text
stringlengths
1.08k
10.7k
lang
stringclasses
50 values
বেশ কয়েকটি অঙ্ক । সেই শুভদার সাথে প্রতিযোগিতার দিন তার দাদাভাই যে অঙ্কগুলো এনেছিল তাদের সঙ্গে মিল আছে এদের। মিতু দেখে ওর সহপাঠীরা গুনগুন করে অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করছে। কেউই বেশিদূর এগোতে পারছে না, এসব ঠিক ওদের চেনাশোনা নয়। মিহিরদা খুঁটে খুঁটে সবার চেষ্টাগুলো দেখলেন, মিতুর কাছে এসে উনি থেমে গেলেন, চোখদুটো জ্বল জ্বল করে উঠলো; বললেন, এই তো তুমি ঠিক পথেই এগোচ্ছ, বাহ্। টেনে টুনে গোটা দুই অঙ্ক মিতু উদ্ধার করতে পারে মাত্র, মিহিরদা হেসে বললেন--আমি জানি এই ধরনের অঙ্ক তোমাদের সিলেবাসের সাথে খাপেখাপে মেলে না। কিন্তু এই অঙ্কগুলো একটু এদিক ওদিক করে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করবো। আমার বিশ্বাস এই অনুশীলন তোমাদের মতো পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের সাধারণের মান থেকে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে, লক্ষ্যের আরও একটু কাছাকাছি। হতাশ হয়ো না। এই বছরের শেষ দিনে টেস্ট পরীক্ষার আগে, আরেকবার আমি এই অঙ্কগুলো তোমাদের সামনে আনব। আমার বিশ্বাস তখন আমি সম্পূর্ণ অন্য ছবি পাবো। তোমাদের মধ্যে অনেকেই এই সব অঙ্কগুলোই করে ফেলবে, সেই দিনটার দিকে আমি তাকিয়ে থাকবো। সেই দিন আমার পিতৃসম শিক্ষক কালীবাবুর ঋণ একটু হলেও হয়তো শোধ হবে। কী ভালো যে অঙ্ক করান মিহিরদা তা মিতু ব্যাখ্যা করতে পারবে না। উনি যখন একটা অঙ্ক-ই বেশ কয়েকটি আলাদা আলাদা নিয়মে করে দেখান মিতু ভাবে এই লোকটা কি জাদুকর না কি ভগবান? মিতু ওঁকে শ্রদ্ধা যেমন করে তেমন নকল করতেও চায়। পল্লববাবুর কোচিং সেন্টার-এ অনেক টিচারই তো আছেন। কিন্তু মিহিরদার ক্লাসে উপচে পড়ে ভালো ছাত্রছাত্রীদের ভিড়। ওই ভিড়েও মিতু অনন্যা। তাই মিতুর দিকে মিহিরদারও দৃষ্টি পড়েছে। ওনার জহুরি চোখ চিনতে ভুল করেনি মিতুর অঙ্কে সহজাত ব্যুৎপত্তি। উনি মিতুকে নামমাত্র পয়সায় সপ্তাহে একদিন এক ঘন্টা করে বাড়িতে পড়াতে আসেন, এ নিয়ে কোচিং সেন্টারের আনাচে-কানাচে বেদম কানাঘুষো হয়। কিন্তু মিতুর বাবা এ-নিয়ে মাথা ঘামাননি। বাবার নিরন্তর উৎসাহ আছে বলেই এই ব্যবস্থা এখনো চলছে, যদিও মিতুর মাঝে মাঝেই ভয় হয় যে ওর এই বাড়তি সুব
bn
িধে যে-কোনো দিনই তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাবে। এই হয়েছে জ্বালা। মিতু এত বেশি আগডুম বাগডুম ভাবে যে ওর বন্ধুরা ওকে খেপায় পাগলী বলে। ও যেন সব সময় এক ঘোরের মাঝে থাকে আর তার জন্য সাধারণ অনেক ব্যাপারেই ওর ভুল ভ্রান্তি হয় বেশ বড়ো রকমেরই। এই দেখো না সেদিন নাকতলায় যাবার বাসে না উঠে ও উঠলো কোন বাসে? না লায়েলকা যাবার বাসে, তার উপর বাসে উঠেই একটি বইয়ে মুখ গুঁজে রইলো। হুঁশ এলো কন্ডাক্টর-দাদার হাঁকাহাঁকিতে—‘শেষ স্টপেজ, শেষ স্টপেজ’। মিতু তাকিয়ে দেখে এ কোন অজানা জায়গা রে বাবা। এ তো ওর চেনা স্টপেজ নয়, আর কি চিত্তির! তখন উল্টো বাস ধরো আবার। ঝোড়ো হাওয়ায় লণ্ঠনের আলোটা দপ দপ করছে, বৃষ্টির ছাঁটটা জোরে আসছে, মিতু উঠে খোলা জানালার পাট দুটো বন্ধ করে দেয়। ফিরে আসতে চোখ পড়লো দেয়ালের ঘড়িতে--রাত পৌনে আট। আজ আর বোধহয় মিহিরদা পড়াতে আসতে পারবেন না। শ্রদ্ধার মানুষটির জন্য এই অপেক্ষা, এই পথ চাওয়া, মিতুর অনাঘ্রাত কিশোরী মনে ভালো লাগার দোলা জাগায়। মাস্টারমশাই যখন মাথা নিচু করে দুরূহ অঙ্কের সহজ সমাধান খোঁজেন মিতু অপলক দৃষ্টিতে তাঁর অঙ্গুলি সঞ্চালন দেখে, প্রিয় মানুষটির উপস্থিতির নির্যাস সে আকণ্ঠ শুষে নিতে চায়, সময় তখন থমকে দাঁড়িয়ে থাকে ওই ছোট্ট ঘরটির চৌকাঠে, মুহূর্তগুলো সেজে ওঠে অনন্তের প্রার্থনীয় সৌরভে। দুই-একবার অঙ্ক করতে করতে মিতু চোখ তুলে তাকিয়েছে সামনে বসা মানুষটার দিকে, ওর মনে হয়েছে অপর দুটো চোখেও আছে কিঞ্চিৎ উষ্ণতার ছোঁয়া, একটা আমকাঠের পড়ার টেবিলের মুখোমুখি দুটো চেয়ারে বসা সাঁকোর দূরত্ব সেই আঁচ লুকাবে কিভাবে? প্রশ্ন-উত্তর মেলাবার সময় দুই একবার দুজনের আঙুলে ছোঁয়াছুঁয়ি হয়েছে, মিতুর সারা শরীরে তখন সহস্র সূর্যের তাপ, ও জানে না অন্য পক্ষের কি অবস্থা, কিন্তু ওর সূক্ষ্ম অবচেতন বলে সেখানেও বিদ্যুতের মরণ শিহরণ। মিতুর মা একবার উঁকি মেরে গেছেন ঘরে এসে। ওনার পছন্দ হয় না মাস্টারমশাইয়ের এই এত রাত করে আসা। শহরতলির মানুষেরা অনেক কৌতূহলী, পড়শীর বাড়ির কিশোরী মেয়ের তরুণ পুরুষ মাস্টারমশাইকে নিয়
bn
ে তাদের দারুণ মাথাব্যথা। নেহাত মিতু পড়াশুনায় বরাবর ভালো তাই তারা রেখে-ঢেকে কথা বলে কিন্তু মিতুর মা ওদের কথার অলিগলি ধরতে পারেন আর অস্বস্তিতে বিব্রত হয়ে ওঠেন। এই মাসের পর উনি ঠিক করেছেন মাস্টার কে না করে দেবেন। মাসকাবারির বেতন দিয়েই এই যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাবেন। মিতুর উঠতি বয়স, কোথা থেকে কি হয়ে যায় কেউ কি বলতে পারে? মিতুর বাবার মতো জগৎসংসারটা তো ভালোমানুষ নয়! একটা জোলো দমকা ঠান্ডা হাওয়া মিতুকে কাঁপিয়ে দেয়, মিতু দেখে মিহিরদা বেশ ভিজে গিয়েছেন। ওনার সঙ্গে কোনো ছাতাও নেই। একটা কালো শালে ওর মাথা আর মুখটা অনেকটাই জড়ানো। উনি চেয়ারে বসেও শালটা মুখ মাথা থেকে সরালেন না। মিতু একটু অবাক হলেও কিছু বললো না। যা রাশভারি মানুষ, হয়তো কিছু মনে করবেন। ওনার চোখে এই রাতের বেলাতেও একটা কালো চশমা, এই রাতের বেলা উনি কেন ওটা পরে আছেন? মিতু উসখুস করতে করতে জিজ্ঞেসই করে ফেললো—“মিহিরদা আপনি কি ভালো দেখতে পারবেন? যা অবস্থা এই হ্যারিকেনটার, কালিঝুলিতে মাখামাখি--আমি না হয় এক ছুটে এটা একটু মুছে নিয়ে আসি।'” “না, না, তুমি ব্যস্ত হয়ো না।”--মিহিরদা তটস্থ হয়ে উঠলেন যেন, “আমার চোখে একটা সূক্ষ্ম কাচ ঢুকেছে, সেটা বের করার জন্য বেশ ছুরিকাঁচি চলেছে, কড়া আলো সহ্য হবে না। এই কম আলোটাই থাক না হয়।” মিতুর বুকটা ধড়াস করে ওঠে, সে কি? কিভাবে হলো? উনি কি কোথায়ও আঘাত পেয়েছিলেন, গবেষণাঘরে কোনো দুর্ঘটনা হয়েছে কি? মিতুর মাথায় একরাশ প্রশ্ন, কিন্তু অপরপক্ষের নিরাসক্ত ভাবভঙ্গি ওকে আর এগোতে উৎসাহী করলো না। মিতু শুধু বলে—“এত শরীর খারাপ নিয়ে আজ এতো বৃষ্টিতে না এলেই পারতেন তবে।’’ মিহিরদার মুখে একটু ম্লান হাসির আভাস, “তা কী করে হয়। কাল তোমার টেস্ট পরীক্ষার দিন, আজ অঙ্কগুলো একটু ঝালিয়ে নেওয়া তো বিশেষ দরকার। আমি তোমার বেশি সময় নেবো না। এই... এই সাজেশন পেপারটা তোমার কাজে লাগতে পারে—” উনি হাতের মুঠোয় দলা পাকানো হলদেটে পুরোনো ধরনের একটা ছেঁড়া খাতার পাতা টেবিলের উপর রাখলেন। মিতু চমকে উঠে দেখলো এ তো সেই পুরোনো অঙ্কের লিস্টিটা। ওটা তো
bn
ফ্রেমবন্দি ছিল, কিভাবে ওটা উনি বের করে আনলেন? আজ কি সেই শেষ দিন যার কথা মিতু মনে আনতেও চায় না। এত নির্বিকার কোনো মানুষ হয় কিভাবে? মিতুর কিচ্ছু ভালো লাগছে না। সেই সন্ধে থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ঘন্টা দুয়েক জ্বলেছে হ্যারিকেনটা। ওটার তেলও শেষ হয়ে এসেছে, কালো কালিতে চিমনিটাও অস্বচ্ছ হয়ে এসেছে। ঘরটা একটা ভুতুড়ে আলোআঁধারিতে ডুবে আছে যেন। মিতুর কেমন অস্বস্তি হচ্ছে, মিহিরদার গলাটাও কেমন ধরা ধরা, উনি কি খুব বেশি অসুস্থ? মিতু মাথা নিচু করে সাজেশন পেপারের অন্য অঙ্কগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করে আর ভাবে এ কোন প্রত্নতাত্ত্বিক যুগের সিলেবাস রে বাবা! একটু বাদেই ও লক্ষ করে মিহিরদা কেমন যেন অস্থির হয়ে উঠেছেন, ঘন ঘন দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন আর ওনার হাতের আঙুলগুলো কেমন যেন কাঁপছে। রান্নাঘর থেকে মিতুর মা ডেকে ওঠেন—“মিতু মাস্টারমশাইয়ের চা টা নিয়ে যা।’’ মিতু ওর চেয়ার ঠেলে ওঠার মুখেই সশব্দে বাইরের সদর দরজা খোলার আওয়াজ পায়, বাবা কারখানা ফেরত বাসায় এলেন বুঝি! মিহিরদাও তৎক্ষণাৎ কেমন একটা ঝটকা মেরে ত্বরিৎগতিতে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, “মিতু আমার একটু তাড়া আছে আজ, তুমি তো কালকের জন্য প্রস্তুতই আছো, শুধু এই সাজেশনের বাড়তি অঙ্কগুলোয় একটু চোখ বুলিয়ে নিও। আজ আমি আসি... আর একটা কথা। তুমি অঙ্কটা কোনোদিন ছেড়ো না মিতু। অনেক বড়ো দৌড়ের ঘোড়া তুমি। আমার যা বিদ্যা ছিল তোমায় আমি দেবার চেষ্টা করেছি। আমি স্বপ্ন দেখি তুমি একদিন বিদেশে যাবে, গবেষণা করবে। আমি পারিনি। তুমি পারবেই। আমি তোমার সঙ্গে সেদিন থাকবো না কিন্তু এই সময়ের সুবাস তুমি ছড়িয়ে দিও মধুছন্দা তোমার কাজের তপস্যায়।” বলতে বলতেই উনি এক মুহূর্তের জন্য স্পর্শ করলেন মিতুর হাতের পাতা, হিমশীতল সেই ছোঁয়ায় কেঁপে উঠলো মিতুর সবটুকু সত্ত্বা, শরীরের সমস্ত অনুভূতির কেন্দ্রস্থল কেমন করে হয়ে উঠলো ওই করপল্লব। তারপর কিরকম একটু হেসেই ঘর ছেড়ে যেন একরকম দৌড়েই বেরিয়ে গেলেন মিহিরদা। মিতুর মনে হলো হাসিটা কেন যেন খুব করুণ। মিতুর বুকের ভিতরটা চিনচিন করে উঠলো। একটা অশনিসংকেত যেন �
bn
�কে জানান দিলো, “মিতুরে এই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যেতে দিস না মুখপুড়ি, জাপ্টে ধরে রাখ।'' মিতুর বুক জুড়ে এ কেমন হাহাকার! মাহেন্দ্রক্ষণ বুঝি হারিয়ে যায় কালগর্ভে কত অবহেলে, কিছু বলা হলো না, কিচ্ছু শোনা হলো না, সব বাকি রয়ে গেলো। না, না ওকে কিছু একটা করতেই হবে। মিতু একটু অবাক হয়ে ওনার পেছন পেছন সদর দরজা অবধি দৌড়ে এসে দেখে মিহিরদা নেই, দরজার মুখে দাঁড়িয়ে বাবা আর পাড়ার অমিতকাকু নিচু স্বরে কি যেন কথা বলছেন। মিতুকে দেখেই সব কেমন চুপ হয়ে গেল। ইতিউতি তাকালো মিতু। কি আশ্চর্য সব ব্যাপার-স্যাপার, মানুষটা কি উবে গেলো! মিতু বাবাকে বলে, “আচ্ছা বাবা, তুমি যে এলে। তোমার সাথে কি মিহিরদার এইমাত্র দেখা হয়েছিল?” বাবা আর অমিতকাকু এ ওর মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন, বাবা এবার একটু জোরের সাথেই জিজ্ঞেস করলেন, “কে? মিহির? কি সব যা তা বকছিস? সে কি করে আসবে? তোকে বলতে চাইছিলাম না, কাল তোর পরীক্ষা, এসবে তোর মনে কষ্ট হবে। আজ সকালের হাবড়া লোকালে একটা বিচ্ছিরি রকমের দুর্ঘটনায় মিহির মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনেক তদবির করে, কিন্তু ওর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ কোনো ভাবেই আয়ত্তে আনা যায়নি। সন্ধের দিকেই—” বাবা কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বললেন, “ওই ট্রেনে অমিতও ছিল, ও হাসপাতাল থেকে এই ফিরছে খবরটা নিয়ে। এত বড়ো একটা সম্ভাবনাময় জীবন কেমন অকালে হারিয়ে গেল।” মিতুর মাথাটা ঘুরছে, না না এ হতে পারে না, এ কিছুতেই হতে পারে না। দৌড়ে গেলো ওর পড়ার টেবিলের কাছে, হ্যাঁ, এই তো সেই মিহিরদার দেওয়া সাজেশন পেপারটা। এটা তো মিথ্যে নয়। আর ওনার সেই কথাগুলো? ওর কানে বাজছে এখনও—“তুমি অঙ্কটা কোনোদিন ছেড়ো না মিতু। অনেক বড়ো দৌড়ের ঘোড়া তুমি... ’’ আর, আর ওর এই যে হাতটা যেখানে মিহিরদা স্পর্শ করেছিলেন, সেই অনুভূতি তো এখনো অণুতে পরমাণুতে ওর সত্তায়। মিতু পরম মমতায় স্পর্শ করলো ওর করপল্লবে। কি আশ্চর্য! ওই ছোট্ট জায়গাটুকু আর ছোট্ট নেই এখন, হয়ে গেছে একটা অনন্ত কালসায়র, অনাদিকালের জীবনের কালো সাদা স্বপ্নের ঢেউয়ের চুড়োগুলো সেখানে অবিরল
bn
ভাঙছে আর গড়ছে নতুন নতুন ছন্দে। তার কোনও ক্ষয় নেই লয় নেই। শীতের পর বসন্ত এলো। শীতের শিশির-ভেজা মসৃণ চাদর সরিয়ে আমাদের এই বনাঞ্চল, বাগান মাঠ-ঘাট, পুকুরপাড়ের গাছপালা তার পুরোনো পাতা ঝরিয়ে কচি পাতায় সেজে উঠলো। শাল জঙ্গল কচিপাতায় ভরে উঠেছে। কুসুম গাছগুলো সেজে উঠেছে কচি পাতায় লাল আবীর ঢেলে। দেখলে মনে হয় জলন্ত অগ্নিশিখা। কেঁদ গাছগুলো নিজেদের সাজিয়েছে কালো শাখাপ্রশাখায় কচি পাতা দিয়ে আলপনা এঁকে। এই অরণ্যের গাছগুলো--মহুয়া, আসন, ছাতিম, পিয়াশাল, বট, অশ্বত্থ, বহড়া, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, শিমূল, কুরচি সকলেই কচি পাতায় সেজে উঠেছে। বাগানের গাছগুলোও, যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, সফেদা, ফলসা, জামরুল, কামরাঙা, বোধহয় তাই দেখে পুরোনো পাতা ছেড়ে নতুন পাতায় ভরে উঠলো। ওরা যে এসে পড়বে, গাছেদের ভীষণ তাড়া। বসন্তকাল রঙের মিলনের কাল। গাছ তার শাখায় শাখায় রংবেরঙের ফুল আর মুকুলে নিজেদের সাজিয়ে তুলে ফুলের সৌগন্ধ বসন্তের আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে দিলো। আর ওদের খাবারের জন্য ফুলের মধ্যে রাখলো মিষ্টি মধু। ফুলের বর্ণ আর সুগন্ধে ঝাঁকে ঝাঁকে ভ্রমর, মৌমাছি আর পতঙ্গের দল এলো ছুটে। রংবেরঙের ফুলের বাহার দেখে ওদের চোখ ধাঁধিয়ে গেলো। ফুলের সৌন্দর্য দেখে ফুলের উপর বসে এবার ওরা মধুর সন্ধান পেলো। মধু চেটে মুগ্ধ হয়ে আনন্দে ভন্‌-ভন্‌ আওয়াজ তুলে এ-ফুলে ও-ফুলে মধু খেলো। গাছেরা এদের নিয়ে কৌশলে পরাগমিলনের কাজটা করিয়ে নিলো। কোন পতঙ্গই কিন্তু এই কাজটার টের পেল না। অথচ জগৎ সংসারে এই পতঙ্গের দল উপকারী পোকা বলে স্বীকৃতি পেল। ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে আগের দিনের ফুল ঝরিয়ে গাছগুলি নূতনভাবে সেজে উঠলো। কিছু গাছ ভোরের ফুলের এক বর্ণ, বেলা বাড়ার সাথে সাথে অন্য বর্ণে নিজেকে সাজিয়ে প্রকৃতিতে মেলে ধরলো। পলাশ, শিমূল, রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, কুরচি ফুলের রং বেরঙের বাহার দেখে রংবেরঙের প্রজাপতির দল প্রকৃতির এই হাটে এসে প্রকৃতিকে আরো রাঙিয়ে তুললো। বনাঞ্চলের মহুল গাছগুলি দুধসাদা ফুলে ভরে উঠলো। মহুয়া ফুলের গন্ধ ঠিক যেন বাসমতী চাল
bn
ের পায়েসের গন্ধ--আকাশ-বাতাসে ছড়িয়ে দিলো। ভ্রমরা, মৌমাছি, পতঙ্গের দল ঝাঁকে ঝাঁকে ফুলে ফুলে বসে মধু পান করলো। সকলে সেই মধু পান করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লো। পতঙ্গের দল নেশার ঘোরে এই গাছগুলির উপর পাক খেতে লাগলো। মহুয়া গাছে যত দিন ফুল থাকলো, ততদিন সুকৌশলে ওদের নিয়ে পরাগমিলনের কাজটি মহুয়া গাছ করিয়ে নিলো। এই হাটে এত মধুর ছড়াছড়ি। একদল ফুলচুষী (টিকেলস্ ফ্লাওয়ার পেকার) পাখি। আর এলো মৌচুষী বা মধুকয়া (পার্পল সানবার্ড) পাখির দল। এরা এদের তীক্ষ্ণ ঠোঁট দিয়ে ফুলের উপর উড়ে উড়ে নানা ভঙ্গিমায় ফুলের মধু খেলো। মধু এদের প্রধান খাবার। এরা উইচ উইচ করে ডাকতে ডাকতে হাট মাতালো। গাছ তার পরাগ মিলনের কাজটা এদের দিয়েও করিয়ে নিলো। বোঁটা থেকে ফুল খসে পড়লে, প্রকৃতির সৌন্দর্য কিছুটা হারাবে সেই কারণে খুব সতর্কভাবে মধু খেলো। বাঘ-মৌরা এত আহারের সন্ধান পেয়ে আমগাছে চাক বাঁধলো। ক্ষুদে মৌ-রা ঠিক করলো গাছের কোটরে বাসা বাঁধবে। পতঙ্গরা মধু খেয়ে পুষ্ট হলো। এরা গাছের ছালের ফাটলে, পাতার নিচে আনাচে কানাচে ডিম পাড়লো। কিছু পতঙ্গের দল নিরাপদ জায়গা খুঁজে পিছনের পা দুটি ব্যবহার করে মাটি সরিয়ে গর্ত করে বাসা বানালো। পতঙ্গটা ডিম পেড়ে ধীরে ধীরে বাচ্চার জন্ম দিলো। বাচ্চার আহারের জন্য যতবার বাসা থেকে উড়ে গিয়ে পোকা ধরতে বাইরে গেলো, ততবারই সামনের পা দিয়ে মাটি সরিয়ে গর্তের মুখ বন্ধ করে একটা চিহ্ন এঁকে গেলো। যাতে ফিরে সে ওর প্রবেশদ্বারের সঠিক সন্ধান পায়। কীটপতঙ্গ খাওয়া পাখির দল প্রকৃতির এই হাটে এসে পড়লো। ফিঙে, দোয়েল, বুলবুলি, টুনটুনি, ডাহুক, বসন্তবৌরি, বেনেবৌ, হাড়িচাঁচা (ট্রিপাই) আর জলচর পাখিরাও সাথে এলো। গয়ার, বালিহাঁস, মেটে হাঁসেরা যোগ দিলো। বকেরা এদের পিছু এলো। এদের আগমনে ও কলরবে প্রকৃতির এই হাট জমে উঠলো। শালিক, ঘুঘু ডাক পড়লো। দীঘির পাড়ের বকুল গাছে বসে কোকিল পাখিটা কুহু কুহু সুরে ডাক পাড়লো। কাক ওর ফন্দিতে পা দিয়ে ওর পিছনে ধাওয়া করলো। প্রকৃতির এই বৈচিত্র্যে হাট জমে উঠেছে। শিকরা পাখিটা উড়তে উড়তে উঁকি মেরে দেখে গেলো বাঘ-মৌ
bn
মাছির মৌচাকে মধু রয়েছে। এরা এতো ধূর্ত যে মধুর সন্ধান পেলে ডানার ঝাপটায় মৌমাছি সরিয়ে নিমেষে খাবলা মেরে মৌমাছির চাক ভেঙে নিয়ে পালায়। (এদের স্থানীয় নাম টিকরা)। এখানে আর এক বৈচিত্র্য, শীতঘুম কাটিয়ে ব্যাঙেরা গর্তের থেকে থপ্‌ থপ্‌ করে বেরিয়ে পড়লো। সাপও শীতঘুম কাটিয়ে আহারের খোঁজে ব্যাঙের পিছু নিলো। বেজিও এদিক ওদিক ঘুরে সাপটার পিছু নিলো। বহুরূপীটা সাপটাকে দেখে গাছের মগ ডালে উঠে ঘাড় নাড়তে লাগলো। দেখে মনে হল, সাপের উদ্দেশ্যে বলবার চেষ্টা করছে দেখ তোর কি হয়। ও ঘাড় নাড়লে হবে টা কী? প্রকৃতির এই হাটে এ তো খাদ্য আর খাদকের সম্পর্ক। এদের দেখে কাঠবিড়ালিটা নিজের আত্মপ্রত্যয়ের উপর ভর করে, সজনে গাছের মগডালে উঠে সজনে ফুল খেতে ব্যস্ত থাকলো। মাকড়সারা এ গাছ থেকে অন্য গাছে জাল বুনে পোকা ধরার ফন্দি আঁটলো। ফল খাওয়া পাখিদের মধ্যে টিয়ার দল আগে এসে কাঠঠোকরাদের তৈরি বাসা দখল নিল। কাঠঠোকরারা অন্য গাছে উড়ে গেল। এই হাটেই অন্য চিত্র দেখা গেল। গেছো ইঁদুরটা আমের মুকুলগুলো ওর ধারালো দাঁত দিয়ে কেটে কেটে মাটিতে ফেলতে লাগলো। এই অ-লক্ষ্মীপানা দেখে লক্ষ্মী-পেঁচাটার গা উঠলো জ্বলে। সেই রাগেই যেন দিনের বেলায় লুকিয়ে থাকা জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে ইঁদুরটাকে আঘাত করলো। লক্ষ্মী আর অলক্ষ্মীর লড়াই হলো। প্রকৃতির এই হাটে অলক্ষ্মীর বিনাশ হলো। সন্ধ্যে এলো নেমে। আকাশে বাদুড় আর চামচিকের আনাগোনা। বাদুড়ের দল আকাশে উড়ে উড়ে দেখে গেলো ফল হতে কত বাকি। চামচিকেরা এখানে এত খাবার দেখে রাতের আকাশে উড়ে শিকার ধরে খেলো। জোনাকিরা নিজেদের মিটি মিটি আলো জ্বালিয়ে প্রকৃতির এই হাটে ঘুরতে ঘুরতে মহুয়া গাছের উপর এসে দেখলো ভ্রমরা-পতঙ্গের দল মহুয়া ফুলের মধু খেয়ে বেহুঁশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে ফুলের পাপড়ির উপর। জোনাকিরা ওদের আলোয় আরো দেখতে পেলো গাছের তলায় পড়ে থাকা হরেক ফুলের পাপড়ি খেয়ে খরগোশ আর তাদের শাবকদের এই প্রকৃতির হাটে কী আনন্দ উৎসব! রাতের প্রকৃতির নি:স্তব্ধ ভাঙতে মাঝে মাঝে ঝিঁঝিঁ ডাক পাড়লো। মধ্যরাতে খটাশ আর খেঁকশিয়ালের আগমনে টের পেয়ে ডালে বসা ঘুমন্�
bn
� পাখিরা ভয়ে ডেকে উঠলো। রাতের পাখিদের সাথে পেঁচারা সুর মেলালো। প্রকৃতির এই হাট দিনে রাতে সমান সচল। রাতের নিশাচর পাখিদের ডাক ক্রমশ থিতিয়ে এলে দিনের পাখিদের কলরবে ভোর হলো। শিশিরভেজা ফুল নিয়ে গাছেদের দিন শুরু। সকালের সূর্যের আলোয় বন-অঞ্চল চিক্‌ চিক্‌ করে উঠলো। পাখিরা ধরলো গান । প্রকৃতির এই হাটে কেনা-বেচা নেই। আছে শুধু প্রকৃতির এই সৃষ্টিকে ধরে রাখা। পাখিদের প্রেমিক-প্রেমিকা বাছাই নিয়ে কিচির-মিচির কিচির-মিচির! কেউ কেউ সহজে তার জীবনসঙ্গী পেয়ে বাসা বাঁধতে পছন্দমতো গাছকে বেছে নিলো। বাবুইরা তালগাছ, খেজুরগাছকে বেছে নিলো। বুলবুলিরা ফলসা গাছে বাসা বানাবার জন্য মনস্থির করলো। কেউ কেউ গাছের কোটরে বাসা বাঁধলো। এত খাদ্য--এর মধ্যে ঘর বেঁধে বাচ্চাকে বড়ো করে অন্যত্র উড়ে যেতে হবে। নচেৎ কালবৈশাখীর উন্মাদ তাণ্ডবে এদের জীবনের সবকিছু ওলট-পালট। পাখিদের মধ্যে ব্যস্ততা বেড়ে গেল। কেউ কেউ প্রেমিকাকে সঙ্গী করে বাসা বানাবার কাজে মন দিলো। ফিঙে পাখিরা ঘাস লতা-পাতা দিয়ে গোলাকৃতি বাসা বানাতে লাগলো। বাসা বানাবার সময় শিকার করার সময় খুবই কম। তাই এরা সহজে শিকার ধরার নতুন পন্থা নিলো, বাসা বানাবার ফাঁকে গরু-মহিষের পিঠে কিছুক্ষণ বসে থাকে। গরু-মহিষের খুরের আঘাতে ঘাস-বনের থেকে ফড়িং, পোকামাকড় ছিটকে বেরিয়ে এলে এরা ছোঁ মেরে সহজে শিকার ধরে খায়। ফিরে গিয়ে আবার সত্ত্বর বাসা বানাবার কাজে মন দেয়। ধনেশ পাখিটা উড়ে গিয়ে একটা কাঠঠোকরার বাসা দখল নিলো। অনেক অঙ্গভঙ্গির পর স্ত্রীপাখির সাথে মেলামেশায় তাকে বশীভূত করে কোটরে ডিম পাড়াতে বসালো। পুরুষ পাখিটা তখন কাদামাটি এনে গর্তের মুখ বন্ধ করে স্ত্রীপাখিটাকে বন্দী করলো। আর একটা ছোট ফুটো রাখলো, পুরুষ পাখিটা ওই ফুটো দিয়ে খাদ্য সরবরাহ করলো। ডিম থেকে বাচ্চার জন্ম হলে তারপর দেওয়াল ভেঙে স্ত্রীপাখিটিকে মুক্তি দিল। বসন্তের ওই প্রকৃতির হাটে পাখিদের প্রেমিক-প্রেমিকা বাছাই নিয়ে কতই না বৈচিত্র্য। বাবুই পাখিদের বাসা বানাবার শিল্পকলাই সম্ভাব্য প্রেমিকাদের মুগ্ধ করে। যে পুরুষপাখিটার বাসা সবথেকে সুন্দর হবে তাকেই বেছে নেবেন প্রেমিকাটি। এরজন
bn
্য স্ত্রী-পাখিদের মধ্যে কতই না লড়াই হলো। পুরুষ ময়ূর পাখিটি পেখম তুলে নেচে সঙ্গীনির হৃদয় জয় করে নিলো। পুরুষ নীলকন্ঠ পাখিটি আবার শূন্যে ডিগবাজি খেয়ে নানা কসরত করে স্ত্রী পাখির মন নিলো কেড়ে। এদের মধ্যে একটি পাখি--সে প্রেমিকার মন পাবার জন্য কতই না অঙ্গভঙ্গি করলো। কেউ তার ডাকে সাড়া দিল না। বাধ্য হয়ে সে একটা আমগাছ বেছে তার এডাল ওডাল ঘুরে শেষে একটা নরম পচা ভাঙা ডালে বাসা বানাবার সিদ্ধান্ত নিলো। ডালের অবস্থান এমন জায়গায় যেখানে কাল-বৈশাখীর পশ্চিমী ঝড় ঐ গাছের মোটা কাণ্ডের আড়ালে বাসাকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখবে। মনে হলো পাখিটা বাস্তুতন্ত্র মেনে বাসা বানাবার স্থান নির্বাচন করলো। শক্ত ঠোঁট দিয়ে ঠুকরে ঠুকরে বাসা বানাতে শুরু করলো। পচা ডালের শুকনো ছাল ঠোঁট দিয়ে ঠুকরে ঠুকরে ফেলতে লাগলো। কারণ ঐ ছালের তলায় অনেক বিষাক্ত পোকার বাস, ঐ বিষাক্ত পোকা বাচ্চাদের ক্ষতি করতে পারে সেই কারণে প্রথম থেকেই সতর্কতা। ধীরে ধীরে বাসার একটা রূপ এলো। পাখিদের ডাকে আবার ভোর হল। পাখিটা আমগাছের মগডাল থেকে নেমে এলো; মনে এতটুকু শান্তি নেই। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে নিখুঁতভাবে বাসা বানাতে হবে। এই সুন্দর বাসা দেখে নিশ্চিতভাবে প্রেমিকা মুগ্ধ হয়ে, প্রেমিক রূপে ওকে বরণ করবে। সারাটা দিন খেটেও বাসাটা তৈরি করতে পারলো না। নিশ্চিতভাবে জানতেও পারলো না বাসা তৈরির পরেও এই রঙিন বসন্তে প্রেমিকার দেখা পাবে কিনা? ডালে বসে ম্রিয়মাণ মন নিয়ে কত জোড়া জোড়া প্রেমিক ও প্রেমিকাদের দেখলো। আর ওদের মিষ্টি মধুর গান শুনলো। প্রকৃতির এই রঙ্গমঞ্চে এতো রূপ, এতো সৌন্দর্য, এতো অফুরন্ত খাবার, এতো মিষ্টি মধু। আর প্রেমিকাদের মন পেতে কতই না সুচতুর কৌশল। পাখিটা ডালে বসে এও দেখলো, কোকিল পাখিটা প্রেমিক পেল। কিন্তু প্রকৃতি বাচ্চা ফোটানোর বা বাচ্চা বড় করার দায়িত্ব অপরের হাতে দিলো। আর পুরুষ পাখিটা কুহু কুহু সুমধুর গানে সুরে তার স্ত্রীর মন ভেজানোর চেষ্টা করলো। স্বামীর কন্ঠের গান শুনে স্ত্রীর মন কিছুটা ভিজলো। আর প্রকৃতির এই হাটে এসে আর সকলে ওর গান শুনে মুগ্ধ হল। কি কারণে পাখিটা এত সুন্দর গান গাইল�
bn
�। তার বিচারে প্রকৃতির হাটে কেউ দেখলো না। আবার গাছের মগডাল থেকে বিরামহীনভাবে ডেকেই যেতে লাগলো। এবার কন্ঠস্বরের মধ্যে একটু অন্য সুর মেলালো। ডাক পড়লো বুক-বুক বাওইচ্‌, এই ডাকে একটা স্ত্রীপাখি এসে আমগাছের ডালে বসলো। পুরুষ পাখিটা স্ত্রী পাখিটাকে গোল করে প্রদক্ষিণ করতে লাগলো, আর বাওইচ্‌, বাওইচ্‌ করে ডাকতে লাগলো। হয়তো বলতে লাগলো, তোমার জন্য নীড় আছে নিরালায় সম্পূর্ণ সুরক্ষায়। দুজনে বাসার কাছে এলো, পুরুষ পাখিটি কন্ঠ থেকে কতই না নতুন নতুন সুর তুলে গান শোনাতে থাকলো, কিন্তু দুর্ভাগ্য—তার কোন সুরই স্ত্রী পাখিটির মনকে নাড়া দিল না। শেষে স্ত্রী পাখিটা উড়ে চলে গেল। মধ্যরাতটাকে ভোর ভেবে পাখিরা ডেকে উঠলো। পাখিটা সারারাত নিজের বাসায় কাটিয়ে, ভোর হওয়ার সাথে সাথে বাসা থেকে বেরিয়ে বাসাটাকে ঠুকরে ঠুকরে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করবার জন্য দিনভর চেষ্টা করতে লাগলো। বাসাটার এবার দুটো প্রবেশদ্বার হয়েছে। তৃতীয় দিনের মাথায় বাসার কাজ সম্পূর্ণ করে, পাখিটা আমগাছের মগডালে উঠে আবার বুক-বুক আওয়াজ তুলে অবিরাম বসন্তের আকাশে বহুদূরে ভেসে যেতে লাগলো। শেষ বেলায় ওর আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রেমিকা রূপে একটি পাখি গাছের মগডালে বসলো। মগডাল থেকে দুজনে নেমে এলো বাসার কাছে। প্রেমিক পাখিটা কতই না অঙ্গভঙ্গি করলো, আর গলা থেকে কত রকমেরই আওয়াজ তুলে প্রেম নিবেদন করলো। প্রেমিকা পাখিটা ডালে বসে নি:শব্দে বাসার দিকে তাকিয়ে থেকে কি ভাবলো, তারপর ওর সাথে ঘর বাঁধার স্বপ্ন ত্যাগ করে উড়ে গেল। প্রেমিক পাখিটা বাসায় প্রবেশ করে ঠোঁট বাসার বাইরে বের করে চুপ করে বসে রইলো। হয়তো ভাবলো প্রকৃতির এই বসন্তের হাটে ওর ঘর বাঁধার স্বপ্ন চুর-চুর করে ভেঙে দিয়ে গেল ওই প্রেমিকা পাখিটা। প্রেমে আঘাত খেয়ে নিজের প্রতি বিতৃষ্ণায় কোথা থেকে কাদা মাটি এনে বাসার মুখ দুটি বন্ধ করে বসন্তের আকাশে পাখিটা নিরুদ্দেশ হয়ে গেল। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে এলো।<|end_of_text|>অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ২ নেতাসহ আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সোমবার আও�
bn
�ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল …<|end_of_text|>সরকারি চাকরিজীবীদের আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলতি মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস আগামী বৃহস্পতিবা (১৬ আগষ্ট) এর মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ব্যবস্থাপনা অধিশাখা থেকে এ নির্দেশ জারি করা হয়। নির্দেশের এ চিঠি হিসাব মহানিয়ন্ত্রক ও কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স অফ ফাইন্যান্সে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশে আগামী ২২ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ফলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সামরিক বাহিনীর নন-কমিশন্ড অফিসার ও কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা বোনাস আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে প্রদান করা হবে। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীরা একই সময়ে প্রাপ্য সুবিধা পাবেন। বাংলাদেশ ট্রেজারি রুলস এর এস আর ১১৩(২) ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।<|end_of_text|>শেয়ারবাজার ডেস্ক: আবারও জাতীয় হয়ে মাঠে নামার স্বপ্ন একটু গাঢ় হলো মোহাম্মদ আশরাফুলের। ‘এ’ দলে জায়গা পেলেন ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা এই ক্রিকেটার। খুলনায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বিসিবির হাইপারফরম্যান্স ইউনিট-এইচপির বিপক্ষের ম্যাচে, ‘এ’ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন সাবেক এই অধিনায়ক। জাতীয় লিগের আগে এটিকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ বলছেন তিনি। ১৯ সেপ্টস্বর শুরু হবে প্রথম শ্রেণির এই ম্যাচটি।<|end_of_text|>ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যানজট কমাতে সড়কের বিপরীত দিকে যেন কেউ কোনো গাড়ি চালাতে না পারে। সে মন্ত্রী-এমপি-ভিআইপি যেই হোক। উল্টো পথে গাড়ি চালালেই জরিমানা করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় ওবায়দুল কাদের উল্টো পথে গাড়ি চালালে হাইওয়ে পুলিশকে জরিমানা করার নির্দেশ দেন। আজ মঙ্গলবার সকালে গজারিয়ায় মেঘনা দ্বিতীয় সেতু প্রকল্পে জাইকার সাইড অফিসের সভাকক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসনে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
bn
মন্ত্রী বলেন, ঈদের দিন, তার আগের চারদিন এবং পরের চারদিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সঙ্গে কথা হয়েছে। হয়ত তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন। ১৬ জুন ঈদ হতে পারে ধরে নিয়ে এবার রোজার ঈদের সরকারি ছুটি ঠিক করা হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ জুন। ঈদের ছুটি শুরুর কয়েক দিন আগে থেকেই মহাসড়কে শুরু হয়ে যাবে ঈদযাত্রার ভিড়। এ কারণে ৮ জুনের মধ্যে সব রাস্তার প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে কাদের বলেন, যেখানে যেখানে রিপেয়ার দরকার, সেটা এর মধ্যে করতে হবে। রাস্তা সংস্কারে উদাসীনতা সহ্য করা হবে না। মহাসড়কে যানজট কমাতে মন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, যানজট নিরসনে কোনো রকম অবহেলাকে ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী ৮ জুনের মধ্যে সড়কের সকল রকম প্রস্তুতি থাকতে হবে। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কোনো রকম চাঁদাবাজি যানজটের কারণ হলে বরদাস্ত করা হবে না। মহাসড়ক সম্পর্কিত পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভা করেছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা। রাস্তা সংস্কারের ক্ষেত্রে বৃষ্টি যেন অজুহাত না হয়, বৃষ্টি হলেও কাজ শেষ করার ব্যবস্থা যেন রাখা হয়, সেই নির্দেশ কর্মকর্তাদের দেন তিনি।<|end_of_text|>সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের মতোই মাদক নির্মূলে পুলিশ সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার দুপুরে সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৩৫তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপারদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সফল হয়েছে। আশা করি মাদক নির্মূলেও পুলিশ সফল হবে।যারা মাদক সরবরাহ, ব্যবসা ও উৎপাদনের সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে চলা নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ বিপদের সময় প
bn
ুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য আসে। তাই সেবা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে।তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশকে কাজ করতে হবে। দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সমাজের নারী, শিশু ও প্রবীণদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে। এক বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করায় নবীন কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধা জানান তিনি।পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পুলিশ জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য বহির্বিশ্বে প্রশংসা অর্জন করেছে। পুলিশ বাহিনীকে নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অপরাধের ধরন দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। সেসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে দক্ষ হতে হবে।<|end_of_text|>বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাক গোয়েন্দা নথির বই উন্মোচন | শীর্ষ মিডিয়া | Sheersha Media শীর্ষ মিডিয়া | Sheersha Media জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথিগুলো বই আকারে প্রকাশ করা হচ্ছে। যার প্রথম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকালে গণভবন প্রাঙ্গণে বইটির প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে অমূল্য এসব ডকুমেন্ট দেশ-জাতি ও বহির্বিশ্বে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াসে ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রান্স অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শিরোনামে বইটি প্�
bn
�কাশ হচ্ছে। এটি ১৪ খণ্ডে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হবে। হাক্কানী পাবলিশার্স থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে। ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করেন। পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি) প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে তার কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট প্রেরণ করতো। এরই ভিত্তিতে বিনা বিচারে আটক, মামলাসহ নানামুখী নির্যাতন চলতো। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নামে স্পেশাল ব্রাঞ্চে খোলা ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট সংকলন করা হয়। বইটির প্রথম খণ্ড ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত ডকুমেন্টের উপর ভিত্তি করে সংকলিত হলেও এ খণ্ডে ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের পূর্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা ও মানবদরদি মনের পরিচয় পাওয়া যায়। ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামী জীবনের প্রথম দিকের জানা-অজানা অনেক তথ্যের সন্নিবেশ ঘটেছে এ খণ্ডটিতে। তথ্যগুলো তৎকালীন গোয়েন্দা পুলিশ আইবির রুটিন কাজের অংশ হিসেবে সংগ্রহ ও সংরক্ষিত হয়েছিলো। পাঠকগণ স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের জন্ম, মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাদণ্ড প্রদান, বঙ্গবন্ধুর লেখা চিঠি, তার নিকট বিভিন্ন নেতা-কর্মী ও আত্মীয়-স্বজনদের চিঠি, বিভিন্ন মিটিং ও জনসভায় দেওয়া ভাষণ, কারাগারে আত্মীয়-স্বজন ও নেতা-কর্মীদের সাক্ষাতকার সংক্রান্ত রিপোর্ট এবং আইবিসহ সরকারের বিভিন্ন অফিসের করেসপন্ডেন্স ইত্যাদি তথ্য পাবেন বইটিতে।<|end_of_text|>ঢাকা: সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশে যে ৫৭টি ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৫৬টি ব্যাংকই ভোটারবিহীন সরকারের কালো থাবায় পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতে যে ঋণ জালিয়াতির ঘটনা এসব ব্যাংকে ঘটেছে তা রীতিমত আঁতকে উঠার মতো। তারা ঋণের নামে হাজার হাজার �
bn
�োটি টাকা নিয়ে সে টাকা পাচার করে দিয়ে বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে, গড়ে তুলছে সেকেন্ড হোম আর বেগম পল্লী। গতকাল এক মন্ত্রী বলেছেন মন্ত্রীরা এখন বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ লুটপাটের কারণে দেশব্যাপী সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, শুধু ব্যাংকিং সেক্টর নয় বীমা খাতসহ সমস্ত আর্থিকখাতেও চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। এর আগে শেয়ার বাজার লুট করে লাখ লাখ গ্রাহককে পথে বসিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা। শেয়ার বাজারে সর্বস্ব হারিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক আত্মহত্যাও করেছেন। দেশের এমন কোনো সেক্টর নেই যেটি ক্ষমতাসীনদের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়নি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, নিয়োগ বাণিজ্য আর লুণ্ঠিত সম্পদের কাড়াকাড়ি নিয়ে নিজেরা নিজেদের লোককে হত্যার ঘটনা ক্ষমতাসীনদের এখন নিত্যসঙ্গী। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন আগে অর্থমন্ত্রী বলেছেন দেশে এখন তিন কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে। সরকারি পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্টকেও তিনি অগ্রাহ্য করে বানোয়াট কথা বলেছেন। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা রয়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ। হতদরিদ্রের সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ। দিন দিন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই। রুহুল কবির রিজভী বলেন, যেভাবে পাল্লা দিয়ে লুটপাট চলছে, যেভাবে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্যার ঢলের মতো সমাজের মধ্যে প্লাবিত হয়েছে, তাতে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খাইরুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু ও সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ। কুষ্টিয়া থেকে এ আর রাশেদ: দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অধীনে অনুষ্ঠিতব্য ২১, ২২ ও ২৩ আগষ্টের ফাযিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে আজাদ এ বিষয়টি নিশ্চিত কর
bn
েন। তিনি জানান, আগামী ২০ আগস্ট ফাজিল ১ম ও ৩য় বর্ষ, ২১ তারিখ ২য় বর্ষ, ২২ তারিখ ১ম ও ৩য় বর্ষ এবং ২৩ তারিখে ২য় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারনে এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া সকল পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে। উল্লেখ্য, ফাজিল পরীক্ষা সক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট (www.iu.ac.bd) থেকে পাওয়া যাবে।<|end_of_text|>জসীম উদ্দীন দেওয়ান, ডেইলি মুন্সীগঞ্জ ডট কমঃ বিএনপি চোয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং ভারপ্রাপ্ত চোয়ারপার্সন তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কালো পতাকা ধারণ করেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি। রোববার বেলা সাড়ে এগারোটায় দলীয় কার্যালয়ের নীচে জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী কালো পতাকা বহন করে নিজেদের কর্মসূচি পালন করেন। জেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল হাই তাঁর বক্তব্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্য খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মনগড়া দায় দিচ্ছে। তিনি অনতিবিলম্বে তাদের দুজনার মামলা প্রত্যাহােরর দাবি করে, দেশে সুষ্ঠো ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।<|end_of_text|>রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে আরোপিত যেকোনো নিষেধাজ্ঞা মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল এবং রাশিয়া এ ব্যাপারে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর রুশ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রে তৎপর রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি ব্যাংকের কার্যক্রমের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এর ফলে এসব ব্যাংক কর্তৃক ডলার ব্যবহারের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপত্যকা সফরে গিয়
bn
ে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানান। মেদভেদেভ বলেন, রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বরদাশত করা হবে না। তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে মস্কোর বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে ধরে নেয়া হবে। রুশ প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে এমনিক প্রয়োজনে অন্য কোনো উপায়ে জবাব দেবে মস্কো। মার্কিন কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি উপলব্ধি করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ব্রিটেনে সাবেক রুশ দ্বৈত গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের ওপর রাসায়নিক গ্যাস হামলার জের ধরে বুধবার রুশ ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা। ব্রিটিশ সরকার ওই রাসায়নিক হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করলেও মস্কো এ অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। আরটি, রয়টার্স। ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি ভ্লাদিমির চিঝোভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইউরোপে নিজের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করে এই মহাদেশের নিরাপত্তা বিপন্ন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।<|end_of_text|>রাজ্য সরকার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে সাহায্য বঞ্চিত। তাই আগামী ১২ নভেম্বর থেকে জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে পঃবঃ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি। তাদের অভিযোগ তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পঃবঃ আন এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকের বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু গুটি কয়েক মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার পর তা থমকে রয়েছে। তাই চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে আন এডেড মাদ্রাসাগুলো। এ ব্যাপারে রাজ্য সম্পাদক আবদুল ওহাব মোল্লার বক্তব্য, ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান করে ২০১১ সালে মা মাটি মানুষের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল সংখ্যালঘুদের ভোটের মাধ্যমে। ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে মমতা ব্যানাজী ১০০০০ আন এডেড মাদ্রাসা দেওয়ার কথা বলেছিলেন মহাকরনে সাংবাদিক সম্মেলন করে। ২০১৩ সালের ৮ ই ফ্রেব্রুয়ারী মাইনোরিটি ও মাদ্রাসা দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি পি বি সালিম সাহেব সাহেব
bn
একটা অর্ডার দিয়েছিলেন প্রত্যেক জেলার জেলাশাসককে। সেই অর্ডারে বলা ছিল অনুমোদিত আন এডেড মাদ্রাসাগুলিকে সরকারী সমস্ত সাহায্য ও সহোযোগিতা করবে দফতর। এখন পর্যন্ত মাত্রা ২৩৪ টি আন এডেড মাদ্রাসা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং পিবি সালিম সাহেবের অর্ডারটি আজও বাস্তবায়িত ও কার্যকর হয়নি। এর ফলে মাদ্রাসাগুলি একেবারে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বলে অভিযোগ ওহাবের। তার আরো অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের SPQEM এর স্কীম থেকে ২০১৩ -১৪ সালে একবার মাএ আন এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন পেয়েছিল। তারপর থেকে রাজ্য সরকার দিল্লীতে U.C সাটিফিকেট না দেওয়ার ফলে কেন্দ্রীয় স্কীম থেকে বঞ্চিত আন এডেড মাদ্রাসা গুলি। তাই জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে পঃবঃ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি। এই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আবদুল ওহাব মোল্লা বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর কোচবিহার থেকে আন্দোলন শুরু হবে, তারপর ২৬ নভেম্বর মুশিদাবাদ, উওর দিনাজপুর, বীরভূম, সহ সারা রাজ্যে। তারপর কলকাতার বৃহওর আন্দোলন হবে। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য সরকারি নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করা। নাম পরিবর্তনের পালা শুরু মুঘলসরাই রেল স্টেশন থেকে। এরপর একের পর এক শহর ও জায়গার নাম পাল্টে চলেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলো। ঐতিহাসিক এলাহাবাদ শহরের নাম বদলে প্রয়াগরাজ রেখেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথ। ফইজাবাদ হয়ে গেল অযোধ্যা। বসে নেই গুজরাটও। আহমদাবাদ শহর এবার হচ্ছে কর্ণাবতী। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ইতিমধ্যে নাম পরিবর্তনের জন্য আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন। এখানেই কিন্তু থেমে থাকছে না নাম পাল্টানোর রাজ্নীতি। মহারাষ্ট্রের আউরাঙ্গাবাদ ও ওসমানাবাদ শহরের নাম বদল এবার শুধু সময়ের অপেক্ষায়। আউরাঙ্গাবাদ শহরের নাম পরিবর্তন করে হচ্ছে সম্ভাজি নগর। আর ওসমানাবাদ শহরের নাম পরিবর্তন করে হচ্ছে ধারাশিব নগর। এই নাম পরিবর্তন কবে থেকে হচ্ছে তা জানতে চেয়ে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বুধবার টুইট করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের উদ্দেশ্যে। যদিও ফড়নবিশ শিবসেনা সাংসদকে অবশ্য নাম ক
bn
বে থেকে পাল্টানো হচ্ছে তা জানাননি। তবে এইদুটি শহরের নাম পাল্টানো শুধু সময়ের অপেক্ষা।<|end_of_text|>রাশিয়া এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে। স্মরণকালের বৃহত্তম এই মহড়াটি যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বের মনোযোগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। গতকাল রাশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুরু হওয়া এই সুবিশাল মহড়ায় প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র এবং অন্যতম পরাশক্তি চীনও অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া ভারত এবং পাকিস্তানও যোগ দিয়েছে তাতে। ভোস্টক-২০১৮ বা পূর্ব-২০১৮ নামের এ মহড়াটিতে তিন লাখের মতো রুশ সৈন্য অংশ নিয়েছে। সেইসঙ্গে এক হাজার বিমান ও ৯০০টি ট্যাংক নেমেছে যৌথ এ সামরিক মহড়ার জন্য। এমন শক্তি প্রদর্শনের কারণ ব্যাখ্যা করে ক্রেমলিন বলছে, উত্তেজনাকর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি প্রায়শই রাশিয়ার প্রতি বৈরি ও আগ্রাসী হয়ে উঠে। বেশ কতগুলো হেলিকপ্টার এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি থেকে প্রায় ৩২ হাজার সৈন্য নিয়ে এই মহড়ায় যোগ দিয়েছে রাশিয়ার পরপরই হাইপারসনিক যুগে প্রবেশ করা চীন। মহড়া প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলছেন, ২০১৪ সালে পশ্চিমার সঙ্গে তাদের সংঘাতের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন করে আবার দাঁড়াতে চীনকে নিয়ে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রিমিয়াম তৈরি করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কোভ বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ক্ষমতা প্রদর্শন করা দরকার। এ ছাড়া আমাদের দিকে অনেকেই বারবার আক্রমণাত্মক এবং বিরাগপূর্ণ ভাব দেখাচ্ছে। এজন্য ন্যায়সঙ্গত এ মহড়ার কোনো বিকল্প নেই। রূশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরগেই সোইগো বলেন, রাশিয়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অনুশীলন নিচ্ছে। রুশ সামরিক কর্মকর্তা গাবিউব বলেন, মহড়াটির প্রস্তুতি একেবারেই সহজ ছিল না। এর আগে চলতি বছরের মার্চে সর্বপ্রথম রাশিয়া বিশ্বের সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনঝালের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল। পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ভøাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, হাইপারসনিক ক্ষেপাণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় রাশিয়া অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ১৫ বছর এগিয়ে থাকবে। কেননা, �
bn
�িনঝালটি ‘তোপোলেভ টিইউ-২২২ এম-৩ বোম্বার বহন করে অত্যাধিক দূরগতির সঙ্গে; যা বিশ্বের ইতিহাসে সর্বাধিক শক্তি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রও। এ ছাড়া এটির গতি শব্দের চেয়ে আটগুণ বেশি। সেইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রটি মুহূর্তেই গতি পাল্টিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে সক্ষম বলে উল্লেখ করেছিলেন পুতিন।<|end_of_text|>অভিনব নিত্য নতুন কৌশল। একের পর এক ফন্দি। এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলা। এভাবে বিস্তৃত করে প্রতারণার জাল বুনতো ফরহাদ নাম এক প্রতারক। তার এই কৌশলে জানা গেছে, বিদেশে লোক পাঠানোর প্রলোভন, ডিম ব্যবসায় অংশীদার, ব্যাংক লোন পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা সহ কিষোয়ান, থাই ফুড, ওয়েল ফুডসহ বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানে ডিম সাপ্লাইয়ার সেঁজে অলৌকিক লাভের প্রলোভনসহ বিভিন্ন অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়ার একাধিক কাহিনী। চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার সাধারন জনগণের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলো ফরহাদ। কোনো কোনো এলাকায় তার এধরনের প্রতারণা জনগণের নিকট প্রকাশিত হলে সে ঐ এলাকা ত্যাগ করে অন্য এলাকায় পাড়ি জমায় সে এবং নতুন করে সেখানে গিয়েও পুনরায় বিভিন্ন পন্থায় প্রতারণার আশ্রয় নিতো সে। এ যেন তার প্রতারণা আর জীবিকার নগদ আদান প্রদানের উপায়। মানুষের মনে বিশ্বাস জাগিয়ে অতি অভিনব কৌশলে উক্ত প্রতারক এই পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়। সে নিজেকে বড় বড় ক্ষমতাসীন নেতার আত্মীয় স্বজন এবং ব্যারিস্টারের ছেলে পরিচয়ে ভুক্তভোগীদের মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো বলেও অভিযোগ রয়েছে। তথ্যমতে জানা যায়, এরই মধ্যে পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া এবং কর্ণফুলী থানার জনৈক জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সেলিম, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আনাছ, রহিম বাদশাসহ ৩০/৩৫ জন ব্যবসায়ীকে সে পথে বসিয়েছে। তন্মধ্যে প্রতারণার শিকার কর্ণফুলী থানাধীন চরপাথরঘাটা এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর স্ত্রী ও রাঙ্গুনিয়ার কাজী আনিসুর রহমানের দায়ের করা মামলা নং- ২৩,ধারা- ৪০৬/৪২০ এর প্রেক্ষিতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-�
bn
�শ্চিম) মোঃ মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গতরাতে চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট এলাকা হইতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক মোঃ ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরী (৩৬), পিতা-আবু তালেব চৌধুরী, মাতা-জমিলা খাতুন, সাং-মধ্যম ছাডারাপুটি, সরু মিয়া চেয়ারম্যানের বাড়ী, পোঃ-ছনহরা, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম'কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত প্রতারকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় ৪৫ লক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার প্রতারণাপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার অভিনব প্রতারণা বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে তার বিভিন্ন প্রতারণার কৌশলের কথা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করে বলে জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম।<|end_of_text|>‘বাজলো ঝুমুর তারার নূপুর’ শিরোনামে নাগরিক টিভির নাচের রিয়েলিটি শো’তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দুই বাংলার একডজন মডেল-অভিনেত্রী। শনিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত প্রাকপ্রদর্শনীতে হাজির হন দুই বাংলার এক ঝাঁক তারকা। প্রাকপ্রদর্শনীর এ আয়োজনে ওপার বাংলা থেকে এসেছিলেন এ রিয়েলিটি শো’র প্রতিযোগী প্রীতি, এনা, তিথি ও লাভলী। আর বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইশানা, স্পর্শিয়া, অমৃতা, পিয়া, ভাবনা ও সাফা। শো’র অন্যতম বিচারক চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এসেছিলেন এ আয়োজনে। আরও উপস্থিত ছিলেন শো’র অন্যতম উপস্থাপক নাবিলা। অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীলিপ আগরওয়াল ও পরিচালক পিন্টু আগরওয়াল প্রাকপ্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক এবং নাগরিক টেলিভিশন ও মোহাম্মদী গ্রুপের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ আয়োজনের শুরুতে ‘বাজলো ঝুমুর তারার নূপুর’এর উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ে একটি অডিও ভিজুয়াল দেখানো হয়। এরপর শো’তে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগী ও কলাকুশলীরা অনুষ্ঠান ঘিরে তাদের স্মৃতি তুলে ধরেন। বক্ত�
bn
�্য রাখেন ইলিয়াস কাঞ্চন, মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীলিপ আগরওয়ালসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এরপর ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের সৌজন্যে এ আয়োজনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য র‍্যাফেল ড্রয়ের আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে উপস্থিত সকলের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ও ভারত থেকে অংশগ্রহণ করেছেন ছয়জন করে মোট ১২ জন তারকা। বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন টিভি অভিনেত্রী ইশানা, ভাবনা, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, স্পর্শিয়া, অমৃতা ও সাফা কবির। কলকাতা থেকে রিমঝিম, সোহিনী, এনা সাহা, লাভলী, তিথি ও প্রীতি। এ রিয়েলিটি শোয়ে আরও প্রতিযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ থেকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, টেলিভিশন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা ও জাকিয়া বারী মম। কলকাতা থেকে অংশ নিয়েছেন জি বাংলার রাশি সিরিয়ালের রাশি চরিত্রের অভিনেত্রী গিতশ্রী, চিত্রনায়কা পায়েল ও ছোট ঋতুপর্না। প্রতিটি পর্বে প্রধান বিচারক হিসেবে আছেন বাংলাদেশের ইলিয়াস কাঞ্চন এবং কলকাতার এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা ও বর্তমান ভারতীয় লোকসভার সংসদ সদস্য শতাব্দী রায়। বিভিন্ন পর্বে বাংলাদেশ থেকে অতিথি বিচারক হিসেবে যুক্ত আছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়ক ফেরদৗস, সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর, অভিনেতা তৌকীর আহমেদ ও সজল। আর কলকাতা থেকে সংগীতশিল্পী জোজো, অনিন্ধ, শ্রীলেখা মিত্র ও নৃত্যবিশারদ তনুশ্রী শংকর। প্রতিটি পর্ব যৌথভাবে উপস্থাপনা করেছেন বাংলাদেশের মাসুমা আক্তার নাবিলা ও কলকাতার সৌরভ। জানা গেছে, এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রকমের নাচের প্রদর্শন রয়েছে। ভরত নাট্যম, মনিপুর, ছৌ, কত্থক থেকে শুরু করে হিপহপ, মডার্ন সব ধরনের নাচ প্রদর্শন করা হবে। নাচের এ অনুষ্ঠানটি সপ্তাহের প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ, এবং বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় নাগরিক টিভিতে প্রচার হবে।<|end_of_text|>পলিসিস্টিক ও ভারিয়ান সিনড্রম ( পিসিওএস) একটি পরিচিত হরমোনের সমস্যা যা প্রতি একশত জন নারীর মধ্যে আট থেকে দশ জনের থাকতে পারে।যারা এনুভুলেশনের (ডি�
bn
�্ব স্ফুটনের সমস্যা) কারনে বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন তাদের মধ্যে শতকরা ৭৫ জনের পিসিওএস দেখা যায়।এই সমস্যার সঠিক কোন কারন জানা না গেলেও এটিকে একটি বংশগত রোগ বলা যায়। পিসিওএস হলে কি হয়? পিসিওএস এর প্রভাবে শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর কোন সমস্যা হয় না, তবে এটি শরীরে হরমোনের ভারসম্য নষ্ট করে।এর ফলে প্রতি মাসে ও ভারি থেকে ডিম্বাণু নির্গম ন হয় না।এই অনি্সরিত ডিম্বাণুগুলো ওভারিতে পানির থলে বাসিস্ট তৈরি করে ওভারির চারপাশে মালার মত জমা হয়।হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারনে মাসিক সময় মত হয় না।কখনো কখনো মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।আক্রান্ত নারীদের ঠিকমত ওভুলেশন না হওয়ায় কনসিভ করতে সমস্যা হয়।পিসিওএস আক্রান্ত ওভারি থেকে পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেনের নি্সরন বেড়ে যায়।এর ফলে ব্রন, কালো দাগ, শরীরের ওজন বৃদ্ধি, চুলপড়া এবং শরীরে অবাঞ্চিত পশম বেড়ে যায়। কিভাবে সনাক্ত করণ সম্ভব? পিসিওএস সনাক্তকরণ এর জন্য কোন নির্দিষ্ট টেষ্ট বা পরীক্ষা নাই।উপরোক্ত উপসর্গগুলো যদি থেকে থাকে তবে অভিজ্ঞ গাইনী বিশেষজ্ঞের তত্বাবধানে কিছু পরীক্ষা করাতে হবে। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে ওভারিতে সিস্ট আছে কি না দেখা হয়।সাধারণত ওভারিতে দশ-বারো বা এর অধিক সিস্ট থাকলে ও ইওভারি কে পলিসিস্টিক ওভারি বলে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কিছু হরমোন পরিমাপ করা হয়।পিসিওএস আক্রান্তদের পুরুষ হররমোনের (এন্ডোজেন এবং টেস্টস্টেরন) আধিক্য দেখা যায়। FSH ও LH হরমোনের অনুপাত পরিবর্তন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা দেখে এনুভুলেশন সনাক্ত করা হয়। এছাড়া রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা দেখা যেতে পারে। চিকিৎসা পদ্ধতি : পিসিওএস এর নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নাই।লক্ষন এবং রোগীর চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়। যারা বাচ্চানিতে আগ্রহী তাদেরকে ডিম্ব স্ফুটনের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষুধ দেয়া হয়।কারো কারো ক্ষেত্রে অপারেশন করার দরকার হতে পারে।সাধারণত ল্যাপারোস্কপিক রেসিস্টরাপচার করা হয় (ওভারিয়ানড্রিলিং)। এই চিকিৎসা পদ্ধতি ওভারি থেকে হরমোনের অস্বাভাবিক নি:সরনকে স্বাভাবিক করে ডিম্বস্ফুটনের সম্ভাবনা বাড়ি�
bn
�ে দেয়। যারা বাচ্চা নিতে চাননা এবং অনিয়মিত মাসিকে ভুগছেন তাদেরকে মাসিক নিয়মিত করার জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ এর পিল বা প্রজেস্টেরন জাতীয় ঔষুধ দেয়া হয়।এই ঔষুধগুলো একদিকে যেমন হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে মাসিক নিয়মিত করে, অন্যদিকে পুরুষ হরমোনের মাত্রা ঠিক করে ত্বকের ব্রন ও অতিরিক্ত লোম দূর করনে সাহায্য করে। পিসিওএস এ যারা ভুগছেন তাদের কিছু দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা হবার সম্ভাবনা থাকে।পিসিওএস আক্রান্তদের শরীর ইনসুলিন সঠিকভাবে ব্যাবহার করতে পারে না।এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমান বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিসহ বার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা, হৃদরোগ ও জরায়ু ক্যান্সারের ঝুকি বেড়ে যায়।তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস এর মাধ্যমে জটিলতা এড়ানো যায়। পিসিওএস এর মূল নিরাময়ক হচ্ছে নিয়মিত শরীরচর্চা এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা।সঠিক ওজন শরীরে হরমোনের ভারসম্য ফিরিয়ে আনে এবং দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা হবার ঝুকি কমিয়ে দেয়। bangla health bangla health tips health tips health tips for men health tips for women healthtipsbd medical bd skin care ডিম্ব স্ফুটনের সমস্যা নারী নারী স্বাস্থ্য পলিসিস্টিক পিসিওএস ভারিয়ান সিনড্রম স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা স্বাস্থ্য কথা স্বাস্থ্য টিপস 2018-11-06<|end_of_text|>সহজ ভাষায় ইউজার ইন্টারফেইস হচ্ছে ইউজার আর সিস্টেমের মাঝের একটা লেয়ার। যার মাধ্যমে ইউজার আর সিস্টেম নিজেদের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান করে। ইন্টারফেইস বিষয়টা আমরা যেভাবে দেখি, তা সেরকম নয়। মনে করুন ডেক্সটপ, ফোল্ডার, ক্যাল্কুলেটর – এগুলো কি আসলেই আছে? হার্ডড্রাইভ ভাঙলে সেগুলো দেখা যাবে? না। আমি ক্লিক করলাম ফোল্ডার খুলে গেল। এটা কি কখনো বন্ধ ছিলো? এ সবকিছুই ঘটছে আমাদের মস্তিষ্কে। আমি ধারনা করছি, তাই হচ্ছে। তাই এগুলোকে কস্পেচুয়াল মডেল বা মেন্টাল মডেল বলা হয়। ইন্টারফেইস সবসময় দেখা যেতেই হবে তার কোন কারন নেই। অদৃশ্য ইন্টারফেইস ও হতে পারে – যেমন ভয়েস কম্যান্ড, চোখের ইশারা, অঙ্গভঙ্গি দিয়েও অনেক সিস্টেম চলে। ইউজার ইন্টারফেইস ডিজাইন হলো মেন্টাল মডেল ক্রিয়েট করার একটি প্রক্রিয়া। যার বিশাল একটি অংশ জুরে আছে, ইনফরমেশন আর্কিটেক�
bn
�ার, ইউজেবলিটি, ইন্টার‌্যাকশন ডিজাইন, ড্রয়িং, প্রোটোটাইপিং, ভিজ্যুয়াল ডিজাইন ইত্যাদি। ইউজার রিসার্চ করার পর ইউজারের চাহিদা ও প্রতিক্রিয়া অনুযায়ি উপরোক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইউজার ইন্টারফেইস ডিজাইন করা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্ভব একটা ভালো ইউজার এক্সপেরিএন্স তৈরি করা। ইউজার ইন্টারফেইস ডিজাইন এর এই কাজগুলোকে তাদের ধরণ অনুযায়ী এভাবে ভাগ করা যায়ঃ রিসার্চ বা গবেষণাঃ কি বানাচ্ছি, কার জন্য বানাচ্ছি, কেন বানাচ্ছি, তারা কোথায় থাকে, কিভাবে এটি ইউজ করবে ইত্যাদি গবেষণা করা। এটা সারাক্ষণই করতে হয়। প্রডাক্ট বানানোর আগে, বানানোর সময়, এবং বানানোর পরে। ডিজাইন বা পরিকল্পনাঃ প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে, ইউজারের জন্য একটা ভালো প্রডাক্ট এর পরিকল্পনা বা ডিজাইন করা।এটি করার সময় আমাদের ইউজার ইন্টারফেইস ডিজাইনের প্রক্রিয়াগুলো সফলতার সাথে অতিক্রম করে আসতে হয়। এই স্টেজে এ এসে যে কাজগুলো করতে হয়ঃ ইন্টার‍্যাকশন ডিজাইনঃ ইউজার-সিস্টেম কমিউনিকেশন কিভাবে হবে সেটা ডিজাইন করার প্রক্রিয়া। এসময় লার্নিং, মেমোরি, কগ্নিশন ইত্যাদি নিয়ে ভাবা হয়। স্কেচ/ ওয়্যারফ্রেইমঃ কাগজে খসড়া লাইন/দাগ ভিত্তিক ইন্টারফেইস করাকে বলে স্কেচ। আর সেগুলোকেই সফটওয়ার এ মাপজোক করে আঁকাকে বলে ওয়্যারফ্রেইম। প্রোটোটাইপঃ মুল প্রডাক্ট এর একটা ডেমো বানানো। যা চালিয়ে মূল প্রডাক্টটি কিভাবে কাজ করবে সে সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যাবে। ইউজেবেইলিটি ইভাল্যুয়েশনঃ আসল ইউজারদের নিয়ে এসে প্রোটোটাইপ চালিয়ে দেখা, তারা কোন সমস্যা বোধ করছে কিনা। সমস্যা/কনফিউশন থাকলে তা ঠিক করে নেয়া। ডিজাইনের বিভিন্ন স্তরে ইউজেবেইলিটি ইভাল্যুয়েট করার মধ্য দিয়ে একটা নিয়ার পার্ফেক্ট ইন্টারফেইস তৈরি হয়। ইউজেবিলিটি কে একইসাথে রিসার্চ ও ডিজাইন বলা যায়। ভিজ্যুয়াল ডিজাইনঃ একটা প্রডাক্ট দেখতে কেমন, রুচিশীল কিনা, এর মধ্যে শৈল্পিক গুনাবলি আছে কিনা তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে ভিজ্যুয়াল ডিজাইন বলে। ডিজাইন এর এই অংশে কালার/শেড, ফন্ট, ছবি, ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশলঃ এবার ইমপ্লিমে
