id
stringlengths
15
15
title
stringlengths
2
1.44k
context
stringlengths
179
4.78k
question
stringlengths
6
207
answers
dict
bn_wiki_0322_05
এপেনবার্গ সুড়ঙ্গ
এপেনবার্গ সুড়ঙ্গ সুইজারল্যান্ডের সলোথার্নের ক্যান্টনে নির্মাণাধীন একটি রেল সুড়ঙ্গ। এটি রেল অবকাঠামোর ভবিষ্যত উন্নতির (জেডিবি) সম্প্রসারণ কর্মসূচির অংশ এবং ওয়াশনাউ-ডানিকেন বিভাগে আড়াউ থেকে অলটেন পর্যন্ত লাইনটিকে শক্তিশালী করে। সুইস রেলের অবকাঠামোতে একটি বাধা, যা রেল ট্র্যাফিকের জন্য বিশেষত দুর্বলতা তৈরি করে, আরাউ ও ওলটেনের মধ্যে যে অংশটি রয়েছে কেবল এপেনবার্গ-ওয়াশনাউ, শেন্নওয়ার্ড এবং গ্রেটজেনবাখের দুটি লেন রয়েছে। এই রেলপথটি অবশ্যই আন্তর্জাতিক দীর্ঘ-দূরত্বের ট্রেন (আইসিই এবং টিজিভি লরিয়ার সাথে), ঘন জাতীয় যাত্রীবাহি ট্রেন এবং রেলপথে মালবাহী ট্রেনের জন্য ব্যবহৃত করতে হয়। এই কারণে অবকাঠামো সম্প্রসারণের সময় আওরাউ এবং অল্টেনের নিকট বিদ্যমান চার ট্র্যাকের রেলপথের মধ্যে পুরো সংযোগ স্থাপনকে উচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। প্রকল্পটি ওল্টেনের এসবিবি ইনফ্রাস্ট্রাকচার দ্বারা পরিকল্পনা করা এবং পরিচালনা করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এপেনবার্গ সুড়ঙ্গটি নতুন রেলপথের কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয়, এটি শেন্নওয়ার্ডের কেন্দ্রের দক্ষিণে চলেছে এবং বিদ্যমান লাইনটির চেয়ে অনেক দীর্ঘতর হবে, যার স্কান্নওয়ার্ডে একটি অত্যধিক ব্যাক রয়েছে। সুড়ঙ্গের পশ্চিম অংশ পোর্টালটি গ্রেটজেনবাখ পৌরসভার অঞ্চলে আসে। রাস্তার নিচে আন্ডারপাস সহ ভবিষ্যতের সুড়ঙ্গের কিছু অংশ সেখানে একটি খোলা গর্তে তৈরি করা হবে। গ্রেটজেনবাচের কাছে টানেল পোর্টাল এবং ডানিকেন ট্রেন স্টেশন থেকে দুলিকেন ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত রেলপথের চারটি ট্র্যাক রয়েছে। সুড়ঙ্গটি ৩,১১৪ মিটার দীর্ঘ, এই দৈর্ঘ্যের মধ্যে ১২৫ মিটার দীর্ঘ খোলা গর্তযুক্ত প্রবেশ দ্বারা বিভাগে গ্রেটজেনবাচে রয়েছে, ২৬১৬ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ বিভাগ (হাইড্রোশিল্ড পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রায় ৬০০ মিটার) এবং ৩৭৩ মিটার দীর্ঘ খোলা গর্তযুক্ত প্রবেশ দ্বারা ওয়াশনাউ অংশে রয়েছে। সুড়ঙ্গের মূল উদ্দেশ্য হল রেলপথের ক্ষমতা বাড়ানো। দুটি অতিরিক্ত ট্র্যাক এবং আরও ভাল রাউটিংয়ের সাথে ট্রেনের চলাচল ত্বরান্বিত করা যায় এবং অতিরিক্ত আঞ্চলিক ট্রেন রেলপথটিতে যুক্ত করা সম্ভব। আগে থেকেই, এসবিবি নির্মাণকালীন যানবাহন পরিচালনার জন্য ওয়াশনাউতে একটি নতুন সংকেত বক্স তৈরি করে। ২০১৪ সালের শরৎকালে, ওয়াশনাউ এবং গ্রেটজেনবাচের কাছাকাছি দুটি স্থানে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে পরিষ্কার করা, খনন, ঢাল স্থিতিশীলকরণ, ধ্বংসযজ্ঞ, রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য পদক্ষেপ। গ্রেটজেনবাচে একটি নতুন জলপ্রবাহ নির্মাণ করা হয়। অতিরিক্ত ট্র্যাকের জন্য কাঠামোটি ডানিকেন থেকে শুরু হয়। ২ মে, ২০১৫, ওয়াশনাউয়ের নিকটবর্তী স্থানে ভূমিখনন অনুষ্ঠানের সাথে সুড়ঙ্গ নির্মাণের অনুষ্ঠান হয়, যেখানে ফেডারাল কাউন্সিলর ডরিস লিউথার্ড, এসবিবি গোষ্ঠীর নির্বাহী বোর্ড, আরগাউয়ের ক্যান্টনের সরকারী কাউন্সিল এবং ক্যান্টন সরকারের সলোথার্ন অংশ গ্রহণ করেন।
ডানিকেন ট্রেন স্টেশন থেকে দুলিকেন ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত রেলপথের কয়টি ট্র্যাক রয়েছে?
{ "answer_start": [ 1299, 1299 ], "text": [ "চারটি", "চারটি" ] }
bn_wiki_0723_01
ইলেকট্রন বিজ্ঞান
ইলেকট্রন বিজ্ঞান ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও তড়িৎ প্রকৌশলের একটি আন্তঃক্ষেত্রীয় শাখা যেখানে বায়ুশূন্য নল (ভ্যাকিউম টিউব), গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক সঙ্কেত বহনকারী ইলেক্ট্রনের নিঃসরণ, প্রবাহ, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া আলোচিত হয়। ১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ বায়ুশূন্য কাচের নল উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। তাই সেই সময় থেকে ইলেকট্রন বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে বলা যায়। ইংরেজি পরিভাষাতে একে ইলেকট্রনিক্স বলা হয়। ইলেকট্রন বিজ্ঞান ক্ষেত্রে প্রধানত ইলেকট্রনীয় বর্তনীর নকশা প্রণয়ন এবং পরীক্ষণ করা হয়। ইলেকট্রনীয় বর্তনী সাধারণত রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ডায়োড প্রভৃতি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য তৈরি করা হয়। বেতার যন্ত্রের টিউনার যেটি শুধুমাত্র আকাংক্ষিত বেতার স্টেশন ছাড়া অন্যগুলোকে বাতিল করতে সাহায্য করে, সেটি ইলেকট্রনীয় বর্তনীর একটি উদাহরণ। পাশে আরেকটি উদাহরণের (নিউমেটিক সংকেত কন্ডিশনারের ) ছবি দেওয়া হলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইলেকট্রন বিজ্ঞান রেডিও প্রকৌশল বা বেতার প্রকৌশল নামে পরিচিত ছিল। তখন এর কাজের পরিধি রাডার, বাণিজ্যিক বেতার এবং আদি টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন ভোক্তা বা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক যন্ত্রপাতির উন্নয়ন শুরু হল, তখন থেকে প্রকৌশলের এই শাখা বিস্তৃত হতে শুরু করে এবং আধুনিক টেলিভিশন, অডিও ব্যবস্থা, কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর (অণুপ্রক্রিয়াকারক বা সমন্বিত বর্তনী) এই শাখার অন্তর্ভুক্ত হয়। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বেতার প্রকৌশল নামটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে দশকের শেষ নাগাদ ইলেকট্রন বিজ্ঞান (ইলেকট্রনিক্‌স) নাম ধারণ করে। উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি, জন বারডিন এবং ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন একসাথে যৌথভাবে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন। ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন ও ১৯৫৯ সালে সমন্বিত বর্তনী উদ্ভাবনের আগে ইলেকট্রনীয় বর্তনী তৈরি হতো বড় আকারের পৃথক পৃথক বায়ুশূন্য নল যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই সব বিশাল আকারের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি বর্তনীগুলো বিপুল জায়গা দখল করত এবং এগুলো চালাতে অনেক শক্তি লাগত। এই যন্ত্রাংশগুলির গতিও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে সমন্বিত বর্তনী বা আইসি অসংখ্য (প্রায়ই ১০ লক্ষেরও বেশি) ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তড়িৎ যন্ত্রাংশ, যাদের বেশিরভাগই মূলত ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত হয়। এই যন্ত্রাংশগুলোকে একটি ছোট্ট পয়সা আকারের সিলিকন চিলতে বা চিপের উপরে সমন্বিত করে সমন্বিত বর্তনী তৈরি করা হয়। বর্তমানের অত্যাধুনিক কম্পিউটার বা নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনীয় যন্ত্রপাতি সবই প্রধানত সমন্বিত বর্তনী বা আই সি দ্বারা নির্মিত।
কত সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ বায়ুশূন্য কাচের নল উদ্ভাবন করেন?
{ "answer_start": [ 269, 269 ], "text": [ "১৯০৪", "১৯০৪" ] }
bn_wiki_0723_02
ইলেকট্রন বিজ্ঞান
ইলেকট্রন বিজ্ঞান ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও তড়িৎ প্রকৌশলের একটি আন্তঃক্ষেত্রীয় শাখা যেখানে বায়ুশূন্য নল (ভ্যাকিউম টিউব), গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক সঙ্কেত বহনকারী ইলেক্ট্রনের নিঃসরণ, প্রবাহ, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া আলোচিত হয়। ১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ বায়ুশূন্য কাচের নল উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। তাই সেই সময় থেকে ইলেকট্রন বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে বলা যায়। ইংরেজি পরিভাষাতে একে ইলেকট্রনিক্স বলা হয়। ইলেকট্রন বিজ্ঞান ক্ষেত্রে প্রধানত ইলেকট্রনীয় বর্তনীর নকশা প্রণয়ন এবং পরীক্ষণ করা হয়। ইলেকট্রনীয় বর্তনী সাধারণত রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ডায়োড প্রভৃতি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য তৈরি করা হয়। বেতার যন্ত্রের টিউনার যেটি শুধুমাত্র আকাংক্ষিত বেতার স্টেশন ছাড়া অন্যগুলোকে বাতিল করতে সাহায্য করে, সেটি ইলেকট্রনীয় বর্তনীর একটি উদাহরণ। পাশে আরেকটি উদাহরণের (নিউমেটিক সংকেত কন্ডিশনারের ) ছবি দেওয়া হলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইলেকট্রন বিজ্ঞান রেডিও প্রকৌশল বা বেতার প্রকৌশল নামে পরিচিত ছিল। তখন এর কাজের পরিধি রাডার, বাণিজ্যিক বেতার এবং আদি টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন ভোক্তা বা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক যন্ত্রপাতির উন্নয়ন শুরু হল, তখন থেকে প্রকৌশলের এই শাখা বিস্তৃত হতে শুরু করে এবং আধুনিক টেলিভিশন, অডিও ব্যবস্থা, কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর (অণুপ্রক্রিয়াকারক বা সমন্বিত বর্তনী) এই শাখার অন্তর্ভুক্ত হয়। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বেতার প্রকৌশল নামটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে দশকের শেষ নাগাদ ইলেকট্রন বিজ্ঞান (ইলেকট্রনিক্‌স) নাম ধারণ করে। উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি, জন বারডিন এবং ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন একসাথে যৌথভাবে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন। ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন ও ১৯৫৯ সালে সমন্বিত বর্তনী উদ্ভাবনের আগে ইলেকট্রনীয় বর্তনী তৈরি হতো বড় আকারের পৃথক পৃথক বায়ুশূন্য নল যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই সব বিশাল আকারের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি বর্তনীগুলো বিপুল জায়গা দখল করত এবং এগুলো চালাতে অনেক শক্তি লাগত। এই যন্ত্রাংশগুলির গতিও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে সমন্বিত বর্তনী বা আইসি অসংখ্য (প্রায়ই ১০ লক্ষেরও বেশি) ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তড়িৎ যন্ত্রাংশ, যাদের বেশিরভাগই মূলত ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত হয়। এই যন্ত্রাংশগুলোকে একটি ছোট্ট পয়সা আকারের সিলিকন চিলতে বা চিপের উপরে সমন্বিত করে সমন্বিত বর্তনী তৈরি করা হয়। বর্তমানের অত্যাধুনিক কম্পিউটার বা নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনীয় যন্ত্রপাতি সবই প্রধানত সমন্বিত বর্তনী বা আই সি দ্বারা নির্মিত।
ইলেকট্রন বিজ্ঞান ক্ষেত্রে প্রধানত কিসের নকশা প্রণয়ন এবং পরীক্ষণ করা হয়?
{ "answer_start": [ 563, 563 ], "text": [ "ইলেকট্রনীয় বর্তনীর", "ইলেকট্রনীয় বর্তনীর" ] }
bn_wiki_0723_03
ইলেকট্রন বিজ্ঞান
ইলেকট্রন বিজ্ঞান ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও তড়িৎ প্রকৌশলের একটি আন্তঃক্ষেত্রীয় শাখা যেখানে বায়ুশূন্য নল (ভ্যাকিউম টিউব), গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক সঙ্কেত বহনকারী ইলেক্ট্রনের নিঃসরণ, প্রবাহ, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া আলোচিত হয়। ১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ বায়ুশূন্য কাচের নল উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। তাই সেই সময় থেকে ইলেকট্রন বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে বলা যায়। ইংরেজি পরিভাষাতে একে ইলেকট্রনিক্স বলা হয়। ইলেকট্রন বিজ্ঞান ক্ষেত্রে প্রধানত ইলেকট্রনীয় বর্তনীর নকশা প্রণয়ন এবং পরীক্ষণ করা হয়। ইলেকট্রনীয় বর্তনী সাধারণত রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ডায়োড প্রভৃতি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য তৈরি করা হয়। বেতার যন্ত্রের টিউনার যেটি শুধুমাত্র আকাংক্ষিত বেতার স্টেশন ছাড়া অন্যগুলোকে বাতিল করতে সাহায্য করে, সেটি ইলেকট্রনীয় বর্তনীর একটি উদাহরণ। পাশে আরেকটি উদাহরণের (নিউমেটিক সংকেত কন্ডিশনারের ) ছবি দেওয়া হলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইলেকট্রন বিজ্ঞান রেডিও প্রকৌশল বা বেতার প্রকৌশল নামে পরিচিত ছিল। তখন এর কাজের পরিধি রাডার, বাণিজ্যিক বেতার এবং আদি টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন ভোক্তা বা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক যন্ত্রপাতির উন্নয়ন শুরু হল, তখন থেকে প্রকৌশলের এই শাখা বিস্তৃত হতে শুরু করে এবং আধুনিক টেলিভিশন, অডিও ব্যবস্থা, কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর (অণুপ্রক্রিয়াকারক বা সমন্বিত বর্তনী) এই শাখার অন্তর্ভুক্ত হয়। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বেতার প্রকৌশল নামটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে দশকের শেষ নাগাদ ইলেকট্রন বিজ্ঞান (ইলেকট্রনিক্‌স) নাম ধারণ করে। উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি, জন বারডিন এবং ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন একসাথে যৌথভাবে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন। ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন ও ১৯৫৯ সালে সমন্বিত বর্তনী উদ্ভাবনের আগে ইলেকট্রনীয় বর্তনী তৈরি হতো বড় আকারের পৃথক পৃথক বায়ুশূন্য নল যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই সব বিশাল আকারের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি বর্তনীগুলো বিপুল জায়গা দখল করত এবং এগুলো চালাতে অনেক শক্তি লাগত। এই যন্ত্রাংশগুলির গতিও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে সমন্বিত বর্তনী বা আইসি অসংখ্য (প্রায়ই ১০ লক্ষেরও বেশি) ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তড়িৎ যন্ত্রাংশ, যাদের বেশিরভাগই মূলত ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত হয়। এই যন্ত্রাংশগুলোকে একটি ছোট্ট পয়সা আকারের সিলিকন চিলতে বা চিপের উপরে সমন্বিত করে সমন্বিত বর্তনী তৈরি করা হয়। বর্তমানের অত্যাধুনিক কম্পিউটার বা নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনীয় যন্ত্রপাতি সবই প্রধানত সমন্বিত বর্তনী বা আই সি দ্বারা নির্মিত।
ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন কারা?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_1858_02
লসিকা
লসিকা হল তরল যা লসিকাতেন্ত্রর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা লসিকা নালীগুলি (চ্যানেল) দ্বারা গঠিত একটি তন্ত্র এবং হস্তক্ষেপকারী লসিকা নোডগুলির ক্রিয়াকলাপ, যা শিরাতন্ত্রের মতো, টিস্যু থেকে তরল কেন্দ্রীয় প্রবাহে ফিরে আসে । আন্তঃদেশীয় তরল - তরল যা শরীরের সমস্ত টিস্যুতে কোষগুলোর মধ্যে থাকে - লসিকা কৈশিকগুলিতে প্রবেশ করে। এই লসিকা তরলটি লসিকা নোডগুলির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বৃহত লসিকা নালীগুলোর মাধ্যমে পরিবহন করা হয়, যেখানে পদার্থগুলি টিস্যু লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকা দ্বারা সরিয়ে ফেলা হয় এবং লিম্ফোসাইটগুলি প্রদাহে যুক্ত হয়, শেষ পর্যন্ত ডান বা বাম সাবক্লাভিয়ান শিরাতে খালি হওয়ার আগে, যেখানে এটি কেন্দ্রীয় শিরা রক্তের সাথে মিশে যায় । যেহেতু লসিকাটি আন্তঃসম্পর্কীয় তরল থেকে উদ্ভূত তাই এর রচনা ক্রমাগত রক্ত হিসাবে পরিবর্তিত হয় এবং পার্শ্ববর্তী কোষগুলি নিয়মিত আন্তঃস্থায়ী তরল দিয়ে পদার্থের আদান-প্রদান করে। এটি সাধারণত রক্তের প্লাজমার সাথে সমান, যা রক্তের তরল উপাদান। লসিকা রক্ত প্রবাহে প্রোটিন এবং অতিরিক্ত আন্তঃস্থায়ী তরল ফিরিয়ে দেয়। লসিকা এছাড়াও কাইলোমাইক্রন এর মাধ্যমে পাচনতন্ত্র(ল্যাকটিয়াল থেকে শুরু) থেকে চর্বি রক্তে পরিবহন করে ।
আন্তঃদেশীয় তরল কী?
{ "answer_start": [ 238, 238 ], "text": [ "তরল যা শরীরের সমস্ত টিস্যুতে কোষগুলোর মধ্যে থাকে", "তরল যা শরীরের সমস্ত টিস্যুতে কোষগুলোর মধ্যে থাকে" ] }
bn_wiki_1858_03
লসিকা
লসিকা হল তরল যা লসিকাতেন্ত্রর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা লসিকা নালীগুলি (চ্যানেল) দ্বারা গঠিত একটি তন্ত্র এবং হস্তক্ষেপকারী লসিকা নোডগুলির ক্রিয়াকলাপ, যা শিরাতন্ত্রের মতো, টিস্যু থেকে তরল কেন্দ্রীয় প্রবাহে ফিরে আসে । আন্তঃদেশীয় তরল - তরল যা শরীরের সমস্ত টিস্যুতে কোষগুলোর মধ্যে থাকে - লসিকা কৈশিকগুলিতে প্রবেশ করে। এই লসিকা তরলটি লসিকা নোডগুলির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বৃহত লসিকা নালীগুলোর মাধ্যমে পরিবহন করা হয়, যেখানে পদার্থগুলি টিস্যু লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকা দ্বারা সরিয়ে ফেলা হয় এবং লিম্ফোসাইটগুলি প্রদাহে যুক্ত হয়, শেষ পর্যন্ত ডান বা বাম সাবক্লাভিয়ান শিরাতে খালি হওয়ার আগে, যেখানে এটি কেন্দ্রীয় শিরা রক্তের সাথে মিশে যায় । যেহেতু লসিকাটি আন্তঃসম্পর্কীয় তরল থেকে উদ্ভূত তাই এর রচনা ক্রমাগত রক্ত হিসাবে পরিবর্তিত হয় এবং পার্শ্ববর্তী কোষগুলি নিয়মিত আন্তঃস্থায়ী তরল দিয়ে পদার্থের আদান-প্রদান করে। এটি সাধারণত রক্তের প্লাজমার সাথে সমান, যা রক্তের তরল উপাদান। লসিকা রক্ত প্রবাহে প্রোটিন এবং অতিরিক্ত আন্তঃস্থায়ী তরল ফিরিয়ে দেয়। লসিকা এছাড়াও কাইলোমাইক্রন এর মাধ্যমে পাচনতন্ত্র(ল্যাকটিয়াল থেকে শুরু) থেকে চর্বি রক্তে পরিবহন করে ।
লসিকা রক্ত প্রবাহে কী ফিরিয়ে দেয়?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_1858_04
লসিকা
লসিকা হল তরল যা লসিকাতেন্ত্রর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা লসিকা নালীগুলি (চ্যানেল) দ্বারা গঠিত একটি তন্ত্র এবং হস্তক্ষেপকারী লসিকা নোডগুলির ক্রিয়াকলাপ, যা শিরাতন্ত্রের মতো, টিস্যু থেকে তরল কেন্দ্রীয় প্রবাহে ফিরে আসে । আন্তঃদেশীয় তরল - তরল যা শরীরের সমস্ত টিস্যুতে কোষগুলোর মধ্যে থাকে - লসিকা কৈশিকগুলিতে প্রবেশ করে। এই লসিকা তরলটি লসিকা নোডগুলির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বৃহত লসিকা নালীগুলোর মাধ্যমে পরিবহন করা হয়, যেখানে পদার্থগুলি টিস্যু লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকা দ্বারা সরিয়ে ফেলা হয় এবং লিম্ফোসাইটগুলি প্রদাহে যুক্ত হয়, শেষ পর্যন্ত ডান বা বাম সাবক্লাভিয়ান শিরাতে খালি হওয়ার আগে, যেখানে এটি কেন্দ্রীয় শিরা রক্তের সাথে মিশে যায় । যেহেতু লসিকাটি আন্তঃসম্পর্কীয় তরল থেকে উদ্ভূত তাই এর রচনা ক্রমাগত রক্ত হিসাবে পরিবর্তিত হয় এবং পার্শ্ববর্তী কোষগুলি নিয়মিত আন্তঃস্থায়ী তরল দিয়ে পদার্থের আদান-প্রদান করে। এটি সাধারণত রক্তের প্লাজমার সাথে সমান, যা রক্তের তরল উপাদান। লসিকা রক্ত প্রবাহে প্রোটিন এবং অতিরিক্ত আন্তঃস্থায়ী তরল ফিরিয়ে দেয়। লসিকা এছাড়াও কাইলোমাইক্রন এর মাধ্যমে পাচনতন্ত্র(ল্যাকটিয়াল থেকে শুরু) থেকে চর্বি রক্তে পরিবহন করে ।
সাবক্লাভিয়ান শিরা কী?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_1858_05
লসিকা
লসিকা হল তরল যা লসিকাতেন্ত্রর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা লসিকা নালীগুলি (চ্যানেল) দ্বারা গঠিত একটি তন্ত্র এবং হস্তক্ষেপকারী লসিকা নোডগুলির ক্রিয়াকলাপ, যা শিরাতন্ত্রের মতো, টিস্যু থেকে তরল কেন্দ্রীয় প্রবাহে ফিরে আসে । আন্তঃদেশীয় তরল - তরল যা শরীরের সমস্ত টিস্যুতে কোষগুলোর মধ্যে থাকে - লসিকা কৈশিকগুলিতে প্রবেশ করে। এই লসিকা তরলটি লসিকা নোডগুলির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বৃহত লসিকা নালীগুলোর মাধ্যমে পরিবহন করা হয়, যেখানে পদার্থগুলি টিস্যু লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকা দ্বারা সরিয়ে ফেলা হয় এবং লিম্ফোসাইটগুলি প্রদাহে যুক্ত হয়, শেষ পর্যন্ত ডান বা বাম সাবক্লাভিয়ান শিরাতে খালি হওয়ার আগে, যেখানে এটি কেন্দ্রীয় শিরা রক্তের সাথে মিশে যায় । যেহেতু লসিকাটি আন্তঃসম্পর্কীয় তরল থেকে উদ্ভূত তাই এর রচনা ক্রমাগত রক্ত হিসাবে পরিবর্তিত হয় এবং পার্শ্ববর্তী কোষগুলি নিয়মিত আন্তঃস্থায়ী তরল দিয়ে পদার্থের আদান-প্রদান করে। এটি সাধারণত রক্তের প্লাজমার সাথে সমান, যা রক্তের তরল উপাদান। লসিকা রক্ত প্রবাহে প্রোটিন এবং অতিরিক্ত আন্তঃস্থায়ী তরল ফিরিয়ে দেয়। লসিকা এছাড়াও কাইলোমাইক্রন এর মাধ্যমে পাচনতন্ত্র(ল্যাকটিয়াল থেকে শুরু) থেকে চর্বি রক্তে পরিবহন করে ।
লসিকা কিসের মাধ্যমে পাচনতন্ত্র(ল্যাকটিয়াল থেকে শুরু) থেকে চর্বি রক্তে পরিবহন করে ?
{ "answer_start": [ 964, 964 ], "text": [ "কাইলোমাইক্রন", "কাইলোমাইক্রন" ] }
bn_wiki_0600_01
পাথরের যন্ত্র
একটি পাথরের যন্ত্র হচ্ছে সাধারণ বিবেচনায় যেকোনো ধরনের যন্ত্র যা আংশিক বা ভাবে পাথর দিয়ে তৈরি। যদিও পাথরের যন্ত্রের উপর নির্ভর করে এমন অনেক সমাজ এবং সংস্কৃতি এখনও পাওয়া যায় বেশিরভাগ পাথরের যন্ত্র প্রাগৈতিহাসিক বিশেষ করে প্রস্তর যুগের সংস্কৃতি যা বিলুপ্তপ্রায়। প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রায়ই এসব প্রাগৈতিহাসিক সমাজ সম্বন্ধে পড়াশুনা করেন এবং পাথরের যন্ত্রের এই পড়াশুনাকে নাম দেন প্রস্তর বা পাথর সংক্রান্ত বিশ্লেষণ। পাথরের যন্ত্র ব্যবহার এবং তৈরির সংস্কৃতি আরও ভালভাবে বোঝার জন্য ভুপ্রত্নতত্ত্ববিদ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ক্ষেত্র। ইতিহাসের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রে পাথরের ব্যবহার হয়ে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে তীরের মাথা, বল্লমের মাথায় এবং জাতাতে। পাথরের যন্ত্র তৈরি করা যেতে পারে মাটির পাথর অথবা ভাঙ্গা পাথর দ্বারা এবং যে ব্যক্তি এই কাজ করতো তাদের বলা হত ফ্লিন্টন্যাপের। ভাঙ্গা পাথরের যন্ত্র তৈরি করা হত লিথিক রিডাকশন নামক একটি প্রক্রিয়ায় ক্রিপ্টোক্রিস্টালাইন বস্তূ দিয়ে যেমন চুন অথবা ফ্লিন্ট, রেডিওলেরাইট, চেলসিডোনি, অবসিডিয়ান, বেসল্ট এবং কোয়ার্টজাইট। একটি সাধারণ হ্রাসকরণ হচ্ছে পাথরের হাতুরি অথবা একইরুপ কোন শক্ত হাতুড়ি মূল পাথরের ছোট একটি খণ্ডকে আঘাত করা। যদি হ্রাসকরণের উদ্দেশ্য হয় ছোট পাথর তৈরি করা তখন ব্যবহারের অনুপযোগী অবশিষ্ট পাথরের মজ্জাটিকে বের করে ফেলা হয়। কিছু পদ্ধতিতে,যাইহোক একজন ফ্লিন্টন্যাপের মজ্জাটিকে ছোট করে একটি অমসৃণ একক মুখ অথবা পূর্ব দ্বিমুখী ভাবে, যা পরে আরও হ্রাস করা হয় ছোট খণ্ড পদ্ধতিতে নরম হাতুড়ি অথবা পার্শ্ব কে চাপ দিয়ে তরি করেন। আরও জটিল প্রকৃতির হ্রাসকরণের মধ্যে আছে উঁচু মাপের ব্লেড, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রে যেমন স্ক্রেপার, ছুড়ি, কাস্তে এবং ক্ষুদ্র পাথরের যন্ত্রে ব্যবহার করা যায়। সাধারণ ভাবে খণ্ড যুক্ত পাথরের যন্ত্র ধাতু ব্যবহারের আগের সমাজ গুলোতে সার্বজনীন ভাবে ব্যবহার করা হত কারণ এদেরকে সহজে তৈরি করা যায়, যন্ত্র পাথর সাধারণভাবে প্রচুর পাওয়া যায় এবং এদেরকে সহজে বহন ও ধারালো করা যায়।
প্রাগৈতিহাসিক সমাজ কী?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_0600_02
পাথরের যন্ত্র
একটি পাথরের যন্ত্র হচ্ছে সাধারণ বিবেচনায় যেকোনো ধরনের যন্ত্র যা আংশিক বা ভাবে পাথর দিয়ে তৈরি। যদিও পাথরের যন্ত্রের উপর নির্ভর করে এমন অনেক সমাজ এবং সংস্কৃতি এখনও পাওয়া যায় বেশিরভাগ পাথরের যন্ত্র প্রাগৈতিহাসিক বিশেষ করে প্রস্তর যুগের সংস্কৃতি যা বিলুপ্তপ্রায়। প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রায়ই এসব প্রাগৈতিহাসিক সমাজ সম্বন্ধে পড়াশুনা করেন এবং পাথরের যন্ত্রের এই পড়াশুনাকে নাম দেন প্রস্তর বা পাথর সংক্রান্ত বিশ্লেষণ। পাথরের যন্ত্র ব্যবহার এবং তৈরির সংস্কৃতি আরও ভালভাবে বোঝার জন্য ভুপ্রত্নতত্ত্ববিদ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ক্ষেত্র। ইতিহাসের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রে পাথরের ব্যবহার হয়ে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে তীরের মাথা, বল্লমের মাথায় এবং জাতাতে। পাথরের যন্ত্র তৈরি করা যেতে পারে মাটির পাথর অথবা ভাঙ্গা পাথর দ্বারা এবং যে ব্যক্তি এই কাজ করতো তাদের বলা হত ফ্লিন্টন্যাপের। ভাঙ্গা পাথরের যন্ত্র তৈরি করা হত লিথিক রিডাকশন নামক একটি প্রক্রিয়ায় ক্রিপ্টোক্রিস্টালাইন বস্তূ দিয়ে যেমন চুন অথবা ফ্লিন্ট, রেডিওলেরাইট, চেলসিডোনি, অবসিডিয়ান, বেসল্ট এবং কোয়ার্টজাইট। একটি সাধারণ হ্রাসকরণ হচ্ছে পাথরের হাতুরি অথবা একইরুপ কোন শক্ত হাতুড়ি মূল পাথরের ছোট একটি খণ্ডকে আঘাত করা। যদি হ্রাসকরণের উদ্দেশ্য হয় ছোট পাথর তৈরি করা তখন ব্যবহারের অনুপযোগী অবশিষ্ট পাথরের মজ্জাটিকে বের করে ফেলা হয়। কিছু পদ্ধতিতে,যাইহোক একজন ফ্লিন্টন্যাপের মজ্জাটিকে ছোট করে একটি অমসৃণ একক মুখ অথবা পূর্ব দ্বিমুখী ভাবে, যা পরে আরও হ্রাস করা হয় ছোট খণ্ড পদ্ধতিতে নরম হাতুড়ি অথবা পার্শ্ব কে চাপ দিয়ে তরি করেন। আরও জটিল প্রকৃতির হ্রাসকরণের মধ্যে আছে উঁচু মাপের ব্লেড, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রে যেমন স্ক্রেপার, ছুড়ি, কাস্তে এবং ক্ষুদ্র পাথরের যন্ত্রে ব্যবহার করা যায়। সাধারণ ভাবে খণ্ড যুক্ত পাথরের যন্ত্র ধাতু ব্যবহারের আগের সমাজ গুলোতে সার্বজনীন ভাবে ব্যবহার করা হত কারণ এদেরকে সহজে তৈরি করা যায়, যন্ত্র পাথর সাধারণভাবে প্রচুর পাওয়া যায় এবং এদেরকে সহজে বহন ও ধারালো করা যায়।
একটি পাথরের যন্ত্র কী?
{ "answer_start": [ 25, 25 ], "text": [ "সাধারণ বিবেচনায় যেকোনো ধরনের যন্ত্র যা আংশিক বা ভাবে পাথর দিয়ে তৈরি", "সাধারণ বিবেচনায় যেকোনো ধরনের যন্ত্র যা আংশিক বা ভাবে পাথর দিয়ে তৈরি" ] }
bn_wiki_0600_05
পাথরের যন্ত্র
একটি পাথরের যন্ত্র হচ্ছে সাধারণ বিবেচনায় যেকোনো ধরনের যন্ত্র যা আংশিক বা ভাবে পাথর দিয়ে তৈরি। যদিও পাথরের যন্ত্রের উপর নির্ভর করে এমন অনেক সমাজ এবং সংস্কৃতি এখনও পাওয়া যায় বেশিরভাগ পাথরের যন্ত্র প্রাগৈতিহাসিক বিশেষ করে প্রস্তর যুগের সংস্কৃতি যা বিলুপ্তপ্রায়। প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রায়ই এসব প্রাগৈতিহাসিক সমাজ সম্বন্ধে পড়াশুনা করেন এবং পাথরের যন্ত্রের এই পড়াশুনাকে নাম দেন প্রস্তর বা পাথর সংক্রান্ত বিশ্লেষণ। পাথরের যন্ত্র ব্যবহার এবং তৈরির সংস্কৃতি আরও ভালভাবে বোঝার জন্য ভুপ্রত্নতত্ত্ববিদ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ক্ষেত্র। ইতিহাসের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রে পাথরের ব্যবহার হয়ে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে তীরের মাথা, বল্লমের মাথায় এবং জাতাতে। পাথরের যন্ত্র তৈরি করা যেতে পারে মাটির পাথর অথবা ভাঙ্গা পাথর দ্বারা এবং যে ব্যক্তি এই কাজ করতো তাদের বলা হত ফ্লিন্টন্যাপের। ভাঙ্গা পাথরের যন্ত্র তৈরি করা হত লিথিক রিডাকশন নামক একটি প্রক্রিয়ায় ক্রিপ্টোক্রিস্টালাইন বস্তূ দিয়ে যেমন চুন অথবা ফ্লিন্ট, রেডিওলেরাইট, চেলসিডোনি, অবসিডিয়ান, বেসল্ট এবং কোয়ার্টজাইট। একটি সাধারণ হ্রাসকরণ হচ্ছে পাথরের হাতুরি অথবা একইরুপ কোন শক্ত হাতুড়ি মূল পাথরের ছোট একটি খণ্ডকে আঘাত করা। যদি হ্রাসকরণের উদ্দেশ্য হয় ছোট পাথর তৈরি করা তখন ব্যবহারের অনুপযোগী অবশিষ্ট পাথরের মজ্জাটিকে বের করে ফেলা হয়। কিছু পদ্ধতিতে,যাইহোক একজন ফ্লিন্টন্যাপের মজ্জাটিকে ছোট করে একটি অমসৃণ একক মুখ অথবা পূর্ব দ্বিমুখী ভাবে, যা পরে আরও হ্রাস করা হয় ছোট খণ্ড পদ্ধতিতে নরম হাতুড়ি অথবা পার্শ্ব কে চাপ দিয়ে তরি করেন। আরও জটিল প্রকৃতির হ্রাসকরণের মধ্যে আছে উঁচু মাপের ব্লেড, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রে যেমন স্ক্রেপার, ছুড়ি, কাস্তে এবং ক্ষুদ্র পাথরের যন্ত্রে ব্যবহার করা যায়। সাধারণ ভাবে খণ্ড যুক্ত পাথরের যন্ত্র ধাতু ব্যবহারের আগের সমাজ গুলোতে সার্বজনীন ভাবে ব্যবহার করা হত কারণ এদেরকে সহজে তৈরি করা যায়, যন্ত্র পাথর সাধারণভাবে প্রচুর পাওয়া যায় এবং এদেরকে সহজে বহন ও ধারালো করা যায়।
লিথিক রিডাকশন কী?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_0139_03
লোহিত দানব
লোহিত দানব বলতে নিম্ন বা মাঝারি ভরের অতি উজ্জ্বল দানবীয় তারা বোঝায়। তারার বিবর্তনের শেষের দিকে এমন দশার সৃষ্টি হয়। এসব তারার এনভেলপ বা বহিরাংশটি অনেক স্ফীত হয়ে ওঠায় তারার ব্যাসার্ধ এবং সে কারণে দীপন ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়, অন্যদিকে এদের পৃষ্ঠ তাপমাত্রা বেশ কমে যায়, সাধারণত ৫০০০ কেলভিন বা তার চেয়েও কম। লোহিত দানবরা দেখতে হলুদাভ কমালা রঙের থেকে শুরু করে লাল পর্যন্ত হতে পারে, এদের বর্ণালি ধরন সাধারণত কে এবং এম। তবে এস শ্রেণীর তারা এবং সকল কার্বন তারাও লোহিত দানব। সবচেয়ে প্রাচুর্য্যময় লোহিত দানব হচ্ছে লোহিত দানব শাখার তারাগুলো যাদের কেন্দ্র হিলিয়াম দিয়ে গঠিত, কেন্দ্রে কোন কেন্দ্রীণ সংযোজন বিক্রিয়া হয় না কিন্তু কেন্দ্রভাগের চারদিকে অবস্থিত একটি খোলকে হাইড্রোজেন পুড়ে হিলিয়াম উৎপন্ন হতে থাকে। আরেক ধরনের লোহিত দানব হচ্ছে অসীমতটীয় দানব শাখার তারা, এদের কেন্দ্রে ত্রি-আলফা প্রক্রিয়ায় হিলিয়াম দহনের মাধ্যমে কার্বন উৎপন্ন হয়। সি-এন এবং সি-আর ধরনের কার্বন তারাগুলো এজিবি তারা শ্রেণীর সদস্য। রাতের আকাশে দৃশ্যমান সুপরিচিত লোহিত দানবদের মধ্যে রয়েছে রোহিণী, স্বাতী এবং গ্রামা ক্রুকিস। দেখতে আরও বৃহৎ জ্যেষ্ঠা এবং আর্দ্রা আসলে লোহিত মহাদানব।
সবচেয়ে প্রাচুর্য্যময় লোহিত দানব কোনটি?
