author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০০ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:০২ | চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | পুরোনো মালামাল বিক্রির দরপত্র ফরম জমা দিতে ঠিকাদারদের বাধা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/317122 | চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পুরোনো ও অকেজো মালামাল বিক্রির দরপত্র জমা দিতে পারেননি সাধারণ ঠিকাদারেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একদল যুবক তাঁদের বাধা দেন।এদিকে, ঠিকাদারদের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করেছে সিটি করপোরেশন।করপোরেশনের সচিব রশিদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, একদল যুবক করপোরেশনের পুরোনো ও অকেজো মালামালের দরপত্র ফরম জমা দিতে আসা সাধারণ ঠিকাদারদের বাধা দিয়েছেন। তাই দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল, পুনঃদরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাধাদানকারী যুবকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, করপোরেশনের সাগরিকা স্টোরে থাকা প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের বিটুমিনের ড্রাম বিক্রি করার জন্য নিলাম দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে করপোরেশন। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই নিলামের জন্য ৩৯টি দরপত্র ফরম বিক্রি হয়। তবে গতকাল জমা পড়েছিল মাত্র তিনটি। ১৫-২০ জন যুবক গতকাল সকাল থেকে দরপত্র বাক্স ঘেরাও করে রাখেন। এ সময় তাঁরা কাউকে দরপত্র ফরম জমা দিতে দেননি। সাধারণ ঠিকাদারেরা বিষয়টি করপোরেশনের মেয়র মন্জুর আলমকে অবহিত করেন। পরে সচিব ও নিরাপত্তা রক্ষীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের সরিয়ে দেন। এ সময় বাধাদানকারী যুবকদের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। | 92,650 |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জুলাই ২০১৪, ০১:১৫ | ০৬ জুলাই ২০১৪, ০১:১৬ | আদমদীঘি,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাস্তা নির্মাণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/259753 | বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে একটি রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, পৌরসভার যোগীপুকুর এলাকায় মিজানুরের সোয়া এক শতক জমি রয়েছে। পৌরসভা কোনো প্রকার দরপত্র ছাড়া ওই জমি পর্যন্ত ইট ফেলে রাস্তা নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেয়। মেয়র ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য মান্নানের প্রায় এক শতক জায়গা দখল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মান্নান বাদী হয়ে বগুড়ার সহকারী জজ আদালতে তোফাজ্জল, মিজানুরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন ও রাস্তা নির্মাণ বন্ধের জন্য নিষেধাজ্ঞা চান। পরে আদালত বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওই জায়গায়ই রাস্তা নির্মাণ বন্ধের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ-সংক্রান্ত নির্দেশ সান্তাহার পৌরসভা বরাবর পাঠানো হলে পৌর কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করে। কিন্তু ৩ জুলাই ওই নির্দেশ অমান্য করে মেয়র তাঁর লোকজন নিয়ে ওই স্থানে রাস্তা নির্মাণ করেন।মান্নান বলেন, 'ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। মেয়র আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আমার জায়গায় জোর করে রাস্তা তৈরি করছেন।’ তবে মেয়র তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের বিষয় আমি জানি না। কেউ আমাকে এ বিষয় জানাননি। আইন মেনেই রাস্তা তৈরির কাজ করা হয়েছে।’ | 75,377 |
নোয়াখালী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ জুলাই ২০১৩, ০২:১২ | ২০ জুলাই ২০১৩, ০২:১৩ | নোয়াখালী,চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা,রাজনীতি | 0 | জামায়াত-শিবিরের ৩৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/26886 | নোয়াখালীর সেনবাগে জামায়াত-শিবিরের ৩৪৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে থানার সহকারী উপপরিদর্শক আবদুল হান্নান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।মামলায় কাদরা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি দ্বীন মোহামঞ্চদসহ জামায়াত ও শিবিরের ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং বাকি ৩০০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী সাখাওয়াত হোসেন গতকাল তিনি মুঠোফোনে বলেন, মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার রাতভর এজহারভুক্ত আসামিদের বাড়িঘরে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি। এদিকে, বৃহস্পতিবার জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলায় আহত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের চার কর্মীকে রাতে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁরা হলেন: জাহাঙ্গীর আলম ওরফে হাজারী জাহাঙ্গীর, আবদুল মান্নান, মো. বাবলু ও আবুল হোসেন।হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. ফরিদউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি হওয়া চারজনের মধ্যে জাহাঙ্গীরের আঘাত বেশ গুরুতর।গত মঙ্গলবার হরতাল চলাকালে শিবির কর্মীরা ডমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফাত্তাহকে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে গাজীরহাট এলাকায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা জামায়াত সমর্থক কলেজ শিক্ষক মহিউদ্দিনকে লাঞ্ছিত করে। এ নিয়ে দুপুরে গাজীরহাট এলাকায় আওয়ামী লীগ-জামায়াত সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালায় জামায়াত কর্মীরা। | 3,833 |
মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ আগস্ট ২০১৬, ১৫:৪৪ | ০৮ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৪৭ | অপরাধ | null | ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/939751 | চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত আটটায় পুলিশ তাঁকে ওই মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বিকেলে ওই ছাত্রী তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম মো. আল-আমিন সরকার (৩৮)। তিনি উপজেলার ফরাজীকান্দি নেদায়ে ইসলাম মহিলা মাদ্রাসার গণিত বিভাগের প্রভাষক। বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সরাইলকান্দি গ্রামে। তিনি ওই মাদ্রাসাসংলগ্ন এতিমখানার একটি কক্ষে থাকেন। মাদ্রাসার একটি শ্রেণিকক্ষে প্রতিদিন সকাল-বিকেলে ব্যাচ করে তিনি ছাত্রীদের কোচিং করান। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীও প্রতিদিন সেখানে তাঁর কাছে পড়তে যেত।ছাত্রীর দায়ের করা মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল আটটায় ওই ছাত্রী অঙ্ক করতে যান মাদ্রাসাশিক্ষক আল-আমিনের কাছে। কোচিং শেষে অন্য ছাত্রীরা চলে গেলেও ওই ছাত্রীকে কৌশলে সেখানে কিছুক্ষণ আটকে রাখেন আল-আমিন এবং যৌন নিপীড়ন করেন। লজ্জা-ক্ষোভে ওই ছাত্রী পরে মাদ্রাসায় ক্লাস না করেই সেখান থেকে বাড়ি চলে যায়। গত শনিবার পর্যন্ত সে মাদ্রাসায় যায়নি।ওই সূত্র জানায়, শনিবার রাতে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার বড় ভাই ও মা-বাবাকে জানায়। গতকাল বেলা ১১টায় সে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে শিক্ষক আল-আমিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগ করে। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে সে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করে। গতকাল রাত আটটায় মাদ্রাসা এলাকা থেকে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, এ ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শহিদ উল্যাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যাপারে ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্তে মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আহমদ উল্যাহকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষককে আপাতত ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের সভা ডেকে তাঁর বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযোগের ব্যাপারে মো. আল-আমিন সরকার বলেন, ঘটনার জন্য তিনি লজ্জিত ও দুঃখিত। ভবিষ্যতে আর কখনো এমন করবেন না।মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, ছাত্রীর দায়ের করা মামলায় ওই শিক্ষককে গতকাল রাত আটটায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা একটায় চাঁদপুর বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে তাঁকে চাঁদপুর কারাগারে পাঠানো হয়। | 247,581 |
লন্ডন প্রতিনিধি | international | আন্তর্জাতিক | ১৬ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪০ | ১৬ এপ্রিল ২০১৭, ২২:২৯ | যুক্তরাজ্য | null | বিদেশি শিক্ষার্থী প্রশ্নে চাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে | http://www.prothom-alo.com/international/article/1147341 | বিদেশি শিক্ষার্থীদের অভিবাসন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত রাখার বিষয়ে অনেকটা একা হয়ে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তাঁর নিজ দলের প্রভাবশালী এমপিরা দ্বিমত পোষণ করে বলছেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের অভিবাসী হিসেবে গণ্য করা ঠিক হচ্ছে না।আগামী বুধবার এ–সংক্রান্ত একটি বিলে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের অনেক এমপি বিদেশি শিক্ষার্থীদের অভিবাসন হিসাব থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে ভোট দেবেন বলে আভাস দিয়েছেন।প্রতিবছর যে পরিমাণ লোক যুক্তরাজ্যে আসে, আর যে পরিমাণ লোক যুক্তরাজ্য ছেড়ে যায়—তার পার্থক্যকে মোট অভিবাসন হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার মোট অভিবাসনকে বছরে এক লাখের নিচে নামিয়ে আনতে চায়। সেই লক্ষ্য অর্জনে তারা অভিবাসন আইনে একের পর এক কড়াকড়ি আরোপ করে। সবচেয়ে বেশি কঠোরতা আসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে।সমালোচকেরা বলছেন, অভিবাসন কমিয়ে আনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায্য সব শর্ত চাপিয়ে দিয়েছে। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, বিদেশি শিক্ষার্থীদের মোট অভিবাসীর হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ, তারা পড়াশোনা করতে যুক্তরাজ্যে আসে, স্থায়ী বসবাসের জন্য নয়। এবার সরকারি দলের সাংসদেরাও এমন দাবির সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন।বর্তমানে সরকারের উত্থাপিত ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা’ (হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ) শীর্ষক একটি বিল পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। গত মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ ‘হাউস অব লর্ডস’ ওই বিলে একটি সংশোধনী প্রস্তাব পাস করে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সরকারের জননীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থীকে দীর্ঘমেয়াদি অভিবাসী হিসেবে গণ্য করা উচিত হবে না। আগামী বুধবার বিলটি নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমনসেও পাস হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা সরকারি দলের অনেক এমপি সংশোধনী প্রস্তাবটি সমর্থন করবেন বলে জানা যাচ্ছে।গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন কমেছে প্রায় ৪১ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলছে, কঠোর নীতির কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে যুক্তরাজ্য আকর্ষণ হারাচ্ছে। তারা বলছে, বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন কমতে থাকলে প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের কোর্স ফি বাড়াতে বাধ্য হবে তারা।ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী লিয়াম ফক্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জো জনসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের অভিবাসন হিসাব থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেছেন। কারও কারও যুক্তি, এটি মোট অভিবাসন কমাতে সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের জন্যও সহায়ক। কারণ, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে যুক্তরাজ্যে মোট অভিবাসী হিসাব করা হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজরই ছিল বিদেশি শিক্ষার্থী।মোট অভিবাসন হিসাব থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়া হলে তা যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমনের জন্য সহায়ক হবে। এতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবে। সরকারের শিক্ষা বিভাগ বলছে, লর্ডস সভার যুক্ত করা সংশোধনী শিক্ষার্থী ভিসার যথাযথ যাচাই–বাছাইকে ঝুঁকিতে ফেলবে। জাতিসংঘের সংজ্ঞায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দেয় শিক্ষা বিভাগ। | 311,579 |
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ জুলাই ২০১৬, ০১:০৮ | ২২ জুলাই ২০১৬, ০১:১০ | সৈয়দপুর,নীলফামারী,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/921667 | পৌর কর্মচারীর ওপর হামলাকারী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে মানববন্ধন হয়েছে। পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন গতকাল বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে ওই কর্মসূচি পালন করে। পরে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌর কর্মকর্তা আকমল সরকার, কর্মচারী নাদিম আলম, নজরুল ইসলাম, সুজন শাহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পৌরসভা কর্মচারী হামিদুল ইসলামের ওপর ১ জুলাই দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। বর্তমানে তিনি পঙ্গু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। দীর্ঘদিনেও পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করেনি। সমাবেশে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে পৌরসেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরে ঝাটা, কোদাল হাতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। | 242,344 |
সরোয়ার মোর্শেদ, পাবনা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ এপ্রিল ২০১৪, ০২:৫৯ | ০৫ এপ্রিল ২০১৪, ০২:৫৯ | পাবনা,রাজশাহী বিভাগ | 0 | ‘বাংলা ভাষাকে টিকিয়ে রাখতে হবে’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/185011 | ‘ভাষার জন্য যুদ্ধ করা হয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ভাষা প্রবহমান, যুগে যুগে ভাষার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাংলা ভাষাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’গতকাল শুক্রবার পাবনা অঞ্চলের ভাষা প্রতিযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে কথাগুলো বলেন পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান। তিনি সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুল প্রাঙ্গণে ভাষা প্রতিযোগের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আর ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলন করেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম।পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলার প্রায় ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার ২৫০ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগে অংশ নেয়। উদ্বোধন পর্ব শেষে তারা ৪০ মিনিটের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। ভালো প্রশ্নের জন্য শিক্ষার্থীদের বই ও কিশোর আলো উপহার দেওয়া হয়।শিক্ষার্থীদের নানা বুদ্ধিদীপ্ত ও কৌতূহলী প্রশ্নের জবাব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তারিক মনজুর, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল আলীম, পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, পাবনা ক্যাডেট কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হাফিজুর রহমান।প্রথম আলোর ব্র্যান্ড অ্যান্ড অ্যাক্টিভেশন নির্বাহী কাজী রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পাবনা জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান, প্রথম আলোর পাবনা প্রতিনিধি সরোয়ার মোর্শেদ ও পাবনা বন্ধুসভার সভাপতি স্বাধীন মজুমদার।প্রতিযোগে চারটি বিভাগে ১৫ জন করে মোট ৬০ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সেরাদের সেরা হয়েছে পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সিদ্দিকা জান্নাতুল ফেরদৌস।এইচএসবিসি, প্রথম আলো ও গণসাক্ষরতা অভিযান যৌথভাবে এ ভাষা প্রতিযোগের আয়োজন করে।চট্টগ্রামে আজ ভাষা প্রতিযোগ: চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষা প্রতিযোগ আজ শনিবার সকাল নয়টায় নগরের এনায়েত বাজার রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তারেক রেজা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজের উপাধ্যক্ষ আইয়ুব ভূইয়া, শিক্ষক ফেরদৌস আরা, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। | 63,532 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:২০ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:২১ | খেলা,দেশের ফুটবল | 0 | ফুটবলাররা এখন ফিটনেস–সচেতন? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1080337 | ৫০-৫৫ মিনিট খেলার পরই বাংলাদেশের ফুটবলারদের দম কমতে থাকে। ৭০ মিনিট পর অনেককে আর মাঠে খুঁজে পাওয়া যায় না। শারীরিক সক্ষমতার অভাবই এর বড় কারণ। এই অবস্থা থেকে বেরোতে বাফুফে এবার ৬২ জন ফুটবলারকে নিয়ে বিকেএসপিতে সপ্তাহ তিনেক কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষ করেছে গতকাল।সেই ক্যাম্পে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন নিউজিল্যান্ডের ফিটনেস কোচ জন হুইটেল। একটা প্রতিবেদন তিনি তৈরি করছেন। যেটিতে পুরো ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের কী অবস্থা দেখেছেন, সেটির বর্ণনা থাকবে। ক্যাম্প শেষে খেলোয়াড়দের কিছু করণীয়ও দিয়ে দিয়েছেন। যাতে সেসব অনুসরণ করে ফুটবলাররা নিজেদের ফিট রাখতে পারেন।এই ক্যাম্প নিয়ে জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপুর মূল্যায়ন, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। এটি ইতিবাচক।’ এমন সচেতনার কথা অবশ্য সব সময়ই শোনা যায়। কোনো ক্যাম্প শেষ হওয়ার পরই আশার কথা বলেন সবাই।কিন্তু বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য এই ক্যাম্প নিয়ে কাল বললেন, ‘মুশকিল হচ্ছে আমাদের ফুটবলাররা অফ সিজনে অনুশীলন করে না। খেলা না থাকলে বেশির ভাগই খায় আর ঘুমায়। এখন যে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হলো, একটা ভয় কিন্তু আছেই। ফিটনেস না আবার শূন্যে নেমে যায়!’আগামী মাসে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ হওয়ার কথা। সেটি হলে জাতীয় দলের ফুটবলারদের ফিট থাকতেই হবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে শেখ কামাল টুর্নামেন্ট। যেখানে খেলবে ঢাকা আবাহনী, চট্টগ্রাম আবাহনী ও ঢাকা মোহামেডান। ফুটবলারদের ফিট থাকতেই হবে। অথচ বিকেএসপির এই ফিটনেস ক্যাম্পে আসা বেশির ভাগ ফুটবলারের ফিটনেস অবস্থা ছিল নাজুক। মৌসুম শেষে তাঁরা যে ফিটনেস-সচেতন ছিলেন না, তা বেরিয়ে পড়ে। কিছু খেলোয়াড়ের অবস্থা মোটামুটি ছিল, ভালো ফিটনেস নিয়ে ক্যাম্পে গেছেন এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা দুই-চারজনের বেশি নয়।প্রথম কয়েক দিন নাকি খুবই সমস্যা হয়েছে খেলোয়াড়দের। রানিং করতে পারতেন না। এ নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিলেন ফিটনেস কোচ। তাঁর দেওয়া কুপার টেস্ট পেরোতে হিমশিম খেতে হয় খেলোয়াড়দের। তবে ফিটনেস কোচ জন আশাবাদী, ‘আস্তে আস্তে অনেক উন্নতি হয়েছে। আমাদের এই উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। ফুটবলারদের এ ব্যাপারে যতটা সম্ভব আমরা বলেছি।’ফিটনেস সমস্যা থাকায় ফুটবলাররা চোটে পড়েন ঘন ঘন। একবার চোটে পড়লে কারও কারও জীবন থেকে খসে যায় এক-দুই বছরও। লম্বা চোট সারিয়ে স্ট্রাইকার শাখাওয়াত রনি মাঠে ফিরলেও মাঝে আবার ব্যথা পান। তাই বিকেএসপির কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকলেও রানিং করেননি দলের সঙ্গে।‘আমি রানিং করতে না পারলেও এই ফিটনেস অনুশীলনটা অনেক ভালো হয়েছে। এটা আরও আগে দরকার ছিল। এটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য না করে লম্বা সময় করলে খেলোয়াড়দের জন্য ভালো’—বলছেন শাখাওয়াত।খেলোয়াড়েরা সচেতন নন, এমন অভিযোগ অবশ্য মানতে রাজি নন শেখ রাসেলের এই স্ট্রাইকার। বছরে ১০-১১ মাসই খেলায় থাকতে হয়। যে কারণে ছুটিতে তাঁরা ছকের বাইরে বেবিয়ে যান। এই জানা যুক্তিটাই দিলেন শাখাওয়াত। খেলোয়াড়েরা সচেতন হচ্ছেন, এমন দাবিই করছেন শাখাওয়াত। সচেতন হলে তো দেশের ফুটবলের জন্য ভালোই। তখন নিশ্চয়ই আর ভুটানের কাছে হারতে হবে না! | 293,057 |
-1 | sports | খেলা | ১৪ জুন ২০১৬, ০১:৩৪ | ১৪ জুন ২০১৬, ০৩:০০ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | ছুটতে শুরু করেছে ‘জার্মান-যন্ত্র’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/887374 | ইঞ্জিন শুরু থেকেই তো পুরোদমে কাজ করতে পারে না। কলকবজাগুলো একটু ঠিকঠাক করে ছোটা শুরু করতেও তো সময় লাগে। জার্মানির জন্য এবারের ইউরো কি সে রকম হবে? ইউক্রেনের বিপক্ষে শুরু থেকে যে ‘যন্ত্র’ ধুঁকতে ধুঁকতে এগোচ্ছিল, ম্যাচ এগোতে এগোতে সেটা পেয়ে গেল গতি। ২-০ গোলের জয়ে তাই শুরুর বিবর্ণ জার্মানি শেষ পর্যন্ত উজ্জ্বল।ইউরোতে প্রথম ম্যাচটা জার্মানির জন্য এমনিতেই পয়া। এর আগে ১১ ম্যাচ খেলে একটিতেও পরাজয়ের ইতিহাস নেই। ম্যাচ শুরুর আগে ইউক্রেনকে নিয়ে একটু অস্বস্তির কাঁটা ছিল। ১৯ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার পরও প্রথমার্ধের বাকি সময়টায় সেই অস্বস্তি সঙ্গী হয়ে ছিল জার্মানির। গোলের বেশ কটি সুযোগ পেয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু এর একটিও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। পারলে ইউক্রেন কোচ হাসিমুখেও মাঠ ছাড়তে পারতেন। ম্যাচ শেষে বিরসমুখে মিখালো ফোমেঙ্কো তাই জার্মান-শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নিলেন। সেটিও জার্মানদের সম্পর্কে চিরন্তন সেই কথাটা বলেই, ‘জার্মানি একটা যন্ত্র। দারুণ সব খেলোয়াড় আছে তাদের। এই দলে কোনো বিস্ময় নেই। যন্ত্র হচ্ছে যন্ত্র।’ম্যাচের ১৯ মিনিচে প্রথম গোলটি করেছেন ডিফেন্ডার শকোদ্রান মুস্তাফি। সেটি টনি ক্রুসের সেট পিস থেকে দারুণ এক হেডে। অথচ এই মুস্তাফি সেন্টারব্যাক হিসেবে জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর চতুর্থ পছন্দ ছিলেন! মুস্তাফির গোলের পরই হঠাৎ করে যেন খেই হারিয়ে ফেলে জার্মানরা। ইউক্রেন একের পর এক আক্রমণে তটস্থ করে রাখে জার্মান রক্ষণকে। গোলপোস্ট অক্ষত রাখায় সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব অবশ্যই ম্যানুয়েল নয়্যারের। প্রথমার্ধেই অন্তত দুবার নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দিয়েছেন। জেরোম বোয়েটাংকেও ধন্যবাদ দেওয়া উচিত কোচ জোয়াকিম লোর। প্রথমার্ধে গোললাইন থেকে অবিশ্বাস্যভাবে একটা বল ফিরিয়ে দিয়েছেন জার্মান ডিফেন্ডার।দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য জার্মানি অনেকটাই গুছিয়ে ফিরে আসে। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার একটু আগে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণ থেকে ওজিলের ক্রসে গোল করেন বদলি হিসেবে নামা মিডফিল্ডার বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার।ম্যাচ শেষে নয়্যার স্বীকার করেছেন, জার্মানি ঠিক জার্মানির মতো খেলতে পারেনি। তবে মনে করিয়ে দিলেন, ‘এটা ঠিক আমরা যা যা পারি, তার অনেক কিছুই দেখাতে পারিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও উন্নতি করব।’ মিডফিল্ডার ক্রুসের কণ্ঠেও একই সুর, ‘এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি। এখনো যে পর্যায়ে নেওয়া দরকার, সেখানে আমরা যেতে পারিনি। তারপরও আমাদের শুরুটা ভালোই হয়েছে।’ইঞ্জিন একবার জোরে ছুটতে শুরু করলে কী হয়, সেটা তো ব্রাজিল বিশ্বকাপেই দেখা গেছে! এএফপি।আজকের খেলাঅস্ট্রিয়া–হাঙ্গেরিপর্তুগাল–আইসল্যান্ড | 232,087 |
খন্দকার আতিক | education | শিক্ষা | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০৪ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০৯ | পড়াশোনা | 0 | বাংলা ১ম পত্র | http://www.prothom-alo.com/education/article/726469 | বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরপ্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ বাংলা ১ম পত্রের বহুনির্বাচনি নমুনা প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯১. ‘হরিত্’ শব্দের অর্থ কী?২. ক. সবুজ বর্ণ খ. নীল বর্ণগ. লাল বর্ণ ঘ. কালো বর্ণ২. সালামের হাত থেকে নক্ষত্রের মতো কী ঝরে?ক. রক্ত খ. অবিনাশী বর্ণমালাগ. পোস্টার ঘ. মিছিল৩. ‘মানবিক বাগান’ বলতে কী বোঝায়?ক. মূল্যবোধ খ. মনের বাগানগ. ফুলের বাগান ঘ. উদ্যান৪. ভেলকিবাজ শব্দের অর্থ কোনটি?ক. ভেলকি দেখানো খ. খেলোয়াড়গ. ধোঁকাবাজ ঘ. সব কটি৫. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় কয়টি নদীর উল্লেখ আছে?ক. ১টি খ. ২টি গ. ৩টি ঘ. ৪টি৬. গ্রামবাংলায় মাথলা কারা মাথায় দেয়?ক. কৃষক খ. শ্রমিক গ. দোকানদার ঘ. শিক্ষক৭. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটিতে কার মায়ের কথা রয়েছে?ক. টুনির মায়ের খ. সখিনার মায়েরগ. টুসুর মায়ের ঘ. টেপির মায়ের৮. ‘নিপুণ’ শব্দটির প্রতিশব্দ নয় কোনটি?ক. পটু খ. সমর্থ গ. দক্ষ ঘ. আনাড়ি৯. নিচের কোনটি ভিন্নার্থক শব্দ?ক. স্ফুলিঙ্গ খ. আগুনগ. আগুনের ফুলকি ঘ. অগ্নিকণা১০. ‘ইস্তাহার’ বলতে কী বোঝায়?ক. খবর খ. প্রচারপত্র গ. প্রার্থনা ঘ. ইস্তাগফার১১. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার কবি কোন পথে কৃষ্ণচূড়া দেখেছেন?ক. গ্রামের পথে খ. শহরের পথেগ. গঞ্জের পথে ঘ. পাহাড়ি পথে১২. কবি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় আগের কোন আন্দোলনকে স্মরণ করেছেন?ক. ১৯৪৩-এর মন্বন্তর খ. সিপাহি বিদ্রোহগ. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনঘ. ছয় দফা আন্দোলন১৩. ‘এগারো দফা’ কখন ঘোষণা করা হয়?ক. ১৯৬৭ সালে খ. ১৯৬৮ সালেগ. ১৯৬৯ সালে ঘ. ১৯৭০ সালে১৪. ‘—বুক পাতে ঘাতকের থাবার সম্মুখে।’ কে?ক. সালাম খ. বরকত গ. রফিক ঘ. জব্বার১৫. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—i. বিচ্ছিন্নতা ii. সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রেরণাiii. বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের জীবনযুদ্ধনিচের কোনটি সঠিক?ক. i খ. ii ও iii গ. iii ঘ. i ও iii১৬. ১৯৬৯ সালটি কোন আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়?i. ভাষা আন্দোলন ii. গণ-অভ্যুত্থানiii. স্বাধীনতাসংগ্রামনিচের কোনটি সঠিক?ক. i খ. ii গ. iii ঘ. i ও ii১৭. সালামের হাতে অবিনাশী বর্ণমালা কিসের মতো ঝরে?i. বৃষ্টির মতো ii. ফুলের মতো iii. নক্ষত্রের মতোনিচের কোনটি সঠিক?ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. iii# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালসঠিক উত্তরটি মিলিয়ে নাওবাংলা ১ম পত্র: সঠিক উত্তরসেই অস্ত্র১. ক ২. খ ৩. ক ৪. গ ৫. ক ৬. ক ৭. ঘ ৮. ঘ ৯. গ ১০. খ ১১. খ ১২. গ ১৩. গ ১৪. খ ১৫. খ ১৬. খ ১৭. ঘ।শিক্ষক, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা | 188,248 |
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ মার্চ ২০১৬, ০০:২৭ | ১১ মার্চ ২০১৬, ০০:৩০ | টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ,নির্বাচন | 0 | নাগরপুরে আ.লীগের বিষফোড়া বিদ্রোহীরা! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/795040 | টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আওয়ামী লীগের ১৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এর শুধু একটিতে বিএনপির একজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।প্রথম দফায় উপজেলার ১২টি ইউপির ১১টিতে ২২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ইউনিয়নগুলোতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বেশি হওয়ায় তূণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এটা নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করছেন তাঁরা। সলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা শাহিদুল ইসলাম খান বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীরা দল-মনোনীত প্রার্থীদের জন্য বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছেন। তাঁদের কারণে দল-মনোনীত প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বেকরা ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী চিত্তরঞ্জন সরকার বলেন, ত্যাগী ব্যক্তিদের মনোনয়ন না দেওয়ায় এত বেশিসংখ্যক প্রার্থী বিদ্রোহী হয়েছেন।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গয়হাটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে শেখ শামসুল হককে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও সোহেল রানা। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন হারুন-অর-রশিদ। সলিমাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-মনোনীত প্রার্থী দাউদুল ইসলাম। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, তাহেরুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম। বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে ফরিদ আহমেদ ভূইয়াকে। ধুবুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে মতিউর রহমানকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সফিকুর রহমান। এখানে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন আশিকুর রহমান। মাহমুদনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শেখ কামাল হোসেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন শহিদুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন। বিএনপির একক প্রার্থী হলেন মাহে আলম সাবু। মোকনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন। বিএনপির একক প্রার্থী আতাউর রহমান। বেকড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে শত্তকত হোসেন মোল্লাকে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে চিত্তরঞ্জন সরকার, আসাদুজ্জামান কিসলু ও মোল্লা ওয়াহেদুজ্জান বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির একক প্রার্থী আবদুর বারী। পাকুটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-মনোনীত প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সেলিম খান। এখানে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে সিদ্দিকুর রহমানকে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জগলুল হায়দার সিদ্দিকী।এ ছাড়া নাগরপুর সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কুদরত আলী ও বিএনপির হবিবুর রহমান, সহবতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আনিছুর রহমান ও বিএনপির আবুল হোসেন, দপ্তিয়র ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবুল হাসেম ও বিএনপির ফিরোজ সিদ্দিকী, ভাদ্রা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের হামিদুর রহমান লালন ও বিএনপির হাবিবুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব ইউনিয়নে দুই দলেরই কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।জানতে চাইলে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের তালিকা জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী বলেন, একমাত্র পাকুটিয়া ইউনিয়নে দলের একজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। তিনিও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন না। | 209,850 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জুলাই ২০১৪, ০১:৪৬ | ১৬ জুলাই ২০১৪, ০১:৪৭ | রাজশাহী বিভাগ,রাজশাহী,রাজনীতি,বিশাল বাংলা | 0 | নয় বছরেও কাউন্সিল হচ্ছে না আ.লীগের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/268987 | নয় বছর পর দিন ধার্য হলেও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল আর হচ্ছে না। আগামী শনিবার এই কাউন্সিলের দিন ঠিক করা হয়েছিল। এখন পরবর্তী দিনও আর ধার্য করা হয়নি। এ কারণে নেতা-কর্মীদের মধ্যেও হতাশা দেখা দিয়েছে।নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় দলের কাউন্সিল পিছিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের কপি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র আগের নির্ধারিত তারিখ স্থগিত করেছে, কিন্তু পরবর্তী তারিখ দেয়নি। রোজার কারণ দেখিয়ে এই কাউন্সিল স্থগিতের আবেদন জানানো হয়েছে।সংগঠনের সভাপতি বজলুর রহমান জানান, রোজার কারণেই তাঁরা কাউন্সিল স্থগিত করার জন্য দলের কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রে জানিয়েছেন। কেন্দ্র কাউন্সিল স্থগিত করেছে। পরবর্তী সময়ে কবে হতে পারে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোজার পরে শোকের মাস আগস্ট। সেই জন্য ওই মাসেও করা যাবে না। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে অবশ্যই হবে।মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা জানান, তাঁরা আশঙ্কা করছেন, কাউন্সিল নিয়ে বরাবর যা হয়, তা-ই হয়তো হবে।’দলের লোকজন জানান, কাউন্সিল উপলক্ষে ওয়ার্ড কমিটি করা হয়েছে। এবার ৩০ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ভেঙে ৩৭টি করা হয়েছে এবং চারটি থানা ভেঙে পাঁচটি করা হয়েছে। সব কটি ওয়ার্ডের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে মতিহার ও রাজপাড়া থানায় শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করা হয়েছে।নগরের তৎকালীন দৈনিক বার্তা মাঠে ২০০৫ সালের ১৬ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। এ সময় প্রয়াত মাসুদুল হক ডুলু সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।২০০৮ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে সাধারণ সম্পাদক মেয়র নির্বাচিত হন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অভিযোগে ওই বছর ২২ আগস্ট রাতে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতি মাসুদুল হক এবং তাঁকে সমর্থন করার অভিযোগে সহসভাপতি মোস্তাক আহাম্মেদকে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ করা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর মারা যাওয়ার দুই বছর পরে সহসভাপতি বজলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় এবং কেন্দ্র থেকে কমিটির মেয়াদ ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। | 78,091 |
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৮ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৯ | ঠাকুরগাঁও,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | সেই দুই গ্রামের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ পেল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1084123 | ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার মণ্ডলপাড়া ও শুকানীপাড়া গ্রামে গতকাল শনিবার পল্লী বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এতে ওই দুই গ্রামের ১১১টি পরিবার বিদ্যুৎ-সংযোগ পেল।গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ-সংযোগ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপাজেলার উত্তর ঠাকুরগাঁওয়ের আকচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ। প্রধান অতিথি ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের উদ্বোধন করেন। বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইনছের আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ।জিএম ইনছের আলী বলেন, নতুন সংযোগের ফলে এ দুই গ্রামের ১১১টি পরিবার বিদ্যুৎ পাবে এবং প্রায় ৫০০ একর জমি সেচের আওতায় আসবে।প্রসঙ্গত মণ্ডলপাড়া ও শুকানীপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া বিষয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি যমুনা টেলিভিশনে ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। | 295,094 |
