায় কৃষকের ধানগাছের মুড়া বা গোড়া, কচুরিপানা এসব দিয়ে তৈরি ভাসমান ধাপগুলোর ওপর লাউ, শিম, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, টমেটো, ঝিঙা এ রকম সবজি চাষ করা যেতে পারে। আবার পানি শুকিয়ে গেলে এ ধাপ কম্পোষ্ট সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করা যায়। বন্যার সময় এভাবে ফসল চাষ করা যেতে পারে।২. উপকূলীয় অঞ্চলে লোনা পানি প্রবেশের কারণে জমি লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে লবণাক্ত মাটিতে জন্মাতে পারে এ রকম ফসলের জাত উদ্ভাবন করে চাষ করা যেতে পারে।প্রধান শিক্ষক, ফকিরেরপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা
159,800
মনিরুল ইসলাম, যশোর
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৯:০৭
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৯:১০
যশোর,খুলনা বিভাগ,অপরাধ
null
সেই ফেরা আর হলো না
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/442021
কক্সবাজার থেকে আইকন পরিবহনের বাসে করে ফেরার পথে আজ মঙ্গলবার ভোররাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন যশোরের জাসদ নেতা নুরুজ্জামান পপলু ও তাঁর মেয়ে মাইশা তাসনিম। যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল সড়কে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল স্বজনেরা বিলাপ করছেন।নুরুজ্জামানের খালাত বোন আফরোজা পারভীন কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘পেট্রলবোমা জামায়াত না আওয়ামী লীগ মেরেছে, তা আমরা জানি না। আমরা কাউকে বিশ্বাস করি না। মানুষের জীবন নিয়ে ওরা নাটক করছে।’মাইশার বান্ধবী সানজানা ইসলাম নেহা জানাল, ‘গত শনিবার মাইশার সঙ্গে আমার ফেসবুকে সর্বশেষ কথা হয়। ফেসবুকে চ্যাট করার সময় ওকে লিখেছিলাম, “তুই চলে গেলি। তোকে অনেক মিস করছি।” জবাবে ও লিখেছিল, “তিন/চার দিন পরই তো ফিরে আসছি।” সেই ফেরা আর হলো না।’ বলেই নেহা কাঁদতে থাকে।আফরোজা পারভীন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার নুরুজ্জামান তাঁর ব্যবসার কাজে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়ে মাইশা কক্সবাজারে বেড়ানোর বায়না ধরে। ওই বায়না তিনি আর ফেলতে পারেননি। স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে তিনি চট্টগ্রামে যান। সেখানে কাজ মিটিয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যান। গতকাল রাতে আইকন পরিবহনে করে ফেরার সময় চৌদ্দগ্রামে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় বাসে আগুন ধরে যায়। এ সময় ভাবি কোনো রকমে জানালার কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসেন। এর মধ্যে ভাই আর ভাইঝি পুড়ে মারা যায়।’কক্সবাজারে বেড়াতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছিল মাইশা। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটার দিকে নিজের ফেসবুকে মা–বাবার সঙ্গে সমুদ্রের তীরে তোলা ছবি পোস্ট করে সে। এ নিয়ে বন্ধুদের কমেন্টসের জবাবও দেয়। সেই ছবি এখন শুধুই স্মৃতি। ছবি থেকে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেছে বাবা আর মেয়ে। স্বামী-সন্তানকে হারিয়ে মা পাগলপ্রায়। পেট্রলবোমার আগুন মুহূর্তেই সব লন্ডভন্ড করে দিল।নুরুজ্জামান ছিলেন ঠিকাদার। এ ছাড়া তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) যশোর জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন বলে দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। তাঁর মেয়ে মাইশা যশোর পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত।নিহত মাইশার বান্ধবী নেহা জানাল, স্কুলের শিক্ষা সফর নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিল মাইশার। অবরোধের কারণে সেই সফর এখন স্থগিত। ‘কত্ত পরিকল্পনা ছিল ওর। কিছুই ওর দেখা হলো না, করা হলো না।’মাইশার স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, মাইশা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় সে জিপিএ-৫ পায়। প্রথম শ্রেণি থেকেই ও এই স্কুলে পড়ছিল।নিহত মাইশার বড় ভাই মাথিন ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি আর ওই দুর্ঘটনায় আহত মা মিলে লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে যশোর যাবেন।
112,079
-1
economy
অর্থনীতি
০৭ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০০
০৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৯
খবর
0
ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় নিগার সুলতানা উদ্যোক্তা
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1015839
ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা পেয়ে স্বপ্ন পূরণ করে দিনাজপুরের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে নিগার সুলতানা এখন একজন উদ্যোক্তা। ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ফাউন্ডেশন ২০১৫ সালে ‘তোমার স্বপ্ন করো সত্যি’ নামের প্রচারাভিযানের মাধ্যমে ব্যবসা, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী নারীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র চায়। যাচাই-বাছাই শেষে ৩৫০ জনকে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি এবং ৭ জনকে ব্যবসা শুরুর মূলধনের সনদ দেওয়া হয়। নির্বাচিত এই ৩৫৭ জনের একজন হলেন এই নিগার সুলতানা। বিজ্ঞপ্তি।
263,221
চট্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধি
sports
খেলা
২২ অক্টোবর ২০১৬, ১২:০২
২২ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:০৭
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
শেষ পাঁচে ইংল্যান্ডের ১২৮, বাংলাদেশের ২৫!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1005141
ইল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে হারিয়ে তুলেছিল ১০৬ রান, বাংলাদেশের সেটি ২২১। এ তো দ্বিগুণেরও বেশি!কিন্তু পরের ৫ উইকেটে ইংল্যান্ড যতটা এগিয়েছে, বাংলাদেশ ঠিক বিপরীত।ইংল্যান্ড শেষ ৫ জুটিতে তুলেছে ১৮৭ রান। ইংলিশদের ইনিংসের প্রায় ৬৪ শতাংশ রান জোগান দিয়েছেন লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। তাদের সবচেয়ে বড় জুটিই হয়েছে ষষ্ঠ উইকেটে এসে। মঈন আলী-জনি বেয়ারস্টোর ওই জুটিতে উঠেছে ৮৮ রান। মাঝারি কয়েকটি জুটিও হয়েছে এর পরে। বেয়ারস্টো-ক্রিস ওকস সপ্তম উইকেটে তোলেন ৪৩ রান, এমনকি নবম উইকেটে আদিল রশিদ-স্টুয়ার্ট ব্রড ৩১ রান যোগ করে নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা অনেকটাই ঢেকে দিয়েছেন টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। সাতে নামা বেয়ারস্টো ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি করে। এমনকি পেসার ওকসও করেছেন ৩৬ রান । প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের অবশ্য খুব একটা ব্যর্থ বলা যাবে না। বরং দলকে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই তাঁরা নিয়ে গিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের মতো না হোক, বাংলাদেশের লোয়ার ব্যাটসম্যানরা যদি সেটির অর্ধেকও করতেন, তবুও মুশফিকরা নিশ্চিত লিড পেয়ে যেতেন।ইংল্যান্ডের শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত রান ১২৮, সেখানে বাংলাদেশের মাত্রই ২৫। সাব্বির বাদে দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি আর কেউ। শফিউল ইসলাম-সাব্বিরের সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ১৭ রান যোগ হয়েছে। এর মধ্যে ষষ্ঠ ও শেষ উইকেট জুটিতে তো রানই তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।অথচ দুই দল প্রায় একই ধরনের স্কোয়াড নিয়ে খেলতে নেমেছে। ব্যাটিংয়ের গভীরতা আট নম্বর পর্যন্ত। সাব্বির-মেহেদী যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গভীরতা বেড়েছে। যদিও তার প্রতিফলন থাকল না প্রথম ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে দুই দলের লেজের ব্যবধানটা বুঝতেই পারছেন। তবে ইংল্যান্ডের লেজটা যে বেশ শক্তপোক্ত। আদিল রশিদের ১০টি প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি আছে, ৩৫টি ফিফটিও। স্টুয়ার্ট ব্রডের তো টেস্টেই একটি সেঞ্চুরি আর ১০টি ফিফটি আছে।অভিজ্ঞতা কিংবা সামথ্যে পার্থক্য যতই হোক, বাংলাদেশের শেষ ৫ পাঁচ ব্যাটসম্যান ২৫ রান তুলে দেবেন, তা মানা যায় না। টেল এন্ডাররা যদি ঠিকমতো সঙ্গ দিতে না পারেন, তাহলে আট পার্যন্ত ব্যাটসম্যান রেখেও যে কোনো লাভ নেই। দুই দলের এই পার্থক্যটাই না আবার চট্টগ্রাম টেস্টের পার্থক্য গড়ে দেয়!
258,130
প্রথম আলো ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ জুলাই ২০১৭, ০২:২৯
১৭ জুলাই ২০১৭, ০২:৩০
-1
0
উত্তরাঞ্চলে বন্যার পানি কমছে, ভাঙন বাড়ছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1254991
বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় গতকাল রোববার এসব জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি কমেছে জামালপুরেও। তবে ফরিদপুরে বন্যার অবনতি হয়েছে, সেই সঙ্গে তীব্র হয়েছে নদীভাঙন। মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে।এদিকে বানভাসি অনেক মানুষ এখনো ত্রাণসহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। আবার কোথাও কোথাও ত্রাণ অপর্যাপ্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া খাওয়ার পানির অভাব, জ্বালানি সংকট ও পানিবাহিত রোগব্যাধিসহ নানা দুর্ভোগে দিন কাটছে বন্যার্ত মানুষের।এলাকাবাসী, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে প্রথম আলোর আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:ফরিদপুরে পদ্মার পানি গতকাল আরও বেড়েছে। তলিয়ে গেছে সদরপুর উপজেলার নতুন বসতভিটা ও ফসলি জমি। সকালে উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চর বলাশিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের মুখে লোকজন বসতবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। এলাকার জব্বার মীর বলেন, ১০ দিন ধরে ভাঙন চললেও কেউ তাঁদের খোঁজ নেননি। এ কয়েক দিনে ৪৪টি পরিবারের ভিটা ও ১৩২ একর ফসলি জমি ভাঙনে বিলীন হয়েছে।ভাঙনের কারণে চর বলাশিয়া সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ সরানো হচ্ছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে চর বলাশিয়া মোল্লা গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার বলেন, ‘যত দিন থাকা যায় থাকব; তারপর চলে যাব।’ ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, চর বলাশিয়া ঘাট রক্ষায় বালুর বস্তা ফেলা হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ওই এলাকায় ভাঙন রোধে ৩২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে। ইউএনও রোকসানা রহমান বলেন, ভাঙনের শিকার মানুষের তালিকা হচ্ছে।জামালপুরে যমুনা নদীর পানি কমেছে। গত শনিবার সকাল থেকে বন্যার পানি কমছে, তবে দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার দেড় লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছে। পানি কমতে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর, রাস্তাঘাট জেগে উঠছে। ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া লোকজন বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গোখাদ্যের সংকট এবং পানিবাহিত রোগ। ফসল নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা কৃষকেরা।এদিকে ইসলামপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে আরাফাত হোসেন (১০) নামের এক স্কুলছাত্র। গতকাল সকালে পচাবহলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে নটারকান্দা গ্রামের মো. হাসেন আলীর ছেলে ও ইসলামপুর নেকজাহান উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। শনিবার সন্ধ্যায় বন্যার পানি দেখতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়।সিরাজগঞ্জের বাহুকায় ভেঙে যাওয়া বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ সেনাবাহিনীর সহায়তায় মেরামত করতে সক্ষম হয়েছে পাউবো। জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাঁধের মেরামতকাজ শেষ হয়েছে। আপাতত ঝুঁকি নেই। যমুনার পানিও কমতে শুরু করেছে। আরও বালুভর্তি বস্তা মেরামতের স্থানে ফেলা হবে।বগুড়ায় গত দুদিনে মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনার পানি ২২ সেন্টিমিটার কমেছে। সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় ১৭ হাজার ৪০ পরিবার এখনো পানিবন্দী। বিভিন্ন বাঁধে আশ্রয় নিয়ে আছে ৪ হাজার ২৯০টি পরিবার। ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার ৮৫ হেক্টর জমির ফসল।কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ২৪ ঘণ্টায় আরও শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বর্ষায় প্রায় ৪ হাজার পরিবার নদীভাঙনের শিকার হলো।মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলার হাওরসংলগ্ন এলাকার প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী আছে।সিলেটের শুধু ফেঞ্চুগঞ্জে গতকাল বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত ছিল। অপর আট উপজেলায় পানি কমেছে। জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার বলেন, নতুন করে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে।
326,836
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:১৪
১৪ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:১৪
-1
0
মকবুল আহমাদ রাজাকার ছিলেন: আবদুল হান্নান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1020593
জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাথমিক তদন্তের অগ্রগতি রয়েছে। তিনি রাজাকার ছিলেন, এটি সুস্পষ্ট। আজ সোমবার ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।আবদুল হান্নান খান বলেন, সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের খবর প্রকাশিত হয়। এ খবরকে গুরুত্বসহকারে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। ইতিমধ্যে সেই তদন্তের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে।মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থা। এই তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন আবদুল আজিজ ওরফে হাবলু (৬৪), মোহাম্মদ আবদুল মতিন (৬৩) ও আবদুল মান্নান ওরফে মনাই (৬৪)। তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে এই তিনজন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যা করেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এই তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।অভিযোগগুলো হলো:১. ১৯৭১ সালের ১৯ মে মৌলভীবাজার বড়লেখা থানার ঘোলসা গ্রাম থেকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নেতা হরেন্দ্রলাল দাস, মতিলাল দাস, নগেন্দ্র কুমার দাস ও শ্রী নিবাস দাসকে অপহরণ করে আসামিরা। পরে হরেন্দ্রলাল, মতিলাল ও নগেন্দ্রকে হত্যা করা হয়।২. বড়লেখার বিওসি কেসরিগুল গ্রাম থেকে সুফিয়া খাতুন ও আবদুল খালেককে অপহরণ করে। পরে সুফিয়া খাতুনকে পালাক্রমে ধর্ষণও করে আসামিরা।৩. বড়লেখা থানার পাখিয়ালা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মইন কমান্ডারের বাড়িতে লুটপাট। তাঁর বাবা বশিরউদ্দিন, চাচা নেসার আলী, ভাই আইয়ূব আলী, ভাতিজা হারিস আলীকে অপহরণ করে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় আসামিরা।৪. বড়লেখার হেনাই নগর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মস্তকিম কমান্ডারের বাড়িতে হামলা করে। তাঁকে না পেয়ে তাঁর ভাই মতসিম আলীকে অপহরণ করে নির্যাতন করে। নির্যাতনে তাঁর পা ভেঙে যায়। তারপর বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয়।৫. বড়লেখার দিমাই বাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধা মনির আলীকে আটক করে। আসামিরা মনির আলী ও তাঁর স্ত্রী আফিয়া বেগমকে অপহরণ করে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসামি আবদুল আজিজ ও আবদুল মান্নান গত ২ মার্চ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। পলাতক আছেন আবদুল মতিন। ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এই তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। মামলাটির তদন্ত করেছেন তদন্ত সংস্থার সহকারী পরিচালক শাহ জাহান কবির। সাক্ষী করা হয়েছে ৪০ জনকে। আবদুল হান্নান খান বলেন, এই চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে আজই জমা দেওয়া হবে।আবদুল আজিজ বর্তমানে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আবদুল মতিন জামায়াত ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আবদুল মান্নান ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা ছিলেন।
265,091
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ এপ্রিল ২০১৬, ০২:৩৪
১০ এপ্রিল ২০১৬, ১২:৫৬
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
কেন ইরফানকে হত্যা করা হলো প্রশ্ন স্ত্রীর
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/825595
দৃক গ্যালারির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলামের স্ত্রী জোহরা ইরফান বলেছেন, ‘আমি শুধু খুনিদের কাছে জানতে চাই, কেন ইরফানকে হত্যা করা হলো? কী অপরাধ ছিল তাঁর? আমার আর কোনো কিছু চাওয়ার নেই।’গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘সারা দেশে গুম খুন ধর্ষণ রুখো’ শীর্ষক এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে জোহরা এ কথা বলেন। গত রোববার দুপুরে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা তোলার পর নিখোঁজ হন ইরফানুল। বিকালে নারায়ণগঞ্জের লিংক রোড থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।দৃক গ্যালারি ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান পাঠশালা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে নিহত ইরফানুলের স্ত্রী জোহরা ও ছেলে ইফতেখারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে দৃকের কর্মী ও পাঠশালার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পাঠশালায় আলোকচিত্র সম্পর্কে পড়ানো ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গণমাধ্যমে কর্মরত ফটোসাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন আলোকচিত্র বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের আলোকচিত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।মানববন্ধনে দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ একটি কুখ্যাত জায়গায় পরিণত হয়েছে। সেখানকার কর্ণধারকে সরকার মাথায় তুলে রাখে।’ তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। তিনি খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।মানববন্ধনে আলোকচিত্রী আবির আবদুল্লাহও বক্তব্য দেন।
218,855
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
১৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৫৮
১৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:৫৯
আমার চট্টগ্রাম
0
ছয় দিনে ৩৯ নৌকায় লুটপাট, আহত ২৮ জেলে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/710782
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুদের তাণ্ডবে মাছ ধরতে পারছেন না জেলেরা। সাগরে নামলেই দস্যুবাহিনীর হামলার শিকার হচ্ছেন। গত ছয় দিনে দস্যুরা ইঞ্জিনচালিত ৩৯টি মাছ ধরার নৌকায় (ট্রলার) হামলা চালিয়ে কোটি টাকার মাছ, জাল ও জ্বালানি তেল নিয়ে গেছে। আহত হয়েছেন ওই সব ট্রলারের অন্তত ২৮ জেলে। পুলিশ ও ফিশিং বোট মালিক সমিতি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জেলেরা জানান, গত ১০ ডিসেম্বর সকালে উখিয়ার ইনানী উপকূলে দস্যুদের হামলার শিকার হয় বাহারছড়া এলাকার গোলাম হোসেনের একটি মাছ ধরার নৌকা। দস্যুরা নৌকার ১২ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দেড় লাখ টাকার মাছ লুট করে। দস্যুদের পিটুনিতে আহত হন পাঁচজন। একই দিন সেন্ট মার্টিন উপকূলে কুতুবদিয়ার দুটি ট্রলারে লুটপাট চালায় দস্যুরা। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খন্দকার জানান, সাগরে জেলেদের নিরাপত্তা দেয় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। গভীর সাগরে নামার নৌযান পুলিশের নেই। ৯ ডিসেম্বর ভোর পাঁচটার দিকে সাগর থেকে মাছ ধরে কক্সবাজার শহরে ফিরছিলেন খুরুশকূল গ্রামের আবদুল রশিদের একটি নৌকার ১৮ জেলে। নৌকাটি মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে পৌঁছালে ৪০-৪৫ জনের দস্যুদল নৌকাটি জিম্মি করে। এরপর ১৮ জেলেকে হাত-পা বেঁধে পিটুনি শুরু করে দস্যুরা। এ সময় েনৗকায় থাকা ১০ লাখ টাকার মাছ, জাল ও জ্বালানি তেল লুট করে। পরে অন্য একটি নৌকায় ১৮ জেলেকে উদ্ধার করে কক্সবাজার নিয়ে আসা হয়। একই দিন ওই এলাকার মহেশখালীর সাইফুল ইসলাম, মনজুর আলম ও কুতুবদিয়ার গোলাম কাদেরের মালিকানাধীন নৌকাও লুটপাট চালায় দস্যুরা। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইকুল আহমদ জানান, সোনাদিয়া চ্যানেলে দস্যু বাহিনীর হাতে প্রায় সময় জেলেরা হামলার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু জলযান না থাকায় সেখানে গিয়ে পুলিশের পক্ষে দস্যু বাহিনীকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তার পরও পুলিশ উপকূলে অভিযান চালিয়ে দস্যুদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। জেলেরা জানান, এর আগে ৫ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সাগরের সোনাদিয়া, ধলঘাটা ও মনখালী উপকূলে দস্যুদের কবলে পড়েছে কমপক্ষে ৩২টি মাছ ধরার নৌকায়।কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, গত ছয় দিনে ৩৯টি ট্রলার দস্যুদের কবলে পড়েছে। এ সময় ট্রলারের কোটি টাকার মাছ, জালসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। দস্যুদের হামলায় অন্তত ২৮ জেলে আহত হয়েছেন। মুজিবুর রহমান জানান, জেলায় ছোটবড় প্রায় ছয় হাজার ট্রলারে জেলে রয়েছেন প্রায় এক লাখ। ডাকাতির কারণে তাঁদের বেশির ভাগ সাগরে মাছ শিকারে যেতে ভয় পাচ্ছেন। গত ছয় মাসে দস্যুরা শতাধিক জেলেসহ ৪১টি নৌকা অপহরণ করেছে। এ পর্যন্ত কোটি টাকা মুক্তিপণে দিয়ে ফিরে এসেছেন ওই সব ট্রলারের ৬৩ জেলে। গত তিন বছরে দস্যুদের গুলি ও হামলায় নিহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি জেলে। নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক। সমিতির নেতারা জানান, গত ২৯ অক্টোবর বাঁশখালী, কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতুবদিয়া উপজেলার ৪১ জলদস্যুর নাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এই দস্যুরা ভাগাভাগি করে নিয়ন্ত্রণ করছে জেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার সাগর উপকূল। জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, সাগরে একাধিক দস্যুবাহিনী নৌকায় লুটপাট চালানোর খবর পাচ্ছি। দস্যুতা বন্ধ করতে কোস্টগার্ড ও পুলিশকে বলা হয়েছে। কোস্টগার্ড কক্সবাজারের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. আলী আকতার জানান, দস্যুদের ধরতে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই জলদস্যুকে আটক করা হয়েছে।
183,062
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ১৭:৩৫
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ১৭:৩৭
মহাকাশ
null
এলিয়েনের ‘সুস্পষ্ট’ প্রমাণ!
http://www.prothom-alo.com/technology/article/498193
আসলেই কী ভিনগ্রহবাসী বা এলিয়েনদের দেখা মিলবে? দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের মনে এই প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই এলিয়েনদের খুঁজে পাওয়া কিংবা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি নিছকই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির বিষয় বলেই মনে করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কয়েকজন বিজ্ঞানী আছেন যাঁরা জানিয়েছেন, ‘আমরা এলিয়েনদের খুঁজে পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি, বড় জোর আর ১০ বছর লাগবে।’ ২০২৫ সালের মধ্যেই এলিয়েন খুঁজে পাওয়ার ‘সুস্পষ্ট প্রমাণ’ হাজির করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।নাসার গবেষকেরা বলেছেন, ‘এই সৌরজগতে আমরাই শুধু নই, আমাদের জানাশোনার বাইরে এই সৌরজগতের কোথাও প্রাণের উদ্ভব ঘটতে পারে। নাসা তা প্রমাণ করার খুব কাছে চলে এসেছে।’গতকাল মঙ্গলবার নাসার প্রধান বিজ্ঞানী অ্যালেন স্টেফান এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে নাসার এই প্রতিশ্রুতির কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আগামী এক দশকের মধ্যে এলিয়েনের খোঁজ পাওয়া যাবে; যা হবে পৃথিবীর মধ্যে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। আমি মনে করি, আমরা এক দশকের মধ্যেই পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো খানে জীবনের অস্তিত্বের খোঁজ পেয়ে যাব। আমরা জানি কোথায় তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাবে বা তাদের কীভাবে খুঁজতে হবে। আমাদের হাতে প্রযুক্তি রয়েছে আর আমরা তা প্রয়োগ করছি। আমি মনে করি, আমরা ঠিক পথেই আছি।’স্পেস ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতেই এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসীর অস্তিত্বের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আমাদের এই ছায়াপথে পৃথিবী ও মঙ্গলের মতো পাথুরে গ্রহ বেশি। সেই তুলনায় বৃহস্পতি বা শনির মতো গ্যাসীয় গ্রহের সংখ্যা কম। তাই অধিকাংশ তত্ত্বই বলে, পাথুরে গ্রহগুলো জীবনধারণের উপযোগী হতে পারে।নাসার অ্যাস্ট্রোফিজিকস বিভাগের পরিচালক পল হার্জ মিল্কি ওয়ে ছায়াপথকে ‘আর্দ্র স্থান’ বলে উল্লেখ করেছেন। এখানে মহাকাশীয় মেঘের পানির অস্তিত্ব দেখা যায় বলেই তাঁর মত।এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসীর খোঁজে নাসার বর্তমান পরিকল্পনা হচ্ছে, মঙ্গল গ্রহের বরফাচ্ছাদিত চাঁদ ইউরোপাতে আরও বেশি রোভার পাঠানো। এ ছাড়াও হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁরা জটিল গাণিতিক নকশার রেডিও সংকেত ধরতে পেরেছেন যা কোনো বুদ্ধিমান ভিনগ্রহবাসীর পাঠানো সংকেত হতে পারে।তবে কী সত্যিই দেখা মিলবে এলিয়েনদের? যেভাবে গবেষক, বিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তারা উঠেপড়ে লেগেছেন ১০ বছরের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন করে ফেলা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে কী?