{ "answer_start": [ 473, 473 ], "text": [ "সবচেয়ে প্রাচুর্য্যময় লোহিত দানব হচ্ছে লোহিত দানব শাখার তারাগুলো যাদের কেন্দ্র হিলিয়াম দিয়ে গঠিত, কেন্দ্রে কোন কেন্দ্রীণ সংযোজন বিক্রিয়া হয় না কিন্তু কেন্দ্রভাগের চারদিকে অবস্থিত একটি খোলকে হাইড্রোজেন পুড়ে হিলিয়াম উৎপন্ন হতে থাকে", "সবচেয়ে প্রাচুর্য্যময় লোহিত দানব হচ্ছে লোহিত দানব শাখার তারাগুলো যাদের কেন্দ্র হিলিয়াম দিয়ে গঠিত, কেন্দ্রে কোন কেন্দ্রীণ সংযোজন বিক্রিয়া হয় না কিন্তু কেন্দ্রভাগের চারদিকে অবস্থিত একটি খোলকে হাইড্রোজেন পুড়ে হিলিয়াম উৎপন্ন হতে থাকে" ] }
bn_wiki_0139_05
লোহিত দানব
লোহিত দানব বলতে নিম্ন বা মাঝারি ভরের অতি উজ্জ্বল দানবীয় তারা বোঝায়। তারার বিবর্তনের শেষের দিকে এমন দশার সৃষ্টি হয়। এসব তারার এনভেলপ বা বহিরাংশটি অনেক স্ফীত হয়ে ওঠায় তারার ব্যাসার্ধ এবং সে কারণে দীপন ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়, অন্যদিকে এদের পৃষ্ঠ তাপমাত্রা বেশ কমে যায়, সাধারণত ৫০০০ কেলভিন বা তার চেয়েও কম। লোহিত দানবরা দেখতে হলুদাভ কমালা রঙের থেকে শুরু করে লাল পর্যন্ত হতে পারে, এদের বর্ণালি ধরন সাধারণত কে এবং এম। তবে এস শ্রেণীর তারা এবং সকল কার্বন তারাও লোহিত দানব। সবচেয়ে প্রাচুর্য্যময় লোহিত দানব হচ্ছে লোহিত দানব শাখার তারাগুলো যাদের কেন্দ্র হিলিয়াম দিয়ে গঠিত, কেন্দ্রে কোন কেন্দ্রীণ সংযোজন বিক্রিয়া হয় না কিন্তু কেন্দ্রভাগের চারদিকে অবস্থিত একটি খোলকে হাইড্রোজেন পুড়ে হিলিয়াম উৎপন্ন হতে থাকে। আরেক ধরনের লোহিত দানব হচ্ছে অসীমতটীয় দানব শাখার তারা, এদের কেন্দ্রে ত্রি-আলফা প্রক্রিয়ায় হিলিয়াম দহনের মাধ্যমে কার্বন উৎপন্ন হয়। সি-এন এবং সি-আর ধরনের কার্বন তারাগুলো এজিবি তারা শ্রেণীর সদস্য। রাতের আকাশে দৃশ্যমান সুপরিচিত লোহিত দানবদের মধ্যে রয়েছে রোহিণী, স্বাতী এবং গ্রামা ক্রুকিস। দেখতে আরও বৃহৎ জ্যেষ্ঠা এবং আর্দ্রা আসলে লোহিত মহাদানব।
আরেক ধরনের লোহিত দানব হচ্ছে অসীমতটীয় দানব শাখার তারা কিভাবে কার্বন উৎপন্ন করে?
{ "answer_start": [ 771, 771 ], "text": [ "কেন্দ্রে ত্রি-আলফা প্রক্রিয়ায় হিলিয়াম দহনের মাধ্যমে ", "কেন্দ্রে ত্রি-আলফা প্রক্রিয়ায় হিলিয়াম দহনের মাধ্যমে " ] }
bn_wiki_1180_01
উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর
আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর (আইএনএসটিসি) ভারত, ইরান, আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, রাশিয়া, সঙ্গে যুক্ত মধ্য এশিয়ার মধ্যবর্তী মালবাহী জাহাজের জন্য একটি ৭,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাহাজ, রেল এবং সড়ক রুটের মাল্টি-মোড নেটওয়ার্ক। এবং ইউরোপ রুট মূলত জাহাজ, রেল ও রাস্তা দিয়ে ভারত, ইরান, আজারবাইজান এবং রাশিয়া থেকে মালবাহী জাহাজ পরিচালনা করে। এই করিডোরের উদ্দেশ্য হল মুম্বাই, মস্কো, তেহরান, বাকু, বন্দর আব্বাস, আস্ট্রকান, বন্দর আনজালী প্রভৃতি প্রধান শহরগুলির মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ বৃদ্ধি করা। ২০১৪ সালে দুটি রুটের শুকনো চালান পরিচালিত হয়, প্রথমটি ছিল বন্দর আব্বাসের মাধ্যমে বকুকে মুম্বাই এবং দ্বিতীয়টি মুম্বাই থেকে আফতাখন্ডে বন্দর আব্বাস, তেহরান এবং বন্দর অঞ্জনীর মাধ্যমে। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল মূল বাধাগুলি চিহ্নিত করা এবং তা চিহ্নিত করা। ফলাফল দেখে বোঝা যায় যে পরিবহন খরচ "১৫ টন কার্গো ২,৫০০ প্রতি হ'ল"। বিবেচনা অন্যান্য রুট কাজাখস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এটি আন্তর্জাতিক পরিবহন এবং ট্রানজিট করিডোর নির্মাণের জন্য ভারত, পাকিস্তান, ওমান, ইরান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও কাজাখস্তান মধ্যপ্রাচ্য ও পারসিয়ান উপসাগরীয় অঞ্চলে পরিবহন পরিবহনের জন্য একটি মাল্টিমিডাল পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর কী?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_1180_05
উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর
আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর (আইএনএসটিসি) ভারত, ইরান, আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, রাশিয়া, সঙ্গে যুক্ত মধ্য এশিয়ার মধ্যবর্তী মালবাহী জাহাজের জন্য একটি ৭,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাহাজ, রেল এবং সড়ক রুটের মাল্টি-মোড নেটওয়ার্ক। এবং ইউরোপ রুট মূলত জাহাজ, রেল ও রাস্তা দিয়ে ভারত, ইরান, আজারবাইজান এবং রাশিয়া থেকে মালবাহী জাহাজ পরিচালনা করে। এই করিডোরের উদ্দেশ্য হল মুম্বাই, মস্কো, তেহরান, বাকু, বন্দর আব্বাস, আস্ট্রকান, বন্দর আনজালী প্রভৃতি প্রধান শহরগুলির মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ বৃদ্ধি করা। ২০১৪ সালে দুটি রুটের শুকনো চালান পরিচালিত হয়, প্রথমটি ছিল বন্দর আব্বাসের মাধ্যমে বকুকে মুম্বাই এবং দ্বিতীয়টি মুম্বাই থেকে আফতাখন্ডে বন্দর আব্বাস, তেহরান এবং বন্দর অঞ্জনীর মাধ্যমে। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল মূল বাধাগুলি চিহ্নিত করা এবং তা চিহ্নিত করা। ফলাফল দেখে বোঝা যায় যে পরিবহন খরচ "১৫ টন কার্গো ২,৫০০ প্রতি হ'ল"। বিবেচনা অন্যান্য রুট কাজাখস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এটি আন্তর্জাতিক পরিবহন এবং ট্রানজিট করিডোর নির্মাণের জন্য ভারত, পাকিস্তান, ওমান, ইরান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও কাজাখস্তান মধ্যপ্রাচ্য ও পারসিয়ান উপসাগরীয় অঞ্চলে পরিবহন পরিবহনের জন্য একটি মাল্টিমিডাল পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর এর ড্রাই রান কত সালে হয়েছিল?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_1418_02
পরিবারের ইতিহাস
পরিবারের ইতিহাস নৃবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত, ১৯৭০ এর দশকে ইতিহাসের একটি পৃথক শাখা হিসাবে এটি আত্মপ্রকাশ করে। প্রবণতাটি বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় সুস্পষ্ট হয়েছিল। এটি জনমিতিক নমুনা এবং জননীতিতে জোর দেয়। এটি বংশপরিচয় বিদ্যা থেকে একেবারে পৃথক, যদিও এটি প্রায়শই একই প্রাথমিক উৎস যেমন আদমশুমারি ও পারিবারিক নথি থেকে তথ্য গ্রহণ করে। ১৯৭৮ সালের একটি প্রভাবশালী অগ্রণী গবেষণা অনুযায়ী বলা হয়: নারী, কর্ম এবং পরিবার। লুইস এ. টিলি এবং জোয়ান ডব্লিউ. স্কট নামে লেখকরা তাদের বিস্তৃত বিশ্লেষণাত্মক কাঠামো এবং ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডে পরিবার ও অর্থনীতিতে নারীর স্থান গঠনের পরিবর্তনশীল কারণগুলির উপর জোর দিয়ে নতুন ভিত্তি ভেঙ্গে দেন। এটি মহিলাদের শ্রমের মজুরি বিশ্লেষণে উৎপাদন এবং প্রজননের মিথস্ক্রিয়া বিবেচনা করেছে এবং এইভাবে শ্রম ও পারিবারিক ইতিহাসকে একত্রিত করতে সহায়তা করেছে। বেসরকারি ক্ষেত্র এবং সর্বসাধারণের মধ্যে মহিলাদের জীবনে বৈপরীত্য নিয়ে অনেক কাজ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী অবলোকনকৃত ৭০০০ বছর ধরে ব্যাপৃত দেখুন মায়নেস এবং ওয়াল্টনার (২০১২)।
কত এর দশকে পরিবারের ইতিহাস একটি পৃথক শাখা হিসাবে এটি আত্মপ্রকাশ করে?
{ "answer_start": [ 74, 74 ], "text": [ "১৯৭০", "১৯৭০" ] }
bn_wiki_1418_04
পরিবারের ইতিহাস
পরিবারের ইতিহাস নৃবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত, ১৯৭০ এর দশকে ইতিহাসের একটি পৃথক শাখা হিসাবে এটি আত্মপ্রকাশ করে। প্রবণতাটি বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় সুস্পষ্ট হয়েছিল। এটি জনমিতিক নমুনা এবং জননীতিতে জোর দেয়। এটি বংশপরিচয় বিদ্যা থেকে একেবারে পৃথক, যদিও এটি প্রায়শই একই প্রাথমিক উৎস যেমন আদমশুমারি ও পারিবারিক নথি থেকে তথ্য গ্রহণ করে। ১৯৭৮ সালের একটি প্রভাবশালী অগ্রণী গবেষণা অনুযায়ী বলা হয়: নারী, কর্ম এবং পরিবার। লুইস এ. টিলি এবং জোয়ান ডব্লিউ. স্কট নামে লেখকরা তাদের বিস্তৃত বিশ্লেষণাত্মক কাঠামো এবং ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডে পরিবার ও অর্থনীতিতে নারীর স্থান গঠনের পরিবর্তনশীল কারণগুলির উপর জোর দিয়ে নতুন ভিত্তি ভেঙ্গে দেন। এটি মহিলাদের শ্রমের মজুরি বিশ্লেষণে উৎপাদন এবং প্রজননের মিথস্ক্রিয়া বিবেচনা করেছে এবং এইভাবে শ্রম ও পারিবারিক ইতিহাসকে একত্রিত করতে সহায়তা করেছে। বেসরকারি ক্ষেত্র এবং সর্বসাধারণের মধ্যে মহিলাদের জীবনে বৈপরীত্য নিয়ে অনেক কাজ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী অবলোকনকৃত ৭০০০ বছর ধরে ব্যাপৃত দেখুন মায়নেস এবং ওয়াল্টনার (২০১২)।
কত সালের একটি প্রভাবশালী অগ্রণী গবেষণা অনুযায়ী বলা হয়: নারী, কর্ম এবং পরিবার?
{ "answer_start": [ 375, 375 ], "text": [ "১৯৭৮", "১৯৭৮" ] }
bn_wiki_2538_01
ভারতে নারীবাদ
ভারতীয় নারীদের গড় জীবনের অধিকাংশই সাংসারিকভাবে অতিবাহিত হয়; অনেক নারী এখনও ১৮ বছর বয়সের আগে বিবাহিত, এবং ভারতে অবিবাহের ঘটনা কম। সন্তান ধারণ এবং শিশুদের লালন পালন ভারতীয় নারীদের জন্য প্রাথমিক প্রাপ্তবয়স্কতার মানদণ্ড। সুতরাং, যদি তারা আদৌ শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করে তবে এটি ভারতীয় পুরুষদের চেয়ে অনেক পরে। শহুরে ভারতীয় পুরুষরা ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সের মধ্যে তাদের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের শীর্ষে পৌঁছেছেন, অন্যদিকে শহুরে ভারতীয় নারীরা ৪০ থেকে ৪৪ বছর বয়সের মধ্যে এটি করেন। এই কারণে নারীরা দক্ষতা অর্জনের জন্য কম সময় এবং চাকরির উন্নতির জন্য কম সুযোগ পেয়ে থাকেন। ভারতীয় শ্রমশক্তিতে মধ্যে নারীদের একটি দুর্বল প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঝরে পড়ার হার দশ শতাংশ বেশি, সেইসাথে পুরুষদের তুলনায় তাদের সাক্ষরতার মাত্রা কম। যেহেতু ভারতে বেকারত্বও বেশি, তাই নিয়োগকারীদের পক্ষে আইনটি হেরফের করা সহজ, বিশেষ করে যখন এটি নারীদের ক্ষেত্রে আসে। কারণ পুরুষদের সাথে নারীদের তর্ক না করা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। উপরন্তু, শ্রমিক ইউনিয়নগুলি নারীদের চাহিদার প্রতি অসংবেদনশীল। ভারতের গুলাবি গ্যাং গোলাপী শাড়ি পরে ও শারীরিক আক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য লাঠি (বাঁশের লাঠি) বহন করে এবং অপমানকারী স্বামীদের শাস্তি দেয়, প্রকাশ্যে লজ্জা দেয় এবং কখনও কখনও তাদের মারধর করে। তারা যৌতুকজনিত মারধর, যৌতুকজনিত মৃত্যু, ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, পরিত্যাগ, মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা, শিশু উত্ত্যক্তকরণ এবং যৌন হয়রানি সম্পর্কেও কাজ করে। তারা এই বিষয়গুলি এবং দুর্নীতির মতো সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য বিষয়গুলি তদন্তের দাবিতে পুলিশ স্টেশনগুলিতে আক্রমণ করেছে। ভারতের পুলিশরা কুখ্যাতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং কখনও কখনও কেবলমাত্র একটি পূর্ণ মাত্রার নারী দাঙ্গার হুমকিই তাদেরকে কাজ করতে বাধ্য করে। তাদের মধ্যে কতজন আছে তা কেউ জানে না। অনুমান করা হয় যে তাদের সংখ্যা ২৭০,০০০ থেকে ৪০০,০০০ অবধি হতে পারে। ২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট "একজন পুরুষের পক্ষে কোন বিবাহিত নারীর স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকরা অপরাধ" আইন বাতিল করে দিয়েছে।
কুইদিসা বেগম কোথায় শাসন করতেন?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_2538_02
ভারতে নারীবাদ
ভারতীয় নারীদের গড় জীবনের অধিকাংশই সাংসারিকভাবে অতিবাহিত হয়; অনেক নারী এখনও ১৮ বছর বয়সের আগে বিবাহিত, এবং ভারতে অবিবাহের ঘটনা কম। সন্তান ধারণ এবং শিশুদের লালন পালন ভারতীয় নারীদের জন্য প্রাথমিক প্রাপ্তবয়স্কতার মানদণ্ড। সুতরাং, যদি তারা আদৌ শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করে তবে এটি ভারতীয় পুরুষদের চেয়ে অনেক পরে। শহুরে ভারতীয় পুরুষরা ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সের মধ্যে তাদের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের শীর্ষে পৌঁছেছেন, অন্যদিকে শহুরে ভারতীয় নারীরা ৪০ থেকে ৪৪ বছর বয়সের মধ্যে এটি করেন। এই কারণে নারীরা দক্ষতা অর্জনের জন্য কম সময় এবং চাকরির উন্নতির জন্য কম সুযোগ পেয়ে থাকেন। ভারতীয় শ্রমশক্তিতে মধ্যে নারীদের একটি দুর্বল প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঝরে পড়ার হার দশ শতাংশ বেশি, সেইসাথে পুরুষদের তুলনায় তাদের সাক্ষরতার মাত্রা কম। যেহেতু ভারতে বেকারত্বও বেশি, তাই নিয়োগকারীদের পক্ষে আইনটি হেরফের করা সহজ, বিশেষ করে যখন এটি নারীদের ক্ষেত্রে আসে। কারণ পুরুষদের সাথে নারীদের তর্ক না করা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। উপরন্তু, শ্রমিক ইউনিয়নগুলি নারীদের চাহিদার প্রতি অসংবেদনশীল। ভারতের গুলাবি গ্যাং গোলাপী শাড়ি পরে ও শারীরিক আক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য লাঠি (বাঁশের লাঠি) বহন করে এবং অপমানকারী স্বামীদের শাস্তি দেয়, প্রকাশ্যে লজ্জা দেয় এবং কখনও কখনও তাদের মারধর করে। তারা যৌতুকজনিত মারধর, যৌতুকজনিত মৃত্যু, ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, পরিত্যাগ, মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা, শিশু উত্ত্যক্তকরণ এবং যৌন হয়রানি সম্পর্কেও কাজ করে। তারা এই বিষয়গুলি এবং দুর্নীতির মতো সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য বিষয়গুলি তদন্তের দাবিতে পুলিশ স্টেশনগুলিতে আক্রমণ করেছে। ভারতের পুলিশরা কুখ্যাতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং কখনও কখনও কেবলমাত্র একটি পূর্ণ মাত্রার নারী দাঙ্গার হুমকিই তাদেরকে কাজ করতে বাধ্য করে। তাদের মধ্যে কতজন আছে তা কেউ জানে না। অনুমান করা হয় যে তাদের সংখ্যা ২৭০,০০০ থেকে ৪০০,০০০ অবধি হতে পারে। ২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট "একজন পুরুষের পক্ষে কোন বিবাহিত নারীর স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকরা অপরাধ" আইন বাতিল করে দিয়েছে।
কামিনী রায় কতো সালে স্নাতক হন?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_2538_03
ভারতে নারীবাদ
ভারতীয় নারীদের গড় জীবনের অধিকাংশই সাংসারিকভাবে অতিবাহিত হয়; অনেক নারী এখনও ১৮ বছর বয়সের আগে বিবাহিত, এবং ভারতে অবিবাহের ঘটনা কম। সন্তান ধারণ এবং শিশুদের লালন পালন ভারতীয় নারীদের জন্য প্রাথমিক প্রাপ্তবয়স্কতার মানদণ্ড। সুতরাং, যদি তারা আদৌ শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করে তবে এটি ভারতীয় পুরুষদের চেয়ে অনেক পরে। শহুরে ভারতীয় পুরুষরা ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সের মধ্যে তাদের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের শীর্ষে পৌঁছেছেন, অন্যদিকে শহুরে ভারতীয় নারীরা ৪০ থেকে ৪৪ বছর বয়সের মধ্যে এটি করেন। এই কারণে নারীরা দক্ষতা অর্জনের জন্য কম সময় এবং চাকরির উন্নতির জন্য কম সুযোগ পেয়ে থাকেন। ভারতীয় শ্রমশক্তিতে মধ্যে নারীদের একটি দুর্বল প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঝরে পড়ার হার দশ শতাংশ বেশি, সেইসাথে পুরুষদের তুলনায় তাদের সাক্ষরতার মাত্রা কম। যেহেতু ভারতে বেকারত্বও বেশি, তাই নিয়োগকারীদের পক্ষে আইনটি হেরফের করা সহজ, বিশেষ করে যখন এটি নারীদের ক্ষেত্রে আসে। কারণ পুরুষদের সাথে নারীদের তর্ক না করা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। উপরন্তু, শ্রমিক ইউনিয়নগুলি নারীদের চাহিদার প্রতি অসংবেদনশীল। ভারতের গুলাবি গ্যাং গোলাপী শাড়ি পরে ও শারীরিক আক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য লাঠি (বাঁশের লাঠি) বহন করে এবং অপমানকারী স্বামীদের শাস্তি দেয়, প্রকাশ্যে লজ্জা দেয় এবং কখনও কখনও তাদের মারধর করে। তারা যৌতুকজনিত মারধর, যৌতুকজনিত মৃত্যু, ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, পরিত্যাগ, মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা, শিশু উত্ত্যক্তকরণ এবং যৌন হয়রানি সম্পর্কেও কাজ করে। তারা এই বিষয়গুলি এবং দুর্নীতির মতো সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য বিষয়গুলি তদন্তের দাবিতে পুলিশ স্টেশনগুলিতে আক্রমণ করেছে। ভারতের পুলিশরা কুখ্যাতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং কখনও কখনও কেবলমাত্র একটি পূর্ণ মাত্রার নারী দাঙ্গার হুমকিই তাদেরকে কাজ করতে বাধ্য করে। তাদের মধ্যে কতজন আছে তা কেউ জানে না। অনুমান করা হয় যে তাদের সংখ্যা ২৭০,০০০ থেকে ৪০০,০০০ অবধি হতে পারে। ২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট "একজন পুরুষের পক্ষে কোন বিবাহিত নারীর স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকরা অপরাধ" আইন বাতিল করে দিয়েছে।
ভারতীয় নারীদের জন্য প্রাথমিক প্রাপ্তবয়স্কতার মানদণ্ড কী?
{ "answer_start": [ 133, 133 ], "text": [ "সন্তান ধারণ এবং শিশুদের লালন পালন", "সন্তান ধারণ এবং শিশুদের লালন পালন" ] }
bn_wiki_2538_04
ভারতে নারীবাদ
ভারতীয় নারীদের গড় জীবনের অধিকাংশই সাংসারিকভাবে অতিবাহিত হয়; অনেক নারী এখনও ১৮ বছর বয়সের আগে বিবাহিত, এবং ভারতে অবিবাহের ঘটনা কম। সন্তান ধারণ এবং শিশুদের লালন পালন ভারতীয় নারীদের জন্য প্রাথমিক প্রাপ্তবয়স্কতার মানদণ্ড। সুতরাং, যদি তারা আদৌ শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করে তবে এটি ভারতীয় পুরুষদের চেয়ে অনেক পরে। শহুরে ভারতীয় পুরুষরা ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সের মধ্যে তাদের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের শীর্ষে পৌঁছেছেন, অন্যদিকে শহুরে ভারতীয় নারীরা ৪০ থেকে ৪৪ বছর বয়সের মধ্যে এটি করেন। এই কারণে নারীরা দক্ষতা অর্জনের জন্য কম সময় এবং চাকরির উন্নতির জন্য কম সুযোগ পেয়ে থাকেন। ভারতীয় শ্রমশক্তিতে মধ্যে নারীদের একটি দুর্বল প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঝরে পড়ার হার দশ শতাংশ বেশি, সেইসাথে পুরুষদের তুলনায় তাদের সাক্ষরতার মাত্রা কম। যেহেতু ভারতে বেকারত্বও বেশি, তাই নিয়োগকারীদের পক্ষে আইনটি হেরফের করা সহজ, বিশেষ করে যখন এটি নারীদের ক্ষেত্রে আসে। কারণ পুরুষদের সাথে নারীদের তর্ক না করা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। উপরন্তু, শ্রমিক ইউনিয়নগুলি নারীদের চাহিদার প্রতি অসংবেদনশীল। ভারতের গুলাবি গ্যাং গোলাপী শাড়ি পরে ও শারীরিক আক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য লাঠি (বাঁশের লাঠি) বহন করে এবং অপমানকারী স্বামীদের শাস্তি দেয়, প্রকাশ্যে লজ্জা দেয় এবং কখনও কখনও তাদের মারধর করে। তারা যৌতুকজনিত মারধর, যৌতুকজনিত মৃত্যু, ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, পরিত্যাগ, মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা, শিশু উত্ত্যক্তকরণ এবং যৌন হয়রানি সম্পর্কেও কাজ করে। তারা এই বিষয়গুলি এবং দুর্নীতির মতো সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য বিষয়গুলি তদন্তের দাবিতে পুলিশ স্টেশনগুলিতে আক্রমণ করেছে। ভারতের পুলিশরা কুখ্যাতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং কখনও কখনও কেবলমাত্র একটি পূর্ণ মাত্রার নারী দাঙ্গার হুমকিই তাদেরকে কাজ করতে বাধ্য করে। তাদের মধ্যে কতজন আছে তা কেউ জানে না। অনুমান করা হয় যে তাদের সংখ্যা ২৭০,০০০ থেকে ৪০০,০০০ অবধি হতে পারে। ২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট "একজন পুরুষের পক্ষে কোন বিবাহিত নারীর স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকরা অপরাধ" আইন বাতিল করে দিয়েছে।
মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঝরে পড়ার হার কতো শতাংশ বেশি?
{ "answer_start": [ 699, 699 ], "text": [ "দশ", "দশ" ] }
bn_wiki_2538_05
ভারতে নারীবাদ
ভারতীয় নারীদের গড় জীবনের অধিকাংশই সাংসারিকভাবে অতিবাহিত হয়; অনেক নারী এখনও ১৮ বছর বয়সের আগে বিবাহিত, এবং ভারতে অবিবাহের ঘটনা কম। সন্তান ধারণ এবং শিশুদের লালন পালন ভারতীয় নারীদের জন্য প্রাথমিক প্রাপ্তবয়স্কতার মানদণ্ড। সুতরাং, যদি তারা আদৌ শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করে তবে এটি ভারতীয় পুরুষদের চেয়ে অনেক পরে। শহুরে ভারতীয় পুরুষরা ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সের মধ্যে তাদের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের শীর্ষে পৌঁছেছেন, অন্যদিকে শহুরে ভারতীয় নারীরা ৪০ থেকে ৪৪ বছর বয়সের মধ্যে এটি করেন। এই কারণে নারীরা দক্ষতা অর্জনের জন্য কম সময় এবং চাকরির উন্নতির জন্য কম সুযোগ পেয়ে থাকেন। ভারতীয় শ্রমশক্তিতে মধ্যে নারীদের একটি দুর্বল প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঝরে পড়ার হার দশ শতাংশ বেশি, সেইসাথে পুরুষদের তুলনায় তাদের সাক্ষরতার মাত্রা কম। যেহেতু ভারতে বেকারত্বও বেশি, তাই নিয়োগকারীদের পক্ষে আইনটি হেরফের করা সহজ, বিশেষ করে যখন এটি নারীদের ক্ষেত্রে আসে। কারণ পুরুষদের সাথে নারীদের তর্ক না করা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। উপরন্তু, শ্রমিক ইউনিয়নগুলি নারীদের চাহিদার প্রতি অসংবেদনশীল। ভারতের গুলাবি গ্যাং গোলাপী শাড়ি পরে ও শারীরিক আক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য লাঠি (বাঁশের লাঠি) বহন করে এবং অপমানকারী স্বামীদের শাস্তি দেয়, প্রকাশ্যে লজ্জা দেয় এবং কখনও কখনও তাদের মারধর করে। তারা যৌতুকজনিত মারধর, যৌতুকজনিত মৃত্যু, ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, পরিত্যাগ, মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা, শিশু উত্ত্যক্তকরণ এবং যৌন হয়রানি সম্পর্কেও কাজ করে। তারা এই বিষয়গুলি এবং দুর্নীতির মতো সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য বিষয়গুলি তদন্তের দাবিতে পুলিশ স্টেশনগুলিতে আক্রমণ করেছে। ভারতের পুলিশরা কুখ্যাতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং কখনও কখনও কেবলমাত্র একটি পূর্ণ মাত্রার নারী দাঙ্গার হুমকিই তাদেরকে কাজ করতে বাধ্য করে। তাদের মধ্যে কতজন আছে তা কেউ জানে না। অনুমান করা হয় যে তাদের সংখ্যা ২৭০,০০০ থেকে ৪০০,০০০ অবধি হতে পারে। ২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট "একজন পুরুষের পক্ষে কোন বিবাহিত নারীর স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকরা অপরাধ" আইন বাতিল করে দিয়েছে।
গুলাবি গ্যাংয়ের শাড়ির রঙ কী?
{ "answer_start": [ 1026, 1026 ], "text": [ "গোলাপী", "গোলাপী" ] }
bn_wiki_1904_02
পৃথিবী
সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল। সাড়ে ৪০০ কোটি বছর আগে দুটি গ্রহের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছিল। সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, এ সময় জুড়ে যায় গ্রহ দুটি। পৃথিবী নামক গ্রহের সঙ্গে চরম সংঘর্ষ হয়েছিল থিয়া নামে একটি গ্রহের। সংঘর্ষের সময় পৃথিবীর বয়স ছিল ১০ কোটি বছর। সংঘর্ষের জেরে থিয়া ও পৃথিবীর জুড়ে যায়, তৈরি হয় নতুন গ্রহ। সেই গ্রহটিতেই আমরা বাস করছি। তিনবার চন্দ্র অভিযানে পাওয়া চাঁদের মাটি এবং হাওয়াই অ্যারিজোনায় পাওয়া আগ্নেয়শিলা মিলিয়ে চমকে যান গবেষকরা। দুটি পাথরের অক্সিজেন আইসোটোপে কোনও ফারাক নেই। গবেষকদলের প্রধান অধ্যাপক এডওয়ার্ড ইয়ংয়ের কথায়, চাঁদের মাটি আর পৃথিবীর মাটির অক্সিজেন আইসোটোপে কোনও পার্থক্য পাইনি। থিয়া নামক গ্রহটি তখন পরিণত হচ্ছিল। ঠিক সেই সময়েই ধাক্কাটি লাগে এবং পৃথিবীর সৃষ্টি হয়।
আজ থেকে কত বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায় ?
{ "answer_start": [ 83, 83 ], "text": [ "৪.৫৪ ", "৪.৫৪ " ] }
bn_wiki_1904_04
পৃথিবী
সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল। সাড়ে ৪০০ কোটি বছর আগে দুটি গ্রহের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছিল। সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, এ সময় জুড়ে যায় গ্রহ দুটি। পৃথিবী নামক গ্রহের সঙ্গে চরম সংঘর্ষ হয়েছিল থিয়া নামে একটি গ্রহের। সংঘর্ষের সময় পৃথিবীর বয়স ছিল ১০ কোটি বছর। সংঘর্ষের জেরে থিয়া ও পৃথিবীর জুড়ে যায়, তৈরি হয় নতুন গ্রহ। সেই গ্রহটিতেই আমরা বাস করছি। তিনবার চন্দ্র অভিযানে পাওয়া চাঁদের মাটি এবং হাওয়াই অ্যারিজোনায় পাওয়া আগ্নেয়শিলা মিলিয়ে চমকে যান গবেষকরা। দুটি পাথরের অক্সিজেন আইসোটোপে কোনও ফারাক নেই। গবেষকদলের প্রধান অধ্যাপক এডওয়ার্ড ইয়ংয়ের কথায়, চাঁদের মাটি আর পৃথিবীর মাটির অক্সিজেন আইসোটোপে কোনও পার্থক্য পাইনি। থিয়া নামক গ্রহটি তখন পরিণত হচ্ছিল। ঠিক সেই সময়েই ধাক্কাটি লাগে এবং পৃথিবীর সৃষ্টি হয়।
পৃথিবী নামক গ্রহের সঙ্গে চরম সংঘর্ষ হয়েছিল কোন গ্রহের ?
{ "answer_start": [ 347, 347 ], "text": [ "থিয়া ", "থিয়া " ] }
bn_wiki_1699_01
ড্যান্সিং ম্যান
"ড্যান্সিং ম্যানের পরিচিতি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ফ্রাঙ্ক ম্যাকঅ্যালারি নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যরিস্টার দাবী করেন ১৯৪৫ সালের ১৫ই আগস্ট সিডনির এলিজাবেথ সড়কের ব্যক্তিটি তিনি নিজে। রাণীর পরামর্শক চেস্টার পোর্টার ও সাবেক ক্ষতিপূরণ আদালতের বিচারক ব্যারি এগান উভয়ই ব্যক্তিটিকে ম্যাকঅ্যালারি বলে নিশ্চিত করেন। অস্ট্রেলীয় সেভেন টেলিভেশন নেটওয়ার্ক হয়ার আর দে নাউ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেছিল। টেলিভিশন নেটওয়ার্ক একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ভাড়া করেছিল যিনি ছবিটি বিশ্লেষণ করে বলেন ছবির ব্যক্তিটি ম্যাকঅ্যালারি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অস্ট্রেলীয় রয়াল মিন্ট ২০০৫ সালের একটি এক ডলারের মুদ্রায় বিষয়টিকে স্বরণীয় করে রাখতে আর্ন হিল নামে একজনকে চিত্রাইত করেন। মি. হিল বরেন, ক্যামেরা যখন আমার দিকে ঘরল তখন, আমি একটু লাফ দিয়েছিলাম। মুদ্রাটির নকশা করেন ওজেসি পেইত্রানিক, মুদ্রাটিতে কোন নাম লেখা হয় নি। ফিল্ম ওয়ার্ল্ড পিটি লি. এর রেবেকা কেনান বলেন নৃত্যরত লোকটি সম্ভবত প্যাট্রিক ব্ল্যাকআল। ব্ল্যাকআল দাবী করেন, তিনিই হলেন মূল ড্যান্সিং ম্যান ও তিনি সংবিধিবদ্ধ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরও করেছেন।"
ফ্রাঙ্ক ম্যাকঅ্যালারি পেশায় কী ছিলেন?
