author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়াদিল্লি
international
আন্তর্জাতিক
২৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৯
২৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫২
ভারত
0
দিল্লিতে যেন কারফিউ!
http://www.prothom-alo.com/international/article/432451
ভারতের রাজধানীতে নামার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মনে তিনটি ভাবনা উঁকি মারতে পারে। এক. দিল্লি মোটেই বেশি মানুষের জনপদ নয়। দুই. ভারতের জনসংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রেরই সমতুল্য। তিন. কোনো এক অজ্ঞাত কারণে শহরে হয়তো কারফিউ জারি করা হয়েছে।রোববার সকাল ১০টায় দিল্লিতে এয়ারফোর্স ওয়ান থেকে নেমে সোজা হোটেলে যেতে যে ১০ কিলোমিটার পথ ওবামা পাড়ি দেবেন, তাতে পুলিশ ছাড়া কোনো সাধারণ মানুষের টিকি বা যানবাহন তিনি দেখতে পারবেন না। বিমানবন্দর থেকে হোটেল, হোটেল থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন, যেখানে তাঁকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হবে, সেখান থেকে যমুনার তীরে রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পথে কোথাও জনপ্রাণীর মুখ দর্শন তাঁর হবে না।রোববার সকাল থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এই যে দুই রাত তিন দিন স্ত্রী মিশেলকে নিয়ে ওবামা ভারতে থাকবেন, এই সময়ে এ দেশের আম আদমির চেহারাটা আসলে কেমন, তা তাঁরা দেখতে পাবেন স্রেফ ২৬ জানুয়ারির প্যারেডের সময়টুকুতে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত কখনো ভারতের এই বিশেষ দিনে বিশেষ অতিথি হয়ে আসেননি। এবার ওবামা কেন যে আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন, সেই বিস্ময়ের ঘোরও মার্কিনদের কাটছে না। কারণ টানা দুই ঘণ্টা পাবলিক প্লেসে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এভাবে খোলা আকাশের নিচে রেখে দেওয়া তাঁদের কাছে এক বিশাল ঝুঁকি।ওই দুই ঘণ্টা ছাড়া সাধারণ জনতাকে ওবামার ত্রিসীমানার মধ্যে যেতে-আসতে দেওয়া হবে না ওই তিন দিন। দিল্লিবাসীর অবস্থা এখন সেই ‘ভিক্ষে চাই না মা, কুকুর সামলাও’-এর মতো। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকেই রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি সব অফিস ছুটি হয়ে গেছে। ওবামা যে হোটেলে থাকছেন, তার সব রাস্তা গতকাল থেকেই নিয়ন্ত্রিত। অনুষ্ঠানস্থল গোটা রাজপথ আজ তিন দিন ধরেই বন্ধ।
109,527
-1
entertainment
বিনোদন
১৫ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০১
১৫ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০১
বিনোদন
0
abc আজকের আয়োজন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1020767
মেনটস বাত্তি জ্বালাওরাত ১১টা থেকে ১টাগুড মর্নিং বাংলাদেশ নাভিদ মাহবুবের সঙ্গেসকাল ৮টা থেকেবেলা ১১টা
265,627
আনোয়ার হোসেন
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ আগস্ট ২০১৫, ০২:০০
২৪ আগস্ট ২০১৫, ০২:০২
সরকার
null
মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশার ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/611086
ঢাকায় চলাচলরত প্রায় ১২ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা মেয়াদোত্তীর্ণ। মিটার ব্যবহারের শর্ত অমান্য করে এসব অটোরিকশার চালকেরা যাত্রীদের গলা কাটছেন। চলছেন নিজেদের ইচ্ছায়। এমন পরিস্থিতিতে অটোরিকশার ভাড়া সরকারিভাবে আবারও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ব্যয় বিশ্লেষণে এসব অটোরিকশার দাম গতবারের চেয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বেশি এবং অন্য কয়েকটি খরচ দেখিয়ে যাত্রী ভাড়া ও মালিকের জমা বাড়ানোর এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। আট সদস্যের যে কমিটি এই প্রস্তাব করেছে, তাতে কোনো যাত্রী প্রতিনিধি নেই।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সূত্র বলেছে, নতুন করে প্রথম দুই কিলোমিটারের জন্য ভাড়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ৪০ টাকা। বর্তমানে তা ২৫ টাকা। পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ১২ টাকা। বর্তমানে প্রতি কিলোমিটারের সরকার-নির্ধারিত ভাড়া ৭ টাকা ৬৪ পয়সা। এ ছাড়া প্রতি মিনিট ওয়েটিংয়ের (যাত্রাবিরতি, সিগন্যাল ও যানজট) জন্য ৬০ পয়সা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।বর্তমানে অটোরিকশার দৈনিক জমা (মালিকের আয়) কাগজে-কলমে ৬০০ টাকা। তবে মালিকেরা দুই পালায় ভাড়া দিয়ে জমা বাবদ আয় করছেন গড়ে ১ হাজার ২০০ টাকা। নতুন প্রস্তাবে জমা বৃদ্ধি করে ৮০০ টাকা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই ভাড়ার হার নির্ধারণ করেছে বিআরটিএর গঠিত একটি কমিটি। প্রস্তাবটি সম্প্রতি অনুমোদনের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।বিআরটিএর সূত্র বলেছে, ভাড়া বৃদ্ধির আগে প্রতিবারই ব্যয় বিশ্লেষণের নামে আনুষ্ঠানিকতা রক্ষা করা হয়। এতে মালিক-শ্রমিক নেতাদের দাবিই মুখ্য হয়ে ওঠে। এবারের আট সদস্যবিশিষ্ট ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটির প্রধান বিআরটিএর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। কমিটিতে অটোরিকশার মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আছেন চারজন। বাকি তিন সদস্যের একজন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং আরেকজন ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধি। কমিটির সদস্যসচিব হচ্ছেন বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল)। কিন্তু কমিটিতে যাত্রীদের কোনো প্রতিনিধি নেই। অভিযোগ উঠেছে, মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের চাহিদা মেনে ব্যয় বিশ্লেষণে অযৌক্তিক ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে অটোরিকশার প্রস্তাবিত ভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।২০০২ সাল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালুর পর এর আগে অন্তত ছয়বার এভাবে ব্যয় বিশ্লেষণ করে মালিকের জমা ও যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মালিক-শ্রমিকেরা কখনোই তা মানেননি।ভুক্তভোগী ও বিআরটিএর একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন করে সরকার ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা দিলে বর্তমানে নেওয়া বাড়তি ভাড়ার সঙ্গে নতুন করে আরও কিছু যোগ করে যাত্রীদের অতিরিক্ত গলা কাটা শুরু করবেন চালকেরা। মালিকেরাও তাঁদের মনগড়া জমা বাড়াবেন। অতীতেও চালক-মালিকেরা বিআরটিএর সঙ্গে যোগসাজশ করে নিজেরা ভাড়া ও জমার হার ঠিক করে পরে ইচ্ছামতো বাড়িয়েছেন।বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, আগে মিটার ঠিক করে বর্তমান ভাড়া বাস্তবায়ন করতে হবে। এরপর গণশুনানি করে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে। ওই কমিটিতে অবশ্যই যাত্রীদের প্রতিনিধি রাখতে হবে। তিনি বলেন, কমিটি যে ব্যয় বিশ্লেষণ করেছে, তার অনেক সূচকই ভুল। কারণ, মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো যানবাহনের মূল্য বাড়তে পারে না। এ ছাড়া হুট করে অটোরিকশার ভাড়া বাড়ালে তা অন্য যানবাহনের ভাড়ার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে।বিআরটিএর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যেই ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন তো চালক-মালিকেরা সরকারি সিদ্ধান্ত মানছেন না। মালিক-শ্রমিক নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জমা ও ভাড়া বৃদ্ধি পেলে তাঁরা মানবেন।অবশ্য অতীতের প্রতিটি ব্যয় বিশ্লেষণ এবং সেই অনুযায়ী ভাড়া বৃদ্ধির আগে মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিরা একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটিতে মালিক-শ্রমিকদের আধিক্য ও যাত্রী প্রতিনিধি না থাকার বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, কমিটি মন্ত্রণালয় করে দেয়। আর মালিক-শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেওয়ার কথা ঠিক না।দেখা গেছে, অটোরিকশার চালকেরা এখন নির্ধারিত হারের চেয়ে দ্বিগুণ থেকে চার গুণ পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। এমনকি চুক্তিতে গেলেও চালকেরা যান তাঁদের ইচ্ছা অনুযায়ী গন্তব্যে। উল্টো যাত্রীদের কাছে চালকের আবদার, ‘পুলিশ ধরলে বইলেন মিটারে যাচ্ছি।’বিশ্লেষণে গোঁজামিল : সর্বশেষ অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় ২০১১ সালে। সে সময় একটি অটোরিকশার স্যালভেজ ভ্যালু বা মেয়াদ শেষে এর মূল্য ধরা হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু এবার অটোরিকশার মূল্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এভাবে অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে অটোরিকশার ভাড়া ও জমা দুটিই বেড়ে যাচ্ছে।সূত্র বলেছে, অটোরিকশার মূল্যের সঙ্গে সুদ যোগ করা হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা। যেখানে মালিকের বিনিয়োগ নেই, সেখানে কীভাবে ব্যাংক ঋণের সুদ যুক্ত হয়, তা ব্যাখ্যা করা হয়নি। নিবন্ধন, রুট পারমিট, রোড ট্যাক্স ও ইনস্যুরেন্স বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। কিন্তু পুরোনো অটোরিকশার কীভাবে নিবন্ধন খরচ হয়, তা নিয়ে সমালোচনা আছে বিআরটিএতেই। দুর্ঘটনা ও আপৎকালীন কারণে আকস্মিক খরচ হিসেবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা, যা রাজধানী ঢাকার মতো শহরে বেমানান।এসব অসংগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বাস্তবতা মেনেই ব্যয় বিশ্লেষণ করতে হয়। আগের ব্যয় বিশ্লেষণ সম্পর্কে তাঁর ধারণা নেই।পুরোনো অটোরিকশা মেয়াদোত্তীর্ণ: অটোরিকশা নামানোর সময় এর বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ বছর। তা শেষ হওয়ার পর আরও দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ ঢাকায় চলাচলরত প্রায় ১২ হাজার অটোরিকশার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত বছরের ডিসেম্বরে।মালিকদের দাবির মুখে গত বছর অটোরিকশার মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। তবে উচ্চ আদালতে মামলা হলে এই সিদ্ধান্ত আটকে যায়। ফলে এখন যেসব অটোরিকশা চলছে, এর বেশির ভাগই অবৈধ। সাম্প্রতিক সময়ে মিশুকের পরিবর্তে প্রায় ৫০০ অটোরিকশা নামানো হয়েছে।
162,622
-1
opinion
মতামত
২৯ মে ২০১৫, ০০:০৩
২৯ মে ২০১৫, ০০:০৩
চিঠিপত্র,মতামত
0
পাচারকারীরা জাতীয় শত্রু
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/539788
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলীয় সীমান্তের গহিন জঙ্গলে মানব পাচারকারীদের আস্তানা থেকে মৃত মানুষের হাড়গোড় উদ্ধারের পর সে দেশের পুলিশ অনুসন্ধান করে অসংখ্য গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। যার বেশির ভাগই রোহিঙ্গা মুসলমান কিংবা ভাগ্য বিড়ম্বিত বাংলাদেশি।কিছু মানুষ দারিদ্র্য ঘোচাতে এ পথে গিয়ে মরে গেছে। আবার অনেকেই উন্নত জীবনের সন্ধানে এ বিপৎসংকুল পথে নেমেছে। আন্দামান সাগরে ভাসমান এই অপুষ্ট ও হাড় জিরজিরে মানুষদের দেখে চোখের কোনায় পানি চলে আসে।অথচ কয়েকটি দেশ এদের নিয়ে পিংপং খেলল। সস্তা শ্রমিক পাওয়ার লক্ষ্যেই এ দেশগুলোও যে এই কাজে রসদ জোগায়নি, তাও আমরা হলফ করে বলতে পারি না। যারাই করুক না কেন, এটা মানবতার বিরুদ্ধে গর্হিত অপরাধ। প্রতিটি দেশকে অঙ্গীকার করতে হবে, সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।শহীদুল আলম শহীদনাগরিক, চট্টগ্রাম।
143,063
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ জুলাই ২০১৪, ০১:১০
১২ জুলাই ২০১৪, ০১:১১
নবাবগঞ্জ,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
নবাবগঞ্জে ধর্মঘট
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/265171
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বর্ধনপাড়া শকুনতলা বাজারের তিন ব্যবসায়ীকে মারধর করার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করেছেন ব্যবসায়ীরা। মারধরের শিকার ব্যবসায়ীরা হলেন মাছ ব্যবসায়ী সোহরাব মিয়া, মুদি দোকানি ফজলুল হক ও রাইস মিলের মালিক রমজান আলী। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধনপাড়া গ্রামের মো. আমিরুলের সঙ্গে মাছ ব্যবসায়ী সোহরাব মিয়ার দর-কষাকষি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আমিরুল তাঁকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। পাশের দোকানদারেরা থামাতে গেলে আমিরুল আরও দুজনকে মারধর করেন।
77,090
এ এস এম মাকসুদ কামাল
opinion
মতামত
০৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:১৪
০৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:১৬
ভূমিকম্প,মতামত,লেখকের কলাম
null
ঝুঁকি আছে, নগরায়ণে চাই আরও সতর্কতা
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/731041
গতকাল বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৭ মিনিটে ঢাকা শহর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্বে ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ৫৫ কিলোমিটার গভীরে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এই অঞ্চলটি পৃথিবীর ষষ্ঠ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। মাত্রা ও গভীরতার বিচারে এ ধরনের ভূমিকম্পকে মাঝারি-শক্তিশালী অগভীর ভূমিকম্প বলা হয়। এই ভূমিকম্পের তরঙ্গ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাসহ নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা হতাহতের খবরও পেয়েছি। ভূতাত্ত্বিক ভাষায় এই অঞ্চলকে আমরা আরাকান ব্লাইন্ড মেগা থ্রাস্ট হিসেবে গণ্য করে থাকি, যা ভারতীয় ও বার্মা ভূতাত্ত্বিক প্লেটের একটি সক্রিয় সংযোগস্থল। এই মেগা থ্রাস্ট এলাকা ৫০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে প্রলম্বিত এবং সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে। ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুর রাজ্য এবং বাংলাদেশের সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলা এই মেগা থ্রাস্টের অংশ।ভূমিকম্পনের শক্তি প্রকাশের জন্য আমরা দুটি শব্দ ব্যবহার করি। একটি মাত্রা, অন্যটি তীব্রতা। ভূমিকম্পের উৎসস্থলে ভূ-অভ্যন্তর থেকে কী পরিমাণ শক্তি বের হলো, তা মাত্রার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। একটি ভূমিকম্পের একটি মাত্রা থাকে। যেমন এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৭। দৃশ্যমান ক্ষয়ক্ষতি ও ব্যক্তিবিশেষের কম্পন-অনুভূতির ওপর নির্ভর করে ভূমিকম্পের তীব্রতা নিরূপণ করা যায়।২৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংঘটিত নেপাল ভূমিকম্পেও ঢাকা শহরে প্রায় একই তীব্রতা অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকা শহর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে ছিল। একটি ট্রাক কোনো একটি বিল্ডিংয়ে আঘাত করলে এই তীব্রতা অনুভূত হতে পারে। যেকোনো অবকাঠামোর কম্পন সহ্য করার অবস্থা এবং মাটির দৃঢ়তার ওপর তীব্রতা নির্ভরশীল। একই মানের কাঠামো শক্ত মাটির চেয়ে নরম মাটিতে বেশি তীব্রতা অনুভব করবে। বেশি তীব্রতা মানে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।বাংলাদেশে সর্বশেষ ৭ দশমিক ৪ মাত্রার বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয় ১৯১৮ সালে। এটি শ্রীমঙ্গল ভূমিকম্প নামে পরিচিত। সিলেট অঞ্চলের রশিদপুর পাহাড়ি অঞ্চল সংযুক্ত ফাটল রেখা এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ১৮২২ সালেও এই ফাটল রেখায় ভূমিকম্প হয়েছিল। এগুলো অগভীর ভূমিকম্প। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটারেরও কম গভীরতায় এই ভূমিকম্পগুলোর উৎসস্থল। তাই এই ভূমিকম্পগুলোকে ভাসমান ভূমিকম্প বলা হয়। সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাহাড়ি অঞ্চলে ভাসমান ভূমিকম্প সংঘটিত করার মতো প্রায় ১৩টি ফাটল রেখা আছে। এগুলো ১০০ বছর অন্তর ৬ দশমিক ৫ থেকে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে। সে হিসাবে বাংলাদেশ মাঝারি কিংবা বড় মাত্রার একটি ভূমিকম্পের কাছাকাছি সময়ে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আছে পাঁচটি সক্রিয় ফাটল রেখা। বাংলাদেশ সীমানার বাইরে উত্তরে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং পূর্বাঞ্চলে আছে সক্রিয় প্লেট বাউন্ডারি। ভূতাত্ত্বিক বিবেচনায় এই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার সব উপাদানই আছে।ভূমিকম্প নগর দুর্যোগ নামে পরিচিত। আমাদের দেশে নগরের জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি ও নগরায়ণ হচ্ছে দ্রুতগতিতে। যেমন ঢাকায় ১৮৭২, ১৯৭১ ও ২০১৬ সালে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ৭০ হাজার, ১ কোটি ২০ লাখ ও ১ কোটি ৫০ লাখ। ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ আয়তন ১৯৫৪, ২০০০ এবং ২০১০ সালে যথাক্রমে ৩৬ দশমিক শূন্য, ১৯০ ও ২৬০ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশাল, বর্তমানে অন্যূন ১৬ কোটি।২০৫১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৫৫%-এর বেশি মানুষ হবে নগরবাসী, অর্থাৎ বাংলাদেশ তখন সংখ্যাতাত্ত্বিক বিবেচনায় একটি নগরায়িত দেশে পরিণত হবে। দ্রুত কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য নগর ঝুঁকি বহুলাংশে বেড়ে চলছে। উপরন্তু আমাদের নগরসমূহ নরম পলিমাটির ওপর গড়ে ওঠায় ভূমিকম্পে স্থাপনাসমূহের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এমতাবস্থায় ভূমিকম্পসহ অন্যান্য আপদের পরিমাণগত মানচিত্র তৈরি করে নগর ভূমি ব্যবহার মানচিত্রের সঙ্গে সন্নিবেশ সাপেক্ষে ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনা অনুসরণ করে নগরায়ণ করা দরকার। এ বিষয়টি নগর পরিকল্পনা আইনের অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন।১৯৯৩ সালে আমাদের দেশে বিল্ডিং কোড প্রণীত হয়েছে। এটি এখন আবার নবায়ন করা হচ্ছে। কোড মেনে ভবন তৈরি করার প্রবণতা যেমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমিত, তেমনি সরকারি পর্যায়ের তদারকি নেই বললেই চলে। বর্তমানে খোদ ঢাকা শহরে বেশির ভাগ দালানকোঠা ভূমিকম্প তরঙ্গ সহনীয় নয়। ২০০৯ সালের পরিসংখ্যানে ঢাকায় ১ লাখ ৪০ হাজার ইট-সুরকির দালানকোঠা আছে। কলামের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা নিচতলার চারপাশ খোলা সফট অ্যাস্টোরি বিল্ডিং আছে ৮৯ হাজার। নিচতলা থেকে ওপরতলা প্রশস্ত ও ভারী এমন হেভি ওভার হ্যাং বিল্ডিং আছে ৬৯ হাজার। দুটি কলামের মধ্যবর্তী স্থানে ওপরে-নিচে সংক্ষিপ্ত দেয়াল ও মধ্যখানে ফাঁকা এমন শর্ট কলামসম্পন্ন বিল্ডিং আছে ৬৮ হাজার। এসব বৈশিষ্ট্যের ভবনের ভূমিকম্পের সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা বেশি।অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ভূমিকম্প-পরবর্তী জরুরি উদ্ধার ও অনুসন্ধানকাজে আমাদের অনভিজ্ঞতা, এ-সংক্রান্ত যন্ত্রপাতির স্বল্পতা ও দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, জনগোষ্ঠীর অসচেতনতা এবং সর্বোপরি আপদ-বিপদের বিচারে দেশের নগরগুলো উচ্চ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে। দুর্বল ও ভঙ্গুর নগর-লাইফলাইন সিস্টেম (গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি) শহরগুলোর আগুনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক দুর্যোগে বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণ। তাই টেকসই উন্নয়নের জন্য এখনই নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরও সমন্বিত এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী গতিশীল করা সময়ের দাবি।ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল: চেয়ারম্যান, দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
189,668
মনোয়ারুল ইসলাম
education
শিক্ষা
১৩ জুলাই ২০১৪, ০০:০৩
১৩ জুলাই ২০১৪, ০০:০৪
পড়াশোনা
0
ইংরেজি ১ম পত্র
http://www.prothom-alo.com/education/article/265783
সিন কম্প্রিহেনসনপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ PART-A (Seen comprehension) প্যাসেজ ও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো।Set-8Read the passage below and answer questions:British eating habits are very different now from thirty years ago. No longer are tastes confined to roast beef, mint sauce and Yorkshire pudding (which in fact is not a pudding at all) People travel more and are learning to enjoy food from many different countries. In most towns there are Italian, Chinese and Indian restaurants but in big cities you can also eat Japanese, Thai, Korean and Malaysian food. These restaurants are often cheaper than European restaurants and many people find the food more interesting. Indeed supermarkets now offer a wide range of multi cultural, ready to cook foods to try at home. Take away food is also very popular in Britain. Many people think that the idea of take- away meals comes from the USA, but in fact it comes from Britain. The original British take-away meal was fish and chips and there are still fish and chip shops in places, as well as joints that sell fast food like pizzas and hamburgers. In Britain most people use knives and forks for eating. In some countries, for example, China, Japan, Korea and Taiwan, people used chopsticks. In many other countries as in the Indian sub-continent, people use their fingers.5. Write short answers to the following questions. 5(a) What types of dishes were the British confined to in the past?(b) What do the British joints sell?(c) Why do the British go to foreign restaurants in Britain?(d) How have the British people learnt to enjoy different types of food?(e) What do the British and the Chinese use for eating?6. Fill in the gaps with suitable words: 5Cultural exchange has a great effect on the tradition of a nation. Different aspects of customs change in a cross-cultural setting. The British culture is also overlapping with other cultures. They are losing and gaining in some patterns of behaviour and action. Their (a) - habits are changing as for example. Some people are turning to foreign restaurants and enjoying dishes. Not only are the dishes (b) - but the foods are interesting too. Some people are now fond of (c) - meals like fish and chips and the others are keen on (d) - foods like pizzas and hamburgers. So, some day or other the British may use Japanese (e) - for eating.7. Summarise the above passage regarding British food habits in five sentences. 58. Based on your reading of the passage, make short notes in each of the boxes in the flow chart showing the main causes of changing eating habits of the British. (No. 1 has been done for you). 51. traveling by the British 2. 3. 4. 5. 6.Ans. to the Ques. No. Set-85. (a) The British were confined to roast beef, mint sauce and Yorkshire pudding in the past. (b) The British joints sell fast food like pizza and hamburgers. (c) The British go to foreign restaurants because they are cheaper and the food is more interesting. (d) The British have learnt to enjoy different types of food by traveling more and more in many countries. (e) The British use knives and forks and the Chinese use chopsticks for eating.6. (a) eating (b) cheap (c) take away (d) fast (e) chopsticks7. Summary: the British are fond of taking different kinds of food. Their tastes are not confined to only their traditional food habit like roast beef, mint sauce and Yorkshire pudding. They are now interested in the foods of other countries like Italy, Japan, Thailand, Korea, China, Malaysia etc. Take-away food is also very popular to the British. Nowadays they like pizzas and hamburgers excluding their traditional take-away meal like fish and chips.8. Flow chart:1. traveling by the British 2. their interest to enjoy food from different countries 3. foreign restaurants are cheaper than the Europeans4. the food is more interesting too 5. a wide range of multi-cultural, ready-t-cook foods are available 6. growing popularity of fast food and take away foodসহকারী অধ্যাপকঢাকা স্টেট কলেজ, ঢাকা
77,419
মেহেরপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ মে ২০১৫, ০৩:০১
১০ মে ২০১৫, ০৩:০২
বিশাল বাংলা,মেহেরপুর,অপরাধ
0
অস্ত্রসহ ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/524065
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্ত থেকে অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগজিনসহ এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব। গতকাল শনিবার র্যা ব-৬ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি উৎপল কুমার রায়ের নেতৃত্বে র্যা ব সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।আটক ব্যক্তির নাম গাজী মণ্ডল (৪৩)। তিনি ভারতের নদীয়া জেলার মুরুটিয়া থানার গানদিনা গ্রামের জহির উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে।র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব-৬) গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) উৎপল কুমার রায় জানান, অস্ত্র চোরাচালানের গোপন সংবাদ পেয়ে র্যা ব সদস্যরা গাংনীর কাজিপুর সীমান্তের ১৪৪ মেইন পিলার দূরবর্তী স্থানে ওত পেতে থাকেন। এ সময় ওই পথ দিয়ে গাজী মণ্ডল বাংলাদেশের ভেতরে ঢোকেন। তখন র্যা ব সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে আটক করলে তাঁর কাছ থেকে ৭ দশমিক ৬৫ মডেলের দুটি পিস্তল, একটা শটগান, একটা ম্যাগজিন, ১৬টি পিস্তল এবং শটগানের গুলি উদ্ধার করা হয়।
137,675
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ মার্চ ২০১৭, ০১:৩৭
১৪ মার্চ ২০১৭, ০১:৩৯
মির্জাপুর,টাঙ্গাইল,বিশাল বাংলা
0
মা সমাবেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1107292
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় গতকাল সোমবার মা সমাবেশ হয়েছে। সোহাগপুর উচ্চবিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠান হয়। এতে স্থানীয় সাংসদ মো. একাব্বর হোসেন প্রধান অতিথি ছিলেন। বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীম আক্তার, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান ও জুই জুঁথী ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির। সমাবেশে প্রায় ৭০০ অভিভাবক অংশ নেন। শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
302,596
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৯:২৮
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৯:৫৬
গ্যাস,রাজধানী
null
সকালে যায়, দুপুরে আসে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1430961
পুরো শহরেই এখন কম-বেশি গ্যাসের সমস্যা আছে। খিলগাঁও, বাড্ডা, রামপুরাসহ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের সংকট তীব্র। সকাল ছয়টা-সাতটার দিকে অল্প গ্যাস থাকে। সকাল আটটার দিকে একেবারেই গ্যাস থাকে না।রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-সংকট তীব্র হয়েছে। প্রতিদিন এসব এলাকায় চার–পাঁচ ঘণ্টা গ্যাস থাকে না। এতে রান্না ও প্রাত্যহিক কাজকর্মে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের।নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের (নাসফ) তথ্য অনুযায়ী, পুরো শহরেই এখন কম-বেশি গ্যাসের সমস্যা আছে। তবে খিলগাঁও, মিরপুর ১১, মিরপুর ১২, মিরপুর ৬, বাড্ডা, রামপুরা, লালবাগ, হাজারীবাগ, পুরান ঢাকার আলুবাজারে গ্যাসের সংকট তীব্র।এসব এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, গ্যাস-সংকটের কারণে অনেক সময় সকালে না খেয়েই কাজে যেতে হয় অনেককে। না হয় রাতে রান্নার কাজ শেষ করে রাখতে হয়। সকাল ছয়টা–সাতটার দিকে অল্প গ্যাস থাকে। কিন্তু তাতে আঁচ থাকে না। এতে রান্না করা সম্ভব হয় না। সকাল আটটার দিকে একেবারেই গ্যাস থাকে না। বেলা একটা-দেড়টার দিকে গ্যাস আসে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। মাঝে কয়েক দিন বিকেল পর্যন্তও গ্যাস ছিল না।তবে কিছু এলাকায় গত এক সপ্তাহে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা মাকসুদা বলেন, শীতে গ্যাসের চাপ একেবারেই কমে গিয়েছিল। বেলা দুইটার আগে রান্না করা সম্ভব হতো না। সপ্তাহখানেক থেকে গ্যাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনো আগের মতো স্বাভাবিক হয়নি।রাজধানীর গ্যাস–সংকট নিরসনে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিডেটের জরুরি পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে নাগরিক অধিকার ফোরাম। গতকাল কারওয়ান বাজারে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ফোরামের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অপর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের কারণে নাগরিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। রান্নাবান্নাসহ গৃহস্থালি কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অপচয় বন্ধ করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ ক্ষেত্রে অনেক এলাকায় পুরোনো সরবরাহ লাইনগুলো পরিবর্তন অথবা এলাকাভেদে এর কারণগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।জানতে চাইলে ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস-সংকট নিয়ে গতকাল সংগঠনটির পক্ষ থেকে তিতাসের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গ্যাস-সংকটের বিষয়টি তিতাস কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয় এবং স্মারকলিপি দেওয়া হয়।ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী জানান, ৩০টি ওয়ার্ডে ফোরামের কমিটি আছে। ফোরামের ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার গ্যাস-সংকট সম্পর্কে তাঁরা জেনেছেন। তিনি নিজে মিরপুর ১১ নম্বরে থাকেন। এই এলাকায় গ্যাস-সংকট তীব্র। তিনি বলেন, স্মারকলিপি দেওয়ার সময় তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁদের জানিয়েছেন যে চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। শীতের সময় চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়ে যায়। তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁদের বলেছেন, বিদেশ থেকে তরল গ্যাস আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। ওই গ্যাস এলে সংকট আর থাকবে না। এ ছাড়া পাইপলাইনের কারণে কোথাও কোনো সমস্যা হলে তিতাসের সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয়ে জানালে পাইপলাইন পরিবর্তন করা হবে।
355,012
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২০:৪২
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২২:৪৮
এশিয়া
0
দালাই লামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ওবামা
http://www.prothom-alo.com/international/article/152602
চীনশাসিত তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে আজ শুক্রবার বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।বিবিসির খবরে বলা হয়, দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক বাতিল করতে যুক্তরাষ্ট্রকে তাগিদ দিয়েছে চীন। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওবামা-দালাই বৈঠক চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।এর আগে ২০১১ সালে একসঙ্গে বসেছিলেন ওবামা ও দালাই লামা। ওই সময়ও চীন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, হোয়াইট হাউসের ম্যাপ রুমে একান্ত বৈঠকে বসবেন ওবামা ও দালাই লামা।ওবামা বিদেশি অতিথিদের নিয়ে সাধারণত নিজ কার্যালয় ওভাল অফিসে বসেন। তবে দালাই লামার সঙ্গে বৈঠকটিকে কম গুরুত্বপূর্ণ দেখাতে তিনি ম্যাপ রুমে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের নারী মুখপাত্র কেইটলিন হেইডেন বলেন, ‘আমরা তিব্বতিদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না। তবে তিব্বতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি প্রবল সমর্থন আছে আমাদের।’দালাই লামা তিব্বতের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনে করে।
52,936
সিলেট প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ অক্টোবর ২০১৩, ০২:৩২
০১ অক্টোবর ২০১৩, ০২:৩২
সিলেট,বিশাল বাংলা
0
পরিচালক প্রক্টরকে অব্যাহতি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/51978
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরিচালক ও প্রক্টরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত দাপ্তরিক আদেশ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ফয়জুল হক এক দাপ্তরিক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) জামাল উদ্দিন ভূইঁঞা ও প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে।’
20,917
বাদল চৌধুরী
education
শিক্ষা
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:০৩
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:০৩
পড়াশোনা
0
ইংরেজি ২য় পত্র
http://www.prothom-alo.com/education/article/1026703