129,510
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি|
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৪৩
০৯ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৪৭
মহানগর
0
নতুন ছাত্রী হল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/824269
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে নতুন একটি ছাত্রী হলের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আকবর হলটির উদ্বোধন করেন। তবে হলের কোনো নাম দেওয়া হয়নি। হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সার্জারি অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমীন। হলটি এখনো নির্মাণাধীন। আবাসন সংকট থাকায় যে অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, সেখানে ছাত্রীদের ওঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে হলটিতে ৩৯০ জন ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীসংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ৪৫ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও ১২টি হলের মাত্র তিনটি ছিল ছাত্রী হল। তা ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় আসনসংখ্যা বাড়লেও হলের সংখ্যা বাড়েনি। আবাসন সংকট থাকায় চিকিৎসাকেন্দ্র, চাষি ভবন ও অন্যান্য হলের গণরুমে ছাত্রীদের রাখা হতো।
218,674
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:১৪
২৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:২১
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
ছুটির দিনে নানা আয়োজন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1068253
২৭ জানুয়ারি, শুক্রবারচলচ্চিত্রচিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের আয়োজনে দশম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। আজ গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে, বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায়, বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি শিশু চলচ্চিত্র দেখানো হবে।মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের নাটক শিবানী সুন্দরী, মঞ্চস্থ হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে। একই সময়ে স্টুডিও থিয়েটারে নাট্যম রেপার্টরী নাট্যদলের চারিদিকে যুদ্ধ মঞ্চস্থ হবে।উৎসবপিঠা: জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে চলছে সাত দিনব্যাপী দশম জাতীয় পিঠা উৎসব। শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অর্ধশতাধিক স্টলে পাওয়া যাবে মুখরোচক নানান পিঠার স্বাদ নেওয়ার সুযোগ। উৎসব চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত, বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা।আচার: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী আচার উৎসব। সকাল ১০টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত উৎসব চলবে। এতে নানা স্বাদের আচার চেখে দেখার সুযোগ থাকবে।১০ জন প্রখ্যাত শিল্পীর ৪৮টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘ছাপাই ছবি-৩’। উদ্বোধন বিকেল পাঁচটায়। ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। গ্যালারি কায়া, বাড়ি-২০, সড়ক-১৬, সেক্টর-৪, উত্তরা।শিল্পী কাওসার হাসানের একক ভাস্কর্য প্রদর্শনী ‘গড়নের ছন্দ’। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে। শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। জয়নুল গ্যালারি, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।‘ভুটান ডায়েরিজ’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিকেল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা, শনিবার শেষ। দৃক গ্যালারি (দ্বিতীয় তলা), বাড়ি-৫৮, সড়ক-১৫/এ (নতুন), ধানমন্ডি।আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে নাজমুল হকের ৩০টি চিত্রকর্ম নিয়ে একক প্রদর্শনী ‘এন ইটারনাল জার্নি’। বিকেল পাঁচটায় উদ্বোধন। সোম থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২টা, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রোববার বন্ধ। ৪ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শনী শেষ হবে।২৮ জানুয়ারি, শনিবারসংগীতস্টার মেলোডিজ, দ্য ডেইলি স্টার-এর বাংলা গানের নিয়মিত আসর ‘শিল্পীর প্রিয় গান-আনপ্লাগড’। সন্ধ্যা ছয়টায়। এ এস মাহমুদ হল (লেভেল-৩), ডেইলি স্টার সেন্টার, ৬৪-৬৫ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ।আবৃত্তিশিল্পকলা একাডেমি ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের আবৃত্তি অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে।চলচ্চিত্রচিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের আয়োজনে দশম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে, বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা; জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে, বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি শিশু চলচ্চিত্র দেখানো হবে।নাটকমতিঝিল থিয়েটার সার্কেলের নাটক ক্যাপ, মঞ্চস্থ হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে।শিল্পী মোখলেসুর রহমানের একক প্রদর্শনী ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’। বিকেল পাঁচটায় উদ্বোধন। ৩১টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে। শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। গ্যালারি শিল্পাঙ্গন, বাড়ি-২০, সড়ক-১৩ (নতুন), ধানমন্ডি।গ্রন্থনা: আহমেদ দীপ্ত
287,373
মোশতাক আহমেদ, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৯
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৫
আওয়ামী লীগ,কোচিং সেন্টার,প্রশ্নফাঁস
null
সংখ্যা নয়, চাই শিক্ষার মান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1577344
গত ১০ বছরে শিক্ষা খাতে বেশ কিছু উন্নতিতবে দেশে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছেবিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগগুণগত মানের ওপর জোর দেওয়ার তাগিদগত ১০ বছরে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভর্তি ও পাসের হার, বৃত্তি-উপবৃত্তি—সবই তরতরিয়ে বেড়েছে। কিন্তু অর্জনগুলো ম্লান করে দিচ্ছে নীতি-সিদ্ধান্তের দোদুল্যমানতা, পরীক্ষার আধিক্য, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম। আর শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এভাবে শিক্ষার মান নেমে যাচ্ছে।শিক্ষাবিদদের পরামর্শ হলো, সংখ্যার বদলে নতুন সরকারের উচিত হবে শিক্ষার গুণগত মানের ওপর জোর দেওয়া। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন।গত এক দশকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া, প্রায় সব শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করা, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ছেলে-মেয়ের সমতা আসার মতো লক্ষ্যগুলো অর্জিত হয়েছে। এই সময়ে ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি হয়েছে। যেসব উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ নেই, সেগুলোতে একটি করে বিদ্যালয় ও কলেজ সরকারি হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। এ ছাড়া অনলাইনে ভর্তিপ্রক্রিয়া চালু, লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির উদ্যোগ ছিল ইতিবাচক।এই সময়ে প্রস্তুতি ছাড়াই সৃজনশীল পদ্ধতির আওতা বাড়িয়ে প্রায় সব বিষয়ে চালু করা হয়। বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষা ও বইয়ের বোঝা। আছে শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, জাতীয় শিক্ষানীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে পরিস্থিতি এত খারাপ হতো না।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. সোহরাব হোসাইন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষায় অনেক অগ্রগতি আছে। এর মধ্যে সংখ্যার দিকে এত দিন জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মান বাড়ানোর চেষ্টাও ছিল। তবে এখন মান বাড়ানোই মূল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে শিক্ষাক্রম সংশোধন, পরীক্ষাব্যবস্থা নিখুঁত করা, শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ যা যা করা প্রয়োজন, সেগুলো করা হবে।গত ১০ বছরে দুই মেয়াদে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। শুরুতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রথম দফায় আফছারুল আমীন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে মোস্তাফিজুর রহমান দায়িত্ব পালন করেন। নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁরা স্থান পাননি।শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে দরকার দ্রুত আইন২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি করার পর এটাকে বড় অর্জন বলে মনে করে সরকার। কিন্তু আট বছরেও প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করাসহ শিক্ষানীতির গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি।শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা আইন অপরিহার্য। কিন্তু আট বছরেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি। এর পেছনে কোচিং সেন্টার ও নোট-গাইড বা অনুশীলন বই ব্যবসায়ীদের নানামুখী চেষ্টা কাজ করেছে বলে অভিযোগ আছে। কারণ, প্রস্তাবিত এই আইনে প্রাইভেট, কোচিং ও নোট-গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষা আইন না থাকায় নির্বাহী আদেশে চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষানীতি অনুযায়ী, মাধ্যমিক শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করা, সব শিক্ষকের জন্য পৃথক বেতনকাঠামো, স্থায়ী জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং শিক্ষক নিয়োগে পিএসসির আদলে কমিশন হয়নি। অবশ্য প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা চালু, সবার জন্য নির্ধারিত কিছু বই রাখাসহ কয়েকটি বিষয় বাস্তবায়িত হয়েছে।শিক্ষাবিদেরা দ্রুত শিক্ষা আইনটি করে শিক্ষানীতি পুরোপুরি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন।ঘন ঘন পরিবর্তন ও পরীক্ষার চাপ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেওয়া শুরু হয়, যা এখনো চলছে। কিন্তু ২০০৯ সালেই ‘আকস্মিকভাবে’ পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নামে পাবলিক পরীক্ষা চাপিয়ে দেওয়া হয়। সরকার বলছে, এতে শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। কিন্তু বিভিন্ন জরিপের তথ্য ও শিক্ষাবিদদের মূল্যায়ন হলো, এই পরীক্ষা শুধু শিক্ষার্থীদের চাপই নয়, অভিভাবকদের ওপরও কোচিং-প্রাইভেটের খরচের বোঝা বাড়িয়েছে।২০১৫ সালে বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের ৮৬ দশমিক ৩ শতাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে হয়। আর ৭৮ শতাংশ সরকারি বিদ্যালয়ে কোচিং ছিল বাধ্যতামূলক। অভিভাবক ও শিক্ষাবিদেরা আপত্তি করলেও এই পরীক্ষা বন্ধ হয়নি।এ বিষয়ে সরকারের করা জাতীয় শিক্ষানীতিও উপেক্ষা করা হয়েছে। বিদ্যমান শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, পঞ্চম শ্রেণি শেষে উপজেলা, পৌরসভা বা থানা (বড় শহর) পর্যায়ে সবার জন্য অভিন্ন প্রশ্নে সমাপনী পরীক্ষা হবে। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে। তদুপরি যোগ হয়েছে অষ্টম শ্রেণি শেষে জেএসসি-জেডিসি নামে আরেকটি পাবলিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত এখন একজন শিক্ষার্থীকে চারটি পাবলিক পরীক্ষা দিতে হয়।মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বছরে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক নামে দুটি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে টিউটরিয়াল, ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট নামে আরও কিছু পরীক্ষা হয়। গত ১০ বছরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে কখনো পরীক্ষার নম্বরকাঠামো বদল করা হয়েছে, আবার কখনো পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। একজন শিক্ষার্থীকে পঞ্চম শ্রেণিতে যখন ছয়টি বই পড়তে হয়, সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠলেই ১৩টি বই দেওয়া হচ্ছে।মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা বললেন, পড়ার চক্রেই ঘুরপাক খাচ্ছে সন্তান, বিনোদনের সুযোগও পায় না।পাস নয়, ভালোভাবে শেখা জরুরি২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বেড়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ২০১৩ সালে ছিল ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, এখনো প্রায় একই আছে। জেএসসিতে সর্বশেষ পাসের হার ৮৫ শতাংশের ওপরে। এইচএসসিতে পাসের হার বেড়ে ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উঠলেও ২০১৮ সালে তা কমে হয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর এসএসসিতে পাসের হার ৮০ শতাংশের কাছাকাছি থাকছে।মূলত উদারভাবে খাতা দেখায় পাসের হার বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে। সমালোচনার মুখে ‘ঠিকমতো’ উত্তরপত্র মূল্যায়ন করায় গত এইচএসসিতে পাসের হার প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে, যা ১০ বছরের মধ্যে কম। এসএসসিতেও কমেছে পাসের হার।এসএসসি-এইচএসসিতে ভালো ফল করলেও উচ্চশিক্ষায় ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বরও পাচ্ছেন না বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১১ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।শিক্ষাবিদদের পরামর্শ হলো, পাস–ফেল যা–ই হোক, একজন শিক্ষার্থী ভালোভাবে শিখল কি না বা যতটুকু শিখল সেটা মানসম্মত হলো কি না, সেটাই মুখ্য বিষয় হতে হবে।‘বিষফোড়া’ কোচিং ও অনুশীলন বইবিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন বিদ্যালয়ের প্রায় সমান্তরাল হয়ে গেছে কোচিং-প্রাইভেট। শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেট নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০১২ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা করলেও তা অধিকাংশ শিক্ষক মানেন না। পুরোনো আইনে নোট-গাইড নিষিদ্ধ থাকায় নাম পাল্টে এখন অনুশীলন বা সৃজনশীল নামে মূলত নোট-গাইড চলছে।শিক্ষকই বোঝেন না সৃজনশীলমুখস্থবিদ্যার বদলে শিক্ষার্থীরা বুঝে পড়বে ও শিখবে, নোট-গাইড বা অনুশীলন বই থাকবে না—এমন চিন্তায় ২০০৮ সালে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হয়। এক দশক পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর তদারক করে দেখেছে, প্রায় ৪২ শতাংশ শিক্ষক পুরোপুরিভাবে সৃজনশীল প্রশ্ন করতে পারেন না।মাধ্যমিক স্তরটি বেশি নড়বড়ে। এই স্তরে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকেরা ‘কার্যকরভাবে’ পাঠদান করাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জিত হচ্ছে না। একাধিক শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেছেন, বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজিসহ বিষয়ভিত্তিক গভীর পাঠদান ও পাঠাভ্যাসের অনুপস্থিতি রয়েছে।প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে বের হতেই হবেঅনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১২ সালের পর গত ছয় বছরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অন্তত ৮০টি বিষয়ের (পত্রের) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এসএসসিতে ১৭ দিন লিখিত পরীক্ষার ১২ দিনে আবশ্যিকসহ ১২টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, যা রেকর্ড।অভিযোগ ওঠে, প্রথম কয়েক বছর ফাঁসের কথা অস্বীকার করা এবং তদন্তের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করায় তা নাগালের বাইরে চলে যায়। অবশ্য গত এইচএসসিতে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, তা ঠিক করাসহ ব্যাপক তৎপরতার কারণে ওই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠেনি। এমন পরিস্থিতিতে কড়াকড়ির মধ্যে গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।একাধিক শিক্ষাবিদ প্রথম আলোকে বলেছেন, পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় মানের ওপর জোর না দেওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে।আছে অনিয়ম-দুর্নীতিশিক্ষক-কর্মচারীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এমপিওভুক্তির কাজ বিকেন্দ্রীকরণ করে আঞ্চলিক পর্যায়ে করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এখন উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক—এই ‘তিন ঘাটে’ দুর্নীতি হচ্ছে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফরম পূরণেও বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষার জেলা-উপজেলা কার্যালয়ে দুর্নীতি থামেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিবকে ঘিরে সমালোচনা এখনো আছে, তাঁকে প্রথমে ঢাকা বোর্ডে এবং পরে রাজশাহীর একটি কলেজে পাঠানো হয়েছে।এলোমেলো উচ্চশিক্ষাবর্তমানে ১০৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গত ১০ বছরে ৫২টির অনুমোদন হয়েছে। অথচ পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা বা মালিক হয়েছেন সরকার–সমর্থক রাজনীতিবিদ বা ব্যবসায়ী।বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৪২টি, এর মধ্যে ১৪টি গত ১০ বছরে হয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিবিড় তদারকির জন্য ইউজিসিকে উচ্চশিক্ষা কমিশন করার উদ্যোগ বছরের পর বছর আটকে আছে। এমনকি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিয়োগ হলেও কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু হয়নি।শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাগবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগও কেবল মুখে মুখেই রয়ে গেছে। সংস্কার এবং পাঠ্যক্রম আধুনিকায়ন ছাড়াই কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমানের আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। রাজনৈতিক কারণে এই স্বীকৃতি দেওয়া হলেও পাঠ্যবই বা পাঠ্যক্রম বিষয়ে এখানে সরকারের কিছু করণীয় নেই।শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যে শিক্ষায় অর্জন যেমন আছে, তেমনি শিক্ষার মান নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ আছে। চারটি পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার পরও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সেই ফল আস্থায় নিতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, অনেকে ন্যূনতম পাস নম্বরও পাচ্ছে না। তাঁর মতে, শিক্ষায় সংখ্যা বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়, সেটি পাসের হার, শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সর্বত্রই। তবে মানের সঙ্গে আপস করলে বেকারত্ব বাড়বে এবং সুনাগরিকও তৈরি হবে না।
389,144
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ১৯:৫৬
১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ১৯:৫৭
সংগীত
null
বংশীবাদক নিয়ে পাঁচ দিনের আয়োজন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1061471
বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলামের আজীবন সম্মাননা স্মারক শুরু হচ্ছে আগামী ২০ জানুয়ারি। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী প্রদর্শনী এবং একক বংশীবাদনের আয়োজন চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের আয়োজক কুল এক্সপোজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল হক জানান, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ২০ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় পাঁচ দিনব্যাপী এ সংগীতায়োজনের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী প্রমুখ। উদ্বোধনী আয়োজনে সভাপতি থাকবেন সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে ২১ জানুয়ারি শনিবারের বংশীবাদন আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। ওই দিন বিশেষ অতিথি থাকবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন, কবি ও সাংসদ কাজী রোজি, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রমুখ। এদিন সভাপতিত্ব করবে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। পরদিন রোববার ২২ জানুয়ারি, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চিত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদর্শনীর আয়োজন থাকবে। ২৩ জানুয়ারি সোমবার বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সমাপনী অনুষ্ঠান ও বংশীবাদন আয়োজনের প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
284,015
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১৮ জুলাই ২০১৪, ০০:৫০
১৮ জুলাই ২০১৪, ০০:৫২
বাণিজ্য,বাণিজ্য সংবাদ
0
ইপিজেডগুলোতে রপ্তানি আয় বেড়েছে
http://www.prothom-alo.com/economy/article/270337
দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকাগুলোর (ইপিজেড) রপ্তানি বেড়েছে। সদ্য বিদায়ী ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৫২ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে ইপিজেডগুলো। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৭৯ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ রপ্তানিমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৪৩ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রায় পৌনে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ইপিজেডগুলোর মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮৫ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৮ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। ইপিজেডগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সূত্রে রপ্তানির এ তথ্য পাওয়া গেছে।বেপজা জানিয়েছে, দেশের আটটি ইপিজেডের মধ্যে গত অর্থবছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ রপ্তানি করেছে চট্টগ্রাম ইপিজেড বা সিইপিজেড। সিইপিজেড এককভাবে প্রায় ২২৬ কোটি ডলার বা ১৭ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। আর সর্বনিম্ন তিন কোটি ৩২ ডলার বা ২৬২ কোটি টাকার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে নীলফামারী জেলায় অবস্থিত উত্তরা ইপিজেড।রপ্তানি প্রবৃদ্ধির তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গত অর্থবছরে ইপিজেডগুলোতে নতুন করে ১৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ইপিজেডগুলোতে যেখানে ৪১২টি চালু শিল্প ছিল, সেখানে গত বছর শিল্পের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২৮টি। এ ছাড়া পুরোনো কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানও তাদের উৎপাদন কার্যক্রম বাড়ানোর ফলে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে বলে মনে করছেন বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিন্তে আলমগীর। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই ইপিজেডে নতুন নতুন শিল্প চালু হচ্ছে। পাশাপাশি পুরোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন বাড়াচ্ছে।’বর্তমানে দেশে আটটি ইপিজেড রয়েছে। এগুলো হচ্ছে চট্টগ্রামের সিইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেড, ঢাকা ইপিজেড, নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেড, কুমিল্লা ইপিজেড, মংলা ইপিজেড, ঈশ্বরদী ইপিজেড, ও নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড।বেপজা জানিয়েছে, বর্তমানে ইপিজেডগুলোতে ৪২৮টি শিল্প চালু অবস্থায় ও ১৩৫টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
78,829
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৮
৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:২০
বিনোদন,টেলিভিশন
null
আজ বছরের শেষ ‘ইত্যাদি’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1048973
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কুঠিবাড়ির সামনে বসেছিল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র এবারের সেট। সেই ইত্যাদিই আজ প্রচারিত হবে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর।১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয়। ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে সেদিন দিনাজপুরে ছিল উৎসবের আমেজ। কুঠিবাড়িতে ইত্যাদির ধারণ অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত।এবারের পর্বে দিনাজপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে রয়েছে একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন। ধামরাইয়ের নরেশচন্দ্র অধিকারী, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজার সদর উপজেলার জান্নাতুল বকেয়া, দিনাজপুর জেলার জন্মান্ধ ভ্যানচালক ও তাঁর পরিবারের ওপর রয়েছে প্রতিবেদন। এ ছাড়া রয়েছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক ফ্যান পেজের ওপর তৈরি একটি আকর্ষণীয় পর্ব। এ উপলক্ষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের এক ভিন্নধর্মী সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হানিফ সংকেত। এবার বিদেশি প্রতিবেদন করা হয়েছে তুরস্কের বসফরাস সেতুর ওপর। বিজয়ের মাস উপলক্ষে এবারের ইত্যাদিতে রয়েছে দেশাত্মবোধক গান। এটি লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর করেছেন আলী আকবর রুপু, গেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। এর পাশাপাশি আছে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর পর্ব, মামা-ভাগনে, নানি-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ। রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস ও তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ।ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পনসর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড।
278,770
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৩৭
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০১:৩৮
বিশাল বাংলা,খুলনা বিভাগ
0
অভয়নগরে স্বর্ণজয়ী মাহফুজাকে সংবর্ধনা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/775018
সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ) সাঁতার প্রতিযোগিতায় দুটি স্বর্ণপদক জয়ী জলকন্যা মাহফুজা খাতুনকে (শিলা) গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবর্ধনা দিয়েছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন।উপজেলা প্রশাসন এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সন্ধ্যা ছয়টায় নওয়াপাড়া শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শাহ্ জালাল হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসক শাহ্ হাদিউজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-৪ আসনের সাংসদ রণজিৎ কুমার রায়, জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর, অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক মোল্যা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মেহনাজ ও নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জলকন্যা মাহফুজা খাতুন শিলার বাবা আলী আহম্মেদ গাজী ও মা করিমুন্নেসা।সন্ধ্যা ছয়টায় সমবেত সংগীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মাহফুজা খাতুনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। বক্তব্য দিতে গিয়ে মাহফুজা কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘অভয়নগরবাসীর ভালোবাসা আমার সঙ্গে ছিল বলে আজ আমি সফল হয়েছি। অভয়নগরের অনেকের সহযোগিতা না থাকলে আমি আজ এ অবস্থানে আসতে পারতাম না। আমার এ বিজয় অভয়নগরের বিজয়। গোটা দেশের বিজয়।’
203,435
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
entertainment
বিনোদন