{ "answer_start": [ 97, 97 ], "text": [ "ব্যরিস্টার", "ব্যরিস্টার" ] }
bn_wiki_1699_02
ড্যান্সিং ম্যান
"ড্যান্সিং ম্যানের পরিচিতি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ফ্রাঙ্ক ম্যাকঅ্যালারি নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যরিস্টার দাবী করেন ১৯৪৫ সালের ১৫ই আগস্ট সিডনির এলিজাবেথ সড়কের ব্যক্তিটি তিনি নিজে। রাণীর পরামর্শক চেস্টার পোর্টার ও সাবেক ক্ষতিপূরণ আদালতের বিচারক ব্যারি এগান উভয়ই ব্যক্তিটিকে ম্যাকঅ্যালারি বলে নিশ্চিত করেন। অস্ট্রেলীয় সেভেন টেলিভেশন নেটওয়ার্ক হয়ার আর দে নাউ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেছিল। টেলিভিশন নেটওয়ার্ক একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ভাড়া করেছিল যিনি ছবিটি বিশ্লেষণ করে বলেন ছবির ব্যক্তিটি ম্যাকঅ্যালারি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অস্ট্রেলীয় রয়াল মিন্ট ২০০৫ সালের একটি এক ডলারের মুদ্রায় বিষয়টিকে স্বরণীয় করে রাখতে আর্ন হিল নামে একজনকে চিত্রাইত করেন। মি. হিল বরেন, ক্যামেরা যখন আমার দিকে ঘরল তখন, আমি একটু লাফ দিয়েছিলাম। মুদ্রাটির নকশা করেন ওজেসি পেইত্রানিক, মুদ্রাটিতে কোন নাম লেখা হয় নি। ফিল্ম ওয়ার্ল্ড পিটি লি. এর রেবেকা কেনান বলেন নৃত্যরত লোকটি সম্ভবত প্যাট্রিক ব্ল্যাকআল। ব্ল্যাকআল দাবী করেন, তিনিই হলেন মূল ড্যান্সিং ম্যান ও তিনি সংবিধিবদ্ধ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরও করেছেন।"
কোন টেলিভেশন নেটওয়ার্ক হয়ার আর দে নাউ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেছিল?
{ "answer_start": [ 309, 309 ], "text": [ "অস্ট্রেলীয় সেভেন টেলিভেশন নেটওয়ার্ক", "অস্ট্রেলীয় সেভেন টেলিভেশন নেটওয়ার্ক" ] }
bn_wiki_1699_03
ড্যান্সিং ম্যান
"ড্যান্সিং ম্যানের পরিচিতি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ফ্রাঙ্ক ম্যাকঅ্যালারি নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যরিস্টার দাবী করেন ১৯৪৫ সালের ১৫ই আগস্ট সিডনির এলিজাবেথ সড়কের ব্যক্তিটি তিনি নিজে। রাণীর পরামর্শক চেস্টার পোর্টার ও সাবেক ক্ষতিপূরণ আদালতের বিচারক ব্যারি এগান উভয়ই ব্যক্তিটিকে ম্যাকঅ্যালারি বলে নিশ্চিত করেন। অস্ট্রেলীয় সেভেন টেলিভেশন নেটওয়ার্ক হয়ার আর দে নাউ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেছিল। টেলিভিশন নেটওয়ার্ক একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ভাড়া করেছিল যিনি ছবিটি বিশ্লেষণ করে বলেন ছবির ব্যক্তিটি ম্যাকঅ্যালারি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অস্ট্রেলীয় রয়াল মিন্ট ২০০৫ সালের একটি এক ডলারের মুদ্রায় বিষয়টিকে স্বরণীয় করে রাখতে আর্ন হিল নামে একজনকে চিত্রাইত করেন। মি. হিল বরেন, ক্যামেরা যখন আমার দিকে ঘরল তখন, আমি একটু লাফ দিয়েছিলাম। মুদ্রাটির নকশা করেন ওজেসি পেইত্রানিক, মুদ্রাটিতে কোন নাম লেখা হয় নি। ফিল্ম ওয়ার্ল্ড পিটি লি. এর রেবেকা কেনান বলেন নৃত্যরত লোকটি সম্ভবত প্যাট্রিক ব্ল্যাকআল। ব্ল্যাকআল দাবী করেন, তিনিই হলেন মূল ড্যান্সিং ম্যান ও তিনি সংবিধিবদ্ধ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরও করেছেন।"
অস্ট্রেলীয় রয়াল মিন্ট ২০০৫ সালের একটি এক ডলারের মুদ্রায় বিষয়টিকে স্বরণীয় করে রাখতে কাকে চিত্রাইত করেন?
{ "answer_start": [ 649, 649 ], "text": [ "আর্ন হিল", "আর্ন হিল" ] }
bn_wiki_1699_04
ড্যান্সিং ম্যান
"ড্যান্সিং ম্যানের পরিচিতি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ফ্রাঙ্ক ম্যাকঅ্যালারি নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যরিস্টার দাবী করেন ১৯৪৫ সালের ১৫ই আগস্ট সিডনির এলিজাবেথ সড়কের ব্যক্তিটি তিনি নিজে। রাণীর পরামর্শক চেস্টার পোর্টার ও সাবেক ক্ষতিপূরণ আদালতের বিচারক ব্যারি এগান উভয়ই ব্যক্তিটিকে ম্যাকঅ্যালারি বলে নিশ্চিত করেন। অস্ট্রেলীয় সেভেন টেলিভেশন নেটওয়ার্ক হয়ার আর দে নাউ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেছিল। টেলিভিশন নেটওয়ার্ক একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ভাড়া করেছিল যিনি ছবিটি বিশ্লেষণ করে বলেন ছবির ব্যক্তিটি ম্যাকঅ্যালারি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অস্ট্রেলীয় রয়াল মিন্ট ২০০৫ সালের একটি এক ডলারের মুদ্রায় বিষয়টিকে স্বরণীয় করে রাখতে আর্ন হিল নামে একজনকে চিত্রাইত করেন। মি. হিল বরেন, ক্যামেরা যখন আমার দিকে ঘরল তখন, আমি একটু লাফ দিয়েছিলাম। মুদ্রাটির নকশা করেন ওজেসি পেইত্রানিক, মুদ্রাটিতে কোন নাম লেখা হয় নি। ফিল্ম ওয়ার্ল্ড পিটি লি. এর রেবেকা কেনান বলেন নৃত্যরত লোকটি সম্ভবত প্যাট্রিক ব্ল্যাকআল। ব্ল্যাকআল দাবী করেন, তিনিই হলেন মূল ড্যান্সিং ম্যান ও তিনি সংবিধিবদ্ধ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরও করেছেন।"
ফিল্ম ওয়ার্ল্ড পিটি লি. এর রেবেকা কেনান এর মতে নৃত্যরত লোকটি কে?
{ "answer_start": [ 896, 896 ], "text": [ "প্যাট্রিক ব্ল্যাকআল", "প্যাট্রিক ব্ল্যাকআল" ] }
bn_wiki_2818_01
ইভানা লিঞ্চ
ইভানা পেট্ৰিচিয়া লিঞ্চ (জন্ম: ১৬ আগস্ট, ১৯৯১) একজন আয়ারল্যান্ডীয় অভিনেত্ৰী। লিঞ্চ মূলতঃ হ্যারি পটার (চলচ্চিত্র ধারাবাহিক) এর লুনা লাভগুড চরিত্রে অভিনয় করে বিখ্যাত। সে সময় তার বয়স ছিল ১৪ বছর। হ্যারি পটারের শেষ চারটি চলচ্চিত্র এবং তাদের টাই-ইন ভিডিও গেমগুলির পাশাপাশি তিনি মিউজিকাল এ ভেরি পটার সিনিয়র বছরেও অভিনয় করেছিলেন। লিঞ্চের এখন ফেসবুকের আনুষঙ্গিক সামগ্রীতে লগ ইন করার জন্য অডিওবুক ব্লগ রয়েছে।তিনি হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স বা দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত অলাভজনক প্রোগ্রামটির একজন সদস্য। আয়ারল্য়া‌ন্ড‌ের কাউন্টি লাউথ শহরের টাৰ্মনফেকিনে ইভানার জন্ম । তার পিতা মাতা হলেন ডনেল লিঞ্চ ও মাৰ্গারেট ।তার ছজনের পরিবার লিঞ্চের এমিলি ও মাইরেড নামে দুই বোন ও পেট্ৰিক নামে এক ভাই আছে। শৈশবেই লিঞ্চ হ্যারি পটার সিরিজটি পড়ে ফ্যান হয়ে যান লিঞ্চ লেখক জে কে রোলিংকে চিঠি পাঠিয়েছিলে। এগার বছর বয়সে প্ৰায় দুবছর ধরে লিঞ্চ এন'রেক্সিয়া রোগে ভুগেছিলেন। সেই সময় রোলিং পত্ৰযোগে লিঞ্চক উৎসাহ দিয়েছিলেন। এজন্য লিঞ্চ রোলিংককে তার একজন পরামৰ্শদাতা বলেছেন। তিনি ২০০৪ সালের জুন পর্যন্ত টার্মোনফেকিনের কার্টাউন ন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং তারপরে দ্রোগেদার আওয়ার লেডি কলেজে চলে যান যেখানে তার বাবা উপ-অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৮ সালে লিঞ্চ গ্লাসনভিনে প্রতিভাশালী কিশোর-কিশোরীদের জন্য গ্রীষ্মের একটি স্কুল সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ অফ আয়ারল্যান্ডে অনুমানমূলক কথাসাহিত্য এবং নাটক অধ্যয়ন করেছিলেন। হ্যারি পটারের সেটে থাকাকালীন, তাকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে লিঞ্চ তার ত্যাগের শংসাপত্র পুনরাবৃত্তি করতে ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনে যোগ দিয়েছিল। লিঞ্চ একটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক পরিবারে বড় হয়েছেন । ২০০৭ সালে তার অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ।যখন তিনি প্রায় ১৫,০০০ মেয়েদের একটি মুক্ত অডিশনে অংশ নিয়েছিলেন এবং "হ্যারি পটার" চলচ্চিত্রের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে লুনা লাভগুডের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি হ্যারি পটারের চারটি ছবিতে অভিনয় করেন।তিনি ২০১০ এবং ২০১১ সালে চূড়ান্ত দুটি ছবিতে একটি প্রধান চরিত্রে পরিণত হন।তিনি অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন এবং একাধিক স্ক্লেরোসিস সোসাইটি অফ আয়ারল্যান্ড এবং দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্সের মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দাতব্য কাজ করেন, যার মধ্যে তিনি বোর্ডের উপদেষ্টা সদস্য।
ইভানা লিঞ্চ কে?
{ "answer_start": [ 47, 47 ], "text": [ "একজন আয়ারল্যান্ডীয় অভিনেত্ৰী", "একজন আয়ারল্যান্ডীয় অভিনেত্ৰী" ] }
bn_wiki_2818_02
ইভানা লিঞ্চ
ইভানা পেট্ৰিচিয়া লিঞ্চ (জন্ম: ১৬ আগস্ট, ১৯৯১) একজন আয়ারল্যান্ডীয় অভিনেত্ৰী। লিঞ্চ মূলতঃ হ্যারি পটার (চলচ্চিত্র ধারাবাহিক) এর লুনা লাভগুড চরিত্রে অভিনয় করে বিখ্যাত। সে সময় তার বয়স ছিল ১৪ বছর। হ্যারি পটারের শেষ চারটি চলচ্চিত্র এবং তাদের টাই-ইন ভিডিও গেমগুলির পাশাপাশি তিনি মিউজিকাল এ ভেরি পটার সিনিয়র বছরেও অভিনয় করেছিলেন। লিঞ্চের এখন ফেসবুকের আনুষঙ্গিক সামগ্রীতে লগ ইন করার জন্য অডিওবুক ব্লগ রয়েছে।তিনি হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স বা দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত অলাভজনক প্রোগ্রামটির একজন সদস্য। আয়ারল্য়া‌ন্ড‌ের কাউন্টি লাউথ শহরের টাৰ্মনফেকিনে ইভানার জন্ম । তার পিতা মাতা হলেন ডনেল লিঞ্চ ও মাৰ্গারেট ।তার ছজনের পরিবার লিঞ্চের এমিলি ও মাইরেড নামে দুই বোন ও পেট্ৰিক নামে এক ভাই আছে। শৈশবেই লিঞ্চ হ্যারি পটার সিরিজটি পড়ে ফ্যান হয়ে যান লিঞ্চ লেখক জে কে রোলিংকে চিঠি পাঠিয়েছিলে। এগার বছর বয়সে প্ৰায় দুবছর ধরে লিঞ্চ এন'রেক্সিয়া রোগে ভুগেছিলেন। সেই সময় রোলিং পত্ৰযোগে লিঞ্চক উৎসাহ দিয়েছিলেন। এজন্য লিঞ্চ রোলিংককে তার একজন পরামৰ্শদাতা বলেছেন। তিনি ২০০৪ সালের জুন পর্যন্ত টার্মোনফেকিনের কার্টাউন ন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং তারপরে দ্রোগেদার আওয়ার লেডি কলেজে চলে যান যেখানে তার বাবা উপ-অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৮ সালে লিঞ্চ গ্লাসনভিনে প্রতিভাশালী কিশোর-কিশোরীদের জন্য গ্রীষ্মের একটি স্কুল সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ অফ আয়ারল্যান্ডে অনুমানমূলক কথাসাহিত্য এবং নাটক অধ্যয়ন করেছিলেন। হ্যারি পটারের সেটে থাকাকালীন, তাকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে লিঞ্চ তার ত্যাগের শংসাপত্র পুনরাবৃত্তি করতে ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনে যোগ দিয়েছিল। লিঞ্চ একটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক পরিবারে বড় হয়েছেন । ২০০৭ সালে তার অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ।যখন তিনি প্রায় ১৫,০০০ মেয়েদের একটি মুক্ত অডিশনে অংশ নিয়েছিলেন এবং "হ্যারি পটার" চলচ্চিত্রের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে লুনা লাভগুডের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি হ্যারি পটারের চারটি ছবিতে অভিনয় করেন।তিনি ২০১০ এবং ২০১১ সালে চূড়ান্ত দুটি ছবিতে একটি প্রধান চরিত্রে পরিণত হন।তিনি অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন এবং একাধিক স্ক্লেরোসিস সোসাইটি অফ আয়ারল্যান্ড এবং দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্সের মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দাতব্য কাজ করেন, যার মধ্যে তিনি বোর্ডের উপদেষ্টা সদস্য।
ইভানা লিঞ্চ কেন বিখ্যাত?
{ "answer_start": [ 91, 91 ], "text": [ "হ্যারি পটার (চলচ্চিত্র ধারাবাহিক) এর লুনা লাভগুড চরিত্রে অভিনয় করে", "হ্যারি পটার (চলচ্চিত্র ধারাবাহিক) এর লুনা লাভগুড চরিত্রে অভিনয় করে" ] }
bn_wiki_2818_03
ইভানা লিঞ্চ
ইভানা পেট্ৰিচিয়া লিঞ্চ (জন্ম: ১৬ আগস্ট, ১৯৯১) একজন আয়ারল্যান্ডীয় অভিনেত্ৰী। লিঞ্চ মূলতঃ হ্যারি পটার (চলচ্চিত্র ধারাবাহিক) এর লুনা লাভগুড চরিত্রে অভিনয় করে বিখ্যাত। সে সময় তার বয়স ছিল ১৪ বছর। হ্যারি পটারের শেষ চারটি চলচ্চিত্র এবং তাদের টাই-ইন ভিডিও গেমগুলির পাশাপাশি তিনি মিউজিকাল এ ভেরি পটার সিনিয়র বছরেও অভিনয় করেছিলেন। লিঞ্চের এখন ফেসবুকের আনুষঙ্গিক সামগ্রীতে লগ ইন করার জন্য অডিওবুক ব্লগ রয়েছে।তিনি হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স বা দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত অলাভজনক প্রোগ্রামটির একজন সদস্য। আয়ারল্য়া‌ন্ড‌ের কাউন্টি লাউথ শহরের টাৰ্মনফেকিনে ইভানার জন্ম । তার পিতা মাতা হলেন ডনেল লিঞ্চ ও মাৰ্গারেট ।তার ছজনের পরিবার লিঞ্চের এমিলি ও মাইরেড নামে দুই বোন ও পেট্ৰিক নামে এক ভাই আছে। শৈশবেই লিঞ্চ হ্যারি পটার সিরিজটি পড়ে ফ্যান হয়ে যান লিঞ্চ লেখক জে কে রোলিংকে চিঠি পাঠিয়েছিলে। এগার বছর বয়সে প্ৰায় দুবছর ধরে লিঞ্চ এন'রেক্সিয়া রোগে ভুগেছিলেন। সেই সময় রোলিং পত্ৰযোগে লিঞ্চক উৎসাহ দিয়েছিলেন। এজন্য লিঞ্চ রোলিংককে তার একজন পরামৰ্শদাতা বলেছেন। তিনি ২০০৪ সালের জুন পর্যন্ত টার্মোনফেকিনের কার্টাউন ন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং তারপরে দ্রোগেদার আওয়ার লেডি কলেজে চলে যান যেখানে তার বাবা উপ-অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৮ সালে লিঞ্চ গ্লাসনভিনে প্রতিভাশালী কিশোর-কিশোরীদের জন্য গ্রীষ্মের একটি স্কুল সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ অফ আয়ারল্যান্ডে অনুমানমূলক কথাসাহিত্য এবং নাটক অধ্যয়ন করেছিলেন। হ্যারি পটারের সেটে থাকাকালীন, তাকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে লিঞ্চ তার ত্যাগের শংসাপত্র পুনরাবৃত্তি করতে ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনে যোগ দিয়েছিল। লিঞ্চ একটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক পরিবারে বড় হয়েছেন । ২০০৭ সালে তার অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ।যখন তিনি প্রায় ১৫,০০০ মেয়েদের একটি মুক্ত অডিশনে অংশ নিয়েছিলেন এবং "হ্যারি পটার" চলচ্চিত্রের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে লুনা লাভগুডের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি হ্যারি পটারের চারটি ছবিতে অভিনয় করেন।তিনি ২০১০ এবং ২০১১ সালে চূড়ান্ত দুটি ছবিতে একটি প্রধান চরিত্রে পরিণত হন।তিনি অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন এবং একাধিক স্ক্লেরোসিস সোসাইটি অফ আয়ারল্যান্ড এবং দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্সের মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দাতব্য কাজ করেন, যার মধ্যে তিনি বোর্ডের উপদেষ্টা সদস্য।
ইভানা লিঞ্চ এর জন্ম কোন শহরে?
{ "answer_start": [ 541, 541 ], "text": [ "লাউথ শহরে", "লাউথ শহরে" ] }
bn_wiki_2818_04
ইভানা লিঞ্চ
ইভানা পেট্ৰিচিয়া লিঞ্চ (জন্ম: ১৬ আগস্ট, ১৯৯১) একজন আয়ারল্যান্ডীয় অভিনেত্ৰী। লিঞ্চ মূলতঃ হ্যারি পটার (চলচ্চিত্র ধারাবাহিক) এর লুনা লাভগুড চরিত্রে অভিনয় করে বিখ্যাত। সে সময় তার বয়স ছিল ১৪ বছর। হ্যারি পটারের শেষ চারটি চলচ্চিত্র এবং তাদের টাই-ইন ভিডিও গেমগুলির পাশাপাশি তিনি মিউজিকাল এ ভেরি পটার সিনিয়র বছরেও অভিনয় করেছিলেন। লিঞ্চের এখন ফেসবুকের আনুষঙ্গিক সামগ্রীতে লগ ইন করার জন্য অডিওবুক ব্লগ রয়েছে।তিনি হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স বা দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত অলাভজনক প্রোগ্রামটির একজন সদস্য। আয়ারল্য়া‌ন্ড‌ের কাউন্টি লাউথ শহরের টাৰ্মনফেকিনে ইভানার জন্ম । তার পিতা মাতা হলেন ডনেল লিঞ্চ ও মাৰ্গারেট ।তার ছজনের পরিবার লিঞ্চের এমিলি ও মাইরেড নামে দুই বোন ও পেট্ৰিক নামে এক ভাই আছে। শৈশবেই লিঞ্চ হ্যারি পটার সিরিজটি পড়ে ফ্যান হয়ে যান লিঞ্চ লেখক জে কে রোলিংকে চিঠি পাঠিয়েছিলে। এগার বছর বয়সে প্ৰায় দুবছর ধরে লিঞ্চ এন'রেক্সিয়া রোগে ভুগেছিলেন। সেই সময় রোলিং পত্ৰযোগে লিঞ্চক উৎসাহ দিয়েছিলেন। এজন্য লিঞ্চ রোলিংককে তার একজন পরামৰ্শদাতা বলেছেন। তিনি ২০০৪ সালের জুন পর্যন্ত টার্মোনফেকিনের কার্টাউন ন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং তারপরে দ্রোগেদার আওয়ার লেডি কলেজে চলে যান যেখানে তার বাবা উপ-অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৮ সালে লিঞ্চ গ্লাসনভিনে প্রতিভাশালী কিশোর-কিশোরীদের জন্য গ্রীষ্মের একটি স্কুল সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ অফ আয়ারল্যান্ডে অনুমানমূলক কথাসাহিত্য এবং নাটক অধ্যয়ন করেছিলেন। হ্যারি পটারের সেটে থাকাকালীন, তাকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে লিঞ্চ তার ত্যাগের শংসাপত্র পুনরাবৃত্তি করতে ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনে যোগ দিয়েছিল। লিঞ্চ একটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক পরিবারে বড় হয়েছেন । ২০০৭ সালে তার অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ।যখন তিনি প্রায় ১৫,০০০ মেয়েদের একটি মুক্ত অডিশনে অংশ নিয়েছিলেন এবং "হ্যারি পটার" চলচ্চিত্রের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে লুনা লাভগুডের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি হ্যারি পটারের চারটি ছবিতে অভিনয় করেন।তিনি ২০১০ এবং ২০১১ সালে চূড়ান্ত দুটি ছবিতে একটি প্রধান চরিত্রে পরিণত হন।তিনি অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন এবং একাধিক স্ক্লেরোসিস সোসাইটি অফ আয়ারল্যান্ড এবং দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্সের মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দাতব্য কাজ করেন, যার মধ্যে তিনি বোর্ডের উপদেষ্টা সদস্য।
ইভানা লিঞ্চ এপেক্স সিনেমাটিতে কোন চরিত্রে অভিনয় করেন?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_2818_05
ইভানা লিঞ্চ
ইভানা পেট্ৰিচিয়া লিঞ্চ (জন্ম: ১৬ আগস্ট, ১৯৯১) একজন আয়ারল্যান্ডীয় অভিনেত্ৰী। লিঞ্চ মূলতঃ হ্যারি পটার (চলচ্চিত্র ধারাবাহিক) এর লুনা লাভগুড চরিত্রে অভিনয় করে বিখ্যাত। সে সময় তার বয়স ছিল ১৪ বছর। হ্যারি পটারের শেষ চারটি চলচ্চিত্র এবং তাদের টাই-ইন ভিডিও গেমগুলির পাশাপাশি তিনি মিউজিকাল এ ভেরি পটার সিনিয়র বছরেও অভিনয় করেছিলেন। লিঞ্চের এখন ফেসবুকের আনুষঙ্গিক সামগ্রীতে লগ ইন করার জন্য অডিওবুক ব্লগ রয়েছে।তিনি হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স বা দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত অলাভজনক প্রোগ্রামটির একজন সদস্য। আয়ারল্য়া‌ন্ড‌ের কাউন্টি লাউথ শহরের টাৰ্মনফেকিনে ইভানার জন্ম । তার পিতা মাতা হলেন ডনেল লিঞ্চ ও মাৰ্গারেট ।তার ছজনের পরিবার লিঞ্চের এমিলি ও মাইরেড নামে দুই বোন ও পেট্ৰিক নামে এক ভাই আছে। শৈশবেই লিঞ্চ হ্যারি পটার সিরিজটি পড়ে ফ্যান হয়ে যান লিঞ্চ লেখক জে কে রোলিংকে চিঠি পাঠিয়েছিলে। এগার বছর বয়সে প্ৰায় দুবছর ধরে লিঞ্চ এন'রেক্সিয়া রোগে ভুগেছিলেন। সেই সময় রোলিং পত্ৰযোগে লিঞ্চক উৎসাহ দিয়েছিলেন। এজন্য লিঞ্চ রোলিংককে তার একজন পরামৰ্শদাতা বলেছেন। তিনি ২০০৪ সালের জুন পর্যন্ত টার্মোনফেকিনের কার্টাউন ন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং তারপরে দ্রোগেদার আওয়ার লেডি কলেজে চলে যান যেখানে তার বাবা উপ-অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৮ সালে লিঞ্চ গ্লাসনভিনে প্রতিভাশালী কিশোর-কিশোরীদের জন্য গ্রীষ্মের একটি স্কুল সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ অফ আয়ারল্যান্ডে অনুমানমূলক কথাসাহিত্য এবং নাটক অধ্যয়ন করেছিলেন। হ্যারি পটারের সেটে থাকাকালীন, তাকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে লিঞ্চ তার ত্যাগের শংসাপত্র পুনরাবৃত্তি করতে ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনে যোগ দিয়েছিল। লিঞ্চ একটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক পরিবারে বড় হয়েছেন । ২০০৭ সালে তার অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ।যখন তিনি প্রায় ১৫,০০০ মেয়েদের একটি মুক্ত অডিশনে অংশ নিয়েছিলেন এবং "হ্যারি পটার" চলচ্চিত্রের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে লুনা লাভগুডের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি হ্যারি পটারের চারটি ছবিতে অভিনয় করেন।তিনি ২০১০ এবং ২০১১ সালে চূড়ান্ত দুটি ছবিতে একটি প্রধান চরিত্রে পরিণত হন।তিনি অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন এবং একাধিক স্ক্লেরোসিস সোসাইটি অফ আয়ারল্যান্ড এবং দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্সের মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দাতব্য কাজ করেন, যার মধ্যে তিনি বোর্ডের উপদেষ্টা সদস্য।
ইভানা লিঞ্চ কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দাতব্য কাজ করেন?
{ "answer_start": [ 1961, 1962 ], "text": [ " দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্সের মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে", "দ্য হ্যারি পটার অ্যালায়েন্সের মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে" ] }
bn_wiki_0047_02
গ্যালিলিও গ্যালিলেই
গ্যালিলিও গ্যালিলেই; জন্ম: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৫৬৪ - মৃত্যু: ৮ জানুয়ারি, ১৬৪২) একজন ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক যিনি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সঙ্গে বেশ নিগূঢ়ভাবে সম্পৃক্ত। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নতি সাধন যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা রেখেছে, বিভিন্ন ধরনের অনেক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, নিউটনের গতির প্রথম এবং দ্বিতীয় সূত্র, এবং কোপারনিকাসের মতবাদের পক্ষে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মতে আধুনিক যুগে প্রকৃতি বিজ্ঞানের এতো বিশাল অগ্রগতির পেছনে গ্যালিলিওর চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখতে পারেননি। তাঁকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক এবং এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। অ্যারিস্টটলীয় ধারণার অবসানে গ্যালিলিওর আবিষ্কারগুলোই সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা রেখেছে।
গ্যালিলিও কবে মারা যান?
{ "answer_start": [ 58, 58 ], "text": [ "৮ জানুয়ারি, ১৬৪২", "৮ জানুয়ারি, ১৬৪২" ] }
bn_wiki_0027_01
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, মাক্স প্লাংক সোসাইটির অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব, গণিত, কোয়ান্টাম অভিকর্ষ , জ্যোতিঃপদার্থবৈজ্ঞানিক আপেক্ষিকতা ও মহাকর্ষীয় তরঙ্গ জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গবেষণা করে। এটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পটসডাম শহরের গোলম এলাকার পটসডাম বিজ্ঞান পার্ক ও হ্যানোভার শহরে এটি অবস্থিত। ইনস্টিটিউটটির পটসডাম শাখা তিনটি গবেষণা বিভাগে বিভক্ত; অপরদিকে এর হ্যানোভার শাখা দুইটি বিভাগে বিভক্ত। গণিতের মৌলিক গবেষণা, উপাত্ত বিশ্লেষণ, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান, মহাশূন্য প্রযুক্তি, কম্পন বিচ্ছিন্নকরণ, ধ্রুপদী ও কোয়ান্টাম আলোকবিজ্ঞান বিষয়ে ইনস্টিটিউটটির উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট কোন সোসাইটির অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান?
{ "answer_start": [ 0, 0 ], "text": [ "মাক্স প্লাংক", "মাক্স প্লাংক" ] }
bn_wiki_0027_02
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, মাক্স প্লাংক সোসাইটির অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব, গণিত, কোয়ান্টাম অভিকর্ষ , জ্যোতিঃপদার্থবৈজ্ঞানিক আপেক্ষিকতা ও মহাকর্ষীয় তরঙ্গ জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গবেষণা করে। এটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পটসডাম শহরের গোলম এলাকার পটসডাম বিজ্ঞান পার্ক ও হ্যানোভার শহরে এটি অবস্থিত। ইনস্টিটিউটটির পটসডাম শাখা তিনটি গবেষণা বিভাগে বিভক্ত; অপরদিকে এর হ্যানোভার শাখা দুইটি বিভাগে বিভক্ত। গণিতের মৌলিক গবেষণা, উপাত্ত বিশ্লেষণ, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান, মহাশূন্য প্রযুক্তি, কম্পন বিচ্ছিন্নকরণ, ধ্রুপদী ও কোয়ান্টাম আলোকবিজ্ঞান বিষয়ে ইনস্টিটিউটটির উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
{ "answer_start": [ 245, 245 ], "text": [ "১৯৯৫ ", "১৯৯৫ " ] }
bn_wiki_0027_04
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, মাক্স প্লাংক সোসাইটির অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব, গণিত, কোয়ান্টাম অভিকর্ষ , জ্যোতিঃপদার্থবৈজ্ঞানিক আপেক্ষিকতা ও মহাকর্ষীয় তরঙ্গ জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গবেষণা করে। এটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পটসডাম শহরের গোলম এলাকার পটসডাম বিজ্ঞান পার্ক ও হ্যানোভার শহরে এটি অবস্থিত। ইনস্টিটিউটটির পটসডাম শাখা তিনটি গবেষণা বিভাগে বিভক্ত; অপরদিকে এর হ্যানোভার শাখা দুইটি বিভাগে বিভক্ত। গণিতের মৌলিক গবেষণা, উপাত্ত বিশ্লেষণ, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান, মহাশূন্য প্রযুক্তি, কম্পন বিচ্ছিন্নকরণ, ধ্রুপদী ও কোয়ান্টাম আলোকবিজ্ঞান বিষয়ে ইনস্টিটিউটটির উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটটির পটসডাম শাখা কোথায় অবস্থিত?
{ "answer_start": [ 275, 275 ], "text": [ "পটসডাম শহরের গোলম এলাকার পটসডাম বিজ্ঞান পার্ক", "পটসডাম শহরের গোলম এলাকার পটসডাম বিজ্ঞান পার্ক" ] }
bn_wiki_0612_01
হাল
হাল বা লাঙল সর্বভারতীয় অঞ্চলের আদিম কৃষিযন্ত্র। এক ধরনের যন্ত্র যা সাধারণত কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়। বীজ বপন অথবা চারা রোপনের জন্য, জমির মাটি তৈরি করবার ক্ষেত্রে হাল ব্যবহার করা হয়। কৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত এটি অন্যতম পুরাতন যন্ত্র। এটির প্রধান কাজ হলো মাটিকে ওলট-পালট করা এবং মাটির দলাকে ভেঙে দেয়া যাতে করে মাটির নিচের লেয়ারের পুষ্টিগুণ উপরে উঠে আসতে পারে এবং একই সাথে মাটির উপরের আগাছা ও ফসলের অবশিষ্টাংশ নিচে চাপা পরে জ়ৈব সারে পরিণত হতে পারে। এটি মাটিতে বায়ু চলাচলের পরিমাণ বাড়ায় এবং মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখে। হাল আগে সাধারণত বলদ, ষাঁড়, মহিষ অথবা ঘোড়া দ্বারা টানা হতো। বর্তমানে আধুনিকতার সাথে সাথে হালের পরিবর্তন এসেছে। ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দ্বারা জমি চষবার ক্ষেত্রেও হাল একটি গূরত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। লাঙ্গল একটি তৎসম শব্দ। লাঙ্গলের বিভিন্ন অংশ থাকে। লাঙল তৈরি করা হয় প্রধানত কাঠ দিয়ে। গ্রামের কাঠ মিস্ত্রিরা লাঙল তৈরি করে। যে অংশ মাটি কর্ষণ করে তাকে বলা হয় ফলা। আর যে ভারী কাঠের দণ্ড দুটি বলদের কাঁধে স্থাপন করা হয় তাকে বলা হয় জোয়াল। লাঙল দিয়ে হাল-চাষ করতে কমপক্ষে একজন লোক ও একজোড়া গরু অথবা মহিষ প্রয়োজন হয়। গরু-টানা লাঙলের দুটি অংশ থাকে। নিচের অংশটিকে সাধারণত হাল বা লাঙল বলা হয়। আর উপরে গরু বা মহিষের ঘাড়ে লাগানো অন্য অংশটিকে জোয়াল বলা হয়।
হালের প্রধান কাজ কী?
{ "answer_start": [ 255, 255 ], "text": [ "মাটিকে ওলট-পালট করা এবং মাটির দলাকে ভেঙে দেয়া যাতে করে মাটির নিচের লেয়ারের পুষ্টিগুণ উপরে উঠে আসতে পারে এবং একই সাথে মাটির উপরের আগাছা ও ফসলের অবশিষ্টাংশ নিচে চাপা পরে জ়ৈব সারে পরিণত হতে পারে", "মাটিকে ওলট-পালট করা এবং মাটির দলাকে ভেঙে দেয়া যাতে করে মাটির নিচের লেয়ারের পুষ্টিগুণ উপরে উঠে আসতে পারে এবং একই সাথে মাটির উপরের আগাছা ও ফসলের অবশিষ্টাংশ নিচে চাপা পরে জ়ৈব সারে পরিণত হতে পারে" ] }
bn_wiki_0612_03
হাল
হাল বা লাঙল সর্বভারতীয় অঞ্চলের আদিম কৃষিযন্ত্র। এক ধরনের যন্ত্র যা সাধারণত কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়। বীজ বপন অথবা চারা রোপনের জন্য, জমির মাটি তৈরি করবার ক্ষেত্রে হাল ব্যবহার করা হয়। কৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত এটি অন্যতম পুরাতন যন্ত্র। এটির প্রধান কাজ হলো মাটিকে ওলট-পালট করা এবং মাটির দলাকে ভেঙে দেয়া যাতে করে মাটির নিচের লেয়ারের পুষ্টিগুণ উপরে উঠে আসতে পারে এবং একই সাথে মাটির উপরের আগাছা ও ফসলের অবশিষ্টাংশ নিচে চাপা পরে জ়ৈব সারে পরিণত হতে পারে। এটি মাটিতে বায়ু চলাচলের পরিমাণ বাড়ায় এবং মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখে। হাল আগে সাধারণত বলদ, ষাঁড়, মহিষ অথবা ঘোড়া দ্বারা টানা হতো। বর্তমানে আধুনিকতার সাথে সাথে হালের পরিবর্তন এসেছে। ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দ্বারা জমি চষবার ক্ষেত্রেও হাল একটি গূরত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। লাঙ্গল একটি তৎসম শব্দ। লাঙ্গলের বিভিন্ন অংশ থাকে। লাঙল তৈরি করা হয় প্রধানত কাঠ দিয়ে। গ্রামের কাঠ মিস্ত্রিরা লাঙল তৈরি করে। যে অংশ মাটি কর্ষণ করে তাকে বলা হয় ফলা। আর যে ভারী কাঠের দণ্ড দুটি বলদের কাঁধে স্থাপন করা হয় তাকে বলা হয় জোয়াল। লাঙল দিয়ে হাল-চাষ করতে কমপক্ষে একজন লোক ও একজোড়া গরু অথবা মহিষ প্রয়োজন হয়। গরু-টানা লাঙলের দুটি অংশ থাকে। নিচের অংশটিকে সাধারণত হাল বা লাঙল বলা হয়। আর উপরে গরু বা মহিষের ঘাড়ে লাগানো অন্য অংশটিকে জোয়াল বলা হয়।
লাঙ্গল কোন ধরনের শব্দ?