Re-ordering of sentencesপ্রিয় পরীক্ষার্থী শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ ইংরেজি ২য় পত্রের ৭ নম্বর প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব।Put the following parts of the story in correct order to rewrite the whole story.4.(a) At the age of fifteen, he went to Kolkata.(b) He drew a lot of pictures of famine during the Second World War in 1939.(c) Joynul Abedin was born in 1914.(d) He did not like the hard and fast rules of schools.(e) He breathed his last on May 28, 1976.(f) So he drew pictures secretly.(g) In 1938, he became first class first in the Art College.(h) At the age of nineteen, he got himself admitted into Kolkata Government Art College.5.(a) He said to himself, ‘One thousand rupees is a lot of money.’(b) He could not think where to keep the money.(c) A rich man went to the farmer with one thousand rupees in a bag.(d) He always thought that his money could be stolen any time.(e) He said to him, look, my friend! I have brought one thousand rupees for you.(f) Keep this money and remove your distress.(g) The farmer was surprised.(h) He took the bag of money from the rich man and thanked him.6.(a) The astrologer was taken to the place of execution. The king then asked, ‘How long would you live?’(b) Once there was a king. He was fond of knowing his future from the astrologer.(c) The astrologer told something very unpleasant. At this the king got furious and condemned him to death.(d) With ready wit he said, ‘The stars declare that I’ll die only a week before your death! I shall wait to receive your majesty where you have been sending me.’(e) At this the king turned pale, ‘Drive this wretch away and let him not come again’, shouted the king.(f) A good astrologer visited the capital of the king.(g) He thought that the king would prove him a liar putting him to death. He then thought for a while for some way of escape.(h) The king wished to know his future from that astrologer. So, the king called him to the palace.বাদল চৌধুরীশিক্ষক, ঢাকা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকাবাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালউত্তর: ইংরেজি ২য় পত্র৭ নম্বর প্রশ্ন41-c, 2-d, 3-f, 4-a, 5-h, 6-g, 7-b, 8-e51-c, 2-e, 3-f, 4-g, 5-h, 6-a, 7-b, 8-d61-b, 2-f, 3-h, 4-c, 5-a, 6-g, 7-d, 8-e
296,753
মানসুরা হোসাইন
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ মার্চ ২০১৭, ১৫:০৩
০২ মার্চ ২০১৭, ১৭:৪১
-1
null
অনন্য ‘জয়িতা’ আরিফার গল্প
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1095184
নিজের পরিচয় নিয়ে ছোটবেলা থেকে নানা পর্যায়ে হোঁচট খেতে শুরু করেন। সেই পরিচয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রও মেলেনি। তড়িৎকৌশলে ডিপ্লোমা পাস করার পরও শুধু পরিচয়ের কারণে কোনো চাকরি মেলেনি বলে মনে করেন। তবে যে হিজড়া পরিচয় নিয়ে এত বঞ্চনা, সেই পরিচয়েই স্বীকৃতি পেলেন ‘জয়িতা’ হয়ে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সনদে তাঁর নাম আরিফ। তবে সমাজে তিনি পরিচিত আরিফা ইয়াসমিন ময়ূরী হিসেবে। এ পরিচয়েই তিনি দেশে প্রথমবারের মতো হিজড়া সম্প্রদায় থেকে গত বছর ঢাকা বিভাগের ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ‘জয়িতা’ পুরস্কার পেয়েছেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে ‘জয়িতা’ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে নারীদের। ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ পাঁচজনের মধ্যে তিনি একজন। তিনিই প্রথম হিজড়া হিসেবে এ পুরস্কার পেলেন।গত বছর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির হাত থেকে ক্রেস্ট ও সনদ নিয়েছেন আরিফা। ওই অনুষ্ঠানে তিনি সবাইকে গানও শুনিয়েছেন।জামালপুরের আরিফা হিজড়াদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও ভিক্ষাবৃত্তি থেকে ফিরিয়ে আনতে ২০১৩ সালে জামালপুর সদরে ‘সিঁড়ি সমাজ-কল্যাণ সংস্থা’ নামের একটি সংগঠন তৈরি করেন। বর্তমানে তিনি এ সংগঠনের সভাপতি। সংগঠনের সদস্য ৮৭ জন হিজড়া। এর মধ্যে ১৫ জন হিজড়া এ সংগঠনে বিভিন্ন হস্তশিল্প তৈরি করছেন। এ জন্য তাঁরা পারিশ্রমিক পান। এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামক সংগঠন। বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ঢাকায় এসে গতকাল বুধবার আরিফা প্রথম আলো কার্যালয়ে আসেন। সঙ্গে জয়িতা পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সনদ। প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তাঁর হাতে লেখা একটি আবেদনপত্র দেখালেন। জানালেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান।আরিফা বলেন, ‘বর্তমান সরকার তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দিয়েছে। সরকারের কাছ থেকে জয়িতা পুরস্কারের সম্মাননা পেয়েছি। কিন্তু শুধু স্বীকৃতি, সম্মাননা দিয়ে তো জীবন চলে না। হিজড়া বলে আমরা চাকরি পাই না। হিজড়া পরিচয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারি না। নিজের একটি সংগঠনের মাধ্যমে হিজড়াদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। কিন্তু আমার সংগঠনই তো চলে না। হস্তশিল্পসামগ্রী কোনো মাসে বিক্রি হয়, কোনো মাসে বিক্রি হয় না।’ তিনি জানান, আরিফা ইয়াসমিন ময়ূরী নামেই জন্ম নিবন্ধন করেছেন। তবে হিজড়া পরিচয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেননি। ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে তড়িৎকৌশলে ডিপ্লোমা পাস করেছেন ২০১০ সালে। তাঁর মতে, যোগ্যতা থাকার পরও শুধু হিজড়া বলে কেউ চাকরি দিতে চায় না।আরিফা জানান, অন্য হিজড়াদের তুলনায় তিনি পারিবারিকভাবে সুবিধাভোগী। তাঁর পরিবার তাঁকে তাড়িয়ে দেয়নি। তাই বলে সামাজিকভাবে যে বঞ্চনার শিকার হননি, তা নয়। বিয়ে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারেন না, মানুষ বাজে গালি দেয়। ময়মনসিংহে পড়ার সময় মেসের অন্যদের অত্যাচারে সেখানে টিকতেই পারেননি। রাস্তাঘাটে বের হলে এখন পর্যন্ত বাজে গালি পিছু ছাড়ে না। বাবা বেঁচে নেই। আরিফাকে কেউ গালি দিয়েছে শুনলে মা শুধু কাঁদেন। পরিবারে দুই ভাই আছেন। তাঁদের সংসার রয়েছে।ছোটবেলার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে আরিফা বলেন, ‘বয়স তখন আট বছর হবে। বাবা ঈদের জামা কিনতে নিয়ে গেলেন। আমি ছেলেদের শার্ট না কিনে একটি ফ্রক কিনে বাড়ি ফিরলাম। বাবা কিছু না বললেও বড় ভাই খুব মার দিলেন। তারপর আস্তে আস্তে নিজের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাই। এখন শাড়ি পরি।’আরিফা বলেন, অনেক হিজড়া ভিক্ষাবৃত্তি করতে চায় না। তাদের জন্য সরকার যদি কোনো ব্যবস্থা নেয়, তাহলে সমাজের মানুষও বাঁচবে, হিজড়ারাও বাঁচবে। এখন তো দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।
298,521
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১২:২২
১০ মে ২০১৯, ১৪:৩১
মোস্তাফা জব্বার,তথ্যপ্রযুক্তি
null
বাংলাদেশে এখনো ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়নি: মোস্তাফা জব্বার
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1590724
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘আগামী দিনের পৃথিবী হবে প্রযুক্তি ও মেধানির্ভর। তাই পরিবর্তিত প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হলে আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা প্রথম শিল্প যুগের। এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে না। বাংলাদেশে এখনো সেভাবে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়নি।’তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে দিনব্যাপী ‘শিক্ষক সম্মেলন ২০১৯’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘ভবিষ্যৎ শিক্ষা-ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং এ টু আই।মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আমাদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে কর্মসংস্থানের। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মোকাবিলায় আমাদের এখনো দক্ষতার অভাব রয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের ডিজিটাল যুগের দক্ষতা দেওয়াই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। একটা শিশু ৬ বছর বয়সে স্কুলে গেলে তারও ১২ বছর পর হয়তো কর্মজীবন শুরু করবে। অর্থাৎ যে শিক্ষা এখন পেলে শিশুটি ১৮ বছর পর কর্মজীবনে ভালো করবে, সেই শিক্ষা তাকে দিতে হবে।’বাংলাদেশে এখনো সেভাবে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়নি মন্তব্য করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘শুধু কম্পিউটার ব্যবহার করা, পাওয়ার পয়েন্টে কিছু স্লাইড তৈরি করা অথবা পাঠ্যপুস্তককে পিডিএফ করে ই-বুক তৈরি করাই ডিজিটাল শিক্ষা নয়। ডিজিটাল শিক্ষার মধ্যে আমরা যেটি করতে পেরেছি তা হলো কম্পিউটার নিয়ে মানুষের ভয় কমেছে।’পরিবর্তিত প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে শিক্ষকদের আরও বেশি জ্ঞান চর্চার এবং সৃজনশীল হওয়ার আহ্বান জানান মোস্তাফা জব্বার। শিশুদের হাতে এখন পৃথিবীর সব থেকে বড় লাইব্রেরি ইন্টারনেট রয়েছে। তাই শুধু ভালো শিক্ষকেরা, সৃজনশীল শিক্ষকেরা টিকে থাকবেন।সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, একটা ডিভাইস শিশুদের হাতে দিলে তারা খুব আগ্রহ নিয়ে সেটি ব্যবহার করে। খুব দ্রুত সেগুলো সম্পর্কে শেখে শিশুরা। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই শিশুদের তৈরি করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আইটি ল্যাব ও ডিজিটাল ক্লাসরুমগুলো অনেক জায়গায় অবহেলায় পড়ে থাকে। এগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।একসেস টু ইনফরমেশনের (এ টু আই) প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন মোস্তফা আজাদ, ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রভাষক দিদারুল আলম। শেষে ডিজিটাল কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষকদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
399,509
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
entertainment
বিনোদন
০২ জুন ২০১৯, ১৯:৩৯
০২ জুন ২০১৯, ১৯:৪১
টেলিভিশন
null
বাবার পাশেই দাফন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1597436
রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে গুলশানের আজাদ মসজিদে নেওয়া হয়েছে প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের মরদেহ। সেখানে শেষ গোসলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হবে মিরপুরে তাঁর বাসভবনে। এশার নামাজের পর রূপনগরের স্থানীয় মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা নামাজ হবে। আগামীকাল সোমবার সকাল নয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হবে। সেখান থেকে তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলার হাটে নেওয়া হবে। সেখানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে একুশে পদক পাওয়া অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদকে। প্রথম আলোকে আজ রোববার বিকেলে এসব তথ্য জানান অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের ছেলে ডা. তিতাস মাহমুদ।আজ দুপুরে মারা গেছেন অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে বেলা ৩টা ৪৮ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী এবং দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।বেশ কয়েক দিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন। এর আগে তিনি একাধিকবার লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরে এসেছিলেন। তবে এবার আর ফেরা হয়নি।অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন। জগন্নাথ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।লেখক হিসেবেও সুখ্যাতি ছিল অধ্যাপক মমতাজউদদীনের। ৫০টিরও বেশি বই লিখেছেন তিনি। মমতাজউদদীন আহমদের লেখা নাটকগুলো হচ্ছে বিবাহ, স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, বর্ণচোরা, এই সেই কণ্ঠস্বর, কী চাহ শঙ্খচিল, সাতঘাটের কানাকড়ি, রাজা অনুস্বরের পালা, স্পার্টাকাস বিষয়ক জটিলতা, হরিণ চিতা চিল, ফলাফল নিম্নচাপ, যামিনীর শেষ সংলাপ, এ রোদ এ বৃষ্টি, বুড়িগঙ্গার সিলভার জুবিলি, হৃদয় ঘটিত ব্যাপার স্যাপার, আমাদের মন্টুমিয়া, ইদানীং শুভ বিবাহ, একটি কালো সুটকেস, প্রতিদ্বন্দ্বী, দ্বৈরথ, দ্বন্দ্ব, দ্বিধা, দহন। তাঁর রূপান্তর নাটকগুলো হচ্ছে ক্ষতবিক্ষত, হাস্য লাস্য ভাষ্য, পুত্র আমার পুত্র। ছোটদের জন্য তিনি লিখেছেন বকুলপুরের স্বাধীনতা, সুখী মানুষ, রাজার পালা, বাউল বাঁশির সুর, তরুকে নিয়ে নাটক।
404,558
-1
entertainment
বিনোদন
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৪৫
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৫১
আনন্দ
0
‘ফাগুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার, মা বলেছেন জন্ম আমার’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1431716
‘বন্দে মায়া লাগাইছে,’ ‘গাড়ি চলে না চলে না, চলে না রে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘আমি কুলহারা কলঙ্কিনী’সহ অসাধারণ সব গানের জনক শাহ আবদুল করিম। ‘বাউলসম্রাট’খ্যাত এই শিল্পীর গোটা জীবন কেটেছে গানের সঙ্গে। লোকায়ত ধারার এই বাউল-কবির গানে ফুটে ওঠে ভাটি অঞ্চলের মানুষের সুখ-দুঃখ আর প্রকৃতির রূপ। আজ এই বাউল কবির জন্মদিন। তাঁকে স্মরণ করেছেন মাসুম আলীসেই বিকেলের কথা খুব মনে পড়ে। বসন্তের বিকেল। ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। জন্মদিনকে উপলক্ষ করে ছোট্ট ঘরোয়া আয়োজন ছিল। সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধলআশ্রম গ্রামের বাড়িতে বসে শাহ আবদুল করিমের মুখেই শুনি তাঁর জন্মদিনের গল্পটা।নিজের জন্মতারিখটা মনে রেখেছিলেন গান বেঁধে, ‘ফাগুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার, মা বলেছেন জন্ম আমার’। অনেক গল্প সেদিন শুনেছিলাম। গানের গল্প, বেড়ে ওঠার গল্প, থেমে না যাওয়ার গল্প। স্থপতি ও নির্মাতা শাকুর মজিদ তাঁর প্রামাণ্যচিত্র ভাটির পুরুষ-এ এসব ধারণ করেন। সেবার মূলত তাঁর অসিলায় দিরাই যাওয়া।‘মায়া লাগাইছে’ গানের স্রষ্টার মধ্যেই গভীর এক মায়া ছিল। মায়া ছিল নির্লোভ-নিরহংকার মানুষটার কথায়, হাসিতে, চলাফেরায়।শাহ আবদুল করিমকে দেখার, কথা বলার তীব্র ইচ্ছায় বেশ কয়েকবার ছুটে গেছি তাঁর গ্রামে! শুনেছি তাঁরই ভাবশিষ্য আবদুর রহমান, রোহী ঠাকুর, কাইয়ুম শাহ, রণেশ ঠাকুরদের মায়াবী কণ্ঠের প্রচলিত-অপ্রচলিত কত গান। পেয়েছি তাঁর ছেলে শাহ নূর জালালের আন্তরিক আতিথ্য।শহর, আড়ম্বর, আভিজাত্য—এসব আবদুল করিমের ভালো লাগত না। যে কয়বার তাঁকে ঢাকায় দেখেছি, তিনি ছটফট করেছেন কখন বাড়ি যাবেন। কালনী নদীর পাড়ে যাবেন। ছেলেকে বারবার তাগাদা দিতেন, ‘কিতা বাড়ি যাইত না’!শেষ বয়সে সিলেটে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবদুল করিম এসেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে আয়োজকেরা সোয়া তিন লাখ টাকার চেক তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন, সেটা ছিল সোয়া তিন হাজার টাকার চেক! চেক হাতে নিয়ে আয়োজকদের উদ্দেশে মন্তব্য করলেন, ‘আপনাদের ভালো লাগায় আমি মুগ্ধ। আমার মতো নিতান্তই অভাজন এক ব্যক্তির হাতে আপনারা সোয়া তিন হাজার টাকা তুলে দিলেন। আপনাদের ভালোবাসার এই অশেষ ঋণ আমি আজীবন মনে রাখব।’ তাত্ক্ষণিকভাবে উপস্থিত আয়োজকদের একজন করিমের ভুল ভাঙিয়ে জানান যে সোয়া তিন হাজার নয়, সোয়া তিন লাখ টাকার চেক সম্মাননাস্বরূপ তাঁকে দেওয়া হয়েছে।কথা শুনে বাউলসম্রাট চমকে উঠলেন। চেয়ারে বসা ছিলেন, মুহূর্তেই উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, ‘অসম্ভব! এটা আমি নেব না। আমার এত টাকার প্রয়োজন নেই। আমি চাই শুধু আপনাদের ভালোবাসা।’ বাউলসম্রাটের নির্লোভ চরিত্রের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে সেদিন মিলনায়তনভর্তি মানুষের চোখ ভিজে উঠেছিল। কথাটা শুনেছি সেদিন সেখানে উপস্থিত থাকা সাংবাদিক ও লোকগানের গবেষক সুমনকুমার দাশের কাছ থেকে।দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনুরাগীরা তাঁর বাড়িতে তাঁর সন্তানের মতোই বসবাস করতেন। বাড়ির পাশের দুই ভাই রণেশ ও রোহী ঠাকুর ছিলেন তাঁর খুব কাছের মানুষ। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ ছিল না তাঁর অন্তরে। মানুষকে জানা ও মানুষকে ভালোবাসার প্রচারণা করে গেছেন সারা জীবন।এই যে তাঁর গান গেয়ে এত মানুষ জনপ্রিয় হলো, আয় করল—এসব নিয়ে কখনো তিনি প্রতিবাদ দূরের কথা, অভিযোগও করেননি। শুধু বলতেন, আমার গানের বাণী যেন ঠিক থাকে, সুর যেন ঠিক থাকে।সারা জীবনই সংগ্রাম করে গেছেন মানুষটা। শৈশব-কৈশোরে খেয়ে না-খেয়ে চলেছে জীবন। দুই টাকা মাসিক বেতনের রাখালের চাকরি ছেড়ে গ্রামের পার্শ্ববর্তী ধলবাজারের এক মুদির দোকানে কাজ করেছেন। দিনে চাকরি আর রাতে হাওর-বাঁওড়ের ধারে ঘুরে ঘুরে গান গাওয়া। ওই সময় গ্রামে খোলা হয় নৈশ বিদ্যালয়। ভর্তি হলেন তাতে। কিছুদিন পর গ্রামে গুঞ্জন উঠল—এই বিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করবে, তাদের বিশ্বযুদ্ধে (প্রথম) নিয়ে যাওয়া হবে। বালক করিম আর বিদ্যালয়মুখী হননি।দিন যায়। করিম গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতে শুরু করেন। নিজের এলাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে আশপাশের উপজেলায় নাম ছড়াতে থাকে তাঁর। করিম বাউলের খোঁজে মানুষ আসে অন্য অঞ্চল থেকেও। এরপর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, কাগমারী সম্মেলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যেন বেড়ে ওঠেন শাহ আবদুল করিম ও তাঁর গান। মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য পেয়েছেন এই গানের জন্য। এসব তুখোড় রাজনীতিবিদের বক্তৃতার পাশাপাশি শাহ আবদুল করিম গণসংগীত গেয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে উজ্জীবিত করতেন মানুষকে। ১৯৬৮ সালে সতীর্থ বাউল দুরবীন শাহকে নিয়ে বিলেতে যান গান গাইতে। আবদুল করিম সিলেট বেতারে নিয়মিত আঞ্চলিক গান গাইতে শুরু করেন ১৯৭৪ সাল থেকে।নিজের অসাম্প্রদায়িক মনোভাব ও বাউলদর্শন বিলিয়ে দিতে ক্লান্তিহীন হেঁটেছেন গানের প্রান্তরে। সাত দশকব্যাপী নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে সংগীতসাধনা করতে করতে নিজের অজান্তেই অমরত্বের পথটি তৈরি করে নিয়েছেন।প্রথম আলোকেদেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ আবদুল করিম ‘গাড়ি চলে না’ গানটি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘বন্ধুর বাড়ি এ আত্মায়। গাড়িতে চড়ে আত্মশুদ্ধির সন্ধানে ছুটি। কিন্তু পাই না। রিপু থামিয়ে দেয়। একদিন হয়তো এই গাড়ি পুরোদমে থেমে যাবে। প্রকৃত মালিকের কাছে ধরা দেবে। এই করিমকে তখন মানুষ খুঁজে পাবে শুধুই গানে আর সুরে।’ভাবতেও কষ্ট লাগে। ধলআশ্রম গ্রামের সেই মানুষটা আর কখনো ভরা বর্ষায় উত্তাল হাওরের দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকবেন না। একতারা হাতে কালনীর কূলে বসে গাইবেন না ‘কোন মেস্তুরি নাও বানাইল, কেমন দেখা যায়, ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খি নাও’।
355,110
-1
entertainment
বিনোদন
২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০১
২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:১০
বিনোদন
0
চলচ্চিত্র
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/721003
এটিএন বাংলাবেলা ৩-১০ স্বপ্নের পৃথিবী (সালমান শাহ, শাবনূর)।এনটিভিসকাল ৮-৪৫ শেষ বংশধর (মান্না, ঋতুপর্ণা, মমতা কুলকার্নি, আলমগীর, ভিক্টর ব্যানার্জি)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ কাজের বেটি রহিমা (জসীম, শাবানা)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-৫০ মায়ের অধিকার (আলমগীর, ববিতা, সালমান শাহ, শাবনাজ)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ রংবাজ বাদশা (মান্না, কেয়া, অমিত হাসান)।গাজী টিভিসকাল ১০-৩০ মধু পূর্ণিমা (ফেরদৌস, পূর্ণিমা)।দীপ্ত টিভিবেলা ১১-৩০ আবির্ভাব (রাজ্জাক, সুজাতা, আলতাফ, হাসমত)।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩০ কলঙ্কিনী বধূ (প্রসেনজিৎ, শতাব্দী রায়)।জলসা মুভিজ (ইন্ডিয়া)সকাল ৮-০০ প্রতিদ্বন্দ্বী। ১২-১০ ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে (সোহম, শ্রাবন্তী)। ৩-৪৫ প্রলয় (পরমব্রত, পরান, মিমি, শাশ্বত)। ৬-২০ শুভদৃষ্টি (জিৎ, কোয়েল মল্লিক)। ৯-৩০ চিরদিনই তুমি যে আমার ২ (অর্জুন, ঊর্মিলা)।
186,416
রোকেয়া রহমান
opinion
মতামত
০১ জুলাই ২০১৬, ০০:০৬
০১ জুলাই ২০১৬, ০০:০৮
মতামত,লেখকের কলাম
null
‘গরুর মাংস খাইতে খুব মন চায়’
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/904525
‘আমার নাম লোকমান। ভালা নাম সাফায়েত হোসেন। বয়স হইল গিয়া ১২ বচ্ছর। কেলাস ফাইভে পড়ি। ইশকুলের নাম মতিঝিল আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।’ নাম জিজ্ঞেস করতেই ছেলেটি এক নিশ্বাসে এসব তথ্য আমাকে দেয়।গত ২৬ জুন সকালে লোকমানের দেখা পাই রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। মায়ের সঙ্গে সে তখন বিভিন্ন বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করছিল। এরই এক ফাঁকে কথা বলি তার সঙ্গে। কথায় কথায় জানা গেল নানা তথ্য।প্রতিদিন সকালে মায়ের সঙ্গে বের হয় লোকমান। তার মা শাহিদা বেগম প্রতিদিন রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার প্রায় ২০০ বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহের কাজ করেন। আর লোকমানের কাজ হলো মাকে সাহায্য করা। মা তার অসুস্থ কিনা।জানতে চাই, ‘তোমার মায়ের কী অসুখ হয়েছে?’‘মায়ের ডাইবেটিস আছে। গলার অসুখ আছে। কিছু খাইতে পারে না। খাইলেই গলায় বাইজ্যা যায়। ট্যাকার অভাবে ডাক্তার দেহাইতে পারে না।’‘কত টাকা বেতন পান তোমার মা?’‘সাড়ে সাত হাজার টাকা। কিন্তু সংসারে সব ট্যাকা খরচ হইয়া যায়। বাড়িভাড়া সাড়ে চার হাজার ট্যাকা। পানির বিল, কারেন্টের বিল দেওন লাগে। আমার পড়ার খরচও অনেক। ইশকুল থেইক্যা বেতন লয় না। তয় কোচিংয়ে ১ হাজার ২০০ ট্যাকা দেওন লাগে। এক খালার কাছে পেরাইভেট পড়ি। তারে দেওন লাগে ৫০০ ট্যাকা। হের উপর বাজার সদাই আছে। হের লাইগ্যা মায়ের কাছে ডাক্তার দেহানোর ট্যাকা আর থাকে না।’লোকমানদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায়। তবে গ্রামে তাদের যাওয়া হয় খুবই কম। এখন থাকে রাজধানীর উত্তর বাসাবোর এক কক্ষের একটি টিনশেড বাড়িতে। তার বাবার নাম মো. ইউনুস। শাহজাহানপুর অফিসার্স ক্লাবে থালাবাসন ধোয়ার কাজ করেন। মাস শেষে তিনি কত টাকা পান, তা লোকমান জানে না। সকাল ছয়টায় লোকমান মায়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর ময়লার গাড়ি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা সংগ্রহের কাজে নেমে পড়ে। সাধারণত গৃহকর্মীরা ময়লা এনে গাড়িতে ফেলেন। যেসব বাসায় গৃহকর্মী নেই, সেসব বাড়ি থেকে ময়লা নিয়ে আসে লোকমান। বিনিময়ে মাস শেষে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা মেলে। কোনো কোনো বাসা থেকে নাশতাও মেলে।রোজার মাস বলে এখন ময়লা সংগ্রহের পুরো সময়টায় সে মায়ের সঙ্গে থাকে। কিন্তু যখন স্কুল খোলা থাকে তখন নয়টার সময় বাসায় ফিরে যায়। এরপর তৈরি হয়ে স্কুলে যায়। সকাল ১০টা থেকে স্কুল শুরু। চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত। এরপর আড়াইটা থেকে কোচিং শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল চারটায়। বাড়ি ফিরে ভাত খেয়ে সন্ধ্যা ছয়টার সময় প্রাইভেট পড়তে যায়। ছুটি মেলে রাত আটটায়। এরপর আবার বাড়ি ফেরা।‘তোমার আর ভাইবোন নেই?’‘একটা ভাই আছে। আমার থেইক্যা বড়। তার নাম বজলু।’‘তোমার ভাই কি পড়ালেখা করে? স্কুলে যায়?’‘না, হে পড়ালেখা করে না। কেলাস ফোর পর্যন্ত পড়ছে। কোনো কাইমকাইজও করে না। খালি বন্ধুবান্ধবগো লগে ঘুরে।’‘তোমার পড়ালেখা করতে ভালো লাগে?’‘হ, ভালাই লাগে। তয় ইংরাজিটা কডিন লাগে। অনেক সময় কিছু বুজবার পারি না।’‘বাসায় টেলিভিশন আছে?’‘হ, আছে। ডিশের লাইনও আছে।’‘কোন চ্যানেল বেশি দেখো?’‘সনি চ্যানেলে ভূতের নাটক দেখি বেশি।’‘আজ সকালে কী নাশতা খেয়েছো?’‘ও আল্লাহ! কী কন? আমি তো রোজা আছি।’‘রোজার মাস ছাড়া অন্য সময় সকালে কী দিয়ে নাশতা করো?’‘বাড়িতে কোনো নাশতা নাই। মা আমারে ১০-১৫ ট্যাকা দেয়। হেই ট্যাকা দিয়া শিঙাড়া-মিঙাড়া এই সব খাই।’‘শুধু শিঙাড়া খেয়ে পেট ভরে তোমার?’‘প্যাট ভরে না এইডা ঠিক। কিন্তু কী করুম। মায়ে তো এর থেইক্যা বেশি দিবার পারে না।’‘ভাতের সঙ্গে কী তরকারি খাও?’‘শাক, ডাইল এই সব দিয়া ভাত খাই। মাজেমইধ্যে যেসব বাড়ি থেকে ময়লা লই, হেইসব বাড়ি থেইক্যা মুরগির চামড়া, গিলা-কলিজা এই সব দেয়। এইগুলা আমার মা রান্দে। হেই দিয়া ভাত খাই।’‘তোমার কী খেতে বেশি ইচ্ছা করে’‘আন্টি আপনারে কই, আমার গরুর মাংস খাইতে খুব মন চায়। কিন্তু মাংসের দাম এত বেশি, আমার মা কিনবার পারে না। হের লাইগ্যা খাইতে পারি না।’‘সামনে তো ঈদ। ঈদের জামা কিনেছ?’‘না অহনও কিনি নাই। ঈদের সময় অনেক বাড়ি থেকে মায়েরে বকশিশ দিব। তহন হেই ট্যাকা দিয়া মা আমারে জামা কিন্যা দিব।’‘ঈদের বাজার কোথায় করো?’‘শাহজাহানপুর খেলার মাঠের পাশে রেল কলোনির বাজার আছে। ঈদের আগের রাইতে সেইখানে গিয়া পছন্দ কইরা গেঞ্জি-প্যান্ট কিনি।’‘তোমার মা নিজের জন্য কিছু কেনেন না?’‘মায়ে তো অনেক শাড়ি পায়। অনেক বাসা থেইক্যা মায়েরে শাড়ি দেয়। হেইগুলাই মা ঈদের দিন পরে। নিজের আর কিনন লাগে না।’এরপর লোকমান আর দাঁড়ায় না। বলে, ‘অনেক দেরি হইয়া গেছে আন্টি। আপনার লগে পরে কথা কমু।’ এই বলে দৌড়ে চলে যায় ময়লার গাড়ির দিকে।রোকেয়া রহমান: সাংবাদিক।
237,537
লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১৭
১৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১৮
লালমনিরহাট,রংপুর বিভাগ
0
শোক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/505762
হামিদা বেগমলালমনিরহাট শহরের বিডিআর রোডের বাসিন্দা হামিদা বেগম (৮৪) গতকাল শুক্রবার সকালে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি সমাজসেবক মরহুম আবদুর রহমানের স্ত্রী এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানের মা। মৃত্যুকালে তিনি ছয় সন্তান রেখে গেছেন। জেলা শহরের গিয়াসউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গতকাল বিকেলে জানাজা শেষে তাঁকে লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
132,128
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
৩০ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৩৬
৩০ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৩৮
ইউরোপ
null
১০০ জনকে খুন করেছেন তিনি!
http://www.prothom-alo.com/international/article/1563277
জার্মানির সাবেক নার্স নিয়েটস হোগে (জার্মান উচ্চারণে) ছয়জন রোগী হত্যার দায়ে জেল খাটছেন। কিন্তু এখন সন্দেহ বাড়ছে তিনি এর চেয়েও বেশি খুন করেছেন। তবে তা একটি-দুটি বা চার-পাঁচটির বেশি নয়, তিনি ১০০ জনকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে আজ মঙ্গলবার থেকে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। তবে ঘটনার তদন্তে নিয়োজিত কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি ২০০–এর বেশি খুন করে থাকতে পারেন।জার্মান এই লোকের বয়স ৪২ বছর। তিনি দেশটির উত্তরে উপকূলীয় শহর ভিলহেমসাফনে জন্ম নেন। বাবাও ছিলেন নার্স। বাবার মতো ১৯ বছর বয়সে হোগে নার্স পেশায় প্রবেশ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি জার্মানির ওডেনবার্গের একটি প্রধান হাসপাতালে নার্স হিসেবে যোগ দেন। ২০০৩ সালে তিনি পাশের ডেমেনহোর্স্ট জেলায় বদলি হন।এক কন্যার বাবা হোগেকে সাবেক সহকর্মীরা পরিশ্রমী ও পছন্দসই ব্যক্তি হিসেবেই মনে করতেন। কিন্তু তাঁরা হঠাৎ লক্ষ করা শুরু করেন, হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে (আইসিইউ) হোগের তত্ত্বাবধানে থাকা বেশ কয়েক জন রোগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে ‘সমস্যা’ রয়েছে। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে মৃত্যু পথযাত্রী বেশির ভাগ বয়স্ক রোগীদের ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত ডোজ প্রয়োগ করে তিনি মৃত্যু ত্বরান্বিত করতেন। ২০০৫ সালে তিনি হাতেনাতে ধরা পড়েন।হোগের ব্যাপারে মনোচিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি (হোগে) নারসিসসিসটিক ডিজঅর্ডারে ভুগছেন। নারসিসসিসটিক পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার (এনপিডি) একটি ব্যক্তিত্ব–সংক্রান্ত অসুস্থতা। এ সমস্যায় ভোগা মানুষের মধ্য দীর্ঘ সময় ধরে অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায়। তাঁরা নিজেদের বেশি গুরুত্ব দেন। বেশি বেশি প্রশংসা প্রাপ্তির চাহিদা থাকে তাঁদের। সেই সঙ্গে তাঁদের মধ্যে সহানুভূতিরও অভাব দেখা যায়।১০০ জনেরও বেশি রোগীকে হত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে হোগেকে। তবে হোগে ৩০ জনের মতো রোগী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এদিকে তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন, হোগের হাতে হত্যার শিকার রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি প্রকৃতভাবে কতজনকে হত্যা করেছেন, সে সংখ্যা কখনো জানা সম্ভব হবে না, কারণ আরও যেসব রোগীকে মৃত্যুর আগেই হোগে মেরে ফেলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের অনেককে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সমাহিত করা হয়েছে।ওডেনবার্গে অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের সহায়তাকারী সংগঠন ভাইসা রিং এর পেত্রা ক্লাইন বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারি না , যাঁদের হোগে হত্যা করেছেন, তাঁদের সবার কথা মনে করতে পারেন তিনি। এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা।’হোগের তত্ত্বাবধানে এত রোগীর সন্দেহজনক মৃত্যুর কারণে ২০০২ সালের শেষ দিকে ওডেনবার্গের ওই হাসপাতাল তাঁকে চাকরিচ্যুত করে। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে কোনো তদন্ত করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।ডেমেনহোর্স্টে হোগের হাতে এমন মৃত্যুর শিকার এক ব্যক্তির নাতি ক্রিস্টিয়ান মারবাখ বলেন, ‘তারা (হাসপাতাল) ওই ভুল না করলে নিয়েটস হোগের এমন হত্যা হয়তো বন্ধ করা যেত।’এদিকে বিচারে হোগের সহকর্মীদের সাক্ষী দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। মারবাখের আশা, কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হোগে হয়তো ‘সব সত্য প্রকাশ’ করবেন।পুলিশের কাছে ডেমেনহোর্স্ট হাসপাতালের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রোগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় হোগে ডিউটিতে ছিলেন।পুরো ঘটনায় একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি ফুটে উঠলেও শুধু ২০০৮ সালের ঘটনা নিয়ে বিচার শুরু করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। ওই সময়ে মারা যাওয়া কয়েকজন ব্যক্তির স্বজনদের চাপের মুখে আটটি মরদেহ সমাধি থেকে তোলা হয়। তথ্যসূত্র: বিবিসি
380,984
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২০
২৪ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২১
জামালপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
হাসপাতালে পানি নেই চার দিন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/838858
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ। এতে রোগীসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে হঠাৎ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানির পাম্পে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর থেকে কমপ্লেক্সে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে রোগী, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজনকে বাইরে থেকে পানি সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাজ করতে হচ্ছে। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় জরুরি রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর চার দিন পার হলেও পানির পাম্প মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘হাসপাতালে পানি না থাকায় প্রস্রাব-পায়খানার গন্ধে থাকা যাচ্ছে না।’ রোগী জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শিরিন শিলা বলেন, ‘পানি না থাকায় চরম কষ্টে আছি।’ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) ফজলুল হক বলেন, পানির পাম্প বিকল হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
223,193
-1
sports
খেলা
১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:২৪
১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:২৫
খেলা
0
ভালুক বনাম বক্সার
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1038053
ভালুকের সঙ্গে মানুষের ধস্তাধস্তি হয় বনে-জঙ্গলে। কিন্তু ১৯৪৯ সালে বিশেষ বক্সিংয়ে এক ভালুকের মুখোমুখি হয়েছিলেন গাস ওয়ালডর্ফ! মুখ বেঁধে ও গ্লাভস পরিয়ে নখ ঢেকে নামানো ভালুকটির সঙ্গে পারেননি ওয়ালডর্ফ।
273,291
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
২৪ এপ্রিল ২০১৭, ২০:৫০
২৪ এপ্রিল ২০১৭, ২১:০২
-1
null
নারীরাই ভালো বস!