নাটোর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪০ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪০ | বিশাল বাংলা,বগুড়া | 0 | পিটুনির শিকার শিক্ষককে বগুড়া মেডিকেলে স্থানান্তর | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1065195 | নাটোরের সিংড়ায় চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীদের মারপিটে আহত ক্ষিদ্রবড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গতকাল রোববার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।আহত রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁকে জরুরি বিভাগের সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিবলী হোসেন জানান, তিনি শঙ্কামুক্ত। তাঁর সারা শরীরে ফোলা জখম দেখা গেছে। তিনি মুখমণ্ডল, হাতের আঙুল ও বাম পায়ে বেশি আঘাত পেয়েছেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানের এক্স-রে করা হয়েছে। সোমবার (আজ) এক্স-রে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।ওই শিক্ষক আরও জানান, চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিতে পারেননি।তবে প্রথম আলোয় খবর পড়ে সিংড়া থানার এক উপপরিদর্শক ফোন করে তাঁর খোঁজখবর নিয়েছেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবারএ ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করবেন বলে জানান তিনি।সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মণ্ডল বলেন, পত্রিকা পড়ে তাঁরা ঘটনাটি জেনেছেন। তবে আহত শিক্ষকের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দেননি। তাঁদের অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নাটোরের সিংড়ার চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ও তাঁর অনুসারীরা ক্ষিদ্রবড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে লাঠিপেটা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে প্রথম আলোয় রোববার ‘সিংড়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ’ শিরোনামে খবর ছাপা হয়। তবে চেয়ারম্যান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। | 286,149 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মার্চ ২০১৪, ০০:৫১ | ০৮ মার্চ ২০১৪, ০০:৫২ | পিরোজপুর,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | সনাকের উদ্যোগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/163447 | স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার পিরোজপুর সদর উপজেলার পুখরিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে ‘জনগণের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কলাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, ইউনিয়ন নাগরিক কমিটির সমন্বয়কারী এনায়েত কবির খান, সনাক পিরোজপুর শাখার সহসভাপতি মোহামঞ্চদ শহীদুল্লাহ খান, সদস্য আতায়ে রব্বানী ফিরোজ, স্থানীয় সরকারবিষয়ক উপকমিটির এম এ মান্নান প্রমুখ আলোচনা করেন।পিরোজপুর প্রতিনিধি | 56,763 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ১৮:০৫ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ১৯:২২ | আইন ও বিচার | 0 | বিএনপি নেতাসহ আটজনের আপিল পুনঃশুনানি হবে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/829081 | দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতাসহ আটজনকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করে তাঁদের আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। আটজন আপিল বিভাগের এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়েছিলেন। আজ বুধবার এই আটটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।এই আটজন হলেন সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা, তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদা, বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও তাঁর স্ত্রী সাবেরা আমান, বিএনপি নেতা মীর নাছির উদ্দিন ও তাঁর ছেলে মীর হেলাল, বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বিএনপির সাবেক সাংসদ মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আটজনকেই দুর্নীতির দায়ে সাজা দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তবে হাইকোর্টে আপিল করলে তাঁদের সবাইকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এরপর দুদক হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে। আপিল বিভাগ আটজনেরই খালাসের রায় বাতিল করে তাঁদের আপিল হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। এরপর তাঁরা আপিল বিভাগের এই আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে, আজ সেগুলো খারিজ হলো। | 219,773 |
কাজী এস হোসেন | life-style | জীবনযাপন | ১৫ জুলাই ২০১৫, ০০:০১ | ১৫ জুলাই ২০১৫, ০০:০১ | আপনার রাশিফল,রাশিফল,মতামত | 0 | আপনার রাশিফল | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/578140 | আজ ১৫ জুলাই। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি কর্কট রাশির জাতক-জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ২ ও ৬। গুরুত্বপূর্ণ দিন—শুক্র ও সোমবার। শুভ রং—বেগুনি. আকাশি, হালকা সবুজ। শুভ রত্ন—চায়নিজ জেড, শ্বেত পোখরাজ। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি, রশিদ হায়দার, রাইসুল ইসলাম আসাদ। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য আপনার প্রেমিক মনকে আগ্রহী করে তুলতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)বেকারদের কারও জন্য দিনটি সুফল বয়ে আনতে পারে। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। প্রেমের ক্ষেত্রে আগের ব্যর্থতা ঘুচতে পারে। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার অনুকূলে যেতে পারে।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)চাকরিতে কারও কারও কর্মস্থল পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। ফাটকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। প্রেমের ব্যাপারে আগের ব্যর্থতা ঘুচতে পারে। সৃজনশীল কাজের জন্য প্রশংসিত হবেন।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সুফল বয়ে আনতে পারে। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। ফেসবুকে কারও সঙ্গে প্রেমের সূচনা হতে পারে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)দিনের শুরুতেই আর্থিক বিষয়ে কোনো সুখবর পেতে পারেন। যৌথ বিনিযোগ শুভ। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। বেকারদের কেউ কেউ আজ নতুন কাজের সন্ধান পাবেন। কর্মস্থলে পদস্থ ব্যক্তিদের আনুকূল্য পাবেন।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)ব্যবসায়ে নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। আপনার জন্য কর্মস্থলে আজ কোনো সুখবর অপেক্ষা করছে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আজ আকস্মিক অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য আপনার প্রেমিক মনকে উসকে দিতে পারে। তীর্থভ্রমণ শুভ।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। তীর্থভ্রমণ শুভ।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত হবেন। আজ আপনার অর্থভাগ্য বিশেষ শুভ।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য আপনার প্রেমিক মনকে উসকে দিতে পারে। সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)কর্মস্থলে আগের জমে থাকা কাজগুলো আজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হবে। বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সুফল বয়ে আনতে পারে। প্রেমবিষয়ক জটিলতার অবসান হবে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ। | 153,130 |
-1 | opinion | মতামত | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০০:৫৩ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০০:৫৫ | সম্পাদকীয়:,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | চট্টগ্রামের খাল খনন প্রকল্প | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1430886 | চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনের জন্য নতুন খাল খননের প্রকল্প বাস্তবায়নে যে গড়িমসির ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এ অবস্থায় নগরবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আসলে কতটা আন্তরিক—সেই প্রশ্ন খুবই স্বাভাবিক।শনিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সাড়ে তিন বছর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। অথচ প্রকল্পের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণের ব্যয় ছিল ২২৪ কোটি টাকা। এখন শুধু জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ১ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। যেখানে শুধু জমি অধিগ্রহণের খরচই বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ, সেখানে গোটা প্রকল্পের খরচ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা সহজেই অনুমেয়।একদিকে খরচ বৃদ্ধির কারণে যেমন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তেমনি এই প্রকল্পের ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের অবস্থানও বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নতুন খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে খুব একটা আগ্রহী নন বলে জানা গেছে। ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এবং মানুষের ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এসব কারণে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের পক্ষে নন বলে প্রথম আলোকে বলেছেন। কিন্তু নগরের জলাবদ্ধতা দূর করতে এই নতুন খাল খননের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বোঝা যায় ভোটের রাজনীতি ও কিছু মানুষ অসন্তুষ্ট হতে পারে—এই ভয়ে তিনি প্রকল্পটির ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এই প্রকল্পের সঙ্গে যেহেতু পুরো চট্টগ্রামের স্বার্থ জড়িত সেখানে ব্যয় বৃদ্ধি বা কিছু মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকল্পটি যখন প্রথম গ্রহণ করা হয়েছিল তখন এর বাস্তবায়ন করলে খরচ এত বাড়ত না। এখন যদি সিটি করপোরেশনের গড়িমসির কারণে আরও দেরি হয় তবে খরচ আরও বাড়বে।বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম নগরী ভয়াবহ জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এমন হচ্ছে। মহানগরীর ভেতরে ছোট-বড় যে ৫৭টি খাল রয়েছে, তার অনেকগুলোই ভরাট হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা দূর করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নানা প্রকল্প নেওয়া ও অর্থ খরচ করা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য।চট্টগ্রাম নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিতে হবে। নতুন খালের প্রকল্পটি কার্যকর বিবেচিত হলে তা–ই করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সক্রিয় হবে বলে আমরা আশা করছি। | 355,027 |
সুহাদা আফরিন, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মে ২০১৮, ০৯:৪৩ | ২১ মে ২০১৮, ১৫:৫২ | -1 | null | ছাদে বাগান ভেতরে সুন্দর বিনোদন, চলছে অটোরিকশা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1493211 | কী নেই! নখ কাটার যন্ত্র থেকে শুরু করে খাওয়ার পানি। কচ্ছপের গতিতে চলা গাড়িবহরের যানজটে বসে পা তুলে অনায়াসেই পত্রিকা পড়া যাবে। ঝিমুনি তো পাবেই। তাই গা এলিয়ে দেওয়ার জন্য দুটি কুশনও আছে। অন্তত ২০ ধরনের টুকিটাকি জিনিস নিয়ে রাজধানী ঢাকায় ছুটে চলছে সিএনজিচালিত সবুজ রঙের একটি অটোরিকশা।অলংকারশিল্পী তপন চন্দ্র ভৌমিক এখন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। চোখে সমস্যা হওয়ায় অলংকারের কাজ ছেড়ে প্রায় আট বছর ধরে চালকের পেশায় আছেন। তবে শিল্পী মন তাঁকে ছেড়ে যায়নি। দিনে দিনে প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে নিজের চালানো অটোরিকশাটিকে অলংকৃত করেছেন।তপন চন্দ্র জানান, অটোরিকশাটিকে মনের মতো করে সাজাতে তাঁর প্রায় ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গাঁটের পয়সা দিয়েই করেছেন। কিন্তু কেন? তিনি বলেন, ‘শখের বশেই করছি। যাত্রীদের আনন্দ দেওয়ার জন্য।’ হঠাৎ কিছু লেখার প্রয়োজন হলে নোটবুক-কলম পাওয়া যাবে। টিস্যু, ছাতা, বমি-মাথাব্যথার ওষুধ, ডাস্টবিন, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, আয়না-চিরুনি থেকে শুরু করে পিঠ চুলকানির কাঠিও আছে। তিনটি পত্রিকা রাখেন। বিনোদনের জন্য ছোট একটি এলইডি মনিটর আছে। মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে সেখানে সিনেমা-নাটক-গান সবই চলে। জানালেন, খুব শিগগির ওয়াই-ফাই সুবিধা চালু করবেন।আধুনিক এই অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীদের কৌতূহলও ব্যাপক। তপন বলেন, অনেকেই মনে করেন, এত কিছু থাকায় ভাড়া বেশি হবে। কিন্তু এসবের জন্য কারও কাছ থেকে বাড়তি কোনো পয়সা নেন না বলে জানালেন; বরং খুশি হয়ে বকশিশ দেন যাত্রীরা। মিটার বা ভাড়ায়—যাত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ীই চলেন। তবে সম্প্রতি তিনি ‘ও-ভাই’ নামের একটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপে যুক্ত হয়েছেন।এ অটোরিকশা দূর থেকে দেখলে মনে হবে চলন্ত ছাদ-বাগান ছুটে চলছে। চারদিকে কৃত্রিম ঘাস। তার মাঝে টাইম ফুল, পাতাবাহারসহ কয়েক প্রজাতির গাছ। তপনের দাবি, ৪৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস এলেও এই গাছের কিছু হবে না। প্রতিদিন নিজ হাতেই এসবের যত্ন নেন। গাছের প্রতি মানুষের অবহেলা দেখেই সিএনজিচালিত অটোরিকশার ছাদে গাছ লাগিয়েছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানুষ তপন পরিবার নিয়ে থাকেন খিলগাঁওয়ের গোড়ানে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের এই জনকের পরিবার তাঁকে খেয়ালি মনে করে। তপন বলেন, ‘ছেলে এমবিএতে পড়ে, আবার চাকরিও করে। সে-ই সংসার চালায়। এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছি, আরেক মেয়ে কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা দিল।’ অটোরিকশা নিয়ে তাঁর এই কাজ দেখে লোকজন হাসে, ভিড় করে, ছবি তোলে—এসব পরিবারের পছন্দ নয়। কিন্তু তিনি মনের খুশিতেই করেন।তপন সিএনজিচালিত এই অটোরিকশার মালিক নন। দিন শেষে আয় থেকে ৯০০ টাকা মালিককে দিতে হয়। বাকি যা থাকে, তা এই অটোরিকশার পেছনে খরচ করেন। সাজানোয় মালিক তাঁকে কিছু বলেনি। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি চালান।ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, যাত্রাপথে যদি কেউ অসহায় হয়ে পড়েন, তিনি সাহায্য করবেন। এ ছাড়া গরিব রোগীদের তিনি বিনা মূল্যে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তপন বলেন, ‘আমি রাজা হতে চাই না। রাজা হওয়ার সাধ নেই। মানুষের উপকারে লাগলেই শান্তি।’ | 364,644 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৬, ০৩:১৮ | ২১ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৫০ | নিরাপদ সড়ক আন্দোলন,রাজধানী,ঢাকা বিভাগ,নিরাপদ সড়ক দিবস | 0 | নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1005781 | নিরাপদ সড়ক দিবস-২০১৬ উপলক্ষে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর উদ্যোগে গতকাল দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে কাকরাইল, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন হয়ে মুক্তাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন নিসচার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।মুক্তাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন নিসচার যুগ্ম মহাসচিব লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল, যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় সমস্যা। সে কারণে দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণাধীন সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ অধিদপ্তর গঠন করা জরুরি। বাসস। | 258,415 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ মার্চ ২০১৮, ১৮:২২ | ২৯ মার্চ ২০১৮, ১০:২৯ | স্বাধীনতা দিবস,রাজনীতি,বিএনপি,মুক্তিযোদ্ধা | null | মুক্তিযোদ্ধা দলের কফিন নিয়ে শোভাযাত্রা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1458241 | তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। বয়স প্রায় ৭০ বছর। গায়ে সাদা ফতুয়া আর মুখে ধবধবে সাদা দাড়ি। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত শোভাযাত্রায় প্রতীকী কফিন নিয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি।এই মুক্তিযোদ্ধার নাম দেলোয়ার হোসেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এসে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে অস্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যেই গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম, সেই গণতন্ত্র আজ কফিনে।’ এর প্রতিবাদ জানাতেই প্রতীকী কফিন নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।দেলোয়ার হোসেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।নয়াপল্টনের বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে নানা সাজে সজ্জিত হয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদী স্লোগানও দেন তাঁরা। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে প্রতীকী কফিনটি নিয়ে আসা হয়। কফিনের গায়ে লেখা ছিল ‘স্বৈরাচারের জাঁতাকলে গণতন্ত্রের অন্তিমযাত্রা, স্বৈরাচারের নিষ্পেষণে গণতন্ত্র এখন কফিনে।’কফিনের এক অংশ নিজের কাঁধে তুলে নেন দেলোয়ার। এ সময় তাঁর সঙ্গে অন্য কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। কফিন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেন, ‘স্বাধীনতার মাসে গণতন্ত্র আজ কফিনে বন্দী। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করাটা অনেকটা কবরের মতো। তাই শোভাযাত্রায় প্রতীকী কফিন আনা হয়েছে।’ | 359,109 |
নোয়াখালী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৭ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৪০ | বিশাল বাংলা,রাজনীতি | 0 | হাতিয়ায় দল পাল্টালেন বিএনপির শতাধিক কর্মী-সমর্থক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1075843 | নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন বাবু ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক কর্মী-সমর্থক আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার তমরুদ্দি বাজারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁরা দলবদল করেন। বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা স্থানীয় সাংসদ আয়েশা ফেরদৌসের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তমরুদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়ার সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী, হাতিয়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম ইউছুফ আলী, তমরদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফররুখ আহমেদ, জাহাজমারা ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম বিল্লাহ, বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া আলী মোবারক প্রমুখ।জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদ বলেন, আলাউদ্দিন বাবু আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন বলে তিনি শুনেছেন। | 291,206 |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ আগস্ট ২০১৬, ০২:০৭ | ২৯ আগস্ট ২০১৬, ০২:০৭ | নারায়ণগঞ্জ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | নারায়ণগঞ্জে পশুর হাট দখলের চেষ্টা! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/961279 | নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সিদ্ধিরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতিকে নগরীর গোদনাইলের ইব্রাহীম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলের মাঠে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাটের ইজারা দিয়েছে। কিন্তু একটি মহল সেখানে বাঁশের খুঁটি পুঁতে হাটের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন আট বছর ধরে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইব্রাহীম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলের মাঠে কোরবানির পশুর হাট ইজারা দিচ্ছে। এ বছর দরপত্রের মাধ্যমে ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা জমা দিয়ে হাটের ইজারা পেয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির পক্ষে এর চেয়ারম্যান জুলহাস ভূঁইয়া। কিন্তু ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড ও বাজার, আরামবাগ, ভূঁইয়াপাড়া, ধনকুন্ডা, বাড়ৈপাড়া ও হাটের আশপাশের শতাধিক সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ২৪ আগস্ট হাটের নির্ধারিত মাঠে মহড়া দিয়ে সেখানে হাট বসানোর জন্য বাঁশের খুঁটি পুঁতে প্যান্ডেল নির্মাণ শুরু করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সন্ত্রাসী ইফতেখার আলম ওরফে খোকনসহ আরও অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হাটের ৫০ শতাংশ মালিকানা দাবি করেছেন। এটা না হলে তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের হাট বসাতে দেবেন না।হাটের ইজারাদার মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান জুলহাস ভূঁইয়া বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সিটি করপোরেশনের তহবিলে প্রায় ২৬ লাখ টাকা জমা দিয়ে হাটের ইজারা পেয়েছেন। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আগেই হাট দখল করে নেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা হাট দখল করে প্যান্ডেল নির্মাণ করে।ইফতেখার আলম বলেন, ‘মাঠে পালাগানের আয়োজন করা হবে। তাই প্যান্ডেল করা হয়েছে। আমরা কোনো হাট দখল করিনি। আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।’ইব্রাহীম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের মাঠে সিটি করপোরেশন কোরবানির পশুর হাট বসায়। এবার দুই পক্ষ হাট বসাতে চাওয়ায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুর রহমান হাবিব বলেন, ইব্রাহীম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলের মাঠ কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতিকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের আরও কয়েকটি পশুর হাটের পুনঃদরপত্র ডাকা হয়েছে। পুরো দরপত্র-প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে কোরবানির পশুর হাট ও ইজারাদারদের তালিকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানো হবে।সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরাফতউল্লাহ জানান, সেখানে দুই পক্ষ হাট বসাতে চাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে এখন কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। | 254,448 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ১০ জুলাই ২০১৩, ২০:৪৭ | ১০ জুলাই ২০১৩, ২০:৪৯ | আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | দুই ম্যাচে ১৪৬ গোল! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/22082 | দুটি ফুটবল ম্যাচে সর্বাধিক কতটি গোল হতে পারে? একটু ভাবুন তো। ১০টি, ১৫টি? যদি বলা হয়, হলো না, আপনার ভাবনাকে প্রসারিত করুন আরও। সেটা করলে কত দূরই বা ভাবতে পারবেন—২০, ২৫, ৫০। যদি বলা হয়, তা-ও হয়নি। আরও বেশি। আপনার কল্পনার সুদূর ভাবনায় গিয়ে ভাবুন। ৬০, ৭০, ৮০, ৯০ কিংবা ১০০ গোল! মাত্র দুটি ম্যাচে এর চেয়েও বেশি গোল হওয়া কি সম্ভব?বাস্তবতা বলছে, সম্ভব নয়। কিন্তু এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছে নাইজেরিয়ায়। গত সপ্তাহে তৃতীয় বিভাগে উন্নীত হওয়ার প্লে অফ ম্যাচে আকুরবাকে ৭৯-০ গোলে হারায় প্লাতো ফিডারস! অন্য ম্যাচে বাবায়ারো ইউনাইটেডকে ৬৭-০ গোলে হারায় পুলিশ মেশিনস! দুই ম্যাচ মিলিয়ে গোলসংখ্যা ১৪৬!স্কোরলাইন দেখে যে কেউ বলবে, ম্যাচ দুটি পাতানো ছিল। পাতানোরও তো একটা সীমা-চৌহদ্দি থাকে। তাই বলে এত! আসল ঘটনা বুঝতে বাকি নেই নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনেরও। সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ‘হাস্যকর’ ওই দুই ম্যাচে অংশ নেওয়া চার দলকেই। কেলেঙ্কারির নেপথ্যের ঘটনা বের করে আনার ঘোষণা দিয়েছেন ফেডারেশনের সহসভাপতি মাইক উমেশ, ‘এটা অগ্রহণযোগ্য। এখানে বড় ধরনের কেলেঙ্কারি হয়েছে। ম্যাচে জড়িত চার দলকে দ্রুতই সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ওই দুই ম্যাচের নেপথ্যের ঘটনা বের করে আনব আমরা।’প্লাতো ফিডারস ও পুলিশ মেশিনস দুই দলের পয়েন্ট ছিল সমান। এ কারণে প্লে অফে প্রতিটি দলেরই লক্ষ্য ছিল গোল-ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া। সেটা করতে গিয়েই বোধ হয় কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে ওই দুই দল। আর তাতে সহায়তা করেছে প্রতিপক্ষ। ম্যাচ দুটির চিত্র ছিল অনেকটা একই রকম। প্রথমার্ধের খেলা খুব বেশি অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু অবিশ্বাস্য সব গোল হতে থাকে বিরতির পর। নিজেদের ৭৯ গোলের মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধেই ৭২ গোল করে ফিডারস। ৪৫ মিনিটে ৭২ গোল, ভাবা যায়! অন্যদিকে ৬৭ গোলের মধ্যে পুলিশ লাইনস দ্বিতীয়ার্ধে করে ৬১টি। অবিশ্বাস্য!গোল-ব্যবধান বাড়াতে গিয়ে ফেঁসে গেছে প্লাতো ফিডারস ও পুলিশ মেশিনস। ফেঁসে গেছে তাঁদের সহযোগী দুই দলও। অভিনয়টা কাঁচা হলে যা হয়! সূত্র: রয়টার্স | 1,445 |
নিশাত সুলতানা | opinion | মতামত | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০৮:২৩ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:০৭ | শিক্ষা,লেখকের কলাম | null | শীতের মাসে স্কুল ছুটি দেওয়া যায় না? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1408376 | পৌষ শেষে এসেছে মাঘ মাস। কথায় বলে ‘মাঘের শীত বাঘের গায়’। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আমাদের দেশের শিশুদের মাঘ মাসের শীতেও পালানোর উপায় নেই। পৌষ কিংবা মাঘ মাসের তীব্র শীতের দিনগুলোয় রোজ সকালে উপস্থিত হচ্ছে স্কুলে। এটা চলছে বাংলাদেশের তাবৎ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোও পিছিয়ে নেই আয়োজনটি পরিপূর্ণ করতে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা সম্ভবত আমাদের শিশুদের সুপারবয় কিংবা সুপারগার্ল বলে মনে করছেন। কিংবা হয়তো মনে করছেন, তাদের অলৌকিক কোনো ক্ষমতা রয়েছে শীতের তীব্রতাকে পায়ে দলে রোজ সকালে স্কুলে হাজির হওয়ার। গ্রাম-দেশে এবং দরিদ্র এলাকার স্কুলগুলোয়, যেখানে শীতের তীব্রতা ও বাতাসের কামড় বেশি, সেখানকার শিশুদের কথা চিন্তা করুন তো? অনেক এলাকার স্কুলেই শীতে শিশুদের উপস্থিতি কমে যায়। প্রচণ্ড শীতে কুঁকড়ে যাওয়া শিশুদের দেখেও তাদের বার্ষিক পরিকল্পনা নতুনভাবে পুনর্বিন্যাস করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না!যদিও এ বছরের শীতের তীব্রতা গত কয়েক বছরের শীতকে হার মানিয়েছে, তবে তীব্র শীতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়টি কিন্তু বাংলাদেশে নতুন নয়। সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় কিংবা কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোয় মোটামুটিভাবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বার্ষিক পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়। অন্যদিকে, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে এ বছরের জুলাই থেকে পরের বছরের জুনকে শিক্ষাবর্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই স্কুলগুলো মোটামুটিভাবে নভেম্বরের মধ্যেই অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা সমাপ্ত করে। এরপর এক থেকে দেড় মাস শীতকালীন ছুটি কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা জানুয়ারির প্রথমার্ধে ফাইনাল টার্মের ক্লাস শুরু করে। অর্থাৎ তুলনামূলক কম শীতের সময়টি শীতকালীন ছুটি হিসেবে কাটিয়ে ভরা শীতের মৌসুমে প্রতিদিন সকালে তারা স্কুলের পথে পা বাড়ায়। হাড় কাঁপানো শীতে সূর্যের আলো ফোটার আগেই তাদের টেনেহিঁচড়ে তোলা হয় ঘুম থেকে। তাদের ঘুমকাতুরে নমনীয় শরীর আর ঢুলুঢুলু চোখ নীরবে জানান দেয়, এই শিক্ষাদান–পদ্ধতি তারা ভালোবাসে না, যা বিন্দুমাত্র বিবেচনা করে না তাদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা। একই সঙ্গে নিষ্ঠুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তাদের মা-বাবা। অসহায় মা-বাবা জোর করে সন্তানকে ডেকে তোলেন ঘুম থেকে। তাঁরা তাঁদের এই নিষ্ঠুরতাকে দায়িত্ববোধের মোড়কে সাজিয়ে নিজেরা সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা করেন; কিন্তু পারেন কি? তাঁদের অন্তরের গভীরে থেকে যায় এই শীতে অন্তত আরও কিছুক্ষণ সন্তানকে উষ্ণ রাখার আকুতি।একদিকে শীতের কামড় আর অন্যদিকে দানবাকৃতির বইয়ের বোঝা নিয়ে শিশুরা হাজির হয় স্কুলে। এমনিতেই পড়ার চাপে শিশুদের শৈশব এখন অনেকটাই বিবর্ণ। কিন্ডারগার্টেন আর ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোয় এই চাপ যেন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। স্কুলভেদে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিশুদের জন্য আয়োজন করে রেখেছে তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি প্রি স্কুলিং কার্যক্রম। এই শিশুরাও রোজ সকালে তীব্র শীতের মধ্যে হাজির হচ্ছে স্কুলে। কেউবা হাই তুলতে তুলতে, কেউ ঘুমাতে ঘুমাতে আবার কেউবা দুধের ফিডারটি মুখ থেকে সরিয়েই প্রবেশ করছে স্কুলে। এই ভয়াবহ শীতে দুধের শিশুগুলোকে কি অন্তত একটু রেহাই দেওয়া যায় না? আবার অবকাঠামোগত তারতম্য থাকলেও শহর কিংবা গ্রামে অনেক শিশুর বাড়ির অবস্থান স্কুল থেকে বহু দূরে। তাদের বেলায় শীতের প্রকটতার সঙ্গে যুক্ত হয় নিরাপত্তার বিষয়টি। সূর্যের আলো ফোটার আগেই বাড়ির বাইরে শিশুরা কতটা নিরাপদ, তা ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।আমরা সবাই জানি, জানুয়ারি বছরের শীতলতম মাস। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে স্কুলের কর্মপরিকল্পনা পুনর্বিন্যাস করা জরুরি। সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় সাধারণত বছরের প্রথম দিনগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি, রুটিন প্রণয়ন, বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি বিষয় সম্পন্ন করা হয়। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিষয়টি কিন্তু অনায়াসেই ডিসেম্বর মাসে সম্পন্ন করা সম্ভব। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য শিশুদের শ্রেণিতে উপস্থিত হওয়া জরুরি নয়। শুধু শিক্ষকেরা স্কুলে হাজির হয়ে কাজগুলো করতে পারেন। তাই ডিসেম্বর মাসটির পূর্ণ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ জানুয়ারি মাসটি শিশুদের জন্য শীতকালীন ছুটি হিসেবে ভাবা যেতে পারে। স্কুলের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনাটি এই বিবেচনায় করা হলে তীব্র শীতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা হবে না।অন্যদিকে, ইংরেজি মাধ্যম ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো আরও পরে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার আয়োজন করে জানুয়ারি মাসটি স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে। অনেকে ভাবতে পারেন, তাহলে বই উৎসবের কী হবে! বই উৎসব অবশ্যই হবে। সেই দিনটিতে স্কুল সাজবে, সাজবে শিশুরা। শিশুরা স্কুলে আসবে, বই নেবে এরপর মহা আনন্দে বই নিয়ে তারা বাড়ি ফিরবে। নতুন বই তারা ছুঁয়ে দেখবে, ঘ্রাণ নেবে, অনুভব করবে, ভালোবাসবে, বইয়ের সঙ্গে মিতালি গড়ে তুলবে। এই তীব্র শীতের একটি মাস তারা নাহয় খানিকটা আরামে আর উষ্ণতায় বাড়িতেই কাটাল। তাতে এমন কোনো বড় ক্ষতি হবে না। হয়তো এতে তেমন কোনো দৃশ্যমান লাভও হবে না। তবে স্কুলে যাওয়ার প্রতি তাদের যে অভক্তি তৈরি হবে না, এটা নিশ্চিত। কারণ, যে শিক্ষাব্যবস্থা শিশুদের শৈশবকে বিবেচনায় আনে না, যে শিক্ষাব্যবস্থা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও মানবিক আচরণ করে না, তা কখনোই শিশুদের কাছে আদরণীয় হতে পারে না। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ স্কুল পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান, শীতের সকালে কাঁথা-কম্বল কিংবা লেপের ওমে আরও কিছুদিন নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দিন আমাদের শিশুদের।নিশাত সুলতানা: কর্মসূচি সমন্বয়ক, জেন্ডার জাস্টিস ডাইভারসিটি প্রোগ্রাম, ব্র্যাক। | 351,430 |
ইকবাল খান | education | শিক্ষা | ২৭ জুন ২০১৬, ০০:০৮ | ২৭ জুন ২০১৬, ০০:০৮ | পড়াশোনা | 0 | ইংরেজি | http://www.prothom-alo.com/education/article/900088 | আনসিন প্যাসেজপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ ইংরেজি বিষয়ের একটি আনসিন প্যাসেজ ও প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব।Read the text and answer the questions no. 5, 6, 7, 8 and 9.Adnan is a student. He lives with his parents. His grandmother also lives with them. Once his grandmother fell ill. His father took her to a hospital. The school was over. Adnan came from school and went to the hospital to see her. Adnan left the hospital for home. Then it was almost midnight. There was no transport on the road. His house was not very far. So he was walking home.He was all alone. There was silence all around. He felt that someone was following him. He was afraid even to look back. But when he stopped he heard no sound.As soon as he walked faster, the sound became louder. Adnan then began to run to get rid of the sound. The sound too ran after him. ‘Who is it?’ shouted Adnan, ‘Why are you following me?’ But there was no reply.5. Write only the answer on the answer paper.i. ---- became ill.(a) Adnan’s father (b) Adnan’s mother(c) Adnan’s uncle (d) Adnan’s grandmotherii. Adnan lives with ----.(a) his grandfather (b) his parents(c) his uncle (d) his elder brotheriii. Where does Adnan read?(a) In a high school (b) In a college(c) In a school (d) In a madrasahiv. Why did Adnan go to the hospital?(a) To see his sister (b) To see his grandmother(c) To see his uncle (d) To see his friendv. Adnan left the hospital ----.(a) at night (b) in the evening(c) at midnight (d) in the morningvi. Where was his house?(a) Very far from the hospital (b) Near the hospital(c) Near the school (d) Near the mosquevii. Why did not he find any transport on the road?(a) Because it was midnight (b) Because of rain(c) Because of darkness (d) Because of nightviii. How did he start for home?(a) On foot (b) Running (c) By bus (d) By cycleix. ---- was afraid.(a) Adnan’s grandmother (b) Adnan’s father(c) Adnan’s mother (d) Adnanx. Who was following him?(a) A robber (b) A thief (c) A sound (d) A beggarAnswer to the question no. 5.(i) (d) Adnan’s grandmother; (ii) (b) his parents; (iii) (c) In a school; (iv) (b) To see his grandmother; (v) (c) at midnight; (vi) (b) Near the hospital; (vii) (a) Because it was midnight; (viii) (a) On foot; (ix) (d) Adnan; (x) (c) A sound.# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালশিক্ষকবীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা | 236,222 |