{ "answer_start": [ 746, 746 ], "text": [ "তৎসম", "তৎসম" ] }
bn_wiki_0612_04
হাল
হাল বা লাঙল সর্বভারতীয় অঞ্চলের আদিম কৃষিযন্ত্র। এক ধরনের যন্ত্র যা সাধারণত কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়। বীজ বপন অথবা চারা রোপনের জন্য, জমির মাটি তৈরি করবার ক্ষেত্রে হাল ব্যবহার করা হয়। কৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত এটি অন্যতম পুরাতন যন্ত্র। এটির প্রধান কাজ হলো মাটিকে ওলট-পালট করা এবং মাটির দলাকে ভেঙে দেয়া যাতে করে মাটির নিচের লেয়ারের পুষ্টিগুণ উপরে উঠে আসতে পারে এবং একই সাথে মাটির উপরের আগাছা ও ফসলের অবশিষ্টাংশ নিচে চাপা পরে জ়ৈব সারে পরিণত হতে পারে। এটি মাটিতে বায়ু চলাচলের পরিমাণ বাড়ায় এবং মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখে। হাল আগে সাধারণত বলদ, ষাঁড়, মহিষ অথবা ঘোড়া দ্বারা টানা হতো। বর্তমানে আধুনিকতার সাথে সাথে হালের পরিবর্তন এসেছে। ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দ্বারা জমি চষবার ক্ষেত্রেও হাল একটি গূরত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। লাঙ্গল একটি তৎসম শব্দ। লাঙ্গলের বিভিন্ন অংশ থাকে। লাঙল তৈরি করা হয় প্রধানত কাঠ দিয়ে। গ্রামের কাঠ মিস্ত্রিরা লাঙল তৈরি করে। যে অংশ মাটি কর্ষণ করে তাকে বলা হয় ফলা। আর যে ভারী কাঠের দণ্ড দুটি বলদের কাঁধে স্থাপন করা হয় তাকে বলা হয় জোয়াল। লাঙল দিয়ে হাল-চাষ করতে কমপক্ষে একজন লোক ও একজোড়া গরু অথবা মহিষ প্রয়োজন হয়। গরু-টানা লাঙলের দুটি অংশ থাকে। নিচের অংশটিকে সাধারণত হাল বা লাঙল বলা হয়। আর উপরে গরু বা মহিষের ঘাড়ে লাগানো অন্য অংশটিকে জোয়াল বলা হয়।
লাঙ্গলের যে অংশ মাটি কর্ষণ করে তাকে কী বলা হয়?
{ "answer_start": [ 894, 894 ], "text": [ "ফলা", "ফলা" ] }
bn_wiki_1774_02
রুবিয়াস হ্যাগ্রিড
হ্যাগ্রিড হ্যারির প্রতি অত্যন্ত যত্নবান ও রক্ষণশীল। হ্যারিও হ্যাগ্রিডকে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের একজন বলে মনে করে। রাউলিং একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, শেষ বইয়ে যে দৃশ্যে হ্যাগ্রিড হ্যারির মৃতদেহ বহন করে আনে, সেটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, "হ্যাগ্রিড হ্যারিকে ডার্সলিদের কাছ থেকে নিয়ে আসে। সে তাকে জাদুর জগতে প্রবেশ করায়... সে আসলে অভিভাবকের মতই... তাই আমি চেয়েছিলাম হ্যাগ্রিডই হ্যারিকে নিষিদ্ধ বন থেকে নিয়ে আসবে।" হ্যাগ্রিডের মতে, জাদুকরদের মধ্যে রক্তের বিশুদ্ধতা নিয়ে বিভাজন থাকা অনুচিত ও অগ্রহণযোগ্য। রাউলিং একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করেছেন যে, হ্যাগ্রিড গ্রিফিন্ডর হাউজের ছাত্র ছিল। হ্যাগ্রিড নিজের কাছে একটি এক্রোমেন্টুলা বা দানব মাকড়শা রাখার অপরাধে হগওয়ার্টস থেকে বহিষ্কৃত হয়। কারণ, সবাই ধারণা করেছিল যে, হ্যাগ্রিডের মাকড়শাটিই চেম্বার অফ সিক্রেটসের স্লিদারিনের দানব। হ্যাগ্রিড বহিষ্কৃত হওয়ার পর, অ্যালবাস ডাম্বলডোর এর অনুরোধে তৎকালীন হেডমাস্টার আরমান্ডো ডিপেট হ্যাগ্রিডকে গেমকিপার হিসেবে হগওয়ার্টসে রেখে দেন। হ্যারি যখন হগওয়ার্টসে আসে, তখনও হ্যাগ্রিড এই দায়িত্বে নিযুক্ত ছিল। এর পাশাপাশি সে হগওয়ার্টসের চাবি ও ভূমির রক্ষক হিসেবেও নিয়োজিত ছিল। রাউলিং এর মতে, "এর মানে হল, সে তোমাকে হগওয়ার্টসে যাওয়া আসার অনুমতি দিতে পারে।" প্রথম বর্ষের নতুন ছাত্রছাত্রীদের নৌকার মাধ্যমে লেক পাড়ি দিয়ে হগওয়ার্টসে আনার দায়িত্বও হ্যাগ্রিড পালন করে
হ্যাগ্রিড হ্যারিকে কাদের কাছ থেকে নিয়ে আসে?
{ "answer_start": [ 269, 269 ], "text": [ "ডার্সলিদের ", "ডার্সলিদের " ] }
bn_wiki_1774_04
রুবিয়াস হ্যাগ্রিড
হ্যাগ্রিড হ্যারির প্রতি অত্যন্ত যত্নবান ও রক্ষণশীল। হ্যারিও হ্যাগ্রিডকে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের একজন বলে মনে করে। রাউলিং একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, শেষ বইয়ে যে দৃশ্যে হ্যাগ্রিড হ্যারির মৃতদেহ বহন করে আনে, সেটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, "হ্যাগ্রিড হ্যারিকে ডার্সলিদের কাছ থেকে নিয়ে আসে। সে তাকে জাদুর জগতে প্রবেশ করায়... সে আসলে অভিভাবকের মতই... তাই আমি চেয়েছিলাম হ্যাগ্রিডই হ্যারিকে নিষিদ্ধ বন থেকে নিয়ে আসবে।" হ্যাগ্রিডের মতে, জাদুকরদের মধ্যে রক্তের বিশুদ্ধতা নিয়ে বিভাজন থাকা অনুচিত ও অগ্রহণযোগ্য। রাউলিং একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করেছেন যে, হ্যাগ্রিড গ্রিফিন্ডর হাউজের ছাত্র ছিল। হ্যাগ্রিড নিজের কাছে একটি এক্রোমেন্টুলা বা দানব মাকড়শা রাখার অপরাধে হগওয়ার্টস থেকে বহিষ্কৃত হয়। কারণ, সবাই ধারণা করেছিল যে, হ্যাগ্রিডের মাকড়শাটিই চেম্বার অফ সিক্রেটসের স্লিদারিনের দানব। হ্যাগ্রিড বহিষ্কৃত হওয়ার পর, অ্যালবাস ডাম্বলডোর এর অনুরোধে তৎকালীন হেডমাস্টার আরমান্ডো ডিপেট হ্যাগ্রিডকে গেমকিপার হিসেবে হগওয়ার্টসে রেখে দেন। হ্যারি যখন হগওয়ার্টসে আসে, তখনও হ্যাগ্রিড এই দায়িত্বে নিযুক্ত ছিল। এর পাশাপাশি সে হগওয়ার্টসের চাবি ও ভূমির রক্ষক হিসেবেও নিয়োজিত ছিল। রাউলিং এর মতে, "এর মানে হল, সে তোমাকে হগওয়ার্টসে যাওয়া আসার অনুমতি দিতে পারে।" প্রথম বর্ষের নতুন ছাত্রছাত্রীদের নৌকার মাধ্যমে লেক পাড়ি দিয়ে হগওয়ার্টসে আনার দায়িত্বও হ্যাগ্রিড পালন করে
হগওয়ার্টস এর তৎকালীন হেডমাস্টার কে ছিলেন?
{ "answer_start": [ 871, 871 ], "text": [ "আরমান্ডো ডিপেট", "আরমান্ডো ডিপেট" ] }
bn_wiki_1774_05
রুবিয়াস হ্যাগ্রিড
হ্যাগ্রিড হ্যারির প্রতি অত্যন্ত যত্নবান ও রক্ষণশীল। হ্যারিও হ্যাগ্রিডকে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের একজন বলে মনে করে। রাউলিং একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, শেষ বইয়ে যে দৃশ্যে হ্যাগ্রিড হ্যারির মৃতদেহ বহন করে আনে, সেটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, "হ্যাগ্রিড হ্যারিকে ডার্সলিদের কাছ থেকে নিয়ে আসে। সে তাকে জাদুর জগতে প্রবেশ করায়... সে আসলে অভিভাবকের মতই... তাই আমি চেয়েছিলাম হ্যাগ্রিডই হ্যারিকে নিষিদ্ধ বন থেকে নিয়ে আসবে।" হ্যাগ্রিডের মতে, জাদুকরদের মধ্যে রক্তের বিশুদ্ধতা নিয়ে বিভাজন থাকা অনুচিত ও অগ্রহণযোগ্য। রাউলিং একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করেছেন যে, হ্যাগ্রিড গ্রিফিন্ডর হাউজের ছাত্র ছিল। হ্যাগ্রিড নিজের কাছে একটি এক্রোমেন্টুলা বা দানব মাকড়শা রাখার অপরাধে হগওয়ার্টস থেকে বহিষ্কৃত হয়। কারণ, সবাই ধারণা করেছিল যে, হ্যাগ্রিডের মাকড়শাটিই চেম্বার অফ সিক্রেটসের স্লিদারিনের দানব। হ্যাগ্রিড বহিষ্কৃত হওয়ার পর, অ্যালবাস ডাম্বলডোর এর অনুরোধে তৎকালীন হেডমাস্টার আরমান্ডো ডিপেট হ্যাগ্রিডকে গেমকিপার হিসেবে হগওয়ার্টসে রেখে দেন। হ্যারি যখন হগওয়ার্টসে আসে, তখনও হ্যাগ্রিড এই দায়িত্বে নিযুক্ত ছিল। এর পাশাপাশি সে হগওয়ার্টসের চাবি ও ভূমির রক্ষক হিসেবেও নিয়োজিত ছিল। রাউলিং এর মতে, "এর মানে হল, সে তোমাকে হগওয়ার্টসে যাওয়া আসার অনুমতি দিতে পারে।" প্রথম বর্ষের নতুন ছাত্রছাত্রীদের নৌকার মাধ্যমে লেক পাড়ি দিয়ে হগওয়ার্টসে আনার দায়িত্বও হ্যাগ্রিড পালন করে
এক্রোমেন্টুলাটি হ্যাগ্রিড কোথায় পেয়েছিল?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_0936_01
ওয়ার্কস্টেশন
একটি ওয়ার্কস্টেশন হল একটি বিশেষ কম্পিউটার যা নকশা করা হয়েছে কারিগরি অথবা বৈজ্ঞানিক ব্যবহারিক কাজে প্রয়োগের জন্য। প্রাথমিকভাবে একক সময়ে একজন ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল, সাধারনভাবে এগুলো লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক দিয়ে সংযুক্ত থাকে এবং বহু-ব্যবহারকারী অপারেটিং সিস্টেম চালানো হয়। ওয়ার্কস্টেশন কথাটি দিয়ে আংশিকভাবে মেইনফ্রেম কম্পিউটার টার্মিনাল থেকে শুরু করে একটি পিসি নেটওয়ার্কে যুক্ত আছে এমন সবকিছুকে। এছাড়া বেশি ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন কোম্পানির (বর্তমান এবং বিলুপ্ত হওয়া) হার্ডওয়্যার পণ্য সমষ্টি বোঝাতে যেমন সান মাইক্রোসিস্টেম, সিলিকন গ্রাফিক্স, এ্যাপোলো কম্পিউটার, ডিইসি, এইচপি এবং আইবিএম ইত্যাদি যারা ১৯৯০ দশকে তৃতীয় মাত্রার গ্রাফিক্সের নতুন দ্বার উত্থান করেছিল। ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে ওয়ার্কস্টেশন উচ্চ ক্ষমতার হয়, বিশেষত সিপিইউ ও গ্রাফিক্স, মেমোরি ধারণক্ষমতা এবং একই সঙ্গে বহু কাজ করার সুবিধার দিক দিয়ে। এটি বিভিন্ন ধরনের জটিল ডাটা যেমন থ্রীডি গ্রাফিক্স নকশা, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুকরণ, এ্যানিমেশন, ছবি তৈরি, গাণিতিক ক্ষেত্র ইত্যাদি এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজের জন্য উপযোগী। ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই এটিতে উচ্চ রেজুলেশনের প্রদর্শনী, একটি কিবোর্ড, একটি মাউস আছে কখনো কখনো একের অধিক প্রদর্শনী থাকতে পারে, গ্রাফিক্স ট্যাবলেট, থ্রীডি মাইস (থ্রীডি অবজেক্ট তৈরী এবং দৃশ্যে দিক নির্দেশনার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র) ইত্যাদিও থাকতে পারে। কম্পিউটার শিল্পে ওয়ার্কস্টেশনই হল প্রথম শ্রেণীর কম্পিউটার যাতে উন্নত ধরনের আনুষঙ্গিক যন্ত্র এবং সহযোগীতামূলক যন্ত্রপাতি উপস্থাপন করা হয়। মূলধারার পিসির বর্ধমান কার্যক্ষমতা ও সক্ষমতার ফলে ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে কারিগরি/বৈজ্ঞানিক ওয়ার্কস্টেশনের সাথে পার্থক্য কমে আসে। পূর্বে স্বত্তাধিকারী হার্ডওয়্যারগুলো পিসি থেকে ওয়ার্কষ্টেশকে আলাদা করত যেমন আইবিএম তাদের ওয়ার্কস্টেশনের জন্য আরআইএসসি-ভিত্তিক সিপিইউ এবং পিসির জন্য ইন্টেল এক্স৮৬ সিপিইউ ব্যবহার করত ১৯৯০ এবং ২০০০ দশকে। কিন্তু ২০০০ দশকের শেষের দিকে এই পার্থক্য মুছে যায়। কারণ ওয়ার্কস্টেশনগুলো ব্যপকহারে বিভিন্ন পিসি প্রস্তুতকারকদের যেমন ডেল, এইচপি এবং ফুজিৎসু হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করে। এসময় এগুলোতে এক্স৮৬/৬৪ বিট নকশার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বা গনু/লিনাক্স সিস্টেম ব্যবহৃত হত উদাহরণসরূপ ইন্টেল এক্সইয়ন বা এএমডি অপটেরন সিপিইউসমূহ।
ওয়ার্কস্টেশন কী?
{ "answer_start": [ 0, 0 ], "text": [ "একটি ওয়ার্কস্টেশন হল একটি বিশেষ কম্পিউটার যা নকশা করা হয়েছে কারিগরি অথবা বৈজ্ঞানিক ব্যবহারিক কাজে প্রয়োগের জন্য", "একটি ওয়ার্কস্টেশন হল একটি বিশেষ কম্পিউটার যা নকশা করা হয়েছে কারিগরি অথবা বৈজ্ঞানিক ব্যবহারিক কাজে প্রয়োগের জন্য" ] }
bn_wiki_0936_03
ওয়ার্কস্টেশন
একটি ওয়ার্কস্টেশন হল একটি বিশেষ কম্পিউটার যা নকশা করা হয়েছে কারিগরি অথবা বৈজ্ঞানিক ব্যবহারিক কাজে প্রয়োগের জন্য। প্রাথমিকভাবে একক সময়ে একজন ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল, সাধারনভাবে এগুলো লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক দিয়ে সংযুক্ত থাকে এবং বহু-ব্যবহারকারী অপারেটিং সিস্টেম চালানো হয়। ওয়ার্কস্টেশন কথাটি দিয়ে আংশিকভাবে মেইনফ্রেম কম্পিউটার টার্মিনাল থেকে শুরু করে একটি পিসি নেটওয়ার্কে যুক্ত আছে এমন সবকিছুকে। এছাড়া বেশি ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন কোম্পানির (বর্তমান এবং বিলুপ্ত হওয়া) হার্ডওয়্যার পণ্য সমষ্টি বোঝাতে যেমন সান মাইক্রোসিস্টেম, সিলিকন গ্রাফিক্স, এ্যাপোলো কম্পিউটার, ডিইসি, এইচপি এবং আইবিএম ইত্যাদি যারা ১৯৯০ দশকে তৃতীয় মাত্রার গ্রাফিক্সের নতুন দ্বার উত্থান করেছিল। ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে ওয়ার্কস্টেশন উচ্চ ক্ষমতার হয়, বিশেষত সিপিইউ ও গ্রাফিক্স, মেমোরি ধারণক্ষমতা এবং একই সঙ্গে বহু কাজ করার সুবিধার দিক দিয়ে। এটি বিভিন্ন ধরনের জটিল ডাটা যেমন থ্রীডি গ্রাফিক্স নকশা, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুকরণ, এ্যানিমেশন, ছবি তৈরি, গাণিতিক ক্ষেত্র ইত্যাদি এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজের জন্য উপযোগী। ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই এটিতে উচ্চ রেজুলেশনের প্রদর্শনী, একটি কিবোর্ড, একটি মাউস আছে কখনো কখনো একের অধিক প্রদর্শনী থাকতে পারে, গ্রাফিক্স ট্যাবলেট, থ্রীডি মাইস (থ্রীডি অবজেক্ট তৈরী এবং দৃশ্যে দিক নির্দেশনার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র) ইত্যাদিও থাকতে পারে। কম্পিউটার শিল্পে ওয়ার্কস্টেশনই হল প্রথম শ্রেণীর কম্পিউটার যাতে উন্নত ধরনের আনুষঙ্গিক যন্ত্র এবং সহযোগীতামূলক যন্ত্রপাতি উপস্থাপন করা হয়। মূলধারার পিসির বর্ধমান কার্যক্ষমতা ও সক্ষমতার ফলে ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে কারিগরি/বৈজ্ঞানিক ওয়ার্কস্টেশনের সাথে পার্থক্য কমে আসে। পূর্বে স্বত্তাধিকারী হার্ডওয়্যারগুলো পিসি থেকে ওয়ার্কষ্টেশকে আলাদা করত যেমন আইবিএম তাদের ওয়ার্কস্টেশনের জন্য আরআইএসসি-ভিত্তিক সিপিইউ এবং পিসির জন্য ইন্টেল এক্স৮৬ সিপিইউ ব্যবহার করত ১৯৯০ এবং ২০০০ দশকে। কিন্তু ২০০০ দশকের শেষের দিকে এই পার্থক্য মুছে যায়। কারণ ওয়ার্কস্টেশনগুলো ব্যপকহারে বিভিন্ন পিসি প্রস্তুতকারকদের যেমন ডেল, এইচপি এবং ফুজিৎসু হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করে। এসময় এগুলোতে এক্স৮৬/৬৪ বিট নকশার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বা গনু/লিনাক্স সিস্টেম ব্যবহৃত হত উদাহরণসরূপ ইন্টেল এক্সইয়ন বা এএমডি অপটেরন সিপিইউসমূহ।
ইন্টেল এক্স৮৬ সিপিইউ কোন দশকে ব্যবহৃত হত?
{ "answer_start": [ 1705, 1705 ], "text": [ "১৯৯০ এবং ২০০০ দশকে", "১৯৯০ এবং ২০০০ দশকে" ] }
bn_wiki_0936_04
ওয়ার্কস্টেশন
একটি ওয়ার্কস্টেশন হল একটি বিশেষ কম্পিউটার যা নকশা করা হয়েছে কারিগরি অথবা বৈজ্ঞানিক ব্যবহারিক কাজে প্রয়োগের জন্য। প্রাথমিকভাবে একক সময়ে একজন ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল, সাধারনভাবে এগুলো লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক দিয়ে সংযুক্ত থাকে এবং বহু-ব্যবহারকারী অপারেটিং সিস্টেম চালানো হয়। ওয়ার্কস্টেশন কথাটি দিয়ে আংশিকভাবে মেইনফ্রেম কম্পিউটার টার্মিনাল থেকে শুরু করে একটি পিসি নেটওয়ার্কে যুক্ত আছে এমন সবকিছুকে। এছাড়া বেশি ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন কোম্পানির (বর্তমান এবং বিলুপ্ত হওয়া) হার্ডওয়্যার পণ্য সমষ্টি বোঝাতে যেমন সান মাইক্রোসিস্টেম, সিলিকন গ্রাফিক্স, এ্যাপোলো কম্পিউটার, ডিইসি, এইচপি এবং আইবিএম ইত্যাদি যারা ১৯৯০ দশকে তৃতীয় মাত্রার গ্রাফিক্সের নতুন দ্বার উত্থান করেছিল। ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে ওয়ার্কস্টেশন উচ্চ ক্ষমতার হয়, বিশেষত সিপিইউ ও গ্রাফিক্স, মেমোরি ধারণক্ষমতা এবং একই সঙ্গে বহু কাজ করার সুবিধার দিক দিয়ে। এটি বিভিন্ন ধরনের জটিল ডাটা যেমন থ্রীডি গ্রাফিক্স নকশা, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুকরণ, এ্যানিমেশন, ছবি তৈরি, গাণিতিক ক্ষেত্র ইত্যাদি এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজের জন্য উপযোগী। ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই এটিতে উচ্চ রেজুলেশনের প্রদর্শনী, একটি কিবোর্ড, একটি মাউস আছে কখনো কখনো একের অধিক প্রদর্শনী থাকতে পারে, গ্রাফিক্স ট্যাবলেট, থ্রীডি মাইস (থ্রীডি অবজেক্ট তৈরী এবং দৃশ্যে দিক নির্দেশনার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র) ইত্যাদিও থাকতে পারে। কম্পিউটার শিল্পে ওয়ার্কস্টেশনই হল প্রথম শ্রেণীর কম্পিউটার যাতে উন্নত ধরনের আনুষঙ্গিক যন্ত্র এবং সহযোগীতামূলক যন্ত্রপাতি উপস্থাপন করা হয়। মূলধারার পিসির বর্ধমান কার্যক্ষমতা ও সক্ষমতার ফলে ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে কারিগরি/বৈজ্ঞানিক ওয়ার্কস্টেশনের সাথে পার্থক্য কমে আসে। পূর্বে স্বত্তাধিকারী হার্ডওয়্যারগুলো পিসি থেকে ওয়ার্কষ্টেশকে আলাদা করত যেমন আইবিএম তাদের ওয়ার্কস্টেশনের জন্য আরআইএসসি-ভিত্তিক সিপিইউ এবং পিসির জন্য ইন্টেল এক্স৮৬ সিপিইউ ব্যবহার করত ১৯৯০ এবং ২০০০ দশকে। কিন্তু ২০০০ দশকের শেষের দিকে এই পার্থক্য মুছে যায়। কারণ ওয়ার্কস্টেশনগুলো ব্যপকহারে বিভিন্ন পিসি প্রস্তুতকারকদের যেমন ডেল, এইচপি এবং ফুজিৎসু হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করে। এসময় এগুলোতে এক্স৮৬/৬৪ বিট নকশার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বা গনু/লিনাক্স সিস্টেম ব্যবহৃত হত উদাহরণসরূপ ইন্টেল এক্সইয়ন বা এএমডি অপটেরন সিপিইউসমূহ।
গনু/লিনাক্স কত বিট নকশার?
{ "answer_start": [ 1916, 1916 ], "text": [ "এক্স৮৬/৬৪ বিট ", "এক্স৮৬/৬৪ বিট " ] }
bn_wiki_0936_05
ওয়ার্কস্টেশন
একটি ওয়ার্কস্টেশন হল একটি বিশেষ কম্পিউটার যা নকশা করা হয়েছে কারিগরি অথবা বৈজ্ঞানিক ব্যবহারিক কাজে প্রয়োগের জন্য। প্রাথমিকভাবে একক সময়ে একজন ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল, সাধারনভাবে এগুলো লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক দিয়ে সংযুক্ত থাকে এবং বহু-ব্যবহারকারী অপারেটিং সিস্টেম চালানো হয়। ওয়ার্কস্টেশন কথাটি দিয়ে আংশিকভাবে মেইনফ্রেম কম্পিউটার টার্মিনাল থেকে শুরু করে একটি পিসি নেটওয়ার্কে যুক্ত আছে এমন সবকিছুকে। এছাড়া বেশি ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন কোম্পানির (বর্তমান এবং বিলুপ্ত হওয়া) হার্ডওয়্যার পণ্য সমষ্টি বোঝাতে যেমন সান মাইক্রোসিস্টেম, সিলিকন গ্রাফিক্স, এ্যাপোলো কম্পিউটার, ডিইসি, এইচপি এবং আইবিএম ইত্যাদি যারা ১৯৯০ দশকে তৃতীয় মাত্রার গ্রাফিক্সের নতুন দ্বার উত্থান করেছিল। ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে ওয়ার্কস্টেশন উচ্চ ক্ষমতার হয়, বিশেষত সিপিইউ ও গ্রাফিক্স, মেমোরি ধারণক্ষমতা এবং একই সঙ্গে বহু কাজ করার সুবিধার দিক দিয়ে। এটি বিভিন্ন ধরনের জটিল ডাটা যেমন থ্রীডি গ্রাফিক্স নকশা, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুকরণ, এ্যানিমেশন, ছবি তৈরি, গাণিতিক ক্ষেত্র ইত্যাদি এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজের জন্য উপযোগী। ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই এটিতে উচ্চ রেজুলেশনের প্রদর্শনী, একটি কিবোর্ড, একটি মাউস আছে কখনো কখনো একের অধিক প্রদর্শনী থাকতে পারে, গ্রাফিক্স ট্যাবলেট, থ্রীডি মাইস (থ্রীডি অবজেক্ট তৈরী এবং দৃশ্যে দিক নির্দেশনার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র) ইত্যাদিও থাকতে পারে। কম্পিউটার শিল্পে ওয়ার্কস্টেশনই হল প্রথম শ্রেণীর কম্পিউটার যাতে উন্নত ধরনের আনুষঙ্গিক যন্ত্র এবং সহযোগীতামূলক যন্ত্রপাতি উপস্থাপন করা হয়। মূলধারার পিসির বর্ধমান কার্যক্ষমতা ও সক্ষমতার ফলে ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে কারিগরি/বৈজ্ঞানিক ওয়ার্কস্টেশনের সাথে পার্থক্য কমে আসে। পূর্বে স্বত্তাধিকারী হার্ডওয়্যারগুলো পিসি থেকে ওয়ার্কষ্টেশকে আলাদা করত যেমন আইবিএম তাদের ওয়ার্কস্টেশনের জন্য আরআইএসসি-ভিত্তিক সিপিইউ এবং পিসির জন্য ইন্টেল এক্স৮৬ সিপিইউ ব্যবহার করত ১৯৯০ এবং ২০০০ দশকে। কিন্তু ২০০০ দশকের শেষের দিকে এই পার্থক্য মুছে যায়। কারণ ওয়ার্কস্টেশনগুলো ব্যপকহারে বিভিন্ন পিসি প্রস্তুতকারকদের যেমন ডেল, এইচপি এবং ফুজিৎসু হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করে। এসময় এগুলোতে এক্স৮৬/৬৪ বিট নকশার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বা গনু/লিনাক্স সিস্টেম ব্যবহৃত হত উদাহরণসরূপ ইন্টেল এক্সইয়ন বা এএমডি অপটেরন সিপিইউসমূহ।
স্পার্কস্টেশন ১০ কোন কম্পানির ওয়ার্কস্টেশন?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_2554_02
আয়িশা
আয়িশা বিনতে আবু বকর ছিলেন ইসলামী নবী মুহাম্মদের স্ত্রীগণের মধ্যে একজন। তিনি ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী। ইসলামের ঐতিহ্য অনুসারে, তাকে "উম্মুল মু'মিনিন" বা "বিশ্বাসীদের মাতা" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায় তাকে মুহাম্মদের স্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা করে থাকেন। এছাড়া ইসলামের ঐতিহ্যগত ইতিহাসেও তার অবদান অনস্বীকার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়িশা ৬১৩ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে মতান্তরে ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে জন্মগ্রহণ করেন। আবু বকর তার পিতা, যিনি মুহাম্মদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত একজন সাহাবী ও সহচর ছিলেন। তার পিতার নাম আবু বকর ও মাতার নাম উম্মে রুমান বিনতে আমির। মুহাম্মাদের সঙ্গে আয়িশার বিয়ে হয় মূলত খাদিজা বিনতে খুয়ালিদ এর মৃত্যুর পরে। মুহাম্মদ সওদাকে (যাম'আ ইবনে কাঈসের কন্যা) বিয়ে করার পর আয়িশাকে পরবর্তীতে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। তার বিয়ে খাদিজার মৃত্যুর পরে হয়েছিল, এ পক্ষে বেশিরভাগ গবেষকই একই মত পোষণ করেন। যদিও, তার বিয়ে হিজরতের দুই না তিন বছর আগে হয়েছিল, এ নিয়ে ভিন্নমত প্রচলিত আছে। কিছু সুত্র থেকে পাওয়া যায় যে মুহাম্মদের সঙ্গে তার বিবাহ্ সওদার সঙ্গে বিয়ের পূর্বে হয়েছিল৷ যদিও বেশিরভাগ হাদীস মোতাবেক, মুহাম্মদ সওদাকে আয়িশার পূর্বে বিয়ে করেছিলেন। এটি প্রচলিত যে, উসমান বিন মা'যুনের স্ত্রী খাওলা আবু বকরের নিকট দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং এই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মুহাম্মদের সঙ্গে ছয় বা সাত বছর বয়সে আয়িশার বিয়ে হয়। বয়সের দিক থেকে তিনি ছিলেন মুহাম্মাদের স্ত্রীদের মাঝে কনিষ্ঠতম।
ইসলামের ঐতিহ্য অনুসারে আয়িশা বিনতে আবু বকর কে কী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ?
{ "answer_start": [ 131, 131 ], "text": [ "\"উম্মুল মু'মিনিন\" বা \"বিশ্বাসীদের মাতা\"", "\"উম্মুল মু'মিনিন\" বা \"বিশ্বাসীদের মাতা\"" ] }
bn_wiki_2554_03
আয়িশা
আয়িশা বিনতে আবু বকর ছিলেন ইসলামী নবী মুহাম্মদের স্ত্রীগণের মধ্যে একজন। তিনি ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী। ইসলামের ঐতিহ্য অনুসারে, তাকে "উম্মুল মু'মিনিন" বা "বিশ্বাসীদের মাতা" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায় তাকে মুহাম্মদের স্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা করে থাকেন। এছাড়া ইসলামের ঐতিহ্যগত ইতিহাসেও তার অবদান অনস্বীকার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়িশা ৬১৩ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে মতান্তরে ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে জন্মগ্রহণ করেন। আবু বকর তার পিতা, যিনি মুহাম্মদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত একজন সাহাবী ও সহচর ছিলেন। তার পিতার নাম আবু বকর ও মাতার নাম উম্মে রুমান বিনতে আমির। মুহাম্মাদের সঙ্গে আয়িশার বিয়ে হয় মূলত খাদিজা বিনতে খুয়ালিদ এর মৃত্যুর পরে। মুহাম্মদ সওদাকে (যাম'আ ইবনে কাঈসের কন্যা) বিয়ে করার পর আয়িশাকে পরবর্তীতে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। তার বিয়ে খাদিজার মৃত্যুর পরে হয়েছিল, এ পক্ষে বেশিরভাগ গবেষকই একই মত পোষণ করেন। যদিও, তার বিয়ে হিজরতের দুই না তিন বছর আগে হয়েছিল, এ নিয়ে ভিন্নমত প্রচলিত আছে। কিছু সুত্র থেকে পাওয়া যায় যে মুহাম্মদের সঙ্গে তার বিবাহ্ সওদার সঙ্গে বিয়ের পূর্বে হয়েছিল৷ যদিও বেশিরভাগ হাদীস মোতাবেক, মুহাম্মদ সওদাকে আয়িশার পূর্বে বিয়ে করেছিলেন। এটি প্রচলিত যে, উসমান বিন মা'যুনের স্ত্রী খাওলা আবু বকরের নিকট দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং এই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মুহাম্মদের সঙ্গে ছয় বা সাত বছর বয়সে আয়িশার বিয়ে হয়। বয়সের দিক থেকে তিনি ছিলেন মুহাম্মাদের স্ত্রীদের মাঝে কনিষ্ঠতম।
আয়িশা বিনতে আবু বকর কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
{ "answer_start": [ 369, 369 ], "text": [ "৬১৩ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে মতান্তরে ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে", "৬১৩ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে মতান্তরে ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে" ] }
bn_wiki_2554_04
আয়িশা
আয়িশা বিনতে আবু বকর ছিলেন ইসলামী নবী মুহাম্মদের স্ত্রীগণের মধ্যে একজন। তিনি ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী। ইসলামের ঐতিহ্য অনুসারে, তাকে "উম্মুল মু'মিনিন" বা "বিশ্বাসীদের মাতা" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায় তাকে মুহাম্মদের স্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা করে থাকেন। এছাড়া ইসলামের ঐতিহ্যগত ইতিহাসেও তার অবদান অনস্বীকার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়িশা ৬১৩ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে মতান্তরে ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে জন্মগ্রহণ করেন। আবু বকর তার পিতা, যিনি মুহাম্মদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত একজন সাহাবী ও সহচর ছিলেন। তার পিতার নাম আবু বকর ও মাতার নাম উম্মে রুমান বিনতে আমির। মুহাম্মাদের সঙ্গে আয়িশার বিয়ে হয় মূলত খাদিজা বিনতে খুয়ালিদ এর মৃত্যুর পরে। মুহাম্মদ সওদাকে (যাম'আ ইবনে কাঈসের কন্যা) বিয়ে করার পর আয়িশাকে পরবর্তীতে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। তার বিয়ে খাদিজার মৃত্যুর পরে হয়েছিল, এ পক্ষে বেশিরভাগ গবেষকই একই মত পোষণ করেন। যদিও, তার বিয়ে হিজরতের দুই না তিন বছর আগে হয়েছিল, এ নিয়ে ভিন্নমত প্রচলিত আছে। কিছু সুত্র থেকে পাওয়া যায় যে মুহাম্মদের সঙ্গে তার বিবাহ্ সওদার সঙ্গে বিয়ের পূর্বে হয়েছিল৷ যদিও বেশিরভাগ হাদীস মোতাবেক, মুহাম্মদ সওদাকে আয়িশার পূর্বে বিয়ে করেছিলেন। এটি প্রচলিত যে, উসমান বিন মা'যুনের স্ত্রী খাওলা আবু বকরের নিকট দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং এই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মুহাম্মদের সঙ্গে ছয় বা সাত বছর বয়সে আয়িশার বিয়ে হয়। বয়সের দিক থেকে তিনি ছিলেন মুহাম্মাদের স্ত্রীদের মাঝে কনিষ্ঠতম।
মুহাম্মাদের সঙ্গে আয়িশার বিয়ে হয় কখন ?
{ "answer_start": [ 628, 628 ], "text": [ "খাদিজা বিনতে খুয়ালিদ এর মৃত্যুর পরে", "খাদিজা বিনতে খুয়ালিদ এর মৃত্যুর পরে" ] }
bn_wiki_2835_01
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের স্থল যোগাযোগের মধ্যে সড়কপথ উল্লেখযোগ্য। সড়কপথের অবকাঠামো নির্মাণ এদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভৌগোলিক অবকাঠামোর মধ্যে বেশ ব্যয়বহুল। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশে পাকা রাস্তার পরিমাণ ছিলো ১৯৩১.১৭ কিলোমিটার, ১৯৯৬-১৯৯৭ সালের দিকে তা দাঁড়ায় ১৭৮৮৫৯ কিলোমিটারে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে দেশের জাতীয় মহাসড়ক ৩৪৭৮ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪২২২ কিলোমিটার এবং ফিডার/জেলা রোড ১৩২৪৮ কিলোমিটার। দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য "বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন" (বিআরটিসি) নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে যমুনা নদীর উপরে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু ১৯৯৮ সালের জুন মাসে উদ্বোধন করা হয় যা রাজধানী ঢাকাকে উত্তরবঙ্গের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করে। এছাড়াও ৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ চলছে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ সংযুক্ত হবে। অন্যান্য বৃহৎ সড়ক সেতু হচ্ছে: জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, মেঘনা-গোমতী সেতু, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, ত্বরা সেতু, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ১, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ২, শীতলক্ষ্যা সেতু, কর্ণফুলি সেতু ইত্যাদি। সড়কপথে প্রায় সব জেলার সাথে যোগাযোগ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো (ব্রিজ, কালভার্ট) নির্মিত না হওয়ায় ফেরি পারাপারের প্রয়োজন পরে। সড়কপথে জেলাভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় বড় যানবাহন যেমন: ট্রাক, বাস ব্যবহৃত হলেও আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে ট্যাক্সি, সিএনজি, মিনিবাস, ট্রাক ইত্যাদি যান্ত্রিক বাহন ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বহু পুরাতন আমলের অযান্ত্রিক বাহন যেমন: রিকশা, গরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়িও ব্যবহৃত হয়।বাংলাদেশে স্থলভাগে রেলপথ সবচেয়ে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা হিসেবে ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশে রেলপথ ছিলো ২৮৫৭ কিলোমিটার। ২০০৮-২০০৯ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশে রেলপথ ছিল ২৮৩৫ কিলোমিটার। এদেশে মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ-দু'ধরনের রেলপথ রয়েছে। রেলপথ, রেলস্টেশনের দ্বারা পরিচালিত হয়, এছাড়া বিভিন্ন স্টেশনকে জংশন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। রেলপথকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে প্রায় ৫০টিরও অধিক যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। বাংলাদেশকে ট্রান্স এশীয় রেলওয়ে জালের সঙ্গে সংযোজনের জন্য চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ অবধি ১২৮ কিলোমিটার রেলসড়ক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে (২০১৩)। এই রেলসড়ক মিয়ানমারের গুনদুম রেলস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। রেলপথে সারা বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার জন্য সরকারি উদ্যোগে কিছু রেল সেতু স্থাপন করা হয়েছে। এদের মধ্যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, ভৈরব সেতু, তিস্তা সেতু উল্লেখযোগ্য।
১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে পাকা রাস্তার পরিমাণ কত ছিল?