০৩ জুলাই ২০১৯, ২২:৩০
০৩ জুলাই ২০১৯, ২২:৩৩
সংগীত
0
এক মঞ্চে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1602422
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাজী নজরুল ইসলাম অনেক বিষয়ে পরস্পরের কাছাকাছি ছিলেন; এবং সে নৈকট্য কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়। দুজনেরই প্রধান পরিচয় তাঁরা কবি। নিজেদের তাঁরা ওভাবেই দেখতেন, লোকেও তাঁদের সেভাবেই দেখে। তাঁরা দুজনেই আবার ছিলেন বহুমুখী; সাহিত্যের সব শাখাতেই তাঁদের কাজ আছে এবং তাঁরা দেশের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন, সমাজের অগ্রগতি ও মানুষের মুক্তি নিয়ে তাঁদের চিন্তা ছিল সার্বক্ষণিক। রবীন্দ্রনাথের মতোই নজরুলেরও ছিল সংগীতের প্রতি গভীর আকর্ষণ এবং সংগীতের ক্ষেত্রে দুজনের অবদানই অসামান্য। হাজার হাজার গান তাঁরা রেখে গেছেন। গানে সুর দিয়েছেন, সুর সৃষ্টি করেছেন, সুরের মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। নিজেরাও গাইতেন। তাঁরা দুজনেই জানতেন যে তাঁদের গান বাঙালিকে অনেক কাল গাইতে হবে, এবং সে ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি। দুজনেই নাটক লিখেছেন, নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন, অভিনয় করেছেন। তাঁদের ছিল কৌতুকের অসাধারণ বোধ এবং তাঁরা শিশুদের জন্য যা লিখেছেন, তা-ও অতুলনীয়। বক্তৃতা করেছেন সভা-সমাবেশে। সম্পাদনা করেছেন পত্রিকা। রাজধানীর সুফিয়া কামাল কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আজ বুধবার বাংলা সাহিত্যের দুই গুণীকে স্মরণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন অতিথিরা। আজ সন্ধ্যায় এক আয়োজনে এ দুই কৃতী ব্যক্তির জয়ন্তী উদযাপন করল সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখা। কথন, গান, আবৃত্তি আর নৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় তাঁদের সৃজনকর্ম।এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও বহ্নিশিখার সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আতিউর রহমান বলেন, রবীন্দ্রনাথ এই উপমহাদেশে বাংলা সাহিত্য ও কাব্যধারার এক আমূল পরিবর্তন এনেছেন। সাহিত্যের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশ ও ভারতকে একই সূত্রে গেঁথেছেন। আধুনিক বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের অবদান অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে কাব্য ও গানের যে প্রভাব, রবীন্দ্রনাথ সে প্রভাব সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন।কাজী নজরুল ইসলাম প্রসঙ্গে আতিউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর কবিতার ছন্দ কিংবা গানের সুর বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছে অহর্নিশি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কবির শেষ জীবনে তাঁকে ভারত থেকে এ দেশে এনে যে অসাধারণ কাজটি করেছেন, তার জন্য তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ধন্যবাদ না জানিয়ে উপায় নেই। এ থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধুও বাংলা সাহিত্য এবং কবিতাকে কত ভালোবাসতেন।অনুষ্ঠানের শুরুতেই সম্মেলক কণ্ঠে বহ্নিশিখার শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘গহন কুসুমকুঞ্জ-মাঝে’। সঙ্গে ছিল নৃত্য। তাঁরা গেয়ে শোনান ‘রুমঝুম রুমঝুম কে বাজায়’। সংগঠনের নৃত্যশিল্পীরা ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন।সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীদের কণ্ঠে গীত হয় ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’ এবং উদীচীর শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ ও ‘সংকোচের বিহ্বলতা’। সম্মেলক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন ক্রা‌ন্তি ও স্বভূমির শিল্পীরা।একক কণ্ঠে শিমুল সাহা ‘উচাটন মন ঘরে রয় না’, আবিদা রহমান সেতু ‘সখি বাঁধলো বাঁধলো’, আসিফ ইকবাল সৌরভ ‘পদ্মার ঢেউরে’ এবং মোহনা দাস ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ গেয়ে শোনান। একক কণ্ঠে আরও সংগীত পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী। ছিল একক আবৃত্তি পরিবেশনাও। বহ্নিশিখার শিল্পীদের কণ্ঠে ‘মেঘের ডমরু ঘন বাজে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।
408,362
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৫২
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:৫৩
আইন ও বিচার
0
ঐশীর বন্ধু আসাদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/48919
রাজধানীর চামেলীবাগে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যায় প্ররোচনা ও ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের মেয়ে ঐশী রহমানের বন্ধু আসাদুজ্জামান ওরফে জনির (২৭) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আসাদুজ্জামানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁকে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, মাহফুজুর দম্পতি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঐশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যায় প্ররোচনা ও ইন্ধনদাতা হিসেবে আসাদুজ্জামানের নাম পাওয়া গিয়েছিল। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতেও ঐশী একই বক্তব্য দিয়েছেন। আসাদুজ্জামান গা ঢাকা দিয়েছিলেন।মনিরুল বলেন, আসাদুজ্জামান সম্পর্কে ঐশী যেসব তথ্য দিয়েছেন, তার কিছু আসাদুজ্জামান স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। তিনি হত্যায় ইন্ধন ও প্ররোচনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ঐশী তাঁকে হত্যার কথা বলেননি। তবে হত্যাকাণ্ডের পর তাঁকে আশ্রয় দেওয়া, বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন। রিমান্ডে আসাদুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যায় তাঁর সংশ্লিষ্টতা যাচাই করা হবে।ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে মর্মে ঐশীর জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন নতুন নয়। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় ঘটে। এটি আইনগত প্রক্রিয়া। আইনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার যে নিয়মকানুন উল্লেখ রয়েছে, তাতে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেওয়ার সুযোগ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঐশী ছাড়া হত্যায় সরাসরি অংশগ্রহণকারী হিসেবে আর কারও কথা এখনো জানা যায়নি।’ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, আসাদুজ্জামান মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ছাড়া তিনি নাচের পরিচালক হিসেবে বিভিন্ন উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের অপব্যবহার করতেন। বিভিন্নজনকে বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় চামেলীবাগের ভাড়া বাসা থেকে মাহফুজুর দম্পতির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁদের মেয়ে ঐশী। পরে গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন ওরফে সুমি ও ঐশীর এক বন্ধু মিজানুর রহমান ওরফে রনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঐশী ও মিজানুর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। খাদিজাকে গাজীপুরের সংশোধন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
17,983
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:২০
১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:২০
বাণিজ্য,বাণিজ্য সংবাদ
0
৯ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1037057
অনিয়মের মাধ্যমে দেওয়া ঋণ আদায় করতে না পেরে মূলধন শূন্য হয়ে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি ৯ ব্যাংক। গত সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি হয়েছে ১৬ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতের ব্যাংক সাতটি ও বেসরকারি খাতের দুটি।জানা গেছে, চলতি বছর থেকে ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে ১০ শতাংশ ন্যূনতম মূলধনের পাশাপাশি দশমিক ৬২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। গত সেপ্টেম্বর শেষে ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ৯ ব্যাংক। এ ছাড়া ব্যাংক খাতে মূলধন সংরক্ষণের হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ।তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর শেষে সোনালী ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংকে ঘাটতি ২ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংকের ঘাটতি ১১২ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ঘাটতি ৭৭১ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি হয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ১ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘাটতি ৭২৬ কোটি টাকা।ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, যাচাই-বাছাই না করে দেওয়া ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে দেওয়া ঋণও আদায় করা যাচ্ছে না। ফলে এসব ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। এতেই টান পড়ছে মূলধনে।রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যাংকটির বেশ কিছু ঋণ নতুন করে খেলাপি হয়েছে। আগে এসব ঋণকে নিয়মিত দেখানো হয়েছিল। এ কারণে খেলাপি বেড়েছে, সঙ্গে মূলধন ঘাটতিও বেড়েছে। আমরা ব্যাংকটিকে ভালো অবস্থায় আনতে চেষ্টা করছি।’
273,144
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৫১
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ০১:৫২
বিশাল বাংলা,শেরপুর,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ
0
মাদকসহ গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/497779
বগুড়ার শেরপুরে একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে মাদক রাখার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার জয়দেব কৈপাড়া গ্রামের আবিদ হাসান ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের শমসের আলী। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ হাশমী দাবি করেন, ওই তিনজনের দেহ ও একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ৫৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। গতকাল তাঁদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি|
129,647
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ জুলাই ২০১৬, ১৮:৫৭
০৭ জুলাই ২০১৬, ১৯:০৭
কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,টেকনাফ
null
বিজিপিকে মিষ্টি ও কার্ড পাঠাল বিজিবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/909046
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) বাহিনীকে মিষ্টি ও শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ ২ বিজিবির একটি প্রতিনিধিদল দুটি স্পিডবোটে মিয়ানমারে গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড ও মিষ্টি পৌঁছে দেয়। বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, সকালে বিজিবির একটি প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বিজিপির কাছে ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড ও মিষ্টি পৌঁছে দেয়। তিনি বলেন, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যেই এই উপহার পাঠানো হয়েছে। এবারই প্রথম বিজিপির কাছে শুভেচ্ছা কার্ড ও মিষ্টি পাঠানো হলো।
238,634
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ আগস্ট ২০১৪, ০১:৩২
২৩ আগস্ট ২০১৪, ০১:৩৩
রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
আট জুয়াড়িকে ছাড়িয়ে নিলেন আ.লীগ নেতা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/298468
রাজশাহীর সেই আলোকিত স্পোর্টিং ক্লাবে জুয়ার আসর চলার সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বোয়ালিয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জুয়াড়িকে আটক করে। এর মধ্যে আটজনকেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। স্পোর্টিং ক্লাব নাম দিয়ে বাইরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে ভেতরে তাঁরা জুয়া খেলেন।বাকি ছয়জনকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এঁরা হলেন শামসুল হক বাবু (৫০), মঞ্জুর আলী (২০), জাহাঙ্গীর আলী (৩০), বারিক আলী (২৩), রয়েল ইসলাম (২৩) ও বিশাল আলী (২৫)।রাজশাহী নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাজে কাজলায় (নদীর ধারে) দীর্ঘদিন ধরে ‘আলোকিত স্পোর্টিং ক্লাব’ এ জুয়ার আসর বসে। সেখানে অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে। একইভাবে পাশের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ আরও কয়েকটি স্থানে জুয়ার আসর বসে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় ‘স্পোর্টিং ক্লাবে বসে জুয়ার আসর’ শিরোনামে ছবিসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিন রাতেই নগরের বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টার দিকে অভিযানের সময় স্পোর্টিং ক্লাবের মাইকে দেশাত্মবোধক গান ও গানের ফাঁকে ফাঁকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো হচ্ছিল। ক্লাবের সামনে আলোকসজ্জা করা হয়েছিল। ভেতরে চলছিল জুয়ার আসর। আর ক্লাবের সামনে চেয়ারে বসে জুয়ার আসরের পরিচালক শামসুল হক বাবু সিগারেট টানছিলেন। পুলিশকে তিনি ধমক দিয়ে বলেন, ‘এই মিঞা, আমি আপনাদের টাকা দেই না?’ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে আটক করে।এর আগে শামসুল হকের ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে পারেননি। তাঁরা বলেন, প্রতিদিন এই ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে শামসুল হক তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা কমিশন নেন। তিনি বলে বেড়ান, এখান থেকে এক হাজার টাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলীকে এবং এক হাজার টাকা পুলিশকে দেন। শামসুল হক রংমিস্ত্রি ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি সেই কাজ ছেড়ে দিয়ে জুয়ার আসর চালান।১৪ জনকে আটকের খবর পাওয়ার পরপরই আরমান আলী থানায় ছুটে আসেন। রাত ১২টার দিকে তিনি আটজনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। আরমান গতকাল বলেন, ‘যারা নিরীহ, দাঁড়িয়ে থেকে টিভি দেখছিল, তাদের তিনি ছাড়িয়ে এনেছেন। ওরা নিজেরাই খেতে পায় না। জুয়া খেলার টাকা কোথায় পাবে?’আইন অনুযায়ী আটককৃতদের আদালত থেকে জামিনে না নিয়ে এসে থানা থেকে কেন ছাড়িয়ে আনলেন—জানতে চাইলে আরমান বলেন, তিনি থানায় সবার সামনে তাঁদের কান ধরে উঠবস করিয়ে শায়েস্তা করেছেন।বোয়ালিয়া থানার ওসি আবদুস সোবহান বলেন, যাঁরা নিরীহ, বাবুর ক্লাবের জুয়ার সঙ্গে জড়িত নন, শুধু তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
87,346
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:৪০
১০ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:৪২
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),পরিবেশ
0
বক্স কালভার্ট থেকে তোলা হচ্ছে বারোয়ারি বর্জ্য
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/736095
রাস্তার দুই প্রান্তে ব্যারিকেড, মাঝখানে কালভার্টের বিশাল ম্যানহোলের স্ল্যাব উঠিয়ে তোলা হচ্ছে আবর্জনা। বেরিয়ে আসছে বারোয়ারি বর্জ্য। ‘এক্সকাভেটর’ যন্ত্র সেগুলো উঠিয়ে এনে তুলে দিচ্ছে ময়লাবাহী ট্রাকে।গতকাল শনিবার এই দৃশ্য দেখা গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে বালুর মাঠ এলাকায়, সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টে। ঢাকা ওয়াসা জানিয়েছে, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে আগামী বর্ষাকে সামনে রেখে শীতকাল থেকেই বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কালভার্টের ফকিরের পুল অংশে আকরাম টাওয়ারের কাছেও একইভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে। এতে প্রতিদিন উঠে আসছে ১৮০ ঘনমিটার বারোয়ারি বর্জ্য।গতকাল দুপুরে বালুর মাঠ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের কাছে রাস্তার চার ভাগের তিন ভাগ অংশ লোহার গ্রিল দিয়ে ঘেরা। সেখানে লেখা ‘সাবধান, ম্যানহোল কভার খোলা, বক্স কালভার্ট ক্লিনিং কাজ চলিতেছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।’ একই সাবধানবাণী নিয়ে আরেকটি পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে দক্ষিণ কমলাপুর বাজারের কাছে রাস্তার প্রবেশপথে। তবে যানবাহন চালক ও পথচারীকে চলাচলে খুব একটা সাবধানী হতে দেখা গেল না।দেখা গেল, এক্সকাভেটর থেকে উঠে আসছে পলিথিন ছাড়াও কাচ ও প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, গরু-ছাগলের হাড়, এমনকি কংক্রিট, সিমেন্টের বস্তা পর্যন্ত। ফকিরের পুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের পাশেই একাধিক বহুতল ভবন তৈরি হচ্ছে। নির্মাণসামগ্রীর পরিত্যক্ত অংশ ফেলা হচ্ছে কালভার্টের সঙ্গে যুক্ত নর্দমায়।জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ডি এম কামরুল আলম চৌধুরী শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আগামী বর্ষা সামনে রেখে বর্জ্য অপসারণের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভেতর থেকে এমন কিছু জিনিস বেরিয়ে আসছে, যা নর্দমায় ফেলা উচিত নয়। এলাকাবাসী সচেতন না হলে কালভার্ট আবারও ভরে যাবে। তিনি দাবি করেন, এ পর্যন্ত কালভার্টের ভেতর থেকে সাত হাজার ঘনমিটার বর্জ্য তোলা হয়েছে।
191,014
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:৫৮
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:১৩
জাতিসংঘ
null
রোহিঙ্গা নারীদের ‘ধর্ষণের’ আলামত পেয়েছে জাতিসংঘ
http://www.prothom-alo.com/international/article/1331011
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা লোকজনের মধ্যে অনেক নারী ধর্ষণ এবং অন্যান্য নানা ধরনের যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। জাতিসংঘের চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রায় ৪ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন চিকিৎসক দল থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেছে রয়টার্স। এতে দেখা গেছে, যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে গণধর্ষণেরও শিকার হয়েছেন রোহিঙ্গা নারীরা। এসব যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে।কক্সবাজারে আটজন স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তাঁরা দাবি করেছেন, আগস্ট মাস থেকে ধর্ষণের শিকার মোট ২৫ জন নারীর চিকিৎসা করেছেন। ওই চিকিৎসকেরা বলছেন, নির্যাতনের শিকার নারীরা বলেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা এর জন্য দায়ী।লেদায় জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) চালানো একটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক নিরন্ত কুমার বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের ওপর ‘আগ্রাসী হামলা’ চালানো হয়েছে। রোগীদের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলা হয়, অনেক নারীর ওপর ‘অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন’ চালানো হয়েছে।মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, সামরিক বাহিনীর মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো এসব প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। মিয়ানমার বলছে, নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য রাখাইন রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে।গত ২৫ আগস্ট রাতে রাখাইনে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। ওই হামলার জেরে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত হাইকমিশনার জাইদ রা’দ আল-হুসেইন এ নিপীড়নকে ‘জাতিগত নির্মূলের এক আদর্শ উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছেন। আশ্রয়শিবিরে কাজ করা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএমের চিকিৎসক তাসনুবা নওরিন বলেন, ‘আমরা নারীদের শরীরে জোরপূর্বক আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। এগুলো খুব অমানবিক আঘাত।’
339,240
বান্দরবান প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০২:১১
০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০২:১২
বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
শঙ্খ নদে নিখোঁজ তানভিরের হদিস মেলেনি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/53972
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম বেতছড়ির শঙ্খ নদে নিখোঁজ হওয়া উপ-অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট তানভির মাহমুদের গতকাল সোমবারও খোঁজ মেলেনি।নদীর তলদেশে নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্যদের অনুসন্ধান ও পানির উপরিভাগে হেলিকপ্টারে পর্যবেক্ষণ করেও হদিস মিলছে না বলে সেনা-নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বেতছড়ায় উদ্ধারকাজের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানকারী মেজর আহমদ মুর্তজা রেজা বলেন, গত রোববার দুপুরে ক্যাম্প থেকে নেমে নদীতে গোসল করার সময় তানভির মাহমুদ স্রোতে তলিয়ে যান। তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই সৈনিক তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও পারেননি। নিখোঁজ তানভিরের বাড়ি চৌদ্দগ্রামের গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লভপুর গ্রামে। বাবা, মা ও আত্মীয়স্বজন ঘটনাস্থল বেতছড়ায় গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। দুই দিনের উদ্ধার তৎপরতার পরও খোঁজ না পেয়ে শোকাহত বাবা আবু তাহের বলেছেন, আদিবাসীরা তাঁকে জানিয়েছেন, নদীতে মোরগ বলি দিলে ছেলের সন্ধান মিলবে। এ জন্য দুজন বৈদ্য ডেকে মোরগ বলি দিয়েছেন।
22,647
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫১
১৫ নভেম্বর ২০১৬, ০২:০৩
খবর
0
সংসদ অধিবেশন বসছে ৪ ডিসেম্বর
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1021197
দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশন ৪ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় শুরু হবে। সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল সোমবার এই অধিবেশন ডেকেছেন। সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।অধিবেশন কত দিন চলবে তা সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নির্ধারিত হবে। সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে। যে কারণে এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হতে পারে।
265,452
বিশেষ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ মার্চ ২০১৫, ২১:৪৩
০৩ মার্চ ২০১৫, ২২:৫৫
রাজনীতি
null
দুই দলকে পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে বললেন কূটনীতিকেরা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/466966
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকেরা চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দেশের প্রধান দুই দলকে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এই আস্থার অভাবেই নিরাপত্তা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে যান ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত।বৈঠকের পর অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক সাংবাদিকদের বলেন, ‘১ মার্চ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও একই ধরনের বৈঠক হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘসহ আমাদের আগের বিবৃতিগুলোর প্রসঙ্গ টেনে অব্যাহত সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।’উইলকক বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, প্রবৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে রাজনৈতিক সংঘাত কমানোর মতো আস্থা স্থাপনের প্রয়াসকে উৎসাহিত করেছি। বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগকে স্বাগত জানাই। আমরা সব পক্ষের কাছে আমাদের অভিন্ন প্রত্যাশার কথা তুলে ধরব।’বিএনপির একটি সূত্র জানায়, কূটনীতিকদের সঙ্গে তাদের বৈঠকে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে যে এই আলোচনা সম্পর্কে কূটনীতিকেরাই গণমাধ্যমকে অবহিত করবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে কিছুই বলা হবে না।বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম।কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জারবেন ডি জং, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হুসেইন মুফতুগলু, ইইউর রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ফশ ও কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড্যানিয়েল লুৎফি।
119,800
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৯
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১০
ঠাকুরগাঁও,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
রাস্তার ওপর ইটভাটার মাটির স্তূপ, ভোগান্তি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1078681
ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার ভেলাজান গ্রামে সড়কের ওপর ইটভাটার মাটি কেটে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। মাটির এ স্তূপের কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রায়ই স্তূপ থেকে মাটি নিচের সড়কের ওপর এসে পড়ছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ভেলাজান গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এসএমবি ব্রিকস নামে ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। ভাটার আশপাশের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে এনে ভাটার বিভিন্ন জায়গায় স্তূপ করা হচ্ছে। ভাটার ভেতরে ১৫ থেকে ২০ ফুটের কয়েকটি মাটির স্তূপ রয়েছে। এই ইটভাটার মাটি ওই সড়কের পাশেও রাখা হয়েছে। মাটি রাখতে রাখতে তা চলে এসেছে ওই সড়কের ওপর। মাটির স্তূপ থেকে কয়েকটি বড় আকারের দলা সড়কের ওপরও গড়িয়ে পড়ছে। সে সময় মোটরসাইকেল চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন বালিয়াডাঙ্গীর দুওসুও গ্রামের মো. পারভেজ। গড়িয়ে পড়া একটি মাটির দলা তাঁর মোটরসাইকেলে এসে আঘাত করে। এতে তিনি সড়কের ওপর আছড়ে পড়েন। বালিয়াডাঙ্গীর বারঢালি গ্রামের ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী সড়কের পাশে কেয়া-২ ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। ভাটার মাটি রাখা হয়েছে সড়কের পাশে। ওই ভাটার মাটিও চলে এসেছে সড়কের ওপর। পাশে বারঢালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে একই মালিকের কেয়া-১ নামে আরেকটি ভাটার মাটি রাখা হয়েছে সড়কের ওপর। ভেলাজান গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ আলীসহ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সড়কের পাশে ইটভাটার মাটি রাখা হচ্ছে। এতে ছোট-বড় মাটির দলা ও ঝুরঝুরে মাটি এসে পড়ে পাকা সড়কের ওপর। শুকনো মৌসুমে সড়কটির ওপর চলাফেরা করা গেলেও বৃষ্টির সময় কাদায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ছাড়া তাঁরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে এসএমবি ব্রিকসের মালিক মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার পাশে রাখলে মাটি পরিবহনে সময় কম লাগে। এতে কারও কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে এর আগে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। গড়িয়ে পড়া মাটির জন্য দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, যানবাহনের চালক সতর্ক থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার কথা নয়। কেয়া-১ ব্রিকসের ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বহুদিন ধরে এভাবে রাস্তার পাশে মাটি রাখা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার কথা তাঁরা শোনেননি। সড়কের পাশে ইটভাটার মাটি রাখার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল ইসলামকে মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন, পাকা সড়ক ঘেঁষে ভাটার মাটি থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এসব ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