প্রথম আলো ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:২১ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:২১ | -1 | 0 | সন্দেহভাজনের তথ্য ভাগাভাগি করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/629113 | থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের মন্দিরে বোমা হামলার সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারীর বাংলাদেশে অবস্থান বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ সরকার। ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। খবর ইউএনবির।মূল পরিকল্পনাকারী আবদুর রহমান আবদুস সাত্তার ওরফে এ কে এ আইজান গত মাসের শেষ দিকে ১৪ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করেছিলেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তিনি গত ১৬ আগস্ট বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। আর গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তিনি জেটএয়ারের একটি বিমানে করে ঢাকা ত্যাগ করেন।গতকাল দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বাংলাদেশে অবস্থানের বিষয়টিতে খোঁজখবর নিচ্ছে। এ-সংক্রান্ত সব তথ্য থাই সরকার, সংশ্লিষ্ট সব দেশের সরকার এবং ইন্টারপোলসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে ভাগাভাগি করা হবে। ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া মুনা তাসনিম থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।গত ১৭ আগস্ট থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ইরাওয়ান মন্দিরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৪ জন বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। থাইল্যান্ডের পুলিশের ভাষ্য, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই বিদেশির একজন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ‘আইজান’ নামের এক ব্যক্তি। ব্যাংককে এক বৈঠকে তিনি অন্যদের মধ্যে হামলার দায়িত্ব বণ্টন করে দেন। হামলার আগের দিন তিনি বাংলাদেশে চলে যান। এ জন্য তিনি চীনা পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। | 168,142 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:২৬ | ০৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:২৭ | -1 | 0 | নক্ষত্রের জন্মের ছবি | http://www.prothom-alo.com/international/article/596425 | মহাবিশ্বের সুবিশাল ছায়াপথগুলো কীভাবে দীর্ঘ সময় ধরে অনন্য প্রক্রিয়ায় নক্ষত্রের জন্ম দিতে থাকে তা জানতে পেরেছেন জ্যোতির্বিদেরা। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার শক্তিশালী দুরবিন হাবল স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে তাঁরা দেখেছেন, ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলে সক্রিয় কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল থেকে উত্তপ্ত ও নীলাভ নক্ষত্রগুলো উৎপন্ন হয়ে বেরিয়ে আসে। এই উৎপাদন-প্রক্রিয়া একটি স্বনিয়ন্ত্রিত চক্রের অংশ। কার্যত ছিটকে বেরিয়ে আসা নক্ষত্রগুলো অত্যন্ত উচ্চশক্তিসম্পন্ন এবং সেগুলো উত্তপ্ত আলো ও গ্যাসের বলয় তৈরি করে। শীতল হওয়ার পর নক্ষত্রগুলো ছায়াপথে প্রবেশ করে। নক্ষত্র সৃষ্টির সময়টার ছবি অনেকটা বজ্রপাতের দৃশ্যের মতো। এনডিটিভি | 158,530 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ০২ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২২ | ০২ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২৪ | যুক্তরাজ্য | null | প্রেম ছিল | http://www.prothom-alo.com/international/article/63091 | ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডকের অধুনালুপ্ত পত্রিকা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর দুই সাবেক সম্পাদক রেবেকা ব্রুকস ও অ্যান্ডি কুলসনের মধ্যে প্রেম ছিল। তাঁদের প্রতিবেদকরা ফোনে যখন ফোনে আড়ি পাতায় অভিযুক্ত, তখন এই দুজন প্রেমে ব্যস্ত। গত বৃহস্পতিবার লন্ডনের একটি আদালতে শুনানিকালে কৌঁসুলি অ্যান্ড্রু এডিস আদালতকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, কুলসন যা জানতেন, ব্রুকসও তা জানতেন। আর ব্রুকস যা জানতেন, কুলসনও তা জানতেন। কুলসন পরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রধান গণমাধ্যম মুখপাত্র হিসেবে যোগ দেন। রয়টার্স। | 24,848 |
প্রণব বল, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৬ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৭ | চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা | 0 | অবরোধে লোকসানে খামারিরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/94279 | পোলট্রি মুরগির দাম গত চার মাসে আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এখন খুচরা বাজারে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা লোকসান দিচ্ছেন খামারিরা।হরতাল আর অবরোধের কারণে সামাজিক অনুষ্ঠানাদি কমে যাওয়াকে খামারিরা এ জন্য দায়ী করেছেন। খামারিদের পাশাপাশি বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতির মুখে পড়েছে। ৪০ টাকার বাচ্চা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। এতে উৎপাদন-খরচই উঠছে না বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। চাহিদার তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি বাচ্চা উৎপাদিত হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।চট্টগ্রামে দেড় হাজার নিবন্ধিত পোলট্রি খামারের পাশাপাশি নিবন্ধনবিহীন আরও অন্তত দুই হাজার খামার রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্ধেক খামার বন্ধ রয়েছে বলে তাঁরা জানান।বৃহত্তর চট্টগ্রাম পোলট্রি ও খামারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিটন চৌধুরী বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের কারণে চার মাস ধরে আমাদের ব্যবসা কমে গেছে। কিন্তু আমাদের উৎপাদন থেমে নেই। কারণ, বাচ্চা উৎপাদিত হচ্ছে বেশি পরিমাণে। একদিকে হরতালের কারণে মানুষের বিয়ে-মেজবান ইত্যাদি অনুষ্ঠান নেই, অন্যদিকে অত্যধিক উৎপাদনের মুখে দাম কমে গেছে।’ বর্তমানে প্রতি কেজি মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৩০ টাকা। এর মধ্যে বাচ্চার দাম ১৬ টাকা, সোয়া দুই কেজি খাদ্য ১০০ টাকা, ভ্যাকসিন, পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি মিলে আরও ১৫ টাকা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে প্রতি কেজি মুরগি পাইকারিতে ১০০-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে তা ১১০ টাকা।বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ও নাহার পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ‘যেভাবে অবরোধ-হরতাল হচ্ছে, আমরা মনে হয় আর বাঁচব না। কোনো গাড়ি যেতে পারছে না। দিনের পর দিন ক্ষতির মুখে। উৎপাদিত বাচ্চা আমরা সরবরাহ করতে পারছি না। অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে।’চট্টগ্রামের বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এম এম আগা লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, উৎপাদন বাড়লেও বাচ্চা কেউ ফেলে দিচ্ছে না। যেকোনো উপায়ে তা মুরগিতে পরিণত করছে। তাই বাচ্চার দাম কমছে, পাশাপাশি মুরগির দামও কমছে। | 34,273 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:০৮ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:০৯ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ১৪ মাস পর মা–বাবা জানলেন নিখোঁজ ছেলে বেঁচে নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1067421 | নিখোঁজ হওয়ার ১৪ মাস মা-বাবা জানতে পারলেন তাঁদের সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্র আসিফ ইমরান আর বেঁচে নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে চলতি মাসে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার পরিচয়বিহীন গলাকাটা লাশটিই আসিফ ইমরানের। ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর নিখোঁজ হয়েছিলেন আসিফ।আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক লুৎফর রহমানের দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে আসিফ বড়। রাজধানীর বেসরকারি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের ছাত্র আসিফ বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।লুৎফর রহমান বলেন, ২০১৫ সালের মে মাসে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। এরপরই স্ত্রীকে নিয়ে হজে যান। তিনি হজ থেকে ফেরার কয়েক দিন আগে নিখোঁজ হন আসিফ। নানা জায়গায় ঘুরেও একমাত্র ছেলের তথ্যই পাচ্ছিলেন না। নারায়ণগঞ্জের পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন আসিফ নিখোঁজের বিষয়ে তাঁর এক বন্ধু গোলাম মোস্তফা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর বন্ধু শাকিলসহ নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় গোলাম মোস্তফাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন আসিফ। এরপর তাঁরা নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলমগীরের কার্যালয়ে যান। সেখানে আলমগীরের লোকজন তাঁদের আটকে রেখে মারধর করেন। পরে মোস্তফা ও শাকিল বের হতে পারলেও আসিফ সেখানে আটকা পড়েন। এর ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর গোলাম মোস্তফা ও তাঁর বাবা গোলাম মোহাম্মদ, শাকিল এবং আলমগীরের বিরুদ্ধে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন লুৎফর রহমান।নিহতের বাবা ও পুলিশ জানায়, মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। পাঁচ মাস পর তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। সিআইডি এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ইমরানের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। নারায়ণগঞ্জের অন্য একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার লিমন নামের এক তরুণের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে সিআইডি জানতে পারে আসিফ ইমরান নিখোঁজ হওয়ার পরপরই বুড়িগঙ্গা নদী থেকে একটি পরিচয়বিহীন লাশ উদ্ধার করেছিল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।দাফনের আগে ওই লাশটির ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। সেই নমুনার সঙ্গে লুৎফর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর ডিএনএ নমুনা মেলানো হয়। অবশেষে নমুনা মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পরিচয়হীন ওই লাশ আসিফের। ঘুরে যায় মামলার মোড়। লিমনসহ অন্য কয়েকজনের তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি আরও পাঁচজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করে। জব্দ করা হয় অপহরণে ব্যবহৃত গাড়ি ও এর চালককে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নয়জন এখন পর্যন্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান বলেন, এজাহারে নাম উল্লেখিত আসামিসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অচিরেই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। | 287,057 |
অনলাইন ডেস্ক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৩:২৬ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:৩৪ | -1 | 0 | বেহালে স্মৃতিস্তম্ভ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/712930 | বিজয়ের ৪৪ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে বিভিন্ন সময় তৈরি হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। যদিও ডিসেম্বর বা মার্চ মাস এলেই এসব স্মৃতিস্মারক ঘষামাজা করে দর্শনীয় করে তোলার চেষ্টা চলে, কিন্তু প্রায় সারা বছরই অনেক স্মৃতিস্তম্ভ অবহেলা ও অযত্নে পড়ে থাকে। ঢাকার এমন কিছু স্মৃতিস্তম্ভের চিত্র তুলে ধরা হলো।অযত্ন-অবহেলায় রাজধানীর বিজয় সরণি মোড়ের ফোয়ারাটির বেহাল দশা। বিভিন্ন পোস্টারে ছেয়ে গেছে ফোয়ারার গায়ে থাকা বাংলাদেশের ইতিহাসভিত্তিক ম্যুরাল। ছবিটি ১০ ডিসেম্বর দুপুরে তোলা। ১৯৭১ সালের ১৬ নভেম্বর রাজধানীর নটর ডেম কলেজের কাছে পুলের নিচে পাওয়া গিয়েছিল আলবদর বাহিনীর হাতে নিহত চিকিৎসক আজহারুল হক ও হুমায়ুন কবীরের লাশ। সেই স্থানে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল একটি স্মৃতিফলক। বর্তমানে স্মৃতিচিহ্নটির দশা বড় করুণ। ছবিটি ৩ ডিসেম্বর দুপুরে তোলা।রাজধানীর ফুলবাড়িয়াতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে তৈরি করা হয় ভাস্কর্য ‘প্রত্যাশা’। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও অবহেলায় এটি এখন দৈন্যদশায়। ছবিটি ১১ ডিসেম্বর তোলা।ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে স্থাপিত বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম কমান্ডার চত্বরের ভাস্কর্যটি এখনো অবহেলায় পড়ে আছে। ভেঙে গেছে চারপাশের বেষ্টনী, সাঁটানো হয়েছে পোস্টার। ছবিটি ৪ ডিসেম্বর সকালে তোলা।ওসমানী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনায় চলছে ভাসমান খাবার বিক্রির ব্যবসা। কেউ কেউ আবার স্থাপনার পেছনেই বসে সারছেন প্রাকৃতিক কাজ। ছবিটি ২ ডিসেম্বর তোলা। | 183,474 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৭:৪৬ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৭:৪৭ | টেলিভিশন | null | কেবিসিতে ইতিহাস গড়লেন অচিন-সার্থক | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/326140 | জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ থেকে সাত কোটি রুপি জিতে ইতিহাস গড়লেন দুই ভাই অচিন ও সার্থক। সম্প্রতি প্রখ্যাত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন সঞ্চালিত অনুষ্ঠানটির অষ্টম মৌসুমের একটি পর্বে জ্যাকপট জিতেছেন তাঁরা। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে এযাবৎ কালের এটাই সর্বোচ্চ পুরস্কার।দিল্লিতে বসবাসকারী ২৪ বছর বয়সী অচিন পেশায় মার্কেটিং ম্যানেজার। আর ২৩ বছর বয়সী সার্থক একজন ছাত্র। সম্প্রতি কেবিসি অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নেন তাঁরা। চারটি লাইফ লাইনের সহায়তা নিয়ে ১৪টি প্রশ্নের সবগুলোর সঠিক উত্তর দিয়ে তাঁরা সাত কোটি রুপি পুরস্কার জিতে নেন। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অচিন বলেন, ‘এটা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ও অবিশ্বাস্য একটি ঘটনা। আমরা ভেবেছিলাম, ২৫ লাখ রুপি জিতলেই খেলা ছেড়ে দেব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাত কোটি রুপি জিতে জীবনের সবচেয়ে অবিস্মরণীয় মুহূর্তের মুখোমুখি হলাম আমরা।’ অচিন এও জানিয়েছেন, গত ১০ বছর ধরে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি।১৪ বছর ধরে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন অমিতাভ। দুই ভাই অচিন ও সার্থক অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ পুরস্কার জেতায় বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যান অমিতাভ। তিনি তাঁর ব্লগে অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি এক বার্তায় লিখেছেন, ‘বিস্ময়কর মুহূর্ত। কী অসাধারণ প্রতিভা! কী অসাধারণ খেলা..! এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলার এখতিয়ার আমার নেই।’এ ছাড়া এক টুইটার বার্তায় অমিতাভ লিখেছেন, ‘কেবিসির সৌন্দর্য ও উচ্ছ্বাস সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। এককথায় অসাধারণ এক মুহূর্ত।’ বার্তার পাশাপাশি বিজয়ীদের ছবিও তিনি পোস্ট করেছেন টুইটারে। | 94,996 |
বাসস, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ মার্চ ২০১৮, ১৪:৩৫ | ২১ মার্চ ২০১৮, ১৭:০১ | সরকার,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | null | বিএনএ বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1454296 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার চট্টগ্রামে নৌবাহিনী একাডেমিতে বিএনএ বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন। এটি নৌবাহিনীর জন্য সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত প্রথম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ একাডেমি। কর্ণফুলী নদীর মোহনা এবং বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এই একাডেমিতে নির্মিত অত্যাধুনিক বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সটি আধুনিক স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন।জাহাজের আদলে নির্মিত এই কমপ্লেক্সের সামনে ব্রোঞ্জ নির্মিত জাতির পিতার ৪১ ফুট উঁচু এক আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। ১৮ ফুট মূর্তিটিকে ২৩ ফুট উঁচু কালো বেদির ওপর স্থাপন করা হয়েছে। যা দেখলে মনে হবে, বঙ্গবন্ধু সুদূর সমুদ্র পানে তাকিয়ে আছেন।১৬টি ভবনের সমন্বয়ে গড়ে তোলা এই কমপ্লেক্সে একাডেমিক এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি আবাসিক সুবিধা রয়েছে। এতে ওয়ার্ড রুম, প্যারেড গ্রাউন্ড, সুইমিং পুল, বোট পুল এবং অন্য সুবিধাদি রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে কমপ্লেক্সটি গড়ে তুলতে এখানে সিম্যানশিপ, অ্যান্টিসাবমেরিন, যুদ্ধাস্ত্র এবং কমিউনিকেশন মডেল রুম, চার্ট রুম, লাইব্রেরি, কম্পিউটার, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, আধুনিক মিলনায়তন এবং সাত ধরনের ল্যাবরেটরি রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর এই কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।প্রধানমন্ত্রী এখানে নৌবাহিনীর ক্যাডেট, মিডশিপম্যান এবং নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ ডিসপ্লেও উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, নৌবাহিনীর ক্যাডেট ও মিডশিপম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌবাহিনী একাডেমিতে পৌঁছালে তাঁকে নৌবাহিনী প্রধান চিফ অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ স্বাগত জানান। | 358,565 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০৯:৩৮ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১১:২৪ | -1 | null | মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/637117 | প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন, ফল প্রকাশ উপলক্ষে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজও কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও পুনঃপরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষার দিন সকালে ও আগের রাতে ফেসবুকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তা মিলে গেছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা) এ বি এম আবদুল হান্নান বলেছেন, পরীক্ষার পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলা যুক্তিযুক্ত নয়। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়েছে।আরও পড়ুন:‘সুচিকিৎসা কি যাবে ঘরে, প্রশ্ন পেলে বাজারদরে?’ | 170,408 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৭ অক্টোবর ২০১৬, ০১:০৯ | ১৭ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১৫ | বিনোদন | 0 | অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন আগামী বছর | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1001481 | আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন করতে যাচ্ছে অভিনয়শিল্পী সংঘ। সাত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি এতকাল ছিল প্রায় স্থবির। সম্প্রতি নতুন করে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে তারা।গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রায় সাত বছর পর একটি সাধারণ সভার আয়োজন করল সংগঠনটি। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের একটি রেস্তোরাঁয় এই সভায় লিখিত বক্তব্য পড়েন এর সাধারণ সম্পাদক তুষার খান। সভায় অভিনেতা মামুনুর রশীদকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যবিশিষ্ট নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন তুষার খান, আহসানুল হক, রোকেয়া প্রাচী, শিরিন বকুল, শামস সুমন, আহসান হাবীব নাসিম (সদস্যসচিব), রওনক হাসান ও সিদ্দিকুর রহমান। আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করবে।সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন আলী যাকের ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তুষার খান। এরপর আর নতুন কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ১৬০ জন। | 256,769 |
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৩৭ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৩৮ | মিরসরাই,চট্টগ্রাম,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/93319 | চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় রিয়াজ মাহমুদ (১৮) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন।গতকাল শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া বাইপাসে সকাল নয়টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থী বাইসাইকেলে করে কলেজে যাচ্ছিলেন।জানা গেছে, রিয়াজ মাহমুদ কলেজে যাওয়ার পথে বড়তাকিয়া বাইপাসে গেলে চট্টগ্রামমুখী দ্রুতগামী বিরতিহীন ভলবো বাস রিয়াজকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে মিরসরাই উপজেলা সদরের মাতৃকা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রিয়াজ মাহমুদ উপজেলার প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী। মিরসরাই থানা পুলিশ গ্রিন লাইন ভলবো সার্ভিসের বাসটি জব্দ করেছে। অপরদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র রিয়াজের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই সদরে দুটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ দুজন ছাত্রকে আটক করে। মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, দুর্ঘটনার পর নিহত ছাত্রের উত্তেজিত সহপাঠীরা গাড়ি ভাঙচুর করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ দুজন ছাত্রকে আটক করে। পরে কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আবসার এসে তাদের নিয়ে যান। রিয়াজ মিরসরাই পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আহমঞ্চদ সোবহান নতুন কাপ্তানবাড়ীর প্রবাসী ও ব্যবসায়ী রিদোয়ানুল হকের বড় ছেলে। | 34,016 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ ও ফরিদপুর অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ মার্চ ২০১৬, ০২:৪০ | ২০ মার্চ ২০১৬, ০২:৪১ | বিশাল বাংলা | 0 | কালীগঞ্জ ও ভাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন আজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/804382 | ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন আজ রোববার। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচনে কালীগঞ্জে মেয়র পদে ৫ জন ও কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মকছেদ আলী (নৌকা প্রতীক), বিএনপির আতিয়ার রহমান (ধানের শীষ প্রতীক), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদুর রহমান মন্টু (নারকেলগাছ প্রতীক), বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুজ্জামান লাল (কম্পিউটার প্রতীক) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নুরুল ইসলাম (হাতপাখা প্রতীক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাঙ্গায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের আবু ফয়েজ মো. রেজা (নৌকা), বিএনপির ওয়াহিদুজ্জামান মিয়া (ধানের শীষ), ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মো. আসাদুজ্জামান (হাতপাখা), ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি মজিবুর রহমান নিক্সন-সমর্থিত আবু জাফর মুন্সী (জগ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ আবুল ফজল প্রিন্স (নারিকেলগাছ)। | 212,415 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভৈরব | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ জুলাই ২০১৬, ১৪:২৮ | ২০ জুলাই ২০১৬, ১৪:৪২ | ভৈরব,রাজনীতি,ঢাকা বিভাগ,পৌরসভা নির্বাচন | null | কুলিয়ারচরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ.লীগ প্রার্থী বিজয়ী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/920065 | কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইমতিয়াজ বিন মুসাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক মিয়া বেসরকারিভাবে ইমতিয়াজ বিন মুসাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। ইমতিয়াজ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি।নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধু মেয়র পদে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি প্রার্থী ছাড়া এই পদে আর কোনো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। এর মধ্যে ভুল তথ্য দেওয়ায় বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। তাই আমাদের হাতে একটিমাত্র বৈধ মনোনয়নপত্র ছিল। গতকাল মঙ্গলবার ছিল প্রত্যাহারের শেষ দিন। যেহেতু আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, সুতরাং বিধি অনুযায়ী আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।’বিজয়ী হওয়ার পর ইমতিয়াজ বিন মুসা বলেন, অবকাঠামো ও মানবিক উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি পৌর পরিষদ পরিচালনা করবেন। বিশেষ করে এই পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা হিসেবে যা করা দরকার, তা–ই করার চেষ্টা করা হবে। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হলেও মূলত পৌরবাসী সবার মেয়র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তিনি।নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া বিএনপি প্রার্থী মো. কামাল হোসেন বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।নির্বাচনী হলফনামার শিক্ষাগত যোগ্যতার ছকে কামাল হোসেন স্বশিক্ষিত উল্লেখ করেছিলেন। তথ্যটি ভুল দেওয়ার অভিযোগে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এ অবস্থায় গত রোববার বিকেলে ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, টানা দুইবারের মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল হাসান হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৭ এপ্রিল মারা গেলে মেয়র পদটি শূন্য হয়। বিজয়ী প্রার্থী ইমতিয়াজ বিন মুসা প্রয়াত মেয়র আবুল হাসানের ভাতিজা। | 241,625 |
মো. শরিফুল ইসলাম | life-style | জীবনযাপন | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:০৩ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:২৪ | অধুনা,পরামর্শ | 0 | ধুলাবালি থেকে বাঁচতে কী করবেন? | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1076377 | ধুলাবালি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমস্যা না করলেও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা করতে পারে। সাধারণত যেসব ধুলা খালি চোখে দেখা যায় না, সেগুলো সাধারণত বেশি ক্ষতিকর।এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, বড় আকারের ধুলা নাকে-মুখে জমা হয়, ফুসফুসে যেতে পারে না। তাই ক্ষতিও কম করে। অপরপক্ষে ক্ষুদ্র ধুলা সহজেই ফুসফুসে ঢুকতে পারে ও ক্ষতি করে। এ থেকে বাঁচার উপায় মেনে চললে ফুসফুসের ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না।কীভাবে ক্ষতি করে?ধুলার ধরন, আকার-আয়তন, ঘনত্বের মাত্রা ও কত দিন ডাস্টে বসবাসের ওপর নির্ভর করে ক্ষতির মাত্রা। সামান্য পরিমাণ ধুলাও তাৎক্ষণিক সমস্যা করতে পারে। যেমন চোখ জ্বালাপোড়া, কাশি, হাঁচি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আবার যাঁদের আগে থেকেই ফুসফুসের সমস্যা আছে, তাঁদের অল্পতেই সমস্যা জটিল করে তুলতে পারে।কারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে?সাধারণত শিশু, বৃদ্ধ ও যাঁদের ডাস্ট অ্যালার্জি আছে, তাঁরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।প্রতিরোধের উপায় কী?প্রাকৃতিক ধুলা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। তবে মানবসৃষ্ট ডাস্ট অনেকাংশে কমানো সম্ভব।*বাসাবাড়ির ধুলা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিস থেকে ধুলা তৈরি হতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা। বাসার মেঝে, আঙিনা, বারান্দা, জানালা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা। বাড়িতে কোনো পোষ্য প্রাণী থাকলে তাদেরও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।*বিশেষ করে বাসার আশপাশে পানি ছিটিয়ে ধুলাবালি উড়তে না দেওয়া। আর শীতকালে বেশির ভাগ সময়ই বাড়ির জানালা-দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। এত হাওয়া চলাচল হয় না। ফলে আপাতদৃষ্টিতে ঘরবাড়ি পরিষ্কার মনে হলেও এ সময় ধুলা একটু বেশিই জমে। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে একটু বাড়তি নজর দিতে হবে।*খোলা জায়গায় সমিল, পাথর ভাঙা, ইট ভাঙা ইত্যাদি না করা।*কলকারখানা ও পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় মুখে অবশ্যই মাস্ক পরা।*বিভিন্ন আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আশপাশে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়মিত পানি ছিটানো। নির্দিষ্ট মাপের জিনিস ব্যবহার করা, যাতে কাটাকাটি কম করতে হয়। ফলে ধুলা কম তৈরি হবে।*রাস্তাঘাট এমনভাবে নির্মাণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত ধুলাবালি তৈরি না হয়।*মাস্ক পরার অভ্যাস থাকলে সহজেই এই ধুলার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।লেখক: চিকিৎসক | 291,646 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০৬ মার্চ ২০১৯, ১১:২৫ | ০৬ মার্চ ২০১৯, ১১:৫২ | ভারত,ক্রিকেট,বিরাট কোহলি | null | কোহলির ১০০ ভারতের ৪০০, ৪৫০ ও ৫০০তম জয়ে | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1582122 | ভারতের ৪০০তম, ৪৫০তম ও ৫০০তম ওয়ানডে জয়ে সেঞ্চুরি করেছেন বিরাট কোহলিবেচারা মার্কাস স্টয়নিস। ওয়ানডেতে রান তাড়া করতে নেমে এ পর্যন্ত ছয়টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন। এর প্রতিটিতে হেরেছে তাঁর দল অস্ট্রেলিয়া। কাল নাগপুরে দেখা গেল তার সবশেষ নজির। অবশ্য একই ম্যাচে আরও একটি নজির দেখা গেল। গত সাত বছরের মধ্যে ওয়ানডেতে ভারত যে তিনটি মাইলফলকের জয় পেয়েছে, তার প্রতিটিতে সেঞ্চুরি করেছেন বিরাট কোহলি। শুধু কী তাই, হয়েছেন ম্যাচসেরাও!নাগপুরে কাল ওয়ানডেতে নিজেদের ৫০০তম জয় তুলে নিয়েছে ভারত। ৯৬৩তম ওয়ানডেতে এসে এই মাইলফলকের দেখা পেল তারা। ওয়ানডেতে শুধু অস্ট্রেলিয়াই তাদের চেয়ে বেশি ম্যাচ (৯২৪ ম্যাচে ৫৫৮ জয়) জিতেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে হারের (৪১৪ ম্যাচ) রেকর্ডটিও আবার ভারতের। সে যা–ই হোক, কাল ভারতের ৫০০তম ওয়ানডে ম্যাচ জয়ে সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক কোহলি। ১২০ বলে ১১৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। কাকতালীয় ব্যাপার, ভারতের আগের দুটি মাইলফলকের ওয়ানডেতেও কোহলি সেঞ্চুরি করেছিলেন।চার বছর আগে ২০১৫ সালে ভারত সফরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে সেঞ্চুরি (১৩৮) করেছিলেন কোহলি। সেটি ছিল ভারতের ৪৫০তম ওয়ানডে জয়ের ম্যাচ। আর সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন কোহলি। ভারত তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে ৪০০তম জয়ের মুখ দেখেছে ২০১২ সালে। সেবার শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ১২৮ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত আর ম্যাচসেরা হন সেই কোহলিই। | 392,857 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০১:৩৯ | ২১ আগস্ট ২০১৬, ০১:৪১ | চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | পার্সেন্টেজ নেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করার দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/952663 | উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সময়মতো অর্থ ছাড় করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অর্থ ছাড় করতে এত দেরি হয় যে প্রকল্পের মেয়াদই শেষ হয়ে যায়। উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ‘পার্সেন্টেজ’ (শতাংশ) নেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রয়াসে রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক মুক্ত সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।মুক্ত সংলাপে বরাদ্দপ্রাপ্তি নিয়ে সম্প্রতি করা মেয়রের অভিযোগ এবং মেয়রকে দেওয়া মন্ত্রণালয়ের চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা চট্টগ্রামের উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।১০ আগস্ট চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘চট্টগ্রাম নগর সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তাকে ৫ শতাংশ করে দিতে রাজি না হওয়ায় করপোরেশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাননি। তাঁর এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়া হয় মেয়রকে।গতকালের মুক্ত সংলাপে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অত কিছু বুঝি না। আমরা উন্নয়ন চাই। নগরের উন্নয়নে সিটি করপোরেশনকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।’ তিনি বিএনপি-জামায়াতপন্থী আমলাদের প্রত্যাহারের দাবি জানান।বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফ চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের অভিযোগ করে বলেন, ‘চট্টগ্রামের মেয়র এক বছরের মাথায় যে কথাটি বলেছেন, আমার মনে হয় তাতে শাপে বর হবে। ধাক্কা না দিলে কোনো কিছু আদায় করা যাবে না। আমরা মেয়রের পাশে থাকব।’বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে আমলারা যেভাবে কাজ করছেন, তা জনগণের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী। আমলাতন্ত্রের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করতে হবে।সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে অনেক এমপি-মন্ত্রী আছেন। তাঁরা কেন মেয়রের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না?মুক্ত সংলাপে মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ চৌধুরী ও আবদুল হালিম বলেন, সময়মতো টাকা ছাড় না করলে উন্নয়ন হবে কেমন করে? সুভাষ চৌধুরী নামের আরেক সংস্কৃতিকর্মী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প থেকে শতাংশ নেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘মেয়র যদি পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করে জমা দেন, তাহলে তিন হাজার কোটি টাকা দেবে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে যত টাকা দরকার তত টাকা দেবেন। তবে প্রকল্প দিতে হবে। যদি ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প দেন, তাহলে ৮০ কোটি টাকার বেশি কেমন করে দেবে?’চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক গাজী সালেহ উদ্দিন, সংস্কৃতিকর্মী অনুপ সাহা, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। | 251,963 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৭ আগস্ট ২০১৬, ১৬:২৩ | ২৭ আগস্ট ২০১৬, ১৬:২৫ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | শ্রীলঙ্কান স্পিন–নির্ভরতায় উদ্বিগ্ন রানাতুঙ্গা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/959362 | অস্ট্রেলিয়াকে দেশের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ-হোয়াইটওয়াশ জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারা পরবর্তী যুগে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে এনে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস। তবে নিজ দেশের এই সাফল্য পুরোপুরি স্বস্তি দিচ্ছে না সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে। লঙ্কানদের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের মতে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার অতিরিক্ত স্পিন-নির্ভরতা ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দলের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো গতিময় উইকেটে হবে মনে করিয়ে দিয়ে রানাতুঙ্গা প্রয়োজনীয় কর্ম-পরিকল্পনাও বাতলে দিয়েছেন, ‘আমাদের উচিত অলরাউন্ডার ও ফাস্ট বোলার তৈরি করা। কেবল স্পিন দিয়ে ইংলিশ কন্ডিশনে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। কেবল স্পিন ২০১৯ বিশ্বকাপে কিছুই করতে পারবে না।’অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়টাকে কি তাহলে খুব বড় করে দেখতে চান না রানাতুঙ্গা? রানাতুঙ্গা অবশ্য সেটা বলতে চাননি, ‘আমি দলের এই সাফল্যকে খাটো করে দেখছি না। তবে আমি মনে করি শ্রীলঙ্কার উচিত উপমহাদেশের বাইরে গিয়ে নিজেদের প্রমাণ করা। এই মুহূর্তে স্পিন বোলিংয়ের ওপর আমাদের নির্ভরতা একটু বেশিই।’গত মে-জুনে ইংল্যান্ড সফরে শ্রীলঙ্কার পারফরম্যান্স ছিল খুবই বাজে। সেখানে ৯টি ম্যাচের একটিতে জয় পায়নি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দল। এই মুহূর্তে লঙ্কান ক্রিকেটে ভালো মানের ফাস্ট বোলারে অভাবটা ভালোভাবেই টের পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে ব্যাপারটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সাবেক ফাস্ট বোলার চামিন্ডা ভাস। সূত্র: এশিয়ানএইজ। | 253,711 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ জুন ২০১৫, ০১:১২ | ২৯ জুন ২০১৫, ০১:১৪ | বিশাল বাংলা,পুঠিয়া,রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,আইন ও বিচার | 0 | চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/564916 | রাজশাহীর পুঠিয়ায় ফেনসিডিলের ট্রাক ছাড়াতে এসে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ইউসুফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ওরফে মিঠুন (৪৫)। একই সঙ্গে পুলিশ ট্রাকচালক আসাদুজ্জামান রানাকেও (৩২) গ্রেপ্তার করেছে। পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাইপাড়া বাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে পুলিশ একটি ট্রাক তল্লাশি করে এক হাজার ৬৯০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ট্রাক আটকের পরপরই সেখানে সাবেক চেয়ারম্যান চলে আসেন। তিনি তাঁর নিজের মাল বলে পুলিশের কাছ থেকে ট্রাকটি ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ মিঠুনকে আটক করে। গতকাল রোববার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী| | 148,880 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২৭ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৫০ | ফুটবল,মেসি,ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো,কিলিয়ান এমবাপ্পে,নেইমার | null | মেসি-রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাবেন যাঁরা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1574764 | পাওলো দিবালার বিশ্বাস, মেসি-রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেরপ্রায় এক যুগ ধরে ফুটবল মানেই মেসি-রোনালদো! এই দ্বৈরথ সেই যে শুরু হয়েছে, চলছে তো চলছেই। এমন দ্বৈরথ ফুটবল বিশ্ব আগে কখনো দেখেনি বললে অত্যুক্তি হয় না। আর তাই একটি প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরেই চলে আসে, তাঁদের ছাড়িয়ে যাওয়া কখনো সম্ভব কি না, কারও পক্ষে? পাওলো দিবালা কিন্তু একজন মতো একজন নয় এমন দু-দুজন ফুটবলারকে দেখছেন। নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।২০০৭ সাল। কাকা জিতলেন ফুটবলের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি। সেদিন দূর থেকে দৃশ্যটি দেখতে হয়েছিল রোনালদো ও মেসিকে। পরের এক দশকে সমান সমান লড়েছেন মেসি-রোনালদো। দুজন মিলে এখন পর্যন্ত গোল করেছেন ১৩১৩টি। সতীর্থদের দিয়ে আরও ৪৭৯। ট্রফিসংখ্যাও গুণে শেষ করার মতো নয়! কয়েক মাস আগেও চিন্তাই করা যেত না যে মেসি-রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়া দূরের কথা তাঁদের অর্জনে ভাগ বসানোও সম্ভব! সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন লুকা মদরিচ। জিতেছেন বর্ষসেরার পুরস্কার। কিন্তু এঁদের দুজনকে ছাড়িয়ে যাওয়া কি সম্ভব? আর্জেন্টিনা আর জুভেন্টাসের তারকা খেলোয়াড় পাওলো দিবালার বিশ্বাস, সেটি খুব সম্ভব। আর তা করে দেখাবেন নেইমার আর এমবাপ্পে।দিবালা বলেন, ‘নেইমার সর্বকালের সেরা হওয়ার পথেই আছে। আর এমবাপ্পে! সে যখন মোনাকোতে ছিল তখন তাঁর বিপরীতে খেলেছি। সে তো এই বয়সেই বুঝিয়ে দিয়েছে এই খেলায় সে কত কি অর্জন করতে এসেছে। এত অল্প সময়ের মধ্যেই সে একজন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সেও হতে যাচ্ছে সর্বকালের বিশ্বসেরাদের একজন।’দিবালা সেই সৌভাগ্যবান ফুটবলারদের একজন যিনি মেসি-রোনালদো দুজনের সঙ্গেই ড্রেসিং রুম ভাগ করেছেন। সতীর্থ হিসেবে একজনকে পেয়েছেন জাতীয় দলে আরেকজনকে ক্লাবে। তাঁদের প্রশংসা করতে ভুলে যাননি এই আর্জেন্টাইন । দিবালার ভাষ্য, ‘বর্তমানে আমার কাছে মেসি-রোনালদোই সেরা। দুজনেই সমমানের খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে সেরা কাউকে বাছাই করা অসম্ভব একটা বিষয়।’ক্যারিয়ারে ২৬ বছর বয়সেই নেইমারের গোলসংখ্যা ২৮৭। জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন কনফেডারেশনস কাপ। আর এমবাপ্পে কুড়ি বছর বয়সের আগেই জিতেছেন বিশ্বকাপ। এখন পর্যন্ত তাঁর গোলসংখ্যা ৬৬। | 387,202 |
-1 | education | শিক্ষা | ১৪ আগস্ট ২০১৪, ০০:৩৯ | ১৪ আগস্ট ২০১৪, ০০:৪০ | বিশাল বাংলা,জেনে রাখুন | 0 | কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাফল্য | http://www.prothom-alo.com/education/article/290299 | এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে কক্সবাজার সরকারি কলেজ এবারও দক্ষিণ চট্টগ্রামে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এই কলেজ থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০৬ জন। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সেরা ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলেজটি নবম অবস্থানে রয়েছে। ওই কলেজসূত্রে জানা গেছে, এবার কলেজটি থেকে ৭৩২ জন (বিজ্ঞানে ২১৪, ব্যবসায় শিক্ষায় ৩০৯ এবং মানবিক শাখায় ২০৯ জন) পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেন ৬৮৭ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | 85,034 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৩ | ১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৩ | বাণিজ্য | 0 | সামাজিক ব্যবসার ছয়টি নতুন ধারণা | http://www.prothom-alo.com/economy/article/75013 | সামাজিক ব্যবসার ছয়টি নতুন ধারণা বা মডেল উপস্থাপন করা হয়েছে। ফ্লাই অ্যাশ দিয়ে ইট প্রস্তুত, তুষের গোলক তৈরির কারখানা, টেলিফোন সেবা, কৃষি খাত, মৌচাষ ও বস্ত্র—এই পাঁচটি খাতে সামাজিক ব্যবসার ধারণা দেওয়া হয়েছে।রাজধানীতে গতকাল শনিবার ইউনূস সেন্টার আয়োজিত নবম সামাজিক ব্যবসা ডিজাইন ল্যাবে এই ধারণাগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। ব্যবসায় উদ্যোক্তা, শিক্ষাবিদ, দেশি-বিদেশি এনজিও, বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১১২ জন এতে অংশ নেন। মিরপুরের ইউনূস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই ডিজাইন ল্যাবে সভাপতিত্ব করেন নোবেল বিজয়ী ও সামাজিক ব্যবসা ধারণার প্রবর্তক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।অনুষ্ঠানটি তিন ভাগে সম্পন্ন হয়। প্রথম ভাগে সামাজিক ব্যবসার পুরোনো প্রকল্পগুলোর হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়। এরপর নতুন প্রকল্প ধারণার উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়।এরপর ৭ থেকে ৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনের একটি উপস্থাপনা দেওয়া হয়।নতুন ছয়টি প্রকল্প হলো প্রকৌশলী রিপন ও ইউনূস সেন্টারের ফ্লাই অ্যাশ থেকে ইট উৎপাদন, গ্রামীণ ব্যবসা বিকাশ ও বিপ্লব কুমারের ধানের তুষের গোলক উৎপাদন, সুজন কমার ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের সুজন টেলিকম সার্ভিস সেন্টার, ইউনূস সেন্টার ও মোহাম্মদ দিদারুল আলমের উড়িরচর অ্যাগ্রো, গ্রামীণ কল্যাণ ও আবদুস সালামের সুন্দরবন মৌচাষ ও মুধ উৎপাদন এবং গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ও শামীমুল হকের শামীমুল ক্লথিং শপ।আগামী ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী ডিজাইন ল্যাব অনুষ্ঠিত হবে। | 28,667 |
আব্দুল কাইয়ুম | opinion | মতামত | ০২ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৭ | ০২ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৭ | সপ্তাহের হালচাল,আব্দুল কাইয়ুম,মতামত,লেখকের কলাম,রাজনীতি | null | দুই দলকে কেন লন্ডনে যেতে হয়? | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/182455 | ব্রিটিশদের আমরা সমীহ করে চলি। তারা দুই শ বছর শাসন করে ভারত এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশকেও মানুষ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু তার পরও বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি, সুশাসন, নির্বাচন নিয়ে তাদের মনের দুশ্চিন্তা কাটে না। তাই তাদের সংসদের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ কমনস ও উচ্চকক্ষ লর্ডস সভার এমপিদের যে যৌথ কমিটি রয়েছে, তারা সভা ডাকে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।এ রকম আরেকটি আলোচনা হলো সোমবার, ৩১ মার্চ। সেখানে ঢাকা থেকে সরকারের প্রতিনিধি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা যোগ দিয়েছেন। মানবাধিকার পরিস্থিতির পাশাপাশি আরও কিছু প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষভাবে ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের পর সংসদ ও রাজনীতিতে যে ‘বিরোধী দলশূন্য’ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তা কীভাবে দূর করা যায়, সে প্রশ্নটি প্রাধান্য পেয়েছে।এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় বিবিসি বাংলা রেডিওতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে কি না, কবে হবে, ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরে তিনি মূলত দুটি কথা বলেছেন। প্রথমত, মধ্যবর্তী নির্বাচন, তাঁর ভাষায়, গণদাবি নয়, তাই তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ রকম নির্বাচন হবে কেন? দ্বিতীয়ত, নির্বাচন পাঁচ বছর পরে হবে, নাকি তার আগে হবে; তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, কীভাবে হবে। সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে, এটা তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।পুরোনো কথা। এটা জানানোর জন্য কি লন্ডনে যেতে হয়? বিএনপিও যায়। ওরাও কি সেই পুরোনো কথাবার্তা বলতেই যাচ্ছে? যদি সমঝোতা করতে হয় এবং সেটা করাই উচিত, তাহলে খোলা মনে ঢাকাতেই তো আলোচনা চলতে পারে।কিন্তু ঢাকায় যে দুই পক্ষের মধ্যে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। লন্ডনে তারেক রহমান তাঁর বাবা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করায় সংসদে ঝড় বয়ে গেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও একই দাবি করে রাজনীতির মাঠ আরও গরম করেছেন। এর মধ্যে আবার খালেদা জিয়া ৩১ মার্চ উপজেলা নির্বাচন শেষে জোরালো আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শতকোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় সংগীত করে কোনো লাভ হবে না, এ কথা বলে তিনি রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যখন এ সরকার বিদায় হবে,...সেটাই আসবে গিনেস বুকে।’‘গণ-অভ্যুত্থান’, ‘সরকারের বিদায়’—এসব কথা গত পাঁচ বছর ধরেই শুনে আসছি। শুধু কথায় বিষয়টি মিটে গেলে আপত্তি ছিল না। কিন্তু মুশকিল হলো হরতাল-অবরোধ চলতে থাকে। মানুষের জীবনে নেমে আসে অভিশাপ।গত কয়েক মাস শান্তিতে আছি। শান্তিতে থাকতে চাই। সরকার ও দেশের প্রধান বিরোধী জোট, যার নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি, তাদের উভয়ের দায়িত্ব মানুষকে বিরক্ত না করা। যারা গণ-অভ্যুত্থানের কথা ভাবছেন, তাঁদের বুঝতে হবে, আগের দিন আর নেই। সরকার যদি মানুষের রুটি-রুজির ওপর হাত চালায়, তাহলে নিশ্চয়ই মানুষই রাস্তায় নামবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হার নিচের দিকেই আছে। আর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অনেক কথা থাকলেও এবং গুম, ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত’ প্রভৃতি থেমে থেমে চলতে থাকলেও, যতক্ষণ পর্যন্ত না সাধারণ মানুষের জীবনের ওপর আঘাত না আসছে, ততক্ষণ মানুষ ঘরেই থাকতে চাইবে। শুধু বক্তৃতায় ওদের মাঠে নামানো যাবে না।দেশে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু ‘পেটে খেলে পিঠে সয়, এ তো কভু মিছে নয়’ কথাটা যে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে বেশ খাটে, তা বুঝতে কারও বাকি আছে কি? কিন্তু কত দিন এই সয়ে যাওয়ার মতো ‘পেটে খাওয়া’ জুটবে, সেটাই প্রশ্ন। সরকার ভাবছে, বেশ ভালোই তো চলছে। কিন্তু প্রতিদিন পত্রিকায় যেসব খবর বেরোয়, তা সরকারের জন্য সুখকর নয়। উপজেলা নির্বাচনে প্রাণহানি ঘটেছে। এর চেয়ে ভীতিকর আর কী হতে পারে। আমরা যখন ভাবছিলাম নির্বাচন নিয়ে খুনোখুনি, ভোটের বাক্স ছিনতাই প্রভৃতির দিন শেষ, তখন আবার ভোট নিয়ে হত্যা-আতঙ্কের দিন শুরু হয়ে গেল। এ অবস্থায় সরকার কত দিন মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে বলে আশা করে?প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ যেমন গণতন্ত্রের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তেমনি কোনো না কোনো ফাঁকফোকর বের করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ না করে বিএনপিও দেশের জন্য এক সংকটজনক অবস্থা ডেকে এনেছে। বিএনপি যদি নির্বাচন করত, তাহলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত। অন্তত সংসদ নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের বিপুল বিজয় যে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, বিএনপি কৌশলে তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি।প্রকৃতপক্ষে রাজনীতির পথটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের মতো সরল সড়কের মতো নয়। আঁকাবাঁকা পথে, সময় বুঝে দ্রুত বাঁক নিতে না পারলে খেসারত দিতে হয়। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান-উত্তরকালে এখন আমাদের দেশ যে পর্যায়ে এসেছে, তাতে নির্বাচন বর্জন কোনো রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে না। গণ-অভ্যুত্থানের চিন্তার চিরবিদায়ের দিন এসেছে।আমাদের পাশের দেশ ভারতে তো কত সমস্যা। দুর্নীতির অভিযোগ তো কম নয়। কত মন্ত্রীর জেল হয়ে গেল শুধু দুর্নীতির অভিযোগে। সম্প্রতি নারী নির্যাতনের ঘটনায় সারা দেশে ঝড় বয়ে গেছে। তেলেঙ্গানায় পৃথক রাজ্য গঠনের বিল নিয়ে ভারতের লোকসভায় একজন সাংসদ মরিচের গুঁড়া পর্যন্ত ছিটিয়ে দিয়ে নতুন রেকর্ড করলেন। কিন্তু সেখানে কি কেউ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন বর্জনের কথা ভাবতে পারে?নির্বাচন বর্জন একুশ শতকের এই আধুনিক যুগের সঙ্গে বেমানান রাজনীতি। বিএনপি নিজেকে আধুনিক দল বলে দাবি করে, কিন্তু রাজনীতি করে সেকেলে। একদিকে বলছে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে, অন্যদিকে গণ-অভ্যুত্থানের হুমকিও দিচ্ছে। আলোচনায় সমাধান করতে হলে তো গণ-অভ্যুত্থান হয় না। একটা গন্ডগোল চাই। সে জন্যই হয়তো এই সময়ে হঠাৎ করে জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করা হচ্ছে। অথচ বিএনপির ওয়েবসাইটে এত দিন জিয়াউর রহমানকে দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি বলে উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে তাঁকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করার পর থেকে সেই ওয়েবসাইট আর দেখা যাচ্ছে না। ওদিকে জিয়াউর রহমান যে ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রপতি ছিলেন না, পরে হয়েছেন, সে কথাটা স্বয়ং তারেক রহমানের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এখনো পাওয়া যাবে (দেখুন, প্রথম আলো, ৩০ মার্চ)।দেশে আলোচনার মনমানসিকতা বা পরিবেশ কোনোটাই নেই বলেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য দুই প্রধান দলের নেতারা লন্ডনে ছুটেছেন। এ রকম আলোচনা আগেও হয়েছে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ও গত বছর মে মাসে একই ফোরামে দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক মীমাংসার জন্য লন্ডনে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে দুই পক্ষই অন্তত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারপর কী হয়েছে আমরা জানি। একতরফা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট অংশ না নিলেও ভোট দেওয়ার ‘অপরাধে’ বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ মূলত ওদের বিরুদ্ধেই উঠেছে।লন্ডনে দুই দলের নেতারা গেছেন। ব্রিটিশরা তাঁদের মাথায়-পিঠে হাত বুলিয়ে যদি সমঝোতায় আনতে পারে, ভালো। কিন্তু গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় বলা যায়, সে রকম সম্ভাবনা খুব কম।আমরা ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে যাব, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হব, ইতিমধ্যেই আমরা দারিদ্র্য হ্রাস, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, স্বাস্থ্য-পুষ্টি, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি বা করতে যাচ্ছি। সবই ঠিক।কিন্তু হায়, রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য আমাদের লন্ডনে যেতে হয়। ওরা ডাকে, আমরা যাই। কিন্তু ওদের কোনো পরামর্শ কানে নিই না। দেশে ফিরে আবার ‘পতন আন্দোলন’ ও ‘দমন অভিযান’ চলতে থাকে।এই ‘পতন’ ও ‘দমন’ যদি একসঙ্গে বন্ধ হয়, তাহলে হয়তো দুই দলকে আর লন্ডনে দৌড়াতে হবে না। দেশেই মিলেমিশে একটা সমাধান বের করা যাবে। আব্দুল কাইয়ুম: সাংবাদিক।quayum@gmail.com | 62,905 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২০ জুন ২০১৬, ০৯:২৭ | ২০ জুন ২০১৬, ১০:০৫ | এশিয়া | null | আফগানিস্তানে মিনিবাসে বিস্ফোরণে নিহত ১৪ | http://www.prothom-alo.com/international/article/893716 | আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আজ সোমবার সকালে একটি মিনিবাসে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বাসটির আরোহী কারা ছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা বিস্ফোরণের পর হতাহত বেশ কিছু লোকজন দেখেছেন।বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পুলিশের সদস্য ও জরুরি উদ্ধারকর্মীরা গেছেন। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তার ভাষ্য, বাসটিতে সরকারি কর্মচারীরা ছিলেন।আরেকজনের ভাষ্য, বাসটিতে নেপালি নিরাপত্তা ঠিকাদারেরা ছিলেন।বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীর কাছ থেকে দায় স্বীকারের বিবৃতি আসেনি। | 233,910 |
প্রথম আলো ডেস্ক | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৩৭ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:৩৮ | গবেষণা | null | কাজ করছে ‘কৃত্রিম’ কিডনি | http://www.prothom-alo.com/technology/article/639415 | পরীক্ষাগারে তৈরি কিডনি একাধিক প্রাণীর শরীরে সংযোজন করে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন জাপানের একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের এই সাফল্যে মানুষের শরীরেও একই ধরনের কিডনি প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে। খবর বিবিসির।টোকিওর জিকেই ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের গবেষক তাকাশি ইয়াকু ও তাঁর সহযোগীরা স্টেম সেল পদ্ধতির সাহায্যে নির্দিষ্ট প্রাণীর কিডনির সহায়ক বাড়তি নিষ্কাশন নল তৈরি করেন। এতে প্রস্রাব সংগ্রহ ও ধারণের জন্য একটি থলি বা ব্লাডার সংযুক্ত রয়েছে। এটি ওই প্রাণীর মূল ব্লাডারে সংযোজন করে গবেষকেরা দেখতে পান, পরিবর্ধিত ব্লাডারটি আট সপ্তাহ পরও ঠিকমতো কাজ করছে। ইঁদুর ও শূকরের শরীরে প্রতিস্থাপিত ব্লাডারটি প্রাকৃতিক কিডনির মতোই মূত্র প্রবাহিত করতে পারছে।প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, কিডনির অকার্যকারিতা দূর করতে জাপানি গবেষকেরা বাড়তি ব্লাডার জুড়ে দেওয়ার পদ্ধতি প্রয়োগ করে ইতিবাচক ফল পেয়েছেন। মানুষের ওপর এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে আরও কয়েক বছর লাগবে। তবু এ গবেষণা মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরির একটি লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে। বিশ্বে প্রতিবছর বহু মানুষ কিডনি রোগে মারা যায়। কিডনি প্রতিস্থাপন করে তাদের বাঁচানোর সুযোগ রয়েছে। মানবদেহের স্টেম সেল থেকে পরীক্ষাগারে কার্যকর কিডনি তৈরি করা সম্ভব হলে এ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) স্টেম সেল ও ওষুধ বিশেষজ্ঞ ক্রিস ম্যাসন জাপানিদের ওই গবেষণা প্রসঙ্গে বলেন, এটা চমৎকার অগ্রগতি। তবে এটা মানুষের ক্ষেত্রে ঠিকঠাক কাজ করবে কি না, এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ডায়ালাইসিসের রোগীদের কিডনির সঙ্গে বাড়তি নল জুড়ে দিয়ে সমস্যা সমাধানের একটা জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। | 171,271 |
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৯ জুলাই ২০১৪, ০০:৩২ | ০৯ জুলাই ২০১৪, ০০:৩৩ | সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | মৎস্যচাষি সমাবেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/262318 | সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় মাছ চাষ করে পুরস্কার পেয়েছেন তিন ব্যক্তি।এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের নিমগাছি মৎস্য চাষ প্রকল্পের মিলনায়তনে মৎস্যচাষি ও সমবায়ীদের সমাবেশ হয়।উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, চিৎনারায়ণ পুকুর সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষি সমিতির সভাপতি নূরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পোনা উৎপাদনে মাটিকোড়াগ্রামের শহীদুল ইসলাম, মৎস্য চাষে জঞ্জালিপাড়ার আবদুল লতিফ আকন্দ এবং মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনায় বাঁশাইল চিৎনারায়ণ পুকুর সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষি সমিতিকে পুরস্কৃত করা হয়। | 76,305 |
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:০৯ | ১১ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:১০ | পটিয়া,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | হেফজখানার সুপারকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ২ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/120483 | চট্টগ্রামের পটিয়ায় হেফজখানার সুপার হাফেজ মাওলানা আবদুল আজিজকে (৫০) দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন এতিমখানার কাজের মেয়ে রওশন আরা (৪৫)।ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শাহজাহান আউলিয়া এতিম ও হেফজখানায়।আবদুল আজিজ সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের মাইঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত রহিম বক্সের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ এতিমখানার শিক্ষক মাওলানা আইয়ুব (৪৩) ও শিক্ষার্থী আবদুর রহমানসহ দুজনকে আটক করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত আবদুল আজিজকে রুম থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে আসে। এ সময় মাদ্রাসা এলাকায় তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মাদ্রাসার পাশে একটি পানির ট্যাংকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজের আজানের পর এতিমখানার ছাত্র আবদুর রহমান ঘুম থেকে উঠে এতিমখানা এলাকায় রক্ত দেখে হইচই শুরু করে।এ সময় দুর্বৃত্তের হাতে আহত রওশন আরা ওই ছাত্রকে বলেন, ‘তোমাদের সুপারকে মেরে ফেলেছে।’ তখন ওই ছাত্র সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি এতিমখানা কর্তৃপক্ষকে জানায়।এতিমখানার অর্থ সম্পাদক জাগির হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে এ ব্যাপারে পটিয়া থানায় খবর দেওয়ার পর গতকাল ভোর ছয়টায় পটিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পানির ট্যাংক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় গুরুতর আহতাবস্থায় রওশন আরাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।’নিহত ব্যক্তির স্ত্রী পারভীন আকতার বলেন, গত বুধবার তাঁর স্বামী বাড়িতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ছোট মেয়ে এবারের পিএসসি পাস করা আকলিমা সুলতানাকে চন্দনাইশ বিজিসি ট্রাস্টে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করে মাদ্রাসায় চলে আসেন।এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানে আবদুল আজিজ ১৪ বছর ধরে চাকরি করছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ | 42,747 |
পাবনা অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:১২ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:১৩ | রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,পাবনা | 0 | উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/101827 | পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদটি ২৪ দিন ধরে শূন্য। এতে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষকেরা। নতুন উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এ পর্যন্ত উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের পদেও কোনো নিয়োগ হয়নি। ফলে উপাচার্যই সব দায়িত্ব পালন করতেন। গত ২২ নভেম্বর উপাচার্য মোজাফফর হোসেনের মেয়াদকাল শেষ হলে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ২৩ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে। সিদ্ধান্তের অভাবে আগামী ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত আছে। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি, নির্মাণকাজের বিল পরিশোধ ও চলতি মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান বলেন, ‘এই মাসের মধ্যে নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হলে আমাদের বেতনভাতা বন্ধ থাকবে।’ | 36,609 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৪৯ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫০ | হলিউড | 0 | মদের নেশা ছাড়বেন অ্যান হ্যাথাওয়ে | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1575929 | বেশ সাহসী ঘোষণা দিলেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যান হ্যাথাওয়ে। আগামী ২০ বছর কোনো ধরনের নেশাজাতীয় পানীয় ছোঁবেন না এই অভিনেত্রী। একটি অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিলেন তিনি।গত মঙ্গলবার প্রচারিত হয়েছে বহুল জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘দ্য এলেন ডিজেনারস শো’। তাঁর নতুন ছবি সেরিনিটির প্রচারে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি স্বীকার করেছেন, গত অক্টোবর মাস থেকে অ্যালকোহল ছেড়েছেন তিনি। হ্যাথাওয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁর ছেলে অন্তত ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে দূরে থাকবেন। তাঁর ছেলে জনাথনের এখন বয়স দুই বছর। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন মদ্য পান মাতৃত্বের ওপর কী প্রভাব বিস্তার করে, সে বিষয়টি। হ্যাথাওয়ে বলেন, ‘আমি অ্যালকোহল পান করা বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ, আমার সঙ্গেই আমার ছেলে থাকে। আমি এটা পছন্দ করি না যে আমি পান করব আর আমার সঙ্গে এভাবেই ছেলে বড় হবে। আর ওর তো প্রতি সকালে উঠেই আমাকে চাই।’হ্যাথাওয়ে আরও বলেন, ‘আমি ওকে একদিন স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ওকে ফেলে দিই। যদিও আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম না। আমি এভাবে ওকে ভালোবাসতে চাই না।’এ ছাড়া অ্যালকোহল সেবন করা কীভাবে তাঁর কাজের ওপর প্রভাব ফেলেছিল, তাও বলেন সে অনুষ্ঠানে। অ্যান হ্যাথাওয়ে ২০১২ সালে স্বামী অ্যাডাম শুলম্যানের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। চার বছর পর তাঁদের ছেলে জনাথনের জন্ম হয়। হ্যাথাওয়েকে দেখা যাবে সেরিনিটি সিনেমায়। এ ছাড়া হাতে আছে ১৯৮৮ সালের সিনেমা ডার্টি রোটেন স্কাউন্ড্রেলস–এর রিমেক দ্য হাসল, দ্য লাস্ট থিং হি ওয়ান্টেড ও ড্রাই রান ছবিতে। | 388,050 |
বিশেষ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ আগস্ট ২০১৩, ০১:০২ | ০৬ আগস্ট ২০১৩, ০১:০৫ | মহানগর,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | সড়কে ভিড়, ফাঁকা সেতু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/35290 | রাস্তায় যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে পথচারী, ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অথচ পথচারীদের জন্য তৈরি সদরঘাট পদচারী-সেতুটি (ফুট ওভারব্রিজ) একেবারে শূন্য। যেন শুধু সাক্ষীগোপাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।এ সেতুটির একদিকে বাংলাবাজার বই ও অন্যান্য সামগ্রীর প্রচুর দোকান। বিপরীত দিকে পাটুয়াটুলী ও নবাববাড়ী। সেখানে ঘড়ি, চশমা, কাপড়চোপড়ের পাইকারি মার্কেট। দক্ষিণ প্রান্তে সদরঘাট, যার শুরুতেই বহুতল বিপণিবিতান-গ্রেট ওয়াল শপিং সেন্টার। অপর প্রান্তে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে লক্ষ্মীবাজার, সোজা গেলে কোর্ট-কাচারি। চৌরাস্তা ধরে তাই সার্বক্ষণিক যাতায়াত যানবাহন আর হাজার হাজার মানুষের।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর আগে নির্মাণ করা হয় আরসিসি কাঠামোর পাকা এ সেতু। ওই সময়ে এটি নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৭০ লাখ টাকা। পরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে নির্মাণাধীন একটি আরসিসি সেতু ধসে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। যার জন্য সিটি করপোরেশন নগরের অন্য এলাকাগুলোয় আরসিসির পরিবর্তে ইস্পাত কাঠামোর সেতু স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।সূত্রমতে, অন্য পদচারী-সেতুগুলোর তুলনায় সদরঘাট, বাংলাবাজার ও পাটুয়াটুলীর সংযোগস্থলে অবস্থিত এ আরসিসি সেতুটি ব্যয়বহুল। এ ধরনের ব্যয়বহুল ছিল যাত্রাবাড়ীর মোড়ে স্থাপিত সেতুটি। কিন্তু ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর সেটি ভেঙে ফেলা হয়। মগবাজার মোড়ের সেতুটি প্রথমে আরসিসি কাঠামোয় করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পরে ওপরে ইস্পাত কাঠামো যুক্ত হয়। সব দিক দিয়ে এখন গুরুত্বপূর্ণ সদরঘাট পদচারী-সেতুটি। অথচ সবচেয়ে বেশি অব্যবহূত।ফরাশগঞ্জ থেকে বাংলাবাজার হয়ে পাটুয়াটুলী যাচ্ছিলেন অমল ভদ্র। সঙ্গে ১০ বছরের ছেলে। সেতুতে ওঠা নিরাপদ, অথচ সন্তানকে সঙ্গে করে তিনি ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পেরোচ্ছেন কেন জানতে চাইলে বলেন, ‘সেতুতে কেউ ওঠে না বলে আমিও উঠি না। তা ছাড়া রাস্তা দিয়ে গেলে শর্টকাট হয়।’পাটুয়াটুলীর দিক থেকে আসা আবদুল জলিল বলেন, ‘সেতুটি দেখতে ফিটফাট হলেও আসলে সদরঘাট। ওপরে উঠে দ্যাখেন, মলমূত্রে ভরা।’ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, সদরঘাট পদচারী-সেতুটি স্থাপিত হয়েছিল পথচারীদের সুবিধার্থে। কিন্তু কেন মানুষ ওঠে না, তা পর্যালোচনা করা হবে। পদচারী-সেতুর নিচে রাস্তার দুই পাশে ১০০ থেকে ১৫০ মিটার লোহার গ্রিল দিয়ে চলাচল বন্ধ করতে হবে। নিউমার্কেটসহ নগরের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের গ্রিল দিয়ে সুফল মিলেছে। | 7,924 |
-1 | sports | খেলা | ১১ আগস্ট ২০১৬, ০২:০২ | ১১ আগস্ট ২০১৬, ০২:০৪ | খেলা,অলিম্পিক,অ্যাথলেটিকস | 0 | পদক তালিকা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/942700 | সোনা রুপা ব্রোঞ্জ মোটযুক্তরাষ্ট্র ৯ ৮ ৯ ২৬চীন ৮ ৩ ৬ ১৭হাঙ্গেরি ৪ ১ ১ ৬অস্ট্রেলিয়া ৪ ০ ৫ ৯রাশিয়া ৩ ৬ ৩ ১২ইতালি ৩ ৪ ২ ৯দ. কোরিয়া ৩ ২ ১ ৬জাপান ৩ ১ ১০ ১৪ফ্রান্স ২ ৩ ১ ৬থাইল্যান্ড ২ ১ ১ ৪গ্রেট ব্রিটেন ১ ৩ ২ ৬জার্মানি ১ ২ ০ ৩সুইডেন ১ ২ ০ ৩ব্রাজিল ১ ১ ০ ২তাইপে ১ ০ ২ ৩বেলজিয়াম ১ ০ ১ ২গ্রিস ১ ০ ১ ২হল্যান্ড ১ ০ ১ ২আর্জেন্টিনা ১ ০ ০ ১কলম্বিয়া ১ ০ ০ ১ক্রোয়েশিয়া ১ ০ ০ ১কসোভো ১ ০ ০ ১স্লোভেনিয়া ১ ০ ০ ১ভিয়েতনাম ১ ০ ০ ১ইন্দোনেশিয়া ০ ২ ০ ২নিউজিল্যান্ড ০ ২ ০ ২উ. কোরিয়া ০ ২ ০ ২দ. আফ্রিকা ০ ২ ০ ২কানাডা ০ ১ ৪ ৫কাজাখস্তান ০ ১ ৩ ৪ইউক্রেন ০ ১ ১ ২আজারবাইজান ০ ১ ০ ১ডেনমার্ক ০ ১ ০ ১মালয়েশিয়া ০ ১ ০ ১মঙ্গোলিয়া ০ ১ ০ ১ফিলিপাইন ০ ১ ০ ১স্লোভাকিয়া ০ ১ ০ ১তুরস্ক ০ ১ ০ ১উজবেকিস্তান ০ ০ ২ ২স্পেন ০ ০ ১ ১জর্জিয়া ০ ০ ১ ১ইসরায়েল ০ ০ ১ ১কিরগিজস্তান ০ ০ ১ ১পোল্যান্ড ০ ০ ১ ১পর্তুগাল ০ ০ ১ ১সুইজারল্যান্ড ০ ০ ১ ১আরব আমিরাত ০ ০ ১ ১*পরশু পর্যন্ত | 248,692 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২২:৫৭ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ২৩:১০ | অপরাধ | null | ফেনীতে বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, দগ্ধ ৯ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/448372 | ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলার আমিরগাও এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী সড়কে আজ মঙ্গলবার রাতে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের নয়জন যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে রাখাল চন্দ্র নাথ নামের একজনকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তির পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্য আটজনকে দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় আগুনে দগ্ধ আটজনকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ফেনী সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ফয়েজ আহম্মদ জানান, রাখাল চন্দ্রের শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।দাগনভুঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফয়সল জানান, তিনি ককটেল নিক্ষেপের কথা শুনেছেন। বাসটি থানায় রাখা হয়েছে। | 114,058 |