{ "answer_start": [ 190, 190 ], "text": [ "১৯৩১.১৭ কিলোমিটার", "১৯৩১.১৭ কিলোমিটার" ] }
bn_wiki_2835_02
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের স্থল যোগাযোগের মধ্যে সড়কপথ উল্লেখযোগ্য। সড়কপথের অবকাঠামো নির্মাণ এদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভৌগোলিক অবকাঠামোর মধ্যে বেশ ব্যয়বহুল। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশে পাকা রাস্তার পরিমাণ ছিলো ১৯৩১.১৭ কিলোমিটার, ১৯৯৬-১৯৯৭ সালের দিকে তা দাঁড়ায় ১৭৮৮৫৯ কিলোমিটারে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে দেশের জাতীয় মহাসড়ক ৩৪৭৮ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪২২২ কিলোমিটার এবং ফিডার/জেলা রোড ১৩২৪৮ কিলোমিটার। দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য "বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন" (বিআরটিসি) নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে যমুনা নদীর উপরে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু ১৯৯৮ সালের জুন মাসে উদ্বোধন করা হয় যা রাজধানী ঢাকাকে উত্তরবঙ্গের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করে। এছাড়াও ৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ চলছে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ সংযুক্ত হবে। অন্যান্য বৃহৎ সড়ক সেতু হচ্ছে: জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, মেঘনা-গোমতী সেতু, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, ত্বরা সেতু, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ১, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ২, শীতলক্ষ্যা সেতু, কর্ণফুলি সেতু ইত্যাদি। সড়কপথে প্রায় সব জেলার সাথে যোগাযোগ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো (ব্রিজ, কালভার্ট) নির্মিত না হওয়ায় ফেরি পারাপারের প্রয়োজন পরে। সড়কপথে জেলাভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় বড় যানবাহন যেমন: ট্রাক, বাস ব্যবহৃত হলেও আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে ট্যাক্সি, সিএনজি, মিনিবাস, ট্রাক ইত্যাদি যান্ত্রিক বাহন ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বহু পুরাতন আমলের অযান্ত্রিক বাহন যেমন: রিকশা, গরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়িও ব্যবহৃত হয়।বাংলাদেশে স্থলভাগে রেলপথ সবচেয়ে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা হিসেবে ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশে রেলপথ ছিলো ২৮৫৭ কিলোমিটার। ২০০৮-২০০৯ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশে রেলপথ ছিল ২৮৩৫ কিলোমিটার। এদেশে মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ-দু'ধরনের রেলপথ রয়েছে। রেলপথ, রেলস্টেশনের দ্বারা পরিচালিত হয়, এছাড়া বিভিন্ন স্টেশনকে জংশন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। রেলপথকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে প্রায় ৫০টিরও অধিক যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। বাংলাদেশকে ট্রান্স এশীয় রেলওয়ে জালের সঙ্গে সংযোজনের জন্য চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ অবধি ১২৮ কিলোমিটার রেলসড়ক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে (২০১৩)। এই রেলসড়ক মিয়ানমারের গুনদুম রেলস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। রেলপথে সারা বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার জন্য সরকারি উদ্যোগে কিছু রেল সেতু স্থাপন করা হয়েছে। এদের মধ্যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, ভৈরব সেতু, তিস্তা সেতু উল্লেখযোগ্য।
২০১০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে জাতীয় মহাসড়ক কত কিলোমিটার ছিল?
{ "answer_start": [ 300, 300 ], "text": [ "৩৪৭৮ কিলোমিটার", "৩৪৭৮ কিলোমিটার" ] }
bn_wiki_2835_03
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের স্থল যোগাযোগের মধ্যে সড়কপথ উল্লেখযোগ্য। সড়কপথের অবকাঠামো নির্মাণ এদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভৌগোলিক অবকাঠামোর মধ্যে বেশ ব্যয়বহুল। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশে পাকা রাস্তার পরিমাণ ছিলো ১৯৩১.১৭ কিলোমিটার, ১৯৯৬-১৯৯৭ সালের দিকে তা দাঁড়ায় ১৭৮৮৫৯ কিলোমিটারে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে দেশের জাতীয় মহাসড়ক ৩৪৭৮ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪২২২ কিলোমিটার এবং ফিডার/জেলা রোড ১৩২৪৮ কিলোমিটার। দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য "বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন" (বিআরটিসি) নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে যমুনা নদীর উপরে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু ১৯৯৮ সালের জুন মাসে উদ্বোধন করা হয় যা রাজধানী ঢাকাকে উত্তরবঙ্গের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করে। এছাড়াও ৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ চলছে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ সংযুক্ত হবে। অন্যান্য বৃহৎ সড়ক সেতু হচ্ছে: জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, মেঘনা-গোমতী সেতু, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, ত্বরা সেতু, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ১, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ২, শীতলক্ষ্যা সেতু, কর্ণফুলি সেতু ইত্যাদি। সড়কপথে প্রায় সব জেলার সাথে যোগাযোগ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো (ব্রিজ, কালভার্ট) নির্মিত না হওয়ায় ফেরি পারাপারের প্রয়োজন পরে। সড়কপথে জেলাভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় বড় যানবাহন যেমন: ট্রাক, বাস ব্যবহৃত হলেও আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে ট্যাক্সি, সিএনজি, মিনিবাস, ট্রাক ইত্যাদি যান্ত্রিক বাহন ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বহু পুরাতন আমলের অযান্ত্রিক বাহন যেমন: রিকশা, গরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়িও ব্যবহৃত হয়।বাংলাদেশে স্থলভাগে রেলপথ সবচেয়ে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা হিসেবে ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশে রেলপথ ছিলো ২৮৫৭ কিলোমিটার। ২০০৮-২০০৯ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশে রেলপথ ছিল ২৮৩৫ কিলোমিটার। এদেশে মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ-দু'ধরনের রেলপথ রয়েছে। রেলপথ, রেলস্টেশনের দ্বারা পরিচালিত হয়, এছাড়া বিভিন্ন স্টেশনকে জংশন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। রেলপথকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে প্রায় ৫০টিরও অধিক যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। বাংলাদেশকে ট্রান্স এশীয় রেলওয়ে জালের সঙ্গে সংযোজনের জন্য চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ অবধি ১২৮ কিলোমিটার রেলসড়ক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে (২০১৩)। এই রেলসড়ক মিয়ানমারের গুনদুম রেলস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। রেলপথে সারা বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার জন্য সরকারি উদ্যোগে কিছু রেল সেতু স্থাপন করা হয়েছে। এদের মধ্যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, ভৈরব সেতু, তিস্তা সেতু উল্লেখযোগ্য।
২০১০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে আঞ্চলিক মহাসড়ক কত কিলোমিটার ছিল?
{ "answer_start": [ 331, 331 ], "text": [ " ৪২২২ কিলোমিটার", " ৪২২২ কিলোমিটার" ] }
bn_wiki_2835_04
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের স্থল যোগাযোগের মধ্যে সড়কপথ উল্লেখযোগ্য। সড়কপথের অবকাঠামো নির্মাণ এদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভৌগোলিক অবকাঠামোর মধ্যে বেশ ব্যয়বহুল। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশে পাকা রাস্তার পরিমাণ ছিলো ১৯৩১.১৭ কিলোমিটার, ১৯৯৬-১৯৯৭ সালের দিকে তা দাঁড়ায় ১৭৮৮৫৯ কিলোমিটারে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে দেশের জাতীয় মহাসড়ক ৩৪৭৮ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪২২২ কিলোমিটার এবং ফিডার/জেলা রোড ১৩২৪৮ কিলোমিটার। দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য "বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন" (বিআরটিসি) নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে যমুনা নদীর উপরে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু ১৯৯৮ সালের জুন মাসে উদ্বোধন করা হয় যা রাজধানী ঢাকাকে উত্তরবঙ্গের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করে। এছাড়াও ৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ চলছে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ সংযুক্ত হবে। অন্যান্য বৃহৎ সড়ক সেতু হচ্ছে: জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, মেঘনা-গোমতী সেতু, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, ত্বরা সেতু, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ১, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ২, শীতলক্ষ্যা সেতু, কর্ণফুলি সেতু ইত্যাদি। সড়কপথে প্রায় সব জেলার সাথে যোগাযোগ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো (ব্রিজ, কালভার্ট) নির্মিত না হওয়ায় ফেরি পারাপারের প্রয়োজন পরে। সড়কপথে জেলাভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় বড় যানবাহন যেমন: ট্রাক, বাস ব্যবহৃত হলেও আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে ট্যাক্সি, সিএনজি, মিনিবাস, ট্রাক ইত্যাদি যান্ত্রিক বাহন ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বহু পুরাতন আমলের অযান্ত্রিক বাহন যেমন: রিকশা, গরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়িও ব্যবহৃত হয়।বাংলাদেশে স্থলভাগে রেলপথ সবচেয়ে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা হিসেবে ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশে রেলপথ ছিলো ২৮৫৭ কিলোমিটার। ২০০৮-২০০৯ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশে রেলপথ ছিল ২৮৩৫ কিলোমিটার। এদেশে মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ-দু'ধরনের রেলপথ রয়েছে। রেলপথ, রেলস্টেশনের দ্বারা পরিচালিত হয়, এছাড়া বিভিন্ন স্টেশনকে জংশন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। রেলপথকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে প্রায় ৫০টিরও অধিক যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। বাংলাদেশকে ট্রান্স এশীয় রেলওয়ে জালের সঙ্গে সংযোজনের জন্য চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ অবধি ১২৮ কিলোমিটার রেলসড়ক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে (২০১৩)। এই রেলসড়ক মিয়ানমারের গুনদুম রেলস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। রেলপথে সারা বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার জন্য সরকারি উদ্যোগে কিছু রেল সেতু স্থাপন করা হয়েছে। এদের মধ্যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, ভৈরব সেতু, তিস্তা সেতু উল্লেখযোগ্য।
"বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন" কেন গঠন করা হয়েছে?
{ "answer_start": [ 382, 382 ], "text": [ " দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য ", " দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য " ] }
bn_wiki_2835_05
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের স্থল যোগাযোগের মধ্যে সড়কপথ উল্লেখযোগ্য। সড়কপথের অবকাঠামো নির্মাণ এদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভৌগোলিক অবকাঠামোর মধ্যে বেশ ব্যয়বহুল। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশে পাকা রাস্তার পরিমাণ ছিলো ১৯৩১.১৭ কিলোমিটার, ১৯৯৬-১৯৯৭ সালের দিকে তা দাঁড়ায় ১৭৮৮৫৯ কিলোমিটারে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে দেশের জাতীয় মহাসড়ক ৩৪৭৮ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪২২২ কিলোমিটার এবং ফিডার/জেলা রোড ১৩২৪৮ কিলোমিটার। দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য "বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন" (বিআরটিসি) নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে যমুনা নদীর উপরে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু ১৯৯৮ সালের জুন মাসে উদ্বোধন করা হয় যা রাজধানী ঢাকাকে উত্তরবঙ্গের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করে। এছাড়াও ৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ চলছে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ সংযুক্ত হবে। অন্যান্য বৃহৎ সড়ক সেতু হচ্ছে: জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, মেঘনা-গোমতী সেতু, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, ত্বরা সেতু, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ১, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ২, শীতলক্ষ্যা সেতু, কর্ণফুলি সেতু ইত্যাদি। সড়কপথে প্রায় সব জেলার সাথে যোগাযোগ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো (ব্রিজ, কালভার্ট) নির্মিত না হওয়ায় ফেরি পারাপারের প্রয়োজন পরে। সড়কপথে জেলাভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় বড় যানবাহন যেমন: ট্রাক, বাস ব্যবহৃত হলেও আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে ট্যাক্সি, সিএনজি, মিনিবাস, ট্রাক ইত্যাদি যান্ত্রিক বাহন ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বহু পুরাতন আমলের অযান্ত্রিক বাহন যেমন: রিকশা, গরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়িও ব্যবহৃত হয়।বাংলাদেশে স্থলভাগে রেলপথ সবচেয়ে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা হিসেবে ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশে রেলপথ ছিলো ২৮৫৭ কিলোমিটার। ২০০৮-২০০৯ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশে রেলপথ ছিল ২৮৩৫ কিলোমিটার। এদেশে মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ-দু'ধরনের রেলপথ রয়েছে। রেলপথ, রেলস্টেশনের দ্বারা পরিচালিত হয়, এছাড়া বিভিন্ন স্টেশনকে জংশন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। রেলপথকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে প্রায় ৫০টিরও অধিক যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। বাংলাদেশকে ট্রান্স এশীয় রেলওয়ে জালের সঙ্গে সংযোজনের জন্য চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ অবধি ১২৮ কিলোমিটার রেলসড়ক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে (২০১৩)। এই রেলসড়ক মিয়ানমারের গুনদুম রেলস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। রেলপথে সারা বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার জন্য সরকারি উদ্যোগে কিছু রেল সেতু স্থাপন করা হয়েছে। এদের মধ্যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, ভৈরব সেতু, তিস্তা সেতু উল্লেখযোগ্য।
ভারতে রেলপথ কত কিলোমিটার?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_1427_01
সমাজতন্ত্র
সমাজতন্ত্র হল সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্যায়। উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র ব্যক্তিগত মালিকানার উৎখাত ঘটায় এবং মানুষে মানুষে শোষণ, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বেকারত্বের বিলোপ ঘটায়, উন্মুক্ত করে উৎপাদনী শক্তির পরিকল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্ণতর রূপদানের প্রান্তর। সমাজতন্ত্রের আমলে সামাজিক উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল জনগণের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ সাধন। সমাজতন্ত্রের মুলনীতি হলো 'প্রত্যেকে কাজ করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং প্রত্যেকে গ্রহণ করবে তার প্রয়োজন অনু্যায়ী।' সমাজতন্ত্র দুই ধরনেরঃ কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিলো ১৯১৭ সালে। সমাজতন্ত্রে বৈরি শ্রেণি নাই, কেননা কলকারখানা, ভূমি, সবই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সম্পত্তি। সমাজতন্ত্রে শ্রেণি শোষণ বিলুপ্ত হয়।শুরু হয় সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি।
সমাজতন্ত্র কী?
{ "answer_start": [ 0, 0 ], "text": [ "সমাজতন্ত্র হল সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্যায়", "সমাজতন্ত্র হল সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্যায়" ] }
bn_wiki_1427_02
সমাজতন্ত্র
সমাজতন্ত্র হল সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্যায়। উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র ব্যক্তিগত মালিকানার উৎখাত ঘটায় এবং মানুষে মানুষে শোষণ, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বেকারত্বের বিলোপ ঘটায়, উন্মুক্ত করে উৎপাদনী শক্তির পরিকল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্ণতর রূপদানের প্রান্তর। সমাজতন্ত্রের আমলে সামাজিক উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল জনগণের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ সাধন। সমাজতন্ত্রের মুলনীতি হলো 'প্রত্যেকে কাজ করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং প্রত্যেকে গ্রহণ করবে তার প্রয়োজন অনু্যায়ী।' সমাজতন্ত্র দুই ধরনেরঃ কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিলো ১৯১৭ সালে। সমাজতন্ত্রে বৈরি শ্রেণি নাই, কেননা কলকারখানা, ভূমি, সবই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সম্পত্তি। সমাজতন্ত্রে শ্রেণি শোষণ বিলুপ্ত হয়।শুরু হয় সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি।
সমাজতন্ত্র এর অর্থনৈতিক ভিত্তি কী?
{ "answer_start": [ 46, 46 ], "text": [ "উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা", "উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা" ] }
bn_wiki_1427_03
সমাজতন্ত্র
সমাজতন্ত্র হল সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্যায়। উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র ব্যক্তিগত মালিকানার উৎখাত ঘটায় এবং মানুষে মানুষে শোষণ, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বেকারত্বের বিলোপ ঘটায়, উন্মুক্ত করে উৎপাদনী শক্তির পরিকল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্ণতর রূপদানের প্রান্তর। সমাজতন্ত্রের আমলে সামাজিক উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল জনগণের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ সাধন। সমাজতন্ত্রের মুলনীতি হলো 'প্রত্যেকে কাজ করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং প্রত্যেকে গ্রহণ করবে তার প্রয়োজন অনু্যায়ী।' সমাজতন্ত্র দুই ধরনেরঃ কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিলো ১৯১৭ সালে। সমাজতন্ত্রে বৈরি শ্রেণি নাই, কেননা কলকারখানা, ভূমি, সবই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সম্পত্তি। সমাজতন্ত্রে শ্রেণি শোষণ বিলুপ্ত হয়।শুরু হয় সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি।
সমাজতন্ত্রের আমলে সামাজিক উৎপাদনের লক্ষ্য কী ছিল?
{ "answer_start": [ 355, 355 ], "text": [ "জনগণের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ সাধন", "জনগণের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ সাধন" ] }
bn_wiki_1427_04
সমাজতন্ত্র
সমাজতন্ত্র হল সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্যায়। উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র ব্যক্তিগত মালিকানার উৎখাত ঘটায় এবং মানুষে মানুষে শোষণ, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বেকারত্বের বিলোপ ঘটায়, উন্মুক্ত করে উৎপাদনী শক্তির পরিকল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্ণতর রূপদানের প্রান্তর। সমাজতন্ত্রের আমলে সামাজিক উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল জনগণের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ সাধন। সমাজতন্ত্রের মুলনীতি হলো 'প্রত্যেকে কাজ করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং প্রত্যেকে গ্রহণ করবে তার প্রয়োজন অনু্যায়ী।' সমাজতন্ত্র দুই ধরনেরঃ কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিলো ১৯১৭ সালে। সমাজতন্ত্রে বৈরি শ্রেণি নাই, কেননা কলকারখানা, ভূমি, সবই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সম্পত্তি। সমাজতন্ত্রে শ্রেণি শোষণ বিলুপ্ত হয়।শুরু হয় সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি।
সমাজতন্ত্রের মুলনীতি কী?
{ "answer_start": [ 448, 448 ], "text": [ "প্রত্যেকে কাজ করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং প্রত্যেকে গ্রহণ করবে তার প্রয়োজন অনু্যায়ী", "প্রত্যেকে কাজ করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং প্রত্যেকে গ্রহণ করবে তার প্রয়োজন অনু্যায়ী" ] }
bn_wiki_2725_01
ডাভিড হিলবের্ট
১৮৯২ সালে, হিলবের্ট ক্যাথি জেরস্ককে (১৮৬৪ – ১৯৪৫) বিয়ে করেন যিনি ক্যোনিগসবের্গের একজন ব্যবসায়ীর মেয়ে ছিলেন। স্বাধীনচেতা স্পষ্টবাদী এই মহিলার সাথে হিলবের্টের মিল ছিল। ক্যোনিগসবের্গে থাকাকালীন তাঁদের এক সন্তান হয়, ফ্রান্স হিলবের্ট (১৮৯৩ – ১৯৬৯)। ফ্রান্স সারাজীবন ধরে এক অনির্ণীত মানসিক রোগে ভুগতো। তার এই হীনবুদ্ধিতা তার বাবার কাছে একটা ভয়াবহ হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এই দুর্ভাগ্য গ্যোটিঙেনের গণিতবিদ এবং ছাত্রছাত্রীদের এক প্রধান সমস্যা ছিল। হিলবের্ট গণিতবিদ হেরমান মিংকফ্‌স্কিকে তাঁর “সবচেয়ে ভালো এবং সত্যিকারের বন্ধু” বলে গণ্য করতেন। হিলবের্ট খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন এবং প্রুশীয় ইভাঞ্জেলিকাল মণ্ডলীতে কালভাঁপন্থী হয়ে পড়েন। পরে তিনি চার্চ পরিত্যাগ করেন এবং একজন অজ্ঞেয়বাদী হয়ে যান। তিনি বলেন গণিতের সত্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব অথবা অন্য কোন পূর্বকৃত ধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। যখন সৌরকেন্দ্রিক মতবাদের ওপর তাঁর প্রতিষ্ঠিত সত্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেননি বলে গ্যালিলিও গ্যালিলেইকে সমালোচনা করা হয়, হিলবের্ট তার প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, “কিন্তু গ্যালিলিও বোকা ছিলেন না। বোকারাই মনে করে বৈজ্ঞানিক সত্যের জন্য শহীদ হতে হয়; এটা ধর্মে প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক ফলাফল নিজেই একসময় প্রমাণিত হয়।” ১৯২৫ সাল নাগাদ, হিলবের্টের পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া হয়, তৎকালীন সময়ে এটি ছিল একটি দুরারোগ্য ব্যাধি; ভিটামিনের অভাবে এই রোগ হয় যার প্রাথমিক লক্ষণ হল ক্লান্তি; তাঁর সহকারী ইউজিন উইগনার তাঁকে “প্রচণ্ড ক্লান্ত” এক ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং যেভাবে তাঁকে “বৃদ্ধ মনে হয়” এবং তাঁর রোগের নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরেও, তিনি “১৯২৫ সালের পর থেকে একজন নামমাত্র বিজ্ঞানী ছিলেন এবং অবশ্যই একজন হিলবের্ট নন।” ১৯৩৩ সালে হিলবের্ট দেখেছিলেন গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত সকল শিক্ষকদের নাৎসীরা বিতাড়িত করে দিচ্ছে। যাদের চলে যেতে বাধ্য হতে হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন হেরম্যান ওয়েইল (যিনি ১৯৩০ সালে যখন হিলবের্ট অবসর নেন তখন তাঁর পদ পান), এমি নোয়েদার এবং এডমন্ড ল্যান্ডো। পল বার্নেস নামে এক ব্যক্তি যিনি হিলবের্টের সাথে গাণিতিক যুক্তি নিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন এবং গ্রান্ডল্যাগেন ডার ম্যাথেমেটিক নামে বিখ্যাত বইটি (যেটি ১৯৩৪ এবং ১৯৩৯ সালে দুটি খণ্ডে বের হয়েছিল) দুজনে একসাথে লিখেছিলেন, তাঁকেও জার্মানি ছাড়তে হয়। উক্ত বইটি হিলবের্ট-আকারম্যানের লেখা বই প্রিন্সিপলস অফ ম্যাথেমেটিকাল লজিকের (১৯২৮) একটি সিক্যুয়েল। হেরম্যান ওয়েইলের পরে আসেন হেলমাট হেসে। প্রায় একবছর পরে, হিলবের্ট একটি ভোজসভায় আমন্ত্রিত হয়ে আসেন এবং নতুন শিক্ষামন্ত্রী বার্নহার্ড রাস্টের পাশেই বসেন। রাস্ট জিগ্যেস করেছিলেন “ইহুদীদের চলে যাওয়ার ফলে কি গণিত প্রতিষ্ঠান কি সত্যিই খুব দুরবস্থার মুখে পড়েছে?” উত্তরে হিলবার্ট বলেছিলেন, “দুরবস্থা? এর তো আর কোন অস্তিত্বই নেই, আছে কি?”
হিলবের্ট তাঁর “সবচেয়ে ভালো এবং সত্যিকারের বন্ধু” বলে গণ্য করতেন কাকে?
{ "answer_start": [ 472, 472 ], "text": [ "হেরমান মিংকফ্‌স্কিকে", "হেরমান মিংকফ্‌স্কিকে" ] }
bn_wiki_2725_02
ডাভিড হিলবের্ট
১৮৯২ সালে, হিলবের্ট ক্যাথি জেরস্ককে (১৮৬৪ – ১৯৪৫) বিয়ে করেন যিনি ক্যোনিগসবের্গের একজন ব্যবসায়ীর মেয়ে ছিলেন। স্বাধীনচেতা স্পষ্টবাদী এই মহিলার সাথে হিলবের্টের মিল ছিল। ক্যোনিগসবের্গে থাকাকালীন তাঁদের এক সন্তান হয়, ফ্রান্স হিলবের্ট (১৮৯৩ – ১৯৬৯)। ফ্রান্স সারাজীবন ধরে এক অনির্ণীত মানসিক রোগে ভুগতো। তার এই হীনবুদ্ধিতা তার বাবার কাছে একটা ভয়াবহ হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এই দুর্ভাগ্য গ্যোটিঙেনের গণিতবিদ এবং ছাত্রছাত্রীদের এক প্রধান সমস্যা ছিল। হিলবের্ট গণিতবিদ হেরমান মিংকফ্‌স্কিকে তাঁর “সবচেয়ে ভালো এবং সত্যিকারের বন্ধু” বলে গণ্য করতেন। হিলবের্ট খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন এবং প্রুশীয় ইভাঞ্জেলিকাল মণ্ডলীতে কালভাঁপন্থী হয়ে পড়েন। পরে তিনি চার্চ পরিত্যাগ করেন এবং একজন অজ্ঞেয়বাদী হয়ে যান। তিনি বলেন গণিতের সত্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব অথবা অন্য কোন পূর্বকৃত ধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। যখন সৌরকেন্দ্রিক মতবাদের ওপর তাঁর প্রতিষ্ঠিত সত্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেননি বলে গ্যালিলিও গ্যালিলেইকে সমালোচনা করা হয়, হিলবের্ট তার প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, “কিন্তু গ্যালিলিও বোকা ছিলেন না। বোকারাই মনে করে বৈজ্ঞানিক সত্যের জন্য শহীদ হতে হয়; এটা ধর্মে প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক ফলাফল নিজেই একসময় প্রমাণিত হয়।” ১৯২৫ সাল নাগাদ, হিলবের্টের পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া হয়, তৎকালীন সময়ে এটি ছিল একটি দুরারোগ্য ব্যাধি; ভিটামিনের অভাবে এই রোগ হয় যার প্রাথমিক লক্ষণ হল ক্লান্তি; তাঁর সহকারী ইউজিন উইগনার তাঁকে “প্রচণ্ড ক্লান্ত” এক ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং যেভাবে তাঁকে “বৃদ্ধ মনে হয়” এবং তাঁর রোগের নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরেও, তিনি “১৯২৫ সালের পর থেকে একজন নামমাত্র বিজ্ঞানী ছিলেন এবং অবশ্যই একজন হিলবের্ট নন।” ১৯৩৩ সালে হিলবের্ট দেখেছিলেন গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত সকল শিক্ষকদের নাৎসীরা বিতাড়িত করে দিচ্ছে। যাদের চলে যেতে বাধ্য হতে হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন হেরম্যান ওয়েইল (যিনি ১৯৩০ সালে যখন হিলবের্ট অবসর নেন তখন তাঁর পদ পান), এমি নোয়েদার এবং এডমন্ড ল্যান্ডো। পল বার্নেস নামে এক ব্যক্তি যিনি হিলবের্টের সাথে গাণিতিক যুক্তি নিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন এবং গ্রান্ডল্যাগেন ডার ম্যাথেমেটিক নামে বিখ্যাত বইটি (যেটি ১৯৩৪ এবং ১৯৩৯ সালে দুটি খণ্ডে বের হয়েছিল) দুজনে একসাথে লিখেছিলেন, তাঁকেও জার্মানি ছাড়তে হয়। উক্ত বইটি হিলবের্ট-আকারম্যানের লেখা বই প্রিন্সিপলস অফ ম্যাথেমেটিকাল লজিকের (১৯২৮) একটি সিক্যুয়েল। হেরম্যান ওয়েইলের পরে আসেন হেলমাট হেসে। প্রায় একবছর পরে, হিলবের্ট একটি ভোজসভায় আমন্ত্রিত হয়ে আসেন এবং নতুন শিক্ষামন্ত্রী বার্নহার্ড রাস্টের পাশেই বসেন। রাস্ট জিগ্যেস করেছিলেন “ইহুদীদের চলে যাওয়ার ফলে কি গণিত প্রতিষ্ঠান কি সত্যিই খুব দুরবস্থার মুখে পড়েছে?” উত্তরে হিলবার্ট বলেছিলেন, “দুরবস্থা? এর তো আর কোন অস্তিত্বই নেই, আছে কি?”
পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ কী?
{ "answer_start": [ 1267, 1267 ], "text": [ "ক্লান্তি", "ক্লান্তি" ] }
bn_wiki_2725_03
ডাভিড হিলবের্ট
১৮৯২ সালে, হিলবের্ট ক্যাথি জেরস্ককে (১৮৬৪ – ১৯৪৫) বিয়ে করেন যিনি ক্যোনিগসবের্গের একজন ব্যবসায়ীর মেয়ে ছিলেন। স্বাধীনচেতা স্পষ্টবাদী এই মহিলার সাথে হিলবের্টের মিল ছিল। ক্যোনিগসবের্গে থাকাকালীন তাঁদের এক সন্তান হয়, ফ্রান্স হিলবের্ট (১৮৯৩ – ১৯৬৯)। ফ্রান্স সারাজীবন ধরে এক অনির্ণীত মানসিক রোগে ভুগতো। তার এই হীনবুদ্ধিতা তার বাবার কাছে একটা ভয়াবহ হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এই দুর্ভাগ্য গ্যোটিঙেনের গণিতবিদ এবং ছাত্রছাত্রীদের এক প্রধান সমস্যা ছিল। হিলবের্ট গণিতবিদ হেরমান মিংকফ্‌স্কিকে তাঁর “সবচেয়ে ভালো এবং সত্যিকারের বন্ধু” বলে গণ্য করতেন। হিলবের্ট খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন এবং প্রুশীয় ইভাঞ্জেলিকাল মণ্ডলীতে কালভাঁপন্থী হয়ে পড়েন। পরে তিনি চার্চ পরিত্যাগ করেন এবং একজন অজ্ঞেয়বাদী হয়ে যান। তিনি বলেন গণিতের সত্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব অথবা অন্য কোন পূর্বকৃত ধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। যখন সৌরকেন্দ্রিক মতবাদের ওপর তাঁর প্রতিষ্ঠিত সত্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেননি বলে গ্যালিলিও গ্যালিলেইকে সমালোচনা করা হয়, হিলবের্ট তার প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, “কিন্তু গ্যালিলিও বোকা ছিলেন না। বোকারাই মনে করে বৈজ্ঞানিক সত্যের জন্য শহীদ হতে হয়; এটা ধর্মে প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক ফলাফল নিজেই একসময় প্রমাণিত হয়।” ১৯২৫ সাল নাগাদ, হিলবের্টের পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া হয়, তৎকালীন সময়ে এটি ছিল একটি দুরারোগ্য ব্যাধি; ভিটামিনের অভাবে এই রোগ হয় যার প্রাথমিক লক্ষণ হল ক্লান্তি; তাঁর সহকারী ইউজিন উইগনার তাঁকে “প্রচণ্ড ক্লান্ত” এক ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং যেভাবে তাঁকে “বৃদ্ধ মনে হয়” এবং তাঁর রোগের নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরেও, তিনি “১৯২৫ সালের পর থেকে একজন নামমাত্র বিজ্ঞানী ছিলেন এবং অবশ্যই একজন হিলবের্ট নন।” ১৯৩৩ সালে হিলবের্ট দেখেছিলেন গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত সকল শিক্ষকদের নাৎসীরা বিতাড়িত করে দিচ্ছে। যাদের চলে যেতে বাধ্য হতে হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন হেরম্যান ওয়েইল (যিনি ১৯৩০ সালে যখন হিলবের্ট অবসর নেন তখন তাঁর পদ পান), এমি নোয়েদার এবং এডমন্ড ল্যান্ডো। পল বার্নেস নামে এক ব্যক্তি যিনি হিলবের্টের সাথে গাণিতিক যুক্তি নিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন এবং গ্রান্ডল্যাগেন ডার ম্যাথেমেটিক নামে বিখ্যাত বইটি (যেটি ১৯৩৪ এবং ১৯৩৯ সালে দুটি খণ্ডে বের হয়েছিল) দুজনে একসাথে লিখেছিলেন, তাঁকেও জার্মানি ছাড়তে হয়। উক্ত বইটি হিলবের্ট-আকারম্যানের লেখা বই প্রিন্সিপলস অফ ম্যাথেমেটিকাল লজিকের (১৯২৮) একটি সিক্যুয়েল। হেরম্যান ওয়েইলের পরে আসেন হেলমাট হেসে। প্রায় একবছর পরে, হিলবের্ট একটি ভোজসভায় আমন্ত্রিত হয়ে আসেন এবং নতুন শিক্ষামন্ত্রী বার্নহার্ড রাস্টের পাশেই বসেন। রাস্ট জিগ্যেস করেছিলেন “ইহুদীদের চলে যাওয়ার ফলে কি গণিত প্রতিষ্ঠান কি সত্যিই খুব দুরবস্থার মুখে পড়েছে?” উত্তরে হিলবার্ট বলেছিলেন, “দুরবস্থা? এর তো আর কোন অস্তিত্বই নেই, আছে কি?”
কত সালে হিলবার্ট পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত হন?
{ "answer_start": [ 1116, 1116 ], "text": [ "১৯২৫", "১৯২৫" ] }
bn_wiki_2725_04
ডাভিড হিলবের্ট
১৮৯২ সালে, হিলবের্ট ক্যাথি জেরস্ককে (১৮৬৪ – ১৯৪৫) বিয়ে করেন যিনি ক্যোনিগসবের্গের একজন ব্যবসায়ীর মেয়ে ছিলেন। স্বাধীনচেতা স্পষ্টবাদী এই মহিলার সাথে হিলবের্টের মিল ছিল। ক্যোনিগসবের্গে থাকাকালীন তাঁদের এক সন্তান হয়, ফ্রান্স হিলবের্ট (১৮৯৩ – ১৯৬৯)। ফ্রান্স সারাজীবন ধরে এক অনির্ণীত মানসিক রোগে ভুগতো। তার এই হীনবুদ্ধিতা তার বাবার কাছে একটা ভয়াবহ হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এই দুর্ভাগ্য গ্যোটিঙেনের গণিতবিদ এবং ছাত্রছাত্রীদের এক প্রধান সমস্যা ছিল। হিলবের্ট গণিতবিদ হেরমান মিংকফ্‌স্কিকে তাঁর “সবচেয়ে ভালো এবং সত্যিকারের বন্ধু” বলে গণ্য করতেন। হিলবের্ট খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন এবং প্রুশীয় ইভাঞ্জেলিকাল মণ্ডলীতে কালভাঁপন্থী হয়ে পড়েন। পরে তিনি চার্চ পরিত্যাগ করেন এবং একজন অজ্ঞেয়বাদী হয়ে যান। তিনি বলেন গণিতের সত্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব অথবা অন্য কোন পূর্বকৃত ধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। যখন সৌরকেন্দ্রিক মতবাদের ওপর তাঁর প্রতিষ্ঠিত সত্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেননি বলে গ্যালিলিও গ্যালিলেইকে সমালোচনা করা হয়, হিলবের্ট তার প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, “কিন্তু গ্যালিলিও বোকা ছিলেন না। বোকারাই মনে করে বৈজ্ঞানিক সত্যের জন্য শহীদ হতে হয়; এটা ধর্মে প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক ফলাফল নিজেই একসময় প্রমাণিত হয়।” ১৯২৫ সাল নাগাদ, হিলবের্টের পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া হয়, তৎকালীন সময়ে এটি ছিল একটি দুরারোগ্য ব্যাধি; ভিটামিনের অভাবে এই রোগ হয় যার প্রাথমিক লক্ষণ হল ক্লান্তি; তাঁর সহকারী ইউজিন উইগনার তাঁকে “প্রচণ্ড ক্লান্ত” এক ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং যেভাবে তাঁকে “বৃদ্ধ মনে হয়” এবং তাঁর রোগের নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরেও, তিনি “১৯২৫ সালের পর থেকে একজন নামমাত্র বিজ্ঞানী ছিলেন এবং অবশ্যই একজন হিলবের্ট নন।” ১৯৩৩ সালে হিলবের্ট দেখেছিলেন গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত সকল শিক্ষকদের নাৎসীরা বিতাড়িত করে দিচ্ছে। যাদের চলে যেতে বাধ্য হতে হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন হেরম্যান ওয়েইল (যিনি ১৯৩০ সালে যখন হিলবের্ট অবসর নেন তখন তাঁর পদ পান), এমি নোয়েদার এবং এডমন্ড ল্যান্ডো। পল বার্নেস নামে এক ব্যক্তি যিনি হিলবের্টের সাথে গাণিতিক যুক্তি নিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন এবং গ্রান্ডল্যাগেন ডার ম্যাথেমেটিক নামে বিখ্যাত বইটি (যেটি ১৯৩৪ এবং ১৯৩৯ সালে দুটি খণ্ডে বের হয়েছিল) দুজনে একসাথে লিখেছিলেন, তাঁকেও জার্মানি ছাড়তে হয়। উক্ত বইটি হিলবের্ট-আকারম্যানের লেখা বই প্রিন্সিপলস অফ ম্যাথেমেটিকাল লজিকের (১৯২৮) একটি সিক্যুয়েল। হেরম্যান ওয়েইলের পরে আসেন হেলমাট হেসে। প্রায় একবছর পরে, হিলবের্ট একটি ভোজসভায় আমন্ত্রিত হয়ে আসেন এবং নতুন শিক্ষামন্ত্রী বার্নহার্ড রাস্টের পাশেই বসেন। রাস্ট জিগ্যেস করেছিলেন “ইহুদীদের চলে যাওয়ার ফলে কি গণিত প্রতিষ্ঠান কি সত্যিই খুব দুরবস্থার মুখে পড়েছে?” উত্তরে হিলবার্ট বলেছিলেন, “দুরবস্থা? এর তো আর কোন অস্তিত্বই নেই, আছে কি?”