http://www.prothom-alo.com/international/article/1156346
কর্মক্ষেত্রে কে বেশি ভালো বস—নারী নাকি পুরুষ? এমন প্রশ্নের উত্তর যা–ই হোক না কেন, কর্মক্ষেত্রে নারী বসের সংখ্যা খুবই কম। কারও কারও ধারণা, বস হিসেবে নারীরা মোটেও ভালো নন। আর তাঁরা সফল হতে পারেন না। কিন্তু এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন একদল গবেষক। তাঁরা বলছেন, পুরুষেরা নন—কর্মক্ষেত্রে বস হিসেবে নারীরাই ভালো।ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি বিআই নরওয়েজিয়ান স্কুলের লিডারশিপ অ্যান্ড অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়র বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অয়ভিন্দ এল মার্টিনসেনের নেতৃত্বে একদল গবেষক এ গবেষণা করেন। গবেষণাটি করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ব্যবস্থাপক ও কর্মীর ওপর জরিপ করেন।গবেষণায় পাওয়া ফলাফল উদ্ধৃত করে গবেষকেরা বলছেন, নারী বস কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে কর্মীদের উৎসাহ দেন। এ ছাড়া কর্মীদের সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রেও অনেকটা ছাড় দিয়ে কাজ আদায় করে নেন। এতে কর্মীদের কাছে নারী বস জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীরাই বেশি জনপ্রিয়। কারণ, নারী বসরা কর্মীদের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করেন, সুষ্ঠুভাবে কাজ আদায় করে নিতে অধস্তনদের সঙ্গেও তাঁরা সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। এ ছাড়া কর্মীরা যাতে কাজ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারেন, সেদিকে পুরুষদের চেয়ে নারী বসদের দৃষ্টি ইতিবাচক থাকে।প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব কর্মীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই মত দিয়েছেন, অফিসে নারী বস থাকলে কর্মীদের কাজের গতি বাড়ে এবং কাজও ভালো হয়। কারণ, নারী বসরা পুরুষ বসের চেয়ে কর্মীদের বেশি উৎসাহ দেন। কর্মীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিও নারী বস গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন।গবেষণা আরও বলা হয়, অফিসে নারী বস থাকলে কর্মীরা সাধারণত বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলেন। যেমন ‘অফিসে এমন একজন আছেন, যিনি উন্নতির ব্যাপারে উৎসাহ দেন’; ‘গত ছয় মাসে কাজের উন্নতির ব্যাপারে কেউ কথা বলেছেন’; ‘গত সাত দিনে ভালো কাজের স্বীকৃতি মিলেছে’।
313,198
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:০৫
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:১৫
রাজধানী (জাতীয়)
null
একুশে পদক পাচ্ছেন ১৭ বিশিষ্টজন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1079821
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ১৭ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০১৭ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০ ফেব্রুয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে একুশে পদক দেবেন।আজ রোববার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। পদকের জন্য মনোনীত বিশিষ্ট নাগরিকেরা হলেন ভাষা আন্দোলনের জন্য ভাষাসৈনিক অধ্যাপক শরিফা খাতুন, শিল্পকলায় (সংগীত) সুষমা দাস, জুলহাস উদ্দিন আহমেদ, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম, শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) তানভীর মোকাম্মেল, শিল্পকলায় (ভাস্কর্যে) সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, শিল্পকলায় (নাটক) সারা যাকের, সাংবাদিকতায় আবুল মোমেন ও স্বদেশ রায়, গবেষণায় সৈয়দ আকরম হোসেন, শিক্ষায় প্রফেসর ইমেরিটাস আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, সমাজসেবায় অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, ভাষা ও সাহিত্যে (মরণোত্তর) কবি ওমর আলী, ভাষা ও সাহিত্যে সুকুমার বড়ুয়া, শিল্পকলায় (নৃত্য) শামীম আরা নীপা এবং শিল্পকলায় (সংগীত) রহমতউল্লাহ আল মাহমুদ সেলিম।
292,657
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ নভেম্বর ২০১৬, ০৩:০৩
০৫ নভেম্বর ২০১৬, ০৩:০৪
মানিকগঞ্জ,রাজধানীর চারপাশ​​,অপরাধ
0
নিখোঁজের তিন দিন পর মিলল লাশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1014669
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশ থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে মোখলেছুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন।মোখলেছুর জামালপুর সদর উপজেলার পলাশগড় গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। মোখলেছুর রহমানের শ্যালক নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁর বোন ও ভগ্নিপতি ঢাকার আগারগাঁওয়ের তালতলা এলাকার মোল্লাপাড়া মহল্লায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভগ্নিপতি গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাসা থেকে কারওয়ান বাজারে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সকালে বানিয়াজুরী এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।ঘিওর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তৌহিদুল ইসলাম গতকাল বিকেলে বলেন, ওই যুবককে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা ফেলে রেখে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
262,442
মোস্তাফিজুর রহমান
education
শিক্ষা
৩১ জুলাই ২০১৫, ০২:৫৩
৩১ জুলাই ২০১৫, ০২:৫৪
পড়াশোনা
0
বাংলা ১ম পত্র
http://www.prothom-alo.com/education/article/589708
নারীপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতা থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।লোকগীতিশিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া জীবিকার তাগিদে কোদাল-টুকরি নিয়ে পুরুষ শ্রমিকদের সঙ্গে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাটি কাটেন। দিন শেষে মজুরি মেলে ২০০ টাকা, কিন্তু পুরুষ শ্রমিক পান ৩০০ টাকা। হায়রে, এ কেমন আইন? মলিকপক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর পান—এটাই নিয়ম, এটাই আইন।প্রশ্ন: ক. ‘নারী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত? ১খ. ইতিহাসে পুরুষের অবদান যতটা লেখা হয়েছে, নারীর অবদান ততটা লেখা হয়নি কেন? ২গ. উদ্দীপকের ভাবের সঙ্গে কীভাবে ‘নারী’ কবিতার ভাবার্থ সাদৃশ্যপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করো। ৩ঘ. ‘উদ্দীপকটি “নারী” কবিতার একটি খণ্ডচিত্র মাত্র’—মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪উত্তর-ক. ‘নারী’ কবিতাটি সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।উত্তর-খ. পৃথিবীতে নারী-পুরষের অধিকার সমান গুরুত্ব পায়নি বলে ইতিহাসে পুরুষের অবদান যতটা লেখা হয়েছে, নারীর অবদান ততটা লেখা হয়নি।সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম নর ও নারীর সমান অধিকারে আস্থাবান। কিন্তু পুরুষশাসিত এ সমাজে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এখানে সকল মহত্ কর্মের জন্য পুরুষকে বাহবা দেওয়া হয়। কিন্তু নারীকে প্রায়শই তাঁর কর্মের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এ কারণেই ইতিহাসে নারীর চেয়ে পুরুষের অবদান বেশি লেখা হয়েছে।উত্তর-গ. উদ্দীপকের ভাবে নারীর প্রতি বৈষম্য ও শোষণের দিকটি প্রকাশিত হওয়ায় তা ‘নারী’ কবিতার ভাবার্থের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। উদ্দীপকের লোকগীতিশিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া জীবিকার তাগিদে কোদাল-টুকরি নিয়ে পুরুষ শ্রমিকদের সমান কাজ করলেও সমান মজুরি পাননি। তিনি নারী বলে এমন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। আর এ বৈষম্যের কারণ জানতে চাইলে তাঁকে জানানো হয়—এটাই নিয়ম, এটাই আইন। আবার ‘নারী’ কবিতায় দেখা যায়, জগতের বড় বড় জয়-অভিযানে নারীর অবদান অসামান্য। নারী কবিতায় ফুটে উঠেছে, নারী ও পুরুষের সমান অবদানের কথা। কিন্তু কবি বলেছেন, ইতিহাসে নারীর অবদানের মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই যুদ্ধে কতজন নর শহীদ হয়েছেন, তা লেখা থাকলেও কত জন নারী তাঁর স্বামী হারিয়েছেন, তা লেখা নেই। হূদয়ভরা মমতা দিয়ে নারী উত্সাহিত করলেও বীরের স্মৃতিস্তম্ভের গায়ে তার নাম ঠাঁই পায়নি। যেকোনো মহত্ কর্মে পুরুষের অবদান একার নয়। কেননা, পুরুষকে প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে নারী। কিন্তু নারী সর্বক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার, শোষণের শিকার। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে এবং ‘নারী’ কবিতায় মূলভাবে নারীর প্রতি বৈষম্যের এবং শোষণের কথা ব্যক্ত হওয়ায় উদ্দীপক এবং আলোচ্য কবিতাটি সাদৃশ্যপূর্ণ।উত্তর-ঘ. ‘নারী’ কবিতায় চিত্রিত বহুমুখী বিষয়ের মধ্যে উদ্দীপকে শুধু নারীর প্রতি বৈষম্য ও শোষণের চিত্র চিত্রিত হয়েছে।উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে, কাঙালিনী সুফিয়া নারী বলে শোষণ ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তিনি পুরুষের সমান কাজ করে মজুরি পেয়েছেন মূল মজুরির দুই-তৃতীয়াংশ। অর্থাত্ নারীর প্রতি বঞ্চনার চিত্র উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে, ‘নারী’ কবিতায় কবি মমতার গান গেয়েছেন। আর এ গান গাইতে গিয়ে তুলে ধরেছেন নারীর প্রতি বৈষম্যের চিত্র, নারীকে অন্যায়ভাবে দমিয়ে রাখার কথা। তবে এ কবিতায় আরও বলা হয়েছে, পুরুষ যদি নারীর অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে, তবে পুরুষই ভুক্তভোগী হবে। কেননা, নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষ কখনো একা সামনে অগ্রসর হতে পারবে না। আর এখন যুগ এসেছে সাম্যের। নারীরা জেগে উঠেছে। এমতাবস্থায় পুরুষ যদি নারীকে পীড়ন দেয়, তবে সে পীড়ন তাকেই পীড়া দেবে। অর্থাত্ সমাজ বাস্তবতার নানামুখী চিত্র কবিতায় চিত্রিত হয়েছে। পৃথিবীতে মানবসভ্যতা নির্মাণে নারী ও পুরুষের অবদান সমান। কিন্তু ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পুরুষের অবদান যতটা লেখা হয়েছে, নারীর অবদান ততটা লেখা হয়নি। সর্বক্ষেত্রে নারীর অবদানকে তুচ্ছ করে দেখা হয়েছে। ‘নারী’ কবিতায় কবি নিপুণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন নারীর অবদান, নারীর প্রতি বৈষম্য, নারীকে অবমাননার ফল, নারীর উন্নয়ন, সমাজের অগ্রগতির উপায় প্রভৃতি। আর উদ্দীপকে শুধু নারীর প্রতি বৈষম্যের দিকটি চিত্রিত হয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি, ‘উদ্দীপকটি “নারী” কবিতার একটি খণ্ডচিত্র মাত্র’।শিক্ষকবীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা
156,278
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৫
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৫
বিশাল বাংলা
0
উদীচীর পিঠা উৎসব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/447748
যশোরের কেশবপুরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে গত রোববার পিঠা উৎসব হয়েছে। উৎসবে পিঠার কারিগর পাঁচজন নারীকে পুরস্কৃত করা হয়। সন্ধ্যায় ‘রক্তকরবী’ উন্মুক্ত মঞ্চে প্রদীপ জ্বালিয়ে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এতে কবিতাপাঠ, সংগীতানুষ্ঠান, নৃত্য ও নাটক মড়া মঞ্চস্থ হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে বিভিন্ন রকমের পিঠা দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা শরীফ রায়হান কবির, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদ মোমেন মজুমদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা মনি মোহন ধর প্রমুখ। কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
114,250
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ জুলাই ২০১৫, ০১:১৬
১১ জুলাই ২০১৫, ০১:১৮
নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা
0
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/574870
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজ্জাকের মোড়ে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে গতকাল শুক্রবার সকালে একটি ট্রাক অপর একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে চালকের সহকারী মালেক হোসেন (৩৫) ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। বনপাড়া হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মাহবুবুর রহমান বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। নাটোর প্রতিনিধি|
152,038
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
৩০ এপ্রিল ২০১৫, ০০:১৩
৩০ এপ্রিল ২০১৫, ০১:০৪
বাণিজ্য,পোশাকশিল্প
0
বিভিন্ন ধরনের কর–সুবিধা দাবি পোশাক খাতের
http://www.prothom-alo.com/economy/article/516019
বিভিন্ন ধরনের কর ছাড় চান রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও এর পশ্চাৎপদ শিল্পের মালিকেরা। উৎসে কর দশমিক ৩ শতাংশ হারের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে তৈরি পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আর নিট পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ চায়, রপ্তানি মূল্যের ওপর নয়, শুধু কাটিং অ্যান্ড মেকিং (সিএম) মূল্যের ওপর উৎসে কর বসানো হোক।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দুটি সংগঠনের নেতারা এসব সুপারিশ করেন। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের জুন মাস পর্যন্ত তৈরি পোশাকের রপ্তানিমূল্যের ওপর দশমিক ৩ শতাংশ হারে কর বসানোর মেয়াদ শেষ হচ্ছে।সংস্থার সদস্য মো. ফরিদউদ্দিনের সভাপতিত্বে গতকাল এনবিআর সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।বিজিএমইএ: আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও শুল্কসংক্রান্ত একগুচ্ছ বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে বিজিএমইএ। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিশ্বমন্দার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দর কমে যাওয়ায় বর্তমানে দেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছে। ২০১০ সালের পর শ্রমিকদের মজুরির পাশাপাশি বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সেবা, পরিবহনসহ অন্য খরচ বেড়েছে। এতে ব্যবসায় পরিচালনার ব্যয় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এসব কারণে চূড়ান্ত কর দায় হিসাবে বিবেচনা করে উৎসে কর হারের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।২০০৫ সালের জুলাই মাস থেকে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে কর নির্ধারিত ছিল। ২০১৪ সালের জুন মাসে এ কর হারের মেয়াদ শেষ হয়। ফলে চলতি অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর করপোরেট বা কোম্পানি কর আরোপ হওয়ার কথা। বিজিএমইএ ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে এ কর দিতে চায়।এ ছাড়া পোশাক শিল্পের রপ্তানিতে রপ্তানিমূল্যের ওপর ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজিএমই।সমিতির সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘দরের দিক থেকে তৈরি পোশাক খাত চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশে মুদ্রার মান কমেছে, বাংলাদেশে বেড়েছে। এখন আমাদের কোরামিন দেন, তৈরি পোশাক খাতের কোরামিন দরকার।’বিকেএমইএ: রপ্তানিমূল্যের ওপর নয়, কাটিং অ্যান্ড মেকিংয়ের মূল্যের ওপর উৎসে কর আরোপের প্রস্তাব করেছে বিকেএমইএ। তাদের প্রস্তাবের পক্ষে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রপ্তানিমূল্যের ৭৫-৮০ শতাংশ বিভিন্ন কাঁচামাল কেনার জন্য ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলে থাকে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের কাছে ‘কাটিং অ্যান্ড মেকিং’ মূল্য রক্ষিত থাকে। সেই মূল্যের ওপর উৎসে কর আরোপের সুপারিশ করেছে বিকেএমইএ।বিকেএমইএর অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে রপ্তানিমূল্যের ওপর নগদ সহায়তা ২ শতাংশে উন্নীত করা, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পকে ইপিজেডের মতো সুবিধা দেওয়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলের ওপর শতভাগ মূসক প্রত্যাহার।সভায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) পক্ষ থেকে বাজেট প্রস্তাব দেওয়া হয়।সভায় উপস্থিত ছিলেন রপ্তানিকারকদের সংগঠন ইএবির সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, বিকেএমইএ সহসভাপতি আসলাম সানি, বিজিএপিএমইএ সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী প্রমুখ।
135,522
রানা আব্বাস
sports
খেলা
২৬ মার্চ ২০১৫, ০৯:৫৯
১১ মে ২০১৮, ১৬:৫০
আমাদের স্বপ্ন সারথিরা,বিশ্বকাপ উৎসব
null
নিষ্পাপ চাহনির ‘ভয়ংকর’ ঘাতক
http://www.prothom-alo.com/sports/article/487009
হাসিটা অসাধারণ। চাহনিটাও কী নিষ্পাপ! অথচ তিনিই কিনা প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বুকে ধরান কাঁপন; ‘ঘাতক’ হয়ে কেড়ে নেন জয়ের স্বপ্ন! তিনি তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে যদি বাংলাদেশের প্রাপ্তি হন সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, তবে বোলিংয়ে তাসকিন।অভিষেকেই আলো ছড়িয়েছিলেন। গত বছর জুনে ফুটবল বিশ্বকাপের ডামাডোলে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ২৮ রানে ৫ উইকেট। তাসকিনের তোপেই সেদিন ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১০৫ রানে। যে ম্যাচটা হতে পারত স্মরণযোগ্য কিংবা তাসকিনময়; সেটি কিনা বাংলাদেশ ভুলে যেতে পারলেই বাঁচে! বাংলাদেশ যে অলআউট হয়েছিল মাত্র ৫৮ রানে!অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তারও আগে। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ-ডেভিড ওয়ার্নারদের। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে অভিষেক নিয়ে তাই তাসকিনের খানিকটা আফসোস, ‘ভাগ্য খারাপ! ভালো বল করেছি কিন্তু দল জিততে পারেনি।’ সেই আফসোসটা এবার অনেকটা ফুরিয়েছে। তাসকিন নিয়মিত উইকেট পেয়েছেন, দলও জিতেছে। ৬ ম্যাচে পেয়েছেন ৯ উইকেট। বিশ্বকাপের আগে আভাস দিয়েছিলেন, ‘চেষ্টা করব সর্বোচ্চ ১০ উইকেটশিকারির মধ্যে থাকতে।’ সেটা হয়নি। তবে এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন ঠিকই।তবে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সাফল্যে এখনই তৃপ্ত হতে চান না ১৯ বছর বয়সী এ পেসার। বললেন, ‘আমরা বিশ্বাস, যতটুকু পেরেছি এর চেয়ে বেশি করতে পারতাম। তবে ৯ উইকেট পেয়েছি, তার জন্য খুশি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পেরেছি বলে আরও বেশি খুশি।’২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাসকিনের। সেখানকার উইকেট সম্পর্কে প্রথম ধারণাটা পেয়েছেন তখনই। তাসকিন ভালো করেই জানতেন, অস্ট্রেলিয়ার উইকেটের আচরণ। তবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বিশ্বকাপ শুরুর আগের ১২ দিনের অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন, ‘বিশ্বকাপের আগে যে ১২ দিন অনুশীলন করেছিলাম, সেটা খুবই কাজে দিয়েছে। আসলে আমরা সবাই খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। দলে সবার অবদান ভালো ছিল। কেউ একক সাফল্য পায়নি। সবাই ভালো খেলেছে। ব্যাটিং-বোলিংয়ে সবাই ব্যক্তিগত অবদান রাখার চেষ্টা করেছে।’বিশ্বকাপে ৯ উইকেটের মধ্যে প্রতিটিই মূল্যবান। তবে এর মধ্যে সেরা মানেন ইংল্যান্ডের জস বাটলারের উইকেটটি। কেন? তাসকিন বললেন, ‘আসলে ওই মুহূর্তে উইকেটটা খুব দরকার ছিল। কারণ, সেট হয়ে গিয়েছিল বাটলার। উইকেটটা তুলে না নিতে পারলে জয়টা কঠিন হয়ে যেত।’ নিঃসন্দেহে তাসকিনের চোখে বাংলাদেশের সেরা ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিই। ওই ম্যাচে যে খুলে গিয়েছিল স্বপ্নের দরজা।উইকেট পেলেও কয়েকটি ম্যাচে ছিলেন বেশ খরচে। বিশেষ করে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে বেশি রান দিয়ে ফেলেছেন। কারণ হিসেবে বললেন, ‘আসলে কিছু ম্যাচে ব্যাটের কানাই লেগে বেশ কয়েকটি চার রান হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিলেও ‘‘এজ’’ হয়ে চারটা বাউন্ডারি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বোলারের কিছুই করার থাকে না।’আদর্শ মানেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। প্রতি ম্যাচের আগেই ভীষণ উৎসাহ পেয়েছেন অধিনায়কের কাছ থেকে। কৃতজ্ঞতা ভরা কণ্ঠে বললেন, ‘মাশরাফি ভাই খেলোয়াড় হিসেবে যেমন ভালো, মানুষ হিসেবেও। তিনি সবাইকে উৎসাহিত করেছেন। বিশেষ করে জুনিয়রদের তাদের রুমে ডেকে অনেক কিছু বুঝিয়েছেন। মাঠে-মাঠের বাইরে সবাইকে উৎসাহিত করেছেন নানাভাবে।’ কথা প্রসঙ্গে উঠল ভারতের বিপক্ষে মাশরাফির সঙ্গে তাঁর অসাধারণ উদ্‌যাপনটা নিয়ে। এমন উদ্‌যাপন নিয়ে কি কোনো পরিকল্পনা ছিল? ট্রেডমার্ক হাসি দিয়ে বললেন, ‘আসলে তাৎক্ষণিক উত্তেজনা থেকে হয়েছে। পরিকল্পনা করে নয়।’সামনের দিনগুলো নিয়ে ভাবনা প্রসঙ্গে জানালেন, কেবল পথের শুরু, এগোতে চান আরও। স্বপ্নাতুর চোখে বললেন, ‘বিশ্বে নাম্বার ওয়ান ফাস্ট বোলার হতে চাই। বড় বড় টুর্নামেন্ট খেলতে চাই।’ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালের আনন্দেই সীমাবদ্ধ থাকতে চান না। প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়েও, ‘আমরা বিশ্বকাপে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে আরও ভালো করতে সক্ষম। ভবিষ্যতে সেটাই করে দেখাব ইনশা আল্লাহ।’আরও পড়ুন:জনতার-ভিড়ে-মিশে-আছেন-তাসকিন
126,067
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ নভেম্বর ২০১৬, ০৩:০৫
২০ নভেম্বর ২০১৬, ০৩:০৬
চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম,মহানগর
0
চট্টগ্রামে তরুণ উদ্যোক্তা বাণিজ্য মেলা শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1024423
চট্টগ্রামে ১৫ দিনব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তা বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে এ মেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) চট্টগ্রাম কসমোপলিটন প্রথমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় ৪২টি স্টল ও ছয়টি প্যাভিলিয়নে তরুণ উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান কারিগর তরুণ উদ্যোক্তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বারের সভাপতি কামরুন মালেক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব, জুনিয়র চেম্বারের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।আয়োজকদের পক্ষ থেকে মেলার নানা দিক তুলে ধরেন জেসিআই চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ মোরশেদ, সংগঠনের বর্তমান সভাপতি জসিম আহমেদ ও সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ।
266,973
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ মে ২০১৯, ১৭:০৩
০৭ মে ২০১৯, ১৩:৫৪
রাজনীতি,এরশাদ,জাতীয় পার্টি,ঢাকা,বিরোধী দল
null
এরশাদের ‘নাটক’ যে বার্তা দিল স্ত্রী রওশনকে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1592502
শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিতে (জাপা) নিজের উত্তরসূরি হিসেবে ভাই জি এম কাদেরের ওপরই আস্থা রাখলেন এইচ এম এরশাদ। এ নিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে অখুশি। তবে তাঁরা এরশাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন না, পরিস্থিতি দেখছেন। যদিও সিদ্ধান্তটি জানাতে মধ্যরাতের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।গত শনিবার মাঝরাতে সাংবাদিকদের বাসায় ডেকে নিয়ে জি এম কাদেরকে জাপার ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান এবং তাঁর অসুস্থতাকালীন সময়ের জন্য তাঁকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন এরশাদ। তাঁকে সাংগঠনিক দায়িত্বও দেওয়া হয়। যদিও এর আগে একবার জি এম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে আবার সরিয়ে দিয়েছিলেন এরশাদ।জাপার দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেন, এরশাদ এমন নাটক আগেও করেছেন। সর্বশেষ মধ্যরাতের ঘটনাও নাটক কি না, তা জানতে একটু অপেক্ষা করতে হবে। জাপার নেতারা মনে করছেন, এরশাদের এই ঘোষণা মূলত স্ত্রী রওশন এরশাদ ও তাঁর অনুসারী নেতাদের উদ্দেশে একটা বার্তা। তা হচ্ছে, জি এম কাদেরই জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ নেতা। এই ঘোষণায় কার্যত দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের অবস্থান খর্ব হলো। তা ছাড়া জি এম কাদেরকে ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান ঘোষণা করায় সংসদেও একটা জটিলতা তৈরি হতে পারে।জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, বর্তমানে এরশাদের শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। তাঁর কথাবার্তা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। দলের দাপ্তরিক চিঠিপত্রেও এখন ঠিকমতো সই করতে পারেন না। এ অবস্থায় তিনি ভাইকে দলের নেতৃত্বে স্থিতিশীল দেখে যেতে চান। পরে জি এম কাদেরের নেতৃত্ব নিয়ে দলে যাতে কোনো দ্বিধা না থাকে এবং দলের ভেতর থেকে কোনো চ্যালেঞ্জ না আসে, সেটি পরিষ্কার করতেই এরশাদ এ ঘোষণা দেন। এতে দলে রওশনপন্থীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, এরশাদকে বুঝিয়ে এ বিবৃতি নেওয়া হয়েছে।জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ ফকরুল ইমাম বিষয়টিকে ‘অমানবিক’ বলে মন্তব্য করেন। রওশনপন্থী বলে পরিচিত এই নেতা প্রথম আলোকে বলেন, সব কাজের একটা সৌন্দর্য আছে। রাজনীতিতে এমন কোনো সংকট তো নেই। পরদিন সকালেও তো এসব কথা বলা যেত।অবশ্য জি এম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, এরশাদ তাঁকে অন্তত তিনবার ফোন করে বাসায় ডেকে নিয়েছেন। এরপর তিনি তাঁর অভিপ্রায় জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।২০১৬ সালের জানুয়ারিতে জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান করলে প্রতিক্রিয়ার মুখে স্ত্রী রওশনকে জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান করেন এরশাদ। সম্প্রতি জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদ ফিরিয়ে দেওয়ার পর রওশনপন্থী নেতারা তৎপর হন। সে সময় তাঁরা যাতে এরশাদের কাছে ঘেঁষতে না পারেন, সে জন্য তাঁর বারিধারার বাসায় পাহারা বসিয়েছিলেন জি এম কাদেরের অনুসারীরা।নতুন করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান জি এম কাদের। এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের চেয়ারম্যানের দৈনন্দিন কাজগুলোর পাশাপাশি আগামী কাউন্সিল উপলক্ষে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে এরশাদ তাঁকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি, সে জন্য সবার সমর্থন ও সহযোগিতা দরকার। আর এটা নিয়ে যেন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়, পার্টির চেয়ারম্যান সে জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।’জাপার সূত্র জানায়, জি এম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা করার পর জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে তাঁকে এড়িয়ে চলছিলেন। শনিবার রাতে জি এম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণার সময় দলের এক যুগ্ম মহাসচিব হাসিবুর রহমান ছাড়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ ছিলেন না। গতকাল বনানীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনেও হাসিবুর ছাড়া জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি। জি এম কাদের পদ ফিরে পাওয়ার পর থেকে হাসিবুরকে জাপার বনানীর কার্যালয় এবং এরশাদের বাসায় তৎপর থাকতে দেখা যায়।এ বিষয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে জি এম কাদের বলেন, পার্টি অফিসটা হলো একটা নিউক্লিয়াস। এটা একবারে গভর্নমেন্টের অফিস না যে এ টু জেড সবাই প্রেজেন্ট থাকবে। পার্টির সভা-সেমিনার হলে ডাকলে তাঁরা আসেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর সাংবাদিকেরা জাপায় অস্থিরতা আছে কি না, জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, ‘দলে অস্থিরতার কথা আমি একেবারে নাকচ করে দেব না। অস্থিরতা সব দলেই থাকে। তবে আমাদের দলে তা অস্বাভাবিক পর্যায়ে গেছে বলে মনে করি না।’মধ্যরাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা নিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছ থেকে প্রশ্ন ওঠার বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘এবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই এবং প্রশ্ন তোলার সুযোগও কম। যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন বা তুলতে চাচ্ছেন, তাঁরা প্রশ্ন তোলার জন্যই তুলছেন। তাঁদের ব্যাপারেও (পদ দেওয়ার) একই ব্যাপার হয়েছিল।’বর্তমানে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। আর স্ত্রী রওশন এরশাদ হলেন উপনেতা। এরশাদের অবর্তমানে বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন, তা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টির সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জি এম কাদেরকে সরিয়ে এরশাদ সম্প্রতি রওশনকে উপনেতা করেছেন। তাই এরশাদের অবর্তমানে জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা হতে হলে দলীয় সাংসদদের বেশির ভাগের সমর্থন পেতে হবে। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা নিয়ে এখন থেকেই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে দলের ভেতরে।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রওশনপন্থী একজন নেতা বলেন, এরশাদ যত দিন আছে, তত দিন জাতীয় পার্টি একরকম থাকবে। ওনার অবর্তমানে অনেক কিছুই ঘটবে দলে।
400,795
-1
international
আন্তর্জাতিক
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:৫১
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:৫২
আরব বিশ্ব
0
মিসরে আল-জাজিরার সম্প্রচার বাধা সৃষ্টির অভিযোগ
http://www.prothom-alo.com/international/article/44675
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা অভিযোগ করেছে, মিসরে তাদের সম্প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে সরকার। স্যাটেলাইট সংকেত বাধাগ্রস্ত করে এটা করা হচ্ছে।গত মঙ্গলবার আল-জাজিরার ওয়েবসাইটে বলা হয়, কোথা থেকে সংকেতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং কারা সেটা করছে, তা শনাক্ত করেছেন আল-জাজিরার ‘নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞরা’। দেখা গেছে, কায়রোর পূর্ব ও পশ্চিমের দুটি স্থান থেকে এটি করা হচ্ছে এবং সামরিক স্থাপনা থেকেই তা করা হচ্ছে।আল-জাজিরা আরও জানায়, দর্শকেরা যাতে তাদের চ্যানেল দেখতে পায়, সে জন্য তারা কয়েক দফায় স্যাটেলাইট সংকেতের ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।গত মাসে কায়রোর দুটি স্থান থেকে ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মী-সমর্থকদের হটিয়ে দিতে অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এতে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়। ওই অভিযানের সমালোচনা করে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে আল-জাজিরা।কায়রোয় ফিরছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত: মিসরে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আবার কায়রোয় ফিরছেন। গত মাসে মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের ওপর অভিযানের পর রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছিল তুরস্ক। গতকাল বুধবার আবার তাঁর কায়রোতে ফেরার কথা ছিল বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কূটনীতিক।তবে তুরস্কের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মিসরের সঙ্গে আমাদের কূটনীতিক সম্পর্ক কখনোই বিচ্ছিন্ন হয়নি। মিসরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে এবং আলোচনা করতেই আমরা আমাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম।’ এএফপি।
14,495
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৭:০১
১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৯:৫১
দূর্ঘটনা
0
পাহাড় ধসে সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/742543
পাহাড় ধসে রেলসেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি এলাকায় এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ স্টেশন হয়ে সিলেট যাওয়ার পথে ১৫৭ নম্বর সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ভানুগাছ স্টেশনের ​মাস্টার আফজাল হোসেন জানান, মাটি সরিয়ে দেখা গেছে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন মেরামতের কাজ চলছে। এই পাহাড় ধসের কারণে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে আটকা পড়েছে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস আর ভানুগাছ স্টেশনে আটকা পড়েছে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস। শ্রীমঙ্গল ও ভানুগাছের মধ্যে ​এই সেতুটি।
192,968
আলতাফ শাহনেওয়াজ
entertainment
বিনোদন
০১ মে ২০১৪, ০০:৩৫
০১ মে ২০১৪, ০০:৪১
আনন্দ
0
তারাভরা রাতে
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/205693
অনুষ্ঠান আসলেই শুরু হয়ে গেছে!গল্পের ঝাঁপি খুলে বসেছেন অনেকেই—কত কী রাজ্যের আলাপ! লাল রঙা পাঞ্জাবি পরা নায়করাজ রাজ্জাক ফিসফিস স্বরে কথা বলছেন পাশের জনের সঙ্গে। একবার তাকালেন মঞ্চের দিকে। সামনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মঞ্চ সুনসান—কেউ নেই। হঠাৎ ‘চার ছক্কা হইহই, বল গড়াইয়া গেল কই’—ফ্লাশ মবের উন্মাদনা। ওমা, দর্শকসারি থেকে নাচতে নাচতে নিমেষেই মঞ্চের দখল নিয়ে ফেলল ফ্লাশ মবের দলটি! সবুজ রঙের বাহারি পোশাক পরে হাতে বেলুন দোলাতে দোলাতে তাঁরা এলেন, নাচলেন অতঃপর জয় করলেন।আমরা ভাবি, এসবের মানে কী? কোনো ঘোষণা ছাড়াই কি শুরু হয়ে গেল মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-২০১৩-এর অনুষ্ঠান! ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ছয়টা ৩২ মিনিট। বিস্ময়ের ঘোর কাটে না আমাদের—অনুষ্ঠান আসলেই শুরু হয়ে গেছে!প্রথমের তালিকায়মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের এ অনুষ্ঠানটি একে একে পার করল ১৬ বছর। প্রথমবারের মতো মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পাওয়া অনেকেই ছিলেন এবারের তালিকায়। সমালোচক পুরস্কারের সেরা চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী পুরুষ হিসেবে এ বছর দুই অভিনেতা পুরস্কার পেয়েছেন—রাইসুল ইসলাম আসাদ (মৃত্তিকা মায়া) ও রাখাল সবুজ (শিখন্ডী কথা)। কেবল এই দুই তারকাই নন—এ তালিকায় আছেন আরও অনেকেই। একই বৃত্তে ছবিতে অভিনয় করে সমালোচক পুরস্কারে সেরা চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী নারী হয়েছেন যিনি, সেই নাজনীন চুমকিও এবার প্রথম পেলেন পুরস্কার। একইভাবে সমালোচক পুরস্কারে সেরা টিভি অভিনয়শিল্পী নারী ফারজানা ছবি (সীমানা পেরিয়ে), সেরা টিভি নাটক নির্দেশক ওয়াহিদ আনাম (পাড়ি), সেরা চিত্রনাট্যকার পান্থ শাহরিয়ার (জং কুটুম্বপুর), সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক মুহম্মদ হান্নান—তাঁদের নামও তো যুক্ত হলো প্রথমের তালিকায়।কবরীর দেরির কারণ‘বন্ধু, তোর বারাত নিয়া আমি যাব’—মঞ্চে চলচ্চিত্র তারকা রিয়াজ, অপু বিশ্বাস ও ফেরদৌস গাইছেন একসময়ের প্রবল জনপ্রিয় এ গান। এর কিছুক্ষণ আগেই নায়ক রাজ্জাককে দেওয়া হয়েছে আজীবন সম্মাননা। তাই রাজ্জাককে নিবেদন করে তাঁরই জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের কয়েকটি গান গাইছেন এ সময়ের চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীরা। একসময় তাঁরা মঞ্চেও উঠিয়ে নিলেন নায়করাজকে। গল্প কিন্তু এখানে নয়, এ কাহিনি কবরীকে নিয়ে। রাজ্জাকের কথা বললে কথার লেজে লেজজুড়ে কবরীর নাম তো আসবেই। এই পারফরম্যান্সের পর পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়ার কথা কবরীর। তাই এখন তাঁকে থাকতে হবে মঞ্চের পেছনে। কিন্তু কবরীর মধ্যে কোনো ভাবান্তর নেই—নট নড়নচড়ন তিনি। তাঁর এক কথা, রাজ্জাকের পর্বটি শেষ হবে তারপর গ্রিন রুমে যাব। আগে আমি এই পর্বটি দেখব, পরে অন্য সব।যে কথা সেই কাজ—বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে ওই পর্ব শেষ হওয়ার আগে নড়লেনই না। ফলে পর্বটি শেষ হওয়ার পরপর পুরস্কার বিতরণ পর্ব শুরু হলে উপস্থাপক যখন ডাকলেন কবরীকে, তিনি তখন মঞ্চে নেই। এলেন বেশ খানিক বাদে। পাঠক, এখন বুঝলেন তো কবরীর দেরির কারণ।তিনি এলেনমেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের অনুষ্ঠানে তো কত মানুষই আসেন। কিন্তু ড. সুলতানা জামান যে এলেন, এই আসার ভেতরে লুকিয়ে আছে বয়োবৃদ্ধ একজনের প্রচণ্ড উদ্যমের গল্প। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এ কে এম নুরুজ্জামানের স্ত্রী তিনি, নৃত্যশিল্পী লুবনা মরিয়মের মা এবং সংগীতশিল্পী আনুশেহ আনাদীলের নানি। এই মানুষটি সেদিন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন হুইল চেয়ারে চেপে। আগেই বলেছিলেন, এবারের অনুষ্ঠানে আমি যাবই। হ্যাঁ, তিনি এসেছিলেন। ছিলেন অনুষ্ঠানের একদম শেষ অবধি।
70,083
রাঙামাটি অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১৪
১১ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:১৯
রাঙামাটি,চট্টগ্রাম বিভাগ
null
রাঙামাটিতে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/421000
রাঙামাটিতে গতকাল শনিবার সকালে মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৩১ জন আহত হয়েছেন। পরে এ সংঘর্ষ পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতায় রূপ নিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৌরসভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন সাড়ে ১১টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।জেলা প্রশাসক মো. শামসুল আরেফিন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে।রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটিতে গতকাল সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছিল। ছাত্র পরিষদসহ আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আগে রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে আসছিল।অন্যদিকে ছাত্রলীগসহ স্থানীয় বাঙালিদের কয়েকটি সংগঠন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল।গতকাল ভোর ছয়টা থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, যুব সমিতি, মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে কালিন্দীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ওসি সোহেল ইমতিয়াজ আহত হন। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ছাত্র পরিষদের কর্মীদের কালিন্দীপুর সড়কমুখের দিকে এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের হ্যাপির মোড়ের দিকে সরিয়ে দেয়। এ সময় ছাত্র পরিষদের কর্মীরা ইসলামী ব্যাংক ও কয়েকটি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। আর ছাত্রলীগের কর্মীরা আদিবাসীদের মালিকানাধীন শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও টেলিটক কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর করেন।পরে বেলা ১১টার দিকে বাঙালিরা জড়ো হয়ে বনরূপার কাছে আদিবাসী গ্রাম দেওয়ানপাড়া ও ট্রাইবাল আদামে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশসহ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে সাড়ে ১১টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।শহরের তবলছড়ির আনন্দ বিহার এলাকায় দুপুর ১২টার দিকে একদল বাঙালি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পিকেটারদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মীরা বৌদ্ধমন্দির আনন্দ বিহার চত্বরে প্রবেশ করলে বাঙালিরা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাঙামাটি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আর্যপ্রিয় চাকমা ও মিন্টু চাকমা নিজেদের বাসায় যাওয়ার সময় চম্পকনগর সড়কে একদল বাঙালির লাঠিসোঁটার আঘাতে গুরুতর আহত হন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ ইমরান রোকন অভিযোগ করেন, তাঁদের নেতা-কর্মীরা মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন দেখতে যাওয়ার পথে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মীরা হামলা চালান। তবে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বাচ্চু চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরাই তাঁদের ওপর হামলা চালান।আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. হারুন, জামাল হোসেন, বীথি চাকমা, জাকির হোসেন, মো. মানিক, জহিরুল আলম, জব্বার হোসেন, মো. মনির ও জীবন্ত তঞ্চঙ্গ্যাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অবস্থার অবনতি হলে বীথি চাকমা ও জাকিরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।এদিকে এসএ টিভির প্রতিনিধি মো. সোলায়মান অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা তাঁকে এবং ইয়াছিন রানা ও আনোয়ার হোসেন নামের আরও দুই সাংবাদিককে মারধর করেন এবং দুটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যান।