-1 | sports | খেলা | ১৮ নভেম্বর ২০১৫, ০২:২৪ | ১৮ নভেম্বর ২০১৫, ০২:২৬ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | জেরার্ডের বুট | http://www.prothom-alo.com/sports/article/686881 | বুটজোড়া বানানোই হয়েছিল ওই উপলক্ষের জন্য। অ্যানফিল্ডে স্টিভেন জেরার্ডের শেষ ম্যাচ, উপলক্ষটা ‘স্পেশাল’ তো বটেই। ওই ম্যাচে জেরার্ড যে বুটজোড়া পরেছিলেন, সেটাই এবার বিকিয়েছে নিলামে। দাম কত উঠেছিল, জানেন? বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ‘৪৭’ লাখ! কে কিনেছেন, সেটা অবশ্য জানা যায়নি। ১৭ বছর ধরে প্রতিবারই অ্যাডিডাস জেরার্ডের জন্য বিশেষ একজোড়া বুট বানিয়ে আসছে। অ্যানফিল্ডে শেষ ম্যাচের বুটজোড়া ছিল আরও একটু আলাদা, তাতে আলাদা করে আবার উৎকীর্ণ ছিল লিভারপুলের প্রতীক হয়ে যাওয়া স্লোগান, ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন।’ প্রায় ১৮৫ জন নিলামে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এই টাকা দিয়ে কী করা হবে? উদ্দেশ্যটা মহৎ, ব্রিটিশ রেডক্রসের জন্য তহবিল সংগ্রহ। জেরার্ডের মাধ্যমে উদ্যোগটা নিয়েছিল ‘দ্য অ্যানফিল্ড র্যাপ’ নামে একটা সংগঠন। গোলডটকম। | 175,282 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ নভেম্বর ২০১৩, ২১:৩৬ | ২২ নভেম্বর ২০১৩, ২১:৩৭ | রাজনীতি | 0 | ‘সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায়’ কাল জামায়াতের বিক্ষোভ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/80017 | ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জানমাল ও উপাসনালয়ের ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে দলটি বাংলাদেশে বসবাসকারী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে কাল শনিবার সারা দেশের জেলা, উপজেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে।জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।উল্লেখ্য, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার জন্য জামায়াতকে দায়ী করে থাকে।বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের দোকানপাট, বাড়িঘর, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় হামলা চালায়। এর জন্য জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করে থাকে। কিন্তু বারবারই প্রমাণ হয়েছে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জামায়াত-শিবির কখনো জড়িত ছিল না। জামায়াত সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কোনো ইসলামি দলের নেতা-কর্মীরা কখনো সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ঘর, উপাসনালয়, দোকানপাটে হামলা করে না, বরং হামলা প্রতিরোধ করে। আওয়ামী লীগের লোকেরাই সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, জমাজমি দখল করেছে এবং সংখ্যালঘুদের সব সময়ই রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে থাকে।বিবৃতিতে ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। | 29,792 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৭ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৬ | আইনশৃঙ্খলা,বইমেলা,বাংলা একাডেমি,একুশে গ্রন্থমেলা | 0 | বইমেলায় লেখক–ব্লগারদের জন্য নিরাপত্তা থাকছে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1576974 | ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় জঙ্গিদের সংঘবদ্ধ আক্রমণের আশঙ্কা নেই। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একজন অপতৎপরতা চালাতে পারে। পুলিশের উদ্যমী কর্মকর্তা–সদস্যরা সতর্ক আছেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কোনো হুমকি নেই। লেখক, ব্লগারদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও যদি কেউ পুলিশকে জানান, তাহলে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে।বইমেলা উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন। তিনি মেলার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। ডিএমপির কন্ট্রোল রুমেও যান।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। (https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1576928)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজরদারি করা হচ্ছে। বইমেলাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই।পরে ডিএমপির কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে প্রতিবছরই অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলবে এই বইমেলা। বইমেলার ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্তসংখ্যক সাদাপোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। স্ট্যান্ডবাই থাকবে সোয়াট, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড। শাহবাগ, বকশীবাজার, নীলক্ষেত ও দোয়েল চত্বর ঘিরে থাকবে পুলিশের বহির্বেষ্টনী নিরাপত্তাবলয়। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকবে আন্তবেষ্টনী নিরাপত্তাব্যবস্থা। উভয় বইমেলা চত্বর এবং তার আশপাশ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণের কন্ট্রোল রুম থেকে মেলার ভেতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। ইভ টিজিং, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।’ডিএমপির কমিশনার বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে বইমেলাকে ঘিরে রয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। নিবিড় তদারকির মধ্য দিয়ে লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও বইপ্রেমী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে প্রতিটি বইয়ের স্টলে অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র রাখতে হবে। দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি চত্বর পর্যন্ত কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে না। শুধু বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রদত্ত স্টিকারযুক্ত গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে। এই এলাকায় কোনো ধরনের হকার বা ভ্রাম্যমাণ দোকান প্রবেশ করতে পারবে না।আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক চেতনায় আঘাত করে এমন কোনো বই প্রকাশকেরা বইমেলায় আনতে পারবেন না। যেকোনো নতুন বই মেলায় এলে বাংলা একাডেমি তা যাচাই–বাছাই করে দেখবেন। যাতে করে কোনো বই ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় মূল্যবোধে আঘাত না করতে পারে।র্যাবের পক্ষ থেকে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান মেলার নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখতে আসেন। মেলার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও রয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য তাঁরা সজাগ রয়েছেন।আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এবারের মেলার নিরাপত্তায় র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করবে। | 388,786 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৩৭ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:১৫ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,বিশ্বকাপ উৎসব | 0 | স্বপ্নালু কিউইদের সামনে শ্রীলঙ্কা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/450697 | ২৩ বছর...দীর্ঘ ২৩ বছর পর মার্টিন ক্রোর চোখে আবার খেলা করছে স্বপ্ন!স্মৃতির আয়নায় তাকানো যাক ১৯৯২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ইডেন পার্কের ড্রেসিংরুমের সামনে বসে মার্টিন ক্রো। স্তব্ধ, নির্বাক। শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে সামনে। সব হারিয়ে ফেলার হতাশায় যেন অসাড়। অসাধারণ ব্যাটিং আর নেতৃত্বে দলকে তুলেছিলেন সেমিফাইনালে। সেখানেও দল ছিল ফেবারিট। কিন্তু ইনজামাম-উল-হক নামের এক তরুণ কিউদের স্বপ্ন কেড়ে নিয়ে খুলেছিলেন নিজেদের স্বপ্নের দুয়ার। সেই যে ক্রোর চোখ থেকে হারিয়ে গেল স্বপ্ন, হারিয়ে গেল নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট থেকেও। প্রায় দুই যুগ পর আবার কিউইদের চোখে ঝিলিক দিচ্ছে স্বপ্ন। বরাবরের ‘ডার্ক হর্স’ দল এবার অন্যতম ফেবারিট। স্বপ্নাতুর ক্রো উত্তরসূরিদের বলছেন, ‘উজ্জীবিত হও ’৯২ বিশ্বকাপের চেতনায়!’রাগবির দেশে ক্রিকেটের জোয়ার ঠিক না বইলেও তীব্র হয়েছে ঢেউ। সেটা দেখে রোমাঞ্চিত টিম সাউদি বলছেন, ‘দারুণ লাগছে এত জনসমর্থন দেখে। বিশ্বকাপ হলো গোটা দেশকে পাশে পাওয়ার সুযোগ। ২০১১ রাগবি বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে শিরোপাজয়ের পর আমরা দেখেছিলাম উচ্ছ্বাসের জোয়ার। ক্রিকেট দিয়েও আমরা করতে চাই তেমন কিছু।’ বাংলাদেশ সময় কাল ভোরে অল ব্ল্যাকদের ছোঁয়ার অভিযান শুরু ব্ল্যাক ক্যাপদের। সামনে শ্রীলঙ্কা।সাম্প্রতিক ফর্মে ফেবারিট নিউজিল্যান্ড। দুই দলের সিরিজ শেষ হলো মাত্রই, নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৪-২-এ। কিউইরা পরে ২-০-তে হারিয়েছে পাকিস্তানকে, প্রস্তুতি ম্যাচে উড়িয়ে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কা সেখানে প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে, হেরে গেছে এমনকি জিম্বাবুয়ের কাছেও। তবে শ্রীলঙ্কা হলো কুংফু-কারাতে সিনেমার নায়কের মতো, শত আঘাতে জর্জরিত হয়েও শেষ পর্যন্ত যে টিকে থাকে। কিংবা পুরোনো সেই নকিয়া ফোনের মতো, বারবার হাত থেকে পড়ে যেটির স্ক্রিন আর নানা জায়গায় ফাটল, রং চটে গিয়ে বোঝার উপায় নেই সত্যিকারের চেহারা। কিন্তু কাজ করে যাচ্ছে ঠিকমতোই! নতুন শতাব্দীর শ্রীলঙ্কা বড় মঞ্চের বড় দল। ফাইনাল খেলেছে গত দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই।এমনিতে উদ্বোধনী দিনে ম্যাচ দুটি। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই, মেলবোর্নে খেলা বলে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের আগ্রহ বেশিই। তবে আগে শুরু হচ্ছে বলে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ ক্রাইস্টচার্চে এই নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা লড়াই। শহরের ঐতিহ্যবাহী ভেন্যু ল্যাঙ্কাস্টার পার্ক চার বছর আগে ভূমিকম্পে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এই বিশ্বকাপ সামনে রেখে তৈরি হয়েছে হ্যাগলি ওভাল। এই ম্যাচ দিয়ে শুরু জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারার শেষের শুরুও। বিশ্বকাপ দিয়ে ওয়ানডেকে বিদায় জানাচ্ছেন সাঙ্গাকারা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে জয়াবর্ধনে।ফর্ম বিপরীত হলেও দুই দলের মিলের শেষ নেই। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের দারুণ সমন্বয় দুই দলেই, দু-তিনজন দারুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডারের পাশাপাশি আছে অভিজ্ঞ স্পিনার। দুই দলেই একটু অস্বস্তি ওপেনিং নিয়ে। মূল পার্থক্যটা পেস বোলিংয়ে। যেখানে কিউইদের সমস্যা, কাকে রেখে কাকে খেলানো হবে। শ্রীলঙ্কা কিনা মালিঙ্গার সঙ্গীদের খুঁজে পেতে হয়রান! তবে হার না-মানা মানসিকতা দুই দলেরই চিরন্তন অভ্যাস।জমজমাট ম্যাচের রসদ তাই প্রস্তুত। বাংলাদেশের দর্শকেরা সকালে ঘুম থেকে উঠে খেলা দেখতে চাইলে মিস করতে পারেন রোমাঞ্চের অনেকটাই। খেলা শুরু কিন্তু বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৪টায়! তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো, এএফপি।মুখোমুখিনিউজিল্যান্ড–শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিউজিল্যান্ড শ্রীলঙ্কা টাই/পরি.মোট ৮৯ ৪১ ৪০ ১/৭নিউজিল্যান্ডে ৩৪ ২১ ১১ ০/২বিশ্বকাপে ৯ ৩ ৬ ০/০১৫২৯সবচেয়ে বেশি রান সাঙ্গাকারার৭৪সবচেয়ে বেশি উইকেট মুরালিধরনের১৭০সর্বোচ্চ ইনিংস রনকির৫/৯সেরা বোলিং মুরালিধরনেরনিউজিল্যান্ডকে শ্রীলঙ্কা প্রথমবার হারায় বিশ্বকাপেই, ১৯৮৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ৩ উইকেটে।১৯৯২ বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কাকে আর হারাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। হেরেছে টানা ৫টি বিশ্বকাপ ম্যাচ!গত দুটি বিশ্বকাপেই নিউজিল্যান্ডকে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় করেছে শ্রীলঙ্কা।নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ ৫০তম ওয়ানডে খেলবেন জয়াবর্ধনে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা কিউই ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, ৩৫টি। | 115,063 |
নেয়ামতউল্যাহ, ভোলা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১১ | ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১৩ | বিশাল বাংলা,বরিশাল বিভাগ | 0 | সাত মাস ধরে মানবেতর জীবন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1006183 | বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা শহরসহ তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের এ অবস্থাইট-কাঠ দিয়ে উঁচু করা খাট থেকে ঘরের মেঝেতে পা ফেললেই কাদা। উঠোন ভরা কাদাপানি। খেত ভরা পানি, কোনো ফসল নেই। পুকুর ভরা পানি, কোনো মাছ নেই। এক বেলা রান্না করে তিন বেলা খেতে হচ্ছে—গরিবেরা টিনের চুলায়, ধনীরা গ্যাসের সিলিন্ডারে। ভেঙে যাওয়া রাস্তায় সাঁকো আর সাঁকো। কোথাও রাস্তা পার হতে হচ্ছে নৌকায়।ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা শহরসহ তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবনযাপনের চিত্র এটি। এমন মানবেতর জীবন চলছে প্রায় সাত মাস ধরে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে এ অবস্থা তাদের।সরেজমিনে ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২১ মার্চ ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কেয়ামুল্যাহ থেকে সোনাপুর ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছুটে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কার না করায় পরবর্তী সময়ে জোয়ারে প্রায় তিন কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণ বিলীন হয়। এতে উপজেলা শহরের পাশাপাশি চাঁদপুর, সোনাপুর ও মলংচরা ইউনিয়ন প্লাবিত হতে থাকে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় চাঁদপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী, বুলাইকান্দি, ভুইয়াকান্দি, তালুকগ্রাম, দেওয়ানপুর, বালিয়াকান্দি, ঘোষের হাওলা, কাজীকান্দি, শশীগঞ্জ, দালালকান্দি, কিয়ামুল্যাহ, দড়িচাঁদপুর, মহাজনকান্দি, পূর্ব চাঁদপুর, সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর, দক্ষিণ চাপড়ি, পূর্ব চাপড়ি, ইন্দ্রনারায়ণপুর সৃষ্টিধরগুহ, মহাদেবপুরসহ ২০টি গ্রাম। এলাকার প্রায় তিন হাজার একর খেতের ফসল ও দুই হাজার পুকুরের মাছ ভেসে যায়।সরেজমিনে গত সপ্তাহের রোববার দেখা যায়, সাত মাসের মাথায়ও গ্রামগুলোর বাড়িঘর জলমগ্ন রয়েছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে রয়েছে অনেক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মেঝে, মাঠ ও সড়ক। কাচা রাস্তার পাশাপাশি পিচের পাকা সড়কও ভেঙে গেছে। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে অনেক এলাকা। পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার বালাই নেই। ঘরের মধ্যে মাচা করে বাস করছে লোকজন। যেখানে থাকা, সেখানেই রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ সারতে হচ্ছে।ভুইয়াকান্দি গ্রামে সাজানো-গোছানো ঘর-গেরস্থালি ছিল জাহানারা বেগমের। ২১ মার্চের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস তাঁর বাড়িসহ গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কয়েক দিন পর মেঘনা নদী ভিটেটুকুও নিয়ে গেছে। পরিবারের সদস্য ও গরু-বাছুর নিয়ে তিনি ওঠেন একটি সড়কে। বর্তমানে থাকেন পাটওয়ারী বাজারের কাছে। জাহানারা বলেন, ‘টিনের চুলায় এক বেলা রান্দি, তিন বেলা খাই। গত আট মাসে খুটদিয়া ঘর উডাইতাম পারি নাই। আইজ এনে, কাইল ওনে রাইত কাডাই।’উপজেলা-স্লুইসগেট সড়ক, মোল্লাপুকুর-চৌমুহনী সড়ক, উপজেলা-সি-ট্রাক ঘাট সড়ক, দালালকান্দি-কেয়ামুল্যাহ সড়ক, দেওয়ানপুর-ঘোষেরহাওলা ও পাটওয়ারী বাজার-বালিয়াকান্দি সড়কের কমপক্ষে ৫০টি স্থান পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। এসব সড়কে মানুষকে সাঁকো ও নৌকা দিয়ে পার হতে হচ্ছে।ঘোষের হাওলা গ্রামের হাওলাদারবাড়ির মহিউদ্দিন বলেন, উপজেলা সদর থেকে তাঁর বাড়ি যেতে দুই কিলোমিটার পথে ১৯টি সাঁকো। সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রতিদিনই ছাত্রছাত্রী ও নারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপির) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তৈয়বুর রহমান বলেন, তাঁর ইউনিয়নের সব বিদ্যালয়ে পানি উঠছে। ছাত্রছাত্রীরা আসতে পারছে না। কমিনিউটি ক্লিনিকগুলোতেও পানি উঠছে। মানুষ চিকিৎসা নিতে পারছে না। বড় মলংচরা ইউপির চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বলেন, সাত মাস ধরে তাঁর ইউনিয়নের মূল ভূখণ্ডের সব বাড়িঘর জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে। সোনাপুর ইউপির সচিব মো. নুরনবী বলেন, এ ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার সব সড়কের অবস্থা বেহাল।তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল্যাহ জসিম বলেন, যথেষ্ট ত্রাণ দেওয়া হয়েছে, তবুও মানুষের ভোগান্তি কমানো যায়নি। সময়মতো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঠিক করা হলে হয়তো জোয়ারের পানি উঠত না, তজুমদ্দিনবাসীকে মাসের পর মাস মানবেতর জীবন কাটাতে হতো না।ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাইছার আলম প্রথম আলোকে বলেন, টাকার অভাবে সময়মতো বাঁধ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বাকি করে ১ হাজার ৪০০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরে এ উপজেলা সংরক্ষণে ৬ হাজার ৫০০ মিটার এলাকায় স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। | 258,838 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ জুলাই ২০১৪, ১২:৪৬ | ১০ জুলাই ২০১৪, ১৩:১২ | -1 | null | নদী দূষণ ও দখলমুক্ত রাখতে ডিসিদের নির্দেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/263914 | নদী দূষণ ও দখলমুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক চাপে পড়ে কাজ না করার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত আলোচনা শেষে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা এ নির্দেশ দেন।রাজনৈতিকভাবে কোনো চাপ এলে, সেটা সরাসরি মন্ত্রীদের জানাতেও বলা হয়েছে।বৈঠক শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, নদীর জায়গা যেন কোনোভাবেই বরাদ্দ না দেওয়া হয়, এ জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের নদী দূষণ ও দখলমুক্ত রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আসন্ন ঈদ সামনে রেখে যার যার এলাকায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে।পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ডিসিদের বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক চাপে কাজ করবেন না। রাজনৈতিকভাবে কোনো চাপ এলে সেটা যেন সরাসরি তাঁদের (মন্ত্রীদের) জানানো হয়।দুই মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত আলোচনায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত ১২টি বিষয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সাতটি বিষয়ে ডিসিরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেন। এগুলো নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। এর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল দেশের প্রধান প্রধান ফেরিঘাট এলাকায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল’ গঠন করা। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হয়।গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু হয়েছিল। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আজ শেষ দিন। | 76,414 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:৪৩ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:৪৩ | অপরাধ | 0 | হোটেল থেকে নিখোঁজ শিশু উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1159811 | আবদুল্লাহপুরের একটি হোটেল থেকে নিখোঁজ হওয়া দেড় বছরের শিশু মনিশাকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মনিশার নানি পুষ্প রানী দাস হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাগুরা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।১৭ এপ্রিল রাতে আবদুল্লাহপুরের একটি হোটেলে খুন হন পুষ্প রানী। ওই দিন তিনি ও তাঁর নাতনি মনিশা লিটন কুমার দাস নামের পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে হোটেলটিতে উঠেছিলেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই রাতে লিটন মনিশাকে নিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে যান।সংবাদ সম্মেলনে ডিবি উত্তরের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, গত সোমবার লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে লিটনের দেওয়া তথ্য অনুসারে মাগুরার শ্রীপুরের বড়লীদহ গ্রামের প্রশান্ত কুমার দাস ও তাঁর স্ত্রী পান্না দাসের হেফাজত থেকে মনিশাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, লিটনের সহযোগী শাহ আলমের সরবরাহ করা চাকু দিয়ে পুষ্প রানীকে খুন করেন লিটন। এরপর মনিশাকে প্রশান্ত-পান্না দম্পতির কাছে হস্তান্তর করেন।ডিবি উত্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, লিটনের এক বান্ধবীর আত্মীয় হচ্ছেন প্রশান্ত-পান্না দম্পতি; তাঁরা নিঃসন্তান। তাঁদের একটি সন্তান দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিলেন লিটনের বান্ধবী। এই দম্পতির কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকাও নিয়েছিলেন লিটন। লিটনের ভাষ্য, এই ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৯০ হাজার টাকা তিনি পুষ্পকে দিয়েছেন। বিনিময়ে পুষ্প তাঁর নাতনিকে লিটনের মাধ্যমে ওই দম্পতির কাছে তুলে দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজি না হওয়ায় পুষ্পকে খুন করেন লিটন। | 313,937 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মার্চ ২০১৪, ০০:৫৪ | ০৮ মার্চ ২০১৪, ০০:৫৫ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | স্বপ্ন নিয়ে এল হাইপার মার্কেট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/163462 | রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত নাটোর টাওয়ারে গত বৃহস্পতিবার রিটেইল চেইন স্বপ্ন এবং হাইপার মর্কেটের যাত্রা শুরু হয়েছে। এর উদ্বোধন করেন এসিআই লজিস্টিকসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাব্বির হাসান নাসির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, এক্সপোর্ট, করপোরেট অ্যান্ড কোম্পানি গুডস সোহেল তানভির খান, চিফ অব অপারেশনস আবু নাছের, হেড অব সাপ্লাই চেইন, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ডেভেলপমেন্ট সাইফুল আলম এবং হেড অব রিটেইল সেলস অ্যান্ড বিজনেস এক্সপানশন শামসুদ্দোহা শিমুল। বিজ্ঞপ্তি। | 56,758 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৪ জুলাই ২০১৬, ১৯:২৯ | ১৪ জুলাই ২০১৬, ১৯:৩৮ | বলিউড | 0 | প্রিয়াঙ্কার সামনে বড় প্রশ্ন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/914167 | ঘরের ছবিতে কাজ কমিয়ে প্রিয়াঙ্কা এখন বাইরের কাজেই বেশি সময় দিচ্ছেন। ‘বেওয়াচ’ ছবিতে কাজ শেষ করার পরপরই আবার আমেরিকান টিভি সিরিজ ‘কোয়ান্টিকো’র দ্বিতীয় কিস্তির কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত নতুন কোনো হিন্দি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন না।হলিউডের শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে প্রিয়াঙ্কা তাঁর ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ও ‘জয় গঙ্গাজল’ সিনেমার প্রচারেও অংশ নিতে পারেননি। এখন বছরের বড় একটা সময় প্রিয়াঙ্কাকে দেশের বাইরেই কাটাতে হচ্ছে। আবার জরুরি কাজে প্রায়ই আসতে হচ্ছে ভারতে। তাঁর এমন দশা দেখে অনেকেই মন্তব্য করছেন, এভাবে আসলে হয় না। প্রিয়াঙ্কাকে বলিউড ও হলিউডের মধ্য থেকে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে।প্রিয়াঙ্কার সামনে বড় প্রশ্ন, কোনটি বেছে নেবেন তিনি? বলিউড লাইফ। | 239,768 |
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ আগস্ট ২০১৫, ০২:২৬ | ২০ আগস্ট ২০১৫, ০২:২৭ | বিশাল বাংলা,আক্কেলপুর,জয়পুরহাট,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ | 0 | মাদকাসক্ত বাবাকে পুলিশে দিল ছেলে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/607471 | জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার নুরনগর শবদলপাড়া গ্রামে মাদকাসক্ত বাবা মফিজ উদ্দিনকে (৪৫) পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন ছেলে রনি হোসেন (২২)। গত মঙ্গলবার রাতে মাদকসেবনরত অবস্থায় মফিজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।গতকাল বুধবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন।আক্কেলপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুনসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার মফিজ উদ্দিন তাঁর বাড়িতে মাদক সেবন করছিলেন। তাঁর ছেলে রনি এ খবর মুঠোফোনে পুলিশকে জানান। পুলিশ মফিজকে তাঁর বাড়ি থেকে মাদকসহ হাতেনাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মো. শাহনেওয়াজ গতকাল বুধবার তাঁকে কারাদণ্ড দেন।থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, মফিজ পেশায় চাতাল শ্রমিক। তাঁর দুই সন্তান ও স্ত্রী রয়েছেন। মফিজ ১০-১২ বছর ধরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। তিনি সংসারের খরচ দিতেন না। বছর খানেক ধরে মফিজ বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সামনেই মাদক সেবন শুরু করেন। এতে তাঁর পরিবারের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। মফিজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখার দাবি জানান।গতকাল বেলা ১১টায় থানায় গিয়ে দেখা যায়, মফিজ উদ্দিনকে থানাহাজতে রাখা হয়েছে। স্ত্রী নাছিমা বেগম ও ছেলে রনি সকালের নাশতা নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। হাজতের ফটকে গিয়ে মফিজের সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন। এ সময় রনি তাঁর বাবাকে বলেন, ‘আব্বা তুমি ভালো হও, আমাদের শান্তি দাও।’নাছিমা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা জোগাড় করতে বাড়ির অনেক জিনিসপত্র বিক্রি করে ফেলেছেন। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে ভালো করা যায়নি। বাধ্য হয়ে তাঁরা এই কাজ করেছেন। রনি বলেন, ‘শুধু মাদকাসক্ত বাবার কারণে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে। তাই বাধ্য হয়ে বাবাকে পুলিশে দিয়েছি।’থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কিরণ কুমার বলেন, মফিজ উদ্দিনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। | 161,569 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা | sports | খেলা | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:৩৬ | ১৮ মার্চ ২০১৮, ১১:৩৮ | সাক্ষাৎকার,মাশরাফি বিন মুর্তজা | null | ‘সাকিব ফিরলে এই অস্থিরতা থাকবে না’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1436581 | সাকিবের ফিরলে সমস্যা কেটে যাবে, মাশরাফির আশাবাদ২৮ ক্রিকেটার খেলানো অস্থার অভাবের কারণে মনে করেন না তিনিতরুণদের নিয়ে আশাবাদী মাশরাফিত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮২ রানে অলআউট হওয়াটা বড় ধাক্কাপরশু ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসানের কথায় ইঙ্গিত ছিল, চাইলেই টি-টোয়েন্টিতে ফিরতে পারেন মাশরাফি। সঙ্গে সঙ্গেই ‘মাশরাফি ফিরবেন কি ফিরবেন না’ তুমুল আলোচনা। কাল মিরপুরে আবাহনীর অনুশীলনের পর মাশরাফিকে পেয়ে সংবাদমাধ্যমের মূল কৌতূহলও এ নিয়েই। মাশরাফি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাদা করে কথা বললেন ঠিকই, কিন্তু প্রথমেই জানিয়ে দিলেন, ‘ফেরা’ প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্ন নয়। তবে কথা বললেন দেশের ক্রিকেটের বর্তমান হতাশা আর তা থেকে উত্তরণের পথ নিয়ে।প্রশ্ন: দেশের মাঠে অপ্রতিরোধ্য দল বলে বাংলাদেশের যে একটা গর্ব ছিল, সেটা কি এই এক মাসে ম্লান হয়ে গেল?মাশরাফি বিন মুর্তজা: এই একটা সিরিজ দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না। কিছুটা অন্যায়ও হবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও আমরা সিরিজ হেরেছিলাম, আফগানিস্তানের সঙ্গে একটা ম্যাচ হেরেছিলাম। কিন্তু ওই সময় অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছিলাম ঘরের মাঠে, প্রতিনিয়ত পারফরম করার সুযোগ ছিল। এখানে আমরা পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছি, এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। টেস্ট সিরিজ, টি-টোয়েন্টিতেও হেরেছি। তবে সর্বশেষ চার-পাঁচ মাস আমরা আমাদের মতো পারফরম করতে পারিনি, দক্ষিণ আফ্রিকায়ও পারিনি। আমাদের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে ফিরে আসার চেষ্টা করতে হবে।প্রশ্ন: ত্রিদেশীয় সিরিজের পর টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে কি বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে গেছে বলেই অচেনা মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে?মাশরাফি: ওয়ানডেতে কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছিল না। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সাকিব খেলতে না পারার পর থেকেই মূলত ওটা শুরু হয়েছে। সাকিবের অভাব পূরণ করতে গেলে এমনিতেই দুজন খেলোয়াড় লাগে। ওই দুজন মিলেও সাকিবের মতো হবে কি না, সেটাও চিন্তার বিষয়। সবকিছু মিলেই কিন্তু একটা অস্থিরতা তৈরি হয়।প্রশ্ন: ত্রিদেশীয় সিরিজ আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ মিলিয়ে ২৮ জন ক্রিকেটারকে খেলানো হয়েছে। এটাকে কি ক্রিকেটারদের ওপর আস্থার অভাব বলবেন?মাশরাফি: আমার সেটা মনে হয়নি। কারণ, আমি টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগেই শুনেছিলাম, কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া হবে। ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, আমাদেরও কিছু ঘাটতি আছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের। এখন থেকে গুছিয়ে নেওয়ার একটা চেষ্টা ছিল। এ পর্যন্ত বার্তাটা সবাই ঠিকঠাকই পেয়েছে। বাড়তি যেটা যোগ হয়েছে, সেটা সাকিবের চোটের কারণে। সাকিবের অভাব পূরণে দুজন লেগেছে, দুজন করে নতুনকে দেখতে চাওয়া হয়েছিল। সবকিছু মিলে একটা অস্থিরতা গিয়েছে। সাকিব ফিরলে এই অস্থিরতা থাকবে না। এখন পারফরম্যান্সের দিকে মনোযোগী হওয়াটাই জরুরি।প্রশ্ন: ছয় ক্রিকেটারের অভিষেক হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজে। কতটুকু প্রতিশ্রুতিশীল মনে হয়েছে তাঁদের দেখে?মাশরাফি: এক ম্যাচ দেখে আসলে প্রতিভা নিয়ে কথা বলাটা কঠিন। প্রতিভা আছে বলেই তারা জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কী। স্টেডিয়ামভর্তি মানুষ, পরিবার, নিজের প্রত্যাশা মিলিয়ে যে একটা স্নায়ুচাপ তৈরি হয়, সেটা নিশ্চয়ই টের পেয়েছে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই যেহেতু এটা বুঝতে পেরেছে, সেভাবেই নিশ্চয় নিজেদের তৈরি করবে।প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে আসার জন্য অপেক্ষমাণ খেলোয়াড়দের নিয়ে কতটা আশাবাদী আপনি?মাশরাফি: আমরা খুব দ্রুত আশাবাদী হই, খুব দ্রুতই আবার হতাশ হই। আমি আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে আশাবাদী। হয়তো ওরা এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত নয়। এই ১৮-১৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসলেই কঠিন। যদি না আপনি সাকিব-তামিমের মতো হন। তারাও অবশ্য তখন এখনকার মতো ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি করেছে, বিশ্বসেরাদের কাতারে নিজেদের নিয়ে গেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলই আমাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রস্তুত করে তোলা, যাতে লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।প্রশ্ন: বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তো শ্রীলঙ্কান স্পিনারদের সামনেই ধসে পড়লেন। অথচ আমাদের তো স্পিন খেলে অভ্যাস আছে...মাশরাফি: শেন ওয়ার্ন বা মুত্তিয়া মুরালিধরনের সামনে আমাদের কিন্তু সংগ্রামই করতে হয়েছে। স্পিন যে আমরা খুব ভালো খেলি, সেটা কিন্তু নয়। ভালো উইকেটে হয়তো আমরা স্পিন ভালো খেলি। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের সঙ্গে যেমন খেলেছিলাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম সেঞ্চুরি করল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮০ (দুই ইনিংসে ৭১ ও ৭৮) করল। এ রকমই কিছু ইনিংসে আমরা জিতেছিলাম। এই সিরিজে দৃশ্যপটটা অন্য রকম ছিল। শুধু তামিমের কাছ থেকে আশা করে গেলেও তো কঠিন। সাকিব থাকলে হয়তো অন্য রকম হতে পারত। আমরা সে সুযোগটা পাইনি তার চোটের কারণে। আমাদের জন্য একটা হতাশাজনক সময় গিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাসী যে, এটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। প্রশ্ন হচ্ছে, কত দ্রুত আমরা সেটা পারব?প্রশ্ন: প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে উইকেট তৈরি করা হয়। যে উইকেটে সারা বছর হয়তো ক্রিকেটাররা খেলেন না। সেই উইকেটগুলো ঘরোয়া ক্রিকেটেও থাকাটা জরুরি কি না?মাশরাফি: ঘরোয়া ক্রিকেটে এক রকম উইকেটই বানাতে পারবেন, সেটা হচ্ছে স্পিন-সহায়ক উইকেট। বাংলাদেশের আবহাওয়ার কারণে আপনি চাইলেও পেস বোলিং সহায়ক উইকেট তৈরি করতে পারবেন না। তৈরি করলেও সেটা হয়তো দুই ঘণ্টা পেসারদের সহযোগিতা করবে। এরপরই আবহাওয়ার বদলের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করা শুরু করবে। যেটা হতে পারে, সেটা হলো স্পিনিং ট্র্যাক, যেহেতু আমরা ঘরের মাটিতে ওই ধরনের উইকেটে খেলি। তা ছাড়া অনুশীলনের জন্য আপনি পেস-সহায়ক উইকেট তৈরি করতে পারেন। চার দিনের ম্যাচে এগুলো করা কঠিন।প্রশ্ন: কদিন পরই শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফি। এখন যা অবস্থা, তাতে দল কীভাবে অনুপ্রাণিত হতে পারে?মাশরাফি: সাকিব ফিরে আসবে, এটা আমাদের জন্য সুসংবাদ। তার মানে এই নয় যে সাকিব ফিরলেই আমরা সব ম্যাচ জিতে যাব। তবে আমার বিশ্বাস, আগামী তিন-চার মাস পর আমাদের যে খেলাগুলো আছে, সেগুলোতে আমরা ভালো করতে পারব। তবে সে জন্যও আমাদের অনেক কষ্ট করতে হবে।প্রশ্ন: ক্রিকেটারদের চিন্তার মধ্যে কোনোভাবে হাথুরুসিংহে রয়ে গিয়েছিলেন কি? যেহেতু তিনি অনেক কিছুই জানতেন তাঁদের সম্পর্কে?মাশরাফি: ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত যতটুকু আমি ছিলাম, ড্রেসিংরুমে কারও চিন্তায় হাথুরু ছিলেন না। কিন্তু সবার মনের ভেতরে ঢুকে তো বলা কঠিন যে হাথুরু কাজ করছেন কি না? হয়তো আমরা খুব কঠিন সময় পার করেছি দক্ষিণ আফ্রিকায়। তারপর তো তিনি চলেই গেলেন। বিসিবিও অনেক চেষ্টা করেছে রাখার, তিনি তাঁর দেশের হয়ে কোচিং করাতে চেয়েছেন। তাঁর জায়গা থেকে ঠিকই আছেন হয়তো-বা। সবাই নিজের দেশের প্রতিনিধিত্বই করতে চায়।প্রশ্ন: বোর্ড সভাপতি বলেছেন, এই সিরিজে একজন হেড কোচের অভাব তিনি অনুভব করেছেন। ড্রেসিংরুমে কি সেই অভাবটা বোধ করেছিলেন?মাশরাফি: ক্রিকেটে একজন হেড কোচ তো থাকেনই। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্রিকেটাররা খেলে। হাথুরুসিংহে যখন চলে যান, তখন সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁকে রাখার। তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পর কয়েকজনের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছিল। চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু হয়তো সম্ভব হয়নি কোনো কারণে। ওই সময় বলতে পারেন কোচিং নিয়ে একটা বিপদেই ছিল বাংলাদেশ। তারপর তো সুজন ভাই (খালেদ মাহমুদ) টিম ডিরেক্টর হলেন। তারপরও আমরা কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। প্রথম তিনটা ম্যাচ আমরা ঠিক পথেই ছিলাম। হয়তো-বা চার নম্বর ম্যাচটায় ৮০ রানে (আসলে ৮২) অলআউট হওয়াটা আমাদের বড় একটা ধাক্কা দিয়েছে। তারপর থেকে পুরোটা সময়ই আমাদের কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। আমাদের যখনই যে কোচ দেওয়া হয়েছে, তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। | 355,854 |