গ্রুন্ডলাগেন ডের গেওমেট্রিক বইয়ের লেখক কে?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_2725_05
ডাভিড হিলবের্ট
১৮৯২ সালে, হিলবের্ট ক্যাথি জেরস্ককে (১৮৬৪ – ১৯৪৫) বিয়ে করেন যিনি ক্যোনিগসবের্গের একজন ব্যবসায়ীর মেয়ে ছিলেন। স্বাধীনচেতা স্পষ্টবাদী এই মহিলার সাথে হিলবের্টের মিল ছিল। ক্যোনিগসবের্গে থাকাকালীন তাঁদের এক সন্তান হয়, ফ্রান্স হিলবের্ট (১৮৯৩ – ১৯৬৯)। ফ্রান্স সারাজীবন ধরে এক অনির্ণীত মানসিক রোগে ভুগতো। তার এই হীনবুদ্ধিতা তার বাবার কাছে একটা ভয়াবহ হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এই দুর্ভাগ্য গ্যোটিঙেনের গণিতবিদ এবং ছাত্রছাত্রীদের এক প্রধান সমস্যা ছিল। হিলবের্ট গণিতবিদ হেরমান মিংকফ্‌স্কিকে তাঁর “সবচেয়ে ভালো এবং সত্যিকারের বন্ধু” বলে গণ্য করতেন। হিলবের্ট খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন এবং প্রুশীয় ইভাঞ্জেলিকাল মণ্ডলীতে কালভাঁপন্থী হয়ে পড়েন। পরে তিনি চার্চ পরিত্যাগ করেন এবং একজন অজ্ঞেয়বাদী হয়ে যান। তিনি বলেন গণিতের সত্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব অথবা অন্য কোন পূর্বকৃত ধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। যখন সৌরকেন্দ্রিক মতবাদের ওপর তাঁর প্রতিষ্ঠিত সত্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেননি বলে গ্যালিলিও গ্যালিলেইকে সমালোচনা করা হয়, হিলবের্ট তার প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, “কিন্তু গ্যালিলিও বোকা ছিলেন না। বোকারাই মনে করে বৈজ্ঞানিক সত্যের জন্য শহীদ হতে হয়; এটা ধর্মে প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক ফলাফল নিজেই একসময় প্রমাণিত হয়।” ১৯২৫ সাল নাগাদ, হিলবের্টের পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া হয়, তৎকালীন সময়ে এটি ছিল একটি দুরারোগ্য ব্যাধি; ভিটামিনের অভাবে এই রোগ হয় যার প্রাথমিক লক্ষণ হল ক্লান্তি; তাঁর সহকারী ইউজিন উইগনার তাঁকে “প্রচণ্ড ক্লান্ত” এক ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং যেভাবে তাঁকে “বৃদ্ধ মনে হয়” এবং তাঁর রোগের নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরেও, তিনি “১৯২৫ সালের পর থেকে একজন নামমাত্র বিজ্ঞানী ছিলেন এবং অবশ্যই একজন হিলবের্ট নন।” ১৯৩৩ সালে হিলবের্ট দেখেছিলেন গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত সকল শিক্ষকদের নাৎসীরা বিতাড়িত করে দিচ্ছে। যাদের চলে যেতে বাধ্য হতে হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন হেরম্যান ওয়েইল (যিনি ১৯৩০ সালে যখন হিলবের্ট অবসর নেন তখন তাঁর পদ পান), এমি নোয়েদার এবং এডমন্ড ল্যান্ডো। পল বার্নেস নামে এক ব্যক্তি যিনি হিলবের্টের সাথে গাণিতিক যুক্তি নিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন এবং গ্রান্ডল্যাগেন ডার ম্যাথেমেটিক নামে বিখ্যাত বইটি (যেটি ১৯৩৪ এবং ১৯৩৯ সালে দুটি খণ্ডে বের হয়েছিল) দুজনে একসাথে লিখেছিলেন, তাঁকেও জার্মানি ছাড়তে হয়। উক্ত বইটি হিলবের্ট-আকারম্যানের লেখা বই প্রিন্সিপলস অফ ম্যাথেমেটিকাল লজিকের (১৯২৮) একটি সিক্যুয়েল। হেরম্যান ওয়েইলের পরে আসেন হেলমাট হেসে। প্রায় একবছর পরে, হিলবের্ট একটি ভোজসভায় আমন্ত্রিত হয়ে আসেন এবং নতুন শিক্ষামন্ত্রী বার্নহার্ড রাস্টের পাশেই বসেন। রাস্ট জিগ্যেস করেছিলেন “ইহুদীদের চলে যাওয়ার ফলে কি গণিত প্রতিষ্ঠান কি সত্যিই খুব দুরবস্থার মুখে পড়েছে?” উত্তরে হিলবার্ট বলেছিলেন, “দুরবস্থা? এর তো আর কোন অস্তিত্বই নেই, আছে কি?”
হিলবার্টের সমস্যাতালিকায় কয়টি সমস্যা আছে?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_0583_02
জোম্যাটো
জোম্যাটো ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁর সংযোগকারী তথা ওয়েবসাইট ও অ্যাপ মারফৎ খাবার সরবরাহ (ডেলিভারি) করার একটি স্টার্ট-আপ। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন দীপিন্দর গোয়েল ও পঙ্কজ চাড্ডা। এটি রেস্তোঁরা সম্বন্ধে তথ্য, খাবারের মেনু এবং রেস্তোঁরাগুলির ব্যবহারকারী-রিভিউ দেওয়ার পাশাপাশিই অংশীদার রেস্তোঁরাগুলি থেকে খাবার সরবরাহও করে ভারতের ৬৩ টি শহরে। ২০১৬-এর হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীর ২৪টি দেশে জোম্যাটো পরিষেবা প্রদান করছে। জোম্যাটো ২০০৮ সালে ফুডিবে হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১০ সালে এটির নাম জোম্যাটো রাখা হয়। ২০১১ সালে জোম্যাটো সারা ভারত জুড়ে দিল্লী জাতীয় রাজধানী অঞ্চল, মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, পুনে এবং কলকাতায় বিস্তৃত হয়। এরপরে, ২০১২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, কাতার, যুক্তরাজ্য, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বেশ কয়েকটি দেশগুলিতে আন্তর্জাতিকভাবে পরিষেবা প্রদান করা আরম্ভ করে। ২০১৩ সালে, জোম্যাটো নিউজিল্যান্ড, তুরস্ক, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ায় পরিষেবা চালু করে এবং তাদের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি তুর্কি, পর্তুগিজ, ইন্দোনেশিয় এবং ইংরেজি ভাষায় উপলব্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ভিত্তিক খাদ্য পোর্টাল আর্বানস্পুন এর অধিগ্রহণের সাথেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় জোম্যাটোর প্রবেশ ঘটে, ফলস্বরূপ জোম্যাটো চলে আসে খাদ্য ব্যবসা বিভাগের পৃথিবীর সুপরিচিত এবং সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানি যেমন ইয়েল্প, জাগ্যাট এবং ওপেন টেবিলের সাথে সরাসরি প্রতিদ্বন্দীতায়। বাড়তিতার জেরে তথা সংস্থার খর্চা কমাতে ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাসে, জোম্যাটো বিপুলমাত্রায় (৫৪১ জন) কর্মী ছাঁটাই করে। গ্রাহক পরিষেবা, বণিক এবং সরবরাহ-অংশীদার-সহায়ক বিভাগগুলির মতো পরোক্ষ বিভাগ (ব্যাক-এন্ড) ক্রিয়াকলাপে কর্মরত প্রায় ১০% কর্মীরা চাকুরীচ্যুত হয়ে পড়েন। বিশ্বব্যাপী জোম্যাটো এখনও পর্যন্ত ১২টি স্টার্ট-আপ কোম্পানি অর্জন (কিনে) নিয়েছে। জুলাই ২০১৪ সনে মেনু-ম্যানিয়া কোম্পানিটি কেনা দ্বারা জোম্যাটো তার সর্বপ্রথম কোম্পানি অর্জন করে। ক্রয়ের মূল্যটি ছিল অপ্রকাশিত। ২০১৪-এর সেপ্টেম্বরে, জোম্যাটো পোল্যান্ড ভিত্তিক রেস্তোঁরা অনুসন্ধান পরিষেবা কোম্পানি গ্যাস্ট্রোনৌচিকে একটি অপ্রকাশিত মূল্যে অর্জন করে ফেলে। তিন মাস পরে, একটি ইতালীয় রেস্তোঁরাার অনুসন্ধান পরিষেবা কোম্পানি সিবান্দোকে অর্জন করে। জোম্যাটো ২০১৫ সালে সিয়াটল ভিত্তিক খাদ্য পোর্টাল আর্বানসপুনকেও আনুমানিক মার্কিন $৬০ মিলিয়ন ডলারে অর্জন করে। ২০১৫ এর অন্যান্য অধিগ্রহণের মধ্যে ছিল বেশ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানি, যেমন একটি সম্পূর্ণ নগদ মারফৎ লেনদেনে কেনা মেকানবাদী, দিল্লি-ভিত্তিক স্টার্টআপ ম্যাপেলগ্রাফ এবং নেক্সটেবিল, একটি আমেরিকা ভিত্তিক টেবিল রিজার্ভেশন এবং রেস্তোঁরা পরিচালনার প্ল্যাটফর্মকেও জোম্যাটো একই বছর কিনে নেয়। ২০১৬ সনে জোম্যাটো স্পার্স ল্যাবস, একটি সরবরাহ প্রযুক্তি স্টার্টআপ ও পরবর্তীতে ২০১৭ সালে খাদ্য সরবারহ (ডেলিভারি) স্টার্টআপ, রান্নারকে অর্জন করে।
জোম্যাটো কী?
{ "answer_start": [ 30, 30 ], "text": [ "একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁর সংযোগকারী তথা ওয়েবসাইট ও অ্যাপ মারফৎ খাবার সরবরাহ (ডেলিভারি) করার একটি স্টার্ট-আপ", "একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁর সংযোগকারী তথা ওয়েবসাইট ও অ্যাপ মারফৎ খাবার সরবরাহ (ডেলিভারি) করার একটি স্টার্ট-আপ" ] }
bn_wiki_0583_04
জোম্যাটো
জোম্যাটো ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁর সংযোগকারী তথা ওয়েবসাইট ও অ্যাপ মারফৎ খাবার সরবরাহ (ডেলিভারি) করার একটি স্টার্ট-আপ। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন দীপিন্দর গোয়েল ও পঙ্কজ চাড্ডা। এটি রেস্তোঁরা সম্বন্ধে তথ্য, খাবারের মেনু এবং রেস্তোঁরাগুলির ব্যবহারকারী-রিভিউ দেওয়ার পাশাপাশিই অংশীদার রেস্তোঁরাগুলি থেকে খাবার সরবরাহও করে ভারতের ৬৩ টি শহরে। ২০১৬-এর হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীর ২৪টি দেশে জোম্যাটো পরিষেবা প্রদান করছে। জোম্যাটো ২০০৮ সালে ফুডিবে হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১০ সালে এটির নাম জোম্যাটো রাখা হয়। ২০১১ সালে জোম্যাটো সারা ভারত জুড়ে দিল্লী জাতীয় রাজধানী অঞ্চল, মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, পুনে এবং কলকাতায় বিস্তৃত হয়। এরপরে, ২০১২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, কাতার, যুক্তরাজ্য, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বেশ কয়েকটি দেশগুলিতে আন্তর্জাতিকভাবে পরিষেবা প্রদান করা আরম্ভ করে। ২০১৩ সালে, জোম্যাটো নিউজিল্যান্ড, তুরস্ক, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ায় পরিষেবা চালু করে এবং তাদের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি তুর্কি, পর্তুগিজ, ইন্দোনেশিয় এবং ইংরেজি ভাষায় উপলব্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ভিত্তিক খাদ্য পোর্টাল আর্বানস্পুন এর অধিগ্রহণের সাথেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় জোম্যাটোর প্রবেশ ঘটে, ফলস্বরূপ জোম্যাটো চলে আসে খাদ্য ব্যবসা বিভাগের পৃথিবীর সুপরিচিত এবং সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানি যেমন ইয়েল্প, জাগ্যাট এবং ওপেন টেবিলের সাথে সরাসরি প্রতিদ্বন্দীতায়। বাড়তিতার জেরে তথা সংস্থার খর্চা কমাতে ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাসে, জোম্যাটো বিপুলমাত্রায় (৫৪১ জন) কর্মী ছাঁটাই করে। গ্রাহক পরিষেবা, বণিক এবং সরবরাহ-অংশীদার-সহায়ক বিভাগগুলির মতো পরোক্ষ বিভাগ (ব্যাক-এন্ড) ক্রিয়াকলাপে কর্মরত প্রায় ১০% কর্মীরা চাকুরীচ্যুত হয়ে পড়েন। বিশ্বব্যাপী জোম্যাটো এখনও পর্যন্ত ১২টি স্টার্ট-আপ কোম্পানি অর্জন (কিনে) নিয়েছে। জুলাই ২০১৪ সনে মেনু-ম্যানিয়া কোম্পানিটি কেনা দ্বারা জোম্যাটো তার সর্বপ্রথম কোম্পানি অর্জন করে। ক্রয়ের মূল্যটি ছিল অপ্রকাশিত। ২০১৪-এর সেপ্টেম্বরে, জোম্যাটো পোল্যান্ড ভিত্তিক রেস্তোঁরা অনুসন্ধান পরিষেবা কোম্পানি গ্যাস্ট্রোনৌচিকে একটি অপ্রকাশিত মূল্যে অর্জন করে ফেলে। তিন মাস পরে, একটি ইতালীয় রেস্তোঁরাার অনুসন্ধান পরিষেবা কোম্পানি সিবান্দোকে অর্জন করে। জোম্যাটো ২০১৫ সালে সিয়াটল ভিত্তিক খাদ্য পোর্টাল আর্বানসপুনকেও আনুমানিক মার্কিন $৬০ মিলিয়ন ডলারে অর্জন করে। ২০১৫ এর অন্যান্য অধিগ্রহণের মধ্যে ছিল বেশ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানি, যেমন একটি সম্পূর্ণ নগদ মারফৎ লেনদেনে কেনা মেকানবাদী, দিল্লি-ভিত্তিক স্টার্টআপ ম্যাপেলগ্রাফ এবং নেক্সটেবিল, একটি আমেরিকা ভিত্তিক টেবিল রিজার্ভেশন এবং রেস্তোঁরা পরিচালনার প্ল্যাটফর্মকেও জোম্যাটো একই বছর কিনে নেয়। ২০১৬ সনে জোম্যাটো স্পার্স ল্যাবস, একটি সরবরাহ প্রযুক্তি স্টার্টআপ ও পরবর্তীতে ২০১৭ সালে খাদ্য সরবারহ (ডেলিভারি) স্টার্টআপ, রান্নারকে অর্জন করে।
জোম্যাটো কত সালে সিয়াটল ভিত্তিক খাদ্য পোর্টাল আর্বানসপুনকে অর্জন করে?
{ "answer_start": [ 2016, 2016 ], "text": [ "২০১৫ ", "২০১৫" ] }
bn_wiki_0583_05
জোম্যাটো
জোম্যাটো ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁর সংযোগকারী তথা ওয়েবসাইট ও অ্যাপ মারফৎ খাবার সরবরাহ (ডেলিভারি) করার একটি স্টার্ট-আপ। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন দীপিন্দর গোয়েল ও পঙ্কজ চাড্ডা। এটি রেস্তোঁরা সম্বন্ধে তথ্য, খাবারের মেনু এবং রেস্তোঁরাগুলির ব্যবহারকারী-রিভিউ দেওয়ার পাশাপাশিই অংশীদার রেস্তোঁরাগুলি থেকে খাবার সরবরাহও করে ভারতের ৬৩ টি শহরে। ২০১৬-এর হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীর ২৪টি দেশে জোম্যাটো পরিষেবা প্রদান করছে। জোম্যাটো ২০০৮ সালে ফুডিবে হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১০ সালে এটির নাম জোম্যাটো রাখা হয়। ২০১১ সালে জোম্যাটো সারা ভারত জুড়ে দিল্লী জাতীয় রাজধানী অঞ্চল, মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, পুনে এবং কলকাতায় বিস্তৃত হয়। এরপরে, ২০১২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, কাতার, যুক্তরাজ্য, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বেশ কয়েকটি দেশগুলিতে আন্তর্জাতিকভাবে পরিষেবা প্রদান করা আরম্ভ করে। ২০১৩ সালে, জোম্যাটো নিউজিল্যান্ড, তুরস্ক, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ায় পরিষেবা চালু করে এবং তাদের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি তুর্কি, পর্তুগিজ, ইন্দোনেশিয় এবং ইংরেজি ভাষায় উপলব্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ভিত্তিক খাদ্য পোর্টাল আর্বানস্পুন এর অধিগ্রহণের সাথেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় জোম্যাটোর প্রবেশ ঘটে, ফলস্বরূপ জোম্যাটো চলে আসে খাদ্য ব্যবসা বিভাগের পৃথিবীর সুপরিচিত এবং সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানি যেমন ইয়েল্প, জাগ্যাট এবং ওপেন টেবিলের সাথে সরাসরি প্রতিদ্বন্দীতায়। বাড়তিতার জেরে তথা সংস্থার খর্চা কমাতে ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাসে, জোম্যাটো বিপুলমাত্রায় (৫৪১ জন) কর্মী ছাঁটাই করে। গ্রাহক পরিষেবা, বণিক এবং সরবরাহ-অংশীদার-সহায়ক বিভাগগুলির মতো পরোক্ষ বিভাগ (ব্যাক-এন্ড) ক্রিয়াকলাপে কর্মরত প্রায় ১০% কর্মীরা চাকুরীচ্যুত হয়ে পড়েন। বিশ্বব্যাপী জোম্যাটো এখনও পর্যন্ত ১২টি স্টার্ট-আপ কোম্পানি অর্জন (কিনে) নিয়েছে। জুলাই ২০১৪ সনে মেনু-ম্যানিয়া কোম্পানিটি কেনা দ্বারা জোম্যাটো তার সর্বপ্রথম কোম্পানি অর্জন করে। ক্রয়ের মূল্যটি ছিল অপ্রকাশিত। ২০১৪-এর সেপ্টেম্বরে, জোম্যাটো পোল্যান্ড ভিত্তিক রেস্তোঁরা অনুসন্ধান পরিষেবা কোম্পানি গ্যাস্ট্রোনৌচিকে একটি অপ্রকাশিত মূল্যে অর্জন করে ফেলে। তিন মাস পরে, একটি ইতালীয় রেস্তোঁরাার অনুসন্ধান পরিষেবা কোম্পানি সিবান্দোকে অর্জন করে। জোম্যাটো ২০১৫ সালে সিয়াটল ভিত্তিক খাদ্য পোর্টাল আর্বানসপুনকেও আনুমানিক মার্কিন $৬০ মিলিয়ন ডলারে অর্জন করে। ২০১৫ এর অন্যান্য অধিগ্রহণের মধ্যে ছিল বেশ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানি, যেমন একটি সম্পূর্ণ নগদ মারফৎ লেনদেনে কেনা মেকানবাদী, দিল্লি-ভিত্তিক স্টার্টআপ ম্যাপেলগ্রাফ এবং নেক্সটেবিল, একটি আমেরিকা ভিত্তিক টেবিল রিজার্ভেশন এবং রেস্তোঁরা পরিচালনার প্ল্যাটফর্মকেও জোম্যাটো একই বছর কিনে নেয়। ২০১৬ সনে জোম্যাটো স্পার্স ল্যাবস, একটি সরবরাহ প্রযুক্তি স্টার্টআপ ও পরবর্তীতে ২০১৭ সালে খাদ্য সরবারহ (ডেলিভারি) স্টার্টআপ, রান্নারকে অর্জন করে।
২০১৪-এর সেপ্টেম্বরে, জোম্যাটো পোল্যান্ড ভিত্তিক রেস্তোঁরা অনুসন্ধান পরিষেবা কোম্পানি গ্যাস্ট্রোনৌচিকে কত মূল্যে অর্জন করে ফেলে?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_0835_01
আইপি ঠিকানা
ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানা (আইপি ঠিকানা) হল একটি সংখ্যাগত লেবেল যা কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কৌশল বা যন্ত্রের জন্য নির্ধারিত যেখানে নেটওয়ার্কের নোড গুলো যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে । ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেসের প্রধান কাজ মুলত দুটি:হোস্ট অথবা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস শনাক্ত করা এবং অবস্থান খুজে বের করা। টিসিপি/আইপি পরিকল্পনাকারীরা ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানাকে ৩২ বিটের নম্বর দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন এবং এই পদ্বতিটি আইপিভি৪ নামে পরিচিত যা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ইন্টারনেটের ব্যবহার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় এবং অব্যবহৃত অ্যাড্রেস দিন দিন কমতে থাকায় ১৯৯৫ সনে নতুন একটি অ্যাড্রেসিং পদ্বতি আইপিভি৬ চালু করা হয় যেখানে প্রতিটি অ্যাড্রেসকে প্রকাশ করার জন্য ১২৮বিট নম্বর ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে আরফসি ২৪৬০ এ তা মানোপযোগী করা হয়। ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস গুলোকে স্টোর করার জন্য বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও এটি প্রকাশ করার জন্য সাধারণত মানুষের পঠনযোগ্য সঙ্কেতে ব্যবহার করা হয়,উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, (আইপিভি৪) এবং (আইপিভি৬)। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস স্পেস বরাদ্দের কাজটি পরিচালনা করে থাকে আইক্যান এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালনা করার জন্য তারা ৫টি আঞ্চলিক ইন্টারনেট রেজিষ্টি নিয়োগ করেছে যারা স্থানীয় ইন্টারনেট রেজিষ্ট্রি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার)] এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আইপি অ্যাড্রেস ব্লক বরাদ্দ করে থাকে। ইন্টারনেট প্রটোকলের দুটি সংস্করণ ব্যবহৃত হয় : আইপি সংস্করণ ৪ এবং আইপি সংস্করণ ৬।সংস্করণ দুটি পৃথক পৃথক ভাবে আইপি অ্যাড্রেস প্রকাশ করে।তবে আইপি সংস্করণ ৪ ব্যাপক প্রচলনের কারণে সাধারণত আইপি অ্যাড্রেস বলতে সংস্করণ ৪ এর প্রকাশকে ধরে নেয়া হয়।
ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেসের প্রধান কাজ মুলত কয়টি?
{ "answer_start": [ 259, 259 ], "text": [ "দুটি", "দুটি" ] }
bn_wiki_0835_02
আইপি ঠিকানা
ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানা (আইপি ঠিকানা) হল একটি সংখ্যাগত লেবেল যা কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কৌশল বা যন্ত্রের জন্য নির্ধারিত যেখানে নেটওয়ার্কের নোড গুলো যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে । ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেসের প্রধান কাজ মুলত দুটি:হোস্ট অথবা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস শনাক্ত করা এবং অবস্থান খুজে বের করা। টিসিপি/আইপি পরিকল্পনাকারীরা ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানাকে ৩২ বিটের নম্বর দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন এবং এই পদ্বতিটি আইপিভি৪ নামে পরিচিত যা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ইন্টারনেটের ব্যবহার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় এবং অব্যবহৃত অ্যাড্রেস দিন দিন কমতে থাকায় ১৯৯৫ সনে নতুন একটি অ্যাড্রেসিং পদ্বতি আইপিভি৬ চালু করা হয় যেখানে প্রতিটি অ্যাড্রেসকে প্রকাশ করার জন্য ১২৮বিট নম্বর ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে আরফসি ২৪৬০ এ তা মানোপযোগী করা হয়। ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস গুলোকে স্টোর করার জন্য বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও এটি প্রকাশ করার জন্য সাধারণত মানুষের পঠনযোগ্য সঙ্কেতে ব্যবহার করা হয়,উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, (আইপিভি৪) এবং (আইপিভি৬)। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস স্পেস বরাদ্দের কাজটি পরিচালনা করে থাকে আইক্যান এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালনা করার জন্য তারা ৫টি আঞ্চলিক ইন্টারনেট রেজিষ্টি নিয়োগ করেছে যারা স্থানীয় ইন্টারনেট রেজিষ্ট্রি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার)] এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আইপি অ্যাড্রেস ব্লক বরাদ্দ করে থাকে। ইন্টারনেট প্রটোকলের দুটি সংস্করণ ব্যবহৃত হয় : আইপি সংস্করণ ৪ এবং আইপি সংস্করণ ৬।সংস্করণ দুটি পৃথক পৃথক ভাবে আইপি অ্যাড্রেস প্রকাশ করে।তবে আইপি সংস্করণ ৪ ব্যাপক প্রচলনের কারণে সাধারণত আইপি অ্যাড্রেস বলতে সংস্করণ ৪ এর প্রকাশকে ধরে নেয়া হয়।
আইপি পরিকল্পনাকারীরা ইন্টারনেট প্রোটোকল ঠিকানাকে কত বিটের নম্বর দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন?
{ "answer_start": [ 388, 388 ], "text": [ "৩২", "৩২" ] }
bn_wiki_0835_03
আইপি ঠিকানা
ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানা (আইপি ঠিকানা) হল একটি সংখ্যাগত লেবেল যা কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কৌশল বা যন্ত্রের জন্য নির্ধারিত যেখানে নেটওয়ার্কের নোড গুলো যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে । ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেসের প্রধান কাজ মুলত দুটি:হোস্ট অথবা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস শনাক্ত করা এবং অবস্থান খুজে বের করা। টিসিপি/আইপি পরিকল্পনাকারীরা ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানাকে ৩২ বিটের নম্বর দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন এবং এই পদ্বতিটি আইপিভি৪ নামে পরিচিত যা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ইন্টারনেটের ব্যবহার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় এবং অব্যবহৃত অ্যাড্রেস দিন দিন কমতে থাকায় ১৯৯৫ সনে নতুন একটি অ্যাড্রেসিং পদ্বতি আইপিভি৬ চালু করা হয় যেখানে প্রতিটি অ্যাড্রেসকে প্রকাশ করার জন্য ১২৮বিট নম্বর ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে আরফসি ২৪৬০ এ তা মানোপযোগী করা হয়। ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস গুলোকে স্টোর করার জন্য বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও এটি প্রকাশ করার জন্য সাধারণত মানুষের পঠনযোগ্য সঙ্কেতে ব্যবহার করা হয়,উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, (আইপিভি৪) এবং (আইপিভি৬)। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস স্পেস বরাদ্দের কাজটি পরিচালনা করে থাকে আইক্যান এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালনা করার জন্য তারা ৫টি আঞ্চলিক ইন্টারনেট রেজিষ্টি নিয়োগ করেছে যারা স্থানীয় ইন্টারনেট রেজিষ্ট্রি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার)] এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আইপি অ্যাড্রেস ব্লক বরাদ্দ করে থাকে। ইন্টারনেট প্রটোকলের দুটি সংস্করণ ব্যবহৃত হয় : আইপি সংস্করণ ৪ এবং আইপি সংস্করণ ৬।সংস্করণ দুটি পৃথক পৃথক ভাবে আইপি অ্যাড্রেস প্রকাশ করে।তবে আইপি সংস্করণ ৪ ব্যাপক প্রচলনের কারণে সাধারণত আইপি অ্যাড্রেস বলতে সংস্করণ ৪ এর প্রকাশকে ধরে নেয়া হয়।
কত সালে আইপিভি৬ চালু করা হয়?
{ "answer_start": [ 582, 582 ], "text": [ "১৯৯৫", "১৯৯৫" ] }
bn_wiki_0835_04
আইপি ঠিকানা
ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানা (আইপি ঠিকানা) হল একটি সংখ্যাগত লেবেল যা কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কৌশল বা যন্ত্রের জন্য নির্ধারিত যেখানে নেটওয়ার্কের নোড গুলো যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে । ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেসের প্রধান কাজ মুলত দুটি:হোস্ট অথবা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস শনাক্ত করা এবং অবস্থান খুজে বের করা। টিসিপি/আইপি পরিকল্পনাকারীরা ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানাকে ৩২ বিটের নম্বর দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন এবং এই পদ্বতিটি আইপিভি৪ নামে পরিচিত যা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ইন্টারনেটের ব্যবহার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় এবং অব্যবহৃত অ্যাড্রেস দিন দিন কমতে থাকায় ১৯৯৫ সনে নতুন একটি অ্যাড্রেসিং পদ্বতি আইপিভি৬ চালু করা হয় যেখানে প্রতিটি অ্যাড্রেসকে প্রকাশ করার জন্য ১২৮বিট নম্বর ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে আরফসি ২৪৬০ এ তা মানোপযোগী করা হয়। ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস গুলোকে স্টোর করার জন্য বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও এটি প্রকাশ করার জন্য সাধারণত মানুষের পঠনযোগ্য সঙ্কেতে ব্যবহার করা হয়,উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, (আইপিভি৪) এবং (আইপিভি৬)। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস স্পেস বরাদ্দের কাজটি পরিচালনা করে থাকে আইক্যান এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালনা করার জন্য তারা ৫টি আঞ্চলিক ইন্টারনেট রেজিষ্টি নিয়োগ করেছে যারা স্থানীয় ইন্টারনেট রেজিষ্ট্রি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার)] এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আইপি অ্যাড্রেস ব্লক বরাদ্দ করে থাকে। ইন্টারনেট প্রটোকলের দুটি সংস্করণ ব্যবহৃত হয় : আইপি সংস্করণ ৪ এবং আইপি সংস্করণ ৬।সংস্করণ দুটি পৃথক পৃথক ভাবে আইপি অ্যাড্রেস প্রকাশ করে।তবে আইপি সংস্করণ ৪ ব্যাপক প্রচলনের কারণে সাধারণত আইপি অ্যাড্রেস বলতে সংস্করণ ৪ এর প্রকাশকে ধরে নেয়া হয়।
আইপিভি৬ এ প্রতিটি অ্যাড্রেসকে প্রকাশ করার জন্য কত বিটের নম্বর ব্যাবহৃত হয়?
{ "answer_start": [ 685, 685 ], "text": [ "১২৮", "১২৮" ] }
bn_wiki_0835_05
আইপি ঠিকানা
ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানা (আইপি ঠিকানা) হল একটি সংখ্যাগত লেবেল যা কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কৌশল বা যন্ত্রের জন্য নির্ধারিত যেখানে নেটওয়ার্কের নোড গুলো যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে । ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেসের প্রধান কাজ মুলত দুটি:হোস্ট অথবা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস শনাক্ত করা এবং অবস্থান খুজে বের করা। টিসিপি/আইপি পরিকল্পনাকারীরা ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানাকে ৩২ বিটের নম্বর দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন এবং এই পদ্বতিটি আইপিভি৪ নামে পরিচিত যা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ইন্টারনেটের ব্যবহার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় এবং অব্যবহৃত অ্যাড্রেস দিন দিন কমতে থাকায় ১৯৯৫ সনে নতুন একটি অ্যাড্রেসিং পদ্বতি আইপিভি৬ চালু করা হয় যেখানে প্রতিটি অ্যাড্রেসকে প্রকাশ করার জন্য ১২৮বিট নম্বর ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে আরফসি ২৪৬০ এ তা মানোপযোগী করা হয়। ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস গুলোকে স্টোর করার জন্য বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও এটি প্রকাশ করার জন্য সাধারণত মানুষের পঠনযোগ্য সঙ্কেতে ব্যবহার করা হয়,উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, (আইপিভি৪) এবং (আইপিভি৬)। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস স্পেস বরাদ্দের কাজটি পরিচালনা করে থাকে আইক্যান এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালনা করার জন্য তারা ৫টি আঞ্চলিক ইন্টারনেট রেজিষ্টি নিয়োগ করেছে যারা স্থানীয় ইন্টারনেট রেজিষ্ট্রি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার)] এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আইপি অ্যাড্রেস ব্লক বরাদ্দ করে থাকে। ইন্টারনেট প্রটোকলের দুটি সংস্করণ ব্যবহৃত হয় : আইপি সংস্করণ ৪ এবং আইপি সংস্করণ ৬।সংস্করণ দুটি পৃথক পৃথক ভাবে আইপি অ্যাড্রেস প্রকাশ করে।তবে আইপি সংস্করণ ৪ ব্যাপক প্রচলনের কারণে সাধারণত আইপি অ্যাড্রেস বলতে সংস্করণ ৪ এর প্রকাশকে ধরে নেয়া হয়।
ইন্টারনেট প্রোটোকলের কয়টি সংস্করণ ব্যাবহৃত হয়?
{ "answer_start": [ 175, 175 ], "text": [ "দুুটি", "দুুটি" ] }
bn_wiki_2453_01
বাংলার নবজাগরণ
মুক্ত চিন্তার অধিকারী হেনরি ডিরোজিও হিন্দু কলেজে (১৮২৬-৩১) ইতিহাস ও সাহিত্য পড়াতেন। তিনি তার প্রায় ডজনখানেক অনুসারীকে মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তানুশীলনে অনুপ্রাণিত করেন। তারা ছিলেন বিখ্যাত টমাস পেইন-এর এজ অব দ্য রিজনস ও রাইটস অব ম্যান-এর অত্যন্ত আগ্রহী পাঠক। তারা সকলে সম্মিলিতভাবে ইয়ং বেঙ্গল নামে পরিচিতি লাভ করেন। তারা আনুমানিক ১৫ বছরের কাল পরিসরে (১৮২৮-৪৩) ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ (১৮২৮) নামের একটি সমিতির মাধ্যমে তাদের বিপ্লবী ধ্যান-ধারণার প্রচার করেন। ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা কমপক্ষে ছয়টি সাময়িকীর সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। পত্রিকাগুলির নাম পার্থিনন (১৮৩০), ইস্ট ইন্ডিয়া (১৮৩১), ইনকুয়্যারার (১৮৩১-৩৪), জ্ঞানাম্বেষণ (১৮৩১-৪০), হিন্দু পাইওনিয়ার (১৮৩৫-৪০) ও বেঙ্গল প্সেক্টেটর (১৮৪২-৪৩)। প্রথম কয়েক বছর তাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল সনাতন হিন্দুধর্মীয় মতবাদের অসার চিন্তাধারা। পরবর্তীকালে ইয়ং বেঙ্গল চিন্তাধারার অনুসারীরা তাদের দৃষ্টি ও মনোযোগ ঔপনিবেশিক সরকারের নানা ব্যর্থতায়ই বেশি করে নিবদ্ধ করেন। রামমোহন ও তার অনুসারীদের সাথে তাদের পার্থক্য ছিল এইখানে যে, তারা আধ্যাত্মিকতা নয়, বিশুদ্ধ যুক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা রামমোহনবাদীদেরকে ‘আধা-উদারবাদী’ বলে অভিহিত করতেন। ডিরোজিও ও রামমোহনপন্থীদের এই সংঘাত ১৮৪০-এর দশকের শেষ দিকে সবচেয়ে লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। ঐ সময়ে ব্রাহ্ম সমাজ এর অন্যতম নেতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিজ্ঞানপন্থী অক্ষয়কুমার দত্তের মধ্যে ধর্মীয় গ্রন্থের অভ্রান্ততা প্রশ্নে তীব্র সংঘাত দেখা দেয়। বস্তুত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামমোহনের আধ্যাত্মিকতার উত্তরাধিকারী হন, আর দত্ত অনুপ্রাণিত হন রামমোহনের যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্কতায়। অক্ষয়কুমার দত্ত ব্রাহ্মবাদকে অতিবর্তী ঈশ্বরবাদে (ফবরংস) রূপান্তরিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানাম্বেষাকে ঐশ্বরিক প্রত্যাদেশের তথা অলৌকিকতার স্থলবর্তী করতে চেয়েছিলেন। ১৮৫০-এর দশকে এ সংঘাতে তৃতীয় আরেক মাত্রার যোগ ঘটে। ত্রিমাত্রিক সংঘাতের এ তৃতীয় বাহুর প্রতিনিধি ছিলেন মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। দত্তের বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিবাদের সাথে বিদ্যাসাগরের মানবতাবাদের সুসমম্বয় ঘটলেও একই কারণে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধ্যাত্মিকতাবাদ তাদের পরম বৈরী হয়ে ওঠে।
হেনরি ডিরোজিও কোন কলেজে ইতিহাস ও সাহিত্য পড়াতেন?