bn
ন্টেশন বা বাস্তবায়ন। যার বেশিরভাগ অংশজুরেই থাকে প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত ব্যবহার।<|end_of_text|>সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। আল্লাহ তা’আলা সেই মর্যাদা দিয়েই মানুষকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের কোন কিছু মনে থাকে না। অপরদিকে, আবার এমনও কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যারা বেশি দিন কোন কিছু মনে রাখতে পারেন না। মূলত অতি দুর্বল স্মৃতিশক্তির কারণে এমন সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ৯টি কাজ করতে বলেছেন। চলুন সেই কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নিই- যেকোনো কাজে সফলতা অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে ইখলাস বা আন্তরিকতা। আর ইখলাসের মূল উপাদান হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়তের বিশুদ্ধতার গুরুত্ব সম্পর্কে উস্তাদ খুররাম মুরাদ বলেন, ‘উদ্দেশ্য বা নিয়ত হল আমাদের আত্মার মত অথবা বীজের ভিতরে থাকা প্রাণশক্তির মত। বেশির ভাগ বীজই দেখতে মোটামুটি একইরকম, কিন্তু লাগানোর পর বীজগুলো যখন চারাগাছ হয়ে বেড়ে উঠে আর ফল দেওয়া শুরু করে তখন আসল পার্থক্যটা পরিস্কার হয়ে যায় আমাদের কাছে। একইভাবে নিয়ত যত বিশুদ্ধ হবে আমাদের কাজের ফলও তত ভালো হবে।’ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেন, তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম। (সূরা আল-বায়্যিনাহ: ৫) তাই আমাদের নিয়ত হতে হবে এমন যে, আল্লাহ আমাদের স্মৃতিশক্তি যেন একমাত্র ইসলামের কল্যাণের জন্যই বাড়িয়ে দেন। আমরা সকলেই জানি আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের উচিত সর্বদা আল্লাহর কাছে দুয়া করা যাতে তিনি আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেন এবং কল্যাণকর জ্ঞান দান করেন। এক্ষেত্রে আমরা এই দুয়াটি পাঠ করতে পারি, ‘হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’ (সূরা ত্বা-হাঃ ১১৪) তাছাড়া যিকর বা আল্লাহর স্মরণও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, ‘যখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুনৃ’ (সূরা আল-কাহ্‌ফঃ ২৪) তাই আমাদের উচিত যিকর
bn
, তাসবীহ (সুবহান আল্লাহ), তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাকবীর (আল্লাহু আকবার)-এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আল্লাহকে স্মরণ করা। প্রতিনিয়ত পাপ করে যাওয়ার একটি প্রভাব হচ্ছে দুর্বল স্মৃতিশক্তি। পাপের অন্ধকার ও জ্ঞানের আলো কখনো একসাথে থাকতে পারে না। ইমাম আশ-শাফি’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি (আমার শাইখ) ওয়াকীকে আমার খারাপ স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম এবং তিনি শিখিয়েছিলেন আমি যেন পাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখি। তিনি বলেন, আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি আলো এবং আল্লাহর আলো কোন পাপচারীকে দান করা হয় না।’ আল-খাতীব আল-জামী’ (২/৩৮৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেন, ‘এক ব্যক্তি মালিক ইবনে আনাসকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘হে আবদ-আল্লাহ, আমার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে দিতে পারে এমন কোন কিছু কি আছে? তিনি বলেন, যদি কোন কিছু স্মৃতিকে শক্তিশালী করতে পারে তা হলো পাপ করা ছেড়ে দেয়া।’’ যখন কোনো মানুষ পাপ করে এটা তাকে উদ্বেগ ও দুঃখের দিকে ধাবিত করে। সে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে ব্যতি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং জ্ঞান অর্জনের মতো কল্যাণকর ‘আমল থেকে সে দূরে সরে পড়ে। তাই আমাদের উচিত পাপ থেকে দূরে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে আমরা দেখবো যে, আমাদের সকলের মুখস্থ করার পদ্ধতি এক নয়। কারো শুয়ে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কারো আবার হেঁটে হেঁটে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়। কেউ নীরবে পড়তে ভালোবাসে, কেউবা আবার আওয়াজ করে পড়ে। কারো ক্ষেত্রে ভোরে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কেউবা আবার গভীর রাতে ভালো মুখস্থ করতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ উপযুক্ত সময় ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ঠিক করে তার যথাযথ ব্যবহার করা। আর কোরআন মুখস্থ করার সময় একটি নির্দিষ্ট মুসহাফ (কোরআনের আরবি কপি) ব্যবহার করা। কারণ বিভিন্ন ধরনের মুসহাফে পৃষ্ঠা ও আয়াতের বিন্যাস বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। একটি নির্দিষ্ট মুসহাফ নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে তার একটি ছাপ পড়ে যায় এবং মুখস্থকৃত �
bn
�ংশটি অন্তরে গভীরভাবে গেঁথে যায়। আমরা সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে, কোনো একটি বিষয় যতো বেশিবার পড়া হয় তা আমাদের মস্তিষ্কে ততো দৃঢ়ভাবে জমা হয়। কিন্তু আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে অতো বেশি পড়ার সময় হয়তো অনেকেরই নেই। তবে চাইলেই কিন্তু আমরা এক ঢিলে দু’পাখি মারতে পারি। আমরা আমাদের মুখস্থকৃত সূরা কিংবা সূরার অংশ বিশেষ সুন্নাহ ও নফল সালাতে তিলাওয়াত করতে পারি এবং দু’আসমূহ পাঠ করতে পারি সালাতের পর কিংবা অন্য যেকোনো সময়। এতে একদিকে ‘আমল করা হবে আর অন্যদিকে হবে মুখস্থকৃত বিষয়টির ঝালাইয়ের কাজ। আবার কোনো কিছু শেখার একটি উত্তম উপায় হলো তা অন্যকে শেখানো। আর এজন্য আমাদেরকে একই বিষয় বারবার ও বিভিন্ন উৎস থেকে পড়তে হয়। এতে করে ওই বিষয়টি আমাদের স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে গেঁথে যায়। পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য একান্ত আবশ্যক। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ আমাদের ঘুম বাড়িয়ে দেয়, যা আমাদের অলস করে তোলে। ফলে আমরা জ্ঞানার্জন থেকে বিমুখ হয়ে পড়ি। তাছাড়া কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারি। সম্প্রতি ফ্রান্সের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যয়তুনের তেল চাক্ষুস স্মৃতি (visual memory) ও বাচনিক সাবলীলতা (verbal fluency) বৃদ্ধি করে। আর যেসব খাদ্যে অধিক পরিমাণে Omega-3 ফ্যাট রয়েছে সেসব খাদ্য স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকলাপের জন্য খুবই উপকারি। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক ‘আলিম কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য গ্রহণের কথা বলেছেন। ইমাম আয-যুহরি বলেন, ‘তোমাদের মধু পান করা উচিত কারণ এটি স্মৃতির জন্য উপকারি।’ মধুতে রয়েছে মুক্ত চিনিকোষ যা আমাদের মস্তিষ্কের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া মধু পান করার সাত মিনিটের মধ্যেই রক্তে মিশে গিয়ে কাজ শুরু করে দেয়। ইমাম আয-যুহরি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাদীস মুখস্থ করতে চায় তার উচিত কিসমিস খাওয়া।’ আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক অনেকটা ব্যস্ত অফিসের মতো কাজ করে। এটি তখন সারাদিনের সংগৃহীত তথ্যসমূহ প্রক্রিয়াজাত করে। তাছাড়া ঘুম মস্তিষ্ক কোষের পুণর্গঠন ও ক্লান্তি দ
bn
ূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে দুপুরে সামান্য ভাত খেয়ে ঘুম আমাদের মন-মেজাজ ও অনুভূতিকে চাঙা রাখে। এটি একটি সুন্নাহও বটে। আর অতিরিক্ত ঘুমের কুফল সম্পর্কে তো আগেই বলা হয়েছে। তাই আমাদের উচিত রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাওয়াহ বিতরণ না করে নিজের মস্তিষ্ককে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেয়া। বর্তমানে আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ও জ্ঞান অর্জনে অনীহার একটি অন্যতম কারণ হলো আমরা নিজেদেরকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়িয়ে রাখি।’ ( ফলে কোনো কাজই আমরা গভীর মনোযোগের সাথে করতে পারি না। মাঝে মাঝে আমাদের কারো কারো অবস্থা তো এমন হয় যে, সালাতের কিছু অংশ আদায় করার পর মনে করতে পারি না ঠিক কতোটুকু সালাত আমরা আদায় করেছি। আর এমনটি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নিজেদেরকে আড্ডাবাজি, গান-বাজনা শোনা, মুভি দেখা, ফেইসবুকিং ইত্যাদি নানা অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়িয়ে রাখা। তাই আমাদের উচিত এগুলো থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকা। যেকোনো কাজে সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো হাল না ছাড়া। যে কোনো কিছু মুখস্থ করার ক্ষেত্রে শুরুটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়। তাই আমাদের উচিত শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে হাল না ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।<|end_of_text|>Sylhet News।Sylhet Aajkaal: বন্দর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ওভার ব্রিজ " স্থানান্তর হবে হুমায়ূন রশিদ চত্বরে নিজস্ব প্রতিবেদক:সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের ফুট ওভার ব্রিজটি চলে যাচ্ছে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশিদ স্কয়ারে। শীর্ঘই এটি স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত রমজানে এসে এটি স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাবেদ সিরাজ। বন্দরবাজারের ফুট ওভার ব্রিজটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার না করায় এবং হুমায়ূন রশিদ স্কয়ারে এধরনের একটি ব্রিজের প্রয়োজন থাকায় এটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা যায়। এটি সিলেট সিটি করপোরেশনের অধীনে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিলেটের প্রথম ফুটওভার ব্রিজ।�
bn
�০১৫ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর এই ব্রিজের উদ্বোধন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। উদ্বোধন শেষে অর্থমন্ত্রী হেঁটে হেঁটে ফুটওভার ব্রিজের উপরে একপাশে উঠেন এবং সেখান থেকে বক্তব্য রাখেন। এসময় নিজের কৈশোর জীবনের কথা স্মরণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট মহানগরীতে আমার কৈশোর জীবনে ২৫ হাজার লোকের বসবাস ছিল। তখন ইচ্ছা করলেই হেটে হেটে পুরো শহরটা মাত্র কিছু সময়ের মধ্যেই ঘুরে দেখা যেত। কিন্তু আমার মনে হয় এখন এই মহানগরীতে জনসংখ্যা ৭ লাখের কম হবে না। সুতরাং এই জনসমুদ্রের বিকাশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। সেজন্যই এইসব ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা প্রশস্তকরণ, ডিভাইডার ইত্যাদির প্রয়োজন। এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক জানান, “আমি বিষয়টি মৌকিক ভাবে অবগত হয়েছি। সিসিকে’র আগামী সভায় বিষয়টি আলোচনা করব এবং আফিসিয়ালী কাগজপত্রাদি পাওয়ার পর বিষয়টির বিস্তারিত জানাবো।” সিলেটের সংবাদ ডটকম ডেস্ক: দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলে আছেন গেইল, লুইস, হোল্ডারদের মত তারকারা। এরপরও আসন্ন ২০১৯ বিশ্বকাপে অংশ নিতে তাদেরই খেলতে হচ্ছে কোয়ালিফাই ম্যাচ। তবে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়াটা যে দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য যে সহজ হচ্ছে না তার প্রমাণ পেল বাছাইপর্বের প্রস্তুতি ম্যাচে। আফগানিস্তানের কাছে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২৯ রানে হেরে গেছে দলটি। শুরু থেকেই উইকেট হারানো আফগানিস্তান ৭১ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারায়। তবে শেষ পর্যন্ত সামিউল্লাহ শেনওয়ারির অপরাজিত ৪২ ও গুলবাদিন নায়েবের ৪৮ রানের উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত ৩৫ ওভারে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। বৃষ্টি আইনে গেইলদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪০ রানের। তবে ব্যাট করতে নেমে জাদরান-রশিদ খানদের বোলিং তোপে ২৬.৪ ওভারে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। একাই চারটি উইকেট দখল করেন পেসার দাওলাত জাদরান। ৩.৪ ওভারে ৭ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন রশিদ খান। ক্যারিবিয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ওপেনার এভিন লুইস। এছাড়া স্যামুয়েলসের ব্যা�
bn
� থেকে আসে ৩৪। আর ক্রিস গেইল করেন ৯ রান। উল্লেখ্য, আগামী ৪ মার্চ থেকে জিম্বাবুয়েতে শুরু হবে আসন্ন বাছাইপর্ব মিশন। ১০ দলের টুর্নামেন্টে সেরা দু’টি টিম ২০১৯ ওয়ার্ল্ডকাপের মূল পর্বে পা রাখবে। সিলেটের সংবাদ ডটকম ডেস্ক: পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট পোরিং ডেট (এফসিডি) কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে আবারও আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পারমাণবিক শক্তি শান্তির কাজে ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী পাবনাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাবনা-মাঝগ্রাম রেলপথের উদ্বোধন করবেন। এছাড়া ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১৮ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী অংশ নিবেন। শেখ হাসিনা বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে কোনো কোনো মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকেন।বিশেষ করে এ নিরাপত্তা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরাও এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন।এটি নির্মাণে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার গাইডলাইন এবং আন্তর্জাতিক মান অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নাই। পরমাণু শক্তি আমরা শান্তির কাজে ব্যবহার করবো। রাশিয়ার সর্বশেষ জেনারেশন থ্রি-প্লাস প্রযুক্তির রিঅ্যাক্টর দিয়ে তৈরি হচ্ছে এ কেন্দ্র। পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণের সর্বাধুনিক ব্যবস্থা আছে এ রিঅ্যাক্টরে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ ও প্রশি�
bn
�্ষত জনবল তৈরির কার্যক্রম আমরা গ্রহণ করেছি। জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের ভারত ও রাশান ফেডারেশনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুধু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়, স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য আমরা নিজস্ব জনবল তৈরি করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক শক্তির নিরাপদ এবং সুরক্ষিত প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ প্রণয়ন করেছি। এছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নামে একটা স্বাধীন পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। এ সংস্থা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে আইএইএ, রাশিয়া এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছি। যেকোনো দুর্যোগে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকটি বিবেচনা নিয়েই এ প্ল্যান্টের ডিজাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। আশাকরি ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ এ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট থেকে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে আমাদের জাতীয় গ্রিডে। ২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে আসবে। শেখ হাসিনা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প ছিল জাতির পিতার স্বপ্নের প্রকল্প। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করি। বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়া এটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি রাশিয়া সরকার এবং সেই দেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছি। অর্থাৎ তেল, গ্যাস বা কয়লার পাশাপাশি পারমাণবিক, সৌর এবং বায়ুচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছি। অনুষ্ঠানে রাশিয়া কনফেডারেশনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বোরিসভ, বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফ
bn
েস ওসমান, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।<|end_of_text|>তাঁর প্রজ্ঞার আলোয় উদ্ভাসিত বাঙালির মনন। প্রকৃতই বাতিঘর তিনি। সারস্বত সমাজের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি, অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। সম্ভ্রান্ত মুসলিম সুশিক্ষিত পরিবারে তিনি বর্ধিত, বিকশিত হয়েছেন। পিতা ডা. এটিএম মোয়াজ্জেম (১৮৯৭-১৯৭৫)। মায়ের নাম সৈয়দা খাতুন। জন্ম আনুমানিক ১৯১২ সাল, মৃত্যু ১৯৬৫ সালে। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের পিতামহ শেখ আবদুর রহিম বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় রচনা করেছিলেন মহানবী হযরত মুহম্মদের (স.) জীবনীগ্রন্থ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান গবেষণা করেছেন শিকাগো ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। যুক্ত ছিলেন জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রকল্পে। দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভিজিটিং ফেলো ছিলেন প্যারিস, নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পালন করেছেন বিশ্বভারতীর ভিজিটিং প্রফেসরের দায়িত্ব। মৌলিক, গবেষণা সম্পাদনা মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ শতাধিক। সাহিত্য ও সমাজ সম্পর্কিত তাঁর প্রণীত ও সম্পাদিত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা, কলকাতা, লন্ডন ও টোকিও থেকে। কৃতি, মেধা ও অনলস সাহিত্যচর্চা ও গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন অজস্র সম্মাননা পুরস্কার ও সংবর্ধনা। মিতবাক, স্থিতধী, আলোকিত এই বিদ্বজ্জন পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরোজিনী বসু পদক, এশিয়াটিক সোসাইটির পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদাসাগর স্মারক ফলক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মশতবার্ষিক স্মারক ফলক এবং রবীন্দ্রভারতী ও নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদালয়ের সাম্মানিক ডিলিট। ভূষিত হয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে, স্বাধীনতা পুরস্কারে। ২০১৫ সালে অর্জন করেছেন ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মভূষণ। তিনিই প্রথম এবং এখনো পর্যন্ত একমাত্�
bn
� বাংলাদেশী নাগরিক, যিনি এই সম্মাননায় বৃত হয়েছেন। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের বড় তিন বোন। ছোট এক ভাই। তাঁর স্ত্রীর নাম বেবী। দুই কন্যার নাম রুচি ও শুচি। পুত্রের নাম আনন্দ। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য। বর্তমানে পালন করছেন বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব। যুক্ত রয়েছেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলমের সঙ্গে, সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে। তাঁর প্রণীত ও সম্পাদিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: রবীন্দ্রনাথ, মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য, কাল নিরবধি, পুরোনো বাংলা গদ্য, আমার একাত্তর, মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর, স্বরূপের সন্ধানে, মুনীর চৌধুরী, চেনা মানুষের মুখ, বিদ্যাসাগর-রচনাসংগ্রহ, দীনবন্ধু রচনাসংগ্রহ, মুনীর চৌধুরী রচনাবলী, নজরুল রচনাবলী (যৌথ), এবিএম মূসা স্মারকগ্রন্থ (যৌথ) ইতাদি। অনূদিত নাটক- আদর্শ স্বামী, পুরনো পালা। উত্তর: আমার মায়ের বিশেষ গুণ ছিল সত্যপ্রিয়তা। নিজের জীবনের দুঃখকষ্টের দিনগুলির কথা সে অকপটেই আমাদের বলত। আমরা যাতে সত্য বলি, অন্যায় করলেও যেন তা স্বীকার করি, তা সে সবসময়েই চাইত। এর কিছু প্রভাব, মনে হয় যে আমার জীবনেও পড়েছে। প্রশ্ন: আপনি বর্তমানে যে অবস্থানে রয়েছেন, সেক্ষেত্রে আপনার মায়ের অনুপ্রেরণা ও অবদান কতখানি? আপনার অর্জিত সাফল্যের নেপথ্যে তাঁর ভূমিকা কেমন? উত্তর: মাকে বিরক্ত করছিলাম বলে, সে আব্বার কম্পাউন্ডারকে ডেকে আমাকে স্কুলে ভর্তি করে দিতে বলেছিল। সেটা হয়তো ঠান্ডা মাথায় করা হয়নি, কিন্তু আমার জীবনের পড়াশোনার প্রাথমিকপর্ব কেটেছিল মায়েরই ত্বত্তাবধানে। আরেকটা কথা, আমার মা-আব্বা দু’জনেই আমাকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। তাতে নিজের পথ বেছে নেওয়া আমার পক্ষে সহজ হয়। মা বিশেষ করে অনুপ্রেরণা দিয়েছে আমি যেন নিজের পছন্দমতো কাজ করতে পারি, সে-বিষয়ে। প্রশ্ন: আপনার মায়ের রান্নার কথা বলুন। তাঁর করা কোন্ কোন্ রান্না আপনার বিশেষ পছন্দের, অনুগ্রহ করে বলবেন কি? উত্তর: সকলেই প্রথম যে-রান্না খায়, তা মায়ের হাতের। তাই স�
bn
�ারই মনে হয়, তার মায়ের রান্নার মতো আর হয় না। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। মায়ের অনেক রান্না, বিশেষত ডিমের হালুয়া আমার খুব প্রিয় ছিল। উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শেষে একদিন বাড়ি ফিরে এসে টের পেলাম, মায়ের কথাবার্তা এলোমেলো হয়ে গেছে। খবরের কাগজ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়া ছিল মায়ের অভ্যাস-দেখলাম, কাগজ পড়তে পারছে না। ডাক্তার ডাকা হলো। তিনি মনে করলেন, রাতে তার স্ট্রোক হয়ে গেছে। মায়ের স্বাভাবিক জীবন আর ফিরে আসেনি। এর কিছুকাল পরে আমি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাই। সেখানে থাকতেই জানতে পারি, মা আর নেই। প্রশ্ন: মায়ের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখবার ব্যাপারে আপনার কোনো ধরনের উদ্যোগ আছে কি? যদি থেকে থাকে, তাহলে পাঠকবৃন্দের সঙ্গে সেটা শেয়ার করার জন্যে অনুরোধ জানাই। উত্তর: না, কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নিইনি, নেওয়ার ইচ্ছেও নেই। তার স্মৃতি আমার একান্ত ব্যক্তিগত- তা ব্যক্তিগতই থাকুক। প্রশ্ন: আপনার মায়ের দেওয়া কোনো বিশেষ পরামর্শ বা টিপসের কথা কী মনে পড়ে? তাঁর কোনো উল্লেখযোগ্য উক্তি কী আপনাকে তাড়িয়ে ফেরে? প্রশ্ন: সন্তানের জন্যে মায়ের যে সামগ্রিক শ্রম, সাধনা এবং ত্যাগ, সেসবের স্বীকৃতি ও কৃতজ্ঞতা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা আজকাল দেখি না। এ ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ কী, দয়া করে বলবেন? উত্তর: সময় বদলেছে, ছেলেমেয়ে মানুষ করার বাপারেও ধ্যানধারণার বদল হয়েছে। তাছাড়া, এখন জীবনে ব্যস্ততা বেড়েছে, মায়েরা অনেকেই কর্মজীবী। যারা সার্বক্ষণিক গৃহিণী, তারাও নানা দায়িত্ব পালন করে। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা মায়েদের কমেনি, আচরণের ধরনটা হয়তো পাল্টেছে।<|end_of_text|>২০১৮ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭৭.৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার �
bn
�ল ঘোষণা করেন তিনি। এ সংবাদ সম্মেলন থেকেই ২০১৮ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পৃথকভাবে ১০ বোর্ডের গড় পাসের হার জানা গেছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার ১০ বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে রাজশাহীতে গড় পাসের হার সবচেয়ে বেশি ৮৬.০৭ শতাংশ। পাসের হার সবচেয়ে কম ছিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৭০.৪২ শতাংশ। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে (দাখিল) পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ । কারিগরি বোর্ডে (ভকেশনাল) পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।<|end_of_text|>পরাগ মাঝি : নিজ দেশের সেনাদের আরও সক্ষমতা বাড়াতে বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং। শুক্রবার চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন (সিএমসি) পরিদর্শন করার সময় তিনি এ আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সিএমসি’র চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সিনহুয়া নিউজ জানায়, সামরিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করার সময় শি বলেন, ‘সিএমসির উচিৎ সেনাদের নেতৃত্ব দেওয়া এবং তাদের যুদ্ধ ও জয়ের জন্য প্রস্তুত করা। শুধু তাই নয়, দল এবং জনগণের দ্বারা অর্পিত নতুন যুগের মিশনকে পরিচালনা ও সফল করাও তাদের দায়িত্ব।’ ২৩ লাখ সৈন্যের সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন (সিএমসি)। জিং পিং দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয়বারের মতো এমন আহ্বান জানিয়েছেন। গত ২৬ অক্টোবর উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের কর্ম পরিচালনা শুরু করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুংয়ের পর বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা বলে আখ্যায়িত করেছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি। সংগঠনটি তাদের গঠনতন্ত্রে শির মতাদর্শকে স্থান দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। গঠনতন্ত্রে ‘শি জিন পিংয়ের চিন্তা’ লিপিবদ্ধ করার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত। টাইমস অব ইন্ডিয়া কোন দাবিই আন্দোলন ছাড়া কোন কালেই আদায় হয় নাই। না কাদলে মা’ও অন
bn
েক সময় দুধ দিতে ভুলে যায়। তাই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন একটা অধিকার ও দায়িত্ব। কিন্তু সেই আন্দোলন হতে হয় শান্তিপূর্ণ, যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য। অন্যায়-অন্যায্য দাবিতে আন্দোলন কোন অধিকারের মধ্যে পড়ে না। আন্দোলনে যেন অন্যের অধিকার খর্ব না হয় সেদিকেও কড়া নজর রাখা উচিত। নিজের অধিকার, দাবি আদায় করতে গিয়ে যেন অন্যের অধিকার ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে কজনই নজর রাখে। সম্প্রতি ঢাকায় একটা দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী মারা গেলে সড়ক পরিবহন আইন পাশের দাবি জোড়ালো ভাবে সামনে চলে আসে। শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে একজন শ্রমিকবান্ধব মন্ত্রী দাত কেলিয়ে হেসে আন্দোলন চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই আন্দোলনে অবশ্য বিএনপি জোট ঘি ঢালতে চেষ্টা করেও নিজেদের মনবাঞ্চা পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে কিছু বিপথগামী শিক্ষার্থী অশ্লীল ভাষায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় দাড়ালে আমরা সমালোচনা করি, কিছু শিক্ষার্থী গাড়িতে মার্কার পেন দিয়ে আঁকিবুকি করে সমালোচনার পাত্র হয়। আবার সেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ এ্যাম্বুলেন্সকে নির্বিঘেœ যেতে দিয়ে, সাড়িবদ্ধভাবে রিক্সাসহ যানবাহন চলতে বাধ্য করে, সিটবেল্ট পড়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে, ঝাড়– হাতে নিজেরা রাস্তা পরিস্কার করে সকলের প্রশংসার দাবিদার হন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস করে সরকার। সরকার সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস করলে নাখোশ হন পরিবহন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের সংগঠন। শ্রমিকরা তাদের নাটের গুরুদের নির্দেশে মামার বাড়ির আবদার নিয়ে মাঠে নামে। শ্রমিকদের সকল দাবিই অযৌক্তিক তা কিন্তু নয়। তাদের দাবিতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত আছে যা আমাদের অনেকেরই দাবি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকদের দাবি আদায়ের ভাষাটা নিয়ে। তারা যে ভাষায় আন্দোলন করেছে সে ভাষা তারা কোথা থেকে শিখেছে আল্লাহ মালুম! তাদের গুরুজনদের ভাষাও যে মধুর তা কিন্তু নয়। শ্রমিকদের আন্দোলনের ভাষা তাদের শিক্ষারই পরিচয় বহন করে বলেই মনে হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের আট দফা দাবিগুলো হচ্ছ
bn