নাটোর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:৪৬ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:৪৮ | অপরাধ | 0 | চেক জালিয়াতি: সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/778357 | নাটোরের লালপুর উপজেলায় চেক জালিয়াতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ দুপুরে গোপালপুর রেলগেট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।জানা যায়, মামলার বাদী এমরান হোসেন ও বিবাদী দেলোয়ার একসঙ্গে ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক লেনদেন করতে গিয়ে দেলোয়ার সাড়ে ১৩লাখ টাকার একটি চেক এমরানকে দেন। কিন্তু তাঁর অ্যাকাউন্টে ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় এমরান চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি করেন।লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়,উপজেলার কেশবপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন সাজাপ্রাপ্ত বলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নাটোরের দায়রা জজ তাঁকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই তালুকদার জানান, গ্রেপ্তার হওয়া দেলোয়ার হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে পলাতক ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে আদালত সাজা দেন।উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী জানান, দেলোয়ার হোসেন উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। আর মামলার বাদী এমরান হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। | 204,246 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪১ | ২০ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪১ | অপরাধ | 0 | ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ভূমি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1003567 | ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এক ভূমি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল নরসিংদী থেকে ঘুষের ১২ হাজার টাকাসহ মো. নূরুজ্জামান নামের ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল।নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ‘ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা’ নূরুজ্জামানকে আসামি করে নরসিংদীর শিবপুর থানায় একটি মামলা করেছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২-এর সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী।দুদক সূত্র জানায়, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঘুষ নেওয়ার সময় ওই কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরার জন্য আট সদস্যের একটি দল গঠন করে দুদক। সে অনুযায়ী গতকাল ওই দলটি সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের আশপাশে ওত পেতে থাকে এবং ১২ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় নূরুজ্জামানকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। | 257,678 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৪৯ | ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৪১ | নির্বাচন,আওয়ামী লীগ,রাজনীতি,একাদশ সংসদ নির্বাচন | null | যেসব ব্যবসায়ী নেতার ঠাঁই হলো না নৌকায় | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1566816 | নৌকার যাত্রী হয়ে জাতীয় সংসদে যাওয়ার আশা আপাতত পূরণ হলো না বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতার। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ গতকাল রোববার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে নেই বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ও পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতাদের নাম, যাঁরা প্রথমবারের মতো দলটির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। প্রার্থী হতে তাঁরা নানা চেষ্টা-তদবির করেও সফল হননি।নতুনদের মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন সেলিমা আহমাদ, যিনি বাংলাদেশ ওমেন চেম্বারের সভাপতি ও জনতা ব্যাংকের পরিচালক। তিনি ভোটে অংশ নেবেন কুমিল্লা-২ আসন থেকে। পুরোনো ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান (ঢাকা-১), সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন (কুমিল্লা-৩), বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি টিপু মুনশি (রংপুর-৪), আবদুস সালাম মুর্শেদী (খুলনা-৪) ও আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (ভোলা-৩) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।এই দফায় ব্যবসায়ী নেতাদের অনেকেই নৌকায় উঠতে চাইলেও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তেমন একটা আশাবাদী ছিলেন না। নিজের নাম জানিয়ে রাখাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। সেটা অনেকের ক্ষেত্রে পূরণও হয়েছে।এফবিসিসিআইএফবিসিসিআইয়ের কমপক্ষে আটজন বর্তমান পরিচালক এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত কারও ক্ষেত্রেই মনোনয়ন পাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর নেতাদের কেউ কেউ প্রথমবারের মতো নৌকায় চড়ে সংসদে যাওয়ার আশায় ছিলেন। আওয়ামী লীগ নিল না।পরিচালকদের মধ্যে টাঙ্গাইল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন আবু নাসের। সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এখনকার সাংসদ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী। চুয়াডাঙ্গা-১ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার ওপরেও নজর পড়েনি আওয়ামী লীগের। এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক খায়রুল হুদা সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। যদিও মনোনয়ন পেয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন, যিনি এখনকার সাংসদ। আরেক পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান কুমিল্লা-৬ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তাঁর কপালও এ দফায় খোলেনি।মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক তাবারুকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান। তাঁর ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জাহিদ মালেক স্বপন। জামালপুর-৫ আসন থেকে নৌকায় উঠতে চেয়েছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু। তবে সেখানে এখনকার সাংসদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হিরাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শমী কায়সার ফেনী-৩ আসন থেকে নৌকায় চড়তে চেয়েছিলেন। যদিও সেখানে আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক কাজী ইরতেজা হাসান, তবে পাননি। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালকদের মধ্যে মো. হেলাল উদ্দিন নরসিংদী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এই দফায় পাননি। আরেক সাবেক পরিচালক আমিনুল হক ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ এই আসন থেকে প্রার্থী।বিজিএমইএবর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলের সাংসদদের অনেকেরই পোশাক কারখানা রয়েছে। নতুন মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকায়ও অনেকে পোশাক খাতের ব্যবসায়ী। অবশ্য এবার বিজিএমইএর কমিটিতে থাকা চারজন সহসভাপতি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন ফরম কেনেন। যাঁর মধ্যে নৌকায় উঠতে চেয়েছিলেন মঈনউদ্দিন আহমেদ, এস এম মান্নান ও মোহাম্মদ নাছির।মঈনউদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন এখনকার সাংসদ আফছারুল আমিন। ঢাকা-১৬ আসনে (মিরপুর) মনোনয়ন চেয়েছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নান। কিন্তু ওই আসনে এখনকার সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর ওপরেই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রাম-১২ থেকে মনোনয়ন দৌড়ে ছিলেন মোহাম্মদ নাছির। যদিও সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী।বিকেএমইএর সাবেক সহসভাপতি আসলাম সানী নরসিংদী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। অবশ্য বিজিএমইএর আরেক সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। | 383,672 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ৩০ আগস্ট ২০১৫, ০০:০১ | ৩০ আগস্ট ২০১৫, ০১:০৯ | সংস্কৃতি | 0 | রাগাশ্রয়ী ‘প্রাণের খেলা’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/616456 | ততক্ষণে সাড়ে ছয়টা বেজে গেছে। বেঙ্গল শিল্পালয়ে প্রথমে শোনা গেল পারকাসন, কি-বোর্ড ও গিটারের মিলিত সুর। একটু পর অনুষ্ঠানের সঞ্চালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বললেন, অনুষ্ঠানে গাইবেন তরুণ শিল্পী ফারহানা কান্তা ও জনপ্রিয় শিল্পী সুবীর নন্দী।গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত বৈঠকি গানের আসর ‘প্রাণের খেলা’য় গাওয়া হলো রাগাশ্রয়ী বাংলা গান। ধ্রুপদি গানের সঙ্গে আধুনিক বাংলা কাব্যের সম্মিলনে এই সংগীত ধারার শুরু। এ গান গাওয়া হয় অনেকটা খেয়ালের গীতরূপ অবলম্বনে।প্রথমে ফরিদপুরের মেয়ে ফারহানা কান্তাই গাইতে বসলেন। কিরওয়ানি রাগে ধরলেন গান ‘যামিনী হবে কি ভোর নবারুণ রাগে’। গানটির কথা ও সুর বাসুদেব ঘোষালের। কলকাতায় বাসুদেব নিজে কান্তাকে গানটি শিখিয়েছিলেন। এরপর তিনি গাইলেন বেগম আখতারের বিখ্যাত একটি গান ‘জোছনা করেছে আড়ি’। তারপরে শিল্পী গাইলেন বিদুষী শিপ্রা বসুর গাওয়া দুটি গান ‘বিনি সুতোয় গাঁথা মালা’ ও ‘যমুনা কি বলতে পারে কতবার কেঁদেছে রাধা’। কান্তার শেষ গান গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের কথায় মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও শ্যামল মিত্রের গাওয়া বিখ্যাত গান ‘দোলে দোদুল দুলে দোলনায়’।এ অনুষ্ঠানে এখনকার দর্শক যেন নতুনভাবে পেল সুবীর নন্দীকে। আসরে বসেই গাইলেন নজরুলের গান ‘কথা কও, কও কথা, থাকিও না চুপ করে’ ও দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কী সংগীত ভেসে আসে’। এরপর গাইলেন ওস্তাদ আমানত আলী খাঁর বিখ্যাত গজল ‘ক্যায়া পুছতে হো ইশক মে হাম ক্যায়সে লুট গ্যায়ে’ অবলম্বনে একটি বাংলা গান ‘কত দিন যেন দেখা হয়নি, তবু তার স্মৃতি আমি যাই বইয়ে’। শিল্পী এরপর মান্না দের দুটি গান গাইলেন, ‘সেই তো আবারকাছে এলে’, ‘ওগো সারাটি যামিনী জাগি’। ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’সহ আরও কয়েকটি গানও শিল্পী গাইলেন।ফারহানা কান্তার সঙ্গে তবলায় সংগত করেন ইফতেখার আলম, আর সুবীর নন্দীর সঙ্গে তবলায় ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার। যন্ত্রানুষঙ্গে আরও ছিলেন কি-বোর্ডে বিনোদ রায়, গিটারে মনোয়ার হোসেন এবং পারকাসনে বিদ্যুৎ রায়। আগত শখানেক দর্শক ফারহানা কান্তা ও সুবীর নন্দীর রাগাশ্রয়ী বাংলা গানে মুগ্ধ হয়েছিলেন। প্রতিটি গানের পর তাঁদের হর্ষধ্বনি আর করতালি সে সাক্ষ্যই দেয়। | 164,449 |
আদালত প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ জুন ২০১৫, ০১:১০ | ২৪ জুন ২০১৫, ০১:১১ | আইন ও বিচার | 0 | ফখরুলসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১১ আগস্ট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/560824 | বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান গতকাল মঙ্গলবার এদিন ধার্য করেন।গতকাল এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। মির্জা ফখরুল অসুস্থ থাকায় গতকাল তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ কারণে তাঁর পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন।আটক মির্জা ফখরুল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল এক বক্তব্যে কাউকে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের না হওয়ার হুমকি দেন। | 147,591 |
নরসিংদী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:৪৭ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:৪৭ | -1 | 0 | গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/772192 | নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা গ্রামে পবিত্র কোরআন শরিফের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ির প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষণ ও জাদুঘরের নির্মাণকাজ গতকাল মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়েছে।ভারতীয় হাইকমিশনের অর্থায়নে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহ্য অন্বেষণ নামের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র বাড়িটি সংরক্ষণ ও জাদুঘর নির্মাণের এ কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী প্রধান অতিথি হয়ে এর উদ্বোধন করেন।স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, উত্তরাধিকারী না থাকায় সংস্কারের অভাবে গিরিশ চন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। ২০০৮ সালে তৎকালীন ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বাড়িটি দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৪ মে জেলা প্রশাসন ও ঐতিহ্য অন্বেষণের মধ্যে বাড়িটি সংরক্ষণ ও জাদুঘর নির্মাণের চুক্তি হয়। সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ও দিকনির্দেশনায় ঐতিহ্য অন্বেষণ কাজ করবে। মূল অবকাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাড়িটি মেরামত ও সংরক্ষণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ভারতীয় হাইকমিশন ঐতিহ্য অন্বেষণকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে।ঐতিহ্য অন্বেষণ সূত্রে জানা যায়, ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন ১৮৩৪ সালের এপ্রিল-মের দিকে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১০ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ঢাকায় মারা যান। | 202,503 |
নজরুল ইসলাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৪১ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৪৩ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | তথ্যভান্ডার গড়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1046979 | ঢাকা মহানগরের বাসিন্দাদের তথ্যভান্ডার (ডেটাবেইস) গড়তে থানায় থানায় বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে। নগরবাসীর এসব তথ্য গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সেই কাজ এখন বাইরের লোক দিয়ে করানো হচ্ছে। এতে নগরবাসীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।গত সেপ্টেম্বরে ডিএমপির নিউমার্কেট থানায় সংগৃহীত তথ্য ফরম নীলক্ষেতে নিয়ে একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ডিএমপির সফটওয়্যারে তথ্য-উপাত্ত ভুক্তি (ডেটা এন্ট্রি) দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর জন্য দায়ী চিহ্নিত করে ওই থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) সামিউর রহমানকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়। এরপর ভুক্তির কাজটি থানায় ফিরিয়ে আনা হয়।ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দিদার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের প্রশিক্ষিত জনবল থাকায় বাইরের লোকদের দিয়ে তথ্যভান্ডার করানো নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। জনগণের দেওয়া তথ্যের নিরাপত্তার ঘাটতি থাকে এমন কিছু কাউকে করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে থানাগুলোতে খোঁজ নেওয়া হবে।এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রথম আলোকে বলেন, বাইরের লোক দিয়ে তথ্যভান্ডার গড়ার কাজ করানো হলে নাগরিকদের গোপন তথ্য ফাঁস হবে। ডিএমপির উচিত ছিল নাগরিকদের তথ্যভান্ডার গড়ার আগে বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া। সুচিন্তিত ও পরিকল্পনামাফিক পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই তথ্যভান্ডারে পরে কারিগরি সমস্যা দেখা দিতে পারে।এ প্রতিবেদক ডিএমপির অন্তত ১০টি থানায় সরেজমিনে দেখতে পান, সেখানে বাইরের লোকদের দিয়ে তথ্য-উপাত্ত ভুক্তির কাজ চলছে।মিরপুর মডেল থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে ওই এলাকার বাসিন্দাদের জমা দেওয়া তথ্য-উপাত্ত ভুক্তি হচ্ছে। কক্ষের সামনে লেখা রয়েছে ‘কম্পিউটার ল্যাব’। ওই কক্ষে ১০টি চেয়ারে বসে ১০ ব্যক্তি তথ্য পূরণ করছেন। টেবিলে রয়েছে নারী-পুরুষের তথ্য ফরম।সুকুমার রায় নামের এক ব্যক্তি নিজেকে মিরপুর থানার পুলিশ পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে নিজেরা শুরু করছিলাম, দেখা গেল এভাবে আগানো অনেক কষ্ট। এরপর সিদ্ধান্ত হলো বাইরের লোকদের ট্রেনিং দিয়ে কাজ করানো হবে।’পুলিশের ওই সদস্য বলেন, থানার বাইরের কম্পিউটার দোকানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মাধ্যমে এঁদের সংগ্রহ করা হয়। পরে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তথ্য পূরণ করা নয়জনকে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এরা বিভিন্ন কলেজের ছাত্র। তারা এখানে খণ্ডকালীন কাজ করে। রাতে তাদের খাবার দেওয়া হয়। ওসি সাহেব খুশি হয়ে তাদের কিছু দেবেন...থানায় ২৪ ঘণ্টা তথ্য পূরণ করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, পূরণ করা দুই লাখের বেশি ফরম থানায় এসেছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার লোকের তথ্য সফটওয়্যারে তোলা হয়েছে।কাজ শেষে বের হন সৃজন নামের এক তরুণ। তিনি জানালেন, চলতি বছর তিনি ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর ফাঁকে ফাঁকে থানায় এসে সফটওয়্যারে তথ্য তোলার কাজ শিখছেন। ১০ দিন পর পর তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কত দেবে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।ভাষানটেক থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় কর্তব্যরত কর্মকর্তার পেছনের কক্ষে তথ্য-উপাত্ত ভুক্তি দেওয়া হয়। ওয়্যারলেস অপারেটর জানালেন, বাইরের দুজন লোক তথ্যভান্ডারে তথ্য তোলেন। এ জন্য তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। তাঁরা বাইরে গেছেন।কক্ষে ঢুকে দেখা গেল, দুটি কম্পিউটার। কোনো লোক নেই। টেবিলে পড়ে আছে নারী-পুরুষের তথ্য ফরম।থানার পরিদর্শক (অভিযান) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, থানায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তথ্যভান্ডারে তথ্য তোলার কাজ চলে। পুলিশের দুই সদস্যের পাশাপাশি বাইরের একজন এই তথ্য পূরণ করেন।এই কর্মকর্তা জানান, এই কাজের পেছনে আলাদা অর্থ বরাদ্দ নেই থানায়। তবে তিন হাজারের বেশি ফরমের তথ্য ভুক্তি দেওয়া হয়ে গেলে এরপর প্রতিটি ফরমের জন্য পাঁচ টাকা করে দেয় ডিএমপি। ওই অর্থ দিয়ে বাইরের লোককে টাকা দেওয়া হয়।সম্প্রতি কলাবাগান থানায় গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, থানায় চার-পাঁচটি কম্পিউটারে তথ্যভান্ডার গড়ার কাজ চলছে। তবে এর জন্য আলাদা কোনো কক্ষ নেই। কতজন তথ্যভান্ডার গড়তে কাজ করছেন, তথ্য-উপাত্ত পূরণের কাজ কত দূর এগিয়েছে, জানতে চাইলে ওসি বলেন, পরে দেখে বলতে পারবেন।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য বলেন, বাইরের লোক দিয়েও কলাবাগান থানায় তথ্যভান্ডারে তথ্য তোলার কাজ করানো হয়।শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গোপাল গণেশ বিশ্বাস জানান, তাঁর থানায় পুলিশের আটজন সদস্য তথ্যভান্ডারে তথ্য তুলছেন। তবে কোথায় এই কাজ হয়, তা বলতে তিনি রাজি হননি।তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় গিয়ে জানা যায়, থানা ভবনের নিচতলায় হাজতখানার পাশে তথ্যভান্ডার গড়ার একটি কক্ষ রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের তিন দিক ঘোরানো লম্বা টেবিলে রাখা আছে পাঁচটি কম্পিউটার। টেবিলের ওপর রয়েছে পূরণ হয়ে আসা তথ্য ফরমের স্তূপ। চেয়ারে বসে চার ব্যক্তি ওই তথ্যগুলো তথ্যভান্ডারে সংযোজন করছেন। জানা গেল, তাঁদের দুজন বহিরাগত।তাঁদের একজন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহ আলম বলেন, ‘কাজে পিছিয়ে আছি, তাই পাবলিক দিয়ে কাজ করাই। কিছু পাবলিক নিয়া আইসা কাজের অগ্রগতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। একজন-দুজন করে বাইরে থেকে লোক আসে। প্রতিদিনের টাকা তাদের প্রতিদিন দিয়ে দেওয়া হয়।’বহিরাগত ব্যক্তিদের মধ্যে ডেটা এন্ট্রি করছিলেন তিতুমীর কলেজের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র পরিচয়দানকারী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক মাস ধরে এই কাজ করছি। পুলিশ শিখিয়ে দিচ্ছে।’তবে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুজ্জামান দাবি করেন, থানার সাত পুলিশ সদস্য তথ্যভান্ডারে তথ্য তুলছেন। বাইরের কোনো লোক দিয়ে তথ্যভান্ডারে তথ্য তোলা হয় না।তথ্যভান্ডার গড়তে অন্য সব থানার প্রায় একই অবস্থা।জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, কারও ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পুলিশের কাছে দেওয়ার কোনো আইন নেই। সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিকদের গৃহ-সংক্রান্ত তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।অন্তত ১০টি থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য ফরম নিয়ে তাঁদের উদাসীনতা ও গা-ছাড়া ভাব দেখা গেছে। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, দৈনন্দিন ডিউটির পাশাপাশি মামলার তদন্তসহ বিভিন্ন কাজ করতে হয় থানা-পুলিশকে। তথ্যভান্ডারে তথ্য তোলার মতো কাজ করার এত সময় থানা-পুলিশের নেই। কর্তৃপক্ষের উচিত কোনো কোম্পানিকে এর দায়িত্ব দেওয়া।নগরবাসীর সংগৃহীত তথ্য দিয়ে অপরাধ দমন ও জনগণের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনার গত ১ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) উদ্বোধন করেন। সিআইএমএস প্রকল্পের আওতায় নাগরিকদের সব তথ্য গোপনীয়তা অবলম্বন করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিশেষ তথ্যভান্ডারে সংরক্ষিত থাকবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়।সফটওয়্যার বিনা মূল্যেডিএমপির তথ্যভান্ডারের জন্য সফটওয়্যার করে দিয়েছে বাংলা ট্র্যাক কমিউনিকেশনস লিমিটেডের থানি সিস্টেমস। বনানীর ১৯/এ নম্বর সড়কের ৯২ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থানি সিস্টেমস। প্রতিষ্ঠানটির হেড অব প্রোডাক্ট অ্যান্ড সলিউশন এম তানভীর সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ডিএমপির বিজ্ঞপ্তি পেয়ে থানি সিস্টেম ছাড়াও আটটি কোম্পানি আবেদন করে। এদের মধ্যে ডিএমপি থানি সিস্টেমকে তথ্যভান্ডারের সফটওয়্যার তৈরির কাজ দেয়। ছয় মাসে তারা ডিএমপিকে সফটওয়্যার ডেভেলপ করে দিয়েছে। তথ্যভান্ডার গড়বে পুলিশ। এ জন্য তাঁরা পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁরা আগামী দুই বছর ডিএমপিকে বিনা মূল্যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে দেবেন। এরপর ডিএমপির কাছ থেকে অর্থ নেবেন।তবে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায় প্রথম আলোকে বলেছেন, থানি সিস্টেম বিনা মূল্যে ডিএমপিকে সফটওয়্যার ডেভেলপ করে দিয়েছে।বাংলা ট্র্যাক কমিউনিকেশনস লিমিটেডের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মো. রকিব মাহমুদ বলেন, তাঁদের সফটওয়্যারটিতে প্রাথমিকভাবে এক কোটি মানুষের তথ্যভান্ডার গড়া যাবে। এখন দেশের ১৬ কোটি মানুষের তথ্য সংরক্ষণের জন্য সফটওয়্যারটি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সার্ভার এসব নিয়ন্ত্রণ করবে।এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বিনা মূল্যে সফটওয়্যার করে দেওয়ার পেছনে ওই কোম্পানির কী ধরনের স্বার্থ আছে, তা আগে দেখতে হবে। থানি সিস্টেমের নাম তিনি শোনেননি বলে জানান। | 277,497 |
সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন | life-style | জীবনযাপন | ২৯ আগস্ট ২০১৭, ০১:২৬ | ২৯ আগস্ট ২০১৭, ০৩:০৩ | নকশা,রূপচর্চা | 0 | ত্বক বুঝে ফেসিয়াল | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1306436 | আসছে ঈদ। হাতে সময় খুব কম। কাজের চাপে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়নি অনেকের। অনেকে ভাবছেন, ‘কালো হয়ে গিয়েছি, ফেসিয়ালটা করে নিলে রং খুলবে।’ এটা একদম ভুল ধারণা—জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভিন। একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর ফেসিয়াল অবশ্যই জরুরি। তবে তা পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ ত্বক পাওয়ার জন্য। আফরোজা পারভিন বলেন, ‘ফরসা ত্বক মানেই সুন্দর নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা হচ্ছে সৌন্দর্য। আর ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে ফেসিয়াল প্রয়োজন।’ত্বকের ধরন বুঝে ফেসিয়াল করতে হয় বলে জানালেন আফরোজা পারভিন। তিনি বলেন, ‘প্রধানত তিন ধরনের ত্বক আছে। তৈলাক্ত, শুষ্ক ও মিশ্র বা স্বাভাবিক। মাঝেমধ্যে এই তিন ধরনের ত্বকে স্পর্শকাতর জায়গাও থাকতে পারে। সেটা বুঝে ফেসিয়ালের উপাদান নির্ধারণ করতে হয়।’ ফেসিয়াল করার আগে পারলারে অভিজ্ঞদের কাছে ত্বক পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন আফরোজা পারভিন। তাঁরাই বলে দেবেন কোন ফেসিয়ালটা আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত।বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, যেকোনো উৎসবের আগে ফেসিয়াল করলে এর আগে হোয়াইট টোনিং ম্যাসাজ করে নেওয়া ভালো। এরপর যাঁর যে ফেসিয়াল প্রয়োজন, তা করে নিতে পারেন। এতে ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি কিছুটা উজ্জ্বল দেখায়। কিন্তু ফেয়ার পলিশ না করার পরামর্শ দিলেন তিনি। ফেয়ার পলিশের ব্লিচ ত্বকে ক্ষতির কারণ হতে পারে।ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসিয়াল করার সময় কোন বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে জানালেন আফরোজা পারভিন। আর শারমিন কচি বলে দিলেন কোন ত্বকে কোন ফেসিয়াল করা যায়।শুষ্ক ত্বকশুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসিয়ালের উপাদানগুলোর মধ্যে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার থাকা জরুরি। স্ক্রাবার যেন ক্রিমি হয়। শুষ্ক ত্বক অনেক সময় স্পর্শকাতর (সেনসিটিভ) হয়ে থাকে। সেখানে দুধ কিংবা দুধের সর ব্যবহার করা যেতে পারে। এমন ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা ফেসিয়াল করা যাবে।তৈলাক্ত ত্বকতৈলাক্ত ত্বকে অনেক সময় ব্রণ হয়। তাই ত্বককে শুষ্ক করতে পারে এমন ফেসিয়াল করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বক স্পর্শকাতর হলে ফেসিয়ালে ক্রিমজাতীয় উপাদান ব্যবহার না করাই ভালো। ক্রিম ত্বকের তেল শুকাতে দেবে না। পাউডার-জাতীয় উপাদানও এড়িয়ে যেতে হবে। লোমকূপে পাউডার জমে থাকলে ব্রণ হতে সাহায্য করে। ব্রণ থাকলে নিম কিংবা ব্রণ ফেসিয়াল করা যেতে পারে। এ ছাড়া অক্সি ফেসিয়াল করা যাবে।স্বাভাবিক বা মিশ্র ত্বকমিশ্র ত্বককে আদর্শ ত্বক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেকোনো ফেসিয়াল, যেকোনো উপাদান দিয়ে নির্দ্বিধায় করতে পারেন।ত্বকের কোনো স্থান যদি স্পর্শকাতর হয় তাহলে ফেসিয়ালের সময় তা খেয়াল রাখতে হবে। কার ত্বকে কী উপাদান উপযুক্ত, তা বিবেচনা করে ফেসিয়াল করতে হবে। তবে গোল্ড ফেসিয়াল কিংবা ফ্রুট ফেসিয়াল বেশ কার্যকর বলে জানান শারমিন কচি।আফরোজা পারভিন বলেন, পারলারে ত্বকের ধরন অনুযায়ী এবং স্পর্শকাতর দিকটি বিবেচনায় রেখে ফেসিয়ালের উপাদানগুলো কম-বেশি বা যোগ-বিয়োগ করে ব্যবহার করা হয়। | 335,631 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৯ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৫১ | গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | নবীনবরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/457006 | গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং/বিআর্ক প্রোগ্রামের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম। উপাচার্য মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ। গাজীপুর প্রতিনিধি| | 116,975 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ আগস্ট ২০১৪, ০০:৩৯ | ০৮ আগস্ট ২০১৪, ০০:৪০ | কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | উখিয়ার ১৩২টি আনন্দ স্কুলে দুর্নীতির তদন্ত শুরু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/285427 | কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ১৩২টি আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য পোশাক ও ব্যাগ বরাদ্দের টাকা লুটপাট এবং পোশাক ও ব্যাগ সরবরাহের বিপরীতে অসহায় শিশু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল সরেজমিনে অনুসন্ধান শুরু করে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালনাধীন ‘রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ বা রস্ক প্রকল্পের আওতায় এই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ১৩২টি স্কুলে তিন হাজার ৬০০ জন ঝরে পড়া দরিদ্র শিশু লেখাপড়া করছে। গত জুন মাসে শিক্ষার্থীদের জন্য পোশাক (স্কুল ড্রেস) ও ব্যাগ সরবরাহসহ আনুষঙ্গিক খাতে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নিম্নমানের কাপড় দিয়ে পোশাক তৈরি ও ব্যাগ সরবরাহ দিয়ে উখিয়া সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন বরাদ্দ করা ১৮ লাখ টাকার মধ্য থেকে মোটা অঙ্ক আত্মসাৎ করেন। আবার পোশাক ও ব্যাগ সরবরাহের বিপরীতে শিশু শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ৫০০ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তের জন্য শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পাঠালে এই তদন্ত দল গঠন করা হয়।তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রস্ক প্রকল্পের সহকারী পরিচালক সানজিদা খানম। কমিটিতে রয়েছেন রস্ক প্রকল্পের পরামর্শক মো. মোশাররফ হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সালেহ, জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন ও উখিয়া শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাফ্ফর আহমদ।স্থানীয় লোকজন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে তদন্ত দলের সদস্যরা উপজেলা সদরের মালভিটা আনন্দ স্কুল পরিদর্শনে যান। এ সময় তদন্ত দল ওই স্কুলে ৩৫ জন শিক্ষার্থীর স্থলে উপস্থিত পান ১৩ জন শিক্ষার্থী।এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, গত জুন মাসে তাদের যে পোশাক দেওয়া হয়েছে, তা খুবই নিম্নমানের এবং আকারে ছোট হওয়ায় পরা যাচ্ছে না।বেলা দুইটার দিকে বটতলী আনন্দ স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে স্কুল বন্ধ পান। ওই সময় স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি আনোয়ারা বেগম তদন্ত দলকে বলেন, একটু আগেই স্কুল ছুটি হয়ে গেছে।এর আগে (সকাল ১০টায়) উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মাছকারিয়া, পূর্বমাছকারিয়া, পশ্চিম মাছকারিয়া ও উত্তর মাছকারিয়ার চারটি আনন্দ স্কুল পরিদর্শন করে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তদন্ত দলের সদস্যরা।আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা রুজিনা আক্তার তদন্ত কমিটিকে বলেন, রাজাপালং ইউনিয়নের ৩২টি আনন্দ স্কুলের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিনি পোশাক ও স্কুলব্যাগ সরবরাহের বিপরীতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা (মাথাপিছু ৫০০ টাকা করে) তুলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিনের হাতে তুলে দিয়েছেন। এরপর তিনি (সাহাব উদ্দিন) গত জুন-জুলাই মাসে নিম্নমানের পোশাক ও ব্যাগ সরবরাহ দিয়েছেন।অনিয়ম-দুর্নীতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তদন্ত দলের প্রধান সানজিদা খানম বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।দলের সদস্য আবু জাফর মো. সালেহ বলেন, ‘সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে পোশাক ও ব্যাগ সরবরাহের বিপরীতে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পাচ্ছি। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’রস্ক প্রকল্পের পরামর্শক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রকল্পের নির্দেশনা অনুযায়ী যেভাবে আনন্দ স্কুলগুলো চলার কথা, ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু সরেজমিনে ঘুরে সে রকম কিছুই দেখা যায়নি।তবে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। | 83,413 |
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা | entertainment | বিনোদন | ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৫৯ | ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:০৯ | চলচ্চিত্র | 0 | শেষ পর্যন্ত বদলাতেই হলো গানের কথা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1566556 | তখনো চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে ছাড়পত্রের জন্য জমা দেওয়া হয়নি ‘দহন’ ছবিটি। তার আগেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ছবির ‘হাজির বিরিয়ানি’ শিরোনামের গানটি ইউটিউবে দেওয়া হয়। আপত্তিকর কিছু শব্দের কারণে গানটি প্রকাশের পরই সংগীতাঙ্গনের গুণীজনেরা ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন। গানটি নিয়ে প্রথম আলোর কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অনেকেই। ফেসবুকেও অনেক লেখালেখি হয়েছে। গানটির কথা বদল এবং তা ইউটিউব থেকে সরিয়ে নিতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।কিন্তু প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়, গানের কথা বদল করা হবে না। ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে জানান, যে করেই হোক ছবিতে তারা গানটি রাখবেন। বাদ দেওয়া কিংবা বদলের প্রসঙ্গ যদি আসে, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানার পর তা নিয়ে ভাববেন। কারণ গল্পের প্রয়োজনেই গানটি করা হয়েছে। এদিকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার, সংগীত পরিচালক, গীতিকারের একটি প্রতিনিধিদল। আবেদনপত্রে গানটি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো সংগীতাঙ্গনের ৭১ জন গায়ক-গায়িকা, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকারের স্বাক্ষর যুক্ত করে দেওয়া হয়।এরপর চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে গানটি সম্পর্কে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠায়। এখন শোনা যাচ্ছে, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়ার আগেই গানের কথা বদল করা হয়েছে। গানের কথা বদল করে ছাড়পত্রের জন্য ‘দহন’ ছবিটি জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবদুল আজিজ।‘দহন’ ছবির ‘হাজির বিরিয়ানি’ গানের কথা বদল করে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়াকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন গীতিকবি, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। গানটি প্রকাশের পর তিনি তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এটাই চেয়েছিলাম। গানের মানুষদের চাওয়ার প্রতি সম্মান দেখানোর ব্যাপারটি আমার কাছে ভালো লেগেছে।’গানটি নিয়ে আবদুল আজিজ এর আগে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘এই গানে নায়কের চরিত্র সম্পর্কে দর্শককে ধারণা দেওয়া হয়েছে। যাঁরা গানটির সমালোচনা করছেন, পুরো ছবি দেখার পর করবেন না, তা নিশ্চিত।’ এদিকে কথা বদলের মাধ্যমে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন আবদুল আজিজ। আজ শনিবার দুপুরে তিনি বললেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৩টি ছবি নির্মিত হয়েছে। একটি ছবিতেও আপত্তিকর কোনো শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু এই ছবির গানের কিছু শব্দ নিয়ে সংগীতাঙ্গনের অনেক গুণীজন আপত্তি করেছেন। সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গানটির কথা বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’‘দহন’ ছবিটি ছাড়পত্রের জন্য গত বৃহস্পতিবার চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। ৩০ নভেম্বর ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। | 383,355 |