105,744
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৭ এপ্রিল ২০১৫, ১২:০৩
১৭ এপ্রিল ২০১৫, ১৫:১৯
খবরাখবর
null
নিরপেক্ষ ইন্টারনেট নিয়ে বিতর্ক
http://www.prothom-alo.com/technology/article/505306
ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটভিত্তিক বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মার্ক জাকারবার্গের ইন্টারনেট ডট ওআরজি নামের সেবা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।বিশ্বের ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা দিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ইন্টারনেট ডট ওআরজি তৈরি করেন। নেট নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি ভারতে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার জন্য জাকারবার্গের প্রকল্পটি বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। ভারত সফরে এসে ইন্টারনেট ডট ওআরজি চালু করার ঘোষণা দেন মার্ক জাকারবার্গ।নেট নিউট্রালিটি বা ইন্টারনেট নিরপেক্ষতা হচ্ছে একটি ধারণা, যাতে সব ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটে একইভাবে বা সমানভাবে দেখা হবে। ইন্টারনেট সবার জন্য সমান। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে সমানভাবে সব ওয়েবসাইট দেখার সুযোগ থাকতে হবে, তা না হলে ইন্টারনেট নিরপেক্ষ থাকবে না। ইন্টারনেট নিরপেক্ষতার পক্ষে দাঁড়িয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের বার্তা দিচ্ছে।সম্প্রতি ভারতের টেলিকম অপারেটর ভারতী এয়ারটেল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ‘এয়ারটেল জিরো’ নামের একটি সেবা চালু করলে ইন্টারনেট নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে শুরু করে। ‘জিরো ইন্টারনেট’ নামের ভারতী এয়ারটেলের এই সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের সুযোগ দিতে মোবাইল অ্যাপ নির্মাতারা ডেটা ব্যবহারের জন্য অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়।এয়ারটেলের এই সেবার বিরুদ্ধে একজোট হওয়া ব্যক্তিরা ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যুক্তি দেখান, এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং ভর্তুকির ধারণা ইন্টারনেট নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। স্টার্ট-আপ ফার্ম বা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, নেট নিরপেক্ষ না হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাদের সমতা থাকবে না এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে তারা অসুবিধায় পড়ে যাবে।নেট নিরপেক্ষতার তিন নিয়ম১. সব সাইট সমানভাবে অনলাইনে দেখার সুবিধা থাকতে হবে। কোনো ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) বা টেলিকম অপারেটরকে টাকা না দিলে তারা কোনো সাইট বা অ্যাপ বন্ধ করতে পারবে না। অর্থাৎ, সব অপারেটরকে সমানভাবে সুযোগ দিয়ে সব ওয়েবসাইট দেখাতে হবে। কোনো বিশেষ সাইটকে সুবিধা দিতে আলাদা করে গেটওয়ে তৈরি করা যাবে না।২. সব সাইট একই গতিতে দেখার সুযোগ থাকতে হবে (আইএসপি/টেলকো স্তরে গতির সঙ্গে মিলিয়ে)। অর্থাৎ কোনো সাইটকে সুবিধা দিতে (চুক্তির জন্য) গিয়ে অন্য সাইটের গতি কমিয়ে দেওয়া যাবে না।৩. ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধার খরচ সব সাইটের জন্য একইরকম হতে হবে। অর্থাৎ, জিরো রেটিং চলবে না। ভারতের মতো দেশে ইন্টারনেট নিরপেক্ষতার বিষয়টি যতটা না গতিনির্ভর তার চেয়ে বেশি এই খরচ নির্ভর।ভ্রমণবিষয়ক পোর্টাল ক্লিয়ারট্রিপ, এনডিটিভি, ভারতীয় মিডিয়া টাইমস গ্রুপ ইন্টারনেট ডট ওআরজি থেকে কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়ে নেট নিরপেক্ষতার পক্ষে দাঁড়িয়েছে।গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের টেলিকম অপারেটর রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের সঙ্গে চুক্তি করে ফেসবুক ও ইন্টারনেট ডট ওআরজি ভারতে চালু করার ঘোষণা দেয়। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্ব প্রথম ভারতে এই সেবাটি চালু করে ফেসবুক। কম আয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাতে ইন্টারনেট ডট ওআরজি অ্যাপ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারে সে সুবিধা চালু করে ফেসবুক। ইন্টারনেট ওআরজির অ্যাপের মাধ্যমে ৩০ টির বেশি ওয়েবসাইট বিনা মূল্যে দেখতে পান ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যার মধ্যে চাকরি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং ফেসবুকের মতো সাইট রয়েছে।ফেসবুক কর্তৃপক্ষের যুক্তি হচ্ছে, ভারত যেভাবে অধিক মানুষকে ইন্টারনেটে আনতে যাচ্ছে, এতে ইন্টারনেট ডট ওআরজি ভারতের সেই প্রচেষ্টার সঙ্গে যায়।মার্ক জাকারবার্গ এর আগে মুক্ত ইন্টারনেটের কথা বললেও এবারে ভারতের নেট নিরপেক্ষতার প্রসঙ্গটির বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। জাকারবার্গ হিন্দুস্তান টাইমসে এক আর্টিকেলে নেট নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে যুক্তি দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট নিরপেক্ষতার বিষয়টির সঙ্গে অধিক মানুষকে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আনার বিষয়টিতে কোনো সংঘর্ষ হবে না। আমরা মানুষকে অন্য ওয়েবসাইট দেখতে নিষেধ করছি না বা আমরা কোনো বিশেষ সুবিধা নিচ্ছি না।’
131,774
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:৪৫
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:২৪
সিলেট বিভাগ,আইন ও বিচার
0
রাগীব আলীর বিরুদ্ধে করা জালিয়াতি মামলার রায় কাল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1071935
সিলেটের দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিতে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলার রায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার। আজ বুধবার এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষে সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো রায়ের এ দিন ধার্য করেন।আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আদালত সূত্র জানায়, এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি রাগীব আলীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আজ দুই আসামির উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। এতে সরকারপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অংশ নেন।২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটো মামলা করলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে পুলিশ।গত বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ একটি বেঞ্চ রায়ে মামলা দুটো পুনরুজ্জীবিত করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন। গত ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলে ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই দিনই পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে গিয়েছিলেন রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাই।গত ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে রাগীব আলী এবং এর আগে ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ এসে আবদুল হাই গ্রেপ্তার হন। তাঁরা দুজনই বর্তমানে কারাবন্দী।
289,016
নিজস্ব প্রতিবেদক
economy
অর্থনীতি
১৩ আগস্ট ২০১৪, ০০:২৮
১৩ আগস্ট ২০১৪, ০০:৩০
বাণিজ্য
null
খেলাপি ঋণ আবার বেড়েছে
http://www.prothom-alo.com/economy/article/289435
মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ তিন হাজার ১৭২ কোটি টাকা বেড়েছে। সর্বশেষ জুন ২০১৪ অনুসারে ব্যাংক খাতে বর্তমান খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫১ হাজার ৩৪৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বা মোট বিতরণ করা ঋণের ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।এর আগে মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ১৭২ কোটি টাকা বা সেই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ।প্রধানত রাষ্ট্র খাতের বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ তিন মাসে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংক খাতের সার্বিক খেলাপি ঋণ বেড়েছে। তিন মাসে বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে দুই হাজার ৩৩ কোটি টাকা। জুন শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ হয়েছে চার হাজার ৫৯০ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা বিতরণ করা ঋণের ৪০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মার্চ শেষে যা ছিল দুই হাজার ৫৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। অর্থাৎ তিন মাসে বেড়েছে প্রায় ৬৪ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ জুন (২০১৩) ও মার্চভিত্তিক (২০১৪) ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) প্রতিবেদনের বিশ্লেষণে এ তথ্য মিলেছে।গত বছরের শেষভাগে দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ সময় পুরোনো-নতুন মিলিয়ে বিপুলসংখ্যক খেলাপি তাঁদের ঋণ নিয়মিত করেন। এতে ডিসেম্বর ২০১৩-এ খেলাপি ঋণ কমে হয়েছিল ৪০ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।তবে ব্যাংক খাতের সূত্রগুলো বলছে, পুনঃতফসিল করা সেই সব ঋণের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই কিস্তি খেলাপি হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যেগুলো আগামী প্রান্তিকের পরিসংখ্যানে চলে আসবে।যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক বছরের ঋণ শ্রেণিকরণ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কিন্তু বছর শেষে ব্যাংকগুলো নিজেদের তাগিদেই আদায়ে তৎপর হয়। তখন খেলাপি ঋণ কমে আসে।সূত্রগুলো বলছে, বছর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দুভাবে কমে। ব্যাংকাররা মুনাফা বৃদ্ধি করতে আদায়ের বিষয়ে অধিক তৎপরতা চালান। একইভাবে ব্যবসায়ীরাও বছর শেষে তাঁর হিসাবটি সন্তোষজনক রাখতে চান। এ পর্যায়ে অবশ্য খারাপ ঋণকে ভালো দেখানোরও প্রবণতা ব্যাংকগুলোতে থাকে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত পরিদর্শনকাজের আওতায় সেগুলোকে নজরদারিতে আনা হয়। এ পর্যায়ে কোনো খেলাপি ঋণকে ভালো মানে দেখালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেগুলো গুণগত বিবেচনায় খেলাপি হিসাবে শ্রেণিকরণ করে থাকে বলে সূত্রগুলো উল্লেখ করেছে।জুনভিত্তিক খেলাপি ঋণের প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে দেশের ৪৭টি (নয়টি নতুন ব্যাংক বাদে) তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ২৩ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে। কমেছে ২৪টির।আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল। এখনো প্রায় সেই অবস্থাতে আছে, যদিও তিন মাসে ব্যাংকটির কিছু খেলাপি ঋণ কমেছে। ব্যাংকটিতে এখন ৭৩ দশমিক ২১ শতাংশ ঋণ খেলাপি। মার্চের হিসাবে যা ছিল ৭৫ দশমিক ১১ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে শতকরা হিসাবে দুই অঙ্কের ঘরে খেলাপি ঋণ রয়েছে আর তিনটি ব্যাংকের, এই তিনটিই বিদেশি ব্যাংক। এগুলো হলো পাকিস্তানের হাবিব ও ন্যাশনাল ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এদের খেলাপি ঋণের হার যথাক্রমে ১১ দশমিক ৫৯, ২৮ দশমিক ৭৩ ও ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।জুন শেষে রাষ্ট্র খাতের সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দুই হাজার ৩০ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা বা ২৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ ৬২২ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ১৫১ কোটি বা ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। বিদেশি নয়টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় ১৯৬ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে প্রায় এক হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর বিশেষায়িত চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় এক হাজার ৩২৫ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৫২ কোটি টাকা বা বিতরণ করা ঋণের ৩৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
84,746
রাসেল মাহ্‌মুদ
entertainment
বিনোদন
৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৪৯
৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৪৯
বিনোদন,সংগীত
0
ভোর ফুটেছিল বাঁশরিয়ার লোকজ ধুনে
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1030577
যাঁর বাঁশির লোকজ ধুনে গতকাল ভোর ফুটেছিল, একটি কালো গাড়িতে করে ফিরছিলেন তিনি। পেছনে একটি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, তারও পেছনে একটি সাদা অ্যাম্বুলেন্স। মানুষের অরণ্য থেকে বাঁশরিয়া ফিরছিলেন নিঃসঙ্গতায়। তাঁকে বহন করা গাড়িটিকে থমকে যেতে হয় কয়েক মুহূর্ত। হাজারো অনুরাগী সরে সরে দাঁড়িয়ে গাড়িটিকে এগিয়ে যাওয়ার জায়গা করে দেন। কেউ কেউ কাচের ওপারে তাঁর অবয়বের দিকে দুই হাত জোড় করে শ্রদ্ধা জানান।গতকাল মঙ্গলবার ভোর চারটা বাজার খানিক আগে মঞ্চে উঠেছিলেন বাঁশির জাদুকর পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া। তাঁর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের সে কী উল্লাস! অন্ধকার মঞ্চেই হঠাৎ বেজে উঠেছিল একচিলতে সুর। যেন অপেক্ষমাণ ভক্তদের তিনি জানান দিলেন, আর অপেক্ষা করতে হবে না। বাতি জ্বলতেই করতালি দিয়ে প্রিয় বাঁশরিয়াকে অভিবাদন জানালেন ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে হাজির হওয়া হাজার হাজার মানুষ। নিজের সাদাকালো অতীতের দিকে চাইলে হয়তো দেখতে পেতেন, চারপাশে উন্মাদ হর্ষধনি। দড়ি দিয়ে ঘেরা একটি মঞ্চে কুস্তি লড়ছেন তিনি। বাবা কুস্তিগির ছিলেন তাঁর। চেয়েছিলেন সন্তানও তা-ই হোক। বাবার ইচ্ছায় কিছুদিন প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। কিন্তু চুপিচুপি গান শিখছিলেন এক প্রতিবেশীর কাছে। পরে গুরু হিসেবে পেয়েছিলেন পণ্ডিত রাজারাম, বিদুষী অন্নপূর্ণা দেবীর মতো অনেক গুণী মানুষকে। শিখেছেন বাঁশি বাজানো। চুপিচুপি যে প্রেমে তিনি সেদিন মজেছিলেন, সেটিই তাঁকে দিয়েছে অমরত্ব। জীবদ্দশায় কজন মানুষের ভাগ্যে জোটে এমন অফুরান ভালোবাসা!বাঁশিতে রাগ প্রভাতি ও রাগ জৈৎ বাজিয়ে শোনানোর আগে চৌরাসিয়া বলেছিলেন, ‘বহু দেশে বাঁশি বাজাতে গিয়েছি। বাঁশি শুনতে আসা এত মানুষ আমি কখনো দেখিনি।’ কপালে সিঁদুরের তিলক, পাঞ্জাবির ওপরে কোটি। সেটির পকেটেও একটি ছোট বাঁশের বাঁশি। তার থেকেও বেশ বড়টি হাতে, যেটিতে এক্ষুনি ঠোঁট রাখবেন তিনি। মাঠ ও গ্যালারির প্রতিটি চোখ মঞ্চে, সজাগ কানগুলো শুনছিল তাঁর কথা। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তিনি বাজালেন। বনানীর আকাশে তখন আর কোনো শব্দ ছিল না। সঙ্গে তবলায় তাল দেন শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, পাখওয়াজে পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর। আর তাঁর সঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে সহযোগিতা করেছেন দেবপ্রিয় রণদ্বীপ ও বিবেক সোনার এবং তানপুরায় অভিজিৎ কুণ্ডু। সেই সুরে মন রাখলে, কান পাতলে ভুলে যেতে হয় স্থান, কাল, সময়—এমনকি নিজের অস্তিত্বকে।বাঁশি পরিবেশন করে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের তৈরি করা দূরত্ব বজায় রেখে এক ভক্ত জানতে চাইলেন, ‘আবার আসবেন তো?’ইশারায় ইতিবাচক আশ্বাস দিলেন ৭৮ বছর বয়সী বিদগ্ধ বাঁশরিয়া।
269,985
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
১০ আগস্ট ২০১৩, ১৭:২৪
১০ আগস্ট ২০১৩, ১৭:২৪
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
আবার হার বাংলাদেশ ‘এ’ দলের
http://www.prothom-alo.com/sports/article/37024
ইংল্যান্ড সফরে হেরেই চলেছে বাংলাদেশ ‘এ’ ক্রিকেট দল। দুটো পরাজয়ই অবশ্য ‘একটুর জন্য’র আক্ষেপ এনে দিয়েছে বাংলাদেশের দলটিকে।  হ্যাম্পশায়ারের সঙ্গে ৮ রানের পর গত রাতে ইয়র্কশায়ারের কাছেও মাত্র ৭ রানে হেরেছেন জহুরুল ইসলামরা।এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইয়র্কশায়ার। স্বাগতিকদের শুরুটা ছিল হতাশার। ১১ রানের মধ্যে উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যানকে হারায় স্বাগতিকরা। তবে এর পরই প্রতিরোধ গড়েন অ্যালেক্স লিস ও অ্যাডাম লিথ। তৃতীয় উইকেটে দলীয় সংগ্রহে ৮৮ রান যোগ করেন তাঁরা। লিস আউট হন ৩৯ রানে। লিথ করেন ৪৫ রান।তাঁদের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে ইয়র্কশায়ার। শেষের দিকে লিয়াম প্লাংকেট ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও দলীয় সংগ্রহটা দু শর ঘর স্পর্শ করেনি। ৪৭.৪ ওভারে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় ইয়র্কশায়ার। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সফলতম বোলার ইলিয়াস সানি। ২৫ রান খরচায় তিনটি উইকেট শিকার করেন এই স্পিনার। দুটি করে উইকেট নেন রবিউল ইসলাম ও মমিনুল হক।১৯৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এনামুল হক একাই করেন ৬৯ রান। তাঁর ৯২ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার ও একটি ছক্কা দিয়ে। তবে বাকিরা সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। গত ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও লক্ষ্যের নিঃশ্বাস দূরত্বে গিয়ে গুটিয়ে যায় ইনিংস। ম্যাচে তখনো ৫.৫ ওভার বাকি। এনামুলের ৬৯ ছাড়া উল্লেখযোগ্য স্কোর বলতে মমিনুল হকের ৩১, রকিবুল হাসানের ২৪, ফরহাদ রেজার ২২ ও রবিউল ইসলামের ১৯ রান।বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার তছনছ করে ৩০ রান খরচায় পাঁচটি উইকেট তুলে নেন অফস্পিনার আজিম রফিক। দুটি উইকেট নেন ইয়ান ওয়ার্ডলাও।‘এ’ দলের পরবর্তী ম্যাচ কাল রোববার। ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে চারটায়। সূত্র: ক্রিকইনফো।
8,501
ইকবাল খান
education
শিক্ষা
১৬ মার্চ ২০১৫, ০১:০১
১৬ মার্চ ২০১৫, ০২:১৯
পড়াশোনা
0
ইংরেজি
http://www.prothom-alo.com/education/article/477955
লেসন-৫ এপ্রিয় শিক্ষার্থী, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) -এর নতুন প্রশ্নকাঠামো অনুসারে ইংরেজির Lesson-5 A থেকে প্যাসেজ ও প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।Read the following text carefully and answer the questions 1, 2, 3 and 4.Interviewer : Excuse me, I’m from ‘Campus Life’ magazine. Would you please answer some questions?Shahed : Yes, no problem.Interviewer : Would you please tell me your name and which class you read in?Shahed : My name is Shahed. I’m a student of class 5.Interviewer : How do you spend your leisure time, Shahed?Shahed : Well, I usually go for walks. If it is too hot, I sometimes go swimming in the river. I love swimming. It keeps me fit.Interviewer : Thank you, Shahed.To a girl.Interviewer : Hello! I’m from the ‘Campus Life’ magazine. Can I ask you some questions?Nasreen : Sure. What do you want to know?Interviewer : What’s your name and which class do you read in and how do you spend your leisure time?Nasreen : My name is Nasreen and I am in class 5. I spend my leisure time drawing and painting. I love to sing too.Interviewer : Thank you, Nasreen. 1. Write the answer on the answer paper.i. The interviewer comes from a ?.a. news channel b. magazinec. newspaper d. radioii. Which class does Shahed read in?a. five b. six c. seven d. eightiii. Shahed usually goes for ?.a. swimming b. fishing c. cycling d. walksiv. When does Shahed go for swimming?a. If it is too cold b. Alwaysc. If it is too hot d. If he gets timev. Shahed goes for swimming in ?.a. the river b. the pond c. the sea d. the lakevi. Who loves swimming?a. The Interviewer b. Nasreenc. Sakib d. Shahedvii. Nasreen is a ?.a. artist b. student c. journalist d. teacherviii. Nasreen reads in ?.a. class 3 b. class 4 c. class 5 d. class 6ix. Drawing and painting are the leisure time activities of ?.a. Nasreen and Shahed b. Shahedc. Nawreen d. Nasreenx. Nasreen loves to ? too.a. sing b. play games c. read story d. travelAnswer to the question no 1i.-b. magazine; ii.-a. class five; iii.-d. walks;iv.-c. If it is too hot; v.-a. the river; vi.-d. Shahed; vii.-b. a student; viii.-c. class five;ix.-d. Nasreen; x.-a. sing.2. Match the words in Column A with their meanings in Column B. Two extra meanings are given in Column B.Column A Column Ba. Magazineb. Leisure i. most oftenii. a period with lots of worksc. Usuallyd. Answere. Ask iii. to say something in replyiv. a book containing articles, photographs etc.v. not at allvi. a period with no activityvii. to want to know somethingAnswer to the question no 2a. Magazine ? iv. a book containing articles, photographs etc.b. Leisure ? vi. a period with no activityc. Usually ? i. most oftend. Answer ? iii. to say something in replye. Ask ? vii. to want to know something3. Answer the following questions.a. Who comes from ‘Campus Life’ magazine?b. What class does Nasreen read in?c. Write about the leisure activities of Shahed and Nasreen.d. Who asked some questions to Shahed?e. Where is the interviewer from?Answer to the question no 3a. An Interviewer comes from ‘Campus Life’ magazine.b. Nasreen reads in class five.c. Shahed usually goes for a walk. If it is too hot, he sometimes goes swimming in the river. Nasreen spends her leisure time drawing and painting.d.The interviewer asked Shahed some questions.e. The interviewer is from ‘Campus Life’.Q. 4. Write a short composition in five sentences on “How Do You Spend Your Leisure Time”.Answer to the question no 4How I Spend My Leisure TimeI am fond of gardening. I have a garden in front of my reading room. I have planted some saplings of flowers in it. I have also planted some plantlets of vegetables in my garden. In my free time, I work there.শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা
123,546
রয়টার্স
international
আন্তর্জাতিক
১৪ অক্টোবর ২০১৬, ০০:২০
১৪ অক্টোবর ২০১৬, ০০:২৩
এশিয়া
0
রাখাইনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯
http://www.prothom-alo.com/international/article/999489
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৯ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। বাকি ২৬ জন সশস্ত্র হামলাকারী বলে দাবি করেছে দেশটির ওই দুই বাহিনীর কর্তৃপক্ষ। এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মিয়ানমার সরকারের প্রতি ‘সর্বোচ্চ নমনীয়তা’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।রাখাইনে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী তিনটি পুলিশ ফাঁড়িতে গত রোববার হামলা চালায় একদল সশস্ত্র ব্যক্তি। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, হামলাকারীরা রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর। ওই হামলায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হন। হামলার সময় বেশ কিছু অস্ত্র ও ১০ হাজার গুলি ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।রোববারের হামলার পরপরই মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ বাহিনী রাখাইনে অভিযান শুরু করে। এ ব্যাপারে দেশটির রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার গতকাল জানিয়েছে, দেশটির নেতা অং সান সু চি বলেছেন, তাঁর সরকার হামলার জবাবে ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়’ কাজ করছে।মিয়ানমারের সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, রাখাইনের মংডু শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার সময় তাদের সঙ্গে পিস্তল, তরবারি ও চাকু নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় প্রায় ৩০০ লোক। দেশটির সেনাবাহিনী পরিচালিত সংবাদপত্র মিয়াওয়াদি জানিয়েছে, মংডুর কিতিওপিন গ্রামে গত মঙ্গলবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযোগ, গত বুধবার এ রাজ্যের কাইকানপিন গ্রামের ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতকারীরা।এদিকে রোববারের হামলায় মিয়ানমার সরকারের ‘কড়া’ প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের পক্ষে কাজ করা সংস্থাগুলো বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর এসব অভিযানে বঞ্চিত এ জনগোষ্ঠীই ভুক্তভোগী হবে।রাখাইন রাজ্যে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি।এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার-বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নাম্বিয়ার বলেছেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নেতাদের এক জোট হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং বৌদ্ধ-মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান বিদ্বেষ নিরসনে কাজ করা উচিত।
255,842
লোহাগাড়া প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ জুলাই ২০১৬, ০০:৪২
২৪ জুলাই ২০১৬, ০১:১৫
আমার চট্টগ্রাম
0
লোহাগাড়ার সরাইয়া সেতু জোড়া লাগবে কবে?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/923254
লোহাগাড়ার সরইয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায় ২০১২ সালের ৮ আগস্ট। ওই সময় সেতুটির অর্ধেকের বেশি অংশ চার টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে। চার বছর পার হতে চললেও সেতুটি পুনর্নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।স্থানীয় লোকজন জানান, সেতু ভেঙে যাওয়ার পর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে এক লাখ টাকা ব্যয়ে কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। দুই বছর আগে সেটিও ভেঙে যায়। এখন শুষ্ক মৌসুমে হেঁটে ও বর্ষায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হতে হচ্ছে।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এটির দৈর্ঘ্য ছিল ৩৭ মিটার ও প্রস্থ ৩ মিটার। সেতুটির এক প্রান্ত পুঁটিবিলা এবং অপর প্রান্ত চুনতি ইউনিয়ন। এই দুই ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষের উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল এটি। তা ছাড়া সেতুটি লোহাগাড়ার সঙ্গে লামা উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। এখন সেতু না থাকায় যানবাহন চলাচলও বন্ধ।এলজিইডির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেতুর একাংশ ধসে পড়ার মূল কারণ খাল থেকে খননযন্ত্র িদয়ে অপরিকল্পিত বালু তোলা। এর ফলে গোড়ার মাটি হালকা হয়ে সেতু ভেঙে পড়ে।সরেজমিনে দেখা গেছে, খালে পড়ে আছে সেতুর ভাঙা অংশ। এর থেকে আরও প্রায় ৩০ ফুট দূরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করছেন লোকজন। নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা গৌড়স্থান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজম খান বলেন, বর্ষাকালে ​িবদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যায়। তখন পুঁটিবিলা ইউনিয়নের সরইয়া, চান্দা, পুঁটিবিলা ও গৌড়স্থান এবং চুনতি ইউনিয়নের পানত্রিশা, পারাঙ্গা, ব্রাক্ষ্মণপাড়া ও বলিরঝুম গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। কারণ, খালে পানি বাড়লে সাঁকো দিয়ে পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।সরইয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সরবরাহ ও অসুস্থ রোগী পারাপারে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। জানি না সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে।পুঁটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বলেন, চার বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পুঁটিবিলা ও চুনতি ইউনিয়নের লোকজন। বর্ষায় কার্যত অবরুদ্ধ থাকতে হয়। সেতু সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। সেতুটি হলে চুনতি ও পুঁটিবিলা ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হতো।এ ব্যাপারে এলজিইডির লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের লামার সঙ্গে লোহাগাড়ার সংযোগ সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই এলাকায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদিত হলে সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফিজনূর রহমান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সংযোগ সেতুটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ এবং অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
242,963
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
০৫ জুন ২০১৮, ১২:১২
০৫ জুন ২০১৮, ১২:১৪
বাংলা গান
0
স্বপ্নীল সজীবের পাশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1503221
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতবিতানের প্রেম ও প্রকৃতি পর্যায়ের গান ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়’ নিয়ে নিরীক্ষা করেছেন শিল্পী স্বপ্নীল সজীব। এই গান নিয়ে তিনি একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করেছেন। নাম ‘দ্য ড্রিমার’। এ ব্যাপারে তাঁকে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। এই মিউজিক ভিডিওতে স্বপ্নীল সজীবের সঙ্গে অংশ নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য প্রতিষ্ঠান ব্যাটারি ড্যান্স কোম্পানি। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন ইন্দ্রজিৎ দে। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মার্কিন কোরিওগ্রাফার জোনাথান হোল্ডার। আলোর নির্দেশনা দিয়েছেন ব্যারি স্টিল। যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া ও আরটিভি মিউজিক।ব্যাটারি ড্যান্স কোম্পানি ৪০ বছর ধরে নিউইয়র্ক সিটির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সৃজনশীল কাজ, নিউইয়র্ক সিটি স্কুলে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া, স্থানীয়ভাবে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন ও তাতে অংশ নেওয়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নৃত্য সফর এবং আন্তর্জাতিক আর্টস বিনিময় প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রশংসা এবং সাফল্য অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে এটি তাদের প্রথম কাজ।‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়’ গানটির সুর তৈরি হয়েছে মিশ্র ভূপালী রাগে। এই গান নিয়ে তৈরি মিউজিক ভিডিও ‘দ্য ড্রিমার’-এ একই সঙ্গে ধ্রুপদি ও পশ্চিমা সংগীতের মেলবন্ধন করা হয়েছে। স্বপ্নীল সজীব জানান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রেখে এই নতুন কাজটি করা হয়েছে। গানের সঙ্গে যন্ত্রানুষঙ্গে আছে পিয়ানো, চেলো, গিটার, ড্রামস ও সেতার। আর মিউজিক ভিডিওতে ব্যাটারি ড্যান্স কোম্পানির সমসাময়িক নৃত্যের সঙ্গে রয়েছে একটি গল্প। সব মিলিয়ে গানটিতে যোগ হয়েছে এক নতুন মাত্রা।‘দ্য ড্রিমার’ মিউজিক ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন নৃত্যশিল্পী রবিন কেন্ট্রেল, মিরা কুক, বেথানিয়া মিচেল, শ্যান স্ক্যানটাইলারি, উন্নাথ হাসান রথানরাজু।
366,266
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৮:৫০
১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৮:৫২
আইন ও বিচার
null
রাতে দেখা করতে পরিবারকে চিঠি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/95254
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যদের চিঠি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সেই অনুয়ায়ী আজ রাত আটটার দিকে কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।কাদের মোল্লার বড় ছেলে হাসান জামিল প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের বাসায় একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা তাঁর সঙ্গে দেখার করতে যাচ্ছি।’
34,445
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জুলাই ২০১৬, ১৬:৫১
১০ জুলাই ২০১৬, ১৬:৫৯
আইন ও বিচার
0
রংপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/910225
রংপুরে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন পীরগাছা উপজেলার নজরমামুদ গ্রামের লাজু মিয়া (২৬) এবং একই গ্রামের রায়হান মিয়া (২৫)। তাঁরা দুজন বন্ধু। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।মামলার বিবরণে উল্লেখ করা তথ্যের ভিত্তিতে আদালতের সহকারী কৌঁসুলি ফারুক মো. রেয়াজুল করিম বলেন, ২০১১ সালের ২০ মার্চ রাতে উপজেলার নজরমামুদ গ্রামের বাবু মিয়ার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে স্বপনকে (১২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরের দিন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ওই দিনই নিহত স্বপনের বাবা বাবু মিয়া একই গ্রামের লাজু ও রায়হানকে আসামি করে পীরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ লাজুকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান এই দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
238,799
নাটোর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৫৬
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:৫৮
নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
সিংড়ার গ্রামে সাপ আতঙ্ক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/315007
নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের থরসতি গ্রামে গত এক সপ্তাহে ২০ জনকে সাপে কামড় দেওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২ সেপ্টেম্বর রাত থেকে গত সোমবার পর্যন্ত থরসতি গ্রামের অন্তত ২০ জনকে সাপে কামড় দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা জানান, রাতে ঘুমানোর সময় তাঁদের সাপ কামড় দেয়। তবে কামড় খাওয়ার পর পরই জেগে উঠে কেউ সাপ দেখতে পাননি। অধিকাংশ মানুষ হাতে ও পায়ে কামড় খেয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে কেউ মারা যাননি। এদিকে ঘটনার পর সবাই গ্রামের বিভিন্ন কবিরাজ ও ওঝার কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন ।আহত জুয়েল হোসেন বলেন, ভোরবেলা ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর তিনি ডান পায়ের বুড়া আঙুলে সাপের কামড়ের দাগ দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে দড়ি দিয়ে পা বেঁধে চিত্ত ঘোষ ওঝার কাছে যান। ওঝা ভালো করে দেওয়ায় তিনি খুশি মনে তাঁকে ৪০০ টাকা দিয়েছেন।স্থানীয় চৌকিদার তুলসী রবি দাস বলেন, সাপের বিষ নামাতে গ্রামের কবিরাজ ও ওঝাদের কাছে মানুষ ভিড় করছেন। তাঁরা বিষ নামানোর কথা বলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করছেন।তবে পাশের পাওটা গ্রামের কবিরাজ চিত্ত ঘোষ বলেন, ‘ওত টাকা নিচ্ছি না। যে যা খুশি মনে দেয়, তাই লি।’ সবাই সাপের কামড় খেয়ে তাঁর কাছে আসছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার কাছে বলে সাপে কামড়াইছে। আমি ওস্তাদের শেখানো মতে ঝাড়া-ফুঁ দিয়ে চিকিৎসা করি। সবাই তাতে ভালোও হয়েছে।’সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মুরাদ হোসেন বলেন, ঝাড়-ফুঁক দিয়ে সাপের বিষ নামে না। এর জন্য চিকিৎসকের কাছে আসা উচিত। আক্রান্তরা কেউ হাসপাতালে আসেননি। তাই তাঁরা কিসে আক্রান্ত হয়েছেন তা বলা যাচ্ছে না।ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউপি মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি গ্রামের সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনভাবে বসবাসের পরামর্শ দিয়েছি। অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখানোর কথাও বলেছি।’জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন প্রথম আলোকে জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
92,063
বিশেষ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ নভেম্বর ২০১৫, ১১:০৯
৩০ নভেম্বর ২০১৫, ১৩:০৫
-1
0
দেশে এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/698962
এইচআইভি-এইডস খাতে আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ার কারণে দেশে এই রোগে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগে বছরে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার এইচআইভি খাতে বৈদেশিক সাহায্য পাওয়া যেত। এখন দুই বছরে পাওয়া যাচ্ছে ১২ মিলিয়ন ডলার। এই খাতে অর্থ কমে যাওয়ার কারণে কর্মসূচিতে অনেক কাটছাঁট করা হতে পারে। এ কারণে মূলত এইচআইভি-এইডসের ঝুঁকি বাড়বে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা। এ ছাড়া জাতীয় এইডস/এইচটিডি কর্মসূচির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
179,001
এ কে এম জাকারিয়া
opinion
মতামত
১৬ অক্টোবর ২০১৪, ০০:১৬
১৬ অক্টোবর ২০১৪, ০২:১০
এ কে এম জাকারিয়া,মতামত,তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া,লেখকের কলাম
null
উল্টোপথে গাড়ি কেন চলে?