292,594
বিশেষ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৩২
০৩ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৩৪
রাজধানী (জাতীয়)
0
‘জনস্বাস্থ্য গবেষণায় মানুষের মর্যাদা গুরুত্বপূর্ণ’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/414205
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি জৈব-পরিসংখ্যান ও রোগতত্ত্ববিদ ঋষিকেশ চক্রবর্তী বলেছেন, জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনো গবেষণায় মানুষের মর্যাদা গুরুত্বপূর্ণ। যাদের নিয়ে বা যাদের ওপর গবেষণা করা হবে, সেসব মানুষের সম্মান রক্ষা করা গবেষকের নৈতিক দায়িত্ব। গবেষণায় অংশ নেওয়া মানুষ যেন উপকার পায় এবং তারা যেন কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব গবেষকের।রাজধানীতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ‘জনস্বাস্থ্য গবেষণার গুরুত্ব’ শীর্ষক এক সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় ঋষিকেশ চক্রবর্তী এসব কথা বলেন। বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় এই সেমিনারের আয়োজন করে। ঋষিকেশ চক্রবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব-পরিসংখ্যান ও রোগতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক।সেমিনারে মূল বক্তা ঋষিকেশ চক্রবর্তী বলেন, নতুন রোগ মোকাবিলা, চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ অথবা নতুন ওষুধ ব্যবহারের আগে গবেষণা অপরিহার্য। তবে যেকোনো গবেষণার জন্য নৈতিক মানদণ্ড মেনে চলতে হবে। এ ব্যাপারে নৈতিকতা সম্পর্কিত কমিটির ছাড়পত্র নিতে হবে।সেমিনারের প্রধান অতিথি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক আবদুল মালেক বলেন, গত শতাব্দীর আশির দশক থেকেই বোঝা যাচ্ছিল এ দেশে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে। একসময় এ দেশে বাতজনিত হৃদরোগের প্রকোপ বেশি ছিল, এখন আর তা নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, রোগের এই ধরন পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা হওয়া খুব জরুরি। তবে গবেষকদের এ ব্যাপারে আন্তরিক ও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ ইসমাইল মোস্তফা, জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মো. শাহজাহান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) আমিরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন। আমিরুল হাসান অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ছিলেন। গত ২১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাঁকে ওই পদ থেকে অপসারণ করে ওএসডি করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে।
103,868
মামুনুর রশীদ, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০১
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:১৮
রাজধানী,প্রকৃতি
null
তপ্ত নগরে স্বস্তির ছায়া
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1558268
নানা প্রজাতির গাছগাছালিতে ছাওয়া ছোট্ট পার্কটির সর্বত্র যত্নের ছাপ। বসার বেঞ্চ থেকে হাঁটার পথ, ময়লা ফেলার পাত্র—সবকিছুই পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম। আশ্বিন মাসের অসহ্য রোদে চারপাশ যখন পুড়ছে, তখন অপরিসর এই পার্কটিতে ঢুকতেই পাওয়া গেল স্বস্তির ছোঁয়া। কানে এল পাখির কলকাকলি।মোহাম্মদপুরের বিজলী মহল্লার পার্কটির বয়স খুব বেশি নয়। কিন্তু ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ছোট্ট এই পার্কের জায়গাটুকু বাঁচাতে মহল্লাবাসীর সম্মিলিত লড়াইয়ের ইতিহাস দিয়েছে আলাদা মাত্রা।বছর দেড়েক আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে নির্মিত পার্কটি দৈর্ঘ্যে ৮৭ মিটার, প্রস্থে বড়জোর ১০ মিটার। এটির উদ্বোধন করেছিলেন ডিএনসিসির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। বিজলী মহল্লার যে জায়গায় পার্কটির অবস্থান, সেটি এখন জান্নাতবাগ বাই লেন নামে পরিচিত। এর অদূরেই জহুরি মহল্লা, জেনেভা ক্যাম্প। এটি ডিএনসিসির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত।মহল্লার বাসিন্দারা জানান, একসময় উন্মুক্ত জায়গাটি মহল্লার শিশু-কিশোরদের খেলার জায়গা ছিল। জায়গাটিকে সুশীতল করে তুলতে মহল্লাবাসীর প্রত্যেকে নিজ নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগান। কিন্তু একসময় জায়গাটির ওপর ভূমিদস্যুদের নজর পড়ে। এটি দখলে নিয়ে তারা প্লট বানিয়ে বিক্রি করতে চেয়েছিল। কিন্তু মহল্লার বাসিন্দাদের তীব্র বিরোধিতার মুখে তারা সফল হয়নি। সর্বশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁরা এখানে একটি পার্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেন। যার ধারাবাহিকতায় বর্তমান কাউন্সিলর মো. নুরুল ইসলাম রতন পার্কটি নির্মাণে উদ্যোগী হন। নামকরণ করা হয় ‘জান্নাতবাগ সবুজ চত্বর’।এখন পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে ডিএনসিসি। কিন্তু সেই কাজে নিজেদেরও যুক্ত করে নিয়েছে মহল্লাবাসী। কেউ নতুন লাগানো গাছগুলোতে নিয়ম করে পানি দেন, কখনো কখনো আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগান। পার্কটিতে যেহেতু কোনো নিরাপত্তাপ্রহরী নেই, তাই সবাই মিলেই এর নিরাপত্তা বিধানের কাজ করেন। পার্কটি এখন এলাকার সব বয়সী মানুষের সময় কাটানোর প্রিয় জায়গা। এমনকি রাতের বেলায়ও এখানে নারী-শিশুরা নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে।পার্কটিতে আছে নানা জাতের গাছের সমাহার। নারকেলগাছের সঙ্গে আছে আম, জাম, কাঁঠাল, মেহগনি, বকুল, দেবদারু ও কৃষ্ণচূড়া। মাঝে মাঝে চায়না বেলি ও হাসনাহেনার ঝাড়। কিন্তু নতুন এই পার্কে এত পুরোনো গাছ কীভাবে এল?—এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তরুণ আহমেদ আলী শেখ। পার্কের কয়েক হাত দূরত্বেই তাঁর বাড়ি। তিনি বলেন, ‘পার্কের এই গাছগুলো মহল্লার কারও না কারও হাতে লাগানো। পার্কটি যখন তৈরি হয়, তখন আমাদের প্রধান শর্ত ছিল, গাছগুলো রেখেই পার্কটি বানাতে হবে।’আহমেদ আলীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে সেখানে হাজির হন সালাউদ্দিন বাদল ও কামরুল হাসান নামের আরও দুই তরুণ। তাঁদের সবার কাছ থেকেই জানা যায় পার্কের এই জায়গাটুকু রক্ষায় মহল্লাবাসীর এগিয়ে আসার গল্প। সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই জায়গাটি বাঁচাতে আমাদের বাপ-চাচারা তাঁদের সর্বোচ্চটা করেছেন। মহল্লার নারীরা এগিয়ে এসেছেন সবার আগে।’কামরুল হাসান বলেন, এই পার্কে কেউ ময়লা ফেলতে পারে না। রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা আছে। মেয়েরাও এখানে নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে পারে। স্কুলের বাচ্চারা আসে, আশপাশের মহল্লার লোকেরা আসে। পার্কটি যাতে নোংরা না হয়, সে ব্যাপারে সবাই নজর রাখে।সার্বিক বিষয়ে কথা হয় মহল্লার বাসিন্দা হামিদুর রহমান ভূঁইয়ার (৮৬) সঙ্গে। অবসরে থাকা সাবেক এই প্রকৌশলী বলেন, ‘জায়গাটি দখল করে যখন প্লট বানানোর ষড়যন্ত্র চলছিল, তখন আমরা পরিবেশ আদালতে মামলা করি। মহল্লার সবাই সেই মামলা চালানোর খরচ জুগিয়েছেন। একসঙ্গে রুখে দাঁড়িয়েছেন।’পার্ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দিকে নজর রাখার জন্য বর্তমান কাউন্সিলর নুরুল ইসলামের প্রশংসা করেন এই জ্যেষ্ঠ নাগরিক। তাঁর দাবি, পার্কের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একজন সার্বক্ষণিক মালি ও নিরাপত্তাপ্রহরী নিয়োগ দেওয়া হোক।হামিদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, এই মহল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই দারুণ। সামাজিক বন্ধনও দৃঢ়।
377,407
যশোর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ মার্চ ২০১৮, ১৬:৪৮
২০ মার্চ ২০১৮, ১৮:২৩
রাজনীতি,আইন ও বিচার
0
বিএনপির ৯৭ নেতা-কর্মী কারাগারে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1453866
যশোরে আদালতে হাজির হয়ে বিএনপির ৯৭ নেতা-কর্মী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আমিনুর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।যাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম কামাল আহমেদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন থানায় নাশকতা পরিকল্পনার মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় নেতা-কর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনের মেয়াদ শেষে দুপুরে তাঁরা যশোর জেলা ও দায়রা জজের আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।এ বিষয়ে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশে পুলিশ বিভিন্ন থানায় নাশকতা পরিকল্পনার সাজানো মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে। বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা এই নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
358,451
-1
sports
খেলা
২৫ এপ্রিল ২০১৪, ০২:৫৪
২৫ এপ্রিল ২০১৪, ০৩:০২
আন্তর্জাতিক ফুটবল,খেলা
null
‘মন্থর, ভোঁতা, অনুমেয়’
http://www.prothom-alo.com/sports/article/201283
একটা বছরে কত কিছুই না বদলে যায়! ইয়ুপ হেইঙ্কেসের সেই বায়ার্ন মিউনিখের কথা মনে করুন। সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে কেমন ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলেছিল গতি-আগ্রাসনের দুর্দান্ত যুগলবন্দীতে! মুলার-রোবেন-রিবেরিদের কাছে পাত্তাই পায়নি বার্সার টিকি-টাকা।সেই বায়ার্নের কোচ এখন পেপ গার্দিওলা। টিকি-টাকা ফুটবলে যিনি বার্সেলোনাকে জিতিয়েছিলেন সম্ভাব্য সবকিছুই। সাফল্যের সেই ফর্মুলাটা অনুসরণ করছেন বায়ার্নেও। কিন্তু সব দলের জন্য একই মন্ত্রে কি কাজ হয়! ‘যতক্ষণ পারো বল দখলে রাখো, ধীরেসুস্থে আক্রমণে যাও’—কৌশলে তো পরশু রিয়ালের রক্ষণে কোনো চিড়ই ধরাতে পারল না বায়ার্ন।পরশু রিয়ালের কাছে হারের পর জার্মানিজুড়ে তাই গার্দিওলার সমালোচনা। বিল্ডের শিরোনাম, ‘পেপ, এভাবেই তুমি একটা ট্রেবলজয়ী দলের বারোটা বাজিয়ে দিলে।’ এই পরাজয়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও রায় দিয়ে দিয়েছে জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় দৈনিক।স্পিগেল অনলাইনও গার্দিওলার সমালোচনায় একই রকম মুখর। ‘মন্থর, ভোঁতা, অনুমেয়’ শিরোনামে লেখা হয়েছে, ‘রিয়ালের ত্রাস দলটা এখন দাঁতহীন বাঘে পরিণত হয়েছে। ট্যাকটিক্যাল লড়াইয়েও গার্দিওলা ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছে।’ আরেক পত্রিকা এফএএজ দেখছে অশনিসংকেত, ‘গার্দিওলার অধীনে এই প্রথম সত্যিকারের চাপে বায়ার্ন।’ বার্লিনার জেইটাংয়ের সুরও অভিন্ন, ‘লাম অ্যান্ড কোং আইডিয়ার অভাবে ভুগছে। ওরা নিজেরাই নিজেদের ধরনের শিকার হতে চলেছে, যেটা শুধু বিরক্তিরই জন্ম দেবে।’জার্মান পত্রিকাগুলো না হয় সিঁদুরে একটু আগেভাগেই মেঘ দেখছে। ১-০ গোলে হারার পর আসলে তো কিছুই শেষ হয়ে যায়নি। এখনই তাই ‘গেল গেল’ রব তোলাটা অনুচিত। তবে আনচেলত্তির মন্তব্যটাও তো প্রকারান্তরে গার্দিওলার কৌশলের সমালোচনাই, ‘ওরা খেলার গতি মন্থর করে দিয়ে আমাদের সুবিধাই করে দিয়েছে।’সমালোচনা হচ্ছে আরও অনেক রকম। ফিলিপ লামকে মধ্যমাঠে জায়গা করে দিতে খেলাতে হয়েছে রাইট ব্যাক রাফিনহাকে। বেনজেমার গোলটা ওই প্রান্ত দিয়েই হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে গোটশে-মুলারদের পরে নামানো নিয়েও।আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় পরের লেগটা শুধু ফাইনালে ওঠার নয়, গার্দিওলার জন্য তার চেয়েও বড় পরীক্ষা। ওয়েবসাইট।
68,404
-1
entertainment
বিনোদন
১৩ অক্টোবর ২০১৪, ০০:১৯
১৩ অক্টোবর ২০১৪, ০০:২৩
টেলিভিশন,বিনোদন
0
চলচ্চিত্র
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/341719
চ্যানেল আইবেলা ৩-০৫ ফার্স্ট ব্লাড (সিলভেস্টার স্ট্যালোন)।এনটিভিসকাল ৮-০৫ সুলতান (মান্না, পূর্ণিমা)।দেশ টিভিসকাল ৮-৩০ চালবাজ।আরটিভিবেলা ১২-৩৫ বস্তির মেয়ে (রিয়াজ, শাবনূর)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-৫০ বিয়ের প্রস্তাব।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ ফাঁসি।গাজী টিভিসকাল ১০-৪০ চার সতিনের ঘর (আলমগীর, ববিতা, দিতি, শাবনূর)।জলসা মুভিজসকাল ৯-৩০ স্বপ্নের দিন (প্রসেনজিৎ, রিমি সেন, রাইমা সেন)। ১১-৩০ গো ফর গোলস (কবির সুমন, মিমি দত্ত)। ১-৩০ সাথী (জিৎ, প্রিয়াঙ্কা)। ৪-৩০ জানেমন (সোহম, কোয়েল)। ৯-৩০ মন মানে না (দেব, কোয়েল)।জি সিনেমাসকাল ৮-৩৮ ইনসান (অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, এষা দেওল, লারা দত্ত)। ১১-২১ মাস্টারজি (রাজেশ খান্না, শ্রীদেবী)। ২-১৮ সংযোগ (জিতেন্দ্র, জয়াপ্রদা)। ৫-৩৭ অল দ্য বেস্ট (সঞ্জয় দত্ত, অজয় দেবগন, বিপাশা বসু)। ৮-৩০ ম্যায় তেরা হিরো (বরুন ধাওয়ান, ইলিনা ডি’ক্রুজ)।সেট ম্যাক্সসকাল ১০-৩০ শুদ্ধ দেশি রোমান্স (সুশান্ত সিং, পরিণীতি চোপড়া)। ১-৩০ জরু কা গোলাম (গোবিন্দ, টুইঙ্কল খান্না)। ৩-৩০ অন্তিম ফয়সালা (আল্লু অর্জুন, আনুশকা শেঠি)। ৯-৩০ ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি (রণবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন)।স্টার মুভিজ (ভারত)সকাল ১০-৩০ গালিভার’স ট্র্যাভেলস (জ্যাক ব্ল্যাক)। ১২-৩০ দ্য ইনক্রেডিবল হাল্ক (এডওয়ার্ড নর্টন, লিভ টেলর)। ২-৩০ ডাই হার্ড ফোর.জিরো (ব্রুস উইলিস)। ৫-০০ মিস্টার বিন’স হলিডে (রোয়ান অ্যাটকিনসন)। ৭-০০ ফাস্ট ফাইভ (ভিন ডিজেল, পল ওয়াকার, ডন জনসন)। ৯-৩০ দ্য ক্রুডস। ১১-৩০ দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড: জুরাসিক পার্ক (জেফ গোল্ডব্লাম, জুলিয়ান মুর)।এইচবিওসকাল ৯-০৬ ডায়ানা (নাওমি ওয়াটস, নভিন অ্যান্ড্রুজ)। ১১-২১ মেক ইয়োর মুভ। ১-৩১ লারা ক্রফট টুম্ব রাইডার (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, জেরার বাটলার)। ৩-৫১ ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস (টম ক্রুজ)। ৬-১০ শোডাউন ইন লিটল টোকিও (ডলফ লুন্ডগ্রেন)। ৭-২৪ দ্য স্মুর্ফস। ৯-৩০ দ্য লর্ড অব দ্য রিংস: দ্য টু টাওয়ারস (এলিজা উড, শন অস্টিন, ভিগো মর্টেনসেন)।
100,214
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৫
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৬
রংপুর,রংপুর বিভাগ,মহানগর
0
সুধী সমাবেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/620569
রংপুরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) যৌথ উদ্যোগে গতকাল বুধবার এক সুধী সমাবেশ করে। দেশের চলমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে রংপুর প্রেসক্লাব ভবনে নাগরিক সমাজের সঙ্গে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বক্তারা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করে দুই জোটের বাইরে রাজনৈতিক আন্দোলনে শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতি মানুষের পক্ষের শক্তি বাম গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সিপিবি জেলা কমিটির সভাপতি শাহাদত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আলতাফ হোসেন, রাগীব আহসান, বজলুর রশীদ, আবদুস সোবহান, মফিজুল ইসলাম, শাহীন রহমান, আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।
165,551
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৩৯
৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৪৯
সিরাজগঞ্জ,অপরাধ,রাজশাহী বিভাগ
null
নিজ বাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1164066
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মির্জা খালিদ ইনতেজার ওরফে শক্তি মির্জার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাছুমপুর মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে গতকাল শনিবার গভীর রাতে স্বজনেরা তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। তিনি উল্লাপাড়া আসনের সাবেক সাংসদ ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ মির্জার একমাত্র ছেলে।পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শক্তি মির্জা শনিবার গভীর রাতে বাসায় ফেরেন। এ সময় তাঁর মা ও স্ত্রী নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। রোববার সকালে তাঁর স্বজনেরা পাশের কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোকনুজ্জামান তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক রোকনুজ্জামান বলেন, শক্তি মির্জার গলায় কাল দাগের চিহ্ন দেখা গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।শক্তি মির্জার চাচাতো ভাই ইকবাল হোসেন বলেন, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে শক্তি মির্জাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর তাঁর মরদেহ বঙ্কিরাট গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
314,557
সুনামগঞ্জ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ মার্চ ২০১৭, ০৮:৩৩
৩০ মার্চ ২০১৭, ১০:৩৬
নির্বাচন,সুনামগঞ্জ,রাজনীতি
0
বৃষ্টির মধ্যে চলছে সুনামগঞ্জ-২ আসনের ভোট গ্রহণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1127266
সুনামগঞ্জে সকাল থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। একইভাবে বৃষ্টি হয়েছে গতকাল বুধবার রাতেও। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে সুনামগঞ্জ-২ আসনের (দিরাই ও শাল্লা) উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।নির্বাচনে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছায়েদ আলী মাহবুব হোসেন।সকাল আটটার দিকে দিরাই উপজেলার শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা সব প্রস্তুতি নিয়ে নিজ নিজ কক্ষে বসে আছেন। তখনো কোনো ভোটার আসেননি। আসেননি প্রার্থীদের এজেন্টরা। মিটিন দশেক পর কয়েকজন ভোটার এলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় এজেন্টদের খুঁজতে থাকেন। কিন্তু তাঁদের দেখা নেই। কিছুক্ষণ পর দুই প্রার্থীর দুজন এজেন্ট এলে তাঁদের একটি কক্ষে নিয়ে সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কেন্দ্রের দুই নম্বর কক্ষে প্রথম ভোট দেন শরীফপুর গ্রামের দিলারা বেগম। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘সকাল থাকি মেঘ অর। ইলা দিন থাকলে ভোটও মানুষ কম আইবা।’ একই গ্রামের আরজু মিয়া বলেন, তিন দিন ধরে সুনামগঞ্জে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন, ভোটার সবাইকেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভোটার উপস্থিতিও কম হতে পারে।স্বতন্ত্র প্রার্থী ছায়েদ আলী মাহবুব হোসেনের এজেন্ট ইউসুফ আলী বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি হইছে। এর কারণেই আসতে সময় লাগছে।’প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলেন, তাঁর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ২৭৩। বৃষ্টির কারণে শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বৃষ্টি থামলে উপস্থিতি বাড়বে।সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারের ৩ হাজার ২৫৭ জন সদস্য মোতায়েন আছেন। এর আগে সুনামগঞ্জের কোনো নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এতসংখ্যক সদস্য মোতায়েন হয়নি। আশা করি, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হবে।’নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম এজহারুল হক বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সকাল নয়টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।’দিরাই ও শাল্লা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৫২ হাজার ৪৩০ জন।গত ৫ ফেব্রুয়ারি এই আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তাকে মনোনয়ন দেয়।
307,897
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ আগস্ট ২০১৬, ০০:২৫
০৮ আগস্ট ২০১৬, ০০:২৬
সরকার
null
রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/938839
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রে তার রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিলের জন্যও আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের ফেরত আনার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।এদিকে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটও জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। তিনি এদিন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে আলোচনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রোববার তাঁর দপ্তরে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও দণ্ডিত ১২ জন খুনির মধ্যে সাতজন পলাতক আছেন। এদের মধ্যে একজন জিম্বাবুয়েতে মারা গেছেন। বাকি ছয়জনের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থান করছে। দুই থেকে তিনজনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে শতভাগ নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। তবে যে সব দেশে তাদের থাকার সম্ভাবনা আছে, সে সব দেশের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ হয়েছে।শাহরিয়ার আলম বলেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি) ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বেশ কিছু বাধা-বিপত্তি আছে। এর মধ্যে একজন একটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছে। ওই রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করাতে হলে ওই দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। এ জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। অন্যজনের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তবে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় সেই দেশ তাকে ফেরত দিচ্ছে না। কারণ দেশটি মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না। সার্বিক বিষয়গুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকারের একটি জায়গা। আমাদের দায়িত্বকে আমরা তখনই পরিপূর্ণ মনে করব, যখন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে দণ্ডিত প্রতিটি আসামিকে দেশে ফেরত এনে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় কার্যকরের জন্য দেশে ফিরিয়ে এনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে পারব।বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে দুজন এর মধ্যে এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহউদ্দিন খান যুক্তরাষ্ট্র এ আছে।
247,864
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ মে ২০১৬, ০০:৩৩
৩০ মে ২০১৬, ০০:৩৮
শরীয়তপুর,নির্বাচন,রাজনীতি
0
শরীয়তপুরের ১১ ইউপির পাঁচটিতে বিদ্রোহীরা জয়ী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/872326
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ১১টি ইউপির মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী ​লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করায় দলীয় প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে বলে মনে করছেন দলের স্থানীয় নেতারা।নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে নড়িয়া উপজেলার ১২টি ওজাজিরার পাঁচটি ইউপির নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে জাজিরার বিলাসপুর, নড়িয়ার ভোজেশ্বর, জপসা, ভূমখারা ও ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গত শনিবার বাকি ১১ ইউপির নির্বাচন হয়েছে।এর মধ্যে জাজিরার পূর্ব নাওডোবা ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন নেছার উদ্দিন মাদবর।  বিদ্রোহী প্রার্থী হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লাল চান মাদবর। তিনি ওই ইউপিতে নির্বাচিত হন। পালের চর ইউপিতে মনোনয়ন দেওয়া হয় আবুল হোসেন ফরাজিকে। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মতিউর রহমান। তিনি সেখানে জয়ী হয়েছেন। জয়নগর ইউপিতে মনোনয়ন দেওয়া হয় স্থানীয় একটি এনজিওর কর্মী নাসরিন আক্তারকে। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল খান।পূর্ব নাওডোবা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লাল চান মাদবর  বলেন, এখানে যে ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। একসময় তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তৃণমূলের মতামত না নিয়ে নেতারা মনোনয়ন দেন। নেতারা ভুল করলেও ভোটাররা ভুল করেননি।নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় মাহবুব আলমকে। সেখানে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য তৃণমূল থেকে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ আজগর সোহেল মুন্সির নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তাঁকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন। উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালামকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন বলেন, ‘তৃণমূলকে উপেক্ষা করে নড়িয়ার অধিকাংশ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে কেন এমন করা হয়েছে তা আমরা জানি না। তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিলে ফল বিপর্যয় হতো না।’শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে অনেক যোগ্য লোক রয়েছেন। তাই মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে।
227,572
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৪ মার্চ ২০১৪, ১০:৩৯
০৪ মার্চ ২০১৪, ১৫:২২
ইউরোপ
null
জি-৮ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারে তত্পর যুক্তরাষ্ট্র
http://www.prothom-alo.com/international/article/160639
ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের জের ধরে রাশিয়াকে জি-৮ থেকে বহিষ্কারের লক্ষ্যে তত্পর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই কারণে রুশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামরিক মহড়াসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন।আজ মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়াকে বিশ্বের শিল্পোন্নত আটটি দেশের সংগঠন থেকে বহিষ্কারে ওবামা প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ, বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত ও রুশ কর্মকর্তাদের ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন।ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপকে রাশিয়ার দ্বিতীয় আফগানিস্তান বলে চিহ্নিত করছে ওয়াশিংটন।মস্কো ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন’ করায় বিশ্বের শিল্পোন্নত সাতটি দেশ নিন্দা জানিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র আগেই হুঁশিয়ার করেছে, ইউক্রেনে সেনা পাঠানো হলে এ জন্য মস্কোকে মাশুল দিতে হবে। গত রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ইউক্রেনে রুশদের সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রাখলে জি-৮ সম্মেলনে যাবে না যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সংস্থাটি থেকে মস্কোকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।তবে এই হুমকিকে নাকচ করে মস্কো বলেছে, রাশিয়াকে বাদ দেওয়া হলে জি-৮ নিজেই অর্থহীন হয়ে পড়বে।মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর গতকাল সোমবার বলেছে, তারা রুশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামরিক মহড়াসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কূটনৈতিক তত্পরতা বাড়িয়েছে।রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী গত শনিবার ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দখল নিয়েছে। ক্রিমিয়া উপদ্বীপে অবস্থানরত দেশটির সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে রাশিয়া।ইউক্রেন তার সেনাবাহিনীকে আগ্রাসন মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে আরও আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে দেশটি।রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, তাঁরা ইউক্রেনে রুশ নাগরিক ও মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছেন। সেখানকার ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত’ রুশ সেনাদের অবস্থান জরুরি।