শক্তি সাহা | life-style | জীবনযাপন | ০৮ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০৫ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১০:৪৭ | পেশা,চাকরিবাকরি | 0 | সরকারি হাসপাতাল নেবে ৩৬১৬ সিনিয়র নার্স | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/823111 | স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সেবা পরিদপ্তরে ৩ হাজার ৬১৬ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ করা হবে বলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে। এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি www.bpsc.gov.bd থেকে পাওয়া যাবে। এ পদে ইতিমধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে আগামী ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবেদনকরতে হবে।আবেদনের যোগ্যতা সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে সরকার অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে বিএসসি ইন নার্সিং পাস অথবা ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বা ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থীর বয়স ০১-০৩-২০১৬ তারিখে সর্বোচ্চ ৩৬ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।যেভাবে আবেদন করবেনপ্রার্থীকে টেলিটকের ওয়েবসাইট ( http://bpsc.teletalk.com.bd) অথবা বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd এর মাধ্যমে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আবেদনপত্র বিপিএসসি ফর্ম- 5A পূরণ করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম এবং ফি জমাদান সম্পন্ন করতে হবে। উল্লেখিত ওয়েবসাইট ওপেন করে নন-ক্যাডার অপশন সিলেক্ট করে ক্লিক করলে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের বিজ্ঞপ্তি, Instructions for submitting Application এর রেডিও বাটন দৃশ্যমান হবে। বিপিএসসি ফর্ম- 5A সফলভাবে পূরণ সম্পন্ন হলে Application Preview দেখা যাবে। এই Preview এর স্থানে প্রার্থীকে (দৈর্ঘ্য ^প্রস্থ) ৩০০ ^৩০০ পিক্সেল এর কম বা বেশি নয় এবং ফাইল সাইজ ১০০ কেবি এর বেশি নয়, এরূপ মাপের নিজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি স্ক্যান করে জেপিজি ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্র বিপিএসসি ফর্ম- 5A যথাযথভাবে পূরণপূর্বক নির্দেশমতে ছবি এবং স্বাক্ষর আপলোড করে প্রার্থী কর্তৃক আবেদনপত্র সাবমিশন সম্পন্ন হলে কম্পিউটারে ছবিসহ Application Preview দেখা যাবে। নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র সাবমিট করা হলে প্রার্থী একটি ইউজার আইডিসহ ছবি এবং স্বাক্ষরযুক্ত একটি অ্যাপ্লিকেন্টস কপি পাবেন। এই অ্যাপ্লিকেন্টস কপি প্রার্থীকে প্রিন্ট অথবা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে হবে। অ্যাপ্লিকেন্টস কপিতে একটি ইউজার আইডি নম্বর দেওয়া থাকবে। এই ইউজার আইডি নম্বর ব্যবহার করে প্রার্থী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নিয়মানুযায়ী যেকোনো টেলিটক প্রি-প্রেইড মোবাইল থেকে এসএমএস করে পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। শুধু ইউজার আইডি প্রাপ্ত প্রার্থীরা ইউজার আইডি প্রাপ্তির পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন। প্রার্থী তাঁর ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ছবি ও রেজিঃ নম্বর-সংবলিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।নির্বাচন-প্রক্রিয়াপ্রার্থীদের আবেদনকৃত আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ (লিখিত) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে বলে জানান বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) শেখ শাখাওয়াৎ হোসেন। তিনি বলেন, এই এমসিকিউ পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকবে। এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১৫, ইংরেজিতে ১৫, সাধারণ জ্ঞান, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং নার্সিং (টেকনিক্যাল) বিষয়ে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা হবে বলে জানান শাখাওয়াৎ হোসেন। এ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ভালো করতে হলে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো পড়লে ভালো করা যাবে। সাধারণ জ্ঞান অংশের জন্য পড়তে হবে প্রতিদিনের পত্রিকা এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিজের আয়ত্তে রাখতে হবে। এ ছাড়া নার্সিং (টেকনিক্যাল) বিষয়গুলোর খুঁটিনাটি ভালোভাবে পড়লে এ অংশে ভালো করা যাবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবার ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই ৪০ নম্বর পেতে হবে। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, এমসিকিউ ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তী সময়ে কমিশনের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানানো হবে।বেতন-ভাতা ও সুবিধাদিএমসিকিউ ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হলে একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬ হাজার টাকা স্কেলে বেতন ও বিধি অনুযায়ী অন্যান্য ভাতা বা সুবিধা পাবেন।যোগাযোগএই নিয়োগ-সংক্রান্ত অতিরিক্ত তথ্য পেতে বিপিএসসির ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে হবে। এ ছাড়া কর্মকমিশন সচিবালয়ে অফিস চলাকালীন ৫৫০০৬৬২৭ এবং ৫৫০০৬৬৫১ এই টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করে তথ্য জানা যাবে। | 218,458 |
আবদুর রাজ্জাক, পটিয়া | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জুন ২০১৬, ০০:৪১ | ১৬ জুন ২০১৬, ০০:৪২ | আমার চট্টগ্রাম | 0 | পটিয়ার পাঞ্জাবির খ্যাতি দেশে–বিদেশে | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/889246 | চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা সড়কে ১৭টি দরজি দোকান রয়েছে। প্রায় সব দোকানেই সারা বছর ভিড় থাকে ক্রেতাদের। বেশির ভাগ দোকানেই রয়েছে অত্যাধুনিক সেলাই যন্ত্র। তবে এসব দোকানে অন্য কোনো পোশাক নয়, কেবল পাঞ্জাবিই সেলাই হয়। আর এখানে পাঞ্জাবি সেলাই করাতে সারা দেশ থেকেই আসে লোকজন। পটিয়ার জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা সড়কের দরজি দোকানের সেলাই করা পাঞ্জাবির খ্যাতি এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়েছে। এখানকার কারিগরেরা দেশি, ভারতীয়, আফগান বা আরবি—যেকোনো ডিজাইনের পাঞ্জাবি তৈরি করতে পারেন। বছরের পর বছর পাঞ্জাবি সেলাই করে দক্ষ হয়ে উঠেছেন তাঁরা।১৩ জুন বিকেল সাড়ে চারটায় মাদ্রাসা সড়কে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি দরজি দোকানেই ক্রেতাদের ভিড়। ঈদের আর কয়েক সপ্তাহ বাকি থাকলেও পাঞ্জাবি সেলাই শুরু হয়েছে এর মধ্যেই। এই এলাকার চারটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে কেবল পাঞ্জাবির কাপড়। সেসব দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।দরজি দোকানের কারিগরেরা বলেন, ঈদ আসায় পাঞ্জাবির চাহিদা বাড়ছে। স্বাভাবিক সময়য়ের তুলনায় তিন-চার ঘণ্টা বেশি কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। আর কয়েক দিন পর রাতেও কাজ হবে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে তাঁরা পাঞ্জাবিতে এমব্রয়ডারি করছেন বলে জানান। এ ছাড়া আরবের জোব্বা, কাবুলি পোশাক ও দেশীয় ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনের পাঞ্জাবিও বানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। পাঞ্জাবিভেদে সেলাইয়ের খরচ নেওয়া হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। কয়েকটি দোকানের কারিগরেরা জানান, পটিয়া ছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও পাঞ্জাবি বানাতে লোকজন এখানে আসেন। এ ছাড়া সৌদি আরব, দুবাই, আমেরিকা, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা দেশে এলে এখান থেকে পাঞ্জাবি বানিয়ে নিয়ে যান। পাশাপাশি জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র–শিক্ষকেরাও এখান থেকে পাঞ্জাবি সেলাই করেন। এ কারণে ব্যস্ততা থাকে সারা বছরই।নিউ আল-আরব টেইলার্সের মালিক মাহফুজুল হক বলেন, ‘১৫ বছর ধরে আমরা পাঞ্জাবি সেলাইয়ের কাজ করছি। ক্রেতারা যেভাবে বলে সেই ডিজাইনেই পাঞ্জাবি বানিয়ে দিতে পারি আমরা। এ জন্যই লোকজনের কাছে এই দরজিপাড়ার কদরও আছে। প্রতিবছর দুবাই, সৌদি আরব, বাহারাইন, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত প্রবাসীরা এখান থেকে অর্ডার দিয়ে পাঞ্জাবি সেলাই করে নেন।’ দরজিপাড়ায় পাঞ্জাবি সেলাই করতে আসা আবুল কাসেম নামের এক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরেই এই পাড়া থেকে পাঞ্জাবি সেলাই করছেন। এখানকার পাঞ্জাবির সেলাই নিখুঁত হয়, পরেও আরাম। | 232,831 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৭ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:০০ | আনন্দ,বলিউড | 0 | উৎসবে, বিরহে ২০১৮-এর বলিউড | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1573025 | ঘটনাবহুল ২০১৮। বিয়ে, ভাঙন, শ্রীদেবীর চিরবিদায়, ছোট ছবির রমরমা বাজার, খানদের ভরাডুবি, চলচ্চিত্র দুনিয়ায় অসহিষ্ণুতার আঁচড়, মি টু—সবকিছু নিয়ে জমজমাট ছিল বিটাউন। ফেলে আসা ২০১৮-তে কী পেলাম, কী হারালাম—বলিউডের ছোট–বড় নানা ঘটনা ধরা পড়ল প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি দেবারতি ভট্টাচার্যের কলমে।হ্যাশট্যাগ মি টুকয়েক মাস আগে বলিউডের বুকে আছড়ে পড়েছিল হ্যাশট্যাগ মি টু ঝড়। এই ঝড় রীতিমতো নগ্ন করে দেয় একের পর এক বলিউড ব্যক্তিত্বকে। হলিউড থেকে বলিউডে এই ঝড় আসে অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তর হাত ধরে। প্রায় ১০ বছর আগে হর্ন ওকে প্লিজ ছবির সেটে এই বলিউড সুন্দরী যৌন হেনস্থার শিকার হন। তনুশ্রী এই অভিযোগ এনেছিলেন বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে। এরপর একের পর এক বলিউড অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও লেখকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ওঠে।জালে বন্দীসমগ্র দুনিয়া ক্রমে নেটের জালে (ওয়েব) বন্দী হতে চলেছে। এখন মুঠোফোনে চলে এসেছে সমগ্র গ্ল্যামার দুনিয়া। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সৌজন্যে ট্রেনে, বাসে, চলতে চলতে দেখতে পাওয়া যায় সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ। তাই ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে গাঁটের কড়ি খরচ করার দিন ক্রমে ফুরিয়ে আসছে। এখন বিনোদন জগৎ আপনার মুঠোফোনে বন্দী। এই নতুন ডিজিটাল দুনিয়ার জনপ্রিয়তা ক্রমে বাড়ছে।প্রেম-ভাঙন২০১৮তে কিছু নতুন প্রেমের জন্ম হয়েছে, আবার কিছু প্রেমের ভাঙন হয়েছে। তবে এ বছর আলোচিত প্রেমগুলোর শীর্ষে আছে আলিয়া ভাট ও রণবীর কাপুরের প্রেম। ২০১৯–এ নাকি তাঁদের দুই হাত এক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খানের ডিভোর্স হয় ২০১৭ সালে। ডিভোর্সের পরপরই মালাইকা ও অর্জুন কাপুরের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়। ২০১৮–তে সেই গুঞ্জন সত্যি হয়ে সবার সামনে আসে। ২০১৯–এ এই জুটিও বিয়ে করতে পারেন। আরবাজের জীবনেও এসেছেন জর্জিয়া আন্দ্রিয়ানি। ২০১৮ সালে দীর্ঘ ২০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে যায় অর্জুন রামপাল ও মেহর জেসিয়ার। অর্জুনের জীবনে এসেছেন আফ্রিকান মডেল গ্যাব্রিয়েলা ডেমেট্রিএডস। ডিভোর্সের পর ফারহান আখতারের সঙ্গে শিবানি দান্ডেকরের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এদিকে হাঁটুর বয়সী এক মডেলের প্রেমে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী তথা সাবেক বিশ্ব সুন্দরী সুস্মিতা সেন। প্রেমিক রহমান স্যলকে নাকি বিয়ে করতে চলেছেন সুস্মিতা।ঘর বাঁধলেন যাঁরাগত বছরের মে মাসে অভিনেত্রী সোনম কাপুর বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আনন্দ আহুজাকে। এর পরপরই চুপিসারে বিয়ে সেরে ফেলেন অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া এবং অভিনেতা অঙ্গদ বেদী। দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং এক স্বপ্নের বিয়ে উপহার দেন বলিউডকে। ইতালির লেক কেমোর ভিলা ডেল বাল্বিনেলো প্যালেসে রাজকীয়ভাবে বিয়ে করেন বলিউডের এই রোমান্টিক জুটি। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বলিউড, তথা হলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও মার্কিন পপ তারকা নিক জোনাসের বিয়ে হয়। ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মেয়ে ঈশা বলিউড তারকা নন। তবে এই বিয়েতে প্রায় সমগ্র বলিউড শামিল হয়েছিল। এই মৌসুমে বিয়ে উৎসবের সমাপ্তি হয় কৌতুক অভিনেতা তথা সঞ্চালক কপিল শর্মার বিয়ে দিয়ে। তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা গিন্নিকে ঘটা করে বিয়ে করেন।নবীন এক ঝাঁক২০১৮ সালে হিন্দি ছবির দুনিয়ায় এক ঝাঁক নবাগত পা রাখলেন। সবার নজর ছিল শ্রীদেবীকন্যা জাহ্নবী এবং সাইফ-অমৃতার কন্যা সারার দিকে। জাহ্নবী অভিনীত ধড়ক ছবিটি বেশ ভালোই সাড়া পায়। সারা আলী খানের অভিষেক নিয়েও বলিউডে রীতিমতো সরগরম ছিল। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে সারার দুটি ছবি মুক্তি পায়। সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে জুটি বেঁধে তাঁর প্রথম ছবি কেদারনাথ মুক্তি পায়। ক্যারিয়ারের শুরুতে সবার মনে জায়গা করে নেন এই তারকা–কন্যা। এরপর রোহিত শেঠির সিম্বা ছবিতে তাঁকে রণবীরের সিংয়ের বিপরীতে দেখা যায়। প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা বিনোদ মেহেরার পুত্র রোহন মেহেরা বাজার ছবির মাধ্যমে বিটাউনে পা রাখলেন। খ্যাতনামা পরিচালক অনিল শর্মার পুত্র উৎকর্ষের অভিষেক ছবি জিনিয়াস। সালমান খানের ভগ্নিপতি আয়ুশ শর্মাও লাভ যাত্রী ছবির মাধ্যমে বলিউডে এলেন। এ ছাড়া বনিতা সান্ধু, মিথিলা পালকর, দুলকর সালমান, কৃতিকা কামরা, মৌনি রায়, ঈশান খত্তর, সুমিত ব্যস, আয়শা শর্মা, অবিনাশ তিওয়ারি, তৃপ্তি ডিমরি, শিখা তলসানিয়া, রাধিকা মদনসহ আরও অনেক নবাগতর অভিষেক হয়েছে এ বছরই।ছোট ছবি বড় ধামাকা২০১৮–তে অনেক বড় বাজেটের ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। আবার কম বাজেটের ছবি দারুণ ব্যবসা করেছে। রাজ কুমার রাও এবং শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত ভৌতিক কমেডি ছবি স্ত্রী বক্স অফিসে দুর্দান্ত সফলতা পায়। বাজিমাত করে আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত দুটি ছবি—অন্ধাধুন ও বাধাই হো। আয়ুষ্মান, টাবু ও রাধিকা আপ্তে অভিনীত থ্রিলার–নির্ভর ছবি অন্ধাধুন শুধু বক্স অফিস নয়, চিত্র সমালোচকদেরও মন জয় করে। এ বছরের সেরা ছবির শীর্ষে উঠে এসেছে শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত ছবিটি। আয়ুষ্মান অভিনীত বাধাই হো ছবিটি পায় আশাতীত সাফল্য। মাত্র ২৯ কোটি রুপিতে নির্মিত ছবিটি ব্যবসা করে ২২০ কোটি রুপি। আলিয়া ভাট অভিনীত রাজি ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সবার মন জয় করে। ৩০ কোটি বাজেটের ছবিটি প্রায় ২০০ কোটির ব্যবসা করে। বরুণ ধাওয়ান ও আনুশকা শর্মা অভিনীত সুই ধাগা, সোনু কি টিটু কি সুইটি, ১০২ নট আউট কম বাজেটের ছবি হয়েও ভালোই সাফল্য পেয়েছে। রানী মুখার্জি অভিনীত হিচকি ছবিটি শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও ছক্কা হাঁকিয়েছে। এ বছর সবচেয়ে বাজিমাত করেছেন রণবীর কাপুর। একাধিক ফ্লপের পর অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখেন তিনি। রাজ কুমার হিরানী পরিচালিত সঞ্জু ছবিটি তাঁকে রাতারাতি সুপারস্টার বানিয়ে দেয়।তিন খান—খানখানবলিউড সাম্রাজ্যকে রীতিমতো শাসন করে এসেছেন তিন খান। ২০১৮ সালে সালমান, আমির, শাহরুখ—এই তিন খানেরই বাজার বেশ মন্দা। সালমান খানের রেস থ্রি ছবি সবাইকে হতাশ করে। জঘন্য পরিচালনার জন্য অনেকে রেমো ডি’সুজাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখ দেখে আমির খানের থাগস অব হিন্দোস্থান। যশরাজ ব্যানারের ছবিটিতে আমির ছাড়াও ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। বছরের শেষে আরেকটি চূড়ান্ত ব্যর্থতা শাহরুখ খানের জিরো ছবিটি।টপচার্ট হলিউড ১. আকুয়াম্যান (জেসন মোমোয়া, অ্যাম্বার হার্ড, উইলেম ডেফো, নিকোল কিডম্যান) ২. ম্যারি পপিনস রিটার্নস (এমিলি ব্লান্ট, কলিন ফার্থ, মেরিল স্ট্রিপ) ৩. বাম্বলবি (হেইলি স্টেইনফেল্ড, জন সিনা) ৪. স্পাইডার–ম্যান ইনটু দ্য স্পাইডার-ভার্স (অ্যানিমেশন) ৫. দ্য মিউল (ব্র্যাডলি কুপার, মাইকেল পেনা, ডাইয়ানে উইস্ট) সূত্র: বক্সঅফিস মোজো সংগীত ১. থ্যাংক ইউ, নেক্সট (আরিয়ানা গ্রান্ডে) ২. উইদাউট মি (হ্যালসে) ৩. অল আই ওয়ান্ট ফর ক্রিসমাস ইজ ইউ (মারায়া ক্যারি) ৪. সিকো মোড (ট্রাভিস স্কট) ৫. সান ফ্লাওয়ার (পোস্ট ম্যালন ও সোয়ে লি) সূত্র: বিলবোর্ড (দ্য হট ১০০) বলিউড ১. সিম্বা (রণবীর সিং, সারা আলী খান, অজয় দেবগন) ২. জিরো (শাহরুখ খান, ক্যাটরিনা কাইফ, আনুশকা শর্মা) ৩. কেদারনাথ (সুশান্ত সিং রাজপুত, সারা আলী খান) ৪. থাগস অব হিন্দোস্থান (অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, ক্যাটরিনা কাইফ, ফাতিমা সানা শাইখ) ৫. ২.০ (রজনীকান্ত, অক্ষয় কুমার, অ্যামি জ্যাকসন) সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা | 385,824 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৩ এপ্রিল ২০১৪, ২৩:২৬ | ২৩ এপ্রিল ২০১৪, ২৩:২৭ | আরব বিশ্ব | 0 | ফাতাহ-হামাসের ঐকমত্যের সরকার হচ্ছে! | http://www.prothom-alo.com/international/article/199774 | ফিলিস্তিনে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার হচ্ছে। আজ বুধবার ভূখণ্ডের গাজা উপত্যকায় বিরোধী কয়েকটি পক্ষের এক বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।আল জাজিরার খবরে বলা হয়, পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যের সরকার গঠন করা হবে। ঘোষণা অনুযায়ী, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশনের (পিএলও) তত্ত্বাবধানে বিরোধী দুই পক্ষ ফাতাহ ও হামাস সরকার গঠন করবে।বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সরকার গঠনের পাশাপাশি ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হবে।বৈঠকে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলো বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, অতীতে বিভাজনের কারণেই জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হয়েছে।ঐকমত্যের সরকার গঠনে বহুপক্ষীয় চুক্তির ঘোষক হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেন, পুরো জেরুজালেম শহরের আরব পরিচয় মুছে ফেলা এবং মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের অপবিত্র করার ইহুদি প্রচেষ্টা রুখতে চুক্তিটি করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে ফাতাহর দূত আজ্জাম আল-আহমেদ বলেন, এ চুক্তির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ়করণে প্রকৃত মিত্রতা শুরু হবে। | 67,756 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৫, ০২:০৪ | ২৪ এপ্রিল ২০১৫, ০২:০৫ | নালিতাবাড়ী,শেরপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ভ্রাম্যমাণ বীজ পরীক্ষাগার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/511174 | মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ বীজ পরীক্ষাগারের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে স্থানীয় পাবলিক হল মিলনায়তনে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, পরীক্ষা ও ব্যবহারের ওপর ৩০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ৩০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভ্রাম্যমাণ বীজ পরীক্ষাগারের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফ ইকবাল জানান, পরীক্ষাগারে শেরপুর সদর, নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ও সংরক্ষিত বীজ বিনা মূল্যে পরীক্ষা করাতে পারবেন।নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি | 133,790 |
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৪৭ | ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১৫:১৫ | -1 | null | চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1555534 | ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় চোর সন্দেহে রিয়াদ (১৭) নামের এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উথুরি এলাকার টাওয়ার বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।নিহত রিয়াদের বাড়ি উপজেলার উথুরি গ্রামে। সে ঘাগড়া উথুরি পিছান উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম সাইদুর রহমান ওরফে শাহীন। তিনি সৌদি আরবপ্রবাসী।গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ খান ও স্থানীয় কয়েকজন জানান, আজ ভোর আনুমানিক পাঁচটার দিকে রিয়াদ টাওয়ার মোড় বাজারের আশরাফুল নামের একজনের দোকানের তালা ভাঙার চেষ্টা করছিল—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী তাকে আটক করেন। পরে একটি গাছের সঙ্গে পিটিয়ে হত্যা করেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মারধর করার সময় রিয়াদ বারবার প্রাণ ভিক্ষা চাইছিল। তবু আশরাফুল ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা তাকে মারধর করেই যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে রিয়াদের মৃত্যু হয়।ঘটনার পর থেকে আশরাফুল পলাতক। বাজারে তাঁর দোকানসহ বেশির ভাগ ব্যবসায়ী নিজেদের দোকান বন্ধ রেখেছেন। | 375,147 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:০৯ | ২৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:১৭ | -1 | 0 | আসল সমস্যা সুশাসনের | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1303496 | ঋণ বিতরণে জামানত নেওয়ার সময় ব্যাংকগুলোকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায়ে আদালতে গঠন করতে হবে আলাদা বেঞ্চ। সবকিছু ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোর সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কেননা, আসল সমস্যা সুশাসনের।‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের অবস্থা পর্যালোচনা: চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব অভিমত উঠে এসেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই কর্মশালার আয়োজন করে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান।খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির জন্য শুরুতে ব্যাংকারদেরই দায়ী করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, নিয়ম আছে ‘আপনার কাস্টমারকে জানুন’ (কেওয়াইসি) মেনে ঋণ দিতে হবে। বাস্তবে তা মানা হয় না। আসলে প্রত্যেক ব্যাংকারই চান, খেলাপি হয়ে গেলেই গ্রাহক কবজার মধ্যে চলে আসবেন। এই চর্চা পরিহার করা দরকার।অর্থমন্ত্রী এ-ও বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকে যেখানে ১০ থেকে ১১ শতাংশ খেলাপি ঋণ, আমার লজ্জা লাগে যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে এখনো তা ২৭ শতাংশ।’মূলধনের ঘাটতি পূরণে সরকারের টাকা দেওয়ার সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একটা ব্যাংক লাটে উঠলে তা হবে জাতীয় ক্ষতি। তাই করের টাকা দিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হয়। এখন থেকে প্রস্তাব থাকবে ভালোভাবে পরীক্ষা করে ঋণ দেওয়ার এবং সব ব্যাংক থেকে কেরানি শ্রেণির জনবল তুলে দিতে হবে।’অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছর ধরেই তিনি বলে আসছেন কিছু ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) হয়ে যেতে হবে এবং এটা হতেই হবে। আগামী বছরের মধ্যে এ ব্যাপারে আইনি কাঠামো তৈরি করবেন তিনি।অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান ব্যাংক খাতে দুর্নীতির চেয়েও অপচয় বেশি হয় বলে মনে করেন। ব্যাংকে স্থায়ী পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিরোধিতা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা উচিত না। তিনি আসবেন এবং চলে যাবেন, ব্যাংকে স্থায়ীভাবে বসবেন না।’অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, বেসিক ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা নিয়ে নিল ৭০ থেকে ৮০ জন লোক। ব্যাংকটিতে এমন একজন চেয়ারম্যান ছিলেন যে এজেন্ডাতেই ছিল না এমন প্রস্তাবেও ঋণ দেন তিনি। অন্য ব্যাংক থেকে চাকরি চলে যাওয়া কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়ে ঋণ দেওয়া হয়েছে।আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকে ডাকাতির চেয়েও বড় কিছু হয়েছে। ওই চেয়ারম্যানের দুর্নীতির প্রমাণসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিত্র উপস্থাপন করলেও সংস্থাটি আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অনুরোধ করেও দুদকের কাউকে আনতে পারিনি।’ ব্যাংক খাতের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার বলে মনে করেন আবদুর রাজ্জাক।আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সম্প্রতি একটি টক শোতে গিয়েছিলাম। একজন সাংবাদিক বললেন, ‘জানেন নাকি, একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ওই গ্রুপটি পাঁচ থেকে সাতটা ব্যাংকের মালিক। তাই যদি হয়, তাহলে জাতির কাছে কী বার্তা যায়?’বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির দাবি করেন, ব্যাংক খাত নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো বিরোধ নেই। তিনি বলেন, ঋণ বিতরণে কেওয়াইসি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে এবং সহায়ক জামানত নিতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী সরকারি কোষাগার থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে মূলধন দেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে বলেন, একটা ব্যাংক ব্যর্থ হলে গোটা ব্যাংক খাতে খারাপ বার্তা যাবে। চেয়ারম্যান-এমডিদের আত্মরক্ষাঅগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত বলেন, সরকারের জন্য কাজ করতে গিয়েও ব্যাকগুলোর অবস্থা খারাপ হচ্ছে। যেমন ঢাকায় মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক নির্মাণে অগ্রণী ব্যাংকসহ রাষ্ট্রমালিকানাধীন চার ব্যাংক ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে পুরো বিনিয়োগ নিয়ে আজ বিপাকে।মহাব্যবস্থাপক (জিএম) থেকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি), ডিএমডি থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) পদোন্নতি এবং এমডিদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধিতে বর্তমানে পারফরম্যান্স বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে জায়েদ বখত বলেন, এ, বি, সি—এ ধরনের শ্রেণি থাকলে এ ব্যাপারে উচ্চপর্যায়ের তদবির কমে আসত। ব্যাংকের পর্ষদ সদস্যদের কার্যক্রমও তদারক হওয়া দরকার বলে মনে করেন জায়েদ বখত।জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, টাকা আদায় না হওয়ার কারণ একই বিষয়ে এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে রিট হওয়া। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে চিঠি দিলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ বলেন, ‘আসল জায়গায় ধরুন। অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য দায়ী পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার শীর্ষ ব্যক্তিরা। বাজারে যাঁর বদনাম, তাঁকে এমডি নিয়োগ করবেন, এটা ঠিক না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানলাম-অনিয়মের আশ্রয় নিয়েই কেউ বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে কারখানা করল এবং সেখানে কয়েক হাজার লোক কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়ল। লোকটাকে ধরে জেলে পুরলে একদিকে ব্যাংকের টাকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যায়, অন্যদিকে বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটা।’রূপালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান বলেন, রূপালীসহ সব সরকারি ব্যাংককে সরকারেরও কাজ করতে হয়। সুতরাং সরকার এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। পর্ষদে পর্যবেক্ষক নিয়োগে বিদেশিদের কাছে খারাপ বার্তা যায়।অগ্রণী ব্যাংকের এমডি শামস্-উল-ইসলাম ব্যাংক খাতে অসম প্রতিযোগিতা হচ্ছে বলে দাবি করেন। বলেন, ‘দিনের পর দিন লালন করছি এমন গ্রাহকদের কম সুদে ঋণ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশি ব্যাংকগুলো।’ সাবেক সচিবেরা এক পক্ষআর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী (বর্তমানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএর চেয়ারম্যান) বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গঠনের সমালোচনায় দুই থেকে তিনজন লোক সব সময় সোচ্চার।আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস বলেন, বেসিক ব্যাংকের মতো একটি অনন্য ব্যাংক মাত্র একজন ব্যক্তির কারণে নষ্ট হয়ে গেল। অনেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিভাগের দ্বৈত শাসনের প্রশ্ন তোলেন, তা ঠিক নয়।বিভাগের আরেক সাবেক অতিরিক্ত সচিব অমলেন্দু মুখার্জিও ২০০৭ সালে ব্যাংকগুলোকে কোম্পানি করা ভুল হয়েছে; যে কারণে এত সমস্যা।বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, আসল সমস্যা সুশাসনের। এখানে হয়তো কেউ কথা বলবেন না। তবে জরিপ করলে বেশির ভাগ লোকই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলবেন।পুরো কর্মশালায় মন্ত্রী, সচিবদের কেউই ব্যাংকের পর্ষদ সদস্যদের যোগ্যতা, তাঁদের নিয়োগের প্রক্রিয়া ও দায়-দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেননি। | 335,314 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২১ এপ্রিল ২০১৪, ২১:১০ | ২১ এপ্রিল ২০১৪, ২১:১৮ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | পাকিস্তান দলের নতুন ম্যানেজার মঈন খান | http://www.prothom-alo.com/sports/article/198018 | ইকবাল কাসিম চুক্তি নবায়ন না করায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচকের পদটি ১০ মাস ধরে শূন্য। অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচক কমিটি এত দিন দায়িত্ব চালিয়ে আসছিল। নির্দিষ্ট মেয়াদে দায়িত্ব পালনের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধান নির্বাচক হিসেবে রশিদ লতিফের নাম ঘোষণা করে পিসিবি। তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পিসিবির প্রস্তাবে রাজি হলেও গত সপ্তাহে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন তিনি। আজ সোমবার প্রধান নির্বাচক হিসেবে মঈন খানের নাম ঘোষণা করেছে পিসিবি।সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছেন মঈন। পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক কেবল প্রধান নির্বাচক হিসেবে নন, একই সঙ্গে দলের ম্যানেজার পদেও নিয়োগ পেয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তান-কিংবদন্তি জহির আব্বাসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পাকিস্তান দলের ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়েবসাইট। | 67,247 |
নাদিয়া নাহরিন | life-style | জীবনযাপন | ০৪ জুলাই ২০১৭, ০০:১৩ | ০৪ জুলাই ২০১৭, ০০:১৩ | জেনে নিন,নকশা | 0 | ঘন ভ্রুয়ে জাদু | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1237166 | চলতি ধারায় মোটা, ঘন ভ্রুয়ের জয়জয়কার। ইচ্ছামতো এঁকেও নেওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে প্রায়ই দেখা যায়, দেশ-বিদেশের নায়িকারাও সাজার সময় ভ্রু জোড়াকে একটু মোটা করেই এঁকে নিচ্ছেন। তবে পাতলা ভ্রুকে চর্চার মাধ্যমে কিছুটা মোটা করতে পারবেন—জানালেন বিশেষজ্ঞরা।ভ্রু ঘন করতেরেড বিউটি পারলার অ্যান্ড স্যালনের রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, যাঁদের ভ্রু ঘন, তাঁরা সহজেই আই পেনসিল দিয়ে এঁকে নিতে পারেন। কিন্তু অনেকেরই ভ্রু পাতলা, চিকন আকৃতির হয়ে থাকে। বারবার প্লাক করার ফলে এ সমস্যা দেখা দেয়। এতে ভ্রুয়ের আকৃতিও নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত চিকন ভ্রু আই পেনসিল দিয়ে আঁকতে গেলেও খুব একটা ভালো দেখায় না। তাই ভ্রু ঘন করার জন্য মেনে চলতে পারেন বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায়।বিভিন্ন ধরনের তেলজলপাই, ক্যাস্টর, বাদাম এবং নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ভ্রুতে মালিশ করতে পারেন। এই প্রতিটি তেলেই রয়েছে ভিটামিন ই, যা ময়েশ্চারের কাজ করবে। এমনকি শুধু ক্যাস্টর অয়েল ভ্রুতে মালিশ করলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এমনিতেই সেটি ঘন হয়ে উঠবে। চাইলে চোখের পাপড়িতেও লাগাতে পারেন এই তেল। প্রতি রাতে কটন বাডে অল্প তেল নিয়ে লাগিয়ে রাখুন। সকালে উঠেই ধুয়ে ফেলুন।মেহেদি গুঁড়াএ ছাড়া বাজারে যে মেহেদি পেস্ট পাওয়া যায়, সেটিও দিতে পারেন। তবে এটি একবার ব্যবহার না করে দু-তিনবার ব্যবহার করুন। কেননা এতে ভ্রুতে গাঢ় রং আসবে।কৃত্রিম উপায়ে ঘন ভ্রু* কাজল বা মাসকারা দিয়ে ভ্রু আঁকা ছাড়াও বাজারে আইব্রো ফিলার পাওয়া যায়। এটি একধরনের কাজল বা আই পেনসিলের মতোই। ভ্রুয়ের প্রকৃত রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফিলারে বেছে নিন। ফিলার কীট ছাড়াও ছোট ব্রাশে একটু গাড় রঙের কালার শেড নিয়ে ভ্রুতে লাগতে পারেন।* গাঢ় শেডের ডাস্ট পাউডার দিয়েও ভ্রু এঁকে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে গাঢ় বাদামি কিংবা কালো রংই ভালো মানায়। বাজারে শুধু আইব্রো আঁকার মেকআপ কীট পাওয়া যায়।* ভ্রু জোড়া আঁকার ক্ষেত্রে শুরুটা করুন একদিক থেকে। যাদের ভ্রু অতিরিক্ত পাতলা, তারা প্রথমেই নির্দিষ্ট আকারে ভ্রু হালকা করে এঁকে নিতে পারেন। এরপর ডাস্ট পাউডার কিংবা আইপেনসিল দিয়ে পুরো স্থানটা ভরাট করে ফেলুন। সব শেষে কটন বাড দিয়ে ভ্রুয়ের চারপাশ একটু মুছে নিন, যাতে কালো রং ছড়িয়ে না যায়।ভ্যাসলিনের ব্যবহারঅনেকেরই ত্বক অনেক তৈলাক্ত হয়ে থাকে। তারা চাইলে তেলের পরিবর্তে সামান্য ভ্যাসলিনও ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এটি ময়েশ্চারের পাশাপাশি কন্ডিশনারের কাজ করে। এ ক্ষেত্রে দিনে দুই থেকে তিনবার আঙুলের ডগায় ভ্যাসলিন নিয়ে ভ্রু মালিশ করে নিন। বিশেষ করে যেদিকে ভ্রু অতিরিক্ত পাতলা, সেখানে ভালো করে মালিশ করুন।কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখুন* বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, অনেক সময় ভ্রুয়ের ত্বকে ঘাম, মৃত কোষ জমে যায়। অনেকের আবার ভ্রুয়ের কাছাকাছি ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে নতুন ভ্রু গজাতে পারে না। সে ক্ষেত্রে নরম টুথব্রাশ পানিতে ভিজিয়ে ভ্রু জোড়া আঁচড়ে নিতে পারেন। ফলে মৃত কোষ সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।* ভ্রু সম্পূর্ণ গজানো ছাড়া প্লাক না করাই ভালো। অন্তত মাসে একবার ভ্রু প্লাক করার পরামর্শ দেন শারমিন কচি। তিনি জানান, এতে ভ্রুয়ের আকৃতি নষ্ট হয় না। অবশ্য অনেকের ভ্রু দ্রুত গজিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ঘরে বসে চিমটা দিয়ে নিজেই কিছুটা প্লাক করে রাখতে পারেন। পরবর্তীকালে সম্পূর্ণ ভ্রু গজালে পারলারে প্লাক করে নিন।* ভ্রু প্লাক করার সময়ে নিজ চেহারার আকৃতি, ভ্রুয়ের ঘনত্ব লক্ষ রাখুন। অনেকেই ভি আকৃতির ভ্রু রাখেন। আবার অনেকেই সেমি-সার্কেল আকারে। কেউ আবার ভ্রুর মাঝখানের অংশটুকু রেখে দেন। নিজেই লক্ষ করুন আপনাকে কোন আকৃতিতে বেশি মানাচ্ছে। তবে ভ্রুয়ের ক্ষেত্রে নিজের প্রকৃত আকৃতিটাই রাখার পরামর্শ দেন শারমিন কচি। কেননা এতে ভ্রুর একটা নির্দিষ্ট আকৃতি বজায় থাকে।* প্লাক করার পর অনেকেরই অ্যালার্জি, র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। সেসব স্থানে বরফের টুকরো লাগাতে পারেন। প্লাক করার সুতা অবশ্যই পরিষ্কার হতে হবে। নয়তো সুতায় জমে থাকা ধুলোবালি থেকেই এই র্যাশ এবং অ্যালার্জি হতে পারে।* অনেক সময় মাথার ত্বকে অতিরিক্ত খুশকি কিংবা ফাঙ্গাস থেকেও ভ্রু কমে যায়। এমনকি ভ্রু এবং চোখের পাপড়িতেও খুশকি জন্মাতে পারে। এ ধরনের চর্মরোগকে সাধারণত অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়েটা বলা হয়। এ জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।* প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি বা তরলজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় জিংক ও ক্যালসিয়ামও রাখা চাই।দুধ এবং সামান্য লেবুতুলোর ছোট বল দুধে ডুবিয়ে সেটি ভ্রুতে লাগান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এরপর লেবুর রস মালিশ করে আবারও ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।দরদামআইব্রো আঁকার ফিলার, মাসকারা, শেড কিংবা কেক, ডাস্ট পাউডার আপনি যেকোনো মার্কেটেই পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আই পেনসিলের দামটাও পড়বে বিভিন্ন। ১০০ থেকে ১৪৫০ এর মধ্যে বিভিন্ন রঙের আইব্রো শেড কিনে নিতে পারেন। | 324,171 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ এপ্রিল ২০১৪, ১০:১৬ | ১৪ এপ্রিল ২০১৪, ১৫:৫৪ | রাজনীতি | null | ‘খালেদা জিয়ার বাঙালিয়ানা পনেরো আনাই মিছে’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/192805 | ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার বাঙালিয়ানা পনেরো আনাই মিছে। তিনি যে জঙ্গিবাদী ধ্বংসাত্মক কাজ করেছেন, ইতিহাস বিকৃতি করেছেন, এ জন্য তাঁকে বাংলাদেশের রাজনীতি করা তো দূরের কথা, এ দেশে থাকতে দেওয়াই উচিত না।’আজ সোমবার রাজধানীর ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় ১৪২১ বাংলা নববর্ষ উদযাপন শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী এ কথা বলেন।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ শান্তিতে থাকে, স্বস্তিতে বর্ষবরণ উদযাপন করে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলেই বোমা হামলা, জঙ্গিবাদের উত্পত্তি ঘটে। বাংলাদেশ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষের মুখে এখন হাসি। এ জন্য পাঁচ বছর পর পর আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে মানুষ।সমাবেশ শেষে নববর্ষ উদযাপন শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অসীম কুমার উকিল, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দীসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। | 65,749 |