ে ১) সড়ক দুর্ঘটনায় সকল মামলা জামিনযোগ্য করা, ২) শ্রমিকের অর্থদন্ড ৫ লাখ টাকা করা যাবে না, ৩) সড়ক দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা, ৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণি করা, ৫) ওয়েস্কেলে জরিমানা কমানো ও শাস্তি বাতিল, ৬) সড়কে পুলিশ হয়রানি বন্ধ করা, ৭) শ্রমিকের নিয়োগপত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত থাকার ব্যবস্থা রাখা ও ৮) শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধ করা। শ্রমিক ফেডারেশনের আটটি দাবির অধিকাংশই সমর্থন যোগ্য। শুধু মামলা জামিনযোগ্য করা, অর্থদন্ড মৌকুফ, শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা মামার বাড়ির আবদারের মতই শোনায়। আবার তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা, পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা, প্রশিক্ষণ দেয়ার দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। শ্রমিকরা তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছে, তারা গাড়ি চালাবে না, ভালো কথা। কিন্তু অন্যের গাড়ি বের করলে, এমনকি মটর সাইকেলে বের করলে তাদের কেন আতে ঘা লাগে। গাড়ি না চালানো শ্রমিকদের অধিকার, গাড়ি চালানোওতো নাগরিকদের অধিকার। শ্রমিকরা আন্দোলন করছে তাদের নিজস্ব ভাষায়। গাড়িতে কালি মাখছে, পোড়া মবিল দিয়ে মুখ কালো করছে, বাদ যাচ্ছে না কলেজ ছাত্রী, মটর সাইকেল আরোহিও। ইজিবাইক থেকে শ্রমিকরা যাত্রী নামতে বাধ্য করেছে। এই যে কালিমা লেপন, এটা কার মুখে? দেশের মুখে মাখছে না সরকারের মুখে। সরকারের খুটিতে ভর করে শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা শ্রমিকদের দিয়ে আজ যে কাজগুলো করেছে এর দায় সরকারও এড়াতে পারবে না। স্বেচ্ছাচারিতার একটা সীমা থাকা উচিত। শ্রমিক ফেডারেশন নেতাদের উচিত তাদের শ্রমিকদের গাড়ি চালনায় প্রশিক্ষণ দেয়া, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া, রাষ্ট্রের নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবহিত করে তা মানার মানসিকতা গড়ে তোলা এবং নিজেরাও কিছুটা শিক্ষা নেয়া। নইলে দেশের মুখে কালি মাখতে মাখতে একসময় দেশ আরো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাবে। দেশের মুখ উজ্জল হলেই আপনাদের মত উচু তলার মানুষের মুখ জ্বলজ্বল করবে, সম্মান পাবেন।<|end_of_text|>ব্রিটিশ পার
bn
্লামেন্টে ছাত্রদের সামনে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিপত্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক ভিডিওয় আফ্রিদিকে বলতে শোনা যাচ্ছে সেই কথা। দশ হাজার বছর ধরে পৃথিবীর বুকে এটাই ‘সত্য’! টুকরো করে কাটা মানুষের দেহ যতটা হিংস্র, মৃতদেহের উপর অঙ্কুরোদগম ততটাই শান্তিময়! মোবাইল কানেকটিভিটির দুনিয়ায় ভারতে এখন অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটিয়েছে রিলায়েন্স জিও। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই মুকেশ অম্বানি নয় এক মহিলার নেতৃত্বে বাজারে শ্রীবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে জিও। সচারচর মিডিয়ার ফোকাসে তাঁকে দেখা যায় না। আড়ালে থেকেই নিজের কাজ করতে ভালবাসেন। অল্প বয়স, প্রবল বুদ্ধিমতী। ব্যবসায়িক বিচক্ষণতায় ইতিমধ্যে নাকি নজর কেড়েছেন বিশ্বের। বলা হচ্ছে, ধীরুভাই অম্বানির তৈরি করা রিলায়েন্স সাম্রাজ্যকে এক অন্য উচ্চতায় নাকি নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই মহিলার। বছর কয়েক আগে আন্তর্জাতিক এক বিজনেস হাউসের করা সমীক্ষাতেও নাকি এই মহিলা বিশেষভাবে নজর কেড়েছিলেন। আর এই মহিলার হাতেই নাকি আছে রিলায়েন্স জিও-র সাম্রাজ্য বিস্তারের চাবিটা। রিলায়েন্স জিও-কে দেশের এক নম্বর মোবাইল পরিষেবা সংস্থা বানানোর দায়িত্বটা মুকেশ অম্বানি নাকি এই মহিলার হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির মালিক বলে মুকেশ অম্বানিকে জিও’র মালিক বলা হতে পারে, কিন্তু, আসল সত্য হল এই মহিলাই হলেন জিও-র মালকিন। এই মহিলা আর কেউ নন, মুকেশ অম্বানির মেয়ে ঈশা অম্বানি। তিনি রিলায়েন্স জিও’র ডিরেক্টর। বছর ২৪-এর ইশাকে এই মুহূর্তে এশিয়ার শক্তিশালী প্রথম ১২ উঠতি শিল্পপতিদের একজন বলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক এক বিজনেস মিডিয়া হাউসের প্রকাশিত সমীক্ষাতেও ঈশা বিশ্বের দ্বিতীয় উঠতি বিলিয়নেয়ার শিল্পপতির তকমা পেয়েছেন। ঈশার সঙ্গেই, জিও’র অতিরিক্ত ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন তাঁর ভাই আকাশ। ঈশা ও আকাশ আসলে যমজ ভাই-বোন। ১৯৯১ সালে জন্ম তাঁদের। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ২০১৪ সালে ‘ম্যাকিনসে অ্যান্ড কোম্পানি’-তে ‘বিজনেস অ্যানালিস্ট’ হিসেবে কাজে যোগ দেন ঈশা। ওই বছরই ‘রিলায়েন্স জিও’এবং ‘রিলায়েন্স রিটেল’-এ বোর্ড অফ ডিরেক্টর
bn
স-এ অন্তর্ভুক্ত হন ঈশা ও আকাশ। রিলায়েন্স জিও-কে বাজারে ছাড়ার সময় মুকেশ অম্বানি বলেছিলেন, ‘জিও যুব প্রজন্মের হাতিয়ার এবং এর উদ্ভাবনের পিছনেও আছে যুবশক্তি’। কিন্তু, তখনও কেউ জানত না এর মানে জিও’র নবীন ডিরেক্টর ঈশা অম্বানি। ঈশা এই মুহূর্তে রিলায়েন্সের ৮০০ লক্ষ শেয়ারের মালকিন। ২০১৬-তেই ঈশা ‘এজিও’ নামে একটি অনলাইন ফ্যাশন রিটেল সংস্থা খুলেছেন। ব্যবসার পাশাপাশি, ঈশা একজন ট্রেন্‌ড পিয়ানিস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় দলের হয়ে ফুটবলও খেলতেন। এহেন, ঈশার হাতে জিও’র দায়িত্ব দিয়ে নাকি বেজায় নিশ্চিন্ত মুকেশ অম্বানি। খাবার রাখার শো-কেস-এ ঘুরে বেড়াচ্ছে আরশোলা আর ছারপোকা। মেনু কার্ড চাপা দিয়ে কীটবাহিনীকে গোপন করার চেষ্টা করছেন দোকানের কর্মীরা। আইনের ছাত্র অর্পণ বর্মা কিছু দিন আগে খেতে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় কফি-বিপণি ক্যাফে কফি ডে(সিসিডি)-তে। জয়পুরের হাওয়ামহলে অবস্থিত সিসিডি-র এই বিপণিতে গিয়ে অর্পণ দেখেন, অবস্থা শোচনীয়। খাবার রাখার শো-কেস-এ ঘুরে বেড়াচ্ছে আরশোলা আর ছারপোকা। মেনু কার্ড চাপা দিয়ে কীটবাহিনীকে গোপন করার চেষ্টা করছেন দোকানের কর্মীরা। এমনকী কর্মীরা রেফ্রিজারেটর-এর দরজা খুললে অর্পণ দেখেন, সেখানেও কিলবিল করছে আরশোলা। কর্মীরা সে দিকে ভ্রুক্ষেপও করছেন না। বরং ওই সমস্ত শো-কেস আর ফ্রিজ থেকে কেক এবং পেস্ট্রির মতো খাবার বের করে পরিবেশন করা হচ্ছে ক্রেতাদের। অর্পণ নিজের মোবাইল বার করে দোকানের এই শোচনীয় অবস্থার ভিডিও তুলতে শুরু করেন। হাতে মোবাইল ধরে এক মহিলা কর্মীকে জিজ্ঞাসাও করেন, এ রকম দুরবস্থা কেন দোকানের? ওই মহিলা সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দেওয়ার পরিবর্তে ঠাস করে এক চড় বসিয়ে দেন অর্পণের গালে। এই সমস্ত ঘটনাই অর্পণের ক্যামেরায় বন্দি হয়ে যায়। অর্পণের জবানি-সহ সেই ভিডিও টুইটারে আপলোড করে দেন অর্পণের বন্ধু নিখিল আনন্দ সিংহ। তার পরেই ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিও। ২৫ মার্চ ভিডিওটি পোস্ট করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৯০০-র বেশি বার রিটুইট হয়েছে এই ভিডিও। ভিডিওটি অবশ্য মহিলা কর্মীর চড় মারার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কি�
bn
�্তু ভিডিওর সঙ্গে শেয়ার হওয়া অর্পণের বক্তব্য থেকে জানা যাচ্ছে, চড় খেয়ে তিনি ক্যামেরা বন্ধ করে দেন। কিন্তু তার পরেও ওই দোকানের কর্মীরা তাঁকে হেনস্থা করেন। গোপনে মহিলা কর্মীর ছবি তোলার অভিযোগে তাঁকে অপমান করা হয় বলে জানিয়েছেন অর্পণ। এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে আলোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই মনে করছেন, নামজাদা বিপণির খ্যাতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা সত্য উদ্ঘাটিত হয়েছে এই সিরিজে। অনেকে আবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই মহিলা কর্মীর প্রতি। বলা হচ্ছে, মহিলা হওয়ার সুবিধা নিচ্ছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের তরফে সিসিডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, ‘আমরা গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’<|end_of_text|>ডেস্ক:জাপানে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জেবি। দেশটির বিগত ২৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন বলা হচ্ছে একে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঝড়ের প্রভাবে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে ৩ লাখ মানুষকে। রিউতা কুরোরা বলেন, ঘন্টায় ২১৬ কিলোমিটার বেগে টাইফুন জেবি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এটি ১৯৯৩ সালের পর জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওসাকা এবং কিওয়াটোসহ জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং তীব্র বাতাস, বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। ১৯৯৩ সালের পর এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান রিউটা কুরোরা এএফপিকে বলেন, জেবির আঘাতে ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার বেগে তীব্র ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এই ঘুর্ণিঝড়কে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি পশ্চিমাঞ্চলে তার নির্ধারিত সফর বাতিল করেছেন।
bn
নিরাপত্তার কারণে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ও আভ্যন্তরিণ রুটের প্রায় ৬শ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।<|end_of_text|>মায়া বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং নারী ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে কাজ করে এমন একটি ব্র্যান্ড। মায়ার এপ এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্ম দিয়ে মায়া অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমগুলোতে নারীদের কাছাকাছি পৌঁছাতে কাজ করছে। আইভি হক রাসেল হচ্ছেন মায়ার প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সালে প্রথমবার মা হওয়ার পরে আইভি মায়া প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের নারীরা তথ্য এবং পরামর্শ পেতে যে বাধাগুলোর সম্মুখীন হন সেটা আইভি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই দেখতে পেয়েছেন। এই বাধাগুলো ভৌগোলিক থেকে অর্থনৈতিক, এমনকি সামাজিক, সাংস্কৃতিকও হতে পারে। বাংলাদেশের অগ্রগণ্য এনজিও ব্র্যাকের সাথে অংশীদারিত্বের পর, নারীরা যেন যখন দরকার, যেখান থেকে দরকার, তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে ২০১৫ সালে মায়া আপা সেবা চালু করা হয়। মায়া আপা এমন একটি সেবা যা গোপনীয়তা রক্ষা করে গ্রাহকদের সাথে বিশেষজ্ঞদের সংযোগ ঘটায়। এই সেবা মোবাইল এপ এবং ওয়েবে সহজলভ্য। এটি শুরু থেকেই পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দ্রুতই অন্যান্য দেশগুলোতে এই সেবা সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আইভি হক রাসেল হচ্ছেন মায়ার প্রতিষ্ঠাতা। প্রথমবার মা হওয়ার সময়কার অভিজ্ঞতা থেকে ২০১১ সালে একটি ব্লগ হিসেবে মায়ার যাত্রা শুরু হয়। তিনি সরাসরি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই দেখেছেন যে বাংলাদেশের নারীদের তথ্য এবং পরামর্শ পাওয়ার ক্ষেত্রে নানান ধরণের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এই বাধাগুলো ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক হতে পারে। নারীদের যে কোন সময়, যে কোন জায়গায় তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের অগ্রগণ্য এনজিও ব্র্যাকের সাথে অংশীদারিত্বে ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তে নিয়ে আসে মায়া আপা এপ। মায়া আপা এপ একটি অনুভূতিসম্পন্ন এবং গোপনীয়তা বজায় রাখে এমন একটি ম্যাসেজিং সার্ভিস যা এর ব্যবহারকারীদেরকে বিশেষজ্ঞের সাথে সংযুক্ত করে। মায়া�
bn
� এই সেবা একটি মোবাইল এপ এবং ওয়েবসাইটে সহজলভ্য। একেবারে শুরু থেকেই মায়া আপা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মায়ার সামনের পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে মায়ার সেবা নিয়ে আসা। ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়ার আগে আইভি বাংলাদেশেই বড় হয়েছেন। তিনি ফিন্যান্স এবং ইকোনমিকসে মাস্টার্স করেছেন ওয়ারউইক বিজনেস স্কুল থেকে। এরপর তিনি ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে বেশ কয়েক বছর এইচএসবিসি, জিএএম এবং বার্ক্লেইস এর মত প্রসিদ্ধ ফার্মে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ এবং সানফ্রান্সিস্কোতে তার সময় কাটান। সানফ্রাসিস্কোতে তিনি তার স্বামী, বিকি এবং ২ সন্তান, আমিনা এবং এমিরকে নিয়ে বসবাস করেন। বাংলাদেশের মত দেশে পরামর্শ নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রেই অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এই বাধাগুলো সামাজিক, অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে ভৈগোলিক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে কয়েক মাইল হেটে হাসপাতালে গেলেন। কিন্তু পরামর্শ নিতে তাকে প্রতিবার ১৬০ টাকার মত খরচ করতে হবে যেখানে তার মাসিক আয়ই ১১০০ টাকার মত। মানসিক অসুস্থতার মতন ব্যাপারগুলো অতিক্রম করা আরো কঠিন। বাংলাদেশে প্রতি ১০লাখ পূর্নবয়স্ক মানুষের জন্য ১ জন সাইকিয়াট্রিস্ট আছেন, যা মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারকে আরো কঠিন করে তুলেছে। আর এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপ করাটা তো আমাদের সমাজে প্রায় নিষিদ্ধই। ঢাকায় প্রেগন্যান্সির সময়ে পরিবার, বন্ধু এবং অন্যান্য জায়গা থেকে কোন নির্ভরযোগ্য, স্থানীয় তথ্য না পাওয়া, এবং ক্রমবর্ধমানভাবে ওয়েবনির্ভর হয়ে পড়া তার মা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় আমিনার জন্মের পর প্রচুর সময় তাকে ঢাকায় কাটাতে হয়।নারীরা যাতে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন তাই ব্লগ হিসেবে মায়া শুরু করেন বন্ধুরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। স্থানীয়ভাবে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ হয় না, যেমন, মাসিক, স্তন্যদান, বিষন্নতা ইত্যাদির মত বিষয় নিয়ে বন্ধুরা আর্টিকেল লিখেন ২০১৪ সালের শুরুতে মায়া আপার ধারণার জন্ম। মায়ার ওয়েবসাইটে ” মায়া আপাকে জিজ্ঞেস করুন” নামক একটি বক্স বসান�
bn
� হয় যেখানে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া হতো। এই ধারণা থেকেই বোঝা যায় যে সাধারণ মানুষের একটি নিরপেক্ষ, কালিমামুক্ত এবং সুগম একটি স্থান দরকার যেখানে তারা নিজেদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলো করতে পারবে। পরিচয় গোপন রেখে মোবাইলে ব্যবহার করা সম্ভব এমন একটি সার্ভিসের কথা ভাবেন- অনেক জায়গায় প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের অগ্রগণ্য এনজিও ব্র্যাক এই চিন্তাকে সমর্থন করে আসছে। আইভীর মায়ের ব্রেস্ট ক্যান্সারের সাথে লড়াই এবং তার নিজের প্রেগনেন্সির অভিজ্ঞতা তাকে মায়া শুরু করার অনুপ্রেরণা দেয়। আর তাই মায়ের নামেই তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নাম রাখেন মায়া। আমাদের সেবার বেশিরভাগই নারীকেন্দ্রিক, বিশেষ করে কমবয়সী নারী। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখি যে নারীরাই তথ্য থেকে বেশি বঞ্চিত হন। মায়া ব্র্যাক এর জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগের সাথে 2014 মাঝামাঝি থেকে অংশীদারীত্বে যোগ দিয়েছে। মায়ার সেবাকে উন্নত করে গড়ে তুলতে আর্থিক সহায়তা দিয়ে ব্র্যাক মায়ার জন্য আদর্শ অংশীদার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া, উন্নয়ন খাতে ব্র্যাকের দক্ষতার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। মায়ার সেবা “মায়া আপা কি বলে,” দ্রুত উভয় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিস্তৃত ব্যবহারকারীদের মধ্যে আস্থা অর্জন করেছে। মায়া টিম বাংলাদেশে অনলাইনের তথ্য বঞ্চিত সম্প্রদায়ের ব্যাপারে অবহিত। এই অফলাইন সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাতে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ, উদ্বেগ, এবং বিষয় নিয়ে আলাপ করতে এবং সমাজে এড়িয়ে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে নিরপেক্ষভাবে আলাপ করতে এবং বাংলাদেশের নারীরা সেবা করার জন্য ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি দলের সঙ্গে মায়া অংশীদারিত্বে যায়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ ও নগর উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে ব্র্যাকের ব্যাপক প্রসার। সঙ্গে সঙ্গে মায়া এই অনন্য অংশীদারিত্ব থেকে ব্র্যাক কর্মীদের থেকে এইসব ক্ষেত্রের তথ্য পেতে, লিঙ্গ বৈষম্যর মত দূরত্ব দূর করার করার লক্ষ্যে কাজ করে। ব্র্যাকের সহায়তায় মায়া সাইট বাংলাদেশের মহিলাদের জন্য
bn
নির্ভর করার মত একটিই অনলাইন স্থান হয়ে যাবে। গর্ভাবস্থা থেকে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, সন্তানের দেখাশোনা, ক্যারিয়ার, সুস্থতা, নারী অধিকার এর মত বিষয় নিয়ে ব্র্যাক-মায়া সাইট আলোচনা করে। আরো, ব্র্যাকের সহায়তায় মায়া তার সবচেয়ে বড় শক্তি- নিরপেক্ষ দৃষ্টিভিঙির মাধ্যমে শেখা- বাড়াতে কাজ করবে। সহিংসতা ও নির্যাতন বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করা থেকে নারী ও তরুণ মেয়েশিশুদের জন্য প্রধান বাধা হল সামাজিক কলঙ্ক। নামহীন এবং গোপনীয়তা বজায় রাখে এমন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা খুব সহজেই তাদের বিষয়গুলো উদ্বেগহীনভাবে প্রকাশ করছে বলে দেখা যায়। ব্র্যাকের ই-লার্নিং সেন্টার, তার বিশাল কমিউনিটি কর্মী সম্প্রদায় এবং মায়ার ওয়েবসাইট ও এর প্রযুক্তির মিলিত চেষ্টা একটি সত্যিকারের ডিজিটাল সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। ব্র্যাক-মায়া অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার সাথেই বাস্তবতা বিচার করে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তির সুযোগ এনে বাংলাদেশে নারীদের জন্য সমতা আনার লক্ষ্যে কাজ করে। ফেইসবুক যেসব স্থানে ইন্টারনেট সহজলভয় নয় সেসব স্থানে তাদের মোবাইল ফোনের দরকারী পরিষেবাগুলি ফ্রিতে ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। সংবাদ, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্থানীয় তথ্য ভালো ভালো তথ্য অন্তর্ভুক্ত ওয়েবসাইটগুলো এই ফ্রি বেসিকস উদ্যোগের মাধ্যমে কোন ডাটা ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য। আমরা দেখেছি আমাদের স্মার্টফোনের এবং ডেস্কটপ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বাইরেও একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে আমরা পৌঁছে যেতে পারি। এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে আমাদের গ্রাহক গড়ে তুলতে সাহায্য করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে হিসেবে কাজ করে ফেইসবুকের ফ্রি বেসিকস। ফ্রিবেসিকস এর জন্য মায়া একটি খুব সহজ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এই অভিজ্ঞতার কেন্দ্রে আছে মায়া আপা সেবা এবং কিছু দৈনিক প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট। আমাদের সেবার প্রায় ৫০% ব্যবহার হয় ফ্রিবেসিকস এর মাধ্যমে। তাই এটি আমাদের জন্য একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল। আমাদের ব্যবহারকারীদের সাথে আরো সংযোগ বাড়াতে এবং �
bn
�ই ক্ষেত্রে আমাদের ভিত্তি আরো প্রসার করতে আমরা এই প্ল্যাটফর্মে আরও বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। যখন এটা বাংলাদেশে (গ্রীষ্ম 2015) চালু হয়, এটা সত্যিই মায়া আপা সেবাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যায়। কয়েক মাসের মধ্যে মায়া আপা ব্যবহার ১৮ গুণ বেড়ে যায়। এখন, আমাদের মোট ইউজার বেস এর প্রায় ৫০% ফ্রি বেসিকস এর। আবার, মায়া আপা সেবার ৩৫% ই ফ্রি বেসিকস থেকে আসে। কেন ফ্রি বেসিকস গুরুত্বপূর্ণ? কেন এটা বাংলাদেশী সমাজের জন্য ভাল? কেন এটা আপনার ব্যবহারকারীদের জন্য ভাল? বাংলাদেশে ডাটা খরচ এখনও অনেক বেশি। ডাটা ব্যবহারে গিগাবাইট প্রতি ২৫০ টাকার মত খরচ পড়ে। তাই ফ্রিতে সহায়ক বিষয়বস্তুর সঙ্গে ওয়েব ব্যবহারের সুযোগ একটি প্রশংসনীয় ব্যাপার বলে আমরা মনে করি। আমাদের ব্যবহারকারী বাড়ানো, ফিচার ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানো এবং তথ্য পরিকল্পনার মত বাধা অতিক্রম করার মাধ্যমে। এখন উদাহরণস্বরূপ, যখন একজন কমবয়সী মা বুকের দুধ খাওয়ানো মত একটি বিষয়ে পরামর্শ খুজেঁন (আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে – প্রায়ই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া ), তারা গুগল (এবং Babycentre এর মত সাইট), সামাজিক মিডিয়াতে খুঁজতে পারেন, তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কিংবা পরিবার বা একজন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন। গুগুল / ওয়েবসাইট / ব্লগ চমৎকার ব্যবহারযোগ্য তথ্য প্রদান করে, কিন্তু এই তথ্য ব্যক্তিভেদে ব্যবহারযোগ্য হয় না। এবং একইভাবে, বন্ধু এবং পরিবারের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারগুলো আলাপযোগ্য নাও হতে পারে (উদাঃ সবাই তাদের পরিবারের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে আলাপ করতে স্বস্তিবোধ করেন না) এবং এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই খারাপ পরামর্শ দিতে পারেনা, যা বাংলাদেশে খুবই স্বাভাবিক। তাছাড়া, যখন সাহায্য প্রস্তুত থাকে, সেখানেও অনেক বাধা থাকে। আমি এই অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অধীনে সহজ মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যেম এই বাধা অতিক্রম করার সুযোগ দেখেছি। কেবলমাত্র SMS পাঠানো এই সমস্যার সমাধান নয়।এমনকি গুগল তথ্যের একটি বিশাল উৎসও ব্যক্তিভেদে ভিন্ন তথ্য প্রদান করতে সমর্থ হয় না। মায়া ব্যবহারকারীগ�
bn
� থেকে আমরা এটা বুঝতে পারি যে গ্রাহকরা চান তাদের নিজস্ব প্রশ্নগুলো আমরা ব্যক্তিভেদে পৃথক এবং নিজস্ব, স্থানীয় তথ্য দেই। গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের সাথে সাথে দক্ষতা বজায় রাখতে, চাকরিতে নিয়োগের প্রচলিত মডেল (উদাঃ ক্লিনিকগুলোতে মত, কল সেন্টার) কাজ করবে না। চাহিদা ও সরবরাহের মডেল, পণ্য মত, দক্ষতার সঙ্গে এই সেবা বৃদ্ধি করার উপায় কি হতে পারে মায়াতে আমরা সেই বিষয়ের এ উপর মনোযোগ দেই। রেটিং সিস্টেম ও গ্রাহকদের থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার ব্যবস্থা এই সেবাকে আরো উন্নত করে তুলতে পারে। মায়া স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে নলেজ পার্টনারশিপ রয়েছে। মায়ার নলেজ পার্টনারদের যারা: মায়ার অন্তরালে আছেন নিবেদিতপ্রাণ একদল মানুষ যারা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। মায়ার চিকিৎসকেরা গাইনোকোলোজি, মেডিসিন, পেডিয়াট্রিক্স এবং অন্যান্য বিষয়ে পারদর্শী। মায়ার আইনজীবীরা নারী অধিকার, পারিবারিক নির্যাতন, শিশু অধিকার, সাইবার ক্রাইম, এবং পারিবারিক আইনে পারদর্শী। মায়ার কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্টরা বিভিন্ন সাইকো সোশ্যাল বিষয় যেমন নিজস্ব ভাবমূর্তি, সম্পর্ক, বিষন্নতা, আত্মহত্যার প্রবণতা এবং আসক্তির মোট বিষয় নিয়ে কাউন্সেলিং দিয়ে থাকেন। মায়াতে আবেদন করতে আপনি নিজের সিভি ও কভার লেটারসহ ইমেইলে বিষয় লিখে জবস@মায়া ডট কম ডট বিডি তে আবেদন করুন আপনি একজন ডাক্তার, উকিল বা কাউন্সেলর হন, এবং আপনি মায়া যোগ দিতে চান, তাহলে এই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে ক্লিক করুন। আমরা খুব শীঘ্রই আপনাকে জানাবো। মায়া সবসময়ই বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠানের সাথে সঠিক বোঝাপড়ার এবং সক্রিয় পার্টনারশিপে যেতে আগ্রহী, মায়ার সাথে পার্টনারশিপে যেতে ইমেইল করুন, ইনফো@মায়া ডট কম ডট বিডি মায়া ফোনে কোন সেবা দিয়ে থাকে না. কিন্তু আমাদের সাথে এই ইমেইল এড্রেসে info@maya.com.bd ইমেইল করে এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব.<|end_of_text|>যেহেতু ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :- ৮৬৷ সম্পত্তি উদ্ধার, ইত্যাদিতে ব্যাংক-কোম্�
bn
�ানীর পরিচালক ও কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সাহায্য প্রদানের দায়িত্ব<|end_of_text|>ধর্মিয় ডেস্কঃ আজ বোধবার ১৪৪০ হিজরীর ২৭ সফর ৭ নভেম্বর ২০১৮ ইং দেশে আখেরী চাহার সোম্বা।আল্লাহর প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এই পৃথিবীতে তেষট্টি বছর হায়াত পেয়েছিলেন। এর মধ্যে কখনোই তিনি বড় ধরনের কোনো রোগ-ব্যাধির কবলে পড়েন নাই। কাফের মুশরিকদের শত অত্যাচার ও নির্যাতনের মাঝেও তিনি ছিলেন হিমাদ্রির ন্যায় অবিচল। যাই হোক আখেরী চাহার সোম্বা সম্পর্কে মুফতি আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আল কাদেরী, যিনি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন,তিনি এক প্রশ্নের জবাবে আখেরী চাহার সোম্বা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো- তিনি বলেন সফর মাস আরবী হিজরি মাসের ২য় মাস। আর মাহে সফরের শেষ বুধবারকে ইসলামী পরিভাষায় মুসলিম সমাজে আখেরী চার শম্বাহ্ হিসেবে বুঝায়। যেহেতু এক সময়ে ফার্সী ভাষা প্রচলিত ছিল আর ফার্সী ভাষায় বুধবারকে চার শম্বাহ্ বলা হয়। মুসলিম সমাজে সফর মাসের শেষ বুধবারকে গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়। এর পেছনে যে প্রেক্ষাপট রয়েছে তা হলো ‘দুনিয়াবী সকল বাতিল অপশক্তি প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়ে ইহুদীগণ হুযূর করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে যাদু করেছিল। কিন্তু তাদের যাদু শক্তি প্রিয়নবীর মধ্যে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। অবশেষে ৭ম হিজরীতে হুদায়বিয়ার সন্ধির পর মহররম মাসে মদিনায় ইহুদী নেতৃবৃন্দ লবীদ ইবনে আসম ইয়াহুদীকে বলল, তুমি ও তোমার কন্যাগণ তো যাদু বিদ্যায় পারদর্শী। সুতরাং মুসলমানের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে ধবংস ও ক্ষতি সাধনের জন্য যাদু করো। লবীদ কৌশলে প্রিয় রাসূলের এক ইহুদী গোলামের মাধ্যমে মহানবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামার ব্যবহৃত চিরুনীর ভাঙ্গা দাঁত ও চুল মোবারক সংগ্রহ করে নিলো। তারপর মোমের একটা পুতুল তৈরি করে তাতে এগারোটি সুঁচ ঢুকিয়ে দিল। একটি সুতায় ১১টি গিরা দিলো। এসব কিছু
bn
ওই পুতুলের ভেতর স্থাপন করে প্রবহমান কূপের পানির ভিতর একটা পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রেখে দিলো। এর প্রভাবের ফলে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ চল্লিশ রাত বা ছয় মাস অথবা এক বছরকাল শারীরিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন। অতঃপর জিব্রাইল আমীন আলায়হিস্ সালাম সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস এ দুটি সূরা প্রিয় নবীর উপর নাজিল/অবতীর্ণ করলেন। আর এ দু’টি সূরা মিলে আয়াত সংখ্যা হয় ১১টি। হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে ওহীর মাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ দেয়া হল। আল্লাহর হাবীব হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে উক্ত কূপে পাঠিয়ে ছিলেন, তিনি কূপের পানি ফেলে দিয়ে যাদুর সব সমগ্রী পাথরের নীচ থেকে বের করে নিয়ে আসলেন। হুজুর আলায়হিস্ সালাম এ সূরা ২টি পাঠ করলেন প্রতিটি আয়াত পাঠের সদকায় একেকটি করে গিরা খুলে গেল। ফলে আল্লাহর প্রিয় হাবীব হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আরোগ্য লাভ করলেন এবং গোসল করলেন। ওলামায়ে কেরামের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন সে দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার। তাই বালা-মুসিবত, রোগ-শোক থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাইতে মুসলিম সমাজ এ দিবসটি গোসল ও দোয়া দরূদের মাধ্যমে ভাল ও উত্তমপন্থা হিসেবে পালন করে থাকে। ওয়াজিব ও জরুরি হিসেবে নয়। ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী সৈয়দ আজিজুল হক শেরে বাংলা আলকাদেরী রহমাতুল্লাহি আলায়হি ‘জাওয়াহেরুল কুনুজ’ কিতাবের ৫ম খণ্ডের ৬১৬ পৃষ্ঠার বরাতে স্বীয় রচিত ‘ফতোয়ায়ে আজিজীতে উল্লেখ করেন সফর মাসের শেষ বুধবার সূর্যোদয়ের পূর্বে গোসল করা উত্তম। আর সূর্যোদয়ের পর দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা ভাল ও সওয়াবের কাজ। উক্ত কিতাবের ৬১৭ পৃষ্ঠায় আরও উল্লেখ রয়েছে- মাহে সফরের শেষ বুধবার সাতটি আয়াতে সালাম লিখে তা পানিতে ধুয়ে পানিটুকু পান করা উত্তম ও শেফা। ‘তাজকিরাতুল আওরাদ’ কিতাবে উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি আখেরি চার শম্বাহ্ তথা মাহে সফরের শেষ বুধবারে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের পর আয়াতে রহমত (সাত সালাম বিশিষ্ট আয়াতে করিমা) পাঠ করে নিজের শরীরে ফুঁক দেবে বা তা পানের উ
bn