55,638
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৬:২০
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৬:২১
-1
0
সৌদিতে আরেক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/325063
সৌদি আরবে হজ করতে যাওয়া আরেকজন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এ নিয়ে সৌদি আরবে দুই নারীসহ মোট ১৫ জন হজযাত্রী মারা গেলেন।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার মক্কায় তোফজ্জল হোসেন (৫৯) নামের এক বাংলাদেশি মারা যান। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে।আগামী ৪ অক্টোবর পবিত্র হজ পালিত হওয়ার কথা। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৯৮ হাজার ৬৮৩ জন পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৩১৪ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৪১৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৬৪ হাজার ৮৯৬ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পৌঁছেছেন।৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হজ ফ্লাইট সৌদি আরব যাবে। আর ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ৮ অক্টোবর। সর্বশেষ ফ্লাইটটি আসবে ৭ নভেম্বর।
94,770
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
১৪ মে ২০১৭, ২০:০৮
১৪ মে ২০১৭, ২০:৫১
হলিউড
0
‘জে কে রাউলিং একজন চমৎকার নারী’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1179811
‘হ্যারি পটার’ সিরিজের পর একই পটভূমির ওপর ভিত্তি করে জে কে রাউলিং লিখেছেন ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস অ্যান্ড হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম’। বইটিকে ভিত্তি করে এই নামেই গেল বছর নভেম্বরে মুক্তি পায় একটি চলচ্চিত্র। সেখানে ছবির শেষ দিকে হলিউড তারকা জনি ডেপের ‘গ্রিন্ডেলওয়াল্ড’ চরিত্রে আকস্মিক উদয় হওয়াটা অনেক ভক্ত-সমালোচকের পছন্দ হয়নি। কারণ, তখন খবর চাউর হয়েছিল, ডেপ তাঁর সাবেক স্ত্রী আম্বার হার্ডকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। আর এ কারণেই বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। কিন্তু জে কে রাউলিং তৎক্ষণাৎ সাফ উত্তর দিয়ে দিয়েছিলেন, ‘জনি ডেপই এই চরিত্রের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত অভিনেতা। ব্যক্তিগত সমস্যা দিয়ে তো আর প্রতিভা মাপা যায় না।’যাই হোক, এবার ঋণ শোধের পালা। ৫৩ বছর বয়সী জনি ডেপের নতুন ছবি ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’-এর পঞ্চম কিস্তির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছে চীনের সাংহাইয়ে গত ১১ মে। এমন মোক্ষম সুযোগ পেয়েই জনি প্রশংসা করলেন রাউলিং আর তাঁর গল্প ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস অ্যান্ড হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম’-এর। তিনি বলেন, ‘আমি ছবিতে ছিলাম। আমি নতুন নতুন ছবি পরখ করতে চাই। আমার ধারণা, এটা খুব চমৎকার গল্প। তিনি (জে কে রাউলিং) একজন চমৎকার নারী। তাই আমি ফ্যান্টাস্টিক বিস্টসের অংশ হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’এমনিতেই সাবেক স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ, তার ওপর আবার অতিরিক্ত খরুচে তারকার খাতায় নাম লিখিয়েছেন জনি ডেপ। এ নিয়ে তাঁর ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে মামলা চলছে। এর মধ্যেই ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’-এর পঞ্চম কিস্তি মুক্তি পাবে ২৬ মে। দেখা যাক, এই ছবি দিয়ে জনি ডেপের সম্প্রতি কুড়ানো বদনামগুলো ঘোচে কি না। হিন্দুস্তান টাইমস।
317,193
-1
sports
খেলা
২৯ জুন ২০১৫, ০৫:৩২
২৯ জুন ২০১৫, ০৫:৩৩
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
0
সেমিফাইনালে ‘প্যাসিফিক ক্লাসিকো’
http://www.prothom-alo.com/sports/article/565137
সীমানা নিয়ে বিরোধ আছে। আছে জাতিগত দ্বন্দ্বও। যার ফল আঠারো শতকের শেষ দিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধ, যেখানে প্রতিপক্ষ দুই প্রতিবেশী চিলি আর পেরু। এমন দুটি দেশ যখন ফুটবলে মুখোমুখি হয়, সেটা দ্বৈরথ না হয়ে পারে? প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে এই দুটি দেশের ফুটবলীয় দ্বৈরথটা দক্ষিণ আমেরিকানদের কাছে পরিচিত ‘ক্লাসিকো দেল প্যাসিফিকো’ নামে। যেখানে ফুটবল-শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই তো থাকেই, সঙ্গে বাড়তি উপাদান হিসেবে যোগ হয় রাজনৈতিক বৈরিতার ঝাঁজ। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোরে সান্তিয়াগো স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার প্রথম সেমিফাইনালে আরেকবার মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচের সময়টা যত এগিয়ে আসছে, উত্তেজনার পারদও চড়ছে পাল্লা দিয়ে।দ্বৈরথে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে ‘বাইসাইকেল কিক’ নিয়ে চিরন্তন বিতর্ক। চিলিয়ানরা বলে, চোখজুড়ানো এই কৌশলটা তাদেরই আবিষ্কার, ১৯১৪ সালের দিকে। সেই দাবি উড়িয়ে পেরুভিয়ানরা দাবি করে, আঠারো শতকের শেষ দিকে তারাই প্রথম বাইসাইকেল কিক দেখায় ফুটবল মাঠে। সেই বিতর্কের সমাধান হয়নি আজও। তার ওপর গত কয়েক দশকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুই দলের মধ্যে কয়েকটি বিস্ফোরক ম্যাচ তো জায়গা করে নিয়েছে ‘প্যাসিফিক ক্লাসিকো’র রূপকথাতেই। ১৯৭৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চিলি ছিটকে দিয়েছিল পেরুকে। চার বছর পরই সেটির শোধও নিয়েছিল পেরু, শেষ করে দিয়েছিল চিলির ১৯৭৮ বিশ্বকাপ খেলার আশা।বৈশ্বিক আসরের পারফরম্যান্সে অবশ্য সাম্প্রতিককালে চিলিই এগিয়ে। সর্বশেষ দুটি বিশ্বকাপে খেলেছে তারা, গত বছর ব্রাজিল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় শেষ ষোলোতেও। অন্যদিকে ১৯৮২ সালের পর আর বিশ্বকাপেই সুযোগ পায়নি পেরু। দুই দলের সর্বশেষ ১০ ম্যাচের ৯ টিতেই জিতেছে চিলি, পেরুর জয় বাকি একটি ম্যাচে। স্বভাবতই সেমিফাইনালে চিলিকেই এগিয়ে রাখতে হচ্ছে। তবে পরিসংখ্যানকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না কোয়ার্টার ফাইনালে বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা পেরুভিয়ান স্ট্রাইকার পাওলো গেরেরো, ‘সবাই চিলিকে ফেবারিট বলছে, বলতে দিন। আমরা আগের ম্যাচগুলো যেভাবে খেলেছি, সেমিফাইনালেও সেভাবেই খেলব।’ তার সতীর্থ ক্লদিও পিজারো তো মাঠে নামার আগেই ম্যাচের উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন কথার তির ছুড়ে, ‘আশা করছি, স্বাগতিক হিসেবে ওরা রেফারির কাছ থেকে কোনো বাড়তি সুবিধা পাবে না। আমি জানি না চিলি-উরুগুয়ে ম্যাচে এ রকম কিছু হয়েছে কি না। অনেক কথাই হচ্ছে এসব নিয়ে। তবে আশা করি, আমাদের বিপক্ষে এমন কিছু হবে না।’চিলি অবশ্য এসবে কান দিচ্ছে না। ফর্ম দারুণ হলেও সেমিফাইনালে হোর্হে সামপাওলির দলকে খেলতে হতে পারে ডিফেন্ডার গঞ্জালো হারাকে ছাড়া। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে এডিনসন কাভানির সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য একাধিক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন হারা। তাঁকে না পাওয়াটা দলের জন্য হবে বিরাট ক্ষতি—এটা মানছেন চিলিয়ান মিডফিল্ডার ডেভিড পিজারোও। তবে হারাকে ছাড়াও চিলি ম্যাচ জিততে পারবে বলে আশাবাদী ফিওরেন্টিনার এই মিডফিল্ডার, ‘আমাদের দলটা দুর্দান্ত আর আমরা খুব ভালো ফুটবলও খেলছি।’ এএফপি।
148,807
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ জুন ২০১৫, ০১:৪৫
০৫ জুন ২০১৫, ০১:৪৮
সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
তথ্য গোপন করে চাকরি নেওয়ার পাঁয়তারা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/545437
সিরাজগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতায় কাজীপুর উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে তথ্য গোপন করে এক ব্যক্তি নিয়োগ লাভের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামীকাল শনিবার মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ঘটনায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তিনজন প্রার্থী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার কাজীপুর উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের একটি পদে লোক নিয়োগের জন্য সম্প্রতি আবেদন চাওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দাদের আবেদন করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ওই পদে গান্ধাইল ইউনিয়নের পাটাগ্রাম এলাকার মো. ফরহাদ হোসেন নামের এক প্রার্থী তথ্য গোপন করে শুভগাছা ইউনিয়নের ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ফরহাদসহ পাঁচজনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অভিযোগকারীদের মধ্যে আলমগীর কবির ও রেজাউল কবির বলেন, ‘আমরা স্থায়ীভাবে এলাকায় বসবাস করছি। অথচ ফরহাদ হোসেন গান্ধাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়ে তথ্য গোপন করে এই ইউনিয়নের ঠিকানা ব্যবহার করে (জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৮৮০০৩১১৭৬৪৪৪০) প্রার্থী হয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, তাঁকেই কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রদানের প্রক্রিয়া করছে। তিনি কীভাবে প্রার্থী হলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’ শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘ফরহাদ হোসেন আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা নন। তিনি কীভাবে চারিত্রিক সনদপত্র নিয়ে আবেদন করেছেন, বিষয়টি বোধগম্য নয়। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।’ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মো. শাহিন হাসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়োগ বোর্ডকে জানানো হবে। চাকরিবিধি অনুযায়ী, অন্য ইউনিয়নের কোনো বাসিন্দার আবেদন করার সুযোগ নেই।
144,706
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৬
০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩৪
ডেমরা,অপরাধ,শিশু হত্যা,রাজধানী (জাতীয়)
null
দুই শিশু হত্যায় সন্দেহভাজন মোস্তফার স্ত্রী-শ্যালক আটক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1573695
রাজধানীর ডেমরায় দুই শিশু হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি মোস্তফার স্ত্রী ও শ্যালককে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁদের আটক করে ডেমরা থানায় নেওয়া হয়।ডেমরায় একটি ফ্ল্যাট থেকে গতকাল সোমবার দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু দুটি গতকাল দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল। রাত নয়টার দিকে তাদের লাশ পাওয়া যায়।নিহত দুই শিশুর নাম ফারিয়া আক্তার দোলা (৫) ও নুসরাত জাহান (৪)।প্রতিবেশী শিশু দুটির পরিবার ডেমরার কোনাপাড়ার হজরত শাহ জালাল রোডে টিনশেড ও পাকা ভবনের পৃথক দুটি বাসায় থাকে।নিহত দোলার চাচা রাশেদুল ইসলামের ভাষ্য, গতকাল দুপুরে খেলা করার পর থেকে শিশু দুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজি শেষে তাদের না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। যখন মাইকিং করা হচ্ছিল, তখন এলাকার এক যুবক তাঁদের বলেন, স্থানীয় মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি দুপুরের পর শিশু দুটিকে ডেকে তাঁর ফ্ল্যাটে নিয়ে যান।রাশেদুল বলেন, যুবকের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে মোস্তফার খালা সেই ফ্ল্যাটে যান। তিনি শিশু দুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় মোস্তফা যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারেন, সে জন্য তিনি (খালা) বাইরে থেকে তালা দিয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। তবে লোকজন এসে মোস্তফাকে ঘরে পাননি।রাশেদুলের ধারণা, মোস্তফা হয়তো কৌশলে পালিয়ে যান।এলাকাবাসী জানায়, মোস্তফা পেশায় পোশাকশ্রমিক। তিনি স্ত্রী ও এক শিশুসন্তান নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে সাবলেট থাকতেন।ডেমরা থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ‘খুব দ্রুত মোস্তফাকে আটক করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’মোস্তফার স্ত্রী ও শ্যালককে আটক করার বিষয়ে ওসি সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কোথায় কখন এ ঘটনা ঘটল—এ বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য আছে কি না, জানার চেষ্টা করছি।’নিহত শিশু দোলার বাবা ফরিদুল ইসলাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন শিশু দুটিকে হত্যা করা হলো, এর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। মোস্তফার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এমনকি নিহত আরেক শিশু নুসরাতের পরিবারের সঙ্গেও আমাদের কোনো আলাপ ছিল না।’
386,342
এপি
international
আন্তর্জাতিক
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৩
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৪:০১
এশিয়া
null
রোহিঙ্গাদের উদ্ধার সহায়তায় আসছে জাহাজ ‘ফিনিক্স’
http://www.prothom-alo.com/international/article/1313136
মিয়ানমারের সেনা অভিযান থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসছে ভূমধ্যসাগরে কাজ করা মাল্টাভিত্তিক একটি সংস্থা। সংস্থাটি এত দিন মূলত লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের বাঁচাতে কাজ করে এসেছে।দ্য ফিনিক্স নামের উদ্ধারকারী জাহাজের মাধ্যমে এত দিন সংস্থাটি অন্তত ৪০ হাজার অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে। সংস্থাটির নাম ‘দ্য মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন’। এটি ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের উদ্ধারের কাজ করে আসছে। এবার তারা তাদের কাজের স্থান পরিবর্তন করতে চলেছে।মাল্টা থেকে সংস্থাটি তাদের উদ্ধারকারী জাহাজ দ্য ফিনিক্সকে পাঠাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। জাহাজটির প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে মিয়ানমারের কাছে পৌঁছাতে। আর সেখানে গিয়ে তারা রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে যতদূর সম্ভব মানবিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সাহায্য দেবে।
336,784
প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫২
০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫৬
-1
null
হয় ফুল, না হয় মামলা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1549906
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পুলিশ যথাযথ কাগজপত্রধারী গাড়ির চালকদের ফুল বিতরণ করেছে। এ সময় মোটরসাইকেলের চালকদের হেলমেটও বিতরণ করা হয়।‌‌‘হয় ফুল, না হয় মামলা’ স্লোগানে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের ট্রাফিক বক্স এলাকায় চালকদের ফুল ও হেলমেট বিতরণ করেন সীতাকুণ্ডের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) রফিক আহম্মদ মজুমদার।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন আজিজ, ভাটিয়ারী ইউপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম ও কালুশাহ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গার্ল গাইডস ও বিএনসিসির ছাত্রীরা।জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, আজ বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, কাগজপত্র যথাযথ না থাকায় মোট ২৩৫টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে সীতাকুণ্ড থানা ৪৫টি, বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা ৬০টি, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি ১০০টি ও কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ৩০টি মামলা করে।এ ব্যাপারে টিআই রফিক আহম্মদ মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, যেসব গাড়ির ও চালকের কাগজপত্র সঠিক ছিল, তাঁদের তাঁরা ফুল দিয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন। এ ছাড়া যেসব মোটরসাইকেলের চালকদের কাগজপত্র সঠিক কিন্তু হেলমেট ছিল না, তাঁদের হেলমেট বিতরণ করেছেন। গতকাল তাঁরা ১২টি হেলমেট বিতরণ করেছেন। এ ছাড়া যাঁদের কাগজপত্র যথাযথ ছিল না, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান ১১ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়ির বেশির ভাগেরই কাগজপত্র ঠিক আছে। গতকাল পাঁচ শতাধিক গাড়ির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০০টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
373,015
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ অক্টোবর ২০১৪, ২৩:৫৮
১৫ অক্টোবর ২০১৪, ২৩:৫৯
-1
0
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে দুদকে তলব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/344488
মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা নেতাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার বিকেলে দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহম্মেদ পাটোয়ারী তাঁদের দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিশ পাঠিয়েছেন। ওয়াহিদুর রহমানকে ২১ অক্টোবর দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ওয়াহিদুর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুপারিশকারী মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম মতু‌র্জা হোসেন এবং সদস্য মাহবুবুল হক চিশতিকে ২৩ অক্টোবর দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুদক সূত্র জানায়, চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা না দিলেও চাকরির শেষ সময় মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেন ওয়াহিদুর রহমান। সনদ ব্যবহার করে চাকরির মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে চলতি মাসের শুরুতে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক। অনুসন্ধানের শেষ পর্যায়ে ওয়াহিদুর রহমান এবং তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুপারিশকারী দুই মুক্তিযোদ্ধা নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধ না করেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ দাখিল করে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির অভিযোগে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হেমায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক মো. জুলফিকার আলীকে গত সোমবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
100,542
-1
sports
খেলা
০৮ মে ২০১৪, ০২:২২
০৮ মে ২০১৪, ০২:৩৮
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,খেলা
0
আকসুর নিয়ন্ত্রণেও তিন জমিদার!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/211111
দুর্নীতি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের পদ যাঁকে ছাড়তে হয়েছে, সেই লোকটির কাছেই সরাসরি রিপোর্ট করতে হবে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে! এমনিতে আকসুকে (দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা ইউনিট) বলা হয় ক্রিকেটের স্বাধীন প্রহরী৷ কিন্তু আইসিসির গত এপ্রিলের সভায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সংস্থাটিকে সরাসরি রিপোর্ট করতে হবে আইসিসি চেয়ারম্যানের কাছে৷ আইসিসি সভাপতির ক্ষমতা খর্ব করে সৃষ্টি করা হয়েছে এই চেয়ারম্যান পদ৷ আর প্রথম চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন বিসিসিআইর অপসারিত প্রধান এন শ্রীনিবাসন৷ এখনকার নিয়ম অনুযায়ী আকসু রিপোর্ট করে আইসিসির প্রধান নির্বাহীর কাছে৷ইএসপিএনক্রিকইনফোর দাবি, এপ্রিলের দুবাই সভায় আকসুর দায়িত্ব ও কার্যক্রম নিয়ে আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা করা হয়৷ আকসু যখন গঠন করা হয়েছিল, সেই সময় থেকে এখন ক্রিকেটের বাস্তবতা অনেক বদলে গেছে, এই যুক্তিতে আকসু পুনর্গঠনের প্রস্তাবটি তোলা হয়েছে৷ পর্যালোচনার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চারজনের একটি দল গঠন করা হয়েছে যাতে আছেন আইসিসি প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন ও ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার একজন করে প্রতিনিধি৷ কার্যত তাই বলা যায়, আকসুর ওপরও এখন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার ছক কষছে তিন জমিদার৷ ‘টেস্ট দলগুলোর দুর্নীতি দমন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ আরও ঘনিষ্ঠ’ করতে কেন্দ্রীয় আকসুর পরিধিও অনেকখানি কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে৷পর্যালোচনার যে যুক্তি দেখানো হয়েছে, তা নিয়ে খুব একটা দ্বিমত থাকার কথা নয়৷ ২০০০ সালে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক প্রধান লর্ড কনডনকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছিল আকসু৷ তখন ক্রিকেটে দুর্নীতির ক্ষেত্র অনেক ছোট ছিল৷ কিন্তু এখন টি-টোয়েন্টির আবির্ভাব, আইপিএলসহ বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগের কারণে দুর্নীতি হচ্ছে নানাভাবে, নানা পথে, নিত্যনতুন উপায়ে৷ সময়ের দাবি মেটাতে আকসুকে ঢেলে সাজানোর আলোচনা চলছিল তাই অনেক দিন থেকেই৷ কিন্তু সেই ঢেলে সাজানো মানে যদি হয় তিন জমিদারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া, তাহলে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারও শঙ্কিত হওয়র কারণ যথেষ্টই আছে৷ গত ১৪ বছরে আকসু খুব সফল হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না৷ এ জন্য সমালোচনাও কম হয়নি৷ আবার এটাও ঠিক, আকসুর ক্ষমতাও ছিল খুব সীমিত৷ যেখানে আরও সময়োপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন, সেখানে কিনা আকসুকে আরও বিতর্কিত করা হচ্ছে! সভায় এই প্রস্তাবে বিিভন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে নাকি মিশ্র প্রস্তাব দেখা দেয়৷ তবে আইসিসিকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ছক যেভাবে বাস্তবায়ন প্রায় করে ফেলেছে, তাতে তিন জমিদারের নতুন এই পরিকল্পনাও সফল হবে সন্দেহ নেই৷ এত দিন খুব কার্যকরী না হলেও অন্তত আকসু বলে স্বাধীন একটি সংস্থা তো ছিল! এখন শ্রীনিবাসনের কাছেই যদি রিপোর্ট করতে হয়, আকসুর কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কার কারণ তো তৈরি হয়ই৷ স্মরণযোগ্য, আইপিএলের ফিক্সিং কেলেঙ্কারিও পর্যবেক্ষণ করছে আকসু৷ চাইলে শ্রীনিবাসনের ভাবনার জায়গাটাও পড়ে ফেলতে পারেন! ওয়েবসাইট৷
71,547
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৩
১৫ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৩
আমার চট্টগ্রাম
0
বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি সভা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/424030
আগামীকাল শুক্রবার পঞ্চম ডিবিবিএল বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনকে সফল করতে সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন অলিম্পিয়াড কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি ও প্রেসিডেন্সি স্কুলের অধ্যক্ষ মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ ই ইউ এম ইনতেখাব, বিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মো. নুরুল কবির প্রমুখ।প্রস্তুতি সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিযোগিতায় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি গ্রুপে বিভিক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র প্রেসিডেন্সি স্কুলে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল নয়টায়। বিজ্ঞপ্তি।
107,057
প্রথম আলো ডেস্ক
education
শিক্ষা
১৮ আগস্ট ২০১৩, ০১:১০
১৮ আগস্ট ২০১৩, ০১:১২
স্বপ্ন নিয়ে
0
গণিত উৎসব
http://www.prothom-alo.com/education/article/40039
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় এবার দেশজুড়ে ১৭টি গণিত উৎসবের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় শিক্ষার্থীদের। প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে এবার চারজন প্রতিযোগীকে বাছাই করে পাঠানো হয় কলম্বিয়ার আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে, যাদের তিনজন পেল ব্রোঞ্জপদক আর একজন সম্মানসূচক স্বীকৃতি। উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রতিটি গণিত উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে। শুধু দেশের উৎসবই নয়, আন্তর্জাতিক গণিত উৎসবে অংশগ্রহণের পূর্ণ সহযোগিতা দিয়ে থাকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।
10,138
প্রতিনিধি, কলকাতা
international
আন্তর্জাতিক
১৮ জুন ২০১৯, ১৪:০৬
১৯ জুন ২০১৯, ১৩:২৪
ভারত,কলকাতা
null
নদীতে নিখোঁজ জাদুকর ম্যানড্রেকের লাশ উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/international/article/1599815
নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাদু দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ ‘জাদুকর’ ম্যানড্রেকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৮ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে ভেসে ওঠে জাদুকরের লাশ। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় তাঁর দুই পা বাঁধা অবস্থায় ছিল।কলকাতার জাদুকর ম্যানড্রেকের আসল নাম চঞ্চল লাহিড়ী। কলকাতার উপকণ্ঠের সোনারপুর-রাজপুর পৌরসভার চণ্ডীতলাতে তাঁর বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিচিত্র ধরনের জাদু দেখিয়ে আসছিলেন।রোববার ম্যানড্রেক নতুন জাদু দেখাতে গিয়েছিলেন কলকাতার হাওড়ার গঙ্গা নদীতে। কলকাতার হাওড়া ব্রিজের নিচে তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল নদীতে। জাদুটি ছিল, তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি নদীর তলদেশে শিকল খুলে বেরিয়ে আসবেন। তারপর তাঁকে তুলে আনা হবে।এই লক্ষ্য নিয়ে কলকাতার ঐতিহাসিক হাওড়া ব্রিজের কাছে মিলেনিয়াম পার্কের কাছ থেকে একটি লঞ্চে করে শিকল-বাঁধা অবস্থায় নিয়ে আসা হয় জাদুকর ম্যানড্রেককে। তারপর জাদুকরকে বহনকারী লঞ্চটিকে আনা হয় হাওড়া ব্রিজের নিচে। সেখানে একটি ক্রেন এনে জাদুকরকে লঞ্চ থেকে তুলে এনে ছেড়ে দেওয়া হয় গঙ্গা নদীবক্ষে। জাদুকরের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দলের ১৫ কর্মী এবং কলকাতা পৌর করপোরেশনের কাউন্সিলর দেবাশীষ কুমার। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ জাদুকর ম্যানড্রেককে ছেড়ে দেওয়া হয় নদীবক্ষে। কিন্তু সময় অতিবাহিত হলেও জাদুকর আর নদীর ওপর উঠে না এলে চিন্তায় পড়ে যান এই জাদু দেখতে আসা হাজারো দর্শক এবং কাউন্সিলর স্বয়ং। তখন অনেকেই বলতে থাকেন, নদীর অন্য কোনো জায়গা থেকে ঠিকই উঠে আসবেন জাদুকর।এর আগে ১৯৯৮ সালে বাক্সবন্দী অবস্থায় ম্যানড্রেককে গঙ্গাবক্ষে ফেলে দেওয়ার পর তিনি ফিরে আসায় তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে কলকাতাজুড়ে।জাদুকর ম্যানড্রেক এর আগে হাত-পা বেঁধে সাঁতার কেটে, চোখ বেঁধে গাড়ি-বাস চালিয়ে কলকাতাবাসীকে চমকে দিয়েছিলেন।লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ভেঙে পড়েছে জাদুকরের পরিবার। বাবা–মা, স্ত্রী ও ছেলে দুর্জয় লাহিড়ীকে নিয়ে তাঁর সংসার। তাঁর স্ত্রী ঋতা এবং ছেলে দুর্জয় সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।জাদুকরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কলকাতার আরেক জাদুকর পিসি সরকার জুনিয়র। তিনি বলেছেন, জাদু দেখাতে ম্যানড্রেকের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। ওর দুপায়ে ভারী মোজা এবং তার ওপর পট্টি জড়ানো ছিল। ওই ভারী জিনিস পায়ে পরে সাঁতার কাটা যায় না। তাই বাঁধন খুলতে পারলেও সাঁতরাতে পারেননি।পিসি সরকার বলেন, ম্যাজিক হলো বিজ্ঞান। তাই জাদু দেখাতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হয়। সেখানে খামতি থাকলে বিপদ ডেকে আনতে পারে। মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করাই সাফল্য বয়ে আনতে পারে।