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/344413
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় (১৪ অক্টোবর) একটি ছবি ছাপা হয়েছে। ছবির ক্যাপশনের শিরোনাম: ‘উল্টোপথে গাড়ি’। গাড়িটির ধরন দেখলেই বোঝা যায়, এর সঙ্গে কোনো না কোনো ক্ষমতা জড়িয়ে আছে। ঢাকা শহরে এ ধরনের গাড়িগুলো বেশ দম্ভ নিয়েই চলে। ক্ষমতা ও দম্ভ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে৷ সব গাড়ি যে পথে যায়, এসব গাড়ি সে পথ দিয়ে আসে অথবা সব গাড়ি যে পথে আসে, এসব গাড়ি সে পথে যায়!সমস্যা হচ্ছে এ ধরনের গাড়ির সংখ্যা নিয়ে। বাংলাদেশে ক্ষমতাবানের সংখ্যা কী হারে বাড়ছে, প্রবৃদ্ধি কত—এসবের হিসাব-নিকাশ কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান করে বলে জানা নেই। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই প্রবৃদ্ধি সম্ভবত অন্য সব ক্ষেত্রকে ছাড়িয়ে যাবে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষমতাবানের দম্ভও। নইলে ঢাকা শহরে এত গাড়ি উল্টোপথে চলবে কেন, আর এর সংখ্যাই দিনে দিনে এত বাড়বে কেন! তবে ‘ক্ষমতাবান’ হয়ে ওঠা ও এর সঙ্গে দম্ভ যোগ হওয়ার বিষয়টি এখন শুধু আর রাজনীতিবিদ বা মন্ত্রী-সাংসদদের মধ্যেই আটকে নেই। আমলা, পুলিশ-র্যাব থেকে শুরু করে আইনজীবী বা সাংবাদিকদের মধ্যেও তা প্রবল হয়ে উঠেছে। উল্টোপথে গাড়ি চালানোর মতো প্রকাশ্য অসভ্যতায় আমরা কেউই পিছিয়ে নেই।যাঁরা দেশ চালান, দেশ কীভাবে চলবে, সে জন্য আইন তৈরি করেন, তাঁরা গাড়িতে বসে আছেন আর তাঁদের গাড়ি দিব্যি উল্টোপথে চলছে। যাঁরা সরকারের হয়ে দেশে আইন প্রয়োগ করেন ও এর তদারক করেন, সেই র্যাব-পুলিশ ও আমলাদের গাড়ি উল্টোপথে চলে। যাঁরা সরকারের, আমলাদের আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দোষ ধরতে মুখিয়ে থাকেন, সেই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের গাড়িগুলোও নির্লজ্জভাবে উল্টোপথে চলে। মিলেমিশে ক্ষমতা আর দম্ভ প্রকাশের এক উৎসব চলছে ঢাকা শহরজুড়ে। কে কাকে ধরে!এসব ক্ষমতাবান দেশ-বিদেশে ঘোরেন। তাঁরা কবে কোনো দেশে বা কোনো শহরে কাউকে উল্টোপথে গাড়ি চালাতে দেখেছেন? অথবা দেশের বাইরে তিনি কি এমন কোনো গাড়িতে চড়েছেন, যেটি উল্টোপথে চলেছে? ঢাকা শহরে থাকলে এসব ক্ষমতাবানের কী হয়! এই শহরটি, এর রাস্তাগুলোকে কি তাঁদের নিজেদের সম্পত্তি মনে হয়! জানি কেউ কেউ ঢাকা শহরের অসহনীয় যানজটের দোহাই দেবেন, কিন্তু বাইরের শহরগুলোতেও কি কমবেশি যানজট নেই? সেখানে যানজটে পড়ে কি কারও কখনো উল্টোপথে চলার অভিজ্ঞতা হয়েছে?এসব প্রশ্ন করা বা তোলাই সার। কার ঠেকা পড়েছে যে এসব প্রশ্নের জবাব দেয়! ক্ষমতা ও এর সঙ্গে দম্ভ যখন মিশে যায়, তখন কে কাকে পরোয়া করে। প্রথম আলোয় ছাপা হওয়া ছবিটি চমক জাগানো কিছু নয়, ঢাকা শহরের যেকোনো রাস্তায় ও মোড়ে যেকোনো সময়েই এমন দৃশ্য আপনার চোখে পড়বে। বিজয় সরণি-তেজগাঁও লিংক রোডে উল্টোপথে আসা যে গাড়িটির ছবি ছাপা হয়েছে, সেটি নিশ্চিন্তেই মোড় পার হয়ে গন্তব্যে চলে গেছে। এই মোড়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কাছেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখানে বেশ তৎপর থাকে, তাদের চোখের আড়ালে এখানে কিছু ঘটা কঠিন। এই গাড়িটিও ট্রাফিক পুলিশের চোখের সামনেই আইন ভেঙে পার পেয়ে গেছে। এমন একটি গাড়িকে আটকায়, সে সাহস বা ক্ষমতা কি আমাদের ট্রাফিক পুলিশের আছে?তাহলে ব্যাপারটা দঁাড়াল কী? আইন আছে কিন্তু আইন ভাঙলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ বা পরিস্থিতি নেই। যদি তা-ই হয়, তবে আইন থাকা বা না-থাকার মধ্যে ফারাক থাকল কই! এ অবস্থায় উল্টোপথে চলা ট্রাফিক আইনের লঙ্ঘন নয়, এমন একটি ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে না কেন? কিন্তু তা তো হওয়ার নয়, কারণ তেমন কিছু হলে তো সাধারণ জনগণের সঙ্গে ক্ষমতাবানের আর কোনো পার্থক্যই থাকবে না! সাধারণ লোকজনের কাছে নিজের ক্ষমতা আর দম্ভ দেখানোর একটি সহজ পথ যে উল্টোপথে গড়ি চালানো। এই বিকৃত আনন্দ যখন আমাদের দেশের সব পর্যায়ের ক্ষমতাবানেরা পেতে শুরু করেছেন, তখন উল্টোপথে গাড়ি চলা মনে হয় চলতেই থাকবে।উল্টোপথে গাড়ি কেন চলে বা কখন চলে? দেশ ঠিকভাবে চললে কোনো কিছুরই উল্টোভাবে চলার কথা নয়। সমস্যা সম্ভবত গোড়াতেই।এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।akmzakaria@gmail.com
101,088
তানভীর সোহেল, গাজীপুর থেকে
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জুন ২০১৮, ১৬:২৫
২৩ জুন ২০১৮, ১৬:১৪
নির্বাচন,আওয়ামী লীগ,রাজনীতি,বিএনপি,গাজীপুর
null
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় বিএনপির, জয়ে আশাবাদী আওয়ামী লীগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1515481
ভোটের আর মাত্র চার দিন বাকি। প্রচারের জন্য সময় আরও কম। তাই শেষ বেলায় গাজীপুরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে অন্যান্য নির্বাচনের মতো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ভোটের হিসাব কষা হচ্ছে বড় দুটি দলের মধ্যেই। প্রচারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলের প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপই বেশি। দুই প্রার্থীর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়েই চলছে জনসংযোগ, পথসভা, ভোট প্রার্থনা।প্রশাসনকে ব্যবহার করে সরকারি দল আওয়ামী লীগ সুবিধা নিচ্ছে, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপিমনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগমনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি প্রার্থীর প্রতি।আজ শুক্রবার সকাল আটটা থেকে প্রার্থীরা প্রচারে নামেন। প্রধান দুটি দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ঢাকা থেকে গাজীপুরে এসে নিজেদের প্রার্থীদের পক্ষে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে প্রচার চালান। আওয়ামী লীগ ১৪ দলের ব্যানারে ও বিএনপি এককভাবে জনসংযোগ করছে। আজ দুই প্রার্থী ভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে ভোটারদের কাছে ভোট চান।বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার সকালে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়দেবপুরে প্রচার চালান। তিনি সেখানে পথসভা করেন। এতে সমবেত হন কয়েক শ লোক। ওই সময় তিনি ভোটের পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। পরিস্থিতিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে তা আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আর এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারের ক্যাডার বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়ী করেন তিনি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা চেষ্টা করুন, ভোট যেন সুষ্ঠু হয়। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। জীবনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এ পর্যায়ে এসে ভোট চুরির বিরুদ্ধে যা করা দরকার করব। নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যা আন্দোলন করা দরকার করব।’সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে ভোট সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। ভোটে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের ক্ষেত্র (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নষ্ট হবে। তিনি নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীকে ধর পাকড়, ভয় দেখানো, ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে হুমকিধমকি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেন।জুমার নামাজ আদায়ের আগে জয়দেবপুরের পর গাজীপুর সদর, কোনাবাড়িসহ কয়েকটি এলাকায় তিনি প্রচার চালান। টিঅ্যান্ডটি রোডের এক মসজিদে নামাজ আদায় করেন তিনি। নামাজের পরপর মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ভোট প্রার্থনা করেন।এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সদর এলাকার এক মসজিদে নামাজ আদায় করেন। তিনিও নামাজ শেষে মুসল্লিদের কাছে ভোট চান। দুই প্রার্থীই নামাজের পর আবার প্রচারে নামেন।জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় আছে। আজ সকাল থেকে ১৩ নম্বর, ২৩ নম্বরসহ কয়েকটি ওয়ার্ডে জনসংযোগ ও পথসভা করেন তিনি। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে পথসভা শেষে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁরা হেরে যাওয়ার ভয়ে আছেন। মানুষ তাঁদের সঙ্গে নেই বুঝেই এমন অভিযোগ করছেন। সব প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ দেখছি। আমরা সবাইকে প্রচার চালাতেই ব্যস্ত দেখতে পাচ্ছি।’বিএনপি প্রার্থীর উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখানে এর আগে আপনাদের দলের প্রার্থী মেয়র ছিলেন। তিনি কোনো উন্নয়ন করেননি। আপনি বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা। অপপ্রচার না চালিয়ে জনগণের কাছে গিয়ে বোঝান আপনি কী করতে চান। অপপ্রচার চালিয়ে গাজীপুরে ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করবেন না।’বিএনপি অভিযোগ জানিয়েছে, গত বুধবার দিবাগত রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। দলটির পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধে গতকাল সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুণ অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণগ্রেপ্তার বা ধরপাকড়ের ঢালাও অভিযোগ সত্য নয়। বিএনপির নয়জনকে আটকের তথ্যও সত্য নয়। মাত্র দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তা-ও তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।এদিকে স্থানীয় থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথমবারের তফসিল ঘোষণার পর গাজীপুরে ‘গোপন বৈঠক’ থেকে জামায়াতের ৪৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১ জনের এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। এর বাইরে আরও ১০৩ জনকে বিভিন্ন সময়ে আটক করা হয়। এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে। বেশির ভাগকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সবাইকে গাজীপুরের পুলিশ আটক করেছে, তা নয়। অনেকে ঢাকা, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক হয়েছিলেন।এর আগে ইসির তফসিল অনুসারে ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্তির প্রজ্ঞাপন ও নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের তফসিলের কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এবং নির্বাচন কমিশন পৃথক তিনটি আবেদন করে। শুনানি শেষে ১০ মে আপিল বিভাগ এই নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে ২৮ জুনের মধ্যে এ নির্বাচন করতে বলেন। এরপর ১৩ মে ইসির এক সভায় ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
368,009
অনলাইন ডেস্ক
economy
অর্থনীতি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:২৩
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:২৫
শেয়ারবাজার
0
টানা দর পতনের পর ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1331886
টানা দরপতনের পর সূচকের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। আজ মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর।ডিএসইতে আজ দুপুর ১২টা নাগাদ ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ৯ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬১১৬ পয়েন্টে। দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৯৬ কোটি টাকা। গতকাল এ সময় পর্যন্ত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি টাকা। দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩১৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫ টির, কমেছে ১২৮ টির। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টি কোম্পানির।গত চার কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক কমে ১৩০ পয়েন্ট।অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ দুপুর সোয়া ১২টা নাগাদ সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট। মোট লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আজ দুপুর সোয়া ১২টা নাগাদ সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ১৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ টির, কমেছে ৭৫ টির। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির।
339,512
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২৪
২৭ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২৫
বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
আসামি গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1028691
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে নাশকতার ১৬ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মো. শওকত (৩০)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাটিয়ারীর তুলাতলী এলাকার একটি দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, শওকত ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাটিয়ারী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি। তাঁর বাড়ি ভাটিয়ারীর তুলাতলী এলাকায়। সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়িতে আগুন, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় শওকতের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন তিনি। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে এর আগে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
269,107
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৬
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৮
কেরানীগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,রাজনীতি
0
বিআরটিএতে দালাল চোরদের স্থান নেই
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/140467
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে দালাল ও চোরদের স্থান নেই। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়ারে বিআরটিএ কার্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইকুরিয়ার বিআরটিএ কর্মকর্তা কেশব কুমার দাস ও অফিস সহকারী আরিফ হোসেনকে তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দেন। মোটরযান পরিদর্শক ওয়াজেদ মিয়া ও মো. জয়নালকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর নামে শপথ নিয়ে ভালো হয়ে যাও। এক মাস সময় দিলাম দুর্নীতি ছেড়ে দাও।’ বিআরটিএর একই কার্যালয়ে কোনো কর্মকর্তা এক বছরের বেশি থাকতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, বিআরটিএতে বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রয়েছে। ধীরে ধীরে তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালককে সর্তক করে মন্ত্রী বলেন, ‘আবার যদি রাস্তায় এসব দেখি, তবে পুড়িয়ে দেব।’বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুতে যানজট ও চাঁদাবাজি যেন না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার, উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দীন, বংশাল থানার ওসি আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।
49,350
বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ আগস্ট ২০১৬, ০১:১৬
১১ আগস্ট ২০১৬, ০১:১৭
রাঙামাটি,চট্টগ্রাম বিভাগ,খবর
0
বাঘাইছড়িতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/942481
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের শিজক খাগড়াছড়ি গ্রামে অস্ত্রসহ নির্ভীক চাকমা (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।থানা ও নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শিজক খাগড়াছড়িসহ আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আসছে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। গতকাল ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কয়েকজন সন্ত্রাসী শিজক খাগড়াছড়ি গ্রামে অবস্থান করছে। মাইনী জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে পুরো এলাকা ঘেরাও করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও নির্ভীক চাকমা একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। ওই বাড়ি তল্লাশি করে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর কাছে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি এলজি, একটি গাদা বন্দুক, পিস্তলের ১০টি গুলি, ১৭ হাজার ২৪১ টাকা, একটি ট্যাব ও দুটি মুঠোফোন পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে তিনি জনসংহতি সমিতির (সন্তু) কর্মী বলে দাবি করেছেন।তবে জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ চাকমা বলেন, ‘নির্ভীক চাকমা আমাদের কর্মী। তিনি গ্রাম পর্যায়ে যুব সমিতির সদস্য। তিনি কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে জড়িত নন।’খাগড়াছড়ি ব্রিগেডের কর্মকর্তা মেজর মো. সেলিম বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে, দীর্ঘদিন ধরে শিজক খাগড়াছড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছে। গতকাল গোপন সংবাদ পেয়ে খাগড়াছড়ি গ্রামে অভিযান চালানো হয়। একটি ঘরে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রসহ একজনকে আটক করা হয়।’থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, আসামিকে থানায় দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।
248,760
মুন রহমান
education
শিক্ষা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০২
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০২
স্বপ্ন নিয়ে,শিক্ষাঙ্গন
0
আলপনা রাঙানো দিনে
http://www.prothom-alo.com/education/article/153289
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারের বেদি, আশপাশের পথ আর দেয়ালগুলোকে দেখা যায় আর দশটা দিনের চেয়ে আলাদা রূপে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এই সম্পূর্ণ আলপনা ও দেয়ালচিত্রের কাজগুলো করে থাকেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা এবং তাঁদের তত্ত্বাবধান করেন অনুষদের শিক্ষকেরা। এবার আলপনা আঁকার প্রস্তুতি নিজের চোখে দেখব বলে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বইমেলা থেকে ফেরার পথে শহীদ মিনারে চলে এলাম। ওমা! এ তো দেখি মহাযজ্ঞ! চারুকলার প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্স, কোনো বর্ষের শিক্ষার্থীই বাদ নেই। সবাই কাজে লেগে পড়েছেন। একজন আলপনার লে-আউট করে দিচ্ছেন আর তার ওপর আলপনা আঁকার কাজটি করছেন অন্যরা। একদিকে চলছে রং বানানোর কাজ। বড় বড় বালতিতে রং বানানো হয়েছে। সেখান থেকেই রং নিয়ে কাজ করছেন সবাই। কেউ একজন অসাবধানতাবশত ভেজা রং মাড়িয়ে দিয়েছেন তো সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের চিৎকার। এখানে কাজ করছেন তিতলি, ঊর্মি, নওশিন, দিপ, শানু, রাফা, নিশি, মিশুসহ আরও অনেকে।কাজের ফাঁকে বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটিও চলছে বেশ। আমরা এবার গেলাম রাস্তার ওপারে দেয়ালচিত্রের কাছে। দেয়ালচিত্র আঁকার মূল কাজটি করেন মূলত শিক্ষকেরাই। শিক্ষকদের সহায়তা করেন শিক্ষার্থীরা। এখানে কথা হলো রাহুল, মৃত্তিকা, সোহাগ, মৃণালদের সঙ্গে। তাঁরা জানালেন, একুশের কাজ করার মাধ্যমে চারুকলার নবীন শিক্ষার্থীদের শেখার সুযোগ থাকে অনেক বেশি। সুইমিংপুলের কাছে চলছে মূল তোরণ বানানোর কাজ। চারুকলার শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের মূল বেদি, মূল চত্বর, পশ্চিম পাশের রাস্তা, বুয়েট ও জগন্নাথ হলের মোড় পর্যন্ত, উত্তর পাশের রাস্তা ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের মোড় থেকে একদিকে শিববাড়ির মোড় অপর দিকে দোয়েল চত্বর মোড় পর্যন্ত রঙে রঙে রাঙিয়েছেন। এদিকে সূর্য প্রায় ডুবি ডুবি করছে। আমরাও পা বাড়াই আলপনা রাঙানো পথে।
53,623
-1
sports
খেলা
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২০:৪৩
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২০:৪৭
আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
সিটির মাঠে সিটিকে উড়িয়ে দিল লেস্টার
http://www.prothom-alo.com/sports/article/761722
আগামী মৌসুমে কোচ হয়ে আসছেন পেপ গার্দিওলা আসছেন—এই খবরটাই কি তাহলে ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের মনযোগ সরিয়ে দিল খেলা থেকে? নইলে প্রিমিয়ার লিগ বলুন কিংবা লিগ কাপ, ভালোই তো খেলছিল ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দল। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় আজকের আগে সর্বশেষ ১১ ম্যাচে মাত্র ১টি হার! ৭টি জয়ের পাশাপাশি ড্র ৩টি ম্যাচে। সেই দলটাই আজ লেস্টার সিটির কাছে হারল ৩-১ ব্যবধানে!নাকি সিটি নিজেদের মতোই খেলেছে, বরং লেস্টার অতিরিক্ত ভালো খেলে ফেলেছে? সংখ্যাগরিষ্ঠের মত হতে পারে এমনটাই। ৩ মিনিটেই রবার্ট হুথের গোলে এগিয়ে যাওয়া। সেই গোলের অগ্রগামিতা ধরে রেখেই প্রথমার্ধ শেষ করেছিল লেস্টার। প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ যে ৮টি ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে লেস্টার এগিয়ে ছিল, সেগুলোর একটিতেও হারেনি ক্লদিও রানিয়েরির দল। এই পরিসংখ্যানই যেন বিরতির পর আরও তাতিয়ে দিল লেস্টার সিটিকে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠের নামার মিনিট তিনেকের মধ্যে দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণ থেকে ব্যবধান ২-০ করলেন রিয়াদ মাহরেজ। ইতিহাদে সিটি সমর্থকেরা যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কী হচ্ছে এসব!কিন্তু লেস্টার-জাদুর যে তখনো আরও বাকি। ৬০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করে ইতিহাদে সিটি সমর্থকদের প্রায় স্তব্ধ করে দেন হুথ। এরপর এই ম্যাচে ফিরে আসা কঠিনই ছিল সিটির জন্য। সেটা তারা পারেনি। ৮৭ মিনিটে সার্জিও আগুয়েরো একটা গোল করে হারের ব্যবধান যা একটু কমিয়েছেন!এই জয়ে ২৫ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রইল লেস্টার। সমান ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৪৭। স্টার স্পোর্টস।
199,074
কুষ্টিয়া অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:৫৪
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:৫৫
কুষ্টিয়া সদর,খুলনা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
null
অমানবিক নির্যাতন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/48659
‘ঘরের ভেতর আটকিই ধরি মাইরিছে, কুরআন নিয়ে আল্লাহর দোহায় দিইছি। এসব না শুনে চুল ধইরি লাথি, ঘুষি যে যেমন পারছে মাইরিছে। প্লায়ার্স দিয়ে পায়ের নখে টান দিছে, কঞ্চি দিয়ে আঙুলে চাপ দিছে, ব্যাট দিই পিঠে ও ঠ্যাংগে মারিছে।’গতকাল বুধবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় শুয়ে এভাবেই নির্যাতনের বর্ণনা দেন গৃহপরিচারিকা রাজিয়া খাতুন ওরফে রানু (২০)।উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও তাঁর কয়েকজন আত্মীয় রাজিয়ার ওপর এভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজিয়া একই ইউনিয়নের পরানখালী গ্রামের আবদুল হামিদের স্ত্রী। তিনি ওই গ্রামের মৃত ওয়াহেদের স্ত্রী জেসমিনের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গয়না চুরির অভিযোগে তাঁকে নির্যাতন করা হয়।রাজিয়া ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের ভাষ্যমতে, ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজিয়ার বিরুদ্ধে গয়না চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁকে বেদম মারধর করা হয়। এরপর জেসমিন ওই রাতেই তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ডেকে তাঁর কাছে রাজিয়াকে তুলে দেন। চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন রাজিয়াকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে পেটান। প্লায়ার্স দিয়ে তাঁর পায়ের আঙুল, নখ থেঁতলে দেওয়া হয়। চুরির অভিযোগে রাতে তাঁকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এরপর পুলিশ রাজিয়াকে তাঁর পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দিলে তাঁকে ওই রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন চিকিৎসা শেষে রাজিয়া ১১ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে ফিরে যান। পুলিশের পরামর্শে রাজিয়াকে ওই দিনই ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। রাজিয়ার স্বামী ঢাকায় রিকশা চালান। নির্যাতনের কথা শুনে তিনি ভেড়ামারায় এসেছেন।অভিযোগের ব্যাপারে শওকত আলী বলেন, ‘আপনি চা খেতে আসেন, সব বলব।’ পরে কথা হবে বলে ফোন রেখে দেন তিনি।ভেড়ামারা থানার ওসি সৈয়দ রবিউল ইসলামের মুঠোফোনে গতকাল দুপুরে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে টেলিফোন থেকে ফোন দিয়ে পরিচয় জানার পর বলেন, তিনি পাঁচ মিনিট পর ফোন দেবেন। আধা ঘণ্টা পর আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
17,698
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:০৮
১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:০৯
খবরাখবর,মাল্টিমিডিয়া
null
নতুন ফিচার নিয়ে আসছে অ্যান্ড্রয়েড কিউ
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1573935
অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণের নাম হবে অ্যান্ড্রয়েড কিউ। সাধারণত ইংরেজি অক্ষরগুলোর ক্রমানুসারে মিষ্টান্নের নামে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণের নামকরণ করা হয়। গত বছরের আগস্টে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারের নতুন সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই এনেছিল গুগল। এবারে এর পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে আসবে অ্যান্ড্রয়েড কিউ। তবে কিউ দিয়ে কোন মিষ্টান্নের নাম রাখা হবে, তা এখনো জানা যায়নি।অ্যান্ড্রয়েড ১০ কিউ সংস্করণে অবশ্য বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত হবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যে বিশেষ ফিচার হবে ডার্ক মোড। এটি মূলত ব্যাটারির চার্জ বাঁচানোর জন্য আনতে যাচ্ছে গুগল। এর আগে অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ সংস্করণে মেটিরিয়াল ডিজাইন যোগ করার আগে সিস্টেমের বেশির ভাগ জায়গা কালো থাকত; বিশেষ করে সিস্টেম সেটিংস।গুগল স্বীকার করেছে, শুধু ওএলইডি নয়, এলসিডি ডিসপ্লেতেও ডার্ক মোডে ব্যাটারি বাঁচে। তাই আবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে মেটেরিয়াল ডিজাইন বাদ দিয়ে ডার্ক মোডে ফিরে যেতে চাইছে তারা। অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি একাধিক অ্যাপেও ডার্ক মোড আসতে পারে।গত বছর গুগলের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে অ্যান্ড্রয়েড কিউয়ের প্রিভিউ দেখায় গুগল। সেখানে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং ফিচারের কথা বলা হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ কিউ সংস্করণ উন্মুক্ত করতে পারে গুগল।
386,590
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৪৯
০৮ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৫৪
খেলা,দেশের ফুটবল
null
সাবিনা অম্রাদের কোচিং-পাঠ
http://www.prothom-alo.com/sports/article/53937
খেলতে খেলতে কোচ। এমন উদাহরণ আছে ভূরিভূরি। বাংলাদেশের কয়েকজন নারী ফুটবলারও খেলা চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোচিংয়ের পাঠ নিচ্ছেন। তাঁদের কোচিং-শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে ১ অক্টোবর শুরু ১৩ দিনের মহিলা ‘সি’ লাইসেন্স কোচেস কোর্স।এই কোর্সে আছেন ১৪ জন খেলোয়াড়, বর্তমান মহিলা জাতীয় দলেরই আটজন। দুজন সংগঠকসহ ১৬ জনকে নিয়ে এই প্রথম বাংলাদেশে হচ্ছে মেয়েদের ফুটবল কোচিং কোর্স। সাবিনা, মিরনা, তৃষ্ণা চাকমা, অম্রা চিং মারমারা এখন জাতীয় দলে খেলছেন, কিন্তু দুই দিন পর খেলার পাশাপাশি ওঁদের কোচ হিসেবে দেখলেও অবাক হবেন না যেন। ওঁদের শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই বাকি।বাফুফে ভবন এবং এর গা ঘেঁষেই টার্ফে সকাল-বিকেল চলছে ক্লাস। ফুটবলের প্রারম্ভিক কৌশলগুলো তো আছেই, মনস্তত্ত্ব থেকে শুরু থেকে ফুটবলের সবকিছুই এই সিলেবাসে আছে। তিনটি ব্যবহারিক ও দুটি তাত্ত্বিক পরীক্ষা নেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের। শেখানোর দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশে এএফসির ‘এ’ লাইসেন্সধারী ইনস্ট্রাক্টর সাইফুল বারী পরশু বিকেলে তাত্ত্বিক ক্লাস শেষে বলছিলেন, ‘পুরুষ ফুটবলের তুলনায় মেয়েদের ফুটবলে অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের ব্যবধানটা তুলনামূলক কম। ফুটবল উন্নয়নের চারটি মাধ্যমের মধ্যে অন্যতম কোচেস এডুকেশন। এই কোর্সে পাসিং, হেডিংসহ সবকিছু খুব নিখুঁতভাবে শেখানো হচ্ছে মেয়েদের। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য এই কোর্সটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, খেলা ছেড়ে তাঁরা কোচিংয়ে এলে অনেক কিছু শেখাতে পারবে নবীনদের।’প্রশিক্ষণার্থীদের চোখে স্বপ্ন, শিক্ষার্থী থেকে নিজেরাই হবেন প্রশিক্ষক। জাতীয় দলের মিডফিল্ডার মিরনার কথায় ধরা পড়ল উচ্ছ্বাস, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমরা অনেক কিছুই জানি না। মাঠে ভুল করি। কিন্তু এখানে সেসব ভুল শুধরে দেওয়ায় অনেক কিছু শিখতে পারছি। খেলোয়াড় হিসেবেও এটা আমাদের অনেক সাহায্য করবে।’ জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুনের কথায়ও একই সুর, ‘এই কোর্সটা আমাদের অনেক কাজে লাগবে। এখান থেকে অনেক কিছু শিখে আমি তা কাজে লাগাব।’এই খেলোয়াড়দের জানার পরিধি এত দিন ছিল বেশ সীমিত। এই কোর্স অবশ্যই জানার পরিধিটা বাড়াবে। কোর্সের আরেক শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠক নাসরিন আক্তারের (বেবি) কাছে এটি বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলে নতুন মাইলফলক, ‘এখন অনেক মেয়ে ফুটবলে আসছে। তাই অনেক কোচ দরকার আমাদের। এই কোর্স সেই সুযোগ করে দিচ্ছে।’এখন পর্যন্ত মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশে একমাত্র ‘সি’ লাইসেন্সধারী কোচ রেহানা আক্তার। তাঁর সঙ্গে এখন যোগ দেবেন অনেকেই। বাংলাদেশে মেয়েদের ফুটবল এই কোচিং কোর্স দিয়ে এক পা ফেলল সামনে।
22,693
এনডিটিভি
international
আন্তর্জাতিক
১৩ জানুয়ারি ২০১৮, ০১:৩৭
১৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:৩১
ভারত,গণতন্ত্র
0
নিরপেক্ষতা ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না
http://www.prothom-alo.com/international/article/1407626
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা রক্ষা না করার এবং পক্ষপাতের সরাসরি অভিযোগ তোলা হলো। রাজধানী নয়াদিল্লিতে গতকাল শুক্রবার রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ জানালেন সর্বোচ্চ আদালতের চার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। তাঁরা বললেন, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ না হলে গণতন্ত্র টিকবে না। তাঁরা এ কথাও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে এখন শৃঙ্খলা নেই।এই চার বিচারপতি হলেন জে চেলামেশ্বর, রঞ্জন গগৈ, মদন লোকুর ও কুরিয়েন জোসেফ। সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চেই প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হয়। এই মামলাগুলো অন্য জ্যেষ্ঠ বিচারপতির বেঞ্চে বণ্টন করা হচ্ছে না। যেসব মামলার সুদূরপ্রসারী প্রভাব ও জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে, প্রধান বিচারপতি সেগুলো পছন্দের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বণ্টন করে চলেছেন। সিবিআইয়ের বিচারক বি এম লয়ার ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর ঘটনাও এই সংবাদ সম্মেলনে বড় হয়ে ওঠে। ওই ঘটনায় জনস্বার্থে দায়ের করা মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ পছন্দের বিষয়টি বেশি বিব্রত করেছে এই চার বিচারপতিকে। মামলাটি চার জ্যেষ্ঠ বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠানো হয়নি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নাগপুরে মারা যান বিচারক বি এম লয়া। ওই সময় তাঁর আদালতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার শুনানি চলছিল। এই বিচারকের পরিবারের অভিযোগ, বি এম লয়ার মৃত্যুটা স্বাভাবিক ছিল না। অমিত শাহের পক্ষে মামলার রায় দিতে এক শ কোটি রুপি ঘুষ প্রত্যাখ্যানের পরপরই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অমিত শাহকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।চার বিচারপতি বলেন, মতানৈক্যের ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই তাঁরা প্রকাশ্যে মুখ খুললেন। দুই মাস আগে এসব বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন তাঁরা।বিচারপতি চেলামেশ্বর সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনে শৃঙ্খলা নেই এবং গত কয়েক মাসে কাম্য নয় এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ না হলে গণতন্ত্র টিকবে না।প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসন করা উচিত কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে চেলামেশ্বর বলেন, ‘জাতিকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।’এএফপি জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর দুই সহযোগী। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকেছেন মোদি। তবে আইন প্রতিমন্ত্রী পি পি চৌধুরী বলেছেন, এ ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। তারা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে চায় না।কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, বিচারপতিদের অভিযোগের বিষয়টি ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’।এর আগে সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিসহ আট বিচারপতিকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড় তুলেছিলেন কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি সি এস কারনান। গত বছরের ৮ মে তিনি ওই আদেশ দেওয়ার পরদিনই সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে আদালত অবমাননার অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। গত ২০ ডিসেম্বর তিনি মুক্তি পান।
351,318
-1
opinion
মতামত
২০ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০১
২০ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০১