পর লিখে ধুয়ে পানি পান করবে আল্লাহ্ পাক তাকে সব রকম বালা-মুসিবত ও রোগ-ব্যাধি হতে নিরাপদে রাখবেন। ‘‘আনওয়ারুল আউলিয়া’ কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, যে ব্যক্তি আখেরী চার শম্বাহ্র দিন দু’রাকাত নফল নামায আদায় করবে আল্লাহ্ তাকে হৃদয়ের প্রশান্তি দান করবেন। ‘ফতোয়ায়ে আজিজী শরীফে’ ইমামে আহলে সুন্নাত মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা গাজী সৈয়দ আজিজুল হক শেরে বাংলা আলকাদেরী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। সুতরাং মাহে সফরের শেষ বুধবার নফল নামাজ, দোয়া-দরুদ পড়া, কলা পাতায়/কাগজে আয়াতে শেফাসমূহ লিখে গোসল করা এবং আয়াতে সালামসমূহ লিখে পানিতে দিয়ে তা পান করা ভাল ও উত্তম আমল। এতে শরীয়তের দৃষ্টিতে বাধা নেই।<|end_of_text|>অর্থাৎ হুজুর নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল শরীফের পাঁচদিন পূর্বে (প্রিয় নবীর দুনিয়াবী হায়াতের শেষ বুধবারে (চার শম্বাহ্ দিবসে) প্রিয় নবীর নূরানী শরীর মোবারকের উত্তাপ অত্যন্ত বেড়ে গেল। এতে তাঁর কষ্ট বেশী হয়ে গেল। বেঁহুশের মত হয়ে গেলেন। এ সময় তিনি বললেন, তোমরা বিভিন্ন কূপের সাত মশক পানি আমার উপর ঢাল, যাতে আমি সাহাবায়ে কেরামের নিকট যেতে পারি এবং প্রতিশ্র“তি নিতে পারি। অতঃপর উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে (প্রিয় রাসূলকে) বসালেন এবং তাঁরা তাঁর শরীর মোবারকে পানি প্রবাহিত করলেন। তিনি বলতে লাগলেন, যথেষ্ট, যথেষ্ট। তিনি সুস্থতা বোধ করলেন এবং মসজিদে নববী শরীফে মাথা মোবারকে পট্টি বাঁধাবস্থায় তাশরীফ নিলেন, তারপর মিম্বর শরীফে বসে উপস্থিত সাহাবায়ে কেরামের সম্মুখে বক্তব্য পেশ করলেন, তখন সাহাবায়ে কেরাম তাঁর চতুর্পার্শে সমবেত ছিলেন। [আর রাহিকুল মাখতুম, পৃ. ৪৬৫] উপরিউক্ত বর্ণনা মতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াবী হায়াতের শেষ বুধবার সাত মশক পানি দ্বারা গোসল করেছেন এবং সুস্থতা অনুভব করে মসজিদে নববী শরীফে প্রবেশ করেছেন এবং খুতবা (বয়ান) প্রদান করেছেন। এ বর্ণনা দ্বারা সফর মাসের আখেরী চার শম্বাহ্ বা বুধবার বুঝা যায় না, তাই ওলামায়ে �
bn
�েরামের মধ্যে কেউ কেউ আখেরী চার শম্বাহ্ বা মাহে সফরের শেষ বুধবার গুরুত্বসহ পালন করা ভিত্তিহীন বলেছেন, হয়তো ‘জাওয়াহেরুল কুনজ’ এর বর্ণনাসমূহ তাঁদের দৃষ্টিগোচর হয়নি, বিধায় এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি ও ফিতনা ফ্যাসাদ না করে জাওয়াহেরুল কুনজ, ফতোয়ায়ে আজিজী এর বর্ণনাসমূহ দেখার ও অনুধাবন করার আহ্বান রইল। [ফতোয়ায়ে আজিজী, কৃত. ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী শেরে বাংলা আজিজুল হক আলকাদেরী রহ.]Monthlytarjuman Anjuman এ প্রকাশিত। মাহে সফর সংখ্যা-১৪৩৯হিজরী, 2017<|end_of_text|>সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় কোটাপ্রথা সংস্কারের জন্য পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশ করতে হবে। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকলে শূন্যপদগুলোতে মেধাতালিকা থেকে নিয়োগ দিতে হবে। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কোটায় কোনো বিশেষ ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে না। চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্কস ও বয়সসীমা করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি। বিশ্বের কোনো দেশে এমন অদ্ভুদ কোটাব্যবস্থা নেই। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও জাতির মেধাবী সন্তানরা কোটাব্যবস্থার কারণে চাকরি পাচ্ছে না। ৫৬ শতাংশ কোটাব্যবস্থার কারণে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা নিয়োগ পেয়ে যাচ্ছেন।দেশের স্বার্থে আমাদের দাবিগুলো মানতে হবে। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর কথাই বলা হচ্ছে। অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে চলতি মাসেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন বাওয়ালি রাজবাড়িতে। নিয়ম মেনে একদিন পরে দক্ষিণ কলকাতার আরবানায় রিসেপশন। চোখ ধাঁধানো এই বিয়েতে চোখ ছিল সব বিনোদন প্রেমীদের। তবে বিয়ের পরও ফোকাসে দম্পতি। বর্ধমানে শুভশ্রীর বাড়িতে অষ্টমঙ্গলায় গিয়ে ফ্রেমবন্দি হয়েছিলেন তারা। ঠ
bn
িক তার পরই কলকাতা ছেড়েছেন জুটি। কোথায় গিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে রাজ-শুভশ্রীর হনিমুন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল সোশ্যাল অডিয়েন্সের মধ্যে। সেই জল্পনার পারদ চড়তে দিয়েই এ বার একান্ত মুহূর্তের ছবি শেয়ার করলেন শুভশ্রী। ফেসবুকে রাজের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। তাদের অভিব্যক্তিতেই স্পষ্ট যে নিজেদের মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলেন তারা। ক্যাপশনে শুভশ্রী লিখেছেন, লাভ। ফলে সত্যিই তারা হনিমুনে গিয়েছেন কিনা তা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেউই মুখ খোলেননি। গত ১১ মে মাসে রাজকীয়ভাবে গাঁটছড়া বাঁধেন টালিউডের জনপ্রিয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। বিয়ের ঠিক পরেই নানা ব্যস্ততার কারণে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হয়নি এ নবদম্পতির। অবশেষে তারা গেছেন মধুচন্দ্রিমায়। খবর এবেলার। কিন্তু কোথায় গেলেন তারা? নিউইয়র্কে দুজনের নিবিড় দিনযাপনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন তারা। রাজ-শুভশ্রীর রাজকীয় বিয়ে-বউভাত-ফুলশয্যা পর্ব নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল তাদের অনুরাগীরা। রাজকীয় বিয়ে ও বউভাতের মেনু নিয়ে হয়েছিল তুমুল আলোচনা। বাঙালি বিয়ের সব রকম রীতি ও স্ত্রী-আচার অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছিল সেই বিয়েতে। এবার দম্পতি পাড়ি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তারা। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও অধিক সঞ্চয়পত্র বিক্রি ঋণের সুদ পরিশোধ ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ১০ মাসে সরকারের নেয়া ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৩০ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। এ ব্যয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘নগদ এবং ঋণ’ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে সুদ খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণ দুটি শনাক্ত করা হয়। আর এ ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এক ধরনের আর্থিক চাপের মুখে পড়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের �
bn
�াবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এম কে মুজেরি যুগান্তরকে বলেন, বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হয় ডলারে। এ ক্ষেত্রে বিনিময় হার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টাকার অবমূল্যায়ন হলে সুদ পরিশোধ ব্যয় বাড়বে। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে নন-ব্যাংক সোর্স সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ গ্রহণ করে সরকার। এ ঋণের সুদহার ব্যাংকের তুলনায় বেশি হয়। এর প্রভাব পড়ে সুদ ব্যয়ের ওপর। তবে ভবিষ্যতে সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো চালাতে হবে। না হলে দায় বেড়ে যেতে পারে। এটা হলে আর্থিক খাতে চাপ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারি ঋণ উৎপাদনশীল খাতের জন্য গ্রহণ এবং বিনিয়োগে ব্যয় করার চেষ্টা করতে হবে। এতে বিনিময়ে রিটার্ন পাওয়া যাবে।’ বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার দু’ভাবে ঋণ গ্রহণ করে। একটি হচ্ছে বৈদেশিক ঋণ, অপরটি অভ্যন্তরীণ ঋণ। অভ্যন্তরীণ ঋণ দুটি উৎস থেকে নেয়া হয়। এক ব্যাংকিং খাত থেকে। আরেকটি সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে। সূত্র জানায়, সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে যে ঋণ নিয়েছে তার বিপরীতে গত জুলাই থেকে এপ্রিল- এই দশ মাসে ১২ হাজার ৫১ কোটি টাকা সুদ পরিশোধ করা হয়েছে। একই সময়ে জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধ করা হয় ১৬ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। কিন্তু দেখা গেছে এর আগের ১০ মাসে সঞ্চয়পত্রের ঋণের সুদ বাবদ ১২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। এ খাতে সুদ পরিশোধ ব্যয় বেড়েছে ২৭ শতাংশ। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণের সুদ ২ হাজার ২৬ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। বিগত সময়ের তুলনায় সুদ পরিশোধ ব্যয় বৃদ্ধির নেপথ্যে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ। পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বৈদেশিক উৎস থেকে নেয়া ঋণের সুদ ব্যয় বৃদ্ধির অন্যতম কারণ মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার কমে যাওয়া। ২০১৬ সালে ৭৮ টাকার বিপরীতে পাওয়া যেত এক মার্কিন ডলার। বর্তমান এক ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৪-৮৫ টাকা। দু’বছরের ব্যবধানে ডলারের মূল্য বেড়ে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৭ টাকা। ওই পর্যবেক্ষণে বিদেশি ঋণের স্থিতি বৃদ্ধির কারণে সুদ ব্যয় বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হ�
bn
�। জানা গেছে, বাজেট ঘাটতি মেটাতে গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশ থেকে সরকার ৩৩ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর আগের বছরের একই সময়ে নিট বিদেশি ঋণ নেয়া হয় ৫ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণ নেয়ার পরিমাণ বেড়েছে পাঁচ গুণ। পাশাপাশি একই সময়ে বিদেশি অনুদান পাওয়া গেছে ২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ১৯ শতাংশ কম। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা যায়, বিদেশি ঋণের বিপরীতে প্রতিবছর গড়ে সুদ-আসলে দেড়শ’ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। গত দু’বছরের ব্যবধানে প্রতি ডলারের মূল্য বেড়েছে ৭ টাকা। ওই হিসাবে অতিরিক্ত সুদ খাতে ব্যয় বেড়েছে প্রায় এক হাজার পঞ্চাশ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১৬ সালে ঋণের বিপরীতে যে অর্থ সুদ বাবদ ব্যয় হয়েছে, বর্তমানে আরও এক হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় হচ্ছে। তবে বিদেশি ঋণ তুলনামূলক সস্তা। বেশিরভাগ নেয়া ঋণের সুদহার ১ শতাংশের নিচে এবং পরিশোধের সময় দীর্ঘ। অভ্যন্তরীণ সুদ ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ব্যাংকবহির্ভূত খাতের (সঞ্চয়পত্র) ঋণের সুদ ব্যয় বেড়েছে মূলত সঞ্চয়পত্র স্কিমের অস্বাভাবিক বিক্রি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে। গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। এটি বাজেটের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৯১ শতাংশের সমান। পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, সামগ্রিকভাবে চলতি অর্থবছরে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনায় সুদ বাবদ সরকারের বৃদ্ধির হার আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।<|end_of_text|>শুক্রবার সারাদেশে ১ লাখ গাছের চারা রোপন করেছে বাংলাদেশে ইসলামী ছাত্রশিবির। কেন্দ্রঘোষিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এসব চারা রোপন করেছে সংগঠনটি। এর আগে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই কর্মসূচী পালনের কথা জানায় শিবির। দুদিন আগে এই বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিলো। এদিকে সারাদেশে সংগঠনটির বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালনের প্রায় এক হাজারের মত ছবি এসে পৌঁছেছে অ্যানালাইসিস বিডির হাতে। সেসব ছবিতে দেখা গেছে কোথাও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা গাছ
bn
ের চারা রোপন করছেন, কোথাও গাছের চারা বিতরণ করছেন, কোথাও আবার গাছের চারা নিয়ে র‌্যালী করছেন। ছাত্র শিবিরের প্রচার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত বৃক্ষরোপণ অভিযান উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে সকাল ১০টায় একযোগে এক লাখের বেশি গাছের চারা লাগিয়েছে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন শাখা। ছাত্রশিবির ঘোষিত ১১ থেকে ১৭ জুলাই বৃক্ষরোপণ অভিযান উপলক্ষে গাছের চারা লাগানোর এ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল আগেই। রাজধানীতে ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত। এ সময় কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল জলিল আকন্দ, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য জামিল মাহমুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি আজিজুল ইসলাম সজীবসহ মহানগরীর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এ বছর ১১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির। কর্মসূচি সফল করতে সারাদেশে সব জনশক্তি একটি করে ফলদ, বনজ ও ঔষধী গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করবে। এছাড়া বৃক্ষনিধন রোধে জনসচেতনা তৈরি, স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বর্ণাঢ্য র্যা লি, ব্যানার, ফেস্টুন ও স্টিকার লাগানোর মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রশিবির। সংগঠনের সহকারী প্রচার সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ সরকার জানান, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে গাছের চারা লাগিয়েছে ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা, দক্ষিণ শাখা, পূর্ব শাখা, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফরিদপুর, জামালপুর, কুষ্টিয়া, যশোর জেলা পশ্চিম, নরসিংদী, ভোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, শেরপুর ও নেত্রকোণাসহ অন্যান্য শাখা। এর আগে গত বুধবার ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০১৮’ উদ্বোধন কালে বক্তব্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হুমকির মধ্যে রয়ে�
bn
�ে বাংলাদেশ। যা ইতিমধ্যেই এক ভয়াবহ সমস্যায় রুপ নিয়েছে। শুধুমাত্র গাছ লাগানোর মাধ্যমে এই বিপর্যয় অনেকটা রোধ করা সম্ভব। পরিবেশের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা পেতে এবং সবুজ-শ্যামলীময় করে তুলতে বেশী করে গাছ লাগাতে হবে। এতে করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি দেশ আর্থিক ভাবেও লাভবান হবে। প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।<|end_of_text|>ফেসবুক এ বার পরিবেশবান্ধব। সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক কর্মচারীদের জন্য নতুন অফিস খুলেছে। সেই অফিস শুধু কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধাই দেখবে না, পরিবেশবান্ধবও হবে। বছরে ৬ কোটি ৪০ হাজার লিটার পানির অপচয় বন্ধ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে ফেসবুকের সদরদপ্তরের যুক্ত হওয়া এই ভবনের নাম ‘এমপিকে ২১’। এর নকশা করেছেন স্থপতি ফ্র্যাঙ্ক গেহরি। এটি অত্যন্ত টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এছাড়া এতে আছে একটি রিসাইক্লিং ওয়াটার সিস্টেম। মঙ্গলবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ এনডিটিভি’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার(সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গ তার ইনস্টাগ্রামে ভবনটির ছবি শেয়ার করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ভবনটিকে অত্যন্ত টেকসই করে নির্মাণ করা হয়েছে, যা পানি ও বিদ্যুতের অপচয় কমাবে। উদারহণ হিসেবে বলা যায়, ভবনটির রিসাইক্লিং ওয়াটার সিস্টেম প্রতি বছরে প্রায় ১৭ মিলিয়ন গ্যালন পানি বাঁচাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নতুন ভবনটিতে স্থপতি গেহরি’র সঙ্গে ওঠানো একটি ছবি পোস্ট করে ফেসবুকের সিওও বলেন, ফেসবুকের সদরদপ্তরে আমাদের নতুন ভবনের নকশা করায় কিংবদন্তি স্থপতি ফ্র্যাঙ্ক গেহরি’র প্রতি কৃতজ্ঞ।<|end_of_text|>মন চাইছে দূরের কোনো দারুণ এক জায়গা থেকে ঘুরে আসতে কিন্তু আবার ভয়ও পাচ্ছেন আপনি গর্ভবতী বলে? আপনি কি মাতৃত্বে নিজেকে পুরোপুরি সঁপে দেওয়ার আগে সব ভাবনাচিন্তাকে দূরে ঠেলে দিয়ে একটা দারুণ ছুটি কাটাতে চাইছেন? সফরকালে ডাক্তারের পরামর্শ ঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনার ভাবনাচিন্তার কোনো কারণই নেই। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি চাইলেই আপনার মনোমতো কোনো জায়গা থেকে �
bn
�ুরে আসতে পারেন। কী সেই সতর্কতাগুলো? চলুন দেখে নেওয়া যাক। ডাক্তাররা বলেন গর্ভাবস্থায় কোনো জায়গা থেকে ঘুরে আসার জন্য উপযুক্ত সময় হচ্ছে চার থেকে ছয় মাসের সময়। শুরুর এবং শেষের তিন মাসে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে থাকেন তারা। এ সময় ভ্রমণ করলে সেক্ষেত্রে মিসক্যারেজের ঝুঁকি থেকে যায় বলেও জানান তারা। প্রতিটি গর্ভধারণেরই ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকে। কিন্তু লম্বা সময় নিয়ে ভ্রমণের সময় আপনার অনাগত সন্তানের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কিছু মৌলিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রথম যে ব্যাপারটা মাথায় রাখা উচিত তা হলো, মূত্রত্যাগ করতে দেরি করবেন না অন্যথায় তা আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মূত্রত্যাগের ভয়ে পানি পান করা বন্ধ করবেন না, নাহয় এর কারণে মাথাব্যথা কিংবা বমি হতে পারে। ডাক্তারদের মতে, লম্বা দূরত্বের ভ্রমণে এছাড়াও রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই, বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং নিয়মিত বিরতিতে আশপাশে কিছুটা হাঁটাচলা করারও সাধারণ পরামর্শটা তারা দিয়ে থাকেন। অন্যথায় পানিশূন্য হয়ে পড়ারও ভয় থেকে যায়। অনেক এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সহকারী নিযুক্ত রাখেন, যদি না থাকে, তাহলে নিজের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হোন। ডাক্তারদের মতে, একটা লম্বা সময় ধরে একই রকমের অবস্থান নিয়ে বসে থাকা রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করতে পারে। যার ফলে পেডাল এডেমা হতে পারে, যা হলে আপনার পা এবং গোড়ালি ফুলে যেতে পারে। আর তাই, যদি গাড়িতে ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে নিয়মিত অবস্থান পরিবর্তন করুন, নিয়মিত বিরতিতে গাড়ি থামান এবং একটু স্ট্রেচ করে গোড়ালির জড়তা দূর করুন এবং হাঁটাচলা করুন। গাড়ির বায়ু চলাচলের দিকে খেয়াল রাখুন। সিটবেল্ট বাঁধার সময় খেয়াল রাখুন যেন তা আপনার পেট বরাবর না হয়ে যায়, অন্যথায় তা আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভ্রমণে বেরোবার আগে অবশ্যই আপনার গাইনি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। তার কাছ থেকে গ্রিন সিগনাল পেলে তবেই ভ্রমণে বের হোন। জরুরি মুহূর্তে মেডিক্যাল স্টোরে দৌড়ঝাঁপ ঠেকাতে ডাক্তারের পরামর্শমত কি�
bn
�ু জরুরি ওষুধপাতিও লাগেজে রাখতে পারেন। ডাক্তাররা বলেন, অনেক মহিলাই গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরানোর ব্যাপারে অভিযোগ আনেন। এর জন্য দায়ী পুষ্টিহীনতাই। তাই ভ্রমণের সময় এমন পরিস্থিতি এড়াতে নিয়মিত পানি পান করুন এবং উচ্চপুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার গ্রহণ করুন। আপনি যত উঁচুমানের হোটেলেই থাকতে যান না কেন, টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। কেননা, দেখতে পরিষ্কার হলেও তা ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকেই যায়। এই যেমন অনেক সময়-হাই কমোড ব্যবহারের ফলে ইনফেকশনের ভয় থেকেই যায়। পানিপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগে থেকে জাহাজের মেডিক্যাল ক্রু সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন যদি ‘সি সিকনেসে’ আক্রান্ত হন তাহলে কি করবেন। এর প্রতিকারে ডাক্তার আপনাকে কিছু ওষুধ লিখে দিতে পারেন। জলপথে ভ্রমণের সময় নরভাইরাস আক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এর ফলে আপনার মারাত্মক বমি হতে পারে যা অনেকদিন ধরেই থাকতে পারে। নরভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। যদি আক্রমণ করেই ফেলে তাহলে অতিসত্বর ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। আকাশপথে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে নন প্রেশারাইজড প্লেন পরিহার করুন, কেননা এসব বিমানের বাতাসে অক্সিজেনের স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। যা আপনার অনাগত সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিছু কিছু এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এ সময় ভ্রমণের জন্য ডাক্তারের গ্রিন সিগনাল সংবলিত চিঠি চায়। এটা কর্তৃপক্ষভেদে ভিন্ন হতে পারে। তাই টিকিট কেনার আগে এসব ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। সবশেষে, নিজের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখুন। সতর্কতার জন্য ডাক্তারের দেয়া সব পরামর্শ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে মেনে চলুন। গর্ভধারণকে স্বাভাবিক একটা ব্যাপার বলেই মনে করে দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখুন এবং দারুণ এক ছুটি কাটিয়ে আসুন।<|end_of_text|>নিকশী পিঠা কয়েক রকমের হয়ে থাকে। অনেকে মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন আবার অনেকে মিষ্টি ছাড়া। তবে এই পিঠা বানানোর নিয়ম সব জায়গায় একই রকম হয়ে থাকে। আর ডিজাইনের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। আপনি আপনার মনের সকল রঙ ও মাধুরী দিয়ে তৈরি করুন এই নকশী পিঠা।… Read More ইলিশ সব বাঙালিই পছন্দ কর
bn
ে। ইলিশের নানা পদে পাত সাজাতে সব গৃহিনীই ভালোবাসে। আর ইলিশের মালাইকারির মতো পদ হলে তো কথাই নেই। গরম ভাতের সঙ্গে জমে যাবে এই পদ। চলুন তবে রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক- উপকরণ: ইলিশ (চার টুকরো) সাদা তেল: পরিমাণমতো তিল বাটা: ১… Read More ‌তন্দুরি শব্দটা শুনলেই চোখের সামনে স্মোকি ফ্লেভার ভরা কিছু মুরগির ছবি ভেসে ওঠে তাই না? আর ‘‌তন্দুরি নাইটস’‌–এর কথা শুনে থাকলেও তন্দুরি চায়ের কথা বোধ হয় কেউ কোনো দিন শোনেননি। চায়ের সঙ্গে তন্দুরি তকমার বিষয়টা পুরোপুরি নতুন যা শুরু করেছে পুনের ‘‌চায় লা’ নামের এক… Read More আর দুইদিন পরেই বাংলা বছরের প্রথম দিন, পহেলা বৈশাখ। অনেক আগে থেকেই পহেলা বৈশাখকে ঘিরে বাঙালিদের নানা আয়োজন থাকেই। আরা এই আয়োজনের প্রথম ও প্রধান আকর্ষণই থাকতো নানা ধরনের মিষ্টি। আর এই প্রথা চলে আসছে তখন থেকে এখনো। আর আপনার বৈশাখের আয়োজনে নানা ধরনের মিষ্টান্ন… Read More বৈশাখ আর ইলিশ এখন সমার্থক হয়ে গেছে। খাবারেও ইলিশের কয়েক পদ না করতে পারলে আপনার বৈশাখ যেন মাটিই হয়ে যাবে। খুব বেশি না হোক অল্প কয়েক পদ ইলিশের আইটেম তো করাই যায়। তাই আসুন এবার বৈশাখের জন্য আমরা জেনে নেই ইলিশের মজার স্বাদের তিন পদ।… Read More লেমন মোজিতো বিভিন্ন মসলা ও লেবু দিয়ে তৈরি। এই পানীয়ের মূল উপাদান জাফরান। জাফরানের অতুলনীয় স্বাদ আর গন্ধের কারণেই এই পানীয় বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন লেমন মোজিতো। দেখে নিতে পারেন রেসিপিটি। উপকরণ: মোজিতো সিরাপ ২ টেবিল চামচ শুকনো লেবুর টুকরো ৫/৬টি… Read More শীতের পর গরম এখন তার দাপট দেখাচ্ছে। গরমের দাপটে এখন সবার জীবন অতিষ্ট। গরম, ঘাম, খাবারে অনীহা সব এক সাথে শুরু হয়। তার উপর আছে পানির তেষ্টা ও পানিশূন্যতা তো আছেই। গরমের এমন অনেক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে পান করুন ভিন্ন স্বাদের এক গ্লাস… Read More ইতোমধ্যেই বাজারে আসছে নতুন পটল। সময়ের চাইতে একটু আগেই বাজারে এলেও এই পটল খেতে দারুণ মজা। ভাজি বা রান্না করে পটল তো অনেকেই খায়, আজ চলুন শিখে নিই পটলের দোপেঁয়াজা তৈরির প্রণালি। এই রান্নায় উপকরণ লাগবে মাত্র ৩/৪ টি
bn
, সময় লাগবে ২০ মিনিট। অল্প তেলেই… Read More বাজারে এখনো বাধাকপি পাওয়া যায়। সবসময় একই ধরনের রেসিপিতে অনেকেই বিরক্ত হন। তাই সবজি-মাছ দিয়ে নতুন মেন্যু খাবার টেবিলেও আনে বৈচিত্র্যতা। নতুন মেন্যু হিসেবে রান্না করতে পারেন ন‍্যাপড সিক্রেট ক্যাবেজ। রেসিপিটি তাহলে জেনে নেওয়া যাক- উপকরণ: বাধাকপি ১টি ক্যানড টুনা মাছ ফ্লেক্স ১ টিন টমেটো… Read More মিষ্টি জাতীয় খাবার কমবেশি সবারই পছন্দ। খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে বা নাশতার টেবিলে মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেকেই পছন্দ করেন। বাড়িতে অতিথি আসলেও মিষ্টির দোকানে দৌড়াতে হয়। ইচ্ছে করলে আপনি নিজেই বাড়িতে বানাতে পারেন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার। আজকে চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি… Read More<|end_of_text|>২৭ জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে আলোর ইশকুলের মুক্ত আলোচনার বিষয় ছিলো ‘গৌড়িও নৃত্য’ আলোচক ছিলেন ড. মহুয়া মুখার্জী, রবীন্দ্র চেয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।<|end_of_text|>মস্কো, ১৬ জুলাই ২০১৮ (বাসস) : গতরাতে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে শেষ হলো ২১তম ফুটবল বিশ্বকাপ। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র ফাইনালে ফ্রান্স ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে। ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জিতলেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মড্রিচ। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই নিজের সেরা নৈপুণ্য দিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে নিয়ে আসেন এ মিডফিল্ডার। মধ্যমাঠ থেকে গোলের পরিকল্পনা করা হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়কের নেতৃত্বেই। তাই পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের সুবাদে গোল্ডেন বল জিতলেন মড্রিচ। গেল বছর গোল্ডেন বল জিতেছিলেন আর্র্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এবারের আসরের গোল্ডেন বুট জিতলেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন। ছয় ম্যাচে একটি হ্যাট্টিকসহ ৬ গোল করেন তিনি। ছয় গোলের পাঁচটি করেছেন গ্রুপ পর্বে। তিউনিশিয়া বিপক্ষে ২টি ও পানামার বিপক্ষে ৩টি গোল করেন তিনি। অন্য একটি গোল শেষ ষোলোতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন কেন। তবে তার দল ইংল্যান্ড এবারের আসরে চতুর্থ স্থানে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে। গেল বছর গোল্ডেন বু
bn
ট জিতেছিলেন কলাম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ। গত বিশ্বকাপে রদ্রিগেজেরও ৬ গোল ছিলো। গোল্ডেন গ্লাভসে জিতেছেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবাউট কর্টুইস। তার দুর্দান্ত নৈপুণ্যে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে উঠে বেলজিয়াম। শেষ চারে ফ্রান্সের কাছে হারলেও তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে বেলজিয়াম। ফলে এবারের আসরে তৃতীয় হয় দলটি। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে বেলজিয়ামের সেরা সাফল্য। গেল বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হয়েছিলেন জার্মানির ম্যানুয়েল নয়্যার।<|end_of_text|>গত বছর নোভা স্কোসিয়া-এ গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে গিয়েছিলাম। বেশ ক’দিন পথে পথে ছিলাম লং ড্রাইভে। এক সময়ে মনে হলো এবার একটু দেশী খাওয়া দরকার। “Minsoo” নামের এশিয়ান-ফিউশন রেস্টুরেন্টএ পৌঁছে গেলাম কোনো এক বেলার খাবার খেতে। সার্ভার এর সাথে দু’একটা কথা বলতে না বলতে তার বলা এবং চলার ধরণ শুনে-দেখে মনে হল উনি বাংলাদেশী। এরপর এপিটাইজার নিয়ে আবার আমাদের টেবিলে আসার পর আমরা তাকে জিজ্ঞাসা না করে পারলাম না, “Where are you from?” উনি এক সেকেন্ড এদিক ওদিক না করে জবাব দিলেন, “I am prom Kuria“; বুঝলাম, উনি pure নোয়াখালির মানুস অথচ বলছেন কোরিয়ান! নাক-চোখ কোনোটিই ওই দেশীয় নয় অথচ সে কোরিয়ান! আমার নাছোড়বান্দা সহধর্মী আবার প্রশ্ন করলেন,“Are you originally from Korea or you migrated there?”; “No I am originally prom India because I was born in India” উত্তর এলো। খুব অদ্ভুত লাগলো শুনতে। সাধারনত ভারতীয় কিংবা পাকিস্তানীরা খুব নিষ্ঠা-ভালোবাসার সাথে নিজেদের দেশের পরিচয় দেয় অথচ এই লোকটি অত্যন্ত নির্লজ্জের মত নিজ দেশের পরিচয় লুকিয়ে গেল আমাদের কাছে। আমি ভীষন বিরক্ত হলাম; আমার চেহারা দেখে তা না বোঝার কোনো উপায় নেই। অনেক বিড়বিড় করলাম। “লোকটা কি আমাদেরকে বোকা পেয়েছে? নিজের দেশের পরিচয় লুকায় এমন লোকের দোকানে আমি খাবো না।” আমার স্বামীটি ক্ষেপে গেলেন, ভাবলেন আমি বোধ হয় আসলেই উঠে বের হয়ে যাবো। বোঝাতে শুরু করলেন, “তোমার কি? আমাদের কি?দেশের পরিচয় লুকাক না! বাদ দাও। খেয়ে চলে গেলাম তো ভুলে গেলাম শেষ!” না আমার কাছে এর শেষ নাই। নিজের দেশ নিয়ে আমার কোন লজ্জা না�
bn