406,464
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:০৮
০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:১০
কক্সবাজার,আইন ও বিচার
0
পেকুয়ার দুই সংবাদকর্মীর নামে মামলা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1404571
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় নাজিম উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন নামের দুই সংবাদকর্মীর নামে মামলা করেছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। তাঁরা দুজন দুটি স্থানীয় পত্রিকার পেকুয়া উপজেলা প্রতিনিধি। এ ছাড়া নাজিম উদ্দিন পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জালাল উদ্দিন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।সোমবার কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এ মামলা করেন পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানা-পুলিশের ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।মামলা এজাহারে দাবি করা হয়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিলহাছুরা এলাকার আশরাফ মিয়ার ছেলে নাজিম উদ্দিন ও উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ারচর এলাকার আকতার আহমদের ছেলে জালাল আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল করিমের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রচার করেন। এতে তাঁর মানহানি হয়েছে ও সামাজিকভাবে তিনি হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন।তোফাজ্জল করিম বলেন, ‘নাজিম ও জালাল ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রচার করে সমাজের সম্মানী মানুষদের মানহানি ও অর্থ আদায় করতেন। আমার বিরুদ্ধেও মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়েছেন। প্রতিকার পেতে আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।’নাজিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি জিয়াবুল করিমের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে লেখালেখি করায় মামলাটি করেছেন তোফাজ্জল করিম। তবে লেখালিখিতে কোনোভাবেই তাঁর মানহানি করিনি।’পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের কাগজপত্র এখনো থানায় পৌঁছেনি। কাগজপত্র পেলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
350,630
-1
international
আন্তর্জাতিক
০৮ মার্চ ২০১৬, ০০:৪৬
০৮ মার্চ ২০১৬, ০০:৪৭
ইউরোপ
0
শরণার্থী ঢোকার পথ বন্ধ করা নিয়ে মতভিন্নতা
http://www.prothom-alo.com/international/article/791920
ইউরোপের শরণার্থী-অভিবাসীর সংকট নিরসনে গতকাল সোমবার থেকে ব্রাসেলসে শুরু হওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আগ মুহূর্তে সদস্যদেশগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা দেখা দিয়েছে। বলকান অঞ্চল দিয়ে শরণার্থীদের ইউরোপে ঢোকার প্রধান যাত্রাপথ বন্ধ করে দেওয়া নিয়েই এই মতভিন্নতা। খবর বিবিসির।সম্মেলনের আগে প্রকাশিত এক খসড়া ইশতেহারে বলা হয়েছে, ইইউ ওই অঞ্চলকে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেবে। তবে জার্মানির সরকার এই কথাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে।এই সম্মেলনে তুরস্কও অংশ নিচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থীর ঢলের বেশির ভাগটাই আসছে তুরস্ক হয়ে। এই সম্মেলনে ইউরোপে প্রবেশ করা অভিবাসী-শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে চাপ দেওয়া হবে। গত বছর তুরস্ক থেকে নৌপথে গ্রিস হয়ে প্রায় ১২ লাখ শরণার্থী ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ঢুকে পড়ে। বেশির ভাগ শরণার্থীই গ্রিস থেকে উত্তর ইউরোপের দেশগুলোতে চলে যায়। তবে ইউরোপের আটটি দেশ শরণার্থীর চাপ সামলাতে সাময়িকভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এখন মেসিডোনিয়া তার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ফলে গ্রিসের উত্তরে ১৩ হাজার অভিবাসী আটকা পড়েছে।গতকালের সম্মেলন শেষে শরণার্থী সংকট কাটাতে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর বিষয়ে ইইউর দেশগুলোর নেতারা আগে থেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করে আসছেন। গতকাল সম্মেলনস্থলে এসে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, আলোচনা বেশ জটিল হবে বলেই তাঁর ধারণা। এর আগে রোববার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় বলা হয়, পশ্চিম বলকানের পথ ধরে অভিবাসীদের চলাচল বন্ধ হতে চলেছে। ওই পথটি বন্ধ। তবে এ প্রসঙ্গে ম্যার্কেল বলেন, গ্রিসসহ প্রতিটি দেশকেই এটা বুঝতে হবে, এ পথ বন্ধ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘তুরস্কের সঙ্গে শরণার্থী সমস্যা নিয়ে একটি স্থায়ী সমাধানের পথে আমরা। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ এবং শরণার্থীদের জীবনমান উন্নত করার পন্থা বের করতেও আমরা এখানে সচেষ্ট হব।’এদিকে জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, বলকানের পথ বন্ধ হয়ে যাবে, এমন কোনো কথাই নেই। এখন প্রতিদিন জার্মানিতে ৩০০ থেকে ৫০০ মানুষ আসছে।যুক্তরাজ্য যোগ দিচ্ছে: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ঘোষণা দিয়েছেন, ইজিয়ান সাগরে শরণার্থী পর্যবেক্ষণে থাকা ন্যাটোর বাহিনীতে দেশটির নৌবাহিনী যোগ দেবে। শরণার্থী সংকট নিরসনে জার্মানি, কানাডা, তুরস্ক ও গ্রিসের সঙ্গে এ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন ক্যামেরন।
208,871
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ মার্চ ২০১৭, ০১:৫৮
১৪ মার্চ ২০১৭, ০১:৫৯
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
‘প্রথম আলো’য় বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিল হেফা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1107382
প্রথম আলোর কর্মীদের তিন দিনব্যাপী বিনা মূল্যে নানা ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হেফা) নামের একটি সংগঠন। গত ৩ দিনে ৩০০ জন কর্মীকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন সংগঠনের কর্মীরা। সেবার অংশ হিসেবে তাঁরা প্রাথমিক নানা রোগের পরীক্ষা ও পরামর্শ-সেবা দিয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিনা মূল্যে নানা ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে।প্রতিষ্ঠানটির কর্মসূচি সমন্বয়ক সায়েম খান বলেন, সম্প্রতি তাঁরা আট হাজার পোশাকশ্রমিককে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ দিয়েছেন। এ ছাড়া গুলশান সোসাইটির অধীন ৯০০ রিকশাচালককে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ দিয়েছেন। প্রথম আলো হচ্ছে তৃতীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান যেখানে তাঁরা বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। সায়েম খান আরও বলেন, পরবর্তী সময় তাঁরা বয়স্ক মানুষকে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি যাবেন।
302,564
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ জুন ২০১৫, ০১:৫৮
০১ জুন ২০১৫, ০২:০১
বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
আড়াই মাসেও আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বাদীকে হুমকি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/542757
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মনু মিয়া খুন হওয়ার আড়াই মাস পরও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মনু মিয়ার স্ত্রীর অভিযোগ, আসামিরা আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রয়েছেন। এদিকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদী এবং মনুর স্ত্রীকে আসামিরা হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।মনু মিয়াকে (৪০) গত ১৩ মার্চ রাস্তায় কুপিয়ে জখম করা হয়। ১৬ মার্চ তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহত মনু মিয়ার ভাগনে মো. নাদিম বাদী হয়ে রায়পুর থানায় মামলা করেন। এতে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও চর আবাবিল ইউপির চেয়ারম্যান শহিদ উল্যার ছেলে মঞ্জুর হোসেন ওরফে সুমনকে প্রধান আসামিসহ মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাঁকে ও মনু মিয়ার স্ত্রী সামছুর নাহারকে হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি গত ৪ এপ্রিল পুলিশ ও র্যা বকে লিখিতভাবে জানানো হয়। অবশ্য মামলার প্রধান আসামি মঞ্জুর হোসেন দাবি করেন, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।নিহত মনু মিয়ার স্ত্রী সামছুর নাহার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্য আমার স্বামী নিবেদিত ছিল। যারা আমার স্বামীর খুনি, তারা এখন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন-চারজন নেতার আশ্রয়ে আছে। ওই নেতাদের ভয়ে পুলিশ আসামিদের ধরে না।’তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মনু মিয়ার হত্যা মামলার আসামিরা আওয়ামী লীগের কোনো নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে নেই। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার হোক এটা আমরাও চাই।রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ-আল-মামুন ভূঁইয়া বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য রায়পুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
143,817
-1
economy
অর্থনীতি
১৬ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০১
১৬ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৫৮
খবর
0
সাভারে ইনফিনিটির নতুন শোরুম
http://www.prothom-alo.com/economy/article/830647
গ্রাহকদের কাছে রুচিশীল ও মানসম্মত পোশাক পৌঁছে দিতে সাভারে উদ্বোধন করা হয়েছে ইনফিনিটির নতুন আরেকটি শোরুম। গত শুক্রবার দুপুরে সাভার বাজার স্ট্যান্ডের সাভার সিটি সেন্টারে ১২ হাজার ঘনফুট জায়গাজুড়ে ইনফিনিটির নতুন শাখাটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ এনামুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আবদুল গনি, ইনফিনিটির চেয়ারম্যান মো. জুনায়েদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হক খান, পরিচালক নাইমুল হক খান, সাভার সিটি সেন্টারের চেয়ারম্যান মো. হোসেন খান, ইনফিনিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মডেল ও অভিনেতা নোবেল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।
220,767
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:১৩
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:১৫
কেরানীগঞ্জ,ঢাকা,রাজনীতি,বিশাল বাংলা
null
পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না আ.লীগ নেতারা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/51141
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের মানুষের কল্যাণে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে সৃজনশীল রাজনৈতিক ধারা গঠনে এগিয়ে আসুন। নয়তো আপনারা পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার আগানগর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর এ কথা বলেন। আগানগর ইউনিয়ন ছাত্রদল আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে আগানগর ও শুভাঢ্যা ইউনিয়নের শতাধিক কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।গয়েশ্বর আরও বলেন, একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে বর্তমান প্রজন্মের সৃজনশীল ছাত্ররাই এগিয়ে আসবে।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অপর্ণা রায় দাস, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ চৌধুরী, জিঞ্জিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাদ্দেদ আলী প্রমুখ।
20,107
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
০৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৭:১২
০৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৮:১৮
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
স্টোকসকে নিয়ে উপহাস, বহিষ্কার দুই রেডিও জকি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/821755
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে কার্লোস ব্রাফেটের হাতে বেন স্টোকসের পরপর চারটি ছক্কা খাওয়া নিয়েই মজা করছিলেন নিউজিল্যান্ডের রেডিও হাউরাকির দুই জকি। ছেলের অপমান সহ্য করতে না পেরে অনুষ্ঠান চলাকালেই সেখানে ফোন করেন স্টোকসের মা ডেবোরা। ছেলের পক্ষে কিছু বলতেই হয়তো তাঁর এই ফোন। কিন্তু তাই বলে তিনি রাগতস্বরে ওই দুই জকিকে যা বলেছিলেন, সেটা প্রচারিত হয়ে যাবে, সেটা তিনি ভাবতেও পারেননি। ডেবোরার এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই সাময়িক বহিষ্কারাদেশ পেয়েছেন দুই রেডিও জকি। রেডিও হাউরাকির জনপ্রিয় এক প্রাতরাশ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তাঁরা। বেন স্টোকসের মাকে ‘ভুল বুঝিয়ে’ তাঁর বক্তব্য প্রচার করে দেওয়ার প্রমাণ মেলাতেই তাঁদের মাথা পেতে নিতে হয়েছে এই শাস্তি। নিউজিল্যান্ডের রেডিওতে ছেলেকে নিয়ে উপহাস করাটা পছন্দ করেননি ডেবোরা। জীবনের একটা সময় তাঁরা নিউজিল্যান্ডে কাটিয়েছিলেন। স্টোকসের জন্মও নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে। খুব ছোটবেলায় ইংল্যান্ডে চলে যাওয়ার পর সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। ডেবোরা বলেছেন, নিউজিল্যান্ডে এখনো আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন আছেন। স্টোকসকে নিয়ে উপহাস তাঁদের জন্যও কিছুটা বিব্রতকর। রেডিও হাউরাকিও বিব্রত এ ঘটনায়। আপাতত ওই দুই জকিকে একটি এপিসোডের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলে হাউরাকির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রেডিও কর্তৃপক্ষ স্টোকসের মা ডেবোরার কাছে এ ঘটনায় দুঃখও প্রকাশ করেছে। সূত্র : এএফপি।
217,537
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৩:০০
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৩:১১
চলচ্চিত্র
null
চলে যাচ্ছেন শাবনূর!
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/631510
বছর পাঁচেক আগে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এক সময়ের শীর্ষ নায়িকা শাবনূর। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। এ কারণে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় পর তাঁকে সেখানে যেতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রাতে আবারও অস্ট্রেলিয়ার সিডনির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন শাবনূর। রাতের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমানে চড়ে তিনি ঢাকা ছাড়বেন বলে প্রথম আলোকে জানান তিনি। এ যাত্রায় তিনি মাস দুয়েকের মতো সেখানে থাকবেন বলে জানান।রোববার সন্ধ্যায় প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে শাবনূর বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল এবারের ঈদ দেশে করার। কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু কাজ পড়ে যাওয়ায় মা ও আমাকে এখনই যেতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন ‘কিছুদিন অস্ট্রেলিয়া থাকলেই কিন্তু দেশে ফেরার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বাইরের দেশে হয়তো নিরাপদ জীবনযাপন আছে, কিন্তু নিজের দেশের মতো শান্তি নেই। সিডনি থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে নামার পরই মনটা আনন্দে ভরে যায়। যত সমস্যাই থাকুক না কেন, আমার দেশের মতো শান্তি পৃথিবীর আর কোথাও নাই।’বেশ কয়েক বছর ধরেই ঢাকা-সিডনি যাওয়া আসার মধ্যে রয়েছেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সিডনিতে জন্ম নিয়েছে শাবনূরের একমাত্র সন্তান আইজান। বহু বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন শাবনূরের একমাত্র ছোট ভাই ও বোন। তাঁদের কারণেও শাবনূরকে অস্ট্রেলিয়া ছুটে যেতে হয়।শাবনূর বলেন, ‘চলচ্চিত্র আমাকে দেশে ও দেশের বাইরের মানুষদের কাছে ‘শাবনূর’ বানিয়েছে। এ দেশের মানুষের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তার ঋণ কোনো দিন শোধ করা সম্ভব না। অনেকে মনে করেন, আমি হয়তো আর দেশে ফিরব না, এটা কিন্তু তাঁদের ভুল ধারণা। আমার যদি বাংলাদেশে ফেরার কোনো ইচ্ছে না থাকত; তাহলে ঢাকায় এত কিছু করতাম না। আমি কিন্তু ঢাকার গুলশানে একটি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেছি। আমার আরও যা কিছু আছে, সবই ঢাকাকে কেন্দ্র করেই। তাই দেশের বাইরে কিছুদিন থাকার পরই মন আর টেকে না।’সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে আটকে থাকা ‘পাগল মানুষ’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান শাবনূর। ছবির পরিচালক এম এম সরকারের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে অনেক দিন ধরেই ছবিটির কাজ স্থগিত ছিল। বর্তমানে ছবিটির কাজ শেষ করছেন তাঁর শিষ্য বদিউল আলম খোকন। এই ছবিতে শাবনূরের সহশিল্পী শায়ের খান।
168,626
প্রথম আলো ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৭ আগস্ট ২০১৩, ০১:৩০
০৭ আগস্ট ২০১৩, ০১:৩১
অস্ট্রেলিয়া
0
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অ্যাসাঞ্জ
http://www.prothom-alo.com/international/article/35872
গোপন তথ্য ফাঁসকারী বহুল আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে তাঁর জয়ের জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন। দুর্নীতিসংক্রান্ত গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার জন্য তিনি দেশটির আইনপ্রণেতাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। অ্যাসাঞ্জ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নির্বাচনে উইকিলিকস পার্টির পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন। দলটির আরও ছয় প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর। অস্ট্রেলিয়ার এসবিএস টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জ বলেন, বিভিন্ন জনমত জরিপের তথ্য অনুযায়ী তাঁর পক্ষে ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ ভোট পড়বে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির (এএলপি) নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের জরিপও রয়েছে।অ্যাসাঞ্জের দল অভিবাসন, কর ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের কর্মকাণ্ডের স্বাধীন পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবে বলে অঙ্গীকার করেছে। অ্যাসাঞ্জ বলেন, আইনপ্রণেতাদের সাহায্যে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করাই হবে তাঁর দলের লক্ষ্য। সম্ভাব্য গ্রেপ্তার এবং সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে অ্যাসাঞ্জ এক বছরের বেশি সময় ধরে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে আছেন। যৌন হয়রানির অভিযোগে সুইডেনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রও অ্যাসাঞ্জকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায়। এএফপি।
8,171
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ মার্চ ২০১৭, ০৩:৩৭
১৪ মার্চ ২০১৭, ০৩:৩৭
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
null
গত ছয় বছরে প্রজনন হার কমেনি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1107397
গত ছয় বছরে দেশে মোট প্রজনন হার কমেনি, একই জায়গায় থমকে আছে। এর একটি বড় কারণ অল্প বয়সে গর্ভধারণ। তাই কম বয়সে গর্ভধারণ রোধে সুনির্দিষ্ট কৌশল জরুরি।গতকাল সোমবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মধ্যে নতুন দম্পতিদের দেরিতে গর্ভধারণ এবং পরিবার পরিকল্পনা-বিষয়ক সেবা দেওয়ার একটি পাইলট স্টাডি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অধিদপ্তরের আইইএম সম্মেলনকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।এতে জানানো হয়, প্রকল্পের অধীনে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী নতুন দম্পতিদের বিয়ের আসরেই অল্প বয়সে গর্ভধারণের কুফল ও বাল্যবিবাহ নিরুৎসাহিত করা হবে। বিবাহ নিবন্ধনের গুরুত্ব সম্পর্কে জানানো হবে। মাঠপর্যায়ে কাজটি পরিচালনা করবে আইসিডিডিআরবি। প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দেবে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ফিন্যান্স) প্রণব কুমার নিয়োগী। ইউএনএফপিএর স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা সত্যনারায়ণ দরিয়াস্বামি, আইসিডিডিআরবির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সাঈদ মনজুরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
302,519
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
২৯ জুলাই ২০১৩, ০২:২২
২৯ জুলাই ২০১৩, ০২:২২
আন্তর্জাতিক ফুটবল,খেলা
0
জয় পেয়েছে রিয়াল-বার্সা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/31444
আরও তিন সপ্তাহ অপেক্ষা। তারপরেই পর্দা উঠবে লা লিগার। এখন অবশ্য বড় দলগুলো প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে ঝালিয়ে নিচ্ছে নিজেদের। রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার পরশুর দিনটা ভালোই কেটেছে। পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। আর নরওয়ের ক্লাব ভ্যালেরেঙ্গাকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বার্সেলোনা।সুইডেনের গুটেনবার্গে পিএসজি-রিয়ালের ম্যাচটা অবশ্য কার্লো আনচেলত্তির জন্য আর দশটা ম্যাচের মতো ছিল না। কিছুদিন আগে যে পিএসজি থেকে রিয়ালে এসেছেন, তাদেরই মুখোমুখি হওয়া একটা আবেগময় ব্যাপার। তবে আবেগের ম্যাচে জয়ই পেয়েছেন আনচেলত্তি। জয়টা করিম বেনজেমার সৌজন্যে। ম্যাচের ২৩ মিনিটে মেসুত ওজিলের পাস থেকে একমাত্র গোল করেছেন বেনজেমা। বার্সেলোনার নতুন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো অসলোতে ছিলেন দলের সঙ্গে। যদিও ডাগ-আউটে নয়, ম্যাচ দেখেছেন গ্যালারি থেকে। দেখলেন পুঁচকে প্রতিপক্ষ পেয়ে বার্সা কীভাবে করল ‘নির্দয়’ গোল-উৎসব। জোড়া গোল করেছেন ১৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ডংগু। গোল করেছেন লিওনেল মেসি ও অ্যালেক্সিস সানচেজও। তেয়ো, ডস সান্তোস, হোয়ান রামোন করেছেন অন্য তিনটি গোল। ওয়েবসাইট।প্রস্তুতি ম্যাচের মেলার এই দিনে এসি মিলান ২-১ গোলে হারিয়েছে ভ্যালেন্সিয়াকে। মিলানের হয়ে প্রথমার্ধেই দুই গোল করেছেন রবিনহো ও নাইজেল ডি ইয়ং।
5,963
জাহাঙ্গীর শাহ
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ জুলাই ২০১৫, ০২:১১
১৫ জুলাই ২০১৫, ০২:১৩
সরকার
null
উন্নয়নের প্রচার দেখতে লন্ডন!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/578590
গুগল স্ট্রিট ভিউ-তে এখন ইউরোপ-আমেরিকার প্রায় সব দেশের সড়কের ত্রিমাত্রিক দৃশ্য দেখা যায়। গুগলের মাধ্যমে এসব সড়কে গেলে মনে হবে, আপনি এ সড়কেই দাঁড়িয়ে আছেন; চারপাশের সবকিছু দেখতে পারবেন। রাজপথের বিলবোর্ড, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ সবকিছুই দেখা যায় এ প্রযুক্তিতে। এমন প্রযুক্তির যুগে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের রাজপথে রাষ্ট্রীয় প্রচার-প্রচারণার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সেখানে গেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।আর মন্ত্রীর সফরে যোগ দিতে সরকারি খরচে চলতি সপ্তাহে পরিকল্পনা কমিশনের আরও দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। তাঁরা হলেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরাস্তু খান ও পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান সাঈদুল হক। তাঁদের ভিসা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।‘শোকেসিং বাংলাদেশ’ নামে একটি প্রকল্প নিতে যাচ্ছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় নিজেই। এতে বিলবোর্ড, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। প্রকল্পটির প্রস্তাবনা বা ডিপিপি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মধ্যেই আলাপ-আলোচনা চলছে।প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি না করেই বিদেশে ভ্রমণের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, লন্ডনের রাস্তায় উন্নয়নের প্রচার-প্রচারণা দেখে তা ‘শোকেসিং বাংলাদেশ’ প্রকল্পে কাজে লাগানো হবে।১২ জুলাই পরিকল্পনামন্ত্রী লন্ডন গেছেন, ফিরবেন ২১ জুলাই। তবে নিজের টাকায় তিনি এ সফর করবেন। এ সময়ের মধ্যে সুবিধামতো দুই দিন লন্ডনের প্রচার-প্রচারণা দেখবেন। আর আরাস্তু খান ও সাঈদুল হক ওই সময়ে তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাঈদুল হক এ সফরের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ভিসা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে এত অল্প সময়ে ভিসা পাওয়া কঠিন।’ ভিসা পেলে লন্ডনে যাবেন বলে তিনি জানান।প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি বা পাস হওয়ার আগেই কীভাবে এ অর্থ খরচ করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদুল হক জানান, প্রকল্পটি পাস হলে এ খরচ প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে।পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের ব্যয় ২৫ কোটি টাকার কম হবে। তাই পরিকল্পনামন্ত্রী তাঁর এখতিয়ারে প্রকল্পটি পাস করতে পারবেন। প্রচার-প্রচারণা তুলে ধরতে কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনামন্ত্রীর উপস্থিতিতে তাঁর দপ্তরে একটি ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ দিয়েছে।এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস সামনে রেখে উন্নয়ন মেলা আয়োজন করবে পরিকল্পনা কমিশন। শিগগিরই প্রকল্পটির মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার প্রচার-প্রচারণা করা হবে। রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বৃহৎ আকারের স্ক্রিন স্থাপন করা হবে, সেখানে অবিরত প্রচারিত হবে উন্নয়নের যাবতীয় তথ্য। উন্নয়ন প্রকল্পে সুবিধাভোগী কারা, কত লোক সুবিধা পান, কীভাবে তাঁরা সুফল পান—সেসব বিষয় তুলে ধরা হবে।এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঢাকা সফরকালে পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানিয়েছিল।উন্নয়নের প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক সরকারি ব্যয় পর্যালোচনা কমিশনের সদস্য এম হাফিজউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা বাহুল্য কাজ, ঠিক নয়। সরকারি ব্যয়ে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকতে হবে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরকারকে কেন প্রচার করতে হবে? আর প্রচার-প্রচারণার অভিজ্ঞতা নিতে বিদেশ যেতে হবে কেন? ভালো কাজ করলে মানুষ এমনিতেই জানবে।’ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু করছে এ সরকার। এটা ভালো কাজ, সবাই ভালো বলছে।সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, কাজের চেয়ে কথা বেশি হয় বলেই সরকার এমন প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে।
152,972
প্রতিনিধি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:০০
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:১৩
তারুণ্যের জয়োৎসব,সিলেট
0
সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের জয়োৎসব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1557899
ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের জয়োৎসবের সিলেট পর্ব আজ সোমবার সকালে শুরু হয়েছে।সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই উৎসব চলছে।উৎসবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ, সিলেটের বেসরকারি লিডিং ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আট শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।উৎসবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক মো. রাশেদ তালুকদার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী বক্তব্য দেন।প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির সমন্বয়ক মুনির হাসান, উদ্যোক্তা মো. গাজী তৌহিদুর রহমান, বেক্সিমকো পেট্রোলিয়ামের প্রধান মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক রুবিনা খান, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক ফিরোজ জামান চৌধুরী, ইএমকে সেন্টারের আউটরিচ কো-অর্ডিনেশন রুহুল আমিন, নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত বিভিন্ন পর্বে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।উৎসব আয়োজনে সহযোগিতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুসভা।
377,019
আনু মুহাম্মদ
opinion
মতামত
০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৩৮
০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:২০
মতামত,আনু মুহাম্মদ,রাজনীতি,লেখকের কলাম
null
সপ্তম বছরে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1052153
মহাপ্রাণ সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন ষষ্ঠ বছর পার করে সপ্তম বছরে পা দিল। ২০১৬ সালে এই আন্দোলন অনেক বিস্তৃত হয়েছে, নতুন অনেক মাত্রা এতে যুক্ত হয়েছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও সুন্দরবন গভীর উদ্বেগ ও দৃঢ় সংহতি সৃষ্টি করেছে। রামপাল প্রকল্পের পক্ষে প্রচারণার নানা কৌশল, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, কনসালট্যান্টসহ ব্যয়বহুল তৎপরতার বিপরীতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সংগঠিত আন্দোলন এবং তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে জনগণের বিভিন্ন অংশ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সক্রিয়তা অভূতপূর্ব এক জোয়ার তৈরি করেছে।রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবন বিনাশী সব প্রকল্প বাতিলের পক্ষে জনসমর্থন প্রবল। এ বিষয়ে ২০১৬ সালে বিভিন্ন সংবাদপত্রে জনমত জরিপ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একাধিক জরিপে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ এই প্রকল্প বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বাংলাদেশ, ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বহু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, অনেকের গবেষণা বিশ্লেষণ অধ্যয়ন করেছি। রামপাল প্রকল্পের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ব্যক্তিস্বার্থে যুক্ত মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি বা ‘বিশেষজ্ঞ’ ছাড়া অন্যরা সুন্দরবনকে নিয়ে এই সর্বনাশা আয়োজনের প্রবল বিরোধী। সব বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত একই উপসংহারে এসেছে। একই কারণে ইউনেসকো গত বছর সুন্দরবনের জন্য নিশ্চিত ঝুঁকিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।গত বছরের প্রথম দিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জাতীয় কমিটির উদ্যোগে সুন্দরবনমুখী জনযাত্রা (লংমার্চ) অনুষ্ঠিত হয়। এটি সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় কমিটির তৃতীয় লংমার্চ। তার আগের বছর সিপিবি বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আরও দুটো জনযাত্রা করেছে। সুন্দরবন জনযাত্রায় এবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, পেশা ও বয়সের মানুষের পাশাপাশি অংশ নেন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েকজন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী ও তথ্যচিত্র নির্মাতা।বছরের মাঝামাঝি কলকাতায় রামপাল প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দুটো সমাবেশ হয়। ২২ জুন ‘সায়েন্স ফর অল’সহ তরুণদের বেশ কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে এবং ২৩ জুন কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তরুণ শিক্ষার্থী, নাট্যকর্মী, বিজ্ঞান আন্দোলন কর্মী, রাজনৈতিক কর্মী ছাড়াও শিক্ষক, বিজ্ঞানী, পরিবেশবিদেরা এতে অংশ নেন। এক সমাবেশে বিজ্ঞানী সৌম্য দত্ত বলেন, ‘ভারতের কোম্পানি এনটিপিসি এই সর্বনাশা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, ভারতীয় আরেক কোম্পানি এই কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে, ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক এই বিষাক্ত প্রকল্পে অর্থ জোগান দিচ্ছে, ভারতীয় কোম্পানি কয়লা জোগান দিতে যাচ্ছে। অতএব ভারতের নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বিশ্বসম্পদ সুন্দরবনের ধ্বংস ঠেকাতে সোচ্চার হওয়া, সক্রিয় হওয়া। এই প্রকল্প বাতিল না হলে আরও বিপজ্জনক প্রকল্প দুই দেশকে মহাবিপদের দিকে নিয়ে যাবে।’২৮ জুলাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি খোলা চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়: ‘...আমরা সুই থেকে রকেট—সবই তৈরি করতে পারব কিন্তু এ রকম অসাধারণ জীববৈচিত্র্যে ভরা বিশ্বঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবন আরেকটি তৈরি করতে পারব না। এই সুন্দরবন আমাদের বিপুল সম্পদ জোগান দেয়। এই সুন্দরবন লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করে, জীববৈচিত্র্যের অসাধারণ আধার হিসেবে আমাদের সবার প্রাণ সমৃদ্ধ করে। এই বন প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাকৃতিক বর্ম হিসেবে উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষের প্রধান অবলম্বন। এই বন জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের টিকে থাকার প্রধান শক্তি। সে জন্যই আমরা বারবার বলি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের বহু বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। আজ প্রয়োজন শুধু এর রক্ষা নয়, এর বিকাশে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা...।’ (বিস্তারিত: http://ncbd.org/? p= 1606) উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি প্রদানের ওই কর্মসূচিতে পুলিশি নির্যাতন ও আটকের ঘটনা ঘটে।২০ আগস্ট দেশের সব শহীদ মিনারে দিনব্যাপী অবস্থানসহ সারা বছর সরকারি নানা বাধা, হামলা, হুমকি সত্ত্বেও জাতীয় কমিটির কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। সুন্দরবন রক্ষা কমিটি, সর্বপ্রাণসহ বিভিন্ন সংগঠন সারা বছর সক্রিয় ছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো জাতীয় কমিটির বাইরেও ব্যক্তি, সংগঠন, গ্রুপ থেকে অসংখ্য প্রতিবাদী উদ্যোগ দেখা গেছে গত বছর। ঢাকায় সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে সাইকেল শোভাযাত্রার উদ্যোগ নিয়েছিল তরুণেরা ৩০ সেপ্টেম্বর। তাদের দেখামাত্র আক্রমণ, পথ থেকে সাইকেল আরোহীদের পুলিশের আটক করা এবং শহীদ মিনারে সন্ত্রাসী দিয়ে ঘিরে ফেলা—এসব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে যখন সাইকেল মিছিল বের হয়েছে তখন পুলিশ হামলা করেছে জলকামান দিয়ে। তাতে কি তরুণেরা ভয় পেয়ে থেমে গেল? না। এরপরের তিন মাসে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রামপাল প্রকল্প বাতিলের দাবিতে অন্তত ৫০টি সাইকেল শোভাযাত্রা হয়েছে।১৮ অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খোলা চিঠি দেওয়ার জন্য ঢাকায় সমাবেশ ও মিছিল হয়। পুলিশি হামলা উপেক্ষা করে এই চিঠি ভারতীয় হাইকমিশনে পৌঁছানো হয়। এতে বলা হয়, ‘দেশি-বিদেশি স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ থেকে আমরা নিশ্চিত যে এই কেন্দ্র সুন্দরবনের অস্তিত্বের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। এই কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বনগ্রাসী প্রকল্প নিয়ে সুন্দরবনের ভেতরে ও চারধারে হাজির হয়েছে প্রভাবশালী গোষ্ঠী। এর সম্মিলিত প্রভাবে সুন্দরবনের বিনাশ অনিবার্য হয়ে উঠবে।...বিধিনিষেধ ও পরিবেশ সচেতনতার কারণে আপনার সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও গ্রিন ট্রাইব্যুনাল গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ ও খনি প্রকল্প স্থগিত বা বাতিল করেছে। বাংলাদেশে ভারতীয় কোম্পানি যে ভারতের আইন ও বিধিমালা ভঙ্গ করেই এই বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে সে বিষয়েও আমরা এই চিঠির মাধ্যমে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।...’ (বিস্তারিত: http://ncbd.org/? p= 1662)ফেসবুকসহ সামাজিক গণমাধ্যমে প্রতিবাদী তৎপরতা এই বছর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সরকার সর্বজনের অর্থ খরচ করে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ভাড়া করেছে, প্রচুর অর্থ ব্যয় করে টিভিতে বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করেছে, বিভিন্ন স্থানে নাটক–গানের আসর বসাতে চেষ্টা করেছে। এসব তৎপরতা তরুণসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যম, সৃষ্টিশীলতা এবং অবিরাম সক্রিয়তার কারণে জনসমর্থন পায়নি।চট্টগ্রামে আট মাসের বাচ্চা পেটে নিয়ে শহীদ মিনারে প্রতিবাদী অবস্থানে বসেছিলেন মিলি নামের এক নারী। তাঁর কথা খুব সহজ: ‘যে দেশে উন্নয়নের নামে সুন্দরবন ধ্বংস করা হয় সে দেশে আমি কোন ভরসায় আমার সন্তান নিয়ে আসব? আমার সন্তানের জন্যই সুন্দরবন বাঁচাতে হবে।’ প্রকল্প বাতিল হয়নি, শিশু জন্ম নিয়েছে। পরে মিলি সেই শিশুকে কোলে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন নভেম্বরে। ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’—অনেক প্রাচীন প্রার্থনা এই জনপদের মায়েদের। আর ২০১৬ সালে বাংলাদেশে পেটে সন্তানের সাত মাস অনুষ্ঠান করলেন আরেক নারী মিথিলা ‘আমার সন্তান যেন থাকে সুবাতাসে, তাই সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই না’ এই প্রার্থনা দিয়ে।এই বছরে সুন্দরবন নিয়ে কত গান–কবিতা লেখা হয়েছে, তথ্যচিত্র কতগুলো হয়েছে, কত তরুণ কত রাত জেগেছেন, কত তরুণ কত বেলা না খেয়ে থেকেছেন, কতজনে পেশাগত সমস্যায় পড়েছেন তার পুরো তালিকা করা সম্ভব নয়। গায়ে-গতরে খেটে প্রাণের টানে নিজের জীবন-জীবিকা ঝুঁকিতে ফেলে অনেক মানুষ সুন্দরবনের তথা দেশের জন্য দাঁড়িয়েছেন। এসবই এক নতুন দিশা আর বিশাল ভরসার জায়গা তৈরি করেছে।বছরজুড়ে বিশ্বের বহু শহরে সুন্দরবন রক্ষায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে অনেক সভা-সমাবেশ হয়েছে। বছরের শেষ দিকে ২৬ নভেম্বর দেশের সাতটি প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি শেষে ঢাকায় মহাসমাবেশ ও বিশাল মিছিল হয়। এখানে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী এই বছরের প্রথমেই ৭ জানুয়ারি সুন্দরবনের জন্য বৈশ্বিক প্রতিবাদে শামিল হবেন বহু দেশের মানুষ। ৩০ ডিসেম্বর এই ডাক দিয়ে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় প্রচারাভিযান শুরু করে সর্বপ্রাণ সাংস্কৃতিক শক্তি।তাজমহল সপ্তাশ্চর্যের একটি। তার একটু দূষণ হলে আমরা সবাই পীড়িত বোধ করি। কোনো নির্বোধও বলবে না, তাজমহল ধ্বংস করে কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হোক। সেই তাজমহলও মানুষের পক্ষে আরেকটি বানানো সম্ভব। কিন্তু সুন্দরবন আরেকটি কেউ বানাতে পারবে না। সুন্দরবন রক্ষা সর্বজনের দায়, তাই তারা কখনোই এর ধ্বংস মেনে নেবে না। আশার কথা, নতুন বছরে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আরও জোরদার হওয়ার লক্ষণ সর্বত্র।সর্বজনের রায় বাস্তবায়নে সরকার যত দেরি করছে তত সুন্দরবনের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি, মানবসমাজের ক্ষতি হচ্ছে। দেশবাসীর প্রতিবাদ, ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের পরিষ্কার মতামত উপেক্ষা করে অনবায়নযোগ্য বিশাল আশ্রয় সুন্দরবন হত্যার আয়োজন অব্যাহত থাকতে পারে না। আমরা আশা করি, আর ক্ষতি না করে নতুন বছরের শুরুতেই দুই দেশের সরকার যৌথ ঘোষণা দিয়ে এই প্রাণবিধ্বংসী প্রকল্প বাতিল ঘোষণা করবে।আনু মুহাম্মদ: অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।anu@juniv.edu/anujuniv@gmail.com
280,189
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ এপ্রিল ২০১৪, ০১:০৭
২৯ এপ্রিল ২০১৪, ০১:০৯
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে শোক র‌্যালি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/204316
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোক র্যালি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে ‘আমরা সন্দ্বীপবাসী’।গতকাল সোমবার বিকেলে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে বক্তব্য দেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বেলাল বেগ, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও শোয়াইবুল ইসলাম হায়দার, ব্যবসায়ী সারওয়ার হাসান, চট্টগ্রাম বারের সাবেক সহসভাপতি সেকান্দর বাদশা, প্রকৌশলী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সমন্বয়ক চিকিৎসক মোহাম্মদ রফিকুল মাওলা।বক্তারা সন্দ্বীপসহ দেশের উপকূলীয় এলাকার মানুষকে রক্ষার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। পাশাপাশি সন্দ্বীপের মধ্যযুগীয় যাতায়াত ব্যবস্থার অবসানেরও দাবি জানান তাঁরা। এর আগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পাশে অবস্থিত পিডিবি অফিসার্স কলোনি মসজিদে ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে মিলাদ পড়া হয়।
69,509
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা
sports
খেলা
০৫ আগস্ট ২০১৮, ২১:১৩
১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৫৬
ক্রিকেট,বাংলাদেশ ক্রিকেট
null
লেগস্পিনার সংকটে সুখবর শোনাল ওরা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1547911
যুব এশিয়া কাপের আগে কোচ নাভিদ নওয়াজের ক্যাম্পে নজর কেড়েছেন দুই লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও নাঈম হোসেনদিনের হিসাবে ততক্ষণে দুপুর গড়িয়ে গেছে। কিন্তু নাভিদ নওয়াজের ক্যাম্পে তখন কেবল ‘ভোর’। আড়মোড়া ভেঙে জড়তা কাটিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়ার তোড়জোড়ে ব্যস্ত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। তাঁদেরই একজনের দিকে চোখ চলে যাচ্ছিল বারবার। কারণটা কৈশোরের সারল্যমাখা মুখটায় কখনো না-থামা হাসি। চোখ তো টানার কথাই।জানা গেল, তিনি এই ক্যাম্পের দুই ‘বিশেষ’ রত্নের একজন-নাঈম হোসেন। বিশেষ এই অর্থে যে, মৌলভীবাজারের এই নাঈম আর নীলফামারীর ছেলে রিশাদ হোসেন হলেন লেগ স্পিনার। বাংলাদেশই শুধু নয়, বিশ্বজুড়েই ক্রিকেট-কলার অন্যতম বিরল কৌশল হলো লেগ স্পিন। স্পিনার হান্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা দুই স্পিনারকে নিয়ে যুব ক্যাম্পের স্বপ্নের সীমানাটা অনেক বড়।নাঈমের উঠে আসার গল্পটা খুব বিস্ময়কর। ওই স্পিনার হান্টের দুই দিন আগ পর্যন্তও নাকি ক্রিকেট বল হাতে নেননি এই তরুণ। টেপ টেনিসে নানা জায়গায় খেলে বেড়াতেন। এবার আপনার দ্বিতীয়বার বিস্মিত হওয়ার পালা। টেপ টেনিসে খেলার দিনগুলোতে ছিলেন পুরোদস্তুর পেস বোলার। আবার একই সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামতেন ইনিংসের উদ্বোধন করতে। তিনিই কিনা হয়ে গেলেন স্পিনার হান্টের তৃতীয় সেরা! কাল মিরপুরে বিসিবির একাডেমি মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে বললেন তাঁর এই বিবর্তনের কাহিনি, ‘স্পিনার হান্টে প্রথমে অফ স্পিন করতে গিয়ে দেখি, টার্ন পাই না। গেলাম লেগ স্পিনে, এমন টার্ন হলো যে দেখে আমি নিজেই অবাক। কোচরা দেখে বলছিলেন, আমি নাকি ন্যাচারাল ট্যালেন্ট (প্রকৃতিপ্রদত্ত প্রতিভা)। আমি যে এত দূর এসেছি, সেটি মনে হয় আল্লাহই নিয়ে এসেছেন।’তাহলে এটুকুতেই সন্তুষ্ট? তা হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, বরং নাঈম দেখছেন অনেক বড় স্বপ্ন, ‘যা পেয়েছি, সেটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে যত পরিশ্রম করতে হয়, আমি করব। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন তো সবারই থাকে, তবে আমি একদিন বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনার হওয়ার স্বপ্ন দেখি।’ নাঈমের এই বিশ্বসেরা হওয়ার ‘ভূত’ মাথায় চেপেছে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানকে দেখে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর রশিদ খান, এই বিচারে তো বিশ্বসেরাই। রশিদকে আদর্শ মেনে তাঁকেই ছাপিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর নাঈম।ক্যাম্পে নাঈমের জুড়ি বা প্রতিদ্বন্দ্বী দুটোই বলা যায় নীলফামারীর ছেলে রিশাদ হোসেনকে। নাঈম যদি প্রকৃতিপ্রদত্ত ক্ষমতায় বলীয়ান হন, রিশাদ তবে কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে সাজিয়ে তোলা যোদ্ধা। যেটির প্রশংসা পেয়েছেন বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার ও বাংলাদেশের লেগ স্পিনশিল্পের আদি শিল্পী ওয়াহিদুল গণির কাছ থেকেও। পরিশ্রমের প্রমাণ মেলে তাঁর নিত্যদিনের সূচি থেকেও, ‘আমাদের নীলফামারীতে অনুশীলন শুরু হয় সাধারণত বেলা তিনটা-সাড়ে তিনটায়। আমি চলে যাই বেলা ১১ টা-১২টার মধ্যে। কেউ না থাকলেও নেটে একা একা বল করে যাই। বাসায় বসে থাকলেও হাত ঘুরাই।’বোঝা গেল, বোলিংই রিশাদের ধ্যানজ্ঞান। নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধিকে আদর্শ মানেন। তবে নাঈমের মতো আদর্শকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কোনো প্রতিজ্ঞার কথা ঘোষণা করছেন না। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাতানোর স্বপ্নটাই শুধু এঁকে যাচ্ছেন চোখে। লেগ স্পিন বোলিংয়ে রোমাঞ্চ আছে, আবার লেগ স্পিনারদের সামনে থাকে দীর্ঘ বন্ধুর পথও। লেগ স্পিন যদি শিল্প হয়, অন্য যেকোনো শিল্পের মতোই সেটি দাবি করে সাধনা, যত্ন আর পরিচর্যাও।অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহকারী কোচ মাহবুব আলীও মনে করিয়ে দিলেন সেটাই, ‘এরাই তো আমাদের ভবিষ্যৎ। খুবই যত্নের সঙ্গে পরিচর্যা করতে হবে এদের। লেগ স্পিনার আমরা এমনিতেই খুব বেশি খুঁজে পাই না। এবার এই দুজনকে পেলাম, দুজনই দারুণ প্রতিভাবান। আমাদের কাজ হলো, এদের বিকশিত করে তোলা। সেটার জন্য ওদের যত বেশি সম্ভব খেলার সুযোগ করে দিতে হবে আমাদের।’আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপের চূড়ান্ত দলে দুই লেগ স্পিনারই যে থাকছেন, এমন একটা আভাসও দিয়ে দিলেন মাহবুব। সেখানে নিজেদের আলাদা করে চেনাতে পারলে নাঈম ও রিশাদের জন্য খুলে যাবে আরও অনেক নতুন দুয়ার।
372,669
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৩
০৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৪
রাজনীতি
null
তৃতীয় দিনে যত বৈঠক তারানকোর
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/92860
ঢাকা সফরের তৃতীয় দিনে আজ রোববার সকাল সাড়ে সাড়ে নয়টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে তাঁর বারিধারার বাসায় বৈঠক করবেন জাতিসংঘের দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে বৈঠক করবেন। বেলা একটায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে বৈঠক করবেন জাতিসংঘের এই সহকারী মহাসচিব। বেলা সাড়ে তিনটায় নাগরিক সমাজের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তারানকো। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় জামায়াতে ইসলামীর এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে  বৈঠক করবেন তিনি।
34,164
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২১
১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৪
প্রথম আলো,গল্পের বই
0
ঈশপের গল্পের আদলে ‘জ্ঞানের এই ঝর্ণাতলায়’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1575003
ঈশপের গল্পের আদলে ‘একবিংশ শতাব্দীর সংস্করণ’ হিসেবে লেখা বই ‘জ্ঞানের এই ঝর্ণাতলায়’ প্রকাশ করেছে সম্মান ফাউন্ডেশন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রথম আলো কার্যালয়ে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। লিখেছেন চিকিৎসক ও সার্জন রুবায়ুল মোরশেদ। বইটি আগে ‘ওয়াইজল্যান্ড–১’ নামে ভারতের পিলগ্রিমস থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলা ভাষান্তরটি এবারের বইমেলায় পাওয়া যাবে।লেখক রুবায়ুল ইসলাম জানান, সম্মান ফাউন্ডেশন গৃহকর্মী, ব্যক্তিগত গাড়িচালক, দারোয়ানসহ সব সাহায্যকর্মীদের অধিকার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সাহায্যকর্মীদের প্রতি অন্যদের সম্মানবোধ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। বইটিও তাঁদের কল্যাণে নিবেদিত। তিনি বলেন, এখন মানুষ সেই পুরোনো খরগোশ–কচ্ছপের ঈশপের গল্প পড়তে চায় না। তাঁরা জানতে চায় আধুনিক সব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গল্প। জানতে চায় ওয়েবসাইট কীভাবে তৈরি হলো, হ্যারি পটার সৃষ্টির পেছনের গল্প ইত্যাদি। আধুনিক সব ঘটনার পেছনেও নৈতিকতাধর্মী অনেক গল্প রয়েছে। সেগুলো নিয়েই এই বইটি লেখা হয়েছে।বই বিক্রির অর্থ সম্মান ফাউন্ডেশনের পেছনেই ব্যয় করা হবে জানিয়ে লেখক বলেন, ‘ঘর থেকেই সব শুরু’, ‘ঘর থেকেই শুরু হোক সামাজিক ন্যায়বিচার’ এসব স্লোগান দিয়ে সাত বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে ‘সম্মান ফাউন্ডেশন’।
387,235
ইউএনবি, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ মার্চ ২০১৯, ১৪:৫৮
১৩ মার্চ ২০১৯, ১২:৩০
সরকার,সাংবাদিক
0
পিআইবির নতুন চেয়ারম্যান আবেদ খান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1583093
প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সাংবাদিক আবেদ খানকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয় আবেদ খানকে চেয়ারম্যান করে পিআইবির পরিচালনা বোর্ড গঠনের আদেশ জারি করে।পিআইবির চেয়ারম্যান থাকাকালে দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার গত বছরের ১৩ আগস্ট সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা গেলে ওই পদ ফাঁকা হয়।সাংবাদিক আবেদ খান বিভিন্ন সময় দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক যুগান্তর ও সমকালের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং একুশে টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনিতথ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন করে প্রতিনিধিকে পিআইবির নতুন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।এ ছাড়া প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ পোস্টের প্রধান সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিন, একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, বিএফইউজের সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ সংবাদদাতা অনুপ খাস্তগীরকে পরিচালনা বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।পিআইবির মহাপরিচালক এই বোর্ডের সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
393,508
সৈকত দেওয়ান, খাগড়াছড়ি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ এপ্রিল ২০১৫, ০১:১৫
০৫ এপ্রিল ২০১৫, ০১:১৬
আমার চট্টগ্রাম
0
সব আছে, তবু বিদ্যালয় চালু রাখাই দায়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/494860
বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-শিক্ষক ও অবকাঠামো সবই আছে। এলাকার শিশুরা শিক্ষার আলোও পাচ্ছে। কিন্তু সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের বেসরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়টি টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে পড়েছে।খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের নাম নতুন বাগান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০০২ সালে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পরিবার পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর্যন্ত প্রকল্প থেকে বিদ্যালয় পরিচালনায় সহযোগিতা করা হতো। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যায়। তার পরও এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে বিদ্যালয়টি ২০০৭ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। টাকার অভাবে মাঝে তিন বছর বিদ্যালয়টি বন্ধ ছিল। পরে ২০১১ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আবারও বিদ্যালয়টি চালু করা হয়।সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির টিনের ছাউনির পাকা ঘরে চলছে পাঠদান। ভবনের পাঁচটি কক্ষের একটি শিক্ষক মিলনায়তন ও বাকি চারটি শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিদ্যালয়ের সামনে বিশাল খেলার মাঠও আছে। বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক ও ১৩৭ জন শিক্ষার্থী আছে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনমুনি চাকমা বলেন, ‘মহাজোট সরকার যখন সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারীকরণের ঘোষণা দেয়, তখন আশা করেছিলাম আমাদের বিদ্যালয়টিও তাতে অন্তর্ভুক্ত হবে। তৃতীয় ধাপ পর্যন্ত সরকারীকরণের তালিকায় আমাদের বিদ্যালয়টি স্থান পায়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে এ ব্যাপারে অনেক যোগাযোগ করেছি। কোনো কাজ হয়নি। শিক্ষকেরা বেতন ছাড়া আর কত দিন সেবা দিয়ে যাবেন?বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নয়ন জ্যোতি চাকমা বলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ১২টি গ্রাম রয়েছে। এই ওয়ার্ডের একমাত্র বিদ্যালয়টি হচ্ছে এটি। এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে সাতটি গ্রামের শিশু পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। এই বিদ্যালয় থেকে সবচেয়ে কাছের বিদ্যালয়টিও ছয় কিলোমিটার দূরে। বিদ্যালয়টি নানা বিবেচনায় সরকারীকরণ করা জরুরি। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পুনর্বাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক সুসময় চাকমা বলেন, যখন প্রকল্পটি চালু ছিল তখন বিদ্যালয়টি পরিচলানার খরচ দেওয়া হতো। প্রকল্পটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তাই প্রকল্প থেকে কোনোভাবেই বিদ্যালয়টিকে সহযোগিতা করা সম্ভব নয়। বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে বলে তিনি মনে করেন।ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিটন কুমার চাকমা বলেন, ‘বিদ্যালয়টির ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। কাগজপত্র দেখলে জানতে পারব। তবে ওই এলাকায় আশপাশে কোনো বিদ্যালয় না থাকলে বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করা দরকার।’
128,869
ময়মনসিংহ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ জুন ২০১৬, ১৪:৪৪
০১ জুন ২০১৬, ১৬:৪৪
অপরাধ,ময়মনসিংহ
null
বিএনপি প্রার্থীর সমাবেশে কুপিয়ে জখম
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/875029