{ "answer_start": [ 36, 36 ], "text": [ "হিন্দু", "হিন্দু" ] }
bn_wiki_2453_02
বাংলার নবজাগরণ
মুক্ত চিন্তার অধিকারী হেনরি ডিরোজিও হিন্দু কলেজে (১৮২৬-৩১) ইতিহাস ও সাহিত্য পড়াতেন। তিনি তার প্রায় ডজনখানেক অনুসারীকে মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তানুশীলনে অনুপ্রাণিত করেন। তারা ছিলেন বিখ্যাত টমাস পেইন-এর এজ অব দ্য রিজনস ও রাইটস অব ম্যান-এর অত্যন্ত আগ্রহী পাঠক। তারা সকলে সম্মিলিতভাবে ইয়ং বেঙ্গল নামে পরিচিতি লাভ করেন। তারা আনুমানিক ১৫ বছরের কাল পরিসরে (১৮২৮-৪৩) ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ (১৮২৮) নামের একটি সমিতির মাধ্যমে তাদের বিপ্লবী ধ্যান-ধারণার প্রচার করেন। ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা কমপক্ষে ছয়টি সাময়িকীর সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। পত্রিকাগুলির নাম পার্থিনন (১৮৩০), ইস্ট ইন্ডিয়া (১৮৩১), ইনকুয়্যারার (১৮৩১-৩৪), জ্ঞানাম্বেষণ (১৮৩১-৪০), হিন্দু পাইওনিয়ার (১৮৩৫-৪০) ও বেঙ্গল প্সেক্টেটর (১৮৪২-৪৩)। প্রথম কয়েক বছর তাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল সনাতন হিন্দুধর্মীয় মতবাদের অসার চিন্তাধারা। পরবর্তীকালে ইয়ং বেঙ্গল চিন্তাধারার অনুসারীরা তাদের দৃষ্টি ও মনোযোগ ঔপনিবেশিক সরকারের নানা ব্যর্থতায়ই বেশি করে নিবদ্ধ করেন। রামমোহন ও তার অনুসারীদের সাথে তাদের পার্থক্য ছিল এইখানে যে, তারা আধ্যাত্মিকতা নয়, বিশুদ্ধ যুক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা রামমোহনবাদীদেরকে ‘আধা-উদারবাদী’ বলে অভিহিত করতেন। ডিরোজিও ও রামমোহনপন্থীদের এই সংঘাত ১৮৪০-এর দশকের শেষ দিকে সবচেয়ে লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। ঐ সময়ে ব্রাহ্ম সমাজ এর অন্যতম নেতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিজ্ঞানপন্থী অক্ষয়কুমার দত্তের মধ্যে ধর্মীয় গ্রন্থের অভ্রান্ততা প্রশ্নে তীব্র সংঘাত দেখা দেয়। বস্তুত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামমোহনের আধ্যাত্মিকতার উত্তরাধিকারী হন, আর দত্ত অনুপ্রাণিত হন রামমোহনের যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্কতায়। অক্ষয়কুমার দত্ত ব্রাহ্মবাদকে অতিবর্তী ঈশ্বরবাদে (ফবরংস) রূপান্তরিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানাম্বেষাকে ঐশ্বরিক প্রত্যাদেশের তথা অলৌকিকতার স্থলবর্তী করতে চেয়েছিলেন। ১৮৫০-এর দশকে এ সংঘাতে তৃতীয় আরেক মাত্রার যোগ ঘটে। ত্রিমাত্রিক সংঘাতের এ তৃতীয় বাহুর প্রতিনিধি ছিলেন মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। দত্তের বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিবাদের সাথে বিদ্যাসাগরের মানবতাবাদের সুসমম্বয় ঘটলেও একই কারণে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধ্যাত্মিকতাবাদ তাদের পরম বৈরী হয়ে ওঠে।
হেনরি ডিরোজি তার কতজন অনুসারীকে মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তানুশীলনে অনুপ্রাণিত করেন?
{ "answer_start": [ 94, 94 ], "text": [ "প্রায় ডজনখানেক", "প্রায় ডজনখানেক" ] }
bn_wiki_2453_03
বাংলার নবজাগরণ
মুক্ত চিন্তার অধিকারী হেনরি ডিরোজিও হিন্দু কলেজে (১৮২৬-৩১) ইতিহাস ও সাহিত্য পড়াতেন। তিনি তার প্রায় ডজনখানেক অনুসারীকে মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তানুশীলনে অনুপ্রাণিত করেন। তারা ছিলেন বিখ্যাত টমাস পেইন-এর এজ অব দ্য রিজনস ও রাইটস অব ম্যান-এর অত্যন্ত আগ্রহী পাঠক। তারা সকলে সম্মিলিতভাবে ইয়ং বেঙ্গল নামে পরিচিতি লাভ করেন। তারা আনুমানিক ১৫ বছরের কাল পরিসরে (১৮২৮-৪৩) ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ (১৮২৮) নামের একটি সমিতির মাধ্যমে তাদের বিপ্লবী ধ্যান-ধারণার প্রচার করেন। ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা কমপক্ষে ছয়টি সাময়িকীর সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। পত্রিকাগুলির নাম পার্থিনন (১৮৩০), ইস্ট ইন্ডিয়া (১৮৩১), ইনকুয়্যারার (১৮৩১-৩৪), জ্ঞানাম্বেষণ (১৮৩১-৪০), হিন্দু পাইওনিয়ার (১৮৩৫-৪০) ও বেঙ্গল প্সেক্টেটর (১৮৪২-৪৩)। প্রথম কয়েক বছর তাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল সনাতন হিন্দুধর্মীয় মতবাদের অসার চিন্তাধারা। পরবর্তীকালে ইয়ং বেঙ্গল চিন্তাধারার অনুসারীরা তাদের দৃষ্টি ও মনোযোগ ঔপনিবেশিক সরকারের নানা ব্যর্থতায়ই বেশি করে নিবদ্ধ করেন। রামমোহন ও তার অনুসারীদের সাথে তাদের পার্থক্য ছিল এইখানে যে, তারা আধ্যাত্মিকতা নয়, বিশুদ্ধ যুক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা রামমোহনবাদীদেরকে ‘আধা-উদারবাদী’ বলে অভিহিত করতেন। ডিরোজিও ও রামমোহনপন্থীদের এই সংঘাত ১৮৪০-এর দশকের শেষ দিকে সবচেয়ে লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। ঐ সময়ে ব্রাহ্ম সমাজ এর অন্যতম নেতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিজ্ঞানপন্থী অক্ষয়কুমার দত্তের মধ্যে ধর্মীয় গ্রন্থের অভ্রান্ততা প্রশ্নে তীব্র সংঘাত দেখা দেয়। বস্তুত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামমোহনের আধ্যাত্মিকতার উত্তরাধিকারী হন, আর দত্ত অনুপ্রাণিত হন রামমোহনের যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্কতায়। অক্ষয়কুমার দত্ত ব্রাহ্মবাদকে অতিবর্তী ঈশ্বরবাদে (ফবরংস) রূপান্তরিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানাম্বেষাকে ঐশ্বরিক প্রত্যাদেশের তথা অলৌকিকতার স্থলবর্তী করতে চেয়েছিলেন। ১৮৫০-এর দশকে এ সংঘাতে তৃতীয় আরেক মাত্রার যোগ ঘটে। ত্রিমাত্রিক সংঘাতের এ তৃতীয় বাহুর প্রতিনিধি ছিলেন মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। দত্তের বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিবাদের সাথে বিদ্যাসাগরের মানবতাবাদের সুসমম্বয় ঘটলেও একই কারণে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধ্যাত্মিকতাবাদ তাদের পরম বৈরী হয়ে ওঠে।
ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা কমপক্ষে কয়টি সাময়িকীর সাথে সম্পর্কিত ছিলেন?
{ "answer_start": [ 489, 481 ], "text": [ "ছয়টি", "কমপক্ষে ছয়টি" ] }
bn_wiki_2453_04
বাংলার নবজাগরণ
মুক্ত চিন্তার অধিকারী হেনরি ডিরোজিও হিন্দু কলেজে (১৮২৬-৩১) ইতিহাস ও সাহিত্য পড়াতেন। তিনি তার প্রায় ডজনখানেক অনুসারীকে মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তানুশীলনে অনুপ্রাণিত করেন। তারা ছিলেন বিখ্যাত টমাস পেইন-এর এজ অব দ্য রিজনস ও রাইটস অব ম্যান-এর অত্যন্ত আগ্রহী পাঠক। তারা সকলে সম্মিলিতভাবে ইয়ং বেঙ্গল নামে পরিচিতি লাভ করেন। তারা আনুমানিক ১৫ বছরের কাল পরিসরে (১৮২৮-৪৩) ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ (১৮২৮) নামের একটি সমিতির মাধ্যমে তাদের বিপ্লবী ধ্যান-ধারণার প্রচার করেন। ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা কমপক্ষে ছয়টি সাময়িকীর সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। পত্রিকাগুলির নাম পার্থিনন (১৮৩০), ইস্ট ইন্ডিয়া (১৮৩১), ইনকুয়্যারার (১৮৩১-৩৪), জ্ঞানাম্বেষণ (১৮৩১-৪০), হিন্দু পাইওনিয়ার (১৮৩৫-৪০) ও বেঙ্গল প্সেক্টেটর (১৮৪২-৪৩)। প্রথম কয়েক বছর তাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল সনাতন হিন্দুধর্মীয় মতবাদের অসার চিন্তাধারা। পরবর্তীকালে ইয়ং বেঙ্গল চিন্তাধারার অনুসারীরা তাদের দৃষ্টি ও মনোযোগ ঔপনিবেশিক সরকারের নানা ব্যর্থতায়ই বেশি করে নিবদ্ধ করেন। রামমোহন ও তার অনুসারীদের সাথে তাদের পার্থক্য ছিল এইখানে যে, তারা আধ্যাত্মিকতা নয়, বিশুদ্ধ যুক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা রামমোহনবাদীদেরকে ‘আধা-উদারবাদী’ বলে অভিহিত করতেন। ডিরোজিও ও রামমোহনপন্থীদের এই সংঘাত ১৮৪০-এর দশকের শেষ দিকে সবচেয়ে লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। ঐ সময়ে ব্রাহ্ম সমাজ এর অন্যতম নেতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিজ্ঞানপন্থী অক্ষয়কুমার দত্তের মধ্যে ধর্মীয় গ্রন্থের অভ্রান্ততা প্রশ্নে তীব্র সংঘাত দেখা দেয়। বস্তুত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামমোহনের আধ্যাত্মিকতার উত্তরাধিকারী হন, আর দত্ত অনুপ্রাণিত হন রামমোহনের যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্কতায়। অক্ষয়কুমার দত্ত ব্রাহ্মবাদকে অতিবর্তী ঈশ্বরবাদে (ফবরংস) রূপান্তরিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানাম্বেষাকে ঐশ্বরিক প্রত্যাদেশের তথা অলৌকিকতার স্থলবর্তী করতে চেয়েছিলেন। ১৮৫০-এর দশকে এ সংঘাতে তৃতীয় আরেক মাত্রার যোগ ঘটে। ত্রিমাত্রিক সংঘাতের এ তৃতীয় বাহুর প্রতিনিধি ছিলেন মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। দত্তের বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিবাদের সাথে বিদ্যাসাগরের মানবতাবাদের সুসমম্বয় ঘটলেও একই কারণে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধ্যাত্মিকতাবাদ তাদের পরম বৈরী হয়ে ওঠে।
রামমোহন ও তার অনুসারীদের সাথে ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যদের কোথায় পার্থক্য ছিল?
{ "answer_start": [ 969, 969 ], "text": [ "তারা আধ্যাত্মিকতা নয়, বিশুদ্ধ যুক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন", "তারা আধ্যাত্মিকতা নয়, বিশুদ্ধ যুক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন" ] }
bn_wiki_2453_05
বাংলার নবজাগরণ
মুক্ত চিন্তার অধিকারী হেনরি ডিরোজিও হিন্দু কলেজে (১৮২৬-৩১) ইতিহাস ও সাহিত্য পড়াতেন। তিনি তার প্রায় ডজনখানেক অনুসারীকে মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তানুশীলনে অনুপ্রাণিত করেন। তারা ছিলেন বিখ্যাত টমাস পেইন-এর এজ অব দ্য রিজনস ও রাইটস অব ম্যান-এর অত্যন্ত আগ্রহী পাঠক। তারা সকলে সম্মিলিতভাবে ইয়ং বেঙ্গল নামে পরিচিতি লাভ করেন। তারা আনুমানিক ১৫ বছরের কাল পরিসরে (১৮২৮-৪৩) ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ (১৮২৮) নামের একটি সমিতির মাধ্যমে তাদের বিপ্লবী ধ্যান-ধারণার প্রচার করেন। ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা কমপক্ষে ছয়টি সাময়িকীর সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। পত্রিকাগুলির নাম পার্থিনন (১৮৩০), ইস্ট ইন্ডিয়া (১৮৩১), ইনকুয়্যারার (১৮৩১-৩৪), জ্ঞানাম্বেষণ (১৮৩১-৪০), হিন্দু পাইওনিয়ার (১৮৩৫-৪০) ও বেঙ্গল প্সেক্টেটর (১৮৪২-৪৩)। প্রথম কয়েক বছর তাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল সনাতন হিন্দুধর্মীয় মতবাদের অসার চিন্তাধারা। পরবর্তীকালে ইয়ং বেঙ্গল চিন্তাধারার অনুসারীরা তাদের দৃষ্টি ও মনোযোগ ঔপনিবেশিক সরকারের নানা ব্যর্থতায়ই বেশি করে নিবদ্ধ করেন। রামমোহন ও তার অনুসারীদের সাথে তাদের পার্থক্য ছিল এইখানে যে, তারা আধ্যাত্মিকতা নয়, বিশুদ্ধ যুক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা রামমোহনবাদীদেরকে ‘আধা-উদারবাদী’ বলে অভিহিত করতেন। ডিরোজিও ও রামমোহনপন্থীদের এই সংঘাত ১৮৪০-এর দশকের শেষ দিকে সবচেয়ে লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। ঐ সময়ে ব্রাহ্ম সমাজ এর অন্যতম নেতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিজ্ঞানপন্থী অক্ষয়কুমার দত্তের মধ্যে ধর্মীয় গ্রন্থের অভ্রান্ততা প্রশ্নে তীব্র সংঘাত দেখা দেয়। বস্তুত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামমোহনের আধ্যাত্মিকতার উত্তরাধিকারী হন, আর দত্ত অনুপ্রাণিত হন রামমোহনের যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্কতায়। অক্ষয়কুমার দত্ত ব্রাহ্মবাদকে অতিবর্তী ঈশ্বরবাদে (ফবরংস) রূপান্তরিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানাম্বেষাকে ঐশ্বরিক প্রত্যাদেশের তথা অলৌকিকতার স্থলবর্তী করতে চেয়েছিলেন। ১৮৫০-এর দশকে এ সংঘাতে তৃতীয় আরেক মাত্রার যোগ ঘটে। ত্রিমাত্রিক সংঘাতের এ তৃতীয় বাহুর প্রতিনিধি ছিলেন মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। দত্তের বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিবাদের সাথে বিদ্যাসাগরের মানবতাবাদের সুসমম্বয় ঘটলেও একই কারণে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধ্যাত্মিকতাবাদ তাদের পরম বৈরী হয়ে ওঠে।
বাংলার নবজাগরণ যুগের স্থিতিকাল ছিল উনিশ শতকের প্রথম কয় দশক?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_0790_02
পুরকৌশল
পুরকৌশল হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন সমাধানের নিমিত্তে প্রাকৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক ধারণা এবং নীতিগুলোর প্রয়োগ। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রকে অধিকতর বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে পুরকৌশল পেশা আজকের অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছে। যেহুতু পুরকৌশলের বিস্তৃতি অনেক ব্যপক, এর জ্ঞান কাঠামোবিদ্যা, বস্তুবিদ্যা, ভূবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, মাটি, জলবিজ্ঞান, পরিবেশবিদ্যা, বলবিদ্যা এবং বিজ্ঞানের আর শাখার সাথে সংযুক্ত। প্রাচীনকাল ও মধ্যযুগীয় সময়কালে সকল সকল স্থাপত্যের নকশা এবং নির্মাণ রাজমিস্ত্রি এবং কাঠমিস্ত্রি দ্বারা করা হত, যার ফলে একসময় স্থপতির প্রয়োজন অনুভব করায়। সকল জ্ঞান একদল বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে মুষ্ঠিবধ্য ছিল এবং তা খুব কম সময়ই অন্যদের জানানো হত। এর ফলে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একই ধরনের স্থাপনা, রাস্তা ও অবকাঠামো দেখা যেত এবং তা আকারে ক্রমান্বয়ে আর বড় হতে থাকে। পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতের সূত্রগুলিকে পুরকৌশলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রথম প্রচেষ্টাটি করেন আর্কিমিডিস তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ সালে, যার মধ্যে আর্কিমিডিসের তত্ত্ব অন্তর্গত ছিল, যা প্লবতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা মজবুত করতে সাহায্য করে এবং আমাদেরকে বিভিন্ন ব্যবহারউপযোগী সমাধান যেমন আর্কিমিডিসের স্ক্রু বানাতে সাহায্য করে। ব্রহ্মগুপ্ত, একজন ভারতীয় গণিতবিদ, সপ্তম খ্রিস্টাব্দে হিন্দু-আরবিক সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে, পাটিগণিত ব্যবহার করে খননকৃত এলাকার আয়তন বের করবার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতের সূত্রগুলিকে পুরকৌশলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রথম প্রচেষ্টা কার ছিলো?
{ "answer_start": [ 877, 877 ], "text": [ "আর্কিমিডিস", "আর্কিমিডিস" ] }
bn_wiki_0790_03
পুরকৌশল
পুরকৌশল হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন সমাধানের নিমিত্তে প্রাকৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক ধারণা এবং নীতিগুলোর প্রয়োগ। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রকে অধিকতর বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে পুরকৌশল পেশা আজকের অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছে। যেহুতু পুরকৌশলের বিস্তৃতি অনেক ব্যপক, এর জ্ঞান কাঠামোবিদ্যা, বস্তুবিদ্যা, ভূবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, মাটি, জলবিজ্ঞান, পরিবেশবিদ্যা, বলবিদ্যা এবং বিজ্ঞানের আর শাখার সাথে সংযুক্ত। প্রাচীনকাল ও মধ্যযুগীয় সময়কালে সকল সকল স্থাপত্যের নকশা এবং নির্মাণ রাজমিস্ত্রি এবং কাঠমিস্ত্রি দ্বারা করা হত, যার ফলে একসময় স্থপতির প্রয়োজন অনুভব করায়। সকল জ্ঞান একদল বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে মুষ্ঠিবধ্য ছিল এবং তা খুব কম সময়ই অন্যদের জানানো হত। এর ফলে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একই ধরনের স্থাপনা, রাস্তা ও অবকাঠামো দেখা যেত এবং তা আকারে ক্রমান্বয়ে আর বড় হতে থাকে। পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতের সূত্রগুলিকে পুরকৌশলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রথম প্রচেষ্টাটি করেন আর্কিমিডিস তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ সালে, যার মধ্যে আর্কিমিডিসের তত্ত্ব অন্তর্গত ছিল, যা প্লবতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা মজবুত করতে সাহায্য করে এবং আমাদেরকে বিভিন্ন ব্যবহারউপযোগী সমাধান যেমন আর্কিমিডিসের স্ক্রু বানাতে সাহায্য করে। ব্রহ্মগুপ্ত, একজন ভারতীয় গণিতবিদ, সপ্তম খ্রিস্টাব্দে হিন্দু-আরবিক সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে, পাটিগণিত ব্যবহার করে খননকৃত এলাকার আয়তন বের করবার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
কে খননকৃত এলাকার আয়তন বের করবার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন?
{ "answer_start": [ 1104, 1104 ], "text": [ "ব্রহ্মগুপ্ত", "ব্রহ্মগুপ্ত" ] }
bn_wiki_0790_04
পুরকৌশল
পুরকৌশল হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন সমাধানের নিমিত্তে প্রাকৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক ধারণা এবং নীতিগুলোর প্রয়োগ। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রকে অধিকতর বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে পুরকৌশল পেশা আজকের অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছে। যেহুতু পুরকৌশলের বিস্তৃতি অনেক ব্যপক, এর জ্ঞান কাঠামোবিদ্যা, বস্তুবিদ্যা, ভূবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, মাটি, জলবিজ্ঞান, পরিবেশবিদ্যা, বলবিদ্যা এবং বিজ্ঞানের আর শাখার সাথে সংযুক্ত। প্রাচীনকাল ও মধ্যযুগীয় সময়কালে সকল সকল স্থাপত্যের নকশা এবং নির্মাণ রাজমিস্ত্রি এবং কাঠমিস্ত্রি দ্বারা করা হত, যার ফলে একসময় স্থপতির প্রয়োজন অনুভব করায়। সকল জ্ঞান একদল বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে মুষ্ঠিবধ্য ছিল এবং তা খুব কম সময়ই অন্যদের জানানো হত। এর ফলে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একই ধরনের স্থাপনা, রাস্তা ও অবকাঠামো দেখা যেত এবং তা আকারে ক্রমান্বয়ে আর বড় হতে থাকে। পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতের সূত্রগুলিকে পুরকৌশলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রথম প্রচেষ্টাটি করেন আর্কিমিডিস তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ সালে, যার মধ্যে আর্কিমিডিসের তত্ত্ব অন্তর্গত ছিল, যা প্লবতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা মজবুত করতে সাহায্য করে এবং আমাদেরকে বিভিন্ন ব্যবহারউপযোগী সমাধান যেমন আর্কিমিডিসের স্ক্রু বানাতে সাহায্য করে। ব্রহ্মগুপ্ত, একজন ভারতীয় গণিতবিদ, সপ্তম খ্রিস্টাব্দে হিন্দু-আরবিক সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে, পাটিগণিত ব্যবহার করে খননকৃত এলাকার আয়তন বের করবার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
কত সালে ইন্সিটিউট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_0790_05
পুরকৌশল
পুরকৌশল হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন সমাধানের নিমিত্তে প্রাকৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক ধারণা এবং নীতিগুলোর প্রয়োগ। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রকে অধিকতর বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে পুরকৌশল পেশা আজকের অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছে। যেহুতু পুরকৌশলের বিস্তৃতি অনেক ব্যপক, এর জ্ঞান কাঠামোবিদ্যা, বস্তুবিদ্যা, ভূবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, মাটি, জলবিজ্ঞান, পরিবেশবিদ্যা, বলবিদ্যা এবং বিজ্ঞানের আর শাখার সাথে সংযুক্ত। প্রাচীনকাল ও মধ্যযুগীয় সময়কালে সকল সকল স্থাপত্যের নকশা এবং নির্মাণ রাজমিস্ত্রি এবং কাঠমিস্ত্রি দ্বারা করা হত, যার ফলে একসময় স্থপতির প্রয়োজন অনুভব করায়। সকল জ্ঞান একদল বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে মুষ্ঠিবধ্য ছিল এবং তা খুব কম সময়ই অন্যদের জানানো হত। এর ফলে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একই ধরনের স্থাপনা, রাস্তা ও অবকাঠামো দেখা যেত এবং তা আকারে ক্রমান্বয়ে আর বড় হতে থাকে। পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতের সূত্রগুলিকে পুরকৌশলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রথম প্রচেষ্টাটি করেন আর্কিমিডিস তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ সালে, যার মধ্যে আর্কিমিডিসের তত্ত্ব অন্তর্গত ছিল, যা প্লবতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা মজবুত করতে সাহায্য করে এবং আমাদেরকে বিভিন্ন ব্যবহারউপযোগী সমাধান যেমন আর্কিমিডিসের স্ক্রু বানাতে সাহায্য করে। ব্রহ্মগুপ্ত, একজন ভারতীয় গণিতবিদ, সপ্তম খ্রিস্টাব্দে হিন্দু-আরবিক সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে, পাটিগণিত ব্যবহার করে খননকৃত এলাকার আয়তন বের করবার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
প্রথম নারী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কে ছিলেন?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_1050_01
নিকাশ ঘর
নিকাশ ঘর হলো আর্থিক বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যকার একটি মনোনীত মধ্যস্থতাকারী। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দিষ্ট একটি ঘর বা ব্যবস্থা যেখানে বসে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করা হয়। অর্থাৎ, নিকাশ ঘর হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ তাদের পরস্পরের মধ্যকার দেনাপাওনা নিষ্পত্তিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট কোনো স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করে। বর্তমানে, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে নিকাশ কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঘরে একত্রিত হতে হয় না, বরং ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে এই কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়। ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিকাশ কার্যক্রম বা আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তির এই ব্যবস্থাকে বলা হয় স্বয়ংক্রিয় নিকাশ ঘর বা অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ।জানা যায় ১৬৩৫ সালে ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম নিকাশ ব্যবস্থা চালু হয়। তবে ১৭৭০ সালে অবধি শুধুমাত্র লন্ডনের ব্যাংকসমূহ নিজেদের মধ্যে চেকগুলির অনানুষ্ঠানিক বিনিময় করতো। ধারণা করা হয়, মধ্যযুগের শেষের দিকে ইউরোপীয় ব্যাংকারগণ কোন নির্ধারিত সময়ে কোন নির্দিষ্ট ঘরে বসে তাদের মধ্যে উদ্ভূত পারস্পরিক দেনাপাওনার নিষ্পত্তি করে নিত এবং তখন হতেই নিকাশ ঘর শব্দ দুটির যুগল ব্যবহার আরম্ভ হয়। ১৯ শতকের শেষ দিকে চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য লন্ডনের লুববক ব্যাংক সর্বপ্রথম একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা চালু করে যেখানে লন্ডনের ব্যাংকগুলি একটি নির্দিষ্ট কক্ষ বা ঘরে মিলিত হয়ে আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করতো। ১৮১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে সাফলক ব্যাংক প্রথম নিকাশ ঘর চালু করে।
নিকাশ ঘর কোন ব্যাংকে দেখা যায়?
{ "answer_start": [ 86, 86 ], "text": [ "কেন্দ্রীয় ব্যাংকে", "কেন্দ্রীয় ব্যাংকে" ] }
bn_wiki_1050_02
নিকাশ ঘর
নিকাশ ঘর হলো আর্থিক বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যকার একটি মনোনীত মধ্যস্থতাকারী। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দিষ্ট একটি ঘর বা ব্যবস্থা যেখানে বসে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করা হয়। অর্থাৎ, নিকাশ ঘর হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ তাদের পরস্পরের মধ্যকার দেনাপাওনা নিষ্পত্তিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট কোনো স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করে। বর্তমানে, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে নিকাশ কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঘরে একত্রিত হতে হয় না, বরং ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে এই কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়। ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিকাশ কার্যক্রম বা আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তির এই ব্যবস্থাকে বলা হয় স্বয়ংক্রিয় নিকাশ ঘর বা অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ।জানা যায় ১৬৩৫ সালে ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম নিকাশ ব্যবস্থা চালু হয়। তবে ১৭৭০ সালে অবধি শুধুমাত্র লন্ডনের ব্যাংকসমূহ নিজেদের মধ্যে চেকগুলির অনানুষ্ঠানিক বিনিময় করতো। ধারণা করা হয়, মধ্যযুগের শেষের দিকে ইউরোপীয় ব্যাংকারগণ কোন নির্ধারিত সময়ে কোন নির্দিষ্ট ঘরে বসে তাদের মধ্যে উদ্ভূত পারস্পরিক দেনাপাওনার নিষ্পত্তি করে নিত এবং তখন হতেই নিকাশ ঘর শব্দ দুটির যুগল ব্যবহার আরম্ভ হয়। ১৯ শতকের শেষ দিকে চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য লন্ডনের লুববক ব্যাংক সর্বপ্রথম একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা চালু করে যেখানে লন্ডনের ব্যাংকগুলি একটি নির্দিষ্ট কক্ষ বা ঘরে মিলিত হয়ে আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করতো। ১৮১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে সাফলক ব্যাংক প্রথম নিকাশ ঘর চালু করে।
নিকাশ ঘরের তত্ত্বাবধানে কে থাকে?
{ "answer_start": [ 86, 86 ], "text": [ "কেন্দ্রীয় ব্যাংক", "কেন্দ্রীয় ব্যাংক" ] }
bn_wiki_1050_04
নিকাশ ঘর
নিকাশ ঘর হলো আর্থিক বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যকার একটি মনোনীত মধ্যস্থতাকারী। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দিষ্ট একটি ঘর বা ব্যবস্থা যেখানে বসে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করা হয়। অর্থাৎ, নিকাশ ঘর হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ তাদের পরস্পরের মধ্যকার দেনাপাওনা নিষ্পত্তিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট কোনো স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করে। বর্তমানে, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে নিকাশ কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঘরে একত্রিত হতে হয় না, বরং ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে এই কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়। ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিকাশ কার্যক্রম বা আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তির এই ব্যবস্থাকে বলা হয় স্বয়ংক্রিয় নিকাশ ঘর বা অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ।জানা যায় ১৬৩৫ সালে ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম নিকাশ ব্যবস্থা চালু হয়। তবে ১৭৭০ সালে অবধি শুধুমাত্র লন্ডনের ব্যাংকসমূহ নিজেদের মধ্যে চেকগুলির অনানুষ্ঠানিক বিনিময় করতো। ধারণা করা হয়, মধ্যযুগের শেষের দিকে ইউরোপীয় ব্যাংকারগণ কোন নির্ধারিত সময়ে কোন নির্দিষ্ট ঘরে বসে তাদের মধ্যে উদ্ভূত পারস্পরিক দেনাপাওনার নিষ্পত্তি করে নিত এবং তখন হতেই নিকাশ ঘর শব্দ দুটির যুগল ব্যবহার আরম্ভ হয়। ১৯ শতকের শেষ দিকে চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য লন্ডনের লুববক ব্যাংক সর্বপ্রথম একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা চালু করে যেখানে লন্ডনের ব্যাংকগুলি একটি নির্দিষ্ট কক্ষ বা ঘরে মিলিত হয়ে আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করতো। ১৮১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে সাফলক ব্যাংক প্রথম নিকাশ ঘর চালু করে।
অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ কী?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_1050_05
নিকাশ ঘর
নিকাশ ঘর হলো আর্থিক বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যকার একটি মনোনীত মধ্যস্থতাকারী। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দিষ্ট একটি ঘর বা ব্যবস্থা যেখানে বসে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করা হয়। অর্থাৎ, নিকাশ ঘর হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ তাদের পরস্পরের মধ্যকার দেনাপাওনা নিষ্পত্তিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট কোনো স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করে। বর্তমানে, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে নিকাশ কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঘরে একত্রিত হতে হয় না, বরং ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে এই কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়। ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিকাশ কার্যক্রম বা আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তির এই ব্যবস্থাকে বলা হয় স্বয়ংক্রিয় নিকাশ ঘর বা অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ।জানা যায় ১৬৩৫ সালে ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম নিকাশ ব্যবস্থা চালু হয়। তবে ১৭৭০ সালে অবধি শুধুমাত্র লন্ডনের ব্যাংকসমূহ নিজেদের মধ্যে চেকগুলির অনানুষ্ঠানিক বিনিময় করতো। ধারণা করা হয়, মধ্যযুগের শেষের দিকে ইউরোপীয় ব্যাংকারগণ কোন নির্ধারিত সময়ে কোন নির্দিষ্ট ঘরে বসে তাদের মধ্যে উদ্ভূত পারস্পরিক দেনাপাওনার নিষ্পত্তি করে নিত এবং তখন হতেই নিকাশ ঘর শব্দ দুটির যুগল ব্যবহার আরম্ভ হয়। ১৯ শতকের শেষ দিকে চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য লন্ডনের লুববক ব্যাংক সর্বপ্রথম একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা চালু করে যেখানে লন্ডনের ব্যাংকগুলি একটি নির্দিষ্ট কক্ষ বা ঘরে মিলিত হয়ে আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করতো। ১৮১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে সাফলক ব্যাংক প্রথম নিকাশ ঘর চালু করে।
কতো সাল হতে ইউরোপীয় ব্যাংকারগণ কোন নির্ধারিত সময়ে কোন নির্দিষ্ট ঘরে বসে তাদের মধ্যে উদ্ভূত পারস্পরিক দেনাপাওনার নিষ্পত্তি করে নিত?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_2097_05
ডাব্লিউডাব্লিউই
ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট, ডি/বি/এ ডাব্লিউডাব্লিউই হচ্ছে একটি মার্কিন সমন্বিত মিডিয়া এবং বিনোদন সংস্থা, যা মূলত পেশাদারি কুস্তির দেখানোর জন্য পরিচিত। ডাব্লিউডাব্লিউই চলচ্চিত্র, ফুটবল এবং বিভিন্ন অন্যান্য ব্যবসায় উদ্যোগসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কাজ করে। ডাব্লিউডাব্লিউই নামটি পেশাদারি কুস্তি প্রচারণাকেও বোঝায়, যা ১৯৫২ সালে জেস ম্যাকম্যান এবং টুটস মোন্ট দ্বারা ক্যাপিটল রেসলিং কর্পোরেশন নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, এটি বিশ্বের বৃহত্তম রেসলিং প্রচারণা কোম্পানি; যা প্রতিবছর ৫০০টিরও বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এই সংস্থার সকল কর্মকর্তাদের বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের ওপর ভিত্তি করে বিভক্ত করা হয়েছেএবং ১৫০টিরও বেশি দেশে প্রায় ৩৬ মিলিয়ন দর্শক এই কোম্পানির কার্যক্রম অনুসরণ করে থাকে। এই সংস্থার গ্লোবাল সদর দপ্তরটি কানেটিকাটের স্ট্যামফোর্ডে অবস্থিত; এছাড়াও সারা বিশ্বের বড় বড় শহরে এই সংস্থার কার্যালয় রয়েছে।
ডাব্লিউডাব্লিউই সংস্থাটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিক কে?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_0441_01
রেশম তন্তু
রেশম একধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যার কয়েকটি ধরন বস্ত্রশিল্প বয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়। রেশমের সর্বাধিক পরিচিত ধরন বম্বিক্স মোরি নামের রেশম পোকার লার্ভার গুটি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এক ধরনের রেশম পোকার গুটি থেকে এ ধরনের সূতা পাওয়া যায়। বিশেষ ব্যবস্থায় রেশম পোকা চাষের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এই সূতা প্রস্তুত করা হয়। রেশম পোকার গুটি চাষের পদ্ধতিকে সেরিকালচার বলা হয়। প্রাচীনকাল সর্বপ্রথম চীনে রেশমগুটির চাষ করা হয়। রেশমের জন্য চীনের সম্রাটের স্ত্রী লেই চু এর অনেক ভূমিকা রয়েছে। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৩,৫০০ আগে থেকেই চীনারা রেশমের ব্যবহার করতে জানতো। প্রথম দিকে রেশমের জামা চীনা সম্রাটের জন্য সংরক্ষণ করা হতো। পরে এটি সে সময় সামাজের ধনী শ্রেণীর তোষাখানাতে স্থান পায় এবং এর সৌন্দর্য্য ও হালকা গুণগত মানের জন্য পরে এটি চীনা ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রেশমের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি আন্তজার্তিক ব্যবসায় পরিণত হয় এবং একে শিল্পায়ন ভাবে চাষ করা শুরু হয়। চীনা সম্রাটরা রেশমগুটির চাষের উৎপাদন পদ্ধতি গোপন রাখার জন্য অনেক সর্তকতা অবলম্বন করেন, কিন্তু এর চাষ পরে জাপান, কোরিয়া এবং ভারতে আবির্ভূত হতে শুরু হয়। রেশম বাণিজ্যের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় মিশরের ২১তম রাজবংশের (সি. ১০৭০ খ্রিস্টপূর্ব) একটি মমির চুলে পাওয়া রেশম থেকে। ইউরোপে, যদিও রোমান সাম্রাজ্য রেশমের চাষ জানতো এবং সমাদর করতো, কিন্তু শুধু খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০, বাইজেন্টাইন সাম্রাজের সময় রেশমগুটির চাষ শুরু হয়েছে। উপকথা থেকে জানা যায় যে, সন্ন্যাসীরা আদেশে সম্রাট জাস্টেনিয়ান প্রথম কন্সটান্টিনোপলতে রেশম পোকা ডিমগুলো আনে। ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো ছিল ইউরোপের সর্বাধিক রেশম উৎপাদন শহর।
রেশমের সর্বাধিক পরিচিত ধরন কোন রেশম পোকার লার্ভার গুটি থেকে সংগ্রহ করা হয়?