�। আমি বাংলাদেশের মাটিতে সে দেশের খেয়ে পরে বড় হয়েছি! এতোটা অকৃতজ্ঞ হবার কোনো সুযোগ যেন না আসে কোনোদিন! লোকটার প্রতি আমার অশ্রদ্ধা তৈরী হলো। তাতে অবশ্য তাঁর কিছু যায় আসে না। যাই হোক, সে গরু ভুনা নিয়ে আসলো যা ছিল শেফ’স স্পেশ্যাল; একেবারে দেশী স্টাইলে রান্না করা। খাবার সার্ভ করতে করতে লোকটা জানতে চাইল, “Do you know Chittagong?” আরো মেজাজ খারাপ হলো। শুধু যে সে বাংলাদেশী তাই না, হয়তো সে আমার শহরেরই। রবিন উত্তরে বললো “Yes, my wife is from Chittagong. Are you from Chittagong as well?” সে সত্য বলার সুযোগ পেয়েও আবার মিথ্যা বললো, “No, once I visited one of my priend there” মহা অদ্ভুত! বিল দিয়ে চলে আসবার সময় খাস বাংলায় সে বলল, “ভাল থাকবেন, আবার আসবেন।” তাহলে আমরা ঠিকই ধারণা করেছিলাম, লোকটা বাংলাদেশী। রবিন তাকে বললো, “ওহ! আপনি বাংলা জানেন?” সে আবার শুদ্ধ “বাংলাদেশী বাংলা”য় বললো, “জ্বি একটু একটু।” বদ্ধ উন্মাদ না হলে এত বড় risk কেউ নেয় না। ইন্ডিয়ান পরিচয় দিয়ে আবার বাংলাদেশী কায়দায় বাংলা বলছে আমরা বাঙ্গালী জানার পরও। কতো কিছু যে দেখছি-দেখবো এই ছোট্ট জীবনে! সেবার মেইন এ পৌঁছেও আমরা ইন্ডিয়ান খাব বলে যে দোকানে গেলাম তার নাম “Taste of India”; কথার শুরুতে রেস্টুরেন্ট মালিক জেনে নিলেন আমরা দেশী এবং তার ওপর আমরা রয়্যাল ডিসট্রিক্ট-এ বিলং করি। অনেক খাতির করলেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার, অর্ডারের বাইরে খাবার এবং মসলার কম-বেশী যে ভাবে চেয়েছি তৈরী করে দিয়েছেন, “বলেছেন, আপনারা হইলেন আঙ্গো নোয়াখালীর মানুষ (আমার শ্বশুর- বাড়ী), দোকান রাখি কি লাভ যদি নিজেদের দেশী মানুষেরে ঠিকভাবে খাওয়াইতে না ফাইরলাম!” ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে গেলাম বোল্ডার, কলোরাডোতে। কয়েকদিন ভিনদেশী খাবার খেয়ে ক্লান্ত হয়ে আবার নিজের দেশী খাবারের শরণাপন্ন হলাম “Curry & Kabob”এ। অনেকক্ষণ হাতে মেন্যু নিয়ে বসে থেকে অর্ডার দিতে দেরি হওয়ায় মালিক নিজে এসে জানতে চাইলেন,“Do you need any help?” তারপর নিয়মমাফিক অর্ডার-অপেক্ষা-খাওয়া সব হলো। চলে আসার সময় মালিক জানতে চাইলেন “Where are you from?”;নিজেদের মধ্যে বাংলায় কথা বলছিলাম তা খেয়াল করেছিলেন হয়তো আর �
bn
�ায়ের রঙতো আর লুকিয়ে রাখার কিছু নয়। যেই বললাম বাংলাদেশী, সাথে সাথে ভদ্রলোক খুশী হয়ে বাংলায় কথা বলা শুরু করলেন,”আমিও ঢাকার, এই দেশে প্রায় তেতাল্লিশ বছর ধরে আছি, ছেলে-মেয়েরা যে যার মতো পড়াশুনা করে, বিয়ে-থা করে ব্যস্ত..ইত্যাদি।” নিজের দেশের লোক পেয়ে কথা হলো অনেক। চলে আসার সময় মনে হলো কারো বাড়ী থেকে দাওয়াত খেয়ে বেরিয়ে আসছি, এমন একটা অনুভূতি শুধুমাত্র বাঙ্গালীর অকৃত্রিম আন্তরিকতার কারণেই হয়তো হয়ে থাকে। বোল্ডারের হাইকিং সেরে ফেরার পথে শেষ বিকেলে রাতের খাবার সারবো বলে আমরা গেলাম পাহাড়ের গা ঘেঁষে তৈরী নেপালী রেস্টুরেন্ট,“Kathmandu”তে। খুব যত্ন করে ডাল ভুনা-গোশ তৈরী করে দিল আমাদের পছন্দমতো। মন ভরে খেলাম আমরা। মেয়ের পছন্দের ইন্ডিয়ান ডিশও পেলো। প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে আবার যখন গেলাম দু-তিনদিন পর,অর্ডারমাফিক সবই এলো চোখের সামনে কিন্তু সবই ঠান্ডা! এই আমাদের বাঙ্গালীর সমস্যা! বানরের মতো। ভালো বলেছো তো গেছো! কোয়ালিটি নিয়ে আর ভাববে না এমনকি সার্ভিসও না! অনেক ডাকাডাকি করেও ওয়েটারের দেখা পেলাম না কারন সে অন্য টেবিলগুলোতে ব্যস্ত। যখন তার দেখা পেলাম, খাবার ঠান্ডা বলার পর কোনো ভ্রূ-ক্ষেপ না করে চলে গেল। মেয়ে বলে ফেললো, “Ma, it is a good lesson for us. We won’t praise in front of the restaurent people, otherwise they won’t care if we go back to the same restaurant for good food” আমি অবাক হলাম না মেয়ের কথায়। শিক্ষা হলো বই কি! এই গ্রীষ্মের ছুটিতে কুয়েবেক-এ বেড়াতে গেলাম। যথারীতি রসনা বিলাসের উদ্যেশ্যে চলে গেলাম মেডিটেরিনিয়ান রেস্টুরেন্ট-এ; কার্টিয়ার রোডের উপর যেখানে বিভিন্ন দেশের রেস্টুরেন্ট আছে। সাড়ে পাঁচটায় খোলে সব রেস্টুরেন্ট ডিনারের জন্য। আমরা ঘড়ি দেখে ঢুকলাম কিন্তু কেউ এলো না আমাদেরকে বসানোর জন্য। ভাবছিলাম, এটা তো Sit down restaurant কিন্তু ব্যাপারটা কি? কোনো জনমানবহীন অথচ রিভিউতো ছিলো চমৎকার! ভেতর থেকে দৌড়ে এল “আরিয়ানা”র মালিক, অ্যারাবিক এক্সেন্টে ইংরেজীতে বললো, “আমাদের ওয়েটার এখনো কাজে আসে নি, তোমরা তোমাদের পছন্দ মতো টেবিলে বসো প্লিজ।” একটু পর এলো টুপি মাথায় হাসিখুশী ছোটো-খাটো
bn
একজন। গ্লাসে পানি ঢেলে মেন্যু দিয়ে চলে গেল। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছি, বাংলায়, কে কি খাব, কে কার সাথে কোনটা শেয়ার করবো ইত্যাদি। লোকটা ফিরে এলো আর সোজা সিলেটী ভাষায় জানতে চাইল, “আফনারা কুন দেশের? বাংলাদেশী?” ব্যস! আহা কি আনন্দ! খুব সহযোগিতা করলেন ভদ্রলোক। বর্ণনা দিলেন কোনটা কেমন হবে খেতে, উনি কি মসলা দেবেন কোন খাবারে। আমরা জানতে চাইলাম উনিই কি শেফ নাকি। খুব উৎসাহের সাথে বললেন, “জ্বি, আফা, আফনাদের দুয়ায় আমি নয় বচ্ছর এইখানে শেফের কাম করিয়া খাই।” ভদ্রলোক আমাদেরকে অবাক করে দিয়ে আমাদের অর্ডারের পাশাপাশি শেফ’স complimentary সমুসা পাঠালেন কিচেন থেকে। বুঝলাম আতিথেয়তা আর বাঙ্গালী দুটো ব্যাপারকে আলাদা করা যাবে না। রেস্টুরেন্ট ছিল আফগানী, তাই সে রকম দেশী মসলার প্রাচুর্য্য না থাকলেও ভদ্রলোক নানান কায়দায় আমাদেরকে দেশী স্বাদের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তা আমরা তার তৈরী করা খাবার খেয়ে বুঝতে পেরেছি। চলে আসবার সময় আমার হাসব্যান্ড সেল্ফি নিতে ভুললেন না! টিপু আহমেদ নামের এই অমায়িক লোকটি আমাদেরকে বিদায় দেয়ার সময় বললেন, “Please আবার আসবেন।” আমরা হয়তো যাব আবারো সেখানে, কখনো যদি কুয়েবেক-এ যাই। তবে বন্ধুদের জন্য পরামর্শ রইলো কুয়েবেক-এ বেড়াতে গেলে এই রেস্টুরেন্ট-এ যাবার। আহার শুধু পাকস্থলীর ব্যাপার নয়, মনেরও আহার হয় বাহারী মনের মানুষের দেখা পেলে।<|end_of_text|>দিল্লির মুখ্যসচিব নিগ্রহে এবার জেরার মুখে পড়তে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী শক্রবার তাঁকে ১১টার সময় জেরা করবে দিল্লি পুলিস। বুধবার সিভিল লাইন থানার পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে এই সংক্রান্ত নোটিস পাঠায়। যদিও এই ব্যাপারে কেজরিওয়ালের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।এরআগে এপ্রিল মাসেই কেজরির ব্যক্তিগত সহকারী বৈভব কুমারকে জেরা করেছে পুলিস। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই আপ এর ১১ বিধায়ককে জেরা করেছে পুলিস। প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কেজরির বাড়িতে একটি বৈঠক চলাকালীন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে মারধর করার অভিযোগ ওঠ
bn
ে। নিগ্রহের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলে ক্ষোভ ছড়িয়ে বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের মধ্যে। এনিয়ে থানায় একটি এফআইআরও দায়ের হয়। প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন প্রায় ৮০০ আমলা। এতেই টনক নড়ে রাজ্য সরকারের। এদিন দিল্লি নর্থের ডিসিপি হরেন্দ্র সিং জানান, নোটিশে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬০ নম্বর ধারা অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। গোটা প্রকৃয়াটাই প্রশাসনিক রীতি মেনে করা হচ্ছে। কোথায় জিজ্ঞাসবাদ করা হবে তা নির্ধারনের ভার মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।<|end_of_text|>সোমবার পঞ্চায়েতের তিনটি স্তর মিলিয়ে ভোট হচ্ছে ৩৮,৫২৯টি আসনে। বিজেপি লড়ছে তার ৭৩.০৯ শতাংশে, বামেরা ৫৬.০৭ শতাংশে। আর কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ২০ শতাংশের মতো আসনে। গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৩১,৭৮৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ। ২২,৬৩৭টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে বিজেপি, ১৬,৬৯৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। কংগ্রেস লড়ছে ৫,৪৯৭টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ভোট হচ্ছে ৬,১১৯টি আসনে। ৬,১১৩টি আসনেই রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী দিতে পেরেছে ৪,৯৫০টি আসনে, বামেরা ৪,৩৪১ আসনে ও কংগ্রেস ১,৪০৮ আসনে। জেলা পরিষদ স্তরে যে ৬২১টি আসনে আজ ভোট হচ্ছে, সেগুলির সবক’টিতেই তৃণমূল প্রার্থীরা রয়েছেন। বিজেপি রয়েছে ৫৭৫টি আসনে। ৫৬২টি আসনে বাম প্রার্থীরা রয়েছেন।৩৫৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। ভোট শান্তিতে করার জন্য সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে মোট ৫৮৮০০ জন। রাজ্য পুলিস আছে ৪৬০০০, কলকাতা পুলিসকর্মী ৯০০০, কারা ও বনরক্ষী রয়েছেন ২০০০, ভিনরাজ্যের সশস্ত্র পুলিস ১৮০০, লাঠিধারী পুলিস, সিভিক ভলান্টিয়ার ৮০,০০০ জন।<|end_of_text|>এক ঘেয়েমি কোঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো স্টাইল আপনার চেহারাকে বিরক্তিকর করে তুলছে? তাই যদি এমনটি হয় কোন রকম কেমিকেল বা হিট ছাড়াই আপনি পেয়ে যাচ্ছেন আপনার মনের মত হেয়ার স্টাইল তাহলে কেমন হয় বলুন তো? কারণ ইদানিং উঠেছে স্ট্রেইট চুলের চল। ঢেউ খেলানো ও কোঁকড়া চুলের মেয়েরা চুল স্ট্রেইট করে ফেলছেন। ছেলেরাও এ থে�
bn
�ে পিছিয়ে নেই। কারণ লম্বা স্ট্রেইট চুলের সাথে যে কোন ধরণের পোশাকের স্টাইল মানিয়ে যায়। দেখতেও অনেক স্মার্ট লাগে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসে খুব সহজেই আপনার স্ট্রেইট চুলের স্বপ্ন পুরনের কিছু উপায়ঃ দুধের ব্যবহারঃ এই পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেইট করার জন্য আপনার লাগবে মাত্র ১/৩ কাপ দুধ, ১/৩ কাপ পানি ও একটি স্প্রে বোতল। চুল যদি বেশি কোঁকড়া হয় তবে মিশ্রনে ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে নিন। প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ও পানি ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর তা একটি স্প্রে বোতলে ঢোকান। চুলের জট একটি বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্প্রে করুন পুরো চুলে। সব দিকে ভালো করে স্প্রে করে নিন। মাঝে মাঝে চুল আঁচড়ে নিন বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে। ১ ঘণ্টা এভাবে রাখুন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। কন্ডিশনার লাগাবেন অবশ্যই। চুল শুকিয়ে গেলে স্ট্রেইট হয়ে যাবে। এভাবে সোজা করলে চুলে পরবর্তীতে পানি লাগানোর আগ পর্যন্ত চুল সোজা থাকবে। নারকেল এবং লেবুঃ তাজা নারকেল মিশ্রিত দুধের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটিকে কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। একটি ঘন ক্রিমি লেয়ার বা স্তর দেখা যাবে পাত্রের উপরে। এই লেয়ারটাই দরকার চুল সোজা করার জন্য। পুরো চুলে এটি লাগিয়ে নিন এমনকি মাথার তালু বা ত্বকেও লাগাবেন। ১৫-২০ মিনিট ধরে চুলে স্টিম করুন। সব শেষে ধুয়ে ফেলুন সমস্ত চুল। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আপনি ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল সোজা হতে শুরু করেছে। ক্যাস্টর অয়েলঃ ক্যাস্টর অয়েলে আছে চুলকে বৃদ্ধি আর চুল সোজা করার গুনাগুণ। এই তেল চুলের ভেতরে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন, তারপর চিরুনি দিয়ে চুল বরাবর আঁচড়াতে থাকুন। যখন চুল আঁচড়াবেন তখন ব্লো ড্রাই করুন হাই হিটে। ব্লো ড্রাই করার পর চুলে যেন তেলতেলে ভাব না থাকে, চুল হতে হবে শুষ্ক। তারপর একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা ধরে। এটা চুলকে অতিরিক্ত হিট থেকে রক্ষা করবে আর স্ট্রেইটনেস বা সোজা ভাবটি বজায় থাকবে। মুলতানি মাটির হেয়
bn
ার মাস্কঃ এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য লাগবে ১ কাপ মুলতানি মাটি, ১ টি ডিম, ৫ চা চামচ চালের গুঁড়ো। প্রথমে একটি পাত্রে ডিমটি খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে মুলতানি মাটি ও চালের গুড়ো দিয়ে ভালো মত মিশিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করুন। চুলের জট একটি বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এরপর চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতেই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে নিন। যতটা সম্ভব চুল সোজা রাখার চেষ্টা করুন। পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতি ৪ দিনে ১ বার করে এই পেস্টটি চুলে লাগান। চুল প্রাকৃতিকভাবেই স্ট্রেইট হয়ে যাবে। ব্যানানা হেয়ার প্যাকঃ দুটি ম্যাসড কলার সাথে দুই টেবিল চামচ মধু, দই এবং অলিভ অয়েল আর ১টি ডিমের সাদা অংশ মেশান। এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে ফেলুন। তারপর ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবেও আপনার চুল অনেকটা সোজা দেখাবে। মধু এবং দুধঃ এটা শুধু ত্বকের জন্য নয় চুলের জন্য-ও ম্যাজিকের মত কাজ করে। এক চামচ মধুর সাথে এক কাপ দুধ মেশান। সঙ্গে কয়েকটি স্ত্রাবেরও ক্রাশ করে দিন। এই পেস্ট ২-৩ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ভালো মানের শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন রেশমী চুলের জন্য। ঘন ঘন স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল স্ট্রেইট করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। চুলের আগা ফেটে যায় ও চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ। যা পরবর্তীতে ঠিক হয়ে উঠে না। উপরে দেয়া পরামর্শগুলো অনুসরণ করুন। অবশ্যই উপকার পাবেন।<|end_of_text|>ঈদের মেকওভার সবসময়ই স্পেশাল। সকাল-বিকেল_ রাত যারা বাইরে বেড়াতে যাবেন, মেকআপ নিতেই হবে সেইদিন। আর তা স্পেশাল হতেই হয়। তাই বলে তা অতিরিক্ত হয়ে গেলে বাজে দেখায়। তাই আমরা ছিমছাম কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী মেকওভারেই জোর দিচ্ছি এবার। কারণ বারবার মেকআপ পাল্টানোর সময় কই? তাই প্রথমেই মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা তুলার সাহায্যে টোনার লাগান। না হলে ওয়াটার-বেসড অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার �
bn
�াগাতে পারেন। যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা ময়েশ্চারাইজার লাগান। এরপর পাঁচ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে অবশ্যই প্রাইমার ব্যবহার করুন। প্রাইমার ব্যবহার করলে ত্বক ফাউন্ডেশনের ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা পায়। এরপর কনসিলার লাগাবেন। বিশেষ করে চেহারায় যেসব জায়গায় কালো ছোপ বা দাগ আছে। চোখের নিচে কালি থাকলে সেখানেও ভালোভাবে লাগাতে হবে। যত্নের সঙ্গে কালো ছোপের ওপর আঙুল দিয়ে মিশিয়ে নিন। আপনার ত্বকের রঙের থেকে কনসিলারটি এক শেড গাঢ় হবে। গরমের কারণে লিকুইড ফাউন্ডেশন এড়িয়ে যান। প্রেসড পাউডার ফাউন্ডেশন লাগাবেন। খেয়াল রাখবেন রাতের বেলায় ফাউন্ডেশন লাগাবেন স্পঞ্জ ভিজিয়ে, দিনে পাউডার ফাউন্ডেশন হিসেবেই লাগাবেন। ফাউন্ডেশনের রঙ হতে হবে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে। লাগানোর পর সাদা যাতে না লাগে। মেকআপ যত ন্যাচারাল লুক নেবে ততই আপনার ত্বক ভালো থাকবে। রাতের বেলায় ভারী মেকআপ নিতে ইচ্ছে হলে স্টিক ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে প্যান কেক ব্যবহার করতে পারবেন। এর ওপর লুজ পাউডার লাগিয়ে নিন। যাদের মুখের গড়ন একটু ভারী তারা মুখে গালের পাশে, চিবুক বরাবর কন্টুরিং করুন, এতে মুখ হালকা গড়ন দেখাবে। আইশ্যাডো, ব্লাশ অন ব্যবহারে একটু সতর্ক থাকুন। ব্লেন্ডিং ভালোভাবে না করলে মেকআপ বসবে না। দিনের বেলায় সানস্ক্রিন লাগাবেন মেকআপের আগে। মেকআপ সরঞ্জাম যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়। যত কম সম্ভব মেকআপ করবেন। ত্বকের সতেজ ভাব অনেক দিন ধরে রাখা সম্ভব মেকআপ কম ব্যবহারে। খাবারের তালিকায় ফলমূল, শাকসবজি বেশি রাখুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ধৈর্য ধরে নিজের ত্বককে বুঝতে হবে। সময় দিতে হবে। মনে রাখবেন, সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়। শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আপনার রূপ-লাবণ্যের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটায়। তাই পরিমিত আহার, নিয়মিত শারীরিক চর্চা, দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন।<|end_of_text|>মেহেরপুর, ১৭ মে- মেহেরপুরের আলমপুরে হাতুড়ে ডাক্তার ফকরুজ্জামান ওরফে ফকুর অপারেশনে সাইদুর রহমান (১৯) নামের এক যুবকের মুত্যু হয়েছে। নিহত সাইদুর রহমান গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের দিনমজুর সানোয়ার হোসেনের
bn
ছেলে। নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গাড়াডোব গ্রামের ফকরুজ্জামান ওরফে ফকু ডাক্তার হিসেবে আলমপুর গ্রামে ফার্মেসি খুলে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। কোনো সনদ না থাকলেও তিনি বিভিন্ন প্রকার অপারেশন করে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে নাকের পলিপাস অপারেশনের জন্য পরিবারের লোকজন সাইদুরকে ফকুর কাছে নিয়ে যায়। নাকের অপারেশন করা অবস্থায় সাইদুরের মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মৃত সাইদুরকে গুরুতর অসুস্থ দাবি করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় ফকু। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সাইদুরকে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায় সে। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ এহসানুল কবির বলেন, হাসপাতালে পৌঁছুনোর আগেই সাইদুরের মৃত্যু হয়েছে। ভুল অপারেশনে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দাবি করে ফকরুজ্জামান ফকু। নিজ চেম্বারে রয়েছে একটি অপারেশন থিয়েটর। নাক, কান ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অপারেশনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি রয়েছে। তিনি প্রতিনিয়ত অপারেশন করেন। তার অপারেশনে এর আগেও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। সাইদুরের পরিবার ফকুর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রংপুর, ১৮ জানুয়ারি- জাতীয় পার্টিকে (জাপা) বাঁচিয়ে রাখতে অবশেষে ছোট ভাইয়ের হাত ধরলেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একই সঙ্গে দলকে শক্তিশালী করতে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্বও দিলেন গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে (জিএম কাদের)। রোববার সন্ধ্যায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ এ সময় বলেন, ‘দলকে বাঁচিয়ে রাখতে ও শক্তিশালী করতে আজ থেকেই দলের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে আমার ছোট ভাই জিএম কাদের দায়িত্ব পালন করবেন। আর আমার অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যান হবেন।’ জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আপন ভাই। তিনি বাণিজ্য ও বিমানমন্ত্রীও ছিলেন। পার্টির সঙ্ক�
bn
� মুহূর্তে ছোট ভাইয়ের শরণাপন্ন হলেন এরশাদ। মতবিনিময় সভায় এরশাদ পার্টির সঙ্কটের চিত্র তুলে ধরেন বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন চরম সঙ্কটের মুখে। জাতীয় পার্টি আছে কি নেই সেটা দেশের মানুষ আজ জানে না। দেশের মানুষ লাঙলের নাম ভুলতে বসেছে। দলকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই জিএম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না আমার।’ যদিও এসময় পার্টির আমৃত্যু চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করার ঘোষণাও দেন এরশাদ। তবে তার অবর্তমানে সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন জিএম কাদেরই। বার্লিন, ১৫ মে- শরণার্থী সমস্যায় জেরবার পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি। যেভাবে শরণার্থীরা আসতে শুরু করেছে তাতে যথেষ্ট চাপে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসন। যদিও অন্যান্য দেশগুলির তুলনামূলক ভয়ানক পরিস্থিতি জার্মানিতে। সেখানে শরণার্থী শিবিরে চলছে অবাধে যৌনক্রিয়া। আর তা রোধ করতে একপ্রকার হিমসিম খাচ্ছে জার্মান সরকার। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি করা হয়েছে কিছু যৌনশিক্ষা সম্পর্কিত ওয়েব সাইট ও বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র। সেখানেই শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারীদের এনে দেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে জ্ঞান। চলছে যৌনতা নিয়ে কাটাছেঁড়া বিশ্লেষণ। আইএস আক্রমণে জেরবার ইরাক, সিরিয়া ও মধ্য প্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে বর্তমানে কয়েক হাজার শরণার্থীরা জায়গা নিয়েছে জার্মানি সহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশে। জার্মান সরকার বর্তমানে ওই শিবিরগুলিতে, বিশেষ করে পুরুষদের, অবাধ যৌনতার কুফল নিয়ে শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি, কীভাবে তা সুরক্ষিত করা যায় তা নিয়েও বিশেষ টিপস্ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। গত কয়েক মাসে শিবিরগুলি থেকে একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠে আসছিল। সেদিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক,২৭জুন- গোপালগঞ্জের একটি গ্রামের কে.এস.এন. ইন্সটিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের ল্যাবরেটরি ওয়ার্কের জন্যে সপ্তাহে দুদিন ৬ মাইল দূরের একটি স্কুলের ল্যাবরেটরিতে যেতে হতো। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের এহেন নাজুক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কেএসএন ইন্সটিটিউটে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করে দিয়েছে মার্কিন প্রবাসীদের সমন্ব
bn
য়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আগামী’। বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম করে দিতে ২০০৩ সাল থেকেই কর্মরত অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আগামী’ এখন কাজ করছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভ’ত সালমান খানের বিশ্বখ্যাত ‘ভিডিও টিউটোরিয়াল’ বাংলায় অনুবাদ করে সকল ছাত্র-ছাত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পাশে দাঁড়িয়েছে আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং গ্রামীণ ফোন। সংবাদ সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে জাতিসংঘ উইমেন গিল্ডের কর্মকর্তা রানু ফেরদৌস বলেন, ‘২০০৭ সালের ভয়াবহ সিডর ঘূর্ণিঝড়ের পর একটি স্কুলের পুননির্মাণে যখন সহায়তা খুঁজছিলাম, সে সময় এগিয়ে এসেছিল ‘আগামী’। প্রতিষ্ঠানটির সাথে এভাবেই আমার পরিচয় ।’ সংস্থাটির কর্মকান্ড প্রসঙ্গে ড. সাবির বলেন, ‘আগামী একটি ইউ-এস রেজিস্ট্রিকৃত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও অনুদান-নির্ভর এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য দেশের দুঃস্থ ও দরিদ্র শিশুদের মধ্যে মৌলিক শিক্ষার প্রসার। শহরের বস্তি এলাকা বা দারিদ্র-পীড়িত গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোকে সহায়তা প্রদান, দুঃস্থ, দরিদ্র শিশুদের শিক্ষাগ্রহনের সুযোগ বৃদ্ধি, স্কুলগুলোতে প্রয়োজনীয় শিক্ষার উপকরণ ও সরঞ্জাম সরবরাহ- এসবই ‘আগামী’র প্রধান কার্যক্রম।’ সাবির বলেন, ‘২০১৫ সালে আগামী’র প্রজেক্টের মধ্যে ছিল, ক. ১৮ টি স্কুলের ৯,৪০০ শিশুর জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা, খ. খান একাডেমীর ৯০০ এর বেশী ভিডিও টিউটোরিয়াল-এর বাংলা রূপান্তর, গ. ২০টি স্কুলে ট্যাবলেটের মাধ্যমে শিশুদের স্ব-শিক্ষার ব্যবস্থা, ঘ. স্কুলে বিজ্ঞান চিন্তার প্রসার ও এক্সপেরিমেন্ট-নির্ভর শিক্ষার প্রচলন ইত্যাদি।’ সাবির উল্লেখ করেন, ‘এসব স্কুল পরিচালনা, শিশুদের মধ্যে বই, খাতা, খাবার, পোশাক-আশাক ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ, স্কুলের বেঞ্চ, টেবিল-চেয়ার ও অন্যান্য ফার্নিচারের ব্যবস্থা, ঘর নির্মাণ ও পয়ঃশোধনাগার তৈরি, শিক্ষকদের বেতন, ভাতা ও ট্রেনিং প্রদান, বিজ্ঞানাগারের সাজ-সরঞ্জাম, রাসায়নিক দ্রব্য ও আনুষঙ্গিক উপকরন সরবরাহ এবং স্ব-শিক্ষার উপকরণ হিসেবে ট
bn
্যাবলেট-কম্পিউটার সরবরাহ করছে ‘আগামী’। ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সিলিকন ভ্যালি খ্যাত সানফ্রান্সিসকো বে এরিয়ায় ৩ প্রবাসীর একেকজন ৫০০ ডলার করে মোট ১৫০০ ডলার দিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘আগামী’। সময়ের ব্যবধানে এর বর্তমান বার্ষিক বাজেট আড়াই লক্ষ ডলারের উপর। বাজেটের বড় অংশ আসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যক্তিগত দান থেকে। কর্পোরেট গ্র্যাণ্ট ও ম্যাচিং ফান্ড এর মাধ্যমেও অংশ নিচ্ছে মেণ্টর গ্রাফিক্স, গুগল, ইবে, বাংলাদেশের ডিবিএল গ্রুপ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক-এর মত কিছু প্রতিষ্ঠান। ‘আগামী’র ক্রমবর্ধমান সাফল্য ও কার্যকারিতা দেখে গত কয়েক বছরে পার্টনারশিপ-এর হাত বাড়িয়েছে গ্রামীনফোন, সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, খান একাডেমী, এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংক। প্রশ্নোত্তর পর্বে এনআরবি নিউজের এক প্রশ্নের জবাবে ‘আগামী’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. মজুমদার আরো জানান, ‘আমরা সরকারী অনুমোদিত অথবা প্রতিষ্ঠিত কোন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর জন্যে কাজ করি না। আমরা করি বস্তি এলাকা কিংবা একেবারেই পিছিয়ে থাকা এলাকায় ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে চালু স্কুলের জন্যে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি আগামী’র আরেকটি বড় কাজ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্বখ্যাত অনলাইন শিক্ষার উদ্যোক্তা সালমান খানের ওয়েব সাইট ‘খান একাডেমী’র বাংলা সংস্করণ। গ্রামীণফোন, খান একাডেমী ও আগামী’র সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ বছরের মার্চ মাসে চালু হয়েছে বাংলা ওয়েব সাইট bn.khanacademy.org মজুমদার উল্লেখ করেন, ‘৩য় থেকে ১০ম শ্রেণীর অংক বিষয়ে বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডের কারিকুলাম অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১৮০০ ভিডিও টিউটোরিয়াল-এর বাংলা অনুবাদ করেছে ‘আগামী’। বাংলা ওয়েব সাইট-এর মাধ্যমে এসব টিউটোরিয়াল এখন বিনামুল্যে পাচ্ছে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা। প্রতি বছর কয়েকশো নতুন টিউটোরিয়াল-এর বাংলা রূপান্তর আগামী’র একটা বড় লক্ষ্য।’ বাংলাদেশে আগামী’র কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘আগামী এডুকেশন ফাউন্ডেশন’। ১২ জনেরও বেশি সার্বক্ষণিক কর্মী কাজ করছে ঢাকা-সহ বিভিন্ন অঞ্�
bn
�লের স্কুলগুলোর দেখাশোনায়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আমেরিকায় আগামীর সবাই ভলান্টিয়ার, স্বেচ্ছাসেবী। এর সংখ্যা দুই শতাধিক। এরা মূলত তিনটি এলাকায় সংগঠিতঃ ১. আগামী সেন্ট্রাল – সানফ্রানসিসকো বে এরিয়া ও সারা আমেরিকা, ২. সাউথ-ইস্ট চ্যাপ্টার : ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি এবং ৩. নর্থ-ইস্ট চ্যাপ্টার- নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানেকটিকাট, পেনসিলভ্যানিয়া ইত্যাদি। গত মাসে অনুষ্ঠিত হয় ‘আগামী’র সেন্ট্রাল ও সাউথ-ইস্ট চ্যাপ্টার-এর উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান। সংবাদ সম্মেলনে নর্থ-ইস্ট চ্যাপ্টার-এর ডিরেক্টর অপারেশন্স শহীদ আহমেদ জানালেন যে, তাদের উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান হবে আগস্টের ১৪ তারিখ নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে। আরেকটি অনুষ্ঠান হবে ২১ জুলাই ঢাকায় বনানীর লেকশোর হোটেলে। এভাবেই আগামীর তহবিল প্রদান করেন বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবায়ে আগ্রহী প্রবাসীরা। সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কে সাপ্তাহিক বাঙালি পত্রিকার সম্পাদক কৌশিক আহমেদ ‘আগামী’র মহতী লক্ষ্য ও কর্মতৎপরতার কথা নিউজ মিডিয়ার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান। এ সময় আগামী’র নর্থ-ইস্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি ড. মোহাম্মদ জামান রুকন, তহবিল সংগ্রহ সম্পর্কিত পরিচালক সৈয়দ ফজলুর রহমানও ছিলন।<|end_of_text|>হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: “নিরাপদ খাদ্য ভরবো দেশ, সবাই মিলে গড়ব সোনার বাংলাদেশ।” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। ইউএনও আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে পরিষদ চত্বর হলরুমে আয়োজিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু।আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য হাসান মেহেদী অপন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা চন্দ্র কান্ত সরকার, পিআইও ফেরদৌস আহম্মেদ ও সিং�
bn
�ীমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু প্রমুখ।<|end_of_text|>তেলাপিয়ার নতুন রোগ, সতর্ক হওয়ার পরামর্শ - CoxsbazarNEWS.Com - কক্সবাজারনিউজ সিবিএনCoxsbazarNEWS.Com – কক্সবাজারনিউজ সিবিএন বিভিন্ন দেশে তেলাপিয়া মাছে একটি বিশেষ ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করছে। ‘তেলাপিয়া লেক’ নামের ওই ভাইরাস দক্ষিণ আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা-এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সম্প্রতি এই রোগের ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে সাবধান করে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। এই ভাইরাস যেসব দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, সেখানে তেলাপিয়ায় মড়ক দেখা দিচ্ছে বলে সংস্থাটি তাদের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও মৎস্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত তেলাপিয়া মাছের গায়ে ফোসকা পড়বে, এরা খাবার কম খাবে। এমন কোনো মাছ বাংলাদেশের কোনো খামারে তাঁরা পাননি। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন খামারে মাছের পরীক্ষা করেন। সেখানে এ ধরনের কোনো রোগাক্রান্ত মাছ পাওয়া যায়নি। তবে কেউ ব্যক্তিগতভাবে ইন্দোনেশিয়া বা থাইল্যান্ড থেকে তেলাপিয়া মাছের পোনা নিয়ে আসছে কি না, তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। তবে এফএওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের চতুর্থ তেলাপিয়া উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশও এই ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হতে পারে। ইতিমধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে এমন দেশ থেকে যাতে অন্য দেশগুলো তেলাপিয়া আমদানি না করে, সে ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরিফ আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত অল্প জায়গায় বেশি মাছ চাষ করলে ও পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ না করলে এ ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বেশি হয়। আমরা এ ব্যাপারে চাষিদের সচেতন করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।’ এফএওর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে বছরে ৩ লাখ ৩৮ হাজার টন তেলাপিয়া উৎপাদিত হয়। আর সবচেয়ে বেশি তেলাপিয়া হয় চীনে, ১৮ লাখ টন। বিশ্বে বর্তমানে ৬৭০ কোটি ডলারের তেল
bn
াপিয়া মাছ আমদানি-রপ্তানি হয়। এই রোগের কারণে বিশ্বে তেলাপিয়া বাণিজ্যে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে বলে সংস্থাটি সতর্কতা জারি করেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রায় চার লাখ টন তেলাপিয়া উৎপাদিত হয়। এই মাছকে দেশের গরিব মানুষের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস হিসেবে দেখা হয়। দেশে উৎপাদিত মোট মাছের ১০ শতাংশ এই তেলাপিয়া মাছ।<|end_of_text|>এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া : চট্টগ্রাম মহানগরে বসবাসরত হাজারো চকরিয়াবাসির প্রাণের প্রাচীনতম সংগঠন চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির (২০১৮-১৯ সালের) নবনির্বাচিত কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ এবার চট্টগ্রামের প্রাচীন সংবাদপত্র ‘দৈনিক আজাদী’ সম্পাদক এমএ মালেক এর সাথে মত বিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের বন মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার : পোকখালী ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংদিয়া রাবার সেচ প্রকল্পে অবশেষে কানি প্রতি দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশনা দিলে তিনি তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। পানি হাউজের দাম নির্ধারণ করায় এ এলাকার হাজার হাজার বর্গা সোয়েব সাঈদ, রামু : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ. টি ইমাম বলেছেন, বাংলাদেশ এখন অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু ৩৪ হাজার বিদ্যালয় সরকারিকরণ এবং দেড় লাখ শিক্ষককে চাকরি দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব সৃষ্টি করেছিলন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী এম.মনছুর আলম,চকরিয়া: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল চকরিয়া উপজেলা শাখার আওতাধীন উত্তর হারবাং সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার ১১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমদের নির্দেশনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ�
bn
� স্বেচ্ছাসেবকদলকে তৃণমুল পর্যায়ে গতিশীল,সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উত্তর হারবাং সাংগঠনিক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের কমিটি অনুমোদনের মাধ্যমে ডেস্ক নিউজ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যসহ ৪০ জনের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার অবস্থান করছে। দলটি শনিবার বিকেলে কুয়েত থেকে সরাসরি বিমান যোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন সূত্রের দেয়া তথ্য মতে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছার পরপরই উখিয়ার ইনানীস্থ তারকা হোটেল নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাপক মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ঐক্য পরিষদের মিলনমেলা উৎসব-২০১৮। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের কোস্ট্রাল পিসে আনন্দঘণ পরিবেশে এই মিলনমেলায় রাজনীতিক, শিক্ষক, চুকুরিজীবি, সাংবাদিক, ছাত্র, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকদের মিলনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। উৎসবের মূল পর্ব ছিলো কথামালার। এসময় অংশ নেওয়াদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের অনূভূতির কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: উখিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা এম. আবদুল হাই এর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল রবিবার। দিনটি উপলক্ষে মরহুমের হলদিয়াপালংস্থ মৌলভী বাড়িতে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও জেয়াফতের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে মরহুম আবদুল হাই’র শুভাকাংখীদের উপস্থিত হওয়ার জালাল আহমদ, ঢাবি থেকে: আমরা সকলে মিলে প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিবন্ধীরা সমাজ, দেশ এবং বৃহত্তর রাষ্ট্র সম্পদ হবে।প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজেরই অংশ।তারা আমাদেরই ভাই- বোন।আল্লাহ তায়ালা চাইলে আমাদেরকেও প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজে পাঠাতে পারতেন।তাই আমরা যারা সুস্থ, তাদের উচিত প্রতিবন্ধীদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা,তাদের বিপদে আপদে এগিয়ে আসা।প্রতিবন্ধীদের চলাফেরা এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী �
bn
�েগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় যুবদল ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে কক্সবাজার জেলা যুবদলের উদ্যোগে শনিবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় জেলা বিএনপির কার্যালয় হতে জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জ্ল এর নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি কক্সবাজার সাইয়্যিদ মঞ্জু (ভয়াল ঘূর্ণিঝড় উনত্রিশে এপ্রিল স্মরণে) কাকরাঙা এলোকেশে নিত্য উড়ে বকের পালক বেনারসির কান্নায় মুখর পুরনো সিন্ধুকের তলদেশ গুমোট পাগলা হাওয়ায় মাতাল সমুদ্দুর উতাল পাতাল ঢেউ- ছুঁয়ে যায় বকরাঙা শাড়ির আচঁল। ক্লান্ত বুকের পাঁজরে ভরকরে মৈনাক চুড়া স্বপ্নহীন চোখে একরক্তি সুখ প্রত্যাশায় জীবনের জলসা ঘর দুঃখ সেলাই করে উপকূলের প্রেস বিজ্ঞপ্তি : রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠিত হয়েছে। সংগঠনের ১৬ তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল সকাল ১০ টায় শহরের টেকপাড়াস্থ রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সকল সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত কমিটি গঠিত হয়। গঠিত কমিটি নি¤œরুপ। সভাপতি মংছেন লা,সিনিয়র সহ সভাপতি মংক্য,সহ সভাপতি মংরীফ্রু,মহ সভাপতি উছাথৈন,মহাসচিব মং হ্লা এম.মনছুর আলম,চকরিয়া: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান বদরখালী কলোনিজেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আনন্দঘন মুহুর্তে উৎসব মূখর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। শনিবার(২৮এপ্রিল)সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্টিত মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়ি : আগামী ২ মে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিকী সম্মেলন ও কাউন্সিলকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত ১২ এপ্রিল সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী কাউন্সিলারদের মাধ্যমে সভাপতি-সম্পাদক পদ নির্ধারন করতে ভোটগ্র
bn
হণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সমগ্র উপজেলা জুড়ে ভোটারদের(কাউন্সিলার) মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা সংবাদদাতা : কক্সবাজর শহরের সৈকত আবাসিক এলাকা থেকে ২৮ হাজার ইয়াবাসহ মুজাহিদ হোসেন ওরফে মামুন (৩৩) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব। শনিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ থাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো: রুহুল আমিন। আটক মুজাহিদ বাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শেষ পর্যন্ত সব ধরনের আশঙ্কা দূর করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উখিয়া প্রেস ক্লাবের বার্ষিক নির্বাচন ২০১৮-১৯ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে জাতীয় দৈনিক মানবজমিনের উখিয়াস্থ স্টাফ রিপোর্টার আমাদের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার এবং উখিয়া নিউজ ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক সরোয়ার আলম শাহীন ১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম সিবিএন: কক্সবাজার ডিসি সাহেবের বলী খেলায় এবারও বিজয়ের মুকুট উঠেছে দিদার বলীর মাথায়। এবারসহ মোট ১০ম বারের মত একক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে অনুষ্ঠিত ডিসি সাহের বলী খেলায় ফাইনাল ম্যাচে মহেশখালীর শফি বলীকে মাত্র ৪ মিনিটে পরাস্ত করে দিদার বলী। ডিসি সাহেবের বলী খেলায় বীর শ্রেষ্ট বার্তা পরিবেশক: কক্সবাজারে সাড়ানো জাগানো মানবসেবী সংস্থা হোপ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন এনজিও ব্যুারো পরিচালক এবং সরকারের যুগ্নসচিব মোঃ শাহাদাত হোসাইন। তিনি গতকাল শনিবার (২৮এপ্রিল) সকার ১০টায় রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির চেইন্দায় অবস্থিত হোপ ফাউ-েশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসে যান। তিনি সেখানে বেলা ৩টা পর্যন্ত হোপ ফাউন্ডেশন’র নানা কার্যক্রম ও হোপ হসপিটাল স্পোর্টস ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে বিয়ে করলেও গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন। প্রথমে বিয়ের কথা গোপনই রাখতে চেয়েছিলেন। বিষয়টা প্রকাশ হয়ে গেলেও, নিজের স্ত্রীকে অনেকটা আড়ালেই রেখেছিলেন। প্রকাশ্যে স্ত্রীকে নিয়ে আশা কিংবা কোন ছবি বা পরিচয় পর্�
bn
�ন্ত প্রকাশ করেননি। অবশেষে বিয়ের দুই বছরের মাথায় এসে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছে বলে দাবি করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজের অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর এনআরবি-নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি। প্রবাসীকল্যাণ পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক মরা মুরগি, মরা পশুর মাংসের বিক্রেতারা ধরা পড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে চলছে পুলিশি অভিযান। ব্যাপক আকারে মরা পশুর মাংস উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। পচা মাংসের কারবারে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো রাজ্য। এসব পচা মাংস বাংলাদেশ ও নেপালে পাচার হবে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাংস ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ডেস্ক নিউজ: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই চাঙা মনোভাব দেখা দিচ্ছে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন নেতাকর্মীদের আনাগোনা বেড়েছে বেশ। অন্যদিকে ব্যস্ত সময় পার করছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। নিয়মিতই ধরনা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। আগামী ১১ ও ১২ বান্দরবান প্রতিনিধি: আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য বিদেশীদের দুয়ারে দুয়ারে ধর্ণা দিচ্ছে আওয়ামীলীগ। জনগণএখন আর আওয়ামীলীগকে পছন্দ করে না। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে তারা জয়লাভ করবে না। তাই আবারও ক্ষমতায় আসার লোভে শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগ বিদেশীদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ধর্ণা দিচ্ছে। শনিবার বিকালে শহরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা বার্তা পরিবেশকঃ এদেশে বৌদ্ধরা ধর্মীয় বিবেচনায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু। কিন্তু সুরক্ষিত থাকার ক্ষেত্রে এটা বড় সমস্যা নয়। এর চেয়েও বড় সমস্যা হল আমাদের সামাজিক অনৈক্য। এটা আমাদের ব্যক্তি এবং সামাজিক জীবনকে যথেষ্ট ক্ষতি করে চলেছে। টেকসই সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলতে না পারলে আপনার নাগরিক অধিকার, সাম
bn
াজিক সুরক্ষা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্পদ, সমাজ এম.আর মাহমুদ : কাল ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ভয়াল রাতে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে অবিভক্ত চকরিয়ার উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫০ হাজার নরনারীর প্রাণহানী ও শত কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়েছিল। সে স্মৃতি ২৭ বছর পরও উপকূল বাসী ভূলতে পারেনি। প্রতিবছর ২৯ এপ্রিল আসলেই চকরিয়া, পেকুয়া উপকূলবাসী মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া : কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় সরকারী অফিসে বসে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন দরিদ্র নারী মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী! ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ শনিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ ভবনের নিচ তলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেকুয়া -অধ্যাপক কৃপাল নারায়ণ পাল শ্রাবণ দিনের কাব্য’ একটি প্রেমের কাব্য। এই কাব্যের প্রতিটি কবিতায় কবির প্রেমিক হৃদয়ের গভীর অনুভুতির সার্থক প্রকাশ ঘটেছে। তবে কবিতাগুলোর মধ্যে হৃদয়ের হাহাকার স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়। তিনি বইটির উৎসর্গ পত্রে লিখেছেনঃ– যাকে ভালবেসে একদিন এই জীবনকে বড় বেশী ভালবেসেছিলাম- যাকে হারিয়ে আজ এই জীবনের চেয়ে মৃত্যুই মানবজমিন : মিয়ানমারের উত্তরে কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর। এতে কাচিন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ পালাচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়কের অফিস প্রধান মার্ক কাটস বলেছেন, গত তিন সপ্তাহে চীনের সীমান্তবর্তী কাচিন রাজ্য থেকে কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ বছরের শুরু থেকে এর আগে পালিয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কক্সবাজার পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটি থেকে দুইজন যুগ্ম-আহবায়কসহ ৬ নেতা পদত্যাগ করেছেন। ২৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। পদত্যাগকারীরা হলেন- নবগঠিত কমিটির ১ নং যুগ্ম-আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন মুকুল, যুগ্ম-আহবায়ক নুরুল আবছার (২ নং ওয়ার্ড সভাপতি),
bn
সদস্য জসীম উদ্দিন (১০ নং ওয়ার্ড সভাপতি), নিউজ টোয়েন্টিফোর : কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নারীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা করাচ্ছে দালালরা। অনুসন্ধানে এমন অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। অটোরিকশার চালকদের কাছেই পাওয়া যাচ্ছে এসব যৌন কর্মীদের সন্ধান। বিস্তারিত ভিডিও’তে ইমাম খাইর, সিবিএন: কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ প্যানেল আইনজীবী নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবদুর রহিম ও ইয়াসমিন শওকত জাহান রোজি। শনিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে তিনি সেরা দুই আইনজীবীর হাতে<|end_of_text|>৬ আষাঢ় ১৪২৩, ২০ জুন ২০১৬, সোমবার। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুফিয়া কামালের ১০৫ তম জন্মবার্ষিকীতে ছায়ানট গান আর পাঠের আসর আয়োজন করেছে ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে “ভুবনজোড়া আসনখানি” সম্মেলক গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আ. ফ. ম. সাইফুদ্‌ দৌলা। একে একে একক গান পরিবেশন করেন নাঈমা ইসলাম নাজ, নাসিমা শাহীন ফ্যান্সি, সুমন মজুমদার, ইলোরা আহমেদ শুক্লা, ইফ্‌ফাত আরা দেওয়ান ও বিমান চন্দ্র বিশ্বাস। পাঠ-আবৃত্তি করেন আব্দুস সবুর খান চৌধুরী ও মাহমুদা আখতার। অনুষ্ঠানের শেষ পরিবেশনা ছিল সম্মেলক গান “হে পার্থ সারথী”। অনুষ্ঠানে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন তবলায় এনামুল হক ওমর ও সুবীর ঘোষ, এস্রাজে অসিত বিশ্বাস এবং মন্দিরায় প্রদীপ কুমার রায়।<|end_of_text|>বছরের এই একটা সময়ে পরিবেশ যেন ত্বকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। তাই তো এই সময় স্কিনের বিশেষভাবে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই প্রবন্ধটি। কীভাবে? এই লেখায় এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা মেনে চললে ৪০ ডিগ্রিতেও আপনাক ত্বক সুন্দর এবং উজ্জ্বল থাকবে। গরম কালে প্রথম যে বিষযটা মাথায় রাখতে হয়, তা হল এই সময় �
bn
�াপ প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ত্বকের উপর অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব বেশি মাত্রায় পরে। তাই এ বিষয়ে সাবধান থাকাটা জরুরি। সেই সঙ্গে চামড়া পুড়ে যাওয়ার সমস্যা তো আছেই। এসবের থেকে দূরে থাকতে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি দারুন কাজে আসতে পারে। তাই আর সময় নষ্ট না করে এক্ষুনি চোখ রাখুন বাকি লেখায়। বছরের এই একটা সময়ে প্রচন্ড ঘাম হয়। আর সেই কারণে অনেকেরই মুখ খুব তেলতেলে হয়ে যায়। তাই তো ব্যাগে সব সময় ভেজা টিস্যু পেপার রাখাটা জরুরি। যখনই দেখবেন খুব ঘাম হচ্ছে, তখনই মুখটা আলতো করে মুছে নেবেন। এমনটা করলে মুখ পরিষ্কার থাকবে, সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হবে। গরমের সময় সান গ্লাস না নিয়ে বাড়ি থেকে বেরনোই চলবে না। কারণ যেমনটা আগেও বলেছি, বছরের এই একটা সময়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি খুব সক্রিয় হয়ে ওঠে। যে কারণে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সান গ্লাস ব্যবহার মাস্ট! প্রসঙ্গত, অনেকেই কম দামি সান গ্লাস ব্যবহার করেন। এমনটা একেবারেই করবেন না। কারণ এই সব সান গ্লাস চোখকে তো বাঁচাই না, উল্টে মারাত্মক ক্ষতি করে দেয়। তাই সব সময় ব্রন্ডেড চমশা কিনবেন। তাতে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে। অনেকে মনে করেন কেবল শীতকালে ঠোঁট ফাটে। এমন ধরণা একবারেই ঠিক নয়। গরমের সময়ও একই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই তো সঙ্গে সব সময় লিপ বাম রাখবেন। আর যেহেতু গরমকালের কথা আলোচনা করা হচ্ছে তাই অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচাবে এমন লিপ বাম ব্যবহার করাই শ্রেয়। প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরের মধ্যে সবথেকে স্পর্শকাতর জায়গা হল ঠোঁট। তাই তো তাপ প্রবাহের কারণে একেবারে প্রথমেই ক্ষতি হয় ঠোঁটের। সাই জন্যই গরম কালেও ঠোঁটের বিশেষ ভাবে যত্ন নেওয়া জরুরি। ঠোঁটের ক্ষেত্রে যেমন লিপ বাম, তেমনি ত্বকের ক্ষেত্রে সান স্ক্রিন সমান ভাবে জরুরি। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, সূর্যালোকের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাধারণ সান স্ক্রিন তেমন কাজেই আসে না। তাই এই সময় এস পি এফ সমৃদ্ধ সান স্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন লোশনটা খুব বেশি থকথকে কিনা। যদি তে
bn
মন হয়, তাহলে ব্যবহার করবেন না। কারণ থকথকে লোশন ত্বকের ছিদ্রগুলিকে বন্ধ করে দেয়। ফলে নানা ধরনের ত্বকের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাহলে কেমন সান স্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে? যে লোশনটি হলকা এবং এস পি এফ রয়েছে এমন সান স্ক্রিন মুখে লাগানোই শ্রেয়। আপনি কী খুব ঘামেন? তাহলে সঙ্গে সব সময় বেবি পাউডার রাখবেন। কী কাজে লাগে এই প্রসাধনিটি? শরীরে যে যে জায়গায় বেসি মাত্রায় ঘাম হয়, সেখানে সেখানে অল্প করে বেবি পাউডার লাগিয়ে দিলেই দেখবেন ঘাম হওয়া একেবারে কমে গেছে। সেই সঙ্গে ঘামের দুর্গন্ধের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, গরমকালে যাদের হাতের তালু খুব ঘামে, তারা বেবি পাউডার ব্যবহার করলে দারুন উপকার পাবেন। গরমের সময় ত্বককে প্রাণবন্ত এবং সুন্দর রাখতে ফেসিয়াল মিস্ট ব্য়বহার করা জরুরি। তাছাড়া এ সময় ত্বকে তার প্রয়োজনীয় আদ্রতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রেও ফেসিয়াল মিস্ট দারুন কাজে আসে। সেই সঙ্গে ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য় করে। তবে কোনও ফেসিয়াল মিস্টটি আপনার ত্বকের প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাবে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। না হলে কিন্তু সেভাবে সুফল পাবেন না। বছরের এই একটা সময় প্রচন্ড ঘাম হয়। যে কারণে শরীর থেকে জল এবং খনিজ সব বেরিয়ে যায়। ফলে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি। না হলে শরীর খারাপ তো হয়ই, সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও হ্রাস পায়। তাই গরমকালে বাড়ির বাইরে বরলে সব সময় সঙ্গে জলের বোতল সঙ্গে রাখাটা জরুরি।<|end_of_text|>খুলনা অফিস : খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন দক্ষিণ টুটপাড়া এলাকায় বিস্কুট খেতে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আট বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক হারুন মোল¬া (৬০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)তে ভর্তি করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এম মিজানুর রহমান জানান, সোমবার দুপুরে দক্ষিণ টুটপাড়া এলাকার ৩নং কালভার্ট সংলগ্�
bn
� চা-সিগারেটের দোকানদার হারুন মোল্লা শিশুটিকে বিস্কুট খেতে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে খৃস্টানপাড়া এলাকার এবাদুলের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি টিনসেড পরিত্যক্ত কক্ষের মধ্যে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে হারুন মোল¬া। শিশুটি বাসায় ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বজনরা ঘটনা জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষণের বিষযটি জানায়। এরপর শিশুটির বাবা-মা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হারুণ মোল¬াকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩এর ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত হারুন বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার জামিরতলা এলাকার মৃত ইউসুব মোল্লার ছেলে। নগরের দক্ষিণ টুটপাড়া খ্রিস্টান পাড়া এলাকার এবাদুলের ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল্স আয়োজিত বার্ষিক বিক্রয় ও বিপণন সম্মেলন-২০১৮ গতকাল ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা বক্স ওষুধ শিল্পের আগামী দিনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে চ্যালেঞ্জসমূহ সফলভাবে মোকাবেলা করার দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের একটি শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাভানার কর্মকর্তাদের আগামী দিনের কৌশলগত নির্দেশনা প্রদান করেন এবং হিউম্যান হেল্থ এবং এনিমেল হেল্থ উভয় বিভাগের ২০১৭ সালের বিক্রয়ের ভিত্তিতে সেরা কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন। অখিল চন্দ্র ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক সম্মেলনে ২০১৮ সালের বিক্রয় ও বিপণন সংক্রান্ত কৌশল, ব্রান্ডিং এবং গ্রাহকদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সকলকে বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রায় ১৬০০ জন প্রতিনিধি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্মেলন অংশগ্রহণ করেন। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল্সের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা আ
bn
স্তমা মাদরাসার সামনে মিনিবাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৩ মহিলাসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী ও চালক। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় এ হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্র জানায়, সিলেট থেকে রোগীসহ প্রাইভেটকারে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুরে যাচ্ছিলেন কারের যাত্রীরা, একই সময়ে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী মিনিবাস ঘটনাস্থল দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা আস্তমা মাদরাসার সামনে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের সবাই মারা যায় এবং মিনিবাসের অন্তত ১২ জন যাত্রী আহত হন। এ সময় সিলেট থেকে আসা প্রাইভেটকারে থাকা ৫ জন যাত্রী নিহত হয়। নিহতরা হলেন সিলেট টুকের বাজার ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের আব্দুস শহিদ (৭০) ও তার স্ত্রী হাসনাফুল (৫০) মেয়ে আয়শা বেগম (২৬), আইজুন নেছা (৫০), প্রাইভেট কারের চালক সুনামগঞ্জের হাছননগর এলাকার ছাব্বির (৩০)। নিহতদের ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতদের স্বজন আব্দুল কাদির জানান, হাসনাফুল আমার শাশুড়ি। উনার চোখের অপারেশনের জন্য সুনামগঞ্জ ভার্ড চক্ষু হাসপাতালে প্রাইভেটকারযোগে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সবাই মারা গেছেন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাস ও প্রাইভেটকার আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ মো. বরকতুল্লাহ খান। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি কাজী মুক্তাদির চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সংসদ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার ইস্যুতে বলেছেন, কোটা থাকলেই সংস্কারের প্রশ্ন আসবে। এখন সংস্কার করলে আগামীতে আরেক দল আবারও সংস্কারের কথা বলবে। কোটা থাকলেই ঝামেলা। সুতরাং কোনও কোটারই দরকার নেই। কোটা ব্যবস্থা বাদ, এটাই আমার পরিষ্কার কথা। তবে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের অন্যভাবে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গতকাল
bn
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনও কোটারই দরকার নেই। কোটা থাকলেই সংস্কারের প্রশ্ন আসবে। এখন সংস্কার করলে আগামীতে আরেক দল আবারও সংস্কারের কথা বলবে। কোটা থাকলেই ঝামেলা। সুতরাং কোনও কোটারই দরকার নেই। কোটা ব্যবস্থা বাদ, এটাই আমার পরিষ্কার কথা। বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশ তখন উন্নত হয় যখন একটি শিক্ষিত সমাজ গড়ে ওঠে। শিক্ষিত সমাজের কর্মক্ষেত্র প্রসারিত করতে আমরা সে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের সরকারের আমলে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে, বৃত্তি পাচ্ছে, বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে। আমাদের ছেলে- মেয়েরা লেখাপড়া করবে, মানুষের মতো মানুষ হবে, তারা দেশ পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, এখন কোটা সংস্কারের নামে ছাত্ররা রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছে। তারা রাস্তায় বসে আছে, যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে, রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারছে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমিই তৈরি করে দিয়েছি, এখন সবাই ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষা ব্যবস্থা আমিই চালু করেছি। এখন সেগুলো ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হলো, এক ছেলে মারা গেছে। রাত ১টার সময় হলের গেট ভেঙে রাস্তায় নেমে এলো ছেলে- মেয়েরা। পরে ওই ছেলে যখন মারা যায়নি, ওই ছেলে যখন নিজেই ফেসবুকে জানিয়ে দিল তখন তাদের মুখটা কোথায় গেল? এরপর শুরু হয় যত অঘটন, ভাঙচুর, লুটপাট; এর দায় কে নেবে’- প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিসির বাড়িতে আক্রমণ হলো, আমরাও তো আন্দোলন করেছি। আমরা তো কখনও এমনটি করিনি। ভিসির বাড়িতে এমন ভাঙচুর, ভিসির বাড়ির ছবি দেখে মনে হয়েছে পাকিস্তানী বাহিনী আমাদের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে যেভাবে ভাঙচুর চালিয়েছিল, লুটপাট করেছিল ভিসির ছেলে- মেয়ে ভয় পেয়ে লুকিয়ে ছিল, একতলা- দোতলা ভবন তছনছ করা হলো, পরে সিসি ক্যামেরা নিয়ে চলে গেল আমি এ ঘটনার তীব্র নিন
bn