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পথসভায় পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বিএনপির দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম করা হয় বলে জানা গেছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পালের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।পাঁচবাগ ইউনিয়নের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুল আলম ও স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্যমতে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পালের বাজারে বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভা চলছিল। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে চড়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ মো. কামরুল ইসলামের কর্মীরা পথসভায় হামলা চালায়। হামলাকারীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সাত্তারকে জখম করে। এ ছাড়া আবদুল কাদের নামে বিএনপির এক সমর্থক সামান্য আহত হয়েছে। আব্দুস সাত্তারকে গুরুতর অবস্থায় কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের উদ্দেশে নেওয়া হয়েছে।আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির পথসভা থেকে মোটরসাইকেল আরোহী আমার কয়েকজন কর্মীর ওপর হামলা চালায়। আমার কর্মীরা কাউকে কুপিয়ে জখম করেনি। নির্বাচনী কৌশল হিসেবে বিএনপি নিজেরাই নিজেদের কর্মীদের কুপিয়েছে বলে জেনেছি।’গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চান মিয়া বলেন, বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছে, খুব সামান্য সংঘর্ষ হয়েছে। কেউ গুরুতর আহত হয়নি।
227,982
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:১২
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:১২
ঝিনাইদহ,বিশাল বাংলা
0
ইউপিতে অফিস করলেন উপজেলার কর্মকর্তারা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1075695
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনটি পরিণত হয়েছিল উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে। সারিবদ্ধ চেয়ার-টেবিলে বসে আছেন উপজেলার সব কর্মকর্তা। তাঁরা নাগরিকদের সমস্যার কথা শুনছেন আর সমাধানের চেষ্টা করছেন। গতকাল সোমবার এভাবেই ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রায় সব কর্মকর্তা অফিস করেন মালিয়াট ইউপি ভবনে।সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থেকে শুরু করে ১৪ জন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টায় ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে তিন শ নারী-পুরুষকে সেবা দেন।কালীগঞ্জের ইউএনও ছায়েদুর রহমান বলেন, মালিয়াট ইউপির চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আগে থেকেই এলাকায় মাইকযোগে প্রচার করা হয়। সবাইকে জানানো হয়, উপজেলা পরিষদের সব সেবা এদিন পাওয়া যাবে মালিয়াট ইউপি ভবনে এলেই। ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক সেভাবে পরিষদকে সাজিয়ে রেখেছিলেন।গতকাল সকালে একে একে ইউপি ভবনে আসতে থাকেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। নির্ধারিত চেয়ারে বসে শুরু করেন নিজ নিজ দাপ্তরিক কাজ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী, ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন। বেলা দুইটা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অফিস করেন। এলাকার মানুষও আসতে থাকেন।জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলেছেন তত্বিপুর গ্রামের বাবলুর রহমান। এসেছিলেন নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের পরামর্শ নিতে। মেহেদী হাসান বলেন, তাঁর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে শুনে সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন।মালিয়াট গ্রামের কানন বালার বয়স হয়েছে আনুমানিক ৫৬ বছর। আজও বয়স্ক ভাতা পাননি তিনি। কোথায় গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া যায়, তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বাড়ির কাছে সরকারি কর্মকর্তাদের পেয়ে তিনি অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আয়নাল হক বললেন, কানন বালার সব কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।কালীগঞ্জের ইউএনও মছাদেকুর রহমান বলেন, সরকারি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ। ভবিষ্যতে তা অব্যাহত থাকবে। প্রতি মাসে একটি করে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে চলবে উপজেলা পরিষদের সব সেবা কার্যক্রম।
291,275
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ মার্চ ২০১৭, ০২:০০
২৬ মার্চ ২০১৭, ০২:০১
কিশোরগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
আসামি গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1119916
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের কৃষক দুলাল মিয়াকে হত্যার প্রধান আসামি করিমগঞ্জ উপজেলার যুবলীগ নেতা সোহরাব হোসেনকে (৫০) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঢাকার কাপ্তান বাজারে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুলাল মিয়ার বাড়ি তাড়াইল উপজেলার জটারকান্দা গ্রামে। তাঁকে হত্যার ঘটনায় সোহরাব হোসেনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. জাকির রাব্বানী বলেন, সোহরবাকে গতকাল কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে হয়েছে। সোহরাবের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ ও তাড়াইল থানায় হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
306,670
প্রথম আলো ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ জুলাই ২০১৩, ০২:৩৯
২৬ জুলাই ২০১৩, ০২:৩৯
-1
0
সাহায্যের আবেদন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/30014
মো. ইসমাইলনোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. ইসমাইলের (৩৩) দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে বাঁচাতে হলে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ জন্য কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। তাঁর দরিদ্র পরিবার ও নিজের পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের দানশীল ও বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মো. ইসমাইল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মোবাইল হিসাব নম্বর ০১৮৪৮১০৬৭৪৮৭। বিজ্ঞপ্তি।
5,274
-1
sports
খেলা
০১ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০৩
০১ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:০৪
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
0
কারণ বাতাস
http://www.prothom-alo.com/sports/article/727717
মধুচন্দ্রিমাটা খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেছে। ইয়ুর্গেন ক্লপ এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ইংল্যান্ড-অধ্যায়ে এ রকম অনেক কাঁটাই দেখতে হবে পথে! দায়িত্ব নেওয়ার পর ১১ ম্যাচের চারটিতে হেরেছেন। হোঁচট খাওয়ার জন্য ক্লপ অনেক কিছুকেই দায়ী করতে পারেন। লিভারপুল কোচ এবার অদ্ভুত একটা অজুহাত দাঁড় করিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বাতাসই নাকি সমস্যা করছে। ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে তাঁর খেলোয়াড়দের। জার্মানিতে এমন অভিজ্ঞতা হয়নি, কৌশল নির্ধারণে তাই একটু সমস্যাই হচ্ছে। বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে খেলার কৌশলেও পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে স্টোকের প্রথম গোলটিকে টেনে এনেছেন উদাহরণ হিসেবে। কিন্তু বাতাসের ওপর তো কারও হাত নেই, এটিকে ঢাল হিসেবে দাঁড় করিয়ে কি লাভ আছে? মেইল অনলাইন।
188,369
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৫:০২
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৫:৩৮
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
অদ্ভুত রান আউট থেকেই চাপে বাংলাদেশ
http://www.prothom-alo.com/sports/article/760834
১৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দলকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিল পিনাক ঘোষ-জয়রাজ শেখের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ২০তম ওভারে এসে ছন্দপতন! আর সেটি ব্যাটসম্যানদের ভুলেই। অদ্ভুত রান আউটে কাটা পড়ে ফিরলেন পিনাক। তখন থেকেই চাপের মুখে ছিল বাংলাদেশ।আশার কথা, সেই চাপ সামলে নিয়ে পথ দেখাচ্ছে জাকির–মিরাজের ৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৩৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৪১। ৬ উইকেট হাতে, কিন্তু তুলতে হবে আরও ৭১। ওভার বাকি ১১। ওভার পিছু রান তোলার সমীকরণটা ছয় পেরিয়ে হয়ে গেছে ৬.৪৪। জাকির (২৮) ও অধিনায়ক মিরাজ (২৯) পথ দেখাচ্ছেন।সবকিছুর শুরুটা সেই অদ্ভুত রান আউট থেকেই। ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলটা কাভারে ঠেলেই দৌড় দিলেন জয়রাজ। ফিল্ডারের হাত ফসকে বেরিয়ে গিয়েছিল বল। ফলে কঠিন এক রানটা ঠিকমতোই নিতে পেরেছিলেন। কিন্তু যেখানে এক রান হয় না, সেখানে দুজন মিলে নিতে চাইলেন দুই রান! দুজনের ‘ইয়েস-ইয়েস’ আর ‘নো নো’-এর বিভ্রান্তির সুযোগ নিল নেপাল। বল গেল নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। ভেঙে দেওয়া হলো স্টাম্প। ততক্ষণে জয়রাজ ও পিনাক দুজনই একই প্রান্তে! কে হবে আউট? অনেকক্ষণ রিপ্লে দেখার পর পিনাককেই ফিরতে হলো। পার্টনার জয়রাজের পর ব্যাট রেখেছেন ক্রিজের ভেতরে, তাই। অথচ ৩২ করা পিনাক ভালোমতোই থিতু হয়ে গিয়েছিলেন।দুই ব্যাটসম্যানের ভুলে লাভে বিরাট লাভ হলো নেপালের। ভাঙল পিনাক-জয়রাজের ৪৬ রানের জুটি, যে জুটি বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিল দলকে। কিন্তু সেই রান আউট যেন স্নায়ুচাপেও ফেলে দিল দলকে। ৩৫ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারাল আরও তিন ব্যাটসম্যান। ১ উইকেটে ৬৩, ভদ্রস্থ স্কোরটা হয়ে গেল ৪ উইকেটে ৯৮।সমস্যা হলো, উইকেটে যে দুই ব্যাটসম্যান আছেন, এদের একজন ফিরলেই লেজ বেরিয়ে পড়বে। কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ম্যাচে সেই স্নায়ু চাপ শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা নিতে পারবে তো? সাইদ, মেহেদি রানা, আরিফ-তিনজনেরই ব্যাটিং রেকর্ডটা ভরসা জাগানোর মতো নয়। তবে সাতে নামার অপেক্ষায় থাকা সাইফউদ্দিন ব্যাটিংটা মোটামুটি ভালো পারেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দুটি ফিফটি আছে। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন।কিন্তু আর একটা উইকেট পড়ে গেলে বাংলাদেশের জন্য কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। সহজ যে সমীকরণটাকে কঠিন করে ফেলার শুরু সেই অদ্ভুত রান আউট থেকে। অবশ্য এই দুজনের রান আউটের ঘটনা নতুন নয়। চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও দুজনের ৪৪ রানের জুটি ভেঙেছিল রান আউটে। সেদিনও আউট হয়েছিলেন পিনাক। শারীরিক গড়নের কারণে দুজনের রানিং বিটুইন দ্য উইকেট নিয়ে আগে থেকেই রয়েছে প্রশ্ন। চার ম্যাচের মধ্যে দুবার একইভাবে আউট হওয়ায় প্রশ্নটা এখন আরও উচ্চকিত। পিনাকের ফিরে যাওয়ার ঠিক ১২ রান পরে আউট হয়েছেন এবার যুব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা নাজমুলও। সন্দীপ লামিছানের বলে সহজ এক ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছেন যুব আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৭ শ রান তোলা এই ব্যাটসম্যান। ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছিলেন জয়রাজ এবং জাকির হাসান। কিন্তু জয়রাজ ৪৮ করে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন। চাপ সামলে ৬৬ বলে ৭১ তোলার কাজটা ভালোমতো এগিয়ে নিতে হবে মিরাজ–জাকিরকে।
198,825
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ অক্টোবর ২০১৪, ০২:৩৪
১৫ অক্টোবর ২০১৪, ০২:৩৫
গৌরনদী,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় হত্যা?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/344116
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের নন্দনপট্টি গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় গত সোমবার খাদেম সরদার (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁর ছোট ছেলে আসলাম সরদারকে (২৫) বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনায় নিহতের মেজো ছেলে শাহ আলম সরদার বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, সোমবার রাতে নন্দনপট্টি বায়তুল আকসা জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করে খাদেম সরদার ও আসলাম নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। মসজিদ থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর ওত পেতে থাকা নান্নু মৃধা ও তাঁর ভাই সেন্টু মৃধা তাঁদের সহযোগীসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে খাদেম ঘটনাস্থলেই নিহত ও আসলাম গুরুতর আহত হন।নন্দনপট্টি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কয়েক মাস আগে শাহ আলম একটি মাদক মামলায় নান্নু ও সেন্টুর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ ঘটনার জের ধরে খাদেমের পরিবারের সঙ্গে ওই দুই ভাইয়ের বিরোধ চলছিল।গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় এ হামলা চালানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওসি আরও জানান, নান্নু ও সেন্টু দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে আসছেন।
100,613
-1
sports
খেলা
২৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:০৫
২৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:০৬
আন্তর্জাতিক ফুটবল,খেলা
0
ইউরোপে অঘটনের রাত
http://www.prothom-alo.com/sports/article/130645
লিগ ও কাপ মিলিয়ে আগের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পরশু লিগ কাপের সেমিফাইনাল জিতেও পরাজয়ের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো ইউনাইটেড সমর্থকদের। দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলের ইউনাইটেডের জয় সামগ্রিক ফলাফলে এনেছিল ৩-৩ গোলে সমতা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে উঠে গেছে সান্ডারল্যান্ড। ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম তারা বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল। ২ মার্চের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি। ইউনাইটেডের বিদায়ের দিনে ইতালিয়ান এবং ফ্রেঞ্চ কাপও দেখেছে অঘটন। উদিনেসে হারিয়েছে সিডর্ফের মিলানকে, পিএসজিকে মঁপেলিয়ে।ঘরের মাঠে ইভান্সের গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল ইউনাইটেড। ৩৭ মিনিটে তাঁর গোলই ম্যাচের ১১৮ মিনিট পর্যন্ত ফাইনালের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ইউনাইটেডকে। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের শেষের আগের মিনিটে গোল পরিশোধ করে বসেন বার্ডসলি। ওল্ড ট্রাফোর্ডের স্তব্ধ গ্যালারি আবার চাঙা হয়ে ওঠে যোগ হওয়া সময়ে হার্নান্দেজের গোলে। কিন্তু টাইব্রেকারে শেষ রক্ষা হয়নি ইউনাইটেডের। অবশ্য চোট থাকায় এ ম্যাচেও খেলেননি ওয়েইন রুনি ও রবিন ফন পার্সি।মিলানে জয় দিয়েই অভিষেক হয়েছিল কোচ ক্ল্যারেন্স সিডর্ফের। লিগে লিভর্নোর বিপক্ষে সেই জয়ের পর পরশু উদিনেসের বিপক্ষে পরাজয়ের (২-১) তেতো স্বাদও পেলেন সিডর্ফ। এই ব্যবধানে ফ্রেঞ্চ কাপে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে হেরেছে পিএসজি। এই পরাজয়ে ঘরের মাঠে ২০১২ সাল থেকে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ক্ষুণ্ন হলো লিগের শীর্ষস্থানধারীদের। মোনাকো শাসালেইর বিপক্ষে বড় ব্যবধানে (৩-০) জিতলেও সেই জয় ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে দলের তারকা স্ট্রাইকার ফ্যালকাওর চোট। এএফপি, ওয়েবসাইট।
45,975
নোয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৩
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৪
নোয়াখালী,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার
0
মাদক ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/455815
নোয়াখালীর চাটখিলে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার মাদক ব্যবসায়ী মো. জহির উদ্দিন ওরফে গাট্টি জহিরকে (৩৫) দেড় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবরাউল হাসান মজুমদার এ রায় দেন।জহির উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার পরকোর্ট ইউনিয়নের পূর্ব পরকোর্ট গ্রামে। আদালতের আদেশের পর তাঁকে চাটখিল থানায় সোপর্দ করা হয়।সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে পরকোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জহিরকে পাঁচটি ইয়াবা বড়িসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল দুপুরে তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।
116,756
-1
life-style
জীবনযাপন
২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:২৫
২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:৪২
নকশা,খাবারদাবার
0
জামাই আদরে জম্পেশ খাওয়া
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1394921
বাঙালির বিয়েতে ‘ফিরানি’র রীতি রয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানের পর কনে চলে যায় বরের বাড়ি। বৌভাতের পর বরসহ মেয়েকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসেন মা-বাবা। এই ফিরানিতে চলে জামাই আদর। জামাইয়ের খাওয়ার পাতে কত-কী দেওয়া যায় তাই নিয়ে চলে ভাবনা। জামাই আদরের জম্পেশ কিছু খাবারের রেসিপি দিয়েছেন কল্পনা রহমানআলুবোখারায় বাদশাহি মাটনউপকরণখাসির মাংস ১ কেজি, ঘি আধা কাপ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, সবুজ কাঁচা মরিচ ৪টা, লাল কাঁচা মরিচ ৪টা, টকদই ২ কাপ, আলুবোখারা ২ কাপ, আদা বাটা ২ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, জয়ফল, জয়ত্রী বাটা, এলাচ ও দারুচিনি ১ চা-চামচ, পোস্ত দানা বাটা ১ চা-চামচ, কিশমিশ বাটা ১ চা-চামচ, বাদামি চিনি (ব্রাউন সুগার) ১ টেবিল চামচ ও লবণ প্রয়োজনমতো।প্রণালিখাসির সিনার মাংস পছন্দমতো টুকরো করে লোম ও চর্বি পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে। আধা সেদ্ধ মাংস গোলমরিচ, পোস্তদানা, কিশমিশ ও বাদাম বাটা দিয়ে ১০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। এবার একটি পাত্রে ঘি ও তেল গরম করে পেঁয়াজ, রসুন কুচি সোনালি করে ভেজে সেদ্ধ মাংস দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। কষানো হলে টকদই, জয়ফল, জয়ত্রী বাটা ও বাদামি চিনি একসঙ্গে ফেটে মাংসে দিতে হবে। মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। একটু পর আলুবোখারা দিয়ে দিন।মাংস সেদ্ধ হয়ে যখন গ্রেভি চকচকা হবে তখন কাঁচা মরিচ ও পাকা দুই রঙের মরিচ দিয়ে দুই মিনিট দমে রেখে পরিবেশন করুন।চাটিনাট সারপ্রাইজ চিকেনউপকরণ মুরগি ১টা (সোয়া কেজি), কারিপাতা ১০টা, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোটা ধনে ২ টেবিল চামচ, আস্ত ও শুকনো মরিচ ৪টা, দারুচিনি ২ টুকরো, গোটা জিরা ১ টেবিল চামচ, লবঙ্গ ও গোলমরিচ ১০টা করে, নারকেল কোরানো ১ কাপ, আদা কুচি ১ টেবিল চামচ, তেঁতুলের মাড় সিকি কাপ, আধা সেদ্ধ বাসমতী চাল ১ কাপ, মাশরুম ৪টা, মাখন ১ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, মধু ৪ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো ও আস্ত বাদাম ২ টেবিল চামচ।প্রণালিগোটা সব মসলা তাওয়ায় টেলে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার এই ব্লেন্ড করা উপকরণের সঙ্গে তেঁতুলের মাড় ও মধু মেলাতে হবে। এতে তৈরি হয়ে যাবে চাটিনাট মসলা। মাশরুম স্লাইজ করে মাখনে ভেজে আধা সেদ্ধ বাসমতী চাল চাটিনাট পেস্ট দিয়ে নেড়ে স্টাপিংয়ের জন্য রেডি করে নিতে হবে। এবার গোটা মুরগি ভালোভাবে পরিষ্কার করে পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। এখন ২ টেবিল চামচ মধু ও চাটিনাট মসলা মুরগির গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।ভেজে রাখা রাইস দিয়ে মুরগির পেটের ভেতর স্টাফিং করে পা দুটি বেঁধে রাখতে হবে। এখন প্যানে তেল দিয়ে মোটা কাটা পেঁয়াজ ভেজে গোটা রসুন এবং চিকেন দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে ৩০-৩৫ মিনিটি রান্না করতে হবে। যখন মুরগি সুন্দর সেদ্ধ হয়ে মসলা ঘন হয়ে আসবে তখন ১ টেবিল চামচ মাখন দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে। এরপর পরিবেশন করুন।জামাই আদরে আস্ত কোরালউপকরণ কোরাল মাছ দেড় কেজি, টমেটো সস, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, নারকেল দুধ দেড় কাপ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ফিসসস ১ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টে, চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, টমেটো কুচি ১ কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া সিকি চামচ, পেঁয়াজ বাটা ৪ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো ও আদা বাটা দেড় চা-চামচ।প্রণালিমাছ পরিষ্কার করে লবণ ও লেবুর রস দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে ভালোভাবে। এবার মাছটিকে তেরছা তেরছা করে ৪-৫টি ভাগে কাটতে হবে দুই পিঠে। নিচের দিকটা সামান্য চিরে চিরে নিতে হবে। এতে মাছটি সোজাভাবে বসবে।এবার আধা চা-চামচ লবণ, সয়াসস ও ফিসসস দিয়ে মেরিনেট করে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। ৩০ মিনিট পর মাছটিকে কর্নফ্লাওয়ার মাখিয়ে ডিপফ্রাই করতে হবে। প্যানে তেল গরম করে রসুন কুচি সামান্য ভেজে পেঁয়াজ দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি হলে আদা, রসুন, জিরা, পেঁয়াজ বাটা ও শুকনা মরিচ গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে টমেটো কুচি দিতে হবে। এবার ক্রমান্বয়ে বাদাম বাটা, টমেটো সস অল্প অল্প করে নারকেলের দুধ দিয়ে কষাতে হবে। বাকি নারকেলের দুধ, লেবুর রস ও চিনি দিয়ে ৫ মিনিট চুলায় রেখে নামাতে হবে। একটি সার্ভিং পাত্রে মাছ ভাজা রেখে তার ওপর গরম সস ঢেলে দিতে হবে।নারকেল দুধে চিংড়ি মটর পোলাওউপকরণ ১. পোলাওয়ের চাল ৫০০ গ্রাম, নারকেল দুধ চালের দেড় গুণ, ঘি সিকি কাপ, তেজপাতা ২টি, এলাচ ও দারুচিনি ৩টি করে, চিনি ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, কাজু পেস্তা কুচি ২ টেবিল চামচ, ঘি (ওপরে দেওয়ার জন্য) ১ টেবিল চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।২. চিংড়ি মাছ মাঝারি ৫০০ গ্রাম, টকদই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, আদা বাটা ২ চা-চামচ, এলাচ ও দারুচিনি গুড়া ১ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, মিহি নারকেল বাটা ২ টেবিল চামচ, সোয়াবিন তেল সিকি কাপ, শুকনা মরিচ ভেজে গুড়া ১ টেবিল চামচ, সেদ্ধ মটরশুঁটি ১ কাপ, বুন্দিয়া আলু ১ কাপ ও লবণ পরিমাণমতো।প্রণালি১. পাত্রে ঘি দিয়ে তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনি ফোড়ন দিয়ে ভেজানো পোলাওয়ের চাল দিতে হবে (পোলাওয়ের চাল ১০ মিনিট আগে ভিজিয়ে রাখতে হবে)। এবার ৩-৪ মিনিট ভেজে চালের দেড় গুণ নারকেলের দুধ দিয়ে পোলাও রান্না করে নিতে হবে। প্রয়োজন বোধে রাইস কুকারেও পোলাও রান্না করা যায়। বুন্দিয়া আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে হালকা ভেজে চিংড়ি মাছের সঙ্গে রান্না করে রাখতে হবে।২. খোসা ছাড়িয়ে চিংড়ি ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার সব উপকরণ দিয়ে মাছ মাখিয়ে ১০ মিনিট পর চুলায় উঠে এলে নামিয়ে পোলাওয়ের ২টি লেয়ারে রান্না চিংড়ি, বেরেস্তো, কাজু পেস্তা দিয়ে ওপরে ১ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে ১০ মিনিট দমে রেখে পরিবেশন করুন।
349,225
-1
economy
অর্থনীতি
১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০১
১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:১৮
খবর,প্রতিষ্ঠানের খবর
0
ঢাকা ব্যাংকের এএমডি হলেন এমরানুল হক
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1057859
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন এমরানুল হক। এর আগে তিনি এই ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং করপোরেট ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান ছিলেন। ১৯৮৬ সালে ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ব্যাংকিং পেশা শুরু করেন এমরানুল হক। ১৯৯৮ সালে ঢাকা ব্যাংকে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ইবিএল ও জাম্বিয়ায় ক্রেডিট আফ্রিকা ব্যাংকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞপ্তি
282,740
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ এপ্রিল ২০১৬, ১৬:৫০
০৩ এপ্রিল ২০১৬, ১৬:৫১
শেরপুর,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,দুর্ঘটনা
0
শেরপুরে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ৭
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/818590
বগুড়ার শেরপুরে আজ রোববার দুপুরে বালুবাহী ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিচালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন সাতজন। আহতদের শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, সিএনজিচালক আবুল হোসেন (৪০) ও সিএনজির যাত্রী ঠান্ডু মিয়া (৪২। আবুল হোসেনের বাড়ি শেরপুর উপজেলার কেল্লা গ্রামে। ঠান্ডু মিয়ার বাড়ি একই উপজেলার ছোনকা গ্রামে। শেরপুর থানার পুলিশ জানায়, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রাকটি শেরপুর শহরের দিকে ও অটোরিকশাটি উপজেলার মহাসড়কের ছোনকা বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিল। শেরপুরের কৃষ্ণপুর যমুনাপাড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে পৌঁছালে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে যায়। গুরুতর আহত হয়ে সিএনজিচালকসহ দুজন মারা যান। আহত হন সিএনজির চার যাত্রী ও ট্রাকে থাকা তিন শ্রমিক। পরে তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতরা হলেন, নিহত ঠান্ডু মিয়ার স্ত্রী আঞ্জিলা খাতুন, জাহানারা খাতুন, আবদুর রশিদ, ফজন খাতুন, জহুরুল ইসলাম, মকবুল হোসেন ও নাজমা বেগম। শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
216,552
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৯ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:৫৪
০৯ জানুয়ারি ২০১৪, ১৭:১৫
দেশের ক্রিকেট
null
শ্রীলঙ্কা আসছে বাংলাদেশে
http://www.prothom-alo.com/sports/article/119365
এ মাসের শেষে দিকে পূর্ণাঙ্গ সফরে বাংলাদেশে আসার কথা শ্রীলঙ্কার। চলমান রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে শ্রীলঙ্কার এই বাংলাদেশ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছিল। কারণ, এই সফরের ওপর নির্ভর করছিল বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ এবং পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভবিষ্যত্। আজ দুবাইয়ে আইসিসির সভা থেকে ইতিবাচক সংকেতই পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শ্রীলঙ্কা দল এই সফরে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস।আইসিসির বোর্ড প্রেসিডেন্টদের এই সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেটীয় কূটনীতির অংশ হিসেবে আলাদা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেছে। বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান আলাদা করে বৈঠক করেছেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সভাপতি জয়ান্থা ধর্মদাসার সঙ্গে। এই বৈঠকেই শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে সফরে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানানো হয়। তবে এর আগে ১৩ জানুয়ারি এসএলসির পক্ষ থেকে দুজন পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসবেন। ওই দুই পর্যবেক্ষক বাংলাদেশ সফরের সময় শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা-ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন।এশিয়া কাপও বাংলাদেশেই হবে। তাতে অংশ নেবে পাকিস্তানও। তবে এই সফরে পাকিস্তান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছে। সেই নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।দুটো টেস্ট, দুটো টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি ওয়ানডে খেলতে ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসার কথা শ্রীলঙ্কার।
42,082