সম্পাদকীয়:
0
সৌরবিদ্যুতে অনলাইন ব্যাংকিং
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1565939
পটুয়াখালী জেলার প্রত্যন্ত রাঙ্গাবালী উপজেলায় সৌরবিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে রূপালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বাহেরচর শাখা যেভাবে গ্রাহকদের অনলাইনভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে, তা সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় রাঙ্গাবালীতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু তাই বলে তো আর সবকিছু থেমে থাকতে পারে না।২০১৪ সালে রূপালী ব্যাংকের বাহেরচর শাখা সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করা শুরু করে। বর্তমানে প্রায় সাত হাজার গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে এ শাখা। বেশ ভালো মুনাফাও করছে। একইভাবে কৃষি ব্যাংকের বাহেরচর শাখাও সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।শুধু এ দুটি ব্যাংক নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের অনেক শাখা সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।    আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম একটি উপকরণ হলো বিদ্যুৎ। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি প্রধানত কৃষি, শিল্প আরও কিছু অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল, যেগুলোর সবই আবার বিদ্যুতের ওপর দারুণভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে দেশের অনেক এলাকায়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। অথচ দেশে বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হলো সৌরবিদ্যুৎ।প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের অভাবে ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। ডিজেলের ঘাটতি কিংবা বিদ্যুতের সংকটে প্রায় প্রতিবছরই বিঘ্নিত হয় সেচ কার্যক্রম। সেচের সময় ডিজেল পাম্পের জায়গায় সৌরবিদ্যুচ্চালিত পাম্প ব্যবহার করলে যেমন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।সরকার ২০০৩ সালে বাড়িভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎব্যবস্থা স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করে। এ কর্মসূচির অধীনে প্রায় ৪১ লাখ বাড়ি সৌরবিদ্যুতের আওতায় এসেছে। কিন্তু এখন বাড়িভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ কর্মসূচির অগ্রগতি অনেকটাই থমকে গেছে। আর এর পেছনের কারণ হচ্ছে, জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ–সংযোগের সম্প্রসারণের জন্য সরকারের পরিকল্পনা। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ডিজেল, ফার্নেস তেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। এতে করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় অনেক বেশি। অন্যদিকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো ধরনের জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে না। তাই সৌরবিদ্যুতের প্রসারে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
383,036
রফিকুন নবী
sports
খেলা
১১ জুন ২০১৯, ১১:১৩
১২ জুন ২০১৯, ১১:৫৪
ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯,বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল,বাংলাদেশ ক্রিকেট
null
এগিয়ে যাওয়ার দিন আসুক
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1598522
ভারত-অস্ট্রেলিয়ার জমজমাট খেলাটি নিয়ে লিখব কি না ভাবছিলাম। না লেখার দিকেই ভাবনায় ভোট পড়ছিল বেশি। যদিও ক্রিকেটের দুই শক্তিধর দল দারুণ একটি খেলা খেলেছে, পুরোটা আমার দেখারও সুযোগ হয়েছে, তবু বারবার মনে হচ্ছিল এ নিয়ে লিখে কী হবে। আসলে ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা শুরুর আগে প্রথম আলোর গুণী দুই ঘনিষ্ঠজন সাজ্জাদ শরিফ ও আনিসুল হক যখন প্রায় নাছোড়ভাবে লেখার অনুরোধ করেছিলেন, তখন নিমরাজি ভাব নিয়ে বলেছিলাম, শুধু দেশের টিমের খেলাগুলোর ব্যাপারে চেষ্টা করব।সেই কথাই মনে ঘুরপাক খাওয়ায় এই খেলা নিয়ে লেখার ইচ্ছেটি হচ্ছিল না। দুটি দলই ভাবেসাবে বিশ্বকাপটি জিতেই ফিরবে, এমনটা জানান দিয়েছে। তাদের প্রথম সাক্ষাতে মাঠে তা প্রমাণেরও চেষ্টা চালিয়েছে। সমানে সমান লড়াই। তবে একটিকে তো হারতেই হবে। তা শেষ পর্যন্ত হজম করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকেই।কোথায় যেন পড়েছিলাম এ রকম দলগুলোর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইকে বলে ‘হাই-ভোল্টেজ গেম’। ভোল্টেজ মানেই তো বিদ্যুতের ব্যাপার। আমার পাড়ায় এটি মাঝেমধ্যেই থাকা না–থাকার কাণ্ডটি ঘটে খেলা-খেলা মতন ভাবসাব নিয়ে। বেশ কয়েকটি খেলা চলাকালে এই খেলাটি কয়েক মিনিটের জন্য হলেও মাঝেমধ্যে ঘটেছে। তবে এই হাই–ভোল্টেজ খেলাটি পুরোটাই দেখতে পেরেছি বিনা বাধায়। তবু লিখব না–ই ভেবেছিলাম।কিন্তু সকালের একটি ঘটনায় মত পাল্টালাম। বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম মেঘের অবস্থাটি দেখতে। বাইরে যাওয়ার উপায় হবে কি হবে না, তা পরখ করতে। পাশের রাস্তায় জটলা। পাঁচ-ছয়জনের একটি পাঁচমিশালি ভিড়। রিকশাচালক থেকে কলেজপড়ুয়া গার্মেন্টসের চাকুরে এমন। শুনলাম তাঁদের আলাপে ক্রিকেটই বিষয়।একজন বলছিল বাংলাদেশ–ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার খেলার তুলনা করে। কথাটা এই রকম, ‘অস্ট্রেলিয়ার দশাটা হইল কইলাম আমাগো মতন। নিউজিল্যান্ডরে প্রায় ধইরা ফালাইছিল। কাঁপনি ছুটাইয়া দিছিল। অস্ট্রেলিয়াও তা–ই। শ্যাষের দিকে দম রাখতে পারে নাই।’এ কথা শুনে একজন ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলায় ভরাডুবির কথা পাড়ল। প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্তের জন্য ক্যাপ্টেনের সমালোচনার চেষ্টা করল। তা খণ্ডন করতে আরেকজন বলল, ‘আরে টসটাই হইল আসল ঘাপলা। লটারির মতন। জিতলে ব্যাট করব না বল নিব, ঠিক করতে হয় ক্যাপ্টেনরে। আমাগো ক্যাপ্টেন ঠিকটাই ধরছিল। ইংল্যান্ডের তো নিজের মাঠ, আবহাওয়াও নিজের। আর নিজেগো দর্শক তো আছেই। এইগুলা তাগো কামে দিছে।’আরেকজন বলল অনেকটা এইভাবে, ‘হ, ঠিকই। মাঠটাও তো নিজেগো মতন কইরা বানাইন্যা। তয় ক্যাপ্টেনের ভুলভ্রান্তি হইতেই পারে। প্ল্যানের লগে ভাগ্যও লাগে। সবকিছু কোনো কোনো দিন খাপে খাপে মিলে না। ভাইবা দেখেন মাশরাফিরে কত কিছু নিয়া ভাবতে হয়। মোট নয়টা খেলা। তার মানে নয়টা দলের নিরানব্বইটা পিলিয়ারের কে কেমন, কেমনে সামাল দিতে হইব। কোন দলের কোন বেটা ব্যাটিংয়ে কীভাবে ছয়-চার মারার ঝাপটি মারে, কোন বোলার কেমনে বল লইয়া কী কারিগরি করে, কে কত কিলোমিটার বেগে বল ছাড়ে—এই রকমের কত কিছু নিয়া ভাবতে হয়।’একজন যোগ করে, ‘ঠিকই। বেকায়দা রকমের ব্যাপার। ক্যাপ্টেনরে তো নিজেগো খেলোয়াড় নিয়াও ভাবতে হয়। এমনকি পিচে ঘাস আছে নাকি শুকনা খটখটা। মেঘ আছে কি না, ঠান্ডা আর বাতাসের জোর কেমন, তা দেইখা খেলার ধরন কী হইব তা–ও মাথায় রাখতে হয়। একটা মাথায় কত কাম! আবার নিজের খেলার কথাও মনে রাখতে হয়। আসলে অনেক দায়িত্ব। সহজ ব্যাপার না। এত কিছুতে দুই-একটা খেলায় এদিক-সেদিক তো হইতেই পারে।’দম নিয়ে আবার শুরু করে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার মতন বড় দলরে ধরছে না? ফাইন ধরা ধরছিল। সাকিবের মতন খেলা সবাই খেললে জিতনটা কোনো ব্যাপারই না। দেইখো শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তানরে ঠিকই কাইত কইরা ফালাইব। আর যদি পাকিস্তানরে ধরতে পারে। দলটার খারাপ দিনে, তাইলে তো কথাই নাই! আমাগো ঠেকায় কে? আর ভারত আর অস্ট্রেলিয়া তো কাপ জিতনের স্বপ্ন নিয়া চাপে আছে। বারে বারে জিতা পার্টিগো কাপ লওনটায় আসলে মজা নাই। এত দিন ধইরা য্যাতগুলো দলের খেলা-খেলির মজাটাই ট্যামা খাইয়া যাইব। একটারে না একটারে যদি বাইচান্স ধরন যায়, তাইলে পোয়াবারো।’কলেজপড়ুয়া ছেলেটি বলল, ‘নিজেগো জিতার দিকটা ছাড়াও অন্যগো হারজিতের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। ধরেন, অস্ট্রেলিয়া বা ভারত পরপর কোনো দুই দলের কাছে হঠাৎ হাইরা গেল তখন তো আমাগো সমান পয়েন্ট হইব। ইংল্যান্ডের অবস্থাও তেমন হইব না, কে জানে! তয় আমাগো বাকি খেলাগুলায় ভালো করতে হইবই। গল্প আছে না—খরগোশরে দৌড়ে হারাইয়া দিছিল আস্তে হাঁটা কাছিম!’তো এসব শুনে ভাবলাম যে লেখাটা লিখেই ফেলি ওদের কথাগুলোকে মুখ্য ভেবে। আসলে ক্রিকেট নিয়ে সবাই ভাবছে নিজের মতো করে।
405,523
প্রথম আলো ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৭ আগস্ট ২০১৩, ০১:২৫
০৭ আগস্ট ২০১৩, ০১:২৭
যুক্তরাষ্ট্র
0
মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষতির দিক তুলে ধরলেন মার্কিন কর্মকর্তা
http://www.prothom-alo.com/international/article/35858
সাবেক সেনাসদস্য ব্র্যাডলি ম্যানিং যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করার ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মিত্র দেশগুলোর সম্পর্কে কী ক্ষতি হয়েছে—সে বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বর্ষীয়ান কর্মকর্তা প্যাট্রিক কেনেডি গত সোমবার সাক্ষ্য দিয়েছেন।উইকিলিকসের কাছে মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা সরবরাহের অপরাধে মার্কিন সামরিক আদালতে ম্যানিংকে গত ৩০ জুলাই অভিযুক্ত করা হয়।মার্কিন সিনেটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স কমিটিকে কেনেডি ২০১১ সালে বলেন, উইকিলিকসের আবির্ভাব-পরবর্তী অবস্থা মনে করিয়ে দেয়, প্রযুক্তি হচ্ছে সমস্যা সমাধানের সহায়ক হাতিয়ার মাত্র। এটি নিজেই কোনো সমাধান নয়। তাই কোনো তথ্য বিনিময়ের আগে আরও সতর্ক হতে হবে।ম্যানিংয়ের বিরুদ্ধে মামলার রায়ের শুনানি গত সপ্তাহে শুরু হয়ে সাময়িক মুলতবির পর গতকাল আবার শুরু হয়েছে। রয়টার্স।
8,177
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর ও তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ এপ্রিল ২০১৬, ১২:০৪
২০ এপ্রিল ২০১৬, ২০:৫৩
রংপুর বিভাগ,দূর্ঘটনা
null
রংপুরে দুটি বাসের সংঘর্ষ, নিহত ১২
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/835333
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ১৩ মাইল এলাকায় দুটি বাসের সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আহত ৪৯ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের মধ্যে নয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এঁরা হলেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের মোহাম্মদ আলী (৪৫), আবদুল মতিন (৩২), বাবু (২৬), দুর্ঘটনাকবলিত মিনিবাস চালকের সহকারী দিনাজপুরের ভূষিরবন্দর এলাকার চন্দন রায় (২৫), দুর্ঘটনাকবলিত সায়মুন পরিবহনের চালকের সহকারী রংপুরের গঙ্গাচড়া এলাকার আকুল আলী (২৬), নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের লিটন মিয়া (২২), নীলফামারীর ডোমারের মিজানুর রহমান (৪০), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা এলাকার একাব্বর আলী (৬৩) ও রংপুরের তারাগঞ্জের মাদ্রাসা শিক্ষক জান্নাতী খাতুন (২৭)। লাশ তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক নিশ্চিত করেছেন।তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিয়া বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারাগঞ্জের ১৩ মাইল এলাকায় সৈয়দপুর থেকে রংপুরগামী তৃপ্তি পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কুমিল্লা থেকে সৈয়দপুরগামী সায়মুন পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে বাস দুটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে নয়জন ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর সৈয়দপুর ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালান। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ায় বাসগুলো কেটে কয়েকজনের লাশ বের করা হয়।রংপুর রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক খন্দকার গোলাম ফারুক, রংপুরের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ টি এম মাহবুব-উল-করিম আহতদের দেখতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আ স ম বরকতুল্লাহ বলেন, আহতের চিকিৎসার জন্য জরুরি চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে। তাঁরা সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার বলেন, নিহত ব্যক্তিদের লাশ বাড়ি নিয়ে যেতে প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার ও তারাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার হাজারসহ নয় হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে দুই হাজার ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক হাজারসহ তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।তারাগঞ্জ থানার হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহেল বাকী বলেন, এ দুর্ঘটনা তদন্ত করতে ঢাকা থেকে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি রংপুর আসছেন। তিনি এলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
221,774
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:০১
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:০২
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ
0
গুলিতে ব্যবসায়ী আহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/715390
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গত বুধবার রাতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে জুবায়ের মো. দীপু নামের এক ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন জুবায়ের সাংবাদিকদের বলেন, নিউমার্কেটে তাঁর ভাইয়ের কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। তিনি ওই ব্যবসা দেখভাল করেন। বুধবার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার সময় নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে কিছু লোকজনকে ঝগড়া করতে দেখেন। এর মধ্যেই গুলির শব্দ হয় ও পায়ে ব্যথা অনুভব করেন জুবায়ের। পরে হাসপাতালে এলে চিকিৎসকেরা জানান একটি গুলি তাঁর ডান পা ভেদ করে বাঁ পায়ে গিয়ে লেগেছে।
184,403
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ মে ২০১৭, ০১:৫৩
২১ মে ২০১৭, ০১:৫৪
মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,রাজনীতি
0
ফের পিছিয়ে গেল সম্মেলন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1187196
মৌলভীবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন পিছিয়ে গেছে। গতকাল শনিবার এ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ওই তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছিল।জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ গতকাল ঢাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় অংশ নেন। সভা শেষে তিনি বলেন, ২০ মে ছিল জেলা কমিটির সম্মেলনের তারিখ। কিন্তু এদিন কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভা থাকায় সম্মেলনের তারিখ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে এখনো তারিখ ঠিক করা হয়নি।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এক দশক ধরে জেলা আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে চলেছে। একদিকে জেলা সভাপতি মো. আব্দুস শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদের নেতৃত্বাধীন অংশ, অপরদিকে প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর অনুসারী অংশ। ২০০৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। ২০১০ সালের ৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা আওয়ামী লীগের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে অনুমোদন দেয়। কিন্তু দুটি পক্ষের মতবিরোধ থাকায় জেলা কমিটির কোনো সভা হতে পারেনি।
318,707
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ জুলাই ২০১৪, ০১:৪১
০৯ জুলাই ২০১৪, ০১:৪১
গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
টঙ্গীতে দু্ই পক্ষের সংঘর্ষে নির্মাণ শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/262630
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক নির্মাণশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আরও দুজন আহত হন।ইব্রাহিম মিয়া টঙ্গীর ভরান মাজার এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে।এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ভরান এলাকায় সিরাজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি গতকাল সকালে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করতে যান। এ সময় তাঁর ভাতিজা আল রাজি তাতে বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করে কাজ করতে থাকলে প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন আহত হন। এ সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইব্রাহিম আহত হন। তাঁকে প্রথমে টঙ্গী হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
76,199
পিটার সাদারল্যান্ড
opinion
মতামত
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:১১
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:১১
মতামত,লেখকের কলাম,আন্তর্জাতিক
0
প্রস্থানের কাছাকাছি ব্রিটিশরা
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/311164
সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাবিষয়ক গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার বিরোধিতা শুরু হয়েছে। ব্যাপারটা তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা, যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নবিষয়ক ইতিবাচক মনোভাব সবচেয়ে জোরদার স্কটল্যান্ডেই।যেমন, এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত একটি জরিপে দেখা যায়, জুন মাসে দেশটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না-থাকার বিষয়ে যদি কোনো গণভোট হতো, তাহলে ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে মত দিতেন, থাকার পক্ষে ভোট দিতেন ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু স্কটল্যান্ডে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত একটি জরিপে দেখা যায়, সেখানকার ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ যুক্তরাজ্যের ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দেবেন, বিপক্ষে দেবেন ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যান্য জরিপেও দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে স্কটল্যান্ডের মানুষ ইংল্যান্ডের মানুষের চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে বেশি ইতিবাচক।তবে ওপরের ফলাফল থেকে শুরুতেই কোনো সিদ্ধান্ত টেনে ফেলা ঠিক হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না-থাকার ব্যাপারে ডেভিড ক্যামেরন যে গণভোটের প্রস্তাব করেছেন, সেটা হয়তো শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে না। তা ক্যামেরন ইউনিয়নে ব্রিটিশ সদস্যপদের শর্তাবলি সম্বন্ধে যতই পুনঃ আলোচনার কথা বলুন না কেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ইউনিয়ন থেকে ব্রিটিশদের পদত্যাগের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। এতে স্কটল্যান্ডবিষয়ক গণভোটের গুরুত্ব মৌলিকভাবে পাল্টে যাচ্ছে।উদাহরণস্বরূপ, তুলনামূলকভাবে অপরিচিত ব্যক্তি ও ইউকে হাউস অব লর্ডসের নেতা জোনাথন হিল জ্যাক ক্লদ জাঙ্কারের নেতৃত্বে গঠিত নতুন ইউরোপীয় কমিশনের সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ব্রিটিশরা ইউনিয়ন-সংক্রান্ত একটানা যে ভুল করে যাচ্ছে, সেই তালিকায় এটি নতুন সংযোজন। ক্যামেরনের মুখপাত্র জুলাইয়ে বলেছেন, কমিশনের নতুন সভাপতির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তিনি হিলকে একটি মর্যাদাপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করবেন। তবে জাঙ্কারের কার্যালয় থেকে খুবই শীতল একটি প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলা হয়েছে, নতুন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বসানো হবে আর ক্যামেরনের কাছে জাঙ্কারের কোনো ঋণ নেই।কমিশনের প্রেসিডেন্ট পদে জাঙ্কারের নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন ক্যামেরন। ব্রিটিশ প্রেস তাঁকে হেনস্তা করতেও ছাড়েনি। ওদিকে ব্রিটিশ রাজনীতিতে হিল কোনো কেন্দ্রীয় চরিত্র নন, ফলে জাঙ্কার যখন কমিশনের বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দেবেন, ক্যামেরন তখন কিছুটা বিচলিত হবেন। বহু জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদকে স্থান দিতে হবে জাঙ্কারকে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কাছ থেকে সে বিষয়ক অনুমোদন নেওয়াটাও খুব সহজ কাজ হবে না। আর ক্যামেরন যে জাঙ্কারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে উৎসাহ দেখাবেন না, তাতে কোনো বিস্ময় নেই, কিন্তু তাঁর বিরোধিতা ছিল খুব জোরালো।ক্যামেরন কনজারভেটিভ পার্টির লোকদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন, তাঁর ইউরো-বিষয়ক সন্দেহবাতিকের কোনো কমতি নেই। এমনকি ক্যামেরন নাকি বলেছিলেন, জাঙ্কার নির্বাচিত হলে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে দেবে, এটি আসলে বিস্ময়কর ও উদ্বেগজনক। কারণ, ইউনিয়নে ব্রিটিশ সদস্যপদের চুক্তির শর্তাবলি নিয়ে পুনরালোচনা হতে হলে সেটা অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রের সঙ্গে হতে হবে, কমিশনের সঙ্গে নয়।ক্যামেরন জাঙ্কারের প্রার্থিতা বানচালের যে ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন, তার মধ্য দিয়ে তিনি যে ২০১২ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক কমপ্যাক্ট গ্রহণের বিরোধিতা করেছেন, সেটা প্রতিভাত হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ব্রিটিশ অবস্থানের প্রতি যে সমর্থন জানিয়েছেন, ক্যামেরন সেটাতে অতি গুরুত্ব দিয়েছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ জার্মান ব্যক্তিই ক্যামেরনের এই স্বসৃষ্ট সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার হাত বাড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ফলে ম্যার্কেল চাইলেই তেমন কিছু করতে পারবেন না।ক্যামেরনের উপদেষ্টারা ম্যার্কেলের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তায় যদি অতি গুরুত্বারোপ করেন, তাহলে তাঁরা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভূমিকাকে খাটো করে দেখছেন। অনেক দিন ধরেই ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এটা পরিষ্কার করে বলে আসছে যে তারা কমিশনের সভাপতি নিয়োগসংক্রান্ত নবপ্রাপ্ত ক্ষমতা কীভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে তাদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। লিসবন চুক্তির মাধ্যমে তারা এ ক্ষমতা লাভ করেছে। কিন্তু ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ক্ষমতাধর রাজনৈতিক শক্তিগুলো জাঙ্কারকে সমর্থন দিতে গিয়ে নির্বাচন-উত্তর যে দ্রুত মতৈক্যে পৌঁছেছে, সে কারণে ক্যামেরন কিছুটা বেকায়দায় পড়ে গেছেন।ইউনিয়ন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে ঘোষণা ক্যামেরন দিয়েছেন, তাতে সেখানে ব্রিটিশ আধিপত্য তো বাড়েইনি, উল্টো ক্যামেরন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রভাব বিনষ্ট হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে, ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্রগুলো একে অপরকে অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তা করে। কিন্তু ইউনিয়নে এই ধারণা ক্রমেই পোক্ত হচ্ছে যে ক্যামেরন এই সদ্বিশ্বাসের অপব্যবহার করছেন।ফলে জাঙ্কার প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাজ্যের সদস্যপদ বজায় রাখা কঠিন হবে, ক্যামেরনের এ রকম ভবিষ্যদ্বাণী এখন আপনাআপনি পূরণ হওয়ার পথে রয়েছে। জাঙ্কারের প্রার্থিতা রাজনৈতিক নীতির ব্যাপার। ক্যামেরন ঐতিহাসিকভাবে কেন্দ্রিকতা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পক্ষপাতী অন্ধকার শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে লড়ছেন, এমন কথা বলা হলে ইউরোপ থেকে ইংল্যান্ডের বিচ্ছিন্নতার যে ধারণা রয়েছে, সেটাকে পাকাপোক্ত করা হয়, এদিকে ক্যামেরন আবার এ লক্ষ্যে সফল নন। স্কটল্যান্ডের ক্ষেত্রে আবার ব্যাপারটা ঠিক এ রকম নয়।২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্যামেরন যদি আবারও ক্ষমতায় আসেন, তাহলে ইউতে ব্রিটিশ সদস্যপদ টেকাতে তাঁকে অনেক বাধার পাহাড় পেরোতে হবে। না, শুধু ইউরোপীয় দেশগুলোই নয়, তাঁর কনজারভেটিভ পার্টিও একপ্রকার চায় না ব্রিটেন ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে থাকুক। হ্যাঁ, ক্যামেরনের নিজের পুনঃ আলোচনার ফলাফলের ওপর অনুষ্ঠেয় গণভোটে ‘না’ রায় এলে সেটা গ্রহণ না করা তাঁর জন্য কঠিন হবে।আগামী বছরের নির্বাচনে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদের ইস্যুটি ঝুঁকির মুখে পড়বে। ব্রিটিশ ভোটাররা ইউরোপের ওপর তাঁদের রায়ের কী প্রভাব পড়বে, সেটা না বুঝে ভোট দিলে তা শেষমেশ বিয়োগান্ত হবে। একটা ব্যাপার মোটামুটি পরিষ্কার: স্কটল্যান্ড যদি সেপ্টেম্বরে আলাদা হওয়ার পক্ষে রায় দেয় আর তারপর ব্রিটেনের অবশিষ্ট অংশে যদি ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের সদস্যপদ নিয়ে গণভোট হয়, তাহলে যাঁরা সদস্যপদ রাখার পক্ষে, তাঁদের পক্ষে জয়লাভ কঠিন হয়ে উঠবে।ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন; স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেটপিটার সাদারল্যান্ড: লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান।
91,046
যশোর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৫:৩১
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৬:০৬
রাজনীতি,বাংলাদেশ
null
খালেদার শুধু রাত্রিযাপন, যশোরে ১০০ তোরণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/51205
বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া আজ শনিবার রাতে যশোরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। যশোর সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন শেষে কাল রোববার সকালে তিনি খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। জানা গেছে, বিরোধী দলীয় নেত্রীর যশোরে শুধু রাত্রিযাপনের কর্মসূচি থাকলেও পুরো জেলায় সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। এ উপলক্ষে যশোর-মাগুরা সীমান্ত সীমাখালী থেকে যশোর-খুলনা সীমান্ত ফুলতলা পর্যন্ত অন্তত ৫০ কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তার দু’ধারে রং বেরঙের পতাকা ও দলীয় ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। শহর ও শহরতলিতে চলছে দলীয় নেতা-কর্মীদের পথসভা-মিটিং-মিছিল।এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সড়ক পথে ঢাকা থেকে মাগুরা হয়ে রাত ১০ টার দিকে নেত্রী যশোরে পৌঁছাবেন। সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন শেষে সকালে খুলনায় যাবেন। খুলনায় রওনা হওয়ার আগে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।সাবেরুল আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে আগমনী শুভেচ্ছা জানাতে যশোরাঞ্চলে অন্তত ১০০ তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তার দু’ধারে টাঙানো হয়েছে অসংখ্য পতাকা, ব্যানার-ফেস্টুন, যা দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করছে। দলীয় নেত্রীর বহরে দুই শতাধিক গাড়ি থাকবে বলেও তিনি জানান।
20,042
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ জুন ২০১৫, ০০:৫২
০৫ জুন ২০১৫, ০২:৫৪
গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা
0
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/545692
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেঘলাল এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মিষ্টি আক্তার (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মিষ্টি কালিয়াকৈরের ফকিরচালা এলাকার সবদুল আলীর মেয়ে ও স্থানীয় সাকসেস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মিষ্টি সকালের নাশতা খেয়ে পার্শ্ববর্তী মেঘলাল এলাকায় তার বোনের বাড়ি বেড়ানোর উদ্দেশে বের হয়। পথে রেললাইন পার হওয়ার সময় সে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ঘটনস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
144,736
রিয়াদুল করিম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ মার্চ ২০১৪, ১৮:২৪
১৪ মার্চ ২০১৪, ১৮:২৫
রাজনীতি
null
বিদ্রোহীরাই বিএনপির মাথাব্যথা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/168628
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনেও নিজেদের জয়ের ধারা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপি। তবে একই সঙ্গে দলটির মধ্যে শঙ্কাও কাজ করছে। নির্বাচন সমন্বয়ের সঙ্গে যুক্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করছেন, কালকের নির্বাচনে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারাটাই তাঁদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৯৬টির মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৪টিতে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হন আর আওয়ামী লীগ-সমর্থিতরা জিতেছিলেন ৩৪টিতে। দ্বিতীয় দফায় বিএনপি ৫০টিতে এবং ৪৪টিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হন। কাল শনিবার তৃতীয় দফায় ৮১টি উপজেলায় ভোট নেওয়া হবে।উপজেলা নির্বাচন সমন্বয়ের জন্য বিএনপির কেন্দ্র থেকে গঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তাঁদের প্রধান শঙ্কা ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপ নিয়ে। তারপর আছে দলীয় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী। আর আশাবাদী হওয়ার কারণ, প্রথম দুই ধাপের নির্বাচনের ফল এবারেও প্রভাব ফেলবে বলে তাঁরা মনে করছেন। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা দাবি করছেন, নির্বাচন ‘সুষ্ঠু’ হলে বিএনপি বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে।আজ শুক্রবার সকালে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তৃতীয় দফায়ও বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা ভালো করবেন। কিন্তু মন্ত্রীদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, তাঁরা জোর করে উপজেলা পরিষদ দখল করে নিতে চান।বিএনপির নেতারা বলছেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন যতটুকু সুষ্ঠু হয়েছিল, দ্বিতীয় ধাপে সে রকম হয়নি। প্রথম ধাপে ভালো ফল না পেয়ে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন জায়গায় বলপ্রয়োগ করেছে। কেন্দ্র দখল, হামলা, ব্যালট ছিনতাই হয়েছে। তার পরও দ্বিতীয় ধাপেও বিএনপি এগিয়ে ছিল। তাই এবার ক্ষমতাসীনেরা আরও বেশি বলপ্রয়োগ করে কেন্দ্র দখল করবে বলে বিএনপির নেতারা আশঙ্কা করছেন।জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন সমন্বয়ে যুক্ত দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা আশঙ্কা করছেন এবার আওয়ামী লীগ বেপরোয়া আচরণ করবে, কেন্দ্র দখল, সন্ত্রাস করবে। নেতা-কর্মীরা স্থানীয়ভাবে এসব প্রতিরোধ করে ভোটকেন্দ্র ‘নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে পারলে, ভোটাররা ভোট দিতে পারলে বিএনপি এ দফায় আরও ভালো ফল করবে।বাড়তি চাপ বিদ্রোহী প্রার্থী: শুরু থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দমনের নানা চেষ্টা করেও বিএনপি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো ফল পাচ্ছে না। প্রথম দুই দফা নির্বাচনের পর দলের মূল্যায়ন হলো, বিদ্রোহীদের নিষ্ক্রিয় করা গেলে আরও বেশিসংখ্যক উপজেলায় দলের জয় নিশ্চিত করা যেত। ৯ মার্চ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায়ও এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।কিন্তু তৃতীয় ও পরবর্তী দফার নির্বাচনগুলোতেও অনেক উপজেলায় বিএনপির একাধিক নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী তৃতীয় ধাপের ৮১টি উপজেলার মধ্যে ৪০টিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। তবে দলের নেতারা দাবি করছেন, এঁদের অনেককে সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন সমন্বয়ে যুক্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের হিসাবে ৬২টি উপজেলায় একক প্রার্থী মাঠে আছেন।উপজেলা নির্বাচনের শুরু থেকে বিদ্রোহীদের দমাতে কঠোর হয়েছিল বিএনপি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে যাঁরা প্রার্থিতা বহাল রেখেছেন, তাঁদের অনেককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, শুরুতে বিএনপি আশা করেছিল, এ ধরনের বহিষ্কারের ফলে পরবর্তী দফার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী কমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তখন বিদ্রোহীদের বিষয়ে নমনীয় হওয়ার কৌশল নেয় বিএনপি। প্রথম দফা নির্বাচনের আগের দিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একেবারে বাধ্য না হলে কাউকে বহিষ্কার না করার নির্দেশনা দেন। তিনি বিদ্রোহীদের সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন। বিএনপি কিছুদিন এ কৌশলে এগিয়েছিল, বহিষ্কার করা সাময়িক বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে তা বিদ্রোহীদের উত্সাহ জুগিয়েছে।সূত্র জানায়, এরপর ‘বাধ্য’ হয়ে আবার বিদ্রোহীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দল। যাঁরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা একেবারেই মানছেন না, তাঁদের সরাসরি বহিষ্কার করা হচ্ছে। গত পাঁচ দিনে অন্তত ৩৩ জনকে বহিষ্কার এবং সাতজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। এ প্রক্রিয়া সামনেও অব্যাহত থাকবে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
58,129
জোসেফ ই স্টিগলিৎজ
opinion
মতামত
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:২১
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:২৪
অর্থনীতি,মতামত
0
নতুনভাবে শুরু করতে দিতে হবে
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/444265