{ "answer_start": [ 122, 122 ], "text": [ "বম্বিক্স মোরি নামের", "বম্বিক্স মোরি " ] }
bn_wiki_0441_02
রেশম তন্তু
রেশম একধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যার কয়েকটি ধরন বস্ত্রশিল্প বয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়। রেশমের সর্বাধিক পরিচিত ধরন বম্বিক্স মোরি নামের রেশম পোকার লার্ভার গুটি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এক ধরনের রেশম পোকার গুটি থেকে এ ধরনের সূতা পাওয়া যায়। বিশেষ ব্যবস্থায় রেশম পোকা চাষের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এই সূতা প্রস্তুত করা হয়। রেশম পোকার গুটি চাষের পদ্ধতিকে সেরিকালচার বলা হয়। প্রাচীনকাল সর্বপ্রথম চীনে রেশমগুটির চাষ করা হয়। রেশমের জন্য চীনের সম্রাটের স্ত্রী লেই চু এর অনেক ভূমিকা রয়েছে। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৩,৫০০ আগে থেকেই চীনারা রেশমের ব্যবহার করতে জানতো। প্রথম দিকে রেশমের জামা চীনা সম্রাটের জন্য সংরক্ষণ করা হতো। পরে এটি সে সময় সামাজের ধনী শ্রেণীর তোষাখানাতে স্থান পায় এবং এর সৌন্দর্য্য ও হালকা গুণগত মানের জন্য পরে এটি চীনা ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রেশমের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি আন্তজার্তিক ব্যবসায় পরিণত হয় এবং একে শিল্পায়ন ভাবে চাষ করা শুরু হয়। চীনা সম্রাটরা রেশমগুটির চাষের উৎপাদন পদ্ধতি গোপন রাখার জন্য অনেক সর্তকতা অবলম্বন করেন, কিন্তু এর চাষ পরে জাপান, কোরিয়া এবং ভারতে আবির্ভূত হতে শুরু হয়। রেশম বাণিজ্যের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় মিশরের ২১তম রাজবংশের (সি. ১০৭০ খ্রিস্টপূর্ব) একটি মমির চুলে পাওয়া রেশম থেকে। ইউরোপে, যদিও রোমান সাম্রাজ্য রেশমের চাষ জানতো এবং সমাদর করতো, কিন্তু শুধু খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০, বাইজেন্টাইন সাম্রাজের সময় রেশমগুটির চাষ শুরু হয়েছে। উপকথা থেকে জানা যায় যে, সন্ন্যাসীরা আদেশে সম্রাট জাস্টেনিয়ান প্রথম কন্সটান্টিনোপলতে রেশম পোকা ডিমগুলো আনে। ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো ছিল ইউরোপের সর্বাধিক রেশম উৎপাদন শহর।
প্রাচীনকালে সর্বপ্রথম কোথায় রেশমগুটির চাষ করা হয়?
{ "answer_start": [ 396, 396 ], "text": [ "চীনে", "চীনে" ] }
bn_wiki_0441_03
রেশম তন্তু
রেশম একধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যার কয়েকটি ধরন বস্ত্রশিল্প বয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়। রেশমের সর্বাধিক পরিচিত ধরন বম্বিক্স মোরি নামের রেশম পোকার লার্ভার গুটি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এক ধরনের রেশম পোকার গুটি থেকে এ ধরনের সূতা পাওয়া যায়। বিশেষ ব্যবস্থায় রেশম পোকা চাষের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এই সূতা প্রস্তুত করা হয়। রেশম পোকার গুটি চাষের পদ্ধতিকে সেরিকালচার বলা হয়। প্রাচীনকাল সর্বপ্রথম চীনে রেশমগুটির চাষ করা হয়। রেশমের জন্য চীনের সম্রাটের স্ত্রী লেই চু এর অনেক ভূমিকা রয়েছে। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৩,৫০০ আগে থেকেই চীনারা রেশমের ব্যবহার করতে জানতো। প্রথম দিকে রেশমের জামা চীনা সম্রাটের জন্য সংরক্ষণ করা হতো। পরে এটি সে সময় সামাজের ধনী শ্রেণীর তোষাখানাতে স্থান পায় এবং এর সৌন্দর্য্য ও হালকা গুণগত মানের জন্য পরে এটি চীনা ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রেশমের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি আন্তজার্তিক ব্যবসায় পরিণত হয় এবং একে শিল্পায়ন ভাবে চাষ করা শুরু হয়। চীনা সম্রাটরা রেশমগুটির চাষের উৎপাদন পদ্ধতি গোপন রাখার জন্য অনেক সর্তকতা অবলম্বন করেন, কিন্তু এর চাষ পরে জাপান, কোরিয়া এবং ভারতে আবির্ভূত হতে শুরু হয়। রেশম বাণিজ্যের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় মিশরের ২১তম রাজবংশের (সি. ১০৭০ খ্রিস্টপূর্ব) একটি মমির চুলে পাওয়া রেশম থেকে। ইউরোপে, যদিও রোমান সাম্রাজ্য রেশমের চাষ জানতো এবং সমাদর করতো, কিন্তু শুধু খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০, বাইজেন্টাইন সাম্রাজের সময় রেশমগুটির চাষ শুরু হয়েছে। উপকথা থেকে জানা যায় যে, সন্ন্যাসীরা আদেশে সম্রাট জাস্টেনিয়ান প্রথম কন্সটান্টিনোপলতে রেশম পোকা ডিমগুলো আনে। ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো ছিল ইউরোপের সর্বাধিক রেশম উৎপাদন শহর।
রেশম বাণিজ্যের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় কোথায়?
{ "answer_start": [ 1070, 1070 ], "text": [ "মিশরের ২১তম রাজবংশের (সি. ১০৭০ খ্রিস্টপূর্ব) একটি মমির চুলে", "মিশরের ২১তম রাজবংশের (সি. ১০৭০ খ্রিস্টপূর্ব) একটি মমির চুলে" ] }
bn_wiki_0441_04
রেশম তন্তু
রেশম একধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যার কয়েকটি ধরন বস্ত্রশিল্প বয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়। রেশমের সর্বাধিক পরিচিত ধরন বম্বিক্স মোরি নামের রেশম পোকার লার্ভার গুটি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এক ধরনের রেশম পোকার গুটি থেকে এ ধরনের সূতা পাওয়া যায়। বিশেষ ব্যবস্থায় রেশম পোকা চাষের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এই সূতা প্রস্তুত করা হয়। রেশম পোকার গুটি চাষের পদ্ধতিকে সেরিকালচার বলা হয়। প্রাচীনকাল সর্বপ্রথম চীনে রেশমগুটির চাষ করা হয়। রেশমের জন্য চীনের সম্রাটের স্ত্রী লেই চু এর অনেক ভূমিকা রয়েছে। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৩,৫০০ আগে থেকেই চীনারা রেশমের ব্যবহার করতে জানতো। প্রথম দিকে রেশমের জামা চীনা সম্রাটের জন্য সংরক্ষণ করা হতো। পরে এটি সে সময় সামাজের ধনী শ্রেণীর তোষাখানাতে স্থান পায় এবং এর সৌন্দর্য্য ও হালকা গুণগত মানের জন্য পরে এটি চীনা ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রেশমের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি আন্তজার্তিক ব্যবসায় পরিণত হয় এবং একে শিল্পায়ন ভাবে চাষ করা শুরু হয়। চীনা সম্রাটরা রেশমগুটির চাষের উৎপাদন পদ্ধতি গোপন রাখার জন্য অনেক সর্তকতা অবলম্বন করেন, কিন্তু এর চাষ পরে জাপান, কোরিয়া এবং ভারতে আবির্ভূত হতে শুরু হয়। রেশম বাণিজ্যের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় মিশরের ২১তম রাজবংশের (সি. ১০৭০ খ্রিস্টপূর্ব) একটি মমির চুলে পাওয়া রেশম থেকে। ইউরোপে, যদিও রোমান সাম্রাজ্য রেশমের চাষ জানতো এবং সমাদর করতো, কিন্তু শুধু খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০, বাইজেন্টাইন সাম্রাজের সময় রেশমগুটির চাষ শুরু হয়েছে। উপকথা থেকে জানা যায় যে, সন্ন্যাসীরা আদেশে সম্রাট জাস্টেনিয়ান প্রথম কন্সটান্টিনোপলতে রেশম পোকা ডিমগুলো আনে। ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো ছিল ইউরোপের সর্বাধিক রেশম উৎপাদন শহর।
রেশম পোকার গুটি চাষের পদ্ধতিকে কী বলে?
{ "answer_start": [ 355, 355 ], "text": [ "সেরিকালচার", "সেরিকালচার" ] }
bn_wiki_0441_05
রেশম তন্তু
রেশম একধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যার কয়েকটি ধরন বস্ত্রশিল্প বয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়। রেশমের সর্বাধিক পরিচিত ধরন বম্বিক্স মোরি নামের রেশম পোকার লার্ভার গুটি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এক ধরনের রেশম পোকার গুটি থেকে এ ধরনের সূতা পাওয়া যায়। বিশেষ ব্যবস্থায় রেশম পোকা চাষের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এই সূতা প্রস্তুত করা হয়। রেশম পোকার গুটি চাষের পদ্ধতিকে সেরিকালচার বলা হয়। প্রাচীনকাল সর্বপ্রথম চীনে রেশমগুটির চাষ করা হয়। রেশমের জন্য চীনের সম্রাটের স্ত্রী লেই চু এর অনেক ভূমিকা রয়েছে। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৩,৫০০ আগে থেকেই চীনারা রেশমের ব্যবহার করতে জানতো। প্রথম দিকে রেশমের জামা চীনা সম্রাটের জন্য সংরক্ষণ করা হতো। পরে এটি সে সময় সামাজের ধনী শ্রেণীর তোষাখানাতে স্থান পায় এবং এর সৌন্দর্য্য ও হালকা গুণগত মানের জন্য পরে এটি চীনা ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রেশমের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি আন্তজার্তিক ব্যবসায় পরিণত হয় এবং একে শিল্পায়ন ভাবে চাষ করা শুরু হয়। চীনা সম্রাটরা রেশমগুটির চাষের উৎপাদন পদ্ধতি গোপন রাখার জন্য অনেক সর্তকতা অবলম্বন করেন, কিন্তু এর চাষ পরে জাপান, কোরিয়া এবং ভারতে আবির্ভূত হতে শুরু হয়। রেশম বাণিজ্যের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় মিশরের ২১তম রাজবংশের (সি. ১০৭০ খ্রিস্টপূর্ব) একটি মমির চুলে পাওয়া রেশম থেকে। ইউরোপে, যদিও রোমান সাম্রাজ্য রেশমের চাষ জানতো এবং সমাদর করতো, কিন্তু শুধু খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০, বাইজেন্টাইন সাম্রাজের সময় রেশমগুটির চাষ শুরু হয়েছে। উপকথা থেকে জানা যায় যে, সন্ন্যাসীরা আদেশে সম্রাট জাস্টেনিয়ান প্রথম কন্সটান্টিনোপলতে রেশম পোকা ডিমগুলো আনে। ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো ছিল ইউরোপের সর্বাধিক রেশম উৎপাদন শহর।
১২০০ খ্রিষ্টাব্দে কোন গুলো ইউরোপের সর্বাধিক রেশম উৎপাদন শহর ছিল?
{ "answer_start": [ 1422, 1422 ], "text": [ "ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো", "ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো" ] }
bn_wiki_2027_02
ফলো-অন
ফলো-অন ক্রিকেটের একটি পরিভাষা। যখন কোন দল তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করার পরই অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও পুনরায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে বাধ্য হয়, তখন তা ফলো-অন নামে বিবেচিত হয়। কেননা উল্লিখিত দলটি প্রতিপক্ষীয় দলের প্রথম ইনিংসের মোট রানের তুলনায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবার মতো প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করতে পারেনি। যদি দ্বিতীয় দল প্রথম দলের তুলনায় যথেষ্ট সংখ্যায় রান তুলতে ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রথম দল দ্বিতীয় দলকে পুনরায় দ্রুততম সময়ে মাঠে নামার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাটিংয়ের ইনিংসের ধারাবাহিকতা হচ্ছে - প্রথম দল, দ্বিতীয় দল, দ্বিতীয় দল ও প্রয়োজন পড়লে প্রথম দল আবারো ব্যাটিংয়ে নামবে। এ প্রক্রিয়াটি ব্যাটিং ইনিংসের স্বাভাবিক অগ্রগতির বৈপরীত্য অর্থ বহন করে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে - প্রথম দল, দ্বিতীয় দল, প্রথম দল ও দ্বিতীয় দলের ইনিংস। এ আইনটি ক্রিকেটের বৈশ্বিক পরিচালনাকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রণীত ক্রিকেটের আইনের ১৩ ধারায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
ফলো-অনের আইনটি ক্রিকেটের বৈশ্বিক পরিচালনাকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রণীত ক্রিকেটের আইনের কত নম্বর ধারায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে?
{ "answer_start": [ 886, 886 ], "text": [ "১৩", "১৩" ] }
bn_wiki_2027_04
ফলো-অন
ফলো-অন ক্রিকেটের একটি পরিভাষা। যখন কোন দল তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করার পরই অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও পুনরায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে বাধ্য হয়, তখন তা ফলো-অন নামে বিবেচিত হয়। কেননা উল্লিখিত দলটি প্রতিপক্ষীয় দলের প্রথম ইনিংসের মোট রানের তুলনায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবার মতো প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করতে পারেনি। যদি দ্বিতীয় দল প্রথম দলের তুলনায় যথেষ্ট সংখ্যায় রান তুলতে ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রথম দল দ্বিতীয় দলকে পুনরায় দ্রুততম সময়ে মাঠে নামার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাটিংয়ের ইনিংসের ধারাবাহিকতা হচ্ছে - প্রথম দল, দ্বিতীয় দল, দ্বিতীয় দল ও প্রয়োজন পড়লে প্রথম দল আবারো ব্যাটিংয়ে নামবে। এ প্রক্রিয়াটি ব্যাটিং ইনিংসের স্বাভাবিক অগ্রগতির বৈপরীত্য অর্থ বহন করে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে - প্রথম দল, দ্বিতীয় দল, প্রথম দল ও দ্বিতীয় দলের ইনিংস। এ আইনটি ক্রিকেটের বৈশ্বিক পরিচালনাকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রণীত ক্রিকেটের আইনের ১৩ ধারায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
ফলো-অনের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় দলের ব্যাটিংয়ের ইনিংসের ধারাবাহিকতার ক্রম কিরূপ হবে যদি সব দলই দুইবার করে ব্যাট করার সুযোগ পায়?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_2027_05
ফলো-অন
ফলো-অন ক্রিকেটের একটি পরিভাষা। যখন কোন দল তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করার পরই অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও পুনরায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে বাধ্য হয়, তখন তা ফলো-অন নামে বিবেচিত হয়। কেননা উল্লিখিত দলটি প্রতিপক্ষীয় দলের প্রথম ইনিংসের মোট রানের তুলনায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবার মতো প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করতে পারেনি। যদি দ্বিতীয় দল প্রথম দলের তুলনায় যথেষ্ট সংখ্যায় রান তুলতে ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রথম দল দ্বিতীয় দলকে পুনরায় দ্রুততম সময়ে মাঠে নামার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাটিংয়ের ইনিংসের ধারাবাহিকতা হচ্ছে - প্রথম দল, দ্বিতীয় দল, দ্বিতীয় দল ও প্রয়োজন পড়লে প্রথম দল আবারো ব্যাটিংয়ে নামবে। এ প্রক্রিয়াটি ব্যাটিং ইনিংসের স্বাভাবিক অগ্রগতির বৈপরীত্য অর্থ বহন করে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে - প্রথম দল, দ্বিতীয় দল, প্রথম দল ও দ্বিতীয় দলের ইনিংস। এ আইনটি ক্রিকেটের বৈশ্বিক পরিচালনাকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রণীত ক্রিকেটের আইনের ১৩ ধারায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
কোন দলকে ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্ত দলের কোন সদস্য নিয়ে থাকেন?
{ "answer_start": [], "text": [] }
bn_wiki_2651_01
সতীদাহ
সতীদাহ প্রথা হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে বা আত্মহুতি দেবার ঐতিহাসিক প্রথা, যা রাজা রামমোহন রায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বন্ধ হয়। মূলত উত্তরে এবং প্রাক আধুনিক যুগে পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে এই প্রথা পালিত হতে দেখা যেত ৷কোন সময় থেকে এই প্রথার উদ্ভব হয় এটা নিয়ে তেমন কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় নি ৷ গুপ্ত সাম্রাজ্যের (খ্রিষ্টাব্দ ৪০০) পূর্ব হতেই এ প্রথার প্রচলন সম্পর্কে ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়। গ্রিক দিগ্বিজয়ী সম্রাট আলেকজান্ডারের সাথে ভারতে এসেছিলেন ক্যাসান্ড্রিয়ার ঐতিহাসিক এরিস্টোবুলুস। তিনি টাক্সিলা (তক্ষশীলা) শহরে সতীদাহ প্রথার ঘটনা তার লেখনিতে সংরক্ষণ করেছিলেন। গ্রিক জেনারেল ইউমেনেস এর এক ভারতীয় সৈন্যের মৃত্যুতে তার দুই স্ত্রীই স্বত:প্রণোদিত হয়ে সহমরণে যায়; এ ঘটনা ঘটে খৃষ্ট পূর্বাব্দ ৩১৬ সালে। যদিও ঘটনার সত্বতা নিশ্চিত নয়। মূলতঃ স্বত:প্রণোদিত হয়েই পতির মৃত্যুতে স্ত্রী অগ্নিতে আত্মাহুতি দিত। পৌরাণিক কাহিনীতে এ আত্মাহুতি অতিমাত্রায় শোকের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখা হত। মহাভারত অনুসারে পাণ্ডুর দ্বিতীয় স্ত্রী মাদ্রী সহমরণে যান কারণ মাদ্রী মনে করেছিলেন পান্ডুর মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী যেহেতু পান্ডুকে যৌনসহবাসে মৃত্যুদন্ডের অভিশাপ দেওয়া হয়েছিল। যদিও মহাভারত এর কোনও অনুবাদক এর মত অনুযায়ী মাদ্রী স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পড়েই দুঃখে প্রান ত্যাগ করেন , এবং দুজনের দেহই একসাথে দাহ করা হয় । অর্থাৎ মাদ্রীকে দাহ করার আগেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। এছাড়াও, মৌষলপর্বে বসুদেবের মৃত্যুর পর তাঁর দেবকী, ভদ্রা, মদিরা ও রোহিণী নামক চার স্ত্রীর সহমরণে যাওয়ার উল্লেখ আছে। রাজপুতানায় "জহর ব্রত" প্রচলিত যাতে কোন শহর দখল হবার পূর্বেই পুরনারীরা আত্মসম্মান রক্ষার্থে আগুনে ঝাঁপ (বা জহর বা বিষ) দিয়ে স্বেছায় মৃত্যুবরণ করতেন, যা সতীদাহের অনুরূপ। কিন্তু কালক্রমে ৯০০ বছরের এই পুরানো কাজটি ভয়ঙ্কর প্রথার রুপ নেয় যা ইংরেজ আমলেও চালু ছিল। সহমরণের বিভিন্ন কারণগুলি ছিল - শোকের যাতনা থেকে নিষ্কৃতি, বিধবাজীবনের দুর্দশা থেকে মুক্তি, যশোস্পৃহা, সামাজিক কর্তব্যতা, লোকনিন্দার ভয়, অপরের প্ররোচনা, উৎপীড়ন ইত্যাদি। উৎপীড়নের বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে হিন্দু স্ত্রীকে সহমরণএ বাধ্য করা হত। বিশেষ করে কোন ধনী লোকের মৃত্যুর সম্পত্তি অধিকার করার লোভে তার আত্মীয়রা তার সদ্যবিধবা স্ত্রীকে ধরে বেঁধে, ঢাক-ঢোলের শব্দ দ্বারা তার কান্নার আওয়াজকে চাপা দিয়ে তার স্বামীর সাথে চিতায় শুইয়ে পুড়িয়ে মারতো। দিল্লি সুলতানি রাজত্বকালে সতীদাহ প্রথার জন্য যাতে বিধবাকে বাধ্য না করা হয় তাই সতীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সতীদাহ প্রথা সম্পাদন করার রীতি প্রবর্তন করা হয়েছিল। পরে এটি একটি প্রথানুগামিতার রূপ নেয়। মুহম্মদ বিন তুঘলক প্রথম শাসক যিনি সতীদাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। মুঘল সম্রাটরা স্থানীয় চলিত প্রথায় সাধারণত অন্তর্ভুক্ত হতেন না কিন্তু তারা এই প্রথা বন্ধের ব্যাপারে সচেষ্ট ছিলেন। মুঘল সম্রাট হুমায়ুন (১৫০৮-১৫৫৬) সর্বপ্রথম সতীদাহের বিরুদ্ধে রাজকীয় হুকুম দেন। এরপর সম্রাট আকবর (১৫৪২-১৬০৫) সতীদাহ আটকানোর জন্য সরকারীভাবে আদেশ জারি করেন যে, কোন নারী, প্রধান পুলিশ কর্মকর্তার সুনির্দিষ্ট অনুমতি ছাড়া সতীদাহ প্রথা পালন করতে পারবেন না। এছাড়াও এই প্রথা রদের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের অধিকার দেন যা তারা যতদিন সম্ভব ততদিন সতীর দাহের সিদ্ধান্তে বিলম্ব করতে পারেন। আকবর নিজে জয়মাল নামের একজন মহিলাকে সতীদাহ থেকে বাঁচিয়েছিলেন এবং তার পুত্রকে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। কারণ সে তার মাকে জোর করে 'সতী' করতে চেয়েছিল। বিধবাদেরকে উত্তরবেতন, উপহার, পুনর্বাসন ইতাদি সাহায্য দিয়েও এই প্রথা না পালনে উত্সাহিত করা হত। ফরাসি বণিক এবং ভ্রমণকারী তাভেনিয়ের লেখা থেকে জানা যায় যে, সম্রাট শাহ জাহানের রাজত্বে সঙ্গে শিশু আছে এমন বিধবাদেরকে কোনমতেই পুড়িয়ে মারতে দেওয়া হত না এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে, গভর্নররা তড়িঘড়ি সতীদাহের অনুমতি দিতেন না, কিন্তু ঘুষ দিয়ে করান যেত। বাদশাহ আওরংগজেব তাঁর সাম্রাজ্যে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে।
কোন শাসক সর্বপ্রথম সতীদাহ প্রথা বাতিলের চেষ্টা করেন?
{ "answer_start": [ 2329, 2328 ], "text": [ "মুহম্মদ বিন তুঘলক ", " মুহম্মদ বিন তুঘলক " ] }
bn_wiki_2651_02
সতীদাহ
সতীদাহ প্রথা হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে বা আত্মহুতি দেবার ঐতিহাসিক প্রথা, যা রাজা রামমোহন রায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বন্ধ হয়। মূলত উত্তরে এবং প্রাক আধুনিক যুগে পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে এই প্রথা পালিত হতে দেখা যেত ৷কোন সময় থেকে এই প্রথার উদ্ভব হয় এটা নিয়ে তেমন কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় নি ৷ গুপ্ত সাম্রাজ্যের (খ্রিষ্টাব্দ ৪০০) পূর্ব হতেই এ প্রথার প্রচলন সম্পর্কে ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়। গ্রিক দিগ্বিজয়ী সম্রাট আলেকজান্ডারের সাথে ভারতে এসেছিলেন ক্যাসান্ড্রিয়ার ঐতিহাসিক এরিস্টোবুলুস। তিনি টাক্সিলা (তক্ষশীলা) শহরে সতীদাহ প্রথার ঘটনা তার লেখনিতে সংরক্ষণ করেছিলেন। গ্রিক জেনারেল ইউমেনেস এর এক ভারতীয় সৈন্যের মৃত্যুতে তার দুই স্ত্রীই স্বত:প্রণোদিত হয়ে সহমরণে যায়; এ ঘটনা ঘটে খৃষ্ট পূর্বাব্দ ৩১৬ সালে। যদিও ঘটনার সত্বতা নিশ্চিত নয়। মূলতঃ স্বত:প্রণোদিত হয়েই পতির মৃত্যুতে স্ত্রী অগ্নিতে আত্মাহুতি দিত। পৌরাণিক কাহিনীতে এ আত্মাহুতি অতিমাত্রায় শোকের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখা হত। মহাভারত অনুসারে পাণ্ডুর দ্বিতীয় স্ত্রী মাদ্রী সহমরণে যান কারণ মাদ্রী মনে করেছিলেন পান্ডুর মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী যেহেতু পান্ডুকে যৌনসহবাসে মৃত্যুদন্ডের অভিশাপ দেওয়া হয়েছিল। যদিও মহাভারত এর কোনও অনুবাদক এর মত অনুযায়ী মাদ্রী স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পড়েই দুঃখে প্রান ত্যাগ করেন , এবং দুজনের দেহই একসাথে দাহ করা হয় । অর্থাৎ মাদ্রীকে দাহ করার আগেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। এছাড়াও, মৌষলপর্বে বসুদেবের মৃত্যুর পর তাঁর দেবকী, ভদ্রা, মদিরা ও রোহিণী নামক চার স্ত্রীর সহমরণে যাওয়ার উল্লেখ আছে। রাজপুতানায় "জহর ব্রত" প্রচলিত যাতে কোন শহর দখল হবার পূর্বেই পুরনারীরা আত্মসম্মান রক্ষার্থে আগুনে ঝাঁপ (বা জহর বা বিষ) দিয়ে স্বেছায় মৃত্যুবরণ করতেন, যা সতীদাহের অনুরূপ। কিন্তু কালক্রমে ৯০০ বছরের এই পুরানো কাজটি ভয়ঙ্কর প্রথার রুপ নেয় যা ইংরেজ আমলেও চালু ছিল। সহমরণের বিভিন্ন কারণগুলি ছিল - শোকের যাতনা থেকে নিষ্কৃতি, বিধবাজীবনের দুর্দশা থেকে মুক্তি, যশোস্পৃহা, সামাজিক কর্তব্যতা, লোকনিন্দার ভয়, অপরের প্ররোচনা, উৎপীড়ন ইত্যাদি। উৎপীড়নের বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে হিন্দু স্ত্রীকে সহমরণএ বাধ্য করা হত। বিশেষ করে কোন ধনী লোকের মৃত্যুর সম্পত্তি অধিকার করার লোভে তার আত্মীয়রা তার সদ্যবিধবা স্ত্রীকে ধরে বেঁধে, ঢাক-ঢোলের শব্দ দ্বারা তার কান্নার আওয়াজকে চাপা দিয়ে তার স্বামীর সাথে চিতায় শুইয়ে পুড়িয়ে মারতো। দিল্লি সুলতানি রাজত্বকালে সতীদাহ প্রথার জন্য যাতে বিধবাকে বাধ্য না করা হয় তাই সতীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সতীদাহ প্রথা সম্পাদন করার রীতি প্রবর্তন করা হয়েছিল। পরে এটি একটি প্রথানুগামিতার রূপ নেয়। মুহম্মদ বিন তুঘলক প্রথম শাসক যিনি সতীদাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। মুঘল সম্রাটরা স্থানীয় চলিত প্রথায় সাধারণত অন্তর্ভুক্ত হতেন না কিন্তু তারা এই প্রথা বন্ধের ব্যাপারে সচেষ্ট ছিলেন। মুঘল সম্রাট হুমায়ুন (১৫০৮-১৫৫৬) সর্বপ্রথম সতীদাহের বিরুদ্ধে রাজকীয় হুকুম দেন। এরপর সম্রাট আকবর (১৫৪২-১৬০৫) সতীদাহ আটকানোর জন্য সরকারীভাবে আদেশ জারি করেন যে, কোন নারী, প্রধান পুলিশ কর্মকর্তার সুনির্দিষ্ট অনুমতি ছাড়া সতীদাহ প্রথা পালন করতে পারবেন না। এছাড়াও এই প্রথা রদের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের অধিকার দেন যা তারা যতদিন সম্ভব ততদিন সতীর দাহের সিদ্ধান্তে বিলম্ব করতে পারেন। আকবর নিজে জয়মাল নামের একজন মহিলাকে সতীদাহ থেকে বাঁচিয়েছিলেন এবং তার পুত্রকে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। কারণ সে তার মাকে জোর করে 'সতী' করতে চেয়েছিল। বিধবাদেরকে উত্তরবেতন, উপহার, পুনর্বাসন ইতাদি সাহায্য দিয়েও এই প্রথা না পালনে উত্সাহিত করা হত। ফরাসি বণিক এবং ভ্রমণকারী তাভেনিয়ের লেখা থেকে জানা যায় যে, সম্রাট শাহ জাহানের রাজত্বে সঙ্গে শিশু আছে এমন বিধবাদেরকে কোনমতেই পুড়িয়ে মারতে দেওয়া হত না এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে, গভর্নররা তড়িঘড়ি সতীদাহের অনুমতি দিতেন না, কিন্তু ঘুষ দিয়ে করান যেত। বাদশাহ আওরংগজেব তাঁর সাম্রাজ্যে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে।
কার প্রচেষ্টায় সতীদাহ প্রথা বাতিল হয়?
{ "answer_start": [ 111, 111 ], "text": [ "রাজা রামমোহন রায়ের", "রাজা রামমোহন রায়ের" ] }
bn_wiki_1343_01
রবি (মোবাইল ফোন কোম্পানি)
২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে, ঘোষণা করা হয়েছিল যে রবি আজিয়াটা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ একত্রিত হবে। সংযুক্ত নেটওয়ার্কটি রবি নামে পরিচিত হবে, যা উভয় নেটওয়ার্কে মিলিত ৪০ মিলিয়ন গ্রাহককে সেবা দেবে। আজিয়াটা গ্রুপের ৬৮.৩ ভাগ শেয়ার হবে, ভারতী গ্রুপের ২৫% শেয়ার হবে। অবশিষ্ট শেয়ার এনটিটি ডকোমো মালিকানাধীন থাকবে। ১৬ নভেম্বর ২০১৬ সালে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড একত্রিত হয়। এই একীভূতকরণের ফলে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড আইনগত বিলুপ্ত হয় এবং এয়ারটেল গ্রাহকরা রবি আজিয়াটা লিমিটেডের অধীনে পরিচালিত হতে শুরু করে। বাংলাদেশে এয়ারটেল গ্রাহকরা রবি আজিয়াটা লিমিটেডের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে।
কত তারিখে ঘোষণা করা হয়েছিল যে রবি আজিয়াটা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ একত্রিত হবে ?
{ "answer_start": [ 0, 0 ], "text": [ "২৮ জানুয়ারি ২০১৬", "২৮ জানুয়ারি ২০১৬" ] }
bn_wiki_1343_02
রবি (মোবাইল ফোন কোম্পানি)
২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে, ঘোষণা করা হয়েছিল যে রবি আজিয়াটা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ একত্রিত হবে। সংযুক্ত নেটওয়ার্কটি রবি নামে পরিচিত হবে, যা উভয় নেটওয়ার্কে মিলিত ৪০ মিলিয়ন গ্রাহককে সেবা দেবে। আজিয়াটা গ্রুপের ৬৮.৩ ভাগ শেয়ার হবে, ভারতী গ্রুপের ২৫% শেয়ার হবে। অবশিষ্ট শেয়ার এনটিটি ডকোমো মালিকানাধীন থাকবে। ১৬ নভেম্বর ২০১৬ সালে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড একত্রিত হয়। এই একীভূতকরণের ফলে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড আইনগত বিলুপ্ত হয় এবং এয়ারটেল গ্রাহকরা রবি আজিয়াটা লিমিটেডের অধীনে পরিচালিত হতে শুরু করে। বাংলাদেশে এয়ারটেল গ্রাহকরা রবি আজিয়াটা লিমিটেডের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে।
কত তারিখে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড একত্রিত হয় ?
{ "answer_start": [ 309, 309 ], "text": [ "১৬ নভেম্বর ২০১৬", "১৬ নভেম্বর ২০১৬" ] }
bn_wiki_1567_01
পাবলো নেরুদা
রিকার্দো এলিয়েসের নেফতালি রেইয়েস বাসোয়ালতো ১৯০৪ সালের ১২ই জুলাই চিলির সান্তিয়াগোর ৩৫০ কিমি দক্ষিণের লিনারেস প্রদেশের (বর্তমান বৃহত্তর মাউলে অঞ্চল) পাররাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হোসে দেল কারমেন রেইয়েস মোরেলস একজন রেলওয়ের কর্মকর্তা এবং মাতা রোসা নেফতালি বাসোয়ালতো ওপাজো একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তার মাতা তার জন্মের দুমাস পর মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর পরই রেইয়েস তেমুকোতে পাড়ি জমান। তিনি সেখানে ত্রিনিদাদ কানদিয়া মালভারদে নামক একটি মহিলাকে বিয়ে করেন, যার পূর্বে নয় বছর বয়সী রোদোলফো দে লা রোসা নামক একজন পুত্রসন্তান ছিল। নেরুদা তেমুকোতে তার সৎভাই রোদোলফো এবং আউরেইয়া তোলরা নামক একজন কাতালান মহিলার সাথে তার পিতার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ফলে জন্ম নেওয়া সৎবোন লরা হেরমিনিয়া "লরিতা"র সাথে বেড়ে ওঠেন। তিনি তার প্রথম দিকের কবিতাগুলো ১৯১৪ সালের শীতকালে রচনা করেছিলেন। নেরুদা একজন নাস্তিক।
পাবলো নেরুদার পিতার নামে কী ছিল?
{ "answer_start": [ 188, 188 ], "text": [ "হোসে দেল কারমেন রেইয়েস মোরেলস", "হোসে দেল কারমেন রেইয়েস মোরেলস" ] }
bn_wiki_1567_02
পাবলো নেরুদা
রিকার্দো এলিয়েসের নেফতালি রেইয়েস বাসোয়ালতো ১৯০৪ সালের ১২ই জুলাই চিলির সান্তিয়াগোর ৩৫০ কিমি দক্ষিণের লিনারেস প্রদেশের (বর্তমান বৃহত্তর মাউলে অঞ্চল) পাররাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হোসে দেল কারমেন রেইয়েস মোরেলস একজন রেলওয়ের কর্মকর্তা এবং মাতা রোসা নেফতালি বাসোয়ালতো ওপাজো একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তার মাতা তার জন্মের দুমাস পর মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর পরই রেইয়েস তেমুকোতে পাড়ি জমান। তিনি সেখানে ত্রিনিদাদ কানদিয়া মালভারদে নামক একটি মহিলাকে বিয়ে করেন, যার পূর্বে নয় বছর বয়সী রোদোলফো দে লা রোসা নামক একজন পুত্রসন্তান ছিল। নেরুদা তেমুকোতে তার সৎভাই রোদোলফো এবং আউরেইয়া তোলরা নামক একজন কাতালান মহিলার সাথে তার পিতার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ফলে জন্ম নেওয়া সৎবোন লরা হেরমিনিয়া "লরিতা"র সাথে বেড়ে ওঠেন। তিনি তার প্রথম দিকের কবিতাগুলো ১৯১৪ সালের শীতকালে রচনা করেছিলেন। নেরুদা একজন নাস্তিক।
পাবলো নেরুদার মায়ের পেশা কী ছিল?
{ "answer_start": [ 287, 287 ], "text": [ "বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা", "বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা" ] }