্দা জানাই। যারা ঘটিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে আমি মনে করি না। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ছাত্ররা দাবি করেছে, আমিও বসে থাকিনি। আমাদের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে পাঠিয়েছি। তিনি ছাত্রদের সঙ্গে বসেছেন। আমি ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে নির্দেশ দিয়েছি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে। মন্ত্রী তাদের সঙ্গে বসল, একটা সমঝোতা হলো। অনেকে মেনে নিল কিন্তু অনেকে মানল না। টিএসসিতে অনেকে থেকে গেল, কেন? যখন আলোচনা হয়েছে, কথা হয়েছে তাহলে কেন চারুকলায় অবস্থিত মঙ্গল শোভাযাত্রা পুড়িয়ে তছনছ করা হলো। আর মেয়েরাও হল থেকে বেরিয়ে আসল। আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। নানককে পাঠালাম, আলোচনা করল, তাদের ফিরে যাওয়ার কথা বলা হলো কিন্তু তারা মানল না, আন্দোলন চালিয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা নীতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করি। যারা আন্দোলনে নেমেছে তারা আমার নাতীর বয়সী, তাদের ভালো কিসের, আমরা তো ভালো জানি। তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে কোটা ব্যবস্থা চলছে। ৩৩তম বিসিএসে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে ৭৭.৪০ ভাগ শিক্ষার্থীর আর ৩৫তম বিসিএসে মেধার ভিত্তিতে ৬৭.৪৯ ভাগ শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মেধাবীরা কিন্তু বাদ যায়নি যেখানে কোটা পাওয়া যাবে না, মেধা তালিকা থেকে দেয়া হবে। এটা কিন্তু চলছে, জানি না ছাত্ররা এটা জানে কিনা? প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি, ছাত্ররা মেধাবী, তাদের লিখিত পরীক্ষায় পাস করে এ পর্যায়ে আসতে হয়। তাদের দাবিতে তো বলা আছে, কোটায় পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ হবে। আমরা মেধা তালিকা থেকে তো নিয়োগ দিচ্ছি। আর এ নিয়ে ঢাবির কিছু প্রফেসর, শাবির তারাও তাল মিলিয়েছে। সকালে ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট- সেক্রেটারি আমার কাছে আসে। তারা বলে, আমরা ঘুমাতে পারছি না, ছাত্ররা রোদে বসে আছে, তাদের তো অসুখ-বিসুখ হবে। রাস্তা অবরোধের কারণে কেউ অফিস-আদালতে যেতে পারছে না, রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারছে না, এভাবে তো চলতে পারে না। তিনি বলেন, কোটাই থাকবে না, কোটার দরকার নাই, বিসিএস যে পদ্ধতিতে হয় সেভাবেই হবে। কেউ যাতে বঞ্চিত না হয় সে ব্যবস্থা তো আমাদের আছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা চাক
bn
রি পেত না, আগে নারীদের জজ হওয়ার সুযোগ ছিল না। পাকিস্তান আমলে নারীরা জজ হিসেবে তো আদালতে ঢুকতেই পারত না। আমরা এসে নারীদের চাকরিতে ১০ ভাগ কোটার ব্যবস্থা করি, কিন্তু এখন মেয়েরাও রাস্তায়। তার মানে তারাও কোটা চায় না। আমি তো খুশি, আমি নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি, মেয়েরা যখন চায় না তাহলে কোটার দরকার নাই’- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, যথেষ্ট আন্দোলন হয়েছে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ঢাবির ভিসির ভবন যারা ভাঙচুর করেছে, লুটপাট করেছে, ছাত্রদেরই সেগুলো খুঁজে বের করে দিতে হবে। আমরা গোয়েন্দা সংস্থা নামিয়েছি তারা খুঁজে বের করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষকদের সম্মান করি। এখনও যেসব শিক্ষক বেঁচে আছেন তাদের আমরা সম্মান করি, শালীনতা বজায় রাখি। সবারই তো আইন মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আজ (বুধবার) সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব আছে। সেখানে এই কোটা প্রসঙ্গ চলে আসতে পারে। সেখানে দেখুন প্রধানমন্ত্রী কী বলেন।’ সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে আন্দোলন ঢাবিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। মো. আব্দুল মতিনের (মৌলভীবাজার- ২) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে থেকে অবস্থান করা রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় অপরাধী চক্রের সহায়তায় অপরাধমনস্ক কিছু রোহিঙ্গা বিভিন্ন ধরনের অপরাধকর্মে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের মধ্যে হত্যা, মারামারি, ছুরিকাঘাত, বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা এবং পিস্তল দিয়ে পরস্পরকে গুলী করার মতো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত আ�
bn
�ে। রোহিঙ্গাদের যে কেউ অস্ত্র বা অন্য কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত হলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১টি অস্ত্র মামলায় ২৯ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে বিচারে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া হত্যা, মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার এবং মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজিবি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে, মিয়ানমার হতে আগত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে কোনো ধরনের অস্ত্র সঙ্গে করে নিয়ে আসতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনী কর্তৃক অবৈধ অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নাফ নদীতে মিয়ানমার হতে আগত বোটসমূহে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশিকালে সেন্টমান্টিনের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল হতে তিনটি সামুরাই তরবারি এবং একটি ট্রলারসহ ছয় মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়। এ সময় সংসদে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানের প্রক্রিয়াসমূহ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাত লাখ রোহিঙ্গা যদি স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যেতে চায় তাহলে মিয়ানমার তাদের গ্রহণ করতে রাজি বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং তুন। শনিবার সিঙ্গাপুরে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলন শাংরি-লা সংলাপে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। ওই সম্মেলনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, জাতিসংঘের ‘রেসপনসিবিলিট টু প্রটেক্ট’ (আরটুপি) ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে রোহিঙ্গা সঙ্কট বিবেচনা করা যাবে কিনা। এর জবাবে তিনি ওই কথা বলেন। ২০০৫ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে আরটুপি ফ্রেমওয়ার্কটি গ্রহণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে নিজ দেশের জনগণকে রক্ষা এবং এই প্রতিশ্রুতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে এক দেশ অন্য দেশকে সহযোগিতা করবে। একই সঙ্গে সম্মিলিতভাবে অন্যদেরকে এই দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত ও সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় তারা। এমন ইস্য�
bn
�তে থাউং তুন বলেন, “যদি আপনারা স্বেচ্ছায় ভিত্তিতে সাত লাখ মানুষকে ফেরত পাঠাতে পারেন তাহলে আমরা তাদেরকে গ্রহণ করতে রাজি আছি।” এ সময় তিনি জাতি নিধন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “এটাকে কি জাতি নিধন বলা যাবে? এখন আর কোনো লড়াই চলছে না। তাই এটা কোনো যুদ্ধাপরাধ নয়। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এটাকে বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের সুস্পষ্ট প্রমাণ প্রয়োজন। এমন গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হতে হবে। এ অভিযোগকে হালকাভাবে দেখা উচিত হবে না।” তিনি আরও বলেন, “রাখাইনের যে আখ্যান প্রকাশিত হচ্ছে তা ‘অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর’। তবে সেখানে যে মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমার সেটাকে অস্বীকার করছে না। রাখাইনের ভুক্তভোগী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে অস্বীকার করা হচ্ছে না। তবে সেখানে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী রাখাইন, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও নিপীড়িত হচ্ছে।” উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ শে আগস্ট সৃষ্ট নৃশংসতা থেকে জীবন বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে কমপক্ষে সাত লাখ রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে তাদের ওপর সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধরা গণধর্ষণ, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ সহ সব রকম অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। এসব বিষয়কে প্রামাণ্য হিসেবে তুলে ধরেছে বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন। একে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে বলা হয় দুই বছরের মধ্যে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারটি চূড়ান্ত করবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘ এবং মিয়ানমারের মধ্যে বৃহস্পতিবার এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।-পার্স টুডে সামছুল আরেফীন : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার, বাতিল ও পর্যালোচনায় গঠিত সরকারি কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হচ্ছে, কোটা প্রায় পুরোটাই উঠিয়ে দেয়া। এর পাশাপাশি মেধাকে প্রাধান্য দেয়ারও সুপারিশ এসেছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন
bn
ে প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ওই কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বিদ্যামান কোটা যেমন অস্বাভাবিক তেমনি পুরোপুরি বাতিল করাও সম্ভব নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো কোটা অলমোস্ট (প্রায় পুরোটাই) উঠিয়ে দেয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেয়া। তবে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় আছে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রতিপালন করতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে। যদি পদ খালি থাকে, তবে তা খালি রাখতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। যদি আদালত বাতিল করে দেন, তবে কোটা থাকবে না। আর যদি আদালত বলেন, ওই অংশটুকু (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) সংরক্ষণ করতে হবে, তাহলে ওই অংশ বাদে বাকি সবটুকু উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এটা হলো প্রাথমিক তথ্য। আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা (কমিটি) নিজেরাও ওই রায় বিশ্লেষণ করেছিল। তবে পুরোপুরি বুঝতে পারছে না। এ জন্য আদালতের মতামত চাওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের সময় এসেছে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাওয়া। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সামনে আসবে কীভাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, তারাও (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী) অনেক অগ্রসর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। প্রথমে কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় দেয়া হয়েছিল। পরে সময় বাড়িয়ে আরও ৯০ কর্মদিবস দেয়া হয়। দেশে প্রথম শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে এখন সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা রয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা পুরো কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করলেও কোটার একটি বড় অংশ, অর্থাৎ ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় সেটি নিয়েই সবচেয়ে বেশী আলোচনা হচ্ছে। এর বাইরে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ
bn
আর প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা বর্তমান ব্যবস্থায় সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এই ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ১১ই এপ্রিল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে দেয়া একটি ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে গত ১২ই জুলাই তিনি আবার সংসদে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ থাকায় সেটি সরকারের পক্ষে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা : গত ১১ জুলাই সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হক। উচ্চ আদালতের রায়ের বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা কোটা থেকে পূরণ করার সুযোগ থাকলেও ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই এই আদেশ অগ্রাহ্য করে বা পাশ কাটিয়ে বা উপেক্ষা করে ভিন্নতর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। এটা করা হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল সম্ভব নয়: ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোটা তাতে হাইকোর্টের রায় রয়ে গেছে। সেখানে হাইকোর্টের রায়ে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তাহলে ওই কোটার বিষয়ে আমরা কীভাবে কোর্টের ওই রায় ভায়োলেট করবো। সেটা তো আমরা করতে পারছি না। এই রায় অবমাননা করে তখন তো আমি কনটেম্প অব কোর্টে পড়ে যাবো। এটা তো কেউ করতেই পারবে না। তিনি আরও বলেন, যেখানে কোটা পূরণ হবে না, কোটার যেটা খালি থাকবে, তা মেধার তালিকা থেকে নিয়োগ হবে। এটা আমরা করে দিয়েছি। গত কয়েক বছর থেকেই এই প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে আদালতের মূল রায় নয় : মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে আদালতের যে রায়ের কথা বলা হচ্ছে, তা মূল রায় নয়। এই অংশটা আদালতের পর্যবেক্ষণ। পর্যবেক্ষণ মানা �
bn
�াধ্যতামূলক নয়। এ কথা ফেসবুকে লিখেছেন সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তুজা। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- আমাদের কান চিলেই নেয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে আদালতের যে রায়ের কথা বলা হচ্ছে, তা মূল রায় নয়। এই অংশটা আদালতের পর্যবেক্ষণ (the reservation of 30%quota the children of fredoom fighter Shall be followed strictly, aû case if the quota canÕt be filled up the concerned post be kept vacant). মূল রায় নয়। মূল রায় মানা বাধ্যতামূলক। অমান্য করলে আদালত অবমাননা করা হয়। পর্যবেক্ষণ মানা বাধ্যতামূলক নয়। এই পর্যবেক্ষণেও নাতি- পুতিদের (এৎধহফ ঈযরষফৎবহ) কথা লেখা হয়নি। মুন সিনেমা হলের মামলায় আদালতের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ছিল, সংসদ চাইলে আরও দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে। সরকার তা মানেনি। এতে আদালত অবমানাও হয়নি। কারণ এটা মূল রায় ছিল না, ছিল পর্যবেক্ষণ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী প্রথম দিন যা বলেছেন, দ্বিতীয় দিন সংসদেও প্রধানমন্ত্রী সেকথাই বলেছেন। হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে, বা তিনি ভুল বুঝেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছেও সঠিক তথ্য পৌঁছায়নি বলেই মনে হচ্ছে। তিনি গত ১১ এপ্রিল কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২ মে বলেছিলেন ‘কোটা বাতিল হয়ে গেছে’- তার থেকে সরে এসে গতকাল বলেছেন, আদালতের রায় থাকায় কোটা বাতিল করা যাবে না। তাছাড়া এটা মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকা না থাকা বিষয়ক মামলা ছিল না। এটা ছিল এড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ইধহমষধফবংয াং ঔধসধষ টফফরহ ঝযরশফবৎ (২০৬২ ড়ভ ২০১৩) অন্য একটি মামলার পর্যবেক্ষণ। ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের সন্তানদের সুবিধা দেবার জন্য প্রথমে এ কোটা চালু করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালে প্রথম এই কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু ক্রমান্বয়ে এই কোটার পরিধি বেড়েছে। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের নাতী-নাতনীদের জন্য এ কোটা প্রযোজ্য হচ্ছে। ৬৪টি জেলার জন্য কোটা আছে। মূলত দেশের অনগ্রসর মানুষকে সুবিধা দেবার জন্যই কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সূত্র মতে, প্রথম �
bn
�্রেণীর চাকরিতে মোট পাঁচটা ক্যাটাগরিতে কোটার ব্যবস্থা রয়েেেছ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। কোটা সংস্কারের দাবিগুলো কী? 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ'এর ব্যানারে যে পাঁচটি বিষয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে সেগুলো হল- * সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়স-সীমা- (মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরির বয়স-সীমা ৩২ কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০) * কোটায় কোনও ধরনের বিশেষ পরীক্ষা নেয়া যাবে না ( কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাকরি আবেদনই করতে পারেন না কেবল কোটায় অন্তর্ভুক্তরা পারে) আইন কী বলে: সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। এই অনুচ্ছেদের ২৯ এর (৩) এর (ক) তে বলা হয়েছে, নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাঁহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করা হইতে, রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না। কোটা পুরোপুরি বাতিল সম্ভব না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংবিধানের ২৮(৪) এবং ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। দেশের পিছিয়ে পড়া কোনও জনগোষ্ঠী, কোনও এলাকার জনগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায় যদি সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তাদের সুযোগ দিতে সংবিধান সরকারকে ক্ষমতা দিয়েছে। এই ক্ষমতা বলেই কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। বিভিন্ন সময় যৌক্তিক কারণেই বিভিন্ন গোষ্ঠী ও মানুষের জন্য এই কোটা পদ্ধতির সৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণগুলো এখনও সমাধান হয়নি বলে কোটা পুরোপুরি বাতিল করা যাবে না বলে মনে করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী যেমন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, তারপর বিশেষ ভৌগলিক এলাকার বিশ
bn
েষ মানুষ এমন বিভিন্ন ধরনের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আছে। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। শাহদীন মালিক বলেন, আমরা শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা করে যে অস্বাভাবিক সমাধান করেছিলাম, ঠিক সেভাবেই কোটা শূন্যে নামিয়ে আনাও আমার দৃষ্টিতে একটা অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তিনি মনে করেন, কোটা শূন্য হলে বিভিন্ন বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বঞ্চনা দীর্ঘস্থায়ী করা হবে, যা ১৯৭২ সালের সংবিধানের চেতনা ও ধারণার পরিপন্থী। ভারতে কোটা পদ্ধতি আছে। আগে অনেক বেশি ছিল, এখন কিছুটা কম। এখন খাতগুলো কমে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সিডিউল কাস্ট, সিডিউল ট্রাইব এবং অন্যান্য পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা। আগে এটা চাকরির ক্ষেত্রেও প্রবলভাবে ছিল। কিন্তু এ নিয়ে ভারতের আদালত একাধিকবার তাদের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে, ফলে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একবার বলেছে, এই কোটা পদ্ধতিটি সরাসরি সংবিধানবিরোধী। পরে ভারত সরকার অবশ্য এ কারণে তাদের সংবিধানেও কিছু পরিবর্তন এনেছে। তখন সুপ্রিম কোর্ট কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোটাকে বৈধ বললেও এর পরিমাণ যাতে ৫০ শতাংশের বেশি না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলেছে। মেধার মূল্যায়ন সর্ম্পকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় হয়েছে এবং তাতে বলা হয়েছে, কোটাভিত্তিক নিয়োগ কখনও-ই মেধার চেয়ে বেশি হতে পারবে না। এ বিষয়ে ড. আকবর আলী খান ও কাজী রকিবউদ্দীন আহম্মদ (এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার) একটি গবেষণা করেছেন। তাতে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে বর্তমানে ২৫৭ প্রকারের কোটা আছে, যা ঐতিহাসিক এবং বিশ্বে বিরল ঘটনা। এ জাতীয় কোটার হিসেব-নিকাশ অতি জটিল একটি প্রক্রিয়া এবং তাতে ভুল হতে পারে। ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে সুবিধা দেয়ার সুযোগও থাকতে পারে। বিশেষ করে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কোটা নির্ধারণে এমনটি বেশি হওয়ার কথা শোনা যায়। এছাড়াও জলা কোটা হিসেবের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। দেখা যায়, মেধা থাকা সত্বেও বা বেশি নম্বর পেয়েও কম জনসংখ্যার অধিবাসী, যেমন মেহেরপুর, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট জেলা�
bn
� প্রার্থীরা চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসবই হচ্ছে সংবিধান-বিরোধী এবং সমসুযোগ প্রদানের ব্যতয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের সংবিধানে যা আছে, তা ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। কিন্তু আমাদের সংবিধানের স্পিরিট হলো অনগ্রসর শ্রেণিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা। তাই কোটা পুরো বাতিল নয়, কোটা সংস্কারই যৌক্তিক। আর প্রধানমন্ত্রী কিন্তু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সম্মান জানাবো, এটাই স্বাভাবিক। আর সেই সম্মানের জয়াগা থেকেই কোটা। কিন্তু সেটা কতদিন এবং কোন পর্যন্ত পাবেন, কী পরিমাণ পাবেন তা যৌক্তিক হওয়া প্রয়োজন। স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ‘নির্যাতন-সন্ত্রাস-দুর্নীতি-মাদক প্রতিরোধ কমিটি বরিশাল-৪’ নামের সংগঠন। বরিশাল-৪ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, দুর্নীতি, এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক লুটপাট ও জমি দখলের অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনটির আয়োজন করা হয় ‘নির্যাতন-সন্ত্রাস-দুর্নীতি-মাদক প্রতিরোধ কমিটি বরিশাল-৪’ নামে। তবে এই কমিটির নামে সাংবাদিক সম্মেলন হলেও উপস্থিত যারা ছিলেন, তারা সবাই ওই এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ও হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন মাতব্বর, স্থানীয় জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেকান্দার আলী, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মাহে আলম ঢালী, হিজলা উ�
bn
�জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ মাহমুদ, হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। বরিশাল-৪ আসনটি মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা ও কাজিরহাট থানা নিয়ে গঠিত। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করেন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব এবং মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। ছয় পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে সংগঠনবিরোধী কর্মকা-, সন্ত্রাসী কর্মকা-, নিয়োগ-বাণিজ্য, নির্বাচন-বাণিজ্য, কমিশন-বাণিজ্য, মাদক বিক্রয়, লুটপাট, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন, জাটকা নিধন-বাণিজ্য, দখল-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে আসছে সংসদ নির্বাচনে পঙ্কজ নাথকে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, পঙ্কজ নাথের জনপ্রিয়তা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। তিনি প্রার্থী হলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তাই পঙ্কজ নাথের পরিবর্তে যেকোনো যোগ্য ও আওয়ামী লীগ আদর্শে বিশ্বাসী একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সংগঠনের সদস্য সচিব ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সাগর বলেন, ‘পঙ্কজ দেবনাথের খবরদারি, জুলুম, অন্যায় ও অত্যাচারের কারণে এলাকায় দলের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। তার অপকর্মের জন্য এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভাবমূর্তি সংকট দেখা দিচ্ছে। শুধু তিনি একা নন, তার অনুপস্থিতিতে তার ছোট ভাই মনোজ নাথ, চাচাতো ভাই রামকৃষ্ণ নাথ, ভাগ্নে রিপন নাথের ইশারায় চলে প্রশাসনের অবৈধ বাণিজ্য ও লুটপাট। দলীয় কোনও নেতাকর্মী তার বিরুদ্ধে গেলেই প্রশাসনের দ্বারা মিথ্যা মামলা দায়ের এবং সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালায়। তিনি বলেন, ‘পঙ্কজ দেবনাথের নির্যাতন, সন্ত্রাসী হামলা ও মামলার ভয়ে অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আজ এলাকাছাড়া। এলাকার যুব সমাজের হাতে তিনি মাদক ও অবৈধ অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। পঙ্কজ দেবনাথের �
bn
�ঙ্গে মাদক ও চোরাচালানকারীদের সুসম্পর্কের কারণে মেহেন্দিগঞ্জের ইলিশা নদী দিয়ে কালীগঞ্জ রুটে মাদক দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করে।’ আনোয়ার হোসেন সাগর আরও বলেন, ‘পঙ্কজ দেবনাথ ১/১১-এর সময় শীর্ষ দুর্নীতিবাজ হিসেবে গ্রেফতার হন। বর্তমানে তার নির্বাচনি এলাকা বরিশাল-৪ আসনসহ রাজধানীর উত্তরা ও ধানমন্ডিতে বিলাসবহুল বাড়ি, অভিজাত এলাকায় নামে-বেনামে একাধিক প্লট, ফ্ল্যাট ও গার্মেন্টস রয়েছে। ভারতেও তার একাধিক বাড়ি ও মার্কেট রয়েছে। তিনি হুন্ডি, মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে দেশের বাইরে শত শত কোটি টাকা পাচার করেছেন।’ লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৫ জন নৈশপ্রহরী কাম দফতরি অবৈধভাবে নিয়োগ দেয় পঙ্কজ দেবনাথ। এর জন্য প্রত্যেকের কাজ থেকে ৫-৭ লাখ টাকা নেন তিনি। এছাড়াও হাইস্কুল ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ডোনেশনের নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০-১৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেন এই এমপি। আরও অভিযোগ করা হয়, পঙ্কজ দেবনাথ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নামে তার নিজস্ব সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনী গঠন করে খেয়াঘাট, টেম্পো স্ট্যান্ড, জলাশয়, লঞ্চঘাট, হাট-বাজার, নদীর বালু, মাছের পাড়া, খাদ্য গোডাউন, ভূমি অফিস, ইটভাটা থেকে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন। তিনি সরকারি খাস জমি বরাদ্দের নামেও বাণিজ্য করেছেন। দখল বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের অসাংগঠনিক কার্যক্রম, দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ও লুটপাটের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের আহ্বায়ক ও হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইকবাল মাতুব্বর বলেন, ‘আমাদের দাবি পঙ্কজ দেবনাথের এসব অপকর্ম ও দুর্নীতির যাতে সুষ্ঠু তদন্ত করা হয়। এছাড়াও এমন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে যাতে আগামী নির্বাচনে মনোন
bn
য়ন দেওয়া না হয়। তার এসব হরিলুটের অপরাধে তাকে বিচারের সম্মুখীন করারও দাবি জানাচ্ছি। মো. তোফাজ্জল বিন আমীন : বিদ্যুৎ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বিদ্যুৎ মানব জীবনের একটি অপরিহার্য বস্তু। বিশ্ব সভ্যতা বিকাশে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিকল্প কোন বস্তু নেই। দারিদ্র্য বিমোচন, নারী উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য বস্তু হচ্ছে বিদ্যুৎ। দেশের শিল্প-কারখানা স্থাপন, কৃষিক্ষেত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার ও জনগণের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে...... ১বেওয়ারিশ লাশের মিছিল বেড়েই চলেছে-মো. তোফাজ্জল বিন আমীননিবন্ধটি শুরু করছি সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘হীরক রাজার দেশে’র একটি ঘঠনাকে অবলম্বন করে। অনেকে হয়ত জানেন,‘হীরক রাজার দেশে’ নিয়ম ছিল শুধু রাজার জয়গান গাইতে হবে। রাজার কোনো কাজের সমালোচনা বা নিন্দা করা যাবে না। সমালোচনা করলেই তার শাস্তি পেতে হবে। এই ছবির এক গায়ক গান গেয়েছেন,‘আমি যে দিকে তাকাই অবাক বনে যাই,আমি ইহার অর্থ নাহি...... ১সোনার বাংলা শ্মশান হলো কেন-আবু মহি মুসাগত ৩ মে, ২০১৭ ‘দৈনিক আজকের জীবন’ পত্রিকায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল, ‘এশিয়ার নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুর যখন স্বাধীনতা লাভ করে তখন তাদের কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ ছিল না। ২০ লাখ মানুষের চাহিদার তুলনায় খাদ্য উৎপাদনও ছিল...... ঈদে ৫ দিন করে দুই ঈদে মোট ১০ দিন ছুটি হওয়া জরুরি। কারণ ্ঈদের সময় পথে প্রচ- যানজট হয়। ঢাকা থেকে যেসব জেলার দূরত্ব বেশি পৌঁছাতে কমপক্ষে ২ দিন সময় লাগে। নিকট জেলাতে পৌঁছতে ১২ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় লাগে। সরকারী ছুিট ৩ দিন। এ কারণে বহু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি ৩ দিনের বেশি দেয় না। বাড়িতে যাতায়াতেই তিন দিন ছুটি শেষ হয়ে যায়। ঈদের সময় এত টাকা পয়সা খরচ করে এত কষ্ট-পরিশ্রম করে বাড়িতে...... ১.ক্ষমতার দাপটে তুফনরা যখন ধর্ষক-মো. তোফাজ্জল বিন আমীনআর কতকাল সংবাদের শিরোনামে চাপাতি বদর�
bn