বছর পাঁচেক আগে ইউরোসংকট যখন শুরু হলো, তখন কেইনসীয় অর্থনীতিবিদেরা ভবিষ্যদ্বাণী করেন, গ্রিস ও অন্য যেসব দেশে কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি আরোপ করা হয়েছে, তারা শেষমেশ ব্যর্থ হবে। এটা প্রবৃদ্ধির টুঁটি চেপে ধরবে, বেকারত্ব বাড়াবে। এমনকি তা ঋণ-জিডিপি অনুপাতও কমাতে ব্যর্থ হবে। ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণশীল সংকোচনের কথা বলেছে। কিন্তু এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ভিন্নমত পোষণ করে বলেছে, সরকারি ব্যয় হ্রাসের ব্যাপারটিও ঠিক ও রকম—সংকোচনমুখী।আমাদের আর কোনো পরীক্ষার দরকার ছিল না বললেই চলে। কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি বারবার ব্যর্থ হয়েছে। সেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হুভারের আমলে স্টক বাজারের ধস শেষমেশ মহামন্দায় মোড় নেয়। আবার আইএমএফ যে পূর্ব এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায় সাম্প্রতিক সময়ে যে ‘কর্মসূচি’ আরোপ করেছিল, সেটাও যথারীতি ব্যর্থ হয়েছে। আর এরপর যখন গ্রিসও সেই সংকটে পড়ল, তখন আবারও এর পরীক্ষা হয়ে গেল।গ্রিস ‘ট্রয়কার’ (ইউরোপীয় কমিশন, ইসিবি ও আইএমএফ) নীতি অনুসরণ করে অনেকাংশে সফল হয়েছে। এর ফলে প্রাথমিক বাজেট-ঘাটতি প্রাথমিক উদ্বৃত্তে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সরকারি ব্যয় হ্রাসের পরিণতি হয়েছে বিপর্যয়কর, যেটা আগেই ধারণা করা হয়েছিল: ২৫ শতাংশ বেকারত্ব, ২০০৯ সাল থেকে ২২ শতাংশ জিডিপি হ্রাস, ঋণ-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি। আর এখন কৃচ্ছ্রসাধনবিরোধী সিরিজা পার্টির ব্যাপক বিজয়ের সঙ্গে গ্রিকরা ঘোষণা দিয়েছে, তারা অনেক দেখে ফেলেছে।তাহলে কী করতে হবে? প্রথমত, এটা পরিষ্কার করা দরকার: ট্রয়কার ওষুধ যদি শুধু গ্রিসেই চরমভাবে ব্যর্থ হতো, তাহলে এই গোলমালের জন্য গ্রিসকে দোষ দেওয়া যেত। কিন্তু সংকটের আগে স্পেনের উদ্বৃত্ত ছিল, তার ঋণের অনুপাতও ছিল কম। সেই স্পেনও এখন সংকটে পড়েছে। গ্রিস ও স্পেনের কাঠামোগত সংস্কারের দরকার নেই। ইউরোজোনের ধরনের কাঠামোগত সংস্কারের যতটা দরকার, সে তুলনায়। নীতিকাঠামো সম্পর্কেও মৌলিকভাবে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। যে কারণে মুদ্রা ইউনিয়ন এ রকম মুখ থুবড়ে পড়েছে।গ্রিস আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে ঋণব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্য নতুন কাঠামো কতটা দরকার। অতিরিক্ত ঋণের জন্য শুধু ২০০৮ সালের সৃষ্টি হয়নি, ১৯৯০ সালে পূর্ব এশিয়া সংকটও এর কারণে সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকের লাতিন আমেরিকা সংকটও এ কারণেই সৃষ্টি হয়। এর কারণে এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা সৃষ্টি করছে, যেখানে লাখ লাখ বাড়িওয়ালা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। আর যাঁরা পোল্যান্ডসহ অন্যান্য স্থানে সুইস ফ্রাঁয় ঋণ নিয়েছিলেন, তাঁরাও হুমকির মুখে পড়ে গেছেন।অতিরিক্ত ঋণের কারণে যে পরিমাণে ভুগতে হয়েছে, তাতে কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারেন, এত এত মানুষ ও দেশ কেন এই পরিস্থিতিতে বারবার নিপতিত হয়েছে। যাহোক, এসব ঋণ তো আসলে একধরনের চুক্তি। অর্থাৎ স্বেচ্ছাকৃত মতৈক্য। ফলে ঋণদাতারাও ঋণগ্রহীতাদের মতো সমান অপরাধী। বস্তুত, ঋণদাতারা আরও বেশি দায়ী। এগুলো অত্যন্ত আধুনিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে ঋণগ্রহীতারা বাজারের উত্থান-পতন ও ঝুঁকি সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নয়। কিন্তু বাস্তবে মার্কিন ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের আর্থিক খাতসংক্রান্ত জ্ঞানের অভাবকে কাজে লাগিয়ে তাদের বোকা বানিয়েছে।প্রত্যেক অগ্রগামী দেশই অনুধাবন করেছে, পুঁজিবাদকে কার্যকর করতে হলে সব দেশকে নতুন করে শুরু করতে দিতে হবে। ১৯ শতকের ঋণদাতারা যে কারাগার বানাতেন, তা ব্যর্থ হয়েছে, এটা অমানবিক ছিল। সেটা ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করতে পারত না। ভালো ঋণের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হলে তা বরং কার্যকর হতো। ঋণদাতাদের তাদের সিদ্ধান্তের জন্য আরও দায়িত্বশীল করা গেলে তা কাজের হতো।আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখনো একটি দেশকে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি। ২০০৮ সালের সংকটের আগে থেকেই জাতিসংঘ উন্নয়নশীল ও উদীয়মান দেশগুলোর সহযোগিতায় তেমন একটি কাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাতে খুব জোরেশোরে বাগড়া দিয়েছে। সম্ভবত সে চায়, বেশি ঋণে জর্জরিত দেশগুলোর কর্মকর্তাদের ঋণগ্রহীতা কারাগার আবার নতুন করে বানানোর চেষ্টা করছে (সেটা হলে গুয়ানতানামো কারাগারে হয়তো জায়গা খালি করা হচ্ছে)।ঋণগ্রহীতা কারাগারের ব্যাপারটি হয়তো সদূরপরাহত। কিন্তু সম্প্রতি যে নৈতিক ঝুঁকি ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে কথা হচ্ছে, তার সঙ্গে এর কোথায় যেন মিল রয়েছে। বাজারে ভয় রয়েছে, গ্রিস যদি তার ঋণ পুনর্গঠন করে, তাহলে সে আবারও সংকটে পড়বে। একইভাবে তা অন্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।এটা একদম বাজে কথা। কেউ কি সুস্থ মস্তিষ্কে, স্বেচ্ছায় নিজেদের গ্রিসের অবস্থায় ফেলতে চাইবে, শুধু ঋণদাতাদের কাছ থেকে বাঁচার জন্য? কোনো নৈতিক ঝুঁকি থাকলে, তা ঋণদাতাদের ঘাড়েই বর্তায়—বিশেষ করে বেসরকারি খাতে। যাঁদের বারবার বেইল আউট করা হয়েছে। ইউরোপ যদি এসব ঋণকে বেসরকারি খাত থেকে সরকারি খাতে স্থানান্তর করে, তাহলে তাকেই এর পরিণতি সইতে হবে, গ্রিসকে নয়। এটা গত অর্ধ শতাব্দীর রীতিতে পরিণত হয়েছে। গ্রিসের এই বিরাজমান বেহাল দশার কারণ হচ্ছে ট্রয়কা কর্মসূচি, যেটা তার ওপর আসলে গছিয়ে দেওয়া হয়েছে।মানে এটা ঋণ পুনর্গঠন নয়, বরং সেটা না থাকাটাই ‘অনৈতিক’। গ্রিস যে উভয় সংকটে পড়েছে, তা কোনো বিশেষ ব্যাপার নয়। অনেক দেশই এ অবস্থায় নিপতিত হয়েছে। ইউরোজোনের কাঠামোর কারণে গ্রিসের সমস্যা মোকাবিলা করা আরও কঠিন পড়েছে। তার পরও এই নীতিগত স্থিতিস্থাপকতা হানির সঙ্গে যে ন্যূনতম ইউরোপীয় সংহতি থাকা উচিত ছিল, তার ছিটেফোঁটাও নেই।আজ থেকে ৭০ বছর আগে, অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মিত্র শক্তি ঠিক করেছিল, জার্মানিকে নতুন করে শুরু করতে দিতে হবে। তারা বুঝতে পারে, হিটলারের উত্থানের সঙ্গে সে দেশের বেকারত্বের (মূল্যস্ফীতি নয়) সম্পর্ক আছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির ওপর অধিক হারে ঋণ আরোপ করার কারণে এটা ঘটেছিল। কিন্তু এই ঋণ যে কী বোকামির সঙ্গে জড়ো হয়েছিল, তা তারা কখনো আমলে নেয়নি। বা জার্মানি অন্যদের ওপর যে মূল্য চাপিয়ে দিয়েছিল, সেটাও খতিয়ে দেখেনি। সেটা না করে তারা শুধু ঋণই মওকুফ করেনি, তারা আদতে তাদের সহযোগিতা করেছে। জার্মানিতে যে মিত্র সেনারা অবস্থান করছিল, তারা আর্থিক প্রণোদনাও দিয়েছে।কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেলে ঋণ ও ইকুইটিসমেত তা বিক্রি করে দেওয়াই হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকর ও দক্ষ সমাধান। গ্রিসের যে সমধর্মী অ্যাপ্রোচ নেওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে, তার বর্তমান বন্ডকে জিডিপি-সংযুক্ত বন্ডে রূপান্তরিত করা। গ্রিস ভালো করলে তার ঋণদাতারা তাদের বেশির ভাগ অর্থ ফেরত পাবে। তা না হলে কম পাবে। তখন দুই পক্ষই প্রবৃদ্ধিমুখিন নীতি গ্রহণে শক্তিশালী প্রণোদনা লাভ করবে।গণতান্ত্রিক নির্বাচন সাধারণত এত পরিষ্কার বার্তা দেয় না, গ্রিসের নির্বাচন যা দিয়েছে। ইউরোপ যদি গ্রিক ভোটারদের পরিবর্তনের দাবিকে না বলে, তাহলে তারা গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে, অন্তত অর্থনীতির ক্ষেত্রে। কেন গণতন্ত্রকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় না? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে নিউফাউন্ডল্যান্ড গ্রহীতার ভূমিকায় গেলে যেটা তারা করেছিল।মানুষ আশা করে, যারা ঋণ ও কৃচ্ছ্র অর্থনীতি বোঝে এবং গণতন্ত্র ও মানবীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করে, তারাই টিকে থাকবে। সেটা হয় কি না, তা-ই দেখার বিষয়।ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডকেটজোসেফ ই স্টিগলিৎজ: নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ।
113,130
জামালপুর ও মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ এপ্রিল ২০১৫, ০৩:২২
১৪ এপ্রিল ২০১৫, ০৩:২৩
জামালপুর,মাদারগঞ্জ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
বৈশাখী অনুষ্ঠানে বোমা মারার হুমকি, গ্রেপ্তার ১
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/503020
জামালপুরে বৈশাখী অনুষ্ঠান ও মেলাস্থল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মো. মাজেদুর রশিদ (৩৬) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল সাতটা থেকে নয়টার মধ্যে একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আওয়ালের মুঠোফোনে পরপর তিনটি খুদেবার্তা (ম্যাসেজ) আসে। সেখানে মাজেদুর রশিদ নিজেকে পেট্রল জিহাদ, শাখা পশ্চিম জামালপুর আইআরএস সদস্য পরিচয় দেন। বার্তায় মাজেদুর জেলার বৈশাখী মেলা ও মেলান্দহের দুরমুঠে হজরত শাহ কামালের (র.) দরগা শরিফ প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা বন্ধের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া সেখানে বৈশাখী অনুষ্ঠান ও মেলা বন্ধ করা না হলে মেলা প্রাঙ্গণ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। অভিযান চালিয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে মাদারগঞ্জের বালিজুড়ি মুন্সিপাড়া গ্রাম থেকে মাজেদুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলামের কার্যালয়ে আনা হয়। মাজেদুর রশিদ ওই গ্রামের মৃত আবদুল ওয়াজেদের ছেলে।পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, হুমকির বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি বিশেষ দল তাঁকে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। অবশেষে বার্তা পাঠানোর আট ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হুমকি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
131,217
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:১৮
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:১৯
সাতকানিয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
শিবিরের আস্তানা থেকে জিহাদি বই ও হকিস্টিক উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/331111
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়াপাড়া এলাকায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জিহাদি ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বই এবং হকিস্টিকসহ এক শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তার শিবির কর্মীর নাম মো. কুতুব উদ্দিন (১৯)। তিনি বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল মোশারফ সিকদারপাড়ার মো. আলী হোসেনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ অভিযানে অংশ নেন সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারসহ থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।পুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদে জানতে পারা যায় সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির জাফর সাদেকের বাড়ির আশপাশে জামায়াত-শিবির কর্মীরা নিয়মিত গোপন বৈঠক করেন। পরে পুলিশ নিশ্চিত হন জাফর সাদেকের বাড়িতেই এঁরা গোপন বৈঠকে বসেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পরে থানা- পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিবিরের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গেছেন।পুলিশ জানায়, এ অভিযানে ওই বাড়ির একটি টিনশেড আলাদা কক্ষ থেকে মওদুদী, গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াত ঘরানার লেখকদের অন্তত দেড় হাজার কপি ধর্মীয় উসকানিমূলক ও জিহাদি বই, অর্থ জোগানদাতার তালিকা, বিভিন্ন স্লোগান লেখা স্টিকার, লিফলেট ও নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত সংবলিত নথি ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ ওই বাড়ি থেকে শিবির কর্মী কুতুবকে গ্রেপ্তার করে এবং চারটি হকিস্টিকও উদ্ধার করেছে।এ ব্যাপারে জানার জন্য জামায়াত নেতা জাফর সাদেকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
96,885
নাটোর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৩ মার্চ ২০১৫, ০১:২৩
১৩ মার্চ ২০১৫, ০১:২৪
নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
গ্যাসের বোতল বিস্ফোরিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/475402
নাটোর শহরের স্বর্ণপট্টির বরুণ ছিলাঘরের কারখানায় গতকাল বৃহস্পতিবার পাঁচটি গ্যাসের বোতল বিস্ফোরিত হয়ে দুই কারিগর আহত হয়েছেন। তাঁদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বরুণ ছিলাঘর সূত্র জানায়, বেলা একটার দিকে কারখানায় কর্মরত সুজন আলীর (২২) হাতে একটি গ্যাসের বোতল হঠাৎ করে বিস্ফোরিত হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে কারখানায় থাকা অপর চারটি বোতলও বিস্ফোরিত হয়। এতে সুজন আলী ও অর্জুন কুমারের (৩৫) হাত-মুখ পুড়ে যায়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, সুজনের হাতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে তা আশঙ্কাজনক নয়।
122,741
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৫০
২০ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৫১
বাঞ্ছারামপুর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ইউপি চেয়ারম্যান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/77698
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল বাশার তিতাস নদ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে জমি ভরাট করছেন।উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে জানায়, চান্দেরচর ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয় চলতি বছরের ২৯ আগস্ট। প্রায় ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় মেসার্স আর আর কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জমি নিচু হওয়ায় নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। তাই জমি ভরাট করতে উপজেলা পরিষদ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই টাকা দিয়ে বালু কিনে জমি ভরাট করার কথা।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো ভবনের উত্তর পাশে নতুন ভবনের জমি তিতাস নদ থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র দিয়ে বালু তুলে ভরাট করছেন কয়েকজন শ্রমিক।উপজেলার শোভারামপুর গ্রামের শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যান বাশার সাহেবের কথায় ২০-২২ দিন থেকে মেশিন দিয়া নদী থেইক্কা বালু তুলতাছি। অন্তত আরও এক মাস বালু তুলতে হইব।’চান্দেরচর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ‘বালু উত্তোলনের বিষয়ে চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন। আর নদী থেকে বালু তোলার অনুমতির বিষয়ে আমার জানা নেই।’ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, ‘নদীও সরকারি, ইউনিয়ন পরিষদও সরকারি। তাই নদী থেকে বালু তুইল্লা ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা ভরাট করতাছি। তা ছাড়া ইউএনও, ইঞ্জিনিয়ার সার কয়েক দিন আগে আইসা নদী থেকে বালু ভরাটের বিষয়ে কইয়া গেছেন।’উপজেলা প্রকৌশলী আবদুস সোবহান বলেন, ‘নির্মাণাধীন ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জায়গা নিচু হওয়ায় তা ভরাট করতে উপজেলা পরিষদ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং বালু কিনে তা ভরাট করতে বলা হয়েছে।’ইউএনও আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘তিতাস নদ থেকে বালু উত্তোলন করতে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনুমতি নেওয়ার কথা কেউ বলে থাকলে তা একেবারেই মিথ্যা। চেয়ারম্যান বালু উত্তোলন করে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
29,391
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১৯ মার্চ ২০১৯, ১৬:৫৮
২৪ মার্চ ২০১৯, ১২:২২
ফুটবল,ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো,রিয়াল মাদ্রিদ,পর্তুগাল
null
টাক মাথা ঢেকে দেবেন রোনালদো
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1584264
আধুনিক ফুটবল আর নস্টালজিয়া জাগানো ফুটবলে এখন অনেক তফাৎ। মাঠ, স্টেডিয়াম, ট্যাকটিকস, রক্ষণের গুরুত্ব মিলিয়ে ফুটবলকে এখন আর গত শতাব্দীর সঙ্গে মেলানো যায় না। আর ফুটবলারদের মধ্যে পার্থক্যটা তো আরও বেশি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই এ পার্থক্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল নিদর্শন।একসময় ফুটবলারদের জীবন মানেই যেন বিয়োগান্ত গল্প। আয়কৃত অর্থ নৈশ জীবনে খরচ করে দেউলিয়া হয়ে পড়ার গল্প। আধুনিক ফুটবলাররা এমন নন। খেলার পর তাঁরাও পার্টি করেন। আবার নিজের কষ্টার্জিত অর্থের সদ্ব্যবহারও করেন। এদের মাঝেও অনন্য রোনালদো। বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে নিজের সম্পদের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন নিয়মিত। নতুন এক ব্যবসায় নাম লিখিয়েছেন রোনালদো। চুল প্রতিস্থাপনের ব্যবসা। চুলের পরিচর্যার জন্য বিশেষায়িত ক্লিনিক ইন্সপারিয়ার ৫০ ভাগ মালিকানা কিনেছেন রোনালদো। এর দায়িত্ব দিয়েছেন বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজকে। পর্তুগালে বেশ কয়েকটি শাখা আছে ইন্সপারিয়ার। শোনা যাচ্ছে, এই ক্লিনিকে ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বেশি বিনিয়োগ করেছেন রোনালদো।এবার স্পেনেও ইন্সপারিয়ার শাখা খোলা হচ্ছে। রোনালদো জানাচ্ছেন, স্পেনের মানুষকে সহযোগিতা করতে এবং স্প্যানিশ অর্থনীতিকে চাঙা করতেই এ উদ্যোগ তাঁর, ‘অ্যালোপেসিয়া (টাক পড়া) ইউরোপে অনেক বড় এক সমস্যা, সারা বিশ্বেই। আমরা চাই মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ুক এবং লজ্জা ভুলে আমাদের কাছে আসুক।’ফুটবল ও গ্ল্যামার জগতের মাঝে ভারসাম্য রাখায় রোনালদোর প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। নিজেকে সব সময় সেরা রূপে দেখতে চান রোনালদো। আর এ অভিজ্ঞতা থেকেই জানেন, অন্যরা কী চান জীবনে, ‘সবাই নিজের যত্ন নিতে চায় যেন তার সেরাটা দেখানো যায়। আমি নিজেই এর পরিষ্কার উদাহরণ। এ কারণেই যখন পাওলো রামোস (ইন্সপারিয়ার প্রধান নির্বাহী) আমাকে প্রকল্পের কথা বলেছে, আমি বুঝতে পেরেছি এটা অনন্য কিছু। এ প্রকল্প সফল হবেই। আমরা স্প্যানিয়ার্ড ও স্প্যানিশ অর্থনীতিকে সাহায্য করতে চাই।’পর্তুগালে ১০টি চুল প্রতিস্থাপনের ক্লিনিক খুলেছে ইন্সপারিয়া। এর মাঝেই ৩৫ হাজারবার চুল প্রতিস্থাপন করেছে তারা। রোনালদোর টাক মাথার ভক্তরা এখন চাইলে স্পেনেও এ কাজ করাতে পারবেন। প্রায় ছয় ঘণ্টার এ চিকিৎসায় চার শ থেকে এক হাজার ইউরো খরচ হয়।
394,386
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ জুলাই ২০১৬, ০১:৪৭
১৫ জুলাই ২০১৬, ০১:৪৮
পটুয়াখালী,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
ভূরিভোজে অংশ নেওয়া তদন্ত কমিটি বাতিল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/914794
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ৩০টি সেতুর দরপত্র, নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি গতকাল বৃহস্পতিবার বাতিল করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।গত বুধবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ও কালভার্ট বিভাগের উপ-প্রকল্প পরিচালক সাখাওয়াৎ হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বাউফলে আসে। ওই তদন্ত দলের সঙ্গে ছিলেন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ২০ জন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। তাঁদের জন্য কেশবপুর ইউনিয়নের বাজেমহল গ্রামে অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের বাড়িতে তাঁর উপস্থিতিতে ভূরিভোজের আয়োজন করেন স্থানীয় ঠিকাদারেরা। জহিরুলের ছোট ভাই সাইদুর রহমান ওরফে শামীম মুন্সিও একজন ঠিকাদার ও কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি একটি সেতুরও কাজ পেয়েছেন।গতকাল প্রথম আলোয় ‘তদন্ত করতে এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেই ভূরিভোজ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই ওই তদন্ত কমিটি বাতিল করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
240,231
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ এপ্রিল ২০১৪, ০১:২৮
০৩ এপ্রিল ২০১৪, ০১:২৯
আমার চট্টগ্রাম
0
শপথ নিলেন নয় উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/183459
প্রথম ও দ্বিতীয় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার নয়টি উপজেলা থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ২৭ মার্চ বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি টাউন হলে শপথবাক্য পাঠ করান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।শপথ নেওয়া চেয়ারম্যানরা হলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার চঞ্চুমনি চাকমা, পানছড়ির সর্বোত্তম চাকমা, মহালছড়ির বিমল কান্তি চাকমা, মানিকছড়ির ম্রাগ্য মগ, রামগড়ের শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, মাটিরাঙ্গার তাজুল ইসলাম ও লক্ষ্মীছড়ির সুপার জ্যোতি চাকমা। রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার শক্তিমান চাকমা ও কাপ্তাই উপজেলার দিলদার হোসেন।শপথ গ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের স্বাগত জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজ থেকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যেতে হবে। জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে।স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক শংকর রঞ্জন সাহা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের কাজ সম্পর্কে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন ।শপথ নেওয়ার পর মহালছড়ি উপজেলার পুনর্নির্বাচিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান কাকলি খীসা বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে নানা কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারিনি। আশা করছি এবার সেসব কাটিয়ে উঠে জনগণের জন্য কাজ করতে পারব।’ উপজেলায় নারী শিক্ষার উন্নয়ন, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা ও শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীকে গতিশীল করাকে অগ্রাধিকার দেবেন বলে জানান তিনি।পানছড়ি উপজেলা পরিষদে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সর্বোত্তম চাকমা। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য কাজ করে যাওয়া। কারণ, এলাকায় শান্তি বিরাজ করলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।’ এ ছাড়া, উন্নয়নকাজের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
63,111
পিরোজপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ আগস্ট ২০১৬, ০১:৫৬
০৮ আগস্ট ২০১৬, ০১:৫৬
বিশাল বাংলা
0
কর্মশালা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/939364
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় গতকাল রোববার পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়ন সংগঠন আশ্রয় ফাউন্ডেশন এবং বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম তালুকদার, বুয়েটের অধ্যাপক মনসুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফায়জুর রশীদ, আশ্রয় ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবিউল ইসলাম প্রমুখ। কর্মশালায় উপকূলীয় এলাকায় বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নানা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
247,691
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৯ জুলাই ২০১৩, ০০:৫৪
১৯ জুলাই ২০১৩, ০০:৫৫
বিনোদন,টেলিভিশন
0
হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/26210
আজ ১৯ জুলাই। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি স্মরণে কয়েকটি টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান। চ্যানেল আইয়ে সকালে ‘তৃতীয় মাত্রা’য় অংশ নেবেন আসাদুজ্জামান নূর, মাজহারুল ইসলাম ও ফরিদুর রেজা সাগর। দুপুরে থাকছে মেহের আফরোজ শাওনের পরিচালনায় টেলিছবি নিমফুল। রাতে থাকছে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আলেখ্যানুষ্ঠান। এটিএন বাংলায় দুপুরে থাকছে সুবীর নন্দী, সেলিম চৌধুরী ও বারী সিদ্দিকীর গান নিয়ে অনুষ্ঠান ‘চাঁদনী পসর’। দেশ টিভিতে রাতে ‘ক্লোজআপ ওয়ান কলের গান’ অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদের গান করবেন সেলিম চৌধুরী। বৈশাখী টিভির ‘সময় কাটুক গানে গানে’ অনুষ্ঠানের আজকের শিল্পী সুবীর নন্দী। বাংলাভিশনে সকালে শামীম শাহেদের উপস্থাপনায় থাকছে অনুষ্ঠান ‘নয়ন সমুখে তুমি নাই’। এখানে আলোচনা করবেন ইনামুল হক ও আবদুল কাদের। দুপুরে হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকছে ‘দুই হুমায়ূন’। মাছরাঙা টিভিতে সকালে হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও চলচ্চিত্রের গান আর গানের পেছনের কথা নিয়ে থাকছে অনুষ্ঠান ‘হুমায়ূননামা’। এতে অতিথি থাকবেন কুদ্দুস বয়াতি, সেলিম চৌধুরী ও মকসুদ জামিল মিন্টু। উপস্থাপনা করেছেন তানিয়া আহমেদ। দুপুরে হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ‘মিসির আলীর সঙ্গে একদিন’। রাতে ‘স্মরণে আসে তোমায়’ অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করবেন মাজহারুল ইসলাম ও শাকুর মজিদ।
3,671
রানা আব্বাস
sports
খেলা
১২ অক্টোবর ২০১৭, ১২:৪৪
১৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৩৫
ক্রিকেট
null
বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেও সতর্কবার্তা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1342181
আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত সপ্তাহে ৩-১ ব্যবধানে যুব ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যে দল সরবরাহ করবে ভবিষ্যতের সাকিব-তামিম-মুশফিকদের, সেই দলের এমন বিপর্যয় দেশের ক্রিকেটের জন্য অবশ্যই একটা সতর্কবার্তা। গত যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যেখানে সর্বোচ্চ সাফল্য (তৃতীয় হওয়া) পেয়েছে, এবার নিউজিল্যান্ডে তারা কতটা এগোতে পারবে, সেটি নিয়ে জেগেছে সংশয়। তবে ইতিবাচক খবর, আফগান-ধাক্কার পর নড়েচড়ে বসছে বিসিবি।আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারের ময়নাতদন্তে বড় দাগে চিহ্নিত হয়েছে দুটি বিষয়—অনভিজ্ঞতা ও বাজে ব্যাটিং। বর্তমান বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের যাত্রা শুরু গত বছরের মে মাস থেকে। বেশ আগেভাগেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ম্যাচ খেলতে পারেনি দলটি। গত দেড় বছরে বাংলাদেশের যুবারা খেলেছেন মাত্র সাতটি ওয়ানডে। এর মধ্যে পাঁচটি সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই সময়ে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দল খেলেছে সর্বোচ্চ ২৪টি ম্যাচ, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮টি। আগামী যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা ইংল্যান্ড খেলেছে ১৩টি ম্যাচ।সূচি অনুযায়ী আগামী মাসে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশ যুবাদের কোনো ম্যাচ নেই। তবে নেপাল বিসিবিকে প্রস্তাব দিয়েছে এশিয়া কাপের আগে তিন ম্যাচের একটা সিরিজ খেলতে। সংক্ষিপ্ত এই সময়ে শক্তিশালী কোনো দলের সঙ্গে সিরিজ আয়োজন যেহেতু সম্ভব নয়, নেপালকে আতিথেয়তা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বিসিবি। এশিয়া কাপের আগে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের লক্ষ্যে হংকংয়ে একটি সিক্স-এ সাইড টুর্নামেন্টে দল পাঠানোরও চিন্তা আছে তাদের।নেপাল, হংকং কিংবা এশিয়া কাপ দিয়ে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়তো বাড়বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কিন্তু তাতেও কি সংশয় কাটছে? বাংলাদেশ যুবদলকে যেহেতু বিশ্বকাপ খেলতে হবে নিউজিল্যান্ডে, অপরিচিত কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ কতটা পাবেন সাইফ হাসানের দল? বিসিবির বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক এহসানুল হক বললেন, ‘গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ড সফরে গেলে তখন কথা উঠেছিল, বাংলাদেশ “এ” দল হয়তো সেখানে সফর করবে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, “এ” দলের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের চার-পাঁচজন খেলোয়াড় দিয়ে দেব। সফরটা আর হয়নি। আমরা সেখানে যাব আগামী ২৫ ডিসেম্বর। ওখানে নিজেদের খরচে স্থানীয় দলের সঙ্গে তিন-চারটা অনুশীলন ম্যাচ খেলব। আর দুইটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ তো আছেই। বিশ্বকাপের আগে এই ১০-১২ দিনে পাঁচ-ছয়টা ম্যাচ কাজে দেবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে।’আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাজে ব্যাটিংয়ের পর বিসিবি চেষ্টা করছে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য একজন ব্যাটিং পরামর্শক আনতে। এ ব্যাপারে মিঠুন মানহাসের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে তাদের। এ মাসের শেষ দিকে যোগ দিতে পারেন এই ভারতীয় ব্যাটিং কোচ। আফগান-ধাক্কা পেছনে ফেলে নতুনভাবে শুরু করতে আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
341,062
হাসান ইমাম
life-style
জীবনযাপন
১৯ আগস্ট ২০১৪, ০০:০১
১৯ আগস্ট ২০১৪, ০০:০১
নকশা,খাবারদাবার
0
দেখি আর খাই
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/294346
ঘ্রাণে অর্ধভোজন তো জানেনই, তবে রেস্তোরাঁয় বসে খেলে ঘ্রাণের ব্যাপারটায় বঞ্চিত হতে হয় বৈকি। ফরমাশ দিলে ভেতরের রান্নাঘর থেকে চলে আসবে খাবার, এমনই তো চল। তবে এই রেস্তোরাঁর কথা একটু আলাদা। এখানে বসে আয়েশ করে দেখতে পাবেন তৈরি হচ্ছে মজাদার সব খাবার, কানে আসবে কড়াইয়ে তেল-মসলা পড়ার ছ্যাঁৎ ছ্যাঁৎ শব্দ, নাকে আসবে খাবারের সুবাস। রেস্তোরাঁর নামই যে লাইভ কিচেন।ঢাকার বনানীর ১৩/এ রোডের ৮৮/১ নম্বর বাড়িতে এই লাইভ কিচেন জমে উঠেছে গত বছরের জুন মাস থেকে। ঢুকেই ছোট ছোট বসার জায়গা। ব্যবস্থা দুই রকম। নিচু, লম্বা, গোল ও চারকোনার টেবিলের সঙ্গে বসার জন্য পাবেন কাঠ ও কাচের তৈরি চেয়ার অথবা টুল। এরই একপাশে খোলামেলা রান্নাঘরে তৈরি হচ্ছে খাবার। ভেতরের দিকে আছে আরেকটা বসার জায়গা। নকশা করা থাই গ্লাসের দরজা পেরিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ। আয়েশ করে সোফায় বসে আড্ডা বা পার্টি জমিয়ে তুলতে পারেন এখানে। টুলে বসে ওপরে তাকালে দেখবেন মাথার ওপর ঝুলে আছে কালো কালো ছাতা, এ দিয়েই তৈরি ফলস সিলিং। এরই ফাঁকে ফাঁকে আছে ছোট্ট স্পট লাইটের ব্যবহার। এখানকার বিশেষ খাবার হচ্ছে বার্গার। গরু ও মুরগির মাংসের মোট ১১ পদের বার্গার মিলবে এখানে। ১৭৫ টাকা থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যেই মিলবে বিফ ডাবল ডেকার বার্গার, বিফ চিজ বার্গার, বার-বি-কিউ বার্গার, বিফ চিকেন মিক্সড বার্গারসহ নানা স্বাদের এই খাবার। এ ছাড়া ৩০০ টাকার ফ্রায়েড রাইসসহ সেট মেনুতে পাবেন চিকেন ফ্রাই ও বিফ বা চিকেন চিলি। সঙ্গে নিতে পারেন গ্রিন চিকেন উইংস গ্রেভি। আছে গরু, মুরগি বা খাসির মাংসের নানা ধরনের কাবাব। ১৭৫ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় মিলবে এসব কাবাবের পদ। রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক আতিকুর রহমান বলেন, ‘এখানের সব ধরনের খাবারের গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য সর্বক্ষণ তদারকি চলে। এ জন্য আলাদা কর্মী নিয়োগ দেওয়া আছে। কেউ চাইলে পার্টির আয়োজনও করতে পারবে।’প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সবার জন্যই লাইভ কিচেনের দরজা খোলা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুযোগ। লাইভ কিচেনে বসে ফেসবুকে চেকইন দিলেই মিলবে ১০ শতাংশ ছাড়। ব্যবহার করতে পারেন লাইভ কিচেনের ওয়াইফাই সুবিধা।রসুইঘর থেকেম্যাঙ্গো জুসউপকরণ: একটা পাকা আম, পানি আধা গ্লাস, বরফ কয়েক টুকরো, চিনি বা সুগার সিরাপ পরিমাণমতো। প্রণালি: আম ছিলে আঁটি ছাড়িয়ে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে আমের সঙ্গে বরফের টুকরো, পানি ও চিনির সিরাপ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
86,337
রোজিনা ইসলাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ আগস্ট ২০১৫, ০২:২২
১৭ আগস্ট ২০১৫, ০২:২৩
-1
null
এবার ই–ভিসা নিয়ে জটিলতা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/604990