প্রতিনিধি, পিরোজপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৫৬ | ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪২ | আইন ও বিচার,কাউখালী (পিরোজপুর),বরিশাল বিভাগ,পিরোজপুর,খুন,মৃত্যুদণ্ড | 0 | কাউখালীতে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1589158 | পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কচুয়াকাঠি গ্রামের মো. খসরু হাওলাদার (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে প্রতিবেশী লিমন হোসেন শেখ (৩৫) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নান এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত লিমন হোসেন শেখ উপজেলার কচুয়াকাঠি গ্রামের রুহুল শেখের ছেলে।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে লিমন প্রতিবেশী মো. খসরু হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে রাতুলকে পুকুরে নামিয়ে ক্রিকেটের বল তুলে এনেছিলেন। এতে রাতুলের শরীর ভিজে যায়। ভাইয়ের ছেলেকে পুকুরে নামানোর কারণে খসরু হাওলাদার বাড়ির উঠানে ক্রিকেট খেলতে থাকা কয়েকজনকে উঠানে খেলতে নিষেধ করেন। এ সময় ক্রিকেট খেলা নিয়ে লিমনের সঙ্গে খসরুর বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লিমন দৌড়ে গিয়ে একটি চাকু নিয়ে এসে খসরুর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় খসরুর স্ত্রী হামিদা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা বাধা দিয়েছিলেন। তবে লিমন সবাইকে লাঠি দিয়ে মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে খসরুকে আরও দুবার ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। খসরুকে গুরুতর অবস্থায় পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরদিন খসরুর ছোট ভাই রিপন হাওলাদার লিমনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে কাউখালী থানা-পুলিশ তদন্ত করে। পরে আদালত তদন্তভার মামলার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেন। ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিআইবির পিরোজপুরের উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারেফ হোসেন লিমনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামির উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এম ডি আউয়াল প্রথম আলোকে জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। | 398,168 |
ডা. মুনতাসীর মারুফ | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১০ জুলাই ২০১৪, ০০:০১ | ১০ জুলাই ২০১৪, ০১:০২ | জীবনধারা,গবেষণা | 0 | স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দরকার আত্মবিশ্বাস | http://www.prothom-alo.com/technology/article/263347 | অতীতের মেসি-নেইমারের গোলের বৃত্তান্ত চাইলেই গড় গড় করে বলে দিতে পারেন, ছোটবেলায় পড়া গল্প-কবিতাও মনে আছে হুবহু। কিন্তু কাল রাতে পাঠ্যবইয়ে যা পড়েছেন, তা ভুলে যান রাত না পেরোতেই। পরীক্ষার পড়া মুখস্থ করতে গিয়ে একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা। অথচ স্মৃতিশক্তি তো আপনার এত খারাপ নয়। এ সমস্যা কার না আছে?চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, আসলে আপনি যে পড়াটি বা কাজটি পছন্দ করেন না বা অবচেতনে মনে রাখতে চান না, কিংবা যা আপনি মনে রাখতে পারবেন না বলে আগে থেকেই ধরে রেখেছেন, সেগুলো মনে রাখা আসলেই কঠিন। কিন্তু এ সমস্যা থেকে কি উত্তরণের উপায় নেই?-আপনি যে বিষয়টি পড়ছেন, তার প্রতি আগে নিজের আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে যে আপনি পারবেন। এই প্রাথমিক ইতিবাচক চিন্তাই আপনার মনোযোগ বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে।-স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কিছু কৌশল রয়েছে। যেমন: ছোটবেলায় রংধনুর সাতটি রঙের নাম মনে রাখতে গিয়ে কেউ ‘বেনীআসহকলা’ শব্দটি শিখিয়ে দিয়েছিল। অন্যান্য পড়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা অনুযায়ী শব্দ বা ‘কি ওয়ার্ড’ তৈরি করুন এবং তা মনে রাখার চেষ্টা করুন। সেই সূত্র ধরে পুরো পড়াটি মনে পড়বে।-পড়া মনে রাখার একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি হচ্ছে ‘এসকিউ৩আর’ (SQ3R) পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কোনো অধ্যায় পড়ার আগে পৃষ্ঠাগুলোয় একবার নজর বুলিয়ে নিতে হবে। এর পর সেই অধ্যায় থেকে আপনি কী পড়তে বা শিখতে পারেন বা কি শিখবেন বলে আশা করেন, তা প্রশ্নের আকারে নিজের মনে বা খাতায় সাজিয়ে নিন।-কোনো বিষয় শুধু টানা মুখস্থ না করে বিষয়টি বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন।-একবার মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর বই বন্ধ রেখে আবার মনে মনে ঝালাই করে নিন। মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা | 76,667 |
প্রতিনিধি, শেরপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ জুন ২০১৮, ১৯:০৬ | ২৫ জুন ২০১৮, ১৯:০৯ | আইন ও বিচার | null | শেরপুরে জেএমবির ছয় সদস্যের কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1517851 | শেরপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জেএমবির ছয় সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ) এম এ নূর আজ সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শেরপুর শহরের ঢাকলহাটী এলাকার নাজমুস শাহাদাত (২৮), শেরীপাড়া এলাকার মনিরুজ্জামান মানিক (২৮), নওহাটা এলাকার মারুফ হোসেন (৩১), নারায়ণপুর এলাকার তানভীর (৩২), মো. সোয়েব (৩৩) ও সিরাজগঞ্জের আমির হামজা (৩২)। এঁদের মধ্যে নাজমুস শাহাদাতকে সাড়ে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকিদের দেওয়া হয়েছে সাড়ে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে তাঁদের আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি অরুণ কুমার সিংহ রায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।রায় ঘোষণার সময় আমির হামজা ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২২ জানুয়ারি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে বৈঠক করছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা শেরপুর শহরের ঢাকলহাটী এলাকায় নাজমুস শাহাদাতের বাসায় অভিযান চালান। এ সময় নাজমুস ও তাঁর সহযোগী মনিরুজ্জামানকে আটক করা হয়। নাজমুস নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য বলে পুলিশের দাবি। ওই সময় তাঁর বাসা থেকে ১৭টি জিহাদি দাওয়াতপত্র ও বেশ কিছু সিডি-ক্যাসেটসহ নিষিদ্ধ সংগঠনের আলামত উদ্ধার হয়েছিল বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানার তৎকালীন উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) মো. সজীব খান বাদী হয়ে নাজমুস শাহাদাত, মনিরুজ্জামানসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ২০১০ সালের ১৪ মার্চ এই সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচার চলাকালে অভিযুক্ত আরেক আসামি আবুল কালাম আজাদ মারা যান।ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি অরুণ কুমার সিংহ রাষ্ট্রপক্ষে এবং এম কে মোরাদুজ্জামান আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন। পিপি অরুণ কুমার সিংহ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরাদুজ্জামান রায়ের পর বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। | 368,270 |
নাটোর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ অক্টোবর ২০১৩, ০১:০৬ | ০৪ অক্টোবর ২০১৩, ০১:০৭ | নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | খেলার মাঠ দখল করে ভাড়া-‘বাণিজ্য’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/52755 | নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌর এলাকার মৌখাড়া হাটসংলগ্ন সরকারি খেলার মাঠ দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি ওই প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালনা পর্ষদ। তাঁরা খেলার মাঠের বাকি অংশ ও শ্রেণীকক্ষ ভাড়া দিয়ে আয়ও করছে।নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সাংসদ ও মৌখাড়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস ভাড়া-বাণিজ্যের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি এখানে হাট বসানো ও ঘর ভাড়া দেওয়ার বিপক্ষে। যাঁরা এর সুবিধা ভোগ করছেন, তাঁরা সবাই স্থানীয় প্রভাবশালী। আমার পক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না।’স্থানীয় ভূমি কার্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মৌখাড়া বাজারসংলগ্ন ২১৮ শতক জমি হাল খতিয়ানে খেলার মাঠ হিসেবে প্রকাশিত আছে। কয়েক যুগ ধরে এলাকার তরুণেরা এখানে খেলাধুলা করে আসছে। খেলার মাঠ কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একাধিক ক্লাব ও সংঘ। মাঠের পূর্ব পাশের জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে মৌখাড়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা। আর পশ্চিম পাশের জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে মৌখাড়া উচ্চবিদ্যালয়। সরকারি কাগজপত্রে এখানে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমি নেই। সর্বশেষ গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) নাটোর-৪ আসনের সাংসদ আবদুল কুদ্দুস ওই মাঠে মাদ্রাসার জন্য আরও একটি ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে ওই মাঠে ঢুকতেই দেখা গেল, হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার জমায়েত। সকাল আটটা নাগাদ মাঠটি অজস্র ভটভটি, নছিমন, করিমন, ট্রাক আর মানুষে ভরে ওঠে। বিক্রির জন্য রসুন, পেঁয়াজসহ নানা ফসল এবং বাঁশ ও বাঁশের দিয়ে তৈরি নানা পণ্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে। মাঠ ছাড়াও এসব পণ্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে মাদ্রাসা ও বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ ও বারান্দায়। বারান্দায় শিক্ষকদের টেবিল-চেয়ার নিয়ে হিসাব কষছেন আড়তদারেরা। দুপুর গড়াতেই শুরু হয়ে যায় বিক্রীত মালামাল যানবাহনে সাজানোর কাজ। রাত অবধি শতাধিক যানবাহন এসব মাল নিয়ে মাঠ ছাড়ে। যানবাহনের দাপাদাপিতে ইতিমধ্যে মাঠের অধিকাংশ জায়গা খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।মাদ্রাসার ভাড়াটে ঈমান আলী বলেন, ‘বছরে ১৪ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে মাদ্রাসার একটি টিনশেড ঘর নিয়েছি। আমার মতো অন্তত ২০ জন ভাড়া নিয়েছেন।’মৌখাড়া বাজারের ইজারাদারের প্রতিনিধি আবদুস সোবহান বলেন, ‘জায়গার অভাবে ব্যবসায়ীরা খেলার মাঠে দোকান বসান। এ জন্য আমরা মাদ্রাসা ও হাইস্কুলকে প্রতিবছর ১৫ হাজার টাকা করে দিই।’ মৌখাড়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমজাদ হুসাইন বছরে ১০ হাজার টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেন, এই টাকা দিয়ে মাদ্রাসার বেঞ্চ বানানো হয়। মাদ্রাসার নিজস্ব জমি না থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এলাকার মুরব্বিরা এখানে মাদ্রাসা করেছেন। আমরা ধারাবাহিকতা রক্ষা করছি। ভাড়া বাবদ যা পাওয়া যায়, তা দিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়ন করে থাকি।’বিদ্যালয়পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আজাহার ফকির বলেন, ‘আমরা কোনো ঘর ভাড়া দিই না। হাট কমিটি ইচ্ছা করে যা দেয়, তা উন্নয়নকাজে লাগানো হয়।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, মাঠটি সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত। সরকারের অনুমতি না নিয়ে কেউ এখানে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে পারেন না বা ভাড়াও দিতে পারেন না। বিষয়টি আগে প্রশাসনের নজরে আসেনি। এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 21,689 |
এএফপি | international | আন্তর্জাতিক | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:১৩ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:১৫ | যুক্তরাষ্ট্র | null | ইহুদি বসতির পক্ষের ফ্রাইডম্যান ইসরায়েলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত | http://www.prothom-alo.com/international/article/1041081 | যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার ডেভিড ফ্রাইডম্যানকে ইসরায়েলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদে মনোনীত করেছেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযানের পরামর্শক ফ্রাইডম্যান ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী।ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ৫৭ বছর বয়সী ফ্রাইডম্যানকে ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ঘোষণা দেয়। দেউলিয়া আইনের বিশেষজ্ঞ ফ্রাইডম্যান অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণেরও পক্ষপাতী।নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেলে তিনি ইসরায়েলের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেবেন। | 275,009 |
প্রতিনিধি, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:৩৩ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:৩৭ | রাজনীতি,হামলা | 0 | যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1432191 | ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটি ও নবগঠিত কমিটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পথচারীসহ অন্তত ২৫ জন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এ সময় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।স্থানীয় লোকজন ও দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা যুবলীগের নবগঠিত কমিটির নেতাদের সংবর্ধনা দিতে গত ২৮ জানুয়ারি শহরের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধের সামনে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। কিন্তু নবগঠিত কমিটিকে মেনে নিতে না পেরে যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির সমর্থকেরা ওই সমাবেশ মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ নিয়ে সপ্তাহজুড়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। ওই ঘটনার ১৮ দিন পর নতুন কমিটির মিছিল আয়োজন করার খবরে আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনটির বিলুপ্ত কমিটির নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র ও হেলমেট মাথায় রণসাজে সজ্জিত হয়ে মুখোমুখি হয়। এ সময় শহরে কেনাকাটার জন্য আসা লোকজন ও পথচারীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন। ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরে আগে থেকে প্রস্তুত পুলিশের দল কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে দুই পক্ষকে পৃথক স্থানে আটকে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সংঘর্ষ শুরু হলে একপর্যায়ে পুলিশ পাশে গিয়ে আশ্রয় নেয়। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মুখে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের ওপর দিয়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ কারণে ওই মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনার পর ময়মনসিংহ থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসে বিকেল পাঁচটায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এস এ নেওয়াজের নেতৃত্বে পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য শহরের মুক্তিযোদ্ধা মোড়ে অবস্থান করছিল। এদিকে যুবলীগের নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সালাম অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা তাঁর বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। অন্যদিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানের সরকারি বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই বাসায় রাখা আট-দশটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ বিষয়ে নবগঠিত যুবলীগের আহ্বায়ক মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘আমরা বিএনপি নেত্রীর সব দুর্নীতির বিচারের দাবি জানিয়ে শহরে মিছিল বের করি। ওই মিছিলে বিলুপ্ত যুবলীগের নেতারা হামলা করেন। পরে আমাদের প্রতিরোধের মুখে তাঁরা পালিয়ে যান।’অন্যদিকে বিলুপ্ত যুবলীগ কমিটির আহ্বায়ক মো. মতিউর রহমান যুবলীগের নবগঠিত কমিটির নেতাদের বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী বলে আখ্যা দেন। তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীরা নবগঠিত কমিটিকে সব সময় প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দেন।ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম খান বলেন, ১২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। | 355,033 |
জাহাঙ্গীর শাহ, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৫৬ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:১৫ | নির্বাচন,সরকার,একাদশ সংসদ নির্বাচন,আওয়ামী লীগ | null | ভোট টানতে প্রকল্প পাসের ‘উৎসব’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1561039 | *শেষ সময়ে ঘন ঘন একনেক সভা ডেকে প্রকল্প পাস করা হচ্ছে* ৩ মাসে পাস হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকার ১২৬ প্রকল্প*ভোটার আকৃষ্ট করতে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছেবর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে ভোটার আকৃষ্ট করতে প্রকল্প পাসের উৎসব শুরু হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই ১২৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়ে গেছে। এই তালিকায় রাস্তাঘাট, সেতুসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরির প্রকল্পই বেশি। আর প্রায় শতভাগই নতুন প্রকল্প। তবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) এসব প্রকল্পে কোনো বরাদ্দ নেই। এখন অন্য প্রকল্প থেকে টাকা এনে এসব নতুন প্রকল্পে বরাদ্দ দিতে হবে। মূলত ভোটারদের আকৃষ্ট করতেই রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।আবার সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনও বেড়ে গেছে। এমনকি গুচ্ছ প্রকল্পের আওতায় এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট রাস্তাঘাট, সেতু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করে চলেছেন অনেক মন্ত্রী, সাংসদ, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।শেষ মুহূর্তে প্রকল্প পাসের জন্য তাড়াহুড়ো করে ঘন ঘন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা হচ্ছে। প্রতিটি একনেকে ১০ থেকে ২০টি প্রকল্প পাস হচ্ছে। সাধারণত মঙ্গলবার একনেক সভা হয়। চলতি সপ্তাহেই অনেকটা নজিরবিহীনভাবে দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার একনেকে ২০টি প্রকল্প পাস হয়েছে। দুই দিনের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার একনেকের সভা করে আরও ১৭টি প্রকল্প পাস করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২৬টি প্রকল্প একনেক সভার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তা পাস করতে অন্তত দুটি একনেক সভা করতে হবে।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের গত আগস্ট মাসে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সব মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই সভায় এই সরকারের মেয়াদ থাকতেই প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে দ্রুত প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানোর বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প প্রস্তাব আসতে থাকে। আবার প্রকল্প পাসের পাশাপাশি মন্ত্রী-সাংসদেরাও নিজেদের এলাকায় শিক্ষা- প্রতিষ্ঠান, সড়ক, মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় অবকাঠামোর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করে চলেছেন। অনেকে নিজেদের ফেসবুক পেজে এসব প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনের ছবি পোস্ট করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। যদিও এসব প্রকল্পের অনেকগুলোতেই কোনো বরাদ্দ নেই।শেষ সময়ে প্রকল্প পাসের হিড়িক সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার জন্য এসব প্রকল্প পাস করা হচ্ছে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, প্রকল্প পাস হলেই ভোটাররা সন্তুষ্ট। নিজের এলাকা সড়ক, স্কুল-কলেজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন হলেই তাঁরা খুশি। উদ্বোধনের পর কখন এসব প্রকল্প শেষ হবে, তা নিয়ে ভোটার ও রাজনৈতিক নেতাদের তেমন মাথাব্যথা থাকে না।মির্জ্জা আজিজের মতে, এসব প্রকল্পে এডিপি থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না। হয়তো প্রথম বছর পাঁচ কোটি টাকা লাগবে, দেওয়া হবে পাঁচ লাখ টাকা। এই পাঁচ লাখ টাকা খরচ করেই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। এতে সময়মতো প্রকল্প শেষ হবে না, খরচও বাড়বে। মূলত ভোটার আকৃষ্ট করতেই এসব প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পপরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাস থেকে গতকাল পর্যন্ত ১০টি একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব একনেক সভায় পাস হওয়া ১২৬টি প্রকল্পে মোট খরচ হবে ১ লাখ ১২ হাজার ১১২ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৪০টি রাস্তাঘাট, সেতু, সুপেয় পানি, পয়োনিষ্কাশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প। এর বাইরে স্কুল, মাদ্রাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রকল্পও আছে।সর্বশেষ গত এক মাসেই পাঁচ একনেকে ৮৩টি প্রকল্প পাস করা হয়। আর গত এক সপ্তাহে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার ৩৭টি প্রকল্প পাস করেছেন নীতিনির্ধারকেরা।নির্বাচনের আগে এত প্রকল্প অনুমোদন কেন দেওয়া হচ্ছে—গতকাল বৃহস্পতিবার একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এর ব্যাখ্যা দেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিপুল বিনিয়োগ দরকার। সাধারণত নির্বাচনের বছরে প্রবৃদ্ধি কমতি থাকে। নির্বাচনের সময়ে বেসরকারি বিনিয়োগ শ্লথ থাকে। তাই বর্তমান প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। তিনি আরও জানান, তফসিল ঘোষণার পরও নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে প্রকল্প পাস করা যায়। তবে নির্বাচনী আইনে যতটুকু ক্ষমতা দেওয়া হবে, ততটুকুই প্রয়োগ করা হবে।কেমন প্রকল্পপরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জনতুষ্টিতে গত তিন মাসে নানা ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাংসদেরা নিজের এলাকায় পছন্দমতো জায়গায় মাদ্রাসা তৈরি করবেন। আবার শহরের বস্তিবাসীরা পাবেন ফ্ল্যাট। এ ছাড়া সারা দেশের ১৮০টি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়ক মেরামতের বিশেষ প্রকল্পও রয়েছে।গত ১১ সেপ্টেম্বর সাংসদদের জন্য ২ হাজার মাদ্রাসা নির্মাণে ৫ হাজার ৯১৯ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়। বর্তমান সাংসদদের ইচ্ছায় তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় কমপক্ষে ছয়টি করে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পে আরও ২০০টি ভবন নির্মাণের টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কোনো সাংসদের যদি আরও মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের প্রয়োজন পড়ে, তাঁকে ওই বাড়তি বরাদ্দ থেকে টাকা দেওয়া হবে। এর আগেও স্কুল ভবন, মসজিদ, মন্দির নির্মাণে আলাদা প্রকল্প পেয়েছেন সাংসদেরা। এ ছাড়া ৯ বছর ধরে নিজের এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য তাঁরা প্রতিবছর ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে আসছেন।সারা দেশের ১৮০টি উপজেলার রাস্তা মেরামতের জন্য ৯ অক্টোবর আরেকটি প্রকল্প পাস করা হয়। এতে ২ হাজার ২১০ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ৪৯৫ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর বাইরেও জেলাওয়ারি পল্লী অবকাঠামোর বেশ কয়েকটি প্রকল্প আছে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমেও রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হবে।শহর এলাকার বস্তিবাসীদের জন্য দুই রুমের ৫ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এতে খরচ হবে ৮২৬ কোটি টাকা। ১১ সিটি করপোরেশন ও ২৪টি পৌরসভা এলাকায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সিটি করপোরেশনগুলো হলো ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর। পৌরসভাগুলো হলো সাভার, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কালিয়াকৈর, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা, শাহজাদপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, মাগুরা, নোয়াপাড়া, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ভোলা, ময়মনসিংহ ও জামালপুর।চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ৪৫২টি প্রকল্পে এই টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখন একনেকে যেসব নতুন প্রকল্প পাস হচ্ছে, সেই প্রকল্পে বরাদ্দ দিতে হবে। এডিপিতে বরাদ্দহীন ও অননুমোদিত প্রকল্প আছে ১ হাজার ৩৩৮টি। | 379,406 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০৫ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:০৬ | রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,মহানগর,অপরাধ | 0 | হলে পুলিশের তল্লাশি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/426286 | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ হবিবুর রহমান হলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় সাত শিক্ষার্থীকে আটক করা হলেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হস্তক্ষেপে পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তল্লাশির সময় দুই হল থেকে অনাবাসিক সাত শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই ছাত্রলীগের কর্মী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা পুলিশের কাছ থেকে তাঁদের ছাড়িয়ে নেন। নগরের মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, কাল রোববার অনুষ্ঠেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ওই দুটি হলে তল্লাশি চালানো হয়।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | 107,421 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:২৯ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:৫৩ | রাজনীতি,বিএনপি,পুলিশ | null | উন্মুক্ত স্থানে বিএনপির সমাবেশে ডিএমপির ‘না’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1401391 | বিএনপিকে উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে রাজি হয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে ডিএমপির পক্ষ থেকে তাদের এ কথা জানা হয়েছে।বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি) প্রথম আলোকে বলেন, ডিএমপি উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে রাজি হয়নি। খোলা মাঠের পরিবর্তে আবদ্ধ কোথাও (ইনডোরে) অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলেছে। তিনি বলেন, দলের চাওয়া ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কিন্তু সেটি একটি অপরিচিত সংগঠনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে নয়াপল্টনে সমাবেশের কথা বলা হলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি।এখন তাঁরা কী করবেন, জানতে চাইলে এ্যানি বলেন, কাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানানো হবে।৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে কথা বলতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে ডিএমপি কার্যালয়ে কথা বলেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুস সালাম এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন।২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দিনটি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এ ছাড়া এবারের ৫ জানুয়ারি উপলক্ষে বিএনপি সারা দেশে কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছে।এর আগেও বিএনপির পক্ষ থেকে ৫ জানুয়ারি উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হলে ডিএমপি তাতে অনুমোদন দেয়নি। পরে ২০১৬ সালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে দলটি। সম্প্রতি বিভিন্ন কর্মসূচি সফলভাবে পালন করার পর বিএনপি মনে করে, সরকার বিএনপির স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না।এ ব্যাপারে জানাতে চাইতে চাইলে ডিএমপি উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এখনো বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নই। এ ব্যাপারে তিনি পরে বলতে পারবেন। | 350,219 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:২৯ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৩০ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/723169 | ‘যুক্তির আলোয় মুক্তি আসুক, সাজুক তেপান্তর’ স্লোগানে শুরু হওয়া ১২তম প্রথম আলো-আইডিসি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হলো গতকাল শনিবার। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিতর্ক দল ও শ্রেষ্ঠ বিতার্কিককে পুরস্কৃত করা হয়। আইডিয়াল স্কুল ডিবেটিং ক্লাবের আয়োজনে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রথম আলো। সহযোগিতা করছে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড।চূড়ান্ত পর্বে কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা কলেজের দল আর এন এ ও রানারআপ হয় নটর ডেম কলেজের দল এন ডি সি সি ব্লু। স্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের ডিসিএল ৪ ও রানারআপ হয় সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুলের জি ডি সি হোবার্ট। স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিতার্কিকের পুরস্কার জেতে গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের (ডিসিএল) মুস্তাকিম মইজ।বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল আন্তস্কুল বাংলা বিতর্ক, আন্তস্কুল বারোয়ারি বিতর্ক, আন্তক্লাব বাংলা বিতর্ক, আন্তক্লাব বারোয়ারি বিতর্ক, আন্তস্কুল দেয়াল পত্রিকা প্রতিযোগিতা এবং আন্তস্কুল কুইজ প্রতিযোগিতা। এতে ২৪টি স্কুলের বিতর্ক দল ও বিতার্কিকেরা অংশ নিয়েছে। গতকাল বিকেল পাঁচটায় সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম খান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইডিয়াল ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর আলী মর্তুজা, জুবাইদা রহমান ও ফজলুল করিম ফাহিম।বিতর্ক প্রতিযোগিতার মিডিয়া সহযোগী দেশ টিভি, সময় টিভি, কিশোর আলো, ইয়ুথ ওয়েভ ও এসকেবি নিউজ ডট কম। সহযোগিতা করছে রকমারি ডটকম ও হক বিস্কুট। | 186,881 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:২৭ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:২৯ | সরকার | null | প্রধানমন্ত্রীর উড়োজাহাজে ত্রুটির ঘটনা ‘মনুষ্যসৃষ্ট’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1042075 | প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজে ত্রুটির ঘটনা ‘মনুষ্যসৃষ্ট’। তবে এ ঘটনা ‘নাশকতা’ ছিল কি না, তা জানতে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটের ইঞ্জিনে ত্রুটির ঘটনা তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৭৭ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। যার কারণে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। অপর একটি বিমান পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বুদাপেস্টে পৌঁছানো হয়। পরে ত্রুটি সারিয়ে ওই উড়োজাহাজও হাঙ্গেরি পাঠানো হয়।প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটের ইঞ্জিনে ত্রুটির ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, বিমানের প্রতিনিধি রয়েছেন। অপর কমিটি করা হয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ ও ইঞ্জিনিয়ার নিরঞ্জন রায়। স্বপন কুমার সরকারের নেতৃত্বাধীন কমিটি আজ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।২০০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন নিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, আজই প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদনে অনেক কিছুই আছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যপারে কথা বলঅ হবে। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বিমান ও মন্ত্রণালয় নিয়ে ২৫টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এদিতে এ ঘটনায় এ নিয়ে দুই দফায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলেন প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন এবং টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।বিমান সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজে ইঞ্জিনের একটি নাট (ইঞ্জিন অয়েল) ঢিলা থাকার কারণে যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যার কারণে বাম দিকের ইঞ্জিন প্রয়োজনীয় লুব্রিকেন্ট পাচ্ছিল না। এ জন্য প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের গাফিলতিকে দায়ী করেছে বিমানের তদন্ত কমিটি। | 275,080 |