অনলাইনে ভিসা আবেদন করার সময় ছবি ও ভিসাসংক্রান্ত তথ্য পূরণে ত্রুটি হওয়ায় প্রায় অর্ধেক হজযাত্রীর পাসপোর্টে সৌদি ভিসা লাগেনি। এ জন্য অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ে হজে যেতে পারছেন না।একই পরিবারের স্বামী ও স্ত্রী আবেদন করলেও এই সমস্যার কারণে একজনের ভিসা লেগেছে, অন্যজনের পাসপোর্টে ভিসা না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আবার অসুস্থ মায়ের সঙ্গে যাওয়ার জন্য ছেলে আবেদন করলেও মায়ের পাসপোর্টে ভিসা লাগেনি।এ অবস্থায় গতকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের হজ ফ্লাইট শুরুর সময় অনেক যাত্রী যেতে পারেননি। ফ্লাইট খালি থাকায় তিন-চার দিন পরে যাঁদের যাওয়ার কথা, তাঁদের গতকালই পাঠানো হয়েছে। এভাবে যাত্রী পূর্ণ করে গতকাল সকালে চার শতাধিক হজযাত্রী নিয়ে বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে।সরকার আশঙ্কা করছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ভিসা দিতে দেরি করলে একই পরিবারের সদস্যদের আলাদা ফ্লাইটে যেতে হবে, বহু যাত্রী হজে যেতে পারবে না, হাজিদের দ্বিগুণ বিমান ভাড়া দিতে হবে এবং সরকারের পাঁচ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হবে।এ অবস্থায় হজযাত্রীদের তাড়াতাড়ি ভিসা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সৌদি দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, এ বছরই প্রথম হজে যাওয়ার জন্য অনলাইনে ভিসার আবেদন বা ই-ভিসা চালু করা হয়।জানতে চাইলে ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান বিষয়টি স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সৌদি দূতাবাস আমাদের অসহযোগিতা করেছে। গতকালও প্রায় আড়াই শ পাসপোর্টে ভিসা না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সরকারি কর্মকর্তা ভিসা পাননি।’সচিব জানান, গতকাল হজ ফ্লাইট খালি যাচ্ছিল। যাঁদের দু-তিন দিন পর যাওয়ার কথা, তাঁদের ডেকে এনে ফ্লাইট পূর্ণ করা হয়। ভিসা না হওয়ার অভিযোগ নিয়ে কাল অনেকেই মন্ত্রণালয়ে আসেন। তিনি বলেন, বেসরকারি ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, তারা ভিসা না দিয়ে পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছে। এ অবস্থায় প্রত্যেক হজযাত্রীকে বিমান ভাড়া দুইবার গুনতে হতে পারে।ঢাকার সৌদি দূতাবাসে পাঠানো চিঠিতে ধর্মসচিব জানিয়েছেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাঁরা হজে যাবেন, তাঁদের যাত্রার সময়সূচি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অর্ধেক হজযাত্রীর পাসপোর্টে ভিসা লাগেনি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা যেন দ্রুত ভিসা পান, সে ব্যাপারে দূতাবাসের সহযোগিতা প্রয়োজন। এই হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বিমানের একটি হজ ফ্লাইট সূচি বিলম্ব হলে পুরো প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ফ্লাইট খালি গেলে বা ফ্লাইট বাতিল হলে ফ্লাইট সূচিতে বিপর্যয় ঘটবে। ফলে হজযাত্রী এবং সরকার উভয়ের ক্ষতি হবে, ভোগান্তি হবে।’গতকাল রাতে সৌদি আরবে ই-হজ সিস্টেমে ভিসার ছবি প্রসঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সৌদি দূতাবাসের ভিসা প্রিন্টিং সিস্টেমে সৌদি আরবের ই-হজ সিস্টেমের অনুমোদিত ফটো কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিসার জন্য প্রিন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই দূতাবাসের নিয়মানুযায়ী ছবি দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ছবি দিতে ফায়ারফক্স ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের হজ পালনের কথা রয়েছে। এঁদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ২ হাজার ৭০০ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫১ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করবে।এবার ইকোনমি ক্লাসে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ১ হাজার ৫১৫ ডলার ও বিজনেস ক্লাসে ২ হাজার ৫০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হবে অন্যান্য কর।ইকোনমি ক্লাসের প্রত্যেক হজযাত্রী বিনা মূল্যে সর্বাধিক দুটি করে ৩২ ও বিজনেস ক্লাসে সর্বাধিক দুটি করে ৪২ কেজি ওজনের ব্যাগ এবং কেবিন ব্যাগে সাত কেজি মালপত্র নিতে পারবেন। প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য পাঁচ লিটার জমজমের পানি ঢাকায় নিয়ে আসা হবে এবং তা ঢাকা ফেরার পর হাজিদের দেওয়া হবে।সিলেটে ৩১ আগস্ট থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ওই দিনের ফ্লাইটটি ৪১৭ জন হাজি নিয়ে সরাসরি জেদ্দা যাবে। এ ছাড়া ৮ ও ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট যাবে। আরও কিছু ফ্লাইট সিলেট থেকে ঢাকা হয়ে জেদ্দা যাবে। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) কেন্দ্রীয় সদস্য আজাহারুল কবির চৌধুরী বলেন, এবার সিলেট থেকে ২ হাজার ৮০০ জন হজে যাবেন।বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লাখ খানেক মুসলমান হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যান। এর কিছু অংশ সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেলেও বেশির ভাগই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে যান। কিন্তু প্রায় প্রতিবছরই হজ ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম আর যাত্রীদের ভোগান্তির বিভিন্ন অভিযোগের কথা শোনা যায়। এবার যোগ হলো নতুন ভোগান্তি।ভোগান্তি: মিরপুরের বাসিন্দা সারওয়ার হোসেন আত্মীয়স্বজনসহ ৩৮ জন হজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। যোগাযোগ করেন সিলেটের জিন্দাবাজারের জোনাকি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে। সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যে ৩০ জনের নাম অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয়। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার পর তাঁরা জানতে পারেন, ওই এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। কারণ, গত বছর ওই এজেন্সির একজন হজযাত্রী হজ করতে গিয়ে আর ফেরেননি।এমন জটিলতার সৃষ্টি হলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেসব এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল হয়েছে এবং তাদের হজযাত্রী যদি ৫০ জনের কম থাকে, তাহলে লাইসেন্সধারী কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা হজের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া করতে পারবে।সারওয়ার জানান, তাঁরা ৩০ জন ও জোনাকি ইন্টারন্যাশনালের আরও নয়জনসহ মোট ৩৯ জনের ভিসা প্রক্রিয়া করার জন্য সিলেটের একই এলাকার এমএস আলমের কাছে আবেদন করেন জোনাকি ইন্টারন্যাশনাল কর্মকর্তারা। এমএস আলম ভিসা প্রক্রিয়া করে হজে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মতিপত্রও দেয়। কিন্তু জুলাই মাসে এমএস আলম জানিয়ে দেয়, তিনি জোনাকি ইন্টারন্যাশনালের ৩৯ জনকে নিয়ে যেতে পারবে না। যেতে হলে আরও বেশি টাকা দিতে হবে।জানতে চাইলে এমএস আলমের স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানে অনেক হজযাত্রী থাকায় তাঁদের নিয়ে যেতে পারছি না।’ তাহলে ৩০ জনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মতিপত্র দিয়েছিলেন কেন? জবাবে কামরুজ্জামান বলেন, ‘তখন ভেবেছিলাম নিয়ে যেতে পারব।’ এখন তাঁদের ব্যাপারে করণীয় কী, তা জোনাকি ইন্টারন্যাশনালই বলতে পারবে।জোনাকি ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কামারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু তিনি যোগাযোগ করতে চাইছেন না। আমাদের হজযাত্রীদের স্থলে যাতে কেউ নাম স্থানান্তর করে হজে নিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য আমরা হজ ক্যাম্পে লিখিত আবেদন করে রেখেছি।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবের মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ বলেন, যথাসময়ে নিবন্ধন করতে না পারায় এ বছর ২৫ হাজার হজযাত্রী হজে যেতে পারছেন না। আর সিলেটের জোনাকি ইন্টারন্যাশনালের ঝামেলাটি মন্ত্রণালয়ই সমাধান করবে।
160,632
নোয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৪৯
০৩ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৫০
নোয়াখালী,বিশাল বাংলা
0
স্থগিত দুই বিভাগের কার্যক্রম ১০ নভেম্বর শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/64132
অবশেষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) এবং ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স (এফটিএনএস) বিভাগের ক্লাস পুনরায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১০ নভেম্বর থেকে এ দুটি বিভাগের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিধিবিধান মেনে চলবে মর্মে শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকার করে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ দুটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা আগের দিন (৯ নভেম্বর) হলে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এ সময় তাঁদের হল কর্তৃপক্ষের কাছে নিজ নিজ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে, পরিচয়পত্র ছাড়া তাঁদের হলে কিংবা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।বিভাগের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দাবিতে গত মে মাসের শেষ দিকে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ দুটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের জন্য দুই শিক্ষককে ১৮ ঘণ্টা জিমিঞ্চ করে রাখেন এবং পরদিন ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালান। ২ জুলাইয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একাডেমিক কাউন্সিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বিভাগ দুটির একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করে।
25,074
নাটোর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫৪
০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৫৫
নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার
0
কারাদণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/413494
গাঁজা সেবন করে সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অপরাধে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জহুরুল ইসলামকে (৩৫) ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফুন্নেসা ওই রায় দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, জহুরুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় গাঁজা সেবন করে উপজেলা পরিষদে এসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে হুমকি দেন। এ সময় তিনি অন্যায়ভাবে তাঁর এলাকার প্রকল্প পাস করিয়ে দিতে চাপ দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে।
103,570
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫৭
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫৮
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),দুর্ঘটনা
0
কিশোর নিহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/715384
রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ঢালে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাসের ধাক্কায় মো. রানা (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।ওয়ারী থানার পুলিশ জানিয়েছে, নিহত রানা পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারের একটি পাখির দোকানের কর্মী ছিল। সকাল ১০টার দিকে সে ফ্লাইওভারের ঢাল দিয়ে হেঁটে কাজে যাওয়ার পথে বারডেম হাসপাতালের কর্মী পরিবহনের (স্টাফবাস) একটি বাস রানাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
184,405
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ মে ২০১৫, ০১:২১
০৬ মে ২০১৫, ০১:২২
সিরাজগঞ্জ,বিশাল বাংলা,রাজশাহী বিভাগ
0
সিরাজগঞ্জে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/520330
সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত বাইপাস রেলপথ, সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া রেলপথ ও শহরের রায়পুরে রেল জংশন স্থাপনের দাবিতে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের বাজার রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে এ মানববন্ধন হয়। সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন। স্টেশন চত্বরে ঢাকাগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে এক ঘণ্টার এ মানববন্ধন হয়। এতে ট্রেনটি এক ঘণ্টা বিলম্বে স্টেশন ছাড়ে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জহুরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জাসদের নেতা আবু বকর ভূঁইয়া, বাসদের নেতা নব কুমার কর্মকার, আসাদ উদ্দিন, মোমিন বাবু, হেলাল আহমেদ প্রমুখ।
136,771
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
২৫ জুলাই ২০১৫, ০২:১৯
২৫ জুলাই ২০১৫, ০২:২১
খেলা,অ্যাথলেটিকস
0
ওঁদের স্বপ্নভঙ্গের বেদনা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/584335
‘দুজনের মধ্যে কে বড়?’—প্রশ্নটায় হাসান খান সান হেসে উত্তর দিলেন, ‘আমি’। যমজ ভাইয়ের অন্যজন হোসেন খান মুন রহস্যটা ভাঙলেন, ‘ও কিন্তু আমার চেয়ে মাত্র পাঁচ মিনিটের বড়!’দুজনের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা। খেলাধুলাও একসঙ্গে। দুজন বেছে নিয়েছেন একই খেলা কারাতে। গত ২০১০ এসএ গেমসে কারাতে পেয়েছিল সর্বোচ্চ ৪টি সোনা। এর মধ্যে দলগত কাতায় দুই ভাই দেশকে এনে দেন সোনা। একক কুমিতে মুনের ব্রোঞ্জ। গেমসে ১৮টি সোনা জিতে তৃতীয় হয়েছিল বাংলাদেশ, তাতে কারাতে রেখেছে বলার মতো অবদানই। কিন্তু এমন সাফল্যের পরও আগামী ১০-২০ জানুয়ারি আসামের গুয়াহাটি ও মেঘালয়ের শিলংয়ে অনুষ্ঠেয় ১২তম এসএ গেমসের প্রাথমিক তালিকায় নেই কারাতে! তবে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা খুব করেই চাইছে কারাতে রাখতে। শেষ পর্যন্ত কারাতে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনাও নাকি আছে। যদিও প্রাথমিক খবরটা শোনার পর থেকেই হতাশা ঘিরে ধরেছে দুই ভাইকে। ৮ জুলাই দিল্লিতে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সভায় গলফ, ক্রিকেট ও কারাতে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। ইভেন্টগুলো রাখার ব্যাপারে চেষ্টা করেও সফল হয়নি বাংলাদেশ। ক্রিকেট, গলফ দুই ইভেন্টেই গতবার ঘরের মাঠে সোনা এসেছে বাংলাদেশের। এবারও সম্ভাবনা ছিল, কারাতেও এনে দিতে পারত সোনা। কিন্তু ভারতীয় কারাতের দুটি সংগঠনের (অল ইন্ডিয়া কারাতে ফেডারেশন এবং কারাতে অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া) দ্বন্দ্বের বলি বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের খেলোয়াড়েরা। ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এই দুটি সংগঠনকে এক ছাতার নিচে আনতে না পেরেই নাকি খেলাটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল ওই সভায়। অথচ এই একটি আন্তর্জাতিক গেমসে খেলবেন বলে চাতক পাখির মতো পাঁচ বছর অপেক্ষায় ছিলেন কারাতেকা সান, ‘গতবার এত ভালো করলাম। কিন্তু এবার খেলতেই পারব না। এটা মানতে কষ্টই হচ্ছে।’ সেটিই স্বাভাবিক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক সাফল্য পাওয়া দুই ভাইয়ের কাছে এটা যে বজ্রাঘাতের মতোই। যমজ ভাইয়েরা হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। কিন্তু প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা বাবার কাছে যুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে মনের অজান্তেই পছন্দ করেন ‘মারামারির খেলা’ কারাতে। তাঁদের উৎসাহ দিয়েছেন তিন গোয়েন্দার বিখ্যাত চরিত্র মুসা আমান। মুসা কারাতে পারেন, অবসরে পড়া তিন গোয়েন্দার এই চরিত্রের মতো তাই নিজেদেরও ভাবতেন। এরপর মুসার সঙ্গে যোগ দেন জ্যাকি চ্যান, জেট লি। মারদাঙ্গা এই নায়কদের সিনেমাগুলোও আকর্ষণ করত যমজদের। সিনেমা দেখে স্কুলে তা দৃশ্যায়নের চেষ্টা করতেন। কারাতে ফেডারেশনে গিয়ে দু ভাই খেলা শুরু করেন ২০০৩ সালে। যদিও বাবা চাননি ছেলেরা মারামারির মতো খেলা শিখুক। কিন্তু মা ও বোনের সহযোগিতা পেয়েছেন। যমজ ভাইয়েরা ঘরোয়া আসরে নিয়মিত খেললেও আলোটা টানতে পেরেছেন গত এসএ গেমসে সোনা জিতে। এবারও দক্ষিণ এশিয়ার ‘অলিম্পিকে’ খেলে সোনার হাসি ছড়াতে চেয়েছিলেন। তা হচ্ছে না জেনে মুনের আক্ষেপটা বেশি, ‘ফেডারেশন কর্মকর্তারা যোগ্যদের বাদ দিয়ে দল গড়েছিল বলে গত এশিয়ান গেমসে যেতে পারিনি। এবার এসএ গেমসেও খেলা হবে না। সিদ্ধান্তটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’কারাতে নিয়ে তাই স্বপ্ন দেখারও সাহস পান না দুই ভাই। দুজনই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষ করে চাকরি খুঁজছেন। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো খেলাটাই ছেড়ে দেবেন। সান বলছেন, ‘নিয়মিত অনুশীলন করেও যদি খেলার সুযোগ না পাই, তাহলে খেলে লাভ কী? ভাবছি চাকরিবাকরি করেই জীবন গড়ব।’দুই ভাই কতটা আশাভঙ্গের বেদনায় পুড়ছেন, তা বোধ হয় আর না বললেও চলে।
154,714
-1
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:১৮
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৩:৫৫
খবরাখবর,বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
0
দেওয়া হলো অ্যাপস উন্নয়নের পরামর্শ
http://www.prothom-alo.com/technology/article/137704
দুই ধাপের বিচার পর্ব পেরিয়ে যাঁরা ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতা ২০১৪-এর তৃতীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে গতকাল শনিবার ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল দিনব্যাপী ‘গ্রুমিং সেশন’। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি দল অংশ নেয়। প্রতিটি দলের তৈরি মোবাইল অ্যাপসগুলোকে কীভাবে আরও উন্নত ও ব্যবহার উপযোগী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয় এ আয়োজনে।গ্রুমিং পর্বে তিনটি অধিবেশনে ১৫টি দলকে তাদের শেষ প্রস্তুতির জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিন ধরনের অধিবেশনের মধ্যে ছিল মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ওয়েব ভিউ, ডেটাবেইস অ্যান্ড ওয়েব সার্ভিসেস এবং ম্যাপস অ্যান্ড জিপিএস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের ছাত্র ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘শুধু জয়ী হওয়াই আমাদের লক্ষ্য নয়, আমরা ভবিষ্যতে সফটওয়্যার উন্নয়নশিল্পে কাজ করতে চাই। এই অধিবেশনের মূল উদ্দেশ্য হলো অ্যাপস তৈরি করার সময় কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে তা শেখা।’অ্যাপস তৈরির সময় সমস্যা হলে তার সমাধান কীভাবে করতে হবে সে বিষয়েও নানা কৌশল বলে দেওয়া হয় এ আয়োজনে। গ্রুমিং সেশন পরিচালনা করেন বিশ্বজিৎ কর্মকার, শাহাব উদ্দিন ও মাসুমুন্নবী অনিক।প্রতিযোগিতার বিচার প্রক্রিয়ার সমন্বয়ক রাজেশ পালিত বলেন, ‘গ্রুমিং সেশনগুলো আরও বড় পরিসরে করতে চাই। এ ধরনের আয়োজনে দক্ষ প্রোগ্রামার তৈরি হবে বলেও আমরা আশা করছি।’দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য গত বছরের জুলাই মাস থেকে শুরু হয়েছে ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতা। এতে প্রাথমিক পর্যায়ে জমা পড়ে ৮০৫টি ধারণাপত্র। এ থেকে বাছাই করা হয় ১২৫টি ধারণাপত্র। সেগুলো গত বছরের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম পর্বের বিচারকাজ। এতে ৩৫টি দল উত্তীর্ণ হয় দ্বিতীয় পর্ব। গত জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় পর্বের বিচারের পর এখন টিকে আছে ১৫টি অ্যাপস নির্মাতা দল।—তন্ময় দেবনাথ
48,227
পানি উন্নয়ন বোর্ড কী করছে?
opinion
মতামত
১৩ জুলাই ২০১৭, ০০:৫৬
১৩ জুলাই ২০১৭, ০০:৫৮
সম্পাদকীয়:
0
মাগুরায় খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1249801
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বড়রিয়ার খাল দখল করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার খবরটি উদ্বেগজনক। বুধবার প্রথমআলোর খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসব স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ফলে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি সরু হয়ে গেছে। ফলে পানির প্রবাহও কমে যাচ্ছে। হারাচ্ছে নাব্যতা। এতে উপজেলার ১২টি বিলসহ খালসংলগ্ন অন্তত ৮০ হাজার একর জমি জলাবদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।খাল-বিল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)। অথচ পাউবোর মাগুরা কার্যালয় এ ব্যাপারে নির্বিকার। এভাবে বড় একটি খাল বেদখল হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারা তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের এই অবস্থান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।স্থানীয় কৃষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় তিন দশক আগে পাউবো খালটি সংস্কার করেছিল। সংস্কারের পর খালের প্রশস্ততা ছিল ৯১ ফুট। খাল দখল করে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করায় প্রশস্ততা অর্ধেকও নেই। কৃষকদের অভিযোগ, দখলদারদের সঙ্গে পাউবোর গোপন আঁতাত আছে। এ কারণে খালটিতে দিন দিন দখলদারের সংখ্যা বাড়ছে। কৃষকদের এ অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে তা খুবই উদ্বেগের বিষয়। তবে শুধু বড়রিয়ার খাল নয়, দেশের আরও বহু স্থানে এভাবে অবাধে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে অনেক খাল সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক খাল হারিয়ে গেছে। খালের খনন হয় না ঠিকমতো। বছরের পর বছর পলি জমার ফলে খালের নাব্যতা হারিয়ে অনেক খাল এখন মৃতপ্রায়। এ কারণে জলাশয়নির্ভর সেচব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়ছে।মাগুরার বড়রিয়ার খালসহ দেশের সব খাল দখলমুক্ত করে সেগুলোতে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য পাউবোকে উদ্যোগ নিতে হবে। খাল দখলের সঙ্গে পাউবোর যেসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
326,103
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২১:৫৫
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২১:৫৫
সংসদ
null
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিল পাস
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/48435
ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের মাদ্রাসাকে অধিভুক্ত করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৩’ সংসদে  পাস হয়েছে।আজ বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণসহ যাবতীয় বিষয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের মাদ্রাসার অধিভুক্তি, স্বীকৃতি, পাঠদানের বিভিন্ন একাডেমিক প্রোগ্রামের অনুমোদন এবং বাতিলের ক্ষমতা আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব, মাদ্রাসা টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিবকে সদস্য রাখার বিধান রাখা হয়েছে।বিলের  উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে  বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ এবং ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচির আধুনিকীকরণ ও উন্নতি সাধন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নসহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ন্যস্ত করতে এই আইন করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করে ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিল প্রস্তুত করা হয়।
17,353
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ জুন ২০১৫, ০০:৪৩
১৫ জুন ২০১৫, ০০:৫১
ফরিদপুর,ঢাকা বিভাগ,সরকার
0
মেধাবীদের সংবর্ধনা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/553417
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার আরও এক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারলে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করা হবে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফরিদপুরের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গতকাল রোববার প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। সকালে কবি জসীমউদ্দীন হলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে খেলাঘর। অনুষ্ঠানে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফরিদপুর জেলা থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। ফরিদপুর অফিস।
145,320
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৮:৩০
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৯:২৮
গোয়ালন্দ,রাজবাড়ী,ঢাকা
0
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/143233
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে আজ রোববার সকাল নয়টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।ঘন কুয়াশার কারণে আজ ভোর চারটা থেকে এই নৌপথে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা পর সকাল নয়টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।এর আগে কুয়াশার কারণে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া পাঁচটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। এরপর ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। মাঝ নদীতে ফেরি আটকে পড়ার সংবাদ পেয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে চারটি ও পাটুরিয়া ঘাটে একটি ফেরি যানবাহন তুলে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই ঘাটে পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় আটকে পড়া যানবাহনগুলো সকাল নয়টার পর ধীরে ধীরে পার হচ্ছে।
49,942
-1
sports
খেলা
২৫ জুন ২০১৫, ০২:৩৩
২৫ জুন ২০১৫, ০২:৩৪
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
মেসি নয়, আর্জেন্টিনা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/562015
আরেকবার মুখোমুখি লিওনেল মেসি-হামেস রদ্রিগেজ। শনিবার ভোরে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার। বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত মৌসুমে দুজন একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়েছেন একাধিকবার। তবে মেসির সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো লড়াই নয়, আর্জেন্টিনাকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন রদ্রিগেজ।রদ্রিগেজ জানেন, মেসি একাই পার্থক্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু ফুটবল তো আর একার খেলা নয়। ডি মারিয়া, আগুয়েরোরাও নিজেদের দিনে ম্যাচ বের করে নিতে পারেন। সে জন্য ম্যাচটা শুধু নিজেদের দ্বৈরথ হিসেবে দেখছেন না রিয়াল মাদ্রিদ প্লে-মেকার, ‘মেসি অন্য জগতের। সে অনন্য একজন খেলোয়াড়, কিন্তু কলম্বিয়ারও বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আপনি এখানে মেসি বনাম হামেস লড়াইটা টেনে আনতে পারেন না। এটা মোটেই ঠিক হবে না।’নেইমার যাঁকে ঢুস মারতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন, সেই কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার জেইসন মুরিল্লোর কণ্ঠেও রদ্রিগেজের সুর, ‘লিওনেলের সঙ্গে একসঙ্গে খেলাটা হবে দারুণ ব্যাপার। কিন্তু শুধু ওকেই নয়, আমাদের একটা দুর্দান্ত দলের সঙ্গেই খেলতে হচ্ছে।’কলম্বিয়া এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত বিবর্ণই। গত বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো দলটি শেষ আটের টিকিট পেতে তাকিয়ে ছিল ব্রাজিলের দিকে। তিন ম্যাচে করেছে মাত্র ৩ গোল। রদ্রিগেজ নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছেন না। কলম্বিয়ান প্লে-মেকার তা স্বীকারও করে নিলেন, ‘আমি তো আর নিজে থেকে খারাপ খেলতে চাই না, কিন্তু সব সময় যা চাই তা হয় না।’ তাই চাপমুক্ত থাকতে চান, ‘আমি যদি খেলার জায়গা না পাই, তাহলে ভালো করতে অন্যরা তো আছেই। আমি না পারলেও ওরা ঠিকই পারবে।’মুরিল্লোও বলছেন, আর্জেন্টিনাকে দল হিসেবেই হারাতে হবে, ‘আমার মনে হয় মনোযোগ ধরে রাখাই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোচ হোসে পেকারম্যান আমাদের কাছ থেকে এটাই চেয়েছেন। আমরা খুবই শান্ত আছি। জয়ের জন্যই আমরা মাঠে নামব। দারুণ একটা দলের প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছি আমরা। ওদের চেয়ে আমাদের ভালো খেলতেই হবে। ৯০ মিনিট মাথা ঠান্ডা রাখতে পারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’আগামীকাল ভোরে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে লড়ছে বলিভিয়া-পেরু। গোলডটকম।
147,760
বাসস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:৩৭
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:৩৮
রাজধানী (জাতীয়),সরকার
0
শিক্ষাকে মুনাফার হাতিয়ার না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1077587
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিক্ষাকে মুনাফা তৈরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর আফতাব নগরে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ১৬তম সমাবর্তনে তিনি এই আহ্বান জানান।বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমান ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করে দেশপ্রেমিক ও শিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।রাষ্ট্রপতি বলেন, শুধু সার্টিফিকেটমুখী শিক্ষা নয়, সৃজনশীল ও আলোকিত মানুষ তৈরির জন্য উচ্চশিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই মান নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন স্নাতক ডিগ্রিধারীদের অভিনন্দন জানিয়ে তাঁদের পেশাগত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতি গঠনে নিজেদের উৎসর্গ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের নিজ নিজ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সততা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, শ্রেণিকক্ষে ছাত্রছাত্রীদের সিলেবাস অনুযায়ী শুধু শিক্ষাদানই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নয়, তাদের মানবিকতার প্রশিক্ষণ, সহিষ্ণুতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং মূল্যবোধও শিক্ষা দিতে হবে।রাষ্ট্রপতি সাম্প্রতিককালে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি মানব সভ্যতার প্রতি একটি বড় হুমকি। তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের প্রতি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার আহ্বান জানান।ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ২ হাজার ৭২ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রির সনদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে অনন্য মেধাবী চার শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি।সমাবর্তন বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ের অসহিষ্ণুতা, গোঁড়ামি ও মানবিক মূল্যবোধের অভাব আমাদের ইতিহাসের উল্টো পথে চালিত করছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক চিন্তা, বাক্স্বাধীনতা ও দায়িত্ববোধের যথাযথ শিক্ষা, একটি সুন্দর উদারনৈতিক দেশ ও জাতি গঠনে উপযোগী হতে পারে।’ বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অপ্রত্যাশিত মৃত্যু, জঙ্গিবাদ পৃথিবীকে অন্ধকার করে ফেলেছে। বক্তব্য দেন উপাচার্য এম এম শহিদুল হাসান।
291,788
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
২৮ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:৫০
২৯ মে ২০১৮, ১৩:৫৯
ফুটবল
null
নেইমারও খুশি, কাভানিও খুশি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1419356
* পিএসজির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড কাভানির। * জোড়া গোল করেছেন নেইমার।নেইমারকে সেদিন দুয়ো দিয়েছিল পিএসজির দর্শকেরা। অথচ সেদিন ফ্রেঞ্চ লিগে পিএসজি দিজোঁর বিপক্ষে জিতেছিল ৮-০ গোলে। এর মধ্যে ব্রাজিলীয় তারকার একারই ছিল ৪ গোল! এমন খেলেও ‘দুয়ো’ পেয়েছিলেন, কারণ হ্যাটট্রিক করেও এডিনসন কাভানিকে পেনাল্টি নিতে না দিয়ে নিজে নিয়েছেন। পিএসজির সমর্থকেরা তো রেগে আগুন! সমর্থকেরা আশা করেছিলেন, পিএসজির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার অপেক্ষায় থাকা এডিনসন কাভানিকে পেনাল্টিটি মারতে দেবেন। রেকর্ড থেকে মাত্র এক গোল দূরে ছিলেন কাভানি। আট গোলের জয়ের সঙ্গে সমর্থকেরা তাই কাভানির অর্জনও প্রাণভরে উদ্‌যাপনের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু নেইমার তা হতে দেননি। ব্রাজিলিয়ান তারকা নিজেই পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের জেদটাই বজায় রেখেছিলেন। এর আগে কাভানির সঙ্গে পেনাল্টি নিয়ে তাঁর বচসায় জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারটি ফুটবল দুনিয়ায় হাসির খোরাক হয়েছিল। পিএসজি সমর্থকেরা মেনে নিতে পারেননি নেইমারের সেই শিশুসুলভ আচরণ।সমর্থকদের দুয়ো শুনে ভারাক্রান্ত নেইমার পরের ম্যাচে খেলতে পারেননি চোটের জন্য। কাভানিও সে ম্যাচে পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারলেন না। লিওঁর বিপক্ষে ম্যাচটা দুঃস্বপ্নেরই ছিল পিএসজির জন্য। দানি আলভেজের লাল কার্ডের সে ম্যাচে পিএসজির তারকাদের ব্যর্থতা ছিল নিদারুণ। তবে নেইমার ফিরতেই আবার সেই পুরোনো পিএসজি! কাভানিও দারুণ কার্যকর। মঁপেঁলিয়ের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে অবদান দুজনেরই। সবচেয়ে বড় কথা, অনেক দিন পর নেইমার-কাভানি দুজনই খুশি। দারুণ খুশি!মঁপেঁলিয়ের জালে কাল দুজনেই বল পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ১১ মিনিটে প্রথম গোলটি করে পিএসজির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়েছেন কাভানি ( ১৫৭ গোল)। এ পথে তিনি টপকে গেলেন সুইডিশ স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে (১৫৬ গোল)। রেকর্ড গড়ার উল্লাস জার্সি খোলায় জন্য অবশ্য তাঁকে রেফারির ‘অভিবাদন’ পেতে হয়েছে হলুদ কার্ড দেখে! চোটের কারণে তিন ম্যাচ খেলতে না পারা নেইমার পেয়েছেন জোড়া গোল। ৪০ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটির পর শেষ গোল নেইমারের। যেখানে কাভানিরও অবদান রয়েছে। উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের ক্রস থেকে হাঁটু দিয়ে গোল করেছেন নেইমার। তার আগে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াও লক্ষ্যভেদ করেছেন। তবে নেইমার-কাভানি জুটির খুশি থাকাটাই বোধ হয় এ ম্যাচে পিএসজির বড় প্রাপ্তি। ২৩ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেও প্যারিসের ক্লাবটি।
352,985
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৮ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৩৩
১৮ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৩৪
বাংলা গান
0
সবার ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত রুনা লায়লা
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1023395
জন্মদিনে বন্ধু, সহকর্মী, দর্শক, ভক্ত ও শ্রোতাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সবার কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত এই গায়িকা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে জানালেন তাঁর এই অনুভূতির কথা।গতকাল ১৭ নভেম্বর ছিল উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লার জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বেতার, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ও স্টেজ শো’তে আলো ছড়ানো এই শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে দেশের প্রায় সব পত্রিকায় বিশেষ ফিচার প্রকাশিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে নিজেদের ছবি দিয়ে অনেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।রুনা লায়লা বলেন, ‘জন্মদিন উপলক্ষে পরিচিত-অপরিচিত বন্ধু-শুভাকাঙ্খিরা ও সহকর্মীরা মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ফেসবুকে বন্ধুরা খুব সুন্দর কথার মাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। সবাই যে আমাকে এখনো এতটা ভালোবাসেন তার প্রমাণ আবারও পেলাম। যাঁরা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। জন্মদিনে সবার কাছে চাইব, আমি যেন আরও গাইতে পারি, সবাই আমার জন্য যেন সেই দোয়া করেন।’জন্মদিনের সকালটা কেমন ছিল জানতে চাইলে রুনা লায়লা বলেন, ‘ওই যে বললাম, অনেক সুন্দর সুন্দর শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছি। এর বাইরে বাকিটা অন্যদিনের মতো। তবে সন্ধ্যায় পরিবারের সবাইকে বাসায় ছোট্ট একটা আয়োজন করা হয়। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করি আর আড্ডা দিই।’
266,343